৫/১৪০. অধ্যায়ঃ
বসা অবস্থায় নফল সলাত পড়া।
১২২৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ وَالَّذِي ذَهَبَ بِنَفْسِهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مَا مَاتَ حَتَّى كَانَ أَكْثَرُ صَلاَتِهِ وَهُوَ جَالِسٌ وَكَانَ أَحَبُّ الأَعْمَالِ إِلَيْهِ الْعَمَلَ الصَّالِحَ الَّذِي يَدُومُ عَلَيْهِ الْعَبْدُ وَإِنْ كَانَ يَسِيرًا .
উম্মু সালামাহ (হিন্দ বিনতু আবূ উমায়্যাহ ইবনুল মুগীরাহ) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সেই মহান সত্তার শপথ যিনি তাঁর জান নিয়েছেন, তিনি ( (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) মৃত্যুর কাছাকাছি সময়ে তাঁর অধিকাংশ (নফল) সলাত বসা অবস্থায় পড়তেন। তাঁর কাছে অধিক পছন্দনীয় আমল ছিল তাই যা বান্দা নিয়মিত করতে পারে তা পরিমাণে কম করে হলেও। [১২২৫]
[১২২৫] নাসায়ী ১৬৫৩-৫৫, আহমাদ ২৬১৮৬, ইবনু মাজাহ ৪২৩৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২২৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ أَبِي هِشَامٍ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقْرَأُ وَهُوَ قَاعِدٌ فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ قَامَ قَدْرَ مَا يَقْرَأُ إِنْسَانٌ أَرْبَعِينَ آيَةً .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নফল সলাতের কিরাআত বসা অবস্থায় পড়তেন। অতঃপর তিনি যখন রুকূ‘ করার ইচ্ছা করতেন তখন কোন লোকের চল্লিশ আয়াত পরিমাণ পড়ার মত সময় কিয়াম করতেন (দাঁড়িয়ে থাকতেন)। [১২২৬]
[১২২৬] বুখারী ১১১৮-১৯, ১১১৪৮; মুসলিম ৭৩০/১-৪, ৭৩১-৪, ৭৩১-৩; তিরমিযী ৩৭৪-৭৫, নাসায়ী ১৬৪৬-৫০, ১৬৫২, ১৬৫৬-৫৭; আবূ দাঊদ ৯৫৩-৫৬, আহমাদ ২৪৪৪০, ২৪৯২০, ২৫১৬০, ২৫৪০৯; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৩১২-১৩; ইবনু মাজাহ ১২২৭-২৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৮৮০।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২২৭
حَدَّثَنَا أَبُو مَرْوَانَ الْعُثْمَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُصَلِّي فِي شَىْءٍ مِنْ صَلاَةِ اللَّيْلِ إِلاَّ قَائِمًا حَتَّى دَخَلَ فِي السِّنِّ فَجَعَلَ يُصَلِّي جَالِسًا حَتَّى إِذَا بَقِيَ عَلَيْهِ مِنْ قِرَاءَتِهِ أَرْبَعُونَ آيَةً أَوْ ثَلاَثُونَ آيَةً قَامَ فَقَرَأَهَا وَسَجَدَ .
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বয়স ভারী না হওয়া পর্যন্ত তিনি রাতের সালাত দাঁড়িয়েই পড়তেন। অতঃপর তিনি বসা অবস্থায় সালাত আদায় করতে থাকেন। শেষে যখন তাঁর চল্লিশ বা তিরিশ আয়াত পরিমাণ বাকি থাকতো তখন তিনি দাঁড়িয়ে যেতেন, অতঃপর তা পড়া শেষ করে সাজদাহয় যেতেন। [১২২৭]
[১২২৭] বুখারী ১১১৮-১৯, ১১১৪৮; মুসলিম ৭৩০/১-৪, ৭৩১-৪, ৭৩১-৩; তিরমিযী ৩৭৪-৭৫, নাসায়ী ১৬৪৬-৫০, ১৬৫২, ১৬৫৬-৫৭; আবূ দাঊদ ৯৫৩-৫৬, আহমাদ ২৪৪৪০, ২৪৯২০, ২৫১৬০, ২৫৪০৯; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৩১২-১৩; ইবনু মাজাহ ১২২৬, ১২২৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৮৭৯।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২২৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ الْعُقَيْلِيِّ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ عَنْ صَلاَةِ، رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِاللَّيْلِ فَقَالَتْ كَانَ يُصَلِّي لَيْلاً طَوِيلاً قَائِمًا وَلَيْلاً طَوِيلاً قَاعِدًا فَإِذَا قَرَأَ قَائِمًا رَكَعَ قَائِمًا وَإِذَا قَرَأَ قَاعِدًا رَكَعَ قَاعِدًا .
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
(আবদুল্লাহ্) বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর রাতের সালাত সম্পর্কে আয়িশা (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলেন, তিনি কখনও দীর্ঘ রাত ধরে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করতো, আবার কখনও দীর্ঘ রাত ধরে বসে সালাত আদায় করতো। তিনি দাঁড়ানো অবস্থায় কিরাআত পাঠ করলে রুকূ‘ ও দাঁড়ানো অবস্থায় করতেন এবং বসা অবস্থায় কিরাআত পড়লে রুকূ‘ও বসা অবস্থায় করতেন। [১২২৮]
[১২২৮] বুখারী ১১১৮-১৯, ১১১৪৮; মুসলিম ৭৩০/১-৪, ৭৩১-৪, ৭৩১-৩; তিরমিযী ৩৭৪-৭৫, নাসায়ী ১৬৪৬-৫০, ১৬৫২, ১৬৫৬-৫৭; আবূ দাঊদ ৯৫৩-৫৬, আহমাদ ২৪৪৪০, ২৪৯২০, ২৫১৬০, ২৫৪০৯; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৩১২-১৩; ইবনু মাজাহ ১২২৬, ১২২৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ৮৮০, ১১৩৭।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/১৪১. অধ্যায়ঃ
বসা অবস্থায় পড়া সলাতের নেকী দাঁড়ানো অবস্থায় পড়া সলাতের অর্ধেক।
১২২৯
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا قُطْبَةُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَابَاهْ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مَرَّ بِهِ وَهُوَ يُصَلِّي جَالِسًا فَقَالَ “ صَلاَةُ الْجَالِسِ عَلَى النِّصْفِ مِنْ صَلاَةِ الْقَائِمِ ” .
আবদুল্লাহ বিন আম্র (ইবনুল আস) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে অতিক্রম করে যাওয়ার সময় তিনি বসা অবস্থায় সালাত পড়ছিলেন। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি বসে সালাত পড়ে তার নেকী, যে ব্যক্তি দাঁড়িয়ে সালাত পড়ে তার অর্ধেক। [১২২৯]
[১২২৯] মুসলিম ৭৩৫, নাসায়ী ১৬৫৯, আবূ দাঊদ ৯৫০, আহমাদ ৬৪৭৬, ৬৭৬৪, ৬৮৪৪, ৬৮৫৫; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৩০৯-১০, দারিমী ১৩৮৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ২০৬, সহীহ আবী দাউদ ৮৭৬।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২৩০
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنِي إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ خَرَجَ فَرَأَى أُنَاسًا يُصَلُّونَ قُعُودًا فَقَالَ “ صَلاَةُ الْقَاعِدِ عَلَى النِّصْفِ مِنْ صَلاَةِ الْقَائِمِ ” .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বের হয়ে এসে কিছু সংখ্যক লোককে বসা অবস্থায় সালাত আদায় করতে দেখেন। তিনি বলেন, বসে সালাত আদায়কারির সলাতের নেকী দাঁড়িয়ে সালাত আদায়কারীর সলাতের অর্ধেক। [১২৩০]
[১২৩০] আহমাদ ১২৮২৪, ১৩১০৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২৩১
حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ هِلاَلٍ الصَّوَّافُ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ حُسَيْنٍ الْمُعَلِّمِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، أَنَّهُ سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَنِ الرَّجُلِ يُصَلِّي قَاعِدًا قَالَ “ مَنْ صَلَّى قَائِمًا فَهُوَ أَفْضَلُ وَمَنْ صَلَّى قَاعِدًا فَلَهُ نِصْفُ أَجْرِ الْقَائِمِ وَمَنْ صَلَّى نَائِمًا فَلَهُ نِصْفُ أَجْرِ الْقَاعِدِ ” .
ইমরান বিন হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে ব্যক্তি বসে সালাত পড়ে তার সম্পর্কে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞাস করেন। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি দাঁড়িয়ে সালাত পড়ে সে অধিক উত্তম। আর যে ব্যক্তি বসে সালাত পড়ে তার নেকী দাঁড়িয়ে সালাত আদায়কারীর অর্ধেক। আর যে ব্যক্তি শোয়া অবস্থায় সালাত পড়ে তার নেকী বসা অবস্থায় সালাত আদায়কারীর অর্ধেক। [১২৩১]
[১২৩১] বুখারী ১১১৫-১৬, তিরমিযী ৩৭১, নাসায়ী ১৬৬০, আবূ দাঊদ ৯৫১-৫২, আহমাদ ১৯৩৮৬, ১৯৩৯৮, ১৯৪৭২, ১৯৪৮১। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৪৫৫ সহীহ, আবী দাউদ ৮৭৭।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/১৪২. অধ্যায়ঃ
রোগাক্রান্ত অবস্থায় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সালাত।
১২৩২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَوَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، ح وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ لَمَّا مَرِضَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مَرَضَهُ الَّذِي مَاتَ فِيهِ – وَقَالَ أَبُو مُعَاوِيَةَ لَمَّا ثَقُلَ – جَاءَ بِلاَلٌ يُؤْذِنُهُ بِالصَّلاَةِ فَقَالَ ” مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ ” . قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ رَجُلٌ أَسِيفٌ – تَعْنِي رَقِيقٌ – وَمَتَى مَا يَقُومُ مُقَامَكَ يَبْكِي فَلاَ يَسْتَطِيعُ فَلَوْ أَمَرْتَ عُمَرَ فَصَلَّى بِالنَّاسِ . فَقَالَ ” مُرُوا أَبَا بَكْرِ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ فَإِنَّكُنَّ صَوَاحِبَاتُ يُوسُفَ ” . قَالَتْ فَأَرْسَلْنَا إِلَى أَبِي بَكْرٍ فَصَلَّى بِالنَّاسِ فَوَجَدَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مِنْ نَفْسِهِ خِفَّةً فَخَرَجَ إِلَى الصَّلاَةِ يُهَادَى بَيْنَ رَجُلَيْنِ وَرِجْلاَهُ تَخُطَّانِ فِي الأَرْضِ فَلَمَّا أَحَسَّ بِهِ أَبُو بَكْرٍ ذَهَبَ لِيَتَأَخَّرَ فَأَوْمَى إِلَيْهِ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ مَكَانَكَ . قَالَ فَجَاءَ حَتَّى أَجْلَسَاهُ إِلَى جَنْبِ أَبِي بَكْرٍ فَكَانَ أَبُو بَكْرٍ يَأْتَمُّ بِالنَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَالنَّاسُ يَأْتَمُّونَ بِأَبِي بَكْرٍ .
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর মৃত্যুব্যাধিতে আক্রান্ত অবস্থায় বিলাল (রাঃ) এসে তাঁকে সলাতের কথা অবহিত করেন। তিনি বলেন, তোমরা আবূ বাক্রকে নির্দেশ দাও তিনি যেন লোকদের সালাত পড়ান। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আবূ বাকর (রাঃ) নরম দিলের লোক। যখনই তিনি আপনার স্থানে দাঁড়াবেন তখনই কেঁদে ফেলবেন এবং (সালাত পড়াতে) সক্ষম হবেন না। অতএব আপনি যদি উমার (রাঃ)-কে নির্দেশ দিতেন তাহলে তিনি লোকেদের সালাত পড়াতেন। তিনি বলেন, তোমরা আবূ বাক্রকে নির্দেশ দাও তিনি যেন লোকেদের সালাত পড়ান। তোমরা (মু’মিন জননীগণ) যেন ইউসুফ (আঃ)-এর সঙ্গিনীগনের অনুরূপ। আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমরা আবূ বকর (রাঃ)-এর নিকট লোক পাঠালে তিনি লোকেদের নিয়ে সালাত পড়া শুরু করেন। ইত্যবসরে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজেকে একটু হালকা (সুস্থ) বোধ করলে দু’ ব্যক্তির কাঁধে ভর করে মাটিতে তাঁর পদদ্বয় হেঁচড়াতে হেঁচড়াতে সালাত আদায় করতে রওয়ানা হন। আবূ বকর (রাঃ) তাঁর আগমন টের পেয়ে পেছনে সরে যেতে উদ্যোগী হন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইশারা করে তাকে স্বস্থানে স্থির থাকতে বলেন। রাবী বলেন, তিনি (মাসজিদে) এসে পৌঁছলে সাহায্যকারীদ্বয় তাঁকে আবূ বাকর (রাঃ) এর পাশে বসিয়ে দেন। আবূ বকর (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ইকতিদা করলেন এবং লোকেরা আবূ বকর (রাঃ)-এর ইকতিদা করে। [১২৩২]
[১২৩২] বুখারী ১৯৮, ৬৬৪-৬৫, ৬৭৯, ৬৮২-৮৩, ৬৮৭, ৭১২-১৩, ৭১৬, ২৫৮৮, ৩০৯৯, ৩৩৮৪, ৪৪৪২, ৫৭১৪, ৭৩০৩; মুসলিম ৪১৮, তিরমিযী ৩৬৭২, নাসায়ী ৮৩৩-৩৪, আবূ দাঊদ ২১৩৭, আহমাদ ২৩৫৪১, ২৫৩৪৮, ২৫৩৮৬, ২৫৬০৬; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৪১৪, দারিমী ৮২, ১২৫৭; ইবনু মাজাহ ১২৩৩, ১৬১৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৫৪৮।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২৩৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَبَا بَكْرٍ أَنْ يُصَلِّيَ بِالنَّاسِ فِي مَرَضِهِ فَكَانَ يُصَلِّي بِهِمْ فَوَجَدَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ خِفَّةً فَخَرَجَ وَإِذَا أَبُو بَكْرٍ يَؤُمُّ النَّاسَ فَلَمَّا رَآهُ أَبُو بَكْرٍ اسْتَأْخَرَ فَأَشَارَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَىْ كَمَا أَنْتَ فَجَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ حِذَاءَ أَبِي بَكْرٍ إِلَى جَنْبِهِ فَكَانَ أَبُو بَكْرٍ يُصَلِّي بِصَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَالنَّاسُ يُصَلُّونَ بِصَلاَةِ أَبِي بَكْرٍ .
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর রোগগ্রস্ত অবস্থায় আবূ বকর (রাঃ)-কে নির্দেশ দেন যে, তিনি যেন লোকেদের সালাত পড়ান। অতএব তিনি তাদের সালাত পড়াচ্ছিলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিছুটা হালকা (সুস্থতা) বোধ করলেন। অতএব তিনি বের হলেন, তখন আবূ বকর (রাঃ) লোকেদের ইমামতি করছিলেন। তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেখে পেছনে হটতে উদ্যোগী হন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে ইশারা করে স্বস্থানে থাকতে বলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ বকর (রাঃ)-এর ঠিক বামে বসলেন। আবূ বকর (রাঃ) তাঁর ইমামতিতে সালাত পড়েন এবং লোকেরা আবূ বকর (রাঃ)-এর ইমামতিতে সালাত পড়ে। [১২৩৩]
[১২৩৩] বুখারী ১৯৮, ৬৬৪-৬৫, ৬৭৯, ৬৮২-৮৩, ৬৮৭, ৭১২-১৩, ৭১৬, ২৫৮৮, ৩০৯৯, ৩৩৮৪, ৪৪৪২, ৫৭১৪, ৭৩০৩; মুসলিম ৪১৮, তিরমিযী ৩৬৭২, নাসায়ী ৮৩৩-৩৪, আবূ দাঊদ ২১৩৭, আহমাদ ২৩৫৪১, ২৫৩৪৮, ২৫৩৮৬, ২৫৬০৬; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৪১৪, দারিমী ৮২, ১২৫৭; ইবনু মাজাহ ১২৩২, ১৬১৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২৩৪
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ، مِنْ كِتَابِهِ فِي بَيْتِهِ قَالَ سَلَمَةُ بْنُ نُبَيْطٍ أَنْبَأَنَا عَنْ نُعَيْمِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ عَنْ نُبَيْطِ بْنِ شَرِيطٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عُبَيْدٍ قَالَ أُغْمِيَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي مَرَضِهِ ثُمَّ أَفَاقَ فَقَالَ ” أَحَضَرَتِ الصَّلاَةُ ” . قَالُوا نَعَمْ . قَالَ ” مُرُوا بِلاَلاً فَلْيُؤَذِّنْ وَمُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ – أَوْ لِلنَّاسِ – ” . ثُمَّ أُغْمِيَ عَلَيْهِ فَأَفَاقَ فَقَالَ ” أَحَضَرَتِ الصَّلاَةُ ” . قَالُوا نَعَمْ . قَالَ ” مُرُوا بِلاَلاً فَلْيُؤَذِّنْ وَمُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ ” . ثُمَّ أُغْمِيَ عَلَيْهِ فَأَفَاقَ فَقَالَ ” أَحَضَرَتِ الصَّلاَةُ ” . قَالُوا نَعَمْ . قَالَ ” مُرُوا بِلاَلاً فَلْيُؤَذِّنْ وَمُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ ” . فَقَالَتْ عَائِشَةُ إِنَّ أَبِي رَجُلٌ أَسِيفٌ فَإِذَا قَامَ ذَلِكَ الْمُقَامَ يَبْكِي لاَ يَسْتَطِيعُ فَلَوْ أَمَرْتَ غَيْرَهُ . ثُمَّ أُغْمِيَ عَلَيْهِ فَأَفَاقَ فَقَالَ ” مُرُوا بِلاَلاً فَلْيُؤَذِّنْ وَمُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ فَإِنَّكُنَّ صَوَاحِبُ يُوسُفَ أَوْ صَوَاحِبَاتُ يُوسُفَ ” . قَالَ فَأُمِرَ بِلاَلٌ فَأَذَّنَ وَأُمِرَ أَبُو بَكْرٍ فَصَلَّى بِالنَّاسِ ثُمَّ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَجَدَ خِفَّةً فَقَالَ ” انْظُرُوا لِي مَنْ أَتَّكِئُ عَلَيْهِ ” . فَجَاءَتْ بَرِيرَةُ وَرَجُلٌ آخَرُ فَاتَّكَأَ عَلَيْهِمَا فَلَمَّا رَآهُ أَبُو بَكْرٍ ذَهَبَ لِيَنْكُصَ فَأَوْمَأَ إِلَيْهِ أَنِ اثْبُتْ مَكَانَكَ ثُمَّ جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ حَتَّى جَلَسَ إِلَى جَنْبِ أَبِي بَكْرٍ حَتَّى قَضَى أَبُو بَكْرٍ صَلاَتَهُ ثُمَّ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قُبِضَ . قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لَمْ يُحَدِّثْ بِهِ غَيْرُ نَصْرِ بْنِ عَلِيٍّ .
সালিম বিন উবায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর অসুস্থ অবস্থায় বেহুঁশ হয়ে পড়লেন, অতঃপর হুঁশ ফিরে পেলে তিনি জিজ্ঞেস করেন : সলাতের ওয়াক্ত হয়েছে কি? তারা বললেন, হাঁ। তিনি বলেন, বিলালকে আযান দিতে নির্দেশ দাও এবং আবূ বাক্রকে লোকেদের নিয়ে সালাত আদায় করতে নির্দেশ দাও। তিনি আবার সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন, অতঃপর সংজ্ঞা ফিরে পেলে তিনি জিজ্ঞেস করেন : সলাতের ওয়াক্ত হয়েছে কি? লোকেরা বললো, হাঁ। তিনি বলেন, বিলালকে আযান দিতে এবং আবূ বাক্রকে লোকেদের নিয়ে সালাত আদায় করতে নির্দেশ দাও। তিনি পুনরায় সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন। তিনি সংজ্ঞা ফিরে পেলে জিজ্ঞেস করেন : সলাতের ওয়াক্ত হয়েছে কি? লোকেরা বললো, হাঁ। তিনি বলেন, বিলালকে আযান দিতে এবং আবূ বাক্রকে লোকেদের নিয়ে সালাত আদায় করতে নির্দেশ দাও। আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমার পিতা নরম দিলের মানুষ। তিনি যখন ঐ স্থানে দাঁড়াবেন তখন কেঁদে দিবেন এবং (কিরাআত পড়তে) সক্ষম হবেন না। অতএব আপনি যদি অপর কাউকে নির্দেশ দিতেন। তিনি পুনরায় সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন। অতঃপর সংজ্ঞা ফিরে পেলে তিনি বলেন, বিলালকে আযান দিতে এবং আবূ বাক্রকে লোকেদের নিয়ে সালাত আদায় করতে নির্দেশ দাও। তোমরা হলে ইউসুফ (আঃ)-এর সঙ্গী বা সঙ্গিনী। রাবী বলেন, বিলাল (রাঃ)-কে নির্দেশ দেয়া হলে তিনি আযান দেন এবং আবূ বাকর (রাঃ)-কে নির্দেশ দেয়া হলে তিনি লোকেদের নিয়ে সালাত পড়েন। ইত্যবসরে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিছুটা হালকা বোধ করলে বলেন, দেখো তো আমার ভর দিয়ে যাওয়ার মত কাউকে পাওয়া যায় কিনা। বারীরা (রাঃ) ও অপর এক ব্যক্তি এলে তিনি তাদের উপর ভর করে (মাসজিদে যান)। আবূ বকর (রাঃ) তাঁকে দেখতে পেয়ে পিছনে সরতে যাচ্ছিলেন। তিনি তাঁকে ইশারায় স্বস্থানে স্থির থাকতে বলেন। অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এসে আবূ বকর (রাঃ)-এর পাশে বসেন। আবূ বাকর (রাঃ) তার সালাত শেষ করেন। অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইনতিকাল করেন। আবূ আবদুল্লাহ্ (ইমাম ইবনু মাজাহ) বলেন, এ হাদীসটি গরীব। নাস্র বিন আলী ব্যতীত আর কেউ এটি বর্ণনা করেননি।
সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২৩৫
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَرْقَمِ بْنِ شُرَحْبِيلَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ لَمَّا مَرِضَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مَرَضَهُ الَّذِي مَاتَ فِيهِ كَانَ فِي بَيْتِ عَائِشَةَ . فَقَالَ ” ادْعُوا لِي عَلِيًّا ” . قَالَتْ عَائِشَةُ يَا رَسُولَ اللَّهِ نَدْعُو لَكَ أَبَا بَكْرٍ قَالَ ” ادْعُوهُ ” . قَالَتْ حَفْصَةُ يَا رَسُولَ اللَّهِ نَدْعُو لَكَ عُمَرَ قَالَ ” ادْعُوهُ ” . قَالَتْ أُمُّ الْفَضْلِ يَا رَسُولَ اللَّهِ نَدْعُو لَكَ الْعَبَّاسَ قَالَ ” نَعَمْ ” . فَلَمَّا اجْتَمَعُوا رَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رَأْسَهُ فَنَظَرَ فَسَكَتَ فَقَالَ عُمَرُ قُومُوا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ . ثُمَّ جَاءَ بِلاَلٌ يُؤْذِنُهُ بِالصَّلاَةِ فَقَالَ ” مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ ” . فَقَالَتْ عَائِشَةُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ رَجُلٌ رَقِيقٌ حَصِرٌ وَمَتَى لاَ يَرَاكَ يَبْكِي وَالنَّاسُ يَبْكُونَ فَلَوْ أَمَرْتَ عُمَرَ يُصَلِّي بِالنَّاسِ . فَخَرَجَ أَبُو بَكْرٍ فَصَلَّى بِالنَّاسِ فَوَجَدَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مِنْ نَفْسِهِ خِفَّةً فَخَرَجَ يُهَادَى بَيْنَ رَجُلَيْنِ وَرِجْلاَهُ تَخُطَّانِ فِي الأَرْضِ فَلَمَّا رَآهُ النَّاسُ سَبَّحُوا بِأَبِي بَكْرٍ فَذَهَبَ لِيَسْتَأْخِرَ فَأَوْمَأَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَىْ مَكَانَكَ فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَجَلَسَ عَنْ يَمِينِهِ وَقَامَ أَبُو بَكْرٍ فَكَانَ أَبُو بَكْرٍ يَأْتَمُّ بِالنَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَالنَّاسُ يَأْتَمُّونَ بِأَبِي بَكْرٍ . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَأَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مِنَ الْقِرَاءَةِ مِنْ حَيْثُ كَانَ بَلَغَ أَبُو بَكْرٍ . قَالَ وَكِيعٌ وَكَذَا السُّنَّةُ . قَالَ فَمَاتَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي مَرَضِهِ ذَلِكَ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর মরণ ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার পর আয়িশা (রাঃ)-এর ঘরে ছিলেন। তিনি বলেন, তোমরা আলীকে আমার নিকট ডেকে আনো। আয়িশা (রাঃ) বলেন, হে আল্লাহর রসূল! আমরা আবূ বাক্রকেও আপনার নিকট ডেকে আনি? তিনি বলেন, তাকেও ডেকে আনো। হাফসা (রাঃ) বলেন, হে আল্লাহর রসূল! আমরা উমারকেও আপনার নিকট ডেকে আনি? তিনি বলেন, তাকেও ডাকো। উম্মুল ফাদল (রাঃ) বলেন, হে আল্লাহর রসূল! আব্বাস (রাঃ)-কেও আপনার নিকট ডেকে আনি? তিনি বলেন, হাঁ। তারা একত্র হলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাথা উত্তোলন করে তাকান এবং নিশ্চুপ থাকেন উমার (রাঃ) বলেন, তোমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট থেকে উঠে যাও। অতঃপর বিলাল (রাঃ) এসে তাঁকে সালাত সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি বলেন, আবূ বাক্রকে নির্দেশ দাও তিনি যেন লোকদের নিয়ে সালাত পড়েন। আয়িশা (রাঃ) বলেন, হে আল্লাহর রসূল! আবূ বকর (রাঃ) নরম দিলের লোক, তিনি কিরাআত পড়তে সক্ষম হবেন না, তিনি আপনাকে দেখতে না পেলেই কেঁদে ফেলবেন এবং লোকেরাও কেঁদে ফেলবে। অতএব আপনি যদি উমার (রাঃ)-কে লোকেদের সালাত পড়াবার নির্দেশ দিতেন! আবূ বকর (রাঃ) বেরিয়ে এসে লোকেদের সাথে নিয়ে সালাত শুরু করলেন। ইত্যবসরে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হালকা বোধ করলেন এবং দু’জন লোকের উপর ভর করে তাঁর দু’ পা মাটিতে হেঁচড়াতে হেঁচড়াতে বের হলেন। লোকেরা তাকে দেখতে পেয়ে সুবহানাল্লাহ বলে আবূ বকর (রাঃ)-কে সতর্ক করলো। তিনি পেছনে সরে যেতে উদ্যোগী হলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে ইশারা করে স্বস্থানে থাকতে বলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এসে তার ডান পাশে বসলেন এবং আবূ বকর (রাঃ) দাঁড়ালেন। আবূ বাকর (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ইকতিদা করলেন এবং লোকেরা আবূ বাকর (রাঃ)-এর ইকতিদা করলো। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, আবূ বকর (রাঃ) যে পর্যন্ত কিরাআত পড়েছিলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তারপর থেকে কিরাআত শুরু করেন। ওয়াকী‘ (রাঃ) বলেন, এটাই সুন্নাত। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর এই রোগেই ইনতিকাল করেন। [১২৩৫]
[১২৩৫] আহমাদ ৩৩৪৫ তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৫/১৪৩. অধ্যায়ঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর উম্মাতেরই একজনের পিছনে সালাত পড়েন।
১২৩৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ حَمْزَةَ بْنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ تَخَلَّفَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَانْتَهَيْنَا إِلَى الْقَوْمِ وَقَدْ صَلَّى بِهِمْ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ رَكْعَةً فَلَمَّا أَحَسَّ بِالنَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ذَهَبَ يَتَأَخَّرُ فَأَوْمَأَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ يُتِمَّ الصَّلاَةَ قَالَ “ وَقَدْ أَحْسَنْتَ كَذَلِكَ فَافْعَلْ ” .
মুগীরাহ বিন শু’বাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অনুপস্থিত ছিলেন। আমরা সম্প্রদায়ের নিকট যখন পৌঁছলাম তখন আবদুর রহমান বিন আওফ (রাঃ) লোকেদের এক রাকআত পড়ানো শেষ করেছেন মাত্র। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপস্থিত অনুভব করে তিনি পেছনে সরে যেতে উদ্যোগী হলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে সালাত পড়ে শেষ করতে ইশারা করেন। (সালাত শেষে) তিনি বলেন, তুমি উত্তম কাজ করেছো। তুমি এমনটিই করবে। [১২৩৬]
[১২৩৬] মুসলিম ২৭১-২, নাসায়ী ১০৯, আহমাদ ১৭৭০৫, ১৭৭১০। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/১৪৪. অধ্যায়ঃ
ইমাম নিযুক্ত করা হয় তাকে অনুসরণ করার জন্য।
১২৩৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتِ اشْتَكَى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَدَخَلَ عَلَيْهِ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِهِ يَعُودُونَهُ فَصَلَّى النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ جَالِسًا فَصَلَّوْا بِصَلاَتِهِ قِيَامًا فَأَشَارَ إِلَيْهِمْ أَنِ اجْلِسُوا فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ “ إِنَّمَا جُعِلَ الإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ فَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا وَإِذَا رَفَعَ فَارْفَعُوا وَإِذَا صَلَّى جَالِسًا فَصَلُّوا جُلُوسًا ” .
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রোগাক্রান্ত হলে তাঁর কতক সহাবী তাঁকে দেখতে এলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বসা অবস্থায় সালাত পড়লেন, কিন্তু তারা তাঁর সাথে দাঁড়িয়ে সালাত পড়লেন। তিনি তাদেরকে ইশারা করে বসতে বলেন। তিনি সালাত শেষে বলেন, ইমাম নিযুক্ত করা হয় তাকে অনুসরন করার জন্য। অতএব তিনি রুকূ‘তে গেলে তোমরাও রুকূ‘তে যাও, তিনি মাথা তুললে তোমরাও মাথা তোল এবং তিনি বসে সালাত পড়লে তোমরাও বসে সালাত পড়ো (বুখারী, নং ৩৫৪)। [১২৩৭]
[১২৩৭] বুখারী ৬৮৮, ১১১৩, ১২৩৬, ৫৬৫৮; মুসলিম ৪১২, আবূ দাঊদ ৬০৫, আহমাদ ২৩৭২৯, ২৩৭৮২, ২৩৮৭৫, ২৪৬২৫, ২৫০৯০; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৩০৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৬১৮
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২৩৮
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ صُرِعَ عَنْ فَرَسٍ فَجُحِشَ شِقُّهُ الأَيْمَنُ فَدَخَلْنَا نَعُودُهُ وَحَضَرَتِ الصَّلاَةُ فَصَلَّى بِنَا قَاعِدًا وَصَلَّيْنَا وَرَاءَهُ قُعُودًا فَلَمَّا قَضَى الصَّلاَةَ قَالَ “ إِنَّمَا جُعِلَ الإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ فَقُولُوا رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ وَإِذَا سَجَدَ فَاسْجُدُوا وَإِذَا صَلَّى قَاعِدًا فَصَلُّوا قُعُودًا أَجْمَعِينَ ” .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘোড়ার পিঠ থেকে নিক্ষিপ্ত হলে তাঁর ডান পার্শ্বদেশ আহত হয়। আমরা তাঁকে দেখতে গেলাম। সলাতের ওয়াক্ত হয়ে গেলে তিনি বসা অবস্থায় আমাদের সালাত পড়ান এবং আমরাও তাঁর পেছনে বসা অবস্থায় সালাত পড়ি। তিনি সালাত শেষ করে বলেন, ইমাম নিযুক্ত করা হয় তাকে অনুসরণ করার জন্য। তিনি যখন তাকবীর বলেন, তোমরাও তাকবীর বলো, তিনি যখন রুকূ‘ করেন, তোমরাও রুকূ‘ করো, তিনি যখন ‘সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলেন, তোমরা বলো, ‘রাব্বানা ওয়া লাকাল হাম্দ’। তিনি যখন সাজদাহ করেন, তোমরাও সাজদাহ করো এবং তিনি যখন বসা অবস্থায় সালাত পড়েন, তোমরাও সকলে বসা অবস্থায় সালাত পড়ো। [১২৩৮]
[১২৩৮] বুখারী ৬৮৯, ৭৩২-৩৩, ৮০৫, ১১১৪; মুসলিম ৪১১, তিরমিযী ৩৬১, নাসায়ী ৭৯৪, ৮৩২, ১০৬১; আবূ দাঊদ ৬০১, আহমাদ ১১৬৬৪, ১২২৪১; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৩০৬, দারিমী ১২৫৬, ইবনু মাজাহ ৮৭৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৩৯৪, সহীহ আবী দাউদ ৬১৪।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২৩৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا هُشَيْمُ بْنُ بَشِيرٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ إِنَّمَا جُعِلَ الإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ فَقُولُوا رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ وَإِنْ صَلَّى قَائِمًا فَصَلُّوا قِيَامًا وَإِنْ صَلَّى قَاعِدًا فَصَلُّوا قُعُودًا ” .
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ইমাম নিযুক্ত করা হয় তাকে অনুসরণ করার জন্য। অতএব তিনি যখন তাকবীর বলেন, তোমরাও তাকবীর বলো, তিনি যখন রুকূ‘তে যান, তোমরাও রুকূ‘তে যাও, তিনি যখন সামিআল্লাহু লিমান হামিদা বলেন, তোমরা তখন ‘রাব্বানা ওয়ালাকাল হাম্দ’ বলো, তিনি দাঁড়ানো অবস্থায় সালাত পড়লে তোমরাও দাঁড়ানো অবস্থায় সালাত পড়ো এবং তিনি বসা অবস্থায় সালাত পড়লে তোমরাও বসা অবস্থায় সালাত পড়ো। [১২৩৯]
[১২৩৯] বুখারী ৭২২, ৭৩৪; মুসলিম ৪১৪-১৭, নাসায়ী ৯২১-২২, আবূ দাঊদ ৬০৩, আহমাদ ৭১০৪, ৮২৯৭, ৮৬৭২, ৯০৭৪, ৯১৫১, ২৭২০৯, ২৭২১৫, ২৭২৭৩, ২৭৩৮৩; দারিমী ১৩১১, ইবনু মাজাহ ৮৪৬, ৯৬০। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ১২১-১২২, সহীহ, আবী দাউদ ৬১৬, ৬১৯।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২৪০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ الْمِصْرِيُّ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ اشْتَكَى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَصَلَّيْنَا وَرَاءَهُ وَهُوَ قَاعِدٌ وَأَبُو بَكْرٍ يُكَبِّرُ يُسْمِعُ النَّاسَ تَكْبِيرَهُ فَالْتَفَتَ إِلَيْنَا فَرَآنَا قِيَامًا فَأَشَارَ إِلَيْنَا فَقَعَدْنَا فَصَلَّيْنَا بِصَلاَتِهِ قُعُودًا فَلَمَّا سَلَّمَ قَالَ “ إِنْ كِدْتُمْ أَنْ تَفْعَلُوا فِعْلَ فَارِسَ وَالرُّومِ يَقُومُونَ عَلَى مُلُوكِهِمْ وَهُمْ قُعُودٌ فَلاَ تَفْعَلُوا ائْتَمُّوا بِأَئِمَّتِكُمْ إِنْ صَلَّى قَائِمًا فَصَلُّوا قِيَامًا وَإِنْ صَلَّى قَاعِدًا فَصَلُّوا قُعُودًا ” .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অসুস্থ হয়ে পড়লেন। তিনি বসা অবস্থায় (ইমামতি করেন), আমরা তাঁর পিছনে সলাত পড়লাম, আবূ বকর (রাঃ) লোকদের শুনানোর জন্য উচ্চকন্ঠে তাঁর তাকবীরের পুনরাবৃত্তি করেন। তিনি আমাদের দিকে লক্ষ্য করে আমাদেরকে দাঁড়ানো অবস্থায় দেখলেন। তিনি ইশারা করলে আমরা বসে পড়লাম এবং বসা অবস্থায় তাঁর সাথে সলাত পড়লাম। তিনি সালাম ফিরিয়ে বললেনঃ তোমরা প্রায় পারস্য ও রোমবাসীদের মত কাজ করে ফেলেছিলে। তাদের নেতারা বসা থাকতো এবং তারা তাদের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতো, কিন্তু তোমরা তা করো না। তোমরা তোমাদের ইমামদের অনুসরণ করো। তিনি দাঁড়িয়ে সলাত পড়লে তোমরাও দাঁড়িয়ে সলাত পড়ো এবং তিনি বসে সলাত পড়লে তোমরাও বসে সলাত পড়ো। [১২৪০]
[১২৪০] মুসলিম ৪১৩, নাসায়ী ৭৯৮, ১২০০; আবূ দাঊদ ৬০৫, আহমাদ ১৪১৮০। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৬১৫, ৬১৯।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/১৪৫. অধ্যায়ঃ
ফজরের সলাতে দুআ’ কুনুত পড়া প্রসঙ্গে।
১২৪১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، وَحَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، وَيَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنْ أَبِي مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، سَعْدِ بْنِ طَارِقٍ قَالَ قُلْتُ لأَبِي يَا أَبَتِ إِنَّكَ قَدْ صَلَّيْتَ خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ وَعَلِيٍّ هَا هُنَا بِالْكُوفَةِ نَحْوًا مِنْ خَمْسِ سِنِينَ فَكَانُوا يَقْنُتُونَ فِي الْفَجْرِ فَقَالَ أَىْ بُنَىَّ مُحْدَثٌ .
আবূ মালিক আল-আশজাঈ সা’দ বিন তারিক থেকে বর্ণিতঃ
আমি আমার পিতা তারিক বিন আশইয়াম বিন মাস্ঊদ (রাঃ) কে বললাম, হে পিতা! আপনি অবশ্যই রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম), আবূ বকর (রাঃ), উমার (রাঃ) ও উসমান (রাঃ)-এর পিছনে সলাত আদায় করেছেন। তাঁরা কি ফজরের সলাতে দুআ’ কুনূত পড়তেন? তিনি বললেন, হে বৎস! এটা তো বিদয়াত। [১২৪১]
[১২৪১] তিরমিযী ৪০২, নাসায়ী ১০৮০, আহমাদ ১৫৪৪৯, ২৬৬৬৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৪৩৫, মিশকাত ১২৯২।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২৪২
حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ بَكْرٍ الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَعْلَى، زُنْبُورٌ حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نَافِعٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَنِ الْقُنُوتِ فِي الْفَجْرِ .
উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফজরের সলাতে দুআ’ কুনূত পড়তে নিষেধ করেছেন। [১২৪২]
[১২৪২] নাই তাহক্বীক্ব আলবানী: মাওযু। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়া ৪৩৬ যঈফ, তিরমিযী ৪০১, ৪০২ সহীহ, ইবনু খুযাইমাহ ১০৯৪ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. মুহাম্মাদ বিন ইয়ালা যুনবুর সম্পর্কে ইবনু হিব্বান সিকাহ বললেও তিনি বলেন, তার মাধ্যমে দলীল গ্রহণযোগ্য হবে না। ইমাম বুখারী বলেন, তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি জাহমিয়া দলের অন্তর্ভুক্ত। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ নন। আস-সাজী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। ২. আম্বাসা বিন আব্দুর রহমান সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেন, হাদিস বিশারদগণ তাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী তাকে দুর্বল বলে আখ্যায়িত করেছেন। ইমাম তিরমিযি তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি বানিয়ে হাদিস বর্ণনা করেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ৩. আবদুল্লাহ বিন নাফি’ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি একাধিক মুনকার হাদিস বর্ণনা করেছেন। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। মুহাম্মাদ বিন সা’দ তাকে দুর্বল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার ও অধিক দুর্বল। ইমাম নাসাঈ বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য।
হাদিসের মানঃ জাল হাদিস
- সরাসরি
১২৪৩
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يَقْنُتُ فِي صَلاَةِ الصُّبْحِ يَدْعُو عَلَى حَىٍّ مِنْ أَحْيَاءِ الْعَرَبِ شَهْرًا ثُمَّ تَرَكَ .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফজরের সলাতে দুআ’ কুনূত পড়তেন। এতে তিনি আরবের কতক গোত্রকে এক মাস ধরে অভিসম্পাত করেছিলেন, অতঃপর তা ত্যাগ করেন। [১২৪৩]
[১২৪৩] বুখারী ৭৯৮, ১০০১-২, ৩১৭০, ৪০৮৮, ৪০৯০-৯২, ৪০৯৪-৯৬, ৬৩৯৪; মুসলিম ৬৭১-৪, নাসায়ী ১০৭০-৭১, ১০৭৭, ১০৭৯; আবূ দাঊদ ১৪৪৪-৪৫, আহমাদ ১২২৯৪, ১২৪৩৮, ১২৭০৭, ১৩৫৩৯; দারিমী ১৫৯৬, ১৫৯৯; ইবনু মাজাহ ১১৮৩-৮৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ১৬১।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২৪৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ لَمَّا رَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رَأْسَهُ مِنْ صَلاَةِ الصُّبْحِ قَالَ “ اللَّهُمَّ أَنْجِ الْوَلِيدَ بْنَ الْوَلِيدِ وَسَلَمَةَ بْنَ هِشَامٍ وَعَيَّاشَ بْنَ أَبِي رَبِيعَةَ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ بِمَكَّةَ اللَّهُمَّ اشْدُدْ وَطْأَتَكَ عَلَى مُضَرَ وَاجْعَلْهَا عَلَيْهِمْ سِنِينَ كَسِنِي يُوسُفَ ” .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফাজরের সলাতে (রুকূ’ থেকে) মাথা তুলে বললেনঃ “হে আল্লাহ! ওয়ালীদ ইবনুল ওয়ালীদ, সালামাহ বিন হিশাম, আইয়াশ বিন আবূ রবীআ ও মাক্কাহর অসহায় মুসলিমদের নাজাত দিন। হে আল্লাহ! মুদার গোত্রের উপর আপনার নিপীড়ন জোরদার করুন এবং তাদের উপর ইউসুফ (আঃ)-এর সময়কার দুর্ভিক্ষের মত কয়েক বছরের দুর্ভিক্ষ কার্যকর করুন”। [১২৪৪]
[১২৪৪] বুখারী ৮০৪, ১০০৬, ২৯৩২, ৩৩৮৬, ৪৫৬০, ৪৫৯৮, ৬২০০, ৬৩৯৩, ৬৯২৪; মুসলিম ৬৭১-২, নাসায়ী ১০৭৩-৭৪, আবূ দাঊদ ১৪৪২, আহমাদ ৭২১৯, ৭৪১৫, ৯৭২২, ১৫৯৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/১৪৬. অধ্যায়ঃ
সলাতের অবস্থায় সাপ ও বিছা হত্যা করা।
১২৪৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ ضَمْضَمِ بْنِ جَوْسٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَمَرَ بِقَتْلِ الأَسْوَدَيْنِ فِي الصَّلاَةِ الْعَقْرَبِ وَالْحَيَّةِ .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাতরত অবস্থায় ও দু’টি কালো প্রানী হত্যার নির্দেশ দিয়েছেনঃ বিছা ও সাপ। [১২৪৫]
[১২৪৫] তিরমিযী ৩৯০, নাসায়ী ১২০২-৩, আবূ দাঊদ ৯২১, আহমাদ ৭১৩৮, ৭৩৩২, ৭৪২০, ৭৭৫৮, ৯৭৬৬, ৯৭৯৮, ৯৯৮৪; দারিমী ১৫০৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৮৫৪, মিশকাত ১০০৪।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২৪৬
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ حَكِيمٍ الأَوْدِيُّ، وَالْعَبَّاسُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ ثَابِتٍ الدَّهَّانُ، حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ لَدَغَتِ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَقْرَبٌ وَهُوَ فِي الصَّلاَةِ فَقَالَ “ لَعَنَ اللَّهُ الْعَقْرَبَ مَا تَدَعُ الْمُصَلِّيَ وَغَيْرَ الْمُصَلِّي اقْتُلُوهَا فِي الْحِلِّ وَالْحَرَمِ ” .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তাঁর সলাতরত অবস্থায় একটি বিছা দংশন করে। তিনি বলেন, আল্লাহ বিছাকে অভিশপ্ত করুন, সে সলাতী ও অসলাতী কাউকেই ছাড়ে না। তোমরা একে হারাম শরীফে ও তার বাইরে সর্বত্র হত্যা করো। [১২৪৬]
[১২৪৬] আহমাদ ২৫৬০১ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ৫৪৭। উক্ত হাদিসের রাবী হাকাম বিন আবদুল মালিক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ নন বরং দুর্বল। ইবনু খিরাশ বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নন বরং তিনি হাদিস বর্ণনায় ইদতিরাব করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২৪৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ جَمِيلٍ، حَدَّثَنَا مَنْدَلٌ، عَنِ ابْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَتَلَ عَقْرَبًا وَهُوَ فِي الصَّلاَةِ .
আবূ রাফি (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাত অবস্থায় একটি বিছা হত্যা করেন। [১২৪৭]
যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী মিনদাল বিন আলী সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, কোন সমস্যা নেই তবে অন্যত্রে বলেন, তিনি দুর্বল। ইয়াকুব বিন শায়বাহ বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনু নুমায়র বলেন, তিনি কিছু হাদিসের মাঝে সংমিশ্রণ করেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ২. (মুহাম্মাদ বিন উবায়দুল্লাহ) ইবনু আবু রাফি’ সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল ও অধিক মুনকার। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫/১৪৭. অধ্যায়ঃ
ফাজর ও আসর সলাতের পর কোন সালাত পড়া নিষিদ্ধ।
১২৪৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، وَأَبُو أُسَامَةَ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ خُبَيْبِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ نَهَى عَنْ صَلاَتَيْنِ عَنِ الصَّلاَةِ بَعْدَ الْفَجْرِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ وَبَعْدَ الْعَصْرِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ .
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’ সময়ে সালাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন : ফজরের সলাতের পর সূর্য উঠার পূর্ব পর্যন্ত এবং আসরের সলাতের পর সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত। [১২৪৮]
[১২৪৮] মুসলিম ৮২৫, নাসায়ী ৫৬১, আহমাদ ৯৬৩৭, ১০০৬৪, ১০২৪৫, ১০৪৬৫; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৫১৪, ইবনু মাজাহ ১২৫২। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২৪৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَعْلَى التَّيْمِيُّ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ قَزَعَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ لاَ صَلاَةَ بَعْدَ الْعَصْرِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ وَلاَ صَلاَةَ بَعْدَ الْفَجْرِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ ” .
আবূ সাঈদ আল-খুদরি (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আসরের সলাতের পর সূর্য অস্তমিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত কোন সালাত নাই এবং ফজরের সলাতের পর সূর্য উদিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত কোন সালাত নাই। [১২৪৯]
[১২৪৯] বুখারী ৫৮৬, ১১৯৭, ১৮৬৪, ১৯৯৬; মুসলিম ৮২৭, নাসায়ী ৫৬৬-৬৭, আহমাদ ১০৬৩৯, ১০৯৫৫, ১১১১৩, ১১১৮০, ১১২৩৭, ১১৩০৫, ১১৪৮৯, ২৭৯৫১, ২৭৯৪৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৪৭৯, সহীহ আবী দাউদ ১১৫৭।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২৫০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ شَهِدَ عِنْدِي رِجَالٌ مَرْضِيُّونَ فِيهِمْ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَأَرْضَاهُمْ عِنْدِي عُمَرُ أَنَّ رَ سُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ لاَ صَلاَةَ بَعْدَ الْفَجْرِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ وَلاَ صَلاَةَ بَعْدَ الْعَصْرِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ ” .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমাকে কয়েকজন সন্তোষভাজন ব্যক্তি বলেছেন, উমার (রাঃ)-ও তাদের অন্তর্ভুক্ত এবং উমার (রাঃ)-ই আমার অধিক সন্তোষভাজন ব্যক্তি। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ফজরের সলাতের পড় থেকে সূর্য উঠার পূর্ব পর্যন্ত কোন সালাত নাই এবং আসরের সলাতের পর থেকে সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত কোন সালাত নাই। [১২৫০]
[১২৫০] বুখারী ৫৮১, মুসলিম ৮২৬, তিরমিযী ১৮৩, নাসায়ী ৫৬২, ৫৬৯; আবূ দাঊদ ১২৭৬, আহমাদ ১০২, ১৩১, ২৭২, ৩৬৬, ১৪৩৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ১১৫৭।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/১৪৮. অধ্যায়ঃ
যে সকল সময় সালাত পড়া মাকরূহ।
১২৫১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ طَلْقٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْبَيْلَمَانِيِّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عَبَسَةَ، قَالَ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقُلْتُ هَلْ مِنْ سَاعَةٍ أَحَبُّ إِلَى اللَّهِ مِنْ أُخْرَى قَالَ “ نَعَمْ جَوْفُ اللَّيْلِ الأَوْسَطُ فَصَلِّ مَا بَدَا لَكَ حَتَّى يَطْلُعَ الصُّبْحُ ثُمَّ انْتَهِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ وَمَا دَامَتْ كَأَنَّهَا حَجَفَةٌ حَتَّى تَنْتَشِرَ ثُمَّ صَلِّ مَا بَدَا لَكَ حَتَّى يَقُومَ الْعَمُودُ عَلَى ظِلِّهِ ثُمَّ انْتَهِ حَتَّى تَزُولَ الشَّمْسُ فَإِنَّ جَهَنَّمَ تُسْجَرُ نِصْفَ النَّهَارِ ثُمَّ صَلِّ مَا بَدَا لَكَ حَتَّى تُصَلِّيَ الْعَصْرَ ثُمَّ انْتَهِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ فَإِنَّهَا تَغْرُبُ بَيْنَ قَرْنَىِ الشَّيْطَانِ وَتَطْلُعُ بَيْنَ قَرْنَىِ الشَّيْطَانِ ” .
আম্র বিন আবাসাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করলাম, এমন কোন সময় আছে কি, যা আল্লাহর নিকট অন্য সময়ের তুলনায় অধিক প্রিয়? তিনি বলেন, হাঁ, মধ্যরাত। অতএব তুমি পারলে তখন থেকে ভোর হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সালাত পড়ো; অতঃপর (ফজরের সালাত পড়ে) সূর্য উদিত হয়ে তা কিছুটা উপরে না উঠা পর্যন্ত বিরত থাক। অতপর তুমি পারলে খুঁটি তার ছায়ার উপর স্থির হওয়ার পূর্ব (দ্বিপ্রহর)পর্যন্ত সালাত আদায় করতে পার। অতঃপর সূর্য ঢলে না পড়া পর্যন্ত (সালাত পড়া থেকে) বিরত থাক। কেননা ঠিক দুপুরে জাহান্নামকে উত্তপ্ত করা হয়। অতঃপর তুমি পারলে তোমার আসরের সালাত পড়ার পূর্ব পর্যন্ত সালাত আদায় করতে পারো। অতঃপর সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত বিরত থাকো। কেননা তা শয়তানের দু’ শিং-এর মধ্য দিয়ে অস্ত যায় এবং উদিত হয়। [১২৫১]
তাহকীক আলবানী : ‘মধ্য রাতের কথা’ কথাটি ছাড়া সহীহ, কারন মুনকার।
[১২৫১] মুসলিম ৮৩২, তিরমিযী ৩৫৭৯, নাসায়ী ৫৭২, ৫৮৪; আহমাদ ১৬৫৬৬, ১৬৫৭১, ১৮৯৪০; ইবনু মাজাহ ১৩৬৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: মধ্য রাতের কথা কথাটি ছাড়া সহীহ, কারণ মুনকার। আর সহীহ হচ্ছে মধ্য রাতের কথা। তাখরীজ আলবানী: নাসায়ী ৫৮৪ সহীহ, ইবনু খুযাইমাহ ১১৪৭ সহীহ, সহীহ আবী দাউদ ১১৫৮। উক্ত হাদিসের রাবী ১. ইয়াযীদ বিন তালক সম্পর্কে ইমাম যাহাবী তাকে দুর্বল বলেছেন। ২. আব্দুর রহমান ইবনুল মায়লামানী সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী তাকে দুর্বল বলেছেন। সালিহ জাযারাহ বলেন, তার হাদিস মুনকার। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি দুর্বল তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহণযোগ্য হবে না। আল আযদী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
১২৫২
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ دَاوُدَ الْمُنْكَدِرِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنِ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ سَأَلَ صَفْوَانُ بْنُ الْمُعَطَّلِ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي سَائِلُكَ عَنْ أَمْرٍ أَنْتَ بِهِ عَالِمٌ وَأَنَا بِهِ جَاهِلٌ . قَالَ ” وَمَا هُوَ ” . قَالَ هَلْ مِنْ سَاعَاتِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ سَاعَةٌ تُكْرَهُ فِيهَا الصَّلاَةُ قَالَ ” نَعَمْ إِذَا صَلَّيْتَ الصُّبْحَ فَدَعِ الصَّلاَةَ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ فَإِنَّهَا تَطْلُعُ بِقَرْنَىِ الشَّيْطَانِ ثُمَّ صَلِّ فَالصَّلاَةُ مَحْضُورَةٌ مُتَقَبَّلَةٌ حَتَّى تَسْتَوِيَ الشَّمْسُ عَلَى رَأْسِكَ كَالرُّمْحِ فَإِذَا كَانَتْ عَلَى رَأْسِكَ كَالرُّمْحِ فَدَعِ الصَّلاَةَ فَإِنَّ تِلْكَ السَّاعَةَ تُسْجَرُ فِيهَا جَهَنَّمُ وَتُفْتَحُ فِيهَا أَبْوَابُهَا حَتَّى تَزِيغَ الشَّمْسُ عَنْ حَاجِبِكَ الأَيْمَنِ فَإِذَا زَالَتْ فَالصَّلاَةُ مَحْضُورَةٌ مُتَقَبَّلَةٌ حَتَّى تُصَلِّيَ الْعَصْرَ ثُمَّ دَعِ الصَّلاَةَ حَتَّى تَغِيبَ الشَّمْسُ ” .
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সাফওয়ান বিন মুআত্তাল (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট জিজ্ঞাসা সুরে বলেন, ইয়া রসূলুল্লাহ! আমি এমন একটি বিষয় আপনার নিকট জিজ্ঞেস করতে চাই যে সম্পর্কে আপনি জ্ঞাত কিন্তু আমি অজ্ঞ। তিনি বলেন, তা কি? তিনি বলেন, রাত ও দিনের সময়সমূহের মধ্যে এমন সময়ও কি আছে যখন সালাত পড়া মাকরূহ? তিনি বলেন, হাঁ। তুমি ফজরের সালাত পড়ার পর থেকে সূর্য উদিত না হওয়া পর্য্ন্ত (নফল) সালাত পড়া ত্যাগ করো। কারণ তা শয়তানের দু’ শিং-এর মধ্যখান দিয়ে উদিত হয়। অতঃপর তুমি সালাত পড়ো। এই সলাতে (ফেরেশতাগণ) উপস্থিত হয় এবং (ইবাদাত) কবূল করা হয়, (তা পড়তে পারো) যাবত না সূর্য তীরের মত তোমার মাথার উপরে এসে সোজা হয়। যখন সূর্য তীরের মত তোমার মাথার উপর স্থির হয় তখন সালাত পড়া ত্যাগ করো। কারন এসময় জাহান্নামকে উত্তপ্ত করা হয় এবং দরজা সমূহ খুলে দেয়া হয়, যাবত না সূর্য তোমার ডান ভ্রূ দিয়ে ঢলে পড়ে। তা ঢলে পড়ার পর থেকে তোমার আসরের সালাত পড়ার পূর্ব পর্যন্ত (সময়ে নফল) সলাতে ফেরেশতাগণ উপস্থিত হন এবং তা কবূল করা হয়। অতঃপর তুমি সূর্যাস্ত না যাওয়া পর্য্ন্ত সালাত ত্যাগ কর। [১২৫২]
[১২৫২] মুসলিম ৮২৫, নাসায়ী ৫৬১, আহমাদ ৯৬৩৭, ১০০৬৪, ১০২৪৫, ১০৪৬৫; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৫১৪, ইবনু মাজাহ ১২৪৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ১৩৭১।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২৫৩
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الصُّنَابِحِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ إِنَّ الشَّمْسَ تَطْلُعُ بَيْنَ قَرْنَىِ الشَّيْطَانِ – أَوْ قَالَ يَطْلُعُ مَعَهَا قَرْنَا الشَّيْطَانِ – فَإِذَا ارْتَفَعَتْ فَارَقَهَا فَإِذَا كَانَتْ فِي وَسَطِ السَّمَاءِ قَارَنَهَا فَإِذَا دَلَكَتْ – أَوْ قَالَ زَالَتْ – فَارَقَهَا فَإِذَا دَنَتْ لِلْغُرُوبِ قَارَنَهَا فَإِذَا غَرَبَتْ فَارَقَهَا فَلاَ تُصَلُّوا هَذِهِ السَّاعَاتِ الثَّلاَثَ ” .
আবূ আবদুল্লাহ আস-সুনাবিহী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, নিশ্চয় সূর্য শায়তানের দু’ শিং-এর মধ্যখান দিয়ে উদিত হয় অথবা তার সাথে শায়তানের দু’ শিং ও উদিত হয়। সূর্য উপরে উঠলে তা থেকে সে পৃথক হয়ে যায়। আবার সূর্য যখন আসমানের মধ্যখানে আসে তখন সে তার সামনে আসে। সূর্য যখন ঢলে যায় তখন সে পৃথক হয়ে যায়। আবার যখন তা অস্ত যাওয়ার কাছাকাছি আসে তখন সে তার সামনে এসে যায়। অতঃপর তা অস্তমিত হলে সে আবার পৃথক হয়ে যায়। অতএব তোমরা এ তিন সময়ে (নফল) সালাত পড়ো না। [১২৫৩]
[১২৫৩] নাসায়ী ৫৫৯, আহমাদ ১৮৫৮৪, ১৮৫৯১; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৫১০। তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ৬৬৩ যঈফ, ৭১১৫ সহীহ, আহমাদ ১২৫১, ১২৫২ সহীহ, নাসায়ী ৫৭২ সহীহ, মিশকাত ১০৩৯ মুত্তাফাকুন আলাইহি, যঈফ জামে ১৪৭২। উক্ত হাদিসের রাবী আব্দুর রাযযাক সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইবনু আদী বলেন, আমি আশা করি তার মাঝে কোন সমস্যা নেই।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫/১৪৯. অধ্যায়ঃ
যে কোন সময়ে মাক্কাহ শরীফে সালাত পড়ার অনুমতি আছে।
১২৫৪
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَكِيمٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَابَيْهِ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ يَا بَنِي عَبْدِ مَنَافٍ لاَ تَمْنَعُوا أَحَدًا طَافَ بِهَذَا الْبَيْتِ وَصَلَّى أَيَّةَ سَاعَةٍ شَاءَ مِنَ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ ” .
যুবায়র বিন মুতইম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হে আবদে মানাফের বংশধর! কোন ব্যক্তি দিনের অথবা রাতের যে কোন সময় ইচ্ছা এই ঘর তাওয়াফ করলে বা এখানে সালাত পড়লে তোমরা তাকে বাধা দিও না। [১২৫৪]
[১২৫৪] তিরমিযী ৮৬৮, নাসায়ী ২২৪, আবূ দাঊদ ১৮৯৪, আহমাদ ১৬৩০১, ১৬৩২৮, ১৬৩৩৩; দারিমী ১৯২৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৪৮১।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/১৫০. অধ্যায়ঃ
নির্দিষ্ট ওয়াক্ত থেকে বিলম্ব করে সালাত পড়া সর্ম্পকে।
১২৫৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، أَنْبَأَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ زِرٍّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ لَعَلَّكُمْ سَتُدْرِكُونَ أَقْوَامًا يُصَلُّونَ الصَّلاَةَ لِغَيْرِ وَقْتِهَا فَإِنْ أَدْرَكْتُمُوهُمْ فَصَلُّوا فِي بُيُوتِكُمْ لِلْوَقْتِ الَّذِي تَعْرِفُونَ ثُمَّ صَلُّوا مَعَهُمْ وَاجْعَلُوهَا سُبْحَةً ” .
আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, অচিরেই হয়ত তোমরা এমন সব লোকের সাক্ষাত পাবে যারা নির্দিষ্ট ওয়াক্তে সালাত না পড়ে ভিন্ন ওয়াক্তে তা পড়বে। তোমরা তাদের সাক্ষাৎ পেলে নিজেদের ঘরে তোমাদের প্রসিদ্ধ ওয়াক্তে সালাত পড়ে নিও, অতঃপর তাদের সাথে (জামাআতে) তা পড়ে নিও এবং একে নফলরূপে গণ্য করো। [১২৫৫]
[১২৫৫] আবূ দাঊদ ৪৩২, আহমাদ ৩৮৭৯, ৪০২০, ৪৩৩৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৪৫৮। আবু বকর বিন আবু আয়্যাশ সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। আল-আজালী বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আস-সাজী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। ইবনু হিব্বান বলেন হাদিস বিশারদগণ তার থেকে বেঁচে থেকেছেন।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
১২৫৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ صَلِّ الصَّلاَةَ لِوَقْتِهَا فَإِنْ أَدْرَكْتَ الإِمَامَ يُصَلِّي بِهِمْ فَصَلِّ مَعَهُمْ وَقَدْ أَحْرَزْتَ صَلاَتَكَ وَإِلاَّ فَهِيَ نَافِلَةٌ لَكَ ” .
আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তুমি সলাতের নির্দিষ্ট ওয়াক্তে তা পড়ে নাও। অতঃপর ইমামকে লোকেদের নিয়ে সালাতরত পেলে তুমিও তাদের সাথে সালাত পড়ো। তুমি আগে সালাত না পড়ে থাকলে এটা তোমার সেই সালাত হবে, অন্যথায় তা হবে তোমার জন্য নফল। [১২৫৬]
[১২৫৬] মুসলিম ৬৪১-৪, তিরমিযী ১৭৬, নাসায়ী ৭৭৮, আবূ দাঊদ ৪৩১, আহমাদ ২০৯০৮, ২০৯৭৯; দারিমী ১২২৭-২৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৪৫৯।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২৫৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ، عَنْ أَبِي الْمُثَنَّى، عَنْ أَبِي أُبَىٍّ ابْنِ امْرَأَةِ، عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ يَعْنِي عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ سَيَكُونُ أُمَرَاءُ تَشْغَلُهُمْ أَشْيَاءُ يُؤَخِّرُونَ الصَّلاَةَ عَنْ وَقْتِهَا فَاجْعَلُوا صَلاَتَكُمْ مَعَهُمْ تَطَوُّعًا ” .
উবাদাহ ইবনুস সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, অচিরেই এমন সব শাসকের আবির্ভাব হবে যারা বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে সালাতকে তার ওয়াক্ত থেকে বিলম্বিত করবে। অতএব তোমরা তাদের সাথে (জামাআতে) তোমাদের নফল সালাত পড়ো। [১২৫৭]
[১২৫৭] আবূ দাঊদ ৪৩৩ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৪৫৯।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/১৫১. অধ্যায়ঃ
সলাতুল খাওফ বা (শংকাকালীন) সালাত।
১২৫৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، أَنْبَأَنَا جَرِيرٌ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي صَلاَةِ الْخَوْفِ “ أَنْ يَكُونَ الإِمَامُ يُصَلِّي بِطَائِفَةٍ مَعَهُ فَيَسْجُدُونَ سَجْدَةً وَاحِدَةً وَتَكُونُ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ الْعَدُوِّ ثُمَّ يَنْصَرِفُ الَّذِينَ سَجَدُوا السَّجْدَةَ مَعَ أَمِيرِهِمْ ثُمَّ يَكُونُونَ مَكَانَ الَّذِينَ لَمْ يُصَلُّوا وَيَتَقَدَّمُ الَّذِينَ لَمْ يُصَلُّوا فَيُصَلُّوا مَعَ أَمِيرِهِمْ سَجْدَةً وَاحِدَةً ثُمَّ يَنْصَرِفُ أَمِيرُهُمْ وَقَدْ صَلَّى صَلاَتَهُ وَيُصَلِّي كُلُّ وَاحِدَةٍ مِنَ الطَّائِفَتَيْنِ بِصَلاَتِهِ سَجْدَةً لِنَفْسِهِ فَإِنْ كَانَ خَوْفٌ أَشَدَّ مِنْ ذَلِكَ فَرِجَالاً أَوْ رُكْبَانًا ” . قَالَ يَعْنِي بِالسَّجْدَةِ الرَّكْعَةَ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খাওফ (শংকাকালীন সালাত) সম্পর্কে বলেছেন, ইমাম তার সাথের একদল লোকসহ সালাত পড়বে, তারা (তার সাথে) এক রাকআত সালাত পড়বে এবং অপর দল তাদের ও তাদের শত্রুদের মধ্যে প্রতিরোধ বজায় রাখবে। অতঃপর আমীরের সাথে এক রাকআত পড়া দলটি (প্রতিরক্ষা ব্যূহে) চলে যাবে এবং যে দলটি সালাত পড়েনি তাদের স্থানে অবস্থান নিবে এবং সালাত না পড়া দলটি অগ্রসর হয়ে তাদের আমীরের সাথে এক রাকআত সালাত পড়বে। অতঃপর তাদের আমীর তার সালাত পূর্ণ করে চলে যাবে এবং পূর্বোক্ত দু’টি দল পৃথক পৃথকভাবে আরো এক রাকআত সালাত পড়ে নিবে। যদি অধিক সন্ত্রস্ত অবস্থা বিরাজ করে তবে পদাতিক অবস্থায় বা অশ্বারোহী অবস্থায় (যেভাবে সম্ভব) সালাত পড়ে নিবে। রাবী বলেন, এখানে সাজদাহ দ্বারা রাকআত বুঝানো হয়েছে। [১২৫৮]
[১২৫৮] বুখারী ৯৪২-৪৩, ৪১৩২, ৪১৩৪, ৪৫৩৫; মুসলিম ৮৩১-২, নাসায়ী ৫৬৪, ১৫৩৮-৪২; আবূ দাঊদ ১২৪৩, আহমাদ ৬৩৪১, মুওয়াত্ত্বা মালিক ৪৪২, দারিমী ১৫২১। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৫৮৮।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২৫৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الأَنْصَارِيُّ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ صَالِحِ بْنِ خَوَّاتٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، أَنَّهُ قَالَ فِي صَلاَةِ الْخَوْفِ قَالَ يَقُومُ الإِمَامُ مُسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةِ وَتَقُومُ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ مَعَهُ وَطَائِفَةٌ مِنْ قِبَلِ الْعَدُوِّ وَوُجُوهُهُمْ إِلَى الصَّفِّ فَيَرْكَعُ بِهِمْ رَكْعَةً وَيَرْكَعُونَ لأَنْفُسِهِمْ وَيَسْجُدُونَ لأَنْفُسِهِمْ سَجْدَتَيْنِ فِي مَكَانِهِمْ ثُمَّ يَذْهَبُونَ إِلَى مُقَامِ أُولَئِكَ وَيَجِيءُ أُولَئِكَ فَيَرْكَعُ بِهِمْ رَكْعَةً وَيَسْجُدُ بِهِمْ سَجْدَتَيْنِ فَهِيَ لَهُ ثِنْتَانِ وَلَهُمْ وَاحِدَةٌ ثُمَّ يَرْكَعُونَ رَكْعَةً وَاحِدَةً وَيَسْجُدُونَ سَجْدَتَيْنِ . قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ فَسَأَلْتُ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ الْقَطَّانَ عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ فَحَدَّثَنِي عَنْ شُعْبَةَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ صَالِحِ بْنِ خَوَّاتٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِمِثْلِ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ . قَالَ قَالَ لِي يَحْيَى اكْتُبْهُ إِلَى جَنْبِهِ وَلَسْتُ أَحْفَظُ الْحَدِيثَ وَلَكِنْ مِثْلُ حَدِيثِ يَحْيَى .
সাহল বিন আবূ হাসমা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি সলাতুল খাওফ সম্পর্কে বলেন, ইমাম কিবলামুখী হয়ে দাঁড়াবেন, তাদের একদলও তার সাথে (সলাতে) দাঁড়াবে এবং অপর দল শত্রুর প্রতিরোধে থাকবে এবং তাদের দৃষ্টি থাকবে কাতারের দিকে। তিনি তাদেরকে নিয়ে এক রাকআত পড়বেন, অতঃপর তারা স্বতন্ত্রভাবে দু’ সাজদাহয় এক রাকআত পড়বেন তাদের স্থানে। অতঃপর তারা পূর্বোক্ত দলের স্থানে ফিরে যাবে এবং তারা এসে গেলে তিনি তাদেরকে নিয়ে দু’ সাজদাহয় আরো এক রাকআত পড়বেন। এতে তার হবে দু’ রাকআত আর লোকেদের হবে এক রাকআত। অতঃপর তারা দু’ সাজদাহয় এক রাকআত পড়বেন।
২/১২৫৯ (১). সাহল বিন আবূ হাসমা (রাঃ), নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে ইয়াহইয়া বিন সা‘ঈদের হাদিসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। রাবী (মুহাম্মাদ বিন বাশ্শার) বলেন, ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আমাকে বললেন, এ হাদীস ও এক কোণায় লিখে নাও। আমি হাদীসটি মুখস্ত রাখতে পারিনি কিন্তু তা ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল-আনসারীর হাদীসের অনুরূপ। [১২৫৯]
তাহকীক আলবানী : সহীহ।
[১২৫৯] বুখারী ৪১৩০-৩১, মুসলিম ৮৪১-৪২, তিরমিযী ৫৬৫, নাসায়ী ১৫৩৬-৩৭, ১৫৫৩; আবূ দাঊদ ১২৩৭-৩৯, আহমাদ ১৫২৮৩, মুওয়াত্ত্বা মালিক ৪৪০-৪১, দারিমী ১৫২২। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ১১২৬।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২৬০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ صَلَّى بِأَصْحَابِهِ صَلاَةَ الْخَوْفِ فَرَكَعَ بِهِمْ جَمِيعًا ثُمَّ سَجَدَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَالصَّفُّ الَّذِينَ يَلُونَهُ وَالآخَرُونَ قِيَامٌ حَتَّى إِذَا نَهَضَ سَجَدَ أُولَئِكَ بِأَنْفُسِهِمْ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ تَأَخَّرَ الصَّفُّ الْمُقَدَّمُ حَتَّى قَامُوا مُقَامَ أُولَئِكَ وَتَخَلَّلَ أُولَئِكَ حَتَّى قَامُوا مُقَامَ الصَّفِّ الْمُقَدَّمِ فَرَكَعَ بِهِمُ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ جَمِيعًا ثُمَّ سَجَدَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَالصَّفُّ الَّذِي يَلُونَهُ فَلَمَّا رَفَعُوا رُءُوسَهُمْ سَجَدَ أُولَئِكَ سَجْدَتَيْنِ فَكُلُّهُمْ قَدْ رَكَعَ مَعَ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَسَجَدَتْ طَائِفَةٌ بِأَنْفُسِهِمْ سَجْدَتَيْنِ وَكَانَ الْعَدُوُّ مِمَّا يَلِي الْقِبْلَةَ .
জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সাহাবীগণকে নিয়ে সলাতুল খাওফ আদায় করেন। তিনি তাঁর নিকটস্থ সকলকে নিয়ে রুকূ‘ করেন এবং অন্যরা দাঁড়িয়ে থাকে। প্রথম দল সাজদাহ করে অবসর হলে দ্বিতীয় দল স্বতন্ত্রভাবে দু’ টি সাজদাহ করে। অতঃপর প্রথম দল পিছনে সরে গিয়ে পূর্বোক্ত দলের স্থানে অবস্থান নেয় এবং শেষোক্ত দল সামনে অগ্রসর হয়ে (জামাআতে) প্রথম দলের স্থানে এসে দাঁড়ায়। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের নিকটস্থ সকলকে নিয়ে রুকূ‘ করেন এবং সাজদাহ করেন। তারা সাজদাহ থেকে অবসর হলে দ্বিতীয় দল দু’টি সাজদাহ করে। তাদের প্রতিটি দল নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে এক রাকআত সালাত পড়ে এবং পৃথকভাবে এক রাকআত পড়ে, তখন শত্রুবাহিনী তাদের সম্মুখভাগে ছিল। [১২৬০]
[১২৬০] বুখারী ৪১৩৭, মুসলিম ৮৪০/১-২, নাসায়ী ১৫৪৫-৪৮, আহমাদ ১৪৫১১। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ১১১২।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/১৫২. অধ্যায়ঃ
সলাতুল কুসূফ (সূর্যগ্রহণের সালাত)
১২৬১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لاَ يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ مِنَ النَّاسِ فَإِذَا رَأَيْتُمُوهُ فَقُومُوا فَصَلُّوا ” .
আবূ মাসউদ (উকবাহ বিন আমর বিন সা’লাবাহ) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, মানবজাতির মধ্যে কারো মৃত্যুর কারণে সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ হয় না। অতএব তোমরা তা দেখলে সলাতে দাঁড়িয়ে যাও। [১২৬১]
[১২৬১] বুখারী ১০৪১, ১০৫৭, ৩২০৪; মুসলিম ৯১১-২, নাসায়ী ১৪৬২, আহমাদ ১৬৬৫২, দারিমী ১৫২৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২৬২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَأَحْمَدُ بْنُ ثَابِتٍ، وَجَمِيلُ بْنُ الْحَسَنِ، قَالُوا حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، قَالَ انْكَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَخَرَجَ فَزِعًا يَجُرُّ ثَوْبَهُ حَتَّى أَتَى الْمَسْجِدَ فَلَمْ يَزَلْ يُصَلِّي حَتَّى انْجَلَتْ ثُمَّ قَالَ “ إِنَّ أُنَاسًا يَزْعُمُونَ أَنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لاَ يَنْكَسِفَانِ إِلاَّ لِمَوْتِ عَظِيمٍ مِنَ الْعُظَمَاءِ وَلَيْسَ كَذَلِكَ إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لاَ يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ فَإِذَا تَجَلَّى اللَّهُ لِشَىْءٍ مِنْ خَلْقِهِ خَشَعَ لَهُ ” .
নু’মান বিন বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে সূর্যগ্রহণ হয়। তিনি ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় তাঁর পরিধেয় বস্ত্র হেঁচড়াতে হেঁচড়াতে মাসজিদে এসে পৌঁছেন। গ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি সলাতে রত থাকেন অতঃপর তিনি বলেন, এক দল লোক ধারণা করে যে, কোন মহান নেতার মৃত্যুর কারণে সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ হয়ে থাকে। আসলে তা নয়। কারো মৃত্যু অথবা জীবিত থাকার কারণে সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ হয় না। আল্লাহ তাআলা যখন তাঁর কোন সৃষ্টির উপর তাজাল্লী বিস্তার করেন তখন তা তাঁর ভয়ে ভীত হয়। [১২৬২]
[১২৬২] নাসায়ী ১৪৮৫, ১৪৮৮-৯০; আবূ দাঊদ ১১৯৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ১৪৯৩, ইরওয়াহ ১৩১, তালীক সহীহ ইবনু খুযাইমাহ ১৪০২। উক্ত হাদিসের রাবী জামিল ইবনুল হাসান বিন জামিল আল আতাকী সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ তবে অপরিচিত। ইবনু আদী বলেন, আমি আশা করি তিনি ভাল। ২. আবদুল ওয়াহহাব সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন, তিনি সিকাহ তবে তার মাঝে দুর্বলতা রয়েছে। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি শেষ বয়সে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
১২৬৩
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَسَفَتِ الشَّمْسُ فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِلَى الْمَسْجِدِ فَقَامَ فَكَبَّرَ فَصَفَّ النَّاسُ وَرَاءَهُ فَقَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قِرَاءَةً طَوِيلَةً ثُمَّ كَبَّرَ فَرَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ ” سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ ” . ثُمَّ قَامَ فَقَرَأَ قِرَاءَةً طَوِيلَةً هِيَ أَدْنَى مِنَ الْقِرَاءَةِ الأُولَى ثُمَّ كَبَّرَ فَرَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً هُوَ أَدْنَى مِنَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ ثُمَّ قَالَ ” سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ ” . ثُمَّ فَعَلَ فِي الرَّكْعَةِ الأُخْرَى مِثْلَ ذَلِكَ فَاسْتَكْمَلَ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ وَأَرْبَعَ سَجَدَاتٍ وَانْجَلَتِ الشَّمْسُ قَبْلَ أَنْ يَنْصَرِفَ ثُمَّ قَامَ فَخَطَبَ النَّاسَ فَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قَالَ ” إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ لاَ يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ فَإِذَا رَأَيْتُمُوهُمَا فَافْزَعُوا إِلَى الصَّلاَةِ ” .
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জীবদ্দশায় সূর্যগ্রহণ হলে তিনি বের হয়ে মাসজিদে চলে যান। তিনি দাঁড়িয়ে তাকবীরে তাহরীমা বলেন এবং লোকজন তাঁর পিছনে কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়ায়। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দীর্ঘ কিরাআত পড়েন, অতঃপর তাকবীর বলে দীর্ঘ রুকূ‘ করেন, অতঃপর মাথা তুলে “সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ রব্বানা ওয়ালাকাল হাম্দ” বলেন। অতঃপর দাঁড়িয়ে দীর্ঘ কিরাআত পড়েন, তবে তা ছিল পূর্বের কিরাআতের তুলনায় কম দীর্ঘ। অতঃপর তাকবীর বলে রুকূ‘তে গিয়ে দীর্ঘ রুকূ‘ করেন, তবে তা পূর্বের রুকূ‘র চেয়ে কম দীর্ঘ ছিল। অতঃপর “সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ রব্বানা ওয়ালাকাল হাম্দ” বলেন। তিনি দ্বিতীয় রাকআতেও তাই করেন। তিনি মোট চার রাকআত সালাত পড়েন এবং তাঁর সালাত শেষ করার পূর্বেই সূর্যগ্রহণ সমাপ্ত হয়। অতঃপর তিনি দাঁড়িয়ে লোকেদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। তিনি আল্লাহ তাআলার যথোপযুক্ত প্রশংসা করার পর বলেন, সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর নির্দেশসমূহের অন্তর্ভূক্ত দু’টি নিদর্শন। কারো জীবন-মৃত্যুতে সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ হয় না। তোমরা তা দেখলে ভীত-সম্ভস্ত হয়ে সলাতে রত হও। [১২৬৩]
[১২৬৩] বুখারী ১০৪৪, ১০৪৬-৪৭, ১০৫০, ১০৫৬, ১০৫৮, ১০৬৪, ১০৬৬, ১২১২, ৩২০৩; মুসলিম ৯০১-৫, ৯০২-৩; তিরমিযী ৫৬১, ৫৬৩; নাসায়ী ১৪৬৫-৬৬, ১৪৭০, ১৪৭২-৭৭, ১৪৮১, ১৪৯৪, ১৪৯৭, ১৪৯৯, ১৫০০; আহমাদ ১১৭৭, ১১৮০, ১১৮৭-৮৮, ১১৯০; আহমাদ ২৩৭৪৭, ২৩৯৫২, ২৪৭৮৪, ২৪৮২৩; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৪৪৪, ৪৪৬; দারিমী ১৫২৭, ১৫২৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৬৫৮, সহীহ আবী দাউদ ১০৬৮, ১০৭১।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২৬৪
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ ثَعْلَبَةَ بْنِ عِبَادٍ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي الْكُسُوفِ فَلاَ نَسْمَعُ لَهُ صَوْتًا .
সামুরাহ বিন জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সাথে নিয়ে সূর্যগ্রহণের সালাত পড়লেন। আমরা তাঁর (কিরাআতের) কোন শব্দ শুনতে পাইনি। [১২৬৪]
[১২৬৪] তিরমিযী ৫৬২, নাসায়ী ১৪৮৪, আবূ দাঊদ ১১৮৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ১৪৯০, যঈফ আবী দাউদ ২১৬, তালীক সহীহ ইবনুু, খুযাইমাহ ১৩৯৭। উক্ত হাদিসের রাবী সা’লাবাহ বিন ইবাদ সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তার ব্যাপারটি অজ্ঞাত। ইবনু হাজার ও ইবনুল কাত্তান বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
১২৬৫
حَدَّثَنَا مُحْرِزُ بْنُ سَلَمَةَ الْعَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا نَافِعُ بْنُ عُمَرَ الْجُمَحِيُّ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَتْ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ صَلاَةَ الْكُسُوفِ فَقَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ رَفَعَ فَقَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ رَفَعَ ثُمَّ سَجَدَ فَأَطَالَ السُّجُودَ ثُمَّ رَفَعَ ثُمَّ سَجَدَ فَأَطَالَ السُّجُودَ ثُمَّ رَفَعَ فَقَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ رَفَعَ فَقَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ رَفَعَ ثُمَّ سَجَدَ فَأَطَالَ السُّجُودَ ثُمَّ رَفَعَ ثُمَّ سَجَدَ فَأَطَالَ السُّجُودَ ثُمَّ انْصَرَفَ فَقَالَ ” لَقَدْ دَنَتْ مِنِّي الْجَنَّةُ حَتَّى لَوِ اجْتَرَأْتُ عَلَيْهَا لَجِئْتُكُمْ بِقِطَافٍ مِنْ قِطَافِهَا وَدَنَتْ مِنِّي النَّارُ حَتَّى قُلْتُ أَىْ رَبِّ وَأَنَا فِيهِمْ ” . قَالَ نَافِعٌ حَسِبْتُ أَنَّهُ قَالَ ” وَرَأَيْتُ امْرَأَةً تَخْدِشُهَا هِرَّةٌ لَهَا فَقُلْتُ مَا شَأْنُ هَذِهِ قَالُوا حَبَسَتْهَا حَتَّى مَاتَتْ جُوعًا لاَ هِيَ أَطْعَمَتْهَا وَلاَ هِيَ أَرْسَلَتْهَا تَأْكُلُ مِنْ خِشَاشِ الأَرْضِ ” .
আসমা’ বিনতু আবূ বাক্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূর্যগ্রহণের সালাত পড়েন। তাতে তিনি দীর্ঘ কিয়াম করেন, দীর্ঘ রুকূ‘ করেন, রুকূ‘ থেকে উঠেও দীর্ঘ কিয়াম করেন, পুনরায় দীর্ঘ রুকূ‘ করেন, অতঃপর মাথা তোলেন, অতঃপর সাজদাহয় গিয়ে দীর্ঘ সাজদাহ করেন, অতঃপর মাথা তোলেন, আবার দীর্ঘ সাজদাহ করেন, অতঃপর উঠে দীর্ঘ কিয়াম করেন, অতঃপর রুকূ‘তে গিয়েও দীর্ঘক্ষণ রুকূ‘তে থাকেন, অতঃপর মাথা তুলে পুনরায় সাজদাহ্য় গিয়ে দীর্ঘক্ষণ সাজদাহ্য় থাকেন। অতঃপর সালাত শেষ করে বলেন, জান্নাত আমার নিকটবর্তী হলো, এমনকি আমি ইচ্ছা করলে হাত বাড়িয়ে তার ফলগুচ্ছ আহরণ করে তোমাদের জন্য নিয়ে আসতে পারতাম। অনুরূপভাবে জাহান্নাম আমার নিকটবর্তী হলো, এমনকি আমি বললাম, হে প্রভু! আমি তাদের মধ্যে থাকতেও (কি তাদের শাস্তি দেয়া হবে)? নাফি‘ (রাঃ) বলেন, আমার মনে হয় তিনি একথাও বলেছেন, আমি এক নারীকে দেখলাম যে, তার একটি বিড়াল তাকে নখর দ্বার আঁচড় কাটছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, তার এ অবস্থা কেন? ফেরেশতারা বলেন, সে একে আটক করে রেখেছিল, অবশেষে অনাহারে এটি মারা যায়। সে একে আহারও দেয়নি এবং ছেড়েও দেয়নি, যাতে জমিনের কীট-পত্যঙ্গ খেতে পারতো। [১২৬৫]
[১২৬৫] বুখারী ৭৪৫, মুসলিম ৯০৫, নাসায়ী ১৪৯৮, আহমাদ ২৬৪২৩-২৪, ২৬৪৫২; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৪৪৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/১৫৩. অধ্যায়ঃ
ইস্তিস্কার (বৃষ্টি প্রার্থনার) সালাত
১২৬৬
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كِنَانَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَرْسَلَنِي أَمِيرٌ مِنَ الأُمَرَاءِ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ أَسْأَلُهُ عَنِ الصَّلاَةِ، فِي الاِسْتِسْقَاءِ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ مَا مَنَعَهُ أَنْ يَسْأَلَنِي، قَالَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مُتَوَاضِعًا مُتَبَذِّلاً مُتَخَشِّعًا مُتَرَسِّلاً مُتَضَرِّعًا فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ كَمَا يُصَلِّي فِي الْعِيدِ وَلَمْ يَخْطُبْ خُطْبَتَكُمْ هَذِهِ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
(ইসহাক) বলেন, কোন এক শাসক ইসতিসকার সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার জন্য আমাকে ইবনু আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট পাঠান। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, সরাসরি আমার নিকট জিজ্ঞেস করতে তাকে কিসে বাধা দিলো। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিনয়ী ও নম্রভাবে, সাধারণ পোশাক পরে ভীত বিহাল হয়ে রওয়ানা করে ধীর পদে (মাঠে) পৌঁছে দু’ রাকআত সালাত পড়লনে, যে ভাবে তিনি ঈদের সালাত পড়েন। কিন্তু তিনি তোমাদের এই খুতবাহ্র ন্যায় খুতবাহ দেননি। [১২৬৬]
[১২৬৬] তিরমিযী ৫৫৮, ১৫০৮; নাসায়ী ১৫০৬, ১৫২১; আবূ দাঊদ ১১৬৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৬৬৫, ৬৬৯; মিশকাত ১৫০৫, তাবলীক ইবনু খুযাইম ১৪০১।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
১২৬৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَبَّادَ بْنَ تَمِيمٍ، يُحَدِّثُ أَبِي عَنْ عَمِّهِ، أَنَّهُ شَهِدَ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ خَرَجَ إِلَى الْمُصَلَّى لِيَسْتَسْقِيَ فَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ وَقَلَبَ رِدَاءَهُ وَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ عَمِّهِ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِمِثْلِهِ . قَالَ سُفْيَانُ عَنِ الْمَسْعُودِيِّ قَالَ سَأَلْتُ أَبَا بَكْرِ بْنَ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو أَجَعَلَ أَعْلاَهُ أَسْفَلَهُ أَوِ الْيَمِينَ عَلَى الشِّمَالِ قَالَ لاَ بَلِ الْيَمِينَ عَلَى الشِّمَالِ .
আবদুল্লাহ বিন যায়দ বিন আসিম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সম্পর্কে সাক্ষ্য দেন যে, তিনি ইসতিসকার সালাত পড়ার জন্য মাঠে রওয়ানা হলেন। তিনি (মাঠে পৌঁছে) কিবলামুখী হন, তাঁর চাদর উল্টিয়ে পরেন এবং দু’ রাকআত সালাত পড়েন।
২/১২৬৭ (১). আবদুল্লাহ বিন যায়দ বিন আসিম (রাঃ), নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। সুফ্ইয়ান মাসঊদী (রাঃ) বলেন, আমি আবূ বাক্র বিন মুহাম্মাদকে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি কি তাঁর পোশাকের উপরিভাগ নিচে করেছিলেন, না ডান দিক বাঁ দিকে করেছিলেন? তিনি বলেন, না, বরং ডান দিক বাঁ দিকে করেছিলেন। [১২৬৭]
তাহকীক আলবানী : মাসঊদীর (আরবী) কথা ব্যতীত সহীহ।
[১২৬৭] বুখারী ১০০৫, ১০১১-১২, ১০২৩-৩০, ৬৩৪৩; মুসলিম ৮৯১-৪, তিরমিযী ৫৫৬, নাসায়ী ১৫০৫, ১৫০৭, ১৫০৯-১২, ১৫১৯-২০, ১৫২২; আবূ দাঊদ ১১৬১-৬২, ১১৬৪, ১১৬৬-৬৭; আহমাদ ১৫৯৯৭, ১৫৯৯৯, ১৬০১৩, ১৬০২৫, ১৬০৩৮; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৪৪৮, দারিমী ১৫৩৩-৩৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: قَالَ سَأَلْتُ أَبَا بَكْرِ بْنَ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو أَجَعَلَ أَعْلاَهُ أَسْفَلَهُ أَوِ الْيَمِينَ عَلَى الشِّمَالِ قَالَ لاَ بَلِ الْيَمِينَ عَلَى الشِّمَالِ কথা ব্যাতিত সহীহ। তাখরীজ আলবানী: নাসায়ী ১৫০৫ সহীহ, সহীহ আবী দাউদ ১০৫৩।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
১২৬৮
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الأَزْهَرِ، وَالْحَسَنُ بْنُ أَبِي الرَّبِيعِ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ النُّعْمَانَ، يُحَدِّثُ عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَوْمًا يَسْتَسْقِي فَصَلَّى بِنَا رَكْعَتَيْنِ بِلاَ أَذَانٍ وَلاَ إِقَامَةٍ ثُمَّ خَطَبَنَا وَدَعَا اللَّهَ وَحَوَّلَ وَجْهَهُ نَحْوَ الْقِبْلَةِ رَافِعًا يَدَيْهِ ثُمَّ قَلَبَ رِدَاءَهُ فَجَعَلَ الأَيْمَنَ عَلَى الأَيْسَرِ وَالأَيْسَرَ عَلَى الأَيْمَنِ .
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক দিন বৃষ্টি প্রার্থনার জন্য রওয়ানা হলেন। তিনি আমাদেরকে সাথে নিয়ে আযান ও ইকামাত ব্যতীত দু’ রাকআত সালাত পড়েন, অতঃপর আমাদের উদ্দেশ্যে খুতবাহ দিলেন, তাঁর মুখমণ্ডল কিবলামুখী করে তাঁর উভয় হাত উপরে তুলে আল্লাহর নিকট দুআ’ করেন এবং তাঁর চাদর উলোটপালট করে পরেন, চাদরের ডান দিক বামে এবং বাম দিন ডানে আনেন। [১২৬৮]
[১২৬৮] আহমাদ ৮১২৮ তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: ইবনু খুযাইমাহ ১৪০৯ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী নু’মান বিন রাশীদ সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি একাধিক মুনকার হাদিস বর্ণনা করেছেন। তিনি হাদিস বর্ণনায় ইদতিরাব করেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইমাম বুখারী ও আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার হাদিসের মধ্যে অধিক সন্দেহ থাকে। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি দুর্বল।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫/১৫৪. অধ্যায়ঃ
ইসতিসকার সলাতের দুআ’।
১২৬৯
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ شُرَحْبِيلَ بْنِ السِّمْطِ، أَنَّهُ قَالَ لِكَعْبٍ يَا كَعْبُ بْنَ مُرَّةَ حَدِّثْنَا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَاحْذَرْ . قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ اسْتَسْقِ اللَّهَ فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَدَيْهِ فَقَالَ ” اللَّهُمَّ اسْقِنَا غَيْثًا مَرِيئًا مَرِيعًا طَبَقًا عَاجِلاً غَيْرَ رَائِثٍ نَافِعًا غَيْرَ ضَارٍّ ” . قَالَ فَمَا جَمَّعُوا حَتَّى أُجِيبُوا . قَالَ فَأَتَوْهُ فَشَكَوْا إِلَيْهِ الْمَطَرَ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ تَهَدَّمَتِ الْبُيُوتُ . فَقَالَ ” اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلاَ عَلَيْنَا ” . قَالَ فَجَعَلَ السَّحَابُ يَنْقَطِعُ يَمِينًا وَشِمَالاً .
শুরাহবীল ইবনুস সিমত থেকে বর্ণিতঃ
তিনি কা‘ব বিন মুররাহ (রাঃ)-কে বলেন, হে কা‘ব বিন মুররাহ! আমাদের নিকট রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীস বর্ণনা করুন এবং সতর্কতা অবলম্বন করুন। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহ্র রসূল! আল্লাহ্র নিকট বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করুন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর দু’হাত তুলে দুআ’ করেন : “আল্লাহুম্মা আসকিনা গাইছান মারী’আন মারী’আন তবাকান আজিলান গাইরা রাইছিন নাফিআন গাইরা দাররিন” (হে আল্লাহ! আমাদেরকে এমন বৃষ্টির পানি দান করুন যা সুপেয়, ফসল উৎপাদক, পর্যাপ্ত, বিলম্ব নয়, অবিলম্বে, উপকারী এবং ক্ষতিকর নয়)। কা‘ব (রাঃ) বলেন, জুমুআর সালাত শেষ না হতেই বৃষ্টি হয়ে গেলো। পড়ে লোকেরা তাঁর নিকট এসে অতিবৃষ্টির অভিযোগ করলো এবং বললো, হে আল্লাহ্র রসূল! বাড়িঘর ধ্বসে যাচ্ছে। তিনি বলেন, হে আল্লাহ! আমাদের উপর নয়, আমাদের আশেপাশে বর্ষিত হোক। রাবী বলেন, তৎক্ষণাৎ মেঘমালা টুকরা টুকরা হয়ে ডানে-বামে সরে গেলো। [১২৬৯]
[১২৬৯] আহমাদ ২৭৬৮৯ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ১৪৫।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২৭০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي الْقَاسِمِ أَبُو الأَحْوَصِ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ الرَّبِيعِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، حَدَّثَنَا حُصَيْنٌ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَقَدْ جِئْتُكَ مِنْ عِنْدِ قَوْمٍ مَا يَتَزَوَّدُ لَهُمْ رَاعٍ وَلاَ يَخْطِرُ لَهُمْ فَحْلٌ . فَصَعِدَ الْمِنْبَرَ فَحَمِدَ اللَّهَ ثُمَّ قَالَ “ اللَّهُمَّ اسْقِنَا غَيْثًا مُغِيثًا مَرِيئًا طَبَقًا مَرِيعًا غَدَقًا عَاجِلاً غَيْرَ رَائِثٍ ” . ثُمَّ نَزَلَ فَمَا يَأْتِيهِ أَحَدٌ مِنْ وَجْهٍ مِنَ الْوُجُوهِ إِلاَّ قَالُوا قَدْ أُحْيِينَا .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক বেদুইন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বললো, ইয়া রসূলাল্লাহ! আমি অবশ্যি এমন এক সম্প্রদায়ের নিকট থেকে আপনার নিকট উপস্থিত হয়েছি যাদের রাখালদের পর্যাপ্ত আহারের সংস্থান নেই, এমনকি তারা তাদের চতুস্পদ জন্তুর বেঁচে থাকার আশাও ত্যাগ করেছে। তিনি সালাত পড়লেন অতঃপর মিম্বারে উঠে আল্লাহ্র প্রশংসা করলেন, অতঃপর দুআ’ বললেনঃ “হে আল্লাহ! আমাদেরকে সাহায্যকারী বৃষ্টির পানি দান করুন যা সুপেয়, পর্যাপ্ত, ফসল উৎপাদক, প্রচুর, অবিলম্বে, বিলম্বে নয়”। অতঃপর তিনি মিম্বার থেকে নামলেন। অতঃপর যে সকল লোকই তাঁর নিকট এসেছে তারাই বলেছেন, আমাদের এখানে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। [১২৭০]
[১২৭০] যইফ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ১/১৪৫-১৪৬।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
১২৭১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ بَرَكَةَ، عَنْ بَشِيرِ بْنِ نَهِيكٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ اسْتَسْقَى حَتَّى رَأَيْتُ – أَوْ رُؤِيَ – بَيَاضُ إِبْطَيْهِ . قَالَ مُعْتَمِرٌ أُرَاهُ فِي الاِسْتِسْقَاءِ .
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বৃষ্টিপাতের জন্য দুআ’ করলেন, এমনি আমি তাঁর বগলের শুভ্রতা (উপরে হাত তোলার কারণে) দেখতে পাই। অধস্তন রাবী মু’তামির (রাঃ) বলেন, আমার মতে তিনি ইসতিসকার সলাতে এভাবে দুআ’ করেন।
[১২৭১] আহমাদ ৭১৭২, ৮৬১২। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: তালীক ইবনু খুয়াইমাহ ১৪১৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২৭২
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الأَزْهَرِ، حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَقِيلٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ حَمْزَةَ، حَدَّثَنَا سَالِمٌ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ رُبَّمَا ذَكَرْتُ قَوْلَ الشَّاعِرِ وَأَنَا أَنْظُرُ، إِلَى وَجْهِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَلَى الْمِنْبَرِ فَمَا نَزَلَ حَتَّى جَيَّشَ كُلُّ مِيزَابٍ بِالْمَدِينَةِ فَأَذْكُرُ قَوْلَ الشَّاعِرِ وَأَبْيَضَ يُسْتَسْقَى الْغَمَامُ بِوَجْهِهِ ثِمَالُ الْيَتَامَى عِصْمَةٌ لِلأَرَامِلِ وَهُوَ قَوْلُ أَبِي طَالِبٍ .
আবদুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কখনও কখনও আমার কবির কবিতা স্মরণ হতো এবং আমি মিম্বারের উপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চেহারা মোবারকের দিকে লক্ষ্য নিবদ্ধ করে রাখতাম। তিনি মিম্বার থেকে অবতরণ না করতেই মাদীনাহ্র বাড়িঘরের ছাদের পানিবাহী নল দিয়ে (বৃষ্টির) পানি পড়তে শুরু করে (পানি অপসারী নালা দিয়ে পানি বয়ে যেতে শুরু করতো)। তখন কবির কবিতা আমার মনে পড়ে যেতো : “কত সুন্দর সৌন্দর্যময় সত্তা, যাঁর উসীলায় বৃষ্টি বর্ষণের প্রার্থনা করা যায়, যিনি ইয়াতীম ও বিধবাদের আশ্রয়স্থল”। এটা আবূ তালিবের কবিতা। [১২৭২]
[১২৭২] বুখারী ১০০৯, আহমাদ ৫৬৪০। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। তাখরীজ আলবানী: বুখারীতে তালীক ও মাওদূদ রূপে। উক্ত হাদিসের রাবী উমার বিন হামাযাহ সম্পর্কে ইবনু হিব্বান সিকাহ বললেও অন্যত্রে বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, মুনকারুল হাদিস। ইমাম নাসাঈ তাকে দুর্বল বলেছেন। ইবনু আদী তার থেকে হাদিস গ্রহন করেছেন।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৫/১৫৫. অধ্যায়ঃ
দু’ ঈদের সালাত সম্পর্কে
১২৭৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عَطَاءٍ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ أَشْهَدُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنَّهُ صَلَّى قَبْلَ الْخُطْبَةِ ثُمَّ خَطَبَ فَرَأَى أَنَّهُ لَمْ يُسْمِعِ النِّسَاءَ فَأَتَاهُنَّ فَذَكَّرَهُنَّ وَوَعَظَهُنَّ وَأَمَرَهُنَّ بِالصَّدَقَةِ وَبِلاَلٌ قَائِلٌ بِيَدَيْهِ هَكَذَا فَجَعَلَتِ الْمَرْأَةُ تُلْقِي الْخُرْصَ وَالْخَاتَمَ وَالشَّىْءَ .
আতা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনু আব্বাস (রাঃ) কে বলতে শুনেছি, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সম্পর্কে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তিনি খুতবা দানের পূর্বে সালাত আদায় করেছেন, অতঃপর খুতবাহ দিয়েছেন। তিনি লক্ষ্য করলেন যে, তিনি মহিলাদের তাঁর ভাষণ শুনাতে পারেননি। (তাঁর কণ্ঠস্বর তাদের পর্যন্ত পৌঁছেনি)। অতএব তিনি তাদের নিকট এসে তাদেরকে উপদেশ দেন, ওয়াজ-নাসীহাত করেন এবং তাদেরকে দান-খয়রাত করার নির্দেশ দেন। আর বিলাল (রাঃ) তার হাতের কাপড় এভাবে ধরেন। মহিলারা তাদের স্বর্ণের বালা, আংটি ও অন্যান্য জিনিস (সেই কাপড়ের মধ্যে) ঢেলে দিতে থাকেন। [১২৭৩]
[১২৭৩] বুখারী ৯৮, ৮৬৩, ৯৫৯-৬০, ৯৬২, ৯৬৪, ৯৭৫, ৯৭৭, ১৪৪৯, ৪৮৯৫, ৫২৪৯, ৫৮৮০-৮১, ৭৩২৫; মুসলিম ৮৮১-৩, ৮৮৬; নাসায়ী ১৫৬৯, ১৫৮৬; আবূ দাঊদ ১১৪২, ১১৪৬, ১১৫৯; আহমাদ ১৬০৩-৪, ১৬১০, ১৯০৫, ১৯৮৪, ২০৬৩, ২১৭০, ২৫২৯, ২৫৬৯, ২৫৮৮, ৩০৫৪, ৩০৯৫, ৩২১৫, ৩২১৭, ৩৩০৫, ৩৪৭৭; ইবনু মাজাহ ১২৯১। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ১০৩৬-১০৩৮।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২৭৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ الْبَاهِلِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ صَلَّى يَوْمَ الْعِيدِ بِغَيْرِ أَذَانٍ وَلاَ إِقَامَةٍ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদের দিন আযান ও ইকামাত ব্যতীত (ঈদের) সালাত পড়েন। [১২৭৪]
[১২৭৪] বুখারী ৯৫৯-৬০, মুসলিম ৮৮১-২, তিরমিযী ৫৩৭, আবূ দাঊদ ১১৪৬-৪৭, আহমাদ ২১৭০, ২৫৬৯, ৩০৯৫, ৩২১৭, ৩৩০৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ১০৪১।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২৭৫
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ رَجَاءٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، وَعَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ أَخْرَجَ مَرْوَانُ الْمِنْبَرَ يَوْمَ الْعِيدِ فَبَدَأَ بِالْخُطْبَةِ قَبْلَ الصَّلاَةِ فَقَامَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا مَرْوَانُ خَالَفْتَ السُّنَّةَ أَخْرَجْتَ الْمِنْبَرَ يَوْمَ عِيدٍ وَلَمْ يَكُنْ يُخْرَجُ بِهِ وَبَدَأْتَ بِالْخُطْبَةِ قَبْلَ الصَّلاَةِ وَلَمْ يَكُنْ يُبْدَأُ بِهَا . فَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ أَمَّا هَذَا فَقَدْ قَضَى مَا عَلَيْهِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ “ مَنْ رَأَى مُنْكَرًا فَاسْتَطَاعَ أَنْ يُغَيِّرَهُ بِيَدِهِ فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ بِلِسَانِهِ فَبِقَلْبِهِ وَذَلِكَ أَضْعَفُ الإِيمَانِ ” .
আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ঈদের দিন মারওয়ান (ঈদের মাঠে) মিম্বার বের করে আনে এবং ঈদের সালাত পড়ার আগে খুতবাহ দেয়। তখন এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললো, হে মারওয়ান! তুমি সুন্নাতের পরিপন্থী কাজ করেছো। তুমি ঈদের দিন (মাঠে) মিম্বার বের করে এনেছো, অথচা তা ঈদের মাঠে বের করে আনা হতো না। আবার তুমি ঈদের সালাত পড়ার পূর্বে খুতবা দিতে শুরু করলে, অথচ সলাতের আগে খুতবাহ দিয়ে শুরু করা হতো না। আবূ সাঈদ (রাঃ) বলেন, এই ব্যক্তি অবশ্যি তার কর্তব্য পালন করেছে। আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি : তোমাদের মধ্যে কেউ অন্যায় কাজ হতে দেখলে এবং তার হাত দিয়ে তা প্রতিহত করার সামর্থ্য থাকলে সে যেন তা নিজ হাতে প্রতিহত করে। তার সেই সামর্থ্য না থাকলে সে যেন মুখের ভাষায় তা প্রতিহত (বা প্রতিবাদ) করে। যদি মুখের ভাষায় প্রতিহত করার সামর্থ্য তার না থাকে তবে সে যেন তার অন্তরে তা প্রতিহত করে। এটা ঈমানের খুবই নিম্নস্তর। [১২৭৫]
[১২৭৫] বুখারী ৯৫৬, মুসলিম ৪৯, তিরমিযী ২১৭২, নাসায়ী ৫০০৮-৯, আবূ দাঊদ ১১৪০, ৪৩৪০; আহমাদ ১০৬৮৯, ১০৭৬৬, ১১০৬৮, ১১১০০, ১১১২২, ১১৪৬৬; ইবনু মাজাহ ৪০১৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ১০৩৪।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২৭৬
حَدَّثَنَا حَوْثَرَةُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ثُمَّ أَبُو بَكْرٍ ثُمَّ عُمَرُ يُصَلُّونَ الْعِيدَ قَبْلَ الْخُطْبَةِ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম), অতঃপর আবূ বকর (রাঃ), অতঃপর উমার (রাঃ) খুতবাদানের পূর্বে ঈদের সালাত আদায় করতেন। [১২৭৬]
[১২৭৬] বুখারী ৯৫৭, ৯৬৩; মুসলিম ৮৮৮, তিরমিযী ৫৩১, নাসায়ী ১৫৬৪, আহমাদ ৫৬৩০। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৬৪৫।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/১৫৬. অধ্যায়ঃ
দু’ ঈদের সলাতে ইমাম কত তাকবীর দিবেন?
১২৭৭
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَعْدِ بْنِ عَمَّارِ بْنِ سَعْدٍ، مُؤَذِّنِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يُكَبِّرُ فِي الْعِيدَيْنِ فِي الأُولَى سَبْعًا قَبْلَ الْقِرَاءَةِ وَفِي الآخِرَةِ خَمْسًا قَبْلَ الْقِرَاءَةِ .
সা‘দ বিন আয়িয (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’ ঈদের সলাতের প্রথম রাকআতে কুরআন পাঠের পূর্বে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাকআতেও কুরআন পাঠের পূর্বে পাঁচ তাকবীর দিতেন। [১২৭৭]
[১২৭৭] দারিমী ১৬০৬ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ লিগাইরিহী। উক্ত হাদিসের রাবী আব্দুর রহমান বিন সা’দ সম্পর্কে ইবনু হিব্বান সিকাহ বললেও ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে দুর্বল বলেছেন। ইমাম বুখারী বলেন, তার ব্যাপারে মন্তব্য রয়েছে। ২. সা’দ বিন আম্মার সম্পর্কে ইবনুল কাত্তান বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। এ হাদিসের ৬৯ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে তিরমিযি ১ টি, ইবনু মাজাহ ৩ টি, আহমাদ ৫ টি, দারাকুতনী ৬ টি ও বাকীগুলো অন্যান্য কিতাবে রয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
- সরাসরি
১২৭৮
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَعْلَى، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَبَّرَ فِي صَلاَةِ الْعِيدِ سَبْعًا وَخَمْسًا .
আবদুল্লাহ্ বিন আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদের সলাতে পর্যায়ক্রমে (প্রথম ও দ্বিতীয় রাকআতে) সাত ও পাঁচ তাকবীর দিতেন। [১২৭৮]
[১২৭৮] আবূ দাঊদ ১১৫১ তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ১০৪৫-১০৪৬।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
১২৭৯
حَدَّثَنَا أَبُو مَسْعُودٍ، مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ عَقِيلٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ عَثْمَةَ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَبَّرَ فِي الْعِيدَيْنِ سَبْعًا فِي الأُولَى وَخَمْسًا فِي الآخِرَةِ .
আম্র বিন আওফ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’ ঈদের সলাতে প্রথম রাকআতে সাত তাকবীর এবং শেষের রাকআতে পাঁচ তাকবীর দিতেন। [১২৭৯]
[১২৭৯] তিরমিযী ৫৩৬ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ লিগাইরিহী। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ১০৪১, তা’লীক ইবনু খুযাইমাহ ১৪৩৮, ১৪৩৯। উক্ত হাদিসের রাবী কাসীর বিন আবদুল্লাহ বিন আমর বিন আওফ সম্পর্কে ইমাম শাফিঈ বলেন, তিনি মিথ্যুকদের একজন অথবা মিথ্যার একটি রুকন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, মুনকারুল হাদিস। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার হাদিস দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি মিথ্যুকদের একজন। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
- সরাসরি
১২৮০
حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ، وَعُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَبَّرَ فِي الْفِطْرِ وَالأَضْحَى سَبْعًا وَخَمْسًا سِوَى تَكْبِيرَتَىِ الرُّكُوعِ .
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আদহার সলাতে রুকূ‘-সাজদাহর তাকবীর ব্যতীত অতিরিক্ত সাত ও পাঁচ তাকবীর দিতেন। [১২৮০]
[১২৮০] আবূ দাঊদ ১১৪৯ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৬৩৯, সহীহ আবী দাউদ ১০৪৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/১৫৭. অধ্যায়ঃ
দু’ ঈদের সলাতের কিরাআত।
১২৮১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْتَشِرِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ سَالِمٍ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يَقْرَأُ فِي الْعِيدَيْنِ بِـ {سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الأَعْلَى} وَ {هَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ الْغَاشِيَةِ} .
নু‘মান বিন বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’ ঈদের সলাতে সূরাহ “সাব্বিহিসমা রব্বিকাল আলা” ও সূরা “হাল আতাকা হাদীসুল গাশিয়া” পড়তেন। [১২৮১]
[১২৮১] মুসলিম ৮৭৮, তিরমিযী ৫৩৩, নাসায়ী ১৪২৪, ১৫৯০; আবূ দাঊদ ১১২২, আহমাদ ১৭৯১৬, ১৭৯৪২, ১৭৯৬৩, ১৭৯৭০; দারিমী ১৫৬৮, ১৬০৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৬৪৪, সহীহ আবী দাউদ ১০২৭।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২৮২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ، عَنْ ضَمْرَةَ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ خَرَجَ عُمَرُ يَوْمَ عِيدٍ فَأَرْسَلَ إِلَى أَبِي وَاقِدٍ اللَّيْثِيِّ بِأَىِّ شَىْءٍ كَانَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقْرَأُ فِي مِثْلِ هَذَا الْيَوْمِ قَالَ بِـ {ق} وَاقْتَرَبَتْ .
উবায়দুল্লাহ বিন আবদুল্লাহ থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উমার (রাঃ), ঈদের সালাত আদায় করতে রওয়ানা হলেন। তিনি আবূ ওয়াকিদ আল-লায়সী (রাঃ)-এর নিকট লোক পাঠিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, আজকের মত এ দিনে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কী তিলাওয়াত করতেন? তিনি জানান যে, মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূরাহ “কাফ” ও সূরা “ইকতারাবাতিস সাআহ” দ্বারা ক্বিরাআত পড়তেন। [১২৮২]
[১২৮২] মুসলিম ৮৯১-২, তিরমিযী ৫৩৪, নাসায়ী ১৫৬৭, আবূ দাঊদ ১১৫৪, আহমাদ ২১৩৮৯, ২১৪০৪; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৪৩৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ১০৪৭।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২৮৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ الْبَاهِلِيُّ، حَدَّثَنَا وَكِيعُ بْنُ الْجَرَّاحِ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُبَيْدَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يَقْرَأُ فِي الْعِيدَيْنِ بِـ {سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الأَعْلَى } وَ {هَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ الْغَاشِيَةِ } .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদের সলাতে সুরা আলা’ ও সূরাহ গাশিয়া পড়তেন। [১২৮৩]
সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী মুসা বিন উবায়দাহ সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন, তিনি সিকাহ তবে হুজ্জাহ নয়। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার থেকে হাদিস বর্ণনা করা উচিত নয়। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, মুনকারুল হাদিস। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/১৫৮. অধ্যায়ঃ
দু’ ঈদের সলাতে খুতবা।
১২৮৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، قَالَ رَأَيْتُ أَبَا كَاهِلٍ وَكَانَتْ لَهُ صُحْبَةٌ فَحَدَّثَنِي أَخِي، عَنْهُ قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَخْطُبُ عَلَى نَاقَةٍ وَحَبَشِيٌّ آخِذٌ بِخِطَامِهَا .
আবূ কাহিল (কায়স বিন আয়িয) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহচর্য লাভ করেন। তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে একটি উষ্ট্রীর পিঠে আরোহিত অবস্থায় খুতবাহ দিতে দেখেছি। এক হাবশী গোলাম উষ্ট্রীর লাগাম ধরে রেখেছিল। [১২৮৪]
[১২৮৪] নাসায়ী ১৫৭৩, আহমাদ ১৮২৫০, ইবনু মাজাহ ১২৮৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
১২৮৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ عَائِذٍ، – هُوَ أَبُو كَاهِلٍ – قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَخْطُبُ عَلَى نَاقَةٍ حَسْنَاءَ وَحَبَشِيٌّ آخِذٌ بِخِطَامِهَا .
আবূ কাহিল (কায়স বিন আয়িয) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে একটি সুন্দর উষ্ট্রীর পিঠে আরোহিত অবস্থায় খুতবা দিতে দেখেছি। এক হাবশী গোলাম তার লাগাম ধরে রেখেছিল। [১২৮৫]
[১২৮৫] নাসায়ী ১৫৭৩, আহমাদ ১৮২৫০, ইবনু মাজাহ ১২৮৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
১২৮৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ نُبَيْطٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ حَجَّ فَقَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَخْطُبُ عَلَى بَعِيرِهِ .
নুবায়ত বিন শারীত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি হাজ্জ করেন এবং বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তাঁর উটের পিঠে আরোহিত অবস্থায় খুতবাহ দিতে দেখেছি। [১২৮৬]
[১২৮৬] নাসায়ী ৩০০৭-৮, আবূ দাঊদ ১৯১৬, আহমাদ ১৮২৪৬, ১৮২৪৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৬৪৭।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২৮৭
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَعْدِ بْنِ عَمَّارِ بْنِ سَعْدٍ الْمُؤَذِّنِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُكَبِّرُ بَيْنَ أَضْعَافِ الْخُطْبَةِ يُكْثِرُ التَّكْبِيرَ فِي خُطْبَةِ الْعِيدَيْنِ .
সা‘দ বিন আয়িয (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অধিকাংশ খুতবাহ্য় বেশি বেশি তাকবীর বলতেন এবং তিনি দু’ ঈদের খুতবাহয় আরো অধিক সংখ্যায় তাকবীর বলতেন। [১২৮৭]
১২৮৭] যঈফ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়া ৬৪৭ যঈফ, জামি সগীর ৪৫৯৭ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী আব্দুর রহমান বিন সা’দ বিন আম্মার বিন সা’দ আল মুআযযিন সম্পর্কে ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ বললেও ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে দুর্বল বলেছেন। ইমাম বুখারী বলেন, তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। সা’দ বিন আম্মার বিন সা’দ আল মুআযযিন সম্পর্কে ইবনুল কাত্তান বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে অজ্ঞাত।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
১২৮৮
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ قَيْسٍ، عَنْ عِيَاضِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنِي أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَخْرُجُ يَوْمَ الْعِيدِ فَيُصَلِّي بِالنَّاسِ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ يُسَلِّمُ فَيَقِفُ عَلَى رِجْلَيْهِ فَيَسْتَقْبِلُ النَّاسَ وَهُمْ جُلُوسٌ فَيَقُولُ “ تَصَدَّقُوا تَصَدَّقُوا ” . فَأَكْثَرُ مَنْ يَتَصَدَّقُ النِّسَاءُ بِالْقُرْطِ وَالْخَاتَمِ وَالشَّىْءِ فَإِنْ كَانَتْ حَاجَةٌ يُرِيدُ أَنْ يَبْعَثَ بَعْثًا ذَكَرَهُ لَهُمْ وَإِلاَّ انْصَرَفَ .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদের দিন বের হতেন এবং লোকদের নিয়ে দু’ রাকআত সালাত আদায় করতেন, তারপর সালাম ফিরাতেন। এরপর তিনি তার উভয় পায়ের উপর দাঁড়িয়ে উপবিষ্ট লোকদের দিকে মুখ করে বলতেন : তোমরা দান-খয়রাত করো, তোমরা দান-খয়রাত করো। দান-খয়রাতকারীদের অধিকাংশই ছিল মহিলা। তারা কানবালা, আংটি ও অন্যান্য জিনিস দান করেন। তিনি যদি কোথাও সামরিক বাহিনী প্রেরণ করা জরুরী মনে করতেন, তাহলে তাদের উদ্দেশ্যে সে সম্পর্কে আলোচনা করতেন, অন্যথায় ফিরে আসতেন। [১২৮৮]
[১২৮৮] বুখারী ৩০৪, ১৪৬২; মুসলিম ৮০, ৮৮৯; নাসায়ী ১৫৭৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৬৩০, ৬৩৫; সহীহহা ২৯৬৮।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২৮৯
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَكِيمٍ، حَدَّثَنَا أَبُو بَحْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَوْمَ فِطْرٍ أَوْ أَضْحًى فَخَطَبَ قَائِمًا ثُمَّ قَعَدَ قَعْدَةً ثُمَّ قَامَ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদুল ফিতরের দিন অথবা ঈদুল আযহার দিন বের হলেন। অতঃপর তিনি (সালাত শেষে) দাঁড়িয়ে খুতবাহ দেন, তারপর কিছুক্ষণ বসার পর পুনরায় আবার দাঁড়িয়ে খুতবাহ দেন। [১২৮৯]
মুনকার। উক্ত হাদিসের রাবী ১. আবু বাহর (আব্দুর রহমান বিন উসমান) সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, মানুষেরা তার হাদিস প্রত্যাখ্যান করেছেন। ২. ইসমাইল বিন মুসলিম আল খাওলানী সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। সুফইয়ান বিন উয়াইনাহ বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, মুনকারুল হাদিস। ইবনু মাঈন বলেন, কোন সমস্যা নেই। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহণযোগ্য নয়। আমর ইবনুল ফাল্লাস বলেন, হাদিস বর্ণনায় তিনি দুর্বল তাছাড়া তিনি হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন।
হাদিসের মানঃ মুনকার
- সরাসরি
৫/১৫৯. অধ্যায়ঃ
সলাতের পর খুতবাহ্র জন্য অপেক্ষা করা।
১২৯০
حَدَّثَنَا هَدِيَّةُ بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ، وَعَمْرُو بْنُ رَافِعٍ الْبَجَلِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ السَّائِبِ، قَالَ حَضَرْتُ الْعِيدَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَصَلَّى بِنَا الْعِيدَ ثُمَّ قَالَ “ قَدْ قَضَيْنَا الصَّلاَةَ فَمَنْ أَحَبَّ أَنْ يَجْلِسَ لِلْخُطْبَةِ فَلْيَجْلِسْ وَمَنْ أَحَبَّ أَنْ يَذْهَبَ فَلْيَذْهَبْ ” .
আবদুল্লাহ্ ইবনুস সাইব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ঈদের দিন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে উপস্থিত ছিলাম। তিনি আমাদের নিয়ে ঈদের সালাত পড়েন, অতঃপর বলেন, আমরা সালাত আদায় করেছি। অতএব যে পছন্দ করে সে খুতবাহ্র জন্য বসুক এবং যে চলে যেতে পছন্দ করে সে চলে যাক। [১২৯০]
[১২৯০] নাসায়ী ১৫৭১, আবূ দাঊদ ১১৫৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৬২৯, সহীহ আবী দাউদ ১০৪৮।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/১৬০. অধ্যায়ঃ
ঈদের সলাতের আগে ও পরে (নফল) সালাত পড়া।
১২৯১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنِي عَدِيُّ بْنُ ثَابِتٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ خَرَجَ فَصَلَّى بِهِمُ الْعِيدَ لَمْ يُصَلِّ قَبْلَهَا وَلاَ بَعْدَهَا .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বের হয়ে এসে লোকদের সাথে সালাত পরেন। তিনি ঈদের সলাতের পূর্বে বা পরে (নফল) সালাত পড়েননি। [১২৯১]
[১২৯১] বুখারী ৯৮, ৮৬৩, ৯৫৯-৬০, ৯৬২, ৯৬৪, ৯৭৫, ৯৭৭, ১৪৪৯, ৪৮৯৫, ৫২৪৯, ৫৮৮০-৮১, ৭৩২৫; মুসলিম ৮৮১-৩, ৮৮৬; নাসায়ী ১৫৬৯, ১৫৮৬; আবূ দাঊদ ১১৪২, ১১৪৬, ১১৫৯; আহমাদ ১৬০৩-৪, ১৬১০, ১৯০৫, ১৯৮৪, ২০৬৩, ২১৭০, ২৫২৯, ২৫৬৯, ২৫৮৮, ৩০৫৪, ৩০৯৫, ৩২১৫, ৩২১৭, ৩৩০৫, ৩৪৭৭; ইবনু মাজাহ ১২৭৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৬৩১, সহীহ আবী দাউদ ১০৫১।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২৯২
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الطَّائِفِيُّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لَمْ يُصَلِّ قَبْلَهَا وَلاَ بَعْدَهَا فِي عِيدٍ .
আবদুল্লাহ বিন আম্র বিন শুআইব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদের সলাতের আগে ও পরে (নফল) সালাত পড়েননি। [১২৯২]
[১২৯২] আহমাদ ৬৬৪৯ তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
১২৯৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ جَمِيلٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو الرَّقِّيِّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لاَ يُصَلِّي قَبْلَ الْعِيدِ شَيْئًا فَإِذَا رَجَعَ إِلَى مَنْزِلِهِ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদের সলাতের আগে কোন সালাত আদায় করতেন না। তবে তিনি তার বাড়িতে ফিরে আসার পর দু’ রাকআত সালাত আদায় করতেন। [১২৯৩]
[১২৯৩] আহমাদ ১০৮৪২, ১০৯৬২। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৩৯৯।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৫/১৬১. অধ্যায়ঃ
পদব্রজে ঈদগাহে যাওয়া।
১২৯৪
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَعْدِ بْنِ عَمَّارِ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يَخْرُجُ إِلَى الْعِيدِ مَاشِيًا وَيَرْجِعُ مَاشِيًا .
সা‘দ বিন আয়িয (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পদব্রজে ঈদগাহে যেতেন এবং পদব্রজে ঈদগাহ থেকে ফিরে আসতেন। [১২৯৪]
হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৬৩৬। উক্ত হাদিসের রাবী ১. আব্দুর রহমান বিন সা’দ সম্পর্কে ইবনু হিব্বান সিকাহ বললেও ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে দুর্বল বলেছেন। ইমাম বুখারী বলেন, তার ব্যাপারে মন্তব্য রয়েছে। ২. সা’দ বিন আম্মার সম্পর্কে ইবনুল কাত্তান বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
১২৯৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْعُمَرِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَخْرُجُ إِلَى الْعِيدِ مَاشِيًا وَيَرْجِعُ مَاشِيًا .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পদব্রজেই ঈদগাহে যেতেন এবং পদব্রজেই ফিরে আসতেন। [১২৯৫]
হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী আব্দুর রহমান বিন আবদুল্লাহ আল উমারী সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি একাধিক মুনকার হাদিস বর্ণনা করেছেন, তিনি মিথ্যুক। ইমাম বুখারী তার ব্যপারে চুপ থেকেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি মিথ্যুক তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
১২৯৬
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَكِيمٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ إِنَّ مِنَ السُّنَّةِ أَنْ يَمْشِيَ إِلَى الْعِيدِ .
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত। [১২৯৬]
[১২৯৬] তিরমিযী ৫৩০ তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী হারিস (বিন আবদুল্লাহ) সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আহমাদ বিন সালিহ আল মিসরী বলেন, তিনি সিকাহ। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। আলী ইবনুল মাদীনী তাকে মিথ্যুক বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তার হাদিস থেকে দলীল গ্রহণযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
১২৯৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الْخَطَّابِ، حَدَّثَنَا مِنْدَلٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يَأْتِي الْعِيدَ مَاشِيًا .
আবূ রাফি‘ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পদব্রজে ঈদগাহে আসতেন। [১২৯৭]
[১২৯৭] ইবনু মাজাহ ১৩০০ তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন উবায়দুল্লাহ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল ও তার মাঝে একাধিক মুনকার হাদিস পাওয়া যায়। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৫/১৬২. অধ্যায়ঃ
ঈদগাহে এক রাস্তা দিয়ে গমন এবং ভিন্ন রাস্তা দিয়ে প্রত্যাবর্তন।
১২৯৮
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَعْدِ بْنِ عَمَّارِ بْنِ سَعْدٍ، أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ إِذَا خَرَجَ إِلَى الْعِيدَيْنِ سَلَكَ عَلَى دَارَىْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي الْعَاصِ ثُمَّ عَلَى أَصْحَابِ الْفَسَاطِيطِ ثُمَّ انْصَرَفَ فِي الطَّرِيقِ الأُخْرَى طَرِيقِ بَنِي زُرَيْقٍ ثُمَّ يَخْرُجُ عَلَى دَارِ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ وَدَارِ أَبِي هُرَيْرَةَ إِلَى الْبَلاَطِ .
সা‘দ বিন আয়িয (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন দু’ ঈদের সলাতের জন্য বের হতেন, তখন সাঈদ বিন আবুল আস (রাঃ)-এর ঘরের নিকট দিয়ে আসহাবে ফাসাতীত-এর দিক থেকে ঈদগাহে যেতেন। ফেরার পথে তিনি বনূ যরাইহকের পথ ধরে, আম্মার বিন ইয়াসির ও আবূ হুরায়রা (রাঃ)-এর ঘরের সম্মুখ দিয়ে বালাত নামক স্থানের দিকে আসতেন। [১২৯৮]
[১২৯৮] যঈফ। তাখরীজ আলবানী: রওযন নাসীর ৩৩৫। ১. আব্দুর রহমান বিন সা’দ সম্পর্কে ইবনু হিব্বান সিকাহ বললেও ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে দুর্বল বলেছেন। ইমাম বুখারী বলেন, তার ব্যাপারে মন্তব্য রয়েছে। ২. সা’দ বিন আম্মার সম্পর্কে ইবনুল কাত্তান বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
১২৯৯
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَكِيمٍ، حَدَّثَنَا أَبُو قُتَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ كَانَ يَخْرُجُ إِلَى الْعِيدِ فِي طَرِيقٍ وَيَرْجِعُ فِي أُخْرَى وَيَزْعُمُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يَفْعَلُ ذَلِكَ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি এক রাস্তা দিয়ে ঈদের মাঠে যেতেন এবং ভিন্ন রাস্তা দিয়ে ফিরে আসতেন। তার মতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরূপ করতেন। [১২৯৯]
[১২৯৯] আবূ দাঊদ ১১৫৬ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৬৩৭, সহীহ আবী দাউদ ১০৪৯। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল্লাহ বিন উমার (বিন হাফস বিন আসিম বিন উমার আল উমরী আল কারশী) সম্পর্কে ইয়াকুব বিন শায়বাহ বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার হাদিসে ইদতিরাব রয়েছে। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সানাদের মাঝে অতিরিক্ত করেন ও সিকাহ রাবীর বিপরীত হাদিস বর্ণনা করেন। আলী ইবনুল মাদীনী তাকে দুর্বল বলেছেন। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৩০০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الأَزْهَرِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الْخَطَّابِ، حَدَّثَنَا مِنْدَلٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يَأْتِي الْعِيدَ مَاشِيًا وَيَرْجِعُ مَاشِيًا فِي غَيْرِ الطَّرِيقِ الَّذِي ابْتَدَأَ فِيهِ .
আবূ রাফি‘ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পায়ে হেঁটে ঈদের মাঠে আসতেন এবং ভিন্ন পথে প্রত্যাবর্তন করতেন। [১৩০০]
[১৩০০] ইবনু মাজাহ ১২৯৭ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ লিগাইরিহী। উক্ত হাদিসের রাবী ১. মিনদাল (বিন আলী) সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল ও ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইয়াকুব বিন শায়বাহ বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনু নুমায়র বলেন। তিনি হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ২. মুহাম্মাদ বিন উবায়দুল্লাহ বিন আবু রাফি’ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল ও তার মাঝে একাধিক মুনকার হাদিস পাওয়া যায়। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
- সরাসরি
১৩০১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو تُمَيْلَةَ، عَنْ فُلَيْحِ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْحَارِثِ الزُّرَقِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ إِذَا خَرَجَ إِلَى الْعِيدِ رَجَعَ فِي غَيْرِ الطَّرِيقِ الَّذِي أَخَذَ فِيهِ .
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক রাস্তা দিয়ে ঈদের মাঠে যেতেন এবং অন্য রাস্তা দিয়ে প্রত্যাবর্তন করতেন। [১৩০১]
[১৩০১] বুখারী ৯৮৬, তিরমিযী ৫৪১, আহমাদ ৮২৪৯, দারিমী ১৬১৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ১৪৪৭, ইরওয়াহ ১০৫। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন হুমায়দ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন সিকাহ বললেও ইয়াকুব বিন শায়বাহ বলেন, তার হাদিসে অধিক মুনকার হাদিস রয়েছে। ইমাম বুখারী বলেন, তার হাদিসের ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। আবু যুরআহ আর-রাযী ও ইবনু খিরাশ তাকে মিথ্যুক বলেছেন। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/১৬৩. অধ্যায়ঃ
ঈদের দিন দফ বাজানো।
১৩০২
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ عَامِرٍ، قَالَ شَهِدَ عِيَاضٌ الأَشْعَرِيُّ عِيدًا بِالأَنْبَارِ فَقَالَ مَالِي لاَ أَرَاكُمْ تُقَلِّسُونَ كَمَا كَانَ يُقَلَّسُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ .
আমির (বিন শুরাহীল) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইয়াদ আল-আশআরী (রাঃ) আম্বার নামক এলাকায় ঈদের সলাতে উপস্থিত হন। তিনি বলেন, আমি তোমাদের দফ বাজাতে দেখছি না কেন, যেমন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সামনে তা বাজানো হত? [১৩০২]
[১৩০২] যঈফ। তাখরীজ আলবানী: যঈফা ৪২৮৫। উক্ত হাদিসের রাবী শারীক (বিন আবদুল্লাহ বিন আবু শারীক) সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু যখন তার হাদিস সিকাহ রাবীর বিপরীত হয় তখন তিনি তার মত পরিবর্তন করে নেন। এটা আমার নিকট অধিক পছন্দনীয়। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, আমি তাকে হাদিস সংমিশ্রণ করতে দেখেছি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
১৩০৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ مَا كَانَ شَىْءٌ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِلاَّ وَقَدْ رَأَيْتُهُ إِلاَّ شَىْءٌ وَاحِدٌ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يُقَلَّسُ لَهُ يَوْمَ الْفِطْرِ .
قَالَ أَبُو الْحَسَنِ بْنُ سَلَمَةَ الْقَطَّانُ حَدَّثَنَا ابْنُ دِيزِيلَ، حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ عَامِرٍ، ح وَحَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ نَصْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ عَامِرٍ، ح وَحَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ نَصْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَامِرٍ، نَحْوَهُ .
কায়স বিন সা‘দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যমানায় যা কিছু ঘটেছে তা আমি দেখেছি। একটি বিষয় আমি অবশ্যই দেখেছি যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সময়ে ঈদুল ফিতরের দিন ‘দফ’ বাজানো হতো। [১৩০৩]
২/১৩০৩ (১). কায়স বিন সা‘দ (রাঃ)। [১৩০৩]
তাহকীক আলবানী : দঈফ।
[১৩০৩] আহমাদ ১৫০৫৩ তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী আবু ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আল আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হিব্বান তার সিকাহ গ্রন্থে বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় তাদলীস করেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫/১৬৪. অধ্যায়ঃ
ঈদের সলাতে বল্লম নিয়ে যাওয়া (সুতরা হিসেবে ব্যবহারের জন্য)
১৩০৪
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يَغْدُو إِلَى الْمُصَلَّى فِي يَوْمِ الْعِيدِ وَالْعَنَزَةُ تُحْمَلُ بَيْنَ يَدَيْهِ فَإِذَا بَلَغَ الْمُصَلَّى نُصِبَتْ بَيْنَ يَدَيْهِ فَيُصَلِّي إِلَيْهَا وَذَلِكَ أَنَّ الْمُصَلَّى كَانَ فَضَاءً لَيْسَ فِيهِ شَىْءٌ يُسْتَتَرُ بِهِ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদের দিন ভোরবেলা ঈদগাহে যেতেন এবং তাঁর আগে আগে একটি বর্শা বহন করা হতো। তিনি ঈদগাহে পৌছলে তাঁর সামনে বর্শাটি পুতে দেয়া হতো। তিনি সেদিকে ফিরে সালাত আদায় করতেন। এ ছিলো সেই সময়কার ঘটনা, যখন ঈদগাহ ছিলো খোলা মাঠ। তাতে এমন কিছু ছিলো না যাকে সুতরা বানানো যেত। [১৩০৪]
[১৩০৪] বুখারী ৪৯৪, ৪৯৮, ৯৭২-৭৩; মুসলিম ৫০১-২, নাসায়ী ৭৪৭, ১৫৬৫; আবূ দাঊদ ৬৮৭, আহমাদ ৫৭০০, ৬২৫০, ৬২৮৩, ৬৩৫২; দারিমী ১৪১০, ইবনু মাজাহ ৯৪১, ১৩০৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৫০৪ সহীহ, আবী দাউদ ৬৮৮।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৩০৫
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِذَا صَلَّى يَوْمَ عِيدٍ أَوْ غَيْرَهُ نُصِبَتِ الْحَرْبَةُ بَيْنَ يَدَيْهِ فَيُصَلِّي إِلَيْهَا وَالنَّاسُ مِنْ خَلْفِهِ . قَالَ نَافِعٌ فَمِنْ ثَمَّ اتَّخَذَهَا الأُمَرَاءُ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ঈদের সালাত অথবা অন্য কোন সালাত আদায়কালে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সামনে একটি বল্লম পুতে দেয়া হতো। তিনি সেদিকে ফিরে সালাত আদায় করতেন, লোকেরা তাঁর পেছনে থাকতো। নাফি (রাঃ) বলেন, তাঁর অনুসরনে শাসকগণ এ পদ্ধতি অবলম্বন করেন। [১৩০৫]
[১৩০৫] বুখারী ৪৯৪, ৪৯৮, ৯৭২-৭৩; মুসলিম ৫০১-২, নাসায়ী ৭৪৭, ১৫৬৫; আবূ দাঊদ ৬৮৭, আহমাদ ৫৭০০, ৬২৫০, ৬২৮৩, ৬৩৫২; দারিমী ১৪১০, ইবনু মাজাহ ৯৪১, ১৩০৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৩০৬
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ صَلَّى الْعِيدَ بِالْمُصَلَّى مُسْتَتِرًا بِحَرْبَةٍ .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদের মাঠে বর্শা দ্বারা সুতরা করে সালাত আদায় করতেন। [১৩০৬]
সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/১৬৫. অধ্যায়ঃ
দু’ ঈদের সলাতে মহিলাদের অংশগ্রহণ
১৩০৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانٍ، عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ سِيرِينَ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، قَالَتْ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ نُخْرِجَهُنَّ فِي يَوْمِ الْفِطْرِ وَالنَّحْرِ . قَالَ قَالَتْ أُمُّ عَطِيَّةَ فَقُلْنَا أَرَأَيْتَ إِحْدَاهُنَّ لاَ يَكُونُ لَهَا جِلْبَابٌ قَالَ “ فَلْتُلْبِسْهَا أُخْتُهَا مِنْ جِلْبَابِهَا ” .
উম্মু আতিয়্যাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিন (ঈদের মাঠে) মহিলাদের নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। উম্মু আতিয়্যাহ (রাঃ) বলেন, আমরা বললাম, তাদের কারও যদি চাদর না থাকে, তার ব্যাপারে আপনার কি মত? তিনি বলেন, তার বোন নিজ চাদর থেকে তাকে পরাবে। [১৩০৭]
[১৩০৭] বুখারী ৩২৪, ৩৫১, ৯৭১, ৯৭৪, ৯৮০-৮১, ১৬৫২; মুসলিম ৮৯০/১-৩, তিরমিযী ৫৩৯, নাসায়ী ৩৯০, ১৫৫৮-৫৯; আবূ দাঊদ ১১৩৬, ১১৩৯; আহমাদ ২০২৬৫, দারিমী ১৬০৯, ইবনু মাজাহ ১৩০৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ১০৪১-১০৪৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৩০৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ أَخْرِجُوا الْعَوَاتِقَ وَذَوَاتِ الْخُدُورِ لِيَشْهَدْنَ الْعِيدَ وَدَعْوَةَ الْمُسْلِمِينَ . وَلِيَجْتَنِبَنَّ الْحُيَّضُ مُصَلَّى النَّاسِ ” .
উম্মু আতিয়্যাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা নাবালেগা ও বালেগা সকল মহিলাকে ঈদের মাঠে নিয়ে আসবে, যাতে তারা ঈদের নামাজে এবং মুসলিমদের দু’আতে শরীক হতে পারে। তবে ঋতুবতী মহিলারা যেন ঈদের মাঠে যাওয়া থেকে বিরত থাকে। [১৩০৮]
[১৩০৮] বুখারী ৩২৪, ৩৫১, ৯৭১, ৯৭৪, ৯৮০-৮১, ১৬৫২; মুসলিম ৮৯০/১-৩, তিরমিযী ৫৩৯, নাসায়ী ৩৯০, ১৫৫৮-৫৯; আবূ দাঊদ ১১৩৬, ১১৩৯; আহমাদ ২০২৬৫, দারিমী ১৬০৯, ইবনু মাজাহ ১৩০৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ২৪০৭।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৩০৯
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ أَرْطَاةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَابِسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يُخْرِجُ بَنَاتِهِ وَنِسَاءَهُ فِي الْعِيدَيْنِ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর কন্যাদের ও স্ত্রীদের দু’ ঈদের সলাতে নিয়ে যেতেন। [১৩০৯]
[১৩০৯] আহমাদ ২০৫৫, ৩৩০৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী হাজ্জাজ বিন আরতাহ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নন। তিনি আমর থেকে হাদিস তাদলীস করেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় তাদলীস করেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় দুর্বলদের থেকে তাদলীস করেন। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, আমি তাকে ইচ্ছা করেই বর্জন করেছি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫/১৬৬. অধ্যায়ঃ
একই দিনে দু’ ঈদ একত্র হলে
১৩১০
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ، عَنْ إِيَاسِ بْنِ أَبِي رَمْلَةَ الشَّامِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ رَجُلاً، سَأَلَ زَيْدَ بْنَ أَرْقَمَ هَلْ شَهِدْتَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عِيدَيْنِ فِي يَوْمٍ قَالَ نَعَمْ . قَالَ فَكَيْفَ كَانَ يَصْنَعُ قَالَ صَلَّى الْعِيدَ ثُمَّ رَخَّصَ فِي الْجُمُعَةِ ثُمَّ قَالَ “ مَنْ شَاءَ أَنْ يُصَلِّيَ فَلْيُصَلِّ ” .
ইয়াস বিন আবূ রামলা আশ-শামী (মাজহুল বা অপরিচিত) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি এক ব্যক্তিকে যায়দ বিন আকরাম (রাঃ) এর নিকট জিজ্ঞেস করতে শুনেছি : একই দিনে দু’ ঈদে আপনি কি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে উপস্থিত ছিলেন? তিনি বললেন, হাঁ। সে বললো, তিনি কিভাবে কী করতেন? যায়দ (রাঃ) বলেন, তিনি ঈদের সালাত পড়ার পর জুমুআর সলাতের ব্যাপারে অবকাশ দিতেন। অতঃপর যার ইচ্ছে হত সে জুমুআর সালাত আদায় করতো। [১৩১০]
[১৩১০] নাসায়ী ১৫৯১, আবূ দাঊদ ১০৭০, আহমাদ ১৮৮৩১, দারিমী ১৬১২। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৯৮১। উক্ত হাদিসের রাবী ইয়াস বিন আবু রামালা আশ-শামী সম্পর্কে ইবনু হিব্বান সিকাহ বললেও ইমাম যাহাবী ও ইবনুল কাত্তান বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৩১১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُصَفَّى الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنِي مُغِيرَةُ الضَّبِّيُّ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ رُفَيْعٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنَّهُ قَالَ “ اجْتَمَعَ عِيدَانِ فِي يَوْمِكُمْ هَذَا فَمَنْ شَاءَ أَجْزَأَهُ مِنَ الْجُمُعَةِ وَإِنَّا مُجَمِّعُونَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ ” .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ رَبِّهِ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُغِيرَةَ الضَّبِّيِّ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ رُفَيْعٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ نَحْوَهُ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের আজকের এই দিন দু’ ঈদ একত্র হয়েছে। অতএব যার ইচ্ছা জুমুআর সালাত ছেড়ে দিতে পারে। ইনশাআল্লাহ আমরা অবশ্যই জুমুআর সালাত পড়বো।
২/১৩১১ (১). আবু হুরায়রা (রাঃ), রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের আজকের এই দিন দু’ ঈদ একত্র হয়েছে। অতএব যার ইচ্ছা সে জুমুআর সালাত ছেড়ে দিতে পারে। ইনশাআল্লাহ আমরা অবশ্যই জুমু’আহর সালাত আদায় করবো। [১৩১১]
তাহকীক আলবানী : সহীহ।
[১৩১১] সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৯৮৪।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৩১২
حَدَّثَنَا جُبَارَةُ بْنُ الْمُغَلِّسِ، حَدَّثَنَا مِنْدَلُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ اجْتَمَعَ عِيدَانِ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَصَلَّى بِالنَّاسِ ثُمَّ قَالَ “ مَنْ شَاءَ أَنْ يَأْتِيَ الْجُمُعَةَ فَلْيَأْتِهَا وَمَنْ شَاءَ أَنْ يَتَخَلَّفَ فَلْيَتَخَلَّفْ ” .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যামানায় একবার দু’ ঈদ একত্র হল। তিনি লোকদের নিয়ে সালাত পড়ার পর বলেন, যে ব্যক্তি জুমুআর সলাতে আসতে চায় সে আসুক এবং যে চলে যেতে চায় সে চলে যাক (এবং যোহরের সালাত পড়ুক)। [১৩১২]
সহীহ লিগাইরিহী। ১. জুবারাহ ইবনুল মুগাল্লিস সম্পর্কে মুসলিম বিন কায়স বলেন, ইনশাআল্লাহ্ (আল্লাহ্ চায়তো) তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি মিথ্যুক ও হাদিস বানিয়ে বর্ণনা করেন। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি মুদতারাব ভাবে হাদিস বর্ণনা করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তার একাধিক মুনকার হাদিস রয়েছে। ২. মিনদাল বিন আলী সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, কোন সমস্যা নেই তবে অন্যত্রে বলেন, তিনি দুর্বল। ইয়াকুব বিব শায়বাহ বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনু নুমায়র বলেন, তিনি কিছু কিছু হাদিসের মাঝে সংমিশ্রণ করেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
- সরাসরি
৫/১৬৭. অধ্যায়ঃ
বৃষ্টির কারণে মাসজিদে সালাত পড়া।
১৩১৩
حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عُثْمَانَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى بْنِ أَبِي فَرْوَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا يَحْيَى، عُبَيْدَ اللَّهِ التَّيْمِيَّ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ أَصَابَ النَّاسَ مَطَرٌ فِي يَوْمِ عِيدٍ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَصَلَّى بِهِمْ فِي الْمَسْجِدِ .
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যামানায় ঈদের দিন বৃষ্টি হলে তিনি লোকেদের নিয়ে মাসজিদে সালাত পড়তেন। [১৩১৩]
[১৩১৩] আবূ দাঊদ ১১৬০ তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: আবূ দাঊদ ৩৮০, ৫০৭, ৫৬৩, ৮৫৬, ৮৬৩, ৯১৮, ১০০৮, ১০২৩, ১১৩০, ১৩৫২, ১৩৭৩ সহীহ, ১১৬০, ১১৮৪, ২১৭৪, ৪৮৮৬ যঈফ, ৯৩৭৪ হাসান সহীহ, ১৯০৫, ৩২০৩ সহীহ; ইরওয়া ৫২২ হাসান, ৪৪৪৫ যঈফ; ইবনু মাজাহ ১০০০, ১২১৪, ১৫২৭, ৩০৭৪, ৩৬৯৫ সহীহ; নাসায়ী ৫৩৬, ৬৬৪, ৬৯৯, ৭১১, ৮৩১, ৮৩৪, ৮৮৪, ১২১৭, ১২২৪, ১৩১৪, ১৪৬০, ১৪৯১, ১৫১২, ১৫৯৯, ২১৯৩, ২১৯৫, ২৯৩৯ সহীহ, ১০৫৩, ১৩১৩ হাসান সহীহ, ১৪৮৪, ১৪৯০ যঈফ; তিরমিযী ১৪৭, ৩০২, ৩০৩, ৩৪০ , ৫৮৩, ৮৫৬, ২৬৯২, ২৯৬২ সহীহ, ৫১১ হাসান সহীহ, ২৯৫৩ হাসান; মিশকাত ৩২৭ , ১৪৪৮, ১৪৯৩ যঈফ, ৭০৫, ৭৯০, ১০১৭, ১১৪৭, ১২৯৫, ১৪৮৪, ১৬৫৯, ৩৯০৬, ৬২০১ মুত্তাফাকুন আলাইহি; ৮০৪, ১১৫৩, ১১৮৭, ২৫৪৫ সহীহ, ৪২১৩, ৪৮৫৮ লাম তাতিম্মা; সহীহ তারগীব ২৭৬, ৩০১, ৪১০, ৫৩৫, ৫৩৬ সহীহ, ৬৬৯ হাসান সহীহ; যঈফ তারগীব ১৮২ যঈফ মুআয্যাস, ২২৮ মুনকার, ১৭২৯ যঈফ, যঈফা ৫৬০ মাওযূ ৪২৪৪; সহীহা ২৫৩১, ৩৪৪৬; ইবনু খুযাইমাহ ১০৯৪, ১৩৯৭ যঈফ, ১২০০ হাসান। মিশকাত ১৪৪৮, যঈফ আবী দাউদ ২১৩। উক্ত হাদিসের রাবী ১. আব্বাস বিন উসমান দিমাশকী সম্পর্কে ইমাম যাহাবী সিকাহ বললেও ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো সিকাহ রাবীর বিপরীত বর্ণনা করেন। ২. ঈসা বিন আবদুল আলা বিন আবু ফারওয়াহ সম্পর্কে ইমাম যাহাবী ইবনুল কাত্তান বলেন, তার পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানা যায় না।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫/১৬৮. অধ্যায়ঃ
ঈদের দিন অস্ত্রসজ্জিত হওয়া।
১৩১৪
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْقُدُّوسِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا نَائِلُ بْنُ نَجِيحٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ زِيَادٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ نَهَى أَنْ يُلْبَسَ السِّلاَحُ فِي بِلاَدِ الإِسْلاَمِ فِي الْعِيدَيْنِ إِلاَّ أَنْ يَكُونُوا بِحَضْرَةِ الْعَدُوِّ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’ ঈদের দিন দেশের কোন শহরে অস্ত্রসজ্জিত হতে নিষেধ করেছেন, তবে শত্রুর উপস্থিতিতে তা করা যেতে পারে। [১৩১৪]
তাহকীক আলবানী : দইফ জিদ্দান।
[১৩১৪] যঈফ জিদ্দান। তাখরীজ আলবানী: যঈফাহ ৫৬৫৪। উক্ত হাদিসের রাবী নাবিল বিন নাজিহ সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী সিকাহ বললেও ইমাম যাহাবী তাকে দুর্বল বলেছেন। ইবনু আদী বলেন, তার একাধিক হাদিস রয়েছে যা তিনি খুব অস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছেন বিশেষ করে তিনি সাওরীর হাদিসে এমনটি করেছেন। দারাকুতনী বলেন, তিনি সিকাহ নন। ২. ইসমাইল বিন যিয়াদ সম্পর্কে ইবনু আদী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। ইবনু হিব্বান তার দাজ্জাল কিতাবে বলেন, তার থেকে হাদিস বর্ণনা করা ঠিক নয়। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি দুর্বল।
হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল
- সরাসরি
৫/১৬৯. অধ্যায়ঃ
দু’ ঈদের দিন গোসল করা।
১৩১৫
حَدَّثَنَا جُبَارَةُ بْنُ الْمُغَلِّسِ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ تَمِيمٍ، عَنْ مَيْمُونِ بْنِ مِهْرَانَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَغْتَسِلُ يَوْمَ الْفِطْرِ وَيَوْمَ الأَضْحَى .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আদহার দিন গোসল করতেন। [১৩১৫]
তাহকীক আলবানী : দইফ জিদ্দান।
[১৩১৫] যঈফ জিদ্দান। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ১৪৬। উক্ত হাদিসের রাবী ১. জুবারাহ ইবনুল মুগাল্লিস সম্পর্কে মুসলিম বিন কায়স বলেন, ইনশাআল্লাহ্ (আল্লাহ্ চায়তো) তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি মিথ্যুক ও হাদিস বানিয়ে বর্ণনা করেন। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি মুদতারাব ভাবে হাদিস বর্ণনা করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তার একাধিক মুনকার হাদিস রয়েছে। ২. হাজ্জাজ বিন তামীম সম্পর্কে ইবনু হিব্বান সিকাহ বললেও আল আযদী তাকে দুর্বল বলেছেন। আল উকায়লী বলেন, তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ নন।
হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল
- সরাসরি
১৩১৬
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ الْخَطْمِيُّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عُقْبَةَ بْنِ الْفَاكِهِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ جَدِّهِ الْفَاكِهِ بْنِ سَعْدٍ، – وَكَانَتْ لَهُ صُحْبَةٌ – أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يَغْتَسِلُ يَوْمَ الْفِطْرِ وَيَوْمَ النَّحْرِ وَيَوْمَ عَرَفَةَ وَكَانَ الْفَاكِهُ يَأْمُرُ أَهْلَهُ بِالْغُسْلِ فِي هَذِهِ الأَيَّامِ .
ফাকিহ বিন সা‘দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি সহাবী ছিলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদুল ফিতর, ঈদুল আয্হা ও আরাফার দিন গোসল করতেন। ফাকিহ (রাঃ) তার পরিবার-পরিজনদের ঐ দিনগুলোতে গোসল করার নির্দেশ দিতেন। [১৩১৬]
তাহকীক আলবানী : মাওযু।
[১৩১৬] আহমাদ ১৬২৭৯ তাহক্বীক্ব আলবানী: মাওযু। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ৪৫৯০ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী ইউসুফ বিন খালিদ সম্পর্কে ইমাম শাফিঈ বলেন, তিনি দুর্বল। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যাবে না কারণ তিনি মিথ্যুক। আমর বিন ফাল্লাস ও আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি মিথ্যা কথা বলেন। ইমাম বুখারী তার ব্যাপারে চুপ থেকেছেন। ২. আব্দুর রহমান বিন উকবাহ আল ফাকিহ বিন সা’দ সম্পর্কে ইমামগণ বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত।
হাদিসের মানঃ জাল হাদিস
- সরাসরি
৫/১৭০. অধ্যায়ঃ
দু’ ঈদের সলাতের ওয়াক্ত।
১৩১৭
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ الضَّحَّاكِ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ يَزِيدَ بْنِ خُمَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُسْرٍ، أَنَّهُ خَرَجَ مَعَ النَّاسِ يَوْمَ فِطْرٍ أَوْ أَضْحًى فَأَنْكَرَ إِبْطَاءَ الإِمَامِ وَقَالَ إِنْ كُنَّا لَقَدْ فَرَغْنَا سَاعَتَنَا هَذِهِ وَذَلِكَ حِينَ التَّسْبِيحِ .
আবদুল্লাহ বিন বুসর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি লোকদের সাথে ঈদুল ফিতর অথবা ঈদুল আযহার দিন বের হলেন। ইমামের বিলম্বে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, আমরা তো এ সময়ে ঈদের সালাত শেষ করতাম। আর তখন চাশতের সলাতের সময়। [১৩১৭]
[১৩১৭] আবূ দাঊদ ১১৩৫ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ১০১, সহীহ আবী দাউদ ১০৪০। উক্ত হাদিসের রাবী ১. আবদুল ওয়াহহাব বিন ইবনুদ দাহহাক সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেন, তার নিকট আশ্চর্য আশ্চর্য হাদিস পাওয়া যায়। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি বানিয়ে হাদিস হাদিস বর্ণনা করেন। সালিহ জাযারাহ বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার ও মিথ্যুক। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ নন বরং প্রত্যাখ্যানযোগ্য। মুহাম্মাদ বিন আওফ বলেন, তিনি একাধিক হাদিস বানিয়ে বর্ণনা করেছেন। ইবনু আদী বলেন, তার হাদিসের ব্যাপারে অনুসরণ করা যাবে না। ২. ইসমাঈল বিন আয়্যাশ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, আহলে শাম থেকে হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। আলী ইবনুল মাদীনী, ইবনু আবু শায়বাহ, আমর ইবনুল ফাল্লাস ও দুহায়ম বলেন, শাম শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় তিনি সিকাহ কিন্তু অন্য শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় দুর্বল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/১৭১. অধ্যায়ঃ
রাতে সালাত দু’ রাকাত করে পড়বে।
১৩১৮
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، أَنْبَأَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ سِيرِينَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ مَثْنَى مَثْنَى .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতের (তাহাজ্জুদ) সালাত দু’ দু’ রাকআত করে পড়তেন। [১৩১৮]
তাহকীক আলবানী : লাম তা’তি।
[১৩১৮] বুখারী ৪৭২-৭৩, ৯৯১, ৯৯৩, ৯৯৫, ৯৯৮, ১১৩৭; মুসলিম ৭৩১-৪, ৭৪১-৩, ৭৫০, ৭৫১-৩, ৭৫১-২, ৭৫৩; তিরমিযী ৪৩৭, ৪৬১, ৪৬৭, ৪৬৯, ৫৯৭; নাসায়ী ১৬৬৬-৭৪, ১৬৮২, ১৬৮৯-৯৫; আবূ দাঊদ ১২৯৫, ১৩২৬, ১৪২১, ১৪৩৬, ১৪৩৮, আহমাদ ৪৫৫৭, ৪৮৩২, ৪৮৬৩, ৪৯৬৭, ৫০১২, ৫০৭৭, ৫১৯৫, ৫৩১৯, ৫৩৭৬, ৫৪৪৭, ৫৪৫৯, ৫৪৭৯, ৫৫১২, ৫৫২৪, ৫৭২৫, ৫৭৫৯, ৫৯০১, ৫৯৭২, ৬১৩৪, ৬১৪১, ৬২২২, ৬৩১৯, ৬৩৩৭, ৬৩৮৫, ৬৪০৩; মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৬৯, দারিমী ১৪৫৮-৫৯, ইবনু মাজাহ ১১৭৪-৭৬, ১৩১৯-২০, ১৩২২। তাহক্বীক্ব আলবানী: লাম তাতি।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
১৩১৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ صَلاَةُ اللَّيْلِ مَثْنَى مَثْنَى ” .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, রাতের (নফল) সালাত দু’ রাকআত করে পড়বে। [১৩১৯]
[১৩১৯] বুখারী ৪৭২-৭৩, ৯৯১, ৯৯৩, ৯৯৫, ৯৯৮, ১১৩৭; মুসলিম ৭৩১-৪, ৭৪১-৩, ৭৫০, ৭৫১-৩, ৭৫১-২, ৭৫৩; তিরমিযী ৪৩৭, ৪৬১, ৪৬৭, ৪৬৯, ৫৯৭; নাসায়ী ১৬৬৬-৭৪, ১৬৮২, ১৬৮৯-৯৫; আবূ দাঊদ ১২৯৫, ১৩২৬, ১৪২১, ১৪৩৬, ১৪৩৮, আহমাদ ৪৫৫৭, ৪৮৩২, ৪৮৬৩, ৪৯৬৭, ৫০১২, ৫০৭৭, ৫১৯৫, ৫৩১৯, ৫৩৭৬, ৫৪৪৭, ৫৪৫৯, ৫৪৭৯, ৫৫১২, ৫৫২৪, ৫৭২৫, ৫৭৫৯, ৫৯০১, ৫৯৭২, ৬১৩৪, ৬১৪১, ৬২২২, ৬৩১৯, ৬৩৩৭, ৬৩৮৫, ৬৪০৩; মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৬৯, দারিমী ১৪৫৮-৫৯, ইবনু মাজাহ ১১৭৪-৭৬, ১৩১৮, ১১৩২০, ১৩২২। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ১১৯৭।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৩২০
حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ أَبِي سَهْلٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَالِمٍ عَنْ أَبِيهِ وَعَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ و عَنْ ابْنِ أَبِي لَبِيدٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ ابْنِ عُمَرَ و عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ عَنْ طَاوُسٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ سُئِلَ النَّبِيُّ ﷺ عَنْ صَلَاةِ اللَّيْلِ فَقَالَ «يُصَلِّي مَثْنَى مَثْنَى فَإِذَا خَافَ الصُّبْحَ أَوْتَرَ بِوَاحِدَةٍ
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট রাতের সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, তা দু’ দু’ রাকআত করে পড়বে। ভোর হওয়ার আশঙ্কা হলে, এক রাকআত বিতর পড়বে। [১৩২০]
[১৩২০] বুখারী ৪৭২-৭৩, ৯৯১, ৯৯৩, ৯৯৫, ৯৯৮, ১১৩৭; মুসলিম ৭৩১-৪, ৭৪১-৩, ৭৫০, ৭৫১-৩, ৭৫১-২, ৭৫৩; তিরমিযী ৪৩৭, ৪৬১, ৪৬৭, ৪৬৯, ৫৯৭; নাসায়ী ১৬৬৬-৭৪, ১৬৮২, ১৬৮৯-৯৫; আবূ দাঊদ ১২৯৫, ১৩২৬, ১৪২১, ১৪৩৬, ১৪৩৮, আহমাদ ৪৫৫৭, ৪৮৩২, ৪৮৬৩, ৪৯৬৭, ৫০১২, ৫০৭৭, ৫১৯৫, ৫৩১৯, ৫৩৭৬, ৫৪৪৭, ৫৪৫৯, ৫৪৭৯, ৫৫১২, ৫৫২৪, ৫৭২৫, ৫৭৫৯, ৫৯০১, ৫৯৭২, ৬১৩৪, ৬১৪১, ৬২২২, ৬৩১৯, ৬৩৩৭, ৬৩৮৫, ৬৪০৩; মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৬৯, দারিমী ১৪৫৮-৫৯, ইবনু মাজাহ ১১৭৪-৭৬, ১৩১৮-১৯, ১৩২২। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৩২১
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا عَثَّامُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُصَلِّي بِاللَّيْلِ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতের (তাহাজ্জুদ) সালাত দু’ রাকআত দু’ রাকআত করে পড়তেন। [১৩২১]
[১৩২১] মুসলিম ২৫৬, আবূ দাঊদ ৫৮, ইবনু মাজাহ ২৮৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী সুফইয়ান বিন ওয়াকী সম্পর্কে ইমাম বুখারী মন্তব্য করেছেন। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ নন। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সত্যবাদী।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/১৭২. অধ্যায়ঃ
রাতের ও দিনের সালাত দু’ রাকআত করে।
১৩২২
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، أَنَّهُ سَمِعَ عَلِيًّا الأَزْدِيَّ، يُحَدِّثُ أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عُمَرَ، يُحَدِّثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنَّهُ قَالَ “ صَلاَةُ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ مَثْنَى مَثْنَى ” .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, রাত ও দিনের সালাত দু’ দু’ রাকআত করে। [১৩২২]
[১৩২২] বুখারী ৪৭২-৭৩, ৯৯১, ৯৯৩, ৯৯৫, ৯৯৮, ১১৩৭; মুসলিম ৭৩১-৪, ৭৪১-৩, ৭৫০, ৭৫১-৩, ৭৫১-২, ৭৫৩; তিরমিযী ৪৩৭, ৪৬১, ৪৬৭, ৪৬৯, ৫৯৭; নাসায়ী ১৬৬৬-৭৪, ১৬৮২, ১৬৮৯-৯৫; আবূ দাঊদ ১২৯৫, ১৩২৬, ১৪২১, ১৪৩৬, ১৪৩৮, আহমাদ ৪৫৫৭, ৪৮৩২, ৪৮৬৩, ৪৯৬৭, ৫০১২, ৫০৭৭, ৫১৯৫, ৫৩১৯, ৫৩৭৬, ৫৪৪৭, ৫৪৫৯, ৫৪৭৯, ৫৫১২, ৫৫২৪, ৫৭২৫, ৫৭৫৯, ৫৯০১, ৫৯৭২, ৬১৩৪, ৬১৪১, ৬২২২, ৬৩১৯, ৬৩৩৭, ৬৩৮৫, ৬৪০৩; মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৬৯, দারিমী ১৪৫৮-৫৯, ইবনু মাজাহ ১১৭৪-৭৬, ১৩১৮-২০। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ১১৭২।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৩২৩
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ رُمْحٍ، أَنْبَأَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ عِيَاضِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ مَخْرَمَةَ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ كُرَيْبٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ أُمِّ هَانِئٍ بِنْتِ أَبِي طَالِبٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَوْمَ الْفَتْحِ صَلَّى سُبْحَةَ الضُّحَى ثَمَانِيَ رَكَعَاتٍ سَلَّمَ مِنْ كُلِّ رَكْعَتَيْنِ .
ঊম্মূ হানী (ফাখিতাহ) বিনতু আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাক্কাহ বিজয়ের দিন আট রাক’য়াত চাশতের সালাত পড়েন এবং প্রতি দু’ রাকআত অন্তর সালাম ফিরান।
আট রাকআত যুহার সালাত পড়ার কথা’ সহীহ যা বুখারী, মুসলিমে রয়েছে, সহীহ আবী দাউদ ১১৬৮, কিন্তু প্রতি দু’ রাকআত অন্তর সালামের কথা মুনকার। [১৩২৩]
তাহকীক আলবানী : (সাল্লামা) কথাটি বেশী হওয়ায় মুনকার তবে কথাটি ছাড়া হাদীসটি সহীহ।
বুখারী ২৮০, ৩৫৭, ১১০৪, ১১৭৬, ৩১৭১, ৪২৯২, ৬১৫৮; মুসলিম ৩৩১-৫, তিরমিযী ৪৭৪, ২৭৩৪; নাসায়ী ২২৫, ৪১৫; আবূ দাঊদ ১২৯০-৯১, আহমাদ ২৬৩৪৮, ২৬৩৫৬, ২৬৩৬৪, ২৬৮৩৩, ২৬৮৪০, ২৬৮৪২; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৩৫৮-৫৯, দারিমী ১৪৫২-৫৩, ইবনু মাজাহ ৬৬৫, ৬১৪, ১৩৭৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: سَلَّمَ কথাটি বেশী হওয়ায় মুনকার তবে উক্ত কথাটি ছাড়া হাদিসটি সহীহ। তাখরীজ আলবানী: আবূ দাঊদ ১২৯০, ইরওয়া ৪৬৪ সহীহ, সহীহাহ ২৩৭।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
১৩২৪
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ السَّعْدِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنَّهُ قَالَ “ فِي كُلِّ رَكْعَتَيْنِ تَسْلِيمَةٌ ” .
আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, প্রতি দু’ রাকআত অন্তর একবার সালাম ফিরাবে। [১৩২৪]
নাই তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ৪০১৭, ৫২৬৬ যঈফ, নাসায়ী ১৭১৯ সহীহ, যঈফা ৪০২৩, সহীহা ২৩৭, যাসাজিলাত ইলমিয়া যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন ফুদায়ল সম্পর্কে ইবনু মাঈন তাকে সিকাহ বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি শিয়া মতাবলম্বী। ২. আবু সুফইয়ান তারীফ আস-সা’দী সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহণযোগ্য নয়। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
১৩২৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ بْنُ سَوَّارٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنِي عَبْدُ رَبِّهِ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ أَبِي أَنَسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نَافِعِ بْنِ الْعَمْيَاءِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنِ الْمُطَّلِبِ، – يَعْنِي ابْنَ أَبِي وَدَاعَةَ – قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ صَلاَةُ اللَّيْلِ مَثْنَى مَثْنَى وَتَشَهَّدُ فِي كُلِّ رَكْعَتَيْنِ وَتَبَاءَسُ وَتَمَسْكَنُ وَتُقْنِعُ وَتَقُولُ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي فَمَنْ لَمْ يَفْعَلْ ذَلِكَ فَهِيَ خِدَاجٌ ” .
মুত্তালিব বিন আবূ ওয়াদাআহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, রাতের সালাত দু’ দু’ রাকআত করে। প্রতি দু’ রাকআতের শেষে রয়েছে তাশাহহুদ। অত্যন্ত বিনয়-নম্রতা সহকারে, শান্তভাবে ও একাগ্রতার সাথে সালাত পড়বে এবং বলবে : “হে আল্লাহ্! আমাকে ক্ষমা করুন।” যে ব্যক্তি তা করেনি তার নামায ত্রুটিপূর্ণ। [১৩২৫]
আবূ দাঊদ ১২৯৬ তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: আবূ দাঊদ ১২৯৫, ১২৯৬, ১৩২৬, ১৪২১ সহীহ, জামি সগীর ৩৮২৯, ৩৮৩০, ৩৮৩১ সহীহ, ৩৫১১, ৩৫১৩ যঈফ, ইবনু মাজাহ ১১৭৫, ১৩১৯, ১৩২০, ১৩২২ সহীহ, নাসায়ী ১৬৬৬, ১৬৬৭, ১৬৭৪, ১৬৯২, ১৬৯৩, ১৬৯৪ সহীহ, তিরমিযী ৪২৪, ৪৩৭, ৪৪৫, ৪৪৯, ৫৯৭ সহীহ, মিশকাত ১২৫৪ মুত্তাফাকুন আলাইহি, সহীহা ১৯১৯, রিয়াদুস ১১৭৬, ইবনু খুযাইমাহ সহীহ, নাকদুত তাজ আল জামে ১২৩, তালীক সহীহ ইবনু খুযাইমাহ ১২১২,১২১৩, যঈফ আবী দাউদ ২৩৮। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল্লাহ বিন নাফি’ ইবনুল আমইয়া সম্পর্কে ইবনু হিব্বান সিকাহ বললেও আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, অপরিচিত। ইমাম বুখারী বলেন, তার হাদিস সহীহ নয়।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫/১৭৩. অধ্যায়ঃ
রমাযান মাসের কিয়ামুল লাইল (তারাবীহ সালাত)
১৩২৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ مَنْ صَامَ رَمَضَانَ وَقَامَهُ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ” .
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও নেকীর আশায় রমাদান মাসের সাওম রাখে (এবং রাতে) দণ্ডায়মান হয় (সালাত পড়ে) তার পূর্ববর্তী গুনাহ মাফ করা হয়। [১৩২৬]
[১৩২৬] বুখারী ৩৫, ৩৭-৩৮, ১৯০১, ২০০৮-৯, ২০১৪; মুসলিম ৭৫১-২, ৭৬০/১-২; তিরমিযী ৬৮৩, ৮০৮; নাসায়ী ১৬০২-৩, ২১৯৪, ২১৯৬-০৭, ৫০২৪-২৭; আবূ দাঊদ ১৩৭১-৭২, আহমাদ ৭১৩০, ৭২৩৮, ৭৭২৯, ৭৮২১, ৮৭৭৫, ৯১৮২, ৯৭৬৭, ৯৯৩১, ১০১৫৯, ১০৪৬২, ২৭৫৮৩, ২৭৬৭৫; মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৫১, দারিমী ১৭৭৬, ইবনু মাজাহ ১৬৪১। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ ইরওয়াহ ৯০৬, সহীহ আবী দাউদ ১২৪২।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
১৩২৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، حَدَّثَنَا مَسْلَمَةُ بْنُ عَلْقَمَةَ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْجُرَشِيِّ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ صُمْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رَمَضَانَ فَلَمْ يَقُمْ بِنَا شَيْئًا مِنْهُ حَتَّى بَقِيَ سَبْعُ لَيَالٍ فَقَامَ بِنَا لَيْلَةَ السَّابِعَةِ حَتَّى مَضَى نَحْوٌ مِنْ ثُلُثِ اللَّيْلِ ثُمَّ كَانَتِ اللَّيْلَةُ السَّادِسَةُ الَّتِي تَلِيهَا فَلَمْ يَقُمْهَا حَتَّى كَانَتِ الْخَامِسَةُ الَّتِي تَلِيهَا ثُمَّ قَامَ بِنَا حَتَّى مَضَى نَحْوٌ مِنْ شَطْرِ اللَّيْلِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوْ نَفَّلْتَنَا بَقِيَّةَ لَيْلَتِنَا هَذِهِ . فَقَالَ “ إِنَّهُ مَنْ قَامَ مَعَ الإِمَامِ حَتَّى يَنْصَرِفَ فَإِنَّهُ يَعْدِلُ قِيَامَ لَيْلَةٍ ” . ثُمَّ كَانَتِ الرَّابِعَةُ الَّتِي تَلِيهَا فَلَمْ يَقُمْهَا حَتَّى كَانَتِ الثَّالِثَةُ الَّتِي تَلِيهَا . قَالَ فَجَمَعَ نِسَاءَهُ وَأَهْلَهُ وَاجْتَمَعَ النَّاسُ . قَالَ فَقَامَ بِنَا حَتَّى خَشِينَا أَنْ يَفُوتَنَا الْفَلاَحُ . قِيلَ وَمَا الْفَلاَحُ قَالَ السُّحُورُ . قَالَ ثُمَّ لَمْ يَقُمْ بِنَا شَيْئًا مِنْ بَقِيَّةِ الشَّهْرِ .
আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে রমযানে সওম রাখলাম। তিনি আমাদের নিয়ে এ মাসে (নফল সলাতে) দাঁড়াননি, এমনকি রমযানের মাত্র সাতটি রাত বাকী রইল। সপ্তম রাতে তিনি আমাদের নিয়ে প্রায় একতৃতীয়াংশ রাত সালাত পড়লেন। এরপর ষষ্ঠ রাতে তিনি (নফল) সালাত পড়েননি। অতঃপর পঞ্চম রাতে তিনি আমাদের নিয়ে প্রায় অর্ধরাত পর্যন্ত সালাত পড়লেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! এই রাতের অবশিষ্ট অংশও যদি আমাদের নিয়ে সালাত আদায় করতেন। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি ইমামের সাথে সালাত পড়ে ফিরে আসে সে সারারাত সালাত পড়ার সমান নেকী পায়। অতঃপর তিনি চতুর্থ রাতে সালাত পড়েননি। তৃতীয় রাত এলে তিনি তাঁর স্ত্রীদের, পরিজনদের একত্র করেন এবং লোকেরাও একত্র হয়। রাবী বলেন, তিনি আমাদের নিয়ে এত দীর্ঘক্ষণ সালাত পড়লেন যে, আমরা কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা করলাম। আবূ যার (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হলো, কল্যাণ কী? তিনি বলেন, সাহরী। অতঃপর তিনি আমাদের নিয়ে মাসের অবশিষ্ট রাতগুলোতে আর কোন নফল সালাত পড়েননি। [১৩২৭]
[১৩২৭] তিরমিযী ৮০৬, নাসায়ী ১৩৬৪, আবূ দাঊদ ১৩৭৫, আহমাদ ২০৯১০, ২০৯৩৬; দারিমী ১৭৭৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৪৪৭, মিশকাত ১২৯৮, সহীহ আবী দাউদ ১২৪৫।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৩২৮
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ نَصْرِ بْنِ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيِّ، عَنِ النَّضْرِ بْنِ شَيْبَانَ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَكِيمٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، وَالْقَاسِمُ بْنُ الْفَضْلِ الْحُدَّانِيُّ، كِلاَهُمَا عَنِ النَّضْرِ بْنِ شَيْبَانَ، قَالَ لَقِيتُ أَبَا سَلَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ فَقُلْتُ حَدِّثْنِي بِحَدِيثٍ، سَمِعْتَهُ مِنْ، أَبِيكَ يَذْكُرُهُ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ . قَالَ نَعَمْ . حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ذَكَرَ شَهْرَ رَمَضَانَ فَقَالَ “ شَهْرٌ كَتَبَ اللَّهُ عَلَيْكُمْ صِيَامَهُ وَسَنَنْتُ لَكُمْ قِيَامَهُ فَمَنْ صَامَهُ وَقَامَهُ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا خَرَجَ مِنْ ذُنُوبِهِ كَيَوْمَ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ ” .
নাদর থেকে বর্ণিতঃ
আমি আবূ সালামাহ বিন আবদুর রহমান-এর সাথে সাক্ষাত করে বললাম, আপনি আপনার পিতাকে রমাদান মাস সম্পর্কে যে হাদীস বলতে শুনেছেন তা আমার নিকট বর্ণনা করুন। তিনি বলেন, হাঁ, আমার পিতা আমার নিকট বর্ণনা করেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমাদান মাস সম্পর্কে উল্লেখ করে বলেন, এমন একটি মাস, আল্লাহ তোমাদের উপর তার সাওম ফরয করেছেন এবং আমি তোমাদের উপর এর দণ্ডায়মান হওয়া (রাত জেগে ইবাদত করা) সুন্নাত করেছি। অতএব যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে নেকীর আশায় এ মাসে সাওম রাখে ও (রাতে ইবাদতে) দণ্ডায়মান হয় সে তার জন্মদিনের মত পাপমুক্ত হয়ে যায়। [১৩২৮]
তাহকীক আলবানী : ‘দণ্ডায়মান হওয়া সুন্নাত করেছি’ এ পর্যন্ত দইফ। বাকী অংশ সহীহ।
[১৩২৮] নাসায়ী ২২০৮, ২২১০। তাহক্বীক্ব আলবানী: “দন্ডায়মান হওয়া সুন্নাত করেছি” এ পর্যন্ত যঈফ। বাকী অংশ সহীহ। তাখরীজ আলবানী: তালীকুর রগীব ৭৩।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য