তিরমিজি দুআ সমূহ অধ্যায় ৩য় ভাগ হাদিস নং ৩৫৪১ – ৩৬০৪
অনুচ্ছেদ-১০০
আল্লাহ তা’আলা একশত রাহমাত সৃষ্টি করেছেন
৩৫৪১
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ خَلَقَ اللَّهُ مِائَةَ رَحْمَةٍ فَوَضَعَ رَحْمَةً وَاحِدَةً بَيْنَ خَلْقِهِ يَتَرَاحَمُونَ بِهَا وَعِنْدَ اللَّهِ تِسْعَةٌ وَتِسْعُونَ رَحْمَةً ” . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ سَلْمَانَ وَجُنْدَبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سُفْيَانَ الْبَجَلِيِّ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আল্লাহ তা’আলা একশত রহমাত সৃষ্টি করেছেন, তা হতে কেবল একটি রহমাত তাঁর সৃষ্টিকুলের মাঝে রেখেছেন, তার মধ্যমে তারা একে অপরের প্রতি দয়া ও অনুকম্পা প্রদর্শন করে। আর বাকি নিরানব্বইটি রহমাত আল্লাহ তা’আলার নিকট রয়েছে।
হাদীসটি সহীহ ইবনু মাজাহ (হা.৪২৯৩, ৪২৯৪), মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫৪২
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لَوْ يَعْلَمُ الْمُؤْمِنُ مَا عِنْدَ اللَّهِ مِنَ الْعُقُوبَةِ مَا طَمِعَ فِي الْجَنَّةِ أَحَدٌ وَلَوْ يَعْلَمُ الْكَافِرُ مَا عِنْدَ اللَّهِ مِنَ الرَّحْمَةِ مَا قَنَطَ مِنَ الْجَنَّةِ أَحَدٌ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন যদি মুমিন বান্দা অবগত থাকত যে কি ভীষণ শাস্তি আল্লাহ তা’আলার কাছে তৈরী রয়েছে তাহলে কেউই জান্নাতে প্রবেশের কামনা করত না। আর যদি কাফির লোক অবগত থাকত যে আল্লাহ্র কাছে কি অপরিসীম দয়া রয়েছে তাহলে কেউই জান্নাতে প্রবেশে আশাহতে নিরাশ হত না।
সহীহঃ সহীহাহ্ (১৬৩৪), বুখারী ও মুসলিম অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫৪৩
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِنَّ اللَّهَ حِينَ خَلَقَ الْخَلْقَ كَتَبَ بِيَدِهِ عَلَى نَفْسِهِ إِنَّ رَحْمَتِي تَغْلِبُ غَضَبِي ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
আবূ হুরাইরাহ্(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন যখন আল্লাহ তা’আলা সৃষ্টিকুলকে সৃষ্টি করেন, সে সময় নিজের হাতে নিজের উপর অনিবার্য করে লিখে নিয়েছেন : আমার রাহমাত আমার ক্রোধের উপর বিজয়ী থাকবে।
হাসান সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১৮৯), বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৩৫৪৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي الثَّلْجِ، – رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ بَغْدَادَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ صَاحِبُ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ زَرْبِيٍّ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، وَثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ دَخَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْمَسْجِدَ وَرَجُلٌ قَدْ صَلَّى وَهُوَ يَدْعُو وَيَقُولُ فِي دُعَائِهِ اللَّهُمَّ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ الْمَنَّانُ بَدِيعُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “ تَدْرُونَ بِمَ دَعَا اللَّهَ دَعَا اللَّهَ بِاسْمِهِ الأَعْظَمِ الَّذِي إِذَا دُعِيَ بِهِ أَجَابَ وَإِذَا سُئِلَ بِهِ أَعْطَى ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسٍ . وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ عَنْ أَنَسٍ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাসজিদে প্রবেশ করলেন, সে সময় এক লোক নামায আদায় করে দু’আ করছিল এবং সে তার দু’আয় বলছিল হে আল্লাহ! তুমি ছাড়া আর কোন মা’বূদ নেই, তুমি পরম অনুগ্রহকারী, আকাশসমূহ ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা, অসীম ক্ষমতাবান ও মহাসম্মানিত। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা কি জানো আল্লাহ তা’আলার নিকট সে কিসের মাধ্যমে দু’আ করেছে? সে আল্লাহ তা’আলার নিকটে তাঁর মহান নাম এর মাধ্যমে দু’আ করেছে। যে নামে দু’আ করা হলে তিনি তা ক্ববূল করেন এবং ঐ নামের মাধ্যমে প্রার্থনা করা হলে তিনি দান করেন।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (৩৮৫৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১০১
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণী তাঁর নাক ভূলুণ্ঠিত হোক
৩৫৪৫
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا رِبْعِيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ رَغِمَ أَنْفُ رَجُلٍ ذُكِرْتُ عِنْدَهُ فَلَمْ يُصَلِّ عَلَىَّ وَرَغِمَ أَنْفُ رَجُلٍ دَخَلَ عَلَيْهِ رَمَضَانُ ثُمَّ انْسَلَخَ قَبْلَ أَنْ يُغْفَرَ لَهُ وَرَغِمَ أَنْفُ رَجُلٍ أَدْرَكَ عِنْدَهُ أَبَوَاهُ الْكِبَرَ فَلَمْ يُدْخِلاَهُ الْجَنَّةَ ” . قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ وَأَظُنُّهُ قَالَ أَوْ أَحَدُهُمَا . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَأَنَسٍ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَرِبْعِيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ هُوَ أَخُو إِسْمَاعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ وَهُوَ ثِقَةٌ وَهُوَ ابْنُ عُلَيَّةَ . وَيُرْوَى عَنْ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ قَالَ إِذَا صَلَّى الرَّجُلُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَرَّةً فِي الْمَجْلِسِ أَجْزَأَ عَنْهُ مَا كَانَ فِي ذَلِكَ الْمَجْلِسِ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তার নাক ভূলুন্ঠিত হোক যার কাছে আমার নাম উল্লেখিত হল, কিন্ত সে আমার উপর দরূদ পাঠ করেনি। ভুলুন্ঠিত হোক তার নাক যার নিকট রমযান মাস এলো অথচ তার গুনাহ্ মাফ হয়ে যাওয়ার পূর্বেই তা পার হয়ে গেল। আর ভূলুন্ঠিত হোক তার নাক যার নিকট তার বাবা-মা বৃদ্ধে উপনিত হলো, কিন্ত তারা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করায়নি (সে তাদের সঙ্গে ভাল আচরণ করে জান্নাত অর্জন করেনি)। আবদুর রহমানের রিওয়াইয়াতে কিংবা ‘‘যে কোন একজন’’ কথাটুকুও আছে।
হাসান সহীহঃ মিশকাত (৯২৭), তা’লীকুর রাগীব (২/২৮৩), নাবীর উপর দরূদ পাঠের ফযীলাত (১৬), মুসলিম হাদীসের শেষ অংশ বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৩৫৪৬
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، وَزِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلاَلٍ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ حُسَيْنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ الْبَخِيلُ الَّذِي مَنْ ذُكِرْتُ عِنْدَهُ فَلَمْ يُصَلِّ عَلَىَّ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
আলী ইবনু আবী ত্বালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: কৃপণ সেই লোক যার কাছে আমার আলোচনা করা হয় অথচ সে আমার উপর দরূদ পড়ে না।
সহীহঃ মিশকাত (৯৩৩), সালাতের ফাযীলাত (১৪/৩১-৩৯) তা’লীকুর রাগীব (২/২৮৪)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১০২
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর দু’আ
৩৫৪৭
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ اللَّهُمَّ بَرِّدْ قَلْبِي بِالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ وَالْمَاءِ الْبَارِدِ اللَّهُمَّ نَقِّ قَلْبِي مِنَ الْخَطَايَا كَمَا نَقَّيْتَ الثَّوْبَ الأَبْيَضَ مِنَ الدَّنَسِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
আবদুল্লাহ ইবনু আবী আওফা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেনঃ “হে আল্লাহ! তুমি আমার অন্তরকে বরফ, শিশির ও ঠান্ডা পানি দ্বারা শীতল করে দাও। হে আল্লাহ! আমার অন্তরকে গুনাহ হতে এমনভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে দাও যেরূপে তুমি সাদা কাপড়কে ময়লা হতে পরিষ্কার করেছ”।
সহীহঃ মুসলিম (২/৭৩)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫৪৮
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ الْقُرَشِيِّ الْمُلَيْكِيِّ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” مَنْ فُتِحَ لَهُ مِنْكُمْ بَابُ الدُّعَاءِ فُتِحَتْ لَهُ أَبْوَابُ الرَّحْمَةِ وَمَا سُئِلَ اللَّهُ شَيْئًا يَعْنِي أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ أَنْ يُسْأَلَ الْعَافِيَةَ ” . وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِنَّ الدُّعَاءَ يَنْفَعُ مِمَّا نَزَلَ وَمِمَّا لَمْ يَنْزِلْ فَعَلَيْكُمْ عِبَادَ اللَّهِ بِالدُّعَاءِ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ . لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ الْقُرَشِيِّ وَهُوَ الْمَكِّيُّ الْمُلَيْكِيُّ وَهُوَ ضَعِيفٌ فِي الْحَدِيثِ ضَعَّفَهُ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ .
وَقَدْ رَوَى إِسْرَائِيلُ، هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” مَا سُئِلَ اللَّهُ شَيْئًا أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنَ الْعَافِيَةِ ”
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে যার জন্য দু’আর দরজা খুলে দেয়া হল, মুলত তার জন্য রাহমাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হল। আল্লাহ্ তা’আলার নিকটে যা কিছু কামনা করা হয়, তার মধ্যে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করা তাঁর নিকট বেশি প্রিয়।
যঈফ, মিশকাত (২২৩৯), তা’লীকুর রাগীব (২/২৭২)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরও বলেনঃ যে বিপদ-আপদ এসেছে আর যা (এখনও) আসেনি তাতে দু’আয় কল্যাণ হয়। অতএব হে আল্লাহ্র বান্দাগণ! তোমরা দু’আকে আবশ্যিক করে নাও।
হাসান, মিশকাত (২৫৩৯), তা’লীকুর রাগীব (২/২৭২)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। হাদীসটি আমারা শুধু আবদুর রাহমান ইবনু আবূ বাকর আল-কুরাশীর সূত্রেই জেনেছি। তিনি আল-মাক্কী ও আল-মুলাইকী হিসেবেও পরিচিত। তিনি হাদীস শাস্ত্রে দুর্বল। কতক হাদীসবিদ তাঁর স্মরণশক্তির কারণে তাঁকে দুর্বল আখ্যায়িত করেছেন। ইসরাঈল এ হাদীস আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকর হতে তিনি মূসা ইবনু উকবা হতে তিনি নাফি হতে তিনি ইবনু উমার (রাঃ) হতে তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেনঃ ………. “আল্লাহ্ তা’আলার নিকটে যা কিছু চাওয়া হয়, তার মধ্যে শান্তি ও নিরাপত্তা কামনা করা তাঁর নিকট বেশি প্রিয়”। এটি আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন আল-কাসিম ইবনু দীনার আল-কূফী হতে তিনি ইসহাক ইবনু মানসূর আল-কূফী হতে তিনি ইসরাঈল (রহঃ) সূত্রে।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
৩৫৪৯
حَدَّثَنَا بِذَلِكَ الْقَاسِمُ بْنُ دِينَارٍ الْكُوفِيُّ حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ الْكُوفِيُّ عَنْ إِسْرَائِيلَ بِهَذَا .
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ خُنَيْسٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ الْقُرَشِيِّ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ، عَنْ بِلاَلٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” عَلَيْكُمْ بِقِيَامِ اللَّيْلِ فَإِنَّهُ دَأْبُ الصَّالِحِينَ قَبْلَكُمْ وَإِنَّ قِيَامَ اللَّيْلِ قُرْبَةٌ إِلَى اللَّهِ وَمَنْهَاةٌ عَنِ الإِثْمِ وَتَكْفِيرٌ لِلسَّيِّئَاتِ وَمَطْرَدَةٌ لِلدَّاءِ عَنِ الْجَسَدِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ بِلاَلٍ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَلاَ يَصِحُّ مِنْ قِبَلِ إِسْنَادِهِ . قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ يَقُولُ مُحَمَّدٌ الْقُرَشِيُّ هُوَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ الشَّامِيُّ وَهُوَ ابْنُ أَبِي قَيْسٍ وَهُوَ مُحَمَّدُ بْنُ حَسَّانَ وَقَدْ تُرِكَ حَدِيثُهُ . وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ” عَلَيْكُمْ بِقِيَامِ اللَّيْلِ فَإِنَّهُ دَأْبُ الصَّالِحِينَ قَبْلَكُمْ وَهُوَ قُرْبَةٌ إِلَى رَبِّكُمْ وَمَكْفَرَةٌ لِلسَّيِّئَاتِ وَمَنْهَاةٌ لِلإِثْمِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي إِدْرِيسَ عَنْ بِلاَلٍ .
বিলাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমরা অবশ্যই রাতের ইবাদাত করবে। কেননা তা তোমাদের পূর্ববর্তী সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের নিত্য আচরণ ও প্রথা। রাতের ইবাদাত আল্লাহ্ তা’আলার সান্নিধ্য অর্জনের উপায়, পাপকর্মের প্রতিবন্ধক, গুনাহসমূহের কাফফারা এবং দেহের রোগ দূরকারী।
যঈফ, ইরওয়া (৪৫২), তা’লীকুর গারীব (২/২১৬), মিশকাত (১২২৭), আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান ও গারীব। কেননা এ হাদীস আমরা শুধু বিলাল (রাঃ) হতে উপরোক্ত সূত্রে জেনেছি। সনদসূত্রের দিক হতে এটি সহীহ নয়। আমি মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল (আল-বুখারী)-কে বলতে শুনেছি, মুহাম্মদ আল-কুরাশী হলেন মুহাম্মদ ইবনু সাঈদ আশ-শামী। ইবনু আবূ কাইস হলেন মুহাম্মাদ ইবনু হাসসান এবং তাঁর হাদীস বাদ দেয়া হয়েছে। মুআবিয়া ইবনু সালিহ (রহঃ) এ হাদীস রবীআ ইবনু ইয়াযীদ হতে তিনি আবূ ইদরীস আল-খাওলানী হতে তিনি আবূ উমামা (রাঃ) হতে তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেনঃ “তোমরা অবশ্যই রাতের ইবাদাত করবে। কেননা উহা তোমাদের পূর্ববর্তী সৎ-কর্মপরায়ণগণের অভ্যাস, আল্লাহ্র সান্নিধ্য অর্জনের উপায়, গুনাহসমূহের কাফফারা এবং পাপ কর্মের প্রতিবন্ধক” আবূ ঈসা বলেন, এই বর্ণনাটি ইদরীসের সূত্রে বিললের বর্ণনা হতে অধিকতর সহীহ। হাসান, ইরওয়া (৪৫২), তা’লীকুর রাগীব (২/২১৬), মিশকাত (১২২৭)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৫৫০
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَعْمَارُ أُمَّتِي مَا بَيْنَ سِتِّينَ إِلَى سَبْعِينَ وَأَقَلُّهُمْ مَنْ يَجُوزُ ذَلِكَ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার উম্মাতের স্বাভাবিক বয়স ষাট হতে সত্তর বছরের মাঝে হবে এবং তাদের কম সংখ্যকই এই বয়সসীমা পার করবে।
হাসানঃ ২৩৩১ নং হাদীস পূর্বে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১০৩
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর একটি দুআ
৩৫৫১
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ طُلَيْقِ بْنِ قَيْسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَدْعُو يَقُولُ “ رَبِّ أَعِنِّي وَلاَ تُعِنْ عَلَىَّ وَانْصُرْنِي وَلاَ تَنْصُرْ عَلَىَّ وَامْكُرْ لِي وَلاَ تَمْكُرْ عَلَىَّ وَاهْدِنِي وَيَسِّرِ الْهُدَى لِي وَانْصُرْنِي عَلَى مَنْ بَغَى عَلَىَّ رَبِّ اجْعَلْنِي لَكَ شَكَّارًا لَكَ ذَكَّارًا لَكَ رَهَّابًا لَكَ مِطْوَاعًا لَكَ مُخْبِتًا إِلَيْكَ أَوَّاهًا مُنِيبًا رَبِّ تَقَبَّلْ تَوْبَتِي وَاغْسِلْ حَوْبَتِي وَأَجِبْ دَعْوَتِي وَثَبِّتْ حُجَّتِي وَسَدِّدْ لِسَانِي وَاهْدِ قَلْبِي وَاسْلُلْ سَخِيمَةَ صَدْرِي ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
قَالَ مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ الْعَبْدِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুআ করতেন এবং বলতেনঃ “হে আল্লাহ! আমাকে সহযোগিতা কর এবং আমার বিরুদ্ধে (কাউকে) সহযোগিতা করো না, আমাকে সাহায্য কর এবং আমার বিরুদ্ধে কাউকে সাহায্য করো না, আমার জন্য পরিকল্পনা এঁটে দাও এবং আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পনা এঁটো না, আমাকে হিদায়াত দান কর, আমার জন্য হিদায়াতের পথ সহজসাধ্য কর এবং যে লোক আমার উপর যুলম ও সীমালঙ্ঘন করে তার বিরুদ্ধে আমাকে সহযোগিতা কর। হে আল্লাহ! আমাকে তোমার জন্য কৃতজ্ঞ বান্দা কর, তোমার জন্য অধিক যিকরকারী, তোমাকে বেশি ভয়কারী, তোমার অনেক আনুগত্যকারী, তোমার কাছে অনুনয়-বিনয়কারী ও তোমার দিকে প্রত্যাবর্তনকারী কর। হে আমার প্রভু! আমার তাওবাহ কবূল কর, আমার সকল গুনাহ ধুয়ে-মুছে ফেল, আমার দুআ কবূল কর, আমার সাক্ষ্য-প্রমাণ বহাল কর, আমার যবানকে দৃঢ় কর, আমার অন্তরে হিদায়াত দান কর এবং আমার বুক হতে সমস্ত হিংসা দূর কর”।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (৩৮৩০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫৫২
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ دَعَا عَلَى مَنْ ظَلَمَهُ فَقَدِ انْتَصَرَ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي حَمْزَةَ . وَقَدْ تَكَلَّمَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي أَبِي حَمْزَةَ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ وَهُوَ مَيْمُونٌ الأَعْوَرُ .
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الرُّؤَاسِيُّ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ .
আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক তার প্রতি অত্যাচারকারীর বিরুদ্ধে দু‘আ করল সে প্রতিশোধ গ্রহণ করল।
যঈফ, যঈফা (৪৫৯৩), আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধু আবূ হামযার রিওয়ায়াত হিসেবে এ হাদীস জেনেছি। কিছু বিশেষজ্ঞ আলিম আবূ হামযার স্মৃতিশক্তির সমালোচনা করেছেন। তিনি হলেন মাইমূন আল-আ’ওয়ার। কুতাইবা-হুমাইদ ইবনু আবদুর রহমান আর-রুয়াসী হতে, তিনি আবুল আহওয়াস হতে, তিনি আবূ হামযা (রহঃ) হতে উক্ত সূত্রে একইরকম হাদীস বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১০৪
(একটি দুআ দশবার পাঠ করার সাওয়াব)
৩৫৫৩
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْكِنْدِيُّ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، قَالَ وَأَخْبَرَنِي سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ قَالَ عَشْرَ مَرَّاتٍ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ . كَانَتْ لَهُ عِدْلَ أَرْبَعِ رِقَابٍ مِنْ وَلَدِ إِسْمَاعِيلَ ” . قَالَ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ أَبِي أَيُّوبَ مَوْقُوفًا .
আবূ আইউব আল –আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক দশবার বলে, “আল্লাহ ব্যতীত কোন মা’বূদ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন অংশীদার নেই, সার্বভৌমত্ব তাঁর, সকল প্রশংসা তাঁর। তিনি জীবন দান করেন, তিনি মৃত্যু দেন এবং সমস্ত কিছুর উপর তিনিই সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী”, সে হযরত ইসমাঈল (আঃ) এর বংশের [অর্থাৎ কুরাইশ বংশের] চারজন দাস মুক্ত করার সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে।
সহীহঃ যঈফাহ (৫১২৬) নং হাদীসের অধীনে, বুখারী ও মুসলিম “তিনি জীবিত করেন মৃত্যুদান করেন” এই অংশ বাদে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫৫৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا هَاشِمٌ، وَهُوَ ابْنُ سَعِيدٍ الْكُوفِيُّ حَدَّثَنِي كِنَانَةُ، مَوْلَى صَفِيَّةَ قَالَ سَمِعْتُ صَفِيَّةَ، تَقُولُ دَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَبَيْنَ يَدَىَّ أَرْبَعَةُ آلاَفِ نَوَاةٍ أُسَبِّحُ بِهَا فَقُلْتُ لَقَدْ سَبَّحْتُ بِهَذِهِ . فَقَالَ ” أَلاَ أُعَلِّمُكِ بِأَكْثَرَ مِمَّا سَبَّحْتِ بِهِ ” . فَقُلْتُ بَلَى عَلِّمْنِي . فَقَالَ ” قُولِي سُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ خَلْقِهِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ صَفِيَّةَ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ هَاشِمِ بْنِ سَعِيدٍ الْكُوفِيِّ وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ بِمَعْرُوفٍ . وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ .
উম্মুল মুমিনীন সাফিয়্যা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নিকটে এলেন, তখন আমার নিকট চার হাজার খেজুরের বিচি ছিল, যা দিয়ে আমি তাসবীহ পাঠ করে থাকি। তিনি বললেনঃ তুমি কি এগুলো দিয়ে তাসবীহ গণনা করেছ? আমি কি তোমাকে এমন তাসবীহ শিখাব না যা সাওয়াবের দিক হতে এর চেয়ে বেশি হবে? আমি বললাম, হ্যাঁ আমাকে শিখিয়ে দিন। তিনি বললেনঃ তুমি বল, “আল্লাহ্ তা”আলা তাঁর সৃষ্টিকুলের সমপরিমাণ পবিত্র”।
মুনকার, আর-রাদ্দু আলাত তা’কীবিল হাসীস (৩৫-৩৮)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। কেননা সাফিয়্যা (রাঃ)-এর এ হাদীস আমরা শুধু হাশিম ইবনু সাঈদ আল-কূফীর সূত্রে জেনেছি। এর সনদ তেমন সুপরিচিত নয়। এ অনুচ্ছেদে ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদিসের মানঃ মুনকার
- সরাসরি
৩৫৫৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ سَمِعْتُ كُرَيْبًا، يُحَدِّثُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ جُوَيْرِيَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم مَرَّ عَلَيْهَا وَهِيَ فِي مَسْجِدٍ ثُمَّ مَرَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِهَا قَرِيبًا مِنْ نِصْفِ النَّهَارِ فَقَالَ لَهَا ” مَا زِلْتِ عَلَى حَالِكِ ” . فَقَالَتْ نَعَمْ . قَالَ ” أَلاَ أُعَلِّمُكِ كَلِمَاتٍ تَقُولِينَهَا سُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ خَلْقِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ خَلْقِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ خَلْقِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ رِضَا نَفْسِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ رِضَا نَفْسِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ رِضَا نَفْسِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ زِنَةَ عَرْشِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ زِنَةَ عَرْشِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ زِنَةَ عَرْشِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ مِدَادَ كَلِمَاتِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ مِدَادَ كَلِمَاتِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ مِدَادَ كَلِمَاتِهِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ هُوَ مَوْلَى آلِ طَلْحَةَ وَهُوَ شَيْخٌ مَدَنِيٌّ ثِقَةٌ وَقَدْ رَوَى عَنْهُ الْمَسْعُودِيُّ وَسُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ هَذَا الْحَدِيثَ .
উম্মুল মুমিনীন জুওয়াইরিয়াহ বিনতুল হারিস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার কাছ দিয়ে অতিক্রম করলেন, সে সময় তিনি তার (ঘরে) নামাযের জায়গায় ছিলেন। আবার রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রায় দুপুরে তার কাছ দিয়ে গমন করেন এবং তাকে বললেনঃ তুমি কি তখন হতে এই অবস্থায় আছ? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। তিনি বললেন, আমি তোমাকে কি কিছু বাক্য শিখিয়ে দিব না যা তুমি বলবে? “আল্লাহ তা’আলা তাঁর সৃষ্টিকুলের সমপরিমাণ মহাপবিত্র” (৩ বার), “আল্লাহ তা’আলা তাঁর সত্তার সন্তোষ মোতাবিক মহাপবিত্র” (৩ বার), “আল্লাহ তা’আলা তাঁর আরশের ওজনের সমপরিমাণ মহাপবিত্র” (৩ বার), “আল্লাহ তাঁর কালামের সমান মহাপবিত্র” (তিন বার)।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (৩৮০৮), মুসলিম
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১০৫
(হাত তুলে দু’আ করলে আল্লাহ তা’আলা সেই হাত শুন্য ফিরান না)
৩৫৫৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، قَالَ أَنْبَأَنَا جَعْفَرُ بْنُ مَيْمُونٍ، صَاحِبُ الأَنْمَاطِ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، عَنْ سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِنَّ اللَّهَ حَيِيٌّ كَرِيمٌ يَسْتَحِي إِذَا رَفَعَ الرَّجُلُ إِلَيْهِ يَدَيْهِ أَنْ يَرُدَّهُمَا صِفْرًا خَائِبَتَيْنِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَرَوَاهُ بَعْضُهُمْ وَلَمْ يَرْفَعْهُ .
সালমান আল ফারিসী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা অত্যধিক লজ্জাশীল ও দাতা। যখন কোন ব্যক্তি তাঁর দরবারে তার দুই হাত তুলে (প্রার্থনা করে) তখন তিনি তার হাত দু’খানা শুন্য ও বঞ্চিত ফিরিয়ে দিতে লজ্জাবোধ করেন।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (৩৮৬৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫৫৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَجْلاَنَ، عَنِ الْقَعْقَاعِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَجُلاً، كَانَ يَدْعُو بِأُصْبُعَيْهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَحِّدْ أَحِّدْ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ . وَمَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ إِذَا أَشَارَ الرَّجُلُ بِأُصْبُعَيْهِ فِي الدُّعَاءِ عِنْدَ الشَّهَادَةِ لاَ يُشِيرُ إِلاَّ بِأُصْبُعٍ وَاحِدَةٍ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক লোক দুই আঙ্গুলে (ইঙ্গিত করে) দুআ করছিল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ একটির মাধ্যমে একটির মাধ্যমে।
হাসান সহীহঃ মিশকাত (৯১৩)
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১০৬
(দুআ প্রসঙ্গে বিভিন্ন হাদীস)
৩৫৫৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، وَهُوَ ابْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، أَنَّ مُعَاذَ بْنَ رِفَاعَةَ، أَخْبَرَهُ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَامَ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ عَلَى الْمِنْبَرِ ثُمَّ بَكَى فَقَالَ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ الأَوَّلِ عَلَى الْمِنْبَرِ ثُمَّ بَكَى فَقَالَ “ سَلُوا اللَّهَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فَإِنَّ أَحَدًا لَمْ يُعْطَ بَعْدَ الْيَقِينِ خَيْرًا مِنَ الْعَافِيَةِ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ عَنْ أَبِي بَكْرٍ رضى الله عنه .
মুআয ইবনু রিফা’আহ (রহঃ) হতে তার বাবা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ) মাসজিদে নাববীর মিম্বারে দাঁড়ালেন, তারপর কেঁদে দিলেন। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গত বছর এ মিম্বারে দাঁড়িয়ে কাঁদেন, তারপর বলেনঃ আল্লাহ তা’আলার নিকট তোমরা ক্ষমা, শান্তি ও হিফাযাত প্রার্থণা কর। কেননা ঈমানের পর তোমাদের কাউকে শান্তি ও হিফাযাতের চাইতে বেশি উত্তম আর কিছুই দেয়া হয়নি।
হাসান সহীহঃ ইবনু মাজাহ (৩৮৪৯)
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১০৭
যে ক্ষমা প্রার্থনা করল সে গুনাহ হতে মুক্ত হল
৩৫৫৯
حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ يَزِيدَ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو يَحْيَى الْحِمَّانِيُّ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ وَاقِدٍ، عَنْ أَبِي نُصَيْرَةَ، عَنْ مَوْلًى، لأَبِي بَكْرٍ عَنْ أَبِي بَكْرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَا أَصَرَّ مَنِ اسْتَغْفَرَ وَلَوْ فَعَلَهُ فِي الْيَوْمِ سَبْعِينَ مَرَّةً ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ أَبِي نُصَيْرَةَ وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ بِالْقَوِيِّ .
আবূ বাকর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ক্ষমা প্রার্থনা করেছে (গুনাহ হতে) সে গুনাহর উপর অটল থাকেনি, যদিও সে প্রতিদিন সত্তরবার গুনাহ করে থাকে।
যঈফ, মিশকাত (২৩৪০), যঈফ আবূ দাঊদ (২৬৭), আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধু আবূ নুসাইরার সুত্রেই হাদীসটি জেনেছি। এ হাদীসের সনদসূত্র তেমন মজবুত নয়।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১০৮
নতুন পোশাক পরার দু‘আ
৩৫৬০
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، وَسُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، – الْمَعْنَى وَاحِدٌ قَالاَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، حَدَّثَنَا الأَصْبَغُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، قَالَ لَبِسَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رضى الله عنه ثَوْبًا جَدِيدًا فَقَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي كَسَانِي مَا أُوَارِي بِهِ عَوْرَتِي وَأَتَجَمَّلُ بِهِ فِي حَيَاتِي . ثُمَّ عَمَدَ إِلَى الثَّوْبِ الَّذِي أَخْلَقَ فَتَصَدَّقَ بِهِ ثُمَّ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ مَنْ لَبِسَ ثَوْبًا جَدِيدًا فَقَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي كَسَانِي مَا أُوَارِي بِهِ عَوْرَتِي وَأَتَجَمَّلُ بِهِ فِي حَيَاتِي ثُمَّ عَمَدَ إِلَى الثَّوْبِ الَّذِي أَخْلَقَ فَتَصَدَّقَ بِهِ كَانَ فِي كَنَفِ اللَّهِ وَفِي حِفْظِ اللَّهِ وَفِي سَتْرِ اللَّهِ حَيًّا وَمَيِّتًا ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ . وَقَدْ رَوَاهُ يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زَحْرٍ عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَزِيدَ عَنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ .
আবূ উমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) একখানা নতুন পোশাক পরেন এবং বলেন, “সকল প্রশংসা আল্লাহ্ তা‘আলার জন্য যিনি আমাকে পরিয়েছেন, যা দিয়ে আমি লজ্জাস্থান ঢেকে রেখেছি এবং আমার জীবনকে সুসজ্জিত করেছি।” তারপর তিনি তাঁর পুরাতন কাপড়টি দান করে দিলেন। অতঃপর বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি নতুন কাপড় (পোশাক) পরে বলে, “সকল প্রশংসা আল্লাহ্ তা‘আলার যিনি আমাকে পরিয়েছেন, যা দিয়ে আমি আমার লজ্জাস্থান ঢেকে রেখেছি এবং আমার জীবনকে (দৈহিক সৌষ্ঠব) সুসজ্জিত করেছি”, তারপর নিজের পরার পুরানো বস্ত্র দান করে, সে জীবনে ও মরণে আল্লাহ্ তা’আলার আশ্রয়ে, আল্লাহ্ তা‘আলার হিফাজাতে এবং আল্লাহ্ তা’আলার সুরক্ষিত প্রাচীরে থাকে।
যঈফ, ইবনু মাজাহ (৩৫৫৭), আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। হাদীসটি ইয়াহ্ইয়া ইবনু আইউব (রহঃ) উবাইদুল্লাহ ইবনু যাহর হতে, তিনি আলী ইবনু ইয়াযীদ হতে, তিনি কাসিম হতে, তিনি আবূ উমামা (রাঃ) হতে বর্ণনা করছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১০৯
সর্বোত্তম গানীমাত
৩৫৬১
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْحَسَنِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نَافِعٍ الصَّائِغُ، قِرَاءَةً عَلَيْهِ عَنْ حَمَّادِ بْنِ أَبِي حُمَيْدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ بَعْثًا قِبَلَ نَجْدٍ فَغَنِمُوا غَنَائِمَ كَثِيرَةً وَأَسْرَعُوا الرَّجْعَةَ فَقَالَ رَجُلٌ مِمَّنْ لَمْ يَخْرُجْ مَا رَأَيْنَا بَعْثًا أَسْرَعَ رَجْعَةً وَلاَ أَفْضَلَ غَنِيمَةً مِنْ هَذَا الْبَعْثِ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم “ أَلاَ أَدُلُّكُمْ عَلَى قَوْمٍ أَفْضَلُ غَنِيمَةً وَأَسْرَعُ رَجْعَةً قَوْمٌ شَهِدُوا صَلاَةَ الصُّبْحِ ثُمَّ جَلَسُوا يَذْكُرُونَ اللَّهَ حَتَّى طَلَعَتْ عَلَيْهِمُ الشَّمْسُ فَأُولَئِكَ أَسْرَعُ رَجْعَةً وَأَفْضَلُ غَنِيمَةً ” . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَحَمَّادُ بْنُ أَبِي حُمَيْدٍ هُوَ أَبُو إِبْرَاهِيمَ الأَنْصَارِيُّ الْمُزَنِيُّ وَهُوَ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي حُمَيْدٍ الْمَدَنِيُّ وَهُوَ ضَعِيفٌ فِي الْحَدِيثِ .
উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নাজদের দিকে এক অভিযানে একটি সেনাদল পাঠান। তারা প্রচুর গানীমাতের সম্পদ অর্জন করে এবং তাড়াতাড়ি ফিরে আসে। তাদের সাথে যায়নি এমন এক লোক বলল, অল্প সময়ের মধ্যে এত পরিমাণে উত্তম গানীমাত নিয়ে এদের চেয়ে তাড়াতাড়ি আর কোন সেনাদলকে আমরা ফিরে আসতে দেখিনি। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমি কি তোমাদেরকে এমন এক দলের কথা বলব না যারা এদের চেয়ে তাড়াতাড়ি উত্তম গানীমাত নিয়ে ফিরে আসে? যারা ফজরের নামাযের জামা’আতে হাযির হয়, (নামায শেষে) সূর্যোদয় পর্যন্ত বসে আল্লাহ্ তা’আলার যিকির করতে থাকে, তারাই অল্প সময়ের মধ্যে উত্তম গানীমাতসহ প্রত্যাবর্তনকারী।
যঈফ, তা’লীকুর রাগীব (১/১৬৬), সহীহা (২৫৩১) নং হাদীসের অধীনে, আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসিটি গারীব। আমরা শুধু উপরোক্ত সনদসুত্রেই এ হাদীস জেনেছি। আর হাম্মাদ ইবনু আবূ হুমাইদ হলেন মুহাম্মদ ইবনু আবূ হুমাইদ এবং তিনি হলেন আবূ ইবরাহীম আল-আনসারী আল–মাদীনী। তিনি হাদীস শাস্ত্রে দুর্বল।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১১০
মুসাফিরের নিকট দু‘আর আবেদন
৩৫৬২
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ عُمَرَ، أَنَّهُ اسْتَأْذَنَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي الْعُمْرَةِ فَقَالَ “ أَىْ أُخَىَّ أَشْرِكْنَا فِي دُعَائِكَ وَلاَ تَنْسَنَا ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি উমরা করার লক্ষে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট সম্মতি চান। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ হে স্নেহের ভাই! তোমার দু‘আয় আমাদেরকেও অংশীদার করবে এবং আমাদেরকে ভুলে যেও না।
যইফ, ইবনু মাজাহ (২৮৯৪), আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১১১
(ঋণমুক্তির দুআ)
৩৫৬৩
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ سَيَّارٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَلِيٍّ، رضى الله عنه أَنَّ مُكَاتَبًا، جَاءَهُ فَقَالَ إِنِّي قَدْ عَجَزْتُ عَنْ كِتَابَتِي فَأَعِنِّي . قَالَ أَلاَ أُعَلِّمُكَ كَلِمَاتٍ عَلَّمَنِيهِنَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَوْ كَانَ عَلَيْكَ مِثْلُ جَبَلِ صِيرٍ دَيْنًا أَدَّاهُ اللَّهُ عَنْكَ قَالَ “ قُلِ اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلاَلِكَ عَنْ حَرَامِكَ وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একটি চুক্তিবদ্ধ গোলাম তার নিকটে এসে বলে, আমার চুক্তির অর্থ পরিশোধ করতে আমি অপরাগ হয়ে পড়েছি। আমাকে আপনি সহযোগিতা করুন। তিনি বললেন, আমি তোমাকে কি এমন একটি বাক্য শিখিয়ে দিব না যা আমাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শিখিয়েছিলেন? যদি তোমার উপর সীর (সাবীর) পর্বত পরিমাণ ঋণও থাকে তবে আল্লাহ তাআলা তোমাকে তা পরিশোধের ব্যবস্থা করে দিবেন। তিনি বলেনঃ তুমি বল, “হে আল্লাহ! তোমার হালালের মাধ্যমে আমাকে তোমার হারাম হতে বিরত রাখ বা দূরে রাখ এবং তোমার দয়ায় তুমি ব্যতীত অন্যের মুখাপেক্ষী হওয়া হতে আমাকে আত্মনির্ভরশীল কর”।
হাসানঃ তালীকুর রাগীব (২/৪০), আল –কালিমুত তাইয়্যিব (১৪৩/৯৯)
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১১২
রোগীকে দেখতে গিয়ে যে দু’আ পাঠ করবে
৩৫৬৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلِمَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ كُنْتُ شَاكِيًا فَمَرَّ بِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا أَقُولُ اللَّهُمَّ إِنْ كَانَ أَجَلِي قَدْ حَضَرَ فَأَرِحْنِي وَإِنْ كَانَ مُتَأَخِّرًا فَأَرْفِغْنِي وَإِنْ كَانَ بَلاَءً فَصَبِّرْنِي . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” كَيْفَ قُلْتَ ” . قَالَ فَأَعَادَ عَلَيْهِ مَا قَالَ قَالَ فَضَرَبَهُ بِرِجْلِهِ فَقَالَ ” اللَّهُمَّ عَافِهِ أَوِ اشْفِهِ ” . شُعْبَةُ الشَّاكُّ . فَمَا اشْتَكَيْتُ وَجَعِي بَعْدُ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি অসুস্থ (রোগাক্রান্ত) ছিলাম। রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নিকটে এলেন এবং তখন আমি বলছিলামঃ “হে আল্লাহ! যদি আমার শেষ মুহূর্ত হাযির হয়ে থাকে তবে আমাকে দয়া কর, তাতে যদি দেরী থাকে তবে আমাকে উঠিয়ে দাও (সুস্থ কর), আর যদি বিপদের পরীক্ষায় ফেল তাহলে সবর দান কর”। রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তুমি কিভাবে বললে? তিনি তার কথার পুনরাবৃত্তি করে তাঁকে শুনান। রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর পা দিয়ে তাকে আঘাত করেন এবং বলেনঃ “হে আল্লাহ! তাকে আরোগ্য দান কর, অথবা তাকে নিরাময় দান কর”। শুবার সন্দেহ (তার ঊর্দ্ধতন রাবী কোনটি বলেছেন)। আলী (রাঃ) বলেনঃ এরপর আমি ব্যথা অনুভব করি নাই।
যঈফ, মিশকাত(৬০৯৮), আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৫৬৫
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَلِيٍّ، رضى الله عنه قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا عَادَ مَرِيضًا قَالَ “ اللَّهُمَّ أَذْهِبِ الْبَأْسَ رَبَّ النَّاسِ وَاشْفِ فَأَنْتَ الشَّافِي لاَ شِفَاءَ إِلاَّ شِفَاؤُكَ شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقَمًا ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন রোগীকে দেখতে গেলে বলতেনঃ “হে মানুষের প্রভু! তুমি রোগ দূর কর, তুমি সুস্থতা দান কর, তুমিই সুস্থতা দানকারী। তোমার আরোগ্যদান ব্যতীত কোন আরোগ্য নেই। তুমি এমনভাবে সুস্থতা দান কর যাতে কোন রোগই বাকি না থাকে”।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম আয়িশাহ (রাঃ) হতে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১১৩
বিতর নামাযের দু’আ
৩৫৬৬
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عَمْرٍو الْفَزَارِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ فِي وِتْرِهِ “ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ وَأَعُوذُ بِمُعَافَاتِكَ مِنْ عُقُوبَتِكَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْكَ لاَ أُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ عَلِيٍّ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ .
আলী ইবনু আবী ত্বালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর বিতরের নামাযে বলতেনঃ “হে আল্লাহ! আমি তোমার খুশির জন্য তোমার অখুশি হতে আশ্রয় প্রার্থণা করি, তোমার ক্ষমা ও অনুকম্পার জন্য তোমার শাস্তি হতে আশ্রয় প্রার্থণা করি এবং তোমার সত্বা হতে তোমার কাছেই আশ্রয় প্রার্থণা করি। তোমার প্রশংসা করে আমি শেষ করতে পারি না, তুমি তেমনি যেমন তুমি নিজের প্রশংসা করেছ।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১১৭৯)
আবূ ঈসা বলেন, আলী (রাঃ) এর বর্ণনা হিসেবে এ হাদীসটি হাসান গারীব। এ হাদীস আমরা শুধুমাত্র হাম্মাদ ইবনু সালামার বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে উপর্যুক্ত সনদে অবগত হয়েছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১১৪
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতি নামাযের পর যে দু’আ দ্বারা আশ্রয় প্রার্থণা করতেন
৩৫৬৭
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا زَكَرِيَّا بْنُ عَدِيٍّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، هُوَ ابْنُ عَمْرٍو الرَّقِّيُّ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ، وَعَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، قَالَ كَانَ سَعْدٌ يُعَلِّمُ بَنِيهِ هَؤُلاَءِ الْكَلِمَاتِ كَمَا يُعَلِّمُ الْمُكْتِبُ الْغِلْمَانَ وَيَقُولُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَتَعَوَّذُ بِهِنَّ دُبُرَ الصَّلاَةِ “ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْجُبْنِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبُخْلِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ أَرْذَلِ الْعُمُرِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الدُّنْيَا وَعَذَابِ الْقَبْرِ ” . قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَبُو إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيُّ مُضْطَرِبٌ فِي هَذَا الْحَدِيثِ يَقُولُ عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ عَنْ عُمَرَ وَيَقُولُ عَنْ غَيْرِهِ وَيَضْطَرِبُ فِيهِ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
মুসআব ইবনু সাদ ও আমর ইবনু মাইমূন (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তারা প্রত্যেকে বলেন, সাদ ইবনু আবী ওয়াক্কাস (রাঃ) নিম্নোক্ত বাক্যগুলো তাঁর সন্তানদেরকে এমনভাবে শিক্ষা দিতেন, যেমনভাবে মক্তবে শিক্ষক শিশুদেরকে শিক্ষা দেন। তিনি বলতেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নামাযের পর এগুলো দ্বারা আল্লাহ তাআলার নিকট আশ্রয় প্রার্থণা করতেনঃ “হে আল্লাহ! তোমার কাছে আমি ভীরুতা হতে আশ্রয় চাই, তোমার কাছে কৃপণতা হতে আশ্রয় চাই, তোমার কাছে অতি বার্ধক্যে পৌঁছার বয়স হতে আশ্রয় চাই এবং তোমার কাছে দুনিয়ার ঝগড়া-বিবাদ ও ক্ববরের শাস্তি হতে আশ্রয় চাই”।
সহীহঃ বুখারী (২৮২২, ৬৩৬৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫৬৮
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْحَسَنِ، حَدَّثَنَا أَصْبَغُ بْنُ الْفَرَجِ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلاَلٍ، عَنْ خُزَيْمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ أَبِيهَا، أَنَّهُ دَخَلَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى امْرَأَةٍ وَبَيْنَ يَدَيْهَا نَوًى أَوْ قَالَ حَصًى تُسَبِّحُ بِهِ فَقَالَ “ أَلاَ أُخْبِرُكِ بِمَا هُوَ أَيْسَرُ عَلَيْكِ مِنْ هَذَا أَوْ أَفْضَلُ سُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ مَا خَلَقَ فِي السَّمَاءِ وَسُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ مَا خَلَقَ فِي الأَرْضِ وَسُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ مَا بَيْنَ ذَلِكَ وَسُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ مَا هُوَ خَالِقٌ وَاللَّهُ أَكْبَرُ مِثْلَ ذَلِكَ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ مِثْلَ ذَلِكَ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ مِثْلَ ذَلِكَ ” . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ سَعْدٍ .
আইশা বিনতু সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তিনি রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে এক মহিলার ঘরে যান, যার সামনে ছিল খেজুরের অনেকগুলো বিচি অথবা নুড়ি পাথর, যার সাহায্যে সে তাস্বীহ পাঠ করত। রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমি কি তোমাকে এর চেয়েও সহজ ও উত্তম পথ প্রসঙ্গে জানাবো না? “আল্লাহ মহাপবিত্র আকাশে তাঁর সৃষ্টি জীবের সমসংখ্যক, আল্লাহ মহাপবিত্র দুনিয়াতে তাঁর সৃষ্ট জীবের সমসংখ্যক, আল্লাহ তা’আলা মহাপবিত্র এতদুভয়ের মধ্যকার সৃষ্টির সমসংখ্যক, আল্লাহ তা’আলা মহাপবিত্র তিনি যেসকল প্রাণী সৃষ্টি করবেন তার সমসংখ্যক, অনুরূপ পরিমাণ আল্লাহ তা’আলা মহান, অনুরূপ পরিমাণ আল্লাহ্ তা’আলার প্রশংসা, অনুরূপ সংখ্যকবার আল্লাহ তা’আলা ছাড়া কল্যাণ করার বা ক্ষতিসাধনের আর কোন শক্তি নেই”।
মুনকার, আর রাদ্দু আলা আত-তা’কীবিল হাছীস (২৩-৩২), মিশকাত (২৩১১), যঈফা(৮৩), আল কালিমুত তায়্যিব (১৩/৪), আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান এবং সা’দ (রাঃ)-এর হাদীস হিসেবে গারীব।
হাদিসের মানঃ মুনকার
- সরাসরি
৩৫৬৯
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، وَزَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي حُكَيْمٍ، خَطْمِيٌّ مَوْلَى الزُّبَيْرِ عَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَا مِنْ صَبَاحٍ يُصْبِحُ الْعِبَادُ فِيهِ إِلاَّ وَمُنَادٍ يُنَادِي سَبِّحُوا الْمَلِكَ الْقُدُّوسَ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ .
যুবাইর ইবনুল আওয়াম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বান্দা প্রতিদিন ভোরে উপনীত হলে একজন ঘোষক ডেকে বলেন, “সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী ত্রুটিমুক্ত আল্লাহ্ তা‘আলা মহাপবিত্র ও মহিমাময়”।
যঈফ, যঈফা, আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১১৫
মুখস্থশক্তি বাড়ানোর দু‘আ
৩৫৭০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْحَسَنِ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، وَعِكْرِمَةَ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ قَالَ بَيْنَمَا نَحْنُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذْ جَاءَهُ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ فَقَالَ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي تَفَلَّتَ هَذَا الْقُرْآنُ مِنْ صَدْرِي فَمَا أَجِدُنِي أَقْدِرُ عَلَيْهِ . فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” يَا أَبَا الْحَسَنِ أَفَلاَ أُعَلِّمُكَ كَلِمَاتٍ يَنْفَعُكَ اللَّهُ بِهِنَّ وَيَنْفَعُ بِهِنَّ مَنْ عَلَّمْتَهُ وَيُثَبِّتُ مَا تَعَلَّمْتَ فِي صَدْرِكَ ” . قَالَ أَجَلْ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَعَلِّمْنِي . قَالَ ” إِذَا كَانَ لَيْلَةُ الْجُمُعَةِ فَإِنِ اسْتَطَعْتَ أَنْ تَقُومَ فِي ثُلُثِ اللَّيْلِ الآخِرِ فَإِنَّهَا سَاعَةٌ مَشْهُودَةٌ وَالدُّعَاءُ فِيهَا مُسْتَجَابٌ وَقَدْ قَالَ أَخِي يَعْقُوبُ لِبَنِيهِ : (سوْفَ أَسْتَغْفِرُ لَكُمْ رَبِّي ) يَقُولُ حَتَّى تَأْتِيَ لَيْلَةُ الْجُمُعَةِ فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَقُمْ فِي وَسَطِهَا فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَقُمْ فِي أَوَّلِهَا فَصَلِّ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ تَقْرَأُ فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ وَسُورَةِ يس وَفِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ وَ( حم ) الدُّخَانَ وَفِي الرَّكْعَةِ الثَّالِثَةِ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ وَالم تَنْزِيلُ السَّجْدَةَ وَفِي الرَّكْعَةِ الرَّابِعَةِ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ وَتَبَارَكَ الْمُفَصَّلَ فَإِذَا فَرَغْتَ مِنَ التَّشَهُّدِ فَاحْمَدِ اللَّهَ وَأَحْسِنِ الثَّنَاءَ عَلَى اللَّهِ وَصَلِّ عَلَىَّ وَأَحْسِنْ وَعَلَى سَائِرِ النَّبِيِّينَ وَاسْتَغْفِرْ لِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَلإِخْوَانِكَ الَّذِينَ سَبَقُوكَ بِالإِيمَانِ ثُمَّ قُلْ فِي آخِرِ ذَلِكَ اللَّهُمَّ ارْحَمْنِي بِتَرْكِ الْمَعَاصِي أَبَدًا مَا أَبْقَيْتَنِي وَارْحَمْنِي أَنْ أَتَكَلَّفَ مَا لاَ يَعْنِينِي وَارْزُقْنِي حُسْنَ النَّظَرِ فِيمَا يُرْضِيكَ عَنِّي اللَّهُمَّ بَدِيعَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ وَالْعِزَّةِ الَّتِي لاَ تُرَامُ أَسْأَلُكَ يَا اللَّهُ يَا رَحْمَنُ بِجَلاَلِكَ وَنُورِ وَجْهِكَ أَنْ تُلْزِمَ قَلْبِي حِفْظَ كِتَابِكَ كَمَا عَلَّمْتَنِي وَارْزُقْنِي أَنْ أَتْلُوَهُ عَلَى النَّحْوِ الَّذِي يُرْضِيكَ عَنِّي اللَّهُمَّ بَدِيعَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ وَالْعِزَّةِ الَّتِي لاَ تُرَامُ أَسْأَلُكَ يَا اللَّهُ يَا رَحْمَنُ بِجَلاَلِكَ وَنُورِ وَجْهِكَ أَنْ تُنَوِّرَ بِكِتَابِكَ بَصَرِي وَأَنْ تُطْلِقَ بِهِ لِسَانِي وَأَنْ تُفَرِّجَ بِهِ عَنْ قَلْبِي وَأَنْ تَشْرَحَ بِهِ صَدْرِي وَأَنْ تَغْسِلَ بِهِ بَدَنِي لأَنَّهُ لاَ يُعِينُنِي عَلَى الْحَقِّ غَيْرُكَ وَلاَ يُؤْتِيهِ إِلاَّ أَنْتَ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ يَا أَبَا الْحَسَنِ تَفْعَلُ ذَلِكَ ثَلاَثَ جُمَعٍ أَوْ خَمْسَ أَوْ سَبْعَ تُجَابُ بِإِذْنِ اللَّهِ وَالَّذِي بَعَثَنِي بِالْحَقِّ مَا أَخْطَأَ مُؤْمِنًا قَطُّ ” . قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ فَوَاللَّهِ مَا لَبِثَ عَلِيٌّ إِلاَّ خَمْسًا أَوْ سَبْعًا حَتَّى جَاءَ عَلِيٌّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي مِثْلِ ذَلِكَ الْمَجْلِسِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي كُنْتُ فِيمَا خَلاَ لاَ آخُذُ إِلاَّ أَرْبَعَ آيَاتٍ أَوْ نَحْوَهُنَّ وَإِذَا قَرَأْتُهُنَّ عَلَى نَفْسِي تَفَلَّتْنَ وَأَنَا أَتَعَلَّمُ الْيَوْمَ أَرْبَعِينَ آيَةً أَوْ نَحْوَهَا وَإِذَا قَرَأْتُهَا عَلَى نَفْسِي فَكَأَنَّمَا كِتَابُ اللَّهِ بَيْنَ عَيْنَىَّ وَلَقَدْ كُنْتُ أَسْمَعُ الْحَدِيثَ فَإِذَا رَدَّدْتُهُ تَفَلَّتَ وَأَنَا الْيَوْمَ أَسْمَعُ الأَحَادِيثَ فَإِذَا تَحَدَّثْتُ بِهَا لَمْ أَخْرِمْ مِنْهَا حَرْفًا . فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عِنْدَ ذَلِكَ ” مُؤْمِنٌ وَرَبِّ الْكَعْبَةِ يَا أَبَا الْحَسَنِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ الْوَلِيدِ بْنِ مُسْلِمٍ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কোন এক সময় আমরা রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট ছিলাম। তখন আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) এসে বলেন, আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক! এই কুরআন আমার হৃদয় হতে বেরিয়ে যায় (মুখস্থ থাকে না)। আমি তা নিজের মধ্যে ধরে রাখতে সক্ষম নই। রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বলেনঃ হে আবুল হাসান! আমি কি তোমাকে এমন কথা শিখাব না যার দ্বারা আল্লাহ তা’আলা তোমাকে উপকৃত করবেন, তুমি যাকে তা শিখাবে তাকেও উপকৃত করবেন এবং যা তুমি শিখবে তাও তোমার হৃদয়ের মধ্যে গেঁথে থাকবে? তিনি বলেন, হ্যাঁ, হে আল্লাহ্র রাসূল! তা আমাকে শিখিয়ে দিন। তিনি বলেনঃ জুমু’আর রাত আসার পর তোমার পক্ষে সম্ভব হলে রাতের শেষ তৃতীয়াংশে (নামাযে) দাঁড়িয়ে যাও। এ সময় আল্লাহ্ তা’আলার ফেরেশতা হাযির হয় এবং তখন দু‘আ ক্ববূল হয়। আমার ভাই ইয়াকূব (আঃ) তাঁর সন্তানদের বলেছিলেনঃ আমি তোমাদের জন্য আমার রবের নিকটে ক্ষমা প্রার্থনা করব। পরিশেষে তিনি জুমু’আর রাতেই তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। যদি তুমি (তখন নামায আদায় করতে) সক্ষম না হও তাহলে মধ্য রাতে দাঁড়াও এবং তখনও সম্ভব না হলে রাতের প্রথম তৃতীয়াংশে দাঁড়াও এবং চার রাক’আত (নফল) নামায আদায় কর। প্রথম রাক’আতে সূরা আল-ফাতিহার পর সূরা ইয়াসীন, দ্বিতীয় রাক’আতে সূরা আল-ফাতিহার পর সূরা হা-মীম আদ-দুখান, তৃতীয় রাক’আতে সূরা আল-ফাতিহার পর সূরা আলিফ-লাম-মীম তানযীলুস সাজদা এবং চতুর্থ রাক’আতে সূরা আল-ফাতিহার পর সূরা তাবারাকা আল-মুফাস্সাল (সূরা আল-মূল্ক) পাঠ করবে। তুমি তাশাহুদ পাঠ শেষ করে আল্লাহ্ তা’আলার প্রশংসা করবে এবং ভালভাবে তাঁর গুণকীর্তন করবে, তারপর আমার উপর দরূদ পাঠ করবে এবং সকল নাবী-রাসূলের প্রতি ভালভাবে দুরূদ ও সালাম পাঠ করবে, তারপর সকল মু’মিন পুরুষ ও মু’মিন নারীদের জন্য এবং তোমার যে সকল ভাই ঈমানের সাথে অতীতে ইন্তিকাল করেছে তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে। সবশেষে তুমি বলবেঃ “হে আল্লাহ! পাপাচার ছেড়ে দিতে আমাকে অনুগ্রহ কর যাবত তুমি আমাকে বাঁচিয়ে রাখ, আমার প্রতি দয়া কর যেন আমি নিস্ফল আচরণে জড়িয়ে না পড়ি এবং তোমার পছন্দনীয় বিষয়ে আমাকে ভালভাবে ভাববার তাওফীক দাও। হে আল্লাহ! আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টা, মর্যাদা ও মহত্বের অধিকারী এবং এমন মর্যাদার অধিকারী যার আকাংখা করা যায় না, আমি তোমার নিকটে প্রার্থনা করি, হে আল্লাহ, হে রহমান, তোমার অসীম মহত্ব ও চেহারার নূরের উসীলায় আমি প্রার্থনা করি যে, আমার অন্তরে তোমার কিতাবকে বদ্ধমূল করে দাও যেমন তুমি আমাকে শিখিয়েছ, যে ভাবে পাঠ করলে তুমি সন্তুষ্ট হও সেইভাবে পাঠ করতে আমাকে তাওফীক দান কর, হে আল্লাহ, আকাশ ও জমীনের সৃষ্টিকর্তা মর্যাদা ও মহত্বের অধিকারী যার আকাংখা করা যায় না। হে দয়াময়, তোমার মহত্ব ও নুরের উসীলায় আমি প্রার্থনা করছি। তুমি তোমার কিতাবের উসীলায় আমার চক্ষুকে উজ্জ্বল করে দাও, তা দিয়ে আমার যবান (জিহ্বা) খুলে দাও এবং তা দিয়ে আমার অন্তরকে উন্মুক্ত কর, আর তা দিয়ে আমার বক্ষকে প্রসারিত, আমার দেহটিকে তা দিয়ে ধুয়ে ফেল। সত্যের উপর তুমি ব্যতীত অন্য কেউই আমার সাহায্য করতে পারে না এবং তুমি ব্যতীত কেউই আমাকে তা দিতে পারে না। সুউচ্চ ও সুমহান আল্লাহ ছাড়া অনিষ্ট রোধ করার এবং কল্যাণ অর্জনের আর কোন শক্তি নেই। ”
হে আবুল হাসান! তুমি তিন অথবা পাঁচ অথবা সাত জুমু’আ পর্যন্ত এ আমল করতে থাক। আল্লাহ্ তা’আলার ইচ্ছায় তোমার দু’আ ক্ববূল হবে। সেই মহান সত্তার কসম, যিনি আমাকে সত্য সহকারে পাঠিয়েছেন! কোন মু’মিনই (এ দু’আ পাঠ করে) কখনও বঞ্চিত হবে না। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, আল্লাহ্ তা’আলার শপথ! আলী (রাঃ) পাঁচ অথবা সাত জুমু’আ পর্যন্ত এই আমল করে একদিন এরকম এক আসরে এসে রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে বলেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! আগে আমি চার আয়াত পাঠ করতাম আর তা আমার হৃদয় হতে চলে যেত। আর এখন আমি চল্লিশ আয়াত অথবা এরকম পরিমাণ মুখস্থ করে যখন পাঠ করি তখন মনে হয় যেন আল্লাহ্ তা’আলার কিতাব আমার চোখের সামনে উন্মুক্ত আছে। একইভাবে আমি হাদীস শুনতাম এবং পরে তা পুনঃপাঠ করতে গিয়ে দেখতাম যে, তা আমার অন্তর থেকে চলে গেছে। আর এখন আমি হাদীসসমুহ শুনি এবং পরে তা পুনঃপাঠ করি এবং তা হতে একটি শব্দও বাদ পড়ে না। তখন রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বলেনঃ হে হাসানের পিতা, কা’বার প্রভুর কসম! অবশ্যই তুমি একজন মু’মিন।
মাওযূ. তা’লীকুর রাগীব (২/২১৪), যঈফা(৩৩৭৪)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। ওয়ালিদ ইবনু মুসলিমের রিওয়ায়াত হিসেবেই শুধু আমরা এ হাদীস জেনেছি।
হাদিসের মানঃ জাল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১১৬
সুখ-স্বাচ্ছন্দ ইত্যাদির জন্য অপেক্ষা করা প্রসঙ্গে
৩৫৭১
حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ مُعَاذٍ الْعَقَدِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ وَاقِدٍ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ سَلُوا اللَّهَ مِنْ فَضْلِهِ فَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يُحِبُّ أَنْ يُسْأَلَ وَأَفْضَلُ الْعِبَادَةِ انْتِظَارُ الْفَرَجِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَكَذَا رَوَى حَمَّادُ بْنُ وَاقِدٍ هَذَا الْحَدِيثَ وَقَدْ خُولِفَ فِي رِوَايَتِهِ . وَحَمَّادُ بْنُ وَاقِدٍ هَذَا هُوَ الصَّفَّارُ لَيْسَ بِالْحَافِظِ وَهُوَ عِنْدَنَا شَيْخٌ بَصْرِيٌّ . وَرَوَى أَبُو نُعَيْمٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ إِسْرَائِيلَ عَنْ حَكِيمِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ رَجُلٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلٌ وَحَدِيثُ أَبِي نُعَيْمٍ أَشْبَهُ أَنْ يَكُونَ أَصَحَّ .
আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা আল্লাহ্ তা’আলার নিকটে তাঁর দয়া প্রার্থনা কর। কেননা আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নিকট কিছু পাওয়ার প্রার্থনাকে ভালোবাসেন। আর সর্বোত্তম ইবাদাত হল দু’আ ক্ববূল হওয়ার অপেক্ষায় থাকা।
যঈফ, যঈফা (৪৯২), আবূ ঈসা বলেনঃ হাম্মাদ ইবনু ও য়াকিদ এভাবেই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন, তার রিওয়ায়াতে মতভেদ করা হয়েছে। এই হাম্মাদ ইবনু ওয়াকিদ আস-সাফফার তিনি হাফিজ নন। আমাদের মতে তিনি বাসরার শাইখ।
আবূ নুয়াইম এই হাদীসটি ইসরাঈল হতে, তিনি হাকীম ইবনু জুবাইর হতে, তিনি এক ব্যক্তি হতে তিনি রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে, মুর্সাল রূপে বর্ণনা করেছেন।
আবূ নূরাইমের বর্ণনাটি অধিক সহীহ।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৫৭২
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ الأَحْوَلُ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، رضى الله عنه قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكَسَلِ وَالْعَجْزِ وَالْبُخْلِ ” .
وَبِهَذَا الإِسْنَادِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ يَتَعَوَّذُ مِنَ الْهَرَمِ وَعَذَابِ الْقَبْرِ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
যাইদ ইবনু আরক্বাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেনঃ “হে আল্লাহ! তোমার নিকট আমি অলসতা, অক্ষমতা ও কৃপণতা হতে আশ্রয় চাই”। একই সনদসূত্রে আরও বর্ণিত আছে যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) “বার্ধক্য ও ক্ববরের শাস্তি হতেও” আশ্রয় প্রার্থণা করতেন।
সহীহঃ মুসলিম (৮/৮১-৮২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫৭৩
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، عَنِ ابْنِ ثَوْبَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، أَنَّ عُبَادَةَ بْنَ الصَّامِتِ، حَدَّثَهُمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” مَا عَلَى الأَرْضِ مُسْلِمٌ يَدْعُو اللَّهَ بِدَعْوَةٍ إِلاَّ آتَاهُ اللَّهُ إِيَّاهَا أَوْ صَرَفَ عَنْهُ مِنَ السُّوءِ مِثْلَهَا مَا لَمْ يَدْعُ بِمَأْثَمٍ أَوْ قَطِيعَةِ رَحِمٍ ” . فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ إِذًا نُكْثِرَ . قَالَ ” اللَّهُ أَكْثَرُ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَابْنُ ثَوْبَانَ هُوَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ ثَابِتِ بْنِ ثَوْبَانَ الْعَابِدُ الشَّامِيُّ .
উবাদাহ ইবনুস সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পৃথিবীর বক্ষে যে মুসলিম লোকই আল্লাহ তা’আলার নিকটে কোন কিছুর জন্য দুআ করে, অবশ্যই আল্লাহ তাআলা তাকে তা দান করেন কিংবা তার হতে একই রকম পরিমাণ ক্ষতি সরিয়ে দেন, যতক্ষণ না সে পাপে জড়িত হওয়ার জন্য অথবা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার দু’আ করে। সমবেত ব্যক্তিদের একজন বলল, তাহলে আমরা অত্যধিক দুআ করতে পারি। তিনি বললেনঃ আল্লাহ তাআলা তার চাইতেও বেশী ক্ববূলকারী।
হাসান সহীহঃ তালীকুর রাগীব (২/২৭১-২৭২)
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১১৭
(রাতে শোয়ার সময় যে দুআ পাঠ করবে)
৩৫৭৪
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، حَدَّثَنِي الْبَرَاءُ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” إِذَا أَخَذْتَ مَضْجَعَكَ فَتَوَضَّأْ وُضُوءَكَ لِلصَّلاَةِ ثُمَّ اضْطَجِعْ عَلَى شِقِّكَ الأَيْمَنِ ثُمَّ قُلِ اللَّهُمَّ أَسْلَمْتُ وَجْهِي إِلَيْكَ وَفَوَّضْتُ أَمْرِي إِلَيْكَ وَأَلْجَأْتُ ظَهْرِي إِلَيْكَ رَهْبَةً وَرَغْبَةً إِلَيْكَ لاَ مَلْجَأَ وَلاَ مَنْجَا مِنْكَ إِلاَّ إِلَيْكَ آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِي أَنْزَلْتَ وَبِنَبِيِّكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ . فَإِنْ مُتَّ فِي لَيْلَتِكَ مُتَّ عَلَى الْفِطْرَةِ ” . قَالَ فَرَدَّدْتُهُنَّ لأَسْتَذْكِرَهُ فَقُلْتُ آمَنْتُ بِرَسُولِكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ فَقَالَ ” قُلْ آمَنْتُ بِنَبِيِّكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ ” . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنِ الْبَرَاءِ وَلاَ نَعْلَمُ فِي شَيْءٍ مِنَ الرِّوَايَاتِ ذُكِرَ الْوُضُوءُ إِلاَّ فِي هَذَا الْحَدِيثِ .
আল –বারাআ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তুমি শোয়ার জন্য বিছানায় যেতে চাও সে সময় নামাযের উযূর মত উযূ কর, অতঃপর তোমার ডান কাতে শয়ন কর, অতঃপর বলঃ “হে আল্লাহ! আমার চেহারা আমি তোমার দিকে সোপর্দ করলাম, আমার সমস্ত বিষয় তোমার কাছে সমর্পণ করলাম, আশা ও ভয় নিয়ে তোমার দিকে আমার পিঠ সপে দিলাম, তোমার হতে (পালিয়ে) আশ্রয় নেয়ার এবং রক্ষা পাওয়ার তুমি ব্যতীত আর কোন জায়গা নেই। আমি ঈমান আনলাম তোমার অবতীর্ণ কিতাবের উপর এবং তোমার পাঠানো নাবীর উপর”। তারপর যদি ঐ রাতে তুমি মারা যাও, তাহলে দ্বীনের (ইসলামের) উপরই মৃত্যুবরণ করবে। বর্ণনাকারী বলেন, আমি এ দু’আর বাক্যগুলো পুণরায় বললাম যাতে তা আমার মুখস্থ হয়ে যায়। আমি তাতে যোগ করলাম, আমি তোমার পাঠানো রাসূলের উপর ঈমান আনলাম। তখন তিনি বললেনঃ তুমি বল, “আমি তোমার পাঠানো নাবীর উপর ঈমান আনলাম”।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম (৩৩৯৪) নং পূর্বে বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫৭৫
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي فُدَيْكٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْبَرَّادِ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خُبَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ خَرَجْنَا فِي لَيْلَةٍ مَطِيرَةٍ وَظُلْمَةٍ شَدِيدَةٍ نَطْلُبُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي لَنَا – قَالَ – فَأَدْرَكْتُهُ فَقَالَ ” قُلْ ” . فَلَمْ أَقُلْ شَيْئًا ثُمَّ قَالَ ” قُلْ ” . فَلَمْ أَقُلْ شَيْئًا . قَالَ ” قُلْ ” . قُلْتُ مَا أَقُولُ قَالَ ” قُلْ : ( هوَ اللَّهُ أَحَدٌ ) وَالْمُعَوِّذَتَيْنِ حِينَ تُمْسِي وَتُصْبِحُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ تَكْفِيكَ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَأَبُو سَعِيدٍ الْبَرَّادُ هُوَ أَسِيدُ بْنُ أَبِي أَسِيدٍ مَدَنِيٌّ .
আবদুল্লাহ ইবনু খুবাইব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ঘুটঘুটে অন্ধকার ও বৃষ্টিমুখর রাতে আমাদের নামায আদায় করানোর জন্য আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সন্ধানে বের হলাম। আমি তাঁর দেখা পেলে তিনি বললেনঃ বল। কিন্তু আমি কিছুই বললাম না। তিনি পুণরায় বললেনঃ বল। এবারও আমি কিছুই বললাম না। তিনি আবার বললেন, বল। এবার আমি প্রশ্ন করলাম, আমি কি বলব? তিনি বললেনঃ তুমি প্রতি দিন বিকালে ও সকালে উপনীত হয়ে তিনবার করে সূরা কুল হুআল্লাহু আহাদ (সূরা আল -ইখলাস) ও আল –মুআওবিযাতাইন (সূরা আল –ফালাক্ব ও সুলা আন -নাস) পাঠ করবে, আর তা প্রত্যেকটি ব্যাপারে তোমার জন্য যথেষ্ট হবে।
হাসানঃ তালীকুর রাগীব (১/২২৪), আল –কালিমুত তাইয়্যিব (১৯/৭)
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১১৮
মেহমানের দু’আ করা
৩৫৭৬
حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى، مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ خُمَيْرٍ الشَّامِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُسْرٍ، قَالَ نَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى أَبِي فَقَرَّبْنَا إِلَيْهِ طَعَامًا فَأَكَلَ مِنْهُ ثُمَّ أُتِيَ بِتَمْرٍ فَكَانَ يَأْكُلُ وَيُلْقِي النَّوَى بِأُصْبُعَيْهِ جَمَعَ السَّبَّابَةَ وَالْوُسْطَى قَالَ شُعْبَةُ وَهُوَ ظَنِّي فِيهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ فَأَلْقَى النَّوَى بَيْنَ أُصْبُعَيْنِ ثُمَّ أُتِيَ بِشَرَابٍ فَشَرِبَهُ ثُمَّ نَاوَلَهُ الَّذِي عَنْ يَمِينِهِ قَالَ فَقَالَ أَبِي وَأَخَذَ بِلِجَامِ دَابَّتِهِ ادْعُ لَنَا . فَقَالَ “ اللَّهُمَّ بَارِكْ لَهُمْ فِيمَا رَزَقْتَهُمْ وَاغْفِرْ لَهُمْ وَارْحَمْهُمْ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رُوِيَ أَيْضًا مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُسْرٍ .
আবদুল্লাহ ইবন বুসর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার বাবার নিকটে এলেন। আমরা তাঁর জন্য খাদ্য পরিবেশন করলে তিনি তা আহার করলেন। তারপর খেজুর আনা হলে তিনি তা খেতে থাকলেন এবং দুই আঙ্গুলের মাধ্যমে খেজুরের বিচি ফেলে দিতে লাগলেন মধ্যমা ও তর্জনী একত্র করে। শু’বাহ বলেন, এটা আমার সন্দেহ, ইনশাআল্লাহ এটাই সঠিক। তারপর পানীয় দ্রব্য আনা হলে তিনি তা পান করলেন, তারপর পানপাত্র তার ডান পাশের ব্যক্তিকে দিলেন। আবদুল্লাহ ইবনু বুসর (রাঃ) বলেন, তারপর আমার বাবা তাঁর সওয়ারীর লাগাম ধরে বললেন, আমাদের জন্য দু’আ করুন। তিনি বললেনঃ “হে আল্লাহ! তাদের যে রিযিক্ব দিয়েছ তাতে বারাকাত দান কর, তাদেরকে ক্ষমা কর এবং তাদের প্রতি দয়া কর”।
সহীহঃ মুসলিম (৬/১২২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫৭৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ الشَّنِّيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي عُمَرُ بْنُ مُرَّةَ، قَالَ سَمِعْتُ بِلاَلَ بْنَ يَسَارِ بْنِ زَيْدٍ، مَوْلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ جَدِّي سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ مَنْ قَالَ أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الْعَظِيمَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىَّ الْقَيُّومَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ . غُفِرَ لَهُ وَإِنْ كَانَ فَرَّ مِنَ الزَّحْفِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
যাইদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেনঃ যে লোক বলে, “মহান আল্লাহ তাআলার নিকট আমি ক্ষমা চাই যিনি ছাড়া কোন মাবূদ নেই, যিনি চিরজীবি, চিরস্থায়ী এবং আমি তাঁর কাছে তাওবাহ করি”, তাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়, যদিও সে রণক্ষেত্র হতে পলায়ন করে থাকে।
সহীহঃ তালীকুর রাগীব (২/২৬৯), সহীহ আবূ দাঊদ (১৩৫৮)
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। এ হাদীস আমরা শুধুমাত্র উপর্যুক্ত সনদেই অবগত হয়েছি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১১৯
(দুআতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মাধ্যমে বানানো)
৩৫৭৮
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ خُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ حُنَيْفٍ، أَنَّ رَجُلاً، ضَرِيرَ الْبَصَرِ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يُعَافِيَنِي . قَالَ ” إِنْ شِئْتَ دَعَوْتُ وَإِنْ شِئْتَ صَبَرْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ ” . قَالَ فَادْعُهُ . قَالَ فَأَمَرَهُ أَنْ يَتَوَضَّأَ فَيُحْسِنَ وُضُوءَهُ وَيَدْعُوَ بِهَذَا الدُّعَاءِ ” اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ وَأَتَوَجَّهُ إِلَيْكَ بِنَبِيِّكَ مُحَمَّدٍ نَبِيِّ الرَّحْمَةِ إِنِّي تَوَجَّهْتُ بِكَ إِلَى رَبِّي فِي حَاجَتِي هَذِهِ لِتُقْضَى لِي اللَّهُمَّ فَشَفِّعْهُ فِيَّ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ أَبِي جَعْفَرٍ وَهُوَ غَيْرُ الْخَطْمِيِّ وَعُثْمَانُ بْنُ حُنَيْفٍ هُوَ أَخُو سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ .
উসমান ইবনু হুনাইফ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক অন্ধ ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে এসে বললেন, হে আল্লাহর নাবী! আমার জন্য আল্লাহ তাআলার নিকট দুআ করুন, যেন আমাকে তিনি আরোগ্য দান করেন। তিনি বললেনঃ তুমি কামনা করলে আমি দুআ করব, আর তুমি চাইলে ধৈর্য্য ধারণ করতে পার, সেটা হবে তোমার জন্য উত্তম। সে বলল, তাঁর নিকটে দুআ করুন। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি তাকে উত্তমভাবে উযূ করার হুকুম করলেন এবং এই দুআ করতে বললেন, “হে আল্লাহ! তোমার নিকট আমি প্রার্থনা করি এবং তোমার প্রতি মনোনিবেশ করি তোমার নাবী, দয়ার নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর (দু’আর) মাধ্যমে। আমি তোমার দিকে ঝুঁকে পড়লাম, আমার প্রয়োজনের জন্য আমার প্রভুর দিকে ধাবিত হলাম, যাতে আমার এ প্রয়োজন পূর্ণ করে দেয়া হয়। হে আল্লাহ! আমার প্রসঙ্গে তুমি তাঁর সুপারিশ ক্ববূল কর”।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১৩৮৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫৭৯
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنِي مَعْنٌ، حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ ضَمْرَةَ بْنِ حَبِيبٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا أُمَامَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يَقُولُ حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ عَبَسَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ أَقْرَبُ مَا يَكُونُ الرَّبُّ مِنَ الْعَبْدِ فِي جَوْفِ اللَّيْلِ الآخِرِ فَإِنِ اسْتَطَعْتَ أَنْ تَكُونَ مِمَّنْ يَذْكُرُ اللَّهَ فِي تِلْكَ السَّاعَةِ فَكُنْ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আবূ উমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমর ইবনু আবাসাহ (রাঃ) আমার কাছে রিওয়ায়াত করেছেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে তিনি বলতে শুনেছেনঃ আল্লাহ তাআলা শেষ রাতে তাঁর বান্দার সবচেয়ে নিকটবর্তী হন। অতএব যারা এ সময় আল্লাহর যিকর করে (নামায পড়ে ও দুআ করে), তুমি পারলে তাদের দলভূক্ত হয়ে যাও।
সহীহঃ তালীকুর রাগীব (২/২৭৬), মিশকাত (১২২৯)
আবূ ঈসা বলেন, উপর্যুক্ত সনদে এ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫৮০
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الدِّمَشْقِيُّ، أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ بَكَّارٍ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا عُفَيْرُ بْنُ مَعْدَانَ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا دَوْسٍ الْيَحْصُبِيَّ، يُحَدِّثُ عَنِ ابْنِ عَائِذٍ الْيَحْصُبِيِّ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ زَعْكَرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يَقُولُ إِنَّ عَبْدِي كُلَّ عَبْدِي الَّذِي يَذْكُرُنِي وَهُوَ مُلاَقٍ قِرْنَهُ ” . يَعْنِي عِنْدَ الْقِتَالِ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ لَيْسَ إِسْنَادُهُ بِالْقَوِيِّ . – وَلاَ نَعْرِفُ لِعُمَارَةَ بْنِ زَعْكَرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ هَذَا الْحَدِيثَ الْوَاحِدَ . وَمَعْنَى قَوْلِهِ وَهُوَ مُلاَقٍ قِرْنَهُ . إِنَّمَا يَعْنِي عِنْدَ الْقِتَالِ يَعْنِي أَنْ يَذْكُرَ اللَّهَ فِي تِلْكَ السَّاعَةِ .
উমারা ইবনু যা’কারা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহ্ তা‘আলা বলেনঃ আমার পূর্ণ বান্দা সেই ব্যক্তি যে তার শত্রুর সাথে যুদ্ধরত অবস্থায় আমাকে মনে করে।
যঈফ, যঈফা (৩১৩৫),আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধু উপরোক্ত সূত্রে এ হাদীস জেনেছি। এর সনদসূত্র তেমন মজবুত নয়। এই হাদীসটি ব্যতীত উমার ইবনু যা’কারার কোন হাদীস আমাদের জানা নেই।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১২০
“লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ” পাঠ করার ফাযীলাত
৩৫৮১
حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى، مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ مَنْصُورَ بْنَ زَاذَانَ، يُحَدِّثُ عَنْ مَيْمُونِ بْنِ أَبِي شَبِيبٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ، أَنَّ أَبَاهُ، دَفَعَهُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَخْدُمُهُ . قَالَ فَمَرَّ بِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ صَلَّيْتُ فَضَرَبَنِي بِرِجْلِهِ وَقَالَ ” أَلاَ أَدُلُّكَ عَلَى بَابٍ مِنْ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ ” . قُلْتُ بَلَى . قَالَ ” لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
ক্বাইস ইবনু সাদ ইবনু উবাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তার বাবা তাকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সেবার জন্য তাঁর কাছে অর্পণ করেন। তিনি বলেন, আমি নামাযরত থাকা অবস্থায় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার কাছ দিয়ে গমন করলেন। তিনি নিজের পা দিয়ে আমাকে আঘাত (ইশারা) করে বললেনঃ আমি তোমাকে কি জান্নাতের দরজাগুলোর একটি দরজা সম্পর্কে জানাব না? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ “লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ” (আল্লাহ ব্যতীত অনিষ্ট দূর করার এবং কল্যাণ লাভের কোন শক্তি কারো নেই)।
সহীহঃ সহীহাহ (১৭৪৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫৮২
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي جَعْفَرٍ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ سُلَيْمٍ، قَالَ مَا نَهَضَ مَلَكٌ مِنَ الأَرْضِ حَتَّى قَالَ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ .
সাফওয়ান ইবনু সুলাইম থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কোন ফেরেশতাই “লা –হাওলা ওয়ালা কু-ওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ” পাঠ না করে ঊর্ধ্বাকাশের দিকে গমন করেন না।
এর সনদ সহীহ মাকতূ।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাকতু
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১২১
তাসবীহ, তাহলীল ও তাক্বদীসের ফাযীলাত
৩৫৮৩
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ حِزَامٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، فَقَالَ سَمِعْتُ هَانِئَ بْنَ عُثْمَانَ، عَنْ أُمِّهِ، حُمَيْضَةَ بِنْتِ يَاسِرٍ عَنْ جَدَّتِهَا، يُسَيْرَةَ وَكَانَتْ مِنَ الْمُهَاجِرَاتِ قَالَتْ قَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ عَلَيْكُنَّ بِالتَّسْبِيحِ وَالتَّهْلِيلِ وَالتَّقْدِيسِ وَاعْقِدْنَ بِالأَنَامِلِ فَإِنَّهُنَّ مَسْئُولاَتٌ مُسْتَنْطَقَاتٌ وَلاَ تَغْفُلْنَ فَتَنْسَيْنَ الرَّحْمَةَ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ هَانِئِ بْنِ عُثْمَانَ وَقَدْ رَوَى مُحَمَّدُ بْنُ رَبِيعَةَ عَنْ هَانِئِ بْنِ عُثْمَانَ .
ইউসাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ছিলেন হিজরতকারিণী মহিলাদের একজন –তিনি বলেন, আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অবশ্যই তোমরা তাসবীহ (সুবহানাল্লাহ), তাহলীল (লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ) ও তাক্বদীস (সুব্বুহুন কুদ্দূসুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালাইকাতি ওয়ার রূহ অথবা সুবহানালা মালিকিল কুদ্দূস) আঙ্গুলের গিরায় হিসাব করে পড়বে। কেননা এগুলোকে ক্বিয়ামাতের দিন জিজ্ঞাসা করা হবে এবং কথা বলতে আদেশ দেয়া হবে। সুতরাং তোমরা রহমাত (অনুগ্রহের কারণ) সম্পর্কে উদাসীন থেকো না এবং তা ভুলে যেও না।
হাসানঃ সহীহ আবূ দাঊদ (১৩৪৫), মিশকাত (২৩১৬), যঈফার (৮৩) নং হাদীসের অধীনে।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১২২
যুদ্ধের সময় দু’আ
৩৫৮৪
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنِ الْمُثَنَّى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا غَزَا قَالَ “ اللَّهُمَّ أَنْتَ عَضُدِي وَأَنْتَ نَصِيرِي وَبِكَ أُقَاتِلُ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ وَمَعْنَى قَوْلِهِ عَضُدِي . يَعْنِي عَوْنِي .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, জিহাদ করার সময় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেনঃ “হে আল্লাহ! তুমিই আমার বাহুবল, তুমিই আমার সাহায্যকারী এবং তোমার সহযোগিতায় আমি যুদ্ধ করি”।
সহীহঃ আল –কালিমুত তাইয়্যিব (১২৫), সহীহ আবূ দাঊদ (২৩৬৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১২৩
আরাফার দিনের দুআ
৩৫৮৫
حَدَّثَنَا أَبُو عَمْرٍو، مُسْلِمُ بْنُ عَمْرٍو الْحَذَّاءُ الْمَدِينِيُّ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نَافِعٍ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ أَبِي حُمَيْدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ خَيْرُ الدُّعَاءِ دُعَاءُ يَوْمِ عَرَفَةَ وَخَيْرُ مَا قُلْتُ أَنَا وَالنَّبِيُّونَ مِنْ قَبْلِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَحَمَّادُ بْنُ أَبِي حُمَيْدٍ هُوَ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي حُمَيْدٍ وَهُوَ أَبُو إِبْرَاهِيمَ الأَنْصَارِيُّ الْمَدَنِيُّ وَلَيْسَ هُوَ بِالْقَوِيِّ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ .
‘আমর ইবনু শুআইব (রহঃ) কর্তৃক পর্যায়ক্রমে তার বাবা ও তার দাদা থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আরাফাতের দিনের দু’আই উত্তম দু’আ। আমি ও আমার আগের নাবীগণ যা বলেছিলেন তার মধ্যে সর্বোত্তম কথাঃ “আল্লাহ ছাড়া কোন মাবূদ নেই। তিনি এক, তাঁর কোন অংশীদার নেই, সার্বভৌমত্ব তারই এবং সমস্ত কিছুর উপর তিনি সর্বশক্তিমান”।
হাসানঃ মিশকাত (২৫৯৮), তা’লীকুর রাগীব (২/২৪২), সহীহাহ (১৫০৩)।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১২৪
উমার (রাঃ)-কে শিখানো দু‘আ
৩৫৮৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، عَنِ الْجَرَّاحِ بْنِ الضَّحَّاكِ الْكِنْدِيِّ، عَنْ أَبِي شَيْبَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُكَيْمٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، قَالَ عَلَّمَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ قُلِ اللَّهُمَّ اجْعَلْ سَرِيرَتِي خَيْرًا مِنْ عَلاَنِيَتِي وَاجْعَلْ عَلاَنِيَتِي صَالِحَةً اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ صَالِحِ مَا تُؤْتِي النَّاسَ مِنَ الْمَالِ وَالأَهْلِ وَالْوَلَدِ غَيْرِ الضَّالِّ وَلاَ الْمُضِلِّ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ بِالْقَوِيِّ .
উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে (দু’আ) শিখিয়ে বলেনঃ তুমি বল, “হে আল্লাহ্! আমার বাহিরের অবস্থার চেয়ে আমার ভিতরের অবস্থাকে বেশি ভাল কর এবং আমার বাহিরের অবস্থাকেও অতি উত্তম কর। হে আল্লাহ্! তুমি মানুষকে যে ধন-দৌলত, পরিবার-পরিজন ও সন্তান-সন্তুতি দিয়ে থাক, তাতে আমাকে উত্তমগুলোই দাও, যারা বিপথগামী এবং বিপথগামীকারীও নয়। ”
যঈফ, মিশকাত, তাহকীক ছানী (২৫০৪), আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধু উপরোক্ত সূত্রেই এ হাদীস জেনেছি এবং এর সনদসূত্র তেমন মজবুত নয়।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১২৫
হে অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী
৩৫৮৭
حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ سُفْيَانَ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَعْدَانَ، أَخْبَرَنِي عَاصِمُ بْنُ كُلَيْبٍ الْجَرْمِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يُصَلِّي وَقَدْ وَضَعَ يَدَهُ الْيُسْرَى عَلَى فَخِذِهِ الْيُسْرَى وَوَضَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى فَخِذِهِ الْيُمْنَى وَقَبَضَ أَصَابِعَهُ وَبَسَطَ السَّبَّابَةَ وَهُوَ يَقُولُ “ يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلَى دِينِكَ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আসিম ইবনু কুলাইব (রাহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদা থেকে বর্ণিতঃ
৩৫৮৭. আসিম ইবনু কুলাইব (রাহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের) নিকট গেলাম, তখন তিনি নামায আদায় করছিলেন। তিনি তার বাম হাত বাম ঊরুর উপর এবং ডান হাত ডান ঊরুর উপর রাখেন এবং তর্জনী উঠিয়ে অবশিষ্ট আঙ্গুলগুলো মুষ্টিবদ্ধ করে রেখে বলেনঃ “হে অন্তরসমূহের ওলট-পালটকারী! তুমি আমার অন্তরকে তোমার দ্বীনের উপর অটল রাখ”।
এই বর্ণনায় হাদীসটি মুনকার, দেখুন হাদীস নং (২৯১, ২৯২, ২১২৮, ৩৩৫০), আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি উক্ত সনদূত্রে গারীব।
হাদিসের মানঃ মুনকার
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১২৬
ব্যথা উপশমের দুআ
৩৫৮৮
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَالِمٍ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ، قَالَ قَالَ لِي يَا مُحَمَّدُ إِذَا اشْتَكَيْتَ فَضَعْ يَدَكَ حَيْثُ تَشْتَكِي وَقُلْ بِسْمِ اللَّهِ أَعُوذُ بِعِزَّةِ اللَّهِ وَقُدْرَتِهِ مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ مِنْ وَجَعِي هَذَا ثُمَّ ارْفَعْ يَدَكَ ثُمَّ أَعِدْ ذَلِكَ وِتْرًا فَإِنَّ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ حَدَّثَنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَدَّثَهُ بِذَلِكَ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَمُحَمَّدُ بْنُ سَالِمٍ هَذَا شَيْخٌ بَصْرِيٌّ .
মুহাম্মাদ ইবনু সালিম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
সাবিত আল –বুনানী (রহঃ) আমাকে বললেন, হে মুহাম্মাদ! তোমার কোন অংশে ব্যথা হলে তুমি ব্যথার জায়গায় তোমার হাত রেখে বলঃ “আল্লাহ তাআলার নামে, আমি আল্লাহ তাআলার অসীম সম্মান ও তাঁর বিরাট ক্ষমতার নিকট আমার এ ব্যথার অনুভূতি ও অনিষ্ট থেকে আশ্রয় প্রার্থণা করি”। তারপর তোমার হাত তুমি তুলে নাও, পরে পুণরায় ঐ নিয়মে বেজোড় সংখ্যায় উক্ত দুআ পাঠ কর। কেননা আমাকে আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) বলেছেন যে, তাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঐ দু’আ বলে দিয়েছেন।
সহীহঃ সহীহাহ (১২৫৮)
আবূ ঈসা বলেন, উক্ত সনদসূত্রে এ হাদীসটি হাসান গারীব। এই মুহাম্মাদ ইবনু সালিম হলেন বাসরার শাইখ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১২৭
উম্মু সালামার দু’আ
৩৫৮৯
حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الأَسْوَدِ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِيهَا أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ عَلَّمَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ قُولِي اللَّهُمَّ هَذَا اسْتِقْبَالُ لَيْلِكَ وَإِدْبَارُ نَهَارِكَ وَأَصْوَاتُ دُعَاتِكَ وَحُضُورُ صَلَوَاتِكَ أَسْأَلُكَ أَنْ تَغْفِرَ لِي ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَحَفْصَةُ بِنْتُ أَبِي كَثِيرٍ لاَ نَعْرِفُهَا وَلاَ أَبَاهَا .
উম্মু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উম্মু সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে এই দু‘আটি শিখিয়েছেন এবং বলেছেনঃ তুমি পাঠ কর “হে আল্লাহ্! এটা তোমার রাত আসার, তোমার দিন চলে যাওয়ার, তোমার দিকে আহবানকারীর (মুয়াজ্জিনের) আওয়াজ দেয়ার এবং তোমার নামাযে হাযির হওয়ার সময়। আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করি যে, তুমি আমাকে মাফ করে দাও”।
যঈফ, আল-কালিমুত-তায়্যির (৭৬/৩৫), যঈফ আবূ দাঊদ (৮৫), মিশকাত (৬৬৯)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আমরা এ হাদীস শুধু উপরোক্ত সনদে জেনেছি। হাফছা বিনতি আবূ কাসীর ও তার পিতা প্রসঙ্গে আমরা অবহিত নই।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৫৯০
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ يَزِيدَ الصُّدَائِيُّ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ الْقَاسِمِ بْنِ الْوَلِيدِ الْهَمْدَانِيُّ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ كَيْسَانَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَا قَالَ عَبْدٌ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ قَطُّ مُخْلِصًا إِلاَّ فُتِحَتْ لَهُ أَبْوَابُ السَّمَاءِ حَتَّى تُفْضِيَ إِلَى الْعَرْشِ مَا اجْتَنَبَ الْكَبَائِرَ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন বান্দা সততার সাথে “লা- ইলা-হা ইল্লাল্লাহ” বললে তার জন্য আকাশের দ্বারগুলো খোলা হয়। ফলে উক্ত কালিমাহ আরশে আজীম পর্যন্ত পৌঁছে যায়, যতক্ষণ সে কবীরাহ গুনাহ ত্যাগ করে”।
হাসানঃ মিশকাত, তাহক্বীক্ব সানী (২৩১৪), তালীকুর রাগীব (২/২৩৮)
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩৫৯১
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ بَشِيرٍ، وَأَبُو أُسَامَةَ عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلاَقَةَ، عَنْ عَمِّهِ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ مُنْكَرَاتِ الأَخْلاَقِ وَالأَعْمَالِ وَالأَهْوَاءِ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَعَمُّ زِيَادِ بْنِ عِلاَقَةَ هُوَ قُطْبَةُ بْنُ مَالِكٍ صَاحِبُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
যিয়াদ ইবনু ইলাক্বাহ (রহঃ) হতে তার চাচা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেনঃ “হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকটে গর্হিত চরিত্র, গর্হিত কাজ ও কু-প্রবৃত্তি হতে আশ্রয় চাই”।
সহীহঃ মিশকাত, তাহক্বীক্ব সানী (২৪৭১)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫৯২
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا الْحَجَّاجُ بْنُ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ عَوْنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رضى الله عنهما قَالَ بَيْنَمَا نَحْنُ نُصَلِّي مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذْ قَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ اللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيرًا وَسُبْحَانَ اللَّهِ بُكْرَةً وَأَصِيلاً . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” مَنِ الْقَائِلُ كَذَا وَكَذَا ” . فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ ” عَجِبْتُ لَهَا فُتِحَتْ لَهَا أَبْوَابُ السَّمَاءِ ” . قَالَ ابْنُ عُمَرَ مَا تَرَكْتُهُنَّ مُنْذُ سَمِعْتُهُنَّ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَحَجَّاجُ بْنُ أَبِي عُثْمَانَ هُوَ حَجَّاجُ بْنُ مَيْسَرَةَ الصَّوَّافُ وَيُكْنَى أَبَا الصَّلْتِ وَهُوَ ثِقَةٌ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদিন আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে নামায পড়ছিলাম। সে সময় সমাগত লোকদের মাঝে হতে এক লোক বলল, “আল্লাহ মহান, অতি মহান, আল্লাহ তা’আলার জন্য অনেক অনেক প্রশংসা এবং সকাল-সন্ধ্যা আমি আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি”। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এই এই কথা কে বলেছে? উপস্থিত লোকদের মাঝে এক লোক বলল, আমি হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেনঃ এ দু’আয় আমি খুব আশ্চর্যান্বিত হয়েছি। এ বাক্যগুলোর জন্য আকাশের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। ইবনু উমার (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে আমি এ কথা শুনার পর থেকে কখনো তা পাঠ করা পরিহার করিনি।
সহীহঃ সিফাতুস সালাত (৭৪), মুসলিম
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১২৮
আল্লাহ তা’আলার নিকট কোন কথাটি বেশি প্রিয়
৩৫৯৩
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا الْجُرَيْرِيُّ، عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْجَسْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، رضى الله عنه أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَادَهُ أَوْ أَنَّ أَبَا ذَرٍّ عَادَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ بِأَبِي أَنْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَىُّ الْكَلاَمِ أَحَبُّ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ قَالَ “ مَا اصْطَفَى اللَّهُ لِمَلاَئِكَتِهِ سُبْحَانَ رَبِّي وَبِحَمْدِهِ سُبْحَانَ رَبِّي وَبِحَمْدِهِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে দেখতে যান অথবা তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে দেখতে যান। আবূ যার (রাঃ) বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য উৎসর্গ হোক। আল্লাহ তা’আলার নিকট কোন কথা বেশি প্রিয়? তিনি বললেনঃ আল্লাহ তাঁর ফেরেশতাদের জন্য যে বাক্যটি নির্বাচন করেছেনঃ “সুবাহানা রাব্বী ওয়া বিহামদিহী সুবহানা রাব্বী ওয়া বিহামদিহী” (আমার পালনকর্তা অতীব পবিত্র, সকল প্রশংসা তাঁর জন্য, আমার পালনকর্তা অতীব পবিত্র, সকল প্রশংসা তাঁর জন্য)
সহীহঃ তালীকুর রাগীব (২/২৪২), সহীহাহ (১৪৯৮), মুসলিম
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১২৯
ক্ষমা ও নিরাপত্তা প্রসঙ্গে
৩৫৯৪
حَدَّثَنَا أَبُو هِشَامٍ الرِّفَاعِيُّ، مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ الْكُوفِيُّ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ الْيَمَانِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ زَيْدٍ الْعَمِّيِّ، عَنْ أَبِي إِيَاسٍ، مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” الدُّعَاءُ لاَ يُرَدُّ بَيْنَ الأَذَانِ وَالإِقَامَةِ ” . قَالُوا فَمَاذَا نَقُولُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ” سَلُوا اللَّهَ الْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدْ زَادَ يَحْيَى بْنُ الْيَمَانِ فِي هَذَا الْحَدِيثِ هَذَا الْحَرْفَ قَالُوا فَمَاذَا نَقُولُ قَالَ ” سَلُوا اللَّهَ الْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ ” .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “আযান ও ইক্বামাতের মাঝের সময়ের দুআ প্রত্যাখ্যাত হয় না”। সাহাবাগণ বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! (ঐ সময়ে) আমরা কি বলব? তিনি বললেনঃ “তোমরা আল্লাহর নিকট ইহকাল ও পরকালের নিরাপত্তা প্রার্থনা কর”।
এই পূর্ণাঙ্গ বর্ণনাটি মুনকারঃ আল–কালিমুত তাইয়্যিব (৪৭/৫১), ‘ইরওয়াহ (১/২৬২), নাক্বদুত তাজ (৯৫), তা’লীকুর রাগীব (১/১১৫), সহীহ আবূ দাঊদ (৫৩৪)। তবে “সালুল্লাহা….” বর্ণনাটি অন্য হাদীসে সাব্যস্ত আছে। ৩২৮৩ নং হাদীস পূর্বে বর্ণিত রয়েছে।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। সাহাবাগণ বললেনঃ আমরা কি বলব….. শেষ পর্যন্ত এই অংশটি ইয়াহইয়া ইবনুল ইয়ামান বর্ধিত করেছেন।
হাদিসের মানঃ মুনকার
- সরাসরি
৩৫৯৫
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَعَبْدُ الرَّزَّاقِ، وَأَبُو أَحْمَدَ وَأَبُو نُعَيْمٍ عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ زَيْدٍ الْعَمِّيِّ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ الدُّعَاءُ لاَ يُرَدُّ بَيْنَ الأَذَانِ وَالإِقَامَةِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَكَذَا رَوَى أَبُو إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيُّ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ بُرَيْدِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ الْكُوفِيِّ عَنْ أَنَسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ هَذَا وَهَذَا أَصَحُّ
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আযান ও ইক্বামাতের মধ্যবর্তী সময়ের দুআ ফিরিয়ে দেয়া হয় না।
সহীহঃ ২১২ নং হাদীস পূর্বে বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫৯৬
وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ رَاشِدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” سَبَقَ الْمُفْرِدُونَ ” . قَالُوا وَمَا الْمُفْرِدُونَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ” الْمُسْتَهْتَرُونَ فِي ذِكْرِ اللَّهِ يَضَعُ الذِّكْرُ عَنْهُمْ أَثْقَالَهُمْ فَيَأْتُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ خِفَافًا ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হালকা-পাতলা লোকেরা অগ্রগামী হয়ে গেছে। সাহাবীগণ বলেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! হালকা-পাতলা লোক কারা? তিনি বলেনঃ যে সকল লোক আল্লাহ্ তা’আলার স্মরণে নিমগ্ন থাকে এবং আল্লাহ্র যিকির (স্মরণ) তাদের (পাপের) ভারী বোঝাটি তাদের হতে সরিয়ে ফেলে। ফলে কিয়ামাতের দিন তারা আল্লাহ্ তা’আলার সম্মুখে হালকা বোঝা নিয়েই হাযির হবে।
যঈফ, যঈফা (৩৬৯০), আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৫৯৭
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لأَنْ أَقُولَ سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ أَحَبُّ إِلَىَّ مِمَّا طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “সুবহানাল্লাহ ওয়াল-হামদু লিল্লাহ ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার” (আল্লাহ অতীব পবিত্র, সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আল্লাহ ছাড়া কোন মাবূদ নেই, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ) বলা আমার কাছে যে সকল জিনিসের উপর সূর্য উদিত হয় তা হতে বেশি পছন্দনীয়।
সহীহঃ মুসলিম (৮/৭০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৫৯৮
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ سَعْدَانَ الْقُبِّيِّ، عَنْ أَبِي مُجَاهِدٍ، عَنْ أَبِي مُدِلَّةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ ثَلاَثَةٌ لاَ تُرَدُّ دَعْوَتُهُمُ الصَّائِمُ حَتَّى يُفْطِرَ وَالإِمَامُ الْعَادِلُ وَدَعْوَةُ الْمَظْلُومِ يَرْفَعُهَا اللَّهُ فَوْقَ الْغَمَامِ وَيَفْتَحُ لَهَا أَبْوَابَ السَّمَاءِ وَيَقُولُ الرَّبُّ وَعِزَّتِي لأَنْصُرَنَّكَ وَلَوْ بَعْدَ حِينٍ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ وَسَعْدَانُ الْقُبِّيُّ هُوَ سَعْدَانُ بْنُ بِشْرٍ . وَقَدْ رَوَى عَنْهُ عِيسَى بْنُ يُونُسَ وَأَبُو عَاصِمٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ كِبَارِ أَهْلِ الْحَدِيثِ وَأَبُو مُجَاهِدٍ هُوَ سَعْدٌ الطَّائِيُّ وَأَبُو مُدِلَّةَ هُوَ مَوْلَى أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةَ وَإِنَّمَا نَعْرِفُهُ بِهَذَا الْحَدِيثِ وَيُرْوَى عَنْهُ هَذَا الْحَدِيثُ أَتَمَّ مِنْ هَذَا وَأَطْوَلَ .
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তিন ধরনের লোকের দু’আ কখনও ফিরিয়ে দেয়া হয় না। রোযাদার যতক্ষণ ইফতার না করে, সুবিচারক শাসকের দু’আ এবং মজলুমের (নির্যাতিতের) দু’আ। আল্লাহ্ তা’আলা ঐ দু’আগুলি মেঘমালার উপরে (আকাশের) তুলে নেন এবং এর জন্য আকাশের দ্বারগুলো খুলে দেয়া হয়। রব্বুল আলামীন বলেনঃ আমার মর্যাদার শপথ ! আমি নিশ্চয়ই তোমার সাহায্য করব কিছু দেরি হলেও।
দুর্বল, কিন্তু হাদীসের প্রথম অংশ সহীহ, আর তাতে ন্যায় পরায়ন শাসকের পরিবর্তে মুসাফির শব্দ আছে। আরেক বর্ণনায় পিতার উল্লেখ আছে। ইবনু মাজাহ (১৭৫২)। আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান। সাদান আল-কুম্মী হলেন সাদান ইবনু বিশর। ঈসা ইবনু ইউনুস, আবূ আসিম প্রমুখ বয়স্ক হাদীস বিশারদগণ তার সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন। আবূ মুজাহিদ হলেন সা’দ আত-তাঈ এবং আবূ মুদিল্লাহ হলেন উম্মুল মু’মিনীন আইশা (রাঃ)-এর স্বাধীন গোলাম। আমরা শুধু এ হাদীসের মাধ্যমেই তার পরিচয় পেয়েছি এবং তার হতে এ হাদীসটি আরো বর্ধিত ও সম্পূর্ণভাবে বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
৩৫৯৯
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ اللَّهُمَّ انْفَعْنِي بِمَا عَلَّمْتَنِي وَعَلِّمْنِي مَا يَنْفَعُنِي وَزِدْنِي عِلْمًا الْحَمْدُ لِلَّهِ عَلَى كُلِّ حَالٍ وَأَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ حَالِ أَهْلِ النَّارِ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হে আল্লাহ! আমাকে তুমি যা শিখিয়েছ তা দিয়ে আমাকে উপকৃত কর, আমার জন্য যা উপকারী হবে তা আমাকে শিখিয়ে দাও এবং আমার ইলম (জ্ঞান) বাড়িয়ে দাও। সর্বাবস্থায় আল্লাহর প্রশংসা এবং আমি জাহান্নামীদের অবস্থা থেকে হিফাযাতের জন্য আল্লাহর নিকটে আশ্রয় প্রার্থণা করি।
হাদীসে বর্ণিত আলহামদুলিল্লাহ ….. অংশ বাদে হাদীসটি সহীহঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ২৫১, ৩৮৩৩)
আবূ ঈসা বলেন, উপর্যুক্ত সনদে এ হাদীসটি গারীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৩০
যামীনে আল্লাহর পক্ষ হতে বিচরণকারী ফেরেশতা প্রসঙ্গে
৩৬০০
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَوْ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالاَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ لِلَّهِ مَلاَئِكَةً سَيَّاحِينَ فِي الأَرْضِ فَضْلاً عَنْ كُتَّابِ النَّاسِ فَإِذَا وَجَدُوا أَقْوَامًا يَذْكُرُونَ اللَّهَ تَنَادَوْا هَلُمُّوا إِلَى بُغْيَتِكُمْ فَيَجِيئُونَ فَيَحُفُّونَ بِهِمْ إِلَى سَمَاءِ الدُّنْيَا فَيَقُولُ اللَّهُ عَلَى أَىِّ شَيْءٍ تَرَكْتُمْ عِبَادِي يَصْنَعُونَ فَيَقُولُونَ تَرَكْنَاهُمْ يَحْمَدُونَكَ وَيُمَجِّدُونَكَ وَيَذْكُرُونَكَ . قَالَ فَيَقُولُ فَهَلْ رَأَوْنِي فَيَقُولُونَ لاَ . قَالَ فَيَقُولُ فَكَيْفَ لَوْ رَأَوْنِي قَالَ فَيَقُولُونَ لَوْ رَأَوْكَ لَكَانُوا أَشَدَّ تَحْمِيدًا وَأَشَدَّ تَمْجِيدًا وَأَشَدَّ لَكَ ذِكْرًا . قَالَ فَيَقُولُ وَأَىُّ شَيْءٍ يَطْلُبُونَ قَالَ فَيَقُولُونَ يَطْلُبُونَ الْجَنَّةَ . قَالَ فَيَقُولُ وَهَلْ رَأَوْهَا قَالَ فَيَقُولُونَ لاَ . قَالَ فَيَقُولُ فَكَيْفَ لَوْ رَأَوْهَا قَالَ فَيَقُولُونَ لَوْ رَأَوْهَا كَانُوا لَهَا أَشَدَّ طَلَبًا وَأَشَدَّ عَلَيْهَا حِرْصًا . قَالَ فَيَقُولُ مِنْ أَىِّ شَيْءٍ يَتَعَوَّذُونَ قَالُوا يَتَعَوَّذُونَ مِنَ النَّارِ . قَالَ فَيَقُولُ وَهَلْ رَأَوْهَا فَيَقُولُونَ لاَ . فَيَقُولُ فَكَيْفَ لَوَ رَأَوْهَا فَيَقُولُونَ لَوْ رَأَوْهَا كَانُوا مِنْهَا أَشَدَّ هَرَبًا وَأَشَدَّ مِنْهَا خَوْفًا وَأَشَدَّ مِنْهَا تَعَوُّذًا . قَالَ فَيَقُولُ فَإِنِّي أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ غَفَرْتُ لَهُمْ . فَيَقُولُونَ إِنَّ فِيهِمْ فُلاَنًا الْخَطَّاءَ لَمْ يُرِدْهُمْ إِنَّمَا جَاءَهُمْ لِحَاجَةٍ . فَيَقُولُ هُمُ الْقَوْمُ لاَ يَشْقَى لَهُمْ جَلِيسٌ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ .
আবূ হুরাইরাহ্ অথবা আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মানুষের ‘আমালনামা লিপিবদ্ধকারী ফেরেশতাগণ ছাড়া আল্লাহ তা’আলার আরও কিছু ফেরেশতা আছেন যারা দুনিয়াতে ঘুরে বেড়ান। তারা আল্লাহ তা’আলার যিকরে রত ব্যক্তিদের পেয়ে গেলে একে অন্যকে ডেকে বলেন, নিজেদের উদ্দেশ্যে তোমরা এদিকে চলে এসো। অতএব তারা সেদিকে ছুটে আসেন এবং যিকরে রত লোকদের পৃথিবীর নিকটবর্তী আকাশ পর্যন্ত পরিবেষ্টন করে রাখেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আল্লাহ তা’আলা সে সময় (ফেরেশতাদের) বলেন, আমার বান্দাদেরকে তোমরা কি কাজে রত অবস্থায় ছেড়ে এসেছ? ফেরেশতারা বলেন, আমরা তাদেরকে আপনার প্রশংসারত, আপনার মর্যাদা বর্ণনারত এবং আপনার যিকরে রত অবস্থায় ছেড়ে এসেছি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তাদেরকে আল্লাহ তা’আলা বলেন, তারা আমাকে দেখেছে কি? তারা বলেন, না। নবী বলেনঃ আল্লাহ তা’আলা পুণরায় প্রশ্ন করেন, তারা আমাকে দেখলে কেমন হত? ফেরেশতারা বলেন, তারা আপনার দর্শন পেলে আপনার অনেক বেশি প্রশংসাকারী, অধিক মাহাত্ম্য বর্ণনাকারী এবং অধিক যিকরকারী হত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আল্লাহ তা’আলা ফেরেশতাদের আবারও বলেন, আমার কাছে তারা কি চায়? ফেরেশতারা বলেন, আপনার নিকট তারা জান্নাত পেতে চায়। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আল্লাহ তা’আলা প্রশ্ন করেন, তারা তা দেখেছে কি? ফেরেশতারা বলেন, না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে প্রশ্ন করেন, তারা তা প্রত্যক্ষ করলে কেমন হত? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ফেরেশতাগণ বলেন, তারা জান্নাতের দর্শন পেলে তা পাওয়ার আরও অধিক প্রার্থনা করত, আরো বেশি আকাঙ্ক্ষা করত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আল্লাহ তা’আলা আবারও প্রশ্ন করেন, তারা কোন বস্তু থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করে? ফেরেশতারা বলেন, তারা জাহান্নাম হতে আশ্রয় প্রার্থণা করে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আল্লাহ তা’আলা বলেন, তারা তা দেখেছে কি? ফেরেশতারা বলেন, না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আল্লাহ তা’আলা বলেন, তারা তা প্রত্যক্ষ করলে কেমন হত? ফেরেশতারা বলেন, তারা তা প্রত্যক্ষ করেলে তা থেকে আরো অধিক পালিয়ে যেত, আরো বেশি ভয় করত এবং তা থেকে বাঁচার জন্য বেশি বেশি আশ্রয় প্রার্থণা করত। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আল্লাহ তা’আলা বলেন, তোমাদেরকে আমি সাক্ষী করছি যে, আমি তাদেরকে মাফ করে দিলাম। তখন ফেরেশতারা বলেন, তাদের মাঝে এমন এক লোক আছে যে তাদের সঙ্গে একত্র হওয়ার জন্য আসেনি, বরং ভিন্ন কোন দরকারে এসেছে। সে সময় আল্লাহ তা’আলা বলেন, তারা এরূপ একদল ব্যক্তি যে, তাদের সাথে উপবেশনকারী-ও বঞ্চিত হয় না।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৩১
“লা-হাওলা ওয়ালা কু-ওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ” –এর ফাযীলাত
৩৬০১
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ الْغَازِ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” أَكْثِرْ مِنْ قَوْلِ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ فَإِنَّهَا كَنْزٌ مِنْ كُنُوزِ الْجَنَّةِ ” . قَالَ مَكْحُولٌ فَمَنْ قَالَ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ وَلاَ مَنْجَا مِنَ اللَّهِ إِلاَّ إِلَيْهِ . كَشَفَ عَنْهُ سَبْعِينَ بَابًا مِنَ الضُّرِّ أَدْنَاهُنَّ الْفَقْرُ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ لَيْسَ إِسْنَادُهُ بِمُتَّصِلٍ . مَكْحُولٌ لَمْ يَسْمَعْ مِنْ أَبِي هُرَيْرَةَ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমাকে মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি “লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ” বেশি বেশি বল। কেননা, তা জান্নাতের রত্নভান্ডারের অন্তর্ভূক্ত। মাকহূল (রহঃ) বলেন, যে লোক “লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ ওয়ালা মানজায়া মিনাল্লাহি ইল্লা ইলাইহি” পাঠ করে, আল্লাহ তা’আলা তার হতে সত্তর প্রকারের অনিষ্ট অপসারণ করেন এবং এগুলোর মাঝে সাধারণ বা ক্ষুদ্র বিপদ হল দরিদ্রতা।
মাকহুলের উক্তি “ফামান ক্বালা …..” এই অংশ ব্যতীত হাদীসটি সহীহ কেননা ঐ অংশ মাক্বতূ সহীহাহ (১০৫, ১৫২৮)
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসের সনদসূত্র মুত্তাসিল (পরস্পর সংযুক্ত) নয়। মাকহূল (রহঃ) সরাসরি আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে হাদীস রিওয়ায়াত করেননি।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
৩৬০২
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لِكُلِّ نَبِيٍّ دَعْوَةٌ مُسْتَجَابَةٌ وَإِنِّي اخْتَبَأْتُ دَعْوَتِي شَفَاعَةً لأُمَّتِي وَهِيَ نَائِلَةٌ إِنْ شَاءَ اللَّهُ مَنْ مَاتَ مِنْهُمْ لاَ يُشْرِكُ بِاللَّهِ شَيْئًا ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রতিটি নাবীরই একটি দুআ আছে যা ক্ববূল হয়। আমার উক্ত দুআ (ক্বিয়ামাতের দিন) আমি আমার উম্মাতের শাফা’আতের জন্য সংরক্ষিত রেখেছি। ইনশাআল্লাহ সেই দু’আটি সে লোক পাবে যে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আল্লাহ তা’আলার সঙ্গে অন্য কিছুকে অংশীদার করেনি।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৩২
আল্লাহ তা’আলা সম্পর্কে সু-ধারণা রাখা
৩৬০৩
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” يَقُولُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنَا عِنْدَ ظَنِّ عَبْدِي بِي وَأَنَا مَعَهُ حِينَ يَذْكُرُنِي فَإِنْ ذَكَرَنِي فِي نَفْسِهِ ذَكَرْتُهُ فِي نَفْسِي وَإِنْ ذَكَرَنِي فِي مَلإٍ ذَكَرْتُهُ فِي مَلإٍ خَيْرٍ مِنْهُمْ وَإِنِ اقْتَرَبَ إِلَىَّ شِبْرًا اقْتَرَبْتُ مِنْهُ ذِرَاعًا وَإِنِ اقْتَرَبَ إِلَىَّ ذِرَاعًا اقْتَرَبْتُ إِلَيْهِ بَاعًا وَإِنْ أَتَانِي يَمْشِي أَتَيْتُهُ هَرْوَلَةً ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَيُرْوَى عَنِ الأَعْمَشِ فِي تَفْسِيرِ هَذَا الْحَدِيثِ مَنْ تَقَرَّبَ مِنِّي شِبْرًا تَقَرَّبْتُ مِنْهُ ذِرَاعًا يَعْنِي بِالْمَغْفِرَةِ وَالرَّحْمَةِ وَهَكَذَا فَسَّرَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ هَذَا الْحَدِيثَ . قَالُوا إِنَّمَا مَعْنَاهُ يَقُولُ إِذَا تَقَرَّبَ إِلَىَّ الْعَبْدُ بِطَاعَتِي وَمَا أَمَرْتُ أُسْرِعُ إِلَيْهِ بِمَغْفِرَتِي وَرَحْمَتِي .
وَرُوِيَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، أَنَّهُ قَالَ فِي هَذِهِ الآيَةِ : ( فاذكُرُونِي أَذْكُرْكُمْ ) قَالَ اذْكُرُونِي بِطَاعَتِي أَذْكُرْكُمْ بِمَغْفِرَتِي . حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ قَالَ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُوسَى وَعَمْرُو بْنُ هَاشِمٍ الرَّمْلِيُّ عَنِ ابْنِ لَهِيعَةَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ بِهَذَا .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা বলেন, আমাকে আমার বান্দা যেভাবে ধারণা করে আমি (তার জন্য) সে রকম। যখন সে আমাকে মনে করে সে সময় আমি তার সঙ্গেই থাকি। সুতরাং সে আমাকে মনে মনে স্মরণ করলে তাকে আমিও মনে মনে স্মরণ করি। আমাকে সে মাজলিসে স্মরণ করলে আমিও তাকে তাদের চাইতে ভাল মজলিসে (ফেরেশতাদের মাজলিসে) মনে করি। সে আমার দিকে এক বিঘত এগিয়ে এলে আমি তার দিকে এক হাত অগ্রসর হই। যদি সে আমার দিকে এক হাত এগিয়ে আসে, তবে তার দিকে আমি এক বাহু এগিয়ে যাই। সে আমার দিকে হেটে অগ্রসর হলে আমি তার দিকে দৌঁড়িয়ে এগিয়ে যাই।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (৩৮২২), বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৩৩
আশ্রয় প্রার্থনা প্রসঙ্গে
৩৬০৪
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ اسْتَعِيذُوا بِاللَّهِ مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ اسْتَعِيذُوا بِاللَّهِ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ اسْتَعِيذُوا بِاللَّهِ مِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ وَاسْتَعِيذُوا بِاللَّهِ مِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَنْ قَالَ حِينَ يُمْسِي ثَلاَثَ مَرَّاتٍ أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ لَمْ يَضُرَّهُ حُمَةٌ تِلْكَ اللَّيْلَةَ ” . قَالَ سُهَيْلٌ فَكَانَ أَهْلُنَا تَعَلَّمُوهَا فَكَانُوا يَقُولُونَهَا كُلَّ لَيْلَةٍ فَلُدِغَتْ جَارِيَةٌ مِنْهُمْ فَلَمْ تَجِدْ لَهَا وَجَعًا . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَرَوَى مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَرَوَى عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ وَغَيْرُ وَاحِدٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ سُهَيْلٍ وَلَمْ يَذْكُرُوا فِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ .
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا وَكِيعٌ، أَخْبَرَنَا أَبُو فَضَالَةَ الْفَرَجُ بْنُ فَضَالَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ دُعَاءٌ حَفِظْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لاَ أَدَعُهُ “ اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي أُعَظِّمُ شُكْرَكَ وَأُكْثِرُ ذِكْرَكَ وَأَتَّبِعُ نَصِيحَتَكَ وَأَحْفَظُ وَصِيَّتَكَ ” . هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ .
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، وَهُوَ ابْنُ أَبِي سُلَيْمٍ عَنْ زِيَادٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” مَا مِنْ رَجُلٍ يَدْعُو اللَّهَ بِدُعَاءٍ إِلاَّ اسْتُجِيبَ لَهُ فَإِمَّا أَنْ يُعَجَّلَ لَهُ فِي الدُّنْيَا وَإِمَّا أَنْ يُدَّخَرَ لَهُ فِي الآخِرَةِ وَإِمَّا أَنْ يُكَفَّرَ عَنْهُ مِنْ ذُنُوبِهِ بِقَدْرِ مَا دَعَا مَا لَمْ يَدْعُ بِإِثْمٍ أَوْ قَطِيعَةِ رَحِمٍ أَوْ يَسْتَعْجِلُ ” . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَكَيْفَ يَسْتَعْجِلُ قَالَ ” يَقُولُ دَعَوْتُ رَبِّي فَمَا اسْتَجَابَ لِي ” . هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
حَدَّثَنَا يَحْيَى، أَخْبَرَنَا يَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” مَا مِنْ عَبْدٍ يَرْفَعُ يَدَيْهِ حَتَّى يَبْدُوَ إِبْطُهُ يَسْأَلُ اللَّهَ مَسْأَلَةً إِلاَّ آتَاهَا إِيَّاهُ مَا لَمْ يَعْجَلْ ” . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَكَيْفَ عَجَلَتُهُ قَالَ ” يَقُولُ قَدْ سَأَلْتُ وَسَأَلْتُ وَلَمْ أُعْطَ شَيْئًا ” . وَرَوَى هَذَا الْحَدِيثَ الزُّهْرِيُّ عَنْ أَبِي عُبَيْدٍ مَوْلَى ابْنِ أَزْهَرَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” يُسْتَجَابُ لأَحَدِكُمْ مَا لَمْ يَعْجَلْ يَقُولُ دَعَوْتُ فَلَمْ يُسْتَجَبْ لِي ” .
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا أَبُو دَاوُدَ، أَخْبَرَنَا صَدَقَةُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ وَاسِعٍ، عَنْ سُمَيْرِ بْنِ نَهَارٍ الْعَبْدِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ حُسْنَ الظَّنِّ بِاللَّهِ مِنْ حُسْنِ عِبَادَةِ اللَّهِ ” . هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لِيَنْظُرَنَّ أَحَدُكُمْ مَا الَّذِي يَتَمَنَّى فَإِنَّهُ لاَ يَدْرِي مَا يُكْتَبُ لَهُ مِنْ أُمْنِيَّتِهِ ” . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا جَابِرُ بْنُ نُوحٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدْعُو فَيَقُولُ “ اللَّهُمَّ مَتِّعْنِي بِسَمْعِي وَبَصَرِي وَاجْعَلْهُمَا الْوَارِثَ مِنِّي وَانْصُرْنِي عَلَى مَنْ يَظْلِمُنِي وَخُذْ مِنْهُ بِثَأْرِي ” . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، سُلَيْمَانُ بْنُ الأَشْعَثِ السِّجْزِيُّ حَدَّثَنَا قَطَنٌ الْبَصْرِيُّ، أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ لِيَسْأَلْ أَحَدُكُمْ رَبَّهُ حَاجَتَهُ كُلَّهَا حَتَّى يَسْأَلَ شِسْعَ نَعْلِهِ إِذَا انْقَطَعَ ” . هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ . وَرَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ سُلَيْمَانَ عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَلَمْ يَذْكُرُوا فِيهِ عَنْ أَنَسٍ .
حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لِيَسْأَلْ أَحَدُكُمْ رَبَّهُ حَاجَتَهُ حَتَّى يَسْأَلَهُ الْمِلْحَ وَحَتَّى يَسْأَلَهُ شِسْعَ نَعْلِهِ إِذَا انْقَطَعَ ” . وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ قَطَنٍ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ سُلَيْمَانَ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা আল্লাহ তা’আলার নিকটে জাহান্নামের শাস্তি থেকে আশ্রয় প্রার্থণা কর, আল্লাহ তা’আলার নিকট তোমরা ক্ববরের শাস্তি হতে মুক্তি কামনা কর, তোমরা আল্লাহ তা’আলার কাছে মসীহ দাজ্জালের যুলম হতে মুক্তি চাও, তোমরা আল্লাহ তা’আলার নিকট জীবন ও মুত্যর বিপর্যয় হতে আশ্রয় প্রার্থনা কর।
সনদ সহীহঃ মুসলিম (২/৯৩), তাশাহুদের বর্ণনার সাথে আরেক বর্ণনায় শেষ তাশাহুদে” এই কথা উল্লেখ আছে। সিফাতুস সালাত (১৬৩)
আবূ ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ।
—————–
৩৬০৪/১. আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে তিনবার বলে, “আল্লাহ তা’আলার নিকট আমি তাঁর সম্পূর্ণ কালামের ওয়াসীলায় আশ্রয় প্রার্থনা করি, সে সকল অনিষ্ট হতে, যা তিনি সৃষ্টি করেছেন”, ঐ রাতে কোন বিষ তার অনিষ্ট করতে পারবে না। সুহাইল (রহঃ) বলেন, আমার পরিবারের লোকেরা এই দুআ শিখে তা প্রতি রাতে পড়ত। একদিন তাদের একটি মেয়ে দংশিত হয়, কিন্তু তাতে সে কোন যন্ত্রণা অনুভব করেনি।
সহীহঃ তালীকুর রাগীব (১/২২৬), মুসলিম সংক্ষিপ্তাকারে বর্ণনা করেছেন।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। মালিক ইবনু আনাস (রহঃ) এ হাদীস সুহাইল ইবনু আবী সালিহ্ হতে, তিনি তাঁর বাবা হতে, তিনি আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সনদে রিওয়ায়াত করেছেন। এ হাদীস উবাইদুল্লাহ ইবনু ‘উমার প্রমুখ সুহাইল (রহঃ) হতে রিওয়ায়াত করেছেন, কিন্তু তাতে আবূ হুরায়রা (রাঃ) এর উল্লেখ করেননি।
———————–
৩৬০৪/২. আবূ হুরাইরা (রাঃ) বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের) নিকট হতে একটি দু’আ আয়ত্ত করেছি, যা আমি কখনও বাদ দেই নাঃ “হে আল্লাহ! তুমি আমাকে বেশি পরিমাণে তোমার প্রতি শুকরিয়া প্রকাশকারী, তোমাকে অধিক স্মরণকারী, তোমার নাসিহাতের অনুসারী এবং তোমার ওয়াসিয়াত (নির্দেশ) স্মরণকারী বানাও”।
যইফ, মিশকাত, তাহকীক ছানী (২৪৯৯), আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব।
——————
অনুচ্ছেদ-১৩৪ সম্পর্ক ছিন্নকারী দু’আ ব্যতীত দু’আ ক্ববূল হওয়া প্রসঙ্গে।
৩৬০৪/৩. আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে কোন ব্যক্তি আল্লাহর নিকট কোন দু’আ করলে তার দু’আ ক্ববূল হয়। হয়তোবা সে দুনিয়াতেই তার ফল পেয়ে যায় অথবা তা তার আখিরাতের পাথেয় হিসেবে জমা রাখা হয় অথবা তার দু’আর সম-পরিমাণ তার গুনাহ মাফ করা হয়, যতক্ষণ না সে পাপ কাজের অথবা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার দুআ করে অথবা দুআ ক্ববূলের জন্য তাড়াতাড়ি করে। সাহাবীগণ বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! তাড়াতাড়ি করে কিভাবে? তিনি বলেনঃ সে বলে, আমি আমার আল্লাহর নিকটে দু’আ করেছিলাম, কিন্তু আমার দু’আ তিনি ক্ববূল করেননি।
“হয়তোবা তার দু’আর সমপরিমাণ গুনাহ মাফ করা হয়” এই অংশ ব্যতীত হাদীসটি সহীহ। যঈফাহ (হাঃ ৪৪৮৩)
আবূ ঈসা বলেন, উপর্যুক্ত সূত্রে এ হাদীসটি গারীব।
———————–
৩৬০৪/৪. আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে সময় কোন বান্দা তার দুই হাত উপরের দিকে উত্তোলন করে, এমনকি তার বগল খুলে আল্লাহর নিকটে কিছু প্রার্থনা করে, তখন তিনি অবশ্যই তাকে তা দেন, যদি সে তাড়াহুড়া না করে। সাহাবীগণ বলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! তার তাড়াহুড়া কি? তিনি বললেনঃ সে বলে, আমি তো প্রার্থনা করছি, আবারও প্রার্থনা করেছি (অধিকবার প্রার্থনা করছি), কিন্তু আমাকে কিছুই দান করা হয়নি।
“হাত উত্তোলন” অংশ ব্যতীত হাদীসটি সহীহঃ প্রাগুক্ত, মুসলিম অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
এ হাদীসটি যুহরী (রহঃ) ইবনু ‘আযহারের মুক্তদাস আবূ উবাইদ হতে, তিনি আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সনদে রিওয়ায়াত করেছেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের যে কারো দু’আ ক্ববূল হয়ে থাকে, যতক্ষণ না সে তড়িঘড়ি করে এবং বলে, আমি দু’আ করলাম কিন্তু ক্ববূল তো হল না। সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
—————–
অনুচ্ছেদ-১৩৫ আল্লাহ! আমার শ্রবণ শক্তি দ্বারা আমাকে উপকৃত কর।
৩৬০৪/৫. আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আলাহ তা’আলা প্রসঙ্গে ভাল উপলব্ধি পোষণও আল্লাহ্র উত্তম ইবাদাতের অন্তর্ভুক্ত।
যঈফ, যঈফা (৩১৫০), আবূ ঈসা বলেনঃ উক্ত সনদসূত্রে এ হাদীসটী গারীব।
—————–
অনুচ্ছেদ-১৩৬ সকল সময়েই কল্যাণের ইচ্ছা করবে
৩৬০৪/৬. আবূ সালামা ইবনু আবদুর রহমান (রাঃ) হতে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের যে কেউ অবশ্যই লক্ষ্য রাখবে যে, সে কি (পাওয়ার) ইচ্ছা করছে। যেহেতু সে জানেনা যে, তার চাওয়ার ভিত্তিতে তার জন্য কি লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে (তাই সর্বদা উত্তম ধারণা ও উত্তম কিছু চাইতে হবে)।
দুর্বল, যঈফা (৪৪০৫), আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান।
——————-
৩৬০৪/৭. আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেনঃ “হে আল্লাহ! আমার কর্ণ ও চক্ষুর মাধ্যমে আমাকে উপকৃত কর এবং এ দুটোকে আমার উত্তরাধিকারী কর (মৃত্যু পর্যন্ত অটুট রাখ), যে লোক আমার উপর অত্যাচার করে তার বিরুদ্ধে আমায় তুমি সহযোগিতা কর এবং তার হতে তুমি আমার প্রতিশোধ গ্রহণ কর”।
হাসানঃ রাওযুন নাযীর (১৯০)
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি উক্ত সনদসূত্রে হাসান গারীব।
—————-
৩৬০৪/৮. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের প্রত্যেকেই যেন তার প্রতিটি অভাব পূরণের উদ্দেশ্যে তার রবের নিকটে প্রার্থনা করে, এমনকি তার জুতার ফিতা ছিঁড়ে গেলে তাও যেন তাঁর নিকটে চায়।
যঈফ, যঈফা (১৩৬২) আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। একাধিক রাবী এ হাদীস জাফর ইবনু সুলাইমান হতে তিনি সাবিত আল-বুনানী হতে তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেছেন, কিন্তু তাতে তারা আনাস (রাঃ)-এর উল্লেখ করেননি।
——————-
৩৬০৪/৯. সাবিত আল-বুনানী (রাহঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের সকলেই যেন তার অভাব পূরণের উদ্দেশ্যে তার রবের নিকটে প্রার্থনা করে, এমনকি তার লবণের জন্যও, এমনকি তার জুতার ফিতা ছিঁড়ে গেলে তার জন্যও তাঁর নিকটে প্রার্থনা করে।
যঈফ, প্রাগুক্ত আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি কাতান হতে জাফর ইবনু সুলাইমান-এর সূত্রে বর্ণিত হাদীসের তুলনায় বেশি সহীহ।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য