বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম; আজকে আলোচনা করব দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাঁচার দোয়া এবং আমল সম্পর্কে।
দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাঁচার দোয়া
দাজ্জালের ফিতনা এক মহা ভয়াবহ ফিতনা যার মতো ভয়াবহ ফিতনা সৃষ্টির শুরু থেকে কিয়ামত পর্যন্ত আর নেই; তাই রাসুল সঃ আল্লাহর নিকটে দোয়া করতেন; যেন তিনি তাকে দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা করেন এবং রাসুল সঃ আমাদেরকেও সেই দোয়া শিক্ষা দিয়েছেন।
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা কেউ যখন সলাতে তাশাহহুদ পড় তখন চারটি জিনিস থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রার্থনা করবে। এ বলে দুআ করবেঃ আল্লহুম্মা ইন্নী আ’ঊযুবিকা মিন ‘আযা-বি জাহান্নাম ওয়ামিন আযা-বিল কবরি ওয়া মিন ফিতনাতিল মাহইয়া- ওয়াল মামা-তি ওয়ামিন শাররি ফিতনাতিল মাসীহিদ দাজ্জা-ল; অর্থাৎ, হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে জাহান্নাম থেকে, কবরের আযাব থেকে, জীবন ও মৃত্যুর ফিতনাহ থেকে এবং মাসীহ দাজ্জালের ফিতনার থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
সহিহ মুসলিম ১২১১
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’আ করতেন, হে আল্লাহ্! আমি আপনার সমীপে পানাহ চাচ্ছি ক্ববরের শাস্তি হতে, জাহান্নামের শাস্তি হতে, জীবন ও মরণের ফিত্নাহ হতে এবং মাসীহ্ দাজ্জাল এর ফিত্নাহ হতে।
সহিহ বুখারী ১৩৭৭
আবু দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সূরা আল কাহাফ এর প্রথম দশটি আয়াত মুখস্থ করবে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে।
সহিহ মুসলিম ১৭৬৮
নাওয়াস ইবনে সামআন থেকে বর্ণিতঃ
রাসুল সঃ বলেছেন, তোমাদের মধ্য থেকে যে ব্যক্তি দাজ্জালকে পেয়ে বসবে সে যেন তার বিপক্ষে সূরা কাহাফের প্রথম অংশ পাঠ করে।
সহিহ হাদিসে কুদসী ১৬২
উক্ত হাদিসগুলি থেকে আমরা দুইটি বিষয় বুঝতে পারলাম।
একটি হলো নিয়মিতভাবে সালাতে তাশাশহুহ পড়ার পর উক্ত দোয়াটি পড়তে হবে; অবশ্য অন্য একটি বর্ণনায় আছে যে, শেষ বৈঠকে তাশাহহুদের পর দোয়াটি পড়তে হবে।
আর দ্বিতীয় বিষয়টি হলো যে ব্যক্তি দাজ্জালকে পেয়ে যাবে সে যেন দাজ্জালের বিপক্ষে সুরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াত তিলাওয়াত করে; তাহলে আল্লাহ তায়ালা তাকে দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা করবেন ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে বিষয়গুলি সঠিকভাবে বুঝার ও আমল করার তাওফিক দান করুক এবং আমাদেরকে দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা করুক। আল্লাহুম্মা আমীন।