ওমরার ফরজ কয়টি ও কি কি? উমরার ওয়াজিব কয়টি ও কী কী?

ওমরার-ফরজ-কয়টি-ও-কি-কি-উমরার-ওয়াজিব-কয়টি-ও-কী-কী

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম, আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে ওমরার ফরজ কয়টি ও কি কি এবং ওমরার ওয়াজিব কয়টি ও কী কী। ওমরার আভিধানিক অর্থ যিয়ারত করা। শরীয়তের পরিভাষায় ওমরা অর্থ নির্দিষ্ট কিছু কর্ম তথা ইহরাম, তাওয়াফ, সাঈ ও মাথা মুন্ডন বা চুল ছোট করার মাধ্যমে বাইতুল্লাহ শরীফের যিয়ারত করা।

ওমরার ফরজ কয়টি

ওমরার ফরজ তিনটি। যথাঃ-

১. ইহরাম বাঁধা

২. তাওয়াফ করা

৩. সাফা-মারওয়া সাঈ করা

১. ইহরাম বাঁধা

ইহরাম বাঁধার নিয়ত করা। যে ব্যক্তি উমরার নিয়ত করবে না তার উমরা হবে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, নিশ্চয় আমল সমূহ নিয়তের উপর নির্ভরশীল। আর প্রত্যেকের জন্য তাই হবে, যা সে নিয়ত করে।

বুখারী : ১

২. তাওয়াফ করা

বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করা। আল্লাহ তাআলা বলেন, আর তারা যেন প্রাচীন ঘরের তাওয়াফ করে।

হজ : ২৯

৩. সাফা-মারওয়া সাঈ করা

সাফা ও মারওয়ার মাঝে সাঈ করা। সাফা ও মারওয়া সাঈ ফরজ হওয়া সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আর তোমাদের মধ্যে যে হাদী নিয়ে আসেনি সে যেন বাইতুল্লাহর তাওয়াফ করে এবং সাফা ও মারওয়ার সাঈ করে।

বুখারী : ১৬৯১; মুসলিম ১২২৭।

তাছাড়া তিনি সাঈ সম্পর্কে আরো বলেন, তোমরা সাঈ করো, কেননা আল্লাহ তোমাদের ওপর সাঈ ফরয করেছেন।

মুসনাদে আহমদ : ৬/৪২১; মুস্তাদরাক হাকেম : ৪/৭০।

সুতরাং যদি কেউ ইহরাম বাঁধার নিয়ত না করে, তবে তার উমরা আদায় হবে না। যদিও সে তাওয়াফ, সাঈ সম্পাদন করে। তেমনি যদি কেউ তাওয়াফ বা সাঈ না করে, তাহলে তার উমরা আদায় হবে না। তাওয়াফ ও সাঈ আদায় না করা পর্যন্ত সে ইহরাম অবস্থায় থাকবে। এমতাবস্থায় তাকে চুল ছোট বা মাথা মুন্ডন না করে ইহরাম অবস্থায় থাকতে হবে।

ওমরার ওয়াজিব কয়টি

ওমরার ওয়াজিব দুইটি। যথাঃ-

১. মীকাত থেকে ইহরাম বাঁধা

২. মাথা মুণ্ডন করা অথবা সমস্ত মাথার চুল ছোট করা।

১. মীকাত থেকে ইহরাম বাঁধা

ক. মিকাতের বাইরে অবস্থানকারিদের জন্য যে মীকাত দিয়ে তিনি প্রবেশ করবেন সেখান থেকেই ইহরাম বাঁধা। কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মীকাতগুলো নির্ধারণ করার সময় বলেন, এগুলো তাদের জন্য এবং যারা অন্যত্র থেকে ঐ পথে আসে হজ ও উমরা আদায়ের ইচ্ছা নিয়ে তাদের জন্যও।

বুখারী : ১৫২৪; মুসলিম : ১১৮১।

খ. মক্কায় অবস্থানকারীদের জন্য হিল্ল অর্থাৎ হারাম এলাকার বাইরে থেকে ইহরাম বাঁধা। কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়েশা রা. কে তানঈম থেকে ইহরাম বাঁধার আদেশ দিয়েছেন।

বুখারী : ১৫৬১; মুসলিম : ১২১১।

তানঈম হারামের সীমার বাইরে অবস্থিত। মক্কায় অবস্থানকারী ওমরা কারীদের জন্য এটি সবচেয়ে কাছের মীকাত অর্থাৎ ওমরার ইহরাম বাঁধার স্থান।

গ. যারা মীকাতের ভেতরে অথচ হারাম এলাকার বাইরে অবস্থান করেন তারা নিজ নিজ অবস্থান স্থল থেকেই ওমরার ইহরাম বাঁধবেন। কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আর যারা মীকাতের ভেতরে অবস্থানকারী তারা যেখান থেকে (হজ বা উমরার) ইচ্ছা করে সেখান থেকেই ইহরাম বাঁধবে।

বুখারী : ১৫২৪; মুসলিম : ১১৮১।

২. মাথা মুণ্ডন করা অথবা সমস্ত মাথার চুল ছোট করা

মাথা মুন্ডন করা অথবা চুল ছোট করা। কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাথা মুণ্ডন অথবা চুল ছোট করার আদেশ দিয়ে বলেন, সে যেন মাথার চুল ছোট করে এবং হালাল হয়ে যায়।

বুখারী : ১৬৯১; মুসলিম : ১২২৭।

Share the Post

Rate the Post

Rating Summary

0.0
0.0 out of 5 stars (based on 0 reviews)
Excellent0%
Very good0%
Average0%
Poor0%
Terrible0%

Latest Reviews

There are no reviews yet. Be the first one to write one.

Latest Book

Scroll to Top