৫/৯১. অধ্যায়ঃ
যে ব্যক্তি জুমুআর সলাতের এক রাকআত পেলো।
১১২১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، أَنْبَأَنَا عُمَرُ بْنُ حَبِيبٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، وَسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ مَنْ أَدْرَكَ مِنَ الْجُمُعَةِ رَكْعَةً فَلْيُصَلِّ إِلَيْهَا أُخْرَى ” .
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি জুমুআর সলাতের এক রাকআত পেলো, সে যেন তার সাথে আরো এক রাকআত মিলায় (পড়ে)। [১১২১]
[১১২১] মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৩৮ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৬২২। উক্ত হাদিসের রাবী উমার বিন হাবীব সম্পর্কে আস-সাজী বলেন, তিনি সিকাহ রাবী থেকে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। ইবনু আদী বলেন, তার মাঝে দুর্বলতা থাকলেও তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায়। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, আমরা তার থেকে কোন হাদিস বর্ণনা করিনি। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি দুর্বল ও মিথ্যুক। ইমাম বুখারী বলেন, তার ব্যাপারে মন্তব্য রয়েছে। এ হাদিসের ৬৬ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে দারাকুতনী ১৫ টি, সুনানুল কুবরা ৫ টি, মুসান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ ৩ টি ও বাকীগুলো অন্যান্য কিতাবে রয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১১২২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَهِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ مَنْ أَدْرَكَ مِنَ الصَّلاَةِ رَكْعَةً فَقَدْ أَدْرَكَ ” .
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি সলাতের এক রাকআত পেলো, সে সালাত পেয়ে গেলো। [১১২২]
[১১২২] বুখারী ৫৫৬, ৫৭৯-৮০; মুসলিম ৬০১-২, ৬০৮; তিরমিযী ১৮৬, ৫২৪; নাসায়ী ৫১৪-১৭, ৫৫৩-৫৬; আবূ দাঊদ ৪১২, ৮৯৩, ১১২১; আহমাদ ৭১৭৫, ৭২৪২, ৭৪০৮, ৭৪৮৫, ৭৫৪০, ৭৬০৯, ৭৭০৭, ৭৭৩৯, ৭৭৯৫, ৮৩৭৯, ৮৬৬৩, ৮৯৩২, ৯৬০২, ৯৬৩৮, ৯৭৭৯, ৯৯৬৬, ৯৯৮৬, ১০৩৭২; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৫, ১৫; দারিমী ১২০, ১২২; ইবনু মাজাহ ৬৯৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৮৭, আবী দাউদ ১০২৬।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১১২৩
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ بْنِ سَعِيدِ بْنِ كَثِيرِ بْنِ دِينَارٍ الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ الأَيْلِيُّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ مَنْ أَدْرَكَ رَكْعَةً مِنْ صَلاَةِ الْجُمُعَةِ أَوْ غَيْرِهَا فَقَدْ أَدْرَكَ الصَّلاَةَ ” .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমুআর সলাতের বা অন্য সলাতের এক রাক’আত পেলো, সে (পূর্ণ) সালাত পেয়ে গেলো। [১১২৩]
[১১২৩] নাসায়ী ৫৫৭ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/৯২. অধ্যায়ঃ
জুমুআর সলাতের জন্য দূর থেকে আগমন।
১১২৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ إِنَّ أَهْلَ قُبَاءَ كَانُوا يُجَمِّعُونَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَوْمَ الْجُمُعَةِ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কুবাবাসীগণ জুমুআর দিন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে জুমুআর সালাত আদায় করতো। [১১২৪]
যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল্লাহ বিন উমার (বিন হাফস বিন আসিম বিন উমার আল উমরী আল কারশী) সম্পর্কে ইয়াকুব শায়বাহ বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিসে ইদতিরাব রয়েছে। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সানাদের মাঝে অতিরিক্ত করেন ও সিকাহ রাবীর বিপরীত হাদিস বর্ণনা করেন। আলী ইবনুল মাদীনী তাকে দুর্বল বলেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫/৯৩. অধ্যায়ঃ
যে ব্যক্তি বিনা ওজরে জুমুআর সালাত ত্যাগ করলো।
১১২৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، وَيَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنِي عَبِيدَةُ بْنُ سُفْيَانَ الْحَضْرَمِيُّ، عَنْ أَبِي الْجَعْدِ الضَّمْرِيِّ، – وَكَانَ لَهُ صُحْبَةٌ – قَالَ قَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ مَنْ تَرَكَ الْجُمُعَةَ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ تَهَاوُنًا بِهَا طُبِعَ عَلَى قَلْبِهِ ” .
আবূল জা’দ আদদমরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি সাহাবী ছিলেন। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি অবহেলা করে একাধারে তিন জুমুআহ্ ত্যাগ করলো, তার অন্তরে মোহর মেরে দেয়া হয়। [১১২৫]
[১১২৫] তিরমিযী ৫০০, নাসায়ী ১৩৬৯, আবূ দাঊদ ১০৫২। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ১৩৭১, তালীক ইবনু খুযাইমাহ ১৮৫৭-১৮৫৮, সহীহ আবী দাউদ ৯৬৫। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন আমর সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, তিনি সালিহ। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি কখনো কখনো হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইবনু আদী বলেন, তার হাদিস বর্ণনায় সমস্যা নেই। ইমাম নাসাঈ তাকে সিকাহ বলেছেন। উক্ত হাদিসের রাবী যুহায়র সম্পর্কে উসমান আদ-দারেমী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। ইবনু আদী বলেন, আমি আশা করি তার মাঝে কোন সমস্যা নেই। সালিহ জাযারাহ তাকে সিকাহ বলেছেন।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
১১২৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، عَنْ أَسِيدِ بْنِ أَبِي أَسِيدٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عِيسَى الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ أَسِيدِ بْنِ أَبِي أَسِيدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ مَنْ تَرَكَ الْجُمُعَةَ ثَلاَثًا مِنْ غَيْرِ ضَرُورَةٍ طَبَعَ اللَّهُ عَلَى قَلْبِهِ ” .
জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি অপ্রয়োজনে পরপর তিন জুমুআহ ত্যাগ করলো, আল্লাহ তার অন্তুরে মোহর মেরে দেন। [১১২৬]
[১১২৬] আহমাদ ১৪১৪৯ তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৯৬৫।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
১১২৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مَعْدِيُّ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا ابْنُ عَجْلاَنَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ أَلاَ هَلْ عَسَى أَحَدُكُمْ أَنْ يَتَّخِذَ الصُّبَّةَ مِنَ الْغَنَمِ عَلَى رَأْسِ مِيلٍ أَوْ مِيلَيْنِ فَيَتَعَذَّرَ عَلَيْهِ الْكَلأُ فَيَرْتَفِعَ ثُمَّ تَجِيءُ الْجُمُعَةُ فَلاَ يَجِيءُ وَلاَ يَشْهَدُهَا وَتَجِيءُ الْجُمُعَةُ فَلاَ يَشْهَدُهَا وَتَجِيءُ الْجُمُعَةُ فَلاَ يَشْهَدُهَا حَتَّى يُطْبَعَ عَلَى قَلْبِهِ ” .
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, শোন! তোমাদের কেউ বকরী চরাবার জন্য এক বা দু’ মাইল দূরে চলে গেল, অতঃপর সেখানে ঘাস না পেয়ে আরও দূরে চলে গেল, তারপর জুমুআর দিন এলো, কিন্তু সে এসে জুমুআর সলাতে উপস্থিত হলো না। তারপর আরেক জুমুআহ এলো এবং সে তাতেও হাযির হলো না, তারপর আরেক জুমুআহ এলো এবং সে তাতেও হাযির হলো না, শেষে তার অন্তরে মোহর মেরে দেয়া হয়। [১১২৭]
[১১২৭] হাসান। তাখরীজ আলবানী: তালীকুর রগীব ২৬০ সহীহ তারগীব ৭৩৩। উক্ত হাদিসের রাবী মা’দী বিন সুলায়মান সম্পর্কে ইমাম তিরমিযি তার হাদিসের ব্যাপারে সহীহ বলেছেন। ইমাম নাসাঈ তাকে দুর্বল বলেছেন।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
১১২৮
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا نُوحُ بْنُ قَيْسٍ، عَنْ أَخِيهِ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ مَنْ تَرَكَ الْجُمُعَةَ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَصَدَّقْ بِدِينَارٍ فَإِنْ لَمْ يَجِدْ فَبِنِصْفِ دِينَارٍ ” .
সামুরাহ বিন জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় জুমুআর সালাত ত্যাগ করলো, সে যেন এক দীনার দান-খয়রাত করে। যদি সে তা না পায়, তাহলে যেন অর্ধ দীনার দান-খয়রাত করে। [১১২৮]
[১১২৮] নাসায়ী ১৩৭২, আবূ দাঊদ ১০৫৬, আহমাদ ১৯৫৮৩, ১৯৬৪৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ১৩৭৪, যঈফ আবী দাউদ ১৯৫-১৯৮। উক্ত হাদিসের রাবী নুহ বিন কায়স সম্পর্কে আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সিকাহ তবে শীয়া মতাবলম্বী। ইমাম নাসাঈ বলেন, তার হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫/৯৪. অধ্যায়ঃ
জুমুআর ফরয সলাতের পূর্বের সালাত (কাবলাল জুমুআহ্)।
১১২৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ رَبِّهِ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، عَنْ مُبَشِّرِ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ حَجَّاجِ بْنِ أَرْطَاةَ، عَنْ عَطِيَّةَ الْعَوْفِيِّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَرْكَعُ مِنْ قَبْلِ الْجُمُعَةِ أَرْبَعًا لاَ يَفْصِلُ فِي شَىْءٍ مِنْهُنَّ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জুমুআর (ফরয) সলাতের পূর্বে চার রাকআত সালাত আদায় করতেন এবং তাতে মাঝখানে সালাম ফিরাতেন না। [১১২৯]
তাহাকীক আলবানী : দঈফ জিদ্দান।
[১১২৯] যঈফ জিদ্দান। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ৪৫৫০ যঈফ জিদ্দান, যঈফা ১০০১ বাতিল। উক্ত হাদিসের রাবী বাকিইয়্যাহ সম্পর্কে আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, যখন তিনি সিকাহ রাবী থেকে হাদিস বর্ণনা করেন তখন তাকে সিকাহ হিসেবে গন্য করা হবে। ইমাম নাসাঈ বলেন, যখন তিনি হাদ্দাসানা বা আখবারনা শব্দদয় দ্বারা হাদিস বর্ণনা করেন তখন তিনি সিকাহ হিসেবে গন্য হবেন। ২. মুবাশশির বিন উবায়দ সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি বানিয়ে হাদিস বর্ণনা করেন। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি বানিয়ে হাদিস বর্ণনা করেন ও মিথ্যুক এবং তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইমাম যাহাবী বলেন, হাদীস বিশারদগণ তাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল
- সরাসরি
৫/৯৫. অধ্যায়ঃ
জুমুআর ফরয সলাতের পরের সালাত (বা’দাল জুমুআহ্)।
১১৩০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنَ رُمْحٍ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ كَانَ إِذَا صَلَّى الْجُمُعَةَ انْصَرَفَ فَصَلَّى سَجْدَتَيْنِ فِي بَيْتِهِ ثُمَّ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَصْنَعُ ذَلِكَ .
আবদুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি জুমুআর (ফরয) সালাত পড়ার পর তার ঘরে এসে দু’ রাকআত সালাত আদায় করতেন। অতঃপর তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাই করতেন। [১১৩০]
[১১৩০] বুখারী ৯৩৭, ১১৬৯, ১১৭৩; মুসলিম ৭২৯, ৮৮১-২; তিরমিযী ৫২১-২২, নাসায়ী ৮৭৩, ১৪২৭-২৮, আবূ দাঊদ ১১২৭-২৮, ১১৩০, ১১৩২, ১২৫২; আহমাদ ৪৪৯২, ৪৫৭৭, ৪৯০২, ৫২৭৪, ৫৪২৫, ৫৪৫৬, ৫৬৫৫, ৫৭৭৩, ৬০২০; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৪০০, দারিমী ১৪৩৭, ১৫৭৩-৭৪; ইবনু মাজাহ ১১৩১। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৯১, সহীহ আবী দাউদ ১০৩২, ১০৩৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১১৩১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يُصَلِّي بَعْدَ الْجُمُعَةِ رَكْعَتَيْنِ .
আবদুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জুমুআর (ফরয) সালাত পড়ার পর দু’ রাকআত সালাত আদায় করতেন। [১১৩১]
[১১৩১] বুখারী ৯৩৭, ১১৬৯, ১১৭৩; মুসলিম ৭২৯, ৮৮১-২; তিরমিযী ৫২১-২২, নাসায়ী ৮৭৩, ১৪২৭-২৮, আবূ দাঊদ ১১২৭-২৮, ১১৩০, ১১৩২, ১২৫২; আহমাদ ৪৪৯২, ৪৫৭৭, ৪৯০২, ৫২৭৪, ৫৪২৫, ৫৪৫৬, ৫৬৫৫, ৫৭৭৩, ৬০২০; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৪০০, দারিমী ১৪৩৭, ১৫৭৩-৭৪; ইবনু মাজাহ ১১৩০। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৬২৪ সহীহ, আবূ দাউদ ১০৩৭।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১১৩২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو السَّائِبِ، سَلْمُ بْنُ جُنَادَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ إِذَا صَلَّيْتُمْ بَعْدَ الْجُمُعَةِ فَصَلُّوا أَرْبَعًا ” .
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা জুমুআর (ফরয) সলাতের পর আরো সালাত আদায় করতে চাইলে চার রাকআত (সুন্নাত) পড়বে। [১১৩২]
[১১৩২] মুসলিম ৮৮১-৩, তিরমিযী ৫২৩, নাসায়ী ১৪২৬, আবূ দাঊদ ১১৩১, আহমাদ ৭৩৫২, ৯৪০৬, ১০১০৮; দারিমী ১৫৭৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৬২৫, সহীহ আবী দাউদ ১৩৬।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/৯৬. অধ্যায়ঃ
জুমুআর দিন সলাতের পূর্বে গোলাকার হয়ে বসা এবং ইমামের খুতবাহ দানকালে নিতম্বের উপর বসা।
১১৩৩
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَنْبَأَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ نَهَى أَنْ يُحَلَّقَ فِي الْمَسْجِدِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ قَبْلَ الصَّلاَةِ .
আবদুল্লাহ বিন আম্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জুমুআর দিন (ফরয) সালাত পড়ার পূর্বে মাসজিদে গোলাকার হয়ে বসতে নিষেধ করেছেন। [১১৩৩]
[১১৩৩] তিরমিযী ৩২২, নাসায়ী ৭১৪, আবূ দাঊদ ১০৭৯, আহমাদ ৬৬৩৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। তাখরীজ আলবানী: তালীক ইবনু খুযাইমাহ ১৩০৪, ১০৩৫, ১৮১৬; সহীহ আবী দাউদ ৯৯১।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
১১৩৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُصَفَّى الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ وَاقِدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَنْ الاِحْتِبَاءِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ – يَعْنِي – وَالإِمَامُ يَخْطُبُ .
আবদুল্লাহ বিন আম্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, জুমুআর দিন ইমামের খুতবাহ দানকালে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিতম্বের উপর বসতে নিষেধ করেছেন। [১১৩৪]
[১১৩৪] হাসান। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ১০১৭। উক্ত হাদিসের রাবী ১. মুহাম্মাদ ইবনুল মুসাফফা আল-হিমসী সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী ও ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ বললেও অন্যত্রে বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। বাকিইয়্যাহ সম্পর্কে আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, যখন তিনি সিকাহ রাবী থেকে হাদিস বর্ণনা করেন তখন তাকে সিকাহ হিসেবে গন্য করা হবে। ইমাম নাসাঈ বলেন, যখন তিনি হাদ্দাসানা বা আখবারনা শব্দদয় দ্বারা হাদিস বর্ণনা করেন তখন তিনি সিকাহ হিসেবে গন্য হবেন। ৩. আবদুল্লাহ বিন ওয়াকীদ সম্পর্কে ইমামগণ তাকে মাজহুল বা অপরিচিত বলেছেন।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৫/৯৭. অধ্যায়ঃ
জুমুআর দিনের আযান।
১১৩৫
حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى الْقَطَّانُ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، جَمِيعًا عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ مَا كَانَ لِرَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِلاَّ مُؤَذِّنٌ وَاحِدٌ فَإِذَا خَرَجَ أَذَّنَ وَإِذَا نَزَلَ أَقَامَ وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ كَذَلِكَ فَلَمَّا كَانَ عُثْمَانُ وَكَثُرَ النَّاسُ زَادَ النِّدَاءَ الثَّالِثَ عَلَى دَارٍ فِي السُّوقِ يُقَالُ لَهَا الزَّوْرَاءُ فَإِذَا خَرَجَ أَذَّنَ وَإِذَا نَزَلَ أَقَامَ .
সায়িব বিন ইয়াযীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সময়ে মাত্র একজন মুযাযযিন ছিল। তিনি যখন (খুতবাহ দিতে) বের হতেন, তখন সে আযান দিতো এবং তিনি যখন (মিম্বার থেকে) নামতেন, তখন সে ইকামাত দিতো। আবূ বাক্র ও উমার (রাঃ)-এর আমলেও এ নিয়মই চালু থাকে। উসমান (রাঃ)-এর আমলে মুসলিমদের সংখ্যা বেড়ে গেলে তিনি বাজারে অবস্থিত আয-যাওরা নামক স্থান থেকে তৃতীয় আযান দেয়ার ব্যবস্থা করেন। অতঃপর তিনি যখন বের হতেন, তখন মুয়াযযিন আযান দিতো এবং তিনি মিম্বার থেকে নামলে সে ইকামাত দিতো। [১১৩৫]
[১১৩৫] বুখারী ৯১২-১৩, ৯১৫-১৬; তিরমিযী ৫১৬, নাসায়ী ১৩৯২-৯৪, আবূ দাঊদ ১০৮৭, আহমাদ ১৫৩০১। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ৯৯৮, ৯৯৯।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/৯৮. অধ্যায়ঃ
ইমামের খুতবাহ দানকালে তার দিকে মুখ করে বসা।
১১৩৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ جَمِيلٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ أَبَانَ بْنِ تَغْلِبَ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِذَا قَامَ عَلَى الْمِنْبَرِ اسْتَقْبَلَهُ أَصْحَابُهُ بِوُجُوهِهِمْ .
আদী বিন সাবিত, তার পিতা (সাবিত) [(আরবী) বা তার অবস্থা সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (খুতবাহ দেয়ার জন্য) মিম্বারে উঠে দাঁড়ালে তাঁর সহাবীগন তাঁর দিকে তাদের মুখ ঘুরিয়ে বসতেন। [১১৩৬]
[১১৩৬] সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ২০৮।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/৯৯. অধ্যায়ঃ
জুমুআর দিন দুআ’ কবূল হওয়ার একটি মুহূর্ত আছে।
১১৩৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ إِنَّ فِي الْجُمُعَةِ سَاعَةً لاَ يُوَافِقُهَا رَجُلٌ مُسْلِمٌ قَائِمٌ يُصَلِّي يَسْأَلُ اللَّهَ فِيهَا خَيْرًا إِلاَّ أَعْطَاهُ ” . وَقَلَّلَهَا بِيَدِهِ .
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, জুমুআর দিন একটি বিশেষ মুহূর্ত আছে, কোন মুসলিম বান্দা সেই মুহূর্তে সালাতরত অবস্থায় আল্লাহর নিকট কল্যান প্রার্থনা করলে নিশ্চয়ই তিনি তাকে তা দান করেন। তিনি হাতের ইশারায় বলেন যে, সেই মুহূর্তটি খুবই সীমিত। [১১৩৭]
[১১৩৭] বুখারী ৯৩৫, ৫২৯৫, ৬৪০০; মুসলিম ৮৫১-৩, তিরমিযী ৪৯১, নাসায়ী ১৪৩০-৩২, আবূ দাঊদ ১০৪৬, আহমাদ ৭১১১, ৭৪২৩, ৭৬৩১, ৭৭১১, ৭৭৬৪, ৮৯৫৩, ৯৮৭৪, ৯৯২৯-৩০, ৯৯৭০, ১০০৮২, ১০১৬৭, ২৭২৩৪, ২৭২৬৯, ২৭৩৩৫; মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৪২-৪৩, দারিমী ১৫৬৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ তারগীব ৭০২।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১১৩৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ الْمُزَنِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ” فِي يَوْمِ الْجُمُعَةِ سَاعَةٌ مِنَ النَّهَارِ لاَ يَسْأَلُ اللَّهَ فِيهَا الْعَبْدُ شَيْئًا إِلاَّ أُعْطِيَ سُؤْلَهُ ” قِيلَ أَىُّ سَاعَةٍ قَالَ ” حِينَ تُقَامُ الصَّلاَةُ إِلَى الاِنْصِرَافِ مِنْهَا ” .
আম্র বিন আওফ আল-মুযানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি : জুমুআর দিন এমন একটি মুহূর্ত আছে, যখন কোন বান্দাহ আল্লাহ্র কাছে কিছু প্রার্থনা করলে তিনি তার প্রার্থিত বস্তু তাকে দান করেন। জিজ্ঞেস করা হলো : কোন মুহূর্ত? তিনি বলেন, সালাত শুরু হওয়ার মুহূর্ত থেকে তা শেষ হওয়া পর্যন্ত সময়ের মধ্যে (সেই মুহূর্তটি)। [১১৩৮]
তাহকীক আলবানী : দঈফ জিদ্দান।
[১১৩৮] তিরমিযী ৪৯০ তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ জিদ্দান। তাখরীজ আলবানী: ইবনু মাজাহ ১১৩৯ হাসান সহীহ, সহীহ তারগীব ৭০২ হাসান সহীহ, যঈফ তারগীর ৪৪৩। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল্লাহ বিন আমর বিন আওফ সম্পর্কে ইমাম শাফিঈ বলেন, তিনি মিথ্যুকদের একজন অথবা মিথ্যার একটি রুকন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, মুনকারুল হাদিস। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার হাদিস দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তার হাদিস নির্ভরযোগ্য নয়। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি মিথ্যুকদের একজন।
হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল
- সরাসরি
১১৩৯
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلاَمٍ، قَالَ قُلْتُ وَرَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ جَالِسٌ إِنَّا لَنَجِدُ فِي كِتَابِ اللَّهِ فِي يَوْمِ الْجُمُعَةِ سَاعَةٌ لاَ يُوَافِقُهَا عَبْدٌ مُؤْمِنٌ يُصَلِّي يَسْأَلُ اللَّهَ فِيهَا شَيْئًا إِلاَّ قَضَى لَهُ حَاجَتَهُ . قَالَ عَبْدُ اللَّهِ فَأَشَارَ إِلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَوْ بَعْضُ سَاعَةٍ . فَقُلْتُ صَدَقْتَ أَوْ بَعْضُ سَاعَةٍ . قُلْتُ أَىُّ سَاعَةٍ هِيَ قَالَ ” هِيَ آخِرُ سَاعَةٍ مِنْ سَاعَاتِ النَّهَارِ ” قُلْتُ إِنَّهَا لَيْسَتْ سَاعَةَ صَلاَةٍ . قَالَ ” بَلَى إِنَّ الْعَبْدَ الْمُؤْمِنَ إِذَا صَلَّى ثُمَّ جَلَسَ لاَ يَحْبِسُهُ إِلاَّ الصَّلاَةُ فَهُوَ فِي صَلاَةٍ ” .
আবদুল্লাহ বিন সালাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বসে থাকা অবস্থায় আমি বললাম, আমরা আল্লাহ্র কিতাবে জুমুআর দিনের এমন একটি মুহূর্ত সম্পর্কে উল্লেখ পেয়েছি যে, সেই মুহূর্তে কোন মু’মিন বান্দা সালাতরত আবস্থায় আল্লাহ্র নিকট কিছু প্রার্থনা করলে, তিনি তার প্রয়োজন পূরন করেন। আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার দিকে ইশারা করে বললেনঃএক ঘন্টার সামান্য সময় মাত্র। আমি বললাম, আপনি যথার্থই বলেছেন, এক ঘন্টার সামান্য সময়ই। আমি বললাম, সেটি কোন মুহূর্ত? তিনি বলেন, সেটি হলো দিনের শেষ মুহূর্ত। আমি বললাম, তা সলাতের সময় নয়? তিনি বললেন, হাঁ। মু’মিন বান্দা এক সালাত শেষ করে বসে বসে অন্য সলাতের প্রতীক্ষায় থাকলে সে সলাতের মধ্যেই থাকে। [১১৩৯]
[১১৩৯] আহমাদ ২৩২৬৯ তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ। তাখরীজ আলবানী: তালীকু রগীব ২৫১, মিশকাত ১৩৫৯।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৫/১০০. অধ্যায়ঃ
বারো রাকআত সুন্নাতের বর্ণনা।
১১৪০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ سُلَيْمَانَ الرَّازِيُّ، عَنْ مُغِيرَةَ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ مَنْ ثَابَرَ عَلَى ثِنْتَىْ عَشْرَةَ رَكْعَةً مِنَ السُّنَّةِ بُنِيَ لَهُ بَيْتٌ فِي الْجَنَّةِ أَرْبَعٍ قَبْلَ الظُّهْرِ وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الظُّهْرِ وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْمَغْرِبِ وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعِشَاءِ وَرَكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْفَجْرِ ” .
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি নিয়মিত বারো রাকআত সুন্নাত সালাত পড়বে, তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করা হবে। যোহরের (ফরজের) আগে চার রাকআত ও (ফরজের) পরে দু’ রাকআত, মাগরিবের (ফরজের) পরে দু’ রাকআত, ইশার (ফরজের) পর দু’ রাকআত এবং ফজরের (ফরযের) পূর্বে দু’ রাকআত। [১১৪০]
[১১৪০] তিরমিযী ৪১৪, নাসায়ী ১৭৯৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: তালীকুর রগীব ২০১, সহীহ তারগীব ৫৭৯।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১১৪১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، عَنِ الْمُسَيَّبِ بْنِ رَافِعٍ، عَنْ عَنْبَسَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ بِنْتِ أَبِي سُفْيَانَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ مَنْ صَلَّى فِي يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ ثِنْتَىْ عَشْرَةَ سَجْدَةً بُنِيَ لَهُ بَيْتٌ فِي الْجَنَّةِ ” .
উম্মু হাবীবাহ বিনতু আবূ সুফইয়ান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি দিনে বারো রাকআত (সুন্নাত) সালাত পড়লো, তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করা হয়। [১১৪১]
[১১৪১] মুসলিম ৭২১-২, তিরমিযী ৪১৫, নাসায়ী ১৭৯৬-৯৯, ১৮০১-২, ১৮০৪, ১৮০৮-১০; আহমাদ ২৬২২৮, ২৬৮৬৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ২৩৪৭, সহীহ আবী দাউদ ১১৩৬।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১১৪২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ بْنِ الأَصْبَهَانِيِّ، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ مَنْ صَلَّى فِي يَوْمٍ ثِنْتَىْ عَشْرَةَ رَكْعَةً بُنِيَ لَهُ بَيْتٌ فِي الْجَنَّةِ رَكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْفَجْرِ وَرَكْعَتَيْنِ قَبْلَ الظُّهْرِ وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الظُّهْرِ وَرَكْعَتَيْنِ – أَظُنُّهُ قَالَ – قَبْلَ الْعَصْرِ وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْمَغْرِبِ – أَظُنُّهُ قَالَ – وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعِشَاءِ الآخِرَةِ ” .
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি দৈনিক বারো রাকআত (সুন্নাত) সালাত পড়লো, তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ নির্মান করা হয়। ফজরের (ফরযের) পূর্বে দু’ রাকআত, যোহরের (ফরজের) পূর্বে দু’ রাকআত এবং পরে দু’ রাকআত। রাবী বলেন আমার ধারণা মতে তিনি বলেছেন, আসরের (ফরযের) পূর্বে দু’ রাকআত, মাগরিবের (ফরযের) পরে দু’ রাকআত এবং আমার ধারণা মতে তিনি বলেছেন, ইশার (ফরযের) পরে দু’ রাক’আত। [১১৪২]
তাহকীক আলবানী : হাদীসটি দঈফ; যুহরের পূর্বে ৪ রাকআত এই শব্দে সহীহ।
[১১৪২] নাসায়ী ১৮১১ তাহক্বীক্ব আলবানী: হাদীসটি যঈফ; যুহরের পূর্বে ৪ রাকআত এই শব্দে সহীহ। তাখরীজ আলবানী: আবূ দাঊদ ১২৫০ সহীহ, জামি সগীর ৫৭৩৬, ৬৩৬২ সহীহ, ৫৬৫৭, ৫৬৫৮, ৫৬৭২ যঈফ, সহীহাহ ২৩৪৭। উক্ত হাদিসের রাবী সুহায়ল বিন আবু সালিহ সম্পর্কে মোহাম্মাদ বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ। সুফইয়ান বিন উয়ায়নাহ বলেন, সাবত। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার বর্ণিত হাদিস সহিহ নয়। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইবনু আদী বলেন, তার খবর মাকবুল বা গ্রহণযোগ্য। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ তবে অন্যত্রে বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
৫/১০১. অধ্যায়ঃ
ফজরের (ফরযের) পূর্বে দু’ রাকআত সুন্নাত সালাত সম্পর্কে।
১১৪৩
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ إِذَا أَضَاءَ الْفَجْرُ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সুবহে সাদেক স্পষ্টভাবে প্রতিভাত হওয়ার পর দু’ রাকআত সুন্নাত সালাত আদায় করতেন। [১১৪৩]
তাহকীক আলবানী : সহীহ তবে হাদীসটি ইবনু উমার হাফসাহ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন।
[১১৪৩] আহমাদ ৪৫৭৭ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ তবে হাদিসটি ইবনু উমার ইবনু হাফসাহ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১১৪৪
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، أَنْبَأَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ سِيرِينَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُصَلِّي الرَّكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْغَدَاةِ كَأَنَّ الأَذَانَ بِأُذُنَيْهِ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফজরের আযান শোনামাত্র দু’ রাকআত সুন্নাত সালাত আদায় করতেন। [১১৪৪]
[১১৪৪] বুখারী ৯৯৫, মুসলিম ৭৪৯, তিরমিযী ৪৬১। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১১৪৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ إِذَا نُودِيَ لِصَلاَةِ الصُّبْحِ رَكَعَ رَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ قَبْلَ أَنْ يَقُومَ إِلَى الصَّلاَةِ .
উমার (রাঃ)-এর কন্যা হাফসাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফজরের সলাতের আযান হওয়ার পরে এবং ফজর সালাত আদায় করতে যাওয়ার পূর্বে হালকাভাবে (স্বল্প সময়ে) দু’ রাকআত সুন্নাত সালাত আদায় করতেন। [১১৪৫]
[১১৪৫] বুখারী ৬১৮, ১১৭৩, ১১৮১; মুসলিম ৭২১-২, নাসায়ী ১৭৬০-৬১, ১৭৬৫-৭৯; আহমাদ ২৫৮৮৪, ২৫৮৯০, ২৫৮৯৯; মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৮৫, দারিমী ১৪৩৩-৪৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১১৪৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِذَا تَوَضَّأَ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ خَرَجَ إِلَى الصَّلاَةِ .
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উযু করার পর দু’ রাকআত সালাত আদায় করতেন, তারপর (ফারয্) সালাত পড়ার জন্য চলে যেতেন। [১১৪৬]
সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১১৪৭
حَدَّثَنَا الْخَلِيلُ بْنُ عَمْرٍو أَبُو عَمْرٍو، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُصَلِّي الرَّكْعَتَيْنِ عِنْدَ الإِقَامَةِ .
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইকামতের কাছাকাছি সময় দু’ রাকআত সালাত আদায় করতেন। [১১৪৭]
যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী শারীক সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু যখন তার হাদিস সিকাহ রাবীর বিপরীত হয় তখন তিনি তার মত পরিবর্তন করে নেন। এটা আমার নিকট অধিক পছন্দনীয়। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, আমি তাকে হাদিস সংমিশ্রণ করতে দেখেছি। ২. হারিস (বিন আবদুল্লাহ) সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আহমাদ বিন সালিহ আল মিসরী বলেন, তিনি সিকাহ। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। আলী ইবনুল মাদীনী তাকে মিথ্যুক বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তার হাদিস থেকে দলীল গ্রহণযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫/১০২. অধ্যায়ঃ
ফজরের ফরয সলাতের পূর্বের দু’ রাকআত সুন্নাত সলাতের কিরআত।
১১৪৮
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ، وَيَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ كَيْسَانَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَرَأَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْفَجْرِ {قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ} وَ {قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ}
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফজরের ফরয সলাতের পূর্বেই দু’ রাকআত সুন্নাত সলাতে সূরাহ কাফিরূন ও সূরাহ ইখলাস পড়তেন। [১১৪৮]
[১১৪৮] মুসলিম ৭২৬, নাসায়ী ৯৪৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ৮৫২, সহীহ আবী দাউদ ১১৪২।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১১৪৯
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبَادَةَ الْوَاسِطِيَّانِ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ رَمَقْتُ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ شَهْرًا فَكَانَ يَقْرَأُ فِي الرَّكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْفَجْرِ {قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ} وَ {قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ} .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে একমাস যাবত ফজরের ফরয সলাতের পূর্বেকার দু’ রাকআত সুন্নাত সলাতে সূরাহ কাফিরূন ও সূরাহ ইখলাস তিলাওয়াত করতে দেখেছি (শুনেছি)। [১১৪৯]
[১১৪৯] তিরমিযী ৪১৭, নাসায়ী ৯৯২, আহমাদ ৫৬৫৮, ৫৬৬৬, ৫৭০৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ২৬৮, সহীহাহ ৩৩২৮।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১১৫০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، حَدَّثَنَا الْجُرَيْرِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْفَجْرِ وَكَانَ يَقُولُ ” نِعْمَ السُّورَتَانِ هُمَا يُقْرَأُ بِهِمَا فِي رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ {قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ} وَ {قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ} .
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফজরের (ফরযের) পূর্বে দু’ রাকআত সুন্নাত সালাত আদায় করতেন। তিনি বলতেন : এ দু’ রাকআত সলাতে কাফিরূন ও সূরাহ ইখলাস পড়া কতই না উত্তম! [১১৫০]
[১১৫০] বুখারী ৬১৯, ৬২৬, ৯৯৪, ১১৬৪-৬৫, ১১৮২; তিরমিযী ৮৫৯, নাসায়ী ৬৮৫, ৯৪৬, ১৭৪৯, ১৭৫৬, ১৭৫৭-৫৮, ১৭৬২, ১৭৮০-৮১; আবূ দাঊদ ১২৫১, ১২৫৪-৫৫, ১২৬২, ১৩৩৪, ১৩৩৬, ১৩৩৯-৪০, ১৩৫৯-৬০; আহমাদ ২৩৪৯৭, ২৩৬৪৭, ২৩৭১৯, ২৩৭৩৭, ২৩৭৫০, ২৩৮১৯, ২৩৯৪০, ২৪০১৬, ২৪০৫৬, ২৪২১১, ২৪৩৩৯, ২৪৩৭৯, ২৪৪৪৭, ২৪৪৮৬, ২৪৫৮১, ২৪৬২৩, ২৪৭৮৭, ২৪৭৯১, ২৪৮১৬, ২৪৮৩৩, ২৪৯৫৮, ২৫০০২, ২৫০৩১, ২৫২৭৭, ২৫২৮৫, ২৫৪০৫, ২৫৪৫২, ২৫৪৮৪, ২৫৪৯১, ২৫৫৭৫, ২৫৫৯১, ২৫৬৩৬, ২৫৮৫৭; মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৬৬, ২৮৬; দারিমী ১৪৩৯, ১৪৪২, ১৪৪৬-৪৭, ১৪৭৩-৭৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ৬৪৬।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/১০৩. অধ্যায়ঃ
ইকামাত দেয়ার পর ফরয সালাত ব্যতীত অন্য সালাত পড়া যাবে না।
১১৫১
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَزْهَرُ بْنُ الْقَاسِمِ، ح وَحَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ أَبُو بِشْرٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، قَالاَ حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ إِذَا أُقِيمَتِ الصَّلاَةُ فَلاَ صَلاَةَ إِلاَّ الْمَكْتُوبَةُ ” .
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِمِثْلِهِ .
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যখন ইকামাত দেয়া হয়, তখন ফরয সালাত ছাড়া অন্য কোন সালাত পড়া যাবে না।
১/১১৫১ (১). আবূ হুরায়রা (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত আছে। [১১৫১]
তাহকীক আলবানী : সহীহ।
[১১৫১] মুসলিম ৭১০/১-২, তিরমিযী ৪২১, নাসায়ী ৮৬৫-৬৬, আবূ দাঊদ ১২৬৬, আহমাদ ৮১৭৯, ৮৪০৯, ৯৫৬৩, ১০৩২০, ১০৪৯৩; দারিমী ১৪৪৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১১৫২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَرْجِسَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رَأَى رَجُلاً يُصَلِّي الرَّكْعَتَيْنِ قَبْلَ صَلاَةِ الْغَدَاةِ وَهُوَ فِي الصَّلاَةِ فَلَمَّا صَلَّى قَالَ لَهُ “ بِأَىِّ صَلاَتَيْكَ اعْتَدَدْتَ ” .
আবদুল্লাহ বিন সারজিস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (ফজরের) ফরয সালাত আদায়রত অবস্থায় এক ব্যক্তিকে ফজরের সলাতের পূর্বে দু’ রাকআত সালাত আদায় করতে দেখেন। তিনি সালাত শেষে তাকে বলেন, তোমার দু’ সলাতের কোনটি হিসাব করলে? [১১৫২]
[১১৫২] মুসলিম ৭১২, নাসায়ী ৮৬৮, আবূ দাঊদ ১২৬৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ১১৪৯
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১১৫৩
حَدَّثَنَا أَبُو مَرْوَانَ، مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ الْعُثْمَانِيُّ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَالِكِ ابْنِ بُحَيْنَةَ، قَالَ مَرَّ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِرَجُلٍ وَقَدْ أُقِيمَتْ صَلاَةُ الصُّبْحِ وَهُوَ يُصَلِّي فَكَلَّمَهُ بِشَىْءٍ لاَ أَدْرِي مَا هُوَ فَلَمَّا انْصَرَفَ أَحَطْنَا بِهِ نَقُولُ لَهُ مَاذَا قَالَ لَكَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ قَالَ لِي “ يُوشِكُ أَحَدُكُمْ أَنْ يُصَلِّيَ الْفَجْرَ أَرْبعًا ” .
আবদুল্লাহ বিন মালিক বিন বুহাইনাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাতরত এক ব্যক্তিকে অতিক্রম করে যাচ্ছিলেন। তখন ফজরের সলাতের ইকামাত হয়ে গেছে। তিনি তাকে কী যেন বললেন যা আমি বুঝে উঠতে পারিনি। সে সালাত শেষ করলে আমরা তাকে ঘিরে ধরে জিজ্ঞেস করলাম, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তোমাকে কি বলেছেন? লোকটি বললো, তিনি আমাকে বললেনঃ অচিরেই তোমাদের কেউ ফজরে চার রাকআত (ফরয) পড়বে। [১১৫৩]
[১১৫৩] বুখারী ৬৬৩, মুসলিম ৭১১-২, নাসায়ী ৮৬৭, আহমাদ ২২৪১৩, ২৭৭১২; দারিমী ১৪৪৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/১০৪. অধ্যায়ঃ
কারো ফজরের দু’ রাকআত সুন্নত ছুটে গেলে সে তা কখন কাযা করবে?
১১৫৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا سَعْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ قَيْسِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ رَأَى النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رَجُلاً يُصَلِّي بَعْدَ صَلاَةِ الصُّبْحِ رَكْعَتَيْنِ فَقَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ أَصَلاَةَ الصُّبْحِ مَرَّتَيْنِ ” . فَقَالَ لَهُ الرَّجُلُ إِنِّي لَمْ أَكُنْ صَلَّيْتُ الرَّكْعَتَيْنِ اللَّتَيْنِ قَبْلَهَا فَصَلَّيْتُهُمَا . قَالَ فَسَكَتَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ .
কায়স বিন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যক্তিকে ফজরের সলাতের পর দু’ রাকআত সালাত আদায় করতে দেখে বলেন, ফজরের সালাত কি দু’বার? লোকটি তাঁকে বললো, আমি ফজরের পূর্বের দু’ রাকআত পড়তে পারিনি, সেই দু’ রাকআত পড়লাম। রাবী বলেন, তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নীরব থাকলেন। [১১৫৪]
[১১৫৪] তিরমিযী ৪২২, আবূ দাঊদ ১২৬৭, আহমাদ ২৩২৪৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ১১৫১।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১১৫৫
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَيَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ كَيْسَانَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ نَامَ عَنْ رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ فَقَضَاهُمَا بَعْدَ مَا طَلَعَتِ الشَّمْسُ .
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফজরের দু’ রাকআত সুন্নাত না পরে ঘুমিয়ে রইলেন। তিনি সূর্যোদয়ের পর তা পড়লেন। [১১৫৫]
[১১৫৫] তিরমিযী ৪২৩ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/১০৫. অধ্যায়ঃ
যোহরের ফরয সলাতের পূর্বের চার রাকআত সম্পর্কে।
১১৫৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ قَابُوسَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَرْسَلَ أَبِي إِلَى عَائِشَةَ أَىُّ صَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ أَحَبَّ إِلَيْهِ أَنْ يُوَاظِبَ عَلَيْهَا قَالَتْ كَانَ يُصَلِّي أَرْبَعًا قَبْلَ الظُّهْرِ يُطِيلُ فِيهِنَّ الْقِيَامَ وَيُحْسِنُ فِيهِنَّ الرُّكُوعَ وَالسُّجُودَ .
কাবূস থেকে বর্ণিতঃ
আমার পিতা আমাকে আয়িশা (রাঃ)-এর নিকট জানতে পাঠান যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন সালাত নিরবচ্ছিন্নভাবে পড়তে পছন্দ করতেন? তিনি বলেন, তিনি যোহরের পূর্বে চার রাক’আত সালাত দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে পড়তেন এবং তার রুকূ‘-সাজদাহসমূহ উত্তমরূপে আদায় করতেন। [১১৫৬]
[১১৫৬] আহমাদ ২৩৬৪৪ তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ তারগীব ৫৮৬। উক্ত হাদিসের রাবী কাবুস সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও ইয়াকুব বিন সুফইয়ান সিকাহ বলেছেন। ইবনু আদী বলেন, আমি আশা করি তার মাঝে কোন সমস্যা নেই। ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে হাদিস বর্ণনায় দুর্বল বলেছেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, কোন সমস্যা নেই।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
১১৫৭
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ عُبَيْدَةَ بْنِ مُعَتِّبٍ الضَّبِّيِّ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ سَهْمِ بْنِ مِنْجَابٍ، عَنْ قَزَعَةَ، عَنْ قَرْثَعٍ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يُصَلِّي قَبْلَ الظُّهْرِ أَرْبَعًا إِذَا زَالَتِ الشَّمْسُ لاَ يَفْصِلُ بَيْنَهُنَّ بِتَسْلِيمٍ وَقَالَ “ إِنَّ أَبْوَابَ السَّمَاءِ تُفْتَحُ إِذَا زَالَتِ الشَّمْسُ ” .
আবূ আয়্যূব (খালিদ বিন যায়দ বিন কুলায়ব আনসারী) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূর্য ঢলে গেলে যোহরের (ফরযের) পূর্বে এক সালামে চার রাকআত (সুন্নাত) সালাত আদায় করতেন। তার মাঝে সালাম দিয়ে পার্থক্য করতেন না। তিনি বলতেন : সূর্য ঢলে গেলে আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়। [১১৫৭]
তাহকীক আলবানী : ফসলের বাক্য ছাড়া সহীহ। [উক্ত হাদিসের মানের ব্যাপারে অভিজ্ঞ আলেমের পরামর্শ নিন]
[১১৫৭] আবূ দাঊদ ১২৭০ তাহক্বীক্ব আলবানী: ফসলের বাক্য ছাড়া সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ১১৫৩, মিশকাত ১১৬৮, যহীহ তারগীব ৫৮৪। উক্ত হাদিসের রাবী উবায়দাহ বিন মুআত্তিব আদদবীয়্যু সম্পর্কে আমর বিন ফাল্লাস বলেন, তার স্মৃতিশক্তি খুবই দুর্বল ও তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, মানুষেরা তাকে বর্জন করেছেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সিকাহ নন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
৫/১০৬. অধ্যায়ঃ
কারো যোহরের চার রাকআত সুন্নাত ছুটে গেলে।
১১৫৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، وَزَيْدُ بْنُ أَخْزَمَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ مَعْمَرٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ دَاوُدَ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا قَيْسُ بْنُ الرَّبِيعِ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِذَا فَاتَتْهُ الأَرْبَعُ قَبْلَ الظُّهْرِ صَلاَّهَا بَعْدَ الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الظُّهْرِ . قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ لَمْ يُحَدِّثْ بِهِ إِلاَّ قَيْسٌ عَنْ شُعْبَةَ .
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যোহরের চার রাকআত সুন্নাত ছুটে গেলে, তিনি তা যোহরের দু’ রাকআত সুন্নাতের পর পড়তেন। [১১৫৮]
[১১৫৮] তিরমিযী ৪২৬ তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: যঈফা ৪২০৮ মুনকার। উক্ত হাদিসের রাবী মুসা বিন দাউদ সম্পর্কে ইমামগণ বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫/১০৭. অধ্যায়ঃ
কারো যোহরের পরের দু’ রাকআত সুন্নাত ছুটে গেলে।
১১৫৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، قَالَ أَرْسَلَ مُعَاوِيَةُ إِلَى أُمِّ سَلَمَةَ فَانْطَلَقْتُ مَعَ الرَّسُولِ فَسَأَلَ أُمَّ سَلَمَةَ فَقَالَتْ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بَيْنَمَا هُوَ يَتَوَضَّأُ فِي بَيْتِي لِلظُّهْرِ وَكَانَ قَدْ بَعَثَ سَاعِيًا وَكَثُرَ عِنْدَهُ الْمُهَاجِرُونَ وَكَانَ قَدْ أَهَمَّهُ شَأْنُهُمْ إِذْ ضُرِبَ الْبَابُ فَخَرَجَ إِلَيْهِ فَصَلَّى الظُّهْرَ ثُمَّ جَلَسَ يَقْسِمُ مَا جَاءَ بِهِ . قَالَتْ فَلَمْ يَزَلْ كَذَلِكَ حَتَّى الْعَصْرِ . ثُمَّ دَخَلَ مَنْزِلِي فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ قَالَ “ أَشْغَلَنِي أَمْرُ السَّاعِي أَنْ أُصَلِّيَهُمَا بَعْدَ الظُّهْرِ فَصَلَّيْتُهُمَا بَعْدَ الْعَصْرِ ” .
উম্মু সালামাহ (রাঃ) (আবদুল্লাহ) থেকে বর্ণিতঃ
মুয়াবিয়া (রাঃ) এক ব্যক্তিকে উম্মু সালামাহ (রাঃ)-এর নিকট পাঠালেন। আমিও এই ব্যক্তির সাথে গেলাম। তিনি উম্মু সালামাহ (রাঃ)–কে (যোহরের দু’ রাকআত সুন্নাত সম্পর্কে) জিজ্ঞেস করেন। তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার ঘরে যোহরের সলাতের উযু করছিলেন। তিনি এক ব্যক্তিকে যাকাত আদায় করার জন্য পাঠিয়েছিলেন। তার কাছে বহু সংখ্যক মুহাজির উপস্থিত হন। তাদের অবস্থা তাঁকে চিন্তান্বিত করেছিলেন। হঠাত ঘরের দরজায় আঘাত করা হলো। তিনি বেরিয়ে গেলেন এবং যোহরের সালাত পড়লেন। অতঃপর তিনি বসে আগত মাল বন্টন করতে লাগলেন। রাবী বলেন, এ অবস্থায় আসরের সলাতের ওয়াক্ত হয়ে গেল। অতঃপর তিনি আমার ঘরে প্রবেশ করে দু’ রাকআত সালাত পড়লেন, অতঃপর বললেনঃ যাকাত আদায়কারীর বিষয় আমাকে ব্যতিব্যস্ত রেখেছে যোহরের পরের দু’ রাকআত পড়া থেকে। আসরের পর সেই দু’ রাকআত পড়লাম। [১১৫৯]
[১১৫৯] বুখারী ১২৩৩, ৪৩৭০; মুসলিম ৮৩৪, নাসায়ী ৫৭৯-৮০, আবূ দাঊদ ১২৭৩, আহমাদ ২৬১১১, দারিমী ১৪৩৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: মুনকার। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ১১৫৫। উক্ত হাদিসের রাবী ইয়াযীদ বিন আবু যিয়াদ সম্পর্কে আহমাদ বিন সালিহ তাকে সিকাহ বললেও ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যাবে কিন্তু দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, কোন সমস্যা নেই।
হাদিসের মানঃ মুনকার
- সরাসরি
৫/১০৮. অধ্যায়ঃ
যোহরের ফরয সলাতের আগে ও পরে যে ব্যক্তি চার রাকআত করে সুন্নাত সালাত পড়লো।
১১৬০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الشُّعَيْثِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَنْبَسَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ مَنْ صَلَّى قَبْلَ الظُّهْرِ أَرْبَعًا وَبَعْدَهَا أَرْبَعًا حَرَّمَهُ اللَّهُ عَلَى النَّارِ ” .
উম্মু হাবীবা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি যোহরের (ফারদের) আগে চার রাকআত এবং পরে চার রাকআত সালাত পড়লো, আল্লাহ্ তার জন্য জাহান্নাম হারাম করে দেন। [১১৬০]
[১১৬০] তিরমিযী ৪২৭-২৮, আবূ দাঊদ ১২৬৯, আহমাদ ২৬২৩২। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ১১৬৮, সহীহ আবী দাউদ ১১৫২।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/১০৯. অধ্যায়ঃ
দিনের বেলা নফল সালাত পড়া উত্তম।
১১৬১
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، وَأَبِي، وَإِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ السَّلُولِيِّ، قَالَ سَأَلْنَا عَلِيًّا عَنْ تَطَوُّعِ، رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِالنَّهَارِ فَقَالَ إِنَّكُمْ لاَ تُطِيقُونَهُ فَقُلْنَا أَخْبِرْنَا بِهِ نَأْخُذْ مِنْهُ مَا اسْتَطَعْنَا . قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِذَا صَلَّى الْفَجْرَ يُمْهِلُ حَتَّى إِذَا كَانَتِ الشَّمْسُ مِنْ هَاهُنَا – يَعْنِي مِنْ قِبَلِ الْمَشْرِقِ – بِمِقْدَارِهَا مِنْ صَلاَةِ الْعَصْرِ مِنْ هَا هُنَا – يَعْنِي مِنْ قِبَلِ الْمَغْرِبِ – قَامَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ يُمْهِلُ حَتَّى إِذَا كَانَتِ الشَّمْسُ مِنْ هَا هُنَا – يَعْنِي مِنْ قِبَلِ الْمَشْرِقِ – مِقْدَارَهَا مِنْ صَلاَةِ الظُّهْرِ مِنْ هَا هُنَا قَامَ فَصَلَّى أَرْبَعًا وَأَرْبَعًا قَبْلَ الظُّهْرِ إِذَا زَالَتِ الشَّمْسُ وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَهَا وَأَرْبَعًا قَبْلَ الْعَصْرِ يَفْصِلُ بَيْنَ كُلِّ رَكْعَتَيْنِ بِالتَّسْلِيمِ عَلَى الْمَلاَئِكَةِ الْمُقَرَّبِينَ وَالنَّبِيِّينَ وَمَنْ تَبِعَهُمْ مِنَ الْمُسْلِمِينَ وَالْمُؤْمِنِينَ . قَالَ عَلِيٌّ فَتِلْكَ سِتَّ عَشْرَةَ رَكْعَةً تَطَوُّعُ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِالنَّهَارِ وَقَلَّ مَنْ يُدَاوِمُ عَلَيْهَا . قَالَ وَكِيعٌ زَادَ فِيهِ أَبِي فَقَالَ حَبِيبُ بْنُ أَبِي ثَابِتٍ يَا أَبَا إِسْحَاقَ مَا أُحِبُّ أَنَّ لِي بِحَدِيثِكَ هَذَا مِلْءَ مَسْجِدِكَ هَذَا ذَهَبًا .
আসিম বিন দমরাহ আস-সালূলী থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা আলী (রাঃ)-কে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দিনের বেলার নফল সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলেন, তোমরা তা করতে সমর্থ নও। আমরা বললাম, আপনি আমাদের সেই সম্পর্কে অবহিত করুন, আমরা তা থেকে আমাদের সাধ্যমত গ্রহণ করবো। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফজরের সালাত পড়ার পর কিছুক্ষণ অবসর থাকতেন। অবশেষে সূর্য আসরের সময় পশ্চিমাকাশে যত উপরে থাকে, পূর্বাকাশে ঠিক ততটা উপরে উঠলে তিনি দু’ রাকআত সালাত আদায় করতেন, অতঃপর অবসর থাকতেন। অবশেষে পশ্চিম আকাশে সূর্য যতটা উপরে থাকলে যোহরের সলাতের ওয়াক্ত থাকে, পূর্বাকাশে সূর্য ঠিক ততখানি উপরে উঠলে তিনি চার রাকআত সালাত আদায় করতো। সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়ার পর তিনি যোহরের (ফরয) সলাতের পূর্বে চার রাকআত এবং পরে দু’ রাকআত পড়তেন। তিনি আসরের পূর্বেও দু’ সালাম চার রাকআত সালাত আদায় করতেন এবং তার মাঝখানে নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতাগণ, আম্বিয়া (আঃ) এবং তাদের অনুগত মু’মিন মুসলিমদের জন্য শান্তি ও স্বস্তি কামনা করতেন (তাশাহ্হুদ পড়তেন)। আলী (রাঃ) বলেন, এই হলো রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সালাম)-এর দিনের বেলার ষোল রাকআত নফল সালাত। খুব কম লোকই তার উপর স্থায়ীভাবে আমাল করতে পারে। ওয়াকী (রহঃ) বলেন, আমার পিতা এতে আরো বলেছেন, হাবীব বিন আবূ সাবিত (রহঃ) বলেছেন, হে আবূ ইসহাক! আপনার এই হাদীসের পরিবর্তে এই মাসজিদ ভর্তি সোনা আমার মালিকানাভুক্ত হলে তাও আমার প্রিয় হতো না। [১১৬১]
[১১৬১] তিরমিযী ৪২৪, ৫৯৮; নাসায়ী ৮৭৪-৭৫, আহমাদ ৬৫১। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ১১৭১, মুখতাসর শামাইল ২৪৩। উক্ত হাদিসের রাবী জাররাহ বিন মালীহ বিন আদী সম্পর্কে ইবনু আদী বলেন, তিনি সত্যবাদী তার হাদিসের ব্যাপারে কোন সমস্যা নেই। ২. আবু ইসহাক সম্পর্কে ইবনু হিব্বান তার সিকাহ গ্রন্থে বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় তাদলীস করেন।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৫/১১০. অধ্যায়ঃ
মাগরিবের (ফরয সলাতের) পূর্বে দু’ রাকআত সালাত।
১১৬২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، وَوَكِيعٌ، عَنْ كَهْمَسٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ، قَالَ قَالَ نَبِيُّ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ” بَيْنَ كُلِّ أَذَانَيْنِ صَلاَةٌ ” . قَالَهَا ثَلاَثًا قَالَ فِي الثَّالِثَةِ ” لِمَنْ شَاءَ ” .
আবদুল্লাহ বিন মুগাফফাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রতি দু’ আযানের মধ্যবর্তী সময়ে একটা সালাত আছে। তিনি এই কথা তিনবার বলেন এবং তৃতীয়বারে বলেন, তবে যে চায় তার জন্য। [১১৬২]
[১১৬২] বুখারী ৬২৪, ৬২৭; মুসলিম ৮৩৮, তিরমিযী ১৮৫, নাসায়ী ৬৮১, আবূ দাঊদ ১২৮৩, আহমাদ ১৬৩৪৮, ২০০২১, ২০০৩৭, ২০০৫১; দারিমী ১৪৪০। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ১১৬৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১১৬৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ عَلِيَّ بْنَ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ إِنْ كَانَ الْمُؤَذِّنُ لَيُؤَذِّنُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَيُرَى أَنَّهَا الإِقَامَةُ مِنْ كَثْرَةِ مَنْ يَقُومُ فَيُصَلِّي الرَّكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْمَغْرِبِ .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যমানায় মুআযযিন (মাগরিবের) আযান দিলে মনে হতো তা যেন ইকামাত। কারণ প্রচুর সংখ্যক লোক দাঁড়িয়ে মাগরিবের আগে দু’ রাকআত সালাত আদায় করতো। [১১৬৩]
[১১৬৩] বুখারী ৫০৩, ৬২৫; মুসলিম ৮৩৭, নাসায়ী ৬৮২, আহমাদ ১৩৫৭১, দারিমী ১৪৪১। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ১১৬২। উক্ত হাদিসের রাবী আলী বিন যায়দ বিন জুদআন সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আহমাদ বিন হাম্বল ও ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন। ইয়াকুব বিন শায়বাহ বলেন, তিনি সিকাহ সালিহ। আল আজালী বলেন, কোন সমস্যা নেই। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/১১১. অধ্যায়ঃ
মাগরিবের ফরয সলাতের পরে দু’ রাকআত সালাত।
১১৬৪
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُصَلِّي الْمَغْرِبَ ثُمَّ يَرْجِعُ إِلَى بَيْتِي فَيُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ .
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাগরিবের (ফরয) সালাত পড়ার পর আমার ঘরে ফিরে এসে দু’ রাকআত সুন্নাত সালাত আদায় করতো। [১১৬৪]
[১১৬৪] তিরমিযী ৪৩৬ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ১১৩৭।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১১৬৫
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ الضَّحَّاكِ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ، عَنْ مَحْمُودِ بْنِ لَبِيدٍ، عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، قَالَ أَتَانَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي بَنِي عَبْدِ الأَشْهَلِ فَصَلَّى بِنَا الْمَغْرِبَ فِي مَسْجِدِنَا ثُمَّ قَالَ “ ارْكَعُوا هَاتَيْنِ الرَّكْعَتَيْنِ فِي بُيُوتِكُمْ ” .
রাফি’ বিন খাদীজ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের আবদুল আশহাল গোত্রে আসলেন এবং আমাদেরসহ আমাদের মাসজিদে মাগরিবের সালাত পড়লেন। অতঃপর তিনি বলেন, তোমরা এই দু’ রাকআত তোমাদের বাড়িতে গিয়ে পড়বে। [১১৬৫]
[১১৬৫] নাই তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। তাখরীজ আলবানী: তালীক ইবনু খুযাইমাহ ১২০০, ১২০১, সহীহ আবী দাউদ ১১৭৬। উক্ত হাদিসের রাবী ১. আবদুল ওয়াহহাব ইবনুদ দাহহাক সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেন, তার নিকট আশ্চর্য আশ্চর্য হাদিস শুনা যায়। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি বানিয়ে হাদিস বর্ণনা করেন। সালিহ জাযারাহ বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার ও মিথ্যুক। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ নন বরং প্রত্যাখ্যানযোগ্য। মুহাম্মাদ বিন আওফ বলেন, তিনি একাধিক হাদিস বানিয়ে বর্ণনা করেছেন। ইবনু আদী বলেন, তার কিছু কিছু হাদিসের ব্যাপারে অনুসরণ করা যাবে না। ২. ইসমাঈল বিন আয়্যাশ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, আহলে শাম থেকে হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। আলী ইবনুল মাদীনী, ইবনু আবু শায়বাহ, আমর ইবনুল ফাল্লাস ও দুহায়ম বলেন, শাম শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় তিনি সিকাহ কিন্তু অন্য শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় দুর্বল।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৫/১১২. অধ্যায়ঃ
মাগরিবের ফরয সলাতের পরের দু’ রাকআত (সুন্নাত) সলাতের কিরাআত।
১১৬৬
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الأَزْهَرِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ وَاقِدٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُؤَمَّلِ بْنِ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا بَدَلُ بْنُ الْمُحَبَّرِ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ بَهْدَلَةَ، عَنْ زِرٍّ، وَأَبِي، وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، . أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يَقْرَأُ فِي الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ صَلاَةِ الْمَغْرِبِ {قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ} وَ {قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ } ” .
আবদুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাগরিবের (ফরয) সলাতের পরের দু’ রাকআতে সূরাহ কাফিরূন ও সূরাহ ইখলাস পড়তেন। [১১৬৬]
[১১৬৬] তিরমিযী ৪৩১ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: লিগাইরিহি, মিশকাত ৮৫১, সহীহাহ ৩৩২৮। উক্ত হাদিসের রাবী ১. আব্দুর রহমান বিন ওয়াকিদ সম্পর্কে ইবনু হিব্বান সিকাহ বললেও ইবনু আদী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার ও সিকাহ রাবী থেকে চুরি করে হাদিস বর্ণনা করেছেন। ২. আবদুল মালিক ইবনুল ওয়ালীদ সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেন, তার ব্যাপারে মন্তব্য রয়েছে। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ নন। ইবনু আদী বলেন, তার হাদিসের ব্যাপারে অনুসরণ করা যাবে না। আল আযদী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/১১৩. অধ্যায়ঃ
মাগরিবের সলাতের পর ছয় রাকআত (আওয়াবীন) সালাত।
১১৬৭
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ الْعُكْلِيُّ، أَخْبَرَنِي عُمَرُ بْنُ أَبِي خَثْعَمٍ الْيَمَامِيُّ، أَنْبَأَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ مَنْ صَلَّى بَعْدَ الْمَغْرِبِ سِتَّ رَكَعَاتٍ لَمْ يَتَكَلَّمْ بَيْنَهُنَّ بِسُوءٍ عُدِلْنَ لَهُ بِعِبَادَةِ ثِنْتَىْ عَشْرَةَ سَنَةً ” .
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি মাগরিবের সলাতের পর ছয় রাকআত নফল সালাত পড়লো এবং তার মাঝখানে কোন মন্দ কথা বলেনি, তাকে বারো বছরের ইবাদাতের সম-পরিমাণ নেকী দান করা হলো। [১১৬৭]
তাহকীক আলবানী : দঈফ জিদ্দান।
[১১৬৭] তিরমিযী ৪৩৫, ইবনু মাজাহ ১৩৭৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ জিদ্দান। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ৫৬৬১ যঈফ জিদ্দান, ইবনু মাজাহ ১৩৭৪ যঈফ জিদ্দান, তিরমিযী ৪৩৫ যঈফ জিদ্দান, মিশকাত লাম তাতিম্মা ১১৭৩, যঈফ তারগীব ৩৩১ যঈফ, যঈফা হ৪৬৯ যঈফ জিদ্দান। উক্ত হাদিসের রাবী ১. আবুল হুসায়ন আল উকলী সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। উসমান বিন আবু শায়বাহ তাকে সিকাহ বলেছেন। আহমাদ বিন সালিহ আল মিসরী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ২. উমার বিন আবু খাসআম আল ইয়ামামী সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না।
হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল
- সরাসরি
৫ /১১৪. অধ্যায়ঃ
বিত্রের সালাত।
১১৬৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ الْمِصْرِيُّ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَاشِدٍ الزَّوْفِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُرَّةَ الزَّوْفِيِّ، عَنْ خَارِجَةَ بْنِ حُذَافَةَ الْعَدَوِيِّ، قَالَ خَرَجَ عَلَيْنَا النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ “ إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَمَدَّكُمْ بِصَلاَةٍ لَهِيَ خَيْرٌ لَكُمْ مِنْ حُمُرِ النَّعَمِ الْوِتْرُ جَعَلَهُ اللَّهُ لَكُمْ فِيمَا بَيْنَ صَلاَةِ الْعِشَاءِ إِلَى أَنْ يَطْلُعَ الْفَجْرُ ” .
খারিজা বিন হুযায়ফাহ আল-আদাবী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিকট বের হয়ে এসে বলেন, নিশ্চই আল্লাহ একটি সালাত দ্বারা তোমাদের সাহায্য করেছেন। এটা তোমাদের জন্য অনেক লাল উটের চেয়েও উত্তম। তা হলো বিত্রের সালাত। আল্লাহ তোমাদের জন্য এটা ইশা ও ফজরের মধ্যবর্তী সময়ে পড়ার জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। [১১৬৮]
তাহকীক আলবানী : ‘লাল উটের চেয়ে উত্তম’ কথাটি ছাড়া সহীহ।
[১১৬৮] তিরমিযী ৪৫২, আবূ দাঊদ ১৪১৮, দারিমী ১৫৭৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: লাল উটের চেয়ে উত্তম কথা কথাটি ছাড়া সহীহ। তাখরীজ আলবানী: আবূ দাঊদ ১৪১৮ যঈফ, ইরওয়া ৪২৩ সহীহ, জামি সগীর ১৬২২ যঈফ, তিরমিযী ৪৫২ সহীহ, মিশকাত ১২৬৭ যঈফ, যঈফ তারগীব ৩৩৯ যঈফ, ইরওয়াহ ৪২৩, সহীহাহ ১০৮, ১১৪১, যঈফাহু ২৫৫। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল্লাহ বিন রাশিদ আয-যাওকী সম্পর্কে ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি অপরিচিত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১১৬৯
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ السَّلُولِيِّ، قَالَ قَالَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ إِنَّ الْوِتْرَ لَيْسَ بِحَتْمٍ وَلاَ كَصَلاَتِكُمُ الْمَكْتُوبَةِ وَلَكِنْ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَوْتَرَ . ثُمَّ قَالَ “ يَا أَهْلَ الْقُرْآنِ أَوْتِرُوا فَإِنَّ اللَّهَ وِتْرٌ يُحِبُّ الْوِتْرَ ” .
আসিম বিন দমরাহ আস-সালূলী থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আলী বিন আবূ তালিব (রাঃ), বলেছেন, নিশ্চই বিত্র বাধ্যতামূলক সালাত নয় এবং তোমাদের ফরয সলাতের সম-পর্যায়ভূক্তও নয়। কিন্তু রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিত্রের সালাত আদায় করেছেন, অতঃপর বলেছেন, হে আহলে কুরআন! তোমরা বিত্রের সালাত পড়ো। নিশ্চই আল্লাহ বিত্র (বেজোড়), তিনি বিত্রকে ভালবাসেন। [১১৬৯]
[১১৬৯] তিরমিযী ৪৫৩-৫৪, নাসায়ী ১৬৭৫-৭৬, আবূ দাঊদ ১৪১৬, আহমাদ ৬৫৪, ৭৬৩, ৭৮৮, ৮৪৪, ৯২৯, ১২৬৫; দারিমী ১৫৭৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ১২৭৪, সহীহ তারগীব ৫৯০
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১১৭০
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو حَفْصٍ الأَبَّارُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ” إِنَّ اللَّهَ وِتْرٌ يُحِبُّ الْوِتْرَ فَأَوْتِرُوا يَا أَهْلَ الْقُرْآنِ ” . فَقَالَ أَعْرَابِيٌّ مَا يَقُولُ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ” لَيْسَ لَكَ وَلاَ لأَصْحَابِكَ ” .
আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আল্লাহ বেজোড়, তিনি বেজোড় ভালোবাসেন। হে কুরআনের বাহকগণ! তোমরা বিত্র সালাত পড়ো। এক বেদুইন বললো, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি বললেন? রাবী বলেন, (তা) তোমার জন্য নয় এবং তোমার সাথীদের জন্যও নয়। [১১৭০]
[১১৭০]আবূ দাঊদ ১৪১৬ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ১২৭৫।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/১১৫. অধ্যায়ঃ
বিত্র সলাতের কিরাআত।
১১৭১
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو حَفْصٍ الأَبَّارُ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ طَلْحَةَ، وَزُبَيْدٍ، عَنْ ذَرٍّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُوتِرُ بِـ {سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الأَعْلَى} وَ {قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ} وَ {قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ} .
উবাই বিন কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিত্রের সলাতে সূরাহ আলা, সূরাহ কাফিরূন ও সূরাহ ইখলাস পড়তেন। [১১৭১]
[১১৭১] নাসায়ী ১৭২৯-৩০, আবূ দাঊদ ১৪২৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ১২৭৯।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১১৭২
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يُوتِرُ بِـ {سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الأَعْلَى } وَ {قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ } وَ {قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ } .
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنْصُورٍ أَبُو بَكْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ نَحْوَهُ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিত্রের সলাতে সূরাহ আলা, সূরাহ কাফিরূন ও সূরাহ ইখলাস পড়তেন।
২/১১৭২ (১). ইবনু আব্বাস (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। [১১৭২]
[১১৭২] তিরমিযী ৪৬২, নাসায়ী ১৭০২-৩, আহমাদ ২৭১৫, ২৭২০, ২৭৩৫, ২৭৭২, ২৯০০, ৩৫২১; দারিমী ১৫৮৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: রওযুন লাবীর ৪৪২।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১১৭৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، وَأَبُو يُوسُفَ الرَّقِّيُّ مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ الصَّيْدَلاَنِيُّ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ خُصَيْفٍ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ سَأَلْنَا عَائِشَةَ بِأَىِّ شَىْءٍ كَانَ يُوتِرُ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَتْ كَانَ يَقْرَأُ فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى بِـ {سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الأَعْلَى} وَفِي الثَّانِيَةِ {قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ} وَفِي الثَّالِثَةِ {قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ} وَالْمُعَوِّذَتَيْنِ .
আবদুল আযীয বিন জুরায়জ [(আরবী) অর্থাৎ হাদীস বর্ণনার ব্যাপারে দুর্বল] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা আয়িশা (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিত্রের সলাতে কি (সূরা) পড়তেন? তিনি বলেন প্রথম রাকআতে সূরা আলা, দ্বিতীয় রাকআতে সূরাহ কাফিরূন, তৃতীয় রাকআতে সূরাহ ইখলাস ও মুআব্বিয়াতাইন (সূরাহ ফালাক ও নাস) পড়তেন। [১১৭৩]
[১১৭৩] তিরমিযী ৪৬৩, আবূ দাঊদ ১৪২৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ১২৮০, মিশকাত ১২৬৯। উক্ত হাদিসের রাবী খুসায়ফ সম্পর্কে আস-সাজী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনু আদী বলেন, তিনি সিকাহ রাবী থেকে হাদিস বর্ণনা করলে তখন তার হাদিসের ব্যাপারে কোন সমস্যা নেই। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার হাদিস দলীলযোগ্য নয়। ২. আবদুল আযীয বিন জুরায়জ সম্পর্কে ইবনু হিব্বান সিকাহ বললেও ইমাম বুখারী বলেন, তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি অপরিচিত তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আল-উকায়লী বলেন, তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/১১৬. অধ্যায়ঃ
বিত্রের সালাত এক রাকআত।
১১৭৪
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ سِيرِينَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ مَثْنَى مَثْنَى وَيُوتِرُ بِرَكْعَةٍ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতের সালাত দু’ দু’ রাকআত পড়তেন এবং এক রাকআত বিত্র পড়তেন। [১১৭৪]
[১১৭৪] বুখারী ৪৭২-৭৩, ৯৯১, ৯৯৩, ৯৯৫, ৯৯৮, ১১৩৭; মুসলিম ৭৩১-৪, ৭৪১-৩, ৭৫০, ৭৫১-৩, ৭৫১-২, ৭৫৩; তিরমিযী ৪৩৭, ৪৬১, ৪৬৭, ৪৬৯, ৫৯৭; নাসায়ী ১৬৬৬-৭৪, ১৬৮২, ১৬৮৯-৯৫; আবূ দাঊদ ১২৯৫, ১৩২৬, ১৪২১, ১৪৩৬, ১৪৩৮, আহমাদ ৪৫৫৭, ৪৮৩২, ৪৮৬৩, ৪৯৬৭, ৫০১২, ৫০৭৭, ৫১৯৫, ৫৩১৯, ৫৩৭৬, ৫৪৪৭, ৫৪৫৯, ৫৪৭৯, ৫৫১২, ৫৫২৪, ৫৭২৫, ৫৭৫৯, ৫৯০১, ৫৯৭২, ৬১৩৪, ৬১৪১, ৬২২২, ৬৩১৯, ৬৩৩৭, ৬৩৮৫, ৬৪০৩; মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৬৯, দারিমী ১৪৫৮-৫৯, ইবনু মাজাহ ১১৭৫-৭৬, ১৩১৮-২০, ১৩২২। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১১৭৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ، عَنْ أَبِي مِجْلَزٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ” صَلاَةُ اللَّيْلِ مَثْنَى مَثْنَى وَالْوِتْرُ رَكْعَةٌ ” قُلْتُ أَرَأَيْتَ إِنْ غَلَبَتْنِي عَيْنِي أَرَأَيْتَ إِنْ نِمْتُ قَالَ اجْعَلْ أَرَأَيْتَ عِنْدَ ذَلِكَ النَّجْمِ . فَرَفَعْتُ رَأْسِي فَإِذَا السِّمَاكُ ثُمَّ أَعَادَ فَقَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ” صَلاَةُ اللَّيْلِ مَثْنَى مَثْنَى وَالْوِتْرُ رَكْعَةٌ قَبْلَ الصُّبْحِ ” .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, রাতের সালাত দু’ দু’ রাকআত করে এবং বিত্র সালাত এক রাকআত। (রাবী বলেন) আমি বললাম, আপনার কি মত, যদি আমার চোখকে (ঘুম) পরাভূত করে এবং আমি ঘুমিয়ে যাই? তিনি বলেন, তুমি এই তারকার দিকে লক্ষ্য করো। তখন আমি মাথা তুলে সিমাক (মৎস) তারকা দেখতে পেলাম। এরপর তিনি হাদীস বর্ণনা প্রসঙ্গে বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, রাতের সালাত দু’ দু’ রাকআত করে এবং সুবহে সাদিকের পূর্বে বিত্র সালাত এক রাকআত পড়বে। [১১৭৫]
[১১৭৫] বুখারী ৪৭২-৭৩, ৯৯১, ৯৯৩, ৯৯৫, ৯৯৮, ১১৩৭; মুসলিম ৭৩১-৪, ৭৪১-৩, ৭৫০, ৭৫১-৩, ৭৫১-২, ৭৫৩; তিরমিযী ৪৩৭, ৪৬১, ৪৬৭, ৪৬৯, ৫৯৭; নাসায়ী ১৬৬৬-৭৪, ১৬৮২, ১৬৮৯-৯৫; আবূ দাঊদ ১২৯৫, ১৩২৬, ১৪২১, ১৪৩৬, ১৪৩৮, আহমাদ ৪৫৫৭, ৪৮৩২, ৪৮৬৩, ৪৯৬৭, ৫০১২, ৫০৭৭, ৫১৯৫, ৫৩১৯, ৫৩৭৬, ৫৪৪৭, ৫৪৫৯, ৫৪৭৯, ৫৫১২, ৫৫২৪, ৫৭২৫, ৫৭৫৯, ৫৯০১, ৫৯৭২, ৬১৩৪, ৬১৪১, ৬২২২, ৬৩১৯, ৬৩৩৭, ৬৩৮৫, ৬৪০৩; মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৬৯, দারিমী ১৪৫৮-৫৯, ইবনু মাজাহ ১১৭৪, ১১৭৬, ১৩১৮-২০, ১৩২২; সহীহ আবী দাউদ ১১৯৭ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১১৭৬
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُطَّلِبُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ سَأَلَ ابْنَ عُمَرَ رَجُلٌ فَقَالَ كَيْفَ أُوتِرُ قَالَ أَوْتِرْ بِوَاحِدَةٍ . قَالَ إِنِّي أَخْشَى أَنْ يَقُولَ النَّاسُ الْبُتَيْرَاءُ فَقَالَ سُنَّةُ اللَّهِ وَرَسُولِهِ . يُرِيدُ هَذِهِ سُنَّةُ اللَّهِ وَرَسُولِهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ .
মুত্তালিব বিন আবদুল্লাহ্ (তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদীস বর্ণনায় অধিক তাদলীস ও ইরসাল করেছেন) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি ইবনু উমার (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলো, আমি কিভাবে বিত্র পড়বো? তিনি বললেন, তুমি এক রাকআত বিতর পড়বে। সে বলল, আমি আশংকা করি যে লোকেরা আমাকে শিকড় কাটা বলবে। তিনি বলেন, আল্লাহর সুন্নাত ও তাঁর রাসূলেরও। তিনি মনে করেন, এটাই আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সুন্নাত। [১১৭৬]
[১১৭৬] বুখারী ৪৭২-৭৩, ৯৯১, ৯৯৩, ৯৯৫, ৯৯৮, ১১৩৭; মুসলিম ৭৩১-৪, ৭৪১-৩, ৭৫০, ৭৫১-৩, ৭৫১-২, ৭৫৩; তিরমিযী ৪৩৭, ৪৬১, ৪৬৭, ৪৬৯, ৫৯৭; নাসায়ী ১৬৬৬-৭৪, ১৬৮২, ১৬৮৯-৯৫; আবূ দাঊদ ১২৯৫, ১৩২৬, ১৪২১, ১৪৩৬, ১৪৩৮, আহমাদ ৪৫৫৭, ৪৮৩২, ৪৮৬৩, ৪৯৬৭, ৫০১২, ৫০৭৭, ৫১৯৫, ৫৩১৯, ৫৩৭৬, ৫৪৪৭, ৫৪৫৯, ৫৪৭৯, ৫৫১২, ৫৫২৪, ৫৭২৫, ৫৭৫৯, ৫৯০১, ৫৯৭২, ৬১৩৪, ৬১৪১, ৬২২২, ৬৩১৯, ৬৩৩৭, ৬৩৮৫, ৬৪০৩; মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৬৯, দারিমী ১৪৫৮-৫৯, ইবনু মাজাহ ১১৭৪-৭৫, ১৩১৮-২০, ১৩২২। তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী মুত্তালিব বিন আবদুল্লাহ সম্পর্কে দারাকুতনী সিকাহ বললেও আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ইরসাল করেন। মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন, তার হাদিস দলীলযোগ্য নয় কারণ তিনি হদিস বর্ণনায় অধিক ইরসাল করেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
১১৭৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُسَلِّمُ فِي كُلِّ ثِنْتَيْنِ وَيُوتِرُ بِوَاحِدَةٍ .
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতি দু’ রাকআতে সালাম ফিরাতেন এবং বিতর এক রাকআত পড়তেন। [১১৭৭]
সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/১১৭. অধ্যায়ঃ
বিত্র সলাতে দুআ’ কুনূত।
১১৭৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ بُرَيْدِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ أَبِي الْحَوْرَاءِ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ، قَالَ عَلَّمَنِي جَدِّي رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَلِمَاتٍ أَقُولُهُنَّ فِي قُنُوتِ الْوِتْرِ “ اللَّهُمَّ عَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ وَاهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ إِنَّكَ تَقْضِي وَلاَ يُقْضَى عَلَيْكَ إِنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ سُبْحَانَكَ رَبَّنَا تَبَارَكْتَ وَتَعَالَيْتَ ” .
হাসান বিন আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার নানা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বিত্র সলাতের কুনূত পড়ার জন্য কতগুলো বাক্য শিক্ষা দিয়েছে : (আরবী) (আল্লাহুম্মা আফিনী ফীমান আফায়ত ওয়াতাওল্লানী ফীমান তাওয়াল্লায়ত, ওয়াহদীনী ফীমান হাদায়ত, ওয়াকীনী শাররা মা কদায়ত, ওয়া বারিকলী ফীমান আ’তায়ত, ইন্নাকা লা তাকদী আলায়ক, ইন্নাহু লা ইয়াযিল্লু মাওঁ ওয়ালায়ত, সুবহানাকা রব্বানা তাবারাকতা ওয়া তাআলায়ত।) অর্থ্যাৎ “হে আল্লাহ! যাদের প্রতি তোমার উদারতা প্রদর্শন করেছো, তাদের সাথে আমাকেও উদারতা প্রদর্শন করো, যাদের তুমি অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছো, তাদের সাথে আমার অভিভাবকত্ব গ্রহণ করো, যাদের তুমি হিদায়াত দান করেছো তাদের সাথে আমাকেও হিদায়াত দান করো। তোমার নির্ধারিত অকল্যাণ থেকে আমাকে রক্ষা করো। তুমি আমাকে যা দান করেছো তাতে বরকত দাও। কেবল তুমিই নির্দেশ দিতে পারো, তোমার উপর কারো নির্দেশ চলে না। তুমি যার পৃষ্ঠপোষকতা দাও, সে কখনও অপমানিত হয় না। হে আমাদের রব! তুমি পবিত্র ,কল্যাণময় ও সুউচ্চ”। [১১৭৮]
[১১৭৮] তিরমিযী,৪৬৪, না,১৭৪৫, ১৭৪৬ আহমাদ, ১৪২৫ আ, ১৭২০, ২৭৮২০। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৪২৯, মিশকাত ১২৭৩, তালীক ইবনু খুযাইমাহ ১০৯৫, সহীহ আবী দাউদ ১১৮১।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১১৭৯
حَدَّثَنَا أَبُو عُمَرَ، حَفْصُ بْنُ عَمْرٍو حَدَّثَنَا بَهْزُ بْنُ أَسَدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، حَدَّثَنِي هِشَامُ بْنُ عَمْرٍو الْفَزَارِيُّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ الْمَخْزُومِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، . أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يَقُولُ فِي آخِرِ وِتْرِهِ “ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سُخْطِكَ وَأَعُوذُ بِمُعَافَاتِكَ مِنْ عُقُوبَتِكَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْكَ لاَ أُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ ” .
আলী বিন আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিত্রের সলাতের শেষে বলতেন : (আরবী) (আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযুবি রিদাকা মিন সুখতিক, ওয়া আউযুবি মুআফাতিকা মিন উকূবাতিক, ওয়া আউযুবিকা মিনকা লা উহসী সানাআ আলায়ক, আনতা কামা আসনায়তা আলা নাফসিক) অর্থ্যাৎ “হে আল্লাহ! আমি আপনার সন্তুষ্টির উসীলায় আপনার অসন্তুষ্টি থেকে আশ্রয় চাই, আপনার ক্ষমার উসীলায় আপনার শাস্তি থেকে আশ্রয় চাই, আপনার সৌন্দর্যময় গুনাবলীর উসীলায় আপনার মহিমময় গুণাবলী থেকে আশ্রয় পাই, আমি আপনার প্রশংসা গণনা করে শেষ করতে পারি না, আপনি আপনার প্রশংসারই অনুরূপ”। [১১৭৯]
[১১৭৯] তিরমিযী, ৩৫৬৬, না, ১৭৪৭, আহমাদ, ১৪২৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৪৩০, মিশকাত ১২৭৬, সহীহ আবী দাউদ ৮২৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/১১৮. অধ্যায়ঃ
যে ব্যক্তি দুআ’ কুনুতে তার হস্তদ্বয় উঠায় না।
১১৮০
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ لاَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ فِي شَىْءٍ مِنْ دُعَائِهِ إِلاَّ عِنْدَ الاِسْتِسْقَاءِ فَإِنَّهُ كَانَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ حَتَّى يُرَى بَيَاضُ إِبْطَيْهِ .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইস্তিসকার সালাত ব্যতিত তাঁর অন্য কোন দুআয় তাঁর দু’হাত উঠাতেন না (হাত তুলে মোনাজাত করতেন না)। তিনি ইস্তিসকার সলাতে এতটা উপরে হাত উঠাতেন যে, তাঁর উভয় বগলের শুভ্রতা দৃষ্টিগোচর হতো। [১১৮০]
[১১৮০] বুখারী ১০৩১, ৩৫৬৫; মুসলিম ৮৯১-২ নাসায়ী ১৫১৩, ১৭৪৮; আহমাদ ১১৭০, দারিমী ১৫৩৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ১০৬১।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/১১৯. অধ্যায়ঃ
যে ব্যক্তি দুআয় নিজের হাত উঠায় এবং তার মুখমন্ডলে মাসহ করে।
১১৮১
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَائِذُ بْنُ حَبِيبٍ، عَنْ صَالِحِ بْنِ حَسَّانَ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ الْقُرَظِيِّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ إِذَا دَعَوْتَ اللَّهَ فَادْعُ بِبَاطِنِ كَفَّيْكَ وَلاَ تَدْعُ بِظُهُورِهِمَا فَإِذَا فَرَغْتَ فَامْسَحْ بِهِمَا وَجْهَكَ ” .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তুমি আল্লাহর নিকট দুআ’ করলে তোমার দু’ হাতের তালু উপরে তুলে দুআ’ করবে, তার পিঠ তুলে দুআ’ করবে না এবং দুআ’ শেষে উভয় হাত তোমার মুখমন্ডলে মাসহ করবে। [১১৮১]
[১১৮১] আহমাদ ১৪৮৫, ইবনু মাজাহ ৩৮৬৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৪৩৪, সহীহাহ ৫৯৫। উক্ত হাদিসের রাবী আয়িব বিন হাবিব সম্পর্কে আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সত্যবাদী। দারাকুতনী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় বাড়াবাড়ি করেছেন। সালিহ বিন হাসসান আল আনসারী সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার ও দুর্বল। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫/১২০. অধ্যায়ঃ
রুকূর আগে বা পরে দুআ কুনূত পড়া।
১১৮২
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ الرَّقِّيُّ، حَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ زُبَيْدٍ الْيَامِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يُوتِرُ فَيَقْنُتُ قَبْلَ الرُّكُوعِ .
উবাই বিন কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিত্রের সালাত আদায় করতেন এবং রুকূর আগে দুআ’ কুনূত পড়তেন। [১১৮২]
[১১৮২] নাসায়ী ১৬৯৯ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৪২৬।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১১৮৩
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ سُئِلَ عَنِ الْقُنُوتِ، فِي صَلاَةِ الصُّبْحِ فَقَالَ كُنَّا نَقْنُتُ قَبْلَ الرُّكُوعِ وَبَعْدَهُ .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ফজরের সলাতে দুআ’ কুনূত পাঠ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো। তিনি বলেন, আমরা (কখনো) রুকূ‘র আগে বা (কখনো) রুকূ‘র পরে দুআ’ কুনূত পড়তাম। [১১৮৩]
[১১৮৩] বুখারী ৭৯৮, ১০০১, ১০০২, ৩১৭০, ৪০৮৮, ৪০৯০-৪০৯২, ৪০৯৪-৪০৯৬, ৬৩৯৪; মুসলিম ৬৭১-৪, নাসায়ী ১০৭০, ১০৭১, ১০৭৭, ১০৭৯; আহমাদ ১৪৪৪, ১৪৪৫; আহমাদ ১২২৯৪, ১২৪৩৮, ১২৭০৭, ১৩৫৩৯; দারিমী ১৫৯৬, ১৫৯৯; ইবনু মাজাহ ১১৮৪, ১২৪৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ১৬০, মিশকাত ১২৯৪।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১১৮৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ مُحَمَّدٍ، قَالَ سَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ عَنِ الْقُنُوتِ، فَقَالَ قَنَتَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بَعْدَ الرُّكُوعِ .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আনাস বিন মালিক (রাঃ)-কে দুআ’ কুনূত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রুকূ‘র পরে দুআ’ কুনূত পড়েছেন। [১১৮৪]
[১১৮৪] বুখারী ৭৯৮, ১০০১, ১০০২, ৩১৭০,৪০৮৮, ৪০৯০-৪০৯২, ৪০৯৪-৪০৯৬, ৬৩৯৪; মুসলিম ৬৭১-৪; নাসায়ী ১০৭০, ১০৭১, ১০৭৭, ১০৭৯; আবূ দাঊদ ১৪৪৪, ১৪৪৫; আহমাদ ১২২৯৪, ১২৪৩৮, ১২৭০৭, ১৩৫৩৯; দারিমী ১৫৯৬, ১৫৯৯; ইবনু মাজাহ ১১৮৪, ১২৪৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/১২১. অধ্যায়ঃ
শেষ রাতে বিত্র সালাত পড়া।
১১৮৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ أَبِي حُصَيْنٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ وَثَّابٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ عَنْ وِتْرِ، رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَتْ مِنْ كُلِّ اللَّيْلِ قَدْ أَوْتَرَ مِنْ أَوَّلِهِ وَأَوْسَطِهِ وَانْتَهَى وِتْرُهُ حِينَ مَاتَ فِي السَّحَرِ .
মাসরূক থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাঃ)-কে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বিত্রের সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলেন, তিনি প্রতি রাতেই বিত্র সালাত আদায় করতেন, কখনো রাতের প্রথম ভাগে, কখনো রাতের মধ্যভাগে, কখনো শেষভাগে। ইনতিকালের পূর্বে তিনি রাতের শেষভাগ পর্যন্ত তা বিলম্বিত করতেন। [১১৮৫]
[১১৮৫] বুখারী ৯৯৬, মুসলিম ৭৪১-২, তিরমিযী ৪৫৬, নাসায়ী ১৬৮১, আহমাদ ১৪৩৫, আহমাদ ২৪৪৫৩ দারিমী ১৫৮৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ১২৮৯।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১১৮৬
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ مِنْ كُلِّ اللَّيْلِ قَدْ أَوْتَرَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مِنْ أَوَّلِهِ وَأَوْسَطِهِ وَانْتَهَى وِتْرُهُ إِلَى السَّحَرِ .
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতি রাতে বিত্র সালাত আদায় করতেন, কখনো রাতের প্রথমভাগে, কখনো রাতের মধ্যভাগে এবং কখনো শেষভাগে তাঁর বিত্র পড়তেন। [১১৮৬]
[১১৮৬] আহমাদ ৮২৭, ১২১৯, ১২৬৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: হসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
১১৮৭
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي غَنِيَّةَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ مَنْ خَافَ مِنْكُمْ أَنْ لاَ يَسْتَيْقِظَ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ فَلْيُوتِرْ مِنْ أَوَّلِ اللَّيْلِ ثُمَّ لْيَرْقُدْ وَمَنْ طَمِعَ مِنْكُمْ أَنْ يَسْتَيْقِظَ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ فَلْيُوتِرْ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ فَإِنَّ قِرَاءَةَ آخِرِ اللَّيْلِ مَحْضُورَةٌ وَذَلِكَ أَفْضَلُ ” .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমাদের মধ্যে কেউ শেষরাতে জাগতে পারবে না বলে আশংকা করলে সে যেন রাতের প্রথমভাগেই বিত্র পড়ে নেয়, অতঃপর ঘুমায়। আর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি রাতের শেষভাগে সালাত পড়ার আশা করে সে যেন শেষরাতে বিত্র পড়ে। কেননা শেষ রাতের কিরআত (শুনার জন্যে ফেরেশতাদের) উপস্থিতির সময়। তাই তা অধিক উত্তম। [১১৮৭]
[১১৮৭] মুসলিম ৭৫১-২,তিরমিযী ৪৫৫, আহমাদ ১৪৩৩৫, ২৭৫২১। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ২৬১০
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/১২২. অধ্যায়ঃ
যে ব্যক্তি বিত্র সালাত না পড়ে ঘুমালো অথবা ভুলে গেলো।
১১৮৮
حَدَّثَنَا أَبُو مُصْعَبٍ، أَحْمَدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمَدِينِيُّ وَسُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ مَنْ نَامَ عَنِ الْوِتْرِ أَوْ نَسِيَهُ فَلْيُصَلِّ إِذَا أَصْبَحَ أَوْ ذَكَرَهُ ” .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি বিত্র সালাত না পড়ে ঘুমিয়ে গেলো বা তা পড়তে ভুলে গেলো, সে যেন ভোরবেলা অথবা যখন তার স্মরণ হয় তখন তা পড়ে নেয়। [১১৮৮]
[১১৮৮] তিরমিযী ৪৬৫,আহমাদ ১৪৩১,আ ১০৮৭১। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: তাখরীজুল মিশকাত ১২৬৮, ১২৭৯; ইরওয়াহ ১৫৩। উক্ত হাদিসের রাবী আব্দুর রহমান বিন যায়দ বিন আসলাম সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি দুর্বল। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহণযোগ্য নয়। আলী ইবনুল মাদীনী ও মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন, তিনি খুবই দুর্বল। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী ও আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১১৮৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، وَأَحْمَدُ بْنُ الأَزْهَرِ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ أَوْتِرُوا قَبْلَ أَنْ تُصْبِحُوا ” . قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى فِي هَذَا الْحَدِيثَ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّ حَدِيثَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَاهٍ .
আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা ভোরে উপনীত হওয়ার আগেই বিত্র সালাত পড়ো।
মুহাম্মাদ বিন ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেন, এই হাদীস প্রমাণ করে যে আবদুর রহমানের রিওয়ায়াত (১১৮৮) দুর্বল বিধায় আমালযোগ্য নয়। [১১৮৯]
[১১৮৯] মুসলিম ৭৫১-২, তিরমিযী ৪৬৮, নাসায়ী ১৬৮৩, ১৬৮৪; আহমাদ ১০৭১৩, ১০৯০৯, ১০৯৩১, ১১২৭৮; দারিমী১৫৮৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৪২২।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/১২৩. অধ্যায়ঃ
বিত্র সালাত তিন, পাঁচ, সাত বা নয় রাকআত।
১১৯০
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْفِرْيَابِيُّ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الأَنْصَارِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ الْوِتْرُ حَقٌّ فَمَنْ شَاءَ فَلْيُوتِرْ بِخَمْسٍ وَمَنْ شَاءَ فَلْيُوتِرْ بِثَلاَثٍ وَمَنْ شَاءَ فَلْيُوتِرْ بِوَاحِدَةٍ ” .
আবূ আয়্যূব আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসুলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, বিত্র সালাত সত্য। অতএব কেউ চাইলে তা পাঁচ রাকআতও পড়তে পারে, তিন রাকআতও পড়তে পারে এবং এক রাকআতও পড়তে পারে। [১১৯০]
[১১৯০] নাসায়ী ১৭১০, ১৭১১-১৭১৩; আহমাদ ১৪২২,২৩০৩৩; দারিমী ১৫৮২। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ১২৬৫, সহীহ আবী দাউদ ১২৭৮।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১১৯১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ قُلْتُ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ أَفْتِنِي عَنْ وِتْرِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ . قَالَتْ كُنَّا نُعِدُّ لَهُ سِوَاكَهُ وَطَهُورَهُ فَيَبْعَثُهُ اللَّهُ فِيمَا شَاءَ أَنْ يَبْعَثَهُ مِنَ اللَّيْلِ فَيَتَسَوَّكُ وَيَتَوَضَّأُ ثُمَّ يُصَلِّي تِسْعَ رَكَعَاتٍ لاَ يَجْلِسُ فِيهَا إِلاَّ عِنْدَ الثَّامِنَةِ فَيَدْعُو رَبَّهُ فَيَذْكُرُ اللَّهَ وَيَحْمَدُهُ وَيَدْعُوهُ ثُمَّ يَنْهَضُ وَلاَ يُسَلِّمُ ثُمَّ يَقُومُ فَيُصَلِّي التَّاسِعَةَ ثُمَّ يَقْعُدُ فَيَذْكُرُ اللَّهَ وَيَحْمَدُهُ وَيَدْعُو رَبَّهُ وَيُصَلِّي عَلَى نَبِيِّهِ ثُمَّ يُسَلِّمُ تَسْلِيمًا يُسْمِعُنَا ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ بَعْدَ مَا يُسَلِّمُ وَهُوَ قَاعِدٌ فَتِلْكَ إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً فَلَمَّا أَسَنَّ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَأَخَذَ اللَّحْمُ أَوْتَرَ بِسَبْعٍ وَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ بَعْدَ مَا سَلَّمَ .
সা‘দ বিন হিশাম থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাঃ)-কে জিজ্ঞস করলাম, হে মু’মিনগণের মাতা! আপনি আমাকে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বিত্র সালাত সম্পর্কে ফতোয়া দিন। তিনি বলেন, আমরা তাঁর জন্য মিসওয়াক ও উযুর পানি প্রস্তুত রাখতাম। আল্লাহ যখন চাইতেন তখন তাঁকে রাতের ঘুম থেকে জাগিয়ে দিতেন। তিনি ওঠে মিসওয়াক করতেন ও উযু করতেন, অতঃপর নয় রাকআত সালাত আদায় করতেন। তাতে তিনি কেবল অষ্টম রাকআতেই বসতেন এবং তাঁর প্রতিপালকের নিকট দুআ’ করতেন, আল্লাহর যিকির করতেন, তাঁর প্রশংসা করতেন এবং তাঁকে ডাকতেন, অতঃপর বসতেন এবং আল্লাহর যিকির করতেন, তাঁর প্রশংসা করতেন, তাঁর প্রভুর নিকট দুআ’ করতেন এবং তাঁর নবীর উপর দরূদ পড়তেন, অতঃপর আমাদের শুনিয়ে সালাম ফিরাতেন। সালাম ফিরানোর পর তিনি বসা অবস্থায় দু’ রাকআত সালাত আদায় করতেন। এভাবে এগারো রাকআত সালাত হতো। অতঃপর রসূলুল্লাহর বয়স বেড়ে গেলে এবং তাঁর শরীর ভারী হয়ে গেলে তিনি সাত রাকআত বিত্র পড়তেন এবং সালাম ফিরানোর পর দু’ রাকআত সালাত আদায় করতেন। [১১৯১]
[১১৯১] বুখারী ৯৯৪,১১২৩, ১১৩৯, ১১৪০, ৬৩১০,মুসলিম ৭৩১-২ ৭৩৭ নাসায়ী ১৩১৫,১৬০১, ১৬৫১, ১৭০৯, ১৭১৮,১৭১৯,১৭২০-১৭২৫ আহমাদ ৫৬, ১২৫১, ১৩৪২, ১৩৪৬, ১৩৫১, আহমাদ ২৩৪৯৭, ২৩৫৩৭, ২৩৫৫০, ২৩৫৫৩, ২৩৫৯৬, ২৩৭৪৮, ১৩৯২৫, ২৩৯৪০, ২৪১৬, ২৪৫৬, ২৪১৯৪, ২৪২১১, ২৪৫৮১, ২৪৭৯১, ২৪৮১৬, ২৪৯৫৮, ২২৫৩১, ২৫২৭৭, ২৫৪৫২, ২৫৫৭৫, ২৫৫৮৭; মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৬৪, ২৬৫; দারিমী ১৪৪৭, ১৪৭৩, ১৪৭৫ ১৫৮৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ১২১৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১১৯২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ زُهَيْرٍ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُوتِرُ بِسَبْعٍ أَوْ بِخَمْسٍ لاَ يَفْصِلُ بَيْنَهُنَّ بِتَسْلِيمٍ وَلاَ كَلاَمٍ .
উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাত বা পাঁচ রাকআত বিত্র সালাত আদায় করতো এবং এর মাঝখানে সালাম ফিরাতেন না, কথাও বলতেন না। [১১৯২]
[১১৯২] তিরমিযী ৪৫৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ২৯৬১
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/১২৪. অধ্যায়ঃ
সফরে বিত্রের সালাত পড়া।
১১৯৩
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُصَلِّي فِي السَّفَرِ رَكْعَتَيْنِ لاَ يَزِيدُ عَلَيْهِمَا وَكَانَ يَتَهَجَّدُ مِنَ اللَّيْلِ . قُلْتُ وَكَانَ يُوتِرُ قَالَ نَعَمْ .
আবদুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সফরে দু’ রাকআত (ফরয) সালাত আদায় করতেন তার চেয়ে বেশী পড়তেন না। আর তিনি তাহাজ্জুদ সালাতও পড়তেন। আমি বললাম, তিনি কি বিত্র সালাত আদায় করতেন? তিনি বলেন, হাঁ। [১১৯৩]
তাহকীক আলবানী : দঈফ জিদ্দান।
[১১৯৩] ইবনু মাজাহ ১১৯৪, আহমাদ ২১৫৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ জিদ্দান। তাখরীজ আলবানী: নাসায়ী ১৪৫৭ হাসান সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী জাবির (বিন ইয়াযীদ ইবনুল হারিস) সম্পর্কে ওয়াকী ইবনুল জাররাহ সিকাহ বললেও আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি মিথ্যা কথা বলেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি মিথ্যুক। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন। আল-জাওযুজানী তাকে মিথ্যুক বলেছেন।
হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল
- সরাসরি
১১৯৪
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ عَامِرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَابْنِ، عُمَرَ قَالاَ سَنَّ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ صَلاَةَ السَّفَرِ رَكْعَتَيْنِ وَهُمَا تَمَامٌ غَيْرُ قَصْرٍ وَالْوِتْرُ فِي السَّفَرِ سُنَّةٌ .
ইবনু আব্বাস ও ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তারা বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সফরে দু’ রাকআত সালাত প্রবর্তন করেন। এই দুই রাকআতই পূর্ণ সালাত, কসর নয়। সফরে বিত্রের সালাত সুন্নাত। [১১৯৪]
তাহকীক আলবানী : দঈফ জিদ্দান।
[১১৯৪] ইবনু মাজাহ ১১৯৩, আহমাদ ২১৫৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ জিদ্দান। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ১৩৫০ যঈফ জিদ্দান। জাবির (বিন ইয়াযীদ ইবনুল হারিস) সম্পর্কে ওয়াকী ইবনুল জাররাহ সিকাহ বললেও আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি মিথ্যা কথা বলেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি মিথ্যুক। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন। আল-জাওযুজানী তাকে মিথ্যুক বলেছেন।
হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল
- সরাসরি
৫/১২৫. অধ্যায়ঃ
বিত্রের সলাতের পর বসে দু’ রাকআত নামায পড়া।
১১৯৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ مَسْعَدَةَ، حَدَّثَنَا مَيْمُونُ بْنُ مُوسَى الْمَرَئِيُّ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يُصَلِّي بَعْدَ الْوِتْرِ رَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ .
উম্মু সলামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিত্রের সলাতের পর বসা অবস্থায় হালকাভাবে দু’ রাকআত (নফল) সালাত আদায় করতেন। [১১৯৫]
[১১৯৫] তিরমিযী ৪৭১। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ১২৮৪।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১১৯৬
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَ حَدَّثَتْنِي عَائِشَةُ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُوتِرُ بِوَاحِدَةٍ ثُمَّ يَرْكَعُ رَكْعَتَيْنِ يَقْرَأُ فِيهِمَا وَهُوَ جَالِسٌ فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ قَامَ فَرَكَعَ .
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক রাকআত বিত্র পড়তেন। অতঃপর তিনি বসা অবস্থায় দু’ রাকআত নফল সালাত আদায় করতেন, তাতে কিরআতও বসে পড়তেন। তিনি রুকূ‘ করতে ইচ্ছা করলে দাঁড়িয়ে যেতেন, তারপর রুকূ‘ করতেন। [১১৯৬]
[১১৯৬] নাসায়ী ১৭৫৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ১২৮৫।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/১২৬. অধ্যায়ঃ
বিত্র ও ফজরের দুই রাকআত সুন্নাত পড়ার পর কাত হয়ে শুয়ে থাকা।
১১৯৭
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مِسْعَرٍ، وَسُفْيَانَ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مَا كُنْتُ أُلْفِي – أَوْ أَلْقَى – النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ إِلاَّ وَهُوَ نَائِمٌ عِنْدِي . قَالَ وَكِيعٌ تَعْنِي بَعْدَ الْوِتْرِ .
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে রাতের শেষভাগে আমার পাশে ঘুমন্ত অবস্থায় পেয়েছি। ওয়াকী‘ (রাঃ) বলেন, অর্থাৎ বিত্রের সালাত পড়ার পর। [১১৯৭]
[১১৯৭] বুখারী ১১৩৩, মুসলিম ৭৪২, আহমাদ ১৩১৮, আহমাদ ২৪৭৫০, ২৫৭৯৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আরী দাউদ ১১৯১।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১১৯৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِذَا صَلَّى رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ اضْطَجَعَ عَلَى شِقِّهِ الأَيْمَنِ .
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফজরের দু’ রাকআত (সুন্নাত) পড়ার পর তাঁর ডান কাতে ভর করে শুয়ে থাকতেন। [১১৯৮]
[১১৯৮] বুখারী ৬২৬, ৯৯৪, ১১১৯,১১২৩, ৬৩১০, মুসলিম ৭৩১-২ তিরমিযী ৪৪০, নাসায়ী ৬৮৫, ১৬৯৬, ১৭২৬, ১৭৬২, আহমাদ ১২৬২-৬৩, ১৩৩৬; আহমাদ ২৩৫৩৭, ২৩৯৪০, ২৪০১৬, ২৪০৫৬, ২৪২১১, ২৪৩৭৯, ২৪৪৮৬, ২৪৫৮১, ২৪৮১৬, ২৫২৭৭, ২৫৫৭৫, ২৫৬৩৬; দারিমী ১৪৪৭, ১৪৭৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ১১৪৮।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
১১৯৯
حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنِي سُهَيْلُ بْنُ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِذَا صَلَّى رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ اضْطَجَعَ .
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফজরের দু’ রাকআত (সুন্নাত) সালাত পড়ার পর কাত হয়ে শুয়ে থাকতেন। [১১৯৯]
[১১৯৯] তিরমিযী ৪২০, আবূ দাঊদ ১২৬১। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. সুহায়ল বিন আবু সালিহ সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সাঈদ বলেন, তিনি সিকাহ। সুফইয়ান বিন উয়ায়নাহ বলেন, সাবত। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার বর্ণিত হাদিস হাদিস সহীস নয়। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইবনু আদী বলেন, তার খবর মাকবুল বা গ্রহণযোগ্য। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ তবে অন্যত্রে বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৫/১২৭. অধ্যায়ঃ
বাহনের উপর বিত্র সালাত পড়া।
১২০০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ يَسَارٍ، قَالَ كُنْتُ مَعَ ابْنِ عُمَرَ فَتَخَلَّفْتُ فَأَوْتَرْتُ فَقَالَ مَا خَلَفَكَ قُلْتُ أَوْتَرْتُ . فَقَالَ أَمَا لَكَ فِي رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ قُلْتُ بَلَى . قَالَ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يُوتِرُ عَلَى بَعِيرِهِ .
সাঈদ বিন ইয়াসার থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি (সফরে) ইবনু উমার (রাঃ)-এর সাথে ছিলাম। আমি পিছনে পড়ে বিত্র সালাত পড়ে নিলাম। তিনি বলেন, তোমাকে কিসে পেছনে ফেলেছে? আমি বললাম, আমি বিত্রের সালাত আদায় করেছি। তিনি বলেন, তোমার জন্য কি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মধ্যে অনুসরণীয় আদর্শ নেই? আমি বললাম, হাঁ, আছে। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর উটের পিঠে বিত্রের সালাত আদায় করতেন। [১২০০]
[১২০০] বুখারী ৯৯৯, ১০০০, ১০৯০; মুসলিম ৭০০/১-৩, তিরমিযী ৪৭২, নাসায়ী ৪৯০, ৭৪৪, ১৬৮৬-৮৮; আবূ দাঊদ ১২২৪, আহমাদ ৪৫০৪, ৫১৮৬, ৬১৮৯; মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৭১, দারিমী ১৫৯০। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২০১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ الأَسْفَاطِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ مَنْصُورٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يُوتِرُ عَلَى رَاحِلَتِهِ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর বাহনের উপর বিত্রের সালাত আদায় করতেন। [১২০১]
সহীহ লিগাইরিহী। উক্ত হাদিসের রাবী আব্বাদ বিন মাসসুর সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান সিকাহ বললেও আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার থেকে একাধিক হাদিস মুনকার ভাবে বর্ণিত হয়েছে, তিনি কাদারিয়া মতাবলম্বী। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি কাদারিয়া মতাবলম্বী। আবু হাতিম আর-রাযী ও আবু যুরআহ আর-রাযী তাকে দুর্বল বলেছেন। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
- সরাসরি
৫/১২৮. অধ্যায়ঃ
রাতের প্রথম ভাগে বিত্র সালাত পড়া।
১২০২
حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، سُلَيْمَانُ بْنُ تَوْبَةَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لأَبِي بَكْرٍ ” أَىَّ حِينٍ تُوتِرُ ” قَالَ أَوَّلَ اللَّيْلِ بَعْدَ الْعَتَمَةِ . قَالَ ” فَأَنْتَ يَا عُمَرُ ” . فَقَالَ آخِرَ اللَّيْلِ . فَقَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ” أَمَّا أَنْتَ يَا أَبَا بَكْرٍ فَأَخَذْتَ بِالْوُثْقَى وَأَمَّا أَنْتَ يَا عُمَرُ فَأَخَذْتَ بِالْقُوَّةِ ” .
حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، سُلَيْمَانُ بْنُ تَوْبَةَ أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ لأَبِي بَكْرٍ . فَذَكَرَ نَحْوَهُ .
জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ বকর (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করেন : তুমি কখন বিত্রের সালাত পড়ো? তিনি বলেন, ইশার সলাতের পরে, রাতের প্রথম ভাগে। তিনি বলেন, হে উমার! তুমি কখন? তিনি বলেন, রাতের শেষ ভাগে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, হে আবূ বাক্র! তুমি তো মজবুত নীতির উপর আছো। আর হে উমার! তুমি দৃঢ় সংকল্পের উপর আছো।
১/১২০২ (১). ইবনু উমার (রাঃ), নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবূ বকর (রাঃ)-কে বলেন, …….. উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ। [১২০২]
তাহকীক আলবানী : হাসান সহীহ।
[১২০২] আহমাদ ১৩৯১২, ১৪১২৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল্লাহ বিন মুহাম্মাদ বিন আকীল সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল মুনকার বলেছেন।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৫/১২৯. অধ্যায়ঃ
সলাতের মধ্যে ভুল হলে (সাহু সাজদাহ)।
১২০৩
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَامِرِ بْنِ زُرَارَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَزَادَ أَوْ نَقَصَ – قَالَ إِبْرَاهِيمُ وَالْوَهْمُ مِنِّي – فَقِيلَ لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَزِيدَ فِي الصَّلاَةِ شَىْءٌ قَالَ “ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ أَنْسَى كَمَا تَنْسَوْنَ فَإِذَا نَسِيَ أَحَدُكُمْ فَلْيَسْجُدْ سَجْدَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ ” . ثُمَّ تَحَوَّلَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ .
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাত পড়লেন এবং তাতে বেশী অথবা কম করলেন (ইবরাহীম বলেন, সন্দেহ আমার হয়েছে)। তাঁকে বলা হলো, ইয়া রসূলাল্লাহ! সলাতে কি কিছু বাড়ানো হয়েছে? তিনি বলেন, আমি তো একজন মানুষই, আমিও বিস্মৃত হই, যেমন তোমরা বিস্মৃত হও। অতএব তোমাদের কেউ (সলাতে) বিস্মৃত হলে সে যেন বসা অবস্থায় দু’টি সাজদাহ করে। অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মোড় ঘুরে দু’টি সাজদাহ করলেন। [১২০৩]
[১২০৩] বুখারী ৪০১, ৪০৪, ১২২৬, ৬৬৭১, ৭২৪৯; মুসলিম ৫৭১-৭, তিরমিযী ৩৯২-৯৩, নাসায়ী ১২৪০-৪৬, ১২৫৪-৫৯; আবূ দাঊদ ১০১৯-২০, ১০২২; আহমাদ ৪১৫৯, দারিমী ১৪৯৮, ইবনু মাজাহ ১২০৫, ১২১১-১২, ১২১৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৩৩৯, সহীহ আবী দাউদ ৯৩৭।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২০৪
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي يَحْيَى، حَدَّثَنِي عِيَاضٌ، أَنَّهُ سَأَلَ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ فَقَالَ أَحَدُنَا يُصَلِّي فَلاَ يَدْرِي كَمْ صَلَّى . فَقَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ فَلَمْ يَدْرِ كَمْ صَلَّى فَلْيَسْجُدْ سَجْدَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ ” .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করে বলেন, আমাদের কেউ সালাত পড়লো কিন্তু সে যে কত রাকআত পড়লো তা মনে করতে পারছে না। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের কেউ সালাত পড়লো কিন্তু সে যে কতো রাকআত পড়লো তা মনে করতে না পারলে বসা অবস্থায় যেন দু’টি সাজদাহ করে। [১২০৪]
[১২০৪] মুসলিম ৫৭১, তিরমিযী ৩৯৬, নাসায়ী ১২৩৮-৩৯, আবূ দাঊদ ১০২৪, ১০২৬, ১০২৯; আহমাদ ১০৬৯৮, ১০৯২৭, ১০৯৯০, ১১০৭৬, ১১০৮৬, ১১১০৭, ১১২৯২, ১১৩৭৩, ১১৩৮৫, ২৭৭৩৫; মুওয়াত্ত্বা মালিক ২১৪, দারিমী ১৪৯৫, ইবনু মাজাহ ১২১০। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ১৩৯২, সহীহ আবী দাউদ ৯৩৯। উক্ত হাদিসের রাবী ইয়াদ (বিন হিলাল) সম্পর্কে ইমামগণ বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/১৩০. অধ্যায়ঃ
যে ব্যক্তি ভুলবশত যোহরের সালাত পাঁচ রাকআত পড়লো।
১২০৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ شُعْبَةَ، حَدَّثَنِي الْحَكَمُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ صَلَّى النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ الظُّهْرَ خَمْسًا فَقِيلَ لَهُ أَزِيدَ فِي الصَّلاَةِ قَالَ “ وَمَا ذَاكَ ” . فَقِيلَ لَهُ . فَثَنَى رِجْلَهُ فَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ .
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যোহরের সালাত পাঁচ রাকআত পড়লেন। তাঁকে বলা হলো, সলাতে কি বাড়ানো হয়েছে? তিনি বলেন, তা কিভাবে? অতএব তাঁকে (বুঝিয়ে) বলা হলে তিনি পা ঘুরিয়ে নিয়ে দু’টি সাজদাহ করেন। [১২০৫]
[১২০৫] বুখারী ৪০১, ৪০৪, ১২২৬, ৬৬৭১, ৭২৪৯; মুসলিম ৫৭১-৭, তিরমিযী ৩৯২-৯৩, নাসায়ী ১২৪০-৪৬, ১২৫৪-৫৯; আবূ দাঊদ ১০১৯-২০, ১০২২; আহমাদ ৪১৫৯, দারিমী ১৪৯৮, ইবনু মাজাহ ১২০৩, ১২১১-১২, ১২১৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৯৩৪।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/১৩১. অধ্যায়ঃ
যে ব্যক্তি দ্বিতীয় রাকআতে (না বসে) ভুলে দাঁড়িয়ে গেলো।
১২০৬
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ، وَأَبُو بَكْرٍ ابْنَا أَبِي شَيْبَةَ وَهِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنِ ابْنِ بُحَيْنَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ صَلَّى صَلاَةً أَظُنُّ أَنَّهَا الظُّهْرُ (العَصْرُ) فَلَمَّا كَانَ فِي الثَّانِيَةِ قَامَ قَبْلَ أَنْ يَجْلِسَ فَلَمَّا كَانَ قَبْلَ أَنْ يُسَلِّمَ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ .
বিন বুহায়নাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাত পড়লেন। (রাবী বলেন) আমার মনে হয় তা ছিল যোহরের (বা আসরের) সালাত। দ্বিতীয় রাকআতে না বসে তিনি দাঁড়িয়ে গেলেন। শেষে তিনি সালাম ফিরানোর পূর্বে দু’টি সাজদাহ করলেন। [১২০৬]
[১২০৬] বুখারী ৮২৯, মুসলিম ৫৭০/১-৩, তিরমিযী ৩৯১, নাসায়ী ১১৭৭-৭৮, ১২২২-২৩, ১২৬১; আহমাদ ২২৪১২, ২২৪২৩; মুওয়াত্ত্বা মালিক ২১৮-১৯, দারিমী ১৪৯৯, ১৫০০; ইবনু মাজাহ ১২০৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৩৩৮, সহীহ আবূ দাউদ ৯৪৬।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২০৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، وَابْنُ، فُضَيْلٍ وَيَزِيدُ بْنُ هَارُونَ ح وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، وَيَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ كُلُّهُمْ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجِ، أَنَّ ابْنَ بُحَيْنَةَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَامَ فِي ثِنْتَيْنِ مِنَ الظُّهْرِ نَسِيَ الْجُلُوسَ حَتَّى إِذَا فَرَغَ مِنْ صَلاَتِهِ إِلاَّ أَنْ يُسَلِّمَ سَجَدَ سَجْدَتَىِ السَّهْوِ وَسَلَّمَ .
ইবনু বুহায়নাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যোহরের দ্বিতীয় রাকআতে বসতে ভুলে গিয়ে দাঁড়িয়ে যান। সলাত শেষে তিনি সালাম ফিরানোর আগে দু’টি সাহু সাজদাহ করেন এবং সালাম ফিরান। [১২০৭]
[১২০৭] বুখারী ৮২৯, মুসলিম ৫৭০/১-৩, তিরমিযী ৩৯১, নাসায়ী ১১৭৭-৭৮, ১২২২-২৩, ১২৬১; আহমাদ ২২৪১২, ২২৪২৩; মুওয়াত্ত্বা মালিক ২১৮-১৯, দারিমী ১৪৯৯, ১৫০০; ইবনু মাজাহ ১২০৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২০৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُبَيْلٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ إِذَا قَامَ أَحَدُكُمْ مِنَ الرَّكْعَتَيْنِ فَلَمْ يَسْتَتِمَّ قَائِمًا فَلْيَجْلِسْ فَإِذَا اسْتَتَمَّ قَائِمًا فَلاَ يَجْلِسْ وَيَسْجُدْ سَجْدَتَىِ السَّهْوِ ” .
মুগীরাহ বিন শু’বাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের কেউ দ্বিতীয় রাকাতের পর ভুলে দাঁড়িয়ে গেলে এবং তখনও যদি তার দাঁড়ানো সম্পূর্ণ না হয়, তবে সে যেন বসে যায়। আর যদি সে পূর্ণরূপে দাঁড়িয়ে যায় তবে সে যেন না বসে এবং (শেষে) দুটি সাহু সাজদাহ করে। [১২০৮]
[১২০৮] তিরমিযী ৩৬৪-৬৫, আবূ দাঊদ ১০৩৬-৩৭, আহমাদ ১৭৬৯৮, ১৭৭০৮, ১৭৭৫১, ১৭৭৬৭; দারিমী ১৫০১। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ১০৯-১১০, মিশকাত ১০২০, সহীহাহ ৩২১, সহীহ আবী দাউদ ৯৪৯-৯৫০। উক্ত হাদিসের রাবী জাবির (বিন ইয়াযীদ ইবনুল হারিস) সম্পর্কে ওয়াকী ইবনুল জাররাহ সিকাহ বললেও আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি মিথ্যা কথা বলেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি মিথ্যুক। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন। আল জাওযুজানী তাকে মিথ্যুক বলেছেন। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/১৩২.অধ্যায়ঃ
কোন ব্যক্তির সলাতে সন্দেহ হলে সে ধারণার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিবে।
১২০৯
حَدَّثَنَا أَبُو يُوسُفَ الرَّقِّيُّ، مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ الصَّيْدَلاَنِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ “ إِذَا شَكَّ أَحَدُكُمْ فِي الثِّنْتَيْنِ وَالْوَاحِدَةِ فَلْيَجْعَلْهَا وَاحِدَةً وَإِذَا شَكَّ فِي الثِّنْتَيْنِ وَالثَّلاَثِ فَلْيَجْعَلْهَا ثِنْتَيْنِ وَإِذَا شَكَّ فِي الثَّلاَثِ وَالأَرْبَعِ فَلْيَجْعَلْهَا ثَلاَثًا ثُمَّ لْيُتِمَّ مَا بَقِيَ مِنْ صَلاَتِهِ حَتَّى يَكُونَ الْوَهْمُ فِي الزِّيَادَةِ ثُمَّ يَسْجُدْ سَجْدَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ قَبْلَ أَنْ يُسَلِّمَ ” .
আবদুর রহমান বিন আওফ (রাঃ থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ তোমাদের কারো সলাতের এক ও দু’ রাকআতের মধ্যে সন্দেহ হলে সে যেন তাকে এক রাকআত গণ্য করে। তার দু’ ও তিন রাকআতের মধ্যে সন্দেহ হলে সে যেন তাকে দু’ রাকআত গণ্য করে। আর তিন ও চার রাকআতের মধ্যে সন্দেহ হলে সে যেন তাকে তিন রাকআত গণ্য করে, তারপর অবশিষ্ট সলাত পূর্ণ করে, যাতে সন্দেহটা অতিরিক্ত সলাতে হয়। অতঃপর সে যেন সালাম ফিরানোর পূর্বে, বসা অবস্থায় দু’টি সাজদাহ করে। [১২০৯]
[১২০৯] তিরমিযী ৩৯৮, আহমাদ ১৬৫৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ১৩৫৬।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২১০
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ إِذَا شَكَّ أَحَدُكُمْ فِي صَلاَتِهِ فَلْيُلْغِ الشَّكَّ وَلْيَبْنِ عَلَى الْيَقِينِ فَإِذَا اسْتَيْقَنَ التَّمَامَ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ فَإِنْ كَانَتْ صَلاَتُهُ تَامَّةً كَانَتِ الرَّكْعَةُ نَافِلَةً وَإِنْ كَانَتْ نَاقِصَةً كَانَتِ الرَّكْعَةُ لِتَمَامِ صَلاَتِهِ وَكَانَتِ السَّجْدَتَانِ رَغْمَ أَنْفِ الشَّيْطَانِ ” .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের কারো সলাতের মধ্যে তার সন্দেহ হলে সে যেন সন্দেহ পরিহার করে প্রবল ধারণার উপর ভিত্তি করে। প্রবল ধারণার ভিত্তিতে সলাত শেষ করার পর দু’টি (সাহু) সাজদাহ করবে। এই অবস্থায় যদি তার সলাত আগেই পূর্ণ হয়ে থাকে, তাহলে (ধারণার ভিত্তিতে পড়া) অতিরিক্ত রাকআতটি হবে নফল। আর যদি সলাত (আগেই) অপূর্ণ থেকে থাকে তাহলে ঐ রাকআতটি হবে তার সলাত পূর্ণ করার সহায়ক এবং সাজদাহ দু’টি হবে শয়তানের জন্য নাকে খত দেয়ার মত অপ্রীতিকর। [১২১০]
[১২১০] মুসলিম ৫৭১, তিরমিযী ৩৯৬, নাসায়ী ১২৩৮-৩৯, আবূ দাঊদ ১০২৪, ১০২৬, ১০২৯; আহমাদ ১০৬৯৮, ১০৯২৭, ১০৯৯০, ১১০৭৬, ১১০৮৬, ১১১০৭, ১১২৯২, ১১৩৭৩, ১১৩৮৫, ২৭৭৩৫; মুওয়াত্ত্বা মালিক ২১৪, দারিমী ১৪৯৫, ইবনু মাজাহ ১২০৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ ইরওয়াহ ৪১১, সহীহ আবী দাউদ ৯৩৯। উক্ত হাদিসের রাবী আবু খালিদ আল আহমার সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু তার হাদিস দলীলযোগ্য নয়। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইবনু আদী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সালেহ কিন্তু হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ ও ভুল করেন।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৫/১৩৩.অধ্যায়ঃ
সলাতের মধ্যে কোন ব্যক্তির সন্দেহ হলে সে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছতে চিন্তা করবে।
১২১১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، قَالَ شُعْبَةُ كَتَبَ إِلَىَّ وَقَرَأْتُهُ عَلَيْهِ قَالَ أَخْبَرَنِي إِبْرَاهِيمُ عَنْ عَلْقَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ صَلاَةً لاَ يَدْرِي أَزَادَ أَوْ نَقَصَ . فَسَأَلَ فَحَدَّثْنَاهُ فَثَنَى رِجْلَهُ وَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ وَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْنَا بِوَجْهِهِ فَقَالَ “ لَوْ حَدَثَ فِي الصَّلاَةِ شَىْءٌ لأَنْبَأْتُكُمُوهُ وَإِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ أَنْسَى كَمَا تَنْسَوْنَ فَإِذَا نَسِيتُ فَذَكِّرُونِي وَأَيُّكُمْ مَا شَكَّ فِي الصَّلاَةِ فَلْيَتَحَرَّ أَقْرَبَ ذَلِكَ مِنَ الصَّوَابِ فَيُتِمَّ عَلَيْهِ وَيُسَلِّمَ وَيَسْجُدَ سَجْدَتَيْنِ ” .
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন এক ওয়াক্তের সলাত পড়লেন। আমরা বুঝতে পারলাম না যে, তিনি বেশি পড়লেন নাকি কম পড়লেন। তিনি আমাদের জিজ্ঞেস করলে আমরা তাঁকে (অনুমানে) বললাম। তিনি তাঁর পা ঘুরিয়ে কিবলামুখী হয়ে দুটি সাজ়দাহ করেন, অতঃপর সালাম ফিরান। অতঃপর তিনি আমাদের দিকে মুখ ঘুরিয়ে (বসে) বলেন, সলাতে নতুন কিছু ঘটলে অবশ্যই আমি তা তোমাদের অবহিত করতাম। অবশ্যই আমি একজন মানুষ; আমিও বিস্মৃত হই, যেমন তোমরা বিস্মৃত হও। অতএব আমি বিস্মৃত হলে তোমরা আমাকে স্মরণ করিয়ে দিবে। তোমাদের কারো সলাতের মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি হলে সে যেন চিন্তা করে। আর এটাই যথার্থতার অধিক নিকটবর্তী। সে তার ভিত্তিতে সলাত পূর্ণ করবে, সালাম ফিরাবে এবং দু’টি সাজদাহ করবে। [১২১১]
[১২১১] বুখারী ৪০১, ৪০৪, ১২২৬, ৬৬৭১, ৭২৪৯; মুসলিম ৫৭১-৭, তিরমিযী ৩৯২-৯৩, নাসায়ী ১২৪০-৪৬, ১২৫৪-৫৯; আবূ দাঊদ ১০১৯-২০, ১০২২; আহমাদ ৪১৫৯, দারিমী ১৪৯৮, ইবনু মাজাহ ১২০৩, ১২০৫, ১২১২, ১২১৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৪০২, সহীহ আবী দাউদ ৯৩৫
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২১২
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ إِذَا شَكَّ أَحَدُكُمْ فِي الصَّلاَةِ فَلْيَتَحَرَّ الصَّوَابَ ثُمَّ يَسْجُدْ سَجْدَتَيْنِ ” . قَالَ الطَّنَافِسِيُّ هَذَا الأَصْلُ وَلاَ يَقْدِرُ أَحَدٌ يَرُدُّهُ .
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলতেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের কারো সলাতের মধ্যে সন্দেহ হলে সে যেন সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছতে চিন্তা করে (ভেবে দেখে), অতঃপর দু’টি সাজদাহ করে। আত-তানাফিসী (রহঃ) বলেন, এটি একটি মূলনীতি যা প্রত্যাখ্যান করার অধিকার কেউ রাখে না। [১২১২]
[১২১২] বুখারী ৪০১, ৪০৪, ১২২৬, ৬৬৭১, ৭২৪৯; মুসলিম ৫৭১-৭, তিরমিযী ৩৯২-৯৩, নাসায়ী ১২৪০-৪৬, ১২৫৪-৫৯; আবূ দাঊদ ১০১৯-২০, ১০২২; আহমাদ ৪১৫৯, দারিমী ১৪৯৮, ইবনু মাজাহ ১২০৩, ১২০৫, ১২১১, ১২১৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/১৩৪. অধ্যায়ঃ
ভুল করে কেউ দ্বিতীয় বা তৃতীয় রাকআতে সালাম ফিরালে।
১২১৩
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَأَبُو كُرَيْبٍ وَأَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ سَهَا فَسَلَّمَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ . فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ ذُو الْيَدَيْنِ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَقَصُرَتِ الصَّلاَةُ أَمْ نَسِيتَ قَالَ ” مَا قَصُرَتْ وَمَا نَسِيتُ ” . قَالَ إِنَّكَ صَلَّيْتَ رَكْعَتَيْنِ . قَالَ ” أَكَمَا يَقُولُ ذُو الْيَدَيْنِ ” . قَالُوا نَعَمْ . فَتَقَدَّمَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَىِ السَّهْوِ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ভুলবশত দ্বিতীয় রাকআতে সালাম ফিরালে যুল-ইয়াদাইন (রাঃ) নামক এক ব্যক্তি তাঁকে বলেন,হে আল্লাহর রসূল! সলাত কি কমানো হয়েছে, না আপনি ভুলে গেছেন? তিনি বলেন, কমানোও হয়নি এবং আমি ভুলেও যাইনি। তিনি (যুল-ইয়াদাইন) বলেন, তাহলে আপনি দু’ রাকআত পড়েছেন। তিনি জিজ্ঞেস করেনঃ যুল-ইয়াদায়ন যা বলেছে ঘটনা কি তাই? সাহাবীগণ বলেন, হাঁ। অতএব তিনি অগ্রসর হয়ে দু’ রাকআত সলাত পড়ে সালাম ফিরালেন, অতঃপর দু’টি সাহু সাজদাহ করলেন। [১২১৩]
[১২১৩] আবূ দাঊদ ১০১৫ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৯৩২।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২১৪
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِحْدَى صَلاَتَىِ الْعَشِيِّ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ ثُمَّ قَامَ إِلَى خَشَبَةٍ كَانَتْ فِي الْمَسْجِدِ يَسْتَنِدُ إِلَيْهَا فَخَرَجَ سَرَعَانُ النَّاسِ يَقُولُونَ قَصُرَتِ الصَّلاَةُ . وَفِي الْقَوْمِ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ فَهَابَاهُ أَنْ يَقُولاَ لَهُ شَيْئًا وَفِي الْقَوْمِ رَجُلٌ طَوِيلُ الْيَدَيْنِ يُسَمَّى ذَا الْيَدَيْنِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَقَصُرَتِ الصَّلاَةُ أَمْ نَسِيتَ فَقَالَ ” لَمْ تَقْصُرْ وَلَمْ أَنْسَ ” . قَالَ فَإِنَّمَا صَلَّيْتَ رَكْعَتَيْنِ . فَقَالَ ” أَكَمَا يَقُولُ ذُو الْيَدَيْنِ ” . قَالُوا نَعَمْ . قَالَ فَقَامَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে নিয়ে রাতের কোন এক ওয়াক্তের সলাত দু’ রাকআত পড়লেন, অতঃপর সালাম ফিরালেন, অতঃপর উঠে গিয়ে মাসজিদের একটি কাঠের সাথে ঠেস দিয়ে দাঁড়ালেন। লোকেরা এই বলতে বলতে দ্রুত বেরিয়ে গেলো যে, সলাত হ্রাসপ্রাপ্ত হয়েছে। লোকেদের মধ্যে আবূ বকর ও উমার (রাঃ)-ও ছিলেন। কিন্তু তারা এ বিষয়ে তাঁকে কিছু জিজ্ঞেস করতে সংকোচবোধ করেন। লোকেদের মধ্যে যুল-ইয়াদাইন নামে লম্বা হাতবিশিষ্ট এক ব্যক্তি ছিলেন। তিনি বলেন, হে আল্লাহ্র রসূল! সলাত কি হ্রাসপ্রাপ্ত হয়েছে, না আপনি বিস্মৃত হয়েছেন? তিনি বলেন, সলাত হ্রাসপ্রাপ্তও হয়নি এবং আমি ভুল করিনি। যুল-ইয়াদাইন বলেন, আপনি যে দু’ রাকআত পড়েছেন! তিনি জিজ্ঞেস করেনঃ যুল-ইয়াদাইন যা বলেছে তা কি ঠিক? তারা বলেন, হাঁ, রাবী বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়িয়ে দু; রাকআত সলাত পড়ে সালাম ফিরালেন, অতঃপর দুতি সাজদাহ করলেন এবং পুনরায় সালাম ফিরালেন। [১২১৪]
[১২১৪] বুখারী ৪৮২, ৭১৪-১৫, ১২২৭-২৯, ৬০৫১, ৭২৫০; মুসলিম ৫৭১-২, তিরমিযী ৩৯৪, ৩৯৯; নাসায়ী ১২২৪-৩০, ১২৩৩, ১২৩৫; আবূ দাঊদ ১০০৮, ১০১৪-১৫; আহমাদ ৭১৬০, ৭৩২৭, ৭৭৬১, ৮৭৮৩, ৯১৮১, ৯৬০৯; দারিমী ২১০-১১, দারিমী ১৪৯৬-৯৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ১৩০, সহীহ আবী দাউদ ৯২৩
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২১৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَأَحْمَدُ بْنُ ثَابِتٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي الْمُهَلَّبِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ الْحُصَيْنِ، قَالَ سَلَّمَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي ثَلاَثِ رَكَعَاتٍ مِنَ الْعَصْرِ ثُمَّ قَامَ فَدَخَلَ الْحُجْرَةَ فَقَامَ الْخِرْبَاقُ رَجُلٌ بَسِيطُ الْيَدَيْنِ فَنَادَى يَا رَسُولَ اللَّهِ أَقَصُرَتِ الصَّلاَةُ فَخَرَجَ مُغْضَبًا يَجُرُّ إِزَارَهُ فَسَأَلَ فَأُخْبِرَ فَصَلَّى تِلْكَ الرَّكْعَةَ الَّتِي كَانَ تَرَكَ ثُمَّ سَلَّمَ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ .
ইমরান ইবনুল হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আসরের সলাত তিন রাকআত পড়ার পর সালাম ফিরান, অতঃপর উঠে গিয়ে হুজরায় প্রবেশ করেন। খিরবাক নামক লম্বা হাতবিশিষ্ট এক ব্যক্তি উঠে দাঁড়িয়ে জোর গলায় বলেন, হে আল্লাহর রসূল! সলাত কি কমানো হয়েছে? তিনি বিসন্ন অবস্থায় তাঁর পরিধেয় হেঁচড়াতে হেঁচড়াতে বেরিয়ে এসে (বিষয়টি সম্পর্কে) জিজ্ঞেস করেন। তাঁকে অবহিত করা হলে তিনি (ভুলে) পরিত্যক্ত রাকআতটি পড়েন, অতঃপর সালাম ফিরান, অতঃপর দু’টি সাজদাহ করে পুনরায় সালাম ফিরান। [১২১৫]
[১২১৫] মুসলিম ৫৭১-২, তিরমিযী ৩৯৫, নাসায়ী ১২৩৬-৩৭, ১৩৩১; আবূ দাঊদ ১০১৮, ১০৩৯; আহমাদ ১৯৩২৭, ১৯৩৬৭, ১৯৪৫৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৪০০, সহীহ আবী দাউদ ৯৩৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/১৩৫. অধ্যায়ঃ
সালাম ফিরানোর পূর্বে দু’টি সাজদাহ সাহু সম্পর্কে
১২১৬
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ إِنَّ الشَّيْطَانَ يَأْتِي أَحَدَكُمْ فِي صَلاَتِهِ فَيَدْخُلُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ نَفْسِهِ حَتَّى لاَ يَدْرِي زَادَ أَوْ نَقَصَ فَإِذَا كَانَ ذَلِكَ فَلْيَسْجُدْ سَجْدَتَيْنِ قَبْلَ أَنْ يُسَلِّمَ ثُمَّ يُسَلِّمْ ” .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমাদের কারো সলাতে রত থাকা অবস্থায় তার নিকট নিশ্চই শয়তান আসে, অতঃপর তার ও তার অন্তরের মধ্যখানে প্রবেশ করে। অবশেষে সে স্মরণ করতে পারে না যে, সে (সলাত) বেশি পড়েছে না কম পড়েছে। এরূপ অবস্থা হলে সে যেন সালাম ফিরানোর পূর্বে দুটি সাজ়দাহ করে অতঃপর সালাম ফিরায়। [১২১৬]
[১২১৬] বুখারী ৬০৮, ১২২২, ১২৩১-৩২, ৩২৮৫; মুসলিম ৩৮১-৩, তিরমিযী ৩৯৭, নাসায়ী ৬৭০, ১২৫২-৫৩; আবূ দাঊদ ৫১৬, ১০৩০; আহমাদ ৭৬৩৭, ৭৭৪৪, ৭৭৬৩, ৯৬১৫, ৯৮৯৩, ১০১৬৫, ১০৪৯০, ২৭৩৫৬; মুওয়াত্ত্বা মালিক ১৫৪, ২২৪; দারিমী ১২০৪, ১৪৯৪; ইবনু মাজাহ ১২১৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ৯৪৩। উক্ত হাদিসের রাবী সুফইয়ান বিন ওয়াকী সম্পর্কে ইমাম বুখারী মন্তব্য করেছেন। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ নন। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সত্যবাদী।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
১২১৭
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ إِسْحَاقَ، أَخْبَرَنِي سَلَمَةُ بْنُ صَفْوَانَ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ إِنَّ الشَّيْطَانَ يَدْخُلُ بَيْنَ ابْنِ آدَمَ وَبَيْنَ نَفْسِهِ فَلاَ يَدْرِي كَمْ صَلَّى فَإِذَا وَجَدَ ذَلِكَ فَلْيَسْجُدْ سَجْدَتَيْنِ قَبْلَ أَنْ يُسَلِّمَ ” .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী বলেন, নিশ্চয় শয়তান আদম সন্তান ও তার অন্তরের মধ্যখানে প্রবেশ করে। ফলে সে স্মরণ করতে পারে না যে, সে কত রাকআত পড়েছে। তার এরূপ অবস্থা হলে সে যেন সালাম ফিরানোর পূর্বে দু’টি সাজদাহ করে। [১২১৭]
[১২১৭] বুখারী ৬০৮, ১২২২, ১২৩১-৩২, ৩২৮৫; মুসলিম ৩৮১-৩, তিরমিযী ৩৯৭, নাসায়ী ৬৭০, ১২৫২-৫৩; আবূ দাঊদ ৫১৬, ১০৩০; আহমাদ ৭৬৩৭, ৭৭৪৪, ৭৭৬৩, ৯৬১৫, ৯৮৯৩, ১০১৬৫, ১০৪৯০, ২৭৩৫৬; মুওয়াত্ত্বা মালিক ১৫৪, ২২৪; দারিমী ১২০৪, ১৪৯৪; ইবনু মাজাহ ১২১৬। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৫/১৩৬.অধ্যায়ঃ
যে ব্যক্তি সালাম ফিরানোর পর দু’টি সাহু সাজদাহ করে।
১২১৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، أَنَّ ابْنَ مَسْعُودٍ، سَجَدَ سَجْدَتَىِ السَّهْوِ بَعْدَ السَّلاَمِ وَذَكَرَ أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَعَلَ ذَلِكَ .
ইবনু মাসাঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
সালাম ফিরানোর পর দু’টি সাহু সাজদাহ করেছেন এবং তিনি বর্ণনা করেছেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাই করেছেন।[১২১৮]
[১২১৮] বুখারী ৪০১, ৪০৪, ১২২৬, ৬৬৭১, ৭২৪৯; মুসলিম ৫৭১-৭, তিরমিযী ৩৯২-৯৩, নাসায়ী ১২৪০-৪৬, ১২৫৪-৫৯; আবূ দাঊদ ১০১৯-২০, ১০২২; আহমাদ ৪১৫৯, দারিমী ১৪৯৮, ইবনু মাজাহ ১২০৩, ১২০৫, ১২১১-১২। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২১৯
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ زُهَيْرِ بْنِ سَالِمٍ الْعَنْسِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ ثَوْبَانَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ “ فِي كُلِّ سَهْوٍ سَجْدَتَانِ بَعْدَ مَا يُسَلِّمُ ” .
সাওবান (বিন বুজাদ্দাদ আল-হাশিমী) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ প্রতিটি ভুলের জন্য সালাম ফিরানোর পর দু’টি সাজদাহ করতে হবে।[১২১৯]
[১২১৯] আবূ দাঊদ ১০৩৮, আহমাদ ২১৯১১। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৪৭, সহীহ আবী দাউদ ৯৫৪। উক্ত হাদিসের রাবী ইসমাঈল বিন আয়্যাশ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, আহলে শাম থেকে হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। আলী ইবনুল মাদীনী, ইবনু আবু শায়বাহ, আমর ইবনুল ফাল্লাস ও দুহায়ম বলেন, শাম শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় তিনি সিকাহ কিন্তু অন্য শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ২. যুহায়র বিন সালিম আল আনসারী সম্পর্কে ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। তিনি সাওবান থেকে হাদিস শ্রবন না করেও হাদিস বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৫/১৩৭. অধ্যায়ঃ
শুরু করা সলাতের ভিত্তি ঠিক রাখা।
১২২০
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى التَّيْمِيُّ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، مَوْلَى الأَسْوَدِ بْنِ سُفْيَانَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ ثَوْبَانَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ خَرَجَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِلَى الصَّلاَةِ وَكَبَّرَ ثُمَّ أَشَارَ إِلَيْهِمْ فَمَكَثُوا ثُمَّ انْطَلَقَ فَاغْتَسَلَ وَكَانَ رَأْسُهُ يَقْطُرُ مَاءً فَصَلَّى بِهِمْ فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ “ إِنِّي خَرَجْتُ إِلَيْكُمْ جُنُبًا وَإِنِّي نَسِيتُ حَتَّى قُمْتُ فِي الصَّلاَةِ ” .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সলাত আদায় করতে বের হয়ে এসে তাকবীরে তাহরীমা করার পর তাদের প্রতি ইশারা করলে তারা স্বঅবস্থায় অপেক্ষা করেন। অতঃপর তিনি চলে গিয়ে গোসল করেন। তিনি তাঁর মাথা থেকে পানি টপকানো অবস্থায় ফিরে এসে তাদের সাথে সলাত পড়েন। সলাতশেষে তিনি বলেন, আমি তোমাদের নিকট নাপাক অবস্থায় বের হয়ে এসেছিলাম, আমি তা ভুলে গিয়েছিলাম, এমনকি সলাতে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলাম। [১২২০]
[১২২০] বুখারী ৬৩৯-৪০, মুসলিম ৬০১-২, নাসায়ী ৭৯২, ৮০৯; আবূ দাঊদ ২৩৩, ২৩৫; আহমাদ ৮২৬১, ১০৩৪১। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ১০০৯, সহীহ আবী দাউদ ২২৭-২৩১। উক্ত হাদিসের রাবী ইয়াকুব বিন হুমায়দ সম্পর্কে মাসলামাহ বিন কাসিম তাকে সিকাহ বলেছেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইবনু আদী বলেন, তার বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। ২. আবদুল্লাহ বিন মুসা আত-তায়মী সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় অধিক ইরসাল করেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার বর্ণিত হাদিসে আমি কোন সমস্যা দেখিনি। ৩. উসামাহ বিন যায়দ সম্পর্কে ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ উল্লেখ করে বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আল আজালী তাকে সিকাহ বলেছেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে দলীল হিসেবে নয়। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
১২২১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ خَارِجَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ مَنْ أَصَابَهُ قَىْءٌ أَوْ رُعَافٌ أَوْ قَلَسٌ أَوْ مَذْىٌ فَلْيَنْصَرِفْ فَلْيَتَوَضَّأْ ثُمَّ لْيَبْنِ عَلَى صَلاَتِهِ وَهُوَ فِي ذَلِكَ لاَ يَتَكَلَّمُ ” .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, সলাতরত অবস্থায় কারো বমি হলে, নাক দিয়ে রক্ত বের হলে, খাদ্য বা পানীয় পেট থেকে মুখে চলে এলে অথবা বীর্যরস নির্গত হলে, সে যেন বাইরে এসে ওজু করে, অতঃপর পূর্বোক্ত সলাতের অবশিষ্টাংশ পূর্ণ করে, উক্ত অবস্থায় যদি সে কথা না বলে থাকে। [১২২১]
যঈফ।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৫/১৩৮. অধ্যায়ঃ
সলাতরত অবস্থায় কারো ওজু ছুটে গেলে সে কিভাবে বের হয়ে যাবে।
১২২২
حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ شَبَّةَ بْنِ عَبِيدَةَ بْنِ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ عَلِيٍّ الْمُقَدَّمِيُّ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ فَأَحْدَثَ فَلْيُمْسِكْ عَلَى أَنْفِهِ ثُمَّ لْيَنْصَرِفْ ” .
حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ قَيْسٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ نَحْوَهُ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমাদের কারো সালাতরত অবস্থায় ওজু ছুটে গেলে সে যেন তার নাক ধরে বের হয়ে যায়। [১২২২]
১/১২২২ (১). আয়িশাহ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। [১২২২]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[১২২২] আবূ দাঊদ ১১১৪ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ১০২০, মিশকাত ১০০৭, সহীহাহ ২৯৭৬। উক্ত হাদিসের রাবী উমার বিন কায়স সম্পর্কে মালিক বিন আনাস মিথ্যুক বলেছেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য ও বাতীল। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আমর বিন ফাল্লাস বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৫/১৩৯. অধ্যায়ঃ
রুগ্ন ব্যক্তির সলাত
১২২৩
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ طَهْمَانَ، عَنْ حُسَيْنٍ الْمُعَلِّمِ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ كَانَ بِي النَّاصُورُ فَسَأَلْتُ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَنِ الصَّلاَةِ فَقَالَ “ صَلِّ قَائِمًا فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَقَاعِدًا فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَعَلَى جَنْبٍ ” .
ইমরান বিন হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ভগন্দর রোগে আক্রান্ত ছিলাম। আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এ অবস্থায় সলাত পড়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলেন, তুমি দাঁড়ানো অবস্থায় সলাত পড়ো,তাতে সমর্থ না হলে বসে পড়ো, তাতেও সমর্থ না হলে কাত হয়ে শুয়ে সলাত পড়। [১২২৩]
[১২২৩] তিরমিযী ৩৭১, আহমাদ ১৯৩১৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ২৯০, সহীহ আবী দাউদ ৮৭৮।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১২২৪
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ بَيَانٍ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ الأَزْرَقُ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ أَبِي حَرِيزٍ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ صَلَّى جَالِسًا عَلَى يَمِينِهِ وَهُوَ وَجِعٌ .
ওয়ায়িল বিন হুজুর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তাঁর ডান পায়ের উপর বসে সলাত আদায় করতে দেখেছি। [১২২৪]
তাহকীক আলবানীঃ দঈফ জিদ্দান।
[১২২৪] যঈফ জিদ্দান। উক্ত হাদিসের রাবী ১. জাবির (বিন ইয়াযীদ ইবনুল হারিস) সম্পর্কে ওয়াকী ইবনুল জাররাহ সিকাহ বললেও আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি মিথ্যা কথা বলেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি মিথ্যুক। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন। আল জাওযুজানী তাকে মিথ্যুক বলেছেন। ২. আবু হারিস সম্পর্কে ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি অপরিচিত।
হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল