বুখারী আচার ব্যবহার অধ্যায় ৩য় ভাগ হাদিস নং ৬১৪১ – ৬২২৬

৭৮/৮৮. অধ্যায়ঃ

মেহ্‌মানকে মেজবানের ( এ কথা) বলা যে, যতক্ষন পর্যন্ত আপনি না খান ততক্ষণ আমিও খাব না।

এ সম্পর্কে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে আবূ জুহাইফাহ্‌র হাদীস রয়েছে।

৬১৪১

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ ـ رضى الله عنهما جَاءَ أَبُو بَكْرٍ بِضَيْفٍ لَهُ أَوْ بِأَضْيَافٍ لَهُ، فَأَمْسَى عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا جَاءَ قَالَتْ أُمِّي احْتَبَسْتَ عَنْ ضَيْفِكَ ـ أَوْ أَضْيَافِكَ ـ اللَّيْلَةَ‏.‏ قَالَ مَا عَشَّيْتِهِمْ فَقَالَتْ عَرَضْنَا عَلَيْهِ ـ أَوْ عَلَيْهِمْ فَأَبَوْا أَوْ ـ فَأَبَى، فَغَضِبَ أَبُو بَكْرٍ فَسَبَّ وَجَدَّعَ وَحَلَفَ لاَ يَطْعَمُهُ، فَاخْتَبَأْتُ أَنَا فَقَالَ يَا غُنْثَرُ‏.‏ فَحَلَفَتِ الْمَرْأَةُ لاَ تَطْعَمُهُ حَتَّى يَطْعَمَهُ، فَحَلَفَ الضَّيْفُ ـ أَوِ الأَضْيَافُ ـ أَنْ لاَ يَطْعَمَهُ أَوْ يَطْعَمُوهُ حَتَّى يَطْعَمَهُ، فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ كَأَنَّ هَذِهِ مِنَ الشَّيْطَانِ فَدَعَا بِالطَّعَامِ فَأَكَلَ وَأَكَلُوا فَجَعَلُوا لاَ يَرْفَعُونَ لُقْمَةً إِلاَّ رَبَا مِنْ أَسْفَلِهَا أَكْثَرُ مِنْهَا، فَقَالَ يَا أُخْتَ بَنِي فِرَاسٍ مَا هَذَا فَقَالَتْ وَقُرَّةِ عَيْنِي إِنَّهَا الآنَ لأَكْثَرُ قَبْلَ أَنْ نَأْكُلَ فَأَكَلُوا وَبَعَثَ بِهَا إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ أَنَّهُ أَكَلَ مِنْهَا‏.‏

আবদূর রহমান ইবনু আবূ বাক্‌র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ একবার আবূ বকর (রাঃ) তাঁর একজন কিংবা কয়েকজন মেহ্‌মান নিয়ে এলেন এবং সন্ধ্যার সময় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে গেলেন। তিনি ফিরে আসলে আমার মা তাঁকে বললেনঃ আপনি মেহ্‌মানকে, কিংবা বললেন, মেহ্‌মানদের (ঘরে) রেখে (এতো) রাত কোথায় আটকা পড়েছিলেন? তিনি তাঁকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কি তাদের খাবার দাওনি? তিনি বললেনঃ আমি তাদের সামনে খাবার দিয়েছিলাম কিন্তু তারা, বা সে তা খেতে অস্বীকার করলেন। তখন আবূ বকর (রাঃ) রেগে গাল মন্দ করলেন ও বদ্‌ দু’আ করলেন। আর শপথ করলেন যে, তিনি খাবার খাবেন না। আমি লুকিয়ে ছিলাম। তিনি আমাকে ডেকে বললেনঃ ওরে মূর্খ! তখন মহিলা (আমার মাও) কসম করলেন যে, যে পর্যন্ত তিনি না খাবেন ততক্ষণ মাও খাবেন না। এদিকে মেহ্‌মানটি বা মেহ্‌মানরাও কসম খেয়ে বললেন যে, যে পর্যন্ত তিনি না খান, সে পর্যন্ত তারাও খাবেন না। তখন আবূ বকর (রাঃ) বললেনঃ এ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে শয়তান থেকে। তারপর তিনি খাবার আনতে বললেন। আর তিনি খেলেন এবং মেহ্‌মানরাও খেলেন। কিন্তু তারা খাওয়া আরম্ভ করে যতবারই ‘লুক্‌মা’ উঠাতে লাগলেন, তার নীচে থেকে তার চেয়েও অধিক খাবার বাড়তে লাগলো। তখন তিনি তাঁর স্ত্রীকে ডেকে বললেনঃ হে বানী ফেরাসের বোন এ কী? তিনি বললেনঃ আমার চোখের প্রশান্তির কসম! এতো আমাদের পূর্বের খাবার থেকে এখন অনেক অধিক দেখছি। তখন সবাই খেলেন এবং তা থেকে তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট কিছু পাঠিয়ে দিলেন। তারপর তিনি বর্ননা করেন যে, তা থেকে তিনিও খেয়েছিলেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭০২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৯৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/৮৯. অধ্যায়ঃ

বড়কে সন্মান করা। বয়সে যিনি বড় তিনিই কথাবার্তা ও প্রশ্নাদি শুরু করবেন।

৬১৪২

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، هُوَ ابْنُ زَيْدٍ ـ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، مَوْلَى الأَنْصَارِ عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، وَسَهْلَ بْنَ أَبِي حَثْمَةَ، أَنَّهُمَا حَدَّثَاهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَهْلٍ وَمُحَيِّصَةَ بْنَ مَسْعُودٍ أَتَيَا خَيْبَرَ فَتَفَرَّقَا فِي النَّخْلِ، فَقُتِلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَهْلٍ، فَجَاءَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَهْلٍ وَحُوَيِّصَةُ وَمُحَيِّصَةُ ابْنَا مَسْعُودٍ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَتَكَلَّمُوا فِي أَمْرِ صَاحِبِهِمْ فَبَدَأَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ، وَكَانَ أَصْغَرَ الْقَوْمِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ كَبِّرِ الْكُبْرَ ‏”‏‏.‏ ـ قَالَ يَحْيَى لِيَلِيَ الْكَلاَمَ الأَكْبَرُ ـ فَتَكَلَّمُوا فِي أَمْرِ صَاحِبِهِمْ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَتَسْتَحِقُّونَ قَتِيلَكُمْ ـ أَوْ قَالَ صَاحِبَكُمْ ـ بِأَيْمَانِ خَمْسِينَ مِنْكُمْ ‏”‏‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَمْرٌ لَمْ نَرَهُ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَتُبْرِئُكُمْ يَهُودُ فِي أَيْمَانِ خَمْسِينَ مِنْهُمْ ‏”‏‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَوْمٌ كُفَّارٌ‏.‏ فَوَدَاهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ قِبَلِهِ‏.‏ قَالَ سَهْلٌ فَأَدْرَكْتُ نَاقَةً مِنْ تِلْكَ الإِبِلِ، فَدَخَلَتْ مِرْبَدًا لَهُمْ فَرَكَضَتْنِي بِرِجْلِهَا‏.‏

قَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يَحْيَى، عَنْ بُشَيْرٍ، عَنْ سَهْلٍ، قَالَ يَحْيَى حَسِبْتُ أَنَّهُ قَالَ مَعَ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، وَقَالَ ابْنُ عُيَيْنَةَ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ بُشَيْرٍ عَنْ سَهْلٍ وَحْدَهُ‏.

রাফি’ ইবনু খাদীজ (রাঃ) ও সাহ্‌ল ইবনু আবূ হাস্‌মাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, একবার ‘আব্দুল্লাহ ইবনু সাহ্‌ল ও মুহাইসাহ্‌ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) খাইবারে পৌঁছে উভয়েই খেজুরের বাগানের ভিন্ন ভিন্ন পথে চলে গেলেন। সেখানে ‘আবদুল্লাহ ইবনু সাহ্‌ল (রাঃ) -কে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর ‘আবদুর রহমান ইবনু সাহ্‌ল ও ইবনু মাস’ঊদ এর দুই ছেলে হুওয়াইসাহ (রাঃ) ও মুহাইসাহ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে এলেন এবং তাঁর কাছে নিহত ব্যক্তির কথা বলতে লাগলেন। ‘আবদুর রহমান (রাঃ) কথা শুরু করলেন। তিনি ছোট ছিলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের বললেনঃ তুমি বড়দের ইজ্জত করবে। বর্ননাকারী ইয়াহ্‌ইয়া বলেনঃ কথা বলার দায়িত্ব যেন বড়রা পালন করে। তখন তারা তাদের লোক সম্পর্কে কথা বললেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের বললেনঃ তোমাদের পঞ্চাশ জন লোক কসম করে তোমাদের নিহত ভাইয়ের হত্যার হক প্রমান কর। তাঁরা বললেনঃ হে আল্লাহর রসূল! ঘটনা তো আমরা দেখিনি। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তা হলে ইয়াহূদীরা তাদের থেকে পঞ্চাশ জন কসম করে তোমাদের কসম থেকে মুক্তি দিবে। তখন তারা বললেনঃ হে আল্লাহর রসূল! ওরা তো কাফির সম্প্রদায়। তারপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজের তরফ থেকে তাদের নিহত ব্যক্তির ফিদ্‌ইয়া দিয়ে দিলেন।

সাহ্‌ল (রাঃ) বললেনঃ আমি সেই ঊটগুলো থেকে একটি উট পেলাম। সেটি নিয়ে আমি যখন আস্তাবলে গেলাম তখন উটনীটি তার পা দিয়ে আমাকে লাথি মারলো। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭০৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৯৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৪৩

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، هُوَ ابْنُ زَيْدٍ ـ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، مَوْلَى الأَنْصَارِ عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، وَسَهْلَ بْنَ أَبِي حَثْمَةَ، أَنَّهُمَا حَدَّثَاهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَهْلٍ وَمُحَيِّصَةَ بْنَ مَسْعُودٍ أَتَيَا خَيْبَرَ فَتَفَرَّقَا فِي النَّخْلِ، فَقُتِلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَهْلٍ، فَجَاءَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَهْلٍ وَحُوَيِّصَةُ وَمُحَيِّصَةُ ابْنَا مَسْعُودٍ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَتَكَلَّمُوا فِي أَمْرِ صَاحِبِهِمْ فَبَدَأَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ، وَكَانَ أَصْغَرَ الْقَوْمِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ كَبِّرِ الْكُبْرَ ‏”‏‏.‏ ـ قَالَ يَحْيَى لِيَلِيَ الْكَلاَمَ الأَكْبَرُ ـ فَتَكَلَّمُوا فِي أَمْرِ صَاحِبِهِمْ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَتَسْتَحِقُّونَ قَتِيلَكُمْ ـ أَوْ قَالَ صَاحِبَكُمْ ـ بِأَيْمَانِ خَمْسِينَ مِنْكُمْ ‏”‏‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَمْرٌ لَمْ نَرَهُ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَتُبْرِئُكُمْ يَهُودُ فِي أَيْمَانِ خَمْسِينَ مِنْهُمْ ‏”‏‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَوْمٌ كُفَّارٌ‏.‏ فَوَدَاهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ قِبَلِهِ‏.‏ قَالَ سَهْلٌ فَأَدْرَكْتُ نَاقَةً مِنْ تِلْكَ الإِبِلِ، فَدَخَلَتْ مِرْبَدًا لَهُمْ فَرَكَضَتْنِي بِرِجْلِهَا‏.‏

قَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يَحْيَى، عَنْ بُشَيْرٍ، عَنْ سَهْلٍ، قَالَ يَحْيَى حَسِبْتُ أَنَّهُ قَالَ مَعَ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، وَقَالَ ابْنُ عُيَيْنَةَ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ بُشَيْرٍ عَنْ سَهْلٍ وَحْدَهُ‏.‏

রাফি’ ইবনু খাদীজ (রাঃ) ও সাহ্‌ল ইবনু আবূ হাস্‌মাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, একবার ‘আব্দুল্লাহ ইবনু সাহ্‌ল ও মুহাইসাহ্‌ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) খাইবারে পৌঁছে উভয়েই খেজুরের বাগানের ভিন্ন ভিন্ন পথে চলে গেলেন। সেখানে ‘আবদুল্লাহ ইবনু সাহ্‌ল (রাঃ) -কে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর ‘আবদুর রহমান ইবনু সাহ্‌ল ও ইবনু মাস’ঊদ এর দুই ছেলে হুওয়াইসাহ (রাঃ) ও মুহাইসাহ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে এলেন এবং তাঁর কাছে নিহত ব্যক্তির কথা বলতে লাগলেন। ‘আবদুর রহমান (রাঃ) কথা শুরু করলেন। তিনি ছোট ছিলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের বললেনঃ তুমি বড়দের ইজ্জত করবে। বর্ননাকারী ইয়াহ্‌ইয়া বলেনঃ কথা বলার দায়িত্ব যেন বড়রা পালন করে। তখন তারা তাদের লোক সম্পর্কে কথা বললেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের বললেনঃ তোমাদের পঞ্চাশ জন লোক কসম করে তোমাদের নিহত ভাইয়ের হত্যার হক প্রমান কর। তাঁরা বললেনঃ হে আল্লাহর রসূল! ঘটনা তো আমরা দেখিনি। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তা হলে ইয়াহূদীরা তাদের থেকে পঞ্চাশ জন কসম করে তোমাদের কসম থেকে মুক্তি দিবে। তখন তারা বললেনঃ হে আল্লাহর রসূল! ওরা তো কাফির সম্প্রদায়। তারপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজের তরফ থেকে তাদের নিহত ব্যক্তির ফিদ্‌ইয়া দিয়ে দিলেন।

সাহ্‌ল (রাঃ) বললেনঃ আমি সেই ঊটগুলো থেকে একটি উট পেলাম। সেটি নিয়ে আমি যখন আস্তাবলে গেলাম তখন উটনীটি তার পা দিয়ে আমাকে লাথি মারলো।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭০৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৯৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৪৪

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَخْبِرُونِي بِشَجَرَةٍ مَثَلُهَا مَثَلُ الْمُسْلِمِ، تُؤْتِي أُكُلَهَا كُلَّ حِينٍ بِإِذْنِ رَبِّهَا، وَلاَ تَحُتُّ وَرَقَهَا ‏”‏‏.‏ فَوَقَعَ فِي نَفْسِي أَنَّهَا النَّخْلَةُ، فَكَرِهْتُ أَنْ أَتَكَلَّمَ وَثَمَّ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ، فَلَمَّا لَمْ يَتَكَلَّمَا قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ هِيَ النَّخْلَةُ ‏”‏‏.‏ فَلَمَّا خَرَجْتُ مَعَ أَبِي قُلْتُ يَا أَبَتَاهْ وَقَعَ فِي نَفْسِي أَنَّهَا النَّخْلَةُ‏.‏ قَالَ مَا مَنَعَكَ أَنْ تَقُولَهَا لَوْ كُنْتَ قُلْتَهَا كَانَ أَحَبَّ إِلَىَّ مِنْ كَذَا وَكَذَا‏.‏ قَالَ مَا مَنَعَنِي إِلاَّ أَنِّي لَمْ أَرَكَ وَلاَ أَبَا بَكْرٍ تَكَلَّمْتُمَا، فَكَرِهْتُ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা আমাকে এমন একটা বৃক্ষের খবর দাও, যার দৃষ্টান্ত মুসলিমের মত। তা সর্বদা তার প্রতিপালকের নির্দেশে খাদ্য দান করে, আর এর পাতাও ঝড়ে না। তখন আমার মনে হল যে এটি খেজুর গাছ। কিন্তু যেহেতু সে স্থানে আবূ বাক্‌র ও ‘উমার (রাঃ) উপস্থিত থেকেও কথা বলছিলেন না , তাই আমিও কথা বলা পছন্দ করিনি। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজেই বললেন এটি খেজুর গাছ। তারপর আমি যখন আমার আব্বার সাথে বেরিয়ে এলাম, তখন আমি বললাম আব্বা! আমার মনেও খেয়াল এসেছিল যে, এটা নিশ্চয়ই খেজুর গাছ। তিনি বললেনঃ তোমাকে তা বলতে কিসে বাধা দিয়েছিল? যদি তুমি তা বলতে তাহলে এ কথা আমার কাছে এত এত ধন সম্পদ পাওয়ার চেয়েও অধিক প্রিয় হত। তিনি বললেনঃ আমাকে শুধু এ কথাই বাধা দিয়েছিল যে, আমি দেখলাম, আপনি ও আবূ বকর (রাঃ) -কেউই কথা বলছেন না। তাই আমিও কথা বলা পছন্দ করলাম না। [৬১; মুসলিম ৫০/১৫, হাঃ ২৮১১, আহমাদ ৬৪৭৭] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭০৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬০০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/৯০. অধ্যায়ঃ

কবিতা পাঠ, সঙ্গীত ও উট হাঁকানোর সঙ্গীতের মধ্যে যা জায়িয ও যা না-জায়িয।

মহান আল্লাহর বানীঃ বিভ্রান্তরাই কবিদের অনুসরন করে, তুমি কি দেখ না যে, তারা প্রতি ময়দানেই উদ্‌ভ্রান্ত হয়ে ফিরে ? আর তারা যা বলে তা তারা নিজেরা করে না। কিন্তু ওরা ব্যতীত যারা ঈমান আনে ও সৎ কাজ করে আর আল্লাহ্‌কে খুব বেশি স্মরণ করে আর নির্যাতিত হওয়ার পর নিজেদের প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা করে। যালিমরা শীঘ্রই জানতে পারবে কোন্‌ (মহা সংকটময়) জায়গায় তারা ফিরে যাচ্ছে। (সূরাহ শু’আরা ২৬/২২৪-২৭)

ইবনু ‘আব্বাস বলেন, (তারা প্রত্যেক ময়দানে উদ্‌ভ্রান্ত অবস্থায় ঘুরে বেড়ায়?) এর অর্থ হল তারা প্রত্যেক নিরর্থক কথায় ডুবে থাকে।

৬১৪৫

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الأَسْوَدِ بْنِ عَبْدِ يَغُوثَ أَخْبَرَهُ أَنَّ أُبَىَّ بْنَ كَعْبٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ”‏ إِنَّ مِنَ الشِّعْرِ حِكْمَةً ‏”‏‏.‏

উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নিশ্চয়ই কোন কোন কবিতার মধ্যে জ্ঞানের কথাও আছে।( আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭০৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬০১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৪৬

حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ، سَمِعْتُ جُنْدَبًا، يَقُولُ بَيْنَمَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَمْشِي إِذْ أَصَابَهُ حَجَرٌ فَعَثَرَ فَدَمِيَتْ إِصْبَعُهُ فَقَالَ “‏ هَلْ أَنْتِ إِلاَّ إِصْبَعٌ دَمِيتِ وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ مَا لَقِيتِ ‏”‏‏.‏

জুন্‌দুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বললেন, একবার নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক জিহাদে হেঁটে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ তিনি একটা পাথরে হোঁচট খেয়ে পরে গেলেন এবং তাঁর একটা আঙ্গুল রক্তে ভিজে গেল। তখন তিনি কবিতার ছন্দে বললেনঃ

তুমি একটা রক্তে ভেজা আঙ্গুল ছাড়া কিছুই নও,

আর যে কষ্ট ভোগ করছ তা তো কেবল আল্লাহ্‌র রাস্তাতেই।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭০৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬০২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৪৭

حَدَّثَنَا ابْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “‏ أَصْدَقُ كَلِمَةٍ قَالَهَا الشَّاعِرُ كَلِمَةُ لَبِيدٍ أَلاَ كُلُّ شَىْءٍ مَا خَلاَ اللَّهَ بَاطِلُ ‏”‏‏.‏ وَكَادَ أُمَيَّةُ بْنُ أَبِي الصَّلْتِ أَنْ يُسْلِمَ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, কবিরা যে সব কথা বলেছেন, তার মধ্যে কবি লবীদের কথাটাই সর্বাধিক সত্য। (তিনি বলেছেন)

শোন ! আল্লাহ্‌ ছাড়া সব কিছুই বাতিল।

তিনি আরও বলেছেন, কবি উমাইয়াহ ইবনু সাল্‌ত ইসলাম গ্রহনের নিকটবর্তী হয়েছিল। [৩৮৪১; মুসলিম পর্ব ৪১/হাঃ ২২৫৬, আহমাদ ১০০৮০] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭০৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬০৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৪৮

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ، قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى خَيْبَرَ فَسِرْنَا لَيْلاً، فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ لِعَامِرِ بْنِ الأَكْوَعِ أَلاَ تُسْمِعُنَا مِنْ هُنَيْهَاتِكَ، قَالَ وَكَانَ عَامِرٌ رَجُلاً شَاعِرًا، فَنَزَلَ يَحْدُو بِالْقَوْمِ يَقُولُ اللَّهُمَّ لَوْلاَ أَنْتَ مَا اهْتَدَيْنَا وَلاَ تَصَدَّقْنَا وَلاَ صَلَّيْنَا فَاغْفِرْ فِدَاءٌ لَكَ مَا اقْتَفَيْنَا وَثَبِّتِ الأَقْدَامَ إِنْ لاَقَيْنَا وَأَلْقِيَنْ سَكِينَةً عَلَيْنَا إِنَّا إِذَا صِيحَ بِنَا أَتَيْنَا وَبِالصِّيَاحِ عَوَّلُوا عَلَيْنَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَنْ هَذَا السَّائِقُ ‏”‏‏.‏ قَالُوا عَامِرُ بْنُ الأَكْوَعِ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ يَرْحَمُهُ اللَّهُ ‏”‏‏.‏ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ وَجَبَتْ يَا نَبِيَّ اللَّهِ، لَوْ أَمْتَعْتَنَا بِهِ‏.‏ قَالَ فَأَتَيْنَا خَيْبَرَ فَحَاصَرْنَاهُمْ حَتَّى أَصَابَتْنَا مَخْمَصَةٌ شَدِيدَةٌ، ثُمَّ إِنَّ اللَّهَ فَتَحَهَا عَلَيْهِمْ، فَلَمَّا أَمْسَى النَّاسُ الْيَوْمَ الَّذِي فُتِحَتْ عَلَيْهِمْ أَوْقَدُوا نِيرَانًا كَثِيرَةً‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَا هَذِهِ النِّيرَانُ، عَلَى أَىِّ شَىْءٍ تُوقِدُونَ ‏”‏‏.‏ قَالُوا عَلَى لَحْمٍ‏.‏ قَالَ ‏”‏ عَلَى أَىِّ لَحْمٍ ‏”‏‏.‏ قَالُوا عَلَى لَحْمِ حُمُرٍ إِنْسِيَّةٍ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَهْرِقُوهَا وَاكْسِرُوهَا ‏”‏‏.‏ فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَوْ نُهَرِيقُهَا وَنَغْسِلُهَا قَالَ ‏”‏ أَوْ ذَاكَ ‏”‏‏.‏ فَلَمَّا تَصَافَّ الْقَوْمُ كَانَ سَيْفُ عَامِرٍ فِيهِ قِصَرٌ، فَتَنَاوَلَ بِهِ يَهُودِيًّا لِيَضْرِبَهُ، وَيَرْجِعُ ذُبَابُ سَيْفِهِ فَأَصَابَ رُكْبَةَ عَامِرٍ فَمَاتَ مِنْهُ، فَلَمَّا قَفَلُوا قَالَ سَلَمَةُ رَآنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شَاحِبًا‏.‏ فَقَالَ لِي ‏”‏ مَا لَكَ ‏”‏‏.‏ فَقُلْتُ فِدًى لَكَ أَبِي وَأُمِّي زَعَمُوا أَنَّ عَامِرًا حَبِطَ عَمَلُهُ‏.‏ قَالَ ‏”‏ مَنْ قَالَهُ ‏”‏‏.‏ قُلْتُ قَالَهُ فُلاَنٌ وَفُلاَنٌ وَفُلاَنٌ وَأُسَيْدُ بْنُ الْحُضَيْرِ الأَنْصَارِيُّ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ كَذَبَ مَنْ قَالَهُ، إِنَّ لَهُ لأَجْرَيْنِ ـ وَجَمَعَ بَيْنَ إِصْبَعَيْهِ ـ إِنَّهُ لَجَاهِدٌ مُجَاهِدٌ، قَلَّ عَرَبِيٌّ نَشَأَ بِهَا مِثْلَهُ ‏”‏‏.‏

সালামাহ ইবনু আকওয়া‘ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একবার আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সঙ্গে খাইবার অভিযানে গেলাম। আমরা রাতে চলছিলাম। দলের মধ্যে থেকে একজন ‘আমির ইবনু আক্‌ওয়া‘ (রাঃ) বললেন যে, আপনি কি আপনার কবিতাগুলো থেকে কিছু পড়ে আমাদের শুনাবেন না? ‘আমির (রাঃ) ছিলেন একজন কবি। কাজেই তিনি দলের লোকদের হুদী গেয়ে শুনাতে লাগলেনঃ

“হে আল্লাহ্‌ ! তুমি না হলে, আমরা হিদায়াত পেতাম না।

আমরা সদাকাহ দিতাম না, সালাত আদায় করতাম না।

আমাদের পূর্ববর্তী গুনাহ ক্ষমা করুন; যা আমরা আপনার জন্য আপনার জন্য উৎসর্গিত করেছি।

যদি আমরা শত্রুর মুখোমুখী হই, তখন আমাদের পদদ্বয় সুদৃঢ় রাখুন।

আমাদের উপর শান্তি বর্ষণ করুন,

শত্রুর ডাকের সময় আমরা যেন বীরের মত ধাবিত হই।

যখন তারা হৈ-হুল্লোড় করে, আমাদের উপর আক্রমণ চালায়।”

তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেনঃ এ উট চালক লোকটি কে? লোকেরা বললেনঃ তিনি ‘আমির ইবনু আক্‌ওয়া‘। তিনি বললেনঃ আল্লাহ তার উপর রহম করুন। দলের একজন বললেনঃ হে আল্লাহ্‌র নবী! তার জন্য তো শাহাদাত নির্দিষ্ট হয়ে গেল। হায়! যদি আমাদের এ সুযোগ দান করতেন। তারপর আমরা খাইবারে পৌঁছে শত্রুদের অবরোধ করে ফেললাম। এ সময় আমরা ভীষণ ক্ষুধার্ত হয়ে পড়লাম। অবশেষে আল্লাহ্‌ (খাইবারে যুদ্ধে) তাদের উপর আমাদের বিজয় দান করলেন। তারপর যেদিন খাইবার জয় হলো, সেদিন লোকেরা অনেক আগুন জ্বালাল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমরা এত সব আগুন কেন জ্বালাচ্ছ? লোকেরা বললোঃ গোশ্‌ত রান্নার জন্য। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ কিসের গোশ্‌ত? তারা বললঃ গৃহপালিত গাধার গোশত। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এসব গোশ্‌ত ফেলে দাও এবং হাঁড়িগুলো ভেঙ্গে দাও। এক ব্যক্তি বললঃ হে আল্লাহর রসূল! বরং গোশ্‌তগুলো ফেলে আমরা হাড়িগুলো ধুয়ে নেই? তিনি বললেনঃ আচ্ছা তাই কর। রাবী বলেনঃ যখন লোকেরা যুদ্ধে সারিবদ্ধ হল। ‘আমির (রাঃ) -এর তলোয়ার খানা ছোট ছিল। তিনি এক ইয়াহূদীকে মারার উদ্দেশ্যে এটি দিয়ে তার উপর আক্রমণ করলেন। কিন্তু তার তলোয়ারের ধারাল অংশ ‘আমির (রাঃ) -এরই হাঁটুতে এসে আঘাত করল। এতে তিনি মারা গেলেন। তারপর ফিরার সময় সবাই ফিরলেন। সালামাহ (রাঃ) বলেনঃ আমার চেহারার রঙ বদল হওয়া দেখে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমরা কী হয়েছে? আমি বললামঃ আমার বাপ-মা আপনার প্রতি কুরবান হোক! লোকেরা বলছে যে, ‘আমিরের ‘আমাল সব বরবাদ হয়ে গেছে। তিনি বললেনঃ এ কথাটা কে বলেছে? আমি বললামঃ অমুক, অমুক, অমুক এবং উসায়দ ইবনু হুযাইর আনসারী (রাঃ)। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যারা এ কথা বলেছে, তারা মিথ্যা বলেছে। তিনি বললেনঃ তাঁর জন্য আছে দু’টি পুরস্কার, সে জাহিদ এবং মুজাহিদ। আরবে তাঁর মত লোক অল্পই হবে। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭০৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬০৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৪৯

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ أَتَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَى بَعْضِ نِسَائِهِ وَمَعَهُنَّ أُمُّ سُلَيْمٍ فَقَالَ ‏”‏ وَيْحَكَ يَا أَنْجَشَةُ، رُوَيْدَكَ سَوْقًا بِالْقَوَارِيرِ ‏”‏‏.‏ قَالَ أَبُو قِلاَبَةَ فَتَكَلَّمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِكَلِمَةٍ، لَوْ تَكَلَّمَ بَعْضُكُمْ لَعِبْتُمُوهَا عَلَيْهِ قَوْلُهُ ‏”‏ سَوْقَكَ بِالْقَوَارِيرِ ‏”‏‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একবার নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর কতক স্ত্রীর নিকট আসলেন। তখন তাঁদের সঙ্গে উম্মু সুলায়মও ছিলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ- সর্বনাশ, হে আনজাশাহ! তুমি (উট) ধীরে চালাও। কেননা, তুমি কাঁচপাত্র (মহিলা) নিয়ে চলেছ। রাবী আবূ কিলাবা বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘সাওকাকা বিল কাওয়ারীর’ বাক্য দ্বারা এমন বিষয়ের প্রতি ইশারা করলেন, যা অন্য কেউ বললে, তোমরা তাকে ঠাট্টা করতে।[৬১৬১, ৬২০২, ৬২০৯, ৬২১০, ৬২১১; মুসলিম ৪৩/১৭, হাঃ ২৩২৩, আহমাদ ১২৯৩৪] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭০৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬০৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/৯১. অধ্যায়ঃ

কবিতার মাধ্যমে মুশরিকদের নিন্দা করা ।

৬১৫০

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ أَتَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَى بَعْضِ نِسَائِهِ وَمَعَهُنَّ أُمُّ سُلَيْمٍ فَقَالَ ‏”‏ وَيْحَكَ يَا أَنْجَشَةُ، رُوَيْدَكَ سَوْقًا بِالْقَوَارِيرِ ‏”‏‏.‏ قَالَ أَبُو قِلاَبَةَ فَتَكَلَّمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِكَلِمَةٍ، لَوْ تَكَلَّمَ بَعْضُكُمْ لَعِبْتُمُوهَا عَلَيْهِ قَوْلُهُ ‏”‏ سَوْقَكَ بِالْقَوَارِيرِ ‏”‏‏.‏

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একবার হাস্‌সান ইবনু সাবিত (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট মুশরিকদের নিন্দা করার অনুমতি চাইলেন। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তা হলে এ নিন্দা থেকে আমার বংশের মর্যাদা কীভাবে রক্ষা পাবে? তখন হাস্‌সান (রাঃ) বললেনঃ আমি তাদের থেকে আপনাকে এমনভাবে বের করে নেব, যেভাবে মাখানো আটা থেকে চুল বের করা হয়।

রাবী ‘উরওয়াহ বর্ণনা করেন, একদিন আমি ‘আয়িশা (রাঃ) -এর কাছে হাস্‌সান (রাঃ) -কে গালি দিতে লাগলাম, তখন তিনি বললেনঃ তুমি তাঁকে গালি দিওনা। কারণ, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর পক্ষ হতে মুশরিকদের প্রতিরোধ করতেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭১০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬০৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৫১

حَدَّثَنَا أَصْبَغُ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ الْهَيْثَمَ بْنَ أَبِي سِنَانٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، فِي قَصَصِهِ يَذْكُرُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ إِنَّ أَخًا لَكُمْ لاَ يَقُولُ الرَّفَثَ ‏”‏‏.‏ يَعْنِي بِذَاكَ ابْنَ رَوَاحَةَ قَالَ فِينَا رَسُولُ اللَّهِ يَتْلُو كِتَابَهُ إِذَا انْشَقَّ مَعْرُوفٌ مِنَ الْفَجْرِ سَاطِعُ أَرَانَا الْهُدَى بَعْدَ الْعَمَى فَقُلُوبُنَا بِهِ مُوقِنَاتٌ أَنَّ مَا قَالَ وَاقِعُ يَبِيتُ يُجَافِي جَنْبَهُ عَنْ فِرَاشِهِ إِذَا اسْتَثْقَلَتْ بِالْكَافِرِينَ الْمَضَاجِعُ تَابَعَهُ عُقَيْلٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ‏.‏ وَقَالَ الزُّبَيْدِيُّ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدٍ وَالأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) তাঁর বর্ণনায় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কথা উল্লেখ করে বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের ভাই অর্থাৎ কবি ইবনু রাওয়াহা (রাঃ) অশ্লীল কথা বলেননি। তিনি বলতেনঃ

আমাদের মধ্যে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রয়েছেন, তিনি কুরআন তিলাওয়াত করেন;

যখন সকালের মন মাতানো আলো ফুটে উঠে।

আমরা পথহারা হবার পর তিনি আমাদের সুপথ দেখিয়েছেন।

আর আমরা অন্তরের সাথে একীন করলাম যে, তিনি যা বলেছেন, তা ঘটবেই।

তিনি নিজ পৃষ্ঠদেশ বিছানা থেকে আলাদা রেখেই রাত্রি অতিবাহিত করেন।

যখন কাফিরদের আনন্দের শয্যা তাদের পক্ষে খুব কষ্টকর হয়।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭১১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬০৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৫২

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ،‏.‏ وَحَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ حَدَّثَنِي أَخِي، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي عَتِيقٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، أَنَّهُ سَمِعَ حَسَّانَ بْنَ ثَابِتٍ الأَنْصَارِيَّ، يَسْتَشْهِدُ أَبَا هُرَيْرَةَ فَيَقُولُ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ نَشَدْتُكَ بِاللَّهِ هَلْ سَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ”‏ يَا حَسَّانُ أَجِبْ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ، اللَّهُمَّ أَيِّدْهُ بِرُوحِ الْقُدُسِ ‏”‏‏.‏ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ نَعَمْ‏.‏

হাস্‌সান ইবনু সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, হে আবূ হুরাইয়া! আমি আপনাকে আল্লাহ্‌র কসম দিয়ে জিজ্ঞেস করছি। আপনি কি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে এ কথা বলতে শুনেছেন যে, ওহে হাস্‌সান! তুমি আল্লাহ্‌র রসূলের পক্ষ থেকে প্রত্যুত্তর দাও। হে আল্লাহ্‌! তুমি জিবরীল (আঃ) -এর দ্বারা তাকে সাহায্য কর। আবূ হুরাইয়াহ (রাঃ) বললেনঃ হাঁ।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭১২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬০৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৫৩

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنِ الْبَرَاءِ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِحَسَّانَ ‏ “‏ اهْجُهُمْ ـ أَوْ قَالَ هَاجِهِمْ ـ وَجِبْرِيلُ مَعَكَ ‏”‏‏.‏

বারাআ’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাস্‌সান (রাঃ) -কে বললেনঃ তুমি কাফিরদের নিন্দা করো। জিবরীল (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ কাজে তোমাকে সাহায্য করবেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭১৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬০৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/৯২. অধ্যায়ঃ

যে কবিতা মানুষকে এতটা প্রভাবিত করে, যা তাকে আল্লাহর স্মরণ, ‘ইলম হাসিল ও কুর’আন থেকে বাধা দান করে, তা নিষিদ্ধ

৬১৫৪

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا حَنْظَلَةُ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لأَنْ يَمْتَلِئَ جَوْفُ أَحَدِكُمْ قَيْحًا خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَمْتَلِئَ شِعْرًا ‏”‏‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কারো পেট কবিতা দিয়ে ভরার চেয়ে পুঁজে ভরা অনেক ভাল।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭১৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬১০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৫৫

حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ لأَنْ يَمْتَلِئَ جَوْفُ رَجُلٍ قَيْحًا يَرِيهِ خَيْرٌ مِنْ أَنْ يَمْتَلِئَ شِعْرًا ‏”‏‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তির পেট কবিতা দিয়ে ভরার চেয়ে এমন পুঁজে ভরা উত্তম, যা তোমাদের পেটকে ধ্বংস করে ফেলে।[মুসলিম পর্ব ৪১/হাঃ ২২৫৭, আহমাদ ১০২০১] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭১৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬১১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/৯৩. অধ্যায়ঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর উক্তিঃ তোমার ডান হাত ধূলি ধূসরিত হোক । তোমার হস্তপদ ধ্বংস হোক এবং তোমার কন্ঠদেশ ঘায়েল হোক ।

৬১৫৬

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ إِنَّ أَفْلَحَ أَخَا أَبِي الْقُعَيْسِ اسْتَأْذَنَ عَلَىَّ بَعْدَ مَا نَزَلَ الْحِجَابُ فَقُلْتُ وَاللَّهِ لاَ آذَنُ لَهُ حَتَّى أَسْتَأْذِنَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِنَّ أَخَا أَبِي الْقُعَيْسِ لَيْسَ هُوَ أَرْضَعَنِي، وَلَكِنْ أَرْضَعَتْنِي امْرَأَةُ أَبِي الْقُعَيْسِ‏.‏ فَدَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ الرَّجُلَ لَيْسَ هُوَ أَرْضَعَنِي، وَلَكِنْ أَرْضَعَتْنِي امْرَأَتُهُ‏.‏ قَالَ ‏ “‏ ائْذَنِي لَهُ، فَإِنَّهُ عَمُّكِ، تَرِبَتْ يَمِينُكِ ‏”‏‏.‏ قَالَ عُرْوَةُ فَبِذَلِكَ كَانَتْ عَائِشَةُ تَقُولُ حَرِّمُوا مِنَ الرَّضَاعَةِ مَا يَحْرُمُ مِنَ النَّسَبِ‏.‏

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, পর্দার হুকুম অবতীর্ণ হবার পর আবূ কু’আইসের ভাই আফলাহ আমার ঘরে প্রবেশের অনুমতি চাইলেন। আমি বললামঃ আল্লাহর কসম! আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে অনুমতি না নিয়ে তাকে অনুমতি দেব না। কারণ আবূ কু’আইসের স্ত্রী আমাকে দুগ্ধ পান করিয়েছেন। ইতোমধ্যে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার ঘরে প্রবেশ করলেন। আমি বললামঃ হে আল্লাহর রসূল! এ লোক আমাকে দুধ পান করাননি। বরং তাঁর স্ত্রী আমাকে দুধ পান করিয়েছেন। তিনি বললেনঃ অনুমতি দাও। কারণ এ লোকটি তোমার (দুধ) চাচা। তোমার ডান হস্ত ধূলি ধূসরিত হোক। রাবী ‘উরওয়াহ বলেন, এ কারণেই ‘আয়িশা (রাঃ) বলতেন যে, বংশগত সম্পর্কে যারা হারাম হয়, দুধ পান সম্পর্কেও তোমরা তাদের হারাম গণ্য করবে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭১৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬১২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৫৭

حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا الْحَكَمُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ أَرَادَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَنْفِرَ فَرَأَى صَفِيَّةَ عَلَى باب خِبَائِهَا كَئِيبَةً حَزِينَةً لأَنَّهَا حَاضَتْ فَقَالَ ‏”‏ عَقْرَى حَلْقَى ـ لُغَةُ قُرَيْشٍ ـ إِنَّكِ لَحَابِسَتُنَا ‏”‏ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ أَكُنْتِ أَفَضْتِ يَوْمَ النَّحْرِ ‏”‏‏.‏ يَعْنِي الطَّوَافَ قَالَتْ نَعَمْ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَانْفِرِي إِذًا ‏”‏‏.‏

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (হাজ্জ সমাপন শেষে) ফিরে আসার ইচ্ছে পোষণ করলেন। তখন ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার কারণে তাঁর দরজার সামনে সাফিয়্যাহ (রাঃ) চিন্তিত ও বিষণ্ন মুখে দাঁড়িয়ে আছেন দেখতে পেলেন। তখন তিনি কুরাইশদের বাগধারায় বললেনঃ ‘আক্‌রা হাল্‌কা’। তুমি তো দেখছি, আমাদের আটকে দিবে। এরপর জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি কুরবানীর দিনে ফরয তাওয়াফ করেছিলে? তিনি বললেনঃ হাঁ। তখন তিনি বললেনঃ তাহলে এখন রওনা দাও।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭১৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬১৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/৯৪. অধ্যায়ঃ

‘যা‘আমূ’ (তারা ধারণা করেন) সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে।

৬১৫৮

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ، مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ أَنَّ أَبَا مُرَّةَ، مَوْلَى أُمِّ هَانِئٍ بِنْتِ أَبِي طَالِبٍ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أَمَّ هَانِئٍ بِنْتَ أَبِي طَالِبٍ، تَقُولُ ذَهَبْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ الْفَتْحِ فَوَجَدْتُهُ يَغْتَسِلُ، وَفَاطِمَةُ ابْنَتُهُ تَسْتُرُهُ، فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، فَقَالَ ‏”‏ مَنْ هَذِهِ ‏”‏‏.‏ فَقُلْتُ أَنَا أُمُّ هَانِئٍ بِنْتُ أَبِي طَالِبٍ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ مَرْحَبًا بِأُمِّ هَانِئٍ ‏”‏‏.‏ فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ غَسْلِهِ قَامَ فَصَلَّى ثَمَانِيَ رَكَعَاتٍ، مُلْتَحِفًا فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ، فَلَمَّا انْصَرَفَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ زَعَمَ ابْنُ أُمِّي أَنَّهُ قَاتِلٌ رَجُلاً قَدْ أَجَرْتُهُ فُلاَنُ بْنُ هُبَيْرَةَ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ قَدْ أَجَرْنَا مَنْ أَجَرْتِ يَا أُمَّ هَانِئٍ ‏”‏‏.‏ قَالَتْ أُمُّ هَانِئٍ وَذَاكَ ضُحًى‏.‏

উম্মু হানী বিন্‌ত আবূ ত্বলিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মাক্কাহ বিজয়ের বছর আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট গিয়ে তাঁকে গোসলরত অবস্থায় পেলাম। তখন তাঁর কন্যা ফাতিমাহ (রাঃ) তাঁকে পর্দা দিয়ে আড়াল করছিলেন। আমি তাঁকে সালাম করলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ এ কে? আমি বললামঃ আমি আবূ ত্বলিবের কন্যা উম্মু হানী। তিনি বললেনঃ উম্মু হানীর জন্য মারহাবা। তারপর তিনি যখন গোসল শেষ করলেন। তখন তিনি দাঁড়ালেন এবং এক কাপড় গায়ে জড়িয়ে আট রাক’আত সলাত আদায় করলেন। তিনি সলাত শেষ করলে আমি বললামঃ হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমি হুবাইরার ছেলে অমুককে নিরাপত্তা দান করেছিলাম কিন্তু আমার ভাই বলছে, সে তাকে হত্যা করবে। রসূলুল্লাহ সালাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে উম্মু হানী! তুমি যাকে নিরাপত্তা দিয়েছ, আমিও তাকে নিরাপত্তা দিলাম। উম্মু হানী (রাঃ) বলেনঃ এই সময়টি ছিল চাশ্‌তের সময়।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭১৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬১৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/৯৫. অধ্যায়ঃ

কাউকে ‘ওয়াইলাকা’ বলা সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে।

৬১৫৯

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ ـ رضى الله عنه أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَأَى رَجُلاً يَسُوقُ بَدَنَةً فَقَالَ ‏”‏ ارْكَبْهَا ‏”‏‏.‏ قَالَ إِنَّهَا بَدَنَةٌ‏.‏ قَالَ ‏”‏ ارْكَبْهَا ‏”‏‏.‏ قَالَ إِنَّهَا بَدَنَةٌ‏.‏ قَالَ ‏”‏ ارْكَبْهَا وَيْلَكَ ‏”‏‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যক্তিকে একটা কুরবানীর উট হাঁকিয়ে নিতে দেখে, তাকে বললেনঃ এতে সওয়ার হও। সে বললঃ এটি তো কুরবানীর উট। তিনি পুনরায় বললেনঃ এতে সওয়ার হও। সে বললঃ এটি তো কুরবানীর উট। তিনি বললেনঃ এতে সওয়ার হও। সে বলল, এটি তো কুরবানীর উট। তিনি বললেনঃ ওয়াইলাকা (তোমার অকল্যাণ হোক) তুমি এটির উপর সওয়ার হয়ে যাও।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭১৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬১৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৬০

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَأَى رَجُلاً يَسُوقُ بَدَنَةً فَقَالَ لَهُ ‏”‏ ارْكَبْهَا ‏”‏‏.‏ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهَا بَدَنَةٌ‏.‏ قَالَ ‏”‏ ارْكَبْهَا وَيْلَكَ ‏”‏‏.‏ فِي الثَّانِيَةِ أَوْ فِي الثَّالِثَةِ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যক্তিকে একটা কুরবানীর উট হাঁকিয়ে নিয়ে যেতে দেখে বললেনঃ তুমি এর উপর সওয়ার হও। সে বললঃ হে আল্লাহ্‌র রসূল! এটি তো কুরবানীর উট। তখন তিনি দ্বিতীয় বা কিংবা তৃতীয়বার বললেনঃ ওয়াইলাকা (তোমার অনিষ্ট হোক) তুমি এতে সওয়ার হও।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭২০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬১৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৬১

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ،‏.‏ وَأَيُّوبَ عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ، وَكَانَ مَعَهُ غُلاَمٌ لَهُ أَسْوَدُ، يُقَالُ لَهُ أَنْجَشَةُ، يَحْدُو، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ وَيْحَكَ يَا أَنْجَشَةُ رُوَيْدَكَ بِالْقَوَارِيرِ ‏”‏‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) -এর এক সফরে ছিলাম। তাঁর সঙ্গে তখন আনজাশাহ নামের এক কালো গোলাম ছিল। সে পুঁথি গাইছিল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ ওহে আনজাশাহ! তোমার সর্বনাশ। তুমি উটটিকে কাঁচপাত্র সদৃশ সওয়ারীদের নিয়ে ধীরে চালাও।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭২১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬১৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৬২

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَثْنَى رَجُلٌ عَلَى رَجُلٍ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ “‏ وَيْلَكَ قَطَعْتَ عُنُقَ أَخِيكَ ـ ثَلاَثًا ـ مَنْ كَانَ مِنْكُمْ مَادِحًا لاَ مَحَالَةَ فَلْيَقُلْ أَحْسِبُ فُلاَنًا ـ وَاللَّهُ حَسِيبُهُ ـ وَلاَ أُزَكِّي عَلَى اللَّهِ أَحَدًا‏.‏ إِنْ كَانَ يَعْلَمُ ‏”‏‏.‏

আবূ বাক্‌রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সামনে অন্য জনের প্রশংসা করলো। তিনি বললেনঃ ‘ওয়াইলাকা’ (তোমার অমঙ্গল হোক) তুমি তো তোমার ভাই এর গর্দান কেটে দিয়েছ। তিনি এ কথাটি তিনবার বললেন। তিনি আরও বললেনঃ যদি তোমাদের কাউকে কারো প্রশংসা করতেই হয়, আর সে তার ব্যাপারে অবগত থাকে, তবে শুধু এতটুকু বলবে যে, আমি এ ব্যক্তি সম্পর্কে এ রকম ধারণা পোষণ করি। প্রকৃত হিসাব নিকাশের মালিক একমাত্র আল্লাহ্‌। আর আমি নিশ্চিতভাবে আল্লাহ্‌র সামনে কারো পবিত্রতা বর্ণনা করছি না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭২২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬১৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৬৩

حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، وَالضَّحَّاكِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ بَيْنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقْسِمُ ذَاتَ يَوْمٍ قِسْمًا فَقَالَ ذُو الْخُوَيْصِرَةِ ـ رَجُلٌ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ ـ يَا رَسُولَ اللَّهِ اعْدِلْ‏.‏ قَالَ ‏”‏ وَيْلَكَ مَنْ يَعْدِلُ إِذَا لَمْ أَعْدِلْ ‏”‏‏.‏ فَقَالَ عُمَرُ ائْذَنْ لِي فَلأَضْرِبْ عُنُقَهُ‏.‏ قَالَ ‏”‏ لاَ، إِنَّ لَهُ أَصْحَابًا يَحْقِرُ أَحَدُكُمْ صَلاَتَهُ مَعَ صَلاَتِهِمْ، وَصِيَامَهُ مَعَ صِيَامِهِمْ، يَمْرُقُونَ مِنَ الدِّينِ كَمُرُوقِ السَّهْمِ مِنَ الرَّمِيَّةِ، يُنْظَرُ إِلَى نَصْلِهِ فَلاَ يُوجَدُ فِيهِ شَىْءٌ، ثُمَّ يُنْظَرُ إِلَى رِصَافِهِ فَلاَ يُوجَدُ فِيهِ شَىْءٌ، ثُمَّ يُنْظَرُ إِلَى نَضِيِّهِ فَلاَ يُوجَدُ فِيهِ شَىْءٌ، ثُمَّ يُنْظَرُ إِلَى قُذَذِهِ فَلاَ يُوجَدُ فِيهِ شَىْءٌ، سَبَقَ الْفَرْثَ وَالدَّمَ، يَخْرُجُونَ عَلَى حِينِ فُرْقَةٍ مِنَ النَّاسِ، آيَتُهُمْ رَجُلٌ إِحْدَى يَدَيْهِ مِثْلُ ثَدْىِ الْمَرْأَةِ، أَوْ مِثْلُ الْبَضْعَةِ تَدَرْدَرُ ‏”‏‏.‏ قَالَ أَبُو سَعِيدٍ أَشْهَدُ لَسَمِعْتُهُ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم وَأَشْهَدُ أَنِّي كُنْتُ مَعَ عَلِيٍّ حِينَ قَاتَلَهُمْ، فَالْتُمِسَ فِي الْقَتْلَى، فَأُتِيَ بِهِ عَلَى النَّعْتِ الَّذِي نَعَتَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم‏.‏

আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ একবার নিজ অধিকারভুক্ত কিছু মাল নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বন্টন করে দিচ্ছিলেন। এমন সময় তামীম গোত্রের যুল খুয়াইসিরা নামক এক ব্যক্তি বলে উঠলঃ হে আল্লাহ্‌র রসূল! ইনসাফ করুন। তখন তিনি বললেনঃ ওয়াইলাকা (তোমার অমঙ্গল হোক) আমি ইনসাফ না করলে আর কে ইনসাফ করবে? তখন ‘উমার (রাঃ) বললেনঃ আপনি আমাকে অনুমতি দিন, আমি এর গর্দান উড়িয়ে দেই। তিনি বললেনঃ না। কারণ, তার এমন কতকগুলো সঙ্গী আছে, যাদের সলাতের সামনে নিজেদের সলাতকে তুচ্ছ মনে করবে এবং তাদের সিয়ামের সামনে তোমাদের নিজেদের সিয়ামকে তুচ্ছ মনে করবে। তারা দ্বীন থেকে এমনভাবে বেরিয়ে যাবে, যেমন তীর শিকার ভেদ করে বেরিয়ে যায়…… গোবর ও রক্তকে এমনভাবে অতিক্রম করে যায় যে তীরের অগ্রভাগ দেখলে তাতে কোন চিহ্ন পাওয়া যায় না, তার উপরিভাগে দেখলেও কোন চিহ্ন পাওয়া যায় না। তার কাঠামোতেও কোন চিহ্ন নেই। তার পাতির মধ্যেও কোন চিহ্ন নেই। এমন সময় তাদের আবির্ভাব হবে, যখন মুসলিমদের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দিবে। তাদের পরিচয় হলো, তাদের নেতা এমন এক ব্যক্তি হবে, যার একহাত স্ত্রীলোকের স্তনের মত অথবা পিত্তের মত কাঁপতে থাকবে। রাবী আবূ সা’ঈদ (রাঃ) বলেন, আমি সাক্ষ্য দিয়ে বলছি যে, আমি নিশ্চয়ই নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে একথা শুনেছি এবং আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি নিজে ‘আলী (রাঃ) -এর সাথে ছিলাম যখন তিনি এ দলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিলেন। তখন সে লোকটিকে যুদ্ধে নিহত লোকদের মধ্য থেকে তালাশ করে আনার পর তাকে ঠিক সেই হালাতেই পাওয়া গেল, যে হালাতের বর্ণনা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দিয়েছিলেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭২৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬১৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৬৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ أَبُو الْحَسَنِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا الأَوْزَاعِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه أَنَّ رَجُلاً، أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلَكْتُ‏.‏ قَالَ ‏”‏ وَيْحَكَ ‏”‏‏.‏ قَالَ وَقَعْتُ عَلَى أَهْلِي فِي رَمَضَانَ‏.‏ قَالَ ‏”‏ أَعْتِقْ رَقَبَةً ‏”‏‏.‏ قَالَ مَا أَجِدُهَا‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَصُمْ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ ‏”‏‏.‏ قَالَ لاَ أَسْتَطِيعُ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَأَطْعِمْ سِتِّينَ مِسْكِينًا ‏”‏‏.‏ قَالَ مَا أَجِدُ‏.‏ فَأُتِيَ بِعَرَقٍ فَقَالَ ‏”‏ خُذْهُ فَتَصَدَّقْ بِهِ ‏”‏‏.‏ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَعَلَى غَيْرِ أَهْلِي فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ مَا بَيْنَ طُنُبَىِ الْمَدِينَةِ أَحْوَجُ مِنِّي‏.‏ فَضَحِكَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى بَدَتْ أَنْيَابُهُ قَالَ ‏”‏ خُذْهُ ‏”‏‏.‏ تَابَعَهُ يُونُسُ عَنِ الزُّهْرِيِّ‏.‏ وَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ خَالِدٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ وَيْلَكَ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, একবার এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর খিদমাতে এসে বললঃ হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমি তো ধ্বংস হয়ে গেছি। তিনি বললেনঃ ‘ওয়াইহাকা’ (আফসোস তোমার জন্য) এরপর সে বললঃ আমি রমাযানের মধ্যেই দিনের বেলায় স্ত্রীর সাথে যৌন সঙ্গম করে ফেলেছি। তিনি বললেনঃ একটা গোলাম আযাদ করে দাও। সে বললঃ আমার কাছে তা নেই। তিনি বললেনঃ তাহলে তুমি এক নাগাড়ে দু’মাস সাওম পালন কর। সে বললঃ আমি এতেও অপারগ। তিনি বললেনঃ তবে তুমি ষাটজন মিসকীনকে খাওয়াও। লোকটি বললঃ আমি এটাও পারি না। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এক ঝুড়ি খেজুর এলো। তখন তিনি বললেনঃ এটা নিয়ে যাও এবং সদাকাহ করে দাও। সে বললঃ হে আল্লাহ্‌র রসূল! তা কি আমার পরিবার ছাড়া অন্যকে দেব? সেই সত্তার কসম! যাঁর হাতে আমার প্রাণ। মাদীনাহ্‌র উভয় প্রান্তের মধ্যস্থলে আমার চেয়ে অভাবী আর কেউ নেই। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এমনভাবে হাসলেন, তাঁর পার্শ্বের ছেদন দন্ত পর্যন্ত প্রকাশ পেল। তিনি বললেনঃ তবে তুমিই নিয়ে যাও। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭২৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬২০)

যুহরি হতে ইউনুস এরকমই বর্ণনা করেছেন। যুহরি হতে ‘আবদুর রহমান বিন খালিদ ‘ওয়াইলাকা’ বলেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৬৫

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَمْرٍو الأَوْزَاعِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ شِهَابٍ الزُّهْرِيُّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ ـ رضى الله عنه أَنَّ أَعْرَابِيًّا قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَخْبِرْنِي عَنِ الْهِجْرَةِ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ وَيْحَكَ إِنَّ شَأْنَ الْهِجْرَةِ شَدِيدٌ، فَهَلْ لَكَ مِنْ إِبِلٍ ‏”‏‏.‏ قَالَ نَعَمْ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَهَلْ تُؤَدِّي صَدَقَتَهَا ‏”‏‏.‏ قَالَ نَعَمْ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَاعْمَلْ مِنْ وَرَاءِ الْبِحَارِ، فَإِنَّ اللَّهَ لَنْ يَتِرَكَ مِنْ عَمَلِكَ شَيْئًا ‏”‏‏.‏

আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একজন গ্রাম্য লোক এসে বললঃ হে আল্লাহ্‌র রসূল! আপনি আমাকে হিজরাতের বিষয়ে কিছু বলুন। তিনি বললেনঃ আফসোস তোমার প্রতি, হিজরাত তো খুব কঠিন কাজ। তোমার কি উট আছে? সে বললঃ হাঁ। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কি এর যাকাত দিয়ে থাক? লোকটি বললঃ হাঁ। তিনি বললেনঃ তবে তুমি সমুদ্রের ঐ পাশ থেকেই ‘আমাল করে যাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ তোমার ‘আমাল এতটুকু কমিয়ে দিবেন না।(আধুনিক প্রকাশনী- ,৫৭২৫ ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬২১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৬৬

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ وَاقِدِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ زَيْدٍ، سَمِعْتُ أَبِي، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ وَيْلَكُمْ ـ أَوْ وَيْحَكُمْ قَالَ شُعْبَةُ شَكَّ هُوَ ـ لاَ تَرْجِعُوا بَعْدِي كُفَّارًا، يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ ‏”‏‏.‏ وَقَالَ النَّضْرُ عَنْ شُعْبَةَ وَيْحَكُمْ‏.‏ وَقَالَ عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ وَيْلَكُمْ أَوْ وَيْحَكُمْ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ‘ওয়াইলাকুম’ অথবা ‘ওয়াইহাকুম’ (তোমাদের জন্য আফসোস) আমার পরে তোমরা আবার কাফির অবস্থায় ফিরে যেয়ো না। যাতে তোমরা একে অন্যের গর্দান উড়িয়ে দেবে। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭২৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬২২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৬৭

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَجُلاً، مِنْ أَهْلِ الْبَادِيَةِ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَتَى السَّاعَةُ قَائِمَةٌ قَالَ ‏”‏ وَيْلَكَ وَمَا أَعْدَدْتَ لَهَا ‏”‏‏.‏ قَالَ مَا أَعْدَدْتُ لَهَا إِلاَّ أَنِّي أُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ‏.‏ قَالَ ‏”‏ إِنَّكَ مَعَ مَنْ أَحْبَبْتَ ‏”‏‏.‏ فَقُلْنَا وَنَحْنُ كَذَلِكَ‏.‏ قَالَ ‏”‏ نَعَمْ ‏”‏‏.‏ فَفَرِحْنَا يَوْمَئِذٍ فَرَحًا شَدِيدًا، فَمَرَّ غُلاَمٌ لِلْمُغِيرَةِ وَكَانَ مِنْ أَقْرَانِي فَقَالَ ‏”‏ إِنْ أُخِّرَ هَذَا فَلَنْ يُدْرِكَهُ الْهَرَمُ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ ‏”‏‏.‏ وَاخْتَصَرَهُ شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ سَمِعْتُ أَنَسًا عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, এক গ্রাম্য লোক নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর খিদমাতে এসে বললঃ হে আল্লাহ্‌র রসূল! ক্বিয়ামাত কবে হবে? তিনি বললেনঃ তোমার জন্য আক্ষেপ, তুমি এর জন্য কী প্রস্তুতি গ্রহণ করেছ? সে জবাব দিলঃ আমি তো তার জন্য কিছু প্রস্তুতি গ্রহণ করিনি, তবে আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে ভালবাসি। তিনি বললেনঃ তুমি যাকে ভালবাস, ক্বিয়ামতের দিন তুমি তাঁর সঙ্গেই থাকবে। তখন আমরা বললামঃ আমাদের জন্যও কি এরূপ? তিনি বললেনঃ হাঁ। এতে আমরা সে দিন অতিশয় আনন্দিত হলাম। আনাস (রাঃ) বলেন, এ সময় মুগীরাহ (রাঃ)’র একটি যুবক বয়সের ছেলে পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। সে ছিল আমার বয়সী। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যদি এ যুবকটি অধিক দিন বেঁচে থাকে, তবে সে বৃদ্ধ হবার আগেই ক্বিয়ামত সংঘটিত হতে পারে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭২৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬২৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/৯৬. অধ্যায়ঃ

মহামহিম আল্লাহ্‌র প্রতি ভালবাসার নিদর্শন।

আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ (আপনি বলে দিন) যদি তোমরা আল্লাহ্‌কে সত্যই ভালবেসে থাকো, তা’হলে তোমরা আমার অনুসরণ কর। তাহলে আল্লাহ্‌ও তোমাদের ভালবাসবেন। (সূরাহ আলু ‘ইমরান ৪/৩১)

৬১৬৮

حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ ‏”‏‏.‏

আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মানুষ যাকে ভালবাসবে সে তারই সাথী হবে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭২৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬২৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৬৯

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ ـ رضى الله عنه جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ تَقُولُ فِي رَجُلٍ أَحَبَّ قَوْمًا وَلَمْ يَلْحَقْ بِهِمْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ ‏”‏‏.‏ تَابَعَهُ جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ وَسُلَيْمَانُ بْنُ قَرْمٍ وَأَبُو عَوَانَةَ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم‏

আব্দুল্লাহ ইবনু মাস’উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আব্দুল্লাহ ইবনু মাস’উদ (রাঃ) বলেছেনঃ এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করলঃ হে আল্লাহ্‌র রসূল! এমন ব্যক্তির ব্যাপারে আপনি কী বলেন, যে ব্যক্তি কোন দলকে ভালবাসে, কিন্তু (‘আমালের ক্ষেত্রে) তাদের সমান হতে পারেনি? তিনি বললেনঃ মানুষ যাকে ভালবাসে সে তারই সাথী হবে। [৬১৬৮; মুসলিম ৪৫/৫০/, হাঃ ২৬৪০, আহমাদ ১৮১১৩] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭২৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬২৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৭০

حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ قِيلَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم الرَّجُلُ يُحِبُّ الْقَوْمَ وَلَمَّا يَلْحَقْ بِهِمْ قَالَ”‏ الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ ‏”‏‏.‏ تَابَعَهُ أَبُو مُعَاوِيَةَ وَمُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ‏.‏

আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে জিজ্ঞেস করা হলোঃ এক ব্যক্তি একদলকে ভালবাসে, কিন্তু (‘আমালে) তাদের সমপর্যায়ের হতে পারেনি। তিনি বললেনঃ মানুষ যাকে ভালবাসে, সে তারই সাথী হবে।[মুসলিম৪৫/৫০, হাঃ ২৬৪১] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৩০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬২৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৭১

حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، أَخْبَرَنَا أَبِي، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَجُلاً، سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم مَتَّى السَّاعَةُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏”‏ مَا أَعْدَدْتَ لَهَا ‏”‏‏.‏ قَالَ مَا أَعْدَدْتُ لَهَا مِنْ كَثِيرِ صَلاَةٍ وَلاَ صَوْمٍ وَلاَ صَدَقَةٍ، وَلَكِنِّي أُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ‏.‏ قَالَ ‏”‏ أَنْتَ مَعَ مَنْ أَحْبَبْتَ ‏”‏‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে জিজ্ঞেস করলঃ হে আল্লাহ্‌র রসূল! ক্বিয়ামাত কবে হবে? তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি এর জন্য কী প্রস্তুতি গ্রহণ করেছ? সে বললঃ আমি এর জন্য তো অধিক কিছু সালাত, সাওম এবং সদাকাহ আদায় করতে পারিনি। কিন্তু আমি আল্লাহ্‌ ও তাঁর রসূলকে ভালবাসি। তিনি বললেনঃ তুমি যাকে ভালবাস তারই সাথী হবে। [৩৬৮৮; মুসলিম ৪৫/৫০, হাঃ ২৬৩৯, আহমাদ ১২০৭৬] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৩১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬২৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/৯৭. আধ্যায়ঃ

কোন লোকের অন্য লোককে ‘দূর হও’ বলা।

৬১৭২

حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا سَلْمُ بْنُ زَرِيرٍ، سَمِعْتُ أَبَا رَجَاءٍ، سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لاِبْنِ صَائِدٍ ‏”‏ قَدْ خَبَأْتُ لَكَ خَبِيئًا فَمَا هُوَ ‏”‏‏.‏ قَالَ الدُّخُّ‏.‏ قَالَ ‏”‏ اخْسَأْ ‏”‏‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইবনু সা’ঈদকে বললেনঃ আমি তোমার জন্য একটি কথা গোপন রেখেছি, তুমি বলতো সে কথাটা কী? সে বললঃ ‘দুখ’ তখন তিনি বললেনঃ ‘দূর হও’।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৩২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬২৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৭৩

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ انْطَلَقَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي رَهْطٍ مِنْ أَصْحَابِهِ قِبَلَ ابْنِ صَيَّادٍ، حَتَّى وَجَدَهُ يَلْعَبُ مَعَ الْغِلْمَانِ فِي أُطُمِ بَنِي مَغَالَةَ، وَقَدْ قَارَبَ ابْنُ صَيَّادٍ يَوْمَئِذٍ الْحُلُمَ، فَلَمْ يَشْعُرْ حَتَّى ضَرَبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ظَهْرَهُ بِيَدِهِ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ أَتَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ ‏”‏‏.‏ فَنَظَرَ إِلَيْهِ فَقَالَ أَشْهَدُ أَنَّكَ رَسُولُ الأُمِّيِّينَ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ابْنُ صَيَّادٍ أَتَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ فَرَضَّهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَالَ ‏”‏ آمَنْتُ بِاللَّهِ وَرُسُلِهِ ‏”‏‏.‏ ثُمَّ قَالَ لاِبْنِ صَيَّادٍ ‏”‏ مَاذَا تَرَى ‏”‏‏.‏ قَالَ يَأْتِينِي صَادِقٌ وَكَاذِبٌ‏.‏ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ خُلِّطَ عَلَيْكَ الأَمْرُ ‏”‏‏.‏ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنِّي خَبَأْتُ لَكَ خَبِيئًا ‏”‏‏.‏ قَالَ هُوَ الدُّخُّ‏.‏ قَالَ ‏”‏ اخْسَأْ، فَلَنْ تَعْدُوَ قَدْرَكَ ‏”‏‏.‏ قَالَ عُمَرُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَتَأْذَنُ لِي فِيهِ أَضْرِبْ عُنُقَهُ‏.‏ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنْ يَكُنْ هُوَ لاَ تُسَلَّطُ عَلَيْهِ، وَإِنْ لَمْ يَكُنْ هُوَ فَلاَ خَيْرَ لَكَ فِي قَتْلِهِ ‏”‏‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) একদল সাহাবীসহ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সঙ্গে ইবনু সাইয়্যাদের নিকট গমন করেন। তাঁরা সেখানে গিয়ে তাকে বনূ মাগালাহের দুর্গের পার্শ্বে বালকদের খেলায় মগ্ন পেলেন। তখন সে বালেগ হবার নিকটবর্তী বয়সে পৌছেছে। সে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর আগমন টের পেল না যতক্ষণ না রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর হাত দিয়ে তাঁর পিঠে মারলেন। তারপর তিনি

বললেনঃ তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে, আমিই আল্লাহ্‌র রসূল! তখন সে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর দিকে তাকিয়ে বললোঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি উম্মী সম্প্রদায়ের রসূল! এরপর ইবনু সাইয়্যাদ বললঃ আপনি কি সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, আমিই আল্লাহ্‌র রসূল? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে ধাক্কা মেরে বললেনঃ আমি আল্লাহ ও তাঁর রসূলদের উপর ঈমান রাখি। তারপর আবার তিনি ইবনু সাইয়্যাদকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কী দেখতে পাও? সে বললঃ আমার নিকট সত্যবাদী ও মিথ্যাচারী উভয়ই আসেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ বিষয়টি তোমার উপর এলোমেলো করে দেওয়া হয়েছে। এরপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ আমি তোমার (পরীক্ষার) জন্য কিছু গোপন রাখছি। সে বললঃ তা ‘দুখ’। তখন তিনি বললেনঃ ‘দূর হও’। তুমি কখনো তোমার ভাগ্যকে অতিক্রম করতে পারবে না। ‘উমার (রাঃ) বললেনঃ হে আল্লাহ্‌র রসূল! আপনি কি তার ব্যাপারে আমাকে অনুমতি দেন যে, আমি তার গর্দান কেটে দেই। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এ যদি সে (দাজ্জালই) হয়, তাহলে তার উপর তোমাকে ক্ষমতা দেয়া হবে না। আর এ যদি সে না হয়ে থাকে, তবে তাকে হত্যা করা তোমার জন্য ভাল হবে না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৩৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬২৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৭৪

قَالَ سَالِمٌ فَسَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، يَقُولُ انْطَلَقَ بَعْدَ ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأُبَىُّ بْنُ كَعْبٍ الأَنْصَارِيُّ يَؤُمَّانِ النَّخْلَ الَّتِي فِيهَا ابْنُ صَيَّادٍ، حَتَّى إِذَا دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم طَفِقَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَّقِي بِجُذُوعِ النَّخْلِ، وَهْوَ يَخْتِلُ أَنْ يَسْمَعَ مِنِ ابْنِ صَيَّادٍ شَيْئًا قَبْلَ أَنْ يَرَاهُ، وَابْنُ صَيَّادٍ مُضْطَجِعٌ عَلَى فِرَاشِهِ فِي قَطِيفَةٍ لَهُ فِيهَا رَمْرَمَةٌ أَوْ زَمْزَمَةٌ، فَرَأَتْ أُمُّ ابْنِ صَيَّادٍ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهْوَ يَتَّقِي بِجُذُوعِ النَّخْلِ، فَقَالَتْ لاِبْنِ صَيَّادٍ أَىْ صَافِ ـ وَهْوَ اسْمُهُ ـ هَذَا مُحَمَّدٌ‏.‏ فَتَنَاهَى ابْنُ صَيَّادٍ‏.‏ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لَوْ تَرَكَتْهُ بَيَّنَ ‏”‏‏.‏

সালিম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

সালিম (রহঃ) বলেন, এরপর আমি ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) -কে বলতে শুনেছি যে, এ ঘটনার পর একদিন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) সেই খেজুর বাগানের দিকে রওয়ানা হলেন, যেখানে ইবনু সাইয়্যাদ ছিল। অবশেষে যখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বাগানে প্রবেশ করলেন, তখন তিনি খেজুর গাছের আড়ালে চলতে লাগলেন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল যে, ইবনু সাইয়্যাদ তাঁকে দেখার আগেই যেন তিনি তাঁর কিছু কথাবার্তা শুনে নিতে পারেন। এ সময় ইবনু সাইয়্যাদ তার বিছানায় একখানা চাদর গায়ে দিয়ে শুয়েছিল। আর তার চাদরের মধ্যে হতে বিড়বিড় শব্দ শুনা যাচ্ছিল। ইতোমধ্যে ইবনু সাইয়্যাদের মা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে দেখল যে, তিনি খেজুরের গাছের আড়ালে লুকিয়ে লুকিয়ে আসছেন। তখন তার মা তাকে ডেকে বললঃ ওহে সাফ্‌! –এটা ছিল তার ডাক নাম- এই যে, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। তখন ইবনু সাইয়্যাদ চুপ হল। তখন রসূলুল্লাহ (রাঃ) বললেনঃ যদি তার মা তাকে সতর্ক না করতো তবে তার (ব্যাপার) প্রকাশ পেয়ে যেতো।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৩৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬২৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৭৫

قَالَ سَالِمٌ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي النَّاسِ فَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ، ثُمَّ ذَكَرَ الدَّجَّالَ فَقَالَ ‏”‏ إِنِّي أُنْذِرُكُمُوهُ، وَمَا مِنْ نَبِيٍّ إِلاَّ وَقَدْ أَنْذَرَ قَوْمَهُ، لَقَدْ أَنْذَرَهُ نُوحٌ قَوْمَهُ، وَلَكِنِّي سَأَقُولُ لَكُمْ فِيهِ قَوْلاً لَمْ يَقُلْهُ نَبِيٌّ لِقَوْمِهِ، تَعْلَمُونَ أَنَّهُ أَعْوَرُ، وَأَنَّ اللَّهَ لَيْسَ بِأَعْوَرَ ‏”‏‏.

قَالَ أَبُو عَبْد اللَّهِ خَسَأْتُ الْكَلْبَ بَعَّدْتُهُ خَاسِئِينَ مُبْعَدِينَ

আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘আবদুল্লাহ বর্ণনা করেছেন যে, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সহাবাদের মধ্যে দাঁড়িয়ে আল্লাহ তা‘আলার যথাবিহিত প্রশংসার পর দাজ্জালের উল্লেখ করে বললেনঃ আমি তোমাদের তার ব্যাপারে সাবধান করে দিচ্ছি। প্রত্যেক নাবীই এর ব্যাপারে তাঁর কওমকে সাবধান করে গিয়েছেন। আমি এর ব্যাপারে এমন কথা বলছি যা অন্য কোন নাবী তাঁর কওমকে বলেননি। তোমরা জেনে রাখ সে কানা; কিন্তু আল্লাহ কানা নন। [৩০৫৭] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৩৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬২৯)

 

আবূ আবদুল্লাহ বুখারী (রহ.) বলেন, خسأت الكلب অর্থাৎ আমি তাকে দূর করেছি। خايئين অর্থ বিতাড়নকারী।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/৯৮. অধ্যায়ঃ

কাউকে ‘মারহাবা’ বলা

আয়িশা (রাঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফাতেমাহ (রাঃ) -কে বলেছেনঃ আমার মেয়ের জন্য ‘মারহাবা’। উম্মু হানী (রাঃ) বলেন, আমি একবার নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এলাম। তিনি বললেনঃ উম্মু হানী ‘মারহাবা’।

৬১৭৬

حَدَّثَنَا عِمْرَانُ بْنُ مَيْسَرَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا أَبُو التَّيَّاحِ، عَنْ أَبِي جَمْرَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ لَمَّا قَدِمَ وَفْدُ عَبْدِ الْقَيْسِ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏”‏ مَرْحَبًا بِالْوَفْدِ الَّذِينَ جَاءُوا غَيْرَ خَزَايَا وَلاَ نَدَامَى ‏”‏‏.‏ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا حَىٌّ مِنْ رَبِيعَةَ وَبَيْنَنَا وَبَيْنَكَ مُضَرُ، وَإِنَّا لاَ نَصِلُ إِلَيْكَ إِلاَّ فِي الشَّهْرِ الْحَرَامِ، فَمُرْنَا بِأَمْرٍ فَصْلٍ نَدْخُلُ بِهِ الْجَنَّةَ، وَنَدْعُو بِهِ مَنْ وَرَاءَنَا‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ أَرْبَعٌ وَأَرْبَعٌ أَقِيمُوا الصَّلاَةَ، وَآتُوا الزَّكَاةَ، وَصَوْمُ رَمَضَانَ، وَأَعْطُوا خُمُسَ مَا غَنِمْتُمْ، وَلاَ تَشْرَبُوا فِي الدُّبَّاءِ، وَالْحَنْتَمِ، وَالنَّقِيرِ، وَالْمُزَفَّتِ ‏”‏‏.‏

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ ‘আবদুল কায়সের প্রতিনিধি দল নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে এলে তিনি বললেনঃ এই প্রতিনিধি দলের প্রতি ‘মারহাবা’, যারা লাঞ্ছিত ও লজ্জিত হয়ে আসেনি। তারা বললঃ হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমরা রাবি’য়া গোত্রের লোক। আমরা ও আপনার মাঝে অবস্থান করছে ‘মুযার’ গোত্র। এজন্য আমরা হারাম মাস ব্যতীত আপনার খিদমতে পৌছতে পারি না। সুতরাং আপনি আমাদের এমন কিছু চূড়ান্ত নিয়ম-নীতি বাত্‌লিয়ে দেন যা অনুসরণ করে আমরা জান্নাতে যেতে পারি এবং আমাদের পেছনে যারা রয়েছে তাদের পথ দেখাতে পারি। তিনি বললেনঃ আমি চারটি ও চারটি নির্দেশ দিচ্ছি। তোমরা সালাত কায়িম করবে, যাকাত দিবে, রমাযান মাসের সিয়াম পালন করবে এবং গানীমাতের মালের পঞ্চমাংশ দান করবে। আর কদুর খোলে, সবুজ রং করা কলসে, খেজুর মূলের পাত্রে আলকাতরা রঙানো পাত্রে পান করবে না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৩৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৩০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/৯৯. অধ্যায়ঃ

ক্বিয়ামাতের দিন মানুষকে তাদের পিতার নামে ডাকা হবে।

৬১৭৭

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ الْغَادِرُ يُرْفَعُ لَهُ لِوَاءٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، يُقَالُ هَذِهِ غَدْرَةُ فُلاَنِ بْنِ فُلاَنٍ ‏”‏‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ (ক্বিয়ামাতের দিন) শপথ ভঙ্গকারীর জন্য একটি পতাকা তোলা হবে এবং বলা হবে যে, এ হলো অমুকের পুত্র অমুকের বিশ্বাসঘাতকতার নিদর্শন।আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৩৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৩১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৭৮

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنَّ الْغَادِرَ يُنْصَبُ لَهُ لِوَاءٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، فَيُقَالُ هَذِهِ غَدْرَةُ فُلاَنِ بْنِ فُلاَنٍ ‏”‏‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ শপথ ভঙ্গকারীর জন্য ক্বিয়ামাতের দিন একটা পতাকা দাঁড় করানো হবে। আর বলা হবে যে, এটা অমুকের পুত্র অমুকের বিশ্বাসঘাতকতার নিদর্শন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৩৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৩২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/১০০. অধ্যায়ঃ

কেউ যেন না বলে, আমার আত্মা ‘খবীস’ হয়ে গেছে।

৬১৭৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ يَقُولَنَّ أَحَدُكُمْ خَبُثَتْ نَفْسِي‏.‏ وَلَكِنْ لِيَقُلْ لَقِسَتْ نَفْسِي ‏”‏‏.‏

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সাবধান! তোমাদের কেউ যেন এমন না বলে যে, আমার হৃদয় খবীস হয়ে গেছে। তবে এ কথা বলতে পারে যে, আমার হৃদয় কলুষিত হয়ে গেছে।[মুসলিম ৪০/৪০, হাঃ ২২৫০, আহমাদ ২৪২৯৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৩৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৩৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৮০

حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ”‏ لاَ يَقُولَنَّ أَحَدُكُمْ خَبُثَتْ نَفْسِي، وَلَكِنْ لِيَقُلْ لَقِسَتْ نَفْسِي ‏”‏‏.‏ تَابَعَهُ عُقَيْلٌ‏.‏

সাহল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সাবধান! তোমাদের কেউ যেন এ কথা না বলে, আমার অন্তর ‘খবীস’ হয়ে গেছে। বরং সে বলবেঃ আমার অন্তর কলুষিত হয়েছে। [মুসলিম ৪০/৪, হাঃ ২২৫১] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৩৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৩৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/১০১. অধ্যায়ঃ

যামানাকে গালি দেবে না।

৬১৮১

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ، قَالَ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ قَالَ اللَّهُ يَسُبُّ بَنُو آدَمَ الدَّهْرَ، وَأَنَا الدَّهْرُ، بِيَدِي اللَّيْلُ وَالنَّهَارُ ‏”‏‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ্‌ বলেন, মানুষ কালকে গালি দেয়, অথচ আমিই কাল, (এর নিয়ন্ত্রণের মালিক)। একমাত্র আমারই হাতে রাত ও দিনের পরিবর্তন ঘটে।[৪৮২৬; মুসলিম ৪০/১, হাঃ ২২৪৬] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৩৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৩৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৮২

حَدَّثَنَا عَيَّاشُ بْنُ الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ لاَ تُسَمُّوا الْعِنَبَ الْكَرْمَ، وَلاَ تَقُولُوا خَيْبَةَ الدَّهْرِ‏.‏ فَإِنَّ اللَّهَ هُوَ الدَّهْرُ ‏”‏‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা আঙ্গুরকে ‘কারম’ বলো না। আর বলবে না বঞ্চিত যুগ। কারণ আল্লাহ্‌ই যুগ বা কাল।[৬১৮৩; মুসলিম ৪০/১, হাঃ ২২৪৭, আহমাদ ১০৩৭১] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৪০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৩৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/১০২. অধ্যায়ঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর বাণীঃ প্রকৃত ‘কারম’ হলো মু’মিনের ক্বলব।

তিনি বলেছেনঃ প্রকৃত সম্বলহীন হলো সে, যে লোক ক্বিয়ামাতের দিন সম্বলহীন। যেমন (অন্যত্র) তাঁরই বাণীঃ প্রকৃত বাহাদুর হলো সে লোক, যে রাগের সময় নিজেকে সামলিয়ে রাখতে পারে। আরও যেমন তাঁরই বাণীঃ আল্লাহ একমাত্র বাদশাহ। আবার তিনিই এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন যে, একমাত্র আল্লাহ তা’আলাই সার্বভৌমত্বের মালিক। এরপর বাদশাহ্‌দের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আল্লাহ্‌র বাণীঃ “বাদশাহ্‌রা যখন কোন জনপদে প্রবেশ করে, তখন তারা তা ধংস করে দেয়”- (সূরাহ আন্‌-নামল ২৭/৩৪)

৬১৮৩

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ وَيَقُولُونَ الْكَرْمُ، إِنَّمَا الْكَرْمُ قَلْبُ الْمُؤْمِنِ ‏”‏‏.‏

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ লোকেরা (আঙ্গুরকে) ‘কারম’ বলে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ‘কারম’ হলো মু’মিনের অন্তর।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৪১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৩৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/১০৩. অধ্যায়ঃ

কোন লোকের এ রকম কথা বলা আমার মা-বাপ আপনার প্রতি কুরবান।

এ সম্পর্কে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে যুবায়র (রাঃ) -এর একটি বর্ণনা আছে।

৬১৮৪

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، حَدَّثَنِي سَعْدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادٍ، عَنْ عَلِيٍّ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ مَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُفَدِّي أَحَدًا غَيْرَ سَعْدٍ، سَمِعْتُهُ يَقُولُ ‏ “‏ ارْمِ فَدَاكَ أَبِي وَأُمِّي ‏”‏‏.‏ أَظُنُّهُ يَوْمَ أُحُدٍ‏.‏

আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আলী (রাঃ) বলেন, আমি সা’দ (রাঃ) ছাড়া আর কারো ব্যাপারে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে এ কথা বলতে শুনিনি যে, আমার মাতা-পিতা তোমার প্রতি কুরবান। আমি তাঁকে বলতে শুনেছিঃ হে সা’দ! তুমি তীর চালাও। আমার মাতা-পিতা তোমার প্রতি কুরবান। আমার ধারণা হচ্ছে যে, এ কথা তিনি উহুদের যুদ্ধে বলেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৪২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৩৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/১০৪. অধ্যায়ঃ

কোন ব্যক্তির এ কথা বলা যে, আল্লাহ আমাকে তোমার প্রতি কুরবান করুন।

আবূ বাক্‌র (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বললেনঃ আমরা আমাদের পিতা ও মাতাদের আপনার প্রতি কুরবান করলাম।

৬১৮৫

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّهُ أَقْبَلَ هُوَ وَأَبُو طَلْحَةَ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صَفِيَّةُ، مُرْدِفَهَا عَلَى رَاحِلَتِهِ، فَلَمَّا كَانُوا بِبَعْضِ الطَّرِيقِ عَثَرَتِ النَّاقَةُ، فَصُرِعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَالْمَرْأَةُ، وَأَنَّ أَبَا طَلْحَةَ ـ قَالَ أَحْسِبُ ـ اقْتَحَمَ عَنْ بَعِيرِهِ، فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ جَعَلَنِي اللَّهُ فِدَاكَ، هَلْ أَصَابَكَ مِنْ شَىْءٍ‏.‏ قَالَ ‏”‏ لاَ وَلَكِنْ عَلَيْكَ بِالْمَرْأَةِ ‏”‏‏.‏ فَأَلْقَى أَبُو طَلْحَةَ ثَوْبَهُ عَلَى وَجْهِهِ فَقَصَدَ قَصْدَهَا، فَأَلْقَى ثَوْبَهُ عَلَيْهَا فَقَامَتِ الْمَرْأَةُ، فَشَدَّ لَهُمَا عَلَى رَاحِلَتِهِمَا فَرَكِبَا، فَسَارُوا حَتَّى إِذَا كَانُوا بِظَهْرِ الْمَدِينَةِ ـ أَوْ قَالَ أَشْرَفُوا عَلَى الْمَدِينَةِ ـ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ آيِبُونَ تَائِبُونَ، عَابِدُونَ لِرَبِّنَا حَامِدُونَ ‏”‏‏.‏ فَلَمْ يَزَلْ يَقُولُهَا حَتَّى دَخَلَ الْمَدِينَةَ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একবার নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সঙ্গে তিনি ও আবূ ত্বলহা (রাঃ) (মদিনায়) আসছিলেন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সঙ্গে সফিয়্যাহ (রাঃ) তাঁর উটের পেছনে উপবিষ্ট ছিলেন। পথে এক জায়গায় উটের পা পিছলে যায় এবং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর স্ত্রী পড়ে যান। তখন আবূ ত্বলহা (রাঃ) ও তাঁর উট থেকে লাফ দিয়ে নামলেন এবং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেনঃ হে আল্লাহ্‌র নবী! আপনার কি কোন চোট লেগেছে? আল্লাহ আমাকে আপনার প্রতি কুরবান করুন। তিনি বললেনঃ না। তবে মহিলাটির খোঁজ নাও। তখন আবূ ত্বলহা (রাঃ) তাঁর কাপড় দিয়ে চেহারা ঢেকে তাঁর দিকে অগ্রসর হলেন এবং তাঁর উপরও একখানা বস্ত্র ফেলে দিলেন। তখন মহিলাটি উঠে দাঁড়ালেন। এরপর আবূ ত্বলহা (রাঃ) তাঁদের হাওদাটি উটের উপর শক্ত করে বেঁধে দিলেন। তাঁরা উভয়ে সাওয়ার হলেন এবং সবাই আবার রওয়ানা হলেন। অবশেষে যখন তাঁরা মাদীনাহ্‌র নিকটে পৌছলেন, তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতে লাগলেনঃ “আমরা প্রত্যাবর্তনকারী, তাওবাহ্‌কারী, ‘ইবাদাতকারী এবং একমাত্র স্বীয় রবের প্রশংসাকারী”। তিনি মদিনায় প্রবেশ করা অবধি এ কথাগুলো বলছিলেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৪৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৩৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/১০৫. অধ্যায়ঃ

আল্লাহ্‌র নিকট সবচেয়ে প্রিয় নাম সম্পর্কিত।

৬১৮৬

حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ الْفَضْلِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ وُلِدَ لِرَجُلٍ مِنَّا غُلاَمٌ فَسَمَّاهُ الْقَاسِمَ فَقُلْنَا لاَ نَكْنِيكَ أَبَا الْقَاسِمِ وَلاَ كَرَامَةَ‏.‏ فَأَخْبَرَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ “‏ سَمِّ ابْنَكَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ ‏”‏‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমাদের একজনের একটি ছেলে জন্ম নিল। সে তার নাম রাখলো ‘কাসিম’। আমরা বললামঃ আমরা তোমাকে আবুল কাসিম ডাকবো না আর সে সম্মানও দেবো না। তিনি এ কথা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে জানালে তিনি বললেনঃ তোমার ছেলের নাম রাখ ‘আবদুর রহমান’। [৩১১৪; মুসলিম ৩৮/১, হাঃ ২১৩৩, আহমাদ ১৪৩০০] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৪৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৪০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/১০৬. অধ্যায়ঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর বাণীঃ আমার নামে নাম রাখতে পার, তবে আমার কুন্ইয়াত দিয়ে কারো কুন্ইয়াত (ডাক নাম) রেখো না।

আনাস (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।

৬১৮৭

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، حَدَّثَنَا حُصَيْنٌ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ جَابِرٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ وُلِدَ لِرَجُلٍ مِنَّا غُلاَمٌ فَسَمَّاهُ الْقَاسِمَ فَقَالُوا لاَ نَكْنِيهِ حَتَّى نَسْأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ “‏ سَمُّوا بِاسْمِي، وَلاَ تَكْتَنُوا بِكُنْيَتِي ‏”‏‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

জাবির (রাঃ) বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমাদের এক লোকের একটি ছেলে জন্মাল। সে তার নাম রাখলো ‘কাসিম’। তখন লোকেরা বললঃ আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে জিজ্ঞেস না করা পর্যন্ত তাকে এ কুন্ইয়াতে ডাকবো না। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা আমার নামে নাম রেখো, কিন্তু আমার কুন্ইয়াতে কারো কুন্ইয়াত রেখো না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৪৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৪১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৮৮

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ أَبُو الْقَاسِمِ صلى الله عليه وسلم “‏ سَمُّوا بِاسْمِي، وَلاَ تَكْتَنُوا بِكُنْيَتِي ‏”‏‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবুল কাসিম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা আমার নামে নাম রেখো, কিন্তু আমার কুন্ইয়াতে কুন্ইয়াত রেখো না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৪৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৪২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৮৯

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ الْمُنْكَدِرِ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ ـ رضى الله عنهما وُلِدَ لِرَجُلٍ مِنَّا غُلاَمٌ فَسَمَّاهُ الْقَاسِمَ فَقَالُوا لاَ نَكْنِيكَ بِأَبِي الْقَاسِمِ، وَلاَ نُنْعِمُكَ عَيْنًا‏.‏ فَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ ‏ “‏ أَسْمِ ابْنَكَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ ‏”‏‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমাদের মধ্যেকার এক লোকের একটি ছেলে হলে সে তার নাম রাখলো ‘কাসিম’। আমরা বললামঃ আমরা তোমাকে ‘আবুল কাসিম’ কুন্ইয়াতে ডাকবো না। আর এর মাধ্যমে তোমার চোখও ঠাণ্ডা করবো না। তখন লোকটি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে এ কথা জানাল। তিনি বললেনঃ তোমার ছেলের নাম রাখ ‘আবদুর রহমান।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৪৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৪৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/১০৭. অধ্যায়ঃ

‘হায্ন’ নাম।

৬১৯০

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ نَصْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ ابْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ أَبَاهُ، جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ مَا اسْمُكَ ‏”‏‏.‏ قَالَ حَزْنٌ‏.‏ قَالَ ‏”‏ أَنْتَ سَهْلٌ ‏”‏‏.‏ قَالَ لاَ أُغَيِّرُ اسْمًا سَمَّانِيهِ أَبِي‏.‏ قَالَ ابْنُ الْمُسَيَّبِ فَمَا زَالَتِ الْحُزُونَةُ فِينَا بَعْدُ‏.‏ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَمَحْمُودٌ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ ابْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، بِهَذَا‏.‏

ইবনু মুসাইয়্যাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

বর্ণিত যে, তাঁর দাদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট আসলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমার নাম কী? তিনি বললেনঃ ‘হায্ন’। [১৭] নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-বললেনঃ বরং তোমার নাম ‘সাহ্‌ল’। তিনি বললেনঃ আমার পিতা আমার যে নাম রেখেছেন, তা অন্য কোন নাম দিয়ে আমি বদলাবো না। ইবনু মুসাইয়্যাব (রহঃ) বলেনঃ এরপর থেকে আমাদের বংশের মধ্যে দুঃখকষ্টই চলে এসেছে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৪৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৪৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৭] হাযন কথাটির অর্থ দুঃখ-কষ্ট।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/১০৮. অধ্যায়ঃ

নাম পাল্টে আগের নামের চেয়ে উত্তম নাম রাখা।

৬১৯১

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، حَدَّثَنَا أَبُو غَسَّانَ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو حَازِمٍ، عَنْ سَهْلٍ، قَالَ أُتِيَ بِالْمُنْذِرِ بْنِ أَبِي أُسَيْدٍ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حِينَ وُلِدَ، فَوَضَعَهُ عَلَى فَخِذِهِ وَأَبُو أُسَيْدٍ جَالِسٌ، فَلَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِشَىْءٍ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَأَمَرَ أَبُو أُسَيْدٍ بِابْنِهِ فَاحْتُمِلَ مِنْ فَخِذِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَاسْتَفَاقَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ أَيْنَ الصَّبِيُّ ‏”‏‏.‏ فَقَالَ أَبُو أُسَيْدٍ قَلَبْنَاهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ‏.‏ قَالَ ‏”‏ مَا اسْمُهُ ‏”‏‏.‏ قَالَ فُلاَنٌ‏.‏ قَالَ ‏”‏ وَلَكِنْ أَسْمِهِ الْمُنْذِرَ ‏”‏‏.‏ فَسَمَّاهُ يَوْمَئِذٍ الْمُنْذِرَ‏.‏

সাহল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, যখন মুনযির ইবনু আবূ উসায়দ জন্মলাভ করলেন, তখন তাকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট নিয়ে আসা হলো। তিনি তাকে নিজের উরুর উপর রাখলেন। আবূ উসায়দ (রাঃ) পাশেই উপবিষ্ট ছিলেন। এ সময় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সামনেই কোন জরুরী কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। ইত্যবসরে আবূ উসায়দ (রাঃ) কারো মাধ্যমে তাঁর উরু থেকে তাঁকে উঠিয়ে নিয়ে গেলেন। পরে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সে কাজ থেকে মুক্ত হয়ে জিজ্ঞেস করলেনঃ শিশুটি কোথায়? আবূ উসায়দ বললঃ হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমি তাকে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছি। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ তার নাম কী? তিনি বললেনঃ অমুক। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ বরং তাঁর নাম ‘মুন্‌যির’। সে দিন হতে তার নাম রাখলেন ‘মুন্‌যির’।[মুসলিম ৩৮/৫, হাঃ ২১৪৯] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৫০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৪৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৯২

حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ الْفَضْلِ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ زَيْنَبَ، كَانَ اسْمُهَا بَرَّةَ، فَقِيلَ تُزَكِّي نَفْسَهَا‏.‏ فَسَمَّاهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم زَيْنَبَ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, যাইনাব (রাঃ) -এর নাম ছিল ‘বাররাহ’ (নেককার)। তখন বলা হল যে, এর দ্বারা তিনি নিজের পবিত্রতা প্রকাশ করছেন। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর নাম রাখলেনঃ ‘যাইনাব’। [মুসলিম ৩৮/৩, হাঃ ২১৪১] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৫১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৪৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৯৩

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، أَنَّ ابْنَ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَهُمْ قَالَ أَخْبَرَنِي عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ شَيْبَةَ، قَالَ جَلَسْتُ إِلَى سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ فَحَدَّثَنِي أَنَّ جَدَّهُ حَزْنًا قَدِمَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ مَا اسْمُكَ ‏”‏‏.‏ قَالَ اسْمِي حَزْنٌ‏.‏ قَالَ ‏”‏ بَلْ أَنْتَ سَهْلٌ ‏”‏‏.‏ قَالَ مَا أَنَا بِمُغَيِّرٍ اسْمًا سَمَّانِيهِ أَبِي‏.‏ قَالَ ابْنُ الْمُسَيَّبِ فَمَا زَالَتْ فِينَا الْحُزُونَةُ بَعْدُ‏.‏

সা‘ঈদ ইবনু মুসাইয়্যাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একবার তাঁর দাদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে আসলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমার নাম কী? তিনি উত্তর দিলেনঃ আমার নাম হায্ন। তিনি বললেনঃ না বরং তোমার নাম ‘সাহ্‌ল’। তিনি বললেনঃ আমার পিতা আমার যে নাম রেখে গিয়েছেন, তা আমি পাল্টাতে চাই না। ইবনু মুসাইয়্যাব বলেন, ফলে এরপর থেকে আমাদের বংশে দুঃখকষ্টই লেগে আছে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৫২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৪৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/১০৯. অধ্যায়ঃ

নবীদের (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নামে যারা নাম রাখেন।

আনাস (রাঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইব্রাহীম (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে চুমু দিয়াছেন অর্থাৎ তাঁর পুত্রকে।

৬১৯৪

حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قُلْتُ لاِبْنِ أَبِي أَوْفَى رَأَيْتَ إِبْرَاهِيمَ ابْنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَاتَ صَغِيرًا، وَلَوْ قُضِيَ أَنْ يَكُونَ بَعْدَ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم نَبِيٌّ عَاشَ ابْنُهُ، وَلَكِنْ لاَ نَبِيَّ بَعْدَهُ‏.‏

ইসমা‘ঈল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ইসমা‘ঈল (রাঃ) বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনু আবূ আওফা (রাঃ) -কে জিজ্ঞেস করলামঃ আপনি কি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর পুত্র ইবরাহীম (রাঃ) -কে দেখেছেন? তিনি বললেনঃ তিনি তো বাল্যাবস্থায় মারা গিয়েছেন। যদি মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর পরে অন্য কেউ নবী হবার বিধান থাকত তবে তাঁর পুত্র জীবিত থাকতেন। কিন্তু তাঁর পরে কোন নবী নাই।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৫৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৪৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৯৫

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ، قَالَ لَمَّا مَاتَ إِبْرَاهِيمُ ـ عَلَيْهِ السَّلاَمُ ـ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم”‏ إِنَّ لَهُ مُرْضِعًا فِي الْجَنَّةِ ‏”‏‏.‏

আদী ইবনু সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি বারাআ’ (রাঃ) -কে বলতে শুনেছি যে, যখন ইবরাহীম (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মারা যান তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তার জন্য জান্নাতে দুগ্ধদায়িনী থাকবে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৫৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৪৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৯৬

حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ حُصَيْنِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ سَمُّوا بِاسْمِي، وَلاَ تَكْتَنُوا بِكُنْيَتِي، فَإِنَّمَا أَنَا قَاسِمٌ أَقْسِمُ بَيْنَكُمْ ‏”‏‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা আমার নাম রাখ। কিন্তু আমার কুন্ইয়াতে কারো কুন্ইয়াত রেখ না। কেননা আমিই কাসিম। আমি তোমাদের মধ্যে (আল্লাহ্‌র নি‘য়ামাত) বণ্টন করি।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৫৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৫০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৯৭

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو حَصِينٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ سَمُّوا بِاسْمِي وَلاَ تَكْتَنُوا بِكُنْيَتِي، وَمَنْ رَآنِي فِي الْمَنَامِ فَقَدْ رَآنِي، فَإِنَّ الشَّيْطَانَ لاَ يَتَمَثَّلُ صُورَتِي، وَمَنْ كَذَبَ عَلَىَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ ‏”‏‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা আমার নামে নাম রাখ। কিন্তু আমার কুন্ইয়াতে কারো কুন্ইয়াত রেখো না। আর যে ব্যক্তি স্বপ্নে আমাকে দেখেছে, সে অবশ্যই আমাকে দেখেছে। শয়তান আমার সুরত গ্রহণ করতে পারে না। আর যে লোক ইচ্ছাপূর্বক আমার প্রতি মিথ্যারোপ করে, সে যেন জাহান্নামেই তার বাসস্থান করে নেয়।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৫৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৫১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৯৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ بُرَيْدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ وُلِدَ لِي غُلاَمٌ، فَأَتَيْتُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَسَمَّاهُ إِبْرَاهِيمَ، فَحَنَّكَهُ بِتَمْرَةٍ، وَدَعَا لَهُ بِالْبَرَكَةِ، وَدَفَعَهُ إِلَىَّ، وَكَانَ أَكْبَرَ وَلَدِ أَبِي مُوسَى‏.‏

আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমার একটি ছেলে জন্মালে আমি তাকে নিয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে আসলাম। তিনি তার নাম রেখে দিলেন ইবরাহীম। তারপর তিনি একটা খেজুর চিবিয়ে তার মুখে দিয়ে তার জন্য বারাকাতের দু‘আ করলেন এবং তাকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিলেন। রাবী বলেন, সে ছিল আবূ মূসা (রাঃ) -এর বড় ছেলে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৫৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৫২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১৯৯

حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ عِلاَقَةَ، سَمِعْتُ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ، قَالَ انْكَسَفَتِ الشَّمْسُ يَوْمَ مَاتَ إِبْرَاهِيمُ‏.‏ رَوَاهُ أَبُو بَكْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم‏.‏

যিয়াদ ইবনু ইলাকাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি মুগী্রাহ ইবনু শু‘বাহ (রাঃ) -কে বলতে শুনেছিঃ যে দিন ইবরাহীম (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মারা যান, সে দিন সূর্যগ্রহণ হয়েছিল। এটি আবূ বাকারাহ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৫৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৫৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/১১০ অধ্যায়ঃ

ওয়ালীদ নাম রাখা প্রসঙ্গে।

৬২০০

أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ الْفَضْلُ بْنُ دُكَيْنٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ لَمَّا رَفَعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم رَأْسَهُ مِنَ الرَّكْعَةِ قَالَ ‏ “‏ اللَّهُمَّ أَنْجِ الْوَلِيدَ بْنَ الْوَلِيدِ، وَسَلَمَةَ بْنَ هِشَامٍ، وَعَيَّاشَ بْنَ أَبِي رَبِيعَةَ، وَالْمُسْتَضْعَفِينَ بِمَكَّةَ، اللَّهُمَّ اشْدُدْ وَطْأَتَكَ عَلَى مُضَرَ، اللَّهُمَّ اجْعَلْهَا عَلَيْهِمْ سِنِينَ كَسِنِي يُوسُفَ ‏”‏‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাতের রুকু থেকে মাথা তুলে দু‘আ করলেনঃ হে আল্লাহ! তুমি ওয়ালীদ, সালামাহ ইবনু হিশাম, আইয়্যাশ ইবনু আবী রাবী‘য়া এবং মক্কাহর দুর্বল মুসলিমদের শত্রুর জ্বালাতন থেকে মুক্তি দাও। আর হে আল্লাহ! মুযার গোত্রকে শক্তভাবে পাকড়াও করো। হে আল্লাহ্! তুমি তাদের উপর এমন দুর্ভিক্ষ দাও, যেমন দুর্ভিক্ষ ইউসুফ (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর যুগে দিয়েছিলে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৫৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৫৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/১১১. অধ্যায়ঃ

কারো সঙ্গীকে তার নামের কিছু অক্ষর কমিয়ে ডাকা ।

আবূ হাযিম (রহঃ) বলেন, আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেছেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে ‘ইয়া আবা হিররিন’ বলে ডাক দেন।

৬২০১

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ يَا عَائِشَ هَذَا جِبْرِيلُ يُقْرِئُكِ السَّلاَمَ ‏”‏‏.‏ قُلْتُ وَعَلَيْهِ السَّلاَمُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ‏.‏ قَالَتْ وَهْوَ يَرَى مَا لاَ نَرَى‏.‏

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর স্ত্রী ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদিন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে ‘আয়িশা! এই যে জিবরীল (‘আ) তোমাকে সালাম বলেছেন। তিনি বললেনঃ তাঁর উপরও আল্লাহ্‌র শান্তি ও রহমত নাযিল হোক। এরপর তিনি বললেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দেখেন, যা আমি দেখি না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৬০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৫৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২০২

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَنَسٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كَانَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ فِي الثَّقَلِ وَأَنْجَشَةُ غُلاَمُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَسُوقُ بِهِنَّ، فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ يَا أَنْجَشَ، رُوَيْدَكَ، سَوْقَكَ بِالْقَوَارِيرِ ‏”‏‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একবার উম্মু সালীম (রাঃ) সফরের সামগ্রীবাহী উটে সাওয়ার ছিলেন। আর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর গোলাম আন্জাশ উটগুলোকে জলদি হাঁকিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ ওহে আন্জাশ! তুমি কাঁচের পাত্র বহনকারী উটগুলো আস্তে আস্তে হাঁকাও।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৬১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৫৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/১১২. অধ্যায়ঃ

কোন ব্যক্তির সন্তান জন্মানোর পূর্বেই সে শিশুর নাম দিয়ে তার ডাকনাম রাখা।

৬২০৩

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَحْسَنَ النَّاسِ خُلُقًا، وَكَانَ لِي أَخٌ يُقَالُ لَهُ أَبُو عُمَيْرٍ ـ قَالَ أَحْسِبُهُ فَطِيمٌ ـ وَكَانَ إِذَا جَاءَ قَالَ ‏ “‏ يَا أَبَا عُمَيْرٍ مَا فَعَلَ النُّغَيْرُ ‏”‏‏.‏ نُغَرٌ كَانَ يَلْعَبُ بِهِ، فَرُبَّمَا حَضَرَ الصَّلاَةَ وَهُوَ فِي بَيْتِنَا، فَيَأْمُرُ بِالْبِسَاطِ الَّذِي تَحْتَهُ فَيُكْنَسُ وَيُنْضَحُ، ثُمَّ يَقُومُ وَنَقُومُ خَلْفَهُ فَيُصَلِّي بِنَا‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সবচেয়ে অধিক সদাচারী ছিলেন। আমার এক ভাই ছিল; ‘তাকে আবূ ‘উমায়র’ বলে ডাকা হতো। আমার ধারনা যে, সে তখন মায়ের দুধ খেতো না। যখনই সে তাঁর নিকট আসতো, তিনি বলতেনঃ হে আবূ ‘উমায়র! কী করছে তোমার নুগায়র? সে নুগায়র পাখিটা নিয়ে খেলতো। আর প্রায়ই যখন সলাতের সময় হতো, আর তিনি আমাদের ঘরে থাকতেন, তখন তাঁর নীচে যে বিছানা থাকতো, একটু পানি ছিটিয়ে ঝেড়ে দেয়ার জন্য আমাদের আদেশ করতেন। তারপর তিনি সলাতের জন্য দাঁড়াতেন এবং আমরাও তাঁর পেছনে দাঁড়াতাম। আর তিনি আমাদের নিয়ে সলাত আদায় করতেন।[৬১২৯; মুসলিম ৩৮/৫, হাঃ ২১৫০] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৬২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৫৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/১১৩. অধ্যায়ঃ

কারো অন্য কুন্ইয়াত থাকা সত্ত্বেও তার কুন্ইয়াত ‘আবূ তুরাব’ রাখা।

৬২০৪

حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ إِنْ كَانَتْ أَحَبَّ أَسْمَاءِ عَلِيٍّ ـ رضى الله عنه ـ إِلَيْهِ لأَبُو تُرَابٍ، وَإِنْ كَانَ لَيَفْرَحُ أَنْ يُدْعَى بِهَا، وَمَا سَمَّاهُ أَبُو تُرَابٍ إِلاَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم غَاضَبَ يَوْمًا فَاطِمَةَ فَخَرَجَ فَاضْطَجَعَ إِلَى الْجِدَارِ إِلَى الْمَسْجِدِ، فَجَاءَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَتْبَعُهُ، فَقَالَ هُوَ ذَا مُضْطَجِعٌ فِي الْجِدَارِ فَجَاءَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَامْتَلأَ ظَهْرُهُ تُرَابًا، فَجَعَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَمْسَحُ التُّرَابَ عَنْ ظَهْرِهِ يَقُولُ ‏ “‏ اجْلِسْ يَا أَبَا تُرَابٍ ‏”‏‏.‏

সাহ্‌ল ইবনু সা‘দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ ‘আলী (রাঃ) -এর নিকট তাঁর নামগুলোর মধ্যে ‘আবূ তুরাব’ কুন্ইয়াত ছিল সবচেয়ে অধিক প্রিয় এবং এ নামে ডাকলে তিনি খুব খুশী হতেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -ই তাকে ‘আবূ তুরাব’ কুন্ইয়াতে ডেকেছিলেন। একদিন তিনি ফাতেমাহ (রাঃ) -এর সঙ্গে রাগ করে বেরিয়ে এসে মাসজিদের দেয়ালের পাশে ঘুমিয়ে পড়লেন। এ সময় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে তালাশ করছিলেন। এক ব্যক্তি বললঃ তিনি তো ওখানে দেয়ালের পাশে শুয়ে আছেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর কাছে গিয়ে তাঁকে এমন হালতে পেলেন যে, তাঁর পিঠে ধূলাবালি লেগে আছে। তিনি তাঁর পিঠ থেকে ধূলা ঝাড়তে লাগলেন আর বলতে লাগলেনঃ হে আবূ তুরাব! উঠে বসো।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৬৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৫৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/১১৪. অধ্যায়ঃ

আল্লাহ তা‘আলার নিকট সবচেয়ে ঘৃণিত নাম।

৬২০৫

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “‏ أَخْنَى الأَسْمَاءِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عِنْدَ اللَّهِ رَجُلٌ تَسَمَّى مَلِكَ الأَمْلاَكِ ‏”‏‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলার কাছে ক্বিয়ামাতের দিনে ঐ লোকের নাম সবচেয়ে ঘৃণিত, যে তার নাম রেখেছে ‘রাজাদের রাজা’। [৬২০৬; মুসলিম ৩৮/৪, হাঃ ২১৪৩, আহমাদ ৭৩৩৩] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৬৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৫৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২০৬

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رِوَايَةً قَالَ ‏ “‏ أَخْنَعُ اسْمٍ عِنْدَ اللَّهِ ـ وَقَالَ سُفْيَانُ غَيْرَ مَرَّةٍ أَخْنَعُ الأَسْمَاءِ عِنْدَ اللَّهِ ـ رَجُلٌ تَسَمَّى بِمَلِكِ الأَمْلاَكِ ‏”‏‏.‏ قَالَ سُفْيَانُ يَقُولُ غَيْرُهُ تَفْسِيرُهُ شَاهَانْ شَاهْ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলার নিকট সবচেয়ে খারাপ নামধারী অথবা বলেছেন, সব নামের মধ্যে ঘৃণিত নাম হলো সে ব্যক্তির, যে ‘রাজাদের রাজা’ নাম গ্রহণ করেছে।

সুফ্ইয়ান বলেন যে, অন্যেরা এর ব্যাখ্যা করেছেন, ‘শাহান শাহ’। [৬২০৫; মুসলিম ৩৮/৪, হাঃ ২১৪৩, আহমাদ ৭৩৩৩] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৬৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৬০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/১১৫. অধ্যায়ঃ

মুশরিকের কুন্‌ইয়াত।

মিসওয়ার (রাঃ) বলেন যে, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি, কিন্তু যদি ইবনু আবূ ত্বলিব চায়।

৬২০৭

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ حَدَّثَنِي أَخِي، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي عَتِيقٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ ـ رضى الله عنهما ـ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَكِبَ عَلَى حِمَارٍ عَلَيْهِ قَطِيفَةٌ فَدَكِيَّةٌ وَأُسَامَةُ وَرَاءَهُ، يَعُودُ سَعْدَ بْنَ عُبَادَةَ فِي بَنِي حَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ قَبْلَ وَقْعَةِ بَدْرٍ، فَسَارَا حَتَّى مَرَّا بِمَجْلِسٍ فِيهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَىٍّ ابْنُ سَلُولَ، وَذَلِكَ قَبْلَ أَنْ يُسْلِمَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَىٍّ، فَإِذَا فِي الْمَجْلِسِ أَخْلاَطٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ وَالْمُشْرِكِينَ عَبَدَةِ الأَوْثَانِ وَالْيَهُودِ، وَفِي الْمُسْلِمِينَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ، فَلَمَّا غَشِيَتِ الْمَجْلِسَ عَجَاجَةُ الدَّابَّةِ خَمَّرَ ابْنُ أُبَىٍّ أَنْفَهُ بِرِدَائِهِ وَقَالَ لاَ تُغَبِّرُوا عَلَيْنَا‏.‏ فَسَلَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَيْهِمْ، ثُمَّ وَقَفَ فَنَزَلَ فَدَعَاهُمْ إِلَى اللَّهِ وَقَرَأَ عَلَيْهِمُ الْقُرْآنَ، فَقَالَ لَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَىٍّ ابْنُ سَلُولَ أَيُّهَا الْمَرْءُ لاَ أَحْسَنَ مِمَّا تَقُولُ إِنْ كَانَ حَقًّا، فَلاَ تُؤْذِنَا بِهِ فِي مَجَالِسِنَا، فَمَنْ جَاءَكَ فَاقْصُصْ عَلَيْهِ‏.‏ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ فَاغْشَنَا فِي مَجَالِسِنَا فَإِنَّا نُحِبُّ ذَلِكَ‏.‏ فَاسْتَبَّ الْمُسْلِمُونَ وَالْمُشْرِكُونَ وَالْيَهُودُ حَتَّى كَادُوا يَتَثَاوَرُونَ فَلَمْ يَزَلْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَخْفِضُهُمْ حَتَّى سَكَتُوا، ثُمَّ رَكِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَابَّتَهُ فَسَارَ حَتَّى دَخَلَ عَلَى سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَىْ سَعْدُ أَلَمْ تَسْمَعْ مَا قَالَ أَبُو حُبَابٍ ـ يُرِيدُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أُبَىٍّ ـ قَالَ كَذَا وَكَذَا ‏”‏‏.‏ فَقَالَ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ أَىْ رَسُولَ اللَّهِ بِأَبِي أَنْتَ، اعْفُ عَنْهُ وَاصْفَحْ، فَوَالَّذِي أَنْزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ لَقَدْ جَاءَ اللَّهُ بِالْحَقِّ الَّذِي أَنْزَلَ عَلَيْكَ، وَلَقَدِ اصْطَلَحَ أَهْلُ هَذِهِ الْبَحْرَةِ عَلَى أَنْ يُتَوِّجُوهُ وَيُعَصِّبُوهُ بِالْعِصَابَةِ، فَلَمَّا رَدَّ اللَّهُ ذَلِكَ بِالْحَقِّ الَّذِي أَعْطَاكَ شَرِقَ بِذَلِكَ فَذَلِكَ فَعَلَ بِهِ مَا رَأَيْتَ‏.‏ فَعَفَا عَنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابُهُ يَعْفُونَ عَنِ الْمُشْرِكِينَ وَأَهْلِ الْكِتَابِ كَمَا أَمَرَهُمُ اللَّهُ، وَيَصْبِرُونَ عَلَى الأَذَى، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى ‏{‏وَلَتَسْمَعُنَّ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ‏}‏ الآيَةَ، وَقَالَ ‏{‏وَدَّ كَثِيرٌ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ‏}‏ فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَأَوَّلُ فِي الْعَفْوِ عَنْهُمْ مَا أَمَرَهُ اللَّهُ بِهِ حَتَّى أَذِنَ لَهُ فِيهِمْ، فَلَمَّا غَزَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَدْرًا، فَقَتَلَ اللَّهُ بِهَا مَنْ قَتَلَ مِنْ صَنَادِيدِ الْكُفَّارِ، وَسَادَةِ قُرَيْشٍ، فَقَفَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابُهُ مَنْصُورِينَ غَانِمِينَ مَعَهُمْ أُسَارَى مِنْ صَنَادِيدِ الْكُفَّارِ وَسَادَةِ قُرَيْشٍ قَالَ ابْنُ أُبَىٍّ ابْنُ سَلُولَ، وَمَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُشْرِكِينَ عَبَدَةِ الأَوْثَانِ هَذَا أَمْرٌ قَدْ تَوَجَّهَ فَبَايِعُوا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى الإِسْلاَمِ فَأَسْلَمُوا‏.‏

উসামাহ ইবনু যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, একবার রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি গাধার উপর সাওয়ার ছিলেন। তখন তাঁর গায়ে একখানা ফাদাকী চাদর ছিল এবং তাঁর পেছনে উসামাহ (রাঃ) বসা ছিলেন। তিনি বদরের যুদ্ধের পূর্বে সা‘দ ইবনু ‘উবাদাহ (রাঃ) -এর শুশ্রূষা করার উদ্দেশে হারিস ইবনু খাযরাজ গোত্র অভিমুখে রওয়ানা হচ্ছিলেন। তাঁরা চলতে চলতে এক মজলিসের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। সেখানে ‘আবদুল্লাহ ইবনু উবাই ইবনু সালূল ছিল। এটা ছিল ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উবাইর এর (প্রকাশ্যে) ইসলাম গ্রহণের আগের ঘটনা। মজলিসটি ছিল মিশ্রিত। এতে ছিলেন মুসলিম, মুশরিক, মূর্তিপূজক ও ইয়াহূদী। মুসলিমদের মধ্যে ‘আবদুল্লাহ ইবনু রাওয়াহা (রাঃ) ও ছিলেন। সাওয়ারীর চলার কারণে যখন উড়ন্ত ধূলাবালি মজলিসকে ঢেকে ফেলেছিল, তখন ইবনু উবাই তার চাদর দিয়ে তার নাক ঢেকে নিয়ে বললঃ তোমরা আমাদের উপর ধূলি উড়িও না। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের সালাম করলেন এবং সাওয়ারী থামিয়ে নামলেন। তারপর তিনি তাদের আল্লাহ্‌র দিকে দা’ওয়াত দিয়ে কুরআন পড়ে শোনালেন। তখন ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উবাই ইবনু সালূল তাঁকে বললঃ হে ব্যক্তি! আপনি যা বলেছেন যদি তা ঠিক হয়ে থাকে তবে তার চেয়ে উত্তম কথা আর কিছুই নেই। তবে আপনি আমাদের মজলিসসমূহে এসে আমাদের কষ্ট দিবেন না। যে আপনার কাছে যাবে, তাকেই আপনি নাসীহাত করবেন। তখন ‘আবদুল্লাহ ইবনু রাওয়াহা (রাঃ) বললেনঃ না, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আপনি আমাদের মজলিসসমূহে আসবেন। আমরা আপনার এ বক্তব্য পছন্দ করি। তখন মজলিসের মুসলিম, মুশরিক ও ইয়াহূদীরা পরস্পর গালমন্দ করতে লাগল। এমনকি তাদের মধ্যে হাঙ্গামা হবার জোগাড় হল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের নিবৃত্ত করতে লাগলেন, অবশেষে তারা চুপ করল। তারপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজ সওয়ারীর উপর সওয়ার হয়ে রওয়ানা হয়ে গেলেন এবং সা‘দ ইবনু ‘উবাদাহ (রাঃ) -এর নিকট পৌঁছলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে সা‘দ! আবূ হুবাব অর্থাৎ ‘আবদুল্লাহ ইবনু উবাই আমাকে যা বলেছে, তা কি তুমি শোননি? সে এমন এমন কথা বলেছে। তখন সা‘দ ইবনু ‘উবাদাহ (রাঃ) বললেনঃ হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমার পিতা আপনার প্রতি কুরবান, আপনি তাকে ক্ষমা করে দিন এবং তার কথা ছেড়ে দিন। সেই সত্তার কসম! যিনি আপনার উপর কুরআন অবতীর্ণ করেছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলার তরফ থেকে আপনার প্রতি হক এমন সময় অবতীর্ণ হয়েছে, যখন এই শহরের অধিবাসীরা পরস্পর পরামর্শ করে স্থির করেছিল যে, তারা তাকে রাজ মুকুট পরাবে এবং (রাজকীয়) পাগড়ী তার মাথায় বাঁধবে। কিন্তু যখন আল্লাহ আপনাকে যে সত্য দিয়েছেন তা দিয়ে সেই সিদ্ধান্তকে বানচাল করে দিলেন, তখন সে এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে পড়েছে। এজন্যই সে আপনার সাথে এ ধরনের আচরণ করেছে যা আপনি দেখছেন। তারপর তিনি তাকে ক্ষমা করে দিলেন। আর আল্লাহ্‌র নির্দেশানুযায়ী রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর সাহাবীগণ তো এমনিই মুশরিক ও কিতাবীদের ক্ষমা করে দিতেন এবং তাদের নির্যাতনে ধৈর্য ধারণ করতেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ্‌র বাণীঃ “তোমরা নিশ্চয়ই তোমাদের আগের কিতাবধারীদের ও মুশরিকদের নিকট হতে দুঃখজনক অনেক কথা শুনবে…।” (সূরাহ আল ‘ইমরান ৩:১৮৬) শেষ পর্যন্ত। আল্লাহ আরো বলেছেন, “কিতাবীরা অনেকেই কামনা করে…।” (সূরা আল-বাকারাহ ২:১০৯) তাই রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ্‌র নির্দেশানুযায়ী তাদের ক্ষমা করতে থাকেন। অবশেষে তাঁকে তাদের সাথে জিহাদ করার অনুমতি দেয়া হয়। তারপর যখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বদরের অভিযান চালালেন, তখন এর মাধ্যমে আল্লাহ কাফির বীর পুরুষদের এবং কুরাইশ সরদারদের মধ্যে যারা নিহত হবার তাদের হত্যা করেন। তারপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর সাহাবীগণ বিজয় বেশে গনীমত নিয়ে ফিরলেন। তাঁদের সাথে কাফিরদের অনেক বাহাদুর ও কুরাইশদের অনেক নেতাও বন্দী হয়ে আসে। সে সময় ইবনু ‘উবাই ইবনু সালূল ও তাঁর সাথী মূর্তিপূজক মুশরিকরা বললঃ এ ব্যাপার (অর্থাৎ দ্বীন ইসলাম) তো প্রবল হয়ে পড়ছে। সুতরাং এখন তোমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর হাতে ইসলামের বায়‘আত গ্রহণ কর। তারপর তারা সবাই ইসলাম গ্রহণ করল।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৬৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৬১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২০৮

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ، عَنْ عَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ نَفَعْتَ أَبَا طَالِبٍ بِشَىْءٍ، فَإِنَّهُ كَانَ يَحُوطُكَ وَيَغْضَبُ لَكَ قَالَ ‏ “‏ نَعَمْ هُوَ فِي ضَحْضَاحٍ مِنْ نَارٍ، لَوْلاَ أَنَا لَكَانَ فِي الدَّرَكِ الأَسْفَلِ مِنَ النَّارِ ‏”‏‏.‏

আব্বাস ইবনু ‘আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আব্বাস ইবনু ‘আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আপনি কি আবূ ত্বলিবের কোন উপকার করতে পেরেছেন? তিনি তো সব সময় আপনার হিফাযত করতেন এবং আপনার জন্য অন্যের উপর রাগ করতেন। তিনি বললেন, হাঁ। তিনি এখন জাহান্নামের হালকা স্তরে আছেন। যদি আমি না হতাম, তাহলে তিনি জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে থাকতেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৬৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৬২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/১১৬. অধ্যায়ঃ

পরোক্ষ কথা ব’লে মিথ্যা এড়ানো যায়।

ইসহাক বর্ণনা করেছেন, আমি আনাস (রাঃ) থেকে শুনেছি। আবূ ত্বলহার একটি শিশুপুত্র মারা যায়। তিনি এসে (তার স্ত্রীকে) জিজ্ঞেস করলেনঃ ছেলেটি কেমন আছে? উম্মু সুলায়ম (রাঃ) বললেনঃ সে শান্ত। আমি আশা করছি, সে আরামেই আছে। তিনি মনে করলেন যে, অবশ্য তিনি সত্য বলেছেন।

৬২০৯

حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي مَسِيرٍ لَهُ فَحَدَا الْحَادِي، فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ ارْفُقْ يَا أَنْجَشَةُ، وَيْحَكَ، بِالْقَوَارِيرِ ‏”‏‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একবার নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (মহিলাদের সহ) এক সফরে ছিলেন। হুদী গায়ক হুদী [১৮] গান গেয়ে চলেছিল। তিনি তাকে নির্দেশ দিলেন, আফসোস তোমার প্রতি ওহে আন্জাশা! তুমি কাঁচপাত্র তুল্য সাওয়ারীদের সাথে সদয় হও।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৬৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৬৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮] উট হাঁকানোর তালে যে গান গাওয়া হয় তাকে হুদী বলে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২১০

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، وَأَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَنَسٍ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ فِي سَفَرٍ، وَكَانَ غُلاَمٌ يَحْدُو بِهِنَّ يُقَالُ لَهُ أَنْجَشَةُ، فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ رُوَيْدَكَ يَا أَنْجَشَةُ، سَوْقَكَ بِالْقَوَارِيرِ ‏”‏‏.‏ قَالَ أَبُو قِلاَبَةَ يَعْنِي النِّسَاءَ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক সফরে ছিলেন। তাঁর আন্জাশা নামে এক গোলাম ছিল। সে হুদী গান গেয়ে উটগুলো হাঁকিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। তিনি তাকে বললেনঃ হে আন্জাশা! তুমি ধীরে উট হাঁকাও, যেহেতু তুমি কাঁচপাত্র তুল্যদের (আরোহী) উট হাঁকিয়ে যাচ্ছ। আবূ কিলাবাহ বর্ণনা করেন, কাঁচপাত্র সদৃশ শব্দ দ্বারা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্ত্রীলোকদেরকে বুঝিয়েছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৬৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৬৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২১১

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، أَخْبَرَنَا حَبَّانُ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَادٍ يُقَالُ لَهُ أَنْجَشَةُ، وَكَانَ حَسَنَ الصَّوْتِ، فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ رُوَيْدَكَ يَا أَنْجَشَةُ، لاَ تَكْسِرِ الْقَوَارِيرَ ‏”‏‏.‏ قَالَ قَتَادَةُ يَعْنِي ضَعَفَةَ النِّسَاءِ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর একটি হুদীগায়ক গোলাম ছিল। তাকে আন্জাশা বলে ডাকা হতো। তার সুর ছিল মধুর। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ হে আন্জাশা! তুমি ধীরে হাঁকাও, যেন কাঁচের পাত্রগুলো ভেঙ্গে না ফেল। ক্বাতাদাহ (রাঃ) বলেন, তিনি ‘কাঁচপাত্রগুলো’ শব্দ দ্বারা স্ত্রীলোকদেরকে বুঝিয়েছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৬৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২১২

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ شُعْبَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ بِالْمَدِينَةِ فَزَعٌ فَرَكِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرَسًا لأَبِي طَلْحَةَ فَقَالَ ‏ “‏ مَا رَأَيْنَا مِنْ شَىْءٍ، وَإِنْ وَجَدْنَاهُ لَبَحْرًا ‏”‏‏.‏

মুসাদ্দাদ (রহঃ) আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, একবার মাদীনাহ্তে (ভয়ংকর শব্দ হলে) ভীতি দেখা দিল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ ত্বলহা (রাঃ) -এর একটা অশ্বে সওয়ার হয়ে এগিয়ে গেলেন এবং (ফিরে এসে) বললেনঃ আমি তো কিছুই দেখতে পেলাম না। আমি এ ঘোড়াটিকে সমুদ্রের মতই পেয়েছি।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৭১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৬৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/১১৭. অধ্যায়ঃ

কোন কিছু সম্পর্কে, তা অবাস্তব মনে করে বলা যে, এটা কোন কিছুই না।

৬২১৩

وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ للْقَبْرَيْنِ يُعَذَّبَانِ بِلَا كَبِيرٍ وَإِنَّهُ لَكَبِيرٌ

 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلاَمٍ، أَخْبَرَنَا مَخْلَدُ بْنُ يَزِيدَ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ ابْنُ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي يَحْيَى بْنُ عُرْوَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ عُرْوَةَ، يَقُولُ قَالَتْ عَائِشَةُ سَأَلَ أُنَاسٌ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْكُهَّانِ فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لَيْسُوا بِشَىْءٍ ‏”‏‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ فَإِنَّهُمْ يُحَدِّثُونَ أَحْيَانًا بِالشَّىْءِ يَكُونُ حَقًّا‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ تِلْكَ الْكَلِمَةُ مِنَ الْحَقِّ يَخْطَفُهَا الْجِنِّيُّ، فَيَقُرُّهَا فِي أُذُنِ وَلِيِّهِ قَرَّ الدَّجَاجَةِ، فَيَخْلِطُونَ فِيهَا أَكْثَرَ مِنْ مِائَةِ كَذْبَةٍ ‏”‏‏.‏

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আয়িশা (রাঃ) বলেন, কয়েকজন লোক নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট গণকদের সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ওরা কিছুই না। তারা আবার বললে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের বললেনঃ ওরা কিছুই না। তারা আবার বললঃ হে আল্লাহ্‌র রসূল! তারা তো কোন সময় এমন কথা বলে দেয়, যা বাস্তবে ঘটে যায়। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ কথাটি জিন থেকে পাওয়া। জিনেরা তা (আসমানের ফেরেশতাদের থেকে) ছোঁ মেরে নিয়ে এসে তাদের বন্ধু গণকদের কানে তুলে দেয়, যেভাবে মুরগী তার বাচ্চাদের মুখে দানা তুলে দেয়। তারপর এ গণকরা এর সঙ্গে আরও শতাধিক মিথ্যা কথা মিলিয়ে দেয়। [৩২১০; মুসলিম ৩৯/৩৫, হাঃ ২২২৮, আহমাদ ২৪৬২৪] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৭২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৬৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/১১৮. অধ্যায়ঃ

আস্মানের দিকে চোখ তোলা। মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ “(ক্বিয়ামাত হবে একথা যারা অমান্য করে) তারা কি উটের প্রতি লক্ষ্য করে না, (সৃষ্টি কুশলতায় ভরপুর ক’রে) কীভাবে তা সৃষ্টি করা হয়েছে? এবং আসমানের দিকে, কীভাবে তা ঊর্ধ্বে উঠানো হয়েছে?” (সূরা আল-গাশিয়াহ ৮৮/১৭-১৮)

আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, একদিন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আসমানের দিকে মস্তক উত্তোলন করেন।

৬২১৪

حَدَّثَنَا ابْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، يَقُولُ أَخْبَرَنِي جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ ثُمَّ فَتَرَ عَنِّي الْوَحْىُ، فَبَيْنَا أَنَا أَمْشِي سَمِعْتُ صَوْتًا مِنَ السَّمَاءِ، فَرَفَعْتُ بَصَرِي إِلَى السَّمَاءِ فَإِذَا الْمَلَكُ الَّذِي جَاءَنِي بِحِرَاءٍ قَاعِدٌ عَلَى كُرْسِيٍّ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ ‏”‏‏.‏

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছেনঃ এরপর আমার প্রতি ওয়াহী আগমন বন্ধ হয়ে গেল। এ সময় আমি হেঁটে যাচ্ছিলাম। তখন আমি আসমানের দিক থেকে একটি আওয়াজ শুনে আকাশের পানে চোখ তুললাম। তখন হঠাৎ ঐ ফেরেশতাকে আসমান ও যমীনের মাঝে একটি কুরসীর উপর উপবিষ্ট দেখলাম, যিনি হেরায় আমার নিকট এসেছিলেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৭৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৬৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২১৫

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي شَرِيكٌ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ بِتُّ فِي بَيْتِ مَيْمُونَةَ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عِنْدَهَا، فَلَمَّا كَانَ ثُلُثُ اللَّيْلِ الآخِرُ أَوْ بَعْضُهُ قَعَدَ فَنَظَرَ إِلَى السَّمَاءِ فَقَرَأَ ‏{‏إِنَّ فِي خَلْقِ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَاخْتِلاَفِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ لآيَاتٍ لأُولِي الأَلْبَابِ‏}‏‏.

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি এক রাতে মাইমূনাহ (রাঃ) -এর ঘরে অবস্থান করছিলাম। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)ও তাঁর গৃহে ছিলেন। যখন রাতের শেষ তৃতীয়াংশ অথবা কিয়দংশ বাকী ছিল তখন তিনি উঠে বসলেন এবং আসমানের দিকে তাকিয়ে পাঠ করলেনঃ “নিশ্চয়ই আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টিতে এবং রাত্র ও দিনের আবর্তনে জ্ঞানবানদের জন্য বহু নিদর্শন আছে।” (সূরাহ আল ‘ইমরান ৩/১৯০)।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৭৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৬৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/১১৯. অধ্যায়ঃ

(কোন কিছু তালাশ করার উদ্দেশে) পানি ও কাদার মধ্যে লাঠি দিয়ে খোঁচা দেয়া।

৬২১৬

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ غِيَاثٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عُثْمَانَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، أَنَّهُ كَانَ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي حَائِطٍ مِنْ حِيطَانِ الْمَدِينَةِ، وَفِي يَدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عُودٌ يَضْرِبُ بِهِ بَيْنَ الْمَاءِ وَالطِّينِ، فَجَاءَ رَجُلٌ يَسْتَفْتِحُ، فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ افْتَحْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ ‏”‏‏.‏ فَذَهَبْتُ فَإِذَا أَبُو بَكْرٍ، فَفَتَحْتُ لَهُ وَبَشَّرْتُهُ بِالْجَنَّةِ، ثُمَّ اسْتَفْتَحَ رَجُلٌ آخَرُ فَقَالَ ‏”‏ افْتَحْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ ‏”‏‏.‏ فَإِذَا عُمَرُ، فَفَتَحْتُ لَهُ وَبَشَّرْتُهُ بِالْجَنَّةِ، ثُمَّ اسْتَفْتَحَ رَجُلٌ آخَرُ، وَكَانَ مُتَّكِئًا فَجَلَسَ فَقَالَ ‏”‏ افْتَحْ ‏{‏لَهُ‏}‏ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ، عَلَى بَلْوَى تُصِيبُهُ أَوْ تَكُونُ ‏”‏‏.‏ فَذَهَبْتُ فَإِذَا عُثْمَانُ، فَفَتَحْتُ لَهُ، وَبَشَّرْتُهُ بِالْجَنَّةِ، فَأَخْبَرْتُهُ بِالَّذِي قَالَ‏.‏ قَالَ اللَّهُ الْمُسْتَعَانُ‏.‏

আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একবার তিনি মদীনার এক বাগানে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সঙ্গে ছিলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর হাতে একটা লাঠি ছিল। তিনি তা দিয়ে পানি ও কাদার মাঝে খোঁচা দিচ্ছিলেন। এমন সময় এক ব্যক্তি এসে দরজা খোলার অনুমতি চাইলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তার জন্য খুলে দাও এবং তাঁকে জান্নাতের সুসংবাদ দাও। তখন আমি গিয়ে দেখলাম যে, তিনি আবূ বকর (রাঃ)। আমি তাঁর জন্য দরজা খুললাম এবং জান্নাতের শুভ সংবাদ দিলাম। তারপর আরেক লোক দরজা খোলার অনুমতি চাইলেন। তিনি বললেন, খুলে দাও এবং তাঁকে জান্নাতের সুসংবাদ জানাও। তখন দেখলাম; তিনি ‘উমার (রাঃ)। আমি তাঁর জন্য দরজা খুললাম এবং জান্নাতের সুসংবাদ দিলাম। আবার আরেক লোক দরজা খোলার অনুমতি চাইলেন। তখন তিনি হেলান দিয়েছিলেন। তিনি সোজা হয়ে বসে বললেনঃ খুলে দাও এবং তাঁকে একটি কঠিন বিপদে পড়ার পর জান্নাতবাসী হবার সুসংবাদ দাও। আমি গিয়ে দেখি, তিনি ‘উসমান (রাঃ)। আমি তাঁর জন্যও দরজা খুলে দিলাম এবং জান্নাতের সুসংবাদ দিলাম। আর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা ভবিষ্যদ্বাণী করেন, আমি তাও বিবৃত করলাম। তিনি বললেনঃ আল্লাহ তা‘আলাই আমার সাহায্যকারী।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৭৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৭০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/১২০. অধ্যায়ঃ

কারো হাতের কোন কিছু দিয়ে যমীনে মৃদু আঘাত করা।

৬২১৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ، وَمَنْصُورٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي جَنَازَةٍ فَجَعَلَ يَنْكُتُ الأَرْضَ بِعُودٍ، فَقَالَ ‏”‏ لَيْسَ مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ إِلاَّ وَقَدْ فُرِغَ مِنْ مَقْعَدِهِ مِنَ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ ‏”‏‏.‏ فَقَالُوا أَفَلاَ نَتَّكِلُ قَالَ ‏”‏ اعْمَلُوا فَكُلٌّ مُيَسَّرٌ ‏”‏‏.‏ ‏{‏فَأَمَّا مَنْ أَعْطَى وَاتَّقَى‏}‏ الآيَةَ‏.‏

আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, আমরা এক জানাযায় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটা লাক্‌ড়ি দিতে যমীনে মৃদু আঘাত দিয়ে বললেনঃ তোমাদের কোন লোক এমন নয় যার বাসস্থান জান্নাতে অথবা জাহান্নামে নির্ধারিত হয়ে যায়নি। লোকের জিজ্ঞেস করলঃ তা হলে কি আমরা তার উপর নির্ভর করব না। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ‘আমাল করে যাও। কারণ যাকে যে জন্যে সৃষ্টি করা হয়েছে, তার জন্য তা সহজ করে দেয়া হবে। (এরপর তিলাওয়াত করলেন) “যে ব্যাক্তি দান খয়রাত করবে, তাক্‌ওয়া অর্জন করবে………………… শেষ পর্যন্ত”- (সূরাহ আল-লায়ল ৯২/৫)।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৭৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৭১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/১২১. অধ্যায়ঃ

বিস্ময়ে ‘আল্লাহু আকবার’ অথবা ‘সুব হানাল্লাহ’ বলা।

৬২১৮

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، حَدَّثَتْنِي هِنْدُ بِنْتُ الْحَارِثِ، أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتِ اسْتَيْقَظَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ سُبْحَانَ اللَّهِ مَاذَا أُنْزِلَ مِنَ الْخَزَائِنِ، وَمَاذَا أُنْزِلَ مِنَ الْفِتَنِ، مَنْ يُوقِظُ صَوَاحِبَ الْحُجَرِ ـ يُرِيدُ بِهِ أَزْوَاجَهُ ـ حَتَّى يُصَلِّينَ، رُبَّ كَاسِيَةٍ فِي الدُّنْيَا، عَارِيَةٍ فِي الآخِرَةِ ‏”‏‏.‏ وَقَالَ ابْنُ أَبِي ثَوْرٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ عُمَرَ، قَالَ قُلْتُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم طَلَّقْتَ نِسَاءَكَ قَالَ ‏”‏ لاَ ‏”‏‏.‏ قُلْتُ اللَّهُ أَكْبَرُ‏.‏

উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদিন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘুম থেকে উঠে বললেনঃ সুব্‌হানাল্লাহ! অদ্যকার রাতে কত যে ধন-ভান্ডার এবং কত যে বিপদাপদ অবতীর্ণ করা হয়েছে। কে আছ যে এ হুজরাবাসিনীদের অর্থাৎ তাঁদের স্ত্রীদের জাগিয়ে দেবে যাতে তাঁরা সলাত আদায় করে। দুনিয়ার কত বস্ত্র পরিহিতা, আখিরাতে উলঙ্গ হবে!

‘উমার (রাঃ) বর্ণনা করেন, আমি একদিন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –কে বললাম, আপনি কি আপনার স্ত্রীগণকে তালাক দিয়েছেন? তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ না। তখন আমি বললামঃ ‘আল্লাহু আকবার’।(আধুনিক প্রকাশনী- , ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৭২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২১৯

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ،‏.‏ وَحَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ حَدَّثَنِي أَخِي، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي عَتِيقٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ، أَنَّ صَفِيَّةَ بِنْتَ حُيَىٍّ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا جَاءَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَزُورُهُ وَهْوَ مُعْتَكِفٌ فِي الْمَسْجِدِ فِي الْعَشْرِ الْغَوَابِرِ مِنْ رَمَضَانَ، فَتَحَدَّثَتْ عِنْدَهُ سَاعَةً مِنَ الْعِشَاءِ ثُمَّ قَامَتْ تَنْقَلِبُ، فَقَامَ مَعَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقْلِبُهَا حَتَّى إِذَا بَلَغَتْ باب الْمَسْجِدِ الَّذِي عِنْدَ مَسْكَنِ أُمِّ سَلَمَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَرَّ بِهِمَا رَجُلاَنِ مِنَ الأَنْصَارِ فَسَلَّمَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ نَفَذَا، فَقَالَ لَهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ عَلَى رِسْلِكُمَا، إِنَّمَا هِيَ صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَىٍّ ‏”‏‏.‏ قَالاَ سُبْحَانَ اللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ‏.‏ وَكَبُرَ عَلَيْهِمَا‏.‏ قَالَ ‏”‏ إِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِي مِنِ ابْنِ آدَمَ مَبْلَغَ الدَّمِ، وَإِنِّي خَشِيتُ أَنْ يَقْذِفَ فِي قُلُوبِكُمَا ‏”‏‏.‏

আলী ইবনু হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর স্ত্রী সফীয়্যাহ বিন্‌ত হুইয়াই বর্ণনা করেন যে, রমাযানের শেষ দশ দিনে মাসজিদে রসূলুল্লাহর ই’তিকাফের অবস্থায় তিনি তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলেন। তিনি রাতের প্রথম ভাগে কিছু সময় তাঁর সঙ্গে কথাবার্তার পর ফিরে যাবার জন্য উঠে দাঁড়ালেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে এগিয়ে দেয়ার জন্যে উঠে দাঁড়ালেন। শেষে যখন তিনি মাসজিদের দরজার নিকট পৌঁছলেন, যা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর বিবি উম্মু সালামাহ্‌র ঘরের নিকটে অবস্থিত, তখন তাঁদের পাশ দিয়ে আনসারের দু’জন লোক যাচ্ছিল। তাঁরা দু’জনেই রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –কে সালাম দিল এবং নিজ পথের রওয়ানা হল। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের বললেনঃ ধীরে চল। ইনি হলেন সফীয়্যাহ বিন্‌ত হুইয়াই। তারা বললোঃ সুবহানাল্লাহ! হে আল্লাহ্‌র রসূল। তাদের দু’ জনের মনে তা গুরুত্বপূর্ণ মনে হল। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ নিশ্চয়ই শয়ত্বান মানুষের রক্তের ভিতর চলাচল করে থাকে। তাই আমার আশঙ্কা হলো যে, সম্ভবতঃ সে তোমাদের অন্তরে সন্দেহ জাগিয়ে দিতে পারে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৭৭,৫৭৭৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৭৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/১২২. অধ্যায়ঃ

ঢিল ছোঁড়া প্রসঙ্গে।

৬২২০

حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ سَمِعْتُ عُقْبَةَ بْنَ صُهْبَانَ الأَزْدِيَّ، يُحَدِّثُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ الْمُزَنِيِّ، قَالَ نَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْخَذْفِ وَقَالَ ‏ “‏ إِنَّهُ لاَ يَقْتُلُ الصَّيْدَ، وَلاَ يَنْكَأُ الْعَدُوَّ، وَإِنَّهُ يَفْقَأُ الْعَيْنَ، وَيَكْسِرُ السِّنَّ ‏”‏‏.‏

আব্‌দুল্লাহ ইব্‌নু মুগাফ্‌ফাল মুযানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঢিল ছুঁড়তে নিষেধ করেছেন। আর বলেছেনঃ এটা শিকার মারতে পারে না এবং শত্রুকেও আহত করতে পারে না বরং কারো চোখ ফুঁড়ে দিতে পারে আবার কোন লোকের দাঁত ভেঙ্গে দিতে পারে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৭৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৭৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/১২৩. অধ্যায়ঃ

হাঁচিদাতার ‘আল্‌হামদু লিল্লাহ’ বলা।

৬২২১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ عَطَسَ رَجُلاَنِ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَشَمَّتَ أَحَدَهُمَا وَلَمْ يُشَمِّتِ الآخَرَ، فَقِيلَ لَهُ فَقَالَ ‏ “‏ هَذَا حَمِدَ اللَّهَ، وَهَذَا لَمْ يَحْمَدِ اللَّهَ ‏”‏‏.‏

আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদিন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর সম্মুখে দু’ ব্যাক্তি হাঁচি দিল। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একজনের জবাব দিলেন। অন্যজনের জবাব দিলেন না। তাঁকে (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এ ব্যক্তি আল্‌হামদু লিল্লাহ বলেছে। আর ঐ ব্যক্তি আল্‌হামদু লিল্লাহ বলেনি।[৬২২৫; মুসলিম ৫৩/৯, হাঃ ২৯৯১, আহমাদ ১১৯৬২] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৮০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৭৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/১২৪. অধ্যায়ঃ

হাঁচিদাতা ‘আল্‌হামদু লিল্লাহ্‌’ বললে তার জবাব দেয়া।

৬২২২

فِيهِ أَبُو هُرَيْرَةَ

 

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الأَشْعَثِ بْنِ سُلَيْمٍ، قَالَ سَمِعْتُ مُعَاوِيَةَ بْنَ سُوَيْدِ بْنِ مُقَرِّنٍ، عَنِ الْبَرَاءِ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ أَمَرَنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِسَبْعٍ، وَنَهَانَا عَنْ سَبْعٍ، أَمَرَنَا بِعِيَادَةِ الْمَرِيضِ، وَاتِّبَاعِ الْجِنَازَةِ، وَتَشْمِيتِ الْعَاطِسِ، وَإِجَابَةِ الدَّاعِي، وَرَدِّ السَّلاَمِ، وَنَصْرِ الْمَظْلُومِ، وَإِبْرَارِ الْمُقْسِمِ، وَنَهَانَا عَنْ سَبْعٍ، عَنْ خَاتَمِ الذَّهَبِ ـ أَوْ قَالَ حَلْقَةِ الذَّهَبِ ـ وَعَنْ لُبْسِ الْحَرِيرِ، وَالدِّيبَاجِ، وَالسُّنْدُسِ، وَالْمَيَاثِرِ‏.‏

বারাআ ইবনু আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সাতটি কাজের নির্দেশ প্রদান করেছেন এবং সাতটি কাজ থেকে নিষেধ করেছেন। রোগীর সেবা-শুশ্রুষা করতে, জানাযার সঙ্গে চলতে, হাঁচিদাতার জবাব দিতে, দা’ওয়াত কবূল করতে, সালামের জওয়াব দিতে, মাযলূমকে সাহায্য করতে এবং শপথ পুরা করতে আমাদের আদেশ দিয়েছেন। আর সোনার আংটি অথবা বালা ব্যবহার করতে, সাধারণ রেশমী বস্ত্র পরিধান করতে, মিহিন রেশমী বস্ত্র, রেশমী যিন ব্যবহার করতে, কাসীই ব্যবহার করতে এবং রৌপ্য পাত্র ব্যবহার করতে আমাদের নিষেধ করেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৮১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৭৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/১২৫. অধ্যায়ঃ

কীভাবে হাঁচির দু’আ মুস্তাহাব, আর কীভাবে হাই তোলা মাকরূহ।

৬২২৩

حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم “‏ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْعُطَاسَ، وَيَكْرَهُ التَّثَاؤُبَ، فَإِذَا عَطَسَ فَحَمِدَ اللَّهَ، فَحَقٌّ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ سَمِعَهُ أَنْ يُشَمِّتَهُ، وَأَمَّا التَّثَاوُبُ فَإِنَّمَا هُوَ مِنَ الشَّيْطَانِ، فَلْيَرُدَّهُ مَا اسْتَطَاعَ، فَإِذَا قَالَ هَا‏.‏ ضَحِكَ مِنْهُ الشَّيْطَانُ ‏”‏‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ তা‘আলা হাঁচি দেয়া পছন্দ করেন, আর হাই তোলা অপছন্দ করেন। কাজেই কেউ হাঁচি দিয়ে الْحَمْدُ للهِ বলবে, যারা তা শোনবে তাদের প্রত্যেককে তার জবাব দেয়া ওয়াজিব হবে। আর হাই তোলা, শয়তানের পক্ষ থেকে হয়, তাই যথাসম্ভব তা রোধ করা উচিত। কারণ কেউ যখন মুখ খুলে হা করে তখন শয়তান তাতে হাসে। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৮২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৭৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/১২৬. অধ্যায়ঃ

কেউ হাঁচি দিলে, কীভাবে জওয়াব দেয়া হবে?

৬২২৪

حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا عَطَسَ أَحَدُكُمْ فَلْيَقُلِ الْحَمْدُ لِلَّهِ‏.‏ وَلْيَقُلْ لَهُ أَخُوهُ أَوْ صَاحِبُهُ يَرْحَمُكَ اللَّهُ‏.‏ فَإِذَا قَالَ لَهُ يَرْحَمُكَ اللَّهُ‏.‏ فَلْيَقُلْ يَهْدِيكُمُ اللَّهُ وَيُصْلِحُ بَالَكُمْ ‏”‏‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমাদের কোন ব্যক্তি হাঁচি দেয়, তখন সে যেন الْحَمْدُ للهِ বলে। আর শ্রোতা যেন এর জবাবে يَرْحَمُكَ اللهُবলে। আর যখন সেيَرْحَمُكَ اللهُ বলবে, তখন হাঁচিদাতা তাকে বলবেঃ يَهْدِيكُمُ اللهُ وَيُصْلِحُ بَالَكُمْ । আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৭৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/১২৭. অধ্যায়ঃ

হাঁচিদাতা ‘আল্‌হামদু লিল্লাহ’ না বললে তার জবাব দিতে হবে না।

৬২২৫

حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ التَّيْمِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسًا ـ رضى الله عنه ـ يَقُولُ عَطَسَ رَجُلاَنِ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَشَمَّتَ أَحَدَهُمَا وَلَمْ يُشَمِّتِ الآخَرَ‏.‏ فَقَالَ الرَّجُلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ شَمَّتَّ هَذَا وَلَمْ تُشَمِّتْنِي‏.‏ قَالَ ‏ “‏ إِنَّ هَذَا حَمِدَ اللَّهَ، وَلَمْ تَحْمَدِ اللَّهَ ‏”‏‏.‏

আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ একবার নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর সামনে দু’ ব্যক্তি হাঁচি দিলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একজনের হাঁচির জবাব দিলেন এবং অন্যজনের জবাব দিলেন না। অন্য লোকটি বললঃ হে আল্লাহ্‌র রসূল! আপনি তার হাঁচির জবাব দিলেন, কিন্তু আমার হাঁচির জবাব দিলেন না। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ সে ‘আল্‌হামদু লিল্লা-হ’ বলেছে, কিন্তু তুমি ‘আল্‌হামদু লিল্লা-হ’ বলনি।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৮৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৭৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮/১২৮. অধ্যায়ঃ

কেউ হাই তুললে সে যেন নিজের হাত মুখে রাখে।

৬২২৬

حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْعُطَاسَ وَيَكْرَهُ التَّثَاؤُبَ، فَإِذَا عَطَسَ أَحَدُكُمْ وَحَمِدَ اللَّهَ كَانَ حَقًّا عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ سَمِعَهُ أَنْ يَقُولَ لَهُ يَرْحَمُكَ اللَّهُ‏.‏ وَأَمَّا التَّثَاؤُبُ فَإِنَّمَا هُوَ مِنَ الشَّيْطَانِ، فَإِذَا تَثَاوَبَ أَحَدُكُمْ فَلْيَرُدَّهُ مَا اسْتَطَاعَ، فَإِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا تَثَاءَبَ ضَحِكَ مِنْهُ الشَّيْطَانُ ‏”‏‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা হাঁচি দেয়া পছন্দ করেন, আর হাই তোলা অপছন্দ করেন। যদি তোমাদের কেউ হাঁচি দিয়ে ‘আল্‌হামদু লিল্লা-হ’ বলে তবে প্রত্যেক মুসলিম শ্রোতার তার জবাবে ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বলা ওয়াজিব। আর হাই তোলা শয়তানের পক্ষ থেকে হয়। কাজেই তোমাদের কোন ব্যাক্তির হাই উঠলে সে যেন যথাসম্ভব তা রোধ করে। কেননা কেউ হাই তুললে শয়তান তার প্রতি হাসে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৮০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস