Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ অর্থ ও ফজিলত

লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ অর্থ ও ফজিলত Info

লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ অর্থ ও ফজিলত বিবরণ

লা-হাওলা-ওয়ালা-কুওয়াতা-ইল্লা-বিল্লাহ-অর্থ-ও-ফজিলত

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম, আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ অর্থ কি, পড়ার ফজিলত, কখন পড়তে হয় ইত্যাদি।

লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ অর্থ কি

لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ

উচ্চারণ: লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।

অর্থ: আল্লাহর সহযোগিতা ছাড়া কারো ভাল কর্ম করার এবং খারাপ কর্ম থেকে ফিরে আসার সামর্থ্য নেই।

লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ পড়ার ফজিলত

আবূ মূসা আল আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বলেছেনঃ আমি কি তোমাকে এমন একটি কালিমাহ্ সম্পর্কে জানিয়ে দিব না যা জান্নাতের গুপ্তধন? কিংবা তিনি বলেছেন, জান্নাতের গুপ্তধন সমুহের মধ্য হতে একটি গুপ্তধনের কথা কি বলব না? তখন আমি বললাম, হ্যাঁ। তারপর তিনি বললেন, “লা- হাওলা ওয়ালা- কূওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ” অর্থাৎ- (আল্লাহর সহযোগিতা ছাড়া কারো ভাল কর্ম করার এবং খারাপ কর্ম থেকে ফিরে আসার সামর্থ্য নেই)।

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

সহীহ বুখারী: ৪২০২, ৬৩৮৪, ৬৪০৯; সহীহ মুসলিম: ৬৭৬১

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন কোন ব্যক্তি তার ঘর থেকে বের হওয়ার সময় বলবেঃ “বিসমিল্লাহি তাওয়াক্‌কালতু ‘আলাল্লাহ, ওয়া লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ” তখন তাকে বলা হয়, তুমি হেদায়েত প্রাপ্ত হয়েছো, রক্ষা পেয়েছো ও নিরাপত্তা লাভ করেছো। সুতরাং শয়তানরা তার থেকে দূর হয়ে যায় এবং অন্য এক শয়তান বলে, তুমি ঐ ব্যক্তিকে কি করতে পারবে যাকে পথ দেখানো হয়েছে, নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে এবং রক্ষা করা হয়েছে!

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

সুনানে আবু দাউদ: ৫০৯৫

আবু সাঈদ ও আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন লোক “লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার” বললে সে সময় তার প্রভু তার কথাটি সত্য বলে অনুমোদন দেন এবং বলেনঃ আমি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, আমিই মহান। আর যখন বান্দা বলে, “লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু” (আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত কোন মা‘বূদ নেই, তিনি এক), তখন বলেনঃ আমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই এবং আমি এক। যখন বান্দা বলে, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু” (আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া কোন মা‘বূদ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন অংশীদার নেই), তখন আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ আমি ব্যতীত কোন মা‘বূদ নেই, আমি এক, আমার কোন অংশীদার নেই।

যখন বান্দা বলে, “লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু” (আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া কোন মা‘বূদ নেই, তাঁরই রাজত্ব, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর), তখন আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ আমি ব্যতীত কোন মা‘বূদ নেই, রাজত্ব আমারই এবং সকল প্রশংসা আমার জন্যই। যখন বান্দা বলে, “লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ” (আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া কোন মা‘বূদ নেই। আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত কোন অনিষ্ট বা উপকার করার ক্ষমতা কারো নেই), তক্ষনি আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ আমি ব্যতীত কোন মা‘বূদ নেই, আমি ছাড়া (আমার সহযোগিতা ব্যতীত) অকল্যাণ দূর করা ও মঙ্গল লাভ করার সামর্থ্য কারো নেই। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলতেনঃ যে লোক রোগাক্রান্ত অবস্থায় এই বাক্যগুলো পাঠ করল, তারপর মৃত্যুবরণ করল, জাহান্নামের আগুন তাকে ভক্ষণ করবে না।

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

জামে আত তিরমিজি: ৩৪৩০

আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত

তিনি বলেন, আমার বন্ধু (নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে সাতটি কাজ করতে আদেশ করেছেন। (ক) আমাকে দরিদ্রদের ভালবাসতে এবং তাদের সহাবস্থান করতে আদেশ করেছেন। (খ) আমার চেয়ে নিম্নস্তরের ব্যক্তিদের প্রতি তাকাতে আর আমার আমার চেয়ে উচ্চস্তরের ব্যক্তিদের প্রতি না তাকাতে আদেশ করেছেন। (গ) আমাকে আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখতে আদেশ করেছেন যদিও তা (আত্মীয়তা) শীতল হয়ে যায়। (অর্থাৎ, তারা তেমন গুরুত্ব না দেয়)। (ঘ) আমাকে আদেশ করেছেন যে, আমি যেন কারো কাছে কিছু না চাই। (ঙ) আমাকে সত্য বলতে আদেশ করেছন, যদিও তা তিক্ত হয়। (চ) এবং আমাকে আদেশ করেছেন, আমি যেন আল্লাহর পথে কোন ভর্ৎসনাকারীর ভর্ৎসনাকে পরওয়া না করি। (ছ) আমাকে আদেশ করেছেন যে, আমি যেন অধিক হারে বলি- (লা- হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ) কারণ, এ বাক্যগুলো আরশের খনি হতে নেয়া হয়েছে। অপর এক রিওয়ায়াতে এসেছে, কারণ এই বাক্যটি জান্নাতের খনিসমূহ হতে একটি খনি।

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

সিলসিলা সহীহাহ: ৫৩

উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মুওয়াযযিন যখন “আল্ল-হু আকবার, আল্ল-হু আকবার” বলে তখন তোমাদের কোন ব্যক্তি আন্তরিকতার সাথে তার জবাবে বলেঃ “আল্লহু আকবার, আল্ল-হু আকবার”। যখন মুওয়ায্‌যিন বলেঃ “আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ” এর জবাবে সেও বলেঃ “আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ”। অতঃপর মুওয়ায্‌যিন বলে: আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান রসূলুল্লা-হ” এর জবাবে সে বলেঃ “আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান রসূলুল্ল-হ্‌’। অতঃপর মুওয়ায্‌যিন বলেঃ “হাইয়্যা ‘আলাস সলা-হ্‌” এর জবাবে সে বলেঃ “লা-হাওলা ওয়ালা-কুও্‌ওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ”। অতঃপর মুওয়ায্‌যিন বলেঃ “হাইয়্যা ‘আলাল ফালা-হ্‌” এর জবাবে সে বলেঃ “লা-হাওলা ওয়ালা-কুও্‌ওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ”। অতঃপর মুওয়ায্‌যিন বলেঃ “আল্ল-হু আকবার, আল্ল-হু আকবার”এর জবাবে সে বলেঃ “আল্ল-হু আকবর, আল্ল-হু আকবার”। অতঃপর মুওয়াযযিন বলেঃ “লা-ইলা-হা ইল্লাল-হ” এর জবাবে সে বলেঃ “লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ”। আযানের এ জবাব দেয়ার কারণে সে জান্নাতে যাবে।

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

সহীহ মুসলিম: ৭৩৬

লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ কখন ও কতবার পড়তে হয়

উপরিউক্ত হাদিস সমূহ থেকে আমরা বুঝতে পারলাম, “লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ” কখন কখন পড়তে হয়। আবু যার রাঃ বর্ণিত হাদিস থেকে বুঝা যায় যে, যেকোন সময় এটি পড়া যায় এবং অধিক হারে অর্থাৎ বার বার এটি পড়তে বলা হয়েছে। তবে কোন হাদিসে সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি। আপনি যত খুশি পড়তে পারেন।

Rate the Post

Related posts

Scroll to Top