Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

তারাবির নামাজের ফজিলত ও তারাবির নামাজের গুরুত্ব

তারাবির নামাজের ফজিলত ও তারাবির নামাজের গুরুত্ব Info

Join us on Telegram

তারাবির নামাজের ফজিলত ও তারাবির নামাজের গুরুত্ব Description

তারাবির নামাজের ফজিলত ও তারাবির নামাজের গুরুত্ব

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম – আজকে আলোচনা করব তারাবির নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে; তারাবির ফজিলত ও গুরুত্ব সম্পর্কে কুরআনে অনেকগুলি আয়াত রয়েছে এবং কিছু হাদিস বর্ণিত হয়েছে।

তারাবির নামাজের গুরুত্ব

মহান আল্লাহ বলেন,

আর রাতের কিছু অংশ কুরআন পাঠ সহ জাগ্রত থাকুন এটা আপনার জন্য অতিরিক্ত; আশা করা যায় আপনার রব আপনাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন প্রশংশিত স্থানে।

সূরা বনী ইসরাইল আয়াত নং ৭৯

উক্ত আয়াতে আল্লাহ তায়ালা রাতের কিছু অংশে সালাত আদায় করা রাসুল সঃ এর জন্য নফল ঘোষণা করেছেন; আর তাই রাসুল সঃ রমযানে ও রমযানের বাইরে অর্থাৎ সারা বছর রাতে নফল সালাত আদায় করতেন; রমযানের রাতের সালাতকে তারাবীহ ও রমযানের বাইরে রাতের সালাতকে তাহাজ্জুদ নামে নামকরণ করা হয়েছে।

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গভীর রাতে বের হয়ে মসজিদে সালাত আদায় করেন, কিছু সংখ্যক পুরুষ তাঁর পিছনে সালাত আদায় করেন। সকালে লোকেরা এ সম্পর্কে আলোচনা করেন, ফলে লোকেরা অধিক সংখ্যায় সমবেত হন। তিনি সালাত আদায় করেন এবং লোকেরা তাঁর সঙ্গে সালাত আদায় করেন। সকালে তাঁরা এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করেন। তৃতীয় রাতে মসজিদে মুসল্লীর সংখ্যা আরো বেড়ে যায়।

এরপর আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বের হয়ে সালাত আদায় করেন ও লোকেরা তাঁর সঙ্গে সালাত আদায় করেন। চতুর্থ রাতে মসজিদে মুসল্লীর সংকুলান হল না, কিন্তু তিনি রাতে আর বের না হয়ে ফজরের সালাতে বেরিয়ে আসলেন এবং সালাত শেষে লোকদের দিকে ফিরে প্রথমে তাওহীদ ও রিসালতের সাক্ষ্য দেয়ার পর বললেনঃ শোন! তোমাদের (গতরাতের) অবস্থান আমার অজানা ছিল না, কিন্তু আমি এই সালাত তোমাদের উপর ফরয হয়ে যাবার আশংকা করছি (বিধায় বের হই নাই) কেননা তোমরা তা আদায় করায় অপারগ হয়ে পড়তে। আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর ওফাত হলো আর ব্যাপারটি এভাবেই থেকে যায়।

সহীহ বুখারী হাদিস নং ২০১২

তারাবির নামাজের ফজিলত

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি রমযানে ঈমানের সাথে সওয়াব লাভের আশায় তারাবীর সালাতে দাঁড়াবে তার পূর্ববর্তী গোনাহসমূহ মাফ করে দেয়া হবে। হাদীসের রাবী ইব্নু শিহাব (রহঃ) বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইনতিকাল করেন এবং তারাবীর ব্যাপারটি এভাবেই চালু ছিল। এমনকি আবু বকর (রাঃ)- এর খিলাফতকালে ও উমর (রাঃ)- এর খিলাফতের প্রথমভাগে এরূপই ছিল।

সহিহ বুখারী হাদিস নং ২০০৯

আমর বিন মুররাহ আল-জুহানী থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, কুযাআহ গোত্রের এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল সঃ আমি যদি এই মর্মে সাক্ষ্য দেই যে, আল্লাহ ছাড়া (প্রকৃত) কোন উপাস্য নেই এবং আপনি আল্লাহর রাসূল, পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করি, রমজান মাসের সিয়াম পালন করি, তারাবীহর সালাত আদায় করি ও যাকাত প্রদান করি, তাহলে আমার ব্যাপারে আপনার মতামত কি? নবী (ছাঃ) বললেন, যে ব্যক্তি এর উপরে মৃত্যুবরণ করবে, সে সত্যবাদী ও শহীদদের মধ্যে গণ্য হবে।

সহীহ ইবনে খুযায়মা হাদিস নং ২২১২, সিয়াম অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-২৪৪, সহীহ ইবনে হিব্বান হাদিস নং ৩৪৩৮, রমযানের ফযীলত, সহীহ তারগীব হাদিস নং ৭৪৯।

উক্ত হাদিসগুলি থেকে বুঝা যায় যে তারাবির নামাজের বিশেষ ফজিলত রয়েছে; এবং রাসুল সঃ নিজে তারাবির নামাজ পড়তেন এবং সাহাবীদেরকে উৎসাহিত করতেন; রাসুল সঃ তিনদিন সাহাবীদেরকে নিয়ে জামাতের সাথে তারাবির নামাজ পড়লেন কিন্তু তিনি আশংকা করছিলেন এটি ফরজ করে দেওয়া হতে পারে আর উম্মত তা পালন করতে সক্ষম হবে না; এই জন্য তিনি জামাতের সাথে সাহাবীদেরকে নিয়ে তারাবি পড়া ত্যাগ করলেন; আর সেট ফরজ করা হলো না; রাসুল সঃ এর ইন্তেকালের পরে সাহাবীগণ এটাকে আবার জামাতের সাথে আদায় করা শুরু করলেন কারন তখন আর ফরজ হওয়ার কোন সুযোগ নেই; তারাবির নামাজ নফর ইবাদত হলেও এর বিশেষ ফজিলত ও গুরুত্ব রয়েছে; তাই আমাদের উচিত রমজানে তারাবির সালাত আদায় করা।

আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে বিষয়গুলি সঠিকভাবে বুঝার ও আমল করার তাওফীক দান করুক। আল্লাহুম্মা আমীন।

Similar Posts

Related posts

Latest Tafsir

Latest Book

Scroll to Top