দারেমী হজ্জ অধ্যায় ৩য় ভাগ হাদিস নং ১৯৩২ – ১৯৮২
১৯৩২
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৫৮. কোন্ সময় জামরাতুল আকাবায় পাথর নিক্ষেপ করতে হবে
১৯৩২. জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুরবানী দিন সকাল বেলায় এবং এরপর সূর্য হেলে পড়ার সময় (দ্বিপ্রহরে) জামরায় কংকর নিক্ষেপ করেন।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: মুসলিম, হাজ্জ ১২৯৯। আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২১০৮ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৮৮৬ তে।
بَاب فِي جَمْرَةِ الْعَقَبَةِ أَيُّ سَاعَةٍ تُرْمَى
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ قَالَ رَمَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْجَمْرَةَ يَوْمَ النَّحْرِ الضُّحَى وَبَعْدَ ذَلِكَ عِنْدَ زَوَالِ الشَّمْسِ
أخبرنا عبيد الله بن موسى أخبرنا ابن جريج عن أبي الزبير عن جابر قال رمى رسول الله صلى الله عليه وسلم الجمرة يوم النحر الضحى وبعد ذلك عند زوال الشمس
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৩৩
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৫৮. কোন্ সময় জামরাতুল আকাবায় পাথর নিক্ষেপ করতে হবে
১৯৩৩. আবীল বাদ্দাহ ইবনু আসিম তার পিতা (আসিম ইবন আদী) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উট চারকদের অনুমতি দেন যে, তারা যেন কোরবানীর দিন কংকর নিক্ষেপ করে। এরপর কোরবানীর পরের দিন কিংবা তার পরের দিন দু’ দিনের কংকর একসাথে নিক্ষেপ করবে। অতঃপর তারা প্রস্থানের দিন কংকর নিক্ষেপ করবে।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ বিচ্ছিন্নতার (ইনকিতা’র) কারণে যয়ীফ। আব্দুল্লাহ ইবনু আবী বাকর আবীল বাদ্দাহ হতে শ্রবণ করেননি।
তাখরীজ: পরবর্তী টীকাটি দেখুন।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৮৩৬ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৮৮৮ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১০১৫ তে।
بَاب فِي جَمْرَةِ الْعَقَبَةِ أَيُّ سَاعَةٍ تُرْمَى
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ عَنْ أَبِي الْبَدَّاحِ بْنِ عَاصِمٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْخَصَ لِرِعَاءِ الْإِبِلِ أَنْ يَرْمُوا يَوْمَ النَّحْرِ ثُمَّ يَرْمُوا الْغَدَ أَوْ مِنْ بَعْدِ الْغَدِ لِيَوْمَيْنِ ثُمَّ يَرْمُوا يَوْمَ النَّفْرِ قَالَ أَبُو مُحَمَّد مِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي الْبَدَّاحِ
أخبرنا عبد الله بن مسلمة حدثنا مالك عن عبد الله بن أبي بكر عن أبي البداح بن عاصم عن أبيه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم أرخص لرعاء الإبل أن يرموا يوم النحر ثم يرموا الغد أو من بعد الغد ليومين ثم يرموا يوم النفر قال أبو محمد منهم من يقول عبد الله بن أبي بكر عن أبيه عن أبي البداح
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৩৪
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৫৯. (জামরায়) ‘খযফের’ কংকরের ন্যায় (ছোট) কংকর নিক্ষেপ করা সম্পর্কে
১৯৩৪. আব্দুর রহমান ইবনু উছমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, বিদায় হাজ্জে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে আদেশ দেন যে, আমরা যেন জামরায় ’খযফের’ কংকরের ন্যায় (ছোট) কংকর নিক্ষেপ করি।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৫৬৫১ তে। এছাড়াও: ইবনুল কানি’, মু’জামুল সাহাবাহ তরজমাহ নং ৬৩৬; পরবর্তী একটি হাদীসের পরবর্তী হাদীসটিও দেখুন।
بَاب فِي الرَّمْيِ بِمِثْلِ حَصَى الْخَذْفِ
أَخْبَرَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ مُرَّةَ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عُثْمَانَ التَّيْمِيِّ قَالَ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ أَنْ نَرْمِيَ الْجَمْرَةَ بِمِثْلِ حَصَى الْخَذْفِ
أخبرنا عثمان بن عمر حدثنا عثمان بن مرة عن أبي سلمة بن عبد الرحمن عن عبد الرحمن بن عثمان التيمي قال أمرنا رسول الله صلى الله عليه وسلم في حجة الوداع أن نرمي الجمرة بمثل حصى الخذف
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান বিন উসমান তাইমী (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৩৫
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৫৯. (জামরায়) ‘খযফের’ কংকরের ন্যায় (ছোট) কংকর নিক্ষেপ করা সম্পর্কে
১৯৩৫. জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, (বিদায় হাজ্জে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁদেরকে আদেশ দিলে তাঁরা (জামরায়) ’খযফের’ কংকরের ন্যায় (ছোট) কংকর নিক্ষেপ করেন। তখন তিনি মুহাসসির উপত্যকায় দ্রুত চলতে লাগলেন এবং (লোকদেরকে) বললেনঃ “তোমরা শান্তভাবে চলো।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: মুসলিম, হাজ্জ ১২৯৯। আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২১০৮, ২১৪৭। এছাড়াও: বাইহাকী, আল মা’রিফাহ নং ১০১১০।
بَاب فِي الرَّمْيِ بِمِثْلِ حَصَى الْخَذْفِ
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ سُفْيَانَ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ قَالَ أَمَرَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرَمَوْا بِمِثْلِ حَصَى الْخَذْفِ وَأَوْضَعَ فِي وَادِي مُحَسِّرٍ وَقَالَ عَلَيْكُمْ السَّكِينَةَ
أخبرنا عبيد الله بن موسى عن سفيان عن أبي الزبير عن جابر قال أمرهم رسول الله صلى الله عليه وسلم فرموا بمثل حصى الخذف وأوضع في وادي محسر وقال عليكم السكينة
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৩৬
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৫৯. (জামরায়) ‘খযফের’ কংকরের ন্যায় (ছোট) কংকর নিক্ষেপ করা সম্পর্কে
১৯৩৬. আব্দুর রহমান ইবনু মুয়া’য রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, (বিদায় হাজ্জে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে আদেশ দেন যে, আমরা যেন জামরায় ’খযফের’ কংকরের ন্যায় (ছোট) কংকর নিক্ষেপ করি।[1]আবূ মুহাম্মদ কে বলা হলো, আব্দুর রহমান ইবনু মুয়া’য কি সাহাবী’ ছিলেন? তিনি বলেন, হাঁ।
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল হুমাইদী নং ৮৭৫ তে। এছাড়াও: ইবনুল কানি’, মু’জামুল সাহাবাহ তরজমাহ নং ৬২৬; বুখারী, আল কাবীর ৫/২৪৪।
بَاب فِي الرَّمْيِ بِمِثْلِ حَصَى الْخَذْفِ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ أَخْبَرَنَا خَالِدٌ عَنْ حُمَيْدٍ الْأَعْرَجِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مُعَاذٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَأْمُرُنَا أَنْ نَرْمِيَ الْجِمَارَ بِمِثْلِ حَصَى الْخَذْفِ قِيلَ لِأَبِي مُحَمَّدٍ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُعَاذٍ لَهُ صُحْبَةٌ قَالَ نَعَمْ
أخبرنا عمرو بن عون أخبرنا خالد عن حميد الأعرج عن محمد بن إبراهيم عن عبد الرحمن بن معاذ أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يأمرنا أن نرمي الجمار بمثل حصى الخذف قيل لأبي محمد عبد الرحمن بن معاذ له صحبة قال نعم
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৩৭
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৬০. বাহনে আরোহী অবস্থায় জামরায় পাথর নিক্ষেপ করা সম্পর্কে
১৯৩৭. কুদামাহ ইবনু আব্দুল্লাহ্ ইবনু আম্মার আল কিলাবী হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে লাল উটের পিঠে আরোহী অবস্থায় জামারায় কংকর নিক্ষেপ করতে দেখেছি। অথচ সেখানে কাউকে কোনো মারধর, বিতাড়ন, ’দূর হও, দুর হও’ জাতীয় কোনো কিছুই বলা হচ্ছিল না।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: বুখারী, আল কাবীর ৭/১৭৮; ইবনুল কানি’, মু’জামুল সাহাবাহ তরজমাহ নং ৯০১; তাবারাণী, আল কাবীর ১৯/৩৮ নং ৭৭; তায়ালিসী ১/২২৩ নং ১০৭৮; আহমাদ ৩/৪১৩; নাসাঈ, মানাসিক ৫/২৭০; ইবনু মাজাহ, মানাসিক ৩০৩৫; ইবনু আবী আসিম, আহাদ ওয়াল মাছানী নং ১৪৯৯; ইবনু খুযাইমা, আস সহীহ নং ২৮৭৮; আব্দুল্লাহ ইবনু আহমাদ ৩/৪১৩; তিরমিযী, হাজ্জ ৯০৩।
بَاب فِي رَمْيِ الْجِمَارِ يَرْمِيهَا رَاكِبًا
أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ وَالْمُؤَمَّلُ وَأَبُو نُعَيْمٍ عَنْ أَيْمَنَ بْنِ نَابِلٍ عَنْ قُدَامَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمَّارٍ الْكِلَابِيِّ قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَرْمِي الْجِمَارَ عَلَى نَاقَةٍ صَهْبَاءَ لَيْسَ ثَمَّ ضَرْبٌ وَلَا طَرْدٌ وَلَا إِلَيْكَ إِلَيْكَ
أخبرنا أبو عاصم والمؤمل وأبو نعيم عن أيمن بن نابل عن قدامة بن عبد الله بن عمار الكلابي قال رأيت رسول الله صلى الله عليه وسلم يرمي الجمار على ناقة صهباء ليس ثم ضرب ولا طرد ولا إليك إليك
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ কুদামা ইবন আবদুল্লাহ (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৩৮
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৬০. বাহনে আরোহী অবস্থায় জামরায় পাথর নিক্ষেপ করা সম্পর্কে
১৯৩৮. ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ফযল হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সওয়ারীর পিছনে উপবিষ্ট ছিলাম। তিনি জামরায় কংকর নিক্ষেপ করা পর্যন্ত সর্বদা তালবিয়া পাঠ করেই চললেন।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। এটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।
তাখরীজ: বুখারী, হাজ্জ ১৬৭০; মুসলিম, হাজ্জ ১২৮১।আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭৬১৬, ৬৭২২, ৬৭২৩ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৮০৪ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৪৬৭ তে।
بَاب فِي رَمْيِ الْجِمَارِ يَرْمِيهَا رَاكِبًا
أَخْبَرَنَا زَكَرِيَّا بْنُ عَدِيٍّ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ هُوَ الْجَزَرِيُّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ الْفَضْلِ قَالَ كُنْتُ رِدْفَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمْ يَزَلْ يُلَبِّي حَتَّى رَمَى الْجَمْرَةَ
أخبرنا زكريا بن عدي حدثنا عبيد الله بن عمرو عن عبد الكريم هو الجزري عن سعيد بن جبير عن ابن عباس عن الفضل قال كنت ردف رسول الله صلى الله عليه وسلم فلم يزل يلبي حتى رمى الجمرة
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৩৯
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৬১. বাতনিল ওয়াদী হতে কংকর নিক্ষেপ এবং প্রত্যেকবার কংকর নিক্ষেপের সময় তাকবীর পাঠ
১৯৩৯. যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মিনার মসজিদের নিকটস্থ জামরায় কংকর নিক্ষেপ করেন, তখন তাতে সাতটি কংকর নিক্ষেপ করেন। আর তিনি প্রতিটি কংকর নিক্ষেপ করার সময় তাকবীর বলেন। তারপর তিনি এখান থেকে সামনে অগ্রসর হন এবং তাঁর হস্তদ্বয় উত্তোলন করে পশ্চিমমুখী হয়ে দাড়ান এবং অনেকক্ষণ ’উকুফ’ (দণ্ডায়মান) অবস্থায় থাকেন। তারপর তিনি দ্বিতীয় জামরায় এসে তাতেও সাতটি কংকর নিক্ষেপ করেন, আর আর তিনি প্রতিটি কংকর নিক্ষেপ করার সময় তাকবীর বলেন।
এরপর তিনি তাঁর হস্তদ্বয় উত্তোলন করে দুঁআরত অবস্থায় উত্তরে ’ওয়াদী’র দিকে নেমে আসেন। এরপর তিনি আকাবার নিকটবর্তী জামরায় আগমন করেন এবং এতেও তিনি সাতটি কংকর নিক্ষেপ করেন আর তিনি প্রতিটি কংকর নিক্ষেপ করার সময় তাকবীর বলেন। এরপর তিনি প্রস্থান করেন, কিন্তু এর নিকট তিনি দাঁড়ান নি। যুহরী (রহঃ) বলেন, আমি সালিম (রহঃ)-কে তাঁর পিতার সূত্রে এই হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি আর তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন। তিনি আরও বলেন, ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এরুপ আমল করতেন।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: বুখারী, হাজ্জ ১৬৭০; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৫৭৭ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৮৮৭ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১০১৪ তে।
بَاب الرَّمْيِ مِنْ بَطْنِ الْوَادِي وَالتَّكْبِيرِ مَعَ كُلِّ حَصَاةٍ
أَخْبَرَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ أَخْبَرَنَا يُونُسُ عَنْ الزُّهْرِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا رَمَى الْجَمْرَةَ الَّتِي تَلِي الْمَسْجِدَ مَسْجِدَ مِنًى يَرْمِيهَا بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ يُكَبِّرُ مَعَ كُلِّ حَصَاةٍ ثُمَّ تَقَدَّمَ أَمَامَهَا فَوَقَفَ مُسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةِ رَافِعًا يَدَيْهِ وَكَانَ يُطِيلُ الْوُقُوفَ ثُمَّ يَأْتِي الْجَمْرَةَ الثَّانِيَةَ فَيَرْمِيهَا بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ يُكَبِّرُ كُلَّمَا رَمَى بِحَصَاةٍ ثُمَّ يَنْحَدِرُ مِنْ ذَاتِ الْيَسَارِ مِمَّا يَلِي الْوَادِي رَافِعًا يَدَيْهِ يَدْعُو ثُمَّ يَأْتِي الْجَمْرَةَ الَّتِي عِنْدَ الْعَقَبَةِ فَيَرْمِيهَا بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ يُكَبِّرُ كُلَّمَا رَمَى بِحَصَاةٍ ثُمَّ يَنْصَرِفُ وَلَا يَقِفُ عِنْدَهَا قَالَ الزُّهْرِيُّ سَمِعْتُ سَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يُحَدِّثُ بِهَذَا الْحَدِيثِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَفْعَلُهُ
أخبرنا عثمان بن عمر أخبرنا يونس عن الزهري أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان إذا رمى الجمرة التي تلي المسجد مسجد منى يرميها بسبع حصيات يكبر مع كل حصاة ثم تقدم أمامها فوقف مستقبل القبلة رافعا يديه وكان يطيل الوقوف ثم يأتي الجمرة الثانية فيرميها بسبع حصيات يكبر كلما رمى بحصاة ثم ينحدر من ذات اليسار مما يلي الوادي رافعا يديه يدعو ثم يأتي الجمرة التي عند العقبة فيرميها بسبع حصيات يكبر كلما رمى بحصاة ثم ينصرف ولا يقف عندها قال الزهري سمعت سالم بن عبد الله يحدث بهذا الحديث عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال وكان ابن عمر يفعله
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ যুহরী (রহঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৪০
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৬২. কুরবানী হিসেবে গরুই যথেষ্ট
১৯৪০. আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে বের হলাম তিনি কেবল হাজ্জের কথাই উল্লেখ করেছেন। এরপর যখন সারিফ নামক স্থানে এলাম, তখন আমার হায়িয আরম্ভ হলো। এরপর যখন ইয়ামুন নাহর বা কুরবাণীর দিন আমি (হায়িয হতে) পবিত্র হলাম। তাই রাসূলুল্লাহ আমাকে (হাজ্জের অবশিষ্ট কাজ সম্পাদন করতে) পাঠিয়ে দিলেন, ফলে যখন আমি (সেগুলি) পূর্ণ করলাম, তখন আমাকে গরুর গোশত খেতে দেওয়া হলো। তখন আমি জিজ্ঞেস করলাম, এটা কি? তারা বললেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর পরিবারবর্গের পক্ষ থেকে একটি মাত্র গরু কোরবানী করেন।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। এটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।
তাখরীজ: বুখারী, হাজ্জ ১৭০৯; মুসলিম, হাজ্জ ১২১১ (১১৯)। আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৫০৪ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৯২৯ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ২০৯ তে।
بَاب الْبَقَرَةِ تُجْزِئُ عَنْ الْبَدَنَةِ
أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ هُوَ الْمَاجِشُونُ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ هُوَ ابْنُ الْقَاسِمِ عَنْ الْقَاسِمِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا نَذْكُرُ إِلَّا الْحَجَّ فَلَمَّا جِئْنَا سَرِفَ طَمِثْتُ فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ النَّحْرِ طَهُرْتُ فَأَرْسَلَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَفَضْتُ فَأُتِيَ بِلَحْمِ بَقَرٍ فَقُلْتُ مَا هَذَا قَالُوا أَهْدَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ نِسَائِهِ الْبَقَرَ
أخبرنا أبو نعيم حدثنا عبد العزيز هو الماجشون عن عبد الرحمن هو ابن القاسم عن القاسم عن عائشة قالت خرجنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم لا نذكر إلا الحج فلما جئنا سرف طمثت فلما كان يوم النحر طهرت فأرسلني رسول الله صلى الله عليه وسلم فأفضت فأتي بلحم بقر فقلت ما هذا قالوا أهدى رسول الله صلى الله عليه وسلم عن نسائه البقر
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৪১
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৬৩. যিনি বলেন, নারীদের মাথামুণ্ডন নেই
১৯৪১. ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: নারীদের মাথামুণ্ডন নেই; বরং নারীদের জন্য চুল খাটো করতে হবে।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: বাইহাকী, হাজ্জ ৫/১০৪; বুখারী, আল কাবীর ৬/৪৬; তাবারাণী, আল কাবীর ১২/২৫০ নং ১৩০১৮ ; আবূ দাউদ, মানাসিক ১৯৮৪, ১৯৮৫; দারুকুতনী ২/২৭১ নং ১৬৫; হাফিজ ইবনু হাজার তালখীসুল হাবীর ২/২৬১ তে বলেন: এর সনদ হাসান; আবী হাতিম তার ইলাল গ্রন্থে এবং বুখারী তার কাবীর গ্রন্থে একে শক্তিশালী বলেছেন; তবে ইবনুল কাত্তান এর ত্রুটি বর্ণনা করেছেন। যদিও ইবনুল মাওয়াক্ব তাকে খণ্ডন করেছেন আর তিনিই সঠিক।…’
আরও দেখুন, উছমান এর হাদীস, আয়িশার হাদীস যা আমরা মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৫৬৭৮ ও ৫৬৭৯ এ তাখরীজ দিয়েছি। আরও দেখুন, নাসবুর রায়াহ ৩/৯৬ ও দিরায়াহ ২/৩২।
بَاب مَنْ قَالَ لَيْسَ عَلَى النِّسَاءِ حَلْقٌ
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْمَدِينِيُّ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جُبَيْرٍ عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ قَالَتْ أَخْبَرَتْنِي أُمُّ عُثْمَانَ بِنْتُ أَبِي سُفْيَانَ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْسَ عَلَى النِّسَاءِ حَلْقٌ إِنَّمَا عَلَى النِّسَاءِ التَّقْصِيرُ
أخبرنا علي بن عبد الله المديني حدثنا هشام بن يوسف حدثنا ابن جريج أخبرني عبد الحميد بن جبير عن صفية بنت شيبة قالت أخبرتني أم عثمان بنت أبي سفيان أن ابن عباس قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ليس على النساء حلق إنما على النساء التقصير
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৪২
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৬৪. (পুরুষদের জন্য) চুল খাটো করার চেয়ে মাথা মুণ্ডন করে ফেলার ফযীলত
১৯৪২. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “মাথার চুল মুণ্ডনকারীদের উপর আল্লাহ রহম করুন।” তাঁকে বলা হলো: আর চুল খাটোকারীদের? তিনি (তিনবার) বললেন: “মাথার চুল মুণ্ডনকারীদের উপর আল্লাহ রহম করুন।” আর চতুর্থবারে বললেন: “এবং চুল খাটোকারীদের উপরও।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। এটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।
তাখরীজ: বুখারী, হাজ্জ ১৭২৭; মুসলিম, হাজ্জ ১৩০১। আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২/৪৫৩ তে শাহিদ হিসেবে আবী সাঈদের হাদীসসহ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৮৮০ তে।
بَاب فَضْلِ الْحَلْقِ عَلَى التَّقْصِيرِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ رَحِمَ اللَّهُ الْمُحَلِّقِينَ قِيلَ وَالْمُقَصِّرِينَ قَالَ رَحِمَ اللَّهُ الْمُحَلِّقِينَ قَالَ فِي الرَّابِعَةِ وَالْمُقَصِّرِينَ
أخبرنا محمد بن يوسف حدثنا سفيان عن عبيد الله عن نافع عن ابن عمر عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال رحم الله المحلقين قيل والمقصرين قال رحم الله المحلقين قال في الرابعة والمقصرين
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৪৩
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৬৫. যে ব্যক্তি তার হজ্জের কার্যসমূহের মধ্যে কোনো একটির পূর্বে অপরটি করে ফেলে, তার সম্পর্কে
১৯৪৩. আবদুল্লাহ ইবনু আমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে (কোরবানীর দিন কংকর নিক্ষেপ শেষে) জামরায় দেখলাম, তখন তাঁকে প্রশ্ন করা হচ্ছিল। তখন এক ব্যক্তি বললো, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি কঙ্কর নিক্ষেপের পূর্বে কোরবানী করে ফেলেছি। তিনি বলেনঃ “কংকর নিক্ষেপ করো, আর কোন দোষ নেই।” অপর এক ব্যক্তি বললো, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি কোরবানী করার পূর্বে মাথা মুন্ডন করেয়েছি। তিনি বলেনঃ “কোরবানী করো, আর কোন দোষ নেই।” তিনি (আব্দুল্লাহ ইবনু আমর রা:) বলেন, সেদিন যেকোন কাজ অপর কোন কাজের আগে বা পরে সম্পন্ন করার ব্যাপারেই জিজ্ঞাসা করা হোক, তিনি (সকল ক্ষেত্রেই) বলেনঃ “তুমি তা করো, কোন দোষ নেই।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। এটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।
তাখরীজ: বুখারী, ইলম ৮৩; মুসলিম, হাজ্জ ১৩০৬। আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৮৭৭ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৫৯১ তে।
بَاب فِيمَنْ قَدَّمَ نُسُكَهُ شَيْئًا قَبْلَ شَيْءٍ
أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ هُوَ ابْنُ أَبِي سَلَمَةَ الْمَاجِشُونُ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عِيسَى بْنِ طَلْحَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَ الْجَمْرَةِ وَهُوَ يُسْأَلُ فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ نَحَرْتُ قَبْلَ أَنْ أَرْمِيَ قَالَ ارْمِ وَلَا حَرَجَ قَالَ آخَرُ يَا رَسُولَ اللَّهِ حَلَقْتُ قَبْلَ أَنْ أَنْحَرَ قَالَ انْحَرْ وَلَا حَرَجَ قَالَ فَمَا سُئِلَ عَنْ شَيْءٍ قُدِّمَ وَلَا أُخِّرَ إِلَّا قَالَ افْعَلْ وَلَا حَرَجَ
أخبرنا أبو نعيم حدثنا عبد العزيز هو ابن أبي سلمة الماجشون عن الزهري عن عيسى بن طلحة عن عبد الله بن عمرو قال رأيت رسول الله صلى الله عليه وسلم عند الجمرة وهو يسأل فقال رجل يا رسول الله نحرت قبل أن أرمي قال ارم ولا حرج قال آخر يا رسول الله حلقت قبل أن أنحر قال انحر ولا حرج قال فما سئل عن شيء قدم ولا أخر إلا قال افعل ولا حرج
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৪৪
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৬৫. যে ব্যক্তি তার হজ্জের কার্যসমূহের মধ্যে কোনো একটির পূর্বে অপরটি করে ফেলে, তার সম্পর্কে
১৯৪৪. আবদুল্লাহ ইবনু আমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, বিদায় হাজ্জে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (কোরবানীর দিন) লোকদের উদ্দেশ্যে দাঁড়ালেন। তখন এক ব্যক্তি বললো, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি কোরবানী করার পূর্বে মাথা মুন্ডন করেয়েছি। তিনি বলেনঃ “কোন দোষ নেই।” (অপর এক ব্যক্তি) বললো, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি না বুঝে কঙ্কর নিক্ষেপের পূর্বে কোরবানী করেছি। তিনি বলেনঃ “কোন দোষ নেই।”
সেদিন যেকোন কার্য কোন কার্যের আগে বা পরে সম্পন্ন করার ব্যাপারেই জিজ্ঞাসা করা হোক, তিনি বলেনঃ “কোন দোষ নেই।”[1]
আবূ মুহাম্মদ বলেন: আমি এ মত গ্রহণ করেছি। আর কুফাবাসীগণ (হানাফীগণ) এ ব্যাপারে কঠোরতা অবলম্বন করেছেন।
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: মালিক, হাজ্জ ২৫১; বুখারী, ইলম ৮৩; মুসলিম, হাজ্জ ১৩০৬। আর এটি আগের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি।
بَاب فِيمَنْ قَدَّمَ نُسُكَهُ شَيْئًا قَبْلَ شَيْءٍ
أَخْبَرَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ عَنْ عِيسَى بْنِ طَلْحَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَفَ لِلنَّاسِ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ حَلَقْتُ قَبْلَ أَنْ أَذْبَحَ قَالَ لَا حَرَجَ قَالَ لَمْ أَشْعُرْ ذَبَحْتُ قَبْلَ أَنْ أَرْمِيَ قَالَ لَا حَرَجَ فَلَمْ يُسْأَلْ يَوْمَئِذٍ عَنْ شَيْءٍ قُدِّمَ أَوْ أُخِّرَ إِلَّا قَالَ لَا حَرَجَ قَالَ عَبْد اللَّهِ أَنَا أَقُولُ بِهَذَا وَأَهْلُ الْكُوفَةِ يُشَدِّدُونَ
أخبرنا مسدد حدثنا يحيى حدثنا مالك بن أنس حدثنا الزهري عن عيسى بن طلحة عن عبد الله بن عمرو أن رسول الله صلى الله عليه وسلم وقف للناس في حجة الوداع فقال له رجل يا رسول الله حلقت قبل أن أذبح قال لا حرج قال لم أشعر ذبحت قبل أن أرمي قال لا حرج فلم يسأل يومئذ عن شيء قدم أو أخر إلا قال لا حرج قال عبد الله أنا أقول بهذا وأهل الكوفة يشددون
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৪৫
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৬৬. যখন কুরবানীর পশু ক্লান্ত হয়ে চলার অযোগ্য হয়ে যায়, তখন তার ব্যাপারে সুন্নাত
১৯৪৫. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কুরবানীর পশু’র রক্ষণাবেক্ষণকারী, নাজিয়াহ আল আসলামী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম, যে সকল কুরবানীর পশু চলতে চলতে ক্লান্ত হয়ে চলার অযোগ্য হয়ে যায়, তখন তার ব্যাপারে আমরা কী করবো? তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “যে সকল কুরবানীর পশু চলতে চলতে অবসন্ন হয়ে চলার অযোগ্য হয়ে যায়, এমন প্রত্যেক পশুকে তোমরা যবেহ করো, এরপর এর (গলায় লটকানো) জুতাগুলি এর রক্তে রঞ্জিত করো, এরপর এগুলিকে লোকদের আহার করার জন্য রেখে যাও।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪০২৩ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৯৭৬ এবং বিস্তারিতভাবে মুসনাদুল হুমাইদী নং ৯০৪ তে।
بَاب سُنَّةِ الْبَدَنَةِ إِذَا عَطِبَتْ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا شُعَيْبُ بْنُ إِسْحَقَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ نَاجِيَةَ الْأَسْلَمِيِّ صَاحِبِ هَدْيِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَيْفَ أَصْنَعُ بِمَا عَطِبَ مِنْ الْهَدْيِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَكُلُّ بَدَنَةٍ عَطِبَتْ فَانْحَرْهَا ثُمَّ أَلْقِ نَعْلَهَا فِي دَمِهَا ثُمَّ خَلِّ بَيْنَهَا وَبَيْنَ النَّاسِ فَلْيَأْكُلُوهَا
أخبرنا عبد الوهاب بن سعيد حدثنا شعيب بن إسحق عن هشام بن عروة عن أبيه عن ناجية الأسلمي صاحب هدي رسول الله صلى الله عليه وسلم قال سألت رسول الله صلى الله عليه وسلم كيف أصنع بما عطب من الهدي فقال رسول الله صلى الله عليه وسلمكل بدنة عطبت فانحرها ثم ألق نعلها في دمها ثم خل بينها وبين الناس فليأكلوها
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৪৬
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৬৬. যখন কুরবানীর পশু ক্লান্ত হয়ে চলার অযোগ্য হয়ে যায়, তখন তার ব্যাপারে সুন্নাত
১৯৪৬. উরওয়াহ’র পিতা (জুবাইর) রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর সনদে নাজিয়াহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে অনূরূপ বর্ণিত আছে।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি।
بَاب سُنَّةِ الْبَدَنَةِ إِذَا عَطِبَتْ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ نَاجِيَةَ نَحْوَهُ
أخبرنا محمد بن سعيد حدثنا حفص بن غياث عن هشام بن عروة عن أبيه عن ناجية نحوه
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৪৭
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৬৭. যিনি বলেন, হাদী বা কুরবানীর পশু হিসেবে একটি ছাগলই যথেষ্ট হবে
১৯৪৭. আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার কুরবানীর পশু হিসেবে একটি ছাগল পাঠিয়েছিলেন।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। এটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।
তাখরীজ: বুখারী, হাজ্জ ১৭০১; মুসলিম, হাজ্জ ১৩২১ (৩৬৬, ৩৬৭)। আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৩৯৪, ৪৮৮৯ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ২১৯ তে।
بَاب مَنْ قَالَ الشَّاةُ تُجْزِئُ فِي الْهَدْيِ
أَخْبَرَنَا يَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ وَأَبُو نُعَيْمٍ قَالَا حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ الْأَسْوَدِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ أَهْدَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّةً غَنَمًا
أخبرنا يعلى بن عبيد وأبو نعيم قالا حدثنا الأعمش عن إبراهيم عن الأسود عن عائشة قالت أهدى رسول الله صلى الله عليه وسلم مرة غنما
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৪৮
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৬৮. কুরবানীর পশুকে কুরবানী হিসেবে চিহ্নিত করার উদ্দেশ্যে জখম করা: কিভাবে জখম করা হবে
১৯৪৮. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, (একদা) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যুল-হুলায়ফাতে যুহরের নামায আদায় করেন। এরপর তিনি তাঁর কুরবানীর একটি উট আনতে বলেন এবং এর কুঁজের ডানপাশ (ধারালো অস্ত্রের দ্বারা) ফুঁড়ে দেন। এরপর তিনি তার রক্তের চিহ্ন মুছে দেন এবং এর গলায় দুটি জুতার মালা পরিয়ে দেন। এরপর তিনি স্বীয় বাহনের নিকট যান। তিনি বায়দা নামক স্থানে পৌঁছে তালবীয়া পাঠ শুরু করেন।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: মুসলিম, হাজ্জ ১২৪৩।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪০০০, ৪০০১, ৪০০২ তে।
بَاب فِي الْإِشْعَارِ كَيْفَ يُشْعَرُ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا حَسَّانَ يُحَدِّثُ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى الظُّهْرَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ ثُمَّ دَعَا بِبَدَنَةٍ فَأَشْعَرَهَا مِنْ صَفْحَةِ سَنَامِهَا الْأَيْمَنِ ثُمَّ سَلَتَ الدَّمَ عَنْهَا وَقَلَّدَهَا نَعْلَيْنِ ثُمَّ أُتِيَ بِرَاحِلَتِهِ فَلَمَّا قَعَدَ عَلَيْهَا وَاسْتَوَتْ عَلَى الْبَيْدَاءِ أَهَلَّ بِالْحَجِّ
أخبرنا أبو الوليد الطيالسي حدثنا شعبة عن قتادة قال سمعت أبا حسان يحدث عن ابن عباس أن رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الظهر بذي الحليفة ثم دعا ببدنة فأشعرها من صفحة سنامها الأيمن ثم سلت الدم عنها وقلدها نعلين ثم أتي براحلته فلما قعد عليها واستوت على البيداء أهل بالحج
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৪৯
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৬৯. কুরবানীর পশুর উপর আরোহন করা সম্পর্কে
১৯৪৯. কাতাদাহ বলেন, আমি আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বলতে শুনেছি, তিনি রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক ব্যক্তি নিকট এলেন যে তার কুরবানীর উটকে হাঁকিয়ে নিচ্ছিলেন। তিনি বললেন: “তুমি এর পিঠে আরোহন কর।” সে বললো, এটি তো কুরবানীর উট। তিনি বললেন: “তুমি এর পিঠে আরোহন কর।” সে বললো, এটি তো কুরবানীর উট। তিনি বললেন: “তুমি এর পিঠে আরোহন কর। তোমার জন্য আফসোস!”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। এটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।
তাখরীজ: বুখারী, হাজ্জ ১৬৯০; মুসলিম, হাজ্জ ১৩২৩। আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৭৬৩, ২৮৬৯, ৩১০৬ তে।
بَاب فِي رُكُوبِ الْبَدَنَةِ
أَخْبَرَنَا أَبُو النَّضْرِ هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ قَتَادَةُ أَخْبَرَنِي قَالَ سَمِعْتُ أَنَسًا يُحَدِّثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ انْتَهَى إِلَى رَجُلٍ يَسُوقُ بَدَنَتَهُ قَالَ ارْكَبْهَا فَقَالَ إِنَّهَا بَدَنَةٌ قَالَ ارْكَبْهَا قَالَ إِنَّهَا بَدَنَةٌ قَالَ ارْكَبْهَا وَيْحَكَ
أخبرنا أبو النضر هاشم بن القاسم حدثنا شعبة قال قتادة أخبرني قال سمعت أنسا يحدث عن رسول الله صلى الله عليه وسلم أنه انتهى إلى رجل يسوق بدنته قال اركبها فقال إنها بدنة قال اركبها قال إنها بدنة قال اركبها ويحك
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ কাতাদাহ (রহঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৫০
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৭০. উটকে দণ্ডায়মান অবস্থায় নাহর (কুরবানী) করা প্রসঙ্গে
১৯৫০. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি এক ব্যক্তিকে দেখলেন, সে একটি উটকে (যবেহ করার উদ্দেশ্যে) বসিয়েছে। তখন তিনি বললেন, ’একে উঠিয়ে (পা) বেঁধে দাঁড় করিয়ে দাও (এবং নাহর করো)– এটাই মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। এটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।
তাখরীজ: বুখারী, হাজ্জ ১৭১৩; মুসলিম, হাজ্জ ১৩২০। আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৯০৩ তে।
بَاب فِي نَحْرِ الْبُدْنِ قِيَامًا
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ يُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ عَنْ زِيَادِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ رَأَى رَجُلًا قَدْ أَنَاخَ بَدَنَةً فَقَالَ ابْعَثْهَا قِيَامًا مُقَيَّدَةً سُنَّةَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
أخبرنا محمد بن يوسف حدثنا سفيان عن يونس بن عبيد عن زياد بن جبير عن ابن عمر أنه رأى رجلا قد أناخ بدنة فقال ابعثها قياما مقيدة سنة محمد صلى الله عليه وسلم
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৫১
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৭১. হজ্জের মৌসূমে (সময়ে) খুতবা দেওয়া
১৯৫১. জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জি’রাণ নামক স্থান হতে উমরাহ করে ফিরে এসে আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-কে হাজ্জের আমীর নিযুক্ত করে প্রেরণ করেন। আমরাও তাঁর সঙ্গে আসলাম। যখন ’আরজ’- নামক স্থানে পৌছলেন তখন সকাল হলে তিনি তাকবীর বলার জন্য প্রস্তুত হলেন। এমন সময় তাঁর পেছনে উটের শব্দ শুনতে পেয়ে তিনি তাকবীর না দিয়ে বললেনঃ এটি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উটনী জাদঃআর শব্দ। হয়তো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন, আমরা তার সঙ্গে সালাত আদায় করবো। হঠাৎ দেখা গেল এর আরোহী হলেন আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু। আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাঁকে বললেনঃ আপনি কি আমীর হিসেবে এসেছেন, না সংবাদ বাহক হিসেবে। তিনি বললেনঃ আমি সংবাদ বাহক হিসেবে এসেছি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে সূরা বারাআত (বা তাওবা) সহ প্রেরণ করেছেন। আমি হজ্জের বিশিষ্ট স্হান সমুহে লোকদেরকে তা পাঠ করে শুনাব। আমরা মক্কায় আগমন করলাম। ’ইয়াওমুত তারবিয়া’ (যিলহাজ্জের ৮ তারিখ)-এর একদিন পূর্বে আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু লোকদের মাঝে দাড়িয়ে খুৎবা দিলেন এবং তাদের হাজ্জের আহকামসমূহ তাদের নিকট বর্ণনা করলেন। তিনি তাঁর খুতবা শেষ করলে আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু দাঁড়ালেন এবং তিনি লোকদের মাঝে সূরা বারাআত শেষ পর্যন্ত পাঠ করে শুনালেন। এরপর আমরা তাঁর সঙ্গে বের হলাম।
যখন আরাফার দিন উপস্থিত হলো, তখন আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু লোকদের মাঝে দাঁড়িয়ে খুৎবা দিলেন, তাদের কাছে হজ্জের আহকামসমূহ বর্ননা করলেন। যখন তিনি তাঁর বক্তব্য শেষ করলেন, তখন আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু দাঁড়িয়ে লোকদের মধ্যে সূবা বারাআত শেষ পর্যন্ত পাঠ করে শুনালেন। এরপর কুরবানীর দিন আসলে আমরা তাওয়াফে ইফাযা করলাম। আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ফিরে এসে লোকের মধ্যে খুতবা দিলেন। তাতে তিনি তাদের প্রত্যাবর্তন, কুরবানীর আহকাম এবং হজ্জের আহকাম বর্ণনা করলেন। তিনি যখন খুৎবা শেষ করলেন, তখন আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু দাঁড়িয়ে লোকদের মধ্যে সুরা বারাআত শেষ পর্যন্ত শুনালেন। প্রখম নফরের দিন আসলে আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু লোকদের উদ্দেশ্যে খুৎবা দিলেন; কিরুপে নফর বা যাত্রা করতে হবে এবং রমী করতে হবে সে সমস্ত আহকাম তাদেরকে শিক্ষা দিলেন। তিনি খুৎবা শেষ করলে আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু দাঁড়িয়ে লোকদের মাঝে সূরা বারাআত পড়ে শুনালেন এবং তা শেষ পর্যন্ত পাঠ করলেন।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। যদিও নাসাঈ উল্লেখ করেছেন যে, এর বর্ণনাকারী ‘ইবনু খাইছাম হাদীস বর্ণনায় শক্তিশালী নন। … আলী ইবনুল মাদীনী বলেন: ইবনু খাইছাম মুনকারুল হাদীস। আর আলী ইবনুল মাদীনীকে সৃষ্টিই করা হয়েছে হাদীসের জন্যই।’ … আলবানীও একে যয়ীফ নাসাঈ তে উল্লেখ করেছেন।
তাখরীজ: নাসাঈ ৫/২৪৯ ইয়াওমুত তারবীয়ার একদিন পূর্বে খুতবা দান; জাওযাকানী, আবাতীল ওয়াল মানাকির নং ১২৯; বাইহাকী, হাজ্জ ৫/১১১; কুবরা নং ৩৯৮৪।
দেখুন, মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭৬; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৮২০; মুসনাদুল হুমাইদী নং ১৪৭০, ১৯৬০ তে।
بَاب فِي خُطْبَةِ الْمَوْسِمِ
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ قَرَأْتُ عَلَى أَبِي قُرَّةَ هُوَ مُوسَى بْنُ طَارِقٍ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ رَجَعَ مِنْ عُمْرَةِ الْجِعْرَانَةِ بَعَثَ أَبَا بَكْرٍ عَلَى الْحَجِّ فَأَقْبَلْنَا مَعَهُ حَتَّى إِذَا كُنَّا بِالْعَرْجِ ثُوِّبَ بِالصُّبْحِ فَلَمَّا اسْتَوَى لِيُكَبِّرَ سَمِعَ الرَّغْوَةَ خَلْفَ ظَهْرِهِ فَوَقَفَ عَنْ التَّكْبِيرِ فَقَالَ هَذِهِ رَغْوَةُ نَاقَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْجَدْعَاءِ لَقَدْ بَدَا لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْحَجِّ فَلَعَلَّهُ أَنْ يَكُونَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنُصَلِّيَ مَعَهُ فَإِذَا عَلِيٌّ عَلَيْهَا فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ أَمِيرٌ أَمْ رَسُولٌ قَالَ لَا بَلْ رَسُولٌ أَرْسَلَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِبَرَاءَةٌ أَقْرَؤُهَا عَلَى النَّاسِ فِي مَوَاقِفِ الْحَجِّ فَقَدِمْنَا مَكَّةَ فَلَمَّا كَانَ قَبْلَ التَّرْوِيَةِ بِيَوْمٍ قَامَ أَبُو بَكْرٍ فَخَطَبَ النَّاسَ فَحَدَّثَهُمْ عَنْ مَنَاسِكِهِمْ حَتَّى إِذَا فَرَغَ قَامَ عَلِيٌّ فَقَرَأَ عَلَى النَّاسِ بَرَاءَةٌ حَتَّى خَتَمَهَا ثُمَّ خَرَجْنَا مَعَهُ حَتَّى إِذَا كَانَ يَوْمُ عَرَفَةَ قَامَ أَبُو بَكْرٍ فَخَطَبَ النَّاسَ فَحَدَّثَهُمْ عَنْ مَنَاسِكِهِمْ حَتَّى إِذَا فَرَغَ قَامَ عَلِيٌّ فَقَرَأَ عَلَى النَّاسِ بَرَاءَةٌ حَتَّى خَتَمَهَا ثُمَّ كَانَ يَوْمُ النَّحْرِ فَأَفَضْنَا فَلَمَّا رَجَعَ أَبُو بَكْرٍ خَطَبَ النَّاسَ فَحَدَّثَهُمْ عَنْ إِفَاضَتِهِمْ وَعَنْ نَحْرِهِمْ وَعَنْ مَنَاسِكِهِمْ فَلَمَّا فَرَغَ قَامَ عَلِيٌّ فَقَرَأَ عَلَى النَّاسِ بَرَاءَةٌ حَتَّى خَتَمَهَا فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ النَّفْرِ الْأَوَّلُ قَامَ أَبُو بَكْرٍ فَخَطَبَ النَّاسَ فَحَدَّثَهُمْ كَيْفَ يَنْفِرُونَ وَكَيْفَ يَرْمُونَ فَعَلَّمَهُمْ مَنَاسِكَهُمْ فَلَمَّا فَرَغَ قَامَ عَلِيٌّ فَقَرَأَ بَرَاءَةٌ عَلَى النَّاسِ حَتَّى خَتَمَهَا
أخبرنا إسحق بن إبراهيم قال قرأت على أبي قرة هو موسى بن طارق عن ابن جريج قال حدثني عبد الله بن عثمان بن خثيم عن أبي الزبير عن جابر بن عبد الله أن النبي صلى الله عليه وسلم حين رجع من عمرة الجعرانة بعث أبا بكر على الحج فأقبلنا معه حتى إذا كنا بالعرج ثوب بالصبح فلما استوى ليكبر سمع الرغوة خلف ظهره فوقف عن التكبير فقال هذه رغوة ناقة رسول الله صلى الله عليه وسلم الجدعاء لقد بدا لرسول الله صلى الله عليه وسلم في الحج فلعله أن يكون رسول الله صلى الله عليه وسلم فنصلي معه فإذا علي عليها فقال أبو بكر أمير أم رسول قال لا بل رسول أرسلني رسول الله صلى الله عليه وسلم ببراءة أقرؤها على الناس في مواقف الحج فقدمنا مكة فلما كان قبل التروية بيوم قام أبو بكر فخطب الناس فحدثهم عن مناسكهم حتى إذا فرغ قام علي فقرأ على الناس براءة حتى ختمها ثم خرجنا معه حتى إذا كان يوم عرفة قام أبو بكر فخطب الناس فحدثهم عن مناسكهم حتى إذا فرغ قام علي فقرأ على الناس براءة حتى ختمها ثم كان يوم النحر فأفضنا فلما رجع أبو بكر خطب الناس فحدثهم عن إفاضتهم وعن نحرهم وعن مناسكهم فلما فرغ قام علي فقرأ على الناس براءة حتى ختمها فلما كان يوم النفر الأول قام أبو بكر فخطب الناس فحدثهم كيف ينفرون وكيف يرمون فعلمهم مناسكهم فلما فرغ قام علي فقرأ براءة على الناس حتى ختمها
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৫২
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৭২. ইয়ামুন নাহর (কুরবানীর দিন) খুতবা প্রদান প্রসঙ্গে
১৯৫২. আবূ বকরাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, (বিদায় হাজ্জের) সেই দিন যখন এলো, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মিনায়) তাঁর উটের উপর উপবেশন করলেন। আমি জানি না, সেটি উট নাকি উটনী। তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি তাঁর উটের লাগাম অথবা, রাশ ধরে রেখেছিল।
তথন তিনি বললেনঃ “এটা কোন্ দিন?”
তিনি বলেন, আমরা চুপ করে রইলাম আর ধারণা করলাম যে, অচিরেই তিনি এ দিনটির আলাদা কোন নাম দিবেন।
তিনি বললেনঃ ’’এটা কি কুরবানীর দিন নয়?” আমরা বললাম, ’জি হ্যাঁ।’
তিনি জিজ্ঞেসঃ “এটা কোন্ মাস?”
আমরা নীরব রইলাম আর ধারণা করলাম যে, অচিরেই তিনি এর আলাদা কোন নাম দিবেন।
তিনি বললেনঃ “এটা কি যিলহাজ্জ মাস নয়?”
আমরা বললাম, ’জী হ্যাঁ।’
তিনি জিজ্ঞেসঃ “এটা কোন্ শহর?”
আমরা নীরব রইলাম আর ধারণা করলাম যে, অচিরেই তিনি এর আলাদা কোন নাম দিবেন।
তিনি বললেনঃ “এটা কি সেই (পবিত্র) শহর নয়?”
আমরা বললাম, ’জী হ্যাঁ।’ তিনি বললেনঃ “তোমাদের রক্ত, তোমাদের ধন-সম্পদ, তোমাদের সম্মান তোমাদের পরস্পরের জন্য হারাম, যেমন আজকের তোমাদের এ দিন, তোমাদের এ মাস, তোমাদের এ শহর মর্যাদা সম্পন্ন। তোমরা জেনে রাখো! উপস্থিত ব্যক্তিরা যেন অনুপস্থিত ব্যক্তির নিকট (আমার এ বাণী) পৌঁছে দেয়। কারণ উপস্থিত ব্যক্তি সম্ভবত এমন এক ব্যক্তির নিকট পৌঁছাবে, যে এ বাণীকে তার চেয়ে অধিক আয়ত্তে রাখতে পারবে।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। এটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।
তাখরীজ: বুখারী, ইলম ৬৭; আযাহী ৫৫৫০; মুসলিম, কাসামাহ ১৬৭৯;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২১১২; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৮৪৮ তে।
بَاب فِي الْخُطْبَةِ يَوْمَ النَّحْرِ
أَخْبَرَنَا أَبُو حَاتِمٍ أَشْهَلُ بْنُ حَاتِمٍ حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ عَنْ مُحَمَّدٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ لَمَّا كَانَ ذَلِكَ الْيَوْمُ قَعَدَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى بَعِيرٍ لَا أَدْرِي جَمَلٌ أَوْ نَاقَةٌ وَأَخَذَ إِنْسَانٌ بِخِطَامِهِ أَوْ قَالَ بِزِمَامِهِ فَقَالَ أَيُّ يَوْمٍ هَذَا قَالَ فَسَكَتْنَا حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيهِ سِوَى اسْمِهِ فَقَالَ أَلَيْسَ يَوْمَ النَّحْرِ قُلْنَا بَلَى قَالَ فَأَيُّ شَهْرٍ هَذَا قَالَ فَسَكَتْنَا حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيهِ سِوَى اسْمِهِ فَقَالَ أَلَيْسَ ذَا الْحِجَّةِ قُلْنَا بَلَى قَالَ فَأَيُّ بَلَدٍ هَذَا قَالَ فَسَكَتْنَا حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيهِ سِوَى اسْمِهِ فَقَالَ أَلَيْسَ الْبَلْدَةَ قُلْنَا بَلَى قَالَ فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ وَأَعْرَاضَكُمْ بَيْنَكُمْ حَرَامٌ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِي شَهْرِكُمْ هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا أَلَا لِيُبَلِّغْ الشَّاهِدُ الْغَائِبَ فَإِنَّ الشَّاهِدَ عَسَى أَنْ يُبَلِّغَ مَنْ هُوَ أَوْعَى مِنْهُ
أخبرنا أبو حاتم أشهل بن حاتم حدثنا ابن عون عن محمد عن عبد الرحمن بن أبي بكرة عن أبيه قال لما كان ذلك اليوم قعد النبي صلى الله عليه وسلم على بعير لا أدري جمل أو ناقة وأخذ إنسان بخطامه أو قال بزمامه فقال أي يوم هذا قال فسكتنا حتى ظننا أنه سيسميه سوى اسمه فقال أليس يوم النحر قلنا بلى قال فأي شهر هذا قال فسكتنا حتى ظننا أنه سيسميه سوى اسمه فقال أليس ذا الحجة قلنا بلى قال فأي بلد هذا قال فسكتنا حتى ظننا أنه سيسميه سوى اسمه فقال أليس البلدة قلنا بلى قال فإن دماءكم وأموالكم وأعراضكم بينكم حرام كحرمة يومكم هذا في شهركم هذا في بلدكم هذا ألا ليبلغ الشاهد الغائب فإن الشاهد عسى أن يبلغ من هو أوعى منه
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবূ বাকরা (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৫৩
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৭৩. যে মহিলা (তাওয়াফে) যিয়ারতের পরে হায়িযগ্রস্ত হয়ে পড়ে, (তার করণীয় কি)
১৯৫৩. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সাফিয়্যাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা এর হায়িয আরম্ভ হলো। এরপর যখন প্রস্থানের রাত আগমণ করলো, তখন তিনি আপন ভাষায় বললেন, হায়, আমার ধ্বংস! হায়, আমার নিষ্ফলতা (শারীরিক অক্ষমতা)![1] তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: তুমি কি ইয়ামুন নাহার বা কুরবানীর দিন তাওয়াফ (এ-যিয়ারত) কর নি? তিনি জবাব দিলেন, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ “তা হলে বের হয়ে পড়ো।”[2]
[1] এটি অভিশাপ জাতীয় আহবান নয়। বরং এটি মুলত: তাদের মাঝে প্রচলিত আফসোস প্রকাশের ধরণ।–মুহাক্কিক্বের টীকা হতে –অনুবাদক।
[2] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। এটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।
তাখরীজ: বুখারী, হায়িয ৩২৮, হাজ্জ ১৭৫৭; মুসলিম, হাজ্জ ১২১১;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল হুমাইদী নং ২০৩; মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৫২ তে।
بَاب الْمَرْأَةِ تَحِيضُ بَعْدَ الزِّيَارَةِ
أَخْبَرَنَا يَعْلَى حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ الْأَسْوَدِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ حَاضَتْ صَفِيَّةُ فَلَمَّا كَانَتْ لَيْلَةُ النَّفْرِ قَالَتْ أَيْ حَلْقَى أَيْ عَقْرَى بِلُغَةٍ لَهُمْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَلَسْتِ قَدْ طُفْتِ يَوْمَ النَّحْرِ قَالَتْ بَلَى قَالَ فَارْكَبِي
أخبرنا يعلى حدثنا الأعمش عن إبراهيم عن الأسود عن عائشة قالت حاضت صفية فلما كانت ليلة النفر قالت أي حلقى أي عقرى بلغة لهم فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ألست قد طفت يوم النحر قالت بلى قال فاركبي
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৫৪
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৭৩. যে মহিলা (তাওয়াফে) যিয়ারতের পরে হায়িযগ্রস্ত হয়ে পড়ে, (তার করণীয় কি)
১৯৫৪. (অপর সনদে) আয়িশা (রাঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: এটি আগের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি।
بَاب الْمَرْأَةِ تَحِيضُ بَعْدَ الزِّيَارَةِ
حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ حَمَّادٍ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ الْحَكَمِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ الْأَسْوَدِ عَنْ عَائِشَةَ بِنَحْوِهِ
حدثنا سهل بن حماد عن شعبة عن الحكم عن إبراهيم عن الأسود عن عائشة بنحوه
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৫৫
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৭৪. উলঙ্গ অবস্থায় কেউ বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করতে পারবে না
১৯৫৫. যাইদ ইবন উসাই (রহঃ) হতে বর্নিত আছে, তিনি বলেন, আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-কে আমি প্রশ্ন করলাম, কি বিষয় সহকারে আপনাকে (নবম হিজরীতে মক্কায় ঘোষণা দিতে) পাঠানো হয়েছিলো? তিনি বললেন, চারটি বিষয় (ঘোষনা করার জন্য)। মুসলিম ছাড়া আর কোন লোক জান্নাতে যাবেনা, কোন লোক উলঙ্গ অবস্থায় বাইতুল্লাহ্ তাওয়াফ করতে পারবেনা, এইখানে (কা’বা শরীফে) মুসলিম ও মুশরিকগন এই বছরের পর একত্রে হাজ্জ করতে পারবেনা এবং যেসব লোকের সাথে রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চুক্তি আছে সেসব লোকের চুক্তি নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে, কিন্তু যেসব লোকের কোন চুক্তি নেই, সেসব লোকের মেয়াদ (আজ হতে) চার মাস পর্যন্ত।[1] তিনি বলতেন, ইয়াওমুন নাহার বা কুরবানীর দিনের পর যিলহাজ্জ মাসের বিশ তারিখ হতে এ মেয়াদ শুরু হবে। এর চারমাস পর তোমরা তাদের সাথে যুদ্ধ করবে।
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল হুমাইদী নং ৪৮; মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৫২ তে। ((তিরমিযী, হাজ্জ ৮৭১-অনুবাদক।))
بَاب لَا يَطُوفُ بِالْبَيْتِ عُرْيَانٌ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ الْبَزَّازُ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ زَيْدِ بْنِ يُثَيْعٍ قَالَ سَأَلْنَا عَلِيًّا بِأَيِّ شَيْءٍ بُعِثْتَ قَالَ بُعِثْتُ بِأَرْبَعٍ لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلَّا نَفْسٌ مُؤْمِنَةٌ وَلَا يَطُوفُ بِالْبَيْتِ عُرْيَانٌ وَلَا يَجْتَمِعُ مُسْلِمٌ وَكَافِرٌ فِي الْحَجِّ بَعْدَ عَامِهِمْ هَذَا وَمَنْ كَانَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَهْدٌ فَعَهْدُهُ إِلَى مُدَّتِهِ وَمَنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ عَهْدٌ فَهِيَ أَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ يَقُولُ بَعْدَ يَوْمِ النَّحْرِ أَجَلُهُمْ عِشْرِينَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ فَاقْتُلُوهُمْ بَعْدَ الْأَرْبَعَةِ
أخبرنا محمد بن يزيد البزاز حدثنا سفيان بن عيينة عن أبي إسحق عن زيد بن يثيع قال سألنا عليا بأي شيء بعثت قال بعثت بأربع لا يدخل الجنة إلا نفس مؤمنة ولا يطوف بالبيت عريان ولا يجتمع مسلم وكافر في الحج بعد عامهم هذا ومن كان بينه وبين رسول الله صلى الله عليه وسلم عهد فعهده إلى مدته ومن لم يكن له عهد فهي أربعة أشهر يقول بعد يوم النحر أجلهم عشرين من ذي الحجة فاقتلوهم بعد الأربعة
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৫৬
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৭৫. বাইতুল্লাহ দৃষ্টিগোচর হলে হাত তুলবে না
১৯৫৬. মুহাজির (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, বায়তুল্লাহ্ নিকটবর্তী (দৃষ্টিগোচর) হলে (দু’আয়) হাত উত্তোলন করা সম্পর্কে জাবির ইবনু আবদুল্লাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-কে জিজ্ঞাসা করা হয়। জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, কেবল ইয়াহুদীরা এরূপ করতো। আমরা রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে হজ্জ করেছি, কিন্তু আমরা এরূপ করেছি কি?[1]
[1] তাহক্বীক্ব: খাত্তাবী, মা’আলিমুস সুনান ২/১৯১ এ উলামাগণের ইখতিলাফ এবং মুহাজিরের মাজহুল হওয়ার কারণে একে যয়ীফ সাব্যস্ত করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন। তবে বিষয়টি বুখারী, কাবীর ৭/৩৮০, আবী হাতিম, জারহ্ ওয়াত তা’দীল ৮/২৬০ তে মুহাজিরের জীবনে উল্লেখ করেছেন (ফলে সে মাজহুল নন।) ইবনু হিব্বান ও যাহাবী, আল কাশিফ এ তাকে সিকাহ’ বলেছেন।
তাখরীজ: আবূ দাউদ, মানাসিক ১৮৭০; বাইহাকী, হাজ্জ ৫/৭৩; তিরমিযী, হাজ্জ ৮৫৫; নাসাঈ, মানাসিক ৫/২১২; ইবনু আব্বাস হতেও এ হাদীস বর্ণিত হয়েছে যয়ীফ সনদে যার তাখরীজ আমরা দিয়েছি মাজমাউয যাওয়াইদ নং ২৬১৭, ৫৫৩০ তে।…..।
بَاب إِذَا وَدَّعَ الْبَيْتَ لَا يَرْفَعُ يَدَيْهِ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ الْحَنَفِيُّ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ أَخْبَرَنِي أَبُو قَزَعَةَ قَالَ سَمِعْتُ مُهَاجِرًا يَقُولُ سُئِلَ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ رَفْعِ الْأَيْدِي عِنْدَ الْبَيْتِ فَقَالَ إِنَّمَا كَانَ يَصْنَعُ ذَلِكَ الْيَهُودُ حَجَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفَصَنَعْنَا ذَاكَ
حدثنا عبيد الله بن عبد المجيد الحنفي حدثنا شعبة أخبرني أبو قزعة قال سمعت مهاجرا يقول سئل جابر بن عبد الله عن رفع الأيدي عند البيت فقال إنما كان يصنع ذلك اليهود حججنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم أفصنعنا ذاك
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ মুহাজির মক্কী (রহঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৫৭
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৭৬. মুসলিমের মর্যাদা সম্পর্কে
১৯৫৭. জাবির ইবনু আবদুল্লাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, বিদায় হাজ্জে রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “লোকদেরকে চুপ করাও।” অতঃপর তিনি বলেন: “আমার পরে তোমরা একে অপরের গর্দান মেরে (হত্যা করে) কাফির হয়ে পিছনে ফিরে যেও না।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। এটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।
তাখরীজ: বুখারী, ইলম ১২১; মুসলিম, ঈমান ৬৫;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৯৪০ তে। এছাড়াও: আবূ আওয়ানাহ ১/২৫; ইবনুল কানি’, মু’জামুস সাহাবাহ, তরজমাহ ১৫৫; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ২৫৫০।
আবূ সাঈদ খুদরী, হুজাইর রা: এর হাদীসগুলোও দেখুন, যার তাখরীজ আমরা দিয়েছি মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৭১৩, ৫৭০৫ তে।…
بَاب فِي حُرْمَةِ الْمُسْلِمِ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ وَحَجَّاجٌ قَالَا حَدَّثَنَا شُعْبَةُ أَخْبَرَنِي عَلِيُّ بْنُ مُدْرِكٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا زُرْعَةَ يُحَدِّثُ عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ اسْتَنْصَتَ النَّاسَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ ثُمَّ قَالَ لَا تَرْجِعُوا بَعْدِي كُفَّارًا يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ
أخبرنا أبو الوليد وحجاج قالا حدثنا شعبة أخبرني علي بن مدرك قال سمعت أبا زرعة يحدث عن جرير بن عبد الله أن رسول الله استنصت الناس في حجة الوداع ثم قال لا ترجعوا بعدي كفارا يضرب بعضكم رقاب بعض
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৫৮
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৭৭. সাফা ও মারওয়ার মধ্যবর্তী স্থানে সা’ঈ করা প্রসঙ্গে
১৯৫৮. ইবনু আবী আওফা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাফা ও মারওয়ার মধ্যবর্তী স্থানে সা’ঈ করলেন, তখন মক্কাবাসীদের কেউ যাতে তাঁর উপর পাথর কিংবা (বর্শা) আকারের কিছু নিক্ষেপ করতে না পারে, সেজন্য আমরা তাঁকে আড়াল করে রাখছিলাম।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: বুখারী, হাজ্জ ১৬০০;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৮৪৩ মুসনাদুল হুমাইদী নং ৭৩৮ তে।
بَاب فِي السَّعْيِ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ
أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ قَالَ وَسَمِعْتُ ابْنَ أَبِي أَوْفَى يَقُولُ سَعَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَنَحْنُ نَسْتُرُهُ مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ أَنْ يُصِيبَهُ أَحَدٌ بِحَجَرٍ أَوْ بِرَمْيَةٍ
أخبرنا جعفر بن عون حدثنا إسمعيل بن أبي خالد قال وسمعت ابن أبي أوفى يقول سعى رسول الله صلى الله عليه وسلم بين الصفا والمروة ونحن نستره من أهل مكة أن يصيبه أحد بحجر أو برمية
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আবূ আওফা (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৫৯
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৭৮. কিরান হজ্জ সম্পর্কে
১৯৫৯. মারওয়ান ইবনুল হাকাম হতে বর্ণিত। তিনি মক্কা ও মদীনার মধ্যবর্তী (’উসফান নামক) স্থানে ’আলী ও ’উছমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর নিকট উপস্থিত ছিলেন। উছমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হাজ্জে তামাত্তু’ করতে নিষেধ করতেন। এরপর যখন ’আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এ অবস্থা দেখলেন, তখন তিনি হাজ্জ ও ’উমরাহ উভয়ের ইহরাম বাঁধেন এবং তিনি (’আলী) বললেন, আমি উমরাহ ও হাজ্জের জন্য একত্রে তালবিয়া পাঠ করলাম। এরপর তিনি ’উসমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-কে লক্ষ্য করে বললেন, আপনাকে আমি তা হতে বারণ করতে দেখছি, অথচ আপনি সেই কাজ করেছেন। এরপর তিনি (আলী) বললেন, আমি কোনো মানুষের কথায় আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাত পরিত্যাগ করতে পারি না।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ জাইয়্যেদ বা উত্তম। এটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।
তাখরীজ: বুখারী, হাজ্জ ১৫৬৯; মুসলিম, হাজ্জ ১২২৩;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩৪২, ৩৪৯, ৪৩৪, ৬০৯ তে।
بَاب فِي الْقِرَانِ
أَخْبَرَنَا سَهْلُ بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ الْحَكَمِ عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ عَنْ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ أَنَّهُ شَهِدَ عَلِيًّا وَعُثْمَانَ بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ وَعُثْمَانُ يَنْهَى عَنْ الْمُتْعَةِ فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ عَلِيٌّ أَهَلَّ بِهِمَا جَمِيعًا فَقَالَ لَبَّيْكَ بِحَجَّةٍ وَعُمْرَةٍ مَعًا فَقَالَ تَرَانِي أَنْهَى عَنْهُ وَتَفْعَلُهُ فَقَالَ لَمْ أَكُنْ لِأَدَعَ سُنَّةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَوْلِ أَحَدٍ مِنْ النَّاسِ
أخبرنا سهل بن حماد حدثنا شعبة عن الحكم عن علي بن الحسين عن مروان بن الحكم أنه شهد عليا وعثمان بين مكة والمدينة وعثمان ينهى عن المتعة فلما رأى ذلك علي أهل بهما جميعا فقال لبيك بحجة وعمرة معا فقال تراني أنهى عنه وتفعله فقال لم أكن لأدع سنة رسول الله صلى الله عليه وسلم بقول أحد من الناس
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) বর্ণনাকারীঃ মারওয়ান ইবনু হাকাম (রহঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৬০
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৭৮. কিরান হজ্জ সম্পর্কে
১৯৬০. আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেন: “আমি হাজ্জ ও ’উমরাহ উভয়ের জন্য একত্রে তালবিয়া পাঠ করছি।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। এটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।
তাখরীজ: বুখারী, তাক্বসীরুস সালাত ১০৮৯; মুসলিম, সালাতুল মুসাফিরীন ৬৯০;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৭৯৪, ২৮১১, ২৮১২, ৩০২৫ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৯৩০ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ১২৪৯ তে।
بَاب فِي الْقِرَانِ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ عَنْ أَنَسٍ أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَبَّيْكَ بِعُمْرَةٍ وَحَجٍّ
أخبرنا يزيد بن هارون حدثنا حميد عن أنس أنه سمع النبي صلى الله عليه وسلم يقول لبيك بعمرة وحج
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৬১
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৭৮. কিরান হজ্জ সম্পর্কে
১৯৬১. বাকর ইবনু আব্দুল্লাহ রাহি. হতে বর্ণিত, আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (হাজ্জ ও ’উমরাহ) এ উভয়ের জন্য একত্রে ইহরাম বেধেছেন। এরপর আমি ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর সাথে সাক্ষাত করে তাকে আনাস রা: এর বক্তব্য জানালাম। তখন তিনি বললেন: তিনি শুধুমাত্র হাজ্জের ইহরাম বেধে ছিলেন।’ এরপর আমি আনাস রা: এর নিকট ফিরে এসে তাকে ইবনু উমার রা: এর বক্তব্য জানালাম। তখন তিনি বললেন: তাঁরা সবসময় আমাদেরকে শিশু-ই মনে করেন।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসের পুনরাবৃত্তি। মুসলিম, হাজ্জ ১২২৩; আগের হাদীসটিও দেখুন। এর পূর্ণ তাখরীজ আমরা দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৯৩৩ তে।
بَاب فِي الْقِرَانِ
أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ عَنْ حَبِيبِ بْنِ الشَّهِيدِ عَنْ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهَلَّ بِهِمَا جَمِيعًا فَلَقِيتُ ابْنَ عُمَرَ فَأَخْبَرْتُهُ بِقَوْلِ أَنَسٍ فَقَالَ إِنَّمَا أَهَلَّ بِالْحَجِّ فَرَجَعْتُ إِلَى أَنَسٍ فَأَخْبَرْتُهُ بِقَوْلِ ابْنِ عُمَرَ فَقَالَ مَا يَعُدُّونَا إِلَّا صِبْيَانًا
أخبرنا سعيد بن عامر عن حبيب بن الشهيد عن بكر بن عبد الله عن أنس أن رسول الله صلى الله عليه وسلم أهل بهما جميعا فلقيت ابن عمر فأخبرته بقول أنس فقال إنما أهل بالحج فرجعت إلى أنس فأخبرته بقول ابن عمر فقال ما يعدونا إلا صبيانا
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ বাকর ইবনে আবদুল্লাহ (রহঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৬২
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৭৯. সালাতের ওয়াক্ত ব্যতীত অন্য সময়ে তাওয়াফ করা
১৯৬২. জুবাইর ইবন মুতইম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “হে বনী আবদ মানাফ! তোমরা যদি এ কাজের (হাজ্জের) ওয়ালী বা দায়িত্বশীল হয়ে থাকো, তবে কোনো লোককে রাত ও দিনের যেকোন সময় ইচ্ছা বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করতে এবং সালাত আদায় করতে বাধা দিওনা।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭৩৯৬, ৭৪১৫ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৫৫২, ১৫৫৩, ১৫৫৪ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৬২৬, ৬২৭, ৬২৮ এবং মুসনাদুল হুমাইদী নং ৫৭১ তে।
بَاب الطَّوَافِ فِي غَيْرِ وَقْتِ الصَّلَاةِ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَابَاهُ عَنْ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ يَا بَنِي عَبْدِ مَنَافٍ إِنْ وَلِيتُمْ هَذَا الْأَمْرَ فَلَا تَمْنَعُوا أَحَدًا طَافَ أَوْ صَلَّى أَيَّ سَاعَةٍ شَاءَ مِنْ لَيْلٍ أَوْ نَهَارٍ
حدثنا عمرو بن عون حدثنا سفيان بن عيينة عن أبي الزبير عن عبد الله بن باباه عن جبير بن مطعم أن النبي صلى الله عليه وسلم قال يا بني عبد مناف إن وليتم هذا الأمر فلا تمنعوا أحدا طاف أو صلى أي ساعة شاء من ليل أو نهار
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ জুবায়র ইবনু মুত‘ইম (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৬৩
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৮০. দিনের বেলায় বাইতুল্লাহতে প্রবেশ করা সম্পর্কে
১৯৬৩. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’যি-তুয়া’[1] নামক স্থানে রাত্রি যাপণ করেছিলেন। যখন সকাল হলো, তারপর তিনি মক্কায় প্রবেশ করলেন। আর ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-ও এরূপ করতেন।[2]
[1] যি-তুয়া: মক্কার উপত্যকার অন্যতম। বর্তমানে তা বসতির মধ্যস্থানে অবস্থিত।…
[2] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। এটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।
তাখরীজ: বুখারী, হাজ্জ ১৫৫৩, ১৫৭৩, ১৫৭৪; মুসলিম, হাজ্জ ১২৫৯; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৯০৮ তে। পরবর্তী টীকাটিও দেখুন।
بَاب فِي دُخُولِ الْبَيْتِ نَهَارًا
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ أَخْبَرَنِي نَافِعٌ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَاتَ بِذِي طُوًى حَتَّى أَصْبَحَ ثُمَّ دَخَلَ مَكَّةَ وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَفْعَلُهُ
حدثنا مسدد حدثنا يحيى بن سعيد عن عبيد الله أخبرني نافع عن ابن عمر أن رسول الله صلى الله عليه وسلم بات بذي طوى حتى أصبح ثم دخل مكة وكان ابن عمر يفعله
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৬৪
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৮১. যে রাস্তা দিয়ে মক্কায় প্রবেশ করবে, সেই সম্পর্কে
১৯৬৪. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কায় প্রবেশ করতেন উচ্চভূমি দিয়ে এবং বের হতেন নিম্নভূমি দিয়ে।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। এটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।
তাখরীজ: বুখারী, হাজ্জ ১৫৭৭; মুসলিম, হাজ্জ ১২৫৭; আগের টীকাটিও দেখুন।
بَاب فِي أَيِّ طَرِيقٍ يَدْخُلُ مَكَّةَ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ خَالِدٍ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ حَدَّثَنِي نَافِعٌ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَدْخُلُ مَكَّةَ مِنْ الثَّنِيَّةِ الْعُلْيَا وَيَخْرُجُ مِنْ الثَّنِيَّةِ السُّفْلَى
أخبرنا عبد الله بن سعيد حدثنا عقبة بن خالد عن عبيد الله حدثني نافع عن ابن عمر أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يدخل مكة من الثنية العليا ويخرج من الثنية السفلى
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৬৫
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৮২. কোনো ব্যক্তি কখন তালবিয়া পাঠ করবে
১৯৬৫. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন স্বীয় পা বাহনের পা-দানিতে (রিকাবে) রাখতেন এবং তাঁর জন্তুযান তাঁকে নিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যেতো, তখন তিনি যুল-হুলায়ফার মসজিদ হতে ইহরাম বাঁধেন।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। এটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।
তাখরীজ: বুখারী, জিহাদ ২৮৬৫- এর মূল রয়েছে ওযু ১৬৬ তেও; মুসলিম, হাজ্জ ১১৮৭ (২৭); আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৪৭৩; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৭৬৩ এবং মুসনাদুল হুমাইদী নং ৬৬৬ তে।
بَاب مَتَى يُهِلُّ الرَّجُلُ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ خَالِدٍ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَدْخَلَ رِجْلَهُ فِي الْغَرْزِ وَاسْتَوَتْ بِهِ نَاقَتُهُ أَهَلَّ مِنْ مَسْجِدِ ذِي الْحُلَيْفَةِ
أخبرنا عبد الله بن سعيد حدثنا عقبة بن خالد عن عبيد الله عن نافع عن ابن عمر قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا أدخل رجله في الغرز واستوت به ناقته أهل من مسجد ذي الحليفة
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৬৬
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৮৩. মুহরিম ব্যক্তি চোখে অসুখ হলে কি করবে
১৯৬৬. আবান ইবনু উছমান রাহি. তার পিতা উছমান ইবন আফফান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেন, যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চক্ষু রোগে আক্রান্ত মুহরিম ব্যক্তি সম্পর্কে বলেছেন: “ঘৃতকুমারী দিয়ে সেই দু’টিতে পট্টি বেধে দাও।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: মুসলিম, হাজ্জ ১২০৪; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল হুমাইদী নং ৩৪ তে।
بَاب مَا يَصْنَعُ الْمُحْرِمُ إِذَا اشْتَكَى عَيْنَيْهِ
أَخْبَرَنَا عُثْمَانُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ وَمُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ قَالَا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ أَيُّوبَ بْنِ مُوسَى عَنْ نُبَيْهِ بْنِ وَهْبٍ عَنْ أَبَانَ بْنِ عُثْمَانَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ النَّبِيَّ قَالَ فِي الْمُحْرِمِ إِذَا اشْتَكَى عَيْنَيْهِ يَضْمِدُهَا بِالصَّبِرِ
أخبرنا عثمان بن محمد بن أبي شيبة ومحمد بن أحمد بن أبي خلف قالا حدثنا سفيان عن أيوب بن موسى عن نبيه بن وهب عن أبان بن عثمان عن أبيه أن النبي قال في المحرم إذا اشتكى عينيه يضمدها بالصبر
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবান ইবন উসমান (রহঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৬৭
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৮৪. তাওয়াফের পর (তাওয়াফকারী) ব্যক্তি কোথায় সালাত আদায় করবে
১৯৬৭. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসে (সাতবার) বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করেছেন, মাকামে ইবরাহীমের কাছে দু’রাক’আত সালাত আদায় করেছেন এরপর সাফা (সা’ঈ করার) উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেছেন।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। এটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।
তাখরীজ: বুখারী, সালাত ৩৯৫, ৩৯৬; মুসলিম, হাজ্জ ১২৩৪; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৬২৭, ৫৬২৯, ৫৬৩৪; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৮০৯ এবং মুসনাদুল হুমাইদী নং ৮৬৩ তে।
بَاب أَيْنَ يُصَلِّي الرَّجُلُ بَعْدَ الطَّوَافِ
أَخْبَرَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ يَقُولُ قَدِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَطَافَ بِالْبَيْتِ وَصَلَّى عِنْدَ الْمَقَامِ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ خَرَجَ إِلَى الصَّفَا
أخبرنا هاشم بن القاسم حدثنا شعبة عن عمرو بن دينار قال سمعت ابن عمر يقول قدم النبي صلى الله عليه وسلم فطاف بالبيت وصلى عند المقام ركعتين ثم خرج إلى الصفا
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৬৮
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৮৪. তাওয়াফের পর (তাওয়াফকারী) ব্যক্তি কোথায় সালাত আদায় করবে
১৯৬৮. আইয়্যুব বলেন, … (অপর সনদে) ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, এটিই সুন্নাত।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এটি পূর্বের সনদের সাথে সংযুক্ত এবং সহীহ।
তাখরীজ: আহমাদ ২/৮৫; আরও দেখুন, মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৬২৯। তাবারানী আগের হাদীসটি উল্লেখ করার পর বলেন, গুণদার তার হাদীসে অতিরিক্ত বলেন… আইয়্যুব বলেছেন’- বলে এ হাদীসটি উল্লেখ করেন।
بَاب أَيْنَ يُصَلِّي الرَّجُلُ بَعْدَ الطَّوَافِ
قَالَ شُعْبَةُ فَحَدَّثَنِي أَيُّوبُ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ هِيَ السُّنَّةُ
قال شعبة فحدثني أيوب عن عمرو بن دينار عن ابن عمر قال هي السنة
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আইয়ূব সিখতিয়ানী (রহঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৬৯
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৮৫. বিদায়ী তাওয়াফ প্রসঙ্গে
১৯৬৯. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, লোকেরা বিভিন্ন দিকে ফিরে যাচ্ছিল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (লোকেদের) বললেন: “তাদের শেষ দায়িত্ব যেন হয় বাইতুল্লাহর তাওয়াফ করা। তা না করা পর্যন্ত তাদের কেউ যেন ফিরে না যায়।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: বুখারী, হাজ্জ ১৭৫৫; মুসলিম, হাজ্জ ১৩২৭; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪০৩; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৮৯৭ এবং মুসনাদুল হুমাইদী নং ৫১১ তে।
بَاب فِي طَوَافِ الْوَدَاعِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ ابْنِ عُيَيْنَةَ عَنْ سُلَيْمَانَ الْأَحْوَلِ عَنْ طَاوُسٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ كَانَ النَّاسُ يَنْصَرِفُونَ فِي كُلِّ وَجْهٍ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَنْفِرَنَّ أَحَدٌ حَتَّى يَكُونَ آخِرُ عَهْدِهِ بِالْبَيْتِ
أخبرنا محمد بن يوسف عن ابن عيينة عن سليمان الأحول عن طاوس عن ابن عباس قال كان الناس ينصرفون في كل وجه فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا ينفرن أحد حتى يكون آخر عهده بالبيت
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৭০
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৮৫. বিদায়ী তাওয়াফ প্রসঙ্গে
১৯৭০. ইবনু ’আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ঋতুমতী মহিলাদের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে যে, তাওয়াফে ইফাযা করার পর তারা ফিরে যেতে পারবে।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: বুখারী, হাজ্জ ১৭৬০, ১৭৬১; মুসলিম, হাজ্জ ১৩২৮; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৮৯৮ এবং মুসনাদুল হুমাইদী নং ৫১২ তে।
بَاب فِي طَوَافِ الْوَدَاعِ
أَخْبَرَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ حَدَّثَنَا ابْنُ طَاوُسٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ رُخِّصَ لِلْحَائِضِ أَنْ تَنْفِرَ إِذَا أَفَاضَتْ
أخبرنا مسلم بن إبراهيم حدثنا وهيب حدثنا ابن طاوس عن أبيه عن ابن عباس قال رخص للحائض أن تنفر إذا أفاضت
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৭১
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৮৫. বিদায়ী তাওয়াফ প্রসঙ্গে
১৯৭১. তিনি (বর্ণনাকারী তাউস) বলেন, আমি ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-কে প্রথম বছরে বলতে শুনেছিলাম যে, সে (ঋতুমতী মহিলা) ফিরে যেতে পারবে না।’ এরপর আমি তাকে বলতে শুনলাম যে, সে (ঋতুমতী মহিলা) ফিরে যেতে পারবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদেরকে (ঋতুমতী মহিলাদেরকে) এর অনুমতি দিয়েছেন।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এটি পূর্বের সনদের সাথে সংযুক্ত (এবং সহীহ)।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৮৯৯ এবং মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১০১৭ তে।
بَاب فِي طَوَافِ الْوَدَاعِ
قَالَ وَسَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ عَامَ الْأَوَّلِ أَنَّهَا لَا تَنْفِرُ ثُمَّ سَمِعْتُهُ يَقُولُ تَنْفِرُ إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَخَّصَ لَهُنَّ
قال وسمعت ابن عمر عام الأول أنها لا تنفر ثم سمعته يقول تنفر إن النبي صلى الله عليه وسلم رخص لهن
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ তাঊস (রহঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৭২
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৮৫. বিদায়ী তাওয়াফ প্রসঙ্গে
১৯৭২. তাউস আল ইয়ামানী রাহি. হতে বর্ণিত, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে বলতে শুনেছেন, যে সকল মহিলাগণ প্রস্থানের পূর্বে ঋতুমতী হলো, কিন্তু সে ইয়াওমুন নাহর বা কুরবানীর দিবসে তাওয়াফে ইফাযা করে নিয়েছে, -এমন মহিলাদের বাইতুল্লাহর তাওয়াফ করা হতে বিরত থাকা প্রসঙ্গে আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু মহিলাদের জন্য (এ ব্যাপারে) অনুমতির কথা বণর্না করেছেন। আর এটি ছিল আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর মৃত্যুর এক বছর পূর্বের ঘটনা।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ আব্দুল্লাহ ইবনু সালিহ এর যয়ীফ হওয়ার কারণে। (তবে এটি অপর একটি সহীহ সনদেও বর্ণিত হয়েছে- যেমন তাখরীজে উল্লিখিত হয়েছে।- অনুবাদক)
তাখরীজ: তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ২/২৩৫; নাসাঈ, আল কুবরা নং ৪১৯৮ সহীহ সনদে। দেখুন, আয়িশার হাদীস বিগত ১৯৫৩ নং এ।
بَاب فِي طَوَافِ الْوَدَاعِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ يَقُولُ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِي طَاوُسٌ الْيَمَانِيُّ أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ وَهُوَ يُسْأَلُ عَنْ حَبْسِ النِّسَاءِ عَنْ الطَّوَافِ بِالْبَيْتِ إِذَا حِضْنَ قَبْلَ النَّفْرِ وَقَدْ أَفَضْنَ يَوْمَ النَّحْرِ فَقَالَ إِنَّ عَائِشَةَ كَانَتْ تَذْكُرُ رُخْصَةً لِلنِّسَاءِ وَذَلِكَ قَبْلَ مَوْتِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بِعَامٍ
أخبرنا عبد الله بن صالح يقول حدثني الليث حدثني عقيل عن ابن شهاب قال أخبرني طاوس اليماني أنه سمع عبد الله بن عمر وهو يسأل عن حبس النساء عن الطواف بالبيت إذا حضن قبل النفر وقد أفضن يوم النحر فقال إن عائشة كانت تذكر رخصة للنساء وذلك قبل موت عبد الله بن عمر بعام
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f) বর্ণনাকারীঃ তাঊস (রহঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৭৩
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৮৬. যে ব্যক্তি তার নিজ শহরে অবস্থান করে, অথচ তার হাদী (কুরবাণীর জন্তু) পাঠিয়ে দেয়, তার সম্পর্কে
১৯৭৩. মাসরুক্ব (রাহি.) হতে বর্ণিত, তিনি আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা-কে বলেন, হে উম্মুল মু’মিনীন! কোনো এক ব্যক্তি তাদের মধ্যকার অপর এক ব্যক্তির মাধ্যমে তার হাদী (কুরবানীর জন্তু পাঠিয়ে দেয়, এবং বলে, তুমি যখন অমুক অমুক স্থানে পৌছবে, তখন একে ’কিলাদা (কুরবানীর জন্তু হিসেবে পরিচিতিমুলক রশি) গলায় ঝুলিয়ে দেবে। এরপর যখন সে সেই স্থানে পৌছে গেলো, সে তখনও মুহরিম অবস্থা পরিত্যাগ করেনি, এমনকি লোকেরা হালাল (ইহরামমুক্ত) হয়ে গেলো। তিনি বলেন, এরপর পর্দার আড়াল হতে তার হাত দিয়ে (রশি পাকানোর মতো) শব্দ আমি শুনতে পেলাম। আর তিনি বললেন: আমি নিজ হাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কুরবানীর পশুর কিলাদা পাকিয়ে দিয়েছি। এরপর তিনি কা’বার উদ্দেশ্যে হাদী পাঠিয়ে দিতেন (অথচ তিনি পরিবারের মাঝে অবস্থান করতেন)। আর কোনো লোকের জন্য তার পরিবারের সাথে যা হালাল হয়ে থাকে, তিনি এমন কোন বিষয় নিজের উপর হারাম করতেন না, যতক্ষণ লোকেরা ফিরে না আসে।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: বুখারী, হাজ্জ ১৬৯৬; মুসলিম, হাজ্জ ১৩২১; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৬৫৮, ৪৬৫৯, ৪৮৫২, ৪৮৫৩; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪০০৯, ৪০১০, ৪০১১, ৪০১২, ৪০১৩ তে।
بَاب فِي الَّذِي يَبْعَثُ بِهَدْيِهِ وَهُوَ مُقِيمٌ فِي بَلَدِهِ
أَخْبَرَنَا يَعْلَى حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ يَعْنِي ابْنَ أَبِي خَالِدٍ عَنْ عَامِرٍ عَنْ مَسْرُوقٍ أَنَّهُ قَالَ لِعَائِشَةَ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ إِنَّ رِجَالًا يَبْعَثُ أَحَدُهُمْ بِالْهَدْيِ مَعَ الرَّجُلِ فَيَقُولُ إِذَا بَلَغْتَ مَكَانَ كَذَا وَكَذَا فَقَلِّدْهُ فَإِذَا بَلَغَ ذَلِكَ الْمَكَانَ لَمْ يَزَلْ مُحْرِمًا حَتَّى يَحِلَّ النَّاسُ قَالَ فَسَمِعْتُ صَفْقَتَهَا بِيَدِهَا مِنْ وَرَاءِ الْحِجَابِ وَقَالَتْ لَقَدْ كُنْتُ أَفْتِلُ الْقَلَائِدَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَبْعَثُ بِالْهَدْيِ إِلَى الْكَعْبَةِ مَا يَحْرُمُ عَلَيْهِ شَيْءٌ مِمَّا يَحِلُّ لِلرَّجُلِ مِنْ أَهْلِهِ حَتَّى يَرْجِعَ النَّاسُ
أخبرنا يعلى حدثنا إسمعيل يعني ابن أبي خالد عن عامر عن مسروق أنه قال لعائشة يا أم المؤمنين إن رجالا يبعث أحدهم بالهدي مع الرجل فيقول إذا بلغت مكان كذا وكذا فقلده فإذا بلغ ذلك المكان لم يزل محرما حتى يحل الناس قال فسمعت صفقتها بيدها من وراء الحجاب وقالت لقد كنت أفتل القلائد لرسول الله صلى الله عليه وسلم فيبعث بالهدي إلى الكعبة ما يحرم عليه شيء مما يحل للرجل من أهله حتى يرجع الناس
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ মাসরূক (রহঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৭৪
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৮৬. যে ব্যক্তি তার নিজ শহরে অবস্থান করে, অথচ তার হাদী (কুরবাণীর জন্তু) পাঠিয়ে দেয়, তার সম্পর্কে
১৯৭৪. ’আয়িশাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নিজ হাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কুরবানীর (হাদী) পশুর কিলাদা পাকিয়ে দিয়েছি। এরপর তিনি তাঁর হাদী (কুরবানীর পশু) কে কিলাদা পরিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছেন এবং তিনি মদীনায় অবস্থান করেন। আর তাঁর কুরবানীর পশু যবেহ না হওয়া পর্যন্ত তিনি কোনো কিছু হতে বিরত হননি।’[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। এটিও বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।
তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসের অংশবিশেষ। সেখানে এর তাখরীজ দেখুন।
بَاب فِي الَّذِي يَبْعَثُ بِهَدْيِهِ وَهُوَ مُقِيمٌ فِي بَلَدِهِ
أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ وَعَمْرَةُ بِنْتُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ عَائِشَةَ قَالَتْ كُنْتُ أَفْتِلُ قَلَائِدَ هَدْيِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَبْعَثُ بِهَدْيِهِ مُقَلَّدَةً وَيُقِيمُ بِالْمَدِينَةِ وَلَا يَجْتَنِبُ شَيْئًا حَتَّى يُنْحَرَ هَدْيُهُ
أخبرنا الحكم بن نافع أخبرنا شعيب عن الزهري قال أخبرني عروة بن الزبير وعمرة بنت عبد الرحمن أن عائشة قالت كنت أفتل قلائد هدي رسول الله صلى الله عليه وسلم فيبعث بهديه مقلدة ويقيم بالمدينة ولا يجتنب شيئا حتى ينحر هديه
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৭৫
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৮৭. মিনায় কোনো কিছু নির্মাণ করা মাকরূহ (অপছন্দনীয়) হওয়া প্রসঙ্গে
১৯৭৫. ’আয়িশাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা বললাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ্! আমরা মিনায় আপনার জন্য কি একটি ঘর বানিয়ে দেব না, যা আপনাকে ছায়া দান করবে? তিনি বললেন, না। যিনি মিনায় যে স্থানে আগে পৌঁছাবে সেটিই হবে তার অবস্থানস্থল।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান। (তিরমিযীও এক হাসান ও সহীহ বলেছেন।)
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৫১৯ তে। ((আহমাদ ৬/২০৬-২০৭; তিরমিযী, হাজ্জ ৮৮১; ইবনু মাজাহ, মানাসিক ৩০০৬, ৩০০৭; ইবনু খুযাইমা, আস সহীহ ৪/২৮৪ নং ২৮৯১; আবূ দাউদ, মানাসিক ২০১৯; বাইহাকী, হাজ্জ ৫/১৩৯; হাকিম ১/৪৬৬-৪৬৭-৪৬৮। তিনি একে মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী তাকে সমর্থন করেছেন। তবে তা মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ নয়। কারণ, বর্ণনাকারীনী মুসাইকাহ হতে মুসলিম কোনো হাদীস বর্ণনা করেননি।
بَاب كَرَاهِيَةِ الْبُنْيَانِ بِمِنًى
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُهَاجِرٍ عَنْ يُوسُفَ بْنِ مَاهَكَ عَنْ أُمِّهِ مُسَيْكَةَ وَأَثْنَى عَلَيْهَا خَيْرًا عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلَا نَبْنِي لَكَ بِمِنًى بِنَاءً يُظِلُّكَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا مِنًى مُنَاخُ مَنْ سَبَقَ
أخبرنا إسحق حدثنا وكيع حدثنا إسرائيل عن إبراهيم بن مهاجر عن يوسف بن ماهك عن أمه مسيكة وأثنى عليها خيرا عن عائشة قالت قلت يا رسول الله ألا نبني لك بمنى بناء يظلك فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا منى مناخ من سبق
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৭৬
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৮৮. হজ্জ বা উমরার ইহরাম ব্যতীতই মক্কায় প্রবেশ করা সম্পর্কে
১৯৭৬. আনাস ইবনু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, মক্কা বিজয়ের বছর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লৌহ শিরস্ত্রাণ পরিহিত অবস্থায় (মক্কা) প্রবেশ করেছিলেন। যখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিরস্ত্রাণটি মাথা হতে খুললেন, তখন এক ব্যক্তি এসে তাঁকে বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! এ হলো ইবনু খাতল, সে কা’বার গিলাফ ধরে আছে। তিনি বললেনঃ “তাকে তোমরা হত্যা কর।”[1]
আব্দুল্লাহ ইবনু খালিদ বলেন: মালিকের নিকট পাঠ করা হলো: তিনি বলেন: ইবনু শিহাব যুহুরী বলেছেন যে, আর সেদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুহরিম ছিলেন না।[2]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। এটিও বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।
তাখরীজ: মালিক, হাজ্জ ২৫৬; বুখারী, হাজ্জ ১৮৪৬; মুসলিম, হাজ্জ ১৩৫৭; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩৫৩৯, ৩৫৪০, ৩৫৪১ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৭১৯, ৩৭২১ তে।
[2] মালিকের মুয়াত্তায় পুর্বের হাদীসটি বর্ণনার পরে রয়েছে: মালিক বলেছেন, আর সেদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুহরিম ছিলেন না। আল্লাহই ভাল জানেন।’
بَاب فِي دُخُولِ مَكَّةَ بِغَيْرِ إِحْرَامٍ بِغَيْرِ حَجٍّ وَلَا عُمْرَةٍ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ مَكَّةَ عَامَ الْفَتْحِ وَعَلَى رَأْسِهِ مِغْفَرٌ فَلَمَّا نَزَعَهُ جَاءَهُ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا ابْنُ خَطَلٍ مُتَعَلِّقٌ بِأَسْتَارِ الْكَعْبَةِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اقْتُلُوهُ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ خَالِدٍ وَقُرِئَ عَلَى مَالِكٍ قَالَ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ وَلَمْ يَكُنْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذٍ مُحْرِمًا
أخبرنا عبد الله بن خالد حدثنا مالك بن أنس عن ابن شهاب عن أنس بن مالك أن رسول الله صلى الله عليه وسلم دخل مكة عام الفتح وعلى رأسه مغفر فلما نزعه جاءه رجل فقال يا رسول الله هذا ابن خطل متعلق بأستار الكعبة فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم اقتلوه قال عبد الله بن خالد وقرئ على مالك قال قال ابن شهاب ولم يكن رسول الله صلى الله عليه وسلم يومئذ محرما
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৭৭
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৮৮. হজ্জ বা উমরার ইহরাম ব্যতীতই মক্কায় প্রবেশ করা সম্পর্কে
১৯৭৭. জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের প্রাক্কালে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (হাজ্জ বা উমরার) ইহরাম ব্যতীতই মক্কায় প্রবেশ করেন, তখন তাঁর মাথায় কালো রংয়ের শিরস্ত্রাণ ছিল।[1] ইসমাঈল বলেন, তিনি এটি আবী যুবাইর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে শুনেছেন। আর তিনি তার পিতার সাথে ছিলেন।
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: মুসলিম, হাজ্জ ১৩৫৮; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২১৪৬ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৭২২, ৫৪২৫ তে।
بَاب فِي دُخُولِ مَكَّةَ بِغَيْرِ إِحْرَامٍ بِغَيْرِ حَجٍّ وَلَا عُمْرَةٍ
أَخْبَرَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ أَبَانَ حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمَّارٍ الدُّهْنِيُّ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ قَالَ دَخَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ حِينَ افْتَتَحَهَا وَعَلَيْهِ عِمَامَةٌ سَوْدَاءُ بِغَيْرِ إِحْرَامٍ قَالَ إِسْمَعِيلُ سَمِعَهُ مِنْ أَبِي الزُّبَيْرِ كَانَ مَعَ أَبِيهِ
أخبرنا إسمعيل بن أبان حدثنا معاوية بن عمار الدهني عن أبي الزبير عن جابر قال دخل النبي صلى الله عليه وسلم مكة حين افتتحها وعليه عمامة سوداء بغير إحرام قال إسمعيل سمعه من أبي الزبير كان مع أبيه
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৭৮
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৮৯. কুরবানীর পশুর গোশত হতে কসাইকে কোনো কিছুই প্রদান করা যাবে না
১৯৭৮. আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন যে, তাঁকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশ দেন তাঁর নিজের কুরবানীর জানোয়ারের পাশে দাঁড়াতে আর এগুলোর গোশ্ত, চামড়া এবং জিনসমূহ সহ সবকিছু বিতরণ করে দিতে এবং তা হতে কসাইকে পারিশ্রমিক হিসেবে কিছুই না দিতে।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: বুখারী, হাজ্জ ১৭১৬; মুসলিম, হাজ্জ ১৩১৭; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৬৯, ২৯৮ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৪১ তে।
بَاب لَا يُعْطَى الْجَازِرُ مِنْ الْبُدْنِ شَيْئًا
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ قَالَ أَخْبَرَنِي الْحَسَنُ بْنُ مُسْلِمٍ وَعَبْدُ الْكَرِيمِ الْجَزَرِيُّ أَنَّ مُجَاهِدًا أَخْبَرَهُمَا أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي لَيْلَى أَخْبَرَهُ أَنَّ عَلِيًّا أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهُ أَنْ يَقُومَ عَلَى بُدْنِهِ وَأَنْ يَقْسِمَ بُدْنَهُ كُلَّهَا لُحُومَهَا وَجُلُودَهَا وَجِلَالَهَا وَلَا يُعْطِيَ فِي جِزَارَتِهَا مِنْهَا شَيْئًا
حدثنا مسدد حدثنا يحيى عن ابن جريج قال أخبرني الحسن بن مسلم وعبد الكريم الجزري أن مجاهدا أخبرهما أن عبد الرحمن بن أبي ليلى أخبره أن عليا أخبره أن رسول الله صلى الله عليه وسلم أمره أن يقوم على بدنه وأن يقسم بدنه كلها لحومها وجلودها وجلالها ولا يعطي في جزارتها منها شيئا
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আলী ইবনু আবী তালিব (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৭৯
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৯০. (মুহরিম অবস্থায়) ‘যবুউ’ (বেজী বা খাটাশ জাতীয় একটি প্রাণী) শিকার করলে তার ক্ষতিপূরণ সম্পর্কে
১৯৭৯. জাবির ইবনু আবদিল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে ’যবুউ’ (বেজী বা খাটাশ) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো। তিনি বলেনঃ এটা তো শিকার মাত্র। ইহরাম অবস্থায় থাকাকালে কেউ যদি একে শিকার করে, তবে এর বদলে একটি মেষ বা দুম্বা কুরবানী করতে হবে।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২১২৭, ২১৫৯ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৯৬৪, ৩৯৬৫ এবং মাওয়ারিদুয যাম’আন ৯৭৯, ১০৬৮ তে। ((আবূ দাউদ, আত’আমাহ ৩৮০১; তিরমিযী, আত’আমাহ ১৭৯২; নাসাঈ, সাইদ ৭/২০০- ফাওয়ায আহমেদের দারেমী হা/১৯৪১ এর টীকা দ্র:-অনুবাদক))
بَاب فِي جَزَاءِ الضَّبُعِ
أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي عَمَّارٍ عَنْ جَابِرٍ قَالَ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ الضَّبُعِ فَقَالَ هُوَ صَيْدٌ وَفِيهِ كَبْشٌ إِذَا أَصَابَهُ الْمُحْرِمُ
أخبرنا أبو نعيم حدثنا جرير بن حازم قال سمعت عبد الله بن عبيد بن عمير عن عبد الرحمن بن أبي عمار عن جابر قال سئل رسول الله صلى الله عليه وسلم عن الضبع فقال هو صيد وفيه كبش إذا أصابه المحرم
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৮০
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৯০. (মুহরিম অবস্থায়) ‘যবুউ’ (বেজী বা খাটাশ জাতীয় একটি প্রাণী) শিকার করলে তার ক্ষতিপূরণ সম্পর্কে
১৯৮০. আব্দুর রহমান ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু আবূ ’আম্মার রাহি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে জিজ্ঞাসা করলাম, ’যবুউ’ (বেজী বা খাটাশ) খাওয়া সম্পর্কে যে, আমরা কি তা খাব? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমি বললাম, তা কি কোনো শিকারযোগ্য প্রাণী? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমি বললাম, আপনি কি তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে শুনেছেন? তিনি বললেন, হাঁ।[1] আবূ মুহাম্মদকে বলা হলো, ’যবউ’ খাওয়া সম্পর্কে আপনার মত কি? তিনি বললেন, আপনি তা খাওয়া অপছন্দ করি।
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭১২৭ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৯৬৫ এবং মাওয়ারিদুয যাম’আন ১০৬৮ তে। এটি পূর্বের হাদীসের পূনরাবৃত্তি।
এছাড়াও: তাহাবী, মুশকিলিল আছার ৪/৩৭০, ৩৭১; বাইহাকী, মা’রিফাতুস সুনান নং ১৯২১৬; তিরমিযী বলেন, আমি এটি সম্পর্কে ইমাম বুখারী কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তিনি একে সহীহ বলেছেন। বাইহাকী বলেন, এটি উত্তম (জাইয়্যেদ) হাদীস যার দ্বারা হুজ্জাত (দলীল) সাব্যস্ত হয়।’ আব্দুল হা্ক্ব ও একে সহীহ বলেছেন। দেখুন, মা’রিফাহ ১৪/৮৭-৮৮।…
بَاب فِي جَزَاءِ الضَّبُعِ
أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي عَمَّارٍ قَالَ سَأَلْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ الضَّبُعِ آكُلُهُ قَالَ نَعَمْ قُلْتُ هُوَ صَيْدٌ قَالَ نَعَمْ قُلْتُ سَمِعْتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ نَعَمْ قِيلَ لِأَبِي مُحَمَّدٍ مَا تَقُولُ فِي الضَّبُعِ تَأْكُلُهُ قَالَ أَنَا أَكْرَهُ أَكْلَهُ
أخبرنا أبو عاصم عن ابن جريج عن عبد الله بن عبيد بن عمير عن عبد الرحمن بن عبد الله بن أبي عمار قال سألت جابر بن عبد الله عن الضبع آكله قال نعم قلت هو صيد قال نعم قلت سمعته من رسول الله صلى الله عليه وسلم قال نعم قيل لأبي محمد ما تقول في الضبع تأكله قال أنا أكره أكله
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৮১
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৯১. যে ব্যক্তি ওযরের কারণে মিনায় অবস্থানকালীন রাতসমূহ মক্কায় কাটালো- তার সম্পর্কে
১৯৮১. ইবনু ’উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’আব্বাস ইবনু ’আবদুল মুত্তালিব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট হাজীদের পানি পান করানোর উদ্দেশ্যে মিনায় অবস্থানের রাতগুলো মক্কায় কাটানোর অনুমতি চাইলে তিনি তাঁকে অনুমতি দেন।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। এটিও বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।
তাখরীজ: বুখারী, হাজ্জ ১৬৩৪, আংশিক ১৭৪৩, ১৭৪৪, ১৭৪৫; মুসলিম, হাজ্জ ১৩১৫; বাইহাকী, মা’রিফাতুস সুনান নং ১০২৪৭; শাফিঈ, আল মুসনাদ পৃ: ৩৭৩। আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৮৮৯, ৩৮৯০, ৩৮৯১ তে।
بَاب فِيمَنْ يَبِيتُ بِمَكَّةَ لَيَالِيَ مِنًى مِنْ عِلَّةٍ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ الْعَّبَاسَ بْنَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ اسْتَأْذَنَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِيَبِيتَ بِمَكَّةَ لَيَالِيَ مِنًى مِنْ أَجْلِ سِقَايَتِهِ فَأَذِنَ لَهُ
أخبرنا عبد الله بن سعيد حدثنا أبو أسامة عن عبيد الله عن نافع عن ابن عمر أن العباس بن عبد المطلب استأذن رسول الله صلى الله عليه وسلم ليبيت بمكة ليالي منى من أجل سقايته فأذن له
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)
১৯৮২
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৯১. যে ব্যক্তি ওযরের কারণে মিনায় অবস্থানকালীন রাতসমূহ মক্কায় কাটালো- তার সম্পর্কে
১৯৮২. উবাইদুল্লাহ ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতেও অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসের পূনরাবৃত্তি।
بَاب فِيمَنْ يَبِيتُ بِمَكَّةَ لَيَالِيَ مِنًى مِنْ عِلَّةٍ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ الْمُغِيرَةِ عَنْ عِيسَى بْنِ يُونُسَ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ نَحْوَهُ
حدثنا سعيد بن المغيرة عن عيسى بن يونس عن عبيد الله بن عمر نحوه
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ উবাইদুল্লাহ ইবনু উমার (রহঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)