পরিছেদঃ
মুসলিমকে হত্যা করার অবৈধতা
৩৯৬৬
أَخْبَرَنَا هَارُونُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ بَكَّارِ بْنِ بِلَالٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عِيسَى وَهُوَ ابْنُ سُمَيْعٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ الْمُشْرِكِينَ حَتَّى يَشْهَدُوا أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، فَإِذَا شَهِدُوا أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، وَصَلَّوْا صَلَاتَنَا، وَاسْتَقْبَلُوا قِبْلَتَنَا، وَأَكَلُوا ذَبَائِحَنَا، فَقَدْ حَرُمَتْ عَلَيْنَا دِمَاؤُهُمْ وَأَمْوَالُهُمْ، إِلَّا بِحَقِّهَا»
আনাস ইব্ন মালিক (রাঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমাকে মুশরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার আদেশ দেয়া হয়েছে, যে পর্যন্ত না তারা এই কথার সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, আর মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর বান্দা এবং তাঁর রাসূল। আর যখন তারা সাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই এবং মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল এবং আমাদের ন্যায় নামায পড়বে, আমাদের কিবলার দিকে মুখ করবে, আমাদের যবেহকৃত পশু আহার করবে; তখন আমাদের জন্য তাদের রক্ত ও সম্পদ হারাম হবে, তবে এই কালেমার কোন হক (শরী’আতসম্মত কারণ) পাওয়া গেলে ভিন্ন কথা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৬৭
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمِ بْنِ نُعَيْمٍ قَالَ: أَنْبَأَنَا حِبَّانُ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَشْهَدُوا أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، فَإِذَا شَهِدُوا أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، وَاسْتَقْبَلُوا قِبْلَتَنَا، وَأَكَلُوا ذَبِيحَتَنَا، وَصَلَّوْا صَلَاتَنَا، فَقَدْ حَرُمَتْ عَلَيْنَا دِمَاؤُهُمْ، وَأَمْوَالُهُمْ، إِلَّا بِحَقِّهَا لَهُمْ مَا لِلْمُسْلِمِينَ وَعَلَيْهِمْ مَا عَلَيْهِمْ»
আনাস ইব্ন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমাকে মুশরিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার আদেশ করা হয়েছে, যে পর্যন্ত না তারা এই কথার সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর রাসূল। যখন তারা একথার সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ্ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর রাসূল এবং আমাদের কিবলার দিকে মুখ করে এবং আমাদের যবেহকৃত পশু ভক্ষণ করে, আমাদের ন্যায় নামায পড়ে, তখন তাদের রক্ত এবং মাল আমাদের জন্য হারাম হবে, তবে এ কালেমার হক ব্যতীত। মুসলমানদের যে অধিকার রয়েছে, তাদের জন্যও তা থাকবে। আর মুসলমানদের উপর যে দায়িত্ব বর্তায়, তা তাদের উপরও বর্তাবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৬৮
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْأَنْصَارِيُّ قَالَ: أَنْبَأَنَا حُمَيْدٌ قَالَ: سَأَلَ مَيْمُونُ بْنُ سِيَاهٍ، أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ قَالَ: يَا أَبَا حَمْزَةَ، مَا يُحَرِّمُ دَمَ الْمُسْلِمِ وَمَالَهُ؟ فَقَالَ: «مَنْ شَهِدَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، وَاسْتَقْبَلَ قِبْلَتَنَا، وَصَلَّى صَلَاتَنَا، وَأَكَلَ ذَبِيحَتَنَا فَهُوَ مُسْلِمٌ لَهُ مَا لِلْمُسْلِمِينَ وَعَلَيْهِ مَا عَلَى الْمُسْلِمِينَ»
মায়মূন ইব্ন সিয়াহ্ হুমায়দ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি আনাস ইব্ন মালিক (রাঃ) -কে জিজ্ঞাসা করেনঃ হে আবূ হামযা! কোন বস্তু মুসলমানের রক্ত হারাম করে? তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি এ কথার সাক্ষ্য দান করে যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই এবং মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর রাসূল এবং আমাদের কিবলার দিকে মুখ করে, আর আমাদের ন্যায় নামায পড়ে, আমাদের যবেহকৃত পশু ভক্ষণ করে, সে মুসলমান। মুসলমানদের যে হক তারও সেই হক, আর তার উপর ঐ সকল দায়িত্ব বর্তাবে যা মুসলমানদের উপর বর্তায়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৬৯
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ قَالَ: حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ قَالَ: حَدَّثَنَا عِمْرَانُ أَبُو الْعَوَّامِ قَالَ: حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: لَمَّا تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ارْتَدَّتِ الْعَرَبُ، فَقَالَ عُمَرُ: يَا أَبَا بَكْرٍ كَيْفَ تُقَاتِلُ الْعَرَبَ، فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: إِنَّمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَشْهَدُوا أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ، وَيُقِيمُوا الصَّلَاةَ، وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ» وَاللَّهِ لَوْ مَنَعُونِي عَنَاقًا مِمَّا كَانُوا يُعْطُونَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَقَاتَلْتُهُمْ عَلَيْهِ، قَالَ عُمَرُ: «فَلَمَّا رَأَيْتُ رَأْيَ أَبِي بَكْرٍ قَدْ شُرِحَ عَلِمْتُ أَنَّهُ الْحَقُّ»
আনাস ইব্ন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর ইনতিকালের পর আরবের কোন কোন গোত্র মুরতাদ হয়ে গেল। তখন উমর ফারুক (রাঃ) বললেনঃ হে আবূ বকর! আপনি আরবের সাথে কিরূপে যুদ্ধ করবেন? তখন আবূ বকর (রাঃ) বললেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমাকে কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যতক্ষণ না তারা এ কথার সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল এবং নামায প্রতিষ্ঠা করে ও যাকাত দান করে। আল্লাহর শপথ! তারা যদি একটি বকরির বাচ্চাও দিতে অস্বীকার করে, যা তারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সময় দিত, তবে অবশ্যই আমি তাদের বিরুদ্ধে এজন্য যুদ্ধ করবো। উমর (রাঃ) বলেনঃ যখন আমি দেখলাম, আবূ বকরের মত পরিস্কার, তখন আমি মনে করলাম, এটাই হক।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৩৯৭০
خْبَرَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: لَمَّا تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَاسْتُخْلِفَ أَبُو بَكْرٍ، وَكَفَرَ مَنْ كَفَرَ مِنَ الْعَرَبِ، قَالَ عُمَرُ لِأَبِي بَكْرٍ: كَيْفَ تُقَاتِلُ النَّاسَ، وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ فَمَنْ قَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، عَصَمَ مِنِّي مَالَهُ وَنَفْسَهُ، إِلَّا بِحَقِّهِ وَحِسَابُهُ عَلَى اللَّهِ ” قَالَ أَبُو بَكْرٍ: وَاللَّهِ لَأُقَاتِلَنَّ مَنْ فَرَّقَ بَيْنَ الصَّلَاةِ وَالزَّكَاةِ، فَإِنَّ الزَّكَاةَ حَقُّ الْمَالِ، وَاللَّهِ لَوْ مَنَعُونِي عِقَالًا كَانُوا يُؤَدُّونَهُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَقَاتَلْتُهُمْ عَلَى مَنْعِهِ، قَالَ عُمَرُ: «فَوَاللَّهِ مَا هُوَ إِلَّا أَنِّي رَأَيْتُ اللَّهَ شَرَحَ صَدْرَ أَبِي بَكْرٍ لِلْقِتَالِ فَعَرَفْتُ أَنَّهُ الْحَقُّ»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর ইনতিকালের পর যখন আবূ বকর (রাঃ) খলীফা হলেন। তখন আরবের কোন কোন গোত্র কাফির হয়ে গেল। এ সময় উমর (রাঃ) আবূ বকর (রাঃ) -কে বললেনঃ আপনি তাদের বিরুদ্ধে কিভাবে যুদ্ধ করবেন? অথচ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমাকে লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের আদেশ করা হয়েছে, যতক্ষণ না তারা “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্” বলে, আর যখন তারা তা বলবে, তখন তারা তাদের জানমাল আমার থেকে রক্ষা করলো, তবে ইসলামের হক ব্যতীত। আর তাদের হিসাব আল্লাহর কাছে। আবূ বকর (রাঃ) বললেনঃ আল্লাহর শপথ! আমি অবশ্যই ঐ সকল লোকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবো, যারা নামায এবং যাকাতের মধ্যে পার্থক্য করে। কেননা যাকাত মালের হক। আল্লাহর কসম! তারা যদি একটি রশিও দিতে অস্বীকার করে যা তারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে দিত, তবে আমি তাদের বিরুদ্ধে এর জন্য যুদ্ধ করবো। আল্লাহর শপথ! আমি দেখলাম, আল্লাহ্ তা’আলা যুদ্ধের জন্য আবূ বকর (রাঃ) -এর অন্তর খুলে দিয়েছেন এবং আমি বুঝতে পারলাম, এটাই যথার্থ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৭১
أَخْبَرَنَا زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، فَإِذَا قَالُوهَا فَقَدْ عَصَمُوا مِنِّي دِمَاءَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ، إِلَّا بِحَقِّهَا وَحِسَابُهُمْ عَلَى اللَّهِ ” فَلَمَّا كَانَتِ الرِّدَّةُ، قَالَ عُمَرُ لِأَبِي بَكْرٍ: أَتُقَاتِلُهُمْ وَقَدْ سَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: كَذَا، وَكَذَا، فَقَالَ: وَاللَّهِ لَا أُفَرِّقُ بَيْنَ الصَّلَاةِ، وَالزَّكَاةِ، وَلَأُقَاتِلَنَّ مَنْ فَرَّقَ بَيْنَهُمَا، فَقَاتَلْنَا مَعَهُ فَرَأَيْنَا ذَلِكَ رُشْدًا قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ: «سُفْيَانُ فِي الزُّهْرِيِّ لَيْسَ بِالْقَوِيِّ وَهُوَ سُفْيَانُ بْنُ حُسَيْنٍ»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমাকে কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য আদেশ দেয়া হয়েছে, যতক্ষণ না তারা “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” বলে। যখন তারা তা বলবেঃ তখন তারা আমার থেকে তাদের জান ও মাল রক্ষা করবে, তবে এ কালেমার কোন হক ব্যতীত। আর তাদের হিসাব আল্লাহর কাছে। যখন আরবের কিছু লোক মুরতাদ হলো, তখন উমর (রাঃ) আবূ বকর (রাঃ) -কে বললেনঃ আপনি কি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন? অথচ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –কে এরূপ এরূপ বলতে শুনেছি? তখন তিনি বললেনঃ আল্লাহর শপথ! আমি নামায এবং যাকাতের মধ্যে প্রভেদ করবো না এবং যারা এদুয়ের মধ্যে পার্থক্য করবে, আমি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবো। পরে আমরা তাঁর সঙ্গে একত্রে যুদ্ধ করি এবং বুঝতে পারি যে, এটাই ছিল সঠিক সিদ্ধান্ত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৭২
قَالَ الْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ: قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ، عَنْ ابْنِ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ: حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ أَخْبَرَهُ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، فَمَنْ قَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، عَصَمَ مِنِّي مَالَهُ وَنَفْسَهُ، إِلَّا بِحَقِّهِ وَحِسَابُهُ عَلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ «جَمَعَ شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ الْحَدِيثَيْنِ جَمِيعًا»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমাকে মানুষের সাথে যুদ্ধ করার আদেশ হয়েছে। যাবৎ না তারা বলে, “আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই।” আর যে বললো আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই, সে আমার থেকে তার জানমাল রক্ষা করলো। তবে ইসলামের কোন হক ব্যতীত। আর তার হিসাব তো আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের কাছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ মুতওয়াতির
- সরাসরি
৩৯৭৩
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُغِيرَةِ قَالَ: حَدَّثَنَا عُثْمَانُ، عَنْ شُعَيْبٍ، عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ: حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ: لَمَّا تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ بَعْدَهُ، وَكَفَرَ مَنْ كَفَرَ مِنَ الْعَرَبِ، قَالَ عُمَرُ: يَا أَبَا بَكْرٍ، كَيْفَ تُقَاتِلُ النَّاسَ وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ فَمَنْ قَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، فَقَدْ عَصَمَ مِنِّي مَالَهُ وَنَفْسَهُ، إِلَّا بِحَقِّهِ وَحِسَابُهُ عَلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ ” قَالَ أَبُو بَكْرٍ: لَأُقَاتِلَنَّ مَنْ فَرَّقَ بَيْنَ الصَّلَاةِ وَالزَّكَاةِ، فَإِنَّ الزَّكَاةَ حَقُّ الْمَالِ فَوَاللَّهِ لَوْ مَنَعُونِي عَنَاقًا، كَانُوا يُؤَدُّونَهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَقَاتَلْتُهُمْ عَلَى مَنْعِهَا، قَالَ عُمَرُ: «فَوَاللَّهِ مَا هُوَ إِلَّا أَنْ رَأَيْتُ اللَّهَ شَرَحَ صَدْرَ أَبِي بَكْرٍ لِلْقِتَالِ فَعَرَفْتُ أَنَّهُ الْحَقُّ»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর ইনতিকালের পর যখন আবূ বকর (রাঃ) খলীফা হন এবং আরবের কিছু লোক মুরতাদ হয়ে যায়, তখন উমর (রাঃ) বললেনঃ হে আবূ বকর! আপনি এ সকল লোকের বিরুদ্ধে কিরূপে যুদ্ধ করবেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমাকে মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধের আদেশ করা হয়েছে, যতক্ষণ না তারা বলে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্’। আর যে ব্যক্তি ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্’ বললো, সে আমার থেকে তার জানমাল রক্ষা করলো, তবে ইসলামের অন্য কোন হক ব্যতীত। আর তার হিসাব আল্লাহর যিম্মায়। আবূ বকর (রাঃ) বললেনঃ যে ব্যক্তি নামায ও যাকাতের মধ্যে পার্থক্য করবে, তার বিরুদ্ধে আমি যুদ্ধ করবো। কেননা যাকাত মালের হক। আল্লাহর শপথ! যদি তারা একটি বকরির বাচ্চাও আমাকে দিতে অস্বীকার করে, যা তারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে দিত, তা হলে আমি তাদের বিরুদ্ধে এ কারণে যুদ্ধ করবো। উমর (রাঃ) বলেনঃ আল্লাহর শপথ! আমি দেখলাম, আল্লাহ তা’আলা যুদ্ধের জন্য আবূ বকরের অন্তর খুলে দিয়েছেন। আর তাঁর সিদ্ধান্তই সঠিক।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৭৪
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُغِيرَةِ قَالَ: حَدَّثَنَا عُثْمَانُ، عَنْ شُعَيْبٍ، عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ: حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، أَخْبَرَهُ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، فَمَنْ قَالَهَا فَقَدْ عَصَمَ مِنِّي نَفْسَهُ وَمَالَهُ، إِلَّا بِحَقِّهِ وَحِسَابُهُ عَلَى اللَّهِ ” خَالَفَهُ الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমাকে মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হুকুম দেওয়া হয়েছে, যাবৎ না তারা বলে, “আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই।” যে ব্যক্তি এটা বলবে, সে আমার পক্ষ হতে তার জানমাল নিরাপদ করে নিল। তবে ইসলামের কোন হক দেখা দিলে ভিন্ন কথা। আর তার হিসার আল্লাহর কাছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৭৫
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ قَالَ: حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ الْفَضْلِ قَالَ: حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ قَالَ: حَدَّثَنِي شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ وَسُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، وَذَكَرَ آخَرُ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: فَأَجْمَعَ أَبُو بَكْرٍ لِقِتَالِهِمْ، فَقَالَ عُمَرُ: يَا أَبَا بَكْرٍ، كَيْفَ تُقَاتِلُ النَّاسَ وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، فَإِذَا قَالُوهَا عَصَمُوا مِنِّي دِمَاءَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ، إِلَّا بِحَقِّهَا “، قَالَ أَبُو بَكْرٍ: لَأُقَاتِلَنَّ مَنْ فَرَّقَ بَيْنَ الصَّلَاةِ، وَالزَّكَاةِ وَاللَّهِ لَوْ مَنَعُونِي عَنَاقًا كَانُوا يُؤَدُّونَهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَقَاتَلْتُهُمْ عَلَى مَنْعِهَا، قَالَ عُمَرُ: «فَوَاللَّهِ مَا هُوَ إِلَّا أَنْ رَأَيْتُ اللَّهَ قَدْ شَرَحَ صَدْرَ أَبِي بَكْرٍ لِقِتَالِهِمْ فَعَرَفْتُ أَنَّهُ الْحَقُّ»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আবূ বকর (রাঃ) তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সংকল্প গ্রহণ করলেন। তখন উমর (রাঃ) বললেনঃ হে আবূ বকর! আপনি তাদের বিরুদ্ধে কিরূপে যুদ্ধে লিপ্ত হবেন? অথচ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমাকে মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধের আদেশ করা হয়েছে, যাবৎ না তারা বলে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্’। যখন তারা তা বলবে, তখন তারা আমার থেকে তাদের জানমালের নিরাপত্তা লাভ করবে, তবে এ কালেমার হক ব্যতীত। আবূ বকর (রাঃ) বললেনঃ যে নামায ও যাকাতের মধ্যে প্রভেদ সৃষ্টি করবে, আমি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবো। আল্লাহর শপথ! যদি তারা একটি উটের বাচ্চাও আমাকে দিতে অস্বীকার করে, যা তারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সময় দিত, তবে তা না দেওয়ার জন্য আমি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবো। উমর (রাঃ) বলেনঃ আল্লাহর কসম! আমি দেখলামঃ মহান আল্লাহ্ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য আবূ বকরের অন্তর খুলে দিয়েছেন। আমি বুঝতে পারলাম, এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৭৬
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ح وَأَنْبَأَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَرْبٍ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، فَإِذَا قَالُوهَا مَنَعُوا مِنِّي دِمَاءَهُمْ، وَأَمْوَالَهُمْ إِلَّا بِحَقِّهَا، وَحِسَابُهُمْ عَلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ না বলা পর্যন্ত লোকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আমাকে আদেশ করা হয়েছে। যখন তারা এরূপ বলবে, তখন তারা তাদের জানমাল আমার থেকে রক্ষা করবে, তবে এ কালেমার হক ব্যতীত। আর তাদের হিসাব আল্লাহর যিম্মায়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৭৭
أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: أَنْبَأَنَا يَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ، عَنْ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، وَعَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَا: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، فَإِذَا قَالُوهَا، مَنَعُوا مِنِّي دِمَاءَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ، إِلَّا بِحَقِّهَا وَحِسَابُهُمْ عَلَى اللَّهِ “
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্’ না বলা পর্যন্ত আমি লোকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আদিষ্ট হয়েছি। যদি তারা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্’ বলে, তবে আমার পক্ষ হতে তাদের জানমাল রক্ষা করে নেবে কিন্তু এর হক ব্যতীত। আর তাদের হিসাব আল্লাহর যিম্মায়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৭৮
أَخْبَرَنَا الْقَاسِمُ بْنُ زَكَرِيَّا بْنِ دِينَارٍ قَالَ: حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى قَالَ: حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ زِيَادِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” نُقَاتِلُ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، فَإِذَا قَالُوا لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، حَرُمَتْ عَلَيْنَا دِمَاؤُهُمْ وَأَمْوَالُهُمْ، إِلَّا بِحَقِّهَا وَحِسَابُهُمْ عَلَى اللَّهِ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আমরা মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব, যাবৎ না তারা বলে, “আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ নেই।” যখন তারা বলবে, আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই, তখন আমাদের জন্য তাদের জানমাল হারাম হয়ে যাবে, তবে এ কালেমার হক ব্যতীত। আর তাদের হিসাব আল্লাহর যিম্মায়।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৩৯৭৯
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ قَالَ: حَدَّثَنَا الْأَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ قَالَ: كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَاءَ رَجُلٌ فَسَارَّهُ، فَقَالَ: «اقْتُلُوهُ»، ثُمَّ قَالَ: «أَيَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ؟» قَالَ: نَعَمْ، وَلَكِنَّمَا يَقُولُهَا تَعَوُّذًا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” لَا تَقْتُلُوهُ، فَإِنَّمَا أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، فَإِذَا قَالُوهَا عَصَمُوا مِنِّي دِمَاءَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ، إِلَّا بِحَقِّهَا وَحِسَابُهُمْ عَلَى اللَّهِ “
নু’মান ইব্ন বশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ একদা আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সঙ্গে ছিলাম। এসময় এক ব্যক্তি এসে তাঁকে চুপিচুপি কিছু বললে, তিনি বললেনঃ তাকে হত্যা কর। এরপর তিনি বললেনঃ সেকি সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ্ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই? সে বললেনঃ হ্যাঁ, কিন্তু সে তা বলে স্বীয় প্রাণ রক্ষার্থে। তিনি বললেনঃ তাকে হত্যা করো না। কেননা আমাকে আদেশ করা হয়েছে যে, লোকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর, যতক্ষণ না তারা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলে। যদি তারা তা বলে, তবে তারা আমার থেকে তাদের জানমালের নিরাপত্তা লাভ করবে কিন্তু এর হক ব্যতীত। আর তাদের হিসাব আল্লাহর যিম্মায়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৮০
قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ: حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ النُّعْمَانِ بْنِ سَالِمٍ، عَنْ رَجُلٍ حَدَّثَهُ قَالَ: دَخَلَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ فِي قُبَّةٍ فِي مَسْجِدِ الْمَدِينَةِ، وَقَالَ فِيهِ: «إِنَّهُ أُوحِيَ إِلَيَّ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ» نَحْوَهُ
নু’মান ইব্ন সালিম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি তাঁকে বলেনঃ আমরা মদীনার মসজিদের একটি তাঁবুতে ছিলাম, এ সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিকট প্রবেশ করে বললেনঃ আমার নিকট এ মর্মে ওহী এসেছে যে, আপনি লোকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করুন, যতক্ষণ না তারা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ না বলে। অতঃপর পূর্বের অনুরূপ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৮১
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ قَالَ: حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَعْيَنَ قَالَ: حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ قَالَ: حَدَّثَنَا سِمَاكٌ، عَنْ النُّعْمَانِ بْنِ سَالِمٍ: قَالَ سَمِعْتُ أَوْسًا يَقُولُ: دَخَلَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ فِي قُبَّةٍ وَسَاقَ الْحَدِيثَ
আউস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিকট আগমন করলেন, তখন আমরা একটি তাঁবুতে ছিলাম। অতঃপর হাদীসটি শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৮২
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ النُّعْمَانِ بْنِ سَالِمٍ قَالَ: سَمِعْتُ أَوْسًا يَقُولُ: أَتَيْتُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي وَفْدِ ثَقِيفٍ، فَكُنْتُ مَعَهُ فِي قُبَّةٍ، فَنَامَ مَنْ كَانَ فِي الْقُبَّةِ غَيْرِي وَغَيْرُهُ، فَجَاءَ رَجُلٌ، فَسَارَّهُ، فَقَالَ: «اذْهَبْ فَاقْتُلْهُ»، فَقَالَ: «أَلَيْسَ يَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ؟» قَالَ: يَشْهَدُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «ذَرْهُ» ثُمَّ قَالَ: ” أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، فَإِذَا قَالُوهَا حَرُمَتْ دِمَاؤُهُمْ وَأَمْوَالُهُمْ، إِلَّا بِحَقِّهَا ” قَالَ مُحَمَّدٌ: فَقُلْتُ لِشُعْبَةَ: أَلَيْسَ فِي الْحَدِيثِ أَلَيْسَ يَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ؟ قَالَ: «أَظُنُّهَا مَعَهَا، وَلَا أَدْرِي»
নু’মান ইব্ন সালিম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি আওস (রাঃ) – কে বলতে শুনেছি যে, আমি সাকীফ গোত্রের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট আগমন করলাম। আমি তাঁর সঙ্গে একটি তাঁবুতে ছিলাম। আমি এবং তিনি ব্যতীত তাঁবুর সকলেই ঘুমিয়ে পড়লো। এমন সময় এক ব্যক্তি এসে তার সঙ্গে গোপনে কিছু বললে, তিনি বললেনঃ যাও তাকে হত্যা কর। এরপর তিনি বললেনঃ সেকি একথার সাক্ষ্য দান করে না যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল? সে ব্যক্তি বললোঃ সে এরূপ বলে। তখন তিনি বললেনঃ তাকে ছেড়ে দাও। এরপর তিনি বললেনঃ আমাকে লোকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার আদেশ দান করা হয়েছে, যতক্ষণ না তারা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলে। যখন তারা এরূপ বলবে, তখন তাদের জানমাল আমার থেকে নিরাপদ হবে, তবে এর হক ব্যতীত। রাবী মুহাম্মদ (রহঃ) বলেন, আমি শু’বা (রহঃ) -কে বললামঃ তারা কি এই সাক্ষ্য দেয় না যে, “আল্লাহ্ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল”- এই কথাটি কি এই হাদীসের অংশ নয়? তিনি বললেনঃ আমি মনে করি এটিও এই হাদীসের অংশ, কিন্তু আমার জানা নেই।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৮৩
أَخْبَرَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَكْرٍ قَالَ: حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ أَبِي صَغِيرَةَ، عَنْ النُّعْمَانِ بْنِ سَالِمٍ، أَنَّ عَمْرَو بْنَ أَوْسٍ، أَخْبَرَهُ، أَنَّ أَبَاهُ أَوْسًا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَشْهَدُوا أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، ثُمَّ تَحْرُمُ دِمَاؤُهُمْ وَأَمْوَالُهُمْ، إِلَّا بِحَقِّهَا»
উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমাকে লোকের সাথে যুদ্ধ করতে আদেশ করা হয়েছে, যে পর্যন্ত না তারা সাক্ষ্য দেয়— “আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই।” এরপর তাদের জানমাল আমাদের জন্য হারাম হয়ে যাবে, তবে এর হক ব্যতীত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৮৪
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى قَالَ: حَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ عِيسَى، عَنْ ثَوْرٍ، عَنْ أَبِي عَوْنٍ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ قَالَ: سَمِعْتُ مُعَاوِيَةَ يَخْطُبُ – وَكَانَ قَلِيلَ الْحَدِيثِ -، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: سَمِعْتُهُ يَخْطُبُ يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «كُلُّ ذَنْبٍ عَسَى اللَّهُ أَنْ يَغْفِرَهُ، إِلَّا الرَّجُلُ يَقْتُلُ الْمُؤْمِنَ مُتَعَمِّدًا، أَوِ الرَّجُلُ يَمُوتُ كَافِرًا»
আবূ ইদরীস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি মু’আবিয়া (রাঃ) -কে খুতবা দিতে শুনেছি, আর তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে অতি অল্পই হাদীস বর্ণনা করেছেন। খুতবায় তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি, প্রত্যেক গুনাহ আশা করা যায় আল্লাহ্ তা ক্ষমা করবেন, তবে ঐ ব্যক্তির গুনাহ ব্যতীত, যে ইচ্ছা করে কোন মুসলমানকে হত্যা করে অথবা কাফির হয়ে মৃত্যুবরণ করে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৮৫
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ الْأَعْمَشِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُرَّةَ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا تُقْتَلُ نَفْسٌ ظُلْمًا إِلَّا كَانَ عَلَى ابْنِ آدَمَ الْأَوَّلِ كِفْلٌ مِنْ دَمِهَا، وَذَلِكَ أَنَّهُ أَوَّلُ مَنْ سَنَّ الْقَتْلَ»
আবদুল্লাহ (রাঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
অন্যায়ভাবে যে ব্যক্তিকেই হত্যাই করা হোক না কেন, তার রক্তের একাংশ আদম (আঃ) -এর প্রথম পুত্র কাবিলের উপর বর্তায়। কেননা সে-ই সর্বপ্রথম তার ভাই হাবিলকে হত্যা করে রক্তপাতের রীতি প্রবর্তন করেছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিছেদঃ
হত্যা করা কঠিন অপরাধ
৩৯৮৬
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ بْنِ مَالَجَ قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْحَرَّانِيُّ، عَنْ ابْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُهَاجِرٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، لَقَتْلُ مُؤْمِنٍ أَعْظَمُ عِنْدَ اللَّهِ مِنْ زَوَالِ الدُّنْيَا» قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ: إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُهَاجِرِ لَيْسَ بِالْقَوِيِّ
আবদুল্লাহ ইব্ন আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ঐ সত্ত্বার শপথ! যাঁর হাতে আমার প্রাণ, কোন মুসলমানকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা আল্লাহর কাছে পৃথিবী ধ্বংস হওয়া অপেক্ষাও গুরুতর।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৮৭
أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَكِيمٍ الْبَصْرِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَزَوَالُ الدُّنْيَا أَهْوَنُ عِنْدَ اللَّهِ مِنْ قَتْلِ رَجُلٍ مُسْلِمٍ»
আবদুল্লাহ ইবন আমর (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ পৃথিবী লয়প্রাপ্ত হওয়া আল্লাহর নিকট কোন মুসলমান ব্যক্তির অন্যায়ভাবে নিহত হওয়া অপেক্ষা তুচ্ছতর।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৮৮
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ يَعْلَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: «قَتْلُ الْمُؤْمِنِ أَعْظَمُ عِنْدَ اللَّهِ مِنْ زَوَالِ الدُّنْيَا»
—
[حكم الألباني] صحيح موقوف وهو في حكم المرفوع
আবদুল্লাহ ইব্ন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ কোন মু’মিন ব্যক্তিকে হত্যা করা আল্লাহর নিকট পৃথিবী লয়প্রাপ্ত হওয়া অপেক্ষা গুরুতর।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
৩৯৮৯
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ هِشَامٍ قَالَ: حَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: «قَتْلُ الْمُؤْمِنِ أَعْظَمُ عِنْدَ اللَّهِ مِنْ زَوَالِ الدُّنْيَا»
—
[حكم الألباني] سكت عنه الشيخ
আবদুল্লাহ ইব্ন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ কোন মু’মিন ব্যক্তির হত্যা আল্লাহর নিকট পৃথিবী লয়প্রাপ্ত হওয়া অপেক্ষা গুরুতর।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
৩৯৯০
أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ إِسْحَاقَ الْمَرْوَزِيُّ، ثِقَةٌ، حَدَّثَنِي خَالِدُ بْنُ خِدَاشٍ قَالَ: حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ بَشِيرِ بْنِ الْمُهَاجِرِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «قَتْلُ الْمُؤْمِنِ أَعْظَمُ عِنْدَ اللَّهِ مِنْ زَوَالِ الدُّنْيَا»
বুরাইদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন মু’মিনকে হত্যা করা আল্লাহর নিকট পৃথিবী ধ্বংস হওয়া অপেক্ষা গুরুতর।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৩৯৯১
أَخْبَرَنَا سَرِيعُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْوَاسِطِيُّ الْخَصِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يُوسُفَ الْأَزْرَقُ، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَوَّلُ مَا يُحَاسَبُ بِهِ الْعَبْدُ الصَّلَاةُ، وَأَوَّلُ مَا يُقْضَى بَيْنَ النَّاسِ فِي الدِّمَاءِ»
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বান্দার থেকে সর্বপ্রথম নামাযের হিসাব নেয়া হবে। আর সর্বাগ্রে মানুষের হত্যার বিচার হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৯২
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، عَنْ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سُلَيْمَانَ قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا وَائِلٍ، يُحَدِّثُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَوَّلُ مَا يُحْكَمُ بَيْنَ النَّاسِ فِي الدِّمَاءِ»
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন সর্বাগ্রে লোকের মধ্যে অন্যায় হত্যার বিচার করা হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৯৩
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: «أَوَّلُ مَا يُقْضَى بَيْنَ النَّاسِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فِي الدِّمَاءِ»
—
[حكم الألباني] صحيح موقوف وهو في حكم المرفوع
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
কিয়ামতের দিন সর্বাগ্রে মানুষের মধ্যে খুনের বিচার করা হবে।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
৩৯৯৪
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَفْصٍ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ: حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ، عَنْ الْأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ، ثُمَّ ذَكَرَ كَلِمَةً مَعْنَاهَا، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُرَحْبِيلَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «أَوَّلُ مَا يُقْضَى بَيْنَ النَّاسِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فِي الدِّمَاءِ»
—
[حكم الألباني] صحيح موقوف وهو في حكم المرفوع
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ কিয়ামতের দিন লোকের মধ্যে সর্বাগ্রে খুনের বিচার করা হবে।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
৩৯৯৫
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَرْبٍ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُرَحْبِيلَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَوَّلُ مَا يُقْضَى فِيهِ بَيْنَ النَّاسِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فِي الدِّمَاءِ»
আমর ইবন শুরাহবীল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন লোকের মাঝে সর্বপ্রথম খুনের বিচার করা হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
- সরাসরি
৩৯৯৬
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «أَوَّلُ مَا يُقْضَى بَيْنَ النَّاسِ فِي الدِّمَاءِ»
—
[حكم الألباني] صحيح موقوف وهو في حكم المرفوع
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ কিয়ামতের দিন সর্বাগ্রে লোকের মাঝে খুনের বিচার করা হবে।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
৩৯৯৭
أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُسْتَمِرِّ قَالَ: حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ قَالَ: حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ الْأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُرَحْبِيلَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” يَجِيءُ الرَّجُلُ آخِذًا بِيَدِ الرَّجُلِ فَيَقُولُ: يَا رَبِّ، هَذَا قَتَلَنِي، فَيَقُولُ اللَّهُ لَهُ: لِمَ قَتَلْتَهُ؟ فَيَقُولُ: قَتَلْتُهُ لِتَكُونَ الْعِزَّةُ لَكَ، فَيَقُولُ: فَإِنَّهَا لِي. وَيَجِيءُ الرَّجُلُ آخِذًا بِيَدِ الرَّجُلِ فَيَقُولُ: إِنَّ هَذَا قَتَلَنِي، فَيَقُولُ اللَّهُ لَهُ: لِمَ قَتَلْتَهُ؟ فَيَقُولُ: لِتَكُونَ الْعِزَّةُ لِفُلَانٍ، فَيَقُولُ: إِنَّهَا لَيْسَتْ لِفُلَانٍ فَيَبُوءُ بِإِثْمِهِ “
আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ কিয়ামতের দিন এক ব্যক্তি অন্য এক ব্যক্তির হাত ধরে নিয়ে এসে বলবেঃ হে আমার রব! এই ব্যক্তি আমাকে হত্যা করেছিল। তখন আল্লাহ্ তা’আলা বলবেনঃ তুমি কেন এই ব্যক্তিকে হত্যা করেছিলে? সে ব্যক্তি বলবেঃ আমি তাকে হত্যা করেছিলাম আপনার গৌরব ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে। আল্লাহ্ তা’আলা বলবেনঃ নিশ্চয় গৌরব আমারই। এরপর অন্য ব্যক্তি আর এক ব্যক্তির হাত ধরে নিয়ে এসে বলবেঃ ইয়া আল্লাহ্! এ ব্যক্তি আমাকে হত্যা করেছিল। আল্লাহ্ তা’আলা বলবেনঃ তুমি এই ব্যক্তিকে কেন হত্যা করেছিলে? সে ব্যক্তি বলবেঃ অমুক ব্যক্তির কর্তৃত্ব ও গৌরব প্রতিষ্ঠার জন্য। তখন আল্লাহ্ তা’আলা বলবেনঃ ঐ ব্যক্তির কোন গৌরব নেই। এরপর সে ব্যক্তি তার হত্যার গুনাহ বহন করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৯৯৯
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمَّارٍ الدُّهْنِيِّ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ سُئِلَ عَمَّنْ قَتَلَ مُؤْمِنًا مُتَعَمِّدًا، ثُمَّ تَابَ وَآمَنَ، وَعَمِلَ صَالِحًا، ثُمَّ اهْتَدَى، فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: وَأَنَّى لَهُ التَّوْبَةُ، سَمِعْتُ نَبِيَّكُمْ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: ” يَجِيءُ مُتَعَلِّقًا بِالْقَاتِلِ تَشْخَبُ أَوْدَاجُهُ دَمًا، فَيَقُولُ: أَيْ رَبِّ، سَلْ هَذَا فِيمَ قَتَلَنِي، ثُمَّ قَالَ: وَاللَّهِ لَقَدْ أَنْزَلَهَا اللَّهُ، ثُمَّ مَا نَسَخَهَا “
সালিম ইবন আবুল জা’দ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইবন আব্বাস (রাঃ) -এর নিকট ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো, যে ব্যক্তি কোন মুসলমানকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করেছে, এরপর সে তাওবা করলো এবং ঈমান আনলো এবং নেক আমল করলো এবং হিদায়ত কবূল করলো। তার তাওবা কি কবূল হবে? তিনি বললেনঃ মুসলমানের হত্যাকারীর তাওবা কিরূপে কবূল হতে পারে? আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছিঃ কিয়ামতের দিন নিহত ব্যক্তি তার হত্যাকারীর হাত ধরে নিয়ে আসবে, তখন তার শিরা হতে রক্ত প্রবাহিত হতে থাকবে। সে বলবেঃ ইয়া আল্লাহ্! আপনি এই ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করুন, সে আমাকে কি কারণে হত্যা করেছিল? ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ এ সম্পর্কে আল্লাহ্ তা’আলা এই আয়াত নাযিল করেনঃ [আরবি] অর্থঃ কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কোন মুসলমানকে হত্যা করলে তার শাস্তি জাহান্নাম। (৪:৯৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০০০
أَخْبَرَنِي أَزْهَرُ بْنُ جَمِيلٍ الْبَصْرِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ الْمُغِيرَةِ بْنِ النُّعْمَانِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ قَالَ: اخْتَلَفَ أَهْلُ الْكُوفَةِ فِي هَذِهِ الْآيَةِ: {وَمَنْ يَقْتُلْ مُؤْمِنًا مُتَعَمِّدًا} [النساء: 93] فَرَحَلْتُ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ فَسَأَلْتُهُ، فَقَالَ: «لَقَدْ أُنْزِلَتْ فِي آخِرِ مَا أُنْزِلَ ثُمَّ مَا نَسَخَهَا شَيْءٌ»
সাঈদ ইবন জুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ কুফাবাসীগণ [আরবি] আয়াত সম্পর্কে মতবিরোধ করলে এটি রহিত হয়েছে কিনা। আমি ইবন আব্বাস (রাঃ) -এর কাছে গেলাম এবং এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেনঃ এটি সর্বশেষ নাযিলকৃত আয়াতসমূহের অন্যতম, কোন আয়াত একে রহিত করেনি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০০১
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ قَالَ: حَدَّثَنِي الْقَاسِمُ بْنُ أَبِي بَزَّةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ قَالَ: قُلْتُ لِابْنِ عَبَّاسٍ: هَلْ لِمَنْ قَتَلَ مُؤْمِنًا مُتَعَمِّدًا مِنْ تَوْبَةٍ؟ قَالَ: «لَا»، وَقَرَأْتُ عَلَيْهِ الْآيَةَ الَّتِي فِي الْفُرْقَانِ: {وَالَّذِينَ لَا يَدْعُونَ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ وَلَا يَقْتُلُونَ النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلَّا بِالْحَقِّ} [الفرقان: 68] قَالَ: «هَذِهِ آيَةٌ مَكِّيَّةٌ، نَسَخَتْهَا آيَةٌ مَدَنِيَّةٌ»، {وَمَنْ يَقْتُلْ مُؤْمِنًا مُتَعَمِّدًا فَجَزَاؤُهُ جَهَنَّمُ} [النساء: 93]
সাঈদ ইবন জুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবন আব্বাস (রাঃ) -কে জিজ্ঞাসা করলাম, যে ব্যক্তি কোন মু’মিনকে ইচ্ছাকৃত হত্যা করে তার তাওবা কবূল হবে কী? তিনি বললেনঃ না। আমি তার নিকট সূরা ফুরকানের আয়াত- [আরবি] তিলাওয়াত করলাম। অর্থঃ আর তারা আল্লাহর সাথে কোন ইলাহকে ডাকে না এবং আল্লাহ্ যার হত্যা নিষেধ করেছেন, যথার্থ কারণ ব্যতীরেকে তাকে হত্যা করে না। (২৫:৬৮) এর পরে আছে, “তবে যারা তওবা করে, ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, আল্লাহ্ তাদের পাপ পূণ্যের দ্বারা পরিবর্তন করে দেবেন”- (২৫:৭০) তিনি বলেন, এটি মক্কী আয়াত আর এ আয়াতকে মাদানী আয়াত [আরবি] রহিত করেছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০০২
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ قَالَ: أَمَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي لَيْلَى أَنْ أَسْأَلَ ابْنَ عَبَّاسٍ عَنْ هَاتَيْنِ الْآيَتَيْنِ: {وَمَنْ يَقْتُلْ مُؤْمِنًا مُتَعَمِّدًا فَجَزَاؤُهُ جَهَنَّمُ} [النساء: 93] فَسَأَلْتُهُ، فَقَالَ: «لَمْ يَنْسَخْهَا شَيْءٌ»، وَعَنْ هَذِهِ الْآيَةِ: {وَالَّذِينَ لَا يَدْعُونَ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ وَلَا يَقْتُلُونَ النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلَّا بِالْحَقِّ} [الفرقان: 68] قَالَ: «نَزَلَتْ فِي أَهْلِ الشِّرْكِ»
সাঈদ ইবন জুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবদুর রহমান ইবন লায়লা আমাকে আদেশ করলেন, ইবন আব্বাস (রাঃ) -কে এই দুই আয়াত সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করতে প্রথম আয়াত [আরবি] কেউ ইচ্ছাকৃত কোন মু’মিনকে হত্যা করলে তার শাস্তি জাহান্নাম। আর দ্বিতীয় আয়াত [আরবি] যারা আল্লাহর সাথে অন্য কোন ইলাহকে ডাকে না এবং আল্লাহ যার হত্যা নিষেধ করেছেন, যথার্থ কারণ ছাড়া তাকে হত্যা করে না [আরবি] তবে যারা তওবা করে [আরবি]। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম। প্রথম আয়াত সম্পর্কে তিনি বললেন, এটাকে কোন আয়াত রহিত করেনি। আর দ্বিতীয় আয়াত সম্পর্কে বললেন, এটি মুশরিকদের সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০০৩
أَخْبَرَنَا حَاجِبُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمَنْبِجِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي رَوَّادٍ قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَبْدِ الْأَعْلَى الثَّعْلِبِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ قَوْمًا كَانُوا قَتَلُوا، فَأَكْثَرُوا وَزَنَوْا، فَأَكْثَرُوا وَانْتَهَكُوا، فَأَتَوْا النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالُوا: يَا مُحَمَّدُ، إِنَّ الَّذِي تَقُولُ وَتَدْعُو إِلَيْهِ لَحَسَنٌ، لَوْ تُخْبِرُنَا أَنَّ لِمَا عَمِلْنَا كَفَّارَةً، فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: {وَالَّذِينَ لَا يَدْعُونَ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ} [الفرقان: 68] إِلَى {فَأُولَئِكَ يُبَدِّلُ اللَّهُ سَيِّئَاتِهِمْ حَسَنَاتٍ} [الفرقان: 70] قَالَ: «يُبَدِّلُ اللَّهُ شِرْكَهُمْ إِيمَانًا وَزِنَاهُمْ إِحْصَانًا وَنَزَلَتْ»: {قُلْ يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ} [الزمر: 53] الْآيَةَ
ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আরবের এক দল লোক বহু নরহত্যা করে, ব্যাপকভাবে যিনা করে এবং নানা রকম অন্যায় অপরাধ করে, তারা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করলোঃ হে মুহাম্মদ! আপনি যা বলেন এবং যেদিকে আমাদের আহ্বান করেন, তা অতি উত্তম। তবুও বলুন, আমরা যা করেছি তার কি কোন প্রায়শ্চিত্ত আছে? তখন আল্লাহপাক নাযিল করলেনঃ [আরবি] অর্থঃ যারা আল্লাহর সাথে অন্য কোন মা’বূদকে না ডাকে, তবে তাদের গুনাহসমূহকে আল্লাহ্ নেকীতে রূপান্তর করবেন, আর যিনাকে পবিত্রতায় রূপান্তরিত করবেন (২৫: ৬৮-৭০)। এবং আরও নাযিল করেনঃ [আরবি] অর্থঃ তোমরা যারা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছ, তোমারা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না (৪০: ৫৩)।
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
- সরাসরি
৪০০৪
أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدٍ الزَّعْفَرَانِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ: أَخْبَرَنِي يَعْلَى، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ نَاسًا مِنْ أَهْلِ الشِّرْكِ أَتَوْا مُحَمَّدًا، فَقَالُوا: إِنَّ الَّذِي تَقُولُ وَتَدْعُو إِلَيْهِ لَحَسَنٌ، لَوْ تُخْبِرُنَا أَنَّ لِمَا عَمِلْنَا كَفَّارَةً، فَنَزَلَتْ: ” {وَالَّذِينَ لَا يَدْعُونَ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ} [الفرقان: 68]، وَنَزَلَتْ: {قُلْ يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ} [الزمر: 53] “
ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
কয়েকজন মুশরিক রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর খিদমতে এসে বললেনঃ আপনি যা বলেন এবং যেদিকে আমাদের আহ্বান করেন, তা অতি উত্তম। আচ্ছা বলুন তো, আমরা যা করেছি তার কাফফারা আছে কি? তখন আল্লাহপাক নাযিল করেনঃ [আরবি] (ফুরকান: ৬৮-৭০) এবং [আরবি] (৩৯: ৫৩)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০০৫
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ قَالَ: حَدَّثَنَا شَبَابَةُ بْنُ سَوَّارٍ قَالَ: حَدَّثَنِي وَرْقَاءُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” يَجِيءُ الْمَقْتُولُ بِالْقَاتِلِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ نَاصِيَتُهُ وَرَأْسُهُ فِي يَدِهِ، وَأَوْدَاجُهُ تَشْخَبُ دَمًا يَقُولُ: يَا رَبِّ، قَتَلَنِي، حَتَّى يُدْنِيَهُ مِنَ الْعَرْشِ ” قَالَ: فَذَكَرُوا لِابْنِ عَبَّاسٍ التَّوْبَةَ، فَتَلَا هَذِهِ الْآيَةَ: {وَمَنْ يَقْتُلْ مُؤْمِنًا مُتَعَمِّدًا} [النساء: 93] قَالَ: ” مَا نُسِخَتْ مُنْذُ نَزَلَتْ: وَأَنَّى لَهُ التَّوْبَةُ “
ইবন আব্বাস (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ কিয়ামতের দিন নিহত ব্যক্তি হত্যাকারীকে নিয়ে উপস্থিত হবে, তার ললাট ও মাথা হত্যাকারীর হাতে থাকবে, আর তার শিরা হতে রক্ত প্রবাহিত হতে থাকবে। সে বলবেঃ হে আমার রব! এই ব্যক্তি আমাকে হত্যা করেছে। সে তাকে আল্লাহ্র আরশের নিকট নিয়ে যাবে। রাবী বলেনঃ তখন লোক ইবন আব্বাস (রাঃ) -এর নিকট তাওবার উল্লেখ করলে তিনি তিলাওয়াত করলেনঃ [আরবি] তিনি আরও বললেনঃ এই আয়াত নাযিল হওয়ার পর রহিত হয়নি; কাজেই তার তাওবার সুযোগ কোথায়?
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০০৬
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى قَالَ: حَدَّثَنَا الْأَنْصَارِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ خَارِجَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ قَالَ: ” نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ: {وَمَنْ يَقْتُلْ مُؤْمِنًا مُتَعَمِّدًا فَجَزَاؤُهُ جَهَنَّمُ خَالِدًا فِيهَا} [النساء: 93] الْآيَةُ كُلُّهَا بَعْدَ الْآيَةِ الَّتِي نَزَلَتْ فِي الْفُرْقَانِ بِسِتَّةِ أَشْهُرٍ ” قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ: «مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو لَمْ يَسْمَعْهُ مِنْ أَبِي الزِّنَادِ»
যায়দ ইবন সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ [আরবি] আয়াতটি সূরা ফুরকানের আয়াত নাযিল হওয়ার ছয় মাস পর নাযিল হয়।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৪০০৭
أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، عَنْ عَبْدِ الْوَهَّابِ قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ خَارِجَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ زَيْدٍ فِي قَوْلِهِ: {وَمَنْ يَقْتُلْ مُؤْمِنًا مُتَعَمِّدًا فَجَزَاؤُهُ جَهَنَّمُ} [النساء: 93] قَالَ: «نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ بَعْدَ الَّتِي فِي تَبَارَكَ الْفُرْقَانِ بِثَمَانِيَةِ أَشْهُرٍ»، {وَالَّذِينَ لَا يَدْعُونَ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ وَلَا يَقْتُلُونَ النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلَّا بِالْحَقِّ} [الفرقان: 68] قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ: «أَدْخَلَ أَبُو الزِّنَادِ بَيْنَهُ وَبَيْنَ خَارِجَةَ مُجَالِدَ بْنَ عَوْفٍ»
—
[حكم الألباني] حسن صحيح ولفظ بستة أشهر أصح
যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আয়াতটি সূরা ফুরকানের [আরবি] এ আয়াতের আট মাস পর নাযিল হয়।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
৪০০৮
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ مُجَالِدِ بْنِ عَوْفٍ قَالَ: سَمِعْتُ خَارِجَةَ بْنَ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ يُحَدِّثُ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ قَالَ: نَزَلَتْ: {وَمَنْ يَقْتُلْ مُؤْمِنًا مُتَعَمِّدًا فَجَزَاؤُهُ جَهَنَّمُ خَالِدًا فِيهَا} [النساء: 93] «أَشْفَقْنَا مِنْهَا، فَنَزَلَتِ الْآيَةُ الَّتِي فِي الْفُرْقَانِ»: {وَالَّذِينَ لَا يَدْعُونَ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ وَلَا يَقْتُلُونَ النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلَّا بِالْحَقِّ} [الفرقان: 68]
যায়দ ইবন সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যখন আয়াত [আরবি] নাযিল হলো, অর্থাৎ যারা ইচ্ছাকৃত কোন মু‘মিনকে হত্যা করে তার শাস্তি জাহান্নাম, যেখানে সে স্থায়ীভাবে থাকবে। তখন আমরা ভীত-সন্ত্রস্ত হলাম। ফলে সূরা ফুরকানের এ আয়াতঃ [আরবি] নাযিল হয়। অর্থঃ যারা আল্লাহর সাথে কোন ইলাহকে ডাকে না এবং আল্লাহ্ যার হত্যা নিষেধ করেছেন যথার্থ কারণ ছাড়া তাকে হত্যা করে না. . . . . . তবে যারা তওবা করে, ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আল্লাহ্ তাদের পাপ পূণ্যের দ্বারা পরিবর্তন করে দেবেন (২৫: ৭০)।
হাদিসের মানঃ মুনকার
- সরাসরি
পরিছেদঃ
কবীরা গুনাহর বর্ণনা
৪০০৯
أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: أَنْبَأَنَا بَقِيَّةُ قَالَ: حَدَّثَنِي بَحِيرُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، أَنَّ أَبَا رُهْمٍ السَّمَعِيَّ، حَدَّثَهُمْ، أَنَّ أَبَا أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيَّ، حَدَّثَهُ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ جَاءَ يَعْبُدُ اللَّهَ، وَلَا يُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا، وَيُقِيمُ الصَّلَاةَ، وَيُؤْتِي الزَّكَاةَ، وَيَجْتَنِبُ الْكَبَائِرَ كَانَ لَهُ الْجَنَّةُ» فَسَأَلُوهُ عَنِ الْكَبَائِرِ، فَقَالَ: «الْإِشْرَاكُ بِاللَّهِ، وَقَتْلُ النَّفْسِ الْمُسْلِمَةِ، وَالْفِرَارُ يَوْمَ الزَّحْفِ»
আবূ আইয়ূব আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর ইবাদত করে, আল্লাহর সঙ্গে অন্য কিছুকে শরীক করে না, নামায পড়ে, যাকাত আদায় করে এবং কবীরা গুনাহ হতে নিজেকে রক্ষা করে, তার জন্য জান্নাত রয়েছে। তখন লোকেরা জিজ্ঞেসা করলেনঃ কবীরা গুনাহ কী কী? তিনি বললেনঃ আল্লাহর সাথে শরীক করা, মুসলমানদেরকে হত্যা করা, আর কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় যুদ্ধ ক্ষেত্র হতে পলায়ন করা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০১০
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ أَنَسٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ح وَأَنْبَأَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: أَنْبَأَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسًا يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْكَبَائِرُ الشِّرْكُ بِاللَّهِ، وَعُقُوقُ الْوَالِدَيْنِ، وَقَتْلُ النَّفْسِ، وَقَوْلُ الزُّورِ»
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কবীরা গুনাহ হলো আল্লাহর সাথে শরীক করা, মাতাপিতার অবাধ্য হওয়া, মুসলমানকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা এবং মিথ্যা বলা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০১১
خْبَرَنِي عَبْدَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحِيمِ قَالَ: أَنْبَأَنَا ابْنُ شُمَيْلٍ قَالَ: أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ قَالَ: حَدَّثَنَا فِرَاسٌ قَالَ: سَمِعْتُ الشَّعْبِيَّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” الْكَبَائِرُ: الْإِشْرَاكُ بِاللَّهِ، وَعُقُوقُ الْوَالِدَيْنِ، وَقَتْلُ النَّفْسِ، وَالْيَمِينُ الْغَمُوسُ “
আবদুল্লাহ ইবন আমর (রাঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ কবীরা গুনাহ হলোঃ আল্লাহর সাথে শরীক করা, পিতামাতার নাফরমানী করা, অন্যায়ভাবে হত্যা করা এবং মিথ্যা কসম করা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০১২
أَخْبَرَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ قَالَ: حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هَانِئٍ قَالَ: حَدَّثَنَا حَرْبُ بْنُ شَدَّادٍ قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ سِنَانٍ، عَنْ حَدِيثِ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ أَبُوهُ، وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّ رَجُلًا قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا الْكَبَائِرُ؟ قَالَ: «هُنَّ سَبْعٌ، أَعْظَمُهُنَّ إِشْرَاكٌ بِاللَّهِ، وَقَتْلُ النَّفْسِ بِغَيْرِ حَقٍّ، وَفِرَارٌ يَوْمَ الزَّحْفِ» مُخْتَصَرٌ
উমায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আর তিনি ছিলেন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর একজন সাহাবী। তিনি বলেছেনঃ এক ব্যক্তি বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কবীরা গুনাহ কি কি? তিনি বললেনঃ তা সাত প্রকারের পাপ। এর মধ্যে সবচাইতে নিকৃষ্ট হলো– আল্লাহর সাথে শরীক করা, অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা এবং কাফিরদের সাথে যুদ্ধ করার সময় পলায়ন করা। (সংক্ষিপ্ত)
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
পরিছেদঃ
সবচাইতে বড় পাপ সম্পর্কে আলোচনা
৪০১৩
خْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ وَاصِلٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُرَحْبِيلَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَيُّ الذَّنْبِ أَعْظَمُ؟ قَالَ: «أَنْ تَجْعَلَ لِلَّهِ نِدًّا، وَهُوَ خَلَقَكَ» قُلْتُ: ثُمَّ مَاذَا؟ قَالَ: «أَنْ تَقْتُلَ وَلَدَكَ خَشْيَةَ أَنْ يَطْعَمَ مَعَكَ» قُلْتُ: ثُمَّ مَاذَا؟ قَالَ: «أَنْ تُزَانِيَ بِحَلِيلَةِ جَارِكَ»
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! সবচাইতে বড় পাপ কোনটি? তিনি বললেনঃ তোমার সৃষ্টিকর্তা আল্লাহপাকের সাথে কাউকে শরীক সাব্যস্ত করা। আমি বললামঃ এরপর কোনটি? তিনি বললেনঃ তোমার সন্তানকে এই ভয়ে হত্যা করা যে, সে তোমার সাথে খাদ্যে শরীক হবে। আমি বললামঃ তারপর কোনটি? তিনি বললেনঃ তোমার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে তোমার ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০১৪
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ: حَدَّثَنِي وَاصِلٌ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَيُّ الذَّنْبِ أَعْظَمُ؟ قَالَ: «أَنْ تَجْعَلَ لِلَّهِ نِدًّا، وَهُوَ خَلَقَكَ» قُلْتُ: ثُمَّ أَيٌّ؟ قَالَ: «أَنْ تَقْتُلَ وَلَدَكَ مِنْ أَجْلِ أَنْ يَطْعَمَ مَعَكَ» قُلْتُ: ثُمَّ أَيٌّ؟ قَالَ: «ثُمَّ أَنْ تُزَانِيَ بِحَلِيلَةِ جَارِكَ»
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! কোন পাপ অধিক গুরুতর? তিনি বললেনঃ আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করা, অথচ তিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। আমি বললামঃ এরপর কোনটি? তিনি বললেনঃ তোমার সন্তানকে এই ভয়ে হত্যা করা যে, সে তোমার সাথে খাওয়ায় শরীক হবে। আমি বললামঃ তারপর কোনটি? তিনি বললেনঃ প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে তোমার যিনা করা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০১৫
أَخْبَرَنَا عَبْدَةُ قَالَ: أَنْبَأَنَا يَزِيدُ قَالَ: أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَيُّ الذَّنْبِ أَعْظَمُ؟ قَالَ: «الشِّرْكُ أَنْ تَجْعَلَ لِلَّهِ نِدًّا، وَأَنْ تُزَانِيَ بِحَلِيلَةِ جَارِكَ، وَأَنْ تَقْتُلَ وَلَدَكَ مَخَافَةَ الْفَقْرِ أَنْ يَأْكُلَ مَعَكَ»، ثُمَّ قَرَأَ عَبْدُ اللَّهِ: {وَالَّذِينَ لَا يَدْعُونَ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ} [الفرقان: 68] قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ: «هَذَا خَطَأٌ، وَالصَّوَابُ الَّذِي قَبْلَهُ، وَحَدِيثُ يَزِيدَ هَذَا خَطَأٌ، إِنَّمَا هُوَ وَاصِلٌ وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ»
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে জিজ্ঞাসা করলামঃ কোন পাপ অধিক গুরুতর? তিনি বললেনঃ আল্লাহর সাথে শরীক করা। তোমার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া এবং দারিদ্রের আশংকায় তোমার সন্তানকে হত্যা করা যে, সে তোমার সাথে খাদ্যে শরীক হবে। এরপর আবদুল্লাহ (রাঃ) তিলাওয়াত করেনঃ [আরবি]।
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
- সরাসরি
পরিছেদঃ
যে কারণে মুসলমানকে হত্যা করা বৈধ
৪০১৬
خْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ الْأَعْمَشِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُرَّةَ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” وَالَّذِي لَا إِلَهَ غَيْرُهُ، لَا يَحِلُّ دَمُ امْرِئٍ مُسْلِمٍ يَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ إِلَّا ثَلَاثَةُ نَفَرٍ: التَّارِكُ لِلْإِسْلَامِ، مُفَارِقُ الْجَمَاعَةِ، وَالثَّيِّبُ الزَّانِي، وَالنَّفْسُ بِالنَّفْسِ ” قَالَ الْأَعْمَشُ: فَحَدَّثْتُ بِهِ إِبْرَاهِيمَ، فَحَدَّثَنِي عَنْ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ بِمِثْلِهِ
আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহপাকের শপথ! যিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই, ঐ মুসলমানকে হত্যা করা বৈধ নয়, যে সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ্ ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই, আর আমি আল্লাহর রাসূল। তিন ব্যক্তি ব্যতীতঃ (১ম) যে ব্যক্তি ইসলাম ত্যাগ করে মুসলমানদের দল থেকে পৃথক হয়ে যায়; (২য়) বিবাহ করার পরও যে যিনা করে; (৩য়) প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০১৭
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ غَالِبٍ قَالَ: قَالَتْ عَائِشَةُ: أَمَا عَلِمْتَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَحِلُّ دَمُ امْرِئٍ مُسْلِمٍ إِلَّا رَجُلٌ زَنَى بَعْدَ إِحْصَانِهِ، أَوْ كَفَرَ بَعْدَ إِسْلَامِهِ، أَوِ النَّفْسُ بِالنَّفْسِ» وَقَفَهُ زُهَيْرٌ،
আমর ইবন গালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আয়েশা (রাঃ) বলেছেনঃ তুমি কি জান না যে, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন মুসলমানকে হত্যা করা বৈধ নয়। তবে যে বিবাহের পরেও যিনা করে, অথবা মুসলমান হওয়ার পর যে কাফির হয়ে যায় কিংবা প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ।
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
- সরাসরি
৪০১৮
أَخْبَرَنَا هِلَالُ بْنُ الْعَلَاءِ قَالَ: حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ قَالَ: حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ غَالِبٍ قَالَ: قَالَتْ عَائِشَةُ: يَا عَمَّارُ، أَمَا إِنَّكَ تَعْلَمُ أَنَّهُ لَا يَحِلُّ دَمُ امْرِئٍ إِلَّا ثَلَاثَةٌ: النَّفْسُ بِالنَّفْسِ، أَوْ رَجُلٌ زَنَى بَعْدَ مَا أُحْصِنَ، وَسَاقَ الْحَدِيثَ
—
[حكم الألباني] ضعيف الإسناد موقوف
আমর ইবন গালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
৪০১৯. হিলাল ইবন আ’লা (রহঃ) ……… আমর ইবন গালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আয়েশা (রাঃ) বলেনঃ হে আম্মার! তুমি কি জান না যে, কোন মুসলমানকে হত্যা করা বৈধ নয়, তবে তিন ব্যক্তি ব্যতীতঃ (১.) প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ; (২.) বিবাহ করার পরও যে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়; এভাবে পূর্ণ হাদীস বর্ণনা করেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল মাওকুফ
- সরাসরি
৪০১৯
أَخْبَرَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو أُمَامَةَ بْنُ سَهْلٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ قَالَا: كُنَّا مَعَ عُثْمَانَ وَهُوَ مَحْصُورٌ، وَكُنَّا إِذَا دَخَلْنَا مَدْخَلًا نَسْمَعُ كَلَامَ مَنْ بِالْبَلَاطِ، فَدَخَلَ عُثْمَانُ يَوْمًا، ثُمَّ خَرَجَ، فَقَالَ: إِنَّهُمْ لَيَتَوَاعَدُونِّي بِالْقَتْلِ، قُلْنَا: يَكْفِيكَهُمُ اللَّهُ، قَالَ: فَلِمَ يَقْتُلُونِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: ” لَا يَحِلُّ دَمُ امْرِئٍ مُسْلِمٍ إِلَّا بِإِحْدَى ثَلَاثٍ: رَجُلٌ كَفَرَ بَعْدَ إِسْلَامِهِ، أَوْ زَنَى بَعْدَ إِحْصَانِهِ، أَوْ قَتَلَ نَفْسًا بِغَيْرِ نَفْسٍ «،» فَوَاللَّهِ مَا زَنَيْتُ فِي جَاهِلِيَّةٍ، وَلَا إِسْلَامٍ، وَلَا تَمَنَّيْتُ أَنَّ لِي بِدِينِي بَدَلًا مُنْذُ هَدَانِيَ اللَّهُ، وَلَا قَتَلْتُ نَفْسًا فَلِمَ يَقْتُلُونَنِي “
আবূ উমামা ইবন সাহল এবং আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবন রবীআ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা উসমান (রাঃ) -এর সাথে ছিলাম, তখন তিনি অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিলেন, আমরা যখন কোন স্থানে প্রবেশ করতাম, তখন (মদীনার) বালাত নামক স্থানের লোকের কথা শুনতাম। একদিন উসমান (রাঃ) ভেতরে প্রবেশ করলেন, এরপর তিনি বের হলেন এবং বললেনঃ তারা আমাকে হত্যা করার হুমকি দিচ্ছে। আমরা বললামঃ আল্লাহ্ তা’আলাই আপনার জন্য যথেষ্ট। তিনি বলেনঃ তারা আমাকে কেন হত্যা করতে চায়? আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি, কোন মুসলমান ব্যক্তিকে তিন কারণ ব্যতীত হত্যা করা বৈধ নয়ঃ ১. কোন ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করার পর কাফির হলে, অথবা ২. বিবাহ করার পর ব্যভিচার করলে, অথবা ৩. কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা করলে। আর আল্লাহর কসম! না আমি জাহিলী যুগে ব্যভিচার করেছি, না ইসলাম গ্রহণের পর। আর যেদিন আল্লাহ আমাকে হিদায়াত দান করেছেন তখন হতে আমি কোন সময় ধর্ম ত্যাগের ইচ্ছাও করিনি। আর আমি কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যাও করিনি, তবুও তারা কেন আমাকে হত্যা করবে?
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিছেদঃ
কেউ মুসলমানদের দল থেকে বিচ্ছিন্ন হলে, তাকে হত্যা করা প্রসঙ্গে
৪০২০
أَخْبَرَنِي أَحْمَدُ بْنُ يَحْيَى الصُّوفِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ مَرْدَانِبَةَ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلَاقَةَ، عَنْ عَرْفَجَةَ بْنِ شُرَيْحٍ الْأَشْجَعِيِّ قَالَ: رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْمِنْبَرِ يَخْطُبُ النَّاسَ، فَقَالَ: «إِنَّهُ سَيَكُونُ بَعْدِي هَنَاتٌ وَهَنَاتٌ، فَمَنْ رَأَيْتُمُوهُ فَارَقَ الْجَمَاعَةَ، أَوْ يُرِيدُ يُفَرِّقُ أَمْرَ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَائِنًا مَنْ كَانَ فَاقْتُلُوهُ، فَإِنَّ يَدَ اللَّهِ عَلَى الْجَمَاعَةِ، فَإِنَّ الشَّيْطَانَ مَعَ مَنْ فَارَقَ الْجَمَاعَةَ يَرْكُضُ»
আরফাযা ইবন শুরায়হ্ আশজা‘ঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে মিম্বরের উপর লোকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে দেখেছি। তিনি বলছিলেনঃ আমার পরে অনেক ফিতনা দেখা দেবে, এসময় তোমরা যাকে দেখবে মুসলমানদের দল হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, অথবা উম্মতে মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চাইছে; সে যে-ই হোক না কেন, তাকে হত্যা করবে। কেননা আল্লাহ্ তা’আলার রহমতের হাত মুসলমানদের দলের উপর থাকবে। আর যে ব্যক্তি জামা’আত থেকে পৃথক হয়ে যায়, শয়তান তার সাথী হয় এবং তাকে লাথি মেরে তাড়িয়ে দেয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০২১
أَخْبَرَنَا أَبُو عَلِيٍّ مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الْمَرْوَزِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلَاقَةَ، عَنْ عَرْفَجَةَ بْنِ شُرَيْحٍ قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّهَا سَتَكُونُ بَعْدِي هَنَاتٌ وَهَنَاتٌ وَهَنَاتٌ – وَرَفَعَ يَدَيْهِ – فَمَنْ رَأَيْتُمُوهُ يُرِيدُ تَفْرِيقَ أَمْرِ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُمْ جَمِيعٌ، فَاقْتُلُوهُ كَائِنًا مَنْ كَانَ مِنَ النَّاسِ»
আরফাযা ইবন শুরায়হ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার পরে নিশ্চয়ই অনেক ফিতনা-ফাসাদ হবে। এরপর তিনি তাঁর হাত উঠিয়ে বললেনঃ তখন তোমরা যাকে দেখবে, উম্মতে মুহাম্মদীর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির ইচ্ছা করছে, অথচ তারা একতাবদ্ধ; তখন তোমরা তাকে হত্যা করবে, সে যে-ই হোক না কেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০২২
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ: حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ عِلَاقَةَ، عَنْ عَرْفَجَةَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «سَتَكُونُ بَعْدِي هَنَاتٌ، وَهَنَاتٌ، فَمَنْ أَرَادَ أَنْ يُفَرِّقَ أَمْرَ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُمْ جَمْعٌ فَاضْرِبُوهُ بِالسَّيْفِ»
আরফাযা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছিঃ আমার পরে অনেক ফিতনা দেখা দেবে। এ সময় যে কেউ মুহাম্মদের উম্মতের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করবে, অথচ তারা একতাবদ্ধ, তখন তোমরা তাকে তরবারি দিয়ে হত্যা করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০২৩
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ قُدَامَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلَاقَةَ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ شَرِيكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَيُّمَا رَجُلٍ خَرَجَ يُفَرِّقُ بَيْنَ أُمَّتِي، فَاضْرِبُوا عُنُقَهُ»
উসামা ইবন শরীক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমার উম্মতের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির তৎপরতা চালাবে, তার গর্দান উড়িয়ে দাও।
আয়াত- [আরবি] অর্থঃ যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং দুনিয়ায় ধ্বংসাত্মক কাজ করে বেড়ায়, তাদের শাস্তি এই যে– তাদের হত্যা করা হবে, অথবা ক্রুশবিদ্ধ করা হবে, বিপরীত দিক থেকে, তাদের হাত ও পা কেটে ফেলা হবে বা তাদের দেশ থেকে নির্বাসিত করা হবে (৫: ৩৩) –এর ব্যাখ্যা
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
- সরাসরি
৪০২৪
أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ حَجَّاجٍ الصَّوَّافِ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو رَجَاءٍ، مَوْلَى أَبِي قِلَابَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو قِلَابَةَ قَالَ: حَدَّثَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ نَفَرًا مِنْ عُكْلٍ ثَمَانِيَةً قَدِمُوا عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاسْتَوْخَمُوا الْمَدِينَةَ، وَسَقِمَتْ أَجْسَامُهُمْ، فَشَكَوْا ذَلِكَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «أَلَا تَخْرُجُونَ مَعَ رَاعِينَا فِي إِبِلِهِ، فَتُصِيبُوا مِنْ أَلْبَانِهَا وَأَبْوَالِهَا؟» قَالُوا: بَلَى، فَخَرَجُوا فَشَرِبُوا مِنْ أَلْبَانِهَا وَأَبْوَالِهَا، فَصَحُّوا، فَقَتَلُوا رَاعِيَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَبَعَثَ، فَأَخَذُوهُمْ، فَأُتِيَ بِهِمْ، فَقَطَّعَ أَيْدِيَهُمْ وَأَرْجُلَهُمْ وَسَمَّرَ أَعْيُنَهُمْ، وَنَبَذَهُمْ فِي الشَّمْسِ حَتَّى مَاتُوا
আনাস ইবন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আরবের উকল গোত্রের আট ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট উপস্থিত হলো। মদীনার আবহাওয়া তাদের অনুকূল হলো না, ফলে তারা রোগাক্রান্ত হয়ে পড়লো। তারা এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট অভিযোগ করলে তিনি বললেনঃ তোমরা আমাদের উটের রাখালের সাথে বাইরে যাবে এবং নিজেদের রোগের জন্য উটের মূত্র এবং দুধ পান করবে। তারা বললেনঃ হ্যাঁ। সুতরাং তারা গিয়ে উটের দুধ এবং পেশাব পান করলো এবং সুস্থ হয়ে গেল। পরে তারা রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর রাখালকে হত্যা করে উট নিয়ে পালিয়ে গেল। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের পেছনে লোক পাঠালেন। তারা তাদের ধরে আনলো। তিনি তাদের হাত-পা কেটে ফেললেন এবং গরম শলাকা দিয়ে তাদের চোখ অন্ধ করে দিলেন। এরপর তাদের রৌদ্রে ফেলে রাখলেন। ফলে এভাবে তারা মারা গেল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০২৫
أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ بْنِ سَعِيدِ بْنِ كَثِيرِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ الْوَلِيدِ، عَنْ الْأَوْزَاعِيِّ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَنَسٍ، «أَنَّ نَفَرًا مِنْ عُكْلٍ قَدِمُوا عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاجْتَوَوْا الْمَدِينَةَ، فَأَمَرَهُمُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَأْتُوا إِبِلَ الصَّدَقَةِ، فَيَشْرَبُوا مِنْ أَبْوَالِهَا وَأَلْبَانِهَا، فَفَعَلُوا فَقَتَلُوا رَاعِيَهَا وَاسْتَاقُوهَا، فَبَعَثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي طَلَبِهِمْ»، قَالَ: «فَأُتِيَ بِهِمْ، فَقَطَّعَ أَيْدِيَهُمْ وَأَرْجُلَهُمْ، وَسَمَّرَ أَعْيُنَهُمْ، وَلَمْ يَحْسِمْهُمْ وَتَرَكَهُمْ حَتَّى مَاتُوا»، فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: {إِنَّمَا جَزَاءُ الَّذِينَ يُحَارِبُونَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ} [المائدة: 33] الْآيَةَ
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উকল গোত্রের কয়েকজন লোক রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করে। কিন্তু মদীনার আবহাওয়া তাদের অনুকূল না হওয়ায় রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে সাদকার উটের কাছে যাওয়ার জন্য এবং উটের দুধ এবং পেশাব পান করার আদেশ দিলেন। তারা ঐরূপ করলো। পরে তারা রাখালকে হত্যা করে উট নিয়ে চলে গেল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের ধরে আনার জন্য লোক পাঠালেন। রাবী বলেনঃ তাদের আনার পর তাদের হাত-পা কেটে দিলেন, তাদের চোখ গরম শলাকা দিয়ে অন্ধ করে দিলেন। তাদের যখমের রক্ত বন্ধ করার জন্য ছেঁকা দিলেন না। বরং এভাবে তাদের ফেলে রাখলেন। ফলে তারা এভাবে মারা গেল। এরই প্রেক্ষিত আল্লাহ্ তা’আলা নাযিল করেনঃ [আরবি]।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০২৬
أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ قَالَ: حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ قَالَ: حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو قِلَابَةَ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَمَانِيَةُ نَفَرٍ مِنْ عُكْلٍ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ إِلَى قَوْلِهِ: لَمْ يَحْسِمْهُمْ وَقَالَ: قَتَلُوا الرَّاعِيَ
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন উকল গোত্রের আট ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর খিদমতে আগমন করলো। এরপর আগের হাদীসের মত বর্ণনার পর রাবী বলেনঃ তারা রাখালকে হত্যা করলো।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০২৭
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَفَرٌ مِنْ عُكْلٍ أَوْ عُرَيْنَةَ، فَأَمَرَ لَهُمْ – وَاجْتَوَوْا الْمَدِينَةَ – بِذَوْدٍ أَوْ لِقَاحٍ يَشْرَبُونَ أَلْبَانَهَا وَأَبْوَالَهَا، فَقَتَلُوا الرَّاعِيَ، وَاسْتَاقُوا الْإِبِلَ، فَبَعَثَ فِي طَلَبِهِمْ فَقَطَّعَ أَيْدِيَهُمْ وَأَرْجُلَهُمْ، وَسَمَّرَ أَعْيُنَهُمْ»
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উরায়না বা উকল গোত্র হতে একদল লোক রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর খিদমতে আসলে, তিনি তাদেরকে কয়েকটি উট অথবা উটনীর আদেশ করলেন, কারণ মদীনার আবহাওয়া তাদের অনুকূল ছিল না। তিনি তাদেরকে উটের দুধ এবং পেশাব পান করতে বললেন। তারা ঐ সকল উট নিয়ে গেল এবং রাখালকে হত্যা করলো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের সন্ধানে লোক পাঠালেন। পরে তিনি তাদের হাত-পা কেটে দিলেন এবং গরম শলাকার ছেঁকা দিয়ে চোখ অন্ধ করে দিলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিছেদঃ
হযরত আনাস ইবন মালিক (রাঃ) থেকে হুমায়দের বর্ণনায় তার ছাত্রদের মধ্যে পার্থক্য
৪০২৮
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، وَغَيْرُهُ، عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، «أَنَّ نَاسًا مِنْ عُرَيْنَةَ قَدِمُوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَاجْتَوَوْا الْمَدِينَةَ، فَبَعَثَهُمُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى ذَوْدٍ لَهُ، فَشَرِبُوا مِنْ أَلْبَانِهَا وَأَبْوَالِهَا، فَلَمَّا صَحُّوا، ارْتَدُّوا عَنِ الْإِسْلَامِ، وَقَتَلُوا رَاعِيَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُؤْمِنًا، وَاسْتَاقُوا الْإِبِلَ، فَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي آثَارِهِمْ، فَأُخِذُوا، فَقَطَّعَ أَيْدِيَهُمْ وَأَرْجُلَهُمْ، وَسَمَلَ أَعْيُنَهُمْ، وَصَلَبَهُمْ»
—
[حكم الألباني] صحيح دون قوله وصلبهم
আনাস ইবন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উরায়না গোত্রের কিছু লোক রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট আসলো। কিন্তু মদীনার আবহাওয়া তাদের অনুকূল হল না। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে তার একপাল উটনীর কাছে পাঠিয়ে দিলেন, তারা তাদের দুধ এবং পেশাব পান করল। তারা সুস্থ হওয়ার পর মুরতাদ হয়ে গেল এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর মু’মিন রাখালকে হত্যা করে উটগুলো নিয়ে গেল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের ধরে আনার জন্য লোক পাঠালেন। তাদের ধরে আনার পর তিনি তাদের হাত-পা কেটে দিলেন। তপ্ত শলাকার ছেঁকা দিয়ে তাদের চোখ অন্ধ করে দিলেন এবং তাদের শূলীবিদ্ধ করলেন।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
৪০২৯
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ قَالَ: أَنْبَأَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُنَاسٌ مِنْ عُرَيْنَةَ، فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْ خَرَجْتُمْ إِلَى ذَوْدِنَا فَكُنْتُمْ فِيهَا، فَشَرِبْتُمْ مِنْ أَلْبَانِهَا وَأَبْوَالِهَا» فَفَعَلُوا، فَلَمَّا صَحُّوا، قَامُوا إِلَى رَاعِي رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَتَلُوهُ، وَرَجَعُوا كُفَّارًا، وَاسْتَاقُوا ذَوْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَرْسَلَ فِي طَلَبِهِمْ، فَأُتِيَ بِهِمْ فَقَطَّعَ أَيْدِيَهُمْ وَأَرْجُلَهُمْ، وَسَمَلَ أَعْيُنَهُمْ
আনাস ইবন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ উরায়না গোত্রের কিছু লোক রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট আসলো। তিনি তাদের বললেন, তোমরা যদি আমাদের উটপালের কাছে যেতে এবং সেখানে থেকে তাদের দুধ ও পেশাব পান করতে! তারা তাই করল। তারা যখন আরোগ্য লাভ করল, তখন তারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর রাখালের কাছে গিয়ে হত্যা করল এবং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর উটগুলো নিয়ে গেল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের ধরে আনার জন্য লোক পাঠালেন। ধরে আনার পর তিনি তাদের হাত-পা কেটে দিলেন এবং গরম শলাকার ছেঁকা দিয়ে চোখ অন্ধ করে দিলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০৩০
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ قَالَ: حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَدِمَ نَاسٌ مِنْ عُرَيْنَةَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَاجْتَوَوْا الْمَدِينَةَ، فَقَالَ لَهُمُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْ خَرَجْتُمْ إِلَى ذَوْدِنَا، فَشَرِبْتُمْ مِنْ أَلْبَانِهَا» قَالَ: وَقَالَ قَتَادَةُ: «وَأَبْوَالِهَا»، فَخَرَجُوا إِلَى ذَوْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا صَحُّوا، كَفَرُوا بَعْدَ إِسْلَامِهِمْ، وَقَتَلُوا رَاعِيَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُؤْمِنًا، وَاسْتَاقُوا ذَوْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَانْطَلَقُوا مُحَارِبِينَ، فَأَرْسَلَ فِي طَلَبِهِمْ، فَأُخِذُوا، فَقَطَّعَ أَيْدِيَهُمْ وَأَرْجُلَهُمْ، وَسَمَّرَ أَعْيُنَهُمْ
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উরায়না গোত্রের কিছু লোক রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট আসলো। মদীনার আবহাওয়া তাদের অনুকূল না হওয়ায় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের বললেনঃ তোমরা যদি আমাদের উটের কাছে গিয়ে সেগুলোর দুধ ও পেশাব পান করতে, তবে ভাল হতো। তারা সেখানে গেল এবং সুস্থ হওয়ার পর মুরতাদ হয়ে গেল। আর তারা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর মু’মিন রাখালকে হত্যা করে উট নিয়ে গেল এবং তারা বিদ্রোহীরূপে ফিরে গেল। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের ধরে আনার জন্য লোক পাঠান। তাদের ধরে আনার পর তিনি তাদের হাত-পা কেটে দিলেন এবং তপ্ত শলাকায় ছেঁকা দিয়ে চোখ অন্ধ করে দিলেন। তিনি তাদের হাররা নামক স্থানে ফেলে রাখলেন এবং সেখানে এভাবেই তারা মারা গেল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০৩১
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عَدِيٍّ قَالَ: حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: أَسْلَمَ أُنَاسٌ مِنْ عُرَيْنَةَ، فَاجْتَوَوْا الْمَدِينَةَ فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْ خَرَجْتُمْ إِلَى ذَوْدٍ لَنَا، فَشَرِبْتُمْ مِنْ أَلْبَانِهَا» قَالَ حُمَيْدٌ وَقَالَ قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسٍ: «وَأَبْوَالِهَا»، فَفَعَلُوا، فَلَمَّا صَحُّوا، كَفَرُوا بَعْدَ إِسْلَامِهِمْ، وَقَتَلُوا رَاعِيَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُؤْمِنًا، وَاسْتَاقُوا ذَوْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهَرَبُوا مُحَارِبِينَ، فَأَرْسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ أَتَى بِهِمْ، فَأُخِذُوا، فَقَطَّعَ أَيْدِيَهُمْ وَأَرْجُلَهُمْ، وَسَمَّرَ أَعْيُنَهُمْ، وَتَرَكَهُمْ فِي الْحَرَّةِ حَتَّى مَاتُوا
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উরায়না গোত্রের কিছু লোক রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট আসলো। মদীনার আবহাওয়া তাদের অনুকূল না হওয়ায় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের বললেনঃ তোমরা যদি আমাদের উটের কাছে গিয়ে সেগুলোর দুধ, হুমায়দ বলেন, আনাস (রাঃ) থেকে কাতাদা বলেছেন, ‘এবং তার পেশাব’, পান করতে। তারা তাই করলো। কিন্তু সুস্থ হওয়ার পর তারা ইসলাম ত্যাগ করে কাফির হয়ে গেল। আর তারা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর মু’মিন রাখালকে হত্যা করে তাঁর উট নিয়ে গেল এবং তারা বিদ্রোহীরূপে পলায়ন করল। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের ধরে আনার জন্য লোক পাঠান। তাদের ধরে আনার পর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের হাত-পা কেটে দিলেন এবং গরম শলাকার ছেঁকা দিয়ে তাদের চোখ অন্ধ করে দিলেন। তিনি তাদের হাররা নামক স্থানে ফেলে রাখলেন এবং সেখানে এভাবেই তারা মারা গেল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০৩২
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ وَهُوَ ابْنُ زُرَيْعٍ قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ: حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، أَنَّ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ حَدَّثَهُمْ، أَنَّ نَاسًا أَوْ رِجَالًا مِنْ عُكْلٍ أَوْ عُرَيْنَةَ قَدِمُوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّا أَهْلُ ضَرْعٍ، وَلَمْ نَكُنْ أَهْلَ رِيفٍ، فَاسْتَوْخَمُوا الْمَدِينَةَ، «فَأَمَرَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَوْدٍ وَرَاعٍ، وَأَمَرَهُمْ أَنْ يَخْرُجُوا فِيهَا، فَيَشْرَبُوا مِنْ لَبَنِهَا وَأَبْوَالِهَا فَلَمَّا صَحُّوا، وَكَانُوا بِنَاحِيَةِ الْحَرَّةِ كَفَرُوا بَعْدَ إِسْلَامِهِمْ، وَقَتَلُوا رَاعِيَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَاسْتَاقُوا الذَّوْدَ، فَبَعَثَ الطَّلَبَ فِي آثَارِهِمْ، فَأُتِيَ بِهِمْ، فَسَمَّرَ أَعْيُنَهُمْ، وَقَطَّعَ أَيْدِيَهُمْ وَأَرْجُلَهُمْ، ثُمَّ تَرَكَهُمْ فِي الْحَرَّةِ عَلَى حَالِهِمْ حَتَّى مَاتُوا»
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উরায়না বা উকল গোত্রের কয়েকজন লোক রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এসে বললেনঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমরা পশুর মালিক, ক্ষেত-খামারের মালিক নই। মদীনার আবহাওয়া তাদের অনুকূল না হওয়ায় তিনি তাদেরকে কয়েকটি উটনী ও একজন রাখাল দেবার জন্য আদেশ দিলেন এবং তাদেরকে সেখানে যেতে বললেন এবং এগুলোর দুধ ও পেশাব পান করতে বললেন। যখন তারা সুস্থ হলো, তখন তারা ইসলাম ত্যাগ করে কাফির হয়ে গেল। তারা হাররা নামক স্থানে অবস্থান করছিল। সেখানে তারা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর রাখালকে হত্যা করে উটনী নিয়ে পালিয়ে গেল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের ধরে আনার জন্য লোক পাঠান। তাদের ধরে আনার পর, তিনি তাদের গরম শলাকা দ্বারা চোখ অন্ধ করে দেন এবং হাত-পা কেটে হাররা নামক স্থানে ফেলে রাখেন। এমনকি তারা সেখানেই মারা যায়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০৩৩
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، عَنْ عَبْدِ الْأَعْلَى، نَحْوَهُ
মুহম্মদ ইবন মুসান্না (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবদুল আ’লা (রহঃ) সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
৪০৩৪
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ نَافِعٍ أَبُو بَكْرٍ قَالَ: حَدَّثَنَا بَهْزٌ قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ قَالَ: حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، وَثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ نَفَرًا مِنْ عُرَيْنَةَ نَزَلُوا فِي الْحَرَّةِ، فَأَتَوْا النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَاجْتَوَوْا الْمَدِينَةَ، «فَأَمَرَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَكُونُوا فِي إِبِلِ الصَّدَقَةِ، وَأَنْ يَشْرَبُوا مِنْ أَلْبَانِهَا وَأَبْوَالِهَا، فَقَتَلُوا الرَّاعِيَ، وَارْتَدُّوا عَنِ الْإِسْلَامِ، وَاسْتَاقُوا الْإِبِلَ، فَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي آثَارِهِمْ، فَجِيءَ بِهِمْ، فَقَطَّعَ أَيْدِيَهُمْ وَأَرْجُلَهُمْ، وَسَمَّرَ أَعْيُنَهُمْ، وَأَلْقَاهُمْ فِي الْحَرَّةِ» قَالَ أَنَسٌ: «فَلَقَدْ رَأَيْتُ أَحَدَهُمْ يَكْدُمُ الْأَرْضَ بِفِيهِ عَطَشًا حَتَّى مَاتُوا»
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উরায়না গোত্রের কিছু লোক হাররা নামক স্থানে অবতরণ করে। পরে তারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিকট আসে। মদীনার আবহাওয়া তাদের অনুকূল হয়নি। তাই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে সাদকার উটের কাছে গিয়ে সেগুলোর দুধ ও পেশাব পান করার আদেশ দিলেন। পরে তারা রাখালকে হত্যা করে মুরতাদ হয়ে যায় এবং উট নিয়ে পালিয়ে যায়। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের সন্ধানে লোক পাঠান। তাদেরকে ধরে আনা হলে তিনি তাদের হাত-পা কেটে ফেলেন এবং গরম শলাকা দ্বারা তাদের চক্ষু অন্ধ করে দেন এবং হাররায় তাদের ফেলে রাখেন। আনাস (রাঃ) বলেনঃ আমি তাদের একজনকে দেখেছি পিপাসার কারণে নিজের মুখ মাটিতে ঘষছে, এভাবেই তারা মারা যায়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিছেদঃ
ইয়াহইয়া সা’ঈদ থেকে তালহা ইবন মুসাররিফ ও মুআবিয়ার মধ্যে এই হাদীসের বর্ণনাগত পার্থক্য
৪০৩৫
أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ وَهْبٍ قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو عَبْدِ الرَّحِيمِ قَالَ: حَدَّثَنِي زَيْدُ بْنُ أَبِي أُنَيْسَةَ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ مُصَرِّفٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَدِمَ أَعْرَابٌ مِنْ عُرَيْنَةَ إِلَى نَبِيِّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَسْلَمُوا، فَاجْتَوَوْا الْمَدِينَةَ حَتَّى اصْفَرَّتْ أَلْوَانُهُمْ، وَعَظُمَتْ بُطُونُهُمْ، «فَبَعَثَ بِهِمْ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى لِقَاحٍ لَهُ، فَأَمَرَهُمْ أَنْ يَشْرَبُوا مِنْ أَلْبَانِهَا وَأَبْوَالِهَا حَتَّى صَحُّوا، فَقَتَلُوا رُعَاتَهَا، وَاسْتَاقُوا الْإِبِلَ، فَبَعَثَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي طَلَبِهِمْ، فَأُتِيَ بِهِمْ، فَقَطَّعَ أَيْدِيَهُمْ وَأَرْجُلَهُمْ، وَسَمَّرَ أَعْيُنَهُمْ» قَالَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عَبْدُ الْمَلِكِ لِأَنَسٍ: وَهُوَ يُحَدِّثُهُ هَذَا الْحَدِيثَ، بِكُفْرٍ أَوْ بِذَنْبٍ؟ قَالَ: «بِكُفْرٍ»
আনাস ইবন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ উরায়নার কয়েকজন বেদুঈন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট উপস্থিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করলো। কিন্তু মদীনার আবহাওয়া তাদের অনুকূল না হওয়ায় তাদের রং হলদে হয়ে গেল এবং পেট ফুলে গেল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে দুধওয়ালা উটের নিকট পাঠান এবং সেগুলোর দুধ ও পেশাব পান করার আদেশ দেন। এভাবে তারা সুস্থ হয়ে যায়। এরপর তারা রাখালকে হত্যা করে উট নিয়ে পালিয়ে যায়। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের ধরে আনার জন্য লোক পাঠান। ধরে আনার পর তিনি তাদের হাত-পা কেটে ফেলেন এবং গরম শলাকা দ্বারা তাদের চক্ষু অন্ধ করে দেন। আমীরুল মু’মিনীন আবদুল মালিক আনাস (রাঃ) -কে জিজ্ঞাসা করলেন, যখন তিনি তাঁর কাছে এই হাদীস বর্ণনা করছিলেন- নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে এই শাস্তি তাদের কুফরীর কারণে, না অন্য কোন অপরাধের কারণে দিয়েছিলেন? তিনি বললেনঃ কুফরীর কারণে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০৩৬
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ قَالَ: أَنْبَأَنَا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: وَأَخْبَرَنِي يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَمُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ قَالَ: قَدِمَ نَاسٌ مِنَ الْعَرَبِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَسْلَمُوا، ثُمَّ مَرِضُوا، فَبَعَثَ بِهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى لِقَاحٍ لِيَشْرَبُوا مِنْ أَلْبَانِهَا، فَكَانُوا فِيهَا، ثُمَّ عَمَدُوا إِلَى الرَّاعِي غُلَامِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَتَلُوهُ، وَاسْتَاقُوا اللِّقَاحَ، فَزَعَمُوا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «اللَّهُمَّ عَطِّشْ مَنْ عَطَّشَ آلَ مُحَمَّدٍ اللَّيْلَةَ»، فَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي طَلَبِهِمْ، فَأُخِذُوا، فَقَطَّعَ أَيْدِيَهُمْ وَأَرْجُلَهُمْ، وَسَمَلَ أَعْيُنَهُمْ، وَبَعْضُهُمْ يَزِيدُ عَلَى بَعْضٍ، إِلَّا أَنَّ مُعَاوِيَةَ قَالَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ: «اسْتَاقُوا إِلَى أَرْضِ الشِّرْكِ»
সা’ঈদ ইবন মুসাইয়্যাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আরবের কিছু লোক রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এসে মুসলমান হলো, পরে তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে দুগ্ধবতী উটনীর নিকট পাঠিয়ে দিলেন, যাতে তারা দুধ পান করতে পারে। তারা সেখানে অবস্থান করতে লাগলো। পরে তারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর গোলাম রাখালকে হত্যা করে উটগুলোকে নিয়ে চলে গেল। লোকেরা বলে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ খবর শুনে বললেনঃ আল্লাহ! ঐ ব্যক্তিকে পিপাসায় কাতর রাখ, যে মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর পরিবারে লোককে সারা রাত পিপাসায় কাতর রেখেছে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পরে তাদের তালাশে লোক পাঠান। তারা ধৃত হলো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের হাত-পা কাটান, তাদের চোখ শলাকা দিয়ে অন্ধ করে দেন। বর্ণনাকারীদের মধ্যে কেউ কারও চেয়ে অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন। তবে মুয়াবিয়া (রাঃ) এই হাদীসে বলেনঃ তারা উটগুলোকে হাঁকিয়ে মুশরিকদের দেশে নিয়ে যায়।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৪০৩৭
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْخَلَنْجِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ سُعَيْرٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: «أَغَارَ قَوْمٌ عَلَى لِقَاحِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخَذَهُمْ فَقَطَّعَ أَيْدِيَهُمْ، وَأَرْجُلَهُمْ، وَسَمَلَ أَعْيُنَهُمْ»
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কিছু লোক রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর উটনী লুট করলো। তিনি তাদের ধরে আনেন, তাদের হাত-পা কাটান এবং তাদের চোখ অন্ধ করে দেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০৩৮
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ أَبِي الْوَزِيرِ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، ح وَأَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ قَالَ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَبِي الْوَزِيرِ قَالَ: حَدَّثَنَا الدَّرَاوَرْدِيُّ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، «أَنَّ قَوْمًا أَغَارُوا عَلَى لِقَاحِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأُتِيَ بِهِمُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَطَّعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيْدِيَهُمْ وَأَرْجُلَهُمْ، وَسَمَلَ أَعْيُنَهُمْ» اللَّفْظُ لِابْنِ الْمُثَنَّى “
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কিছু লোক রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর উটনী লুট করে নিয়ে গেল। তাদেরকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট ধরে আনা হল। তিনি তাদের হাত-পা কেটে দেন এবং গরম শলাকার ছেঁকা দিয়ে তাদের চোখ অন্ধ করে দেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০৩৯
أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ قَالَ: أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ «أَنَّ قَوْمًا أَغَارُوا عَلَى إِبِلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَطَّعَ أَيْدِيَهُمْ وَأَرْجُلَهُمْ، وَسَمَلَ أَعْيُنَهُمْ»
হিশাম (রহঃ) তাঁর পিতা থেকে থেকে বর্ণিতঃ
কয়েকজন লোক রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর উট লুট করে নিয়ে গেল। তিনি তাদের হাত-পা কেটে ফেলেন এবং গরম শলাকার ছেঁকা দিয়ে তাদের চোখ অন্ধ করে দেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
- সরাসরি
৪০৪০
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ قَالَ: أَنْبَأَنَا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: وَأَخْبَرَنِي يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَالِمٍ، وَسَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَذَكَرَ آخَرَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ قَالَ: «أَغَارَ نَاسٌ مِنْ عُرَيْنَةَ عَلَى لِقَاحِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَاسْتَاقُوهَا وَقَتَلُوا غُلَامًا لَهُ، فَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي آثَارِهِمْ، فَأُخِذُوا، فَقَطَّعَ أَيْدِيَهُمْ وَأَرْجُلَهُمْ، وَسَمَلَ أَعْيُنَهُمْ»
উরওয়া ইব্ন যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উরায়নার কিছু লোক রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর উটনী লুট করে নিয়ে যায় এবং তার গোলামকে হত্যা করে। তিনি তাদেরকে ধরে আনার জন্য লোক পাঠান। তারা ধৃত হলে তিনি তাদের হাত-পা কেটে ফেলেন এবং গরম শলাকার ছেঁকা দিয়ে অন্ধ করে দেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
- সরাসরি
৪০৪১
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلَالٍ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «وَنَزَلَتْ فِيهِمْ آيَةُ الْمُحَارَبَةِ»
আবদুল্লাহ ইব্ন উমর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ
বলেনঃ [আরবি]- যারা আল্লাহ্ ও রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তাদের শাস্তি [আরবি] (৫:৩৩) -এ আয়াত ঐ সকল লোকদের ব্যাপারে নাযিল হয়।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৪০৪২
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ قَالَ: أَنْبَأَنَا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي اللَّيْثُ، عَنْ ابْنِ عَجْلَانَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا قَطَّعَ الَّذِينَ سَرَقُوا لِقَاحَهُ، وَسَمَلَ أَعْيُنَهُمْ بِالنَّارِ، عَاتَبَهُ اللَّهُ فِي ذَلِكَ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى»: {إِنَّمَا جَزَاءُ الَّذِينَ يُحَارِبُونَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ} [المائدة: 33] الْآيَةَ كُلَّهَا
আবূ যিনাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের অর্থাৎ চোরদের হাত-পা কাটেন এবং আগুন দ্বারা চক্ষু অন্ধ করে দেন। তখন আল্লাহ্ তা’আলা তাঁকে মৃদু ভর্ৎসনা করে এই আয়াত নাযিল করেনঃ [আরবি]
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৪০৪৩
أَخْبَرَنَا الْفَضْلُ بْنُ سَهْلٍ الْأَعْرَجُ قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ غَيْلَانَ، ثِقَةٌ مَأْمُونٌ قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «إِنَّمَا سَمَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْيُنَ أُولَئِكَ، لِأَنَّهُمْ سَمَلُوا أَعْيُنَ الرُّعَاةِ»
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঐ সকল লোকের চোখ গরম শলাকার ছেঁকা দিয়ে অন্ধ করে দেন। কেননা তারা রাখালদের চোখ গরম শলাকার ছেঁকা দিয়ে অন্ধ করে দিয়েছিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০৪৪
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، وَالْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ قِرَاءَةً عَلَيْهِ، وَأَنَا أَسْمَعُ قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، «أَنَّ رَجُلًا مِنَ الْيَهُودِ قَتَلَ جَارِيَةً مِنَ الْأَنْصَارِ عَلَى حُلِيٍّ لَهَا، وَأَلْقَاهَا فِي قَلِيبٍ، وَرَضَخَ رَأْسَهَا بِالْحِجَارَةِ، فَأُخِذَ فَأَمَرَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُرْجَمَ حَتَّى يَمُوتَ»
আনাস ইব্ন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ইয়াহুদী এক আনসারীর কন্যাকে অলঙ্কারের লোভে হত্যা করে তাকে কূপে নিক্ষেপ করে এবং পাথর মেরে তার মাথা চূর্ণ করে দেয়। এরপর সে ধৃত হলে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে মৃত না হওয়া পর্যন্ত পাথর মারার নির্দেশ দেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০৪৫
أَخْبَرَنَا يُوسُفُ بْنُ سَعِيدٍ قَالَ: حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي مَعْمَرٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَنَسٍ، «أَنَّ رَجُلًا قَتَلَ جَارِيَةً مِنَ الْأَنْصَارِ عَلَى حُلِيٍّ لَهَا، ثُمَّ أَلْقَاهَا فِي قَلِيبٍ، وَرَضَخَ رَأْسَهَا بِالْحِجَارَةِ فَأَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُرْجَمَ حَتَّى يَمُوتَ»
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি এক আনসারীর কন্যাকে তার অলঙ্কারের লোভে হত্যা করে। তারপর সে তাকে কূপে নিক্ষেপ করে এবং তার মাথা চূর্ণ করে দেয়। পরে সে ধরা পড়লে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত পাথর মারার নির্দেশ দেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০৪৬
أَخْبَرَنَا زَكَرِيَّا بْنُ يَحْيَى قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: أَنْبَأَنِي عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ النَّحْوِيُّ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {إِنَّمَا جَزَاءُ الَّذِينَ يُحَارِبُونَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ} [المائدة: 33] الْآيَةَ قَالَ: «نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ فِي الْمُشْرِكِينَ، فَمَنْ تَابَ مِنْهُمْ قَبْلَ أَنْ يُقْدَرَ عَلَيْهِ، لَمْ يَكُنْ عَلَيْهِ سَبِيلٌ، وَلَيْسَتْ هَذِهِ الْآيَةُ لِلرَّجُلِ الْمُسْلِمِ فَمَنْ قَتَلَ، وَأَفْسَدَ فِي الْأَرْضِ، وَحَارَبَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ، ثُمَّ لَحِقَ بِالْكُفَّارِ قَبْلَ أَنْ يُقْدَرَ عَلَيْهِ لَمْ يَمْنَعْهُ ذَلِكَ أَنْ يُقَامَ فِيهِ الْحَدُّ الَّذِي أَصَابَ»
ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
বলেনঃ আয়াত [আরবি] মুশরিকদের সম্বন্ধে নাযিল হয়েছে। তাদের মধ্যে যে ধৃত হওয়ার পূর্বে তাওবা করে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। এই আয়াত মুসলমানদের জন্য নয়। যদি কেউ হত্যা করে অথবা যমীনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, আল্লাহ এবং রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং ধৃত হওয়ার পূর্বে কাফিরদের সাথে গিয়ে মিলিত হয়, তা হলে সে যেই শাস্তির উপযুক্ত হয়ে গেছে তা থেকে পরবর্তী সময়ের তওবা তাকে রক্ষা করতে পারবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিছেদঃ
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাটার নিষেধাজ্ঞা
৪০৪৭
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ قَالَ: حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَحُثُّ فِي خُطْبَتِهِ عَلَى الصَّدَقَةِ، وَيَنْهَى عَنِ الْمُثْلَةِ»
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর ভাষণে সাদকা দানের জন্য উদ্বুদ্ধ করতেন এবং মুসলা করা (অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেটে বিকৃত করা) থেকে নিষেধ করতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিছেদঃ
শূলে চড়ানো প্রসঙ্গে
৪০৪৮
أَخْبَرَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الدُّورِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ طَهْمَانَ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ رُفَيْعٍ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” لَا يَحِلُّ دَمُ امْرِئٍ مُسْلِمٍ إِلَّا بِإِحْدَى ثَلَاثِ خِصَالٍ: زَانٍ مُحْصَنٌ يُرْجَمُ، أَوْ رَجُلٌ قَتَلَ رَجُلًا مُتَعَمِّدًا فَيُقْتَلُ، أَوْ رَجُلٌ يَخْرُجُ مِنَ الْإِسْلَامِ يُحَارِبُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ وَرَسُولَهُ فَيُقْتَلُ أَوْ يُصْلَبُ أَوْ يُنْفَى مِنَ الْأَرْضِ “
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তিন অবস্থা ব্যতীত মুসলমানকে হত্যা করা বৈধ নয়ঃ (১ম) যদি কোন মুসলমান বিবাহ করার পর ব্যভিচারে লিপ্ত হয়, (২য়) ঐ ব্যক্তি যে কাউকে ইচ্ছা করে হত্যা করে তাকে হত্যা করা যাবে এবং (৩য়) ঐ ব্যক্তি যে দ্বীন ইসলাম পরিত্যাগ করে আল্লাহ ও রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হল, তাকে হত্যা করা হবে অথবা শূলে চড়ানো হবে বা দেশান্তর করা হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিছেদঃ
মুসলমানের দাস পালিয়ে মুশরিকদের নিকট গেলে এবং এ সম্পর্কে জারীর (রাঃ) বর্ণিত হাদিসে শা’বী থেকে বর্ণনাকারীদের মধ্যে শব্দগত পার্থক্য
৪০৪৯
أَخْبَرَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلَانَ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ قَالَ: أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ الشَّعْبِيِّ، عَنْ جَرِيرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا أَبَقَ الْعَبْدُ لَمْ تُقْبَلْ لَهُ صَلَاةٌ حَتَّى يَرْجِعَ إِلَى مَوَالِيهِ»
জারীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দাস যখন পালিয়ে যায়, তখন তার নামায ততক্ষণ পর্যন্ত কবূল হবে না, যতক্ষণ না সে স্বীয় মনিবের নিকট ফিরে আসবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪০৫০
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ قُدَامَةَ، عَنْ جَرِيرٍ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ الشَّعْبِيِّ قَالَ: كَانَ جَرِيرٌ يُحَدِّثُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ” إِذَا أَبَقَ الْعَبْدُ لَمْ تُقْبَلْ لَهُ صَلَاةٌ، وَإِنْ مَاتَ مَاتَ كَافِرًا، وَأَبَقَ غُلَامٌ لِجَرِيرٍ فَأَخَذَهُ فَضَرَبَ عُنُقَهُ
মুগীরা (রহঃ) শা’বী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ জারীর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করতেন যে, গোলাম যখন পালিয়ে যায়, তখন তার নামায কবূল হয় না। যদি সে এভাবে মৃত্যুবরণ করে, তবে সে কাফির হয়ে মরবে। জারীর (রাঃ) -এর এক গোলাম পালিয়ে গিয়েছিল। তিনি তাকে গ্রেফতার করার পর তার গর্দান উড়িয়ে দেন।
হাদিসের মানঃ শায
- সরাসরি
৪০৫১
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ قَالَ: حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى قَالَ: أَنْبَأَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ الشَّعْبِيِّ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: «إِذَا أَبَقَ الْعَبْدُ إِلَى أَرْضِ الشِّرْكِ، فَلَا ذِمَّةَ لَهُ»
জারীর ইবন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যখন কোন গোলাম মুশরিকদের এলাকায় পালিয়ে যায়, তখন তার জন্য আর কোন যিম্মাদারী থাকে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস