ইমাম মালেক হজ্জ অধ্যায় ১ম ভাগ হাদিস নং ৬৯৩ – ৭৮০

পরিচ্ছেদঃ ১

ইহরামকালীন গোসল

৬৯৩

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ أَنَّهَا وَلَدَتْ مُحَمَّدَ بْنَ أَبِي بَكْرٍ بِالْبَيْدَاءِ فَذَكَرَ ذَلِكَ أَبُو بَكْرٍ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ مُرْهَا فَلْتَغْتَسِلْ ثُمَّ لِتُهِلَّ.

আসমা বিনত উমাইস (রা) থেকে বর্ণিতঃ

বায়দা নামক স্থানে মুহাম্মদ ইবনু আবূ বক্‌র (রা)-এর জন্ম হয়। আবূ বক্‌র সিদ্দীক (রা) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে এই সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, আসমাকে বলে দিন সে যেন গোসল করে ইহরাম বেঁধে নেয়। (সহীহ, মুসলিম ১২০৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৯৪

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّ أَسْمَاءَ بِنْتَ عُمَيْسٍ وَلَدَتْ مُحَمَّدَ بْنَ أَبِي بَكْرٍ بِذِي الْحُلَيْفَةِ فَأَمَرَهَا أَبُو بَكْرٍ أَنْ تَغْتَسِلَ ثُمَّ تُهِلَّ.

সাঈদ ইবনু মুসায়্যাব (র) থেকে বর্ণিতঃ

জুল-হুলায়ফা নামক স্থানে আসমা বিনত উমাইসের গর্ভে আবূ বক্‌র (রা)-এর পুত্র মুহাম্মদের জন্ম হয়। আবূ বক্‌র (রা) তখন আসমাকে গোসল করে ইহরাম বেঁধে নিতে নির্দেশ দেন। [১] (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

  •  
  •  
  •  
  •  

[১] আসমা বিনত উমাইস (রা) আবূ বাকর (রা)-এর স্ত্রী ছিলেন। তাঁর গর্ভে আবূ বাকর (রা)-এর পুত্র মুহাম্মদের জন্ম হয়। তখন তাঁরা হজ্জের উদ্দেশ্যে মক্কার দিকে রওয়ানা হয়েছিলেন। অন্য এক বর্ণনায় দেখা যায় জুল-হুলায়ফা নামক স্থানে উক্ত ঘটনাটি ঘটেছিল। উভয় স্থানই মদীনার নিকটবর্তী। এই হাদীসটি দ্বারা বোঝা যায় ঋতুমতী ও নিফাসওয়ালী মহিলাগণ ইহরাম বাঁধতে পারেন।

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৬৯৫

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَغْتَسِلُ لِإِحْرَامِهِ قَبْلَ أَنْ يُحْرِمَ وَلِدُخُولِهِ مَكَّةَ وَلِوُقُوفِهِ عَشِيَّةَ عَرَفَةَ.

নাফি’ (র) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রা) ইহরাম বাঁধার উদ্দেশ্যে গোসল করতেন। মক্কায় প্রবেশের পূর্বে এবং যিলহজ্জ মাসের নবম তারিখে আরাফাতে অবস্থানের জন্যও গোসল করতেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদঃ ২

মুহরিমের গোসল

৬৯৬

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ حُنَيْنٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَبَّاسٍ وَالْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ اخْتَلَفَا بِالْأَبْوَاءِ فَقَالَ عَبْدُ اللهِ يَغْسِلُ الْمُحْرِمُ رَأْسَهُ وَقَالَ الْمِسْوَرُ بْنُ مَخْرَمَةَ لَا يَغْسِلُ الْمُحْرِمُ رَأْسَهُ قَالَ فَأَرْسَلَنِي عَبْدُ اللهِ بْنُ عَبَّاسٍ إِلَى أَبِي أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيِّ فَوَجَدْتُهُ يَغْتَسِلُ بَيْنَ الْقَرْنَيْنِ وَهُوَ يُسْتَرُ بِثَوْبٍ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ مَنْ هَذَا فَقُلْتُ أَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ حُنَيْنٍ أَرْسَلَنِي إِلَيْكَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عَبَّاسٍ أَسْأَلُكَ كَيْفَ كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَغْسِلُ رَأْسَهُ وَهُوَ مُحْرِمٌ قَالَ فَوَضَعَ أَبُو أَيُّوبَ يَدَهُ عَلَى الثَّوْبِ فَطَأْطَأَهُ حَتَّى بَدَا لِي رَأْسُهُ ثُمَّ قَالَ لِإِنْسَانٍ يَصُبُّ عَلَيْهِ اصْبُبْ فَصَبَّ عَلَى رَأْسِهِ ثُمَّ حَرَّكَ رَأْسَهُ بِيَدَيْهِ فَأَقْبَلَ بِهِمَا وَأَدْبَرَ ثُمَّ قَالَ هَكَذَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَفْعَلُ.

ইবরাহীম ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু হুনায়ন (র) থেকে বর্ণিতঃ

ইবরাহীম ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু হুনায়ন (র) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন, আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রা) এবং মিসওয়ার ইবনু মাখরামার মধ্যে ‘আবওয়া’ নামক স্থানে বিতর্ক হয়। ইবনু আব্বাস (রা)-এর অভিমত ছিল মুহরিম অর্থাৎ ইহরামরত ব্যক্তি মাথা ধুতে পারে আর মিসওয়ারের অভিমত ছিল যে, মুহ্‌রিম মাথা ধুতে পারে না।

আবদুল্লাহ্ ইবনু হুনায়ন বলেন, শেষে আবদুল্লাহ্ ইবনু আব্বাস (রা) আমাকে এই বিষয়ের মীমাংসার জন্য আবূ আইয়ূব আনসারী (রা)-এর কাছে প্রেরণ করেন। তখন তিনি একটি কুয়ার ধারে পর্দা টাঙ্গিয়ে গোসল করতেছিলেন। আমি পর্দার বাহির হতে তাঁকে সালাম করলাম। তিনি বললেন, কে ? আমি বললাম আবদুল্লাহ্ ইবনু হুনায়ন। আমাকে আবদুল্লাহ্ ইবনু আব্বাস (রা) পাঠিয়েছেন, ইহরাম অবস্থায় রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কিভাবে মাথা ধুতেন তা জানবার জন্য। আবূ আইয়ূব (রা) মাথায় হাত রেখে মাথার কাপড় সরিয়ে দিলেন, আমি তাঁর মাথাটি তখন স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলাম। যে ব্যক্তি তাঁর গায়ে পানি ঢালতেছিল তাকে বললেন, পানি ঢাল। ঐ ব্যক্তি তাঁর মাথায় পানি ঢালতে লাগল আর তিনি তাঁর দুই হাত মাথার সামনে এবং পিছনে মর্দন করে বললেন, আমি রসূলুল্লাহ্ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে এইরূপ করতে দেখেছি। (বুখারী ১৮৪০, মুসলিম ১২০৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৯৭

و حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ حُمَيْدِ بْنِ قَيْسٍ عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ لِيَعْلَى بْنِ مُنْيَةَ وَهُوَ يَصُبُّ عَلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ مَاءً وَهُوَ يَغْتَسِلُ اصْبُبْ عَلَى رَأْسِيْ فَقَالَ يَعْلَى أَتُرِيدُ أَنْ تَجْعَلَهَا بِي إِنْ أَمَرْتَنِي صَبَبْتُ فَقَالَ لَهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ اصْبُبْ فَلَنْ يَزِيدَهُ الْمَاءُ إِلَّا شَعَثًا.

‘আতা ইবনু আবি রাবাহ (র) থেকে বর্ণিতঃ

নিশ্চয় উমার ইবনু খাত্তাব (রা) গোসল করতেছিলেন এবং ই’য়ালা ইবনু মুনইয়া (র) পানি ঢেলে দিচ্ছিলেন। উমার (রা) ই’য়ালাকে বললেন, আমার মাথায় পানি ঢেলে দাও। তখন তিনি বললেন, আপনি কি আমার দ্বারা এ কাজ করাতে চান ? (অর্থাৎ পানি মাথায় ঢালা সম্পর্কে ই’য়ালার ভিন্নমত ছিল।) যদি হুকুম করেন তবে পানি ঢালতে পারি। উমার ইবনু খাত্তাব (রা) বললেন, পানি ঢাল, কারণ পানি চুলের রুক্ষতাই বাড়াবে। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৬৯৮

و حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ إِذَا دَنَا مِنْ مَكَّةَ بَاتَ بِذِي طُوًى بَيْنَ الثَّنِيَّتَيْنِ حَتَّى يُصْبِحَ ثُمَّ يُصَلِّي الصُّبْحَ ثُمَّ يَدْخُلُ مِنْ الثَّنِيَّةِ الَّتِي بِأَعْلَى مَكَّةَ وَلَا يَدْخُلُ إِذَا خَرَجَ حَاجًّا أَوْ مُعْتَمِرًا حَتَّى يَغْتَسِلَ قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَ مَكَّةَ إِذَا دَنَا مِنْ مَكَّةَ بِذِي طُوًى وَيَأْمُرُ مَنْ مَعَهُ فَيَغْتَسِلُونَ قَبْلَ أَنْ يَدْخُلُوْا.

নাফি’ (র) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রা) যখন মক্কার নিকটবর্তী হতেন তখন দুই গিরিপথের মধ্যবর্তী যি-তুওয়া নামক স্থানে রাত্রিযাপন করতেন। পরে ফজরেই নামাযের পর উপরের গিরিপথ বেয়ে মক্কায় প্রবেশ করতেন। আর হজ্জ বা উমরার উদ্দেশ্যে আসলে যি-তুওয়ায় গোসল না করে সেখানে প্রবেশ করতেন না। সঙ্গীগণকে মক্কা প্রবেশের পূর্বে গোসল করতে তিনি নির্দেশ দিতেন। (সহীহ, বুখারী ১৫৭৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৬৯৯

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ لَا يَغْسِلُ رَأْسَهُ وَهُوَ مُحْرِمٌ إِلَّا مِنْ الْاحْتِلَامِ ১১৫৮-قَالَ مَالِك سَمِعْتُ أَهْلَ الْعِلْمِ يَقُولُونَ لَا بَأْسَ أَنْ يَغْسِلَ الرَّجُلُ الْمُحْرِمُ رَأْسَهُ بِالْغَسُولِ بَعْدَ أَنْ يَرْمِيَ جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ وَقَبْلَ أَنْ يَحْلِقَ رَأْسَهُ وَذَلِكَ أَنَّهُ إِذَا رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ فَقَدْ حَلَّ لَهُ قَتْلُ الْقَمْلِ وَحَلْقُ الشَّعْرِ وَإِلْقَاءُ التَّفَثِ وَلُبْسُ الثِّيَابِ.

নাফি’ (র) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রা) ইহরামের অবস্থায় মাথা ধুতেন না। তবে স্বপ্নদোষ হলে বাধ্যতামূলক ধুতে হত। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

মালিক (র) বলেন, বিজ্ঞ আলিমদের কাছে শুনেছি যে, জমরা-এ-‘আকাবার রমি করার পর মাথা কামাবার পূর্বেই সাবান ইত্যাদি দ্বারা মাথা ধৌত করা যায়। কেননা জমরা-এ-‘আকবার প্রস্তর নিক্ষেপের পর উকুন মারা, মাথা কামানো, ময়লা বিদূরিত করা, কাপড় পরা ইত্যাদি কাজ মুহরিমের জন্য হালাল হয়ে যায়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদঃ ৩

ইহরাম অবস্থায় কাপড় পরা নিষিদ্ধ হওয়া

৭০০

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يَلْبَسُ الْمُحْرِمُ مِنْ الثِّيَابِ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تَلْبَسُوا الْقُمُصَ وَلَا الْعَمَائِمَ وَلَا السَّرَاوِيلَاتِ وَلَا الْبَرَانِسَ وَلَا الْخِفَافَ إِلَّا أَحَدٌ لَا يَجِدُ نَعْلَيْنِ فَلْيَلْبَسْ خُفَّيْنِ وَلْيَقْطَعْهُمَا أَسْفَلَ مِنْ الْكَعْبَيْنِ وَلَا تَلْبَسُوا مِنْ الثِّيَابِ شَيْئًا مَسَّهُ الزَّعْفَرَانُ وَلَا الْوَرْسُ ১১৬১-قَالَ يَحْيَى سُئِلَ مَالِك عَمَّا ذُكِرَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ وَمَنْ لَمْ يَجِدْ إِزَارًا فَلْيَلْبَسْ سَرَاوِيلَ فَقَالَ لَمْ أَسْمَعْ بِهَذَا وَلَا أَرَى أَنْ يَلْبَسَ الْمُحْرِمُ سَرَاوِيلَ لِأَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ لُبْسِ السَّرَاوِيلَاتِ فِيمَا نَهَى عَنْهُ مِنْ لُبْسِ الثِّيَابِ الَّتِي لَا يَنْبَغِي لِلْمُحْرِمِ أَنْ يَلْبَسَهَا وَلَمْ يَسْتَثْنِ فِيهَا كَمَا اسْتَثْنَى فِي الْخُفَّيْنِ.

আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রা) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ্ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কাছে জিজ্ঞেস করল, ইহরাম অবস্থায় মুহরিম ব্যক্তি কি ধরনের কাপড় পরিধান করতে পারে ? রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উত্তরে বললেন, কোর্তা পরবে না, পাগড়ি বাঁধবে না, টুপি পাজামা এবং মোজা পরবে না। তবে কারো চপ্পল না থাকলে সে মোজা পরতে পারে বটে কিন্তু তা এমনভাবে কেটে পরবে যাতে পায়ের টাখনা বের হয়ে থাকে। জা’ফরান বা ওয়ারস (এক প্রকার সুগন্ধযুক্ত রঙিন ঘাস) রঞ্জিত কাপড়ও পরতে পারবে না। (বুখারী ১৫৪২, মুসলিম ১১৭৭)

 

ইয়াহ্ইয়া (র) বলেন, মালিক (র)-এর নিকট একবার জিজ্ঞেস করা হল, একটি হাদীস হতে জানা যায় যে, লুঙ্গি না পেলে সে পায়জামা পরতে পারবে। মুহরিমের জন্য পায়জামা পরা কি জায়েয হবে ? মালিক (র) উত্তরে বললেন, এই ধরনের কোন হাদীস আমি শুনি নাই। আমার মতে মুহরিমের জন্য পায়জামা পরিধান করা উচিত হবে না। কারণ রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মুহরিমকে পায়জামা পরতে নিষেধ করেছেন এবং মোজার ব্যাপারে যেমন অনুমতি প্রদান করা হয়েছে পায়জামার ব্যাপারে তদ্রূপ অনুমতি প্রদান করা হয়নি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদঃ ৪

ইহরাম অবস্থায় রঙিন কাপড় পরিধান করা

৭০১

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ قَالَ، نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَلْبَسَ الْمُحْرِمُ ثَوْبًا مَصْبُوغًا بِزَعْفَرَانٍ أَوْ وَرْسٍ وَقَالَ مَنْ لَمْ يَجِدْ نَعْلَيْنِ فَلْيَلْبَسْ خُفَّيْنِ وَلْيَقْطَعْهُمَا أَسْفَلَ مِنْ الْكَعْبَيْنِ.

আবদুল্লাহ্ ইবনু দীনার (র) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইহরাম অবস্থায় জাফরান এবং ওয়ারস রঞ্জিত কাপড় পরিধান করতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেন, যার জুতা নাই সে মোজা (চামড়ার) পরতে পারবে, কিন্তু টাখনার নিচ পর্যন্ত তা কেটে নিবে। (সহীহ, বুখারী ৫৮৫২, মুসলিম ১১৭৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭০২

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَسْلَمَ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ يُحَدِّثُ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَأَى عَلَى طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللهِ ثَوْبًا مَصْبُوغًا وَهُوَ مُحْرِمٌ فَقَالَ عُمَرُ مَا هَذَا الثَّوْبُ الْمَصْبُوغُ يَا طَلْحَةُ فَقَالَ طَلْحَةُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ إِنَّمَا هُوَ مَدَرٌ فَقَالَ عُمَرُ إِنَّكُمْ أَيُّهَا الرَّهْطُ أَئِمَّةٌ يَقْتَدِي بِكُمْ النَّاسُ فَلَوْ أَنَّ رَجُلًا جَاهِلًا رَأَى هَذَا الثَّوْبَ لَقَالَ إِنَّ طَلْحَةَ بْنَ عُبَيْدِ اللهِ كَانَ يَلْبَسُ الثِّيَابَ الْمُصَبَّغَةَ فِي الْإِحْرَامِ فَلَا تَلْبَسُوا أَيُّهَا الرَّهْطُ شَيْئًا مِنْ هَذِهِ الثِّيَابِ الْمُصَبَّغَةِ.

আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (র) থেকে বর্ণিতঃ

উমার ইবনু খাত্তাব (রা) তাল্‌হা ইবনু উবায়দুল্লাহ্ (রা)-কে ইহরাম অবস্থায় রঙিন কাপড় পরতে দেখে তাঁকে বললেন, তাল্‌হা, এ রঙিন কাপড় কেন ? তিনি বললেন, আমীরুল মু’মিনীন, এটা তো মাটির রঙ। এতে দোষ কি ? উমার ইবনু খাত্তাব (রা) বললেন, দেখ, তোমরা হলে নেতা। অন্যরা তোমাদের অনুসরণ করে চলে। স্বল্প বুদ্ধির কেউ তোমাকে দেখলে মনে করবে, তালহা ইবনু উবায়দুল্লাহও ইহরাম অবস্থায় রঙিন কাপড় পরেন। সুতরাং তোমাদের কোন প্রকারের রঙিন কাপড় পরা উচিত নয়। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৭০৩

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ أَنَّهَا كَانَتْ تَلْبَسُ الثِّيَابَ الْمُعَصْفَرَاتِ الْمُشَبَّعَاتِ وَهِيَ مُحْرِمَةٌ لَيْسَ فِيهَا زَعْفَرَانٌ ১১৬৬-قَالَ يَحْيَى سُئِلَ مَالِك عَنْ ثَوْبٍ مَسَّهُ طِيبٌ ثُمَّ ذَهَبَ مِنْهُ رِيحُ الطِّيبِ هَلْ يُحْرِمُ فِيهِ فَقَالَ نَعَمْ مَا لَمْ يَكُنْ فِيهِ صِبَاغٌ مِنْ زَعْفَرَانٍ أَوْ وَرْسٍ.

বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ

আসমা বিনত আবূ বক্‌র (রা) ইহরাম অবস্থায় গাঢ় কুসুম রঙের কাপড় পরতেন। তবে এতে জাফরান মিশ্রিত হত না। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

ইয়াহ্ইয়া (র) বলেন, সুগন্ধি বিদূরিত হয়ে গেলে ঐ ধরনের কাপড় ইহরাম অবস্থায় পরিধান করা জায়েয কিনা এই সম্পর্কে মালিক (র)-কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন, হ্যাঁ, পরতে পারে। তবে শর্ত হল জাফরান এবং ওয়ার্‌স-এর রঙ যেন তাতে না থাকে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদঃ ৫

ইহরামকালে কোমরবন্ধ বাঁধা

৭০৪

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَكْرَهُ لُبْسَ الْمِنْطَقَةِ لِلْمُحْرِمِ.

নাফি’ (র) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রা) ইহরাম অবস্থায় কোমরবন্ধ বাঁধা মাকরূহ বলে মনে করতেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৭০৫

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ سَمِعَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ يَقُولُ فِي الْمِنْطَقَةِ يَلْبَسُهَا الْمُحْرِمُ تَحْتَ ثِيَابِهِ أَنَّهُ لَا بَأْسَ بِذَلِكَ إِذَا جَعَلَ طَرَفَيْهَا جَمِيعًا سُيُورًا يَعْقِدُ بَعْضَهَا إِلَى بَعْضٍ قَالَ مَالِك وَهَذَا أَحَبُّ مَا سَمِعْتُ إِلَيَّ فِي ذَلِكَ.

ইয়াহ্ইয়া ইবনু সাঈদ (র) থেকে বর্ণিতঃ

সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাব (র) বলেন, উভয় পার্শ্বে ফিতাযুক্ত কোমরবন্ধ কাপড়ের নিচে ইহরাম অবস্থায় পরলে কোন অসুবিধা নাই। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

মালিক (র) বলেন, এ বিষয়ে উল্লিখিত বর্ণনাটি সর্বোত্তম, যাহ আমি শুনেছি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদঃ ৬

ইহরাম অবস্থায় মুখমণ্ডল ঢাকা

৭০৬

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ أَنَّهُ قَالَ أَخْبَرَنِي الْفُرَافِصَةُ بْنُ عُمَيْرٍ الْحَنَفِيُّ أَنَّهُ رَأَى عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ بِالْعَرْجِ يُغَطِّي وَجْهَهُ وَهُوَ مُحْرِمٌ.

বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ

ফারাফিসা ইবনু উমায়র আল-হানাফী (র) আরজ্ নামক স্থানে উসমান ইবনু আফফান (রা)-কে ইহরাম অবস্থায় মুখমণ্ডল আচ্ছাদিত করতে দেখেছেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৭০৭

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَقُوْلُ: مَا فَوْقَ الذَّقَنِ مِنْ الرَّأْسِ فَلَا يُخَمِّرْهُ الْمُحْرِمُ.

নাফি’ (র) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রা) বলেন, থুতনির উপরিভাগ মাথার হুকুমের শামিল। ইহরাম অবস্থায় উহা ঢাকা দুরস্ত নহে। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৭০৮

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَفَّنَ ابْنَهُ وَاقِدَ بْنَ عَبْدِ اللهِ وَمَاتَ بِالْجُحْفَةِ مُحْرِمًا وَخَمَّرَ رَأْسَهُ وَوَجْهَهُ وَقَالَ لَوْلَا أَنَّا حُرُمٌ لَطَيَّبْنَاهُ ১১৭৪-قَالَ مَالِك وَإِنَّمَا يَعْمَلُ الرَّجُلُ مَا دَامَ حَيًّا فَإِذَا مَاتَ فَقَدْ انْقَضَى الْعَمَلُ.

নাফি’ (র) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রা)-এর পুত্র ওয়াকিদ ইবনু আবদুল্লাহ্ (র) জুহফা নামক স্থানে ইহরাম অবস্থায় ইন্তিকাল করেন। উমার ইবনু খাত্তাব (রা) নিজে তাঁকে কাফন পরান। তিনি তখন বলেছিলেন আমরা ইহরাম অবস্থায় না হলে তাঁকে সুগন্ধি লাগাতাম। তিনি তাঁর মাথা এবং মুখমণ্ডল ঢেকে দিয়েছিলেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

মালিক (র) বলেন, জীবিত থাকাকালীন মানুষ শরীয়তের উপর আমল করতে পারে। মৃত্যুর পরে মানুষের আমল বন্ধ হয়ে যায়।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৭০৯

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَقُوْلُ لَا تَنْتَقِبُ الْمَرْأَةُ الْمُحْرِمَةُ وَلَا تَلْبَسُ الْقُفَّازَيْنِ.

নাফি’ (র) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রা) বলতেন, ইহরাম অবস্থায় মহিলাগণ চেহারায় নেকাব ফেলবে না বা হাতে হাতমোজা পরবে না। [১] (সহীহ মারফু, ইমাম বুখারী মারফু সনদে ইবনু উমার (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন, বুখারী ১৮৩৮)

  •  
  •  
  •  
  •  

[১] নেকাবের কাপড় যদি মুখমণ্ডলের সঙ্গে আঁটিয়া না থেকে পৃথক থাকে তবে নেকাব ব্যবহার করা দুরস্ত আছে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১০

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ الْمُنْذِرِ أَنَّهَا قَالَتْ، كُنَّا نُخَمِّرُ وُجُوهَنَا وَنَحْنُ مُحْرِمَاتٌ وَنَحْنُ مَعَ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيْقِ.

ফাতিমা বিনতে মুনযির (র) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা আসমা বিনতে আবূ বক্‌র (রা)-এর সঙ্গী ছিলাম। আমরা ইহরাম অবস্থায় মুখ ঢেকে ফেলতাম, কিন্তু তিনি আমাদের কিছুই বলতেন না। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদঃ ৭

হজ্জের সময় সুগন্ধি ব্যবহার করা

৭১১

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهَا قَالَتْ، كُنْتُ أُطَيِّبُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِإِحْرَامِهِ قَبْلَ أَنْ يُحْرِمَ وَلِحِلِّهِ قَبْلَ أَنْ يَطُوفَ بِالْبَيْتِ.

নাবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সহধর্মিনী আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিতঃ

ইহরাম বাঁধার পূর্বে এবং ইহরাম খোলার সময় তাওয়াফে যিয়ারতের পূর্বে আমি রসূলুল্লাহ্ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)কে সুগন্ধি লাগিয়ে দিতাম। (বুখারী ১৫৩৯, মুসলিম ১১৮৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১২

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ حُمَيْدِ بْنِ قَيْسٍ عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ أَنَّ أَعْرَابِيًّا جَاءَ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ بِحُنَيْنٍ وَعَلَى الْأَعْرَابِيِّ قَمِيصٌ وَبِهِ أَثَرُ صُفْرَةٍ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنِّي أَهْلَلْتُ بِعُمْرَةٍ فَكَيْفَ تَأْمُرُنِي أَنْ أَصْنَعَ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ انْزَعْ قَمِيصَكَ وَاغْسِلْ هَذِهِ الصُّفْرَةَ عَنْكَ وَافْعَلْ فِي عُمْرَتِكَ مَا تَفْعَلُ فِي حَجِّكَ.

‘আতা ইবনু আবি রাবাহ (র) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন হুনাইনে আবস্থান করতেছিলেন তখন হলুদ চিহ্ন আছে এমন জামা পরিহিত এক বেদুঈন ব্যক্তি তাঁর কাছে এসে বলল, ইয়া রসূলুল্লাহ্! আমি উমরার নিয়ত করেছি। এখন আপনি আমাকে কি করতে নির্দেশ করেন? রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, জামাটি খুলে হলুদ দাগগুলো ধুয়ে ফেল এবং হজ্জের বেলায় যা করতে এখন তাই কর। (বুখারী ১৭৮৯, মুসলিম ১১৮০, তবে ইমাম মালিক কর্তৃক বর্ণিত হাদীসটি মুরসাল)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৭১৩

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ أَسْلَمَ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ وَجَدَ رِيحَ طِيبٍ وَهُوَ بِالشَّجَرَةِ فَقَالَ مِمَّنْ رِيحُ هَذَا الطِّيبِ فَقَالَ مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ مِنِّي يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ فَقَالَ مِنْكَ لَعَمْرُ اللهِ فَقَالَ مُعَاوِيَةُ إِنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ طَيَّبَتْنِي يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ فَقَالَ عُمَرُ عَزَمْتُ عَلَيْكَ لَتَرْجِعَنَّ فَلْتَغْسِلَنَّهُ.

আসলাম (র) থেকে বর্ণিতঃ

উমার ইবনু খাত্তাব (রা) শাজারায় (মদীনা হতে ছয় মাইল দূরবর্তী একটি স্থান) ছিলেন। তখন তাঁর নাকে সুগন্ধি অনুভূত হল। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, এই সুগন্ধি কোথা হতে আসছে ? মু’আবিয়া ইবনু আবূ সুফইয়ান (রা) বললেন, আমার নিকট হে আমীরুল মু’মিনীন। [১] উমার (রা) বললেন, আল্লাহর কসম, এই সুগন্ধি তোমার হতে! অতঃপর মু’আবিয়া বললেন, উম্মে হাবীবা (রা) আমাকে এই সুগন্ধি লাগিয়ে দিয়েছিলেন। উমার (রা) বললেন, তোমাকে বলতেছি, তুমি ফিরে যাও (উম্মে হাবীবার নিকট), তিনি নিশ্চয় এটা ধুয়ে দিবেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

  •  
  •  
  •  
  •  

[১] উমার (রা) মুআবিয়া ইবনু আবূ সুফিয়ান (রা)-কে আরবের কিসরা (সম্রাট) বলে ডাকতেন। -আওয়াযুল মাসালিক, ৩য় খণ্ড।

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৭১৪

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ الصَّلْتِ بْنِ زُيَيْدٍ عَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِهِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ

وَجَدَ رِيحَ طِيبٍ وَهُوَ بِالشَّجَرَةِ وَإِلَى جَنْبِهِ كَثِيرُ بْنُ الصَّلْتِ فَقَالَ عُمَرُ مِمَّنْ رِيحُ هَذَا الطِّيبِ فَقَالَ كَثِيرٌ مِنِّي يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ لَبَّدْتُ رَأْسِي وَأَرَدْتُ أَنْ لَا أَحْلِقَ فَقَالَ عُمَرُ فَاذْهَبْ إِلَى شَرَبَةٍ فَادْلُكْ رَأْسَكَ حَتَّى تُنْقِيَهُ فَفَعَلَ كَثِيرُ بْنُ الصَّلْتِ قَالَ مَالِك الشَّرَبَةُ حَفِيرٌ تَكُونُ عِنْدَ أَصْلِ النَّخْلَةِ.

সালত ইবনু যুয়াইদ (র) থেকে বর্ণিতঃ

সালত ইবনু যুয়াইদ (র) তাঁর পরিবারের একাধিক ব্যক্তি হতে বর্ণনা করেন যে, উমার ইবনু খাত্তাব (রা) শাজারায় সুগন্ধ দ্রব্যের ঘ্রাণ পেলেন, তাঁর পার্শ্বে ছিলেন কসীর ইবনু সালত। উমার (রা) বললেন, এই সুগন্ধি কার নিকট হতে ? কাসীর বললেন, আমার নিকট হতে। আমার মাথায় তলবীদ করেছি এবং আমি মাথায় চুল মুণ্ডাবার ইরাদা করেছি। উমার (রা) বললেন, তুমি শারাবাতের দিকে গমন কর এবং তোমার মাথা মালিশ কর উহাকে পরিষ্কার করা পর্যন্ত। কসীর ইবনু সালত (র) উহা করলেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

মালিক (র) বলেন, শারাবাত খেজুর গাছের গোড়ার গর্ত যাতে পানি জমে থাকে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৭১৫

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ وَعَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ وَرَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ الْوَلِيدَ بْنَ عَبْدِ الْمَلِكِ سَأَلَ سَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللهِ وَخَارِجَةَ بْنَ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ بَعْدَ أَنْ رَمَى الْجَمْرَةَ وَحَلَقَ رَأْسَهُ وَقَبْلَ أَنْ يُفِيضَ عَنْ الطِّيبِ فَنَهَاهُ سَالِمٌ وَأَرْخَصَ لَهُ خَارِجَةُ بْنُ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ.

১১৮৩-قَالَ مَالِك لَا بَأْسَ أَنْ يَدَّهِنَ الرَّجُلُ بِدُهْنٍ لَيْسَ فِيهِ طِيبٌ قَبْلَ أَنْ يُحْرِمَ وَقَبْلَ أَنْ يُفِيضَ مِنْ مِنًى بَعْدَ رَمْيِ الْجَمْرَةِ. ১১৮৪- قَالَ يَحْيَى سُئِلَ مَالِك عَنْ طَعَامٍ فِيهِ زَعْفَرَانٌ هَلْ يَأْكُلُهُ الْمُحْرِمُ فَقَالَ أَمَّا مَا تَمَسُّهُ النَّارُ مِنْ ذَلِكَ فَلَا بَأْسَ بِهِ أَنْ يَأْكُلَهُ الْمُحْرِمُ وَأَمَّا مَا لَمْ تَمَسَّهُ النَّارُ مِنْ ذَلِكَ فَلَا يَأْكُلُهُ الْمُحْرِمُ.

ইয়াহ্ইয়া ইব্‌নু সাঈদ (র), আবদুল্লাহ্ ইবনু আবূ বক্‌র (র) এবং রবীআ ইবনু আবূ আবদুর রহমান (র) থেকে বর্ণিতঃ

অলিদ ইবনু আবদুল মালিক সালিম ইবনু আবদুল্লাহ্ ও খারিজা ইবনু যায়দ (র)-কে জিজ্ঞেস করলেন, রমীয়ে জামরা (প্রস্তর নিক্ষেপ) এবং মাথা কামাবার পর তওয়াফে যিয়ারতের পূর্বে সুগন্ধি ব্যবহার করা কেমন ? সালিম (র) ইহাকে নিষিদ্ধ বলে মত দিলেন, আর খারিজা ইবনু যায়দ ইবনু সাবিত (র) বললেন, ইহা জায়েয। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

মালিক (র) বলেন, ইহরামের পূর্বে বা তাওয়াফের যিয়ারতের পূর্বে রমীয়ে জামরার পর মিনা হতে প্রত্যাবর্তনকালে গন্ধবিহীন সাধারণ তৈল ব্যবহার করায় কোন অসুবিধা নেই।

ইয়াহ্ইয়া (র) বলেন, মালিক (র)-কে জিজ্ঞেস করা হল, জাফরান মিশ্রিত খাদ্য মুহরিম ব্যক্তি খেতে পারবে কি? তখন তিনি বললেন, আগুনে পরিপাক করা হয়ে থাকলে খেতে পারবে। আর তা না হলে খেতে পারবে না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদঃ ৮

ইহরামের মীকাত বা স্থানসমূহ

৭১৬

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ يُهِلُّ أَهْلُ الْمَدِينَةِ مِنْ ذِي الْحُلَيْفَةِ وَيُهِلُّ أَهْلُ الشَّامِ مِنْ الْجُحْفَةِ وَيُهِلُّ أَهْلُ نَجْدٍ مِنْ قَرْنٍ قَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ وَبَلَغَنِي أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ وَيُهِلُّ أَهْلُ الْيَمَنِ مِنْ يَلَمْلَمَ.

আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রা) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, মদীনাবাসিগণ যুল-হুলায়ফা হতে, সিরিয়াবাসিগণ জুহফা আর নজ্‌দবাসিগণ কর্‌ন হতে ইহরাম বাঁধবে।

আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার বলেন, আমার নিকট আরও রেওয়ায়ত পৌঁছেছে, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ইয়ামানবাসিগণ ইয়ালাম্‌লাম্‌ হতে ইহরাম বাঁধবে। [১] (বুখারী ১৫২৫, মুসলিম ১১৮২)

  •  
  •  
  •  
  •  

[১] হজ্জযাত্রীদের জন্য ইহরাম না বেঁধে উল্লিখিত স্থানসমূহ অতিক্রম করা জায়েয নয়।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৭

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ قَالَ أَمَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهْلَ الْمَدِينَةِ أَنْ يُهِلُّوا مِنْ ذِي الْحُلَيْفَةِ وَأَهْلَ الشَّامِ مِنْ الْجُحْفَةِ وَأَهْلَ نَجْدٍ مِنْ قَرْنٍ .

আবদুল্লাহ্ ইবনু দিনার (র) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রা) বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মদীনাবাসীদের যুল-হুলায়ফা এবং সিরিয়াবাসীদের জুহ্‌ফা ন্‌জদবাসিদের করণ হতে ইহরাম বাঁধার নির্দেশ দিয়াছেন। (বুখারী ৭৩৪৪, মুসলিম ১১৮২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৮

قَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ أَمَّا هَؤُلَاءِ الثَّلَاثُ فَسَمِعْتُهُنَّ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأُخْبِرْتُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ وَيُهِلُّ أَهْلُ الْيَمَنِ مِنْ يَلَمْلَمَ.

আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রা) থেকে বর্ণিতঃ

উল্লেখিত তিনটি কথা আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হতে শুনেছি। আর আমাকে সংবাদ দেওয়া হয়েছে যে, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ইয়ামনবাসী ইয়ালামলাম হতে ইহ্‌রাম বাঁধবে। (বুখারী ৭৩৪৪, মুসলিম ১১৮২)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭১৯

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ أَهَلَّ مِنْ الْفُرُعِ.

নাফি’ (র) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রা) ফুরু’ নামক স্থান হতে ইহরাম বেঁধেছিলেন। [১] (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

  •  
  •  
  •  
  •  

[১] যুল-হুলায়ফার পর মক্কার দিকে রাবাজার অন্তর্গত একটি স্থানের নাম ফুরু’। সম্ভবত আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রা) প্রথমে ইহরামের নিয়ত করেননি, পরে নিয়ত করে এখান হতে ইহরাম বেঁধে নেন।

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৭২০

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ الثِّقَةِ عِنْدَهُ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ أَهَلَّ مِنْ إِيلِيَاءَ.

মালিক (র) থেকে বর্ণিতঃ

মালিক (র) জনৈক নির্ভরযোগ্য ব্যক্তির কাছে শুনেছেন যে, আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রা) এলিয়া (বায়তুল মুকাদ্দাস) হতে ইহরাম বেঁধেছিলেন। [১] (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

  •  
  •  
  •  
  •  

[১] মীকাতের পূর্বে ইহরাম বাঁধা ইমাম আবূ হানীফা (র) ও ইমাম শাফিঈ (র)-এর নিকট উত্তম।

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৭২১

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهَلَّ مِنْ الْجِعِرَّانَةِ بِعُمْرَةٍ.

মালিক (র) থেকে বর্ণিতঃ

তাঁর নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জি’ইরানা নামক স্থান হতে ওমরার ইহরাম বেঁধেছিলেন। (সহীহ, আবূ দাঊদ ১৯৯৬, তিরমিযী ৯৩৫, নাসাঈ ২৮৬৩, আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন [সহীহ ও যয়ীফ সুনানে আবূ দাঊদ])

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদঃ ৯

ইহরাম বাঁধার ও সেই সময় তালবিয়া পাঠ করার পদ্ধতি

৭২২

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ تَلْبِيَةَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَبَّيْكَ اللهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ قَالَ وَكَانَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ يَزِيدُ فِيهَا لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ وَالْخَيْرُ بِيَدَيْكَ لَبَّيْكَ وَالرَّغْبَاءُ إِلَيْكَ وَالْعَمَلُ.

আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রা) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর তালবিয়া এইরূপ

لَبَّيْكَ اَللّٰهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ [১]

নাফি’ (র) বলেন, আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রা) তৎসঙ্গে এটাও বৃদ্ধি করতেন

لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ وَالْخَيْرُ بِيَدَيْكَ لَبَّيْكَ وَالرَّغْبَاءُ إِلَيْكَ وَالْعَمَلُ [২]

(বুখারী ১৫৪৯, মুসলিম ১১৮৪)

  •  
  •  
  •  
  •  

[১] বারবার হাযির হই হে পরওয়ারদিগার! বারবার আমি তোমার দ্বারে হাযির হই, বারবার তোমার দরবারে হাযির হই, কোন শরীক নেই তোমার, বারবার আমি তোমার দ্বারে হাযির হই, নিঃসন্দেহে সকল প্রশংসা ও নিয়ামত এবং রাজত্ব তোমারই। কোন শরীক নেই তোমার।

[২] আমি তোমার দরবারে হাযির, আমি হাযির, সৌভাগ্য তোমার নিকট হতে, মঙ্গল তোমার হাতেই, আমি তোমার দরবারে হাযির, আমার সকল প্রেরণা আর আমার সকল কর্মে একমাত্র উদ্দেশ্য তুমিই।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২৩

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّي فِي مَسْجِدِ ذِي الْحُلَيْفَةِ رَكْعَتَيْنِ فَإِذَا اسْتَوَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ أَهَلَّ.

হিশাম ইবনু উরওয়াহ্ (র) থেকে বর্ণিতঃ

হিশাম ইবনু উরওয়াহ্ (র) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যুল-হুলায়ফা নামক স্থানে অবস্থিত মসজিদে দুই রাক’আত নামায আদায় করতেন। অতঃপর যখন উষ্ট্রে আরোহণ করতেন তখন উচ্চঃস্বরে তালবিয়া বা লাব্বায়কা পাঠ করতেন। (বুখারী ১৫১৪, ইমাম মুসলিম ইবনু উমার থেকে মুত্তাসিল সনদে বর্ণনা করেন মুসলিম ১১৮৭, তবে ইমাম মালিক কর্তৃক বর্ণিত হাদীসটি মুরসাল)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

৭২৪

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَاهُ يَقُولُ

بَيْدَاؤُكُمْ هَذِهِ الَّتِي تَكْذِبُونَ عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهَا مَا أَهَلَّ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا مِنْ عِنْدِ الْمَسْجِدِ يَعْنِي مَسْجِدَ ذِي الْحُلَيْفَةِ.

সালিম ইবনু আবদুল্লাহ্ (র) থেকে বর্ণিতঃ

সালিম ইবনু আবদুল্লাহ্ (র) তাঁর পিতা আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রা)-এর নিকট শুনেছেন, তিনি বলেন, এই স্থানটিতে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইহরাম বেঁধেছিলেন বলে তোমরা ভুল ধারণা করে থাক। অথচ রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যুল-হুলাইফাস্থ মসজিদের নিকট হতে লাব্বায়কা বলেছেন। (বুখারী ১৫৪১, মুসলিম ১১৮৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২৫

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ عُبَيْدِ بْنِ جُرَيْجٍ أَنَّهُ قَالَ لِعَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ رَأَيْتُكَ تَصْنَعُ أَرْبَعًا لَمْ أَرَ أَحَدًا مِنْ أَصْحَابِكَ يَصْنَعُهَا قَالَ وَمَا هُنَّ يَا ابْنَ جُرَيْجٍ قَالَ رَأَيْتُكَ لَا تَمَسُّ مِنْ الْأَرْكَانِ إِلَّا الْيَمَانِيَّيْنِ وَرَأَيْتُكَ تَلْبَسُ النِّعَالَ السِّبْتِيَّةَ وَرَأَيْتُكَ تَصْبُغُ بِالصُّفْرَةِ وَرَأَيْتُكَ إِذَا كُنْتَ بِمَكَّةَ أَهَلَّ النَّاسُ إِذَا رَأَوْا الْهِلَالَ وَلَمْ تُهْلِلْ أَنْتَ حَتَّى يَكُونَ يَوْمُ التَّرْوِيَةِ فَقَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ أَمَّا الْأَرْكَانُ فَإِنِّي لَمْ أَرَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمَسُّ إِلَّا الْيَمَانِيَّيْنِ وَأَمَّا النِّعَالُ السِّبْتِيَّةُ فَإِنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَلْبَسُ النِّعَالَ الَّتِي لَيْسَ فِيهَا شَعَرٌ وَيَتَوَضَّأُ فِيهَا فَأَنَا أُحِبُّ أَنْ أَلْبَسَهَا وَأَمَّا الصُّفْرَةُ فَإِنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصْبُغُ بِهَا فَأَنَا أُحِبُّ أَنْ أَصْبُغَ بِهَا وَأَمَّا الْإِهْلَالُ فَإِنِّي لَمْ أَرَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُهِلُّ حَتَّى تَنْبَعِثَ بِهِ رَاحِلَتُهُ

বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ

উবায়দ ইবনু জুরায়জ (র) আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রা)-কে বললেন, হে আবূ আবদুর রহমান! এমন একটি বিষয় আপনার মধ্যে দেখতে পাই যা আপনার অন্যান্য সাথীর মধ্যে দেখতে পাওয়া যায় না। আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রা) বললেন, সেগুলো কি ? বলত শুনি। ইবনু জুরায়জ বললেন, তাওয়াফের সময় আপনাকে রুকনে ইয়্যামানী এবং হাজরে আসওয়াদই কেবল ছুঁতে দেখা যায়, লোমশূন্য চামড়ার জুতা আপনি পরিধান করে থাকেন, আপনি হলুদ রঙের খেজাব ব্যবহার করেন, মক্কায় অবস্থান করলে আপনি যিলহজ্জ মাসের আট তারিখে ইহরাম বেঁধে থাকেন অথচ অন্যরা চাঁদ দেখামাত্র ইহরাম বেঁধে নেন। আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রা) জবাবে বললেন, রুকনে ইয়্যামানী ও হাজরে আসওয়াদ ব্যতীত অন্য কোন রুকন স্পর্শ করতে আমি রসূলুল্লাহ্ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে দেখিনি। লোমশূন্য জুতা পরতেও রসূলুল্লাহ্ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে দেখেছি এবং সে জুতা পরিধান করা অবস্থায় তিনি ওযূও করতেন। তাই উহা পরতে আমার ভাল লাগে। হলুদ রঙের খেজাবও রসূলুল্লাহ্ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে ব্যবহার করতে দেখেছি তাই আমার তা ভাল লাগে। আর ইহরাম সম্বন্ধে আমি রসূলুল্লাহ্ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)কে দেখেছি যতক্ষণ তাঁকে নিয়ে যাত্রার জন্য উট্ না দাঁড়াত ততক্ষণ তিনি তালবিয়া পড়তেন না। (সহীহ, বুখারী ১৬৬, মুসলিম ১১৮৭)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২৬

– و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يُصَلِّي فِي مَسْجِدِ ذِي الْحُلَيْفَةِ ثُمَّ يَخْرُجُ فَيَرْكَبُ فَإِذَا اسْتَوَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ أَحْرَمَ.

নাফি’ (রা) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রা) যুল-হুলায়ফাস্থ মসজিদে নামায পড়ে বের হতেন, পরে উটে আরোহণ করে ইহরাম বাঁধতেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৭২৭

– و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ مَرْوَانَ أَهَلَّ مِنْ عِنْدِ مَسْجِدِ ذِي الْحُلَيْفَةِ حِينَ اسْتَوَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ وَأَنَّ أَبَانَ بْنَ عُثْمَانَ أَشَارَ عَلَيْهِ بِذَلِكَ.

মালিক (র) থেকে বর্ণিতঃ

তাঁর নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, আবদুল মালিক ইবনু মারওয়ান [১] (র) যুল-হুলায়ফার মসজিদ হতে উট যখন সোজা হয়ে দাঁড়াত তখন তালবিয়া পড়েছিলেন। আবান ইবনু উসমান (র) তাঁকে তদ্রূপ করতে বলেছেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

  •  
  •  
  •  
  •  

[১] আবদুল মালিক ইবনু মারওয়ান (জন্ম ২৬ হিজরী, মৃত্যু ৮৬ হিজরী) ঃ মুআবিয়ার শাসনকালে তিনি মদীনার শাসনকর্তা নিযুক্ত হয়েছিলেন।

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদঃ ১০

উচ্চস্বরে লাব্বায়কা বলা

৭২৮

– حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ عَنْ خَلَّادِ بْنِ السَّائِبِ الْأَنْصَارِيِّ عَنْ أَبِيْهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَتَانِي جِبْرِيلُ فَأَمَرَنِي أَنْ آمُرَ أَصْحَابِي أَوْ مَنْ مَعِي أَنْ يَرْفَعُوا أَصْوَاتَهُمْ بِالتَّلْبِيَةِ أَوْ بِالْإِهْلَالِ يُرِيدُ أَحَدَهُمَا.

খাল্লাদ ইবনু সায়িব আনসারী (র) থেকে বর্ণিতঃ

খাল্লাদ ইবনু সায়িব আনসারী (র) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন যে, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, জিবরাঈল (আ) এসে আমাকে নির্দেশ দিয়ে গেলেন আমার সঙ্গীদের যেন উচ্চৈঃস্বরে ‘লাব্বায়কা’ বলার নির্দেশ দেই। (সহীহ, আবূ দাঊদ ১৮১৪, তিরমিযী ৮২৯, নাসাঈ ২৭৫৩, ইবনু মাজাহ ২৯২২, আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন [সহীহ আল-জামে’ ৬২])

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭২৯

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ سَمِعَ أَهْلَ الْعِلْمِ يَقُولُونَ لَيْسَ عَلَى النِّسَاءِ رَفْعُ الصَّوْتِ بِالتَّلْبِيَةِ لِتُسْمِعْ الْمَرْأَةُ نَفْسَهَا قَالَ مَالِك لَا يَرْفَعُ الْمُحْرِمُ صَوْتَهُ بِالْإِهْلَالِ فِي مَسَاجِدِ الْجَمَاعَاتِ لِيُسْمِعْ نَفْسَهُ وَمَنْ يَلِيهِ إِلَّا فِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَمَسْجِدِ مِنًى فَإِنَّهُ يَرْفَعُ صَوْتَهُ فِيهِمَا ১২০২-قَالَ مَالِك سَمِعْتُ بَعْضَ أَهْلِ الْعِلْمِ يَسْتَحِبُّ التَّلْبِيَةَ دُبُرَ كُلِّ صَلَاةٍ وَعَلَى كُلِّ شَرَفٍ مِنْ الْأَرْضِ.

মালিক (র) থেকে বর্ণিতঃ

বিজ্ঞ আলিমগণের নিকট শুনেছি, তাঁরা বলতেন, উচ্চৈঃস্বরে তালবিয়া পাঠ করা মহিলাদের বেলায় প্রযোজ্য নয়। মহিলাগণ আস্তে পড়িবেন যেন কেবল নিজেরাই আওয়ায শুনতে পান।

মালিক (র) বলেন, মসজিদের ভিতরে তালবিয়ার আওয়ায খুব বেশি উঁচু করবে না। বরং এতটুকু শব্দে পড়িবে যেন নিজে এবং পাশের লোকটি কেবল শুনতে পায়। তবে মিনা মসজিদ এবং মসজিদুল হারামে উচ্চৈঃস্বরে ‘লাব্বায়কা’ পাঠ করবে।

মালিক (র) বলেন, কতিপয় আলিমের নিকট শুনেছি, প্রত্যেক নামাযের পর এবং চড়াই উতরাই-এর সময় লাব্বায়কা পাঠ করা মুস্তাহাব।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদঃ ১১

হজ্জে ইফরাদ

৭৩০

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهَا قَالَتْ: خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ فَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ وَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِحَجَّةٍ وَعُمْرَةٍ وَمِنَّا مَنْ أَهَّلَ بِالْحَجِّ وَأَهَلَّ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْحَجِّ فَأَمَّا مَنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ فَحَلَّ وَأَمَّا مَنْ أَهَلَّ بِحَجٍّ أَوْ جَمَعَ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ فَلَمْ يُحِلُّوا حَتَّى كَانَ يَوْمُ النَّحْرِ.

নাবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সহধর্মিনী আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিতঃ

(হাজ্জাতুল বিদা) বিদায় হজ্জের সময় আমরা রসূলুল্লাহ্ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সাথে রওয়ানা হলাম। আমাদের মধ্যে কেউ শুধু উমরার, আর কেউ কেউ উমরা ও হজ্জ উভয়ের, আর কেউ শুধু হজ্জের ইহরাম বেঁধেছিলেন। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিজে বেঁধেছিলেন শুধু হজ্জের ইহরাম। সুতরাং যারা শুধু উমরার ইহরাম বেঁধেছিলেন তাঁরা উমরা করেই ইহরাম খুলে ফেলেছেন। আর যাঁরা হজ্জ ও উমরা উভয়ের বা শুধু হজ্জের ইহরাম বেঁধেছিলেন তাঁরা দশ তারিখ পর্যন্ত আর ইহরাম খুলেননি। (বুখারী ১৫৬২, মুসলিম ১২১১)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৩১

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفْرَدَ الْحَجَّ.

উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হজ্জে ইফরাদ আদায় করেছিলেন। [১] (সহীহ, মুসিলম ১২১১)

  •  
  •  
  •  
  •  

[১] ইহরামের সময় শুধু হজ্জের নিয়ত করলে একে হজ্জে ইফরাদ বলা হয়। একই সফরে মীকাত হতে কেবল উমরার নিয়ত করে উমরা করার পর মক্কা হতে পুনরায় হজ্জের ইহরাম বাঁধাকে হজ্জে তামাত্ত বলা হয়। মীকাত হতে উমরা ও হজ্জ উভয়ের নিয়ত করলে তাকে হজ্জে কিরান বলা হয়।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৩২

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ وَكَانَ يَتِيمًا فِي حَجْرِ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفْرَدَ الْحَجَّ.

উরওয়াহ্ ইবনু যুবায়র উম্মুল মু’মিনীর আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিতঃ

নিশ্চয়ই রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হজ্জে-ইফরাদ’ আদায় করেছেন। (সহীহ, হাদীসটি মূলত মুত্তাফাক আলাইহি, ইতি পূর্বে এরূপ বর্ণনা অতিবাহিত হয়েছে)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

৭৩৩

-و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ سَمِعَ أَهْلَ الْعِلْمِ يَقُولُونَ مَنْ أَهَلَّ بِحَجٍّ مُفْرَدٍ ثُمَّ بَدَا لَهُ أَنْ يُهِلَّ بَعْدَهُ بِعُمْرَةٍ فَلَيْسَ لَهُ ذَلِكَ قَالَ مَالِك وَذَلِكَ الَّذِي أَدْرَكْتُ عَلَيْهِ أَهْلَ الْعِلْمِ بِبَلَدِنَا.

মালিক (র) থেকে বর্ণিতঃ

বিজ্ঞ আলিমগণের নিকট শুনেছি, তাঁরা বলতেন কেউ হজ্জের ইফরাদের ইহরাম করলে তার জন্য উমরার ইহরাম বাঁধা জায়েয নয়।

মালিক (র) বলেন, আমি এই শহরের (মদীনা শরীফ) আলিমগণকে উক্তরূপ অভিমত পোষণ করতে দেখেছি।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদঃ ১২

হজ্জে কিরান

৭৩৪

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيْهِ أَنَّ الْمِقْدَادَ بْنَ الْأَسْوَدِ دَخَلَ عَلَى عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ بِالسُّقْيَا وَهُوَ يَنْجَعُ بَكَرَاتٍ لَهُ دَقِيقًا وَخَبَطًا فَقَالَ هَذَا عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ يَنْهَى عَنْ أَنْ يُقْرَنَ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ فَخَرَجَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَعَلَى يَدَيْهِ أَثَرُ الدَّقِيقِ وَالْخَبَطِ فَمَا أَنْسَى أَثَرَ الدَّقِيقِ وَالْخَبَطِ عَلَى ذِرَاعَيْهِ حَتَّى دَخَلَ عَلَى عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ فَقَالَ أَنْتَ تَنْهَى عَنْ أَنْ يُقْرَنَ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ فَقَالَ عُثْمَانُ ذَلِكَ رَأْيِي فَخَرَجَ عَلِيٌّ مُغْضَبًا وَهُوَ يَقُولُ لَبَّيْكَ اللهُمَّ لَبَّيْكَ بِحَجَّةٍ وَعُمْرَةٍ مَعًا. قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّ مَنْ قَرَنَ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ لَمْ يَأْخُذْ مِنْ شَعَرِهِ شَيْئًا وَلَمْ يَحْلِلْ مِنْ شَيْءٍ حَتَّى يَنْحَرَ هَدْيًا إِنْ كَانَ مَعَهُ وَيَحِلَّ بِمِنًى يَوْمَ النَّحْرِ.

জা’ফর ইবনু মুহাম্মদ (র) থেকে বর্ণিতঃ

জা’ফর ইবনু মুহাম্মদ (র) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন মিকদাদ ইব্‌নু আসওয়াদ (রা) সুক্ইয়াতে [১] আলী ইবনু আবূ তালিব (রা)-এর নিকট আসলেন। আলী (রা) তখন উটের বাচ্চাগুলোকে পানিতে গোলা আটা এবং ঘাস খাওয়াচ্ছিলেন। মিকদাদ (রা) বললেন, উসমান ইবনু আফফান (রা) হজ্জে কিরান করতে নিষেধ করতেছেন। এটা শুনে আলী (রা) ঐ অবস্থায়ই উসমান ইবনু আফফান (রা)-এর সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে গেলেন। তখনও তাঁর হাতে আটা লেগেছিল। আজ পর্যন্ত আমি তাঁর হাতের আটার দাগ ভুলতে পারিনি। তিনি উসমান (রা)-এর নিকট গিয়ে বললেন, আপনি হজ্জে কিরান নিষেধ করেন ? তিনি বললেন, হ্যাঁ, এটা আমার মত। আলী (রা) ক্রোধান্বিত হয়ে বের হয়ে গেলেন এবং বললেন,

لَبَّيْكَ اللهُمَّ لَبَّيْكَ بِحَجَّةٍ وَعُمْرَةٍ مَعًا.

‘হে আল্লাহ্, আমি হজ্জ ও উমরা উভয়ের এক সঙ্গে তালবিয়া পাঠ করলাম। [২] (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

মালিক (র) বলেন, হজ্জে কিরানের ইহরামকারী ব্যক্তি দশ তারিখে কুরবানীর পশু যবেহ না করা (তার সঙ্গে পশু هَدْيً থাকলে) এবং মিনায় গিয়ে ইহরাম না খোলা পর্যন্ত নিজের চুল কাটবে না। এবং ইহরাম অবস্থায় যা নিষিদ্ধ তা করবে না। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

  •  
  •  
  •  
  •  

[১] এটা মক্কার পথে অবস্থিত একটি জনবসতি।

[২] নাসাঈ শরীফের এক বর্ণনায় জানা যায়, উসমান (রা) পরে তাঁর এ মত প্রত্যাহার করে হজ্জে কিরানকে জায়েয বলে মত প্রকাশ করেছিলেন। অতঃপর সঙ্গিগণের দিকে লক্ষ করে বলেছিলেন, হজ্জ ও উমরার হুকুম একই। তোমাদেরকে আমি সাক্ষ্য রাখছি যে, উমরার সঙ্গে সঙ্গে আমি এখন হজ্জেরও নিয়ত করলাম।

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৭৩৫

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ خَرَجَ إِلَى الْحَجِّ فَمِنْ أَصْحَابِهِ مَنْ أَهَلَّ بِحَجٍّ وَمِنْهُمْ مَنْ جَمَعَ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ وَمِنْهُمْ مَنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ فَقَطْ فَأَمَّا مَنْ أَهَلَّ بِحَجٍّ أَوْ جَمَعَ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ فَلَمْ يَحْلِلْ وَأَمَّا مَنْ كَانَ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ فَحَلُّوا.

সুলায়মান ইবনু ইয়াসার (র) থেকে বর্ণিতঃ

বিদায় হজ্জের সময় রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হজ্জের উদ্দেশ্যে যখন রওয়ানা হন তখন সাহাবীদের মধ্যে কেউ কেউ কেবল হজ্জের, আর কেউ কেউ হজ্জ ও উমরা উভয়ের, আর কেউ কেউ কেবল উমরার ইহরাম বেঁধেছিলেন। যাঁরা হজ্জ ও উমরা উভয়ের বা কেবল হজ্জের নিয়ত করেছিলেন, তাঁরা ইহরাম খোলেননি, আর যারা উমরার ইহরাম বেঁধেছিলেন তাঁরা উমরা আদায় করে ইহরাম খুলে ফেলেছিলেন। (হাদীসটি পূর্বে মুত্তাসিল সনদে বর্ণনা করা হয়েছে। ইবনু উমার (রা) থেকে ইমাম বুখারী বর্ণনা করেন ১৮০৬, মুসলিম ১২৩০, আর রসূল এর বাণী ==== অত্র অংশ ইমাম বুখারী ১৫৫৬ নং হাদীসে ইমাম মুসলিম ১২১১, নং হাদীস বর্ণনা করেন)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

৭৩৬

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ سَمِعَ بَعْضَ أَهْلِ الْعِلْمِ يَقُولُونَ مَنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ ثُمَّ بَدَا لَهُ أَنْ يُهِلَّ بِحَجٍّ مَعَهَا فَذَلِكَ لَهُ مَا لَمْ يَطُفْ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَقَدْ صَنَعَ ذَلِكَ ابْنُ عُمَرَ حِينَ قَالَ إِنْ صُدِدْتُ عَنْ الْبَيْتِ صَنَعْنَا كَمَا صَنَعْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَى أَصْحَابِهِ فَقَالَ مَا أَمْرُهُمَا إِلَّا وَاحِدٌ أُشْهِدُكُمْ أَنِّي أَوْجَبْتُ الْحَجَّ مَعَ الْعُمْرَةِ قَالَ مَالِك وَقَدْ أَهَلَّ أَصْحَابُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ بِالْعُمْرَةِ ثُمَّ قَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ كَانَ مَعَهُ هَدْيٌ فَلْيُهْلِلْ بِالْحَجِّ مَعَ الْعُمْرَةِ ثُمَّ لَا يَحِلُّ حَتَّى يَحِلَّ مِنْهُمَا جَمِيْعًا.

মালিক (র) থেকে বর্ণিতঃ

মালিক (র) কতিপয় বিজ্ঞ আলিমের কাছে শুনেছেন, তাঁরা বলেন, কেউ প্রথমে কেবল উমরার ইহরাম বাঁধল, পরে সে যদি উমরার সাথে হজ্জেরও ইহরাম বাঁধতে চায় তবে তাওয়াফ ও সায়ী বায়নাস্-সাফা ওয়াল মারওয়ার (সাফা ও মারওয়ার পর্বতদ্বয়ের মধ্যবর্তী নির্দিষ্ট দৌড়ান) পূর্ব পর্যন্ত তা পারে। আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (র) তাই করেছিলেন। তিনি একবার বলেছিলেন যদি বায়তুল্লাহ্ পৌঁছাতে বাধাপ্রাপ্ত হই তবে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইহরাম অবস্থায় যা করেছিলেন আমিও তাই করব।

মালিক (র) বলেন, বিদায় হজ্জের সময় রসূলুল্লাহ্ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সাহাবীগণ উমরার ইহরাম বেঁধেছিলেন। পরে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁদেরকে বললেন, যাদের সাথে কুরবানীর পশু রয়েছে তারা এই সাথে হজ্জের ইহরামও বেঁধে নেবে। অতঃপর একত্রে ইহরাম খুলবে। (মাওসুল, ইবনু উমার (রা) হতে বর্ণিত হাদীস রয়েছে বুখারীতে ১৮০৬, মুসলিম ১২৩০)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদঃ ১৩

তালবীয়া (লাব্বায়কা) মওকুফ করার সময়

৭৩৭

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ الثَّقَفِيِّ أَنَّهُ سَأَلَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ وَهُمَا غَادِيَانِ مِنْ مِنًى إِلَى عَرَفَةَ كَيْفَ كُنْتُمْ تَصْنَعُونَ فِي هَذَا الْيَوْمِ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ كَانَ يُهِلُّ الْمُهِلُّ مِنَّا فَلَا يُنْكَرُ عَلَيْهِ وَيُكَبِّرُ الْمُكَبِّرُ فَلَا يُنْكَرُ عَلَيْهِ.

বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ

মুহাম্মদ ইবনু আবূ বক্‌র সাকাফী (র) আনাস ইবনু মালিক (রা)-এর সাথে মিনা হতে আরাফাত ময়দানের দিকে যাচ্ছিলেন, তখন তিনি আনাস (রা)-কে বললেন, আজকের দিনে আপনারা রসূলুল্লাহ্ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সাথে কি ধরনের আমল করতেন ? আনাস (রা) বললেন, কেউ কেউ উচ্চৈঃস্বরে ‘লাব্বায়কা’ বলতেন, কেউ বা ‘আল্লাহু আকবার’ বলতে থাকতেন। অথচ কেউ কাউকেও নিষেধ করতেন না। (বুখারী ১৬৫৯, মুসলিম ১২৮৫)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৩৮

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ كَانَ يُلَبِّي فِي الْحَجِّ حَتَّى إِذَا زَاغَتْ الشَّمْسُ مِنْ يَوْمِ عَرَفَةَ قَطَعَ التَّلْبِيَةَ قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك وَذَلِكَ الْأَمْرُ الَّذِي لَمْ يَزَلْ عَلَيْهِ أَهْلُ الْعِلْمِ بِبَلَدِنَا.

জা’ফর ইবনু মুহাম্মদ (র) থেকে বর্ণিতঃ

জা’ফর ইবনু মুহাম্মদ (র) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন আলী ইবনু আবি তালিব (রা) হজ্জের সময় উচ্চৈঃস্বরে লাব্বায়কা বলতে থাকতেন। তবে আরাফাতের দিন সূর্য যখন হেলে পড়ত তখন লাব্বায়কা বলা মওকুফ করে দিতেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৭৩৯

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهَا كَانَتْ تَتْرُكُ التَّلْبِيَةَ إِذَا رَجَعَتْ إِلَى الْمَوْقِفِ.

বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ

নাবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর স্ত্রী আয়েশা (রা) যখন আরাফাতের দিকে যাত্রা করতেন, তখন লাব্বায়কা বলা বন্ধ করে দিতেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৭৪০

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَقْطَعُ التَّلْبِيَةَ فِي الْحَجِّ إِذَا انْتَهَى إِلَى الْحَرَمِ حَتَّى يَطُوفَ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ يُلَبِّي حَتَّى يَغْدُوَ مِنْ مِنًى إِلَى عَرَفَةَ فَإِذَا غَدَا تَرَكَ التَّلْبِيَةَ وَكَانَ يَتْرُكُ التَّلْبِيَةَ فِي الْعُمْرَةِ إِذَا دَخَلَ الْحَرَمَ.

নাফি’ (র) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রা) হারাম শরীফে তাওয়াফ ও সায়ী করে ‘লাব্বায়কা’ মওকুফ করে দিতেন। পরে আবার লাব্বায়কা বলা শুরু করতেন এবং মিনা হতে সকালে আরাফাত যাত্রার সময় পর্যন্ত তা পাঠ করতেন। আরাফাতের যাত্রার সময় তিনি তা পুনরায় বন্ধ করতেন। উমরার বেলায় হারাম শরীফে প্রবেশ করেই ‘লাব্বায়কা’ বলা বন্ধ করে দিতেন। (বুখারী ১৫৭৩, মুসলিম ১২৫৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪১

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ كَانَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ لَا يُلَبِّي وَهُوَ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ.

ইবনু শিহাব (র) থেকে বর্ণিতঃ

তাওয়াফ করার সময় আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (র) ‘লাব্বায়কা’ বলতেন না। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৭৪২

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ أَبِي عَلْقَمَةَ عَنْ أُمِّهِ عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ أَنَّهَا كَانَتْ تَنْزِلُ مِنْ عَرَفَةَ بِنَمِرَةَ ثُمَّ تَحَوَّلَتْ إِلَى الْأَرَاكِ قَالَتْ وَكَانَتْ عَائِشَةُ تُهِلُّ مَا كَانَتْ فِي مَنْزِلِهَا وَمَنْ كَانَ مَعَهَا فَإِذَا رَكِبَتْ فَتَوَجَّهَتْ إِلَى الْمَوْقِفِ تَرَكَتْ الْإِهْلَالَ قَالَتْ وَكَانَتْ عَائِشَةُ تَعْتَمِرُ بَعْدَ الْحَجِّ مِنْ مَكَّةَ فِي ذِي الْحِجَّةِ ثُمَّ تَرَكَتْ ذَلِكَ فَكَانَتْ تَخْرُجُ قَبْلَ هِلَالِ الْمُحَرَّمِ حَتَّى تَأْتِيَ الْجُحْفَةَ فَتُقِيمَ بِهَا حَتَّى تَرَى الْهِلَالَ فَإِذَا رَأَتْ الْهِلَالَ أَهَلَّتْ بِعُمْرَةٍ.

উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি আরাফাত ময়দানে প্রথমে ‘নামিরা’ নামক স্থানে অবস্থান করতেন, পরে ‘আরাক’ নামক স্থানে অবস্থান করা শুরু করেন। আয়েশা (রা) যতক্ষণ মনযিলে অবস্থান করতেন ততক্ষণ তিনি ও তাঁর সঙ্গীগণ ‘লাব্বায়কা’ পাঠ করতে থাকতেন। যখন আরাফাতের দিকে যাত্রার জন্য সওয়ার হতেন তখন উহা বন্ধ করে দিতেন। আয়েশা (রা) প্রথমে হজ্জের পর যিলহজ্জ মাসেই মক্কা হতে ইহরাম বেঁধে উমরা করতেন, পরে উহা ত্যাগ করে মুহাররম মাসের চাঁদ দেখার পূর্বে জুহফা এসে অবস্থান করতেন এবং মুহাররম মাসের চাঁদ উঠলে উমরার ইহরাম বাঁধতেন। [২] (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

  •  
  •  
  •  
  •  

[১] হজ্জের মাসসমূহে উমরা না করে অন্য মাসে উমরা করা আফজল, তাই তিনি পরে এরূপ করতে শুরু করেন।

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৭৪৩

– و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيْزِ غَدَا يَوْمَ عَرَفَةَ مِنْ مِنًى فَسَمِعَ التَّكْبِيرَ عَالِيًا فَبَعَثَ الْحَرَسَ يَصِيحُونَ فِي النَّاسِ أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّهَا التَّلْبِيَةُ.

ইয়াহ্ইয়া ইবনু সাঈদ (র) থেকে বর্ণিতঃ

উমার ইবনু আবদুল আযীয (র) যিলহজ্জ মাসের নবম তারিখ মিনা হতে সকালে আরাফাত ময়দানের দিকে যাত্রা করার সময় ‘আল্লাহু আকবার’ বলার আওয়াজ শুনতে পেলেন। তখন তিনি কতিপয় সিপাহীকে এ কথা ঘোষণা করতে নির্দেশ দিলেন যে, এখনই ‘লাব্বায়কা’ পাঠ করার সময়। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদঃ ১৪

মক্কাবাসী এবং মক্কায় অবস্থানকারী বহিরাগত লোকদের ইহরাম

৭৪৪

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ يَا أَهْلَ مَكَّةَ مَا شَأْنُ النَّاسِ يَأْتُونَ شُعْثًا وَأَنْتُمْ مُدَّهِنُونَ أَهِلُّوا إِذَا رَأَيْتُمْ الْهِلَالَ.

আবদুর রহমান ইবনু কাসিম (র) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুর রহমান ইবনু কাসিম (র) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন উমার ইবনু খাত্তাব (রা) মক্কাবাসীদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন যে মক্কাবাসী! অন্যান্য মানুষ এই সময় উষ্কখুষ্ক চুল ও অপরিপাটি অবস্থায় এখানে আগমন করে, আর তোমরা চুলের তেল মর্দন করে পরিপাটি হয়ে থাক। যিলহজ্জের চাঁদ উঠলে তোমরাও ইহরাম বেঁধে নিও। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৭৪৫

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ الزُّبَيْرِ أَقَامَ بِمَكَّةَ تِسْعَ سِنِينَ وَهُوَ يُهِلُّ بِالْحَجِّ لِهِلَالِ ذِي الْحِجَّةِ وَعُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ مَعَهُ يَفْعَلُ ذَلِكَ ১২২৪-قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك وَإِنَّمَا يُهِلُّ أَهْلُ مَكَّةَ وَغَيْرُهُمْ بِالْحَجِّ إِذَا كَانُوا بِهَا وَمَنْ كَانَ مُقِيمًا بِمَكَّةَ مِنْ غَيْرِ أَهْلِهَا مِنْ جَوْفِ مَكَّةَ لَا يَخْرُجُ مِنْ الْحَرَمِ ১২২৫-قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك وَمَنْ أَهَلَّ مِنْ مَكَّةَ بِالْحَجِّ فَلْيُؤَخِّرْ الطَّوَافَ بِالْبَيْتِ وَالسَّعْيَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ حَتَّى يَرْجِعَ مِنْ مِنًى وَكَذَلِكَ صَنَعَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ ১২২৬-و سُئِلَ مَالِك عَمَّنْ أَهَلَّ بِالْحَجِّ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ أَوْ غَيْرِهِمْ مِنْ مَكَّةَ لِهِلَالِ ذِي الْحِجَّةِ كَيْفَ يَصْنَعُ بِالطَّوَافِ قَالَ أَمَّا الطَّوَافُ الْوَاجِبُ فَلْيُؤَخِّرْهُ وَهُوَ الَّذِي يَصِلُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ السَّعْيِ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَلْيَطُفْ مَا بَدَا لَهُ وَلْيُصَلِّ رَكْعَتَيْنِ كُلَّمَا طَافَ سُبْعًا وَقَدْ فَعَلَ ذَلِكَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِينَ أَهَلُّوا بِالْحَجِّ فَأَخَّرُوا الطَّوَافَ بِالْبَيْتِ وَالسَّعْيَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ حَتَّى رَجَعُوا مِنْ مِنًى وَفَعَلَ ذَلِكَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ فَكَانَ يُهِلُّ لِهِلَالِ ذِي الْحِجَّةِ بِالْحَجِّ مِنْ مَكَّةَ وَيُؤَخِّرُ الطَّوَافَ بِالْبَيْتِ وَالسَّعْيَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ حَتَّى يَرْجِعَ مِنْ مِنًى ১২২৭- و سُئِلَ مَالِك عَنْ رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ هَلْ يُهِلُّ مِنْ جَوْفِ مَكَّةَ بِعُمْرَةٍ قَالَ بَلْ يَخْرُجُ إِلَى الْحِلِّ فَيُحْرِمُ مِنْهُ.

হিশাম ইবনু উরওয়াহ্ (র) থেকে বর্ণিতঃ

হিশাম ইবনু উরওয়াহ্ (র) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন, আবদুল্লাহ্ ইবনু যুবায়র (রা) নয় বৎসর মক্কায় ছিলেন। যিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখা গেলেই তিনি ইহরাম বেঁধে নিতেন। উরওয়াহ্ও তদ্রূপ করতেন।

মালিক (র) বলেন, মক্কাবাসী এবং মক্কায় অবস্থানরত অন্যান্য স্থানের বাসিন্দাগণ হারাম শরীফ হতেই ইহরাম বাঁধবে।

মালিক (র) বলেন, মক্কা হতে যারা ইহরাম বাঁধবে তারা মিনা হতে ঘুরে না আসা পর্যন্ত তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার সায়ী করবে না। আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রা)-ও তদ্রূপ করেছিলেন।

ইয়াহ্ইয়া (র) বলেন, মালিক (র)-কে জিজ্ঞেস করা হল মদীনাবাসী এবং মক্কার বাহিরের কোন লোক যদি মক্কায় অবস্থান কালে মক্কা হতে যিলহজ্জ মাসে ইহরাম বাঁধে তবে তাওয়াফে যিয়ারত সম্পর্কে কি করবে? তিনি বললেন, তাওয়াফে ইফাযা বা তাওয়াফে যিয়ারত তখন করবে না। নফল তাওয়াফ যত ইচ্ছা তত করতে পারে। তবে প্রতি তাওয়াফের পর দুই রাক’আত নামায পড়ে নিবে। যে সকল সাহাবী মক্কা হতে ইহরাম বেঁধেছিলেন তাঁরাও তদ্রূপ করেছিলেন। তাঁরা মিনা হতে ফিরে না আসা পর্যন্ত তাওয়াফ ও সায়ী করেননি। আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রা)-ও তাই করতেন। যিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখার পর তিনি মক্কা হতে ইহরাম বাঁধতেন এবং মিনা হতে ঘুরে না আসা পর্যন্ত তিনি তাওয়াফ ও সায়ী করতেন না।

মালিক (র)-কে মক্কাবাসী কোন ব্যক্তি উমরার জন্য ইহরাম কোথা হতে বাঁধবে তা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, হারাম শরীফ হতে উমরার ইহরাম বাঁধা মক্কাবাসীদের জন্য জায়েয নয়। তারা হারামের বাহির হতে ইহরাম বেঁধে আসবে। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদঃ ১৫

হাদ্‌য়ী-র গলায় কিছু লটকালেই কেউ মুহরিম হয়ে যায় না

৭৪৬

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ أَنَّ زِيَادَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ كَتَبَ إِلَى عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَبَّاسٍ قَالَ مَنْ أَهْدَى هَدْيًا حَرُمَ عَلَيْهِ مَا يَحْرُمُ عَلَى الْحَاجِّ حَتَّى يُنْحَرَ الْهَدْيُ وَقَدْ بَعَثْتُ بِهَدْيٍ فَاكْتُبِي إِلَيَّ بِأَمْرِكِ أَوْ مُرِي صَاحِبَ الْهَدْيِ قَالَتْ عَمْرَةُ قَالَتْ عَائِشَةُ لَيْسَ كَمَا قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ أَنَا فَتَلْتُ قَلَائِدَ هَدْيِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدَيَّ ثُمَّ قَلَّدَهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِهِ ثُمَّ بَعَثَ بِهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ أَبِي فَلَمْ يَحْرُمْ عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَيْءٌ أَحَلَّهُ اللهُ لَهُ حَتَّى نُحِرَ الْهَدْيُ.

‘আমরা বিনত আবদুর রহমান (র) থেকে বর্ণিতঃ

যিয়াদ ইবনু আবূ সুফইয়ান নাবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সহধর্মিনী আয়েশা (রা)-এর নিকট চিঠি লিখলেন, আবদুল্লাহ্ ইবনু আব্বাস (রা) বলেন, যবেহ না হওয়া পর্যন্ত কুরবানীর উদ্দেশ্যে মক্কায় পশু প্রেরণকারীর উপর ইহরাম পালনরত ব্যক্তির মত সকল জিনিস হারাম হয়ে যায়। আমি আপনার নিকট পশু [১] (হাদ্‌য়ী) প্রেরণ করলাম। আশা করি, উক্ত পশুর সাথে প্রেরিত ব্যক্তির নিকট অথবা পত্রযোগে আমাকে উক্ত বিষয়টি সম্পর্কে আপনার ফতওয়া জানাবেন। ‘আমরা বলেন, আয়েশা (রা) বললেন, ইবনু আব্বাস (রা) যা বলেছেন তা ঠিক নয়। আমি নিজের হাতে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কর্তৃক প্রেরিত পশুর রশি পাকিয়েছিলাম। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিজে তা উহার গলায় পরিয়ে আমার পিতার সাথে উহা মক্কায় প্রেরণ করেছিলেন। অথচ উক্ত পশুটি যবেহ হওয়া পর্যন্ত সময়ের মধ্যেও কোন হালাল জিনিস রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য হারাম হয়নি। (বুখারী ১৭০০, মুসলিম ১৩২১)

  •  
  •  
  •  
  •  

[১] কুরবানীর উদ্দেশ্যে মক্কায় যে সমস্ত পশু প্রেরণ করা হয় উহাকে হাদয়ী বলে। নিদর্শন হিসেবে হাদয়ী গলায় হাড়, চামড়া ইত্যাদি লটকানকে তাকলীদ বলা হয়।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৪৭

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ قَالَ سَأَلْتُ عَمْرَةَ بِنْتَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ الَّذِي يَبْعَثُ بِهَدْيِهِ وَيُقِيمُ هَلْ يَحْرُمُ عَلَيْهِ شَيْءٌ فَأَخْبَرَتْنِي أَنَّهَا سَمِعَتْ عَائِشَةَ تَقُولُ لَا يَحْرُمُ إِلَّا مَنْ أَهَلَّ وَلَبَّى.

ইয়াহ্ইয়া ইবনু সাঈদ (র) থেকে বর্ণিতঃ

‘আমরা বিনত আবদুর রহমান (র)-কে জিজ্ঞেস করলাম যদি কেউ মক্কায় হাদয়ী বা কুরবানীর উদ্দেশ্যে পশু প্রেরণ করে কিন্তু নিজে সঙ্গে না যায় তবে তার উপরও কি কোন বিষয় হারাম হবে ?

তিনি বললেন, আমি আয়েশা (রা)-এর কাছে শুনেছি, তিনি বলতেন, যে ব্যক্তি ইহরাম বেঁধেছে এবং লাব্বায়কা পাঠ করেছে কেবল তাকেই মুহরিম বলা যায়। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৭৪৮

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ التَّيْمِيِّ عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْهُدَيْرِ أَنَّهُ رَأَى رَجُلًا مُتَجَرِّدًا بِالْعِرَاقِ فَسَأَلَ النَّاسَ عَنْهُ فَقَالُوا إِنَّهُ أَمَرَ بِهَدْيِهِ أَنْ يُقَلَّدَ فَلِذَلِكَ تَجَرَّدَ قَالَ رَبِيعَةُ فَلَقِيتُ عَبْدَ اللهِ بْنَ الزُّبَيْرِ فَذَكَرْتُ لَهُ ذَلِكَ فَقَالَ بِدْعَةٌ وَرَبِّ الْكَعْبَةِ ১২৩২-و سُئِلَ مَالِك عَمَّنْ خَرَجَ بِهَدْيٍ لِنَفْسِهِ فَأَشْعَرَهُ وَقَلَّدَهُ بِذِي الْحُلَيْفَةِ وَلَمْ يُحْرِمْ هُوَ حَتَّى جَاءَ الْجُحْفَةَ قَالَ لَا أُحِبُّ ذَلِكَ وَلَمْ يُصِبْ مَنْ فَعَلَهُ وَلَا يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يُقَلِّدَ الْهَدْيَ وَلَا يُشْعِرَهُ إِلَّا عِنْدَ الْإِهْلَالِ إِلَّا رَجُلٌ لَا يُرِيدُ الْحَجَّ فَيَبْعَثُ بِهِ وَيُقِيمُ فِي أَهْلِهِ ১২৩৩-و سُئِلَ مَالِك هَلْ يَخْرُجُ بِالْهَدْيِ غَيْرُ مُحْرِمٍ فَقَالَ نَعَمْ لَا بَأْسَ بِذَلِكَ ১২৩৪-و سُئِلَ أَيْضًا عَمَّا اخْتَلَفَ فِيهِ النَّاسُ مِنْ الْإِحْرَامِ لِتَقْلِيدِ الْهَدْيِ مِمَّنْ لَا يُرِيدُ الْحَجَّ وَلَا الْعُمْرَةَ فَقَالَ الْأَمْرُ عِنْدَنَا الَّذِي نَأْخُذُ بِهِ فِي ذَلِكَ قَوْلُ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ بِهَدْيِهِ ثُمَّ أَقَامَ فَلَمْ يَحْرُمْ عَلَيْهِ شَيْءٌ مِمَّا أَحَلَّهُ اللهُ لَهُ حَتَّى نُحِرَ هَدْيُهُ.

বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ

রবী’আ ইবনু আবদুল্লাহ্ ইব্‌নু হুদায়র (র) একবার ইরাকে এক ব্যক্তিকে সেলাইবিহীন কাপড় পরিহিত দেখে জানতে পারলেন যে, এই ব্যক্তি কুরবানীর উদ্দেশ্যে মক্কায় প্রেরিত পশুর গলায় হাড় লটকিয়ে দিয়েছে। তাই সে সেলাইযুক্ত কাপড় খুলে ফেলেছে। রবী’আ বলেন, আবদুল্লাহ্ ইবনু যুবায়র (রা)-এর সাথে সাক্ষাৎ করে এই ঘটনা তাঁকে জানালে তিনি বললেন, কা’বার মালিকের কসম, উহা বিদআত (উহা ঠিক নয়)।

ইয়হইয়া (র) বলেন, মালিক (র)-কে জিজ্ঞেস করা হল এক ব্যক্তি নিজে কুরবানীর পশু নিয়ে ঘর হতে বের হল, নিজে তা ইশ্’আর [১] করে যুল-হুলায়ফায় উহার গলায় হাড় লটকাল; কিন্তু জুহফায় গিয়ে সে ইহরাম বাঁধল। ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে আপনি কি বলেন, তিনি বললেন, তার জন্য এটা ঠিক হয়নি। নিজে ইহরাম বেঁধে ইশ্’আর ও তাকলীদ করা তার উচিত ছিল। যে ব্যক্তি পশুর সাথে নিজে যেতে না চায় বরং বাড়িতে থাকতে চায়, সে ইহরাম না বেঁধেই তা পাঠিয়ে দেবে।

মালিক (র)-কে জিজ্ঞেস করা হল ইহরাম না বেঁধে কেউ হাদয়ী বা মক্কায় প্রেরিতব্য কুরবানী পশু নিয়ে বের হতে পারবে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ, এতে দোষের কিছু নেই।

মালিক (র)-কে জিজ্ঞেস করা হল কুরবানীর পশুর গলায় কিলাদা বা হাড় পরিয়ে মক্কায় পাঠিয়ে দিলে ঐ পশুর মালিক কি মুহরিম গণ্য হবে এই বিষয়ে আলিমগণের মতপার্থক্য রয়েছে। আপনার কি মত ? তিনি বললেন, এই বিষয়ে আমি উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা (রা) বর্ণিত হাদীসটি গ্রহণ করে থাকি।

আয়েশা (রা) বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মক্কায় কুরবানীর পশু প্রেরণ করেছিলেন, কিন্তু নিজে যাননি অথচ কোন জিনিস তাঁর জন্য হারাম হয়নি। আল্লাহ তায়ালা তাঁর জন্য হালাল করেছেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

  •  
  •  
  •  
  •  

[১] উটের কোহানের চামড়া কেটে উহা রক্তাক্ত করার নাম ইশ্’আর। ইহা নিদর্শন হিসেবে করা হত।

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদঃ ১৬

হজ্জ পালনরত অবস্থায় কোন মহিলা যদি ঋতুমতী হয় তবে সে কি করবে

৭৪৯

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَقُوْلُ الْمَرْأَةُ الْحَائِضُ الَّتِي تُهِلُّ بِالْحَجِّ أَوْ الْعُمْرَةِ إِنَّهَا تُهِلُّ بِحَجِّهَا أَوْ عُمْرَتِهَا إِذَا أَرَادَتْ وَلَكِنْ لَا تَطُوفُ بِالْبَيْتِ وَلَا بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَهِيَ تَشْهَدُ الْمَنَاسِكَ كُلَّهَا مَعَ النَّاسِ غَيْرَ أَنَّهَا لَا تَطُوفُ بِالْبَيْتِ وَلَا بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَلَا تَقْرَبُ الْمَسْجِدَ حَتَّى تَطْهُرَ.

নাফি’ (র) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রা) বলেন, হজ্জ বা উমরার ইহরাম বাঁধার পর কোন মহিলার যদি হায়েয হয় তবে (এতে তার ইহরাম, বিনষ্ট হবে না) সে যতদিন ইচ্ছা ‘লাব্বায়কা’ বলতে পারবে। তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার সা’য়ী সে করবে না। বাকি আমলসমূহ অন্যদের মতই করে যাবে। পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তাওয়াফ, সা’য়ী এবং মসজিদে যাওয়া তার জন্য নিষিদ্ধ। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদঃ ১৭

হজ্জের মাসসমূহে উমরা করা

৭৫০

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اعْتَمَرَ ثَلَاثًا عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ وَعَامَ الْقَضِيَّةِ وَعَامَ الْجِعِرَّانَةِ.

মালিক (র) থেকে বর্ণিতঃ

তাঁর কাছে রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তিনবার উমরা করেছেন, একবার হুদায়বিয়ার বৎসর, আরেকবার উমরাতুল কাযা, আরেকবার উমরা-ই-জি ‘ইররানা। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৭৫১

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَعْتَمِرْ إِلَّا ثَلَاثًا إِحْدَاهُنَّ فِي شَوَّالٍ وَاثْنَتَيْنِ فِي ذِي الْقَعْدَةِ.

হিশাম ইবনু উরওয়াহ্ (র) থেকে বর্ণিতঃ

হিশাম ইবনু উরওয়াহ্ (র) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তিনবার উমরা করেছেন। এক উমরা শাওয়ালে আর দুই উমরা যিলকদে। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৭৫২

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَرْمَلَةَ الْأَسْلَمِيِّ أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ فَقَالَ أَعْتَمِرُ قَبْلَ أَنْ أَحُجَّ فَقَالَ سَعِيدٌ نَعَمْ قَدْ اعْتَمَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْلَ أَنْ يَحُجَّ.

আবদুর রহমান ইবনু হারমালা আসলামী (র) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুর রহমান ইবনু হারমালা আসলামী (র) বর্ণনা করেন এক ব্যক্তি সাঈদ ইবনু মুসায়্যাব (র)-কে জিজ্ঞেস করল হজ্জের পূর্বে উমরা আদায় করব কি ? তিনি বললেন, হ্যাঁ, রসূলুল্লাহ্ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-ও হজ্জের পূর্বে উমরা করেছিলেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৭৫৩

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ أَبِي سَلَمَةَ اسْتَأْذَنَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ أَنْ يَعْتَمِرَ فِي شَوَّالٍ فَأَذِنَ لَهُ فَاعْتَمَرَ ثُمَّ قَفَلَ إِلَى أَهْلِهِ وَلَمْ يَحُجَّ.

সাঈদ ইবনু মুসায়্যাব (র) থেকে বর্ণিতঃ

নিশ্চয় উমার ইবনু আবী সালমা (র) উমার ইবনু খাত্তাব (রা)-এর নিকট শাওয়াল মাসে উমরা করার অনুমতি চাইলে তিনি অনুমতি দেন। অতঃপর তিনি উমরা আদায় করে হজ্জ না করে বাড়ি ফিরে আসেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদঃ ১৮

উমরার মধ্যে কোন সময় লাব্বায়কা বলা বন্ধ করা যাবে

৭৫৪

– حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ كَانَ يَقْطَعُ التَّلْبِيَةَ فِي الْعُمْرَةِ إِذَا دَخَلَ الْحَرَمَ ১২৪৪-قَالَ مَالِك فِيمَنْ أَحْرَمَ مِنْ التَّنْعِيمِ إِنَّهُ يَقْطَعُ التَّلْبِيَةَ حِينَ يَرَى الْبَيْتَ ১২৪৫-قَالَ يَحْيَى سُئِلَ مَالِك عَنْ الرَّجُلِ يَعْتَمِرُ مِنْ بَعْضِ الْمَوَاقِيتِ وَهُوَ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ أَوْ غَيْرِهِمْ مَتَى يَقْطَعُ التَّلْبِيَةَ قَالَ أَمَّا الْمُهِلُّ مِنْ الْمَوَاقِيتِ فَإِنَّهُ يَقْطَعُ التَّلْبِيَةَ إِذَا انْتَهَى إِلَى الْحَرَمِ قَالَ وَبَلَغَنِي أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَصْنَعُ ذَلِكَ.

হিশাম ইবনু উরওয়াহ্ (র) থেকে বর্ণিতঃ

হিশাম ইবনু উরওয়াহ্ (র) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন তিনি উমরাতে হারাম শরীফে প্রবেশ করার পর ‘লাব্বায়কা’ বলা বন্ধ করতেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

মালিক (র) বলেন, ‘তান’য়ীম’ (মক্কার অদূরবর্তী হারাম শরীফ বহির্ভূত একটি স্থান) হতে যে ব্যক্তি উমরায় ইহরাম বাঁধবে, বায়তুল্লাহ্ শরীফ দৃষ্টিগোচর না হওয়া পর্যন্ত সে যেন ‘লাব্বায়কা’ বলা বন্ধ না করে।

ইয়াহইয়া (র) বলেন, মালিক (র)-কে জিজ্ঞেস করা হল মক্কার বাহিরে বসবাসকারী ব্যক্তি ‘মীকাত’ হতে উমরার ইহরাম বেঁধে আসলে কখন তাকে ‘লাব্বায়কা’ বলা বন্ধ করতে হবে ? তিনি বললেন, হারাম শরীফে প্রবেশ করার পর সে উহা বন্ধ করে দেবে। আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রা)-ও তদ্রূপ করতেন বলে জানা গিয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদঃ ১৯

হজ্জে তামাত্তু’

৭৫৫

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ أَنَّهُ حَدَّثَهُ أَنَّهُ سَمِعَ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ وَالضَّحَّاكَ بْنَ قَيْسٍ عَامَ حَجَّ مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ وَهُمَا يَذْكُرَانِ التَّمَتُّعَ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ فَقَالَ الضَّحَّاكُ بْنُ قَيْسٍ لَا يَفْعَلُ ذَلِكَ إِلَّا مَنْ جَهِلَ أَمْرَ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ فَقَالَ سَعْدٌ بِئْسَ مَا قُلْتَ يَا ابْنَ أَخِي فَقَالَ الضَّحَّاكُ فَإِنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَدْ نَهَى عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ سَعْدٌ قَدْ صَنَعَهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَصَنَعْنَاهَا مَعَهُ.

মুহাম্মদ ইবনু আবদুল্লাহ্ ইবনু হারিস (র) থেকে বর্ণিতঃ

সা’দ ইবনু আবি ওককাস (রা) ও যাহ্‌হাক ইবনু কায়েস (রা)-এর মধ্যে হজ্জে তামাত্তু’ সম্পর্কে আলোচনা হচ্ছিল। যাহ্‌হাক (রা) বললেন : আল্লাহ তা’আলার হুকুম-আহকাম সম্পর্কে অজ্ঞ লোকেরাই হজ্জে তামাত্তু’ করে। সা’দ বললেন, ভ্রাতুষ্পত্র, তোমার কথাটা ঠিক হয়নি। যাহ্‌হাক (রা) বললেন, উমার ইবনু খাত্তাব (রা) হজ্জে তামাত্তু’ করা নিষেধ করেছেন। সা’দ (রা) বললেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিজে হজ্জে তামাত্তু’ করেছেন আর আমরাও তাঁর সঙ্গে উহা করেছি। (তিরমিযী ৮২২, নাসাঈ ২৭৩৪, উমার (রা) তামাত্তু নিষেধ করেছেন বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত রয়েছে আবূ মূসা (রা) হতে,)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

৭৫৬

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ صَدَقَةَ بْنِ يَسَارٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ قَالَ وَاللهِ لَأَنْ أَعْتَمِرَ قَبْلَ الْحَجِّ وَأُهْدِيَ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أَعْتَمِرَ بَعْدَ الْحَجِّ فِي ذِي الْحِجَّةِ.

আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রা) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহর কসম, হজ্জের পূর্বে উমরা করা এবং কুরবানীর পশু সঙ্গে নিয়ে যাওয়া যিলহজ্জ মাসে হজ্জ করে আবার উমরা করা হতে আমার কাছে বেশি প্রিয়। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৭৫৭

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ يَقُوْلُ: مَنْ اعْتَمَرَ فِي أَشْهُرِ الْحَجِّ فِي شَوَّالٍ أَوْ ذِي الْقَعْدَةِ أَوْ فِي ذِي الْحِجَّةِ قَبْلَ الْحَجِّ ثُمَّ أَقَامَ بِمَكَّةَ حَتَّى يُدْرِكَهُ الْحَجُّ فَهُوَ مُتَمَتِّعٌ إِنْ حَجَّ وَعَلَيْهِ مَا اسْتَيْسَرَ مِنْ الْهَدْيِ فَإِنْ لَمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ فِي الْحَجِّ وَسَبْعَةٍ إِذَا رَجَعَ قَالَ مَالِك وَذَلِكَ إِذَا أَقَامَ حَتَّى الْحَجِّ ثُمَّ حَجَّ مِنْ عَامِهِ ১২৫قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ انْقَطَعَ إِلَى غَيْرِهَا وَسَكَنَ سِوَاهَا ثُمَّ قَدِمَ مُعْتَمِرًا فِي أَشْهُرِ الْحَجِّ ثُمَّ أَقَامَ بِمَكَّةَ حَتَّى أَنْشَأَ الْحَجَّ مِنْهَا إِنَّهُ مُتَمَتِّعٌ يَجِبُ عَلَيْهِ الْهَدْيُ أَوْ الصِّيَامُ إِنْ لَمْ يَجِدْ هَدْيًا وَأَنَّهُ لَا يَكُونُ مِثْلَ أَهْلِ مَكَّةَ ১২৫১-و سُئِلَ مَالِك عَنْ رَجُلٍ مِنْ غَيْرِ أَهْلِ مَكَّةَ دَخَلَ مَكَّةَ بِعُمْرَةٍ فِي أَشْهُرِ الْحَجِّ وَهُوَ يُرِيدُ الْإِقَامَةَ بِمَكَّةَ حَتَّى يُنْشِئَ الْحَجَّ أَمُتَمَتِّعٌ هُوَ فَقَالَ نَعَمْ هُوَ مُتَمَتِّعٌ وَلَيْسَ هُوَ مِثْلَ أَهْلِ مَكَّةَ وَإِنْ أَرَادَ الْإِقَامَةَ وَذَلِكَ أَنَّهُ دَخَلَ مَكَّةَ وَلَيْسَ هُوَ مِنْ أَهْلِهَا وَإِنَّمَا الْهَدْيُ أَوْ الصِّيَامُ عَلَى مَنْ لَمْ يَكُنْ مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ وَأَنَّ هَذَا الرَّجُلَ يُرِيدُ الْإِقَامَةَ وَلَا يَدْرِي مَا يَبْدُو لَهُ بَعْدَ ذَلِكَ وَلَيْسَ هُوَ مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ.

আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রা) থেকে বর্ণিতঃ

যদি কেউ হজ্জের মাসে অর্থাৎ শাওয়াল, যিলকা’দা, যিলহজ্জ মাসে হজ্জের পূর্বে উমরা আদায় করে মক্কায় এতদিন অবস্থান করে, যতদিনে সে হজ্জই আদায় করতে পারে, তার এই হজ্জ তামাত্তু’ বলে গণ্য হবে এবং সামর্থ্য অনুযায়ী তার উপর কুরবানী করা জরুরী হবে। যদি কুরবানী করার সামর্থ্য তার না থাকে তবে মক্কায় অবস্থানকালে তিনদিন এবং বাড়ি ফিরে আর সাতদিন তাকে রোযা রাখতে হবে। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

মালিক (র) বলেন, উক্ত হুকুম তখনই প্রযোজ্য হবে যখন উমরা সমাপন করে হজ্জ পর্যন্ত মক্কায় অবস্থানরত থাকবে এবং হজ্জও করবে।

মালিক (র) বলেন, মক্কার বাসিন্দা কোন ব্যক্তি অন্য কোথাও গিয়ে বসতি স্থাপন করল। হজ্জের মাসে সে উমরা করতে এসে মক্কা শরীফে অবস্থান করে হজ্জ সমাধা করল। তার এই হজ্জ হজ্জে তামাত্তু’ বলে গণ্য হবে। এই ব্যক্তির উপর কুরবানী করা জরুরী হবে। কুরবানী করতে না পারলে তাকে রোযা রাখতে হবে। মক্কায় অপরাপর স্থায়ী বাসিন্দার মত তার হুকুম হবে না।

ইয়াহইয়া (র) বলেন, মালিক (র)-কে জিজ্ঞেস করা হল হজ্জের মাসে মক্কার বাহিরের অধিবাসী এক ব্যক্তি উমরার ইহরাম বেঁধে মক্কায় এল এবং উমরা করে হজ্জ সমাধা করার নিয়তে মক্কায় রয়ে গেল। তার এই হজ্জ তামাত্তু’ বলে গণ্য হবে কি ? তিনি বললেন, হ্যাঁ, মক্কাবাসীদের মত তার হুকুম হবে না। মক্কায় থাকবার নিয়ত যদিও সে করেছে, কিন্তু সে মক্কায় যখন প্রথম পদাপর্ণ করেছিল তখন সে মক্কার বাসিন্দা ছিল না। সুতরাং কুরবানী দেওয়া এবং কুরবানী দিতে হলে রোযা রাখা এইরূপ ব্যক্তির উপর ওয়াজিব হবে। এই ব্যক্তি মক্কায় কেবল অবস্থান করার নিয়ত করেছে এবং সামনের ব্যাপার কি হবে তাও সে জানে না। এমতাবস্থায় সে মক্কাবাসী বলে গণ্য হবে না।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৭৫৮

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ سَمِعَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ يَقُولُ مَنْ اعْتَمَرَ فِي شَوَّالٍ أَوْ ذِي الْقِعْدَةِ أَوْ فِي ذِي الْحِجَّةِ ثُمَّ أَقَامَ بِمَكَّةَ حَتَّى يُدْرِكَهُ الْحَجُّ فَهُوَ مُتَمَتِّعٌ إِنْ حَجَّ وَمَا اسْتَيْسَرَ مِنْ الْهَدْيِ فَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ فِي الْحَجِّ وَسَبْعَةٍ إِذَا رَجَعَ.

ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ (র) থেকে বর্ণিতঃ

ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ (র) সাঈদ ইবনু মুসায়্যাব (র)-কে বলতে শুনেছেন শাওয়াল, যিলকা’দা ও যিলহজ্জ মাসে উমরা করে যদি কেউ হজ্জ পর্যন্ত মক্কায় অবস্থান করে এবং হজ্জ করে নেয় তবে তার এই হজ্জ হজ্জে তামাত্তু’ বলে গণ্য হবে। সামর্থ্য থাকলে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে। অসমর্থ হলে হজ্জের সময় তিনদিন এবং হজ্জের পর বাড়ি ফিরে সাত দিন তাকে রোযা রাখতে হবে। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদঃ ২০

যে অবস্থায় তামাত্তু’ হয় না

৭৫৯

قَالَ مَالِك مَنْ اعْتَمَرَ فِي شَوَّالٍ أَوْ ذِي الْقَعْدَةِ أَوْ ذِي الْحِجَّةِ ثُمَّ رَجَعَ إِلَى أَهْلِهِ ثُمَّ حَجَّ مِنْ عَامِهِ ذَلِكَ فَلَيْسَ عَلَيْهِ هَدْيٌ إِنَّمَا الْهَدْيُ عَلَى مَنْ اعْتَمَرَ فِي أَشْهُرِ الْحَجِّ ثُمَّ أَقَامَ حَتَّى الْحَجِّ ثُمَّ حَجَّ وَكُلُّ مَنْ انْقَطَعَ إِلَى مَكَّةَ مِنْ أَهْلِ الْآفَاقِ وَسَكَنَهَا ثُمَّ اعْتَمَرَ فِي أَشْهُرِ الْحَجِّ ثُمَّ أَنْشَأَ الْحَجَّ مِنْهَا فَلَيْسَ بِمُتَمَتِّعٍ وَلَيْسَ عَلَيْهِ هَدْيٌ وَلَا صِيَامٌ وَهُوَ بِمَنْزِلَةِ أَهْلِ مَكَّةَ إِذَا كَانَ مِنْ سَاكِنِيْهَا ১২৫৫-سُئِلَ مَالِك عَنْ رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ خَرَجَ إِلَى الرِّبَاطِ أَوْ إِلَى سَفَرٍ مِنْ الْأَسْفَارِ ثُمَّ رَجَعَ إِلَى مَكَّةَ وَهُوَ يُرِيدُ الْإِقَامَةَ بِهَا كَانَ لَهُ أَهْلٌ بِمَكَّةَ أَوْ لَا أَهْلَ لَهُ بِهَا فَدَخَلَهَا بِعُمْرَةٍ فِي أَشْهُرِ الْحَجِّ ثُمَّ أَنْشَأَ الْحَجَّ وَكَانَتْ عُمْرَتُهُ الَّتِي دَخَلَ بِهَا مِنْ مِيقَاتِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْ دُونَهُ أَمُتَمَتِّعٌ مَنْ كَانَ عَلَى تِلْكَ الْحَالَةِ فَقَالَ مَالِك لَيْسَ عَلَيْهِ مَا عَلَى الْمُتَمَتِّعِ مِنْ الْهَدْيِ أَوْ الصِّيَامِ وَذَلِكَ أَنَّ اللهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى يَقُولُ فِي كِتَابِهِ { ذَلِكَ لِمَنْ لَمْ يَكُنْ أَهْلُهُ حَاضِرِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ .

মালিক (র) থেকে বর্ণিতঃ

যে ব্যক্তি হজ্জের মাসে উমরা করে বাড়ি ফিরে গেল, আবার সে বৎসরেই হজ্জ করল, ঐ ব্যক্তির উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে না। কারণ তার হজ্জ তামাত্তু’ বলে গণ্য হবে না।

মালিক (র) বলেন, মক্কার বাহিরের কোন ব্যক্তি যদি মক্কায় এসে সেখানে স্থায়িভাবে বসবাস করতে শুরু করে এবং হজ্জের মাসে উমরা করে সেই বৎসরেই হজ্জ করে তবে তার হজ্জ তামাত্তু’ হবে না। তার উপর কুরবানী বা রোযা কিছুই ওয়াজিব হবে না। কেননা মক্কার নাগরিকত্ব গ্রহণ করায় সে মক্কাবাসীদের মত হয়ে গেল। আর মক্কায় স্থায়ী বাসিন্দাদের হজ্জে তামাত্তু’ হয় না।

ইয়াহইয়া (র) বলেন, মালিক (র)-কে জিজ্ঞেস করা হল, মক্কায় কোন স্থায়ী বাসিন্দা জিহাদ বা অন্য কোন সফরে বাহিরে চলে গিয়েছিল, পরে সে মক্কায় বসবাস করার উদ্দেশ্যে আবার সেখানে ফিরে এল, সে হজ্জের মাসে উমরার নিয়তে মক্কায় এসে উমরা সমাধা করার পর ঐ বৎসর হজ্জও করল, ঐ ব্যক্তির হজ্জ কি হজ্জে তামাত্তু’ হবে ? মালিক (র) বললেন, না, তার হজ্জ তামাত্তু’ বলে গণ্য হবে না এবং তার উপর কুরবানী বা রোযা কিছুই ওয়াজিব হবে না। কেননা আল্লাহ্ তা’আলা ইরশাদ করেছেন

ذَلِكَ لِمَنْ لَمْ يَكُنْ أَهْلُهُ حَاضِرِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ.

এটা তাদের জন্য যাদের পরিজনবর্গ মসজিদুল হারামের বাসিন্দা নয়। ২ ১৯৬

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদঃ ২১

উমরা সম্পর্কীয় বিবিধ আহকাম

৭৬০

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ سُمَيٍّ مَوْلَى أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الْعُمْرَةُ إِلَى الْعُمْرَةِ كَفَّارَةٌ لِمَا بَيْنَهُمَا وَالْحَجُّ الْمَبْرُورُ لَيْسَ لَهُ جَزَاءٌ إِلَّا الْجَنَّةُ.

আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, এক উমরা আরেক উমরার মধ্যবর্তী গুনাহসমূহের জন্য কাফফারাস্বরূপ। জান্নাতই মকবুল হজ্জের প্রতিবাদ। (বুখারী ১৭৭৩, মুসলিম ১৩৪৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৬১

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ سُمَيٍّ مَوْلَى أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا بَكْرِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ يَقُولُ جَاءَتْ امْرَأَةٌ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ إِنِّي قَدْ كُنْتُ تَجَهَّزْتُ لِلْحَجِّ فَاعْتَرَضَ لِي فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اعْتَمِرِي فِي رَمَضَانَ فَإِنَّ عُمْرَةً فِيهِ كَحِجَّةٍ.

সুমাই (র) থেকে বর্ণিতঃ

সুমাই (র) আবূ বক্‌র ইবনু আবদুর রহমান (র)-কে বলতে শুনেছেন, এক মহিলা রসূলুল্লাহ্ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর খিদমতে এসে আরয করল হজ্জের সমস্ত প্রস্তুতি শেষ করা সত্ত্বেও একটি বাধার কারণে আমি হজ্জ করতে পারিনি, এখন কি করব ? রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, রমযান মাসে উমরা করে নাও। রমযান মাসের উমরাতে হজ্জের সমান সওয়াব রয়েছে। (আবূ দাঊদ ১৯৮৮, আল বানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন [সহীহ ও যয়ীফ সুনান আবূ দাঊদ] আর ইমাম মালিক কর্তৃক বর্ণিত হাদীসটি মুরসাল)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

৭৬২

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ افْصِلُوا بَيْنَ حَجِّكُمْ وَعُمْرَتِكُمْ فَإِنَّ ذَلِكَ أَتَمُّ لِحَجِّ أَحَدِكُمْ وَأَتَمُّ لِعُمْرَتِهِ أَنْ يَعْتَمِرَ فِي غَيْرِ أَشْهُرِ الْحَجِّ.

আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রা) থেকে বর্ণিতঃ

উমার ইবনু খাত্তাব (রা) বলেছেন, হজ্জ ও উমরার মাসে তোমরা ব্যবধান রেখো যাতে হজ্জ ও উমরা উভয়ই সম্পূর্ণরূপে আদায় হতে পারে। এর উপায় হল, হজ্জের মাসে তোমরা উমরা করো না। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৭৬৩

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ كَانَ إِذَا اعْتَمَرَ رُبَّمَا لَمْ يَحْطُطْ عَنْ رَاحِلَتِهِ حَتَّى يَرْجِعَ ১২৬১-قَالَ مَالِك الْعُمْرَةُ سُنَّةٌ وَلَا نَعْلَمُ أَحَدًا مِنْ الْمُسْلِمِينَ أَرْخَصَ فِي تَرْكِهَا ১২৬২-قَالَ مَالِك وَلَا أَرَى لِأَحَدٍ أَنْ يَعْتَمِرَ فِي السَّنَةِ مِرَارًا ১২৬৩-قَالَ مَالِك فِي الْمُعْتَمِرِ يَقَعُ بِأَهْلِهِ إِنَّ عَلَيْهِ فِي ذَلِكَ الْهَدْيَ وَعُمْرَةً أُخْرَى يَبْتَدِئُ بِهَا بَعْدَ إِتْمَامِهِ الَّتِي أَفْسَدَهَا وَيُحْرِمُ مِنْ حَيْثُ أَحْرَمَ بِعُمْرَتِهِ الَّتِي أَفْسَدَهَا إِلَّا أَنْ يَكُونَ أَحْرَمَ مِنْ مَكَانٍ أَبْعَدَ مِنْ مِيقَاتِهِ فَلَيْسَ عَلَيْهِ أَنْ يُحْرِمَ إِلَّا مِنْ مِيقَاتِهِ ১২৬৪-قَالَ مَالِك وَمَنْ دَخَلَ مَكَّةَ بِعُمْرَةٍ فَطَافَ بِالْبَيْتِ وَسَعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَهُوَ جُنُبٌ أَوْ عَلَى غَيْرِ وُضُوءٍ ثُمَّ وَقَعَ بِأَهْلِهِ ثُمَّ ذَكَرَ قَالَ يَغْتَسِلُ أَوْ يَتَوَضَّأُ ثُمَّ يَعُودُ فَيَطُوفُ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَيَعْتَمِرُ عُمْرَةً أُخْرَى وَيُهْدِي وَعَلَى الْمَرْأَةِ إِذَا أَصَابَهَا زَوْجُهَا وَهِيَ مُحْرِمَةٌ مِثْلُ ذَلِكَ ১২৬৫-قَالَ مَالِك فَأَمَّا الْعُمْرَةُ مِنْ التَّنْعِيمِ فَإِنَّهُ مَنْ شَاءَ أَنْ يَخْرُجَ مِنْ الْحَرَمِ ثُمَّ يُحْرِمَ فَإِنَّ ذَلِكَ مُجْزِئٌ عَنْهُ إِنْ شَاءَ اللهُ وَلَكِنْ الْفَضْلُ أَنْ يُهِلَّ مِنْ الْمِيقَاتِ الَّذِي وَقَّتَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْ مَا هُوَ أَبْعَدُ مِنْ التَّنْعِيمِ.

মালিক (র) থেকে বর্ণিতঃ

তাঁর নিকট রেওয়ায়াত পৌঁছিছে যে, উসমান ইবনু আফফান (রা) যখন উমরা করতেন, মদীনায় ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত উট হতে অবতরণ করতেন না। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

মালিক (র) বলেন, উমরা করা সুন্নত। এমন কোন মুসলমান দেখা যায়নি যিনি এটা পরিত্যাগ করার অনুমতি দেন।

মালিক (র) বলেন, একই বৎসরে একাধিক উমরা করা জায়েয নয়।

মালিক (র) বলেন, উমরার ইহরাম বেঁধে স্ত্রী সহবাস করলে উমরা বিনষ্ট হয়ে যাবে এবং তাঁর উপর আরেকটি উমরা কাযা ও একটি কুরবানী করা ওয়াজিব হবে। তাই সত্বর তাকে উহার কাযা আদায় করে নেওয়া উচিত। যে স্থান হতে প্রথম উমরার ইহরাম বেঁধেছিল সেই স্থান হতেই তাকে এই কাযা উমরার ইহরাম বাঁধতে হবে, তবে প্রথম উমরার ইহরাম নির্দিষ্ট মীকাতের পূর্বে বেঁধে থাকলে কাযা উমরার ইহরাম মীকাত হতে বাঁধবে।

মালিক (র) বলেন, উমরার ইহরাম বেঁধে কোন ব্যক্তি মক্কায় এল এবং জানাবত (গোসল ফরয হওয়া) অবস্থায় বা ওযূ ব্যতিরেকে সে তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার সা’য়ী করল। পরে ভুলবশত স্ত্রীসহবাস করল। অতঃপর উমরার কথা তার মনে পড়ল। তখন সে গোসল বা ওযূ করে পুনরায় তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার সা’য়ী করবে এবং তদস্থলে অন্য একটি উমরা কাযা করবে ও একটি কুরবানী দেবে। মহিলাও ইহরামরত অবস্থায় তদ্রূপ কিছু করলে তাকেও (পুরুষদের মত) আমল করতে হবে।

তান’য়ীম নামক স্থান হতে উমরার ইহরাম বাঁধার ব্যাপারে মালিক (র) বলেন, হারাম শরীফ হতে বের হয়ে যে কোন স্থান হতে উমরার ইহরাম বাঁধতে পারবে। আল্লাহর ইচ্ছায় এই ইহরামই মুহরিমের জন্য যথেষ্ট। তবে মীকাত হতে ইহরাম বাঁধা উত্তম। কারণ রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কর্তৃক নির্ধারিত স্থান হতে ইহরাম বাঁধা নিঃসন্দেহে উত্তম এবং তান’য়ীম হতে দূরে অবস্থিত।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদঃ ২২

ইহরাম থাকা অবস্থায় বিবাহ করা

৭৬৪

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ أَبَا رَافِعٍ وَرَجُلًا مِنْ الْأَنْصَارِ فَزَوَّجَاهُ مَيْمُونَةَ بِنْتَ الْحَارِثِ وَرَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَدِينَةِ قَبْلَ أَنْ يَخْرُجَ.

সুলায়মান ইবনু ইয়াসার (র) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর আযাদকৃত গোলাম আবূ রাফি’ এবং জনৈক আনসারী ব্যক্তিকে পাঠালেন। তাঁরা দুজনে রসূলুল্লাহ্ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর পক্ষে মায়মুনা বিনতে হারিসের কাছে বিবাহের পয়গাম দিলেন। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তখন মদীনা হতে মক্কার পথে যাত্রা করেননি। (সহীহ, ইমাম তিরমিযী ৮৪১, আবূ রাফি’ থেকে বর্ণনা করেন। আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন [সহীহ ও যয়ীফ সুনানে তিরমিযী] তবে ইমাম মালিক কর্তৃক বর্ণিত হাদীসটি মুরসাল)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

৭৬৫

– و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ نُبَيْهِ بْنِ وَهْبٍ أَخِي بَنِي عَبْدِ الدَّارِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عُبَيْدِ اللهِ أَرْسَلَ إِلَى أَبَانَ بْنِ عُثْمَانَ وَأَبَانُ يَوْمَئِذٍ أَمِيرُ الْحَاجِّ وَهُمَا مُحْرِمَانِ إِنِّي قَدْ أَرَدْتُ أَنْ أُنْكِحَ طَلْحَةَ بْنَ عُمَرَ بِنْتَ شَيْبَةَ بْنِ جُبَيْرٍ وَأَرَدْتُ أَنْ تَحْضُرَ فَأَنْكَرَ ذَلِكَ عَلَيْهِ أَبَانُ وَقَالَ سَمِعْتُ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَنْكِحِ الْمُحْرِمُ وَلَا يُنْكِحُ وَلَا يَخْطُبُ.

নুবাইহ্ ইবনু ওহাব (র) থেকে বর্ণিতঃ

তাঁকে উমার ইবনু উবায়দুল্লাহ্ (র)-এর এবং আবান ইবনু উসমান (র)-এর নিকট বলে পাঠালেন, (তাঁরা দু’জনে তখন ইহরাম অবস্থায় ছিলেন) শায়বাহ্ ইবনু যুবায়রের মেয়ের সহিত আমার পুত্র তালহা ইবনু উমারের বিবাহ প্রদান করতে ইচ্ছা করেছি। আপনিও এতে শামিল হবেন বলে আশা করি। এই সংবাদ পেয়ে আবান ইবনু উসমান (র) আসতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে বললেন, উসমান ইবনু আফফান (রা)-এর নিকট আমি শুনেছি, তিনি বলেছেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, মুহরিম (ইহরামরত ব্যক্তি) নিজেও বিবাহ করবে না এবং অন্যকেও বিবাহ করাবে না এবং বিবাহের পয়গামও দিবে না। (সহীহ, মুসলিম ১৪০৯)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৬৬

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ دَاوُدَ بْنِ الْحُصَيْنِ أَنَّ أَبَا غَطَفَانَ بْنَ طَرِيفٍ الْمُرِّيَّ أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَاهُ طَرِيفًا تَزَوَّجَ امْرَأَةً وَهُوَ مُحْرِمٌ فَرَدَّ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ نِكَاحَهُ.

আবূ গাতফান ইবনু তরীফ মূররী (র) থেকে বর্ণিতঃ

আবূ গাতফান ইবনু তরীফ মূররী (র) বর্ণনা করেন তাঁর পিতা তরীফ ইহরাম অবস্থায় মক্কায় এক মহিলাকে বিবাহ করেন, কিন্তু উমার ইবনু খাত্তাব (রা) এটা বাতিল বলে ঘোষণা করেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৭৬৭

– و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَقُوْلُ: لَا يَنْكِحُ الْمُحْرِمُ وَلَا يَخْطُبُ عَلَى نَفْسِهِ وَلَا عَلَى غَيْرِهِ.

নাফি’ (র) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রা) বলতেন, মুহরিম ব্যক্তি বিবাহ করবে না বা বিবাহের পয়গাম দেবে না, নিজের হোক বা অন্যের, সকল অবস্থায়ই তা নিষিদ্ধ। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৭৬৮

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ وَسَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللهِ وَسُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ سُئِلُوا عَنْ نِكَاحِ الْمُحْرِمِ فَقَالُوا لَا يَنْكِحُ الْمُحْرِمُ وَلَا يُنْكِحُ ১২৭২-قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ الْمُحْرِمِ إِنَّهُ يُرَاجِعُ امْرَأَتَهُ إِنْ شَاءَ إِذَا كَانَتْ فِي عِدَّةٍ مِنْهُ.

মালিক (র) থেকে বর্ণিতঃ

মালিক (র) জ্ঞাত হয়েছেন যে, সাঈদ ইবনু মুসায়্যাব (র), সালিম ইবনু আবদুল্লাহ্ (র) এবং সুলায়মান ইবনু ইয়াসার (র)-কে মুহরিম ব্যক্তির বিবাহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তাঁরা সকলেই বলেছিলেন মুহরিম ব্যক্তি নিজে বিবাহ করবে না বা বিবাহ করাবে না। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

মালিক (র) বলেন, মুহরিম ব্যক্তি ইচ্ছা করলে এবং ইদ্দতের ভিতর হইলে তার স্ত্রীর প্রতি রুজু করতে পারে। (রজয়ী তালাক দেয়া স্ত্রীকে গ্রহণ করতে পারে।)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদঃ ২৩

মুহরিম ব্যক্তির শিঙ্গা লাগানো

৭৬৯

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ احْتَجَمَ وَهُوَ مُحْرِمٌ فَوْقَ رَأْسِهِ وَهُوَ يَوْمَئِذٍ بِلَحْيَيْ جَمَلٍ مَكَانٌ بِطَرِيقِ مَكَّةَ.

সুলায়মান ইবনু ইয়াসার (র) থেকে বর্ণিতঃ

ইহরাম অবস্থায় মাথায় শিঙ্গা লাগিয়েছেন এবং সেদিন তিনি মক্কাগামী পথের উপর উপস্থিত ‘লাহ্‌ইয়া জামাল’ নামক স্থানে ছিলেন। (বুখারী ১৮৩৬, ইমাম মুসলিম ইবনু ওয়াইনার বরাত দিয়ে মুত্তাসিল সনদে বর্ণনা করেন ১২০৩, তবে ইমাম মালিক কর্তৃক বর্ণিত হাদীসটি [মুরসাল])

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

৭৭০

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ لَا يَحْتَجِمُ الْمُحْرِمُ إِلَّا مِمَّا لَا بُدَّ لَهُ مِنْهُ ১২৭৬-قَالَ مَالِك لَا يَحْتَجِمُ الْمُحْرِمُ إِلَّا مِنْ ضَرُورَةٍ.

নাফি’ (র) থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রা) বলতেন, বাধ্য না হলে মুহরিমের জন্য শিঙ্গা লাগানো উচিত নয়। মালিক (র)-ও অনুরূপ মত ব্যক্ত করেছেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদঃ ২৪

কোন ধরনের শিকারকৃত বস্তু মুহরিম খেতে পারে

৭৭১

– حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي النَّضْرِ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللهِ التَّيْمِيِّ عَنْ نَافِعٍ مَوْلَى أَبِي قَتَادَةَ الْأَنْصَارِيِّ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ أَنَّهُ كَانَ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى إِذَا كَانُوا بِبَعْضِ طَرِيقِ مَكَّةَ تَخَلَّفَ مَعَ أَصْحَابٍ لَهُ مُحْرِمِينَ وَهُوَ غَيْرُ مُحْرِمٍ فَرَأَى حِمَارًا وَحْشِيًّا فَاسْتَوَى عَلَى فَرَسِهِ فَسَأَلَ أَصْحَابَهُ أَنْ يُنَاوِلُوهُ سَوْطَهُ فَأَبَوْا عَلَيْهِ فَسَأَلَهُمْ رُمْحَهُ فَأَبَوْا فَأَخَذَهُ ثُمَّ شَدَّ عَلَى الْحِمَارِ فَقَتَلَهُ فَأَكَلَ مِنْهُ بَعْضُ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبَى بَعْضُهُمْ فَلَمَّا أَدْرَكُوا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَأَلُوهُ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ إِنَّمَا هِيَ طُعْمَةٌ أَطْعَمَكُمُوهَا اللهُ.

উমার ইবনু আবদুল্লাহ্ মাওলা আবূন নাযর (র) থেকে বর্ণিতঃ

উমার ইবনু আবদুল্লাহ্ মাওলা আবূন নাযর (র) নাফি’ (র) হতে বর্ণনা করেন তিনি ছিলেন আবূ কাতাদার মাওলা। নাফি’ (র) বলেছেন, আবূ কাতাদা আনসারী (রা) বর্ণনা করেছেন যে, তিনি এক সফরে রসূলুল্লাহ্ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সাথে ছিলেন। কতিপয় মুহরিম সঙ্গীসহ তিনি পেছনে থেকে যান। তিনি নিজে অবশ্য ইহরাম বাঁধা অবস্থায় ছিলেন না। হঠাৎ একটা বন্য গাধা দৃষ্টিগোচর হল, তৎক্ষণাৎ একটি ঘোড়ায় আরোহণ করে তিনি উহা শিকার করতে ছুটলেন। সঙ্গীদের নিকট চাবুক চাইলেন; কিন্তু কেউই দিলেন না, বর্শাখানা চাইলে তাও কেউ দিলেন না। শেষে তিনি নিজে ঘোড়া হতে নেমে এসে বর্শা সংগ্রহ করলেন এবং উক্ত গাধাটিকে শিকার করলেন। সঙ্গিগণের কেউ কেউ এর গোশত খেলেন, আর কেউ কেউ খেতে অস্বীকৃতি জানালেন। পরে রসূলুল্লাহ্ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সাথে যখন সাক্ষাৎ হল তখন উক্ত ঘটনা তাঁকে জানালে তিনি বললেন, উহা এমন এক খাদ্য ছিল যা আল্লাহ্ তা’আলা তোমাদেরকে খাওয়াইছেন। [১] (বুখারী ৫৪৯১, মুসলিম ১১৯৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

[১] সামুদ্রিক প্রাণী শিকার করে মুহরিম খেতে পারে এবং স্থলে বসবাসকারী প্রাণী শিকার করা তার জন্য জায়েয নয়। মুহরিম নয় এমন ব্যক্তি যদি শিকার করে এবং মুহরিমের তাতে কোনরূপ অংশগ্রহণ বা সহযোগিতা না থাকে, তবে তা সে খেতে পারবে।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৭২

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ الزُّبَيْرَ بْنَ الْعَوَّامِ كَانَ يَتَزَوَّدُ صَفِيفَ الظِّبَاءِ وَهُوَ مُحْرِمٌ قَالَ مَالِك وَالصَّفِيفُ الْقَدِيدُ.

উরওয়াহ্ ইবনু যুবায়র (র) থেকে বর্ণিতঃ

যুবায়র ইবনু আওয়াম (রা) ইহরাম অবস্থায় পাথেয় হিসেবে হরিণের ভুনা গোশত সঙ্গে নিতেন। মালিক (র) বলেন, সফীফ অর্থ হল ‘কাদীদ’ অর্থাৎ শুকনা গোশত। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৭৭৩

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ أَنَّ عَطَاءَ بْنَ يَسَارٍ أَخْبَرَهُ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ فِي الْحِمَارِ الْوَحْشِيِّ مِثْلَ حَدِيثِ أَبِي النَّضْرِ إِلَّا أَنَّ فِي حَدِيثِ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ هَلْ مَعَكُمْ مِنْ لَحْمِهِ شَيْءٌ.

বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ

‘আতা ইবনু ইয়াসার (র) আবূ কাতাদা (রা)-র বন্য গাধা শিকার সম্পর্কে আবূন্ নাযরের হাদীসটির মতই বর্ণনা করেছেন। তবে যায়দ ইবনু আসলাম (র) বর্ণিত হাদীসে শিকার সংক্রান্ত ঘটনায় নিম্নোক্ত বাক্যটি রয়েছে যে, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তখন বলেছেন, উহার কোন গোশত অবশিষ্ট আছে কি? (বুখারী ৫৪৯১, মুসলিম ১১৯৬)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৭৪

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْأَنْصَارِيِّ أَنَّهُ قَالَ أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ التَّيْمِيُّ عَنْ عِيسَى بْنِ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللهِ عَنْ عُمَيْرِ بْنِ سَلَمَةَ الضَّمْرِيِّ عَنْ الْبَهْزِيِّ

أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ يُرِيدُ مَكَّةَ وَهُوَ مُحْرِمٌ حَتَّى إِذَا كَانَ بِالرَّوْحَاءِ إِذَا حِمَارٌ وَحْشِيٌّ عَقِيرٌ فَذُكِرَ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ دَعُوهُ فَإِنَّهُ يُوشِكُ أَنْ يَأْتِيَ صَاحِبُهُ فَجَاءَ الْبَهْزِيُّ وَهُوَ صَاحِبُهُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ شَأْنَكُمْ بِهَذَا الْحِمَارِ فَأَمَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبَا بَكْرٍ فَقَسَمَهُ بَيْنَ الرِّفَاقِ ثُمَّ مَضَى حَتَّى إِذَا كَانَ بِالْأُثَابَةِ بَيْنَ الرُّوَيْثَةِ وَالْعَرْجِ إِذَا ظَبْيٌ حَاقِفٌ فِي ظِلٍّ فِيهِ سَهْمٌ فَزَعَمَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ رَجُلًا أَنْ يَقِفَ عِنْدَهُ لَا يَرِيبُهُ أَحَدٌ مِنْ النَّاسِ حَتَّى يُجَاوِزَهُ.

ঈসা ইবনু তালহা ইবনু ওবায়দুল্লাহ্ (র) থেকে বর্ণিতঃ

ঈসা ইবনু তালহা ইবনু ওবায়দুল্লাহ্ (র) উমায়র ইবনু সালমা জমরী (র) হতে বর্ণনা করেন উমায়র তাঁকে খবর দিয়েছেন যে, বাহযী [১] (রা) বর্ণনা করেন ইহরাম বেঁধে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মক্কার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন, রওহা নামক স্থানে পৌঁছে একটি বন্য গাধা দেখতে পাওয়া গেল। এটা সম্পর্কে রসূলুল্লাহ্ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সাথে আলোচনা করলে তিনি বললেন, ছেড়ে দাও. এখন হয়তো উহার মালিক আসবে। ততক্ষণে বাহযী এসে পৌঁছালেন, আর তিনিই উহার মালিক ছিলেন। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রসূল! এটা আপনার, সকল ইখতিয়ার আপনারই। শেষে রসূলুল্লাহ্ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নির্দেশে আবূ বক্‌র (রা) সঙ্গীদের মধ্যে উহার গোশত বণ্টন করে দেন। পরে সকলেই সম্মুখে অগ্রসর হলেন। রুয়াইসা ও ‘আরজ নামক স্থানদ্বয়ের মধ্যবর্তী উসায়া নামক স্থানে যখন পৌঁছালেন তখন একটি গাছের ছায়ায় একটি তীরবিদ্ধ হরিণ মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেল। বর্ণনাকারী ধারণা করেছেন যে, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তখন এক ব্যক্তিকে হরিণটির নিকট দাঁড়িয়ে পাহারা দিতে নির্দেশ দিলেন, যাতে সকলেই তাকে অতিক্রম করে সম্মুখে চলে না যাওয়া পর্যন্ত কেউ উহার কোন কিছু করতে না পারে। (সহীহ, নাসাঈ ২৮১৮, আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন [সহীহ ও যয়ীফ সুনানে আবূ দাঊদ])

  •  
  •  
  •  
  •  

[১] তাঁর নাম যায়দ ইবনু কা’ব বলে উল্লেখ করা হয়েছে। -আউজাযুল মাসালিক

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

৭৭৫

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ سَمِعَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ أَقْبَلَ مِنْ الْبَحْرَيْنِ حَتَّى إِذَا كَانَ بِالرَّبَذَةِ وَجَدَ رَكْبًا مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ مُحْرِمِينَ فَسَأَلُوهُ عَنْ لَحْمِ صَيْدٍ وَجَدُوهُ عِنْدَ أَهْلِ الرَّبَذَةِ فَأَمَرَهُمْ بِأَكْلِهِ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ ثُمَّ إِنِّي شَكَكْتُ فِيمَا أَمَرْتُهُمْ بِهِ فَلَمَّا قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ ذَكَرْتُ ذَلِكَ لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَقَالَ عُمَرُ مَاذَا أَمَرْتَهُمْ بِهِ فَقَالَ أَمَرْتُهُمْ بِأَكْلِهِ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ لَوْ أَمَرْتَهُمْ بِغَيْرِ ذَلِكَ لَفَعَلْتُ بِكَ يَتَوَاعَدُهُ.

আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বাহরাইন হতে আসতেছিলেন। রবাজা নামক স্থানে ইহরাম বাঁধা অবস্থায় কতিপয় ইরাকী আরোহীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হল। তারা তাঁকে শিকারের গোশত খাওয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল। উক্ত শিকার রবাজাবাসীদের ছিল। আবূ হুরায়রা (রা) বলেন, পরে এই ফতওয়া সম্পর্কে আমার মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি হয়। মদীনায় এসে উমার ইবনু খাত্তাব (রা)-কে তা জানালাম। তিনি বললেন, তুমি তাদেরকে এ সম্পর্কে কি বলেছিলে ? আমি বললাম তাদেরকে উহা খেতে পারে বলে মত দিয়েছিলাম। তখন তিনি বললেন, এট না বলে অন্য কিছু যদি বলতে তবে তোমাকে আমি শায়েস্তা করতাম অর্থাৎ তিনি তাকে ভয় দেখালেন। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৭৭৬

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يُحَدِّثُ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ أَنَّهُ مَرَّ بِهِ قَوْمٌ مُحْرِمُونَ بِالرَّبَذَةِ فَاسْتَفْتَوْهُ فِي لَحْمِ صَيْدٍ وَجَدُوا نَاسًا أَحِلَّةً يَأْكُلُونَهُ فَأَفْتَاهُمْ بِأَكْلِهِ قَالَ ثُمَّ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ عَلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَسَأَلْتُهُ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ بِمَ أَفْتَيْتَهُمْ قَالَ فَقُلْتُ أَفْتَيْتُهُمْ بِأَكْلِهِ قَالَ فَقَالَ عُمَرُ لَوْ أَفْتَيْتَهُمْ بِغَيْرِ ذَلِكَ لَأَوْجَعْتُكَ.

বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ

সালিম ইবনু আবদুল্লাহ্ (র) আবূ হুরায়রা (রা)-কে আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রা)-এর নিকট হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছেন। আবূ হুরায়রা (রা) বলতেছিলেন, যে রবাজা নামক স্থানে ইহরাম অবস্থায় কতিপয় লোকের সাথে তাঁর সাক্ষাত হয়। ইহরামবিহীন লোকের শিকারকৃত পশু যা তারা খাচ্ছে সে পশুর গোশত তারা খেতে পারবে কিনা এই সম্পর্কে তাঁর ফতওয়া জিজ্ঞেস করা হল। তিনি তাদেরকে তা খেতে পারে বলে ফতওয়া দেন। তিনি বলেন, পরে মদীনায় এসে উমার ইবনু খাত্তাব (রা)-কে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, তুমি কি ফতওয়া দিয়েছিলে ? আমি বললাম ঐ গোশত খেতে পারে বলে ফতওয়া দিয়েছিলাম। তিনি বললেন, এই ফতওয়া না দিয়ে যদি অন্য কোন ফতওয়া তুমি দিতে তবে তোমাকে আমি শাস্তি দিতাম। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৭৭৭

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ أَنَّ كَعْبَ الْأَحْبَارِ أَقْبَلَ مِنْ الشَّامِ فِي رَكْبٍ حَتَّى إِذَا كَانُوا بِبَعْضِ الطَّرِيقِ وَجَدُوا لَحْمَ صَيْدٍ فَأَفْتَاهُمْ كَعْبٌ بِأَكْلِهِ قَالَ فَلَمَّا قَدِمُوا عَلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ بِالْمَدِينَةِ ذَكَرُوا ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ مَنْ أَفْتَاكُمْ بِهَذَا قَالُوا كَعْبٌ قَالَ فَإِنِّي قَدْ أَمَّرْتُهُ عَلَيْكُمْ حَتَّى تَرْجِعُوا ثُمَّ لَمَّا كَانُوا بِبَعْضِ طَرِيقِ مَكَّةَ مَرَّتْ بِهِمْ رِجْلٌ مِنْ جَرَادٍ فَأَفْتَاهُمْ كَعْبٌ أَنْ يَأْخُذُوهُ فَيَأْكُلُوهُ فَلَمَّا قَدِمُوا عَلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ ذَكَرُوا لَهُ ذَلِكَ فَقَالَ مَا حَمَلَكَ عَلَى أَنْ تُفْتِيَهُمْ بِهَذَا قَالَ هُوَ مِنْ صَيْدِ الْبَحْرِ قَالَ وَمَا يُدْرِيكَ قَالَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنْ هِيَ إِلَّا نَثْرَةُ حُوتٍ يَنْثُرُهُ فِي كُلِّ عَامٍ مَرَّتَيْنِ ১২৮৫-و سُئِلَ مَالِك عَمَّا يُوجَدُ مِنْ لُحُومِ الصَّيْدِ عَلَى الطَّرِيقِ هَلْ يَبْتَاعُهُ الْمُحْرِمُ فَقَالَ أَمَّا مَا كَانَ مِنْ ذَلِكَ يُعْتَرَضُ بِهِ الْحَاجُّ وَمِنْ أَجْلِهِمْ صِيدَ فَإِنِّي أَكْرَهُهُ وَأَنْهَى عَنْهُ فَأَمَّا أَنْ يَكُونَ عِنْدَ رَجُلٍ لَمْ يُرِدْ بِهِ الْمُحْرِمِينَ فَوَجَدَهُ مُحْرِمٌ فَابْتَاعَهُ فَلَا بَأْسَ بِهِ.

১২৮৬-قَالَ مَالِك فِيمَنْ أَحْرَمَ وَعِنْدَهُ صَيْدٌ قَدْ صَادَهُ أَوْ ابْتَاعَهُ فَلَيْسَ عَلَيْهِ أَنْ يُرْسِلَهُ وَلَا بَأْسَ أَنْ يَجْعَلَهُ عِنْدَ أَهْلِهِ ১২৮৭- قَالَ مَالِك فِي صَيْدِ الْحِيتَانِ فِي الْبَحْرِ وَالْأَنْهَارِ وَالْبِرَكِ وَمَا أَشْبَهَ ذَلِكَ إِنَّهُ حَلَالٌ لِلْمُحْرِمِ أَنْ يَصْطَادَهُ.

বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ

কা’ব আহবার (র) যখন সিরিয়া হতে আসেন কতিপয় ইহরাম বাঁধা আরোহীও তখন তাঁর সঙ্গী হয়। পথে তাঁরা কিছু শিকারের গোশত পেলেন। কা’ব (র) তাদেরকে তা খেতে অনুমতি দিলেন। ঐ আরোহী দল মদীনায় এসে উমার ইবনু খাত্তাব (রা)-কে উক্ত ঘটনা জানালেন। তিনি বললেন, তোমাদেরকে উক্ত গোশত খেতে কে ফতওয়া দিয়েছিলেন ? তাঁরা বললেন, কা’ব (র)। তিনি বললেন, ফিরে না আসা পর্যন্ত কা’বকে আমি তোমাদের আমীর বানিয়ে দিলাম। পরে মক্কার পথে তাঁরা অনেক পঙ্গপাল দেখতে পেলেন। কা’ব তাদেরকে তা খেতে বলে দিলেন। তাঁরা ফিরে উমার ইবনু খাত্তাব (রা)-কে তা জানালেন। তিনি কা’বকে বললেন, কি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে তুমি এই ধরনের ফতওয়া দিলে ? কা’ব বললেন, এ জাতীয় পঙ্গপাল (টিড্ডী) সামুদ্র্রিক প্রাণীর অন্তর্ভুক্ত (আর মুহরিমের জন্য সামুদ্রিক প্রাণী খাওয়া জায়েয)। উমার (রা) বললেন, এটা কেমন করে কা’ব বললেন, আমীরুল মু’মিনীন ! সেই সত্তার কসম যাঁর হাতে আমার প্রাণ, এ জাতীয় পঙ্গপাল এক প্রকার সামুদ্রিক মাছের হাঁচি হতে জন্ম হয়ে থাকে। উহা বৎসরে মাত্র দু’বারই হাঁচি দিয়া থাকে। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

ইয়াহইয়া (র) বলেন, মালিক (র)-কে জিজ্ঞেস করা হল পথে শিকারের গোশত পাওয়া গেলে মুহরিম ব্যক্তি তা ক্রয় করতে পারে কি? তিনি বললেন, হজ্জযাত্রীদের নিয়তে শিকার করে থাকলে তা আমার কাছে মাকরূহ বলে মনে হয়, তবে সাধারণভাবে বিশেষ কোন নিয়ত ব্যতিরেকে শিকার করা হয়ে থাকলে উহা ক্রয় করায় দোষের কিছুই নেই।

মালিক (র) বলেন, ইহরাম বাঁধার সময় কোন ব্যক্তির নিকট তৎকর্তৃক শিকারকৃত কোন পশু ছিল অথবা শিকারকৃত কোন পশু ক্রয় করল। তবে তা ছেড়ে দেয়া তার জন্য জরুরী নয়, বরং বাড়িতে তা রেখে যাবে।

মালিক (র) বলেন, সমুদ্র, নদী-নালা এবং পুকুর ইত্যাদির মাছ মুহরিমগণ শিকার করতে পারবে।

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

পরিচ্ছেদঃ ২৫

যে ধরনের শিকার মুহরিম খেতে পারে না

৭৭৮

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ عَنْ الصَّعْبِ بْنِ جَثَّامَةَ اللَّيْثِيِّ أَنَّهُ أَهْدَى لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِمَارًا وَحْشِيًّا وَهُوَ بِالْأَبْوَاءِ أَوْ بِوَدَّانَ فَرَدَّهُ عَلَيْهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا رَأَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا فِي وَجْهِي قَالَ إِنَّا لَمْ نَرُدَّهُ عَلَيْكَ إِلَّا أَنَّا حُرُمٌ.

সা’ব ইবনু জাসসামা লায়সী (রা) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আবওয়া বা ওয়াদ্দান নামক স্থানে অবস্থান করতেছিলেন। তখন তিনি (রাবী) একটা বন্য গাধা হাদিয়া হিসেবে তাঁর খেদমতে পেশ করেন। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তা ফিরিয়ে দিলেন। সা’ব (রা) বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এতে আমার চেহারায় দুঃখের অভিব্যক্তি প্রকাশ পেতে দেখে বললেন, আমরা মুহরিম, (ইহরাম) অবস্থায় আছি। কেবল এজন্য এটা ফিরিয়ে দিয়েছি। (বুখারী ১৮২৫, মুসলিম ১১৯৩)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৭৭৯

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ قَالَ رَأَيْتُ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ بِالْعَرْجِ وَهُوَ مُحْرِمٌ فِي يَوْمٍ صَائِفٍ قَدْ غَطَّى وَجْهَهُ بِقَطِيفَةِ أُرْجُوَانٍ ثُمَّ أُتِيَ بِلَحْمِ صَيْدٍ فَقَالَ لِأَصْحَابِهِ كُلُوا فَقَالُوا أَوَ لَا تَأْكُلُ أَنْتَ فَقَالَ إِنِّي لَسْتُ كَهَيْئَتِكُمْ إِنَّمَا صِيدَ مِنْ أَجْلِي.

আবদুল্লাহ্ ইবনু রবী’আ (র) থেকে বর্ণিতঃ

গরমের সময় আরজ নামক স্থানে উসমান ইবনু আফফান (রা)-কে ইহরামের হালতে একটি লাল কম্বল দ্বারা মুখ ঢেকে বসে থাকতে দেখলাম। সে সময় শিকার করা জন্তুর কিছু গোশত তাঁর কাছে পেশ করা হয়। তিনি সঙ্গীদেরকে তা খেয়ে নিতে বললেন। সঙ্গীরা বললেন, আপনি নিজে খাচ্ছেন না ? উসমান (রা) বললেন, আমি তোমাদের মত নই, এটা আমার জন্য শিকার করা হয়েছে, সুতরাং আমি খেতে পারি না। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়

  •  সরাসরি

৭৮০

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ أَنَّهَا قَالَتْ لَهُ يَا ابْنَ أُخْتِي إِنَّمَا هِيَ عَشْرُ لَيَالٍ فَإِنْ تَخَلَّجَ فِي نَفْسِكَ شَيْءٌ فَدَعْهُ تَعْنِي أَكْلَ لَحْمِ الصَّيْدِ.

১২৯২-قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ الْمُحْرِمِ يُصَادُ مِنْ أَجْلِهِ صَيْدٌ فَيُصْنَعُ لَهُ ذَلِكَ الصَّيْدُ فَيَأْكُلُ مِنْهُ وَهُوَ يَعْلَمُ أَنَّهُ مِنْ أَجْلِهِ صِيدَ فَإِنَّ عَلَيْهِ جَزَاءَ ذَلِكَ الصَّيْدِ كُلِّهِ ১২৯৩-و سُئِلَ مَالِك عَنْ الرَّجُلِ يُضْطَرُّ إِلَى أَكْلِ الْمَيْتَةِ وَهُوَ مُحْرِمٌ أَيَصِيدُ الصَّيْدَ فَيَأْكُلُهُ أَمْ يَأْكُلُ الْمَيْتَةَ فَقَالَ بَلْ يَأْكُلُ الْمَيْتَةَ وَذَلِكَ أَنَّ اللهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى لَمْ يُرَخِّصْ لِلْمُحْرِمِ فِي أَكْلِ الصَّيْدِ وَلَا فِي أَخْذِهِ فِي حَالٍ مِنْ الْأَحْوَالِ وَقَدْ أَرْخَصَ فِي الْمَيْتَةِ عَلَى حَالِ الضَّرُورَةِ ১২৯৪-قَالَ مَالِك وَأَمَّا مَا قَتَلَ الْمُحْرِمُ أَوْ ذَبَحَ مِنْ الصَّيْدِ فَلَا يَحِلُّ أَكْلُهُ لِحَلَالٍ وَلَا لِمُحْرِمٍ لِأَنَّهُ لَيْسَ بِذَكِيٍّ كَانَ خَطَأً أَوْ عَمْدًا فَأَكْلُهُ لَا يَحِلّ وَقَدْ سَمِعْتُ ذَلِكَ مِنْ غَيْرِ وَاحِدٍ وَالَّذِي يَقْتُلُ الصَّيْدَ ثُمَّ يَأْكُلُهُ إِنَّمَا عَلَيْهِ كَفَّارَةٌ وَاحِدَةٌ مِثْلُ مَنْ قَتَلَهُ وَلَمْ يَأْكُلْ مِنْهُ.

উরওয়াহ্ ইবনু যুবায়র (র) থেকে বর্ণিতঃ

উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা) তাঁকে বলেছেন, ভ্রাতুষ্পুত্র, ইহরামের মাত্র দশটা দিন বাকি। মনে যদি দ্বিধা-সন্দেহের সৃষ্টি হয়, তবে শিকারের গোশত খাওয়া এই কয়দিন একেবারেই ছেড়ে দাও।

মালিক (র) বলেন, মুহরিম ব্যক্তির নিয়তে কোন প্রাণী শিকার করা হয়ে থাকলে, আর ঐ ব্যক্তি তা জানা থাকা সত্ত্বেও যদি উক্ত শিকার ভক্ষণ করে, তবে তাকে উহার পরিবর্তে বদলা আদায় করতে হবে।

মালিক (র) বলেন, মালিক (র)-কে জিজ্ঞেস করা হল যদি খাদ্যাভাবের দরুন মুহরিম ব্যক্তির জন্য মৃত পশু খাওয়া জায়েয হয়, এমতাবস্থায় সে মৃত প্রাণী খাবে, না শিকারকৃত প্রাণী খাবে ? তিনি বললেন, সে মৃত প্রাণী খাবে। কারণ আল্লাহ্ তা’আলা কালামে পাকে উপায়হীন অবস্থায় মৃত প্রাণী খাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন, পক্ষান্তরে মুহরিমের জন্য কোন অবস্থায়ই শিকারকৃত প্রাণী আহারের অনুমতি প্রদান করেননি।

মালিক (র) বলেন, মুহরিম যদি কোন প্রাণী শিকার করে বা ঐ জাতীয় প্রাণী যবেহ করে, তবে তা খাওয়া মুহরিম বা হালাল (যিনি ইহরাম অবস্থায় নাই) কোন ব্যক্তির জন্যই জায়েয নয়। কেননা শরীয়তের দৃষ্টিতে তা যবেহ বলে গণ্য হয় না।

মালিক (র) বলেন, শিকার সে নিজে আহার করুক বা শিকার করার পর নিজে আহার না করুক, উভয় অবস্থায়ই তাকে একই ধরনের কাফফারা দিতে হবে। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) একক ভাবে বর্ণনা করেছেন)

  •  
  •  
  •  
  •  

হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়