তিরমিজি দুআ সমূহ অধ্যায় ১ম ভাগ হাদিস নং ৩৩৭০ – ৩৪৫০
অনুচ্ছেদ-১
দু‘আর ফাযীলাত
৩৩৭০
حَدَّثَنَا عَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ الْعَنْبَرِيُّ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا عِمْرَانُ الْقَطَّانُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله عنه عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ لَيْسَ شَيْءٌ أَكْرَمَ عَلَى اللَّهِ تَعَالَى مِنَ الدُّعَاءِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مَرْفُوعًا إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عِمْرَانَ الْقَطَّانِ وَعِمْرَانُ الْقَطَّانُ هُوَ ابْنُ دَاوَرَ وَيُكْنَى أَبَا الْعَوَّامِ .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ عِمْرَانَ الْقَطَّانِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলার নিকট দু’আর চেয়ে কোন জিনিস বেশি সম্মানিত নয়।
হাসানঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৮২৯)।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩৩৭১
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ ابْنِ لَهِيعَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي جَعْفَرٍ، عَنْ أَبَانَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ الدُّعَاءُ مُخُّ الْعِبَادَةِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ لَهِيعَةَ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ দু’আ হল ইবাদাতের মূল বা সার।
এই শব্দে হাদীসটি যঈফ, রাওজুন নাযীর(২/২৮৯), মিশকাত(২২৩১), আবূ ঈসা বলেনঃ উপরোক্ত সনদসূত্রে এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধু ইবনু লাহীআর রিওয়ায়াত হিসেবে এ হাদীস জ়েনেছি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-২
(দু‘আই ‘ইবাদাত)
৩৩৭২
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ ذَرٍّ، عَنْ يُسَيْعٍ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” الدُّعَاءُ هُوَ الْعِبَادَةُ ” . ثُمَّ قَرَأََ : (وقالَ رَبُّكُمُ ادْعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ إِنَّ الَّذِينَ يَسْتَكْبِرُونَ عَنْ عِبَادَتِي سَيَدْخُلُونَ جَهَنَّمَ دَاخِرِينَ ) . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَوَاهُ مَنْصُورٌ وَالأَعْمَشُ عَنْ ذَرٍّ وَلاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ ذَرٍّ . هُوَ ذَرُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْهَمْدَانِيُّ ثِقَةٌ وَالِدُ عُمَرَ بْنِ ذَرٍّ .
নু‘মান ইবনু বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দু‘আই হল ‘ইবাদাত। তারপর তিনি পাঠ করেন (অনুবাদ): “এবং তোমাদের রব বলেছেন, আমাকে তোমরা আহ্বান কর, আমি তোমাদের আহ্বানে সাড়া দিব। নিশ্চয় যে সকল লোক আমার ‘ইবাদাত করতে অহংকার করে (বিরত থাকে), শীঘ্রই তারা ভর্ৎসনার সঙ্গে জাহান্নামে প্রবেশ করবে”- (সূরা মু’মিন ৬০)।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (৩৮২৮)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৩
(আল্লাহর অসন্তুষ্টি)
৩৩৭৩
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ أَبِي الْمَلِيحِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ لَمْ يَسْأَلِ اللَّهَ يَغْضَبْ عَلَيْهِ ” . قَالَ وَرَوَى وَكِيعٌ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ أَبِي الْمَلِيحِ هَذَا الْحَدِيثَ وَلاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَأَبُو الْمَلِيحِ اسْمُهُ صَبِيحٌ سَمِعْتُ مُحَمَّدًا يَقُولُهُ وَقَالَ يُقَالُ لَهُ الْفَارِسِيُّ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলার কাছে যে লোক চায় না, আল্লাহ তা‘আলা তার উপর নাখোশ হন।
হাসানঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৮২৭)
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৪
(জান্নাতের গুপ্তধন)
৩৩৭৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا مَرْحُومُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ الْعَطَّارُ حَدَّثَنَا أَبُو نَعَامَةَ السَّعْدِيُّ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ عَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزَاةٍ فَلَمَّا قَفَلْنَا أَشْرَفْنَا عَلَى الْمَدِينَةِ فَكَبَّرَ النَّاسُ تَكْبِيرَةً وَرَفَعُوا بِهَا أَصْوَاتَهُمْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ رَبَّكُمْ لَيْسَ بِأَصَمَّ وَلَا غَائِبٍ هُوَ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَ رُءُوسِ رِحَالِكُمْ ثُمَّ قَالَ يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ قَيْسٍ أَلَا أُعَلِّمُكَ كَنْزًا مِنْ كُنُوزِ الْجَنَّةِ لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ وَأَبُو عُثْمَانَ النَّهْدِيُّ اسْمُهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُلٍّ وَأَبُو نَعَامَةَ السَّعْدِيُّ اسْمُهُ عَمْرُو بْنُ عِيسَى.
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ حُمَيْدٍ أَبِي الْمَلِيحِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ .
আবূ মূসা আল-আশ‘আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা কোন এক যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথেই ছিলাম। আমরা যখন ফিরে আসলাম এবং মাদীনার উপকণ্ঠে উপস্থিত হলাম তখন কিছু লোক উচ্চৈঃস্বরে তাকবীর বললেন। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তোমাদের পালনকর্তা বধিরও নন এবং অনুপস্থিতও নন। তিনি তোমাদের মাঝে তোমাদের সৈন্য দলের সাথেই আছেন। তারপর তিনি বললেন, হে ‘আবদুল্লাহ ইবনু ক্বাইস আমি কি তোমাকে জান্নাতের গুপ্তঘন শিখিয়ে দিব না? তা হল “লা- হাওলা ওয়ালা কু-ওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ”।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৮২৪), বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৫
যিকিরের ফযীলত প্রসঙ্গে যা বর্ণিত হয়েছে
৩৩৭৫
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ قَيْسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُسْرٍ، رضى الله عنه أَنَّ رَجُلاً، قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ شَرَائِعَ الإِسْلاَمِ قَدْ كَثُرَتْ عَلَىَّ فَأَخْبِرْنِي بِشَيْءٍ أَتَشَبَّثُ بِهِ . قَالَ “ لاَ يَزَالُ لِسَانُكَ رَطْبًا مِنْ ذِكْرِ اللَّهِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আবদুল্লাহ্ ইবনু বুস্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এ লোক বলল, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমার জন্য ইসলামের শারী‘আতের বিষয়াদি অতিরিক্ত হয়ে গেছে। সুতরাং আমাকে এমন একটি বিষয় জানান, যা আমি শক্তভাবে আঁকড়ে থাকতে পারি। তিনি বললেনঃ সর্বদা তোমার জিহ্বা যেন আল্লাহ তা‘আলার যিকিরের দ্বারা সিক্ত থাকে।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৭৯৩)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৩৭৬
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ دَرَّاجٍ، عَنْ أَبِي الْهَيْثَمِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سُئِلَ أَىُّ الْعِبَادِ أَفْضَلُ دَرَجَةً عِنْدَ اللَّهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ قَالَ ” الذَّاكِرُونَ اللَّهَ كَثِيرًا وَالذَّاكِرَاتُ ” . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمِنَ الْغَازِي فِي سَبِيلِ اللَّهِ قَالَ ” لَوْ ضَرَبَ بِسَيْفِهِ فِي الْكُفَّارِ وَالْمُشْرِكِينَ حَتَّى يَنْكَسِرَ وَيَخْتَضِبَ دَمًا لَكَانَ الذَّاكِرُونَ اللَّهَ كَثِيرًا أَفْضَلَ مِنْهُ دَرَجَةً ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ دَرَّاجٍ .
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে প্রশ্ন করা হল, কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তা‘আলার নিকট বান্দাদের মধ্যে কে মর্যাদায় সর্বোত্তম হবে? তিনি বললেনঃ আল্লাহ তা‘আলার অধিক পরিমাণে যিকিরকারীগণ। রাবী বলেনঃ আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! আল্লাহ্ তা‘আলার রাস্তায় জিহাদকারীর চেয়েও অধিক মর্যাদাশালী? তিনি বললেনঃ যদি কেউ নিজের তলোয়ার দিয়ে কাফির ও মুশরিকদের উপর এমনভাবে আঘাত হানে যে, তা ভেঙ্গে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায় এবং নিজেও রক্তাক্ত হয়ে যায়, তবে অধিক পরিমাণে আল্লাহ্ তা‘আলার যিকিরকারী বান্দাগণ মর্যাদায় তার চেয়েও উত্তম।
যঈফ,তা‘লীকুর রাগীব (২/২২৮), আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধু দার্রাজের রিওয়ায়াত হিসেবে তা জেনেছি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৬
(সর্বোত্তম ‘আমাল)
৩৩৭৭
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعِيدٍ، هُوَ ابْنُ أَبِي هِنْدٍ عَنْ زِيَادٍ، مَوْلَى ابْنِ عَيَّاشٍ عَنْ أَبِي بَحْرِيَّةَ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” أَلاَ أُنَبِّئُكُمْ بِخَيْرِ أَعْمَالِكُمْ وَأَزْكَاهَا عِنْدَ مَلِيكِكُمْ وَأَرْفَعِهَا فِي دَرَجَاتِكُمْ وَخَيْرٌ لَكُمْ مِنْ إِنْفَاقِ الذَّهَبِ وَالْوَرِقِ وَخَيْرٌ لَكُمْ مِنْ أَنْ تَلْقَوْا عَدُوَّكُمْ فَتَضْرِبُوا أَعْنَاقَهُمْ وَيَضْرِبُوا أَعْنَاقَكُمْ ” . قَالُوا بَلَى . قَالَ ” ذِكْرُ اللَّهِ تَعَالَى ” . فَقَالَ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ رضى الله عنه مَا شَيْءٌ أَنْجَى مِنْ عَذَابِ اللَّهِ مِنْ ذِكْرِ اللَّهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعِيدٍ مِثْلَ هَذَا بِهَذَا الإِسْنَادِ وَرَوَى بَعْضُهُمْ عَنْهُ فَأَرْسَلَهُ .
আবুদ্ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি তোমাদেরকে কি তোমাদের অধিক উত্তম কাজ প্রসঙ্গে জানাব না, যা তোমাদের মনিবের নিকট সবচেয়ে পবিত্র, তোমাদের সম্মানের দিক হতে সবচেয়ে উঁচু, স্বর্ণ ও রৌপ্য দান-খাইরাত করার চেয়েও বেশি ভাল এবং তোমাদের শত্রুর মুকাবিলায় অবতীর্ণ হয়ে তাদেরকে তোমাদের সংহার করা ও তোমাদেরকে তাদের সংহার করার চাইতেও ভাল? তারা বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ আল্লাহ তা‘আলার যিক্র। মু‘আয ইবনু জাবাল (রাঃ) বলেন, আল্লাহ তা‘আলার শাস্তি হতে মুক্তি পাওয়ার জন্য আল্লাহ তা‘আলার যিক্রের তুলনায় অগ্রগণ্য কোন জিনিস নেই।
সহীহ : ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৭৯০)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৭
যে সকল লোক বসে বসে আল্লাহ তা‘আলার যিক্র করে তাদের মর্যাদা
৩৩৭৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَغَرِّ أَبِي مُسْلِمٍ، أَنَّهُ شَهِدَ عَلَى أَبِي هُرَيْرَةَ وَأَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّهُمَا شَهِدَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ “ مَا مِنْ قَوْمٍ يَذْكُرُونَ اللَّهَ إِلاَّ حَفَّتْ بِهِمُ الْمَلاَئِكَةُ وَغَشِيَتْهُمُ الرَّحْمَةُ وَنَزَلَتْ عَلَيْهِمُ السَّكِينَةُ وَذَكَرَهُمُ اللَّهُ فِيمَنْ عِنْدَهُ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ يَعْقُوبَ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ الأَغَرَّ أَبَا مُسْلِمٍ، قَالَ أَشْهَدُ عَلَى أَبِي سَعِيدٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ رضى الله عنهما أَنَّهُمَا شَهِدَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ مِثْلَهُ .
আবূ হুরাইরাহ্ ও আবূ সা‘ঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ হুরাইরাহ্ ও আবূ সা‘ঈদ আল-খুদরী (রাঃ) প্রত্যেকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রসঙ্গে সাক্ষ্য দেন যে, তিনি বলেছেন : যখনই কোন এক স্থানে কিছু সংখ্যক লোক আল্লাহ তা‘আলার যিক্রে মাশগুল হয়, তখনই ফেরেশতাগণ তাদের আবৃত করে রাখে, তাদেরকে আল্লাহ তা‘আলার রাহমাত ও করুণা ছেয়ে ফেলে এবং তাদের প্রতি প্রশান্তি অবতীর্ণ হয়। আর আল্লাহ তা‘আলা স্বয়ং তাঁর সমীপে উপস্থিতদের কাছে তাদের আলোচনা করেন।
সহীহ : ইবনু মাজাহ (হা : ৩৭৯১), মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৩৭৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مَرْحُومُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ الْعَطَّارُ، حَدَّثَنَا أَبُو نَعَامَةَ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ خَرَجَ مُعَاوِيَةُ إِلَى الْمَسْجِدِ فَقَالَ مَا يُجْلِسُكُمْ قَالُوا جَلَسْنَا نَذْكُرُ اللَّهَ قَالَ آللَّهِ مَا أَجْلَسَكُمْ إِلاَّ ذَاكَ قَالُوا وَاللَّهِ مَا أَجْلَسَنَا إِلاَّ ذَاكَ . قَالَ أَمَا إِنِّي مَا أَسْتَحْلِفُكُمْ تُهْمَةً لَكُمْ وَمَا كَانَ أَحَدٌ بِمَنْزِلَتِي مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَقَلَّ حَدِيثًا عَنْهُ مِنِّي إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ عَلَى حَلْقَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ فَقَالَ ” مَا يُجْلِسُكُمْ ” . قَالُوا جَلَسْنَا نَذْكُرُ اللَّهَ وَنَحْمَدُهُ لِمَا هَدَانَا لِلإِسْلاَمِ وَمَنَّ عَلَيْنَا بِهِ . فَقَالَ ” آللَّهِ مَا أَجْلَسَكُمْ إِلاَّ ذَاكَ ” . قَالُوا آللَّهِ مَا أَجْلَسَنَا إِلاَّ ذَاكَ . قَالَ ” أَمَا إِنِّي لَمْ أَسْتَحْلِفْكُمْ لِتُهْمَةٍ لَكُمْ إِنَّهُ أَتَانِي جِبْرِيلُ فَأَخْبَرَنِي أَنَّ اللَّهَ يُبَاهِي بِكُمُ الْمَلاَئِكَةَ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَأَبُو نَعَامَةَ السَّعْدِيُّ اسْمُهُ عَمْرُو بْنُ عِيسَى وَأَبُو عُثْمَانَ النَّهْدِيُّ اسْمُهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَلٍّ .
আবূ সা‘ঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মু’আবিয়াহ্ (রাঃ) মাসজিদে গেলেন। তিনি (মাসজিদে কিছুলোক বসা দেখে তাদেরকে) বললেন, তোমাদের কিসে বসিয়ে রেখেছে? তারা বললেন, আমরা বসে বসে আল্লাহ তা‘আলার যিক্র করছি। তিনি বললেন, আল্লাহর ক্বসম! তোমাদেরকে আল্লাহ তা‘আলার যিক্রই কি বসিয়ে রেখেছে? তারা বললেন, আল্লাহর শপথ! আল্লাহ তা‘আলার যিক্রই আমাদেরকে বসিয়ে রেখেছে। তিনি বললেন, শোন! তোমাদের মিথ্যা বলার সন্দেহে আমি তোমাদেরকে শপথ করাইনি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে আমার চেয়ে কম হাদীস বর্ণনাকারীও কেউ নেই। একদিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সাথীদের এক দরবারে পৌঁছে বললেনঃ তোমাদেরকে কিসে বসিয়ে রেখেছে? তারা বলেন, এখানে বসে আমরা আল্লাহ তা‘আলার যিক্র করছি এবং তাঁর প্রশংসা করছি, কেননা ইসলামের দিকে তিনিই আমাদেরকে পথ দেখিয়েছেন এবং ইসলামের মাধ্যমে আমাদের প্রতি বিরাট অনুগ্রহ করেছেন। তিনি বললেনঃ আল্লাহর শপথ! এটাই তোমাদেরকে বসিয়ে রেখেছে কি? তারা বললেন, আল্লাহর শপথ! আমাদেরকে শুধুমাত্র এটাই বসিয়ে রেখেছে। তিনি বললেনঃ তোমাদের মিথ্যা বলার সন্দেহে আমি তোমাদেরকে ক্বসম দেইনি। জিবরীল (‘আঃ) আমার কাছে এসে আমাকে জানিয়েছেন যে, আল্লাহ তা‘আলা ফেরেশতাদের সম্মুখে তোমাদের নিয়ে গর্ব করছেন।
সহীহ : মুসলিম (হাঃ ৮/৭২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৮
যারা মাজলিসে বসে আছে অথচ আল্লাহ তা‘আলার যিক্র করে না
৩৩৮০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ صَالِحٍ، مَوْلَى التَّوْأَمَةِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله عنه عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَا جَلَسَ قَوْمٌ مَجْلِسًا لَمْ يَذْكُرُوا اللَّهَ فِيهِ وَلَمْ يُصَلُّوا عَلَى نَبِيِّهِمْ إِلاَّ كَانَ عَلَيْهِمْ تِرَةً فَإِنْ شَاءَ عَذَّبَهُمْ وَإِنْ شَاءَ غَفَرَ لَهُمْ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَمَعْنَى قَوْلِهِ تِرَةً يَعْنِي حَسْرَةً وَنَدَامَةً . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْمَعْرِفَةِ بِالْعَرَبِيَّةِ: التِّرَةُ هُوَ الثَّأْرُ.
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে সমস্ত লোক কোন দরবারে বসেছে অথচ তারা আল্লাহ তা‘আলার যিক্র করেনি এবং তাদের নাবীর প্রতি দরূদও পড়েনি, তারা বিপদগ্রস্ত ও আশাহত হবে। আল্লাহ তা‘আলা চাইলে তাদেরকে শাস্তিও দিতে পারেন কিংবা মাফও করতে পারেন।
সহীহ : সহীহাহ্ (হাঃ ৭৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৯
মুসলিম লোকের দু‘আ ক্ববূল হয়
৩৩৮১
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ مَا مِنْ أَحَدٍ يَدْعُو بِدُعَاءٍ إِلاَّ آتَاهُ اللَّهُ مَا سَأَلَ أَوْ كَفَّ عَنْهُ مِنَ السُّوءِ مِثْلَهُ مَا لَمْ يَدْعُ بِإِثْمٍ أَوْ قَطِيعَةِ رَحِمٍ ” . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ وَعُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি বলতে শুনেছি : কোন ব্যক্তি (আল্লাহ তা‘আলার কাছে) কোন কিছু দু‘আ করলে আল্লাহ তা‘আলা তাকে তা দান করেন কিংবা তার পরিপ্রেক্ষিতে তার হতে কোন অকল্যান প্রতিহত করেন, যতক্ষণ পর্যন্ত সে কোন গুনাহের কাজে লিপ্ত হওয়ার বা আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করার জন্য প্রার্থনা না করে।
হাসান : মিশকাত (হা : ২২৩৬)।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩৩৮২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَرْزُوقٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ وَاقِدٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَطِيَّةَ اللَّيْثِيُّ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَسْتَجِيبَ اللَّهُ لَهُ عِنْدَ الشَّدَائِدِ وَالْكُرَبِ فَلْيُكْثِرِ الدُّعَاءَ فِي الرَّخَاءِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক বিপদাপদ ও সংকটের সময় আল্লাহ তা‘আলার অনুগ্রহ লাভ করতে চায় সে যেন সুখ-স্বাচ্ছন্দের সময় বেশি পরিমাণে দু‘আ করে।
হাসান : সহীহাহ্ (হাঃ ৫৯৫)।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩৩৮৩
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ كَثِيرٍ الأَنْصَارِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ طَلْحَةَ بْنَ خِرَاشٍ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، رضى الله عنهما يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ أَفْضَلُ الذِّكْرِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَفْضَلُ الدُّعَاءِ الْحَمْدُ لِلَّهِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ مُوسَى بْنِ إِبْرَاهِيمَ . وَقَدْ رَوَى عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ مُوسَى بْنِ إِبْرَاهِيمَ هَذَا الْحَدِيثَ .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি বলতে শুনেছি : “লা- ইলা-হা ইল্লাল্লাহ” অতি উত্তম যিক্র এবং “আলাহামদু লিল্লাহ্” অধিক উত্তম দু‘আ।
হাসান : ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৮০০)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান গারীব। এ হাদীসটি আমরা শুধু মূসা ইবনু ইব্রাহীমের সূত্রে অবগত হয়েছি। ‘আলী ইবনুল মাদীনী প্রমুখ মূসা ইবনু ইব্রাহীম হতে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩৩৮৪
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْمُحَارِبِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ خَالِدِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنِ الْبَهِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَذْكُرُ اللَّهَ عَلَى كُلِّ أَحْيَانِهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ وَالْبَهِيُّ اسْمُهُ عَبْدُ اللَّهِ .
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর প্রতিটি সময়েই আল্লাহ তা‘আলার যিক্র করতেন।
সহীহ : ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩০২), মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১০
দু‘আকারী নিজের জন্য প্রথমে দু‘আ করবে
৩৩৮৫
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو قَطَنٍ، عَنْ حَمْزَةَ الزَّيَّاتِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا ذَكَرَ أَحَدًا فَدَعَا لَهُ بَدَأَ بِنَفْسِهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ وَأَبُو قَطَنٍ اسْمُهُ عَمْرُو بْنُ الْهَيْثَمِ .
উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উল্লেখপূর্বক কারো জন্য দু‘আ করলে প্রথমে তার নিজের জন্য দু‘আ করতেন।
সহীহ : মিশকাত তাহক্বীক্ব সানী (হাঃ ২২৫৮)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১১
দু‘আ করার সময় দুই হাত উত্তোলন
৩৩৮৬
حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى، مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ وَغَيْرُ وَاحِدٍ قَالُوا حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ عِيسَى الْجُهَنِيُّ، عَنْ حَنْظَلَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ الْجُمَحِيِّ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا رَفَعَ يَدَيْهِ فِي الدُّعَاءِ لَمْ يَحُطَّهُمَا حَتَّى يَمْسَحَ بِهِمَا وَجْهَهُ . قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى فِي حَدِيثِهِ لَمْ يَرُدَّهُمَا حَتَّى يَمْسَحَ بِهِمَا وَجْهَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ عِيسَى . وَقَدْ تَفَرَّدَ بِهِ وَهُوَ قَلِيلُ الْحَدِيثِ وَقَدْ حَدَّثَ عَنْهُ النَّاسُ حَنْظَلَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ ثِقَةٌ وَثَّقَهُ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ .
উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’আ করার সময় যখন তাঁর উভয় হাত উঠাতেন, তিনি তা দিয়ে তাঁর মুখমন্ডল মর্দন না করা পর্যন্ত নামাতেন না।
যঈফ, মিশকাত (২২৪৫), ইরওয়া (৪৩৩), মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্নার বর্ণনায় আছেঃ তাঁর মুখমন্ডলে না মোছা পর্যন্ত হাত দু’খানা তিনি সরিয়ে নিতেন না। আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধু হাম্মাদ ইবনু ঈসার সূত্রেই এ হাদীস জেনেছি। এ হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে তিনি একাকী। উপরন্তু তিনি অতিঅল্প সংখ্যক হাদীস বর্ণনাকারী। লোকেরা তার থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। হানজালা ইবনু আবূ সুফিয়ান আল-জুমাহী একজন বিশ্বস্ত রাবী। ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ আল-কাত্তান তাঁকে নির্ভরযোগ্য বলেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১২
যে ব্যক্তি দু‘আয় (প্রতিফল লাভে) তাড়াহুড়া করে
৩৩৮৭
حَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي عُبَيْدٍ، مَوْلَى ابْنِ أَزْهَرَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ يُسْتَجَابُ لأَحَدِكُمْ مَا لَمْ يَعْجَلْ يَقُولُ دَعَوْتُ فَلَمْ يُسْتَجَبْ لِي ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَأَبُو عُبَيْدٍ اسْمُهُ سَعْدٌ وَهُوَ مَوْلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَزْهَرَ وَيُقَالُ مَوْلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَزْهَرَ هُوَ ابْنُ عَمِّ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ رضى الله عنه .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের যে কোন ব্যক্তির দু‘আই ক্ববূল হয়ে থাকে, যতক্ষণ না সে তাড়াহুড়া করে বলতে থাকে, দু‘আ তো করলাম অথচ আমার দু‘আ ক্ববূল হয়নি।
সহীহ : সহীহ আবূ দাঊদ (হাঃ ১৩৩৪), বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৩
সকাল-সন্ধ্যায় পাঠ করার দু’আ
৩৩৮৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، – وَهُوَ الطَّيَالِسِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبَانَ بْنِ عُثْمَانَ، قَالَ سَمِعْتُ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ، رضى الله عنه يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَا مِنْ عَبْدٍ يَقُولُ فِي صَبَاحِ كُلِّ يَوْمٍ وَمَسَاءِ كُلِّ لَيْلَةٍ بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الأَرْضِ وَلاَ فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ فَيَضُرُّهُ شَيْءٌ ” . وَكَانَ أَبَانُ قَدْ أَصَابَهُ طَرَفُ فَالَجِ فَجَعَلَ الرَّجُلُ يَنْظُرُ إِلَيْهِ فَقَالَ لَهُ أَبَانُ مَا تَنْظُرُ أَمَا إِنَّ الْحَدِيثَ كَمَا حَدَّثْتُكَ وَلَكِنِّي لَمْ أَقُلْهُ يَوْمَئِذٍ لِيُمْضِيَ اللَّهُ عَلَىَّ قَدَرَهُ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
উসমান ইবনু ‘আফ্ফান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : প্রতিদিন ভোরে ও প্রতি রাতের সন্ধ্যায় যে কোন বান্দা এ দু‘আটি তিনবার পাঠ করবে কোন কিছুই তার অনিষ্ট করতে পারবে না : “বিসমিল্লা-হিল্লাযী লা ইয়াযুর্রু মা‘আস্মিহি শাইয়ূন ফিল আরযি, ওয়ালা ফিস্ সামায়ি ওয়া হুয়াস্ সামীউল ‘আলীম”। (অর্থ : “আল্লাহ তা‘আলার নামে” যাঁর নামের বারাকাতে আকাশ ও মাটির কোন কিছুই কোন অনিষ্ট করতে পারে না। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী।”) আবান (রহঃ)-এর শরীরের একাংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ে। (উক্ত হাদীস রিওয়ায়াতকালে) এক লোক (অধঃস্তন বর্ণনাকারী) তার দিকে তাকাতে থাকলে তিনি তাকে বলেন, তুমি কি প্রত্যক্ষ করছো? শোন! আমি তোমার কাছে যে হাদীস রিওয়ায়াত করেছি তা অবিকল বর্ণনা করেছি। তবে আমি যেদিন পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়েছি ঐ দু‘আটি পাঠ করিনি এবং আল্লাহ তা‘আলা ভাগ্যের লিখন আমার উপর কার্যকর করেছেন।
হাসান সহীহ : ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৮৬৯)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান, সহীহ গারীব।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৩৩৮৯
حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي سَعْدٍ، سَعِيدِ بْنِ الْمَرْزُبَانِ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ ثَوْبَانَ، رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ قَالَ حِينَ يُمْسِي رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا كَانَ حَقًّا عَلَى اللَّهِ أَنْ يُرْضِيَهُ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সন্ধায় উপনীত হয়ে বলে, ‘আল্লাহ তা’আলা আমার রব, ইসলাম আমার দ্বীন এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার রাসূল হওয়ায় আমি সর্বান্তকরণে পরিতৃপ্ত আছি’, তাকে পরিতৃপ্ত করা আল্লাহ তা’আলার করণীয় হয়ে যায়।
যঈফ, নাকদুল কিত্তানী (৩৩/৩৪) আল-কালিমুত-তায়্যিব (২৪), যঈফা (৫০২০), আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান এবং উপরক্ত সূত্রে গারীব।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩৩৯০
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سُوَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَمْسَى قَالَ ” أَمْسَيْنَا وَأَمْسَى الْمُلْكُ لِلَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ أُرَاهُ قَالَ فِيهَا لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ أَسْأَلُكَ خَيْرَ مَا فِي هَذِهِ اللَّيْلَةِ وَخَيْرَ مَا بَعْدَهَا وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ هَذِهِ اللَّيْلَةِ وَشَرِّ مَا بَعْدَهَا وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكَسَلِ وَسُوءِ الْكِبَرِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ النَّارِ وَعَذَابِ الْقَبْرِ ” . وَإِذَا أَصْبَحَ قَالَ ذَلِكَ أَيْضًا ” أَصْبَحْنَا وَأَصْبَحَ الْمُلْكُ لِلَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَوَاهُ شُعْبَةُ بِهَذَا الإِسْنَادِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ لَمْ يَرْفَعْهُ .
আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেন : “আমরা রাতে উপনীত হলাম এবং আল্লাহ তা‘আলার বিশ্বজাহানও রাতে উপনীত হল। সকল প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য, আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শারীক নেই”। বর্ণনাকারী বলেন, আমার ধারণা হয় তিনি আরো বলেছেনঃ “রাজত্ব তাঁরই এবং সকল প্রশংসাও তাঁরই। সর্ববিষয়ে তিনি সর্বশক্তিমান। (হে আল্লাহ) তোমার নিকট আমি এ রাতের মাঝে নিহিত মঙ্গল এবং এ রাতের পরে নিহিত মঙ্গল কামনা করি। আর আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাইছি এ রাতের অমঙ্গল এবং এ রাতের পরে সমস্ত অমঙ্গল হতে। তোমার কাছে আমি আশ্রয় চাই অলসতা ও বার্ধক্যের অনিষ্ট হতে। আমি তোমার কাছে আরো আশ্রয় চাই (জাহান্নামের) আগুনের আযাব ও কবরের শাস্তি হতে।” তিনি ভোরে উপনীত হয়েও একই দু’আ করতেন : “আমরা ভোরে উপনীত হলাম এবং আল্লাহ তা‘আলার বিশ্বজাহানও ভোরে উপনীত হল। সকল প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য……।
সহীহ : মুসলিম (হাঃ ৮/৮২)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৩৯১
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنَا سُهَيْلُ بْنُ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُعَلِّمُ أَصْحَابَهُ يَقُولُ “ إِذَا أَصْبَحَ أَحَدُكُمْ فَلْيَقُلِ اللَّهُمَّ بِكَ أَصْبَحْنَا وَبِكَ أَمْسَيْنَا وَبِكَ نَحْيَا وَبِكَ نَمُوتُ وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ . وَإِذَا أَمْسَى فَلْيَقُلِ اللَّهُمَّ بِكَ أَمْسَيْنَا وَبِكَ أَصْبَحْنَا وَبِكَ نَحْيَا وَبِكَ نَمُوتُ وَإِلَيْكَ النُّشُورُ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সাহাবীদেরকে শিক্ষা দিয়ে বলতেন : তোমাদের কেউ যখন ভোরে উপনীত হয় তখন সে যেন বলে, “হে আল্লাহ! তোমার হুকুমে আমরা ভোরে উপনীত হই এবং তোমার নির্দেশেই সন্ধ্যায় উপনীত হই। তোমার নির্দেশেই আমরা জীবন ধারণ করি এবং তোমার নির্দেশেই মারা যাই। তোমার দিকেই প্রত্যাবর্তনস্থল।” আর যখন সন্ধ্যায় উপনীত হয় তখন যেন বলে : “হে আল্লাহ! আমরা তোমার হুকুমেই সন্ধ্যায় উপনীত হই, তোমার নির্দেশেই সকালে উপনীত হই, তোমার নির্দেশেই জীবন ধারণ করি এবং তোমার নির্দেশেই মারা যাই। আবার তোমার কাছেই পুনরায় জীবিত হয়ে ফিরে যেতে হবে”।
সহীহ : ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৮৬৮)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৪
(সকালে, সন্ধ্যায় ও শয্যা গ্রহণকালের দু‘আ)
৩৩৯২
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَمْرَو بْنَ عَاصِمٍ الثَّقَفِيَّ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله عنه قَالَ قَالَ أَبُو بَكْرٍ يَا رَسُولَ اللَّهِ مُرْنِي بِشَيْءٍ أَقُولُهُ إِذَا أَصْبَحْتُ وَإِذَا أَمْسَيْتُ قَالَ “ قُلِ اللَّهُمَّ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ فَاطِرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ رَبَّ كُلِّ شَيْءٍ وَمَلِيكَهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِي وَمِنْ شَرِّ الشَّيْطَانِ وَشِرْكِهِ قَالَ قُلْهُ إِذَا أَصْبَحْتَ وَإِذَا أَمْسَيْتَ وَإِذَا أَخَذْتَ مَضْجَعَكَ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবূ বকর (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে এমন কিছুর হুকুম দিন যা আমি সকালে ও বিকেলে উপনীত হয়ে বলতে পারি। তিনি বললেনঃ তুমি বল, “হে আল্লাহ্! অদৃশ্য ও দৃশ্যের পরিজ্ঞাত, আকাশ ও যামীনের সৃষ্টিকর্তা, প্রতিটি জিনিসের প্রতিপালক ও মালিক, আমি সাক্ষ্য দেই যে, তুমি ছাড়া কোন মা‘বূদ নেই। আমি আমার শরীরের ক্ষতি হতে এবং শাইতানের ক্ষতি ও শির্কি কার্যকালাপ হতে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করি।” রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি এই দু’আ সকালে, বিকেলে ও শয্যা গ্রহণকালে পাঠ করবে।
সহীহ : আল-কালিমুত্ তাইয়্যিব (হাঃ ২২), সহীহাহ্ (হাঃ ২৭৫৩)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৫
(সাইয়্যিদুল ইসতিগফার)
৩৩৯৩
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ شَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ، رضى الله عنه أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهُ “ أَلاَ أَدُلُّكَ عَلَى سَيِّدِ الاِسْتِغْفَارِ اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ وَأَبُوءُ إِلَيْكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَىَّ وَأَعْتَرِفُ بِذُنُوبِي فَاغْفِرْ لِي ذُنُوبِي إِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ . لاَ يَقُولُهَا أَحَدُكُمْ حِينَ يُمْسِي فَيَأْتِي عَلَيْهِ قَدَرٌ قَبْلَ أَنْ يُصْبِحَ إِلاَّ وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ وَلاَ يَقُولُهَا حِينَ يُصْبِحُ فَيَأْتِي عَلَيْهِ قَدَرٌ قَبْلَ أَنْ يُمْسِيَ إِلاَّ وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَابْنِ عُمَرَ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَابْنِ أَبْزَى وَبُرَيْدَةَ رضى الله عنهم . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَعَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ هُوَ ابْنُ أَبِي حَازِمٍ الزَّاهِدِ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ عَنْ شَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ رضى الله عنه .
শাদ্দাদ ইবনু আওস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বলেছেনঃ তোমাকে সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনার সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ দু‘আ) আমি কি বলে দিব না? তা হল : “হে আল্লাহ! তুমিই আমার প্রভু, তুমি ছাড়া আর কোন ইলাহ্ নেই। আমাকে তুমিই সৃষ্টি করেছ এবং আমি তোমার দাস। যথাসাধ্য তোমার ওয়াদা ও অঙ্গীকারে আমি দৃঢ় থাকব। আমি আমার কার্যকলাপের খারাপ পরিণতি হতে তোমার কাছে আশ্রয় চাই। আমার প্রতি তোমার নি‘আমাতের কথা স্বীকার করি। আমি আরও স্বীকার করি আমার গুনাহে্র কথা। কাজেই আমার গুনাহগুলো তুমি ক্ষমা কর। কেননা তুমি ছাড়া গুনাহ্সমূহ ক্ষমা করার আর কেউ নেই।” রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের কেউ সন্ধ্যাবেলায় এ কথাগুলো বললে, তারপর ভোর হওয়ার পূর্বেই তার মৃত্যু হলে তার জন্য জান্নাত নিশ্চিত হয়ে যায়। একইভাবে তোমাদের কেউ ভোরবেলায় তা বললে, তারপর সন্ধ্যার পূর্বেই তার মৃত্যু হলে তার জন্যও জান্নাত নিশ্চিত হয়ে যায়।
সহীহ : সহীহাহ্ (হাঃ ১৭৪৭), বুখারী হাদীসটি “আমি কি তোমাকে বলে দিব না” অংশটুকু ব্যতীত অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৬
বিছানাগত হওয়ার সময়কার দু‘আ
৩৩৯৪
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيِّ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهُ ” أَلاَ أُعَلِّمُكَ كَلِمَاتٍ تَقُولُهَا إِذَا أَوَيْتَ إِلَى فِرَاشِكَ فَإِنْ مُتَّ مِنْ لَيْلَتِكَ مُتَّ عَلَى الْفِطْرَةِ وَإِنْ أَصْبَحْتَ أَصْبَحْتَ وَقَدْ أَصَبْتَ خَيْرًا تَقُولُ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْلَمْتُ نَفْسِي إِلَيْكَ وَوَجَّهْتُ وَجْهِي إِلَيْكَ وَفَوَّضْتُ أَمْرِي إِلَيْكَ رَغْبَةً وَرَهْبَةً إِلَيْكَ وَأَلْجَأْتُ ظَهْرِي إِلَيْكَ لاَ مَلْجَأَ وَلاَ مَنْجَا مِنْكَ إِلاَّ إِلَيْكَ آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِي أَنْزَلْتَ وَبِنَبِيِّكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ ” . قَالَ الْبَرَاءُ فَقُلْتُ وَبِرَسُولِكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ . قَالَ فَطَعَنَ بِيَدِهِ فِي صَدْرِي ثُمَّ قَالَ ” وَبِنَبِيِّكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ قَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنِ الْبَرَاءِ . وَرَوَاهُ مَنْصُورُ بْنُ الْمُعْتَمِرِ عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ عَنِ الْبَرَاءِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ إِذَا أَوَيْتَ إِلَى فِرَاشِكَ وَأَنْتَ عَلَى وُضُوءٍ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ رضى الله عنه .
আল-বারাআ ইবনু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তাকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি কি তোমাকে কিছু দু‘আ শিখিয়ে দিব না যা তুমি বিছানাগত হওয়ার সময় পাঠ করবে? তাহলে ঐ রাতে তোমার মৃত্যু হলে ফিত্রাতের (ইসলামের) উপরই মৃত্যুবরণ করবে। আর তুমি (জীবিত থাকলে) ভোরে উপনীত হলে মঙ্গল লাভ করবে। তুমি বল, “হে আল্লাহ! নিজেকে আমি তোমার কাছে সমর্পণ করলাম, আমি আমার মুখ তোমার দিকে ফিরিয়ে দিলাম। আমার সকল বিষয় আমি তোমার উপর সমর্পণ করলাম, তোমার রাহমাতের আশা ও তোমার শাস্তির ভয় নিয়ে আমার পিঠ তোমার আশ্রয়ে সমর্পণ করলাম। তোমার হতে পালিয়ে আশ্রয় নেয়ার এবং নাজাত পাওয়ার তুমি ছাড়া আর কোন আশ্রয়স্থল নেই। যে কিতাব তুমি অবতীর্ণ করেছ এবং যে নবী প্রেরণ করেছ তার উপর আমি ঈমান এনেছি।” আল-বারাআ (রাঃ) বলেন, আমি (বিনাবিয়্যিকা-এর স্থলে) ‘বিরাসূলিকাল্লাযী আরসাল্তা (তুমি যে রাসূল প্রেরণ করেছ) বললাম। সে সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার বুকে নিজের হাত দিয়ে খোঁচা মেরে বললেনঃ ‘ওয়াবিনাবিয়্যিকাল্লাযী আর্সাল্তা’ বল।
সহীহ : আল-কালিমুত্ তাইয়্যিব (হাঃ ৪১/২৬), বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৩৯৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ إِسْحَاقَ ابْنِ أَخِي، رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، رضى الله عنه أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِذَا اضْطَجَعَ أَحَدُكُمْ عَلَى جَنْبِهِ الأَيْمَنِ ثُمَّ قَالَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْلَمْتُ نَفْسِي إِلَيْكَ وَوَجَّهْتُ وَجْهِي إِلَيْكَ وَأَلْجَأْتُ ظَهْرِي إِلَيْكَ وَفَوَّضْتُ أَمْرِي إِلَيْكَ لاَ مَلْجَأَ وَلاَ مَنْجَا مِنْكَ إِلاَّ إِلَيْكَ أُومِنُ بِكِتَابِكَ وَبِرُسُلِكَ . فَإِنْ مَاتَ مِنْ لَيْلَتِهِ دَخَلَ الْجَنَّةَ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ رضى الله عنه .
রাফি ইবনু খাদীজ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন বিছানায় ডান কাতে শুয়ে বলেঃ “হে আল্লাহ! আমি নিজেকে পুরোপুরিভাবে তোমার নিকট সমর্পণ করলাম, আমার মুখমন্ডল তোমার দিকে ফিরিয়ে দিলাম, আমার পিঠ তোমার আশ্রয়ে সমর্পণ করলাম, আমার সকল বিষয় তোমার উপর ছেড়ে দিলাম, তোমার থেকে আশ্রয় নেয়ার স্থান তুমি ছাড়া আর কোথাও নেই, আমি তোমার কিতাব ও তোমার রাসূলের উপর ঈমান আনলাম”, সে ঐ রাতে মারা গেলে জান্নাতে যাবে।
সনদ দুর্বল। “তোমার রাসূলের প্রতি ঈমান আনলাম” হাদীসে বর্ণিত এই অংশটুকু সহীহ হাদীসের বিরোধী। সহীহ (৩৩৯৪)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান ইবন রাফি ইবনু খাদীজ (রাঃ)-এর হাদীস হিসাবে উপরোক্ত সূত্রে গারীব।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
৩৩৯৬
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، رضى الله عنه أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَوَى إِلَى فِرَاشِهِ قَالَ “ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَنَا وَسَقَانَا وَكَفَانَا وَآوَانَا وَكَمْ مِمَّنْ لاَ كَافِيَ لَهُ وَلاَ مُؤْوِيَ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন বিছানাগত হতেন তখন (ঘুমানোর জন্য) বলতেন : “সকল প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার যিনি আমাদেরকে আহার করিয়েছেন, পান করিয়েছেন, (সৃষ্টির অনিষ্ট হতে) আমাদের রক্ষা করেছেন এবং আমাদেরকে আশ্রয় দিয়েছেন (বিছানায়)। কিন্তু অনেক লোক আছে যাদের কোন রক্ষাকারী নেই এবং আশ্রয়স্থলও নেই”।
সহীহ : মুসলিম (হাঃ ৮/৭৯)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৭
(বিছানাগত হয়ে পড়ার দু’আ)
৩৩৯৭
حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْوَصَّافِيِّ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، رضى الله عنه عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَنْ قَالَ حِينَ يَأْوِي إِلَى فِرَاشِهِ أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الْعَظِيمَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىَّ الْقَيُّومَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ . ثَلاَثَ مَرَّاتٍ غَفَرَ اللَّهُ ذُنُوبَهُ وَإِنْ كَانَتْ مِثْلَ زَبَدِ الْبَحْرِ وَإِنْ كَانَتْ عَدَدَ وَرَقِ الشَّجَرِ وَإِنْ كَانَتْ عَدَدَ رَمْلِ عَالِجٍ وَإِنْ كَانَتْ عَدَدَ أَيَّامِ الدُّنْيَا ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ الْوَصَّافِيِّ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ الْوَلِيدِ .
আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কোন লোক (শোয়ার জন্য) বিছানাগত হয়ে তিনবার বলেঃ “আমি আল্লাহ তা’আলার নিকট মাফের আবেদন করি, যিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, যিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী, এবং তাঁর নিকট তাওবা করি”, আল্লাহ তা’আলা তার গুনাহসমূহ মাফ করে দেন, যদিও তা সমুদ্রের ফেনারাশির সমতুল্য হয়ে থাকে, যদিও তা গাছের পাতার মত অসংখ্য হয়, যদিও তা টিলার বালিরাশির সমান হয়, যদিও তা দুনিয়ার দিনসমূহের সমসংখ্যক হয়।
যঈফ, আল-কালিমুত-তায়্যিব (৩৯), তা’লীকুর রাগীব (১/২১১), আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধু উবায়দুল্লাহ ইবনুল ওয়ালীদ আল-ওয়াসসাফীর রিওয়াত হিসেবে উপরোক্ত সূত্রে এ হাদীস জেনেছি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৮
বিছানাগত হয়ে পড়ার দু’আ
৩৩৯৮
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ، رضى الله عنهما أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَنَامَ وَضَعَ يَدَهُ تَحْتَ رَأْسِهِ ثُمَّ قَالَ “ اللَّهُمَّ قِنِي عَذَابَكَ يَوْمَ تَجْمَعُ عِبَادَكَ أَوْ تَبْعَثُ عِبَادَكَ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
হুযইফাহ ইবনুল ইয়ামান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘুমানোর ইচ্ছা করতেন, সে সময় তিনি নিজের (ডান) হাত মাথার নীচে রেখে বলতেনঃ “হে আল্লাহ! যেদিন তুমি তোমার বান্দাদেরকে একত্রিত করবে অথবা পুনজীবিত করবে সেদিন আমাকে তোমার আযাব হতে হিফাযাতে রেখ।”
সহীহঃ সহীহাহ (হাঃ ২৭৫৪), আল-কালিমুত তাইয়্যিব (হাঃ ৩৭/৩৯)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৩৯৯
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، – هُوَ السَّلُولِيُّ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ يُوسُفَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، رضى الله عنهما قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَوَسَّدُ يَمِينَهُ عِنْدَ الْمَنَامِ ثُمَّ يَقُولُ “ رَبِّ قِنِي عَذَابَكَ يَوْمَ تَبْعَثُ عِبَادَكَ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَرَوَى الثَّوْرِيُّ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنِ الْبَرَاءِ لَمْ يَذْكُرْ بَيْنَهُمَا أَحَدًا وَرَوَى شُعْبَةُ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ وَرَجُلٍ آخَرَ عَنِ الْبَرَاءِ . وَرَوَى إِسْرَائِيلُ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ عَنِ الْبَرَاءِ وَعَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ .
আল-বারাআ ইবনু আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ঘুমানোর সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার ডান হাতের উপর মাথা রাখতেন, তারপর বলতেনঃ “হে আমার প্রভু! যেদিন তুমি তোমার বান্দাদেরকে উত্থিত করবে, আমাকে সেদিন তোমার শাস্তি হতে নিরাপদে রেখ।’’
সহীহঃ সহীহাহ
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-১৯
(ঋণমুক্ত হওয়ার দু’আ)
৩৪০০
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله عنه قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْمُرُنَا إِذَا أَخَذَ أَحَدُنَا مَضْجَعَهُ أَنْ يَقُولَ “ اللَّهُمَّ رَبَّ السَّمَوَاتِ وَرَبَّ الأَرَضِينَ وَرَبَّنَا وَرَبَّ كُلِّ شَيْءٍ وَفَالِقَ الْحَبِّ وَالنَّوَى وَمُنْزِلَ التَّوْرَاةِ وَالإِنْجِيلِ وَالْقُرْآنِ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ ذِي شَرٍّ أَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهِ أَنْتَ الأَوَّلُ فَلَيْسَ قَبْلَكَ شَيْءٌ وَأَنْتَ الآخِرُ فَلَيْسَ بَعْدَكَ شَيْءٌ وَالظَّاهِرُ فَلَيْسَ فَوْقَكَ شَيْءٌ وَالْبَاطِنُ فَلَيْسَ دُونَكَ شَيْءٌ اقْضِ عَنِّي الدَّيْنَ وَأَغْنِنِي مِنَ الْفَقْرِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই মর্মে হুকুম করতেন যে, আমাদের কেউ ঘুমানোর জন্য যখন বিছানাগত হয় সে সময় সে যেন বলে: “হে আল্লাহ! আকাশমণ্ডলীর প্রভু, মাটিসমূহের প্রভু, আমাদের প্রভু, প্রতিটি বস্তুর প্রভু, শস্যবীজ ও আঁটির অংকুরোদ্গমনকারী এবং তাওরাত, ইনজীল ও কুরআন অবতীর্ণকারী! আমি প্রত্যেক অনিষ্টকারীর ক্ষতি হতে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করি। এগুলো তোমারই আয়ত্তাধীন, তুমিই শুরু, তোমার আগে কিছুই নেই। আর তুমিই শেষ, তোমার পরে কিছুই নেই। তুমিই প্রকাশিত, তোমার উপরে কিছুই নেই। তুমিই লুকায়িত, তোমার হতে কিছুই গোপন নয়। সুতরাং তুমি আমার ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা করে দাও এবং দরিদ্রতা হতে আমাকে সাবলম্বী করে দাও”।
সহীহঃ আল-কালিমুত তাইয়্যিব (হাঃ ৪০), মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-২০
(ঘুমাবার পূর্বে করণীয়)
৩৪০১
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ إِذَا قَامَ أَحَدُكُمْ عَنْ فِرَاشِهِ ثُمَّ رَجَعَ إِلَيْهِ فَلْيَنْفُضْهُ بِصَنِفَةِ إِزَارِهِ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ فَإِنَّهُ لاَ يَدْرِي مَا خَلَفَهُ عَلَيْهِ بَعْدَهُ فَإِذَا اضْطَجَعَ فَلْيَقُلْ بِاسْمِكَ رَبِّي وَضَعْتُ جَنْبِي وَبِكَ أَرْفَعُهُ فَإِنْ أَمْسَكْتَ نَفْسِي فَارْحَمْهَا وَإِنْ أَرْسَلْتَهَا فَاحْفَظْهَا بِمَا تَحْفَظُ بِهِ عِبَادَكَ الصَّالِحِينَ . فَإِذَا اسْتَيْقَظَ فَلْيَقُلِ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي عَافَانِي فِي جَسَدِي وَرَدَّ عَلَىَّ رُوحِي وَأَذِنَ لِي بِذِكْرِهِ ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَعَائِشَةَ . قَالَ حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَرَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ وَقَالَ فَلْيَنْفُضْهُ بِدَاخِلَةِ إِزَارِهِ .
আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ তার বিছানা হতে উঠার পর আবার বিছানায় প্রত্যাবর্তন করলে সে যেন তার লুঙ্গীর শেষাংশ দিয়ে বিছানাটি তিনবার পরিষ্কার করে নেয়। কারণ সে জানে না, তার অনুপস্থিতিতে তাতে কি পতিত হয়েছে (ময়লা বা ক্ষতিকর কিছু)। আর যখন সে শুয়ে পড়ে সে সময় যেন বলেঃ “হে আমার প্রতিপালক! তোমার নামে আমার পাশ্বদেশ আমি বিছানায় সোপর্দ করলাম এবং আবার তোমার নামেই তা উঠাব। যদি আমার জান তুমি রেখে দাও (মৃত্যু দান কর) তবে তার প্রতি দয়া কর, আর যদি তাকে ছেড়ে দাও তবে তা সেভাবে প্রতিরক্ষা কর যেভাবে তুমি তোমার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের প্রতিরক্ষা কর”। আর ঘুম হতে জেগে উঠে সে যেন বলেঃ “সকল প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার যিনি আমার দেহকে হিফাযাত করেছেন এবং আমার জান আবার আমাকে ফেরত দিয়েছেন এবং তাকে স্মরণ করারও অনুমতি (তাওকীক) দান করেছেন”।
হাসানঃ আল-কালিমুত তাইয়্যিব (হাঃ ৩৪), বুখারী ও মুসলিম “আর ঘুম থেকে জেগে” অংশ বাদে।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-২১
যে লোক শয়নকালে কুরআনের কিছু অংশ পাঠ করে
৩৪০২
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا الْمُفَضَّلُ بْنُ فَضَالَةَ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَوَى إِلَى فِرَاشِهِ كُلَّ لَيْلَةٍ جَمَعَ كَفَّيْهِ ثُمَّ نَفَثَ فِيهِمَا فَقَرَأَ فِيهِمَا : ( قلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ ) وَ : ( قلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ ) وَ : ( قلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ ) ثُمَّ يَمْسَحُ بِهِمَا مَا اسْتَطَاعَ مِنْ جَسَدِهِ يَبْدَأُ بِهِمَا عَلَى رَأْسِهِ وَوَجْهِهِ وَمَا أَقْبَلَ مِنْ جَسَدِهِ يَفْعَلُ ذَلِكَ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতি রাতে যখন বিছানায় যেতেন, সে সময় “কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ”, “কুল আউযু বিরব্বিল ফালাক” ও “কুল আউযু বিরব্বিন নাস” (সূরা তিনটি) পাঠ করে নিজের উভয় হাতের তালু একসাথে করে তাতে ফুঁ দিতেন, তারপর উভয় হাত যথাসম্ভব সারা শরীরে মলতেন। তিনি মাথা, চেহারা ও দেহের সম্মুখের অংশ হতে আরম্ভ করতেন। তিনি তিনবার এরূপ করতেন।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-২২
অনুরূপ প্রসঙ্গ
৩৪০৩
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ فَرْوَةَ بْنِ نَوْفَلٍ، رضى الله عنه أَنَّهُ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ عَلِّمْنِي شَيْئًا أَقُولُهُ إِذَا أَوَيْتُ إِلَى فِرَاشِي قَالَ ” اقْرَأْْ : ( قلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ ) فَإِنَّهَا بَرَاءَةٌ مِنَ الشِّرْكِ ” . قَالَ شُعْبَةُ أَحْيَانًا يَقُولُ مَرَّةً وَأَحْيَانًا لاَ يَقُولُهَا .
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ حِزَامٍ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ فَرْوَةَ بْنِ نَوْفَلٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ وَهَذَا أَصَحُّ .
قَالَ أَبُو عِيسَى وَرَوَى زُهَيْرٌ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ فَرْوَةَ بْنِ نَوْفَلٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ وَهَذَا أَشْبَهُ وَأَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ . وَقَدِ اضْطَرَبَ أَصْحَابُ أَبِي إِسْحَاقَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ .
وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ قَدْ رَوَاهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ نَوْفَلٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ هُوَ أَخُو فَرْوَةَ بْنِ نَوْفَلٍ .
ফরওয়াহ ইবনু নাওফাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে এসে বললেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমাকে কিছু শিখিয়ে দিন, যা আমি বিছানাগত হওয়াকালে বলতে পারি। তিনি বললেনঃ তুমি “কুল ইয়া আইয়্যুহাল কাফিরুন” সূরাটি তিলাওয়াত কর। কারণ তা শিরক হতে মুক্তির ঘোষণা।
সহীহঃ তা’লীকুর রাগীব (হাঃ ১/২০৯)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪০৪
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ يُونُسَ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُحَارِبِيُّ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، رضى الله عنه قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لاَ يَنَامُ حَتَّى يَقْرَأَ بِتَنْزِيلَ السَّجْدَةِ وَبِتَبَارَكَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَكَذَا رَوَى سُفْيَانُ وَغَيْرُ وَاحِدٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ لَيْثٍ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ . وَرَوَى زُهَيْرٌ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ قَالَ قُلْتُ لَهُ سَمِعْتَهُ مِنْ جَابِرٍ قَالَ لَمْ أَسْمَعْهُ مِنْ جَابِرٍ إِنَّمَا سَمِعْتُهُ مِنْ صَفْوَانَ أَوِ ابْنِ صَفْوَانَ . وَرَوَى شَبَابَةُ عَنْ مُغِيرَةَ بْنِ مُسْلِمٍ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ نَحْوَ حَدِيثِ لَيْثٍ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূরা তানযীলুস সাজদা ও তাবারাকা (আল-মুলক) না পাঠ করা পর্যন্ত ঘুমাতেন না।
সহীহঃ মিশকাত (হাঃ ২১৫৫), সহীহ হাদীস সিরিজ (হাঃ ৫৮৫), রাওযুন নাযীর (হাঃ ২২৭)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪০৫
حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي لُبَابَةَ، قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ رضى الله عنها كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لاَ يَنَامُ حَتَّى يَقْرَأَ الزُّمَرَ وَبَنِي إِسْرَائِيلَ . أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ قَالَ أَبُو لُبَابَةَ هَذَا اسْمُهُ مَرْوَانُ مَوْلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زِيَادٍ وَسَمِعَ مِنْ عَائِشَةَ سَمِعَ مِنْهُ حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আয-যুমার ও বানী ইসরাঈল সূরাগুলো পাঠ না করা পর্যন্ত ঘুমাতেন না।
সহীহঃ ২৯২০ নং হাদীস পূর্বে বর্ণিত হয়েছে।
আবু ঈসা বলেনঃ মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল (বুখারী) বলেছেন, আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে আবদুর রহমান ইবনু যিয়াদের মুক্তদাস মারওয়ান (রহঃ) শুনেছেন এবং আবু লুবাবাহ-এর নাম হল মারওয়ান তার নিকট হতে হাম্মাদ ইবনু যাইদ শুনেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪০৬
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنْ بَحِيرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بِلاَلٍ، عَنِ الْعِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ، رضى الله عَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ لاَ يَنَامُ حَتَّى يَقْرَأَ الْمُسَبِّحَاتِ وَيَقُولُ “ فِيهَا آيَةٌ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ آيَةٍ ” . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
আল-ইরবায ইবনু সারিয়াহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুসাব্বিহাত সূরাগুলো পাঠ না করা পর্যন্ত ঘুমাতেন না। তিনি বলতেনঃ এমন একটি আয়াত তাতে আছে যা হাজার আয়াত হতেও শ্রেষ্ঠ।
হাসানঃ ২৯২১ নং হাদীস পূর্বে বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-২৩
কাজে অবিচল থাকার প্রার্থনা
৩৪০৭
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي الْعَلاَءِ بْنِ الشِّخِّيرِ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ بَنِي حَنْظَلَةَ قَالَ صَحِبْتُ شَدَّادَ بْنَ أَوْسٍ رضى الله عنه فِي سَفَرٍ فَقَالَ أَلاَ أُعَلِّمُكَ مَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُعَلِّمُنَا أَنْ نَقُولَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الثَّبَاتَ فِي الأَمْرِ وَأَسْأَلُكَ عَزِيمَةَ الرُّشْدِ وَأَسْأَلُكَ شُكْرَ نِعْمَتِكَ وَحُسْنَ عِبَادَتِكَ وَأَسْأَلُكَ لِسَانًا صَادِقًا وَقَلْبًا سَلِيمًا وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا تَعْلَمُ وَأَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِ مَا تَعْلَمُ وَأَسْتَغْفِرُكَ مِمَّا تَعْلَمُ إِنَّكَ أَنْتَ عَلاَّمُ الْغُيُوبِ . قَالَ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَأْخُذُ مَضْجَعَهُ يَقْرَأُ سُورَةً مِنْ كِتَابِ اللَّهِ إِلاَّ وَكَّلَ اللَّهُ بِهِ مَلَكًا فَلاَ يَقْرَبُهُ شَيْءٌ يُؤْذِيهِ حَتَّى يَهُبَّ مَتَى هَبَّ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَالْجُرَيْرِيُّ هُوَ سَعِيدُ بْنُ إِيَاسٍ أَبُو مَسْعُودٍ الْجُرَيْرِيُّ وَأَبُو الْعَلاَءِ اسْمُهُ يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الشِّخِّيرِ .
বানী হানযালার কোন এক ব্যক্তি থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি এক সফরে শাদ্দাদ ইবনু আওস (রাঃ)-এর সাথী হলাম। তখন তিনি বললেন, আমি কি তোমাকে এমন কিছু শিখিয়ে দেব না যা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে বলতে শিখাতেন? “হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট প্রার্থনা করি কাজে অবিচলতা, সৎপথে দৃঢ়তা, তোমার দেয়া নিয়ামাতের কৃতজ্ঞতা ও নিষ্ঠার সাথে তোমার ইবাদাত করার যোগ্যতা। আমি তোমার নিকট আরো প্রার্থনা করি সত্যবাদী জিহ্বা ও বিশুদ্ধ অন্তর। আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাই তোমার জানা সকল মন্দ হতে এবং কামনা করি তোমার জানা সকল কল্যাণ। আমি ক্ষমা চাই তোমার জানা সর্বপ্রকারের অপকর্ম হতে। অবশ্যই তুমি অদৃশ্য সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞাত।”
যঈফ, মিশকাত (৯৫৫), আল-কালিমুত তায়্যিব (১০৪/৬৫)
রাবী বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরও বলতেনঃ কোন মুসলিম ব্যক্তি বিছানাগত হওয়ার সময় আল্লাহ তা’আলার কিতাবের একটি সূরা পাঠ করলে আল্লাহ তা’আলা তার নিরাপত্তার জন্য একজন ফেরেশতা নিযুক্ত করেন। ফলে তার ঘুমভঙ্গ হওয়া পর্যন্ত কোন ক্ষতিকর জিনিস তার নিকট পৌঁছাতে পারবে না।
যঈফ, মিশকাত (২৪০৫), তা’লীকুল রাগীব (১/২১০)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি আমরা শুধু উক্ত সনদসূত্রে জেনেছি। জুরাইরীর নাম সাঈদ ইবনু ইয়াস আবূ মাসউদ আল-জুরাইরী। আবুল আ’লার নাম ইয়াযীদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনুশ শিখখীর।
হাদিসের মানঃ অন্যান্য
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-২৪
শোয়ার সময় তাসবীহ, তাকবীর ও তাহমীদ পাঠ করা প্রসঙ্গে
৩৪০৮
حَدَّثَنَا أَبُو الْخَطَّابِ، زِيَادُ بْنُ يَحْيَى الْبَصْرِيُّ حَدَّثَنَا أَزْهَرُ السَّمَّانُ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ عَبِيدَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، رضى الله عنه قَالَ شَكَتْ إِلَىَّ فَاطِمَةُ مَجَلَ يَدَيْهَا مِنَ الطَّحِينِ فَقُلْتُ لَوْ أَتَيْتِ أَبَاكِ فَسَأَلْتِيهِ خَادِمًا فَقَالَ “ أَلاَ أَدُلُّكُمَا عَلَى مَا هُوَ خَيْرٌ لَكُمَا مِنَ الْخَادِمِ إِذَا أَخَذْتُمَا مَضْجَعَكُمَا تَقُولاَنِ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَأَرْبَعًا وَثَلاَثِينَ مِنْ تَحْمِيدٍ وَتَسْبِيحٍ وَتَكْبِيرٍ ” . وَفِي الْحَدِيثِ قِصَّةٌ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عَوْنٍ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ عَلِيٍّ .
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার কাছে ফাতিমাহ (রাঃ) অভিযোগ করে যে, গম পেষার চাকতি ঘুরানোর ফলে তার প্রত্যেক হাতে ফোস্কা পড়ে গেছে। আমি বললাম, তুমি তোমার বাবার (রাসূলুল্লাহর) কাছে গিয়ে যদি তাঁর নিকট একটি খাদিম প্রদানের আবেদন করতে। (ফাতিমাহ আবেদন জানানোর পর) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি তোমাদের দু’জনকে এমন জিনিস কি বলে দিব না যা তোমাদের জন্য দাসের চেয়ে ভাল? তোমরা শয়নকালে ৩৩ বার “আলহামদু লিল্লাহ”, ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ” এবং ৩৪ বার “আল্লাহু আকবার” বলবে।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম। হাদীসে আরও ঘটনা আছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪০৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَزْهَرُ السَّمَّانُ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبِيدَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، رضى الله عنه قَالَ جَاءَتْ فَاطِمَةُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم تَشْكُو مَجَلاً بِيَدَيْهَا فَأَمَرَهَا بِالتَّسْبِيحِ وَالتَّكْبِيرِ وَالتَّحْمِيدِ .
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে ফাতিমাহ্ (রাঃ) তার দু’হাতে ফোস্কা পড়ে যাওয়ার অভিযোগ করেন। তাকে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘সুবহানাল্লাহ’, ‘আল্লাহু আকবার’ ও ‘আলহামদু লিল্লাহ’ পাঠ করার হুকুম দেন।
সহীহঃ যঈফ আদাবুল মুফরাদ (হাঃ১০০/৬৩৫), বুখারী ও মুসলমি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-২৫
(দু’টি অভ্যাস জান্নাতে যাবার উপায়)
৩৪১০
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، حَدَّثَنَا عَطَاءُ بْنُ السَّائِبِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، رضى الله عنهما قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” خَلَّتَانِ لاَ يُحْصِيهِمَا رَجُلٌ مُسْلِمٌ إِلاَّ دَخَلَ الْجَنَّةَ أَلاَ وَهُمَا يَسِيرٌ وَمَنْ يَعْمَلُ بِهِمَا قَلِيلٌ يُسَبِّحُ اللَّهَ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلاَةٍ عَشْرًا وَيَحْمَدُهُ عَشْرًا وَيُكَبِّرُهُ عَشْرًا ” . قَالَ فَأَنَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَعْقِدُهَا بِيَدِهِ قَالَ ” فَتِلْكَ خَمْسُونَ وَمِائَةٌ بِاللِّسَانِ وَأَلْفٌ وَخَمْسُمِائَةٍ فِي الْمِيزَانِ وَإِذَا أَخَذْتَ مَضْجَعَكَ تُسَبِّحُهُ وَتُكَبِّرُهُ وَتَحْمَدُهُ مِائَةً فَتِلْكَ مِائَةٌ بِاللِّسَانِ وَأَلْفٌ فِي الْمِيزَانِ فَأَيُّكُمْ يَعْمَلُ فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ أَلْفَيْنِ وَخَمْسَمِائَةِ سَيِّئَةٍ ” . قَالُوا وَكَيْفَ لاَ يُحْصِيهَا قَالَ ” يَأْتِي أَحَدَكُمُ الشَّيْطَانُ وَهُوَ فِي صَلاَتِهِ فَيَقُولُ اذْكُرْ كَذَا اذْكُرْ كَذَا . حَتَّى يَنْفَتِلَ فَلَعَلَّهُ أَنْ لاَ يَفْعَلَ وَيَأْتِيهِ وَهُوَ فِي مَضْجَعِهِ فَلاَ يَزَالُ يُنَوِّمُهُ حَتَّى يَنَامَ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَوَى شُعْبَةُ وَالثَّوْرِيُّ عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ هَذَا الْحَدِيثَ . وَرَوَى الأَعْمَشُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ مُخْتَصَرًا . وَفِي الْبَابِ عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ وَأَنَسٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ رضى الله عنهم .
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন মুসলমান ব্যক্তি দুইটি অভ্যাসে বৈশিষ্ট্যমন্ডিত হতে পারলে সে নিশ্চয় জান্নাতে প্রবেশ করবে। জেনে রাখ! উক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো আয়ত্ত করা সহজ। সে অনুসারে অনেক অল্প সংখ্যক ব্যক্তিই তা ‘আমল করে থাকে। (এক) প্রতি ওয়াক্তের (ফরয) নামাযের পর দশবার ‘সুবহানাল্লাহ’, দশবার ‘আল্হামদু লিল্লাহ’ ও দশবার ‘আল্লাহু আক্বার’ বলবে। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি নামাযের পর স্বীয় হস্তে গণনা করতে দেখেছি। তারপর রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ (পাঁচ ওয়াক্তে) মুখের উচ্চারণে একশত পঞ্চাশবার এবং মীযানে (দাঁড়িপাল্লায়) দেড় হাজার হবে। (দুই) আর (ঘুমাতে) শয্যা গ্রহণকালে তুমি ‘সুবহানাল্লাহ’, ‘আল্লাহু আক্বার’ ও ‘আল্হামদু লিল্লাহ’ একশত বার বলবে, ফলে তা মীযানে এক হাজারে রুপান্তর হবে। তোমাদের মাঝে কে এক দিন ও এক রাতে দু্ই হাজার পাঁচশত গুনাহে লিপ্ত হয়? (অর্থাৎ এতগুলো পাপও ক্ষমাযোগ্য হবে)। সাহাবীগণ বলেন, কোন ব্যক্তি সব সময় এরুপ একটি ‘ইবাদাত কেন করবে না! রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের কেউ নামাযে অবস্থানরত থাকাকালে তার কাছে শাইতান এসে বলতে থাকে, এটা মনে কর ওটা মনে কর। ফলে সেই নামাযী (শাইতানের ধোঁকাবাজির মাঝেই রত থাকা অবস্থায়) নামায় শেষ করে। আর উক্ত তাস্বীহ ‘আমল করার সে সুযোগ পায় না। পুনরায় তোমাদের কেউ শোয়ার জন্য শয্যা গ্রহণ করলে শাইতান তার নিকট এসে তাকে ঘুম পাড়ায় এবং সে তাসবীহ না পাঠ করেই ঘুমিয়ে পড়ে।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৯২৬)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪১১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الصَّنْعَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَثَّامُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، رضى الله عنهما قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَعْقِدُ التَّسْبِيحَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ الأَعْمَشِ .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি গুনে গুনে তাসবীহ পাঠ করতে দেখেছি।
সহীহঃ প্রাগুক্ত
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪১২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ سَمُرَةَ الأَحْمَسِيُّ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا أَسْبَاطُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ قَيْسٍ الْمُلاَئِيُّ، عَنِ الْحَكَمِ بْنِ عُتَيْبَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مُعَقِّبَاتٌ لاَ يَخِيبُ قَائِلُهُنَّ يُسَبِّحُ اللَّهَ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلاَةٍ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَيَحْمَدُهُ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَيُكَبِّرُهُ أَرْبَعًا وَثَلاَثِينَ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَعَمْرُو بْنُ قَيْسٍ الْمُلاَئِيُّ ثِقَةٌ حَافِظٌ . وَرَوَى شُعْبَةُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ الْحَكَمِ وَلَمْ يَرْفَعْهُ . وَرَوَاهُ مَنْصُورُ بْنُ الْمُعْتَمِرِ عَنِ الْحَكَمِ وَرَفَعَهُ .
কা’ব ইবনু ‘উজরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নামাযের পরে তিলাওয়াত করার মত এমন কিছু বিষয় আছে যে, যার তিলাওয়াতকারী কখনো বঞ্চিত হয় না। প্রতি ওয়াক্তের নামাযের পর ৩৩ বার ‘সুবহানাল্লাহ’, ৩৩ বার ‘আল্হামদু লিল্লাহ’ এবং ৩৪ বার ‘আল্লাহু আক্বার’ পাঠ করবে।
সহীহঃ সহীহাহ্ (হাঃ ১০২), মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪১৩
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ خَلَفٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ أَفْلَحَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، رضى الله عنه قَالَ أُمِرْنَا أَنْ نُسَبِّحَ دُبُرَ كُلِّ صَلاَةٍ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَنَحْمَدَهُ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَنُكَبِّرَهُ أَرْبَعًا وَثَلاَثِينَ . قَالَ فَرَأَى رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ فِي الْمَنَامِ فَقَالَ أَمَرَكُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ تُسَبِّحُوا فِي دُبُرِ كُلِّ صَلاَةٍ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَتَحْمَدُوا اللَّهَ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَتُكَبِّرُوا أَرْبَعًا وَثَلاَثِينَ قَالَ نَعَمْ . قَالَ فَاجْعَلُوا خَمْسًا وَعِشْرِينَ وَاجْعَلُوا التَّهْلِيلَ مَعَهُنَّ فَغَدَا عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَحَدَّثَهُ فَقَالَ “ افْعَلُوا ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ .
যাইদ ইবনু সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা প্রত্যেক নামাযের পরে ৩৩ বার ‘সুবহানাল্লাহ’, ৩৩ বার ‘আল্হামদু লিল্লাহ’ ও ৩৪ বার ‘আল্লাহু আক্বার’ পাঠ করতে আদিষ্ট হলাম। এক আনসারী ব্যক্তি স্বপ্নে দেখতে পেলেন যে, কোন এক ব্যক্তি তাকে বলছে তোমাদেরকে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি প্রতি নামাযের পরে ৩৩ বার তাসবীহ, ৩৩ বার তাহমীদ ও ৩৪ বার তাকবীর পাঠ করতে আদেশ করেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তখন তিনি বললেন, এগুলো তোমরা ২৫ বার করে পাঠ কর। আর তার সাথে ২৫ বার তাহলীল অর্থাৎ ‘লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ’ পাঠ কর। লোকটি সকাল বেলা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর কছে গিয়ে তা বর্ণনা করল। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আচ্ছা তাই কর।
সহীহঃ ইবনু খুযাইমাহ্ (৭৫২)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-২৬
রাতে ঘুম ভাঙ্গার সময় পাঠ করার দু’আ
৩৪১৪
حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنِي عُمَيْرُ بْنُ هَانِئٍ، قَالَ حَدَّثَنِي جُنَادَةُ بْنُ أَبِي أُمَيَّةَ، حَدَّثَنِي عُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ، رضى الله عنه عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَنْ تَعَارَّ مِنَ اللَّيْلِ فَقَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ وَسُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ ثُمَّ قَالَ رَبِّ اغْفِرْ لِي أَوْ قَالَ ثُمَّ دَعَا اسْتُجِيبَ لَهُ فَإِنْ عَزَمَ فَتَوَضَّأَ ثُمَّ صَلَّى قُبِلَتْ صَلاَتُهُ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
‘উবাদাহ্ ইবনুস সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রাতে জাগ্রত হয়ে যে লোক বলে, “আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত কোন মা’বুদ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শারীক নেই, সার্বভৌমত্ব তাঁর, সকল প্রশংসা তাঁর জন্য এবং সমস্ত কিছুর উপর তিনি সর্বশক্তিমান। আল্লাহ তা’আলা সম্পূর্ণ পবিত্র, আল্লাহ তা’আলাই সকল প্রশংসার অধিকারী। আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, আল্লাহ আ’আলা সুমহান। আল্লাহ তা’আলার অনুগ্রহ ছাড়া অন্যায় হতে বিরত থাকার কিংবা ন্যায় কাজ করার শক্তি কারো নেই।” অতঃপর সে বলবে, “হে আল্লাহ! আমাকে মাফ করে দাও।” কিংবা তিনি বলেছেনঃ সে দু’আ করলে তা ক্ববূল করা হয়। আর যদি সে সাহস করে উযূ করে নামায় আদায় করে তবে তার নামাযও ক্ববূল করা হয়।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৮৭৮)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪১৫
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ حَدَّثَنَا مَسْلَمَةُ بْنُ عَمْرٍو قَالَ كَانَ عُمَيْرُ بْنُ هَانِئٍ يُصَلِّي كُلَّ يَوْمٍ أَلْفَ سَجْدَةٍ وَيُسَبِّحُ مِائَةَ أَلْفِ تَسْبِيحَةٍ .
মাসলামা ইবনু আমর থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ উমাইর ইবনু হাণী প্রত্যেকদিন এক হাজার রাক’আত নামায আদায় করতেন এবং এক লক্ষবার তাসবীহ পাঠ করতেন।
সনদ দুর্বল, বিচ্ছিন্ন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-২৭
(রাত্রিকালে রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ‘আমাল)
৩৪১৬
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، وَوَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، وَأَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ وَعَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ قَالُوا حَدَّثَنَا هِشَامٌ الدَّسْتَوَائِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، حَدَّثَنِي رَبِيعَةُ بْنُ كَعْبٍ الأَسْلَمِيُّ، قَالَ كُنْتُ أَبِيتُ عِنْدَ بَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأُعْطِيهِ وَضُوءَهُ فَأَسْمَعُهُ الْهَوِيَّ مِنَ اللَّيْلِ يَقُولُ ” سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ” . وَأَسْمَعُهُ الْهَوِيَّ مِنَ اللَّيْلِ يَقُولُ ” الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
রাবী’আহ্ ইবনু কা’ব আল-আসলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ঘরের দ্বারদেশে আমি রাত যাপন করতাম এবং তার উযূর পানি সরবরাহ করতাম। রাতে আমি দীর্ঘ সময় ধরে তাঁকে বলতে শুনতাম, সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ্ (যে আল্লাহ তা’আলার প্রশংসা করে, তিনি তা শুনেন)। আমি আরো শুনতে পেলাম যে, দীর্ঘ রাত পর্যন্ত তিনি আলহামদু লিল্লাহি রব্বিল আলামীন (সকল প্রশংসা জগতসমুহের প্রতিপালক আল্লাহ তা’আলারই) বলছেন।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৮৭৯), মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-২৮
(শয়ন করার দু’আ)
৩৪১৭
حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُجَالِدِ بْنِ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ رِبْعِيٍّ، عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ، رضى الله عنهما أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَنَامَ قَالَ ” اللَّهُمَّ بِاسْمِكَ أَمُوتُ وَأَحْيَا ” . وَإِذَا اسْتَيْقَظَ قَالَ ” الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَا نَفْسِي بَعْدَ مَا أَمَاتَهَا وَإِلَيْهِ النُّشُورُ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
হুযাইফা্হ ইবনুল ইয়ামান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিদ্রা যাওয়ার ইচ্ছা করতেন তখন বলতেন : “হে আল্লাহ! আমি তোমার নামেই মৃত্যুবরণ করি ও জীবন লাভ করি”। তিনি ঘুম হতে উঠে বলতেন : “সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার, যিনি মৃত্যুদানের পর আমার এ দেহকে পুনরায় জীবিত করেছেন এবং তাঁর নিকটই ফিরে যেতে হবে”।
সহীহ : ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৮৮০), বুখারী।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-২৯
রাতে (তাহাজ্জুদের) নামায আদায় করতে উঠে যে দু’আ পাঠ করবে
৩৪১৮
حَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، رضى الله عنهما أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ مِنْ جَوْفِ اللَّيْلِ يَقُولُ “ اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ نُورُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ قَيَّامُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ رَبُّ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ أَنْتَ الْحَقُّ وَوَعْدُكَ الْحَقُّ وَلِقَاؤُكَ حَقٌّ وَالْجَنَّةُ حَقٌّ وَالنَّارُ حَقٌّ وَالسَّاعَةُ حَقٌّ اللَّهُمَّ لَكَ أَسْلَمْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ وَإِلَيْكَ أَنَبْتُ وَبِكَ خَاصَمْتُ وَإِلَيْكَ حَاكَمْتُ فَاغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ أَنْتَ إِلَهِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মাঝরাতে বা গভীর রাতে (তাহাজ্জুদের) নামাযে দাঁড়াতেন সে সময় বলতেনঃ ” হে প্রভু ! সকল প্রশংসা তোমার জন্য, তুমি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর আলো এবং সকল প্রশংসার অধিকারী তুমিই। তুমিই আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছ। সকল প্রশংসা তোমার। তুমি আকাশমণ্ডলী, দুনিয়া এবং উভয়ের মাঝখানের সমস্ত কিছুর প্রতিপালক, তুমি সত্য, তোমার প্রতিশ্রুতি সত্য, (আখিরাতে) তোমার সঙ্গে সাক্ষাৎ লাভ সত্য, জান্নাত সত্য, জাহান্নাম সত্য এবং ক্বিয়ামাত (সংঘটিত হওয়ার প্রসঙ্গটি) সত্য। হে আল্লাহ! তোমার নিকট আমি আত্মসমর্পণ করেছি, তোমার উপর ঈমান এনেছি, তোমার উপর তাওয়াককুল (নির্ভর) করেছি, তোমার দিকেই প্রত্যাবর্তন করি, তোমার জন্যই যুদ্ধ করি এবং তোমাকে বিচারক মানি। সুতরাং আমার পূর্বের-পরের এবং লুকায়িত ও প্রকাশ্য সকল গুনাহ তুমি ক্ষমা করে দাও। তুমিই আমাদের মা’বূদ, তুমি ছাড়া আর কোন মা’বূদ নেই”।
সহীহ : ইবনু মাজাহ (হাঃ ১৩৫৫), বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৩০
রাতে নামায শেষে পাঠ করার দু’আ
৩৪১৯
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِمْرَانَ بْنِ أَبِي لَيْلَى، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي لَيْلَى، عَنْ دَاوُدَ بْنِ عَلِيٍّ، هُوَ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ سَمِعْتُ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ لَيْلَةً حِينَ فَرَغَ مِنْ صَلاَتِهِ “ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ رَحْمَةً مِنْ عِنْدِكَ تَهْدِي بِهَا قَلْبِي وَتَجْمَعُ بِهَا أَمْرِي وَتَلُمُّ بِهَا شَعَثِي وَتُصْلِحُ بِهَا غَائِبِي وَتَرْفَعُ بِهَا شَاهِدِي وَتُزَكِّي بِهَا عَمَلِي وَتُلْهِمُنِي بِهَا رَشَدِي وَتَرُدُّ بِهَا أُلْفَتِي وَتَعْصِمُنِي بِهَا مِنْ كُلِّ سُوءٍ اللَّهُمَّ أَعْطِنِي إِيمَانًا وَيَقِينًا لَيْسَ بَعْدَهُ كُفْرٌ وَرَحْمَةً أَنَالُ بِهَا شَرَفَ كَرَامَتِكَ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْفَوْزَ فِي الْعَطَاءِ وَيُرْوَى فِي الْقَضَاءِ وَنُزُلَ الشُّهَدَاءِ وَعَيْشَ السُّعَدَاءِ وَالنَّصْرَ عَلَى الأَعْدَاءِ اللَّهُمَّ إِنِّي أُنْزِلُ بِكَ حَاجَتِي وَإِنْ قَصَّرَ رَأْيِي وَضَعُفَ عَمَلِي افْتَقَرْتُ إِلَى رَحْمَتِكَ فَأَسْأَلُكَ يَا قَاضِيَ الأُمُورِ وَيَا شَافِيَ الصُّدُورِ كَمَا تُجِيرُ بَيْنَ الْبُحُورِ أَنْ تُجِيرَنِي مِنْ عَذَابِ السَّعِيرِ وَمِنْ دَعْوَةِ الثُّبُورِ وَمِنْ فِتْنَةِ الْقُبُورِ اللَّهُمَّ مَا قَصَّرَ عَنْهُ رَأْيِي وَلَمْ تَبْلُغْهُ نِيَّتِي وَلَمْ تَبْلُغْهُ مَسْأَلَتِي مِنْ خَيْرٍ وَعَدْتَهُ أَحَدًا مِنْ خَلْقِكَ أَوْ خَيْرٍ أَنْتَ مُعْطِيهِ أَحَدًا مِنْ عِبَادِكَ فَإِنِّي أَرْغَبُ إِلَيْكَ فِيهِ وَأَسْأَلُكَهُ بِرَحْمَتِكَ رَبَّ الْعَالَمِينَ اللَّهُمَّ ذَا الْحَبْلِ الشَّدِيدِ وَالأَمْرِ الرَّشِيدِ أَسْأَلُكَ الأَمْنَ يَوْمَ الْوَعِيدِ وَالْجَنَّةَ يَوْمَ الْخُلُودِ مَعَ الْمُقَرَّبِينَ الشُّهُودِ الرُّكَّعِ السُّجُودِ الْمُوفِينَ بِالْعُهُودِ إِنَّكَ رَحِيمٌ وَدُودٌ وَأَنْتَ تَفْعَلُ مَا تُرِيدُ اللَّهُمَّ اجْعَلْنَا هَادِينَ مُهْتَدِينَ غَيْرَ ضَالِّينَ وَلاَ مُضِلِّينَ سِلْمًا لأَوْلِيَائِكَ وَعَدُوًّا لأَعْدَائِكَ نُحِبُّ بِحُبِّكَ مَنْ أَحَبَّكَ وَنُعَادِي بِعَدَاوَتِكَ مَنْ خَالَفَكَ اللَّهُمَّ هَذَا الدُّعَاءُ وَعَلَيْكَ الاِسْتِجَابَةُ وَهَذَا الْجَهْدُ وَعَلَيْكَ التُّكْلاَنُ اللَّهُمَّ اجْعَلْ لِي نُورًا فِي قَبْرِي وَنُورًا فِي قَلْبِي وَنُورًا مِنْ بَيْنِ يَدَىَّ وَنُورًا مِنْ خَلْفِي وَنُورًا عَنْ يَمِينِي وَنُورًا عَنْ شِمَالِي وَنُورًا مِنْ فَوْقِي وَنُورًا مِنْ تَحْتِي وَنُورًا فِي سَمْعِي وَنُورًا فِي بَصَرِي وَنُورًا فِي شَعْرِي وَنُورًا فِي بَشَرِي وَنُورًا فِي لَحْمِي وَنُورًا فِي دَمِي وَنُورًا فِي عِظَامِي اللَّهُمَّ أَعْظِمْ لِي نُورًا وَأَعْطِنِي نُورًا وَاجْعَلْ لِي نُورًا سُبْحَانَ الَّذِي تَعَطَّفَ الْعِزَّ وَقَالَ بِهِ سُبْحَانَ الَّذِي لَبِسَ الْمَجْدَ وَتَكَرَّمَ بِهِ سُبْحَانَ الَّذِي لاَ يَنْبَغِي التَّسْبِيحُ إِلاَّ لَهُ سُبْحَانَ ذِي الْفَضْلِ وَالنِّعَمِ سُبْحَانَ ذِي الْمَجْدِ وَالْكَرَمِ سُبْحَانَ ذِي الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَقَدْ رَوَى شُعْبَةُ وَسُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ عَنْ كُرَيْبٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بَعْضَ هَذَا الْحَدِيثِ وَلَمْ يَذْكُرْهُ بِطُولِهِ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে রাতে (তাহাজ্জুদের) নামায শেষে বলতে শুনেছিঃ “হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট হতে রাহমাত ও দয়া আশা করি, এর দ্বারা তুমি আমার মনকে হিদায়াত দান কর, আমার সকল কাজ গুছিয়ে দাও, আমার অগোছাল অবস্থাকে সুশৃঙ্খল করে দাও, আমার অজানা কাজকে সংশোধন করে দাও, আমার উপস্থিতিকে উন্নত কর, আমার কাজকর্ম পরিচ্ছন্ন করে দাও, সরল-সঠিক পথ আমাকে শিখিয়ে দাও, তোমার প্রতি আমার ভালোবাসাকে বাড়িয়ে দাও এবং প্রত্যেক প্রকারের খারাপ হতে আমাকে নির্বিঘ্ন রাখ। হে আল্লাহ! আমাকে ঈমান ও দৃঢ় প্রত্যয় দান কর, যার পরে আর যেন কুফরী অবশিষ্ট না থাকে। আর তুমি আমাকে রাহমাত দান কর যার দ্বারা দুনিয়া ও আখিরাতে আমি তোমার মহান করুণার অধিকারী হতে পারি। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট দানের ব্যাপারে সাফল্য চাই, আরো আশা করি শহীদদের মত আতিথেয়তা, সৌভাগ্যবানদের জীবন এবং শত্রুর বিরুদ্ধে সাহায্য। হে আল্লাহ! আমি আমার প্রয়োজন তোমার নিকটেই পেশ করলাম। আমার বুদ্ধিমত্তা অক্ষম ও ত্রুটিপূর্ণ এবং আমার কর্মতৎপরতা দুর্বল হওয়ায় আমি তোমার অনুগ্রহের মুখাপেক্ষী। অতএব আমি তোমার নিকটে আশা করি, হে সকল কাজকর্ম ফায়সালাকারী, বক্ষসমূহের আরোগ্যকারী! আমাকে জাহান্নামের শাস্তি হতে এমনভাবে দূরে সরিয়ে রাখ যেমন তুমি দুই সমুদ্রের মিলনকে প্রতিরোধ করে রাখ। তুমি আমাকে ধ্বংসকারী আহ্বান হতে ও কবরের সংকট হতে বিপদমুক্ত রাখ। হে আল্লাহ! আমার ধারণায় যে কল্যাণের কথা আসেনি, আমার ইচ্ছায় ও প্রার্থনা যে পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি, যে কল্যাণ তুমি তোমার কোন সৃষ্টিকে দান করার শপথ করেছ অথবা তোমার কোন বান্দাকে যে কল্যাণ তুমি দান করবে, হে বিশ্বের রক্ষণাবেক্ষণকারী! তোমার দয়ার উসীলায় আমি সেই কল্যাণ আশা করি। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট মহাভীতির (কিয়ামতের) দিন নিরাপত্তা আশা করি এবং রুকূ-সিজদাকারী, তোমার নৈকট্য লাভকারী ও তোমার সাথে কৃত ওয়াদা পূর্ণকারী বান্দাদের সাথে চিরস্থায়ী জান্নাতে যাওয়ার ইচ্ছা করি। নিশ্চয় তুমি অধিক দয়ালু ও অনুগ্রহপরায়ণ বন্ধু। তুমি যা ইচ্ছা তাই করতে পার। হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে হিদায়াতকারীদের ও হিদায়াতপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত কর, যারা বিপথগামীও নয় এবং বিপথগামীকারীও নয়, যারা তোমার প্রিয় বান্দাদের সাথে শান্তি স্থাপনকারী এবং তোমার শত্রুদের সাথে শত্রুতা পোষণকারী। যে তোমায় ভালোবাসে আমরা তোমার মুহাব্বাতে তাকে ভালোবাসি এবং শত্রুতা বশতঃ যে তোমার বিরোধিতা করে, আমরা তার সাথে শত্রুতা রাখি। হে আল্লাহ! এই আমার আরযি এবং এটা ক্ববূল করা তোমার ইচ্ছাধীন। এই আমার প্রচেষ্টা এবং তোমার উপরই আমার আস্থা। হে আল্লাহ! তুমি আমার অন্তরে একটি নূর ঢেলে দাও। আমার কবরে নূর দাও, আমার সম্মুখে নূর, আমার পেছনে নূর, আমার ডানে নূর, আমার বামে নূর, আমার উপরে নূর, আমার নীচে নূর, আমার কানে নূর, আমার চোখে (দৃষ্টিশক্তিতে) নূর, আমার পশমে নূর, আমার চামড়ায় নূর, আমার গোশতে নূর, আমার রক্তে নূর এবং আমার হাড়ে নূর দান কর। হে আল্লাহ! আমার নূরকে বৃদ্ধি কর, আমাকে নূর দান কর এবং আমার জন্য স্থায়ী নূরের ব্যবস্থা কর। তিনিই (আল্লাহ) পবিত্র যিনি সম্মান ও মহত্বের চাদরে আবৃত এবং নিজের জন্য তাকে বিশিষ্ট করে নিয়েছেন। তিনি পবিত্র, যিনি সম্মানের পোশাক পরিহিত এবং মর্যাদার দ্বারা সম্মানিত হয়েছেন। তিনিই পবিত্র, যিনি সমস্ত দানের ও নিয়ামাতের অধিকারী, যিনি সুমহান ও মর্যাদাবান। পবিত্র তিনি যিনি মহিমাময় ও মহাবুভব”।
সনদ দুর্বল, আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। ইবনু আবূ লাইলার রিওয়ায়াত হিসেবে আমরা শুধু উপরোক্ত সূত্রে এ হাদীস এরকম জেনেছি। শুবা ও সুফিয়ান সাওরী (রহঃ) সালামা ইবনু কুহাইল হতে, তিনি কুরাইব হতে, তিনি ইবনু আব্বাস হতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে উক্ত হাদীসের অংশবিশেষ বর্ণনা করেছেন এবং এত দীর্ঘাকারে বর্ণনা করেননি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৩১
রাতের তাহাজ্জুদ নামায আরম্ভ করার দু’আ
৩৪২০
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ رضى الله عنها بِأَىِّ شَيْءٍ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَفْتَتِحُ صَلاَتَهُ إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ قَالَتْ كَانَ إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ افْتَتَحَ صَلاَتَهُ فَقَالَ “ اللَّهُمَّ رَبَّ جِبْرِيلَ وَمِيكَائِيلَ وَإِسْرَافِيلَ فَاطِرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَعَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ أَنْتَ تَحْكُمُ بَيْنَ عِبَادِكَ فِيمَا كَانُوا فِيهِ يَخْتَلِفُونَ اهْدِنِي لِمَا اخْتُلِفَ فِيهِ مِنَ الْحَقِّ بِإِذْنِكَ إِنَّكَ تَهْدِي مَنْ تَشَاءُ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
আবূ সালামাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘আয়িশাহ (রাঃ)- কে আমি প্রশ্ন করলাম, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতে যখন (তাহাজ্জুদ) নামায আদায় করতে দন্ডায়মান হতেন তখন কিসের মাধ্যমে নামায শুরু করতেন (তাকবীরে তাহরীমার পর এবং ফাতিহার আগে কি পাঠ করতেন)? তিনি বলেন, তিনি রাতে (তাহাজ্জুদ) নামায আদায় করতে দাঁড়িয়ে তা আরম্ভ করে বলতেনঃ “হে জিবরীল, মীকাঈল ও ইসরাফীলের রব, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা , প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য জ্ঞাতা! তোমার বান্দাদের মধ্যে তুমিই মীমাংসাকারী যে ব্যাপারে তারা মতবিরোধ করছে। সত্যের ব্যাপারে যে মতবিরোধ করা হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে তুমি তোমার আদেশবলে আমাকে সঠিক পথের হিদায়াত দান কর, তুমিই যাকে ইচ্ছা তাকে হিদায়াত দান করে থাক”।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ১৩৫৭), মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান গারীব ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৩২
(রাতের নামাযের বিশেষ দু’আ)
৩৪২১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ الْمَاجِشُونَ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ قَالَ ” وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ حَنِيفًا وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ إِنَّ صَلاَتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَاىَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ اللَّهُمَّ أَنْتَ الْمَلِكُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ أَنْتَ رَبِّي وَأَنَا عَبْدُكَ ظَلَمْتُ نَفْسِي وَاعْتَرَفْتُ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي ذُنُوبِي جَمِيعًا إِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ وَاهْدِنِي لأَحْسَنِ الأَخْلاَقِ لاَ يَهْدِي لأَحْسَنِهَا إِلاَّ أَنْتَ وَاصْرِفْ عَنِّي سَيِّئَهَا إِنَّهُ لاَ يَصْرِفُ عَنِّي سَيِّئَهَا إِلاَّ أَنْتَ آمَنْتُ بِكَ تَبَارَكْتَ وَتَعَالَيْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ ” . فَإِذَا رَكَعَ قَالَ ” اللَّهُمَّ لَكَ رَكَعْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَلَكَ أَسْلَمْتُ خَشَعَ لَكَ سَمْعِي وَبَصَرِي وَمُخِّي وَعِظَامِي وَعَصَبِي ” . فَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ قَالَ ” اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ مِلْءَ السَّمَوَاتِ وَالأَرَضِينَ وَمِلْءَ مَا بَيْنَهُمَا وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَيْءٍ بَعْدُ ” . فَإِذَا سَجَدَ قَالَ ” اللَّهُمَّ لَكَ سَجَدْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَلَكَ أَسْلَمْتُ سَجَدَ وَجْهِيَ لِلَّذِي خَلَقَهُ فَصَوَّرَهُ وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ فَتَبَارَكَ اللَّهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ ” . ثُمَّ يَكُونُ آخِرَ مَا يَقُولُ بَيْنَ التَّشَهُّدِ وَالسَّلاَمِ ” اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّي أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আলী ইবনু আবী ত্বালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন নামাযে দাঁড়াতেন, তখন বলতেনঃ “একনিষ্ঠভাবে আমি আমার চেহারা তাঁর দিকে প্রত্যাবর্তন করলাম যিনি আকাশমন্ডলী ও দুনিয়া সৃষ্টি করেছেন এবং আমি মুশরিকদের দলভুক্ত নই”- (সূরা আন’আম ৭৯)। “আমার নামায, আমার ইবাদাত (কুরবানী ও হাজ্জ), আমার প্রান ও আমার মৃত্যু জগতসমূহের পালনকর্তা আল্লাহ তা‘আলার জন্যই। তাঁর কোন শরীক নেই এবং এ (ঘোষণা দেয়ার) জন্যই আমি আদিষ্ট হয়েছি। আমি মুসলমানদের দলভুক্ত”-(সূরা আন’আম ১৬২-৬৩)। হে আল্লাহ! তুমি রাজার রাজা, তুমি ব্যতীত কোন মা’বূদ নেই, তুমিই আমার প্রতিপালক এবং আমি তোমার দাস। আমার নিজের উপর আমি অত্যাচার করেছি, আমার অপরাধ আমি স্বীকার করছি। অতএব তুমি আমার সকল অপরাধ ক্ষমা করে দাও। কেননা তুমি ছাড়া অপরাধ ক্ষমাকারী আর কেউ নেই। তুমি আমাকে ভালো চরিত্রের পথনির্দেশ কর। তুমি ব্যতীত অন্য কেউ সবচেয়ে ভাল চরিত্রের দিকে পথনির্দেশ করতে পারেনা। তুমি আমার হতে মন্দ চরিত্র দূর করে দাও। তুমি ছাড়া অন্য কেউ আমার হতে তা দূর করতে পারে না। তোমার উপর আমি ঈমান এনেছি। তুমি কল্যাণময়, সুমহান। তোমার কাছে আমি মাফ চাই এবং তোমার দিকে প্রত্যাবর্তন করছি”। তারপর যখন রুকূ‘ দিতেন তখন বলতেনঃ “হে আল্লাহ! তোমার জন্য আমি রুকূ করলাম, তোমার উপর ঈমান আনলাম এবং তোমার খুশির জন্যই আত্মসমর্পণ করলাম। আমার কান, আমার চোখ, আমার মস্তিষ্ক, আমার হাঁড় এবং আমার স্নায়ু তোমার জন্যই ঝুঁকে পড়েছে”। তিনি রুকূ‘ হতে মাথা তুলে বলতেনঃ “হে আল্লাহ, আমার প্রভু! আকাশ্মন্ডলী ও সম্পূর্ণ জগৎসমুহ এবং উভয়ের মাঝে যা কিছু আছে , সমস্ত কিছু পরিপূর্ণ পরিমাণ তোমার প্রশংসা এবং তুমি যা আকাঙ্ক্ষা কর সেটাও পরিপূর্ণ পরিমাণ তোমার প্রশংসা”। তিনি সাজদাহতে বলতেনঃ “হে আল্লাহ! আমি তোমার জন্যই সাজদাহ করলাম, তোমার উপর ঈমান আনলাম, তোমার জন্যই ইসলাম ক্ববূল করলাম। আমার মুখমন্ডল তাঁর জন্য সাজদাহ্ করল। যিনি আমার চেহারা সৃষ্টি করেছেন, তারপর তাকে সুন্দর মুখমন্ডল দান করেছেন এবং তা ভেদ করে কান ও চোখ ফুটিয়েছেন। সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ তা‘আলা কত মহান”। তারপর তাশাহহূদ ও সালামের মাঝখানের সময়ে তিনি বলতেনঃ “হে আল্লাহ ! আমি পূর্বে ও পরে , লুকায়িত ও প্রকাশ্য এবং আমার প্রসঙ্গে তোমার জানা মতে যা কিছু আমি করেছি, তুমি তা ক্ষমা করে দাও। তুমিই শুরু এবং তুমিই শেষ। তুমি ব্যতীত আর কোন মা‘বূদ নেই”।
সহীহঃ সিফাতুস সালাত, সহীহ আবূ দাঊদ (হাঃ ৭৩৮), মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪২২
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ، وَيُوسُفُ بْنُ الْمَاجِشُونِ، قَالَ عَبْدُ الْعَزِيزِ حَدَّثَنِي عَمِّي، وَقَالَ، يُوسُفُ أَخْبَرَنِي أَبِي، حَدَّثَنِي الأَعْرَجُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ قَالَ ” وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ حَنِيفًا وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ إِنَّ صَلاَتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَاىَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ اللَّهُمَّ أَنْتَ الْمَلِكُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ أَنْتَ رَبِّي وَأَنَا عَبْدُكَ ظَلَمْتُ نَفْسِي وَاعْتَرَفْتُ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي ذُنُوبِي جَمِيعًا إِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ وَاهْدِنِي لأَحْسَنِ الأَخْلاَقِ لاَ يَهْدِي لأَحْسَنِهَا إِلاَّ أَنْتَ وَاصْرِفْ عَنِّي سَيِّئَهَا لاَ يَصْرِفُ عَنِّي سَيِّئَهَا إِلاَّ أَنْتَ لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ وَالْخَيْرُ كُلُّهُ فِي يَدَيْكَ وَالشَّرُّ لَيْسَ إِلَيْكَ أَنَا بِكَ وَإِلَيْكَ تَبَارَكْتَ وَتَعَالَيْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ ” . فَإِذَا رَكَعَ قَالَ ” اللَّهُمَّ لَكَ رَكَعْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَلَكَ أَسْلَمْتُ خَشَعَ لَكَ سَمْعِي وَبَصَرِي وَعِظَامِي وَعَصَبِي ” . فَإِذَا رَفَعَ قَالَ ” اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ مِلْءَ السَّمَاءِ وَمِلْءَ الأَرْضِ وَمِلْءَ مَا بَيْنَهُمَا وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَيْءٍ بَعْدُ ” . فَإِذَا سَجَدَ قَالَ ” اللَّهُمَّ لَكَ سَجَدْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَلَكَ أَسْلَمْتُ سَجَدَ وَجْهِي لِلَّذِي خَلَقَهُ فَصَوَّرَهُ وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ فَتَبَارَكَ اللَّهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ ” . ثُمَّ يَقُولُ مِنْ آخِرِ مَا يَقُولُ بَيْنَ التَّشَهُّدِ وَالتَّسْلِيمِ ” اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ وَمَا أَسْرَفْتُ وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّي أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আলী ইবনু আবী ত্বালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (রাতে তাহাজ্জুদ) নামাযে দন্ডায়মান হতেন তখন বলতেনঃ “একনিষ্ঠভাবে আমি আমার মুখমন্ডল তাঁর দিকে প্রত্যাবর্তন করলাম যিনি আকাশমন্ডলী ও দুনিয়া সৃষ্টি করেছেন এবং আমি মুশরিকদের দলভুক্ত নই”- (সূরা আন’আম ৭৯)। “আমার নামায, আমার ইবাদাত (হাজ্জ ও কুরবানী), আমার প্রান ও আমার মৃত্যু বিশ্বজগতের পালনকর্তা আল্লাহ তা‘আলার জন্য।তাঁর কোন অংশীদার নেই এবং আমি এজন্যই আদিষ্ট হয়েছি। আমি একজন মুসলিম”- (সূরা আন‘আম ১৬২-১৬৩)। “হে আল্লাহ ! তুমিই বাদশাহ, তুমি ব্যতীত আর কোন মা ‘বূদ নেই , তুমিই আমার প্রভু, আমি তোমার দাস। আমার আত্মার প্রতি আমি যুলম করেছি এবং আমি আমার কৃত অন্যায় স্বীকার করেছি। সুতরাং আমার সকল অন্যায় তুমি ক্ষমা করে দাও। কেননা তুমি ছাড়া অপরাধ ক্ষমা করার আর কেউ নেই। তুমি আমাকে সর্বোত্তম চরিত্রের পথে পরিচালিত কর। কেননা তুমি ব্যতীত অন্য কেউ সর্বোত্তম চরিত্রের রাস্তায় পরিচালিত করতে পারে না। আমাকে অপরাধ হতে তুমি ফিরিয়ে রাখ, কেননা তুমি ছাড়া অন্য কেউ আমাকে খারাপ পথ হতে ফিরিয়ে রাখতে পারে না। তোমার সমীপে আমি উপস্থিত, সকল সৌভাগ্য ও মঙ্গল তোমার আয়ত্তাধীন।আর খারাপের কিছুই তোমার দিকে সম্পর্কিত করা যায় না। আমি তোমার জন্যই এবং তোমার নিকটেই আমার ফিরে আসা।তুমি মঙ্গলময় ও সুমহান। তোমার কাছে আমি মাফ চাই এবং তোমার দিকেই প্রত্যাবর্তন করি”। তিনি রুকূ‘তে গিয়ে বলতেনঃ “হে আল্লাহ! আমি তোমার জন্য রুকূ‘ করলাম, তোমার উপর ঈমান আনলাম এবং তোমার নিকট আত্মসমর্পণ করলাম সুতরাং আমার কান , আমার চোখ , আমার সকল হাঁড় ও স্নায়ুগুলো তোমার জন্যই অবনমিত”। তিনি ((রুকূ‘ হতে) মাথা তুলে বলতেনঃ “হে আল্লাহ, আমাদের প্রভু! তোমার জন্য সকল প্রশংসা-আকাশ-যমীন ও আ দু’য়ের মাঝে যা কিছু আছে এবং তুমি যা চাও এ সকল পূর্ণ পরিমাণ”।তিনি সাজদাহতে গিয়ে বলতেনঃ “হে আল্লাহ আমি সাজদাহ করলাম, তোমার উপর ঈমান আনলাম, আমি তোমার নিকট আত্মসমর্পণ করলাম। আমার চেহারা তাঁর উদ্দেশে সাজদাহ করল, যিনি তা সৃষ্টি করেছেন, তাকে সুন্দর আকৃতি দান করেছেন এবং (তা ভেদ করে) তার কান ও চোখ ফুটিয়েছেন। সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ তা‘আলা বারাকাতময়”। তারপর তাশাহহুদ ও সালামের মাঝে সবশেষে তিনি বলতেনঃ “হে আল্লাহ ! আমি পূর্বে ও পরে, লুকায়িত ও প্রকাশ্য যে গুনাহ করেছি, যে উচ্ছৃংখলতা করেছি এবং আমার প্রসঙ্গে তোমার জানা মতে, যা কিছু আমি (অন্যায়-অপরাধ) করেছি সে সব তুমি ক্ষমা করে দাও। তুমিই শুরু এবং তুমিই শেষ। তুমি ব্যতীত কোন মা‘বূদ নেই।
সহীহঃ প্রাগুক্ত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪২৩
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْهَاشِمِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْفَضْلِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ الْمَكْتُوبَةِ رَفَعَ يَدَيْهِ حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ وَيَصْنَعُ ذَلِكَ أَيْضًا إِذَا قَضَى قِرَاءَتَهُ وَأَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ وَيَصْنَعُهَا إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ وَلاَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ فِي شَيْءٍ مِنْ صَلاَتِهِ وَهُوَ قَاعِدٌ وَإِذَا قَامَ مِنْ سَجْدَتَيْنِ رَفَعَ يَدَيْهِ كَذَلِكَ فَكَبَّرَ وَيَقُولُ حِينَ يَفْتَتِحُ الصَّلاَةَ بَعْدَ التَّكْبِيرِ ” وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ حَنِيفًا وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ إِنَّ صَلاَتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَاىَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ اللَّهُمَّ أَنْتَ الْمَلِكُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ سُبْحَانَكَ أَنْتَ رَبِّي وَأَنَا عَبْدُكَ ظَلَمْتُ نَفْسِي وَاعْتَرَفْتُ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي ذُنُوبِي جَمِيعًا إِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ وَاهْدِنِي لأَحْسَنِ الأَخْلاَقِ لاَ يَهْدِي لأَحْسَنِهَا إِلاَّ أَنْتَ وَاصْرِفْ عَنِّي سَيِّئَهَا لاَ يَصْرِفُ عَنِّي سَيِّئَهَا إِلاَّ أَنْتَ لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ وَأَنَا بِكَ وَإِلَيْكَ وَلاَ مَنْجَا مِنْكَ وَلاَ مَلْجَأَ إِلاَّ إِلَيْكَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ ” . ثُمَّ يَقْرَأُ فَإِذَا رَكَعَ كَانَ كَلاَمُهُ فِي رُكُوعِهِ أَنْ يَقُولَ ” اللَّهُمَّ لَكَ رَكَعْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَلَكَ أَسْلَمْتُ وَأَنْتَ رَبِّي خَشَعَ سَمْعِي وَبَصَرِي وَمُخِّي وَعَظْمِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ ” . فَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ قَالَ ” سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ” . ثُمَّ يُتْبِعُهَا ” اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ مِلْءَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَيْءٍ بَعْدُ ” . وَإِذَا سَجَدَ قَالَ فِي سُجُودِهِ ” اللَّهُمَّ لَكَ سَجَدْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَلَكَ أَسْلَمْتُ وَأَنْتَ رَبِّي سَجَدَ وَجْهِي لِلَّذِي خَلَقَهُ وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ تَبَارَكَ اللَّهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ ” . وَيَقُولُ عِنْدَ انْصِرَافِهِ مِنَ الصَّلاَةِ ” اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ أَنْتَ إِلَهِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ الشَّافِعِيِّ وَبَعْضِ أَصْحَابِنَا . قَالَ أَبُو عِيسَى وَأَحْمَدُ لاَ يَرَاهُ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ وَغَيْرِهِمْ يَقُولُ هَذَا فِي صَلاَةِ التَّطَوُّعِ وَلاَ يَقُولُهُ فِي الْمَكْتُوبَةِ . سَمِعْتُ أَبَا إِسْمَاعِيلَ التِّرْمِذِيَّ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ بْنِ يُوسُفَ يَقُولُ سَمِعْتُ سُلَيْمَانَ بْنَ دَاوُدَ الْهَاشِمِيَّ يَقُولُ وَذَكَرَ هَذَا الْحَدِيثَ فَقَالَ هَذَا عِنْدَنَا مِثْلُ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَالِمٍ عَنْ أَبِيهِ .
‘আলী ইবনু আবী তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরয নামাযে দাঁড়াতেন তখন তাঁর হাত দুইখানি তাঁর কাঁধ বরাবর উঠাতেন। যখন তিনি কিরাআত সমাপ্ত করতেন (রূকুতে যাওয়ার ইচ্ছা করতেন), তখনও পুনরায় একই রকম করতেন (দুই হাত কাঁধ বরাবর উঠাতেন), আবার যখন রুকূ‘ হতে মাথা উঠাতেন তখনও একই রকম করতেন। কিন্তু বসা অবস্থায় তাঁর নামাযে কোথাও তিনি তাঁর দু’হাত উঠাতেন না। তারপর তিনি দুই সাজদাহ সেরে (দুই রাক‘আত শেষে) যখন উঠে দাঁড়াতেন তখনও তাকবীর পাঠ করে তাঁর দুই হাত তুলতেন। তিনি তাকবীরে তাহরীমার পর নামায আরম্ভ হতেই বলতেনঃ “একনিষ্ঠভাবে আমি তাঁর দিকে আমার চেহারা প্রত্যাবর্তন করলাম যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং আমি মুশরিকদের দলভুক্ত নই” –(সূরা আন‘আম ৭৯)। ‘আমার নামায, আমার ‘ইবাদাত , আমার প্রান ও আমার মৃত্যু বিশ্বজগতের পালনকর্তা আল্লাহ তা‘আলার উদ্দেশে।তাঁর কোন শারীক নেই এবং আমি এজন্যই আদিষ্ট হয়েছি। আমি একজন মুসলিম”- (সূরা আন‘আম ১৬২-১৬৩)।“হে আল্লাহ ! তুমিই রাজার রাজা, তুমি ব্যতীত কোন মা‘বুদ নেই। তুমি পবিত্র, তুমি আমার মনিব এবং আমি তোমার দাস। আমার সত্তার উপর আমি যুলম করেছি এবং আমার কৃত অন্যায় আমি স্বীকার করেছি। সুতরাং তুমি আমার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দাও। তুমি ছাড়া পাপ ক্ষমাকারী আর কেউ নেই। তুমি আমাকে উত্তম চরিত্রের পথে পরিচালিত কর। তুমি ব্যতীত আর কেউ সেই উত্তম পথে পরিচালিত করতে পারে না। তুমি আমার হতে খারাপকে দূরে সরিয়ে দাও। তুমি ছাড়া অন্য কেউ আমার হতে খারাপকে দূরীভূত করতে পারে না। আমি তোমার সামনে উপস্থিত আছি। সৌভাগ্য তোমার অধিকারে, তোমার জন্যই আমি এবং তোমার দিকেই আমি ফিরে আসি। তোমার শাস্তি হতে মুক্তি লাভের সাধ্য কারোর নেই এবং তোমার হতে পালিয়ে থাকার আশ্রয়ও নেই। আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাই এবং তোমার দিকেই প্রত্যাবর্তন করি”। তারপর তিনি ক্বিরাআত পাঠ করতেন। তিনি যখন রুকূ‘তে যেতেন তখন রুকূতে এই কথা বলতেনঃ হে আল্লাহ ! তোমার উদ্দেশে আমি রুকূ করলাম, তোমার উপর ঈমান আনলাম, তোমার নিকট আত্মসমর্পণ করলাম এবং তুমিই আমার প্রভু। আমার কান, আমার চোখ, আমার মস্তিস্ক ও আমার হাঁড় বিশ্বজগতের পালনকর্তা আল্লাহ তা‘আলার ভয়ে ভীত”। তিনি রুকূ হতে মাথা তুলে বলতেনঃ “কেউ আল্লাহ তা‘আলার প্রশংসা করলে তিনি তা শুনেন”। এর সঙ্গে তিনি আরো বলতেনঃ “হে আল্লাহ, আমাদের প্রভু ! সকল আকাশ ও যামীন পরিপূর্ণ এবং এরপরও তোমার ইচ্ছানুসারে পরিপূর্ণ প্রশংসা তোমার জন্য”। তিনি সাজদাহতে গিয়ে বলতেনঃ “হে আল্লাহ ! তোমার উদ্দেশে আমি সাজদাহ করলাম, তোমার উপর ঈমান আনলাম, তোমার নিকট আত্মসমর্পণ করলাম এবং তুমিই আমার প্রভু। সেই মহান সত্তার জন্য আমার চেহারা সাজদাহ করেছে যিনি তা তৈরী করেছেন এবং তা ভেদ করে তাতে কান ও চোখ ফুটিয়েছেন। সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ তা‘আলা কত বারাকাতময়” তিনি নামায শেষ করে বলতেনঃ “হে আল্লাহ ! আমাকে ক্ষমা করে দাও আমার পূর্বের ও পরের গুনাহসমূহ এবং আমি যা কিছু লুকায়িত ও প্রকাশ্যে করেছি তাও। তুমিই আমার মা‘বূদ, তুমি ব্যতীত কোন মা‘বূদ নেই”।
হাসান সহীহঃ সহীহ আবূ দাঊদ (হাঃ ৭২৯)।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৩৩
কুরআনের সাজদাহর আয়াত তিলাওয়াতের পর সাজদাহতে যা বলতে হবে
৩৪২৪
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ خُنَيْسٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي يَزِيدَ، قَالَ قَالَ لِي ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ رَأَيْتُنِي اللَّيْلَةَ وَأَنَا نَائِمٌ كَأَنِّي أُصَلِّي خَلْفَ شَجَرَةٍ فَسَجَدَتِ الشَّجَرَةُ لِسُجُودِي وَسَمِعْتُهَا وَهِيَ تَقُولُ اللَّهُمَّ اكْتُبْ لِي بِهَا عِنْدَكَ أَجْرًا وَضَعْ عَنِّي بِهَا وِزْرًا وَاجْعَلْهَا لِي عِنْدَكَ ذُخْرًا وَتَقَبَّلْهَا مِنِّي كَمَا تَقَبَّلْتَهَا مِنْ عَبْدِكَ دَاوُدَ . قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ قَالَ لِي جَدُّكَ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَقَرَأَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم سَجْدَةً ثُمَّ سَجَدَ . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَسَمِعْتُهُ وَهُوَ يَقُولُ مِثْلَ مَا أَخْبَرَ الرَّجُلُ عَنْ قَوْلِ الشَّجَرَةِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে এক লোক এসে বলেন, হে আল্লাহর রাসূল ! আজ রাতে আমি ঘুমন্ত অবস্থায় (স্বপ্নে) দেখি যে, আমি যেন একটি গাছের পেছনে নামায আদায় করছি। আমি সাজদাহ করলে আমার সাজদাহর মত গাছটিও সাজদাহ করে। ঐ গাছটিকে আমি বলতে শুনলাম, “হে আল্লাহ ! এ সাজদাহর বিনিময়ে আমার জন্য তোমার নিকট পুরস্কার লিপিবদ্ধ কর, এর বিনিময়ে আমার একটি গুনাহ অপসারণ কর, আমার জন্য এটাকে পুঁজি হিসেবে জমা রাখ এবং এটাকে আমার পক্ষ হতে গ্রহণ কর, যেমন তুমি তোমার বান্দা দাঊদ (‘আঃ) হতে গ্রহন করেছিলে”। ইবনু জুরাইজ (রহঃ) ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু আবূ ইয়াযীদকে বলেন, আমাকে তোমার দাদা বলেছেন, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একবার সাজদাহর আয়াত পাঠ করলেন এবং সাজদাহ করলেন। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, তাঁকে সেই গাছের একই রকম দু‘আ আমি তিলাওয়াত করতে শুনলাম, যে প্রসঙ্গে আগে লোকটি তাঁকে জানিয়েছিল।
হাসানঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ১০৫৩)।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩৪২৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ فِي سُجُودِ الْقُرْآنِ بِاللَّيْلِ “ سَجَدَ وَجْهِي لِلَّذِي خَلَقَهُ وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ بِحَوْلِهِ وَقُوَّتِهِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাজদাহর আয়াত পাঠ করার পর সাজদাহতে বলতেনঃ “সেই মহান সত্তার উদ্দেশে আমার মুখমন্ডল সাজদাহ করল যিনি তাকে তৈরী করেছেন এবং নিজের প্রবল ক্ষমতায় তার মাঝে শোনার শক্তি ও দেখার শক্তি দান করেছেন”।
সহীহঃ মিশকাত (হাঃ ১০৩৫), সহীহ আবূ দাঊদ (হাঃ ১২৭৪)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৩৪
ঘর হতে বের হওয়ার সময় পাঠ করার দু ‘আ
৩৪২৬
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الأُمَوِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ قَالَ – يَعْنِي إِذَا خَرَجَ مِنْ بَيْتِهِ – بِسْمِ اللَّهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللَّهِ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ . يُقَالُ لَهُ كُفِيتَ وَوُقِيتَ . وَتَنَحَّى عَنْهُ الشَّيْطَانُ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ঘর হতে কেউ বাইরে রাওয়ানা হওয়াকালে যদি বলে, “আল্লাহ তা‘আলার নামে, আল্লাহ তা‘আলার উপরই আমি নির্ভর করলাম, আল্লাহ‘তা আলার সাহায্য ব্যতীত বিরত থাকা ও মঙ্গল লাভ করার শক্তি কারো নেই”, তবে তাকে বলা হয় (আল্লাহ তা‘আলাই) তোমার জন্য যথেষ্ট, (অনিষ্ট হতে) তুমি হিফাযাত অবলম্বন করেছ। আর তার হতে শাইতান দূরে সরে যায়।
সহীহঃ মিশকাত তাহক্বীক্ব সানী (হাঃ ২৪৪৩), তা’লীকুর রাগীব (হাঃ ২/২৬৪), আল-কালিমুত তাইয়্যিব (হাঃ ৫৮/৪৯)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৩৫
(ঘর হতে বের হওয়ার সময় নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর পঠিত দু ‘আ)
৩৪২৭
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ عَامِرٍ الشَّعْبِيِّ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا خَرَجَ مِنْ بَيْتِهِ قَالَ “ بِسْمِ اللَّهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللَّهِ اللَّهُمَّ إِنَّا نَعُوذُ بِكَ مِنْ أَنْ نَزِلَّ أَوْ نَضِلَّ أَوْ نَظْلِمَ أَوْ نُظْلَمَ أَوْ نَجْهَلَ أَوْ يُجْهَلَ عَلَيْنَا ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘর হতে বাইরে রাওয়ানা হতেন তখন বলতেনঃ “আল্লাহ তা‘আলার নামে, আল্লাহ তা’আলার উপর আমি নির্ভর করলাম। হে আল্লাহ ! আমরা পদস্থলন হতে কিংবা পথভ্রষ্ঠতা হতে কিংবা যুলম করা হতে কিংবা অত্যাচারিত হওয়া হতে কিংবা অজ্ঞতাবশত কারো প্রতি মন্দ আচরণ হতে বা আমাদের প্রতি কারো অজ্ঞতা প্রসূত আচরণ হতে তোমার নিকট আশ্রয় চাই”।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৮৮৪)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৩৬
বাজারে প্রবেশের দু’আ
৩৪২৮
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا أَزْهَرُ بْنُ سِنَانٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ وَاسِعٍ، قَالَ قَدِمْتُ مَكَّةَ فَلَقِيَنِي أَخِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ فَحَدَّثَنِي عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَنْ دَخَلَ السُّوقَ فَقَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكُ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ حَىٌّ لاَ يَمُوتُ بِيَدِهِ الْخَيْرُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ كَتَبَ اللَّهُ لَهُ أَلْفَ أَلْفِ حَسَنَةٍ وَمَحَا عَنْهُ أَلْفَ أَلْفِ سَيِّئَةٍ وَرَفَعَ لَهُ أَلْفَ أَلْفِ دَرَجَةٍ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ .
وَقَدْ رَوَاهُ عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ – وَهُوَ قَهْرَمَانُ آلِ الزُّبَيْرِ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، هَذَا الْحَدِيثَ نَحْوَهُ.
মুহাম্মাদ ইবনু ওয়াসি‘ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি মক্কায় পৌঁছালে আমার ভাই সালিম ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) আমার সঙ্গে দেখা করেন। তিনি তার বাবা হতে, তার দাদার সনদে আমার কাছে হাদীস রিওয়ায়াত করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক বাজারে প্রবেশ করে বলে, “আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত কোন মাবূদ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন অংশীদার নেই, সকল ক্ষমতা তাঁরই, সমস্ত প্রশংসা তাঁর জন্য, তিনিই প্রাণ দান করেন ও মৃত্যু দেন, তিনি চিরজীবি, তিনি কক্ষনো মৃত্যুবরণ করবেন না, তাঁর হাতেই মঙ্গল এবং তিনিই সবসময় প্রত্যেক বস্তুর উপর ক্ষমতার অধিকারী”, তার জন্য আল্লাহ তা‘আলা দশ লক্ষ নেকী বরাদ্দ করেন, তার দশ লক্ষ গুনাহ মাফ করেন এবং তার দশ লক্ষ গুণ সম্মান বৃদ্ধি করেন।
হাসানঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ২২৩৫)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, হাদীসটি গারীব । এ হাদীস যুবাইর পরিবারের কোষাধ্যক্ষ ‘আমর ইবনু দীনার সালিম ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে একই রকম রিওয়ায়াত করেছেন ।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩৪২৯
حَدَّثَنَا بِذَلِكَ، أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، وَالْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، وَهُوَ قَهْرَمَانُ آلِ الزُّبَيْرِ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَنْ قَالَ فِي السُّوقِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ حَىٌّ لاَ يَمُوتُ بِيَدِهِ الْخَيْرُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ كَتَبَ اللَّهُ لَهُ أَلْفَ أَلْفِ حَسَنَةٍ وَمَحَا عَنْهُ أَلْفَ أَلْفِ سَيِّئَةٍ وَبَنَى لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى وَعَمْرُو بْنُ دِينَارٍ هَذَا هُوَ شَيْخٌ بَصْرِيٌّ وَقَدْ تَكَلَّمَ فِيهِ بَعْضُ أَصْحَابِ الْحَدِيثِ وَقَدْ رَوَى عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَحَادِيثَ لاَ يُتَابَعُ عَلَيْهَا وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ . وَرَوَاهُ يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ الطَّائِفِيُّ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ مُسْلِمٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ عُمَرَ رضى الله عنه .
সালিম ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার বাবা ও তার দাদা থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি বাজারে গিয়ে বলে, “আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত কোন মা‘বূদ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন অংশীদার নেই, তিনিই সমস্ত কিছুর ক্ষমতার অধিকারী, সকল প্রশংসা তাঁর তিনিই প্রাণ দান করেন এবং মৃত্যু দেন, তিনি চিরজীবি, তিনি কক্ষনো মৃত্যুবরণ করবেন না, তাঁর হাতেই কল্যাণ, সমস্ত কিছুর উপর তিনি সর্বশক্তিমান”, তার জন্য আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য দশ লক্ষ নেকী বরাদ্দ করেন, তার দশ লক্ষ গুনাহ মাফ করেন এবং তার জন্য জান্নাতে একখানা ঘর তৈরি করেন।
হাসানঃ দেখুন পূর্বের হাদীস।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৩৭
পীড়িত ব্যক্তি যে দু আ পাঠ করবে
৩৪৩০
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ جُحَادَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ عَبَّاسٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَغَرِّ أَبِي مُسْلِمٍ، قَالَ أَشْهَدُ عَلَى أَبِي سَعِيدٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُمَا شَهِدَا عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ . صَدَّقَهُ رَبُّهُ فَقَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنَا وَأَنَا أَكْبَرُ . وَإِذَا قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ . قَالَ يَقُولُ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنَا وَأَنَا وَحْدِي . وَإِذَا قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ . قَالَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنَا وَحْدِي لاَ شَرِيكَ لِي . وَإِذَا قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ . قَالَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنَا لِيَ الْمُلْكُ وَلِيَ الْحَمْدُ . وَإِذَا قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ . قَالَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنَا وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِي . وَكَانَ يَقُولُ مَنْ قَالَهَا فِي مَرَضِهِ ثُمَّ مَاتَ لَمْ تَطْعَمْهُ النَّارُ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
وَقَدْ رَوَاهُ شُعْبَةُ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَغَرِّ أَبِي مُسْلِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَأَبِي، سَعِيدٍ بِنَحْوِ هَذَا الْحَدِيثِ بِمَعْنَاهُ وَلَمَ يَرْفَعْهُ شُعْبَةُ . حَدَّثَنَا بِذَلِكَ، بُنْدَارٌ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، بِهَذَا .
আবূ সা‘ঈদ ও আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন লোক “লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার” বললে সে সময় তার প্রভু তার কথাটি সত্য বলে অনুমোদন দেন এবং বলেনঃ আমি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, আমিই মহান। আর যখন বান্দা বলে, “লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু” (আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত কোন মা‘বূদ নেই, তিনি এক), তখন বলেনঃ আমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই এবং আমি এক। যখন বান্দা বলে, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু” (আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া কোন মা‘বূদ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন অংশীদার নেই), তখন আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ আমি ব্যতীত কোন মা‘বূদ নেই, আমি এক, আমার কোন অংশীদার নেই। যখন বান্দা বলে, “লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু” (আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া কোন মা‘বূদ নেই, তাঁরই রাজত্ব, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর), তখন আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ আমি ব্যতীত কোন মা‘বূদ নেই, রাজত্ব আমারই এবং সকল প্রশংসা আমার জন্যই। যখন বান্দা বলে, “লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ” (আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া কোন মা‘বূদ নেই। আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত কোন অনিষ্ট বা উপকার করার ক্ষমতা কারো নেই), তক্ষনি আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ আমি ব্যতীত কোন মা‘বূদ নেই, আমি ছাড়া (আমার সহযোগিতা ব্যতীত) অকল্যাণ দূর করা ও মঙ্গল লাভ করার সামর্থ্য কারো নেই। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলতেনঃ যে লোক রোগাক্রান্ত অবস্থায় এই বাক্যগুলো পাঠ করল, তারপর মৃত্যুবরণ করল, জাহান্নামের আগুন তাকে ভক্ষণ করবে না।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৭৯৪)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৩৮
বিপদ্গ্রস্থ লোককে প্রত্যক্ষ করে যে দু‘আ পাঠ করবে
৩৪৩১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَزِيعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، مَوْلَى آلِ الزُّبَيْرِ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَنْ رَأَى صَاحِبَ بَلاَءٍ فَقَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي عَافَانِي مِمَّا ابْتَلاَكَ بِهِ وَفَضَّلَنِي عَلَى كَثِيرٍ مِمَّنْ خَلَقَ تَفْضِيلاً إِلاَّ عُوفِيَ مِنْ ذَلِكَ الْبَلاَءِ كَائِنًا مَا كَانَ مَا عَاشَ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ . وَعَمْرُو بْنُ دِينَارٍ قَهْرَمَانُ آلِ الزُّبَيْرِ هُوَ شَيْخٌ بَصْرِيٌ وَلَيْسَ هُوَ بِالْقَوِيِّ فِي الْحَدِيثِ . وَقَدْ تَفَرَّدَ بِأَحَادِيثَ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ . وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ أَنَّهُ قَالَ إِذَا رَأَى صَاحِبَ بَلاَءٍ فَتَعَوَّذَ مِنْهُ يَقُولُ ذَلِكَ فِي نَفْسِهِ وَلاَ يُسْمِعُ صَاحِبَ الْبَلاَءِ .
উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক কোন বিপদগ্রস্থ লোককে প্রত্যক্ষ করে বলে, “সকল প্রশংসা আল্লাহ তা আলার জন্য, তিনি যে বিপদে তোমাকে জড়িত করেছেন তা হতে আমাকে হিফাযাতে রেখেছেন এবং তাঁর অসংখ্য সৃষ্টির উপর আমাকে সম্মান দান করেছেন”, সে তার মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত উক্ত অনিষ্ট হতে হিফাযাতে থাকবে । তা যে কোন বিপদেই হোক না কেন ।
হাসানঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৮৯২)।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩৪৩২
حَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ السِّمْنَانِيُّ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا مُطَرِّفُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْمَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْعُمَرِيُّ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ رَأَى مُبْتَلًى فَقَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي عَافَانِي مِمَّا ابْتَلاَكَ بِهِ وَفَضَّلَنِي عَلَى كَثِيرٍ مِمَّنْ خَلَقَ تَفْضِيلاً لَمْ يُصِبْهُ ذَلِكَ الْبَلاَءُ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যে লোক কোন রোগাক্রান্ত বা বিপদগ্রস্ত লোককে প্রত্যক্ষ করে বলে, “সকল প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার, যিনি তোমাকে যে ব্যাধিতে আক্রান্ত করেছেন, তা হতে আমাকে নিরাপদ রেখেছেন এবং তার অসংখ্য সৃষ্টির উপর আমাকে সম্মান দান করেছেন”, সে উক্ত ব্যাধিতে কক্ষনো আক্রান্ত হবে না।
সহীহ: সহীহ হাদীস সিরিজ (হা: ২৭৩৭)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৩৯
মজলিস হতে উঠে যাওয়ার দু’আ
৩৪৩৩
حَدَّثَنَا أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ أَبِي السَّفَرِ الْكُوفِيُّ، – وَاسْمُهُ أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْهَمْدَانِيُّ حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ مَنْ جَلَسَ فِي مَجْلِسٍ فَكَثُرَ فِيهِ لَغَطُهُ فَقَالَ قَبْلَ أَنْ يَقُومَ مِنْ مَجْلِسِهِ ذَلِكَ سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ . إِلاَّ غُفِرَ لَهُ مَا كَانَ فِي مَجْلِسِهِ ذَلِكَ ” . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي بَرْزَةَ وَعَائِشَةَ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ سُهَيْلٍ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যে লোক মজলিসে বসে প্রয়োজন ছাড়া অনেক কথা-বার্তা বলেছে, সে উক্ত মাজলিস হতে উঠে যাওয়ার আগে যদি বলে: “হে আল্লাহ! তুমি পবিত্র এবং সমস্ত প্রশংসা তোমার জন্য। আমি সাক্ষ্য দেই যে, তুমি ব্যতীত আর কোন মা’বূদ নেই, তোমার কাছে আমি ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং তোমার দিকেই প্রত্যাবর্তন করি’ , তাহলে উক্ত মজলিসে তার যে অপরাধ হয়েছিলো তা ক্ষমা করে দেয়া হবে।
সহীহ: মিশকাত (হা: ২৪৩৩)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪৩৪
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُحَارِبِيُّ، عَنْ مَالِكِ بْنِ مِغْوَلٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سُوقَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانَ يُعَدُّ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْمَجْلِسِ الْوَاحِدِ مِائَةُ مَرَّةٍ مِنْ قَبْلِ أَنْ يَقُومَ “ رَبِّ اغْفِرْ لِي وَتُبْ عَلَىَّ إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الْغَفُورُ ” .
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سُوقَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, প্রতিটি মাজলিসে হিসাব করে দেখা গেছে যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উক্ত মাজলিস হতে উঠে যাওয়ার আগে এক শতবার বলতেন: “হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করে দাও এবং আমার তাওবা গ্রহণ কর। কারন তুমিই তাওবাহ কবুলকারী, ক্ষমাকারী”।
সহীহ: ইবনু মাজাহ (হা: ৩৮১৪)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৪০
বিপদকালে ‘আমাল করার দু’আ
৩৪৩৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَدْعُو عِنْدَ الْكَرْبِ “ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ الْعَلِيُّ الْحَلِيمُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ رَبُّ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَرَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِ ” .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিপদ কালে এই দু’আ পাঠ করতেন: ” আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত কোন মা’বূদ নেই, তিনি পরম সহিষ্ণু (মহান) ও মহাজ্ঞানী। আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, তিনি মহান আরশের প্রভু। আল্লাহ তা’আলা ছাড়া কোন মা’বূদ নেই, তিনি আকাশসমূহ ও পৃথিবীর প্রভু এবং মহা মর্যাদাবান আরশের প্রভু”।
সহীহ: ইবনু মাজাহ (হা:৩৮৮৩), বুখারী ও মুসলিম ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪৩৬
حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، يَحْيَى بْنُ الْمُغِيرَةِ الْمَخْزُومِيُّ الْمَدَنِيُّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ قَالُوا حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْفَضْلِ، عَنِ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَهَمَّهُ الأَمْرُ رَفَعَ رَأْسَهُ إِلَى السَّمَاءِ فَقَالَ ” سُبْحَانَ اللَّهِ الْعَظِيمِ ” . وَإِذَا اجْتَهَدَ فِي الدُّعَاءِ قَالَ ” يَا حَىُّ يَا قَيُّومُ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন ভয়াবহ বিপদে পড়লে আকাশে দিকে নিজ মাথা তুলতেনঃ “মহান আল্লাহ খুবই পবিত্র”। আর যখন তিনি আকুতি সহকারে দু’আ করতেন তখন বলতেনঃ “হে চিরঞ্জীব, হে চিরস্থায়ী”।
অত্যন্ত দুর্বল, আলকালিমুত তায়্যিব (১১৯/৭৭), আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব।
হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৪১
কোন জায়গায় যাত্রাবিরতি করলে যে দু’আ পাঠ করবে
৩৪৩৭
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ يَعْقُوبَ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَشَجِّ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ خَوْلَةَ بِنْتِ حَكِيمٍ السُّلَمِيَّةِ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَنْ نَزَلَ مَنْزِلاً ثُمَّ قَالَ أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ لَمْ يَضُرَّهُ شَيْءٌ حَتَّى يَرْتَحِلَ مِنْ مَنْزِلِهِ ذَلِكَ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ . وَرَوَى مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ هَذَا الْحَدِيثَ أَنَّهُ بَلَغَهُ عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَشَجِّ فَذَكَرَ نَحْوَ هَذَا الْحَدِيثِ . وَرُوِيَ عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَشَجِّ وَيَقُولُ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ خَوْلَةَ . قَالَ وَحَدِيثُ اللَّيْثِ أَصَحُّ مِنْ رِوَايَةِ ابْنِ عَجْلاَنَ .
খাওলা বিনতুল হাকীম আস-সুলামিয়াহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ কোন লোক যদি কোন জায়গায় অবতরন করে বলে, “ আমি আল্লাহ তা’আলার সম্পূর্ণ বাক্যর দ্বারা আশ্রয় প্রার্থনা করি তাঁর সকল সৃষ্টির ক্ষতি হতে” , সে উক্ত জায়গা ত্যাগ করা পর্যন্ত কোন কিছুই তার অনিষ্ট করতে পারবে না।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৫৪৭), মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৪২
সফরে যাওয়ার সময় যে দু’আ পাঠ করতে হয়
৩৪৩৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ بْنِ عَلِيٍّ الْمُقَدَّمِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بِشْرٍ الْخَثْعَمِيِّ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا سَافَرَ فَرَكِبَ رَاحِلَتَهُ قَالَ بِأُصْبُعِهِ وَمَدَّ شُعْبَةُ بِأُصْبُعِهِ قَالَ “ اللَّهُمَّ أَنْتَ الصَّاحِبُ فِي السَّفَرِ وَالْخَلِيفَةُ فِي الأَهْلِ اللَّهُمَّ اصْحَبْنَا بِنُصْحِكَ وَاقْلِبْنَا بِذِمَّةٍ . اللَّهُمَّ ازْوِ لَنَا الأَرْضَ وَهَوِّنْ عَلَيْنَا السَّفَرَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ وَكَآبَةِ الْمُنْقَلَبِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى كُنْتُ لاَ أَعْرِفُ هَذَا إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ أَبِي عَدِيٍّ حَتَّى حَدَّثَنِي بِهِ سُوَيْدٌ .
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ وَلاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ أَبِي عَدِيٍّ عَنْ شُعْبَةَ .
আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সফরে বের হতেন, সে সময় প্রথমে সওয়ারীতে আরোহণ করতেন, তারপর নিজের আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করতেন। অধঃস্তন বর্ণনাকারী শু’বাহ আঙ্গুল উঁচু করে ইশারা করে দেখিয়েছেন। তারপর রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলতেনঃ ” হে প্রভু! সফরে তুমি আমার সঙ্গী এবং আমার (অনুপস্হিতিতে) আমার পরিবার –পরিজনের (আমার) প্রতিনিধি। হে আল্লাহ ! মঙ্গল সহকারে তুমি আমাদের সঙ্গী হও এবং তোমার জামানতে আমাদেরকে ফিরাও। হে আল্লাহ! মাটিকে (সফরের দীর্ঘ পথ) আমাদের জন্য সংকুচিত করে দাও এবং সফর আমাদের জন্য সহজ কর। হে আল্লাহ ! তোমার নিকট আমি সফরের ক্লান্তি হতে এবং ফিরে আসার দুশ্চিন্তা ও ব্যর্থতা হতে আশ্রয় প্রার্থনা করি “।
সহীহঃ সহীহ আবু দাউদ (হাঃ ২৩৩৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪৩৯
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَرْجِسَ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا سَافَرَ يَقُولُ “ اللَّهُمَّ أَنْتَ الصَّاحِبُ فِي السَّفَرِ وَالْخَلِيفَةُ فِي الأَهْلِ اللَّهُمَّ اصْحَبْنَا فِي سَفَرِنَا وَاخْلُفْنَا فِي أَهْلِنَا اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ وَكَآبَةِ الْمُنْقَلَبِ وَمِنَ الْحَوْرِ بَعْدَ الْكَوْنِ وَمِنْ دَعْوَةِ الْمَظْلُومِ وَمِنْ سُوءِ الْمَنْظَرِ فِي الأَهْلِ وَالْمَالِ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . قَالَ وَيُرْوَى الْحَوْرِ بَعْدَ الْكَوْرِ أَيْضًا قَالَ وَمَعْنَى قَوْلِهِ الْحَوْرِ بَعْدَ الْكَوْنِ أَوِ الْكَوْرِ وَكِلاَهُمَا لَهُ وَجْهٌ يُقَالُ إِنَّمَا هُوَ الرُّجُوعُ مِنَ الإِيمَانِ إِلَى الْكُفْرِ أَوْ مِنَ الطَّاعَةِ إِلَى الْمَعْصِيَةِ إِنَّمَا يَعْنِي الرُّجُوعَ مِنْ شَيْءٍ إِلَى شَيْءٍ مِنَ الشَّرِّ .
‘আবদুল্লাহ ইবনুস সারজিস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
। তিনি বলেন, যখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সফরে রাওয়ানা হতেন , সে সময় বলতেনঃ “ হে আল্লাহ ! তুমি সফরে আমার সঙ্গী এবং আমার (অনুপস্হিতিতে) আমার পরিবার-পরিজনের তুমিই (আমার) স্হলাভিষিক্ত। হে আল্লাহ ! আমাদের সফরে তুমি আমাদের সাথী হও এবং আমাদের পরিবার –পরিজনের জন্য আমাদের প্রতিনিধি হও। হে আল্লাহ ! তোমার কাছে আমরা সফরের ক্লান্তি , ফিরে আসার ব্যর্থতা , প্রাচুর্যের পরে রিক্ততা , নির্যাতিতের অভিশাপ এবং পরিবার –পরিজন ও মাল-সম্পত্তির প্রতি কু- দৃষ্টি হতে তোমার নিকট আশ্রয় কামনা করি “।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৮৮৮) ,মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৪৩
সফর হতে ফিরে এসে যে দু’আ পাঠ করবে
৩৪৪০
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ الرَّبِيعَ بْنَ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا قَدِمَ مِنْ سَفَرٍ قَالَ “ آيِبُونَ تَائِبُونَ عَابِدُونَ لِرَبِّنَا حَامِدُونَ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَرَوَى الثَّوْرِيُّ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنِ الْبَرَاءِ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ الْبَرَاءِ وَرِوَايَةُ شُعْبَةَ أَصَحُّ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَأَنَسٍ وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ .
আল-বারাআ ইবনু ‘আযিয (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
সফর হতে প্রত্যাবর্তন করে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলতেনঃ “ আমরা (সফর হতে হিফাযাতে) ফিরে আসা ব্যক্তি , তাওবাহকারী ,’ ইবাদাতকারী , আমাদের প্রভুর প্রশংসাকারী।“
সহীহঃ সহীহ আবু দাউদ (হাঃ ২৩৩৯)।
আবু ‘ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ । এ হাদীস সুফিয়ান সাওরী আবু ইসহাক হতে , তিনি আল-বারাআ (রাঃ) হতে এই সনদে রিওয়ায়াত করেছেন কিন্তু আর-রাবী’ ইবনুল বারাআ এর উল্লেখ করেননি । শু’বাহর বর্ণনাটিই অনেক বেশি বিশুদ্ধ ।এ অনুচ্ছেদে ইবনু ‘উমর , আনাস ও জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪৪১
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا قَدِمَ مِنْ سَفَرٍ فَنَظَرَ إِلَى جُدُرَاتِ الْمَدِينَةِ أَوْضَعَ رَاحِلَتَهُ وَإِنْ كَانَ عَلَى دَابَّةٍ حَرَّكَهَا مِنْ حُبِّهَا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সফর হতে ফিরে এসে মাদীনার প্রাচীরের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করতেন এবং মাদীনার প্রতি মুহাব্বতের কারনে তাঁর উস্ট্রী দ্রুত হাঁকাতেন , আর অপর কোন পশু হলে তাও তাড়াতাড়ি চালাতেন।
সহীহঃ বুখারী ৮৭৪ নং হাদীসের সংক্ষেপিত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৪৪
কোন লোককে বিদায় দেয়ার সময় যে দু’আ পাঠ করতে হয়
৩৪৪২
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي عُبَيْدِ اللَّهِ السُّلَيْمِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو قُتَيْبَةَ، سَلْمُ بْنُ قُتَيْبَةَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ أُمَيَّةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا وَدَّعَ رَجُلاً أَخَذَ بِيَدِهِ فَلاَ يَدَعُهَا حَتَّى يَكُونَ الرَّجُلُ هُوَ يَدَعُ يَدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَيَقُولُ “ أَسْتَوْدِعُ اللَّهَ دِينَكَ وَأَمَانَتَكَ وَآخِرَ عَمَلِكَ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَرُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ .
ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন কোন লোককে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বিদায় দেয়ার সময় তাকে নিজের হাতে ধরতেন এবং যতক্ষন পর্যন্ত সে নিজের হাত নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হতে না ছাড়াতেন সে পর্যন্ত তিনিও তার হাত ছাড়তেন না। তিনি বলতেনঃ ‘তোমার দ্বীন , ঈমান ও সর্বশেষ ‘আমলের ব্যাপারে আমি আল্লাহ তা’আলাকে আমানতদার নিযুক্ত করলাম “।
সহীহঃ সহীহাহ ,(হাঃ ১৬,২৪৮৫) , আল-কালিমুত , তাইয়্যিব তাহক্বিক্ব সানী (হাঃ ১৬৯/১২২)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪৪৩
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُوسَى الْفَزَارِيُّ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ خُثَيْمٍ، عَنْ حَنْظَلَةَ، عَنْ سَالِمٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، كَانَ يَقُولُ لِلرَّجُلِ إِذَا أَرَادَ سَفَرًا ادْنُ مِنِّي أُوَدِّعْكَ كَمَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُوَدِّعُنَا . فَيَقُولُ “ أَسْتَوْدِعُ اللَّهَ دِينَكَ وَأَمَانَتَكَ وَخَوَاتِيمَ عَمَلِكَ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ .
সালিম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
কোন লোক সফরের উদ্দেশে রাওয়ানা হলে ইবনু ‘উমর (রাঃ) তাকে বলতেন , আমার কাছে আস। আমি তোমাকে বিদায় সম্ভাষণ জানাব। যেভাবে রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদেরকে বিদায় সম্ভাষণ জানাতেন। তিনি বলতেনঃ ‘তোমার দ্বীন , ঈমান ও সর্বশেষ ‘আমলের জন্য আমি আল্লাহ তা’আলাকে যিম্মাদার করলাম “।
সহীহঃ প্রাগুক্ত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৪৫
অনুরুপ প্রসঙ্গ
৩৪৪৪
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي زِيَادٍ، حَدَّثَنَا سَيَّارٌ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُرِيدُ سَفَرًا فَزَوِّدْنِي . قَالَ ” زَوَّدَكَ اللَّهُ التَّقْوَى ” . قَالَ زِدْنِي . قَالَ ” وَغَفَرَ ذَنْبَكَ ” . قَالَ زِدْنِي بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي . قَالَ ” وَيَسَّرَ لَكَ الْخَيْرَ حَيْثُمَا كُنْتَ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন , নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর কাছে এক লোক এসে বলল , হে আলাহর রাসুল ! আমি সফরে যাওয়ার ইচ্ছা করেছি। সুতরাং আপনি আমাকে পাথেয় দিন। তিনি বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা তোমাকে তাক্বওয়ার পাথেয় দান করুন। সে বলল, আরো বেশি দিন। তিনি বললেনঃ তোমার গুনাহ আল্লাহ তা’আলা ক্ষমা করুন। সে বলল , আমার মাতা পিতা আপনার প্রতি উৎসর্গ হোক ! আমাকে আরো বেশি দান করুন। তিনি বললেনঃ তিনি (আল্লাহ তা’আলা) তোমার জন্য মঙ্গলকে সহজতর করুন , তুমি যেখানেই থাক।
হাসান সহীহঃ আল-কালিমুত , তাইয়্যিব তাহক্বিক্ব সানী (হাঃ ১৭০)।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৪৬
(সফরকালে দু’আ চাওয়া)
৩৪৪৫
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْكِنْدِيُّ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله عنه أَنَّ رَجُلاً، قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُرِيدُ أَنْ أُسَافِرَ فَأَوْصِنِي . قَالَ ” عَلَيْكَ بِتَقْوَى اللَّهِ وَالتَّكْبِيرِ عَلَى كُلِّ شَرَفٍ ” . فَلَمَّا أَنْ وَلَّى الرَّجُلُ قَالَ ” اللَّهُمَّ اطْوِ لَهُ الأَرْضَ وَهَوِّنْ عَلَيْهِ السَّفَرَ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি বলল, হে আলাহর রাসুল ! আমি সফরে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছি, অতএব উপদেশ দিন। তিনি বললেনঃ অবশ্যই তুমি আল্লাহ তা’আলার ভয় (তাক্বওয়া) অবলম্বন করবে এবং প্রতিতি উচ্চ জায়গায় যাওয়ার সময় তাকবীর ধ্বনি দিবে। যখন লোকটি চলে যাচ্ছিল সে সময় রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ হে আল্লাহ ! তার পথের ব্যবধান কমিয়ে দাও এবং তার জন্য সফর সহজতর করে দাও “।
হাসানঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ২৭৭১)।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৪৭
যানবাহনে আরোহণের সময় দু’আ পাঠ করা
৩৪৪৬
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ رَبِيعَةَ، قَالَ شَهِدْتُ عَلِيًّا أُتِيَ بِدَابَّةٍ لِيَرْكَبَهَا فَلَمَّا وَضَعَ رِجْلَهُ فِي الرِّكَابِ قَالَ بِسْمِ اللَّهِ ثَلاَثًا فَلَمَّا اسْتَوَى عَلَى ظَهْرِهَا قَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ ثُمَّ قَالَ : ( سبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ * وَإِنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُونَ ) ثُمَّ قَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ ثَلاَثًا وَاللَّهُ أَكْبَرُ ثَلاَثًا سُبْحَانَكَ إِنِّي قَدْ ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ . ثُمَّ ضَحِكَ . فَقُلْتُ مِنْ أَىِّ شَيْءٍ ضَحِكْتَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَنَعَ كَمَا صَنَعْتُ ثُمَّ ضَحِكَ فَقُلْتُ مِنْ أَىِّ شَيْءٍ ضَحِكْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ” إِنَّ رَبَّكَ لَيَعْجَبُ مِنْ عَبْدِهِ إِذَا قَالَ رَبِّ اغْفِرْ لِي ذُنُوبِي إِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ غَيْرُكَ ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ رضى الله عنهما . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আলী ইবনু রাবীআহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আলী (রাঃ) এর কাছে আমি উপস্থিত থাকা অবস্থায় তার নিকট আরোহণের জন্য একটি জন্তু আনা হল। তিনি পা দানীতে তার পা রেখে বললেন, “ বিসমিল্লাহ্ “। তারপর তিনি তার পিঠের উপর ঠিকমত বসার পর বললেন ,” আলহামদু লিল্লাহ্ “। তারপর বললেন , “ পবিত্র ও মহান তিনি যিনি একে আমাদের নিয়ন্ত্রনাধীন করেছেন , তা না হলে আমরা একে বশীভূত করতে সক্ষম ছিলাম না। অবশ্যই আমরা আমাদের পালনকর্তার কাছে ফিরে যাব “ –(সূরা আয-যুখরুখ ১৩—১৪)। এরপর তিনি “ আলহামদু লিল্লাহ “তিনবার ও “ আল্লাহু আকবর “ তিনবার বললেন এবং আরো বললেনঃ তুমি অত্যন্তঃ পবিত্র সত্তা , আমার উপর আমি অত্যাচার করেছি। অতএব তুমি আমাকে মাফ কর , কেননা তুমি ব্যতীত আর কেউ গুনাহ মাফ করতে পারে না।“ তারপর তিনি হাসলেন। আমি প্রশ্ন করলাম , হে আমীরুল মু’মিনীন! আপনি কি কারনে হাসলেন? তিনি বললেন, রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে আমি তা-ই করতে দেখেছি যা আমি করলাম। তারপর তিনি হেসেছিলেন। আমি প্রশ্ন করেছিলাম , হে আল্লাহর রাসুল ! আপনি কি কারনে হাসলেন? তিনি বললেনঃ যখন বান্দা বলে , “হে আল্লাহ ! আমার অপরাধসমুহ ক্ষমা কর। কেননা তুমি ছাড়া অন্য কেউ অপরাধ ক্ষমা করতে পারে না” , সে সময় আল্লাহ তা’আলা তার এ কথায় খুশি হন।
সহীহঃ আল-কালিমুত তাইয়্যিব (১৭২/১২৬) , সহীহ আবু দাউদ (হাঃ ২৩৪২)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩৪৪৭
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْبَارِقِيِّ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا سَافَرَ فَرَكِبَ رَاحِلَتَهُ كَبَّرَ ثَلاَثًا وَيَقُولُ : ( سبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ * وَإِنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُونَ ) ثُمَّ يَقُولُ ” اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ فِي سَفَرِي هَذَا مِنَ الْبِرِّ وَالتَّقْوَى وَمِنَ الْعَمَلِ مَا تَرْضَى اللَّهُمَّ هَوِّنْ عَلَيْنَا الْمَسِيرَ وَاطْوِ عَنَّا بُعْدَ الأَرْضِ اللَّهُمَّ أَنْتَ الصَّاحِبُ فِي السَّفَرِ وَالْخَلِيفَةُ فِي الأَهْلِ اللَّهُمَّ اصْحَبْنَا فِي سَفَرِنَا وَاخْلُفْنَا فِي أَهْلِنَا ” . وَكَانَ يَقُولُ إِذَا رَجَعَ إِلَى أَهْلِهِ ” آيِبُونُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَائِبُونَ عَابِدُونَ لِرَبِّنَا حَامِدُونَ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন সফরে রাওয়ানা হতেন তখন বাহনে আরোহণ করে তিনবার তাকবীর বলতেন এবং আরো বলতেনঃ “অতি পবিত্র ও মহান তিনি যিনি একে আমাদের নিয়ন্ত্রণাধীন করেছেন, তা না হলে আমরা একে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম ছিলাম না। অবশ্যই আমরা আমাদের পালনকর্তার কাছে ফিরে যাব”— (সূরা যুখরুফ ১৩-১৪)। তারপর তিনি বলতেনঃ “হে আল্লাহ! আমার এ সফরে আমি তোমার নিকট পুণ্য ও তাকওয়া এবং তোমার পছন্দনীয় কাজ করার তাওফীক প্রার্থনা করি। হে আল্লাহ! আমাদের সফরটি আমাদের জন্য সহজসাধ্য করে দাও এবং আমাদের জন্য পথের ব্যবধান সংকুচিত করে দাও। হে আল্লাহ! সফরে তুমিই আমাদের সঙ্গী এবং আমাদের পরিবার-পরিজনের প্রতিনিধি। হে আল্লাহ! আমাদের এ সফরে তুমি আমাদের বন্ধু এবং আমাদের পরিজনের প্রতিনিধি হয়ে যাও।” তিনি সফর হতে পরিজনের কাছে প্রত্যাবর্তন করে বলতেনঃ “ইনশা আল্লাহ আমরা প্রত্যাবর্তনকারী এবং তাওবাহকারী ও আমাদের রবের ইবাদতকারী ও প্রশংসাকারী”।
সহীহঃ সহীহ আবু দাউদ (হাঃ ২৩৩৯), মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৪৮
মুসাফিরের দু’আ প্রসঙ্গে যা উল্লেখ আছে
৩৪৪৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا الْحَجَّاجُ الصَّوَّافُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ ثَلاَثُ دَعَوَاتٍ مُسْتَجَابَاتٌ دَعْوَةُ الْمَظْلُومِ وَدَعْوَةُ الْمُسَافِرِ وَدَعْوَةُ الْوَالِدِ عَلَى وَلَدِهِ ” .
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هِشَامٍ الدَّسْتَوَائِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ . وَزَادَ فِيهِ مُسْتَجَابَاتٌ لاَ شَكَّ فِيهِنَّ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ وَأَبُو جَعْفَرٍ الرَّازِيُّ هَذَا الَّذِي رَوَى عَنْهُ يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ يُقَالُ لَهُ أَبُو جَعْفَرٍ الْمُؤَذِّنُ وَقَدْ رَوَى عَنْهُ يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ غَيْرَ حَدِيثٍ وَلاَ نَعْرِفُ اسْمَهُ .
আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তিন লোকের দুআ কুবুল করা হয়। নির্যাতিতের দুআ, মুসাফিরের দুআ এবং সন্তানদের উপর পিতার অভিশাপ।
হাসানঃ সহীহাহ (হাঃ ৫৯৮, ১৭৯৭)।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৪৯
প্রচণ্ড বেগে বায়ু প্রবাহের কালে যে দু’আ পাঠ করবে
৩৪৪৯
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الأَسْوَدِ أَبُو عَمْرٍو الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَبِيعَةَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا رَأَى الرِّيحَ قَالَ “ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِهَا وَخَيْرِ مَا فِيهَا وَخَيْرِ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا فِيهَا وَشَرِّ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ رضى الله عنه وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রবল বেগে বায়ু প্রবাহিত হতে দেখলে বলতেনঃ “হে আল্লাহ! তোমার নিকট আমি এ বাতাসের মঙ্গল, এর মাঝে নিহিত মঙ্গল এবং যে মঙ্গলসহ এটা পাঠানো হয়েছে তা প্রার্থনা করি। আর এর ক্ষতিকর দিক, এর মাঝে নিহিত ক্ষতি এবং যে ক্ষতিসহ এটা পাঠানো হয়েছে তা হতে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করি”।
সহীহঃ সহীহ হাদীস সিরিজ (হাঃ ২৭৫৭), বুখারী ও মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
অনুচ্ছেদ-৫০
বজ্রধ্বনি শুনে যে দু’আ পাঠ করতে হবে
৩৪৫০
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، عَنِ الْحَجَّاجِ بْنِ أَرْطَاةَ، عَنْ أَبِي مَطَرٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا سَمِعَ صَوْتَ الرَّعْدِ وَالصَّوَاعِقِ قَالَ “ اللَّهُمَّ لاَ تَقْتُلْنَا بِغَضَبِكَ وَلاَ تُهْلِكْنَا بِعَذَابِكَ وَعَافِنَا قَبْلَ ذَلِكَ ” . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বজ্রধ্বনি ও মেঘের গর্জন শুনলে বলতেনঃ “হে আল্লাহ! তোমার গযব দিয়ে আমাদেরকে মেরে ফেলো না, তোমার শাস্তি দিয়ে আমাদেরকে নিশ্চিহ্ন করো না, বরং তার আগেই আমাদেরকে মাফ করে দাও”।
যঈফ, যঈফা (১০৪২), আল কালিমুত তায়্যিব (১৫৮/১১১), আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধু উপরোক্ত সূত্রেই এ হাদীস জেনেছি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস