১৭৬. অনুচ্ছেদঃ
সালাম ফিরানোর পূর্বে সাহুসাজদাহ্ করা
৩৯১
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ ابْنِ بُحَيْنَةَ الأَسَدِيِّ، حَلِيفِ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَامَ فِي صَلاَةِ الظُّهْرِ وَعَلَيْهِ جُلُوسٌ فَلَمَّا أَتَمَّ صَلاَتَهُ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ يُكَبِّرُ فِي كُلِّ سَجْدَةٍ وَهُوَ جَالِسٌ قَبْلَ أَنْ يُسَلِّمَ وَسَجَدَهُمَا النَّاسُ مَعَهُ مَكَانَ مَا نَسِيَ مِنَ الْجُلُوسِ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، وَأَبُو دَاوُدَ قَالاَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، وَالسَّائِبَ الْقَارِئَ، كَانَا يَسْجُدَانِ سَجْدَتَىِ السَّهْوِ قَبْلَ التَّسْلِيمِ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ بُحَيْنَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ يَرَى سُجُودَ السَّهْوِ كُلِّهِ قَبْلَ السَّلاَمِ وَيَقُولُ هَذَا النَّاسِخُ لِغَيْرِهِ مِنَ الأَحَادِيثِ وَيَذْكُرُ أَنَّ آخِرَ فِعْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم كَانَ عَلَى هَذَا . وَقَالَ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ إِذَا قَامَ الرَّجُلُ فِي الرَّكْعَتَيْنِ فَإِنَّهُ يَسْجُدُ سَجْدَتَىِ السَّهْوِ قَبْلَ السَّلاَمِ عَلَى حَدِيثِ ابْنِ بُحَيْنَةَ . وَعَبْدُ اللَّهِ ابْنُ بُحَيْنَةَ هُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَالِكٍ وَهُوَ ابْنُ بُحَيْنَةَ مَالِكٌ أَبُوهُ وَبُحَيْنَةُ أُمُّهُ . هَكَذَا أَخْبَرَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمَدِينِيِّ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي سَجْدَتَىِ السَّهْوِ مَتَى يَسْجُدُهُمَا الرَّجُلُ قَبْلَ السَّلاَمِ أَوْ بَعْدَهُ فَرَأَى بَعْضُهُمْ أَنْ يَسْجُدَهُمَا بَعْدَ السَّلاَمِ . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَأَهْلِ الْكُوفَةِ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ يَسْجُدُهُمَا قَبْلَ السَّلاَمِ . وَهُوَ قَوْلُ أَكْثَرِ الْفُقَهَاءِ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ مِثْلِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ وَرَبِيعَةَ وَغَيْرِهِمَا وَبِهِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ إِذَا كَانَتْ زِيَادَةً فِي الصَّلاَةِ فَبَعْدَ السَّلاَمِ وَإِذَا كَانَ نُقْصَانًا فَقَبْلَ السَّلاَمِ . وَهُوَ قَوْلُ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ . وَقَالَ أَحْمَدُ مَا رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَجْدَتَىِ السَّهْوِ فَيُسْتَعْمَلُ كُلٌّ عَلَى جِهَتِهِ يَرَى إِذَا قَامَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ عَلَى حَدِيثِ ابْنِ بُحَيْنَةَ فَإِنَّهُ يَسْجُدُهُمَا قَبْلَ السَّلاَمِ وَإِذَا صَلَّى الظُّهْرَ خَمْسًا فَإِنَّهُ يَسْجُدُهُمَا بَعْدَ السَّلاَمِ وَإِذَا سَلَّمَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ مِنَ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ فَإِنَّهُ يَسْجُدُهُمَا بَعْدَ السَّلاَمِ وَكُلٌّ يُسْتَعْمَلُ عَلَى جِهَتِهِ . وَكُلُّ سَهْوٍ لَيْسَ فِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ذِكْرٌ فَإِنَّ سَجْدَتَىِ السَّهْوِ قَبْلَ السَّلاَمِ . وَقَالَ إِسْحَاقُ نَحْوَ قَوْلِ أَحْمَدَ فِي هَذَا كُلِّهِ إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ كُلُّ سَهْوٍ لَيْسَ فِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ذِكْرٌ فَإِنْ كَانَتْ زِيَادَةً فِي الصَّلاَةِ يَسْجُدُهُمَا بَعْدَ السَّلاَمِ وَإِنْ كَانَ نُقْصَانًا يَسْجُدُهُمَا قَبْلَ السَّلاَمِ .
আবদুল্লাহ ইবনু বুহাইনা আল-আসাদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুহরের নামাযে (দ্বিতীয় রাক’আতে) বসার পরিবর্তে দাঁড়িয়ে গেলেন। নামায শেষ করার পর সালাম ফিরানোর আগে তিনি বসা অবস্থায় তাকবীরসহকারে দুটি সাজদাহ্ করলেন। তার সাথের লোকেরাও সাজদাহ্ করলো। ভুলে বর্জিত বসার পরিবর্তে এ সাজদাহ্।
সহীহ্। ইবনু মাজাহ-(১২০৬, ১২০৭), বুখারী ও মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদে ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ হুরায়রা ও আব্দুল্লাহ ইবনু সায়িব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তারা উভয়েই সালামের পূর্বে সাহু সাজদাহ্ করতেন। সনদ সহীহ্। সায়িব তিনি ইবনু ‘উমাইর। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ বুহাইনার হাদীসটি হাসান সহীহ্।
কিছু বিদ্বান এই হাদীসের উপর ‘আমল করেন। ইমাম শাফিঈ এই মত পোষণ করেন। তার মতে সকল সাহু সাজদাহ্ই সালামের পূর্বে। তিনি আরো বলেন, এই হাদীস অন্যান্য হাদীসের নাসিখ। কেননা এটাই রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সর্বশেষ ‘আমল। ইমাম আহমাদ ও ইসহাক বলেন, কোন ব্যক্তি যদি দ্বিতীয় রাক’আতের পর দাঁড়িয়ে যায় তাহলে ইবনু বুহাইনার হাদীস অনুযায়ী সালামের পূর্বেই সাহু সাজদাহ্ করবে। ‘আব্দুল্লাহ ইবনু বুহাইনা তিনি ‘আব্দুল্লাহ ইবনু মালিক। তার মাতার নাম বুহাইনা। ইসহাক ইবনু মানসুর আলী ইবনু আব্দিল্লাহ আল-মাদানী হতে এরূপই বর্ণনা করেছেন।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ সাহু সাজদাহ্ কখন করবে এ ব্যাপারে বিদ্বানগণের মধ্যে মতের অমিল রয়েছে। কতক বিদ্বানের মতে সালামের পড়ে সাহু সাজদাহ্ করতে হবে। সুফ্ইয়ান সাওরী ও কুফাবাসীর মত এটাই। কতক বিদ্বানের মতে সালামের পূর্বেই সাহু সাজদাহ্ করবে। এটাই অধিকাংশ মদীনাবাসী ফুকাহদের অভিমত। যেমন-ইয়াহিয়ায়া ইবনু সা’ঈদ, রাবীয়া এবং অন্যান্য ইমামগণ। শাফিঈরও মত এটাই। আবার কেউ কেউ বলেন, নামাযে যদি অতিরিক্ত করে ফেলে তাহলে সালামের পরে, আর যদি নামাযে স্বল্পতা থাকে তবে সালামের পূর্বে। মালিক ইবনু আনাসের মত এটাই। ইমাম আহমাদ বলেন, সাহু সাজদাহ্ সম্পর্কে হাদীসসমূহে রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যে নিয়ম বর্ণিত হয়েছে সে নিয়ম অনুযায়ীই আমল করতে হবে। যদি দুই রাক’আত শেষে দাঁড়িয়ে যায় তাহলে বুহাইনার হাদীস অনুযায়ী সালামের পূর্বে সাহু সাজদাহ্ করবে। আর যদি যুহরের নামায পাঁচ রাকআত পড়ে ফেলে তাহলে সালামের পরে সাহু সাজদাহ্ করবে। যদি যুহর বা আসরে দুই রাকআতের পর সালাম ফিরায় তাহলে সালামের পরে সাহু সাজদাহ্ করবে। আর যে সমস্ত ভুলের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে কোন বিবরণ নেই তাতে সালামের পূর্বেই সাহু সাজদাহ্ করবে। ইসহাকও আহমাদ অনুরূপ মত পোষণ করেন। তবে তিনি বলেন, যে সমস্ত ভুলের বিবরণ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত হয়নি তা যদি নামাযে অতিরিক্ত হয় তবে সালামের পরে সাহু সাজদাহ্ করবে, আর যদি নামাযে স্বল্পতা হয় তবে সালামের পূর্বেই সাহু সাজদাহ্ করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৭. অনুচ্ছেদঃ
সালাম ও কথাবার্তা বলার পর সাহুসাজদাহ্ করা
৩৯২
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى الظُّهْرَ خَمْسًا فَقِيلَ لَهُ أَزِيدَ فِي الصَّلاَةِ فَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ بَعْدَ مَا سَلَّمَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
‘আবদুল্লাহ্ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুহরের নামায পাঁচ রাক’আত আদায় করলেন। তাঁকে বলা হল, নামায কি বৃদ্ধি করা হয়েছে? ফলে সালাম ফিরানোর পর তিনি দুটি সাজদাহ্ করলেন।
সহীহ্। ইবনু মাজাহ-(১২০৫, ১২১১, ১২১২, ১২১৮), বুখারি ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ হাদীসটি হাসান সহীহ্।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৩
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، وَمَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم سَجَدَ سَجْدَتَىِ السَّهْوِ بَعْدَ الْكَلاَمِ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ مُعَاوِيَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কথাবার্তা বলার পর সাহুসিজদা করেছেন।
সহীহ্। ইবনু মাজাহ-(১২১২)।
এ অনুচ্ছেদে মু’আবিয়া, ‘আবদুল্লাহ ইবনু জা’ফর ও আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৪
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم سَجَدَهُمَا بَعْدَ السَّلاَمِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَوَاهُ أَيُّوبُ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ ابْنِ سِيرِينَ . وَحَدِيثُ ابْنِ مَسْعُودٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ قَالُوا إِذَا صَلَّى الرَّجُلُ الظُّهْرَ خَمْسًا فَصَلاَتُهُ جَائِزَةٌ وَسَجَدَ سَجْدَتَىِ السَّهْوِ وَإِنْ لَمْ يَجْلِسْ فِي الرَّابِعَةِ . وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ إِذَا صَلَّى الظُّهْرَ خَمْسًا وَلَمْ يَقْعُدْ فِي الرَّابِعَةِ مِقْدَارَ التَّشَهُّدِ فَسَدَتْ صَلاَتُهُ . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَبَعْضِ أَهْلِ الْكُوفَةِ .
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী সাল্লাল্লাহু ‘‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ভুলের সাজদাহ্, দুটো সালাম ফিরানোর পর করেছেন।
সহীহ্। ইবনু মাজাহ-(১২১৪), বুখারী ও মুসলিমে বিস্তারিত।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ্। এ হাদীসটি আইয়ূব এবং আরো অনেকে ইবনু সীরীন হতে বর্ণনা করেছেন। ইবনু মাসঊদের হাদীসটিও হাসান সহীহ্।
একদল বিদ্বান এ হাদীসের উপর ‘আমল করেছেন। তাঁরা বলেছেন, যদি কোন ব্যক্তি ভুলে যুহরে পাঁচ রাক’আত নামায আদায় করে ফেলে তবে তার নামায জায়িয হবে, সে যদি চতুর্থ রাক’আতে নাও বসে থাকে, তবে দুটি ভুলের সাজদাহ্ করবে। ইমাম শাফঈ, আহমাদ ও ইসহাক এ কথা বলেছেন। সুফিয়ান সাওরী ও কিছু কুফাবাসী বলেছেন, যদি যুহরের নামায পাঁচ রাক’আত আদায় করা হয় এবং চতুর্থ রাক’আতে তাশাহ্হুদের পরিমাণ সময় না বসা হয়ে থাকে তবে এ নামায ফাসিদ বলে ধরা হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭৮. অনুচ্ছেদঃ
ভুলের সিজদার পর তাশাহ্হুদ পাঠ করা
৩৯৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى النَّيْسَابُورِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيُّ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَشْعَثُ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي الْمُهَلَّبِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى بِهِمْ فَسَهَا فَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ تَشَهَّدَ ثُمَّ سَلَّمَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثُ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَرَوَى مُحَمَّدُ بْنُ سِيرِينَ عَنْ أَبِي الْمُهَلَّبِ وَهُوَ عَمُّ أَبِي قِلاَبَةَ غَيْرَ هَذَا الْحَدِيثِ . وَرَوَى مُحَمَّدٌ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ عَنْ أَبِي الْمُهَلَّبِ . وَأَبُو الْمُهَلَّبِ اسْمُهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَمْرٍو وَيُقَالُ أَيْضًا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو . وَقَدْ رَوَى عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ وَهُشَيْمٌ وَغَيْرُ وَاحِدٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ بِطُولِهِ وَهُوَ حَدِيثُ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم سَلَّمَ فِي ثَلاَثِ رَكَعَاتٍ مِنَ الْعَصْرِ فَقَامَ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ الْخِرْبَاقُ . وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي التَّشَهُّدِ فِي سَجْدَتَىِ السَّهْوِ فَقَالَ بَعْضُهُمْ يَتَشَهَّدُ فِيهِمَا وَيُسَلِّمُ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ لَيْسَ فِيهِمَا تَشَهُّدٌ وَتَسْلِيمٌ وَإِذَا سَجَدَهُمَا قَبْلَ السَّلاَمِ لَمْ يَتَشَهَّدْ . وَهُوَ قَوْلُ أَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ قَالاَ إِذَا سَجَدَ سَجْدَتَىِ السَّهْوِ قَبْلَ السَّلاَمِ لَمْ يَتَشَهَّدْ .
ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের নামায আদায় করালেন। তিনি ভুল করলেন, তারপর দুটি সিজদা করলেন, তারপর তাশাহ্হুদ পাঠ করলেন, তারপর সালাম ফিরালেন।
তাশাহ্হুদের উল্লেখ সহ বর্ণনাটি শাজ, ইরওয়া (৪০৩), যঈফ আবূ দাঊদ (১৯৩), মিশকাত (১০১৯)
আবূ ঈসা বলেনঃ হাদীসটি হাসান গারীব। মুহাম্মাদ ইবনু সীরীন অন্যান্য হাদীস আবূ কিলাবার চাচা আবুল মুহাল্লাব হতে বর্ণনা করেছেন। আর তিনি এ হাদীসটি খালিদ আল-হাযযা হতে, তিনি কিলাবা হতে তিনি আবুল মুহাল্লাব হতে বর্ণনা করেছেন। আবুল মুহাল্লাব-এর নাম আব্দুর রহমান। তাকে মুয়াবিয়া ইবনু আমরও বলা হয়। আব্দুল ওয়াহ্হাব আস সাকাফী হুশাইম ও অন্যান্যরা এ হাদীসটি খালিদ আল-হায্যা হতে তিনি আবূ কিলাবা হতে পূর্ণটাই বর্ণনা করেছেন। ইমরান ইবনু হুসাইনের অপর বর্ণনায় আছেঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আসরের তৃতীয় রাক‘আতে সালাম ফিরালেন। এক ব্যক্তি উঠে দাঁড়ালো, তার নাম ছিল খিরবাক।
সিজদা সাহুর পর তাশাহ্হুদ পাঠের ব্যাপারে আলিমদের মধ্যে মতের অমিল আছে। একদল বলেছেন, সিজদা করার পর তাশাহ্হুদ পাঠ করবে, তারপর সালাম ফিরাবে। অপর দল বলেছেন, সিজদা সাহুর পর তাশাহ্হুদ নেই, সালামও নেই। সালাম ফিরানোর পূর্বে সিজদা করলে তাশাহ্হুদ পাঠ করবে না। ইমাম আহমাদ ও ইসহাক এই মতের সমর্থক। তাঁরা উভয়ে বলেছেন, সালাম ফিরানোর পূর্বে সিজদা সাহু করলে তাশাহ্হুদ পাঠ করবে না।
হাদিসের মানঃ শায
- সরাসরি
১৭৯. অনুচ্ছেদঃ
যে ব্যক্তি নামাযে কম অথবা বেশি আদায় করার সন্দেহে পরে যায়
৩৯৬
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ الدَّسْتَوَائِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عِيَاضٍ يَعْنِي ابْنَ هِلاَلٍ، قَالَ قُلْتُ لأَبِي سَعِيدٍ أَحَدُنَا يُصَلِّي فَلاَ يَدْرِي كَيْفَ صَلَّى فَقَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ فَلَمْ يَدْرِ كَيْفَ صَلَّى فَلْيَسْجُدْ سَجْدَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُثْمَانَ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَعَائِشَةَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي سَعِيدٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ . وَقَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ” إِذَا شَكَّ أَحَدُكُمْ فِي الْوَاحِدَةِ وَالثِّنْتَيْنِ فَلْيَجْعَلْهُمَا وَاحِدَةً وَإِذَا شَكَّ فِي الثِّنْتَيْنِ وَالثَّلاَثِ فَلْيَجْعَلْهُمَا ثِنْتَيْنِ وَيَسْجُدْ فِي ذَلِكَ سَجْدَتَيْنِ قَبْلَ أَنْ يُسَلِّمَ ” . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَصْحَابِنَا . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِذَا شَكَّ فِي صَلاَتِهِ فَلَمْ يَدْرِ كَمْ صَلَّى فَلْيُعِدْ .
‘ইয়ায ইবনু হিলাল (রঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবূ সা’ঈদ (রাঃ)-কে প্রশ্ন করলাম, আমাদের কেউ নামায আদায় করল কিন্তু তার মনে নেই সে কত রাক’আত আদায় করল? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন নামায আদায় করে, কিন্তু বলতে পারছে না সে কত রাক’আত আদায় করল, সে বসা অবস্থায়ই দুটি সাজদাহ্ করবে।
সহীহ্। ইবনু মাজাহ-(১২০৪), মুসলিম অনুরূপ আরো পূর্ণভাবে।
এ অনুচ্ছেদে ‘উসমান, ইবনু মাসঊদ, ‘আয়িশাহ্, আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ আবূ সা’ঈদের হাদীসটি হাসান। উল্লেখিত হাদীসটি আবূ সা’ঈদের নিকট হতে অপরাপর সূত্রেও বর্ণিত হয়েছে। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে আরো বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেনঃ ‘যদি তোমাদের কেউ এক এবং দুই রাক’আতের মধ্যে দ্বিধায় পরে যায় (এক রাক’আত আদায় করেছে না দুই রাক’আত আদায় করেছে) তবে সে এক রাক’আতই হিসাবে ধরবে। যদি সে দুই এবং তিন রাক’আতের মধ্যে সন্দেহে পরে তবে দুই রাক’আতই হিসাবে ধরবে এবং সালাম ফিরানোর পূর্বে দুটি সাজদাহ্ করবে।’’
আমাদের সঙ্গীরা এ হাদীস অনুযায়ী ‘আমল করেন। এক দল ‘আলিম বলেছেন, কত রাক’আত আদায় করেছে তা ঠিক করতে পারছে না- এ ধরনের সন্দেহে পরলে আবার নামায আদায় করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৭
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ الشَّيْطَانَ يَأْتِي أَحَدَكُمْ فِي صَلاَتِهِ فَيَلْبِسُ عَلَيْهِ حَتَّى لاَ يَدْرِي كَمْ صَلَّى فَإِذَا وَجَدَ ذَلِكَ أَحَدُكُمْ فَلْيَسْجُدْ سَجْدَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কারো নামাযের সময় শাইত্বান উপস্থিত হয়ে তার নামাযের মধ্যে গণ্ডগোল সৃষ্টি করে। এমনকি সে (কোন কোন সময়) বলতে পারে না যে, সে কত রাক’আত আদায় করেছে। তোমাদের কেউ এরূপ অবস্থায় পরলে সে যেন বসা অবস্থায়ই দুটি সাজদাহ্ করে।
সহীহ্। সহীহ্ আবূ দাঊদ-(৯৪৩-৯৪৫), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ্।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ ابْنُ عَثْمَةَ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، قَالَ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ إِذَا سَهَا أَحَدُكُمْ فِي صَلاَتِهِ فَلَمْ يَدْرِ وَاحِدَةً صَلَّى أَوْ ثِنْتَيْنِ فَلْيَبْنِ عَلَى وَاحِدَةٍ فَإِنْ لَمْ يَدْرِ ثِنْتَيْنِ صَلَّى أَوْ ثَلاَثًا فَلْيَبْنِ عَلَى ثِنْتَيْنِ فَإِنْ لَمْ يَدْرِ ثَلاَثًا صَلَّى أَوْ أَرْبَعًا فَلْيَبْنِ عَلَى ثَلاَثٍ وَلْيَسْجُدْ سَجْدَتَيْنِ قَبْلَ أَنْ يُسَلِّمَ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ رَوَاهُ الزُّهْرِيُّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ তোমাদের কেউ যখন তার নামাযে ভুল করে তারপর সে বলতে পারছে না সে কি এক রাক’আত আদায় করেছে না দুই রাক’আত আদায় করেছে, এমতাবস্থায় সে এক রাক’আতের উপরই ভিত্তি করবে। সে কি দুই রাক’আত আদায় করেছে না তিন রাক’আত-তা ঠিক করতে না পারলে দুই রাক’আতকেই ভিত্তি ধরবে। সে তিন রাক’আত আদায় করেছে না চার রাক’আত-তা ঠিক করতে না পারলে তিন রাক’আতকেই ভিত্তি ধরবে এবং সালাম ফিরানোর আগে দুটি সাজদাহ্ করবে।
সহীহ্। ইবনু মাজাহ-(১২০৯)।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব সহীহ্। ‘আবদুর রহমান (রাঃ)-এর নিকট হতে অপরাপর সূত্রেও এ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। যুহরী তার সনদ পরম্পরায় ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফের সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮০. অনুচ্ছেদঃ
যে ব্যক্তি যুহর বা ‘আসরের দুই রাক’আত আদায় করে সালাম ফিরায়
৩৯৯
حَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ أَبِي تَمِيمَةَ، وَهُوَ أَيُّوبُ السَّخْتِيَانِيُّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم انْصَرَفَ مِنَ اثْنَتَيْنِ فَقَالَ لَهُ ذُو الْيَدَيْنِ أَقُصِرَتِ الصَّلاَةُ أَمْ نَسِيتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَصَدَقَ ذُو الْيَدَيْنِ ” . فَقَالَ النَّاسُ نَعَمْ . فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى اثْنَتَيْنِ أُخْرَيَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ ثُمَّ كَبَّرَ فَسَجَدَ مِثْلَ سُجُودِهِ أَوْ أَطْوَلَ ثُمَّ كَبَّرَ فَرَفَعَ ثُمَّ سَجَدَ مِثْلَ سُجُودِهِ أَوْ أَطْوَلَ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ وَابْنِ عُمَرَ وَذِي الْيَدَيْنِ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَحَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي هَذَا الْحَدِيثِ فَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْكُوفَةِ إِذَا تَكَلَّمَ فِي الصَّلاَةِ نَاسِيًا أَوْ جَاهِلاً أَوْ مَا كَانَ فَإِنَّهُ يُعِيدُ الصَّلاَةَ وَاعْتَلُّوا بِأَنَّ هَذَا الْحَدِيثَ كَانَ قَبْلَ تَحْرِيمِ الْكَلاَمِ فِي الصَّلاَةِ . قَالَ وَأَمَّا الشَّافِعِيُّ فَرَأَى هَذَا حَدِيثًا صَحِيحًا فَقَالَ بِهِ وَقَالَ هَذَا أَصَحُّ مِنَ الْحَدِيثِ الَّذِي رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الصَّائِمِ إِذَا أَكَلَ نَاسِيًا فَإِنَّهُ لاَ يَقْضِي وَإِنَّمَا هُوَ رِزْقٌ رَزَقَهُ اللَّهُ . قَالَ الشَّافِعِيُّ وَفَرَّقُوا هَؤُلاَءِ بَيْنَ الْعَمْدِ وَالنِّسْيَانِ فِي أَكْلِ الصَّائِمِ بِحَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ . وَقَالَ أَحْمَدُ فِي حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ إِنْ تَكَلَّمَ الإِمَامُ فِي شَيْءٍ مِنْ صَلاَتِهِ وَهُوَ يَرَى أَنَّهُ قَدْ أَكْمَلَهَا ثُمَّ عَلِمَ أَنَّهُ لَمْ يُكْمِلْهَا يُتِمُّ صَلاَتَهُ وَمَنْ تَكَلَّمَ خَلْفَ الإِمَامِ وَهُوَ يَعْلَمُ أَنَّ عَلَيْهِ بَقِيَّةً مِنَ الصَّلاَةِ فَعَلَيْهِ أَنْ يَسْتَقْبِلَهَا . وَاحْتَجَّ بِأَنَّ الْفَرَائِضَ كَانَتْ تُزَادُ وَتُنْقَصُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِنَّمَا تَكَلَّمَ ذُو الْيَدَيْنِ وَهُوَ عَلَى يَقِينٍ مِنْ صَلاَتِهِ أَنَّهَا تَمَّتْ وَلَيْسَ هَكَذَا الْيَوْمَ لَيْسَ لأَحَدٍ أَنْ يَتَكَلَّمَ عَلَى مَعْنَى مَا تَكَلَّمَ ذُو الْيَدَيْنِ لأَنَّ الْفَرَائِضَ الْيَوْمَ لاَ يُزَادُ فِيهَا وَلاَ يُنْقَصُ . قَالَ أَحْمَدُ نَحْوًا مِنْ هَذَا الْكَلاَمِ . وَقَالَ إِسْحَاقُ نَحْوَ قَوْلِ أَحْمَدَ فِي الْبَابِ .
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুই রাক’আত নামায আদায় করে সালাম ফিরালেন। যুল-ইয়াদাইন (রাঃ) তাঁকে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! নামায কি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে না আপনি ভুলে গেছেন? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (লোকদের) প্রশ্ন করলেনঃ যুল-ইয়াদাইন কি ঠিক বলছে? লোকেরা বলল, হ্যাঁ। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উঠে দাঁড়ালেন, বাকী দুই রাক’আত আদায় করালেন, তারপর সালাম ফিরালেন, তারপর তাকবীর বললেন, এবং আগের সাজদাহ্র সমান অথবা তার চেয়ে দীর্ঘ সময় সাজদাহ্য় থাকলেন, তারপর তাকবীর বলে মাথা তুললেন। তিনি আবার সাজদাহ্য় গিয়ে আগের সাজদাহ্র সমান অথবা তার চেয়ে বেশি সময় সাজদাহ্য় কাটালেন।
সহীহ্। ইবনু মাজাহ-(১২১৪), বুখারী ও মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদে ‘ইমরান ইবনু হুসাইন, ইবনু ‘উমার ও যুল-ইয়াদাইন (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ আবূ হুরায়রা হাদীসটি হাসান সহীহ্। এ হাদীসকে কেন্দ্র করে বিদ্বানদের মধ্যে মত পার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে। কুফাবাসীদের একদল বলেছেন, যদি ভুলে অথবা অজ্ঞতাবশত অথবা যে কোন প্রকারে নামাযের মধ্যে কথা বলা হয় তবে আবার নামায আদায় করতে হবে। কেননা এ হাদীসটি নামাযের মধ্যে কথাবার্তা হারাম হওয়ার পূর্বেকার। ইমাম শাফিঈর মতে উল্লেখিত হাদীসটি সহীহ্। তিনি এ হাদীসের সমর্থক। তিনি বলেছেন, “রোযাদার যদি ভুলক্রমে পানাহার করে ফেলে তবে তাকে এ রোজা আর রাখতে হবে না (কাযা করতে হবে না)। কেননা আল্লাহ তা’আলাই তাকে এ রিযক দিয়েছেন’ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর এ হাদীসটির তুলনায় পূর্বল্লেখিত হাদীসটি বেশি সহীহ্। তিনি আরো বলেছেন, ফাকীহগণ আবূ হুরায়রার হাদীস অনুযায়ী রোজা অবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে পানাহার করা এবং ভুলে পানাহার করার মধ্যে পার্থক্য করেছেন।
আবূ হুরায়রার হাদীস প্রসঙ্গে ইমাম আহমাদ বলেন, নামায পূর্ণ হয়েছে এই মনে করে যদি ইমাম নামাযের মধ্যে কথা বলে এবং পরে জানতে পারে যে, নামায এখনও বাকী রয়েছে-এ অবস্থায় সে বাকী নামায পূর্ণ করবে (কথা বলায় নামায বাতিল হয়নি)। নামায এখনো বাকী রয়েছে একথা জেনেও মুক্তাদী যদি কথা বলে তবে তাকে আবার নামায আদায় করতে হবে। তিনি এ যুক্তি প্রদান করেন যে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট ফরয নামাযে (ওহীর মাধ্যমে) কম বেশি করা হত। এজন্য যুল-ইয়াদাইনের বিশ্বাস ছিল হয়ত নামায পূর্ণ হয়েছে। তাই তিনি কথা বলেছেন, কিন্তু আজকাল এরূপ কথা চলবে না, কেননা এখন আর নামাযের মধ্যে কম-বেশি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এজন্য আজকাল আর যুল-ইয়াদাইনের মত (নামায কি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে?) প্রশ্ন করা চলবে না। ইমাম ইসহাকও এ ব্যাপারে ইমাম আহমাদের সাথে একমত ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮১. অনুচ্ছেদঃ
জুতা পরে নামায আদায় করা
৪০০
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ يَزِيدَ أَبِي مَسْلَمَةَ، قَالَ قُلْتُ لأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي فِي نَعْلَيْهِ قَالَ نَعَمْ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي حَبِيبَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَعَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ وَشَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ وَأَوْسٍ الثَّقَفِيِّ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَعَطَاءٍ رَجُلٍ مِنْ بَنِي شَيْبَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَنَسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ .
সা’ঈদ ইবনু ইয়াযীদ আবূ মাসলামা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-কে প্রশ্ন করলাম, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি জুতা পরে নামায আদায় করেছিলেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ।
সহীহ্। সিফাতুস সালাত মূল, বুখারী ও মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদে ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ, ‘আবদুল্লাহ ইবনু আবূ হাবীবা, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর, ‘আমর ইবনু হুরাইস, সাদ্দাদ ইবনু আওস, আওস আস-সাকাফী, আবূ হুরায়রা ও ‘আতা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ আনাসের হাদীসটি হাসান সহীহ্। আলিমগণ এ হাদীসের সমর্থনে সমাধান গ্রহণ করেছেন (জুতা পরা অবস্থায় নামায আদায় করা বৈধ, যদি তাতে নাপাক না থাকে)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮২. অনুচ্ছেদঃ
ফযরের নামাযে দু’আ কুনূত পাঠ করা
৪০১
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقْنُتُ فِي صَلاَةِ الصُّبْحِ وَالْمَغْرِبِ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَأَنَسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَخُفَافِ بْنِ إِيمَاءَ بْنِ رَحْضَةَ الْغِفَارِيِّ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ الْبَرَاءِ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي الْقُنُوتِ فِي صَلاَةِ الْفَجْرِ فَرَأَى بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمُ الْقُنُوتَ فِي صَلاَةِ الْفَجْرِ وَهُوَ قَوْلُ مَالِكٍ وَالشَّافِعِيِّ . وَقَالَ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ لاَ يَقْنُتُ فِي الْفَجْرِ إِلاَّ عِنْدَ نَازِلَةٍ تَنْزِلُ بِالْمُسْلِمِينَ فَإِذَا نَزَلَتْ نَازِلَةٌ فَلِلإِمَامِ أَنْ يَدْعُوَ لِجُيُوشِ الْمُسْلِمِينَ .
বারাআ ইবনু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফযর ও মাগরিবের নামাযে দু’আ কুনূত পাঠ করতেন।
সহীহ্৷ মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদে ‘আলী, আনাস, আবূ হুরায়রা, ইবনু ‘আব্বাস এবং খুফাফ ইবনু ঈমাআ ইবনুন রাহাযাহ্ আলগিফারী (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে । আবূ ‘ঈসা বলেনঃ বারাআর হাদীসটি হাসান সহীহ্। বিশেষজ্ঞগণ ফযরের নামাযে দু’আ কুনূত পাঠ নিয়ে মতভেদ করেছেন। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর একদল সাহাবী ও অন্যরা ফযরের নামাযে কুনূত পাঠের পক্ষে মত দিয়েছেন। ইমাম মালিক ও শাফিঈ এ মত মেনে নিয়েছেন। আহমাদ ও ইসহাক বলেন, আমাদের মতে ফযরে কোন কুনূত পাঠ করবে না। হ্যাঁ যদি কোথাও মুসলমানদের উপর মুসিবত এসে যায় তবে ইমাম সাহেব মুসলিম বাহিনীর জন্য দু’আ করতে পারেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮৩. অনুচ্ছেদঃ
কুনূত ছেড়ে দেয়া
৪০২
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنْ أَبِي مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، قَالَ قُلْتُ لأَبِي يَا أَبَةِ إِنَّكَ قَدْ صَلَّيْتَ خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ وَعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ هَا هُنَا بِالْكُوفَةِ نَحْوًا مِنْ خَمْسِ سِنِينَ أَكَانُوا يَقْنُتُونَ قَالَ أَىْ بُنَىَّ مُحْدَثٌ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ . وَقَالَ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ إِنْ قَنَتَ فِي الْفَجْرِ فَحَسَنٌ وَإِنْ لَمْ يَقْنُتْ فَحَسَنٌ . وَاخْتَارَ أَنْ لاَ يَقْنُتَ . وَلَمْ يَرَ ابْنُ الْمُبَارَكِ الْقُنُوتَ فِي الْفَجْرِ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَأَبُو مَالِكٍ الأَشْجَعِيُّ اسْمُهُ سَعْدُ بْنُ طَارِقِ بْنِ أَشْيَمَ .
আবূ মালিক আল-আশজা’ঈ (রঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আমার পিতাকে বললাম, আব্বাজান! আপনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম), আবূ বাক্র, ‘উমার ও ‘উসমান (রাঃ)-এর পিছনে নামায আদায় করেছেন এবং এই কুফা শহরে প্রায় পাঁচ বছর যাবত ‘আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ)-এর পিছনে নামায আদায় করেছেন। তাঁরা কি কুনূত পাঠ করতেন? তিনি উত্তর দিলেন, হে বৎস! এটা তো বিদ’আত।
সহীহ্। ইবনু মাজাহ-(১২৪১)।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ্। বেশিরভাগ বিদ্বান এই হাদীস অনুযায়ী আমল করেছেন। সুফিয়ান সাওরী বলেছেন, ফযরের নামাযে কুনূত পাঠ করে নিলে সেটাই উত্তম এবং যদি পাঠ না করে তাও উত্তম। কিন্তু তিনি পাঠ না করাই অবলম্বন করেছেন। ইবনুল মুবারাকের মতেও ফযরে কোন কুনূত নেই। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসের রাবী আবূ মালিক আল-আশজাঈর নাম সা’দ ইবনু তারিক ইবনু আশইয়াম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০৩
حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ .
আবূ মালিক আল-আশজাঈ থেকে বর্ণিতঃ
সালিহ ইবনু আব্দুল্লাহ আবূ ‘আওয়ানার সূত্রে আবূ মালিক আল-আশজাঈ হতে উপরিউক্ত সনদে হাদীসটি ঐরূপ অর্থেই বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
১৮৪. অনুচ্ছেদঃ
নামাযের মধ্যে হাঁচি দেয়া প্রসঙ্গে
৪০৪
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا رِفَاعَةُ بْنُ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ الزُّرَقِيُّ، عَنْ عَمِّ، أَبِيهِ مُعَاذِ بْنِ رِفَاعَةَ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ صَلَّيْتُ خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَعَطَسْتُ فَقُلْتُ الْحَمْدُ لِلَّهِ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ مُبَارَكًا عَلَيْهِ كَمَا يُحِبُّ رَبُّنَا وَيَرْضَى . فَلَمَّا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم انْصَرَفَ فَقَالَ ” مَنِ الْمُتَكَلِّمُ فِي الصَّلاَةِ ” . فَلَمْ يَتَكَلَّمْ أَحَدٌ ثُمَّ قَالَهَا الثَّانِيَةَ ” مَنِ الْمُتَكَلِّمُ فِي الصَّلاَةِ ” . فَلَمْ يَتَكَلَّمْ أَحَدٌ ثُمَّ قَالَهَا الثَّالِثَةَ ” مَنِ الْمُتَكَلِّمُ فِي الصَّلاَةِ ” . فَقَالَ رِفَاعَةُ بْنُ رَافِعِ ابْنِ عَفْرَاءَ أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ ” كَيْفَ قُلْتَ ” . قَالَ قُلْتُ الْحَمْدُ لِلَّهِ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ مُبَارَكًا عَلَيْهِ كَمَا يُحِبُّ رَبُّنَا وَيَرْضَى فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَدِ ابْتَدَرَهَا بِضْعَةٌ وَثَلاَثُونَ مَلَكًا أَيُّهُمْ يَصْعَدُ بِهَا ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ وَوَائِلِ بْنِ حُجْرٍ وَعَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ رِفَاعَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَكَأَنَّ هَذَا الْحَدِيثَ عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّهُ فِي التَّطَوُّعِ لأَنَّ غَيْرَ وَاحِدٍ مِنَ التَّابِعِينَ قَالُوا إِذَا عَطَسَ الرَّجُلُ فِي الصَّلاَةِ الْمَكْتُوبَةِ إِنَّمَا يَحْمَدُ اللَّهَ فِي نَفْسِهِ وَلَمْ يُوَسِّعُوا فِي أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ .
রিফা’আ ইবনু রাফি’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পিছনে নামায আদায় করছিলাম। হঠাৎ আমার হাঁচি বের হল। আমি বললাম, “আলহামদু লিল্লাহি হামদান কাসীরান তাইয়্যিবান মুবারাকান ফীহে মুবারাকান ‘আলাইহি কামা ইউহিব্বু রব্বুনা ওয়া ইয়ারদা।” রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন নামায শেষ করে ফিরে বসলেন তখন প্রশ্ন করলেনঃ নামাযের মধ্যে কে কথা বলেছে? কেউ কোন সাড়া শব্দ করল না। তিনি দ্বিতীয় বার প্রশ্ন করলেনঃ নামাযের মধ্যে কে কথা বলেছে? এবারও কেউ কোন কথা বলল না। তিনি তৃতীয় বার প্রশ্ন করলেনঃ নামাযের মধ্যে কে কথা বলেছে? (রাবী) রিফা’আহ্ ইবনু রাফি’ ইবনু আফরাআ (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি কথা বলেছি। তিনি প্রশ্ন করলেনঃ তুমি কিভাবে বললে? রাবী বলেন, আমি বলেছি, “আল্লাহর জন্য অশেষ প্রশংসা, পবিত্রময় প্রশংসা, বারকাতময় প্রশংসা (এবং প্রশংসাকারীর জন্য) বারকাতময় প্রশংসা যা আমাদের প্রতিপালক ভালবাসেন ও পছন্দ করেন।” রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আল্লাহর শপথ, আমি দেখেছি তিরিশের বেশি ফেরেশতা তাড়াহুড়া করছে কে কার আগে এটা নিয়ে উপরে উঠবে।
হাসান। সহীহ্ আবূ দাঊদ-৭৪৭, মিশকাত-(৯৯২)।
এ অনুচ্ছেদে ইবনু মাসঊদ ও মুয়াবিয়া ইবনু হাকাম হতেও হাদীস বর্ণিত হয়েছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ যাঈদ ইবনু আরকামের হাদীসটি হাসান সহীহ্। অধিকাংশ বিদ্বানের আমল-এর উপরই। তারা বলেন, কেউ যদি নামাযে স্বেচ্ছায় বা ভুলে কথা বলে তাহলে পুনরায় নামায পড়তে হবে । সুফইয়ান সাওরী, ইবনু মুবারক ও কুফাবাসীদের অভিমত এটাই। কারো মতে যদি স্বেচ্ছায় কথা বলে তাহলে পুনরায় নামায পড়তে হবে। আর যদি ভুলে বা অজ্ঞতাবশতঃ কথা বলে তাহলে পুনরায় পড়ার প্রয়োজন নেই। ইমাম শাফিঈ এ মতের সমর্থক।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
১৮৬. অনুচ্ছেদঃ
তাওবা করার সময় নামায আদায় করা
৪০৬
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ أَسْمَاءَ بْنِ الْحَكَمِ الْفَزَارِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ عَلِيًّا، يَقُولُ إِنِّي كُنْتُ رَجُلاً إِذَا سَمِعْتُ مِنْ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَدِيثًا نَفَعَنِي اللَّهُ مِنْهُ بِمَا شَاءَ أَنْ يَنْفَعَنِي بِهِ وَإِذَا حَدَّثَنِي رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِهِ اسْتَحْلَفْتُهُ فَإِذَا حَلَفَ لِي صَدَّقْتُهُ وَإِنَّهُ حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرٍ وَصَدَقَ أَبُو بَكْرٍ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ” مَا مِنْ رَجُلٍ يُذْنِبُ ذَنْبًا ثُمَّ يَقُومُ فَيَتَطَهَّرُ ثُمَّ يُصَلِّي ثُمَّ يَسْتَغْفِرُ اللَّهَ إِلاَّ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ ” . ثُمَّ قَرَأَ هَذِهِ الآيَةَ : (وَالَّذِينَ إِذَا فَعَلُوا فَاحِشَةً أَوْ ظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ ذَكَرُوا اللَّهَ فَاسْتَغْفَرُوا لِذُنُوبِهِمْ وَمَنْ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ اللَّهُ وَلَمْ يُصِرُّوا عَلَى مَا فَعَلُوا وَهُمْ يَعْلَمُونَ ) . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَأَبِي الدَّرْدَاءِ وَأَنَسٍ وَأَبِي أُمَامَةَ وَمُعَاذٍ وَوَاثِلَةَ وَأَبِي الْيَسَرِ وَاسْمُهُ كَعْبُ بْنُ عَمْرٍو . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَلِيٍّ حَدِيثٌ حَسَنٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ عُثْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ . وَرَوَى عَنْهُ شُعْبَةُ وَغَيْرُ وَاحِدٍ فَرَفَعُوهُ مِثْلَ حَدِيثِ أَبِي عَوَانَةَ . وَرَوَاهُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَمِسْعَرٌ فَأَوْقَفَاهُ وَلَمْ يَرْفَعَاهُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ رُوِيَ عَنْ مِسْعَرٍ هَذَا الْحَدِيثُ مَرْفُوعًا أَيْضًا . وَلاَ نَعْرِفُ لأَسْمَاءَ بْنِ الْحَكَمِ حَدِيثًا مَرْفُوعًا إِلاَّ هَذَا .
আসমা ইবনু হাকাম আল-ফাযারী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আলী (রাঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ আমি এমন এক ব্যক্তি ছিলাম যখন আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কোন হাদীস শুনতাম, আল্লাহ তা’আলা যতটুকু চাইতেন আমি তা হতে ফায়দা উঠাতাম। যখন তাঁর কোন সাহাবী আমার নিকট হাদীস বলতেন আমি তাঁকে শপথ করাতাম। সে যখন শপথ করে বলত আমি তাকে বিশ্বাস করতাম। আবূ বকর (রাঃ) আমাকেও হাদীস বলেছেন, আর তিনি সত্যিই বলেছেন। তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ যে কোন ব্যক্তি যদি গুনাহ করে ফেলে, তারপর উঠে পবিত্রতা অর্জন করে কিছু নামায আদায় করে আল্লাহ তা’আলার নিকট তাওবা করে আল্লাহ তা’আলা তার গুনাহ মাফ করে দিবেন। তারপর তিনি (রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) এ আয়াত পাঠ করলেনঃ “যাদের অবস্থা এরূপ যে, তাদের দ্বারা যদি কোন অশ্লীল কাজ সংঘটিত হয় অথবা তারা কোন গুনাহ করে নিজেদের উপর যুলুম করে বসে, তবে সংগে সংগেই তারা তারা আল্লাহ তা’আলার কথা মনে করে এবং তাদের গুনাহের ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ তা’আলা ছাড়া গুনাহ মাফ করতে পারে এমন কে আছে? এ লোকেরা জেনে বুঝে নিজেদের অন্যায় কাজ বারবার করে না”-(সূরাঃ আলে ইমরান-১৩৫)।
হাসান, ইবনু মাজাহ-(১৩৯৫)।
উসমান ইবনু মুগীরার সূত্রেই আমরা হাদীসটি জেনেছি। এ অনুচ্ছেদে ইবনু মাসঊদ, আবূ দারদা, আনাস, আবূ উমামা, মুআয, ওয়াসিলা এবং আবুল ইয়াসার (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ ‘আলীর হাদীসটি হাসান। আমরা হাদীসটি শুধুমাত্র ‘উসমান ইবনু মুগীরার সূত্রেই জেনেছ। উল্লেখিত হাদীসটি শু’বা মারফূ হিসাবে বর্ণনা করেছেন, সুফিয়ান সাওরী ও মিসআর মাওকূফ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। মিসআর অবশ্য মারফূ হিসাবেও এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। আসমা ইবনুল হাকাম হতে এই হাদীসটি ছাড়া আমাদের অন্য কোন মারফূ হাদীস জানা নেই।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
১৮৭. অনুচ্ছেদঃ
বালকদের কখন হতে নামায আদায়ের নির্দেশ দিতে হবে
৪০৭
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ الرَّبِيعِ بْنِ سَبْرَةَ الْجُهَنِيُّ، عَنْ عَمِّهِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ الرَّبِيعِ بْنِ سَبْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ عَلِّمُوا الصَّبِيَّ الصَّلاَةَ ابْنَ سَبْعِ سِنِينَ وَاضْرِبُوهُ عَلَيْهَا ابْنَ عَشْرٍ ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ سَبْرَةَ بْنِ مَعْبَدٍ الْجُهَنِيِّ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَعَلَيْهِ الْعَمَلُ عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ وَبِهِ يَقُولُ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ . وَقَالاَ مَا تَرَكَ الْغُلاَمُ بَعْدَ الْعَشْرِ مِنَ الصَّلاَةِ فَإِنَّهُ يُعِيدُ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَسَبْرَةُ هُوَ ابْنُ مَعْبَدٍ الْجُهَنِيُّ وَيُقَالَ هُوَ ابْنُ عَوْسَجَةَ .
সাবরা ইবনু মা’বাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সাত বছর বয়সে বালকদের নামায শিখাও এবং দশ বছরে পৌঁছলে নামায আদায়ের অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য দৈহিক শাস্তি দাও।
এ অনুচ্ছেদে আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাসান সহীহ্। মিশকাত-(৫৭২, ৫৭৩), সহীহ্ আবূ দাঊদ-(২৪৭), ইরওয়া-(২৪৭), তা’লীক আলা ইবনু খুজাইমাহ-(১০০২)।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ সাবরা ইবনু মা’বাদের হাদীসটি হাসান সহীহ্। একদল বিদ্বান এ হাদীসের উপর আমল করেছেন। ইমাম আহমাদ এবং ইসহাকও একথা বলছেন। তাঁরা উভয়ে বলেছেন, কোন বালক দশ বছরের পর নামায না আদায় করলে এগুলোর কাযা তাকে অবশ্যই আদায় করতে হবে।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ সাবরা হলেন ইবনু মা’বাদ আল-জুহানী, এও বলা হয়ে থাকে যে, তিনি ইবনু ‘আওসাজাহ।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
১৮৮. অনুচ্ছেদঃ
তাশাহ্হুদ পাঠের পর ওযূ ভঙ্গ হলে
৪০৮
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ مُوسَى الْمُلَقَّبُ، مَرْدَوَيْهِ قَالَ أَخْبَرَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادِ بْنِ أَنْعُمَ، أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ رَافِعٍ، وَبَكْرَ بْنَ سَوَادَةَ، أَخْبَرَاهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِذَا أَحْدَثَ – يَعْنِي الرَّجُلَ – وَقَدْ جَلَسَ فِي آخِرِ صَلاَتِهِ قَبْلَ أَنْ يُسَلِّمَ فَقَدْ جَازَتْ صَلاَتُهُ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ إِسْنَادُهُ لَيْسَ بِذَاكَ الْقَوِيِّ وَقَدِ اضْطَرَبُوا فِي إِسْنَادِهِ . وَقَدْ ذَهَبَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِلَى هَذَا . قَالُوا إِذَا جَلَسَ مِقْدَارَ التَّشَهُّدِ وَأَحْدَثَ قَبْلَ أَنْ يُسَلِّمَ فَقَدْ تَمَّتْ صَلاَتُهُ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِذَا أَحْدَثَ قَبْلَ أَنْ يَتَشَهَّدَ وَقَبْلَ أَنْ يُسَلِّمَ أَعَادَ الصَّلاَةَ . وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ . وَقَالَ أَحْمَدُ إِذَا لَمْ يَتَشَهَّدْ وَسَلَّمَ أَجْزَأَهُ لِقَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ” وَتَحْلِيلُهَا التَّسْلِيمُ ” وَالتَّشَهُّدُ أَهْوَنُ قَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي اثْنَتَيْنِ فَمَضَى فِي صَلاَتِهِ وَلَمْ يَتَشَهَّدْ . وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ إِذَا تَشَهَّدَ وَلَمْ يُسَلِّمْ أَجْزَأَهُ . وَاحْتَجَّ بِحَدِيثِ ابْنِ مَسْعُودٍ حِينَ عَلَّمَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم التَّشَهُّدَ فَقَالَ ” إِذَا فَرَغْتَ مِنْ هَذَا فَقَدْ قَضَيْتَ مَا عَلَيْكَ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادِ بْنِ أَنْعُمٍ هُوَ الإِفْرِيقِيُّ وَقَدْ ضَعَّفَهُ بَعْضُ أَهْلِ الْحَدِيثِ مِنْهُمْ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ وَأَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ .
আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি যদি নামাযের শেষে (তাশাহ্হুদের জন্য) বসে সালাম ফিরানোর পূর্বে বাতকর্ম করে তবে তার নামায জায়িয হবে (নতুন করে আদায় করতে হবে না)।
যঈফ, আবূ দাঊদ (২৬, ১৮১)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসের সনদ তেমন শক্তিশালী নয়। এর বর্ণনাকারীগণ তাদের বর্ণনায় গরমিল করেছেন। এ হাদীসের ভিত্তিতে একদল মনীষী বলেছেনঃ তাশাহ্হুদ পাঠের পরিমাণ সময় বসার পর এবং সালাম ফিরানোর পূর্বে বাতকর্ম হলে নামায পূর্ণ হয়ে যাবে। অপর একদল মনীষী বলেছেনঃ যদি তাশাহ্হুদ ও সালাম ফিরানোর পূর্বে বাতকর্ম হয় তবে আবার নামায আদায় করতে হবে। ইমাম শাফিঈ একথা বলেছেন। ইমাম আহমাদ বলেছেন, যদি তাশাহ্হুদ পাঠ না করে সালাম ফিরানো হয় তবে নামায হয়ে যাবে। কেননা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “নামাযের সমাপ্তি ঘোষণা হল সালাম।” আর তাশাহ্হুদ এমন কোন জরুরী বিষয় নয়। একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাশাহ্হুদ পাঠ না করেই দ্বিতীয় রাক’আত থেকে উঠে দাঁড়ালেন এবং নামায পূর্ণ করলেন। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম বলেছেন, তাশাহ্হুদ পাঠের পর এবং সালাম ফিরানোর পূর্বে (বাতকর্ম হলে) নামায জায়িয হবে। তিনি ইবনু মাসঊদের হাদীসকে তাঁর মতের সমর্থনে দলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে তাশাহ্হুদ শিক্ষা দেওয়ার সময় বললেনঃ “যখন তুমি এটা পাঠ করে অবসর হলে, তখন তোমার দায়িত্ব শেষ হল।”
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসের এক রাবী আবদুর রহমান ইবনু যিয়াদকে হাদীসবিশারদগণ দুর্বল বলেছেন। ইয়াহ্ইয়া ইবনু সাঈদ ও আহমাদ ইবনু হাম্বল তাদের মধ্যে আছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
১৮৯. অনুচ্ছেদঃ
বৃষ্টির সময় ঘরে নামায আদায় করা প্রসঙ্গে
৪০৯
حَدَّثَنَا أَبُو حَفْصٍ، عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ الْبَصْرِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَأَصَابَنَا مَطَرٌ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ شَاءَ فَلْيُصَلِّ فِي رَحْلِهِ ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَسَمُرَةَ وَأَبِي الْمَلِيحِ عَنْ أَبِيهِ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ جَابِرٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَخَّصَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي الْقُعُودِ عَنِ الْجَمَاعَةِ وَالْجُمُعَةِ فِي الْمَطَرِ وَالطِّينِ وَبِهِ يَقُولُ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ . قَالَ أَبُو عِيسَى سَمِعْتُ أَبَا زُرْعَةَ يَقُولُ رَوَى عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ عَلِيٍّ حَدِيثًا . وَقَالَ أَبُو زُرْعَةَ لَمْ نَرَ بِالْبَصْرَةِ أَحْفَظَ مِنْ هَؤُلاَءِ الثَّلاَثَةِ عَلِيِّ بْنِ الْمَدِينِيِّ وَابْنِ الشَّاذَكُونِيِّ وَعَمْرِو بْنِ عَلِيٍّ . وَأَبُو الْمَلِيحِ اسْمُهُ عَامِرٌ وَيُقَالُ زَيْدُ بْنُ أُسَامَةَ بْنِ عُمَيْرٍ الْهُذَلِيُّ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা কোন এক সফরে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে ছিলাম। আমাদেরকে বৃষ্টিতে পেল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যার ইচ্ছা নিজের হাওদার মধ্যে নামায আদায় করে নিতে পারে।
সহীহ্। ইরওয়া-(২/৩৪০, ৩৪১), সহীহ্ আবূ দাঊদ-(৯৭৬)।
এ অনুচ্ছেদে ইবনু ‘উমার, সামুরা, আবুল মালীহ নিজ পিতার সূত্রে ও ‘আবদুর রহমান ইবনু সামুরা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ জাবিরের হাদীসটি হাসান সহীহ্। বিদ্বানগণ বৃষ্টি ও কাদা মাটির কারণে জামা’আত ছেড়ে ঘরে নামায আদায়ের সম্মতি দিয়েছেন। ইমাম আহমাদ ও ইসহাক একই রকম কথা বলেছেন।
আবূ যুর’আহ্ বলেন, ‘আফফান ইবনু মুসলিম (রহঃ) ‘আমর ইবনু ‘আলী (রহঃ)-এর সূত্রে একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন। আবূ যুর’আ আরো বলেন, আমি বসরায় আলী ইবনুল মাদীনী, ইবনুশ শাযাকূনী ও ‘আমর ইবনু ‘আলী (রহঃ)-এর চেয়ে বড় হাফিজে হাদীস দেখিনি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯০. অনুচ্ছেদঃ
নামাযের পর তাসবীহ পাঠ করা
৪১০
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ حَبِيبِ بْنِ الشَّهِيدِ الْبَصْرِيُّ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَتَّابُ بْنُ بَشِيرٍ، عَنْ خُصَيْفٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، وَعِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ جَاءَ الْفُقَرَاءُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ الأَغْنِيَاءَ يُصَلُّونَ كَمَا نُصَلِّي وَيَصُومُونَ كَمَا نَصُومُ وَلَهُمْ أَمْوَالٌ يُعْتِقُونَ وَيَتَصَدَّقُونَ قَالَ ” فَإِذَا صَلَّيْتُمْ فَقُولُوا سُبْحَانَ اللَّهِ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ مَرَّةً وَالْحَمْدُ لِلَّهِ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ مَرَّةً وَاللَّهُ أَكْبَرُ أَرْبَعًا وَثَلاَثِينَ مَرَّةً وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ عَشْرَ مَرَّاتٍ فَإِنَّكُمْ تُدْرِكُونَ بِهِ مَنْ سَبَقَكُمْ وَلاَ يَسْبِقُكُمْ مَنْ بَعْدَكُمْ ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ وَأَنَسٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَزَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ وَأَبِي الدَّرْدَاءِ وَابْنِ عُمَرَ وَأَبِي ذَرٍّ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَحَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَفِي الْبَابِ أَيْضًا عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَالْمُغِيرَةِ . وَقَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ” خَصْلَتَانِ لاَ يُحْصِيهِمَا رَجُلٌ مُسْلِمٌ إِلاَّ دَخَلَ الْجَنَّةَ يُسَبِّحُ اللَّهَ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلاَةٍ عَشْرًا وَيَحْمَدُهُ عَشْرًا وَيُكَبِّرُهُ عَشْرًا وَيُسَبِّحُ اللَّهَ عِنْدَ مَنَامِهِ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَيَحْمَدُهُ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَيُكَبِّرُهُ أَرْبَعًا وَثَلاَثِينَ ” .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বিলেন, গরীব সাহাবাগণ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকটে এলেন। তাঁরা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল ! ধনীরা আমাদের মত নামায আদায় করে এবং রোযা রাখে। তাদের সম্পদ আছে, তারা দাস আযাদ করতে পারে এবং দান-খয়রাত করতে পারে। তিনি বললেনঃ যখন তোমরা নামায আদায় করবে তখন (নামায শেষে) তেত্রিশ বার “সুবহানাল্লাহ” তেত্রিশবার “আলহামদু লিল্লাহ”, চৌত্রিশবার “আল্লাহু আকবার” এবং দশবার “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” পাঠ করবে। যারা (সাওয়াবের ক্ষেত্রে) তোমাদেরকে ছাড়িয়ে গেছে এর দ্বারা তোমরা তাদেরকে ধরে ফেলতে পারবে। আর যারা তোমাদের পিছে পড়ে আছে তারা তোমাদেরকে ধরতে পারবে না।
সনদ দুর্বল, তালীকুর রাগীব (২/২৬০), তাহলীলের অংশটুকু মুনকার।
এ অনুচ্ছেদে কা’ব ইবনু উজরা, আনাস, আবদুল্লাহ ইবনু আমর, যাইদ ইবনু সাবিত, আবূ দারদা, ইবনু উমার আবূ যার, আবূ হুরাইরা ও মুগীরা (রাঃ) হতেও হাদিস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেনঃ ইবনু আব্বাসের হাদিসটি হাসান গারীব। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট হতে আরো বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেনঃ দুটি বৈশিষ্ট্য যে মুসলমানের মধ্যে পাওয়া যাবে সে জান্নাতে যাবে। তার একটি হল, প্রতি ওয়াক্তের নামাযের পর দশবার “সুবহানাল্লাহ”, দশবার “আলহামদু লিল্লাহ” এবং চৌত্রিশবার “আল্লাহু আকবার” পাঠ করা। দ্বিতীয়টি হল, শোয়ার সময় তেত্রিশবার “সুবহানাল্লাহ”, তেত্রিশবার “আলহামদু লিল্লাহ” এবং চৌত্রিশবার “আল্লাহু আকবার” পাঠ করা।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
১৯১. অনুচ্ছেদঃ
বৃষ্টি ও কাদার কারণে পশুর (যানবাহনে) উপর নামায আদায় প্রসঙ্গে
৪১১
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ بْنُ سَوَّارٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ الرَّمَّاحِ الْبَلْخِيُّ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ بْنِ يَعْلَى بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّهُمْ كَانُوا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي مَسِيرٍ فَانْتَهَوْا إِلَى مَضِيقٍ وَحَضَرَتِ الصَّلاَةُ فَمُطِرُوا السَّمَاءُ مِنْ فَوْقِهِمْ وَالْبِلَّةُ مِنْ أَسْفَلَ مِنْهُمْ فَأَذَّنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ عَلَى رَاحِلَتِهِ وَأَقَامَ – أَوْ أَقَامَ – فَتَقَدَّمَ عَلَى رَاحِلَتِهِ فَصَلَّى بِهِمْ يُومِئُ إِيمَاءً يَجْعَلُ السُّجُودَ أَخْفَضَ مِنَ الرُّكُوعِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ تَفَرَّدَ بِهِ عُمَرُ بْنُ الرَّمَّاحِ الْبَلْخِيُّ لاَ يُعْرَفُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِهِ . وَقَدْ رَوَى عَنْهُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ . وَكَذَلِكَ رُوِيَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّهُ صَلَّى فِي مَاءٍ وَطِينٍ عَلَى دَابَّتِهِ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ وَبِهِ يَقُولُ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ .
‘আমর ইবনু ‘উসমান ইবনু ইয়ালা ইবনু মুররাহ (রাঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তাঁর পিতা ও দাদার থেকে বর্ণিতঃ
একবার তাঁরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে সফরে ছিলেন। তারা একটি সংকীর্ণ স্থান গিয়ে পৌঁছালো। নামাযের ওয়াক্ত এসে গেল। উপর থেকে আকাশ বৃষ্টিবর্ষণ করছিল এবং নীচে ছিল কর্দমাক্ত মাটি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর জন্তুযান থেকে আযান দিলেন এবং ইক্বামাত বললেন অথবা শুধু ইক্বামাত দিলেন। তিনি আপন সওয়ারীসহ সামনে আগালেন এবং তাদের নামায আদায় করালেন। তিনি ইশারায় রুকূ’ সিজদা করলেন এবং রুকূ’র চেয়ে সিজদায় বেশি ঝুঁকলেন।
সনদ দুর্বল
আবূ ঈসা বলেনঃ হাদিসটি গারীব। কেননা এক পর্যায়ে উমার ইবনু রিমাহ আল-বলখী একা বর্ণনা করেছেন। অবশ্য তাঁর নিকট হতে অনেকেই বর্ণনা করেছেন। এমনিভাবে আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, ‘তিনি পানি কাদার সময় বাহনের পিঠে নামায আদায় করেছেন।’
বিশেষজ্ঞগণ বাহনের পিঠে বসে নামায আদায় করা জায়িয বলেছেন। ইমাম আহমাদ এবং ইসহাকও একই রকম কথা বলেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
১৯২. অনুচ্ছেদঃ
নামাযে কষ্ট স্বীকার করা
৪১২
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، وَبِشْرُ بْنُ مُعَاذٍ الْعَقَدِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلاَقَةَ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، قَالَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى انْتَفَخَتْ قَدَمَاهُ فَقِيلَ لَهُ أَتَتَكَلَّفُ هَذَا وَقَدْ غُفِرَ لَكَ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِكَ وَمَا تَأَخَّرَ قَالَ “ أَفَلاَ أَكُونُ عَبْدًا شَكُورًا ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَعَائِشَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
মুগীরা ইবনু শু’বাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এত সময় ধরে নামায আদায় করলেন যে, তাঁর পা দুটি ফুলে উঠল। তাঁকে বলা হল, আপনি এতো কষ্ট করছেন, অথচ আপনার পূর্বাপর সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বললেনঃ আমি কি একজন কৃতজ্ঞ বান্দা হব না।
সহীহ্। ইবনু মাজাহ-(১৪১৯, ১৪২০), বুখারী ও মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদে আবূ হুরায়রা ও ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ মুগীরা ইবনু শু’বার হাদীসটি হাসান সহীহ্।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৩. অনুচ্ছেদঃ
কিয়ামাতের দিন বান্দার নিকট হতে সর্বপ্রথম নামাযের হিসাব নেয়া হবে
৪১৩
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ نَصْرِ بْنِ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، قَالَ حَدَّثَنِي قَتَادَةُ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ حُرَيْثِ بْنِ قَبِيصَةَ، قَالَ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فَقُلْتُ اللَّهُمَّ يَسِّرْ لِي جَلِيسًا صَالِحًا . قَالَ فَجَلَسْتُ إِلَى أَبِي هُرَيْرَةَ فَقُلْتُ إِنِّي سَأَلْتُ اللَّهَ أَنْ يَرْزُقَنِي جَلِيسًا صَالِحًا فَحَدِّثْنِي بِحَدِيثٍ سَمِعْتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يَنْفَعَنِي بِهِ فَقَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ إِنَّ أَوَّلَ مَا يُحَاسَبُ بِهِ الْعَبْدُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ عَمَلِهِ صَلاَتُهُ فَإِنْ صَلُحَتْ فَقَدْ أَفْلَحَ وَأَنْجَحَ وَإِنْ فَسَدَتْ فَقَدْ خَابَ وَخَسِرَ فَإِنِ انْتَقَصَ مِنْ فَرِيضَتِهِ شَيْءٌ قَالَ الرَّبُّ عَزَّ وَجَلَّ انْظُرُوا هَلْ لِعَبْدِي مِنْ تَطَوُّعٍ فَيُكَمَّلَ بِهَا مَا انْتَقَصَ مِنَ الْفَرِيضَةِ ثُمَّ يَكُونُ سَائِرُ عَمَلِهِ عَلَى ذَلِكَ ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ تَمِيمٍ الدَّارِيِّ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَقَدْ رَوَى بَعْضُ أَصْحَابِ الْحَسَنِ عَنِ الْحَسَنِ عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ حُرَيْثٍ غَيْرَ هَذَا الْحَدِيثِ وَالْمَشْهُورُ هُوَ قَبِيصَةُ بْنُ حُرَيْثٍ . وَرُوِيَ عَنْ أَنَسِ بْنِ حَكِيمٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوُ هَذَا .
হুরাইস ইবনু ক্বাবীসা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি মাদীনায় আসলাম এবং বললাম, “হে আল্লাহ! আমাকে একজন নেককার সহযোগী দান কর”। রাবী বলেন, আমি আবূ হুরায়রা (রাঃ)-এর নিকট অবস্থান করলাম। আমি (তাঁকে) বললাম, আমি আল্লাহ তা’আলার নিকট একজন উত্তম সহযোগী চাইলাম। অতএব আপনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট শুনেছেন এমন একটি হাদীস আমাকে বলুন। আশা করা যায় আল্লাহ তা’আলা আমাকে এর মাধ্যমে কল্যাণ দিবেন। তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ ক্বিয়ামাতের দিন বান্দার কাজসমূহের মধ্যে সর্বপ্রথম নামাযের হিসাব নেয়া হবে। যদি (নিয়মিতভাবে) ঠিকমত নামায আদায় করা হয়ে থাকে তবে সে নাজাত পাবে এবং সফলকাম হবে। যদি নামায নষ্ট হয়ে থাকে তবে সে ব্যর্থ ও বিপর্যস্ত হবে। যদি ফরয নামাযের মধ্যে কিছু কমতি হয়ে থাকে তবে মহান আল্লাহ তা’আলা বলবেনঃ দেখ, বান্দার কোন নফল নামায আছে কি না। থাকলে তা দিয়ে ফরযের এ ঘাটতি পূরণ করা হবে। তারপর সকল কাজের বিচার পালাক্রমে এভাবে করা হবে।
সহীহ্। ইবনু মাজাহ-(১৪২৫, ১৪২৬)।
এ অনুচ্ছেদে তামীম আদ-দারী (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ আবূ হুরায়রার হাদীসটি উপরোক্ত সূত্রে হাসান গারীব। উল্লেখিত হাদীসটি আবূ হুরায়রা (রাঃ)-এর নিকট হতে একাধিক সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। হাসানের কোন কোন সঙ্গী হাসানের সূত্রে ক্বাবীসা ইবনু হুরাইস হতে অন্য হাদীস বর্ণনা করেছেন। আনাস ইবনু হাকীমের সূত্রে ও আবূ হুরায়রা হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৪. অনুচ্ছেদঃ
যে ব্যক্তি দৈনিক বার রাকা’আত সুন্নাত নামায আদায় করে তার ফযিলত
৪১৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ النَّيْسَابُورِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ سُلَيْمَانَ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ زِيَادٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ ثَابَرَ عَلَى ثِنْتَىْ عَشْرَةَ رَكْعَةً مِنَ السُّنَّةِ بَنَى اللَّهُ لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ أَرْبَعِ رَكَعَاتٍ قَبْلَ الظُّهْرِ وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَهَا وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْمَغْرِبِ وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعِشَاءِ وَرَكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْفَجْرِ ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَأَبِي مُوسَى وَابْنِ عُمَرَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَائِشَةَ حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَمُغِيرَةُ بْنُ زِيَادٍ قَدْ تَكَلَّمَ فِيهِ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সবসময় বার রাক’আত সুন্নাত নামায আদায় করে আল্লাহ তা’আলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর তৈরী করেন। এ সুন্নাতগুলো হল, যুহরের (ফরযের) পূর্বে চার রাক’আত ও পরে দুই রাক’আত, মাগরিবের (ফরযের) পর দুই রাক’আত, ‘ইশার (ফরযের) পর দুই রাক’আত এবং ফযরের (ফরযের) পূর্বে দুই রাক’আত।
সহীহ্। ইবনু মাজাহ-(১১৪০)।
এ অনুচ্ছেদে উম্মু হাবীবা, আবূ হুরায়রা, আবূ মূসা ও ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ উল্লেখিত সনদে ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর হাদীসটি গারীব। একদল বিশেষজ্ঞ মুগীরা ইবনু যিয়াদের স্মরণশক্তির (দুর্বলতার) সমালোচনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪১৫
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا مُؤَمَّلٌ، – هُوَ ابْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْمُسَيَّبِ بْنِ رَافِعٍ، عَنْ عَنْبَسَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ صَلَّى فِي يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ ثِنْتَىْ عَشْرَةَ رَكْعَةً بُنِيَ لَهُ بَيْتٌ فِي الْجَنَّةِ أَرْبَعًا قَبْلَ الظُّهْرِ وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَهَا وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْمَغْرِبِ وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعِشَاءِ وَرَكْعَتَيْنِ قَبْلَ صَلاَةِ الْفَجْرِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى وَحَدِيثُ عَنْبَسَةَ عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ فِي هَذَا الْبَابِ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَنْبَسَةَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ .
উম্মু হাবীবা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি দিন রাতে বার রাক’আত নামায আদায় করবে তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর তৈরী করা হবে। যুহরের নামাযের পূর্বে চার রাক’আত ও পরে দুই রাক’আত, মাগরিবের নামাযের পরে দুই রাক’আত, ‘ইশার নামাযের পরে দুই রাক’আত এবং ভোরের ফজরের নামাযের পূর্বে দুই রাক’আত।
সহীহ্। ইবনু মাজাহ-(১১৪১)।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ আনবাসার সূত্রে উম্মু হাবীবার হাদীসটি হাসান সহীহ্। আনবাসা হতে অন্য সূত্রেও হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৫. অনুচ্ছেদঃ
ফজরের দুই রাক’আত সুন্নাতের ফাজিলাত
৪১৬
حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ التِّرْمِذِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ رَكْعَتَا الْفَجْرِ خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَابْنِ عُمَرَ وَابْنِ عَبَّاسٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَائِشَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَوَى أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ عَنْ صَالِحِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ التِّرْمِذِيِّ حَدِيثَ عَائِشَةَ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ফজরের দুই রাক’আত (সুন্নাত) নামায দুনিয়া ও তার মধ্যে যা কিছু আছে তার চেয়েও উত্তম।
সহীহ্। ইরওয়া-(৪৩৭), মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদে আলী, ইবনু ‘উমার ও ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর হাদীসটি হাসান সহীহ্। আহমাদ ইবনু হাম্বাল সালিহ ইবনু আব্দিল্লাহর সূত্রে ‘আয়িশাহ্ হতে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৬. অনুচ্ছেদঃ
ফজরের সুন্নাত এবং তার কিরা’আত সংক্ষিপ্ত করা
৪১৭
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، وَأَبُو عَمَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ رَمَقْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم شَهْرًا فَكَانَ يَقْرَأُ فِي الرَّكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْفَجْرِ بِـْ : (يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ ) وَ (قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ) قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَأَنَسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَحَفْصَةَ وَعَائِشَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ حَدِيثٌ حَسَنٌ وَلاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ الثَّوْرِيِّ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي أَحْمَدَ وَالْمَعْرُوفُ عِنْدَ النَّاسِ حَدِيثُ إِسْرَائِيلَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ . وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي أَحْمَدَ عَنْ إِسْرَائِيلَ هَذَا الْحَدِيثُ أَيْضًا . وَأَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ ثِقَةٌ حَافِظٌ . قَالَ سَمِعْتُ بُنْدَارًا يَقُولُ مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَحْسَنَ حِفْظًا مِنْ أَبِي أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيِّ . وَأَبُو أَحْمَدَ اسْمُهُ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ الْكُوفِيُّ الأَسَدِيُّ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি এক মাস পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে পর্যবেক্ষণ করলাম। তিনি ফজরের (ফরযের) পূর্বের দুই রাক’আতে সূরা ‘কুল ইয়া আইয়্যুহাল কাফিরূন’ ও কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ’ পাঠ করতেন।
সহীহ। ইবনু মাজাহ-(১১৪৯)।
এ অনুচ্ছেদে ইবনু মাসঊদ, আনাস, আবূ হুরায়রা, ইবনু ‘আব্বাস, হাফসা ও ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ ইবনু ‘উমারের হাদীসটি হাসান। আমরা উল্লেখিত হাদীসটি সুফিয়ান সাওরী হতে আবূ ইসহাকের সূত্রে আবূ আহমাদ ছাড়া অন্য কারো নিকট থেকে পাইনি। লোকদের নিকট ইসরাঈল হতে আবূ ইসহাকের সূত্রে বর্ণিত হাদীসটি বেশি পরিচিত। ইসরাঈল হতে আবু আহমাদের সূত্রেও হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। আবূ আহমাদ নির্ভরযোগ্য হাফিজ। বুনদার বলেন, আবূ আহমাদ আয-যুবাইরীর চেয়ে উত্তম স্মৃতিশক্তিসম্পন্ন আর কাউকে দেখিনি। আবূ আহমাদের নাম মুহাম্মাদ ইবনু আব্দিল্লাহ আয-যুবাইর আল-কূফী আল-আসাদী।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৭. অনুচ্ছেদঃ
ফজরের দুই রাক’আত সুন্নাত আদায়ের পর কথাবার্তা বলা
৪১৮
حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ عِيسَى الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، قَالَ سَمِعْتُ مَالِكَ بْنَ أَنَسٍ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا صَلَّى رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ فَإِنْ كَانَتْ لَهُ إِلَىَّ حَاجَةٌ كَلَّمَنِي وَإِلاَّ خَرَجَ إِلَى الصَّلاَةِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ كَرِهَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمُ الْكَلاَمَ بَعْدَ طُلُوعِ الْفَجْرِ حَتَّى يُصَلِّيَ صَلاَةَ الْفَجْرِ إِلاَّ مَا كَانَ مِنْ ذِكْرِ اللَّهِ أَوْ مِمَّا لاَ بُدَّ مِنْهُ وَهُوَ قَوْلُ أَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ .
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফজরের দুই রাক’আত সুন্নাত আদায় করতেন, তারপর আমার সাথে কথা বলার দরকার হলে কথা বলতেন, নতুবা নামাযের জন্য মসজিদে চলে যেতেন।
সহীহ্। সহীহ আবূ দাঊদ-(১১৪৭, ১১৪৮), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ হাদীসটি হাসান সহীহ। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কোন কোন সাহাবা ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর হতে নামায আদায়ের পূর্ব পর্যন্ত সময়ে কথাবার্তা বলা মাকরূহ বলেছেন। হ্যাঁ আল্লাহর যিকির ও অতি প্রয়োজনীয় কথা বলা যেতে পারে। ইমাম আহমাদ এবং ইসহাকও একই রকম মত দিয়েছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৮. অনুচ্ছেদঃ
ফজর শুরু হওয়ার পর দুই রাক’আত সুন্নাত ব্যতীত আর কোন নামায নেই
৪১৯
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ قُدَامَةَ بْنِ مُوسَى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْحُصَيْنِ، عَنْ أَبِي عَلْقَمَةَ، عَنْ يَسَارٍ، مَوْلَى ابْنِ عُمَرَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لاَ صَلاَةَ بَعْدَ الْفَجْرِ إِلاَّ سَجْدَتَيْنِ ” . وَمَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ إِنَّمَا يَقُولُ لاَ صَلاَةَ بَعْدَ طُلُوعِ الْفَجْرِ إِلاَّ رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَحَفْصَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ قُدَامَةَ بْنِ مُوسَى وَرَوَى عَنْهُ غَيْرُ وَاحِدٍ . وَهُوَ مَا اجْتَمَعَ عَلَيْهِ أَهْلُ الْعِلْمِ كَرِهُوا أَنْ يُصَلِّيَ الرَّجُلُ بَعْدَ طُلُوعِ الْفَجْرِ إِلاَّ رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর দুই রাক’আত (সুন্নাত) নামায ব্যতীত আর কোন নামায নেই।
উল্লেখিত হাদীসের অর্থ হল, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন যে, ফজরের দুই রাক’আত সুন্নাত নামায ছাড়া ফজরের ফরয নামাযের আগে সুবহি সাদিক শুরু হওয়ার পর আর কোন নামায নেই।
সহীহ্। ইরওয়া-(৪৭৮)। সহীহ আবূ দাঊদ-(১১৫৯)।
এ অনুচ্ছেদে ‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আমর ও হাফসা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ ইবনু ‘উমারের হাদীসটি গারীব। আমরা শুধু মাত্র কুদামা ইবনু মূসার সূত্রেই হাদীসটি জেনেছি। ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর ফরয নামাযের আগে দুই রাক’আত সুন্নাত ব্যতীত অন্য কোন নামায আদায় করা মাকরূহ। এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অভিন্নমত রয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯৯. অনুচ্ছেদঃ
ফজরের সুন্নাত আদায়ের পর শোয়া
৪২০
حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ مُعَاذٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ فَلْيَضْطَجِعْ عَلَى يَمِينِهِ ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا صَلَّى رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ فِي بَيْتِهِ اضْطَجَعَ عَلَى يَمِينِهِ . وَقَدْ رَأَى بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنْ يُفْعَلَ هَذَا اسْتِحْبَابًا .
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তোমাদের কেউ ফজরের দুই রাক’আত সুন্নাত আদায় করে তখন সে যেন ডান কাতে একটু শুয়ে নেয়।
সহীহ্। মিশকাত-(১২০৬), সহীহ্ আবূ দাঊদ-(১১৪৬)।
এ অনুচ্ছেদে ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ আবূ হুরায়রার হাদীসটি এই সূত্রে হাসান সহীহ গারীব।
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, “নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন নিজের ঘরে ফজরের দুই রাক’আত সুন্নাত নামায আদায় করতেন তখন ডান কাতে শুয়ে নিতেন।’’
কোন কোন বিদ্বান এটাকে মুস্তাহাব বলেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০০. অনুচ্ছেদঃ
ইক্বামাত হয়ে গেলে ফরয নামায ছাড়া অন্য নামায নেই
৪২১
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَطَاءَ بْنَ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِذَا أُقِيمَتِ الصَّلاَةُ فَلاَ صَلاَةَ إِلاَّ الْمَكْتُوبَةُ ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ بُحَيْنَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَرْجِسَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَنَسٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَهَكَذَا رَوَى أَيُّوبُ وَوَرْقَاءُ بْنُ عُمَرَ وَزِيَادُ بْنُ سَعْدٍ وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ مُسْلِمٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ جُحَادَةَ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَرَوَى حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ وَسُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ فَلَمْ يَرْفَعَاهُ . وَالْحَدِيثُ الْمَرْفُوعُ أَصَحُّ عِنْدَنَا . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ إِذَا أُقِيمَتِ الصَّلاَةُ أَنْ لاَ يُصَلِّيَ الرَّجُلُ إِلاَّ الْمَكْتُوبَةَ . وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَابْنُ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ رَوَاهُ عَيَّاشُ بْنُ عَبَّاسٍ الْقِتْبَانِيُّ الْمِصْرِيُّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ هَذَا .
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন নামাযের জন্য ইকামাত দেওয়া হয় তখন ফরয নামায ছাড়া অন্য কোন নামায নেই।
সহীহ। ইবনু মাজাহ-(১১৫১), মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদে ইবনু বুহাইনা, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর, ‘আবদুল্লাহ ইবনু সারজিস, ইবনু ‘আব্বাস ও আনাস (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ আবূ হুরায়রার হাদীসটি হাসান। আইউব, ওয়ারাকা ইবনু ‘উমার, যিয়াদ ইবনু সা’দ, ইসমাঈল ইবনু মুসলিম এবং মুহাম্মাদ ইবনু জুহাদা সম্মিলিতভাবে এ হাদীসটি ‘আমর ইবনু দীনার হতে, তিনি আতা হতে, তিনি আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে মারফু’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। হাম্মাদ ইবনু যায়িদ ও সুফিয়ান ইবনু ‘উআইনা তাদের সনদ পরম্পরায় ‘আমর ইবনু দীনার-এর সূত্রে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন, কিন্তু তাঁরা মারফূ’ হিসাবে বর্ণনা করেননি। তবে মারফূ’ হিসাবে বর্ণিত হাদীসটিই আমাদের মতে বেশি সহীহ্।
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবী ও অন্যান্যরা এ হাদীস অনুসারে আমল করেছেন। তাঁরা বলেছেন, নামাযের জন্য ইক্বামাত দেওয়া হলে কোন ব্যক্তিই ফরয নামায ব্যতীত অন্য কোন নামায আদায় করবে না। সুফিয়ান সাওরী, ইবনুল মুবারাক, শাফিঈ, আহমাদ এবং ইসহাকও একই রকম কথা বলেছেন। আরো কয়েকটি সূত্রে আবূ হুরায়রার নিকট হতে এ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। ‘আইয়্যাশ ইবনু ‘আব্বাস আবূ সালামা হতে তিনি আবূ হুরায়রা হতে তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০১. অনুচ্ছেদঃ
ফজরের সুন্নাত ফরযের আগে আদায় করতে না পারলে ফরয নামায আদায়ের পর তা আদায় করবে
৪২২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو السَّوَّاقُ الْبَلْخِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ جَدِّهِ، قَيْسٍ قَالَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأُقِيمَتِ الصَّلاَةُ فَصَلَّيْتُ مَعَهُ الصُّبْحَ ثُمَّ انْصَرَفَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَوَجَدَنِي أُصَلِّي فَقَالَ ” مَهْلاً يَا قَيْسُ أَصَلاَتَانِ مَعًا ” . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي لَمْ أَكُنْ رَكَعْتُ رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ . قَالَ ” فَلاَ إِذًا ” . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ لاَ نَعْرِفُهُ مِثْلَ هَذَا إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ سَعْدِ بْنِ سَعِيدٍ . وَقَالَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ سَمِعَ عَطَاءُ بْنُ أَبِي رَبَاحٍ مِنْ سَعْدِ بْنِ سَعِيدٍ هَذَا الْحَدِيثَ . وَإِنَّمَا يُرْوَى هَذَا الْحَدِيثُ مُرْسَلاً . وَقَدْ قَالَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ بِهَذَا الْحَدِيثِ لَمْ يَرَوْا بَأْسًا أَنْ يُصَلِّيَ الرَّجُلُ الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْمَكْتُوبَةِ قَبْلَ أَنْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَسَعْدُ بْنُ سَعِيدٍ هُوَ أَخُو يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الأَنْصَارِيِّ . قَالَ وَقَيْسٌ هُوَ جَدُّ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الأَنْصَارِيِّ وَيُقَالُ هُوَ قَيْسُ بْنُ عَمْرٍو وَيُقَالُ هُوَ قَيْسُ بْنُ قَهْدٍ . وَإِسْنَادُ هَذَا الْحَدِيثِ لَيْسَ بِمُتَّصِلٍ مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيُّ لَمْ يَسْمَعْ مِنْ قَيْسٍ . وَرَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ سَعْدِ بْنِ سَعِيدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ فَرَأَى قَيْسًا . وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَنْ سَعْدِ بْنِ سَعِيدٍ .
মুহাম্মাদ ইবনু ইবরাহীম হতে তাঁর দাদা ক্কাইস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি (ক্কাইস) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (নিজের ঘর হতে) বেরিয়ে আসলেন, অতঃপর নামাযের ইক্কামাত দেওয়া হল। আমি তাঁর সাথে নামায আদায় করলাম। নামায হতে অবসর হয়ে তিনি আমাকে নামাযরত অবস্থায় দেখলেন। তিনি বললেনঃ হে ক্কাইস, থামো! তুমি কি দুই নামায একত্রে আদায় করছ? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি ফজরের দুই রাক’আত (সুন্নাত) আদায় করতে পারিনি। তিনি বললেনঃ তাহলে কোন দোষ নেই (পড়ে নাও)।
সহীহ। ইবনু মাজাহ-(১১৫১)
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ সা’দ ইবনু সা’ঈদের হাদীসের মাধ্যমেই কেবল আমরা মুহাম্মাদ ইবনু ইবরাহীমের হাদীসটি এভাবে জেনেছি। সুফিয়ান ইবনু ‘উআইনা বলেন, ‘আতা ইবনু আবূ রাবাহ এ হাদীসটি সা’দ ইবনু সা’ঈদের নিকট শুনেছেন। এ হাদীসটি মুরসাল হিসাবে বর্ণিত হয়েছে। মক্কাবাসী ‘আলিমদের একদল ফরয নামাযের পর সূর্য উঠার পূর্বে ফাওত হওয়া সুন্নাত দুই রাক’আত আদায় করতে কোন অপরাধ মনে করেন না।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসের সনদ মুত্তাসিল (পরস্পর সংযুক্ত) নয়। মুহাম্মাদ ইবনু ইবরাহীম কখনও কাইসের নিকট শুনেননি। অপর এক বর্ণনায় আছেঃ
“রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বের হলেন এবং কাইসকে দেখতে পেলেন……।’’ সা’দ ইবনু সা’ঈদের সুত্রে বর্ণিত ‘আব্দুল ‘আযীযের হাদীসের চেয়ে এটি অধিক সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০২. অনুচ্ছেদঃ
ফজরের দুই রাক’আত সুন্নাত ফরযের পূর্বে আদায় করতে না পারলে তা সূর্য উঠার পর আদায় করবে
৪২৩
حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ الْعَمِّيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ النَّضْرِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ بَشِيرِ بْنِ نَهِيكٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” مَنْ لَمْ يُصَلِّ رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ فَلْيُصَلِّهِمَا بَعْدَ مَا تَطْلُعُ الشَّمْسُ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ فَعَلَهُ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَابْنُ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ . قَالَ وَلاَ نَعْلَمُ أَحَدًا رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ هَمَّامٍ بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَ هَذَا إِلاَّ عَمْرَو بْنَ عَاصِمٍ الْكِلاَبِيَّ . وَالْمَعْرُوفُ مِنْ حَدِيثِ قَتَادَةَ عَنِ النَّضْرِ بْنِ أَنَسٍ عَنْ بَشِيرِ بْنِ نَهِيكٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” مَنْ أَدْرَكَ رَكْعَةً مِنْ صَلاَةِ الصُّبْحِ قَبْلَ أَنْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ فَقَدْ أَدْرَكَ الصُّبْحَ ” .
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি ফজরের দুই রাক’আত সুন্নাত (ফরযের পুর্বে) আদায় করতে পারেনি সে সূর্য উঠার পর তা আদায় করবে।
সহীহ্। সহীহাহ্-(২৩৬১)
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ আমরা উল্লেখিত সূত্রেই শুধুমাত্র এ হাদীসটি জেনেছি। ‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) এই হাদীস অনুসারে ‘আমল করতেন। একদল বিশেষজ্ঞ এ হাদীসের উপর ‘আমল করেছেন। সুফিয়ান সাওরী, শাফিঈ, আহমাদ, ইসহাক এবং ইবনুল মুবারাক একই রকম মত ব্যক্ত করেছেন। আবূ ‘ঈসা আরো বলেনঃ ‘আমর ইবনু ‘আসিম ব্যতীত অন্য কেউ হাম্মাম হতে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন বলে আমাদের জানা নেই।
আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে আরো বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “যে ব্যক্তি সূর্য উঠার পূর্বে ফজরের এক রাক’আত ধরতে পারল সে ফজরের ওয়াক্ত পেল।’’ – উপরোক্ত সূত্রে বর্ণিত এ হাদীসটিই প্রসিদ্ধ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০৩. অনুচ্ছেদঃ
যুহরের ফরয নামাযের পূর্বে চার রাক’আত সুন্নাত
৪২৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي قَبْلَ الظُّهْرِ أَرْبَعًا وَبَعْدَهَا رَكْعَتَيْنِ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَأُمِّ حَبِيبَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَلِيٍّ حَدِيثٌ حَسَنٌ . قَالَ أَبُو بَكْرٍ الْعَطَّارُ قَالَ عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ سُفْيَانَ قَالَ كُنَّا نَعْرِفُ فَضْلَ حَدِيثِ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ عَلَى حَدِيثِ الْحَارِثِ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَمَنْ بَعْدَهُمْ يَخْتَارُونَ أَنْ يُصَلِّيَ الرَّجُلُ قَبْلَ الظُّهْرِ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَابْنِ الْمُبَارَكِ وَإِسْحَاقَ وَأَهْلِ الْكُوفَةِ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ صَلاَةُ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ مَثْنَى مَثْنَى يَرَوْنَ الْفَصْلَ بَيْنَ كُلِّ رَكْعَتَيْنِ . وَبِهِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ .
‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুহরের (ফরয) নামাযের পূর্বে চার রাক’আত এবং পরে দুই রাক’আত (সুন্নাত নামায) আদায় করতেন।
সহীহ্ ইবনু মাজাহ-(১১৬১)।
৪৩০ নং হাদীসে এর বাকী অংশ বর্ণিত হবে। এ অনুচ্ছেদে ‘আয়িশাহ্ ও উম্মু হাবীবা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেন-’আলী (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীসটি হাসান। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ সাহাবা ও তাঁদের পরবর্তীগণ যুহরের পূর্বে চার রাক’আত সুন্নাত নামায আদায় করা পছন্দ করেছেন। সুফিয়ান সাওরী, ইবনুল মুবারাক, ইসহাক এবং কুফাবাসীগন একই রকম কথা বলেছেন। একদল বিশেষজ্ঞ বলেছেন, রাত এবং দিনের (অন্যান্য) নামায দুই দুই রাক’আত। তাঁরা দুই দুই রাক’আত পর সালাম ফিরানোর কথা বলেছেন। ইমাম শাফিঈ এবং ইমাম আহমাদ একথা বলেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০৪. অনুচ্ছেদঃ
যুহরের ফরয নামাযের পর দুই রাক’আত সুন্নাত
৪২৫
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم رَكْعَتَيْنِ قَبْلَ الظُّهْرِ وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَهَا . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَعَائِشَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ حَدِيثٌ صَحِيحٌ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে যুহরের (ফরয) নামাযের পূর্বে দুই রাক’আত এবং পরে দুই রাক’আত সুন্নাত আদায় করেছি।
সহীহ্। সহীহ্ আবূ দাঊদ-(১১৩৮), বুখারী আরো পূর্ণভাবে।
এ অনুচ্ছেদে ‘আলী ও ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ ইবনু ‘উমারের হাদীসটি হাসান সাহীহ্।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০৫. অনুচ্ছেদঃ
পূর্ববর্তী বিষয়ের উপর
৪২৬
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ الْعَتَكِيُّ الْمَرْوَزِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا لَمْ يُصَلِّ أَرْبَعًا قَبْلَ الظُّهْرِ صَلاَّهُنَّ بَعْدَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ الْمُبَارَكِ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَقَدْ رَوَاهُ قَيْسُ بْنُ الرَّبِيعِ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ نَحْوَ هَذَا . وَلاَ نَعْلَمُ أَحَدًا رَوَاهُ عَنْ شُعْبَةَ غَيْرَ قَيْسِ بْنِ الرَّبِيعِ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوُ هَذَا .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যদি যুহরের পূর্বে চার রাক’আত না আদায় করতেন তবে যুহরের (ফরযের) পর তা আদায় করতেন।
সহীহ্। তামামুল মিন্নাহ্। যঈফা-(৪২০৮)।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। ইবনুল মুবারাকের সুত্রেই আমরা এ হাদীসটি জেনেছি। ক্বাইস ইবনু রাবী শুবা’র সুত্রে খালিদ হাযযা হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। কাইস ইবনু রাবী ব্যতীত অন্য কেউ শুবা হতে বর্ণনা করেছেন বলে আমাদের জানা নেই। ‘আব্দুর রহমান ইবনু আবী লাইলার সুত্রেও নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪২৭
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الشُّعَيْثِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَنْبَسَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ صَلَّى قَبْلَ الظُّهْرِ أَرْبَعًا وَبَعْدَهَا أَرْبَعًا حَرَّمَهُ اللَّهُ عَلَى النَّارِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ .
উম্মু হাবীবা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি যুহরের (ফরযের) পূর্বে চার রাক’আত এবং পরে চার রাক’আত নামায আদায় করবে আল্লাহ তা’আলা তার প্রতি জাহান্নামের আগুন হারাম করে দিবেন।
সহীহ্। ইবনু মাজাহ-(১১৬০)।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। অন্য সূত্রেও হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪২৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ الْبَغْدَادِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ التِّنِّيسِيُّ الشَّأْمِيُّ، حَدَّثَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنِي الْعَلاَءُ، هُوَ ابْنُ الْحَارِثِ عَنِ الْقَاسِمِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَنْبَسَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، قَالَ سَمِعْتُ أُخْتِي أُمَّ حَبِيبَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم تَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ مَنْ حَافَظَ عَلَى أَرْبَعِ رَكَعَاتٍ قَبْلَ الظُّهْرِ وَأَرْبَعٍ بَعْدَهَا حَرَّمَهُ اللَّهُ عَلَى النَّارِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَالْقَاسِمُ هُوَ ابْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ يُكْنَى أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَهُوَ مَوْلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ وَهُوَ ثِقَةٌ شَأْمِيٌّ وَهُوَ صَاحِبُ أَبِي أُمَامَةَ .
‘আনবাসা ইবনু আবূ সুফিয়ান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার বোন এবং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রী উম্মু হাবীবা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি যুহরের (ফরযের) পূর্বে চার রাক’আত এবং পরে চার রাক’আত নামাযের হিফাজাত করবে আল্লাহ তা’আলা তার জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম করে দিবেন।
সহীহ্। প্রাগুক্ত।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ্ গারীব। আবূ ‘আবদুর রহমান আল-কাসিম একজন সিকাহ রাবী। তিনি প্রখ্যাত মুহাদ্দিস আবূ উমামার শাগরিদ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০৬. অনুচ্ছেদঃ
আসরের (ফরয নামাযের) পূর্বে চার রাক’আত
৪২৯
حَدَّثَنَا بُنْدَارٌ، مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، هُوَ الْعَقَدِيُّ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرٍو حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي قَبْلَ الْعَصْرِ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ يَفْصِلُ بَيْنَهُنَّ بِالتَّسْلِيمِ عَلَى الْمَلاَئِكَةِ الْمُقَرَّبِينَ وَمَنْ تَبِعَهُمْ مِنَ الْمُسْلِمِينَ وَالْمُؤْمِنِينَ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَلِيٍّ حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَاخْتَارَ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَنْ لاَ يُفْصَلَ فِي الأَرْبَعِ قَبْلَ الْعَصْرِ وَاحْتَجَّ بِهَذَا الْحَدِيثِ . وَقَالَ إِسْحَاقُ وَمَعْنَى أَنَّهُ يَفْصِلُ بَيْنَهُنَّ بِالتَّسْلِيمِ يَعْنِي التَّشَهُّدَ . وَرَأَى الشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ صَلاَةَ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ مَثْنَى مَثْنَى يَخْتَارَانِ الْفَصْلَ فِي الأَرْبَعِ قَبْلَ الْعَصْرِ .
‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আসরের (ফরয নামাযের) পূর্বে চার রাক’আত নামায আদায় করতেন। তিনি (আল্লাহর) নৈকট্য লাভকারী ফেরেশতা ও তাদের অনুগামী মুসলমান এবং মু’মিনদের প্রতি সালাম করার মাধ্যমে এ নামাযের মাঝখানে বিভক্তি করতেন (দুই সালামে চার রাক’আত আদায় করতেন)।
হাসান। ইবনু মাজাহ-(১১৬১), এটা পূর্বে বর্ণিত ৪২৫ নং হাদীসের বাকী অংশ।
এ অনুচ্ছেদে ইবনু ‘উমার ও ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ ‘আলী (রাঃ)-এর হাদীসটি হাসান। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম ‘আসরের পূর্বে এক সালামেই চার রাক’আত আদায় করা পছন্দ করেছেন। তিনি এ হাদীসকে দলীল হিসাবে গ্রহন করে বলেছেন, ‘সালামের মাধ্যমে বিভক্তি করার’ তাৎপর্য হল রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুই রাক’আত পর তাশাহ্হুদ পাঠ করতেন। ইমাম শাফিঈ এবং আহমাদের মতে, রাত এবং দিনের (ফরয নামায ছাড়া অন্যান্য সব) নামায দুই রাক’আত করে আদায় হবে। তাঁরা উভয়ে আসরের পূর্বের চার রাক’আতে দুই রাক’আত পর পর সালাম ফিরানোই পছন্দ করেছেন।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৪৩০
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، وَمَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، وَأَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمِ بْنِ مِهْرَانَ، سَمِعَ جَدَّهُ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ رَحِمَ اللَّهُ امْرَأً صَلَّى قَبْلَ الْعَصْرِ أَرْبَعًا ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ حَسَنٌ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি ‘আসরের পূর্বে চার রাক’আত নামায আদায় করবে আল্লাহ তা’আলা তার প্রতি অনুগ্রহ করুন।
হাসান। মিশকাত-(১১৭০), সহীহ্ আবূ দাঊদ-(১১৫৪), তা’লীকুর রাগীব-(১/২০৪), তা’লীক আলা ইবনু খুজাইমাহ-(১১৯৩)।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
২০৭. অনুচ্ছেদঃ
মাগরিবের দুই রাক’আত সুন্নাত এবং তার কিরা’আত
৪৩১
حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى، مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا بَدَلُ بْنُ الْمُحَبَّرِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَعْدَانَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ بَهْدَلَةَ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّهُ قَالَ مَا أُحْصِي مَا سَمِعْتُ مِنْ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ فِي الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْمَغْرِبِ وَفِي الرَّكْعَتَيْنِ قَبْلَ صَلاَةِ الْفَجْرِ بِـ :(قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ ) وَ (قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ ) . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ مَسْعُودٍ حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ مَسْعُودٍ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَعْدَانَ عَنْ عَاصِمٍ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মাগরিবের পরের দুই রাক’আতে এবং ফজরের পূর্বের দুই রাক’আতে “কুল ইয়া আয়্যুহাল কাফিরূন” এবং “কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ” সূরা দুটি এত সংখ্যকবার পাঠ করতে শুনেছি যে, তা গণনা করে শেষ করতে পারব না। এ অনুচ্ছেদে ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
সহীহ্। ইবনু মাজাহ-(১১৬৬)।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ ইবনু মাসঊদের হাদীসটি গারীব। ‘আবদুল মালিক ইবনু মা’দান হতে শুধুমাএ ‘আসিমের সূত্রেই এই হাদীসটি আমারা জেনেছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০৮. অনুচ্ছেদঃ
মাগরিবের (সুন্নাত) দুই রাক’আত বাসায় আদায় করা
৪৩২
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم رَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْمَغْرِبِ فِي بَيْتِهِ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ وَكَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে তাঁর বাসায় মাগরিবের পর দুই রাক’আত সুন্নাত নামায আদায় করেছি।
সহীহ্। সহীহ্ আবূ দাঊদ-(১১৫৮), বুখারী।
এ অনুচ্ছেদে রাফি’ ইবনু খাদীজ ও কা’ব ইবনু উজরা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ ইবনু ‘উমারের হাদীসটি হাসান সহীহ্।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৩৩
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ حَفِظْتُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَشْرَ رَكَعَاتٍ كَانَ يُصَلِّيهَا بِاللَّيْلِ وَالنَّهَارِ رَكْعَتَيْنِ قَبْلَ الظُّهْرِ وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَهَا وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْمَغْرِبِ وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعِشَاءِ الآخِرَةِ . قَالَ وَحَدَّثَتْنِي حَفْصَةُ أَنَّهُ كَانَ يُصَلِّي قَبْلَ الْفَجْرِ رَكْعَتَيْنِ . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট হতে দশ রাক’আত নামায মুখস্থ রেখেছি। তিনি দিনরাত (চব্বিশ ঘণ্টায়) এ নামাযগুলো আদায় করতেন। যুহরের পূর্বে দুই রাক’আত এবং পরে দুই রাক’আত, মাগরিবের পরে দুই রাক’আত এবং ‘ইশার পর দুই রাক’আত। রাবী বলেন হাফসাহ্ আমাকে বলেছেন, তিনি (রাসূলুল্লাহ) ফজরের পূর্বেও দুই রাক’আত আদায় করতেন।
সহীহ্। ইরওয়া-(৪৪০), বুখারী।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৩৪
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
সারিম হতে ও ইবনু ‘উমার (রাঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট হতে…….. একই হাদীস পুনর্বার বর্ণিত হয়েছে।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ্।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
২০৯. অনুচ্ছেদঃ
মাগরিবের পর ছয় রাক’আত নফল নামায আদায়ের ফাযীলাত
৪৩৫
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، – يَعْنِي مُحَمَّدَ بْنَ الْعَلاَءِ الْهَمْدَانِيَّ حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ أَبِي خَثْعَمٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” مَنْ صَلَّى بَعْدَ الْمَغْرِبِ سِتَّ رَكَعَاتٍ لَمْ يَتَكَلَّمْ فِيمَا بَيْنَهُنَّ بِسُوءٍ عُدِلْنَ لَهُ بِعِبَادَةِ ثِنْتَىْ عَشْرَةَ سَنَةً ” . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” مَنْ صَلَّى بَعْدَ الْمَغْرِبِ عِشْرِينَ رَكْعَةً بَنَى اللَّهُ لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ زَيْدِ بْنِ الْحُبَابِ عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِي خَثْعَمٍ . قَالَ وَسَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ يَقُولُ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي خَثْعَمٍ مُنْكَرُ الْحَدِيثِ . وَضَعَّفَهُ جِدًّا .
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তির মাগরিবের পর ছয় রাক’আত নামায আদায় করলে এবং তার মাঝখানে কোন অশালীন কথা না বললে তাঁকে এর বিনিময়ে বার বছরের ইবাদাতের সমান সাওয়াব দেয়া হবে।
অত্যন্ত দুর্বল, ইবনু মাজাহ (১১৬৭)।
আবূ ঈসা বলেনঃ আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মাগরিবের পর বিশ রাক’আত নামায আদায় করে আল্লাহ্ তা’আলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর তৈরী করেন।
আবূ ঈসা বলেনঃ আবূ হুরাইরার হাদীসটি গারীব। আমরা শুধুমাত্র যাইদ ইবনু হুবাব হতে উমার ইবনু আবূ খাসআমের সূত্রেই এ হাদীসটি জানতে পেরেছি। আমি মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈলকে বলতে শুনেছি, উমার ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু আবূ খাসআম একজন প্রত্যাখ্যাত রাবী। হাদিসশাস্ত্রে তিনি খুবই দুর্বল।
হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল
- সরাসরি
২১০. অনুচ্ছেদঃ
‘ইশার নামাযের পর দুই রাক’আত সুন্নাত
৪৩৬
حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، يَحْيَى بْنُ خَلَفٍ حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ عَنْ صَلاَةِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ كَانَ يُصَلِّي قَبْلَ الظُّهْرِ رَكْعَتَيْنِ وَبَعْدَهَا رَكْعَتَيْنِ وَبَعْدَ الْمَغْرِبِ ثِنْتَيْنِ وَبَعْدَ الْعِشَاءِ رَكْعَتَيْنِ وَقَبْلَ الْفَجْرِ ثِنْتَيْنِ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَابْنِ عُمَرَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ عَنْ عَائِشَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
‘আবদুল্লাহ্ ইবনু শাকীক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশা (রাঃ)-কে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নামায প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলাম। তিনি বললেন, তিনি (রাসূলুল্লাহ) যুহরের পূর্বে দুই রাক’আত এবং পরে দুই রাক’আত, মাগরিবের পর দুই রাক’আত, ‘ইশার পর দুই রাক’আত এবং ফজরের পূর্বে দুই রাক’আত নামায আদায় করতেন।
সহীহ। মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদে ‘আলী ও ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ ‘আবদুল্লাহ ইবনু শাকীকের সূত্রে ‘আয়িশাহ্’র হাদীসটি হাসান সহীহ্।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১১. অনুচ্ছেদঃ
রাতের (নফল) নামায দুই দুই রাক’আত
৪৩৭
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ “ صَلاَةُ اللَّيْلِ مَثْنَى مَثْنَى فَإِذَا خِفْتَ الصُّبْحَ فَأَوْتِرْ بِوَاحِدَةٍ وَاجْعَلْ آخِرَ صَلاَتِكَ وِتْرًا ” . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عَمْرِو بْنِ عَبَسَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ صَلاَةَ اللَّيْلِ مَثْنَى مَثْنَى . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَابْنِ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيِّ . وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, রাতের নামায দুই দুই রাক’আত (করে আদায় করতে হয়)। তুমি যদি ভোর হয়ে যাওয়ার ভয় কর তবে এক রাক’আত করে বিতর পূর্ণ করে নাও। বিতর নামাযকেই তোমার সর্বশেষ নামায কর।
সহীহ্। ইবনু মাজাহ-(১৩১৯, ১৩২০), বুখারী ও মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদে আমর ইবনু আবাসা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ ইবনু উমারের হাদীসটি হাসান সহীহ্। বিশেষজ্ঞগণ এ হাদীস অনুযায়ী আমল করেছেন এবং রাতের নামায দুই দুই রাক’আত করে আদায় করেছেন। সুফিয়ান সাওরী, ইবনুল মুবারাক, শাফিঈ, আহমাদ এবং ইসহাক এই কথা বলেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১২. অনুচ্ছেদঃ
রাতের (তাহাজ্জুদ) নামাযের ফযিলত
৪৩৮
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحِمْيَرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ شَهْرِ رَمَضَانَ شَهْرُ اللَّهِ الْمُحَرَّمُ وَأَفْضَلُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الْفَرِيضَةِ صَلاَةُ اللَّيْلِ ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَبِلاَلٍ وَأَبِي أُمَامَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَأَبُو بِشْرٍ اسْمُهُ جَعْفَرُ بْنُ أَبِي وَحْشِيَّةَ وَاسْمُ أَبِي وَحْشِيَّةَ إِيَاسٌ .
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রামাযান মাসের রোযার পর সর্বোৎকৃষ্ট রোযা হল আল্লাহ তা’আলার মাস মুহাররামের রোযা। ফরয নামাযের পর সর্বোৎকৃষ্ট নামায হল রাতের (তাহাজ্জুদের) নামায।
সহীহ্। ইবনু মাজাহ-(১৭৪২), মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদে জাবির, বিলাল ও আবূ উমামা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)’র হাদীসটি হাসান সহীহ্।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ রাবী আবূ বিশরের নাম জা’ফর ইবনু আবী ওয়াহশীয়াহ আবূ ওয়াহশীয়ার নাম ইয়াস।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১৩. অনুচ্ছেদঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর রাতের নামাযের বৈশিষ্ট্য
৪৩৯
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَأَلَ عَائِشَةَ كَيْفَ كَانَتْ صَلاَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِاللَّيْلِ فِي رَمَضَانَ فَقَالَتْ مَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَزِيدُ فِي رَمَضَانَ وَلاَ فِي غَيْرِهِ عَلَى إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً يُصَلِّي أَرْبَعًا فَلاَ تَسْأَلْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُولِهِنَّ ثُمَّ يُصَلِّي أَرْبَعًا فَلاَ تَسْأَلْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُولِهِنَّ ثُمَّ يُصَلِّي ثَلاَثًا . فَقَالَتْ عَائِشَةُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَتَنَامُ قَبْلَ أَنْ تُوتِرَ فَقَالَ “ يَا عَائِشَةُ إِنَّ عَيْنَىَّ تَنَامَانِ وَلاَ يَنَامُ قَلْبِي ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবূ সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘আয়িশা (রাঃ)-কে প্রশ্ন করা হল, রামাযান মাসে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নামাজের বৈশিষ্ট্য কি বা ধরন কেমন ছিল? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রামাযান মাসে ও অন্যান্য সময়ে (রাতের বেলা) এগার রাক’আত নামাযের বেশি আদায় করতেন না। তিনি চার রাক’আত করে মোট আট রাক’আত আদায় করতেন। এর সৌন্দর্য এবং দৈর্ঘ্য সম্পর্কে তুমি আমাকে আর প্রশ্ন কর না। অতঃপর তিনি তিন রাক’আত নামায আদায় করতেন। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি বিতর আদায়ের পূর্বে ঘুমান? তিনি বললেন. হে ‘আয়িশাহ্! আমার চক্ষু দুটি ঘুমায় কিন্তু আমার অন্তর ঘুমায় না।
সহীহ্। সালাতুত্ তারাবীহ্, সহীহ্ আবু দাঊদ-(১২১২), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ্।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৪০
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً يُوتِرُ مِنْهَا بِوَاحِدَةٍ فَإِذَا فَرَغَ مِنْهَا اضْطَجَعَ عَلَى شِقِّهِ الأَيْمَنِ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতের বেলা এগার রাক’আত নামায আদায় করতেন। তার মধ্যে এক রাক’আত বিতর আদায় করে নিতেন। তিনি নামায শেষে অবসর হয়ে ডান কাতে শুয়ে যেতেন।
সহীহ্। এই হাদীসে শুবার বর্ণনাটি সাজ, সহীহ্ আবূ দাঊদ-(১২০৬)। সঠিক কথা হচ্ছে- শুবার বর্ণনা ফজরের সুন্নাতের পরে-বুখারী।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
৪৪১
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، نَحْوَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
ইবনু শিহাব থেকে বর্ণিতঃ
কুতাইবা মালিকের সূত্রে ইবনু শিহাব হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এই হাদীসটি হাসান সহীহ্।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
২১৪. অনুচ্ছেদঃ
একই বিষয়
৪৪২
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، قَالَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي جَمْرَةَ الضُّبَعِيِّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ ثَلاَثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَأَبُو جَمْرَةَ الضُّبَعِيُّ اسْمُهُ نَصْرُ بْنُ عِمْرَانَ الضُّبَعِيُّ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতের বেলা তের রাক’আত নামায আদায় করতেন।
সহীহ্। সহীহ্ আবু দাঊদ-(১২০৫), বুখারী ও মুসলিম আরো পূর্ণরূপে।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এই হাদীসটি হাসান সহীহ্। আবূ জামরাহ যুবাঈর নাম নাস্র ইবনু ‘ইমরান যুবাঈ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১৫. অনুচ্ছেদঃ
একই বিষয়
৪৪৩
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ تِسْعَ رَكَعَاتٍ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ وَالْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَائِشَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর রাতের বেলা নয় রাক’আত নামায আদায় করতেন।
সহীহ্। সহীহ্ আবু দাঊদ-(১২১৩), মুসলিম আরো পূর্ণরূপে।
এ অনুচ্ছেদে আবূ হুরায়রা, যাইদ ইবনু খালিদ ও ফজল ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতেও বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর হাদীসটি উল্লেখিত সনদে হাসান সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৪৪
وَرَوَاهُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ عَنِ الأَعْمَشِ، نَحْوَ هَذَا حَدَّثَنَا بِذَلِكَ، مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الأَعْمَشِ، . قَالَ أَبُو عِيسَى وَأَكْثَرُ مَا رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي صَلاَةِ اللَّيْلِ ثَلاَثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً مَعَ الْوِتْرِ وَأَقَلُّ مَا وُصِفَ مِنْ صَلاَتِهِ بِاللَّيْلِ تِسْعُ رَكَعَاتٍ .
সুফিয়ান সাওরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
সুফিয়ান সাওরী আ’মাশের বরাতে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের রাতের (তাহাজ্জুদের) নামায বিতরসহ সর্বোচ্চ তের রাক’আত এবং সর্বনিন্ম নয় রাক’আত ছিল বলে বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
২১৬. অনুচ্ছেদঃ
যদি রাতে নামায আদায় না করেই ঘুমিয়ে যেতেন তবে তা দিনে আদায় করতেন
৪৪৫
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا لَمْ يُصَلِّ مِنَ اللَّيْلِ – مَنَعَهُ مِنْ ذَلِكَ النَّوْمُ أَوْ غَلَبَتْهُ عَيْنَاهُ صَلَّى مِنَ النَّهَارِ ثِنْتَىْ عَشْرَةَ رَكْعَةً . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَسَعْدُ بْنُ هِشَامٍ هُوَ ابْنُ عَامِرٍ الأَنْصَارِيُّ وَهِشَامُ بْنُ عَامِرٍ هُوَ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . حَدَّثَنَا عَبَّاسٌ هُوَ ابْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ الْعَنْبَرِيُّ حَدَّثَنَا عَتَّابُ بْنُ الْمُثَنَّى عَنْ بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ قَالَ كَانَ زُرَارَةُ بْنُ أَوْفَى قَاضِيَ الْبَصْرَةِ وَكَانَ يَؤُمُّ فِي بَنِي قُشَيْرٍ فَقَرَأَ يَوْمًا فِي صَلاَةِ الصُّبْحِ: (فَإِذَا نُقِرَ فِي النَّاقُورِ * فَذَلِكَ يَوْمَئِذٍ يَوْمٌ عَسِيرٌ ) فَخَرَّ مَيِّتًا فَكُنْتُ فِيمَنِ احْتَمَلَهُ إِلَى دَارِهِ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যদি বেশি ঘুম অথবা তন্দ্রার কারণে রাতের নামায আদায় করতে সক্ষম না হতেন, তবে দিনের বেলা বার রাক’আত আদায় করে নিতেন।
সহীহ্। মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এই হাদীসটি হাসান সহীহ্। রাবী হিশাম তিনি ইবনু ‘আমির আর হিশাম ইবনু ‘আমির সাহাবীদের মধ্যে একজন।
বাহ্য ইবনু হাকীম (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, যুরারা ইবনু আওফা বসরার ক্বাযী (বিচারপতি) ছিলেন। তিনি কুশাইর গোত্রের ইমামতি করতেন। একদিন সকালের নামাযে তিনি এই আয়াত পাঠ করলেনঃ ‘‘স্মরণ কর, যখন শিংগায় ফুঁ দেওয়া হবে। সে দিনটি বড়ই কঠোর ও সাংঘাতিক হবে”-(সূরাঃ আল-মুদ্দাসসির-৮, ৯)। তিনি সাথে সাথে পড়ে গিয়ে মারা গেলেন। যারা তাঁকে তুলে তাঁর ঘরে নিয়ে গেলেন, আমিও তাদেও সাথে ছিলাম। -সনদ হাসান।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১৭. অনুচ্ছেদঃ
প্রতি রাতে প্রাচুর্যময় আল্লাহ তা’আলা দুনিয়ার নিকটতম আকাশে অবতরণ করেন
৪৪৬
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الإِسْكَنْدَرَانِيُّ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” يَنْزِلُ اللَّهُ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا كُلَّ لَيْلَةٍ حِينَ يَمْضِي ثُلُثُ اللَّيْلِ الأَوَّلُ فَيَقُولُ أَنَا الْمَلِكُ مَنْ ذَا الَّذِي يَدْعُونِي فَأَسْتَجِيبَ لَهُ مَنْ ذَا الَّذِي يَسْأَلُنِي فَأُعْطِيَهُ مَنْ ذَا الَّذِي يَسْتَغْفِرُنِي فَأَغْفِرَ لَهُ فَلاَ يَزَالُ كَذَلِكَ حَتَّى يُضِيءَ الْفَجْرُ ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَأَبِي سَعِيدٍ وَرِفَاعَةَ الْجُهَنِيِّ وَجُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَأَبِي الدَّرْدَاءِ وَعُثْمَانَ بْنِ أَبِي الْعَاصِ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ أَوْجُهٍ كَثِيرَةٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَرُوِيَ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ ” يَنْزِلُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ حِينَ يَبْقَى ثُلُثُ اللَّيْلِ الآخِرُ ” . وَهُوَ أَصَحُّ الرِّوَايَاتِ .
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আল্লাহ তা’আলা রাতের প্রথম এক তৃতীয়াংশ চলে যাওয়ার পর প্রতি রাতে পৃথিবীর নিকটতম আকাশে অবতরণ করেন। অতঃপর তিনি বলেনঃ আমিই রাজাধিরাজ। আমার নিকট প্রার্থনাকারী কে আছে, আমি তার প্রার্থনা কবুল করব। আমার নিকট আবেদনকারী কে আছে, আমি তার আবেদন পূর্ণ করব। কবুল করব। আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনাকারী কে আছে, আমি তাকে ক্ষমা করব। সকাল আলোকিত না হওয়া পর্যন্ত আল্লাহ তা’আলা তার বান্দাদের এভাবে আহবান করতে থাকেন।
সহীহ্। ইবনু মাজাহ-(১৩৬৬), বুখারী ও মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদে ‘আলী ইবনু আবূ তালিব, আবূ সা’ঈদ, রিফাআ আল-জুহানী, জুবাইর ইবনু মুত’ইম, ইবনু মাসঊদ, আবু দারদা ও ‘উসমান ইবনু আবুল আস (রাঃ) হতেও বর্ণিত আছে, আবূ ‘ঈসা বলেনঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)’র হাদীসটি হাসান সহীহ্।
উল্লেখিত হাদীসটি আবূ হুরায়রা নিকট হতে অসংখ্য সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে এও বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ রাতের এক-তৃতীয়াংশ বাকি থাকতে বারকাতময় আল্লাহ তা’আলা (পৃথিবীর) নিকটতম আকাশে অবতীর্ণ হন।
সব বর্ণনাগুলোর মধ্যে এটিই সর্বাধিক সহীহ্ বর্ণনা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১৮. অনুচ্ছেদঃ
রাতের (তাহাজ্জুদ) নামাযের কিরা’আত
৪৪৭
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ إِسْحَاقَ، هُوَ السَّالَحِينِيُّ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَبَاحٍ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لأَبِي بَكْرٍ ” مَرَرْتُ بِكَ وَأَنْتَ تَقْرَأُ وَأَنْتَ تَخْفِضُ مِنْ صَوْتِكَ ” . فَقَالَ إِنِّي أَسْمَعْتُ مَنْ نَاجَيْتُ . قَالَ ” ارْفَعْ قَلِيلاً ” . وَقَالَ لِعُمَرَ ” مَرَرْتُ بِكَ وَأَنْتَ تَقْرَأُ وَأَنْتَ تَرْفَعُ صَوْتَكَ ” . قَالَ إِنِّي أُوقِظُ الْوَسْنَانَ وَأَطْرُدُ الشَّيْطَانَ قَالَ ” اخْفِضْ قَلِيلاً ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَأُمِّ هَانِئٍ وَأَنَسٍ وَأُمِّ سَلَمَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ . وَإِنَّمَا أَسْنَدَهُ يَحْيَى بْنُ إِسْحَاقَ عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ وَأَكْثَرُ النَّاسِ إِنَّمَا رَوَوْا هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَبَاحٍ مُرْسَلاً .
আবূ কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ বাকার (রাঃ)-কে বললেনঃ আমি আপনার নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম তখন আপনি নামায আদায় করছিলেন এবং আপনার কন্ঠস্বর খুব নীচু ছিল। তিনি (আবূ বাকর) বললেন, আমি তাঁকে শুনাচ্ছিলাম যিনি আমার কানকথাও জানেন। তিনি (রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) বল্লেনঃ কিছুটা উচ্চস্বরে পাঠ করুন। তিনি (রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) ‘উমার (রাঃ)-কে বললেনঃ আমি আপনার নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম তখন আপনি নামায আদায় করছিলেন এবং আপনার কন্ঠস্বর খুব উঁচু ছিল। তিনি (‘উমার) বললেন, আমি অলসদের জাগরিত করছিলাম এবং শাইতানকে তাড়াচ্ছিলাম। তিনি বললেন, আপনার কন্ঠস্বর কিছুটা নীচু করুন।
সহীহ্। সহীহ্ আবু দাঊদ-(১২০০), মিশকাত-(১২০৪)।
এ অনুচ্ছেদে ‘আয়িশাহ্, উম্মু হানী, আনাস, উম্মু সালামাহ্ ও ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এই হাদীসটি গারীব। উল্লেখিত হাদীসটি ইয়াহ্ইয়া ইবনু ইসহাক মুসনাদ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, আর অনেকেই এই হাদীসটিকে আবদুল্লাহ ইবনু আবূ রবাহর নিকট হতে মুরসাল হিসাবেও বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৪৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، مُحَمَّدُ بْنُ نَافِعٍ الْبَصْرِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُسْلِمٍ الْعَبْدِيِّ، عَنْ أَبِي الْمُتَوَكِّلِ النَّاجِيِّ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِآيَةٍ مِنَ الْقُرْآنِ لَيْلَةً . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক রাতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরআনের একটি আয়াত পাঠ করেই রাত কাটিয়ে দিলেন।
সনদ সহীহ্।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এই হাদীসটি উপরোক্ত সূত্রে হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৪৯
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَيْسٍ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ كَيْفَ كَانَ قِرَاءَةُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِاللَّيْلِ أَكَانَ يُسِرُّ بِالْقِرَاءَةِ أَمْ يَجْهَرُ فَقَالَتْ كُلُّ ذَلِكَ قَدْ كَانَ يَفْعَلُ رُبَّمَا أَسَرَّ بِالْقِرَاءَةِ وَرُبَّمَا جَهَرَ . فَقُلْتُ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي جَعَلَ فِي الأَمْرِ سَعَةً . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
আবদুল্লাহ ইবনু আবূ ক্বাইস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশা (রাঃ)–কে প্রশ্ন করলাম, রাতের (তাহাজ্জুদ) নামাযে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কিরা’আত কেমন ছিল? তিনি নিরবে কিরা’আত করতেন না সরবে? তিনি (‘আয়িশাহ্) বললেন, কখনও তিনি নিচু আওয়াজে এবং কখনও উঁচু আওয়াযে কিরা’আত পাঠ করতেন। আমি বললাম, সকল প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার জন্য যিনি এ কাজের মধ্যে প্রশস্ততা রেখেছেন।
সহীহ। সহীহ আবূ দাঊদ-(১২৯১), মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহিহ গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২১৯. অনুচ্ছেদঃ
বাড়িতে নফল নামায আদায়ের ফযিলত
৪৫০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ سَالِمٍ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ أَفْضَلُ صَلاَتِكُمْ فِي بُيُوتِكُمْ إِلاَّ الْمَكْتُوبَةَ ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَأَبِي سَعِيدٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَابْنِ عُمَرَ وَعَائِشَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعْدٍ وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدِ اخْتَلَفَ النَّاسُ فِي رِوَايَةِ هَذَا الْحَدِيثِ فَرَوَاهُ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ أَبِي النَّضْرِ عَنْ أَبِي النَّضْرِ مَرْفُوعًا وَرَوَاهُ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ عَنْ أَبِي النَّضْرِ وَلَمْ يَرْفَعْهُ وَأَوْقَفَهُ بَعْضُهُمْ وَالْحَدِيثُ الْمَرْفُوعُ أَصَحُّ .
যাইদ ইবনু সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ফরয ব্যতীত তোমাদের বাড়িতে আদায়কৃত নামায সর্বোৎকৃষ্ট।
সহীহ্। সহীহ্ আবূ দাঊদ-(১৩০১), বুখারী ও মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদে ‘উমার, জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ, আবু সা’ঈদ, আবূ হুরায়রা, ইবনু ‘উমার, ‘আয়িশাহ্, আবদুল্লাহ ইবনু সা’দ ও যাইদ ইবনু খালিদ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ যাইদ ইবনু সাবিতের হাদীসটি হাসান। এ হাদীসের বর্ণনায় রাবীগনের মধ্যে (সনদের দিক হতে) মতের অমিল হয়েছে। মূসা ইবনু ‘উক্ববা ও ইবরাহীম ইবনু আবূ নাযর আবূ নাযর হতে মারফূরূপে বর্ণনা করেছেন। মালিক ইবনু আনাস আবূ নাযর হতে এ হাদীসটি মারফূ হিসেবে বর্ণনা করেননি। মারফূ বর্ণনাটি অপেক্ষাকৃত সহীহ্
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৫১
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ صَلُّوا فِي بُيُوتِكُمْ وَلاَ تَتَّخِذُوهَا قُبُورًا ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের বাড়িতেও নামায আদায় কর, তাঁকে কবরস্থানে পরিনত কর না।
সহীহ্। সহীহ্ আবূ দাঊদ-(৯৫৮, ১৩০২), বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস