ইবনে মাজাহ ভূমিকা ১ম ভাগ হাদিস নং ১ – ৯২

১. অধ্যায়ঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুন্নাতের অনুসরণ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالَ حَدَّثَنَا شَرِيكٌ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم «مَا أَمَرْتُكُمْ بِهِ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَيْتُكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوا».

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি তোমাদেরকে যা আদেশ দেই, তোমরা তা গ্রহণ করো এবং যে বিষয়ে তোমাদেরকে নিষেধ করি তা থেকে বিরত থাকো। [১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১] বুখারী ৭২৮৮, মুসলিম ১৩৩৭, তিরমিযী ২৬৭৯, আহমাদ ৭৩২০, ৭৪৪৯, ৮৪৫০, ৯২২৯, ৯৪৮৮, ৯৫৭৭, ২৭২৫৮, ৯৮৯০, ২৭৩১২, ১০২২৯, ইবনু মাজাহ ২। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াউল গালীল ১৫৫, ৩১৪; সহীহাহ ৮৫০।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، قَالَ أَنْبَأَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ ذَرُونِي مَا تَرَكْتُكُمْ فَإِنَّمَا هَلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ بِسُؤَالِهِمْ وَاخْتِلاَفِهِمْ عَلَى أَنْبِيَائِهِمْ فَإِذَا أَمَرْتُكُمْ بِشَىْءٍ فَخُذُوا مِنْهُ مَا اسْتَطَعْتُمْ وَإِذَا نَهَيْتُكُمْ عَنْ شَىْءٍ فَانْتَهُوا ‏”‏ ‏.

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি যে সম্পর্কে তোমাদের বলিনি, সে সম্পর্কে তোমরা আমাকে জিজ্ঞেস করো না। কারণ, তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মাতগণ তাদের নবীগণের নিকট অধিক প্রশ্নের কারণে এবং তাঁদের সাথে মতবিরোধের কারণে ধ্বংস হয়েছে। অতএব আমি তোমাদেরকে কোন বিষয়ের নির্দেশ দিলে তোমরা তা যথাসাধ্য পালন করো এবং কোন বিষয়ে আমি তোমাদের নিষেধ করলে তা থেকে তোমরা বিরত থাকো। [২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২] বুখারী ৭২৮৮, মুসলিম ১৩৩৭, তিরমিযী ২৬৭৯, আহমাদ ৭৩২০, ৭৪৪৯, ৮৪৫০, ৯২২৯, ৯৪৮৮, ৯৫৭, ২৭২৫৮, ৯৮৯০, ২৭৩১২, ১০২২৯, মাজাহ ১। তাহক্বীক্ব আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَوَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَنْ أَطَاعَنِي فَقَدْ أَطَاعَ اللَّهَ وَمَنْ عَصَانِي فَقَدْ عَصَى اللَّهَ ‏”‏ ‏.

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করে সে আল্লাহ্‌রই আনুগত্য করে এবং যে ব্যক্তি আমার অবাধ্যাচরণ করে সে আল্লাহ্‌রই অবাধ্যাচরণ করে। [৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩] বুখারী ২৯৫৭, মুসলিম ১৮৩৫, নাসায়ী ৪১৯৩, ৫৫১০, আহমাদ ৭৩৮৬, ৭৬০০, ২৭৩৫০, ৮৩০০, ৮৭৮৮, ৯১২১, ৯৭৩৯, ১০২৫৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াউল গালীল ৩৯৪।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ عَدِيٍّ، عَنِ ابْنِ الْمُبَارَكِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سُوقَةَ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ، قَالَ كَانَ ابْنُ عُمَرَ إِذَا سَمِعَ مِنْ، رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ حَدِيثًا لَمْ يَعْدُهُ وَلَمْ يُقَصِّرْ دُونَهُ ‏.

আবু জা’ফার (মুহাম্মাদ বিন আলী বিন হুসাইন বিন আলী বিন আবু তালিব) থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু উমার (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট কোন হাদীস শুনলে, তাতে তিনি নিজের পক্ষ থেকে কম-বেশি করতেন না। [৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪] আহমাদ ৫৫২১, দারিমী ৩১৮।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى بْنِ سُمَيْعٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سُلَيْمَانَ الأَفْطَسُ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْجُرَشِيِّ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَنَحْنُ نَذْكُرُ الْفَقْرَ وَنَتَخَوَّفُهُ فَقَالَ ‏ “‏ آلْفَقْرَ تَخَافُونَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَتُصَبَّنَّ عَلَيْكُمُ الدُّنْيَا صَبًّا حَتَّى لاَ يُزِيغَ قَلْبَ أَحَدٍ مِنْكُمْ إِزَاغَةً إِلاَّ هِيَهْ وَايْمُ اللَّهِ لَقَدْ تَرَكْتُكُمْ عَلَى مِثْلِ الْبَيْضَاءِ لَيْلُهَا وَنَهَارُهَا سَوَاءٌ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو الدَّرْدَاءِ صَدَقَ وَاللَّهِ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ تَرَكَنَا وَاللَّهِ عَلَى مِثْلِ الْبَيْضَاءِ لَيْلُهَا وَنَهَارُهَا سَوَاءٌ ‏.‏

আবুদ-দারদা’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিকট বের হয়ে আসেন, তখন আমরা দারিদ্র্য সম্পর্কে আলাপরত ছিলাম এবং আমরা সে বিষয়ে শংকিত ছিলাম। তিনি বলেন, তোমরা দারিদ্র্যকে ভয় করছো? সেই সত্তার শপথ যার হাতে আমার প্রাণ! অবশ্যই তোমাদের উপর পৃথিবী প্রবল বেগে প্রবাহিত হবে (প্রভাব বিস্তার করবে), এমনকি পৃথিবী তোমাদের অন্তর কেবল তার দিকেই আকৃষ্ট করে ফেলবে। আল্লাহ্‌র শপথ! আমি তোমাদেরকে পরিচ্ছন্ন অবস্থায় ছেড়ে গেলাম, যার রাত-দিন ঔজ্জ্বল্যে সমান। আবুদ-দারদা’ (রাঃ) বলেন, আল্লাহ্‌র শপথ! রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সত্যই বলেছেন। আল্লাহ্‌র শপথ! তিনি আমাদের পরিচ্ছন্ন অবস্থায়ই ছেড়ে গেছেন, যার রাত ও দিন ঔজ্জ্বল্যে সমান।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ لاَ تَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِي مَنْصُورِينَ لاَ يَضُرُّهُمْ مَنْ خَذَلَهُمْ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ ‏”‏ ‏.‏

কুর্‌রাহ বিন ইয়াস বিন হিলাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার উম্মাতের একটি দল অব্যাহতভাবে কিয়ামত পর্যন্ত সাহায্যপ্রাপ্ত হতে থাকবে এবং যারা তাদের অপদস্থ করতে চায় তারা তাদের কোন ক্ষতি করতে সক্ষম হবে না। [৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৬] তিরমিযী ২১৯২, আহমাদ ১৫১৬৯, ১৯৮৫৪, সহীহাহ ১/৩/১৩৫ ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو عَلْقَمَةَ، نَصْرُ بْنُ عَلْقَمَةَ عَنْ عُمَيْرِ بْنِ الأَسْوَدِ، وَكَثِيرِ بْنِ مُرَّةَ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ لاَ تَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِي قَوَّامَةً عَلَى أَمْرِ اللَّهِ لاَ يَضُرُّهَا مَنْ خَالَفَهَا ‏”‏ ‏.‏

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার উম্মাতের একটি দল সর্বদা আল্লাহ্‌র নির্দেশের উপর স্থির থাকবে। তাদের বিরোধীরা তাদের ক্ষতি করতে সক্ষম হবেনা। [৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭] আহমাদ ৮০৭৫, ৮২৭৯, ৮৭১১। সহীহাহ ১৯৬২, ফাযায়িলিশ শাম ৬ ।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْجَرَّاحُ بْنُ مَلِيحٍ، حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ زُرْعَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا عِنَبَةَ الْخَوْلاَنِيَّ، وَكَانَ، قَدْ صَلَّى الْقِبْلَتَيْنِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ “‏ لاَ يَزَالُ اللَّهُ يَغْرِسُ فِي هَذَا الدِّينِ غَرْسًا يَسْتَعْمِلُهُمْ فِي طَاعَتِهِ ‏”‏ ‏.‏

আবু ইনাবাহ (উতবাহ) আল-খাওলানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে দু’ কিবলার দিকেই সলাত আদায় করেছেন। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহ্‌ সর্বদা এক দ্বীনের মধ্যে একটি গাছ রোপণ করতে থাকবেন (এমন লোক সৃষ্টি করতে থাকবেন) যাদের তিনি তাঁর আনুগত্যে নিয়োজিত রাখবেন। [৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৮] আহমাদ ১৭৩৩৩ তাহক্বীক্ব আলবানীঃ হাসান। তাখরীজ আলবানীঃ সহীহাহ্ ২৪৪২

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ، حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ نَافِعٍ، حَدَّثَنَا الْحَجَّاجُ بْنُ أَرْطَاةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَامَ مُعَاوِيَةُ خَطِيبًا فَقَالَ أَيْنَ عُلَمَاؤُكُمْ أَيْنَ عُلَمَاؤُكُمْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ “‏ لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ إِلاَّ وَطَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِي ظَاهِرُونَ عَلَى النَّاسِ لاَ يُبَالُونَ مَنْ خَذَلَهُمْ وَلاَ مَنْ نَصَرَهُمْ ‏”‏ ‏.‏

শুআয়ব বিন মুহাম্মাদ থেকে বর্ণিতঃ

মুআবিয়াহ (রাঃ) ভাষণ দিতে দাঁড়িয়ে বলেন, তোমাদের আলীমগণ কোথায়, তোমাদের আলীমগণ কোথায়? আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ কিয়ামত পর্যন্ত আমার উম্মাতের একটি দল সর্বদা লোকেদের উপর বিজয়ী থাকবে। তারা তাদের লাঞ্চিত করতে উদ্যত বা সাহায্য করতে আগ্রহী কারো পরোয়া করবে না। [৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯] বুখারী ৭১, ৩১১৬, ৩৬৪১, ৭৪৬০; মুসলিম ১০৩৭, আহমাদ ১৬৪০০, ১৬৪৩৮, ১৬৪৬৭, ২৭৫৮০। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ১১৬৫, ১৯৫৮, ১৯৭১। উক্ত হাদিসের রাবী হাজ্জাজ বিন আরতাহ সম্পর্কে ইবনু মাঈন বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু নির্ভরযোগ্য নয় এবং তিনি আমর থেকে তাদলীস করেছেন। আবু হাতীম আর রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু দুর্বলদের থেকে তাদলীস করেছেন। আলী ইবনুল মাদিনী বলেন আমি তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেছি।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১০

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شُعَيْبٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ بَشِيرٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ الرَّحَبِيِّ، عَنْ ثَوْبَانَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ لاَ يَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِي عَلَى الْحَقِّ مَنْصُورِينَ لاَ يَضُرُّهُمْ مَنْ خَالَفَهُمْ حَتَّى يَأْتِيَ أَمْرُ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ ‏”‏ ‏.‏

সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কিয়ামাত পর্যন্ত আমার উম্মাতের একটি দল সত্যের উপর স্থির থাকবে এবং সাহায্যপ্রাপ্ত হতে থাকবে। মহামহিম আল্লাহ্‌র নির্দেশ (কিয়ামাত) আসা পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধবাদীরা তাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। [১০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১০] মুসলিম ১৯২০, ২৮৮৯, তিরমিযী ২১৭৬, ২২২৯; আবূ দাঊদ ৪২৫২, আহমাদ ২১৮৮৮, ২১৮৯৭, ২১৯৪৬; দারিমী ২০৯। তাহক্বীক্ব আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী সাঈদ বিন বাশীর সম্পর্কে আহমদ বিন হাম্বল বলেন তিনি দুর্বল, ইবনু আলী তার সম্পর্কে বলেন, আমি তার হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা দেখি না তবে তিনি কখনো কখনো হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। বাযযার বলেন, তিনি সালিহ তার হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই।শু’বাহ ইবনুল হাজ্জাজ বলেন, তিনি হাদিসের ব্যাপারে সত্যবাদী। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১১

حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، قَالَ سَمِعْتُ مُجَالِدًا، يَذْكُرُ عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَخَطَّ خَطًّا وَخَطَّ خَطَّيْنِ عَنْ يَمِينِهِ وَخَطَّ خَطَّيْنِ عَنْ يَسَارِهِ ثُمَّ وَضَعَ يَدَهُ فِي الْخَطِّ الأَوْسَطِ فَقَالَ ‏”‏ هَذَا سَبِيلُ اللَّهِ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ تَلاَ هَذِهِ الآيَةَ {وَأَنَّ هَذَا صِرَاطِي مُسْتَقِيمًا فَاتَّبِعُوهُ وَلاَ تَتَّبِعُوا السُّبُلَ فَتَفَرَّقَ بِكُمْ عَنْ سَبِيلِهِ}‏ ‏.‏

জাবির বিন আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত থাকা অবস্থায় তিনি একটি সরল রেখা টানলেন এবং তাঁর ডান দিকে দু’টি সরল রেখা টানলেন এবং বাম দিকেও দু’টি সরল রেখা টানলেন। অতঃপর তিনি মধ্যবর্তী রেখার উপর তাঁর হাত রেখে বলেনঃ এটা আল্লাহ্‌র রাস্তা। অতঃপর তিনি এ আয়াত তিলওয়াত করেন (অনুবাদ) : ‘’এবং এ পথই আমার সরল পথ। অতএব তোমরা এ পথেরই অনুসরণ করো এবং বিভিন্ন পথ অনুসরণ করো না, অন্যথায় তা তোমাদেরকে তাঁর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে। (সূরাহ আনআম ৬:১৫৪) [১১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১১] আহমাদ ১৪৮৫৩ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: যিলূলুল জান্নাহ ১৬। উক্ত হাদিসের রাবী মিজালিদ বিন সাঈদ সম্পর্কে ইমাম বুখারী ও ইয়াকুব বিন সুফিয়ান বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ তাঁকে সিকাহ বলেছেন। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান তাঁকে দইফ বা দুর্বল বলেছেন। ইবনু মাঈন বলেন, তার থেকে দলিল গ্রহন করা যাবে না অন্যত্রে তিনি বলেন, দইফ বা দুর্বল। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২. অধ্যায়ঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীসের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং তার বিরুদ্ধবাদীর প্রতি কঠোর মনোভাব পোষণ

১২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، حَدَّثَنِي الْحَسَنُ بْنُ جَابِرٍ، عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ مَعْدِيكَرِبَ الْكِنْدِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ يُوشِكُ الرَّجُلُ مُتَّكِئًا عَلَى أَرِيكَتِهِ يُحَدَّثُ بِحَدِيثٍ مِنْ حَدِيثِي فَيَقُولُ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ كِتَابُ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فَمَا وَجَدْنَا فِيهِ مِنْ حَلاَلٍ اسْتَحْلَلْنَاهُ وَمَا وَجَدْنَا فِيهِ مِنْ حَرَامٍ حَرَّمْنَاهُ ‏.‏ أَلاَ وَإِنَّ مَا حَرَّمَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مِثْلُ مَا حَرَّمَ اللَّهُ ‏”‏ ‏.‏

আল-মিকদাম বিন মা’দীকারিব আল-কিনদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, অচিরেই কোন ব্যক্তি তার আসনে হেলান দেয়া অবস্থায় বসে থাকবে এবং তার সামনে আমার হাদীস থেকে বর্ণনা করা হবে, তখন সে বলবে, আমাদের ও তোমাদের মাঝে মহামহিম আল্লাহ্‌র কিতাবই যথেষ্ট। আমরা তাতে যা হালাল পাব তাকেই হালাল মানবো এবং তাতে যা হারাম পাবো তাকেই হারাম মানবো। (মহানবী বলেন) সাবধান! নিশ্চয়ই রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা হারাম করেছেন তা আল্লাহ্‌ যা হারাম করেছেন তার অনুরূপ। [১২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১২] তিরমিযী ২৬৬৪, আবূ দাঊদ ৪৬০৪, দারিমী ৫৮৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: তাখরীজুল মিশকাত ১৬৩।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৩

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، فِي بَيْتِهِ أَنَا سَأَلْتُهُ، عَنْ سَالِمٍ أَبِي النَّضْرِ، ثُمَّ مَرَّ فِي الْحَدِيثِ قَالَ أَوْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ لاَ أُلْفِيَنَّ أَحَدَكُمْ مُتَّكِئًا عَلَى أَرِيكَتِهِ يَأْتِيهِ الأَمْرُ مِمَّا أَمَرْتُ بِهِ أَوْ نَهَيْتُ عَنْهُ فَيَقُولُ لاَ أَدْرِي مَا وَجَدْنَا فِي كِتَابِ اللَّهِ اتَّبَعْنَاهُ ‏”‏ ‏.‏

আবু রাফি’ (রাঃ) [রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মুক্ত করা দাস] থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি যেন তোমাদের কাউকে এরূপ না পাই যে, সে তার আসনে হেলান দিয়ে বসে থাকবে এবং (এই অবস্থায়) আমার প্রদত্ত কোন আদেশ বা আমার প্রদত্ত কোন নিষেধাজ্ঞা তার নিকট পৌঁছলে সে বলবে, আমি কিছু জানিনা, আমরা আল্লাহ্‌র কিতাবে যা পাবো তার অনুসরণ করবো। [১৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৩] তিরমিযী ২৬৬৩, আবূ দাঊদ ৪৬০৫, আহমাদ ২৩২৪৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: তাখরীজুল মিশকাত ১৬২।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৪

حَدَّثَنَا أَبُو مَرْوَانَ، مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ الْعُثْمَانِيُّ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدٌّ ‏”‏ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যদি কেউ আমাদের এই দ্বীনে নতুন কিছু উদ্ভাবন করে যা তাতে নেই, তা প্রত্যাখ্যাত। [১৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৪] বুখারী ২৬৯৭, মুসলিম ১৭১৮, আবূ দাঊদ ৪৬০৬, আহমাদ ২৩৯২৯, ২৪৬০৪, ২৪৯৪৪, ২৫৫০২, ২৫৬৫৯, ২৫৭৯৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: গয়াতুল মারাম ৫, ইরওয়াউল গালীল ৮৮।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحِ بْنِ الْمُهَاجِرِ الْمِصْرِيُّ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ، حَدَّثَهُ أَنَّ رَجُلاً مِنَ الأَنْصَارِ خَاصَمَ الزُّبَيْرَ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي شِرَاجِ الْحَرَّةِ الَّتِي يَسْقُونَ بِهَا النَّخْلَ فَقَالَ الأَنْصَارِيُّ سَرِّحِ الْمَاءَ يَمُرُّ ‏.‏ فَأَبَى عَلَيْهِ فَاخْتَصَمَا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ اسْقِ يَا زُبَيْرُ ثُمَّ أَرْسِلِ الْمَاءَ إِلَى جَارِكَ ‏”‏ ‏.‏ فَغَضِبَ الأَنْصَارِيُّ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنْ كَانَ ابْنَ عَمَّتِكَ فَتَلَوَّنَ وَجْهُ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ يَا زُبَيْرُ اسْقِ ثُمَّ احْبِسِ الْمَاءَ حَتَّى يَرْجِعَ إِلَى الْجَدْرِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ الزُّبَيْرُ وَاللَّهِ إِنِّي لأَحْسَبُ هَذِهِ الآيَةَ نَزَلَتْ فِي ذَلِكَ {فَلاَ وَرَبِّكَ لاَ يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لاَ يَجِدُوا فِي أَنْفُسِهِمْ حَرَجًا مِمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوا تَسْلِيمًا}‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনুয-যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক আনসার ব্যক্তি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সামনে যুবায়র (রাঃ)-এর সাথে হাররার পানি নালা নিয়ে বিবাদ করে, যার দ্বারা তারা খেজুর বাগানে পানি সেচ করতেন। আনসারী বলল, তুমি পানি ছেড়ে দাও যাতে তা প্রবাহিত হতে পারে। কিন্তু যুবায়র (রাঃ) তা অস্বীকার করেন। তাই তারা বিবাদ করতে করতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত হন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, হে যুবায়র! তোমার বাগানে পানি সিঞ্চন করো, অতঃপর তোমার প্রতিবেশির দিকে তা পাঠিয়ে দাও। এতে আনসারী অসন্তুষ্ট হয়ে বলল, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আপনার ফুপাতো ভাই তো (তাই এরূপ ফয়সালা দিলেন)। এ কথায় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মুখ বিবর্ণ হয়ে গেলো। তিনি বলেন, হে যুবায়র! তোমার বাগানে পানি সিঞ্চন করো, অতঃপর তা প্রতিরোধ করে রাখো, যাবত না তা আইল বরাবর হয়। রাবী আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) বলেন, যুবায়র (রাঃ) বললেন, আল্লাহ্‌র শপথ! আমার মতে এ আয়াত উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করেই নাযিল হয় (অনুবাদ) : “কিন্তু না। তোমার প্রভুর শপথ! তারা মু’মিন হবে না, যতক্ষণ তারা তাদের বিবাদের বিচারভার তোমার উপর অর্পণ না করে, অতঃপর তোমার প্রদত্ত সিদ্ধান্তে তাদের মনে কোন দ্বিধা না থাকে এবং সর্বান্তঃকরণে তারা তা মেনে নেয়”। (সূরাহ নিসা ৪ : ৬৫) [১৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৫] বুখারী ২৩৬০, মুসলিম ২৩৫৭, তিরমিযী ১৩৬৩, ৩০২৭; নাসায়ী ৫৪০৭, ৫৪১৬; আবূ দাঊদ ৩৬৩৭, আহমাদ ১৪২২। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى النَّيْسَابُورِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ لاَ تَمْنَعُوا إِمَاءَ اللَّهِ أَنْ يُصَلِّينَ فِي الْمَسْجِدِ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ ابْنٌ لَهُ إِنَّا لَنَمْنَعُهُنَّ ‏.‏ فَقَالَ فَغَضِبَ غَضَبًا شَدِيدًا وَقَالَ إِنِّي أُحَدِّثُكَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَإِنَّكَ تَقُولُ إِنَّا لَنَمْنَعُهُنَّ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা আল্লাহ্‌র বাঁদীদেরকে আল্লাহ্‌র মাসজিদে সলাত আদায় করতে (যেতে) বাধা দিও না। ইবনু উমার (রাঃ)-এর এক পুত্র বলল, আমরা অবশ্যই তাদেরকে বাধা দিবো। রাবী বলেন, এতে তিনি ভীষণ অসন্তুষ্ট হন এবং বলেন, আমি তোমার নিকট রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীস বর্ণনা করছি, আর তুমি বলছ আমরা অবশ্যই তাদের বাধা দিবো! [১৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৬] বুখারী ৮৬৫, ৮৭৩, ৮৯৯, ৯০০, ৫২৩৮; মুসলিম ৪৪২/১-৪৪৭/৭, তিরমিযী ৫৭০, নাসায়ী ৭০৬, আবূ দাঊদ ৫৬৬-৬৮, আহমাদ ৪৬৪১, ৪৯১৩, ৫০২৫, ৫০৮২, ৫১৮৯, ৫৪৪৫, ৪৬০৮, ৬০৬৬, ৬২১৬, ৬২৬০, ৬২৮২, ৬৩৫১, ৬৪০৮; দারিমী ৪৪২। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৫১৫, গায়াতুল মারাম ২০৬। তাখরীজুল মুখতারাহ ১৮৩ তালাক, ইবনু খুযাইমাহ ১৬৮৪।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৭

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ ثَابِتٍ الْجَحْدَرِيُّ، وَأَبُو عُمَرَ حَفْصُ بْنُ عَمْرٍو قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ، أَنَّهُ كَانَ جَالِسًا إِلَى جَنْبِهِ ابْنُ أَخٍ لَهُ فَخَذَفَ فَنَهَاهُ وَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ نَهَى عَنْهَا وَقَالَ ‏ “‏ إِنَّهَا لاَ تَصِيدُ صَيْدًا وَلاَ تَنْكِي عَدُوًّا وَإِنَّهَا تَكْسِرُ السِّنَّ وَتَفْقَأُ الْعَيْنَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَعَادَ ابْنُ أَخِيهِ يَخْذِفُ فَقَالَ أُحَدِّثُكَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ نَهَى عَنْهَا ثُمَّ عُدْتَ تَخْذِفُ لاَ أُكَلِّمُكَ أَبَدًا ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন মুগাফ্‌ফাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তার পাশে তার এক ভ্রাতুষ্পুত্র বসা ছিল। সে কংকর নিক্ষেপ করলে তিনি তাকে নিষেধ করেন এবং বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এটা করতে নিষেধ করেছেন। তিনি আরো বলেন, এতে না শিকার ধরা যায়, না শত্রুকে আহত করা যায়, বরং তা দাঁত ভেঙ্গে দেয় এবং চোখ ফুঁড়ে দেয়। রাবী বলেন, তার ভাইপো পুনরায় কংকর নিক্ষেপ করলে আবদুল্লাহ্ বিন মুগাফ্‌ফাল (রাঃ) বলেন, আমি তোমাকে হাদীস শুনাচ্ছি যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরূপ করতে নিষেধ করেছেন, তারপরেও তুমি কংকর নিক্ষেপ করলে! আমি তোমার সাথে কখনও কথা বলবো না। [১৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৭] বুখারী ৪৮৪২, ৫৪৭৯, ৬২২০; মুসলিম ১৯৫৪/১-৩, নাসায়ী ৪৮১৫, আবূ দাঊদ ৫২৭০, আহমাদ ১৬৩৫২, ২০০১৭, ২০০২৮, ২০০৩৮, ২০০৫০; দারিমী ৪৩৯, ৪৪০। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: গয়াতুল মারাম ৫১।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৮

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، حَدَّثَنِي بُرْدُ بْنُ سِنَانٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ قَبِيصَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ عُبَادَةَ بْنَ الصَّامِتِ الأَنْصَارِيَّ النَّقِيبَ، صَاحِبَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ غَزَا مَعَ مُعَاوِيَةَ أَرْضَ الرُّومِ فَنَظَرَ إِلَى النَّاسِ وَهُمْ يَتَبَايَعُونَ كِسَرَ الذَّهَبِ بِالدَّنَانِيرِ وَكِسَرَ الْفِضَّةِ بِالدَّرَاهِمِ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّكُمْ تَأْكُلُونَ الرِّبَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ “‏ لاَ تَبْتَاعُوا الذَّهَبَ بِالذَّهَبِ إِلاَّ مِثْلاً بِمِثْلٍ لاَ زِيَادَةَ بَيْنَهُمَا وَلاَ نَظِرَةَ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ مُعَاوِيَةُ يَا أَبَا الْوَلِيدِ لاَ أَرَى الرِّبَا فِي هَذَا إِلاَّ مَا كَانَ مِنْ نَظِرَةٍ ‏.‏ فَقَالَ عُبَادَةُ أُحَدِّثُكَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَتُحَدِّثُنِي عَنْ رَأْيِكَ لَئِنْ أَخْرَجَنِي اللَّهُ لاَ أُسَاكِنْكَ بِأَرْضٍ لَكَ عَلَىَّ فِيهَا إِمْرَةٌ ‏.‏ فَلَمَّا قَفَلَ لَحِقَ بِالْمَدِينَةِ فَقَالَ لَهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ مَا أَقْدَمَكَ يَا أَبَا الْوَلِيدِ فَقَصَّ عَلَيْهِ الْقِصَّةَ وَمَا قَالَ مِنْ مُسَاكَنَتِهِ فَقَالَ ارْجِعْ يَا أَبَا الْوَلِيدِ إِلَى أَرْضِكَ فَقَبَحَ اللَّهُ أَرْضًا لَسْتَ فِيهَا وَأَمْثَالُكَ ‏.‏ وَكَتَبَ إِلَى مُعَاوِيَةَ لاَ إِمْرَةَ لَكَ عَلَيْهِ وَاحْمِلِ النَّاسَ عَلَى مَا قَالَ فَإِنَّهُ هُوَ الأَمْرُ ‏

উবাদাহ ইবনুস-সামিত আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সহাবী ও তাঁর মুখপাত্র উবাদাহ ইবনুস-সামিত (রাঃ) মুয়াবিয়াহ (রাঃ)-এর সাথে রোম (বায়যান্টাইন) যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি লোকদের লক্ষ্য করলেন যে, তারা সোনার টুকরা স্বর্ণ মুদ্রার সাথে এবং রূপার টুকরা রৌপ্য মুদ্রার সাথে ক্রয়-বিক্রয় (বিনিময়) করছে। তিনি বলেন, হে লোক সকল! তোমরা তো (এরূপ বিনিময়ে) সুদ খাচ্ছো। আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ তোমরা সোনার বিনিময়ে সোনা বিক্রয় করো না, তবে পরিমাণে সমান সমান হলে, বাড়তি না হলে এবং লেনদেন বাকীতে না হলে করতে পারো। তখন মুআবিয়াহ (রাঃ) তাকে বলেন, হে আবুল ওয়ালীদ! আমি তো এরূপ লেনদেনে সুদের কিছু দেখছি না, যদি না লেনদেন বাকীতে হয়। উবাদাহ (রাঃ) বলেন, আমি তোমার নিকট রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীস বর্ণনা করছি। আর তুমি আমার নিকট তোমার অভিমত ব্যক্ত করছো। আল্লাহ্‌ যদি আমাকে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ দেন তাহলে আমি এমন এলাকায় বসবাস করবো না, যেখানে আমার উপর তোমার কর্তৃত্ব চলে। অতএব তিনি (যুদ্ধ থেকে) প্রত্যাবর্তন করে মদিনায় পৌঁছলে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) তাকে বলেন, হে আবুল ওয়ালীদ! আপনি কেন ফিরে এসেছেন? তখন তিনি তার নিকট সমস্ত বৃত্তান্ত বর্ণনা করেন এবং সেখানে তার বসবাস না করার কথাও ব্যক্ত করেন। উমার(রাঃ) বলেন, হে আবুল ওয়ালীদ! আপনি আপনার এলাকায় ফিরে যান। কেননা যে এলাকায় আপনি ও আপনার মত মানুষ থাকবে না সেখানে আল্লাহ্‌ গযব নাযিল করবেন। তিনি মুআবিয়াহ (রাঃ)-কে লিখে পাঠান, উবাদাহ (রাঃ)-এর উপর তোমার কোন কর্তৃত্ব চলবে না এবং তিনি যা বলেন জনসাধারণকে তদানুযায়ী পরিচালনা করো। কারণ এটাই আদেশ। [১৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৮] মুসলিম ১৫৮৭/১-২, তিরমিযী ১২৪০, নাসায়ী ৪৫৬০-৬৪, ৪৫৬৬; আবূ দাঊদ ৩৩৪৯, আহমাদ ২২১৭৫, ২২২১৭, ২২২২০; দারিমী ২৫৭৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ الْخَلاَّدِ الْبَاهِلِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، أَنْبَأَنَا عَوْنُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ إِذَا حَدَّثْتُكُمْ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَظُنُّوا بِرَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ الَّذِي هُوَ أَهْنَاهُ وَأَهْدَاهُ وَأَتْقَاهُ ‏.‏

আবদুল্লাহ্ বিন মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি তোমার নিকট রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীস বর্ণনা করলে তোমরা তার যুহ্‌দ (সাধনা), ধার্মিকতা ও তাকওয়ার কথা স্মরণে রেখে তা মেনে নাও (এবং নিজের মত খাটানো ত্যাগ করো)। [১৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[১৯] আহমাদ ৩৬৩৭, ৩৯৩০, দারিমী ৫৯১। তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ মুনকাতি।

হাদিসের মানঃ দুর্বল মুনকাতি

  •  সরাসরি

২০

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ الْخَلاَّدِ الْبَاهِلِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، أَنْبَأَنَا عَوْنُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ إِذَا حَدَّثْتُكُمْ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَظُنُّوا بِرَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ الَّذِي هُوَ أَهْنَاهُ وَأَهْدَاهُ وَأَتْقَاهُ ‏.‏

আলী বিন আবু তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি তোমাদের নিকট রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীস বর্ণনা করলে তোমরা মনে রাখবে যে, তিনি ছিলেন সর্বাধিক ধার্মিক, হিদায়াতপ্রাপ্ত ও আল্লাহ্‌ভীরু। [২০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২০] আহমাদ ৯৮৮, ১০৪২, ১০৮৩, ১০৯৫; দারিমী ৫৯২। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২১

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُنْذِرِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْفُضَيْلِ، حَدَّثَنَا الْمَقْبُرِيُّ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ لاَ أَعْرِفَنَّ مَا يُحَدَّثُ أَحَدُكُمْ عَنِّي الْحَدِيثَ وَهُوَ مُتَّكِئٌ عَلَى أَرِيكَتِهِ فَيَقُولُ اقْرَأْ قُرْآنًا ‏.‏ مَا قِيلَ مِنْ قَوْلٍ حَسَنٍ فَأَنَا قُلْتُهُ ‏”‏ ‏.

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আমি এমন লোকের পরিচয় তুলে ধরছি যার নিকট তোমাদের কেউ আমার হাদীস বর্ণনা করবে, আর সে তার আসনে হেলান দেয়া অবস্থায় বলবে, কুরআন পাঠ করো। কোন উত্তম কথা বলা হলে (মনে করবে যে) আমিই তা বলেছি। [২১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২১] আহমাদ ৫৮৮৩, ৯৮৯৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: মুনকার। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ৬১৭৫, যঈফা ১০৮৪ যঈফ জিদ্দান। উক্ত হাদিসের রাবী ১. মুহাম্মাদ ইবনুল ফুদাইল সম্পর্কে ইবনু মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ। আবু মুর’আহ বলেন তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন কোন সমস্যা নেই। ২. আব্দুল্লাহ বিন সাঈদ বিন আবু সাঈদ আল মাকবুরী সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, আমি তার মজলিসে বসে জানতে পেরেছি যে, তার মাঝে মিথ্যাবাদিতা রয়েছে। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইবনু মাঈন বলেন তিনি সিকাহ নন। ইমাম বুখারি তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। আবু বুর’আহ তাঁকে দুর্বল সাব্যস্ত করেছেন। আমর ইবনুল ফাল্লাস তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

হাদিসের মানঃ মুনকার

  •  সরাসরি

২২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادِ بْنِ آدَمَ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، ح وَحَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ لِرَجُلٍ يَا ابْنَ أَخِي إِذَا حَدَّثْتُكَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ حَدِيثًا فَلاَ تَضْرِبْ لَهُ الأَمْثَالَ ‏.

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তিকে (ইবনু আব্বাসকে) বলেন, হে ভ্রাতুষ্পুত্র! আমি তোমার নিকট রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীস বর্ণনা করলে তুমি তার বিপরীতে কোন দৃষ্টান্ত পেশ করো না। [২২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২২] হাসান। হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বরননবা করেছেন। উক্ত হাদিসে আব্বাদ বিন আদাম সম্পর্কে ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৩. অধ্যায়ঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীস বর্ণনায় সতর্কতা অবলম্বন করা

২৩

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، حَدَّثَنَا مُسْلِمٌ الْبَطِينُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، قَالَ مَا أَخْطَأَنِي ابْنُ مَسْعُودٍ عَشِيَّةَ خَمِيسٍ إِلاَّ أَتَيْتُهُ فِيهِ قَالَ فَمَا سَمِعْتُهُ يَقُولُ لِشَىْءٍ قَطُّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَلَمَّا كَانَ ذَاتَ عَشِيَّةٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ – قَالَ فَنَكَسَ ‏.‏ قَالَ فَنَظَرْتُ إِلَيْهِ فَهُوَ قَائِمٌ مُحَلَّلَةً أَزْرَارُ قَمِيصِهِ قَدِ اغْرَوْرَقَتْ عَيْنَاهُ وَانْتَفَخَتْ أَوْدَاجُهُ قَالَ أَوْ دُونَ ذَلِكَ أَوْ فَوْقَ ذَلِكَ أَوْ قَرِيبًا مِنْ ذَلِكَ أَوْ شَبِيهًا بِذَلِكَ ‏

আমর বিন মায়মূন থেকে বর্ণিতঃ

প্রতি বৃহস্পতিবার রাতে ইবনু মসঊদ (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হতে আমার ভুল হতো না। কিন্তু আমি কখনও তাঁকে “রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন” এভাবে কিছু বলতে শুনিনি। এক রাতে তিনি বলেন, “রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন”। রাবী বলেন, অতঃপর তিনি মাথা নিচু করলেন। রাবী বলেন, আমি তার দিকে তাকিয়ে দেখলাম, তিনি এমন অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছেন যে, তার জামার বোতাম খোলা, তার চক্ষুদ্বয় অশ্রু বিগলিত এবং এর শিরাগুলো ফুলে গেছে। অতঃপর তিনি বলেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই বলেছেন অথবা এর অধিক বা কম বলেছেন অথবা এর কাছাকাছি বা এর অনুরূপ বলেছেন (অর্থাৎ তিনি যা বলেছেন তা আমার হুবহু মনে নেই)। [২৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৩] আহমাদ ৪৩০৯, ২৭০। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৪

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، قَالَ كَانَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ إِذَا حَدَّثَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ حَدِيثًا فَفَرَغَ مِنْهُ قَالَ أَوْ كَمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏.‏

মুহাম্মদ বিন সীরীন থেকে বর্ণিতঃ

আনাস বিন মালিক (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীস বর্ণনাকালে ভীত-শংকিত হতেন এবং বলতেন, অথবা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অনুরূপ বলেছেন। [২৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৪] দারিমী ২৭৬

তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৫

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، قَالَ قُلْنَا لِزَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ حَدِّثْنَا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏.‏ قَالَ كَبِرْنَا وَنَسِينَا وَالْحَدِيثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ شَدِيدٌ ‏.‏

আবদুর রহমান বিন আবু লাইলা থেকে বর্ণিতঃ

আমরা যায়দ বিন আরকাম (রাঃ) কে বললাম, আমাদের নিকট রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর হাদীস বর্ণনা করুন। তিনি বলেন, আমি বৃদ্ধ হয়ে গেছি এবং (অনেক কিছুই) ভুলে গেছি। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীস বর্ণনা করা খুবই কঠিন দায়িত্ব। [২৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৫] আহমাদ ১৮৮১৭

তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي السَّفَرِ، قَالَ سَمِعْتُ الشَّعْبِيَّ، يَقُولُ جَالَسْتُ ابْنَ عُمَرَ سَنَةً فَمَا سَمِعْتُهُ يُحَدِّثُ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ شَيْئًا ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

(আবদুল্লাহ বিন আবু সাফার) বলেন, আমি (আমির বিন শুরাহীল) আশ-শা’বীকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, আমি ইবনু উমার (রাঃ) এর সাথে একটি বছর যাবত উঠাবসা করেছি, কিন্তু আমি তাকে কখনও রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বরাতে কিছুই বর্ণনা করতে শুনিনি। [২৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৬] দারিমী ২৭২

তাহক্বীক্ব আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৭

حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ إِنَّمَا كُنَّا نَحْفَظُ الْحَدِيثَ وَالْحَدِيثُ يُحْفَظُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَأَمَّا إِذَا رَكِبْتُمُ الصَّعْبَ وَالذَّلُولَ فَهَيْهَاتَ ‏.‏

তাঊস বিন কায়সান থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ইবনু আব্বাস (রাঃ) কে বলতে শুনেছি, আমরা হাদীস মুখস্থ করতাম। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছেই হাদীস মুখস্থ করা হতো। কিন্তু এখন তোমরা প্রতিটি কষ্টকর ও আরামদায়ক স্থানে (পর্যালোচনা ব্যতীত) উঠতে শুরু করেছ। তোমাদের জন্য আফসোস হয়। [২৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৭] সহীহ।

মুসান্নিফ (গ্রন্থকার) হাদিসটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৮

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ قَرَظَةَ بْنِ كَعْبٍ، قَالَ بَعَثَنَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ إِلَى الْكُوفَةِ وَشَيَّعَنَا فَمَشَى مَعَنَا إِلَى مَوْضِعٍ يُقَالُ لَهُ صِرَارٌ ‏.‏ فَقَالَ أَتَدْرُونَ لِمَ مَشَيْتُ مَعَكُمْ قَالَ قُلْنَا لِحَقِّ صُحْبَةِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَلِحَقِّ الأَنْصَارِ ‏.‏ قَالَ لَكِنِّي مَشَيْتُ مَعَكُمْ لِحَدِيثٍ أَرَدْتُ أَنْ أُحَدِّثَكُمْ بِهِ فَأَرَدْتُ أَنْ تَحْفَظُوهُ لِمَمْشَاىَ مَعَكُمْ إِنَّكُمْ تَقْدُمُونَ عَلَى قَوْمٍ لِلْقُرْآنِ فِي صُدُورِهِمْ هَزِيزٌ كَهَزِيزِ الْمِرْجَلِ فَإِذَا رَأَوْكُمْ مَدُّوا إِلَيْكُمْ أَعْنَاقَهُمْ وَقَالُوا أَصْحَابُ مُحَمَّدٍ ‏.‏ فَأَقِلُّوا الرِّوَايَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَأَنَا شَرِيكُكُمْ ‏.‏

কারাযাহ বিন কা’ব থেকে বর্ণিতঃ

উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ), আমাদেরকে কূফার উদ্দেশ্যে পাঠালেন। তিনি আমাদের বিদায় দিতে আমাদের সাথে সিরার নামক স্থান পর্যন্ত হেঁটে আসেন। তিনি বলেন, তোমরা কি জানো আমি কেন তোমাদের সাথে চলে এসেছি? রাবী বলেন, আমরা বললাম, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহচর্যের কর্তব্য এবং আনসারদের প্রতি কর্তব্যের কারণে। উমার (রাঃ) বলেন, আমি তোমাদের নিকট একটি বিশেষ কথা বলার উদ্দেশ্যে তোমাদের সঙ্গে চলে এসেছি। আমি আশা করি তোমাদের সাথে আমার চলে আসার প্রতি খেয়াল রেখে তোমরা তা মনে রাখবে। তোমরা এমন এক সম্প্রদায়ের নিকট যাচ্ছো, যাদের বক্ষস্থলে ফুটন্ত হাঁড়ির মত কুরআনের আওয়াজ হবে। তারা তোমাদেরকে দেখে তোমাদের প্রতি তাদের আনুগত্যের গর্দান এগিয়ে দিবে এবং বলবে, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাহাবীগণ এসেছেন। তোমরা তাদের নিকট রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কম সংখ্যক হাদীস বর্ণনা করবে। তাহলে আমি তোমাদের সাথে আছি। [২৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৮] সহীহ। তাখরীজ আলবানী: হাকিমের ইসরাদ। উক্ত হাদিসে মুজালিদ বিন সাঈদ সম্পর্কে ইমাম বুখারী ও ইয়াকুব বিন সুফইয়ান বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, তিনি দইফ বা দুর্বল। ইবনু মাঈন বলেন তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহন করা যাবে না।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

২৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ صَحِبْتُ سَعْدَ بْنَ مَالِكٍ مِنَ الْمَدِينَةِ إِلَى مَكَّةَ فَمَا سَمِعْتُهُ يُحَدِّثُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِحَدِيثٍ وَاحِدٍ ‏

সা’দ বিন (আবু ওয়াক্কাস) মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

(সায়িব) বলেন, আমি মদিনা থেকে মক্কা পর্যন্ত সা’দ বিন (আবু ওয়াক্কাস) মালিক (রাঃ)-এর সাহচর্যে ছিলাম। কিন্তু আমি তাকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর একটি হাদীসও বর্ণনা করতে শুনিনি। [২৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[২৯] বুখারী ২৮২৪, দারিমী ২৭৮।

তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪. অধ্যায়ঃ

স্বেচ্ছায় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি মিথ্যা আরোপের ভয়ানক পরিণতি

৩০

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَسُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَامِرِ بْنِ زُرَارَةَ، وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ مُوسَى، قَالُوا حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَنْ كَذَبَ عَلَىَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার প্রতি মিথ্যারোপ করে, সে যেন জাহান্নামকে তার আবাস বানালো। [৩০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০] তিরমিযী ২২৫৭, ২৬৫৯।

তাহক্বীক্ব আলবানীঃ সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মুতাওয়াতির হাদীস, রওযুন নাসীর ৭০৭, ৮৮৫, সহীহাহ ১৩৮৩।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَامِرِ بْنِ زُرَارَةَ، وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ مُوسَى، قَالاَ حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ لاَ تَكْذِبُوا عَلَىَّ فَإِنَّ الْكَذِبَ عَلَىَّ يُولِجُ النَّارَ ‏”‏ ‏.

আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা আমার প্রতি মিথ্যারোপ করো না। কেননা আমার প্রতি মিথ্যারোপ জাহান্নামে প্রবেশ করাবে। [৩১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩১] বুখারী ১০৬, মুসলিম ১, তিরমিযী ২৬৬০, আহমাদ ৫৮৫, ৬৩০ ১০০৩, ১০৭৮, ১২৯৪। তাহক্বীক্ব আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩২

حَدَّثَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَنْ كَذَبَ عَلَىَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ ‏”‏ ‏.‏

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার প্রতি ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যারোপ করে, সে যেন তার আবাস জাহান্নামে নির্ধারণ করলো। [৩২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩২] বুখারী ১০৮, মুসলিম ২, তিরমিযী ২৬৬১, আহমাদ ১১৫৩১, ১১৭০০, ১১৭৪৪, ১২২৯১, ১২৩৫৩, ১২৩৮৯, ১২৬৮৭, ১২৭৭৭, ১২৯১৯, ১৩৫৪৯, ১৩৫৫৮, ১৩৫৬৮; দারিমী ২৩৫-৩৬, ২৩৮। তাহক্বীক্ব আলবানীঃ সহীহ। তাখরীজ আলবানীঃ রওযুন নাসীর ৭০৭, বুখারী মুসলিম।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৩

حَدَّثَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنْ النَّارِ

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার প্রতি মিথ্যারোপ করলো, সে যেন তার বাসস্থান জাহান্নামে নির্ধারণ করলো। [৩৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৩] আহমাদ ১৩৮৪৩, দারিমী ২৩১। তাহক্বীক্ব আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৪

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ تَقَوَّلَ عَلَيَّ مَا لَمْ أَقُلْ فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنْ النَّارِ

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার নামে মনগড়া কথা রচনা করলো, যা আমি বলিনি, সে যেন তার বাসস্থান জাহান্নামে নির্ধারণ করলো। [৩৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৪] বুখারী ১১০, মুসলিম ৩, আহমাদ ৮০৬৭, ৮৫৫৮, ৯০৬১, ৯০৮৬, ৯৭১৩, ১০১৩৫, ১০৩৫০। মিশকাত ৫৯৪০।বুখারী ১১০, মুসলিম ৩, আহমাদ ৮০৬৭, ৮৫৫৮, ৯০৬১, ৯০৮৬, ৯৭১৩, ১০১৩৫, ১০৩৫০। তাহক্বীক্ব আলবানীঃ হাসান সহীহ। তাখরীজ আলবানীঃ মিশকাত ৫৯৪০। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন আমর সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, তিনি সালিহ। ইবনে হিব্বান বলেন তিনি কখনো কখনো হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইবনু আদী বলেন, তার হাদিস বর্ণনায় সমস্যা নেই। ইমাম নাসাঈ তাঁকে সিকাহ বলেছেন।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৩৫

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَعْلَى التَّيْمِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مَعْبَدِ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ عَلَى هَذَا الْمِنْبَرِ ‏ “‏ إِيَّاكُمْ وَكَثْرَةَ الْحَدِيثِ عَنِّي فَمَنْ قَالَ عَلَىَّ فَلْيَقُلْ حَقًّا أَوْ صِدْقًا وَمَنْ تَقَوَّلَ عَلَىَّ مَا لَمْ أَقُلْ فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ ‏”‏ ‏.‏

আবু কাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এই মিম্বারের উপর বলতে শুনেছি: তোমারা আমার থেকে অধিক হাদীস বর্ণনার ব্যাপারে সাবধান হও। কেউ আমার সম্পর্কে বলতে চাইলে সে যেন হক কথা বা সত্য কথাই বলে। যে ব্যক্তি আমার নামে এমন কথা বলে যা আমি বলিনি, সে যেন তার বাসস্থান জাহান্নামে নির্ধারণ করলো। [৩৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৫] আহমাদ ২২০৩২, দারিমী ২৩৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ১৭৫৩। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহ-ইয়া ইবনু মাঈন ও আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বাল বলেন, তিনি হাসানুল হাদিস। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন তিনি সালিহ।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৩৬

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ جَامِعِ بْنِ شَدَّادٍ أَبِي صَخْرَةَ، عَنْ عَامِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قُلْتُ لِلزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ مَا لِيَ لاَ أَسْمَعُكَ تُحَدِّثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَمَا أَسْمَعُ ابْنَ مَسْعُودٍ وَفُلاَنًا وَفُلاَنًا قَالَ أَمَا إِنِّي لَمْ أُفَارِقْهُ مُنْذُ أَسْلَمْتُ وَلَكِنِّي سَمِعْتُ مِنْهُ كَلِمَةً يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ كَذَبَ عَلَىَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ ‏”‏ ‏

আবদুল্লাহ ইবনুয-যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি (আমার পিতা) যুবায়র ইবনুল আওওয়াম (রাঃ)-কে বললাম, আমি যেমন বিন মাসঊদ (রাঃ) ও অমুক অমুক সহাবীকে হাদীস বর্ণনা করতে শুনি তদ্রূপ আপনাকে কেন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীস বর্ণনা করতে শুনি না? তিনি বলেন, ইসলাম গ্রহণের পর থেকে কখনও আমি তাঁর থেকে বিচ্ছিন্ন হইনি। কিন্তু আমি তাঁকে একটি কথা বলতে শুনেছি: যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার প্রতি মিথ্যারোপ করে, সে যেন জাহান্নামে তার বাসস্থান নির্ধারণ করলো। [৩৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৬] বুখারী ১০৭, আবূ দাঊদ ৩৬৫১, আহমাদ ১৪১৬, ১৪৩১; দারিমী ২৩৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৭

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَنْ كَذَبَ عَلَىَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ ‏”‏ ‏.‏

আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার প্রতি মিথ্যারোপ করলো, সে যেন জাহান্নামে তার আবাস নির্ধারণ করলো। [৩৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৭] মুসলিম ৩০০৪, আহমাদ ১০৯৫১, ১১০১১, ১১০৩২, ১১১৪২।

তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫. অধ্যায়ঃ

যে ব্যক্তি সজ্ঞানে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নামে মিথ্যা বর্ণনা করে

৩৮

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ هَاشِمٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ عَلِيٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ مَنْ حَدَّثَ عَنِّي حَدِيثًا وَهُوَ يُرَى أَنَّهُ كَذِبٌ فَهُوَ أَحَدُ الْكَاذِبَيْنِ ‏”‏

আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি আমার নামে হাদীস বর্ণনা করলো, অথচ সে মনে করে যে, সে মিথ্যা বলেছে, সেও মিথ্যাবাদীদের একজন। [৩৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৮] তিরমিযী ২৬৬২, আহমাদ ৯০৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

উক্ত হাদিসের রাবী ইবনু আবু লায়লা সম্পর্কে ইয়া’কুব বিন সুফিয়ান বলেন, তিনি সিকাহ। শু’বাহ ইবনুল হাজ্জাজ বলেন আমি তার চেয়ে দুর্বল স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন ব্যাক্তি আর কাউকে দেখিনি। ইয়াহ-ইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, তিনি দইফ বা দুর্বল। আহমাদ বিন হাম্বাল বলেন, তার স্মৃতিশক্তি খুবই দুর্বল। ইবনু মাঈন বলেন সমস্যা নেই।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩৯

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ مَنْ حَدَّثَ عَنِّي حَدِيثًا وَهُوَ يَرَى أَنَّهُ كَذِبٌ فَهُوَ أَحَدُ الْكَاذِبَيْنِ ‏”‏ ‏.‏

সামুরাহ বিন জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি জ্ঞাতসারে আমার নামে মিথ্যা বর্ণনা করলো, সেও মিথ্যাবাদীদের একজন। [৩৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩৯] তিরমিযী ২৬৬২, আহমাদ ১৯৬৫০, ১৯৭০৯, ১৯৭১২। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মুসলিম।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪০

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ عَلِيٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ مَنْ رَوَى عَنِّي حَدِيثًا وَهُوَ يَرَى أَنَّهُ كَذِبٌ فَهُوَ أَحَدُ الْكَاذِبَيْنِ ‏”

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنْبَأَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُوسَى الأَشْيَبُ، عَنْ شُعْبَةَ، مِثْلَ حَدِيثِ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ ‏.‏‏ ‏

আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি আমার নামে কোন মিথ্যা হাদীস বর্ণনা করলো, সে অন্যতম মিথ্যাবাদী। [৪০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪০] তিরমিযী ২৫৬২, আহমাদ ৯০৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মুসলিম। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ ইবনুল ফুদাইল সম্পর্কে ইবনু মাঈন ও আলী ইবনু মাদীনী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু যুর’আহ বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন কোন সমস্যা নেই। ইবনু হিব্বান তার সিকাহ হওয়ার ব্যাপারে আলোচনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪১

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ مَيْمُونِ بْنِ أَبِي شَبِيبٍ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَنْ حَدَّثَ عَنِّي بِحَدِيثٍ وَهُوَ يَرَى أَنَّهُ كَذِبٌ فَهُوَ أَحَدُ الْكَاذِبَيْنِ ‏”‏ ‏.‏

মুগীরাহ বিন শু’বাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি নিজ ধারণা মতে আমার বরাতে কোন (মিথ্যা) হাদীস বর্ণনা করলো সে অন্যতম মিথ্যাবাদী। [৪১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪১] তিরমিযী ২৬৬২, আহমাদ ১৭৭৩৭, ১৭৭৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মুসলিম।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬. অধ্যায়ঃ

হিদায়াতপ্রাপ্ত খুলাফায়ি রাশিদ্বীনের সুন্নাতের অনুসরণ

৪২

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ بَشِيرِ بْنِ ذَكْوَانَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْعَلاَءِ، – يَعْنِي ابْنَ زَبْرٍ – حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي الْمُطَاعِ، قَالَ سَمِعْتُ الْعِرْبَاضَ بْنَ سَارِيَةَ، يَقُولُ قَامَ فِينَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ذَاتَ يَوْمٍ فَوَعَظَنَا مَوْعِظَةً بَلِيغَةً وَجِلَتْ مِنْهَا الْقُلُوبُ وَذَرَفَتْ مِنْهَا الْعُيُونُ فَقِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَعَظْتَنَا مَوْعِظَةَ مُوَدِّعٍ فَاعْهَدْ إِلَيْنَا بِعَهْدٍ فَقَالَ ‏ “‏ عَلَيْكُمْ بِتَقْوَى اللَّهِ وَالسَّمْعِ وَالطَّاعَةِ وَإِنْ عَبْدًا حَبَشِيًّا وَسَتَرَوْنَ مِنْ بَعْدِي اخْتِلاَفًا شَدِيدًا فَعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِي وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ الْمَهْدِيِّينَ عَضُّوا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ وَإِيَّاكُمْ وَالأُمُورَ الْمُحْدَثَاتِ فَإِنَّ كُلَّ بِدْعَةٍ ضَلاَلَةٌ ‏”‏ ‏.‏

ইরবাদ বিন সারিয়াহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদিন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের মাঝে দাঁড়িয়ে অত্যন্ত মর্মস্পর্শী ভাষায় আমাদের নাসীহাত করেন, যাতে অন্তরসমুহ ভীত হলো এবং চোখগুলো অশ্রু বর্ষণ করলো। তাঁকে বলা হলো, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আপনি তো বিদায় গ্রহণকারীর উপদেশ দিলেন। অতএব আমাদের নিকট থেকে একটি প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করুন (একটি সুনির্দিষ্ট আদেশ দিন)। তিনি বলেন, তোমরা আল্লাহ্‌ভীতি অবলম্বন করো, শ্রবণ করো ও আনুগত্য করো (নেতৃ-আদেশ), যদিও সে কাফ্রী গোলাম হয়। আমার পরে অচিরেই তোমরা মারাত্মক মতভেদ লক্ষ্য করবে। তখন তোমরা আমার সুন্নাত ও হিদায়াতপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশিদ্বীনের সুন্নাত অবশ্যই অবলম্বন করবে, তা দাঁত দিয়ে শক্তভাবে কামড়ে ধরবে। অবশ্যই তোমরা বিদ‘আত কাজ পরিহার করবে। কারন প্রতিটি বিদ‘আতই ভ্রষ্টতা। [৪২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪২] তিরমিযী ২৬৭৬, আবূ দাঊদ ৪৬০৭, আহমাদ ১৬৬৯২, দারিমী ৯৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ২৪৫৫, মিশকাত ১৬৫, ফিলাল ২৪-২৬, সালাতুত তারাবীহ ৮৮-৮৯।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৩

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ بِشْرِ بْنِ مَنْصُورٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ السَّوَّاقُ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ ضَمْرَةَ بْنِ حَبِيبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَمْرٍو السَّلَمِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ الْعِرْبَاضَ بْنَ سَارِيَةَ، يَقُولُ وَعَظَنَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مَوْعِظَةً ذَرَفَتْ مِنْهَا الْعُيُونُ وَوَجِلَتْ مِنْهَا الْقُلُوبُ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ هَذِهِ لَمَوْعِظَةُ مُوَدِّعٍ فَمَاذَا تَعْهَدُ إِلَيْنَا قَالَ ‏ “‏ قَدْ تَرَكْتُكُمْ عَلَى الْبَيْضَاءِ لَيْلُهَا كَنَهَارِهَا لاَ يَزِيغُ عَنْهَا بَعْدِي إِلاَّ هَالِكٌ مَنْ يَعِشْ مِنْكُمْ فَسَيَرَى اخْتِلاَفًا كَثِيرًا فَعَلَيْكُمْ بِمَا عَرَفْتُمْ مِنْ سُنَّتِي وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ الْمَهْدِيِّينَ عَضُّوا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ وَعَلَيْكُمْ بِالطَّاعَةِ وَإِنْ عَبْدًا حَبَشِيًّا فَإِنَّمَا الْمُؤْمِنُ كَالْجَمَلِ الأَنِفِ حَيْثُمَا قِيدَ انْقَادَ ‏”‏ ‏.‏

ইরবাদ বিন সারিয়াহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে এমন হৃদয়গ্রাহী নাসীহত করেন যে, তাতে (আমাদের) চোখগুলো অশ্রু ঝরালো এবং অন্তরসমূহ প্রকম্পিত হলো। আমরা বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! এতো যেন নিশ্চয়ই বিদায়ী ভাষণ। অতএব আপনি আমাদের থেকে কি প্রতিশ্রুতি নিবেন (আদেশ দিবেন)? তিনি বলেন, আমি তোমাদের আলোকিত দ্বীনের উপর রেখে যাচ্ছি, তার রাত তার দিনের মতই (উজ্জ্বল)। আমার পরে নিজেকে ধ্বংসকারীই কেবল এ দ্বীন ছেড়ে বিপথগামী হবে। তোমাদের মধ্যে যে বেঁচে থাকবে সে অচিরেই অনেক মতবিরোধ দেখতে পাবে। অতএব তোমাদের উপর তোমাদের নিকট পরিচিত আমার আদর্শ এবং হিদায়াতপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশিদ্বীনের আদর্শ অনুসরণ করা অবশ্য কর্তব্য। তোমরা তা শক্তভাবে দাঁত দিয়ে আঁকড়ে ধরে থাকবে। তোমরা অবশ্যই আনুগত্য করবে, যদি হাবশী গোলামও (তোমাদের নেতা নিযুক্ত) হয়। কেননা মু’মিন ব্যক্তি হচ্ছে নাসারন্ধ্রে লাগাম পরানো উটতুল্য। লাগাম ধরে যে দিকেই টানা হয়, সে দিকেই যেতে বাধ্য হয়। [৪৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৩] সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ৯৩৭, ফিলাল।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৪

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَكِيمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ الصَّبَّاحِ الْمِسْمَعِيُّ، حَدَّثَنَا ثَوْرُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ الْعِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ، قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ صَلاَةَ الصُّبْحِ ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْنَا بِوَجْهِهِ فَوَعَظَنَا مَوْعِظَةً بَلِيغَةً ‏.‏ فَذَكَرَ نَحْوَهُ ‏.‏

ইরবাদ বিন সারিয়াহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের ফাজ্‌রের সলাত আদায় করালেন, অতঃপর আমাদের দিকে ফিরে আমাদের উদ্দেশ্যে মর্মস্পর্শী ওয়ায করেন …. অবশিষ্ট বিবরণ পূর্ববৎ (৪৩ নং হাদীসের অনুরূপ)। [৪৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৪] তিরমিযী ২৬৭৬, আবূ দাঊদ ৪৬০৭, আহমাদ ১৬৬৯২, দারিমী ৯৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ফিলাল ৩২।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭. অধ্যায়ঃ

বিদ‘আত ও ঝগড়াঝাটি হতে বেঁচে থাকা

৪৫

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ ثَابِتٍ الْجَحْدَرِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِذَا خَطَبَ احْمَرَّتْ عَيْنَاهُ وَعَلاَ صَوْتُهُ وَاشْتَدَّ غَضَبُهُ كَأَنَّهُ مُنْذِرُ جَيْشٍ يَقُولُ ‏”‏ صَبَّحَكُمْ مَسَّاكُمْ ‏”‏ ‏.‏ وَيَقُولُ ‏”‏ بُعِثْتُ أَنَا وَالسَّاعَةَ كَهَاتَيْنِ ‏”‏ ‏.‏ وَيَقْرِنُ بَيْنَ إِصْبَعَيْهِ السَّبَّابَةِ وَالْوُسْطَى ثُمَّ يَقُولُ ‏”‏ أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّ خَيْرَ الأُمُورِ كِتَابُ اللَّهِ وَخَيْرَ الْهَدْىِ هَدْىُ مُحَمَّدٍ وَشَرَّ الأُمُورِ مُحْدَثَاتُهَا وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلاَلَةٌ ‏”‏ ‏.‏ وَكَانَ يَقُولُ ‏”‏ مَنْ تَرَكَ مَالاً فَلأَهْلِهِ وَمَنْ تَرَكَ دَيْنًا أَوْ ضَيَاعًا فَعَلَىَّ وَإِلَىَّ ‏”‏ ‏

জাবির বিন আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন ভাষণ দিতেন তখন তাঁর চোখ দু’টি লাল হয়ে যেতো, কন্ঠস্বর জোরালো হতো, তাঁর ক্রোধ বৃদ্ধি পেতো, যেন তিনি কোন সেনাবাহিনীকে সতর্ক করছেন। তিনি বলতেনঃ তোমরা সকাল ও সন্ধ্যায় আক্রান্ত হতে পারো (অথবা তোমাদের সকাল-সন্ধ্যা কল্যাণময় হোক)। তিনি আরো বলতেনঃ আমার প্রেরণ ও কিয়ামাত এ দু’টি আঙ্গুলের অবস্থানের মত পরস্পর নিকটবর্তী। তিনি তাঁর তর্জনী ও মধ্যমা আঙ্গুল মিলিয়ে দেখান। অতঃপর তিনি বলেন, সবচেয়ে উত্তম নির্দেশ হলো আল্লাহ্‌র কিতাব এবং সর্বোত্তম পথ হলো মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রদর্শিত পথ। দ্বীনের মধ্যে নতুন কিছু উদ্ভাবন সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট কাজ। প্রতিটি বিদ‘আতই ভ্রষ্টতা। তিনি আরো বলেন, কোন ব্যক্তি ধন-সম্পদ রেখে (মারা) গেলে তা তার পরিবারবর্গের এবং কোন ব্যক্তি দেনা অথবা অসহায় সন্তান রেখে (মারা) গেলে তার ঋণ পরিশোধের দায়িত্ব আমার এবং তার সন্তানের লালন-পালনের দায়িত্বভারও আমার যিম্মায়। [৪৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৫] মুসলিম ৮৬৭, নাসায়ী ১৫৭৮, ১৯৬২; আবূ দাঊদ ২৯৫৪, আহমাদ ১৩৭৪৪, ১৩৯২৪, ১৪০২২, ১৪২১৯, ১৪৫৬৬; দারিমী ২০৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৬০৮।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدِ بْنِ مَيْمُونٍ الْمَدَنِيُّ أَبُو عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ إِنَّمَا هُمَا اثْنَتَانِ الْكَلاَمُ وَالْهَدْىُ فَأَحْسَنُ الْكَلاَمِ كَلاَمُ اللَّهِ وَأَحْسَنُ الْهَدْىِ هَدْىُ مُحَمَّدٍ أَلاَ وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الأُمُورِ فَإِنَّ شَرَّ الأُمُورِ مُحْدَثَاتُهَا وَكُلُّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وَكُلُّ بِدْعَةٍ ضَلاَلَةٌ أَلاَ لاَ يَطُولَنَّ عَلَيْكُمُ الأَمَدُ فَتَقْسُوَ قُلُوبُكُمْ أَلاَ إِنَّ مَا هُوَ آتٍ قَرِيبٌ وَإِنَّمَا الْبَعِيدُ مَا لَيْسَ بِآتٍ أَلاَ إِنَّ الشَّقِيَّ مَنْ شَقِيَ فِي بَطْنِ أُمِّهِ وَالسَّعِيدَ مَنْ وُعِظَ بِغَيْرِهِ أَلاَ إِنَّ قِتَالَ الْمُؤْمِنِ كُفْرٌ وَسِبَابُهُ فُسُوقٌ وَلاَ يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ أَنْ يَهْجُرَ أَخَاهُ فَوْقَ ثَلاَثٍ أَلاَ وَإِيَّاكُمْ وَالْكَذِبَ فَإِنَّ الْكَذِبَ لاَ يَصْلُحُ بِالْجِدِّ وَلاَ بِالْهَزْلِ وَلاَ يَعِدِ الرَّجُلُ صَبِيَّهُ ثُمَّ لاَ يَفِيَ لَهُ فَإِنَّ الْكَذِبَ يَهْدِي إِلَى الْفُجُورِ وَإِنَّ الْفُجُورَ يَهْدِي إِلَى النَّارِ وَإِنَّ الصِّدْقَ يَهْدِي إِلَى الْبِرِّ وَإِنَّ الْبِرَّ يَهْدِي إِلَى الْجَنَّةِ وَإِنَّهُ يُقَالُ لِلصَّادِقِ صَدَقَ وَبَرَّ ‏.‏ وَيُقَالُ لِلْكَاذِبِ كَذَبَ وَفَجَرَ ‏.‏ أَلاَ وَإِنَّ الْعَبْدَ يَكْذِبُ حَتَّى يُكْتَبَ عِنْدَ اللَّهِ كَذَّابًا ‏”‏ ‏

আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, বস্তুত বিষয় দু’টিঃ কালাম ও হিদায়াত। অতএব সর্বোত্তম কালাম (কথা) হলো আল্লাহ্‌র কালাম এবং সর্বোত্তম হিদায়াত (পথ নির্দেশ) হলো মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর হিদায়াত। শোন! তোমরা নতুনভাবে উদ্ভাবিত নিকৃষ্ট বিষয় সম্পর্কে সতর্ক থাকবে। কেননা নিকৃষ্ট কাজ হলো দ্বীনের মাঝে নতুন উদ্ভাবিত বিষয়। প্রতিটি নতুন নিকৃষ্ট উদ্ভাবন হচ্ছে বিদ‘আত এবং প্রতিটি বিদ‘আতই ভ্রষ্টতা। সাবধান! (শয়তান) যেন তোমাদের অন্তরে দীর্ঘায়ুর আকাঙ্খা সৃষ্টি করতে না পারে, অন্যথায় তা তোমাদের অন্তরাত্মাকে শক্ত করে দিবে। সাবধান! নিশ্চয় যা কিছু আসার তা নিকটবর্তী এবং যা দূরবর্তী তা আসার নয়। জেনে রাখো! অবশ্যই সেই ব্যক্তি দুর্ভাগা যে তার মায়ের পেট থেকেই দুর্ভাগা। খোশনসীব সেই ব্যক্তি যে অপরকে দেখে নাসীহাত গ্রহণ করে। সাবধান! ঈমানদার ব্যক্তিকে হত্যা করা (বা তার সাথে সশস্ত্র সংঘাত করা) কুফরী এবং তাকে গালমন্দ করা পাপ। কোন মুসলিমের পক্ষে তার মুসলিম ভাইকে তিন দিনের অধিক (কথা না বলে) ত্যাগ করা হালাল নয়। সাবধান! তোমরা মিথ্যাচারিতা থেকে দূরে থাকো। কেননা মিথ্যাচারিতা দ্বারা না সফলতা অর্জন করা যায়, না অর্থহীন অপলাপ থেকে বাঁচা যায়। নিজ সন্তানের সাথে ওয়াদা করে তা পূরণ না করা কোন লোকের জন্যই শোভনীয় নয়। কেননা মিথ্যা (মানুষকে) পাপাচারের দিকে চালিত করে এবং পাপাচার জাহান্নামের দিকে চালিত করে। পক্ষান্তরে সততা (মানুষকে) পুণ্যের পথে চালিত করে এবং পুণ্য জান্নাতের দিকে চালিত করে। সত্যবাদী সম্পর্কে বলা হয়, সে সত্য বলেছে ও পুণ্যের কাজ করেছে। আর মিথ্যাবাদী সম্পর্কে বলা হয়, সে মিথ্যা বলেছে ও পাপাচার করেছে। জেনে রাখো! কোন ব্যক্তি মিথ্যা বলতে বলতে অবশেষে আল্লাহ্‌র নিকট ডাহা মিথ্যাবাদী হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়। [৪৬]

 

– উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।

 

তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ২০৬৩ যঈফ, ফিলুল জান্নাহ ২৫।

 

উক্ত হাদিসের রাবী ১. মুহাম্মাদ বিন উবায়দ বিন মায়মুন আল মাদানী আবু উবায়দ সম্পর্কে ইবনু হিব্বান তার সিকাহ হওয়া ব্যাপারে আলোচনা করলেও অন্যত্রে বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। ২. উবাইদ বিন মায়মুন সম্পর্কে আবূ হাতিম আর রাযী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৬] বুখারী ৬০৯৪, মুসলিম ২৬০৬, ২৬০৭/১-৩; তিরমিযী ১৯৭১, আবূ দাঊদ ৪৯৮৯, আহমাদ ৩৬৩১, ৩৭১৯, ৩৮৩৫, ৪০১২, ৪০৮৪, ৮০৯৪, ২৭৮৪০, ৪১৭৬; দারিমী ২৭১৫।

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

৪৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ خِدَاشٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ ثَابِتٍ الْجَحْدَرِيُّ، وَيَحْيَى بْنُ حَكِيمٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ تَلاَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ هَذِهِ الآيَةَ {هُوَ الَّذِي أَنْزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ مِنْهُ آيَاتٌ مُحْكَمَاتٌ هُنَّ أُمُّ الْكِتَابِ وَأُخَرُ مُتَشَابِهَاتٌ}‏ إِلَى قَوْلِهِ {‏وَمَا يَذَّكَّرُ إِلاَّ أُولُو الأَلْبَابِ‏}‏ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ يَا عَائِشَةُ إِذَا رَأَيْتُمُ الَّذِينَ يُجَادِلُونَ فِيهِ فَهُمُ الَّذِينَ عَنَاهُمُ اللَّهُ فَاحْذَرُوهُمْ ‏”‏ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ আয়াত তিলাওয়াত করলেন (অনুবাদ): “তিনি তোমার প্রতি এ কিতাব নাযিল করেছেন যার কতক আয়াত সুস্পষ্ট, দ্ব্যর্থহীন, এগুলো কিতাবের মূল অংশ, আর অন্যগুলো রূপক। যাদের অন্তরে সত্য লঙ্ঘন প্রবণতা আছে শুধু তারাই বিশৃঙ্খলা ও ভুল ব্যাখ্যার উদ্দেশ্যে যা রূপক তার অনুসরণ করে। আল্লাহ্‌ ব্যতীত আর কেউ তার ব্যাখ্যা জানে না। আর যারা সুগভীর জ্ঞানের অধিকারী তারা বলে, আমরা এর প্রতি ঈমান আনলাম, সমস্তই আমার রবের নিকট থেকে আগত। বোধশক্তিসম্পন্ন ব্যক্তিগণ ব্যতীত অপর কেউ শিক্ষা গ্রহণ করে না”-(সূরাহ আলে-ইমরান ২:৭)। অতঃপর তিনি বলেন, হে আয়িশাহ! যখন তুমি তাদেরকে এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বাদানুবাদ করতে দেখবে, তখন মনে করবে যে, এরা সেই লোক যাদের আল্লাহ্‌ অপদস্থ করেন। তোমরা তাদের পরিহার করো। [৪৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৭] বুখারী ৪৫৪৭, মুসলিম ২৬৬৫, তিরমিযী ২৯৯৪, আবূ দাঊদ ৪৫৯৮, আহমাদ ২৩৬৯০, ২৪৪০৮, ২৪৪৮৩, ২৫৬৬৫; দারিমী ১৪৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: যিললুল জান্নাহ ৫।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৪৮

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُنْذِرِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، ح وَحَدَّثَنَا حَوْثَرَةُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ دِينَارٍ، عَنْ أَبِي غَالِبٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ مَا ضَلَّ قَوْمٌ بَعْدَ هُدًى كَانُوا عَلَيْهِ إِلاَّ أُوتُوا الْجَدَلَ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ تَلاَ هَذِهِ الآيَةَ {بَلْ هُمْ قَوْمٌ خَصِمُونَ}‏ ‏.

আবু উমামাহ (সাদী বিন আজলান) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আমার পরে হিদায়াতপ্রাপ্ত লোক তখনই পথভ্রষ্ট হবে, যখন তারা ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হবে। অতঃপর তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করেন (অনুবাদ): “বরং এরা তো এক বিতর্ককারী সম্প্রদায়।” (সূরাহ যুখরুফ ৪৩:৫৮) [৪৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৮] তিরমিযী ৩২৫৩ তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। তাখরীজ আলবানী: সহীহ তাগীব ১৩৭। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ ইবনুল ফুদাইল সম্পর্কে ইবনু মাঈন ও আলী ইবনুল মাদিনী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু যুর’আহ বলেন তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন কোন সমস্যা নেই। ইবনু হিব্বান তার সিকাহ হওয়ার ব্যাপারে আলোচনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৪৯

حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْعَسْكَرِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيٍّ أَبُو هَاشِمٍ بْنُ أَبِي خِدَاشٍ الْمَوْصِلِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مِحْصَنٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ أَبِي عَبْلَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الدَّيْلَمِيِّ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ لاَ يَقْبَلُ اللَّهُ لِصَاحِبِ بِدْعَةٍ صَوْمًا وَلاَ صَلاَةً وَلاَ صَدَقَةً وَلاَ حَجًّا وَلاَ عُمْرَةً وَلاَ جِهَادًا وَلاَ صَرْفًا وَلاَ عَدْلاً يَخْرُجُ مِنَ الإِسْلاَمِ كَمَا تَخْرُجُ الشَّعَرَةُ مِنَ الْعَجِينِ ‏”‏ ‏.‏

হুযায়ফাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আল্লাহ্‌ বিদ‘আতী ব্যক্তির সওম, সলাত, যাকাত বা দান-খয়রাত, হাজ্জ, উমরাহ, জিহাদ, ফিদ্‌য়া, ন্যায়বিচার ইত্যাদি কিছুই কবূল করবেন না। সে ইসলাম থেকে এমনভাবে খারিজ হয়ে যায় যেভাবে আটা থেকে চুল টেনে বের করা হয়। [৪৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৪৯] মাউযূ। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ৬৩৬০ মাওযু, যঈফ তারগীব তারহীব ৪০, যঈফা পৃঃ ৬৮৪-হাঃ ১৪৯৩। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন মিহসান সম্পর্কে ইয়াহইয়া ইবনু মাঈন তাঁকে মিথ্যুক বলেছেন। ইমাম বুখারী বলেন মুনকারুল হাদিস। আবু হাতীম আর-রাযী তাঁকে মাজহুল ও মিথ্যুক বলেছেন। ইবনু আদী বলেন তিনি একাধিক হাদিস বানোয়াটভাবে বর্ণনা করেছেন। ইবনু হিব্বান বলেন তিনি সিকাহ হাদিসের বিপরীতে হাদিস বানিয়ে বর্ণনা করেন।

হাদিসের মানঃ জাল হাদিস

  •  সরাসরি

৫০

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ مَنْصُورٍ الْخَيَّاطُ، عَنْ أَبِي زَيْدٍ، عَنْ أَبِي الْمُغِيرَةِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ أَبَى اللَّهُ أَنْ يَقْبَلَ عَمَلَ صَاحِبِ بِدْعَةٍ حَتَّى يَدَعَ بِدْعَتَهُ ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আল্লাহ্‌ তাআলা বিদ‘আতী ব্যক্তির নেক আমাল কবুল করবেন না, যতক্ষণ না সে তার বিদ‘আত পরিহার করে। [৫০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৫০] যঈফ। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ২৯ যঈফ, যঈফা ১৪৯২ মুনকার, জিলালি জান্নাত ৩৮ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. আবু যায়দ সম্পর্কে আবু যুররাহ আর-রাবী বলেন, আমি তাঁকে চিনি না। ইমাম যাহাবী বলেন তিনি মাজহুল। ২. আবুল মুগীরাহ সম্পর্কে আবু যুররাহ আর-রাবী বলেন, আমি তাঁকে চিনি না। ইমাম যাহাবী বলেন তাকে কেউ চিনে না।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৫১

حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ، وَهَارُونُ بْنُ إِسْحَاقَ، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ وَرْدَانَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَنْ تَرَكَ الْكَذِبَ وَهُوَ بَاطِلٌ بُنِيَ لَهُ قَصْرٌ فِي رَبَضِ الْجَنَّةِ وَمَنْ تَرَكَ الْمِرَاءَ وَهُوَ مُحِقٌّ بُنِيَ لَهُ فِي وَسَطِهَا وَمَنْ حَسَّنَ خُلُقَهُ بُنِيَ لَهُ فِي أَعْلاَهَا ‏”‏ ‏.‏

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি মিথ্যাকে বাতিল মনে করে পরিহার করলো তার জন্য জান্নাতের এক প্রান্তে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করা হয়। যে ব্যক্তি সঙ্গত হওয়া সত্ত্বেও ঝগড়া ত্যাগ করলো তার জন্য জান্নাতের মধ্যখানে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করা হয়। যে ব্যক্তি তার চরিত্র সুন্দর করলো তার জন্য জান্নাতের উচ্চতর স্থানে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করা হয়। [৫১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৫১] তিরমিযী ১৯৯৩ তাহক্বীক্ব আলবানীঃ সনদ যঈফ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ২৭৩, যঈফাহ ১০৫৬। উক্ত হাদিসের রাবী সালামাহ বিন ওরদান সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বাল বলেন তিনি হাদীস বর্ণনায় দুর্বল ও মুনকার। আবু হাতিম আর রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন। আবূ দাউদ আস সাজিসতানী ও আল আজালী তাকে দুর্বল বলেছেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৮. অধ্যায়ঃ

কিয়াস ও মনগড়া মতামত হতে বেঁচে থাকা।

৫২

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، وَعَبْدَةُ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ ح وَحَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، وَمَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، وَحَفْصُ بْنُ مَيْسَرَةَ، وَشُعَيْبُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ إِنَّ اللَّهَ لاَ يَقْبِضُ الْعِلْمَ انْتِزَاعًا يَنْتَزِعُهُ مِنَ النَّاسِ وَلَكِنْ يَقْبِضُ الْعِلْمَ بِقَبْضِ الْعُلَمَاءِ فَإِذَا لَمْ يُبْقِ عَالِمًا اتَّخَذَ النَّاسُ رُءُوسًا جُهَّالاً فَسُئِلُوا فَأَفْتَوْا بِغَيْرِ عِلْمٍ فَضَلُّوا وَأَضَلُّوا ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন আম্‌র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আল্লাহ্‌ তাআলা মানুষের অন্তর থেকে ইল্‌মকে বিলুপ্ত করার মাধ্যমে তা কেড়ে নিবেন না, বরং তিনি আলিমদেরকে (দুনিয়া থেকে) তুলে নেয়ার মাধ্যমে ইল্‌মকেও তুলে নিবেন। অতএব যখন কোন আলিম অবশিষ্ট থাকবে না তখন জনগণ অজ্ঞ ও মূর্খদেরকে নেতা হিসাবে গ্রহণ করবে এবং তাদের কাছে (দ্বীনী বিষয়ে) জিজ্ঞেস করা হলে তারা (সেই বিষয়ে) কোন ইল্‌ম না থাকা সত্ত্বেও সিদ্ধান্ত দিবে। ফলে তারা নিজেরাও পথভ্রষ্ট হবে এবং জনগণকেও পথভ্রষ্ট করবে। [৫২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৫২] বুখারী ১০০, ৭৩০৭; মুসলিম ২৬৭৩/১-২, তিরমিযী ২৬৫২, আহমাদ ৬৪৭৫, ৬৭৪৮; দারিমী ২৩৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: রওযুন নাযীর ৫৭৯।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৩

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي أَيُّوبَ، حَدَّثَنِي أَبُو هَانِئٍ، حُمَيْدُ بْنُ هَانِئٍ الْخَوْلاَنِيُّ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، مُسْلِمِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَنْ أُفْتِيَ بِفُتْيَا غَيْرَ ثَبَتٍ فَإِنَّمَا إِثْمُهُ عَلَى مَنْ أَفْتَاهُ ‏”‏ ‏.‏

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, দলীল-প্রমাণ ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ব্যতীত কাউকে সিদ্ধান্ত (ফাতাওয়া) দেয়া হলে তার পাপের বোঝা ফাতাওয়া প্রদানকারীর উপর বর্তাবে। [৫৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৫৩] আবূ দাঊদ ৩৬৫৭, আহমাদ ৮০৬৭, ৮৫৫৮; দারিমী ১৫৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ২৪২। উক্ত হাদিসের রাবী আবু উসমান মুসলিম বিন ইয়াসার সম্পর্কে ইবনু হিব্বান ও ইমাম যাহাবী সিকাহ বলেছেন।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৫৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنِي رِشْدِينُ بْنُ سَعْدٍ، وَجَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ، عَنِ ابْنِ أَنْعُمٍ، – هُوَ الإِفْرِيقِيُّ – عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ رَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ الْعِلْمُ ثَلاَثَةٌ فَمَا وَرَاءَ ذَلِكَ فَهُوَ فَضْلٌ آيَةٌ مُحْكَمَةٌ أَوْ سُنَّةٌ قَائِمَةٌ أَوْ فَرِيضَةٌ عَادِلَةٌ ‏”

আবদুল্লাহ বিন আম্‌র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, অত্যাবশ্যকীয় ইল্‌ম (জ্ঞান) তিন প্রকার, এ ছাড়া অবশিষ্টগুলো অতিরিক্তঃ আল কুরআনের বিধান সম্পর্কিত (মুহকাম) আয়াতসমূহ অথবা প্রতিষ্ঠিত সুন্নাহ (হাদীস) অথবা ইনসাফভিত্তিক ফারায়েজের জ্ঞান (ওয়ারিসী স্বত্ব ন্যায়সঙ্গতভাবে বন্টনের জ্ঞান)। [৫৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৫৪] আবূ দাঊদ ২৮৮৫ তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ২৩৯।

 

উক্ত হাদিসের রাবীঃ

১. রিশদীন বিন সা’দ সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল তাকে দুর্বল বলেছেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন তার থেকে কোন হাদিস লিপিবদ্ধ করেন নি। আমর ইবনুল ফাল্লাস ও আবু যুরআহ আর-রাযী তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু হাতীম আর-রাযী মুনকারুল হাদীস ও তার মাঝে অমনোযোগিতার কথা উল্লেখ করেছেন।

 

২. (আব্দুর রহমান বিন যিয়াদ) ইবনু আনউম আল ইফরিকী সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন বর্জনীয়। ইবনু মাহদী বলেন তার থেকে হাদিস গ্রহন করা উচিত নয়। আহমাদ বিন হাম্বাল বলেন আমি তার থেকে হাদিস লিপিবদ্ধ করি নি।

 

৩. আব্দুর রহমান বিন রাফি সম্পর্কে ইমাম বুখারী ও আবু হাতিম আর রাযী এবং ইমাম যাহাবী বলেন, মুনকারুল হাদিস।আস-সাজী বলেন তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৫৫

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ حَمَّادٍ، سَجَّادَةُ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الأَمَوِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ حَسَّانَ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ نُسَىٍّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ غَنْمٍ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ، قَالَ لَمَّا بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِلَى الْيَمَنِ قَالَ ‏ “‏ لاَ تَقْضِيَنَّ وَلاَ تَفْصِلَنَّ إِلاَّ بِمَا تَعْلَمُ فَإِنْ أَشْكَلَ عَلَيْكَ أَمْرٌ فَقِفْ حَتَّى تُبَيِّنَهُ أَوْ تَكْتُبَ إِلَىَّ فِيهِ ‏”‏ ‏.‏

মুআয বিন জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে ইয়ামানে পাঠানোর সময় বলেন, যে বিষয়ে তোমার জ্ঞান আছে কেবল সেই বিষয়ে তুমি সিদ্ধান্ত বা রায় প্রদান করবে। কোন বিষয় তোমার জন্য কঠিন হলে (অজ্ঞাত থাকলে) তুমি অপেক্ষা করবে, যতক্ষণ না তোমার নিকট স্পষ্ট হয় (বা তোমাকে বলে দেয়া হয়) অথবা তুমি লিখিতভাবে সে সম্পর্কে আমাকে জানাবে। [৫৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৫৫] নাই তাহক্বীক্ব আলবানী: মউযূ । তাখরীজ আলবানী: যঈফাহ ২/২৭৫-২৭৬।

উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন সাঈদ বিন হাসসান সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার হাদিস বানোয়াট। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেছেন মুনকারুল হাদিস। আমর ইবনু ফাল্লাস বলেন, তিনি একাধিক হাদিস বানিয়ে বর্ণনা করেছেন। ইমাম বুখারী তার হাদিস প্রত্যাখ্যান করেছেন। ইমাম নাসাঈ তাকে মিথ্যুক বলেছেন এবং তার হাদিস প্রত্যাখ্যান করেছেন। ইবনু নুমাইর বলেন তিনি বানিয়ে হাদিস বর্ণনা করেন।

হাদিসের মানঃ জাল হাদিস

  •  সরাসরি

৫৬

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي الرِّجَالِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَمْرٍو الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ عَبْدَةَ بْنِ أَبِي لُبَابَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ “‏ لَمْ يَزَلْ أَمْرُ بَنِي إِسْرَائِيلَ مُعْتَدِلاً حَتَّى نَشَأَ فِيهِمُ الْمُوَلَّدُونَ أَبْنَاءُ سَبَايَا الأُمَمِ فَقَالُوا بِالرَّأْىِ فَضَلُّوا وَأَضَلُّوا ‏”‏ ‏

আবদুল্লাহ্‌ বিন আম্‌র ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ বানী ইসরাঈলের যাবতীয় কাজকর্ম যথার্থভাবেই হচ্ছিল, যতক্ষণ তাদের মধ্যে যথার্থ সন্তান জন্মেছে। অতঃপর তাদের মধ্যে বিজাতীয় বা লুন্ঠনকৃত নারীর সন্তান যুক্ত হলে তারা নিজেদের মত অনুযায়ী রায় প্রদান করে নিজেরাও পথভ্রষ্ট হয় এবং অন্যদেরও পথভ্রষ্ট করে। [৫৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৫৬] যঈফ। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ৪৭৬০ যঈফ, যঈফা ৪৩৩৬ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী (আব্দুর রহমান) ইবনু আবূ রিজাল সম্পর্কে আবু হাতীম আর-রাযী বলেন, তিনি সালিহ। ইবনু হিব্বান বলেন তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। দারাকুতনী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, কোন সমস্যা নেই।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৯. অধ্যায়ঃ

ঈমানের বিবরণ

৫৭

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ الطَّنَافِسِيُّ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ الإِيمَانُ بِضْعٌ وَسِتُّونَ أَوْ سَبْعُونَ بَابًا أَدْنَاهَا إِمَاطَةُ الأَذَى عَنِ الطَّرِيقِ وَأَرْفَعُهَا قَوْلُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَالْحَيَاءُ شُعْبَةٌ مِنَ الإِيمَانِ ‏”‏ ‏.‏

 

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، ح وَحَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ سُهَيْلٍ، جَمِيعًا عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ نَحْوَهُ ‏.‏

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ঈমানের ষাট বা সত্তরের অধিক স্তর আছে। তার সাধারন বা নিম্নতর স্তর হলো রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু অপসারণ করা। সর্বোচ্চ স্তর হলো কালিমা “লা ইলাহা ইল্লাল্লা-হু (আল্লাহ্‌ ছাড়া কোন ইলাহ নাই) বলা এবং লজ্জাশীলতাও ঈমানের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা। [৫৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৫৭] বুখারী ৯, মুসলিম ৩৫/১-২, তিরমিযী ২৬১৪, নাসায়ী ৫০০৪-৬, আবূ দাঊদ ৪৬৭৬, আহমাদ ৭০৯৭, ৯৪১৭। তাহক্বীক্ব আলবানীঃ সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ১৭৬৯, ইবনু আবী শাইরাহ ২১/৬৭। উক্ত হাদিসের রাবী ১. সুহায়ল বিন আবু সালিহ সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সাঈদ বলেন, তিনি সিকাহ। সুফইয়ান বিন উয়াইনাহ বলেন, সাবত। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন তার বর্ণিত হাদিস সহিহ নয়। ইমাম নাসাঈ বলেন কোন সমস্যা নেই। ইবনু আদী বলেন তার খবর মাকবুল বা গ্রহণযোগ্য। ইবনু হিব্বান বলেন তিনি সিকাহ তবে অন্যত্রে বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন।

২. আবু খালিদ আল আহমার সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু তার হাদিস দলীল যোগ্য নয়। আলী বিন মাদীনী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতীম আর-রাযী তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন কোন সমস্যা নেই। ইবনু আদী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সালেহ কিন্তু হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ ও ভুল করেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৮

حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ أَبِي سَهْلٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رَجُلاً يَعِظُ أَخَاهُ فِي الْحَيَاءِ فَقَالَ ‏ “‏ إِنَّ الْحَيَاءَ شُعْبَةٌ مِنَ الإِيمَانِ ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যক্তিকে লজ্জাশীলতা সম্পর্কে তার ভাইকে নাসীহাত (তিরস্কার) করতে শুনলেন। তখন তিনি বলেন, নিশ্চয় লজ্জাশীলতা ঈমানের একটি শাখা। [৫৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৫৮] বুখারী ২৪, ৬১১৮; মুসলিম ৩৬, তিরমিযী ২৬১৫, নাসায়ী ৫০৩৩, আবূ দাঊদ ৪৭৯৫, আহমাদ ৫১৬১, ৬৩০৫; মুওয়াত্ত্বা মালিক ১৬৭৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: রওযুন নাযীর ৫১৩, ৭৪৩।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৫৯

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، ح وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ الرَّقِّيُّ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ حَبَّةٍ مِنْ خَرْدَلٍ مِنْ كِبْرٍ وَلاَ يَدْخُلُ النَّارَ مَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ حَبَّةٍ مِنْ خَرْدَلٍ مِنْ إِيمَانٍ ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ (বিন মাসঊদ) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যার অন্তরে সরিষার দানা (সামান্যতম) পরিমানও অহংকার আছে, সে (প্রথম পর্যায়েই) জান্নাতে প্রবেশ করবে না এবং যার অন্তরে সরিষার দানা (সামান্যতম) পরিমাণ ঈমান আছে সে জাহান্নামে (স্থায়ীভাবে) প্রবেশ করবে না। [৫৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৫৯] মুসলিম ৯১, তিরমিযী ১৯৯৮-৯৯, আবূ দাঊদ ৪০৯১, আহমাদ ৩৭৭৯, ৩৯০৩, ৩৯৩৭, ৪২৯৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইসলালুল মাসজিদ ১১৫। উক্ত হাদিসের রাবী সাঈদ বিন মাসলামাহ সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেন, সিকাহ তবে তিনি অন্যত্র বলেন, তিনি হাদীস বর্ণনায় ভুল করেন। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ বলেন কোন সমস্যা নেই। ইমাম বুখারী বলেন মুনকারুল হাদিস ও তার হাদিসের ব্যাপারে দুর্বলতা রয়েছে। আবু হাতিম আর রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য রাবী নন। ইমাম নাসাঈ বলেন তিনি যইফ বা দুর্বল। ইবনু আদী বলেন তাকে প্রত্যাখ্যান করা যায় না আবার নির্ভর করাও যায় না। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬০

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ إِذَا خَلَّصَ اللَّهُ الْمُؤْمِنِينَ مِنَ النَّارِ وَأَمِنُوا فَمَا مُجَادَلَةُ أَحَدِكُمْ لِصَاحِبِهِ فِي الْحَقِّ يَكُونُ لَهُ فِي الدُّنْيَا أَشَدَّ مُجَادَلَةً مِنَ الْمُؤْمِنِينَ لِرَبِّهِمْ فِي إِخْوَانِهِمُ الَّذِينَ أُدْخِلُوا النَّارَ ‏.‏ قَالَ يَقُولُونَ رَبَّنَا إِخْوَانُنَا كَانُوا يُصَلُّونَ مَعَنَا وَيَصُومُونَ مَعَنَا وَيَحُجُّونَ مَعَنَا فَأَدْخَلْتَهُمُ النَّارَ ‏.‏ فَيَقُولُ اذْهَبُوا فَأَخْرِجُوا مَنْ عَرَفْتُمْ مِنْهُمْ فَيَأْتُونَهُمْ فَيَعْرِفُونَهُمْ بِصُوَرِهِمْ لاَ تَأْكُلُ النَّارُ صُوَرَهُمْ فَمِنْهُمْ مَنْ أَخَذَتْهُ النَّارُ إِلَى أَنْصَافِ سَاقَيْهِ وَمِنْهُمْ مَنْ أَخَذَتْهُ إِلَى كَعْبَيْهِ فَيُخْرِجُونَهُمْ فَيَقُولُونَ رَبَّنَا أَخْرَجْنَا مَنْ قَدْ أَمَرْتَنَا ‏.‏ ثُمَّ يَقُولُ أَخْرِجُوا مَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ وَزْنُ دِينَارٍ مِنَ الإِيمَانِ ثُمَّ مَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ وَزْنُ نِصْفِ دِينَارٍ ثُمَّ مَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ حَبَّةٍ مِنْ خَرْدَلٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو سَعِيدٍ فَمَنْ لَمْ يُصَدِّقْ هَذَا فَلْيَقْرَأْ {إِنَّ اللَّهَ لاَ يَظْلِمُ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ وَإِنْ تَكُ حَسَنَةً يُضَاعِفْهَا وَيُؤْتِ مِنْ لَدُنْهُ أَجْرًا عَظِيمًا}‏ ‏.‏

আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যখন আল্লাহ্‌ তাআলা (কিয়ামাতের দিন) মু’মিনদেরকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিবেন এবং তারা নিরাপদ হয়ে যাবে, তখন ঈমানদারগণ তাদের জাহান্নামী ভাইদের ব্যাপারে তাদের প্রতিপালকের সাথে এত প্রচন্ড তর্ক-বিতর্কে লিপ্ত হবে যে, তারা দুনিয়াতে অবস্থানকালে তাদের কেউ তার বন্ধুর পক্ষে ততটা প্রচন্ড বিতর্কে লিপ্ত হয়নি। তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের এ ভাইয়েরা তো আমাদের সাথে সলাত আদায় করতো, সওম রাখতো এবং হাজ্জ করতো। অথচ আপনি তাদেরকে জাহান্নামে দাখিল করেছেন। তখন আল্লাহ্‌ তাআলা বলবেনঃ তোমরা যাও এবং তাদের মধ্যে যাদেরকে তোমরা চিনতে পারো, তাদেরকে বের করে নিয়ে এসো। অতএব তারা তাদের কাছে যাবে এবং তাদের আকৃতি দেখে তাদের চিনতে পারবে। জাহান্নামের আগুন তাদের দৈহিক গঠনাকৃতি ভক্ষন (নষ্ট) করবে না। আগুন তাদের কারো পদদ্বয়ের জংঘার অর্ধাংশ পর্যন্ত এবং কারো পদদ্বয়ের গোছা পর্যন্ত স্পর্শ করবে। তারা তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করে এনে বলবে, হে আমাদের প্রভু! আপনি আমাদেরকে যাদের বের করে আনার নির্দেশ দিয়েছেন আমরা তাদের বের করে এনেছি। অতঃপর আল্লাহ্‌ বলবেনঃ যাদের অন্তরে এক দীনার পরিমাণ ঈমান আছে, অতঃপর যাদের অন্তরে অর্ধ দীনার পরিমাণ ঈমান আছে, অতঃপর যাদের অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণও ঈমান আছে, তোমরা তাদেরকেও বের করে নিয়ে এসো। আবু সাঈদ (রাঃ) বলেন, যার এ কথা বিশ্বাস না হয় সে যেন তিলাওয়াত করে (অনুবাদ): “আল্লাহ্‌ অণু পরিমাণও যুল্‌ম করেন না। কোন উত্তম কাজ হলে আল্লাহ্‌ তা দ্বিগুন করেন এবং আল্লাহ্‌ তাঁর পক্ষ থেকে মহা পুরস্কার প্রদান করেন”- (সূরাহ নিসা’ ৪-৪০)। [৬০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৬০] বুখারী ২২, ৬৫৬০, ৭৪৪০; মুসলিম ১৮৩, ১৮৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ৩০৫৪, যিললুল জান্নাহ ৭৫৭।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬১

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ نَجِيحٍ، – وَكَانَ ثِقَةً – عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ، عَنْ جُنْدُبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَنَحْنُ فِتْيَانٌ حَزَاوِرَةٌ فَتَعَلَّمْنَا الإِيمَانَ قَبْلَ أَنْ نَتَعَلَّمَ الْقُرْآنَ ثُمَّ تَعَلَّمْنَا الْقُرْآنَ فَازْدَدْنَا بِهِ إِيمَانًا ‏”‏ ‏.‏

জুনদুব বিন আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে ছিলাম। আমরা ছিলাম শক্তিশালী এবং সক্ষম যুবক। আমরা কুরআন শেখার পূর্বে ঈমান শিখেছি, অতঃপর কুরআন শিখেছি এবং তার দ্বারা আমাদের ঈমান বেড়ে যায়। [৬১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৬১] সহীহ।

হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬২

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ نِزَارٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ صِنْفَانِ مِنْ هَذِهِ الأُمَّةِ لَيْسَ لَهُمَا فِي الإِسْلاَمِ نَصِيبٌ الْمُرْجِئَةُ وَالْقَدَرِيَّةُ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, এ উম্মাতের দু’টি শ্রেণীর জন্য ইসলামে কোন অংশ নেই- মুরজিয়া ও কাদারিয়া সম্প্রদায়। [৬২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৬২] তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: যঈফ মিশকাত ১০৫, যিললুল জান্নাহ ৩২৪/৩২৫। উক্ত হাদিসের রাবী ১. মুহাম্মাহ ইবনু ফুদায়ল সম্পর্কে ইবনু মাঈন ও আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু যুর’আহ বলেন তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন কোন সমস্যা নেই। ইবনু হিব্বান তার সিকাহ হওয়ার ব্যাপারে আলোচনা করেছেন। ২. আলী বিন নিযার সম্পর্কে ইয়াকুব বিন সুফিইয়ান তাকে দুর্বল বলেছেন। আল আযদী তাকে খুবই দুর্বল বলেছেন। ইমাম যাহাবী তাকে দইফ বা দুর্বল বলেছেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৬৩

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ كَهْمَسِ بْنِ الْحَسَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ عُمَرَ، قَالَ كُنَّا جُلُوسًا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَجَاءَ رَجُلٌ شَدِيدُ بَيَاضِ الثِّيَابِ شَدِيدُ سَوَادِ شَعَرِ الرَّأْسِ لاَ يُرَى عَلَيْهِ أَثَرُ السَّفَرِ وَلاَ يَعْرِفُهُ مِنَّا أَحَدٌ ‏.‏ قَالَ فَجَلَسَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَأَسْنَدَ رُكْبَتَهُ إِلَى رُكْبَتِهِ وَوَضَعَ يَدَيْهِ عَلَى فَخِذَيْهِ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ يَا مُحَمَّدُ مَا الإِسْلاَمُ قَالَ ‏”‏ شَهَادَةُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ وَإِقَامُ الصَّلاَةِ وَإِيتَاءُ الزَّكَاةِ وَصَوْمُ رَمَضَانَ وَحَجُّ الْبَيْتِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ صَدَقْتَ ‏.‏ فَعَجِبْنَا مِنْهُ يَسْأَلُهُ وَيُصَدِّقُهُ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ يَا مُحَمَّدُ مَا الإِيمَانُ قَالَ ‏”‏ أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَرُسُلِهِ وَكُتُبِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ صَدَقْتَ ‏.‏ فَعَجِبْنَا مِنْهُ يَسْأَلُهُ وَيُصَدِّقُهُ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ يَا مُحَمَّدُ مَا الإِحْسَانُ قَالَ ‏”‏ أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ فَإِنَّكَ إِنْ لاَ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَمَتَى السَّاعَةُ قَالَ ‏”‏ مَا الْمَسْئُولُ عَنْهَا بِأَعْلَمَ مِنَ السَّائِلِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَمَا أَمَارَتُهَا قَالَ ‏”‏ أَنْ تَلِدَ الأَمَةُ رَبَّتَهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَكِيعٌ يَعْنِي تَلِدُ الْعَجَمُ الْعَرَبَ ‏”‏ وَأَنْ تَرَى الْحُفَاةَ الْعُرَاةَ الْعَالَةَ رِعَاءَ الشَّاءِ يَتَطَاوَلُونَ فِي الْبِنَاءِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ قَالَ فَلَقِيَنِي النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بَعْدَ ثَلاَثٍ فَقَالَ ‏”‏ أَتَدْرِي مَنِ الرَّجُلُ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ ذَاكَ جِبْرِيلُ أَتَاكُمْ يُعَلِّمُكُمْ مَعَالِمَ دِينِكُمْ ‏”‏ ‏

উমার (ইবনুল খাত্তাব) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে উপবিষ্ট থাকা অবস্থায় ধবধবে সাদা পোশাক পরিহিত ও মাথায় গাঢ় কালো চুলবিশিষ্ট এক ব্যক্তি এসে হাজির হন। তার চেহারায় সফরের কোন ছাপ দেখা যাচ্ছিল না এবং আমাদের কেউই তাকে চিনে না। রাবী বলেন, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সামনে বসলেন, তার হাঁটুদ্বয় মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাঁটুদ্বয়ের সাথে সাথে লাগিয়ে এবং তার দু’হাত তাঁর দু’ উরুর উপর রেখে, তারপর জিজ্ঞেস করেন, হে মুহাম্মাদ! ইসলাম কী? তিনি বলেন, এই সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ্‌ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, আমি আল্লাহ্‌র রসূল, সলাত আদায় করা, যাকাত দেয়া, রমাযানের সওম পালন করা এবং আল্লাহ্‌র ঘরের হাজ্জ করা। তিনি (আগন্তুক) বলেন, আপনি সত্য কথা বলেছেন। আমরা তার এ কথায় অবাক হলাম যে, তিনিই জিজ্ঞেস করলেন এবং তিনিই তা সত্যায়ন করলেন। অতঃপর তিনি জিজ্ঞেস করেন, হে মুহাম্মাদ! ঈমান কী? তিনি বলেন, তুমি ঈমান আনবে আল্লাহ্‌র উপর, তাঁর মালায়িকার, তাঁর রসূলগণের, তাঁর কিতাবসমূহে, আখিরাতের দিনে এবং তাকদীরে ও তার ভালো-মন্দে। আগন্তুক বলেন, আপনি সত্য কথা বলেছেন। আমরা এবারও তার কথায় অবাক হলাম যে, তিনিই প্রশ্ন করছেন এবং তিনিই তা সত্যায়ন করছেন। তিনি পুনরায় জিজ্ঞেস করেন, হে মুহাম্মাদ! ইহসান কী? তিনি বলেন, তুমি এমনভাবে আল্লাহ্‌র ইবাদাত করো যেন তুমি তাঁকে দেখছো, যদি তুমি তাঁকে না দেখো নিশ্চয় তিনি তোমাকে দেখছেন। তিনি বলেন, মুহূর্তটি (কিয়ামাত) কখন আসবে? তিনি বলেন, এ সম্পর্কে উত্তরদাতা প্রশ্নকর্তার চেয়ে অধিক কিছু জানে না। তিনি বলেন, তাহলে এর আলামত কী? তিনি বলেন, ক্রীতদাসী তার মনিবকে প্রসব করবে। ওয়াকী‘ (রহঃ) বলেন, অর্থাৎ অনারবদের ঔরসে আরবরা জন্মগ্রহণ করবে। তুমি দেখতে পাবে নগ্নদেহ, নগ্নপদ ও অভাবগ্রস্থ মেষ চারকরা সুউচ্চ ইমারতের মালিক হয়ে অহংকারে ফেটে পড়বে। উমার (রাঃ) বলেন, এ ঘটনার তিন দিন পর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার সাথে সাক্ষাৎ করে বলেন, লোকটি কে, তুমি কি তা জানো? আমি বললাম, আল্লাহ্‌ ও তাঁর রসূলই অধিক জ্ঞাত। তিনি বলেন, ইনি হলেন জিবরীল (আঃ), দ্বীনের বিষয়াদি শিক্ষা দেয়ার জন্য তোমাদের নিকট এসেছেন। [৬৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৬৩] মুসলিম ৮, তিরমিযী ২৬১০, নাসায়ী ৪৯৯০, ৪৬৯৫; আহমাদ ১৮৫, ৩৬৯, ৩৭৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ফিলাল ১২০-১২৭ ইরওয়াহ ৩৩-৩৪।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৪

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ أَبِي حَيَّانَ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَوْمًا بَارِزًا لِلنَّاسِ ‏.‏ فَأَتَاهُ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا الإِيمَانُ قَالَ ‏”‏ أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَلِقَائِهِ وَتُؤْمِنَ بِالْبَعْثِ الآخِرِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا الإِسْلاَمُ قَالَ ‏”‏ أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ وَلاَ تُشْرِكَ بِهِ شَيْئًا وَتُقِيمَ الصَّلاَةَ الْمَكْتُوبَةَ وَتُؤْتِيَ الزَّكَاةَ الْمَفْرُوضَةَ وَتَصُومَ رَمَضَانَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا الإِحْسَانُ قَالَ ‏”‏ أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ فَإِنَّكَ إِنْ لاَ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَتَى السَّاعَةُ قَالَ ‏”‏ مَا الْمَسْئُولُ عَنْهَا بِأَعْلَمَ مِنَ السَّائِلِ وَلَكِنْ سَأُحَدِّثُكَ عَنْ أَشْرَاطِهَا إِذَا وَلَدَتِ الأَمَةُ رَبَّتَهَا فَذَلِكَ مِنْ أَشْرَاطِهَا وَإِذَا تَطَاوَلَ رِعَاءُ الْغَنَمِ فِي الْبُنْيَانِ فَذَلِكَ مِنْ أَشْرَاطِهَا فِي خَمْسٍ لاَ يَعْلَمُهُنَّ إِلاَّ اللَّهُ ‏”‏ ‏.‏ فَتَلاَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ {إِنَّ اللَّهَ عِنْدَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ وَيُنَزِّلُ الْغَيْثَ وَيَعْلَمُ مَا فِي الأَرْحَامِ وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ مَاذَا تَكْسِبُ غَدًا وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ بِأَىِّ أَرْضٍ تَمُوتُ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌ‏}‏ ‏.

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদিন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লোকবেষ্টিত থাকা অবস্থায় এক ব্যক্তি তাঁর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহ্‌র রসূল! ঈমান কী? তিনি বলেন, তুমি ঈমান আনবে আল্লাহ্‌র উপর, তাঁর মালায়িকাহ, তাঁর কিতাবসমূহে, তাঁর রসূলগণের, তাঁর সাথে সাক্ষাতে এবং তুমি আরো ঈমান আনবে পুনরুত্থান দিবসে। সে বললো, হে আল্লাহ্‌র রসূল! ইসলাম কী? তিনি বলেন, তুমি আল্লাহ্‌র ইবাদাত করবে, তাঁর সাথে কোন কিছু শারীক করবে না, ফার্‌দ সলাত আদায় করবে, ফার্‌দ যাকাত প্রদান করবে এবং রমাদানের সওম পালন করবে। সে বললো, হে আল্লাহ্‌র রসূল! ইহসান কী? তিনি বলেন, তুমি এমনভাবে আল্লাহ্‌র ইবাদাত করো যেন তুমি তাঁকে দেখছো। যদি তুমি তাঁকে দেখতে সক্ষম না হও, তবে তিনি নিশ্চয় তোমাকে দেখছেন। সে বললো, হে আল্লাহ্‌র রসূল! তিনি বলেন, মুহূর্তটি (কিয়ামাত) কখন আসবে? তিনি বলেন, এ বিষয়ে উত্তরদাতা প্রশ্নকারীর চাইতে অধিক কিছু জানে না। তবে আমি তোমাকে তার কতিপয় শর্ত (আলামত) সম্পর্কে বলছি। ক্রীতদাসী যখন তার মনিবকে প্রসব করবে। সেটা কিয়ামাতের শর্তাবলীর অন্তর্ভুক্ত। যখন মেষ চারকরা সুউচ্চ দালান-কোঠার (মালিক হয়ে) অহংকারে ফেটে পড়বে এটাও তার শর্তাবলীর অন্তর্ভুক্ত। পাঁচটি বিষয় সম্পর্কে আল্লাহ্‌ ব্যতীত কেউ জানে না। তারপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিলাওয়াত করেন (অনুবাদ): “কিয়ামাতের জ্ঞান কেবল আল্লাহ্‌র নিকট রয়েছে, তিনি বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং তিনি জানেন যা জরায়ুতে আছে। কেউ জানে না আগামীকাল (বা ভবিষ্যতে) সে কী উপার্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন স্থানে সে মরবে। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে অবহিত”-(সূরাহ লোকমানঃ ৩৪)। [৬৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৬৪] বুখারী ৫০, ৪৭৭৭; মুসলিম ৯-১০, নাসায়ী ৪৯৯১, আহমাদ ৯২১৭।

তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৫

حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ أَبِي سَهْلٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ صَالِحٍ أَبُو الصَّلْتِ الْهَرَوِيُّ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُوسَى الرِّضَا، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ الإِيمَانُ مَعْرِفَةٌ بِالْقَلْبِ وَقَوْلٌ بِاللِّسَانِ وَعَمَلٌ بِالأَرْكَانِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو الصَّلْتِ لَوْ قُرِئَ هَذَا الإِسْنَادُ عَلَى مَجْنُونٍ لَبَرَأَ ‏.‏

আলী বিন আবু তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ঈমান হলো অন্তরের বিশ্বাস, মৌখিক স্বীকারোক্তি এবং দ্বীনের রোকনসমূহের (অপরিহার্য বিধানসমূহ) বাস্তবায়ন। আবুস-সালত (রহঃ) বলেন, এ সানাদ কোন পাগলের নিকট পাঠ করা হলে সেও নিরাময় লাভ করবে। [৬৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৬৫] মউযূ। তাখরীজ আলবানী: যঈফাহ ২২৭০। উক্ত হাদিসের রাবী আবুস সালাম বিন সালিহ আবুস সালত আল হারাবী সম্পর্কে আবু হাতিম আর রাযী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু যার’আহ আর রাযী বলেন, আমি তার থেকে কোন হাদিস বর্ণনা করিনি। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, মুনকারুল হাদিস। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি দাবিত। ইবনু মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ ও সত্যবাদী।

হাদিসের মানঃ জাল হাদিস

  •  সরাসরি

৬৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ قَتَادَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ لاَ يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى يُحِبَّ لأَخِيهِ – أَوْ قَالَ لِجَارِهِ – مَا يُحِبُّ لِنَفْسِهِ ‏”‏ ‏.‏

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহ্‌র রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমাদের কেউ (পূর্ণ) মু’মিন হবে না, যাবত না সে তার ভাইয়ের জন্য (বা তার প্রতিবেশির জন্য) তাই পছন্দ করবে, যা সে তার নিজের জন্য পছন্দ করে। [৬৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৬৬] বুখারী ১৩, মুসলিম ৪৫, তিরমিযী ২৫১৫, নাসায়ী ৫০১৬, ৫০১৭, ৫০৩৯; আহমাদ ১২৩৯০, ১২৭৩৪, ১৩২১৭, ১৩৪৬২, ১৩৫৪৭, ১৩৬৬৮; দারিমী ২৭৪০। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ৭৩, রওযুন নাযীর ১২৯।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ لاَ يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى أَكُونَ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ وَلَدِهِ وَوَالِدِهِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ ‏”‏ ‏.‏

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আমি তোমাদের কারো কাছে তার সন্তান-সন্ততি, তার পিতা-মাতা ও সকল মানুষের চেয়ে অধিক প্রিয় না হওয়া পর্যন্ত সে (পূর্ণ) মু’মিন হতে পারবে না। [৬৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৬৭] বুখারী ১৫, মুসলিম ৪৪/১-২, নাসায়ী ৫০১৩-১৪, আহমাদ ১২৭৩৯, ১৩৪৯৯, ১৩৫৪৭; দারিমী ২৭৪১। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী:

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৮

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لاَ تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ حَتَّى تُؤْمِنُوا وَلاَ تُؤْمِنُوا حَتَّى تَحَابُّوا أَوَلاَ أَدُلُّكُمْ عَلَى شَىْءٍ إِذَا فَعَلْتُمُوهُ تَحَابَبْتُمْ أَفْشُوا السَّلاَمَ بَيْنَكُمْ ‏”‏ ‏.‏

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, সেই সত্ত্বার শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ! তোমরা ঈমানদার না হওয়া পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না এবং তোমরা পরস্পরকে মহব্বত না করা পর্যন্ত ঈমানদার হতে পারবে না। আমি কি তোমাদের এমন একটি বিষয় নির্দেশ করবো না, যা করলে তোমরা পরস্পরকে মহব্বত করবে? তোমাদের মধ্যে সালামের প্রসার ঘটাও। [৬৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৬৮] মুসলিম ৫৪, তিরমিযী ২৬৮৮, আহমাদ ৮৮৪১, ৯৪১৬, ২৭৩১৪, ১০২৭২। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৭৭৭।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الأَعْمَشِ، ح وَحَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ سِبَابُ الْمُسْلِمِ فُسُوقٌ وَقِتَالُهُ كُفْرٌ ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ (বিন মাসঊদ) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, মুসলিমকে গালি দেয়া গর্হিত কাজ এবং তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা কুফরী। [৬৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৬৯] বুখারী ৪৮, মুসলিম ৬৪, তিরমিযী ১৯৮৩, ২৬৩৪-৩৫; নাসায়ী ৪১০৫-১৩, আহমাদ ৩৬৩৯, ৩৮৯৩, ৩৯৪৭, ৪১১৫, ৪১৬৭, ৪২৫০, ৪৩৩২। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ জামি ৩৫৯৫।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭০

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ الرَّازِيُّ، عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ مَنْ فَارَقَ الدُّنْيَا عَلَى الإِخْلاَصِ لِلَّهِ وَحْدَهُ وَعِبَادَتِهِ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَإِقَامِ الصَّلاَةِ وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ مَاتَ وَاللَّهُ عَنْهُ رَاضٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَنَسٌ وَهُوَ دِينُ اللَّهِ الَّذِي جَاءَتْ بِهِ الرُّسُلُ وَبَلَّغُوهُ عَنْ رَبِّهِمْ قَبْلَ هَرْجِ الأَحَادِيثِ وَاخْتِلاَفِ الأَهْوَاءِ وَتَصْدِيقُ ذَلِكَ فِي كِتَابِ اللَّهِ فِي آخِرِ مَا نَزَلَ يَقُولُ اللَّهُ {فَإِنْ تَابُوا}‏ قَالَ خَلَعُوا الأَوْثَانَ وَعِبَادَتَهَا {وَأَقَامُوا الصَّلاَةَ وَآتَوُا الزَّكَاةَ}‏ وَقَالَ فِي آيَةٍ أُخْرَى ‏{فَإِنْ تَابُوا وَأَقَامُوا الصَّلاَةَ وَآتَوُا الزَّكَاةَ فَإِخْوَانُكُمْ فِي الدِّينِ}‏

 

حَدَّثَنَا أَبُو حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى الْعَبْسِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ الرَّازِيُّ، عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ أَنَسٍ، مِثْلَهُ ‏.‏

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যাক্তি এক আল্লাহ্‌র প্রতি নিষ্ঠাবান অবস্থায়, তাঁর ইবাদাতরত অবস্থায় যাঁর কোন শারীক নাই, সলাত আদায় করে এবং যাকাত প্রদান করে দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হলো, সে এমন অবস্থায় মারা গেল যে, আল্লাহ্‌ তার প্রতি সন্তুষ্ট।

 

আনাস (রাঃ) বলেন, এটা হলো আল্লাহ্‌র সেই দ্বীন, যা নিয়ে রসূলগণ এসেছেন এবং তাদের প্রভুর পক্ষ থেকে তা মানুষের নিকট পৌঁছিয়েছেন ফিতনা-ফাসাদ এবং মনগড়া মতবিরোধ সৃষ্টির পূর্বেই। এর সমর্থন রয়েছে কুরআনের শেষের দিকে অবতীর্ণ আয়াতে, মহান আল্লাহ্‌ তাআলা বলেন, “যদি তারা তাওবাহ করে, সলাত আদায় করে এবং যাকাত দেয়”- (সূরাহ তাওবাহ ৯:৫)। আনাস (রাঃ) বলেন, তারা তাওবা করার পর মূর্তিগুলো ও সেগুলোর পূজা ত্যাগ করে। অন্য আয়াতে আল্লাহ্‌ বলেন, “যদি তারা তাওবাহ করে, সলাত আদায় করে এবং যাকাত দেয় তবে তারা তোমাদের দ্বীনী ভাই”- (সূরাহ তওবা ৯:১১)। [৭০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭০] যঈফ। তাখরীজ আলবানী: তালীকুরগীব ১/২৩। উক্ত হাদিসের রাবী ১. আবু জা’ফার সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আলী বিন মাদীনী তাকে সিকাহ বলেছেন। আবু হাতিম তাকে সত্যবাদী বলেছেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, হাদিস বর্ণনায় তিনি নির্ভরযোগ্য নন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, মুগীরাহ কতৃক হাদিস সংমিশ্রণ করেছেন। ২. রাবী বিন আনাস সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী ও আজালী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমাস্যা নেই। ইবনু হিব্বান বলেন তিনি সিকাহ। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি শিয়া মতাবলম্বী হওয়ার হাদীস বর্ণনায় বাড়াবাড়ি করেছেন।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৭১

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الأَزْهَرِ، حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، حَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَشْهَدُوا أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ وَيُقِيمُوا الصَّلاَةَ وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ ‏”‏ ‏.‏

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আমি লোকেদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আদিষ্ট হয়েছি যতক্ষণ না তারা সাক্ষ্য প্রদান করে যে, আল্লাহ্‌ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নাই, নিশ্চয়ই আমি আল্লাহ্‌র রসূল এবং তারা সলাত আদায় করে এবং যাকাত দেয়। [৭১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭১] বুখারী ১৪০০, ২৯৪৬, ৬৯২৪, ৭২৮৫; মুসলিম ২০, ২১/১-৩; তিরমিযী ২৬০৬-৭, নাসায়ী ২৪৪৩, ৩০৯০-৯৩, ৩০৯৫, ৩৯৭০-৭৮; আবূ দাঊদ ২৬৪০, আহমাদ ৬৮, ১১৮, ৩৩৭, ২৭৩৮০, ৮৩৩৯, ৮৬৮৭, ৯১৯০, ২৭২১৪, ৯৮০২, ২৭২৮৪, ১০১৪০, ১০৪৪১, ১০৪৫৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ মুতাওয়াত্বির। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ৪০৭। উক্ত হাদিসের রাবী আবু জা’ফার সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, মুগীরাহ থেকে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেছেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নন। বু হাতিম আর-রাযী ও আলী ইবনুল মাদীনী এবং ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ মুতওয়াতির

  •  সরাসরি

৭২

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الأَزْهَرِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ بَهْرَامَ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ غَنْمٍ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَشْهَدُوا أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ وَيُقِيمُوا الصَّلاَةَ وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ ‏”‏ ‏.‏

মুআয বিন জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আমাকে মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যতক্ষণ না তারা সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ্‌ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, নিশ্চয় আমি আল্লাহ্‌র রসূল এবং তারা সলাত আদায় করে ও যাকাত দেয়। [৭২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭২] আহমাদ ২১৬১৭ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ মুতাওয়াত্বির। উক্ত হাদিসের রাবী শাহর বিন হাওশাব সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও ইয়াকুব বিন সুফইয়ান এবং আল আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। শু’বাহ ইবনুল হাজ্জাজ তাকে বর্জন করেছেন। আহমাদ বিন হাম্বল ও আবু হাতিম আর রাযী বলেন কোন সমস্যা নেই।

হাদিসের মানঃ সহিহ মুতওয়াতির

  •  সরাসরি

৭৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الرَّازِيُّ، أَنْبَأَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ اللَّيْثِيُّ، حَدَّثَنَا نِزَارُ بْنُ حَيَّانَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَعَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالاَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ صِنْفَانِ مِنْ أُمَّتِي لَيْسَ لَهُمَا فِي الإِسْلاَمِ نَصِيبٌ أَهْلُ الإِرْجَاءِ وَأَهْلُ الْقَدَرِ ‏”‏ ‏.

ইবনু আব্বাস ও জাবির বিন আহদুল্লাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তারা বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আমার উম্মাতের দু’ শ্রেণীর লোকের ইসলামে কোন অংশ নেই- মুরজিয়া ও কাদারিয়া সম্প্রদায়।

  •  
  •  
  •  
  •  

যঈফ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ১০৫, যিললুল জান্নাহ ৩৩৪, ৩৩৫, ৯৪৮।

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৭৪

حَدَّثَنَا أَبُو عُثْمَانَ الْبُخَارِيُّ، سَعِيدُ بْنُ سَعْدٍ قَالَ حَدَّثَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ خَارِجَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – يَعْنِي ابْنَ عَيَّاشٍ – عَنْ عَبْدِ الْوَهَّابِ بْنِ مُجَاهِدٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَابْنِ، عَبَّاسٍ قَالاَ الإِيمَانُ يَزِيدُ وَيَنْقُصُ

আবু হুরায়রা ও ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তারা বলেন, ঈমান বাড়ে ও কমে।

  •  
  •  
  •  
  •  

খুবই দুর্বল। তাখরীজ আলবানী: যঈফাহ ১১২৩।

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৭৫

حَدَّثَنَا أَبُو عُثْمَانَ الْبُخَارِيُّ، حَدَّثَنَا الْهَيْثَمُ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنِ الْحَارِثِ، – أَظُنُّهُ – عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ الإِيمَانُ يَزْدَادُ وَيَنْقُصُ ‏.‏

আবুদ-দারদা’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ঈমান বাড়ে ও কমে। [৭৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৩] দুর্বল।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১০. অধ্যায়ঃ

তাকদীর (রাঃ) ভাগ্যলিপির বর্ণনা

৭৬

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَمُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ ح وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ الرَّقِّيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ حَدَّثَنَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَهُوَ الصَّادِقُ الْمَصْدُوقُ قَالَ ‏ “‏ يُجْمَعُ خَلْقُ أَحَدِكُمْ فِي بَطْنِ أُمِّهِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا ثُمَّ يَكُونُ عَلَقَةً مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ يَكُونُ مُضْغَةً مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ يَبْعَثُ اللَّهُ إِلَيْهِ الْمَلَكَ فَيُؤْمَرُ بِأَرْبَعِ كَلِمَاتٍ فَيَقُولُ اكْتُبْ عَمَلَهُ وَأَجَلَهُ وَرِزْقَهُ وَشَقِيٌّ أَمْ سَعِيدٌ ‏.‏ فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنَّ أَحَدَكُمْ لَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ حَتَّى مَا يَكُونُ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا إِلاَّ ذِرَاعٌ فَيَسْبِقُ عَلَيْهِ الْكِتَابُ فَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ فَيَدْخُلُهَا وَإِنَّ أَحَدَكُمْ لَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ حَتَّى مَا يَكُونُ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا إِلاَّ ذِرَاعٌ فَيَسْبِقُ عَلَيْهِ الْكِتَابُ فَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَيَدْخُلُهَا ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন, আর তিনি ছিলেন সত্যবাদী ও সত্যবাদী বলে সমর্থিতঃ তোমাদের প্রত্যেকের সৃষ্টি কার্যক্রম এভাবে অগ্রসর হয় যে, তার মাতৃগর্ভে চল্লিশ দিন পর্যন্ত (শুক্ররূপে) জমা রাখা হয়, তারপর অনুরূপ সময়ে তা জমাট রক্ত পিন্ডের রূপ ধারণ করে, তারপর অনুরূপ সময়ে তা মাংসপিন্ডের রূপ ধারণ করে, তারপর আল্লাহ্‌ তাআলা তার নিকট একজন ফেরেশ্‌তা পাঠান। তাকে চারটি বিষয় লিপিবদ্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়। অতএব তিনি (আল্লাহ্‌) বলেন, তার কার্যকলাপ, আয়ুষ্কাল, তার রিয্‌ক এবং সে দুর্ভাগা না ভাগ্যবান তা লিখে দাও। সেই সত্তার শপথ যাঁর হাতে আমার প্রাণ! নিশ্চয় তোমাদের কেউ অবশ্যই জান্নাতীদের কাজ করতে থাকে, এমনকি তার ও জান্নাতের মাঝে মাত্র এক হাত পরিমাণ দূরত্ব থাকে, তখন তার দিকে তার তাকদীরের লেখা অগ্রসর হয় এবং সে জাহান্নামীদের কাজ করে, ফলে সে জাহান্নামে প্রবেশ করে। আবার তোমাদের কেউ অবশ্যই জাহান্নামীদের কাজ করতে থাকে, এমনকি তার ও জাহান্নামের মাঝে মাত্র এক হাত দূরত্ব থাকে, তখন তার দিকে তার তাকদীরের লেখা অগ্রসর হয় এবং সে জান্নাতীদের কাজ করে, ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করে। [৭৪]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৪]বুখারী ৩২০৮, ৩৩৩২, ৬৫৯৪, ৭৪৫৪; মুসলিম ২৬৪৩, তিরমিযী ২১৩৭, আবূ দাঊদ ৪৭০৮, আহমাদ ৩৬১৭, ৩৯২৪, ৪০৮০। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: যিললুল জান্নাহ ১৭৫, ১৭৬, ইরওয়াহ ২১৪৩। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ ইবনুল ফুদায়ল সম্পর্কে ইবনু মাঈন ও আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু যুর’আহ বলেন তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন কোন সমস্যা নেই। ইবনু হিব্বান তার সিকাহ হওয়ার ব্যাপারে আলোচনা করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৭

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سِنَانٍ، عَنْ وَهْبِ بْنِ خَالِدٍ الْحِمْصِيِّ، عَنِ ابْنِ الدَّيْلَمِيِّ، قَالَ وَقَعَ فِي نَفْسِي شَىْءٌ مِنْ هَذَا الْقَدَرِ خَشِيتُ أَنْ يُفْسِدَ عَلَىَّ دِينِي وَأَمْرِي فَأَتَيْتُ أُبَىَّ بْنَ كَعْبٍ فَقَلْتُ أَبَا الْمُنْذِرِ إِنَّهُ قَدْ وَقَعَ فِي قَلْبِي شَىْءٌ مِنْ هَذَا الْقَدَرِ فَخَشِيتُ عَلَى دِينِي وَأَمْرِي فَحَدِّثْنِي مِنْ ذَلِكَ بِشَىْءٍ لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يَنْفَعَنِي بِهِ ‏.‏ فَقَالَ لَوْ أَنَّ اللَّهَ عَذَّبَ أَهْلَ سَمَوَاتِهِ وَأَهْلَ أَرْضِهِ لَعَذَّبَهُمْ وَهُوَ غَيْرُ ظَالِمٍ لَهُمْ وَلَوْ رَحِمَهُمْ لَكَانَتْ رَحْمَتُهُ خَيْرًا لَهُمْ مِنْ أَعْمَالِهِمْ ‏.‏ وَلَوْ كَانَ لَكَ مِثْلُ جَبَلِ أُحُدٍ ذَهَبًا أَوْ مِثْلُ جَبَلِ أُحُدٍ تُنْفِقُهُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ مَا قُبِلَ مِنْكَ حَتَّى تُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ ‏.‏ فَتَعْلَمَ أَنَّ مَا أَصَابَكَ لَمْ يَكُنْ لِيُخْطِئَكَ وَأَنَّ مَا أَخْطَأَكَ لَمْ يَكُنْ لِيُصِيبَكَ ‏.‏ وَأَنَّكَ إِنْ مُتَّ عَلَى غَيْرِ هَذَا دَخَلْتَ النَّارَ وَلاَ عَلَيْكَ أَنْ تَأْتِيَ أَخِي عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ فَتَسْأَلَهُ ‏.‏ فَأَتَيْتُ عَبْدَ اللَّهِ فَسَأَلْتُهُ فَذَكَرَ مِثْلَ مَا قَالَ أُبَىٌّ وَقَالَ لِي وَلاَ عَلَيْكَ أَنْ تَأْتِيَ حُذَيْفَةَ ‏.‏ فَأَتَيْتُ حُذَيْفَةَ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ مِثْلَ مَا قَالاَ وَقَالَ ائْتِ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ فَاسْأَلْهُ ‏.‏ فَأَتَيْتُ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ “‏ لَوْ أَنَّ اللَّهَ عَذَّبَ أَهْلَ سَمَوَاتِهِ وَأَهْلَ أَرْضِهِ لَعَذَّبَهُمْ وَهُوَ غَيْرُ ظَالِمٍ لَهُمْ وَلَوْ رَحِمَهُمْ لَكَانَتْ رَحْمَتُهُ خَيْرًا لَهُمْ مِنْ أَعْمَالِهِمْ وَلَوْ كَانَ لَكَ مِثْلُ أُحُدٍ ذَهَبًا أَوْ مِثْلُ جَبَلِ أُحُدٍ ذَهَبًا تُنْفِقُهُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ مَا قَبِلَهُ مِنْكَ حَتَّى تُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ كُلِّهِ فَتَعْلَمَ أَنَّ مَا أَصَابَكَ لَمْ يَكُنْ لِيُخْطِئَكَ وَمَا أَخْطَأَكَ لَمْ يَكُنْ لِيُصِيبَكَ وَأَنَّكَ إِنْ مُتَّ عَلَى غَيْرِ هَذَا دَخَلْتَ النَّارَ ‏”‏ ‏.‏

উবাই বিন কা’ব, আবদুল্লাহ বিন মাসঊদ, হুযায়ফাহ ও যায়দ বিন সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

(ইবনুল দায়লামী) বলেন, আমার মনে এই তাকদীর সম্পর্কে কিছুটা সন্দেহ দানা বাঁধে। তাই আমি এই ভেবে শংকিত হই যে, তা আমার দ্বীন ও অন্যান্য কার্যক্রম নষ্ট করে দেয় কিনা। তাই আমি উবাই বিন কা’ব (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললাম, হে আবুল মুনযির! আমার মনে এই তাকদীর সম্পর্কে কিছুটা সন্দেহ দানা বেঁধেছে, তাই আমি এই ভেবে শংকিত হই যে, তা আমার দ্বীন ও অন্যান্য কার্যক্রমকে নষ্ট করে দেয় কিনা। অতএব এ সম্পর্কে আমাকে কিছু বলুন। আশা করি আল্লাহ্‌ তা দ্বারা আমার উপকার করবেন। তিনি বলেন, আল্লাহ্‌ তা’আলা ঊর্ধলোকের ও ইহলোকের সকলকে শাস্তি দিতে চাইলে তিনি অবশ্যই তাদের শাস্তি দিতে পারেন। তথাপি তিনি তাদের প্রতি যুলমকারী নন। আর তিনি তাদেরকে দয়া করতে চাইলে তাঁর দয়া তাদের জন্য তাদের কাজকর্মের চেয়ে কল্যাণময়। যদি তোমাদের নিকট উহূদ পাহাড় পরিমাণ বা উহূদ পাহাড়ের মত সোনা থাকতো এবং তুমি তা আল্লাহ্‌র রাস্তায় খরচ করতে থাকো, তবে তোমার সেই দান কবুল হবে না, যাবত না তুমি তাকদীরের উপর ঈমান আনো। অতএব তুমি জেনে রাখো! যা কিছু তোমার উপর আপতিত হয়েছে তা তোমার উপর আপতিত হতে কখনো ভুল হতো না এবং যা তোমার উপর আপতিত হওয়ার ছিল না তা ভুলেও কখনো তোমার উপর আপতিত হবে না। তুমি যদি এর বিপরীত বিশ্বাস নিয়ে মারা যাও তবে তুমি জাহান্নামে যাবে। আমি মনে করি তুমি আমার ভাই আবদুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ)-এর নিকট গিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলে তোমার কোন ক্ষতি হবেনা। (ইবনুদ দাইলামী বলেন), অতঃপর আমি আবদুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ)-এর নিকট এসে তাকে জিজ্ঞেস করলাম। তিনিও উবাই (রাঃ)-এর অনুরূপ বললেন। তিনি আরো বললেন, তুমি হুযাইফাহ (রাঃ)-এর নিকট গিয়ে জিজ্ঞেস করলে তোমার ক্ষতি নেই। অতঃপর আমি হুযাইফাহ (রাঃ)-এর কাছে গিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলাম। তিনিও তাদের দু’জনের অনুরূপ বলেন। তিনি আরও বলেন, তুমি যায়দ বিন সাবিত (রাঃ)-এর নিকট গিয়ে তাকেও জিজ্ঞেস করো। অতএব আমি যায়দ বিন সাবিত (রাঃ)-এর নিকট এসে তাকে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহ্‌ তা’আলা ঊর্ধলোক ও ইহলোকের সকল অধিবাসীকে শাস্তি দিতে চাইলে অবশ্যই তাদের শাস্তি দিতে পারবেন এবং তিনি তাদের প্রতি যুলমকারী নন। আর তিনি তাদের প্রতি দয়া করতে চাইলে তাঁর দয়া তাদের সমস্ত সৎ কাজের চাইতেও তাদের জন্য অধিক কল্যাণকর। তোমার নিকট উহূদ পাহাড় পরিমাণ সোনা থাকলেও এবং তুমি তা আল্লাহ্‌র পথে ব্যয় করলেও তিনি তা কবূল করবেন না, যাবত না তুমি সম্পূর্ণরূপে তাকদীরের উপর ঈমান আনো। অতএব তুমি জেনে রাখো! তোমার উপর যা কিছু আপতিত হওয়ার আছে তা তোমার উপর আপতিত হয়েছে, তা কখনো ভুলেও এড়িয়ে যেত না এবং যা তোমার উপর আপতিত হওয়ার ছিল না, তা তোমার উপর ভুলেও কখনো আপতিত হত না। তুমি যদি এর বিপরীত বিশ্বাস নিয়ে মারা যাও তাহলে তুমি জাহান্নামে যাবে। [৭৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৫] আবূ দাঊদ ৪৬৯৯, আহমাদ ২১০৭৯, ২১১০২, ২১১৪৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ফিললুল জান্নাহ ১৪৫, মিশকাত ১১৫, তাখরীজুত তাহরীয়াহু ৪৪৭।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৮

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَوَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ كُنَّا جُلُوسًا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَبِيَدِهِ عُودٌ فَنَكَتَ فِي الأَرْضِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ ‏”‏ مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ إِلاَّ وَقَدْ كُتِبَ مَقْعَدُهُ مِنَ الْجَنَّةِ وَمَقْعَدُهُ مِنَ النَّارِ ‏”‏ ‏.‏ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفَلاَ نَتَّكِلُ قَالَ ‏”‏ لاَ اعْمَلُوا وَلاَ تَتَّكِلُوا فَكُلٌّ مُيَسَّرٌ لِمَا خُلِقَ لَهُ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَرَأَ {فَأَمَّا مَنْ أَعْطَى وَاتَّقَى * وَصَدَّقَ بِالْحُسْنَى * فَسَنُيَسِّرُهُ لِلْيُسْرَى * وَأَمَّا مَنْ بَخِلَ وَاسْتَغْنَى * وَكَذَّبَ بِالْحُسْنَى * فَسَنُيَسِّرُهُ لِلْعُسْرَى}‏ ‏.‏

আলী বিন আবু তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট বসা ছিলাম। তাঁর হাতে ছিল এক টুকরা কাঠ। তা দিয়ে তিনি মাটির উপর রেখা টানলেন, অতঃপর মাথা তুলে বলেন, তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যার জান্নাতে তার একটি আসন অথবা জাহান্নামে তার নিকট আসন নির্ধারিত করা হয়নি। বলা হলো, হে আল্লাহ্‌র রসূল! তাহলে আমরা কি ভরসা করব না? তিনি বলেন, না, তোমরা সৎ কাজ করতে থাকো এবং (এর উপর) ভরসা করো না। কারণ যাকে যার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে তা তার জন্য সহজসাধ্য করা হয়েছে। অতঃপর তিনি তিলাওয়াত করেন (অনুবাদ): “সুতরাং কেউ দান করলে, মুত্তাকী হলে এবং যা উত্তম তা গ্রহণ করলে, আমি তার জন্য সুগম করে দিব সহজ পথ। আর কেউ কার্পণ্য করলে, নিজেকে অমুখাপেক্ষী মনে করলে আমি তার জন্য সুগম করে দিব কঠোর পথ।”(সূরাহ লায়ল ৯২ : ৫-১০)। [৭৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৬] বুখারী ১৩৬২, ৪৯৪৫-৪৯, ৬২১৭, ৬৬০৫, ৭৫৫২; মুসলিম ২৬৪৭/১-২, তিরমিযী ২১৩৬, ৩৩৪৪; আবূ দাঊদ ৪৬৯৪, আহমাদ ৬২২, ১০৭০, ১১১৩, ১১৮৫, ১৩৫২। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: যিললুল জান্নাহ ১৭১, রওযুন নাযীর ৭০১।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৯

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ الطَّنَافِسِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ الْمُؤْمِنُ الْقَوِيُّ خَيْرٌ وَأَحَبُّ إِلَى اللَّهِ مِنَ الْمُؤْمِنِ الضَّعِيفِ وَفِي كُلٍّ خَيْرٌ احْرِصْ عَلَى مَا يَنْفَعُكَ وَاسْتَعِنْ بِاللَّهِ وَلاَ تَعْجِزْ فَإِنْ أَصَابَكَ شَىْءٌ فَلاَ تَقُلْ لَوْ أَنِّي فَعَلْتُ كَذَا وَكَذَا ‏.‏ وَلَكِنْ قُلْ قَدَّرَ اللَّهُ وَمَا شَاءَ فَعَلَ فَإِنَّ ‏”‏ لَوْ ‏”‏ تَفْتَحُ عَمَلَ الشَّيْطَانِ ‏”‏ ‏.‏

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, শক্তিশালী মু’মিন দুর্বল মু’মিনের চাইতে উত্তম এবং আল্লাহ্‌র নিকট অধিক প্রিয়। অবশ্য উভয়ের মধ্যেই কল্যাণ রয়েছে। তুমি তোমার জন্য উপকারী জিনিসের আকাঙ্ক্ষা করো এবং আল্লাহ্‌র সাহায্য চাও এবং কখনো অক্ষমতা প্রকাশ করো না। তোমার কোন ক্ষতি হলে বলো না, যদি আমি এভাবে করতাম, বরং তুমি বল, আল্লাহ্‌ যা নির্ধারণ করেছেন এবং তিনি যা চান তাই করেন। কেননা “লাও” (যদি) শব্দটি শয়তানের তৎপরতার দ্বার খুলে দেয়। [৭৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৭] মুসলিম ২৬৬৪, আহমাদ ৮৫৭৩, ৮৬১১। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। তাখরীজ আলবানী: ফিযাল ৩৫৬।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৮০

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، وَيَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، سَمِعَ طَاوُسًا، يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يُخْبِرُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ احْتَجَّ آدَمُ وَمُوسَى فَقَالَ لَهُ مُوسَى يَا آدَمُ أَنْتَ أَبُونَا خَيَّبْتَنَا وَأَخْرَجْتَنَا مِنَ الْجَنَّةِ بِذَنْبِكَ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ آدَمُ يَا مُوسَى اصْطَفَاكَ اللَّهُ بِكَلاَمِهِ وَخَطَّ لَكَ التَّوْرَاةَ بِيَدِهِ أَتَلُومُنِي عَلَى أَمْرٍ قَدَّرَهُ اللَّهُ عَلَىَّ قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَنِي بِأَرْبَعِينَ سَنَةً فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى ‏”‏ ‏.‏ ثَلاَثًا ‏.‏

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আদম (আঃ) মূসা (আঃ)-এর সাথে (আত্মার জগতে) বিতর্ক করেন। মূসা (আঃ) তাঁকে বলেন, হে আদম! আপনি আমাদের পিতা। আপনি আমাদের হতাশ করেছেন এবং আপনার ভুলের মাশুল স্বরূপ আমাদেরকে জান্নাত থেকে বহিষ্কার করেছেন। আদম (আঃ) তাঁকে বলেন, হে মূসা! আল্লাহ্‌ তোমাকে তাঁর প্রত্যক্ষ কালামের জন্য মনোনীত করেছেন এবং স্বহস্তে তোমাকে তাওরাত কিতাব লিখে দিয়েছেন। তুমি কি আমাকে এমন একটি ব্যাপারে দোষারোপ করছো, যা আল্লাহ্‌ তা’আলা আমাকে সৃষ্টি করার চল্লিশ বছর পূর্বে আমার জন্য নির্ধারিত করেন? অতএব আদম (আঃ) বিতর্কে মূসা (আঃ)-এর উপর বিজয়ী হন, আদম (আঃ) মূসা (আঃ)-এর সাথে বিতর্কে বিজয়ী হন, আদম (আঃ) মূসা (আঃ)-এর সাথে বিতর্কে বিজয়ী হন। কথাটি তিনি তিনবার বলেন। [৭৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৮] বুখারী ৩৪০৯, ৪৭৩৮; মুসলিম ২৬৫২/১-৪, তিরমিযী ২১৩৪, আবূ দাঊদ ৪৭০১, আহমাদ ৭৩৪০, ৭৫৩৪, ৭৫৭৯, ৭৭৯৬, ২৭৩৭৫, ৮৮৫১, ৮৫২৫, ৯৫০০, ৯৬৬৪; মুওয়াত্ত্বা মালিক ১৬৬০। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ফিলাল ১৪৫।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮১

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَامِرِ بْنِ زُرَارَةَ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيٍّ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ لاَ يُؤْمِنُ عَبْدٌ حَتَّى يُؤْمِنَ بِأَرْبَعٍ بِاللَّهِ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ وَبِالْبَعْثِ بَعْدَ الْمَوْتِ وَالْقَدَرِ ‏”‏ ‏.

আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কোন বান্দাহ চারটি বিষয়ের উপর ঈমান না আনা পর্যন্ত মু’মিন হবে না। একমাত্র আল্লাহ্‌র উপর ঈমান আনবে, যাঁর কোন শরীক নেই, নিশ্চয়ই আমি আল্লাহ্‌র রসূল, মৃত্যুর পর পুনরুত্থান এবং তাকদীরের ভালমন্দে। [৭৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৭৯] তিরমিযী ২১৪৫ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ১০৪ ফিলাল ১৩০, তাখরীজ মুখতারাহ্ ৪১৬-৪২০।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا طَلْحَةُ بْنُ يَحْيَى بْنِ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ عَمَّتِهِ، عَائِشَةَ بِنْتِ طَلْحَةَ عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، قَالَتْ دُعِيَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِلَى جِنَازَةِ غُلاَمٍ مِنَ الأَنْصَارِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ طُوبَى لِهَذَا عُصْفُورٌ مِنْ عَصَافِيرِ الْجَنَّةِ لَمْ يَعْمَلِ السُّوءَ وَلَمْ يُدْرِكْهُ ‏.‏ قَالَ ‏ “‏ أَوَ غَيْرُ ذَلِكَ يَا عَائِشَةُ إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ لِلْجَنَّةِ أَهْلاً خَلَقَهُمْ لَهَا وَهُمْ فِي أَصْلاَبِ آبَائِهِمْ وَخَلَقَ لِلنَّارِ أَهْلاً خَلَقَهُمْ لَهَا وَهُمْ فِي أَصْلاَبِ آبَائِهِمْ ‏”‏ ‏.‏

উম্মুল মু’মিনীন আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আনসার সম্প্রদায়ের এক বালকের জানাযাহ পড়ার জন্য ডাকা হলো। আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! তার জন্য সুসংবাদ, সে জান্নাতের চড়ুই পাখিদের মধ্যে এক চড়ুই যে পাপ কাজ করেনি এবং তা তাকে স্পর্শও করেনি। তিনি বলেন, হে আয়িশাহ! এর ব্যতিক্রমও কি হতে পারে? নিশ্চয় আল্লাহ্‌ তা’আলা একদল লোককে জান্নাতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। তারা তাদের পিতাদের মেরুদন্ডে অবচেতন থাকতেই তিনি তাদেরকে জান্নাতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। তিনি জাহান্নামের জন্যও একদল সৃষ্টি করেছেন। তারা তাদের পিতাদের মেরুদন্ডে অবচেতন থাকতেই তিনি তাদের জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছেন। [৮০]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৮০] মুসলিম ২৬৬২/১-২, নাসায়ী ১৯৪৭, আবূ দাঊদ ৪৭১৩, আহমাদ ২৩৬১২, ২৫২১৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ্ ৪/৪৪৮, ফিলাল ২৫১, আহ্কাম ৮১। উক্ত হাদিসের রাবী তালহাহ বিন ইয়াহইয়া বিন তালহাহ বিন উবাইদুল্লাহ সম্পর্কে আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন কোন সমস্যা নেই। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সালিহ। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন তিনি সিকাহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৩

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ زِيَادِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ الْمَخْزُومِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبَّادِ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ جَاءَ مُشْرِكُو قُرَيْشٍ يُخَاصِمُونَ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي الْقَدَرِ فَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ {يَوْمَ يُسْحَبُونَ فِي النَّارِ عَلَى وُجُوهِهِمْ ذُوقُوا مَسَّ سَقَرَ * إِنَّا كُلَّ شَىْءٍ خَلَقْنَاهُ بِقَدَرٍ ‏}‏ ‏.‏

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, কুরায়শ মুশরিকরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সঙ্গে তাকদীরের ব্যাপারে ঝগড়া করার উদ্দেশ্যে উপস্থিত হয়। তখন এ আয়াত নাযিল হয় (অনুবাদ): “যেদিন তাদেরকে উপুড় করে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে জাহান্নামের দিকে, (সেদিন বলা হবে) জাহান্নামের যন্ত্রণা আস্বাদন করো। আমি সবকিছু সৃষ্টি করেছি নির্ধারিত পরিমাপে।” (সূরা আল ক্বামার ৫৪ : ৪৮, ৪৯) [৮১]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৮১] মুসলিম ২৬৫৬, তিরমিযী ২১৫৭, ৩২৯০; আহমাদ ৯৪৪৩, ৯৮০৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ফিলাল ৩৪৭। উক্ত হাদিসের রাবী যিয়াদ বিন ইসমাঈল আল মাখযুমী সম্পর্কে আলী ইবনুল মাদীনী বলেন তিনি মা’রুফ। ইমাম নাসাঈ বলেন কোন সমস্যা নেই। ইবনু হিব্বান বলেন তিনি সিকাহ। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন তিনি দইফ বা দুর্বল। আবু হাতীম আর-রাযী তার থেকে হাদিস গ্রহন করেছেন।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৪

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عُثْمَانَ، مَوْلَى أَبِي بَكْرٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ دَخَلَ عَلَى عَائِشَةَ فَذَكَرَ لَهَا شَيْئًا مِنَ الْقَدَرِ فَقَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ تَكَلَّمَ فِي شَىْءٍ مِنَ الْقَدَرِ سُئِلَ عَنْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَنْ لَمْ يَتَكَلَّمْ فِيهِ لَمْ يُسْأَلْ عَنْهُ ‏”‏ ‏.‏

قَالَ أَبُو الْحَسَنِ الْقَطَّانُ حَدَّثَنَاهُ خَازِمُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شَيْبَانَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عُثْمَانَ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন উবায়দুল্লাহ থেকে বর্ণিতঃ

তিনি আয়িশা (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে তার সঙ্গে তাকদীর সম্পর্কে কিছু আলোচনা করেন। আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি তাকদীর সম্পর্কে কিছু বলবে, কিয়ামতের দিন তাকে ঐ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে। আর যে ব্যক্তি এ বিষয়ে কিছু বলবে না তাকে সে সম্পর্কে জিজ্ঞেসও করা হবে না। [৮২]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৮২] নাই তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ১১৪। উক্ত হাদিসের রাবী ১. ইয়াহইয়া বিন উসমান সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন এবং ইমাম বুখারী বলেন, মুনকারুল হাদীস। ইমাম নাসাঈ বলেন তিনি সিকাহ নন। আল উকাইলী বলেন তিনি দইফ বা দুর্বল। ২. ইয়াহইয়া বিন আব্দুল্লাহ বিন আবু মুলাইকাহ সম্পর্কে ইমাম যাহাবী বলেন তিনি হাদীস বর্ণনায় দুর্বল।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৮৫

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَلَى أَصْحَابِهِ وَهُمْ يَخْتَصِمُونَ فِي الْقَدَرِ فَكَأَنَّمَا يُفْقَأُ فِي وَجْهِهِ حَبُّ الرُّمَّانِ مِنَ الْغَضَبِ فَقَالَ ‏ “‏ بِهَذَا أُمِرْتُمْ أَوْ لِهَذَا خُلِقْتُمْ تَضْرِبُونَ الْقُرْآنَ بَعْضَهُ بِبَعْضٍ ‏.‏ بِهَذَا هَلَكَتِ الأُمَمُ قَبْلَكُمْ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو مَا غَبَطْتُ نَفْسِي بِمَجْلِسٍ تَخَلَّفْتُ فِيهِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مَا غَبَطْتُ نَفْسِي بِذَلِكَ الْمَجْلِسِ وَتَخَلُّفِي عَنْهُ.‏

আবদুল্লাহ বিন আম্‌র ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সহাবীদের নিকট বের হয়ে এলেন। তখন তারা তাকদীর সম্পর্কে বাদানুবাদ করছিল। ফলে রাগে তাঁর চেহারা লাল বর্ণ ধারণ করে, যেন ডালিমের দানা তাঁর মুখমন্ডলে ছিটিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, তোমাদের কি এ কাজের নির্দেশ দেয়া হয়েছে অথবা এর জন্য কি তোমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে? তোমরাও কুরআনের কতকাংশকে কতকাংশের বিরুদ্ধে পেশ করছো। এ কারণেই তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মাতগণ ধ্বংস হয়েছে। রাবী বলেন, আবদুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) বললেন, আমি এই মজলিসে উপস্থিত না থাকায় যে লজ্জা পেলাম, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর আর কোন মজলিসে আমি উপস্থিত না হওয়ায় এতটা লজ্জা পাইনি। [৮৩]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৮৩] আহমাদ ৬৮৩০, ৬৮০৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ৯৮, ৯৯, ২৩৭, ফিলাল ৪০৬।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৬

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي حَيَّةَ أَبُو جَنَابٍ الْكَلْبِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ لاَ عَدْوَى وَلاَ طِيَرَةَ وَلاَ هَامَةَ ‏”‏ ‏.‏ فَقَامَ إِلَيْهِ رَجُلٌ أَعْرَابِيٌّ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ الْبَعِيرَ يَكُونُ بِهِ الْجَرَبُ فَيُجْرِبُ الإِبِلَ كُلَّهَا قَالَ ‏”‏ ذَلِكُمُ الْقَدَرُ فَمَنْ أَجْرَبَ الأَوَّلَ ‏”‏ ‏.‏

(আবদুল্লাহ) বিন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ছোঁয়াচে বলতে কোন রোগ নেই, অশুভ লক্ষণ বলতে কিছুই নেই এবং হামাহ (পেঁচার ডাক) বলতে কিছুই নেই। তখন তার সামনে এক বেদুঈন দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আপনার কী মত যে, চর্মরোগে আক্রান্ত একটি উট সুস্থ উটের সংস্পর্শে এসে সকল উটকে আক্রান্ত করে? তিনি বলেন, এটাই তোমাদের তাকদীর। আচ্ছা প্রথম উটটিকে কে সংক্রামিত করেছিল? [৮৪]

 

তাহকীকঃ এটাই তোমাদের তাকদীর এ ব্যতীত সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৮৪] আহমাদ ৪৭৬১, ৬৩৬৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: এটাই তোমাদের তাকদীর এ কথা ব্যতীত সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ৭৮২, যঈফাহ ৪৮০৮। উক্ত হাদিসের রাবী ইয়াহইয়া বিন আবু হাইইয়াহ আবু জানাবীল কালবী সম্পর্কে ইয়াযিদ বিন হারুন বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় তাদলীস করেন। আহমাদ বিন হাম্বল ও ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার মাঝে কোন সমস্যা নেই কিন্তু হাদিস বর্ণনায় তাদলীস করেন। ইবনু মাঈন অন্যত্র বলেন, তিনি দুর্বল।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৭

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عِيسَى الْجَرَّارُ، عَنْ عَبْدِ الأَعْلَى بْنِ أَبِي الْمُسَاوِرِ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، قَالَ لَمَّا قَدِمَ عَدِيُّ بْنُ حَاتِمٍ الْكُوفَةَ أَتَيْنَاهُ فِي نَفَرٍ مِنْ فُقَهَاءِ أَهْلِ الْكُوفَةِ ‏.‏ فَقُلْنَا لَهُ حَدِّثْنَا مَا سَمِعْتَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏.‏ فَقَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ ‏”‏ يَا عَدِيَّ بْنَ حَاتِمٍ أَسْلِمْ تَسْلَمْ ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ وَمَا الإِسْلاَمُ فَقَالَ ‏”‏ تَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ وَتُؤْمِنُ بِالأَقْدَارِ كُلِّهَا خَيْرِهَا وَشَرِّهَا حُلْوِهَا وَمُرِّهَا ‏”‏ ‏.‏

শা’বী (আমির বিন শুরাহীল) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আদী বিন হাতিম (রাঃ) কূফায় এলে আমরা কূফার একদল ফকীহ তাঁর সাথে সাক্ষাত করি। আমরা তাকে বললাম, আপনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট যা শুনেছেন, তা আমাদের কাছে বর্ণনা করুন। তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এলে তিনি বলেন, হে আদী বিন হাতিম! তুমি ইসলাম গ্রহণ করো, শান্তি পাবে। আমি বললাম, ইসলাম কী? তিনি বলেন, তুমি সাক্ষ্য দাও যে, আল্লাহ্‌ ছাড়া সত্যিকার কোন ইলাহ নেই, আমি আল্লাহ্‌র রসূল এবং তুমি তাকদীরের ভাল-মন্দ, স্বাদ-তিক্ততা সবকিছুর উপর ঈমান আনবে। [৮৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৮৫] আহমাদ ১৭৭৯৬, ১৮৮৮৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: খুবই দুর্বল। তাখরীজ আলবানী: যিললুল জান্নাহ ১৩৫। উক্ত হাদিসের রাবী আব্দুল আলা বিন আবুল মুসাবির সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন তিনি মিথ্যুক। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি দইফ বা দুর্বল। ইমাম বুখারী বলেন মুনকারুল হাদিস। ইবনু আম্মার বলেন তিনি দুর্বল ও তার থেকে দলীল গ্রহণযোগ্য নয়। আবু যুয়াআহ আর-রাযী বলেন, তিনি খুবই দুর্বল। আবু হাতিম বলেন তিনি দুর্বল এবং তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য।

হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল

  •  সরাসরি

৮৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَسْبَاطُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ يَزِيدَ الرَّقَاشِيِّ، عَنْ غُنَيْمِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَثَلُ الْقَلْبِ مَثَلُ الرِّيشَةِ تُقَلِّبُهَا الرِّيَاحُ بِفَلاَةٍ ‏”‏ ‏.‏

আবু মূসা আল-আশ’আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, অন্তর হলো পালকতুল্য, উন্মুক্ত মাঠে বাতাস তাকে যেদিকে ইচ্ছা উল্টাতে-পাল্টাতে থাকে। [৮৬]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৮৬] আহমাদ ২৭৮৫৯, ১৯২৫৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ফিলাল ২২৭-২২৮, মিশকাত ১০৩। উক্ত হাদিসের রাবী ইয়াযীদ (বিন আবান) আর-রিকাশী সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, মুনকারুল হাদিস। শু’বাহ ইবনুল হাজ্জাজ বলেন, তার থেকে হাদীস বর্ণনার চেয়ে রাস্তা কেটে বসে যাওয়া আমার নিকট অধিক পছন্দনীয়। আমর ইবনুল ফাল্লাস বলেন, হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। ইয়া’কুব বিন সুফইয়ান বলেন, তার মাঝে দুর্বলতা রয়েছে। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন কোন সমস্যা নেই। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৮৯

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا خَالِي، يَعْلَى عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ إِلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لِي جَارِيَةً أَعْزِلُ عَنْهَا قَالَ ‏”‏ سَيَأْتِيهَا مَا قُدِّرَ لَهَا ‏”‏ ‏.‏ فَأَتَاهُ بَعْدَ ذَلِكَ فَقَالَ قَدْ حَمَلَتِ الْجَارِيَةُ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ مَا قُدِّرَ لِنَفْسٍ شَىْءٌ إِلاَّ هِيَ كَائِنَةٌ ‏”‏ ‏.‏

জাবির (বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আনসার সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বলেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমার একটি দাসী আছে। আমি কি তার সাথে (সঙ্গমকালে) আযল করতে পারি? তিনি বলেন, তার জন্য যা নির্ধারণ করা হয়েছে তা অবশ্যই সে লাভ করবে। পরে আবার সেই আনসারই তাঁর নিকট এসে বলেন, দাসীটি গর্ভধারণ করেছে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যার জন্য যা নির্ধারিত হয়েছে তা অবশ্যই ঘটবে। [৮৭]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৮৭] আবূ দাঊদ ২১৭৩, আহমাদ ১৩৯৩৬, ১৩৯৫৩, ১৪৭২০ ১৪৭৫৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ফিলাল ৩৬২, সহীহাহ ৩/৩২২।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯০

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عِيسَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ ثَوْبَانَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ لاَ يَزِيدُ فِي الْعُمْرِ إِلاَّ الْبِرُّ وَلاَ يَرُدُّ الْقَدَرَ إِلاَّ الدُّعَاءُ وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيُحْرَمُ الرِّزْقَ لِلْخَطِيئَةِ يَعْمَلُهَا ‏”‏ ‏.‏

সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কেবল সৎ কর্মই আয়ু বৃদ্ধি করে এবং দু’আ ব্যতীত অন্য কিছুতে তাকদীর রদ হয় না। মানুষের অসৎ কর্মই তাকে রিয্‌ক বঞ্চিত করে। [৮৮]

 

তাহকীক আলবানীঃ (আরবী) কথাটি ছাড়া হাসান।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৮৮] আহমাদ ২১৮৮১, ২১৯০৭, ২১৯৩২। তাহক্বীক্ব আলবানী: وَإِنَّ الرَّجُلَ কথাটি ছাড়া হাসান। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ১৫৪। উক্ত হাদিসের রাবী আব্দুল্লাহ বিন আবুল জা’দ সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেন তিনি সিকাহ। ইবনুল কাত্তান বলেন তিনি অপরিচিত। কেউ বলেছেন তার নাম সালিম ইবনু আবুল জা’দ। আর কেউ বলেছেন আব্দুল্লাহ ইবনুল আবুল জা’দ। যদি সে প্রথমজন হয় তাহলে বর্ণনাটি মুঙ্কাতি’, কেননা সালিম সাওবান হতে শুনেন নি। আর যদি দ্বিতীয়জন হয় তাহলে অপরিচিত। যেমনটি ইবনু কাত্তান বলেছেন। যদিও ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ বলেছেন। ইমাম যাহাবী আল-মীযান গ্রন্থে সেদিকেই ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আবদুল্লাহকে যদিও যদিও সিকাহ বলা হয়েছে কিন্তু তার মাঝে জাহালত রয়েছে।

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

৯১

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا عَطَاءُ بْنُ مُسْلِمٍ الْخَفَّافُ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ سُرَاقَةَ بْنِ جُعْشُمٍ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ الْعَمَلُ فِيمَا جَفَّ بِهِ الْقَلَمُ وَجَرَتْ بِهِ الْمَقَادِيرُ أَوْ فِي أَمْرٍ مُسْتَقْبَلٍ قَالَ ‏ “‏ بَلْ فِيمَا جَفَّ بِهِ الْقَلَمُ وَجَرَتْ بِهِ الْمَقَادِيرُ وَكُلٌّ مُيَسَّرٌ لِمَا خُلِقَ لَهُ ‏”‏ ‏.‏

সুরাকাহ বিন জু’শুম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! কার্যকলাপ কি তাই যা পূর্বেই লিপিবদ্ধ করা হয়েছে এবং তদানুযায়ী তাকদীরে নির্ধারিত হয়েছে, না ভবিষ্যতে যা করা হবে তা? তিনি বলেন, বরং তাই যা পূর্বেই লিপিবদ্ধ হয়ে গেছে এবং তদানুযায়ী তাকদীর নির্দিষ্ট হয়েছে। যাকে যে জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে তার জন্য তা সহজসাধ্য করা হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৯২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُصَفَّى الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ إِنَّ مَجُوسَ هَذِهِ الأُمَّةِ الْمُكَذِّبُونَ بِأَقْدَارِ اللَّهِ إِنْ مَرِضُوا فَلاَ تَعُودُوهُمْ وَإِنْ مَاتُوا فَلاَ تَشْهَدُوهُمْ وَإِنْ لَقِيتُمُوهُمْ فَلاَ تُسَلِّمُوا عَلَيْهِمْ ‏”‏ ‏.‏

জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, এ উম্মাতের তারা মাজুসী (অগ্নিপূজক) যারা আল্লাহ্‌র নির্ধারিত তাকদীরকে অস্বীকার করে। এরা রোগাক্রান্ত হলে তোমরা তাদের দেখতে যেও না। তারা মারা গেলে তোমরা তাদের জানাযায় হাজির হয়ো না। এদের সাথে তোমাদের সাক্ষাত হলে তোমরা এদের সালাম দিওনা।

 

তাহকীকঃ সালাম অংশ কথাটি ছাড়া হাসান।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৯০] সালাম অংশ কথাটি ছাড়া হাসান। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ১০৭, ফিলাল ৩২৮।

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস