Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

রজব মাসের ফজিলত ও আমল. রজব মাসের দোয়া

রজব মাসের ফজিলত ও আমল. রজব মাসের দোয়া

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম, আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে রজব মাসের মর্যাদা, ফজিলত, দোয়া ও আমল এবং রজব মাসকে কেন্দ্র করে কতিপয় নতুন আবিষ্কৃত আমল বা বিদআত

রজব মাসের মর্যাদা

আল্লাহ তাআলা বলেন,

আপনার পালনকর্তা যা ইচ্ছে সৃষ্টি করেন এবং পছন্দ করেন। [সূরা আল-কাসাস, আয়াত: ৬৮]

অর্থাৎ স্বীয় সৃষ্ট বস্তু হতে কিছু মনোনীত করেন, শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদার ঘোষণা দেন। যেমন তিনি মনোনীত করেছেন কয়েকটি দিন, কয়েকটি মাস; সম্মান, শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদা প্রদান করেছেন অন্য সব দিন ও মাসের ওপর।

মহান আল্লাহ ঘোষণা দেন,

আসমান-জমিনের সৃষ্টি ও সূচনা লগ্ন হতেই আল্লাহর বিধান মতে মাসের নিশ্চিত সংখ্যা বারটি। তার মাঝে চারটি সম্মানিত। এ অমোঘ ও শাশ্বত বিধান; সুতরাং এর মাঝে তোমরা (অত্যাচার পাপাচারে লিপ্ত হয়ে) নিজেদের ক্ষতি সাধন করো না। [সূরা আত-তাওবা, আয়াত: ৩৬]

হাদীসে মাস চারটির নাম উদ্ধৃত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

যুগ বা কাল চক্রাকারে ঘুরে আসমান-জমিন সৃষ্টির প্রথম দিনের অবস্থায় ফিরে এসেছে। বারো মাসে বছর, তার ভেতর চারটি সম্মানিত। তিনটি একসাথে জিলকদ, জিলহজ ও মহররম। অপরটি মুযার সম্প্রদায়ের রজব- যা জুমাদাল উখরা ও শাবানের মধ্যবর্তী। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩১৯৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৬৯৭]

আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত চারটি মাস বিশেষ মর্যাদা এবং প্রভূত সম্মানে ভূষিত। যার অংশীদার রজব ও, যেহেতু রজব তার একটি।

আল্লাহ তাআলা বলেন,

হে মুমিনগণ! আল্লাহর নিদর্শনসমূহ (নিষিদ্ধ বস্তু) হালাল মনে করো না এবং সম্মানিত মাস সমুহ। [সূরা আল মায়েদা, আয়াত: ২]

অর্থাৎ আল্লাহ তাআলার সংরক্ষিত, নিষিদ্ধ বস্তু সমূহ- যেগুলোকে তিনি সম্মান প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন এবং অনধিকার চর্চা হতে বারণ করেছেন, সেগুলোকে তোমরা হালাল মনে কর না। যার ভেতর ভ্রান্ত বিশ্বাস, নিষিদ্ধ কাজ- উভয়ই অন্তর্ভুক্ত।

আল্লাহ তাআলা বলেন,

এতে তোমরা নিজেদের ওপর অত্যাচার (ক্ষতিসাধন) করো না। [সূরা আত-তাওবা, আয়াত: ৩৬]

অর্থাৎ সম্মানিত মাসগুলোতে। যেহেতু আল্লাহ তাআলা এ মাস গুলোকে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করেছেন, তাই এর সম্মান যথাযথ রক্ষা করা এবং এর মর্যাদা ও পবিত্রতা লক্ষ্য করতঃ এতে কোনো গুনাহে লিপ্ত না হওয়া সবার জন্য সঙ্গত। তদুপরি যুগের পবিত্রতার কারণে, অপরাধ হয় জঘন্য ও মারাত্মক। এ জন্যই আল্লাহ তাআলা উল্লিখিত আয়াতের মাধ্যমে নিজেদের ওপর যুলম না করার নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যথায় স্বীয় নফসের উপর জুলুম করা বা অন্য কোনো গুনাহে জড়িত হওয়া, সব মাসেই হারাম ও নিষিদ্ধ।

রজব মাসের ফজিলত ও আমল

রজব মাসের ফজিলত এর ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছ থেকে কোন বর্ণনা সহিহ সাব্যস্ত হয়নি।

ইবনে হাজর বলেছেন: রজবের ফজিলত, রজব মাসে রোজা অথবা রজবের সুনির্দিষ্ট কোনো তারিখের রোজা, এ মাসের বিশেষ কোনো রাত্রি উদযাপন বিষয়ে বিশুদ্ধ ও শরিয়তি দলিল-হওয়ার মতো শক্ত কোনো হাদিস বর্ণিত হয়নি। ইমাম আবু ইসমাইল আল হারাবি আল হাফেজ এ ব্যাপারটি আমার পূর্বেই নিশ্চিত করে বলেছেন। শুদ্ধ সনদে তা থেকে ও অন্যান্যদের থেকে বিষয়টি আমরা বর্ণনা করেছি।

তিনি আরো বলেন, রজবের ফজিলত, রজব মাসের রোজার ফজিলত, অথবা সুনির্দিষ্ট কোনো তারিখের রোজার ব্যাপারে যে হাদিসগুলো এসেছে তা দুই প্রকার: দূর্বল ও বানোয়াট।

শাইখ উসাইমিন (রহঃ) বলেন:

রজব মাসের ফজিলতের ব্যাপারে কোন সহিহ হাদিস বর্ণিত হয়নি। ‘রজব’ মাসের আগের মাস ‘জুমাদাল আখেরা’ মাসের উপর রজব মাসের ভিন্ন কোন মর্যাদা নেই; শুধু এইটুকু রজব মাস হারাম মাসগুলোর একটি। রজব মাসে বিশেষ কোন রোজা নেই। বিশেষ কোন নামাজ নেই। বিশেষ কোন উমরা নেই। অন্য কোন ইবাদত নেই। বিশেষ কোন আমল নেই। রজব মাস অন্য যে কোন মাসের মতোই। [লিকাউল বাব আল-মাফতুহ’ (২৬/১৭৪)]

রজব মাসের দোয়া

আব্দুল্লাহ ইবনে ইমাম আহমাদ ‘যাওয়ায়িদুল মুসনাদ’ (২৩৪৬) এ, তাবারানি তাঁর ‘আল-আওসাত’ (৩৯৩৯) এ, বায়হাকি তাঁর ‘শুয়াবুল ঈমান’ (৩৫৩৪) এ, আবু নুআইম তাঁর ‘আল-হিলয়া’ গ্রন্থে যায়েদা বিন আবু রিকাদ এর সূত্রে তিনি বলেন: যিয়াদ আল-নুমাইরি, আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন: যখন রজব মাস প্রবেশ করত তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলতেন: (اَللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِىْ رَجَبَ وَ شَعْبَانَ وَ بَلِّغْنَا رَمَضَانَ) “আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজাবা ও শা’বানা ওয়া বাল্লিগ না রমাজান”(অর্থ-হে আল্লাহ! রজব ও শাবান মাস আমাদের জন্য বরকতময় করুন এবং আমাদেরকে রমজান পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দিন)।

এ হাদিসটির সনদ বা সূত্র দুর্বল। সনদের বর্ণনাকারী যিয়াদ আল-নুমাইরি যয়ীফ (দুর্বল)। ইবনে মাঈন তাকে যয়ীফ আখ্যায়িত করেছেন। আবু হাতিম বলেছেন: তাকে দিয়ে দলিল পেশ করা যাবে না। ইবনে হিব্বান তাকে দুর্বলদের বই এ উল্লেখ করে বলেছেন: তাকে দিয়ে দলিল পেশ করা যাবে না। [মিযানুল ইতিদাল (২/৯১)]

বর্ণনাকারী যায়িদা বিন আবু রিকাদ ও যয়ীফ (দুর্বল)। আবু হাতিম বলেন: তিনি যিয়াদ আল-নুমাইরি এর সূত্রে আনাস (রাঃ) থেকে বেশ কিছু মারফু হাদিস বর্ণনা করেছেন যেগুলো ‘মুনকার’। এমন হাদিস আমরা তার সূত্রে অথবা যিয়াদ এর সূত্রে জানি না। বুখারি বলেন: ‘মুনকার উল হাদিস’। নাসাঈ বলেন: ‘মুনকার উল হাদিস’। নাসাঈ ‘আল-কুনা’ গ্রন্থে বলেন: ‘তিনি ছিকাহ (নির্ভরযোগ্য) নন’। ইবনে হিব্বান বলেন: “বিখ্যাত রাবীদের থেকে মুনকার (অখ্যাত) হাদিস বর্ণনা করেন। তার হাদিস দিয়ে দলিল দেয়া যাবে না। তার হাদিস অন্য হাদিসের সহায়ক হাদিস হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।” ইবনে আদি বলেন: “তিনি আল-মুকাদ্দামি ও অন্যদের থেকে ‘ইফরাদ’ হাদিস বর্ণনা করেন। তার কিছু হাদিস সমালোচিত।” [তাহযিবুত তাহযিব ৩/৩০৫-৩০৬]

ইমাম নববী তাঁর ‘আল-আযকার’ গ্রন্থ (পৃষ্ঠা-১৮৯) এ, ইবনে রজব তাঁর ‘লাতায়িফুল মাআরিফ’ (পৃষ্ঠা- ১২১) এ এবং আলবানি তাঁর ‘যয়িফুল জামে’ (পৃষ্ঠা-৪৩৯৫) এ হাদিসটিকে ‘যয়িফ’(দুর্বল) আখ্যায়িত করেছেন।

হাইছামি বলেন: বাযযার হাদিসটি বর্ণনা করেছেন। হাদিসটির সনদে ‘যায়িদা বিন আবু রিকাদ’ রয়েছেন। বুখারি বলেন: হাদিস বর্ণনাকারী হিসেবে অখ্যাত এবং অনেক ইমাম তাকে ‘মাজহুল’ (অপরিচিত) বলেছেন। [মাজমাউল যাওয়েদ (২/১৬৫)]

হাদিসটি দুর্বল; তদুপরি এ হাদিসের মধ্যে এমন কোন দলিল নেই যা প্রমাণ করবে যে, রজব মাসের প্রথম রাত্রিতে এটি বলা হবে। বরং এটি বরকতের জন্য সাধারণ দু’আ। এ দু’আ রজব মাসে বা রজব মাসের আগেও বলা যাবে।

রজব মাসকে কেন্দ্র করে কতিপয় নতুন আবিষ্কৃত আমল বা বিদআত

১. রজব মাসের রোজা

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর সাহাবাদের থেকে রজব মাসের সাওমের ফযীলতের ব্যাপারে প্রামাণ্য কোনো দলিল নেই। তবে অন্যান্য মাসের মত এ মাসেও সপ্তাহের সোমবার, বৃহস্পতিবার, মাসের তেরো, চৌদ্দ, পনেরো তারিখ সাওম রাখা বৈধ ও সুন্নত। ওমর রা. রজব মাসের সাওম হতে নিষেধ করতেন। কারণ, এতে ইসলাম-পূর্ব কুসংস্কারাচ্ছন্ন জাহেলি যুগের সাথে সামঞ্জস্যতা বিদ্যমান।

হাফেজ ইবনে হাজার রহ. বলেন, রজবের নির্দিষ্ট-অনির্দিষ্ট দিনের রোজা, কিংবা রজবের নির্দিষ্ট কোনো রাতের সাওমের ব্যাপারে প্রমাণ যোগ্য কোনো সহীহ হাদীস বর্ণিত হয় নি। যে কয়টি সুস্পষ্ট অর্থবহ হাদীস বর্ণিত হয়েছে, তা দুই ভাগে বিভক্ত। জয়ীফ বা দুর্বল, মওযু বা (বানোয়াট) জাল হাদিস। তিনি সব কয়টি হাদীস একত্র করেছেন। দেখা গেছে, ১১টি দুর্বল হাদীস, ২১টি জাল হাদিস।

ইবনুল কাইয়্যিম রহ. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লাগাতার তিন মাস (রজব, শাবান, রমযান সাওম রাখেন নি- যেমন কিছু লোক করে থাকে। রজবে কখনো সাওম রাখেন নি, সাওম পছন্দও করেন নি। সৌদি আরবের স্থায়ী ফতোয়া কমিটির ফতোয়াতে আছে, রজবের কতক দিনকে সাওমের জন্য নির্দিষ্ট করার ব্যাপারে আমাদের কোনো দলিল জানা নেই।

২. রজব মাসে ওমরাহ

কোনো হাদীসে প্রমাণ নেই, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রজব মাসে উমরা করেছেন। এ জন্য নির্দিষ্টভাবে রজবে ওমরা করা কিংবা এতে ওমরার বিশেষ ফযীলত আছে- বিশ্বাস করা বিদআত।

শাইখ মুহাম্মাদ ইবরাহীম রহ. তার ফাতওয়াতে বলেন, রজব মাসকে জিয়ারত ইত্যাদির মত আমল দ্বারা নির্দিষ্ট করার পিছনে কোনো মৌলিক ভিত্তি নেই। কারণ, ইমাম আবু শামা স্বীয় গ্রন্থে প্রমাণ করেছেন, শারিয়াহ কে পাশ কাটিয়ে বিশেষ কোনো সময়ের সাথে কোনো ইবাদত নির্দিষ্ট করা অনুচিত, অবৈধ। কারণ, শারিয়াহ যদি বিশেষ কিংবা সাধারণ আমলের জন্য কোনো সময় নির্ধারণ না করে, তবে সব দিন-ক্ষণ-সময় সমান মর্যাদার বলে বিবেচিত। এ জন্যই ওলামায়ে কেরাম রজব মাসে বেশি বেশি ওমরা করতে নিষেধ করেছেন। তবে কেউ যদি স্বাভাবিক নিয়মে (ফযীলতের বিশ্বাসহীন) রজব মাসে ওমরা করে, তাতে দোষ নেই। কারণ, এ সময়েই তার জন্য ওমরা করার সুযোগ হয়েছে।

৩. রজব মাসের নামাজ সালাতুর রাগায়েব

হাদীস শাস্ত্রে কতিপয় মিথ্যাচারের দ্বারা এ সালাতের সূচনা হয়। এ সালাত রজবের প্রথম রাতে পড়া হয়। এ ব্যাপারে ইমাম নববী রহ. বলেন, “এটি নিন্দনীয়, ঘৃণিত, জঘন্যতম বিদআত। যা কয়েকটি অপরাধ ও নিষিদ্ধ কর্মের সমন্বয়ে রচিত। সুতরাং একে পরিত্যাগ করা, এর থেকে বিরত থাকা এবং এর সম্পাদনকারীকে নিষেধ করা কর্তব্য।

শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রহ. বলেন, ইমাম মালেক, শাফেঈ, আবু হানিফা, সাওরি, লাইস প্রমুখের মতে সালাতুল রাগায়েব বিদআত। হাদিস বিশারদগণের দৃষ্টিতে এ ব্যাপারে বর্ণিত সকল হাদীস জাল, বানোয়াট।

৪. রজব মাসের ২৭ তারিখের রাত লাইলাতুল মিরাজ মনে করে জমায়েত হওয়া ও মাহফিল করা

মিরাজের রজনী কিংবা মেরাজের মাস নির্ধারণের ব্যাপারে কোনো প্রমাণ দাঁড় করানো সম্ভব হয় নি। এ নিয়ে অনেক মতভেদ আছে, সত্য অনুদঘাটিত। তাই এ ক্ষেত্রে নিশ্চুপ থাকাই শ্রেয়। মেরাজের রজনী নির্দিষ্ট করণের ব্যাপারে কোনো বিশুদ্ধ হাদীস বর্ণিত হয়নি। যা বিদ্যমান আছে, সব জাল, ভিত্তিহীন। অতএব, এ রাতে অতিরিক্ত ইবাদত ধার্য করা, যেমন রাত জাগা, দিনে সাওম রাখা, অথবা ঈর্ষা, উল্লাস প্রকাশ করা, নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা, গান-বাদ্য সহ মাহফিলের আয়োজন করা নাজায়িয-হারাম, এখানে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। উপরন্ত মেরাজের রাত্রি ঐতিহাসিকভাবেও সুনির্দিষ্ট নয়। প্রমাণিত মনে করলেও এতে মাহফিল করার কোনো সুযোগ নেই। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, সাহাবায়ে কেরাম এবং আদর্শ পূর্বসূরীগণ হতে এ ব্যাপারে কোনো দিক-নির্দেশনা পাওয়া যায় নি।

৫. রজব মাসে গুরুত্ব সহকারে কবর জিয়ারত করা

এটিও বিদআত। কারণ, কবর জিয়ারত বছরের যে কোনো সময় হতে পারে।

৬. রজব মাসে পশু জবাই বা এ জাতীয় কিছু উৎসর্গ করা

জাহেলিয়াতে রজব মাসকে নির্দিষ্ট করে এ ধরনের আমল সম্পাদন করা হত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা নিষেধ করেন। ইমাম ইবনে রজব বলেন, রজব মাসে পূণ্য মনে করে জবাই করা, এ মাসে ঈদ- উৎসব উদযাপন করার মতই অবৈধ।

রজব মাসের ঘটনা

ইবনে রজব বলেন, রজব মাসে বড় বড় ঘটনা সংঘটিত হয়েছে বলে যে কথা আছে, তা শুদ্ধ নয়। বর্ণনা করা হয়েছে যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রজবের প্রথম রাতে জন্মগ্রহণ করেছেন, ও রজবের ২৭ তারিখ, বর্ণনান্তরে ২৫ তারিখ নবুয়ত প্রাপ্ত হয়েছেন। এ বর্ণনাগুলোর কোনোটিই শুদ্ধ নয়।

রজব মাসের করণীয় ও বর্জনীয়

নিজের কিংবা অন্যের ওপর যুলম করা হতে বিরত থাকা, যার অর্থ ইবাদতে আত্মনিয়োগ করা, বেশি বেশি নেক আমল করা, আল্লাহ কর্তৃক সংরক্ষিত ও নিষিদ্ধ বিষয় বস্তু পরিত্যাগ করা। অর্থাৎ নিখাদ তওবা করা, আল্লাহ তাআলার শরণাপন্ন হওয়া, রমজান মাসের ভাগ্যবান ও লাইলাতুল কদরের মুক্তিপ্রাপ্ত হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন।

সুপ্রিয় পাঠক, আসুন বর্তমান মাস থেকেই নিজেদের তৈরি করি এবং আল্লাহর ইবাদত বা আনুগত্যে ব্রত হওয়ার জন্য অন্তর ও শরীরের অনুশীলন গ্রহণ করি।

Share the Post

Rate the Post

Rating Summary

0.0
0.0 out of 5 stars (based on 0 reviews)
Excellent0%
Very good0%
Average0%
Poor0%
Terrible0%

Latest Reviews

There are no reviews yet. Be the first one to write one.

Latest Post