মুসলিম পোশাক ও সাজসজ্জা অধ্যায় ১ম ভাগ হাদিস নং ৫২৭৯ – ৫৩৭৮
১. অধ্যায়ঃ
নারী পুরুষ সবার জন্য স্বর্ণ ও রৌপ্যের বাসনে পান করা ও অনুরূপ কাজে ব্যবহার করা হারাম হওয়া প্রসঙ্গে
৫২৭৯
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ الَّذِي يَشْرَبُ فِي آنِيَةِ الْفِضَّةِ إِنَّمَا يُجَرْجِرُ فِي بَطْنِهِ نَارَ جَهَنَّمَ ” .
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর স্ত্রী উম্মু সালামাহ্ (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক রৌপ্যের বাসনে পান করে সে যেন তার পেটের ভিতরে জাহান্নামের আগুন প্রবেশ করায়। (ই.ফা. ৫২১২, ই.সে. ৫২২৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২৮০
وَحَدَّثَنَاهُ قُتَيْبَةُ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، عَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، ح وَحَدَّثَنِيهِ عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، السَّعْدِيُّ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – يَعْنِي ابْنَ عُلَيَّةَ – عَنْ أَيُّوبَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ، بْنُ بِشْرٍ ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي، شَيْبَةَ وَالْوَلِيدُ بْنُ شُجَاعٍ قَالاَ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ، أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ حَدَّثَنَا الْفُضَيْلُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، ح . وَحَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، – يَعْنِي ابْنَ حَازِمٍ – عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، السَّرَّاجِ كُلُّ هَؤُلاَءِ عَنْ نَافِعٍ، . بِمِثْلِ حَدِيثِ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ بِإِسْنَادِهِ عَنْ نَافِعٍ، وَزَادَ، فِي حَدِيثِ عَلِيِّ بْنِ مُسْهِرٍ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، “ أَنَّ الَّذِي، يَأْكُلُ أَوْ يَشْرَبُ فِي آنِيَةِ الْفِضَّةِ وَالذَّهَبِ ” . وَلَيْسَ فِي حَدِيثِ أَحَدٍ مِنْهُمْ ذِكْرُ الأَكْلِ وَالذَّهَبِ إِلاَّ فِي حَدِيثِ ابْنِ مُسْهِرٍ .
কুতাইবাহ্, মুহাম্মাদ ইবনু রুম্হ, ‘আলী ইবনু হুজর সা’দী, ইবনু নুমায়র, ইবনুল মুসান্না, আবূ বাকর ইবনু আবূ শাইবাহ্, মুহাম্মাদ ইবনু আবূ বাকর মুকাদ্দেমী ও শাইবান ইবনু ফার্রুখ (রহঃ) তাঁরা সকলেই নাফি’ (রহঃ) হতে মালিক ইবনু আনাস (রা:) এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
নাফি’ (রহঃ) হতে বর্ণিত হাদীসের হুবহু বর্ণনা করেছেন। তবে ‘উবাইদুল্লাহ (রহঃ) এর সানাদে ‘আলী ইবনু মুস্হির (রহঃ) বর্ণিত হাদীসে বাড়তি আছে, যে ব্যক্তি রৌপ্য ও স্বর্ণের পাত্রে খাবে অথবা পান করবে। ইবনু মুস্হির (রহঃ) এর হাদীস ব্যতীত অন্য কারো হাদীসে স্বর্ণের পাত্রে আহার করার কথা বর্ণিত নেই। (ই.ফা. ৫২১৩, ই.সে. ৫২২৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২৮১
وَحَدَّثَنِي زَيْدُ بْنُ يَزِيدَ أَبُو مَعْنٍ الرَّقَاشِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ عُثْمَانَ، – يَعْنِي ابْنَ مُرَّةَ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ خَالَتِهِ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ شَرِبَ فِي إِنَاءٍ مِنْ ذَهَبٍ أَوْ فِضَّةٍ فَإِنَّمَا يُجَرْجِرُ فِي بَطْنِهِ نَارًا مِنْ جَهَنَّمَ ” .
উম্মু সালামাহ্ (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যে লোক স্বর্ণ বা রৌপ্য দ্বারা নির্মিত বাসনে পান করে সে শুধু তার পেটে জাহান্নামের অগ্নি প্রবেশ করায়। (ই.ফা. ৫২১৪, ই.সে. ৫২২৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২. অধ্যায়ঃ
নারী ও পুরুষের জন্য স্বর্ণ- রৌপ্যের বাসন এবং পুরুষের জন্য স্বর্ণের আংটি ও রেশম জাতীয় বস্ত্র ব্যবহার্য হারাম এবং মহিলাদের জন্য এগুলো ব্যবহার করা মুবাহ্; সোনা রূপা ও রেশমের কাপড় অনধিক চার আঙ্গুল পর্যন্ত কারুকার্য খচিত বস্তু পুরুষের জন্য মুবাহ্
৫২৮২
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، أَخْبَرَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ أَبِي الشَّعْثَاءِ، ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَشْعَثُ، حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ سُوَيْدِ، بْنِ مُقَرِّنٍ قَالَ دَخَلْتُ عَلَى الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِسَبْعٍ وَنَهَانَا عَنْ سَبْعٍ أَمَرَنَا بِعِيَادَةِ الْمَرِيضِ وَاتِّبَاعِ الْجَنَازَةِ وَتَشْمِيتِ الْعَاطِسِ وَإِبْرَارِ الْقَسَمِ أَوِ الْمُقْسِمِ وَنَصْرِ الْمَظْلُومِ وَإِجَابَةِ الدَّاعِي وَإِفْشَاءِ السَّلاَمِ . وَنَهَانَا عَنْ خَوَاتِيمَ أَوْ عَنْ تَخَتُّمٍ بِالذَّهَبِ وَعَنْ شُرْبٍ بِالْفِضَّةِ وَعَنِ الْمَيَاثِرِ وَعَنِ الْقَسِّيِّ وَعَنْ لُبْسِ الْحَرِيرِ وَالإِسْتَبْرَقِ وَالدِّيبَاجِ .
মু’আবিয়াহ্ ইবনু সুওয়াইদ ইবনু মুকার্রিন (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বারা ইবনু ‘আযিব (রাঃ) এর নিকটে গমন করেছিলাম। সে সময় আমি তাঁকে বলতে শুনেছি যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সাতটি জিনিসের ব্যাপারে আদেশ করেছেন এবং সাতটি জিনিস হতে বারণ করেছেন। তিনি আমাদেরকে অসুস্থ ব্যক্তির খোঁজ-খবর নেয়া, জানাযায় শারীক হওয়া, হাঁচি-দাতার উত্তর দেয়া, শপথ পূরণ করা কিংবা বলেছেন শপথকারীর শপথ পূরণ করা, নির্যাতিতের সাহায্য করা, দা’ওয়াতকারীর ডাকে (দা’ওয়াতে) সাড়া দেয়া এবং সালামের প্রসার করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং তিনি আমাদেরকে সোনার আংটি পরিধান করা, রূপার বাসনে পান করা, মায়াসির (এক প্রকার তুলতুলে রেশমী কাপড়) ও কাস্সী (রেশম সংমিশ্রিত এক প্রকার মিসরী কাপড়) পরিধান করা ও মিহি রেশমী কাপড়, মোটা রেশমী কাপড় ও খাঁটি রেশমী কাপড় ব্যবহার করতে বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৫২১৫, ই.সে. ৫২২৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২৮৩
حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ الْعَتَكِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ سُلَيْمٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ إِلاَّ قَوْلَهُ وَإِبْرَارِ الْقَسَمِ أَوِ الْمُقْسِمِ . فَإِنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ هَذَا الْحَرْفَ فِي الْحَدِيثِ وَجَعَلَ مَكَانَهُ وَإِنْشَادِ الضَّالِّ .
আশ্’আস ইবনু সুলায়ম (রহঃ) হতে উপরোক্ত সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
অবিকল রিওয়ায়াত করেছেন। শুধু শপথ বা শপথকারীর শপথ পূরণ করার কথাটি ব্যতীত। তিনি তাঁর হাদীসে এ কথাটি উল্লেখ করেননি। এর স্থানে তিনি ‘হারানো জিনিস পেয়ে বিজ্ঞাপন’ দেয়ার কথা বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫২১৬, ই.সে. ৫২২৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২৮৪
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، ح وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي، شَيْبَةَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، كِلاَهُمَا عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ أَبِي الشَّعْثَاءِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . مِثْلَ حَدِيثِ زُهَيْرٍ وَقَالَ إِبْرَارِ الْقَسَمِ مِنْ غَيْرِ شَكٍّ وَزَادَ فِي الْحَدِيثِ وَعَنِ الشُّرْبِ فِي الْفِضَّةِ فَإِنَّهُ مَنْ شَرِبَ فِيهَا فِي الدُّنْيَا لَمْ يَشْرَبْ فِيهَا فِي الآخِرَةِ .
আশ্’আস ইবনু আবূ শা’সা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উল্লেখিত সানাদে যুহায়র (রহঃ) এর হাদীসের হুবহু রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি সন্দেহ ছাড়াই কসম পূর্ণ করার কথা উল্লেখ করেছেন। আর তিনি তাঁর হাদীসে বাড়তি বলেছেন যে, তিনি রূপার বাসনে পান করতে বারণ করেছেন। কারণ পার্থিব জীবনে যারা এতে পান করে পরকালে এতে তারা পান করতে সক্ষম হবে না। (ই.ফা. ৫২১৭, ই.সে. ৫২২৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২৮৫
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، أَخْبَرَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الشَّيْبَانِيُّ، وَلَيْثُ بْنُ، أَبِي سُلَيْمٍ عَنْ أَشْعَثَ بْنِ أَبِي الشَّعْثَاءِ، بِإِسْنَادِهِمْ وَلَمْ يَذْكُرْ زِيَادَةَ جَرِيرٍ وَابْنِ مُسْهِرٍ ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ح وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ، مُعَاذٍ حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ، الرَّحْمَنِ بْنُ بِشْرٍ حَدَّثَنَا بَهْزٌ، قَالُوا جَمِيعًا حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ سُلَيْمٍ، بِإِسْنَادِهِمْ وَمَعْنَى حَدِيثِهِمْ إِلاَّ قَوْلَهُ وَإِفْشَاءِ السَّلاَمِ . فَإِنَّهُ قَالَ بَدَلَهَا وَرَدِّ السَّلاَمِ . وَقَالَ نَهَانَا عَنْ خَاتَمِ الذَّهَبِ أَوْ حَلْقَةِ الذَّهَبِ .
আশ’আসা ইবনু শা’সা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোক্ত সানাদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে রাবী ইবনু ইদ্রীস (রহঃ) জারীর ইবনু মুস্হির (রহঃ) এর অতিরিক্ত অংশ বর্ণনা করেননি।
মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না, ইবনু বাশ্শার, ‘উবায়দুল্লাহ ইবনু মু’আয, ইসহাক্ ইবনু ইব্রাহীম ও ‘আবদুর রহমান ইবনু বিশ্র (রহঃ) আশ’আস ইবনু সুলায়ম (রহঃ) হতে তাঁদের সূত্রে, তাঁদের হাদীসের অনুরূপ অর্থবোধক হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে রাবী [শু’বাহ্ (রহঃ) ] ‘সালামের প্রসার করার’ কথাটি বর্ণনা করেননি। এর বিপরীতে তিনি সালামের জবাব দেয়ার কথা বলেছেন। তিনি আরো বলেছেন, আমাদেরকে সোনার আংটি অথবা রূপার রিং ব্যবহার করতে তিনি বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৫২১৮, ই.সে. ৫২৩০-৫২৩১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২৮৬
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، وَعَمْرُو بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ أَبِي الشَّعْثَاءِ، بِإِسْنَادِهِمْ وَقَالَ وَإِفْشَاءِ السَّلاَمِ وَخَاتَمِ الذَّهَبِ . مِنْ غَيْرِ شَكٍّ .
আশ’আসা ইবনু আবূ শা’সা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উল্লেখিত সূত্রে হাদীসটি বর্ণিত আছে। তিনিও (সুফ্ইয়ান) সালামের প্রসারের কথা এবং সন্দেহ ব্যতীতই স্বর্ণের আংটির কথা বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫২১৯, ই.সে. ৫২৩২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২৮৭
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ سَهْلِ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ الأَشْعَثِ بْنِ قَيْسٍ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، سَمِعْتُهُ يَذْكُرُهُ، عَنْ أَبِي فَرْوَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُكَيْمٍ، قَالَ كُنَّا مَعَ حُذَيْفَةَ بِالْمَدَائِنِ فَاسْتَسْقَى حُذَيْفَةُ فَجَاءَهُ دِهْقَانٌ بِشَرَابٍ فِي إِنَاءٍ مِنْ فِضَّةٍ فَرَمَاهُ بِهِ وَقَالَ إِنِّي أُخْبِرُكُمْ أَنِّي قَدْ أَمَرْتُهُ أَنْ لاَ يَسْقِيَنِي فِيهِ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لاَ تَشْرَبُوا فِي إِنَاءِ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ وَلاَ تَلْبَسُوا الدِّيبَاجَ وَالْحَرِيرَ فَإِنَّهُ لَهُمْ فِي الدُّنْيَا وَهُوَ لَكُمْ فِي الآخِرَةِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ” .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উকায়ম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা হুযাইফাহ (রাঃ) এর সাথে মাদায়িনে ছিলাম। হুযাইফাহ (রাঃ) পানি পান করতে ইচ্ছা করলে গ্রাম্য এক পণ্ডিত তাঁর কাছে রূপার বাসনে পানি নিয়ে আসল। তিনি তা ফেলে দিয়ে বললেন, আমি তোমাদেরকে (এটি ফেলে দেওয়ার কারণ) অবগত করছি। তাকে আমি বারণ করেছিলাম, সে যেন এর মধ্যে আমাকে পানি পান না করায়। কারণ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: তোমরা সোনা ও রূপার বাসনে পান করবে না এবং মোটা রেশমী কাপড় ও মিহি রেশমী কাপড় ব্যবহার করবে না। কারণ ইহকালে এগুলো হল কাফিরদের জন্য। আর তোমাদের জন্য এগুলো হবে পরকালে। (ই.ফা. ৫২২০, ই.সে. ৫২৩৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২৮৮
وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي فَرْوَةَ الْجُهَنِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُكَيْمٍ يَقُولُ كُنَّا عِنْدَ حُذَيْفَةَ بِالْمَدَائِنِ . فَذَكَرَ نَحْوَهُ وَلَمْ يَذْكُرْ فِي الْحَدِيثِ “ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ” .
আবু ফারওয়াহ থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উকায়ম (রহঃ) কে বলতে শুনেছি যে, আমরা হুযাইফাহ (রাঃ) এর সঙ্গে মাদায়িনে ছিলাম। অতঃপর রাবী উল্লেখিত বর্ণনায় হুবহু রিওয়ায়াত করেছেন। কিন্তু তিনি তাঁর হাদীসে ‘কিয়ামাত দিবসে’ কথাটি উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৫২২১, ই.সে. ৫২৩৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২৮৯
وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي نَجِيحٍ، أَوَّلاً عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ حُذَيْفَةَ، ثُمَّ حَدَّثَنَا يَزِيدُ، سَمِعَهُ مِنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ حُذَيْفَةَ، ثُمَّ حَدَّثَنَا أَبُو فَرْوَةَ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عُكَيْمٍ، فَظَنَنْتُ أَنَّ ابْنَ أَبِي لَيْلَى، إِنَّمَا سَمِعَهُ مِنِ ابْنِ، عُكَيْمٍ قَالَ كُنَّا مَعَ حُذَيْفَةَ بِالْمَدَائِنِ . فَذَكَرَ نَحْوَهُ وَلَمْ يَقُلْ “ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ” .
ইবনু ‘উকায়ম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা হুযাইফাহ (রাঃ) এর সঙ্গে মাদায়িনে ছিলাম। অতঃপর রাবী উল্লেখিত বর্ণনার হুবহু উল্লেখ করেন। কিন্তু তিনি ‘কিয়ামাত দিবসে’ কথাটি বর্ণনা করেননি। (ই.ফা. ৫২২২, ই.সে. ৫২৩৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২৯০
وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ، – يَعْنِي ابْنَ أَبِي لَيْلَى – قَالَ شَهِدْتُ حُذَيْفَةَ اسْتَسْقَى بِالْمَدَائِنِ فَأَتَاهُ إِنْسَانٌ بِإِنَاءٍ مِنْ فِضَّةٍ . فَذَكَرَهُ بِمَعْنَى حَدِيثِ ابْنِ عُكَيْمٍ عَنْ حُذَيْفَةَ .
‘আবদুর রহমান ইবনু আবূ লায়লা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি মাদায়িনে হুযাইফাহ (রাঃ) এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি পানি পান করতে ইচ্ছা করলে জনৈক লোক রূপার বাসনে পানি নিয়ে আসলো। অতঃপর রাবী হুযাইফাহ (রাঃ) এর সানাদে ইবনু ‘উকায়ম (রহঃ) এর হাদীসের অনুরূপ অর্থবোধক হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫২২৩, ই.সে. ৫২৩৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২৯১
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، ح وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، كُلُّهُمْ عَنْ شُعْبَةَ، . بِمِثْلِ حَدِيثِ مُعَاذٍ وَإِسْنَادِهِ وَلَمْ يَذْكُرْ أَحَدٌ مِنْهُمْ فِي الْحَدِيثِ شَهِدْتُ حُذَيْفَةَ . غَيْرُ مُعَاذٍ وَحْدَهُ إِنَّمَا قَالُوا إِنَّ حُذَيْفَةَ اسْتَسْقَى.
আবূ বাকর ইবনু আবূ শাইবাহ, ইবনুল মুসান্না, ইবনু বাশশার মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও ‘আবদুর রহমান ইবনু বিশর (রহঃ) বাহয (রহঃ) হতে, তাঁরা সকলে শু’বাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মু’আয (রহঃ) এর হাদীস ও সানাদের হুবহু বর্ণনা করেছেন। কিন্তু শুধু মু’আয (রহঃ) ব্যতীত তাঁদের মাঝে অপর কেউ তাঁর হাদীসে ‘আমি হুযাইফাহর সঙ্গে উপস্থিত ছিলাম’ কথাটি বর্ণনা করেননি। তাঁরা শুধু বলেছেন, হুযাইফাহ্ (রাঃ) পানি পান করতে চাইলেন। (ই.ফা. ৫২২৪, ই.সে. ৫২৩৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২৯২
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، كِلاَهُمَا عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ حُذَيْفَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَى حَدِيثِ مَنْ ذَكَرْنَا .
হুযাইফাহ্ (রা:) এর সানাদ থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে উপরোল্লিখিত হাদীসের অনুরূপ অর্থবোধক বর্ণিত রয়েছে। (ই.ফা. ৫২২৫, ই.সে. ৫২৩৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২৯৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا سَيْفٌ، قَالَ سَمِعْتُ مُجَاهِدًا، يَقُولُ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي لَيْلَى، قَالَ اسْتَسْقَى حُذَيْفَةُ فَسَقَاهُ مَجُوسِيٌّ فِي إِنَاءٍ مِنْ فِضَّةٍ فَقَالَ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ لاَ تَلْبَسُوا الْحَرِيرَ وَلاَ الدِّيبَاجَ وَلاَ تَشْرَبُوا فِي آنِيَةِ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ وَلاَ تَأْكُلُوا فِي صِحَافِهَا فَإِنَّهَا لَهُمْ فِي الدُّنْيَا” .
‘আবদুর রহমান ইবনু আবূ লায়লা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, হুযাইফাহ্ (রাঃ) পানি পান করার ইচ্ছা করলে এক অগ্নি-পূজারী একটি রূপার বাসনে তাঁকে পানি পান করতে দিল। সে সময় তিনি বললেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি যে, তোমরা পাতলা রেশমী বস্ত্র ও মোটা রেশমী বস্ত্র ব্যবহার করবে না, সোনা ও রূপার বাসনে পান করবে না এবং সোনা রূপার থালায় খাবেও না। কেননা পৃথিবীতে এগুলো তাদের (কাফিরদের) জন্য। (ই.ফা. ৫২২৬, ই.সে. ৫২৩৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২৯৪
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ عُمَرَ، بْنَ الْخَطَّابِ رَأَى حُلَّةً سِيَرَاءَ عِنْدَ بَابِ الْمَسْجِدِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوِ اشْتَرَيْتَ هَذِهِ فَلَبِسْتَهَا لِلنَّاسِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَلِلْوَفْدِ إِذَا قَدِمُوا عَلَيْكَ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِنَّمَا يَلْبَسُ هَذِهِ مَنْ لاَ خَلاَقَ لَهُ فِي الآخِرَةِ ” . ثُمَّ جَاءَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْهَا حُلَلٌ فَأَعْطَى عُمَرَ مِنْهَا حُلَّةً فَقَالَ عُمَرُ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَسَوْتَنِيهَا وَقَدْ قُلْتَ فِي حُلَّةِ عُطَارِدٍ مَا قُلْتَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِنِّي لَمْ أَكْسُكَهَا لِتَلْبَسَهَا ” . فَكَسَاهَا عُمَرُ أَخًا لَهُ مُشْرِكًا بِمَكَّةَ .
ইবনু ‘উমার (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
(একদা) ‘উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) মাসজিদের ফটকের পাশে লাল রঙের ‘হুল্লা’ (রেশম মিশ্রিত চাদর) প্রত্যক্ষ করে বললেন, হে আল্লাহ্র রসূল! আপনি যদি এটি ক্রয় করে জুমু’আর দিন এবং যখন কোন নেতৃস্থানীয় দল আপনার কাছে আসে তখন ব্যবহার করতেন (তবে কতই না উত্তম হতো)। সে সময় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃএটি সে লোকই পরিধান করবে আখিরাতে যার সামান্য অংশও নেই। অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে এ রকম কয়েকটি হুল্লা আসলে তিনি সেগুলো থেকে একটি হুল্লা ‘উমার (রাঃ) কে দিলেন। ‘উমার (রা”) বললেন, হে আল্লাহ্র রসূল! আপনি এটি অধমকে পরতে দিলেন? অথচ আপনিই ‘উতারিদ- এর (এক ব্যক্তি) হুল্লা সম্বন্ধে কত কিছু বলেছেন? তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমি এটি তোমাকে ব্যবহার করতে দেইনি। অতঃপর ‘উমার (রাঃ) সেটি তাঁর মাক্কার এক মুশরিক ভাইকে পরিধান করতে দিলেন। (ই.ফা. ৫২২৭, ই.সে. ৫২৪০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২৯৫
وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، كُلُّهُمْ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، ح وَحَدَّثَنِي سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ مَيْسَرَةَ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، كِلاَهُمَا عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ، عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِ حَدِيثِ مَالِكٍ .
ইবনু ‘উমার (রা:) এর সানাদ থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে মালিক (রাঃ) এর হাদীসের হুবহু বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫২২৮, ই.সে. ৫২৪১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২৯৬
وَحَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، حَدَّثَنَا نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ رَأَى عُمَرُ عُطَارِدًا التَّمِيمِيَّ يُقِيمُ بِالسُّوقِ حُلَّةً سِيَرَاءَ – وَكَانَ رَجُلاً يَغْشَى الْمُلُوكَ وَيُصِيبُ مِنْهُمْ – فَقَالَ عُمَرُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي رَأَيْتُ عُطَارِدًا يُقِيمُ فِي السُّوقِ حُلَّةً سِيَرَاءَ فَلَوِ اشْتَرَيْتَهَا فَلَبِسْتَهَا لِوُفُودِ الْعَرَبِ إِذَا قَدِمُوا عَلَيْكَ – وَأَظُنُّهُ قَالَ وَلَبِسْتَهَا يَوْمَ الْجُمُعَةِ – فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِنَّمَا يَلْبَسُ الْحَرِيرَ فِي الدُّنْيَا مَنْ لاَ خَلاَقَ لَهُ فِي الآخِرَةِ ” . فَلَمَّا كَانَ بَعْدَ ذَلِكَ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِحُلَلٍ سِيَرَاءَ فَبَعَثَ إِلَى عُمَرَ بِحُلَّةٍ وَبَعَثَ إِلَى أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ بِحُلَّةٍ وَأَعْطَى عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ حُلَّةً وَقَالَ ” شَقِّقْهَا خُمُرًا بَيْنَ نِسَائِكَ ” . قَالَ فَجَاءَ عُمَرُ بِحُلَّتِهِ يَحْمِلُهَا فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ بَعَثْتَ إِلَىَّ بِهَذِهِ وَقَدْ قُلْتَ بِالأَمْسِ فِي حُلَّةِ عُطَارِدٍ مَا قُلْتَ فَقَالَ ” إِنِّي لَمْ أَبْعَثْ بِهَا إِلَيْكَ لِتَلْبَسَهَا وَلَكِنِّي بَعَثْتُ بِهَا إِلَيْكَ لِتُصِيبَ بِهَا ” . وَأَمَّا أُسَامَةُ فَرَاحَ فِي حُلَّتِهِ فَنَظَرَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَظَرًا عَرَفَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ أَنْكَرَ مَا صَنَعَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا تَنْظُرُ إِلَىَّ فَأَنْتَ بَعَثْتَ إِلَىَّ بِهَا فَقَالَ ” إِنِّي لَمْ أَبْعَثْ إِلَيْكَ لِتَلْبَسَهَا وَلَكِنِّي بَعَثْتُ بِهَا إِلَيْكَ لِتُشَقِّقَهَا خُمُرًا بَيْنَ نِسَائِكَ ” .
ইবনু ‘উমার (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, (একবার) ‘উমার (রাঃ) ‘উতারিদ তামীমীকে বাজারে লাল রঙ এর হুল্লা বিক্রি করতে লক্ষ্য করলেন। ব্যক্তিটি রাজা বাদশাহ্দের কাছে যেত এবং তাদের নিকট হতে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতো। ‘উমার (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহ্র রসূল! আমি ‘উতারিদকে বাজারে লাল রঙ- এর ‘হুল্লা’ বেচতে দেখলাম। যদি আপনি এটি ক্রয় করতেন আর আরবের কোন নেতৃস্থানীয় দল আপনার কাছে আগমনকালে পরতেন! আমার ধারণা হয় তিনি আরো বলেছেন, ‘এবং জুমু’আর দিবসেও পরতেন, তবে কতই না ভাল হতো’! সে সময় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বললেনঃরেশমী কাপড় সে ব্যক্তিই পৃথিবীতে পরবে, আখিরাতে যার কোনো অংশ নেই। এর একদিন পর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট কিছু লাল রঙ এর হুল্লা আসলে তিনি তার একটি ‘উমার (রাঃ) এর নিকট, একটি উসামাহ্ ইবনু যায়দ (রাঃ) এর নিকট প্রেরণ করলেন। ‘আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) কেও তিনি একটি ‘হুল্লা’ দিয়ে বললেন, এটি ছিঁড়ে ওড়না তৈরি করে তোমরা মহিলাদের মধ্যে বিতরণ করে দাও। ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেন, অতঃপর ‘উমার (রাঃ) তার হুল্লাটি নিয়ে এসে বললেন, হে আল্লাহ্র রসূল! এটি আপনি আমার নিকট পাঠিয়ে দিলেন অথচ গতকাল ‘উতারিদ- এর হুল্লা সম্বন্ধে আপনি কত কিছু বলেছিলেন? তিনি বললেন, ব্যবহার করার জন্য সেটি আমি তোমার নিকট প্রেরণ করিনি বরং আমি সেটি তোমার নিকট পাঠিয়েছি যেন তুমি এটি বিক্রি করে লাভবান হতে পারো। অপরদিকে উসামাহ্ (রাঃ) বিকাল বেলা তাঁর হুল্লাটি পরিধান করে বের হলে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর দিকে এমনভাবে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলেন যে, তিনি অনুধাবন করলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার এহেন কর্মকে পছন্দ করেননি। সে সময় তিনি বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনি আমার দিকে তাকিয়ে আছেন কেন? আপনিই তো এটি আমার কাছে প্রেরণ করেছেন। তিনি বললেন, আমি তোমার নিকট এজন্য প্রেরণ করিনি যে, তুমি এটি ব্যবহার করবে এবং এজন্য এটি পাঠিয়েছি যে, তুমি এটি ছিঁড়ে ওড়না তৈরি করে তোমাদের মহিলাদেরকে দিবে। (ই.ফা. ৫২২৯, ই.সে. ৫২৪২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২৯৭
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، – وَاللَّفْظُ لِحَرْمَلَةَ – قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ، وَهْبٍ أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، قَالَ وَجَدَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ حُلَّةً مِنْ إِسْتَبْرَقٍ تُبَاعُ بِالسُّوقِ فَأَخَذَهَا فَأَتَى بِهَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ابْتَعْ هَذِهِ فَتَجَمَّلْ بِهَا لِلْعِيدِ وَلِلْوَفْدِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِنَّمَا هَذِهِ لِبَاسُ مَنْ لاَ خَلاَقَ لَهُ ” . قَالَ فَلَبِثَ عُمَرُ مَا شَاءَ اللَّهُ . ثُمَّ أَرْسَلَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِجُبَّةِ دِيبَاجٍ فَأَقْبَلَ بِهَا عُمَرُ حَتَّى أَتَى بِهَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قُلْتَ ” إِنَّمَا هَذِهِ لِبَاسُ مَنْ لاَ خَلاَقَ لَهُ ” . أَوْ ” إِنَّمَا يَلْبَسُ هَذِهِ مَنْ لاَ خَلاَقَ لَهُ ” . ثُمَّ أَرْسَلْتَ إِلَىَّ بِهَذِهِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” تَبِيعُهَا وَتُصِيبُ بِهَا حَاجَتَكَ ” .
সালিম ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রহঃ) বলেছেন, উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) একদিন বাজারে মোটা রেশমের প্রস্তুত একটি হুল্লা বিক্রি করতে দেখে তা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে নিয়ে এসে বললেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! আপনি এটি ক্রয় করুন। তাহলে ঈদের দিন ও প্রতিনিধি দল আসলে এটির মাধ্যমে আপনি সুসজ্জিত হতে পারবেন। সে সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃএটি কেবল সে লোকেরই বস্ত্র, যার (পরকালে) কোন অংশ নেই। ইবনু উমার (রাঃ) বলেন, অতঃপর উমার (রাঃ) আল্লাহ্র ইচ্ছানুযায়ী কিচ্ছুক্ষণ পার করলেন। অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর নিকট একটি খাঁটি রেশমের আলখাল্লা প্রেরণ করলেন। উমার (রাঃ) তা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট নিয়ে এসে বললেন, হে আল্লাহ্র রসূল! এটি ওই লোকেরই বস্ত্র (আখিরাতে) যার কোন অংশ নেই, পুনরায় আপনি তা আমার নিকট প্রেরণ করলেন, সে সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বললেনঃ (আমি এজন্যে পাঠিয়েছি) যেন তুমি এটা বিক্রি করে আপন প্রয়োজন সারতে পারো। (ই.ফা. ৫২৩০, ই.সে. ৫২৪৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২৯৮
وَحَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .
ইবনু শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোক্ত সানাদে অবিকল বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ৫২৩১, ই.সে. ৫২৪৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২৯৯
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ شُعْبَةَ، أَخْبَرَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ، حَفْصٍ عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ عُمَرَ، رَأَى عَلَى رَجُلٍ مِنْ آلِ عُطَارِدٍ قَبَاءً مِنْ دِيبَاجٍ أَوْ حَرِيرٍ فَقَالَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَوِ اشْتَرَيْتَهُ . فَقَالَ ” إِنَّمَا يَلْبَسُ هَذَا مَنْ لاَ خَلاَقَ لَهُ ” . فَأُهْدِيَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حُلَّةٌ سِيَرَاءُ فَأَرْسَلَ بِهَا إِلَىَّ . قَالَ قُلْتُ أَرْسَلْتَ بِهَا إِلَىَّ وَقَدْ سَمِعْتُكَ قُلْتَ فِيهَا مَا قُلْتَ قَالَ ” إِنَّمَا بَعَثْتُ بِهَا إِلَيْكَ لِتَسْتَمْتِعَ بِهَا ” .
ইবনু উমার (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
উমার (রাঃ) উতারিদ পরিবারের এক লোকের কাছে একটি রেশমী কাবা’ (বড় জামা) দেখতে পেয়ে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বললেন, আপনি যদি এটা ক্রয় করতেন। সে সময় তিনি বললেন, এটি শুধু সে লোকই পরিধান করবে (আখিরাতে) যার কোন অংশ নেই। অতঃপর লাল রং এর একটি কুর্তা রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে উপঢৌকন প্রেরণ করা হলে তিনি তা আমার নিকট প্রেরণ করলেন। তিনি উমার (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, আপনি এটি আমার নিকট পাঠালেন কেন? অথচ এ ধরনের বস্ত্র সম্পর্কে আপনার কথা আমার কর্ণপাত হয়েছে। তিনি বললেনঃআমি কেবল এজন্যে এটি তোমার নিকট পাঠিয়েছি যাতে তুমি এর মাধ্যমে (বিক্রি করে) উপকার হাসিল করতে পারো। (ই.ফা. ৫২৩২, ই.সে. ৫২৪৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩০০
وَحَدَّثَنِي ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا رَوْحٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ حَفْصٍ، عَنْ سَالِمِ، بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، رَأَى عَلَى رَجُلٍ مِنْ آلِ عُطَارِدٍ . بِمِثْلِ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ “ إِنَّمَا بَعَثْتُ بِهَا إِلَيْكَ لِتَنْتَفِعَ بِهَا وَلَمْ أَبْعَثْ بِهَا إِلَيْكَ لِتَلْبَسَهَا ” .
ইবনু উমার (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
উমার (রাঃ) উতারিদ পরিবারের এক লোকের নিকট (একটি কাবা) লক্ষ্য করলেন। অতঃপর রাবী ইয়াহ্ইয়া ইবনু সা’ঈদ (রহঃ) এর হাদীসের অবিকল বর্ণনা করেন। কিন্তু তিনি বর্ণনা করেছেন, আমি এটি তোমার নিকট পাঠিয়েছি যাতে তুমি এর মাধ্যমে উপকার লাভ করতে পারো। পরিধান করার জন্য এটি তোমার নিকট পাঠাইনি। (ই.ফা. ৫২৩৩, ই.সে. ৫২৪৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩০১
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يُحَدِّثُ، قَالَ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ قَالَ لِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ فِي الإِسْتَبْرَقِ قَالَ قُلْتُ مَا غَلُظَ مِنَ الدِّيبَاجِ وَخَشُنَ مِنْهُ . فَقَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ يَقُولُ رَأَى عُمَرُ عَلَى رَجُلٍ حُلَّةً مِنْ إِسْتَبْرَقٍ فَأَتَى بِهَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم . فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِهِمْ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فَقَالَ “ إِنَّمَا بَعَثْتُ بِهَا إِلَيْكَ لِتُصِيبَ بِهَا مَالاً ” .
ইয়াহ্ইয়া ইবনু আবূ ইসহাক্ (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সালিম ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) আমাকে বললেন, ‘ইস্তাব্রাক’ কি? আমি বললাম, মোটা ও খস্খসে রেশমী বস্ত্র। তিনি বললেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) কে বলতে শুনেছি, উমার (রাঃ) জনৈক লোকের নিকট ইস্তাব্রাকের প্রস্তুত হুল্লা লক্ষ্য করে সেটি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট নিয়ে এলেন। অতঃপর রাবী ইয়াহ্ইয়া (রহঃ) উপরোল্লিখিত রাবীগণের অবিকল বর্ণনা করেন। কিন্তু তিনি বলেছেন, তারপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃআমি এটি তোমার নিকট শুধু এজন্যে পাঠিয়েছি যে, তুমি এর মাধ্যমে কিছু সম্পদ জোগাড় করতে পারবে। (ই.ফা. ৫২৩৪, ই.সে.৫২৪৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩০২
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، مَوْلَى أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ وَكَانَ خَالَ وَلَدِ عَطَاءٍ قَالَ أَرْسَلَتْنِي أَسْمَاءُ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ فَقَالَتْ بَلَغَنِي أَنَّكَ تُحَرِّمُ أَشْيَاءَ ثَلاَثَةً الْعَلَمَ فِي الثَّوْبِ وَمِيثَرَةَ الأُرْجُوَانِ وَصَوْمَ رَجَبٍ كُلِّهِ . فَقَالَ لِي عَبْدُ اللَّهِ أَمَّا مَا ذَكَرْتَ مِنْ رَجَبٍ فَكَيْفَ بِمَنْ يَصُومُ الأَبَدَ وَأَمَّا مَا ذَكَرْتَ مِنَ الْعَلَمِ فِي الثَّوْبِ فَإِنِّي سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ إِنَّمَا يَلْبَسُ الْحَرِيرَ مَنْ لاَ خَلاَقَ لَهُ ” . فَخِفْتُ أَنْ يَكُونَ الْعَلَمُ مِنْهُ وَأَمَّا مِيثَرَةُ الأُرْجُوَانِ فَهَذِهِ مِيثَرَةُ عَبْدِ اللَّهِ فَإِذَا هِيَ أُرْجُوَانٌ . فَرَجَعْتُ إِلَى أَسْمَاءَ فَخَبَّرْتُهَا فَقَالَتْ هَذِهِ جُبَّةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَأَخْرَجَتْ إِلَىَّ جُبَّةَ طَيَالَسَةٍ كِسْرَوَانِيَّةً لَهَا لِبْنَةُ دِيبَاجٍ وَفَرْجَيْهَا مَكْفُوفَيْنِ بِالدِّيبَاجِ فَقَالَتْ هَذِهِ كَانَتْ عِنْدَ عَائِشَةَ حَتَّى قُبِضَتْ فَلَمَّا قُبِضَتْ قَبَضْتُهَا وَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَلْبَسُهَا فَنَحْنُ نَغْسِلُهَا لِلْمَرْضَى يُسْتَشْفَى بِهَا .
আস্মা বিনতু আবূ বাক্র (রা:) এর মুক্ত দাস আবদুল্লাহ (রহঃ) [তিনি আতা (রহঃ) এর বাচ্চাদের মামাও হতেন] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আস্মা (রাঃ) আমাকে আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) এর কাছে এ বলে প্রেরণ করলেন যে, আমি অবগত হয়েছি তুমি নাকি তিনটি বস্তুকে নিষিদ্ধ মনে করো। কাপড়ে (রেশমের) নক্সা, গাঢ় লাল রং এর মীসারাহ্ (এক জাতীয় রেশমী বস্ত্র) ও রজবের গোটা মাস সাওম পালন করা। সে সময় আবদুল্লাহ (রাঃ) আমায় বলেন, আপনি যে রজব মাসের সাওম হারামের কথা বললেন, এটা ঐ লোকের ক্ষেত্রে কিভাবে সম্ভব যিনি সবসময় সাওম পালন করেন? আর আপনি যে বস্ত্রের (রেশমের) ডিজাইনের কথা বললেন, এ সম্পর্কে আমি উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেছেন, ‘আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি, রেশমী কাপড় কেবল সে ব্যক্তিই পরবে (আখিরাতে) যার কোন অংশ নেই’। তাই আমার সন্দেহ হল নক্শাও এর অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। আর গাঢ় লাল রং এর মীসারাহ্ সে তো আবদুল্লাহরই মীসারাহ্। লক্ষ্য করলাম, আসলেই সেটি গাঢ় লাল রং এর। অতঃপর আমি আস্মা (রাঃ) এর কাছে ফিরে গেলাম এবং তাকে এ ব্যাপারে সংবাদ দিলাম। তখন তিনি বললেন, এটি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জুব্বা। এ বলে তিনি কিসরাওয়ানী (ইরানী সম্রাট কিস্রার প্রতি সম্পর্কীয়) সবুজ রং এর একটি জুব্বা বের করলেন যার পকেটটি ছিল খাঁটি রেশমের প্রস্তুত এবং এর (হাতার) ছিদ্রদ্বয় ছিল খাঁটি রেশমের টুকরা দিয়ে ঢাকা। তিনি বললেন, এটি ‘আয়িশাহ্র মৃত্যু পর্যন্ত তাঁর নিকটেই ছিল। তাঁর ওফাতের পর আমি এটি নিয়েছি। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এটি ব্যবহার করতেন। তাই আমরা অসুস্থদের আরোগ্য লাভের জন্য এটি ধৌত করি এবং তাদেরকে সে পানি পান করিয়ে থাকি। (ই.ফা. ৫২৩৫, ই.সে.৫২৪৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩০৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ خَلِيفَةَ بْنِ كَعْبٍ، أَبِي ذُبْيَانَ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ، يَخْطُبُ يَقُولُ أَلاَ لاَ تُلْبِسُوا نِسَاءَكُمُ الْحَرِيرَ فَإِنِّي سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لاَ تَلْبَسُوا الْحَرِيرَ فَإِنَّهُ مَنْ لَبِسَهُ فِي الدُّنْيَا لَمْ يَلْبَسْهُ فِي الآخِرَةِ ” .
খলীফা ইবনু কা’ব আবূ যুব্য়্যান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়রকে খুত্বায় এ কথা বলতে শুনেছি যে, হুশিয়ার! তোমরা তোমাদের মহিলাদের রেশমী বস্ত্র পরাবে না। কেননা আমি উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: তোমরা রেশমী কাপড় পরিধান করো না। কারণ পৃথিবীতে যে লোক তা পরিধান করবে, আখিরাতে সে তা পরিধান করতে পারবে না। (ই.ফা. ৫২৩৬, ই.সে. ৫২৪৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩০৪
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ الأَحْوَلُ، عَنْ أَبِي، عُثْمَانَ قَالَ كَتَبَ إِلَيْنَا عُمَرُ وَنَحْنُ بِأَذْرَبِيجَانَ يَا عُتْبَةَ بْنَ فَرْقَدٍ إِنَّهُ لَيْسَ مِنْ كَدِّكَ وَلاَ مِنْ كَدِّ أَبِيكَ وَلاَ مِنْ كَدِّ أُمِّكَ فَأَشْبِعِ الْمُسْلِمِينَ فِي رِحَالِهِمْ مِمَّا تَشْبَعُ مِنْهُ فِي رَحْلِكَ وَإِيَّاكُمْ وَالتَّنَعُّمَ وَزِيَّ أَهْلِ الشِّرْكِ وَلَبُوسَ الْحَرِيرِ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ لَبُوسِ الْحَرِيرِ . قَالَ “ إِلاَّ هَكَذَا ” . وَرَفَعَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِصْبَعَيْهِ الْوُسْطَى وَالسَّبَّابَةَ وَضَمَّهُمَا قَالَ زُهَيْرٌ قَالَ عَاصِمٌ هَذَا فِي الْكِتَابِ . قَالَ وَرَفَعَ زُهَيْرٌ إِصْبَعَيْهِ .
আবূ উসমান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা ‘আজারবাইজান’ এ ছিলাম। এ সময় উমার (রাঃ) আমাদের (দলনেতার) কাছে চিঠি লিখলেন, হে ‘উতবাহ্ ইবনু ফারকাদ! এ ধন-সম্পদ তোমার কষ্টার্জিত নয়, তোমার বাবা-মায়েরও কষ্টার্জিত নয়। তাই তুমি যেরূপে নিজ বাড়িতে পেটপুরে ভক্ষণ করো, তেমনিভাবে মুসলিমদের বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে তাদেরকেও পেটপুরে ভক্ষণ করাও। আর সাবধান, মুশরিকদের ভোগ-বিলাস বেশভূষণ এবং রেশমী কাপড় পরিধান করা থেকে বিরত থাকবে। কেননা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রেশমী কাপড় পরতে বারণ করেছেন। তিনি বলেছেন, তবে এ পরিমাণ বৈধ রয়েছে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর শাহাদাত ও মধ্যমা আঙ্গুলদ্বয় একসাথে আমাদের সম্মুখে তুলে ধরলেন। (ই.ফা. ৫২৩৭, ই.সে. ৫২৫০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩০৫
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ عَبْدُ الْحَمِيدِ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، كِلاَهُمَا عَنْ عَاصِمٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الْحَرِيرِ بِمِثْلِهِ .
আসিম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোল্লিখিত সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে রেশমী বস্ত্র সম্পর্কে হুবহু বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫২৩৮, ই.সে. ৫২৫১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩০৬
وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي شَيْبَةَ، – وَهُوَ عُثْمَانُ – وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ كِلاَهُمَا عَنْ جَرِيرٍ، – وَاللَّفْظُ لإِسْحَاقَ – أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، قَالَ كُنَّا مَعَ عُتْبَةَ بْنِ فَرْقَدٍ فَجَاءَنَا كِتَابُ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لاَ يَلْبَسُ الْحَرِيرَ إِلاَّ مَنْ لَيْسَ لَهُ مِنْهُ شَىْءٌ فِي الآخِرَةِ إِلاَّ هَكَذَا ” . وَقَالَ أَبُو عُثْمَانَ بِإِصْبَعَيْهِ اللَّتَيْنِ تَلِيَانِ الإِبْهَامَ . فَرُئِيتُهُمَا أَزْرَارَ الطَّيَالِسَةِ حِينَ رَأَيْتُ الطَّيَالِسَةَ .
আবূ উসমান (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা উতবাহ্ ইবনু ফারকাদ (রহঃ) এর সঙ্গে ছিলাম। তখন আমাদের নিকট উমার (রাঃ) এর চিঠি আসলো। উক্ত চিঠিতে ছিল যে, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: রেশমী বস্ত্র শুধু সে ব্যক্তিই পরবে, আখিরাতে যার কোন অংশ নেই। তবে এ পরিমাণ বৈধ রয়েছে। আবূ উসমান (রহঃ) তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুল সংলগ্ন দু’টি আঙ্গুল দিয়ে ইঙ্গিত করলেন। আমি সে দু’টোতে তায়ালিসার বোতাম লক্ষ্য করলাম। এমন কি আমি তায়ালিসাহ্ও (সবুজ রং এর চাদর) দেখলাম। (ই.ফা. ৫২৩৯, ই.সে. ৫২৫২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩০৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، عَنْ أَبِيهِ، حَدَّثَنَا أَبُو عُثْمَانَ، قَالَ كُنَّا مَعَ عُتْبَةَ بْنِ فَرْقَدٍ بِمِثْلِ حَدِيثِ جَرِيرٍ .
আবূ উসমান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা উতবাহ্ ইবনু ফারকাদ (রহঃ) এর সঙ্গে ছিলাম। রাবী পরের অংশ জারীরের হাদীসের হুবহু বর্ণনা করেন। (ই.ফা. ৫২৪০, ই.সে. ৫২৫৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩০৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى – قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ، بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا عُثْمَانَ النَّهْدِيَّ، قَالَ جَاءَنَا كِتَابُ عُمَرَ وَنَحْنُ بِأَذْرَبِيجَانَ مَعَ عُتْبَةَ بْنِ فَرْقَدٍ أَوْ بِالشَّامِ أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الْحَرِيرِ إِلاَّ هَكَذَا إِصْبَعَيْنِ . قَالَ أَبُو عُثْمَانَ فَمَا عَتَّمْنَا أَنَّهُ يَعْنِي الأَعْلاَمَ.
আবূ উসমান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা উতবাহ্ ইবনু ফারকাদ (রহঃ) এর সঙ্গে আজারবাইজান কিংবা সিরিয়ায় ছিলাম। তখন আমাদের নিকট উমার (রাঃ) এর কাছ থেকে এ মর্মে একটি চিঠি এলো যে, আম্মা বা’দু, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রেশমী বস্ত্র পরিধান করতে বারণ করেছেন, তবে দু’আঙ্গুল পরিমাণ বৈধ হবে।
আবূ উসমান (রহঃ) বলেন, আমাদের বুঝতে দেরী হলো না যে, তিনি (এ দ্বারা) নক্শী ও নক্শার দিকে ইশারা করছেন। (ই.ফা. ৫২৪১, ই.সে. ৫২৫৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩০৯
وَحَدَّثَنَا أَبُو غَسَّانَ الْمِسْمَعِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا مُعَاذٌ، – وَهُوَ ابْنُ هِشَامٍ – حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ وَلَمْ يَذْكُرْ قَوْلَ أَبِي عُثْمَانَ .
কাতাদাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোক্ত সূত্রে অবিকল বর্ণিত আছে। কিন্তু তিনি আবূ উসমান (রহঃ) এর কথাটি বর্ণনা করেননি। (ই.ফা. ৫২৪২, ই.সে. ৫২৫৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩১০
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ، وَأَبُو غَسَّانَ الْمِسْمَعِيُّ وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى وَابْنُ بَشَّارٍ – قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا – مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَامِرٍ الشَّعْبِيِّ، عَنْ سُوَيْدِ بْنِ غَفَلَةَ، أَنَّ عُمَرَ، بْنَ الْخَطَّابَ خَطَبَ بِالْجَابِيَةِ فَقَالَ نَهَى نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ لُبْسِ الْحَرِيرِ إِلاَّ مَوْضِعَ إِصْبَعَيْنِ أَوْ ثَلاَثٍ أَوْ أَرْبَعٍ .
সুওয়াইদ ইবনু গাফালাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
(একদা) উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) জাবিয়াহ্ নামক জায়গার বক্তব্য প্রদানকালে বললেন, আল্লাহ্র নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রেশমী কাপড় পরতে বারণ করেছেন। কিন্তু যদি দু’ আঙ্গুল বা তিন আঙ্গুল বা চার আঙ্গুল পরিমাণ হয় (তাহলে বৈধ হবে)। (ই.ফা. ৫২৪৩, ই.সে. ৫২৫৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩১১
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الرُّزِّيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَطَاءٍ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .
কাতাদাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোল্লিখিত সূত্রে হুবহু রিওয়ায়াত করেন। (ই.ফা. ৫২৪৪, ই.সে. ৫২৫৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩১২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، وَيَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ، وَحَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ حَبِيبٍ – قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ لَبِسَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا قَبَاءً مِنْ دِيبَاجٍ أُهْدِيَ لَهُ ثُمَّ أَوْشَكَ أَنْ نَزَعَهُ فَأَرْسَلَ بِهِ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَقِيلَ لَهُ قَدْ أَوْشَكَ مَا نَزَعْتَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَقَالَ ” نَهَانِي عَنْهُ جِبْرِيلُ ” . فَجَاءَهُ عُمَرُ يَبْكِي فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَرِهْتَ أَمْرًا وَأَعْطَيْتَنِيهِ فَمَا لِي قَالَ ” إِنِّي لَمْ أُعْطِكَهُ لِتَلْبَسَهُ إِنَّمَا أَعْطَيْتُكَهُ تَبِيعُهُ ” . فَبَاعَهُ بِأَلْفَىْ دِرْهَمٍ .
জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদিন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খাঁটি রেশমের প্রস্তুতকৃত একটি কাবা গায়ে দিলেন, যা তাঁকে হাদিয়া (উপঢৌকন) দেয়া হয়েছিল। তারপর তিনি সেটি দ্রুত খুলে ফেললেন। অতঃপর সেটি উমার ইবনুল খাত্তাবের কাছে প্রেরণ করলেন। তাঁকে বলা হলো, হে আল্লাহ্র রসূল! আপনি দ্রুত এটি খুলে ফেললেন যে? তিনি বললেন জিব্রীল (আঃ) আমাকে এটি পরিধান করতে বারণ করেছেন। এরপর উমার (রাঃ) ক্রন্দনরত অবস্থায় তাঁর নিকটে এসে বললেন, হে আল্লাহ্র রসূল! আপনি যে জিনিস পছন্দ করলেন না তা আমাকে দিলেন, আমার উপায় কি? সে সময় তিনি বললেন, আমি তোমাকে এটি পরিধান করতে দেইনি। আমি শুধু তোমাকে বিক্রয় করতে দিয়েছি। পরে উমার (রাঃ) সেটি দু’হাজার দিরহামে বেচে দিলেন। (ই.ফা. ৫২৪৫, ই.সে. ৫২৫৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩১৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، – يَعْنِي ابْنَ مَهْدِيٍّ – حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي عَوْنٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا صَالِحٍ، يُحَدِّثُ عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ أُهْدِيَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حُلَّةُ سِيَرَاءَ فَبَعَثَ بِهَا إِلَىَّ فَلَبِسْتُهَا فَعَرَفْتُ الْغَضَبَ فِي وَجْهِهِ فَقَالَ “ إِنِّي لَمْ أَبْعَثْ بِهَا إِلَيْكَ لِتَلْبَسَهَا إِنَّمَا بَعَثْتُ بِهَا إِلَيْكَ لِتُشَقِّقَهَا خُمُرًا بَيْنَ النِّسَاءِ ” .
আলী (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে একটি লাল রংয়ের হুল্লা উপঢৌকন দেয়া হলো। অতঃপর তিনি তা আমার নিকট প্রেরণ করলেন। আমি সেটি পরিধান করলে তাঁর মুখমণ্ডলে ক্রোধ দর্শন করলাম। তিনি বললেন, আমি এটি পরিধান করার জন্য তোমার নিকট পাঠাইনি। পাঠিয়েছি শুধু এজন্য যে, তুমি এটি কেটে ওড়না হিসেবে (তোমার) স্ত্রীদের মধ্যে ভাগ করে দেবে। (ই.ফা. ৫২৪৬, ই.সে. ৫২৫৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩১৪
حَدَّثَنَاهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، – يَعْنِي ابْنَ جَعْفَرٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي عَوْنٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ فِي حَدِيثِ مُعَاذٍ فَأَمَرَنِي فَأَطَرْتُهَا بَيْنَ نِسَائِي . وَفِي حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ فَأَطَرْتُهَا بَيْنَ نِسَائِي . وَلَمْ يَذْكُرْ فَأَمَرَنِي.
আবূ আওন (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোক্ত সূত্রে হাদীসটি বর্ণিত রয়েছে। কিন্তু মু’আয (রহঃ) এর হাদীসে আছে, তারপর তাঁর নির্দেশে আমি তা আমার স্ত্রীদের মধ্যে বণ্টন করে দিলাম। আর মুহাম্মাদ ইবনু জা’ফার (রহঃ) এর হাদীসে আছে ‘পরে আমি আমার মহিলাদের মধ্যে সেটি বণ্টন করে দিলাম’। তিনি রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নির্দেশ দেয়ার কথা বর্ণনা করেননি। (ই.ফা. ৫২৪৭, ই.সে. ৫২৬০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩১৫
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ – وَاللَّفْظُ لِزُهَيْرٍ – قَالَ أَبُو كُرَيْبٍ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ أَبِي عَوْنٍ الثَّقَفِيِّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ الْحَنَفِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ، أَنَّ أُكَيْدِرَ، دُومَةَ أَهْدَى إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثَوْبَ حَرِيرٍ فَأَعْطَاهُ عَلِيًّا فَقَالَ ” شَقِّقْهُ خُمُرًا بَيْنَ الْفَوَاطِمِ ” . وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ وَأَبُو كُرَيْبٍ ” بَيْنَ النِّسْوَةِ ” .
আলী (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
দূমাহ্ নিবাসী উকাইদির নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে একটি রেশম বস্ত্র উপহার দিলে তিনি তা আলী (রাঃ) কে দিয়ে বললেন, তুমি এটি কেটে ফাতিমাদের মধ্যে বণ্টন করে দাও।
আবূ বাক্র ও আবূ কুরায়ব (রহঃ) -এর বর্ণনায় ‘ফাতিমাদের’ স্থলে ‘মহিলাদের’ কথা উল্লেখ করেছেন। (ই.ফা. ৫২৪৮, ই.সে. ৫২৬১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩১৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ كَسَانِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حُلَّةَ سِيَرَاءَ فَخَرَجْتُ فِيهَا فَرَأَيْتُ الْغَضَبَ فِي وَجْهِهِ – قَالَ – فَشَقَقْتُهَا بَيْنَ نِسَائِي .
আলী ইবনু আবূ তালিব (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে একটি লাল রংয়ের হুল্লা দিলেন। আমি তা পরিধান করে বের হলে তাঁর চেহারা ভীষণ রাগান্বিত দেখলাম। তিনি বলেন, পরে আমি তা ছিঁড়ে আমার স্ত্রীদের মধ্যে বণ্টন করে দিলাম। (ই.ফা. ৫২৪৯, ই.সে. ৫২৬২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩১৭
وَحَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، وَأَبُو كَامِلٍ – وَاللَّفْظُ لأَبِي كَامِلٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الأَصَمِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى عُمَرَ بِجُبَّةِ سُنْدُسٍ فَقَالَ عُمَرُ بَعَثْتَ بِهَا إِلَىَّ وَقَدْ قُلْتَ فِيهَا مَا قُلْتَ قَالَ “ إِنِّي لَمْ أَبْعَثْ بِهَا إِلَيْكَ لِتَلْبَسَهَا وَإِنَّمَا بَعَثْتُ بِهَا إِلَيْكَ لِتَنْتَفِعَ بِثَمَنِهَا ” .
আনাস ইবনু মালিক (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উমার (রাঃ) -এর কাছে একটি রেশমী আলখাল্লা প্রেরণ করলে উমার (রাঃ) বললেন, আপনি এটি আমার নিকট প্রেরণ করলেন, অথচ আপনি এটি সম্পর্কে কত কিছু না বলেছেন? তিনি বললেনঃআমি সেটা এজন্যে পাঠাইনি যে, তুমি তা ব্যবহার করবে। আমি শুধু এজন্যে প্রেরণ করেছি যে, তুমি এর ক্রয়কৃত অর্থ দিয়ে লাভবান হবে। (ই.ফা. ৫২৫০, ই.সে. ৫২৬৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩১৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – وَهُوَ ابْنُ عُلَيَّةَ – عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ لَبِسَ الْحَرِيرَ فِي الدُّنْيَا لَمْ يَلْبَسْهُ فِي الآخِرَةِ ” .
আনাস (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যে লোক ইহকালে রেশম জাতীয় বস্ত্র পরে, আখিরাতে সে তা পরিধান করতে পারবে না। (ই.ফা. ৫২৫১, ই.সে. ৫২৬৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩১৯
وَحَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى الرَّازِيُّ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبُ بْنُ إِسْحَاقَ الدِّمَشْقِيُّ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، حَدَّثَنِي شَدَّادٌ أَبُو عَمَّارٍ، حَدَّثَنِي أَبُو أُمَامَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَنْ لَبِسَ الْحَرِيرَ فِي الدُّنْيَا لَمْ يَلْبَسْهُ فِي الآخِرَةِ ” .
আবূ উমামাহ্ (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যে লোক পৃথিবীতে রেশম জাতীয় বস্ত্র পরে আখিরাতে সে তা পরিধান করতে পারবে না। (ই.ফা. ৫২৫২, ই.সে. ৫২৬৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩২০
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي الْخَيْرِ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، أَنَّهُ قَالَ أُهْدِيَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرُّوجُ حَرِيرٍ فَلَبِسَهُ ثُمَّ صَلَّى فِيهِ ثُمَّ انْصَرَفَ فَنَزَعَهُ نَزْعًا شَدِيدًا كَالْكَارِهِ لَهُ ثُمَّ قَالَ “ لاَ يَنْبَغِي هَذَا لِلْمُتَّقِينَ ”.
উকবাহ্ ইবনু আমির (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে রেশমের তৈরি একটি শেরওয়ানী উপহার দেয়া হলে তিনি তা পরলেন। অতঃপর তাতেই তিনি সালাত আদায় করলেন। যখন সালাত শেষ করলেন, তখন সেটি খুব তাড়াতাড়ি খুলে ফেললেন। তিনি যেন ওটা অপছন্দ করেছেন। অতঃপর তিনি বললেন, মুত্তাকীদের জন্যে এটা ব্যবহার করা অনুচিত। (ই.ফা. ৫২৫৩, ই.সে. ৫২৬৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩২১
وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ، – يَعْنِي أَبَا عَاصِمٍ – حَدَّثَنَا عَبْدُ، الْحَمِيدِ بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ .
ইয়াযীদ ইবনু আবূ হাবীব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোল্লিখিত সূত্রে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ৫২৫৪, ই.সে. ৫২৬৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩. অধ্যায়ঃ
চর্মব্যাধি পুরুষদের জন্য রেশমী বস্ত্র পরার অনুমতি
৫৩২২
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، أَنَّ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، أَنْبَأَهُمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَخَّصَ لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَالزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ فِي الْقُمُصِ الْحَرِيرِ فِي السَّفَرِ مِنْ حِكَّةٍ كَانَتْ بِهِمَا أَوْ وَجَعٍ كَانَ بِهِمَا .
আনাস ইবনু মালিক (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবদুর রহমান ইবনু আওফ ও যুবায়র ইবনু আও্ওয়াম (রাঃ) কে তাদের চর্ম বা এলার্জি জাতীয় রোগ বা অন্য কোন রোগের দরুন সফরে রেশমী পোশাক পরিধানের অনুমতি দিয়েছেন। (ই.ফা. ৫২৫৫, ই.সে. ৫২৬৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩২৩
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَلَمْ يَذْكُرْ فِي السَّفَرِ .
সা’ঈদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোক্ত সূত্রেও হাদীসটি বর্ণিত রয়েছে। তবে তিনি [মুহাম্মাদ ইবনু বিশ্র (রহঃ) ] সফরে কথাটি উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৫২৫৬, ই.সে. ৫২৬৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩২৪
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ رَخَّصَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم – أَوْ رُخِّصَ – لِلزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ فِي لُبْسِ الْحَرِيرِ لِحِكَّةٍ كَانَتْ بِهِمَا .
আনাস (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুবায়র ইবনু আও্ওয়াম ও আবদুর রহমান ইবনু আওফ (রাঃ) কে তাদের চর্ম (এলার্জি) রোগের দরুন রেশমী বস্ত্র ব্যবহারের সুযোগ দিয়েছেন। কিংবা তিনি বলেন, তাদের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। (ই.ফা. ৫২৫৭, ই.সে. ৫২৭০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩২৫
وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .
মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও ইবনু বাশ্শার (রহঃ) মুহাম্মাদ ইবনু জা’ফার (রহঃ) এর সানাদে শু’বাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোক্ত সূত্রে হুবহু বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫২৫৮, ই.সে. ৫২৭১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩২৬
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، أَنَّ أَنَسًا، أَخْبَرَهُ أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ وَالزُّبَيْرَ بْنَ الْعَوَّامِ شَكَوَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْقَمْلَ فَرَخَّصَ لَهُمَا فِي قُمُصِ الْحَرِيرِ فِي غَزَاةٍ لَهُمَا .
আনাস (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
আবদুর রহমান ইবনু আওফ ও যুবায়র ইবনু আও্ওয়াম (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে (শরীরে) উকূনের অভিযোগ করলে তিনি তাদেরকে এক যুদ্ধে রেশমী কামিস (জামা) পরার অনুমতি দিয়েছেন। (ই.ফা. ৫২৫৯, ই.সে. ৫২৭২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪. অধ্যায়ঃ
পুরুষের জন্য হলুদ রংয়ের বস্ত্র পরিধান করার নিষেধাজ্ঞা
৫৩২৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ يَحْيَى، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ، أَنَّ ابْنَ مَعْدَانَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ جُبَيْرَ بْنَ نُفَيْرٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ أَخْبَرَهُ قَالَ رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَىَّ ثَوْبَيْنِ مُعَصْفَرَيْنِ فَقَالَ “ إِنَّ هَذِهِ مِنْ ثِيَابِ الْكُفَّارِ فَلاَ تَلْبَسْهَا ” .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্র ইবনুল ‘আস (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার পরিধানে হলুদ রংয়ের দু’টি বস্ত্র দেখে বললেন, এগুলো কাফিরদের বস্ত্র। অতএব তুমি এসব পরবে না। (ই.ফা. ৫২৬০, ই.সে. ৫২৭৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩২৮
وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا هِشَامٌ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْمُبَارَكِ، كِلاَهُمَا عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالاَ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، .
যুহায়র ইবনু হারব ও আবূ বাকর ইবনু আবূ শাইবাহ্ (রহঃ) ইয়াহ্ইয়া ইবনু আবূ কাসীর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোল্লিখিত সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেন। কিন্তু তারা উভয়ে খালিদ ইবনু মা’দান (রহঃ) এর থেকে বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫২৬১, ই.সে. ৫২৭৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩২৯
حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ رُشَيْدٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ أَيُّوبَ الْمَوْصِلِيُّ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ نَافِعٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ الأَحْوَلِ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ رَأَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَىَّ ثَوْبَيْنِ مُعَصْفَرَيْنِ فَقَالَ ” أَأُمُّكَ أَمَرَتْكَ بِهَذَا ” . قُلْتُ أَغْسِلُهُمَا . قَالَ ” بَلْ أَحْرِقْهُمَا ” .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার গায়ে হলুদ রংয়ের দু’টি বস্ত্র প্রত্যক্ষ করে বললেন, তোমার মা কি তোমাকে এ কাজে নির্দেশ দিয়েছেন? আমি বললাম, এ দু’টি ধুয়ে ফেলি? তিনি বললেন, বরং দু’টিকেই পুড়ে ফেল। (ই.ফা. ৫২৬২, ই.সে. ৫২৭৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৩০
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ، اللَّهِ بْنِ حُنَيْنٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ لُبْسِ الْقَسِّيِّ وَالْمُعَصْفَرِ وَعَنْ تَخَتُّمِ الذَّهَبِ وَعَنْ قِرَاءَةِ الْقُرْآنِ فِي الرُّكُوعِ .
‘আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাস্সী (এক প্রকার রেশমী বস্ত্র) ও মু’আসফার হলুদ রংয়ের বস্ত্র পরিধান করতে, স্বর্ণের আংটি পরিধান করতে এবং রুকু’তে কুরআন পাঠ করতে বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৫২৬৩, ই.সে. ৫২৭৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৩১
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُنَيْنٍ، أَنَّ أَبَاهُ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، يَقُولُ نَهَانِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْقِرَاءَةِ وَأَنَا رَاكِعٌ وَعَنْ لُبْسِ الذَّهَبِ وَالْمُعَصْفَرِ .
‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে রুকু’ অবস্থায় কুরআন পাঠ করতে, সোনা ও হলুদ রংয়ের বস্ত্র পরিধান করতে বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৫২৬৪, ই.সে. ৫২৭৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৩২
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُنَيْنٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ نَهَانِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ التَّخَتُّمِ بِالذَّهَبِ وَعَنْ لِبَاسِ الْقَسِّيِّ وَعَنِ الْقِرَاءَةِ فِي الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ وَعَنْ لِبَاسِ الْمُعَصْفَرِ .
‘আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে সোনার আংটি পরিধান করতে, কাস্সী বস্ত্র পরিধান করতে, রুকু’ ও সিজ্দায় কুরআন পাঠ করতে এবং হলুদ রংয়ের বস্ত্র পরতে বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৫২৬৫, ই.সে. ৫২৭৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫. অধ্যায়ঃ
কাতান পোশাক পরিধানের ফাযীলাত
৫৩৩৩
حَدَّثَنَا هَدَّابُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، قَالَ قُلْنَا لأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَىُّ اللِّبَاسِ كَانَ أَحَبَّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَوْ أَعْجَبَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ الْحِبَرَةُ .
কাতাদাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) – কে বললাম, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর নিকট সবচেয়ে প্রিয় ও আকর্ষণীয় পোশাক কি ছিল? তিনি বললেনঃ হিবারাহ্ নামক ইয়ামানী চাদর। (ই.ফা. ৫২৬৬, ই.সে. ৫২৭৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৩৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ أَحَبَّ الثِّيَابِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْحِبَرَةُ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় বস্ত্র ছিল হিবারাহ্ নামক ইয়ামানী চাদর। (ই.ফা. ৫২৬৭, ই.সে. ৫২৮০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৬. অধ্যায়ঃ
সাধারণ পোশাক পরা; পোশাক,বিছানা ইত্যাদির ক্ষেত্রে মোটা ও সাধারণ কাপড়ের উপরই সীমিত থাকা এবং পশ্মী ও নক্শী করা কাপড় পরিধান করার অনুমোদন প্রসঙ্গে
৫৩৩৫
حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ فَأَخْرَجَتْ إِلَيْنَا إِزَارًا غَلِيظًا مِمَّا يُصْنَعُ بِالْيَمَنِ وَكِسَاءً مِنَ الَّتِي يُسَمُّونَهَا الْمُلَبَّدَةَ – قَالَ – فَأَقْسَمَتْ بِاللَّهِ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قُبِضَ فِي هَذَيْنِ الثَّوْبَيْنِ .
আবূ বুরদাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশা (রাঃ) এর কাছে গেলে তিনি আমাদের সম্মুখে ইয়ামানের প্রস্তুত করা মোটা কাপড়ের একটি লুঙ্গী ও মুলাব্বাদাহ্ নামিক একটি চাদর বের করলেন। তিনি বলেন, অতঃপর তিনি (‘আয়িশাহ্) আল্লাহ্র কসম করে বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ দু’টি বস্ত্র পরিহিত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। (ই.ফা. ৫২৬৮, ই.সে. ৫২৮১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৩৬
حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، وَيَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ عُلَيَّةَ، قَالَ ابْنُ حُجْرٍ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلاَلٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، قَالَ أَخْرَجَتْ إِلَيْنَا عَائِشَةُ إِزَارًا وَكِسَاءً مُلَبَّدًا فَقَالَتْ فِي هَذَا قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ ابْنُ حَاتِمٍ فِي حَدِيثِهِ إِزَارًا غَلِيظًا .
আবূ বুরদাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আয়িশা (রাঃ) আমাদের সম্মুখে একটি লুঙ্গি ও একটি তালি বিশিষ্ট চাদর বের করে বললেন, এর মধ্যেই রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মৃত্যুবরণ করেন।
ইবনু হাতিম (রহঃ) তাঁর হাদীসে মোটা লুঙ্গির কথা বলেছেন। (ই.ফা. ৫২৬৯, ই.সে. ৫২৮২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৩৭
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ أَيُّوبَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ وَقَالَ إِزَارًا غَلِيظًا .
আইয়ূব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উল্লেখিত সানাদে অনুরূপ বর্ণিত আছে। তিনিও মোটা ইযাবের (লুঙ্গি) কথা বলেছেন। (ই.ফা. ৫২৭০, ই.সে. ৫২৮৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৩৮
وَحَدَّثَنِي سُرَيْجُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّاءَ بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، ح وَحَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، بْنُ زَكَرِيَّاءَ أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ شَيْبَةَ، عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ خَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ غَدَاةٍ وَعَلَيْهِ مِرْطٌ مُرَحَّلٌ مِنْ شَعَرٍ أَسْوَدَ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (ঘর থেকে) একটি চাদর শরীরে জড়িয়ে বের হয়েছিলেন- যার মধ্যে কালো পশম দ্বারা উটের হাওদার আবৃত নকশা অঙ্কিত ছিল। (ই.ফা. ৫২৭১, ই.সে. ৫২৮৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৩৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ وِسَادَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الَّتِي يَتَّكِئُ عَلَيْهَا مِنْ أَدَمٍ حَشْوُهَا لِيفٌ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যে বালিশের উপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হেলান দিতেন সেটি ছিল চর্মের। এর অভ্যন্তরে খেজুর গাছের ছাল ছিল। (ই.ফা. ৫২৭২, ই.সে. ৫২৮৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৪০
وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ إِنَّمَا كَانَ فِرَاشُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الَّذِي يَنَامُ عَلَيْهِ أَدَمًا حَشْوُهُ لِيفٌ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যাতে ঘুমাতেন, সেটি চামড়ার তৈরি ছিল এবং তাঁর অভ্যন্তরে ভরা ছিল খেজুর গাছের ছাল। (ই.ফা. ৫২৭৩, ই.সে. ৫২৮৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৪১
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، كِلاَهُمَا عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالاَ ضِجَاعُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فِي حَدِيثِ أَبِي مُعَاوِيَةَ يَنَامُ عَلَيْهِ .
আবূ বাকর ইবনু আবূ শাইবাহ্ ও ইসহাক্ ইবনু ইব্রাহীম (রহঃ) হিশাম (রহঃ) হতে উল্লেখিত সানাদ থেকে বর্ণিতঃ
হাদীসটি রিওয়ায়াত করেন। তবে তাঁরা দু’জন ‘ফিরাশ’ এর স্থলে যিজা’ বলেছেন।
আর আবূ মু’আবিয়াহ্ (রহঃ) এর হাদীসে আছে ‘যার উপর তিনি ঘুমাতেন।‘ (ই.ফা. ৫২৭৪, ই.সে. ৫২৮৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৭. অধ্যায়ঃ
বিছানার চাদর ব্যবহার করা বৈধ
৫৩৪২
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، – وَاللَّفْظُ لِعَمْرٍو – قَالَ عَمْرٌو وَقُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا وَقَالَ، إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمَّا تَزَوَّجْتُ ” أَتَّخَذْتَ أَنْمَاطًا ” . قُلْتُ وَأَنَّى لَنَا أَنْمَاطٌ قَالَ ” أَمَا إِنَّهَا سَتَكُونُ ” .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বিবাহ করলে আমাকে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন তুমি কি বিছানার শাল প্রস্তুত করেছ? আমি বললাম, আমার বিছানার শাল পাব কোথায়? তিনি বললেন, শীঘ্রই এর ব্যবস্থা হবে। (ই.ফা. ৫২৭৫, ই.সে. ৫২৮৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৪৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ لَمَّا تَزَوَّجْتُ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” أَتَّخَذْتَ أَنْمَاطًا ” . قُلْتُ وَأَنَّى لَنَا أَنْمَاطٌ قَالَ ” أَمَا إِنَّهَا سَتَكُونُ ” . قَالَ جَابِرٌ وَعِنْدَ امْرَأَتِي نَمَطٌ فَأَنَا أَقُولُ نَحِّيهِ عَنِّي . وَتَقُولُ قَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِنَّهَا سَتَكُونُ ” .
জাবির ইবনু ‘আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি যখন বিবাহ করলাম, তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বল্লেনঃ তুমি কি বিছানার চাদর প্রস্তত করেছ? আমি বললাম, আমরা বিছানার চাদর পাব কোথায়? তিনি বললেন, অচিরেই এর ব্যবস্থা হবে।
জাবির (রাঃ) বলেন, আমার সহধর্মিণীর নিকট একটি বিছানার শাল ছিল। আমি বললাম, তুমি এটিকে আমার কাছ থেকে সরিয়ে ফেল। সে বলল, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অচিরেই এর ব্যবস্থা হবে। (ই.ফা. ৫২৭৬, ই.সে. ৫২৮৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৪৪
وَحَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَزَادَ فَأَدَعُهَا .
সুফ্ইয়ান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোল্লিখিত সূত্রে বর্ণিত আছে। তবে তিনি … …. কথাটি অতিরিক্ত করেছেন। (ই.ফা. ৫২৭৬, ই.সে. ৫২৯০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৮. অধ্যায়ঃ
প্রয়োজনের বেশি বিছানা, পোশাক ইত্যাদি (ব্যবহার করা) মাকরূহ
৫৩৪৫
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ سَرْحٍ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي أَبُو هَانِئٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ، يَقُولُ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهُ “ فِرَاشٌ لِلرَّجُلِ وَفِرَاشٌ لاِمْرَأَتِهِ وَالثَّالِثُ لِلضَّيْفِ وَالرَّابِعُ لِلشَّيْطَانِ ” .
জাবির ইবনু’আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বলেছেন, একটি শয্যা পুরুষের, দ্বিতীয় শয্যা তার স্ত্রীর, তৃতীয়টি অতিথির জন্য আর চতুর্থটি (যদি প্রয়োজনাতিরিক্ত হয়) শাইতানের জন্য। (ই.ফা. ৫২৭৭, ই.সে. ৫২৯১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৯. অধ্যায়ঃ
অহমিকার বশে (গিরার নীচে) বস্ত্র ঝুলিয়ে রাখা নিষিদ্ধ এবং যতটুকু ঝুলিয়ে রাখা বৈধ ও মুস্তাহাব তার আলোচনা
৫৩৪৬
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، وَزَيْدِ، بْنِ أَسْلَمَ كُلُّهُمْ يُخْبِرُهُ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لاَ يَنْظُرُ اللَّهُ إِلَى مَنْ جَرَّ ثَوْبَهُ خُيَلاَءَ ” .
ইবনু ’উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক দম্ভ করে তার বস্ত্র (পায়ের গিরার নীচে) ঝুলিয়ে রাখে, আল্লাহ তার প্রতি (রহ্মাতের দৃষ্টিতে) লক্ষ্য করবেন না। (ই.ফা. ৫২৭৮, ই.সে. ৫২৯২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৪৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، وَأَبُو أُسَامَةَ ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، – وَهُوَ الْقَطَّانُ – كُلُّهُمْ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ، وَأَبُو كَامِلٍ قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، كِلاَهُمَا عَنْ أَيُّوبَ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، وَابْنُ، رُمْحٍ عَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، ح وَحَدَّثَنَا هَارُونُ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي أُسَامَةُ، كُلُّ هَؤُلاَءِ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ حَدِيثِ مَالِكٍ وَزَادُوا فِيهِ “ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ” .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) এর সানাদ থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে মালিক (রহঃ) – এর হাদীসের অবিকল বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তাঁরা ‘কিয়ামাত দিবসে’ উক্তিটি অতিরিক্ত উল্লেখ করেছেন। (ই.ফা. ৫২৭৯, ই.সে. ৫২৯৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৪৮
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، وَسَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَنَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِنَّ الَّذِي يَجُرُّ ثِيَابَهُ مِنَ الْخُيَلاَءِ لاَ يَنْظُرُ اللَّهُ إِلَيْهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ” .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি অহমিকাবশতঃ তাঁর কাপড়গুলো (টাখনুর নীচে) ঝুলিয়ে দেবে, কিয়ামাতের দিনে আল্লাহ তার প্রতি (রহ্মাতের নযরে) দৃষ্টি দিবেন না। (ই.ফা. ৫২৮০, ই.সে. ৫২৯৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৪৯
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، كِلاَهُمَا عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، وَجَبَلَةَ بْنِ، سُحَيْمٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ حَدِيثِهِمْ .
ইবনু ’উমার (রহঃ) সানাদ থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে উল্লেখিত রাবীদের হাদীসের অবিকল বর্ণনা করেছেন। ( ই.ফা. ৫২৮১, ই.সে. ৫২৯৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৫০
وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا حَنْظَلَةُ، قَالَ سَمِعْتُ سَالِمًا، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ جَرَّ ثَوْبَهُ مِنَ الْخُيَلاَءِ لَمْ يَنْظُرِ اللَّهُ إِلَيْهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ” .
ইবনু ’উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক দম্ভভরে তার বস্ত্র (টাখনুর নীচে) ঝুলিয়ে রাখবে, কিয়ামাতের দিনে আল্লাহ তার দিকে (রহমাতের) দৃষ্টি দিবেন না। (ই.ফা. ৫২৮২, ই.সে. ৫২৯৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৫১
وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا حَنْظَلَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، قَالَ سَمِعْتُ سَالِمًا، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ . مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ ثِيَابَهُ .
ইবনু ’উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি। রাবী উপরোক্ত হাদীসের হুবহু বর্ণনা করেন। তবে তিনি … এর পরিবর্তে … বলেছেন। (ই.ফা. ৫২৮৩, ই.সে. ৫২৯৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৫২
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ مُسْلِمَ، بْنَ يَنَّاقَ يُحَدِّثُ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ رَأَى رَجُلاً يَجُرُّ إِزَارَهُ فَقَالَ مِمَّنْ أَنْتَ فَانْتَسَبَ لَهُ فَإِذَا رَجُلٌ مِنْ بَنِي لَيْثٍ فَعَرَفَهُ ابْنُ عُمَرَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِأُذُنَىَّ هَاتَيْنِ يَقُولُ “ مَنْ جَرَّ إِزَارَهُ لاَ يُرِيدُ بِذَلِكَ إِلاَّ الْمَخِيلَةَ فَإِنَّ اللَّهَ لاَ يَنْظُرُ إِلَيْهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ” .
ইবনু ’উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি এক লোককে তার লুঙ্গি (টাখ্নুর নীচে) ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে বললেন, তুমি কোন্ কওমের লোক? সে তার বংশ পরিচয় দিল। বোঝা গেল সে বানী লায়স সম্প্রদায়ের লোক। তাকে তিনি চিনতে পারলেন। তিনি বললেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে আমার এ দু’টি কানে বলতে শুনেছি, যে লোক তার লুঙ্গি ঝুলিয়ে চলাফেরা করে আর এর মাধ্যমে শুধু অহঙ্কার প্রকাশ করতে চায় তাহলে কিয়ামাতের দিনে আল্লাহ তার প্রতি (রহ্মাতের) দৃষ্টি দিবেন না। (ই.ফা. ৫২৮৪, ই.সে. ৫২৯৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৫৩
وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ، – يَعْنِي ابْنَ أَبِي سُلَيْمَانَ – ح وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا أَبُو يُونُسَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي خَلَفٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ، حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ، – يَعْنِي ابْنَ نَافِعٍ – كُلُّهُمْ عَنْ مُسْلِمِ بْنِ يَنَّاقَ، عَنِ ابْنِ، عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . بِمِثْلِهِ غَيْرَ أَنَّ فِي حَدِيثِ أَبِي يُونُسَ عَنْ مُسْلِمٍ أَبِي الْحَسَنِ وَفِي رِوَايَتِهِمْ جَمِيعًا “ مَنْ جَرَّ إِزَارَهُ ” . وَلَمْ يَقُولُوا ثَوْبَهُ .
ইবনু ’উমার (রাঃ) এর সানাদ থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হুবহু রিওয়ায়াত করেন। তবে আবূ ইউনুস মুসলিম আবিল হাসান থেকে হাদীস বর্ণনা করেছে তাদের সকলের বর্ণনায় আছে- … . বাক্যটি , তারা … শব্দটি বলেননি। (ই.ফা. ৫২৮৫, ই.সে. ৫২৯৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৫৪
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، وَهَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَابْنُ أَبِي خَلَفٍ، وَأَلْفَاظُهُمْ، مُتَقَارِبَةٌ قَالُوا حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ عَبَّادِ بْنِ جَعْفَرٍ، يَقُولُ أَمَرْتُ مُسْلِمَ بْنَ يَسَارٍ مَوْلَى نَافِعِ بْنِ عَبْدِ الْحَارِثِ أَنْ يَسْأَلَ ابْنَ عُمَرَ، – قَالَ – وَأَنَا جَالِسٌ، بَيْنَهُمَا أَسَمِعْتَ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الَّذِي يَجُرُّ إِزَارَهُ مِنَ الْخُيَلاَءِ شَيْئًا قَالَ سَمِعْتُهُ يَقُولُ “ لاَ يَنْظُرُ اللَّهُ إِلَيْهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ” .
মুহাম্মাদ ইবনু ’আব্বাদ ইবনু জা’ফার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘উমার (রাঃ) এর কাছে এ কথা জানার জন্য নাফি’ ইবনু ’আবদুল হারিস (রহঃ) এর মুক্তকৃত দাস মুসলিম ইবনু ইয়াসারকে নির্দেশ প্রদান করলাম যে, আপনি কি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে সে লোক সম্পর্কে কিছু শুনেছেন, যে লোক দম্ভভরে তার লুঙ্গি ঝুলিয়ে চলে? তখন আমি তাদের উভয়ের মাঝেই উপস্থিত ছিলাম। তিনি (ইবনু ’উমার (রাঃ)) বললেন, আমি তাঁকে [নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে] বলতে শুনেছি যে, কিয়ামাতের দিনে আল্লাহ তার দিকে (রহ্মাতের) দৃষ্টিপাত করবেন না। ( ই.ফা. ৫২৮৬, ই.সে. ৫৩০০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৫৫
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ، وَاقِدٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ مَرَرْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَفِي إِزَارِي اسْتِرْخَاءٌ فَقَالَ ” يَا عَبْدَ اللَّهِ ارْفَعْ إِزَارَكَ ” . فَرَفَعْتُهُ ثُمَّ قَالَ ” زِدْ ” . فَزِدْتُ فَمَا زِلْتُ أَتَحَرَّاهَا بَعْدُ . فَقَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ إِلَى أَيْنَ فَقَالَ أَنْصَافِ السَّاقَيْنِ .
ইবনু’ উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম। আমার লুঙ্গিটি একটু ঝুলানো অবস্থায় ছিল। তিনি বললেন, হে ‘আবদুল্লাহ! তোমার ইয়ারটি (লুঙ্গি বা পায়াজামা) উপরে উঠও। সে সময় আমি তা উপরে উঠালে তিনি আবার বললেনঃ আরো উপরে। আমি আরো উপরে তুললাম। তখন থেকেই সব সময় আমি এর ব্যাপারে সজাগ থাকি। উপবিষ্ট লোকদের একজন বলল, কত উপরে (তুলেছিলেন)? তিনি বললেন (নিস্ফ সাক) [১] অর্ধ গোছা পর্যন্ত। (ই.ফা. ৫২৮৭, ই.সে. ৫৩০১)
[১] পায়ের গিরার প্রায় ছয় আঙ্গুল উপরি অংশকে ‘নিস্ফ সাক’ বলে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৫৬
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُحَمَّدٍ، – وَهُوَ ابْنُ زِيَادٍ – قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، وَرَأَى، رَجُلاً يَجُرُّ إِزَارَهُ فَجَعَلَ يَضْرِبُ الأَرْضَ بِرِجْلِهِ وَهُوَ أَمِيرٌ عَلَى الْبَحْرَيْنِ وَهُوَ يَقُولُ جَاءَ الأَمِيرُ جَاءَ الأَمِيرُ . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ اللَّهَ لاَ يَنْظُرُ إِلَى مَنْ يَجُرُّ إِزَارَهُ بَطَرًا ” .
মুহাম্মাদ ইবনু যিয়াদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবূ হুরায়রা্ (রাঃ) কে বলতে শুনেছি- (তিনি বাহরাইনের গভর্নর ছিলেন), একবার তিনি লক্ষ্য করলেন, এক লোক লুঙ্গি ঝুলিয়ে চলছে আর পা মাটিতে মেরে বলছেঃ গভর্নর এসেছেন, গভর্নর এসেছেন। … রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ সে ব্যক্তির প্রতি রহ্মাতের দৃষ্টিতে দেখবেন না, যে তার লুঙ্গি ঝুলিয়ে চলে অহংকার বশে। (ই.ফা. ৫২৮৮, ই.সে. ৫৩০২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৫৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ يَعْنِي ابْنَ جَعْفَرٍ، ح وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، كِلاَهُمَا عَنْ شُعْبَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَفِي حَدِيثِ ابْنِ جَعْفَرٍ كَانَ مَرْوَانُ يَسْتَخْلِفُ أَبَا هُرَيْرَةَ . وَفِي حَدِيثِ ابْنِ الْمُثَنَّى كَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ يُسْتَخْلَفُ عَلَى الْمَدِينَةِ .
মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার ও ইবনুল মূসান্না (রহঃ) শু’বাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার ও ইবনুল মূসান্না (রহঃ) শু’বাহ (রহঃ) থেকে উল্লিখিত সুত্রে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেন। তবে ইবনু জাফর (রহঃ) এর হাদীসে আছে মারওয়ান (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) কে তার স্থলাভিষিক্ত করেন। আর ইবনুল মূসান্না (রহঃ) এর হাদীসে আছে, “আবূ হুরায়রা (রাঃ) মদিনার গভর্নর ছিলেন । (ই.ফা. ৫২৮৯ ই.সে ৫৩০৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১০. অধ্যায়ঃ
পোশাকের খুশিতে মগ্ন হয়ে দাম্ভিকতার সাথে চলা হারাম
৫৩৫৮
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَلاَّمٍ الْجُمَحِيُّ، حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ، – يَعْنِي ابْنَ مُسْلِمٍ – عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ بَيْنَمَا رَجُلٌ يَمْشِي قَدْ أَعْجَبَتْهُ جُمَّتُهُ وَبُرْدَاهُ إِذْ خُسِفَ بِهِ الأَرْضُ فَهُوَ يَتَجَلْجَلُ فِي الأَرْضِ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ ” .
আবূ হুরায়রা (রাঃ) সানাদ থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ এক ব্যক্তি (রাস্তায়) চলাফেরা করছিল। তার মাথার চুল ও দু’টি চাদর তাকে পুলকিত করে তুলছিল। এমন সময় তাকে জমিনে দাবিয়ে দেয়া হল। সে কিয়ামত অবধি মাটির নিচে দাবতে থাকবে। (ই.ফা ৫২৯০, ই.সে ৫৩০৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৫৯
وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ، جَعْفَرٍ ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، قَالُوا جَمِيعًا حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِ هَذَا .
আবূ হুরায়রা (রাঃ) সানাদ থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হুবহু বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা ৫২৯১, ই.সে ৫৩০৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৬০
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ، – يَعْنِي الْحِزَامِيَّ – عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ بَيْنَمَا رَجُلٌ يَتَبَخْتَرُ يَمْشِي فِي بُرْدَيْهِ قَدْ أَعْجَبَتْهُ نَفْسُهُ فَخَسَفَ اللَّهُ بِهِ الأَرْضَ فَهُوَ يَتَجَلْجَلُ فِيهَا إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ ” .
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ ((সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) বলেছেনঃ জনৈক লোক তার দু’টি চাদর পরিধান করে অহংকারের সাথে চলাফেরা করছিল। আপন ব্যক্তিত্বকে সে ভাল মনে করছিল। অকস্মাৎ আল্লাহ তাকে জমিনে ধসে দিলেন। কিয়ামত অবধি সে মাটির জমিনে ধসতে থাকবে। (ই.ফা ৫২৯২, ই.সে ৫৩০৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৬১
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ هَذَا مَا حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ أَحَادِيثَ مِنْهَا وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ بَيْنَمَا رَجُلٌ يَتَبَخْتَرُ فِي بُرْدَيْنِ ” . ثُمَّ ذَكَرَ بِمِثْلِهِ .
হাম্মাম ইবনু মুনাব্বিহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এ হাদীসগুলো আবূ হুরায়রা (রাঃ) আমাদেরকে রসূলুল্লাহ ((সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) থেকে বর্ণনা করেছেন। অতঃপর তিনি কতিপয় হাদীস বর্ণনা করলেন। (তাঁর মধ্যে একটি অন্যতম হলো), রসূলুল্লাহ ((সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) বলেছেনঃ জনৈক লোক তার দু’ চাদর পরিধান করে দাম্ভিকতার সাথে রাস্তায় চলছিল। এরপর হাম্মাম (রহঃ) উল্লেখিত হাদীসের অবিকল বর্ণনা করেন। (ই.ফা ৫২৯৩, ই.সে ৫৩০৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৬২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ إِنَّ رَجُلاً مِمَّنْ كَانَ قَبْلَكُمْ يَتَبَخْتَرُ فِي حُلَّةٍ ” . ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَ حَدِيثِهِمْ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ ((সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) কে বলতে শুনেছি তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মাতগণের কোন এক লোক হুল্লা পরিধান করে অহংকারের সাথে পথ চলছিল। অতঃপর রাবী আবূ রাফি (রহঃ) তাঁদের হাদীসের হুবহু বর্ণনা করেন। (ই.ফা ৫২৯৪, ই.সে ৫৩০৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১১. অধ্যায়ঃ
পুরুষের জন্য স্বর্ণের আংটি হারাম হওয়া এবং ইসলামের প্রথম যুগে যা হালাল ছিল তা রহিত হওয়া সম্পর্কে
৫৩৬৩
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ النَّضْرِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ بَشِيرِ بْنِ نَهِيكٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ نَهَى عَنْ خَاتَمِ الذَّهَبِ .
আবূ হুরায়রা (রাঃ) সুত্র থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত যে, তিনি স্বর্ণের আংটি ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন। (ই.ফা ৫২৯৫,ই.সে ৫৩০৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৬৪
وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ .
وَفِي حَدِيثِ ابْنِ الْمُثَنَّى قَالَ سَمِعْتُ النَّضْرَ بْنَ أَنَسٍ
শুবাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
(মুহাম্মাদ) ইবনুল মুসান্না ও ইবনুল বাশ্শার, মুহাম্মাদ ইবনু জা’ফার (রহঃ)-এর সনদে শুবাহ (রহঃ) হতে উপরোল্লিখিত সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। কিন্তু ইবনুল মুসান্না (রহঃ)-এর হাদিসে রয়েছে, আমি নায্র ইবনু আনাস (রহঃ) হতে শুনেছি। (ই.ফা. ৫২৯৬, ই.সে. ৫৩১০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৬৫
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ سَهْلٍ التَّمِيمِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ كُرَيْبٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَأَى خَاتَمًا مِنْ ذَهَبٍ فِي يَدِ رَجُلٍ فَنَزَعَهُ فَطَرَحَهُ وَقَالَ “ يَعْمِدُ أَحَدُكُمْ إِلَى جَمْرَةٍ مِنْ نَارٍ فَيَجْعَلُهَا فِي يَدِهِ ” . فَقِيلَ لِلرَّجُلِ بَعْدَ مَا ذَهَبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خُذْ خَاتَمَكَ انْتَفِعْ بِهِ . قَالَ لاَ وَاللَّهِ لاَ آخُذُهُ أَبَدًا وَقَدْ طَرَحَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
‘আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যক্তির হাতে একটি স্বর্ণের আংটি লক্ষ্য করে সেটি খুলে ফেলে দিলেন এবং বললেন, তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ আগুনের টূকরা সংগ্রহ করে তার হাতে রাখে। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রস্হান করলে লোকটিকে বলা হলো, তোমার আংটিটি তুলেনাও, এরদ্বারা উপকার লাভ করো। সে বলল, না। আল্লাহর শপথ! আমি কখনো ওটা নেব না। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তো ওটা ফেলে দিয়েছেন। (ই.ফা৫২৯৬,ই.সে৫৩১১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৬৬
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم اصْطَنَعَ خَاتَمًا مِنْ ذَهَبٍ فَكَانَ يَجْعَلُ فَصَّهُ فِي بَاطِنِ كَفِّهِ إِذَا لَبِسَهُ فَصَنَعَ النَّاسُ ثُمَّ إِنَّهُ جَلَسَ عَلَى الْمِنْبَرِ فَنَزَعَهُ فَقَالَ ” إِنِّي كُنْتُ أَلْبَسُ هَذَا الْخَاتِمَ وَأَجْعَلُ فَصَّهُ مِنْ دَاخِلٍ ” . فَرَمَى بِهِ ثُمَّ قَالَ ” وَاللَّهِ لاَ أَلْبَسُهُ أَبَدًا ” . فَنَبَذَ النَّاسُ خَوَاتِيمَهُمْ . وَلَفْظُ الْحَدِيثِ لِيَحْيَى .
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্বর্ণের একটি আংটি তৈরি করলেন। তিনি যখন এটি পরতেন, এর মোহরটি রাখতেন হাতের তালূর দিকে। লোকেরাও এরুপ বানিয়ে নিল। এরপর একদিন তিনি মিম্বারে বসে সেটি খূলে ফেললেন এবং বললেনঃ আমি এ আংটিটি পরতাম আর এর মোহরটি ভেতরের দিকে রাখতাম। অতঃপর তিনি সেটি ছুঁড়ে ফেলে দিলেন। এরপর বললেন, আল্লাহর কসম! আমি এটি আর কক্ষনো পরব না। তখন লোকেরাও তাদের স্ব স্ব আংটিগুলো ছুঁড়ে ফেলে দিল। (ই.ফা ৫২৯৭,ই.সে ৫৩১২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৬৭
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، ح وَحَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، ح وَحَدَّثَنَا سَهْلُ، بْنُ عُثْمَانَ حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ خَالِدٍ، كُلُّهُمْ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا الْحَدِيثِ فِي خَاتِمِ الذَّهَبِ وَزَادَ فِي حَدِيثِ عُقْبَةَ بْنِ خَالِدٍ وَجَعَلَهُ فِي يَدِهِ الْيُمْنَى .
আবূ বাকর ইবনু আবূ শায়বাহ, যুহায়র ইবনু হারব, ইবনুল মূসান্না ও সাহ্ল ইবনু উসমান (রাঃ) ইবনু উমার (রাঃ) সুত্র থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – থেকে ম্বর্ণের আংটি প্রসঙ্গে এ হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন। তবে বর্ণনাকারী উকবা ইবনু খালিদ (রহঃ) -এর হাদীসে এ কথাটি বর্ধিত করেছেন- তিনি এটি তাঁর ডান হাতে পরতেন। (ই.ফা ৫২৯৮,ই.সে ৫৩১৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৬৮
وَحَدَّثَنِيهِ أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ، إِسْحَاقَ الْمُسَيَّبِيُّ حَدَّثَنَا أَنَسٌ، – يَعْنِي ابْنَ عِيَاضٍ – عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ، بْنُ عَبَّادٍ حَدَّثَنَا حَاتِمٌ، ح وَحَدَّثَنَا هَارُونُ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، كُلُّهُمْ عَنْ أُسَامَةَ، جَمَاعَتُهُمْ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي خَاتِمِ الذَّهَبِ . نَحْوَ حَدِيثِ اللَّيْثِ .
ইবনু উমার (রাঃ) সুত্র থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে স্বর্ণের আংটির প্রসঙ্গে লায়স (রহঃ) -এর হাদীসের অনুরুপ বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা ৫২৯৮,ই.সে ৫৩১৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২. অধ্যায়ঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কর্তৃক ‘মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ’ খোদিত রূপার আংটি পরিধান এবং তাঁর পরবর্তীতে খলীফাগণ কর্তৃক তা পরিধান
৫৩৬৯
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ، نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ اتَّخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَاتَمًا مِنْ وَرِقٍ فَكَانَ فِي يَدِهِ ثُمَّ كَانَ فِي يَدِ أَبِي بَكْرٍ ثُمَّ كَانَ فِي يَدِ عُمَرَ ثُمَّ كَانَ فِي يَدِ عُثْمَانَ حَتَّى وَقَعَ مِنْهُ فِي بِئْرِ أَرِيسٍ نَقْشُهُ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ . قَالَ ابْنُ نُمَيْرٍ حَتَّى وَقَعَ فِي بِئْرِ . وَلَمْ يَقُلْ مِنْهُ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রুপার একটি আংটি তৈরি করেছিলেন। এটি তাঁর হাতেই থাকত। এরপর আবূ বাকর (রাঃ) -এর হাতে, এরপর উমার (রাঃ) -এর হাতে, এরপর উসমান (রাঃ) -এর হাতে ছিল। তাঁর হাতে থেকেই সেটি আরীস নামক কুপে পড়ে গেল। তাতে খোদিত ছিল ‘মুহাম্মাদু রাসুলুল্লাহ’ ইবনু নুমায়র (রহঃ) বলেনঃ অবশেষে সেটি কুপে পড়ে গেল। -তাঁর হাত থেকে পড়েছে- একথা তিনি বলেননি। (ই.ফা ৫২৯৯,ই.সে ৫৩১৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৭০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، – وَاللَّفْظُ لأَبِي بَكْرٍ – قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ مُوسَى، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ، عُمَرَ قَالَ اتَّخَذَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم خَاتَمًا مِنْ ذَهَبٍ ثُمَّ أَلْقَاهُ ثُمَّ اتَّخَذَ خَاتَمًا مِنْ وَرِقٍ وَنَقَشَ فِيهِ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ . وَقَالَ “ لاَ يَنْقُشْ أَحَدٌ عَلَى نَقْشِ خَاتَمِي هَذَا ” . وَكَانَ إِذَا لَبِسَهُ جَعَلَ فَصَّهُ مِمَّا يَلِي بَطْنَ كَفِّهِ وَهُوَ الَّذِي سَقَطَ مِنْ مُعَيْقِيبٍ فِي بِئْرِ أَرِيسٍ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্বর্ণের একটি আংটি তৈরি করে কিছুদিন পর তা ফেলে দিলেন। এরপর একটি রুপার আংটি তৈরি তাতে ‘মুহাম্মাদ রাসুলুল্লাহ’ কথাটি খোদাই করলেন। তিনি বললেন, কেউ যেন আমার এ আংটির খোদাইর অনুরুপ খোদাই না করে। তিনি যখন এটি পরতেন, এর মোহরটি হাতের তালুমুখী করে রাখতেন। সেটাই মুআয়কিব (রাঃ) থেকে আরীস নামক কুপে পড়ে গিয়েছিল। (ই.ফা ৫৩০০,ই.সে ৫৩১৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৭১
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَخَلَفُ بْنُ هِشَامٍ، وَأَبُو الرَّبِيعِ الْعَتَكِيُّ، كُلُّهُمْ عَنْ حَمَّادٍ، – قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، – عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّوسلم اتَّخَذَ خَاتَمًا مِنْ فِضَّةٍ وَنَقَشَ فِيهِ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ . وَقَالَ لِلنَّاسِ “ إِنِّي اتَّخَذْتُ خَاتَمًا مِنْ فِضَّةٍ وَنَقَشْتُ فِيهِ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ . فَلاَ يَنْقُشْ أَحَدٌ عَلَى نَقْشِهِ ” .
আনাস ইবনূ মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রুপার একটি আংটি তৈরি করলেন এবং তাতে ‘মুহাম্মাদ রাসুলুল্লাহ’ কথাটি খোদাই করলেন। তিনি লোকদের বললেন, আমি একটি রুপার আংটি তৈরি করেছি এবং তাতে ‘মুহাম্মাদ রাসুলুল্লাহ’ কথাটি খোদাই করেছি। সুতরাং কেউ যেন অনুরুপ খোদাই না করে। (ই.ফা ৫২৯১,ই.সে ৫৩১৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৭২
وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – يَعْنُونَ ابْنَ عُلَيَّةَ – عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا وَلَمْ يَذْكُرْ فِي الْحَدِيثِ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ .
আহমদ ইবনু হান্বল, আবূ বাকর ইবনু আবূ শায়বাহ ও যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) আনাস (রাঃ) সুত্র থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে হাদীসটি বর্ণিত আছে। তবে বর্ণনাকারী হাদীসেঃ ‘মুহাম্মাদ রাসুলুল্লাহ’ কথাটি উল্লেখ করেননি। (ই.ফা ৫৩৩২,ই.সে ৫৩১৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৩. অধ্যায়ঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কর্তৃক অনারবদের নিকট লিখিত পত্রে মোহরাঙ্কিত করার জন্য আংটি ব্যবহার
৫৩৭৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ قَتَادَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ لَمَّا أَرَادَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَكْتُبَ إِلَى الرُّومِ – قَالَ – قَالُوا إِنَّهُمْ لاَ يَقْرَءُونَ كِتَابًا إِلاَّ مَخْتُومًا . قَالَ فَاتَّخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَاتَمًا مِنْ فِضَّةٍ كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى بَيَاضِهِ فِي يَدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَقْشُهُ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ যখন রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রোমে (বাদশাহর নিকট) চিঠি পাঠাতে চাইলেন তখন সাহাবাগণ বললেন, তারা তো মোহরাঙ্কিত পত্র ছাড়া অন্য কোন পত্র পাঠ করে না। তিনি (আনাস) বলেনঃ পরে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রুপার একটি আংটি বানালেন। আমি যেন এখনো রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর হাতে এর স্বচ্ছতা দেখতে পারছি। এতে ‘মুহাম্মাদ রাসুলুল্লাহ’ কথাটি খোদিত ছিল। (ই.ফা ৫৩০৩, ই.সে ৫৩১৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৭৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ أَرَادَ أَنْ يَكْتُبَ إِلَى الْعَجَمِ فَقِيلَ لَهُ إِنَّ الْعَجَمَ لاَ يَقْبَلُونَ إِلاَّ كِتَابًا عَلَيْهِ خَاتِمٌ . فَاصْطَنَعَ خَاتَمًا مِنْ فِضَّةٍ . قَالَ كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى بَيَاضِهِ فِي يَدِهِ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন অনারবীদের (বাদশাহর নিকট) নিকট পত্র দেয়ার ইচ্ছা করলেন। তাঁকে বলা হলো, অনারবীরা তো কেবল মোহরাঙ্কিত চিঠি গ্রহণ করে। সে সময় তিনি একটি রুপার আংটি বানিয়ে নিলেন।
আনাস (রাঃ) বলেনঃ আমি এখনো যেন তাঁর হাতে সেটির স্বচ্ছতা লক্ষ্য করছি। (ই.ফা ৫৩০৪, ই.সে ৫৩২০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৭৫
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا نُوحُ بْنُ قَيْسٍ، عَنْ أَخِيهِ، خَالِدِ بْنِ قَيْسٍ عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَرَادَ أَنْ يَكْتُبَ إِلَى كِسْرَى وَقَيْصَرَ وَالنَّجَاشِيِّ . فَقِيلَ إِنَّهُمْ لاَ يَقْبَلُونَ كِتَابًا إِلاَّ بِخَاتِمٍ . فَصَاغَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَاتَمًا حَلَقَةً فِضَّةً وَنَقَشَ فِيهِ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (পারস্য সম্রাট) কিসরা, (রোম বাদশাহ) কায়সার ও (আবিসিনিয়ার সম্রাট) নাজাশীর নিকট চিঠি লেখার আকাঙ্ক্ষা করলে তাঁকে বলা হলো তারা তো সিলমোহর ছাড়া পত্র গ্রহণ করে না। এরপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রুপার একটি আংটি তৈরি করলেন এবং এতে ‘মুহাম্মাদ রাসুলুল্লাহ’ কথাটি খোদাই করলেন। (ই.ফা ৫৩০৫, ই.সে ৫৩২১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৪. অধ্যায়ঃ
আংটিসমূহ নিক্ষেপ করা
৫৩৭৬
حَدَّثَنِي أَبُو عِمْرَانَ، مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ زِيَادٍ أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ، – يَعْنِي ابْنَ سَعْدٍ – عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّهُ أَبْصَرَ فِي يَدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَاتَمًا مِنْ وَرِقٍ يَوْمًا وَاحِدًا – قَالَ – فَصَنَعَ النَّاسُ الْخَوَاتِمَ مِنْ وَرِقٍ فَلَبِسُوهُ فَطَرَحَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم خَاتَمَهُ فَطَرَحَ النَّاسُ خَوَاتِمَهُمْ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর হাতে একদা রূপার একটি আংটি লক্ষ্য করলেন। তিনি বলেনঃ লোকেরাও রূপার আংটি তৈরি করে ব্যবহার করতে লাগল। অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার আংটিটি নিক্ষেপ করলে লোকেরাও তাদের আংটিগুলি নিক্ষেপ করে দিল। (ই.ফা ৫৩০৬, ই.সে ৫৩৩২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৭৭
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا رَوْحٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي زِيَادٌ، أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، رَأَى فِي يَدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَاتَمًا مِنْ وَرِقٍ يَوْمًا وَاحِدًا ثُمَّ إِنَّ النَّاسَ اضْطَرَبُوا الْخَوَاتِمَ مِنْ وَرِقٍ فَلَبِسُوهَا فَطَرَحَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم خَاتَمَهُ فَطَرَحَ النَّاسُ خَوَاتِمَهُمْ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর হাতে একদা রূপার একটি আংটি লক্ষ্য করলেন, এরপর লোকেরাও রূপার আংটি তৈরি করে পরিধান করতে লাগলো। অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর আংটিটি নিক্ষেপ করলে লোকেরাও তাদের আংটিগুলো নিক্ষেপ করে ফেলে দিল। (ই.ফা. ৫৩০৭, ই.সে. ৫৩২৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫৩৭৮
حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ الْعَمِّيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .
ইবনু জুরায়জ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোল্লিখিত সূত্রে হুবহু বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫৩০৮, ই.সে. ৫৩২৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস