বুখারী কোমল হওয়া অধ্যায় ১ম ভাগ হাদিস নং ৬৪১২ – ৬৫০০

৮১/১. অধ্যায় :

সুস্থতা আর অবসর, আখিরাতের জীবনই সত্যিকারের জীবন ।

৬৪১২

الْمَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ سَعِيدٍ هُوَ ابْنُ أَبِي هِنْدٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم نِعْمَتَانِ مَغْبُونٌ فِيهِمَا كَثِيرٌ مِنْ النَّاسِ الصِّحَّةُ وَالْفَرَاغُ قَالَ عَبَّاسٌ الْعَنْبَرِيُّ حَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ عِيسَى عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ عَنْ أَبِيهِ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ.

ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এমন দু’টি নিয়ামত আছে, যে দু’টোতে অধিকাংশ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। তা হচ্ছে, সুস্থতা আর অবসর। ‘আব্বাস আম্বরী (রহঃ)…..সা‘ঈদ ইব্‌নু আবূ হিন্দ (রহঃ) থেকে ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে এ রকমই হাদীস বর্ণনা করেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৬৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৭০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪১৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ”‏ اللَّهُمَّ لاَ عَيْشَ إِلاَّ عَيْشُ الآخِرَة، فَأَصْلِحِ الأَنْصَارَ وَالْمُهَاجِرَة ‏”‏‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আয় আল্লাহ্‌! আখিরাতের জীবনই সত্যিকারের জীবন। কাজেই আপনি আনসার আর মুহাজিরদের কল্যাণ করুন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৬৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৭১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪১৪

حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ الْمِقْدَامِ، حَدَّثَنَا الْفُضَيْلُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا أَبُو حَازِمٍ، حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ سَعْدٍ السَّاعِدِيُّ، كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْخَنْدَقِ وَهْوَ يَحْفِرُ وَنَحْنُ نَنْقُلُ التُّرَابَ وَيَمُرُّ بِنَا فَقَالَ ‏ “‏ اللَّهُمَّ لاَ عَيْشَ إِلاَّ عَيْشُ الآخِرَهْ، فَاغْفِرْ لِلأَنْصَارِ وَالْمُهَاجِرَهْ ‏”‏‏.‏ تَابَعَهُ سَهْلُ بْنُ سَعْدٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ‏.‏

সাহ্‌ল ইব্‌নু সা‘ঈদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা খন্দকের যুদ্ধে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি (মাটি) খনন করছিলেন এবং আমরা মাটি সরিয়ে দিচ্ছিলাম। তিনি আমাদের দেখছিলেন। তখন তিনি বলছিলেন : হে আল্লাহ্‌! আখিরাতের জীবনই সত্যিকারের জীবন। কাজেই আপনি আনসার ও মুহাজিরদেরকে ক্ষমা করুন। [১](আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৬৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৭২)

  •  
  •  
  •  
  •  

[১] (৬৪১৩-১৪) এ দু’টি হাদীস থেকে দুনিয়ার পঙ্কিলতা ও নোংরামি এবং ধ্বংসের দ্রুততা প্রকাশে দুনিয়ার জীবন যাত্রার প্রতি অবজ্ঞার ইঙ্গিত পাওয়া যায় । (ফাতহুল বারী)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/২. অধ্যায় :

আখিরাতের তুলনায় দুনিয়ার উদাহরণ ।

আল্লাহ্‌র বাণী : “তোমরা জেনে রেখ, দুনিয়ার জীবন ক্রীড়া-কৌতুক, শোভা-সৌন্দর্য, পারস্পরিক গর্ব-অহঙ্কার আর ধন-মাল ও সন্তানাদিতে আধিক্যের প্রতিযোগিতা মাত্র । তার উদাহরন হল বৃষ্টি, আর তা হতে উৎপন্ন শষ্যাদি কৃষকের মনকে আনন্দে ভরে দেয়, তারপর তা পেকে যায়, তখন তুমি তাকে হলুদ বর্ণ দেখতে পাও, পরে তা খড় ভুষি হয়ে যায় । (আর আখিরাতের চিত্র অন্যরকম, পাপাচারীদের জন্য), আখিরাতে আছে কঠিন শাস্তি, (আর নেক্‌কারদের জন্য আছে) আল্লাহ্‌র ক্ষমা ও সন্তুষ্টি । আর দুনিয়ার জীবনটা তো ধোঁকার বস্তু ছাড়া আর কিছুই না ।” (সূরাহ আল-হাদীদ ৫৭/২০)

৬৪১৫

عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ سَهْلٍ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ مَوْضِعُ سَوْطٍ فِي الْجَنَّةِ خَيْرٌ مِنْ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا وَلَغَدْوَةٌ فِي سَبِيلِ اللهِ أَوْ رَوْحَةٌ خَيْرٌ مِنْ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا.

সাহ্‌ল ইব্‌নু সা‘দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, জান্নাতের মাঝে এক চাবুক পরিমিত জায়গা দুনিয়া এবং তার মাঝে যা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম। আর আল্লাহ্‌র পথে সকালের এক মুহূর্ত কিংবা বিকালের (সন্ধ্যা) এক মুহূর্ত দুনিয়া ও তার মাঝে যা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৬৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৭৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/৩. অধ্যায় :

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বাণী : দুনিয়াতে থাক যেন তুমি একজন প্রবাসী অথবা পথচারী

৬৪১৬

عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ أَبُو المُنْذِرِ الطُّفَاوِيُّ عَنْ سُلَيْمَانَ الأَعْمَشِ قَالَ حَدَّثَنِي مُجَاهِدٌ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ أَخَذَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم بِمَنْكِبِي فَقَالَ كُنْ فِي الدُّنْيَا كَأَنَّكَ غَرِيبٌ أَوْ عَابِرُ سَبِيلٍ وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَقُولُ إِذَا أَمْسَيْتَ فَلاَ تَنْتَظِرْ الصَّبَاحَ وَإِذَا أَصْبَحْتَ فَلاَ تَنْتَظِرْ الْمَسَاءَ وَخُذْ مِنْ صِحَّتِكَ لِمَرَضِكَ وَمِنْ حَيَاتِكَ لِمَوْتِكَ.

আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একবার আমার দু’ কাঁধ ধরে বললেনঃ তুমি দুনিয়াতে থাক যেন তুমি একজন প্রবাসী অথবা পথচারী।

আর ইব্‌নু ‘উমার (রাঃ) বলতেন, তুমি সন্ধ্যায় উপনীত হলে সকালের আর অপেক্ষা করো না এবং সকালে উপনীত হলে সন্ধ্যার আর অপেক্ষা করো না। তোমার সুস্থতার সময় তোমার পীড়িত অবস্থার জন্য প্রস্তুতি লও। আর তোমার জীবিত অবস্থায় তোমার মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি লও। [২](আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৬৮, ই.ফা ৫৯৭৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

[২] (৬৪১৬) অর্থাৎ সুস্থ থাকা অবস্থায় তুমি মহৎ কাজে ব্যস্ত থাক । কারন রোগ ব্যধির সময় যদি তুমি তা পালনে অক্ষম হও তখন যেন তা পালন করতে বাধ্য করা না হয় ।

হাদীসটি থেকে শিক্ষণীয়ঃ

(১) শিক্ষক ছাত্রকে শিক্ষা বা উপদেশ দেয়ার সময় মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য ছাত্রের কোন অঙ্গ ধরা । অধিকাংশ ক্ষেত্রে কাউকে আকৃষ্ট করার জন্য এমন করা হয় ।

(২) একজনকে সম্বোধন করা হলেও সবাইকে উদ্দেশ্য নেয়া ।

(৩) উম্মতের কল্যাণ হবে এমন প্রত্যেক কাজের প্রতি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)’র আগ্রহ ।

(৪) দুনিয়াদারী ত্যাগ করা এবং যা অপরিহার্য তার প্রতি সীমাবদ্ধ থাকার উৎসাহ প্রদান । (ফাতহুল বারী)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/৪. অধ্যায় :

আশা এবং এর দৈর্ঘ্য ।

আল্লাহ্‌র বাণী : যে ব্যক্তিকে জাহান্নামের আগুন হতে রক্ষা করা হল এবং জান্নাতে দাখিল করা হল, অবশ্যই সে ব্যক্তি সফলকাম হল, কেননা পার্থিব জীবন ছলনার বস্তু ছাড়া আর কিছুই নয় । – (সুরাহ আল ‘ইমরান ৩/১৮৫) । ছেড়ে দাও ওদেরকে, ওরা খেতে থাক আর ভোগ করতে থাক, আর (মিথ্যে) আশা ওদেরকে উদাসীনতায় ডুবিয়ে রাখুক, শীঘ্রই ওরা (ওদের ‘আমালের পরিণতি) জানতে পারবে । (সূরাহ আল-হিজ্‌র ১৫/৩) । ‘আলী (রাঃ) বলেন, এ দুনিয়া পেছনের দিকে যাচ্ছে, আর আখিরাত সামনের দিকে এগিয়ে আসছে । এ দু’টির প্রতিটির আছে সন্তানাদি । অতএব তোমরা আখিরাতের সন্তানদের অন্তর্ভুক্ত হও । দুনিয়ার সন্তানদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না । কারণ, আজ ‘আমালের দিন, অতএব হিসাব নেই । আর আগামীকাল হিসাব, কোন ‘আমাল নেই । [৩] [৩] যারা সতর্ক হয়ে জীবিকা নির্বাহ করে তারা পরকালের সন্তান আর হিসাব ছাড়াই জীবিকা নির্বাহ করে তারা ইহকালের সন্তান । ইহকাল শুধু কর্মের জায়গা কোন হিসাব লাগে না আর পরকাল শুধু হিসাবের জায়গা কোন কর্ম চলে না ।

৬৪১৭

صَدَقَةُ بْنُ الْفَضْلِ أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ عَنْ سُفْيَانَ قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ مُنْذِرٍ عَنْ رَبِيعِ بْنِ خُثَيْمٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ خَطَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم خَطًّا مُرَبَّعًا وَخَطَّ خَطًّا فِي الْوَسَطِ خَارِجًا مِنْهُ وَخَطَّ خُطَطًا صِغَارًا إِلَى هَذَا الَّذِي فِي الْوَسَطِ مِنْ جَانِبِهِ الَّذِي فِي الْوَسَطِ وَقَالَ هَذَا الإِنْسَانُ وَهَذَا أَجَلُهُ مُحِيطٌ بِهِ أَوْ قَدْ أَحَاطَ بِهِ وَهَذَا الَّذِي هُوَ خَارِجٌ أَمَلُهُ وَهَذِهِ الْخُطَطُ الصِّغَارُ الأَعْرَاضُ فَإِنْ أَخْطَأَهُ هَذَا نَهَشَهُ هَذَا وَإِنْ أَخْطَأَهُ هَذَا نَهَشَهُ هَذَا.

আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নু মাস্‌‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদিন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি চতুর্ভুজ আঁকলেন এবং এর মধ্যখানে একটি রেখা টানলেন, যা তাত্থেকে বের হয়ে গেল। তারপর দু’পাশ দিয়ে মধ্যের রেখার সঙ্গে ভেতরের দিকে কয়েকটা ছোট ছোট রেখা মিলালেন এবং বললেন, এ মাঝের রেখাটা হলো মানুষ। আর এ চতুর্ভুজটি হলো তার আয়ু, যা বেষ্টন করে আছে। আর বাইরে বেড়িয়ে যাওয়া রেখাটি হলো তার আশা। আর এ ছোট ছোট রেখাগুলো বাধা-বন্ধন। যদি সে এর একটি এড়িয়ে যায়, তবে আরেকটি তাকে দংশন করে। আর আরেকটি যদি এড়িয়ে যায় তবে আরেকটি তাকে দংশন করে।(আধুনিক প্রকাশনী-৫৯৬৯ , ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৭৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪১৮

مُسْلِمٌ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ عَنْ أَنَسٍ قَالَ خَطَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم خُطُوطًا فَقَالَ هَذَا الأَمَلُ وَهَذَا أَجَلُهُ فَبَيْنَمَا هُوَ كَذَلِكَ إِذْ جَاءَهُ الْخَطُّ الأَقْرَبُ.

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন একবার নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কয়েকটি রেখা টানলেন এবং বললেন, এটা আশা আর এটা তার আয়ু। মানুষ যখন এ অবস্থার মাঝে থাকে হঠাৎ নিকটবর্তী রেখা (মৃত্যু) এসে যায়।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৭৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/৫. অধ্যায় :

যে ব্যক্তি ষাট বছর বয়সে পৌঁছে গেল, আল্লাহ্ তার বয়সের ওযর পেশ করার সুযোগ রাখেননি ।

আল্লাহ্‌র বাণী : আমি কি তোমাদেরকে এতটা বয়স দেইনি যে, তখন কেউ নাসীহাত গ্রহণ করতে চাইলে নাসীহাত গ্রহণ করতে পারতে? আর তোমাদের কাছে সতর্ককারীও এসেছিল….. । (সূরাহ ফাতির ৩৫/৩৭)

৬৪১৯

عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ مُطَهَّرٍ حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ عَلِيٍّ عَنْ مَعْنِ بْنِ مُحَمَّدٍ الْغِفَارِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَعْذَرَ اللهُ إِلَى امْرِئٍ أَخَّرَ أَجَلَهُ حَتَّى بَلَّغَهُ سِتِّينَ سَنَةً تَابَعَهُ أَبُو حَازِمٍ وَابْنُ عَجْلاَنَ عَنْ الْمَقْبُرِيِّ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আল্লাহ্‌ যার আয়ু দীর্ঘ করেছেন, এমনকি তাকে ষাট বছরে পৌঁছে দিয়েছেন তার ওযর পেশ করার সুযোগ রাখেননি।

ইব্‌নু আজলান মুকবেরী হতেও এরূপ বর্ণনা করেছেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৭১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৭৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪২০

عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا أَبُو صَفْوَانَ عَبْدُ اللهِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا يُونُسُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَقُولُ لاَ يَزَالُ قَلْبُ الْكَبِيرِ شَابًّا فِي اثْنَتَيْنِ فِي حُبِّ الدُّنْيَا وَطُولِ الأَمَلِ قَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ وَابْنُ وَهْبٍ عَنْ يُونُسَ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِي سَعِيدٌ وَأَبُو سَلَمَةَ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, বৃদ্ধ লোকের অন্তর দু’টি ব্যাপারে সর্বদা যুবক থাকে। দুনিয়ার প্রতি ভালবাসার ব্যাপারে আর দীর্ঘ আশার ব্যাপারে। আরেকটি হল উচ্চাকাঙ্ক্ষা। লায়স (রহঃ) ….. সা’ঈদ ও আবূ সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন।[মুসলিম ১২/৩৮, হাঃ ১০৪৬, আহমাদ ১০৫১৯] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৭২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৭৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪২১

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَكْبَرُ ابْنُ آدَمَ وَيَكْبَرُ مَعَهُ اثْنَانِ حُبُّ الْمَالِ وَطُولُ الْعُمُرِ رَوَاهُ شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ.

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আদাম সন্তানের বয়স বাড়ে আর তার সঙ্গে দু’টি জিনিসও বাড়ে; ধন-মালের প্রতি ভালবাসা আর দীর্ঘ বয়সের আশা।

শু‘বাহ কাতাদাহ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। [মুসলিম ১২/৩৮, হাঃ ১০৪৭, আহমাদ ১২১৪৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৭৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৭৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/৬. অধ্যায় :

যে ‘আমালের দ্বারা আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি কামনা করা হয় ।

এ বিষয়ে সা‘দ (রাঃ) বর্ণিত হাদীস

৬৪২২

مُعَاذُ بْنُ أَسَدٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي مَحْمُودُ بْنُ الرَّبِيعِ وَزَعَمَ مَحْمُودٌ أَنَّهُ عَقَلَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم وَقَالَ وَعَقَلَ مَجَّةً مَجَّهَا مِنْ دَلْوٍ كَانَتْ فِي دَارِهِمْ.

মাহমুদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কথা তিনি স্মরণ করেন। আর তিনি বলেন, তাদের ঘরের পানির বালতি থেকে পানি মুখে নিয়ে তিনি তার মুখে ছিটিয়েছিলেন তাও তিনি স্মরণ করেন। (আধুনিক প্রকাশনী- নাই, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৮০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪২৩

قَالَ سَمِعْتُ عِتْبَانَ بْنَ مَالِكٍ الأَنْصَارِيَّ، ثُمَّ أَحَدَ بَنِي سَالِمٍ قَالَ غَدَا عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ “‏ لَنْ يُوَافِيَ عَبْدٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يَقُولُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ‏.‏ يَبْتَغِي بِهِ وَجْهَ اللَّهِ، إِلاَّ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ النَّارَ ‏”‏‏.‏

মাহমুদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইতবান ইব্‌নু মালিক আনসারীকে, অতঃপর বানী সালিমের এক লোককে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সকালে আমার নিকট এলেন এবং বললেন, আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি কামনায় যে ব্যক্তি ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্‌’ বলবে এবং এ বিশ্বাস সহকারে ক্বিয়ামাতের দিন উপস্থিত হবে, আল্লাহ্‌ তার উপর জাহান্নাম হারাম করে দেবেন। [৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪] হাদীসটি সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করা হয়েছে । রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর বাড়িতে সকালে আগমন করার পরপরই এ কথাটি বলেননি । বরং এতদুভয়ের মাঝে অনেক কাজই হয়েছিল । যেমন, রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর বাড়িতে প্রবেশ করেন । সলাত আদায় করেন । তাদের নিকট অপেক্ষা করার আবদার করেন । অবশেষে তারা তাকে পানাহার করান । তিনি মালেক বিন দাখশাম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন ইত্যাদি । সব শেষে হাদীসে উল্লেখিত কথাটি বলেন । (ফাতহুল বারী)

মক্কা নগরীর লোকেরা আল্লাহ্‌কে সৃষ্টিকর্তা হিসাবে মানলেও তিনিই যে একমাত্র ইলাহ, যাবতীয় ইবাদত বন্দেগী লাভের একমাত্র মাবূদ (উপাস্য), সকল ক্ষমতার একচ্ছত্র অধিকারী, আইন দাতা, বুদ্ধিদাতা, বিপদে উদ্ধারকর্তা, একমাত্র হুকুম-বিধান দাতা এটা তারা স্বীকার করত না । তারা নানান দেবদেবীর পূজা করত এবং বিশ্ব পরিচালনায় সে সব দেবদেবীদের আল্লাহ্‌র অংশীদার মনে করত । তাই আল্লাহ্‌ তাআলা তাঁর নাবীর মাধ্যমে জানিয়ে দিলেন, যারা আল্লাহ্‌কে একমাত্র ইলাহ বলে স্বীকার করে নিবে এবং এ বিশ্বাসের উপর অটল থেকে শির্কমুক্ত অবস্থায় মারা যাবে, জাহান্নাম তাদের জন্য হারাম করে দেয়া হবে । নবুয়তের প্রাথমিক অবস্থায় সলাত, সওম, হজ্জ, যাকাত কিছুই ফরয করা হয়নি । সে সময় আল্লাহ্‌কে একমাত্র ইলাহ হিসেবে বিশ্বাস করে নেয়াই ছিল বড় কঠিন ব্যাপার । তাই তখন তাওহীদের প্রতি ঈমান আনাই জান্নাতে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল । অতঃপর যখন উক্ত ইবাদাতগুলো ফরয হিসাবে বিধিবদ্ধ করা হল, তখন শুধুমাত্র ‘আল্লাহ্‌ ব্যতীত সত্য কোন মাবূদ নাই’ এর স্বীকৃতি প্রদানই জান্নাতের প্রবেশের জন্য আর যথেষ্ট থাকল না । অতএব এখন আল্লাহ্‌র তাওহীদে বিশ্বাস করার অর্থই হল তাঁর যাবতীয় নির্দেশকে মান্য করা । তবে বর্তমানে কেউ যদি নতুনভাবে ইসলাম কবূল করে কোন ফরয ইবাদাত কার্যকর করার আগেই তার মৃত্যু হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে এ হাদীস প্রযোজ্য হবে । তাওহীদে বিশ্বাসী কোন লোক যদি এমন অবস্থা ও পরিবেশে বাস করে যেখানে কোন ফরয এবাদাত করা একেবারেই অসম্ভব তবে সেক্ষেত্রেও এ হাদীস প্রযোজ্য হতে পারে । আল্লাহ্‌ই ভাল জানেন ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪২৪

قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ عَنْ عَمْرٍو عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ يَقُولُ اللهُ تَعَالَى مَا لِعَبْدِي الْمُؤْمِنِ عِنْدِي جَزَاءٌ إِذَا قَبَضْتُ صَفِيَّهُ مِنْ أَهْلِ الدُّنْيَا ثُمَّ احْتَسَبَهُ إِلاَّ الْجَنَّةُ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ্‌ বলেন, আমি যখন আমার মু’মিন বান্দার কোন প্রিয়বস্তু দুনিয়া হতে উঠিয়ে নেই আর সে ধৈর্য ধারণ করে, আমার কাছে তার জন্য জান্নাত ছাড়া অন্য কিছু (প্রতিদান) নেই। [৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৭৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৮১)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৫] ইব্‌নু বাত্তাল অত্র হাদীস দ্বারা যে ব্যক্তির তিনটি অথবা দু’টি সন্তান মৃত্যুবরণ করেছে তাদের সাথে কিতাবুল জানায়িযের অন্তর্গত ‘যে ব্যক্তির একটি সন্তান মারা গেছে তার ফযীলত’ অধ্যায়ের বর্ণনা অনুযায়ী যে ব্যক্তির একটি সন্তান মারা গেছে তাকেও সম্পৃক্ত করার প্রমাণ গ্রহণ করছেন । (ফাতহুল বারী)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/৭. অধ্যায় :

দুনিয়ার শোভা ও তার প্রতি আসক্তি থেকে সতর্কতা

৬৪২৫

إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللهِ قَالَ حَدَّثَنِي إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عُقْبَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ حَدَّثَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ أَنَّ الْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَمْرَو بْنَ عَوْفٍ وَهُوَ حَلِيفٌ لِبَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَيٍّ كَانَ شَهِدَ بَدْرًا مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم بَعَثَ أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجَرَّاحِ إِلَى الْبَحْرَيْنِ يَأْتِي بِجِزْيَتِهَا وَكَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم هُوَ صَالَحَ أَهْلَ الْبَحْرَيْنِ وَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ الْعَلاَءَ بْنَ الْحَضْرَمِيِّ فَقَدِمَ أَبُو عُبَيْدَةَ بِمَالٍ مِنْ الْبَحْرَيْنِ فَسَمِعَتْ الأَنْصَارُ بِقُدُومِهِ فَوَافَتْهُ صَلاَةَ الصُّبْحِ مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا انْصَرَفَ تَعَرَّضُوا لَهُ فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم حِينَ رَآهُمْ وَقَالَ أَظُنُّكُمْ سَمِعْتُمْ بِقُدُومِ أَبِي عُبَيْدَةَ وَأَنَّهُ جَاءَ بِشَيْءٍ قَالُوا أَجَلْ يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ فَأَبْشِرُوا وَأَمِّلُوا مَا يَسُرُّكُمْ فَوَاللهِ مَا الْفَقْرَ أَخْشَى عَلَيْكُمْ وَلَكِنْ أَخْشَى عَلَيْكُمْ أَنْ تُبْسَطَ عَلَيْكُمْ الدُّنْيَا كَمَا بُسِطَتْ عَلَى مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ فَتَنَافَسُوهَا كَمَا تَنَافَسُوهَا وَتُلْهِيَكُمْ كَمَا أَلْهَتْهُمْ.

আম্‌র ইব্‌নু ‘আওফ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

‘আম্‌র ইব্‌নু ‘আওফ (রাঃ), তিনি বানী ‘আম্‌র ইব্‌নু লুওয়াই-এর সঙ্গে চুক্তিতে আবদ্ধ ছিলেন এবং রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে বদরের যুদ্ধেও অংশ গ্রহণ করেন। তিনি বর্ণনা করেন, একবার রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ ‘উবাইদাহ ইব্‌নু জাররাহ্‌কে জিযিয়া আদায় করার উদ্দেশ্যে বাহ্‌রাইনে প্রেরণ করেন। রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বাহ্‌রাইনের অধিবাসীদের সঙ্গে সন্ধি করেছিলেন এবং তাদের জন্য আলা ইব্‌নু হায্‌রামী (রাঃ)-কে ‘আমীর নিযুক্ত করেছিলেন। আবূ ‘উবাইদাহ (রাঃ) বাহরাইন হতে ধনসম্পদ নিয়ে আসেন, আনসারগণ তাঁর আগমনের সংবাদ শুনলেন এবং ফাজ্‌রের সালাতে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে শরীক হলেন। সলাত শেষ হলে তাঁরা তাঁর সামনে এলেন। তখন তিনি তাঁদের দেখে হেসে দিলেন এবং বললেনঃ আমি মনে করি তোমরা আবূ ‘উবাইদাহ (রাঃ)-এর আগমনের খবর শুনেছ এবং তিনি যে মাল নিয়ে এসেছেন তাও (শুনেছ)। তাঁরা বললেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল! হাঁ। তিনি বললেনঃ তোমরা সুসংবাদ গ্রহণ করো এবং তোমরা আশা পোষণ কর, যা তোমাদের খুশী করবে। তবে, আল্লাহ্‌র কসম! আমি তোমাদের জন্য দারিদ্রের ভয় করছি না বরং ভয় করছি যে, তোমাদের উপর দুনিয়া প্রশস্ত করে দেয়া হবে তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মাতের উপর যেমন দুনিয়া প্রশস্ত করে দেয়া হয়েছিল। আর তোমরা তা পাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করবে যেমন তারা তা পাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করেছিল। আর তা তোমাদেরকে আখিরাত বিমুখ করে ফেলবে, যেমন তাদেরকে আখিরাত বিমুখ করেছিল। [৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৭৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৮২)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৬] দুনিয়ার তুলনায় আখিরাতকে সব সময় প্রাধান্য দিতে হবে । অর্জিত ধন সম্পদ আমাদেরকে যেন আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্ত না করে । আখিরাতের চিন্তা মাথায় রেখে দুনিয়াতে বেঁচে থাকার জন্য হালাল উপায়ে রিযক আহরণে সচেষ্ট থাকতে হবে ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪২৬

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي الْخَيْرِ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ يَوْمًا فَصَلَّى عَلَى أَهْلِ أُحُدٍ صَلاَتَهُ عَلَى الْمَيِّتِ، ثُمَّ انْصَرَفَ إِلَى الْمِنْبَرِ فَقَالَ ‏ “‏ إِنِّي فَرَطُكُمْ وَأَنَا شَهِيدٌ عَلَيْكُمْ، وَإِنِّي وَاللَّهِ لأَنْظُرُ إِلَى حَوْضِي الآنَ، وَإِنِّي قَدْ أُعْطِيتُ مَفَاتِيحَ خَزَائِنِ الأَرْضِ ـ أَوْ مَفَاتِيحَ الأَرْضِ ـ وَإِنِّي وَاللَّهِ مَا أَخَافُ عَلَيْكُمْ أَنْ تُشْرِكُوا بَعْدِي، وَلَكِنِّي أَخَافُ عَلَيْكُمْ أَنْ تَنَافَسُوا فِيهَا ‏”‏‏.‏

উক্‌বাহ ইব্‌নু আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, একদিন রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বের হলেন এবং উহুদের শহীদদের জন্য সলাত আদায় করলেন, যেমন তিনি মৃতদের জন্য সলাত আদায় করতেন। তারপর মিম্বরে ফিরে এসে বললেনঃ আমি তোমাদের অগ্রবর্তী। আমি তোমাদের সাক্ষী হব। আল্লাহ্‌র কসম! নিশ্চয়ই আমি এখন আমার ‘হাওয্‌’কে দেখছি। আমাকে তো দুনিয়ার ধনাগারের চাবিসমূহ অথবা দুনিয়ার চাবিসমূহ দেয়া হয়েছে। আল্লাহ্‌র কসম! আমি তোমাদের ব্যাপারে এ আশংকা করছি না যে, তোমরা আমার পরে শির্কে লিপ্ত হবে, তবে আমি আশংকা করছি যে, তোমরা দুনিয়ার সম্পদ লাভের জন্য পরস্পর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হবে। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৭৭ , ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৮৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪২৭

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّ أَكْثَرَ مَا أَخَافُ عَلَيْكُمْ مَا يُخْرِجُ اللَّهُ لَكُمْ مِنْ بَرَكَاتِ الأَرْضِ ‏”‏‏.‏ قِيلَ وَمَا بَرَكَاتُ الأَرْضِ قَالَ ‏”‏ زَهْرَةُ الدُّنْيَا ‏”‏‏.‏ فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ هَلْ يَأْتِي الْخَيْرُ بِالشَّرِّ فَصَمَتَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ يُنْزَلُ عَلَيْهِ، ثُمَّ جَعَلَ يَمْسَحُ عَنْ جَبِينِهِ فَقَالَ ‏”‏ أَيْنَ السَّائِلُ ‏”‏‏.‏ قَالَ أَنَا‏.‏ قَالَ أَبُو سَعِيدٍ لَقَدْ حَمِدْنَاهُ حِينَ طَلَعَ ذَلِكَ‏.‏ قَالَ ‏”‏ لاَ يَأْتِي الْخَيْرُ إِلاَّ بِالْخَيْرِ، إِنَّ هَذَا الْمَالَ خَضِرَةٌ حُلْوَةٌ، وَإِنَّ كُلَّ مَا أَنْبَتَ الرَّبِيعُ يَقْتُلُ حَبَطًا أَوْ يُلِمُّ، إِلاَّ آكِلَةَ الْخَضِرَةِ، أَكَلَتْ حَتَّى إِذَا امْتَدَّتْ خَاصِرَتَاهَا اسْتَقْبَلَتِ الشَّمْسَ، فَاجْتَرَّتْ وَثَلَطَتْ وَبَالَتْ، ثُمَّ عَادَتْ فَأَكَلَتْ، وَإِنَّ هَذَا الْمَالَ حُلْوَةٌ، مَنْ أَخَذَهُ بِحَقِّهِ وَوَضَعَهُ فِي حَقِّهِ، فَنِعْمَ الْمَعُونَةُ هُوَ، وَمَنْ أَخَذَهُ بِغَيْرِ حَقِّهِ، كَانَ الَّذِي يَأْكُلُ وَلاَ يَشْبَعُ ‏”‏‏.‏

আবূ সা‘ঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি তোমাদের জন্য এ ব্যাপারেই সর্বাধিক আশংকা করছি যে, আল্লাহ্‌ তোমাদের জন্য যমীনের বারাকাতসমূহ প্রকাশিত করে দেবেন। জিজ্ঞেস করা হলো, যমীনের বারাকাতসমূহ কী? তিনি বললেনঃ দুনিয়ার চাকচিক্য। তখন এক ব্যক্তি তাঁর কাছে বললেন, কল্যাণ কি অকল্যাণ নিয়ে আসবে? তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিছুক্ষণ নীরব থাকলেন, যাতে আমরা ধারণা করলাম যে, তাঁর উপর ওয়াহী নাযিল হচ্ছে। এরপর তিনি তাঁর কপাল থেকে ঘাম মুছে জিজ্ঞেস করলেন, প্রশ্নকারী কোথায়? সে বলল, আমি। আবূ সা‘ঈদ (রাঃ) বলেন, যখন এটি প্রকাশ পেল, তখন আমরা প্রশ্নকারীর প্রশংসা করলাম। রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ কল্যাণ কেবল কল্যাণই বয়ে আনে। নিশ্চয়ই এ ধনদৌলত সবুজ সুমিষ্ট। অবশ্য বসন্ত যে সবজি উৎপাদন করে, তা ভক্ষণকারী পশুকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয় অথবা মৃত্যুর নিকটবর্তী করে, তবে যে প্রাণী পেট ভরে খেয়ে সূর্যের দিকে তাকিয়ে জাবর কাটে, মল-মূত্র ত্যাগ করে এবং আবার খায় (এর অবস্থা ভিন্ন)। এ পৃথিবীর ধনদৌলত তেমন সুমিষ্ট। যে ব্যক্তি তা সৎভাবে গ্রহণ করবে এবং সৎভাবে ব্যয় করবে, তা তার খুবই উপকারী হবে। আর যে তা অন্যায়ভাবে গ্রহণ করবে, সে ঐ ব্যক্তির মত যে খেতে থাকে কিন্তু পরিতৃপ্ত হয় না। [৭] [৯২১; মুসলিম ১২/৪১, হাঃ ১০৫২, আহমাদ ১১১৫৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৭৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৮৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭] হাদীসটি হতে জানা যায় :

(১) বক্তার চারপাশে শ্রোতাদের বসা এবং পার্থিব কোন বিষয়ের প্রতিযোগিতা থেকে ভীতি প্রদর্শন ।

(২) জটিল কোন বিষয়ে জ্ঞানী ব্যক্তিকে প্রশ্ন করা এবং বিরোধ নিরসনের জন্য প্রমাণ চাওয়া ।

(৩) রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে প্রশ্ন করা হলে তিনি তার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য ওয়াহীর অপেক্ষা করতেন ।

(৪) যদি কোন বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা ও গবেষণার প্রয়োজন হয় তবে সে ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া করে উত্তর দেয়া পরিহার করা । (ফাতহুল বারী)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪২৮

مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا جَمْرَةَ قَالَ حَدَّثَنِي زَهْدَمُ بْنُ مُضَرِّبٍ قَالَ سَمِعْتُ عِمْرَانَ بْنَ حُصَيْنٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ خَيْرُكُمْ قَرْنِي ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ قَالَ عِمْرَانُ فَمَا أَدْرِي قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بَعْدَ قَوْلِهِ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا ثُمَّ يَكُونُ بَعْدَهُمْ قَوْمٌ يَشْهَدُونَ وَلاَ يُسْتَشْهَدُونَ وَيَخُونُونَ وَلاَ يُؤْتَمَنُونَ وَيَنْذُرُونَ وَلاَ يَفُونَ وَيَظْهَرُ فِيهِمْ السِّمَنُ.

ইমরান ইব্‌নু হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে আমার যুগের লোকেরাই সর্বোত্তম। তারপর এর পরবর্তী যুগের লোকেরা। তারপর এর পরবর্তী যুগের লোকেরা। ‘ইমরান (রাঃ) বর্ণনা করেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ কথাটি দু’বার কি তিনবার বললেন, তা আমার স্মরণ নেই- তারপর এমন লোকেরা আসবে যে, তারা সাক্ষ্য দিবে, অথচ তাদের সাক্ষ্য চাওয়া হবে না। তারা খিয়ানতকারী হবে। তাদের নিকট আমানত রাখা হবে না। তারা মানত করে তা পূরণ করবে না। তারা দেখতে মোটা তাজা হবে। [৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৭৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৮৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৮] তারা দেখতে মোটা তাজা হবে অর্থাৎ তারা যে কোন উপায়ে অর্জিত হারাম মাল ভক্ষণ করে নিজেদেরকে মোটা তাজা করবে ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪২৯

حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبِيدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ خَيْرُ النَّاسِ قَرْنِي، ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ، ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ، ثُمَّ يَجِيءُ مِنْ بَعْدِهِمْ قَوْمٌ تَسْبِقُ شَهَادَتُهُمْ أَيْمَانَهُمْ وَأَيْمَانُهُمْ شَهَادَتَهُمْ ‏”‏‏.‏

আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নু মাস‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সর্বোত্তম হল আমার যুগের লোকেরা। তারপর উত্তম হল এদের পরবর্তী যুগের লোকেরা, তারপর উত্তম হল তাদের পরবর্তী যুগের লোকেরা, তারপর এমন সব লোকের আবির্ভাব ঘটবে, যাদের সাক্ষ্য হবে কসমের পূর্বে, আর কসম হবে সাক্ষ্যের পূর্বে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৮০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৮৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪৩০

يَحْيَى بْنُ مُوسَى حَدَّثَنَا وَكِيعٌ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ عَنْ قَيْسٍ قَالَ سَمِعْتُ خَبَّابًا وَقَدْ اكْتَوَى يَوْمَئِذٍ سَبْعًا فِي بَطْنِهِ وَقَالَ لَوْلاَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم نَهَانَا أَنْ نَدْعُوَ بِالْمَوْتِ لَدَعَوْتُ بِالْمَوْتِ إِنَّ أَصْحَابَ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم مَضَوْا وَلَمْ تَنْقُصْهُمْ الدُّنْيَا بِشَيْءٍ وَإِنَّا أَصَبْنَا مِنْ الدُّنْيَا مَا لاَ نَجِدُ لَهُ مَوْضِعًا إِلاَّ التُّرَابَ.

কায়স (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, খাব্বাব (রাঃ) তার পেটে সাতটি উত্তপ্ত লোহার দাগ নেয়ার পর আমি তাঁকে বলতে শুনেছি যে, যদি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মৃত্যু কামনা করা নিষিদ্ধ না করতেন, তাহলে আমি মৃত্যু কামনা করতাম। নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহাবার অনেকেই (দুনিয়া থেকে কিছু না নিয়েই) চলে গেছেন। অথচ দুনিয়া তাঁদের (আখিরাতের) কোনই ক্ষতি করতে পারেনি। আর আমরা দুনিয়ার ধনসম্পদ সংগ্রহ করেছি, তাই মাটি ব্যতীত আর কোন জায়গা পাচ্ছি না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৮১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৮৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪৩১

مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ إِسْمَاعِيلَ قَالَ حَدَّثَنِي قَيْسٌ قَالَ أَتَيْتُ خَبَّابًا وَهُوَ يَبْنِي حَائِطًا لَهُ فَقَالَ إِنَّ أَصْحَابَنَا الَّذِينَ مَضَوْا لَمْ تَنْقُصْهُمْ الدُّنْيَا شَيْئًا وَإِنَّا أَصَبْنَا مِنْ بَعْدِهِمْ شَيْئًا لاَ نَجِدُ لَهُ مَوْضِعًا إِلاَّ التُّرَابَ.

কায়স (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি একবার খাব্বাব (রাঃ) -এর কাছে এলাম। তখন তিনি একটা দেয়াল তৈরী করছিলেন। তখন তিনি বললেন, আমাদের যেসব সঙ্গীরা দুনিয়া হতে চলে গেছেন, দুনিয়া তাদের কোন ক্ষতি করতে পারেনি। আর আমরা তাদের পর দুনিয়ার মালধন জোগাড় করেছি, যেগুলোর জন্য আমরা মাটি ভিন্ন আর কোন জায়গা পাচ্ছি না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৮২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৮৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪৩২

مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ الأَعْمَشِ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ خَبَّابٍ قَالَ هَاجَرْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَصَّهُ.

খাব্বাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

খাব্বাব (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে হিজরাত করেছিলাম। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৮৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/৮. অধ্যায় :

আল্লাহ্‌র বাণী : হে মানুষ! আল্লাহ্‌র ও‘য়াদা সত্য, কাজেই পার্থিব জীবন কিছুতেই যেন তোমাদেরকে প্রতারিত না করে; আর সেই প্রধান প্রতারক (শয়ত্বান) যেন কিছুতেই তোমাদেরকে আল্লাহ্ সম্পর্কে প্রতারিত না করে । শয়ত্বান তোমাদের শত্রু, কাজেই তাকে শত্রু হিসেবে গ্রহণ কর । সে কেবল তার দলবলকে ডাকে, যাতে তারা জ্বলন্ত অগ্নির সঙ্গী হয় । (সুরাহ ফাতির ৩৫/৫-৬)

আবূ আবদুল্লাহ বলেন, (আরবী)-এর বহুবচন (আরবী) আর মুজাহিদ বলেন, (আরবী) এর অর্থ শয়ত্বান ।

৬৪৩৩

حَدَّثَنَا سَعْدُ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ الْقُرَشِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي مُعَاذُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ ابْنَ أَبَانَ، أَخْبَرَهُ قَالَ أَتَيْتُ عُثْمَانَ بِطَهُورٍ وَهْوَ جَالِسٌ عَلَى الْمَقَاعِدِ، فَتَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الْوُضُوءَ ثُمَّ قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم تَوَضَّأَ وَهْوَ فِي هَذَا الْمَجْلِسِ، فَأَحْسَنَ الْوُضُوءَ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ مَنْ تَوَضَّأَ مِثْلَ هَذَا الْوُضُوءِ، ثُمَّ أَتَى الْمَسْجِدَ فَرَكَعَ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ جَلَسَ، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‏”‏‏.‏ قَالَ وَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لاَ تَغْتَرُّوا ‏”‏‏.‏

ইব্‌নু আবান থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ‘উসমান ইব্‌নু ‘আফফান (রাঃ)-এর কাছে অযূর পানি নিয়ে এলাম। তখন তিনি বসার স্থানে বসা ছিলেন। তিনি সুন্দরভাবে অযূ করলেন। তারপর তিনি বললেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এ স্থানেই দেখেছি, তিনি সুন্দরভাবে অযূ করলেন, অতঃপর তিনি বললেন, যে লোক এ অযূর মতো অযূ করবে, তারপর মসজিদে এসে দু’রাক‘আত সলাত আদায় করে সেখানে বসবে, তার পূর্বের গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। তিনি বললেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরও বলেন যে, তোমরা ধোঁকায় পড়ো না। [৯]

আবূ আব্দুল্লাহ বলেন, তিনি হুমরান ইব্‌নু আবান।(আ.প্র. ৫৯৮৪, ই.ফা. ৫৯৯০)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯] ভাল করে ওযু করে মসজিদে ঢুকে বসার পূর্বেই দু’রাকাত সালাত আদায় করা সুন্নাত এবং রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’রাক‘আত সুন্নাত আদায় না করে বসতেও নিষেধ করেছেন । অনেককেই দেখা যায় তারা মসজিদে ঢুকে বসে পড়েন অতঃপর উঠে সুন্নাত পড়েন, এটা সুন্নাতের বিপরীত কাজ ।

হাদীসের শেষ বাক্য দ্বারা উদ্দেশ্য শুধুমাত্র ছোট গুনাহ ক্ষমা হবে । জেনে রাখা প্রয়োজন যে, ছোট গুনাহগুলোও যদি বারবার করা হয় তাহলে তা কাবীরা গুনাহে রূপান্তরিত হয়ে যায় । আর তখন কিন্তু ক্ষমা করা হবে না । (ফাতহুল বারী)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/৯. অধ্যায় :

নেক্কার ব্যক্তিদের বিদায় হয়ে যাওয়া ।

৬৪৩৪

يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ بَيَانٍ عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ عَنْ مِرْدَاسٍ الأَسْلَمِيِّ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَذْهَبُ الصَّالِحُونَ الأَوَّلُ فَالأَوَّلُ وَيَبْقَى حُفَالَةٌ كَحُفَالَةِ الشَّعِيرِ أَوْ التَّمْرِ لاَ يُبَالِيهِمْ اللهُ بَالَةً قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ يُقَالُ حُفَالَةٌ وَحُثَالَةٌ.

মিরদাস আসলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, নেক্‌কার ব্যক্তিরা একে একে চলে যাবেন। আর অবশিষ্টরা যব ও খেজুরের অব্যবহার্য অংশের মত পড়ে থাকবে। আল্লাহ্‌ এদের প্রতি গ্রাহ্যও করবেন না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৯১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/১০. অধ্যায় :

ধন-সম্পদের পরীক্ষা থেকে রক্ষা পাওয়া ।

আল্লাহ্‌র বাণী : “তোমাদের, ধন-সম্পদ আর সন্তান- সন্ততি হচ্ছে পরীক্ষার সামগ্রী মাত্র ।” (সুরাহ আত্‌-তাগাবুন ৮/২৮)

৬৪৩৫

حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرٍ، عَنْ أَبِي حَصِينٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ تَعِسَ عَبْدُ الدِّينَارِ وَالدِّرْهَمِ وَالْقَطِيفَةِ وَالْخَمِيصَةِ، إِنْ أُعْطِيَ رَضِيَ، وَإِنْ لَمْ يُعْطَ لَمْ يَرْضَ ‏”‏‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দীনার, দিরহাম, রেশমী চাদর, পশমী কাপড়ের দাসরা ধ্বংস হোক। ওদের এসব দেয়া হলে খুশি থাকে আর দেয়া না হলে নাখোশ হয়। [১০] (আধুনিক প্রকাশনী- ,৫৯৮৬ ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৯২)

  •  
  •  
  •  
  •  

[১০] দুনিয়া লোভী বিবেকহীন লোকেরা নিজেরাই পেতে চায়, অন্যেরা যে বেশী অভাবগ্রস্ত, বেশী হকদার তারা তা বুঝেনা । হকদারদের হক নষ্ট করে হলেও বিবেকহীনরা নিজে পেলেই খুশী হয়- প্রকৃত অভাবীর অভাবের কথা চিন্তাও করে না ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪৩৬

أَبُو عَاصِمٍ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ عَطَاءٍ قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ يَقُولُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ لَوْ كَانَ لِابْنِ آدَمَ وَادِيَانِ مِنْ مَالٍ لاَبْتَغَى ثَالِثًا وَلاَ يَمْلاَ جَوْفَ ابْنِ آدَمَ إِلاَّ التُّرَابُ وَيَتُوبُ اللهُ عَلَى مَنْ تَابَ.

ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, যদি আদাম সন্তানের দু’ উপত্যকা ভরা মালধন থাকে তবুও সে তৃতীয়টার আকাঙ্খা করবে। আর মাটি ভিন্ন বানী আদামের পেট কিছুতেই ভরবে না। [১১] আর যে তাওবাহ করবে, আল্লাহ্‌ তার তাওবাহ কবূল করবেন। [৬৪৩৭; মুসলিম ১২/৩৯, হাঃ ১০৪৯, আহমাদ ৩৪০১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৮৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৯৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

[১১] এখানে বাস্তব মাটি উদ্দেশ্য নয়, বরং এর দ্বারা পরোক্ষভাবে মৃত্যু উদ্দেশ্য । অর্থ্যাৎ আদম সন্তানের চাহিদার সমাপ্তি ঘটাবে একমাত্র তার মৃত্যু । মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তাদের চাহিদার কোন শেষ নেই । (ফাতহুল বারী)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪৩৭

حَدَّثَنِي مُحَمَّدٌ، أَخْبَرَنَا مَخْلَدٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَطَاءً، يَقُولُ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ لَوْ أَنَّ لاِبْنِ آدَمَ مِثْلَ وَادٍ مَالاً لأَحَبَّ أَنَّ لَهُ إِلَيْهِ مِثْلَهُ، وَلاَ يَمْلأُ عَيْنَ ابْنِ آدَمَ إِلاَّ التُّرَابُ، وَيَتُوبُ اللَّهُ عَلَى مَنْ تَابَ ‏”‏‏.‏ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَلاَ أَدْرِي مِنَ الْقُرْآنِ هُوَ أَمْ لاَ‏.‏ قَالَ وَسَمِعْتُ ابْنَ الزُّبَيْرِ يَقُولُ ذَلِكَ عَلَى الْمِنْبَرِ‏.

ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেনঃ বানী আদমের জন্য যদি এক উপত্যকা পরিমাণ ধনমাল থাকে, তবুও সে আরো ঐ পরিমাণ সম্পদের জন্য লালায়িত থাকবে। বানী আদামের চোখ মাটি ছাড়া আর কিছুতেই ভরবে না। তবে যে তাওবাহ করবে আল্লাহ্‌ তার তাওবাহ কবূল করবেন।

ইব্‌নু ‘আব্বাস বলেন, সুতরাং আমি জানি না- এটি কুরআনের অন্তর্গত কিনা। তিনি বলেন, আমি ইবনুয যুবায়রকে এটা মিম্বরের উপর বলতে শুনেছি।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৮৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৯৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪৩৮

أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمٰنِ بْنُ سُلَيْمَانَ بْنِ الْغَسِيلِ عَنْ عَبَّاسِ بْنِ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ الزُّبَيْرِ عَلَى الْمِنْبَرِ بِمَكَّةَ فِي خُطْبَتِهِ يَقُولُ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ لَوْ أَنَّ ابْنَ آدَمَ أُعْطِيَ وَادِيًا مَلْئًا مِنْ ذَهَبٍ أَحَبَّ إِلَيْهِ ثَانِيًا وَلَوْ أُعْطِيَ ثَانِيًا أَحَبَّ إِلَيْهِ ثَالِثًا وَلاَ يَسُدُّ جَوْفَ ابْنِ آدَمَ إِلاَّ التُّرَابُ وَيَتُوبُ اللهُ عَلَى مَنْ تَابَ.

আব্বাস ইব্‌নু সাহ্ল ইব্‌নু সা‘দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি ইব্‌নুয্ যুবায়র (রাঃ)-কে মাক্কাহয় মিম্বারের উপর তার খুতবার মধ্যে বলতে শুনেছি। তিনি বলেছেনঃ হে লোকেরা! নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেন, যদি বানী আদামকে স্বর্ণে ভরা এক উপত্যকা মাল দেয়া হয়, তথাপিও সে দ্বিতীয়টার জন্য লালায়িত হয়ে থাকবে। আর তাকে দ্বিতীয়টি যদি দেয়া হয়, তাহলে সে তৃতীয়টার জন্য লালায়িত থাকবে। বানী আদামের পেট মাটি ছাড়া ভরতে পারে না। তবে যে তাওবাহ করবে, আল্লাহ্ তার তাওবাহ কবূল করবেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৮৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৯৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪৩৯

عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ صَالِحٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ لَوْ أَنَّ لِابْنِ آدَمَ وَادِيًا مِنْ ذَهَبٍ أَحَبَّ أَنْ يَكُونَ لَهُ وَادِيَانِ وَلَنْ يَمْلاَ فَاهُ إِلاَّ التُّرَابُ وَيَتُوبُ اللهُ عَلَى مَنْ تَابَ.

আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যদি বানী আদামের স্বর্ণ ভরা একটা উপত্যকা থাকে, তথাপি সে তার জন্য দু’টি উপত্যকা হওয়ার কামনা করবে। তার মুখ মাটি ব্যতীত অন্য কিছুতেই ভরবে না। তবে যে ব্যক্তি তাওবাহ করবে, আল্লাহ্‌ তার তাওবাহ কবূল করবেন। [১২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৯০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৯৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

[১২] অত্র তিনটি হাদীসে পরস্পর চোখ, মুখ ও পেটের কথা বলা হয়েছে; আর এ তিনটি হচ্ছে পৃথিবী ভোগ করতে ধোঁকায় পড়ার মাধ্যম । কাজেই আদম সন্তানকে এ তিনটি অঙ্গের ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকতে হবে ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪৪০

وَقَالَ لَنَا أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسٍ عَنْ أُبَيٍّ قَالَ كُنَّا نَرَى هَذَا مِنْ الْقُرْآنِ حَتَّى نَزَلَتْ {أَلْهَاكُمْ التَّكَاثُرُ}.

উবাই ইব্‌নু কা‘ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

অন্য এক সূত্রে আনাস (রাঃ) ‘উবাই ইব্‌নু কা‘ব (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমরা ধারণা করেছিলাম এটা কুরআনেরই অন্তর্গত। অবশেষে (সূরায়ে) তাকাসুর নাযিল হলো। [মুসলিম ১২/৩৯, হাঃ ১০৪৮] (আধুনিক প্রকাশনী- নাই, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৯৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/১১. অধ্যায় :

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণী : এ সম্পদ সবুজ ও সুমিষ্ট । আল্লাহ্ তা‘আলার বাণী : মানুষের কাছে সুশোভিত করা হয়েছে নারী, সন্তান, স্তুপীকৃত স্বর্ণ ও রৌপ্যভান্ডার, চিহ্নযুক্ত অশ্বরাজি, গৃহপালিত পশু এবং শস্যক্ষেত্র, এসব পার্থিব জীবনের সম্পদ । (সূরাহ আল ‘ইমরান ৩/১৪)

‘উমার (রাঃ) বলেন, হে আল্লাহ্‌! আপনি আমাদের জন্য যেসব জিনিস মনোহর করে দিয়েছেন, তজ্জন্য খুশি না হয়ে পারি না । হে আল্লাহ্‌! অবশ্যই আমি আপনার নিকট প্রার্থনা করছি, যেন আমি এগুলোকে সঠিকভাবে ব্যয় করতে পারি ।

৬৪৪১

عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ سَمِعْتُ الزُّهْرِيَّ يَقُولُ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ وَسَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ عَنْ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ قَالَ سَأَلْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَعْطَانِي ثُمَّ سَأَلْتُهُ فَأَعْطَانِي ثُمَّ سَأَلْتُهُ فَأَعْطَانِي ثُمَّ قَالَ هَذَا الْمَالُ وَرُبَّمَا قَالَ سُفْيَانُ قَالَ لِي يَا حَكِيمُ إِنَّ هَذَا الْمَالَ خَضِرَةٌ حُلْوَةٌ فَمَنْ أَخَذَهُ بِطِيبِ نَفْسٍ بُورِكَ لَهُ فِيهِ وَمَنْ أَخَذَهُ بِإِشْرَافِ نَفْسٍ لَمْ يُبَارَكْ لَهُ فِيهِ وَكَانَ كَالَّذِي يَأْكُلُ وَلاَ يَشْبَعُ وَالْيَدُ الْعُلْيَا خَيْرٌ مِنْ الْيَدِ السُّفْلَى.

হাকীম ইব্‌নু হিযাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে কিছু চাইলাম। তিনি আমাকে দিলেন। আমি তাঁর কাছে আবার চাইলাম। তিনি আমাকে দিলেন। আমি তাঁর কাছে আবার চাইলাম। তিনি দিলেন। এরপর বললেনঃ এ ধন-সম্পদ সুফ্ইয়ানের বর্ণনামতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে হাকীম! এ মাল সবুজ ও সুমিষ্ট। যে লোক তা খুশি মনে গ্রহণ করবে, তার জন্য তাতে বরকত দেয়া হবে। আর যে ব্যক্তি তা লালসা নিয়ে গ্রহণ করবে, তার জন্য তাতে বরকত দেয়া হবে না। বরং সে ঐ ব্যক্তির মত যে খায়, কিন্ত তৃপ্ত না। আর উপরের (দাতার) হাত নিচের (গ্রহীতার) হাত থেকে শ্রেষ্ঠ। [১৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ,৫৯৯১ ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৯৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩] এ হাদীসে অন্যের কাছে হাত পাতাকে ঘৃণিত কাজ বলে গণ্য করা হয়েছে এবং দান করাকে উৎসাহিত করা হয়েছে ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/১২. অধ্যায় :

যে ব্যক্তি তার মাল হতে অগ্রিম (উত্তম কাজে) খরচ করবে, তার পুণ্য সে পাবে ।

৬৪৪২

عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ حَدَّثَنِي أَبِي حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ قَالَ حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ التَّيْمِيُّ عَنْ الْحَارِثِ بْنِ سُوَيْدٍ قَالَ عَبْدُ اللهِ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَيُّكُمْ مَالُ وَارِثِهِ أَحَبُّ إِلَيْهِ مِنْ مَالِهِ قَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ مَا مِنَّا أَحَدٌ إِلاَّ مَالُهُ أَحَبُّ إِلَيْهِ قَالَ فَإِنَّ مَالَهُ مَا قَدَّمَ وَمَالُ وَارِثِهِ مَا أَخَّرَ.

আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লোকদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি, নিজের সম্পদ হতে তার উত্তরাধিকারীর সম্পদকে অধিক প্রিয় মনে করে? তারা সবাই জবাব দিলেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যে তার নিজের সম্পদকে সবচেয়ে অধিক প্রিয় মনে করে না। তখন তিনি বললেনঃ নিশ্চয়ই মানুষের নিজের সম্পদ তা-ই, যা সে (সৎ কাজে ব্যয়ের মাধ্যমে) আগে পাঠিয়েছে। আর সে পিছনে যা রেখে যাবে তা তার ওয়ারিছের মাল। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৯২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৯৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/১৩. অধ্যায় :

(আল্লাহ্‌র পথে ব্যয়কুন্ঠ) ধনীরাই প্রকৃতপক্ষে গরীব ।

আল্লাহ্‌র বানী : যারা এ দুনিয়ার জীবন আর তার শোভা সৌন্দর্য কামনা করে, তাদেরকে এখানে তাদের কর্মের পুরোপুরি ফল আমি দিয়ে দেই, আর তাতে তাদের প্রতি কোন কমতি করা হয় না । কিন্তু আখিরাতে তাদের জন্য আগুন ছাড়া কিছুই নাই, এখানে যা কিছু তারা করেছে তা নিস্ফল হয়ে গেছে, আর তাদের যাবতীয় কাজকর্ম ব্যর্থ হয়ে গেছে । (সূরাহ হূদ ১১/১৫-১৬)

৬৪৪৩

قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ رُفَيْعٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ خَرَجْتُ لَيْلَةً مِنْ اللَّيَالِي فَإِذَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَمْشِي وَحْدَهُ وَلَيْسَ مَعَهُ إِنْسَانٌ قَالَ فَظَنَنْتُ أَنَّهُ يَكْرَهُ أَنْ يَمْشِيَ مَعَهُ أَحَدٌ قَالَ فَجَعَلْتُ أَمْشِي فِي ظِلِّ الْقَمَرِ فَالْتَفَتَ فَرَآنِي فَقَالَ مَنْ هَذَا قُلْتُ أَبُو ذَرٍّ جَعَلَنِي اللهُ فِدَاءَكَ قَالَ يَا أَبَا ذَرٍّ تَعَالَهْ قَالَ فَمَشَيْتُ مَعَهُ سَاعَةً فَقَالَ إِنَّ الْمُكْثِرِينَ هُمْ الْمُقِلُّونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِلاَّ مَنْ أَعْطَاهُ اللهُ خَيْرًا فَنَفَحَ فِيهِ يَمِينَهُ وَشِمَالَهُ وَبَيْنَ يَدَيْهِ وَوَرَاءَهُ وَعَمِلَ فِيهِ خَيْرًا قَالَ فَمَشَيْتُ مَعَهُ سَاعَةً فَقَالَ لِي اجْلِسْ هَا هُنَا قَالَ فَأَجْلَسَنِي فِي قَاعٍ حَوْلَهُ حِجَارَةٌ فَقَالَ لِي اجْلِسْ هَا هُنَا حَتَّى أَرْجِعَ إِلَيْكَ قَالَ فَانْطَلَقَ فِي الْحَرَّةِ حَتَّى لاَ أَرَاهُ فَلَبِثَ عَنِّي فَأَطَالَ اللُّبْثَ ثُمَّ إِنِّي سَمِعْتُهُ وَهُوَ مُقْبِلٌ وَهُوَ يَقُولُ وَإِنْ سَرَقَ وَإِنْ زَنَى قَالَ فَلَمَّا جَاءَ لَمْ أَصْبِرْ حَتَّى قُلْتُ يَا نَبِيَّ اللهِ جَعَلَنِي اللهُ فِدَاءَكَ مَنْ تُكَلِّمُ فِي جَانِبِ الْحَرَّةِ مَا سَمِعْتُ أَحَدًا يَرْجِعُ إِلَيْكَ شَيْئًا قَالَ ذَلِكَ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلاَم عَرَضَ لِي فِي جَانِبِ الْحَرَّةِ قَالَ بَشِّرْ أُمَّتَكَ أَنَّهُ مَنْ مَاتَ لاَ يُشْرِكُ بِاللهِ شَيْئًا دَخَلَ الْجَنَّةَ قُلْتُ يَا جِبْرِيلُ وَإِنْ سَرَقَ وَإِنْ زَنَى قَالَ نَعَمْ قَالَ قُلْتُ وَإِنْ سَرَقَ وَإِنْ زَنَى قَالَ نَعَمْ وَإِنْ شَرِبَ الْخَمْرَ قَالَ النَّضْرُ أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنَا حَبِيبُ بْنُ أَبِي ثَابِتٍ وَالأَعْمَشُ وَعَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ رُفَيْعٍ حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ وَهْبٍ بِهَذَا قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ حَدِيثُ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ مُرْسَلٌ لاَ يَصِحُّ إِنَّمَا أَرَدْنَا لِلْمَعْرِفَةِ وَالصَّحِيحُ حَدِيثُ أَبِي ذَرٍّ قِيلَ لأَ÷بِي عَبْدِ اللهِ حَدِيثُ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ قَالَ مُرْسَلٌ أَيْضًا لاَ يَصِحُّ وَالصَّحِيحُ حَدِيثُ أَبِي ذَرٍّ وَقَالَ اضْرِبُوا عَلَى حَدِيثِ أَبِي الدَّرْدَاءِ هَذَا إِذَا مَاتَ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ عِنْدَ الْمَوْتِ.

আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একবার রাতে আমি বের হলাম। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে একাকী হেঁটে যেতে দেখলাম, তাঁর সাথে অন্য লোক ছিল না। আমি মনে করলাম, তাঁর সাথে কেউ চলুক হয়ত তিনি তা অপছন্দ করবেন। তাই আমি চন্দ্রালোকের ছায়ায় তাঁর পেছনে পেছনে চলতে লাগলাম। তিনি পেছনে তাকিয়ে আমাকে দেখে ফেললেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কে এটা? আমি বললাম, আমি আবূ যার। আল্লাহ্‌ আপনার জন্য আমাকে উৎসর্গ করুন। তিনি বললেনঃ আবূ যার, এসো। আমি তাঁর সাথে কিছুক্ষণ চললাম। তারপর তিনি বললেনঃ ধনীরাই আসলে ক্বিয়ামাতের দিন গরীব। তবে যাকে আল্লাহ্‌ সম্পদ দান করেন এবং সে সম্পদকে তা ডানে, বামে, আগে ও পেছনে ব্যয় করে আর মঙ্গলজনক কাজে তা লাগায়, (সে ছাড়া)। তারপর আমি আরও কিছুক্ষণ তাঁর সঙ্গে চলার পর তিনি আমাকে বললেনঃ এখানে বস। (একথা বলে) তিনি আমাকে চারিদিকে পাহাড় বেষ্টিত একটি প্রান্তরে বসিয়ে দিয়ে বললেনঃ আমি ফিরে না আসা পর্যন্ত তুমি এখানেই বসে থেকো। তিনি বলেন, এরপর তিনি প্রস্তরময় প্রান্তরের দিকে চলে গেলেন। এমন কি তিনি আমার দৃষ্টির আড়ালে চলে গেলেন। এবং বেশ দীর্ঘক্ষণ অতিবাহিত হয়ে গেল। অতঃপর তিনি ফিরে আসার সময় আমি তাঁকে বলতে শুনলাম, যদিও সে চুরি করে, যদিও সে ব্যভিচার করে। তারপর তিনি যখন ফিরে এলেন, তখন আমি ধৈর্যহারা হয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আল্লাহ্ আমাকে আপনার জন্য উৎসর্গ করুন। আপনি এই পাথরময় প্রান্তরে কার সাথে কথা বললেন? আপনার কথার উত্তর দিতে কাউকে তো শুনলাম না। তখন তিনি বললেনঃ তিনি ছিলেন জিব্রীল (আঃ)। তিনি এই প্রস্তরময় প্রান্তরে আমার কাছে এসেছিলেন। তিনি বললেন, আপনার উম্মাতদের খোশ-খবর দিন যে, যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র সঙ্গে কাউকে শরীক না করে মারা যাবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আমি বললাম, হে জিব্রীল! যদিও সে চুরি করে, যিনা করে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমি বললাম : যদিও সে চুরি করে আর যিনা করে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আবার আমি বললাম : যদিও সে চুরি করে আর যিনা করে? তিনি বললেন, হ্যাঁ যদি সে শরাবও পান করে। নযর (রহঃ)….. আবূদ্‌ দারদা (রাঃ) থেকে এরকমই বর্ণনা করেছেন। আবূদ্‌ দারদা হতে আবূ সালিহের বর্ণনা মুরসাল, যা সহীহ নয়। আমরা পরিচয়ের জন্য এনেছি। ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন, তবে এ খোশ-খবর দেয়া হয়েছে, যদি সে তাওবাহ্ করে আর মৃত্যুর সময় ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্’ বলে। [১৪](আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৯৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৯৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৪] এ হাদীসের ব্যাখ্যা ৫৮৬৭ নং হাদীসের টিকায় দ্রষ্টব্য ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/১৪. অধ্যায় :

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণী : আমার জন্য উহুদ পাহাড় স্বর্ণ হয়ে যাক আমি তা পছন্দ করি না ।

৬৪৪৪

الْحَسَنُ بْنُ الرَّبِيعِ حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ عَنْ الأَعْمَشِ عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ قَالَ قَالَ أَبُو ذَرٍّ كُنْتُ أَمْشِي مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي حَرَّةِ الْمَدِينَةِ فَاسْتَقْبَلَنَا أُحُدٌ فَقَالَ يَا أَبَا ذَرٍّ قُلْتُ لَبَّيْكَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَا يَسُرُّنِي أَنَّ عِنْدِي مِثْلَ أُحُدٍ هَذَا ذَهَبًا تَمْضِي عَلَيَّ ثَالِثَةٌ وَعِنْدِي مِنْهُ دِينَارٌ إِلاَّ شَيْئًا أَرْصُدُهُ لِدَيْنٍ إِلاَّ أَنْ أَقُولَ بِهِ فِي عِبَادِ اللهِ هَكَذَا وَهَكَذَا وَهَكَذَا عَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ شِمَالِهِ وَمِنْ خَلْفِهِ ثُمَّ مَشَى فَقَالَ إِنَّ الأَكْثَرِينَ هُمْ الأَقَلُّونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِلاَّ مَنْ قَالَ هَكَذَا وَهَكَذَا وَهَكَذَا عَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ شِمَالِهِ وَمِنْ خَلْفِهِ وَقَلِيلٌ مَا هُمْ ثُمَّ قَالَ لِي مَكَانَكَ لاَ تَبْرَحْ حَتَّى آتِيَكَ ثُمَّ انْطَلَقَ فِي سَوَادِ اللَّيْلِ حَتَّى تَوَارَى فَسَمِعْتُ صَوْتًا قَدْ ارْتَفَعَ فَتَخَوَّفْتُ أَنْ يَكُونَ قَدْ عَرَضَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَرَدْتُ أَنْ آتِيَهُ فَذَكَرْتُ قَوْلَهُ لِي لاَ تَبْرَحْ حَتَّى آتِيَكَ فَلَمْ أَبْرَحْ حَتَّى أَتَانِي قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ لَقَدْ سَمِعْتُ صَوْتًا تَخَوَّفْتُ فَذَكَرْتُ لَهُ فَقَالَ وَهَلْ سَمِعْتَهُ قُلْتُ نَعَمْ قَالَ ذَاكَ جِبْرِيلُ أَتَانِي فَقَالَ مَنْ مَاتَ مِنْ أُمَّتِكَ لاَ يُشْرِكُ بِاللهِ شَيْئًا دَخَلَ الْجَنَّةَ قُلْتُ وَإِنْ زَنَى وَإِنْ سَرَقَ قَالَ وَإِنْ زَنَى وَإِنْ سَرَقَ.

যায়দ ইব্‌নু ওয়াহ্ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবূ যার (রাঃ) বলেন, একবার আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে মাদীনাহ্‌র প্রস্তরময় প্রান্তরে হেঁটে যাচ্ছিলাম। ইতোমধ্যে উহুদ আমাদের নজরে পড়ল। তখন তিনি বললেনঃ হে আবূ যার! আমি বললাম, আমি হাজির, হে আল্লাহ্‌র রসূল! তিনি বললেনঃ আমার নিকট এ উহুদ পরিমান স্বর্ণ হোক, আর তা ঋণ পরিশোধ করার জন্য রেখে দেয়া ছাড়া একটি দীনারও তা থেকে আমার কাছে জমা থাকুক আর এ অবস্থায় তিন দিন অতিবাহিত হোক তা আমাকে আনন্দ দিবে না। বরং আমি তা আল্লাহ্‌র বান্দাদের মধ্যে এভাবে এভাবে এভাবে বিলিয়ে দেব। তিনি তাঁর ডান দিকে, বাম দিকে, এবং পেছন দিয়ে ইশারা করলেন। এরপর তিনি সামনে অগ্রসর হয়ে আবার বললেনঃ জেনে রেখো, ধনের অধিকারীরাই ক্বিয়ামাতের দিন গরীব হবে। অবশ্য যারা এভাবে, এভাবে, এভাবে ডানে, বামে ও পেছনে ব্যয় করবে, তারা এর ব্যতিক্রম। কিন্ত এ রকম লোক খুবই কম। তারপর আমাকে বললেনঃ তুমি এখানে থাক। আমি ফিরে না আসা পর্যন্ত এ স্থান ত্যাগ কর না। অতঃপর তিনি রাতের আঁধারে চলে গেলেন। এমনকি আড়াল হয়ে গেলেন। এরপর আমি একটি উচ্চ আওয়াজ শুনলাম। এতে আমি ভীত হয়ে গেলাম যে, তিনি কোন বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন। কাজেই আমি তার কাছে যেতে মনস্থ করলাম। কিন্তু তখনই আমার প্রতি তাঁর কথা স্মরণ হল যে, আমি না আসা পর্যন্ত তুমি স্থান ত্যাগ কর না। তাই আমি সেদিকে আর গেলাম না। তিনি ফিরে আসলে আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমি একটা শব্দ শুনে ভীত হয়ে গিয়েছিলাম। তাঁকে ঘটনা বর্ণনা করলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন : তুমি কি শব্দ শুনেছ? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ ইনি জিব্রীল (আঃ)। তিনি আমার কাছে এসে বললেনঃ আপনার উম্মাতের কেউ আল্লাহ্‌র সাথে শরীক না করা অবস্থায় মারা গেলে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, যদি সে যিনা করে, যদি সে চুরি করে? তিনি বললেনঃ যদিও সে যিনা করে, যদিও সে চুরি করে। [১৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৯৪ , ইসলামিক ফাউন্ডেশন-৬০০০)

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৫] ধন-সম্পদ জমা করে না রেখে অধিক হারে দান করার জন্য এ হাদীসে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪৪৫

أَحْمَدُ بْنُ شَبِيبٍ حَدَّثَنَا أَبِي عَنْ يُونُسَ وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُتْبَةَ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم لَوْ كَانَ لِي مِثْلُ أُحُدٍ ذَهَبًا لَسَرَّنِي أَنْ لاَ تَمُرَّ عَلَيَّ ثَلاَثُ لَيَالٍ وَعِنْدِي مِنْهُ شَيْءٌ إِلاَّ شَيْئًا أَرْصُدُهُ لِدَيْنٍ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমার জন্য উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণও যদি হয় আর কিয়দংশ তিনদিন পার হবার পরও আমার কাছে থাকবে- তা আমাকে খুশী করবে না। তবে যদি ঋণ পরিশোধের জন্য হয় (তবে তা ভিন্ন কথা)।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৯৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০০১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/১৫. অধ্যায় :

প্রকৃত সচ্ছলতা হলো অন্তরের সচ্ছলতা ।

আল্লাহ্‌র বাণী : তারা কি ভেবে নিয়েছে, আমি যে তাদেরকে ধনৈশ্বর্য ও সন্তানাদির প্রাচুর্য দিয়ে সাহায্য করেছি…..করতে থাকবে, পর্যন্ত । (সূরা আল-মু’মিনূন ২৩/৫৫-৬৩)

৬৪৪৬

أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا أَبُو حَصِينٍ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَيْسَ الْغِنَى عَنْ كَثْرَةِ الْعَرَضِ وَلَكِنَّ الْغِنَى غِنَى النَّفْسِ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ধনের আধিক্য হলে ধনী হয় না, অন্তরের ধনীই প্রকৃত ধনী। [১৬][মুসলিম ১২/৪০, হাঃ ১০৫১, আহমাদ ৭৩২০] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৯৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০০২)

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬] আল্লাহ্‌র প্রতি ঈমান ও তাওয়াক্কুলই মানুষকে প্রকৃতপক্ষে ধনী অন্তঃকরণ দান করে, যার ফলে সে গরীব হয়েও দান করতে ভয় করে না । অপরপক্ষে আল্লাহ্‌র প্রতি যার বিশ্বাস ও নির্ভরতা দৃঢ় নয়, সে অগাধ সম্পদের অধিকারী হয়েও, গরীব হয়ে যাওয়ার ভয়ে দান করা থেকে বিরত থাকে ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/১৬. অধ্যায় :

দরিদ্রতার মাহাত্ম্য

৬৪৪৭

إِسْمَاعِيلُ قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ أَنَّهُ قَالَ مَرَّ رَجُلٌ عَلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لرَجُلٍ عِنْدَهُ جَالِسٌ مَا رَأْيُكَ فِي هَذَا فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ أَشْرَافِ النَّاسِ هَذَا وَاللهِ حَرِيٌّ إِنْ خَطَبَ أَنْ يُنْكَحَ وَإِنْ شَفَعَ أَنْ يُشَفَّعَ قَالَ فَسَكَتَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم ثُمَّ مَرَّ رَجُلٌ آخَرُ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم مَا رَأْيُكَ فِي هَذَا فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم هَذَا رَجُلٌ مِنْ فُقَرَاءِ الْمُسْلِمِينَ هَذَا حَرِيٌّ إِنْ خَطَبَ أَنْ لاَ يُنْكَحَ وَإِنْ شَفَعَ أَنْ لاَ يُشَفَّعَ وَإِنْ قَالَ أَنْ لاَ يُسْمَعَ لِقَوْلِهِ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم هَذَا خَيْرٌ مِنْ مِلْءِ الأَرْضِ مِثْلَ هَذَا.

সাহ্ল ইব্‌নু সা‘দ সা‘ঈদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পাশ দিয়ে গেলেন। তখন তিনি তাঁর কাছে উপবিষ্ট একজনকে জিজ্ঞেস করলেন, এ লোক সম্পর্কে তোমার অভিমত কী? তিনি বললেন, এ ব্যক্তি তো একজন সম্ভ্রান্ত বংশের লোক। আল্লাহ্‌র কসম! তিনি কোথাও বিয়ের প্রস্তাব দিলে তা গ্রহণ করা হবে। আর কারো জন্য সুপারিশ করলে তা শুনা হবে। তখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নীরব থাকলেন। অতঃপর আরেক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পাশ দিয়ে গেলেন। তখন রসূলল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপবিষ্ট লোকটিকে জিজ্ঞেস করলেন, এ ব্যক্তি সম্পর্কে তোমার অভিমত কী? তিনি বললেনঃ হে আল্লাহ্‌র রসূল! এ ব্যক্তি তো এক দরিদ্র মুসলিম। এ ব্যক্তি কোথাও বিয়ের প্রস্তাব দিলে তা গৃহীত হবে না। আর সে সুপারিশ করলে তা কবূলও হবে না। এবং যদি সে কথা বলে, তার কথা শুনাও হবে না। তখন রসূলল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ দুনিয়া ভরা আগের ব্যক্তির চেয়ে এ ব্যক্তি উত্তম। [১৭](আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৯৭ , ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০০৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৭] আল্লাহ্‌র নিকট প্রকৃত মর্যাদার বিষয় হল ঈমান । একজন নিঃস্ব ফকীর ঈমানদার ব্যক্তি দুনিয়া ভর্তি বিত্তশালী ঈমানহীন ব্যক্তির চেয়ে আল্লাহ্‌র নিকট শ্রেষ্ঠ ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪৪৮

الْحُمَيْدِيُّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا وَائِلٍ قَالَ عُدْنَا خَبَّابًا فَقَالَ هَاجَرْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نُرِيدُ وَجْهَ اللهِ فَوَقَعَ أَجْرُنَا عَلَى اللهِ فَمِنَّا مَنْ مَضَى لَمْ يَأْخُذْ مِنْ أَجْرِهِ مِنْهُمْ مُصْعَبُ بْنُ عُمَيْرٍ قُتِلَ يَوْمَ أُحُدٍ وَتَرَكَ نَمِرَةً فَإِذَا غَطَّيْنَا رَأْسَهُ بَدَتْ رِجْلاَهُ وَإِذَا غَطَّيْنَا رِجْلَيْهِ بَدَا رَأْسُهُ فَأَمَرَنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ نُغَطِّيَ رَأْسَهُ وَنَجْعَلَ عَلَى رِجْلَيْهِ شَيْئًا مِنْ الإِذْخِرِ وَمِنَّا مَنْ أَيْنَعَتْ لَهُ ثَمَرَتُهُ فَهُوَ يَهْدِبُهَا.

আবূ ওয়াহিল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একবার আমরা খাব্বাব (রাঃ)-এর শুশ্রূষায় গেলাম। তখন তিনি বললেনঃ আমরা আল্লাহ্‌র সন্তোষ অর্জনের জন্য নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে হিজরাত করেছি; শ্রমফল আল্লাহ্‌র কাছেই আমাদের প্রাপ্য। আমাদের মধ্যে অনেকেই এ শ্রমফল দুনিয়াতে লাভ করার আগেই ইন্তিকাল করেছেন। তন্মধ্যে মুস্‘আব ইব্‌নু ‘উমায়র (রাঃ), যিনি উহুদের যুদ্ধে শহীদ হন, তিনি শুধু একখানা কাপড় রেখে যান। আমরা কাফনের জন্য এটা দিয়ে তাঁর মাথা ঢাকলে পা বের হয়ে যেত এবং পা ঢাকলে মাথা বের হয়ে যেত। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের আদেশ দিলেন, তা দিয়ে মাথাটা ঢেকে দিতে এবং পায়ের উপর ‘ইয্‌খির’ ঘাস দিয়ে দিতে। আর আমাদের মধ্যে এমনও আছে, যাঁদের ফল পেকেছে এবং তারা তা সংগ্রহ করেছেন। [১৮](আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৯৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০০৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮] ঈমানদার ব্যক্তি তার সৎ আমলের প্রতিফল দুনিয়া ও আখিরাত উভয় স্থানে লাভ করবে । তবে হয়তো অনেকের ক্ষেত্রে সৎ আমলের প্রতিদান এ দুনিয়াতে পাওয়া নাও যেতে পারে, কিন্তু আখিরাতে নিঃসন্দেহে তা পাওয়া যাবে ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪৪৯

أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا سَلْمُ بْنُ زَرِيرٍ حَدَّثَنَا أَبُو رَجَاءٍ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ اطَّلَعْتُ فِي الْجَنَّةِ فَرَأَيْتُ أَكْثَرَ أَهْلِهَا الْفُقَرَاءَ وَاطَّلَعْتُ فِي النَّارِ فَرَأَيْتُ أَكْثَرَ أَهْلِهَا النِّسَاءَ تَابَعَهُ أَيُّوبُ وَعَوْفٌ وَقَالَ صَخْرٌ وَحَمَّادُ بْنُ نَجِيحٍ عَنْ أَبِي رَجَاءٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ.

ইমরান ইব্‌নু হুসায়ন (রাঃ থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি জান্নাতের মধ্যে ঝুঁকে দেখলাম, অধিকাংশ জান্নাতবাসী দরিদ্র আর আমি জাহান্নামের দিকে ঝুঁকে দেখলাম, অধিকাংশ জাহান্নামী মহিলা। [১৯] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৯৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০০৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

[১] اطَّلَعْتُ فِي الْجَنَّةِ فَرَأَيْتُ أَكْثَرَ أَهْلِهَا الْفُقَرَاءَ বর্ণনাটি সম্পদশালীর উপর দরিদ্রের ফযীলত অপরিহার্য করবে না। কারণ বর্ণনাটি দ্বারা উদ্দেশ্য হলো জান্নাতে ধনীদের তুলনায় দরিদ্রদের আধিক্যের সংবাদ প্রদান। যেমন কারো দুনিয়ার অবস্থা সম্পর্কে সংবাদ দেয়া যে, দুনিয়ার অধিকাংশ জনগোষ্ঠী দরিদ্র। সুতরাং জান্নাতে যাওয়ার মাপকাঠী দারিদ্র্য নয় বরং সততা। কেননা- দরিদ্র যদি সৎ ও ভাল না হয় তবে তাকে মর্যাদা দেয়া যাবে না। (ফাতহুল বারী)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪৫০

أَبُو مَعْمَرٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ قَالَ لَمْ يَأْكُلْ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَى خِوَانٍ حَتَّى مَاتَ وَمَا أَكَلَ خُبْزًا مُرَقَّقًا حَتَّى مَاتَ.

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মৃত্যু পর্যন্ত টেবিলের উপর আহার করেননি আর মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত পাতলা রুটি খেতে পাননি।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬০০০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০০৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪৫১

عَبْدُ اللهِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ لَقَدْ تُوُفِّيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَمَا فِي رَفِّي مِنْ شَيْءٍ يَأْكُلُهُ ذُو كَبِدٍ إِلاَّ شَطْرُ شَعِيرٍ فِي رَفٍّ لِي فَأَكَلْتُ مِنْهُ حَتَّى طَالَ عَلَيَّ فَكِلْتُهُ فَفَنِيَ

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইন্তিকাল করলেন। তখন যৎ সামান্য যব ছাড়া কোন প্রাণী খেতে পারে এমন কিছু আমার তাকের উপর ছিল না। তাত্থেকে বেশ কিছুদিন খেলাম। একবার মেপে নিলাম, তখন তা শেষ হয়ে গেল।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬০০১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০০৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/১৭. অধ্যায় :

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর সহাবীগণের জীবন যাপন কিরূপ ছিল এবং তাঁরা দুনিয়া থেকে কী অবস্থায় বিদায় নিলেন ।

৬৪৫২

أَبُو نُعَيْمٍ بِنَحْوٍ مِنْ نِصْفِ هَذَا الْحَدِيثِ حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ ذَرٍّ حَدَّثَنَا مُجَاهِدٌ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ كَانَ يَقُولُ أَاللهِ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ إِنْ كُنْتُ لأعْتَمِدُ بِكَبِدِي عَلَى الأَرْضِ مِنْ الْجُوعِ وَإِنْ كُنْتُ لأشُدُّ الْحَجَرَ عَلَى بَطْنِي مِنْ الْجُوعِ وَلَقَدْ قَعَدْتُ يَوْمًا عَلَى طَرِيقِهِمْ الَّذِي يَخْرُجُونَ مِنْهُ فَمَرَّ أَبُو بَكْرٍ فَسَأَلْتُهُ عَنْ آيَةٍ مِنْ كِتَابِ اللهِ مَا سَأَلْتُهُ إِلاَّ لِيُشْبِعَنِي فَمَرَّ وَلَمْ يَفْعَلْ ثُمَّ مَرَّ بِي عُمَرُ فَسَأَلْتُهُ عَنْ آيَةٍ مِنْ كِتَابِ اللهِ مَا سَأَلْتُهُ إِلاَّ لِيُشْبِعَنِي فَمَرَّ فَلَمْ يَفْعَلْ ثُمَّ مَرَّ بِي أَبُو الْقَاسِمِ صلى الله عليه وسلم فَتَبَسَّمَ حِينَ رَآنِي وَعَرَفَ مَا فِي نَفْسِي وَمَا فِي وَجْهِي ثُمَّ قَالَ يَا أَبَا هِرٍّ قُلْتُ لَبَّيْكَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ الْحَقْ وَمَضَى فَتَبِعْتُهُ فَدَخَلَ فَاسْتَأْذَنَ فَأَذِنَ لِي فَدَخَلَ فَوَجَدَ لَبَنًا فِي قَدَحٍ فَقَالَ مِنْ أَيْنَ هَذَا اللَّبَنُ قَالُوا أَهْدَاهُ لَكَ فُلاَنٌ أَوْ فُلاَنَةُ قَالَ أَبَا هِرٍّ قُلْتُ لَبَّيْكَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ الْحَقْ إِلَى أَهْلِ الصُّفَّةِ فَادْعُهُمْ لِي قَالَ وَأَهْلُ الصُّفَّةِ أَضْيَافُ الإِسْلاَمِ لاَ يَأْوُونَ إِلَى أَهْلٍ وَلاَ مَالٍ وَلاَ عَلَى أَحَدٍ إِذَا أَتَتْهُ صَدَقَةٌ بَعَثَ بِهَا إِلَيْهِمْ وَلَمْ يَتَنَاوَلْ مِنْهَا شَيْئًا وَإِذَا أَتَتْهُ هَدِيَّةٌ أَرْسَلَ إِلَيْهِمْ وَأَصَابَ مِنْهَا وَأَشْرَكَهُمْ فِيهَا فَسَاءَنِي ذَلِكَ فَقُلْتُ وَمَا هَذَا اللَّبَنُ فِي أَهْلِ الصُّفَّةِ كُنْتُ أَحَقُّ أَنَا أَنْ أُصِيبَ مِنْ هَذَا اللَّبَنِ شَرْبَةً أَتَقَوَّى بِهَا فَإِذَا جَاءَ أَمَرَنِي فَكُنْتُ أَنَا أُعْطِيهِمْ وَمَا عَسَى أَنْ يَبْلُغَنِي مِنْ هَذَا اللَّبَنِ وَلَمْ يَكُنْ مِنْ طَاعَةِ اللهِ وَطَاعَةِ رَسُولِهِ صلى الله عليه وسلم بُدٌّ فَأَتَيْتُهُمْ فَدَعَوْتُهُمْ فَأَقْبَلُوا فَاسْتَأْذَنُوا فَأَذِنَ لَهُمْ وَأَخَذُوا مَجَالِسَهُمْ مِنْ الْبَيْتِ قَالَ يَا أَبَا هِرٍّ قُلْتُ لَبَّيْكَ يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ خُذْ فَأَعْطِهِمْ قَالَ فَأَخَذْتُ الْقَدَحَ فَجَعَلْتُ أُعْطِيهِ الرَّجُلَ فَيَشْرَبُ حَتَّى يَرْوَى ثُمَّ يَرُدُّ عَلَيَّ الْقَدَحَ فَأُعْطِيهِ الرَّجُلَ فَيَشْرَبُ حَتَّى يَرْوَى ثُمَّ يَرُدُّ عَلَيَّ الْقَدَحَ فَيَشْرَبُ حَتَّى يَرْوَى ثُمَّ يَرُدُّ عَلَيَّ الْقَدَحَ حَتَّى انْتَهَيْتُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ رَوِيَ الْقَوْمُ كُلُّهُمْ فَأَخَذَ الْقَدَحَ فَوَضَعَهُ عَلَى يَدِهِ فَنَظَرَ إِلَيَّ فَتَبَسَّمَ فَقَالَ أَبَا هِرٍّ قُلْتُ لَبَّيْكَ يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ بَقِيتُ أَنَا وَأَنْتَ قُلْتُ صَدَقْتَ يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ اقْعُدْ فَاشْرَبْ فَقَعَدْتُ فَشَرِبْتُ فَقَالَ اشْرَبْ فَشَرِبْتُ فَمَا زَالَ يَقُولُ اشْرَبْ حَتَّى قُلْتُ لاَ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا أَجِدُ لَهُ مَسْلَكًا قَالَ فَأَرِنِي فَأَعْطَيْتُهُ الْقَدَحَ فَحَمِدَ اللهَ وَسَمَّى وَشَرِبَ الْفَضْلَةَ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলতেন : আল্লাহ্‌র কসম! যিনি ব্যতীত কোন মাবূদ নেই। আমি ক্ষুধার তাড়নায় উপুড় হয়ে পড়ে থাকতাম। আর কখনও পেটে পাথর বেঁধে রাখতাম। একদিন আমি (ক্ষুধার যন্ত্রণায় বাধ্য হয়ে) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও সাহাবীগণের রাস্তায় বসে থাকলাম। আবূ বকর (রাঃ) যাচ্ছিলেন। আমি কুরআনের একটা আয়াত সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম। আমি তাঁকে প্রশ্ন করলাম এই উদ্দেশ্যে যে, তিনি আমাকে পরিতৃপ্ত করে খাওয়াবেন। কিন্তু তিনি কিছু করলেন না। অতঃপর ‘উমার (রাঃ) যাচ্ছিলেন। আমি তাঁকে কুরআনের একটি আয়াত সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম। আমি প্রশ্ন করলাম এ উদ্দেশ্যে যে, তিনি আমাকে পরিতৃপ্ত করে খাওয়াবেন। কিন্তু তিনি চলে গেলেন। কিছু করলেন না। অতঃপর আবুল কাসিম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যাচ্ছিলেন। তিনি আমাকে দেখেই মুচ্‌কি হাসলেন এবং আমার প্রাণের এবং আমার চেহারার অবস্থা কী তিনি তা আঁচ করতে পারলেন। অতঃপর বললেন, হে আবূ হির! আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমি হাযির, তিনি বললেনঃ তুমি আমার সঙ্গে চল। এ বলে তিনি চললেন, আমিও তাঁর অনুসরণ করলাম। তিনি ঘরে প্রবেশের অনুমতি চাইলেন এবং আমাকে প্রবেশের অনুমতি দিলেন। তারপর তিনি ঘরে প্রবেশ করে একটি পেয়ালায় কিছু দুধ পেলেন। তিনি বললেনঃ এ দুধ কোত্থেকে এসেছে? তাঁরা বললেন, এটা আপনাকে অমুক পুরুষ বা অমুক মহিলা হাদিয়া দিয়েছেন। তিনি বললেনঃ হে আবূ হির! আমি বললাম, আমি হাযির হে আল্লাহ্‌র রসূল! তুমি সুফ্ফাবাসীদের কাছে যাও এবং তাদেরকে আমার কাছে ডেকে নিয়ে এসো। রাবী বলেন, সুফ্ফাবাসীরা ছিলেন ইসলামের মেহমান। তাদের ছিল না কোন পরিবার, ছিল না কোন সম্পদ এবং কারো উপর ভরসা করার মত তাদের কেউ ছিল না। যখন তাঁর কাছে কোন সদাকাহ আসত তখন তিনি তা তাদের কাছে পাঠিয়ে দিতেন। তিনি এর থেকে কিছুই গ্রহণ করতেন না। আর যখন কোন হাদিয়া আসত, তখন তার কিছু অংশ তাদেরকে দিয়ে দিতেন এবং নিজের জন্য কিছু রাখতেন। এর মধ্যে তাদেরকে শরীক করতেন। এ আদেশ শুনে আমি নিরাশ হয়ে গেলাম। মনে মনে ভাবলাম যে, এ সামান্য দুধ দ্বারা সুফ্ফাবাসীদের কী হবে? এ সামান্য দুধ আমার জন্যই যথেষ্ট হতো। এটা পান করে আমার শরীরে শক্তি আসত। যখন তাঁরা এসে গেলেন, তখন তিনি আমাকে আদেশ দিলেন, আমিই যেন তাঁদেরকে দেই। আর আমার আশা রইল না যে, এ দুধ থেকে আমি কিছু পাব। কিন্তু আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসুলের নির্দেশ না মেনে কোন উপায় নেই। তাই তাঁদের কাছে গিয়ে তাঁদেরকে ডেকে আনলাম। তাঁরা এসে ভেতরে প্রবেশ করার অনুমতি চাইলে তিনি অনুমতি দিলেন। তাঁরা এসে আসন গ্রহণ করলেন। তিনি বললেনঃ হে আবূ হির! আমি বললাম, আমি হাযির হে আল্লাহ্‌র রসূল! তিনি বললেন, তুমি পেয়ালাটি নাও আর তাদেরকে দাও। আমি পেয়ালা নিয়ে একজনকে দিলাম। তিনি তা তৃপ্ত হয়ে পান করে পেয়ালাটি আমাকে ফিরিয়ে দিলেন। আমি আরেকজনকে পেয়ালাটি দিলাম। তিনিও তৃপ্ত হয়ে পান করে পেয়ালাটি আমাকে ফিরিয়ে দিলেন। এমন কি আমি এভাবে দিতে দিতে শেষতক নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পর্যন্ত পৌছলাম। তাঁরা সবাই তৃপ্ত হলেন। তারপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পেয়ালাটি নিজ হাতে নিয়ে রেখে মৃদু হাসলেন। আর বললেনঃ হে আবূ হির! আমি বললাম, আমি হাযির, হে আল্লাহ্‌র রসূল! তিনি বললেনঃ এখন তো আমি আছি আর তুমি আছ। আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আপনি ঠিক বলেছেন। তিনি বললেন, এখন তুমি বস এবং পান কর। তখন আমি বসে পান করলাম। তিনি বললেন, তুমি আরও পান কর। আমি আরও পান করলাম। তিনি আমাকে পান করার নির্দেশ দিতেই থাকলেন। এমন কি আমি বললাম যে, আর না। যে সত্তা আপনাকে সত্য দ্বীনসহ পাঠিয়েছেন, তাঁর কসম। আমার পেটে আর জায়গা পাচ্ছি না। তিনি বললেন, তাহলে আমাকে দাও। আমি পেয়ালাটি তাঁকে দিলাম। তিনি আল্লাহ্‌র প্রশংসা করলেন ও বিসমিল্লাহ্ বলে বাকী পান করলেন। [২০](আধুনিক প্রকাশনী- ৬০০২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০০৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

[২০] হাদীসটি হতে জানা যায় : (১) বসে পান করা মুস্তাহাব । (২) মেহমানদের কিছু পান করানোর সময় খাদিম নিজে পরিবেশন না করে পাত্র তাদের হাতে এভাবে ছেড়ে দেয়া যে, একজনের পান করা শেষ হলে সে তার পাশের সাথীকে পান করতে দিবে, এটা উচিত নয় । কেননা এটা মেহমানকে অসম্মানের শামিল । (৩) এর মধ্যে বিরাট মু’জিযা নিহিত রয়েছে । (৪) অভাব অনটনের কথা প্রকাশ করা ও ঘোষনা দেয়া থেকে তা গোপন রাখা বা এর ইঙ্গিত দেয়া শ্রেষ্ঠতর । (৫) রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উদারতা ও তাঁর নিজের, তাঁর খাদিমের ও তাঁর পরিবার পরিজনের স্বার্থ ত্যাগ । (৬) নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর যুগে কিছু কিছু সাহাবীর অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল সঙ্কটময় । (৭) আহলে সুফ্ফার ফযীলাত । (৮) আমন্ত্রিত ব্যক্তি আমন্ত্রণকারীর বাড়ীতে এসে বিনা অনুমতিতে যেন বাড়ীতে প্রবেশ না করে । (৯) আবু বাক্‌র (রাঃ) ও উমার (রাঃ); নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সর্ব সময়ের সহযোগী-এর প্রমাণ বহন করে । (১০) বড়রা তাদের খাদেমের উপনাম ধরে ডাকতে পারে । (১১) কাউকে ডাকার সময় নাম সংক্ষিপ্ত করা যায় । যেমন আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ)-কে রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইয়া আবা হির্ বলে ডাকতেন । (১২) নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাদীয়া বা উপঢৌকন গ্রহন করতেন এবং খেতেন । কিন্তু সাদাকা খেতেন না বরং তা হক্বদারদের মাঝে বন্টন করে দিতেন । (১৩) আহবানকারীর ডাকে সাড়া দিতে সম্বোধিত ব্যক্তি ‘লাব্বাইকা’ বলা । (১৪) খাদিমকে মালিকের ঘরে প্রবেশকালে অনুমতি নিতে হবে । (১৫) পরিবেশনকারী শেষে পান করবে আর বাড়ীর মালিক তার পরে পান করবে । (ফাতহুল বারী)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪৫৩

مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا قَيْسٌ قَالَ سَمِعْتُ سَعْدًا يَقُولُ إِنِّي لأوَّلُ الْعَرَبِ رَمَى بِسَهْمٍ فِي سَبِيلِ اللهِ وَرَأَيْتُنَا نَغْزُو وَمَا لَنَا طَعَامٌ إِلاَّ وَرَقُ الْحُبْلَةِ وَهَذَا السَّمُرُ وَإِنَّ أَحَدَنَا لَيَضَعُ كَمَا تَضَعُ الشَّاةُ مَا لَهُ خِلْطٌ ثُمَّ أَصْبَحَتْ بَنُو أَسَدٍ تُعَزِّرُنِي عَلَى الإِسْلاَمِ خِبْتُ إِذًا وَضَلَّ سَعْيِي.

কায়স (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

কায়স (রহঃ) বর্ণনা করেন, আমি সা‘দ ইব্‌নু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, আমিই সর্বপ্রথম আরব যে আল্লাহ্‌র পথে তীর নিক্ষেপ করেছে। যুদ্ধের সময় আমাদের অবস্থা দেখেছি যে হুবলা পাতা ও ঝাউগাছ ব্যতীত খাবারের কিছুই ছিল না। আমাদের মল বকরির মলের মত হয়ে গিয়েছিল। যা ছিল সম্পূর্ন শুক্‌নো। আর এখন আবার বনূ আসাদ এসে ইসলামের উপর চলার জন্য আমাকে তিরস্কার করছে। এখন আমি শংকিত যে আমার পূর্বেকার চেষ্টা সাধনা ব্যর্থ হয়ে গেল।[মুসলিম পর্ব ৫৩/হাঃ ২৯৬৬, আহমাদ ১৪৯৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০০৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০০৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪৫৪

عُثْمَانُ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ الأَسْوَدِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ مَا شَبِعَ آلُ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم مُنْذُ قَدِمَ الْمَدِينَةَ مِنْ طَعَامِ بُرٍّ ثَلاَثَ لَيَالٍ تِبَاعًا حَتَّى قُبِضَ.

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আয়িশাহ (রাঃ) বর্ণনা করেন, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পরিবারবর্গ মদিনায় আসার পর থেকে এক নাগাড়ে তিন দিন গমের রুটি পরিতৃপ্ত হয়ে খাননি। এবং এ অবস্থায় তাঁর ওফাত হয়ে গেল। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০০৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০১০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪৫৫

إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ هُوَ الأَزْرَقُ عَنْ مِسْعَرِ بْنِ كِدَامٍ عَنْ هِلاَلٍ الْوَزَّانِ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ مَا أَكَلَ آلُ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم أَكْلَتَيْنِ فِي يَوْمٍ إِلاَّ إِحْدَاهُمَا تَمْرٌ.

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পরিবারবর্গ একদিনে দু’বেলা খানা খেয়ে একবেলা শুধু খুর্মা খেয়েই কাটিয়ে দিতেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬০০৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০১১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪৫৬

أَحْمَدُ ابْنُ أَبِي رَجَاءٍ حَدَّثَنَا النَّضْرُ عَنْ هِشَامٍ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبِي عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ فِرَاشُ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَدَمٍ وَحَشْوُهُ مِنْ لِيفٍ.

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বিছানা ছিল চামড়ার তৈরী এবং তার ভেতরে ছিল খেজুরের ছাল (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০০৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০১২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪৫৭

هُدْبَةُ بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا هَمَّامُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا قَتَادَةُ قَالَ كُنَّا نَأْتِي أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ وَخَبَّازُهُ قَائِمٌ وَقَالَ كُلُوا فَمَا أَعْلَمُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَأَى رَغِيفًا مُرَقَّقًا حَتَّى لَحِقَ بِاللهِ وَلاَ رَأَى شَاةً سَمِيطًا بِعَيْنِهِ قَطُّ.

ক্বাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ)-এর কাছে এমন অবস্থায় গেলাম যে, তাঁর পাচক (মেহমানদারির জন্য) ছিল দাঁড়ানো। আনাস (রাঃ) বললেন, আপনারা খান। আমি জানি না, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইন্তিকালের সময় পর্যন্ত পাতলা রুটি দেখেছেন কিনা। আর তিনি কখনও ভুনা বকরির গোশত্‌ দেখেননি।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬০০৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০১৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪৫৮

مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا يَحْيَى حَدَّثَنَا هِشَامٌ أَخْبَرَنِي أَبِي عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ يَأْتِي عَلَيْنَا الشَّهْرُ مَا نُوقِدُ فِيهِ نَارًا إِنَّمَا هُوَ التَّمْرُ وَالْمَاءُ إِلاَّ أَنْ نُؤْتَى بِاللُّحَيْمِ.

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমাদের উপর দিয়ে মাস কেটে যেত, আমরা এর মধ্যে ঘরে (রান্নার) আগুন জ্বালাতাম না। আমরা কেবল খুরমা ও পানির উপর চলতাম। তবে যৎ সামান্য গোশত্‌ আমাদের নিকট এসে যেত। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০০৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০১৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪৫৯

عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللهِ الْأُوَيْسِيُّ حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي حَازِمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ يَزِيدَ بْنِ رُومَانَ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا قَالَتْ لِعُرْوَةَ ابْنَ أُخْتِي إِنْ كُنَّا لَنَنْظُرُ إِلَى الْهِلاَلِ ثَلاَثَةَ أَهِلَّةٍ فِي شَهْرَيْنِ وَمَا أُوقِدَتْ فِي أَبْيَاتِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم نَارٌ فَقُلْتُ مَا كَانَ يُعِيشُكُمْ قَالَتْ الأَسْوَدَانِ التَّمْرُ وَالْمَاءُ إِلاَّ أَنَّهُ قَدْ كَانَ لِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم جِيرَانٌ مِنْ الأَنْصَارِ كَانَ لَهُمْ مَنَائِحُ وَكَانُوا يَمْنَحُونَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم مِنْ أَبْيَاتِهِمْ فَيَسْقِينَاهُ.

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি একবার ‘উরওয়াহ (রাঃ)-কে বললেন, বোন পুত্র! আমরা দু’মাসে তিনটি নতুন চাঁদ দেখতাম। কিন্তু (এর মধ্যে) আল্লাহ্‌র রাসূলের ঘরগুলোতে আগুন জ্বলত না। আমি বলললাম, আপনারা কিভাবে দিনাতিপাত করতেন? তিনি বললেন, কালো দু’টি বস্তু। খেজুর আর পানি। অবশ্য রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কিছু আনসার প্রতিবেশীর কতকগুলো দুধেল প্রাণী ছিল। তারা রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তা দিত। আর আমরা তাই পান করতাম। [২১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০০৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০১৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

[২১] ৬৪৪৯ হতে ৬৪৫৯ নং হাদীসগুলো ধনীদের জন্য সাবধানবাণী ও দরিদ্রদের জন্য সুসংবাদবাহী । ধনী ব্যক্তিরা যেন মনে না করেন যে, আল্লাহ্‌ তাদের প্রতি খুব সন্তুষ্ট, এজন্য তাদেরকে ধনী বানিয়ে দিয়েছেন । কারণ একজন মুসলিমের জন্য দুনিয়া লাভ করা মূখ্য বিষয় নয় বরং মূখ্য বিষয় হচ্ছে আখেরাতে জান্নাত লাভ করা । আর আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর সাহাবীদের চেয়ে আল্লাহ্‌র নিকট অধিক প্রিয় আর কে হবে? কিন্তু তাঁরা ছিলেন অত্যন্ত গরীব । এ রকম গরীব ঈমানদার লোক দিয়েই জান্নাতকে পূর্ণ করা হবে । (ফাতহুল বারী)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪৬০

عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عُمَارَةَ عَنْ أَبِي زُرْعَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم اللهُمَّ ارْزُقْ آلَ مُحَمَّدٍ قُوتًا.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু‘আ করতেন : হে আল্লাহ্‌! মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পরিবারবর্গকে জীবিকা দান কর।[মুসলিম ১২/৪৩, হাঃ ১০৫৫, আহমাদ ১০২৪১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০১০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০১৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/১৮. অধ্যায় :

আমলে মাঝারি পন্থা গ্রহণ এবং নিয়মিত কাজ সম্পাদন

৬৪৬১

عَبْدَانُ أَخْبَرَنَا أَبِي عَنْ شُعْبَةَ عَنْ أَشْعَثَ قَالَ سَمِعْتُ أَبِي قَالَ سَمِعْتُ مَسْرُوقًا قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ أَيُّ الْعَمَلِ كَانَ أَحَبَّ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ الدَّائِمُ قَالَ قُلْتُ فَأَيَّ حِينٍ كَانَ يَقُومُ قَالَتْ كَانَ يَقُومُ إِذَا سَمِعَ الصَّارِخَ.

মাসরূক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি ‘আয়িশাহ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে কোন্‌ ‘আমাল সবচেয়ে বেশি প্রিয় ছিল? তিনি বললেন, যা সর্বদা নিয়মিত করা হয়। আমি বললাম, তিনি রাতে কখন উঠতেন? তিনি বললেন, তিনি উঠতেন যখন তিনি মোরগের ডাক শুনতেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬০১১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০১৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪৬২

قُتَيْبَةُ عَنْ مَالِكٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا قَالَتْ كَانَ أَحَبُّ الْعَمَلِ إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم الَّذِي يَدُومُ عَلَيْهِ صَاحِبُهُ.

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে সবচেয়ে বেশি প্রিয় ছিল সে ‘আমাল যা সব সময় নিয়মিত করা হয়। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০১২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০১৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪৬৩

آدَمُ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم لَنْ يُنَجِّيَ أَحَدًا مِنْكُمْ عَمَلُهُ قَالُوا وَلاَ أَنْتَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ وَلاَ أَنَا إِلاَّ أَنْ يَتَغَمَّدَنِي اللهُ بِرَحْمَةٍ سَدِّدُوا وَقَارِبُوا وَاغْدُوا وَرُوحُوا وَشَيْءٌ مِنْ الدُّلْجَةِ وَالْقَصْدَ الْقَصْدُ تَبْلُغُوا.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কস্মিনকালেও তোমাদের কাউকে তার নিজের ‘আমাল কক্ষনো নাজাত দিবে না। তাঁরা বললেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আপনাকেও না? তিনি বললেনঃ আমাকেও না। তবে আল্লাহ্‌ আমাকে তাঁর রহমত দিয়ে আবৃত রেখেছেন। তোমরা যথারীতি ‘আমাল করে নৈকট্য লাভ কর। তোমরা সকালে, বিকালে এবং রাতের শেষভাগে আল্লাহ্‌র ইবাদাত কর। মধ্য পন্থা অবলম্বন কর। মধ্য পন্থা তোমাদেরকে লক্ষ্যে পৌঁছাবে। [২২][৩৯; মুসলিম ৫০/১৭, হাঃ ২৮১৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০১৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০১৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

[২২] হাদীসটি প্রমাণ করে যে, আল্লাহ্‌র রহমত ব্যতীত শুধু আমলের দ্বারা কেউ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না । (ফাতহুল বারী)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪৬৪

عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ سَدِّدُوا وَقَارِبُوا وَاعْلَمُوا أَنْ لَنْ يُدْخِلَ أَحَدَكُمْ عَمَلُهُ الْجَنَّةَ وَأَنَّ أَحَبَّ الأَعْمَالِ إِلَى اللهِ أَدْوَمُهَا وَإِنْ قَلَّ.

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা ঠিকভাবে নিষ্ঠাসহ কাজ করে নৈকট্য লাভ কর। জেনে রেখ, তোমাদের কাউকে তার ‘আমাল জান্নাতে প্রবেশ করাবে না এবং আল্লাহ্‌র কাছে সর্বাধিক প্রিয় ‘আমাল হলো, যা সদাসর্বদা নিয়মিত করা হয় যদিও তা অল্প হয়। [৬৪৬৭; মুসলিম ৫০/১৭, হাঃ ২৮১৮, আহমাদ ২৪৯৯৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০১৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০২০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪৬৫

مُحَمَّدُ بْنُ عَرْعَرَةَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا قَالَتْ سُئِلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَيُّ الأَعْمَالِ أَحَبُّ إِلَى اللهِ قَالَ أَدْوَمُهَا وَإِنْ قَلَّ وَقَالَ اكْلَفُوا مِنْ الأَعْمَالِ مَا تُطِيقُونَ.

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করা হলো, আল্লাহ্‌র কাছে সর্বাধিক প্রিয় ‘আমাল কি? তিনি বললেনঃ যে ‘আমাল সদাসর্বদা নিয়মিত করা হয়। যদিও তা অল্প হয়। তিনি আরও বললেন, তোমরা সাধ্যের অতীত কাজ নিজের উপর চাপিয়ে নিও না। [২৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০১৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০২১)

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৩] এখানে পরস্পর কয়েকটি হাদীসে সৎ আমলের ধারাবাহিকতা বা স্থায়ীত্বের উপর উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে, যদিও সৎ আমলগুলো অল্প হয় । (ফাতহুল বারী)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪৬৬

عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَلْقَمَةَ قَالَ سَأَلْتُ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةَ قُلْتُ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ كَيْفَ كَانَ عَمَلُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم هَلْ كَانَ يَخُصُّ شَيْئًا مِنْ الأَيَّامِ قَالَتْ لاَ كَانَ عَمَلُهُ دِيمَةً وَأَيُّكُمْ يَسْتَطِيعُ مَا كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَسْتَطِيعُ.

আলক্বামাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি উম্মুল মু’মিনীন ‘আয়িশাহ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ‘আমাল কেমন ছিল? তিনি কি কোন ইবাদাতের জন্য কোন দিন নির্দিষ্ট করতেন? তিনি বললেন, না। তাঁর ‘আমাল ছিল সার্বক্ষনিক ও নিয়মিত। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা করতে পারতেন, তোমাদের মধ্যে এমন কে আছে যে তা করতে পারবে? (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০১৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০২২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪৬৭

عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الزِّبْرِقَانِ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ عَنْ عَائِشَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ سَدِّدُوا وَقَارِبُوا وَأَبْشِرُوا فَإِنَّهُ لاَ يُدْخِلُ أَحَدًا الْجَنَّةَ عَمَلُهُ قَالُوا وَلاَ أَنْتَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ وَلاَ أَنَا إِلاَّ أَنْ يَتَغَمَّدَنِي اللهُ بِمَغْفِرَةٍ وَرَحْمَةٍ قَالَ أَظُنُّهُ عَنْ أَبِي النَّضْرِ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ عَائِشَةَ وَقَالَ عَفَّانُ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ عَنْ عَائِشَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم سَدِّدُوا وَأَبْشِرُوا قَالَ مُجَاهِدٌ قَوْلاً سَدِيدًا وَسَدَادًا صِدْقًا.

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেনঃ তোমরা ঠিক ঠিকভাবে নিয়মিত কাজ করে যাও। আর সুসংবাদ নাও। কিন্তু (জেনে রেখো) কারো ‘আমাল তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে না। তাঁরা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনাকেও না? তিনি বললেনঃ আমাকেও না। তবে আল্লাহ্ আমাকে তাঁর ক্ষমা ও রহমতে আবৃত রেখেছেন। তিনি বলেছেন, এটি আমি ধারণা করছি আবূ নায্র….. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। ‘আফ্ফান (রহ.)….. ‘আয়িশাহ (রাঃ)…..নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তোমরা যথাযথ ‘আমাল কর আর সুসংবাদ নাও। মুজাহিদ বলেছেন, سَدِيدًا وَسَدَادًا শব্দগুলোর অর্থ সত্য। [৬৪৬৪] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০১৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০২৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪৬৮

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُلَيْحٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ هِلاَلِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ سَمِعْتُهُ يَقُولُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى لَنَا يَوْمًا الصَّلاَةَ، ثُمَّ رَقِيَ الْمِنْبَرَ فَأَشَارَ بِيَدِهِ قِبَلَ قِبْلَةِ الْمَسْجِدِ، فَقَالَ ‏ “‏ قَدْ أُرِيتُ الآنَ ـ مُنْذُ صَلَّيْتُ لَكُمُ الصَّلاَةَ ـ الْجَنَّةَ وَالنَّارَ مُمَثَّلَتَيْنِ فِي قُبُلِ هَذَا الْجِدَارِ، فَلَمْ أَرَ كَالْيَوْمِ فِي الْخَيْرِ وَالشَّرِّ، فَلَمْ أَرَ كَالْيَوْمِ فِي الْخَيْرِ وَالشَّرِّ ‏”‏‏.‏

আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদিন আমাদেরকে নিয়ে সলাত আদায় করলেন। এরপর মিম্বারে উঠলেন এবং মাসজিদের কিবলার দিকে হাত দিয়ে ইংগিত করে বললেনঃ এইমাত্র যখন আমি তোমাদের নিয়ে সলাত আদায় করছিলাম, তখন এ দেয়ালের সামনে আমাকে জান্নাত ও জাহান্নাম দেখানো হলো। আমি অদ্যকার ন্যায় ভাল ও মন্দ আর কোন দিন দেখিনি। কথাটি দু’বার বললেন। [২৪](আধুনিক প্রকাশনী- ৬০১৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০২৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৪] আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের মতই রক্ত মাংসের মানুষ হওয়া সত্ত্বেও তিনি মানুষকে যে সত্যের দিকে আহবান জানাতেন তা তাঁকে হর হামেশাই দেখানো হত । ফেরেশতাদের শ্রেষ্ঠ জিবরীল তাঁর কাছে সব সময় আসতেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জান্নাত-জাহান্নাম দেখানো হত । তদুপরি তাঁকে সাত আসমানের উপরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং তিনি পূর্ববর্তী অনেক নাবীকে দেখেছেন, পরকালের বহু দৃশ্যাবলী তাঁকে দেখানো হয়েছে, তাঁকে জান্নাতী খাবারও খাওয়ানো হয়েছে ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/১৯. অধ্যায় :

ভয়ের সঙ্গে আশা রাখা ।

সুফ্ইয়ান (রহঃ) বলেন, কুরআনের মধ্যে আমার কাছে এত্থেকে কঠিন আয়াত দ্বিতীয়টি নেই : তাওরাত, ইঞ্জিল আর তোমাদের রবের নিকট হতে যা তোমাদের প্রতি নাযিল হয়েছে তার বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠিত না করা পর্যন্ত তোমরা কোন ভিত্তির উপরই দণ্ডায়মান নও । (সূরাহ মায়িদাহ ৫/৬৮)

৬৪৬৯

قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَقُولُ إِنَّ اللهَ خَلَقَ الرَّحْمٰةَ يَوْمَ خَلَقَهَا مِائَةَ رَحْمَةٍ فَأَمْسَكَ عِنْدَهُ تِسْعًا وَتِسْعِينَ رَحْمَةً وَأَرْسَلَ فِي خَلْقِهِ كُلِّهِمْ رَحْمَةً وَاحِدَةً فَلَوْ يَعْلَمُ الْكَافِرُ بِكُلِّ الَّذِي عِنْدَ اللهِ مِنْ الرَّحْمٰةِ لَمْ يَيْئَسْ مِنْ الْجَنَّةِ وَلَوْ يَعْلَمُ الْمُؤْمِنُ بِكُلِّ الَّذِي عِنْدَ اللهِ مِنْ الْعَذَابِ لَمْ يَأْمَنْ مِنْ النَّارِ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি। আল্লাহ্‌ যেদিন রহমত সৃষ্টি করেন সেদিন একশটি রহমত সৃষ্টি করেছেন। নিরানব্বইটি তাঁর কাছে রেখে দিয়েছেন এবং একটি রহমত সমস্ত সৃষ্টির মধ্যে পাঠিয়ে দিয়েছেন। যদি কাফির আল্লাহ্‌র কাছে সুরক্ষিত রহমত সম্পর্কে জানে তাহলে সে জান্নাত লাভে নিরাশ হবে না। আর মু’মিন যদি আল্লাহ্‌র কাছে যে শাস্তি আছে সে সম্পর্কে জানে তা হলে সে জাহান্নাম থেকে নিজেকে নিরাপদ মনে করবে না। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০১৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০২৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/২০. অধ্যায় :

আল্লাহ্‌র নিষেধাবলীর ব্যাপারে ধৈর্য ধারণ করা । (আল্লাহ্‌র বাণী) : ধৈর্যশীলদেরকে তাদের পুরস্কার অপরিমিতভাবে দিয়ে থাকি । (সূরাহ আয্ যুমার ৩৯/১০)

উমার (রাঃ) বলেন, আমরা উত্তম জীবন লাভ করেছিলাম ধৈর্য ধরার কারণেই ।

৬৪৭০

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَطَاءُ بْنُ يَزِيدَ، أَنَّ أَبَا سَعِيدٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ أُنَاسًا مِنَ الأَنْصَارِ سَأَلُوا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ يَسْأَلْهُ أَحَدٌ مِنْهُمْ إِلاَّ أَعْطَاهُ حَتَّى نَفِدَ مَا عِنْدَهُ فَقَالَ لَهُمْ حِينَ نَفِدَ كُلُّ شَىْءٍ أَنْفَقَ بِيَدَيْهِ ‏ “‏ مَا يَكُنْ عِنْدِي مِنْ خَيْرٍ لاَ أَدَّخِرْهُ عَنْكُمْ، وَإِنَّهُ مَنْ يَسْتَعِفَّ يُعِفُّهُ اللَّهُ، وَمَنْ يَتَصَبَّرْ يُصَبِّرْهُ اللَّهُ، وَمَنْ يَسْتَغْنِ يُغْنِهِ اللَّهُ، وَلَنْ تُعْطَوْا عَطَاءً خَيْرًا وَأَوْسَعَ مِنَ الصَّبْرِ ‏”‏‏.‏

আবূ সা‘ঈদ খুদ্‌রী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একবার আনসারদের কিছু সংখ্যক লোক নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে সাহায্য চাইলেন। তাদের যে যা চাইলেন, তিনি তা-ই দিলেন, এমন কি তাঁর কাছে যা কিছু ছিল নিঃশেষ হয়ে গেল। যখন তাঁর দু’হাতে দান করার পর সবকিছু শেষ হয়ে গেল, তখন তিনি বললেনঃ আমার কাছে যা কিছু থাকে, তা থেকে আমি কিছুই সঞ্চয় করি না। অবশ্য যে নিজেকে চাওয়া থেকে বাঁচিয়ে রাখতে চায়, আল্লাহ্‌ তাঁকে বাঁচিয়ে রাখেন; আর যে ব্যক্তি ধৈর্য ধরে তিনি তাকে ধৈর্যশীলই রাখেন। আর যে অমুখাপেক্ষী হতে চায়, আল্লাহ্‌ তাকে অভাবমুক্ত রাখেন। সবরের চেয়ে বেশি প্রশস্ত ও কল্যাণকর কিছু কক্ষনো তোমাদের দান করা হবে না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬০২০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০২৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪৭১

خَلاَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا مِسْعَرٌ حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ عِلاَقَةَ قَالَ سَمِعْتُ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ يَقُولُ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي حَتَّى تَرِمَ أَوْ تَنْتَفِخَ قَدَمَاهُ فَيُقَالُ لَهُ فَيَقُولُ أَفَلاَ أَكُونُ عَبْدًا شَكُورًا.

মুগীরাহ ইব্‌নু শু‘বাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মুগীরাহ ইব্‌নু শু‘বাহ (রাঃ)-কে বর্ণনা করতে শুনেছি। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এত (দীর্ঘ সময় ধরে) সলাত আদায় করতেন যে, তাঁর দু’পা ফুলে যেত। তাঁকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেনঃ আমি কি শুকরগুযার বান্দা হবো না?(আধুনিক প্রকাশনী- ৬০২১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০২৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/২১. অধ্যায় :

যে কেউ আল্লাহ্‌র উপর ভরসা করে, তবে তার জন্য তিনিই যথেষ্ট । (সূরাহ ত্বলাক ৬৫/৩)

রাবী ইবনে খুসাইম বলেন, (এটা) সকল বিপদের ক্ষেত্রে, মানুষের উপর যা ঘটতে পারে ।

৬৪৭২

إِسْحَاقُ حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ سَمِعْتُ حُصَيْنَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ قَالَ كُنْتُ قَاعِدًا عِنْدَ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ فَقَالَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مِنْ أُمَّتِي سَبْعُونَ أَلْفًا بِغَيْرِ حِسَابٍ هُمْ الَّذِينَ لاَ يَسْتَرْقُونَ وَلاَ يَتَطَيَّرُونَ وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ

ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার উম্মাতের সত্তর হাজার লোক বিনা হিসেবেই জান্নাতে প্রবেশ করবে। তারা হবে এমন লোক, যারা ঝাড়ফুঁকের আশ্রয় নেয় না, শূভ অশুভ মানে না এবং তাদের প্রতিপালকের উপরই ভরসা রাখে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬০২২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০২৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/২২. অধ্যায় :

নিরর্থক বাদানুবাদ অপছন্দনীয়

৬৪৭৩

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا غَيْرُ، وَاحِدٍ، مِنْهُمْ مُغِيرَةُ وَفُلاَنٌ وَرَجُلٌ ثَالِثٌ أَيْضًا عَنِ الشَّعْبِيِّ عَنْ وَرَّادٍ كَاتِبِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ أَنَّ مُعَاوِيَةَ كَتَبَ إِلَى الْمُغِيرَةِ أَنِ اكْتُبْ إِلَىَّ بِحَدِيثٍ سَمِعْتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَكَتَبَ إِلَيْهِ الْمُغِيرَةُ أَنِّي سَمِعْتُهُ يَقُولُ عِنْدَ انْصِرَافِهِ مِنَ الصَّلاَةِ ‏ “‏ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ، وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهْوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ ‏”‏‏.‏ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ قَالَ وَكَانَ يَنْهَى عَنْ قِيلَ وَقَالَ وَكَثْرَةِ السُّؤَالِ، وَإِضَاعَةِ الْمَالِ، وَمَنْعٍ وَهَاتِ، وَعُقُوقِ الأُمَّهَاتِ، وَوَأْدِ الْبَنَاتِ‏.‏ وَعَنْ هُشَيْمٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ قَالَ سَمِعْتُ وَرَّادًا يُحَدِّثُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ الْمُغِيرَةِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم‏.‏

মুগীরাহ ইব্‌নু শু‘বাহ (রাঃ)-এর কাতিব্‌ ওয়াররাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মু‘আবিয়াহ (রাঃ) মুগীরাহ ইবনু শু‘বাহ (রাঃ)-কে চিঠি লিখলেন যে, আপনি আমার কাছে একটা হাদীস লিখে পাঠান, যা আপনি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছেন। বর্ণনাকারী বলেন, তখন মুগীরাহ ইবনু শু‘বাহ (রাঃ) তাঁর কাছে লিখে পাঠালেন, আমি নিশ্চয় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সালাত থেকে ফিরার সময় বলতে শুনেছি।

 

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

 

(অর্থাৎ আল্লাহ্ ব্যতীত কোন মাবূদ নেই। তিনি একক ও অদ্বিতীয়, তাঁর কোন শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই এবং হাম্দ তাঁরই। তিনি সবার উপর শক্তিমান। আর তিনি নিষেধ করতেন অনর্থক কথা নিয়ে বাদানুবাদ করা হতে, অধিক প্রশ্ন করা হতে, মালের অপচয় করা হতে, আর তিনি নিষেধ করেছেন, কৃপনতা ও ভিক্ষা বৃত্তি হতে, মাতাপিতার অবাধ্যতা এবং কন্যাদেরকে জীবন্ত প্রোথিত করা হতে। [৮৪৪]

 

হুশায়ম (রহ.)…..আবদুল মালিক (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ওয়াররাদ (রাঃ)-কে আল মুগীরা…..নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এ হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০২৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০২৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/২৩. অধ্যায় :

যবান সংযত করা ।

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)’র বাণী : আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন ভাল কথা বলে অথবা চুপ থাকে । আল্লাহ্‌র বাণী : যে কথাই মানুষ উচ্চারণ করে (তা সংরক্ষণের জন্য) তার নিকটে একজন সদা তৎপর প্রহরী আছে । (সূরাহ ক্বাফ ৫০/১৮)

৬৪৭৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ عَلِيٍّ، سَمِعَ أَبَا حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ يَضْمَنْ لِي مَا بَيْنَ لَحْيَيْهِ وَمَا بَيْنَ رِجْلَيْهِ أَضْمَنْ لَهُ الْجَنَّةَ ‏”‏‏.‏

সাহ্‌ল ইব্‌নু সা‘দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার দু’চোয়ালের মাঝের বস্তু (জিহ্‌বা) এবং দু’রানের মাঝখানের বস্তু (লজ্জাস্থান) এর জামানত আমাকে দিবে, আমি তাঁর জান্নাতের যিম্মাদার। [২৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০২৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৩০)

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৫] দুনিয়াতে যত ফিতনা ফাসাদ ও অপকর্ম সংঘটিত হয় তার অধিকাংশই হয়ে থাকে জিহ্‌বা ও লজ্জা স্থানের দ্বারা । এ দুটোকে যে সংযত করবে, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে জান্নাতে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪৭৫

حَدَّثَنِي عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَلْيَقُلْ خَيْرًا، أَوْ لِيَصْمُتْ، وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَلاَ يُؤْذِ جَارَهُ، وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَلْيُكْرِمْ ضَيْفَهُ ‏”‏‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে আল্লাহ্‌ এবং শেষ দিনের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন ভাল কথা বলে নতুবা চুপ থাকে। এবং যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌ ও শেষ দিনের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার প্রতিবেশীকে ক্লেশ না দেয়। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র ও আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার মেহমানের সম্মান করে। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০২৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৩১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪৭৬

حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ، عَنْ أَبِي شُرَيْحٍ الْخُزَاعِيِّ، قَالَ سَمِعَ أُذُنَاىَ، وَوَعَاهُ، قَلْبِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏”‏ الضِّيَافَةُ ثَلاَثَةُ أَيَّامٍ جَائِزَتُهُ ‏”‏‏.‏ قِيلَ مَا جَائِزَتُهُ قَالَ ‏”‏ يَوْمٌ وَلَيْلَةٌ، وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَلْيُكْرِمْ ضَيْفَهُ، وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَلْيَقُلْ خَيْرًا، أَوْ لِيَسْكُتْ ‏”‏‏.‏

আবূ শুরাইহ্‌ আল খুযায়ী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমার দু’কান নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছে এবং আমার অন্তর তা হিফাযাত করে রেখেছে, মেহমানদারী তিন দিন, ভদ্রতার সঙ্গে। জিজ্ঞেস করা হল, ভদ্রতা কী? তিনি বললেন, একদিন ও এক রাত (বিশেষ মেহমানদারী)। যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌ ও আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার মেহমানের সম্মান করে আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র ও আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন ভাল কথা বলে অথবা নীরব থাকে। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০২৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৩২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪৭৭

إِبْرَاهِيمُ بْنُ حَمْزَةَ حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي حَازِمٍ عَنْ يَزِيدَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عِيسَى بْنِ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللهِ التَّيْمِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ سَمِعَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَقُولُ إِنَّ الْعَبْدَ لَيَتَكَلَّمُ بِالْكَلِمَةِ مَا يَتَبَيَّنُ فِيهَا يَزِلُّ بِهَا فِي النَّارِ أَبْعَدَ مِمَّا بَيْنَ الْمَشْرِقِ.

আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন যে, নিশ্চয় বান্দা পরিণাম চিন্তা ব্যতিরেকেই এমন কথা বলে যে কথার কারণে সে ঢুকে যাবে জাহান্নামের এমন গভীরে যার দূরত্ব পূর্ব (পশ্চিম) এর দূরত্বের চেয়েও বেশী। [২৬][৬৪৭৮; মুসলিম ৫৩/৬, হাঃ ২৯৮৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০২৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৩৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৬] নেক আমল করা সত্ত্বেও কোন ব্যক্তি কুফরি কথাবার্তা বললে তা তাকে জাহান্নামের সর্বশেষ স্তরে পৌঁছে দিবে ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪৭৮

عَبْدُ اللهِ بْنُ مُنِيرٍ سَمِعَ أَبَا النَّضْرِ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمٰنِ بْنُ عَبْدِ اللهِ يَعْني ابْنَ دِينَارٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ الْعَبْدَ لَيَتَكَلَّمُ بِالْكَلِمَةِ مِنْ رِضْوَانِ اللهِ لاَ يُلْقِي لَهَا بَالاً يَرْفَعُهُ اللهُ بِهَا دَرَجَاتٍ وَإِنَّ الْعَبْدَ لَيَتَكَلَّمُ بِالْكَلِمَةِ مِنْ سَخَطِ اللهِ لاَ يُلْقِي لَهَا بَالاً يَهْوِي بِهَا فِي جَهَنَّمَ.

আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নিশ্চয় বান্দা কখনও আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টির কোন কথা বলে অথচ সে কথা সম্পর্কে তার চেতনা নেই। কিন্তু এ কথার দ্বারা আল্লাহ্ তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন। আবার বান্দা কখনও আল্লাহ্‌র অসন্তুষ্টির কথা বলে ফেলে যার পরিণতি সম্পর্কে তার ধারণা নেই, অথচ সে কথার কারণে সে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে।[৬৪৭৭; মুসলিম ৫৩/৬, হাঃ ২৯৮৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০২৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৩৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/২৪. অধ্যায় :

আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করা ।

৬৪৭৯

مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ عُبَيْدِ اللهِ قَالَ حَدَّثَنِي خُبَيْبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ سَبْعَةٌ يُظِلُّهُمْ اللهُ رَجُلٌ ذَكَرَ اللهَ فَفَاضَتْ عَيْنَاهُ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সাত প্রকার লোককে আল্লাহ্‌ ছায়া দান করবেন। (তন্মধ্যে) এমন এক ব্যক্তি যে আল্লাহ্‌র যিক্‌র করে অতঃপর তার দু’টি চোখ অশ্রুসিক্ত হয়। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০২৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৩৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/২৫. অধ্যায় :

আল্লাহ্-ভীতি

৬৪৮০

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيٍّ، عَنْ حُذَيْفَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ كَانَ رَجُلٌ مِمَّنْ كَانَ قَبْلَكُمْ يُسِيءُ الظَّنَّ بِعَمَلِهِ، فَقَالَ لأَهْلِهِ إِذَا أَنَا مُتُّ فَخُذُونِي فَذَرُّونِي، فِي الْبَحْرِ فِي يَوْمٍ صَائِفٍ، فَفَعَلُوا بِهِ، فَجَمَعَهُ اللَّهُ ثُمَّ قَالَ مَا حَمَلَكَ عَلَى الَّذِي صَنَعْتَ قَالَ مَا حَمَلَنِي إِلاَّ مَخَافَتُكَ‏.‏ فَغَفَرَ لَهُ ‏”‏‏.‏

হুযাইফাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের পূর্বের উম্মাতের এক লোক ছিল, যে তার ‘আমাল সম্পর্কে আশংকা পোষণ করত। সে তার পরিবারের লোকদের বলল, আমি মারা গেলে তখন তোমরা আমাকে জ্বালিয়ে দিয়ে অতঃপর প্রচণ্ড গরমের দিনে আমার ছাই সমুদ্রে ছিটিয়ে দেবে। তারা সে অনুযায়ী কাজ করলো। অতঃপর আল্লাহ্‌ সেই ছাই জমা করে তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমাকে এ কাজে কিসে প্ররোচিত করলো? সে বললো, একমাত্র আপনার ভয়ই আমাকে এ কাজ করতে বাধ্য করেছে। তখন আল্লাহ্‌ তাকে মাফ করে দিলেন। [২৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৩০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৩৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৭] উল্লেখিত একটি দেহকে একত্র করা এটাই প্রমাণ করে যে, মহান আল্লাহ্‌ তা‘আলার শক্তি ক্ষমতা কত বড়! সুতরাং যারা কিয়ামত দিবস, হিসাব ইত্যাদিকে অস্বীকার করে তাদের শিক্ষা নেয়া উচিত । আল্লাহ্‌কে ভয় করাই হচ্ছে সকল ইবাদতের প্রাণ । ভয়-শূন্য ও বেপরোয়াভাবে কৃত কোন আমলই আল্লাহ্‌ কবুল করবেন না । আল্লাহ্‌র প্রতি ভয় ভীতিপূর্ণ যথাযথ কম পরিমাণ ইবাদতও মানুষকে জান্নাতে পৌঁছে দিতে পারে ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪৮১

مُوسَى حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ سَمِعْتُ أَبِي حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَبْدِ الْغَافِرِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ذَكَرَ رَجُلاً فِيمَنْ كَانَ سَلَفَ أَوْ قَبْلَكُمْ آتَاهُ اللهُ مَالاً وَوَلَدًا يَعْنِي أَعْطَاهُ قَالَ فَلَمَّا حُضِرَ قَالَ لِبَنِيهِ أَيَّ أَبٍ كُنْتُ لَكُمْ قَالُوا خَيْرَ أَبٍ قَالَ فَإِنَّهُ لَمْ يَبْتَئِرْ عِنْدَ اللهِ خَيْرًا فَسَّرَهَا قَتَادَةُ لَمْ يَدَّخِرْ وَإِنْ يَقْدَمْ عَلَى اللهِ يُعَذِّبْهُ فَانْظُرُوا فَإِذَا مُتُّ فَأَحْرِقُونِي حَتّٰى إِذَا صِرْتُ فَحْمًا فَاسْحَقُونِي أَوْ قَالَ فَاسْهَكُونِي ثُمَّ إِذَا كَانَ رِيحٌ عَاصِفٌ فَأَذْرُونِي فِيهَا فَأَخَذَ مَوَاثِيقَهُمْ عَلَى ذ‘لِكَ وَرَبِّي فَفَعَلُوا فَقَالَ اللهُ كُنْ فَإِذَا رَجُلٌ قَائِمٌ ثُمَّ قَالَ أَيْ عَبْدِي مَا حَمَلَكَ عَلَى مَا فَعَلْتَ قَالَ مَخَافَتُكَ أَوْ فَرَقٌ مِنْكَ فَمَا تَلاَفَاهُ أَنْ رَحِمَهُ اللهُ فَحَدَّثْتُ أَبَا عُثْمَانَ فَقَالَ سَمِعْتُ سَلْمَانَ غَيْرَ أَنَّهُ زَادَ فَأَذْرُونِي فِي الْبَحْرِ أَوْ كَمَا حَدَّثَ وَقَالَ مُعَاذٌ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ سَمِعْتُ عُقْبَةَ سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.

আবূ সা‘ঈদ খুদ্‌রী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আগের অথবা পূর্ব যুগের এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন। আল্লাহ্‌ তাকে ধন-সম্পদ ও সন্তানাদি দান করেছিলেন। মৃত্যুর সময় হাজির হলে সে তার সন্তানদেরকে জিজ্ঞেস করলো, আমি কেমন পিতা ছিলাম? তারা বলল, উত্তম। সে বললো, যে আল্লাহ্‌র কাছে কোন সম্পদ জমা রাখেনি, সে আল্লাহ্‌র কাছে হাজির হলে তিনি তাকে শাস্তি দেবেন। তোমরা খেয়াল রাখবে, আমি মারা গেলে আমাকে জ্বালিয়ে দেবে। আমি যখন কয়লা হয়ে যাব তাকে ছাই করে ফেলবে। অতঃপর যখন প্রবল বাতাস বইবে, তখন তোমরা তা উড়িয়ে দেবে। এ ব্যাপারে সে তাদের কাছ থেকে দৃঢ় অঙ্গীকার নিল। রাবী বলেন, আমার প্রতিপালকের কসম! তারা তাই করল। অতঃপর আল্লাহ্‌ বললেন, এসে যাও। হঠাৎ সে ব্যক্তি দাঁড়িয়ে গেল। তখন তিনি বললেন, হে আমার বান্দা! এ কাজে কিসে তোমাকে প্রেরণা দিল? সে বলল, আপনার ভীতি অথবা আপনার থেকে সরে থাকার কারণে। তখন তিনি এর প্রতিদানে তাকে ক্ষমা করে দিলেন। আমি আবূ ‘উসমানকে বর্ণনা করেছি, তিনি বলেছেন, আমি সালমানকে শুনেছি, তিনি এছাড়া অতিরিক্ত করেছেন…..আমার ছাইগুলো সমুদ্রে ছিটিয়ে দেবে। অথবা তিনি যেমনটি বর্ণনা করেছেন। মু‘আয (রহঃ)…..‘উক্‌বাহ (রহঃ) বলেনঃ আমি আবূ সা‘ঈদ (রাঃ)-কে শুনেছি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৩১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৩৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/২৬. অধ্যায় :

গুনাহ হতে বেঁচে থাকা

৬৪৮২

مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنْ بُرَيْدِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم مَثَلِي وَمَثَلُ مَا بَعَثَنِي اللهُ كَمَثَلِ رَجُلٍ أَتَى قَوْمًا فَقَالَ رَأَيْتُ الْجَيْشَ بِعَيْنَيَّ وَإِنِّي أَنَا النَّذِيرُ الْعُرْيَانُ فَالنَّجَا النَّجَاءَ فَأَطَاعَتْهُ طَائِفَةٌ فَأَدْلَجُوا عَلَى مَهْلِهِمْ فَنَجَوْا وَكَذَّبَتْهُ طَائِفَةٌ فَصَبَّحَهُمْ الْجَيْشُ فَاجْتَاحَهُمْ.

আবূ মূসা আশ‘আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি ও আমাকে যা দিয়ে আল্লাহ্‌ পাঠিয়েছেন তার উদাহরণ এমন এক লোকের মত, যে তার সম্প্রদায়ের কাছে এসে বলল, আমি আমার চোখ দিয়ে শত্রুদলকে দেখেছি আর আমি স্পষ্ট সতর্ককারী। সুতরাং তোমরা সত্বর আত্মরক্ষার ব্যবস্থা কর। অতঃপর একদল তার কথা মান্য করে রাতের অন্ধকারে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিল। এদিকে আরেক দল তাকে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করল, যদ্দরুন ভোর বেলায় শত্রুসেনা এসে তাদেরকে বিধ্বস্ত করে দিল।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৩২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৩৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪৮৩

أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ أَنَّهُ حَدَّثَهُ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَقُولُ إِنَّمَا مَثَلِي وَمَثَلُ النَّاسِ كَمَثَلِ رَجُلٍ اسْتَوْقَدَ نَارًا فَلَمَّا أَضَاءَتْ مَا حَوْلَهُ جَعَلَ الْفَرَاشُ وَهَذِهِ الدَّوَابُّ الَّتِي تَقَعُ فِي النَّارِ يَقَعْنَ فِيهَا فَجَعَلَ يَنْزِعُهُنَّ وَيَغْلِبْنَهُ فَيَقْتَحِمْنَ فِيهَا فَأَنَا آخُذُ بِحُجَزِكُمْ عَنْ النَّارِ وَهُمْ يَقْتَحِمُونَ فِيهَا.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন যে, আমার ও লোকদের উদাহরণ এমন লোকের মত, যে আগুন জ্বালালো আর যখন তার চারদিক আলোকিত হয়ে গেল, তখন পতঙ্গ ও ঐ সমস্ত প্রাণী যেগুলো আগুনে পুড়ে, তারা তাতে পুড়তে লাগল। তখন সে সেগুলোকে আগুন থেকে ফিরানোর চেষ্টা করল। কিন্তু সেগুলো আগুনে তাকে পরাজয় করল এবং আগুনে পতিত হল। (তদ্রূপ) আমিও তোমাদের কোমর ধরে আগুন থেকে বাঁচাবার চেষ্টা করছি। কিন্তু তোমরা তাতেই পতিত হচ্ছ।[মুসলিম ৪৩/৬, হাঃ ২২৮৪, আহমাদ ৮১২৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৩৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৩৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪৮৪

أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ عَنْ عَامِرٍ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَمْرٍو يَقُولُ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْمُسْلِمُ مَنْ سَلِمَ الْمُسْلِمُونَ مِنْ لِسَانِهِ وَيَدِهِ وَالْمُهَاجِرُ مَنْ هَجَرَ مَا نَهَى اللهُ عَنْهُ.

আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নু ‘আম্‌র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মুসলিম (প্রকৃত) সেই, যার যবান ও হাত থেকে মুসলমানগণ নিরাপদ থাকে। আর (প্রকৃত) মুহাজির সেই, আল্লাহ্‌ যা নিষেধ করেছেন তা যে পরিত্যাগ করে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৩৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৪০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/২৭. অধ্যায় :

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণী : আমি যা জানি তোমরা যদি তা জানতে তাহলে তোমরা খুব অল্পই হাসতে

৬৪৮৫

يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ عُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ كَانَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم لَوْ تَعْلَمُونَ مَا أَعْلَمُ لَضَحِكْتُمْ قَلِيلاً وَلَبَكَيْتُمْ كَثِيرًا

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলতেন। রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি যা জানি তোমরা যদি তা জানতে তবে তোমরা খুব কমই হাসতে এবং খুব বেশি কাঁদতে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৩৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৪১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪৮৬

سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ مُوسَى بْنِ أَنَسٍ عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لَوْ تَعْلَمُونَ مَا أَعْلَمُ لَضَحِكْتُمْ قَلِيلاً وَلَبَكَيْتُمْ كَثِيرًا

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি যা জানি তোমরা যদি তা জানতে তবে তোমরা খুব কমই হাসতে এবং খুব বেশি কাঁদতে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬০২৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৪২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/২৮. অধ্যায় :

কামনা-বাসনা দিয়ে জাহান্নামকে বেষ্টন করা হয়েছে

৬৪৮৭

إِسْمَاعِيلُ قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ حُجِبَتْ النَّارُ بِالشَّهَوَاتِ وَحُجِبَتْ الْجَنَّةُ بِالْمَكَارِهِ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জাহান্নাম কামনা বাসনা দ্বারা বেষ্টিত। আর জান্নাত বেষ্টিত দুঃখ-মুসিবত দ্বারা। [২৮] [মুসলিম পর্ব ৫১/হাঃ ২৮২২, ২৮২৩, আহমাদ ১২৫৬০] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০২৭, ই. ৬০৪৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮] যারা নিজেদের খেয়াল-খুশি কামনা-বাসনা পূরণ করার কাজে লিপ্ত হবে তারা জাহান্নামে গিয়ে পৌঁছবে । সৎ আমল করা, সত্যের পথে দৃঢ় থাকা ও সৎ জীবন-যাপন করার জন্য বহু দুঃখ-কষ্ট মুসীবত সহ্য করতে হয় । এ পথ পাড়ি দিতে পারলেই জান্নাতে পৌঁছা সম্ভব হবে ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/২৯. অধ্যায় :

জান্নাত তোমাদের জুতার ফিতার থেকেও সন্নিকটে আর জাহান্নামও সেই রকম

৬৪৮৮

حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ مَسْعُودٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، وَالأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ الْجَنَّةُ أَقْرَبُ إِلَى أَحَدِكُمْ مِنْ شِرَاكِ نَعْلِهِ، وَالنَّارُ مِثْلُ ذَلِكَ ‏”‏‏.‏

আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জান্নাত তোমাদের জুতার ফিতার চেয়েও বেশি নিকটে আর জাহান্নামও সেইরকম। [২৯](আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৩৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৪৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯] মানুষের মৃত্যু অতি নিকটবর্তী । আর মৃত্যুর সাথে সাথেই কবরে তার কাছে পৌঁছে যাবে জাহান্নামের ভয়ানক শাস্তি কিংবা জান্নাতের অফুরন্ত শান্তি ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪৮৯

مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَصْدَقُ بَيْتٍ قَالَهُ الشَّاعِرُ أَلاَ كُلُّ شَيْءٍ مَا خَلاَ اللهَ بَاطِلُ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কবি তার কবিতায় সর্বাধিক সত্য যে কথাটি বলেছেন তা হলঃ “জেনে রেখো আল্লাহ্ ব্যতীত যা কিছু আছে সবই বাতিল।” [৩০](আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৩৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৪৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০] হাদীসটি আল্লাহ্ তা‘আলার এ বাণীরই প্রতিধ্বনি করছে-পৃথিবীর উপর যা কিছু আছে সবই ধ্বংস হয়ে যাবে, মাহাত্ম্য ও সম্মানে পরিপূর্ণ তোমার প্রতিপালকের মুখমণ্ডলই কেবল চির বিরাজমান থাকবে- (আর রহমান ২৬-২৭) ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/৩০. অধ্যায় :

মানুষ যেন নিজের অপেক্ষা নিম্ন স্তরের ব্যক্তির প্রতি তাকায় এবং নিজের অপেক্ষা উচ্চ স্তরের ব্যক্তির প্রতি যেন না তাকায় ।

৬৪৯০

إِسْمَاعِيلُ قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا نَظَرَ أَحَدُكُمْ إِلَى مَنْ فُضِّلَ عَلَيْهِ فِي الْمَالِ وَالْخَلْقِ فَلْيَنْظُرْ إِلَى مَنْ هُوَ أَسْفَلَ مِنْهُ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কারো নজর যদি এমন লোকের উপর পড়ে, যাকে মাল-ধন ও দৈহিক গঠনে অধিক মর্যাদা দেয়া হয়েছে তবে সে যেন এমন লোকের দিকে নজর দেয়, যে তার চেয়ে নিম্ন স্তরে রয়েছে। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৪০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৪৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/৩১. অধ্যায় :

যে ব্যক্তি ভাল বা মন্দের ইচ্ছা করল ।

৬৪৯১

أَبُو مَعْمَرٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ حَدَّثَنَا جَعْدُ بْنُ دِينَارٍ أَبُو عُثْمَانَ حَدَّثَنَا أَبُو رَجَاءٍ الْعُطَارِدِيُّ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِيمَا يَرْوِي عَنْ رَبِّهِ عَزَّ وَجَلَّ قَالَ قَالَ إِنَّ اللهَ كَتَبَ الْحَسَنَاتِ وَالسَّيِّئَاتِ ثُمَّ بَيَّنَ ذَلِكَ فَمَنْ هَمَّ بِحَسَنَةٍ فَلَمْ يَعْمَلْهَا كَتَبَهَا اللهُ لَهُ عِنْدَهُ حَسَنَةً كَامِلَةً فَإِنْ هُوَ هَمَّ بِهَا فَعَمِلَهَا كَتَبَهَا اللهُ لَهُ عِنْدَهُ عَشْرَ حَسَنَاتٍ إِلَى سَبْعِ مِائَةِ ضِعْفٍ إِلَى أَضْعَافٍ كَثِيرَةٍ وَمَنْ هَمَّ بِسَيِّئَةٍ فَلَمْ يَعْمَلْهَا كَتَبَهَا اللهُ لَهُ عِنْدَهُ حَسَنَةً كَامِلَةً فَإِنْ هُوَ هَمَّ بِهَا فَعَمِلَهَا كَتَبَهَا اللهُ لَهُ سَيِّئَةً وَاحِدَةً

ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (হাদীসে কুদ্‌সী স্বরূপ) তাঁর প্রতিপালক হতে বর্ণনা করে বলেন যে, আল্লাহ্ ভাল-মন্দ লিখে দিয়েছেন। এরপর সেগুলোর বর্ণনা দিয়েছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি কোন সৎ কাজের ইচ্ছা করল, কিন্তু তা বাস্তবে করল না, আল্লাহ্ তাঁর কাছে এর জন্য পূর্ণ সওয়াব লিখবেন। আর সে ভাল কাজের ইচ্ছা করল এবং তা বাস্তবেও করল তবে আল্লাহ্ তাঁর কাছে তার জন্য দশ গুণ থেকে সাতশ’ গুণ পর্যন্ত এমন কি এর চেয়েও অধিক সওয়াব লিখে দেন। আর যে কোন মন্দ কাজের ইচ্ছা করল, কিন্তু তা বাস্তবে পরিণত করল না, আল্লাহ্ তাঁর কাছে তার জন্য পূর্ণ সওয়াব লিখবেন। আর যদি সে মন্দ কাজের ইচ্ছা করার পর বাস্তবেও তা করে, তবে তার জন্য আল্লাহ্ মাত্র একটা গুনাহ লিখেন।[মুসলিম ১/৫৯, হাঃ ১৩১, আহমাদ ৩৪০২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৪১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৪৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/৩২. অধ্যায় :

গুনাহকে নগণ্য মনে করা থেকে বেঁচে থাকা ।

৬৪৯২

أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا مَهْدِيٌّ عَنْ غَيْلاَنَ عَنْ أَنَسٍ قَالَ إِنَّكُمْ لَتَعْمَلُونَ أَعْمَالاً هِيَ أَدَقُّ فِي أَعْيُنِكُمْ مِنْ الشَّعَرِ إِنْ كُنَّا لَنَعُدُّهَا عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْ الْمُوبِقَاتِ قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ يَعْنِي بِذ‘لِكَ الْمُهْلِكَاتِ

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তোমরা এমন সব কাজ করে থাক, যা তোমাদের দৃষ্টিতে চুল থেকেও চিকন। কিন্তু নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সময়ে আমরা এগুলোকে ধ্বংসকারী মনে করতাম। আবূ ‘আবদুল্লাহ বুখারী (রহ.) বলেন অর্থাৎ الْمُهْلِكَاتِ ধ্বংসকারী। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৪২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৪৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/৩৩. অধ্যায় :

আমাল শেষ অবস্থার উপর নির্ভরশীল, আর এ ব্যাপারে ভয় রাখা ।

৬৪৯৩

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا أَبُو غَسَّانَ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ، قَالَ نَظَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِلَى رَجُلٍ يُقَاتِلُ الْمُشْرِكِينَ، وَكَانَ مِنْ أَعْظَمِ الْمُسْلِمِينَ غَنَاءً عَنْهُمْ فَقَالَ ‏”‏ مَنْ أَحَبَّ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ النَّارِ فَلْيَنْظُرْ إِلَى هَذَا ‏”‏‏.‏ فَتَبِعَهُ رَجُلٌ فَلَمْ يَزَلْ عَلَى ذَلِكَ حَتَّى جُرِحَ، فَاسْتَعْجَلَ الْمَوْتَ‏.‏ فَقَالَ بِذُبَابَةِ سَيْفِهِ، فَوَضَعَهُ بَيْنَ ثَدْيَيْهِ، فَتَحَامَلَ عَلَيْهِ، حَتَّى خَرَجَ مِنْ بَيْنِ كَتِفَيْهِ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّ الْعَبْدَ لَيَعْمَلُ فِيمَا يَرَى النَّاسُ عَمَلَ أَهْلِ الْجَنَّةِ، وَإِنَّهُ لَمِنْ أَهْلِ النَّارِ، وَيَعْمَلُ فِيمَا يَرَى النَّاسُ عَمَلَ أَهْلِ النَّارِ وَهْوَ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ، وَإِنَّمَا الأَعْمَالُ بِخَوَاتِيمِهَا ‏”‏‏.‏

সাহল ইব্‌নু সা‘দ আস-সা‘ঈদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুশরিকদের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত এক ব্যক্তির দিকে তাকালেন। লোকটি ছিল ধনী এবং প্রভাবশালী লোকদের অন্তর্ভুক্ত। তিনি বললেনঃ কেউ জাহান্নামী লোক দেখতে চাইলে, সে যেন এই লোকটিকে দেখে। (ফলে) এক লোক তার পেছনে পেছনে যেতে লাগল। সে যুদ্ধ করতে থাকল অবশেষে আহত হয়ে গেল। তখন সে শিঘ্র মৃত্যু কামনা করল, সে তারই তরবারীর অগ্রভাগ বুকের উপর রেখে সজোরে এমনভাবে চাপ দিল যে, তলোয়ারটি তার বক্ষ ভেদ করে পৃষ্ঠদেশ পার হয়ে গেল। এরপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, কোন লোক এমন কাজ করে যায়, যা দেখে লোকেরা একে জান্নাতী লোকের কাজ বলে মনে করে। কিন্তু (আসলে) সে জাহান্নামবাসীদের অন্তর্ভুক্ত। আর কোন বান্দা এমন কাজ করে যায়, যা দেখে লোকেরা একে জাহান্নামীদের কাজ বলে মনে করে। অথচ সে জান্নাতী লোকদের অন্তর্ভুক্ত। বস্তুতঃ শেষ অবস্থার উপরই ‘আমালের ফলাফল নির্ভর করে। [৩১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৪৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৪৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩১] ইব্‌নু বাত্তাল বলেন : বান্দার শেষ আমল কেমন হবে তা গোপন রাখার মধ্যে রয়েছে বিরাট হিকমত ও সূক্ষ্ম পরিকল্পনা । কারণ সে যদি জানতো যে, সে নাজাতপ্রাপ্ত তবে সে আনন্দিত হত এবং সে সৎ আমল করতে অলসতা করত । আর যদি জানতো যে, সে ধ্বংসপ্রাপ্ত তবে সে অবাধ্যতা ও কুফরীর মাত্রা বাড়িয়ে দিত । (ফাতহুল বারী)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/৩৪. অধ্যায় :

অসৎ সংসর্গ হতে নির্জনতা শান্তিপ্রদ ।

৬৪৯৪

أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ حَدَّثَنِي عَطَاءُ بْنُ يَزِيدَ أَنَّ أَبَا سَعِيدٍ حَدَّثَهُ قَالَ قِيلَ يَا رَسُولَ اللهِ وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَيُّ النَّاسِ خَيْرٌ قَالَ رَجُلٌ جَاهَدَ بِنَفْسِهِ وَمَالِهِ وَرَجُلٌ فِي شِعْبٍ مِنْ الشِّعَابِ يَعْبُدُ رَبَّهُ وَيَدَعُ النَّاسَ مِنْ شَرِّهِ تَابَعَهُ الزُّبَيْدِيُّ وَسُلَيْمَانُ بْنُ كَثِيرٍ وَالنُّعْمَانُ عَنْ الزُّهْرِيِّ وَقَالَ مَعْمَرٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَطَاءٍ أَوْ عُبَيْدِ اللهِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ يُونُسُ وَابْنُ مُسَافِرٍ وَيَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ بَعْضِ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم

আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক বেদুঈন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহ্‌র রসূল! কোন ব্যক্তি সর্বোত্তম? তিনি বললেনঃ যে ব্যক্তি স্বীয় জান ও মাল দ্বারা জিহাদ করে, আর সে ব্যক্তি যে পর্বত গুহায় তার রবের ‘ইবাদত করতে থাকে এবং মানুষকে তার অনিষ্ট থেকে নিরাপদ রাখে। যুবায়দী সুলায়মান (রহঃ) ও নু‘মান (রহঃ) যুহরী (রহঃ) থেকে শু‘আইব (রহঃ)-এর অনুসরণ করেছেন। মা‘মার (রহঃ)…..আবূ সা‘ঈদ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেছেন। ইউনুস (রহঃ), ইব্‌নু মুসাফির (রহঃ) ও ইয়াহইয়া ইব্‌নু সা‘ঈদ (রহঃ) এক সহাবী কর্তৃক নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে অর্থাৎ আবুল ইয়ামানের হাদীসের মত “কোন ব্যক্তি সর্বোত্তম বর্ণনা করেছেন।’’(আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৪৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৫০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪৯৫

أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا الْمَاجِشُونُ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ أَبِي صَعْصَعَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّهُ سَمِعَهُ يَقُولُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ يَأْتِي عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ خَيْرُ مَالِ الرَّجُلِ الْمُسْلِمِ الْغَنَمُ يَتْبَعُ بِهَا شَعَفَ الْجِبَالِ وَمَوَاقِعَ الْقَطْرِ يَفِرُّ بِدِينِهِ مِنْ الْفِتَنِ

আবূ সা‘ঈদ খুদ্‌রী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন, মানুষের উপর এক যামানা আসবে যখন বকরিই হবে মুসলমানের উত্তম সম্পদ। সে তাঁর দীনকে নিয়ে ফিত্‌না থেকে দূরে থাকার উদ্দেশ্যে পর্বত শৃঙ্গে ও বৃষ্টিপাতের স্থানে চলে যাবে। [৩২](আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৪৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৫১)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩২] ফিতনা-ফাসাদ থেকে রক্ষা পাওয়ার উদ্দেশ্যে ঈমানদার ব্যক্তি লোকালয় ছেড়ে পাহাড়ে চলে যাবে ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/৩৫. অধ্যায় :

আমানতদারী উঠে যাওয়া ।

৬৪৯৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سِنَانٍ، حَدَّثَنَا فُلَيْحُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا هِلاَلُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِذَا ضُيِّعَتِ الأَمَانَةُ فَانْتَظِرِ السَّاعَةَ ‏”‏‏.‏ قَالَ كَيْفَ إِضَاعَتُهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏”‏ إِذَا أُسْنِدَ الأَمْرُ إِلَى غَيْرِ أَهْلِهِ، فَانْتَظِرِ السَّاعَةَ ‏”‏‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন আমানত নষ্ট হয়ে যাবে তখন ক্বিয়ামাতের অপেক্ষা করবে। সে বলল : হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমানত কিভাবে নষ্ট হয়ে যাবে? তিনি বললেনঃ যখন কোন দায়িত্ব অযোগ্য ব্যক্তির উপর ন্যস্ত করা হবে, তখনই ক্বিয়ামাতের অপেক্ষা করবে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৫৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৫২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪৯৭

مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ حَدَّثَنَا حُذَيْفَةُ قَالَ حَدَّثَنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم حَدِيثَيْنِ رَأَيْتُ أَحَدَهُمَا وَأَنَا أَنْتَظِرُ الْآخَرَ حَدَّثَنَا أَنَّ الأَمَانَةَ نَزَلَتْ فِي جَذْرِ قُلُوبِ الرِّجَالِ ثُمَّ عَلِمُوا مِنْ الْقُرْآنِ ثُمَّ عَلِمُوا مِنْ السُّنَّةِ وَحَدَّثَنَا عَنْ رَفْعِهَا قَالَ يَنَامُ الرَّجُلُ النَّوْمَةَ فَتُقْبَضُ الأَمَانَةُ مِنْ قَلْبِهِ فَيَظَلُّ أَثَرُهَا مِثْلَ أَثَرِ الْوَكْتِ ثُمَّ يَنَامُ النَّوْمَةَ فَتُقْبَضُ فَيَبْقَى أَثَرُهَا مِثْلَ الْمَجْلِ كَجَمْرٍ دَحْرَجْتَهُ عَلَى رِجْلِكَ فَنَفِطَ فَتَرَاهُ مُنْتَبِرًا وَلَيْسَ فِيهِ شَيْءٌ فَيُصْبِحُ النَّاسُ يَتَبَايَعُونَ فَلاَ يَكَادُ أَحَدٌ يُؤَدِّي الأَمَانَةَ فَيُقَالُ إِنَّ فِي بَنِي فُلاَنٍ رَجُلاً أَمِينًا وَيُقَالُ لِلرَّجُلِ مَا أَعْقَلَهُ وَمَا أَظْرَفَهُ وَمَا أَجْلَدَهُ وَمَا فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ حَبَّةِ خَرْدَلٍ مِنْ إِيمَانٍ وَلَقَدْ أَتَى عَلَيَّ زَمَانٌ وَمَا أُبَالِي أَيَّكُمْ بَايَعْتُ لَئِنْ كَانَ مُسْلِمًا رَدَّهُ عَلَيَّ الإِسْلاَمُ وَإِنْ كَانَ نَصْرَانِيًّا رَدَّهُ عَلَيَّ سَاعِيهِ فَأَمَّا الْيَوْمَ فَمَا كُنْتُ أُبَايِعُ إِلاَّ فُلاَنًا وَفُلاَنًا

হুযাইফাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের কাছে দু’টি হাদীস বর্ণনা করেছেন। একটির (বাস্তবায়ন) আমি দেখেছি এবং দ্বিতীয়টির অপেক্ষা করছি। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন যে, আমানত মানুষের অন্তরের কেন্দ্রে সংরক্ষিত। তারপর তারা কুরআন থেকে জ্ঞান লাভ করে। অতঃপর তারা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুন্নাহ থেকে জ্ঞান লাভ করে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবার বর্ণনা করেছেন আমানত তুলে নেয়া সম্পর্কে, যে ব্যক্তিটি এক সময় নিদ্রা গেলে, তার অন্তর থেকে আমানত উঠিয়ে নেয়া হবে, তখন একটি বিন্দুর মত চিহ্ন অবশিষ্ট থাকবে। আবার ঘুমাবে। তখন আবার উঠিয়ে নেয়া হবে। অতঃপর তার চিহ্ন ফোস্কার মত অবশিষ্ট থাকবে। তোমার পায়ের উপর গড়িয়ে পরা অঙ্গার সৃষ্ট চিহ্ন, যেটিকে তুমি ফোলা মনে করবে, প্রকৃতপক্ষে তাতে কিছুই থাকবে না। মানুষ বেচাকেনা করতে থাকবে বটে, কিন্তু কেও আমানত আদায় করবে না। তারপর লোকেরা বলাবলি করবে যে, অমুক বংশে একজন আমানতদার লোক আছে। সে ব্যক্তি সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, সে কতই না জ্ঞানী, কতই না হুশিয়ার, কতই না বাহাদুর? অথচ তার অন্তরে সরিষা দানার পরিমাণ ঈমানও থাকবে না।

(বর্ণনাকারী বলেন) আমার উপর এমন একটি সময় অতিবাহিত হয়েছে যে, আমি তোমাদের কারো সঙ্গে বেচাকেনা করতে একটুও চিন্তা করতাম না। কারন সে মুসলিম হলে ইসলামই তাকে (প্রতারণা হতে) ফিরিয়ে রাখবে। আর সে খ্রীষ্টান হলে তার শাসকই তাকে (প্রতারণা হতে) ফিরিয়ে রাখবে। অথচ এখন অবস্থা এমন যে, আমি অমুক অমুককে ব্যতীত বেচাকেনা করি না। [৩৩] [৭০৭৬, ৭২৭৬; মুসলিম ১/৬৪, হাঃ ১৪৩, আহমাদ ২৩৩১৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৪৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৫৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৩] উটের কাজ হল ভার বহন করা । যে উট বোঝা বইতে পারে না সেটা নিজেই বোঝা- উট নয় । তেমনি মানুষ আজ কেবল নামে মাত্র মানুষ । শত শত মানুষের মধ্যেও মানুষের প্রকৃত গুণ বৈশিষ্ট্য খুঁজে পাওয়া যায় না ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪৯৮

أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللهِ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَقُولُ إِنَّمَا النَّاسُ كَالإِبِلِ الْمِائَةِ لاَ تَكَادُ تَجِدُ فِيهَا رَاحِلَةً

আব্দুল্লাহ্‌ ইব্‌নু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আব্দুল্লাহ্‌ ইব্‌নু ‘উমার (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, আমি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে শুনেছি, তিনি বলতেন : নিশ্চয়ই মানুষ এমন শত উটের মত, যাদের মধ্যে থেকে তুমি একটিকেও বাহনের উপযোগী পাবে না।[মুসলিম ৪৪/৫৯, হাঃ ২৫৪৭, আহমাদ ৫৬২৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৪৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৫৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/৩৬. অধ্যায় :

লোকদেখানো ও শোনানো ‘ইবাদাত ।

৬৪৯৯

مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ سُفْيَانَ حَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ كُهَيْلٍ ح و حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ سَلَمَةَ قَالَ سَمِعْتُ جُنْدَبًا يَقُولُ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ أَسْمَعْ أَحَدًا يَقُولُ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم غَيْرَهُ فَدَنَوْتُ مِنْهُ فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَنْ سَمَّعَ سَمَّعَ اللهُ بِهِ وَمَنْ يُرَائِي يُرَائِي اللهُ بِهِ

সালামাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি জুনদুবকে বলতে শুনেছি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন। তিনি ছাড়া আমি অন্য কাউকে ‘নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন’ এমন বলতে শুনিনি। আমি তাঁর নিকট গেলাম এবং তাঁকে বলতে শুনলাম। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি লোক শোনানো ‘ইবাদাত করে আল্লাহ্‌ এর বিনিময়ে তার ‘লোক-শোনানোর উদ্দেশ্য প্রকাশ করে দিবেন’। আর যে ব্যক্তি লোক-দেখানো ‘ইবাদাত করবে আল্লাহ্ এর বিনিময়ে তার ‘লোক দেখানোর উদ্দেশ্য প্রকাশ করে দিবেন’। [৩৪] [৭১৫২; মুসলিম ৫৩/৫, হাঃ ২৯৮৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৪৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৫৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪] কিয়ামাতের দিন আল্লাহ্‌ কারো লোককে শোনানোর ও লোককে দেখানোর উদ্দেশ্য প্রকাশ করে দিবেন ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১/৩৭. অধ্যায় :

যে আল্লাহ্‌র আনুগত্য করার জন্য স্বীয় নফসের সঙ্গে জিহাদ করে

৬৫০০

هُدْبَةُ بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ قَالَ بَيْنَمَا أَنَا رَدِيفُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَيْسَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ إِلاَّ آخِرَةُ الرَّحْلِ فَقَالَ يَا مُعَاذُ قُلْتُ لَبَّيْكَ يَا رَسُولَ اللهِ وَسَعْدَيْكَ ثُمَّ سَارَ سَاعَةً ثُمَّ قَالَ يَا مُعَاذُ قُلْتُ لَبَّيْكَ رَسُولَ اللهِ وَسَعْدَيْكَ ثُمَّ سَارَ سَاعَةً ثُمَّ قَالَ يَا مُعَاذُ بْنَ جَبَلٍ قُلْتُ لَبَّيْكَ رَسُولَ اللهِ وَسَعْدَيْكَ قَالَ هَلْ تَدْرِي مَا حَقُّ اللهِ عَلَى عِبَادِهِ قُلْتُ اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ قَالَ حَقُّ اللهِ عَلَى عِبَادِهِ أَنْ يَعْبُدُوهُ وَلاَ يُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا ثُمَّ سَارَ سَاعَةً ثُمَّ قَالَ يَا مُعَاذُ بْنَ جَبَلٍ قُلْتُ لَبَّيْكَ رَسُولَ اللهِ وَسَعْدَيْكَ قَالَ هَلْ تَدْرِي مَا حَقُّ الْعِبَادِ عَلَى اللهِ إِذَا فَعَلُوهُ قُلْتُ اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ قَالَ حَقُّ الْعِبَادِ عَلَى اللهِ أَنْ لاَ يُعَذِّبَهُمْ

মুয়ায ইব্‌নু জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একবার আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে তাঁর উটের পিছনে বসলাম। অথচ আমার ও তাঁর মাঝখানে ব্যবধান ছিল শুধু সাওয়ারীর গদির কাষ্ঠ-খণ্ড। তিনি বললেনঃ হে মুয়ায! আমি বললাম, আপনার নিকটে আপনার খিদমতে আমি হাজির হে আল্লাহ্‌র রসূল! তারপর আরও কিছুক্ষণ চলার পরে আবার বললেনঃ হে মুয়ায ইব্‌নু জাবাল! আমিও আবার বললাম, আপনার নিকটে আপনার খিদমতে আমি হাজির হে আল্লাহ্‌র রসূল! তখন তিনি বললেনঃ তুমি কি জানো যে, বান্দার উপর আল্লাহ্‌র হক কী? আমি বললাম, আল্লাহ্‌ এবং তাঁর রসূল বেশি ভাল জানেন। তিনি বললেনঃ বান্দার উপর আল্লাহ্‌র হক এই যে, সে তাঁরই ‘ইবাদাত করবে, তাঁর সঙ্গে কোন কিছুকে শরীক করবে না। এরপর আরও কিছুক্ষণ পথ চলার পর আবার ডাকলেন, হে মুয়ায ইব্‌ন জাবাল! আমি বললাম, আপনার নিকটে আপনার খিদমতে আমি হাজির হে আল্লাহ্‌র রসূল! তিনি বললেনঃ যদি বান্দা তা করে আল্লাহ্‌র কাছে বান্দার প্রাপ্য কী হবে, তা কি তুমি জান? আমি বললাম, আল্লাহ্‌ ও তাঁর রসূলই বেশি ভাল জানেন। তিনি বললেনঃ তখন আল্লাহ্‌র কাছে বান্দার হক হল তাদেরকে শাস্তি না দেয়া। [৩৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৫০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৫৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৫] আল্লাহ্‌র প্রাপ্য হল- বান্দা শির্কমুক্ত তাঁর ইবাদাত করবে, আর বান্দার প্রাপ্য হল আল্লাহ্‌ তাকে শাস্তিমুক্ত করে দেবেন ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস