দারেমী কুরআনের ফজিলত অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ৩৪১৪ – ৩৪৮০

দারেমী কুরআনের ফজিলত অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ৩৪১৪ – ৩৪৮০

৩৪১৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৩. সূরা বাক্বারার ফযীলত

৩৪১৪. আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: যে বাড়িতে সূরা বাকারা পাঠ করা হয়, তা থেকে শয়তান বায়ু ছাড়তে ছাড়তে বের হয়ে যায়।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ; ফিতর আবী ইসহাক সাবিঈ হতে হাদীস শ্রবন করা থেকে পিছিয়ে। আর এটি মাওকুফ।

 

তাখরীজ: ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ১৭৫ সনদ সহীহ; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৩৭৯; তাবারাণী, আওসাত নং ২২৬৯; সাগীর ১/৫৩-৫৪; কাবীর ৯/১৩৮ নং ৮৬৪৩; হাকিম নং ২০৬২, ২০৬৩।আর এটি সামনে আসছে।

باب فِي فَضْلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ

أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا فِطْرٌ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ مَا مِنْ بَيْتٍ يُقْرَأُ فِيهِ سُورَةُ الْبَقَرَةِ إِلَّا خَرَجَ مِنْهُ الشَّيْطَانُ وَلَهُ ضَرِيطٌ

أخبرنا أبو نعيم حدثنا فطر عن أبي إسحق عن أبي الأحوص عن عبد الله قال ما من بيت يقرأ فيه سورة البقرة إلا خرج منه الشيطان وله ضريط

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ‌ ইব্‌ন মাসউদ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪১৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৩. সূরা বাক্বারার ফযীলত

৩৪১৫. খালিদ ইবনু মা’দান (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: সূরা বাকারা শিক্ষা করাতে কল্যাণ রয়েছে এবং তা পরিত্যাগ করাতে পরিতাপ রয়েছে। আর বাতিলপন্থীগণ (যাদুকররা) এটি (মোকাবেলা করতে) সক্ষম হবে না। আর এটি হলো কুরআনের শামিয়ানা স্বরূপ।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: আবিদাহ বিনতে খালিদের জীবনী আমি কোথাও পাইনি। আর এটি খালিদের উপর মাওকুফ (তার বক্তব্য হিসেবে বর্ণিত)।

 

তাখরীজ: আমি এটি খালিদের উপর মাওকুফ (তার বক্তব্য হিসেবে) আর কোথাও পাইনি। দেখুন, দুররে মানসূর ১/২০।

 

তবে এটি মারফু’ (আবূ উমামাহ হতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে) বর্ণিত আছে সহীহ মুসলিম ২৫২ (৮০৪) তে।

باب فِي فَضْلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ

حَدَّثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ حَدَّثَنَا عَبْدَةُ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ قَالَ سُورَةُ الْبَقَرَةِ تَعْلِيمُهَا بَرَكَةٌ وَتَرْكُهَا حَسْرَةٌ وَلَا يَسْتَطِيعُهَا الْبَطَلَةُ وَهِيَ فُسْطَاطُ الْقُرْآنِ

حدثنا أبو المغيرة حدثنا عبدة عن خالد بن معدان قال سورة البقرة تعليمها بركة وتركها حسرة ولا يستطيعها البطلة وهي فسطاط القرآن

 হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ  বর্ণনাকারীঃ খালিদ ইবনু মা‘দান (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪১৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৩. সূরা বাক্বারার ফযীলত

৩৪১৬. আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, প্রত্যেক বস্তুর চুড়া থাকে; আর কুরআনের চুড়া হলো সুরা বাকারাহ। আবার প্রত্যেক বস্তুর মজ্জা বা শ্রেষ্ঠ অংশ থাকে; কুরআনের মজ্জা বা শ্রেষ্ঠ অংশ হলো মুফাস্সাল সুরাহ সমূহ। (সুরাহ হুজুরাত হতে শেষ পর্যন্ত)।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান আসিম ইবনু আবীন নুজুদের কারণে। আর এটি ইবনু মাসউদের উপর মাওকুফ (তার বক্তব্য)।

 

তাখরীজ: ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ১৭৮; তাবারাণী, কাবীর ৯/১৩৮ নং ৮৬৪৪; হাকিম নং ২০৬০; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৩৭৬ মাওকুফ হিসেবে।

 

মারফু’ হিসেবে হাকিম নং ২০৬০; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৩৭৭ হাসান সনদে।

باب فِي فَضْلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّهُ قَالَ إِنَّ لِكُلِّ شَيْءٍ سَنَامًا وَإِنَّ سَنَامَ الْقُرْآنِ سُورَةُ الْبَقَرَةِ وَإِنَّ لِكُلِّ شَيْءٍ لُبَابًا وَإِنَّ لُبَابَ الْقُرْآنِ الْمُفَصَّلُ قَالَ أَبُو مُحَمَّد اللُّبَابُ الْخَالِصُ

حدثنا عمرو بن عاصم حدثنا حماد بن سلمة عن عاصم عن أبي الأحوص عن عبد الله أنه قال إن لكل شيء سناما وإن سنام القرآن سورة البقرة وإن لكل شيء لبابا وإن لباب القرآن المفصل قال أبو محمد اللباب الخالص

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ‌ ইব্‌ন মাসউদ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪১৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৩. সূরা বাক্বারার ফযীলত

৩৪১৭. আব্দুর রহমান ইবনুল আসওয়াদ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি সূরা বাকারা পাঠ করে, তাকে জান্নাতে তার একটি তাজ বা মুকুট পরানো হবে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান।

 

তাখরীজ: ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ১৬৫; আরও দেখুন, দুররে মানসুর ১/২১।

باب فِي فَضْلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ

حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ أَبَانَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ طَلْحَةَ عَنْ زُبَيْدٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْأَسْوَدِ قَالَ مَنْ قَرَأَ سُورَةَ الْبَقَرَةِ تُوِّجَ بِهَا تَاجًا فِي الْجَنَّةِ

حدثنا إسمعيل بن أبان عن محمد بن طلحة عن زبيد عن عبد الرحمن بن الأسود قال من قرأ سورة البقرة توج بها تاجا في الجنة

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ আব্দুর রহমান ইবনুল আসওয়াদ (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪১৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৩. সূরা বাক্বারার ফযীলত

৩৪১৮. আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: যখন শয়তান কোনো বাড়িতে সূরা বাকারা পাঠ করতে শোনে, তখন তা থেকে সে বের হয়ে যায়।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। আর এটি আব্দুল্লাহ হতে মাওকুফ।

 

তাখরীজ: হাকিম নং ২০৬২; হাকিম ও যাহবী এর সনদকে সহীহ বলেছেন; ফিরইয়াবী, ফাযাইলুল কুরআন নং ৩৯, ৪০।

باب فِي فَضْلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ

حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ إِنَّ الشَّيْطَانَ إِذَا سَمِعَ سُورَةَ الْبَقَرَةِ تُقْرَأُ فِي بَيْتٍ خَرَجَ مِنْهُ

حدثنا أبو نعيم حدثنا شعبة عن سلمة بن كهيل عن أبي الأحوص قال قال عبد الله إن الشيطان إذا سمع سورة البقرة تقرأ في بيت خرج منه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ‌ ইব্‌ন মাসউদ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪১৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৪. সুরা বাকারার প্রথমাংশ ও আয়াতুল কুরসীর ফযীলত

৩৪১৯. আইফা’ ইবনু আব্দুল কালাঈ’ বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করলো, কুরআনের কোন সূরাটি সবচেয়ে মহান? তিনি বললেন, “ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ।” (সুরা ইখলাস: ১)

লোকটি আবারও বলল, কুরআনের কোন্ আয়াতটি সবচেয়ে মহান? তিনি বললেন, “আয়াতুল কুরসী: (আল্লাহু লা ইলা-হা ইল্লা- হুওয়া আলহাইয়্যূল ক্বইয়্যূম।” (সুরাহ বাক্বারাহ: ২৫৫)

লোকটি আবার বললো, হে আল্লাহর নবী! কোন্ আয়াতটির (বরকত) আপনি ও আপনার উম্মাত লাভ করুক- আপনি তা পছন্দ করেন? তিনি বলেন, “সূরা বাক্বারার শেষাংশ; কেননা, তা আল্লাহর আরশের নিচে অবস্থিত রহমতের ভাণ্ডারসমূহের অন্যতম, তা তিনি এ উম্মাতকে প্রদান করেছেন; আর দুনিয়া ও আখিরাতের এমন কোনো কল্যাণ নেই, যা এর মধ্যে অন্তর্ভূক্ত নেই।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ; এটি মুরসাল কিংবা মু’দ্বাল হওয়ার কারণে। (তথা রাবী বাদ পড়ার কারণে)

 

তাখরীজ: ছুলিছিয়াত ৬১টির মধ্যে নং ১৫ দু’ উস্তাদের তাহক্বীক্বকৃত: ১. আলী রেযা ও আহমাদ আল বাযরাহ।

 

হাফিজ ইবনু হাজার তার ইসাবাহ ১/২২২ তে বলেন: ‘দারেমী তার সনদে বলেন,…। এটি মুরসাল … অথবা মু’দ্বাল।’

باب فَضْلِ أَوَّلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَآيَةِ الْكُرْسِيِّ

حَدَّثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ حَدَّثَنَا صَفْوَانُ حَدَّثَنِي أَيْفَعُ بْنُ عَبْدٍ الْكَلَاعِيُّ قَالَ قَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيُّ سُورَةِ الْقُرْآنِ أَعْظَمُ قَالَ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ قَالَ فَأَيُّ آيَةٍ فِي الْقُرْآنِ أَعْظَمُ قَالَ آيَةُ الْكُرْسِيِّ اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ قَالَ فَأَيُّ آيَةٍ يَا نَبِيَّ اللَّهِ تُحِبُّ أَنْ تُصِيبَكَ وَأُمَّتَكَ قَالَ خَاتِمَةُ سُورَةِ الْبَقَرَةِ فَإِنَّهَا مِنْ خَزَائِنِ رَحْمَةِ اللَّهِ مِنْ تَحْتِ عَرْشِهِ أَعْطَاهَا هَذِهِ الْأُمَّةَ لَمْ تَتْرُكْ خَيْرًا مِنْ خَيْرِ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ إِلَّا اشْتَمَلَتْ عَلَيْهِ

حدثنا أبو المغيرة حدثنا صفوان حدثني أيفع بن عبد الكلاعي قال قال رجل يا رسول الله أي سورة القرآن أعظم قال قل هو الله أحد قال فأي آية في القرآن أعظم قال آية الكرسي الله لا إله إلا هو الحي القيوم قال فأي آية يا نبي الله تحب أن تصيبك وأمتك قال خاتمة سورة البقرة فإنها من خزائن رحمة الله من تحت عرشه أعطاها هذه الأمة لم تترك خيرا من خير الدنيا والآخرة إلا اشتملت عليه

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪২০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৪. সুরা বাকারার প্রথমাংশ ও আয়াতুল কুরসীর ফযীলত

৩৪২০. আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এক সাহাবী এক জ্বিনের সাথে সাক্ষাত হলে সে তার সাথে লড়াই করতে লাগলো ফলে তিনিও তার সাথে লড়াইয়ে লিপ্ত হন। তখন লোকটি জ্বিনটিকে বললো, আমি লক্ষ্য করছি, তুমি খুব সুক্ষ্ম, কৃশকায় এবং তোমার হাতদু’টিও যেন কুকুরের হাতের মতোই (কৃশকায়)। আর তোমরা জ্বিন জাতি কি এমনই, কেবল তাদের মধ্যে তুমিই এমন (হালকা-পাতলা)? সে বললো, না, আল্লাহর কসম, আমিই তাদের মধ্যে সুঠামদেহী। তবে তুমি আমাকে পুণরায় আক্রমণ করে দেখ। তখন যদি তুমি আমাকে পরাজিত করতে পার, তবে আমি তোমার জন্য উপকারী একটি বিষয় তোমাকে শিখিয়ে দেব। ফলে তিনি তাকে পুণরায় আক্রমণ করলেন এবং তাকে পরাজিত করলেন।

অত:পর তিনি বললেন, এবার তবে আমাকে তা শিখিয়ে দাও। সে বললো, আচ্ছা ঠিক আছে। সে বললো, তুমি কি পাঠ করো: “আল্লাহু লা- ইলা-হা ইল্লা-হুওয়াল হাইয়্যুল ক্বইয়্যূম।” (সুরা বাক্বারাঃ ১৫৫)? তিনি বললেন, হাঁ, তা করি। সে বললো, যখন তুমি তা কোনো বাড়িতে পাঠ করবে, তখন অবশ্যই শয়তান তা থেকে বের হয়ে যাবে। আর তা গাধার গন্ধ ছড়ানোর মতো গন্ধ ছড়াতে ছড়াতে বেরিয়ে যাবে। এরপর সকাল পর্যন্ত আর সেখানে প্রবেশ করবে না।[1]আবূ মুহাম্মদ বলেন, ’যয়ীলু’ অর্থ সুক্ষ্ম বা পাতলা, ’শাখীতু’ অর্থ ’কৃশকায়’, ’যলীউ’ অর্থ বেশ শক্তিশালী’ এবং ’খাবাজু’ অর্থ গন্ধ।

[1] তাহক্বীক্ব: এর রাবীগণ বিশ্বস্ত; তবে বর্ণিত আছে যে, আমির শা’বী ইবনু মাসউদ হতে শ্রবণ করেননি।

 

তাখরীজ: তাবারাণী, কাবীর ৯/১৮৩-১৮৪ নং ৮৮২৪, ৮৮২৬; সূয়ূতী দুররে মানসুর ১/২০ এ বলেন: ইবনু আবীদ দুনিয়া, মাকাইদুশ শাইতান অধ্যায়ে ইবনু মাসউদ হতে বর্ণনা করেছেন…।

باب فَضْلِ أَوَّلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَآيَةِ الْكُرْسِيِّ

حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ الثَّقَفِيُّ حَدَّثَنَا الشَّعْبِيُّ قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ لَقِيَ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ رَجُلًا مِنْ الْجِنِّ فَصَارَعَهُ فَصَرَعَهُ الْإِنْسِيُّ فَقَالَ لَهُ الْإِنْسِيُّ إِنِّي لَأَرَاكَ ضَئِيلًا شَخِيتًا كَأَنَّ ذُرَيِّعَتَيْكَ ذُرَيِّعَتَا كَلْبٍ فَكَذَلِكَ أَنْتُمْ مَعْشَرَ الْجِنِّ أَمْ أَنْتَ مِنْ بَيْنِهِمْ كَذَلِكَ قَالَ لَا وَاللَّهِ إِنِّي مِنْهُمْ لَضَلِيعٌ وَلَكِنْ عَاوِدْنِي الثَّانِيَةَ فَإِنْ صَرَعْتَنِي عَلَّمْتُكَ شَيْئًا يَنْفَعُكَ قَالَ نَعَمْ قَالَ تَقْرَأُ اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ قَالَ نَعَمْ قَالَ فَإِنَّكَ لَا تَقْرَؤُهَا فِي بَيْتٍ إِلَّا خَرَجَ مِنْهُ الشَّيْطَانُ لَهُ خَبَجٌ كَخَبَجِ الْحِمَارِ ثُمَّ لَا يَدْخُلُهُ حَتَّى يُصْبِحَ قَالَ أَبُو مُحَمَّد الضَّئِيلُ الدَّقِيقُ وَالشَّخِيتُ الْمَهْزُولُ وَالضَّلِيعُ جَيِّدُ الْأَضْلَاعِ وَالْخَبَجُ الرِّيحُ

حدثنا أبو نعيم حدثنا أبو عاصم الثقفي حدثنا الشعبي قال قال عبد الله بن مسعود لقي رجل من أصحاب محمد رجلا من الجن فصارعه فصرعه الإنسي فقال له الإنسي إني لأراك ضئيلا شخيتا كأن ذريعتيك ذريعتا كلب فكذلك أنتم معشر الجن أم أنت من بينهم كذلك قال لا والله إني منهم لضليع ولكن عاودني الثانية فإن صرعتني علمتك شيئا ينفعك قال نعم قال تقرأ الله لا إله إلا هو الحي القيوم قال نعم قال فإنك لا تقرؤها في بيت إلا خرج منه الشيطان له خبج كخبج الحمار ثم لا يدخله حتى يصبح قال أبو محمد الضئيل الدقيق والشخيت المهزول والضليع جيد الأضلاع والخبج الريح

 হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ‌ ইব্‌ন মাসউদ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪২১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৪. সুরা বাকারার প্রথমাংশ ও আয়াতুল কুরসীর ফযীলত

৩৪২১. আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি (বাড়িতে) রাতে সূরাহ বাক্বারার দশটি আয়াত পাঠ করবে, তবে শয়তান সেই রাতে সকাল পর্যন্ত আর ঐ বাড়িতে প্রবেশ করবে না। (আয়াত দশটি হলো:) প্রথম চারটি আয়াত, আয়াতুল কুরসী ও এর পরবর্তী দু’টি আয়াত এবং শেষের তিনটি আয়াত যার শুরু: لِلَّهِ مَا فِى السَّمَوَاتِ (“লিল্লাহি মা ফিস্ সামাওয়াতি… সুরা বাক্বারাহ: ২৮৪)[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর রাবীগণ বিশ্বস্ত; তবে এটি বিচ্ছিন্ন (মুনকাতি’)।

 

তাখরীজ: তাবারাণী, কাবীর ৯/ ১৪৭ নং ৮৬৭৩। পুর্ণ তাখরীজের জন্য পরবর্তী হাদীসগুলি দেখুন।

باب فَضْلِ أَوَّلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَآيَةِ الْكُرْسِيِّ

حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ أَخْبَرَنَا أَبُو الْعُمَيْسِ عَنْ الشَّعْبِيِّ قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ مَنْ قَرَأَ عَشْرَ آيَاتٍ مِنْ سُورَةِ الْبَقَرَةِ فِي لَيْلَةٍ لَمْ يَدْخُلْ ذَلِكَ الْبَيْتَ شَيْطَانٌ تِلْكَ اللَّيْلَةَ حَتَّى يُصْبِحَ أَرْبَعًا مِنْ أَوَّلِهَا وَآيَةُ الْكُرْسِيِّ وَآيَتَانِ بَعْدَهَا وَثَلَاثٌ خَوَاتِيمُهَا أَوَّلُهَا لِلَّهِ مَا فِي السَّمَوَاتِ

حدثنا جعفر بن عون أخبرنا أبو العميس عن الشعبي قال قال عبد الله من قرأ عشر آيات من سورة البقرة في ليلة لم يدخل ذلك البيت شيطان تلك الليلة حتى يصبح أربعا من أولها وآية الكرسي وآيتان بعدها وثلاث خواتيمها أولها لله ما في السموات

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ‌ ইব্‌ন মাসউদ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪২২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৪. সুরা বাকারার প্রথমাংশ ও আয়াতুল কুরসীর ফযীলত

৩৪২২. আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি (বাড়িতে) সূরাহ বাক্বারার প্রথম চারটি আয়াত, আয়াতুল কুরসী ও আয়াতুল কুরসীর পরবর্তী দু’টি আয়াত এবং শেষের তিনটি আয়াত পাঠ করবে, তবে শয়তান এবং তার অপছন্দনীয় কোনো কিছু সেই দিন তার ও তার পরিবারের নিকটবর্তী হবে না। আর এটি যদি কোনো উন্মাদ বা জ্বিনগ্রস্ত ব্যক্তির উপর পাঠ করা হয়, তবে সে অবশ্যই সুস্থ্যতা লাভ করবে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এটির সনদ পূর্বেরটির মতই বিচ্ছিন্ন (মুনকাতি’)।

 

তাখরীজ: ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ১৬৬, ১৭৯; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৪১২। আগের টীকাটি দেখুন।

باب فَضْلِ أَوَّلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَآيَةِ الْكُرْسِيِّ

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ مَنْ قَرَأَ أَرْبَعَ آيَاتٍ مِنْ أَوَّلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَآيَةَ الْكُرْسِيِّ وَآيَتَانِ بَعْدَ آيَةِ الْكُرْسِيِّ وَثَلَاثًا مِنْ آخِرِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ لَمْ يَقْرَبْهُ وَلَا أَهْلَهُ يَوْمَئِذٍ شَيْطَانٌ وَلَا شَيْءٌ يَكْرَهُهُ وَلَا يُقْرَأْنَ عَلَى مَجْنُونٍ إِلَّا أَفَاقَ

أخبرنا عمرو بن عاصم حدثنا حماد عن عاصم عن الشعبي عن ابن مسعود قال من قرأ أربع آيات من أول سورة البقرة وآية الكرسي وآيتان بعد آية الكرسي وثلاثا من آخر سورة البقرة لم يقربه ولا أهله يومئذ شيطان ولا شيء يكرهه ولا يقرأن على مجنون إلا أفاق

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ‌ ইব্‌ন মাসউদ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪২৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৪. সুরা বাকারার প্রথমাংশ ও আয়াতুল কুরসীর ফযীলত

৩৪২৩. আবী ইসহাক এমন লোক হতে বর্ণনা করেছেন যিনি আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে বলতে শুনেছেন, আমি জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্ন এমন কোনো ব্যক্তিকে দেখিনি যে ঘুমানোর সময় সূরা বাক্বারার শেষের এ সকল আয়াত গুলি না পড়ে। আর এগুলি হলো আরশের নিচের ধনভাণ্ডারের অন্যতম।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ; এতে অজ্ঞাত রাবী রয়েছে।

 

তাখরীজ: ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ১৭৬ তে সহীহ সনদে আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর বক্তব্য হিসেবে। সূয়ূতী দুররে মানসুর ১/৩৭৮ এ বলেন: এটি আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেছেন‘দারেমী, ইবনু নাসর, ইবনু যরীস ও ইবনু মারদুবিয়াহ …।

باب فَضْلِ أَوَّلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَآيَةِ الْكُرْسِيِّ

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَمَّنْ سَمِعَ عَلِيًّا يَقُولُ مَا كُنْتُ أَرَى أَنَّ أَحَدًا يَعْقِلُ يَنَامُ حَتَّى يَقْرَأَ هَؤُلَاءِ الْآيَاتِ مِنْ آخِرِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَإِنَّهُنَّ لَمِنْ كَنْزٍ تَحْتَ الْعَرْشِ

حدثنا سعيد بن عامر عن شعبة عن أبي إسحق عمن سمع عليا يقول ما كنت أرى أن أحدا يعقل ينام حتى يقرأ هؤلاء الآيات من آخر سورة البقرة وإنهن لمن كنز تحت العرش

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ আবূ ইসহাক (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪২৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৪. সুরা বাকারার প্রথমাংশ ও আয়াতুল কুরসীর ফযীলত

৩৪২৪. মুগীরা ইবনু সুবাঈ’ হতে বর্ণিত, যিনি আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর সাথীদের একজন ছিলেন[1]- তিনি বলেন, যে ব্যক্তি (রাতে) ঘুমানোর সময় সূরাহ বাক্বারার দশটি আয়াত পাঠ করবে, তবে সেই ব্যক্তি কুরআন ভুলে যাবে না (আয়াত দশটি হলো): এর প্রথম চারটি আয়াত, আয়াতুল কুরসী ও এর পরবর্তী দু’টি আয়াত এবং শেষের তিনটি আয়াত।[2]

ইসহাক বলেন, ’যা সে হিফজ’ (মুখস্ত) করেছে, তা ভূলে যাবে না।

আবূ মুহাম্মদ বলেন, তাদের কেউ কেউ বলেন, মুগীরাহ ইবনু সুমাঈ।

[1] আমরা যতটা জানতে পেরেছি, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর সাথী ছিলেন না। আল্লাহই ভাল জানেন।

 

[2] তাহক্বীক্ব: এটির সনদ মুগীরাহ পর্যন্ত সহীহ। আর এটি তার উপর মাওকুফ।

 

তাখরীজ: বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৪১৩, ২৪৭৩; সাঈদ ইবনু মানসূর ১৩৮; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ১১৯৮; তিরমিযী, ছাওয়াবুল কুরআন ২৮৮২; আবূ নুয়াইম, যিকরু আখবারুল আসবাহান ১/২৩৩। তিরমিযী বলেন, এ হাদীসটি গারীব।’ বাইহাকী এটি অপর সূত্রে বর্ণনা করেছেন যা পুর্বের চেয়েও অধিক দুর্বল।

باب فَضْلِ أَوَّلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَآيَةِ الْكُرْسِيِّ

حَدَّثَنَا إِسْحَقُ بْنُ عِيسَى عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ عَنْ أَبِي سِنَانٍ عَنْ الْمُغِيرَةِ بْنِ سُبَيْعٍ وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ مَنْ قَرَأَ عَشْرَ آيَاتٍ مِنْ الْبَقَرَةِ عِنْدَ مَنَامِهِ لَمْ يَنْسَ الْقُرْآنَ أَرْبَعُ آيَاتٍ مِنْ أَوَّلِهَا وَآيَةُ الْكُرْسِيِّ وَآيَتَانِ بَعْدَهَا وَثَلَاثٌ مِنْ آخِرِهَا قَالَ إِسْحَقُ لَمْ يَنْسَ مَا قَدْ حَفِظَ قَالَ أَبُو مُحَمَّد مِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ الْمُغِيرَةُ بْنُ سُمَيْعٍ

