অনুচ্ছেদ–১
নতুন কাপড় পরার সময় যা বলতে হয়
৪০২০
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا اسْتَجَدَّ ثَوْبًا سَمَّاهُ بِاسْمِهِ إِمَّا قَمِيصًا أَوْ عِمَامَةً ثُمَّ يَقُولُ “ اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ كَسَوْتَنِيهِ أَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِهِ وَخَيْرِ مَا صُنِعَ لَهُ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهِ وَشَرِّ مَا صُنِعَ لَهُ ” . قَالَ أَبُو نَضْرَةَ فَكَانَ أَصْحَابُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِذَا لَبِسَ أَحَدُهُمْ ثَوْبًا جَدِيدًا قِيلَ لَهُ تُبْلِي وَيُخْلِفُ اللَّهُ تَعَالَى .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন নতুন কাপড় পরিধান করতেন, জামা অথবা পাগড়ি, এর নাম উচ্চারণ করে তিনি এ দু’আ পাঠ করতেনঃ
(আরবী)
আবু নাদরাহ (রহঃ) বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবীদের কেউ নতুন কাপড় পরলে তাকে বলা হতো, “এ কাপড় যেন তোমার দ্বারা পুরাতন হয় এবং মহান আল্লাহ যেন এর পরে তোমায় আরো কাপড় পরান”।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০২১
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، بِإِسْنَادِهِ نَحْوَهُ .
আল-জুরাইরী (রহ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তার সানাদে উপরোক্ত হাদীসের অর্থবোধক হাদীস বর্ণিত।
এর পূর্বেরটি দেখুন।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
৪০২২
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ دِينَارٍ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ لَمْ يَذْكُرْ فِيهِ أَبَا سَعِيدٍ وَحَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ قَالَ عَنِ الْجُرَيْرِيِّ عَنْ أَبِي الْعَلاَءِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو دَاوُدَ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ وَالثَّقَفِيُّ سَمَاعُهُمَا وَاحِدٌ .
আল-জুরাইরী (রহ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তার সানাদে উপরোক্ত হাদীসের অর্থবোধক হাদীস বর্ণিত। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ‘আবদুল ওয়াহ্হাব আস-সাক্বাফী (রহঃ) এতে আবূ সাঈদের (রাঃ) উল্লেখ করেননি। হাম্মাদ ইবনু সালামাহ …….. নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে বর্ণিত। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, হাম্মাদ ইবনু সালামাহ ও আস-সাক্বাফীর এ হাদীস শ্রবণ একই রূপ। [৪০২২]
[৪০২২] এর পূর্বের বর্ণনাদ্বয় দেখুন।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
৪০২৩
حَدَّثَنَا نُصَيْرُ بْنُ الْفَرَجِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، – يَعْنِي ابْنَ أَبِي أَيُّوبَ – عَنْ أَبِي مَرْحُومٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَنْ أَكَلَ طَعَامًا ثُمَّ قَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَنِي هَذَا الطَّعَامَ وَرَزَقَنِيهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّي وَلاَ قُوَّةٍ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَا تَأَخَّرَ وَمَنْ لَبِسَ ثَوْبًا فَقَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي كَسَانِي هَذَا الثَّوْبَ وَرَزَقَنِيهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّي وَلاَ قُوَّةٍ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَا تَأَخَّرَ ” .
সাহল ইবনু মু’আয ইবনু আনাস (রহ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি খাওয়ার পরে এ দু’আ পাঠ করবে তার আগে ও পরের সকল গুনাহ ক্ষমা করা হবে।
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَنِي هَذَا الطَّعَامَ، وَرَزَقَنِيهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّي وَلَا قُوَّةٍ، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَا تَأَخَّرَ
অর্থঃ “সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাকে এ খাদ্য খাওয়ালেন এবং আমার পক্ষ হতে কোন কৌশল ও ক্ষমতা প্রয়োগ ব্যতীতই রিযিক্ব দান করলেন।”
তিনি আরো বলেনঃ যে ব্যক্তি কোন কাপড় পরার সময় এ দু’আ পাঠ করবে তার আগে ও পরের সকল গুনাহ ক্ষমা করা হবেঃ
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي كَسَانِي هَذَا الثَّوْبَ وَرَزَقَنِيهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّي، وَلَا قُوَّةٍ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَا تَأَخَّرَ
অর্থঃ “সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমার কৌশল ও ক্ষমতা প্রয়োগ ব্যতীতই আমাকে এ কাপড়ের ব্যবস্থা করে পরালেন।”
হাসানঃ দুই জায়গাতে ‘পরবর্তী গুনাহ’ এ অতিরিক্ত অংশ বাদে।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-২
কেউ নতুন কাপড় পরিধান করলে তার জন্যে দু’আ করা
৪০২৪
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ الْجَرَّاحِ الأَذَنِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أُمِّ خَالِدٍ بِنْتِ خَالِدِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أُتِيَ بِكِسْوَةٍ فِيهَا خَمِيصَةٌ صَغِيرَةٌ فَقَالَ ” مَنْ تَرَوْنَ أَحَقَّ بِهَذِهِ ” . فَسَكَتَ الْقَوْمُ فَقَالَ ” ائْتُونِي بِأُمِّ خَالِدٍ ” . فَأُتِيَ بِهَا فَأَلْبَسَهَا إِيَّاهَا ثُمَّ قَالَ ” أَبْلِي وَأَخْلِقِي ” . مَرَّتَيْنِ وَجَعَلَ يَنْظُرُ إِلَى عَلَمٍ فِي الْخَمِيصَةِ أَحْمَرَ أَوْ أَصْفَرَ وَيَقُولُ ” سَنَاهْ سَنَاهْ يَا أُمَّ خَالِدٍ ” . وَسَنَاهْ فِي كَلاَمِ الْحَبَشَةِ الْحَسَنُ .
উম্মু খালিদ বিন্তে খালিদ ইবনু সাঈদ ইবনুল ‘আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট কতকগুলো পরিধেয় বস্ত্র আনা হলো। তাতে কালো রংঙের ডোরাদার ছোট একটি পশমী চাঁদর ছিল। তিনি প্রশ্ন করলেনঃ তোমাদের মতে কে এটা পাওয়ার যোগ্য? সবাই চুপ থাকলেন। তিনি বললেনঃ উম্মু খালিদকে আমার কাছে নিয়ে এসো। তাকে আনা হলে তিনি চাদরটি তাকে পরিয়ে দিলেন এবং দু’বার বললেনঃ এটা পরিধান করো এবং পুরাতন করো। আর তিনি চাঁদরের লাল অথবা হল্দে রঙের চিহ্নের দিকে তাকিয়ে বললেনঃ হে উম্মু খালিদ! খুব সুন্দর! খুব সুন্দর! (আরবী) শব্দের অর্থ -হাবশী ভাষায় সুন্দর।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৩
জামা সম্পর্কে
৪০২৫
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنْ عَبْدِ الْمُؤْمِنِ بْنِ خَالِدٍ الْحَنَفِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ كَانَ أَحَبَّ الثِّيَابِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْقَمِيصُ .
উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট সবচেয়ে প্রিয় পোষাক ছিল জামা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০২৬
حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ، حَدَّثَنَا أَبُو تُمَيْلَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ الْمُؤْمِنِ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ لَمْ يَكُنْ ثَوْبٌ أَحَبَّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ قَمِيصٍ .
উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট জামার চেয়ে অধিক পছন্দনীয় কোন পোশাক ছিল না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০২৭
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ بُدَيْلِ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ يَزِيدَ، قَالَتْ كَانَتْ يَدُ كُمِّ قَمِيصِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الرُّصْغِ .
আসমা বিনতু ইয়াযীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জামার হাতা ছিল কব্জি পর্যন্ত লম্বা।
[৪০২৭] তিরমিযী, নাসায়ী। ইমাম তিরমিযী বলেনঃ এই হাদীসটি হাসান গরীব।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৪
লম্বা ঢিলা জামা সম্পর্কে
৪০২৮
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَيَزِيدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ مَوْهَبٍ، – الْمَعْنَى – أَنَّ اللَّيْثَ، – يَعْنِي ابْنَ سَعْدٍ – حَدَّثَهُمْ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، أَنَّهُ قَالَ قَسَمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَقْبِيَةً وَلَمْ يُعْطِ مَخْرَمَةَ شَيْئًا فَقَالَ مَخْرَمَةُ يَا بُنَىَّ انْطَلِقْ بِنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَانْطَلَقْتُ مَعَهُ قَالَ ادْخُلْ فَادْعُهُ لِي قَالَ فَدَعَوْتُهُ فَخَرَجَ إِلَيْهِ وَعَلَيْهِ قِبَاءٌ مِنْهَا فَقَالَ “ خَبَأْتُ هَذَا لَكَ ” . قَالَ فَنَظَرَ إِلَيْهِ – زَادَ ابْنُ مَوْهَبٍ – مَخْرَمَةُ – ثُمَّ اتَّفَقَا – قَالَ رَضِيَ مَخْرَمَةُ . قَالَ قُتَيْبَةُ عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ لَمْ يُسَمِّهِ .
মিস্ওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিছু লম্বা ঢিলা জামা বন্টন করেন; কিন্তু মাখরামাহ (রাঃ)-কে কিছু দেননি। মাখরামাহ (রাঃ) বললেন, হে বৎস! রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাছে চলো। অতঃপর তার সঙ্গে আমি সেখানে গেলাম। তিনি বললেন, ভিতরে প্রবেশ করে তাঁর নিকট আমার আসার সংবাদ দাও। বর্ণনাকারী বলেন, আমি তাঁকে ডাকলে তিনি একটি লম্বা ঢিলা জামা পরিহিত অবস্থায় বেরিয়ে এসে বললেনঃ আমি তোমার জন্য এটা লুকিয়ে রেখেছিলাম। মাখরামাহ (রাঃ) তাঁর দিকে তাকালেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এবার মাখরামাহ খুশী হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৫
খ্যাতি লাভের পোশাক পরা
৪০২৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، – يَعْنِي ابْنَ عِيسَى – عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي زُرْعَةَ، عَنِ الْمُهَاجِرِ الشَّامِيِّ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، – قَالَ فِي حَدِيثِ شَرِيكٍ يَرْفَعُهُ – قَالَ ” مَنْ لَبِسَ ثَوْبَ شُهْرَةٍ أَلْبَسَهُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ثَوْبًا مِثْلَهُ ” . زَادَ عَنْ أَبِي عَوَانَةَ ” ثُمَّ تُلَهَّبُ فِيهِ النَّارُ ” .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যে ব্যক্তি খ্যাতি লাভের জন্য পোশাক পরে, ক্বিয়ামাতের দিন আল্লাহ তাকে সেরূপ পোশাক পরাবেন, অতঃপর তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হবে।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৪০৩০
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، قَالَ ثَوْبَ مَذَلَّةٍ .
থেকে বর্ণিতঃ
আবূ ‘আওয়ানাহ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে গর্ব অহংকারের উদ্দেশ্য পোশাক পরবে, (ক্বিয়ামাতের দিন আল্লাহ তাকে ঐরূপ পোশাক পরাবেন, অতঃপর তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হবে)।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৪০৩১
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ ثَابِتٍ، حَدَّثَنَا حَسَّانُ بْنُ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي مُنِيبٍ الْجُرَشِيِّ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ ” .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি বিজাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে, সে তাদের দলভুক্ত গণ্য হবে।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৬
পশম ও লোমের তৈরী পোশাক পরা
৪০৩২
حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ الرَّمْلِيُّ، وَحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ شَيْبَةَ، عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها قَالَتْ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعَلَيْهِ مِرْطٌ مُرَحَّلٌ مِنْ شَعْرٍ أَسْوَدَ . وَقَالَ حُسَيْنٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا . – حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْعَلاَءِ الزُّبَيْدِيُّ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ عَنْ عَقِيلِ بْنِ مُدْرِكٍ عَنْ لُقْمَانَ بْنِ عَامِرٍ عَنْ عُتْبَةَ بْنِ عَبْدٍ السُّلَمِيِّ قَالَ اسْتَكْسَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَكَسَانِي خَيْشَتَيْنِ فَلَقَدْ رَأَيْتُنِي وَأَنَا أَكْسَى أَصْحَابِي .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
৪০৩২/১. তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বাড়ি হতে বের হলেন, তখন তাঁর গায়ে কারুকার্য খচিত কালো পশমী চাঁদর ছিল।
সহীহ
———————-
৪০৩২/২. ‘উতবাহ ইবনু ‘আব্দ আস-সুলামী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আমাকে চাঁদর পরিয়ে দেয়ার আবেদন করলে তিনি আমাকে ‘কাতান’ জাতীয় দু’টি সুক্ষ্ম কাপড় পরিয়ে দিলেন। আমি আমার গায়ের দিকে তাকিয়ে দেখলাম, আমি সকল বন্ধুদের চাইতে উত্তম পোশাক পরিধানকারী।
সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০৩৩
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، قَالَ قَالَ لِي أَبِي يَا بُنَىَّ لَوْ رَأَيْتَنَا وَنَحْنُ مَعَ نَبِيِّنَا صلى الله عليه وسلم وَقَدْ أَصَابَتْنَا السَّمَاءُ حَسِبْتَ أَنَّ رِيحَنَا رِيحُ الضَّأْنِ .
আবূ বুরদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার পিতা বলেন, হে বৎস! তুমি যদি দেখতে, একদা আমরা রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজে এমন হলাম যে, আমাদের শরীর হতে ভেড়ার গন্ধ বের হচ্ছিল। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, পশমী পোশাক (এর কারণে)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০৩৪
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا عُمَارَةُ بْنُ زَاذَانَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ مَلِكَ، ذِي يَزَنَ أَهْدَى إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حُلَّةً أَخَذَهَا بِثَلاَثَةٍ وَثَلاَثِينَ بَعِيرًا أَوْ ثَلاَثٍ وَثَلاَثِينَ نَاقَةً فَقَبِلَهَا .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যূ-ইয়াযান অঞ্চলের অধিপতি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট একটি দামী পোশাক উপঢৌকন পাঠালেন, যা তিনি তেত্রিশটি উট বা তেত্রিশটি উটনীর বিনিময়ে কিনেছিলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা গ্রহণ করেন। [৪০৩৪]
[৪০৩৪] আহমাদ, দারিমী। সানাদের ‘উমরাহ ইবনু যাজান সম্পর্কে হাফিয ইবনু হাজার আত-তাক্বরীব গ্রন্থে বলেনঃ সত্যবাদী, তবে ভুল প্রচুর।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৪০৩৫
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم اشْتَرَى حُلَّةً بِبِضْعَةٍ وَعِشْرِينَ قَلُوصًا فَأَهْدَاهَا إِلَى ذِي يَزَنَ .
ইস্হাক্ব ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনুল হারিস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিশ এর অধিক তরুন উটনীর বিনিময়ে একটি মূল্যবান পোশাক কিনলেন এবং তা যু-ইয়াযান অধিপতির নিকট উপঢৌকন হিসেবে পাঠালেন। [৪০৩৫]
[৪০৩৫] আবূ দাঊদ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছ। এর সানাদে ‘আলী ইবনু যায়িদ দুর্বল।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৭
মোটা পোশাক পরিধান করা
৪০৩৬
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُوسَى، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، – يَعْنِي ابْنَ الْمُغِيرَةِ – الْمَعْنَى – عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلاَلٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ – رضى الله عنها – فَأَخْرَجَتْ إِلَيْنَا إِزَارًا غَلِيظًا مِمَّا يُصْنَعُ بِالْيَمَنِ وَكِسَاءً مِنَ الَّتِي يُسَمُّونَهَا الْمُلَبَّدَةَ فَأَقْسَمَتْ بِاللَّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قُبِضَ فِي هَذَيْنِ الثَّوْبَيْنِ .
আবূ বুরদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি ‘আয়িশাহ (রাঃ)-এর নিকট প্রবেশ করলে তিনি ইয়ামানের তৈরী একটি মোটা লুঙ্গি ও মূলাব্বাদা নামক একটি মোটা চাঁদর বের করে এনে আল্লাহর কসম করে বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুনিয়া ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় এ দু’টি কাপড় তাঁর পরিধানে ছিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০৩৭
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ خَالِدٍ أَبُو ثَوْرٍ الْكَلْبِيُّ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ يُونُسَ بْنِ الْقَاسِمِ الْيَمَامِيُّ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو زُمَيْلٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ، قَالَ لَمَّا خَرَجَتِ الْحَرُورِيَّةُ أَتَيْتُ عَلِيًّا – رضى الله عنه – فَقَالَ ائْتِ هَؤُلاَءِ الْقَوْمَ . فَلَبِسْتُ أَحْسَنَ مَا يَكُونُ مِنْ حُلَلِ الْيَمَنِ – قَالَ أَبُو زُمَيْلٍ وَكَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَجُلاً جَمِيلاً جَهِيرًا – قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَأَتَيْتُهُمْ فَقَالُوا مَرْحَبًا بِكَ يَا ابْنَ عَبَّاسٍ مَا هَذِهِ الْحُلَّةُ قَالَ مَا تَعِيبُونَ عَلَىَّ لَقَدْ رَأَيْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَحْسَنَ مَا يَكُونُ مِنَ الْحُلَلِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ اسْمُ أَبِي زُمَيْلٍ سِمَاكُ بْنُ الْوَلِيدِ الْحَنَفِيُّ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, খারিজীরা যখন ‘আলী (রাঃ)-এর দল ছেড়ে ‘হারূরা’ নামক অঞ্চলে চলে গেলো, তখন আমি ‘আলী (রাঃ)-এর নিকট আসলাম। তিনি বললেন, তুমি এদের কাছে যাও। অতঃপর আমি ইয়ামান দেশের তৈরী আকর্ষণীয় পোশাক পরলাম। আবূ যুমাইল বলেন, ইবনু ‘আব্বাস ছিলেন লাবণ্যময় সুপুরুষ ও সুঠাম দেহের অধিকারী। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, অতঃপর আমি তাদের নিকট গেলাম। তারা আমাকে মারহাবা জানিয়ে প্রশ্ন করলো, হে ইবনু ‘আব্বাস ! এটা কেমন পোশাক? তিনি বললেন, তোমরা যার জন্য আমাকে দোষারোপ করছো, অথচ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এর চেয়ে উত্তম পোশাক পরতে দেখেছি।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮
রেশম ও পশম মিশ্রিত কাপড় পরিধান করা সম্পর্কে
৪০৩৮
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ الأَنْمَاطِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الرَّازِيُّ، ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، أَخْبَرَنِي أَبِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، سَعْدٍ قَالَ رَأَيْتُ رَجُلاً بِبُخَارَى عَلَى بَغْلَةٍ بَيْضَاءَ عَلَيْهِ عِمَامَةُ خَزٍّ سَوْدَاءُ فَقَالَ كَسَانِيهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . هَذَا لَفْظُ عُثْمَانَ وَالإِخْبَارُ فِي حَدِيثِهِ .
সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বোখারাতে রেশম ও পশমের তৈরী কালো পাগড়ি পরিহিত এক লোককে সাদা খচ্চরের উপর আরোহী দেখতে পেলাম। লোকটি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এটা (পাগড়ি) আমাকে পরিয়ে দিয়েছেন। [৪০৩৮]
[৪০৩৮] ইবনু কাত্তান বলেনঃ সানাদে ‘আবদুল্লাহ ইবনু সা’দ, তার পিতা এবং যে ব্যাক্তিকে দেখার দাবী করা হয়েছে- এদের প্রত্যেককে চেনা যায়নি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৪০৩৯
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ نَجْدَةَ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ بَكْرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، حَدَّثَنَا عَطِيَّةُ بْنُ قَيْسٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ غَنْمٍ الأَشْعَرِيَّ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو عَامِرٍ، أَوْ أَبُو مَالِكٍ – وَاللَّهِ يَمِينٌ أُخْرَى مَا كَذَبَنِي – أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ” لَيَكُونَنَّ مِنْ أُمَّتِي أَقْوَامٌ يَسْتَحِلُّونَ الْخَزَّ وَالْحَرِيرَ ” . وَذَكَرَ كَلاَمًا قَالَ ” يُمْسَخُ مِنْهُمْ آخَرُونَ قِرَدَةً وَخَنَازِيرَ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَعِشْرُونَ نَفْسًا مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَوْ أَكْثَرُ لَبِسُوا الْخَزَّ مِنْهُمْ أَنَسٌ وَالْبَرَاءُ بْنُ عَازِبٍ .
‘আবদুর রহমান ইবনু গানম আল-আশ’আরী (রহ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ ‘আমির (রাঃ) বা আবূ মালিক (রাঃ) আমাকে বলেছেন, আল্লাহর কসম এবং কসম, কখনও তিনি আমাকে মিথ্যা বলেননি। তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেনঃ আমার উম্মতের এমন কিছু লোক হবে, যারা পশম ও রেশমের তৈরী পোশাক এবং রেশমী পোশাক পরা হালাল গণ্য করবে। তাদেরকে ক্বিয়ামাতের দিন শূকর ও বানরের আকৃতিতে পরিবর্তিত করা হবে। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিশ-এর অধিক সাহাবী রেশম ও পশম মিশ্রিত সূতার তৈরী পোশাক পরেছেন। আনাস ও আল-বারাআ ইবনু ‘আযিব (রাঃ) তাদের অন্তর্ভুক্ত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৯
রেশমী কাপড় পরিধান সম্পর্কে
৪০৪০
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، رَأَى حُلَّةً سِيَرَاءَ عِنْدَ بَابِ الْمَسْجِدِ تُبَاعُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوِ اشْتَرَيْتَ هَذِهِ فَلَبِسْتَهَا يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَلِلْوَفْدِ إِذَا قَدِمُوا عَلَيْكَ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِنَّمَا يَلْبَسُ هَذِهِ مَنْ لاَ خَلاَقَ لَهُ فِي الآخِرَةِ ” . ثُمَّ جَاءَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْهَا حُلَلٌ فَأَعْطَى عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ مِنْهَا حُلَّةً فَقَالَ عُمَرُ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَسَوْتَنِيهَا وَقَدْ قُلْتَ فِي حُلَّةِ عُطَارِدٍ مَا قُلْتَ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِنِّي لَمْ أَكْسُكَهَا لِتَلْبَسَهَا ” . فَكَسَاهَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أَخًا لَهُ مُشْرِكًا بِمَكَّةَ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) মাসজিদের দরজায় একজোড়া রেশমী পোশাক বিক্রি হতে দেখে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি যদি এ পোশাকটি ক্রয় করতেন তাহলে জুমু’আহ্র দিন ও প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাতকালে পরতে পারতেন! একথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ এ পোশাক সেই ব্যক্তিই পরে যার আখিরাতে কোন প্রাপ্য নেই। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট কিছু রেশমী কাপড় এলে তিনি তা হতে ‘উমার ইবনুল খাত্তাবকে একজোড়া কাপড় দিলেন। ‘উমার (রাঃ) বললেন বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি এটা আমাকে ব্যবহার করতে দিলেন, অথচ ‘উতারিদের’ (জনৈক কাপড় ব্যাবসায়ী) কাপড় সম্পর্কে আপনি এই মন্তব্য করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমি তোমাকে এটা পরতে দেইনি। অতঃপর ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) এটা মক্কাহ্য় তার এক মুশরিক ভাইকে দিয়ে দিলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০৪১
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، وَعَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، بِهَذِهِ الْقِصَّةِ قَالَ حُلَّةَ إِسْتَبْرَقٍ . وَقَالَ فِيهِ ثُمَّ أَرْسَلَ إِلَيْهِ بِجُبَّةِ دِيبَاجٍ وَقَالَ “ تَبِيعُهَا وَتُصِيبُ بِهَا حَاجَتَكَ ” .
সইলম ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
এ ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তা ছিল মোটা রেশমী পোশাক। উক্ত ঘটনা সম্পর্কে বলেন, অতঃপর তিনি তার নিকট একটি মোটা রেশমী জুব্বা পাঠালেন এবং বললেনঃ তুমি এটা বিক্রি করে তোমার প্রয়োজন মেটাও।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০৪২
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ الأَحْوَلُ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، قَالَ كَتَبَ عُمَرُ إِلَى عُتْبَةَ بْنِ فَرْقَدٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الْحَرِيرِ إِلاَّ مَا كَانَ هَكَذَا وَهَكَذَا أُصْبُعَيْنِ وَثَلاَثَةً وَأَرْبَعَةً .
আবূ ‘উসমান আন-নাহ্দী (রহ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘উমার (রাঃ) ‘উতবাহ ইবনু ফারকাদের কাছে ফরমান লিখে পাঠান যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রেশমী কাপড় ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন, তবে এভাবে দুই আঙ্গুল, তিন আঙ্গুল ও চার আঙ্গুল পরিমাণ রেশম থাকলে তা পুরুষের জন্য বৈধ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০৪৩
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي عَوْنٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا صَالِحٍ، يُحَدِّثُ عَنْ عَلِيٍّ، رضى الله عنه قَالَ أُهْدِيَتْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حُلَّةٌ سِيَرَاءُ فَأَرْسَلَ بِهَا إِلَىَّ فَلَبِسْتُهَا فَأَتَيْتُهُ فَرَأَيْتُ الْغَضَبَ فِي وَجْهِهِ وَقَالَ “ إِنِّي لَمْ أُرْسِلْ بِهَا إِلَيْكَ لِتَلْبَسَهَا ” . وَأَمَرَنِي فَأَطَرْتُهَا بَيْنَ نِسَائِي .
‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট একজোড়া রেশমী চাঁদর উপহার এলো। তিনি তা আমার কাছে পাঠালেন। আমি সেটা পরে তাঁর কাছে আসলে তাঁর চেহারায় অসন্তষ্টির ভাব দেখতে পেলাম। তিনি বললেনঃ তোমার পরার জন্য এটা পাঠাইনি। অতঃপর তিনি আমাকে আদেশ দিলে আমি তা টুকরা করে আমার পরিবারের মহিলাদের মাঝে বন্টন করে দিলাম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১০
রেশমী পোশাক পরা নিষেধ
৪০৪৪
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُنَيْنٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، رضى الله عنه أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ لُبْسِ الْقَسِّيِّ وَعَنْ لُبْسِ الْمُعَصْفَرِ وَعَنْ تَخَتُّمِ الذَّهَبِ وَعَنِ الْقِرَاءَةِ فِي الرُّكُوعِ .
‘আলী ইবনু আবূ ত্বালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রেশমী পোশাক ও হলুদ রঙের কাপড় পরতে, স্বর্ণের আংটি পরতে এবং রুকূ’তে কুরআন পড়তে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০৪৫
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ، – يَعْنِي الْمَرْوَزِيَّ – حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُنَيْنٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، – رضى الله عنه – عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا قَالَ عَنِ الْقِرَاءَةِ فِي الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ .
‘আলী ইবনু আবূ ত্বালিব (রাঃ) হতে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
এ হাদীস বর্ণিত। এতে রুকূ’ ও সিজদায় কুরআন পড়তে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০৪৬
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، بِهَذَا زَادَ وَلاَ أَقُولُ نَهَاكُمْ .
ইবরাহীম ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
এতে আরো রয়েছেঃ “আমি এ কথা বলছি না যে, তিনি তোমাদেরকে তা নিষেধ করেছেন”।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৪০৪৭
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ مَلِكَ الرُّومِ، أَهْدَى إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُسْتَقَةً مِنْ سُنْدُسٍ فَلَبِسَهَا فَكَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى يَدَيْهِ تَذَبْذَبَانِ ثُمَّ بَعَثَ بِهَا إِلَى جَعْفَرٍ فَلَبِسَهَا ثُمَّ جَاءَهُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “ إِنِّي لَمْ أُعْطِكَهَا لِتَلْبَسَهَا ” . قَالَ فَمَا أَصْنَعُ بِهَا قَالَ أَرْسِلْ بِهَا إِلَى أَخِيكَ النَّجَاشِيِّ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রোমের সম্রাট নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট একটি কিংখাব উপঢৌকন পাঠালেন। তিনি তা পরিধান করলেন। আমি যেন তাঁর হাত দু’টিকে নাড়াচাড়া করতে দেখছি। অতঃপর তিনি জা’ফারের নিকট তা পাঠিয়ে দিলেন। তিনি তা পরিধান করে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসলে তিনি বলেনঃ আমি এটা তোমাকে ব্যবহার করতে দেইনি। তিনি প্রশ্ন করলেন, তবে আমি এটা কি করবো? তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমার ভাই নাজ্জাশীর নিকট পাঠিয়ে দাও।
[৪০৪৭] আহমাদ। এর সানাদে ‘আলী ইবনু যায়িদ দুর্বল।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৪০৪৮
حَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا رَوْحٌ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” لاَ أَرْكَبُ الأُرْجُوَانَ وَلاَ أَلْبَسُ الْمُعَصْفَرَ وَلاَ أَلْبَسُ الْقَمِيصَ الْمُكَفَّفَ بِالْحَرِيرِ ” . قَالَ وَأَوْمَأَ الْحَسَنُ إِلَى جَيْبِ قَمِيصِهِ . قَالَ وَقَالَ ” أَلاَ وَطِيبُ الرِّجَالِ رِيحٌ لاَ لَوْنَ لَهُ أَلاَ وَطِيبُ النِّسَاءِ لَوْنٌ لاَ رِيحَ لَهُ ” . قَالَ سَعِيدٌ أُرَاهُ قَالَ إِنَّمَا حَمَلُوا قَوْلَهُ فِي طِيبِ النِّسَاءِ عَلَى أَنَّهَا إِذَا خَرَجَتْ فَأَمَّا إِذَا كَانَتْ عِنْدَ زَوْجِهَا فَلْتَطَّيَّبْ بِمَا شَاءَتْ .
হাসান বাসরী (রহ) ‘ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ)-এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি লাল রঙের জিনপোষে সওয়ার হই না, হলদে (কুসুম) বর্ণের কাপড় পরিধান করি না এবং রেশম আটকানো জামা পরিধান করি না। বর্ণনাকারী বলেন, হাসান এ কথার দ্বারা জামার পকেটের দিকে ইশারা করেন। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেনঃ জেনে রাখো! পুরুষ লোক এমন সুগন্ধি ব্যবহার করবে, যার কোন রঙ থাকবে না এবং নারীরা এমন সুগন্ধি ব্যবহার করবে যার রঙ আছে কিন্তু ঘ্রাণ নেই। সাঈদ (রহঃ) বলেন, আমার ধারণা, নারীদের সুগন্ধি ব্যবহার সম্পর্কিত কথার দ্বারা তাঁরা এরুপ বুঝেছেন যে, নারীরা যখন বাইরে যায় তখন যেন এরূপ সুগন্ধি ব্যবহার করে যার গন্ধ নেই, আর যখন স্বামীর নিকট থাকে, তখন যেমন ইচ্ছে সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০৪৯
حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ الْهَمْدَانِيُّ، أَخْبَرَنَا الْمُفَضَّلُ، – يَعْنِي ابْنَ فَضَالَةَ – عَنْ عَيَّاشِ بْنِ عَبَّاسٍ الْقِتْبَانِيِّ، عَنْ أَبِي الْحُصَيْنِ، – يَعْنِي الْهَيْثَمَ بْنَ شَفِيٍّ – قَالَ خَرَجْتُ أَنَا وَصَاحِبٌ، لِي يُكْنَى أَبَا عَامِرٍ – رَجُلٌ مِنَ الْمَعَافِرِ – لِنُصَلِّيَ بِإِيلْيَاءَ وَكَانَ قَاصَّهُمْ رَجُلٌ مِنَ الأَزْدِ يُقَالُ لَهُ أَبُو رَيْحَانَةَ مِنَ الصَّحَابَةِ قَالَ أَبُو الْحُصَيْنِ فَسَبَقَنِي صَاحِبِي إِلَى الْمَسْجِدِ ثُمَّ رَدِفْتُهُ فَجَلَسْتُ إِلَى جَنْبِهِ فَسَأَلَنِي هَلْ أَدْرَكْتَ قَصَصَ أَبِي رَيْحَانَةَ قُلْتُ لاَ . قَالَ سَمِعْتُهُ يَقُولُ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ عَشْرٍ عَنِ الْوَشْرِ وَالْوَشْمِ وَالنَّتْفِ وَعَنْ مُكَامَعَةِ الرَّجُلِ الرَّجُلَ بِغَيْرِ شِعَارٍ وَعَنْ مُكَامَعَةِ الْمَرْأَةِ الْمَرْأَةَ بِغَيْرِ شِعَارٍ وَأَنْ يَجْعَلَ الرَّجُلُ فِي أَسْفَلِ ثِيَابِهِ حَرِيرًا مِثْلَ الأَعَاجِمِ أَوْ يَجْعَلَ عَلَى مَنْكِبَيْهِ حَرِيرًا مِثْلَ الأَعَاجِمِ وَعَنِ النُّهْبَى وَرُكُوبِ النُّمُورِ وَلُبُوسِ الْخَاتَمِ إِلاَّ لِذِي سُلْطَانٍ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ الَّذِي تَفَرَّدَ بِهِ مِنْ هَذَا الْحَدِيثِ ذِكْرُ الْخَاتَمِ .
আবুল হুসাইন হাইসাম ইবনু শাফী’ (রহ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ও মা’আফির গোত্রের আবূ ‘আমির নামক আমার এক সাথী বায়তুল মুকাদ্দাসে সলাত আদায়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলাম। ‘আয্দ’ গোত্রীয় আবূ রায়হানাহ (রাঃ) নামক এক সাহাবী তখন বায়তুল মুকাদ্দাসবাসীদের ওয়ায নসীহত করতেন। আবুল হুসাইন বলেন, আমার সাথী আমার আগেই মাসজিদে প্রবেশ করলেন। অতঃপর আমি গিয়ে তার পাশে বসলাম। তিনি আমাকে প্রশ্ন করলেন, আপনি কি আবূ রায়হানার ওয়ায নসীহত শুনেছেন? আমি বললাম, না। তিনি বলেন, আমি তাকে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দশটি কাজ নিষেধ করেছেনঃ (১) দাঁতের অগ্রভাব শানিত করা, (২) উল্কি লাগানো, (৩) চুল উপড়িয়ে ফেলা, (৪) বিবস্ত্র অবস্থায় এক পুরুষের অন্য পুরুষের সাথে একই বিছানায় ঘুমানো, (৫) বিবস্ত্র অবস্থায় এক মহিলা অপর মহিলার সাথে এভাবে একই বিছানায় ঘুমানো, (৬) অনারবদের ন্যায় পুরুষের কাপড়ের নিম্নভাগে রেশম ব্যবহার করা অথবা (৭) আনারবদের ন্যায় কাঁধের উপর রেশম লাগানো, (৮) লুটতরাজ করা, (৯) চিতাবাঘের উপর আরোহী হওয়া (বাঘের চামড়ার গদিতে বসা) এবং (১০) বাদ্শাহ ব্যতীত অন্য লোকের আংটি ব্যবহার করা। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, আংটি সম্পর্কিত বর্ণনাটি নিঃসঙ্গ। [৪০৪৯]
[৪০৪৯] নাসায়ী, আহমাদ, বায়হাক্বী।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৪০৫০
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ، حَدَّثَنَا رَوْحٌ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ عُبَيْدَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، – رضى الله عنه – أَنَّهُ قَالَ نَهَى عَنْ مَيَاثِرِ الأُرْجُوَانِ .
‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নরম রেশমী জিনপোষে বসতে নিষেধ করা হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০৫১
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، وَمُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ هُبَيْرَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، – رضى الله عنه – قَالَ نَهَانِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ خَاتَمِ الذَّهَبِ وَعَنْ لُبْسِ الْقَسِّيِّ وَالْمِيثَرَةِ الْحَمْرَاءِ .
‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে নিষেধ করেছেন স্বর্ণের আংটি ব্যবহার করতে, রেশমী কাপড় পরতে এবং নরম তুলতুলে লাল রঙের রেশমী জিনপোষে বসতে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০৫২
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ شِهَابٍ الزُّهْرِيُّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، – رضى الله عنها – أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى فِي خَمِيصَةٍ لَهَا أَعْلاَمٌ فَنَظَرَ إِلَى أَعْلاَمِهَا فَلَمَّا سَلَّمَ قَالَ “ اذْهَبُوا بِخَمِيصَتِي هَذِهِ إِلَى أَبِي جَهْمٍ فَإِنَّهَا أَلْهَتْنِي آنِفًا فِي صَلاَتِي وَأْتُونِي بِأَنْبِجَانِيَّتِهِ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ أَبُو جَهْمِ بْنُ حُذَيْفَةَ مِنْ بَنِي عَدِيِّ بْنِ كَعْبِ بْنِ غَانِمٍ .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কারুকার্য খচিত একটি চাদর পরে সলাত আদায় করলেন, (সলাতের অবস্থায়) এর কারুকার্যের দিকে তাঁর দৃষ্টি চলে যায়। ফলে সালাম ফিরানোর পর তিনি বললেনঃ এ চাঁদরটি নিয়ে আবূ জাহমের (উপহারদাতার) নিকট যাও, এর কারুকার্য আমার সলাতে বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে এবং তার সাদা চাদর নিয়ে এসো।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০৫৩
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، – فِي آخَرِينَ – قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، نَحْوَهُ وَالأَوَّلُ أَشْبَعُ .
‘আয়িশাহ (রাঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত। তবে প্রথম বর্ণনাটি অধিক শুদ্ধ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১১
রেশমী সুতার সেলাই ও কারুকার্য করার অনুমতি সম্পর্কে
৪০৫৪
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ زِيَادٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ أَبُو عُمَرَ، مَوْلَى أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ قَالَ رَأَيْتُ ابْنَ عُمَرَ فِي السُّوقِ اشْتَرَى ثَوْبًا شَامِيًّا فَرَأَى فِيهِ خَيْطًا أَحْمَرَ فَرَدَّهُ فَأَتَيْتُ أَسْمَاءَ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهَا فَقَالَتْ يَا جَارِيَةُ نَاوِلِينِي جُبَّةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَأَخْرَجَتْ جُبَّةَ طَيَالِسَةَ مَكْفُوفَةَ الْجَيْبِ وَالْكُمَّيْنِ وَالْفَرْجَيْنِ بِالدِّيبَاجِ .
আস্মা বিনতু আবূ বাক্র (রাঃ)-এর আযাদকৃত গোলাম ‘আবদুল্লাহ আবূ ‘উমার (রহ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘উমার (রাঃ)-কে বাজারে একটি সিরীয় পোশাক কিনতে দেখলাম। তিনি তাতে লাল রঙের সূতা দেখে ফেরত দিলেন। আমি আস্মা (রাঃ)-এর নিকট এসে তা জানালাম। তিনি এক কৃতদাসীকে ডেকে বললেন, হে দাসী! রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জুব্বাটা আমার কাছে নিয়ে এসো। অতঃপর সে কারূকার্য খচিত পকেটে, দুই আস্তিনে ও আগে-পিছের ফাড়া স্থানে রেশমী কাজ করা একটি জুব্বা বের করে আনলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০৫৫
حَدَّثَنَا ابْنُ نُفَيْلٍ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا خُصَيْفٌ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ إِنَّمَا نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الثَّوْبِ الْمُصْمَتِ مِنَ الْحَرِيرِ فَأَمَّا الْعَلَمُ مِنَ الْحَرِيرِ وَسَدَى الثَّوْبِ فَلاَ بَأْسَ بِهِ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কেবল রেশমের তৈরী পোশাক পরতে বারণ করেছেন। তবে রেশমের কারুকার্য খচিত ও কাপড়ের দুই পাড়ে রেশমী সূতা থাকলে কোন অসুবিধা নেই।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১২
ওযরবশত রেশমী পোশাক পরা সম্পর্কে
৪০৫৬
حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا عِيسَى، – يَعْنِي ابْنَ يُونُسَ – عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ رَخَّصَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَلِلزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ فِي قُمُصِ الْحَرِيرِ فِي السَّفَرِ مِنْ حِكَّةٍ كَانَتْ بِهِمَا .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ ও যুবাইর ইবনুল ‘আওয়াম (রাঃ)-কে তাদের শরীরে চর্মরোগের কারণে সফরের সময় রেশমী পোশাক ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৩
নারীদের জন্য রেশমী পোশাক বৈধ
৪০৫৭
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي أَفْلَحَ الْهَمْدَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زُرَيْرٍ، – يَعْنِي الْغَافِقِيَّ – أَنَّهُ سَمِعَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، – رضى الله عنه – يَقُولُ إِنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَخَذَ حَرِيرًا فَجَعَلَهُ فِي يَمِينِهِ وَأَخَذَ ذَهَبًا فَجَعَلَهُ فِي شِمَالِهِ ثُمَّ قَالَ “ إِنَّ هَذَيْنِ حَرَامٌ عَلَى ذُكُورِ أُمَّتِي ” .
‘আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ‘আলী ইবনু আবূ ত্বালিব (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন, একদা আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ডান হাতে রেশম ও বাম হাতে স্বর্ণ নিয়ে বললেনঃ এ দু’টি জিনিস আমার উম্মাতের পুরুষদের জন্য হারাম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০৫৮
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، وَكَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ الْحِمْصِيَّانِ، قَالاَ حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، عَنِ الزُّبَيْدِيِّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ أَنَّهُ، رَأَى عَلَى أُمِّ كُلْثُومٍ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بُرْدًا سِيَرَاءَ . قَالَ وَالسِّيَرَاءُ الْمُضَلَّعُ بِالْقَزِّ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কন্যা উম্মে কুলসূম (রাঃ)-এর পরিধানে একটি রেশমী চাদর দেখেছেন। বর্ণনাকারী বলেন, (আরবী) হলো রেশমী সুতা দ্বারা কারুকার্য খচিত চাঁদর।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০৫৯
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، – يَعْنِي الزُّبَيْرِيَّ – حَدَّثَنَا مِسْعَرٌ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ كُنَّا نَنْزِعُهُ عَنِ الْغِلْمَانِ، وَنَتْرُكُهُ، عَلَى الْجَوَارِي . قَالَ مِسْعَرٌ فَسَأَلْتُ عَمْرَو بْنَ دِينَارٍ عَنْهُ فَلَمْ يَعْرِفْهُ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা ছেলেদের শরীর থেকে রেশমী জামা খুলে ফেলতাম এবং মেয়েদের গায়ে থাকতে দিতাম। মিস’আর (রহঃ) বলেন, এ বিষয়ে আমি ‘আমর ইবনু দীনারকে প্রশ্ন করলে তিনি কিছু বলতে পারেননি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৪
কারুকার্য খচিত ইয়ামানী চাঁদর পরা
৪০৬০
حَدَّثَنَا هُدْبَةُ بْنُ خَالِدٍ الأَزْدِيُّ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ قُلْنَا لأَنَسٍ – يَعْنِي ابْنَ مَالِكٍ – أَىُّ اللِّبَاسِ كَانَ أَحَبَّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَوْ أَعْجَبَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ الْحِبَرَةُ .
