সূরা কাহাফ এর ফজিলত. সূরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত এর ফজিলত
সূরা কাহাফ এর ফজিলত, সূরা কাহাফের ফজিলত, সূরা কাহাফের প্রথম 10 আয়াত এর ফজিলত, সুরা কাহাফ এর ফজিলত, সুরা কাহফ এর ফজিলত
সূরা কাহাফ এর ফজিলত. সূরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত এর ফজিলত
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম, আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে সূরা কাহাফ এর ফজিলত এবং সূরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত এর ফজিলত।
সূরা কাহাফ এর ফজিলত
সূরা কাহাফ মুখস্থ করা সুন্নত। নবী (সা:) তাঁর নিজের সূরা কাহাফ মুখস্থ করাকে এভাবে স্মরণ করেছেন : আব্দুল্লাহ (রা:) থেকে বর্ণিত: “নবী (সা:) বলেন, সূরা বনী ইসরাঈল, কাহাফ, মারিয়াম, তা-হা এবং আম্বিয়া প্রথম সূরা গুলোর অন্যতম যা আমি মুখস্থ করেছিলাম এবং এগুলি আমার প্রথম সম্পদ।”
সহীহ বুখারী
আব্দুল্লাহ বিন মাসুদ (রা:) থেকে বর্ণিত: “নবী (সা:) বলেছেন, সূরা বনী ইসরাঈল, কাহাফ, মারিয়াম, তা-হা এবং আম্বিয়া আমার প্রথম উপার্জনের মধ্যে অন্যতম এবং আমার পুরাতন সম্পদ।”
সহীহ বুখারী
রাসুলুল্লাহ (সা:) জুমার দিন বিশ্বাসীদেরকে এই সূরাটি তেলাওয়াত করতে বলেছেন, কারণ এই সূরার নূর (আলো) ভুয়া-মাসীহ দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাঁচার রক্ষাকবচ।
আবু সাঈদ (রা:) থেকে বর্ণিত: “নবী (সা:) বলেছেন, যদি কোন ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করে তাহলে তার জন্য একটি আলো পরবর্তী জুমা পর্যন্ত উজ্জ্বল ভাবে কিরণ দেবে।”
তিরমিযী এবং বায়হাকীর কিতাব আল-দাওয়াহ আল-কাবীর
আবু সাঈদ খুদরী (রা:) থেকে বর্ণিত: “নবী (সা:) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুম্মার দিন সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করে, এর আলো তাকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত উদ্দীপ্ত রাখবে।”
নাসাঈ, বায়হাকি, হাকিম
ইবনে ওমর (রা:) হতে বর্ণিত: “নবী (সা:) বলেছেন: যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে সে একটা আলোর দ্বারা আশীর্বাদ প্রাপ্ত হবে যে আলো তার পদতল থেকে আকাশের চূড়া পর্যন্ত পৌঁছাবে। এটি তার জন্য শেষ বিচারের দিনের আলো হবে, এবং সে দুই জুম্মার মাঝখানে যা কিছু করেছে তার জন্য তাকে মাফ করে দেয়া হবে।”
সৈয়দ সাকিব: ফিকহ-আস-সুন্নাহ-য় বলা আছে যে এই হাদীসটি ইবনে মারদাবিয়া থেকে নির্ভরযোগ্য সূত্রে লিপিবদ্ধ হয়েছে।
সুতরাং সূরা কাহাফ শুধু মুখস্থ করাই সুন্নাত নয় বরং প্রতি জুমার দিন তেলাওয়াত করাও সুন্নত।
নবী (সা:) আরও বলেছেন যদি দাজ্জাল কোন ব্যক্তির মুখোমুখি হয়, তাহলে তার উচিত হবে দাজ্জালের উপর সূরার প্রথম দশটি আয়াতের তেলাওয়াত করা, তাহলে দাজ্জাল তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
আবু দারদা (রা:) হতে বর্ণিত: “রাসূল (সা:) বলেছেন: যদি কোন ব্যক্তি সূরা কাহাফের প্রথম দশটি আয়াত মুখস্ত করে তাহলে সে দাজ্জালের কাছ থেকে রক্ষা পাবে।”
সহীহ মুসলিম
তোমাদের মধ্যে যে দাজ্জালকে দেখতে পাবে তার উচিত হবে দাজ্জালের উপর সূরা কাহাফের প্রারম্ভিক আয়াতগুলি তেলাওয়াত করা।
সহীহ মুসলিম
আবু দারদা (রা:) থেকে বর্ণিত: “রাসূল (সা:) বলেছেন, যে ব্যক্তি সূরা কাহাফের প্রথম তিনটি আয়াত তেলাওয়াত করে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা পাবে।”
তিরমিযী
সূরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত
18:1 الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَنْزَلَ عَلَىٰ عَبْدِهِ الْكِتَابَ وَلَمْ يَجْعَلْ لَهُ عِوَجًا ۜ
সব প্রশংসা আল্লাহর যিনি নিজের বান্দার প্রতি এ গ্রন্থ নাযিল করেছেন এবং তাতে কোন বক্রতা রাখেননি।
18:2 قَيِّمًا لِيُنْذِرَ بَأْسًا شَدِيدًا مِنْ لَدُنْهُ وَيُبَشِّرَ الْمُؤْمِنِينَ الَّذِينَ يَعْمَلُونَ الصَّالِحَاتِ أَنَّ لَهُمْ أَجْرًا حَسَنًا
একে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন যা আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি ভীষণ বিপদের ভয় প্রদর্শন করে এবং মুমিনদেরকে যারা সৎকর্ম সম্পাদন করে-তাদেরকে সুসংবাদ দান করে যে, তাদের জন্যে উত্তম প্রতিদান রয়েছে।
18:3 مَاكِثِينَ فِيهِ أَبَدًا
তারা তাতে চিরকাল অবস্থান করবে।
18:4 وَيُنْذِرَ الَّذِينَ قَالُوا اتَّخَذَ اللَّهُ وَلَدًا
এবং তাদেরকে ভয় প্রদর্শন করার জন্যে যারা বলে যে, আল্লাহর সন্তান রয়েছে।
18:5 مَا لَهُمْ بِهِ مِنْ عِلْمٍ وَلَا لِآبَائِهِمْ ۚ كَبُرَتْ كَلِمَةً تَخْرُجُ مِنْ أَفْوَاهِهِمْ ۚ إِنْ يَقُولُونَ إِلَّا كَذِبًا
এ সম্পর্কে তাদের কোন জ্ঞান নেই এবং তাদের পিতৃপুরুষদেরও নেই। কত কঠিন তাদের মুখের কথা। তারা যা বলে তা তো সবই মিথ্যা।
18:6 فَلَعَلَّكَ بَاخِعٌ نَفْسَكَ عَلَىٰ آثَارِهِمْ إِنْ لَمْ يُؤْمِنُوا بِهَٰذَا الْحَدِيثِ أَسَفًا
যদি তারা এই বিষয়বস্তুর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন না করে, তবে তাদের পশ্চাতে সম্ভবতঃ আপনি পরিতাপ করতে করতে নিজের প্রাণ নিপাত করবেন।
18:7 إِنَّا جَعَلْنَا مَا عَلَى الْأَرْضِ زِينَةً لَهَا لِنَبْلُوَهُمْ أَيُّهُمْ أَحْسَنُ عَمَلًا
আমি পৃথিবীস্থ সব কিছুকে পৃথিবীর জন্যে শোভা করেছি, যাতে লোকদের পরীক্ষা করি যে, তাদের মধ্যে কে ভাল কাজ করে।
18:8 وَإِنَّا لَجَاعِلُونَ مَا عَلَيْهَا صَعِيدًا جُرُزًا
এবং তার উপর যাকিছু রয়েছে, অবশ্যই তা আমি উদ্ভিদশূন্য মাটিতে পরিণত করে দেব।
18:9 أَمْ حَسِبْتَ أَنَّ أَصْحَابَ الْكَهْفِ وَالرَّقِيمِ كَانُوا مِنْ آيَاتِنَا عَجَبًا
আপনি কি ধারণা করেন যে, গুহা ও গর্তের অধিবাসীরা আমার নিদর্শনাবলীর মধ্যে বিস্ময়কর ছিল ?
18:10 إِذْ أَوَى الْفِتْيَةُ إِلَى الْكَهْفِ فَقَالُوا رَبَّنَا آتِنَا مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً وَهَيِّئْ لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رَشَدًا
যখন যুবকরা পাহাড়ের গুহায় আশ্রয়গ্রহণ করে তখন দোআ করেঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদেরকে নিজের কাছ থেকে রহমত দান করুন এবং আমাদের জন্যে আমাদের কাজ সঠিকভাবে পূর্ণ করুন।
সূরা কাহাফ এর ফজিলত. সূরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত এর ফজিলত
সূরা কাহাফ এর ফজিলত, সূরা কাহাফের ফজিলত, সূরা কাহাফের প্রথম 10 আয়াত এর ফজিলত, সুরা কাহাফ এর ফজিলত, সূরা কাহাফ কখন পড়তে হয়, শুক্রবার সূরা কাহাফ পড়ার ফজিলত, শুক্রবারে সূরা কাহাফ পড়ার ফজিলত, সূরা কাহাফের শেষ ১০ আয়াতের ফজিলত, সুরা কাহাফের ফজিলত, কাহাফ সূরার ফজিলত, জুমার দিনে সূরা কাহাফ পড়ার ফজিলত, জুমার দিন সূরা কাহাফ পড়ার ফজিলত, সূরা কাহাফ ফজিলত, সূরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত এর ফজিলত, সূরা আল কাহাফ এর ফজিলত, সুরা কাহফ এর ফজিলত, সূরা কাহফ এর ফজিলত, সুরা কাহফের ফজিলত, সূরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত, সূরা কাহাফ প্রথম ১০ আয়াত
surah kahf first 10 ayat, surah kahf last 10 ayat, surah kahf first 10 ayat bangla, surah kahf 10 ayat bangla, surah kahf 1st 10 ayat
ফি আমানিল্লাহ অর্থ কি? Fi Amanillah meaning Bangla
ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নইলাহি রাজিউন অর্থ কি
শুক্রবার সূরা কাহাফ তিলাওয়াতে রয়েছে বিশেষ ফজিলত – Jugantor