বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম; আজকে আলোচনা করব লাইলাতুল কদর বা শবে কদরের রাতের দোয়া সম্পর্কে। শবে কদরের রাত পেয়ে গেলে যে দোয়া করতে রাসুল সঃ আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন তা আলোচনা করতে চাই।
শবে কদরের দোয়া. laylatul qadr dua
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ সঃ আমি যদি কদরের রাত পেয়ে যাই তবে কি দুআ’ পড়বো? তিনি বলেনঃ তুমি বলবে,
اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّ
উচ্চারণঃ- আল্লা-হুম্মা ইন্নাকা আফুউবুন তুহিব্বুল আফওয়া, ফা’ফু আন্নী।
অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাকারী, তুমি ক্ষমা করতেই ভালোবাসো। অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও।
ইবনে মাজাহ ৩৮৫০
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল সঃ যদি আমি লাইলাতুল ক্বদর জানতে পারি তাহলে সে রাতে কি বলব? তিনি বললেনঃ তুমি বলবে,
اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ كَرِيمٌ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّ
উচ্চারণঃ- আল্লা-হুম্মা ইন্নাকা আফুউবুন কারীমুন তুহিব্বুল আফওয়া, ফা’ফু আন্নী।
অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি সম্মানিত ক্ষমাকারী, তুমি মাফ করতেই পছন্দ কর, অতএব তুমি আমাকে মাফ করে দাও।
তিরমিযী ৩৫১৩
মহান আল্লাহ এই রাতে কুরআন অবতীর্ণ করেছেন এবং সে রাতের মাহাত্ম্য ও ফজিলত বর্ণনা করার জন্য কুরআন মাজীদের পূর্ণ একটি সূরা অবতীর্ণ করেছেন এবং সেই সূরার নামকরণও হয়েছে তারই নামে। মহান আল্লাহ বলেন,
অর্থাৎ, নিশ্চয় আমি ঐ কুরআনকে শবে কদরে অবতীর্ণ করেছি। তুমি কি জান, শবে কদর কি? শবে কদর হল হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। (কুঃ ৯৭/১-৩)
এক হাজার মাস সমান ৩০ হাজার রাত্রি। অর্থাৎ এই রাতের মর্যাদা ৩০,০০০ গুণ অপেক্ষাও বেশী! সুতরাং বলা যায় যে, এই রাতের ১টি তাসবিহ অন্যান্য রাতের ৩০,০০০ তসবীহ অপেক্ষা উত্তম; অনুরূপ এই রাতের ১ রাকআত নামাজ অন্যান্য রাতের ৩০,০০০ রাকআত অপেক্ষা উত্তম। বলা বাহুল্য, এই রাতের আমল শবে কদর বিহীন অন্যান্য ৩০ হাজার রাতের আমল অপেক্ষা অধিক শ্রেষ্ঠ; সুতরাং যে ব্যক্তি এই রাতে ইবাদত করল, আসলে সে যেন ৮৩ বছর ৪ মাস অপেক্ষাও বেশি সময় ধরে ইবাদত করল।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে বিষয়গুলি সঠিকভাবে বুঝার ও শবে কদরের ফজিলত লাভ করার তাওফীক দান করুক। আল্লাহুম্মা আমীন।