ক্বাতাদাহ (রহ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-কে প্রশ্ন করলাম, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট কোন জামা সবচেয়ে পছন্দনীয় ছিল বা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিল? তিনি বলেন, কারুকার্য খচিত ইয়ামানী চাদর।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৫
সাদা কাপড় পরিধান
৪০৬১
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ الْبَسُوا مِنْ ثِيَابِكُمُ الْبَيَاضَ فَإِنَّهَا خَيْرُ ثِيَابِكُمْ وَكَفِّنُوا فِيهَا مَوْتَاكُمْ وَإِنَّ خَيْرَ أَكْحَالِكُمُ الإِثْمِدُ يَجْلُو الْبَصَرَ وَيُنْبِتُ الشَّعْرَ ” .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা সাদা পোশাক পরো, কেননা তা তোমাদের সর্বোত্তম পোশাক। আর তোমাদের মৃতদেরকেও সাদা কাপড়ে কাফন দাও। আর তোমাদের উত্তম সুরমা হলো ‘ইসমিদ’ নামক সুরমা। কেননা তা দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে এবং চোখের পাপড়িতে চুল গজায়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৬
ময়লা কাপড় ধুয়ে পরিষ্কার করা
৪০৬২
حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا مِسْكِينٌ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، ح وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، عَنْ وَكِيعٍ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، نَحْوَهُ عَنْ حَسَّانَ بْنِ عَطِيَّةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ أَتَانَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرَأَى رَجُلاً شَعِثًا قَدْ تَفَرَّقَ شَعْرُهُ فَقَالَ ” أَمَا كَانَ يَجِدُ هَذَا مَا يُسَكِّنُ بِهِ شَعْرَهُ ” . وَرَأَى رَجُلاً آخَرَ وَعَلَيْهِ ثِيَابٌ وَسِخَةٌ فَقَالَ ” أَمَا كَانَ هَذَا يَجِدُ مَاءً يَغْسِلُ بِهِ ثَوْبَهُ ” .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের এখানে এসে এক বিক্ষিপ্ত চুলওয়ালাকে দেখে বললেনঃ লোকটি কি তার চুলগুলো আচঁড়ানোর জন্য কিছু পায় না? তিনি ময়লা কাপড় পরিহিত অপর ব্যক্তিকে দেখে বলেন: লোকটি কি তার কাপড় ধোয়ার জন্য কিছু পায়না?
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০৬৩
حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي ثَوْبٍ دُونٍ فَقَالَ ” أَلَكَ مَالٌ ” . قَالَ نَعَمْ . قَالَ ” مِنْ أَىِّ الْمَالِ ” . قَالَ قَدْ أَتَانِيَ اللَّهُ مِنَ الإِبِلِ وَالْغَنَمِ وَالْخَيْلِ وَالرَّقِيقِ . قَالَ ” فَإِذَا أَتَاكَ اللَّهُ مَالاً فَلْيُرَ أَثَرُ نِعْمَةِ اللَّهِ عَلَيْكَ وَكَرَامَتِهِ ” .
আবুল আহ্ওয়াস (রহ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি কম মূল্যের পোশাক পরে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসলে তিনি বললেনঃ তোমার ধন-সম্পদ আছে কি? তিনি বললেন, হাঁ। তিনি প্রশ্ন করলেনঃ কোন ধরনের সম্পদ? তিনি বললেন, আল্লাহ আমাকে উট, ছাগল, ঘোড়া ও দাস ইত্যাদি সম্পদ দিয়েছেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যেহেতু আল্লাহ তোমাকে সম্পদশালী করেছেন, কাজেই আল্লাহর নেয়ামত ও অনুগ্রহের নিদর্শন তোমার মাঝে প্রকাশিত হওয়া উচিত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৭
হলুদ রং দ্বারা রঞ্জিত করা
৪০৬৪
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ – عَنْ زَيْدٍ، – يَعْنِي ابْنَ أَسْلَمَ – أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، كَانَ يَصْبُغُ لِحْيَتَهُ بِالصُّفْرَةِ حَتَّى تَمْتَلِئَ ثِيَابُهُ مِنَ الصُّفْرَةِ فَقِيلَ لَهُ لِمَ تَصْبُغُ بِالصُّفْرَةِ فَقَالَ إِنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصْبُغُ بِهَا وَلَمْ يَكُنْ شَىْءٌ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْهَا وَقَدْ كَانَ يَصْبُغُ بِهَا ثِيَابَهُ كُلَّهَا حَتَّى عِمَامَتَهُ .
যায়িদ ইবনু আসলাম (রহ) থেকে বর্ণিতঃ
ইবনু ‘উমার (রাঃ) তার দাঁড়িতে পীত রঙের খেযাব লাগাতেন। এতে তার কাপড়েও ঐ রঙ লেগে যেতো। তাকে প্রশ্ন করা হলো, আপনি পীত রঙ ব্যবহার করেন কেন? তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এ রঙ ব্যবহার করতে দেখেছি এবং তাঁর নিকট এর চাইতে প্রিয় অন্য কোন রঙ ছিলো না। তিনি দাড়িতে রঙ লাগানোর সময় তাঁর কাপড়ে, এমনকি তাঁর পাগ্ড়িতে এ রঙ লেগে যেতো।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৮
সবুজ রং সম্পর্কে
৪০৬৫
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، – يَعْنِي ابْنَ إِيَادٍ – حَدَّثَنَا إِيَادٌ، عَنْ أَبِي رِمْثَةَ، قَالَ انْطَلَقْتُ مَعَ أَبِي نَحْوَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَرَأَيْتُ عَلَيْهِ بُرْدَيْنِ أَخْضَرَيْنِ .
আবূ রিমসাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি আমার পিতার সাথে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট গেলাম। তখন আমি তাঁর পরিধানে দু’টি সবুজ রঙের চাদর দেখেছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৯
লাল রং ব্যবহার করা
৪০৬৬
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ الْغَازِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ هَبَطْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ ثَنِيَّةٍ فَالْتَفَتَ إِلَىَّ وَعَلَىَّ رَيْطَةٌ مُضَرَّجَةٌ بِالْعُصْفُرِ فَقَالَ ” مَا هَذِهِ الرَّيْطَةُ عَلَيْكَ ” . فَعَرَفْتُ مَا كَرِهَ فَأَتَيْتُ أَهْلِي وَهُمْ يَسْجُرُونَ تَنُّورًا لَهُمْ فَقَذَفْتُهَا فِيهِ ثُمَّ أَتَيْتُهُ مِنَ الْغَدِ فَقَالَ ” يَا عَبْدَ اللَّهِ مَا فَعَلَتِ الرَّيْطَةُ ” . فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ ” أَلاَ كَسَوْتَهَا بَعْضَ أَهْلِكَ فَإِنَّهُ لاَ بَأْسَ بِهِ لِلنِّسَاءِ ” .
‘আমর ইবনু শু’আইব (রহ) হতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা দাদার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সঙ্গে একটি টিলা হতে নামছিলাম। তিনি আমার দিকে তাকাচ্ছিলেন, তখন আমার পরিধানে ঈষৎ লালের সাথে পীত বর্ণের একটি চাদর ছিল। তিনি বললেনঃ তোমার গায়ে এ চাদর কেন? আমি তাঁর অসন্তুষ্টি বুঝতে পারলাম এবং বাড়ীতে এসে দেখলাম, পরিবারের লোকজন চুলায় রান্না করছে। আমি চাদরটা আগুনে ফেলে দিলাম। অতঃপর আমি সকালে তাঁর নিকট আসতেই তিনি প্রশ্ন করলেনঃ হে আল্লাহর বান্দা! তোমার ঐ চাদরটি কি করেছো? আমি তাকে বিষয়টি অবহিত করলাম। তিনি বললেন, তুমি বরং সেটা তোমার পরিবারের কোন নারীকে ব্যবহার করতে দিতে। কেননা নারীদের জন্য এতে কোন অসুবিধা নেই।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৪০৬৭
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، قَالَ قَالَ هِشَامٌ – يَعْنِي ابْنَ الْغَازِ – الْمُضَرَّجَةُ الَّتِي لَيْسَتْ بِمُشَبَّعَةٍ وَلاَ الْمُوَرَّدَةُ .
হিশাম ইবনুল গায (রহ) থেকে বর্ণিতঃ
পূর্বের হাদীসে (আরবি) বলতে এমন রঙ বুঝানো হয়েছে যা গাঢ় লাল নয় এবং ফিকে লালও নয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু
- সরাসরি
৪০৬৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ شُرَحْبِيلَ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ شُفْعَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، قَالَ رَآنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم – قَالَ أَبُو عَلِيٍّ اللُّؤْلُؤِيُّ أُرَاهُ – وَعَلَىَّ ثَوْبٌ مَصْبُوغٌ بِعُصْفُرٍ مُوَرَّدٍ فَقَالَ ” مَا هَذَا ” . فَانْطَلَقْتُ فَأَحْرَقْتُهُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” مَا صَنَعْتَ بِثَوْبِكَ ” . فَقُلْتُ أَحْرَقْتُهُ . قَالَ ” أَفَلاَ كَسَوْتَهُ بَعْضَ أَهْلِكَ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ ثَوْرٌ عَنْ خَالِدٍ فَقَالَ مُوَرَّدٌ وَطَاوُسٌ قَالَ مُعَصْفَرٌ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর ইবনুস ‘আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার দিকে তাকালেন। (আবূ ‘আলী বলেন, আমার ধারণা তিনি বলেছেন) এ সময় আমার গায়ে ছিল হলদে গোলাপী রঙ মিশানো একটি জামা। তিনি বললেনঃ এরূপ কাপড় পরেছ কেন? অতঃপর আমি চলে আসলাম এবং তা পুড়ে ফেললাম। পরে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তোমার কাপড়টি কি করেছ? আমি বললাম, জ্বালিয়ে দিয়েছি। তিনি বললেনঃ তোমার পরিবারের কোন নারীকে তা ব্যবহার করতে দিলেও তো পারতে। [৪০৬৮]
[৪০৬৮] এটি আবূ দাউদ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। এর সানাদের শুরাহবীল ইবনু মুসলিম সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ মাক্ববূল।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৪০৬৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُزَابَةَ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، – يَعْنِي ابْنَ مَنْصُورٍ – حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي يَحْيَى، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ مَرَّ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ عَلَيْهِ ثَوْبَانِ أَحْمَرَانِ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَيْهِ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি দু’টি লাল কাপড় পরে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পাশ দিয়ে অতিক্রমের সময় তাঁকে সালাম দিলো। কিন্তু নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার সালামের জবাব দেননি। [৪০৬৯]
[৪০৬৯] তিরমিযী, ইমাম তিরমিযী বলেনঃ এই সূত্রে হাদীসটি হাসান গরীব। সানাদে আবূ ইয়াহইয়া সম্পর্কে হাফিয আত-তাক্ববীর গ্রন্থে বলেনঃ হাদীস বর্ণনায় শিথিল। ইবনু হিব্বান বলেনঃ তার সন্দেহ প্রচুর।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৪০৭০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، أَخْبَرَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنِ الْوَلِيدِ، – يَعْنِي ابْنَ كَثِيرٍ – عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ بَنِي حَارِثَةَ عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَرَأَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى رَوَاحِلِنَا وَعَلَى إِبِلِنَا أَكْسِيَةً فِيهَا خُيُوطُ عِهْنٍ حُمْرٌ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَلاَ أَرَى هَذِهِ الْحُمْرَةَ قَدْ عَلَتْكُمْ ” . فَقُمْنَا سِرَاعًا لِقَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى نَفَرَ بَعْضُ إِبِلِنَا فَأَخَذْنَا الأَكْسِيَةَ فَنَزَعْنَاهَا عَنْهَا .
রাফী’ ইবনু খাদীজ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথে সফরে বের হলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের হাওদাগুলোতে ও উটের পিঠে তুলার লাল সূতার ডোরাযুক্ত চাঁদরগুলো দেখে বললেনঃ আমি দেখছি যে, লাল রঙ তোমাদের কাবু কুরে ফেলেছে। রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একথায় আমারা লাল কাপড় সরানোর জন্য এতো দ্রুত ছুটলাম যে, কতগুলো উট ভয় পেয়ে পালাতে লাগলো। আমরা চাঁদরগুলো খুলে ফেললাম। [৪০৭০]
[৪০৭০] আহমাদ। এর সানাদে নাম উল্লেখহীন জনৈক ব্যক্তি রয়েছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৪০৭১
حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْفٍ الطَّائِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنِي أَبِي، – قَالَ ابْنُ عَوْفٍ الطَّائِيُّ وَقَرَأْتُ فِي أَصْلِ إِسْمَاعِيلَ – قَالَ حَدَّثَنِي ضَمْضَمٌ – يَعْنِي ابْنَ زُرْعَةَ – عَنْ شُرَيْحِ بْنِ عُبَيْدٍ عَنْ حَبِيبِ بْنِ عُبَيْدٍ عَنْ حُرَيْثِ بْنِ الأَبَحِّ السَّلِيحِيِّ أَنَّ امْرَأَةً مِنْ بَنِي أَسَدٍ قَالَتْ كُنْتُ يَوْمًا عِنْدَ زَيْنَبَ امْرَأَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ نَصْبُغُ ثِيَابًا لَهَا بِمَغْرَةٍ فَبَيْنَا نَحْنُ كَذَلِكَ إِذْ طَلَعَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا رَأَى الْمَغْرَةَ رَجَعَ فَلَمَّا رَأَتْ ذَلِكَ زَيْنَبُ عَلِمَتْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ كَرِهَ مَا فَعَلَتْ فَأَخَذَتْ فَغَسَلَتْ ثِيَابَهَا وَوَارَتْ كُلَّ حُمْرَةٍ ثُمَّ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَجَعَ فَاطَّلَعَ فَلَمَّا لَمْ يَرَ شَيْئًا دَخَلَ .
হুরাইস ইবনুল আবাজ্জ আস-সালীহী (রহ) থেকে বর্ণিতঃ
বনী আসাদের এক মহিলা বলেন, একদিন আমি রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্ত্রী যাইনাব (রাঃ) এর কাছে ছিলাম। আমরা তার কাপড়ে লাল গেরুয়া রঙ লাগাচ্ছিলাম, তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেখানে আসলেন এবং গেরুয়া রঙ দেখে চলে গেলেন। যাইনাব (রাঃ) তখন বুঝতে পারলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর কাজে অসন্তষ্ট হয়েছেন। সুতরাং তিনি কাপড় ধুয়ে সবটুকু লাল রঙ উঠিয়ে ফেলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফিরে এসে তা দেখতে না পেয়ে ঘরে প্রবেশ করেন। [৪০৭১]
[৪০৭১] আবূ দাউদ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সানাদের হুরাইস ইবনু আবাহ সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ মাজহুল।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-২০
লাল রং ব্যবহারের অনুমতি
৪০৭২
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ النَّمَرِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَهُ شَعْرٌ يَبْلُغُ شَحْمَةَ أُذُنَيْهِ وَرَأَيْتُهُ فِي حُلَّةٍ حَمْرَاءَ لَمْ أَرَ شَيْئًا قَطُّ أَحْسَنَ مِنْهُ .
আল-বারাআ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চুল কানের লতি পর্যন্ত লম্বা ছিল। আর আমি তাঁকে লাল রং-এর চাদর পরিহিত দেখেছি। ইতোপূর্বে তাঁর চেয়ে চমৎকার কিছু দেখিনি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০৭৩
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ عَامِرٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمِنًى يَخْطُبُ عَلَى بَغْلَةٍ وَعَلَيْهِ بُرْدٌ أَحْمَرُ وَعَلِيٌّ – رضى الله عنه – أَمَامَهُ يُعَبِّرُ عَنْهُ .
হিলাল ইবনু ‘আমির (রাঃ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে ‘মিনা’ উপত্যকায় লাল রঙ এর চাদর পরে একটি খচ্চরের পিঠে আরোহিত অবস্থায় ভাষণ দিতে দেখেছি। ‘আলী (রাঃ) তাঁর সামনে থেকে তাঁর ভাষণ উচ্চস্বরে পুনরাবৃত্তি করছিলেন
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-২১
কালো রং ব্যবহার করা
৪০৭৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ عَائِشَةَ، – رضى الله عنها – قَالَتْ صَنَعْتُ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بُرْدَةً سَوْدَاءَ فَلَبِسَهَا فَلَمَّا عَرَقَ فِيهَا وَجَدَ رِيحَ الصُّوفِ فَقَذَفَهَا . قَالَ وَأَحْسِبُهُ قَالَ وَكَانَ تُعْجِبُهُ الرِّيحُ الطَّيِّبَةُ .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য একটা কালো চাদর রঙ করে দিলাম। তিনি তা পরিধান করলেন। তিনি ঘামের কারণে পশমের দুর্গন্ধ পেয়ে তা খুলে ফেললেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমার ধারণা (ঊর্ধ্বতন বর্ণনাকারী) বলেছেন, সুগন্ধি তাঁর খুব প্রিয় ছিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-২২
কাপড়ের ঝালর সম্পর্কে
৪০৭৫
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْقُرَشِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، أَخْبَرَنَا يُونُسُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنْ عُبَيْدَةَ أَبِي خِدَاشٍ، عَنْ أَبِي تَمِيمَةَ الْهُجَيْمِيِّ، عَنْ جَابِرٍ، – يَعْنِي ابْنَ سُلَيْمٍ – قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ مُحْتَبٍ بِشَمْلَةٍ وَقَدْ وَقَعَ هُدْبُهَا عَلَى قَدَمَيْهِ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে দেখলাম, তিনি চাদর জড়িয়ে আছেন, চাঁদরের ঝালর তাঁর দু’ পায়ের উপর ঝুলছে। [৪০৭৫]
[৪০৭৫] আহমাদ, বায়হাক্বী।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-২৩
পাগড়ি সম্পর্কে
৪০৭৬
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، وَمُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالُوا حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ عَامَ الْفَتْحِ مَكَّةَ وَعَلَيْهِ عِمَامَةٌ سَوْدَاءُ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাক্কাহ বিজয়ের সময় কালো পাগড়ি পরিহিত অবস্থায় মক্কায় প্রবেশ করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০৭৭
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ مُسَاوِرٍ الْوَرَّاقِ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَلَى الْمِنْبَرِ وَعَلَيْهِ عِمَامَةٌ سَوْدَاءُ قَدْ أَرْخَى طَرَفَيْهَا بَيْنَ كَتِفَيْهِ .
আমর ইবনু হুরাইস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কালো পাগ্ড়ি পরিহিত অবস্থায় মিম্বারে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিতে দেখেছি, তাঁর পাগড়ির দু’পাশ তাঁর কাঁধের উপর ঝুলছিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০৭৮
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَبِيعَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو الْحَسَنِ الْعَسْقَلاَنِيُّ، عَنْ أَبِي جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ رُكَانَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رُكَانَةَ، صَارَعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَصَرَعَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَالَ رُكَانَةُ وَسَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ فَرْقُ مَا بَيْنَنَا وَبَيْنَ الْمُشْرِكِينَ الْعَمَائِمُ عَلَى الْقَلاَنِسِ ” .
আবূ জা’ফার ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু ‘আলী ইবনু রুকানাহ (রহ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
এই রুকানাহ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে মল্লযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন এবং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে মল্লযুদ্ধে ভূপাতিত করেন। রুকানাহ (রাঃ) বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ আমাদের ও মুশরিকদের মাঝে পার্থক্য হল, টুপির উপর পাগড়ি পরিধান করা।[৪০৭৮]
[৪০৭৮] তিরমিযী, হাকিম। ইমাম তিরমিযী বলেনঃ ‘এই হাদীসটি হাসান গরীব, এর সানাদ প্রতিষ্ঠিত নয়, আমরা সানাদের আবুল হাসান আসকালানী এবং তার ছেলে রুকানাহকে চিনি না।’ হাকিম ও যাহাবী নীরব থেকেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৪০৭৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، مَوْلَى بَنِي هَاشِمٍ حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُثْمَانَ الْغَطَفَانِيُّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ خَرَّبُوذَ، حَدَّثَنِي شَيْخٌ، مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ، يَقُولُ عَمَّمَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَدَلَهَا بَيْنَ يَدَىَّ وَمِنْ خَلْفِي .
‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে পাগড়ি পরিয়েছেন এবং তার প্রান্তভাগ আমার সামনে ও পিছনে ঝুলিয়ে দিয়েছেন। [৪০৭৯]
[৪০৭৯] তিরমিযী, আহমাদ। ইমাম তিরমিযী বলেনঃ এ সূত্রে হাদীসটি হাসান সহীহ গরীব।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-২৪
আঁটসাট কাপর পরা নিষেধ
৪০৮০
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ لِبْسَتَيْنِ أَنْ يَحْتَبِيَ الرَّجُلُ مُفْضِيًا بِفَرْجِهِ إِلَى السَّمَاءِ وَيَلْبَسَ ثَوْبَهُ وَأَحَدُ جَانِبَيْهِ خَارِجٌ وَيُلْقِي ثَوْبَهُ عَلَى عَاتِقِهِ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুইভাবে কাপড় পরতে নিষেধ করেছেন। (১) মানুষের এমনভাবে লেপ্টে পোশাক পরা যে, লজ্জাস্থান আকাশের দিকে উন্মুক্ত হয়ে থাকে, (২) কাপড় এভাবে পরা যে, শরীরের একদিক বের হয়ে থাকে, আর অবশিষ্ট কাপড় কাঁধে ফেলে রাখা হয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০৮১
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الصَّمَّاءِ وَعَنْ الاِحْتِبَاءِ فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুই হাত ভিতরে রেখে আঁটসাঁট কাপড় পরতে এবং এক কাপড়ে জড়সড় হয়ে দুই হাতে হাঁটু জড়িয়ে বসতে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-২৫
বোতাম খোলা রাখা বৈধ
৪০৮২
حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، وَأَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، قَالاَ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا عُرْوَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، – قَالَ ابْنُ نُفَيْلٍ ابْنُ قُشَيْرٍ أَبُو مَهَلٍ الْجُعْفِيُّ – حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ قُرَّةَ، حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ، أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي رَهْطٍ مِنْ مُزَيْنَةَ فَبَايَعْنَاهُ وَإِنَّ قَمِيصَهُ لَمُطْلَقُ الأَزْرَارِ – قَالَ – فَبَايَعْتُهُ ثُمَّ أَدْخَلْتُ يَدِي فِي جَيْبِ قَمِيصِهِ فَمَسِسْتُ الْخَاتَمَ . قَالَ عُرْوَةُ فَمَا رَأَيْتُ مُعَاوِيَةَ وَلاَ ابْنَهُ قَطُّ إِلاَّ مُطْلِقِي أَزْرَارِهِمَا فِي شِتَاءٍ وَلاَ حَرٍّ وَلاَ يُزَرِّرَانِ أَزْرَارَهُمَا أَبَدًا .
মু’আবিয়াহ ইবনু কুররাহ (রহ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার পিতা বলেন, আমি মুযাইনাহ গোত্রের প্রতিনিধি দলের সাথে রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাছে বাই’আত করতে যাই। আমরা তাঁর নিকট বাই’আত নিলাম। এসময় তাঁর জামার বোতাম খোলা ছিল। আমি আমার হাত তাঁর জামার বুকের ফাঁক দিয়ে ভিতরে ঢুকিয়ে মোহরে নবূওয়াত স্পর্শ করলাম। ‘উরওয়াহ (রহঃ) বলেন, এরপর থেকে মুআবিয়াহ ও তার ছেলেকে সর্বদা তাদের জামার বোতাম খুলে রাখতে দেখেছি। চাই তা শীতকাল হোক বা গরমকাল, তারা কখনো বোতাম লাগাতেন না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-২৬
চাঁদর মুড়ি দিয়ে মাথা ঢেকে রাখা সম্পর্কে
৪০৮৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ دَاوُدَ بْنِ سُفْيَانَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، قَالَ قَالَ الزُّهْرِيُّ قَالَ عُرْوَةُ قَالَتْ عَائِشَةُ رضى الله عنها بَيْنَا نَحْنُ جُلُوسٌ فِي بَيْتِنَا فِي نَحْرِ الظَّهِيرَةِ قَالَ قَائِلٌ لأَبِي بَكْرٍ رضى الله عنه هَذَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُقْبِلاً مُتَقَنِّعًا فِي سَاعَةٍ لَمْ يَكُنْ يَأْتِينَا فِيهَا فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاسْتَأْذَنَ فَأُذِنَ لَهُ فَدَخَلَ .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলে, একদা ঠিক দুপুরের প্রথমভাগে আমরা সবাই আমাদের ঘরে বসা। তখন এক ব্যাক্তি আবূ বকর (রাঃ)-কে বললো, ওই তো রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চাদর মুড়িয়ে এদিকে আসছেন। তিনি তো সাধারণত এসময়ে আমাদের এখানে আসেন না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এসে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি চাইলেন। তাঁকে অনুমতি দেয়া হলে তিনি ভেতরে ঢুকলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-২৭
লুঙ্গি-পাজামা পায়ের টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে পরার পরিনতি
৪০৮৪
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ أَبِي غِفَارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو تَمِيمَةَ الْهُجَيْمِيُّ، – وَأَبُو تَمِيمَةَ اسْمُهُ طَرِيفُ بْنُ مُجَالِدٍ – عَنْ أَبِي جُرَىٍّ، جَابِرِ بْنِ سُلَيْمٍ قَالَ رَأَيْتُ رَجُلاً يَصْدُرُ النَّاسُ عَنْ رَأْيِهِ، لاَ يَقُولُ شَيْئًا إِلاَّ صَدَرُوا عَنْهُ قُلْتُ مَنْ هَذَا قَالُوا هَذَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قُلْتُ عَلَيْكَ السَّلاَمُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَرَّتَيْنِ . قَالَ ” لاَ تَقُلْ عَلَيْكَ السَّلاَمُ . فَإِنَّ عَلَيْكَ السَّلاَمُ تَحِيَّةُ الْمَيِّتِ قُلِ السَّلاَمُ عَلَيْكَ ” . قَالَ قُلْتُ أَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” أَنَا رَسُولُ اللَّهِ الَّذِي إِذَا أَصَابَكَ ضُرٌّ فَدَعَوْتَهُ كَشَفَهُ عَنْكَ وَإِنْ أَصَابَكَ عَامُ سَنَةٍ فَدَعَوْتَهُ أَنْبَتَهَا لَكَ وَإِذَا كُنْتَ بِأَرْضٍ قَفْرَاءَ أَوْ فَلاَةٍ فَضَلَّتْ رَاحِلَتُكَ فَدَعَوْتَهُ رَدَّهَا عَلَيْكَ ” . قُلْتُ اعْهَدْ إِلَىَّ . قَالَ ” لاَ تَسُبَّنَّ أَحَدًا ” . قَالَ فَمَا سَبَبْتُ بَعْدَهُ حُرًّا وَلاَ عَبْدًا وَلاَ بَعِيرًا وَلاَ شَاةً . قَالَ ” وَلاَ تَحْقِرَنَّ شَيْئًا مِنَ الْمَعْرُوفِ وَأَنْ تُكَلِّمَ أَخَاكَ وَأَنْتَ مُنْبَسِطٌ إِلَيْهِ وَجْهُكَ إِنَّ ذَلِكَ مِنَ الْمَعْرُوفِ وَارْفَعْ إِزَارَكَ إِلَى نِصْفِ السَّاقِ فَإِنْ أَبَيْتَ فَإِلَى الْكَعْبَيْنِ وَإِيَّاكَ وَإِسْبَالَ الإِزَارِ فَإِنَّهَا مِنَ الْمَخِيلَةِ وَإِنَّ اللَّهَ لاَ يُحِبُّ الْمَخِيلَةَ وَإِنِ امْرُؤٌ شَتَمَكَ وَعَيَّرَكَ بِمَا يَعْلَمُ فِيكَ فَلاَ تُعَيِّرْهُ بِمَا تَعْلَمُ فِيهِ فَإِنَّمَا وَبَالُ ذَلِكَ عَلَيْهِ ” .
আবু জুরায়্যি জাবির ইবনু সুলাইম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি এমন এক ব্যক্তিকে দেখেছি, যার কথা সবাই মেনে চলে এবং যা কিছু বলেন সবাই তা পালন করে। আমি বললাম, ইনি কে? তারা বললো, ইনি হলেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। আমি দুইবার বললাম, ‘আলাইকাস সালাম ইয়া রাসূলুল্লাহ! তিনি বললেনঃ ‘আলাইকাস সালাম বলো না, কেননা ‘আলাইকাস সালাম দ্বারা মৃত ব্যক্তিকে সালাম দেয়া হয়। বরং তুমি বলো, আস্সালামু ‘আলাইকা। বর্ণনাকারী বলেন, আমি প্রশ্ন করলাম, আপনি কি আল্লাহর রাসূল? তিনি বললেনঃ আমি সেই আল্লাহর রাসূল, যাকে তুমি বিপদে পড়ে ডাকলে তিনি তোমার বিপদ দূর করেন; দুর্ভিক্ষের সময়ে তাঁকে ডাকলে তিনি তোমার জন্য খাদ্যশস্য উৎপাদন করেন; ঘাস-পানিহীন মরু প্রান্তরে তোমার সওয়ারী হারিয়ে গেলে তাঁকে ডাকলে তিনি তোমার নিকট তা ফিরিয়ে দেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি তাঁকে আমাকে উপদেশ প্রদানের অনুরোধ জানালাম। তিনি বললেনঃ তুমি কখনো কাউকে গালি দিবে না। বর্ণনাকারী বলেন, এর পরে আমি কখনো স্বাধীন, গোলাম, উট ও ছাগল কোন কিছুকেই গালি দেইনি। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ভালো কাজে অবজ্ঞা প্রদর্শন করো না। তোমার ভাইয়ের সাথে হাসিমুখে কথা বলাটা নিঃসন্দেহে ভালো কাজের অন্তর্ভুক্ত। তোমার কাপড় পায়ের নলার মাঝামাঝি পর্যন্ত উঠিয়ে রাখো, যদি এতে সন্তষ্ট না হও তবে টাখনু পর্যন্ত রাখো। টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে পরা হতে সাবধান; কারণ তা করা অহংকারের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ অহংকার পছন্দ করেন না। কেউ যদি তোমার মধ্যকার জানা কোন দোষ উল্লেখ করে তোমাকে মন্দ কথা বলে এবং লজ্জিত করে তবে তুমি কিন্তু তাঁর জ্ঞাত দোষ উল্লেখ করে তাকে লজ্জা দিবে না। কেননা এর কৃতকর্মের প্রতিফল তাকে ভোগ করতেই হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০৮৫
حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” مَنْ جَرَّ ثَوْبَهُ خُيَلاَءَ لَمْ يَنْظُرِ اللَّهُ إِلَيْهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ” . فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ إِنَّ أَحَدَ جَانِبَىْ إِزَارِي يَسْتَرْخِي إِنِّي لأَتَعَاهَدُ ذَلِكَ مِنْهُ . قَالَ ” لَسْتَ مِمَّنْ يَفْعَلُهُ خُيَلاَءَ ” .
সালিম ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি অহংকার বশতঃ পরিধেয় বস্ত্র মাটিতে হেঁচড়িয়ে চলে, ক্বিয়ামাতের দিন আল্লাহ তার দিকে তাকাবেন না। একথা শুনে আবূ বকর (রাঃ) বললেন, আমার লুঙ্গির একদিক মাঝে মধ্যে ঝুলে পড়ে। আমি তো সেদিকে সর্বদা সতর্ক হতে পারি না। তিনি বললেনঃ যারা অহংকারবশে এরূপ করে আপনি তো তাদের মত নন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০৮৬
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ بَيْنَمَا رَجُلٌ يُصَلِّي مُسْبِلاً إِزَارَهُ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” اذْهَبْ فَتَوَضَّأْ ” . فَذَهَبَ فَتَوَضَّأَ ثُمَّ جَاءَ ثُمَّ قَالَ ” اذْهَبْ فَتَوَضَّأْ ” . فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا لَكَ أَمَرْتَهُ أَنْ يَتَوَضَّأَ ثُمَّ سَكَتَّ عَنْهُ قَالَ ” إِنَّهُ كَانَ يُصَلِّي وَهُوَ مُسْبِلٌ إِزَارَهُ وَإِنَّ اللَّهَ لاَ يَقْبَلُ صَلاَةَ رَجُلٍ مُسْبِلٍ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তি লুঙ্গি ঝুলিয়ে সলাত আদায় করছিল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ যাও, উযু করে এসো। লোকটি গিয়ে উযু করে আসলে তিনি তাকে বললেনঃ যাও, উযু করে এসো। লোকটি গিয়ে উযু করে এলে তিনি তাকে আবার বললেনঃ যাও, উযু করে আসো। তখন এক লোক তাঁকে জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি তাকে কি জন্য উযুর আদেশ দিলেন, অতঃপর তিনি নীরব থাকলেন। তিনি বলেনঃ লোকটি লুঙ্গি ঝুলিয়ে সলাত আদায় করছিল। মহান আল্লাহ ঐ লোকের সলাত কবুল করেন না যে টাখনুর নীচে লুঙ্গি ঝুলিয়ে সলাত আদায় করে। [৪০৮৬]
[৪০৮৬] এর সানাদ দুর্বল। এটি গত হয়েছে হা/৬৩৮।।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৪০৮৭
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُدْرِكٍ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ خَرَشَةَ بْنِ الْحُرِّ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ” ثَلاَثَةٌ لاَ يُكَلِّمُهُمُ اللَّهُ وَلاَ يَنْظُرُ إِلَيْهِمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلاَ يُزَكِّيهِمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ ” . قُلْتُ مَنْ هُمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ خَابُوا وَخَسِرُوا أَعَادَهَا ثَلاَثًا . قُلْتُ مَنْ هُمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ خَابُوا وَخَسِرُوا فَقَالَ ” الْمُسْبِلُ وَالْمَنَّانُ وَالْمُنْفِقُ سِلْعَتَهُ بِالْحَلِفِ الْكَاذِبِ ” . أَوِ ” الْفَاجِرِ ” .
আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তিন প্রকার লোকের সাথে কথা বলবেন না, তাদের প্রতি (রহমাতের নজরে) দেখবেন না এবং তাদেরকে পবিত্র করবেন না, আর তারা কঠিন শাস্তি ভোগ করবে। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! এরা কারা? নিঃসন্দেহে এরা ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একথাটা তিন বার বললেন, আর আমিও তাঁকে প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! এরা কেমন লোক? এরা তো ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তিনি বললেনঃ(১) যে ব্যক্তি টাখনুর নীচে কাপড় ঝুলিয়ে রাখে; (২) যে ব্যক্তি দান করে খোঁটা দেয় এবং (৩) যে ব্যক্তি মিথ্যা বা ধোঁকাপূর্ণ কসম করে পণ্য বিক্রি করে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০৮৮
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُسْهِرٍ، عَنْ خَرَشَةَ بْنِ الْحُرِّ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا وَالأَوَّلُ أَتَمُّ قَالَ “ الْمَنَّانُ الَّذِي لاَ يُعْطِي شَيْئًا إِلاَّ مَنَّهُ ” .
আবূ যার (রাঃ) হতে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সুত্র থেকে বর্ণিতঃ
উপরের হাদীস বর্ণিত। তাঁর প্রথম হাদীসটি পুর্ণাঙ্গ। বর্ণনাকারী বলেন, “আল-মান্নান” হলো, যে কাউকে কোন কিছু দান করলেই খোঁটা দেয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০৮৯
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، – يَعْنِي عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ عَمْرٍو – حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ بِشْرٍ التَّغْلِبِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبِي، – وَكَانَ جَلِيسًا لأَبِي الدَّرْدَاءِ – قَالَ كَانَ بِدِمَشْقَ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يُقَالُ لَهُ ابْنُ الْحَنْظَلِيَّةِ وَكَانَ رَجُلاً مُتَوَحِّدًا قَلَّمَا يُجَالِسُ النَّاسَ إِنَّمَا هُوَ صَلاَةٌ فَإِذَا فَرَغَ فَإِنَّمَا هُوَ تَسْبِيحٌ وَتَكْبِيرٌ حَتَّى يَأْتِيَ أَهْلَهُ فَمَرَّ بِنَا وَنَحْنُ عِنْدَ أَبِي الدَّرْدَاءِ فَقَالَ لَهُ أَبُو الدَّرْدَاءِ كَلِمَةً تَنْفَعُنَا وَلاَ تَضُرُّكَ قَالَ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَرِيَّةً فَقَدِمَتْ فَجَاءَ رَجُلٌ مِنْهُمْ فَجَلَسَ فِي الْمَجْلِسِ الَّذِي يَجْلِسُ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لِرَجُلٍ إِلَى جَنْبِهِ لَوْ رَأَيْتَنَا حِينَ الْتَقَيْنَا نَحْنُ وَالْعَدُوُّ فَحَمَلَ فُلاَنٌ فَطَعَنَ فَقَالَ خُذْهَا مِنِّي وَأَنَا الْغُلاَمُ الْغِفَارِيُّ كَيْفَ تَرَى فِي قَوْلِهِ قَالَ مَا أُرَاهُ إِلاَّ قَدْ بَطَلَ أَجْرُهُ فَسَمِعَ بِذَلِكَ آخَرُ فَقَالَ مَا أَرَى بِذَلِكَ بَأْسًا فَتَنَازَعَا حَتَّى سَمِعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ” سُبْحَانَ اللَّهِ لاَ بَأْسَ أَنْ يُؤْجَرَ وَيُحْمَدَ ” . فَرَأَيْتُ أَبَا الدَّرْدَاءِ سُرَّ بِذَلِكَ وَجَعَلَ يَرْفَعُ رَأْسَهُ إِلَيْهِ وَيَقُولُ أَنْتَ سَمِعْتَ ذَلِكَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَيَقُولُ نَعَمْ . فَمَا زَالَ يُعِيدُ عَلَيْهِ حَتَّى إِنِّي لأَقُولُ لَيَبْرُكَنَّ عَلَى رُكْبَتَيْهِ . قَالَ فَمَرَّ بِنَا يَوْمًا آخَرَ فَقَالَ لَهُ أَبُو الدَّرْدَاءِ كَلِمَةً تَنْفَعُنَا وَلاَ تَضُرُّكَ قَالَ قَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” الْمُنْفِقُ عَلَى الْخَيْلِ كَالْبَاسِطِ يَدَهُ بِالصَّدَقَةِ لاَ يَقْبِضُهَا ” . ثُمَّ مَرَّ بِنَا يَوْمًا آخَرَ فَقَالَ لَهُ أَبُو الدَّرْدَاءِ كَلِمَةً تَنْفَعُنَا وَلاَ تَضُرُّكَ . قَالَ قَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” نِعْمَ الرَّجُلُ خُرَيْمٌ الأَسَدِيُّ لَوْلاَ طُولُ جُمَّتِهِ وَإِسْبَالُ إِزَارِهِ ” . فَبَلَغَ ذَلِكَ خُرَيْمًا فَعَجِلَ فَأَخَذَ شَفْرَةً فَقَطَعَ بِهَا جُمَّتَهُ إِلَى أُذُنَيْهِ وَرَفَعَ إِزَارَهُ إِلَى أَنْصَافِ سَاقَيْهِ . ثُمَّ مَرَّ بِنَا يَوْمًا آخَرَ فَقَالَ لَهُ أَبُو الدَّرْدَاءِ كَلِمَةً تَنْفَعُنَا وَلاَ تَضُرُّكَ فَقَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ” إِنَّكُمْ قَادِمُونَ عَلَى إِخْوَانِكُمْ فَأَصْلِحُوا رِحَالَكُمْ وَأَصْلِحُوا لِبَاسَكُمْ حَتَّى تَكُونُوا كَأَنَّكُمْ شَامَةٌ فِي النَّاسِ فَإِنَّ اللَّهَ لاَ يُحِبُّ الْفُحْشَ وَلاَ التَّفَحُّشَ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَلِكَ قَالَ أَبُو نُعَيْمٍ عَنْ هِشَامٍ قَالَ حَتَّى تَكُونُوا كَالشَّامَةِ فِي النَّاسِ .
ক্বায়িস ইবনু বিশর আত-তাগ্লিবী (রহ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার পিতা আমার কাছে বর্ণনা করেন, তিনি আবূ দারদান (রাঃ)এর সঙ্গি ছিলেন। তিনি বলেন, সে সময় দামিশকে ইবনুল ‘হান্যালিয়া’ (রাঃ) নামে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর এক সাহাবী বাস করতেন, যিনি নিঃসঙ্গ থাকতেন, লোকজনের সাথে খুব কম মিশতেন। তিনি অধিকাংশ সময় সালাতে মশগুল থাকতেন, সালাত শেষ হলে তাসবীহ্-তাহলীলে মশগুল হতেন, এরপর বাড়ী ফিরে যেতেন। তিনি বলেন, একদা আমরা আবূ দারদার (রাঃ) নিকট বসা, তখন তিনি আমাদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। আবূ দারদা (রাঃ) তাকে বললেন, আপনি এমন একটি কথা শুনান যা আমদের উপকারে আসবে, অথচ আপনার ক্ষতি হবে না। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন অভিযানে একটি বাহিনী পাঠালেন। বাহিনী যুদ্ধক্ষেত্র হতে ফেরার পর তাদের এক ব্যক্তি এসে রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্থানে বসে পড়লো এবং তাঁর পাশের এক ব্যক্তিকে বললো, যদি তুমি দেখতে, আমরা যখন শত্রুবাহিনীর মুখোমুখী হই, তখন অমুক কোন শত্রুর উপর বর্শা নিক্ষেপ করলো, আর শত্রু কে বললো, এবার সামাল দাও দেখি এই বর্শাটা, আমি তো গিফার বংশের ছেলে। সে বলল, আমার মতে তার নেকি বিনষ্ট হয়েছে। আরেকজন তার এ মন্তব্য শুনে বলল, আমর মতে তার কোন দোষ হবে না। অতঃপর তারা এ নিয়ে কথা ঝগড়ায় লিপ্ত হলো। এমনকি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একথা শুনতে পেয়ে বললেনঃ আল্লাহ পবিত্র, সওয়াব পাওয়াতে এবং প্রশংসিত হওয়াতে কোন দোষ নেই। আমি আবূ দারদা(রাঃ)-কে খুশি হতে দেখলাম। তিনি তার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলেন, আপনি এটা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট থেকে শুনেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তিনি বারবার এ কথা বলতে লাগলেন। অবশেষে আমি বললাম, তিনি হয়ত তার হাটুঁদ্বয়ে চেপে বসবেন। তিনি বলেন, আরেকদিন তিনি আমাদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন আবূ দারদা(রাঃ) তাকে অনুরোধ করলেন, আপনি এমন কিছু বলুন যা আমাদের উপকারে আসবে; কিন্ত আপনার কোন ক্ষতি হবে না। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের বলেনঃ ঘোড়ার জন্য খরচকারী খোলা হাতে সদাক্বাহকারীর মত যে দান করা হতে বিরত হয় না। অতঃপর আরেকদিন তিনি আমাদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। আবূ দারদা(রাঃ) তাকে বললেন, আপনি এমন একটি কথা বলুন, যা আমদের উপকারে আসে, কিন্তু আপনার ক্ষতি হবে না। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে বলেছেনঃ খুরাইম আল-আসাদী অত্যন্ত ভালো মানুষ, তবে তার চুলের গোছা যদি লম্বা না হতো এবং টাখনুর নীচে লুঙ্গি ঝুলিয়ে না পরতো। তাঁর এ মন্তব্য শুনে খুরাইম (রাঃ) সাথে সাথে একটি বড় ছুরি নিয়ে বাব্রি চুল কেটে তা কানের লতি পর্যন্ত রাখেন, আর পায়ের টাখনুর অর্ধেক পর্যন্ত পরিধেয় বস্ত্র উঠিয়ে পরতে শুরু করেন। অতঃপর আরেকদিন তিনি আমাদের পাশ দিয়া যাওয়ার সময় আবূ দারদা(রাঃ) তাকে অনুরোধ জানালেন, আপনি এমন একটি কথা বলুন যা আমাদের উপকারে আসবে; কিন্তু আপনার ক্ষতি হবে না। তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ (যেহেতু) তোমরা তোমাদের ভাইদের নিকট যাচ্ছো, কাজেই তোমাদের বাহনগুলো ঠিকঠাক করে নাও এবং পোশাক পরিপাটি করো, তোমরা যেন সমাজের কেন্দ্রবিন্দু। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ কদর্য ও অশ্লীলতা পছন্দ করেন না। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আবূ নু’আইম হিশাম সুত্রে এরূপ বর্ণনাই করেছেনঃ “তোমরা এমনভাবে পরিপাটি হও, যেন তোমরা লোক সমাজে তিলক চিহ্ন। [৪০৮৯]
[৪০৮৯] আহামদ,হাকিম। হাকিম বলেনঃ সানাদ সহীহ। যাহাবী তাঁর সাথে এক মত হয়েছেন। কিন্তু সানাদের ক্বাইস ইবনু বিশর তার পিতার সুত্রে জাহালাতের কারনে আলবানী একে দুর্বল বলেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস