বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম, আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আযীম এর অর্থ ও ফজিলত।
Table of Contents
Toggleসুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি
سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক প্রতিদিন একশ’বার (سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ) ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি’ অর্থাৎ ‘আল্লাহ পবিত্র ও সমস্ত প্রশংসা তাঁরই’ বলবে তার গুনাহগুলো ক্ষমা করে দেয়া হবে তা সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ হলেও।
সহীহ বুখারী: ৬৪০৫
سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক সকালে ও সন্ধ্যায় (سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ) ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি’ অর্থাৎ- ‘আল্লাহ পবিত্র ও সমস্ত প্রশংসা তাঁরই’ একশ’ বার পড়ে আখিরাতের দিবসে তার তুলনায় উত্তম আমল নিয়ে কেউ আসবে না। তবে সে ব্যক্তি ব্যতীত, যে লোক তার সমান ‘আমল করে অথবা তার তুলনায় বেশি আমল করে।
সহীহ মুসলিম: ৬৭৩৬
سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ
আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত: রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে প্রশ্ন করা হলো কোন্ কালাম সবচেয়ে উত্তম? তিনি বললেন, আল্লাহ তা‘আলা তাঁর ফেরেশ্তা কিংবা তাঁর বান্দাদের জন্য যে কালাম নির্বাচন করেছেন! আর তা হলো, (سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ) “সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি” অর্থাৎ- “আমি আল্লাহ তা’আলার প্রশংসা ও পবিত্রতা ঘোষণা করছি।
সহীহ মুসলিম: ৬৮১৮
সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত:
سُبْحَانَ اللَّهِ الْعَظِيمِ وَبِحَمْدِهِ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যে ব্যক্তি সকালে জেগে উঠে একশো বার বলে: (سُبْحَانَ اللَّهِ الْعَظِيمِ وَبِحَمْدِهِ) “সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি” অর্থাৎ “আমি আল্লাহ তা’আলার প্রশংসাসহ তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করছি” এবং সন্ধ্যায় উপনীত হয়েও অনুরূপ বলে, তাহলে সৃষ্টিকুলের কেউই তার মত মর্যাদা ও সওয়াব অর্জনে সক্ষম হবে না।
সুনানে আবু দাউদ: ৫০৯১
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত:
سُبْحَانَ اللَّهِ الْعَظِيمِ وَبِحَمْدِهِ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক বলে (سُبْحَانَ اللَّهِ الْعَظِيمِ وَبِحَمْدِهِ) “সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি” অর্থাৎ- “আমি আল্লাহ তা’আলার প্রশংসাসহ তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করছি” জান্নাতে তার জন্য একটি খেজুর গাছ লাগানো হয়।
জামে আত তিরমিজি: ৩৪৬৫
সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আযীম
سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيمِ
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দু’টি কলেমা যা জবানে অতি হাল্কা, মীযানে ভারী, আর রাহমানের নিকট খুব পছন্দনীয়; তা হচ্ছে (سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيمِ) ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আযীম’ অর্থাৎ- আমি আল্লাহ তা’আলার প্রশংসাসহ তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করছি, মহান আল্লাহ অতীব পবিত্র।
সহীহ বুখারী: ৬৬৮২
সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি আদাদা খালকিহি
سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ وَرِضَا نَفْسِهِ وَزِنَةَ عَرْشِهِ وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ
জুওয়াইরিয়াহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ভোরবেলা ফজরের সলাত আদায় করে তাঁর নিকট থেকে বের হলেন। ঐ সময় তিনি সলাতের স্থানে বসাছিলেন। এরপর তিনি চাশতের পরে ফিরে আসলেন। এমতাবস্থায়ও তিনি উপবিষ্ট ছিলেন। তিনি বললেন, আমি তোমাকে যে অবস্থায় ছেড়ে গিয়েছিলাম তুমি সে অবস্থায়ই আছ। তিনি বললেন, হ্যাঁ। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আমি তোমার নিকট হতে রওনার পর চারটি কালিমা তিনবার পড়েছি।
আজকে তুমি এ পর্যন্ত যা বলেছ তার সাথে ওযন করা হলে এ কালিমাহ্ চারটির ওযনই ভারী হবে। কালিমাগুলো এই- (سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ وَرِضَا نَفْسِهِ وَزِنَةَ عَرْشِهِ وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ) “সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি আদাদা খালকিহি ওয়া রিদা নাফসিহি ওয়া যিনাতা আরশিহি ওয়া মিদা-দা কালিমা তিহি” অর্থাৎ- “আমি আল্লাহর প্রশংসার সাথে তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করছি তাঁর মাখলুকের সংখ্যার পরিমাণ, তাঁর সন্তুষ্টির পরিমাণ, তাঁর আরশের ওযন পরিমাণ ও তাঁর কালিমাসমূহের সংখ্যার পরিমাণ।
সহীহ মুসলিম: ৬৮০৬