Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

আলহামদুলিল্লাহ অর্থ কি? Alhamdulillah meaning in Bengali

আলহামদুলিল্লাহ-অর্থ-কি-Alhamdulillah-meaning-in-Bengali

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম, আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ অর্থ কি, আলহামদুলিল্লাহ বলার ফজিলত, আলহামদুলিল্লাহ আলা কুল্লি হাল ইত্যাদি। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন: পবিত্রতা হল ঈমানের অর্ধেক। ‘আলহামদুলিল্লাহ’ মিযানের পরিমাপকে পরিপূর্ণ করে দিবে এবং “সুবহানাল্লাহ ওয়াল হামদুলিল্লাহ” আসমান ও জমিনের মধ্যবর্তী স্থানকে পরিপূর্ণ করে দিবে।

আলহামদুলিল্লাহ অর্থ কি. Alhamdulillah meaning in Bengali

আলহামদুলিল্লাহ (اَلۡحَمۡدُ لِلّٰهِ, alhamdulillah) একটি আরবি বাক্যাংশ। এর মধ্যে তিনটি অংশ রয়েছে। এর ১ম অংশ আল যা নির্দিষ্ট কোন কিছুকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয় ইংরেজি “the”এর মত। আর ২য় অংশ হলো “হামদু”, যার অর্থ হলো প্রশংসা। অর্থাৎ আলহামদু এর অর্থ সকল ধরণের প্রশংসা। এবং ৩য় অংশ “লিল্লাহ” অর্থ আল্লাহর জন্য। সুতরাং আলহামদুলিল্লাহ অর্থ সকল ধরনের প্রশংসা আল্লাহর জন্য।

আলহামদুলিল্লাহ এর প্রতি উত্তরে কি বলতে হয়. Alhamdulillah reply

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ عِيسَى، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ إِذَا عَطَسَ أَحَدُكُمْ فَلْيَقُلِ الْحَمْدُ لِلَّهِ ‏.‏ وَلْيَرُدَّ عَلَيْهِ مَنْ حَوْلَهُ يَرْحَمُكَ اللَّهُ ‏.‏ وَلْيَرُدَّ عَلَيْهِمْ يَهْدِيكُمُ اللَّهُ وَيُصْلِحُ بَالَكُمْ ‏”‏ ‏.‏

আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ হাঁচি দিলে যেন বলে, আলহামদুলিল্লাহ (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর)। তার আশেপাশে উপস্থিত ব্যক্তিগণ যেন বলে, ইয়ারহামুকাল্লাহ (আল্লাহ তোমায় অনুগ্রহ করুন)। প্রতি উত্তরে হাঁচিদাতা যেন বলে, ইয়াহদীকুমুল্লাহু ওয়া ইউসলিহু বালাকুম (আল্লাহ তোমাদের সৎপথ প্রদর্শন করুন এবং তোমাদের অবস্থার সংশোধন করুন)।

ইবনে মাজাহ হাদিস নং ৩৭১৫

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

আলহামদুলিল্লাহ আলা কুল্লি হাল. Alhamdulillah ala kulli haal meaning in Bengali

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِذَا عَطَسَ أَحَدُكُمْ فَلْيَقُلِ الْحَمْدُ لِلَّهِ عَلَى كُلِّ حَالٍ وَلْيَقُلْ أَخُوهُ أَوْ صَاحِبُهُ يَرْحَمُكَ اللَّهُ وَيَقُولُ هُوَ يَهْدِيكُمُ اللَّهُ وَيُصْلِحُ بَالَكُمْ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যদি কেউ হাঁচি দেয় তাহলে সে বলবেঃ ‘আলহামদু লিল্লাহি আলা কুল্লি হাল’ (সর্বাবস্থায় সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য)। আর তার ভাই অথবা সাথী বলবেঃ ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ”। আর হাঁচিদাতা বলবেঃ ‘ইয়াহ্দীকুমুল্লাহু ওয়া ইউসলিহু সালাকুম’ (আল্লাহ তোমাদের সঠিক পথ দেখান এবং তোমাদের সংশোধন করুন)।

আবু দাউদ হাদিস নং ৫০৩৩

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ خَالِدٍ الأَزْرَقُ أَبُو مَرْوَانَ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ مَنْصُورِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أُمِّهِ، صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِذَا رَأَى مَا يُحِبُّ قَالَ ‏”‏ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي بِنِعْمَتِهِ تَتِمُّ الصَّالِحَاتُ ‏”‏ ‏.‏ وَإِذَا رَأَى مَا يَكْرَهُ قَالَ ‏”‏ الْحَمْدُ لِلَّهِ عَلَى كُلِّ حَالٍ ‏”‏ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পছন্দনীয় কিছু দেখলে বলতেন : “আলহামদু লিল্লাহিল্লাযী বিনিয়’মাতিহি তাতিমুসসালিহাত” (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যার করুণায় নেক কাজসমূহ পূর্ণতা লাভ করে)। তিনি অপছন্দনীয় কিছু দেখলে বলতেন : “আলহামদু লিল্লাহি আলা কুল্লি হাল” (সর্বাবস্থায় সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য)।

ইবনে মাজাহ হাদিস নং ৩৮০৩

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

আলহামদুলিল্লাহ বলার ফজিলত. Alhamdulillah benefits

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا حَبَّانُ بْنُ هِلاَلٍ، حَدَّثَنَا أَبَانٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، أَنَّ زَيْدًا، حَدَّثَهُ أَنَّ أَبَا سَلاَّمٍ حَدَّثَهُ عَنْ أَبِي مَالِكٍ الأَشْعَرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ الطُّهُورُ شَطْرُ الإِيمَانِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ تَمْلأُ الْمِيزَانَ ‏.‏ وَسُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ تَمْلآنِ – أَوْ تَمْلأُ – مَا بَيْنَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَالصَّلاَةُ نُورٌ وَالصَّدَقَةُ بُرْهَانٌ وَالصَّبْرُ ضِيَاءٌ وَالْقُرْآنُ حُجَّةٌ لَكَ أَوْ عَلَيْكَ كُلُّ النَّاسِ يَغْدُو فَبَائِعٌ نَفْسَهُ فَمُعْتِقُهَا أَوْ مُوبِقُهَا ‏”‏ ‏.

আবু মালিক আল আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন: পবিত্রতা হল ঈমানের অর্ধেক। ‘আলহামদুলিল্লাহ’ মিযানের পরিমাপকে পরিপূর্ণ করে দিবে এবং “সুবহানাল্লাহ ওয়াল হামদুলিল্লাহ” আসমান ও জমিনের মধ্যবর্তী স্থানকে পরিপূর্ণ করে দিবে। ’সালাত’ হচ্ছে একটি উজ্জ্বল জ্যোতি। ‘সাদাকা’ হচ্ছে দলীল। ‘ধৈর্য’ হচ্ছে জ্যোতির্ময়। আর ‘আল কুরআন’ হবে তোমার পক্ষে অথবা বিপক্ষে প্রমাণ স্বরূপ। বস্তুতঃ সকল মানুষই প্রত্যেক ভোরে নিজেকে ‘আমালের বিনিময়ে বিক্রি করে। তার ‘আমাল দ্বারা সে নিজেকে (আল্লাহর ‘আযাব থেকে) মুক্ত করে অথবা সে তার নিজের ধ্বংস সাধন করে।

সহীহ মুসলিম হাদিস নং ৪২২

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ، أَخْبَرَنَا وَرْقَاءُ، عَنْ سُمَىٍّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ،‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ ذَهَبَ أَهْلُ الدُّثُورِ بِالدَّرَجَاتِ وَالنَّعِيمِ الْمُقِيمِ‏.‏ قَالَ ‏”‏ كَيْفَ ذَاكَ ‏”‏‏.‏ قَالَ صَلَّوْا كَمَا صَلَّيْنَا، وَجَاهَدُوا كَمَا جَاهَدْنَا، وَأَنْفَقُوا مِنْ فُضُولِ أَمْوَالِهِمْ، وَلَيْسَتْ لَنَا أَمْوَالٌ‏.‏ قَالَ ‏”‏ أَفَلاَ أُخْبِرُكُمْ بِأَمْرٍ تُدْرِكُونَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ، وَتَسْبِقُونَ مَنْ جَاءَ بَعْدَكُمْ، وَلاَ يَأْتِي أَحَدٌ بِمِثْلِ مَا جِئْتُمْ، إِلاَّ مَنْ جَاءَ بِمِثْلِهِ، تُسَبِّحُونَ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلاَةٍ عَشْرًا، وَتَحْمَدُونَ عَشْرًا، وَتُكَبِّرُونَ عَشْرًا ‏”‏‏.‏ تَابَعَهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ عَنْ سُمَىٍّ وَرَوَاهُ ابْنُ عَجْلاَنَ عَنْ سُمَىٍّ وَرَجَاءِ بْنِ حَيْوَةَ‏.‏ وَرَوَاهُ جَرِيرٌ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ رُفَيْعٍ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ‏.‏ وَرَوَاهُ سُهَيْلٌ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

গরীব সাহাবীগণ বললেনঃ হে আল্লাহ্‌র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)! ধনী লোকেরা তো উচ্চমর্যাদা ও চিরস্থায়ী নি’য়ামত নিয়ে আমাদের থেকে এগিয়ে গেলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ তা কেমন করে? তাঁরা বললেনঃ আমরা যে রকম সলাত আদায় করি, তাঁরাও সে রকম সলাত আদায় করেন। আমরা যেমন জিহাদ করি, তাঁরাও তেমন জিহাদ করেন এবং তাঁরাও তাদের অতিরিক্ত মাল দিয়ে সদাকাহ-খয়রাত করেন; কিন্তু আমাদের কাছে সম্পদ নেই। তিনি বললেনঃ আমি কি তোমাদের একটি ‘আমাল বাতলে দেব না, যে ‘আমাল দ্বারা তোমরা তোমাদের পূর্ববর্তীদের মর্যাদা লাভ করতে পারবে, আর তোমাদের পরবর্তীদের চেয়ে এগিয়ে যেতে পারবে, আর তোমাদের মত ‘আমাল কেউ করতে পারবে না, কেবলমাত্র যারা তোমাদের মত ‘আমাল করবে তারা ব্যতীত। সে ‘আমাল হলো তোমরা প্রত্যেক সালাতের পর ১০ বার ‘সুবহানাল্লাহ’, ১০ বার ‘আলহামদু লিল্লাহ’ এবং ১০ বার ‘আল্লাহু আকবার’ পাঠ করবে।

সহীহ বুখারী হাদিস নং ৬৩২৯

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ شَبِيبِ بْنِ بِشْرٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَا أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَى عَبْدٍ نِعْمَةً فَقَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ ‏.‏ إِلاَّ كَانَ الَّذِي أَعْطَاهُ أَفْضَلَ مِمَّا أَخَذَ ‏”‏ ‏.‏

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ কোন বান্দাকে যখন যে নিয়ামতই দান করেন, তাতে সে যদি বলে, “আলহামদুলিল্লাহ”, তবে তা (প্রশংসা) তাকে প্রদত্ত জিনিসের চেয়ে উত্তম।

ইবনে মাজাহ হাদিস নং ৩৮০৫

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ، بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ أَبِي عِيسَى الطَّحَّانِ، عَنْ عَوْنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، أَوْ عَنْ أَخِيهِ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ إِنَّ مِمَّا تَذْكُرُونَ مِنْ جَلاَلِ اللَّهِ التَّسْبِيحَ وَالتَّهْلِيلَ وَالتَّحْمِيدَ يَنْعَطِفْنَ حَوْلَ الْعَرْشِ لَهُنَّ دَوِيٌّ كَدَوِيِّ النَّحْلِ تُذَكِّرُ بِصَاحِبِهَا أَمَا يُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَنْ يَكُونَ لَهُ – أَوْ لاَ يَزَالَ لَهُ – مَنْ يُذَكِّرُ بِهِ ‏”‏ ‏.‏

নুমান ইবনে বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তাসবীহ (সুবহানাল্লাহ), তাহলীল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) ও তাহমীদের (আলহামদুলিল্লাহ)-এর মাধ্যমে তোমরা আল্লাহর যে মহিমা বর্ণনা কর তা মৌমাছির গুঞ্জনের ন্যায় শব্দ করে আরশের চারপাশে ঘুরতে থাকে। সেগুলো নিজ নিজ প্রেরকের কথা উল্লেখ করতে থাকে। তোমাদের কেউ কি এটা পছন্দ করে না যে, আল্লাহর নিকট অনবরত তার উল্লেখকারী কেউ থাকুক?

ইবনে মাজাহ হাদিস নং ৩৮০৯

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ الْحِزَامِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو يَحْيَى، زَكَرِيَّا بْنُ مَنْظُورٍ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عُقْبَةَ بْنِ أَبِي مَالِكٍ، عَنْ أُمِّ هَانِئٍ، قَالَتْ أَتَيْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ دُلَّنِي عَلَى عَمَلٍ فَإِنِّي قَدْ كَبِرْتُ وَضَعُفْتُ وَبَدَّنْتُ ‏.‏ فَقَالَ ‏ “‏ كَبِّرِي اللَّهَ مِائَةَ مَرَّةٍ وَاحْمَدِي اللَّهَ مِائَةَ مَرَّةٍ وَسَبِّحِي اللَّهَ مِائَةَ مَرَّةٍ خَيْرٌ مِنْ مِائَةِ فَرَسٍ مُلْجَمٍ مُسْرَجٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَخَيْرٌ مِنْ مِائَةِ بَدَنَةٍ وَخَيْرٌ مِنْ مِائَةِ رَقَبَةٍ ‏”‏ ‏.‏

উম্মে হানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললাম, হে রাসূলাল্লাহ! আমাকে একটা আমল বলে দিন। কেননা এখন তো আমি বৃদ্ধ হয়ে পড়েছি, দুর্বল হয়ে গেছি এবং আমার দেহও ভারী হয়ে গেছে। তিনি বলেনঃ তুমি শতবার আল্লাহু আকবার, শতবার আলহামদুলিল্লাহ এবং শতবার সুবহানাল্লাহ পড়ো। তা জিনপোষ ও লাগামসহ একশত ঘোড়া আল্লাহর পথে (জিহাদে) দান করার চেয়ে উত্তম, একশত উটের চেয়ে উত্তম এবং একশত গোলাম আজাদ করার চেয়ে উত্তম।

ইবনে মাজাহ হাদিস নং ৩৮১০

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ شُعْبَةَ، – الْمَعْنَى – عَنِ الْحَكَمِ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، – قَالَ مُسَدَّدٌ – قَالَ حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، قَالَ شَكَتْ فَاطِمَةُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَا تَلْقَى فِي يَدِهَا مِنَ الرَّحَى فَأُتِيَ بِسَبْىٍ فَأَتَتْهُ تَسْأَلُهُ فَلَمْ تَرَهُ فَأَخْبَرَتْ بِذَلِكَ عَائِشَةَ فَلَمَّا جَاءَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ فَأَتَانَا وَقَدْ أَخَذْنَا مَضَاجِعَنَا فَذَهَبْنَا لِنَقُومَ فَقَالَ ‏”‏ عَلَى مَكَانِكُمَا ‏”‏ ‏.‏ فَجَاءَ فَقَعَدَ بَيْنَنَا حَتَّى وَجَدْتُ بَرْدَ قَدَمَيْهِ عَلَى صَدْرِي فَقَالَ ‏”‏ أَلاَ أَدُلُّكُمَا عَلَى خَيْرٍ مِمَّا سَأَلْتُمَا إِذَا أَخَذْتُمَا مَضَاجِعَكُمَا فَسَبِّحَا ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَاحْمَدَا ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَكَبِّرَا أَرْبَعًا وَثَلاَثِينَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكُمَا مِنْ خَادِمٍ ‏”‏ ‏.‏

আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যাঁতা ঘুরাতে ঘুরাতে ফাত্বিমাহ (রাঃ)-এর হাতে ফোসকা পড়ে যাওয়ায় তিনি একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট অভিযোগ করেন। কিছু সংখ্যক যুদ্ধবন্দী থেকে ফাত্বিমাহ (রাঃ) একটি খাদেম চাওয়ার জন্য নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসলেন, কিন্তু তাঁর দেখা না পেয়ে তিনি এ বিষয়ে ‘আয়িশাহ (রাঃ)-কে জানিয়ে চলে গেলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফিরে আসলে তিনি তাঁকে বিষয়টি জানালেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এমন সময় আমাদের নিকট উপস্থিত হলেন যখন আমরা ঘুমাতে যাচ্ছিলাম।

তাঁর আগমনে আমরা বিছানা থেকে উঠতে উদ্যত হলে তিনি বললেনঃ তোমরা স্বস্থানে থাকো। তিনি এসে আমাদের দু’জনের মাঝখানে বসলেন। এমনকি আমি তাঁর পায়ের শীতল পরশ আমার বুকে অনুভব করছিলাম। তিনি বললেনঃ আমি কি তোমাদের দু’জনকে এমন একটি উত্তম পথ দেখাবোনা যা তোমাদের পার্থিব জিনিসের চেয়ে উত্তম হবে? তা হলো তোমরা শোয়ার সময় তেত্রিশবার সুবহানাল্লাহ, তেত্রিশ বার আলহামদুলিল্লাহ ও চৌত্রিশবার আল্লাহু আকবার বলবে। আর এটা তোমাদের উভয়ের জন্য একটি খাদেমের চেয়ে অধিক উত্তম হবে।

আবু দাউদ হাদিস নং ৫০৬২

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَرَّ بِشَجَرَةٍ يَابِسَةِ الْوَرَقِ فَضَرَبَهَا بِعَصَاهُ فَتَنَاثَرَ الْوَرَقُ فَقَالَ ‏ “‏ إِنَّ الْحَمْدَ لِلَّهِ وَسُبْحَانَ اللَّهِ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ لَتُسَاقِطُ مِنْ ذُنُوبِ الْعَبْدِ كَمَا تَسَاقَطَ وَرَقُ هَذِهِ الشَّجَرَةِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَلاَ نَعْرِفُ لِلأَعْمَشِ سَمَاعًا مِنْ أَنَسٍ إِلاَّ أَنَّهُ قَدْ رَآهُ وَنَظَرَ إِلَيْهِ ‏.‏

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি শুকনা পাতাওয়ালা গাছের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি তাঁর লাঠি দিয়ে তাতে আঘাত করলে হঠাৎ পাতাগুলো ঝরে পরে। অতঃপর তিনি বললেন কোন বান্দা “আলহামদুলিল্লাহ “ সুবহানাল্লাহ” এবং লাইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার” (সকল প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার আল্লাহ তা’আলা অতি পবিত্র এবং আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত সত্য কোন মা’বূদ নেই, তিনি অতি মহান) বললে তা তার গুনাহ সমূহ এরূপভাবে ঝরিয়ে দেয় যেভাবে এ গাছের পাতাসমূহ ঝরে পড়েছে।

তিরমিজি হাদিস নং ৩৫৩৩

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ كَثِيرِ بْنِ بَشِيرِ بْنِ الْفَاكِهِ، قَالَ سَمِعْتُ طَلْحَةَ بْنَ خِرَاشٍ ابْنَ عَمِّ، جَابِرٍ قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ “‏ أَفْضَلُ الذِّكْرِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَفْضَلُ الدُّعَاءِ الْحَمْدُ لِلَّهِ ‏”‏ ‏.‏

জাবের বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি : সর্বশ্রেষ্ঠ জিকির হল “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” (আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই) এবং সর্বশ্রেষ্ঠ দুআ’ হলো “আলহামদুলিল্লাহ” (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর)।

ইবনে মাজাহ হাদিস নং ৩৮০০

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

আলহামদুলিল্লাহ আরবি লেখা. Alhamdulillah Arabic

الْحَمْدُ لِلَّهِ

আলহামদুলিল্লাহ আলা কুল্লি হাল আরবি লেখা. Alhamdulillah ala kulli haal meaning in Arabic

الْحَمْدُ لِلَّهِ عَلَى كُلِّ حَالٍ

Share the Post

Rate the Post

Rating Summary

0.0
0.0 out of 5 stars (based on 0 reviews)
Excellent0%
Very good0%
Average0%
Poor0%
Terrible0%

Latest Reviews

There are no reviews yet. Be the first one to write one.

Latest Post