Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও ওয়া ফিল আখিরাতি

রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও ওয়া ফিল আখিরাতি Info

রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও ওয়া ফিল আখিরাতি বিবরণ

রাব্বানা-আতিনা-ফিদ্দুনিয়া-হাসানাতাও-ওয়া-ফিল-আখিরাতি

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম, আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও ওয়া ফিল আখিরাতি দোয়া।

রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও দোয়া

رَبَّنَاۤ اٰتِنَا فِی الدُّنۡیَا حَسَنَۃً وَّ فِی الۡاٰخِرَۃِ حَسَنَۃً وَّ قِنَا عَذَابَ النَّارِ

উচ্চারণ: রাব্বানা আতিনা ফিদ-দুনইয়া হাসানাতাও ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাও ওয়া ক্বিনা আজাবান-নার।

অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান করুন। আর পরকালেও কল্যাণ দান করুন। আর আমাদেরকে (জাহান্নামের) আগুনের আযাব থেকে রক্ষা করুন।

সুরা বাকারা : আয়াত ২০১

রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও দোয়ার ফজিলত

আবদুল্লাহ ইবনুস সায়িব (রাঃ) থেকে বর্ণিত:

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দুই রুকনের মাঝখানে বলতে শুনেছি : “হে আমাদের রব! আমাদেরকে দুনিয়ার কল্যাণ দিন, আখিরাতের কল্যাণ দিন এবং জাহান্নামের ‘আযাব হতে রক্ষা করুন” (সূরাহ আল-বাক্বারাহ : ২০১)।

আবু দাউদ ১৮৯২

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত:

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এই বলে দু‘আ করতেনঃ اللهُمَّ رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ “হে আমাদের প্রভু! এ দুনিয়াতেও আমাদের কল্যাণ দান কর এবং আখিরাতেও কল্যাণ দান কর এবং দোজখের ‘আযাব থেকে আমাদের রক্ষা কর”। (সহীহ বুখারী: ৪৫২২)।

ইমাম আহমাদ বলেন, ক্বাতাদাহ আনাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন দু‘আটি বেশী বেশী করতেন? তিনি (উত্তরে) বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘রাববানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া . . . . . . . . ওয়াক্বিনা ‘আযাবান নার’ এই দু‘আই বেশী বেশী করতেন।

ইমাম মুসলিম বলেন, আনাস (রাঃ) দু‘আ করার ইচ্ছা করলে তিনিও উক্ত দু‘আ করতেন। আনাস বিন মালিক (রাঃ)-এর অন্য বর্ণনায় দেখা যায় তাঁকে ‘সাবিত’ নামক জনৈক তাবিয়ী বলেন যে, আপনার ভাইয়েরা কামনা করছে, আপনি তাদের জন্য একটু দু‘আ করুন, তখন তিনি উপরোক্ত দু‘আই করেন।

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত:

তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মুসলিম রোগীকে ডাকলেন; যে স্বীয় রোগব্যাধির কারণে অত্যন্ত ভীত হয়ে পড়েছিল। আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, তুমি কি আল্লাহর কাছে দু‘আর মাধ্যমে কোন কিছু চাও? লোকটি বলল, হ্যাঁ চাই। আর তা এই যে, আমি আল্লাহ তা‘আলার নিকট দু‘আ করছি, তিনি যেন আমাকে আখিরাতে শাস্তি না দিয়ে তাড়াতাড়ি এই দুনিয়াতেই শাস্তি দেন। আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সুবহানাল্লাহ! ওহে! তোমার তা সহ্য করার ক্ষমতা নেই। কেন তুমি ‘রাব্বানা আতিনা . . . . . ওয়াক্বিনা ‘আযাবান্ নার’- এই দু‘আটি আল্লাহর নিকট করছ না? রাবী বলেন, অতঃপর এই দু‘আর ওয়াসীলায় আল্লাহ তা‘আলা উক্ত লোকটিকে রোগ-যন্ত্রণা হতে মুক্তি দেন ও সুস্থ করেন।

সুবহানাল্লাহ! আলোচ্য আয়াত ও উল্লেখিত হাদীসসমূহ দ্বারা নিশ্চিতভাবেই প্রমাণিত হচ্ছে নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়া আখিরাত উভয়টিকেই মানুষের জন্য অত্যাবশ্যকীয় বিধায় স্বীয় মুবারক দু‘আর মাধ্যমে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণের জন্য দু‘আ করতেন এবং আল্লাহ তা‘আলার বিধান ও মর্জি এ বিষয়ে এমন বলেই তিনি কুরআন মাজীদের দ্বারা তদীয় নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সমস্ত মু’মিনদেরকে দুনিয়ার কল্যাণ, আখিরাতের কল্যাণ ও জাহান্নাম হতে মুক্তির জন্য প্রার্থনা বাক্য শিক্ষা দিয়েছেন। যাতে একটা করতে গিয়ে আর একটা হালকা হয়ে না যায়।

সুতরাং এ বিষয়টির উপসংহার করতে গিয়ে ফারসী ভাষায় রচিত আল্লাহর ওয়ালীর কবিতাখানি এখানে যথার্থই প্রণিধানযোগ্য। কবি বলেনঃ نمردانست كه دينا دوست دارد ু اكر دارد برائ دوست دارد (سعدي رح) এ দুনিয়া আমার প্রকৃত বন্ধু নয়, তবে আমার পরম বন্ধু আল্লাহর কাজ করতে গিয়ে দুনিয়ার সাহায্য নিতে হয়। এজন্য যতটুকু একান্ত প্রয়োজন, হালাল-হারামের সীমার মধ্যে অবস্থান করে ঠিক ততটুকু দুনিয়াদারী করা দূষণীয় নয়। বরং আবশ্যক বটে।

Rate the Post

Rating Summary

0.0
0.0 out of 5 stars (based on 0 reviews)
Excellent0%
Very good0%
Average0%
Poor0%
Terrible0%

Latest Reviews

There are no reviews yet. Be the first one to write one.

Related posts

Scroll to Top