অনুচ্ছেদ-১৪২
তিন সময়ে প্রবেশানুমতি প্রার্থনা
৫১৯১
حَدَّثَنَا ابْنُ السَّرْحِ، قَالَ حَدَّثَنَا ح، وَحَدَّثَنَا ابْنُ الصَّبَّاحِ بْنِ سُفْيَانَ، وَابْنُ، عَبْدَةَ – وَهَذَا حَدِيثُهُ – قَالاَ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي يَزِيدَ، سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ لَمْ يُؤْمَرْ بِهَا أَكْثَرُ النَّاسِ آيَةُ الإِذْنِ وَإِنِّي لآمُرُ جَارِيَتِي هَذِهِ تَسْتَأْذِنُ عَلَىَّ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَلِكَ رَوَاهُ عَطَاءٌ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ يَأْمُرُ بِهِ .
উবাইদুল্লাহ ইবনু আবূ ইয়াযীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন, অধিকাংশ লোকই অনুমতি গ্রহণ সম্পর্কিত আয়াতের উপর আমল করে না। আমি তো আমার এই দাসীকে আমার নিকট আসতে অনুমতি নেয়ার আদেশ দিয়েছি। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ‘আত্বা ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) সূত্রে এমনটিই বর্ণনা করেছেন, তিনি অনুমতি নেয়ার আদেশ দিতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাওকুফ
- সরাসরি
৫১৯২
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ – عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو، عَنْ عِكْرِمَةَ، أَنَّ نَفَرًا، مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ قَالُوا يَا ابْنَ عَبَّاسٍ كَيْفَ تَرَى فِي هَذِهِ الآيَةِ الَّتِي أُمِرْنَا فِيهَا بِمَا أُمِرْنَا وَلاَ يَعْمَلُ بِهَا أَحَدٌ قَوْلُ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ { يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لِيَسْتَأْذِنْكُمُ الَّذِينَ مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ وَالَّذِينَ لَمْ يَبْلُغُوا الْحُلُمَ مِنْكُمْ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ مِنْ قَبْلِ صَلاَةِ الْفَجْرِ وَحِينَ تَضَعُونَ ثِيَابَكُمْ مِنَ الظَّهِيرَةِ وَمِنْ بَعْدِ صَلاَةِ الْعِشَاءِ ثَلاَثُ عَوْرَاتٍ لَكُمْ لَيْسَ عَلَيْكُمْ وَلاَ عَلَيْهِمْ جُنَاحٌ بَعْدَهُنَّ طَوَّافُونَ عَلَيْكُمْ } قَرَأَ الْقَعْنَبِيُّ إِلَى { عَلِيمٌ حَكِيمٌ } قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ إِنَّ اللَّهَ حَلِيمٌ رَحِيمٌ بِالْمُؤْمِنِينَ يُحِبُّ السَّتْرَ وَكَانَ النَّاسُ لَيْسَ لِبُيُوتِهِمْ سُتُورٌ وَلاَ حِجَالٌ فَرُبَّمَا دَخَلَ الْخَادِمُ أَوِ الْوَلَدُ أَوْ يَتِيمَةُ الرَّجُلِ وَالرَّجُلُ عَلَى أَهْلِهِ فَأَمَرَهُمُ اللَّهُ بِالاِسْتِئْذَانِ فِي تِلْكَ الْعَوْرَاتِ فَجَاءَهُمُ اللَّهُ بِالسُّتُورِ وَالْخَيْرِ فَلَمْ أَرَ أَحَدًا يَعْمَلُ بِذَلِكَ بَعْدُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ حَدِيثُ عُبَيْدِ اللَّهِ وَعَطَاءٍ يُفْسِدُ هَذَا .
ইকরিমাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইরাকের অধিবাসী একদল লোক ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) নিকট প্রশ্ন করলো, হে ইবনু ‘আব্বাস! এ আয়াত সম্পর্কে আপনার মতামত কি? তাতে আমাদেরকে যা নির্দেশ দেয়ার দেয়া হয়েছে, কিন্তু কেউই সে মোতাবেক আমল করে না। মহান আল্লাহ বলেন,
“হে ঈমানদারগণ! তোমাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসীরা এবং তোমাদের মধ্যে যারা বয়োপ্রাপ্ত হয়নি তারা যেন তোমাদের ঘরে প্রবেশ করতে তিন সময়ে অনুমতি নেয়, ফাজর সালাতের পূর্বে, দুপুরে যখন তোমরা তোমাদের পোশাক খুলে রাখো এবং ‘ইশার সালাতের পর- এ তিন সময় তোমাদের গোপনীয়তা অবলম্বনের সময়। এ তিন সময় ছাড়া অন্য সময়ে অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করলে তোমাদের জন্য এবং তাদের জন্য কোন দোষ নেই। তোমাদের একজনকে অপরজনের নিকট যাতায়াত করতে হয়। এভাবে আল্লাহ তোমাদের নিকট তাঁর নির্দেশ সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়। তোমাদের সন্তান-সন্তুতি বয়োপ্রাপ্ত হলে তারাও যেন তোমাদের বয়োজ্যেষ্ঠাদের মতো অনুমতি গ্রহন করে। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর নির্দেশ সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়” (সূরাহ নূর: ৫৮-৫৯)।
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, আল্লাহ মু’মিনদের প্রতি সহনশীল, পরম দয়ালু। তিনি গোপনীয়তা ভালোবাসেন। লোকজনের ঘরে কোনোরূপ পর্দার ব্যবস্থা ছিলো না। ফলে কখনো ঘরে স্বামী-স্ত্রী অবস্থানকালে তার খাদেম বা বালক-বালিকারা ঢুকে পড়তো। এজন্যই আল্লাহ গোপনীয়তা অবলম্বনে এ সময়গুলোতে অনুমতি চাওয়ার নির্দেশ দেন। অতএব আল্লাহ তাদের জন্যে গোপনীয়তা অবলম্বন ও কল্যাণকর ব্যবস্থা দিয়েছেন। অথচ আমি কাউকে তদনুসারে আমল করতে দেখি না। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ‘উবাইদুল্লাহ ও ‘আত্বা (রহঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীস। এ হাদীসকে দুর্বল করে।
হাদিসের মানঃ হাসান মাওকুফ
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৪৩
সালামের প্রসার ঘটানো
৫১৯৩
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي شُعَيْبٍ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لاَ تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ حَتَّى تُؤْمِنُوا وَلاَ تُؤْمِنُوا حَتَّى تَحَابُّوا أَفَلاَ أَدُلُّكُمْ عَلَى أَمْرٍ إِذَا فَعَلْتُمُوهُ تَحَابَبْتُمْ أَفْشُوا السَّلاَمَ بَيْنَكُمْ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)বলেছেনঃ কসম সেই সত্ত্বার যাঁর হাতে আমার প্রাণ! তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না যতক্ষণ না মু’মিন হও। আর তোমরা মু’মিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না পরস্পর পরস্পরকে ভালোবাসবে। আমি কি তোমাদেরকে এমন বিষয় অবহিত করবো না, যা করলে তোমাদের পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টি হবে? তা হলো, তোমরা পরস্পরের মধ্যে সালামের প্রসার ঘটাও।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৯৪
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي الْخَيْرِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ رَجُلاً، سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَىُّ الإِسْلاَمِ خَيْرٌ قَالَ “ تُطْعِمُ الطَّعَامَ وَتَقْرَأُ السَّلاَمَ عَلَى مَنْ عَرَفْتَ وَمَنْ لَمْ تَعْرِفْ ” .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে প্রশ্ন করলো, ইসলামের কোন দিকটি উত্তম? তিনি বললেনঃ তোমার পরিচিত ও অপরিচিতজনকে তুমি খানা খাওয়াবে এবং সালাম দিবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৪৪
সালাম বিনিময়ের পদ্ধতি
৫১৯৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ عَوْفٍ، عَنْ أَبِي رَجَاءٍ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ . فَرَدَّ عَلَيْهِ السَّلاَمَ ثُمَّ جَلَسَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” عَشْرٌ ” . ثُمَّ جَاءَ آخَرُ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ . فَرَدَّ عَلَيْهِ فَجَلَسَ فَقَالَ ” عِشْرُونَ ” . ثُمَّ جَاءَ آخَرُ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ . فَرَدَّ عَلَيْهِ فَجَلَسَ فَقَالَ ” ثَلاَثُونَ ” .
ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক লোক নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললো, আস্সালামু ‘আলাইকুম। তিনি তার জবাব দিলেন। লোকটি বসলো। তিনি বললেনঃ দশ নেকি! এরপর আরেকজন এসে বললো, আস্সালামু ‘আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অনুরূপ জবাব দিলেন। লোকটি বসলো। তিনি বললেন, বিশ নেকি! অতঃপর আরেকজন এসে বললো, আস্সালামু ‘আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তারও জবাব দিলেন। লোকটি বসলো। তিনি বললেনঃত্রিশ নেকি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৯৬
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ سُوَيْدٍ الرَّمْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ أَظُنُّ أَنِّي سَمِعْتُ نَافِعَ بْنَ يَزِيدَ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو مَرْحُومٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ زَادَ ثُمَّ أَتَى آخَرُ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ وَمَغْفِرَتُهُ فَقَالَ ” أَرْبَعُونَ ” . قَالَ ” هَكَذَا تَكُونُ الْفَضَائِلُ ” .
সাহল ইবনু মু’আয ইবনু আনাস (রাঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
সাহল ইবনু মু’আয ইবনু আনাস (রাঃ) হতে তার পিতার মাধ্যমে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের সমার্থক হাদীস বর্ণনা করেন। এতে আরো রয়েছে : এরপর আরেকজন এসে বললো, আসসালামু ‘আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ওয়া মাগফিরাতুহু। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)বললেনঃ চল্লিশ নেকি। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)আরো বলেনঃ এভাবে নেকি বৃদ্ধি পেতে থাকে। [৫১৯৪]
[৫১৯৪] হাফিয ইবনু হাজার ‘ফাতহুল বারী’ গ্রন্থে বলেন: ‘এর সানাদ দুর্বল।’ এর দোষ হচ্ছে সানাদের ইবনু আবূ মারইয়াম। তিনি দুর্বল। তাছাড়া তিনি নাফি’ হতে হাদীস শুনার বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৪৫
যে প্রথমে সালাম দেয় তার ফাযীলাত
৫১৯৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ الذُّهْلِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي خَالِدٍ، وَهْبٍ عَنْ أَبِي سُفْيَانَ الْحِمْصِيِّ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ أَوْلَى النَّاسِ بِاللَّهِ مَنْ بَدَأَهُمْ بِالسَّلاَمِ ” .
আবূ উমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মানুষের মধ্যে আল্লাহর নিকট সর্বাধিক উত্তম ঐ ব্যক্তি, যে আগে সালাম দেয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৪৬
কে প্রথমে সালাম দিবে?
৫১৯৮
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ يُسَلِّمُ الصَّغِيرُ عَلَى الْكَبِيرِ وَالْمَارُّ عَلَى الْقَاعِدِ وَالْقَلِيلُ عَلَى الْكَثِيرِ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সালাম দিবে ছোট বড়কে, পথচারী বসা ব্যক্তিকে এবং কম সংখ্যক অধিক সংখ্যককে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৯৯
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ، أَخْبَرَنَا رَوْحٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا زِيَادٌ، أَنَّ ثَابِتًا، مَوْلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدٍ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ يُسَلِّمُ الرَّاكِبُ عَلَى الْمَاشِي ” . ثُمَّ ذَكَرَ الْحَدِيثَ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আরোহী ব্যক্তি সালাম দিবে পদব্রজে যাতায়াতকারীকে। অতঃপর বর্ণনাকারী পুরা হাদীস বর্ণনা করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৪৭
পরস্পর আলাদা হওয়ার পর আবার সাক্ষাত হলে তারা কি সালাম দিবে?
৫২০০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنْ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ إِذَا لَقِيَ أَحَدُكُمْ أَخَاهُ فَلْيُسَلِّمْ عَلَيْهِ فَإِنْ حَالَتْ بَيْنَهُمَا شَجَرَةٌ أَوْ جِدَارٌ أَوْ حَجَرٌ ثُمَّ لَقِيَهُ فَلْيُسَلِّمْ عَلَيْهِ أَيْضًا . قَالَ مُعَاوِيَةُ وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ بُخْتٍ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنِ الأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ سَوَاءً .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তোমাদের কেউ যখন তার ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাত করে, তখন সে যেন তাকে সালাম দেয়। অতঃপর দু’জনের মাঝে যদি গাছ, দেয়াল বা পাথর আড়াল হয়ে যায় এবং তারপর আবার সাক্ষাত হয়, তাহলেও যেন তাকে সালাম দেয়। [৫১৯৮]
সহীহ মাওকূফ ও মারফুভাবে।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
৫২০১
حَدَّثَنَا عَبَّاسٌ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، حَدَّثَنَا حَسَنُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ عُمَرَ، أَنَّهُ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ فِي مَشْرُبَةٍ لَهُ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَيَدْخُلُ عُمَرُ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা ‘উমার (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসলেন। তিনি তখন তাঁর কাঠের মাচানে ছিলেন। ‘উমার (রাঃ) বললেন, আস্সালামু ‘আলাইকা ইয়া রাসূলুল্লাহ, আস্সালামু ‘আলাইকুম, ‘উমার কি প্রবেশ করবে?
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৪৮
শিশুদেরকে সালাম দেয়া
৫২০২
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، – يَعْنِي ابْنَ الْمُغِيرَةِ – عَنْ ثَابِتٍ، قَالَ قَالَ أَنَسٌ أَتَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى غِلْمَانٍ يَلْعَبُونَ فَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ .
সাবিত (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আনাস (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খেলাধূলারত একদল বালকের নিকট এসে তাদেরকে সালাম দিয়েছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২০৩
حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، – يَعْنِي ابْنَ الْحَارِثِ – حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، قَالَ قَالَ أَنَسٌ انْتَهَى إِلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا غُلاَمٌ فِي الْغِلْمَانِ فَسَلَّمَ عَلَيْنَا ثُمَّ أَخَذَ بِيَدِي فَأَرْسَلَنِي بِرِسَالَةٍ وَقَعَدَ فِي ظِلِّ جِدَارٍ – أَوْ قَالَ إِلَى جِدَارٍ – حَتَّى رَجَعْتُ إِلَيْهِ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের শিশুদের নিকট এসে পৌঁছলেন। আমিও শিশু হিসেবে তাদের সঙ্গে ছিলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে সালাম দিলেন। এরপর তিনি আমার হাত ধরে আমাকে একটি চিঠি দিয়ে পাঠালেন। তিনি একটি দেয়ালের পাশে ছায়ায় বসে থাকলেন, যতক্ষণ না আমি তাঁর নিকট ফিরে আসি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৪৯
মহিলাদেরকে সালাম দেয়া সম্পর্কে
৫২০৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ ابْنِ أَبِي حُسَيْنٍ، سَمِعَهُ مِنْ، شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ يَقُولُ أَخْبَرَتْهُ أَسْمَاءُ بِنْتُ يَزِيدَ، مَرَّ عَلَيْنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي نِسْوَةٍ فَسَلَّمَ عَلَيْنَا .
আসমা বিনতু ইয়াযীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের একদল মহিলার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের সালাম দিয়েছেন। [৫২০২]
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৫০
মুসলিম রাষ্ট্রের অমুসলিম নাগরিককে সালাম দেয়া সম্পর্কে
৫২০৫
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، قَالَ خَرَجْتُ مَعَ أَبِي إِلَى الشَّامِ فَجَعَلُوا يَمُرُّونَ بِصَوَامِعَ فِيهَا نَصَارَى فَيُسَلِّمُونَ عَلَيْهِمْ فَقَالَ أَبِي لاَ تَبْدَءُوهُمْ بِالسَّلاَمِ فَإِنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ حَدَّثَنَا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لاَ تَبْدَءُوهُمْ بِالسَّلاَمِ وَإِذَا لَقِيتُمُوهُمْ فِي الطَّرِيقِ فَاضْطَرُّوهُمْ إِلَى أَضْيَقِ الطَّرِيقِ ” .
সুহাইল ইবনু আবূ সালিহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আমার পিতার সঙ্গে সিরিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম। তারা গির্জাসমূহের পাশ দিয়ে অতিক্রমকালে তাতে অবস্থানরত খ্রিষ্টানদের সালাম দিলেন। আমার পিতা বললেন, তোমরা আগে তাদেরকে সালাম দিও না। আবূ হুরায়রা (রাঃ) আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা আগে তাদেরকে (আহলে কিতাবকে) সালাম দিবে না। রাস্তায় তাদের সঙ্গে তোমাদের সাক্ষাত হলে তাদের রাস্তার সংকীর্ণ দিকে চলে যেতে বাধ্য করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২০৬
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – يَعْنِي ابْنَ مُسْلِمٍ – عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِنَّ الْيَهُودَ إِذَا سَلَّمَ عَلَيْكُمْ أَحَدُهُمْ فَإِنَّمَا يَقُولُ السَّامُ عَلَيْكُمْ فَقُولُوا وَعَلَيْكُمْ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَلِكَ رَوَاهُ مَالِكٌ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ وَرَوَاهُ الثَّوْرِيُّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ قَالَ فِيهِ ” وَعَلَيْكُمْ ” .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ইয়াহুদীদের কেউ তোমাদের সালাম দেয়ার সময় বলে যে “আস্সামু ‘আলাইকুম” (অর্থ : তোমাদের মৃত্যু হোক)। জবাবে তোমরা বলবে : ওয়া ‘আলাইকুম (অর্থ : তোমার উপরও তাই)। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ইমাম মালিক (রহঃ) ‘আবদুল্লাহ ইবনু দীনার সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। সুফিয়ান সাওরীও ‘আবদুল্লাহ ইবনু দীনার সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তাতে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ (জবাবে তোমরা বলবে), ওয়া ‘আলাইকুম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২০৭
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مَرْزُوقٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ أَصْحَابَ النَّبِيِّ، صلى الله عليه وسلم قَالُوا لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِنَّ أَهْلَ الْكِتَابِ يُسَلِّمُونَ عَلَيْنَا فَكَيْفَ نَرُدُّ عَلَيْهِمْ قَالَ “ قُولُوا وَعَلَيْكُمْ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَلِكَ رِوَايَةُ عَائِشَةَ وَأَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْجُهَنِيِّ وَأَبِي بَصْرَةَ يَعْنِي الْغِفَارِيَّ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবীগণ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বললেন, আহলে কিতাবরা আমাদেরকে সালাম দেয়। আমরা তার জবাব কিভাবে দিবো? তিনি বললেনঃ তোমরা বলবে, ওয়া ‘আলাইকুম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৫১
মাজলিস হতে বিদায়ের সময় সালাম দেয়া
৫২০৮
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، وَمُسَدَّدٌ، قَالاَ حَدَّثَنَا بِشْرٌ، – يَعْنِيَانِ ابْنَ الْمُفَضَّلِ – عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنِ الْمَقْبُرِيِّ، – قَالَ مُسَدَّدٌ سَعِيدُ بْنُ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيُّ – عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِذَا انْتَهَى أَحَدُكُمْ إِلَى الْمَجْلِسِ فَلْيُسَلِّمْ فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَقُومَ فَلْيُسَلِّمْ فَلَيْسَتِ الأُولَى بِأَحَقَّ مِنَ الآخِرَةِ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: তোমাদের কেউ মাজলিসে উপস্থিত হলে যেন সালাম দেয় এবং মাজলিস হতে বিদায়ের সময়ও যেন সালাম দেয়। প্রথম সালাম শেষ সালামের চেয়ে জরুরী নয়।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৫২
আলাইকাস সালাম বলা অপছন্দনীয়
৫২০৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ أَبِي غِفَارٍ، عَنْ أَبِي تَمِيمَةَ الْهُجَيْمِيِّ، عَنْ أَبِي جُرَىٍّ الْهُجَيْمِيِّ، قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ عَلَيْكَ السَّلاَمُ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ “ لاَ تَقُلْ عَلَيْكَ السَّلاَمُ فَإِنَّ عَلَيْكَ السَّلاَمُ تَحِيَّةُ الْمَوْتَى ” .
আবূ জুরায়্যি আল-হুজাইমী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বললাম, ‘আলাইকাস্ সালামু ইয়া রাসূলুল্লাহ! রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ‘আলাইকাস্ সালাম বলো না। কারণ এটা হলো মুর্দার প্রতি সালাম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৫৩
দলের পক্ষ হতে একজনের সালামের উত্তর দান
৫২১০
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْجُدِّيُّ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ خَالِدٍ الْخُزَاعِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُفَضَّلِ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، رضى الله عنه – قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَفَعَهُ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ – قَالَ “ يُجْزِئُ عَنِ الْجَمَاعَةِ، إِذَا مَرُّوا أَنْ يُسَلِّمَ، أَحَدُهُمْ وَيُجْزِئُ عَنِ الْجُلُوسِ أَنْ يَرُدَّ أَحَدُهُمْ ” .
আলী ইবনু আবূ ত্বালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, হাসান ইবনু আলী (রাঃ) এটি মারফুভাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: পথ অতিক্রমকালে দলের একজন যদি সালাম দেয়, তাহলে তা সকলের জন্য যথেষ্ট। এমনিভাবে উপবিষ্টদের একজন তার উত্তর দিলে তা সকলের জন্য যথেষ্ট।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৫৪
মুসাফাহা সম্পর্কে
৫২১১
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ أَبِي بَلْجٍ، عَنْ زَيْدٍ أَبِي الْحَكَمِ الْعَنَزِيِّ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِذَا الْتَقَى الْمُسْلِمَانِ فَتَصَافَحَا وَحَمِدَا اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ وَاسْتَغْفَرَاهُ غُفِرَ لَهُمَا ” .
আল-বারাআ ইবনু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: দুইজন মুসলিম পরস্পর মিলিত হয়ে মুসাফাহা করলে, আল্লাহর প্রশংসা করলে এবং ক্ষমা চাইলে আল্লাহ উভয়কে ক্ষমা করে দেন। [৫২০৯]
দুর্বল: যঈফাহ হা/২৩৪৪।
[৫২০৯] বায়হাক্বী। হাদীসের সানাদ মুযতারিব। সানাদের আবূ বালজ হলো ইয়াহইয়া ইবনু আবূ সুলাইম। তার সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেন: তার ব্যাপারে আপত্তি আছে। ইমাম আহমাদ বলেন: তিনি মুনকার হাদীস বর্ণনা করেন। ইবনু হিব্বান বলেন: তিনি ভুল করতেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫২১২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ عَنِ الأَجْلَحِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَا مِنْ مُسْلِمَيْنِ يَلْتَقِيَانِ فَيَتَصَافَحَانِ إِلاَّ غُفِرَ لَهُمَا قَبْلَ أَنْ يَفْتَرِقَا ” .
আল-বারাআ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: দুইজন মুসলিম পরস্পর মিলিত হয়ে মুসাফাহা করলে পরস্পর বিচ্ছিন্ন হওয়ার পূর্বেই তাদের ক্ষমা করে দেয়া হয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২১৩
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ لَمَّا جَاءَ أَهْلُ الْيَمَنِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ قَدْ جَاءَكُمْ أَهْلُ الْيَمَنِ وَهُمْ أَوَّلُ مَنْ جَاءَ بِالْمُصَافَحَةِ ” .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা ইয়ামানবাসীরা এসে উপস্থিত হলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমাদের নিকট ইয়ামানবাসীরা এসেছে। আর এরাই সর্বপ্রথম মুসাফাহা করেছে।
সহীহ। কিন্তু তার বক্তব্য: “এরাই সর্বপ্রথম মুসাফাহা করেছে”-এ কথাটি মুদরাজ, যা আনাসের উক্তি।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৫৫
কোলাকুলি সম্পর্কে
৫২১৪
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ، – يَعْنِي خَالِدَ بْنَ ذَكْوَانَ – عَنْ أَيُّوبَ بْنِ بُشَيْرِ بْنِ كَعْبٍ الْعَدَوِيِّ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ عَنَزَةَ أَنَّهُ قَالَ لأَبِي ذَرٍّ حَيْثُ سُيِّرَ مِنَ الشَّامِ إِنِّي أُرِيدُ أَنْ أَسْأَلَكَ عَنْ حَدِيثٍ مِنْ حَدِيثِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ إِذًا أُخْبِرَكَ بِهِ إِلاَّ أَنْ يَكُونَ سِرًّا . قُلْتُ إِنَّهُ لَيْسَ بِسِرٍّ هَلْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَافِحُكُمْ إِذَا لَقِيتُمُوهُ قَالَ مَا لَقِيتُهُ قَطُّ إِلاَّ صَافَحَنِي وَبَعَثَ إِلَىَّ ذَاتَ يَوْمٍ وَلَمْ أَكُنْ فِي أَهْلِي فَلَمَّا جِئْتُ أُخْبِرْتُ أَنَّهُ أَرْسَلَ إِلَىَّ فَأَتَيْتُهُ وَهُوَ عَلَى سَرِيرِهِ فَالْتَزَمَنِي فَكَانَتْ تِلْكَ أَجْوَدَ وَأَجْوَدَ .
‘আনাযাহ গোত্রের এক ব্যক্তি থেকে বর্ণিতঃ
তিনি আবূ যার (রাঃ)-কে সিরিয়া ত্যাগের সময় বললেন, আমি আপনার নিকট রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাদীসসমূহের মধ্যকার একটি হাদীস সম্পর্কে প্রশ্ন করতে আগ্রহী। আবূ যার (রাঃ) বললেন, তা গোপন কোন বিষয় না হলে আমি আপনাকে বলবো। আমি বললাম, না, তা কোন গোপন বিষয় নয়। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে আপনাদের দেখা হলে তিনি কি আপনাদের সঙ্গে মুসাফাহা করতেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ যখনই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে আমার দেখা হতো তিনি আমার সঙ্গে মুসাফাহা করতেন। একদিন তিনি আমার নিকট লোক পাঠালেন। আমি তখন বাড়িতে ছিলাম না। আমি ফিরে এলে জানানো হলো, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নিকট লোক পাঠিয়েছিলেন। অতঃপর আমি তাঁর নিকট আসলাম। তখন তিনি গদির উপর ছিলেন। তিনি আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন। তা ছিলো খুবই উত্তম ও মনোরম। [৫২১২]
দুর্বল: যঈফাহ হা/৪৬৮৩।
[৫২১২] আহমাদ। সানাদে নাম উল্লেখহীন জনৈক ব্যক্তি রয়েছে। এছাড়া সানাদের আইয়ূব ইবনু বাশীর সম্পর্কে হাফিয বলেন: মাসতূর (লুপ্ত)।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৫৬
কারো সম্মানার্থে দাঁড়ানো
৫২১৫
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ أَهْلَ، قُرَيْظَةَ لَمَّا نَزَلُوا عَلَى حُكْمِ سَعْدٍ أَرْسَلَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَجَاءَ عَلَى حِمَارٍ أَقْمَرَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” قُومُوا إِلَى سَيِّدِكُمْ ” . أَوْ ” إِلَى خَيْرِكُمْ ” . فَجَاءَ حَتَّى قَعَدَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সা’দ (রাঃ)-এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বনু কুরাইযার লোকেরা আত্মসমর্পণ করলো, তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার নিকট লোক পাঠালেন। সা’দ (রাঃ) একটি সাদা বর্ণের গাধায় চড়ে আসলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা তোমাদের নেতা বা তোমাদের মধ্যকার উত্তম ব্যক্তির আগমনে দাঁড়াও। অতঃপর সা’দ (রাঃ) এসে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট বসলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২১৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، بِهَذَا الْحَدِيثِ قَالَ فَلَمَّا كَانَ قَرِيبًا مِنَ الْمَسْجِدِ قَالَ لِلأَنْصَارِ “ قُومُوا إِلَى سَيِّدِكُمْ ” .
শুবাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
শুবাহ (রাঃ) সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন তিনি (সা’দ) মাসজিদের নিকটে আসলেন তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আনসারদের বললেনঃ তোমরা তোমাদের নেতার আগমনে দাঁড়াও।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২১৭
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، أَخْبَرَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ مَيْسَرَةَ بْنِ حَبِيبٍ، عَنِ الْمِنْهَالِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ طَلْحَةَ، عَنْ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، عَائِشَةَ رضى الله عنها أَنَّهَا قَالَتْ مَا رَأَيْتُ أَحَدًا كَانَ أَشْبَهَ سَمْتًا وَهَدْيًا وَدَلاًّ – وَقَالَ الْحَسَنُ حَدِيثًا وَكَلاَمًا وَلَمْ يَذْكُرِ الْحَسَنُ السَّمْتَ وَالْهَدْىَ وَالدَّلَّ – بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ فَاطِمَةَ كَرَّمَ اللَّهُ وَجْهَهَا كَانَتْ إِذَا دَخَلَتْ عَلَيْهِ قَامَ إِلَيْهَا فَأَخَذَ بِيَدِهَا وَقَبَّلَهَا وَأَجْلَسَهَا فِي مَجْلِسِهِ وَكَانَ إِذَا دَخَلَ عَلَيْهَا قَامَتْ إِلَيْهِ فَأَخَذَتْ بِيَدِهِ فَقَبَّلَتْهُ وَأَجْلَسَتْهُ فِي مَجْلِسِهَا .
উম্মুল মুমিনীন আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে শারীরিক গঠন, চাল-চলন, চরিত্র, (বর্ণনাকারী হাসানের মতে) আলাপচারিতা ও কথাবার্তায় ফাত্বিমাহ্র (রাঃ) চাইতে এতোখানি মিল আর কাউকে আমি দেখিনি। বর্ণনাকারী হাসান শারীরিক গঠন, চাল-চলন, চরিত্র বৈশিষ্ট্যের উল্লেখ করেননি। ফাত্বিমাহ্ (রাঃ) যখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসতেন, তিনি উঠে তার দিকে এগিয়ে যেতেন, তার হাত ধরে চুমু খেতেন এবং তাঁর আসনে তাকে বসাতেন। আর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন ফাতিমার নিকট যেতেন, তথন তিনিও তাঁর জন্য উঠে আসতেন, তাঁর হাতে ধরে চুমু খেতেন এবং তার আসনে তাঁকে বসাতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৫৭
কোন লোকের নিজ সন্তানকে চুমু খাওয়া
৫২১৮
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ الأَقْرَعَ بْنَ حَابِسٍ، أَبْصَرَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يُقَبِّلُ حُسَيْنًا فَقَالَ إِنَّ لِي عَشْرَةً مِنَ الْوَلَدِ مَا فَعَلْتُ هَذَا بِوَاحِدٍ مِنْهُمْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ لاَ يَرْحَمُ لاَ يُرْحَمُ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল-আক্বরা’ ইবনু হাবিস (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেখলেন যে, তিনি হুসাইন (রাঃ)-কে চুমু দিচ্ছেন। আক্বরা’ বললেন, আমাদের দশটি সন্তান আছে, আমি তাদের একজনকেও চুমু দেইনি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যে অনুগ্রহ করে না, তাকেও অনুগ্রহ করা হয় না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২১৯
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ عُرْوَةَ، أَنَّ عَائِشَةَ، رضى الله عنها قَالَتْ ثُمَّ قَالَ تَعْنِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم “ أَبْشِرِي يَا عَائِشَةُ فَإِنَّ اللَّهَ قَدْ أَنْزَلَ عُذْرَكِ ” . وَقَرَأَ عَلَيْهَا الْقُرْآنَ فَقَالَ أَبَوَاىَ قُومِي فَقَبِّلِي رَأْسَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَقَالَتْ أَحْمَدُ اللَّهَ لاَ إِيَّاكُمَا .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে আয়িশাহ! সুসংবাদ গ্রহণ করো। আল্লাহ তোমার নির্দোষ হওয়া সম্পর্কে আয়াত অবতীর্ণ করেছেন। তিনি কুরআনের আয়াতটি তাকে পড়ে শুনালেন। তখন আমার পিতা-মাতা (আবূ বাক্র ও উম্মু রুমান) বললেন, ওঠো, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মাথায় চুমু দাও। আমি বললাম, শুকরিয়া আদায় করছি আমি সম্মানিত মহান আল্লাহর; আপনাদের নয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৫৮
দুই চোখের মাঝে চুমু খাওয়া
৫২২০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ أَجْلَحَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم تَلَقَّى جَعْفَرَ بْنَ أَبِي طَالِبٍ فَالْتَزَمَهُ وَقَبَّلَ مَا بَيْنَ عَيْنَيْهِ .
আশ-শা’বী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দেখা হলো জাফার ইবনু আবূ ত্বালিবের সঙ্গে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে জড়িয়ে ধরলেন এবং তার দু’চোখের মাঝখানে চুমু দিলেন। [৫২১৮]
দুর্বল: মিশকাত হা/৪৬৮৬
[৫২১৮] বায়হাক্বী। এর সানাদ মুরসাল।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৫৯
গালে চুমু দেওয়া সম্পর্কে
৫২২১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، عَنْ إِيَاسِ بْنِ دَغْفَلٍ، قَالَ رَأَيْتُ أَبَا نَضْرَةَ قَبَّلَ خَدَّ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ عَلَيْهِمَا السَّلاَمُ .
ইয়াস ইবনু দাগফাল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবূ নাদরাহ (রাঃ)-কে হাসান (রাঃ)-এর গালে চুমু দিতে দেখেছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু
- সরাসরি
৫২২২
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَالِمٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ دَخَلْتُ مَعَ أَبِي بَكْرٍ أَوَّلَ مَا قَدِمَ الْمَدِينَةَ فَإِذَا عَائِشَةُ ابْنَتُهُ مُضْطَجِعَةٌ قَدْ أَصَابَتْهَا حُمَّى فَأَتَاهَا أَبُو بَكْرٍ فَقَالَ لَهَا كَيْفَ أَنْتِ يَا بُنَيَّةُ وَقَبَّلَ خَدَّهَا .
আল-বারাআ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি সর্বপ্রথম মদিনায় আগমনকারী আবূ বাকর (রাঃ) এর সঙ্গে আসলাম। এ সময় তার কন্যা ‘আয়িশাহ (রাঃ)-কে বিছানায় শোয়া দেখলাম। তিনি জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আবূ বাকর (রাঃ) তাকে দেখতে এসে বললেন, হে প্রিয় কন্যা! তুমি কেমন আছো? এবং তিনি তার গালে চুমু দিলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৬০
হাতে চুমু দেয়া সম্পর্কে
৫২২৩
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي زِيَادٍ، أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي لَيْلَى، حَدَّثَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ حَدَّثَهُ وَذَكَرَ، قِصَّةً قَالَ فَدَنَوْنَا – يَعْنِي – مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَبَّلْنَا يَدَهُ .
আবদুর রহমান ইবনু আবূ লাইলাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) তার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন। অতঃপর পুরো ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকটবর্তী হয়ে তাঁর হাতে চুমু দিলাম। [৫২২১
[৫২২১] ইবনু মাজাহ। সানাদে ইয়াযীদ ইবনু আবূ যিয়াদ দুর্বল।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৬১
শরীরে চুমু দেয়া সম্পর্কে
৫২২৪
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ أُسَيْدِ بْنِ حُضَيْرٍ، – رَجُلٍ مِنَ الأَنْصَارِ – قَالَ بَيْنَمَا هُوَ يُحَدِّثُ الْقَوْمَ وَكَانَ فِيهِ مِزَاحٌ بَيْنَا يُضْحِكُهُمْ فَطَعَنَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي خَاصِرَتِهِ بِعُودٍ فَقَالَ أَصْبِرْنِي . فَقَالَ “ اصْطَبِرْ ” . قَالَ إِنَّ عَلَيْكَ قَمِيصًا وَلَيْسَ عَلَىَّ قَمِيصٌ . فَرَفَعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ قَمِيصِهِ فَاحْتَضَنَهُ وَجَعَلَ يُقَبِّلُ كَشْحَهُ قَالَ إِنَّمَا أَرَدْتُ هَذَا يَا رَسُولَ اللَّهِ .
উসাইদ ইবনু হুদাইর (রাঃ) নামক এক আনসারী থেকে বর্ণিতঃ
তিনি লোকদের সঙ্গে কথাবার্তা বলছিলেন এবং মাঝে মধ্যে রসিকতা করে লোকদের হাসাচ্ছিলেন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি কাঠের টুকরা দিয়ে তার পেটে খোঁচা দিলেন। উসাইদ (রাঃ) বললেন, আপনি আমাকে এর বদলা নিতে দিন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমার থেকে বদলা নাও। উসাইদ বললেন, আপনার গায়ে তো জামা আছে, অথচ আমার গায়ে জামা ছিল না। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর গায়ের জামা খুললেন। তখন উসাইদ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জড়িয়ে ধরে তাঁর এক পাশে চুমু দিতে লাগলেন, আর বললেনঃ আমার এটাই ইচ্ছা ছিল হে আল্লাহর রাসূল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৬২
পায়ে চুমু দেয়া সম্পর্কে
৫২২৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى بْنِ الطَّبَّاعِ، حَدَّثَنَا مَطَرُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَعْنَقُ، حَدَّثَتْنِي أُمُّ أَبَانَ بِنْتُ الْوَازِعِ بْنِ زَارِعٍ، عَنْ جَدِّهَا، زَارِعٍ وَكَانَ فِي وَفْدِ عَبْدِ الْقَيْسِ قَالَ لَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ فَجَعَلْنَا نَتَبَادَرُ مِنْ رَوَاحِلِنَا فَنُقَبِّلُ يَدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَرِجْلَهُ – قَالَ – وَانْتَظَرَ الْمُنْذِرُ الأَشَجُّ حَتَّى أَتَى عَيْبَتَهُ فَلَبِسَ ثَوْبَيْهِ ثُمَّ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُ ” إِنَّ فِيكَ خَلَّتَيْنِ يُحِبُّهُمَا اللَّهُ الْحِلْمُ وَالأَنَاةُ ” . قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَا أَتَخَلَّقُ بِهِمَا أَمِ اللَّهُ جَبَلَنِي عَلَيْهِمَا قَالَ ” بَلِ اللَّهُ جَبَلَكَ عَلَيْهِمَا ” . قَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي جَبَلَنِي عَلَى خَلَّتَيْنِ يُحِبُّهُمَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ .
উম্তু আবান বিনতু ওয়াযি’ ইবনু যারি’ (রহঃ) হতে তার দাদার থেকে বর্ণিতঃ
তিনি (দাদা) ‘আব্দুল ক্বাইসের প্রতিনিধি দলের একজন ছিলেন। তিনি বলেন, আমরা মদিনায় এসে আমাদের আরোহী হতে দ্রুত নেমে এসে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাতে ও পায়ে চুমু দিলাম।
হাসান, তবে পায়ে চুমু খাওয়ার কথাটি বাদে।
অন্যদিকে আল-মুন্যির আল-আশাজ্জ তার কাপড়ের বান্ডিল হতে কাপড় বের করে তা পরা পর্যন্ত অপেক্ষা করলেন, তারপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট আসলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ তোমার মধ্যে দুটি উত্তম স্বভাব রয়েছে যা আল্লাহ পছন্দ করেন: ধৈর্য ও ধীর-স্থিরতা। তিনি বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমিই কি এ অভ্যাস গড়ে তুলেছি, না আল্লাহ আমাকে এ দুটি অভ্যাসের উপর সৃ্ষ্টি করেছেন? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আল্লাহই তোমাকে এ দুটি স্বভাবের উপর সৃষ্টি করেছেন। তখন তিনি বললেন, কৃতজ্ঞতা আদায় করছি সেই আল্লাহর যিনি আমাকে এমন দু’টি স্বভাবের উপর সৃষ্টি করেছেন, যাকে স্বয়ং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল পছন্দ করেন।
সহীহ।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৬৩
কোন ব্যক্তির এরূপ বলা যে, আল্লাহ আমাকে আপনার জন্য উৎসর্গ করুন
৫২২৬
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُسْلِمٌ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ حَمَّادٍ، – يَعْنِيَانِ ابْنَ أَبِي سُلَيْمَانَ – عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “ يَا أَبَا ذَرٍّ ” . فَقُلْتُ لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَأَنَا فِدَاؤُكَ .
আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে আবূ যার! আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি উপস্থিত, আমি আপনার জন্য উৎসর্গিত।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৬৪
কোন ব্যক্তির এরূপ বলা যে, আল্লাহ তোমার চক্ষু শীতল করুন
৫২২৭
حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ قَتَادَةَ، أَوْ غَيْرِهِ أَنَّ عِمْرَانَ بْنَ حُصَيْنٍ، قَالَ كُنَّا نَقُولُ فِي الْجَاهِلِيَّةِ أَنْعَمَ اللَّهُ بِكَ عَيْنًا وَأَنْعِمْ صَبَاحًا فَلَمَّا كَانَ الإِسْلاَمُ نُهِينَا عَنْ ذَلِكَ . قَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ قَالَ مَعْمَرٌ يُكْرَهُ أَنْ يَقُولَ الرَّجُلُ أَنْعَمَ اللَّهُ بِكَ عَيْنًا وَلاَ بَأْسَ أَنْ يَقُولَ أَنْعَمَ اللَّهُ عَيْنَكَ .
ক্বাতাদাহ (রহঃ) বা অন্য কারো থেকে বর্ণিতঃ
‘ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) বলেন, জাহিলী যুগে আমরা বলতাম, “আল্লাহ তোমাদের চক্ষু শীতল করুন অথবা প্রত্যুষে তুমি আনন্দিত হও। ইসলামের আবির্ভাবের পর আমাদের এসব বলতে বাধা দেওয়া হয়। ‘আব্দুর রায্যাক (রহঃ) বলেন, মা’মার বলেন, আল্লাহ তোমার জন্য তোমার চক্ষু শীতল করুন, এরূপ বলা অপছন্দনীয়। তবে ‘আল্লাহ তোমার চক্ষু শীতল করুন’ – এরূপ বলা দোষনীয় নয়। [৫২২৫]
[৫২২৫] কাতাদাহ হাদীসটি ‘ইমরান ইবনু হুসাইন হতে শুনেননি। সুতরাং এটি মুনকাতি। আত-তাহযীব গ্রন্থে রয়েছেঃ তিনি আনাস বিন মালিক ছাড়া কোন সাহাবী হতে হাদীস শুনেননি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৬৫
একজন আরেকজনকে বললো, আল্লাহ তোমাকে হেফাযাত করুন
৫২২৮
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَبَاحٍ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو قَتَادَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ فِي سَفَرٍ لَهُ فَعَطِشُوا فَانْطَلَقَ سَرَعَانُ النَّاسِ فَلَزِمْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تِلْكَ اللَّيْلَةَ فَقَالَ “ حَفِظَكَ اللَّهُ بِمَا حَفِظْتَ بِهِ نَبِيَّهُ ” .
আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক সফরে ছিলেন। পথিমধ্যে লোকেরা পিপাসার্ত হওয়ায় দ্রুত অগ্রসর হয়। আমি ঐ রাতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর সঙ্গেই ছিলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আল্লাহ তোমাকে হেফাযাত করুন; যেমন তুমি তাঁর নাবীকে হিফাযাত করেছো (পাহাড়া দিয়ে)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৬৬
কেউ কারো সম্মানার্থে দাঁড়ালে
৫২২৯
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ الشَّهِيدِ، عَنْ أَبِي مِجْلَزٍ، قَالَ خَرَجَ مُعَاوِيَةُ عَلَى ابْنِ الزُّبَيْرِ وَابْنِ عَامِرٍ فَقَامَ ابْنُ عَامِرٍ وَجَلَسَ ابْنُ الزُّبَيْرِ فَقَالَ مُعَاوِيَةُ لاِبْنِ عَامِرٍ اجْلِسْ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ مَنْ أَحَبَّ أَنْ يَمْثُلَ لَهُ الرِّجَالُ قِيَامًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ ” .
আবূ মিজলায (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মু’আবিয়াহ (রাঃ) ইবনুয যুবাইর ও ইবনু ‘আমিরের নিকট আসলেন। ইবনু ‘আমির দাঁড়িয়ে গেলেন, কিন্তু ইবনুয যুবাইর বসে রইলেন। মু’আবিয়াহ (রাঃ) ইবনু ‘আমিরকে বললেন, বসো। আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ যে লোক নিজের জন্য অন্য লোকের অপেক্ষা করাকে পছন্দ করে, সে যেন জাহান্নামে তার আসন নির্ধারণ করে নেয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২৩০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ أَبِي الْعَنْبَسِ، عَنْ أَبِي الْعَدَبَّسِ، عَنْ أَبِي مَرْزُوقٍ، عَنْ أَبِي غَالِبٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، قَالَ خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُتَوَكِّئًا عَلَى عَصًا فَقُمْنَا إِلَيْهِ فَقَالَ “ لاَ تَقُومُوا كَمَا تَقُومُ الأَعَاجِمُ يُعَظِّمُ بَعْضُهَا بَعْضًا ” .
আবূ উমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লাঠিতে ভর দিয়ে আমাদের নিকট আসলেন। আমরা তাঁর সম্মানে উঠে দাঁড়ালে তিনি বললেনঃ তোমরা দাঁড়াবে না, যেরুপ অনারবরা একে অপরের সম্মান দেখানোর জন্য দাঁড়ায়।
[৫২২৮] ইবনু মাজাহ, আহমাদ । সানাদে ইযতিরাব রয়েছে । এছাড়া সানাদে আবূ ‘আদাব্বাস অজ্ঞাত (মাজহুল) ।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৬৭
যে ব্যক্তি বলে, অমুক আপনাকে সালাম দিয়েছে
৫২৩১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ غَالِبٍ، قَالَ إِنَّا لَجُلُوسٌ بِبَابِ الْحَسَنِ إِذْ جَاءَ رَجُلٌ فَقَالَ حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ جَدِّي قَالَ بَعَثَنِي أَبِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ائْتِهِ فَأَقْرِئْهُ السَّلاَمَ . قَالَ فَأَتَيْتُهُ فَقُلْتُ إِنَّ أَبِي يُقْرِئُكَ السَّلاَمَ . فَقَالَ “ عَلَيْكَ وَعَلَى أَبِيكَ السَّلاَمُ ” .
গালিব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা হাসান (রাঃ)–এর বাড়ির দরজায় বসে ছিলাম। এ সময় এক লোক এসে বলল, আমার পিতা আমার দাদার সূত্রে আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, আমাকে আমার পিতা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর নিকট পাঠালেন। তিনি বললেন, তাঁর নিকট গিয়ে তাঁকে সালাম জানাবে। তিনি বলেন, আমি তাঁর নিকট পৌঁছে বললাম, আমার পিতা আপনাকে সালাম দিয়েছেন। তিনি বললেনঃ ‘আলাইকা ওয়া ‘আলা আবীকাস্ সালাম (তোমার এবং তোমার পিতার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৫২৩২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ زَكَرِيَّا، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّ عَائِشَةَ، رضى الله عنها حَدَّثَتْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهَا “ إِنَّ جِبْرِيلَ يَقْرَأُ عَلَيْكِ السَّلاَمَ ” . فَقَالَتْ وَعَلَيْهِ السَّلاَمُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ .
আবূ সালামাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আয়িশাহ (রাঃ) তাঁর নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বলেছেন: জিবরাঈল (আঃ) তোমাকে সালাম জানিয়েছে। আয়িশাহ (রাঃ) বললেনঃ “ওয়া ‘আলাইহিস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ” (অর্থ: তাঁর উপরেও শান্তি ও রহমত বর্ষিত হোক!)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৬৮
কারো ডাকের জবাবে ‘লাব্বায়িক’ বলা
৫২৩৩
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا يَعْلَى بْنُ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِي هَمَّامٍ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّ أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْفِهْرِيَّ، قَالَ شَهِدْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حُنَيْنًا فَسِرْنَا فِي يَوْمٍ قَائِظٍ شَدِيدِ الْحَرِّ فَنَزَلْنَا تَحْتَ ظِلِّ الشَّجَرَةِ فَلَمَّا زَالَتِ الشَّمْسُ لَبِسْتُ لأْمَتِي وَرَكِبْتُ فَرَسِي فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ فِي فُسْطَاطِهِ فَقُلْتُ السَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ قَدْ حَانَ الرَّوَاحُ فَقَالَ ” أَجَلْ ” . ثُمَّ قَالَ ” يَا بِلاَلُ قُمْ ” . فَثَارَ مِنْ تَحْتِ سَمُرَةٍ كَأَنَّ ظِلَّهُ ظِلُّ طَائِرٍ فَقَالَ لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ وَأَنَا فِدَاؤُكَ . فَقَالَ ” أَسْرِجْ لِي الْفَرَسَ ” . فَأَخْرَجَ سَرْجًا دَفَّتَاهُ مِنْ لِيفٍ لَيْسَ فِيهِ أَشَرٌ وَلاَ بَطَرٌ فَرَكِبَ وَرَكِبْنَا . وَسَاقَ الْحَدِيثَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْفِهْرِيُّ لَيْسَ لَهُ إِلاَّ هَذَا الْحَدِيثُ وَهُوَ حَدِيثٌ نَبِيلٌ جَاءَ بِهِ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ .
আবূ হাম্মাম ‘আবদুল্লাহ ইবনু ইয়াসার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ ‘আব্দূর রহমান আল-ফিহরী (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সঙ্গে হুনাইনে উপস্থিত ছিলাম। আমরা প্রচণ্ড গরমের দিনে সফর করলাম। সূর্য ঢলে পড়লে আমি আমার সামরিক পোশাক পরিধান করে আমার ঘোড়ায় চড়লাম, তারপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট আসলাম। তিনি তখন তাঁর তাঁবুতে অবস্থান করছিলেন। আমি বললাম, আস্সালামু ‘আলাইকা ইয়া রাসূলুল্লাহি ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। যাত্রার সময় হয়েছে। তিনি বললেনঃ ঠিক আছে। তারপর বললেনঃ হে বিলাল! উঠো। বিলাল (রাঃ) একটি বাবলা গাছের নীচ হতে হন্তদন্ত হয়ে আসলেন। তার ছায়া পাখীর ছায়ার মত ছোট ছিল। বিলাল (রাঃ) বললেন, আমি আপনার ডাকে সাড়া দিলাম, আমি উপস্থিত আছি, আমি আপনার জন্য উৎসর্গীত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমার ঘোড়ার গদি আঁটো। তিনি একটি গদি বের করলেন যার উভয় পাশ খেজুর গাছের পাতা ভর্তি ছিল। তাতে আত্মগর্বের কিছুই ছিল না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাতে আরোহন করলেন এবং আমরাও সওয়ার হলাম। অতঃপর বর্ণনাকারী পুরো হাদীস বর্ণনা করেন।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৬৯
একে অপরকে বলা, আল্লাহ আপনাকে হাসিমুখে রাখুন
৫২৩৪
حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْبِرَكِيُّ، وَسَمِعْتُهُ مِنْ أَبِي الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيِّ، وَأَنَا لِحَدِيثِ، عِيسَى أَضْبَطُ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْقَاهِرِ بْنُ السَّرِيِّ، – يَعْنِي السُّلَمِيَّ – حَدَّثَنَا ابْنُ كِنَانَةَ بْنِ عَبَّاسِ بْنِ مِرْدَاسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ ضَحِكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُ أَبُو بَكْرٍ أَوْ عُمَرُ أَضْحَكَ اللَّهُ سِنَّكَ . وَسَاقَ الْحَدِيثَ .
ইবনু কিনানাহ ইবনু ‘আব্বাস ইবনু মিরদাস (রহঃ) হতে তার পিতা ও তার দাদা থেকে বর্ণিতঃ
একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাসলেন। তখন আবূ বাকর বা ‘উমার (রাঃ) তাঁকে বললেন, আল্লাহ আপনার মুখে হাঁসি ফুটিয়ে রাখুন। [৫২৩২]
[৫২৩২] ইবনু মাজাহ, আহমাদ, বায়হাক্বী । সানাদে ‘আবদুল্লাহ বিন কিননাহ রয়েছে । ইমাম বুখারী বলেন: তার হাদীস সহীহ নয় । আমি কাউকে তার দোষ-গুন বর্ণনা করতে দেখিনি । হাফিয আত-তাক্বরীব গ্রন্থে বলেন: তিনি মাজহুল (অজ্ঞাত) ।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫২৩৫
حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، حَدَّثَنَا حَفْصٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي السَّفَرِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ مَرَّ بِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا أُطَيِّنُ حَائِطًا لِي أَنَا وَأُمِّي فَقَالَ ” مَا هَذَا يَا عَبْدَ اللَّهِ ” . فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ شَىْءٌ أُصْلِحُهُ فَقَالَ ” الأَمْرُ أَسْرَعُ مِنْ ذَاكَ ” .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। আমি ও আমার মা তখন আমার একটি দেয়াল মেরামত করছিলাম। তিনি বললেনঃ হে ‘আবদুল্লাহ! কি হচ্ছে? আমি বললাম, মেরামত করছি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি দেখছি, নির্দেশ (কিয়ামত বা মৃত্যু) এর চেয়েও দ্রুত ধাবমান।
সহীহ ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২৩৬
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَهَنَّادٌ، – الْمَعْنَى – قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، بِإِسْنَادِهِ بِهَذَا قَالَ مَرَّ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ نُعَالِجُ خُصًّا لَنَا وَهَى فَقَالَ ” مَا هَذَا ” . فَقُلْنَا خُصٌّ لَنَا وَهَى فَنَحْنُ نُصْلِحُهُ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” مَا أَرَى الأَمْرَ إِلاَّ أَعْجَلَ مِنْ ذَلِكَ ” .
আল-আ’মাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল-আ’মাশ (রহঃ) এ সানাদে উল্লেখিত হাদীস বর্ণনা করেন। তাতে রয়েছেঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। আমরা তখন আমাদের জীর্ণশীর্ণ ঘরটি মেরামত করছিলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এটা কি হচ্ছে? আমরা বললাম, আমাদের এ জীর্ণশীর্ণ কুঁড়ে ঘরটি মেরামত করছি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি তো দেখছি এ জীর্ণ ঘরের চাইতেও নির্দেশ দ্রুত ধাবমান।
সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৭০
বাড়িঘর নির্মাণ প্রসঙ্গে
৫২৩৭
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ حَكِيمٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَاطِبٍ الْقُرَشِيُّ، عَنْ أَبِي طَلْحَةَ الأَسَدِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ فَرَأَى قُبَّةً مُشْرِفَةً فَقَالَ ” مَا هَذِهِ ” . قَالَ لَهُ أَصْحَابُهُ هَذِهِ لِفُلاَنٍ – رَجُلٍ مِنَ الأَنْصَارِ – . قَالَ فَسَكَتَ وَحَمَلَهَا فِي نَفْسِهِ حَتَّى إِذَا جَاءَ صَاحِبُهَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُسَلِّمُ عَلَيْهِ فِي النَّاسِ أَعْرَضَ عَنْهُ صَنَعَ ذَلِكَ مِرَارًا حَتَّى عَرَفَ الرَّجُلُ الْغَضَبَ فِيهِ وَالإِعْرَاضَ عَنْهُ فَشَكَا ذَلِكَ إِلَى أَصْحَابِهِ فَقَالَ وَاللَّهِ إِنِّي لأُنْكِرُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالُوا خَرَجَ فَرَأَى قُبَّتَكَ . قَالَ فَرَجَعَ الرَّجُلُ إِلَى قُبَّتِهِ فَهَدَمَهَا حَتَّى سَوَّاهَا بِالأَرْضِ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ يَوْمٍ فَلَمْ يَرَهَا قَالَ ” مَا فَعَلَتِ الْقُبَّةُ ” . قَالُوا شَكَا إِلَيْنَا صَاحِبُهَا إِعْرَاضَكَ عَنْهُ فَأَخْبَرْنَاهُ فَهَدَمَهَا فَقَالَ ” أَمَا إِنَّ كُلَّ بِنَاءٍ وَبَالٌ عَلَى صَاحِبِهِ إِلاَّ مَا لاَ إِلاَّ مَا لاَ ” . يَعْنِي مَا لاَ بُدَّ مِنْهُ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বাইরে বের হয়ে গম্বুজাকৃতির একটি উঁচু পাকা ঘর দেখতে পেয়ে বললেনঃ এটা কি? তাঁর সাহাবীগণ বললেন, এটা অমুক আনসারী ব্যক্তির। তিনি চুপ থাকলেন এবং বিষয়টি স্মরণে রাখলেন। পরে ঐ প্রাসাদের মালিক রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট আসে লোকদের মধ্যে তাঁকে সালাম দিলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। এরূপ কয়েকবার হলো। ফলে লোকটি তার প্রতি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর রাগ হওয়া এবং তাঁর উপেক্ষা সম্পর্কে বুঝতে পারলো। এতে সে তার সাথীদের নিকট প্রকৃত ঘটনা জানতে চাইলো। সে বললো, আল্লাহর কসম! রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এরূপ আচরণ তা আমি বুঝতে পারছি না। লোকেরা বললো, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বাইরে বের হয়েছিলেন। তিনি তোমার গম্বুজ দেখতে পেয়েছেন। অতএব সে তার পাকা বাড়িতে ফিরে এসে তা ধ্বংস করে একেবারে মাটির সাথে মিশিয়ে দিলো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরেক দিন বের হলেন। তিনি ঐ প্রাসাদটি দেখতে না পেয়ে বললেন, প্রাসাদটির কি হলো? লোকেরা বললো, প্রাসাদের মালিক আমাদের নিকট তার প্রতি আপনার অসন্তুষ্টি ও উপেক্ষার বিষয় জানতে চাইলে আমরা তাকে ঘটনা খুলে বলি, এতে সে তা বিধ্বস্ত করে দেয়। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, বস্তুত প্রত্যেক উচ্চ পাকা বাড়ি তার মালিকের জন্য দুর্ভাগ্যর কারণ হবে। তবে যেটি একান্ত জরুরী সেটি ছাড়া।
সহীহঃ সহীহাহ হা/২৮৩০।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৭১
উপর তলায় কক্ষ নির্মাণ সম্পর্কে
৫২৩৮
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَبَاحٍ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو قَتَادَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ فِي سَفَرٍ لَهُ فَعَطِشُوا فَانْطَلَقَ سَرَعَانُ النَّاسِ فَلَزِمْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تِلْكَ اللَّيْلَةَ فَقَالَ “ حَفِظَكَ اللَّهُ بِمَا حَفِظْتَ بِهِ نَبِيَّهُ ” .
দুকাইন ইবনু সাঈদ আল-মুযানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে খাবার চাইলাম। তিনি বললেনঃ হে ‘উমার! যাও, এদেরকে দাও। অতএব তিনি আমাদেরকে নিয়ে উপর তলার একটি রুমে উঠলেন, অতঃপর তার রুম হতে চাবি নিয়ে তা খুললেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৭২
কুল গাছ কাটা সম্পর্কে
৫২৩৯
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، أَخْبَرَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُبْشِيٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ قَطَعَ سِدْرَةً صَوَّبَ اللَّهُ رَأْسَهُ فِي النَّارِ ” . سُئِلَ أَبُو دَاوُدَ عَنْ مَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ فَقَالَ هَذَا الْحَدِيثُ مُخْتَصَرٌ يَعْنِي مَنْ قَطَعَ سِدْرَةً فِي فَلاَةٍ يَسْتَظِلُّ بِهَا ابْنُ السَّبِيلِ وَالْبَهَائِمُ عَبَثًا وَظُلْمًا بِغَيْرِ حَقٍّ يَكُونُ لَهُ فِيهَا صَوَّبَ اللَّهُ رَأْسَهُ فِي النَّارِ .
আবদুল্লাহ ইবনু হুবশী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) বলেছেন: যে ব্যক্তি কুল গাছ কাটবেঃ, আল্লাহ তাকে মাথা উপর করে জাহান্নামে ফেলবেন। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) কে এ হাদিসের তাৎপর্য সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এটি খুবই সংক্ষিপ্ত। অর্থাৎ খোলা ময়দানের কুল গাছ, যার ছায়ায় পথচারী ও চতুষ্পদ প্রাণী আশ্রয় নিয়ে থাকে তা কোনো ব্যক্তি নিজ মালিকানাহীন, অপ্রয়োজনে ও অন্যায়ভাবে কেটে ফেললে আল্লাহ তাকে উপর করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২৪০
حَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ خَالِدٍ، وَسَلَمَةُ، – يَعْنِي ابْنَ شَبِيبٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ ثَقِيفٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، يَرْفَعُ الْحَدِيثَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ .
‘উরওয়াহ ইবনুয যুবাইর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি হাদীসের সানাদ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পর্যন্ত উন্নীত করে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।[৫২৩৮]
[৫২৩৮] বায়হাক্বী ।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
৫২৪১
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ، وَحُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَسَّانُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ سَأَلْتُ هِشَامَ بْنَ عُرْوَةَ عَنْ قَطْعِ السِّدْرِ، وَهُوَ مُسْتَنِدٌ إِلَى قَصْرِ عُرْوَةَ فَقَالَ أَتَرَى هَذِهِ الأَبْوَابَ وَالْمَصَارِيعَ إِنَّمَا هِيَ مِنْ سِدْرِ عُرْوَةَ كَانَ عُرْوَةُ يَقْطَعُهُ مِنْ أَرْضِهِ وَقَالَ لاَ بَأْسَ بِهِ . زَادَ حُمَيْدٌ فَقَالَ هِيَ يَا عِرَاقِيُّ جِئْتَنِي بِبِدْعَةٍ قَالَ قُلْتُ إِنَّمَا الْبِدْعَةُ مِنْ قِبَلِكُمْ سَمِعْتُ مَنْ يَقُولُ بِمَكَّةَ لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ قَطَعَ السِّدْرَ . ثُمَّ سَاقَ مَعْنَاهُ .
হাসসান ইবনু ইবরাহীম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি ‘উরওয়াহ (রহঃ)-এর পুত্র হিশাম (রহঃ)-কে কুল গাছ কাটা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। এ সময় তিনি ‘উরওয়াহ (রাঃ)-এর দালানে হেলান দেয়া অবস্থায় ছিলেন। তিনি বললেন, তুমি কি এসব দরজা ও পত্রপল্লব দেখতে পাচ্ছো? এসব দরজার চৌকাঠ ‘উরওয়াহ (রাঃ) এর কুল গাছ দ্বারা তৈরী। তিনি তার জমি থেকে তা কেটে এনেছিলেন। তিনি বলেছেন, তাতে কোন অসুবিধা নেই। হুমাইদ (রহঃ)-এর বর্ণনায় রয়েছেঃ তিনি বলেন, হে ইরাকী! তুমি আমার নিকট একটি বিদ’আত নিয়ে এসেছো! সে বললো, আমি বললাম, বিদ’আত তো আপনাদের কাছ থেকেই। আমি মক্কায় এ ব্যক্তিকে বলতে শুনেছি, যে লোক কুল গাছ কাটে তাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লানত করেছেন। অতঃপর বর্ণনাকারী অনুরূপ অর্থের হাদীস বর্ণনা করেন। [৫২৩৯]
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ -১৭৩
রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরানো
৫২৪২
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَرْوَزِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ، حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي بُرَيْدَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ” فِي الإِنْسَانِ ثَلاَثُمِائَةٍ وَسِتُّونَ مَفْصِلاً فَعَلَيْهِ أَنْ يَتَصَدَّقَ عَنْ كُلِّ مَفْصِلٍ مِنْهُ بِصَدَقَةٍ ” . قَالُوا وَمَنْ يُطِيقُ ذَلِكَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ قَالَ ” النُّخَاعَةُ فِي الْمَسْجِدِ تَدْفِنُهَا وَالشَّىْءُ تُنَحِّيهِ عَنِ الطَّرِيقِ فَإِنْ لَمْ تَجِدْ فَرَكْعَتَا الضُّحَى تُجْزِئُكَ ” .
বুরাইদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলেতে শুনেছি: মানুষের শরীরে তিনশো ষাটটি গ্রন্থি রয়েছে। তার প্রতিটি জোড়ার জন্য সদাক্বাহ করা উচিৎ। লোকজন বলল, কেউ কি এতো সদাক্বাহ করতে সক্ষম, হে আল্লাহর নাবী! তিনি বললেনঃ তুমি মাসজিদের শ্লেষ্মা পুতে দিবে এবং রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক জিনিস সরিয়ে ফেলবে। তুমি যদি তা নাও পারো তাহলে চাশ্তের সময় দুই রাক’আত সলাত আদায় করবে, এতেই তোমার জন্য যথেষ্ট হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২৪৩
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ عَبَّادٍ، – وَهَذَا لَفْظُهُ وَهُوَ أَتَمُّ – عَنْ وَاصِلٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عُقَيْلٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” يُصْبِحُ عَلَى كُلِّ سُلاَمَى مِنِ ابْنِ آدَمَ صَدَقَةٌ تَسْلِيمُهُ عَلَى مَنْ لَقِيَ صَدَقَةٌ وَأَمْرُهُ بِالْمَعْرُوفِ صَدَقَةٌ وَنَهْيُهُ عَنِ الْمُنْكَرِ صَدَقَةٌ وَإِمَاطَتُهُ الأَذَى عَنِ الطَّرِيقِ صَدَقَةٌ وَبُضْعَتُهُ أَهْلَهُ صَدَقَةٌ ” . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ يَأْتِي شَهْوَتَهُ وَتَكُونُ لَهُ صَدَقَةٌ قَالَ ” أَرَأَيْتَ لَوْ وَضَعَهَا فِي غَيْرِ حَقِّهَا أَكَانَ يَأْثَمُ ” . قَالَ ” وَيُجْزِئُ مِنْ ذَلِكَ كُلِّهِ رَكْعَتَانِ مِنَ الضُّحَى ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ لَمْ يَذْكُرْ حَمَّادٌ الأَمْرَ وَالنَّهْىَ .
আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: প্রতিদিন সকালে আদম সন্তানের দেহের প্রতিটি জোড়ার জন্য সদাক্বাহ ধার্য হয়। তার সঙ্গে সাক্ষাতকারীকে তার সালাম দেয়া একটি সদাক্বাহ। সৎকাজের আদেশ করা একটি সদাক্বাহ এবং অসৎ কাজ হতে নিষেধ করাও একটি সদাক্বাহ। রাস্তা হতে কষ্টদায়ক জিনিস সরিয়ে ফেলা একটি সদাক্বাহ। নিজ স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করাও একটি সদাক্বাহ। সাহাবীরা প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! কোনো ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীর সঙ্গে কামভাব উপভোগ করলে তাও কি তার জন্য সদাক্বাহ? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তা অবৈধ পাত্রে রাখা হলে কি সে গুনাহগার হতো না? তিনি আরো বললেনঃ দুপুরের সময় দুই রাক’আত সলাত আদায় করা এসবের জন্য যথেষ্ট। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, হাম্মাদ (রাঃ) ‘সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ’ কথাটুকু উল্লেখ করেননি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২৪৪
حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، عَنْ وَاصِلٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عُقَيْلٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ، عَنْ أَبِي الأَسْوَدِ الدِّيلِيِّ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، بِهَذَا الْحَدِيثِ وَذَكَرَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي وَسْطِهِ .
আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ যার (রাঃ) সূত্রে এ সানাদে পূর্বোক্ত হাদীস বর্ণিত। তাতে রয়েছেঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর কথাবার্তার মাঝখানে এসবের উল্লেখ করেছেন। [৫২৪২]
আমি এটি সহীহ এবং যঈফে পাইনি।
[৫২৪২] এটি গত হয়েছে, হা/১২৮৬ ।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
৫২৪৫
حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ “ نَزَعَ رَجُلٌ لَمْ يَعْمَلْ خَيْرًا قَطُّ غُصْنَ شَوْكٍ عَنِ الطَّرِيقِ إِمَّا كَانَ فِي شَجَرَةٍ فَقَطَعَهُ وَأَلْقَاهُ وَإِمَّا كَانَ مَوْضُوعًا فَأَمَاطَهُ فَشَكَرَ اللَّهُ لَهُ بِهَا فَأَدْخَلَهُ الْجَنَّةَ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এক ব্যক্তি কখনো কোন ভালো কাজ করেনি, শুধু একটি কাঁটাযুক্ত ডাল রাস্তা হতে সরিয়েছিলো। হয়ত ডালটি গাছেই ছিলো, কেউ তা কেটে ফেলে রেখেছিলো অথবা রাস্তায়ই পরে ছিলো। আল্লাহ তার একাজ গ্রহণ করলেন এবং তাকে জান্নাতে প্রবেশ করালেন।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৭৪
রাতে আগুন নিভিয়ে রাখা
৫২৪৬
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، رِوَايَةً وَقَالَ مَرَّةً يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم “ لاَ تَتْرُكُوا النَّارَ فِي بُيُوتِكُمْ حِينَ تَنَامُونَ ” .
সালিম (রাঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমরা ঘুমানোর সময় তোমাদের ঘরে আগুন জ্বালিয়ে রাখবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২৪৭
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ التَّمَّارُ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ طَلْحَةَ، حَدَّثَنَا أَسْبَاطٌ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ جَاءَتْ فَأْرَةٌ فَأَخَذَتْ تَجُرُّ الْفَتِيلَةَ فَجَاءَتْ بِهَا فَأَلْقَتْهَا بَيْنَ يَدَىْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى الْخُمْرَةِ الَّتِي كَانَ قَاعِدًا عَلَيْهَا فَأَحْرَقَتْ مِنْهَا مِثْلَ مَوْضِعِ الدِّرْهَمِ فَقَالَ “ إِذَا نِمْتُمْ فَأَطْفِئُوا سُرُجَكُمْ فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَدُلُّ مِثْلَ هَذِهِ عَلَى هَذَا فَتَحْرِقَكُمْ ” .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একটি ইঁদুর আসে বাতির সলতে টেনে নিয়ে যেতে যেতে তা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সম্মুখে তাঁর মাদুরের উপর রাখলো। যার উপর তিনি বসা ছিলেন। এতে মাদুরের এক দিরহাম পরিমান জায়গা পুড়ে যায়। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) বললেনঃ যখন তোমরা ঘুমাবে তখন বাতি নিভিয়ে দিবে। কারণ শয়তান ইঁদুর ইত্যাদির অনুরূপ প্রাণীকে এরুপ কাজে প্ররোচিত করে এবং তোমাদেরকে পোড়ায়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ–১৭৫
সাপ মারা সম্পর্কে
৫২৪৮
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَا سَالَمْنَاهُنَّ مُنْذُ حَارَبْنَاهُنَّ وَمَنْ تَرَكَ شَيْئًا مِنْهُنَّ خِيفَةً فَلَيْسَ مِنَّا ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) বলেছেনঃ যেদিন থেকে সাপের সঙ্গে আমাদের যুদ্ধ শুরু হয়েছে, সেদিন থেকে ঐগুলোর সঙ্গে আমরা শান্তিচুক্তি করিনি। অতএব যে ব্যক্তি ভয়ে সেগুলোকে (হত্যা না করে) ছেড়ে দিবে সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৫২৪৯
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ بَيَانٍ السُّكَّرِيُّ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ يُوسُفَ، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ اقْتُلُوا الْحَيَّاتِ كُلَّهُنَّ فَمَنْ خَافَ ثَأْرَهُنَّ فَلَيْسَ مِنِّي ” .
ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা সাপ মারবে। যে ব্যক্তি তাদের প্রতিশোধের ভয় করবে সে আমার দলভুক্ত নয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২৫০
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ مُسْلِمٍ، قَالَ سَمِعْتُ عِكْرِمَةَ، يَرْفَعُ الْحَدِيثَ فِيمَا أُرَى إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ تَرَكَ الْحَيَّاتِ مَخَافَةَ طَلَبِهِنَّ فَلَيْسَ مِنَّا مَا سَالَمْنَاهُنَّ مُنْذُ حَارَبْنَاهُنَّ ” .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তাদের প্রতিশোধের ভয়ে সাপ (না মেরে) ছেড়ে দিবে, সে আমার দলভুক্ত নয়। যখন হতে এগুলোর সঙ্গে আমাদের যুদ্ধ শুরু হয়েছে তখন থেকে আমরা এগুলোকে নিরাপদে ছেড়ে দেইনি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২৫১
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، عَنْ مُوسَى الطَّحَّانِ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَابِطٍ، عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، أَنَّهُ قَالَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّا نُرِيدُ أَنْ نَكْنِسَ زَمْزَمَ وَإِنَّ فِيهَا مِنْ هَذِهِ الْجِنَّانِ – يَعْنِي الْحَيَّاتِ الصِّغَارَ – فَأَمَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِقَتْلِهِنَّ .
আল-‘আব্বাস ইবনু ‘আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলেন, আমরা যমযম কূপকে পরিষ্কার করতে চাই। কিন্তু তাতে জিন অর্থাৎ ছোট ছোট অনেক সাপ রয়েছে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঐগুলো মেরে ফেলার আদেশ দিলেন।
সহীহ। যদি ইবনু সাবিত হাদীসটি “আব্বাস হতে শুনে থাকেন”।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
৫২৫২
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ اقْتُلُوا الْحَيَّاتِ وَذَا الطُّفْيَتَيْنِ وَالأَبْتَرَ فَإِنَّهُمَا يَلْتَمِسَانِ الْبَصَرَ وَيُسْقِطَانِ الْحَبَلَ ” . قَالَ وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ يَقْتُلُ كُلَّ حَيَّةٍ وَجَدَهَا فَأَبْصَرَهُ أَبُو لُبَابَةَ أَوْ زَيْدُ بْنُ الْخَطَّابِ وَهُوَ يُطَارِدُ حَيَّةً فَقَالَ إِنَّهُ قَدْ نُهِيَ عَنْ ذَوَاتِ الْبُيُوتِ .
সালিম (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: তোমরা সাপ মেরে ফেলবে, বিশেষ করে ডোরাকাটা ও লেজকাটা সাপ। কেননা এ দু’টি সাপ দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করে এবং গর্ভপাত ঘটায়। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) সাপ পেলেই মেরে ফেলেতেন। আবূ লুবাবাহ অথবা যায়িদ ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) একটি সাপের পিছু ধাওয়া করতে দেখে বললেন, ঘরে বসবাসকারী সাপ মারতে নিষেধ করা হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২৫৩
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ أَبِي لُبَابَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ قَتْلِ الْجِنَّانِ الَّتِي تَكُونُ فِي الْبُيُوتِ إِلاَّ أَنْ يَكُونَ ذَا الطُّفْيَتَيْنِ وَالأَبْتَرَ فَإِنَّهُمَا يَخْطِفَانِ الْبَصَرَ وَيَطْرَحَانِ مَا فِي بُطُونِ النِّسَاءِ .
আবূ লুবাবাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘরে বসবাসকারী সাপ মারতে বারণ করেছেন, তবে ডোরাবিশিষ্ট এবং লেজকাটাগুলো নয়। কারণ এগুলো দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করে এবং নারীদের গর্ভপাত ঘটায়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২৫৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، وَجَدَ بَعْدَ ذَلِكَ – يَعْنِي بَعْدَ مَا حَدَّثَهُ أَبُو لُبَابَةَ – حَيَّةً فِي دَارِهِ فَأَمَرَ بِهَا فَأُخْرِجَتْ يَعْنِي إِلَى الْبَقِيعِ .
নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবূ লুবাবাহ (রাঃ) ইবনু ‘উমর (রাঃ)- এর নিকট উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করার পর তিনি তার ঘরে একটি সাপ দেখতে পান। তার আদেশে ঘর হতে সাপটি বের করে বাকী’র দিকে তাড়িয়ে দেয়া হয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২৫৫
حَدَّثَنَا ابْنُ السَّرْحِ، وَأَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الْهَمْدَانِيُّ، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ، عَنْ نَافِعٍ، فِي هَذَا الْحَدِيثِ قَالَ نَافِعٌ ثُمَّ رَأَيْتُهَا بَعْدُ فِي بَيْتِهِ .
নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি এ হাদীস বর্ণনা করে বলেন, পরে আমি ঐ সাপটিকে আবার তার ঘরে দেখেতে পেয়েছি।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৫২৫৬
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي يَحْيَى، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّهُ، انْطَلَقَ هُوَ وَصَاحِبٌ لَهُ إِلَى أَبِي سَعِيدٍ يَعُودَانِهِ فَخَرَجْنَا مِنْ عِنْدِهِ فَلَقِينَا صَاحِبًا لَنَا وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يَدْخُلَ عَلَيْهِ فَأَقْبَلْنَا نَحْنُ فَجَلَسْنَا فِي الْمَسْجِدِ فَجَاءَ فَأَخْبَرَنَا أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ الْهَوَامَّ مِنَ الْجِنِّ فَمَنْ رَأَى فِي بَيْتِهِ شَيْئًا فَلْيُحَرِّجْ عَلَيْهِ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ فَإِنْ عَادَ فَلْيَقْتُلْهُ فَإِنَّهُ شَيْطَانٌ ” .
মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াহ্ইয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার পিতা আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, তিনি ও তার এক সাথী অসুস্থ আবূ সাঈদ (রাঃ)-কে দেখতে যান। তিনি বলেন, আমরা তার নিকট হতে বেরিয়ে আসার পর আরেক সঙ্গীর সঙ্গে আমাদের দেখা হলো। তিনিও তাকে দেখতে এসেছেন। আমরা কিছুটা এগিয়ে গিয়ে মাসজিদে বসলাম। তিনি ফিরে এসে আমাদের জানালেন, তিনি আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) কে বলতে শুনেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) বলেছেনঃ কতক সাপ জিনদের অন্তর্ভুক্ত। কাজেই কেউ তার ঘরে এগুলোর কোনটিকে দেখতে পেলে সে যেন তিনবার একে সতর্ক করে। তারপরও ফিরে আসলে সে যেন একে মেরে ফেলে। কারণ তা শয়তান। [৫২৫৪]
দুর্বলঃ যঈফাহ, হা/৩১৬৩.
[৫২৫৪] এর সানাদে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি রয়েছে ।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫২৫৭
حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ مَوْهَبٍ الرَّمْلِيُّ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ صَيْفِيٍّ أَبِي سَعِيدٍ، مَوْلَى الأَنْصَارِ عَنْ أَبِي السَّائِبِ، قَالَ أَتَيْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ فَبَيْنَا أَنَا جَالِسٌ، عِنْدَهُ سَمِعْتُ تَحْتَ، سَرِيرِهِ تَحْرِيكَ شَىْءٍ فَنَظَرْتُ فَإِذَا حَيَّةٌ فَقُمْتُ فَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ مَا لَكَ فَقُلْتُ حَيَّةٌ هَا هُنَا . قَالَ فَتُرِيدُ مَاذَا قُلْتُ أَقْتُلُهَا . فَأَشَارَ إِلَى بَيْتٍ فِي دَارِهِ تِلْقَاءَ بَيْتِهِ فَقَالَ إِنَّ ابْنَ عَمٍّ لِي كَانَ فِي هَذَا الْبَيْتِ فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ الأَحْزَابِ اسْتَأْذَنَ إِلَى أَهْلِهِ وَكَانَ حَدِيثَ عَهْدٍ بِعُرْسٍ فَأَذِنَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَمَرَهُ أَنْ يَذْهَبَ بِسِلاَحِهِ فَأَتَى دَارَهُ فَوَجَدَ امْرَأَتَهُ قَائِمَةً عَلَى بَابِ الْبَيْتِ فَأَشَارَ إِلَيْهَا بِالرُّمْحِ فَقَالَتْ لاَ تَعْجَلْ حَتَّى تَنْظُرَ مَا أَخْرَجَنِي . فَدَخَلَ الْبَيْتَ فَإِذَا حَيَّةٌ مُنْكَرَةٌ فَطَعَنَهَا بِالرُّمْحِ ثُمَّ خَرَجَ بِهَا فِي الرُّمْحِ تَرْتَكِضُ قَالَ فَلاَ أَدْرِي أَيُّهُمَا كَانَ أَسْرَعَ مَوْتًا الرَّجُلُ أَوِ الْحَيَّةُ فَأَتَى قَوْمُهُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَرُدَّ صَاحِبَنَا . فَقَالَ ” اسْتَغْفِرُوا لِصَاحِبِكُمْ ” . ثُمَّ قَالَ ” إِنَّ نَفَرًا مِنَ الْجِنِّ أَسْلَمُوا بِالْمَدِينَةِ فَإِذَا رَأَيْتُمْ أَحَدًا مِنْهُمْ فَحَذِّرُوهُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ إِنْ بَدَا لَكُمْ بَعْدُ أَنْ تَقْتُلُوهُ فَاقْتُلُوهُ بَعْدَ الثَّلاَثِ ” .
আবুস সায়িব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি আবূ সাঈদ আল-খুদরীর (রাঃ) নিকট আসলাম। আমি তার নিকট বসা ছিলাম। এমন সময় আমি তার খাটের নিচে নড়াচড়ার শব্দ শুনতে পেলাম। চেয়ে দেখি একটি সাপ। আমি উঠে দাঁড়ালাম। আবূ সাঈদ (রাঃ) বললেন, তোমার কি হলো? আমি বললাম, ওখানে সাপ। তিনি বললেন তা তুমি কি করতে চাও? আমি বললাম, আমি এটিকে হত্যা করবো। তিনি তার ঘরের নিজ কক্ষ বরাবর অপর একটি কক্ষের দিকে ইশারা করে বললেন, আমার এক চাচাত ভাই এই কক্ষে বাস করতো। আহযাবের যুদ্ধের দিন সে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট বাড়ি যাওয়ার অনুমতি চাইলো, সে ছিলো সদ্য বিবাহিত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে অনুমতি দিলেন এবং সঙ্গে তার অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যাবার নির্দেশ দিলেন। সে বাড়ি ফিরে এসে দেখলো, তার স্ত্রী ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে। সে বর্শা দ্বারা তার স্ত্রীকে ইশারা করলো আর স্ত্রী বললো, তুমি তাড়াহুড়া করো না, আগে দেখো কিসে আমাকে বের হতে বাধ্য করেছে। সে ঘরে প্রবেশ করে দেখলো এক বীভৎস সাপ। সে সেটিকে বর্শাবিদ্ধ করলো। সাপটি তখনো তড়পাচ্ছিলো। তিনি বললেন, আমার জানা নেই কার মৃত্যু আগে হয়েছে, লোকটির না সাপটির! তার গোত্রের লোকজন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললো, আপনি আল্লাহর নিকট দু’আ করুন যাতে তিনি আমাদের সঙ্গীকে ফিরিয়ে দেন। তিনি বললেনঃ তোমরা তোমাদের সাথীর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করো। তারপর বললেনঃ মাদীনাহ্র একদল জিন ইসলাম গ্রহণ করেছে। তাদের কাউকে যদি তোমরা দেখতে পাও তাহলে তিনবার তাকে সতর্ক করবে। তারপরও যদি তোমাদের সামনে তা আত্মপ্রকাশ না করে তাহলে তোমরা তাকে মারতে চাইলে তিনবার বলার পর মারতে পারো।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৫২৫৮
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، بِهَذَا الْحَدِيثِ مُخْتَصَرًا قَالَ “ فَلْيُؤْذِنْهُ ثَلاَثًا فَإِنْ بَدَا لَهُ بَعْدُ فَلْيَقْتُلْهُ فَإِنَّهُ شَيْطَانٌ ” .
ইবনু ‘আজলান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইবনু ‘আজলান (রহঃ) হতে এ হাদীস সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণিত হয়েছে। এতে রয়েছেঃ সে এটিকে তিনবার সতর্ক করবে। তারপরও যদি দেখতে পাও, তবে তাকে মারবে। কারণ তা একটি শয়তান। [৫২৫৬]
[৫২৫৬] মুসলিম।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৫২৫৯
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الْهَمْدَانِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ صَيْفِيٍّ، مَوْلَى ابْنِ أَفْلَحَ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو السَّائِبِ، مَوْلَى هِشَامِ بْنِ زُهْرَةَ أَنَّهُ دَخَلَ عَلَى أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ فَذَكَرَ نَحْوَهُ وَأَتَمَّ مِنْهُ قَالَ “ فَآذِنُوهُ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ فَإِنْ بَدَا لَكُمْ بَعْدَ ذَلِكَ فَاقْتُلُوهُ فَإِنَّمَا هُوَ شَيْطَانٌ ” .
হিশাম ইবনু যাহবার আযাদকৃত গোলাম আবুস সায়িব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি আবূ সাঈদ আল-খুদরীর (রাঃ) নিকট গেলেন। অতঃপর অনুরূপ বরং এর চেয়ে পূর্ণাঙ্গ হাদীস বর্ণনা করেন। তাতে রয়েছেঃ তিনদিন পর্যন্ত একে সতর্ক করো। তারপরও যদি তোমরা দেখতে পাও, তাহলে সেটিকে হত্যা করো। কারণ সেটি হচ্ছে একটি শয়তান।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২৬০
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ هَاشِمٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي لَيْلَى، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سُئِلَ عَنْ حَيَّاتِ الْبُيُوتِ فَقَالَ “ إِذَا رَأَيْتُمْ مِنْهُنَّ شَيْئًا فِي مَسَاكِنِكُمْ فَقُولُوا أَنْشُدُكُنَّ الْعَهْدَ الَّذِي أَخَذَ عَلَيْكُنَّ نُوحٌ أَنْشُدُكُنَّ الْعَهْدَ الَّذِي أَخَذَ عَلَيْكُنَّ سُلَيْمَانُ أَنْ لاَ تُؤْذُونَا فَإِنْ عُدْنَ فَاقْتُلُوهُنَّ ” .
‘আবদুর রহমান ইবনু আবূ লাইলাহ (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ঘরে বসবাসকারী সাপ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেনঃ তোমরা তোমাদের বসবাসের ঘরে এগুলোকে দেখতে পেলে বলবেঃ ‘আমি তোমাদেরকে সেই ওয়াদার কসম দিয়ে বলছি যা নূহ (আঃ) তোমাদের থেকে গ্রহণ করেছিলেন। অথবা আমি তোমাদেরকে সেই ওয়াদার কসম দিয়ে বলছি যা সুলায়মান (আঃ) তোমাদের কাছ থেকে নিয়েছিলেন যে, তোমরা আমাদের ক্ষতি করবে না’। এরপরও তারা ফিরে এলে তোমরা তাদের মেরে ফেলো। [৫২৫৮]
[৫২৫৮] তিরমিযী, নাসায়ীর ‘আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ। ইমাম তিরমিযী বলেন, এ হাদীসটি হাসান গরীব।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫২৬১
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّهُ قَالَ اقْتُلُوا الْحَيَّاتِ كُلَّهَا إِلاَّ الْجَانَّ الأَبْيَضَ الَّذِي كَأَنَّهُ قَضِيبُ فِضَّةٍ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ فَقَالَ لِي إِنْسَانٌ الْجَانُّ لاَ يَنْعَرِجُ فِي مِشْيَتِهِ فَإِذَا كَانَ هَذَا صَحِيحًا كَانَتْ عَلاَمَةً فِيهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ .
ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন, তোমরা সব সাপকেই হত্যা করবে, কেবল সাদা জিন ব্যতীত যা দেখতে রৌপ্য দন্ডের মত। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, আমাকে এক ব্যক্তি বলেছেন, সাদা সাপ আঁকাবাঁকা হয়ে চলাচল করে না। এটা যদি সঠিক হয়ে থাকে তবে আল্লাহর ইচ্ছায় তা এই সাপের একটি নিদর্শন।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাওকুফ
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৭৬
টিকটিকি হত্যা করা সম্পর্কে
৫২৬২
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِقَتْلِ الْوَزَغِ وَسَمَّاهُ فُوَيْسِقًا .
আমির ইবনু সা’দ (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গিরগিটি (টিকটিকি) মারার হুকুম করেছেন। তিনি তার নাম দিয়েছেন অনিষ্টকারী।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২৬৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّازُ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ زَكَرِيَّا، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ قَتَلَ وَزَغَةً فِي أَوَّلِ ضَرْبَةٍ فَلَهُ كَذَا وَكَذَا حَسَنَةً وَمَنْ قَتَلَهَا فِي الضَّرْبَةِ الثَّانِيَةِ فَلَهُ كَذَا وَكَذَا حَسَنَةً أَدْنَى مِنَ الأَوَّلِ وَمَنْ قَتَلَهَا فِي الضَّرْبَةِ الثَّالِثَةِ فَلَهُ كَذَا وَكَذَا حَسَنَةً أَدْنَى مِنَ الثَّانِيَةِ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি প্রথম আঘাতে একটি গিরগিটি (টিকটিকি) হত্যা করবে, তার জন্য এরূপ সওয়াব রয়েছে। যে ব্যক্তি দ্বিতীয় আঘাতে এটি হত্যা করবে, তার জন্য এরূপ এরূপ সওয়াব রয়েছে, যা প্রথম আঘাতে মারার তুলনায় কম। আর যে ব্যক্তি তৃতীয় আঘাতে তা হত্যা করবে, তার জন্য এরূপ এরূপ সওয়াব রয়েছে, যা দ্বিতীয় আঘাতে হত্যার চেয়ে কম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২৬৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّازُ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ زَكَرِيَّا، عَنْ سُهَيْلٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَخِي، أَوْ أُخْتِي عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ “ فِي أَوَّلِ ضَرْبَةٍ سَبْعِينَ حَسَنَةً ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রথম আঘাতে মারতে পারলে তার জন্য সত্তর নেকী রয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৭৭
পিঁপড়া মারা সম্পর্কে
৫২৬৫
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ الْمُغِيرَةِ، – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ – عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ نَزَلَ نَبِيٌّ مِنَ الأَنْبِيَاءِ تَحْتَ شَجَرَةٍ فَلَدَغَتْهُ نَمْلَةٌ فَأَمَرَ بِجَهَازِهِ فَأُخْرِجَ مِنْ تَحْتِهَا ثُمَّ أَمَرَ بِهَا فَأُحْرِقَتْ فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ فَهَلاَّ نَمْلَةً وَاحِدَةً ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন এক নবী (আঃ) এক গাছের নিচে বসবাস করছিলেন। একটি পিঁপড়া তাঁকে কামড় দিলো। তিনি বিছানাপত্র সরানোর নির্দেশ দিলে তা তাঁর নিচ হতে সরানো হলো। তারপর তিনি আদেশ দিলে সব পিঁপড়া জ্বালিয়ে দেয়া হলো। আল্লাহ তাঁর নিকট ওয়াহী পাঠালেনঃ একটি মাত্র পিঁপড়া নয় কেন?
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২৬৬
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ نَمْلَةً قَرَصَتْ نَبِيًّا مِنَ الأَنْبِيَاءِ فَأَمَرَ بِقَرْيَةِ النَّمْلِ فَأُحْرِقَتْ فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ فِي أَنْ قَرَصَتْكَ نَمْلَةٌ أَهْلَكْتَ أُمَّةً مِنَ الأُمَمِ تُسَبِّحُ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ একদা একটি পিঁপড়া এক নাবীকে কামড় দিলে তাঁর নির্দেশে সব পিঁপড়া জ্বালিয়ে দেয়া হয়। আল্লাহ ঐ নাবীর নিকট ওয়াহী পাঠালেনঃ তোমাকে একটি মাত্র পিঁপড়া কামড় দিয়েছে। অথচ তুমি তাসবীহ পাঠরত একটি উম্মাত ধ্বংস করে দিলে!
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২৬৭
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ قَتْلِ أَرْبَعٍ مِنَ الدَّوَابِّ النَّمْلَةُ وَالنَّحْلَةُ وَالْهُدْهُدُ وَالصُّرَدُ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চার প্রকার প্রাণী হত্যা করতে বারণ করেছেনঃ পিঁপড়া, মধুমক্ষিকা, হুদহুদ পাখি এবং চড়ুই সদৃশ বাজ পাখি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২৬৮
حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ، مَحْبُوبُ بْنُ مُوسَى أَخْبَرَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الْفَزَارِيُّ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الشَّيْبَانِيِّ، عَنِ ابْنِ سَعْدٍ، – قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهُوَ الْحَسَنُ بْنُ سَعْدٍ – عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَانْطَلَقَ لِحَاجَتِهِ فَرَأَيْنَا حُمَّرَةً مَعَهَا فَرْخَانِ فَأَخَذْنَا فَرْخَيْهَا فَجَاءَتِ الْحُمَّرَةُ فَجَعَلَتْ تُعَرِّشُ فَجَاءَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ” مَنْ فَجَعَ هَذِهِ بِوَلَدِهَا رُدُّوا وَلَدَهَا إِلَيْهَا ” . وَرَأَى قَرْيَةَ نَمْلٍ قَدْ حَرَّقْنَاهَا فَقَالَ ” مَنْ حَرَّقَ هَذِهِ ” . قُلْنَا نَحْنُ . قَالَ ” إِنَّهُ لاَ يَنْبَغِي أَنْ يُعَذِّبَ بِالنَّارِ إِلاَّ رَبُّ النَّارِ ” .
‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে সফরে ছিলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রাকৃতিক প্রয়োজন সারার জন্য চলে গেলেন। এদিকে আমরা একটি ছোট পাখি দেখতে পেলাম। তার সঙ্গে ছিলো দু’টি বাচ্চা। আমরা বাচ্চা দু’টিকে ধরে ফেলি। মা পাখিটি এসে পাখা ঝাপটাতে লাগলো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফিরে এসে বললেনঃ কে এই পাখিটিকে তার বাচ্চা ধরে এনে ভীত সন্ত্রস্ত করেছে? তোমরা এটির বাচ্চা ফিরিয়ে দাও। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের পুড়িয়ে মারা পিঁপড়ার একটি বাসস্থানও দেখতে পেলেন। তিনি বললেনঃ এগুলো কে পুড়িয়েছে? আমরা বললাম, আমরা। তিনি বললেনঃ আগুনের রব ছাড়া আগুন দিয়ে শাস্তি দেয়া কারো পক্ষে সমীচীন নয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৭৮
ব্যাঙ হত্যা করা
৫২৬৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ خَالِدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عُثْمَانَ، أَنَّ طَبِيبًا، سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنْ ضِفْدَعٍ يَجْعَلُهَا فِي دَوَاءٍ فَنَهَاهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ قَتْلِهَا .
আবদুর রহমান ইবনু ‘উসমান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা এক ডাক্তার নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ঔষধ তৈরীতে ব্যাঙ ব্যবহার করা বিষয়ে প্রশ্ন করলো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে ব্যাঙ মারতে বারণ করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৭৯
পাথর কুচি নিক্ষেপ করা
৫২৭০
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ صُهْبَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْخَذْفِ قَالَ “ إِنَّهُ لاَ يَصِيدُ صَيْدًا وَلاَ يَنْكَأُ عَدُوًّا وَإِنَّمَا يَفْقَأُ الْعَيْنَ وَيَكْسِرُ السِّنَّ ” .
আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফ্ফাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পাথরকণা নিক্ষেপ করতে বারণ করেছেন। তিনি বলেছেনঃ এর দ্বারা শিকারও ধরা যায় না, শত্রুকেও আঘাত করা যায় না, বরং তা চোখ নষ্ট করে এবং দাঁত ভেঙ্গে ফেলে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৮০
খাত্না করা সম্পর্কে
৫২৭১
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدِّمَشْقِيُّ، وَعَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَبْدِ الرَّحِيمِ الأَشْجَعِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا مَرْوَانُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَسَّانَ، – قَالَ عَبْدُ الْوَهَّابِ الْكُوفِيُّ – عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ الأَنْصَارِيَّةِ، أَنَّ امْرَأَةً، كَانَتْ تَخْتِنُ بِالْمَدِينَةِ فَقَالَ لَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “ لاَ تُنْهِكِي فَإِنَّ ذَلِكَ أَحْظَى لِلْمَرْأَةِ وَأَحَبُّ إِلَى الْبَعْلِ ” . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رُوِيَ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بِمَعْنَاهُ وَإِسْنَادِهِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ لَيْسَ هُوَ بِالْقَوِيِّ وَقَدْ رُوِيَ مُرْسَلاً . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَمُحَمَّدُ بْنُ حَسَّانَ مَجْهُولٌ وَهَذَا الْحَدِيثُ ضَعِيفٌ .
উম্মু ‘আত্বিয়্যাহ আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মাদীনাতে এক মহিলা খাতনা করতো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ তুমি গভীর করে কাটবে না। কারণ তা মেয়েলোকের জন্য অধিকতর আরামদায়ক এবং স্বামীর জন্য অতি পছন্দনীয়। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রহঃ) হতে ‘আব্দুল মালিক (রহঃ) সূত্রে একই অর্থে ও সানাদে এটি বর্ণিত হয়েছে। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, দাঊদ (রহঃ) বলেন, হাদীসটির সানাদ দুর্বল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৮১
রাস্তায় পুরুষদের সাথে নারীদের যাতায়াত সম্পর্কে
৫২৭২
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِي الْيَمَانِ، عَنْ شَدَّادِ بْنِ أَبِي عَمْرِو بْنِ حِمَاسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ حَمْزَةَ بْنِ أَبِي أُسَيْدٍ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ وَهُوَ خَارِجٌ مِنَ الْمَسْجِدِ فَاخْتَلَطَ الرِّجَالُ مَعَ النِّسَاءِ فِي الطَّرِيقِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِلنِّسَاءِ “ اسْتَأْخِرْنَ فَإِنَّهُ لَيْسَ لَكُنَّ أَنْ تَحْقُقْنَ الطَّرِيقَ عَلَيْكُنَّ بِحَافَاتِ الطَّرِيقِ ” . فَكَانَتِ الْمَرْأَةُ تَلْتَصِقُ بِالْجِدَارِ حَتَّى إِنَّ ثَوْبَهَا لَيَتَعَلَّقُ بِالْجِدَارِ مِنْ لُصُوقِهَا بِهِ .
হামাযাহ ইবনু আবূ উসাইদ আল-আনসারী (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন, যখন তিনি মাসজিদ হতে বের হওয়ার সময় দেখেন, রাস্তায় পুরুষরা মহিলাদের সঙ্গে এলোমেলো হয়ে গিয়েছে। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মহিলাদের বললেনঃ তোমরা একটু অপেক্ষা করো। কারণ তোমাদের রাস্তার মাঝ দিয়ে চলাচলের পরিবর্তে পাশ দিয়ে চলাচল করা উচিৎ। সুতরাং মহিলারা দেয়ালের পাশ দিয়ে চলাচল করতো, এতে তাদের চাদর দেয়ালের সাথে আটকে যেতো। [৫২৭০]
[৫২৭০] বায়হাক্বী।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৫২৭৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا أَبُو قُتَيْبَةَ، سَلْمُ بْنُ قُتَيْبَةَ عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي صَالِحٍ الْمُزَنِيِّ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى أَنْ يَمْشِيَ – يَعْنِي الرَّجُلَ – بَيْنَ الْمَرْأَتَيْنِ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পুরুষ লোককে দুই মহিলার মাঝখান দিয়ে চলাচল করতে বারণ করেছেন। [৫২৭১]
বানোয়াটঃ যঈফাহ হা/৩৭৫।
[৫২৭১] হাকিম। ইমাম হাকিম বলেনঃ সানাদ সহীহ। কিন্তু ইমাম যাহাবী বলেনঃ সানাদের দাউদ বিন সালিহ সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেনঃ তিনি মাওযু ও বানোয়াট হাদীস বর্ণনা করেন।
হাদিসের মানঃ জাল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৮২
সময়কে গালি দেয়া সম্পর্কে
৫২৭৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ بْنِ سُفْيَانَ، وَابْنُ السَّرْحِ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم “ يَقُولُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ يُؤْذِينِي ابْنُ آدَمَ يَسُبُّ الدَّهْرَ وَأَنَا الدَّهْرُ بِيَدِيَ الأَمْرُ أُقَلِّبُ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ ” . قَالَ ابْنُ السَّرْحِ عَنِ ابْنِ الْمُسَيَّبِ مَكَانَ سَعِيدٍ . وَاللَّهُ أَعْلَمُ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মহামহিম আল্লাহ বলেনঃ আদম সন্তান আমাকে কষ্ট দেয়। সে যুগকে (সময়কে) গালি দেয়। অথচ যুগ আমারই নিয়ন্ত্রণে। আমিই রাত ও দিন পরিবর্তন করি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস