৯. অধ্যায়ঃ
যে নাবীয (খেজুর ভেজানো পানি) গাঢ় হয়নি এবং নেশাগ্রস্ত হয়নি, তা পান করা বৈধ
৫১২১
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عُبَيْدٍ، أَبِي عُمَرَ الْبَهْرَانِيِّ قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُنْتَبَذُ لَهُ أَوَّلَ اللَّيْلِ فَيَشْرَبُهُ إِذَا أَصْبَحَ يَوْمَهُ ذَلِكَ وَاللَّيْلَةَ الَّتِي تَجِيءُ وَالْغَدَ وَاللَّيْلَةَ الأُخْرَى وَالْغَدَ إِلَى الْعَصْرِ فَإِنْ بَقِيَ شَىْءٌ سَقَاهُ الْخَادِمَ أَوْ أَمَرَ بِهِ فَصُبَّ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য রাতের প্রথম ভাগে নাবীয প্রস্তত করা হতো। তিনি তা পান করতেন, সেদিন সকালে, আগামী রাতে, পরবর্তী দিনে, এর পরের রাতে এবং পরদিন ‘আস্র পর্যন্ত। তবে যদি কিছু পরিশিষ্ট থেকে যেত, তা তিনি তাঁর সেবাদানকারীকে পান করাতেন, কিংবা ফেলে দিতে নির্দেশ দিতেন।(ই.ফা. ৫০৫৬, ই.সে. ৫০৬৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১২২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ يَحْيَى الْبَهْرَانِيِّ، قَالَ ذَكَرُوا النَّبِيذَ عِنْدَ ابْنِ عَبَّاسٍ فَقَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُنْتَبَذُ لَهُ فِي سِقَاءٍ – قَالَ شُعْبَةُ مِنْ لَيْلَةِ الاِثْنَيْنِ – فَيَشْرَبُهُ يَوْمَ الاِثْنَيْنِ وَالثَّلاَثَاءِ إِلَى الْعَصْرِ فَإِنْ فَضَلَ مِنْهُ شَىْءٌ سَقَاهُ الْخَادِمَ أَوْ صَبَّهُ .
ইয়াহ্ইয়া বাহরানী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মানুষেরা ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর কাছে নাবীযের ব্যাপারে আলোচনা করলে তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর জন্য মশকে নাবীয প্রস্তত করা হতো। শু‘বাহ্ বলেন, সোমবারের রজনীতে (অর্থাৎ রোববার দিবাগত রাতে) তিনি তা সোমবার দিন ও মঙ্গলবার ‘আস্র পর্যন্ত পান করতেন। এরপরও কিছু বাকী থাকলে তিনি সেটা খাদিমকে পান করাতেন বা ফেলে দিতেন।(ই.ফা. ৫০৫৭, ই.সে. ৫০৬৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১২৩
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ – وَاللَّفْظُ لأَبِي بَكْرٍ وَأَبِي كُرَيْبٍ – قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي عُمَرَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُنْقَعُ لَهُ الزَّبِيبُ فَيَشْرَبُهُ الْيَوْمَ وَالْغَدَ وَبَعْدَ الْغَدِ إِلَى مَسَاءِ الثَّالِثَةِ ثُمَّ يَأْمُرُ بِهِ فَيُسْقَى أَوْ يُهَرَاقُ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য কিসমিস পানিতে ডুবিয়ে রাখা হতো। তিনি সেদিন, তার পরের দিন এবং তৃতীয় দিন বিকালে পর্যন্ত তা পান করতেন। অতঃপর তাঁর নির্দেশে কোন লোককে পান করানো হতো কিংবা ফেলে দেয়া হতো। (ই.ফা. ৫০৫৮, ই.সে. ৫০৬৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১২৪
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ يَحْيَى أَبِي عُمَرَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُنْبَذُ لَهُ الزَّبِيبُ فِي السِّقَاءِ فَيَشْرَبُهُ يَوْمَهُ وَالْغَدَ وَبَعْدَ الْغَدِ فَإِذَا كَانَ مِسَاءُ الثَّالِثَةِ شَرِبَهُ وَسَقَاهُ فَإِنْ فَضَلَ شَىْءٌ أَهْرَاقَهُ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য মশকের ভিতরে কিসমিসের নাবীয প্রস্তুত করা হতো। তিনি ঐদিন, তার পরবর্তী দিন এবং পরশু দিন পর্যন্ত তা পান করতেন। তৃতীয় দিনের বিকাল হলে তিনি নিজে তা পান করতেন এবং অপরকে পান করাতেন। তারপরও যদি কিছু বাকী থাকত তিনি তা ঢেলে দিতেন। (ই.ফা. ৫০৫৯, ই.সে. ৫০৬৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১২৫
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ عَدِيٍّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ زَيْدٍ، عَنْ يَحْيَى أَبِي عُمَرَ النَّخَعِيِّ، قَالَ سَأَلَ قَوْمٌ ابْنَ عَبَّاسٍ عَنْ بَيْعِ الْخَمْرِ، وَشِرَائِهَا، وَالتِّجَارَةِ فِيهَا فَقَالَ أَمُسْلِمُونَ أَنْتُمْ قَالُوا نَعَمْ . قَالَ فَإِنَّهُ لاَ يَصْلُحُ بَيْعُهَا وَلاَ شِرَاؤُهَا وَلاَ التِّجَارَةُ فِيهَا . قَالَ فَسَأَلُوهُ عَنِ النَّبِيذِ فَقَالَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ ثُمَّ رَجَعَ وَقَدْ نَبَذَ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِهِ فِي حَنَاتِمَ وَنَقِيرٍ وَدُبَّاءٍ فَأَمَرَ بِهِ فَأُهْرِيقَ ثُمَّ أَمَرَ بِسِقَاءٍ فَجُعِلَ فِيهِ زَبِيبٌ وَمَاءٌ فَجُعِلَ مِنَ اللَّيْلِ فَأَصْبَحَ فَشَرِبَ مِنْهُ يَوْمَهُ ذَلِكَ وَلَيْلَتَهُ الْمُسْتَقْبِلَةَ وَمِنَ الْغَدِ حَتَّى أَمْسَى فَشَرِبَ وَسَقَى فَلَمَّا أَصْبَحَ أَمَرَ بِمَا بَقِيَ مِنْهُ فَأُهَرِيقَ .
ইয়াহ্ইয়া নাখ্‘ঈ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কতিপয় লোক ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে মদ কেনা-বেচা এবং এর ব্যবসা সম্পর্কে প্রশ্ন করলো। তিনি বললেন, তোমরা কি মুসলিম? তারা বললো, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তাহলে এর কেনা-বেচা ও ব্যবসা জায়িয হবে না। রাবী বলেন, অতঃপর তারা তাঁকে নাবীয সম্বন্ধে প্রশ্ন করলেন। তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একবার ভ্রমণে গিয়ে যখন ফিরে আসলেন, তখন তাঁর সাহাবীদের থেকে কতিপয় লোক হানতাম, নাকীর ও দুব্বার মাঝে নাবীয প্রস্তুত করছিল। তিনি নির্দেশ দিলেন তা ঢেলে ফেলা হয়। অতঃপর তিনি মশ্ক আনতে নির্দেশ দিলেন। অতঃপর তার মধ্যে কিসমিস ও পানি দিয়ে সারারাত রাখা হলো। সেদিন সকালে এবং আগামী রাত ও তার পরবর্তী বিকাল পর্যন্ত তিনি তা হতে পান করেন, আর অন্যদের পান করতে দেন। রাত পার হলে তিনি বাকী অংশের ব্যাপারে আদেশ দিলে, তা ঢেলে ফেলা হলো। (ই.ফা. ৫০৬০, ই.সে. ৫০৭০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১২৬
حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ، – يَعْنِي ابْنَ الْفَضْلِ الْحُدَّانِيَّ – حَدَّثَنَا ثُمَامَةُ، – يَعْنِي ابْنَ حَزْنٍ الْقُشَيْرِيَّ – قَالَ لَقِيتُ عَائِشَةَ فَسَأَلْتُهَا عَنِ النَّبِيذِ، فَدَعَتْ عَائِشَةُ جَارِيَةً حَبَشِيَّةً فَقَالَتْ سَلْ هَذِهِ فَإِنَّهَا كَانَتْ تَنْبِذُ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتِ الْحَبَشِيَّةُ كُنْتُ أَنْبِذُ لَهُ فِي سِقَاءٍ مِنَ اللَّيْلِ وَأُوكِيهِ وَأُعَلِّقُهُ فَإِذَا أَصْبَحَ شَرِبَ مِنْهُ .
সুমামাহ্ ইবনু হায্ন কুশাইরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশা (রাঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করে তাঁকে নাবীয সম্বন্ধে প্রশ্ন করলাম। ‘আয়িশা (রাঃ) এক হাবশী ক্রীতদাসীকে ডেকে বললেন, একে প্রশ্ন করো- রসূলুল্লাহ –এর জন্য সে নাবীয প্রস্তুত করতো। অতঃপর হাবশী মেয়েটি বলল, রাতে আমি তাঁর জন্য মশকের ভিতরে নাবীয প্রস্তুত করতাম এবং সেটি মুখ বন্ধ করে লটকিয়ে রাখতাম। ভোর হলে তিনি এ থেকে পান করতেন। (ই.ফা. ৫০৬১, ই.সে. ৫০৭১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১২৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى الْعَنَزِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُنَّا نَنْبِذُ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سِقَاءٍ يُوكَى أَعْلاَهُ وَلَهُ عَزْلاَءُ نَنْبِذُهُ غُدْوَةً فَيَشْرَبُهُ عِشَاءً وَنَنْبِذُهُ عِشَاءً فَيَشْرَبُهُ غُدْوَةً .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর জন্য নাবীয তৈরি করতাম এমন মশকে যার প্রবেশদ্বার উপরের দিকে এবং যেটির (নিচের দিকে) বহু ছিদ্র ছিল। আমরা ভোরে নাবীয প্রস্তুত করলে রাত্রেই তিনি পান করতেন। পুনরায় রাতে করলে ভোরেই তিনি পান করতেন। (ই.ফা. ৫০৬২, ই.সে. ৫০৭২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১২৮
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، – يَعْنِي ابْنَ أَبِي حَازِمٍ – عَنْ أَبِي، حَازِمٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ دَعَا أَبُو أُسَيْدٍ السَّاعِدِيُّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي عُرْسِهِ فَكَانَتِ امْرَأَتُهُ يَوْمَئِذٍ خَادِمَهُمْ وَهِيَ الْعَرُوسُ قَالَ سَهْلٌ تَدْرُونَ مَا سَقَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْقَعَتْ لَهُ تَمَرَاتٍ مِنَ اللَّيْلِ فِي تَوْرٍ فَلَمَّا أَكَلَ سَقَتْهُ إِيَّاهُ .
সাহ্ল ইবনু সা‘দ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবূ উসায়দ সা‘ইদী (রাঃ) তাঁর বিবাহে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –কে দা‘ওয়াত করলেন। তাঁর সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীই সেদিন তাদের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। সাহ্ল (রাঃ) বললেন, তোমরা কি জান, তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কী পান করতে দিয়েছিলেন? তিনি রাতে কিছু খেজুর একটি পাথরের পাত্রে ভিজিয়ে রেখেছিলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খাবার শেষ করলে তিনি তাঁকে তা পান করিয়েছিলেন। (ই.ফা. ৫০৬৩, ই.সে. ৫০৭৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১২৯
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ – عَنْ أَبِي حَازِمٍ، قَالَ سَمِعْتُ سَهْلاً، يَقُولُ أَتَى أَبُو أُسَيْدٍ السَّاعِدِيُّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَدَعَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . بِمِثْلِهِ وَلَمْ يَقُلْ فَلَمَّا أَكَلَ سَقَتْهُ إِيَّاهُ .
আবূ হাযিম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি সাহ্ল (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, আবু উসায়দ সা‘ইদী (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এলেন এবং রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে দা’ওয়াত করলেন। তারপর রাবী উপরোল্লিখিত হাদীসের অবিকল বর্ণনা করেন। তবে তিনি এ কথা বলেননি যে, “খাওয়া শেষ হলে সে নাবীযটুকু তিনি তাঁকে পান করান”।(ই.ফা. ৫০৬৪, ই.সে. ৫০৭৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৩০
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ سَهْلٍ التَّمِيمِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدٌ، – يَعْنِي أَبَا غَسَّانَ – حَدَّثَنِي أَبُو حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، بِهَذَا الْحَدِيثِ وَقَالَ فِي تَوْرٍ مِنْ حِجَارَةٍ فَلَمَّا فَرَغَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الطَّعَامِ أَمَاثَتْهُ فَسَقَتْهُ تَخُصُّهُ بِذَلِكَ .
সাহল ইবনু সা‘দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উল্লেখিত হাদীসটি বর্ণনা করেন। তবে তিনি বলছেন, ‘পাথর দিয়ে তৈরি বাসনে (নাবীয বানানো হয়েছিল), এরপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খাবার শেষ করলে তিনি তা হালকা করে একমাত্র তাঁকেই পান করতে দিয়েছিলেন। (ই.ফা. ৫০৬৫, ই.সে. ৫০৭৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৩১
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ سَهْلٍ التَّمِيمِيُّ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ – قَالَ أَبُو بَكْرٍ أَخْبَرَنَا وَقَالَ ابْنُ سَهْلٍ، حَدَّثَنَا – ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدٌ، – وَهُوَ ابْنُ مُطَرِّفٍ أَبُو غَسَّانَ – أَخْبَرَنِي أَبُو حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ ذُكِرَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم امْرَأَةٌ مِنَ الْعَرَبِ فَأَمَرَ أَبَا أُسَيْدٍ أَنْ يُرْسِلَ إِلَيْهَا فَأَرْسَلَ إِلَيْهَا فَقَدِمَتْ فَنَزَلَتْ فِي أُجُمِ بَنِي سَاعِدَةَ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى جَاءَهَا فَدَخَلَ عَلَيْهَا فَإِذَا امْرَأَةٌ مُنَكِّسَةٌ رَأْسَهَا فَلَمَّا كَلَّمَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْكَ قَالَ ” قَدْ أَعَذْتُكِ مِنِّي ” . فَقَالُوا لَهَا أَتَدْرِينَ مَنْ هَذَا فَقَالَتْ لاَ . فَقَالُوا هَذَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَاءَكِ لِيَخْطُبَكِ قَالَتْ أَنَا كُنْتُ أَشْقَى مِنْ ذَلِكَ . قَالَ سَهْلٌ فَأَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَئِذٍ حَتَّى جَلَسَ فِي سَقِيفَةِ بَنِي سَاعِدَةَ هُوَ وَأَصْحَابُهُ ثُمَّ قَالَ ” اسْقِنَا ” . لِسَهْلٍ قَالَ فَأَخْرَجْتُ لَهُمْ هَذَا الْقَدَحَ فَأَسْقَيْتُهُمْ فِيهِ . قَالَ أَبُو حَازِمٍ فَأَخْرَجَ لَنَا سَهْلٌ ذَلِكَ الْقَدَحَ فَشَرِبْنَا فِيهِ قَالَ ثُمَّ اسْتَوْهَبَهُ بَعْدَ ذَلِكَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ فَوَهَبَهُ لَهُ . وَفِي رِوَايَةِ أَبِي بَكْرِ بْنِ إِسْحَاقَ قَالَ ” اسْقِنَا يَا سَهْلُ ” .
সাহ্ল ইবনু সা‘দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর কাছে আরবের জনৈকা মহিলার ব্যাপারে আলোচনা করা হলে, তিনি আবূ উসায়দ (রাঃ)-কে তার কাছে লোক প্রেরনের জন্য নির্দেশ দিলেন। তিনি লোক (দুত) পাঠালে উক্ত মহিলা আসলো এবং বানূ সা‘ইদাহ্ সম্প্রাদায়ের দুর্গে অবস্থান গ্রহণ করলো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বের হয়ে তার কাছে আসলেন। তিনি যখন তার কাছে পোঁছলেন,তখন মহিলা মাথা নীচু করে বসেছিল। তিনি তার সঙ্গে আলাপ করলে সে বলল, আমি আপনার থেকে আল্লাহ্র কাছে আশ্রয় চাই। তিনি বললেন, আমিও তোমাকে পরিত্রাণ দিলাম। লোকেরা মহিলাকে বলল, তুমি জান ইনি কে? সে বলল, না। তাঁরা বলল, ইনি তো আল্লাহ্র রসূল। তিনি তোমাকে বিবাহের প্রস্তাব দিতে এসেছিলেন। তখন সে বলল আমি তো এর অযোগ্য!
সাহ্ল (রাঃ) বলেন, অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেদিন প্রত্যাবর্তন করে তিনি ও তাঁর সাহাবীগণ বানূ সা‘ইদার সাকীফায় (বাগানে) নিজেকে উপবেশন করেন। অতঃপর তিনি সাহ্লকে বললেন, আমাদেরকে কিছু পান করাও। সাহ্ল বলেন, পরে আমি এক পেয়ালাটি বের করে তাদের সকলকেই তা হতে পান করিয়েছিলাম।
আবূ হাযিম (রহঃ) বলেন, সাহ্ল (রাঃ) আমাদের সম্মুখে বাটিটি বের করলে আমরা তা হতে পান করলাম। অতঃপর ‘উমার ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয (রহঃ) তা চাইলে, তিনি তাঁকে সেটি দান করেন। আবূ বক্র ইবনু ইসহাক্ (রহঃ)-এর রিওয়ায়াতে আছে, তিনি বললেন, হে সাহ্ল! তুমি আমাদেরকে পান করাও।(ই.ফা. ৫০৬৬, ই.সে. ৫০৭৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৩২
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ، بْنُ سَلَمَةَ عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ لَقَدْ سَقَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِقَدَحِي هَذَا الشَّرَابَ كُلَّهُ الْعَسَلَ وَالنَّبِيذَ وَالْمَاءَ وَاللَّبَنَ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আমার এ পেয়ালাটি দিয়ে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মধু, নাবীয, পানি, দুধ ইত্যাদি সকল প্রকার পানীয় (দ্রব্য) পান করিয়েছি। (ই.ফা. ৫০৬৭, ই.সে. ৫০৭৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১০. অধ্যায়ঃ
দুধ পানের বৈধতা সম্পর্কে
৫১৩৩
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ قَالَ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ لَمَّا خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْ مَكَّةَ إِلَى الْمَدِينَةِ مَرَرْنَا بِرَاعٍ وَقَدْ عَطِشَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَحَلَبْتُ لَهُ كُثْبَةً مِنْ لَبَنٍ فَأَتَيْتُهُ بِهَا فَشَرِبَ حَتَّى رَضِيتُ .
বারা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবূ বক্র সিদ্দীক (রাঃ) বলেছেন, নবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর সাথে যখন আমার মক্কা হতে মাদীনার দিকে রওনা দিলাম। এক সময় আমার এক রাখালের পাশ দিয়ে পথ অতিক্রম করছিলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পিপাসা হলে আমি তাঁর জন্য কিছু দুধ দোহন করে নিয়ে আসলাম। তিনি তা পান করলে আমি খুব আনন্দিত হলাম। (ই.ফা. ৫০৬৮, ই.সে. ৫০৭৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৩৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى – قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ، بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيَّ، يَقُولُ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ، يَقُولُ لَمَّا أَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ مَكَّةَ إِلَى الْمَدِينَةِ فَأَتْبَعَهُ سُرَاقَةُ بْنُ مَالِكِ بْنِ جُعْشُمٍ – قَالَ – فَدَعَا عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَاخَتْ فَرَسُهُ فَقَالَ ادْعُ اللَّهَ لِي وَلاَ أَضُرُّكَ . قَالَ فَدَعَا اللَّهَ – قَالَ – فَعَطِشَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَمَرُّوا بِرَاعِي غَنَمٍ . قَالَ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ فَأَخَذْتُ قَدَحًا فَحَلَبْتُ فِيهِ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كُثْبَةً مِنْ لَبَنٍ فَأَتَيْتُهُ بِهِ فَشَرِبَ حَتَّى رَضِيتُ .
বারা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবূ বক্র সিদ্দীক (রাঃ) বলেছেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মক্কা থেকে মাদীনার দিকে বের হলেন। তখন সুরাকাহ্ ইবনু মালিক ইবনু জু‘শুম তাঁর পশ্চাদ্ধাবন করল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার উপর বদদু‘আ করলে তার ঘোড়া জমিনে দেবে গেলো। সে বলল, আমার জন্য দু‘আ করুন, আমি আপনার কোন ক্ষতি করবো না। তিনি বলেন, রসূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু‘আ করলেন। ……. বর্ণনাকারী বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পিপাসার্ত হলেন এবং তাঁরা এক বকরীর রাখালের নিকট দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। আবূ বক্র সিদ্দীক (রাঃ) বলেন, আমি একখানা বাটি নিয়ে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর জন্য কিছু দুধ দোহন করে আনলাম। তিনি তা পান করলেন। আমি আনন্দিত হলাম। (ই.ফা. ৫০৬৯, ই.সে. ৫০৭৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৩৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ عَبَّادٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو صَفْوَانَ أَخْبَرَنَا يُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ قَالَ ابْنُ الْمُسَيَّبِ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أُتِيَ لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِهِ بِإِيلِيَاءَ بِقَدَحَيْنِ مِنْ خَمْرٍ وَلَبَنٍ فَنَظَرَ إِلَيْهِمَا فَأَخَذَ اللَّبَنَ . فَقَالَ لَهُ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي هَدَاكَ لِلْفِطْرَةِ لَوْ أَخَذْتَ الْخَمْرَ غَوَتْ أُمَّتُكَ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মি‘রাজের রাত্রে ঈলিয়া নামক স্থানে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে মদ ও দুধের দু’টি পেয়ালা নিয়ে আসা হলে তিনি সে দু‘টির প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করলেন, অতঃপর তিনি দুধ গ্রহন করলেন। জিব্রীল (আঃ) বললেনঃ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্র – যিনি আপনাকে স্বভাবসুলভ রাস্তা গ্রহণের তাওফীক দিয়েছেন। যদি আপনি মদের পেয়ালা গ্রহণ করতেন তবে আপনার উম্মাত পথভ্রষ্ট হয়ে যেত। [দ্রষ্টব্য হাদীস ৪২৪] (ই.ফা. ৫০৭০, ই.সে. ৫০৮০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৩৬
وَحَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَعْيَنَ، حَدَّثَنَا مَعْقِلٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . بِمِثْلِهِ وَلَمْ يَذْكُرْ بِإِيلِيَاءَ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আনা হলো। অতঃপর বর্ণনাকারী উপরোল্লিখিত হাদীসের অবিকল বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি ঈলিয়া ব্যাপারটি উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৫০৭১, ই.সে. ৫০৮১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১১. অধ্যায়ঃ
নাবীয পান করা ও পাত্র ঢেকে রাখা প্রসঙ্গে
৫১৩৭
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، كُلُّهُمْ عَنْ أَبِي عَاصِمٍ، قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ، بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ أَخْبَرَنِي أَبُو حُمَيْدٍ السَّاعِدِيُّ، قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بِقَدَحِ لَبَنٍ مِنَ النَّقِيعِ لَيْسَ مُخَمَّرًا فَقَالَ “ أَلاَّ خَمَّرْتَهُ وَلَوْ تَعْرُضُ عَلَيْهِ عُودًا ” . قَالَ أَبُو حُمَيْدٍ إِنَّمَا أُمِرَ بِالأَسْقِيَةِ أَنْ تُوكَأَ لَيْلاً وَبِالأَبْوَابِ أَنْ تُغْلَقَ لَيْلاً .
আবূ হুমায়দ সা‘ইদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাকী‘ নামক জায়গা হতে এক বাটি দুধ নিয়ে আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে আসলাম। বাটিটি ছিল ঢাকনাবিহিন। তিনি বললেনঃ তুমি একে ঢাকলে না কেন, এর উপর একটি কাঠি রেখে হলেও?
আবূ হুমায়দ (রাঃ) বলেন, রাতে মশকের মুখ বেঁধে রাখতে ও দরজা আটকানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। (ই.ফা. ৫০৭২, ই.সে. ৫০৮২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৩৮
وَحَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ دِينَارٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، وَزَكَرِيَّاءُ، بْنُ إِسْحَاقَ قَالاَ أَخْبَرَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ أَخْبَرَنِي أَبُو حُمَيْدٍ، السَّاعِدِيُّ أَنَّهُ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بِقَدَحِ لَبَنٍ . بِمِثْلِهِ . قَالَ وَلَمْ يَذْكُرْ زَكَرِيَّاءُ قَوْلَ أَبِي حُمَيْدٍ بِاللَّيْلِ .
আবূ হুমায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এক পেয়ালা দুধ নিয়ে এলেন। পরবর্তী অংশ উপরোল্লিখিত হাদীসের মতই। রাবী বলেন, রাবী যাকারিয়্যা (রহঃ) আবূ হুমায়দ এর বর্ণনায় উপরোল্লিখিত ‘রাতে’ কথাটি উল্লেখ করেননি। (ই.ফা. ৫০৭৩, ই.সে. ৫০৮৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৩৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ – وَاللَّفْظُ لأَبِي كُرَيْبٍ – قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاسْتَسْقَى فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلاَ نَسْقِيكَ نَبِيذًا فَقَالَ ” بَلَى ” . قَالَ فَخَرَجَ الرَّجُلُ يَسْعَى فَجَاءَ بِقَدَحٍ فِيهِ نَبِيذٌ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” أَلاَّ خَمَّرْتَهُ وَلَوْ تَعْرُضُ عَلَيْهِ عُودًا ” . قَالَ فَشَرِبَ .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে ছিলাম। তিনি কিছু পান করার ইচ্ছা করলে এক লোক বলল, হে আল্লাহর রসুল! আমরা কি আপনাকে নাবীয পান করতে দিবো? তিনি বললেন, হ্যাঁ। অতঃপর লোকটি তাড়াতাড়ি চলে গেল এবং একটি বাটি নিয়ে আসলো তার মধ্যে নাবীয ছিল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এর উপর একটি কাঠি দিয়ে হলেও তুমি এটি ঢেকে আনলে না কেন? আবূ হুমায়দ (রাঃ) বলেন, তারপর তিনি পান করলেন। (ই.ফা. ৫০৭৪, ই.সে. ৫০৮৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৪০
وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، وَأَبِي، صَالِحٍ عَنْ جَابِرٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ أَبُو حُمَيْدٍ بِقَدَحٍ مِنْ لَبَنٍ مِنَ النَّقِيعِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَلاَّ خَمَّرْتَهُ وَلَوْ تَعْرُضُ عَلَيْهِ عُودًا ” .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবূ হুমায়দ (রাঃ) নামক এক লোক নাকী‘ (নামক জায়গা) থেকে এক বাটি দুধ নিয়ে এলো। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃতুমি এটা আবৃত করে আনলে না কেন, এর উপর একটা কাঠি দিয়ে হলেও? (ই.ফা. ৫০৭৫, ই.সে. ৫০৮৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২. অধ্যায়ঃ
পাত্র ঢেকে রাখা, মশকের মুখ বেঁধে রাখা, দরজা বন্ধ করা ও এ সময়ে আল্লাহ্র নাম নেয়া, রাতে শোয়ার সময় বাতি বা আগুন নিভানো এবং মাগরিবের পর ছেলেমেয়ে ও গৃহপালিত পশুগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখার আদেশ
৫১৪১
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ” غَطُّوا الإِنَاءَ وَأَوْكُوا السِّقَاءَ وَأَغْلِقُوا الْبَابَ وَأَطْفِئُوا السِّرَاجَ فَإِنَّ الشَّيْطَانَ لاَ يَحُلُّ سِقَاءً وَلاَ يَفْتَحُ بَابًا وَلاَ يَكْشِفُ إِنَاءً فَإِنْ لَمْ يَجِدْ أَحَدُكُمْ إِلاَّ أَنْ يَعْرُضَ عَلَى إِنَائِهِ عُودًا وَيَذْكُرَ اسْمَ اللَّهِ فَلْيَفْعَلْ فَإِنَّ الْفُوَيْسِقَةَ تُضْرِمُ عَلَى أَهْلِ الْبَيْتِ بَيْتَهُمْ ” . وَلَمْ يَذْكُرْ قُتَيْبَةُ فِي حَدِيثِهِ ” وَأَغْلِقُوا الْبَابَ ” .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা (রাতে) বাসনগুলো ঢেকে রাখবে, মশ্কগুলোর প্রবেশদ্বার আটকিয়ে রাখবে, ফটকগুলো বন্ধ করবে এবং বাতিগুলো নিভিয়ে দিবে। কারণ, শাইতান মশ্কের মুখ ও দরজা খুলতে পারে না এবং বাসনও অনাবৃত করতে পারে না। যদি তোমাদের কেউ তার বাসনের উপর রাখার জন্য কাঠি ছাড়া অন্য কিছু না পায়, তবে সে যেন তাই রেখে দেয় এবং আল্লাহ্র নাম উচ্চারণ করে। কেননা ইঁদুর ঘরের মালিকদের ঘর তাড়াতাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। কুতাইবাহ্ তাঁর হাদীসে ‘দরজা আটকাও’ কথাটি উল্লেখ করেননি। (ই.ফা.৫০৭৬, ই.সে. ৫০৮৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৪২
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا الْحَدِيثِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ “ وَاكْفِئُوا الإِنَاءَ أَوْ خَمِّرُوا الإِنَاءَ ” . وَلَمْ يَذْكُرْ تَعْرِيضَ الْعُودِ عَلَى الإِنَاءِ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তবে তিনি বলেছেন- তোমরা বাসনগুলো উল্টিয়ে বা কাত করে রাখবে অথবা ঢেকে রাখবে।
আর তিনি বাসনগুলোর উপর কাঠি দেয়ার কথা উল্লেখ করেননি। (ই.ফা.৫০৭৭, ই.সে. ৫০৮৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৪৩
وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” أَغْلِقُوا الْبَابَ ” . فَذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِ اللَّيْثِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ ” وَخَمِّرُوا الآنِيَةَ ” . وَقَالَ ” تُضْرِمُ عَلَى أَهْلِ الْبَيْتِ ثِيَابَهُمْ ” .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা দরজা আটকিয়ে রাখবে। তারপর রাবী লায়স (রহঃ) এর হাদীসের মত হুবহু বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, তোমরা বাসনগুলো আবৃত রাখবে। তিনি আরও বলেন, ইঁদুর ঘরের অধিবাসীদের পোশাক পুড়িয়ে ফেলে। (ই.ফা.৫০৭৮, ই.সে. ৫০৮৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৪৪
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ حَدِيثِهِمْ وَقَالَ “ وَالْفُوَيْسِقَةُ تُضْرِمُ الْبَيْتَ عَلَى أَهْلِهِ ” .
জাবির (রাঃ) এর সনদ থেকে বর্ণিতঃ
নবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে তাঁদের হাদীসের হুবহু বর্ণিত আছে। তিনি বলেছেন, ইঁদুর গৃহবাসীদের ঘর জ্বালিয়ে দেয়। (ই.ফা.৫০৭৯, ই.সে. ৫০৮৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৪৫
وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنَا عَطَاءٌ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِذَا كَانَ جُنْحُ اللَّيْلِ – أَوْ أَمْسَيْتُمْ – فَكُفُّوا صِبْيَانَكُمْ فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَنْتَشِرُ حِينَئِذٍ فَإِذَا ذَهَبَ سَاعَةٌ مِنَ اللَّيْلِ فَخَلُّوهُمْ وَأَغْلِقُوا الأَبْوَابَ وَاذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ فَإِنَّ الشَّيْطَانَ لاَ يَفْتَحُ بَابًا مُغْلَقًا وَأَوْكُوا قِرَبَكُمْ وَاذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ وَخَمِّرُوا آنِيَتَكُمْ وَاذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ وَلَوْ أَنْ تَعْرُضُوا عَلَيْهَا شَيْئًا وَأَطْفِئُوا مَصَابِيحَكُمْ ” .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রাত্রি যখন ঘনিভূত হবে অথবা বলেছেন, তোমরা সন্ধ্যায় উপনীত হবে তখন তোমরা তোমাদের সন্তানদের দেখে রাখবে। কেননা শাইতান তখন ঘুরাফেরা করে। রাত্রি ঘন্টাখানিক পার হলে তাদের ছেড়ে দাও। আর দরজাগুলো আটকিয়ে রাখবে এবং আল্লাহ্র নাম উচ্চারণ করবে। কেননা শাইতান কোন বন্ধ দরজা খুলতে পারে না। আর তোমরা তোমাদের মশকসমূহের মুখ বেঁধে রাখবে এবং আল্লাহ্র নাম মনে করবে। আর তোমাদের বাসনগুলো আবৃত রাখবে, যদি তার উপর একটি কাঠিও রেখে হয় এবং আল্লাহ্র নাম উচ্চারণ করবে। আর তোমাদের বাতিগুলো নিভিয়ে দেবে। (ই.ফা.৫০৮০, ই.সে. ৫০৯০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৪৬
وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ نَحْوًا مِمَّا أَخْبَرَ عَطَاءٌ، إِلاَّ أَنَّهُ لاَ يَقُولُ “ اذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ ” .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ‘আতা (রহঃ)-এর হাদীসের মতই বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি ‘আল্লাহ্র নাম স্মরণ করার’ কথা বর্ণনা করেননি। (ই.ফা.৫০৮১, ই.সে. ৫০৯১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৪৭
وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ النَّوْفَلِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، بِهَذَا الْحَدِيثِ عَنْ عَطَاءٍ، وَعَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، كَرِوَايَةِ رَوْحٍ .
ইবনু জুরায়জ (রহঃ) ‘আতা ও ‘আমর ইবনু দীনার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাওহ্ (রহঃ)-এর সনদের হুবহু হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা.৫০৮২, ই.সে. ৫০৯২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৪৮
وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، ح
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لاَ تُرْسِلُوا فَوَاشِيَكُمْ وَصِبْيَانَكُمْ إِذَا غَابَتِ الشَّمْسُ حَتَّى تَذْهَبَ فَحْمَةُ الْعِشَاءِ فَإِنَّ الشَّيَاطِينَ تَنْبَعِثُ إِذَا غَابَتِ الشَّمْسُ حَتَّى تَذْهَبَ فَحْمَةُ الْعِشَاءِ ” .
জাবির (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের গৃহপালিত জন্তু এবং সন্তানদেরকে সূর্য ডোবার সময় বের হতে দিবে না যতক্ষণ না ‘ইশার কালোর অন্ধকার অতিবাহিত হয়। কারণ সূর্য ডোবার পর থেকে ‘ইশার কালোর অন্ধকার পার হওয়া পর্যন্ত শাইতান ঘুরাফেরা করতে থাকে। (ই.ফা.৫০৮৩, ই.সে. ৫০৯৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৪৯
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِ حَدِيثِ زُهَيْرٍ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে যুহায়র (রহঃ)-এর হাদীসের অনুরুপ বর্ণিত আছে। (ই.ফা.৫০৮৪, ই.সে. ৫০৯৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৫০
وَحَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، حَدَّثَنِي يَزِيدُ، بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُسَامَةَ بْنِ الْهَادِ اللَّيْثِيُّ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَكَمِ، عَنِ الْقَعْقَاعِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ غَطُّوا الإِنَاءَ وَأَوْكُوا السِّقَاءَ فَإِنَّ فِي السَّنَةِ لَيْلَةً يَنْزِلُ فِيهَا وَبَاءٌ لاَ يَمُرُّ بِإِنَاءٍ لَيْسَ عَلَيْهِ غِطَاءٌ أَوْ سِقَاءٍ لَيْسَ عَلَيْهِ وِكَاءٌ إِلاَّ نَزَلَ فِيهِ مِنْ ذَلِكَ الْوَبَاءِ ” .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, তোমরা বাসনগুলো আবৃত রাখবে এবং মশ্কসমূহের মুখ বেঁধে রাখবে। কারণ বছরে একটি এমন রাত আছে, যে রাতে মহামারী অবতীর্ণ হয়। যে কোন খোলা পাত্র এবং বন্ধকহীন মশ্কের উপর দিয়ে তা অতিবাহিত হয়, তাতেই সে মহামারী নেমে আসে। (ই.ফা.৫০৮৫, ই.সে. ৫০৯৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৫১
وَحَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا لَيْثُ بْنُ سَعْدٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . بِمِثْلِهِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ “ فَإِنَّ فِي السَّنَةِ يَوْمًا يَنْزِلُ فِيهِ وَبَاءٌ ” . وَزَادَ فِي آخِرِ الْحَدِيثِ قَالَ اللَّيْثُ فَالأَعَاجِمُ عِنْدَنَا يَتَّقُونَ ذَلِكَ فِي كَانُونَ الأَوَّلِ .
লায়স ইবনু সা‘দ (রহঃ) হতে উপরোক্ত সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
হুবহু বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু তিনি বলেছেন, ‘কেননা বছরে একটি এমন দিন রয়েছে, যে দিনে মহামারী ধেয়ে আসে।’ বর্ণনাকারী হাদীসের শেষলগ্নে বাড়তি বলেছেন যে, লায়স বলেছেন, আমাদের মাঝে অনারবরা “প্রথম কানুন” [১]মাসে তা থেকে বাঁচার চেষ্টা করে। (ই.ফা.৫০৮৬, ই.সে. ৫০৯৬)
[১]রোমানদের বর্ষ গণনার দ্বিতীয় মাস, যা শুরু হয় খ্রীষ্টীয় ডিসেম্বর মাসের ছয় কিংবা তের তারিখ থেকে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৫২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، بْنُ عُيَيْنَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لاَ تَتْرُكُوا النَّارَ فِي بُيُوتِكُمْ حِينَ تَنَامُونَ ” .
সালিম সূত্রে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা ঘরে অগ্নি প্রজ্জ্বলন অবস্থায় শায়িত হবে না। (ই.ফা.৫০৮৭, ই.সে. ৫০৯৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৫৩
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَمْرٍو الأَشْعَثِيُّ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ وَأَبُو عَامِرٍ الأَشْعَرِيُّ وَأَبُو كُرَيْبٍ – وَاللَّفْظُ لأَبِي عَامِرٍ – قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ بُرَيْدٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ احْتَرَقَ بَيْتٌ عَلَى أَهْلِهِ بِالْمَدِينَةِ مِنَ اللَّيْلِ فَلَمَّا حُدِّثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِشَأْنِهِمْ قَالَ “ إِنَّ هَذِهِ النَّارَ إِنَّمَا هِيَ عَدُوٌّ لَكُمْ فَإِذَا نِمْتُمْ فَأَطْفِئُوهَا عَنْكُمْ ” .
আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একবার রাতে মাদীনায় ঘরের অধিবাসীসহ একটি বাড়ি পুড়ে গেল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তাদের অবস্থা সম্পর্কে জানানো হলে তিনি বললেনঃ এ আগুন তোমাদের শত্রু। অতএব তোমরা রাতে শোয়ার সময় তা নিভিয়ে ফেলবে। (ই.ফা.৫০৮৮, ই.সে. ৫০৯৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৩. অধ্যায়ঃ
পানাহারের নিয়ম ও বিধান
৫১৫৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ خَيْثَمَةَ، عَنْ أَبِي حُذَيْفَةَ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ كُنَّا إِذَا حَضَرْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم طَعَامًا لَمْ نَضَعْ أَيْدِيَنَا حَتَّى يَبْدَأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَيَضَعَ يَدَهُ وَإِنَّا حَضَرْنَا مَعَهُ مَرَّةً طَعَامًا فَجَاءَتْ جَارِيَةٌ كَأَنَّهَا تُدْفَعُ فَذَهَبَتْ لِتَضَعَ يَدَهَا فِي الطَّعَامِ فَأَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدِهَا ثُمَّ جَاءَ أَعْرَابِيٌّ كَأَنَّمَا يُدْفَعُ فَأَخَذَ بِيَدِهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ الشَّيْطَانَ يَسْتَحِلُّ الطَّعَامَ أَنْ لاَ يُذْكَرَ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ وَإِنَّهُ جَاءَ بِهَذِهِ الْجَارِيَةِ لِيَسْتَحِلَّ بِهَا فَأَخَذْتُ بِيَدِهَا فَجَاءَ بِهَذَا الأَعْرَابِيِّ لِيَسْتَحِلَّ بِهِ فَأَخَذْتُ بِيَدِهِ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنَّ يَدَهُ فِي يَدِي مَعَ يَدِهَا ” .
হুযাইফাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কোন খাবার অনুষ্ঠানে যখন আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে উপবিষ্ট হতাম। যতক্ষণ তিনি স্বীয় হাত রেখে আরম্ভ না করতেন ততক্ষণ আমরা আমাদের হাত (আহারে) রাখতাম না। একবার আমরা তাঁর সাথে এক খাবার অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলাম। এমনি মুহূর্তে একটি মেয়ে এলো। (মনে হচ্ছিল) যেন তাকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সে খাবারে হাত দিতে গেলে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার হাত ধরে নিলেন। অতঃপর একজন বেদুঈন এলো। (মনে হচ্ছিল) যেন তাকে তাড়িয়ে দেয়া হচ্ছিল। তিনি তারও হাত ধরে নিলেন। অতঃপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আল্লাহ্র নাম স্মরণ করা না হলে শাইতান সে খাদ্যকে হালাল করে ফেলে। আর সে এ মেয়েটিকে নিয়ে এসেছে যাতে করে (এ খাদ্যকে) তার দ্বারা হালাল করতে পারে। অতঃপর আমি তার হাত ধরে ফেললে সে এ বেদুঈনকে নিয়ে এসেছে। যাতে করে (এ খাদ্যকে) তার দ্বারা হালাল করতে পারে। কিন্তু আমি তারও হাত ধরে ফেলেছি। সে সত্তার কসম! যাঁর হাতে আমার জীবন! অবশ্যই তার (শাইতানের) হাত মেয়েটির হাতসহ আমার হাতের মুঠোয়। (ই.ফা.৫০৮৯, ই.সে. ৫০৯৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৫৫
وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، أَخْبَرَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ خَيْثَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي حُذَيْفَةَ الأَرْحَبِيِّ، عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ، قَالَ كُنَّا إِذَا دُعِينَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى طَعَامٍ . فَذَكَرَ بِمَعْنَى حَدِيثِ أَبِي مُعَاوِيَةَ وَقَالَ ” كَأَنَّمَا يُطْرَدُ ” . وَفِي الْجَارِيَةِ ” كَأَنَّمَا تُطْرَدُ ” . وَقَدَّمَ مَجِيءَ الأَعْرَابِيِّ فِي حَدِيثِهِ قَبْلَ مَجِيءِ الْجَارِيَةِ وَزَادَ فِي آخِرِ الْحَدِيثِ ثُمَّ ذَكَرَ اسْمَ اللَّهِ وَأَكَلَ .
হুযাইফাহ্ ইবনু ইয়ামান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমাদেরকে যখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে কোন খাবার উপলক্ষে দা‘ওয়াত করা হতো। অতঃপর বর্ণনাকারী আবূ মু‘আবিয়াহ্ (রহঃ)-এর হাদীসের মতই বর্ণনা করেন। তবে তিনি (…আরবি) –এর স্থলে (…আরবি) এবং মেয়ের বেলায় (…আরবি) স্থলে (…আরবি) শব্দ উচ্চারণ করেন। আর এ হাদীসে তিনি মেয়েটির আগমনের পূর্বে বেদুঈনের আসার কথা বর্ণনা করেছেন এবং হাদীসের শেষে অতিরিক্ত বলেছেন, ‘তারপর তিনি “বিসমিল্লাহ” বলেন এবং খাদ্য গ্রহণ করেন’। (ই.ফা.৫০৯০, ই.সে. ৫১০০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৫৬
وَحَدَّثَنِيهِ أَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَدَّمَ مَجِيءَ الْجَارِيَةِ قَبْلَ مَجِيءِ الأَعْرَابِيِّ .
আ‘মাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোল্লিখিত সূত্রে হুবহু বর্ণিত আছে। তবে তিনি মেয়েটির আসা ও পরে বেদুঈনের আসার কথা উল্লেখ করেছেন। (ই.ফা.৫০৯০, ই.সে. নেই)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৫৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى الْعَنَزِيُّ، حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ، – يَعْنِي أَبَا عَاصِمٍ – عَنِ ابْنِ، جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ إِذَا دَخَلَ الرَّجُلُ بَيْتَهُ فَذَكَرَ اللَّهَ عِنْدَ دُخُولِهِ وَعِنْدَ طَعَامِهِ قَالَ الشَّيْطَانُ لاَ مَبِيتَ لَكُمْ وَلاَ عَشَاءَ . وَإِذَا دَخَلَ فَلَمْ يَذْكُرِ اللَّهَ عِنْدَ دُخُولِهِ قَالَ الشَّيْطَانُ أَدْرَكْتُمُ الْمَبِيتَ . وَإِذَا لَمْ يَذْكُرِ اللَّهَ عِنْدَ طَعَامِهِ قَالَ أَدْرَكْتُمُ الْمَبِيتَ وَالْعَشَاءَ ” .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছেন যে যখন কোন ব্যাক্তি তার ঘরে প্রবেশের এবং খাবার গ্রহণের সময় আল্লাহ্র নাম স্মরণ করে, তখন শাইতান হতাশ হয়ে (তার সঙ্গীদের) বলে- তোমাদের (এখানে) রাত্রি যাপনও নেই, খাওয়াও নেই। আর যখন সে প্রবেশ করে এবং প্রবেশকালে আল্লাহ্র নাম স্মরণ না করে, তখন শাইতান বলে, তোমরা থাকার স্থান পেয়ে গেলে। আর যখন সে খাবারের সময় আল্লাহ্র নাম স্মরণ না করে, তখন সে (শাইতান) বলে, তোমাদের নিশি যাপন ও রাতের খাওয়ার আয়োজন হলো। (ই.ফা. ৫০৯১, ই.সে. ৫১০১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৫৮
وَحَدَّثَنِيهِ إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ إِنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ . بِمِثْلِ حَدِيثِ أَبِي عَاصِمٍ إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ “ وَإِنْ لَمْ يَذْكُرِ اسْمَ اللَّهِ عِنْدَ طَعَامِهِ وَإِنْ لَمْ يَذْكُرِ اسْمَ اللَّهِ عِنْدَ دُخُولِهِ ” .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন। তারপর রাবী আবূ ‘আসিম (রহঃ) –এর হাদীসের মত বর্ণনা করেন। কিন্তু তিনি (আরবি) শব্দের স্থানে (আরবি) এবং (আরবি) এর জায়গায় (আরবি) বলেছেন। (ই.ফা. ৫০৯১, ই.সে. ৫১০২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৫৯
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لاَ تَأْكُلُوا بِالشِّمَالِ فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَأْكُلُ بِالشِّمَالِ ” .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা বাম হাতে আহার করবে না। কারণ, শাইতান বাম হাতে আহার করে। (ই.ফা. ৫০৯২, ই.সে. ৫১০৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৬০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَابْنُ، أَبِي عُمَرَ – وَاللَّفْظُ لاِبْنِ نُمَيْرٍ – قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عُبَيْدِ، اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ جَدِّهِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِذَا أَكَلَ أَحَدُكُمْ فَلْيَأْكُلْ بِيَمِينِهِ وَإِذَا شَرِبَ فَلْيَشْرَبْ بِيَمِينِهِ فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَأْكُلُ بِشِمَالِهِ وَيَشْرَبُ بِشِمَالِهِ ” .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তোমাদের কেউ খাদ্য খায়, তখন সে যেন ডান হাতে খায় আর যখন পান করে, সে যেন ডান হাতে পান করে কারণ শাইতান বাম হাতে খায় ও পান করে। (ই.ফা. ৫০৯৩, ই.সে. ৫১০৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৬১
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، فِيمَا قُرِئَ عَلَيْهِ ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى، – وَهُوَ الْقَطَّانُ – كِلاَهُمَا عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، جَمِيعًا عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِإِسْنَادِ سُفْيَانَ .
কুতাইবাহ্ ইবনু সা‘ঈদ (রহঃ) মালিক ইবনু আনাস (রহঃ) হতে, ভিন্ন সূত্রে ইবনু নুমায়র (রহঃ) তার পিতা নুমায়র থেকে, অন্য একটি সূত্রে ইবনুল মুসান্না (রহঃ) ইয়াহ্ইয়া আল-কাত্তান (রহঃ) হতে, শেষাংশে দু’জন ‘উবাইদুল্লাহ হতে, আর তারা সবাই যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
সুফ্ইয়ান (রহঃ)-এর সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫০৯৪, ই.সা. ৫১০৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৬২
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ، – قَالَ أَبُو الطَّاهِرِ أَخْبَرَنَا وَقَالَ، حَرْمَلَةُ حَدَّثَنَا – عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنِي الْقَاسِمُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ، عُمَرَ حَدَّثَهُ عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” لاَ يَأْكُلَنَّ أَحَدٌ مِنْكُمْ بِشِمَالِهِ وَلاَ يَشْرَبَنَّ بِهَا فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَأْكُلُ بِشِمَالِهِ وَيَشْرَبُ بِهَا ” . قَالَ وَكَانَ نَافِعٌ يَزِيدُ فِيهَا ” وَلاَ يَأْخُذُ بِهَا وَلاَ يُعْطِي بِهَا ” . وَفِي رِوَايَةِ أَبِي الطَّاهِرِ ” لاَ يَأْكُلَنَّ أَحَدُكُمْ ” .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন বাম হাতে পানাহার না করে। কারণ শাইতান বাম হাতে পানাহার করে। রাবী বলেন, নাফি’ (রহঃ) এতে অতিরিক্ত করতেন, বাম হাতে যেন কোন (কিছু) আদান-প্রদানও না করে। আবূ তাহির (রহঃ)-এর বর্ণনায় (আরবি) এর জায়গায় (আরবি) শব্দ রয়েছে। (ই.ফা. ৫০৯৫, ই.সে. ৫১০৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৬৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ، حَدَّثَنِي إِيَاسُ بْنُ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ، أَنَّ أَبَاهُ، حَدَّثَهُ أَنَّ رَجُلاً أَكَلَ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِشِمَالِهِ فَقَالَ ” كُلْ بِيَمِينِكَ ” . قَالَ لاَ أَسْتَطِيعُ قَالَ ” لاَ اسْتَطَعْتَ ” . مَا مَنَعَهُ إِلاَّ الْكِبْرُ . قَالَ فَمَا رَفَعَهَا إِلَى فِيهِ .
সালামাহ্ ইবনু আক্ওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক লোক রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট বাম হাতে খাদ্য গ্রহণ করছিল। তিনি বললেনঃ তুমি তোমার ডান হাতে খাও। সে বলল, আমি পারবো না। তিনি বললেনঃ তুমি যেন না-ই পার। শুধুমাত্র অহমিকাই তাকে বারণ করছে। সালামাহ্ (রাঃ) বলেন, সে আর কখনো তার ডান হাত মুখের নিকট উঠাতে পারেনি। (ই.ফা. ৫০৯৬, ই.সে. ৫১০৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৬৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، جَمِيعًا عَنْ سُفْيَانَ، قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ كَثِيرٍ، عَنْ وَهْبِ بْنِ كَيْسَانَ، سَمِعَهُ مِنْ، عُمَرَ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ قَالَ كُنْتُ فِي حَجْرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَانَتْ يَدِي تَطِيشُ فِي الصَّحْفَةِ فَقَالَ لِي “ يَا غُلاَمُ سَمِّ اللَّهَ وَكُلْ بِيَمِينِكَ وَكُلْ مِمَّا يَلِيكَ ” .
‘উমার ইবনু আবূ সালামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর তত্ত্বাবধানে ছিলাম। খাবার বাসনে আমার হাত চারপাশে ঘুরত। তিনি আমাকে বললেনঃ হে বালক! তুমি তোমার ডান হাতে খাও এবং নিজের পাশ হতে খাও। (ই.ফা. ৫০৯৭, ই.সে. ৫১০৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৬৫
وَحَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي، مَرْيَمَ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ، عَنْ وَهْبِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّهُ قَالَ أَكَلْتُ يَوْمًا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجَعَلْتُ آخُذُ مِنْ لَحْمٍ حَوْلَ الصَّحْفَةِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ كُلْ مِمَّا يَلِيكَ ” .
‘উমার ইবনু আবূ সালামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদিন আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর সাথে খাবার খাচ্ছিলাম। আমি বাসনের বিভিন্ন দিকে হতে গোশ্ত নিতে লাগলাম। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি নিজের পাশ থেকে ভক্ষণ কর। (ই.ফা. ৫০৯৮, ই.ফা. ৫১০৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৬৬
وَحَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ نَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنِ اخْتِنَاثِ الأَسْقِيَةِ .
আবূ সা‘ঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বর্তনের মুখে মুখ লাগিয়ে পান করতে বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৫০৯৯, ই.সে. ৫১১০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৬৭
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّهُ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ اخْتِنَاثِ الأَسْقِيَةِ أَنْ يُشْرَبَ مِنْ أَفْوَاهِهَا .
আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলছেনঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মশ্ক বাকিয়ে এর মুখে মুখ লাগিয়ে পান করতে বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৫১০০, ই.সে. ৫১১১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৬৮
وَحَدَّثَنَاهُ عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ وَاخْتِنَاثُهَا أَنْ يُقْلَبَ رَأْسُهَا ثُمَّ يُشْرَبَ مِنْهُ .
যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোল্লিখিত সূত্রে হুবহু বর্ণনা করেছেন। তবে রাবী মা’মার বলেছেন, (আরবি) অর্থ মশ্কের মাথা হেলিয়ে তাতে মুখ লাগিয়ে পান করা।(ই.ফা. ৫১০১, ই.সে. ৫১১২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৪. অধ্যায়ঃ
দাঁড়িয়ে পান করা মাকরূহ
৫১৬৯
حَدَّثَنَا هَدَّابُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم زَجَرَ عَنِ الشُّرْبِ قَائِمًا .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়িয়ে পান করা হতে শাসন করেছেন।(ই.ফা. ৫১০২, ই.সে. ৫১১৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৭০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ نَهَى أَنْ يَشْرَبَ الرَّجُلُ قَائِمًا . قَالَ قَتَادَةُ فَقُلْنَا فَالأَكْلُ فَقَالَ ذَاكَ أَشَرُّ أَوْ أَخْبَثُ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন লোককে দণ্ডায়মান হয়ে পান করতে বারণ করেছেন। কাতাদাহ্ বলেন, আমরা বললাম, তবে খাবারের ব্যাপারে (আদেশ কি)? তিনি বললেন, সেটা তো আরো নিকৃষ্ট, আরো জঘন্য। (ই.ফা. ৫১০৩, ই.সে. ৫১১৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৭১
وَحَدَّثَنَاهُ قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ وَلَمْ يَذْكُرْ قَوْلَ قَتَادَةَ .
আনাস (রাঃ) –এর সনদ থেকে বর্ণিতঃ
নবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হুবহু রিওয়ায়াত করেছেন। তবে রাবী হিশাম (রহঃ) কাতাদাহ্ (রাঃ) –এর উক্তিটি বর্ণনা করেননি।(ই.ফা. ৫১০৪, ই.সে. ৫১১৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৭২
حَدَّثَنَا هَدَّابُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَبِي عِيسَى الأُسْوَارِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم زَجَرَ عَنِ الشُّرْبِ قَائِمًا .
আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়িয়ে পান করা হতে কঠিনভাবে সাবধান করেছেন। (ই.ফা. ৫১০৫, ই.সে. ৫১১৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৭৩
وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ – وَاللَّفْظُ لِزُهَيْرٍ وَابْنِ الْمُثَنَّى – قَالُوا حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَبِي عِيسَى الأُسْوَارِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الشُّرْبِ قَائِمًا .
আবূ সা‘ঈদ খুদ্রী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়িয়ে পান করতে বারণ করেছেন। (ই.ফা. ৫১০৬, ই.সে.৫১১৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৭৪
حَدَّثَنِي عَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ، – يَعْنِي الْفَزَارِيَّ – حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ، حَمْزَةَ أَخْبَرَنِي أَبُو غَطَفَانَ الْمُرِّيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لاَ يَشْرَبَنَّ أَحَدٌ مِنْكُمْ قَائِمًا فَمَنْ نَسِيَ فَلْيَسْتَقِئْ ” .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন কখনো দাঁড়িয়ে পান না করে। কেউ ভুলে পান করলে সে যেন পরে বমি করে ফেলে। (ই.ফা. ৫১০৭, ই.সে. ৫১১৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৫. অধ্যায়ঃ
যমযমের পানি দাঁড়িয়ে পান করা প্রসঙ্গে
৫১৭৫
وَحَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ ابْنِ، عَبَّاسٍ قَالَ سَقَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ زَمْزَمَ فَشَرِبَ وَهُوَ قَائِمٌ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে যমযম হতে পানি পান করিয়েছি। তিনি দাঁড়িয়ে তা পান করলেন। (ই.ফা. ৫১০৮, ই.সে. ৫১১৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৭৬
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم شَرِبَ مِنْ زَمْزَمَ مِنْ دَلْوٍ مِنْهَا وَهُوَ قَائِمٌ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যমযম কুয়া হতে ছোট বালতি দ্বারা পানি উঠিয়ে দাঁড়িয়ে পান করেছেন। (ই.ফা. ৫১০৯, ই.সে. ৫১২০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৭৭
وَحَدَّثَنَا سُرَيْجُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا عَاصِمٌ الأَحْوَلُ، ح وَحَدَّثَنِي يَعْقُوبُ، الدَّوْرَقِيُّ وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ سَالِمٍ – قَالَ إِسْمَاعِيلُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ، يَعْقُوبُ حَدَّثَنَا – هُشَيْمٌ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ الأَحْوَلُ، وَمُغِيرَةُ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شَرِبَ مِنْ زَمْزَمَ وَهُوَ قَائِمٌ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়িয়ে যমযম হতে পানি পান করেছেন। (ই.ফা. ৫১১০, ই.সে. ৫১২১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৭৮
وَحَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَاصِمٍ، سَمِعَ الشَّعْبِيَّ، سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ، قَالَ سَقَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ زَمْزَمَ فَشَرِبَ قَائِمًا وَاسْتَسْقَى وَهُوَ عِنْدَ الْبَيْتِ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে যমযম হতে (পানি) পান করিয়েছি। তিনি দাঁড়ানো অবস্থায় পান করেছেন এবং তিনি পানি চেয়ে লোক পাঠালেন, তথন তিনি বাইতুল্লাহর নিকটে ছিলেন। (ই.ফা. ৫১১১, ই.সে. ৫১২২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৭৯
وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، كِلاَهُمَا عَنْ شُعْبَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَفِي حَدِيثِهِمَا فَأَتَيْتُهُ بِدَلْوٍ .
শু’বাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উল্লেখিত সূত্রে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তাদের দু’জনের হাদীসে রয়েছে- ‘আমি তাঁর নিকট বালতি নিয়ে আসলাম’। (ই.ফা. ৫১১২, ই.সে. ৫১২৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬. অধ্যায়ঃ
পান করার সময় পাত্রে নি:শ্বাস ফেলা মাকরূহ এবং পাত্রের বাইরে তিনবার শ্বাস নেয়া মুস্তাহাব
৫১৮০
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا الثَّقَفِيُّ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عَبْدِ، اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى أَنْ يُتَنَفَّسَ فِي الإِنَاءِ .
আবূ কাতাদাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পানপাত্রের মধ্যে শ্বাস ফেলতে বারণ করেছেন। [দ্রষ্টব্য হাদীস ৬১৩] (ই.ফা. ৫১১৩, ই.সে. ৫১২৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৮১
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ عَزْرَةَ، بْنِ ثَابِتٍ الأَنْصَارِيِّ عَنْ ثُمَامَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَتَنَفَّسُ فِي الإِنَاءِ ثَلاَثًا .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (যখন পান করতেন) তিনবার পাত্রে (পাত্রের বাইরে) শ্বাস নিতেন। (ই.ফা. ৫১১৪, ই.সে. ৫১২৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৮২
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ، ح وَحَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ أَبِي عِصَامٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَنَفَّسُ فِي الشَّرَابِ ثَلاَثًا وَيَقُولُ “ إِنَّهُ أَرْوَى وَأَبْرَأُ وَأَمْرَأُ ” . قَالَ أَنَسٌ فَأَنَا أَتَنَفَّسُ فِي الشَّرَابِ ثَلاَثًا .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, পান করার সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিনবার নিশ্বাস নিতেন এবং বলতেন, এতে করে ভালভাবে প্রশান্তি লাভ হয়, তৃষ্ণার্তের কষ্ট লাঘব হয় এবং খুব আরামে গলধঃকরণ হয়।
আনাস (রাঃ) বলেন, আমিও পান করার সময় তিনবার নিঃশ্বাস নিয়ে থাকি। (ই.ফা. ৫১১৫, ই.সে. ৫১২৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৮৩
وَحَدَّثَنَاهُ قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ هِشَامٍ، الدَّسْتَوَائِيِّ عَنْ أَبِي عِصَامٍ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ وَقَالَ فِي الإِنَاءِ .
আনাস (রাঃ)-এর সনদ থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হুবহু বর্ণনা করেন। বর্ণনাকারী (আরবি) শব্দের স্থানে (আরবি) বলেছেন। (ই.ফা. ৫১১৬, ই.সে. ৫১২৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৭. অধ্যায়ঃ
পানি, দুধ ইত্যাদি পরিবেশনে ব্যক্তি তার ডান দিক থেকে শুরু করবে
৫১৮৪
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أُتِيَ بِلَبَنٍ قَدْ شِيبَ بِمَاءٍ وَعَنْ يَمِينِهِ أَعْرَابِيٌّ وَعَنْ يَسَارِهِ أَبُو بَكْرٍ فَشَرِبَ ثُمَّ أَعْطَى الأَعْرَابِيَّ وَقَالَ “ الأَيْمَنَ فَالأَيْمَنَ ” .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে পানি মেশানো কিছু দুধ আনা হলো। তাঁর ডান দিকে একজন বেদুঈন ছিল, বামদিকে ছিলেন আবূ বাকর (রাঃ)। তিনি পান করলেন। অত:পর বেদুঈনকে দিয়ে বললেনঃডান থেকে, ডানে হওয়া করণীয়। (ই.ফা. ৫১১৭, ই.সে. ৫১২৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৮৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ، اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ – وَاللَّفْظُ لِزُهَيْرٍ – قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَدِمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ وَأَنَا ابْنُ عَشْرٍ وَمَاتَ وَأَنَا ابْنُ عِشْرِينَ وَكُنَّ أُمَّهَاتِي يَحْثُثْنَنِي عَلَى خِدْمَتِهِ فَدَخَلَ عَلَيْنَا دَارَنَا فَحَلَبْنَا لَهُ مِنْ شَاةٍ دَاجِنٍ وَشِيبَ لَهُ مِنْ بِئْرٍ فِي الدَّارِ فَشَرِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُ عُمَرُ وَأَبُو بَكْرٍ عَنْ شِمَالِهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَعْطِ أَبَا بَكْرٍ . فَأَعْطَاهُ أَعْرَابِيًّا عَنْ يَمِينِهِ وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ الأَيْمَنَ فَالأَيْمَنَ ” .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মাদীনায় আসেন তখন আমার বয়স ছিল দশ বছর। তিনি যখন মৃত্যুবরণ করেন তখন আমার বয়স বিশ বছর। আমার মা-খালাগণ আমাকে তাঁর সেবা করার জন্য প্রেরণা দিতেন। একবার তিনি আমাদের গৃহে আসলেন, আমরা তাঁর জন্য পালিত বকরীর দুধ দোহন করলাম, গৃহের একটি কুয়া থেকে অল্প পানি মেশানো হলো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পান করলেন। তাঁর বাম দিকে আবূ বাকর (রাঃ) ছিলেন। ‘উমার (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ বাকর (রাঃ)-কে দিন। কিন্তু তিনি তাঁর ডান পাশের বেদুঈনকে দিলেন এবং বললেনঃডান দিক হতে, ডানের হক বেশি। (ই.ফা. ৫১১৮, ই.সে. ৫১২৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৮৬
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ – عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَعْمَرِ بْنِ حَزْمٍ أَبِي طُوَالَةَ الأَنْصَارِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، ح
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، – يَعْنِي ابْنَ بِلاَلٍ – عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يُحَدِّثُ قَالَ أَتَانَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي دَارِنَا فَاسْتَسْقَى فَحَلَبْنَا لَهُ شَاةً ثُمَّ شُبْتُهُ مِنْ مَاءِ بِئْرِي هَذِهِ – قَالَ – فَأَعْطَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَشَرِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو بَكْرٍ عَنْ يَسَارِهِ وَعُمَرُ وُجَاهَهُ وَأَعْرَابِيٌّ عَنْ يَمِينِهِ فَلَمَّا فَرَغَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ شُرْبِهِ قَالَ عُمَرُ هَذَا أَبُو بَكْرٍ يَا رَسُولَ اللَّهِ . يُرِيهِ إِيَّاهُ فَأَعْطَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الأَعْرَابِيَّ وَتَرَكَ أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ الأَيْمَنُونَ الأَيْمَنُونَ الأَيْمَنُونَ ” . قَالَ أَنَسٌ فَهِيَ سُنَّةٌ فَهِيَ سُنَّةٌ فَهِيَ سُنَّةٌ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের গৃহে আগমন করে কিছু পান করতে ইচ্ছা করলেন। আমরা তাঁর জন্য একটি ছাগলের দুধ দোহন করলাম। তারপর আমি আমার এ কূপ হতে কিছু পানি দুধের সাথে মেশালাম। তিনি (আনাস) বলেন, অতঃপর আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দিলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পান করলেন। আবূ বাকর (রাঃ) তাঁর বাম পাশে ছিলেন। ‘উমার (রাঃ) তাঁর সম্মুখে আর তাঁর ডানদিকে ছিল এক বেদুঈন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন পান করা শেষ করলেন, তখন ‘উমার (রাঃ) আবূ বাকরকে দেখিয়ে তাঁকে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! এ তো আবূ বাকর (রাঃ) (তাঁকে দিন)। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ বাকর ও উমার (রাঃ)-কে (আগে) না দিয়ে সে বেদুঈনকে দিলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃআগে ডান পাশের মানুষদের। ডান পাশের মানুষদের, ডান পাশের লোকদেরই বেশী হক রয়েছে।
আনাস (রাঃ) বলেন, এতএব এটা সুন্নাত, এটা সুন্নাত, এটা সুন্নাত। (ই.ফা. ৫১১৯, ই.সে. ৫১৩০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৮৭
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، فِيمَا قُرِئَ عَلَيْهِ عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أُتِيَ بِشَرَابٍ فَشَرِبَ مِنْهُ وَعَنْ يَمِينِهِ غُلاَمٌ وَعَنْ يَسَارِهِ أَشْيَاخٌ فَقَالَ لِلْغُلاَمِ ” أَتَأْذَنُ لِي أَنْ أُعْطِيَ هَؤُلاَءِ ” . فَقَالَ الْغُلاَمُ لاَ . وَاللَّهِ لاَ أُوثِرُ بِنَصِيبِي مِنْكَ أَحَدًا ” . قَالَ فَتَلَّهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي يَدِهِ .
সাহল ইবনু সা’দ সা’ইদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে কিছু পানীয় আনা হলে তিনি সামান্য পান করলেন। তাঁর ডান পাশে ছিল একটি ছেলে আর বাম পাশে কিছু বৃদ্ধ মানুষ। তিনি ছেলেটিকে বললেন, তুমি কি তাদেঁরকে দেয়ার জন্য আমাকে অনুমতি দিবে? ছেলেটি বলল, না। আল্লাহর শপথ! আপনার নিকট হতে যা পাওনা আমার ভাগে (তাতে) আমি অন্য কাউকে প্রাধান্য দিব না।
আনাস (রাঃ) বলেন, তারপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুধের বাটি তার হাতেই তুলে দিলেন। (ই.ফা. ৫১২০, ই.সে. ৫১৩১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৮৮
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، ح وَحَدَّثَنَاهُ قُتَيْبَةُ بْنُ، سَعِيدٍ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، – يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْقَارِيَّ – كِلاَهُمَا عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ، بْنِ سَعْدٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . بِمِثْلِهِ وَلَمْ يَقُولاَ فَتَلَّهُ . وَلَكِنْ فِي رِوَايَةِ يَعْقُوبَ قَالَ فَأَعْطَاهُ إِيَّاهُ .
সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ)-এর সনদ থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হুবহু বর্ণনা করেছেন। তারা দু’জনেই (আরবি) (তার হাতে দিলেন) শব্দটি বর্ণনা করেননি। তবে ইয়াকুব (রহঃ)-এর বর্ণনায় (আরবি) এর স্থানে (আরবি) (তাকেই দিলেন) উক্তিটি বর্ণিত হয়েছে। (ই.ফা. ৫১২১, ই.সে. ৫১৩২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮. অধ্যায়ঃ
আঙ্গুল ও বাসন চেটে খাওয়া এবং পড়ে যাওয়া খাবারে যে আবর্জনা লেগেছে তা মুছে খাওয়া মুস্তাহাব, আর চেটে খাওয়ার আগে হাত মুছে ফেলা মাকরূহ; (কারণ ঐ বাকী অংশের মধ্যে খাদ্যের বারাকাত থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে)
৫১৮৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، – قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا – سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ، عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِذَا أَكَلَ أَحَدُكُمْ طَعَامًا فَلاَ يَمْسَحْ يَدَهُ حَتَّى يَلْعَقَهَا أَوْ يُلْعِقَهَا ” .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: তোমাদের কেউ যখন আহার করে, সে যেন তার হাত মুছে না ফেলে যতক্ষণ না সে তা চেটে খায় [৮] বা অপরকে দিয়ে চাটায়। (ই.ফা. ৫১২২, ই.সে. ৫১৩৩)
[৮] এ সুন্নাতটা বর্তমান সময়ে আমাদের মধ্যে নেই বললেই চলে। এ বিষয়গুলো পুনরায় চালু করলে খাদ্যে অধিক বারাকাত লাভের সুযোগ রয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৯০
حَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو عَاصِمٍ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، ح وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَطَاءً، يَقُولُ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِذَا أَكَلَ أَحَدُكُمْ مِنَ الطَّعَامِ فَلاَ يَمْسَحْ يَدَهُ حَتَّى يَلْعَقَهَا أَوْ يُلْعِقَهَا ” .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যখন তোমাদের কেউ আহার করে, সে যেন স্বীয় হস্ত মুছে না ফেলে যতক্ষণ না সে তা নিজে চেটে খায় কিংবা অপরকে দিয়ে চাটায়। (ই.ফা. ৫১২৩, ই.সে. ৫১৩৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৯১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا ابْنُ، مَهْدِيٍّ عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ ابْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَلْعَقُ أَصَابِعَهُ الثَّلاَثَ مِنَ الطَّعَامِ . وَلَمْ يَذْكُرِ ابْنُ حَاتِمٍ الثَّلاَثَ . وَقَالَ ابْنُ أَبِي شَيْبَةَ فِي رِوَايَتِهِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ كَعْبٍ عَنْ أَبِيهِ .
কা’ব ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে তাঁর আঙ্গুল তিনটি [৯] হতে খাবার চেটে খেতে দেখেছি। কিন্তু ইবনু হাতিম (রহঃ) (আরবি) (তিন) শব্দটি উল্লেখ করেননি। আর ইবনু আবূ শাইবাহ তাঁর বর্ণনায় ‘আবদুর রহমান ইবনু কা’ব (রহঃ) ‘তাঁর পিতা হতে’ সূত্রটির কথা বলেছেন। (ই.ফা. ৫১২৪, ই.সে. ৫১৩৫)
[৯] আরবের প্রধান খাদ্য ছিল তখন রুটি বা শুকনো জাতীয় খাবার। ঐগুলো খেতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর (১) বৃদ্ধ (২) শাহাদাত (৩) মধ্যমা আঙ্গুলগুলোই ব্যবহার করতেন। (আমাদেরও ঐ রকম খাদ্যে একই রকমভাবে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুসরণ করা দরকার)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৯২
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، بْنِ سَعْدٍ عَنِ ابْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْكُلُ بِثَلاَثِ أَصَابِعَ وَيَلْعَقُ يَدَهُ قَبْلَ أَنْ يَمْسَحَهَا .
কা’ব ইবনু মালিক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিন আঙ্গুলে খাবার খেতেন এবং হাত মুছার আগে তা চেটে খেতেন। (ই.ফা. ৫১২৫, ই.সে. ৫১৩৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৯৩
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، بْنِ سَعْدٍ أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، – أَوْ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ كَعْبٍ – أَخْبَرَهُ عَنْ أَبِيهِ، كَعْبٍ أَنَّهُ حَدَّثَهُمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَأْكُلُ بِثَلاَثِ أَصَابِعَ فَإِذَا فَرَغَ لَعِقَهَا .
কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিন আঙ্গুলে খাবার খেতেন এবং খাবার শেষ করে আঙ্গুলগুলো চেটে খেতেন। (ই.ফা. ৫১২৬, ই.সে. ৫১৩৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৯৪
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَعْدٍ، أَنَّحَدَّثَاهُ – أَوْ، أَحَدُهُمَا – عَنْ أَبِيهِ، كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ .
কা’ব ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে হুবহু রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা. ৫১২৭, ই.সে. ৫১৩৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৯৫
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ بِلَعْقِ الأَصَابِعِ وَالصَّحْفَةِ وَقَالَ “ إِنَّكُمْ لاَ تَدْرُونَ فِي أَيِّهِ الْبَرَكَةُ ” .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আঙ্গুল ও বাসন চেটে খেতে [১০] নির্দেশ করেছেন। আর তিনি বলেছেন: (খাদ্যের) কোন অংশে বারাকাত আছে তা তোমরা জান না। (ই.ফা. ৫১২৮, ই.সে. ৫১৩৯)
[১০] বাসন চেটে বা পরিষ্কার করে খাওয়া নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুন্নাত। এ সুন্নাতটা আরো অধিক পরিমাণে অবহেলার স্বীকার। এ সুন্নাতটাও আমাদের জীবিত করা দরকার।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৯৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِذَا وَقَعَتْ لُقْمَةُ أَحَدِكُمْ فَلْيَأْخُذْهَا فَلْيُمِطْ مَا كَانَ بِهَا مِنْ أَذًى وَلْيَأْكُلْهَا وَلاَ يَدَعْهَا لِلشَّيْطَانِ وَلاَ يَمْسَحْ يَدَهُ بِالْمِنْدِيلِ حَتَّى يَلْعَقَ أَصَابِعَهُ فَإِنَّهُ لاَ يَدْرِي فِي أَىِّ طَعَامِهِ الْبَرَكَةُ ” .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: তোমাদের কারো লোকমা পড়ে গেলে সে যেন তা তুলে নেয়। তারপর তাতে যে আবর্জনা স্পর্শ করেছে তা যেন দূরীভূত করে এবং খাদ্যটুকু খেয়ে ফেলে। শাইতানের জন্য সেটি যেন ফেলে না রাখে। আর তার আঙ্গুল চেটে না খাওয়া পর্যন্ত সে যেন তার হাত রুমাল দিয়ে মুছে না ফেলে। কেননা সে জানে না খাদ্যের কোন অংশে বারাকাত রয়েছে। (ই.ফা. ৫১২৯, ই.সে. ৫১৪০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৯৭
وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا أَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ، ح وَحَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ، رَافِعٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، كِلاَهُمَا عَنْ سُفْيَانَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . مِثْلَهُ . وَفِي حَدِيثِهِمَا “ وَلاَ يَمْسَحْ يَدَهُ بِالْمِنْدِيلِ حَتَّى يَلْعَقَهَا أَوْ يُلْعِقَهَا ” . وَمَا بَعْدَهُ .
সুফইয়ান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোল্লিখিত সূত্রে হুবহু বর্ণনা করেছেন। তাঁদের দু’জনের হাদীসে আছে, ‘সে ব্যক্তি যেন তার হাত রুমাল দিয়ে মুছে না ফেলে, যতক্ষণ না সে তার নিজের হাত চেটে খায় কিংবা অপরকে দিয়ে চাটায়।
… পরবর্তীতে বাকী অংশে উল্লেখ করেছেন। (ই.ফা. ৫১৩০, ই.সে. ৫১৪১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৯৮
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ إِنَّ الشَّيْطَانَ يَحْضُرُ أَحَدَكُمْ عِنْدَ كُلِّ شَىْءٍ مِنْ شَأْنِهِ حَتَّى يَحْضُرَهُ عِنْدَ طَعَامِهِ فَإِذَا سَقَطَتْ مِنْ أَحَدِكُمُ اللُّقْمَةُ فَلْيُمِطْ مَا كَانَ بِهَا مِنْ أَذًى ثُمَّ لْيَأْكُلْهَا وَلاَ يَدَعْهَا لِلشَّيْطَانِ فَإِذَا فَرَغَ فَلْيَلْعَقْ أَصَابِعَهُ فَإِنَّهُ لاَ يَدْرِي فِي أَىِّ طَعَامِهِ تَكُونُ الْبَرَكَةُ ” .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, শাইতান তোমাদের সকল কাজ-কর্মে উপস্থিত হয়। এমনকি তোমাদের কারো খাবারের সময়ও সে উপস্থিত হয়। সুতরাং তোমাদের যদি কারো লোকমা মাটিতে পড়ে যায়, সে যেন তাতে লেগে যাওয়া আবর্জনা সরিয়ে তা খেয়ে ফেলে। শাইতানের জন্য জন্য যেন ফেলে না রাখে। খাবার শেষে সে যেন তার আঙ্গুলগুলো চেটে খায়। কেননা সে জানেনা, তার খাদ্যের কোন অংশে বারাকাত (কল্যাণ) রয়েছে। (ই.ফা. ৫১৩১, ই.সে. ৫১৪২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫১৯৯
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو كُرَيْبٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، جَمِيعًا عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ” إِذَا سَقَطَتْ لُقْمَةُ أَحَدِكُمْ ” . إِلَى آخِرِ الْحَدِيثِ وَلَمْ يَذْكُرْ أَوَّلَ الْحَدِيثِ ” إِنَّ الشَّيْطَانَ يَحْضُرُ أَحَدَكُمْ ” .
আবূ কুরায়ব ও ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) দু’জনই আবূ মু’আবিয়াহ (রহঃ) হতে, তিনি আ’মাশ (রহঃ) হতে উপরোক্ত সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
“যখন তোমাদের কারো লোকমা পড়ে যায়, … হাদীসের শেষ পর্যন্ত। তবে আবূ মু’আবিয়াহ (রহঃ) হাদীসের প্রথমাংশ ‘শাইতান তোমাদের প্রতিটি কাজে-কর্মে উপস্থিত হয়’-কথাটি উত্থাপন করেননি। (ই.ফা. ৫১৩২, ই.সে. ৫১৪৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২০০
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي، صَالِحٍ وَأَبِي سُفْيَانَ عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي ذِكْرِ اللَّعْقِ . وَعَنْ أَبِي سُفْيَانَ عَنْ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَذَكَرَ اللُّقْمَةَ نَحْوَ حَدِيثِهِمَا .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে চেটে খাওয়ার ব্যাপারে হাদীস বর্ণনা করেছেন। আবূ সুফইয়ান (রহঃ) জাবির (রাঃ)-এর সনদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন। তিনিও তাদের উভয়ের হাদীসের ন্যায় লোকমার কথা বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫১৩৩, ই.সে. ৫১৪৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২০১
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ الْعَبْدِيُّ قَالاَ حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ، بْنُ سَلَمَةَ حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَكَلَ طَعَامًا لَعِقَ أَصَابِعَهُ الثَّلاَثَ . قَالَ وَقَالَ ” إِذَا سَقَطَتْ لُقْمَةُ أَحَدِكُمْ فَلْيُمِطْ عَنْهَا الأَذَى وَلْيَأْكُلْهَا وَلاَ يَدَعْهَا لِلشَّيْطَانِ ” . وَأَمَرَنَا أَنْ نَسْلُتَ الْقَصْعَةَ قَالَ ” فَإِنَّكُمْ لاَ تَدْرُونَ فِي أَىِّ طَعَامِكُمُ الْبَرَكَةُ ” .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন কোন খাদ্য খেতেন তখন তাঁর আঙ্গুল তিনটি চেটে খেতেন এবং তিনি বলেছেন: তোমাদের কারো লোকমা যদি মাটিতে পড়ে যায় তবে সে যেন তা হতে ময়লা দূর করে এবং খাবারটুকু খেয়ে ফেলে, তা যেন শাইতানের জন্য রেখে না দেয়। আর তিনি আমাদের বাসন মুছে খেতে নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ‘কারণ তোমরা জান না, তোমাদের খাবারের কোন অংশে কল্যাণ রয়েছে’। (ই.ফা. ৫১৩৪, ই.সে. ৫১৪৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২০২
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا سُهَيْلٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِذَا أَكَلَ أَحَدُكُمْ فَلْيَلْعَقْ أَصَابِعَهُ فَإِنَّهُ لاَ يَدْرِي فِي أَيَّتِهِنَّ الْبَرَكَةُ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: তোমাদের কেউ যখন খাবার খায়, সে যেন তার আঙ্গুলগুলো চেটে খায়। কারণ সে জানে না খাদ্যের কোন অংশে বারাকাত রয়েছে। (ই.ফা. ৫১৩৫, ই.সে. ৫১৪৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২০৩
وَحَدَّثَنِيهِ أَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، – يَعْنِي ابْنَ مَهْدِيٍّ – قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، بِهَذَا الإِسْنَادِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ ” وَلْيَسْلُتْ أَحْدُكُمُ الصَّحْفَةَ ” . وَقَالَ ” فِي أَىِّ طَعَامِكُمُ الْبَرَكَةُ أَوْ يُبَارَكُ لَكُمْ ” .
হাম্মাদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উপরোল্লিখিত সূত্রে হাদীসটি বর্ণিত। তবে তিনি বলেছেন, তোমাদের সবাই যেন বাসন চেটে খায়। আর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা জান না তোমাদের কোন খাদ্যে বারাকাত রয়েছে অথবা কোন খাদ্যে বারাকাত দেয়া হয়। (ই.ফা. ৫১৩৫, ই.সে. ৫১৪৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯. অধ্যায়ঃ
মেযবানের দাওয়াত ছাড়াই যদি কেউ মেহমানের পশ্চাদানুসরণ করে তবে মেহমান কি করবে? পশ্চাদানুসারীদের জন্য মেযবান থেকে অনুমতি নিয়ে নেয়া মুস্তাহাব।
৫২০৪
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، – وَتَقَارَبَا فِي اللَّفْظِ – قَالاَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ كَانَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ يُقَالُ لَهُ أَبُو شُعَيْبٍ وَكَانَ لَهُ غُلاَمٌ لَحَّامٌ فَرَأَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَعَرَفَ فِي وَجْهِهِ الْجُوعَ فَقَالَ لِغُلاَمِهِ وَيْحَكَ اصْنَعْ لَنَا طَعَامًا لِخَمْسَةِ نَفَرٍ فَإِنِّي أُرِيدُ أَنْ أَدْعُوَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم خَامِسَ خَمْسَةٍ . قَالَ فَصَنَعَ ثُمَّ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَدَعَاهُ خَامِسَ خَمْسَةٍ وَاتَّبَعَهُمْ رَجُلٌ فَلَمَّا بَلَغَ الْبَابَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ هَذَا اتَّبَعَنَا فَإِنْ شِئْتَ أَنْ تَأْذَنَ لَهُ وَإِنْ شِئْتَ رَجَعَ ” . قَالَ لاَ بَلْ آذَنُ لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ .
আবূ মাসউদ আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ শু’আয়ব নামধারী এক আনসারী ব্যক্তি ছিল। তার একজন কসাই দাস ছিল। লোকটি একদিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেখে তাঁর অবয়বে ক্ষুধার আভাস অনুভব করলো। পরে তার গোলামকে বলল, তোমার কল্যাণ হোক আমাদের পাঁচজনের জন্য তুমি খাবার তৈরী করো। কেননা আমি পঞ্চম ব্যক্তি হিসেবে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দাওয়াত দিতে ইচ্ছা পোষণ করেছি। তখন সে খাবার তৈরী করলো। তারপর লোকটি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে এসে তাঁকে সহ পাঁচজনকে দাওয়াত দিল। জনৈক লোক তাঁদের পিছু অনুসরণ করলো। দরজা পর্যন্ত পৌঁছলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃএ লোকটি আমাদের পিছু পিছু এসেছে। তুমি চাইলে তাকে অনুমতি দিতে পার, আর যদি ইচ্ছা কর তবে সে প্রত্যাবর্তন করবে। লোকটি বলল, না। বরং আমি তাকে অনুমতি দিচ্ছি, হে আল্লাহর রসূল! (ই.ফা. ৫১৩৬, ই.সে. ৫১৪৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২০৫
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، جَمِيعًا عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، ح وَحَدَّثَنَاهُ نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، وَأَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، ح وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ سُفْيَانَ، كُلُّهُمْ عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ، بِهَذَا الْحَدِيثِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِ حَدِيثِ جَرِيرٍ . قَالَ نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ فِي رِوَايَتِهِ لِهَذَا الْحَدِيثِ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، حَدَّثَنَا شَقِيقُ بْنُ سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مَسْعُودٍ، الأَنْصَارِيُّ . وَسَاقَ الْحَدِيثَ .
আবূ মাসউদ (রাঃ)-এর সনদ থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে জারীর (রাঃ)-এর হাদীসের অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন।
কিন্তু নাসর ইবনু আলী পুরো সানাদ হাদ্দাসানা দিয়ে বর্ণনা করেছেন এবং পুরো হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫১৩৭, ই.সে. ৫১৪৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২০৬
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ جَبَلَةَ بْنِ أَبِي رَوَّادٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الْجَوَّابِ، حَدَّثَنَا عَمَّارٌ، – وَهْوَ ابْنُ رُزَيْقٍ – عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، ح وَحَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَعْيَنَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَعَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، بِهَذَا الْحَدِيثِ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ভিন্ন সূত্রে সালামাহ ইবনু শাবীব (রহঃ) … আবূ মাস’উদ (রাঃ)-এর সনদে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। (ই.ফা. ৫১৩৮, ই.সে. ৫১৫০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২০৭
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ جَارًا، لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَارِسِيًّا كَانَ طَيِّبَ الْمَرَقِ فَصَنَعَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ جَاءَ يَدْعُوهُ فَقَالَ ” وَهَذِهِ ” . لِعَائِشَةَ فَقَالَ لاَ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” لاَ ” فَعَادَ يَدْعُوهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” وَهَذِهِ ” . قَالَ لاَ . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” لاَ ” . ثُمَّ عَادَ يَدْعُوهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” وَهَذِهِ ” . قَالَ نَعَمْ . فِي الثَّالِثَةِ . فَقَامَا يَتَدَافَعَانِ حَتَّى أَتَيَا مَنْزِلَهُ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর একজন ইরানী প্রতিবেশী ভাল সালুন রান্না করতে পারতো। একদা সে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর জন্য সামান্য খাবার তৈরী করে তাঁকে দা’ওয়াত করতে আসলো। তিনি ‘আয়িশা (রাঃ)– এর দিকে ইশারা করে বললেন এই যে, ‘আয়িশাহ্ আছেন। সে বলল, না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ (তাহলে আমিও) না। লোকটি আবার তাঁকে দাওয়াত করল। রাসূলুল্লাহ বললেনঃ ইনিও [‘আয়িশা (রাঃ)]? সে বলল, না রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ (আমিও) না। এরপর সে পুনরায় তাঁকে দাওয়াত করতে আসলো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ইনিও? লোকটি তৃতীয়বার বলল, হ্যাঁ। তারপর তাঁরা উভয়েই দাঁড়ালেন এবং একজনের পিছনে আরেকজন চলে তার গৃহে এসে পৌঁছলেন। (ই ফা. ৫১৩৯, ই সে, ৫১৫১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২০. অধ্যায়ঃ
মেযবানের সন্তুষ্টি সম্পর্কে নিশ্চিত থাকলে অন্যকে সাথে নিয়ে তার গৃহে উপস্থিত হওয়া জায়িয, আর একত্র থেকে খাওয়া মুস্তাহাব।
৫২০৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا خَلَفُ بْنُ خَلِيفَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ كَيْسَانَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ يَوْمٍ أَوْ لَيْلَةٍ فَإِذَا هُوَ بِأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ فَقَالَ ” مَا أَخْرَجَكُمَا مِنْ بُيُوتِكُمَا هَذِهِ السَّاعَةَ ” . قَالاَ الْجُوعُ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ ” وَأَنَا وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لأَخْرَجَنِي الَّذِي أَخْرَجَكُمَا قُومُوا ” . فَقَامُوا مَعَهُ فَأَتَى رَجُلاً مِنَ الأَنْصَارِ فَإِذَا هُوَ لَيْسَ فِي بَيْتِهِ فَلَمَّا رَأَتْهُ الْمَرْأَةُ قَالَتْ مَرْحَبًا وَأَهْلاً . فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” أَيْنَ فُلاَنٌ ” . قَالَتْ ذَهَبَ يَسْتَعْذِبُ لَنَا مِنَ الْمَاءِ . إِذْ جَاءَ الأَنْصَارِيُّ فَنَظَرَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَصَاحِبَيْهِ ثُمَّ قَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ مَا أَحَدٌ الْيَوْمَ أَكْرَمَ أَضْيَافًا مِنِّي – قَالَ – فَانْطَلَقَ فَجَاءَهُمْ بِعِذْقٍ فِيهِ بُسْرٌ وَتَمْرٌ وَرُطَبٌ فَقَالَ كُلُوا مِنْ هَذِهِ . وَأَخَذَ الْمُدْيَةَ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِيَّاكَ وَالْحَلُوبَ ” . فَذَبَحَ لَهُمْ فَأَكَلُوا مِنَ الشَّاةِ وَمِنْ ذَلِكَ الْعِذْقِ وَشَرِبُوا فَلَمَّا أَنْ شَبِعُوا وَرَوُوا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ ” وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَتُسْأَلُنَّ عَنْ هَذَا النَّعِيمِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَخْرَجَكُمْ مِنْ بُيُوتِكُمُ الْجُوعُ ثُمَّ لَمْ تَرْجِعُوا حَتَّى أَصَابَكُمْ هَذَا النَّعِيمُ ” .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদিনে কিংবা রাতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (তার বাড়ী থেকে) বের হয়ে আবূ বকর (রাঃ) ও ‘উমার (রাঃ) –কে দর্শন করলেন। তিনি প্রশ্ন করলেন, এ সময় কিসে তোমাদের গৃহ হতে বের করেছে? তাঁরা বললেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! উপবাসের যন্ত্রনায়। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন,যে মহান আল্লাহ্র হাতে আমার জীবন, তাঁর কসম, যা তোমাদের বের করে এনেছে, আমাকেও তা-ই বের করে এনেছে, চলো। তাঁরা উভয়ে তাঁর সাথে চলতে লাগলেন। তার পর তিনি এক আনসারীর গৃহে এলেন। তখন তিনি বাড়ীতে ছিলেন না। তাঁর সধর্মিণী তাঁকে [রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)] দেখে বলল, মারহাবা ওয়া আহলান (আরবী)। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে প্রশ্ন করলেন, অমুক কোথায়? স্ত্রীলোকটি বলল, তিনি আমাদের জন্য মিষ্ট পানি আনতে গেছেন। তখনই আনসারী ব্যক্তিটি উপস্থিত হয়ে রাসূলুল্লহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর দু’ সাথীকে দেখতে পেয়ে বললেন, আল্লাহ্র প্রশংসা, আজ মেহমানের দিক হতে আমার থেকে সৌভাগ্যবান আর কেউ নেই। তারপর সে গিয়ে একটি খেজুরের ছড়া নিয়ে আসলেন। তাতে কাচা, পাকা ও শুকনা খেজুর ছিল। তিনি বললেন, আপনারা এ ছড়া থেকে খান। এরপর তিনি ছুরি নিলেন (ছাগল যাবাহ করার জন্য) তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বললেন, সাবধান, দুধওয়ালা বকরী যাবাহ করবে না। অতঃপর তাদের জন্য (বকরী) যাবাহ করলে তাঁরা বকরীর গোশত ও কাঁদির খেজুর খেলেন এবং (মিঠা) পানি পান করলেন। তাঁরা সকলে ক্ষুদা মিটালেন ও পরিতৃপ্ত হলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন আবূ বক্র ও ‘উমার (রাঃ) –কে কেন্দ্র করে বললেনঃ যে সত্তার হাতে আমার জীবন, তাঁর কসম! কিয়ামতের দিন এ নি’য়ামত সম্বন্ধে তোমরা জিজ্ঞাসিত হবে। ক্ষুধা তোমাদের বাড়ি হতে বের করে এনেছে অথচ তোমরা এ নি’য়ামত লাভ না করে ফেরত যাওনি। (ই.ফা. ৫১৪০, ই.সে. ৫১৫২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২০৯
وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو هِشَامٍ، – يَعْنِي الْمُغِيرَةَ بْنَ سَلَمَةَ – حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، حَدَّثَنَا أَبُو حَازِمٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ بَيْنَا أَبُو بَكْرٍ قَاعِدٌ وَعُمَرُ مَعَهُ إِذْ أَتَاهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ “ مَا أَقْعَدَكُمَا هَا هُنَا ” . قَالاَ أَخْرَجَنَا الْجُوعُ مِنْ بُيُوتِنَا وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ . ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ خَلَفِ بْنِ خَلِيفَةَ .
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একবার আবূ বাকর (রাঃ) বসে ছিলেন। তাঁর সাথে ‘উমার (রাঃ) ও ছিলেন। সে সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের পাশে এসে বললেনঃ কোন জিনিস তোমাদের এ স্থানে বসিয়ে রেখেছে? তাঁরা বললেন, সে আল্লাহ্র কসম! যিনি আপনাকে সত্য দ্বীন দিয়ে প্রেরণ করেছেন। ক্ষুধা আমাদের ঘর থেকে আমাদের বাইরে নিয়ে এসেছে। অতঃপর বর্ণনাকারী খালাফ ইব্নে খলীফা (রহঃ) –এর হাদীসের অবিকল বর্ণনা করেন। (ই. ফা. ৫১৪১, ই.সে. ৫১৫৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২১০
حَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنِي الضَّحَّاكُ بْنُ مَخْلَدٍ، مِنْ رُقْعَةٍ عَارَضَ لِي بِهَا ثُمَّ قَرَأَهُ عَلَىَّ قَالَ أَخْبَرَنَاهُ حَنْظَلَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مِينَاءَ قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ لَمَّا حُفِرَ الْخَنْدَقُ رَأَيْتُ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَمَصًا فَانْكَفَأْتُ إِلَى امْرَأَتِي فَقُلْتُ لَهَا هَلْ عِنْدَكِ شَىْءٌ فَإِنِّي رَأَيْتُ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَمَصًا شَدِيدًا . فَأَخْرَجَتْ لِي جِرَابًا فِيهِ صَاعٌ مِنْ شَعِيرٍ وَلَنَا بُهَيْمَةٌ دَاجِنٌ – قَالَ – فَذَبَحْتُهَا وَطَحَنَتْ فَفَرَغَتْ إِلَى فَرَاغِي فَقَطَّعْتُهَا فِي بُرْمَتِهَا ثُمَّ وَلَّيْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ لاَ تَفْضَحْنِي بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَمَنْ مَعَهُ – قَالَ – فَجِئْتُهُ فَسَارَرْتُهُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا قَدْ ذَبَحْنَا بُهَيْمَةً لَنَا وَطَحَنَتْ صَاعًا مِنْ شَعِيرٍ كَانَ عِنْدَنَا فَتَعَالَ أَنْتَ فِي نَفَرٍ مَعَكَ . فَصَاحَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ ” يَا أَهْلَ الْخَنْدَقِ إِنَّ جَابِرًا قَدْ صَنَعَ لَكُمْ سُورًا فَحَيَّهَلاَ بِكُمْ ” . وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” لاَ تُنْزِلُنَّ بُرْمَتَكُمْ وَلاَ تَخْبِزُنَّ عَجِينَتَكُمْ حَتَّى أَجِيءَ ” . فَجِئْتُ وَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْدُمُ النَّاسَ حَتَّى جِئْتُ امْرَأَتِي فَقَالَتْ بِكَ وَبِكَ . فَقُلْتُ قَدْ فَعَلْتُ الَّذِي قُلْتِ لِي . فَأَخْرَجْتُ لَهُ عَجِينَتَنَا فَبَصَقَ فِيهَا وَبَارَكَ ثُمَّ عَمَدَ إِلَى بُرْمَتِنَا فَبَصَقَ فِيهَا وَبَارَكَ ثُمَّ قَالَ ” ادْعِي خَابِزَةً فَلْتَخْبِزْ مَعَكِ وَاقْدَحِي مِنْ بُرْمَتِكُمْ وَلاَ تُنْزِلُوهَا ” . وَهُمْ أَلْفٌ فَأُقْسِمُ بِاللَّهِ لأَكَلُوا حَتَّى تَرَكُوهُ وَانْحَرَفُوا وَإِنَّ بُرْمَتَنَا لَتَغِطُّ كَمَا هِيَ وَإِنَّ عَجِينَتَنَا – أَوْ كَمَا قَالَ الضَّحَّاكُ – لَتُخْبَزُ كَمَا هُوَ .
জাবির ইব্নে ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, (খন্দক যুদ্ধের প্রাক্কালে) পরিখা খোড়ার সময় আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর দেহে ক্ষুধার যন্ত্রণা লক্ষ্য করলাম। অতঃপর আমার সহধর্মিণীর নিকট ফিরে এসে তাঁকে বললাম, তোমার কাছে কিছু আছে কি? কেননা, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)– কে চরম ক্ষুধারত অবস্থায় দেখেছি। অতঃপর সে একটি চামড়ার ব্যাগ বের করলো, যার মধ্যে এক সা’ পরিমাণ যব ছিল। আর আমাদের একটা গৃহপালিত বকরী ছিল। আমি ওটা যাবাহ করলাম, আর স্ত্রী যবগুলো ভালভাবে পিষে নিল। আমার কাজ সম্পাদনের সঙ্গে সঙ্গে সেও তাঁর কাজ শেষ করলো। আমি (রান্নার জন্য) গোশ্ত কেটে ডেগচিতে রাখলাম। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)– এর কাছে ফিরে এলাম। (যাওয়ার সময়) আমার স্ত্রী আমাকে বলল, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর সাথীদের দিয়ে তুমি আমাকে লাঞ্ছিত কর না। তিনি বলেন, তারপর আমি তাঁর নিকট এসে চুপি চুপি তাঁকে বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমরা একটি বকরী যাবাহ করেছি আর আমাদের এক সা’ পরিমাণ যব ছিল আমার স্ত্রী তাই পিষে নিয়েছে। সুতরাং আপনি কয়েকজনকে সাথে নিয়ে আসুন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দরাজ কণ্ঠে বললেন, হে পরিখা খননকারীরা! জাবির তোমাদের জন্য কিছু খাবার তৈরী করেছে। তোমরা সকলে চলো। আর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (আমাকে বললেনঃ আমি না আসা পর্যন্ত তোমাদের ডেগ (চুলা থেকে) নামাবে না এবং খামীর দ্বারা রুটি প্রস্তত করবে না। আমি আসলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মানুষদের আগে আগে আসলেন। আমি আমার স্ত্রীর নিকট এলে সে আমাকে (তিরস্কার করে) বলল, তোমার ধ্বংস হোক, তোমার ধ্বংস হোক। আমি বললাম, আমি তাই করেছি, তুমি যাই আমাকে বলেছিলে। অতঃপর সে খামিরগুলো বের করলো তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার মধ্যে একটু লালা দিলেন এবং বারাকাতের দু’য়া করলেন। অতঃপর তিনি বললেন, রুটি প্রস্ততকারীনিকে ডাক, যে তোমার সঙ্গে রুটি প্রস্তত করবে। আর তুমি পাতিল হতে পেয়ালা ভরে ভরে নিবে। আর ডেগ (চুল্লি হতে) নামাবে না। তাঁরা ছিলেন মোট এক হাজার মানুষ। আল্লাহ্র নামে শপথ করছি! তাঁরা সকলে খাবার খেলেন। পরিশেষে তাঁরা তা রেখে এমনভাবে ফিরে গেলেন যে, আমাদের ডেগ আগের মতো উতলিয়ে পড়ছিল। আর আমাদের খামীর পূর্বের মতো রুটি প্রস্তত করা হচ্ছিল। (ই.ফা. ৫১৪২, ই.সে. ৫১৫৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২১১
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ، اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ قَالَ أَبُو طَلْحَةَ لأُمِّ سُلَيْمٍ قَدْ سَمِعْتُ صَوْتَ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ضَعِيفًا أَعْرِفُ فِيهِ الْجُوعَ فَهَلْ عِنْدَكِ مِنْ شَىْءٍ فَقَالَتْ نَعَمْ . فَأَخْرَجَتْ أَقْرَاصًا مِنْ شَعِيرٍ ثُمَّ أَخَذَتْ خِمَارًا لَهَا فَلَفَّتِ الْخُبْزَ بِبَعْضِهِ ثُمَّ دَسَّتْهُ تَحْتَ ثَوْبِي وَرَدَّتْنِي بِبَعْضِهِ ثُمَّ أَرْسَلَتْنِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَذَهَبْتُ بِهِ فَوَجَدْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَالِسًا فِي الْمَسْجِدِ وَمَعَهُ النَّاسُ فَقُمْتُ عَلَيْهِمْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” أَرْسَلَكَ أَبُو طَلْحَةَ ” . قَالَ فَقُلْتُ نَعَمْ . فَقَالَ ” أَلِطَعَامٍ ” . فَقُلْتُ نَعَمْ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِمَنْ مَعَهُ ” قُومُوا ” . قَالَ فَانْطَلَقَ وَانْطَلَقْتُ بَيْنَ أَيْدِيهِمْ حَتَّى جِئْتُ أَبَا طَلْحَةَ فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ أَبُو طَلْحَةَ يَا أُمَّ سُلَيْمٍ قَدْ جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالنَّاسِ وَلَيْسَ عِنْدَنَا مَا نُطْعِمُهُمْ فَقَالَتِ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ – قَالَ – فَانْطَلَقَ أَبُو طَلْحَةَ حَتَّى لَقِيَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَعَهُ حَتَّى دَخَلاَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” هَلُمِّي مَا عِنْدَكِ يَا أُمَّ سُلَيْمٍ ” . فَأَتَتْ بِذَلِكَ الْخُبْزِ فَأَمَرَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَفُتَّ وَعَصَرَتْ عَلَيْهِ أُمُّ سُلَيْمٍ عُكَّةً لَهَا فَأَدَمَتْهُ ثُمَّ قَالَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَقُولَ ثُمَّ قَالَ ” ائْذَنْ لِعَشَرَةٍ ” . فَأَذِنَ لَهُمْ فَأَكَلُوا حَتَّى شَبِعُوا ثُمَّ خَرَجُوا ثُمَّ قَالَ ” ائْذَنْ لِعَشَرَةٍ ” . فَأَذِنَ لَهُمْ فَأَكَلُوا حَتَّى شَبِعُوا ثُمَّ خَرَجُوا ثُمَّ قَالَ ” ائْذَنْ لِعَشَرَةٍ ” . حَتَّى أَكَلَ الْقَوْمُ كُلُّهُمْ وَشَبِعُوا وَالْقَوْمُ سَبْعُونَ رَجُلاً أَوْ ثَمَانُونَ .
আনাস ইব্নে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, (একদা) আবূ তালহাহ্ (রাঃ) উম্মু সুলায়ম (রাঃ)- কে বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর দুর্বল শব্দ শ্রবণ করে বুঝতে পেরেছি যে, তিনি ক্ষুধার্ত। তাই তোমার কাছে কিছু আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তিনি যবের কয়েক খণ্ড রুটি বের করলেন। তারপর তার ওড়না নিলেন এবং এটির একাংশ দিয়ে রুটিগুলো পেচিয়ে আমার কাপড়ের তলায় গুঁজে দিলেন এবং ওপর অংশ আমার দেহে জড়িয়ে দিলেন। অতঃপর আমাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে প্রেরণ করলেন। তিনি (আনাস) বলেন, আমি এগুলো নিয়ে এসে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –কে দেখতে পেলাম তিনি মসজিদে বসে আছেন। তাঁর সাথে আরও মানুষ ছিলেন। আমি তাঁদের নিকট গিয়ে দাঁড়ালাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমাকে আবূ তালহাহ প্রেরণ করেছেন? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, খাওয়ার ব্যাপারে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তারপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সাথীদের বললেন, সবাই চলো। আনাস (রাঃ) বলেন, তারপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গেলেন। আর আমি তাদের সামনে চলতে লাগলাম। পরিশেষে আমি আবূ তালহাহ (রাঃ)-এর কাছে এসে তাঁকে (ঘটনা) খবর দিলাম তখন আবূ তালহাহ (রাঃ) বললেন, হে উম্মু সুলায়ম (রাঃ)! রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তো লোকদের নিয়ে আসছেন, অথচ আমাদের কাছে সে পরিমাণ খাদ্য নেই যা দিয়ে তাঁদের আপ্যায়ন করতে পারি। [উম্মু সুলায়ম (রাঃ) বললেন, (তুমি উদ্বিগ্ন হয়ো না) আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। আনাস (রাঃ) বলেন, তারপর আবূ তালহাহ (রাঃ) যেয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর সাথে দেখা করলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সাথে এসে (উভয়ে) ঘরে ঢুকলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উম্মু সুলায়ম (রাঃ) –কে লক্ষ্য করে বললেন, হে উম্মু সুলায়ম! তোমার কাছে যা আছে নিয়ে আসো। তিনি সে রুটিগুলো তা সাথে করে নিয়ে আসলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নির্দেশ দান করলেন সেগুলো টুকরা টুকরা করা হলো। আর উম্মু সুলায়ম (রাঃ) চামড়া দ্বারা তৈরী ঘি-এর পাত্রটি চিপে সেটি সালুন হিসেবে দিলেন। আর এর ভিতরে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ্র ইচ্ছানুযায়ী কিছু পড়লেন। অতঃপর বললেন , দশজনকে আসতে বলো। তাদের ডাকা হলে এসে তৃপ্তির সাথে খাবার খেয়ে বেরিয়ে গেলেন। অতঃপর তিনি বললেন, আরো দশজনকে আসতে বলো। তাদের ডাকা হলে তারা পেট ভরে খেয়ে চলে গেলেন। পুনরায় তিনি বললেন, দশ জনকে ডাক। এভাবে দলের সকলে পেটপুরে খাবার খেলেন। সত্তর কিংবা আশিজন লোক তাদের দলে ছিল। (ই. ফা. ৫১৪৩, ই.সে. ৫১৫৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২১২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، – وَاللَّفْظُ لَهُ – حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا سَعْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، قَالَ بَعَثَنِي أَبُو طَلْحَةَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لأَدْعُوَهُ وَقَدْ جَعَلَ طَعَامًا – قَالَ – فَأَقْبَلْتُ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَعَ النَّاسِ فَنَظَرَ إِلَىَّ فَاسْتَحْيَيْتُ فَقُلْتُ أَجِبْ أَبَا طَلْحَةَ . فَقَالَ لِلنَّاسِ ” قُومُوا ” . فَقَالَ أَبُو طَلْحَةَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّمَا صَنَعْتُ لَكَ شَيْئًا – قَالَ – فَمَسَّهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَدَعَا فِيهَا بِالْبَرَكَةِ ثُمَّ قَالَ ” أَدْخِلْ نَفَرًا مِنْ أَصْحَابِي عَشَرَةً ” . وَقَالَ ” كُلُوا ” . وَأَخْرَجَ لَهُمْ شَيْئًا مِنْ بَيْنِ أَصَابِعِهِ فَأَكَلُوا حَتَّى شَبِعُوا فَخَرَجُوا فَقَالَ ” أَدْخِلْ عَشَرَةً ” . فَأَكَلُوا حَتَّى شَبِعُوا . فَمَا زَالَ يُدْخِلُ عَشَرَةً وَيُخْرِجُ عَشَرَةً حَتَّى لَمْ يَبْقَ مِنْهُمْ أَحَدٌ إِلاَّ دَخَلَ فَأَكَلَ حَتَّى شَبِعَ ثُمَّ هَيَّأَهَا فَإِذَا هِيَ مِثْلُهَا حِينَ أَكَلُوا مِنْهَا .
আনাস ইব্নে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবূ তালহাহ (রাঃ) কিছু খাদ্যের ব্যবস্থা করে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–কে দাওয়াত করার জন্য আমাকে প্রেরণ করলেন। আমি তাঁর নিকট গেলাম। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাথীদের সাথে ছিলেন। তিনি আমার প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করলেন। আমি লজ্জার সাথে বললাম, আপনি আবূ তালহার দাওয়াত কবুল করুন। তখন তিনি লোকদের বললেনঃ তোমরা সবাই চলো। আবূ তালহাহ (রাঃ) হে আল্লাহ্র রাসূল! আমি তো শুধুমাত্র আপনার জন্য সামান্য খাবার ব্যবস্থা করেছি। আনাস (রাঃ) বলেন, তারপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খাবারগুলো ছুঁয়ে দেখলেন এবং এতে বারাকাতের দু’য়া করলেন। অতঃপর বললেন, আমার সাথীদের মধ্য থেকে দশজন করে ঘরে নিয়ে এসো। তিনি তাঁদের বললেন, তোমরা খেতে থাক। তিনি তাঁদের জন্য তাঁর আঙ্গুলের মধ্য থেকে কিছু বের করে দিলেন। তাঁরা সকলে তৃপ্তি সহ খাওয়ার পর বেরিয়ে গেলেন। অতঃপর বললেন, আরো দশজনকে ঘরে নিয়ে এসো। তারাও আহার শেষে বের হয়ে গেলেন। এভাবে দশজন ঘরে প্রবেশ করে এবং দশজন বের হয়ে যায়। এমনকি তাদের মাঝ থেকে একজন বাকী থাকেনি যে ঘরে ঢুকেনি। অতঃপর তিনি পাত্র খুলে দেখলেন, সকলে আহার করার পূর্বে যেমন ছিল এখনও ঠিক তেমনি আছে। [১১] (ই. ফা. ৫১৪৪ ই.সে.৫১৫৬)
[১১] অর্থাৎ পাত্রের খাবার আগের যেমন ছিল সবাই খাওয়ার পর ঠিক তেমনই রয়ে গেল । এটা ছিল রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর মু’জিযা ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২১৩
وَحَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ يَحْيَى الأُمَوِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا سَعْدُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، قَالَ بَعَثَنِي أَبُو طَلْحَةَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِنَحْوِ حَدِيثِ ابْنِ نُمَيْرٍ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فِي آخِرِهِ ثُمَّ أَخَذَ مَا بَقِيَ فَجَمَعَهُ ثُمَّ دَعَا فِيهِ بِالْبَرَكَةِ – قَالَ – فَعَادَ كَمَا كَانَ فَقَالَ “ دُونَكُمْ هَذَا ” .
আনাস ইব্নে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবূ তালহাহ (রাঃ) আমাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে প্রেরণ করলেন। রাবী ইব্নে নুমায়র (রহঃ) –এর হাদীসের হুবহু বর্ণনা করেন। তবে হাদীসটির শেষাংশে তিনি বলেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বাকী অংশ জমা করে এতে বারাকাতের প্রার্থনা করলেন। আনাস (রাঃ) বলেন, ফলে তা (পূর্বে) যেমনি ছিল আবার তেমনি হয়ে গেল এবং তিনি বললেনঃ এবার তোমরা নাও। (ই. ফা. ৫১৪৫, ই. সে. ৫১৫৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২১৪
وَحَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ الرَّقِّيُّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ أَمَرَ أَبُو طَلْحَةَ أُمَّ سُلَيْمٍ أَنْ تَصْنَعَ، لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم طَعَامًا لِنَفْسِهِ خَاصَّةً ثُمَّ أَرْسَلَنِي إِلَيْهِ . وَسَاقَ الْحَدِيثَ وَقَالَ فِيهِ فَوَضَعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَدَهُ وَسَمَّى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ ” ائْذَنْ لِعَشَرَةٍ ” . فَأَذِنَ لَهُمْ فَدَخَلُوا فَقَالَ ” كُلُوا وَسَمُّوا اللَّهَ ” . فَأَكَلُوا حَتَّى فَعَلَ ذَلِكَ بِثَمَانِينَ رَجُلاً . ثُمَّ أَكَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بَعْدَ ذَلِكَ وَأَهْلُ الْبَيْتِ وَتَرَكُوا سُؤْرًا .
আনাস ইব্নে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একমাত্র নবী(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর জন্য খাবার তৈরী করতে আবূ তালহাহ (রাঃ) উম্মু সুলায়ম (রাঃ)–কে আদেশ করলেন। অতঃপর তিনি আমাকে তাঁর কাছে প্রেরণ করলেন। অতঃপর রাবী শেষ পর্যন্ত হাদীস তি রিওয়ায়াত করেন। এ হাদীসে তিনি বলেছেন, অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাতে হাত-রাখলেন এবং আল্লাহ্র নাম স্মরণ করলেন। অতঃপর বললেন, দশজনকে ডাকো। তাদের ডাকলে তারা ঘরে ঢুকলো। তিনি বললেন, তোমরা ‘বিসমিল্লাহ’ (আল্লাহ্র নামে) বলে খাওয়া শুরু করো। তারা আহার করলো। এভাবে আশিজনের সাথে এ রকম করলেন। সবশেষে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও ঘরের লোকেরা খাবার খেলেন এবং কিয়দংশ রেখে গেলেন। (ই. ফা. ৫১৪৬, ই. সে. ৫১৫৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২১৫
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، . بِهَذِهِ الْقِصَّةِ فِي طَعَامِ أَبِي طَلْحَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ فِيهِ فَقَامَ أَبُو طَلْحَةَ عَلَى الْبَابِ حَتَّى أَتَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّمَا كَانَ شَىْءٌ يَسِيرٌ . قَالَ “ هَلُمَّهُ فَإِنَّ اللَّهَ سَيَجْعَلُ فِيهِ الْبَرَكَةَ ” .
আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) –এর সনদ থেকে বর্ণিতঃ
আবূ তালহাহ্ (রাঃ)- এর খাবারের এ বর্ণনাটি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে রিওয়ায়াত করেছেন। এর মধ্যে রাবী বলেছেন, তারপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আগমনের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত আবূ তালহাহ্ (রাঃ) দরজায় দাঁড়িয়ে থাকলেন। তারপর তাঁকে বললেন, হে আল্লহার রাসূল! এতো কিছু মাত্র (অল্প খাবার)। তিনি বললেন, তাই নিয়ে আসো। আল্লাহ অবশ্যই এতে বারাকাত দান করবেন। (ই.ফা ৫১৪৭, ই.সে. ৫১৫৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২১৬
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ الْبَجَلِيُّ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا الْحَدِيثِ وَقَالَ فِيهِ ثُمَّ أَكَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَكَلَ أَهْلُ الْبَيْتِ وَأَفْضَلُوا مَا أَبْلَغُوا جِيرَانَهُمْ .
আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন। এতে বর্ণনাকারী বলেছেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খাবার খেলেন। ঘরের অধিকারীরা ও খাবার খেলো এবং তাদের প্রতিবেশীদের কাছে পৌঁছানোর জন্য কিয়দাংশ রাখলেন। (ই.ফা. ৫১৪৮, ই.সে. ৫১৬০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২১৭
وَحَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ جَرِيرَ بْنَ زَيْدٍ، يُحَدِّثُ عَنْ عَمْرِو بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ رَأَى أَبُو طَلْحَةَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُضْطَجِعًا فِي الْمَسْجِدِ يَتَقَلَّبُ ظَهْرًا لِبَطْنٍ فَأَتَى أُمَّ سُلَيْمٍ فَقَالَ إِنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُضْطَجِعًا فِي الْمَسْجِدِ يَتَقَلَّبُ ظَهْرًا لِبَطْنٍ وَأَظُنُّهُ جَائِعًا . وَسَاقَ الْحَدِيثَ وَقَالَ فِيهِ ثُمَّ أَكَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو طَلْحَةَ وَأُمُّ سُلَيْمٍ وَأَنَسُ بْنُ مَالِكٍ وَفَضَلَتْ فَضْلَةٌ فَأَهْدَيْنَاهُ لِجِيرَانِنَا .
আনাস ইব্নে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবূ তালহাহ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–কে মাসজিদে শয়ন করে ও পিঠ উপর-নিচ করতে দেখলেন। তখন তিনি উম্মু সুলায়ম (রাঃ)-এর সন্নিকটে এসে বসলেন। আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –কে মাসজিদে শয়ন করে পেট ও পিঠ উপর-নীচ করতে লক্ষ্য করেছি। আমার ধারণা হল , তিনি ক্ষুধার্ত। তারপর রাবী শেষ পর্যন্ত হাদীস টি বর্ণনা করেন। এতে তিনি বলেছেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ তালহাহ (রাঃ), উম্মু সুলায়ম (রাঃ) ও আনাস (রাঃ) খাবার খেলেন। সামান্য অবশিষ্ট রয়ে গেলে আমরা সেটা প্রতিবেশীরদের কাছে উপটৌকন প্রেরণ করলাম। (ই. ফা. ৫১৪৯, ই . সে. ৫১৬১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২১৮
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى التُّجِيبِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ، أَنَّحَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ جِئْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا فَوَجَدْتُهُ جَالِسًا مَعَ أَصْحَابِهِ يُحَدِّثُهُمْ وَقَدْ عَصَّبَ بَطْنَهُ بِعِصَابَةٍ – قَالَ أُسَامَةُ وَأَنَا أَشُكُّ – عَلَى حَجَرٍ فَقُلْتُ لِبَعْضِ أَصْحَابِهِ لِمَ عَصَّبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَطْنَهُ فَقَالُوا مِنَ الْجُوعِ . فَذَهَبْتُ إِلَى أَبِي طَلْحَةَ وَهُوَ زَوْجُ أُمِّ سُلَيْمٍ بِنْتِ مِلْحَانَ فَقُلْتُ يَا أَبَتَاهُ قَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَصَّبَ بَطْنَهُ بِعِصَابَةٍ فَسَأَلْتُ بَعْضَ أَصْحَابِهِ فَقَالُوا مِنَ الْجُوعِ . فَدَخَلَ أَبُو طَلْحَةَ عَلَى أُمِّي فَقَالَ هَلْ مِنْ شَىْءٍ فَقَالَتْ نَعَمْ عِنْدِي كِسَرٌ مِنْ خُبْزٍ وَتَمَرَاتٌ فَإِنْ جَاءَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَحْدَهُ أَشْبَعْنَاهُ وَإِنْ جَاءَ آخَرُ مَعَهُ قَلَّ عَنْهُمْ . ثُمَّ ذَكَرَ سَائِرَ الْحَدِيثِ بِقِصَّتِهِ .
আনাস ইব্নে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি একদিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর কাছে এসে তাঁকে দেখলাম, তিনি সাহাবীদের সাথে বসে আলোচনায় রত আছেন এবং এবং তিনি তাঁর পেট একটি কাপড়ের টুকরো দিয়ে বেঁধে রেখেছেন। বর্ণনাকারী উসামাহ্ বলেন, পাথর সহ ছিল কি-না এতে আমার মনে সন্দেহের উদ্রেক হয়েছে। আমি তাঁর কোন এক সাহাবীকে প্রশ্ন করলাম, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর পেট কেন বেধে রেখেছেন? তাঁরা বললেন, ক্ষুধার তাড়নায়। তারপর আমি আবূ তালহাহ (রাঃ)-এর কাছে গেলাম। তিনি উম্মু সুলায়ম বিনতে মিলহান (রাঃ) –এর স্বামী ছিলেন। আমি বললাম, আব্বা! আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –কে প্রত্যক্ষ করলাম, তিনি বস্ত্র দ্বারা তাঁর পেট বেঁধে রেখেছেন। আমি তাঁর এক সাহাবীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বললেন, ক্ষুধার যন্ত্রণায়। অতঃপর আবূ তালহাহ (রাঃ) আমার মায়ের নিকট গিয়ে বললেন, কিছু আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ; আমার কাছে কয়েক টুকরা রুটি আর কিছু খেজুর আছে। যদি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের ঘরে একাকী আসেন, তাহলে আমরা তাঁকে তৃপ্তি সহকারে আহার করাতে পারি। আর যদি ভিন্ন কেউ তাঁর সাথে তাহলে তাঁদের সামান্য হবে। অতঃপর বর্ণনাকারী ঘটনা সহ পূর্ব হাদীস টি বর্ণনা করেন। (ই. ফা. ৫১৫০, ই. সে. ৫১৬২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫২১৯
وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا حَرْبُ بْنُ مَيْمُونٍ، عَنِ النَّضْرِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي طَعَامِ أَبِي طَلْحَةَ نَحْوَ حَدِيثِهِمْ .
আনাস ইবনে মালিক (রাঃ)-এর সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে আবূ তালহার আহারের ব্যাপারে তাঁদের (উপরোল্লিখিত রাবীদের) হাদীসের হুবহু বর্ণনা করেন। ( ই. ফা. ৫১৫১, ই. সে. ৫১৬৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস