পরিচ্ছেদ
মৃত্যু কামনা করা
১৮১৮
أَخْبَرَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَتَمَنَّيَنَّ أَحَدٌ مِنْكُمُ الْمَوْتَ، إِمَّا مُحْسِنًا فَلَعَلَّهُ أَنْ يَزْدَادَ خَيْرًا، وَإِمَّا مُسِيئًا فَلَعَلَّهُ أَنْ يَسْتَعْتِبَ»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের কেউ কখনো মৃত্যু কামনা করবে না। কেননা সে যদি নেককার হয় তাহলে হয়ত তার নেকী আরো বৃদ্ধি পাবে। আর যদি সে বদকার হয় তাহলে সে তাওবার দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮১৯
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، قَالَ: حَدَّثَنِي الزُّبَيْدِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، عَنْ أَبِي عُبَيْدٍ، مَوْلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَتَمَنَّيَنَّ أَحَدُكُمُ الْمَوْتَ، إِمَّا مُحْسِنًا فَلَعَلَّهُ أَنْ يَعِيشَ يَزْدَادُ خَيْرًا وَهُوَ خَيْرٌ لَهُ، وَإِمَّا مُسِيئًا فَلَعَلَّهُ أَنْ يَسْتَعْتِبَ»
আবূ উবায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি আবূ হুরায়রা (রাঃ) কে বলতে শুনেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের কেউ কখনো মৃত্যু কামনা করবে না। কেননা সে যদি নেককার হয় তাহলে হয়ত সে জীবিত থেকে আরো নেকী বৃদ্ধি করতে পারবে, যা তার জন্য মঙ্গলজনক হবে। আর যদি সে বদকার হয় তাহলে হয়তো সে তাওবার দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮২০
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ وَهُوَ ابْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” لَا يَتَمَنَّيَنَّ أَحَدُكُمُ الْمَوْتَ لِضُرٍّ نَزَلَ بِهِ فِي الدُّنْيَا، وَلَكِنْ لِيَقُلْ: اللَّهُمَّ أَحْيِنِي مَا كَانَتِ الْحَيَاةُ خَيْرًا لِي، وَتَوَفَّنِي إِذَا كَانَتِ الْوَفَاةُ خَيْرًا لِي “
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের কেউ যেন কখনো পার্থিব বালা-মুসীবতে নিপতিত হওয়ার কারণে মৃত্যু কামনা না করে, বরং সে যেন বলে (আরবী)-
(“হে আল্লাহ! যতদিন আমার জীবিত থাকা মঙ্গলজনক হয়, ততদিন পর্যন্ত আপনি আমাকে জীবিত রাখুন, আর যখন আমার মৃত্যু মঙ্গলজনক হয় তখন আপনি আমাকে মৃত্যু দিন।”)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮২১
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ، ح وَأَنْبَأَنَا عِمْرَانُ بْنُ مُوسَى، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” أَلَا لَا يَتَمَنَّى أَحَدُكُمُ الْمَوْتَ لِضُرٍّ نَزَلَ بِهِ، فَإِنْ كَانَ لَا بُدَّ مُتَمَنِّيًا الْمَوْتَ فَلْيَقُلْ: اللَّهُمَّ أَحْيِنِي مَا كَانَتِ الْحَيَاةُ خَيْرًا لِي، وَتَوَفَّنِي مَا كَانَتِ الْوَفَاةُ خَيْرًا لِي “
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, সাবধান! তোমাদের কেউ যেন কখনো পার্থিব বালা-মুসীবতের সম্মুখীন হয়ে মৃত্যু কামনা না করে। একান্ত যদি মৃত্যু কামনা করতেই হয় তাহলে যেন বলে (আরবী)
(“হে আল্লাহ, আমার জীবিত থাকা যতদিন পর্যন্ত মঙ্গলজনক হয় ততদিন পর্যন্ত আপনি আমাকে জীবিত রাখুন, আর যখন আমার মৃত্যু মঙ্গলজনক হয়, তখন আপনি আমাকে মৃত্যু দিন।”)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মৃত্যুর দোয়া
১৮২২
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَفْصِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، قَالَ: حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ، عَنْ الْحَجَّاجِ وَهُوَ الْبَصْرِيُّ، عَنْ يُونُسَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” لَا تَدْعُوا بِالْمَوْتِ وَلَا تَتَمَنَّوْهُ، فَمَنْ كَانَ دَاعِيًا لَا بُدَّ فَلْيَقُلْ: اللَّهُمَّ أَحْيِنِي مَا كَانَتِ الْحَيَاةُ خَيْرًا لِي، وَتَوَفَّنِي إِذَا كَانَتِ الْوَفَاةُ خَيْرًا لِي “
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা মৃত্যুর দোয়া করবে না এবং তার কামনাও করবে না। একান্ত কাউকে যদি দোয়া করতেই হয় তাহলে সে যেন বলে, (আরবী)
(“হে আল্লাহ! আমার জীবিত থাকা যতদিন পর্যন্ত মঙ্গলজনক হয় ততদিন পর্যন্ত আপনি আমাকে জীবিত রাখুন, আর যখন আমার মৃত্যু মঙ্গলজনক হয় তখন আমাকে মৃত্যু দিন।”)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮২৩
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ، قَالَ: حَدَّثَنِي قَيْسٌ، قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى خَبَّابٍ وَقَدْ اكْتَوَى فِي بَطْنِهِ سَبْعًا وَقَالَ: «لَوْلَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَانَا أَنْ نَدْعُوَ بِالْمَوْتِ دَعَوْتُ بِهِ»
কায়স (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি খাব্বাব (রাঃ) এর কাছে উপস্থিত হলাম, তখন তাঁর পেটের সাত জায়গায় ক্ষত ছিল। তিনি বলেন, যদি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের মৃত্যুর দোয়া করতে বারণ না করতেন, তাহলে আমি মৃত্যুর দোয়া করতাম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মৃত্যুকে অধিক স্মরণ করা।
১৮২৪
أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، ح وأَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ، قَالَ: أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَكْثِرُوا ذِكْرَ هَاذِمِ اللَّذَّاتِ»،
الَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ: «مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ وَالِدُ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা মৃত্যুকে অধিক স্মরণ কর।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
১৮২৫
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، عَنْ يَحْيَى، عَنْ الْأَعْمَشِ، قَالَ: حَدَّثَنِي شَقِيقٌ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِذَا حَضَرْتُمُ الْمَرِيضَ فَقُولُوا خَيْرًا، فَإِنَّ الْمَلَائِكَةَ يُؤَمِّنُونَ عَلَى مَا تَقُولُونَ»، فَلَمَّا مَاتَ أَبُو سَلَمَةَ، قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَيْفَ أَقُولُ؟ قَالَ: «قُولِي اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَنَا وَلَهُ، وَأَعْقِبْنِي مِنْهُ عُقْبَى حَسَنَةً»، فَأَعْقَبَنِي اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ مِنْهُ مُحَمَّدًا صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, তোমরা যখন মৃত্যুমুখী মানুষের কাছে যাও তখন তার ভাল কর্মসমূহের আলোচনা করতে থাকো। কেননা ফেরেশতারা তোমাদের বলার উপর আমীন বলে থাকেন। যখন আবূ সালামা (রাঃ)-এর ইন্তিকাল হল, আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমি তাঁর সম্পর্কে কি রকম বাক্য ব্যবহার করব। তিনি বললেন, তুমি বলবেঃ (আরবী)
.
(“হে আল্লাহ, আপনি আমাদের এবং তাকে ক্ষমা করে দিন, এবং আপনি আমাকে তাঁর পরিবর্তে ভাল প্রতিদান দিন।”)। তাই, আল্লাহ তা’আলা আমাকে তাঁর পরিবর্তে রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে প্রতিদান স্বরুপ দিয়েছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মৃত্যুমুখী ব্যক্তিকে স্মরণ করিয়ে দেয়া।
১৮২৬
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، قَالَ: حَدَّثَنَا عُمَارَةُ بْنُ غَزِيَّةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عُمَارَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ، ح وَأَنْبَأَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عُمَارَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَقِّنُوا مَوْتَاكُمْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ»
আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা নিজেদের মৃত্যুমুখী ব্যক্তিদের (আরবী)…..স্মরণ করিয়ে দাও।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮২৭
أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ إِسْحَقَ، قَالَ: حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَنْصُورُ ابْنُ صَفِيَّةَ، عَنْ أُمِّهِ صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَقِّنُوا هَلْكَاكُمْ قَوْلَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ»
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা নিজেদের মৃত্যুমুখী ব্যক্তিদের (আরবী) স্মরণ করিয়ে দাও।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মৃত্যুমুখী মু’মিন ব্যক্তির লক্ষণ
১৮২৮
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ الْمُثَنَّى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَوْتُ الْمُؤْمِنِ بِعَرَقِ الْجَبِينِ»
আব্দুল্লাহর পিতা বুরায়দা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, মু’মিন ব্যক্তি ঘর্মাক্ত ললাটের সাথে মৃত্যুবরণ করে থাকে। (মৃত্যুর সময় ললাট ঘর্মাক্ত হওয়া মুমিনের আলামত)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮২৯
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَعْمَرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ يَعْقُوبَ، قَالَ: حَدَّثَنَا كَهْمَسٌ، عَنْ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «الْمُؤْمِنُ يَمُوتُ بِعَرَقِ الْجَبِينِ»
বুরায়দা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, মু’মিন ব্যক্তি ঘর্মাক্ত ললাটের সাথে মৃত্যুবরণ করে থাকে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মৃত্যু যন্ত্রণা
১৮৩০
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ الْهَادِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «مَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِنَّهُ لَبَيْنَ حَاقِنَتِي وَذَاقِنَتِي، فَلَا أَكْرَهُ شِدَّةَ الْمَوْتِ لِأَحَدٍ أَبَدًا بَعْدَ مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মৃত্যুকালীন সময়ে তাঁর মাথা আমার থুতনী এবং গলদেশের মাঝখানে ছিল। তাঁর মৃত্যু যন্ত্রণা দর্শনের পর আমি অন্য কারো মৃত্যু যন্ত্রণা খারাপ মনে করি না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
সোমবারের মৃত্যু
১৮৩১
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «آخِرُ نَظْرَةٍ نَظَرْتُهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَشْفُ السِّتَارَةِ وَالنَّاسُ صُفُوفٌ خَلْفَ أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَأَرَادَ أَبُو بَكْرٍ أَنْ يَرْتَدَّ، فَأَشَارَ إِلَيْهِمْ أَنِ امْكُثُوا وَأَلْقَى السِّجْفَ، وَتُوُفِّيَ مِنْ آخِرِ ذَلِكَ الْيَوْمِ، وَذَلِكَ يَوْمُ الِاثْنَيْنِ»
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার সর্বশেষ দৃষ্টিপাত যা আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি করেছিলাম তা ছিল তাঁর পর্দা উঠানোর সময়। তখন সাহাবীরা আবূ বকর (রাঃ)-এর পেছনে কাতার বন্দী সালাত আদায় করেছিলেন। পর্দা উঠানোর সময় আবূ বকর (রাঃ) পেছনে সরে আসার ইচ্ছা করলে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁদের প্রতি ইশারা করলেন যে, তোমরা স্থির থাক এবং পর্দা টেনে দিলেন। সে দিনের শেষ প্রহরেই তিনি ইন্তেকাল করেন। সে দিন ছিল সোমবার।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
নিজ জন্মস্থান ছাড়া অন্যত্র মৃত্যুবরণ করা
১৮৩২
أَخْبَرَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: أَنْبَأَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي حُيَيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: مَاتَ رَجُلٌ بِالْمَدِينَةِ مِمَّنْ وُلِدَ بِهَا، فَصَلَّى عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ قَالَ: «يَا لَيْتَهُ مَاتَ بِغَيْرِ مَوْلِدِهِ»، قَالُوا: وَلِمَ ذَاكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: «إِنَّ الرَّجُلَ إِذَا مَاتَ بِغَيْرِ مَوْلِدِهِ قِيسَ لَهُ مِنْ مَوْلِدِهِ إِلَى مُنْقَطَعِ أَثَرِهِ فِي الْجَنَّةِ»
আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মদীনায় জন্ম গ্রহণকারীদের মধ্য থেকে এক ব্যক্তি তথায় মারা গেলে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার জানাযা পড়ে বললেন, এ ব্যক্তি যদি তার জন্মস্থান ভিন্ন অন্যত্র মারা যেত! সাহাবীরা বললেন, কেন ইয়া রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! তিনি বললেন, কোন ব্যক্তি যদি স্বীয় জন্মস্থান ভিন্ন অন্যত্র মারা যায় তাহলে তার জন্মস্থান এবং মৃত্যু স্থানের মধ্যবর্তী দূরত্বের পরিমাপ করে জান্নাতে তাকে ততটুকু স্থান দেয়া হবে।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মু’মিন ব্যক্তি স্বীয় প্রাণ বহির্গত হওয়ার সময় যে সব অত্যাশ্চর্য দৃশ্য অবলোকন করে থাকে।
১৮৩৩
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ قَسَامَةَ بْنِ زُهَيْرٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” إِذَا حُضِرَ الْمُؤْمِنُ أَتَتْهُ مَلَائِكَةُ الرَّحْمَةِ بِحَرِيرَةٍ بَيْضَاءَ فَيَقُولُونَ: اخْرُجِي رَاضِيَةً مَرْضِيًّا عَنْكِ إِلَى رَوْحِ اللَّهِ، وَرَيْحَانٍ، وَرَبٍّ غَيْرِ غَضْبَانَ، فَتَخْرُجُ كَأَطْيَبِ رِيحِ الْمِسْكِ، حَتَّى أَنَّهُ لَيُنَاوِلُهُ بَعْضُهُمْ بَعْضًا، حَتَّى يَأْتُونَ بِهِ بَابَ السَّمَاءِ فَيَقُولُونَ: مَا أَطْيَبَ هَذِهِ الرِّيحَ الَّتِي جَاءَتْكُمْ مِنَ الْأَرْضِ، فَيَأْتُونَ بِهِ أَرْوَاحَ الْمُؤْمِنِينَ فَلَهُمْ أَشَدُّ فَرَحًا بِهِ مِنْ أَحَدِكُمْ بِغَائِبِهِ يَقْدَمُ عَلَيْهِ، فَيَسْأَلُونَهُ: مَاذَا فَعَلَ فُلَانٌ؟ مَاذَا فَعَلَ فُلَانٌ؟ فَيَقُولُونَ: دَعُوهُ فَإِنَّهُ كَانَ فِي غَمِّ الدُّنْيَا، فَإِذَا قَالَ: أَمَا أَتَاكُمْ؟ قَالُوا: ذُهِبَ بِهِ إِلَى أُمِّهِ الْهَاوِيَةِ، وَإِنَّ الْكَافِرَ إِذَا احْتُضِرَ أَتَتْهُ مَلَائِكَةُ الْعَذَابِ بِمِسْحٍ فَيَقُولُونَ: اخْرُجِي سَاخِطَةً مَسْخُوطًا عَلَيْكِ إِلَى عَذَابِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، فَتَخْرُجُ كَأَنْتَنِ رِيحِ جِيفَةٍ، حَتَّى يَأْتُونَ بِهِ بَابَ الْأَرْضِ، فَيَقُولُونَ: مَا أَنْتَنَ هَذِهِ الرِّيحَ حَتَّى يَأْتُونَ بِهِ أَرْوَاحَ الْكُفَّارِ “
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, মু’মিন ব্যক্তি যখন মৃত্যুর সম্মুখীন হয় তখন তার কাছে একদল রহমতের ফেরেশতা সাদা রেশমী কাপড় নিয়ে এসে (তার) আত্মাকে উদ্দেশ্য করে বলতে থাকেন, “তুমি আল্লাহর তা’আলার রহমত এবং সন্তুষ্টির পানে বের হয়ে আস আল্লাহ তা’আলা তোমার উপর রুষ্ট নন; তুমি তাঁর উপর সন্তুষ্ট, তিনিও তোমার উপর সন্তুষ্ট। তখন আত্মা মেশকের সুঘ্রাণ অপেক্ষাও অধিক সুঘ্রান ছড়াতে ছড়াতে বের হয়ে আসে। যখন ফেরেশতাগণ সম্মানের খাতিরে আত্মাকে পর্যায়ক্রমে একজনের হাত থেকে অন্যজনের হাতে দিয়ে আসমানের দরজায় নিয়ে আসেন তখন তথাকার ফেরেশতাগণ বলতে থাকেন, “এ সুগন্ধি কত না উত্তম! যা তোমরা পৃথিবী থেকে নিয়ে আসলে। আর তাঁরা তাকে মু’মিনদের রুহসমূহের কাছে নিয়ে যান। তোমাদের কেউ প্রবাস থেকে আসলে তোমরা যেরূপ আনন্দিত হও, মু’মিনদের রূহও ঐ নবাগত রূহকে পেয়ে ততোধিক আনন্দিত হয়। মু’মিনদের রূহ নবাগত রূহকে জিজ্ঞাসা করে যে, অমুক ব্যক্তি দুনিয়াতে কি কাজ করেছে? অমুক ব্যক্তি দুনিয়াতে কি কাজ করেছে? তখন ফেরেশতারা বলেন, তার সম্পর্কে তোমরা কি জিজ্ঞাসা করবে? সে দুনিয়ার চিন্তা-ভাবনায় ছিল। যখন নবাগত রূহ বলেঃ সে কি তোমাদের কাছে আসেনি? তখন আসমানের ফেরেশতারা বলেনঃ তাকে তার বাসস্থান হাবিয়াতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর কাফির যখন তার মৃত্যুর সম্মুখীন হয় তখন তার কাছে আযাবের ফেরেশতারা চটের ছালা নিয়ে আগমন করে এবং আত্মাকে উদ্দেশ্য করে বলে থাকে, “তুমি আল্লাহ তা’আলার আযাবের পানে বের হয়ে আস, তুমিও আল্লাহ তা’আলার উপর অসন্তুষ্ট, আল্লাহ তা’আলাও তোমার উপর অসুন্তষ্ট।” তখন সে মুর্দারের দুর্গন্ধ থেকেও অধিকতর দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে বের হয়ে আসে। যখন ফেরেশতারা তাকে নিয়ে দুনিয়ার আসমানের দরজায় পৌছে তখন তথাকার ফেরেশতারা বলতে থাকেঃ এ কি দুর্গন্ধ! এরপর ফেরেশতারা তাকে কাফিরদের আত্মাসমূহের কাছে নিয়ে যায়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
যে ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলার সাথে সাক্ষাৎ পছন্দ করে
১৮৩৪
أَخْبَرَنَا هَنَّادٌ، عَنْ أَبِي زُبَيْدٍ وَهُوَ عَبْثَرُ بْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ شُرَيْحِ بْنِ هَانِئٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَحَبَّ لِقَاءَ اللَّهِ أَحَبَّ اللَّهُ لِقَاءَهُ، وَمَنْ كَرِهَ لِقَاءَ اللَّهِ كَرِهَ اللَّهُ لِقَاءَهُ»، قَالَ شُرَيْحٌ: فَأَتَيْتُ عَائِشَةَ، فَقُلْتُ: يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ، سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَذْكُرُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدِيثًا إِنْ كَانَ كَذَلِكَ فَقَدْ هَلَكْنَا، قَالَتْ: وَمَا ذَاكَ؟ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَحَبَّ لِقَاءَ اللَّهِ أَحَبَّ اللَّهُ لِقَاءَهُ، وَمَنْ كَرِهَ لِقَاءَ اللَّهِ كَرِهَ اللَّهُ لِقَاءَهُ»، وَلَكِنْ لَيْسَ مِنَّا أَحَدٌ إِلَّا وَهُوَ يَكْرَهُ الْمَوْتَ، قَالَتْ: «قَدْ قَالَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَيْسَ بِالَّذِي تَذْهَبُ إِلَيْهِ، وَلَكِنْ إِذَا طَمَحَ الْبَصَرُ، وَحَشْرَجَ الصَّدْرُ، وَاقْشَعَرَّ الْجِلْدُ فَعِنْدَ ذَلِكَ مَنْ أَحَبَّ لِقَاءَ اللَّهِ أَحَبَّ اللَّهُ لِقَاءَهُ، وَمَنْ كَرِهَ لِقَاءَ اللَّهِ كَرِهَ اللَّهُ لِقَاءَهُ»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলার সাথে সাক্ষাৎ পছন্দ করে আল্লাহ্ তা’আলাও তার সাথে সাক্ষাৎ পছন্দ করেন, আর যে ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলার সাথে সাক্ষাৎ অপছন্দ করে আল্লাহ তা’আলাও তার সাথে সাক্ষাৎ অপছন্দ করেন। রাবী সুরায়হ (রহঃ) বলেন, আমি আয়েশা (রাঃ)-এর কাছে এসে তাঁকে বললাম, হে উম্মুল মু’মিনীন, আমি আবূ হুরায়রা (রাঃ)–কে রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে একটি হাদীস উল্লেখ করতে শুনেছি; উক্ত হাদীসের বর্ণনা যদি সঠিক হয়ে থাকে তাহলে আমরা তো নিশ্চিতরূপে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে যাব। আয়েশা (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলেন, কেন? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলার সাথে সাক্ষাৎ পছন্দ করে আল্লাহ তা’আলাও তার সাথে সাথে সাক্ষাৎ পছন্দ করেন, আর যে ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলার সাথে সাক্ষাৎ অপছন্দ করে আল্লাহ তা’আলাও তার সাথে সাক্ষাৎ অপছন্দ করেন।” অথচ আমাদের সবাই মৃত্যুকে অপছন্দ করে থাকে। আয়েশা (রাঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উক্ত হাদিস ঠিকই বলেছেন, কিন্তু তার অর্থ তুমি যা বুঝেছো তা নয়, বরং যখন দৃষ্টি উধ্বমুখী হয়ে যায়, হৃদকম্পন শুরু হয়ে যায়, এবং পশমসমূহ দাঁড়িয়ে যায় (শরীর রোমান্ঞ্ছিত হয়ে ওঠে) ঐ সংকটময় মুহূর্তে যে ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলার সাথে সাক্ষাৎ পছন্দ করে আল্লাহ্ তা’আলাও তার সাথে সাক্ষাৎ পছন্দ করেন, আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্ তা’আলার সাথে সাক্ষাৎ অপছন্দ করে আল্লাহ্ তা’আলাও তার সাথে সাক্ষাৎ অপছন্দ করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮৩৫
قَالَ الْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ، عَنْ ابْنِ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنِي مَالِكٌ، ح وَأَنْبَأَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: إِذَا أَحَبَّ عَبْدِي لِقَائِي أَحْبَبْتُ لِقَاءَهُ، وَإِذَا كَرِهَ لِقَائِي كَرِهْتُ لِقَاءَهُ “
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “আল্লাহ্ তা’আলা বলেন, যখন আমার বান্দা আমার সাথে সাক্ষাৎ পছন্দ করে, আমিও তার সাথে সাক্ষাৎ পছন্দ করি। আর যখন সে আমার সাথে সাক্ষাৎ অপছন্দ করে আমিও তার সাথে সাক্ষাৎ অপছন্দ করি।”
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮৩৬
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسًا يُحَدِّثُ، عَنْ عُبَادَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ أَحَبَّ لِقَاءَ اللَّهِ أَحَبَّ اللَّهُ لِقَاءَهُ، وَمَنْ كَرِهَ لِقَاءَ اللَّهِ كَرِهَ اللَّهُ لِقَاءَهُ»
উবাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ্ তা’আলার সাথে সাক্ষাৎ পছন্দ করে আল্লাহ্ তা’আলাও তার সাথে সাক্ষাৎ পছন্দ করেন, আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্ তা’আলার সাথে সাক্ষাৎ অপছন্দ করে আল্লাহ্ও তার সাথে সাক্ষাৎ অপছন্দ করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮৩৭
أَخْبَرَنَا أَبُو الْأَشْعَثِ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبِي يُحَدِّثُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَحَبَّ لِقَاءَ اللَّهِ أَحَبَّ اللَّهُ لِقَاءَهُ، وَمَنْ كَرِهَ لِقَاءَ اللَّهِ كَرِهَ اللَّهُ لِقَاءَهُ»
উবাদাহ ইব্ন সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ্ তা’আলার সাথে সাক্ষাৎ পছন্দ করে, আল্লাহ্ তা’আলাও তার সাথে সাক্ষাৎ পছন্দ করেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্ তা’আলার সাথে সাক্ষাতকে অপছন্দ করে আল্লাহ্ তা’আলাও তার সাথে সাক্ষাতকে অপছন্দ করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮৩৮
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْأَعْلَى، قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، ح وأَخْبَرَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، عَنْ خَالِدِ بْنِ الْحَارِثِ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ أَحَبَّ لِقَاءَ اللَّهِ أَحَبَّ اللَّهُ لِقَاءَهُ، وَمَنْ كَرِهَ لِقَاءَ اللَّهِ كَرِهَ اللَّهُ لِقَاءَهُ» زَادَ عَمْرٌو فِي حَدِيثِهِ، فَقِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَرَاهِيَةُ لِقَاءِ اللَّهِ كَرَاهِيَةُ الْمَوْتِ، كُلُّنَا نَكْرَهُ الْمَوْتَ، قَالَ: «ذَاكَ عِنْدَ مَوْتِهِ، إِذَا بُشِّرَ بِرَحْمَةِ اللَّهِ وَمَغْفِرَتِهِ أَحَبَّ لِقَاءَ اللَّهِ وَأَحَبَّ اللَّهُ لِقَاءَهُ، وَإِذَا بُشِّرَ بِعَذَابِ اللَّهِ كَرِهَ لِقَاءَ اللَّهِ وَكَرِهَ اللَّهُ لِقَاءَهُ»
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ্ তা’আলার সাথে সাক্ষাৎ পছন্দ করে আল্লাহ্ তা’আলা ও তার সাথে সাক্ষাৎ পছন্দ করেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্ তা’আলার সাথে সাক্ষাৎ অপছন্দ করে, আল্লাহ্ তা’আলাও তার সাথে সাক্ষাৎ অপছন্দ করেন। আমর (রহঃ) তাঁর হাদীসে এ অংশটুকু বৃদ্ধি করেছেন। বলা হল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আল্লাহ্ তা’আলার সাথে সাক্ষাৎ অপছন্দ করাতো মৃত্যুকে অপছন্দ করা অথচ আমরা সকলেই তো মৃত্যুকে অপছন্দ করে থাকি। তিনি বললেন, এ হল তার মৃত্যুকালীন অবস্থা, যখন তাকে আল্লাহ্ তা’আলার মাগফিরাত এবং রহমতের সুসংবাদ দেয়া হয়, তখন সে আল্লাহ্র তা’আলার সাথে সাক্ষৎ পছন্দ করে আর আল্লাহ তা’আলাও তার সাথে সাক্ষাৎ পছন্দ করেন। আর যখন তাকে আল্লাহ্ তা’আলার আযাবের দুঃসংবাদ দেয়া হয়, তখন সে আল্লাহ্ তা’আলার সাথে সাক্ষাৎ অপছন্দ করে আর আল্লাহ্ তা’আলাও তার সাথে সাক্ষাৎ অপছন্দ করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মৃত ব্যক্তিকে চুমু দেয়া
১৮৩৯
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرٍو، قَالَ: أَنْبَأَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ أَبَا بَكْرٍ، «قَبَّلَ بَيْنَ عَيْنَيِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ مَيِّتٌ»
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে, আবূ বক্র (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চক্ষুদ্বয়ের মাঝখানে চুমু দিয়েছিলেন, তখন তিনি ছিলেন মৃত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮৪০
أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَا: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، قَالَ: حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ أَبِي عَائِشَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَعَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ أَبَا بَكْرٍ «قَبَّلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ مَيِّتٌ»
ইব্ন আব্বাস এবং আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ বক্র (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –কে চুমু দিয়েছিলেন, তখন তিনি ছিলেন মৃত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮৪১
أَخْبَرَنَا سُوَيْدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، قَالَ: قَالَ مَعْمَرٌ، وَيُونُسُ، قَالَ الزُّهْرِيُّ، وَأَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ، أَنَّ عَائِشَةَ أَخْبَرَتْهُ، أَنَّ أَبَا بَكْرٍ أَقْبَلَ عَلَى فَرَسٍ مِنْ مَسْكَنِهِ بِالسُّنُحِ حَتَّى نَزَلَ، فَدَخَلَ الْمَسْجِدَ فَلَمْ يُكَلِّمِ النَّاسَ حَتَّى دَخَلَ عَلَى عَائِشَةَ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُسَجًّى بِبُرْدٍ حِبَرَةٍ فَكَشَفَ عَنْ وَجْهِهِ، ثُمَّ أَكَبَّ عَلَيْهِ فَقَبَّلَهُ، فَبَكَى، ثُمَّ قَالَ: «بَأبِى أَنْتَ، وَاللَّهِ لَا يَجْمَعُ اللَّهُ عَلَيْكَ مَوْتَتَيْنِ أَبَدًا أَمَّا الْمَوْتَةُ الَّتِي كَتَبَ اللَّهُ عَلَيْكَ فَقَدْ مِتَّهَا»
আবূ সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আয়েশা (রাঃ) তাঁকে অবহিত করেছেন যে, আবূ বক্র (রাঃ) তাঁর “সুনহা” নামক স্থানের বাসস্থান থেকে একটি ঘোড়ার আরোহণ করে এসে অবতরণ করলেন এবং মসজিদে প্রবেশ করলেন, তিনি কারো সাথে কোন কথাবার্তা না বলে আয়েশা (রাঃ)-এর কাছে গেলেন। তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইয়ামানী চাদরে ঢাকা ছিলেন। তিনি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মুখমণ্ডল থেকে তা খুলে ফেলে ঝুঁকে পড়ে তাঁকে চুমু খেলেন এবং কাঁদতে কাঁদতে বলতে লাগলেনঃ আপনার উপর আমার মাতা-পিতা কুরবান হোক, আল্লাহ্র শপথ! আল্লাহ্ তা’আলা আপনাকে কখনো দু’বার মৃত্যু দান করবেন না। যে মৃত্যু আপনার জন্য নির্ধারিত ছিল তা আপনি বরণ করে নিয়েছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মৃত ব্যক্তিকে ঢেকে দেয়া
১৮৪২
أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ الْمُنْكَدِرِ، يَقُولُ: سَمِعْتُ جَابِرًا يَقُولُ: جِيءَ بَأبِي يَوْمَ أُحُدٍ وَقَدْ مُثِّلَ بِهِ، فَوُضِعَ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ سُجِّيَ بِثَوْبٍ، فَجَعَلْتُ أُرِيدُ أَنْ أَكْشِفَ عَنْهُ، فَنَهَانِي قَوْمِي، فَأَمَرَ بِهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرُفِعَ، فَلَمَّا رُفِعَ سَمِعَ صَوْتَ بَاكِيَةٍ، فَقَالَ: «مَنْ هَذِهِ؟» فَقَالُوا: هَذِهِ بِنْتُ عَمْرٍو أَوْ أُخْتُ عَمْرٍو، قَالَ: «فَلَا تَبْكِي أَوْ فَلِمَ تَبْكِي مَا زَالَتِ الْمَلَائِكَةُ تُظِلُّهُ بِأَجْنِحَتِهَا حَتَّى رُفِعَ»
ইব্ন মুনকাদির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি জাবির (রাঃ) –কে বলতে শুনেছি যে, উহুদের জিহাদের দিন আমার পিতাকে আনা হল, তখন তাঁর দেহ ছিল বিকৃত অবস্থায়। তাঁকে চাদর দ্বারা ঢাকা অবস্থায় রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর সামনে রাখা হল। আমি তাঁর চাদর খুলতে চাইলে আমার গোত্রের লোকেরা আমাকে বারন করল। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আদেশ করলেন তা খোলা হল, যখন খোলা হল তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন ক্রন্দনকারী মহিলার আওয়াজ শুনে জিজ্ঞাসা করলেন, এ কে? লোকেরা বলল, এ আমরের মেয়ে বা বোন হবে তিনি বললেন, তুমি ক্রন্দন করো না অথবা (তিনি বললেন) তুমি ক্রন্দন কেন করছ? ফেরেশতারা তাঁকে উঠিয়ে নেয়া পর্যন্ত সর্বক্ষন স্বীয় পাখা দ্বারা ছায়া প্রদান করছিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মৃত ব্যক্তির জন্য ক্রন্দন করা
১৮৪৩
أَخْبَرَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو الْأَحْوَصِ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: لَمَّا حُضِرَتْ بِنْتٌ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَغِيرَةٌ فَأَخَذَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَضَمَّهَا إِلَى صَدْرِهِ، ثُمَّ وَضَعَ يَدَهُ عَلَيْهَا فَقَضَتْ وَهِيَ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَبَكَتْ أُمُّ أَيْمَنَ، فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا أُمَّ أَيْمَنَ، أَتَبْكِينَ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَكِ»، فَقَالَتْ: مَا لِي لَا أَبْكِي وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَبْكِي، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنِّي لَسْتُ أَبْكِي، وَلَكِنَّهَا رَحْمَةٌ»، ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُؤْمِنُ بِخَيْرٍ عَلَى كُلِّ حَالٍ تُنْزَعُ نَفْسُهُ مِنْ بَيْنِ جَنْبَيْهِ وَهُوَ يَحْمَدُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ»
ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর ছোট মেয়ের মৃত্যুর সময় উপস্থিত হল, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে উঠিয়ে নিয়ে বক্ষের সাথে মিলালেন। তারপর নিজের হাত উপর রাখলেন। এরপর তার মৃত্যু হয়ে গেল আর সে তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর সামনে ছিল। উম্মে আয়মান কেঁদে উঠলে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বললেন “হে উম্মে আয়মান, তুমি কাঁদছো অথচ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তোমার সামনে উপস্থিত রয়েছেন?” তিনি বললেন, “আমি কেন কাঁদব না যখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্বয়ং কাঁদছেন? রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমি সেচ্ছায় কাঁদছি না বরং যে অশ্রু তুমি দেখছ তা হল আল্লাহ্ তা’আলার রহমত বিশেষ। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, মু’মিন সর্বাবস্থায় ভাল থাকে, তার পার্শ্বদ্বয় থেকে আত্মা বের করা হয় অথচ তখনও সে আল্লাহ্ তা’আলার প্রশংসা করতে থাকে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮৪৪
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ فَاطِمَةَ بَكَتْ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ مَاتَ فَقَالَتْ: «يَا أَبَتَاهُ مِنْ رَبِّهِ مَا أَدْنَاهُ، يَا أَبَتَاهُ إِلَى جِبْرِيلَ نَنْعَاهْ، يَا أَبَتَاهُ جَنَّةُ الْفِرْدَوْسِ مَأْوَاهُ»
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ফাতিমা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ইন্তিকালে এরূপ ক্রন্দন করেছিলেন এবং বলেছিলেনঃ “হে আমার পিতা! কোন্ বস্তু তাঁকে তাঁর পরওয়ারদিগারের অতি নিকটবর্তী করেছে? হে আমার পিতা! আমরা জিবরাঈল (আ)-এর নিকট তাঁর মৃত্যু শোক প্রকাশ করছি। হে আমার পিতা! জান্নাতুল ফিরদাউস যাঁর বাসস্থান।”
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮৪৫
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ يَزِيدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا بَهْزُ بْنُ أَسَدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ أَبَاهُ قُتِلَ يَوْمَ أُحُدٍ قَالَ: فَجَعَلْتُ أَكْشِفُ عَنْ وَجْهِهِ وَأَبْكِي، وَالنَّاسُ يَنْهَوْنِي، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَنْهَانِي، وَجَعَلَتْ عَمَّتِي تَبْكِيهِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَبْكِيهِ مَا زَالَتِ الْمَلَائِكَةُ تُظِلُّهُ بِأَجْنِحَتِهَا حَتَّى رَفَعْتُمُوهُ»
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে তাঁর পিতা উহুদের জিহাদের দিনে শহীদ হয়ে গিয়েছিলেন, আমি তাঁর মুখমণ্ডল থেকে কাপড় সরিয়ে ফেলছিলাম এবং ক্রন্দন করছিলাম, আর লোকেরা আমাকে বারণ করছিল কিন্তু রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বারণ করছিলেন না, আমার ফুফুও তাঁর জন্য ক্রন্দন করছিলেন। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তুমি তাঁর জন্য ক্রন্দন করো না, যেহেতু তোমরা তাঁকে উঠিয়ে নেওয়া অবধি ফেরেশতারা তাঁকে স্বীয় ডানা দ্বারা ছায়া দিচ্ছিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মৃতের জন্য ক্রন্দনের নিষেধাজ্ঞা
১৮৪৬
أَخْبَرَنَا عُتْبَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، قَالَ: قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَابِرِ بْنِ عَتِيكٍ، أَنَّ عَتِيكَ بْنَ الْحَارِثِ، وَهُوَ جَدُّ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَبُو أُمِّهِ أَخْبَرَهُ، أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَتِيكٍ أَخْبَرَهُ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَاءَ يَعُودُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ ثَابِتٍ فَوَجَدَهُ قَدْ غُلِبَ عَلَيْهِ، فَصَاحَ بِهِ، فَلَمْ يُجِبْهُ فَاسْتَرْجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ: «قَدْ غُلِبْنَا عَلَيْكَ أَبَا الرَّبِيعِ»، فَصِحْنَ النِّسَاءُ وَبَكَيْنَ، فَجَعَلَ ابْنُ عَتِيكٍ يُسَكِّتُهُنَّ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «دَعْهُنَّ فَإِذَا وَجَبَ فَلَا تَبْكِيَنَّ بَاكِيَةٌ»، قَالُوا: وَمَا الْوُجُوبُ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: «الْمَوْتُ»، قَالَتِ ابْنَتُهُ: إِنْ كُنْتُ لَأَرْجُو أَنْ تَكُونَ شَهِيدًا قَدْ كُنْتَ قَضَيْتَ جِهَازَكَ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ قَدْ أَوْقَعَ أَجْرَهُ عَلَيْهِ عَلَى قَدْرِ نِيَّتِهِ، وَمَا تَعُدُّونَ الشَّهَادَةَ؟» قَالُوا: الْقَتْلُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” الشَّهَادَةُ سَبْعٌ سِوَى الْقَتْلِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ: الْمَطْعُونُ شَهِيدٌ، وَالْمَبْطُونُ شَهِيدٌ، وَالْغَرِيقُ شَهِيدٌ، وَصَاحِبُ الْهَدَمِ شَهِيدٌ، وَصَاحِبُ ذَاتِ الْجَنْبِ شَهِيدٌ، وَصَاحِبُ الْحَرَقِ شَهِيدٌ، وَالْمَرْأَةُ تَمُوتُ بِجُمْعٍ شَهِيدَةٌ “
জাবির ইব্ন আতীক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আব্দুল্লাহ ইব্ন সাবিত (রাঃ)-এর শুশ্রুষার জন্য জন্য গিয়ে দেখতে পেলেন যে, তাঁর মৃত্যু আসন্ন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে উচ্চ স্বরে ডেকেও তাঁর কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে (আরবী) পড়লেন এবং বললেন, হে আবূ রবী‘! আমাদের সম্মুখে তোমার উপর আল্লাহ্ তা‘আলার হুকুম বিজয়ী হতে যাচ্ছে (তুমি মৃত্যু বরণ করেছ)। একথা শুনে কিছু মহিলা উচ্চ স্বরে ক্রন্দন শুরু করে দিলে ইব্ন আতীক (রাঃ) (জাবির) তাদের শান্ত করাতে লাগলেন। তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তাদের ছেড়ে দাও। যখন মৃত্যু হয়ে যাবে তখন কোনই ক্রন্দনকারিণী ক্রন্দন করবে না। সাহাবীরা জিজ্ঞাসা করলেন, “উজুব” শব্দের অর্থ কি ইয়া রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)? তিনি বললেন, “মৃত্যু”। তাঁর কন্যা বলল, যে আমি তো এ আশাই করতাম যে, আপনি শহীদ হবেন। আপনি তো শাহাদাতের যাবতীয় পাথেয় সংগ্রহ করেই রেখেছিলেন। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁর নিয়্যত অনুযায়ী তাঁকে শাহাদাতের সওয়াব দিয়ে দিয়েছেন। আচ্ছা, তোমরা শাহাদাত কাকে মনে কর? তাঁরা বললেন, আল্লাহ্র রাস্তায় মৃত্যুবরণ করাকে। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আল্লাহ্র রাস্তায় মৃত্যুবরণ করা ব্যতীতও আরো সাত প্রকারের শাহাদাত আছেঃ ১। প্লেগ রোগে মৃত ব্যক্তি শহীদ ২। পেটের পীড়ায় মৃত ব্যক্তি শহীদ ৩। পানিতে ডুবে মৃত ব্যক্তি শহীদ, ৪। প্রাচীর বা ঘর চাপা পড়ে মৃত ব্যক্তি শহীদ ৫। আভ্যন্তরীণ বিষ ফোঁড়ায় মৃত ব্যক্তি শহীদ ৬। অগ্নিদাহে মৃত ব্যক্তি শহীদ ৭। প্রসবকালে মৃত রমণী শহীদ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮৪৭
أَخْبَرَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، قَالَ: قَالَ مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، وَحَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: لَمَّا أَتَى نَعْيُ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ، وَجَعْفَرِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَوَاحَةَ جَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعْرَفُ فِيهِ الْحُزْنُ وَأَنَا أَنْظُرُ مِنْ صِئْرِ الْبَابِ، فَجَاءَهُ رَجُلٌ فَقَالَ: إِنَّ نِسَاءَ جَعْفَرٍ يَبْكِينَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «انْطَلِقْ فَانْهَهُنَّ» فَانْطَلَقَ ثُمَّ جَاءَ فَقَالَ: قَدْ نَهَيْتُهُنَّ فَأَبَيْنَ أَنْ يَنْتَهِينَ، فَقَالَ: «انْطَلِقْ فَانْهَهُنَّ»، فَانْطَلَقَ ثُمَّ جَاءَ، فَقَالَ: قَدْ نَهَيْتُهُنَّ فَأَبَيْنَ أَنْ يَنْتَهِينَ، قَالَ: «فَانْطَلِقْ فَاحْثُ فِي أَفْوَاهِهِنَّ التُّرَابَ»، فَقَالَتْ عَائِشَةُ: فَقُلْتُ: أَرْغَمَ اللَّهُ أَنْفَ الْأَبْعَدِ، إِنَّكَ وَاللَّهِ مَا تَرَكْتَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمَا أَنْتَ بِفَاعِلٍ
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যখন যায়দ ইব্ন হারিসা, জা‘ফর ইব্ন আবূ তালিব এবং আব্দুল্লাহ ইব্ন রাওয়াহা (রাঃ)-এর শাহাদাত প্রাপ্তির সংবাদ এসে পৌঁছলো, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (মসজিদে) বসে পড়লেন এবং তাঁর মুখমণ্ডলে বিষণ্নতার রেখা ফুটে উঠল, আমি দরজার ছিদ্রপথ দিয়ে তাঁকে দেখছিলাম। এক ব্যক্তি এসে বলল, জা‘ফর (রাঃ)-এর পরিবারবর্গ ক্রন্দন করছে। তিনি বললেন, তুমি গিয়ে তাদের নিষেধ কর। সে চলে গেল এবং আবার এসে বললো, আমি তাদের নিষেধ করেছিলাম কিন্তু তারা ক্রন্দন করছেই। তিনি বললেন, তুমি গিয়ে তাদের নিষেধ কর। সে চলে গেল এবং পুনরায় এসে বললো, আমি তাদের নিষেধ করেছিলাম কিন্তু তারা ক্রন্দন করছেই। তিনি বললেন, তুমি গিয়ে তাদের মুখে মাটি ভরে দাও। আয়েশা (রাঃ) বলেন; আমি বললাম, আল্লাহ তাআলা অভাগার নাসিকা ধূলা ধুসরিত করে দিক, আল্লাহর শপথ! তুমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কষ্ট না দিয়ে ছাড়লে না, তোমাকে যা বলা হয়েছিল, তুমি তা করতে পারলে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮৪৮
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْمَيِّتُ يُعَذَّبُ بِبُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ»
উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মৃতকে তার পরিবারবর্গের তার উপর ক্রন্দনের কারণে শাস্তি দেওয়া হয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮৪৯
أَخْبَرَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صُبَيْحٍ، قَالَ: سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ سِيرِينَ، يَقُولُ: ذُكِرَ عِنْدَ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ «الْمَيِّتُ يُعَذَّبُ بِبُكَاءِ الْحَيِّ»، فَقَالَ عِمْرَانُ: قَالَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
আব্দুল্লাহ ইব্ন সুবায়হ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মুহাম্মদ ইব্ন সীরীন (রহঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ একদা ইমরান ইব্ন হুসায়ন (রাঃ)-এর কাছে উল্লেখ করা হল যে, মৃতকে জীবিতদের ক্রন্দনের কারণে শাস্তি দেওয়া হয়। ইমরান (রাঃ) বললেন, তা রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮৫০
أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ سَيْفٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: قَالَ سَالِمٌ، سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، يَقُولُ: قَالَ عُمَرُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يُعَذَّبُ الْمَيِّتُ بِبُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ»
উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, মৃত ব্যক্তিকে তার পরিবারবর্গের তার জন্য ক্রন্দনের কারণে শাস্তি দেওয়া হয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মৃতের জন্য বিলাপ করা
১৮৫১
خْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ قَيْسٍ، أَنَّ قَيْسَ بْنَ عَاصِمٍ، قَالَ: «لَا تَنُوحُوا عَلَيَّ، فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يُنَحْ عَلَيْهِ» مُخْتَصَرٌ
হাকীম ইব্ন কায়স (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
কায়স ইব্ন আসিম (রাঃ) বলেছেন, তোমরা আমার জন্য বিলাপ করবে না। কেননা রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য বিলাপ করা হয়নি। (সংক্ষিপ্ত)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮৫২
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخَذَ عَلَى النِّسَاءِ حِينَ بَايَعَهُنَّ أَنْ لَا يَنُحْنَ، فَقُلْنَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ نِسَاءً أَسْعَدْنَنَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ أَفَنُسْعِدُهُنَّ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا إِسْعَادَ فِي الْإِسْلَامِ»
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মহিলাদের বায়আত করার সময়ে অঙ্গীকার নিয়েছিলেন যে, তারা মৃতের জন্য বিলাপ করবে না। তখন তারা বললো, ইয়া রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মহিলারা জাহিলী যুগে মৃতের জন্য বিলাপে আমাদের সহযোগিত করত। এখন আমরা কি মৃতের জন্য বিলাপে তাদের সহযোগিতা করব না? রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, ইসলামে মৃতের জন্য বিলাপ কোন সহযোগিতা নেই।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮৫৩
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ عُمَرَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «الْمَيِّتُ يُعَذَّبُ فِي قَبْرِهِ بِالنِّيَاحَةِ عَلَيْهِ»
উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, মৃতকে তার জন্য বিলাপের কারণে কবরে শাস্তি দেওয়া হয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮৫৪
أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا هُشَيْمٌ، قَالَ: أَنْبَأَنَا مَنْصُورٌ هُوَ ابْنُ زَاذَانَ، عَنْ الْحَسَنِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ قَالَ: «الْمَيِّتُ يُعَذَّبُ بِنِيَاحَةِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ» فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ: أَرَأَيْتَ رَجُلًا مَاتَ بِخُرَاسَانَ وَنَاحَ أَهْلُهُ عَلَيْهِ هَاهُنَا، أَكَانَ يُعَذَّبُ بِنِيَاحَةِ أَهْلِهِ؟ قَالَ: صَدَقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَذَبْتَ أَنْتَ
ইমরান ইব্ন হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মৃতকে তার পরিবারবর্গের তার জন্য বিলাপের কারণে শাস্তি দেওয়া হয়। তখন তাকে এক ব্যক্তি বলল, ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে আপনি কি বলেন, যে খোরাসান নামক স্থানে মারা গেল আর তার পরিবারবর্গ তার জন্য এখানে বিলাপ করল। তাকেও কি তার পরিবারবর্গের তার জন্য বিলাপের কারণে শাস্তি দেওয়া হবে? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সত্য বলেছেন আর তুমি মিথ্যা বলছ।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
১৮৫৫
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ آدَمَ، عَنْ عَبْدَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ الْمَيِّتَ لَيُعَذَّبُ بِبُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ»، فَذُكِرَ ذَلِكَ لِعَائِشَةَ فَقَالَتْ: وَهِلَ، إِنَّمَا مَرَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى قَبْرٍ، فَقَالَ: «إِنَّ صَاحِبَ الْقَبْرِ لَيُعَذَّبُ، وَإِنَّ أَهْلَهُ يَبْكُونَ عَلَيْهِ»، ثُمَّ قَرَأَتْ {وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى} [الأنعام: 164]
ইব্ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন যে, মৃত ব্যক্তিকে তার জন্য তার পরিবারবর্গের ক্রন্দনের কারণে শাস্তি দেওয়া হয়। অত্র হাদীস আয়েশা (রাঃ)-এর সামনে উল্লেখ করা হলে তিনি বললেন, ইব্ন উমর ভুল করেছেন। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একবার এক কবরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বলেছিলেন, এ কবরবাসীকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে আর তার পরিবারবর্গ তার জন্য ক্রন্দন করছে। অতঃপর আয়েশা (রাঃ) পাঠ করলেন (আরবী) (কোন বহনকারী অন্যের পাপের বোঝা বহন করবে না)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮৫৬
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمْرَةَ أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ، أَنَّهَا سَمِعَتْ عَائِشَةَ وَذُكِرَ لَهَا أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ يَقُولُ: إِنَّ الْمَيِّتَ لَيُعَذَّبُ بِبُكَاءِ الْحَيِّ عَلَيْهِ، قَالَتْ عَائِشَةُ: يَغْفِرُ اللَّهُ لِأَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَمَا إِنَّهُ لَمْ يَكْذِبْ وَلَكِنْ نَسِيَ أَوْ أَخْطَأَ، إِنَّمَا مَرَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى يَهُودِيَّةٍ يُبْكَى عَلَيْهَا، فَقَالَ: «إِنَّهُمْ لَيَبْكُونَ عَلَيْهَا وَإِنَّهَا لَتُعَذَّبُ»
আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি আবূ বকর (রাঃ)-কে খবর দিয়েছেনঃ যখন আয়েশা (রাঃ)-এর কাছে উল্লেখ করা হল যে, আব্দুল্লাহ ইব্ন উমর (রাঃ) বলছেনঃ মৃত ব্যক্তিকে তার জন্য জীবিতদের ক্রন্দনের কারণে শাস্তি দেওয়া হয়। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ তাআলা আবূ আব্দুর রহমান (আব্দুল্লাহ ইব্ন উমর) (রাঃ)-কে ক্ষমা করুন! তিনি মিথ্যা বলেন নি কিন্তু তিনি ভুলে গেছেন বা ভুল করে ফেলেছেন। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একবার এক ইহূদী মহিলার কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন যার জন্য ক্রন্দন করা হচ্ছিল। তখন তিনি বলেছিলেন, তারা ঐ মৃতার জন্য ক্রন্দন করছে আর ঐ মৃতাকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮৫৭
أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ الْعَلَاءِ بْنِ عَبْدِ الْجَبَّارِ، عَنْ سُفْيَانَ، قَالَ: قَصَّهُ لَنَا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ أَبِي مُلَيْكَةَ، يَقُولُ: قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: قَالَتْ عَائِشَةُ: إِنَّمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يَزِيدُ الْكَافِرَ عَذَابًا بِبَعْضِ بُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ»
ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আয়েশা (রাঃ) বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তো বলেছিলেন যে, আল্লাহ্ তা‘আলা কাফিরের শাস্তি বৃদ্ধি করে থাকেন তার কোন কোন আত্মীয়-স্বজনের ক্রন্দনের কারণে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮৫৮
أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ مَنْصُورٍ الْبَلْخِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ الْوَرْدِ، سَمِعْتُ ابْنَ أَبِي مُلَيْكَةَ، يَقُولُ: لَمَّا هَلَكَتْ أُمُّ أَبَانَ حَضَرْتُ مَعَ النَّاسِ، فَجَلَسْتُ بَيْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ وَابْنِ عَبَّاسٍ فَبَكَيْنَ النِّسَاءُ، فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ: أَلَا تَنْهَى هَؤُلَاءِ عَنِ الْبُكَاءِ، فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّ الْمَيِّتَ لَيُعَذَّبُ بِبَعْضِ بُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ»، فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ، قَدْ كَانَ عُمَرُ، يَقُولُ بَعْضَ ذَلِكَ: خَرَجْتُ مَعَ عُمَرَ حَتَّى إِذَا كُنَّا بِالْبَيْدَاءِ رَأَى رَكْبًا تَحْتَ شَجَرَةٍ، فَقَالَ: انْظُرْ مَنِ الرَّكْبُ، فَذَهَبْتُ فَإِذَا صُهَيْبٌ وَأَهْلُهُ، فَرَجَعْتُ إِلَيْهِ، فَقُلْتُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، هَذَا صُهَيْبٌ وَأَهْلُهُ، فَقَالَ: عَلَيَّ بِصُهَيْبٍ، فَلَمَّا دَخَلْنَا الْمَدِينَةَ أُصِيبَ عُمَرُ، فَجَلَسَ صُهَيْبٌ يَبْكِي عِنْدَهُ يَقُولُ: وَا أُخَيَّاهُ وَا أُخَيَّاهُ، فَقَالَ عُمَرُ: يَا صُهَيْبُ لَا تَبْكِ، فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّ الْمَيِّتَ لَيُعَذَّبُ بِبَعْضِ بُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ» قَالَ: فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِعَائِشَةَ، فَقَالَتْ أَمَا وَاللَّهِ مَا تُحَدِّثُونَ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ كَاذِبَيْنِ مُكَذَّبَيْنِ، وَلَكِنَّ السَّمْعَ يُخْطِئُ، وَإِنَّ لَكُمْ فِي الْقُرْآنِ لَمَا يَشْفِيكُمْ {أَلَّا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى} [النجم: 38] وَلَكِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ لَيَزِيدُ الْكَافِرَ عَذَابًا بِبُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ»
আব্দুল জব্বার ইব্ন ওয়ারদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ইব্ন আবূ মুলায়কা (রহঃ)-কে বলতে শুনেছেনঃ যখন উম্মে আবান মৃত্যুবরণ করল, আমি লোকজনসহ তথায় উপস্থিত হয়ে আব্দুল্লাহ ইব্ন উমর (রাঃ) ও ইব্ন আব্বাস (রাঃ)-এর সামনে বসলাম। তখন মহিলারা ক্রন্দন করলে ইব্ন উমর (রাঃ) বললেন, এদের ক্রন্দন থেকে কি নিষেধ করা হয়নি? কেননা, আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি যে, মৃত ব্যক্তিকে তার জন্য তার আত্মীয়-স্বজনের কোন কোন ক্রন্দনের কারণে শাস্তি দেওয়া হয়। তখন ইব্ন আব্বাস (রাঃ) বললেন, উমর (রাঃ) এরূপও বলেছিলেন। আমি উমর (রাঃ)-এর সংগে বের হলাম। আমরা যখন “বায়দা নামক প্রান্তরে ছিলাম তখন উমর (রাঃ) বৃক্ষের নীচে একদল আরোহীকে দেখে বললেন, দেখতো আরোহী কারা? আমি গিয়ে দেখলাম যে, সুহায়ব (রাঃ) এবং তাঁর পরিবারবর্গ। তখন আমি তাঁর কাছে এসে বললাম, হে আমীরুল মুমিনীন, সুহায়ব এবং তাঁর পরিবারবর্গ। তখন তিনি বললেন, তুমি আমার সামনে সুহায়বকে উপস্থিত কর। যখন আমরা মদীনায় প্রবেশ করলাম এবং উমর (রাঃ) আঘাতপ্রাপ্ত হলেন, তখন সুহায়ব (রাঃ) তাঁর সামনে বসে ক্রন্দন করছিলেন এবং বলছিলেন, হে আমার প্রিয় ভ্রাতা! হে আমার প্রিয় ভ্রাতা! তখন উমর (রাঃ) বললেন, হে সুহায়ব (রাঃ)! তুমি ক্রন্দন করো না, যেহেতু আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, মৃত ব্যক্তিকে তার জন্য তার আত্মীয়-স্বজনের কোন কোন ক্রন্দনের কারণে শাস্তি দেওয়া হয়। সুহায়ব (রাঃ) বলেন, আমি এ ঘটনা আয়েশা (রাঃ)-এর সামনে উল্লেখ করলে তিনি বললেন, আল্লাহ্র কসম! তোমরা এ রকম হাদীস বর্ণনা করছ না দু’জন মিথ্যাবাদীর থেকে। তবে হাঁ শ্রবনেন্দ্রিয় কখনো ভুল করে। নিশ্চয় তোমাদের জন্য কুরআনে এমন আয়াত আছে যা তোমাদের আশ্বস্ত করে দেবে : (আরবী) (কোন বহনকারী অন্যের পাপের বোঝা বহন করবে না)। হ্যাঁ, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন যে, কাফিরের জন্য তার আত্মীয়-স্বজনের ক্রন্দনের কারণে আল্লাহ্ তা‘আলা তার শাস্তি বৃদ্ধি করে থাকেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মৃত ব্যক্তির জন্য ক্রন্দন করার অনুমতি
১৮৫৯
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ هُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، أَنَّ سَلَمَةَ بْنَ الْأَزْرَقِ قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ: مَاتَ مَيِّتٌ مِنْ آلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاجْتَمَعَ النِّسَاءُ يَبْكِينَ عَلَيْهِ، فَقَامَ عُمَرُ يَنْهَاهُنَّ وَيَطْرُدُهُنَّ، فَقَالَ: رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «دَعْهُنَّ يَا عُمَرُ فَإِنَّ الْعَيْنَ دَامِعَةٌ، وَالْقَلْبَ مُصَابٌ، وَالْعَهْدَ قَرِيبٌ»
সালাম ইব্ন আযরাক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবূ হুরায়রা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পরিবারবর্গ থেকে একব্যক্তি মৃত্যুবরণ করলে মহিলাগণ একত্রিত হয়ে তার জন্য অশ্রুবর্ষণ করতে শুরু করল। উমর (রাঃ) দাঁড়িয়ে তাদের নিষেধ করতে এবং সরায়ে দিতে উদ্যত হলে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হে উমর, তাদের ছেড়ে দাও। কেননা চক্ষু অশ্রুবিসর্জনকারী, হৃদয় ব্যথাতুর আর বিয়োগ মুহূর্তও নিকটবর্তী।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
জাহেলী যুগের দোয়া
১৮৬০
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عِيسَى، عَنْ الْأَعْمَشِ، ح أَنْبَأَنَا الْحَسَنُ بْنُ إِسْمَعِيلَ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ الْأَعْمَشِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُرَّةَ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَيْسَ مِنَّا مَنْ ضَرَبَ الْخُدُودَ، وَشَقَّ الْجُيُوبَ، وَدَعَا بِدُعَاءِ الْجَاهِلِيَّةِ» وَاللَّفْظُ لِعَلِيٍّ، وَقَالَ: الْحَسَنُ بِدَعْوَى “
আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ঐ ব্যক্তি আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়, যে গণ্ডদেশে আঘাত করে, আঁচল ছিঁড়ে এবং জাহিলী যুগের দোয়ার ন্যায় দোয়া করে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
বিপদের সময় চিৎকার করা
১৮৬১
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَوْفٍ، عَنْ خَالِدٍ الْأَحْدَبِ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ مُحْرِزٍ، قَالَ: أُغْمِيَ عَلَى أَبِي مُوسَى فَبَكَوْا عَلَيْهِ، فَقَالَ: «أَبْرَأُ إِلَيْكُمْ كَمَا بَرِئَ إِلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْسَ مِنَّا مَنْ حَلَقَ، وَلَا خَرَقَ، وَلَا سَلَقَ»
সাফওয়ান ইব্ন মুহরিয (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবূ মূসা (রাঃ) বেহুঁশ হয়ে গেলে তাঁর জন্য সবাই ক্রন্দন করতে লাগলেন। তখন তিনি বললেন, আমি তোমাদের সাথে সম্পর্কে ছিন্ন করে ফেলছি, যেরূপভাবে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের কাছে থেকে সম্পর্কে ছিন্ন করে ফেলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ঐ ব্যক্তি আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়, যে বিপদে চুল বা দাড়ি উপড়ে ফেলে, আঁচল ছিঁড়ে ফেলে এবং সজোরে ক্রন্দন করতে থাকে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
গন্ডদেশে আঘাত করা
১৮৬২
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ: حَدَّثَنِي زُبَيْدٌ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَيْسَ مِنَّا مَنْ ضَرَبَ الْخُدُودَ، وَشَقَّ الْجُيُوبَ، وَدَعَا بِدَعْوَى الْجَاهِلِيَّةِ»
আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ঐ ব্যক্তি আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয় যে (কারো মৃত্যুর কারণে) গণ্ডদেশে আঘাত করে, আঁচল ছিঁড়ে ফেলে এবং সে জাহিলী যুগের দোয়ার ন্যায় দোয়া করে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
দাড়ি বা মাথার চুল উপড়ে ফেলা
১৮৬৩
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ حَكِيمٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عُمَيْسٍ، عَنْ أَبِي صَخْرَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، وَأَبِي بُرْدَةَ، قَالَا: لَمَّا ثَقُلَ أَبُو مُوسَى أَقْبَلَتِ امْرَأَتُهُ تَصِيحُ، قَالَا: فَأَفَاقَ، فَقَالَ: أَلَمْ أُخْبِرْكِ أَنِّي بَرِيءٌ مِمَّنْ بَرِئَ مِنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَا: وَكَانَ يُحَدِّثُهَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَنَا بَرِيءٌ مِمَّنْ حَلَقَ، وَخَرَقَ، وَسَلَقَ»
আবূ বুরদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তাঁরা বলেন, যখন আবূ মূসা (রাঃ)-এর অসুখ বেড়ে গেল এবং তিনি বেহুঁশ হয়ে পড়লেন। তাঁর স্ত্রী সজোরে চিৎকার করতে করতে আসলেন। তাঁরা বলেন, তাঁর চেতনা ফিরে আসলে তিনি বললেন, আমি কি তোমাকে সংবাদ দেইনি যে, আমি ঐ ব্যক্তির সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করছি, যার সাথে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সম্পর্কচ্ছেদ করেছেন। তাঁরা বলেন, তিনি তাঁর স্ত্রীর সামনে বর্ণনা করলেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন যে, আমি ঐ ব্যক্তির সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করছি যে, দাড়ি বা মাথার চুল উপড়ে ফেলে, আঁচল ছিঁড়ে ফেলে এবং সজোরে চিৎকার করে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
আঁচল ছিঁড়ে ফেলা
১৮৬৪
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ زُبَيْدٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَيْسَ مِنَّا مَنْ ضَرَبَ الْخُدُودَ، وَشَقَّ الْجُيُوبَ، وَدَعَا بِدَعْوَى الْجَاهِلِيَّةِ»
আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ঐ ব্যক্তি আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়, যে গণ্ডদশে আঘাত করে, আঁচল ছিড়ে ফেলে এবং জাহিলী যুগের দোয়ার ন্যায় দোয়া করে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮৬৫
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَوْسٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى، أَنَّهُ أُغْمِيَ عَلَيْهِ فَبَكَتْ أُمُّ وَلَدٍ لَهُ، فَلَمَّا أَفَاقَ، قَالَ لَهَا: أَمَا بَلَغَكِ مَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَسَأَلْنَاهَا: فَقَالَتْ: قَالَ: «لَيْسَ مِنَّا مَنْ سَلَقَ، وَحَلَقَ، وَخَرَقَ»
আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি একবার বেহুঁশ হয়ে গেলে তাঁর এক বাঁদী ক্রন্দন করলেন। যখন তাঁর চেতনা ফিরে আসল তখন তিনি তাকে বললেন, ‘রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা বলেছেন তার সংবাদ কি তোমার কাছে পৌঁছেনি? আমরা তাঁর কাছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ঐ ব্যক্তি আমার উম্মাতের অন্তর্ভুক্ত নয়, যে সজোরে চিৎকার করে, দাড়ি বা মাথার চুল উপড়ে ফেলে এবং আঁচল ছিঁড়ে ফেলে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮৬৬
أَخْبَرَنَا عَبْدَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَوْسٍ، عَنْ أُمِّ عَبْدِ اللَّهِ امْرَأَةِ أَبِي مُوسَى، عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَيْسَ مِنَّا مَنْ حَلَقَ، وَسَلَقَ، وَخَرَقَ»
আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ঐ ব্যক্তি আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়, যে মাথার চুল বা দাড়ি উপড়ে ফেলে সজোরে চিৎকার করে এবং আঁচল ছিঁড়ে ফেলে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮৬৭
أَخْبَرَنَا هَنَّادٌ، عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، عَنْ الْأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ سَهْمِ بْنِ مِنْجَابٍ، عَنْ الْقَرْثَعِ، قَالَ: لَمَّا ثَقُلَ أَبُو مُوسَى صَاحَتْ امْرَأَتُهُ فَقَالَ: أَمَا عَلِمْتِ مَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَتْ: بَلَى، ثُمَّ سَكَتَتْ، فَقِيلَ لَهَا بَعْدَ ذَلِكَ: أَيُّ شَيْءٍ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَتْ: «إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَعَنَ مَنْ حَلَقَ، أَوْ سَلَقَ، أَوْ خَرَقَ»
কারছা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যখন আবূ মূসা (রাঃ)- এর অসুখ বেড়ে গেল, তাঁর স্ত্রী সজোরে চিৎকার করতে লাগলেন। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা বলেছেন, কি তোমার জানা নেই? তিনি বললেন, হ্যাঁ জানা আছে। অতঃপর চুপ হয়ে গেলে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হল, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি বলেছিলেন, তিনি বললেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অভিশাপ দিয়েছেন ঐ ব্যক্তিকে যে মাথার চুল বা দাড়ি উপড়ে ফেলে, সজোরে চিৎকার অথবা আঁচল ছিঁড়ে ফেলে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
বিপদের সময় সওয়াবের নিয়তে ধৈর্যধারণ করার আদেশ
১৮৬৮
أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، قَالَ: أَرْسَلَتْ بِنْتُ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهِ أَنَّ ابْنًا لِي قُبِضَ فَأْتِنَا، فَأَرْسَلَ يَقْرَأُ السَّلَامَ وَيَقُولُ: «إِنَّ لِلَّهِ مَا أَخَذَ، وَلَهُ مَا أَعْطَى، وَكُلُّ شَيْءٍ عِنْدَ اللَّهِ بِأَجَلٍ مُسَمًّى، فَلْتَصْبِرْ وَلْتَحْتَسِبْ»، فَأَرْسَلَتْ إِلَيْهِ تُقْسِمُ عَلَيْهِ لَيَأْتِيَنَّهَا، فَقَامَ وَمَعَهُ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ، وَمُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ، وَأُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ، وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ، وَرِجَالٌ، فَرُفِعَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الصَّبِيُّ وَنَفْسُهُ تَقَعْقَعُ، فَفَاضَتْ عَيْنَاهُ، فَقَالَ سَعْدٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا هَذَا؟ قَالَ: «هَذَا رَحْمَةٌ، يَجْعَلُهَا اللَّهُ فِي قُلُوبِ عِبَادِهِ، وَإِنَّمَا يَرْحَمُ اللَّهُ مِنْ عِبَادِهِ الرُّحَمَاءَ»
উসামা ইব্ন যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কন্যা তাঁর কাছে সংবাদ পৌঁছালেন যে, আমার এক ছেলে মৃত্যু শয্যায় শায়িত। অতএব আপনি আমাদের এখানে আসুন। তখন তিনি সালাম পাঠিয়ে বললেন, আল্লাহ তাআলা যা নিয়ে যান তা তাঁরই এবং যা দান করেন তাও তাঁরই। আর প্রতিটি বস্তু নির্দিষ্ট সময়ে আল্লাহর কাছে পৌঁছে যায়। অতএব, তুমি ধৈর্যধারণ কর এবং সওয়াবের আশা রাখ। অতঃপর তিনি কসম দিয়ে তাঁর কাছে পাঠালেন, যেন তিনি তাঁর কাছে অবশ্যই আসেন। তখন তিনি দাঁড়ালেন; তাঁর সাথে সা’দ ইব্ন উবাদাহ (রাঃ) মু‘আয ইব্ন জাবাল (রাঃ) উবায় ইব্ন কা‘ব (রাঃ) যায়দ ইব্ন সাবিত (রাঃ) এবং আরো কিছু লোক ছিলেন। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সামনে ছেলেকে উঠালেন তখন তার হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। এতদদর্শনে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর আঁখিদ্বয় অশ্রুপাত করতে লাগল। তখন সা‘দ (রাঃ) বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! এ কি? তিনি বললেন, এ হল রহমত বিশেষ যা আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের হৃদয়ে রেখে থাকেন। আর আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের মধ্যে দয়াবানদের উপর দয়া করে থাকেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮৬৯
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ ثَابِتٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسًا يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الصَّبْرُ عِنْدَ الصَّدْمَةِ الْأُولَى»
সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আনাস (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ধৈর্যধারণ করা হল প্রথম বিপদের সময়ে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮৭০
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو إِيَاسٍ وَهُوَ مُعَاوِيَةُ بْنُ قُرَّةَ، عَنْ أَبِيهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّ رَجُلًا أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَعَهُ ابْنٌ لَهُ فَقَالَ لَهُ: «أَتُحِبُّهُ؟» فَقَالَ: أَحَبَّكَ اللَّهُ كَمَا أُحِبُّهُ، فَمَاتَ، فَفَقَدَهُ، فَسَأَلَ عَنْهُ، فَقَالَ: «مَا يَسُرُّكَ أَنْ لَا تَأْتِيَ بَابًا مِنْ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ إِلَّا وَجَدْتَهُ عِنْدَهُ يَسْعَى يَفْتَحُ لَكَ؟»
বুরারা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে আসল। তার সাথে তার এক পুত্রও ছিল। তিনি তাকে বললেন, তুমি কি একে মহব্বত কর? ঐ ব্যক্তি বলল, আল্লাহ আপনাকে এরূপ মহব্বত করুন, যেরূপ আমি তাকে মহব্বত করি। অতঃপর সে ছেলে মারা গেল। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ছেলেকে দেখতে না পেয়ে তার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন এবং বললেন, তুমি কি আনন্দিত হবে না যে, তুমি জান্নাতের সে দরজা দিয়েই প্রবেশ করবে যে দরজার সামনে তোমার ছেলেকে পাবে, তোমার জন্য দরজা খোলার চেষ্টা করতে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
ধৈর্যধারণ এবং সওয়াবের নিয়ত করার প্রতিদান
১৮৭১
أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عُمَرُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ أَبِي حُسَيْنٍ، أَنَّ عَمْرَو بْنَ شُعَيْبٍ كَتَبَ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي حُسَيْنٍ يُعَزِّيهِ بَابْنٍ لَهُ هَلَكَ وَذَكَرَ فِي كِتَابِهِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَاهُ يُحَدِّثُ، عَنْ جَدِّهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ لَا يَرْضَى لِعَبْدِهِ الْمُؤْمِنِ إِذَا ذَهَبَ بِصَفِيِّهِ مِنْ أَهْلِ الْأَرْضِ فَصَبَرَ وَاحْتَسَبَ»، وَقَالَ: «مَا أُمِرَ بِهِ بِثَوَابٍ دُونَ الْجَنَّةِ»
আমর ইব্ন সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমর ইব্ন শুআয়ব (রাঃ) আব্দুল্লাহ ইব্ন আব্দুর রহমানের এক ছেলের মৃত্যুতে ধৈর্যধারণ করার জন্য তার কাছে একখানা চিঠি লিখেন। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন যে, তিনি তাঁর পিতাকে তাঁর দাদা আব্দুল্লাহ ইব্ন আমর ইব্ন আস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করতে শুনেছেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন যে, পৃথিবীর কোন প্রিয়জন মারা যাওয়ার পর যখন মুমিন ব্যক্তি ধৈর্যধারণ করে এবং সওয়াবের আশা রাখে, তখন আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য জান্নাত ছাড়া অন্য কোন সওয়াব দিয়ে সন্তুষ্ট হন না। তিনি আরো বলেছেন, জান্নাত ছাড়া অন্য কোন সওয়াবের নির্দেশ দেওয়া হয়না।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
যে ব্যক্তি তার তিন সন্তানের মৃত্যুতে ধৈর্যধারণ করেছে তার প্রতিদান
১৮৭২
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي عَمْرٌو، قَالَ: حَدَّثَنِي بُكَيْرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ نَافِعٍ، عَنْ حَفْصِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ احْتَسَبَ ثَلَاثَةً مِنْ صُلْبِهِ دَخَلَ الْجَنَّةَ»، فَقَامَتِ امْرَأَةٌ، فَقَالَتْ: أَوِ اثْنَانِ؟ قَالَ: «أَوِ اثْنَانِ»، قَالَتِ الْمَرْأَةُ: يَا لَيْتَنِي قُلْتُ وَاحِدًا
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার তিন সন্তানের মৃত্যুতে ধৈর্যসহ সওয়াবের আশা করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তখন এক মহিলা দাঁড়িয়ে বলল, যদি দুই সন্তানের উপর ধৈর্যধারণ করে থাকে? তিনি বললেন, দুইজন হলেও। তখন সেই মহিলা বলল, হায়! আমি যদি একজনের কথা বলতাম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
যে ব্যক্তির তিন সন্তান মৃত্যুবরণ করে
১৮৭৩
أَخْبَرَنَا يُوسُفُ بْنُ حَمَّادٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا مِنْ مُسْلِمٍ يُتَوَفَّى لَهُ ثَلَاثَةٌ مِنَ الْوَلَدِ لَمْ يَبْلُغُوا الْحِنْثَ إِلَّا أَدْخَلَهُ اللَّهُ الْجَنَّةَ بِفَضْلِ رَحْمَتِهِ إِيَّاهُمْ»
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তির তিন সন্তান অপ্রাপ্ত বয়স্ক অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে, আল্লাহ তা‘আলা সন্তানদের উপর স্বীয় রহমতের কারণে তাকে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮৭৪
أَخْبَرَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، عَنْ يُونُسَ، عَنْ الْحَسَنِ، عَنْ صَعْصَعَةَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، قَالَ: لَقِيتُ أَبَا ذَرٍّ، قُلْتُ: حَدِّثْنِي، قَالَ: نَعَمْ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا مِنْ مُسْلِمَيْنِ يَمُوتُ بَيْنَهُمَا ثَلَاثَةُ أَوْلَادٍ لَمْ يَبْلُغُوا الْحِنْثَ إِلَّا غَفَرَ اللَّهُ لَهُمَا بِفَضْلِ رَحْمَتِهِ إِيَّاهُمْ»
সা’সাআ ইব্ন মুআবিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবূ যর (রাঃ)- এর সাথে সাক্ষাত করে বললাম, আপনি আমার কাছে হাদীস বর্ণনা করুন। তিনি বললেন, আচ্ছা, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে মুসলমান মাতা পিতার সম্মুখে তাদের তিন অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তান মৃত্যুবরণ করবে আল্লাহ্ তা‘আলা সন্তানদের উপর নিজ রহমতের কারণে তাদের অবশ্যই ক্ষমা করে দেবেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮৭৫
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَمُوتُ لِأَحَدٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ ثَلَاثَةٌ مِنَ الْوَلَدِ فَتَمَسَّهُ النَّارُ إِلَّا تَحِلَّةَ الْقَسَمِ»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কোন মুসলমান মাতা-পিতার তিনটি সন্তান মৃত্যুবরণ করলে তাদের কখনো দোযখের আগুন স্পর্শ করবে না। অবশ্য তাদেরকে তা অতিক্রম করতে হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮৭৬
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ ابْنِ عُلَيَّةَ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَا: حَدَّثَنَا إِسْحَقُ وَهُوَ الْأَزْرَقُ، عَنْ عَوْفٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَا مِنْ مُسْلِمَيْنِ يَمُوتُ بَيْنَهُمَا ثَلَاثَةُ أَوْلَادٍ لَمْ يَبْلُغُوا الْحِنْثَ إِلَّا أَدْخَلَهُمَا اللَّهُ بِفَضْلِ رَحْمَتِهِ إِيَّاهُمُ الْجَنَّةَ»، قَالَ: ” يُقَالُ لَهُمْ: ادْخُلُوا الْجَنَّةَ، فَيَقُولُونَ: حَتَّى يَدْخُلَ آبَاؤُنَا، فَيُقَالُ: ادْخُلُوا الْجَنَّةَ أَنْتُمْ وَآبَاؤُكُمْ “
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন মুসলমান মাতা-পিতার সামনে তিনটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তান মৃত্যুবরণ করলে সন্তানদের উপরে আল্লাহ্র রহমতের কারণে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। তিনি বলেন, সন্তানদের বলা হবে, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ কর। তখন তারা বলবে, আমাদের মাতা-পিতা জান্নাতে প্রবেশ না করা পর্যন্ত আমরা জান্নাতে প্রবেশ করব না। তখন তাদের বলা হবে, তোমরা এবং তোমাদের মাতা-পিতা জান্নাতে প্রবেশ কর।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
যে ব্যক্তির জীবদ্দশায় তিন সন্তানের মৃত্যু হয়
১৮৭৭
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ، قَالَ: أَنْبَأَنَا جَرِيرٌ، قَالَ: حَدَّثَنِي طَلْقُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، وَحَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي جَدِّي طَلْقُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَابْنٍ لَهَا يَشْتَكِي، فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَخَافُ عَلَيْهِ وَقَدْ قَدَّمْتُ ثَلَاثَةً، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَقَدْ احْتَظَرْتِ بِحِظَارٍ شَدِيدٍ مِنَ النَّارِ»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক মহিলা রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে তার অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে আসল এবং বলল ইয়া রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমি এর উপরে আশংকা করছি। ইতিপূর্বে আরও তিনজন মৃত্যুবরণ করেছে, তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তুমি তো এক কঠিন প্রাচীর দ্বারা জাহান্নাম থেকে নিজেকে রক্ষা করেছো।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মৃত্যু সংবাদ দেওয়া
১৮৭৮
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ، قَالَ: أَنْبَأَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلَالٍ، عَنْ أَنَسٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَعَى زَيْدًا وَجَعْفَرًا قَبْلَ أَنْ يَجِيءَ خَبَرُهُمْ، فَنَعَاهُمْ وَعَيْنَاهُ تَذْرِفَانِ»
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যায়দ এবং জাফরের মৃত্যু সংবাদ দিলেন। তাঁদের মৃত্যু সংবাদ আসার পূর্বেই তখন তিনি তাঁদের জন্য ক্রন্দন করলেন এবং তার চক্ষুদ্বয় থেকে অশ্রু প্রবাহিত হচ্ছিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮৭৯
أَخْبَرَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ، وَابْنُ الْمُسَيَّبِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ أَخْبَرَهُمَا، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَعَى لَهُمَا النَّجَاشِيَّ صَاحِبَ الْحَبَشَةِ الْيَوْمَ الَّذِي مَاتَ فِيهِ، وَقَالَ: «اسْتَغْفِرُوا لِأَخِيكُمْ»
ইব্ন মুসায়্যাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) তাঁদের কাছে বর্ণনা করেছেন যে, হাবশার বাদশাহ্ নাজাশী যেদিন মৃত্যুবরণ করেন সেদিন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহাবীদেরকে তাঁর মৃত্যু সংবাদ দিয়ে বলেছিলেন, তোমরা তোমাদের ভাইয়ের গুনাহ মার্জনার প্রার্থনা কর।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮৮০
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ فَضَالَةَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ هُوَ ابْنُ يَزِيدَ الْمُقْرِئُ، ح وَأَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ الْمُقْرِيءُ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي، قَالَ سَعِيدٌ، حَدَّثَنِي رَبِيعَةُ بْنُ سَيْفٍ الْمَعَافِرِيُّ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: بَيْنَمَا نَحْنُ نَسِيرُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ بَصُرَ بِامْرَأَةٍ لَا تَظُنُّ أَنَّهُ عَرَفَهَا، فَلَمَّا تَوَسَّطَ الطَّرِيقَ وَقَفَ حَتَّى انْتَهَتْ إِلَيْهِ، فَإِذَا فَاطِمَةُ بِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ لَهَا: «مَا أَخْرَجَكِ مِنْ بَيْتِكِ يَا فَاطِمَةُ؟»، قَالَتْ: أَتَيْتُ أَهْلَ هَذَا الْمَيِّتِ، فَتَرَحَّمْتُ إِلَيْهِمْ، وَعَزَّيْتُهُمْ بِمَيِّتِهِمْ، قَالَ: «لَعَلَّكِ بَلَغْتِ مَعَهُمُ الْكُدَى؟»، قَالَتْ: مَعَاذَ اللَّهِ، أَنْ أَكُونَ بَلَغْتُهَا وَقَدْ سَمِعْتُكَ تَذْكُرُ فِي ذَلِكَ مَا تَذْكُرُ، فَقَالَ لَهَا: «لَوْ بَلَغْتِهَا مَعَهُمْ مَا رَأَيْتِ الْجَنَّةَ حَتَّى يَرَاهَا جَدُّ أَبِيكِ»، قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ: «رَبِيعَةُ ضَعِيفٌ»
আব্দুল্লাহ ইব্ন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে সফর করছিলাম। এমতাবস্থায় এক মহিলাকে দেখা গেল। আমরা ধারণা করতে পারিনি যে, তিনি তাঁকে চিনতে পেরেছেন। যখন তিনি রাস্তার মাঝামাঝি আসলেন, তখন তিনি থেমে গেলেন এবং ঐ মহিলা তাঁর কাছে পৌঁছলেন, তখন আমরা দেখতে পেলাম যে, তিনি ফাতিমা বিন্ত রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! তিনি তাঁকে বললেন, হে ফাতিমা, তোমার ঘর থেকে তোমাকে কিসে বের করল? তিনি বললেন, আমি এ মৃত ব্যক্তির পরিজনদের কাছে গিয়ে তাদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ জ্ঞাপন করলাম এবং মৃত ব্যক্তির ব্যাপারে ধৈর্যধারণ করার জন্য তাদের উদ্বুদ্ধ করলাম। তিনি বললেন, সম্ভবত তুমি তাদের সাথে কুদা (কবরস্থান) পর্যন্ত গিয়েছিলে। ফাতিমা (রাঃ) বললেন, আমি সেখানে যাওয়া থেকে আল্লাহ্র আশ্রয় প্রার্থনা করছি। কেননা এ বিষয়ে আপনি যা বলেছেন তা আমি শুনেছি। তিনি বললেন, যদি তুমি তাদের সাথে সেখানে যেতে তবে তোমার পিতার দাদা জান্নাত না দেখা পর্যন্ত তুমি জান্নাত পেতে না।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
পানি ও কুল পাতা দিয়ে মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেওয়া
১৮৮১
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، أَنَّ أُمَّ عَطِيَّةَ الْأَنْصَارِيَّةَ قَالَتْ: دَخَلَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ تُوُفِّيَتِ ابْنَتُهُ، فَقَالَ: «اغْسِلْنَهَا ثَلَاثًا أَوْ خَمْسًا، أَوْ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكِ إِنْ رَأَيْتُنَّ ذَلِكِ، بِمَاءٍ وَسِدْرٍ، وَاجْعَلْنَ فِي الْآخِرَةِ كَافُورًا أَوْ شَيْئًا مِنْ كَافُورٍ، فَإِذَا فَرَغْتُنَّ فَآذِنَّنِي»، فَلَمَّا فَرَغْنَا آذَنَّاهُ، فَأَعْطَانَا حَقْوَهُ وَقَالَ: «أَشْعِرْنَهَا إِيَّاهُ»
উম্মে আতিয়া আনাসারিয়াহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর কন্যা ইন্তিকাল করলে তিনি আমাদের কাছে এলেন এবং বললেন, তোমরা তাকে পানি ও কুলপাতা দিয়ে গোসল দাও। তিন বা পাঁচবার কিংবা তোমরা ভাল মনে করলে আরো অধিকবার। আর শেষের বার তোমরা কর্পূর মিশ্রিত করবে। রাবী বলেন, কিংবা তিনি বলেছেন, কিছু কর্পূর মিশাবে। তোমরা গোসল সমাপ্ত করলে আমাকে জানাবে। আমরা গোসল সারার পর তাঁকে অবহিত করলাম। তিনি তাঁর একটি চাদর আমাদের দিলেন এবং বললেন, এটি তাঁর শরীরের সাথে জড়িয়ে দাও।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
গরম পানি দিয়ে মৃত ব্যক্তির গোসল দেওয়া
১৮৮২
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي الْحَسَنِ، مَوْلَى أُمِّ قَيْسٍ بِنْتِ مِحْصَنٍ، عَنْ أُمِّ قَيْسٍ قَالَتْ: تُوُفِّيَ ابْنِي فَجَزِعْتُ عَلَيْهِ، فَقُلْتُ لِلَّذِي يَغْسِلُهُ: لَا تَغْسِلِ ابْنِي بِالْمَاءِ الْبَارِدِ فَتَقْتُلَهُ، فَانْطَلَقَ عُكَّاشَةُ بْنُ مِحْصَنٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَهُ بِقَوْلِهَا، فَتَبَسَّمَ، ثُمَّ قَالَ: «مَا قَالَتْ طَالَ عُمْرُهَا »، فَلَا نَعْلَمُ امْرَأَةً عَمِرَتْ مَا عَمِرَتْ
উম্মে কায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার পুত্র ইন্তিকাল করল। আমি তাতে মর্মাহত হলাম। আর যে গোসল দিচ্ছিল আমি তাকে বললাম, আমার পুত্রকে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল দিয়ে মেরে ফেল না। উসামা ইব্ন মিহসান রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর কাছে গিয়ে মহিলার কথা তাঁকে অবহিত করলেন, তিনি মুচকি হাসলেন, এরপর বললেন, কী বলেছে সে? তার আয়ু দীর্ঘ হোক। ফলে এ মহিলার মত অন্য কোন মহিলা এত দীর্ঘ আয়ু পেয়েছেন বলে আমরা জানি না।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মৃতের মাথার চুল খুলে দেওয়া
১৮৮৩
أَخْبَرَنَا يُوسُفُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ أَيُّوبُ، سَمِعْتُ حَفْصَةَ، تَقُولُ: حَدَّثَتْنَا أُمُّ عَطِيَّةَ، أَنَّهُنَّ «جَعَلْنَ رَأْسَ ابْنَةَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَةَ قُرُونٍ»، قُلْتُ: نَقَضْنَهُ وَجَعَلْنَهُ ثَلَاثَةَ قُرُونٍ؟ قَالَتْ: «نَعَمْ»
হাফসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উম্মে আতিয়্যা (রাঃ) আমাদের কাছে বর্ণনা করেন যে, তাঁরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর কন্যার চুলকে তিন অংশে বিভক্ত করেছিলেন। আমি বললাম, তাঁরা কি তা খুলে তিন ভাগ করেছিলেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মৃতের ডান দিক ও ওযুর স্থান
১৮৮৪
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ حَفْصَةَ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فِي غَسْلِ ابْنَتِهِ: «ابْدَأْنَ بِمَيَامِنِهَا وَمَوَاضِعِ الْوُضُوءِ مِنْهَا»
উম্মে আতিয়্যা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার কন্যার গোসলের ব্যাপারে বলেছিলেন, তোমরা তার ডান দিক থেকে এবং অযূর স্থান থেকে আরম্ভ কর।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মৃতকে বেজোড় গোসল দেওয়া
১৮৮৫
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا هِشَامٌ، قَالَ: حَدَّثَتْنَا حَفْصَةُ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ قَالَتْ: مَاتَتْ إِحْدَى بَنَاتِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَرْسَلَ إِلَيْنَا فَقَالَ: «اغْسِلْنَهَا بِمَاءٍ وَسِدْرٍ، وَاغْسِلْنَهَا وِتْرًا ثَلَاثًا أَوْ خَمْسًا، أَوْ سَبْعًا إِنْ رَأَيْتُنَّ ذَلِكِ، وَاجْعَلْنَ فِي الْآخِرَةِ شَيْئًا مِنْ كَافُورٍ، فَإِذَا فَرَغْتُنَّ فَآذِنَّنِي»، فَلَمَّا فَرَغْنَا آذَنَّاهُ، فَأَلْقَى إِلَيْنَا حَقْوَهُ وَقَالَ: «أَشْعِرْنَهَا إِيَّاهُ، وَمَشَطْنَاهَا ثَلَاثَةَ قُرُونٍ، وَأَلْقَيْنَاهَا مِنْ خَلْفِهَا»
উম্মে আতিয়্যা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর এক কন্যার মৃত্যু হলে তিনি আমাদের ডেকে পাঠালেন এবং বললেন, তাকে কুল পাতা ও পানি দিয়ে গোসল দাও। আর তাকে তিন-পাঁচ অথবা সাতবার বেজোড় গোসল দিবে, যদি তোমরা তা ভাল মনে কর। আর শেষ বার কিছু কর্পূর দিবে। তোমরা কাজ সমাপ্ত করলে আমাকে সংবাদ দিও। আমরা কাজ সমাপ্ত করে তাকে সংবাদ দিলাম। তখন তিনি আমাদের দিকে তাঁর ইযার দিয়ে বললেন, এটি তার দেহের সঙ্গে জড়িয়ে দাও। আমরা তার চুল তিন ভাগে ভাগ করে আঁচড়িয়ে দিলাম এবং তা পেছনে করে দিলাম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মৃত ব্যক্তিকে পাঁচবারের অধিক গোসল দেওয়াঃ
১৮৮৬
أَخْبَرَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، عَنْ يَزِيدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ قَالَتْ: دَخَلَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ نَغْسِلُ ابْنَتَهُ، فَقَالَ: «اغْسِلْنَهَا ثَلَاثًا أَوْ خَمْسًا، أَوْ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكِ إِنْ رَأَيْتُنَّ ذَلِكِ، بِمَاءٍ وَسِدْرٍ، وَاجْعَلْنَ فِي الْآخِرَةِ كَافُورًا أَوْ شَيْئًا مِنْ كَافُورٍ، فَإِذَا فَرَغْتُنَّ فَآذِنَّنِي»، فَلَمَّا فَرَغْنَا آذَنَّاهُ، فَأَلْقَى إِلَيْنَا حِقْوَهُ وَقَالَ: «أَشْعِرْنَهَا إِيَّاهُ»
উম্মে আতিয়্যা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কন্যার গোসল দেওয়ার সময়ে তিনি আমাদের নিকট এসে বললেন, তাকে পানি ও কুল পাতা দিয়ে তিন বার, পাঁচ বার অথবা তোমরা ভাল মনে করলে আরো অধিক বার গোসল দিবে। শেষ বার কর্পূর দিবে। রাবী বলেন, কিংবা তিনি বলেছেন, কিছু কর্পূর দিবে। যখন তোমরা গোসল দেওয়া শেষ করবে তখন আমাকে সংবাদ দিবে। আমরা কাজ সমাপ্ত করে তাঁকে সংবাদ দিলাম। তিনি আমাদের দিকে তাঁর চাদর ছুঁড়ে দিয়ে বললেন, এটি তার দেহের সাথে জড়িয়ে দাও।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মৃত ব্যক্তিকে সাতবারের অধিক গোসল দেওয়াঃ
১৮৮৭
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ قَالَتْ: تُوُفِّيَتْ إِحْدَى بَنَاتِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَرْسَلَ إِلَيْنَا، فَقَالَ: «اغْسِلْنَهَا ثَلَاثًا أَوْ خَمْسًا، أَوْ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكِ إِنْ رَأَيْتُنَّ، بِمَاءٍ وَسِدْرٍ، وَاجْعَلْنَ فِي الْآخِرَةِ كَافُورًا أَوْ شَيْئًا مِنْ كَافُورٍ، فَإِذَا فَرَغْتُنَّ فَآذِنَّنِي»، فَلَمَّا فَرَغْنَا آذَنَّاهُ، فَأَلْقَى إِلَيْنَا حِقْوَهُ وَقَالَ: «أَشْعِرْنَهَا إِيَّاهُ»
উম্মে আতিয়্যা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর এক মেয়ের মৃত্যু হলে তিনি আমাদের ডেকে পাঠালেন এবং নির্দেশ দিলেন যে, তাঁকে তিনবার, পাচবার বা ততোধিক যতবার ভাল মনে হয় গোসল দিও পানি এবং বরই পাতা দ্বারা, আর শেষবার কর্পূরের কিছু অংশ দিয়ে দিও। আর যখন তোমরা অবসর হবে আমাকে সংবাদ দেবে। আমরা যখন অবসর হলাম তাঁকে সংবাদ দিলাম। তিনি আমাদের স্বীয় জুব্বা দিয়ে দিলেন এবং বললেন যে, এটা তার কাফনের নীচে দিয়ে দিও।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮৮৮
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ حَفْصَةَ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، نَحْوَهُ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: «ثَلَاثًا أَوْ خَمْسًا، أَوْ سَبْعًا أَوْ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكِ إِنْ رَأَيْتُنَّ ذَلِكِ»
উম্মে আতিয়্যা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হ্যাঁ; এতটুকু পার্থক্য যে, তিনি বলেছেন তিনবার, পাচবার, সাতবার বা ততোধিক, যদি তোমরা ভাল মনে কর।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮৮৯
أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا بِشْرٌ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ عَلْقَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ بَعْضِ إِخْوَتِهِ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ قَالَتْ: تُوُفِّيَتِ ابْنَةٌ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَمَرَنَا بِغَسْلِهَا، فَقَالَ: «اغْسِلْنَهَا ثَلَاثًا أَوْ خَمْسًا، أَوْ سَبْعًا أَوْ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكِ إِنْ رَأَيْتُنَّ»، قَالَتْ: قُلْتُ: وِتْرًا؟ قَالَ: «نَعَمْ، وَاجْعَلْنَ فِي الْآخِرَةِ كَافُورًا، أَوْ شَيْئًا مِنْ كَافُورٍ، فَإِذَا فَرَغْتُنَّ فَآذِنَّنِي»، فَلَمَّا فَرَغْنَا آذَنَّاهُ، فَأَعْطَانَا حِقْوَهُ وَقَالَ: «أَشْعِرْنَهَا إِيَّاهُ»
উম্মে আতিয়্যা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর এক মেয়ের মৃত্যু হলে আমাদের তাকে গোসল করানোর নির্দেশ দিলেন এবং বললেন, তাকে তিনবার, পাচবার, সাতবার বা ততোধিক বার গোসল করাবে, যদি তোমরা ভাল মনে কর। তিনি বলেন, আমি বললাম, তাও কি বেজোড় সংখ্যায় করতে হবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। এবং শেষের বারে কর্পূর বা কর্পূরের কিছু অংশ দিবে। আর যখন তোমরা অবসর হবে আমাকে সংবাদ দেবে। যখন আমরা অবসর হলাম তাঁকে সংবাদ দিলাম। তিনি আমাদের স্বীয় জুব্বা দিয়ে দিলেন এবং বললেন যে, এটা তার কাফনের নীচে দিয়ে দিও।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেওয়ার সময় কর্পূর ব্যবহার করাঃ
১৮৯০
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ زُرَارَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ قَالَتْ: أَتَانَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ نَغْسِلُ ابْنَتَهُ فَقَالَ: «اغْسِلْنَهَا ثَلَاثًا أَوْ خَمْسًا، أَوْ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكِ إِنْ رَأَيْتُنَّ ذَلِكِ، بِمَاءٍ وَسِدْرٍ، وَاجْعَلْنَ فِي الْآخِرَةِ كَافُورًا، أَوْ شَيْئًا مِنْ كَافُورٍ، فَإِذَا فَرَغْتُنَّ فَآذِنَّنِي»، فَلَمَّا فَرَغْنَا آذَنَّاهُ، فَأَلْقَى إِلَيْنَا حِقْوَهُ وَقَالَ: «أَشْعِرْنَهَا إِيَّاهُ»، قَالَ: أَوْ قَالَتْ حَفْصَةُ: «اغْسِلْنَهَا ثَلَاثًا أَوْ خَمْسًا أَوْ سَبْعًا»، قَالَ: وَقَالَتْ أُمُّ عَطِيَّةَ: مَشَطْنَاهَا ثَلَاثَةَ قُرُونٍ،
উম্মে আতিয়্যা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের কাছে আসলেন, তখন আমরা তাঁর মেয়েকে গোসল করাচ্ছিলাম। তিনি বললেন, তাঁকে তিনবার, পাঁচবার, বা ততোধিক বার গোসল করাবে। যদি তোমরা ভাল মনে কর পানি এবং বরই পাতা দ্বারা। আর শেষ বারে কর্পূর বা কর্পুরের অংশ দেবে। আর তোমরা অবসর হলে আমাকে সংবাদ দেবে। আমরা অবসর হলে তাঁকে সংবাদ দিলাম। তিনি আমাদের স্বীয় জুব্বা দিয়ে দিলেন এবং বললেন, এটা তাঁর কাফনের নীচে দিয়ে দিও। বর্ণনাকারী বলেন, হাফসা (রাঃ) বলেছেন, তাঁকে তিনবার, পাঁচবার গোসল করাবে। উম্মে আতিয়্যা (রাঃ) বলেন, আমরা তাঁর চুল আঁচড়িয়ে তিন ভাগে বিভক্ত করে দিলাম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮৯১
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ مُحَمَّدٍ، قَالَ: أَخْبَرَتْنِي حَفْصَةُ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، قَالَتْ: وَجَعَلْنَا رَأْسَهَا ثَلَاثَةَ قُرُونٍ،
উম্মে আতিয়্যা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, (মাথার চুল) আমরা তিন ভাগে বিভক্ত করে দিলাম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮৯২
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، وَقَالَتْ حَفْصَةُ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، وَجَعَلْنَا رَأْسَهَا ثَلَاثَةَ قُرُونٍ
উম্মে আতিয়্যা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা তাঁর মাথা (মাথার চুল) তিন ভাগে বিভক্ত করে দিলাম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
শরীরের সংগে মিলিয়ে পোশাক দেওয়াঃ
১৮৯৩
خْبَرَنَا يُوسُفُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَيُّوبُ بْنُ أَبِي تَمِيمَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ مُحَمَّدَ بْنَ سِيرِينَ، يَقُولُ: كَانَتْ أُمُّ عَطِيَّةَ امْرَأَةٌ مِنَ الْأَنْصَارِ قَدِمَتْ تُبَادِرُ ابْنًا لَهَا، فَلَمْ تُدْرِكْهُ، حَدَّثَتْنَا قَالَتْ: دَخَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَيْنَا وَنَحْنُ نَغْسِلُ ابْنَتَهُ فَقَالَ: «اغْسِلْنَهَا ثَلَاثًا أَوْ خَمْسًا، أَوْ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكِ إِنْ رَأَيْتُنَّ، بِمَاءٍ وَسِدْرٍ، وَاجْعَلْنَ فِي الْآخِرَةِ كَافُورًا أَوْ شَيْئًا مِنْ كَافُورٍ، فَإِذَا فَرَغْتُنَّ فَآذِنَّنِي»، فَلَمَّا فَرَغْنَا أَلْقَى إِلَيْنَا حِقْوَهُ وَقَالَ: «أَشْعِرْنَهَا إِيَّاهُ»، وَلَمْ يَزِدْ عَلَى ذَلِكَ، قَالَ: لَا أَدْرِي أَيُّ بَنَاتِهِ قَالَ: قُلْتُ: مَا قَوْلُهُ أَشْعِرْنَهَا إِيَّاهُ؟ أَتُؤَزَّرُ بِهِ؟ قَالَ: لَا أُرَاهُ إِلَّا أَنْ يَقُولَ الْفُفْنَهَا فِيهِ
উম্মে আতিয়্যা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি (বসরায়) এসে তাড়াতাড়ি তাঁর ছেলের কাছে গেলেন। কিন্তু তাঁকে পেলেন না। (কারণ, সে ইতিপূর্বে মারা গিয়েছিল) তিনি বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের কাছে আসলেন, আমরা তখন তাঁর মেয়েকে গোসল করাচ্ছিলাম। তিনি বলেন, তাঁকে তিনবার, পাঁচবার বা ততোধিকবার গোসল করাবে যদি তোমরা ভাল মনে কর পানি এবং বরই পাতা দ্বারা এবং শেষবার কর্পূর বা কর্পূরের কিছু অংশ দেবে। আর যখন তোমরা অবসর হবে আমাকে সংবাদ দিবে। যখন আমরা অবসর হলাম তাঁকে সংবাদ দিলাম। তিনি আমাদের স্বীয় জুব্বা দিয়ে দিলেন এবং বললেন, এটা তাঁর কাফনের নীচে দিয়ে দিও। রাবী মুহাম্মাদ ইব্ন সীরীন এর চেয়ে কিছু বলেন নি। রাবী আইয়ূব ইব্ন তামীম বলেন যে, আমি জানি না সে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কোন্ মেয়ে ছিল। বর্ণনাকারী বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “তাঁর কাফনের নীচে দিয়ে দাও” এর অর্থ কি? এটা কি তাঁকে পায়জামা হিসেবে পরিধান করানো হবে? তিনি বললেন, তা আমার মনে হয় না, তবে তিনি হয়তো বলেছিলেন তা দিয়ে পেঁচিয়ে দাও।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮৯৪
أَخْبَرَنَا شُعَيْبُ بْنُ يُوسُفَ النَّسَائِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ قَالَتْ: تُوُفِّيَ إِحْدَى بَنَاتِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «اغْسِلْنَهَا ثَلَاثًا أَوْ خَمْسًا، أَوْ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكِ إِنْ رَأَيْتُنَّ ذَلِكِ، وَاغْسِلْنَهَا بِالسِّدْرِ وَالْمَاءِ، وَاجْعَلْنَ فِي آخِرِ ذَلِكِ كَافُورًا أَوْ شَيْئًا مِنْ كَافُورٍ، فَإِذَا فَرَغْتُنَّ فَآذِنَّنِي»، قَالَتْ: فَآذَنَّاهُ، فَأَلْقَى إِلَيْنَا حِقْوَهُ فَقَالَ: «أَشْعِرْنَهَا إِيَّاهُ»
উম্মে আতিয়্যা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর এক মেয়ের মৃত্যু হলে তিনি বলেলেন, তাঁকে তিনবার, পাঁচবার বা ততোধিক বার গোসল করাও যদি তোমরা ভাল মনে কর। আর তাঁকে পানি এবং বরই পাতা দ্বারা গোসল করাও আর শেষ বারে কর্পূর বা কর্পূরের কিছু অংশ দিও। তোমরা অবসর হলে আমাকে সংবাদ দিও। তিনি বলেন, আমরা তাঁকে সংবাদ দিলে তিনি আমাদের স্বীয় জুব্বা দিয়ে দিলেন এবং বললেন যে, এটা তাঁর কাফনের নীচে দিয়ে দাও।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
উত্তম কাফন পরিধান করানোর আদেশঃ
১৮৯৫
أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ خَالِدٍ الرَّقِّيُّ الْقَطَّانُ، وَيُوسُفُ بْنُ سَعِيدٍ، وَاللَّفْظُ لَهُ، قَالَ: أَنْبَأَنَا حَجَّاجٌ، عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرًا يَقُولُ: خَطَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَ رَجُلًا مِنْ أَصْحَابِهِ مَاتَ فَقُبِرَ لَيْلًا، وَكُفِّنَ فِي كَفَنٍ غَيْرِ طَائِلٍ، فَزَجَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُقْبَرَ إِنْسَانٌ لَيْلًا إِلَّا أَنْ يُضْطَرَّ إِلَى ذَلِكَ، وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا وَلِيَ أَحَدُكُمْ أَخَاهُ فَلْيُحَسِّنْ كَفْنَهُ»
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একবার খুতবা দিলেন এবং সাহাবীদের মধ্য থেকে এই ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন যিনি মৃত্যুবরণ করেছিলেন এবং তাঁকে রাত্রে কবর দেওয়া হয়েছিল এবং তাঁকে উত্তম কাপড়ে কাফন দেওয়া হয়েছিল না। তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিনা প্রয়োজনে রাত্রে কবর দিতে নিষেধ করলেন এবং বললেন, যখন তোমাদের কেউ কারো অভিভাবক হবে তাকে উত্তম কাফন পরিধান করাবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
কোন ধরনের কাফন উত্তম?
১৮৯৬
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: أَنْبَأَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ أَبِي عَرُوبَةَ يُحَدِّثُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَبِي الْمُهَلَّبِ، عَنْ سَمُرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْبَسُوا مِنْ ثِيَابِكُمُ الْبَيَاضَ، فَإِنَّهَا أَطْهَرُ وَأَطْيَبُ، وَكَفِّنُوا فِيهَا مَوْتَاكُمْ»
সামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমরা সাদা কাপড় পরিধান কর। কেননা তা সর্বোত্তম এবং পবিত্রতম এবং তা দ্বারা তোমাদের মৃতদের কাফন দাও।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাফন
১৮৯৭
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «كُفِّنَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ثَلَاثَةِ أَثْوَابٍ سُحُولِيَّةٍ بِيضٍ»
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে সাহূল নামক স্থানের তিনটি সাদা কাপড় দ্বারা কাফন দেওয়া হয়েছিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮৯৮
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُفِّنَ فِي ثَلَاثَةِ أَثْوَابٍ بِيضٍ سُحُولِيَّةٍ لَيْسَ فِيهَا قَمِيصٌ وَلَا عِمَامَةٌ»
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে সাহূল নামক স্থানের তিনটি সাদা কাপড় দ্বারা কাফন দেওয়া হয়েছিল; তাতে কুর্তা এবং পাগড়ি ছিল না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৮৯৯
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَفْصٌ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «كُفِّنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ثَلَاثَةِ أَثْوَابٍ بِيضٍ يَمَانِيَةٍ كُرْسُفٍ لَيْسَ فِيهَا قَمِيصٌ، وَلَا عِمَامَةٌ»، فَذُكِرَ لِعَائِشَةَ قَوْلُهُمْ فِي ثَوْبَيْنِ وَبُرْدٍ مِنْ حِبَرَةٍ، فَقَالَتْ: قَدْ أُتِيَ بِالْبُرْدِ وَلَكِنَّهُمْ رَدُّوهُ وَلَمْ يُكَفِّنُوهُ فِيهِ
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে তিনটি ইয়ামানী সাদা সুতী কাপড় দ্বারা কাফন দেওয়া হয়েছিল; তাতে কুর্তা এবং পাগড়ি ছিল না। যখন আয়েশা (রাঃ) এর কাছে লোকদের দুই কাপড়ে এবং একটি নকশা করা চাদরে কাফন দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হল, তখন তিনি বলেন, তা আনা হয়েছিল কিন্তু উপস্থিত সাহাবীগন তা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন এবং তাতে তাঁকে কাফন দিয়েছিলেন না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
কাফনে কুর্তা ব্যবহার করা
১৯০০
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنَا نَافِعٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ: لَمَّا مَاتَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَيٍّ جَاءَ ابْنُهُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: اعْطِنِي قَمِيصَكَ حَتَّى أُكَفِّنَهُ فِيهِ، وَصَلِّ عَلَيْهِ، وَاسْتَغْفِرْ لَهُ، فَأَعْطَاهُ قَمِيصَهُ ثُمَّ قَالَ: «إِذَا فَرَغْتُمْ فَآذِنُونِي أُصَلِّي عَلَيْهِ»، فَجَذَبَهُ عُمَرُ وَقَالَ: قَدْ نَهَاكَ اللَّهُ أَنْ تُصَلِّيَ عَلَى الْمُنَافِقِينَ، فَقَالَ: ” أَنَا بَيْنَ خِيرَتَيْنِ، قَالَ: اسْتَغْفِرْ لَهُمْ، أَوْ لَا تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ “، فَصَلَّى عَلَيْهِ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَلَا تُصَلِّ عَلَى أَحَدٍ مِنْهُمْ مَاتَ أَبَدًا وَلَا تَقُمْ عَلَى قَبْرِهِ} [التوبة: 84] فَتَرَكَ الصَّلَاةَ عَلَيْهِمْ
আব্দুল্লাহ ইব্ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যখন আব্দুল্লাহ ইব্ন উবাই-এর মৃত্যু হল তাঁর ছেলে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে এসে বললেন, আপনি আমাকে স্বীয় কুর্তাটা দিয়ে দিন যাতে আমি তা দিয়ে তাঁকে দিতে পারি এবং তাঁর জানাযা পড়িয়ে দিন এবং তাঁর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে স্বীয় কুর্তা দিয়ে দিলেন। তারপর বললেন, যখন তোমরা অবসর হও আমাকে সংবাদ দিও আমি তাঁর জানাজা পড়াব। উমর (রাঃ) তাঁকে টেনে নিয়ে বললেন, আপনাকে তো আল্লাহ্ তা’য়ালা মুনাফিকদের জানাযা পড়াতে নিষেধ করেছেন। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, মুনাফিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা বা না করার ব্যাপারে আমাকে এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে। তারপর তিনি তাঁর জানাজা পড়ালেন। তারপর আল্লাহ তায়ালা অবতীর্ণ করলেন (তাদের মধ্যে কারো মৃত্যু হলে তুমি কখনো তাঁর জন্য জানাজা সালাত পড়বে না এবং তাঁর কবরের পার্শ্বে দাঁড়াবে না।) এরপর তিনি মুনাফিকের জন্য জানাজা পড়া ছেড়ে দিলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯০১
أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ الْعَلَاءِ بْنِ عَبْدِ الْجَبَّارِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَمْرٍو، قَالَ: سَمِعْتُ جَابِرًا يَقُولُ: «أَتَى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْرَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَيٍّ وَقَدْ وُضِعَ فِي حُفْرَتِهِ، فَوَقَفَ عَلَيْهِ، فَأَمَرَ بِهِ فَأُخْرِجَ لَهُ، فَوَضَعَهُ عَلَى رُكْبَتَيْهِ، وَأَلْبَسَهُ قَمِيصَهُ، وَنَفَثَ عَلَيْهِ مِنْ رِيقِهِ»، «وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ»
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আব্দুল্লাহ ইব্ন উবাইর কবরের কাছে আসলেন, ইতিপূর্বে তাঁকে দাফন করা হয়েছিল। তিনি সেখানে দাঁড়ালেন এবং তাঁকে কবর থেকে বের করার নির্দেশ দিলেন। তাঁকে বের করা হল। তিনি তাঁকে স্বীয় হাঁটু দ্বয়ের উপর রাখলেন এবং তাঁকে নিজ কুর্তা পরিয়ে দিলেন এবং স্বীয় থুথু তাঁর শরীরের উপর ছিটিয়ে দিলেন। আল্লাহ তায়ালাই সর্বজ্ঞ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯০২
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الزُّهْرِيُّ الْبَصْرِىُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، سَمِعَ جَابِرًا، يَقُولُ: «وَكَانَ الْعَبَّاسُ بِالْمَدِينَةِ، فَطَلَبَتِ الْأَنْصَارُ ثَوْبًا يَكْسُونَهُ، فَلَمْ يَجِدُوا قَمِيصًا يَصْلُحُ عَلَيْهِ إِلَّا قَمِيصَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَيٍّ فَكَسَوْهُ إِيَّاهُ»
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আব্বাস (রাঃ) মদীনাতে ছিলেন। আনসারগণ তাঁকে পরিধান করানোর জন্য একটি কাপড় তালাশ করে এমন কোন কুর্তা সংস্থান করতে পারলেন না যা তাঁর গায়ে লাগে আব্দুল্লাহ ইব্ন উবাইর কুর্তা ব্যতীত। অগত্যা সেটাই তাঁকে পরিধান করালেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯০৩
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ الْأَعْمَشِ، ح وأَخْبَرَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، قَالَ: سَمِعْتُ الْأَعْمَشَ، قَالَ: سَمِعْتُ شَقِيقًا، قَالَ: حَدَّثَنَا خَبَّابٌ، قَالَ: «هَاجَرْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَبْتَغِي وَجْهَ اللَّهِ تَعَالَى، فَوَجَبَ أَجْرُنَا عَلَى اللَّهِ، فَمِنَّا مَنْ مَاتَ لَمْ يَأْكُلْ مِنْ أَجْرِهِ شَيْئًا، مِنْهُمْ مُصْعَبُ بْنُ عُمَيْرٍ قُتِلَ يَوْمَ أُحُدٍ فَلَمْ نَجِدْ شَيْئًا نُكَفِّنُهُ فِيهِ إِلَّا نَمِرَةً، كُنَّا إِذَا غَطَّيْنَا رَأْسَهُ خَرَجَتْ رِجْلَاهُ، وَإِذَا غَطَّيْنَا بِهَا رِجْلَيْهِ خَرَجَتْ رَأْسُهُ، فَأَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ نُغَطِّيَ بِهَا رَأْسَهُ، وَنَجْعَلَ عَلَى رِجْلَيْهِ إِذْخِرًا، وَمِنَّا مَنْ أَيْنَعَتْ لَهُ ثَمَرَتُهُ فَهُوَ يَهْدِبُهَا» وَاللَّفْظُ لِإِسْمَعِيلَ “
খাব্বাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি কল্পে হিজরত করলাম। অতএব আমাদের প্রতিদান আল্লাহ্ তা’আলার যিম্মায় গেল। তাই আমাদের মধ্যে যারা মৃত্যুবরণ করল তারা স্বীয় প্রতিদান (গণীমতের সম্পদ) কিছুই ভোগ করতে পারল না যেমন মুসআব ইব্ন উমায়র (রাঃ), যিনি উহুদের জিহাদে শাহাদাতবরণ করেছিলেন। আমরা তাঁর কাফন উপযোগী কোন কাপড়ের সংস্থান রাতে পেরেছিলাম না। শুধুমাত্র একটি চাদর ছাড়া যা দিয়ে তাঁর মাথা কাফনে ঢাকলে পা বের হয়ে যেত আর পা ঢাকলে মাথা বের হয়ে যেত। তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চাদর দিয়ে তাঁর মাথা ঢেকে দিয়ে পাদ্বয়ে ঘাস দিয়ে দেওয়ার জন্য আমাদের নির্দেশ দিলেন। আর আমাদের মধ্যে কতেক এমনও আছে যারা স্বীয় প্রতিদান পেয়েছে এবং তা ভোগও করেছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
মুহরিম মৃত্যুবরণ করলে তাকে কিভাবে কাফন পরানো হবে?
১৯০৪
أَخْبَرَنَا عُتْبَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ نَافِعٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اغْسِلُوا الْمُحْرِمَ فِي ثَوْبَيْهِ اللَّذَيْنِ أَحْرَمَ فِيهِمَا، وَاغْسِلُوهُ بِمَاءٍ وَسِدْرٍ، وَكَفِّنُوهُ فِي ثَوْبَيْهِ، وَلَا تُمِسُّوهُ بِطِيبٍ، وَلَا تُخَمِّرُوا رَأْسَهُ، فَإِنَّهُ يُبْعَثُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مُحْرِمًا»
ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা ইহরাম পরিহিত ব্যক্তিকে তার পরিধানের কাপড়দ্বয়ে গোসল দেবে পানি এবং বরই পাতা দ্বারা আর তাকে তার কাপড়দ্বয় দ্বারা কাফন দেবে এবং তার শরীরে সুগন্ধি লাগাবে না আর তার জন্য মাথা ঢেকে দেবে না। কেননা, সে কিয়ামতের দিন ইহরাম পরিহিত অবস্থায় উত্থিত হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
কস্তুরী
১৯০৫
أَخْبَرَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، وَشَبَابَةُ، قَالَا: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ خُلَيْدِ بْنِ جَعْفَرٍ، سَمِعَ أَبَا نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَطْيَبُ الطِّيبِ الْمِسْكُ»
আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, সর্বোৎকৃষ্ট সুগন্ধির মধ্যে কস্তুরী অন্যতম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯০৬
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ الدِّرْهَمِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا أُمَيَّةُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ الْمُسْتَمِرِّ بْنِ الرَّيَّانِ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مِنْ خَيْرِ طِيبِكُمُ الْمِسْكُ»
আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের সর্বোৎকৃষ্ট সুগন্ধির মধ্যে কস্তুরী অন্যতম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদ
জানাযার অনুমতি প্রদান করা
১৯০৭
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ فِي حَدِيثِهِ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ، أَنَّ مِسْكِينَةً مَرِضَتْ، فَأُخْبِرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَرَضِهَا، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعُودُ الْمَسَاكِينَ، وَيَسْأَلُ عَنْهُمْ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا مَاتَتْ فَآذِنُونِي»، فَأُخْرِجَ بِجَنَازَتِهَا لَيْلًا، وَكَرِهُوا أَنْ يُوقِظُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا أَصْبَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُخْبِرَ بِالَّذِي كَانَ مِنْهَا، فَقَالَ: «أَلَمْ آمُرْكُمْ أَنْ تُؤْذِنُونِي بِهَا»، قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَرِهْنَا أَنْ نُوقِظَكَ لَيْلًا، فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى صَفَّ بِالنَّاسِ عَلَى قَبْرِهَا، وَكَبَّرَ أَرْبَعَ تَكْبِيرَاتٍ
আবূ উসামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক অসহায় মহিলা অসুস্থ হলে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –কে তার অসুস্থতা সম্পর্কে সংবাদ দেওয়া হলো। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অসহায়দের সেবা শুশ্রুষা করতেন এবং তাদের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিতেন। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, যদি সে (অসহায় মহিলা) মারা যায় তবে আমাকে সংবাদ দিও। রাত্রে তার জানাযা পড়া হলো আর সাহাবায়ে কেরাম রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –কে জাগানো সমীচীন মনে করলেন না। যখন সকাল হল রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –কে ঘটনা জানানো হল। তিনি বললেন, আমি কি তোমাদের আমাকে সংবাদ দিতে বলিনি? তাঁরা বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আমরা আপনাকে রাত্রে জাগানো সমীচীন মনে করিনি। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার কবরের পার্শ্বে নিয়ে লোকজন নিয়ে কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়ালেন এবং চারটি তাকবীর বললেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস