ফয়জুল কালাম pdf download. Foyjul Kalam pdf

ফয়জুল কালাম pdf, ফয়জুল কালাম আরবী-বাংলা, ফয়জুল কালাম বই, ফয়জুল কালাম আরবি বাংলা pdf, ফয়জুল কালাম বাংলা pdf, ফয়জুল কালাম পিডিএফ, ফয়জুল কালাম বাংলা pdf download, ফয়জুল কালাম pdf download, ফয়জুল কালাম বাংলা ডাউনলোড, ফয়জুল কালাম বাংলা pdf ডাউনলোড, ফয়জুল কালাম আরবী বাংলা pdf download, foyjul kalam pdf, foyzul kalam

ফয়জুল-কালাম-pdf-download.-Foyjul-Kalam-pdf

ফয়জুল কালাম pdf download. Foyjul Kalam pdf

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম; মুফতি ফয়জুল্লাহ রহ কর্তৃক সংকলিত হাদিস গ্রন্থ ফয়জুল কালাম এর pdf ফাইল ডাউনলোড করতে নিচে DOWNLOAD লেখার উপর ক্লিক করুন; তারপর গুগল ড্রাইভে ডাউনলোড চিহ্নের উপর ক্লিক করুন।

ফয়জুল কালাম – মুফতি ফয়জুল্লাহ রহ – আল এছহাক প্রকাশনী

DOWNLOAD

ফয়জুল কালাম – মুফতি ফয়জুল্লাহ রহ – আল কাউসার প্রকাশনী

DOWNLOAD

হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ছিলাম; এমন সময় সাদা ধবধবে কাপড় ও কালো কুচকুচে চুল বিশিষ্ট এক লোক আমাদের নিকট আবির্ভূত হলেন। তার মধ্যে (আগন্তুকের ন্যায়) ভ্রমণের কোন চিহ্নও দেখা যাচ্ছিল না, অথচ আমাদের মধ্যে কেউ তাঁকে চিনতেও পারছিল না। (স্থানীয় হলে আমরা তাকে অবশ্যই চিনতাম।) এমনকি তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বসে পড়লেন।

অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দুই হাটুর সাথে হাটু মিশিয়ে এবং দুই হাত তাঁর দুই উরুর উপর রেখে বললেন: হে মুহাম্মাদ! আমাকে ইসলাম সম্পর্কে বলুন- (ইসলাম কি?) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তর প্রদান করলেন: আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত কোন মাবুদ নেই এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর রসূল এ ঘোষণা করবে, নামায কায়েম করবে, যাকাত দিবে, রমযানের রোযা রাখবে এবং বাইতুল্লাহর হজ্জ করবে- যদি তুমি সেখানে পৌঁছতে সমর্থ হও, এটাই হল ইসলাম।

ফয়জুল কালাম pdf download. Foyjul Kalam pdf

তিনি বললেন, ঠিক বলেছেন! তাঁর আচরণে আমরা আশ্চর্য বোধ করলাম- (অজ্ঞ লোকের ন্যায়) প্রশ্ন করছেন আবার (বিজ্ঞের ন্যায়) এর সমর্থনও করছেন। অতঃপর জিজ্ঞাসা করলেন: আমাকে বলুন ঈমান কাকে বলে? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তর বললেন: আল্লাহতে বিশ্বাস করবে এবং তাঁর ফেরেশতাগণকে, তাঁর কিতাবসমূহে, তাঁর নবী রসূলগণে ও পরকালে বিশ্বাস করবে এবং তাকদীর- এর ভালতে ও মন্দতে বিশ্বাস করবে।

তিনি বললেন, হ্যাঁ ঠিক বলেছেন। এখন আমাকে বলুন ইসান কাকে বলে? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহ পাকের ইবাদাত ঐরূপে করবে যেন তুমি তাঁকে দেখছ। আর যদি তুমি তাকে দেখতে না-ও পাও, তাহলে (মনে করবে যে) তিনি তোমাকে অবশ্যই দেখছেন। অতঃপর জিজ্ঞাসা করলেনঃ আমাকে বলুন! কিয়ামত সম্বন্ধে, (তা কবে হবে?) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসুর চেয়ে জিজ্ঞাসিত ব্যক্তি বেশী জানেন না। (আমি আপনার চেয়ে অধিক জানি না) তিনি বললেন, তবে তার নিদর্শনসমূহ আমায় বলে দিন।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, বাঁদী আপন মনিবকে প্রসব করবে এবং (এককালের) নাঙ্গা পা, নাঙ্গা শরীর, দরিদ্র, মেষ চালকদের (পরবর্তীকালে) দালান কোঠা নিয়ে পরস্পর গর্ব করতে দেখবে! হযরত উমর (রাঃ) বলেন, অতঃপর লোকটি চলে গেল। এরপর আমি দীর্ঘ সময় (অন্য বর্ণনায় তিন দিন) অতিবাহিত করলাম। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, উমর! জানো প্রশ্নকারী লোকটি কে? আমি বললাম, না (ইয়া রসূলাল্লাহ) আল্লাহ পাক এবং তাঁর রসূলই তা অধিকতর জ্ঞাত।

ফয়জুল কালাম pdf download. Foyjul Kalam pdf

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তিনি হচ্ছেন হযরত জিবরাঈল (আঃ)। তোমাদিগকে দ্বীন শিক্ষা দেয়ার উদ্দেশ্যে তিনি তোমাদের নিকট এসেছিলেন। ইমাম মুসলিম এটা হযরত উমর (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন । কিন্তু সামান্য শাব্দিক পরিবর্তনের সাথে তা হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকেও বর্ণিত আছে এবং তাতে আছে- যখন নাঙ্গা পা, নাঙ্গা শরীর ও মুক-বধির গণকে (তথা অযোগ্য) লোকদিগকে দেশের রাজা বা শাসক হতে দেখবে এবং কিয়ামত সে পাঁচটি বিষয়ের অন্তর্গত যা আল্লাহ পাক ব্যতীত কেউ অবগত নন। অতঃপর তিনি (প্রমাণস্বরূপ কুরআনের এই আয়াতটি) তিলাওয়াত করলেন।

علمُ السَّاعَةِ وَيُنَزِّلُ الْغَيْتَ وَيَعْلَمُ مَا فِي الْأَرْحَامِ وَمَا تدري نفس ماذا

অর্থাৎ, নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালার কাছেই কিয়ামতের জ্ঞান রয়েছে। তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং গর্ভাশয়ে যা থাকে, তিনি তা জানেন। কেউ জানেনা আগামীকাল সে কি উপার্জন করবে এবং কেউ জানেনা কোন দেশে সে মৃত্যুবরণ করবে। (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত- পৃষ্ঠা ১১)

ফয়জুল কালাম pdf download. Foyjul Kalam pdf

ব্যাখ্যা : প্রশ্নকারী হযরত জিব্রীল (আঃ) ছিলেন বলে এই হাদীসকে “হাদীসে জিব্রীল” বলা হয় । যেহেতু এতে দ্বীনের মৌলিক বিষয়গুলো বর্ণনা করা হয়েছে, সেহেতু একে ‘উন্মুস সুন্নাহ’ বা ‘উন্মুল আহাদীস’ও বলা হয়। যেভাবে সূরা ফাতিহাকে ‘উন্মুল কুরআন’ বলা হয়। সেভাবে কলেমার ঘোষণা ও নামায-রোযা প্রভৃতি পাঁচটি জিনিসকে ইসলাম বলা হয়েছে। এর অর্থ হল- এই পাঁচটি বিষয় ইসলামের প্রধান অংগ। অন্যথায় জীবনের পূর্ণ কর্মসূচীর নামই ইসলাম।

ঈমান : আরবী ভাষায় ঈমান শব্দের সাধারণ অর্থ- বিশ্বাস বা আস্থা স্থাপন করা, বক্তাকে সত্যবাদী বলে মেনে নেয়া। শরীয়তের পরিভাষায় ঈমানের অর্থ- হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর পক্ষ থেকে তার বান্দাদের নিকট যা পৌছিয়েছেন তাতে বিশ্বাস বা তাঁকে এ ব্যাপারে সত্যবাদী বলে আন্তরিকভাবে মেনে নেয়া। আল্লাহতে বিশ্বাস, ফিরিশতাগণকে বিশ্বাস, আল্লাহর কিতাবসমূহে বিশ্বাস, নবী রসূলগণে বিশ্বাস এবং পরকালে ও তাকদীরে বিশ্বাস এর প্রধান অংগ।

ইসলামঃ ইসলাম – শব্দের মূল সলম অর্থ-শান্তি, স্বেচ্ছায় কারো অনুগত হওয়া, বিনা আপত্তিতে কারো আদেশ-নিষেধ মেনে নেয়া। শরীয়তে ইসলামের অর্থ স্বেচ্ছায় আল্লাহর অনুগত হওয়া বা বিনা আপত্তিতে জীবনের সর্বব্যাপারে তাঁর আদেশ নিষেধকে মেনে নেয়া। পঞ্চম স্তম্ভ কলেমা, নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত এর প্রধান অংগ।

ফয়জুল কালাম pdf download. Foyjul Kalam pdf

ঈমান ও ইসলামের পার্থক্যঃ উপরোক্ত আলোচনা হতে বুঝা গেল যে, ঈমান অন্তরের বিশ্বাস বা আস্থার নাম। আর ইসলাম বাহ্যিক আমল বা কার্যের নাম। ইলমে . কালামে যে বলা হয়েছেঃ ঈমান ও ইসলাম এক ও অভিন্ন- এর অর্থ এই যে প্রকৃত মুমিন মাত্রই মুসলিম এবং প্রকৃত মুসলিম মাত্রই মুমিন। ইসলাম ঈমানের-ই ফল।

ইহসানের অর্থঃ ইহসান শব্দের আভিধানিক অর্থ- অন্যের উপকার করা, কোন কাজকে উত্তমরূপে ও নিখুঁতভাবে সম্পাদন করা। শরীয়তে এর অর্থ ইবাদতে একাগ্রতা বা গভীরভাবে এতে মনোনিবেশ করা যাতে তা নিখুঁত হয়। ইহসানের দুটি স্তর রয়েছে। শ্রেষ্ঠ স্তর হচ্ছে- আল্লাহর ইবাদাত এভাবে করা যেন সে আল্লাহকে দেখছে। যখন মানুষের এ অবস্থা হয় তখন তার ইবাদাতে একাগ্রতা বা তন্ময়তার অবধি থাকে না। সে একেবারে ভাবের দরিয়ায় ডুবে যায়। সুফীগণ একে ‘মুশাহাদা’ বা ‘ইতিগরাক’ ৰলেন। এ অবস্থায় পৌছুতে না পারলে অন্তত মনে করবে যে, আমি না দেখলেও নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা আমাকে দেখছেন। এ অবস্থা প্রথম অবস্থার তুলনায় ন্যূন হলেও এতেও তন্ময়তা না এসে পারে না। সুফীগণ এ প্রকারকে ‘মুরাকাবা’ বলে থাকেন। এটা ইহসানের দ্বিতীয় স্তর। ইবাদাতে ইখলাস ও একাগ্রতার প্রতি মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করার উদ্দেশ্যে এই হাদীসে ইহ্সান শব্দের অবতারণা করা হয়েছে।

(۲) عَن أبي هريرة رضي الله عنه قال قالَ رَسُولُ اللهِ الْإِيمَانُ بِضْعُ وَسَبْعُونَ شُعْبَةٌ فَأَفْضَلُهَا قَولُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَأَدْنَاهَا إمَاطَةُ الْأَذَى

عن الطريق والحياء شعبة من الإيمان التقل عليه مشكوة من (۱۲)

ফয়জুল কালাম pdf download. Foyjul Kalam pdf

(২) অর্থঃ হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ঈমানের সত্তরটিরও অধিক শাখা রয়েছে। তার শ্রেষ্ঠটি হল আল্লাহ তায়ালা ব্যতীত কোন মাবুদ নেই- এই ঘোষণা করা এবং নিম্নতমটি হল পথ হতে কষ্টদায়ক জিনিস অপসারিত করা এবং লজ্জাশীলতা ঈমানের একটি বিশেষ শাখা । (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ১২ পৃষ্ঠা)

ব্যাখ্যাঃ (ক) ঈমানের শাখা এখানে সত্তরের বেশী বলা হয়েছে। অপর এক হাদীসে ষাটের উপরের কথাও বর্ণিত আছে। এর অর্থ এই যে, ঈমানের বহু শাখা-প্রশাখা রয়েছে। এখানে মাত্র দুটি সীমাই বর্ণিত হয়েছে। শাহ ওয়ালীউল্লাহ (রঃ) বলেছেন, ঈমানের চারটি অর্থ রয়েছে। এক অর্থে প্রত্যেক ভাল কাজকেই ঈমান বল। হয় এবং পরকালের মুক্তি এর উপর নির্ভরশীল। (খ) লজ্জাশীল ব্যক্তি অশ্লীল কাজ করতে পারে না। এজন্য একে ঈমানের বিশেষ বা বড় শাখা বলা হয়েছে।

ফয়জুল কালাম pdf download. Foyjul Kalam pdf

ঈমানের শাখার বর্ণনা : ঈমানের মোট ৭৭টি শাখা। এর মধ্যে ৩০টি অন্তরের সাথে সংশ্লিষ্ট, ৭টি মুখের সাথে সংশ্লিষ্ট, ৪০টি অবশিষ্ট অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সাথে সংশ্লিষ্ট।

অন্তর সংশ্লিষ্ট ৩০টি শাখা :

১। আল্লার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা, ২। আল্লাহ পাক ব্যতিরেকে বাকী সব মাখলুক ও ধ্বংসশীল এ বিশ্বাস করা, ৩। ফেরেশতাদের প্রতি ঈমান আনয়ন করা, ৪। আল্লাহ তায়ালার নাযিলকৃত সমস্ত কিতাবের উপর ঈমান আনয়ন, ৫।সমস্ত পয়গম্বরদের প্রতি ঈমান আনয়ন, ৬। তাকদীরের প্রতি ঈমান আনয়ন, ৭.। কিয়ামতের দিবসের উপর ঈমান আনয়ন, ৮। জান্নাতকে বিশ্বাস করা, ৯। জাহান্নামকে বিশ্বাস করা, ১০। আল্লাহর সহিত ভালবাসা রাখা, ১১। আল্লাহকে সন্তুষ্টি কল্পে কাউকে ভালবাসা ও আল্লাহকে সন্তুষ্টিকল্পে কারো উপর অসন্তুষ্টি হওয়া, ১২। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ভালবাসা রাখা, ১৩। ইখলাছ, ১৪ । তওবা, ১৫। ভয়, ১৬। আশা, ১৭। লজ্জাশীলতা, ১৮। শোকর, ১৯। অঙ্গীকার পূরণ করা, ২০। ধৈর্য্যধারন করা, ২১। বিনয়, ২২। মাখলুকের উপর দয়া ও স্নেহ, ২৩ । আল্লাহর ফয়সালার উপর রাজী হওয়া, ২৪। তাওয়াক্কুল করা, ২৫। স্বৈরাচারিতা বর্জন করা, ২৬। বিদ্বেষ বর্জন করা, ২৭। অহংকার বর্জন করা, ২৮। গোস্বা পরিহার করা, ২৯। কু-অভ্যাস পরিহার করা, ৩০। দুনিয়ার মহব্বত পরিহার করা।

যবান সংশ্লিষ্ট ৭টি শাখা :

৩১। কলেমা তাওহীদ পাঠ করা, ৩২। কুরআন শরীফ তেলাওয়াত করা, ৩৩ । ইলমে দ্বীন শিক্ষা করা, ৩৪ । ইলমে দ্বীন শিক্ষা দেয়া, ৩৫। দুয়া করা, ৩৬। যিকির করা, ৩৭। বেহুদা ও নিষিদ্ধ কথাবার্তা হতে বেঁচে থাকা।

ফয়জুল কালাম pdf download. Foyjul Kalam pdf

অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংশ্লিষ্ট ৪০টি শাখা:

৩৮। পবিত্রতা অর্জন করা, ৩৯ । নামায কায়েম করা, ৪০। সদকা আদায় করা, ৪১। রোজা রাখা, ৪২। নিজের দ্বীন রক্ষার্থে কোথাও পালিয়ে যাওয়া, ৪৩। ইতিকাফ করা, ৪৪ হজ্ব করা, ৪৫। মান্নত পূরণ করা, ৪৬। কসমের প্রতি খেয়াল রাখা, ৪৭। কাফফারা আদায় করা, ৪৮। সতর ঢেকে রাখা, ৪৯। কুরবানী করা, ৫০। ঋণ পরিশোধ করা, ৫১। লেন-দেনে ন্যায়-নীতি বজায় রাখা ও শরীয়ত বিরোধী কাজ হতে বেঁচে থাকা, ৫২। সত্য সাক্ষ্য দেয়া, ৫৩। কাফন- দাফনের ব্যবস্থা করা, ৫৪। বিবাহ করে পবিত্রতা বা সতীত্ব অর্জন করা, ৫৫। পরিবার- পরিজনের হক আদায় করা, ৫৬। মাতা-পিতার খিদমত করা ও তাদের কষ্ট না দেয়া, ৫৭। সন্তানাদি লালন-পালন করা, ৫৮। আত্মীয়-স্বজনদের সহিত সুসম্পর্ক বজায় রাখা, ৫৯। মনিবের অনুগত হওয়া, ৬০। বিচারে ন্যায়-নীতি অবলম্বন করা,

৬১। মুসলিম জামাতের অনুসরণ করা, ৬২। শাসকদের অনুসরণ করা, ৬৩। মানুষের মাঝে সংশোধন করে দেয়া, ৬৪ । ভাল কাজে সাহায্য করা, ৬৫। সত্য কথা বলা, ৬৬। মন্দ কথা হতে নিষেধ করা, ৬৭। দন্ডবিধি প্রতিষ্ঠা করা, ৬৮। আমানত আদায় করা, ৬৯। অভাবী বা বিপদের সম্মুখীনকে ধার দেয়া, ৭০। সন্তোষজনক মুআমিলা করা, ৭১। প্রতিবেশীর সহিত সুন্দর ব্যবহার করা, ৭২। মাল যথাস্থানে খরচ করা, ৭৩। সালামের জবাব দেয়া, ৭৪। হাঁচি দাতার জবাবে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলা, ৭৫। বেহুদা খেল-তামাশা হতে বেঁচে থাকা, ৭৬। মানুষের ক্ষতি না করা, ৭৭। কষ্টদানকারী জিনিস রাস্তা হতে অপসারণ করে দেয়া।

ফয়জুল কালাম pdf download. Foyjul Kalam pdf

الله محمد (۳) عن ابي هريرة رض قال قال رسول الله والذي نفس لا يَسْمَعُ بِى اَحَدٌ مِنْ هَذِهِ الْأُمَّةِ يَهُودِي وَلَا نَضْرَانِيُّ ثُمَّ يَمُوتُ وَلَمْ ؤْمِنْ بِالَّذِى أُرْسِلْتُ بِهِ إِلَّا كَانَ مِنْ أَصْحَابِ النَّارِ (رَوَاهُ مُسْلِم، مِشْكوة ص ۱۲)

(৩) অর্থ : হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যাঁর হাতে মুহাম্মাদের জীবন রয়েছে তাঁর কসম, এই উম্মতের যে কেউ ইহুদী হোক বা খৃষ্টান আমার নবুওয়াতের কথা শুনবে, অথচ যা সহকারে আমি প্রেরিত হয়েছি তার প্রতি ঈমান না এনে মরে যাবে সে নিশ্চয়ই দোযখী হবে । (মুসলিম, মিশকাত- ১২ পৃষ্ঠা)

ব্যাখ্যাঃ উম্মত ঐ দলকে বলে যাদের প্রতি কোন পয়গম্বর প্রেরিত হয়েছেন, এদের মধ্যে যারা পয়গম্বরের আহবানে সাড়া দিয়েছে তাদেরকে বলে ‘উম্মাতে ইজাবাত’। আর যারা সাড়া দেয়নি তাদেরকে বলে ‘উম্মাতে দাওয়াত’। সুতরাং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আগমন থেকে কিয়ামতাবধি সকল মানবই তাঁর উম্মত। মুসলমানগণ ‘উম্মাতে ইজাবাত’ আর অমুসলমানগণ ‘উম্মাতে দাওয়াত’। কারণ তিনি সকলের জন্যই প্রেরিত হয়েছেন এবং বিশ্বনবী হিসেবে সকলকেই তিনি দাওয়াত দিয়ে গিয়েছেন।

(٤) عَنْ أَنَسٍ رض قالَ قَالَ رَسُولُ الله الله لا يؤمن أحدكم حتى أكون

احَبَّ إِلَيْهِ مِنْ وَالِدِهِ وَوَلَدِهِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ، مِشْكُرة ص ۱۲)

ফয়জুল কালাম pdf download. Foyjul Kalam pdf

(৪) অর্থঃ হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ (কামেল) মুমিন হতে পারবে না যে পর্যন্ত না আমি তার কাছে তার পিতা, সন্তান ও সকল মানুষ হতে প্রিয়তম হই । (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত- ১২ পৃষ্ঠা )

ব্যাখ্যা : ভালবাসা দুই প্রকার। স্বাভাবিক ও যৌক্তিক। স্বাভাবিক ভালবাসা স্বভাব প্রসূত যা মানুষের ক্ষমতাধীন নয়। আর যৌক্তিক ভালবাসা বিবেকপ্রসূত। যা মানুষের ক্ষমতাধীন। যথা- এক ব্যক্তি কোন একটি খাওয়ার জিনিস তার পুত্র যাকে সে প্রকৃতিগতভাবে ভালবাসে, তাকে না দিয়ে পিতার ইহসানের কথা স্মরণ করে বা কর্তব্যবোধে বাধ্য হয়ে পিতাকেই দিল। এতে সে বিবেকসঙ্গত ও যৌক্তিকভাবে পিতাকেই ভালবাসল। হাদীসে এ প্রকার ভালবাসাই উদ্দেশ্য। আর কারো যদি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি প্রকৃতিগত ভালবাসাই জন্মে যায়, তবে তাতো অতি বড় সৌভাগ্যের কথা ।

اثار الايمان

ঈমানের নিদর্শনাবলী

ذَاقَ

(٥) عَنِ الْعَبَّاسِ بنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ عله دان طُعْمَ الْإِيْمَانِ مَنْ رَضِيَ بِاللَّهِ رَبَّاً وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولاً . (رَوَاهُ مُسْلِم، مشكوة ضـ (۱۲)

ফয়জুল কালাম pdf download. Foyjul Kalam pdf

(৫) অর্থঃ হযরত আব্বাস (রাঃ) বিন আব্দুল মুত্তালিব হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সে-ই ঈমানের স্বাদাস্বাদন করেছে যে আল্লাহকে পালনকর্তা, ইসলামকে দ্বীন এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রসূল হিসেবে পেয়ে সন্তুষ্ট রয়েছে। (মুসলিম, মিশকাত-১২)

ব্যাখ্যাঃ অর্থাৎ সন্তুষ্টিচিত্তে আল্লাহ তায়ালাকে নিজের মালিক জানা এবং তার উপর রাজী হওয়া, তার হুকুমের উপর রাজী হওয়া এবং তাঁর বন্দেগী করা, ইসলামকে নিজের দ্বীন ধার্য করা ও যা কিছু এতে আছে তা কার্যে পরিণত করা ও মহানবীকে সন্তুষ্টিচিত্তে রসূল জানা ও তাঁর আনুগত্য করা, এসব প্রকৃতপক্ষে ঈমানের নিদর্শন ।

(٦) عَنْ أَبِي أُمَامَةَ رض قالَ قالَ رَسُولُ اللهِ لا مَنْ أَحَبُّ لِلَّهِ وَابغَضَ لله واعطى لِلَّهِ وَمَنَعَ لِلَّهِ فَقَدْ استكمل الإيمان (رواه ابو داؤد، مشكوة ص ١٤)

(৬) অর্থঃ হযরত আবু উমামা বাহেলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর ওয়াস্তে কাউকে ভালবাসবে অথবা আল্লাহর ওয়াস্তে কারো সাথে শত্রুতা রাখবে এবং আল্লাহর ওয়াস্তে দান-খয়রাত করবে অথবা আল্লাহর ওয়াস্তেই দান-খয়রাত থেকে বিরত থাকবে; সে তার ঈমান পূরণ করে নিল । (আবু দাউদ, মিশকাত- পৃষ্ঠা ১৪)

ফয়জুল কালাম pdf download. Foyjul Kalam pdf

ব্যাখ্যাঃ উদ্দেশ্য এই যে, যে ব্যক্তি তার সমস্ত কাজ একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করল, অন্য উদ্দেশ্যে নয় ও প্রবৃত্তি পূরণের জন্যও নয়, সে তাহলে নিজের ঈমান পরিপূর্ণ করে নিল। চারটি খাছ করার উদ্দেশ্য হল এই যে, একাজগুলি বহু কষ্টে আল্লাহর ওয়াস্তে হয়ে থাকে। যখন এই চার কাজে ইখলাস পয়দা হবে তখন অন্যান্য কাজেও পয়দা হয়ে যাবে ও সে কামিল মুমিন হবে ।

(۷) عَنْ أَبِى أُمَامَةَ أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَا الْإِيمَان قَالَ إِذا سرتك حسنة و كانت مؤمِن قَالَ يَا رَسُولَ اللهِ فَمَا الْإِثْمُ قَالَ إِذَا حَاكَ فِي نَفْسِكَ تَنى فَدَعْهُ (رواه أحمد، مشكوة من (١٦)

(৭) অর্থঃ হযরত আবু উমামা বাহেলী (রাঃ) হতে বর্ণিত যে এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করল হুযূর ! ঈমান কি? (অর্থাৎ ঈমানে বিশুদ্ধতার পরিচয় কি?) হুযূর বললেনঃ যখন তোমার সৎকাজ তোমাকে আনন্দ দিবে এবং তোমার অসৎ কাজ তোমাকে পীড়া দিবে, তখন তুমি (বিশুদ্ধ) মুমিন। সে পুণরায় জিজ্ঞাসা করল, হুযূর ! অসৎকাজ (গোনাহ কি? হুযূর বললেনঃ যখন কোন কাজ করতে তোমার অন্তরে বাধে তখন (মনে করবে যে তা অসৎ কাজ এবং) তা ছেড়ে দিবে। (আহমাদ, মিশকাত- পৃষ্ঠা ১৬)

ব্যাখ্যাঃ সৎ লোকদের অবস্থা যে, অসৎ কাজ তার মনে খটকায় কিন্তু অন্তর এর উপর স্থায়ী হয় না। কিংবা এই অর্থ যে কোন জিনিস অন্তরে দুরু দুরু ভাব পয়দা করে এবং তা বর্জন করাতে সতর্কতা মনে হয় তবে তা বর্জন করে দিবে, আর কোন জিনিসে সংশয় পয়দা হলে এবং তা করতে সতর্কতা মনে হলে তা করে ফেলবে যাতে গোনাহে লিপ্ত না হতে হয় । (মিরকাত, মাযাহের)

ফয়জুল কালাম pdf download. Foyjul Kalam pdf

(۸) عن اني قال قَالَ رَسُولُ اللهِ تَلْتُ مَنْ كُنَّ فِيهِ وَحَدِيهِنَّ صلى الله عليه وسلم .

حلاوة الإيمان من كان الله ورسوله اَحَبَّ إِلَيْهِ مِمَّا سِوَاهُمَا وَمَنْ أَحَبَّ عَبْدًا لا يُحِبُّهُ إِلَّا لِلّهِ وَمَنْ يَكْرَهُ أَن يَعُودَ فِي الْكُفْرِ بَعد أن انقذه اللهُ مِنْهُ كَمَا يَكْرَهُ أَن تُلقى فِى النَّارِ (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ، مِشكوة ص ۱۲)

(৮) অর্থঃ হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তিনটি জিনিস এমন যে ব্যক্তির মধ্যে সেগুলি আছে সে-ই ঈমানের স্বাদ পেয়েছে- (১) যার নিকট আল্লাহ ও আল্লাহর রসূল এতদুভয় ব্যতীত সকল ও সবকিছু থেকে প্রিয়তম। (২) যে ব্যক্তি কাউকে শুধু আল্লাহর উদ্দেশ্যেই ভালবাসে (৩) যে ব্যক্তি আল্লাহ পাক তাকে কুফর হতে নাজাত দেয়ার পর পুণরায় কুফরীতে ফিরে যাওয়াকে এমন অপছন্দ করে যেভাবে সে আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়াকে অপছন্দ করে । (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত- পৃষ্ঠা ১২)

ব্যাখ্যা : হাদীসে আছে, জান্নাতে ইয়াকুতের খুঁটি ও স্তম্ভের উপর মহামূল্যবান অলংকারের বানানো বালাখানা হবে যার দরজা উন্মুক্ত থাকবে এবং তা আকাশের নক্ষত্রের ন্যায় চমকাতে থাকবে, সাহাবারা বললেন, ঐরূপ বালাখানায় কারা বাস করবে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যারা আল্লাহর ওয়াস্তে আপোষে মহব্বত রাখত ও আল্লাহর ওয়াস্তে মিলেমিশে থাকত ও আল্লাহর ওয়াস্তে দেখা সাক্ষাত রাখত । (বায়হাকী)

ফয়জুল কালাম pdf download. Foyjul Kalam pdf

(۹) عَنْ عَبْدِ الله ابن عمي وقال قَالَ رَسُولُ اللهِ عَلَهُ لَايُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ . حتى يكون هواه تبعاً لِمَا جِنْتُ بِهِ (رَوَاهُ شَرْحُ السُّنَّةِ، مِشكوة ص ٣٠)

(৯) অর্থঃ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি মুমিন হতে পারে না যে পর্যন্ত না তার প্রবৃত্তি আমি যা এনেছি তার অধীন হয় । (শরহে সুন্নাহ, মিশকাত- ৩০)

ব্যাখ্যা ঃ অর্থাৎ যতক্ষণ আকীদা, ইবাদাত, মুয়ামিলার মধ্যে নিজের প্রবৃত্তি শরীয়তের অধীন না হবে ততক্ষণ সে কামেল মুমিন হতে পারবে না। বস্তুত কু-প্রবৃত্তি বিদূরিত হয়ে নূরানী গুণে গুণান্বিত হওয়া এটা পূর্ণাঙ্গ ঈমানের অবস্থা, যা নৈকট্যশীল ও কামেলদের মাঝে পাওয়া যায়। আর যদি শরীয়তে মুহাম্মাদীয়ার আদৌ অনুসরণকারী না, হয় বরং যদি অস্বীকার করে তবে মূল ঈমানই থাকবে না ।

(۱۰) عن أني قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ على ثلاث مِنْ أَصل الإِيمَانِ الْكَتْ انس ممن قال لا إله إلا الله لا نكرة يذنب ولا تُخْرِجُهُ مِنَ الْإِسْلَامِ بِعَمَل والجهاد ماين مُتعَنِي الله إلى أن يُقابل أخر علم الأمة الدجال لاستطلة جور جانِرٍ وَلَا عَدْلُ عَادِل وَالإِيمَانُ بِالأقدار ابر دائرة مشكوة ص ۱۷)

ফয়জুল কালাম pdf download. Foyjul Kalam pdf

(১০) অর্থঃ হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিনটি বিষয় হচ্ছে ঈমানের বুনিয়াদী বিষয়সমূহের অন্তর্গত— (১) যে ব্যক্তি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ কলেমা পড়েছে, তার প্রতি আক্রমণ করা হতে বিরত থাকা; কোন গোনাহর দরুণই তাকে কাফের বলে আখ্যায়িত করবে না ও কোন আমলের কারণে তাকে ইসলাম হতে বহিস্কার করে দিবে না। (যাবত না সে স্পষ্ট কুফরী কাজ করে)। (২) জিহাদ যেদিন হতে আল্লাহ আমাকে জিহাদের হুকুম দিয়েছেন, সেদিন হতে এ উম্মতের শেষ লোকেরা দাজ্জালের সহিত জিহাদ করা পর্যন্ত উহা চলতে থাকবে, কোন অবিচারী শাসকের অবিচার বা কোন সুবিচারী হাকীমের সুবিচার জিহাদকে বাতিল করতে পারবে না এবং (৪) তাকদীরে বিশ্বাস । (আবু দাউদ, মিশকাত- পৃষ্ঠা ১৭)

ব্যাখ্যাঃ মুনাফিকরা মনে করত যে, ইসলামী হুকুম কয়েক দিনের। নবীর মৃত্যুর পর জিহাদও বন্ধ হবে, হুকুমাতও শেষ হবে। নবীসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের এ ধারণার প্রতিবাদে বলেন : কিয়ামত পর্যন্ত জিহাদ ফরজ থাকবে, কোন সময়ই তা বন্ধ করা আমার উম্মতের পক্ষে জায়িয হবে না। চাই ইসলামী হুকুমাতের নেতা জালিম হোক বা ন্যায়পরায়ণ হোক। সুতরাং ইসলামী হুকুমাত শেষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। (তা’লীক্) যখন মুসলমানরা এ ফরয বর্জন করবে তখন তাদের অবস্থা কি হবে এটা হতে তা সহজেই বুঝা যায় এবং একথাও বুঝা যায় যে, সব সময়ই মুসলমানদের পক্ষে জিহাদের জন্য প্রস্তুত থাকা ফরয। উম্মতের শেষ মুজাহিদ বলতে হযরত ঈসা (আঃ)।

ফয়জুল কালাম pdf download. Foyjul Kalam pdf

ফয়জুল কালাম pdf, ফয়জুল কালাম আরবী-বাংলা, ফয়জুল কালাম বই, ফয়জুল কালাম আরবি বাংলা pdf, ফয়জুল কালাম বাংলা pdf, ফয়জুল কালাম পিডিএফ, ফয়জুল কালাম বাংলা pdf download, ফয়জুল কালাম pdf download, ফয়জুল কালাম বাংলা ডাউনলোড, ফয়জুল কালাম বাংলা pdf ডাউনলোড, ফয়জুল কালাম আরবী বাংলা pdf download, foyjul kalam pdf, foyzul kalam

হাদিস গ্রন্থসমূহ pdf. Al Hadis Bangla pdf

ইসলামিক বই pdf download. Islamic book pdf bangla

মিশকাতুল মাসাবীহ আরবী বাংলা pdf download. মেশকাত শরীফ

হাদীস শরীফ মাওলানা আব্দুর রহীম pdf

রিয়াদুস সালেহীন pdf. riyadus salihin bangla

বিষয়ভিত্তিক হাদিস pdf

হাদিসে কুদসি pdf

ফয়জুল কালাম: মুফতি ফয়জুল্লাহ রহ. – Foyjul Kalam – Rokomari.com

বিষয়ভিত্তিক হাদিস ফয়জুল কালাম – ইসলামিক বইঘর

ফয়জুল কালাম – মুফতি ফয়জুল্লাহ রহ. | Foyjul Kalam – Wafilife