Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

হজ্জ অর্থ কি? হজ কাকে বলে? হজ্জ কত প্রকার ও কি কি?

হজ্জ অর্থ কি? হজ কাকে বলে? হজ্জ কত প্রকার ও কি কি? Info

হজ্জ অর্থ কি? হজ কাকে বলে? হজ্জ কত প্রকার ও কি কি? Description

হজ্জ-অর্থ-কি-হজ-কাকে-বলে-হজ্জ-কত-প্রকার-ও-কি-কি

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম, আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে হজ্জ অর্থ কি, হজ কাকে বলে, হজ্জ কত প্রকার ও কি কি।

হজ্জ অর্থ কি

হজ শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে সংকল্প করা বা ইচ্ছা করা। এবং হজ এর পারিভাষিক অর্থ হচ্ছে আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের উদ্দেশ্যে বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে শরী’আত নির্ধারিত ক্রিয়া-পদ্ধতি সহকারে মক্কায় গিয়ে বায়তুল্লাহ জিয়ারত করা।

হজ্জ কত প্রকার ও কি কি

হজ্জ তিন প্রকার। তামাত্তু, ক্বিরান ও ইফরাদ। এর মধ্যে ‘তামাত্তু’ সর্বোত্তম। যদিও মুশরিকরা একে হজ্জের পবিত্রতা বিরোধী মনে করত এবং হীন কাজ ভাবতো।

(১) হজ্জে তামাত্তু

হজ্জের মাসে ওমরার ইহরাম বেঁধে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার সাঈ শেষে মাথা মুন্ডন করে বা চুল ছেঁটে হালাল হওয়ার মাধ্যমে প্রথমে ওমরার কাজ সম্পন্ন করা। অতঃপর ৮ই জিলহজ্জ তারিখে স্বীয় অবস্থান স্থল হতে হজ্জের ইহরাম বেঁধে পূর্বাহ্নে মিনায় গমন করা। অতঃপর ৯ই জিলহজ্জ আরাফার ময়দানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান ও মুযদালিফায় রাত্রি যাপন শেষে ১০ই যিলহজ্জ সকালে মিনায় প্রত্যাবর্তন করে বড় জামরায় ৭টি কংকর মেরে কুরবানী ও মাথা মুন্ডন শেষে প্রাথমিক হালাল হওয়া। অতঃপর মক্কায় গিয়ে ‘তাওয়াফে ইফাদা’ ও সাঈ শেষে পূর্ণ হালাল হওয়া। অতঃপর মিনায় ফিরে সেখানে অবস্থান করে ১১, ১২, ১৩ তিন দিন তিন জামরায় প্রতিদিন ৩×৭=২১ টি করে কংকর নিক্ষেপ শেষে মক্কায় ফিরে বিদায়ী তাওয়াফ সেরে দেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়া ।

উল্লেখ্য যে, তামাত্তু হজ্জ কেবলমাত্র হারাম বা মীকাতের বাইরের লোকদের জন্য, ভিতরকার লোকদের জন্য নয় (বাক্বারাহ ২/১৯৬)।

(২) হজ্জে কিরান

এটি দু’ভাবে হতে পারে- (ক) একই সাথে ওমরাহ ও হজ্জের ইহরাম বাঁধা (খ) প্রথমে ওমরার ইহরাম বেঁধে অতঃপর ওমরার তাওয়াফ শুরুর পূর্বে হজ্জের নিয়ত ওমরার সঙ্গে শামিল করা।

এই হজ্জের নিয়ত কারীগণ যথারীতি তাওয়াফ ও সাঈ শেষে আরাফাহ-মুজদালিফা হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা সমূহ সেরে মিনায় এসে বড় জামরায় ৭টি কংকর নিক্ষেপ করে কুরবানী ও মাথা মুন্ডন শেষে প্রাথমিক হালাল হবেন। অতঃপর মক্কায় গিয়ে ‘তাওয়াফে ইফাদা’ শেষে পূর্ণ হালাল হবেন। অতঃপর মিনায় ফিরে গিয়ে তিনদিন সেখানে অবস্থান করে কংকর মেরে মক্কায় এসে বিদায়ী তাওয়াফ শেষে বাড়ি ফিরবেন। বিদায় হজ্জে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) নিজে কিরান হজ্জ করেছিলেন। কিন্তু যাদের সঙ্গে কুরবানী ছিল না, তাদেরকে তিনি তামাত্তু হজ্জ করার আদেশ দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, এখন যেটা বুঝছি সেটা আগে বুঝতে পারলে আমি কুরবানী সাথে আনতাম না। বরং তোমাদের সাথে ওমরাহ করে হালাল হয়ে যেতাম (অর্থাৎ তামাত্তু হজ্জ করতাম)।

মুসলিম, মিশকাত হা/২৫৫৫ ‘বিদায় হজ্জ’ অনুচ্ছেদ।

যদি ক্বিরান হজ্জ কারীগণ তাওয়াফ ও সাঈ শেষে মাথার চুল ছেঁটে হালাল হয়ে যান, তবে সেটা ‘ওমরাহ’ হবে এবং তিনি তখন ‘তামাত্তু’ হজ্জ করবেন।

(৩) হজ্জে ইফরাদ

শুধু হজের নিয়তে ইহরাম বাঁধা এবং যথারীতি তাওয়াফ, সাঈ ও হজের আনুষ্ঠানিকতা সমূহ শেষ করে হালাল হওয়া।

হজ্জে কিরান ও ইফরাদের একই নিয়ম। পার্থক্য শুধু এই যে, হজ্জে ক্বিরানে ‘হাই’ বা পশু কুরবানী প্রয়োজন হবে। কিন্তু হজ্জে ইফরাদে কুরবানীর প্রয়োজন নেই।

Rate the Post

Categories

Writers

Latest Tafsir

Latest Book

Scroll to Top