আহমদ মুসনাদে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) [উমারের বর্ণিত হাদীস] অধ্যায় ৭ম ভাগ হাদিস নং ৩৬১ – ৩৯৮

পরিচ্ছেদঃ

৩৬১। হাদীস নং ২২৯ দ্রষ্টব্য।

২২৯। আবদুল্লাহ ইবনে সারজিস থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উমার (রাঃ) কে দেখেছি, হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন করছিলেন এবং বলছিলেন, আমি তোমাকে চুম্বন করছি। আমি জানি, তুমি একটি পাথর মাত্র, ক্ষতি বা উপকার কিছুই করতে পার না। আমি যদি না দেখতাম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাকে চুম্বন করেছেন, তাহলে তোমাকে চুম্বন করতাম না।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) [উমারের বর্ণিত হাদীস] (مسند عمر بن الخطاب)

পরিচ্ছেদঃ

৩৬২। শু’বা বলেন, জুয়াইরিয়া ইবনে কুদামার উদ্ধৃতি দিয়ে আবু জামরা আয-যুবাইকে বলতে শুনেছি, ইবনে কুদামা বলেনঃ যে বছর উমার (রাঃ) আহত হলেন, সে বছর আমি হজ্জ করার পর মদীনায় এলাম। উমার (রাঃ) ভাষণ দিলেন। বললেন, আমি স্বপ্নে দেখলাম, যেন একটা মোরগ আমাকে একটা বা দুইটা ঠোকর মারলো। (সংশয় প্রকাশ করেছেন শুবা) অতঃপর ঘটনা ছিল এই যে, তিনি ছুরিকাহত হলেন। এরপর তার কাছে আসতে সকলকে অনুমতি দেয়া হলো। সর্বপ্রথম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীগণ তার কক্ষে প্রবেশ করলো। তারপর মদীনাবাসী, তারপর সিরিয়াবাসী, তারপর ইরাকবাসীকে অনুমতি দেয়া হলো। এই সময়ে আমি অন্যান্য প্রবেশকারীর সাথে প্রবেশ করলাম। যারাই তার নিকট আসছিল, তার প্রশংসা ও বিলাপ করছিল। আমরা যখন তার নিকট গেলাম, তখন তার পেট একটা কালো পাগড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল এবং রক্ত বয়ে যাচ্ছিল। আমরা বললাম, আমাদেরকে ওয়াসিয়াত করুন। বস্তুত আমরা ছাড়া তার কাছে আর কেউ ওয়াসিয়াতের অনুরোধ করেনি। উমার (রাঃ) ওয়াসিয়াত করলেনঃ তোমরা আল্লাহর কিতাবকে আঁকড়ে ধর। কারণ যতক্ষণ তোমরা আল্লাহর কিতাবের অনুসরণ করবে, ততক্ষণ বিপথগামী হবে না।

আমরা আবার বললাম, আমাদেরকে ওয়াসিয়াত করুন। তিনি বললেনঃ আমি তোমাদেরকে মুহাজিরদের প্রতি যত্নবান হবার ওয়াসিয়াত করছি। কেননা অন্যান্য মানুষের সংখ্যা ক্রমশ বাড়বে, আর মুহাজিরদের সংখ্যা ক্রমশ কমবে। আর আনসারদের ব্যাপারেও তোমাদেরকে ওয়াসিয়াত করছি। কেননা তারা হলো ইসলামের সেই সুরক্ষিত গিরিগুহা, যার নিকট ইসলাম আশ্রয় নিয়েছিল। আর মরুবাসীদের সম্পর্কে তোমাদেরকে ওয়াসিয়াত করছি। কেননা তারা তোমাদের মূল ও উৎস। আর তোমরা যাদের জিম্মাদার হয়েছ, (অমুসলিম নাগরিক) তাদের সম্পর্কে ওয়াসিয়াত করছি। কেননা তারা তোমাদের নবীর অঙ্গীকারের পাত্র এবং তোমাদের পরিবার পরিজনের জীবিকার যোগানদাতা। এবার তোমরা আমার কাছ থেকে চলে যাও। এ কথাগুলোর পর তিনি আমাদেরকে আর কিছু বলেননি। শু’বা বলেনঃ অতঃপর আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি মরুবাসী সম্পর্কে বললেনঃ আমি তোমাদেরকে মরুবাসী সম্পর্কে ওয়াসিয়াত করছি। কেননা তারা তোমাদের ভাই এবং তোমাদের শত্রুদের শত্রু।

[বুখারী-৩১৬২]

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا جَمْرَةَ الضُّبَعِيَّ، يُحَدِّثُ عَنْ جُوَيْرِيَةَ بْنِ قُدَامَةَ، قَالَ: حَجَجْتُ فَأَتَيْتُ الْمَدِينَةَ الْعَامَ الَّذِي أُصِيبَ فِيهِ عُمَرُ، قَالَ: فَخَطَبَ فَقَالَ: إِنِّي رَأَيْتُ كَأَنَّ دِيكًا أَحْمَرَ نَقَرَنِي نَقْرَةً أَوْ نَقْرَتَيْنِ – شُعْبَةُ الشَّاكُّ -. فَكَانَ مِنْ أَمْرِهِ أَنَّهُ طُعِنَ، فَأُذِنَ لِلنَّاسِ عَلَيْهِ، فَكَانَ أَوَّلَ مَنْ دَخَلَ عَلَيْهِ أَصْحَابُ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ أَهْلُ الْمَدِينَةِ، ثُمَّ أَهْلُ الشَّامِ، ثُمَّ أُذِنَ لِأَهْلِ الْعِرَاقِ، فَدَخَلْتُ فِيمَنْ دَخَلَ، قَالَ: فَكَانَ كُلَّمَا دَخَلَ عَلَيْهِ قَوْمٌ أَثْنَوْا عَلَيْهِ وَبَكَوْا.

قَالَ: فَلَمَّا دَخَلْنَا عَلَيْهِ، قَالَ: وَقَدْ عَصَبَ بَطْنَهُ بِعِمَامَةٍ سَوْدَاءَ، وَالدَّمُ يَسِيلُ، قَالَ: فَقُلْنَا: أَوْصِنَا، قَالَ: وَمَا سَأَلَهُ الْوَصِيَّةَ أَحَدٌ غَيْرُنَا، فَقَالَ: عَلَيْكُمْ بِكِتَابِ اللهِ، فَإِنَّكُمْ لَنْ تَضِلُّوا مَا اتَّبَعْتُمُوهُ. فَقُلْنَا: أَوْصِنَا، فَقَالَ: أُوصِيكُمْ بِالْمُهَاجِرِينَ، فَإِنَّ النَّاسَ سَيَكْثُرُونَ وَيَقِلُّونَ، وَأُوصِيكُمْ بِالْأَنْصَارِ، فَإِنَّهُمْ شَعْبُ الْإِسْلامِ الَّذِي لَجِأَ إِلَيْهِ، وَأُوصِيكُمْ بِالْأَعْرَابِ، فَإِنَّهُمْ أَصْلُكُمْ وَمَادَّتُكُمْ، وَأُوصِيكُمْ بِأَهْلِ ذِمَّتِكُمْ، فَإِنَّهُمْ عَهْدُ نَبِيِّكُمْ، وَرِزْقُ عِيَالِكُمْ، قُومُوا عَنِّي. قَالَ: فَمَا زَادَنَا عَلَى هَؤُلاءِ الْكَلِمَات

قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ: قَالَ شُعْبَةُ: ثُمَّ سَأَلْتُهُ بَعْدَ ذَلِكَ، فَقَالَ فِي الْأَعْرَابِ: وَأُوصِيكُمْ بِالْأَعْرَابِ فَإِنَّهُمْ إِخْوَانُكُمْ، وَعَدُوُّ عَدُوِّكُمْ

 

إسناده صحيح على شرط البخاري، رجاله ثقات رجال الشيخين غير جويرية بن قدامة، فمن رجال البخاري. أبو جمرة الضبعي: هو نصر بن عِمران

وأخرجه الطيالسي (66) ، وابن أبي شيبة 14 / 581، وابن سعد 3 / 336 – 337، والبخاري (3162) ، وابن شبة في ” تاريخ المدينة ” 3 / 936 – 937 من طرق عن شعبة، بهذا الإسناد. وانظر ما بعده

وروى عمرو بن ميمون نحو هذا عن عمر، انظر تخريج حديثه في ” صحيح ابن حبان ” (6917)

حدثنا محمد بن جعفر، حدثنا شعبة، قال: سمعت أبا جمرة الضبعي، يحدث عن جويرية بن قدامة، قال: حججت فأتيت المدينة العام الذي أصيب فيه عمر، قال: فخطب فقال: إني رأيت كأن ديكا أحمر نقرني نقرة أو نقرتين – شعبة الشاك -. فكان من أمره أنه طعن، فأذن للناس عليه، فكان أول من دخل عليه أصحاب النبي صلى الله عليه وسلم، ثم أهل المدينة، ثم أهل الشام، ثم أذن لأهل العراق، فدخلت فيمن دخل، قال: فكان كلما دخل عليه قوم أثنوا عليه وبكوا. قال: فلما دخلنا عليه، قال: وقد عصب بطنه بعمامة سوداء، والدم يسيل، قال: فقلنا: أوصنا، قال: وما سأله الوصية أحد غيرنا، فقال: عليكم بكتاب الله، فإنكم لن تضلوا ما اتبعتموه. فقلنا: أوصنا، فقال: أوصيكم بالمهاجرين، فإن الناس سيكثرون ويقلون، وأوصيكم بالأنصار، فإنهم شعب الإسلام الذي لجأ إليه، وأوصيكم بالأعراب، فإنهم أصلكم ومادتكم، وأوصيكم بأهل ذمتكم، فإنهم عهد نبيكم، ورزق عيالكم، قوموا عني. قال: فما زادنا على هؤلاء الكلمات قال محمد بن جعفر: قال شعبة: ثم سألته بعد ذلك، فقال في الأعراب: وأوصيكم بالأعراب فإنهم إخوانكم، وعدو عدوكم إسناده صحيح على شرط البخاري، رجاله ثقات رجال الشيخين غير جويرية بن قدامة، فمن رجال البخاري. أبو جمرة الضبعي: هو نصر بن عمران وأخرجه الطيالسي (66) ، وابن أبي شيبة 14 / 581، وابن سعد 3 / 336 – 337، والبخاري (3162) ، وابن شبة في ” تاريخ المدينة ” 3 / 936 – 937 من طرق عن شعبة، بهذا الإسناد. وانظر ما بعده وروى عمرو بن ميمون نحو هذا عن عمر، انظر تخريج حديثه في ” صحيح ابن حبان ” (6917)

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) [উমারের বর্ণিত হাদীস] (مسند عمر بن الخطاب)

 ৩৬৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

৩৬৩। জুয়াইরিয়া ইবনে কুদামার উদ্ধৃতি দিয়ে শুবা বলেন, যে বছর উমার (রাঃ) আহত হন, সে বছর আমি হজ্জ করলাম এবং মদীনায় এলাম। তিনি ভাষণ দিলেন। বললেনঃ আমি স্বপ্ন দেখলাম যেন একটা লাল মোরগ আমাকে একটা বা দুইটা ঠোকর মারলো। (শু’বার সংশয়)। জুয়াইরিয়া বলেনঃ এরপর এক জুমুআ না যেতেই তিনি ছুরিকাহত হলেন। এরপর পূর্বোক্ত হাদীসের মতই বিবরণ দিলেন। কেবল এতটুকু পার্থক্য যে, তিনি বললেনঃ অমুসলিমদের সম্পর্কে তোমাদেরকে ওয়াসিয়াত করছি। কেননা তারা তোমাদের নবীর দায়ভুক্ত। শু’বা বলেনঃ পুনরায় তাকে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি মরুবাসীদের সম্পর্কে বললেনঃ তোমাদেরকে মরুবাসী সম্পর্কে ওয়াসিয়াত করছি। কেননা তারা তোমাদের ভাই এবং তোমাদের শত্রুর শত্রু।

حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، سَمِعْتُ أَبَا جَمْرَةَ الضُّبَعِيَّ يُحَدِّثُ عَنْ جُوَيْرِيَةَ بْنِ قُدَامَةَ، قَالَ: حَجَجْتُ فَأَتَيْتُ الْمَدِينَةَ الْعَامَ الَّذِي أُصِيبَ فِيهِ عُمَرُ، قَالَ: فَخَطَبَ فَقَالَ: إِنِّي رَأَيْتُ كَأَنَّ دِيكًا أَحْمَرَ نَقَرَنِي نَقْرَةً أَوْ نَقْرَتَيْنِ – شُعْبَةُ الشَّاكُّ – قَالَ: فَمَا لَبِثَ إِلَّا جُمُعَةً حَتَّى طُعِنَ … فَذَكَرَ مِثْلَهُ، إِلَّا أَنَّهُ قَالَ: وَأُوصِيكُمْ بِأَهْلِ ذِمَّتِكُمْ، فَإِنَّهُمْ ذِمَّةُ نَبِيِّكُم

قَالَ شُعْبَةُ: ثُمَّ سَأَلْتُهُ بَعْدَ ذَلِكَ، فَقَالَ فِي الْأَعْرَابِ: وَأُوصِيكُمْ بِالْأَعْرَابِ، فَإِنَّهُمْ إِخْوَانُكُمْ، وَعَدُوُّ عَدُوِّكُمْ

 

إسناده صحيح على شرط البخاري. حجاج: هو ابن محمد المصيصي. انظر ماقبلَه

حدثنا حجاج، أخبرنا شعبة، سمعت أبا جمرة الضبعي يحدث عن جويرية بن قدامة، قال: حججت فأتيت المدينة العام الذي أصيب فيه عمر، قال: فخطب فقال: إني رأيت كأن ديكا أحمر نقرني نقرة أو نقرتين – شعبة الشاك – قال: فما لبث إلا جمعة حتى طعن … فذكر مثله، إلا أنه قال: وأوصيكم بأهل ذمتكم، فإنهم ذمة نبيكم قال شعبة: ثم سألته بعد ذلك، فقال في الأعراب: وأوصيكم بالأعراب، فإنهم إخوانكم، وعدو عدوكم إسناده صحيح على شرط البخاري. حجاج: هو ابن محمد المصيصي. انظر ماقبله

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) [উমারের বর্ণিত হাদীস] (مسند عمر بن الخطاب)

 ৩৬৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

৩৬৪। হাদীস নং ১১০ দ্রষ্টব্য।

১১০। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, অত্যন্ত সন্তোষভাজন কতিপয় ব্যক্তি, যাদের মধ্যে উমার (রাঃ) অন্যতম এবং আমার নিকট উমারই সর্বাপেক্ষা সন্তোষভাজন ব্যক্তি, আমার নিকট সাক্ষ্য প্রদান করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেনঃ আসরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোন নামায নেই এবং ফজরের পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত কোন নামায নেই।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) [উমারের বর্ণিত হাদীস] (مسند عمر بن الخطاب)

 ৩৬৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

৩৬৫। সুয়াইদ বিন গাফলাহ বর্ণনা করেন যে, উমার (রাঃ) জাবিয়াতে জনসাধারণকে সম্বোধন করে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই আঙ্গুল, তিন আঙ্গুল বা চার আঙ্গুল পরিমাণের চেয়ে বেশি রেশম পরিধান করতে নিষেধ করেছেন। তিনি নিজের হাতের তালু দ্বারা ইঙ্গিত করলেন।

[মুসলিম, ইবনু হিব্বান]

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ سُوَيْدِ بْنِ غَفَلَةَ: أَنَّ عُمَرَ خَطَبَ النَّاسَ بِالْجَابِيَةِ، فَقَالَ: نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ لُبْسِ الْحَرِيرِ إِلَّا مَوْضِعَ أُصْبُعَيْنِ، أَوْ ثَلاثَةٍ، أَوْ أَرْبَعَةٍ، وَأَشَارَ بِكَفِّهِ

 

حديث صحيح، رجاله ثقات رجال الشيخين. وقد روي هذا الحديثُ مرفوعاً وموقوفاً، والطريقان جميعاً محفوظان

وأخرجه مرفوعاً مسلم (2069) (15) ، وأبو عوانة 5 / 460، والبيهقي 2 / 423 من طريق عبد الوهاب بن عطاء، وأبو عوانة 5 / 457 من طريق شعيب بن إسحاق، كلاهما عن سعيد بن أبي عَروبة، بهذا الإسناد

وأخرجه مسلم (2069) (15) ، والترمذي (1721) ، والنسائي في ” الكبرى ” (9630) ، والطحاوي 4 / 244، وأبو عوانة 5 / 458، وابن حبان (5441) ، وأبونعيم في ” الحلية ” 4 / 176 – 177، والبيهقي 3 / 269 من طريق هشام الدستوائي، عن قتادة، به. قال الترمذي: حديث حسن صحيح

وأخرجه أبو عوانة 5 / 460 من طريق داود بن أبي هند، وأبو نعيم 4 / 176 من طريق أبي حصين، كلاهما عن عامر الشعبي، به

وأخرجه موقوفاً النسائي في ” الكبرى ” (9631) من طريق داود بن أبي هند و (9632) من طريق إسماعيل بن أبي خالد، والنسائي في ” الكبرى ” (9633) ، و” المجتبى ” 8 / 202، والطحاوي 4 / 248 من طريق وبرة بن عبد الرحمن، ثلاثتهم عن الشعبي، به

وأخرجه النسائي في ” الكبرى ” (9634) ، وفي ” المجتبى ” 8 / 202 من طريق إبراهيم النخعي، عن سويد بن غَفَلة، به

وأخرجه أبو عوانة 5 / 461 من طريق عبد الله بن المبارك، عن زكريا بن أبي زائدة، عن الشعبي، عن سويد بن غَفَلَة: أنه أتانا عمر في وفدٍ عليهم الدِّيباجُ.. وذكر الحديث

فلم يُبين فيه الرفع أوالوقف. والجابية: قرية جنوب غربي دمشق

حدثنا محمد بن جعفر، حدثنا سعيد، عن قتادة، عن الشعبي، عن سويد بن غفلة: أن عمر خطب الناس بالجابية، فقال: نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم عن لبس الحرير إلا موضع أصبعين، أو ثلاثة، أو أربعة، وأشار بكفه حديث صحيح، رجاله ثقات رجال الشيخين. وقد روي هذا الحديث مرفوعا وموقوفا، والطريقان جميعا محفوظان وأخرجه مرفوعا مسلم (2069) (15) ، وأبو عوانة 5 / 460، والبيهقي 2 / 423 من طريق عبد الوهاب بن عطاء، وأبو عوانة 5 / 457 من طريق شعيب بن إسحاق، كلاهما عن سعيد بن أبي عروبة، بهذا الإسناد وأخرجه مسلم (2069) (15) ، والترمذي (1721) ، والنسائي في ” الكبرى ” (9630) ، والطحاوي 4 / 244، وأبو عوانة 5 / 458، وابن حبان (5441) ، وأبونعيم في ” الحلية ” 4 / 176 – 177، والبيهقي 3 / 269 من طريق هشام الدستوائي، عن قتادة، به. قال الترمذي: حديث حسن صحيح وأخرجه أبو عوانة 5 / 460 من طريق داود بن أبي هند، وأبو نعيم 4 / 176 من طريق أبي حصين، كلاهما عن عامر الشعبي، به وأخرجه موقوفا النسائي في ” الكبرى ” (9631) من طريق داود بن أبي هند و (9632) من طريق إسماعيل بن أبي خالد، والنسائي في ” الكبرى ” (9633) ، و” المجتبى ” 8 / 202، والطحاوي 4 / 248 من طريق وبرة بن عبد الرحمن، ثلاثتهم عن الشعبي، به وأخرجه النسائي في ” الكبرى ” (9634) ، وفي ” المجتبى ” 8 / 202 من طريق إبراهيم النخعي، عن سويد بن غفلة، به وأخرجه أبو عوانة 5 / 461 من طريق عبد الله بن المبارك، عن زكريا بن أبي زائدة، عن الشعبي، عن سويد بن غفلة: أنه أتانا عمر في وفد عليهم الديباج.. وذكر الحديث فلم يبين فيه الرفع أوالوقف. والجابية: قرية جنوب غربي دمشق

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) [উমারের বর্ণিত হাদীস] (مسند عمر بن الخطاب)

 ৩৬৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

৩৬৬। হাদীস নং ১৮০ দ্রষ্টব্য।

১৮০। উমার (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মৃত ব্যক্তির জন্য কাঁদলে কবরে মৃত ব্যক্তিকে শাস্তি দেয়া হয়।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) [উমারের বর্ণিত হাদীস] (مسند عمر بن الخطاب)

 ৩৬৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

৩৬৭। জিবরীলের হাদীস হাদীস নং ১৮৪ দ্রষ্টব্য।

১৮৪। ইয়াহইয়া বিন ইয়ামার এবং হুমাইদ বিন আবদুর রহমান আল-হিময়ারী বলেন, আমরা উভয়ে আবদুল্লাহ ইবনে উমারের সাথে সাক্ষাত করলাম। তখন অদৃষ্ট ও তদসংক্রান্ত বিষয়ে লোকদের ধ্যান ধারণার কথা উল্লেখ করলাম। আবদুল্লাহ ইবনে উমার বললেন, তোমরা যখন তাদের নিকট ফিরে যাবে, তখন বলবে, আবদুল্লাহ ইবনে উমার তোমাদের থেকে দায়মুক্ত আর তোমরা তার থেকে দায়মুক্ত। এ কথা তিনবার বললেন। (অর্থাৎ অদৃষ্ট সম্পর্কে প্রচলিত ধ্যান ধারণার সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। তিনি এর সমর্থকও নন, বিরোধীও নন।—অনুবাদক) তারপর বললেন, আমাকে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বলেছেন যে, তাঁরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট উপস্থিত ছিলেন, সহসা তার নিকট এমন এক ব্যক্তি পদব্রজে এল, যার চেহারা ও চুল চমৎকার এবং পরিধানে সাদা কাপড় ছিল। উপস্থিত লোকেরা মুখ চাওয়া চাওয়ি করতে লাগলো। আমরা কেউ তাকে চিনিওনা, আর সে কোন মুসাফিরও নয়।

তারপর বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমি কি আপনার কাছে আসবো? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তারপর সে এল এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাঁটুর সাথে হাঁটু গেড়ে এবং নিজের উরুদ্বয়ের ওপর হাত রেখে বসলো। তারপর জিজ্ঞেস করলো, ইসলাম কী? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার রাসূল, আর নামায কায়েম করবে, যাকাত দেবে, রমযানে রোযা রাখবে এবং আল্লাহর ঘরে হজ্জ আদায় করবে। সে বললো, ঈমান কী? তিনি বললেনঃ তুমি আল্লাহ, তার ফেরেশতা, জান্নাত, জাহান্নাম, মৃত্যুর পর পুনরুজীবিত হওয়া ও সব রকমের ভাগ্যের প্রতি ঈমান আনবে।

সে বললোঃ ইহসান কী? তিনি বললেনঃ আল্লাহর জন্য কাজ করবে এমনভাবে যেন তাকে তুমি দেখছ, আর যদি তুমি তাকে না দেখ, তবে নিশ্চয়ই তিনি তোমাকে দেখছেন। সে বললোঃ কিয়ামত কবে হবে? তিনি বললেন, জিজ্ঞাসাকারীর চেয়ে জিজ্ঞাসিত ব্যক্তি এ ব্যাপারে বেশি জানে না। সে বললো কিয়ামতের নিদর্শনাবলী কী কী? তিনি বললেনঃ এক সময় যারা নগ্ন থাকতো, খালি পায়ে চলতো ও ছাগল চরাতো, তারা বড় বড় অট্রালিকায় বসে দম্ভ করবে এবং দাসীরা এমন সন্তান জন্ম দেবে যারা তাদের প্রভু হবে।

এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ লোকটিকে আমি চাই। তখন সবাই তাকে খোজাখুঁজি করলো। কিন্তু কিছুই দেখলো না। এরপর দুই বা তিনদিন কেটে গেল। তারপর বললেন, ওহে খাত্তাবের ছেলে, জান কে এসব প্রশ্ন করছিল। উমার (রাঃ) বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ও হচ্ছে জিবরীল। তোমাদেরকে তোমাদের দীন শেখাতে এসেছিল।

উমার (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মুযাইনা বা জুহাইনা গোত্রের এক ব্যক্তি বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমরা যে কাজ করি তা কি পূর্ব-নির্ধারিত ব্যাপার (অর্থাৎ অদৃষ্টের লিখন) নাকি এখন নতুনভাবে করা হয়? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ পূর্ব-নির্ধারিত ব্যাপার। এ সময় এক ব্যক্তি অথবা কোন এক ব্যক্তি বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, তাহলে আমরা আমল করে কী লাভ? তিনি বললেন, জান্নাতবাসীর জন্য জান্নাতের উপযুক্ত আমল সহজ করে দেয়া হয় এবং জাহান্নামবাসীর জন্য জাহান্নামের উপযুক্ত আমল সহজ করে দেয়া হয়।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) [উমারের বর্ণিত হাদীস] (مسند عمر بن الخطاب)

 ৩৬৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

৩৬৮। হাদীস নং ১৮৪ দ্রষ্টব্য। দেখুন পূর্বের হাদিস।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) [উমারের বর্ণিত হাদীস] (مسند عمر بن الخطاب)

 ৩৬৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

৩৬৯। আবু নাযরা বলেন, আমি জাবির বিন আবদুল্লাহকে বললাম, ইবনে যুবাইর তো মুত’আ বিয়ে করতে নিষেধ করেন, অথচ ইবনে আব্বাস তা করতে বলেন। জাবির জবাব দিলেন, আমার হাতেই ব্যাপারটা হয়েছিল। আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে থাকাকালে মুত’আ বিয়ে করতাম। (অপর বর্ণনাকারী আফফান বলেন, আবু বাকর (রাঃ) এর সাথে থাকাকালেও) পরে যখন উমার (রাঃ) শাসন ক্ষমতার অধিকারী হলেন, জনগণের সামনে ভাষণ দিতে গিয়ে বললেনঃ কুরআন কুরআনই, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাসূলই, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আমলে দুইটা মুত’আ চালু ছিলঃ একটা হজ্জের মুত’আ, (তামাত্তু’ হজ্জ) অপরটা মহিলাদের মুত’আ (মুত’আ বিয়ে)।

[হাদীস নং-১০৪]

حَدَّثَنَا بَهْزٌ. قَالَ: وَحَدَّثَنَا عَفَّانُ، قَالا: حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، قَالَ: قُلْتُ لِجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ: إِنَّ ابْنَ الزُّبَيْرِ يَنْهَى عَنِ الْمُتْعَةِ، وَإِنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ يَأْمُرُ بِهَا. قَالَ: فَقَالَ لِي: عَلَى يَدِي جَرَى الْحَدِيثُ، تَمَتَّعْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ – قَالَ عَفَّانُ: وَمَعَ أَبِي بَكْرٍ – فَلَمَّا وَلِيَ عُمَرُ خَطَبَ النَّاسَ، فَقَالَ: إِنَّ الْقُرْآنَ هُوَ الْقُرْآنُ، وَإِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هُوَ الرَّسُولُ، وَإِنَّهُمَا كَانَتَا مُتْعَتَانِ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِحْدَاهُمَا مُتْعَةُ الْحَجِّ، وَالْأُخْرَى مُتْعَةُ النِّسَاءِ

 

إسناده صحيح على شرط مسلم، رجاله ثقات رجال الشيخين غير أبي نضرة – وهو المنذر بن مالك بن قُطَعة – فمن رجال مسلم. بهز: هو ابن أسد العمِّي، وعفان

هو ابن مسلم، وهمام: هو ابن يحيى العَوْذي

وأخرجه مسلم (1217) عن زهير بن حرب، عن عفان، بهذا الإسناد

وأخرجه البيهقي 7 / 206 من طريق موسى بن إسماعيل، عن همام، به

وأخرجه الطيالسي (1792) ، ومسلم (1217) ، وابن حبان (3940) ، والبيهقي 5 / 21 من طريق شعبة، عن قتادة، به. وانظر حديث جابر في ” المسند ” (3 / 325 الطبعة الميمنية)

قال البيهقي 7 / 206: ونحن لا نشك في كونها (يعني متعة الحج) على عهد رسول الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لكنا وجدناه نهى عن نكاح المتعة عام الفتح بعد الإذن فيه، ثم لم نجده أذن فيه بعد النهي عنه حتى مضى لِسبيله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فكان نَهْي عمر بن الخطاب رضي الله عنه عن نكاح المتعة موافقاً لسنة رسولِ الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فأخذنا به، ولم نجده صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ َوسَلَّمَ نهى عن متعة الحج في رواية صحيحة عنه، ووجدنا في قول عمر رضي الله عنه ما دلَّ على أنه أَحَب أن يَفْصِلَ بين الحج والعمرة ليكون أتمَّ لهما، فحملنا نهيه عن متعة الحج على التنزيه وعلى اختيارِ الإفراد على غيره لأعلى التحريم، وبالله التوفيق

حدثنا بهز. قال: وحدثنا عفان، قالا: حدثنا همام، حدثنا قتادة، عن أبي نضرة، قال: قلت لجابر بن عبد الله: إن ابن الزبير ينهى عن المتعة، وإن ابن عباس يأمر بها. قال: فقال لي: على يدي جرى الحديث، تمتعنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم – قال عفان: ومع أبي بكر – فلما ولي عمر خطب الناس، فقال: إن القرآن هو القرآن، وإن رسول الله صلى الله عليه وسلم هو الرسول، وإنهما كانتا متعتان على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم: إحداهما متعة الحج، والأخرى متعة النساء إسناده صحيح على شرط مسلم، رجاله ثقات رجال الشيخين غير أبي نضرة – وهو المنذر بن مالك بن قطعة – فمن رجال مسلم. بهز: هو ابن أسد العمي، وعفان هو ابن مسلم، وهمام: هو ابن يحيى العوذي وأخرجه مسلم (1217) عن زهير بن حرب، عن عفان، بهذا الإسناد وأخرجه البيهقي 7 / 206 من طريق موسى بن إسماعيل، عن همام، به وأخرجه الطيالسي (1792) ، ومسلم (1217) ، وابن حبان (3940) ، والبيهقي 5 / 21 من طريق شعبة، عن قتادة، به. وانظر حديث جابر في ” المسند ” (3 / 325 الطبعة الميمنية) قال البيهقي 7 / 206: ونحن لا نشك في كونها (يعني متعة الحج) على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم، لكنا وجدناه نهى عن نكاح المتعة عام الفتح بعد الإذن فيه، ثم لم نجده أذن فيه بعد النهي عنه حتى مضى لسبيله صلى الله عليه وسلم، فكان نهي عمر بن الخطاب رضي الله عنه عن نكاح المتعة موافقا لسنة رسول الله صلى الله عليه وسلم، فأخذنا به، ولم نجده صلى الله عليه وسلم نهى عن متعة الحج في رواية صحيحة عنه، ووجدنا في قول عمر رضي الله عنه ما دل على أنه أحب أن يفصل بين الحج والعمرة ليكون أتم لهما، فحملنا نهيه عن متعة الحج على التنزيه وعلى اختيار الإفراد على غيره لأعلى التحريم، وبالله التوفيق

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) [উমারের বর্ণিত হাদীস] (مسند عمر بن الخطاب)

 ৩৭০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

৩৭০। হাদীস নং ২০৫ দ্রষ্টব্য।

২০৫। উমার (রাঃ) বলেছেন, তিনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন, তোমরা যদি আল্লাহর ওপর যথার্থভাবে তাওয়াক্কুল (নির্ভর) করতে, তাহলে তিনি তোমাদেরকে সেইভাবে জীবিকা দিতেন, যেভাবে পাখিকে দিয়ে থাকেন। পাখিরা সকালে খালি পেটে বের হয়, আর বিকালে ভরা পেট নিয়ে ফিরে আসে।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) [উমারের বর্ণিত হাদীস] (مسند عمر بن الخطاب)

 ৩৭১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

৩৭১। ইবনুস্ সায়েদী আল মালিকী বলেন, উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) আমাকে সাদাকা আদায়ের কাজে নিয়োগ করলেন। আদায় সম্পন্ন করার পর যখন তা তার কাছে জমা দিলাম, তখন তিনি আমাকে পারিশ্রমিক হিসাবে তা থেকে কিছু দেয়ার আদেশ দিলেন। আমি বললামঃ আমিতো শুধু আল্লাহর জন্য কাজ করেছি এবং আমার পারিশ্রমিক আল্লাহর কাছেই পাওনা। তিনি বললেনঃ তোমাকে যা দেয়া হলো, তা নিয়ে নাও। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আমলে কাজ করেছি। তিনি আমাকে পারিশ্রমিক দিয়েছিলেন। তখন আমি আজ তুমি যা বললে তাই বললাম। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি না চাওয়া সত্ত্বেও যখন তোমাকে কিছু দেয়া হয়, তখন তা ভোগ কর ও তা থেকে কিছু দান কর।

[হাদীস নং-১০০]

حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، حَدَّثَنِي بُكَيْرُ بْنُ عَبْدِ اللهِ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ عَنْ ابْنِ السَّاعِدِيِّ الْمَالِكِيِّ، أَنَّهُ قَالَ: اسْتَعْمَلَنِي عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ عَلَى الصَّدَقَةِ، فَلَمَّا فَرَغْتُ مِنْهَا وَأَدَّيْتُهَا إِلَيْهِ أَمَرَ لِي بِعُمَالَةٍ، فَقُلْتُ لَهُ: إِنَّمَا عَمِلْتُ لِلَّهِ، وَأَجْرِي عَلَى اللهِ. قَالَ: خُذْ مَا أُعْطِيتَ، فَإِنِّي قَدْ عَمِلْتُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَعَمَّلَنِي، فَقُلْتُ مِثْلَ قَوْلِكَ، فَقَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” إِذَا أُعْطِيتَ شَيْئًا مِنْ غَيْرِ أَنْ تَسْأَلَ، فَكُلْ وَتَصَدَّقْ

 

حديث صحيح، عبد الله بن لهيعة – وإن كان سيئ الحفظ – توبع، وقد روى عنه هذا الحديث عند غير المصنف عبد الله بن وهب، وحديثه عنه صالح. وباقي رجال الإسناد ثقات. حجاج: هو ابن محمد المصيصي، وأبو تميم: هو عبد الله بن مالك بن أبي الأسحم

وأخرجه ابن ماجه (4164) ، والقضاعي في ” مسند الشهاب ” (1445) من طريق عبد الله بن وهب، عن ابن لهيعة، بهذا الإسناد

حدثنا حجاج، حدثنا ليث، حدثني بكير بن عبد الله، عن بسر بن سعيد عن ابن الساعدي المالكي، أنه قال: استعملني عمر بن الخطاب على الصدقة، فلما فرغت منها وأديتها إليه أمر لي بعمالة، فقلت له: إنما عملت لله، وأجري على الله. قال: خذ ما أعطيت، فإني قد عملت على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم فعملني، فقلت مثل قولك، فقال لي رسول الله صلى الله عليه وسلم: ” إذا أعطيت شيئا من غير أن تسأل، فكل وتصدق حديث صحيح، عبد الله بن لهيعة – وإن كان سيئ الحفظ – توبع، وقد روى عنه هذا الحديث عند غير المصنف عبد الله بن وهب، وحديثه عنه صالح. وباقي رجال الإسناد ثقات. حجاج: هو ابن محمد المصيصي، وأبو تميم: هو عبد الله بن مالك بن أبي الأسحم وأخرجه ابن ماجه (4164) ، والقضاعي في ” مسند الشهاب ” (1445) من طريق عبد الله بن وهب، عن ابن لهيعة، بهذا الإسناد

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) [উমারের বর্ণিত হাদীস] (مسند عمر بن الخطاب)

 ৩৭২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

৩৭২। হাদীস নং ১৩৮ দ্রষ্টব্য।

১৩৮। উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বলেন, আমি একদিন খুব খোশমেজাজে ছিলাম। তাই (স্ত্রীকে) রোযা অবস্থায় চুমো খেলাম। পরক্ষণেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট উপস্থিত হলাম। তাঁকে বললাম, আমি আজ একটা গুরুতর কাজ করে ফেলেছি। রোযা অবস্থায় চুমো খেয়েছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি কি মনে কর, রোযা অবস্থায় তুমি যদি পানি দিয়ে কুলি করতে, তাহলে? আমি বললাম, তাতে কোন অসুবিধা নেই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাহলে এতে অসুবিধা কোথায়?

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) [উমারের বর্ণিত হাদীস] (مسند عمر بن الخطاب)

 ৩৭৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

৩৭৩। হাদীস নং ২০৫ দ্রষ্টব্য।

২০৫। উমার (রাঃ) বলেছেন, তিনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন, তোমরা যদি আল্লাহর ওপর যথার্থভাবে তাওয়াক্কুল (নির্ভর) করতে, তাহলে তিনি তোমাদেরকে সেইভাবে জীবিকা দিতেন, যেভাবে পাখিকে দিয়ে থাকেন। পাখিরা সকালে খালি পেটে বের হয়, আর বিকালে ভরা পেট নিয়ে ফিরে আসে।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) [উমারের বর্ণিত হাদীস] (مسند عمر بن الخطاب)

 ৩৭৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

৩৭৪। হাদীস নং ১৮৪ দ্রষ্টব্য।

১৮৪। ইয়াহইয়া বিন ইয়ামার এবং হুমাইদ বিন আবদুর রহমান আল-হিময়ারী বলেন, আমরা উভয়ে আবদুল্লাহ ইবনে উমারের সাথে সাক্ষাত করলাম। তখন অদৃষ্ট ও তদসংক্রান্ত বিষয়ে লোকদের ধ্যান ধারণার কথা উল্লেখ করলাম। আবদুল্লাহ ইবনে উমার বললেন, তোমরা যখন তাদের নিকট ফিরে যাবে, তখন বলবে, আবদুল্লাহ ইবনে উমার তোমাদের থেকে দায়মুক্ত আর তোমরা তার থেকে দায়মুক্ত। এ কথা তিনবার বললেন। (অর্থাৎ অদৃষ্ট সম্পর্কে প্রচলিত ধ্যান ধারণার সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। তিনি এর সমর্থকও নন, বিরোধীও নন।—অনুবাদক) তারপর বললেন, আমাকে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বলেছেন যে, তাঁরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট উপস্থিত ছিলেন, সহসা তার নিকট এমন এক ব্যক্তি পদব্রজে এল, যার চেহারা ও চুল চমৎকার এবং পরিধানে সাদা কাপড় ছিল। উপস্থিত লোকেরা মুখ চাওয়া চাওয়ি করতে লাগলো। আমরা কেউ তাকে চিনিওনা, আর সে কোন মুসাফিরও নয়।

তারপর বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমি কি আপনার কাছে আসবো? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তারপর সে এল এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাঁটুর সাথে হাঁটু গেড়ে এবং নিজের উরুদ্বয়ের ওপর হাত রেখে বসলো। তারপর জিজ্ঞেস করলো, ইসলাম কী? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার রাসূল, আর নামায কায়েম করবে, যাকাত দেবে, রমযানে রোযা রাখবে এবং আল্লাহর ঘরে হজ্জ আদায় করবে। সে বললো, ঈমান কী? তিনি বললেনঃ তুমি আল্লাহ, তার ফেরেশতা, জান্নাত, জাহান্নাম, মৃত্যুর পর পুনরুজীবিত হওয়া ও সব রকমের ভাগ্যের প্রতি ঈমান আনবে।

সে বললোঃ ইহসান কী? তিনি বললেনঃ আল্লাহর জন্য কাজ করবে এমনভাবে যেন তাকে তুমি দেখছ, আর যদি তুমি তাকে না দেখ, তবে নিশ্চয়ই তিনি তোমাকে দেখছেন। সে বললোঃ কিয়ামত কবে হবে? তিনি বললেন, জিজ্ঞাসাকারীর চেয়ে জিজ্ঞাসিত ব্যক্তি এ ব্যাপারে বেশি জানে না। সে বললো কিয়ামতের নিদর্শনাবলী কী কী? তিনি বললেনঃ এক সময় যারা নগ্ন থাকতো, খালি পায়ে চলতো ও ছাগল চরাতো, তারা বড় বড় অট্রালিকায় বসে দম্ভ করবে এবং দাসীরা এমন সন্তান জন্ম দেবে যারা তাদের প্রভু হবে।

এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ লোকটিকে আমি চাই। তখন সবাই তাকে খোজাখুঁজি করলো। কিন্তু কিছুই দেখলো না। এরপর দুই বা তিনদিন কেটে গেল। তারপর বললেন, ওহে খাত্তাবের ছেলে, জান কে এসব প্রশ্ন করছিল। উমার (রাঃ) বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ও হচ্ছে জিবরীল। তোমাদেরকে তোমাদের দীন শেখাতে এসেছিল।

উমার (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মুযাইনা বা জুহাইনা গোত্রের এক ব্যক্তি বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমরা যে কাজ করি তা কি পূর্ব-নির্ধারিত ব্যাপার (অর্থাৎ অদৃষ্টের লিখন) নাকি এখন নতুনভাবে করা হয়? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ পূর্ব-নির্ধারিত ব্যাপার। এ সময় এক ব্যক্তি অথবা কোন এক ব্যক্তি বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, তাহলে আমরা আমল করে কী লাভ? তিনি বললেন, জান্নাতবাসীর জন্য জান্নাতের উপযুক্ত আমল সহজ করে দেয়া হয় এবং জাহান্নামবাসীর জন্য জাহান্নামের উপযুক্ত আমল সহজ করে দেয়া হয়।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) [উমারের বর্ণিত হাদীস] (مسند عمر بن الخطاب)

 ৩৭৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

৩৭৫। ইবনে ইয়া’মার বলেন, আমি ইবনে উমার (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, অন্য বর্ণনামতে, এক ব্যক্তি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলো, আমরা পৃথিবীর দিকে দিকে ভ্রমণ করে থাকি। ভ্রমণকালে একটি গোষ্ঠীর সাথে আমাদের সাক্ষাত হয়, যারা বলে ভাগ্য বলে কিছু নেই। ইবনে উমার বললেন, তাদের সাথে দেখা হলে তাদেরকে জানিয়ে দিও যে, আবদুল্লাহ ইবনে উমার তাদের থেকে দায়মুক্ত। আর তারাও তাঁর থেকে দায়মুক্ত। এ কথাটা তিনি তিনবার বললেন। তারপর তিনি আমাদেরকে জানালেন, একদিন আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট ছিলাম। এসময় এক ব্যক্তি এল। সে বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমি কি কাছে আসবো? তিনি বললেনঃ কাছে এস। সে খানিকটা কাছে এল। পুনরায় বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমি কি আরো কাছে আসবো? তিনি বললেনঃ কাছে এস। সে খানিকটা কাছে এল। অতঃপর সে পুনরায় বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমি কি কাছে আসবো? তিনি বললেনঃ কাছে এস। তারপর সে আরো খানিকটা কাছে এল। সে এতটা কাছে এল যে, তার দুই হাটু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দুই হাঁটুকে স্পর্শ করার উপক্রম হলো। তারপর বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ, ঈমান কী? অতঃপর বর্ণনাকারী ১৮৪ নং হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা দিলেন। (অর্থাৎ জিবরীলের আগমন সংক্রান্ত হাদীস)

حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنِ ابْنِ يَعْمَرَ قَالَ: سَأَلْتُ ابْنَ عُمَرَ، أَوْ سَأَلَهُ رَجُلٌ: إِنَّا نَسِيرُ فِي هَذِهِ الْأَرْضِ فَنَلْقَى قَوْمًا يَقُولُونَ: لَا قَدَرَ، فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ: إِذَا لَقِيتَ أُولَئِكَ فَأَخْبِرْهُمْ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ مِنْهُمْ بَرِيءٌ، وَهُمْ مِنْهُ بُرَآءُ – قَالَهَا ثَلاثَ مَرَّاتٍ – ثُمَّ أَنْشَأَ يُحَدِّثُنَا قَالَ: بَيْنَا نَحْنُ عِنْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجَاءَ رَجُلٌ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ، أَدْنُو؟ فَقَالَ: ” ادْنُهْ ” فَدَنَا رَتْوَةً، ثُمَّ قَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ، أَدْنُو؟ فَقَالَ: ” ادْنُهْ ” فَدَنَا رَتْوَةً، ثُمَّ قَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ، أَدْنُو؟ فَقَالَ: ” ادْنُهْ ” فَدَنَا رَتْوَةً، حَتَّى كَادَتْ أَنْ تَمَسَّ رُكْبَتَاهُ رُكْبَةَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ، مَا الْإِيمَانُ؟ فَذَكَرَ مَعْنَاهُ

 

إسناده صحيح كسابقه. أبو أحمد: هو محمد بن عبد الله الزبيري

والرَّتوة: الخطوة

حدثنا أبو أحمد، حدثنا سفيان، عن علقمة بن مرثد، عن سليمان بن بريدة، عن ابن يعمر قال: سألت ابن عمر، أو سأله رجل: إنا نسير في هذه الأرض فنلقى قوما يقولون: لا قدر، فقال ابن عمر: إذا لقيت أولئك فأخبرهم أن عبد الله بن عمر منهم بريء، وهم منه برآء – قالها ثلاث مرات – ثم أنشأ يحدثنا قال: بينا نحن عند رسول الله صلى الله عليه وسلم فجاء رجل فقال: يا رسول الله، أدنو؟ فقال: ” ادنه ” فدنا رتوة، ثم قال: يا رسول الله، أدنو؟ فقال: ” ادنه ” فدنا رتوة، ثم قال: يا رسول الله، أدنو؟ فقال: ” ادنه ” فدنا رتوة، حتى كادت أن تمس ركبتاه ركبة رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقال: يا رسول الله، ما الإيمان؟ فذكر معناه إسناده صحيح كسابقه. أبو أحمد: هو محمد بن عبد الله الزبيري والرتوة: الخطوة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) [উমারের বর্ণিত হাদীস] (مسند عمر بن الخطاب)

 ৩৭৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

৩৭৬। হাদীস নং ১২৬ দ্রষ্টব্য।

১২৬। উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি কোন জিহাদরত ব্যক্তির মাথায় ছায়া দেবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তাকে ছায়া দেবেন, আর যে ব্যক্তি কোন জিহাদকারীকে জিহাদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সরঞ্জামাদি বা রসদ সরবরাহ করবে, সে মৃত্যুবরণ না করা পর্যন্ত ঐ জিহাদকারীর সমান সাওয়াব পেতে থাকবে, আর যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে কোন মসজিদ নির্মাণ করবে, যার ভেতর আল্লাহর নাম আলোচনা হবে, তার জন্য আল্লাহ জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করে দেবেন।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) [উমারের বর্ণিত হাদীস] (مسند عمر بن الخطاب)

 ৩৭৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

৩৭৭। হাদীস নং ২২০ দ্রষ্টব্য।

২২০। উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বলেন, (মধ্যবর্তী এক বর্ণনাকারী আবদুল্লাহ বলেন, উমার এ হাদীস রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকেই পেয়েছেন) যে ব্যক্তি কোন দু’আ রাতে পড়তে পারলো না, সে যদি ফজর ও যোহরের মধ্যবর্তী সময়ে তা পড়ে, তাহলে সে তা রাতেই পড়ে নিয়েছে বলে বিবেচিত হবে।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) [উমারের বর্ণিত হাদীস] (مسند عمر بن الخطاب)

 ৩৭৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

৩৭৮। উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বলেন, যখন মদ হারামকরণ সম্বলিত আয়াত নাযিল হলো, উমার(রাঃ) বললেনঃ হে আল্লাহ, মদ সম্পর্কে আমাদের মন তুষ্টকারী একটি বিবরণ দাও। তখন সূরা আল বাকারার এ আয়াত নাযিল হলোঃ يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ قُلْ فِيهِمَا إِثْمٌ كَبِيرٌ “ওরা তোমার কাছে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। তুমি বল, ঐ দুটিতে বিরাট পাপ রয়েছে, এরপর উমারকে ডাকা হলো এবং তার সামনে আয়াতটি পড়া হলো। তখন উমার (রাঃ) বললেনঃ হে আল্লাহ, মদ সম্পর্কে আমাদের মন তৃপ্তকারী একটি বিবরণ দাও। তখন নাযিল হলো, সূরা আন নিসার আয়াতঃيَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَقْرَبُوا الصَّلَاةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى “হে মুমিনগণ, তোমরা মদ মত্ত অবস্থায় নামাযের নিকটবর্তী হয়ো না।” এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিযুক্ত ঘোষক ঘোষণা করতো যে, কোন মাতাল যেন নামাযের ধারে কাছে না আসে। তখন উমারকে ডাকা হলো এবং এ আয়াত তাকে পড়ে শোনানো হলো। তখন উমার (রাঃ) বললেনঃ হে আল্লাহ, আমাদের জন্য মদ সম্পর্কে একটা সন্তোষজনক বিবৃতি দাও। তখন সূরা আল মায়িদার আয়াতটি নাযিল হলো। তখন উমারকে ডাকা হলো এবং আয়াতটি তার সামনে পড়া হলো। যখনفَهَلْ أَنْتُمْ مُّنْتَهُونَ “তোমরা কি নিবৃত্ত হবে?” পর্যন্ত পৌছলো, তখন উমার বললেনঃانْتَهَيْنَا، انْتَهَيْنَا নিবৃত্ত হলাম,নিবৃত্ত হলাম।

[আল হাকেম, তিরমিযী, আবু দাউদ, নাসায়ী]

حَدَّثَنَا خَلَفُ بْنُ الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي مَيْسَرَةَ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، قَالَ: لَمَّا نَزَلَ تَحْرِيمُ الْخَمْرِ، قَالَ: اللهُمَّ بَيِّنْ لَنَا فِي الْخَمْرِ بَيَانًا شِفَاءً. فَنَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ الَّتِي فِي سُورَةِ الْبَقَرَةِ: (يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ قُلْ فِيهِمَا إِثْمٌ كَبِيرٌ) [البقرة: ٢١٩] . قَالَ: فَدُعِيَ عُمَرُ، فَقُرِئَتْ عَلَيْهِ، فَقَالَ: اللهُمَّ بَيِّنْ لَنَا فِي الْخَمْرِ بَيَانًا شِفَاءً . فَنَزَلَتِ الْآيَةُ الَّتِي فِي سُورَةِ النِّسَاءِ: (يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَقْرَبُوا الصَّلَاةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى) [النساء: ٤٣] ، فَكَانَ مُنَادِي رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَقَامَ الصَّلاةَ نَادَى: أَنْ لَا يَقْرَبَنَّ الصَّلاةَ سَكْرَانُ، فَدُعِيَ عُمَرُ فَقُرِئَتْ عَلَيْهِ، فَقَالَ: اللهُمَّ بَيِّنْ لَنَا فِي الْخَمْرِ بَيَانًا شِفَاءً. فَنَزَلَتِ الْآيَةُ الَّتِي فِي الْمَائِدَةِ، فَدُعِيَ عُمَرُ فَقُرِئَتْ عَلَيْهِ، فَلَمَّا بَلَغَ (فَهَلْ أَنْتُمْ مُّنْتَهُونَ) [المائدة: ٩١] قَالَ: فَقَالَ عُمَرُ: انْتَهَيْنَا، انْتَهَيْنَا

 

إسناده صحيح، رجاله ثقات رجال الشيخين غيرَ خلف بن الوليد، وهو ثقة، وثَّقه ابن معين وأبو زرعة وأبو حاتم، وإسرائيل – وهو ابن يونس بن أبي إسحاق السبيعي – سماعُه من جده في غاية الإتقان، وأبو ميسرة – وهو عمرو بن شرحبيل الهمداني – سمع من عمر كما في ” الجرح والتعديل ” 6 / 237 عن أبي حاتم، وقول أبي زرعة فيما نقله عنه ابن أبي حاتم في ” المراسيل ” (516) : حديثه عن عمر مرسل، لم يتابعه عليه أحد، فأبو ميسرة تابعي كبير مخضرم، ولم يُعرف بتدليس قط.

وأخرجه ابن أبي شيبة 8 / 112، وأبو داود (3670) ، والترمذي (3049) ، والبزار (334) ، والنسائي 8 / 286 – 287، والطبري 7 / 33، والنحاس في ” الناسخ والمنسوخ “: 52، والحاكم 4 / 143، والبيهقي 8 / 285 من طرق عن إسرائيل، بهذا الإسناد. وصحح الحاكم إسناده، ووافقه الذهبي

وأخرجه الحاكم 4 / 143 من طريق حمزة الزيات، عن أبي إسحاق، عن حارثة بن مضرب، قال: قال عمر … فذكره. وصحح الحاكم إسناده، ووافقه الذهبي، لكن قال الدارقطني في ” العلل ” 1 / 185: الصواب قول من قال: عن أبي إسحاق عن أبي ميسرة عن عمر

قوله: ” لما نزل تحريم الخمر “، أي: لما أراد تعالى أن يُنزِّل تحريم الخمر، أو قاربَ أن ينزِّلَ

حدثنا خلف بن الوليد، حدثنا إسرائيل، عن أبي إسحاق، عن أبي ميسرة عن عمر بن الخطاب، قال: لما نزل تحريم الخمر، قال: اللهم بين لنا في الخمر بيانا شفاء. فنزلت هذه الآية التي في سورة البقرة: (يسألونك عن الخمر والميسر قل فيهما إثم كبير) [البقرة: ٢١٩] . قال: فدعي عمر، فقرئت عليه، فقال: اللهم بين لنا في الخمر بيانا شفاء . فنزلت الآية التي في سورة النساء: (يا أيها الذين آمنوا لا تقربوا الصلاة وأنتم سكارى) [النساء: ٤٣] ، فكان منادي رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا أقام الصلاة نادى: أن لا يقربن الصلاة سكران، فدعي عمر فقرئت عليه، فقال: اللهم بين لنا في الخمر بيانا شفاء. فنزلت الآية التي في المائدة، فدعي عمر فقرئت عليه، فلما بلغ (فهل أنتم منتهون) [المائدة: ٩١] قال: فقال عمر: انتهينا، انتهينا إسناده صحيح، رجاله ثقات رجال الشيخين غير خلف بن الوليد، وهو ثقة، وثقه ابن معين وأبو زرعة وأبو حاتم، وإسرائيل – وهو ابن يونس بن أبي إسحاق السبيعي – سماعه من جده في غاية الإتقان، وأبو ميسرة – وهو عمرو بن شرحبيل الهمداني – سمع من عمر كما في ” الجرح والتعديل ” 6 / 237 عن أبي حاتم، وقول أبي زرعة فيما نقله عنه ابن أبي حاتم في ” المراسيل ” (516) : حديثه عن عمر مرسل، لم يتابعه عليه أحد، فأبو ميسرة تابعي كبير مخضرم، ولم يعرف بتدليس قط. وأخرجه ابن أبي شيبة 8 / 112، وأبو داود (3670) ، والترمذي (3049) ، والبزار (334) ، والنسائي 8 / 286 – 287، والطبري 7 / 33، والنحاس في ” الناسخ والمنسوخ “: 52، والحاكم 4 / 143، والبيهقي 8 / 285 من طرق عن إسرائيل، بهذا الإسناد. وصحح الحاكم إسناده، ووافقه الذهبي وأخرجه الحاكم 4 / 143 من طريق حمزة الزيات، عن أبي إسحاق، عن حارثة بن مضرب، قال: قال عمر … فذكره. وصحح الحاكم إسناده، ووافقه الذهبي، لكن قال الدارقطني في ” العلل ” 1 / 185: الصواب قول من قال: عن أبي إسحاق عن أبي ميسرة عن عمر قوله: ” لما نزل تحريم الخمر “، أي: لما أراد تعالى أن ينزل تحريم الخمر، أو قارب أن ينزل

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) [উমারের বর্ণিত হাদীস] (مسند عمر بن الخطاب)

 ৩৭৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

৩৭৯। হাদীস নং ৮৩ দ্রষ্টব্য।

৮৩। আবু ওয়ায়েল থেকে হাকাম বৰ্ণনা করেন যে, সুবাই বিন মা’বাদ তাগলিব গোত্রীয় একজন মরুবাসী খৃষ্টান ছিলেন। তিনি ইসলাম গ্ৰহণ করলেন। তারপর জিজ্ঞেস করলেনঃ কোন কাজ উত্তম? তাকে বলা হলোঃ আল্লাহর পথে জিহাদ। সে জিহাদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। অতঃপর তাকে বলা হলোঃ তুমি কি হজ্জ করেছ? তিনি বললেনঃ না। তাকে বলা হলোঃ হজ্জ কর ও উমরা কর, তারপর জিহাদ কর। তিনি হজ্জের জন্য রওনা হয়ে গেলেন। হাওয়াবেতে পৌঁছে তিনি হজ ও উমরা দুটোই (এক সাথে করা) শুরু করলেন। যায়িদ বিন সূহান ও সালমান বিন রবীয়া তা দেখে বললেন, সে (সুবাই) তার উটের চেয়েও বিপথগামী অথবা সে তার উটনীর চেয়ে সুপথগামী নয়। এরপর সুবাই উমার (রাঃ) এর নিকট গেলেন এবং তাকে যায়িদ ও সালমান যা বলেছে তা জানালেন। উমার (রাঃ) বললেনঃ তুমি তোমার নবীর সুন্নাত অনুসরণ করেছ। হাকাম বলেনঃ আমি আবু ওয়ায়েলকে বললামঃ এ ঘটনাটি আপনাকে সুবাই নিজেই বলেছেন? হাকাম বললেনঃ হ্যাঁ।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) [উমারের বর্ণিত হাদীস] (مسند عمر بن الخطاب)

 ৩৮০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

৩৮০। হিশাম বলেন, আমার পিতা আমাকে জানিয়েছেন যে, উমার (রাঃ) হাজরে আসওয়াদকে বললেনঃ তুমি নিছক পাথর। আমি যদি না দেখতাম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাকে চুমো দিচ্ছেন, তবে তোমাকে চুমো দিতাম না। তারপর তিনি হাজরে আসওয়াদকে চুমো খেলেন।

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ هِشَامٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبِي أَنَّ عُمَرَ قَالَ لِلْحَجَرِ: إِنَّمَا أَنْتَ حَجَرٌ، وَلَوْلا أَنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقَبِّلُكَ مَا قَبَّلْتُكَ. ثُمَّ قَبَّلَهُ

 

حديث صحيح رجاله ثقات رجال الشيخين إلا أن عُروة بن الزبير والد هشام لم يُدرك عمر، وقد صح موصولاً من غير هذا الطريق، انظر (274) و (361) . يحيى بن سعيد: هو القطان

وأخرجه مالك في ” الموطأ ” 1 / 367 عن هشام بن عروة، بهذا الإسناد

حدثنا يحيى بن سعيد، عن هشام، قال: أخبرني أبي أن عمر قال للحجر: إنما أنت حجر، ولولا أني رأيت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقبلك ما قبلتك. ثم قبله حديث صحيح رجاله ثقات رجال الشيخين إلا أن عروة بن الزبير والد هشام لم يدرك عمر، وقد صح موصولا من غير هذا الطريق، انظر (274) و (361) . يحيى بن سعيد: هو القطان وأخرجه مالك في ” الموطأ ” 1 / 367 عن هشام بن عروة، بهذا الإسناد

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) [উমারের বর্ণিত হাদীস] (مسند عمر بن الخطاب)

 ৩৮১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

৩৮১। পূর্ববর্তী ৩৮০ নং হাদীসের পুনরাবৃত্তি। দেখুন পূর্বের হাদিস।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) [উমারের বর্ণিত হাদীস] (مسند عمر بن الخطاب)

পরিচ্ছেদঃ

৩৮২। হাদীস নং ২৭৪ দ্রষ্টব্য।

২৭৪। সুয়াইদ বিন গাফালাহ বলেন, আমি উমার (রাঃ) কে দেখেছি, হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন করছেন এবং বলছেন, আমি জানি, তুমি একটা পাথর মাত্র, কোন ক্ষতিও করতে পার না, উপকারও করতে পার না। তবে আবুল কাসিম মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখেছি তোমার প্রতি গভীরভাবে অনুরক্ত।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) [উমারের বর্ণিত হাদীস] (مسند عمر بن الخطاب)

 ৩৮৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

৩৮৩। হাদীস নং ১৯২ দ্রষ্টব্য।।

১৯২। উমার (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন এখান থেকে রাত আসবে এবং এখান থেকে দিন চলে যাবে, তখনই রোযাদার রোযা খুলবে। (’এখান থেকে’ দ্বারা) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের জায়গা বুঝাচ্ছিলেন।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) [উমারের বর্ণিত হাদীস] (مسند عمر بن الخطاب)

 ৩৮৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

৩৮৪। হাদীস নং ১৬৬ দ্রষ্টব্য।

১৬৬। যায়িদ ইবনে আসলাম তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, উমার (রাঃ) তার একটা ঘোড়া আল্লাহর পথে দান করেন। পরে একদা দেখলেন সেই ঘোড়া বা তার কোন বাচ্চাকে বিক্রি করা হচ্ছে। এটা দেখে উমার (রাঃ) তা কিনবার ইচ্ছা করলেন। অতঃপর তিনি এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ওটা ছেড়ে দাও। ওটা তোমার নিকট আসবে অথবা তুমি বাচ্চাসহই তা পাবে।

অন্য বর্ণনামতে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উমারকে নিষেধ করলেন এবং বললেনঃ তুমি এটা ক্রয় করো না এবং তোমার দান করা জিনিস ফেরত নিও না।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) [উমারের বর্ণিত হাদীস] (مسند عمر بن الخطاب)

 ৩৮৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

৩৮৫। হাদীস নং ৮৪ দ্রষ্টব্য।

৮৪। আমর ইবনে মাইমুন বলেছেনঃ উমার (রাঃ) আমাদের সাথে একটি জামায়াতে ফজরের নামায পড়লেন, তারপর কিছুক্ষণ থামলেন, তারপর বললেনঃ মুশরিকরা সূর্যোদয় না হওয়া পর্যন্ত রওনা হতো না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বিপরীত করেছেন। অতঃপর [উমার (রাঃ)] সূর্যোদয়ের পূর্বেই রওনা হলেন।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) [উমারের বর্ণিত হাদীস] (مسند عمر بن الخطاب)

 ৩৮৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

৩৮৬। হাদীস নং ২৮৮ দ্রষ্টব্য।

২৮৮। আবদুল্লাহ ইবনে আবি মুলাইকা বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) এর সাথে উসমান ইবনে আফফান (রাঃ) এর মেয়ে উম্মু আবানের জানাযার জন্য অপেক্ষমান ছিলাম। আমর ইবনে উসমান এ সময় তাঁর কাছে ছিলেন। এ সময়ে নির্দিষ্ট পথ প্রদর্শকের সহায়তায় ইবনুল আব্বাস সেখানে উপস্থিত হলেন। আমার জানা মতে, তাকে ইবনে উমারের অবস্থানস্থল জানিয়ে দেয়া হলো। তিনি এলেন এবং আমার পাশেই বসলেন। আমি তাদের দু’জনের মাঝখানে ছিলাম। সহসা ঘরের ভেতর থেকে (কান্নার) আওয়াজ শোনা গেল। তৎক্ষণাত ইবনে উমার (রাঃ) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, মৃত ব্যক্তির স্বজনেরা তাঁর জন্য কান্নাকাটি করলে তার ওপর আযাব হয়। আবদুল্লাহ ইবনে উমার এ কথাটা বললেন সাধারণভাবে। (অর্থাৎ আপনজন কাঁদলেই তার ওপর আযাব হয়।)

ইবনুল আব্বাস বললেন, আমরা আমীরুল মুমিনীন উমারের সাথে ছিলাম। অতঃপর যখন আমরা মরুভূমিতে পৌছলাম, দেখলাম, তিনি গাছের ছায়ায় বিশ্রামরত এক ব্যক্তিকে দেখছেন। তিনি আমাকে বললেন, ওর কাছে যাও তারপর অবহিত হও সে কে। আমি গেলাম, দেখলাম সে সুহাইব। অতঃপর আমি তাঁর কাছে ফিরে এলাম। বললাম, আপনি আমাকে আদেশ দিয়েছিলেন যেন ঐ ব্যক্তিকে অবহিত হই। আমি জেনেছি, সে সুহাইব। তিনি বললেন, সুহাইবকে আদেশ দাও আমাদের সাথে যোগ দিক। আমি বললাম, তার সাথে তার পরিবার রয়েছে। তিনি বললেন, তার পরিবার তার সাথে থাকলেও আমাদের সাথে যোগ দিতে বল।

অতঃপর আমরা মদীনায় পৌছার অব্যবহিত পরই আমীরুল মুমিনীন আহত হলেন। তৎক্ষণাত সুহাইব এল এবং বললো, হায় আফসোস! হায় আমার সাথী! উমার (রাঃ) বললেন, তুমি কি জাননা, তুমি কি শোননি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মৃত ব্যক্তি তার পরিবারের কিছু কিছু কান্নার কারণে আযাব ভোগ করে? আবদুল্লাহ ইবনে উমার সাধারণভাবে বলেছিলেন। কিন্তু উমার বললেন, কিছু কান্নাকাটির কারণে।

এর অব্যবহিত পরেই আমি আয়িশা (রাঃ) এর নিকট উপস্থিত হলাম এবং উমার (রাঃ) যা বলেছেন, তা তাকে জানালাম। আয়িশা (রাঃ) তৎক্ষণাত বললেন, না, আল্লাহর কসম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথা বলেননি যে, কারো কান্নার কারণে মৃত ব্যক্তিকে আযাব দেয়া হয়। বরং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কাফিরকে আল্লাহ তার পরিবারের কান্নার কারণে আযাব বাড়িয়ে দেন। আর আল্লাহই মানুষকে হাসান ও কাদান। আল্লাহ বলেছেন, একজন আর একজনের পাপের ফল ভোগ করে না।

বর্ণনাকারী আইউব ও আবু মুলাইকা বলেন বলেন, আয়িশা যখন উমার ও ইবনে উমারের কথাটা শুনলেন, তখন বললেন, তোমরা যে দু’জনের কাছ থেকে হাদীস বর্ণনা করেছ তারা মিথ্যুকও নন, মিথ্যুক বলে প্রত্যাখ্যাতও নন, তবে অনেক সময় কান শুনতে ভুল করে থাকে।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) [উমারের বর্ণিত হাদীস] (مسند عمر بن الخطاب)

 ৩৮৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

৩৮৭। উমার (রাঃ) বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সফরকালে তার মোজার ওপর মাসেহ করতে দেখেছি।

[হাদীস নং-১৪৫]

حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ حَسَنِ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللهِ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ عُمَرُ: أَنَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمْسَحُ عَلَى خُفَّيْهِ فِي السَّفَرِ

 

حديث صحيح لغيره، وهذا إسناد ضعيف لضعف عاصم بن عبيد الله واضطرابه، وانظر ” العلل ” لابن أبي حاتم 1 / 15، و” العلل ” للدارقطني 2 / 20 – 22

وأخرجه ابن أبي شيبة 1 / 178، ومحمد بن عاصم في ” جزئه ” (20) ، والبزار (122) ، والدارقطني في ” العلل ” 2 / 26 من طرق عن الحسن بن صالح، بهذا الإسناد

وانظر ما تقدم برقم (128)

والمسح على الخفين في السفر ثابت عنه صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ من حديث المغيرة بن شعبة ومن حديث بريدة

حدثنا وكيع، عن حسن بن صالح، عن عاصم بن عبيد الله، عن سالم، عن ابن عمر، قال: قال عمر: أنا رأيت رسول الله صلى الله عليه وسلم يمسح على خفيه في السفر حديث صحيح لغيره، وهذا إسناد ضعيف لضعف عاصم بن عبيد الله واضطرابه، وانظر ” العلل ” لابن أبي حاتم 1 / 15، و” العلل ” للدارقطني 2 / 20 – 22 وأخرجه ابن أبي شيبة 1 / 178، ومحمد بن عاصم في ” جزئه ” (20) ، والبزار (122) ، والدارقطني في ” العلل ” 2 / 26 من طرق عن الحسن بن صالح، بهذا الإسناد وانظر ما تقدم برقم (128) والمسح على الخفين في السفر ثابت عنه صلى الله عليه وسلم من حديث المغيرة بن شعبة ومن حديث بريدة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) [উমারের বর্ণিত হাদীস] (مسند عمر بن الخطاب)

 ৩৮৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

৩৮৮। উমার (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কার্পণ্য, কাপুরুষতা, কবরের আযাব, চরম দুঃখের জীবন ও বুকের ফিতনা থেকে পানাহ চাইতেন। ওয়াকী বলেনঃ বুকের ফিতনা হলো মানুষের মৃত্যু। ওয়াকী আরো বলেন, বুকের ফিতনা হলো সেই গোমরাহী, যা থেকে মানুষ মৃত্যুর আগে তাওবা করে না।

حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ عَنْ عُمَرَ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَتَعَوَّذُ مِنَ الْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَعَذَابِ الْقَبْرِ، وَأَرْذَلِ الْعُمُرِ، وَفِتْنَةِ الصَّدْرِ. قَالَ وَكِيعٌ: فِتْنَةُ الصَّدْرِ: أَنْ يَمُوتَ الرَّجُلُ، وَذَكَرَ وَكِيعٌ الْفِتْنَةَ لَمْ يَتُبْ مِنْهَا

 

إسناده صحيح على شرط الشيخين

حدثنا وكيع، عن إسرائيل، عن أبي إسحاق، عن عمرو بن ميمون عن عمر: أن النبي صلى الله عليه وسلم كان يتعوذ من البخل والجبن، وعذاب القبر، وأرذل العمر، وفتنة الصدر. قال وكيع: فتنة الصدر: أن يموت الرجل، وذكر وكيع الفتنة لم يتب منها إسناده صحيح على شرط الشيخين

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) [উমারের বর্ণিত হাদীস] (مسند عمر بن الخطاب)

 ৩৮৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

৩৮৯। হাদীস নং ১৩৯ দ্রষ্টব্য।

১৩৯। আবুল আসওয়াদ বলেন, আমি মদীনায় উপস্থিত হলাম এবং তার সর্বত্র ব্যাপকভাবে সফর করলাম। এর অব্যবহিত পূর্বে মদীনায় একটা রোগ ছড়িয়ে পড়েছিল এবং তার ফলে লোকেরা ব্যাপকভাবে মারা যাচ্ছিল। আমি উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) এর নিকট বসলাম। তখন তার কাছ দিয়ে একটা লাশ নিয়ে যাওয়া হলো। উপস্থিত লোকেরা মৃত ব্যক্তির প্রশংসা করলো। উমার (রাঃ) বললো, অবধারিত হয়ে গেল। এরপর আর একটা লাশ গেল। উপস্থিত লোকেরা তারও প্রশংসা করলো। উমার (রাঃ) বললেন, অবধারিত হয়ে গেল। এরপর তৃতীয় একটা লাশ গেল। উপস্থিত লোকেরা তার নিন্দা করলো। উমার (রাঃ) বললেন, অবধারিত হয়ে গেল।

আবুল আসওয়াদ বললেন, কী অবধারিত হলো, হে আমীরুল মু’মিনীন? উমার (রাঃ) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুকরণেই কথাটা বলেছি। তিনি বলেছেনঃ যে কোন মুসলিমের পক্ষে চার ব্যক্তি উত্তম বলে সাক্ষ্য দিলে আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আমরা বললাম, যদি তিনজন সাক্ষ্য দেয়? তিনি বললেন, তিনজন দিলেও। আমরা বললাম, যদি দুইজন সাক্ষ্য দেয়? তিনি বললেন, দুইজন দিলেও। এরপর আমরা তাকে একজনের সাক্ষ্য দেয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করিনি।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) [উমারের বর্ণিত হাদীস] (مسند عمر بن الخطاب)

 ৩৯০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

৩৯০। ’আবাইয়া বিন রিফা’য়া বর্ণনা করেন, উমার (রাঃ) জানতে পারলেন যে, সা’দ যখন প্রাসাদ তৈরি করেছেন, তখন বলেছেন, এ প্রাসাদের কোন তুলনা নেই। তিনি মুহাম্মাদ বিন মাসলামাকে (সা’দের নিকট) পাঠালেন। সেখানে গিয়ে তিনি নিজের চকমকি পাথর বের করে আগুন জ্বালালেন এবং এক দিরহাম দিয়ে কিছু কাষ্ঠ কিনলেন। সা’দকে বলা হলো যে, জনৈক ব্যক্তি এই এই কাজ করেছে। সা’দ বললেনঃ ওতো মুহাম্মাদ বিন মাসলামা। অতঃপর সা’দ বেরিয়ে তার কাছে গেলেন এবং আল্লাহর কসম খেয়ে বললেন যে, তিনি ঐ কথা (এ প্রাসাদের তুলনা নেই) বলেননি। মুহাম্মাদ বিন মাসলামা বললেন, ঠিক আছে, আপনি যা বলছেন, সেটা আমরা আপনার পক্ষ থেকে পৌছে দেবো, আর আমাদেরকে যা আদেশ দেয়া হয়েছে, তা আমরা করবো। অতঃপর তিনি (প্রাসাদের) দরজা জ্বালিয়ে দিলেন। এ সময়ে সা’দ তাঁর সফরের রসদ দিতে চাইলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করলেন।

অতঃপর মুহাম্মাদ উমারের নিকট গেলেন। উমার (রাঃ) তাকে পুনরায় সা’দের নিকট পাঠালেন। এভাবে তার আসা যাওয়ায় উনিশ দিন কেটে গেল। সা’দ বললেন, আপনার সম্পর্কে সুধারণা না থাকলে আমি মনে করতাম, আপনি আমার বক্তব্য পৌছাননি। মুহাম্মাদ বললেন, হ্যাঁ, পৌছিয়েছি। বলেছি তিনি আমাকে সালাম বলে পাঠিয়েছেন, দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং শপথ করে বলেছেন যে, তিনি ঐ কথা বলেননি। তিনি বললেন, তোমাকে কি সফরের রসদ বাবদ তিনি কিছু দিয়েছেন? মুহাম্মাদ বললেনঃ না। মুহাম্মাদ (উমারকে) বললেন, আপনি আমাকে সফরের রসদ দেননি কেন? তিনি বললেন, আমার এটা পছন্দ হয়নি যে, তোমাকে কিছু দিতে আদেশ দিই, ফলে তোমার সুবিধা হোক, আর আমার অসুবিধা হোক। অথচ আমার চার পাশে মদীনাবাসী ক্ষুধায় জর্জরিত। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, কেউ তার প্রতিবেশীকে অভুক্ত রেখে তৃপ্তিসহকারে যেন আহার না করে।

حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبَايَةَ بْنِ رِفَاعَةَ، قَالَ: بَلَغَ عُمَرَ أَنَّ سَعْدًا لَمَّا بَنَى الْقَصْرَ، قَالَ: انْقَطَعَ الصُّوَيْتُ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ مُحَمَّدَ بْنَ مَسْلَمَةَ، فَلَمَّا قَدِمَ أَخْرَجَ زَنْدَهُ، وَأَوْرَى نَارَهُ، وَابْتَاعَ حَطَبًا بِدِرْهَمٍ، وَقِيلَ لِسَعْدٍ: إِنَّ رَجُلًا فَعَلَ كَذَا وَكَذَا. فَقَالَ: ذَاكَ مُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ. فَخَرَجَ إِلَيْهِ فَحَلَفَ بِاللهِ مَا قَالَهُ، فَقَالَ: نُؤَدِّي عَنْكَ الَّذِي تَقُولُهُ، وَنَفْعَلُ مَا أُمِرْنَا بِهِ. فَأَحْرَقَ الْبَابَ، ثُمَّ أَقْبَلَ يَعْرِضُ عَلَيْهِ أَنْ يُزَوِّدَهُ فَأَبَى، فَخَرَجَ فَقَدِمَ عَلَى عُمَرَ، فَهَجَّرَ إِلَيْهِ، فَسَارَ ذَهَابَهُ وَرُجُوعَهُ تِسْعَ عَشْرَةَ، فَقَالَ: لَوْلا حُسْنُ الظَّنِّ بِكَ لَرَأَيْنَا أَنَّكَ لَمْ تُؤَدِّ عَنَّا. قَالَ: بَلَى، أَرْسَلَ يَقْرَأُ السَّلامَ، وَيَعْتَذِرُ، وَيَحْلِفُ بِاللهِ مَا قَالَهُ. قَالَ: فَهَلْ زَوَّدَكَ شَيْئًا؟ قَالَ: لَا، قَالَ : فَمَا مَنَعَكَ أَنْ تُزَوِّدَنِي أَنْتَ؟ قَالَ: إِنِّي كَرِهْتُ أَنْ آمُرَ لَكَ فَيَكُونَ لَكَ الْبَارِدُ، وَيَكُونَ لِي الْحَارُّ، وَحَوْلِي أَهْلُ الْمَدِينَةِ قَدْ قَتَلَهُمُ الْجُوعُ، وَقَدْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: ” لَا يَشْبَعُ الرَّجُلُ دُونَ جَارِهِ

 

رجاله ثقات رجال الشيخين، ورواية عباية بن رفاعة عن عمر مرسلة، قاله أبو زرعة كما في ” المراسيل ” لابن أبي حاتم ص 151، وقد جعل أبو نعيم في ” الحلية ” الحديث من رواية عباية بن رفاعة عن محمد بن مسلمة عن عمر، وإسناده إلى عباية صحيح رجاله كلهم ثقات. سفيان: هو سفيان بن سعيد بن مسروق الثوري

وأخرجه الحاكم 4 / 167 مختصراً من طريق أحمد بن حنبل، بهذا الإسناد. وقال الذهبي في ” تلخيصه “: سنده جيد

وأخرجه مختصراً بالمرفوع منه أبو نعيم في ” الحلية ” 9 / 27 من طريق عبد الرحمن بن مهدي، بهذا الإسناد، وجعله من حديث عباية عن محمد بن مسلمة، عن عمر. وقد تحرف في المطبوع منه ” عباية بن رفاعة ” إلى: عبادة عن رفاعة

وأخرجه بطوله ابن المبارك في ” الزهد ” (513) عن سفيان بن عيينة، عن عمر بن سعيد أخي سفيان الثوري، عن أبيه، به

ولقوله: ” لا يشبع الرجل دون جاره ” شاهد من حديث أنس بن مالك عند البزار (119) ، والطبراني في ” الكبير ” (751) ولفظه عند البزار: ” ليس المؤمن الذي يبيت شبعان وجاره طاوٍ “، وحسَّن المنذري إسناده في ” الترغيب ” 3 / 358. ونحوه عن ابن عباس عند أبي يعلى (2699) ، والبخاري في ” الأدب المفرد ” (112) ، وصححه الحاكم 4 / 167

وقوله: ” أَورى بناره “، أي: أَوقَدها، والزَّنْد: العود الذي يُقدح به النار

حدثنا عبد الرحمن، حدثنا سفيان، عن أبيه، عن عباية بن رفاعة، قال: بلغ عمر أن سعدا لما بنى القصر، قال: انقطع الصويت، فبعث إليه محمد بن مسلمة، فلما قدم أخرج زنده، وأورى ناره، وابتاع حطبا بدرهم، وقيل لسعد: إن رجلا فعل كذا وكذا. فقال: ذاك محمد بن مسلمة. فخرج إليه فحلف بالله ما قاله، فقال: نؤدي عنك الذي تقوله، ونفعل ما أمرنا به. فأحرق الباب، ثم أقبل يعرض عليه أن يزوده فأبى، فخرج فقدم على عمر، فهجر إليه، فسار ذهابه ورجوعه تسع عشرة، فقال: لولا حسن الظن بك لرأينا أنك لم تؤد عنا. قال: بلى، أرسل يقرأ السلام، ويعتذر، ويحلف بالله ما قاله. قال: فهل زودك شيئا؟ قال: لا، قال : فما منعك أن تزودني أنت؟ قال: إني كرهت أن آمر لك فيكون لك البارد، ويكون لي الحار، وحولي أهل المدينة قد قتلهم الجوع، وقد سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: ” لا يشبع الرجل دون جاره رجاله ثقات رجال الشيخين، ورواية عباية بن رفاعة عن عمر مرسلة، قاله أبو زرعة كما في ” المراسيل ” لابن أبي حاتم ص 151، وقد جعل أبو نعيم في ” الحلية ” الحديث من رواية عباية بن رفاعة عن محمد بن مسلمة عن عمر، وإسناده إلى عباية صحيح رجاله كلهم ثقات. سفيان: هو سفيان بن سعيد بن مسروق الثوري وأخرجه الحاكم 4 / 167 مختصرا من طريق أحمد بن حنبل، بهذا الإسناد. وقال الذهبي في ” تلخيصه “: سنده جيد وأخرجه مختصرا بالمرفوع منه أبو نعيم في ” الحلية ” 9 / 27 من طريق عبد الرحمن بن مهدي، بهذا الإسناد، وجعله من حديث عباية عن محمد بن مسلمة، عن عمر. وقد تحرف في المطبوع منه ” عباية بن رفاعة ” إلى: عبادة عن رفاعة وأخرجه بطوله ابن المبارك في ” الزهد ” (513) عن سفيان بن عيينة، عن عمر بن سعيد أخي سفيان الثوري، عن أبيه، به ولقوله: ” لا يشبع الرجل دون جاره ” شاهد من حديث أنس بن مالك عند البزار (119) ، والطبراني في ” الكبير ” (751) ولفظه عند البزار: ” ليس المؤمن الذي يبيت شبعان وجاره طاو “، وحسن المنذري إسناده في ” الترغيب ” 3 / 358. ونحوه عن ابن عباس عند أبي يعلى (2699) ، والبخاري في ” الأدب المفرد ” (112) ، وصححه الحاكم 4 / 167 وقوله: ” أورى بناره “، أي: أوقدها، والزند: العود الذي يقدح به النار

 হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) [উমারের বর্ণিত হাদীস] (مسند عمر بن الخطاب)

 ৩৯১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

৩৯১। উবাইদুল্লাহ বিন আবদুল্লাহ বিন উতবা বিন মাসউদ থেকে বর্ণিত আছে যে, ইবনুল আব্বাস তাকে জানিয়েছেন, আবদুর রহমান ইবনে আওফ তার মালপত্রের কাছে ফিরে এলেন। ইবনুল আব্বাস বলেন, আমি তখন আবদুর রহমান বিন আউফকে আল কুরআন পড়াতাম। তিনি আমাকে উপস্থিত পেলেন। আমি তার জন্য অপেক্ষমান ছিলাম। উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) এর শেষ হজ্জে মীনায় এ ঘটনা ঘটে। আবদুর রহমান বিন আওফ বলেন, এক ব্যক্তি উমার ইবনুল খাত্তাবের কাছে এল। সে বললোঃ অমুক ব্যক্তি বলে, উমার যদি মারা যেত, তাহলে আমি অমুকের নিকট বাইয়াত করতাম। (অর্থাৎ তাকে পরবর্তী খালীফা মেনে নিতাম) এ কথা শুনে উমার বললেন, আজ সন্ধ্যায় আমি জনগণের সামনে ভাষণ দিয়ে তাদেরকে সেই সব লোক থেকে সতর্ক করবো, যারা জনগণের শাসন ক্ষমতা জোরপূর্বক কেড়ে নেয়ার ফন্দি আঁটছে।

আবদুর রহমান বলেন, আমি বললামঃ হে আমীরুল মুমিনীন, এ কাজটি করবেন না। কেননা হজ্জের মৌসুমে নানা রকমের বখাটে ও নির্বোধ লোক সমবেত হয়ে থাকে। আপনি যখন জনগণের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন, তখন তারাই আপনার সমাবেশে পরাক্রমশালী থাকবে। আমার আশঙ্কা হয়, আপনি এমন কোন কথা বলে ফেলবেন, যা নিয়ে তারা প্রচারণায় নেমে পড়বে, তার সঠিক অর্থ উপলব্ধি করবে না এবং যথাস্থানে তা উপস্থাপন করবে না। তবে আপনি মদীনায় যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। কারণ মদীনা হচ্ছে হিজরত ও সুন্নাতের নগরী। সেখানে আপনি এককভাবে জ্ঞানীগুণী ও ভদ্র শ্রেণীর লোকদের সাথে মিলিত হতে পারবেন। তখন আপনি শক্তিশালী অবস্থান থেকে কথা বলতে পারবেন। লোকেরা সে কথা উপলব্ধি করবে ও যথাস্থানে উপস্থাপন করবে।

উমার (রাঃ) বললেন, আমি যদি নিরাপদে ও সুস্থভাবে মদীনায় পৌছি, তাহলে সর্বপ্রথম যে স্থানে জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণ দেয়ার সুযোগ পাবো, সে স্থানেই ভাষণ দেবো। এরপর যখন জিলহজ্জ মাসের শেষের দিকে আমরা মদীনায় উপস্থিত হলাম, সেদিন ছিল শুক্রবার। তখন আমি অন্ধ লোকের যাত্রার মত ত্বরিত গতিতে যাত্রা করলাম। (আমি এই হাদীসের মধ্যবর্তী অন্যতম বর্ণনাকারী মালিককে জিজ্ঞেস করলাম, অন্ধ লোকের যাত্রার মত অর্থ কী? তিনি বললেন, এর অর্থ হলোঃ (যে ব্যক্তি) কোন সময়ে যাত্রা শুরু করলো এবং ঠাণ্ডা, গরম বা অনুরূপ কোন কিছুর তোয়াক্কা করে না।) আমি মসজিদে নববীর পার্শ্বে সাঈদ বিন যায়িদকে পেলাম। সে আমার আগেই পৌছে গেছে। আমি তার পার্শ্বেই তার হাটুর সাথে হাটু লাগিয়ে বসলাম।

কিছুক্ষণ পরেই উমার (রাঃ) আবির্ভূত হলেন। আমি তাকে দেখেই বললাম, আজ সন্ধ্যায় উনি এমন এক ভাষণ দেবেন, যা তার আগে আর কেউ দেয়নি। এরপর উমার (রাঃ) মিম্বারে বসলেন। মুয়াযযিনের আযান দেয়া শেষ হলে উমার দাঁড়ালেন এবং আল্লাহর যথোপযুক্ত প্রশংসা করলেন। তারপর বললেনঃ হে জনতা, আমি আজ এমন একটা কথা বলতে যাচ্ছি, যা নেহাৎ ভাগ্যক্রমেই আমি বলার সুযোগ পাচ্ছি। জানিনা, হয়তো আমার আয়ুষ্কালের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়েই এটা বলতে পারছি। যারা আমার এ বক্তব্যকে মনে রাখবে ও বুঝবে, তারা যেন তাদের যাত্রার শেষ প্রান্ত পর্যন্ত গিয়েও তা প্রচার করে। আর যে মনে রাখতে পারবে না ও বুঝবে না সে আমার নামে মিথ্যা প্রচার করুক -এটা আমি অনুমোদন করি না।

নিশ্চয় আল্লাহ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সত্যসহকারে পাঠিয়েছেন এবং তার ওপর কিতাব নাযিল করেছেন। তার ওপর যা কিছু নাযিল করেছেন, রজম সংক্রান্ত আয়াতও তার অন্তর্ভুক্ত ছিল। আমরা তা পড়েছি ও বুঝেছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও রজম করেছেন, তার পরে আমরাও করেছি। আমার আশঙ্কা হয় যে, দীর্ঘকাল অতিবাহিত হবার পর এক সময় লোকেরা বলতে পারে, আল্লাহর কিতাবে আমরা রজম সংক্রান্ত আয়াত পাইনা। এভাবে আল্লাহর নাযিল করা একটা ফারয বর্জন করে তারা বিপথগামী হয়ে যাবে। বস্তুতঃ বিবাহিত নারী ও পুরুষ ব্যভিচার করলে তার ওপর রজম চালু করা আল্লাহর কিতাবের আওতাভুক্ত একটা অকাট্য সত্য বিধি, যখন তার ওপর সাক্ষ্য, স্বীকারোক্তি বা গর্ভধারণ পাওয়া যাবে।

জেনে রাখ, আমরা পড়তামঃ তোমরা তোমাদের পিতৃপুরুষদের প্রতি বিমুখ হয়ো না। কেননা পিতৃপুরুষদের প্রতি বিমুখ হওয়া তোমাদের জন্য কুফরী। জেনে রাখ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ঈসা ইবনে মারইয়ামকে নিয়ে যেমন লোকেরা বাড়াবাড়ি ও অতিরঞ্জন করেছে, তেমনি আমাকে নিয়ে বাড়াবাড়ি ও অতিরঞ্জন করো না। আমি তো আল্লাহর বান্দা। কাজেই তোমরা আমাকে বলবেঃ আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। আমি জানতে পেরেছি যে, তোমাদের কোন একজন বলেছে, উমার যদি মারা যেতেন, তবে আমি অমুকের হাতে বাইআত হতাম, তোমাদের কেউ যেন এতদূর ধৃষ্টতা না দেখায় যে, আবু বাকরের খিলাফাতকে অপ্রত্যাশিত ব্যাপার বলবে। ওটা অপ্রত্যাশিত ছিল বটে। তবে আল্লাহ তাকে সব অনিষ্ট থেকে রক্ষা করেছেন। (অর্থাৎ তাকে সফল করেছেন) আজ আমাদের মধ্যে আবু বকরের মত কেউ নেই। তার সমকক্ষ কেউ হতে পারে না।

শোন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তিকালের সময় আমাদের নিকট সংবাদ এসেছিল যে, আলী, যুবাইর ও তাঁদের উভয়ের সহযোগীরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কন্যা ফাতিমা (রাঃ) এর বাড়িতে বসে ছিলেন। আর সমগ্র আনসার গোষ্ঠী আমাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সাকীফায়ে বানু সায়েদায় এবং মুহাজিরগণ আবু আমরা আমাদের আনসার ভাইদের কাছে যাই। অতঃপর তাদের নেতৃত্ব দিতে আমরা রওনা হয়ে গেলাম। পথে দু’জন সৎ লোকের সাথে আমাদের সাক্ষাত হলো। তারা উভয়ে আমাদের কাছে জনতার আচরণ কেমন ছিল, তার বিবরণ দিল। তারা বললেনঃ হে মুহাজিরগণ, আপনারা কোথায় যাত্রা করেছেন? আমি বললামঃ আমাদের আনসার ভাইদের কাছে যাচ্ছি। তারা উভয়ে বললেনঃ আপনাদের কোন উদ্বেগের কারণ নেই। ওদের কাছে যাবেন না। হে মুহাজিরগণ, আপনাদের যা করণীয়, তা আপনরারা করে ফেলুন। আমি বললাম, আল্লাহর কসম, আমরা ওদের নিকট যাবোই।

অতঃপর আমরা রওনা হলাম এবং বনু সায়েদা গোত্রের সাকীফায় (চত্বরে) তাদের নিকট গেলাম। দেখলাম, তারা সবাই সেখানে সমবেত। তাদের মাঝে এক ব্যক্তি কম্বল আচ্ছাদিত। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এ ব্যক্তি কে? লোকেরা বললো, সা’দ বিন উবাদা। আমি বললামঃ ওর কী হয়েছে? লোকেরা বললোঃ ব্যথা। আমরা যখন বসলাম, তখন তাদের (আনসারদের) জনৈক বক্তা দাড়ালো। প্রথমে আল্লাহর যথোপযুক্ত প্রশংসা করলো। তারপর বললোঃ আমরা হচ্ছি আল্লাহর আনসার (সাহায্যকারী) ও ইসলামের সৈনিক। আর হে মুহাজিরগণ, আপনারা আমাদেরই একটি গোষ্ঠী। অথচ আপনাদের পক্ষ থেকে তোড়জোড় শুরু হয়েছে আমাদেরকে আমাদের মূল থেকে বিচ্ছিন্ন করার ও সামষ্টিক তৎপরতা থেকে দূরে সরিয়ে দেয়ার জন্য। এরপর এই বক্তা যখন ক্ষ্যান্ত হলো, তখন আমি কথা বলতে ইচ্ছা করলাম। আমি একটা চমকপ্রদ ভাষণ তৈরি করেছিলাম, যা আবু বাকরের সামনে দিতে চেয়েছিলাম।

ইতিপূর্বে আবু বাকরের সাথে আমি কিছুটা হৃদ্যতা বজায় রাখতাম। তিনি আমার চেয়ে সহিষ্ণু ও সম্মানী ব্যক্তি ছিলেন। আবু বাকর আমাকে বললেন, একটু ধৈর্য ধারণ কর। তখন তাকে রাগান্বিত করা আমার ভালো লাগলো না। কারণ তিনি আমার চেয়ে জ্ঞানী ও সম্মানী ব্যক্তি ছিলেন। আল্লাহর কসম, আমার তৈরি করা চমকপ্রদ ভাষণে যা যা ছিল, তার একটি কথাও তিনি বলতে বাদ রাখলেন না বরঞ্চ আরো উত্তম কথা তাৎক্ষণিকভাবে ও কোন পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়াই বললেন, অতঃপর নীরব হলেন। তিনি বললেন, তোমরা যেসব উত্তম কথা বলেছ, তোমরা যথার্থই তার উপযুক্ত। আরবরা তাদের নেতৃত্বদানের কাজটা কুরাইশদের এই গোষ্ঠীটার জন্য নির্দিষ্ট বলেই জানে। বংশ মর্যাদার ও পারিবারিক আভিজাত্যেরদিক দিয়ে এ গোষ্ঠীটা মধ্যম ধরনের সন্ত্রান্ত।

আমি তোমাদের জন্য এই দুই ব্যক্তির মধ্যে যে কোন একজনের প্রতি সন্তুষ্ট। তোমরা এদের মধ্য থেকে যাকে চাও গ্রহণ কর। এই বলে তিনি আমার [উমার (রাঃ)] ও আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহর হাত ধরলেন। এ ছাড়া আর, যা কিছু তিনি বললেন, তা আমি অপছন্দ করিনি। আল্লাহর কসম, পরিস্থিতি এমন ছিল যে, আমাকে প্রথমে এগিয়ে দেয়া হলে আমাকে হত্যা করা হতো, যে জনগোষ্ঠীতে আবু বাকর আছে, সেই জনগোষ্ঠীর ওপর আমি নেতৃত্ব করবো, এটা আমার কাছে গুনাহর কাজ মনে হয়। অবশ্য মৃত্যুর সময় আমার ভেতরে কোন পরিবর্তন এলে সেটা ভিন্ন কথা। এই সময় জনৈক আনসার বলে উঠলো, “আমি একজন প্রাজ্ঞ ও বিচক্ষণ বক্তি। হে কুরাইশ, আমাদের মধ্য হতে একজন নেতা হবেন, আর তোমাদের মধ্য হতে একজন আমীর হবেন।

অতঃপর কথাবার্তা বাড়লো এবং আওয়ায উচ্চতর হলো। আমার আশঙ্কা হলো যে, মতভেদ সৃষ্টি হতে পারে। তাই আমি বললাম, হে আবু বাকর, আপনার হাত বাড়িয়ে দিন। তিনি হাত বাড়ালেন। অমনি আমি তার নিকট বাইয়াত করলাম। সকল মুহাজির তার নিকট বাইয়াত করলো। তারপর আনসারগণও তার নিকট বাইয়াত করলো। এরপর আমরা সা’দ বিন উবাদার নিকট গেলাম। তাদের একজন বললো, তোমরা সা’দকে হত্যা করলে! আমি বললাম, আল্লাহ সা’দকে হত্যা করেছেন।

উমার (রাঃ) বললেনঃ আমাদের এই সমাবেশে আবু বকরের হাতে বাইয়াত করার চেয়ে যুক্তিযুক্ত আর কোন কাজ আমরা পাইনি। আমরা কোন বাইয়াত না করে যদি চলে যেতাম, তবে আশঙ্কা ছিল যে, লোকেরা আমাদের পরে নতুন কোন বাইয়াত উদ্ভাবন করে নিত। তখন সেটা আমাদের অপছন্দ হওয়া সত্ত্বেও হয়তো আমাদের মেনে নিতে হতো, নচেত তার বিরোধিতা করতে হতো এবং তার ফলে গোলযোগ ছড়িয়ে পড়তো। মুসলিমদের সাথে পরামর্শ না করে যে ব্যক্তি কোন নেতার হাতে বাইয়াত করবে, তার বাইয়াত হবে না, যে ব্যক্তি বাইয়াত নেবে, তারও বাইয়াত হবে না। এমনকি এতে উভয়ের নিহত হবারও ঝুঁকি রয়েছে।

অন্যতম বর্ণনাকার মালিক বলেন, যে দুজন আবু বকর ও উমারের সাথে দেখা করেছিলো, তারা হলেন উমাইর বিন সায়েদা ও মা’ন বিন আদী।

ইবনে শিহাব বলেন, সাঈদ বিন মুসাইয়াব আমাকে জানিয়েছেন যে, যে ব্যক্তি বলেছিল, আমি সুচতুর, সে ছিল হুবাব ইবনুল মুনযির।

[বুখারী, মুসলিম, ইবনু হিব্বান, মুসনাদে আহমাদ-১৫৪, ১৫৬, ২৪৯]

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عِيسَى الطَّبَّاعُ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، حَدَّثَنِي ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ أَخْبَرَهُ: أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ رَجَعَ إِلَى رَحْلِهِ، قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: وَكُنْتُ أُقْرِئُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ، فَوَجَدَنِي، وَأَنَا أَنْتَظِرُهُ، وَذَلِكَ بِمِنًى فِي آخِرِ حَجَّةٍ حَجَّهَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ: إِنَّ رَجُلًا أَتَى عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، فَقَالَ: إِنَّ فُلَانًا يَقُولُ: لَوْ قَدْ مَاتَ عُمَرُ بَايَعْتُ فُلَانًا، فَقَالَ عُمَرُ: إِنِّي قَائِمٌ الْعَشِيَّةَ فِي النَّاسِ فَمُحَذِّرُهُمْ هَؤُلَاءِ الرَّهْطَ الَّذِينَ يُرِيدُونَ أَنْ يَغْصِبُوهُمْ أَمْرَهُمْ، قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ: فَقُلْتُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، لَا تَفْعَلْ، فَإِنَّ الْمَوْسِمَ يَجْمَعُ رَعَاعَ النَّاسِ وَغَوْغَاءَهُمْ، وَإِنَّهُمُ الَّذِينَ يَغْلِبُونَ عَلَى مَجْلِسِكَ إِذَا قُمْتَ فِي النَّاسِ، فَأَخْشَى أَنْ تَقُولَ مَقَالَةً يَطِيرُ بِهَا أُولَئِكَ فَلَا يَعُوهَا، وَلَا يَضَعُوهَا عَلَى مَوَاضِعِهَا، وَلَكِنْ حَتَّى تَقْدَمَ الْمَدِينَةَ، فَإِنَّهَا دَارُ الْهِجْرَةِ وَالسُّنَّةِ، وَتَخْلُصَ بِعُلَمَاءِ النَّاسِ وَأَشْرَافِهِمْ، فَتَقُولَ مَا قُلْتَ مُتَمَكِّنًا، فَيَعُونَ مَقَالَتَكَ، وَيَضَعُونَهَا مَوَاضِعَهَا، فَقَالَ عُمَرُ: لَئِنْ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ صَالِحًا لَأُكَلِّمَنَّ بِهَا النَّاسَ فِي أَوَّلِ مَقَامٍ أَقُومُه

 

فَلَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ فِي عَقِبِ ذِي الْحِجَّةِ، وَكَانَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، عَجَّلْتُ الرَّوَاحَ صَكَّةَ الْأَعْمَى – فَقُلْتُ لِمَالِكٍ: وَمَا صَكَّةُ الْأَعْمَى؟ قَالَ: إِنَّهُ لَا يُبَالِي أَيَّ سَاعَةٍ خَرَجَ، لَا يَعْرِفُ الْحَرَّ وَالْبَرْدَ وَنَحْوَ هَذَا – فَوَجَدْتُ سَعِيدَ بْنَ زَيْدٍ عِنْدَ رُكْنِ الْمِنْبَرِ الْأَيْمَنِ قَدْ سَبَقَنِي، فَجَلَسْتُ حِذَاءَهُ تَحُكُّ رُكْبَتِي رُكْبَتَهُ، فَلَمْ أَنْشَبْ أَنْ طَلَعَ عُمَرُ، فَلَمَّا رَأَيْتُهُ قُلْتُ: لَيَقُولَنَّ الْعَشِيَّةَ عَلَى هَذَا الْمِنْبَرِ مَقَالَةً مَا قَالَهَا عَلَيْهِ أَحَدٌ قَبْلَهُ، قَالَ: فَأَنْكَرَ سَعِيدُ بْنُ زَيْدٍ ذَلِكَ، فَقَالَ: مَا عَسَيْتَ أَنْ يَقُولَ مَا لَمْ يَقُلْ أَحَدٌ؟

فَجَلَسَ عُمَرُ عَلَى الْمِنْبَرِ، فَلَمَّا سَكَتَ الْمُؤَذِّنُ، قَامَ فَأَثْنَى عَلَى اللهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ، ثُمَّ قَالَ: أَمَّا بَعْدُ، أَيُّهَا النَّاسُ، فَإِنِّي قَائِلٌ مَقَالَةً قَدْ قُدِّرَ لِي أَنْ أَقُولَهَا، لَا أَدْرِي لَعَلَّهَا بَيْنَ يَدَيْ أَجَلِي، فَمَنْ وَعَاهَا وَعَقَلَهَا فَلْيُحَدِّثْ بِهَا حَيْثُ انْتَهَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ، وَمَنْ لَمْ يَعِهَا فَلَا أُحِلُّ لَهُ أَنْ يَكْذِبَ عَلَيَّ: إِنَّ اللهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى بَعَثَ مُحَمَّدًا صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْحَقِّ، وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ الْكِتَابَ، وَكَانَ مِمَّا أَنْزَلَ عَلَيْهِ آيَةُ الرَّجْمِ، فَقَرَأْنَاهَا وَوَعَيْنَاهَا، وَرَجَمَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَجَمْنَا بَعْدَهُ، فَأَخْشَى إِنْ طَالَ بِالنَّاسِ زَمَانٌ أَنْ يَقُولَ قَائِلٌ: لَا نَجِدُ آيَةَ الرَّجْمِ فِي كِتَابِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ، فَيَضِلُّوا بِتَرْكِ فَرِيضَةٍ قَدْ أَنْزَلَهَا اللهُ عَزَّ وَجَلَّ، فَالرَّجْمُ فِي كِتَابِ اللهِ حَقٌّ عَلَى مَنْ زَنَى إِذَا أُحْصِنَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ إِذَا قَامَتِ الْبَيِّنَةُ أَوِ الْحَبَلُ أَوِ الِاعْتِرَافُ، أَلَا وَإِنَّا قَدْ كُنَّا نَقْرَأُ: لَا تَرْغَبُوا عَنْ آبَائِكُمْ، فَإِنَّ كُفْرًا بِكُمْ أَنْ تَرْغَبُوا عَنْ آبَائِكُم

 

أَلَا وَإِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” لَا تُطْرُونِي كَمَا أُطْرِيَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَإِنَّمَا أَنَا عَبْدُ اللهِ، فَقُولُوا عَبْدُ اللهِ وَرَسُولُهُ

وَقَدْ بَلَغَنِي أَنَّ قَائِلًا مِنْكُمْ يَقُولُ: لَوْ قَدْ مَاتَ عُمَرُ، بَايَعْتُ فُلانًا، فَلا يَغْتَرَّنَّ امْرُؤٌ أَنْ يَقُولَ: إِنَّ بَيْعَةَ أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ كَانَتْ فَلْتَةً، أَلا وَإِنَّهَا كَانَتْ كَذَلِكَ، إلا أَنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ وَقَى شَرَّهَا، وَلَيْسَ فِيكُمُ الْيَوْمَ مَنْ تُقْطَعُ إِلَيْهِ الْأَعْنَاقُ مِثْلُ أَبِي بَكْرٍ، أََلَا وَإِنَّهُ كَانَ مِنْ خَبَرِنَا حِينَ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَنَّ عَلِيًّا وَالزُّبَيْرَ، وَمَنْ كَانَ مَعَهُمَا، تَخَلَّفُوا فِي بَيْتِ فَاطِمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا بِنْتِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَخَلَّفَتْ عَنَّا الْأَنْصَارُ بِأَجْمَعِهَا فِي سَقِيفَةِ بَنِي سَاعِدَةَ، وَاجْتَمَعَ الْمُهَاجِرُونَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ، فَقُلْتُ لَهُ: يَا أَبَا بَكْرٍ، انْطَلِقْ بِنَا إِلَى إِخْوَانِنَا مِنَ الْأَنْصَارِ، فَانْطَلَقْنَا نَؤُمُّهُمْ حَتَّى لَقِيَنَا رَجُلانِ صَالِحَانِ، فَذَكَرَا لَنَا الَّذِي صَنَعَ الْقَوْمُ، فَقَالا: أَيْنَ تُرِيدُونَ يَا مَعْشَرَ الْمُهَاجِرِينَ؟ فَقُلْتُ: نُرِيدُ إِخْوَانَنَا هَؤُلاءِ مِنَ الْأَنْصَارِ، فَقَالا: لَا عَلَيْكُمْ أَنْ لَا تَقْرَبُوهُمْ، وَاقْضُوا أَمْرَكُمْ يَا مَعْشَرَ الْمُهَاجِرِينَ، فَقُلْتُ: وَاللهِ لَنَأْتِيَنَّهُم

 

فَانْطَلَقْنَا حَتَّى جِئْنَاهُمْ فِي سَقِيفَةِ بَنِي سَاعِدَةَ، فَإِذَا هُمْ مُجْتَمِعُونَ، وَإِذَا بَيْنَ ظَهْرَانَيْهِمْ رَجُلٌ مُزَمَّلٌ، فَقُلْتُ: مَنْ هَذَا؟ فَقَالُوا: سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ، فَقُلْتُ: مَا لَهُ؟ قَالُوا: وَجِعٌ، فَلَمَّا جَلَسْنَا قَامَ خَطِيبُهُمْ فَأَثْنَى عَلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ، وَقَالَ: أَمَّا بَعْدُ، فَنَحْنُ أَنْصَارُ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَكَتِيبَةُ الْإِسْلامِ، وَأَنْتُمْ يَا مَعْشَرَ الْمُهَاجِرِينَ رَهْطٌ مِنَّا، وَقَدْ دَفَّتْ دَافَّةٌ مِنْكُمْ يُرِيدُونَ أَنْ يَخْزِلُونَا مِنْ أَصْلِنَا، وَيَحْضُنُونَا مِنَ الْأَمْرِ، فَلَمَّا سَكَتَ أَرَدْتُ أَنْ أَتَكَلَّمَ، وَكُنْتُ قَدْ زَوَّرْتُ مَقَالَةً أَعْجَبَتْنِي، أَرَدْتُ أَنْ أَقُولَهَا بَيْنَ يَدَيْ أَبِي بَكْرٍ، وَقَدْ كُنْتُ أُدَارِي مِنْهُ بَعْضَ الْحَدِّ، وَهُوَ كَانَ أَحْلَمَ مِنِّي وَأَوْقَرَ، فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: عَلَى رِسْلِكَ. فَكَرِهْتُ أَنْ أُغْضِبَهُ، وَكَانَ أَعْلَمَ مِنِّي وَأَوْقَرَ، وَاللهِ مَا تَرَكَ مِنْ كَلِمَةٍ أَعْجَبَتْنِي فِي تَزْوِيرِي إِلَّا قَالَهَا فِي بَدِيهَتِهِ وَأَفْضَلَ، حَتَّى سَكَتَ، فَقَالَ: أَمَّا بَعْدُ، فَمَا ذَكَرْتُمْ مِنْ خَيْرٍ فَأَنْتُمْ أَهْلُهُ، وَلَمْ تَعْرِفِ الْعَرَبُ هَذَا الْأَمْرَ إِلَّا لِهَذَا الْحَيِّ مِنْ قُرَيْشٍ، هُمْ أَوْسَطُ الْعَرَبِ نَسَبًا وَدَارًا، وَقَدْ رَضِيتُ لَكُمْ أَحَدَ هَذَيْنِ الرَّجُلَيْنِ أَيَّهُمَا شِئْتُمْ. وَأَخَذَ بِيَدِي وَبِيَدِ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ الْجَرَّاحِ، فَلَمْ أَكْرَهْ مِمَّا قَالَ غَيْرَهَا، وَكَانَ وَاللهِ أَنْ أُقَدَّمَ فَتُضْرَبَ عُنُقِي، لَا يُقَرِّبُنِي ذَلِكَ إِلَى إِثْمٍ، أَحَبَّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أَتَأَمَّرَ عَلَى قَوْمٍ فِيهِمْ أَبُو بَكْرٍ، إِلَّا أَنْ تَغَيَّرَ نَفْسِي عِنْدَ الْمَوْتِ، فَقَالَ قَائِلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ: أَنَا جُذَيْلُهَا الْمُحَكَّكُ، وَعُذَيْقُهَا الْمُرَجَّبُ، مِنَّا أَمِيرٌ وَمِنْكُمْ أَمِيرٌ يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ – فَقُلْتُ لِمَالِكٍ: مَا مَعْنَى ” أَنَا جُذَيْلُهَا الْمُحَكَّكُ، وَعُذَيْقُهَا الْمُرَجَّبُ “؟ قَالَ: كَأَنَّهُ يَقُولُ: أَنَا دَاهِيَتُهَا

 

قَالَ: وَكَثُرَ اللَّغَطُ، وَارْتَفَعَتِ الْأَصْوَاتُ، حَتَّى خَشِيتُ الِاخْتِلافَ، فَقُلْتُ: ابْسُطْ يَدَكَ يَا أَبَا بَكْرٍ، فَبَسَطَ يَدَهُ فَبَايَعْتُهُ، وَبَايَعَهُ الْمُهَاجِرُونَ، ثُمَّ بَايَعَهُ الْأَنْصَارُ، وَنَزَوْنَا عَلَى سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ، فَقَالَ قَائِلٌ مِنْهُمْ: قَتَلْتُمْ سَعْدًا، فَقُلْتُ: قَتَلَ اللهُ سَعْدًا

وَقَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: أَمَا وَاللهِ مَا وَجَدْنَا فِيمَا حَضَرْنَا أَمْرًا هُوَ أَقْوَى مِنْ مُبَايَعَةِ أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، خَشِينَا إِنْ فَارَقْنَا الْقَوْمَ، وَلَمْ تَكُنْ بَيْعَةٌ، أَنْ يُحْدِثُوا بَعْدَنَا بَيْعَةً، فَإِمَّا أَنْ نُتَابِعَهُمْ عَلَى مَا لَا نَرْضَى، وَإِمَّا أَنْ نُخَالِفَهُمْ فَيَكُونَ فِيهِ فَسَادٌ، فَمَنْ بَايَعَ أَمِيرًا عَنْ غَيْرِ مَشُورَةِ الْمُسْلِمِينَ فَلا بَيْعَةَ لَهُ، وَلا بَيْعَةَ لِلَّذِي بَايَعَهُ، تَغِرَّةَ أَنْ يُقْتَلا

قَالَ مَالِكٌ: وَأَخْبَرَنِي ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ: أَنَّ الرَّجُلَيْنِ اللَّذَيْنِ لَقِيَاهُمَا : عُوَيْمُ بْنُ سَاعِدَةَ، وَمَعْنُ بْنُ عَدِي

 

قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: وَأَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ: أَنَّ الَّذِي قَالَ: أَنَا جُذَيْلُهَا الْمُحَكَّكُ وَعُذَيْقُهَا الْمُرَجَّبُ: الْحُبَابُ بْنُ الْمُنْذِرِ

 

إسناد حديث السقيفة صحيح على شرط مسلم، رجاله ثقات رجال الشيخين غير إسحاق بن عيسى الطباع، فمن رجال مسلم. وهو في ” الموطأ ” 2 / 823 مختصراً بقصة الرجم فقط

ومن طريق مالك أخرجه الدارمي (2322) و (2784) ، والبخاري (2462) و (3928) ، والنسائي في ” الكبرى ” (7157) و (7158) ، وابن حبان (414) وبعضهم يزيد فيه على بعض. وقرن البخاري والنسائي في الموضع الثاني بمالكٍ يونسَ بن يزيد الأيلي

وأخرجه الحميدي (26) و (27) ، وابن أبي شيبة 10 / 75 – 76 و14 / 563 – 567، والبخاري (3445) و (4021) و (6829) و (6830) و (7323) ، ومسلم (1691) ، وأبو داود (4418) ، وابن ماجه (2553) ، والترمذي في ” الشمائل ” (323) ، والبزار (194) ، والنسائي (7156) و (7159) و (7160) وأبو يعلى (153) ، وابن حبان (413) و (6239) ، والبيهقي 8 / 211 من طرق عن الزهري، بهذا الإسناد. وانظر (331) و (352)

قوله: ” كانت فلتة “، قال ابن الأثير في ” النهاية ” 3 / 467: أراد بالفلتة: الفَجْأة، ومثل هذه البيعة جديرة بأن تكون مُهيِّجةً للشر والفتنة، فعَصَم الله من ذلك ووَقَى، والفلتة

كلُّ شيء فُعل من غير رَوِيَّة، وإنما بُودِر بها خوف انتشار الأمر

وقوله: ” ويَحضُنونا من الأمر “، أي: يخرجونا منه

وقوله: ” زوَّرتُ “: هيَّأت

والجُذيل: تصغير جِذْل، وهو العود الذي يُنصَب للإبل الجَرْبى لتحتكَّ به، وهو تصغير تعظيم، أي: أنا ممَّن يُستشفى برأيه كما تستشفي الإبل الجربى بالاحتكاك بهذا العود

والعُذيق: تصغير العَذْق، وهو النخلة

 

والمرجَّب: من الترجيب بالجيم، يقال: رَجَّبتُ النخلة، إذا أَسندتَها على خشبة ذات شُعبتين، لكثرة حملها، يريد أنه الذي ينبغي الرجوعُ إلى قوله

حدثنا إسحاق بن عيسى الطباع، حدثنا مالك بن أنس، حدثني ابن شهاب، عن عبيد الله بن عبد الله بن عتبة بن مسعود أن ابن عباس أخبره: أن عبد الرحمن بن عوف رجع إلى رحله، قال ابن عباس: وكنت أقرئ عبد الرحمن بن عوف، فوجدني، وأنا أنتظره، وذلك بمنى في آخر حجة حجها عمر بن الخطاب، قال عبد الرحمن بن عوف: إن رجلا أتى عمر بن الخطاب، فقال: إن فلانا يقول: لو قد مات عمر بايعت فلانا، فقال عمر: إني قائم العشية في الناس فمحذرهم هؤلاء الرهط الذين يريدون أن يغصبوهم أمرهم، قال عبد الرحمن: فقلت: يا أمير المؤمنين، لا تفعل، فإن الموسم يجمع رعاع الناس وغوغاءهم، وإنهم الذين يغلبون على مجلسك إذا قمت في الناس، فأخشى أن تقول مقالة يطير بها أولئك فلا يعوها، ولا يضعوها على مواضعها، ولكن حتى تقدم المدينة، فإنها دار الهجرة والسنة، وتخلص بعلماء الناس وأشرافهم، فتقول ما قلت متمكنا، فيعون مقالتك، ويضعونها مواضعها، فقال عمر: لئن قدمت المدينة صالحا لأكلمن بها الناس في أول مقام أقومه فلما قدمنا المدينة في عقب ذي الحجة، وكان يوم الجمعة، عجلت الرواح صكة الأعمى – فقلت لمالك: وما صكة الأعمى؟ قال: إنه لا يبالي أي ساعة خرج، لا يعرف الحر والبرد ونحو هذا – فوجدت سعيد بن زيد عند ركن المنبر الأيمن قد سبقني، فجلست حذاءه تحك ركبتي ركبته، فلم أنشب أن طلع عمر، فلما رأيته قلت: ليقولن العشية على هذا المنبر مقالة ما قالها عليه أحد قبله، قال: فأنكر سعيد بن زيد ذلك، فقال: ما عسيت أن يقول ما لم يقل أحد؟ فجلس عمر على المنبر، فلما سكت المؤذن، قام فأثنى على الله بما هو أهله، ثم قال: أما بعد، أيها الناس، فإني قائل مقالة قد قدر لي أن أقولها، لا أدري لعلها بين يدي أجلي، فمن وعاها وعقلها فليحدث بها حيث انتهت به راحلته، ومن لم يعها فلا أحل له أن يكذب علي: إن الله تبارك وتعالى بعث محمدا صلى الله عليه وسلم بالحق، وأنزل عليه الكتاب، وكان مما أنزل عليه آية الرجم، فقرأناها ووعيناها، ورجم رسول الله صلى الله عليه وسلم ورجمنا بعده، فأخشى إن طال بالناس زمان أن يقول قائل: لا نجد آية الرجم في كتاب الله عز وجل، فيضلوا بترك فريضة قد أنزلها الله عز وجل، فالرجم في كتاب الله حق على من زنى إذا أحصن من الرجال والنساء إذا قامت البينة أو الحبل أو الاعتراف، ألا وإنا قد كنا نقرأ: لا ترغبوا عن آبائكم، فإن كفرا بكم أن ترغبوا عن آبائكم ألا وإن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: ” لا تطروني كما أطري عيسى ابن مريم عليه السلام، فإنما أنا عبد الله، فقولوا عبد الله ورسوله وقد بلغني أن قائلا منكم يقول: لو قد مات عمر، بايعت فلانا، فلا يغترن امرؤ أن يقول: إن بيعة أبي بكر رضي الله عنه كانت فلتة، ألا وإنها كانت كذلك، إلا أن الله عز وجل وقى شرها، وليس فيكم اليوم من تقطع إليه الأعناق مثل أبي بكر، ألا وإنه كان من خبرنا حين توفي رسول الله صلى الله عليه وسلم: أن عليا والزبير، ومن كان معهما، تخلفوا في بيت فاطمة رضي الله عنها بنت رسول الله صلى الله عليه وسلم، وتخلفت عنا الأنصار بأجمعها في سقيفة بني ساعدة، واجتمع المهاجرون إلى أبي بكر، فقلت له: يا أبا بكر، انطلق بنا إلى إخواننا من الأنصار، فانطلقنا نؤمهم حتى لقينا رجلان صالحان، فذكرا لنا الذي صنع القوم، فقالا: أين تريدون يا معشر المهاجرين؟ فقلت: نريد إخواننا هؤلاء من الأنصار، فقالا: لا عليكم أن لا تقربوهم، واقضوا أمركم يا معشر المهاجرين، فقلت: والله لنأتينهم فانطلقنا حتى جئناهم في سقيفة بني ساعدة، فإذا هم مجتمعون، وإذا بين ظهرانيهم رجل مزمل، فقلت: من هذا؟ فقالوا: سعد بن عبادة، فقلت: ما له؟ قالوا: وجع، فلما جلسنا قام خطيبهم فأثنى على الله عز وجل بما هو أهله، وقال: أما بعد، فنحن أنصار الله عز وجل، وكتيبة الإسلام، وأنتم يا معشر المهاجرين رهط منا، وقد دفت دافة منكم يريدون أن يخزلونا من أصلنا، ويحضنونا من الأمر، فلما سكت أردت أن أتكلم، وكنت قد زورت مقالة أعجبتني، أردت أن أقولها بين يدي أبي بكر، وقد كنت أداري منه بعض الحد، وهو كان أحلم مني وأوقر، فقال أبو بكر: على رسلك. فكرهت أن أغضبه، وكان أعلم مني وأوقر، والله ما ترك من كلمة أعجبتني في تزويري إلا قالها في بديهته وأفضل، حتى سكت، فقال: أما بعد، فما ذكرتم من خير فأنتم أهله، ولم تعرف العرب هذا الأمر إلا لهذا الحي من قريش، هم أوسط العرب نسبا ودارا، وقد رضيت لكم أحد هذين الرجلين أيهما شئتم. وأخذ بيدي وبيد أبي عبيدة بن الجراح، فلم أكره مما قال غيرها، وكان والله أن أقدم فتضرب عنقي، لا يقربني ذلك إلى إثم، أحب إلي من أن أتأمر على قوم فيهم أبو بكر، إلا أن تغير نفسي عند الموت، فقال قائل من الأنصار: أنا جذيلها المحكك، وعذيقها المرجب، منا أمير ومنكم أمير يا معشر قريش – فقلت لمالك: ما معنى ” أنا جذيلها المحكك، وعذيقها المرجب “؟ قال: كأنه يقول: أنا داهيتها قال: وكثر اللغط، وارتفعت الأصوات، حتى خشيت الاختلاف، فقلت: ابسط يدك يا أبا بكر، فبسط يده فبايعته، وبايعه المهاجرون، ثم بايعه الأنصار، ونزونا على سعد بن عبادة، فقال قائل منهم: قتلتم سعدا، فقلت: قتل الله سعدا وقال عمر رضي الله عنه: أما والله ما وجدنا فيما حضرنا أمرا هو أقوى من مبايعة أبي بكر رضي الله عنه، خشينا إن فارقنا القوم، ولم تكن بيعة، أن يحدثوا بعدنا بيعة، فإما أن نتابعهم على ما لا نرضى، وإما أن نخالفهم فيكون فيه فساد، فمن بايع أميرا عن غير مشورة المسلمين فلا بيعة له، ولا بيعة للذي بايعه، تغرة أن يقتلا قال مالك: وأخبرني ابن شهاب، عن عروة بن الزبير: أن الرجلين اللذين لقياهما : عويم بن ساعدة، ومعن بن عدي قال ابن شهاب: وأخبرني سعيد بن المسيب: أن الذي قال: أنا جذيلها المحكك وعذيقها المرجب: الحباب بن المنذر إسناد حديث السقيفة صحيح على شرط مسلم، رجاله ثقات رجال الشيخين غير إسحاق بن عيسى الطباع، فمن رجال مسلم. وهو في ” الموطأ ” 2 / 823 مختصرا بقصة الرجم فقط ومن طريق مالك أخرجه الدارمي (2322) و (2784) ، والبخاري (2462) و (3928) ، والنسائي في ” الكبرى ” (7157) و (7158) ، وابن حبان (414) وبعضهم يزيد فيه على بعض. وقرن البخاري والنسائي في الموضع الثاني بمالك يونس بن يزيد الأيلي وأخرجه الحميدي (26) و (27) ، وابن أبي شيبة 10 / 75 – 76 و14 / 563 – 567، والبخاري (3445) و (4021) و (6829) و (6830) و (7323) ، ومسلم (1691) ، وأبو داود (4418) ، وابن ماجه (2553) ، والترمذي في ” الشمائل ” (323) ، والبزار (194) ، والنسائي (7156) و (7159) و (7160) وأبو يعلى (153) ، وابن حبان (413) و (6239) ، والبيهقي 8 / 211 من طرق عن الزهري، بهذا الإسناد. وانظر (331) و (352) قوله: ” كانت فلتة “، قال ابن الأثير في ” النهاية ” 3 / 467: أراد بالفلتة: الفجأة، ومثل هذه البيعة جديرة بأن تكون مهيجة للشر والفتنة، فعصم الله من ذلك ووقى، والفلتة كل شيء فعل من غير روية، وإنما بودر بها خوف انتشار الأمر وقوله: ” ويحضنونا من الأمر “، أي: يخرجونا منه وقوله: ” زورت “: هيأت والجذيل: تصغير جذل، وهو العود الذي ينصب للإبل الجربى لتحتك به، وهو تصغير تعظيم، أي: أنا ممن يستشفى برأيه كما تستشفي الإبل الجربى بالاحتكاك بهذا العود والعذيق: تصغير العذق، وهو النخلة والمرجب: من الترجيب بالجيم، يقال: رجبت النخلة، إذا أسندتها على خشبة ذات شعبتين، لكثرة حملها، يريد أنه الذي ينبغي الرجوع إلى قوله

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) [উমারের বর্ণিত হাদীস] (مسند عمر بن الخطاب)

 ৩৯২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

৩৯২। আনাস বিন মালিক (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি কি তোমাদেরকে জানাবো না আনসারদের কোন বাড়ি উত্তম? বনু নাজ্জারের বাড়ি, তারপর বনু আবদুল আশহালের বাড়ি, তারপর বিল হারেস ইবনিল খাযরাজের বাড়ি, তারপর বনী সায়েদার বাড়ি। তারপর বললেনঃ আনসারের সকল বাড়িতেই কল্যাণ রয়েছে।

[বুখারী, মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ-১৩১২৫]

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عِيسَى، أَخْبَرَنِي مَالِكٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” أَلا أُخْبِرُكُمْ بِخَيْرِ دُورِ الْأَنْصَارِ؟ بَنِي النَّجَّارِ، ثُمَّ بَنِي عَبْدِ الْأَشْهَلِ، ثُمَّ بِالْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ، ثُمَّ بَنِي سَاعِدَةَ ” وَقَالَ: ” فِي كُلِّ دُورِ الْأَنْصَارِ خَيْرٌ

 

إسداده صحيح على شرط مسلم. يحيى بن سعيد: هو الأنصاري

وأخرجه أبو نعيم في ” الحلية ” 6 / 354 – 355 من طريق عبد العزيز بن يحيى، عن مالك، بهذا الإسناد. وسيأتي بقية تخريجه في مسند أنس بن مالك (3 / 202 الطبعة الميمنية)

حدثنا إسحاق بن عيسى، أخبرني مالك، عن يحيى بن سعيد أنه سمع أنس بن مالك يقول: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ” ألا أخبركم بخير دور الأنصار؟ بني النجار، ثم بني عبد الأشهل، ثم بالحارث بن الخزرج، ثم بني ساعدة ” وقال: ” في كل دور الأنصار خير إسداده صحيح على شرط مسلم. يحيى بن سعيد: هو الأنصاري وأخرجه أبو نعيم في ” الحلية ” 6 / 354 – 355 من طريق عبد العزيز بن يحيى، عن مالك، بهذا الإسناد. وسيأتي بقية تخريجه في مسند أنس بن مالك (3 / 202 الطبعة الميمنية)

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) [উমারের বর্ণিত হাদীস] (مسند عمر بن الخطاب)

 ৩৯৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

৩৯৩। ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ক্রেতা ও বিক্রেতা যতক্ষণ পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন না হয়, ততক্ষণ তারা স্বাধীন। (অর্থাৎ ততক্ষণ ক্রয় বিক্রয় বাতিল করা যায়)। অন্য বর্ণনা মতে, ততক্ষণ ক্রয়-বিক্রয় উভয়ের ইচ্ছাধীন থাকে।

[বুখারী, মুসলিম, ইবনু হিব্বান , মুসনাদে আহমাদ-৪৪৮৪, ৫১৫৮, ৫৪১৮, ৬০০৬]

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” الْمُتَبَايِعَانِ بِالْخِيَارِ مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا، أَوْ يَكُونُ الْبَيْعُ خِيَارً

 

إسناده صحيح على شرط مسلم. وهو في ” الموطأ ” 2 / 671

ومن طريق مالك أخرجه الشافعي في ” المسند ” 2 / 154، و” الرسالة ” فقرة (863) ، والبخاري (2111) ، ومسلم (1531) (43) ، وأبو داود (3454) ، والنسائي 7 / 248، وابن حبان (4916) ، والدرقطني 3 / 6، والبيهقي 5 / 268

وأخرجه الشافعي 2 / 154، والحميدي (654) ، ومسلم (1531) (44) و (45) ، والترمذي (1245) ، والنسائي 7 / 248 و250، والدارقطني 3 / 5، والبيهقي 5 / 269 من طرق عن نافع، بهذا الإسناد

وأخرجه مسلم (1531) (46) ، والدارقطني 3 / 6 من طريق عبد الله بن دينار، عن ابن عمر. وهذا الحديث من مسند ابن عمر، وسيأتي بقية تخريجه فيه برقم (4484) و (5158) و (5418) و (6006)

حدثنا إسحاق بن عيسى، حدثنا مالك، عن نافع عن ابن عمر، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ” المتبايعان بالخيار ما لم يتفرقا، أو يكون البيع خيار إسناده صحيح على شرط مسلم. وهو في ” الموطأ ” 2 / 671 ومن طريق مالك أخرجه الشافعي في ” المسند ” 2 / 154، و” الرسالة ” فقرة (863) ، والبخاري (2111) ، ومسلم (1531) (43) ، وأبو داود (3454) ، والنسائي 7 / 248، وابن حبان (4916) ، والدرقطني 3 / 6، والبيهقي 5 / 268 وأخرجه الشافعي 2 / 154، والحميدي (654) ، ومسلم (1531) (44) و (45) ، والترمذي (1245) ، والنسائي 7 / 248 و250، والدارقطني 3 / 5، والبيهقي 5 / 269 من طرق عن نافع، بهذا الإسناد وأخرجه مسلم (1531) (46) ، والدارقطني 3 / 6 من طريق عبد الله بن دينار، عن ابن عمر. وهذا الحديث من مسند ابن عمر، وسيأتي بقية تخريجه فيه برقم (4484) و (5158) و (5418) و (6006)

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) [উমারের বর্ণিত হাদীস] (مسند عمر بن الخطاب)

 ৩৯৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

৩৯৪। ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গর্ভবতী জন্তুর গর্ভস্থ বাচ্চাকে বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন (অর্থাৎ তার মা ব্যতীত)।

[বুখারী, মুসলিম, ইবনু হিব্বান, মুসনাদে আহমাদ-৪৪৯১, ৪৬৪০, ৫৩০৭, ৫৪৬৬, ৫৫১০]

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عِيسَى، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ بَيْعِ حَبَلِ الْحَبَلَةِ

 

إسناده صحيح على شرط مسلم. وهو في ” الموطأ ” 2 / 653

ومن طريق مالك أخرجه البخاري (2143) ، وأبو داود (3380) ، والنسائي 7 / 293 – 294، وابن الجارود (591) ، وابن حبان (4947) ، والبيهقي 5 / 340، والبغوي (2107)

وأخرجه البخاري (2256) ، ومسلم (1514) (5) ، وابن حبان (4946) ، والبيهقي 5 / 341 من طرق عن نافع، بهذا الإسناد. وقرن ابنُ حبان بنافعٍ سعيدَ بن جبير، وسيأتي حديث سعيد بن جبير في ” المسند ” برقم (4582)

وسيأتي الحديث من طرق أخرى عن نافع برقم (4491) و (4640) و (5307) و (5466) و (5510)

وحَبَل الحبَلَة قال ابن الأثير في ” النهاية ” 1 / 334: الحبَل الأوّل يُراد به ما في بُطون النُّوق من الحَمْل، والثاني حَبَل الذي في بطون النوق، وإنما نُهي عنه لمعنيين: أحدهما أنه غَرَر وبيعُ شيء لم يُخلق بعد، وهو أن يبيع ما سوف يحمِلُه الجنين الذي في بطن الناقة، على تقدير أن تكون أنثى، فهو بيع نِتاج النتاج. وقيل: أراد بحبل الحالة أن يبيعه إلى أجل يُنْتَج فيه الحمل الذي في بطن الناقة، فهو أجلٌ مجهول ولا يصحُّ

حدثنا إسحاق بن عيسى، أخبرنا مالك، عن نافع عن ابن عمر: أن رسول الله صلى الله عليه وسلم نهى عن بيع حبل الحبلة إسناده صحيح على شرط مسلم. وهو في ” الموطأ ” 2 / 653 ومن طريق مالك أخرجه البخاري (2143) ، وأبو داود (3380) ، والنسائي 7 / 293 – 294، وابن الجارود (591) ، وابن حبان (4947) ، والبيهقي 5 / 340، والبغوي (2107) وأخرجه البخاري (2256) ، ومسلم (1514) (5) ، وابن حبان (4946) ، والبيهقي 5 / 341 من طرق عن نافع، بهذا الإسناد. وقرن ابن حبان بنافع سعيد بن جبير، وسيأتي حديث سعيد بن جبير في ” المسند ” برقم (4582) وسيأتي الحديث من طرق أخرى عن نافع برقم (4491) و (4640) و (5307) و (5466) و (5510) وحبل الحبلة قال ابن الأثير في ” النهاية ” 1 / 334: الحبل الأول يراد به ما في بطون النوق من الحمل، والثاني حبل الذي في بطون النوق، وإنما نهي عنه لمعنيين: أحدهما أنه غرر وبيع شيء لم يخلق بعد، وهو أن يبيع ما سوف يحمله الجنين الذي في بطن الناقة، على تقدير أن تكون أنثى، فهو بيع نتاج النتاج. وقيل: أراد بحبل الحالة أن يبيعه إلى أجل ينتج فيه الحمل الذي في بطن الناقة، فهو أجل مجهول ولا يصح

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) [উমারের বর্ণিত হাদীস] (مسند عمر بن الخطاب)

 ৩৯৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

৩৯৫। ইবনে উমার (রাঃ) বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আমলে খাদ্যবস্তু ক্রয়-বিক্রয় করতাম। তখন আমাদের নিকট এমন ব্যক্তিকে তিনি পাঠাতেন, যিনি নির্দেশ দিতেন যেন আমরা যে স্থানে খাদ্য ক্রয় করেছি, পুনরায় বিক্রি করার আগে তা যেন অন্যত্র স্থানান্তর করি।

[বুখারী, মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ-৪৬৩৯, ৪৭১৬, ৫৯২৪, ৬১৯১,৬২৭৫]

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عِيسَى، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: كُنَّا نَتَبَايَعُ الطَّعَامَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَيَبْعَثُ عَلَيْنَا مَنْ يَأْمُرُنَا بِنَقْلِهِ مِنَ الْمَكَانِ الَّذِي ابْتَعْنَاهُ فِيهِ إِلَى مَكَانٍ سِوَاهُ قَبْلَ أَنْ نَبِيعَهُ

 

إسناده صحيح كسابقه. وهو في ” الموطأ ” 2 / 641

ومن طريق مالك أخرجه مسلم (1527) (33) ، وأبو داود (3493) ، والنسائي 7 / 287، والبيهقي 5 / 314، والبغوي (2088)

وأخرجه البخاري (2123) من طريق موسى بن عقبة، عن نافع، بهذا الإسناد

وسيأتي أيضاً في مسند ابن عمر برقم (4639) و (4716) و (5924) و (6191) و (6275)

حدثنا إسحاق بن عيسى، أخبرنا مالك، عن نافع عن ابن عمر، قال: كنا نتبايع الطعام على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم، فيبعث علينا من يأمرنا بنقله من المكان الذي ابتعناه فيه إلى مكان سواه قبل أن نبيعه إسناده صحيح كسابقه. وهو في ” الموطأ ” 2 / 641 ومن طريق مالك أخرجه مسلم (1527) (33) ، وأبو داود (3493) ، والنسائي 7 / 287، والبيهقي 5 / 314، والبغوي (2088) وأخرجه البخاري (2123) من طريق موسى بن عقبة، عن نافع، بهذا الإسناد وسيأتي أيضا في مسند ابن عمر برقم (4639) و (4716) و (5924) و (6191) و (6275)

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) [উমারের বর্ণিত হাদীস] (مسند عمر بن الخطاب)

 ৩৯৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

৩৯৬। ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন খাদ্য কিনেছে, সে যেন তার মূল্য পরিশোধ না করা পর্যন্ত পুনরায় তা বিক্রি না করে।

[বুখারী, মুসলিম, ইবনু হিব্বান, মুসনাদে আহমাদ-৪৭৩৬, ৫৩০৯]

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عِيسَى، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” مَنِ ابْتَاعَ طَعَامًا، فَلا يَبِعْهُ حَتَّى يَسْتَوْفِيَهُ

 

إسناده صحيح كسابقه. وهو في ” الموطأ ” 2 / 640

ومن طريق مالك أخرجه الشافعي 2 / 142، والدارمي (2559) ، والبخاري (2126) (2136) ، ومسلم (1526) ، وأبو داود (3492) ، وابن ماجه (2226) ، والنسائي 7 / 285، والطحاوي 4 / 37، والبيهقي 5 / 312، والبغوي (2087)

وأخرجه البخاري (2124) ، والطحاوي 4 / 37، وابن حبان (4986) من طرق عن نافع، به

وسيأتي في مسند ابن عمر برقم (4736) و (5309)

حدثنا إسحاق بن عيسى، أخبرنا مالك، عن نافع عن ابن عمر، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ” من ابتاع طعاما، فلا يبعه حتى يستوفيه إسناده صحيح كسابقه. وهو في ” الموطأ ” 2 / 640 ومن طريق مالك أخرجه الشافعي 2 / 142، والدارمي (2559) ، والبخاري (2126) (2136) ، ومسلم (1526) ، وأبو داود (3492) ، وابن ماجه (2226) ، والنسائي 7 / 285، والطحاوي 4 / 37، والبيهقي 5 / 312، والبغوي (2087) وأخرجه البخاري (2124) ، والطحاوي 4 / 37، وابن حبان (4986) من طرق عن نافع، به وسيأتي في مسند ابن عمر برقم (4736) و (5309)

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) [উমারের বর্ণিত হাদীস] (مسند عمر بن الخطاب)

 ৩৯৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

৩৯৭। ইবনে উমার (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি যৌথ মালিকানাভুক্ত দাসের নিজের প্রাপ্য অংশকে স্বাধীন করে দেয় তার গোটা দাসের মূল্যের সমপরিমাণ পাওনা হয়ে যায়। এরপর ঐ দাসের আনুপাতিক অংশের মূল্য নির্ধারণ করা হবে, অতঃপর তার শরীকদেরকে তাদের প্রাপ্য দেয়া হবে এবং তার জন্য দাসটি স্বাধীন হয়ে যাবে। অন্যথায় (আনুপাতিক অংশের মূল্য নির্ধারণ ও অন্যান্য শরীককে তাদের প্রাপ্য না দেয়া হলে) সে যেটুকু স্বাধীন করেছে, সেটুকুই স্বাধীন হবে।

[বুখারী, মুসলিম, ইবনু হিব্বান, মুসনাদে আহমাদ-৪৪৫১, ৪৬৩৫, ৫১৫০, ৫৪৭৪, ৫৮২১, ৫৯২০, ৬০৩৮, ৬২৭৯, ৬৪৫৩]

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عِيسَى، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَنْ أَعْتَقَ شِرْكًا لَهُ فِي عَبْدٍ، فَكَانَ لَهُ مَا يَبْلُغُ ثَمَنَ الْعَبْدِ، فَإِنَّهُ يُقَوَّمُ قِيمَةَ عَدْلٍ، فَيُعْطَى شُرَكَاؤُهُ حَقَّهُمْ، وَعَتَقَ عَلَيْهِ الْعَبْدَ، وَإِلَّا فَقَدْ أَعْتَقَ مَا أَعْتَقَ

 

إسناده صحيح كسابقه. وهو في ” الموطأ ” 2 / 772

ومن طريق مالك أخرجه الشافعي 2 / 66، والبخاري (2522) ، ومسلم (1501) (1) وأبو داود (3940) ، وابن ماجه (2528) ، والنسائي في ” الكبرى ” (4957) وابن الجارود (970) ، وابن حبان (4316) ، والبيهقي 10 / 274، والبغوي (2421)

وأخرجه البخاري (2525) ، وأبو داود (3945) ، والنسائي (4961) ، والبيهقي 10 / 275 من طرق عن نافع، به. وسيأتي برقم (4451) و (4635) و (5150) و (5474) و (5821) و (5920) و (6038) و (6279) و (6453)

شِركاً: نصيباً. وقيمة عَدْلٍ، قال السندي: على الإضافة البيانية، أي: قيمة هي عَدْل: وسط، لا زيادة فيها ولا نقص

حدثنا إسحاق بن عيسى، أخبرنا مالك، عن نافع عن ابن عمر، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: من أعتق شركا له في عبد، فكان له ما يبلغ ثمن العبد، فإنه يقوم قيمة عدل، فيعطى شركاؤه حقهم، وعتق عليه العبد، وإلا فقد أعتق ما أعتق إسناده صحيح كسابقه. وهو في ” الموطأ ” 2 / 772 ومن طريق مالك أخرجه الشافعي 2 / 66، والبخاري (2522) ، ومسلم (1501) (1) وأبو داود (3940) ، وابن ماجه (2528) ، والنسائي في ” الكبرى ” (4957) وابن الجارود (970) ، وابن حبان (4316) ، والبيهقي 10 / 274، والبغوي (2421) وأخرجه البخاري (2525) ، وأبو داود (3945) ، والنسائي (4961) ، والبيهقي 10 / 275 من طرق عن نافع، به. وسيأتي برقم (4451) و (4635) و (5150) و (5474) و (5821) و (5920) و (6038) و (6279) و (6453) شركا: نصيبا. وقيمة عدل، قال السندي: على الإضافة البيانية، أي: قيمة هي عدل: وسط، لا زيادة فيها ولا نقص

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) [উমারের বর্ণিত হাদীস] (مسند عمر بن الخطاب)

 ৩৯৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

৩৯৮। সাঈদ বলেন, আমি ইবনে উমারকে জিজ্ঞাসা করলাম, এক ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে লি’আন করলো। (ব্যভিচারের অপবাদ দিল, অতঃপর পবিত্র কুরআনের বিধান অনুসারে উভয়ে লা’নত (অভিশাপ) বিনিময় করলো) ইবনে উমার বললেনঃ এ ধরনের স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটাতেন। অতঃপর বিশদভাবে হাদীসটি বর্ণনা করলেন।

[বুখারী, মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ-৪৪৭৭, ৪৯৪৫]

حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ سَعِيدٍ، قَالَ: قُلْتُ لِابْنِ عُمَرَ: رَجُلٌ لاعَنَ امْرَأَتَهُ، فَقَالَ: ” فَرَّقَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَهُمَا … وَذَكَرَ الْحَدِيثَ

 

إسناده صحيح على شرط الشيخين. سفيان: هو ابن عيينة، وأيوب: هو ابن أبي تميمة السختياني، وسعيد: هو ابن جبير

وأخرجه الحميدي (672) ، ومسلم (1493) (6) من طريق سفيان بن عيينة، بهذا الإسناد

وأخرجه مسلم (1493) (6) من طريق حماد بن زيد، عن أيوب، به

وأخرجه البخاري (5312) ، ومسلم (1493) (5) ، والنسائي 6 / 177 من طريق سفيان بن عيينة، عن عمرو بن دينار، عن سعيد بن جبير، به. قال سفيان في رواية البخاري: حفظته من عمرو وأيوب

وأخرجه مسلم (1493) (4) من طريق عبد الملك بن أبي سليمان، والنسائي 6 / 176 – 177 من طريق عزرة، كلاهما عن سعيد بن جبير، به. وبعض هؤلاء يزيد فيه على بعض. وسيأتي في مسند ابن عمر برقم (4477) و (4945)

حدثنا سفيان، عن أيوب، عن سعيد، قال: قلت لابن عمر: رجل لاعن امرأته، فقال: ” فرق رسول الله صلى الله عليه وسلم بينهما … وذكر الحديث إسناده صحيح على شرط الشيخين. سفيان: هو ابن عيينة، وأيوب: هو ابن أبي تميمة السختياني، وسعيد: هو ابن جبير وأخرجه الحميدي (672) ، ومسلم (1493) (6) من طريق سفيان بن عيينة، بهذا الإسناد وأخرجه مسلم (1493) (6) من طريق حماد بن زيد، عن أيوب، به وأخرجه البخاري (5312) ، ومسلم (1493) (5) ، والنسائي 6 / 177 من طريق سفيان بن عيينة، عن عمرو بن دينار، عن سعيد بن جبير، به. قال سفيان في رواية البخاري: حفظته من عمرو وأيوب وأخرجه مسلم (1493) (4) من طريق عبد الملك بن أبي سليمان، والنسائي 6 / 176 – 177 من طريق عزرة، كلاهما عن سعيد بن جبير، به. وبعض هؤلاء يزيد فيه على بعض. وسيأتي في مسند ابن عمر برقم (4477) و (4945)

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) [উমারের বর্ণিত হাদীস] (مسند عمر بن الخطاب)