রোজার ফজিলত সম্পর্কে হাদিস. Rojar fojilot Bangla

রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব, ৩০ রোজার ফজিলত, রোজার ফজিলত সম্পর্কে হাদিস, 30 রোজার ফজিলত, ৩০ টি রোজার ফজিলত, 30 টা রোজার ফজিলত, ৩০ টা রোজার ফজিলত, রোজা রাখার ফজিলত, 30 rojar fojilot bangla

রমজানের ৩০ টি রোজার ফজিলত সম্পর্কে হাদিস. Rojar fojilot Bangla রোজা রাখার ফজিলত

রোজার ফজিলত সম্পর্কে হাদিস. Rojar fojilot Bangla

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম; আজকে আলোচনা করতে চায় সিয়াম বা রোজা রাখার ফজিলত সম্পর্কে; সিয়াম পালনের অনেক ফজিলত কুরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে; তার থেকে কিছু বিষয় আলোচনা করছি। 

রোজার ফজিলত

এক. সিয়াম শুধু আল্লাহর জন্য

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নিজের সাথে সিয়ামের সম্পর্ক ঘোষণা করেছেন; এমনিভাবে তিনি সকল ইবাদত-বন্দেগী থেকে সিয়ামকে আলাদা মর্যাদা দিয়েছেন। যেমন তিনি এক হাদীসে কুদসীতে বলেন :

মানুষের প্রতিটি কাজ তার নিজের জন্য, কিন্তু সিয়াম তার ব্যতিক্রম, তা শুধু আমার জন্য, আমিই তার প্রতিদান দেব।

মুসলিম : ২৭৬০

এ হাদীস দ্বারা আমরা অনুধাবন করতে পারি নেক আমলের মাঝে সিয়াম পালনের গুরুত্ব আল্লাহর কাছে কত বেশি। তাই সাহাবী আবু হুরাইরা রা. যখন বলেছিলেন হে রাসূলুল্লাহ সঃ, আমাকে অতি উত্তম কোন নেক আমলের নির্দেশ দিন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন : তুমি সিয়াম পালন কর। কারণ এর সমমর্যাদার আর কোন আমল নেই।

নাসায়ী : ২৫৩৪

সিয়ামের এত মর্যাদার কারণ কী তা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ভাল জানেন। তবে, আমরা যা দেখি তা হল, সিয়াম এমন একটি আমল যাতে লােক দেখানাে ভাব থাকে না। বান্দা ও আল্লাহ তাআলার মধ্যকার একটি অতি গোপন বিষয়। সালাত হজ, যাকাত সহ অন্যান্য ইবাদত-বন্দেগী কে করল তা দেখা যায়। পরিত্যাগ করলেও বুঝা যায়। কিন্তু সিয়াম পালনে লােক দেখানাে বা শোনানোর ভাবনা থাকে না। ফলে সিয়ামের মাঝে ইখলাস, আন্তরিকতা বা আল্লাহর প্রতি একনিষ্ঠতা নির্ভেজাল ও বেশি থাকে। 

দুই. সিয়াম পালনকারী বিনা হিসাবে প্রতিদান লাভ করে থাকেন

অন্যান্য ইবাদত-বন্দেগী ও সৎ কর্মের প্রতিদান বিনা হিসাবে দেয়া হয় না। বরং প্রত্যেকটি নেক আমলের পরিবর্তে আমলকারীকে দশ গুণ থেকে সাতশত গুণ পর্যন্ত প্রতিদান দেয়া হয়। 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, 

মানব সন্তানের প্রতিটি নেক আমলের প্রতিদান দশ থেকে সাত শত গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন—কিন্তু সিয়ামের বিষয়টা ভিন্ন। কেননা সিয়াম শুধু আমার জন্য আমিই তার প্রতিদান দেব।

মুসলিম : ১৫৫১

সারা জাহানের সর্বশক্তিমান প্রতিপালক আল্লাহ নিজেই যখন এর পুরস্কার দেবেন তখন কি পরিমাণে দেবেন? ইমাম আওযায়ী রহ. এ হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, আল্লাহ যে সিয়াম পালনকারীকে প্রতিদান দেবেন তা মাপা হবে না, ওজন করা হবে না। 

তিন. সিয়াম হলো ঢাল ও কুপ্রবৃত্তি থেকে সুরক্ষক

সিয়াম পালনের মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কু-প্রবৃত্তি থেকে বেঁচে থাকার দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন :

হে যুবকেরা ! তোমাদের মাঝে যে সামর্থ্য রাখে সে যেন বিবাহ করে। কেননা বিবাহ দৃষ্টিকে অবনত করে ও লজ্জাস্থানের সুরক্ষা দেয়। আর যে বিবাহের সামর্থ্য রাখে না সে যেন সিয়াম পালন করে। কারণ এটা তার রক্ষা কবচ।

মুসলিম : ১৪০০

এমনিভাবে সিয়াম সকল অশ্লীলতা ও অনর্থক কথা ও কাজ থেকে বিরত রাখে। 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন :

সিয়াম হল ঢাল। সুতরাং তোমাদের মাঝে যে সিয়াম পালন করবে সে যেন অশ্লীল আচরণ ও শোরগোল থেকে বিরত থাকে। যদি তার সাথে কেউ ঝগড়া বিবাদ কিংবা মারামারিতে লিপ্ত হতে চায় তবে তাকে বলে দেবে আমি সিয়াম পালনকারী।

মুসলিম : ১৫৫১

সিয়াম পালনকারী যেমনি নিজের অন্তরকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে তেমনি সকল অশ্লীল আচরণ, ঝগড়া-বিবাদ, অনর্থক কথা ও কাজ থেকে নিজের সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে হেফাজত করে। 

চার. সিয়াম জাহান্নাম থেকে বাঁচার ঢাল

যেমন হাদীসে এসেছে

সিয়াম হল ঢাল ও জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার মজবুত দুর্গ।

আহমদ : ৯২১৪

বুখারী ও মুসলিমের হাদীসে এসেছে

যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে একদিন সিয়াম পালন করবে আল্লাহ তার থেকে জাহান্নামকে এক খরিফ (সত্তর বছরের) দুরত্বে সরিয়ে দেবেন। 

মুসলিম : ২৭৬৯

উলামায়ে কেরাম বলেছেন, আল্লাহর পথে সিয়াম পালনের অর্থ হল: শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সিয়াম পালন করা। এমনিভাবে আল্লাহ তাআলা বহু সিয়াম পালনকারীকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন। 

যেমন হাদীসে এসেছে,

ইফতারের সময় আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বহু লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন। আর এটা রমজানের প্রতি রাতে। 

বাইহাকী : ৩৬০৫

পাঁচ. সিয়াম হল জান্নাত লাভের পথ

আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -কে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল, আমাকে এমন একটি কাজের নির্দেশ দিন যার দ্বারা আমি লাভবান হতে পারি। তিনি বললেন : তুমি সিয়াম পালন কর। কেননা, এর সমকক্ষ আর কোন কাজ নেই। 

নাসায়ী : ২২২০

আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের জন্য সিয়ামের সাথে কোন আমলের তুলনা হয় না। সিয়াম পালনকারীদের উপর আল্লাহর অনুগ্রহের আরেকটি দৃষ্টান্ত হল তিনি সিয়াম পালনকারীদের জন্য জান্নাতে একটি দরজা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। যে দরজা দিয়ে সিয়াম পালনকারীরা ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করবে না। 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন :

জান্নাতে একটি দরজা রয়েছে। যার নাম রাইয়ান। কেয়ামতের দিন সিয়াম পালনকারীরাই শুধু সে দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে। তাদের ছাড়া অন্য কেউ সে দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। সেদিন ঘোষণা করা হবে, সিয়াম পালনকারীরা কোথায়? তখন তারা দাঁড়িয়ে যাবে সে দরজা দিয়ে প্রবেশ করার জন্য। যখন তারা প্রবেশ করবে, দরজা বন্ধ করে দেয়া হবে। ফলে তারা ব্যতীত অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।

