বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম, আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে যাকাত শব্দের অর্থ কি এবং যাকাত কাকে বলে।
Table of Contents
Toggleযাকাত শব্দের অর্থ কি
আরবী যাকাত (الزكاة) শব্দের আভিধানিক অর্থ পবিত্রতা, বৃদ্ধি, পরিশুদ্ধি।
যাকাত কাকে বলে
নির্দিষ্ট সম্পদের ভেতর শরীআত কর্তৃক নির্ধারিত পরিমাণকে যাকাত বলা হয়, যা বিশেষ শ্রেণি ও নির্দিষ্ট খাতে ব্যয় করতে হয়।
মূলত সম্পদশালী তার সম্পদের যাকাত প্রদানের কারণে তার অন্তর কৃপণতার কলুষ হতে পবিত্র ও পরিশুদ্ধ হয় এবং সম্পদ বৃদ্ধি পায় এ জন্যই যাকাতকে যাকাত বলা হয় ।
আল্লাহ তাআলা বলেন:
পক্ষান্তরে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় যারা জাকাত আদায় করে থাকে, তারাই দ্বিগুণ লাভ করে। [সূরা আর রূম: ৩৯]
যাকাতের বিধান
যাকাত ইসলামের ফরজ সমূহের একটি বড় ফরজ এবং ৫টি ভিত্তির একটি ভিত্তি। গুরুত্বের দিক থেকে কালেমা এবং সালাতের পরই ইসলামে যাকাতের স্থান। আল্লাহ তাআলা কুরআন কারীমে সালাতের সাথে জাকাতকে বহুবার উল্লেখ করেছেন। কুরআন, হাদীস ও ইজমা’ দ্বারা জাকাত ফরজ সাব্যস্ত হয়েছে।
সুতরাং, যে ব্যক্তি যাকাত ফরজ হওয়াকে অস্বীকার করবে, সে কাফের এবং ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে মুরতাদ হয়ে যাবে। তাকে তওবা করার জন্য বলা হবে, যদি তওবা করে পুনরায় ইসলামে ফিরে আসে তবে ভাল, নচেৎ তাকে ইসলাম ত্যাগের কারণে হত্যা করা হবে। কিন্তু যদি সে নও মুসলিম হয় অথবা একেবারে গ্রামে লালিত-পালিত হয়, যেখানে ইসলামের বিধি বিধান জানার কোন ব্যবস্থা নেই, তাহলে ইসলামের বিষয়ে অজ্ঞতার কারণে তাকে হত্যা না করে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। আর যে ব্যক্তি জাকাত আদায় করতে চাইবে না’ তার নিকট হতে জোরপূর্বক আদায় করা হবে। যেমনভাবে আবু বকর [রা] যাকাত আদায়ে যারা অসম্মতি জানিয়েছিল তাদের থেকে আদায় করেছিলেন। যে ব্যক্তি জাকাত আদায়ে কৃপণতা করবে অথবা পরিমাণে কম আদায় করবে, সে জালেমদের অন্তর্ভুক্ত এবং আল্লাহ তাআলার শাস্তিযোগ্য।