দারেমী হজ্জ অধ্যায় ১ম ভাগ হাদিস নং ১৮২১ – ১৮৭৫

দারেমী হজ্জ অধ্যায় ১ম ভাগ হাদিস নং ১৮২১ – ১৮৭৫

১৮২১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি হজ্জ্ব করার ইচ্ছা করে, সে যেনো আগে আগেই তা সম্পাদন করে

১৮২১. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি হাজ্জ্ব করার ইচ্ছা করে, সে যেনো অতিসত্তর তা (সম্পাদন) করে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ জাইয়্যেদ (উত্তম)।

 

তাখরীজ: আহমাদ ১/২২৫; আবূ দাউদ, মানাসিক ১৭৩২; দাওলাবী, আল কুন্নী ২/১২; হাকিম ১/৪৪৮; খতীব, তারীখ বাগদাদ ৫/৪৭; বাইহাকী, হাজ্জ ৪/৪১৬; ইবনু মাজাহ, মানাসিক ২৮৮৩; তাবারাণী, আল কাবীর ১৮/২৮৭ নং ৭৩৭; যয়ীফ সনদে।

مِنْ كِتَابِ الْمَنَاسِك بَاب مَنْ أَرَادَ الْحَجَّ فَلْيَتَعَجَّلْ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَمْرٍو الْفُقَيْمِيُّ عَنْ مِهْرَانَ أَبِي صَفْوَانَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ أَرَادَ الْحَجَّ فَلْيَتَعَجَّلْ

حدثنا عبد الله بن محمد وعبد الله بن سعيد حدثنا أبو معاوية حدثنا الحسن بن عمرو الفقيمي عن مهران أبي صفوان عن ابن عباس قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من أراد الحج فليتعجل

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮২২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২. যে ব্যক্তি (সক্ষমতা সত্ত্বেও) হজ্জ না করে মৃত্যু বরণ করে

১৮২২. আবী উমামাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “কোনো ব্যক্তি, যাকে কোনো প্রকাশ্য প্রয়োজন, কিংবা জালিম শাসক কিংবা আটকে রাখার মতো কোনো রোগ হাজ্জ্বে যেতে বাধা দেয়নি, সে যদি হাজ্জ না করে মৃত্যু বরণ করে, তবে চায় সে ইয়াহুদী হিসেবে মরুক, অথবা খৃস্টান হিসেবে মরুক (তাতে আমার কিছু আসে যায় না)।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ, লাইছের যয়ীফ হওয়ার কারণে।

 

তাখরীজ: আবু নুয়াইম, হিলইয়াতুল আউলিয়া ৯/২৫১; সুয়্যূতী, আল লা’আলী ২/১১৮; ইবনুল জাউযী, আল মাওযু’আত ২/২১০; ইবনু আদী, আল কামিল ৭/২৫০২ যয়ীফ সনদে; ইবনু আবী শাইবা ১/৪/৩৩৬ নং ২৪৭।

 

যাহাবী, মীযানুল ই’তিদাল ৩/১৬৯ তে এ হাদীস উল্লেখ করে বলেন: শারীক হতে এটি মুনকার।’

بَاب مَنْ مَاتَ وَلَمْ يَحُجَّ

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ عَنْ شَرِيكٍ عَنْ لَيْثٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَابِطٍ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ لَمْ يَمْنَعْهُ عَنْ الْحَجِّ حَاجَةٌ ظَاهِرَةٌ أَوْ سُلْطَانٌ جَائِرٌ أَوْ مَرَضٌ حَابِسٌ فَمَاتَ وَلَمْ يَحُجَّ فَلْيَمُتْ إِنْ شَاءَ يَهُودِيًّا وَإِنْ شَاءَ نَصْرَانِيًّا

أخبرنا يزيد بن هارون عن شريك عن ليث عن عبد الرحمن بن سابط عن أبي أمامة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من لم يمنعه عن الحج حاجة ظاهرة أو سلطان جائر أو مرض حابس فمات ولم يحج فليمت إن شاء يهوديا وإن شاء نصرانيا

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ আবূ উমামাহ্ বাহিলী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮২৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩. নাবী (ﷺ) এর হজ্জ সম্পর্কে- তিনি একবার হজ্জ করেছেন

১৮২৩. আবী ইসহাক বলেন, আমি যাইদ ইবনু আরক্বাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বলতে শুনেছি, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর হিজরতের পরে একবার হাজ্জ সম্পাদন করেন।’[1]

রাবী বলেন, আর আবী ইসহাক বলেন, তিনি তাঁর হিজরতের পূর্বেও একবার হাজ্জ করেছিলেন।

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, মাগাযী ৩৯৪৯, ৪৪০৪; মুসলিম, হাজ্জ ১২৫৪; ইবনু হাযম, আল মুহাল্লা, হাজ্জাতুল বিদা’ পৃ. ৫৯; বাইহাকী, দালাইল ৫/৪৫৩; আহমাদ ৪/৩৭৩; তিরমিযী, জিহাদ ১৬৭৬…।

بَاب فِي حَجِّ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَجَّةً وَاحِدَةً

أَخْبَرَنَا مُجَاهِدُ بْنُ مُوسَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ قَالَ سَمِعْتُ زَيْدَ بْنَ أَرْقَمَ يَقُولُ حَجَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ هِجْرَتِهِ حَجَّةً قَالَ وَقَالَ أَبُو إِسْحَقَ حَجَّ قَبْلَ هِجْرَتِهِ حَجَّةً

أخبرنا مجاهد بن موسى حدثنا يحيى بن آدم حدثنا زهير عن أبي إسحق قال سمعت زيد بن أرقم يقول حج النبي صلى الله عليه وسلم بعد هجرته حجة قال وقال أبو إسحق حج قبل هجرته حجة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ ইসহাক (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮২৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩. নাবী (ﷺ) এর হজ্জ সম্পর্কে- তিনি একবার হজ্জ করেছেন

১৮২৪. কাতাদা (রাহি:) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আনাস ইবন মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বললাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কতবার হাজ্জ করেছেন? তিনি বললেন, তিনি একবার হজ্জ এবং চারবার উমরা করেছেন। একটি উমরা হলো মুশরিকরা যেইবার তাঁকে বাইতুল্লাহ যেতে বাধা দিয়েছিল, দ্বিতীয়টি হলো যখন তারা তাঁর সাথে (হুদায়বিয়ার) সন্ধি করল, এরপর তিনি পরবর্তী বছর (উমরার জন্য) ফিরে এসেছিলেন। এরপর তৃতীয়টি ছিল যিলকাদ মাসে জি’ইরানা থেকে, যখন তিনি হুনায়ন যুদ্ধে লব্ধ গনীমত বন্টন করেছিলেন। এবং অপর উমরাটি ছিল তাঁর হাজ্জের সঙ্গে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, উমরাহ ১৭৭৮; মুসলিম, হাজ্জ ১২৫৩;

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৮৭২, ৩০৯১।

بَاب فِي حَجِّ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَجَّةً وَاحِدَةً

أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ قَالَ قُلْتُ لِأَنَسٍ كَمْ حَجَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ حَجَّةً وَاحِدَةً وَاعْتَمَرَ أَرْبَعًا عُمْرَتُهُ الْأُولَى الَّتِي صَدَّهُ الْمُشْرِكُونَ عَنْ الْبَيْتِ وَعُمْرَتُهُ الثَّانِيَةُ حِينَ صَالَحُوهُ فَرَجَعَ مِنْ الْعَامِ الْمُقْبِلِ وَعُمْرَتُهُ مِنْ الْجِعْرَانَةِ حِينَ قَسَّمَ غَنِيمَةَ حُنَيْنٍ فِي ذِي الْقَعْدَةِ وَعُمْرَتُهُ مَعَ حَجَّتِهِ

أخبرنا أبو الوليد الطيالسي حدثنا همام حدثنا قتادة قال قلت لأنس كم حج النبي صلى الله عليه وسلم قال حجة واحدة واعتمر أربعا عمرته الأولى التي صده المشركون عن البيت وعمرته الثانية حين صالحوه فرجع من العام المقبل وعمرته من الجعرانة حين قسم غنيمة حنين في ذي القعدة وعمرته مع حجته

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ কাতাদাহ (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮২৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪. হজ্জ কিভাবে ফরয হলো

১৮২৫. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “তোমাদের উপর হাজ্জ ফরয করা হয়েছে।” তখন তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, ইয়া রাসূলুল্লাহ! তা কি প্রতি বছরই (করা ফরয)? তিনি বলেনঃ “না। কিন্তু আমি যদি তা (হাঁ) বলতাম, তবে অবশ্যই তা (প্রতি বছর হাজ্জ করা) অবশ্য কর্তব্য হয়ে যেতো। অতঃপর এর অধিক যা করবে, তা নফল।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: ((মুহাক্বিক্ব এর কোনো হুকুম লাগাননিু। তবে হাদীসটি জাইয়্যেদ সনদে নাসাঈ বর্ণনা করেছেন যা তাখরীজে উল্লিখিত হয়েছে।–অনুবাদক))

 

তাখরীজ: আহমাদ ১/২৫৬, ২৯১-২৯২; হাকিম ২/২৯৩; বাইহাকী, হাজ্জ ৪/৩২৬; আবূ দাউদ, মানাসিক ১৭২১; ইবনু মাজাহ, মানাসিক ২৮৮৬; নাসাঈ, মানাসিক ৫/১১১ জাইয়্যেদ সনদে;

 

এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আলী রা: হতে যার তাখরীজ আমরা দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫১৭, ৫৪২।

بَاب كَيْفَ وُجُوبُ الْحَجِّ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ كَثِيرٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سِنَانٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُتِبَ عَلَيْكُمْ الْحَجُّ فَقِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فِي كُلِّ عَامٍ قَالَ لَا وَلَوْ قُلْتُهَا لَوَجَبَتْ الْحَجُّ مَرَّةٌ فَمَا زَادَ فَهُوَ تَطَوُّعٌ

حدثنا محمد بن كثير حدثنا سليمان بن كثير عن الزهري عن سنان عن ابن عباس قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم كتب عليكم الحج فقيل يا رسول الله في كل عام قال لا ولو قلتها لوجبت الحج مرة فما زاد فهو تطوع

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮২৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪. হজ্জ কিভাবে ফরয হলো

১৮২৬. (অপর সনদে) ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ।

 

তাখরীজ: এ হাদীসটি পূর্বের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি। সেখানে দেখুন।

بَاب كَيْفَ وُجُوبُ الْحَجِّ

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ شَرِيكٍ عَنْ سِمَاكٍ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ نَحْوَهُ

أخبرنا عبيد الله بن موسى عن شريك عن سماك عن عكرمة عن ابن عباس نحوه

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮২৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫. হজ্জের মীকাতসমূহ

১৮২৭. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদীনাবাসীদের জন্য যুলহুলায়ফা, শাম (বা সিরিয়া)-বাসীদের জন্য জুহ্ফাহ্, নাজদবাসীদের জন্য কার্ণ নামক স্থানকে (হজ্জ ও উমরার) মীকাত নির্দিষ্ট করেন। ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, এ তিনটি স্থানের কথা আমি নিজে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট শুনেছি; এছাড়া, আমি জানতে পেরেছি যে, তিনি ইয়ামানবাসীদের জন্য ইয়ালামলাম নামক স্থানকে মীকাত নির্ধারণ করেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, হাজ্জ, ১৫২৫; মুসলিম, হাজ্জ ১১৮২।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৪২৩; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৭৫৯, ৩৭৬০, ৩৭৬১ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৬৩৫।

بَاب الْمَوَاقِيتِ فِي الْحَجِّ

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُونُسَ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ وَقَّتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَهْلِ الْمَدِينَةِ ذَا الْحُلَيْفَةِ وَلِأَهْلِ الشَّامِ الْجُحْفَةَ وَلِأَهْلِ نَجْدٍ قَرْنًا قَالَ قَالَ ابْنُ عُمَرَ أَمَّا هَذِهِ الثَّلَاثُ فَإِنِّي سَمِعْتُهُنَّ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبَلَغَنِي أَنَّهُ وَقَّتَ لِأَهْلِ الْيَمَنِ يَلَمْلَمَ

أخبرنا أحمد بن عبد الله بن يونس حدثنا مالك عن نافع عن ابن عمر قال وقت رسول الله صلى الله عليه وسلم لأهل المدينة ذا الحليفة ولأهل الشام الجحفة ولأهل نجد قرنا قال قال ابن عمر أما هذه الثلاث فإني سمعتهن من رسول الله صلى الله عليه وسلم وبلغني أنه وقت لأهل اليمن يلملم

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮২৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫. হজ্জের মীকাতসমূহ

১৮২৮. (অপর সনদে) ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: মালিক, হাজ্জ ২৩; পূর্ণ তাখরীজের জন্য আগের হাদীসটি দেখুন।

بَاب الْمَوَاقِيتِ فِي الْحَجِّ

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارَ عَنْ ابْنِ عُمَرَ مِثْلَهُ

أخبرنا أحمد بن عبد الله حدثنا مالك عن عبد الله بن دينار عن ابن عمر مثله

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮২৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫. হজ্জের মীকাতসমূহ

১৮২৯. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদীনাবাসীদের জন্য যুল্-হুলায়ফা, শাম (বা সিরিয়া)-বাসীদের জন্য জুহ্ফাহ্, নাজদবাসীদের জন্য কার্ণ ইয়ামানবাসীদের জন্য ইয়ালামলাম নামক স্থানকে (হাজ্জ ও উমরার) মীকাত নির্ধারণ করেন। এস্থানগুলি এ সকল স্থানের অধিবাসীদের জন্য এবং তারা ব্যতীত অন্যান্য অঞ্চলের অধিবাসীদের জন্য, যারা এ স্থান দিয়ে হজ্জ এবং উমরার উদ্দেশ্যে আগমণ করবে। আর এছাড়া অন্যান্যরা (মীকাতের অভ্যন্তরে বসবাসকারীগণ) যেখান হতে সফর শুরু করবে, সেস্থানই তাদের মীকাত হবে। এমনকি মক্কাবাসিগণ মক্কা হতেই ইহরাম বাঁধবে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আহমাদ ১/২৫২; বুখারী, হাজ্জ, ১৫২৪, ১৫২৬, জাযাউস সাইয়িদ ১৮৪৫; মুসলিম, হাজ্জ ১১৮১ (১২); নাসাঈ, মানাসিক ৫/১২৩-১২৪; তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ২/১১৭; দারুকুতনী ২/২৩৮; ইবনু হাযম, আল মুহাল্লা ৭/৭১; বাইহাকী, হাজ্জ ৫/২৯; ইবনু খুযাইমা নং ২৫৯১; তায়ালিসী ১/২০৮ নং ৯৯৪; ইবনুল জারুদ নং ৪১৩; আবূ দাউদ, মানাসিক ১৭৩৮।

بَاب الْمَوَاقِيتِ فِي الْحَجِّ

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ حَدَّثَنَا ابْنُ طَاوُسٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَّتَ لِأَهْلِ الْمَدِينَةِ ذَا الْحُلَيْفَةِ وَلِأَهْلِ الشَّامِ الْجُحْفَةَ وَلِأَهْلِ نَجْدٍ قَرْنَ الْمَنَازِلِ وَلِأَهْلِ الْيَمَنِ أَلَمْلَمَ هُنَّ لِأَهْلِهِنَّ وَلِكُلِّ آتٍ أَتَى عَلَيْهِنَّ مِنْ غَيْرِهِنَّ مَنْ أَرَادَ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ وَمَنْ كَانَ دُونَ ذَلِكَ فَمِنْ حَيْثُ أَنْشَأَ حَتَّى أَهْلُ مَكَّةَ مِنْ مَكَّةَ

حدثنا مسلم بن إبراهيم حدثنا وهيب حدثنا ابن طاوس عن أبيه عن ابن عباس أن النبي صلى الله عليه وسلم وقت لأهل المدينة ذا الحليفة ولأهل الشام الجحفة ولأهل نجد قرن المنازل ولأهل اليمن ألملم هن لأهلهن ولكل آت أتى عليهن من غيرهن من أراد الحج والعمرة ومن كان دون ذلك فمن حيث أنشأ حتى أهل مكة من مكة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৩০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৬. ইহরাম অবস্থায় গোসল করা প্রসঙ্গে

১৮৩০. আব্দুল্লাহ ইবনু হুনায়ন (রহঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আবওয়া নামক স্থানে মুহরিম ব্যক্তির তার মাথা ধৌত করার বিষয়ে মিসওয়ার ইবনু মাখরামা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) এবং ’আব্দুল্লাহ ইবন ’আব্বাস (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) এর মধ্যে মতানৈক্য হল। এরপর তিনি (’আব্দুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস) আমাকে আবূ আইয়ুব আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর নিকট একথা জিজ্ঞাসা করতে পাঠালেন যে, আপনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে মুহরিম অবস্থায় কিভাবে মাথা ধৌত করতে দেখেছেন? আমি আবূ আইয়ুব আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর নিকট এলাম। আমি তাঁকে কূপ থেকে পানি ঊঠানোর চরকার দু’খুটির মাঝে কাপড় ঘেরা অবস্থায় (গোসল করতে) দেখতে পেলাম। আমি তাঁকে সালাম করলাম। তখন তিনি কাপড়টি তাঁর গায়ে জড়িয়ে নিলেন। তখন আমি বললাম, আপনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে মুহরিম অবস্থায় কিভাবে মাথা ধৌত করতে দেখেছেন, এ বিষয়টি জিজ্ঞাসা করার জন্য আমাকে ’আব্দুল্লাহ ইবন ’আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আপনার নিকট পাঠিয়েছেন। তখন (এ কথা শুনে) তিনি তাঁর হাতদু’টি মাথার উপর দিয়ে একবার সামনের দিকে টানলেন আবার পেছনের দিকে টেনে নিলেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, জাযাউস সাইয়িদ ১৮৪০; মুসলিম, হাজ্জ ১২০৫।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল হুমাইদী নং ৩৮৩ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৯৪৮ তে।

بَاب فِي الِاغْتِسَالِ فِي الْإِحْرَامِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُنَيْنٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ امْتَرَى الْمِسْوَرُ بْنُ مَخْرَمَةَ وَابْنُ عَبَّاسٍ فِي غَسْلِ الْمُحْرِمِ رَأْسَهُ فَأَرْسَلُونِي إِلَى أَبِي أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيِّ كَيْفَ رَأَيْتَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَغْسِلُ رَأْسَهُ وَهُوَ مُحْرِمٌ فَأَتَيْتُ أَبَا أَيُّوبَ وَهُوَ بَيْنَ قَرْنَيْ الْبِئْرِ وَقَدْ سُتِرَ عَلَيْهِ بِثَوْبٍ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَضَمَّ الثَّوْبَ إِلَيْهِ فَقُلْتُ أَرْسَلَنِي إِلَيْكَ ابْنُ أَخِيكَ ابْنُ عَبَّاسٍ كَيْفَ رَأَيْتَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَغْسِلُ رَأْسَهُ فَأَمَرَّ يَدَيْهِ عَلَى رَأْسِهِ مُقْبِلًا وَمُدْبِرًا

حدثنا محمد بن يوسف حدثنا ابن عيينة عن زيد بن أسلم عن إبراهيم بن عبد الله بن حنين عن أبيه قال امترى المسور بن مخرمة وابن عباس في غسل المحرم رأسه فأرسلوني إلى أبي أيوب الأنصاري كيف رأيت رسول الله صلى الله عليه وسلم يغسل رأسه وهو محرم فأتيت أبا أيوب وهو بين قرني البئر وقد ستر عليه بثوب فسلمت عليه فضم الثوب إليه فقلت أرسلني إليك ابن أخيك ابن عباس كيف رأيت رسول الله صلى الله عليه وسلم يغسل رأسه فأمر يديه على رأسه مقبلا ومدبرا

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু হুনায়ন (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৩১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৬. ইহরাম অবস্থায় গোসল করা প্রসঙ্গে

১৮৩১. যাইদ ইবন সাবিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে ইহরামের উদ্দেশ্যে (সেলাই করা) পোশাক খুলতে ও গোসল করতে দেখেছেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ, আব্দুল্লাহ ইবনু ইয়া’কুবের যয়ীফ হওয়ার কারণে।

 

তাখরীজ: তিরমিযী, হাজ্জ ৮৩০, তিরমিযী বলেন: এ হাদীসটি হাসান গারীব’; তাবারাণী, আল কাবীর ৫/১৩৫ নং ৪৮৬২; উকাইলী, আয যুয়াফা ৪/১৩৮; দারুকুতনী, সুনান ২/২২০, ২২১; বাইহাকী, হাজ্জ ৫/৩২; হাকিম ১/৪৪৭ যয়ীফ সনদে।

 

এর শাহিদ হাদীস রয়েছে ইবনু আব্বাস রা: হতে দারুকুতনী ২/২১৯ ও হাকিম ১/৪৪৭ ও বাইহাকী ৫/৩২ তে সেটিও যয়ীফ।

 

এছাড়া ইবনু উমার রা: থেকে এর শাহিদ বর্ণনা করেছেন দারুকুতনী, বাইহাকী যার সনদ সহীহ, এবং এর পূর্ণ তাখরীজ আমরা দিয়েছি মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৫৩৯১ তে।

 

আরও দেখুন, তালখীসুল হাবীর ২/২৭৫; নাসবুর রায়াহ ৩/১৭-১৮; নাইলুল আওতার ১/৩০০; মুছান্নাফ ইবনু আবী শাইবা ৪/৭৩-৭৪।

بَاب فِي الِاغْتِسَالِ فِي الْإِحْرَامِ

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي زِيَادٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَعْقُوبَ الْمَدَنِيُّ عَنْ ابْنِ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ خَارِجَةَ بْنِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَجَرَّدَ لِلْإِهْلَالِ وَاغْتَسَلَ

أخبرنا عبد الله بن أبي زياد حدثنا عبد الله بن يعقوب المدني عن ابن أبي الزناد عن أبيه عن خارجة بن زيد بن ثابت عن أبيه أن النبي صلى الله عليه وسلم تجرد للإهلال واغتسل

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৩২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৭. হজ্জ ও উমরার ফযীলত সম্পর্কে

১৮৩২. আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “জান্নাতই হল হাজ্জে মাবরূরের প্রতিদান। এবং এক ’উমরার পর আর এক ’উমরা উভয়ের মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহের জন্য কাফফারা।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, উমরাহ ১৭৭৩; মুসলিম, হাজ্জ ১৩৪৯।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৬৫৭, ৬৬৬০, ৬৬৬১; ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৬৯৫, ৩৬৯৬ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ১০৩২ তে।

بَاب فِي فَضْلِ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ سُفْيَانَ عَنْ سُمَيٍّ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ حَجَّةٌ مَبْرُورَةٌ لَيْسَ لَهَا ثَوَابٌ إِلَّا الْجَنَّةُ وَعُمْرَتَانِ تُكَفِّرَانِ مَا بَيْنَهُمَا مِنْ الذُّنُوبِ

أخبرنا عبيد الله بن موسى عن سفيان عن سمي عن أبي صالح عن أبي هريرة أن النبي صلى الله عليه وسلم قال حجة مبرورة ليس لها ثواب إلا الجنة وعمرتان تكفران ما بينهما من الذنوب

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৩৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৭. হজ্জ ও উমরার ফযীলত সম্পর্কে

১৮৩৩. আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ “যে ব্যক্তি বাইতুল্লাহ’য় হাজ্জ করলো এবং অশালীন কথাবার্তা ও (ফিসক্ব) গুনাহ থেকে বিরত রইল, সে এমন (নিষ্পাপ) অবস্থায় ফিরে আসে, যেমন (নিষ্পাপ) অবস্থায় তাঁর মা তাকে প্রসব করেছে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, হাজ্জ ১৫২১; মুসলিম, হাজ্জ ১৩৫০।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬১৯৮ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৬৯৪ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ১০৩৪ তে।

بَاب فِي فَضْلِ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ

أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنِي مَنْصُورٌ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا حَازِمٍ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ مَنْ حَجَّ الْبَيْتَ فَلَمْ يَرْفُثْ وَلَمْ يَفْسُقْ رَجَعَ كَمَا وَلَدَتْهُ أُمُّهُ

أخبرنا أبو الوليد الطيالسي حدثنا شعبة حدثني منصور قال سمعت أبا حازم يحدث عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال من حج البيت فلم يرفث ولم يفسق رجع كما ولدته أمه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৩৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৮. কোন্ প্রকারের হজ্জ উত্তম

১৮৩৪. আবী বাকর সিদ্দীক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত আছে, রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে প্রশ্ন করা হলো, কোন প্রকার হাজ্জ সবচেয়ে উত্তম? তিনি বলেন: উচ্চ শব্দ করা ও প্রবাহিত করা।[1] [الْعَجُّ (উচ্চ শব্দ করা) অর্থ: উচ্চস্বরে তালবিয়া পাঠ করা; এবং َالثَّجُّ (প্রবাহিত করা) অর্থ: রক্ত প্রবাহিত করা (কুরবানী দেওয়া)।

[1] তাহক্বীক্ব: এর রাবীগণ বিশ্বস্ত, তবে তিরমিযী বলেছেন: মুহাম্মদ ইবনু মুনকাদির আব্দুর রহমান ইবনু ইয়ারবূ’ হতে কিছু শ্রবণ করেননি।’ (তথা মুনকাতি’)

 

তাখরীজ: বাযযার, বাহরুয যুখখার নং ৭১, ৭২; তিরমিযী, হাজ্জ, ৭২৭; ইবনু খুযাইমা, নং ২৬৩১; ইবনু মাজাহ, মানাসিক ২৯২৪; দারুকুতনী, ইলাল ১/২৭৯-২৮০; হাকিম ১/৪৫০-৪৫১; বাইহাকী, হাজ্জ ৫/৪২; মাওসিলী নং ১১৭।

 

(মুহাক্বিক্ব এর পরে বিভিন্ন মুহাদ্দিস হতে এর দুর্বলতা উল্লেখ করেছেন-অনুবাদক))

 

এবং এর শাহিদ হাদীস রয়েছে ইবনু মাসউদ হতে যার তাখরীজ আমরা দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫০৮৬ ও মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৫৪৪৫ তে। এর আরো শাহিদ রয়েছে ইবনু আব্বাস, আবী হুরাইরা, আনাস, ইবরাহীম ইবনু খাল্লাদ ইবনু সুওয়াইদ আল খাযরাজী, খাল্লাদ ইবনু সুওয়াইদ, সাইব ইবনু খাল্লাদ রা: হতে যার তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদূল মাউসিলী নং ৫৪৩৯, ৫৪৪০, ৫৪৪১, ৫৪৪২, ৫৪৪৩, ৫৪৪৪ তে। ফলে এর শাহিদ সমূহ একে সহীহ তে উন্নীত করে।

بَاب أَيُّ الْحَجِّ أَفْضَلُ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَعِيلَ بْنِ أَبِي فُدَيْكٍ عَنْ الضَّحَّاكِ بْنِ عُثْمَانَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَرْبُوعٍ عَنْ أَبِي بَكْرٍ قَالَ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيُّ الْحَجِّ أَفْضَلُ قَالَ الْعَجُّ وَالثَّجُّ الْعَجُّ يَعْنِي التَّلْبِيَةَ وَالثَّجُّ يَعْنِي إِهْرَاقَةَ الدَّمِ

حدثنا محمد بن العلاء حدثنا محمد بن إسمعيل بن أبي فديك عن الضحاك بن عثمان عن محمد بن المنكدر عن عبد الرحمن بن يربوع عن أبي بكر قال سئل رسول الله صلى الله عليه وسلم أي الحج أفضل قال العج والثج العج يعني التلبية والثج يعني إهراقة الدم

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৩৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৯. মুহরিম (ইহরামরত ব্যক্তি) কোন্ প্রকার কাপড় পরিধান করবে

১৮৩৫. ইবনু ’উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলো, ’আমরা যখন ইহরাম বাধবো, তখন কী কী কাপড় পরবো?’ তিনি বলেনঃ “তুমি জামা পরবে না, পাজামা পরবে না, পাগড়ী পরবে না, টুপি পরবে না এবং চপ্পল পরবে না। তবে কারো জুতা না থাকলে সে যেন চামড়ার মোজা পরে, তবে মোজা দু’টি পায়ের গিরার (টাখনু’র) নিচে রাখবে। আর তুমি ’ওয়ারস’ (এক প্রকার সুগন্ধি) বা যা’আফরান মিশ্রিত কোন কাপড় পরবে না।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, ইলম ১৩৪; মুসলিম, হাজ্জ ১১৭৭।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৪২৫, ৫৪৮৮ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৯৫৫ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৬৩৯ তে।

بَاب مَا يَلْبَسُ الْمُحْرِمُ مِنْ الثِّيَابِ

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا يَحْيَى هُوَ ابْنُ سَعِيدٍ عَنْ عُمَرَ بْنِ نَافِعٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا نَلْبَسُ مِنْ الثِّيَابِ إِذَا أَحْرَمْنَا قَالَ لَا تَلْبَسُوا الْقُمُصَ وَلَا السَّرَاوِيلَاتِ وَلَا الْعَمَائِمَ وَلَا الْبَرَانِسَ وَلَا الْخِفَافَ إِلَّا أَنْ يَكُونَ أَحَدٌ لَيْسَتْ لَهُ نَعْلَانِ فَلْيَلْبَسْ الْخُفَّيْنِ وَلْيَجْعَلْهُمَا أَسْفَلَ مِنْ الْكَعْبَيْنِ وَلَا تَلْبَسُوا مِنْ الثِّيَابِ شَيْئًا مَسَّهُ وَرْسٌ وَلَا زَعْفَرَانٌ

أخبرنا يزيد بن هارون أخبرنا يحيى هو ابن سعيد عن عمر بن نافع عن أبيه عن ابن عمر أن رجلا سأل النبي صلى الله عليه وسلم ما نلبس من الثياب إذا أحرمنا قال لا تلبسوا القمص ولا السراويلات ولا العمائم ولا البرانس ولا الخفاف إلا أن يكون أحد ليست له نعلان فليلبس الخفين وليجعلهما أسفل من الكعبين ولا تلبسوا من الثياب شيئا مسه ورس ولا زعفران

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৩৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৯. মুহরিম (ইহরামরত ব্যক্তি) কোন্ প্রকার কাপড় পরিধান করবে

১৮৩৬. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে বলতে শুনেছি: “কোনো (মুহরিম) ব্যক্তির লুঙ্গি না থাকলে পায়জামা পরিধান করবে এবং যার জুতা নেই সে মোজা পরিধান করবে।”আমি বললাম, কিংবা তাঁকে বলা হলো, সে কি মোজা দু’টি কেটে নিবে? তিনি বললেন: “না।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ২/১৩৩; আহমাদ ১/২২৮;

 

তবে “সে যেন মোজা পরে” হাদীসের এ অংশটি বুখারী ও মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা। বুখারী, হাজ্জ ১৮৪১; মুসলিম, হাজ্জ ১১৭৮।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৩৯৫ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৭৮১, ৩৭৮৫, ৩৭৮৬, ৩৭৮৯ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৪৭৪ তে।

بَاب مَا يَلْبَسُ الْمُحْرِمُ مِنْ الثِّيَابِ

أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ عَنْ أَبِي الشَّعْثَاءِ أَخْبَرَنِي ابْنُ عَبَّاسٍ أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ لَمْ يَجِدْ إِزَارًا فَلْيَلْبَسْ سَرَاوِيلَ وَمَنْ لَمْ يَجِدْ نَعْلَيْنِ فَلْيَلْبَسْ خُفَّيْنِ قَالَ قُلْتُ أَوْ قِيلَ أَيَقْطَعُهُمَا قَالَ لَا

أخبرنا أبو عاصم عن ابن جريج عن عمرو بن دينار عن أبي الشعثاء أخبرني ابن عباس أنه سمع النبي صلى الله عليه وسلم قال من لم يجد إزارا فليلبس سراويل ومن لم يجد نعلين فليلبس خفين قال قلت أو قيل أيقطعهما قال لا

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৩৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৯. মুহরিম (ইহরামরত ব্যক্তি) কোন্ প্রকার কাপড় পরিধান করবে

১৮৩৭. ইবনু ’উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ’মুহরিম ব্যক্তির পরিধেয় বস্ত্র সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো। তখন তিনি বলেনঃ “সে জামা পরবে না, পাগড়ী পরবে না, পাজামা পরবে না, টুপি পরবে না এবং চপ্পল পরবে না। তবে কারো জুতা না থাকলে সে যেন চামড়ার মোজা পরে, তবে মোজা দু’টি পায়ের গিরার (টাখনু’র) নিচ পর্যন্ত কেটে ফেলবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: মালিক, হাজ্জ ৮; এটি পূর্বের ১৮৩৯ (অনূবাদে ১৮৩৫) নং হাদীসের পুনরাবৃত্তি।

بَاب مَا يَلْبَسُ الْمُحْرِمُ مِنْ الثِّيَابِ

أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَمَّا يَلْبَسُ الْمُحْرِمُ قَالَ لَا يَلْبَسُ الْقُمُصَ وَلَا الْعَمَائِمَ وَلَا السَّرَاوِيلَاتِ وَلَا الْبَرَانِسَ وَلَا الْخِفَافَ إِلَّا أَنْ لَا يَجِدَ نَعْلَيْنِ فَيَلْبَسَ خُفَّيْنِ وَيَقْطَعَهُمَا أَسْفَلَ مِنْ الْكَعْبَيْنِ

أخبرنا خالد بن مخلد حدثنا مالك عن نافع عن ابن عمر قال سئل رسول الله صلى الله عليه وسلم عما يلبس المحرم قال لا يلبس القمص ولا العمائم ولا السراويلات ولا البرانس ولا الخفاف إلا أن لا يجد نعلين فيلبس خفين ويقطعهما أسفل من الكعبين

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৩৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১০. ইহরামরত অবস্থায় সুগন্ধি ব্যবহার

১৮৩৮. আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হাজ্জের জন্য ইহরাম বাঁধার পূর্বে আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে উত্তম সুগন্ধি লাগিয়ে দিতাম।’[1]

তিনি (অধঃস্তন রাবী) বলেন: আর উরওয়াহ রাহি. (উর্ধ্বতন রাবী) আমাদেরকে বলতেন, তোমরা ইহরাম বাধার পূর্বে এবং ’ইয়ামুন নাহর’-এ ’তাওয়াফে ইফাযা’ করার পূর্বে সুগন্ধি ব্যবহার করবে।

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, হাজ্জ ১৮৩৯; মুসলিম, হাজ্জ ১১৮৯। এছাড়া, ইবনু হাযম, হাজ্জাতুল বিদা’ পৃ: ১৬০। পরবর্তী হাদীসটিও দেখুন।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৩৯১ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৭৬৬, ৩৭৬৮, ৩৭৭০, ৩৭৭১, ৩৭৭২ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ২১২ তে।

بَاب الطِّيبِ عِنْدَ الْإِحْرَامِ

أَخْبَرَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا قَالَتْ كُنْتُ أُطَيِّبُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْلَ أَنْ يُحْرِمَ بِأَطْيَبِ الطِّيبِ قَالَ وَكَانَ عُرْوَةُ يَقُولُ لَنَا تَطَيَّبُوا قَبْلَ أَنْ تُحْرِمُوا وَقَبْلَ أَنْ تُفِيضُوا يَوْمَ النَّحْرِ

أخبرنا حجاج بن منهال حدثنا حماد بن سلمة عن هشام بن عروة عن أبيه عن عائشة أنها قالت كنت أطيب رسول الله صلى الله عليه وسلم قبل أن يحرم بأطيب الطيب قال وكان عروة يقول لنا تطيبوا قبل أن تحرموا وقبل أن تفيضوا يوم النحر

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৩৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১০. ইহরামরত অবস্থায় সুগন্ধি ব্যবহার

১৮৩৯.আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে তাঁর ইহরাম বাঁধার প্রাক্কালে যে সুগন্ধিই পেয়েছি, তা দিয়েই সুগন্ধি লাগিয়ে দিয়েছি।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ। (তবে হাদীসটি সহীহ।) হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, লিবাস ৫৯২৮; মুসলিম, হাজ্জ ১১৮৯। আর এটি পূর্বের হাদীসের পুনরাবৃত্তি। তাই পূর্ণ তাখরীজের জন্য সেখানে দেখুন। এছাড়া আরও দেখুন, আমার তাহক্বীক্বকৃত মুসনাদুল হুমাইদী নং ২১৫ তে।

بَاب الطِّيبِ عِنْدَ الْإِحْرَامِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ عَنْ هِشَامٍ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ لَقَدْ كُنْتُ أُطَيِّبُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَ إِحْرَامِهِ بِأَطْيَبِ مَا أَجِدُهُ

حدثنا عبد الله بن صالح حدثني الليث عن هشام عن عثمان بن عروة عن عروة عن عائشة قالت لقد كنت أطيب رسول الله صلى الله عليه وسلم عند إحرامه بأطيب ما أجده

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৪০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১০. ইহরামরত অবস্থায় সুগন্ধি ব্যবহার

১৮৪০. আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হাজ্জের জন্য ইহরাম বাঁধার প্রাক্কালে এবং ’তাওয়াফে ইফাযা’ করার পূর্বে মিনায় আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সুগন্ধি লাগিয়ে দিয়েছি।’[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, লিবাস ৫৯২২; মুসলিম, হাজ্জ ১১৮৯ (৩৩)।

 

আর এটি পূর্বের হাদীসের পুনরাবৃত্তি। তাই পূর্ণ তাখরীজের জন্য সেখানে দেখুন। এছাড়া আরও দেখুন, আমার তাহক্বীক্বকৃত মুসনাদুল হুমাইদী নং ২১২ তে।

بَاب الطِّيبِ عِنْدَ الْإِحْرَامِ

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ وَجَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ قَالَا حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الْقَاسِمِ أَخْبَرَهُ عَنْ أَبِيهِ قَالَ سَمِعْتُ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا تَقُولُ طَيَّبْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِحُرْمِهِ وَطَيَّبْتُهُ بِمِنًى قَبْلَ أَنْ يُفِيضَ

أخبرنا يزيد بن هارون وجعفر بن عون قالا حدثنا يحيى بن سعيد أن عبد الرحمن بن القاسم أخبره عن أبيه قال سمعت عائشة رضي الله عنها تقول طيبت رسول الله صلى الله عليه وسلم لحرمه وطيبته بمنى قبل أن يفيض

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৪১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১১. নিফাসগ্রস্ত ও হায়িযগ্রস্ত মহিলাগণ হজ্জের নিয়তে মীকাতে পৌছলে (কী করবে)

১৮৪১. আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যুলহুলায়ফার শাজারায় আসমা (বিনতু উমাইস) মুহাম্মদ ইবন আবূ বকরকে প্রসব করলে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আবূ বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে নির্দেশ দেন যে, তিনি (আসমা) যেন গোসল করেন এবং ইহরাম বাঁধেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: মুসলিম, হাজ্জ ১২০৯; আবূ দাউদ, মানাসিক ১৭৪৩; ইবনু মাজাহ, মানাসিক ২৯১১; ইবনু হাযম, হাজ্জাতুল বিদা’ পৃ: ৭৫; মালিক, হাজ্জ (১); আহমাদ ৬/৩৬৯; নাসাঈ, কুবরা নং ৩৬৪৩; আর দেখুন, মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৪।

بَاب النُّفَسَاءِ وَالْحَائِضِ إِذَا أَرَادَتَا الْحَجَّ وَبَلَغَتَا الْمِيقَاتَ

حَدَّثَنِي عُثْمَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا عَبْدَةُ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ نُفِسَتْ أَسْمَاءُ بِمُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ بِالشَّجَرَةِ فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبَا بَكْرٍ أَنْ تَغْتَسِلَ وَتُهِلَّ

حدثني عثمان بن محمد حدثنا عبدة عن عبيد الله بن عمر عن عبد الرحمن بن القاسم عن أبيه عن عائشة قالت نفست أسماء بمحمد بن أبي بكر بالشجرة فأمر رسول الله صلى الله عليه وسلم أبا بكر أن تغتسل وتهل

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৪২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১১. নিফাসগ্রস্ত ও হায়িযগ্রস্ত মহিলাগণ হজ্জের নিয়তে মীকাতে পৌছলে (কী করবে)

১৮৪২. জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে আসমা বিনতে উমাইস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা সম্পর্কে হাদীস বর্ণিত হয়েছে। যুলহুলায়ফায় আসমা বিনত উমাইস মুহাম্মদ ইবন আবূ বকরকে প্রসব করলে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আবূ বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে নির্দেশ দেন যে, তিনি যেন তাকে (আসমাকে) গোসল করার এবং ইহরাম বাঁধার নির্দেশ দেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: মুসলিম, হাজ্জ ১২০৯;

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২০২৭, ২১২৫, ৬৭৩৯ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৭৯১, ৩৯১৯, ১৯৪১, ৩৯৪২, ৩৯৪৩; ৩৯৪৪ (বিস্তারিত) ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ২৫১২, ১৩২৫ তে।

بَاب النُّفَسَاءِ وَالْحَائِضِ إِذَا أَرَادَتَا الْحَجَّ وَبَلَغَتَا الْمِيقَاتَ

أَخْبَرَنَا عُثْمَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَابِرٍ فِي حَدِيثِ أَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ حِينَ نُفِسَتْ بِذِي الْحُلَيْفَةِ فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبَا بَكْرٍ أَنْ يَأْمُرَهَا أَنْ تَغْتَسِلَ وَتُهِلَّ

أخبرنا عثمان بن محمد حدثنا جرير عن يحيى بن سعيد عن جعفر بن محمد عن أبيه عن جابر في حديث أسماء بنت عميس حين نفست بذي الحليفة فأمر رسول الله صلى الله عليه وسلم أبا بكر أن يأمرها أن تغتسل وتهل

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৪৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১২. কোন্ সময় ইহরাম বাঁধা মুস্তাহাব

১৮৪৩. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সালাতের পর ইহরাম বাঁধেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৫১৩। আর এটি রয়েছে নাসাঈ, আল কুবরা নং ৩৭৩৫। ((তিরমিযী, হাজ্জ ৮১৯; নাসাঈ, হাজ্জ ৫/১৬২- ফাওয়ায আহমেদের দারেমীর হা/১৮০৬ এর টীকা হতে। অনুবাদক))

 

আর এর শাহিদ হাদীস ইবনু উমার হতে যার তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৭৮৫ তে।

بَاب فِي أَيِّ وَقْتٍ يُسْتَحَبُّ الْإِحْرَامُ

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ السَّلَامِ بْنُ حَرْبٍ عَنْ خُصَيْفٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحْرَمَ دُبُرَ الصَّلَاةِ

أخبرنا عمرو بن عون أخبرنا عبد السلام بن حرب عن خصيف عن سعيد بن جبير عن ابن عباس رضي الله عنه أن النبي صلى الله عليه وسلم أحرم دبر الصلاة

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৪৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১২. কোন্ সময় ইহরাম বাঁধা মুস্তাহাব

১৮৪৪. আনাস ইবনু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সালাতের পর ইহরাম বাঁধেন বা (ইহরামের) তাহলীল উচ্চারণ করেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাসানের আনাস (রা:) এর থেকে শ্রবণ সাব্যস্ত। সুতরাং তার ‘আন আন’ পদ্ধতিতে এটি বর্ণনা করা এর কোনো ক্ষতি করবে না। আল্লাহই ভাল জানেন।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৫৪২২ তে।

بَاب فِي أَيِّ وَقْتٍ يُسْتَحَبُّ الْإِحْرَامُ

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ قَالَ أَخْبَرَنَا النَّضْرُ هُوَ ابْنُ شُمَيْلٍ أَخْبَرَنَا أَشْعَثُ عَنْ الْحَسَنِ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحْرَمَ أَوْ أَهَلَّ فِي دُبُرِ الصَّلَاةِ

أخبرنا إسحق قال أخبرنا النضر هو ابن شميل أخبرنا أشعث عن الحسن عن أنس بن مالك أن النبي صلى الله عليه وسلم أحرم أو أهل في دبر الصلاة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৪৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৩. তালবিয়া সম্পর্কে

১৮৪৫. ইবনু উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তালবিয়া পাঠের সময় বলতেন: “লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইকা; লা-শারীকা লাকা লাব্বাইকা, ইন্নাল হামদা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুলকা, লা শারীকা লাকা।”

(অর্থ: ’আমি হাজির, হে আল্লাহ! আমি হাজির; আপনার কোন শরীক নেই, আমি হাজির, সকল প্রশংসা ও সকল নিয়ামত আপনারই, সমস্ত বিশ্বের রাজত্ব আপনারই, আপনার কোন শরীক নেই।’) ইয়াহইয়া বলেন, নাফিঈ’ উল্লেখ করেছেন যে, ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এ শব্দগুলি বাড়িয়ে পাঠ করতেন: ’লাব্বাইকা ওয়ার রাগবা-উ ইলাইকা ওয়াল আমলু, লাব্বাইকা, লাব্বাইকা।’ (অর্থ: ’আমি হাজির, সকল প্রকার আশা-আকাংখা আপনারই প্রতি, আমলও আপনার (সন্তুষ্টির) জন্যই, আমি হাজির, আমি হাজির।’)[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, হাজ্জ ১৫৪৯; মুসলিম, হাজ্জ ১১৮৪; এছাড়া, শাফিঈ, আল উম্মু ২/১৫৫; তার সূত্রে বাইহাকী, মা’রিফাহ নং ৯৫৭০।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৬৯২; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৭৯৯ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৬৭৫ তে।

 

তাহাবী, তার শারহু মা’আনিল আছার ২/১২৫ তে বলেন: সকল মুসলিমগণ একমত যে, এটি হাজ্জের মারফু’ তালবিয়া।

 

তবে একদল লোক বলেন: আল্লাহর যিকির এ বৃদ্ধি করায় কোনো দোষ নেই। … তারা বলেন, এভাবে (ইবনু উমার রা: এর মতো) তালবিয়ায় শব্দ বৃদ্ধি করাতেও কোনো দোষ নেই।

 

অপর দল তাদের বিরোধীতা করেন। তারা বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক লোকদেরকে শেখানো শব্দের উপর বৃদ্ধি করা সমীচীন নয়।… বরং তিনি সালাতের তাকবীর যেভাবে শিখিয়েছেন, সেভাবে এটা (তালবিয়া)ও শিখিয়েছেন। তাকবীর ব্যতীত অন্য কিছু করা যেমন সমীচীন নয়, তদ্রূপ তাঁর তালবিয়াতেও শিখানো পদ্ধতিতে বৃদ্ধি করা সমীচীন নয়। যেমন সা’দ রা: হতে বর্ণিত, হয়েছে, তিনি এক ব্যক্তি কে বলতে শুনলেন, ‘লাব্বাইকা যিল মা’আরিজ লাব্বাইক।’ তখন সা’দ রা: বললেন: আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জামানায় এরূপ তালবিয়া পড়তাম না।’

 

সুতরাং সা’দ রা: যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের শেখাননি, সেরূপ বৃদ্ধিকে মাকরূহ গণ্য করেছেন। ফলে আমরাও এমত গ্রহণ করেছি।”

 

আরও দেখুন, শাফিঈ, আল উম্মু ২/১৫৬; ফাতহুল বারী ৩/৪১০ ও বাইহাকী, আল মা’রিফাহ ৭/১৩৬।

بَاب فِي التَّلْبِيَةِ

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا يَحْيَى يَعْنِي ابْنَ سَعِيدٍ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا لَبَّى قَالَ لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ قَالَ يَحْيَى وَذَكَرَ نَافِعٌ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ كَانَ يَزِيدُ هَؤُلَاءِ الْكَلِمَاتِ لَبَّيْكَ وَالرَّغْبَاءُ إِلَيْكَ وَالْعَمَلُ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ

أخبرنا يزيد بن هارون أخبرنا يحيى يعني ابن سعيد عن نافع عن ابن عمر أن النبي صلى الله عليه وسلم كان إذا لبى قال لبيك اللهم لبيك لبيك لا شريك لك لبيك إن الحمد والنعمة لك والملك لا شريك لك قال يحيى وذكر نافع أن ابن عمر كان يزيد هؤلاء الكلمات لبيك والرغباء إليك والعمل لبيك لبيك

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৪৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৪. তালবিয়াতে কণ্ঠস্বর উচ্চ করা সম্পর্কে

১৮৪৬. খাল্লাদ ইবনুস সাইব হতে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “জিবরাঈল (আ.) আমার নিকট এসে বললেন, ’আপনি আপনার সাথী ও সাহাবীদেরকে নির্দেশ দেন, তারা যেন উচ্চস্বরে তালবিয়া কিংবা ইহলাল পাঠ করে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৮০২; মাওয়ারিদুয যাম’আন ৩/২৯০-২৯২ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৮৭৬ তে।

بَاب فِي رَفْعِ الصَّوْتِ بِالتَّلْبِيَةِ

أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ عَنْ خَلَّادِ بْنِ السَّائِبِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتَانِي جِبْرَائِيلُ فَقَالَ مُرْ أَصْحَابَكَ أَوْ مَنْ مَعَكَ أَنْ يَرْفَعُوا أَصْوَاتَهُمْ بِالتَّلْبِيَةِ أَوْ بِالْإِهْلَالِ

أخبرنا خالد بن مخلد حدثنا مالك عن عبد الله بن أبي بكر عن خلاد بن السائب عن أبيه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم أتاني جبرائيل فقال مر أصحابك أو من معك أن يرفعوا أصواتهم بالتلبية أو بالإهلال

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ খাল্লাদ ইবন সায়িব (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৪৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৪. তালবিয়াতে কণ্ঠস্বর উচ্চ করা সম্পর্কে

১৮৪৭. আব্দুল্লাহ ইবনু আবী বাকর তাঁর সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: হুমাইদী নং ৮৭৬। এটি পূর্বের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি।

بَاب فِي رَفْعِ الصَّوْتِ بِالتَّلْبِيَةِ

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ بِإِسْنَادِهِ نَحْوَهُ

حدثنا عثمان بن محمد حدثنا ابن عيينة عن عبد الله بن أبي بكر بإسناده نحوه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আব্দুল্লাহ ইবনু আবী বাকর (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৪৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৫. হজ্জে শর্তারোপ করা

১৮৪৮. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, যুবাআ বিনতু যুবাইর ইবনু আব্দুল মুত্তালিব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছেএসে বললেন, ইয়া রাসূল্লাহ্! আমি হজ্জ করতে ইচ্ছা রাখি। এখন আমি কি বলবো? তিনি বললেন, তুমি বলবে, ’লাব্বায়কা আল্লাহুম্মা লাব্বায়ক (হাযির আছি, হে আল্লাহ! আমি হাযির আছি।) আপনি যেখানে আমাকে বাধাগ্রস্ত করে দিবেন, সেখানেই আমি হালাল হব।’ এরপর যা তোমার থেকে বাদ পড়ে যাবে, তোমার রবের পক্ষ হতে (তার সাওয়াব) তোমাকে প্রদান করা হবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: মুসলিম, হাজ্জ ১২০৮; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৪৮০ সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৭৭৫ তে।

بَاب الِاشْتِرَاطِ فِي الْحَجِّ

أَخْبَرَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا ثَابِتُ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا هِلَالُ بْنُ خَبَّابٍ قَالَ فَحَدَّثْتُ عِكْرِمَةَ فَحَدَّثَنِي عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ ضُبَاعَةَ بِنْتَ الزُّبَيْرِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ أَتَتْ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُرِيدُ أَنْ أَحُجَّ فَكَيْفَ أَقُولُ قَالَ قُولِي لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ وَمَحِلِّي حَيْثُ تَحْبِسُنِي فَإِنَّ لَكِ عَلَى رَبِّكِ مَا اسْتَثْنَيْتِ

أخبرنا أبو النعمان حدثنا ثابت بن يزيد حدثنا هلال بن خباب قال فحدثت عكرمة فحدثني عن ابن عباس أن ضباعة بنت الزبير بن عبد المطلب أتت النبي صلى الله عليه وسلم فقالت يا رسول الله إني أريد أن أحج فكيف أقول قال قولي لبيك اللهم لبيك ومحلي حيث تحبسني فإن لك على ربك ما استثنيت

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৪৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৬. ইফরাদ হজ্জ প্রসঙ্গে

১৮৪৯. আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইফরাদ হাজ্জ করেছেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ জাইয়্যেদ।

 

তাখরীজ: মুসলিম, হাজ্জ ১২১১ (১২২); আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৩৬১, ৪৩৬২, ৪৩৬৩ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৯৩৪, ৩৯৩৫, ৩৯৩৬ তে।

بَاب فِي إِفْرَادِ الْحَجِّ

أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ تَعَالَى عَنْهَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفْرَدَ الْحَجَّ

أخبرنا خالد بن مخلد حدثنا مالك عن عبد الرحمن بن القاسم عن أبيه عن عائشة رضي الله تعالى عنها أن رسول الله صلى الله عليه وسلم أفرد الحج

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৫০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৭. কিরাণ হজ্জ প্রসঙ্গে

১৮৫০. ইমরান ইবনু হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে একটি হাদীস বর্ণনা করবো, সম্ভবত: পরবর্তীতে আল্লাহ এর মাধ্যমে তোমাদের উপকার করবেন। আর ইবনু যিয়াদের পরামর্শ অনুযায়ী আমি যখন দাগ লাগালাম, তখন দাগ লাগানোর চিহ্ন দূরীভূত না হওয়া পর্যন্ত আমার প্রতি[1] (ফিরিশতাগণের সালাম) বন্ধ হয়ে যায়। যাহোক, তোমরা জেনে রাখো, (হাজ্জে) তামাত্তু আল্লাহর কিতাবে হালাল করা হয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (ইন্তিকাল পর্যন্ত) তা থেকে নিষেধ করেননি এবং একে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কুরআনের কোন আয়াতও নাযিল হয়নি। এখন (অমুক) লোক তার নিজস্ব অভিমত অনুযায়ী কথা বলে, যা সে (নিষিদ্ধ) মনে করে।[2]

[1] (মুহাকিক্বের টীকা:) ফিরিশতাগণ তাঁর প্রতি সালাম দেন। ইমাম নববী তার শারহে মুসলিম ৩/৩৬৫ এ এ হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেন: “এ হাদীসের অর্থ: ইমরাণ ইবনু হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু অর্শ রোগী ছিলেন। তিনি এ কষ্টে সবর করতেন, ফলে ফিরিশতা গণ তাঁর প্রতি সালাম প্রেরণ করতেন। কিন্তু যখন তিনি আগুনের দাগা লাগান, তারপর তাঁর প্রতি ফিরিশতাগণের সালাম বন্ধ হয়ে যায়। এরপর যখন তিনি দাগ গ্রহণ পরিত্যাগ করেন, তখন ফিরিশতাগণ পুনরায় তাঁর প্রতি সালাম দেন।”

 

[2] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান, আবী হিলাল আর রাসিবী’র কারণে। তবে, হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, হাজ্জ ১৫৭১, তাফসীর ৪৫১৮; মুসলিম, হাজ্জ ১২২৬; এছাড়া, আহমাদ ৪/৪২৮, ৪৩৬।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৯৩৭, ৩৯৩৮ তে।

بَاب فِي الْقِرَانِ

أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ أَخْبَرَنَا أَبُو هِلَالٍ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ مُطَرِّفٍ قَالَ قَالَ عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ إِنِّي مُحَدِّثُكَ بِحَدِيثٍ لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يَنْفَعَكَ بِهِ بَعْدُ إِنَّهُ كَانَ يُسَلَّمُ عَلَيَّ وَإِنَّ ابْنَ زِيَادٍ أَمَرَنِي فَاكْتَوَيْتُ فَاحْتُبِسَ عَنِّي حَتَّى ذَهَبَ أَثَرُ الْمَكَاوِي وَاعْلَمْ أَنَّ الْمُتْعَةَ حَلَالٌ فِي كِتَابِ اللَّهِ لَمْ يَنْهَ عَنْهَا نَبِيٌّ وَلَمْ يَنْزِلْ فِيهَا كِتَابٌ قَالَ رَجُلٌ بِرَأْيِهِ مَا بَدَا لَهُ

أخبرنا سليمان بن حرب أخبرنا أبو هلال حدثنا قتادة عن مطرف قال قال عمران بن حصين إني محدثك بحديث لعل الله أن ينفعك به بعد إنه كان يسلم علي وإن ابن زياد أمرني فاكتويت فاحتبس عني حتى ذهب أثر المكاوي واعلم أن المتعة حلال في كتاب الله لم ينه عنها نبي ولم ينزل فيها كتاب قال رجل برأيه ما بدا له

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৫১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৮. ‘তামাত্তু’ হজ্জ সম্পর্কে

১৮৫১. মুহাম্মদ ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু নাওফাল রাহি. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, “যে বছর মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হাজ্জ করেন, সেই সময় আমি তাকে বলতে শুনেছি, তিনি সা’দ ইবনু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বলেন, উমরাকে হাজ্জের সাথে একত্রিত করে তামাত্তু হাজ্জ করা সম্পর্কে আপনার মতামত কী? তিনি বলেন, অতিউত্তম- সুন্দর। তখন তিনি বলেন, কিন্তু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তো এটা নিষেধ করতেন। তবে কি উমারের চেয়েও আপনি উত্তম? তিনি বলেন, উমার আমার চেয়ে উত্তম, তবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে এটা করেছেন; আর তিনি উমারের চেয়ে উত্তম।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ জাইয়্যেদ (উত্তম)।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৮০৫; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৯২৩, ৩৯৩৯; মাওয়ারিদুয যাম্’আন নং ৯৯৬, ৯৯৭তে।

 

((তিরমিযী, হাজ্জ, বাব: তামাত্তু সম্পর্কে হা/৮২৪ তিনি একে সহীহ এবং আলবানী হাসান বলেছেন; নাসাঈ, হা/২৭৩৫; আহমাদ ও বাইহাকী- অনুবাদক))

بَاب فِي التَّمَتُّعِ

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَقَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نَوْفَلٍ قَالَ سَمِعْتُ عَامَ حَجَّ مُعَاوِيَةُ يَسْأَلُ سَعْدَ بْنَ مَالِكٍ كَيْفَ تَقُولُ بِالتَّمَتُّعِ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ قَالَ حَسَنَةٌ جَمِيلَةٌ فَقَالَ قَدْ كَانَ عُمَرُ يَنْهَى عَنْهَا فَأَنْتَ خَيْرٌ مِنْ عُمَرَ قَالَ عُمَرُ خَيْرٌ مِنِّي وَقَدْ فَعَلَ ذَلِكَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ خَيْرٌ مِنْ عُمَرَ

أخبرنا أحمد بن خالد حدثنا محمد بن إسحق عن الزهري عن محمد بن عبد الله بن نوفل قال سمعت عام حج معاوية يسأل سعد بن مالك كيف تقول بالتمتع بالعمرة إلى الحج قال حسنة جميلة فقال قد كان عمر ينهى عنها فأنت خير من عمر قال عمر خير مني وقد فعل ذلك النبي صلى الله عليه وسلم وهو خير من عمر

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৫২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৮. ‘তামাত্তু’ হজ্জ সম্পর্কে

১৮৫২. আবু মূসা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বাতহা নামক স্থানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট গেলাম। তিনি বললেনঃ হজ্জ সমাধা করেছ? আমি বললাম, হাঁ। তিনি বললেনঃ কিভাবে ইহরাম বেঁধেছিলে? আমি বললাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মত ইহরাম বেঁধে আমি তালবিয়া পাঠ করেছি। তিনি বললেনঃ ভালই করেছ। যাও বায়তুল্লাহর তাওয়াফ কর এবং সাফা-মারওয়ার সা’য়ী কর। এরপর হালাল হয়ে যাও। তখন আমি বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করলাম এবং সাফা-মারওয়ায় সা’য়ী করলাম। এরপর আমি বনূ কায়স গোত্রের এক মহিলার নিকট এলাম। তিনি আমার মাথার উকুন বেছে দিলেন।

(তখন থেকে উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুএর খিলাফরকাল পর্যন্ত) এ ভাবেই আমি লোকদের (হজ্জ এবং ’উমরা সম্পর্কে) ফতোয়া দিয়ে চললাম। (উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর খিলাফাতকালে হাজ্জ মৌসুমে) এক ব্যক্তি এসে আমাকে বললো: “হে আব্দুল্লাহ ইবনু কাইস! আপনার কিছু ফাতওয়া আপাতত স্থগিত রাখুন। কেননা, আমীরুল মুমিনীন (উমার) আপনার পরে হজ্জের ব্যাপারে যে নতুন বিধান প্রবর্তন করেছেন, তা হয়তো আপনি জানেন না। তখন আমি বললাম: হে লোক সকল! আমি যাকে কোন ব্যাপারে ফতোয়া দিয়েছি সে যেন তাড়াহুড়া না করে। কেননা তোমাদের নিকট আমীরুল মুমিনীন শীঘ্রই আসছেন, সুতরাং তোমরা তাঁরই অনুসরণ কর। যখন তিনি আগমন করলেন, তখন আমি তাঁর নিকট গিয়ে বিষয়টি তাঁর সাথে আলোচনা করলাম। তখন তিনি বললেনঃ আমরা যদি আল্লাহর কিতাবকে অনুসরণ করি, তাহলে আল্লাহর কিতাব তো আমাদেরপূর্ণ করার নির্দেশ দেয়। আর যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাতের অনুসরণ করি তাহলে তো (দেখি যে), রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরবানীর জানোয়ার হালাল হওয়ার স্থানে পৌছার আগে হালাল হননি।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, হাজ্জ, ১৫৫৭; মুসলিম, হাজ্জ ১২২১; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭২৭৮ তে। সেখানে টীকাটি দেখুন

بَاب فِي التَّمَتُّعِ

حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنَا قَيْسُ بْنُ مُسْلِمٍ عَنْ طَارِقٍ عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ حَجَّ وَهُوَ مُنِيخٌ بِالْبَطْحَاءِ فَقَالَ لِي أَحَجَجْتَ قُلْتُ نَعَمْ قَالَ كَيْفَ أَهْلَلْتَ قَالَ قُلْتُ لَبَّيْكَ بِإِهْلَالٍ كَإِهْلَالِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَحْسَنْتَ اذْهَبْ فَطُفْ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ حِلَّ قَالَ فَطُفْتُ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ أَتَيْتُ امْرَأَةً مِنْ نِسَاءِ بَنِي قَيْسٍ فَجَعَلَتْ تَفْلِي رَأْسِي فَجَعَلْتُ أُفْتِي النَّاسَ بِذَلِكَ فَقَالَ لِي رَجُلٌ يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ قَيْسٍ رُوَيْدًا بَعْضَ فُتْيَاكَ فَإِنَّكَ لَا تَدْرِي مَا أَحْدَثَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ فِي النُّسُكِ بَعْدَكَ فَقُلْتُ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَنْ كُنَّا أَفْتَيْنَاهُ فُتْيَا فَلْيَتَّئِدْ فَإِنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ قَادِمٌ عَلَيْكُمْ فَبِهِ فَأْتَمُّوا فَلَمَّا قَدِمَ أَتَيْتُهُ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ إِنْ نَأْخُذْ بِكِتَابِ اللَّهِ فَإِنَّ كِتَابَ اللَّهِ يَأْمُرُ بِالتَّمَامِ وَإِنْ نَأْخُذْ بِسُنَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَحِلَّ حَتَّى بَلَغَ الْهَدْيُ مَحِلَّهُ

حدثنا سهل بن حماد حدثنا شعبة حدثنا قيس بن مسلم عن طارق عن أبي موسى قال أتيت رسول الله صلى الله عليه وسلم حين حج وهو منيخ بالبطحاء فقال لي أحججت قلت نعم قال كيف أهللت قال قلت لبيك بإهلال كإهلال النبي صلى الله عليه وسلم قال أحسنت اذهب فطف بالبيت وبالصفا والمروة ثم حل قال فطفت بالبيت وبالصفا والمروة ثم أتيت امرأة من نساء بني قيس فجعلت تفلي رأسي فجعلت أفتي الناس بذلك فقال لي رجل يا عبد الله بن قيس رويدا بعض فتياك فإنك لا تدري ما أحدث أمير المؤمنين في النسك بعدك فقلت يا أيها الناس من كنا أفتيناه فتيا فليتئد فإن أمير المؤمنين قادم عليكم فبه فأتموا فلما قدم أتيته فذكرت ذلك له فقال إن نأخذ بكتاب الله فإن كتاب الله يأمر بالتمام وإن نأخذ بسنة رسول الله صلى الله عليه وسلم فإن رسول الله صلى الله عليه وسلم لم يحل حتى بلغ الهدي محله

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ মূসা আল- আশ’আরী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৫৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৯. ইহরামরত ব্যক্তি ইহরাম অবস্থায় কোন কোন প্রাণী হত্যা করতে পারবে

১৮৫৩. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: পাঁচ শ্রেনীর প্রাণী হত্যায় কোন গুনাহ নেই, যদি কেউ এগুলোকে (হেরেম এলাকার মধ্যেও) হত্যা করে: কাক, ইঁদুর, চিল, বিচ্ছু ও পাগলা কুকুর।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, হাজ্জ, ১৮২৬ মুসলিম, হাজ্জ ১১৯৯; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৫২৮, ৫৪৯৭, ৫৫৪৪; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৯৬১, ৩৯৬২ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৬৩১তে। এছাড়া, বাইহাকী, মা’রিফাতুস সুনান নং ১০৭৪২, ১০৭৪৮।

بَاب مَا يَقْتُلُ الْمُحْرِمُ فِي إِحْرَامِهِ

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا يَحْيَى عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ خَمْسٌ لَا جُنَاحَ فِي قَتْلِ مَنْ قُتِلَ مِنْهُنَّ الْغُرَابُ وَالْفَأْرَةُ وَالْحِدَأَةُ وَالْعَقْرَبُ وَالْكَلْبُ الْعَقُورُ

أخبرنا يزيد بن هارون أخبرنا يحيى عن نافع عن ابن عمر أن النبي صلى الله عليه وسلم قال خمس لا جناح في قتل من قتل منهن الغراب والفأرة والحدأة والعقرب والكلب العقور

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৫৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৯. ইহরামরত ব্যক্তি ইহরাম অবস্থায় কোন কোন প্রাণী হত্যা করতে পারবে

১৮৫৪. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহরামমুক্ত এবং ইহরামরত উভয় অবস্থায় পাঁচটি অনিষ্টকর প্রাণি হত্যা করতে আদেশ করেছেন: চিল, কাক, ইঁদুর, বিচ্ছু ও পাগলা কুকুর।”[1]

আব্দুল্লাহ বলেন, পাগলা কুকুর’। আর কেউ কেউ বর্ণনা করেছেন: ’কালো কুকুর’।

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: আব্দুর রাযযাক নং ৮৩৭৪; বুখারী, জাযাউয সাইয়্যেদ, ১৮২৯; মুসলিম, হাজ্জ১১৯৮; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৫০৩ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৬৩২, ৫৬৩৩ তে।

بَاب مَا يَقْتُلُ الْمُحْرِمُ فِي إِحْرَامِهِ

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَتْلِ خَمْسِ فَوَاسِقَ فِي الْحِلِّ وَالْحَرَمِ الْحِدَأَةِ وَالْغُرَابِ وَالْفَأْرَةِ وَالْعَقْرَبِ وَالْكَلْبِ الْعَقُورِ قَالَ عَبْد اللَّهِ الْكَلْبُ الْعَقُورُ وَقَالَ بَعْضُهُمْ الْأَسْوَدُ

أخبرنا إسحق أخبرنا عبد الرزاق حدثنا معمر عن الزهري عن عروة عن عائشة رضي الله عنها قالت أمر رسول الله صلى الله عليه وسلم بقتل خمس فواسق في الحل والحرم الحدأة والغراب والفأرة والعقرب والكلب العقور قال عبد الله الكلب العقور وقال بعضهم الأسود

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৫৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৯. ইহরামরত ব্যক্তি ইহরাম অবস্থায় কোন কোন প্রাণী হত্যা করতে পারবে

১৮৫৫. সালিম হতে, তার পিতা (ইবনু উমার) হতে বর্ণিত হয়েছে।[1] এবং উরওয়াহ হতে, আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত হয়েছে।[2]

[1]পূর্বের হাদীস গুলিতে আমাদের টীকাসমূহ দেখুন।

 

[2] তাহক্বীক্ব: ((মুহাক্বিক্ব এর কোনো হুকুম লাগাননি। –অনুবাদক))

 

তাখরীজ: আব্দুর রাযযাক নং ৮৩৭৪।

بَاب مَا يَقْتُلُ الْمُحْرِمُ فِي إِحْرَامِهِ

أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ قَالَ بَعْضُ أَصْحَابِنَا إِنَّ مَعْمَرًا كَانَ يَذْكُرُهُ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَالِمٍ عَنْ أَبِيهِ وَعَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

أخبرنا عبد الرزاق قال بعض أصحابنا إن معمرا كان يذكره عن الزهري عن سالم عن أبيه وعن عروة عن عائشة رضي الله عنها عن النبي صلى الله عليه وسلم

 হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ  বর্ণনাকারীঃ সালিম ইবনু ‘আবদুল্লাহ্ (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৫৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২০. মুহরিম ব্যক্তির শিঙা লাগানো

১৮৫৬. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহরামরত (মুহরিম) অবস্থায় শিঙা লাগিয়েছিলেন।[1]

[1]তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: আহমাদ ১/৩৩২-৩৩৩; দারুকুতনী ২/২৩৯ সহীহ সনদে; পূর্ণ তাখরীজের জন্য ১৮৬২ (অনূবাদে ১৮৫৮) নং হাদীসটি দেখুন।

بَاب الْحِجَامَةِ لِلْمُحْرِمِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ احْتَجَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ مُحْرِمٌ

أخبرنا محمد بن يوسف حدثنا سفيان عن عبد الله بن عثمان عن سعيد بن جبير عن ابن عباس قال احتجم رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو محرم

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৫৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২০. মুহরিম ব্যক্তির শিঙা লাগানো

১৮৫৭. আব্দুল্লাহ ইবনু বুহাইনা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহরামরত (মুহরিম) অবস্থায় ’লাহ্ইল জামাল’ নামক স্থানে (মক্কা ও মদীনার মাঝে একটি পানির স্থানে) শিঙা লাগিয়েছিলেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, জাযাউস সাইদ, ১৮৩৬; মুসলিম, হাজ্জ১২০৩; এছাড়া, বাইহাকী, মা’রিফাতুস সুনান নং ৯৭৩২। আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৯৫৩ তে।

بَاب الْحِجَامَةِ لِلْمُحْرِمِ

حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ حَدَّثَنَا عَلْقَمَةُ بْنُ أَبِي عَلْقَمَةَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَعْرَجِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ ابْنِ بُحَيْنَةَ قَالَ احْتَجَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِلَحْيِ جَمَلٍ وَهُوَ مُحْرِمٌ

حدثنا مروان بن محمد حدثنا سليمان بن بلال حدثنا علقمة بن أبي علقمة عن عبد الرحمن الأعرج عن عبد الله ابن بحينة قال احتجم رسول الله صلى الله عليه وسلم بلحي جمل وهو محرم

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ্ ইবনু বুহায়নাহ্ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৫৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২০. মুহরিম ব্যক্তির শিঙা লাগানো

১৮৫৮. (অপরসনদে) ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহরামরত (মুহরিম) অবস্থায় শিঙা লাগিয়েছিলেন।[1]

ইসহাক্ব বলেন, সুফিয়ান একবার আতা থেকে বর্ণনা করেন, আরেকবার তাঊস থেকে বর্ণনা করেন। আবার কখনো উভয়ের থেকেই বর্ণনা করেন।[2]

[1]এর পুনরাবৃত্তি গত হয়েছে, যেটি দিয়ে এ হাদীসগুলি শুরু হয়েছে।

 

[2]তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, জাযাউসসাইদ, ১৮৩৫; মুসলিম, হাজ্জ১২০২;এছাড়া, বাইহাকী, মা’রিফাতুস সুনান নং ৯৭২৬।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৩৬০, ২৩৯০ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৯৫০, ৩৯৫১ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৫০৮, ৫০৯, ৫১০ তে।

بَاب الْحِجَامَةِ لِلْمُحْرِمِ

حَدَّثَنَا إِسْحَقُ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَمْرٍو عَنْ عَطَاءٍ وَطَاوُسٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ احْتَجَمَ وَهُوَ مُحْرِمٌ قَالَ إِسْحَقُ قَالَ سُفْيَانُ مَرَّةً عَنْ عَطَاءٍ وَمَرَّةً عَنْ طَاوُسٍ وَجَمَعَهُمَا مَرَّةً

حدثنا إسحق حدثنا سفيان عن عمرو عن عطاء وطاوس عن ابن عباس أن رسول الله صلى الله عليه وسلم احتجم وهو محرم قال إسحق قال سفيان مرة عن عطاء ومرة عن طاوس وجمعهما مرة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৫৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২১. মুহরিম (ইহরামরত) অবস্থায় বিয়ে করা প্রসঙ্গে

১৮৫৯. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইহরামরত (মুহরিম) অবস্থায় বিবাহ করেছেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, জাযাউস সাইদ, ১৮৩৭; মুসলিম, নিকাহ১৪১০;

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৩৯৩, ২৭২৬ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪১২৯, ৪১৩১, ৪১৩৩ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৫১২তে। এবং এসকল স্থানে যে টীকা দিয়েছি, এ বিষয়ে তা-ই যথেষ্ট হবে ইনশা আল্লাহ। এছাড়া এ বাবের অন্যান্য হাদীসসমূহ এবং পরবর্তী হাদীসের টীকাটি দেখুন।

بَاب فِي تَزْوِيجِ الْمُحْرِمِ

حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ عَنْ جَابِرِ بْنِ زَيْدٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ تَزَوَّجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ مُحْرِمٌ

حدثنا هاشم بن القاسم حدثنا شعبة عن عمرو بن دينار عن جابر بن زيد عن ابن عباس قال تزوج النبي صلى الله عليه وسلم وهو محرم

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৬০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২১. মুহরিম (ইহরামরত) অবস্থায় বিয়ে করা প্রসঙ্গে

১৮৬০. নুবাই ইবনু ওয়াহাব রাহি. হতে বর্ণিত, কুরাইশ বংশের এক ব্যক্তি আবান ইবনু উছমান এর নিকট একটি বিয়ের প্রস্তাব পাঠালেন। সেই সময় তিনি হাজ্জ্ব মৌসুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। তখন আবান রাহি. বলেন, তাকে তো এক অভদ্র ইরাকী ছাড়া আর কিছুই মনে হচ্ছে না! নিশ্চয়ই মুহরিম (ইহরামরত) ব্যক্তি বিয়ে করতেও পারবে না আবার, কারো বিয়ে দিতেও পারবে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে একথা (আমার পিতা) উছমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আমার নিকট বর্ণনা করেছেন। আবূ মুহাম্মদ কে জিজ্ঞাসা করা হলো, আপনারও এটাই মত? তিনি বলেন: হাঁ।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: মুসলিম, নিকাহ ১৪০৯; এছাড়া, বাইহাকী, আল মারিফাতুস সুনান নং ৯৭৩৮, ৯৭৩৯; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪১২২-৪১২৮, ৪১৩৯ তে।

بَاب فِي تَزْوِيجِ الْمُحْرِمِ

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ نُبَيْهِ بْنِ وَهْبٍ أَنَّ رَجُلًا مِنْ قُرَيْشٍ خَطَبَ إِلَى أَبَانَ بْنِ عُثْمَانَ وَهُوَ أَمِيرُ الْمَوْسِمِ فَقَالَ أَبَانُ لَا أُرَاهُ عِرَاقِيًّا جَافِيًا إِنَّ الْمُحْرِمَ لَا يَنْكِحُ وَلَا يُنْكِحُ أَخْبَرَنَا بِذَلِكَ عُثْمَانُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ أَبُو مُحَمَّد تَقُولُ بِهَذَا قَالَ نَعَمْ

حدثنا سليمان بن حرب حدثنا حماد بن زيد عن أيوب عن نافع عن نبيه بن وهب أن رجلا من قريش خطب إلى أبان بن عثمان وهو أمير الموسم فقال أبان لا أراه عراقيا جافيا إن المحرم لا ينكح ولا ينكح أخبرنا بذلك عثمان عن رسول الله صلى الله عليه وسلم سئل أبو محمد تقول بهذا قال نعم

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ নুবায়হ ইবন ওহাব (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৬১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২১. মুহরিম (ইহরামরত) অবস্থায় বিয়ে করা প্রসঙ্গে

১৮৬১. ইয়াযিদ ইবনু আসাম্ম থেকে বর্ণিত, মাইমূনাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে মক্কা হতে ফিরার পথে সারিফ’ নামক স্থানে আমাকে বিবাহ করেন, আর তখন আমরা উভয়েই হালাল (ইহরামমুক্ত) ছিলাম।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: মুসলিম, নিকাহ ১৪১১; এছাড়া, বাইহাকী, আল মারিফাতুস সুনান নং ৯৭৪৪; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭১০৫, ৭১০৬ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪১৩৪, ৪১৩৬, ৪১৩৭, ৪১৩৮ তে। এ হাদীসটি ও মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৩৯৩ এ আমাদের টীকাসমূহ দেখুন।

بَاب فِي تَزْوِيجِ الْمُحْرِمِ

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ حَبِيبِ بْنِ الشَّهِيدِ عَنْ مَيْمُونِ بْنِ مِهْرَانَ عَنْ يَزِيدَ بْنِ الْأَصَمِّ أَنَّ مَيْمُونَةَ قَالَتْ تَزَوَّجَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ حَلَالَانِ بَعْدَمَا رَجَعَ مِنْ مَكَّةَ بِسَرِفَ

حدثنا عمرو بن عاصم حدثنا حماد بن سلمة عن حبيب بن الشهيد عن ميمون بن مهران عن يزيد بن الأصم أن ميمونة قالت تزوجني رسول الله صلى الله عليه وسلم ونحن حلالان بعدما رجع من مكة بسرف

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৬২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২১. মুহরিম (ইহরামরত) অবস্থায় বিয়ে করা প্রসঙ্গে

১৮৬২. আবূ রাফি রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকেবর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মায়মূনা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা-কে হালাল অবস্থায় বিবাহ করেছিলেন এবং হালাল অবস্থায়ই তাঁর সাথে বাসর হয়েছিল। আমিই তাঁদের মাঝে মাধ্যম (পয়গামবাহক) হিসাবে ছিলাম।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান।

 

তাখরীজ: ((তিরমিযী, হাজ্জ ৮৪১; আহমাদ ৬/৩৯২-৩৯৩- ফাওয়ায আহমাদের দারেমী হা/১৮২৫ এর টীকা হতে। -অনুবাদক))

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪১৩০, ৪১৩৫ তে। এছাড়া, বাইহাকী, আল মারিফাতুস সুনান নং ৯৭৪৯।

بَاب فِي تَزْوِيجِ الْمُحْرِمِ

حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ مَطَرٍ الْوَرَّاقِ عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي رَافِعٍ قَالَ تَزَوَّجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَيْمُونَةَ حَلَالًا وَبَنَى بِهَا حَلَالًا وَكُنْتُ الرَّسُولَ بَيْنَهُمَا

حدثنا أبو نعيم حدثنا حماد بن زيد عن مطر الوراق عن ربيعة بن أبي عبد الرحمن عن سليمان بن يسار عن أبي رافع قال تزوج رسول الله صلى الله عليه وسلم ميمونة حلالا وبنى بها حلالا وكنت الرسول بينهما

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ আবূ রাফি‘ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৬৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২২. যে প্রাণীকে মুহরিম (ইহরামরত) ব্যক্তি নিজে শিকার করেনি – এমন প্রাণী গোশত খাওয়া প্রসঙ্গে

১৮৬৩. আব্দুল্লাহ ইবনু আবী কাতাদা (রাঃ) হতে বর্নিত, তার পিতা হুদাইবিয়ার বছর রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে (সফরে) ছিলেন। তার সঙ্গীরা ইহরাম অবস্থায় ছিলেন, কিন্তু আবী কাতাদা নিজে মুহরিম ছিলেন না। তিনি একটি বন্য গাধা পেয়ে (তার বর্শা দিয়ে)গাধাটিকে আক্রমন করে মেরে ফেললেন এবং এর গোশত খেলেন। (তিনি বলেন:) তখন আমি রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-(এর সাথে তারা মিলিত হয়ে) তাঁকে বললাম: ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি তো একটি বন্য গাধা পেয়ে (বর্শা দিয়ে) গাধাটিকে আক্রমন করে মেরে ফেলেছি এবং এর গোশত খেয়েছি।’ তখন তিনি লোকদেরকে বললেন: তোমরা খাও।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, জাযাউস সাইদ, ১৮২১; মুসলিম, হাজ্জ ১১৯৬;

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৯৬৬, ৩৯৭৪, ৩৯৭৫, ৩৯৭৭ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৪২৮ তে।

بَاب فِي أَكْلِ لَحْمِ الصَّيْدِ لِلْمُحْرِمِ إِذَا لَمْ يَصِدْ هُوَ

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ الدَّسْتَوَائِيُّ عَنْ يَحْيَى عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ قَالَ انْطَلَقَ أَبِي مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ فَأَحْرَمَ أَصْحَابُهُ وَلَمْ يُحْرِمْ أَبُو قَتَادَةَ فَأَصَابَ حِمَارَ وَحْشٍ فَطَعَنَهُ وَأَكَلَ مِنْ لَحْمِهِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَصَبْتُ حِمَارَ وَحْشٍ فَطَعَنْتُهُ فَقَالَ لِلْقَوْمِ كُلُوا وَهُمْ مُحْرِمُونَ

أخبرنا يزيد بن هارون حدثنا هشام الدستوائي عن يحيى عن عبد الله بن أبي قتادة قال انطلق أبي مع النبي صلى الله عليه وسلم عام الحديبية فأحرم أصحابه ولم يحرم أبو قتادة فأصاب حمار وحش فطعنه وأكل من لحمه فقلت يا رسول الله إني أصبت حمار وحش فطعنته فقال للقوم كلوا وهم محرمون

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ্ ইবন আবু কাতাদা (রহ.)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৬৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২২. যে প্রাণীকে মুহরিম (ইহরামরত) ব্যক্তি নিজে শিকার করেনি – এমন প্রাণী গোশত খাওয়া প্রসঙ্গে

১৮৬৪. আব্দুল্লাহ ইবনু আবী কাতাদা (রাঃ) এর পিতা হতে বর্ণিত,’আমরা অভিযাত্রা করছিলাম। (বর্ণনাকারী বলেন,) আর তারা (তার সঙ্গীরা) মুহরিম ছিলেন কিন্তু আবী কাতাদা নিজে মুহরিম ছিলেন না। (তিনি বলেন,) হঠাৎ আমি একটি বন্য গাধা দেখতে পেলাম। সেই মূহুর্তে আমি ঘোড়ায় উঠে চড়ে বসলাম এবং গাধাটিকে আক্রমন করে মেরে ফেললাম। তারা তার গোশত খেলেন, অথচ তারা মুহরিম ছিলেন। কিন্তু আমি খাইনি। ইতোমধ্যে তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে তারা মিলিত হয়ে তাঁকে এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি বললেন: তোমরা কি এটিকে আক্রমণ করেছিলে, তোমরা কি একে হত্যা করেছিলে? অথবা, তিনি (রাবী) তোমরা কি একে আঘাত করেছিলে? তারা বললেন: না। তখন তিনি বলেন: তাহলে তোমরা খেতে পারো।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, জাযাউস সাইদ, ১৮২৪; মুসলিম, হাজ্জ ১১৯৬; এটি পূর্বের হাদীসের পূনরাবৃত্তি।

بَاب فِي أَكْلِ لَحْمِ الصَّيْدِ لِلْمُحْرِمِ إِذَا لَمْ يَصِدْ هُوَ

أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ بَيْنَمَا نَحْنُ نَسِيرُ وَهُمْ مُحْرِمُونَ وَأَبُو قَتَادَةَ حَلَالٌ إِذْ رَأَيْتُ حِمَارًا فَرَكِبْتُ فَرَسًا فَأَصَبْتُهُ فَأَكَلُوا مِنْ لَحْمِهِ وَهُمْ مُحْرِمُونَ وَلَمْ آكُلْ فَأَتَوْا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلُوهُ فَقَالَ أَشَرْتُمْ قَتَلْتُمْ أَوْ قَالَ ضَرَبْتُمْ قَالُوا لَا قَالَ فَكُلُوا

أخبرنا أبو الوليد حدثنا شعبة عن عثمان بن عبد الله بن موهب عن عبد الله بن أبي قتادة عن أبيه قال بينما نحن نسير وهم محرمون وأبو قتادة حلال إذ رأيت حمارا فركبت فرسا فأصبته فأكلوا من لحمه وهم محرمون ولم آكل فأتوا النبي صلى الله عليه وسلم فسألوه فقال أشرتم قتلتم أو قال ضربتم قالوا لا قال فكلوا

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ্ ইবন আবু কাতাদা (রহ.)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৬৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২২. যে প্রাণীকে মুহরিম (ইহরামরত) ব্যক্তি নিজে শিকার করেনি – এমন প্রাণী গোশত খাওয়া প্রসঙ্গে

১৮৬৫. সা’ব ইবনু জাছ্ছামা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বন্য গাধার গোশত পেশ করা হলে তিনি তা ফিরিয়ে দিয়ে বলেন: “আমরা তো মুহরিম। (এ অবস্থায়) আমরা শিকারলব্ধ প্রাণির গোশত খাই না।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, জাযাউস সাইদ, ১৮২৫; মুসলিম, হাজ্জ ১১৯৩;

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৩৬, ৩৯৬৭, ৩৯৬৯ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৮০১ তে।

بَاب فِي أَكْلِ لَحْمِ الصَّيْدِ لِلْمُحْرِمِ إِذَا لَمْ يَصِدْ هُوَ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ الصَّعْبِ بْنِ جَثَّامَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُتِيَ بِلَحْمِ حِمَارِ وَحْشٍ فَرَدَّهُ وَقَالَ إِنَّا حُرُمٌ لَا نَأْكُلُ الصَّيْدَ

أخبرنا محمد بن عيسى حدثنا حماد بن زيد عن صالح بن كيسان عن عبيد الله بن عبد الله عن ابن عباس عن الصعب بن جثامة أن النبي صلى الله عليه وسلم أتي بلحم حمار وحش فرده وقال إنا حرم لا نأكل الصيد

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ সা‘ব ইবনু জাসসামাহ লায়সী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৬৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২২. যে প্রাণীকে মুহরিম (ইহরামরত) ব্যক্তি নিজে শিকার করেনি – এমন প্রাণী গোশত খাওয়া প্রসঙ্গে

১৮৬৬. মুয়ায ইবন আবদুর রহমান তায়মী তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ ’আমরা তালহা ইবন উবাইদুল্লাহর সঙ্গে কোনো এক সফরে ছিলাম। আর তারা সকলে ছিলেন মুহরিম, এমতাবস্থায় তাকে একটি পাখি হাদিয়া দেওয়া হলো। সেই সময় তিনি নিদ্রারত ছিলেন। আমাদের মধ্যে কেউ তা আহার করলো আর কেউ তা আহার করা হতে বিরত রইল। ইত্যবসরে তালহা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু নিদ্রা থেকে জাগলেন। যারা তা খেয়েছিলেন, তিনি তাদের সমর্থন করলেন এবং বললেন: (মুহরিম অবস্থায়) আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সঙ্গে আহার করেছি।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: মুসলিম, হাজ্জ ১১৯৭;

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৩৬, ৩৯৬৭, ৩৯৬৯ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৮০১ তে।

بَاب فِي أَكْلِ لَحْمِ الصَّيْدِ لِلْمُحْرِمِ إِذَا لَمْ يَصِدْ هُوَ

أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ ابْنِ الْمُنْكَدِرِ عَنْ مُعَاذِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عُثْمَانَ التَّيْمِيِّ عَنْ أَبِيهِ قَالَ كُنَّا مَعَ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ فِي سَفَرٍ فَأُهْدِيَ لَهُ طَيْرٌ وَهُمْ مُحْرِمُونَ وَهُوَ رَاقِدٌ فَمِنَّا مَنْ أَكَلَ وَمِنَّا مَنْ تَوَرَّعَ فَاسْتَيْقَظَ طَلْحَةُ فَأَخْبَرُوهُ فَوَفَّقَ مَنْ أَكَلَهُ وَقَالَ أَكَلْنَاهُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

أخبرنا أبو عاصم عن ابن جريج عن ابن المنكدر عن معاذ بن عبد الرحمن بن عثمان التيمي عن أبيه قال كنا مع طلحة بن عبيد الله في سفر فأهدي له طير وهم محرمون وهو راقد فمنا من أكل ومنا من تورع فاستيقظ طلحة فأخبروه فوفق من أكله وقال أكلناه مع رسول الله صلى الله عليه وسلم

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৬৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২২. যে প্রাণীকে মুহরিম (ইহরামরত) ব্যক্তি নিজে শিকার করেনি – এমন প্রাণী গোশত খাওয়া প্রসঙ্গে

১৮৬৭. সা’ব ইবনু জাছ্ছামা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন, তখন আমি ’আবওয়া’[1]- কিংবা ’ওয়াদ্দান’ নামক স্থানে ছিলাম। তখন আমি তাঁকে বন্য গাধার গোশত হাদীয়া দিলে তিনি তা আমাকে ফিরিয়ে দিলেন। যখন তিনি আমার চেহারায় (এর প্রতি) ঘৃণা লক্ষ্য করলেন, তিনি বললেন: আমরা মুহরিম (ইহরামরত) নাহলে, তোমাকে এটা ফিরিয়ে দিতাম না।[2]

[1] আবওয়া: হিজাযের অন্যতম একটি উপত্যকা, মদীনা হতে প্রায় ২৮ কিলোমিটার পশ্চিমে … বলা হয়ে থাকে যে, এখানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাতা আমিনাহ বিনতে ওয়াহাব এর কবর রয়েছে।’

 

আর ওয়াদ্দান: মদীনা ও মক্কার মধ্যবর্তী একটি স্থান, তবে মদীনা মাসতুরাহ হতে নিকটবর্তী, প্রায় ১২ কিলো দূরে অবস্থিত।– (মুহাক্কিক্বের টীকা- অনুবাদক)।

 

[2] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। এটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: এটি ১৮৭০ (অনূবাদে ১৮৬৫) নং এ গত হয়েছে।

بَاب فِي أَكْلِ لَحْمِ الصَّيْدِ لِلْمُحْرِمِ إِذَا لَمْ يَصِدْ هُوَ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ حَدَّثَنِي الصَّعْبُ بْنُ جَثَّامَةَ قَالَ مَرَّ بِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا بِالْأَبْوَاءِ أَوْ بِوَدَّانَ فَأَهْدَيْتُ لَهُ لَحْمَ حِمَارِ وَحْشٍ فَرَدَّهُ عَلَيَّ فَلَمَّا رَأَى فِي وَجْهِي الْكَرَاهِيَةَ قَالَ إِنَّهُ لَيْسَ بِنَا رَدٌّ عَلَيْكَ وَلَكِنَّا حُرُمٌ

أخبرنا محمد بن يوسف حدثنا ابن عيينة عن الزهري عن عبيد الله بن عبد الله عن ابن عباس حدثني الصعب بن جثامة قال مر بي رسول الله صلى الله عليه وسلم وأنا بالأبواء أو بودان فأهديت له لحم حمار وحش فرده علي فلما رأى في وجهي الكراهية قال إنه ليس بنا رد عليك ولكنا حرم

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ সা‘ব ইবনু জাসসামাহ লায়সী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৬৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৩. জীবিত ব্যক্তির পক্ষ হতে (বদলী) হজ্জ করা প্রসঙ্গে

১৮৬৮. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে তার ভাই আল-ফাদল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-র সূত্রে বর্ণিত। তিনি বিদা’ঈ হাজ্জের সফরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সওয়ারীতে তাঁর পিছনে উপবিষ্ট ছিলেন। তখন খাছআম গোত্রের এক মহিলা তাঁর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! বান্দাদের উপর আল্লাহর ধার্যকৃত হজ্জ আমার পিতার উপরও তার বৃদ্ধ বয়সে ফরয হয়েছে। কিন্তু তিনি বাহনের পিঠে চেপে বসতেই পারেননা। ফলে তিনি হাজ্জ করতে পারেন নি। এমতাবস্থায়, আমি কি তার পক্ষ থেকে হাজ্জ করবো? তিনিবলেনঃ হাঁ।[1]

আবূ মুহাম্মদকে জিজ্ঞেস করা হলো, আপনার মতও কি তাই? তিনি বললেন: হাঁ।

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, হাজ্জ, ১৫১৩; মুসলিম, হাজ্জ১৩৩৪;

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৩৫১, ২৩৮৪; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৯৮৯, ৩৯৯৫, ৩৯৯৬ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৫১৭তে।

بَاب فِي الْحَجِّ عَنْ الْحَيِّ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الرَّقَاشِيُّ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ عَنْ مَعْمَرٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ الْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ كَانَ رَدِيفَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ جَاءَتْ امْرَأَةٌ مِنْ خَثْعَمَ فَقَالَتْ إِنَّ فَرِيضَةَ اللَّهِ فِي الْحَجِّ عَلَى عِبَادِهِ أَدْرَكَتْ أَبِي شَيْخًا كَبِيرًا لَا يَسْتَمْسِكُ عَلَى رَاحِلَتِهِ وَلَمْ يَحُجَّ أَفَأَحُجُّ عَنْهُ قَالَ نَعَمْ سُئِلَ أَبُو مُحَمَّد تَقُولُ بِهَذَا قَالَ نَعَمْ

أخبرنا محمد بن عبد الله الرقاشي حدثنا وهيب عن معمر عن الزهري عن سليمان بن يسار عن ابن عباس عن الفضل بن عباس أنه كان رديف النبي صلى الله عليه وسلم في حجة الوداع جاءت امرأة من خثعم فقالت إن فريضة الله في الحج على عباده أدركت أبي شيخا كبيرا لا يستمسك على راحلته ولم يحج أفأحج عنه قال نعم سئل أبو محمد تقول بهذا قال نعم

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ ফাযল ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৬৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৩. জীবিত ব্যক্তির পক্ষ হতে (বদলী) হজ্জ করা প্রসঙ্গে

১৮৬৯. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে (তার ভাই) আল-ফাযল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-র সূত্রে বর্ণিত। এক মহিলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট এসে বললো, আমার পিতা অতি বৃদ্ধ ব্যক্তি। তিনি উটের পিঠে বসে থাকতে সক্ষম নন। এমতাবস্থায় আল্লাহর ধার্যকৃত (হজ্জ) তার উপরও ফরয হয়েছে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: তুমি তার পক্ষ থেকে হজ্জ করো।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: বুখারী, জাযাউস সাইদ, ১৮৫৩; মুসলিম, হাজ্জ১৩৩৫;

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৭১৭ তে।

بَاب فِي الْحَجِّ عَنْ الْحَيِّ

أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ الْفَضْلِ هُوَ ابْنُ عَبَّاسٍ أَنَّ امْرَأَةً سَأَلَتْ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ إِنَّ أَبِي شَيْخٌ لَا يَسْتَوِي عَلَى الْبَعِيرِ أَدْرَكَتْهُ فَرِيضَةُ اللَّهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حُجِّي عَنْهُ

أخبرنا أبو عاصم عن ابن جريج عن ابن شهاب عن سليمان بن يسار عن ابن عباس عن الفضل هو ابن عباس أن امرأة سألت النبي صلى الله عليه وسلم فقالت إن أبي شيخ لا يستوي على البعير أدركته فريضة الله فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم حجي عنه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ ফাযল ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৭০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৩. জীবিত ব্যক্তির পক্ষ হতে (বদলী) হজ্জ করা প্রসঙ্গে

১৮৭০. ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। আল-ফাদল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বিদায় হাজ্জের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সওয়ারীতে তাঁর পিছনে উপবিষ্ট ছিলেন। তখন খাছআম গোত্রের এক মহিলা তাঁর নিকট এসে জানতে চাইলো, হে আল্লাহর রাসূল! বান্দাদের উপর আল্লাহর ধার্যকৃত হজ্জ আমার পিতার উপরও অতি বৃদ্ধ বয়সে ফরয হয়েছে। কিন্তু তিনি বাহনের পিঠে চেপে বসতে সক্ষম নন। ফলে আমি তার পক্ষ থেকে হাজ্জ করলে তা আদায় হবে কি? তিনিবলেনঃ হাঁ।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, মাগাযী, ১৫১৩; আগের হাদীসটি দেখুন।

بَاب فِي الْحَجِّ عَنْ الْحَيِّ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ امْرَأَةً مِنْ خَثْعَمَ اسْتَفْتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ وَالْفَضْلُ بْنُ عَبَّاسٍ رَدِيفُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ فَرِيضَةَ اللَّهِ عَلَى عِبَادِهِ أَدْرَكَتْ أَبِي شَيْخًا كَبِيرًا لَا يَسْتَطِيعُ أَنْ يَسْتَوِيَ عَلَى الرَّاحِلَةِ فَهَلْ يَقْضِي أَنْ أَحُجَّ عَنْهُ قَالَ نَعَمْ

حدثنا محمد بن يوسف حدثنا الأوزاعي حدثني الزهري عن سليمان بن يسار عن ابن عباس أن امرأة من خثعم استفتت رسول الله صلى الله عليه وسلم في حجة الوداع والفضل بن عباس رديف رسول الله صلى الله عليه وسلم فقالت يا رسول الله إن فريضة الله على عباده أدركت أبي شيخا كبيرا لا يستطيع أن يستوي على الراحلة فهل يقضي أن أحج عنه قال نعم

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৭১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৩. জীবিত ব্যক্তির পক্ষ হতে (বদলী) হজ্জ করা প্রসঙ্গে

১৮৭১. (অপরসূত্রে) ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে আওযাঈ’র হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত আছে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: আবূ ইয়ালা মাউসিলী নং ২৩৮৪ সেখানে আমি এর তাখরীজ দিয়েছি; এছাড়া তাহাবী, মুশকিলিল আছার, ৩/২২০; এটি আগের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি।

بَاب فِي الْحَجِّ عَنْ الْحَيِّ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوًا مِنْ حَدِيثِ الْأَوْزَاعِيِّ

حدثنا محمد بن يوسف حدثنا ابن عيينة عن الزهري عن سليمان بن يسار عن ابن عباس عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوا من حديث الأوزاعي

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৭২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৩. জীবিত ব্যক্তির পক্ষ হতে (বদলী) হজ্জ করা প্রসঙ্গে

১৮৭২. আল-ফাদল ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু – অথবা- উবাইদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, এক লোক বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমারপিতা- অথবা আমার মাতা অতি বৃদ্ধ মানুষ। আমি যদি তাকে বাহনে আরোহন করাই, তবে তিনি বাহনের উপর স্থিত হয়ে বসে থাকতে পারেননা। এমতাবস্থায় আমি যদি তাকে বাহনের উপর বেঁধে দেই, তাহলে আমার আশংকা হয় যে, আমিই যেন তাকে হত্যা করে ফেলছি (আমার বেঁধে দেয়ার কারণেই সে মারা যাবে)। তিনিবললেন: “আচ্ছা তোমার পিতা অথবা, মাতার দায়িত্বে কোন ঋণ থাকলে তা তুমি পরিশোধ করতে কি-না? সে বললো, হাঁ। তিনিবললেন: “সুতরাং তোমার পিতা অথবা, মাতারপক্ষ হতে তুমি হাজ্জ সম্পাদন কর।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: উবাইদুল্লাহ ইবনু আব্বাসের সনদটি সহীহ।

 

তাখরীজ: তাহাবী, মুশকিলিল আছার ৩/২২০; আহমাদ ১/২১২, ৩০৯; এ বাবের হাদীসগুলি দেখুন এবং তাতে আমাদের টীকাসমূহও দেখুন।

بَاب فِي الْحَجِّ عَنْ الْحَيِّ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ حَدَّثَنِي الْفَضْلُ بْنُ عَبَّاسٍ أَوْ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ الْعَبَّاسِ أَنَّ رَجُلًا قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبِي أَوْ أُمِّي عَجُوزٌ كَبِيرٌ إِنْ أَنَا حَمَلْتُهَا لَمْ تَسْتَمْسِكْ وَإِنْ رَبَطْتُهَا خَشِيتُ أَنْ أَقْتُلَهَا قَالَ أَرَأَيْتَ إِنْ كَانَ عَلَى أَبِيكَ أَوْ أُمِّكَ دَيْنٌ أَكُنْتَ تَقْضِيهِ قَالَ نَعَمْ قَالَ فَحُجَّ عَنْ أَبِيكَ أَوْ أُمِّكَ

حدثنا مسدد أخبرنا حماد بن زيد عن يحيى بن أبي إسحق عن سليمان بن يسار حدثني الفضل بن عباس أو عبيد الله بن العباس أن رجلا قال يا رسول الله إن أبي أو أمي عجوز كبير إن أنا حملتها لم تستمسك وإن ربطتها خشيت أن أقتلها قال أرأيت إن كان على أبيك أو أمك دين أكنت تقضيه قال نعم قال فحج عن أبيك أو أمك

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ ফাযল ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৭৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৪. মৃত ব্যক্তির পক্ষ হতে হজ্জ পালন

১৮৭৩. আব্দুল্লাহ ইবনু যুবাইর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, খাছ’আম গোত্রের এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললো, ইসলাম আমার পিতার নিকট (এর ফরয হাক্ক সহ) পৌঁছে গেছে। আমার পিতা অতি বৃদ্ধ মানুষ। তিনি বাহনে আরোহন করতে সক্ষম নন। আর তার উপর হাজ্জ ফরয হয়েছে। এমতাবস্থায় আমি কি আমার পিতার পক্ষ থেকে হজ্জ করতে পারি?

তিনি বলেনঃ “তুমি কি তার সবচেয়ে বড়সন্তান?” সে বললো: হাঁ। তিনি বললেন: “আচ্ছা, তোমার পিতার দায়িত্বে কোন ঋণ থাকতো, আর তুমি যদি তা পরিশোধ করতে, তবে সেটি তার পক্ষ হতে আদায় হয়ে যেতো কি-না?” সে বললো, হাঁ। তিনি বললেন: “অতএব, তুমি তোমার পিতার পক্ষ থেকে হজ্জ করো।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ, মুহাম্মদ ইবনু হুমাইদের যয়ীফ হওয়ার কারণে। তবে এ বর্ণনায় তিনি একাকী নন; বরং এর অনেকগুলি মুতাবি’আত বর্ণনা রয়েছে নির্ভরযোগ্য/বিশ্বস্ত রাবীগণ হতে। ((ফলে এটি হাসান পর্যায়ের উন্নীত হয়।–অনুবাদক))

 

তাখরীজ: আবূ ইয়ালা মাউসিলী নং ৬৮১৩; বাইহাকী, হাজ্জ ৪/৩২৯; তাহাবী, মুশকিলিল আছার ৩/২২১ জাইয়্যেদ সনদে। ((নাসাঈ, হাজ্জ, ৫/১১৭-১১৮; আহমাদ ৫/৪।- ফাওয়ায আহমেদের দারেমী হা/১৮৩৬ এর টীকা হতে।– অনুবাদক))

 

এর তাখরীজ দিয়েছি আমরা মুসনাদুল মাউসিলী তে। এছাড়া, ইবনু আবী শাইবা ১/৪/৪৪১।

بَاب الْحَجِّ عَنْ الْمَيِّتِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ مُجَاهِدٍ عَنْ يُوسُفَ بْنِ الزُّبَيْرِ مَوْلًى لِآلِ الْزُّبَيْرِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ مِنْ خَثْعَمَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ إِنَّ أَبِي أَدْرَكَهُ الْإِسْلَامُ وَهُوَ شَيْخٌ كَبِيرٌ لَا يَسْتَطِيعُ رُكُوبَ الرَّحْلِ وَالْحَجُّ مَكْتُوبٌ عَلَيْهِ أَفَأَحُجُّ عَنْهُ قَالَ أَنْتَ أَكْبَرُ وَلَدِهِ قَالَ نَعَمْ قَالَ أَرَأَيْتَ لَوْ كَانَ عَلَى أَبِيكَ دَيْنٌ فَقَضَيْتَهُ عَنْهُ أَكَانَ ذَلِكَ يُجْزِئُ عَنْهُ قَالَ نَعَمْ قَالَ فَاحْجُجْ عَنْهُ

حدثنا محمد بن حميد حدثنا جرير عن منصور عن مجاهد عن يوسف بن الزبير مولى لآل الزبير عن عبد الله بن الزبير قال جاء رجل من خثعم إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال إن أبي أدركه الإسلام وهو شيخ كبير لا يستطيع ركوب الرحل والحج مكتوب عليه أفأحج عنه قال أنت أكبر ولده قال نعم قال أرأيت لو كان على أبيك دين فقضيته عنه أكان ذلك يجزئ عنه قال نعم قال فاحجج عنه

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ্ ইবনু-যুবায়র (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৭৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৪. মৃত ব্যক্তির পক্ষ হতে হজ্জ পালন

১৮৭৪. সাওদা বিনতে যাম’আহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললো, আমার পিতা অতি বৃদ্ধ মানুষ। তিনি হাজ্জ সম্পাদন করতে সক্ষম নন। তিনি বললেন: আচ্ছা, যদি তোমার পিতার কোন ঋণ থাকতো, আর তুমি তা পরিশোধ করতে, তবে তা কবুল করা হতো কি-না? সেবললো, হাঁ।

তিনি বললেন: আল্লাহ হলেন সর্বাধিক দয়াশীল! তুমি তোমার পিতার পক্ষ থেকে হাজ্জ করো।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ জাইয়্যেদ (উত্তম)।

 

তাখরীজ: তাহাবী, মুশকিলিল আছার ৩/২২১; ((আহমাদ; তাবারাণী, আল কাবীর, বাইহাকী; হাইছামী বলেন: এর রাবীগণ বিশ্বস্ত।’– ফাওয়ায আহমেদের দারেমী হা/১৮৩৭ এর টীকা হতে।– অনুবাদক))

 

এর তাখরীজ দিয়েছি আমরা মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৮১৮ ও মাযমাউয যাওয়াইদ নং ৫৭৫৬ তে।

بَاب الْحَجِّ عَنْ الْمَيِّتِ

أَخْبَرَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ هُوَ ابْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ مُجَاهِدٍ عَنْ مَوْلَى ابْنِ الزُّبَيْرِ يُقَالُ لَهُ يُوسُفُ بْنُ الزُّبَيْرِ أَوْ الزُّبَيْرُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ سَوْدَةَ بِنْتِ زَمْعَةَ قَالَتْ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ إِنَّ أَبِي شَيْخٌ كَبِيرٌ لَا يَسْتَطِيعُ أَنْ يَحُجَّ قَالَ أَرَأَيْتَ لَوْ كَانَ عَلَى أَبِيكَ دَيْنٌ فَقَضَيْتَهُ عَنْهُ قُبِلَ مِنْهُ قَالَ نَعَمْ قَالَ اللَّهُ أَرْحَمُ حُجَّ عَنْ أَبِيكَ

أخبرنا صالح بن عبد الله حدثنا عبد العزيز هو ابن عبد الصمد عن منصور عن مجاهد عن مولى ابن الزبير يقال له يوسف بن الزبير أو الزبير بن يوسف عن سودة بنت زمعة قالت جاء رجل إلى النبي صلى الله عليه وسلم فقال إن أبي شيخ كبير لا يستطيع أن يحج قال أرأيت لو كان على أبيك دين فقضيته عنه قبل منه قال نعم قال الله أرحم حج عن أبيك

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ সাওদা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)

 ১৮৭৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৫. হাজর (আসওয়াদ) চুম্বন করা প্রসঙ্গে

১৮৭৫. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি যখন থেকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে (তাওয়াফ করার সময়) এ দু’টি রুকন (রুকনে ইয়ামানী ও হাজরে আসওয়াদ)ইসতিলাম (চুম্বন) করতেদেখেছি- তখন থেকে আমি কষ্টকর হোক, কিংবা স্বাচ্ছন্দ্যময় হোক, কোনো অবস্হায়ই উক্ত রুকনদ্বয় ইসতিলাম করা বাদ দেইনি। (রাবী উবাইদুল্লাহ বলেন,) আমি নাফি’ঈ কে বললাম, ইবনু উমার কি এ দুই রুকনের মাঝে স্বাভাবিকভাবে হেটে যেতেন? তিনি বললেন, ইসতিলাম করা যাতে সহজ হয়, সেজন্য তিনি স্বাভাবিকভাবে হেটে যেতেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, হাজ্জ, ১৬০৬; মুসলিম, হাজ্জ১২৬৮;

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৪৭৩; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৮২৭ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৬৬৬ তে।

بَاب فِي اسْتِلَامِ الْحَجَرِ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ مَا تَرَكْتُ اسْتِلَامَ هَذَيْنِ الرُّكْنَيْنِ فِي شِدَّةٍ وَلَا رَخَاءٍ مُنْذُ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْتَلِمُهُمَا قُلْتُ لِنَافِعٍ أَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَمْشِي بَيْنَ الرُّكْنَيْنِ قَالَ إِنَّمَا كَانَ يَمْشِي لِيَكُونَ أَيْسَرَ لِاسْتِلَامِهِ

حدثنا مسدد حدثنا يحيى عن عبيد الله عن نافع عن ابن عمر قال ما تركت استلام هذين الركنين في شدة ولا رخاء منذ رأيت رسول الله صلى الله عليه وسلم يستلمهما قلت لنافع أكان ابن عمر يمشي بين الركنين قال إنما كان يمشي ليكون أيسر لاستلامه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৫. হজ্জ অধ্যায় (كتاب المناسك)