বুখারী : ১৭৯৭, মুসলিম : ১১৫২

ছয়. সিয়াম পালনকারীর মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়েও উত্তম

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:

যার হাতে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর জীবন, সে সত্তার শপথ, সিয়াম পালনকারীর মুখের গন্ধ আল্লাহ তাআলার কাছে মেশকের ঘ্রাণ হতেও প্রিয়।

বুখারি :১৭৯০, মুসলিম : ১১৫১

মুখের গন্ধ বলতে পেট খালি থাকার কারণে যে গন্ধ আসে সেটাকে বুঝায়। দাঁত অপরিষ্কার থাকার কারণে যে গন্ধ সেটা নয়। 

সাত. সিয়াম ইহকাল ও পরকালের সাফল্যের মাধ্যম

যেমন হাদীসে এসেছে,

সিয়াম পালনকারীর জন্য দুটি আনন্দ : একটি হল ইফতারের সময় অন্যটি তার প্রতিপালকের সাথে সাক্ষাতের সময়।

বুখারি : ১৭৯০, মুসলিম : ১১৫১

ইফতারের সময় আনন্দ হল এ কারণে যে, সিয়াম পূর্ণ করতে পারল ও খাবার দাবারের অনুমতি পাওয়া গেল। এটা বাস্তব সম্মত আনন্দের বিষয়, যা আমাদের সকলের বুঝে আসে ও অনুভব করি। অপর দিকে আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের যে আনন্দ, তা অনুভব করতে আমরা এখন না পারলেও কেয়ামতের দিন পারা যাবে। যখন সকল মানুষ প্রকৃতপক্ষে আল্লাহমুখী থাকবে। 

আট. সিয়াম কেয়ামতের দিন সুপারিশ করবে

আব্দুল্লাহ বিন আমর রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : 

সিয়াম ও কুরআন কেয়ামতের দিন মানুষের জন্য এভাবে সুপারিশ করবে যে, সিয়াম বলবে হে প্রতিপালক! আমি দিনের বেলা তাকে পানাহার ও যৌনতা থেকে বিরত রেখেছি। তাই তার ব্যাপারে তুমি আমার সুপারিশ কবুল কর। কুরআন বলবে হে প্রতিপালক! আমি তাকে রাতে নিদ্রা থেকে বিরত রেখেছি, তাই তার ব্যাপারে তুমি আমার সুপারিশ কবুল কর। তিনি বলেন, অতঃপর উভয়ের সুপারিশই কবুল করা হবে।

আহমদ : ৬৬২৬

নয়. সিয়াম হল গুনাহ মাফের কারণ ও গুনাহের কাফফারা

সিয়াম হল অনেকগুলো নেক আমলের সমষ্টি। আর নেক আমল পাপকে মুছে দেয়। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন :

সৎকর্ম অবশ্যই পাপসমূহ মিটিয়ে দেয়।

সূরা হুদ : ১১৪

বহু হাদীস রয়েছে যা প্রমাণ করে যে, নেক আমলকে বিভিন্ন ছােট খাট পাপের কাফফারা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। অর্থাৎ নেক আমলের কারণে গুনাহ গুলো আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। যেমন হাদীসে এসেছে

মানুষ যখন পরিবার-পরিজন, প্রতিবেশী ও ধন-সম্পদের কারণে গুনাহ করে ফেলে, তখন সালাত, সিয়াম, সদকা সে গুনাহ গুলােকে মিটিয়ে দেয়।

বুখারী : ১৭৯৫, মুসলিম : ৭৪৫০

আর রমজানে তাে গুনাহ মাফ ও মিটিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে আরো বেশি সুযোগ রয়েছে। হাদীসে এসেছে,

যে রমজান মাসে ঈমান ও এহতেসাবের সাথে সিয়াম পালন করবে, তার অতীতের গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।

বুখারী : ২০১৪, মুসলিম : ১৮১৭

ইহতিসাবের অর্থ হল: আল্লাহর পক্ষ থেকে পুরস্কার পাওয়া যাবে এ দৃঢ় বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সাথে সন্তুষ্ট চিত্তে সিয়াম ও কিয়াম আদায় করা। হাদীসে আরো এসেছে,

পাঁচ ওয়াক্ত সালাত, এক জুমা থেকে অপর জুমা এবং এক রমজান থেকে অপর রমজান হল মধ্যবর্তী সময়ের পাপের কাফফারা, যদি কবিরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা যায়।

মুসলিম : ৫৭৪

সিয়াম ছােট পাপগুলোকে মিটিয়ে দেয় আর তাওবা করলে কবীরা গুনাহ মাফ করা হয়। 

আল্লাহ তাআলা বলেন :

তােমাদেরকে যা নিষেধ করা হয়েছে তার মাঝে যা গুরুতর তা হতে বিরত থাকলে তোমাদের লঘুতর পাপগুলো ক্ষমা করে দেব। এবং তােমাদেরকে সম্মানজনক স্থানে প্রবেশ করাব।

সূরা নিসা: ৩১

এ আয়াত ও হাদীস দুটো দ্বারা প্রমাণিত হল, আল্লাহর পক্ষ থেকে যে ক্ষমার ওয়াদা করা হয়েছে তা তিনটি শর্ত সাপেক্ষে। 

প্রথম: রমজানের সিয়াম পালন করতে হবে ঈমানের সাথে; অর্থাৎ আল্লাহর প্রতি ও তার রাসূলের প্রতি ঈমান এবং সিয়াম যে একটি ফরজ ইবাদত এর প্রতি বিশ্বাস; সিয়াম পালনকারীকে আল্লাহ যে সকল পুরস্কার দেবেন তার প্রতি বিশ্বাস রাখা। 

দ্বিতীয়: সিয়াম পালন করতে হবে ইহতিসাবের সাথে । ইহতিসাব অর্থ: আল্লাহর পক্ষ থেকে সওয়াব ও পুরস্কারের আশা করা, তাকে সন্তুষ্ট করতেই সিয়াম পালন করা, আর সিয়ামকে বোঝা মনে না করা। 

তৃতীয় : কবিরা গুনাহ থেকে দূরে থাকতে হবে। কবিরা গুনাহ ঐ সকল পাপ কে বলা হয় যেগুলাের ব্যাপারে ইহকালীন শাস্তির বিধান দেয়া হয়েছে, পরকালে শাস্তির ঘােষণা রয়েছে, অথবা আল্লাহর তার রাসূলের পক্ষ থেকে লানত (অভিসম্পাত) বা ক্রোধের ঘোষণা রয়েছে। যেমন, শিরক করা, সুদ খাওয়া, এতিমের সম্পদ আত্মসাৎ করা, ব্যভিচার করা, জাদু-টোনা, অন্যায় হত্যা, মাতা-পিতার সাথে দুর্ব্যবহার, আত্মীয়তার সম্পর্কচ্ছেদ, মিথ্যা সাক্ষ্য, মিথ্যা মামলা, মাদক সেবন, ধোকাবাজি, মিথ্যা শপথ, অপবাদ দেয়া, গীবত বা পরের দোষ চর্চা, চোগলখােরি, সত্য। গোপন করা ইত্যাদি।

কোন ধরনের সিয়াম এ সকল ফযীলত অর্জন করতে পারে

যে সকল ফযীলত ও সওয়াবের কথা এতক্ষণ আলােচনা করা হল তা শুধু ঐ ব্যক্তি লাভ করবে যে এই শর্তাবলি পালন করে সিয়াম আদায় করবে। 

(১) সিয়াম একমাত্র আল্লাহর জন্য আদায় করতে হবে; মানুষকে দেখানো বা শােনানাে অথবা মানুষের প্রশংসা অর্জন কিংবা স্বাস্থ্যের উন্নতির নিয়তে সিয়াম আদায় করবে না। 

(২) সিয়াম আদায়ের ক্ষেত্রে আল্লাহর রাসূল সঃ এর সুন্নতের অনুসরণ করতে হবে; সাহরী, ইফতার, তারাবি সহ সকল বিষয় রাসূলের সুন্নত অনুযায়ী আদায় করতে হবে। 

(৩) শুধু খাওয়া-দাওয়া ও যৌনাচার থেকে বিরত থাকলে যথেষ্ট হবে না; মিথ্যা, পরনিন্দা, অশ্লীলতা, ধোঁকাবাজি, ঝগড়া-বিবাদ সহ সকল প্রকার অবৈধ কাজ হতে বিরত থাকতে হবে; মুখ যেমন খাবার থেকে বিরত থাকে, তেমনি ভাবে চোখ বিরত থাকবে অন্যায় দৃষ্টি থেকে, কান বিরত থাকবে অনর্থক কথা ও গান-বাজনা শোনা থেকে, পা বিরত থাকব অন্যায়-অসৎ পথে চলা থেকে; সিয়াম পালনের মহান উদ্দেশ্য এটাই যে, সিয়াম পালনকারী শরীয়তের দৃষ্টিতে সকল প্রকার অন্যায় ও গহীহঁত আচার-আচরণ থেকে নিজেকে হেফাজত করবে; অতএব সিয়াম হল, সকল ভাল বিষয় অর্জন ও অন্যায়-গহীহত কাজ ও কথা বর্জন অনুশীলনের একটি শিক্ষালয়। 

রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন :

যে মিথ্যা কথা ও কাজ এবং মূর্খতা পরিত্যাগ করতে পারল না, তার পানাহার বর্জনে আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই।

বুখারী ৬০৫৭

রাসুল সঃ আরো বলেছেন:

অনেক সিয়াম পালনকারী আছে, যার সিয়াম থেকে প্রাপ্তি শুধু অভুক্ত ও পিপাসার্ত থাকা; আবার অনেক সালাত আদায়কারী আছে, যার সালাত থেকে প্রাপ্তি শুধু রাত জাগা।

আহমদ: ৯০৯১

রোজার ফজিলত সম্পর্কে হাদিস. Rojar fojilot Bangla

রোজার ফজিলত সম্পর্কে হাদিস, রোজার ফজিলত, রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব, ৩০ রোজার ফজিলত, রোজার ফজিলত সম্পর্কে হাদিস, 30 রোজার ফজিলত, ৩০ টি রোজার ফজিলত, 30 টা রোজার ফজিলত, ৩০ টা রোজার ফজিলত, 30 টি রোজার ফজিলত, রোজার ফজিলত হাদীস, রোজার ফজিলত সম্পর্কে হাদীস, রমজানের রোজার ফজিলত, ৩০টি রোজার ফজিলত, রমজানের ৩০ রোজার ফজিলত, ৩০ রোজার ফজিলত দলিল সহ, রমজানের ৩০ রোজার ফজিলত দলিল সহ, রমজানের রোজার ফজিলত হাদীস, রোজার ফজিলত কি, রোজা রাখার ফজিলত, রমজানের রোজা রাখার ফজিলত, রমজানে রোজা রাখার ফজিলত, রমজান মাসে রোজা রাখার ফজিলত, রোযার ফজিলত, ৩০ রোযার ফজিলত, সিয়ামের ফজিলত

rojar fojilot bangla, rojar fojilot, 30 rojar fojilot bangla, 30 rojar fojilot, 30 ta rojar fojilot, roja rakhar fojilot, rozar fojilot, rujar fojilot

রোজা ভঙ্গের কারণ. রোজা ভাঙার কারণ সমূহ. Roja vonger karon

রোজার নিয়ত কিভাবে করতে হয়? রোজা রাখার নিয়ত. Rojar niyat

রোজার ফরজ কয়টি ও কি কি? রোজা রাখার নিয়ম কানুন

নফল রোজার ফজিলত ও বিধান – প্রথম আলো

সিয়াম বা রোজার ফজিলত ও হিকমত – al-feqh

রোজার ফজিলত ও তাৎপর্য – banglanews24.com

রোজার যেসব উচ্চ মর্যাদা ও ফজিলত ঘোষণা করেছেন বিশ্বনবি