দারেমী বিবাহ অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ২২৫১ – ২৩০০

দারেমী বিবাহ অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ২২৫১ – ২৩০০

২২৫১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৯. সহবাসের সময় (দু’আয়) যা বলতে হয়

২২৫১. ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনিবলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের কেউ তার স্ত্রীর সাথে মিলনের সময় যেন একথা বলতে অক্ষম না হয়: যে: ’’হে আল্লাহ্! আমাকে শয়তান থেকে দূরে রাখো এবং যে সন্তান আমাদের দান করবে তাকেও শয়তান থেকে দূরো রাখো।’’ অতঃপর যদি আল্লাহ (তাদের সেই মিলনের দ্বারা) কোন সন্তান স্থির করেন, তবে শয়তান তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ৪/৩১১; বুখারী, উযূ ১৪১, বাদাউল খালক ৩২৭১, ৩২৮৩, নিকাহ, ৫১৬১, দাওয়াত ৬৩৮৮, তাওহীদ ৭৩৯৬;; মুসলিম, নিকাহ ১৪৩৪; আবূ দাউদ, নিকাহ ২১৬১; ইবনু মাজাহ, নিকাহ ১৯১৯; আহমাদ ১/২২০, ২৮৩; তিরমিযী, নিকাহ ১০৯২; তায়ালিসী ১/৩১১ নং ১৫৮৭; বাইহাকী, নিকাহ ৭/১৪৯; ইবনুস সুন্নী, নং ৬০৮।

بَاب الْقَوْلِ عِنْدَ الْجِمَاعِ

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ إِسْرَائِيلَ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ سَالِمٍ عَنْ كُرَيْبٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يَمْنَعُ أَحَدَكُمْ أَنْ يَقُولَ حِينَ يُجَامِعُ أَهْلَهُ بِسْمِ اللَّهِ اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبْ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا فَإِنْ قَضَى اللَّهُ وَلَدًا لَمْ يَضُرَّهُ الشَّيْطَانُ

أخبرنا عبيد الله بن موسى عن إسرائيل عن منصور عن سالم عن كريب عن ابن عباس قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ما يمنع أحدكم أن يقول حين يجامع أهله بسم الله اللهم جنبنا الشيطان وجنب الشيطان ما رزقتنا فإن قضى الله ولدا لم يضره الشيطان

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৫২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩০. নারীদের পশ্চাদ্দারে গমণ করা নিষিদ্ধ

২২৫২. খুযাইমা ইবনু সাবিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আল্লাহ তা’আলা হাক্ক প্রকাশে লজ্জা বোধ করেন না। তোমরা নারীদের পশ্চাদ্দারে গমণ করবে না।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ জাইয়্যেদ।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪১৯৮, ৪২০০ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১২৯৯, ১৩০০ তে। ((ইবনু মাজাহ, ১৯২৪)) এটি গত হয়েছে ১১৮৩ নং এ।

بَاب النَّهْيِ عَنْ إِتْيَانِ النِّسَاءِ فِي أَعْجَازِهِنَّ

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنْ الْوَلِيدِ بْنِ كَثِيرٍ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحُصَيْنِ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عَمْرِو بْنِ قَيْسٍ الْخَطْمِيِّ عَنْ هَرَمِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ سَمِعْتُ خُزَيْمَةَ بْنَ ثَابِتٍ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ إِنَّ اللَّهَ لَا يَسْتَحْيِي مِنْ الْحَقِّ لَا تَأْتُوا النِّسَاءَ فِي أَعْجَازِهِنَّ

أخبرنا عبد الله بن سعيد حدثنا أبو أسامة عن الوليد بن كثير عن عبيد الله بن عبد الله بن الحصين عن عبد الملك بن عمرو بن قيس الخطمي عن هرمي بن عبد الله قال سمعت خزيمة بن ثابت قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول إن الله لا يستحيي من الحق لا تأتوا النساء في أعجازهن

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ খুযাইমাহ ইবনু ছাবিত আল আনসারী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৫৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩০. নারীদের পশ্চাদ্দারে গমণ করা নিষিদ্ধ

২২৫৩. জাবির ইবনু আবদুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, ইয়াহুদীরা মুসলিমদেরকে বলত যে, কোন লোক তার স্ত্রীর পিছন দিক থেকে (তার যোনি দ্বারে) সংগম করলে এতে সন্তান টেরা চক্ষু বিশিষ্ট হবে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা’আলা নাযিল করলেন: অর্থাৎ “স্ত্রীগণ তোমাদের জন্য শস্যক্ষেত্র অতএব, তোমরা তোমাদের শস্যক্ষেত্রে যেভাবে ইচ্ছা গমন করতে পার।”[1] (সূরা বাকারাঃ ২২৩)

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ শক্তিশালী। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: এটি গত হয়েছে ১১৭২ নং এ। (( বুখারী, তাফসীর, ৪৫২৮; মুসলিম, নিকাহ ১৪৩৫))

بَاب النَّهْيِ عَنْ إِتْيَانِ النِّسَاءِ فِي أَعْجَازِهِنَّ

حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ الْيَهُودَ قَالُوا لِلْمُسْلِمِينَ مَنْ أَتَى امْرَأَتَهُ وَهِيَ مُدْبِرَةٌ جَاءَ وَلَدُهُ أَحْوَلَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَكُمْ فَأْتُوا حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ

حدثنا خالد بن مخلد حدثنا مالك عن محمد بن المنكدر عن جابر بن عبد الله أن اليهود قالوا للمسلمين من أتى امرأته وهي مدبرة جاء ولده أحول فأنزل الله تعالى نساؤكم حرث لكم فأتوا حرثكم أنى شئتم

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৫৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩১. যে ব্যক্তি কোনো মহিলাকে দেখে নিজের (নফসের) ব্যাপারে আশংকা বোধ করে

২২৫৪. আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোনো এক স্ত্রীলোককে দেখলেন। আর সে তাঁকে মুগ্ধ করল। তখন তিনি তাঁর স্ত্রী সাওদাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা-এর নিকট আসলেন। তিনি তখন সুগন্ধি প্রস্তুত করছিলেন এবং তার নিকট অন্যান্য স্ত্রীলোকও ছিল। এরপর তিনি তাঁর সাথে নিভৃতে চলে গেলেন এবং তিনি (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিজের প্রয়োজন পূরণ করলেন। অতঃপর তিনি বললেন:“যখন কোনো লোক কোন স্ত্রীলোককে দেখে এবং সে তাকে মুগ্ধ করে তখন সে যেন তার স্ত্রীর নিকট যায়। কেননা, এর নিকট যা রয়েছে, তার স্ত্রী’র নিকটও অনুরূপ রয়েছে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান।

 

তাখরীজ: বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ৫৪৩৫, ৫৪৩৬;

 

আর এর শাহিদ হাদীস রয়েছে জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে সহীহ মুসলিম, নিকাহ ১৪০৩ তে, আমরা যার তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৫৭২, ৫৫৭৩ এ।

 

আবার এর অপর শাহিদ রয়েছে আবী কাবশা হতে আহমাদ ৪/২৩১ তে যার সনদ জাইয়্যেদ বা উত্তম।

بَاب الرَّجُلِ يَرَى الْمَرْأَةَ فَيَخَافُ عَلَى نَفْسِهِ

أَخْبَرَنَا قَبِيصَةُ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَلَّامٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ امْرَأَةً فَأَعْجَبَتْهُ فَأَتَى سَوْدَةَ وَهِيَ تَصْنَعُ طِيبًا وَعِنْدَهَا نِسَاءٌ فَأَخْلَيْنَهُ فَقَضَى حَاجَتَهُ ثُمَّ قَالَ أَيُّمَا رَجُلٍ رَأَى امْرَأَةً تُعْجِبُهُ فَلْيَقُمْ إِلَى أَهْلِهِ فَإِنَّ مَعَهَا مِثْلَ الَّذِي مَعَهَا

أخبرنا قبيصة أخبرنا سفيان عن أبي إسحق عن عبد الله بن حلام عن عبد الله بن مسعود قال رأى رسول الله صلى الله عليه وسلم امرأة فأعجبته فأتى سودة وهي تصنع طيبا وعندها نساء فأخلينه فقضى حاجته ثم قال أيما رجل رأى امرأة تعجبه فليقم إلى أهله فإن معها مثل الذي معها

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ‌ ইব্‌ন মাসউদ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৫৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩২. কুমারী মেয়েদের বিয়ে করা প্রসঙ্গে

২২৫৫. জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে কোনো এক সফরে ছিলাম। এরপর যখন আমরা ফিরে আসছিলাম, তখন আমি তাড়াতাড়ি চলছিলাম। এমন সময় আমি এক আরোহীর সাক্ষাত পেলাম।

তিনি বলেন, এরপর আমি ফিরে দেখি যে, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে রয়েছি। তখন তিনি আমাকে প্রশ্ন করলেন, “হে জাবির, তোমার এত তাড়াতাড়ি করার কারণ কী?” আমি উত্তর দিলাম, আমি নতুন বিয়ে করেছি। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি কি কুমারী মেয়ে বিয়ে করলে, না বিধবা?” আমি উত্তর দিলাম, বিধবা। তিনি বললেন, “তুমি কুমারী মেয়ে বিয়ে করলে না কেন? যার সঙ্গে খেলা-কৌতুক করতে পারতে আর সেও তোমার সঙ্গে খেলা-কৌতুক করত।”

এরপর তিনি আমাকে বললেন, “যখন তুমি পৌঁছবে, তখন তুমি মিলিত হবে, তুমি মিলিত হবে।”তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন, এরপর তিনি আমাকে বললেন, যখন আমরা (মদিনায়) পৌঁছলাম, এবং আমরা (বাড়িতে) প্রবেশ করব, এমন সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, তুমি রাতে প্রবেশ করা থেকে অপেক্ষা কর, যেন (অনুপস্থিত স্বামীর স্ত্রী) নিজের অবিন্যস্ত কেশরাশি বিন্যাস করতে পারে এবং (গোপনাঙ্গের) লোম পরিষ্কার করতে পারে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: বুখারী, মাগাযী, ৪০৫২, নিকাহ ৫০৭৯; মুসলিম, রাদা’আ ৭১৫।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৭৯৩, ১৮৫০, ১৮৯৮ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৭১৭, ৬৬৮৩, ৭১৩৮ এবং মুসনাদুল হুমাইদী নং ১২৬১ তে।

بَاب فِي تَزْوِيجِ الْأَبْكَارِ

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُطِيعٍ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ أَخْبَرَنَا سَيَّارٌ عَنْ الشَّعْبِيِّ حَدَّثَنَا جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ فَلَمَّا قَفَلْنَا تَعَجَّلْتُ فَلَحِقَنِي رَاكِبٌ قَالَ فَالْتَفَتُّ فَإِذَا أَنَا بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لِي مَا أَعْجَلَكَ يَا جَابِرُ قَالَ إِنِّي حَدِيثُ عَهْدٍ بِعُرْسٍ قَالَ أَفَبِكْرًا تَزَوَّجْتَهَا أَمْ ثَيِّبًا قَالَ قُلْتُ بَلْ ثَيِّبًا قَالَ فَهَلَّا بِكْرًا تُلَاعِبُهَا وَتُلَاعِبُكَ قَالَ ثُمَّ قَالَ لِي إِذَا قَدِمْتَ فَالْكَيْسَ الْكَيْسَ قَالَ فَلَمَّا قَدِمْنَا ذَهَبْنَا نَدْخُلُ قَالَ أَمْهِلُوا حَتَّى نَدْخُلَ لَيْلًا أَيْ عِشَاءً لِكَيْ تَمْتَشِطَ الشَّعِثَةُ وَتَسْتَحِدَّ الْمُغِيبَةُ

أخبرنا عبد الله بن مطيع حدثنا هشيم أخبرنا سيار عن الشعبي حدثنا جابر بن عبد الله قال كنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم في سفر فلما قفلنا تعجلت فلحقني راكب قال فالتفت فإذا أنا برسول الله صلى الله عليه وسلم فقال لي ما أعجلك يا جابر قال إني حديث عهد بعرس قال أفبكرا تزوجتها أم ثيبا قال قلت بل ثيبا قال فهلا بكرا تلاعبها وتلاعبك قال ثم قال لي إذا قدمت فالكيس الكيس قال فلما قدمنا ذهبنا ندخل قال أمهلوا حتى ندخل ليلا أي عشاء لكي تمتشط الشعثة وتستحد المغيبة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৫৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৩. ‘গীলাহ’ বা দুগ্ধ পোষ্য শিশুর মায়ের (সাথে মিলিত হওয়া) সম্পর্কে

২২৫৬. জুদামা বিনতু ওয়াহাব আসাদিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আমি স্তন্যদায়িনী স্ত্রীর সাথে সংগম নিষিদ্ধ ঘোষণা করার ইচ্ছে করলাম। এরপর আমার নিকট আলোচনা করা হল যে, রোম ও পারস্যবাসী লোকেরাও তা করে থাকে, অথচ তাতে তাদের সন্তানদের কোন ক্ষতি হয় না।”[1] আবূ মুহাম্মদ বলেন, ’গীলাহ’ হলো স্তন্যদায়িনী স্ত্রীর সাথে সংগম করা।

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ শক্তিশালী।

 

তাখরীজ: মালিক, রা’দ্বা’আ ১৬ সহীহ সনদে; মুসলিম, নিকাহ ১৪৪২; ইবনুল আছীর, আসদুল গাবাহ ৭/৪৮।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪১৯৬ তে।

بَاب فِي الْغِيلَةِ

أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ نَوْفَلٍ الْأَسَدِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ عَنْ جُدَامَةَ بِنْتِ وَهْبٍ الْأَسَدِيَّةِ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ أَنْهَى عَنْ الْغِيلَةِ حَتَّى ذَكَرْتُ أَنَّ فَارِسَ وَالرُّومَ يَصْنَعُونَ ذَلِكَ فَلَا يَضُرُّ أَوْلَادَهُمْ قَالَ أَبُو مُحَمَّد الْغِيلَةُ أَنْ يُجَامِعَهَا وَهِيَ تُرْضِعُ

أخبرنا خالد بن مخلد حدثنا مالك عن محمد بن عبد الرحمن بن نوفل الأسدي عن عروة عن عائشة عن جدامة بنت وهب الأسدية قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لقد هممت أن أنهى عن الغيلة حتى ذكرت أن فارس والروم يصنعون ذلك فلا يضر أولادهم قال أبو محمد الغيلة أن يجامعها وهي ترضع

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৫৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৪. স্ত্রীদেরকে প্রহার করার নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে

২২৫৭. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো তাঁর কোনো খাদিমকে প্রহার করেননি; আর তিনি নিজ হাতে কোনো কিছুকেই হত্যা করেননি। তবে তিনি আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা’র রাস্তায় জিহাদ করেছেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: মুসলিম, ফাযাইল ২৩২৭।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৩৭৫, এতে বাড়তি অংশও রয়েছে; ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৮৮, ৬৪৪৪; এ বাড়তি অংশটুকু বর্ণনা করেছেন বুখারী, মানাকিব ৩৫৬০ তে এবং আমাদের তাহক্বীক্বকৃত মুসনাদুল হুমাইদী নং ২৬০ তে।

بَاب فِي النَّهْيِ عَنْ ضَرْبِ النِّسَاءِ

حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ مَا ضَرَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَادِمًا قَطُّ وَلَا ضَرَبَ بِيَدِهِ شَيْئًا قَطُّ إِلَّا أَنْ يُجَاهِدَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ

حدثنا جعفر بن عون أخبرنا هشام بن عروة عن أبيه عن عائشة قالت ما ضرب رسول الله صلى الله عليه وسلم خادما قط ولا ضرب بيده شيئا قط إلا أن يجاهد في سبيل الله

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৫৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৪. স্ত্রীদেরকে প্রহার করার নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে

২২৫৮. ইয়াস ইবনু ’আবদুল্লাহ্ ইবনু আবূ যুবাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তোমরা আল্লাহর দাসীদের প্রহার করো না।” অতঃপর ’উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে এসে বলেন : নারীরা তো তাদের স্বামীদের অবাধ্যাচরণ করছে। অতঃপর তিনি তাদেরকে মারার অনুমতি দিলেন (এবং তারা প্রহৃত হলো।) ফলে অনেক নারী তাদের নিজ নিজ স্বামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাড়িতে আসা-যাওয়া করলো। তখন (সকাল বেলায়) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: ’’আজ রাতে মুহাম্মাদের পরিবারে অনেক মহিলা এসে তাদের প্রত্যেকেই নিজ নিজ স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। এসকল (মারপিটকারীরা) তোমাদের মধ্যে উত্তম লোক নয়।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪১৮৯ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৩১৬ এবং মুসনাদুল হুমাইদী নং ৯০০ তে।

 

((আব্দুর রাযযাক, আল মুছান্নাফ ১৭৯৪৫; তাবারাণী ৭৮৪; বাইহাকী ৭/৩০৪; ইবনু মাজাহ, নিকাহ ১৯৮৫; আবূ দাউদ, নিকাহ ২১৪৬; নাসাঈ, কুবরা; শাফিঈ ২/২৮; হাকিম ২/১৮৮, ১৯১; বাগাবী, ২৩৪৬; হাকিম একে সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী তা সমর্থন করেছেন।– মুহাক্বিক্বের সহীহ ইবনু হিব্বান হা/৪১৮৯ এর টীকা হতে।– অনুবাদক))

بَاب فِي النَّهْيِ عَنْ ضَرْبِ النِّسَاءِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ إِيَاسِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي ذُبَابٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تَضْرِبُوا إِمَاءَ اللَّهِ فَجَاءَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ قَدْ ذَئِرْنَ عَلَى أَزْوَاجِهِنَّ فَرَخَّصَ فِي ضَرْبِهِنَّ فَأَطَافَ بِآلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نِسَاءٌ كَثِيرٌ يَشْكُونَ أَزْوَاجَهُنَّ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَقَدْ طَافَ بِآلِ مُحَمَّدٍ نِسَاءٌ كَثِيرٌ يَشْكُونَ أَزْوَاجَهُنَّ لَيْسَ أُولَئِكَ بِخِيَارِكُمْ

أخبرنا محمد بن أحمد بن أبي خلف حدثنا سفيان عن الزهري عن عبيد الله بن عبد الله عن إياس بن عبد الله بن أبي ذباب قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا تضربوا إماء الله فجاء عمر بن الخطاب إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال قد ذئرن على أزواجهن فرخص في ضربهن فأطاف بآل رسول الله صلى الله عليه وسلم نساء كثير يشكون أزواجهن فقال النبي صلى الله عليه وسلم لقد طاف بآل محمد نساء كثير يشكون أزواجهن ليس أولئك بخياركم

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৫৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৪. স্ত্রীদেরকে প্রহার করার নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে

২২৫৯. ’আবদুল্লাহ্ ইবনু যামআহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন লোকদের মাঝে খুতবাহ দিলেন। এ খুতবায় তিনি নারীদের ব্যাপারে লোকদেরকে উপদেশ দিলেন। তিনি বলেন, “সেই লোকের অবস্থা কী, যে তার স্ত্রীকে ক্রীতদাসের মত মারপিট করে; কিন্তু ঐ দিনের শেষেই সে আবার তার সঙ্গে (এক বিছানায়) মিলিত হয়?!”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: বুখারী, তাফসীর, ৪৯৪২; মুসলিম, জান্নাত ওয়া সিফাতু নাঈমুহা ২৮৫৫। এছাড়াও, ইবনুল কানি’, মু’জামুস সাহাবাহ, তরজমাহ নং ৬০২।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪১৯০ তে।

بَاب فِي النَّهْيِ عَنْ ضَرْبِ النِّسَاءِ

أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَمَعَةَ قَالَ خَطَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّاسَ يَوْمًا فَوَعَظَهُمْ فِي النِّسَاءِ فَقَالَ مَا بَالُ الرَّجُلِ يَجْلِدُ امْرَأَتَهُ جَلْدَ الْعَبْدِ وَلَعَلَّهُ يُضَاجِعُهَا فِي آخِرِ يَوْمِهِ

أخبرنا جعفر بن عون أخبرنا هشام بن عروة عن أبيه عن عبد الله بن زمعة قال خطب رسول الله صلى الله عليه وسلم الناس يوما فوعظهم في النساء فقال ما بال الرجل يجلد امرأته جلد العبد ولعله يضاجعها في آخر يومه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু যাম‘আহ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৬০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৫. স্ত্রীর প্রতি স্বামীর কোমল আচরণ করা

২২৬০. আবী যার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :“নারীকে পাজরের (বাঁকা) হাড় হতে সৃষ্টি করা হয়েছে। ফলে তুমি যদি তাকে সোজা করতে যাও, তবে তাকে ভেঙ্গে ফেলবে; ফলে তুমি তার সাথে কোমল আচরণ করো। কেননা, তার মাঝে যেমন বক্রতা/ কষ্ট আছে তেমনি প্রাচুর্য/ পূর্ণতাও রয়েছে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: বাযযার, কাশফুল আসতার নং ১৪৭৮; আহমাদ ৫/১৫১; নাসাঈ, আশারাতুন নিসা নং ২৭০ সহীহ সনদে; আর এর শাহিদ পরবর্তী হাদীসটি।

بَاب فِي مُدَارَاةِ الرَّجُلِ أَهْلَهُ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الرَّقَاشِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ حَدَّثَنَا الْجُرَيْرِيُّ عَنْ أَبِي الْعَلَاءِ عَنْ نُعَيْمِ بْنِ قَعْنَبٍ عَنْ أَبِي ذَرٍّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ الْمَرْأَةَ خُلِقَتْ مِنْ ضِلَعٍ فَإِنْ تُقِمْهَا كَسَرْتَهَا فَدَارِهَا فَإِنَّ فِيهَا أَوَدًا وَبُلْغَةً

أخبرنا محمد بن عبد الله الرقاشي حدثنا عبد الوارث حدثنا الجريري عن أبي العلاء عن نعيم بن قعنب عن أبي ذر أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال إن المرأة خلقت من ضلع فإن تقمها كسرتها فدارها فإن فيها أودا وبلغة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৬১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৫. স্ত্রীর প্রতি স্বামীর কোমল আচরণ করা

২২৬১. আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “নারীরা হচ্ছে পাঁজরের হাড়ের ন্যায়। যদি একেবারে সোজা করতে চাও, তাহলে ভেঙ্গে যাবে। সুতরাং, যদি তোমরা তাদের থেকে উপকার লাভ করতে চাও, তাহলে ঐ বাঁকা অবস্থাতেই লাভ করতে হবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ শক্তিশালী। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: বুখারী, নিকাহ, ৫১৮৪; মুসলিম, রাদা’আ ১৪৬৮।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬২১৮ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪১৭৯, ৪১৮০ এবং মুসনাদুল হুমাইদী নং ১২০২ তে।

بَاب فِي مُدَارَاةِ الرَّجُلِ أَهْلَهُ

أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا الْمَرْأَةُ كَالضِّلَعِ إِنْ تُقِمْهَا تَكْسِرْهَا وَإِنْ تَسْتَمْتِعْ تَسْتَمْتِعْ وَفِيهَا عِوَجٌ

أخبرنا خالد بن مخلد حدثنا مالك عن أبي الزناد عن الأعرج عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إنما المرأة كالضلع إن تقمها تكسرها وإن تستمتع تستمتع وفيها عوج

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৬২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৬. আযল সম্পর্কে

২২৬২. আবী সাঈদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে ’আযল করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন: “তোমরা কি তা করো নাকি? তোমরা যদি তা (আযল) না কর তাতে তোমাদের কোন ক্ষতি নেই। কারণ আল্লাহ তাআলা যে প্রাণ (সৃষ্টি) হওয়ার ফায়সালা করে রেখেছেন, তা অবশ্যই হবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: বুখারী, বুয়ূ, ২২২৯; মুসলিম, নিকাহ ১৪৩৮।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১০৫০, ১২৫০ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪১৯১, ৪১৯৩ এবং মুসনাদুল হুমাইদী নং ৭৬৪ তে। পরবর্তীটিও দেখুন।

بَاب فِي الْعَزْلِ

أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْهَاشِمِيُّ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ سَأَلَ رَجُلٌ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ الْعَزْلِ فَقَالَ أَوَ تَفْعَلُونَ ذَلِكَ فَلَا عَلَيْكُمْ أَنْ لَا تَفْعَلُوا فَإِنَّهُ لَيْسَ مِنْ نَسَمَةٍ قَضَى اللَّهُ تَعَالَى أَنْ تَكُونَ إِلَّا كَانَتْ

أخبرنا سليمان بن داود الهاشمي عن إبراهيم بن سعد عن الزهري عن عبيد الله بن عبد الله بن عتبة عن أبي سعيد قال سأل رجل رسول الله صلى الله عليه وسلم عن العزل فقال أو تفعلون ذلك فلا عليكم أن لا تفعلوا فإنه ليس من نسمة قضى الله تعالى أن تكون إلا كانت

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৬৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৬. আযল সম্পর্কে

২২৬৩. আবূ সাঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! কোনো লোকের বন্দী দাসী রয়েছে, যার সাথে সে সঙ্গত হয়। কিন্তু সে গর্ভবতী হোক- তা সে চায় না। এমতাবস্থায় সে তার সাথে আযল- (নিরুদ্ধ সঙ্গম করা) করবে কি? আবার কোনো লোকের দুগ্ধদায়িনী স্ত্রী রয়েছে, যার সাথে সে সঙ্গত হয়। কিন্তু সে চায় না যে, সে গর্ভবতী হোক। এমতাবস্থায় সে তার সাথে আযল- (নিরুদ্ধ সঙ্গম করা) করবে কি? তিনি বললেন, তোমরা যদি তা (আযল) না কর তাতে তোমাদের কোন ক্ষতি নেই। কারণ তা হলো (আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত) তাকদীর।”[1]

ইবনু আউন বলেন, এরপর আমি এটি হাসান (রহঃ) এর নিকট উল্লেখ করলে তিনি বললেন, আল্লাহর কসম, আমার মনে হয়, এটাই হলো নিষেধাজ্ঞা বা ধমক স্বরূপ! আল্লাহর কসম, আমার মনে হয়, এটাই হলো নিষেধাজ্ঞা বা ধমক স্বরূপ!

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: এটি আগের হাদীসটির পূর্ণরূপ। আরও দেখুন, মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৩০৬ এবং পূর্ণ তাখরীজের জন্য আগের টীকাটি দেখুন।

بَاب فِي الْعَزْلِ

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا ابْنُ عَوْنٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ بِشْرٍ يَرُدُّ الْحَدِيثَ إِلَى أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ الرَّجُلُ تَكُونُ لَهُ الْجَارِيَةُ فَيُصِيبُ مِنْهَا وَيَكْرَهُ أَنْ تَحْمِلَ أَفَيَعْزِلُ عَنْهَا وَتَكُونُ عِنْدَهُ الْمَرْأَةُ تُرْضِعُ فَيُصِيبُ مِنْهَا وَيَكْرَهُ أَنْ تَحْمِلَ فَيَعْزِلُ عَنْهَا قَالَ لَا عَلَيْكُمْ أَنْ لَا تَفْعَلُوا فَإِنَّمَا هُوَ الْقَدَرُ قَالَ ابْنُ عَوْنٍ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِلْحَسَنِ فَقَالَ وَاللَّهِ لَكَأَنَّ هَذَا زَجْرًا وَاللَّهِ لَكَأَنَّ هَذَا زَجْرًا

أخبرنا يزيد بن هارون أخبرنا ابن عون عن محمد بن سيرين عن عبد الرحمن بن بشر يرد الحديث إلى أبي سعيد الخدري قال قلنا يا رسول الله الرجل تكون له الجارية فيصيب منها ويكره أن تحمل أفيعزل عنها وتكون عنده المرأة ترضع فيصيب منها ويكره أن تحمل فيعزل عنها قال لا عليكم أن لا تفعلوا فإنما هو القدر قال ابن عون فذكرت ذلك للحسن فقال والله لكأن هذا زجرا والله لكأن هذا زجرا

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৬৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৭. আত্মসম্মানবোধ সম্পর্কে

২২৬৪. ’আবদুল্লাহ্ ইবনু মাস’ঊদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “আল্লাহর চেয়ে অধিক আত্মমর্যাদাশীল কেউ নেই এবং এ কারণেই তিনি সকল অশ্লীল কাজ হারাম করেছেন। আর আল্লাহর চেয়ে অধিক প্রশংসাপ্রিয় আর কেউ নেই।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: বুখারী, নিকাহ, ৫২২০; মুসলিম, তাওবাহ ২৭৬০।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫১২৩, ৫১৬৯, ৫১৭৮ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৯৪ তে।

بَاب فِي الْغَيْرَةِ

حَدَّثَنَا يَعْلَى حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ شَقِيقٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْسَ أَحَدٌ أَغْيَرَ مِنْ اللَّهِ لِذَلِكَ حَرَّمَ الْفَوَاحِشَ وَلَيْسَ أَحَدٌ أَحَبُّ إِلَيْهِ الْمَدْحُ مِنْ اللَّهِ

حدثنا يعلى حدثنا الأعمش عن شقيق عن عبد الله قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ليس أحد أغير من الله لذلك حرم الفواحش وليس أحد أحب إليه المدح من الله

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ‌ ইব্‌ন মাসউদ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৬৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৭. আত্মসম্মানবোধ সম্পর্কে

২২৬৫. জাবির ইবনু আতীক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন, “গীরাত (আত্মমর্যাদাবোধ) (দু’ধরণের; একটি হলো-) যা আল্লাহ্ পছন্দ করেন এবং (অপরটি)- যা আল্লাহ্ অপছন্দ করেন। যে ’গীরাত’ মহান আল্লাহ্ পছন্দ করেন, তা হলো- সন্দেহের ক্ষেত্রে গীরাতের প্রদর্শন। আর যে ’গীরাত’ আল্লাহ্ অপছন্দ করেন, তা হলো- যেখানে কোনরূপ সন্দেহের অবকাশ নেই, সে বিষয়ে গীরাত দেখানো।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ জাইয়্যেদ।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৯৫ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৩১৩ তে।

بَاب فِي الْغَيْرَةِ

أَخْبَرَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنِي ابْنُ جَابِرِ بْنِ عَتِيكٍ حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مِنْ الْغَيْرَةِ مَا يُحِبُّ اللَّهُ وَمِنْهَا مَا يُبْغِضُ اللَّهُ فَالْغَيْرَةُ الَّتِي يُحِبُّ اللَّهُ الْغَيْرَةُ فِي الرِّيبَةِ وَالْغَيْرَةُ الَّتِي يُبْغِضُ اللَّهُ الْغَيْرَةُ فِي غَيْرِ رِيبَةٍ

أخبرنا أبو المغيرة حدثنا الأوزاعي حدثنا يحيى بن أبي كثير عن محمد بن إبراهيم حدثني ابن جابر بن عتيك حدثني أبي أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال من الغيرة ما يحب الله ومنها ما يبغض الله فالغيرة التي يحب الله الغيرة في الريبة والغيرة التي يبغض الله الغيرة في غير ريبة

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ জাবির ইবনু আতীক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৬৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৭. আত্মসম্মানবোধ সম্পর্কে

২২৬৬. মুগীরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, সা’দ ইবনু ’উবাদাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন, আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে অন্য কোন পুরুষকে যদি দেখি, তাকে সরাসরি খোলা তরবারি দিয়ে হত্যা করব। এ কথা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে পৌঁছলে তিনি বললেনঃ “তোমরা কি সা’দের আত্মমর্যাদাবোধ দেখে বিস্মিত হচ্ছ? আমি তার চেয়েও অধিক আত্মমর্যাদাসম্পন্ন। আর আল্লাহ্ আমার চেয়েও অধিক আত্মমর্যাদাসম্পন্ন। আল্লাহ্ আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন হবার কারণে প্রকাশ্য ও গোপনীয় (যাবতীয়) অশ্লীলতাকে হারাম করে দিয়েছেন। আল্লাহর চেয়ে অধিক আত্মমর্যাদাসম্পন্ন কেউই নেই। অক্ষমতা প্রকাশকে আল্লাহর চেয়ে অধিক পছন্দ করেন এমন কেউই নেই। আর এজন্য তিনি নবী, ভীতি প্রদর্শনকারী ও সুসংবাদদাতাদেরকে পাঠিয়েছেন। প্রশংসা আল্লাহর চেয়ে আর কারো কাছে অধিক প্রিয় নয়। তাই তিনি জান্নাতের ওয়াদা দিয়েছেন।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: আহমাদ ৪/২৪৮; বুখারী, তাওহীদ, ৭৪১৬; মুসলিম, লি’আন ১৪৯৯। হাকিম ৪/৩৫৮; ইবনু আবী শাইবা, ৪/৪১৯; ইবনু আবী আসিম, আস সুন্নাহ নং ৫২২, ৫২৩।

بَاب فِي الْغَيْرَةِ

حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ عَدِيٍّ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ عَنْ وَرَّادٍ مَوْلَى الْمُغِيرَةِ عَنْ الْمُغِيرَةِ قَالَ بَلَغَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ سَعْدَ بْنَ عُبَادَةَ يَقُولُ لَوْ وَجَدْتُ مَعَهَا رَجُلًا لَضَرَبْتُهَا بِالسَّيْفِ غَيْرَ مُصْفَحٍ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتَعْجَبُونَ مِنْ غَيْرَةِ سَعْدٍ أَنَا أَغَيْرُ مِنْ سَعْدٍ وَاللَّهُ أَغَيْرُ مِنِّي وَلِذَلِكَ حَرَّمَ الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ وَلَا شَخْصَ أَغَيْرُ مِنْ اللَّهِ وَلَا أَحَبُّ إِلَيْهِ مِنْ الْمَعَاذِرِ وَلِذَلِكَ بَعَثَ النَّبِيِّينَ مُبَشِّرِينَ وَمُنْذِرِينَ وَلَا شَخْصَ أَحَبُّ إِلَيْهِ الْمَدْحُ مِنْ اللَّهِ وَلِذَلِكَ وَعَدَ الْجَنَّةَ

حدثنا زكريا بن عدي حدثنا عبيد الله بن عمرو عن عبد الملك بن عمير عن وراد مولى المغيرة عن المغيرة قال بلغ رسول الله صلى الله عليه وسلم أن سعد بن عبادة يقول لو وجدت معها رجلا لضربتها بالسيف غير مصفح فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم أتعجبون من غيرة سعد أنا أغير من سعد والله أغير مني ولذلك حرم الفواحش ما ظهر منها وما بطن ولا شخص أغير من الله ولا أحب إليه من المعاذر ولذلك بعث النبيين مبشرين ومنذرين ولا شخص أحب إليه المدح من الله ولذلك وعد الجنة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ মুগীরা ইবনু শু’বা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৬৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৮. স্ত্রীলোকের উপর তার স্বামীর হক (অধিকার) সম্পর্কে

২২৬৭. আবূ হুরাইরাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “কোন স্ত্রীলোক যদি স্বামীর বিছানা পরিত্যাগ করত: (অন্যত্র) রাত্রি যাপন করে, তাহলে ফেরেশ্তাগণ এমন স্ত্রীর উপর লা’নত দিতে থাকে, যতক্ষণ পর্যন্ত সে (স্বামীর বিছানায়) ফিরে না আসে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: বুখারী, বাদাউল খালক, ৩২৩৭; মুসলিম, নিকাহ ১৪৩৬।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬১৯৬, ৬২১৩ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪১৭২, ৪১৭৩, ৪১৭৪ তে।

بَاب فِي حَقِّ الزَّوْجِ عَلَى الْمَرْأَةِ

حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ أَخْبَرَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى الْعَامِرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا بَاتَتْ الْمَرْأَةُ هَاجِرَةً لِفِرَاشِ زَوْجِهَا لَعَنَتْهَا الْمَلَائِكَةُ حَتَّى تَرْجِعَ

حدثنا هاشم بن القاسم حدثنا شعبة أخبرنا قتادة عن زرارة بن أوفى العامري عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال إذا باتت المرأة هاجرة لفراش زوجها لعنتها الملائكة حتى ترجع

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৬৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৯. লি’আন করা সম্পর্কে

২২৬৮. সাহল ইবনু সা’দ সা’ঈদী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, ’উওয়াইমির’ আজলানী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! যদি কেউ তার স্ত্রীর সঙ্গে পরপুরুষকে (ব্যভিচার-রত) দেখতে পায়, আর তাকে হত্যা করে ফেলে, তবে আপনারা কি তাকে হত্যা করবেন? অথবা,(যদি সে স্বামী হত্যা না করে), তবে সে কী করবে? তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ “তুমি ও তোমার স্ত্রীর ব্যাপারে আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে। সুতরাং তুমি গিয়ে তাঁকে (তোমার স্ত্রীকে) নিয়ে আস।” সাহল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, এরপর তারা দু’জনে লি’আন (পরস্পরকে অভিশাপ দিতে আরম্ভ) করলো। আমি সে সময় (অন্যান্য) লোকের সঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে ছিলাম। উভয়ের লি’আন করা শেষ হয়ে গেলে তিনি (উওয়াইমির) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! এখন যদি আমি তাকে (স্ত্রী হিসেবে) ধরে রাখি তবে এটা তার উপর মিথ্যারোপ করা হবে। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে আদেশ দেয়ার পূর্বেই তিনি তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিলেন।

ইবনু শিহাব (রহ.) বলেন, এটাই লি’আনকারীদ্বয়ের ব্যাপারে সুন্নাত হয়ে দাঁড়াল।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: বুখারী, তালাক, ৫২৫৯; মুসলিম, লি’আন ১৪৯২। এছাড়াও, বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ২৩৬৬; ইবনু আব্দুল বারর, তামহীদ ৬/১৮৩-১৮৫; তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ৪/১৫৫-১৫৬;

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪২৮৪, ৪২৮৫ তে।

بَاب فِي اللِّعَانِ

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ أَنَّ عُوَيْمِرًا الْعَجْلَانِيَّ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ رَجُلًا وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلًا أَيَقْتُلُهُ فَيَقْتُلُونَهُ أَمْ كَيْفَ يَفْعَلُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَنْزَلَ اللَّهُ فِيكَ وَفِي صَاحِبَتِكَ فَاذْهَبْ فَأْتِ بِهَا قَالَ سَهْلٌ فَتَلَاعَنَا وَأَنَا مَعَ النَّاسِ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا فَرَغَا مِنْ تَلَاعُنِهِمَا قَالَ كَذَبْتُ عَلَيْهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنْ أَمْسَكْتُهَا فَطَلَّقَهَا ثَلَاثًا قَبْلَ أَنْ يَأْمُرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ وَكَانَتْ تِلْكَ بَعْدُ سُنَّةَ الْمُتَلَاعِنَيْنِ

حدثنا عبيد الله بن عبد المجيد حدثنا مالك عن ابن شهاب عن سهل بن سعد أن عويمرا العجلاني قال يا رسول الله أرأيت رجلا وجد مع امرأته رجلا أيقتله فيقتلونه أم كيف يفعل فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم قد أنزل الله فيك وفي صاحبتك فاذهب فأت بها قال سهل فتلاعنا وأنا مع الناس عند رسول الله صلى الله عليه وسلم فلما فرغا من تلاعنهما قال كذبت عليها يا رسول الله إن أمسكتها فطلقها ثلاثا قبل أن يأمره رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ابن شهاب وكانت تلك بعد سنة المتلاعنين

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা’দ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৬৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৯. লি’আন করা সম্পর্কে

২২৬৯. সাহল ইবনু সা’দ সা’ঈদী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, ’উওয়াইমির’ আজলানী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ’আসেম ইবনু ’আদী আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর নিকট আসলেন, যিনি ছিলেন বনী আজলান গোত্রের নেতা।’ এরপর তিনি (সাহল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন তবে সেখানে ’’তিনি তাকে তিনবার তালাক দিলেন’-এ কথা উল্লেখ করেননি।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসের পুনরাবৃত্তি।

بَاب فِي اللِّعَانِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ الْأَوْزَاعِيِّ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ أَنَّ عُوَيْمِرًا أَتَى عَاصِمَ بْنَ عَدِيٍّ وَكَانَ سَيِّدَ بَنِي عَجْلَانَ فَذَكَرَ مِثْلَهُ وَلَمْ يَذْكُرْ طَلَّقَهَا ثَلَاثًا

حدثنا محمد بن يوسف عن الأوزاعي عن ابن شهاب عن سهل بن سعد أن عويمرا أتى عاصم بن عدي وكان سيد بني عجلان فذكر مثله ولم يذكر طلقها ثلاثا

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা’দ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৭০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৯. লি’আন করা সম্পর্কে

২২৬০. সাঈদ ইবনু জুবাইর (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, মুসআব ইবনু জুবাইর যখন (ইরাক অঞ্চলের) আমীর তখন লিআনকারী স্বামী-স্ত্রীকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে আমাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। কিন্তু এই বিষয়ে কি বলব তা আমার জানা ছিল না। তাই আমি আমার ঘর থেকে উঠে আবদুল্লাহ ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর বাড়িতে গেলাম এবং তার গোলামকে বললাম, ’তাঁর কাছে প্রবেশের অনুমতি চাও।’ সে বলল যে, তিনি দুপুরের বিশ্রাম নিচ্ছেন। ফলে আপনি তার কাছে প্রবেশ করতে পারবেন না। এই সময় ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু (নিজে ভিতর থেকে) আমার কণ্ঠ শুনে বললেন, ইবনু জুবাইর, ভিতরে এসো। কোন প্রয়োজন ছাড়াঅন্য কিছু তোমাকে এখানে নিয়ে আসেনি।

ইবনু জুবাইর বলেন, আমি ভিতরে প্রবেশ করলাম। দেখলাম তিনি কনুইকে বালিশ বানিয়ে কিংবা, আব্দুল্লাহ’র সন্দেহ, আঁশ বা তুলা ভরা একটি বালিশে মাথা রেখে উটের পিঠে ব্যবহৃত আসনের একটি গদিতে শুয়ে আছেন। আমি বললাম, হে আবূ আবদুর রহমান, লিআনকারী স্বামী-স্ত্রীর একজনকে আরেকজন থেকে কি বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে?

তিনি বললেন, সুবহানাল্লাহ্ , হ্যাঁ। এই বিষয়ে অমুক সর্বপ্রথম জিজ্ঞাসা করেছিলেন। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে এসে বলেছিলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ্, কি বলেন, আমাদের কেউ যদি তার স্ত্রীকে অপকর্মে লিপ্ত দেখতে পায় তবে সে কি করবে? আর সে যদি চুপ থাকে, তাহলে তো সে মারাত্মক এক বিষয়ে চুপ রইল। আবার যদি সে এই বিষয়ে কথা বলে তবুও অনুরূপ (ভীষণ এক বিষয়ে সে কথা বলল)।

ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, (এই কথা শুনে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চুপ করে রইলেন, তাকে কোন জবাব দিলেন না।

এই এই ঘটনার পর ঐ সাহাবী আবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এলেন। বললেন, যে বিষয়ে আপনাকে প্রশ্ন করেছিলাম সে বিষয়ে আমিই নিপতিত। তখন আল্লাহ্ তা’আলা সূরা নূরের এই আয়াত নাযিল করেন:

“আর যারা নিজেদের স্ত্রীদের প্রতি অপবাদ আরোপ করে অথচ নিজেরা ব্যতীত তাদের কোন সাক্ষী নাই।

পঞ্চমবার বলবে, সে মিথ্যাবাদী হলে তার উপর নেমে আসবে আল্লাহর লা’নত।

আর স্ত্রীর শাস্তি রহিত হবে যদি সে চারবার আল্লাহর নামে কসম করে সাক্ষ্য দেয় যে তার স্বামী অবশ্যই মিথ্যাবাদী। এবং পঞ্চমবারে বলে, তার স্বামী সত্যবাদী হলে তার নিজের উপর নেমে আসবে আল্লাহর গযব।”… আয়াতের শেষ পর্যন্ত। [সূরা নূর ২৪ : ৬-৯]

অনন্তর তিনি ঐ ব্যক্তিকে ডাকলেন এবং আয়াতগুলো তাকে তিলাওয়াত করে শোনালেন, তাকে নছীহত করে বুঝালেন এবং জানালেন যে, দুনিয়ার শাস্তি আখিরাতের আযাবের তুলনায় সহজতর।

সে বলল, আমি আমার স্ত্রী সম্পর্কে মিথ্যা বলিনি।

এরপর তিনি মহিলাটির ডাকলেন এবং তাকে নসীহত করলেন ও উপদেশ দিলেন। আর তাকে জানালেন, দুনিয়ার শাস্তি আখিরাতের আযাবের তুলনায় সহজতর।

মহিলাটি বলল, ঐ সত্তার কসম যিনি আপনাকে সত্য সহ প্রেরণ করেছেন। সে নিশ্চয়ই মিথ্যাবাদী।

রাবী বলেন অতঃপর তিনি পুরুষটিকেডাকলেন। অতঃপর সে চারবার আল্লাহর কসম করে সাক্ষ্য দিল যে, সে অবশ্যই সত্যবাদী। পঞ্চমবারে সে বলল, সে যদিমিথ্যাবাদী হয় তবে তার উপর আল্লাহর লা’নত। এরপর তিনি মহিলাটিকে নিয়ে আসা হলো। এরপর মহিলাটিও চারবার আল্লাহর কসম করে সাক্ষ্য দিল যে, পুরুষটি মিথ্যা বলেছে। পঞ্চমবারে সে বলল, পুরুষটি যদি সত্যবাদী হয়ে থাকে, তবে তার নিজের উপর আল্লাহর গযব নেমে আসবে। অতঃপর তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাদের উভয়কে বিচ্ছিন্ন করে দিলেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: মুসলিম, লি’আন ১৪৯৩। আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৬৫৬ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪২৮৬ তে।

بَاب فِي اللِّعَانِ

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ قَالَ سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ يَقُولُ سُئِلْتُ عَنْ الْمُتَلَاعِنَيْنِ فِي إِمَارَةِ مُصْعَبِ بْنِ الزُّبَيْرِ أَيُفَرَّقُ بَيْنَهُمَا فَمَا دَرَيْتُ مَا أَقُولُ قَالَ فَقُمْتُ حَتَّى أَتَيْتُ مَنْزِلَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ فَقُلْتُ لِلْغُلَامِ اسْتَأْذِنْ لِي عَلَيْهِ فَقَالَ إِنَّهُ قَائِلٌ لَا تَسْتَطِيعُ أَنْ تَدْخُلَ عَلَيْهِ قَالَ فَسَمِعَ ابْنُ عُمَرَ صَوْتِي فَقَالَ ابْنُ جُبَيْرٍ فَقُلْتُ نَعَمْ فَقَالَ ادْخُلْ فَمَا جَاءَ بِكَ هَذِهِ السَّاعَةَ إِلَّا حَاجَةٌ قَالَ فَدَخَلْتُ عَلَيْهِ فَوَجَدْتُهُ وَهُوَ مُفْتَرِشٌ بَرْذَعَةَ رَحْلِهِ مُتَوَسِّدٌ مِرْفَقَةً أَوْ قَالَ نُمْرُقَةً شَكَّ عَبْدُ اللَّهِ حَشْوُهَا لِيفٌ فَقُلْتُ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُتَلَاعِنَانِ أَيُفَرَّقُ بَيْنَهُمَا قَالَ سُبْحَانَ اللَّهِ نَعَمْ إِنَّ أَوَّلَ مَنْ سَأَلَ عَنْ ذَلِكَ فُلَانٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْكَ أَرَأَيْتَ لَوْ أَنَّ أَحَدَنَا رَأَى امْرَأَتَهُ عَلَى فَاحِشَةٍ كَيْفَ يَصْنَعُ إِنْ سَكَتَ سَكَتَ عَلَى أَمْرٍ عَظِيمٍ وَإِنْ تَكَلَّمَ فَمِثْلُ ذَلِكَ قَالَ فَسَكَتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمْ يُجِبْهُ فَقَامَ لِحَاجَتِهِ فَلَمَّا كَانَ بَعْدَ ذَلِكَ أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ الَّذِي سَأَلْتُكَ عَنْهُ قَدْ ابْتُلِيتُ بِهِ قَالَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى هَؤُلَاءِ الْآيَاتِ الَّتِي فِي سُورَةِ النُّورِ وَالَّذِينَ يَرْمُونَ أَزْوَاجَهُمْ حَتَّى خَتَمَ هَؤُلَاءِ الْآيَاتِ قَالَ فَدَعَا الرَّجُلَ فَتَلَاهُنَّ عَلَيْهِ وَذَكَّرَهُ بِاللَّهِ وَأَخْبَرَهُ أَنَّ عَذَابَ الدُّنْيَا أَهْوَنُ مِنْ عَذَابِ الْآخِرَةِ فَقَالَ مَا كَذَبْتُ عَلَيْهَا ثُمَّ دَعَا الْمَرَأَةَ فَوَعَظَهَا وَذَكَّرَهَا وَأَخْبَرَهَا أَنَّ عَذَابَ الدُّنْيَا أَهْوَنُ مِنْ عَذَابِ الْآخِرَةِ فَقَالَتْ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ إِنَّهُ لَكَاذِبٌ فَدَعَا الرَّجُلَ فَشَهِدَ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ بِاللَّهِ إِنَّهُ لَمِنْ الصَّادِقِينَ وَالْخَامِسَةُ أَنَّ لَعْنَةَ اللَّهِ عَلَيْهِ إِنْ كَانَ مِنْ الْكَاذِبِينَ ثُمَّ أُتِيَ بِالْمَرْأَةِ فَشَهِدَتْ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ بِاللَّهِ إِنَّهُ لَمِنْ الْكَاذِبِينَ وَالْخَامِسَةَ أَنَّ غَضَبَ اللَّهِ عَلَيْهَا إِنْ كَانَ مِنْ الصَّادِقِينَ ثُمَّ فَرَّقَ بَيْنَهُمَا

أخبرنا يزيد بن هارون أخبرنا عبد الملك بن أبي سليمان قال سمعت سعيد بن جبير يقول سئلت عن المتلاعنين في إمارة مصعب بن الزبير أيفرق بينهما فما دريت ما أقول قال فقمت حتى أتيت منزل عبد الله بن عمر فقلت للغلام استأذن لي عليه فقال إنه قائل لا تستطيع أن تدخل عليه قال فسمع ابن عمر صوتي فقال ابن جبير فقلت نعم فقال ادخل فما جاء بك هذه الساعة إلا حاجة قال فدخلت عليه فوجدته وهو مفترش برذعة رحله متوسد مرفقة أو قال نمرقة شك عبد الله حشوها ليف فقلت يا أبا عبد الرحمن المتلاعنان أيفرق بينهما قال سبحان الله نعم إن أول من سأل عن ذلك فلان فقال يا رسول الله صلى الله عليك أرأيت لو أن أحدنا رأى امرأته على فاحشة كيف يصنع إن سكت سكت على أمر عظيم وإن تكلم فمثل ذلك قال فسكت رسول الله صلى الله عليه وسلم فلم يجبه فقام لحاجته فلما كان بعد ذلك أتى النبي صلى الله عليه وسلم فقال يا رسول الله إن الذي سألتك عنه قد ابتليت به قال فأنزل الله تعالى هؤلاء الآيات التي في سورة النور والذين يرمون أزواجهم حتى ختم هؤلاء الآيات قال فدعا الرجل فتلاهن عليه وذكره بالله وأخبره أن عذاب الدنيا أهون من عذاب الآخرة فقال ما كذبت عليها ثم دعا المرأة فوعظها وذكرها وأخبرها أن عذاب الدنيا أهون من عذاب الآخرة فقالت والذي بعثك بالحق إنه لكاذب فدعا الرجل فشهد أربع شهادات بالله إنه لمن الصادقين والخامسة أن لعنة الله عليه إن كان من الكاذبين ثم أتي بالمرأة فشهدت أربع شهادات بالله إنه لمن الكاذبين والخامسة أن غضب الله عليها إن كان من الصادقين ثم فرق بينهما

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ সা‘ঈদ ইবনু যুবায়র (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৭১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৯. লি’আন করা সম্পর্কে

২২৭১. ইবনু ’উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লি’আনকারী পুরুষ ও তার স্ত্রী উভয়কে বিচ্ছিন্ন করে দিলেন। আর সন্তানকে তার মায়ের নিকট দিয়ে দিলেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: মালিক, তালাক ৩৫; বুখারী, তালাক, ৫৩১৫; মুসলিম, লি’আন ১৪৯৩(৮)।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৭৭২ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪২৮৮ তে।

بَاب فِي اللِّعَانِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الرَّقَاشِيُّ حَدَّثَنِي مَالِكٌ قَالَ سَمِعْتُ نَافِعًا عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ فَرَّقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ الْمُتَلَاعِنَيْنِ وَأَلْحَقَ الْوَلَدَ بِأُمِّهِ

أخبرنا محمد بن عبد الله الرقاشي حدثني مالك قال سمعت نافعا عن عبد الله بن عمر قال فرق رسول الله صلى الله عليه وسلم بين المتلاعنين وألحق الولد بأمه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৭২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪০. মনিবের অনুমতি ব্যতীত কোনো দাসের বিবাহ করা প্রসঙ্গে

২২৭২. জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “কোনো ক্রীতদাস যদি তার মালিকের কিংবা তার পরিবারের অনুমতি ব্যতীত বিবাহ করে, তবে সে ব্যভিচারী।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান।

 

তাখরীজ: আহমাদ ৩/৩০১; আবূ দাউদ, নিকাহ ২০৭৮; ইবনু আবী শাইবা, ৪/২৬১; ইবনুল জারুদ, নং ৬৮৬; তাহাবী, মুশকিলিল আছার ৩/২৯৬, ২৯৭; ইবনু আদী, আল কামিল ২/৭২৭, ৩/৯২৫; বাইহাকী, নিকাহ ৭/১২৭; আবু নুয়াইম, হিলইয়া ৭/৩৩৩; তিরমিযী, নিকাহ ১১১১, ১১১২ সনদ যয়ীফ; আব্দুর রাযযাক, নং ১২৯৭৯; হাকিম ২/১৯৪; মুসনাদুল মাউসিলী নং ২২৫৬; পূর্ণ তাখরীজের জন্য দেখুন, মুসনাদুল মাউসিলী নং ২০০০।

بَاب فِي الْعَبْدِ يَتَزَوَّجُ بِغَيْرِ إِذْنِ سَيِّدِهِ

أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ صَالِحٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ قَالَ سَمِعْتُ جَابِرًا يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيُّمَا عَبْدٍ تَزَوَّجَ بِغَيْرِ إِذْنِ مَوَالِيهِ أَوْ أَهْلِهِ فَهُوَ عَاهِرٌ

أخبرنا أبو نعيم حدثنا الحسن بن صالح عن عبد الله بن محمد بن عقيل قال سمعت جابرا يقول قال رسول الله صلى الله عليه وسلم أيما عبد تزوج بغير إذن مواليه أو أهله فهو عاهر

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৭৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪০. মনিবের অনুমতি ব্যতীত কোনো দাসের বিবাহ করা প্রসঙ্গে

২২৭৩. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “কোন ক্রীতদাস যদি তার মালিকের অনুমতি ব্যতীত বিবাহ করে, তবে সে ব্যভিচারী।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদে দু’টি ত্রুটি বিদ্যমান: ১. মানদাল ইবনু আলী যয়ীফ; ২. ইবনু জুরাইজ এটি ‘আন’আন’ পদ্ধতিতে বর্ণনা করেছেন।

 

তাখরীজ: তুরসূসী, আল মুসনাদে ইবনু উমার নং ৯৩; ইবনু মাজাহ নিকাহ ১৯৬০; আবূ নুয়াইম, যিকরু আখবারুল আসবাহান ১/৯১; আবূ দাউদ, নিকাহ ২০৭৯: ‘কোনো দাস তার মনিবের অনুমতি ব্যতীত বিয়ে করলে তা বাতিল।” আবূ দাউদ বলেন, হাদীসটি যয়ীফ; এটি ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর বক্তব্য; বাইহাকী, নিকাহ ৭/১২৭; আব্দুর রাযযাক ১২৯৮২; ইবনু আবী শাইবা ৪/২৬১।

بَاب فِي الْعَبْدِ يَتَزَوَّجُ بِغَيْرِ إِذْنِ سَيِّدِهِ

حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ إِسْمَعِيلَ حَدَّثَنَا مِنْدَلُ بْنُ عَلِيٍّ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَيُّمَا عَبْدٍ تَزَوَّجَ بِغَيْرِ إِذْنِ مَوَالِيهِ فَهُوَ زَانٍ

حدثنا مالك بن إسمعيل حدثنا مندل بن علي عن ابن جريج عن موسى بن عقبة عن نافع عن ابن عمر عن النبي صلى الله عليه وسلم قال أيما عبد تزوج بغير إذن مواليه فهو زان

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৭৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪১. সন্তান বিছানার মালিকের

২২৭৪. আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে, (তিনি বলেছেনঃ) “বিছানা যার সন্তান তার; আর ব্যভিচারীর জন্য রয়েছে পাথর (এর শাস্তি)।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: মুসলিম, রা’দা’আ ১৪৯৩।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি এবং এর শাহিদসমূহ উল্লেখ করেছি মুসনাদুল হুমাইদী নং ১১১৬ তে। পরবর্তী হাদীসটিও দেখুন।

بَاب الْوَلَدُ لِلْفِرَاشِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ ابْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ يَرْفَعُهُ قَالَ الْوَلَدُ لِلْفِرَاشِ وَلِلْعَاهِرِ الْحَجَرُ

أخبرنا محمد بن يوسف حدثنا ابن عيينة عن الزهري عن ابن المسيب عن أبي هريرة يرفعه قال الولد للفراش وللعاهر الحجر

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৭৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪১. সন্তান বিছানার মালিকের

২২৭৫. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সহধর্মিনী আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “বিছানা যার সন্তান তার।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: মালিক, আকযিয়াহ ২০; বুখারী, বুয়ূ, ২০৫৩; মুসলিম, রা’দা’আ ১৪৫৭।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৪১৯ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪১০৫ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ২৪০ তে।

بَاب الْوَلَدُ لِلْفِرَاشِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الْوَلَدُ لِلْفِرَاشِ

حدثنا عبد الله بن مسلمة حدثنا مالك عن الزهري عن عروة عن عائشة زوج النبي أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال الولد للفراش

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৭৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪১. সন্তান বিছানার মালিকের

২২৭৬. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সহধর্মিনী ’আয়িশাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, উতবা ইবনু আবূ ওয়াক্কাস তার ভাই সাদ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-কে ওয়াসীয়াত করে যান যে, তিনি যেন যাম’আর বাঁদীর গর্ভস্থিত পুত্রকে (ভ্রাতুষ্পুত্র রূপে) তার অধীনে নিয়ে আসেন। উতবাহ (তাকে) বলেন, সে আমার (ঔরসজাত) পূত্র। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মক্কা বিজয়ের কালে যাম’আর বাঁদীর গর্ভস্থিত পুত্রকে সাদ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু নিয়ে নিলেন। আর সে ছিল অন্যান্য লোকের চেয়ে উতবাহ ইবনু আবী ওয়াক্কাসের সাথে সর্বাধিক সাদৃশ্যপূর্ণ। (এদিকে যামআর পুত্র ’আব্দ দাবী করে যে, এ আমার ভাই, আমার পিতার বাঁদীর পুত্র।) তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “হে ’আব্দ ইবনু যামআ! এ ছেলেটি তোমার প্রাপ্য।” কেননা, সে ছেলেটি তার পিতার শয্যায় (তার দাসীর গর্ভে) জন্মগ্রহণ করেছে। তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (নবী সহধর্মিনী সাওদা বিনতে যামআ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-কে লক্ষ্য করে) বললেন: “তুমি ঐ ছেলেটি হতে পর্দা করবে।” কারণ তিনি ঐ ছেলেটির মধ্যে উতবার সাদৃশ্য দেখতে পান। আর সাওদাহ ছিলেন: যাম’আহ’র মেয়ে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসের বিস্তৃত রূপ।

بَاب الْوَلَدُ لِلْفِرَاشِ

حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ حَدَّثَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ كَانَ عُتْبَةُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ عَهِدَ إِلَى أَخِيهِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ أَنْ يَقْبِضَ إِلَيْهِ ابْنَ وَلِيدَةِ زَمْعَةَ فَقَالَ عُتْبَةُ إِنَّهُ ابْنِي فَلَمَّا قَدِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَمَنَ الْفَتْحِ أَخَذَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ ابْنَ وَلِيدَةِ زَمْعَةَ فَإِذَا هُوَ أَشْبَهُ النَّاسِ بِعُتْبَةَ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هُوَ لَكَ يَا عَبْدُ بْنَ زَمْعَةَ مِنْ أَجْلِ أَنَّهُ وُلِدَ عَلَى فِرَاشِ أَبِيهِ وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ احْتَجِبِي مِنْهُ يَا سَوْدَةُ بِنْتَ زَمْعَةَ مِمَّا رَأَى مِنْ شَبَهِهِ بِعُتْبَةَ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ وَسَوْدَةُ بِنْتُ زَمْعَةَ

حدثنا الحكم بن نافع حدثنا شعيب عن الزهري أخبرني عروة عن عائشة زوج النبي صلى الله عليه وسلم قالت كان عتبة بن أبي وقاص عهد إلى أخيه سعد بن أبي وقاص أن يقبض إليه ابن وليدة زمعة فقال عتبة إنه ابني فلما قدم النبي صلى الله عليه وسلم زمن الفتح أخذ سعد بن أبي وقاص ابن وليدة زمعة فإذا هو أشبه الناس بعتبة بن أبي وقاص فقال النبي صلى الله عليه وسلم هو لك يا عبد بن زمعة من أجل أنه ولد على فراش أبيه وقال النبي صلى الله عليه وسلم احتجبي منه يا سودة بنت زمعة مما رأى من شبهه بعتبة بن أبي وقاص وسودة بنت زمعة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৭৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪২. যে ব্যক্তি তার ছেলেকে চেনা সত্ত্বেও অস্বীকার করে

২২৭৭. আবূ হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, লিআন সম্পর্কিত আয়াত নাযিল হলে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি: “যে নারী কোন সম্প্রদায়ের সাথে এমন সন্তানকে শামিল করে যে তাদের নয়, তার সাথে আল্লাহর কোন সম্পর্ক নেই এবং আল্লাহ কখনো তাকে তাঁর জান্নাতে প্রবেশ করাবেন না। আর যে পুরুষ নিজের সন্তানকে চিনতে পেরেও অস্বীকার করলো, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার থেকে আড়ালে থাকবেন এবং পূর্ববর্তী ও পরবর্তী (সমস্ত) সৃষ্টিকুলের সামনে তাকে অপমান করবেন।”[1] আব্দুল্লাহ বলেন: মুহাম্মদ ইবনু কা’ব আল কুরাযী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ও সাঈদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এটি এভাবে বর্ণনা করেন: এ হাদীস রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকেই আমার নিকট পৌঁছেছে।

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ জাইয়্যেদ।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪১০৮ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৩৩৫ তে। এছাড়াও, হাফিজ তার তালখীসুল হাবীর ৩/২২৬ তে একে আবী দাউদ, নাসাঈ ও ইবনু হিব্বান, হাকিম এর দিকে সম্বোন্ধিত করে বলেছেন: দারুকুতনী তার ইলাল গ্রন্থে একে সহীহ বলেছেন। এর সাথে সাঈদ আল মাকবুরী হতে আব্দুল্লাহ ইবনু ইউনূসের একাকী বর্ণনা বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন। আর তাকে এ হাদীস ব্যতীত অন্য কোনো হাদীস থেকে তার পরিচয় পাওয়া যায় না।

 

((আবূ দাউদ, তালাক ২২৬৩; নাসাঈ ৫/১৭৯-১৮০; ইবনু মাজাহ ২৭৪৩- অনুবাদক))

بَاب مَنْ جَحَدَ وَلَدَهُ وَهُوَ يَعْرِفُهُ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُونُسَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ حِينَ أُنْزِلَتْ آيَةُ الْمُلَاعَنَةِ أَيُّمَا امْرَأَةٍ أَدْخَلَتْ عَلَى قَوْمٍ نَسَبًا لَيْسَ مِنْهُمْ فَلَيْسَتْ مِنْ اللَّهِ فِي شَيْءٍ وَلَمْ يُدْخِلْهَا اللَّهُ جَنَّتَهُ وَأَيُّمَا رَجُلٍ جَحَدَ وَلَدَهُ وَهُوَ يَنْظُرُ إِلَيْهِ احْتَجَبَ اللَّهُ مِنْهُ وَفَضَحَهُ عَلَى رُءُوسِ الْأَوَّلِينَ وَالْآخِرِينَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ كَعْبٍ الْقُرَظِيُّ وَسَعِيدٌ يُحَدِّثَهُ هَذَا وَقَدْ بَلَغَنِي هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

حدثنا عبد الله بن صالح حدثني الليث حدثني يزيد بن عبد الله عن عبد الله بن يونس عن سعيد بن أبي سعيد عن أبي هريرة أنه سمع رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول حين أنزلت آية الملاعنة أيما امرأة أدخلت على قوم نسبا ليس منهم فليست من الله في شيء ولم يدخلها الله جنته وأيما رجل جحد ولده وهو ينظر إليه احتجب الله منه وفضحه على رءوس الأولين والآخرين قال عبد الله قال محمد بن كعب القرظي وسعيد يحدثه هذا وقد بلغني هذا الحديث عن رسول الله صلى الله عليه وسلم

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৭৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪৩. যে ব্যক্তি তার পিতার স্ত্রী (সৎ মা)-কে বিয়ে করে

২২৭৮. বারাআ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর পূত্র ইয়াযীদ তার পিতা হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমার মামা (আবূ বুরদা) এর সাথে আমার সাক্ষাত হলো। আর তার হাতে একটি পতাকা ছিল। আমি তাকে প্রশ্ন করলাম, কোথায় যাচ্ছেন? তিনি বললেন, আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন এক লোকের নিকট পাঠিয়েছেন যে লোক তার বাবার স্ত্রীকে (সৎমাকে) বিয়ে করেছে। ফলে তিনি আমাকে তার মাথা কেটে ফেলা ও তার সম্পদ হরণ করে নিয়ে আসার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান। আর এটি মুসলিমের শর্তানুযায়ী (সহীহ)।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৬৬৬, ১৬৬৭, সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪১১২ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৫১৬ তে। ((আবূ দাউদ, হুদুদ ৩৩৫৬, ৪৪৫৭; নাসাঈ, নিকাহ ৬/১০৯; তিরমিযী, আহকাম ১৩৬২; ইবনু মাজাহ ২২৬০৭;- আরনাউত্বের সহীহ ইবনু হিব্বান, ৪১১২ নং হাদীসের টীকা হতে।- অনুবাদক))

بَاب الرَّجُلِ يَتَزَوَّجُ امْرَأَةَ أَبِيهِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ الرَّقِّيُّ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو عَنْ زَيْدٍ عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ الْبَرَاءِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ لَقِيتُ عَمِّي وَمَعَهُ رَايَةٌ فَقُلْتُ أَيْنَ تُرِيدُ فَقَالَ بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى رَجُلٍ نَكَحَ امْرَأَةَ أَبِيهِ فَأَمَرَنِي أَنْ أَضْرِبَ عُنُقَهُ وَآخُذَ مَالَهُ

حدثنا عبد الله بن جعفر الرقي حدثنا عبيد الله بن عمرو عن زيد عن عدي بن ثابت عن يزيد بن البراء عن أبيه قال لقيت عمي ومعه راية فقلت أين تريد فقال بعثني رسول الله صلى الله عليه وسلم إلى رجل نكح امرأة أبيه فأمرني أن أضرب عنقه وآخذ ماله

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ বারা’আ ইবনু আযিব (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৭৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪৪. আল্লাহ তা’আলার বাণী: এরপর আর কোনো নারী আপনার জন্য হালাল হবে না

২২৭৯. যিয়াদ নামক এক আনসারী ব্যক্তি থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি উবাই ইবনু কা’ব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে জিজ্ঞেস করলাম, যদিও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিবাহের বিষয়টি প্রশস্ত ছিল, তবুও তাঁর জন্য কি (যে কোনো নারীকে)বিয়ে করা হালালই রয়ে গিয়েছিল? তিনি বলেন, হাঁ। নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর জন্য বিভিন্ন শ্রেণির নারীদের হালাল করেছিলেন। আর তিনি তাঁর নিকট (এসকল হালাল নারীদের) বৈশিষ্ট্যসমূহের বিবরণ দিয়েছেন। আর আল্লাহ যে বলেছেন: “এরপর আপনার জন্য কোন নারী বৈধ নয়”- এখানে ’এরপর’ অর্থ ’এ সকল বৈশিষ্ট্যসমূহ বাদে’।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ।

 

তাখরীজ: আব্দুল্লাহ ইবনু আহমাদ, যাওয়াইদ আলাল মুসনাদ ৫/১৩২; বুখারী, কাবীর ৩/৩৫৯-৩৬০; আরও দেখুন, বুখারী, আত তারীখ ১/২৩৬ ও ৩/৩৫৯-৩৬০; তা’জিলুল মুনফা’আহ পৃ: ১৪১, ৩৬০।

 

((তবে ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে এ আয়াতের ব্যাখ্যায় এর অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে বিস্তারিতভাবে- তিরমিযী হা/৩২১৫ তে। তিরমিযী বলেছেন: হাদীসটি হাসান।– অনুবাদক))

بَاب قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى لَا يَحِلُّ لَكَ النِّسَاءُ مِنْ بَعْدُ

حَدَّثَنِي مُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ قَالَ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي مُوسَى عَنْ رَجُلٍ مِنْ الْأَنْصَارِ يُسَمَّى زِيَادًا قَالَ قُلْتُ لِأُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ أَرَأَيْتَ لَوْ أَنَّ أَزْوَاجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُتْنَ كَانَ يَحِلُّ لَهُ أَنْ يَتَزَوَّجَ قَالَ نَعَمْ إِنَّمَا أَحَلَّ اللَّهُ لَهُ ضَرْبًا مِنْ النِّسَاءِ وَوَصَفَ لَهُ صِفَةً فَقَالَ لَا يَحِلُّ لَكَ النِّسَاءُ مِنْ بَعْدُ مِنْ بَعْدِ هَذِهِ الصِّفَةِ

حدثني معلى بن أسد قال حدثنا وهيب عن داود بن أبي هند عن محمد بن أبي موسى عن رجل من الأنصار يسمى زيادا قال قلت لأبي بن كعب أرأيت لو أن أزواج النبي صلى الله عليه وسلم متن كان يحل له أن يتزوج قال نعم إنما أحل الله له ضربا من النساء ووصف له صفة فقال لا يحل لك النساء من بعد من بعد هذه الصفة

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৮০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪৪. আল্লাহ তা’আলার বাণী: এরপর আর কোনো নারী আপনার জন্য হালাল হবে না

২২৮০. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ তা’আলা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মৃত্যুর পূর্বে তাঁর জন্য ইচ্ছামাফিক যেকোনো মহিলাকে বিবাহ করা বৈধ করে দিয়েছিলেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। আর ইবনু জুরাইজ এটি ‘হাদ্দাসানা’ শব্দে বর্ণনা করেছেন যা রয়েছে তাবারী’তে।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬৩৬৬ ও মাওয়ারিদুয যামআন নং ২১২৬ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ২৩৭ তে।

 

((তিরমিযী, তাফসীর ৩২১৬; নাসাঈ, নিকাহ ৬/৫৬; তাবারী, জামিউল বায়ান (তাফসীর তাবারী) ২২/৩২; হাকিম ২/৪৩৭; বাইহাকী ৭/৫৪।– সহীহ ইবনু হিব্বান তাহক্বীক্ব: আরনাউত্ব হা/৬৩৬৬ এর টীকা হতে।– অনুবাদক))

بَاب قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى لَا يَحِلُّ لَكَ النِّسَاءُ مِنْ بَعْدُ

أَخْبَرَنَا الْمُعَلَّى حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ مَا تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى أَحَلَّ اللَّهُ لَهُ أَنْ يَتَزَوَّجَ مِنْ النِّسَاءِ مَا شَاءَ

أخبرنا المعلى حدثنا وهيب عن ابن جريج عن عطاء عن عبيد بن عمير عن عائشة قالت ما توفي رسول الله صلى الله عليه وسلم حتى أحل الله له أن يتزوج من النساء ما شاء

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৮১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪৫. ক্রীতদাসীকে (বিয়ে করার) ক্ষেত্রে তার মুক্তিদানকেই তার মোহরাণা হিসেবে গণ্য করা প্রসঙ্গে

২২৮১. আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাফিয়্যাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহাকে মুক্তিদান করেন এবং তার মুক্তিদানকেই তার (বিয়ের) মোহরাণা হিসেবে গণ্য করেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: বুখারী, বুয়ূ, ২২২৮; মুসলিম, নিকাহ ১৩৬৫(৮৫)।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩০৫০, ৩১৩২, ৩১৫১,৩১৭৩ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪০৬১, ৪০৬৪ তে।

بَاب فِي الْأَمَةِ يُجْعَلُ عِتْقُهَا صَدَاقَهَا

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ شُعَيْبِ بْنِ الْحَبْحَابِ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْتَقَ صَفِيَّةَ وَجَعَلَ عِتْقَهَا صَدَاقَهَا

حدثنا مسدد حدثنا حماد بن زيد عن شعيب بن الحبحاب عن أنس أن رسول الله صلى الله عليه وسلم أعتق صفية وجعل عتقها صداقها

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৮২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪৫. ক্রীতদাসীকে (বিয়ে করার) ক্ষেত্রে তার মুক্তিদানকেই তার মোহরাণা হিসেবে গণ্য করা প্রসঙ্গে

২২৮২. (অপর সনদে) আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাফিয়্যাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহাকে মুক্তিদান করে তাঁকে বিয়ে করেন এবং তার মুক্তিদানকেই তার (বিয়ের) মোহরাণা হিসেবে গণ্য করেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি।

بَاب فِي الْأَمَةِ يُجْعَلُ عِتْقُهَا صَدَاقَهَا

أَخْبَرَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْتَقَ صَفِيَّةَ وَتَزَوَّجَهَا وَجَعَلَ عِتْقَهَا صَدَاقَهَا

أخبرنا أبو النعمان حدثنا أبو عوانة عن قتادة عن أنس أن رسول الله صلى الله عليه وسلم أعتق صفية وتزوجها وجعل عتقها صداقها

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৮৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪৬. কোনো ক্রীতদাসীকে মুক্তিদান করে তাকে বিয়ে করার ফযীলত

২২৮৩. সালিহ ইবনু সালিহ ইবনু হাই আল হামদানী হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি শা’বী (রহঃ) এর নিকট ছিলাম। এমতাবস্থায় খুরাসানের অধিবাসী এক লোক এসে তাকে বললো, হে আবী আমর! কোনো ব্যক্তি যদি তার ক্রীতদাসীকে মুক্ত করে দিয়ে তাকে বিয়ে করতো, তবে খুরাসানের প্রাচীন অধিবাসীরা বলতো যে, সে যেন নিজের কোরবানীর পশুর পিঠে আরোহণকারী ব্যক্তির মতো। তখন শা’বী বললেন, আবূ বুরদা (র), তাঁর পিতা আবূ মূসা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে আমার নিকট বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “তিন ধরনের লোকের জন্য দুটি সওয়াব দেয়া হবে: (১) আহলে কিতাবের মধ্য থেকে যে ব্যক্তি তার নবীর ওপর ঈমান এনেছে এবং এরপর এই নবী (মুহাম্মদ সা) কে পেয়েছে এবং তাঁর উপরও ঈমান এনেছে এবং তাঁর অনুসরণ করেছে। (২) যে ক্রীতদাস আল্লাহ্‌র হক আদায় করে এবং তার মালিকের হকও আদায় করে- তার জন্য রয়েছে দু’টি সাওয়াব (৩) যার একটি বাঁদী ছিল, আর সে উত্তমরূপে তার ভরণপোষণ করতো, তারপর তাকে সে সুন্দরভাবে আদব-কায়দা শিক্ষা দিয়েছে এরপর তাকে আযাদ (মুক্তিদান) করে বিয়ে করেছে; তার জন্য দুটি সওয়াব রয়েছে।” [1]

এরপর তিনি (বর্ণনাকারী) (তাঁর ছাত্রদের) কাউকে বললেন, কোন কিছুর বিনিময় ছাড়াই হাদীসটি গ্রহণ করো, অথচ এর চাইতে ছোট হাদীসের জন্যও লোক (দূর-দূরান্ত থেকে) সওয়ার হয়ে মদীনায় আসত।

হুশাইম বলেন, আমি বসরায় থাকতে এটি জানতে পারলাম, এরপর আমি তার নিকট এসে এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলাম।

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: বুখারী, ইলম ৯৭ (এবং অন্যত্র); মুসলিম, ঈমান ১৫৪।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭২৫৬, ৭৩২৩ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২২৭ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৭৮৬ তে।

بَاب فَضْلِ مَنْ أَعْتَقَ أَمَةً ثُمَّ تَزَوَّجَهَا

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ عَنْ صَالِحِ بْنِ صَالِحِ بْنِ حَيٍّ الْهَمْدَانِيِّ قَالَ كُنْتُ عِنْدَ الشَّعْبِيِّ فَأَتَاهُ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ خُرَاسَانَ فَقَالَ يَا أَبَا عَمْرٍو إِنَّ مَنْ قِبَلَنَا مِنْ أَهْلِ خُرَاسَانَ يَقُولُونَ فِي الرَّجُلِ إِذَا أَعْتَقَ أَمَتَهُ ثُمَّ تَزَوَّجَهَا فَهُوَ كَالرَّاكِبِ بَدَنَتَهُ فَقَالَ الشَّعْبِيُّ حَدَّثَنِي أَبُو بُرْدَةَ بْنُ أَبِي مُوسَى عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَةٌ يُؤْتَوْنَ أَجْرَهُمْ مَرَّتَيْنِ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ آمَنَ بِنَبِيِّهِ ثُمَّ أَدْرَكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَآمَنَ بِهِ وَاتَّبَعَهُ وَعَبْدٌ مَمْلُوكٌ أَدَّى حَقَّ اللَّهِ وَحَقَّ مَوَالِيهِ فَلَهُ أَجْرَانِ وَرَجُلٌ كَانَتْ لَهُ أَمَةٌ فَغَذَّاهَا فَأَحْسَنَ غِذَاءَهَا وَأَدَّبَهَا فَأَحْسَنَ تَأْدِيبَهَا فَأَعْتَقَهَا وَتَزَوَّجَهَا فَلَهُ أَجْرَانِ ثُمَّ قَالَ لِلرَّجُلِ خُذْ هَذَا الْحَدِيثَ بِغَيْرِ شَيْءٍ فَقَدْ كَانَ يُرْحَلُ فِيمَا دُونَ هَذَا إِلَى الْمَدِينَةِ قَالَ هُشَيْمٌ أَفَادُونِي بِالْبَصْرَةِ فَأَتَيْتُهُ فَسَأَلْتُهُ عَنْهُ

أخبرنا عمرو بن عون حدثنا هشيم عن صالح بن صالح بن حي الهمداني قال كنت عند الشعبي فأتاه رجل من أهل خراسان فقال يا أبا عمرو إن من قبلنا من أهل خراسان يقولون في الرجل إذا أعتق أمته ثم تزوجها فهو كالراكب بدنته فقال الشعبي حدثني أبو بردة بن أبي موسى عن أبيه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ثلاثة يؤتون أجرهم مرتين رجل من أهل الكتاب آمن بنبيه ثم أدرك النبي صلى الله عليه وسلم فآمن به واتبعه وعبد مملوك أدى حق الله وحق مواليه فله أجران ورجل كانت له أمة فغذاها فأحسن غذاءها وأدبها فأحسن تأديبها فأعتقها وتزوجها فله أجران ثم قال للرجل خذ هذا الحديث بغير شيء فقد كان يرحل فيما دون هذا إلى المدينة قال هشيم أفادوني بالبصرة فأتيته فسألته عنه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৮৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪৬. কোনো ক্রীতদাসীকে মুক্তিদান করে তাকে বিয়ে করার ফযীলত

২২৮৪. (অপর সনদে) আবূ বুরদা (রহঃ), তাঁর পিতা আবূ মূসা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি।

بَاب فَضْلِ مَنْ أَعْتَقَ أَمَةً ثُمَّ تَزَوَّجَهَا

أَخْبَرَنَا سَهْلُ بْنُ حَمَّادٍ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ صَالِحِ بْنِ حَيٍّ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَ هَذَا الْحَدِيثِ

أخبرنا سهل بن حماد عن شعبة عن صالح بن حي عن الشعبي عن أبي بردة عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم نحو هذا الحديث

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ বুরদাহ্ ইবনু আবূ মূসা আশ‘আরী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৮৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪৭. কোনো লোক কোনো এক মহিলাকে বিয়ে করার পর তার জন্য কোনো (মোহরানা) নির্ধারণ করার পূর্বেই মৃত্যু বরণ করলে

২২৮৫. ’আবদুল্লাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তাকে এক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো যে, সে এক মহিলাকে বিবাহ করার পর তার সাথে সহবাস ও মাহর ধার্য করার পূর্বে মারা গেছে। রাবী বলেন, সেই ব্যাপারে ’আবদুল্লাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন, সেই মহিলা তার পরিবারের অন্যান্য নারীদের সমপরিমাণে মাহর পাবে, তাকে ইদ্দাতও পালন করতে হবে এবং সে মীরাসও পাবে। মাকিল আল-আশজাঈ বললেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তিনি বনী রুআস গোত্রের এক মহিলা বিরওয়া বিনতে ওয়াশিকের ক্ষেত্রেও আপনার ফায়সালার অনুরূপ ফয়সালা দিয়েছেন।[1]

তিনি বলেন, ফলে একথা শুনে তিনি আনন্দিত হলেন। আবূ মুহাম্মদ ও সূফিয়ান বলেন, আমরা এ মত গ্রহণ করেছি।

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪০৯৮, ৪০৯৯, ৪১০০, ৪১০১ ও মাওয়ারিদুয যামআন নং ১২৬৩, ১২৬৪, ১২৬৫ তে।

بَاب الرَّجُلِ يَتَزَوَّجُ الْمَرْأَةَ فَيَمُوتُ قَبْلَ أَنْ يَفْرِضَ لَهَا

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَلْقَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ فِي رَجُلٍ تَزَوَّجَ امْرَأَةً وَلَمْ يَكُنْ فَرَضَ لَهَا شَيْئًا وَلَمْ يَدْخُلْ بِهَا وَمَاتَ عَنْهَا قَالَ فِيهَا لَهَا صَدَاقُ نِسَائِهَا وَعَلَيْهَا الْعِدَّةُ وَلَهَا الْمِيرَاثُ قَالَ مَعْقِلٌ الْأَشْجَعِيُّ قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بِرْوَعَ بِنْتِ وَاشِقٍ امْرَأَةٍ مِنْ بَنِي رُوَاسٍ بِمِثْلِ مَا قَضَيْتَ قَالَ فَفَرِحَ بِذَلِكَ قَالَ مُحَمَّدٌ وَسُفْيَانُ نَأْخُذُ بِهَذَا

أخبرنا محمد بن يوسف حدثنا سفيان عن منصور عن إبراهيم عن علقمة عن عبد الله في رجل تزوج امرأة ولم يكن فرض لها شيئا ولم يدخل بها ومات عنها قال فيها لها صداق نسائها وعليها العدة ولها الميراث قال معقل الأشجعي قضى رسول الله صلى الله عليه وسلم في بروع بنت واشق امرأة من بني رواس بمثل ما قضيت قال ففرح بذلك قال محمد وسفيان نأخذ بهذا

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ‌ ইব্‌ন মাসউদ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৮৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪৮. দুধপানের কারণে যা হারাম হয়

২২৮৬. ’আয়িশাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর নিকট অবস্থান করছিলেন। এমন সময় তিনি জনৈক ব্যক্তির গলার আওয়াজ শুনতে পেলেন। ’আয়িশাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার ঘরে (প্রবেশের অনুমতি প্রার্থী) একজন লোকের গলার আওয়াজ শুনতে পেলাম। তখন আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, “তাকে হাফসাহর অমুক দুধ চাচা বলে মনে হচ্ছে।” তখন ’আয়িশাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন, আচ্ছা আমার অমুক দুধ চাচা যদি জীবিত থাকত তাহলে সে কি আমার ঘরে প্রবেশ করতে পারত? আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, “হ্যাঁ, পারত। কেননা, জন্মসূত্র যাদেরকে হারাম করে, দুধপানও তাকে হারাম করে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: মালিক, রাদা’আ ১; বুখারী, শাহাদাত ২৬৪৬; মুসলিম, রাদা’আ ১৪৪৪।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৩৭৪ তে। পরবর্তী হাদীস দু’টিও দেখুন।

بَاب مَا يَحْرُمُ مِنْ الرَّضَاعِ

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ حَدَّثَنَا رَوْحٌ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ عَنْ عَمْرَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا كَانَتْ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَيْتِ حَفْصَةَ فَسَمِعَتْ صَوْتَ إِنْسَانٍ قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ سَمِعْتُ صَوْتَ إِنْسَانٍ فِي بَيْتِكَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُرَاهُ فُلَانًا لِعَمِّ حَفْصَةَ مِنْ الرَّضَاعَةِ قَالَتْ عَائِشَةُ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَلَوْ كَانَ فُلَانٌ حَيًّا لِعَمِّهَا مِنْ الرَّضَاعَةِ دَخَلَ عَلَيَّ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَعَمْ يَحْرُمُ مِنْ الرَّضَاعَةِ مَا يَحْرُمُ مِنْ الْوِلَادَةِ

أخبرنا إسحق حدثنا روح حدثنا مالك عن عبد الله بن أبي بكر بن عمرو بن حزم عن عمرة عن عائشة أنها كانت مع النبي صلى الله عليه وسلم في بيت حفصة فسمعت صوت إنسان قالت قلت يا رسول الله سمعت صوت إنسان في بيتك فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم أراه فلانا لعم حفصة من الرضاعة قالت عائشة يا رسول الله ولو كان فلان حيا لعمها من الرضاعة دخل علي فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم نعم يحرم من الرضاعة ما يحرم من الولادة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৮৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪৮. দুধপানের কারণে যা হারাম হয়

২২৮৭. ’আয়িশাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার দুধ সম্পর্কের চাচা আবীল কাইসের ভাই এলেন এবং আমার কাছে প্রবেশের অনুমতি চাইলেন, আর এটা পর্দার আয়াত অবতীর্ণ হবার পরের ঘটনা। কিন্তু আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে অনুমতি নেয়া ব্যতীত তাকে প্রবেশের অনুমতি দিতে অস্বীকার করলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসার পর তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম। আয়িশাহ বলেন, আমার দুধ সম্পর্কের চাচা আবীল কাইসের ভাই এসেছিলেন, কিন্তু আমি আপনার কাছে অনুমতি না নেয়ায় তাকে ফিরিয়ে দিয়েছি। তিনি বললেন, “তিনি কি তোমার চাচা নন?” আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে মহিলা দুধ পান করিয়েছেন, কোন পুরুষ আমাকে দুধ পান করায়নি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “তিনি তোমার চাচা, কাজেই তাঁকে তোমার কাছে আসার অনুমতি দাও।” তিনি বলেন, তিনি আরও বলতেন, জন্মসূত্র যাদেরকে হারাম করে, দুধ সম্পর্কও তাদেরকে হারাম করে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: মালিক, রাদাআ ২/৬০১-৬০২; বুখারী, নিকাহ ৫২৩৯; মুসলিম, রাদাআ ১৪৪৫।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৫০১ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪১০৯, ৪২১৯, ৪২২০ তে।

بَاب مَا يَحْرُمُ مِنْ الرَّضَاعِ

أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ أَخْبَرَتْنِي عَائِشَةُ أَنَّ عَمَّهَا أَخَا أَبِي الْقُعَيْسِ جَاءَ يَسْتَأْذِنُ عَلَيْهَا بَعْدَمَا ضُرِبَ الْحِجَابُ فَأَبَتْ أَنْ تَأْذَنَ لَهُ حَتَّى يَأْتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَسْتَأْذِنَهُ فَلَمَّا جَاءَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَكَرَتْ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَتْ جَاءَ عَمِّي أَخُو أَبِي الْقُعَيْسِ فَرَدَدْتُهُ حَتَّى أَسْتَأْذِنَكَ قَالَ أَوَ لَيْسَ بِعَمِّكِ قَالَتْ إِنَّمَا أَرْضَعَتْنِي الْمَرْأَةُ وَلَمْ يُرْضِعْنِي الرَّجُلُ فَقَالَ إِنَّهُ عَمُّكِ فَلْيَلِجْ عَلَيْكِ قَالَ وَكَانَتْ عَائِشَةُ تَقُولُ يَحْرُمُ مِنْ الرَّضَاعَةِ مَا يَحْرُمُ مِنْ الْوِلَادَةِ

أخبرنا جعفر بن عون أخبرنا هشام بن عروة عن أبيه قال أخبرتني عائشة أن عمها أخا أبي القعيس جاء يستأذن عليها بعدما ضرب الحجاب فأبت أن تأذن له حتى يأتي رسول الله صلى الله عليه وسلم فأستأذنه فلما جاء النبي صلى الله عليه وسلم ذكرت ذلك له فقالت جاء عمي أخو أبي القعيس فرددته حتى أستأذنك قال أو ليس بعمك قالت إنما أرضعتني المرأة ولم يرضعني الرجل فقال إنه عمك فليلج عليك قال وكانت عائشة تقول يحرم من الرضاعة ما يحرم من الولادة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৮৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪৮. দুধপানের কারণে যা হারাম হয়

২২৮৮. আয়িশাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “জন্মসূত্র যাদেরকে হারাম করে, দুধ সম্পর্কও তাদেরকে হারাম করে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: মালিক, রাদাআ (১৫)।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৩৭৪। আগের হাদীসগুলিও দেখুন।

بَاب مَا يَحْرُمُ مِنْ الرَّضَاعِ

أَخْبَرَنَا صَدَقَةُ بْنُ الْفَضْلِ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ عَنْ مَالِكٍ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ يَحْرُمُ مِنْ الرَّضَاعَةِ مَا يَحْرُمُ مِنْ الْوِلَادَةِ

أخبرنا صدقة بن الفضل حدثنا يحيى بن سعيد عن مالك حدثني عبد الله بن دينار عن سليمان بن يسار عن عروة عن عائشة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال يحرم من الرضاعة ما يحرم من الولادة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৮৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪৮. দুধপানের কারণে যা হারাম হয়

২২৮৯. (অপর সনদে) আয়িশাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: মালিক, রাদাআ (১); এটি পূর্বে ২২৮৩ নং এ গত হয়েছে।

بَاب مَا يَحْرُمُ مِنْ الرَّضَاعِ

قَالَ مَالِكٌ وَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ عَنْ عَمْرَةَ عَنْ عَائِشَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ

قال مالك وحدثني عبد الله بن أبي بكر عن عمرة عن عائشة عن النبي صلى الله عليه وسلم مثله

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৯০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪৯. কী পরিমাণ দুধপান করলে তা (আত্মীয়কে) হারাম করে

২২৯০. আয়িশাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “দু’-এক চুমুক দুধপান (কাউকে) হারাম করে না।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ, তবে হাদীসটি সহীহ।

 

তাখরীজ: মুসলিম, রাদাআ ১৪৪৫।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৭১০, ৪৮১২, ৪৮১৪ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪২২৭, ৪২২৮ তে।

بَاب كَمْ رَضْعَةً تُحَرِّمُ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا تُحَرِّمُ الْمَصَّةُ وَالْمَصَّتَانِ

حدثنا عبد الله بن صالح حدثني الليث حدثني يونس عن ابن شهاب عن عروة عن عائشة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لا تحرم المصة والمصتان

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৯১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪৯. কী পরিমাণ দুধপান করলে তা (আত্মীয়কে) হারাম করে

২২৯১. উম্মু ফাযল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি একটি স্ত্রীলোককে বিয়ে করেছি এবং আমার অপর স্ত্রীও রয়েছে। আর আমার প্রথম স্ত্রীর ধারণা সে নববধু (আমার দ্বিতীয় স্ত্রী)-কে দুধপান করিয়েছে। তখন তিনি বললেন: “দু’-এক চুমুক দুধপান (কাউকে) হারাম করে না।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: মুসলিম, রাদাআ ১৪৫১।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭০৭২ তে।

بَاب كَمْ رَضْعَةً تُحَرِّمُ

أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ أَبِي الْخَلِيلِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ عَنْ أُمِّ الْفَضْلِ أَنَّ رَجُلًا أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي قَدْ تَزَوَّجْتُ امْرَأَةً وَعِنْدِي أُخْرَى فَزَعَمَتْ الْأُولَى أَنَّهَا أَرْضَعَتْ الْحُدْثَى فَقَالَ لَا تُحَرِّمُ الْإِمْلَاجَةُ وَلَا الْإِمْلَاجَتَانِ

أخبرنا سليمان بن حرب حدثنا حماد بن زيد عن أيوب عن أبي الخليل عن عبد الله بن الحارث عن أم الفضل أن رجلا أتى النبي صلى الله عليه وسلم فقال يا رسول الله إني قد تزوجت امرأة وعندي أخرى فزعمت الأولى أنها أرضعت الحدثى فقال لا تحرم الإملاجة ولا الإملاجتان

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ উম্মু ফাযল (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৯২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪৯. কী পরিমাণ দুধপান করলে তা (আত্মীয়কে) হারাম করে

২২৯২. আয়িশাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নির্দিষ্টভাবে দশ ঢোক দুধপানকে হারাম করে কুরআনের আয়াত নাযিল হয়। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওফাত লাভ করেন আর তা (এভাবেই) কুরআন হতে পঠিত হতে থাকে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: মালিক, রাদাআ (১৭); মুসলিম, রাদাআ ১৪৫২।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি ইবনুল জাউযীর নাসিখুল কুরআন ও মানসূখাহ’ যা নাওয়াসিখুল কুরআন নামে খ্যাত; এবং সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪২২১, ৪২২২ তে।

 

এ বিষয়টি নিয়ে উলামাগণ মতভেদ করেছেন। ((মুহাক্কিক্ব উলামায়ে কেরামের মতভেদ উল্লেখ করার পর বলেন:) এ হাদীস বিষয়ে সঠিক কথা হলো, এটি পরিত্যাগ করা। কেননা, এখানে বর্ণনা করা হয়েছে যে, তা কুরআন, কিন্তু এর কুরআনে থাকা সাব্যস্ত নয়।… আল্লাহই ভাল জানেন।

بَاب كَمْ رَضْعَةً تُحَرِّمُ

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ أَخْبَرَنَا رَوْحٌ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ عَنْ عَمْرَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ نَزَلَ الْقُرْآنُ بِعَشْرِ رَضَعَاتٍ مَعْلُومَاتٍ يُحَرِّمْنَ ثُمَّ نُسِخْنَ بِخَمْسٍ مَعْلُومَاتٍ فَتُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُنَّ مِمَّا يُقْرَأُ مِنْ الْقُرْآنِ

أخبرنا إسحق أخبرنا روح حدثنا مالك عن عبد الله بن أبي بكر عن عمرة عن عائشة قالت نزل القرآن بعشر رضعات معلومات يحرمن ثم نسخن بخمس معلومات فتوفي رسول الله صلى الله عليه وسلم وهن مما يقرأ من القرآن

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৯৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫০. যা দিয়ে দুধ পান করানোর হক ও মর্যাদা আদায় করা যায়

২২৯৩. হাজ্জাজ আসলামী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে) জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আমার থেকে দুগ্ধপানের হক ও মর্যাদা কিভাবে আদায় করা যায়? তিনি বললেন, “(দুধমাকে) ’গুররা’ তথা একটি দাস বা দাসী (প্রদান করার মাধ্যমে)।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। (তবে, ইবনু হিব্বানের মুহাক্বিক্ব শাইখ আরনাউত্ব এ হাদীসের রাবী হাজ্জাজ ইবনু হাজ্জাজ সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন যে, তাকে ইবনু হিব্বান ব্যতীত আর কেউ ‘নির্ভরযোগ্য’ বলেননি। আর ইবনু হাজ্জাজ থেকে উরওয়া ব্যতীত অন্য কেউ এটি বর্ণনা করেননি। তা সত্ত্বেও তিরমিযী তার হাদীসটিকে হাসান সহীহ বলেছেন।– আল ইহসান, তাক্বরীব ইবনু হিব্বান হা/৪২৩০ এর টীকা দ্র: অনুবাদক))

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪২২৭, ৪২২৮ ও মাওয়ারিদুয যামআন নং ১২৬৩ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৭৮৬ তে।

 

((আহমাদ ৩/৪৫০; আব্দুর রাযযাক ১৩৯৫৬; আবূ দাউদ, নিকাহ ২০৬৪; তিরমিযী, রাদা’আ ১১৫৩; নাসাঈ নিকাহ ৬/১০৮… আল ইহসান, তাক্বরীব ইবনু হিব্বান হা/৪২৩০ এর টীকা দ্র: অনুবাদক))

بَاب مَا يُذْهِبُ مَذَمَّةَ الرِّضَاعِ

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا عَبْدَةُ عَنْ هِشَامٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ حَجَّاجِ بْنِ حَجَّاجٍ الْأَسْلَمِيِّ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا يُذْهِبُ عَنِّي مَذَمَّةَ الرَّضَاعِ قَالَ الْغُرَّةُ الْعَبْدُ أَوْ الْأَمَةُ

حدثنا عثمان بن محمد حدثنا عبدة عن هشام عن أبيه عن حجاج بن حجاج الأسلمي عن أبيه أنه قال يا رسول الله ما يذهب عني مذمة الرضاع قال الغرة العبد أو الأمة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৯৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫১. দুধপানের ব্যাপারে স্ত্রীলোকের একবার সাক্ষ্য দেয়া (যথেষ্ট)

২২৯৪. ’উকবাহ ইবনুল হারিস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি আবূ ইহাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর কন্যাকে বিয়ে করলে তাঁর নিকট জনৈকা কালো ক্রীতদাসী এসে বলল, আমি তোমাদের উভয়কে (’উকবাহ কে এবং তার নববধূকে) দুধ পান করিয়েছি।’ (একথা জানার পর) আমি মদিনায় আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গেলাম এবং তাঁকে বিষয়টি জানালাম। তখন তিনি আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন।

আবূ আসিম বলেন, তিনি তৃতীয় কিংবা চতুর্থবারে বলেন, তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ “এ কথা বলার পরও কীভাবে (তুমি তার সঙ্গে সংসার করবে)?” এভাবে তিনি তার (স্ত্রী) থেকে তাঁকে বারণ করলেন।’[1]

আবূ আসিম বলেন: আর আমর ইবনু সাঈদ ইবনু আবীল হুসাইন, আবী মুলাইকাহ হতে একথা বর্ণনা করেছেন: “এ কথা বলার পরও কীভাবে (তুমি তার সঙ্গে সংসার করবে)?” কিন্তু ’এভাবে তিনি তার (স্ত্রী) থেকে তাঁকে বারণ করলেন’- একথাটুকু তিনি বর্ণনা করেননি।আবূ মুহাম্মদ বলেন, আমাদের নিকট এভাবেই (বর্ণিত হয়েছে)।

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ, তবে হাদীসটি সহীহ।

 

তাখরীজ: বুখারী, ইলম ৮৮; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪২১৬, ৪২১৭, ৪২১৮ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৫৯০ তে।

بَاب شَهَادَةِ الْمَرْأَةِ الْوَاحِدَةِ عَلَى الرَّضَاعِ

حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ قَالَ حَدَّثَنِي عُقْبَةُ بْنُ الْحَارِثِ ثُمَّ قَالَ لَمْ يُحَدِّثْنِيهِ وَلَكِنْ سَمِعْتُهُ يُحَدِّثُ الْقَوْمَ قَالَ تَزَوَّجْتُ بِنْتَ أَبِي إِهَابٍ فَجَاءَتْ أَمَةٌ سَوْدَاءُ فَقَالَتْ إِنِّي أَرْضَعْتُكُمَا فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ فَأَعْرَضَ عَنِّي قَالَ أَبُو عَاصِمٍ قَالَ فِي الثَّالِثَةِ أَوْ الرَّابِعَةِ قَالَ كَيْفَ وَقَدْ قِيلَ وَنَهَاهُ عَنْهَا قَالَ أَبُو عَاصِمٍ وَقَالَ عُمَرُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ أَبِي حُسَيْنٍ عَنْ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ فَكَيْفَ وَقَدْ قِيلَ وَلَمْ يَقُلْ نَهَاهُ عَنْهَا قَالَ أَبُو مُحَمَّد كَذَا عِنْدَنَا

حدثنا أبو عاصم عن ابن جريج عن ابن أبي مليكة قال حدثني عقبة بن الحارث ثم قال لم يحدثنيه ولكن سمعته يحدث القوم قال تزوجت بنت أبي إهاب فجاءت أمة سوداء فقالت إني أرضعتكما فأتيت النبي صلى الله عليه وسلم فذكرت ذلك له فأعرض عني قال أبو عاصم قال في الثالثة أو الرابعة قال كيف وقد قيل ونهاه عنها قال أبو عاصم وقال عمر بن سعيد بن أبي حسين عن ابن أبي مليكة فكيف وقد قيل ولم يقل نهاه عنها قال أبو محمد كذا عندنا

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ উকবা ইবনুল হারিস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৯৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫২. বয়োঃবৃদ্ধদের দুধপান করানো প্রসঙ্গে

২২৯৫. আয়িশাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কাছে এলেন। সে সময় এক লোক তার কাছে বসা ছিল। এরপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চেহারায় ক্রোধের ভাব প্রকাশ পেল, যেন তিনি এ ব্যাপারে অসন্তুষ্ট হয়েছেন। আয়িশাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা বললেন, এ আমার ভাই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যাচাই করে দেখ, তোমাদের ভাই কারা? কেননা কেবল (দুধপানের দ্বারাই) ক্ষুধা (নিবারণ হয়, এমন) সময়ের দুধপান দ্বারাই দুধপান (জনিত সম্পর্ক) কার্যকরী হবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: বুখারী, শাহাদাত ২৬৪৭, নিকাহ ৫১০২; মুসলিম, রাদা’আ ১৪৫৫; আবূ দাউদ, নিকাহ ২০৫৮; নাসাঈ, নিকাহ ৬/১০২; ইবনু মাজাহ, নিকাহ ১৯৪৫; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ ২২৮৫; তায়ালিসী ১/৩০৮ নং ১৫৬৯; বাইহাকী, নিকাহ ৭/৪৬০; আহমাদ ৬/৯৪., ১৭৪; ইবনুল জারুদ, ৬৯১; কুদাই, মুসনাদুশ শিহাব নং ১১৭৬, ১১৭৭; সাঈদ ইবনু মানসূর, আল মুসনাদ ৯৬৪।

بَاب فِي رَضَاعَةِ الْكَبِيرِ

أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَشْعَثَ بْنِ سُلَيْمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ عَلَيْهَا وَعِنْدَهَا رَجُلٌ فَتَغَيَّرَ وَجْهُهُ وَكَأَنَّهُ كَرِهَ ذَلِكَ فَقُلْتُ إِنَّهُ أَخِي مِنْ الرَّضَاعَةِ فَقَالَ انْظُرْنَ مَا إِخْوَانُكُنَّ فَإِنَّمَا الرَّضَاعَةُ مِنْ الْمَجَاعَةِ

أخبرنا أبو الوليد الطيالسي حدثنا شعبة عن أشعث بن سليم عن أبيه عن مسروق عن عائشة أن رسول الله صلى الله عليه وسلم دخل عليها وعندها رجل فتغير وجهه وكأنه كره ذلك فقلت إنه أخي من الرضاعة فقال انظرن ما إخوانكن فإنما الرضاعة من المجاعة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৯৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫২. বয়োঃবৃদ্ধদের দুধপান করানো প্রসঙ্গে

২২৯৬. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। সাহলাহ বিনতু সুহাইল ইবনু আমর, যিনি আবূ হুযায়ফা ইবনু উতবাহ ইবনু রবিয়াহ’র স্ত্রী ছিলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গমন করেন এবং বলেন, ইয়া রাসূলূল্লাহ্! আবূ হুযায়ফার মুক্তদাস সালিম আমাদের নিকট এমন অবস্থায় প্রবেশ করে যখন আমরা সাধারণ পোশাকে (তথা এক কাপড়ে) থাকি। আমরা তাকে আমাদের পুত্র হিসাবে গণ্য করি। যেমন রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) যায়িদকে পালক পুত্র হিসাবে লালন পালন করেন, তদ্রুপ তাকেও আবী হুযাইফা পালক পূত্র হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। অবশেষে আল্লাহ্ তা’আলা এ আয়াত অবতীর্ণ করলেন, (هُوَ أَقْسَطُ عِنْدَ اللَّهِ ادْعُوْهُمْ لِآبَآئِهِمْ) অর্থাৎ তোমরা তাদেরকে ডাক তাদের পিতার পরিচয়ে। আল্লাহর নিকট এটি অধিক ন্যায়সঙ্গত। (সূরা আল আহযাব: ৫) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ব্যাপারে তাকে নির্দেশ দিলেন যে, সে যেন সালিমকে (পাঁচবার) দুধ পান করায়।[1]

আবূ মুহাম্মদ বলেন, এ ব্যাপারটি সালিমের জন্য বিশেষ অনুমতি ছিল, (যা অন্যদের জন্য নয়)।

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: বুখারী, মাগাযী ৪০০০, নিকাহ ৫০৮৮, ; মুসলিম, রাদা’আ ১৪৫৩।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪২১৩, ৪২১৪, ৪২১৫ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ২৮০ তে।

 

ইমাম নাবাবী তার শারহে মুসলিম ৩/৬৩৩ তে বলেন: ‘আর উলামাগণ এ মাস’আলায় মতভেদ করেছেন। আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা ও দাউদ বলেছেন: এ হাদীসের কারণে বালিগ ব্যক্তিকে দুধপান করানো দুধপানের মর্যাদার কারণে সাব্যস্ত, যেভাবে ছোট বালককে দুধপান করানো সাব্যস্ত আছে।’

 

বাকী সাহাবী, তাবিঈন ও বর্তমান সময়কাল পর্যন্ত সকল দেশের উলামাগণ বলেছেন: ‘দু’বছরের অধিক বয়স্ক সন্তানের ক্ষেত্রে বাদে অন্য ক্ষেত্রে দুধপান সাব্যস্ত নয়। তবে আবী হানীফা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন: সে মেয়াদ আড়াই বছর। যুফার বলেন: তিন বছর, মালিক হতে একটি বর্ণনায়: দু’বছর কয়েকদিন। জমহুর উলামাগণ দলীল পেশ করেন আল্লাহর কিতাব থেকে: মাতাগণ তাদের সন্তানদের দুধ পান করাবে পূর্ণ দু’বছর।” (সুরা বাকারাহ: ২৩২) এবং এরপর সহীহ মুসলিমে উল্লেখিত হাদীস: “কেবল (দুধপানের দ্বারাই) ক্ষুধা (নিবারণ হয়, এমন) সময়ের দুধপান দ্বারাই দুধপান (জনিত সম্পর্ক) কার্যকরী হবে।” ও অন্যান্য মাশহুর হাদীস দ্বারা।…

بَاب فِي رَضَاعَةِ الْكَبِيرِ

أَخْبَرَنَا أَبُو الْيَمَانِ الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ جَاءَتْ سَهْلَةُ بِنْتُ سُهَيْلِ بْنِ عَمْرٍو وَكَانَتْ تَحْتَ أَبِي حُذَيْفَةَ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ إِنَّ سَالِمًا مَوْلَى أَبِي حُذَيْفَةَ يَدْخُلُ عَلَيْنَا وَأَنَا فُضُلٌ وَإِنَّمَا نَرَاهُ وَلَدًا وَكَانَ أَبُو حُذَيْفَةَ تَبَنَّاهُ كَمَا تَبَنَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْدًا فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى ادْعُوهُمْ لِآبَائِهِمْ هُوَ أَقْسَطُ عِنْدَ اللَّهِ فَأَمَرَهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَ ذَلِكَ أَنْ تُرْضِعَ سَالِمًا قَالَ أَبُو مُحَمَّد هَذَا لِسَالِمٍ خَاصَّةً

أخبرنا أبو اليمان الحكم بن نافع أخبرنا شعيب عن الزهري عن عروة عن عائشة قالت جاءت سهلة بنت سهيل بن عمرو وكانت تحت أبي حذيفة بن عتبة بن ربيعة رسول الله صلى الله عليه وسلم فقالت إن سالما مولى أبي حذيفة يدخل علينا وأنا فضل وإنما نراه ولدا وكان أبو حذيفة تبناه كما تبنى النبي صلى الله عليه وسلم زيدا فأنزل الله تعالى ادعوهم لآبائهم هو أقسط عند الله فأمرها النبي صلى الله عليه وسلم عند ذلك أن ترضع سالما قال أبو محمد هذا لسالم خاصة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৯৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫৩. তাহলীল (বা হিল্লা) করা নিষিদ্ধ হওয়া সম্পর্কে

২২৯৭. আব্দুল্লাহ (ইবনু মাসউদ) রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’হিল্লাকারী (হালালকারী) পুরুষ ও যার জন্য হিল্লা করা হয়-এ উভয়কে লা’নত করেছেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫০৫৪ তে।

 

((আহমাদ ১/৪৪৮,৪৫০,৪৫১, ৪৬২; তিরমিযী, নিকাহ ১১২০; নাসাঈ, তালাক ৬/১৪৯ সহীহ সনদে; এছাড়া এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আলী, উকবাহ ইবনু আমির, আবী হুরাইরাহ, ইবনু আব্বাস, জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে। বিস্তারিত দেখুন, মুহাক্বিক্বের তাহক্বীক্ককৃত মুসনাদে আবী ইয়ালা হা/৫০৫৪ এর টীকাটি।– অনুবাদক))

بَاب فِي النَّهْيِ عَنْ التَّحْلِيلِ

أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ أَبِي قَيْسٍ عَنْ الْهُزَيْلِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمُحِلَّ وَالْمُحَلَّلَ لَهُ

أخبرنا أبو نعيم حدثنا سفيان عن أبي قيس عن الهزيل عن عبد الله قال لعن رسول الله صلى الله عليه وسلم المحل والمحلل له

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ‌ ইব্‌ন মাসউদ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৯৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫৪. কোনো লোকের তার পরিবারের জন্য ব্যয় করা ওয়াজিব হওয়া সম্পর্কে

২২৯৮. আয়িশাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত যে, আবী সুফিয়ানের স্ত্রী মু’আবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-এর মা হিন্দা আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আবী সুফিয়ান একজন কৃপণ ব্যক্তি। তিনি আমার ও আমার সন্তানদের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে ব্যয় করে না। এমতাবস্থায় আমি যদি তার মাল হতে গোপনে কিছু গ্রহণ করি, তাতে কি আমার গুনাহ হবে? তখন তিনি বললেন, “তুমি তোমার ও সন্তানদের প্রয়োজন অনুযায়ী ন্যায়সঙ্গতভাবে গ্রহণ করতে পার।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: বুখারী, বুয়ূ ২২১১; মুসলিম, আকযিয়া ১৭১৪।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৬৩৬ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪২৫৫, ৪২৫৬, ৪২৫৮ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ২৪৪ তে।

بَاب فِي وُجُوبِ نَفَقَةِ الرَّجُلِ عَلَى أَهْلِهِ

أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ هِنْدًا أُمَّ مُعَاوِيَةَ امْرَأَةَ أَبِي سُفْيَانَ أَتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبَا سُفْيَانَ رَجُلٌ شَحِيحٌ وَإِنَّهُ لَا يُعْطِينِي مَا يَكْفِينِي وَبَنِيَّ إِلَّا مَا أَخَذْتُ مِنْهُ وَهُوَ لَا يَعْلَمُ فَهَلْ عَلَيَّ فِي ذَلِكَ جُنَاحٌ فَقَالَ خُذِي مَا يَكْفِيكِ وَوَلَدَكِ بِالْمَعْرُوفِ

أخبرنا جعفر بن عون أخبرنا هشام بن عروة عن أبيه عن عائشة أن هندا أم معاوية امرأة أبي سفيان أتت رسول الله صلى الله عليه وسلم فقالت يا رسول الله إن أبا سفيان رجل شحيح وإنه لا يعطيني ما يكفيني وبني إلا ما أخذت منه وهو لا يعلم فهل علي في ذلك جناح فقال خذي ما يكفيك وولدك بالمعروف

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২২৯৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫৫. স্ত্রীদের সাথে উত্তমভাবে মেলামেশা বা আচরণ করা

২২৯৯. আয়িশাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তোমাদের মধ্যে উত্তম হলো সে, যে তার পরিবারের কাছে উত্তম। আর তোমাদের সাথী (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে) যখন মারা যাবেন, তখন তোমরা তাঁর জন্য দু’আ করবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪২৫৫ ও মাওয়ারিদুয যামআন নং ১২৬৩ তে।

 

((তিরমিযী, মানাকিব ৩৮৯৫- অনুবাদক))

بَاب فِي حُسْنِ مُعَاشَرَةِ النِّسَاءِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْرُكُمْ خَيْرُكُمْ لِأَهْلِهِ وَإِذَا مَاتَ صَاحِبُكُمْ فَدَعُوهُ

أخبرنا محمد بن يوسف حدثنا سفيان عن هشام بن عروة عن أبيه عن عائشة قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم خيركم خيركم لأهله وإذا مات صاحبكم فدعوه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

 ২৩০০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫৬. যদি পিতা অল্প বয়স্ক মেয়েদের কে বিবাহ দেয়, তাদের বিবাহের অবস্থা সম্পর্কে

২৩০০. আয়িশাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আমাকে বিবাহ করেন, তখন আমার বয়স ছিল ছয় বছর। তারপর আমরা মদিনায় এলাম এবং বনু হারিস ইবনু খাযরাজ গোত্রে অবস্থান করলাম। সেখানে আমি জ্বরে আক্রান্ত হলাম। এতে আমার চুল পড়ে গেল। পরে যখন আমার মাথার সামনের চুল জমে উঠল। সে সময় আমি একদিন আমার বান্ধবীদের সাথে দোলনায় খেলা করছিলাম। তখন আমার মাতা উম্মে রূমান আমাকে উচ্চস্বরে ডাকলেন। আমি তাঁর কাছে এলাম। আমি বুঝতে পারিনি, তার উদ্দেশ্য কী? তিনি আমার হাত ধরে ঘরের দরজায় এসে আমাকে দাঁড় করালেন। আর আমি হাঁফাচ্ছিলাম। শেষে আমার শ্বাস-প্রশ্বাস কিছুটা প্রশমিত হল। এরপর তিনি কিছু পানি নিলেন এবং তা দিয়ে আমার মুখমন্ডল ও মাথা মাসেহ করে দিলেন। তারপর আমাকে ঘরের ভিতর প্রবেশ করালেন। সেখানে কয়েকজন আনসারী মহিলা ছিলেন। তাঁরা বললেন, ’কল্যাণময়, বরকতময় এবং সৌভাগ্যমন্ডিত হোক।’ তিনি আমাকে তাদের কাছে দিয়ে দিলেন। তাঁরা আমার অবস্থা ঠিক করে দিলেন, তখন ছিল দ্বিপ্রহরের পূর্ব মুহূর্ত। হঠাৎ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখেই আমি হকচকিয়ে গেলাম। তাঁরা আমাকে তাঁর কাছে তুলে দিল। সে সময় আমি নয় বছরের বালিকা।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: বুখারী, মানাকিবু সাহাবাহ ৩৮৯৫; মুসলিম, ফাযাইলুস সাহাবাহ ২৪৩৮।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৪৯৮, ৪৬০০, ৪৬২৬ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭০৯৭ তে।

بَاب فِي تَزْوِيجِ الصِّغَارِ إِذَا زَوَّجَهُنَّ آبَاؤُهُنَّ

أَخْبَرَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ خَلِيلٍ أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ عَنْ هِشَامٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ تَزَوَّجَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا بِنْتُ سِتِّ سِنِينَ فَقَدِمْنَا الْمَدِينَةَ فَنَزَلْنَا فِي بَنِي الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ فَوُعِكْتُ فَتَمَرَّقَ رَأْسِي فَأَوْفَى جُمَيْمَةً فَأَتَتْنِي أُمُّ رُومَانَ وَإِنِّي لَفِي أُرْجُوحَةٍ وَمَعِي صَوَاحِبَاتٌ لِي فَصَرَخَتْ بِي فَأَتَيْتُهَا وَمَا أَدْرِي مَا تُرِيدُ فَأَخَذَتْ بِيَدِي حَتَّى أَوْقَفَتْنِي عَلَى بَابِ الدَّارِ وَإِنِّي لَأَنْهَجُ حَتَّى سَكَنَ بَعْضُ نَفَسِي ثُمَّ أَخَذَتْ شَيْئًا مِنْ مَاءٍ فَمَسَحَتْ بِهِ وَجْهِي وَرَأْسِي ثُمَّ أَدْخَلَتْنِي الدَّارَ فَإِذَا نِسْوَةٌ مِنْ الْأَنْصَارِ فِي الْبَيْتِ فَقُلْنَ عَلَى الْخَيْرِ وَالْبَرَكَةِ وَعَلَى خَيْرِ طَائِرٍ فَأَسْلَمَتْنِي إِلَيْهِنَّ فَأَصْلَحْنَ مِنْ شَأْنِي فَلَمْ يَرُعْنِي إِلَّا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ضُحًى فَأَسْلَمَتْنِي إِلَيْهِ وَأَنَا يَوْمَئِذٍ بِنْتُ تِسْعِ سِنِينَ

أخبرنا إسمعيل بن خليل أخبرنا علي بن مسهر عن هشام عن أبيه عن عائشة قالت تزوجني رسول الله صلى الله عليه وسلم وأنا بنت ست سنين فقدمنا المدينة فنزلنا في بني الحارث بن الخزرج فوعكت فتمرق رأسي فأوفى جميمة فأتتني أم رومان وإني لفي أرجوحة ومعي صواحبات لي فصرخت بي فأتيتها وما أدري ما تريد فأخذت بيدي حتى أوقفتني على باب الدار وإني لأنهج حتى سكن بعض نفسي ثم أخذت شيئا من ماء فمسحت به وجهي ورأسي ثم أدخلتني الدار فإذا نسوة من الأنصار في البيت فقلن على الخير والبركة وعلى خير طائر فأسلمتني إليهن فأصلحن من شأني فلم يرعني إلا رسول الله صلى الله عليه وسلم ضحى فأسلمتني إليه وأنا يومئذ بنت تسع سنين

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)