حدثنا إسحق بن عيسى عن أبي الأحوص عن أبي سنان عن المغيرة بن سبيع وكان من أصحاب عبد الله قال من قرأ عشر آيات من البقرة عند منامه لم ينس القرآن أربع آيات من أولها وآية الكرسي وآيتان بعدها وثلاث من آخرها قال إسحق لم ينس ما قد حفظ قال أبو محمد منهم من يقول المغيرة بن سميع

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪২৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৪. সুরা বাকারার প্রথমাংশ ও আয়াতুল কুরসীর ফযীলত

৩৪২৫. আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি সকালে আয়াতুল কুরসী, সুরাহ ফাতিহা এবং সূরা মু’মিনের “হা-মীম” থেকে “ইলাইহিল মাসীর” পর্যন্ত (১.২.৩ নং আয়াত) তিলাওয়াত করবে তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত সে তার অপছন্দনীয় কোন কিছু দেখবে না। আর যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় তা পাঠ করবে সকাল পর্যন্ত সে তার অপছন্দনীয় কোন কিছু দেখবে না।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ আব্দুর রহমান ইবনু আবী বাকর এর দুর্বলতার কারণে। অণ্যান্য রাবীগণ বিশ্বস্ত।

 

তাখরীজ: ((মুহাক্বিক্ব এর কোনো তাখরীজ দেননি। তবে আমরা ফাতহুল মান্নান হা/ ৩৬৫১ হতে সংযোজন করলাম: তিরমিযী, ছাওয়াবুল কুরআন নং ২৮৭৯ এবং তিনি বলেন, এ হাদীসটি গারীব।’ বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ১১৯৮; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৪৭৩।

باب فَضْلِ أَوَّلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَآيَةِ الْكُرْسِيِّ

حَدَّثَنَا إِسْحَقُ بْنُ عِيسَى عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ الْمُلَيْكِيِّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ قَرَأَ آيَةَ الْكُرْسِيِّ وَفَاتِحَةَ حم الْمُؤْمِنِ إِلَى قَوْلِهِ إِلَيْهِ الْمَصِيرُ لَمْ يَرَ شَيْئًا يَكْرَهُهُ حَتَّى يُمْسِيَ وَمَنْ قَرَأَهَا حِينَ يُمْسِي لَمْ يَرَ شَيْئًا يَكْرَهُهُ حَتَّى يُصْبِحَ

حدثنا إسحق بن عيسى عن أبي معاوية عن عبد الرحمن بن أبي بكر المليكي عن أبي سلمة عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من قرأ آية الكرسي وفاتحة حم المؤمن إلى قوله إليه المصير لم ير شيئا يكرهه حتى يمسي ومن قرأها حين يمسي لم ير شيئا يكرهه حتى يصبح

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪২৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৪. সুরা বাকারার প্রথমাংশ ও আয়াতুল কুরসীর ফযীলত

৩৪২৬. নু’মান ইবন বাশীর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আসমানসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টির দুই হাজার বছর পূর্বেই আল্লাহ তা’আলা একটি কিতাব লিপিবদ্ধ করেছেন। এর থেকে তিনি দুটো আয়াত নাযিল করেছেন, যে দুটোর মাধ্যমেই তিনি সূরা বাকারা শেষ করেছেন। যে বাড়িতে তিন রাত তা পাঠ করা হবে শয়তান সে বাড়ির নিকটবর্তী হবে না।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আবী উবাইদ, ফাযাইলুল কুরআন নং ২৩২; হাকিম নং ২০৬৫।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৮২ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৭২৬ তে।

 

এছাড়াও, আহমাদ ৪/২৭৪; তিরমিযী, ছাওয়াবুল কুরআন ২৮৮২; ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ১৬৭; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৪০০।

باب فَضْلِ أَوَّلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَآيَةِ الْكُرْسِيِّ

حَدَّثَنَا عَفَّانُ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ أَخْبَرَنَا أَشْعَثُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْجَرْمِيُّ عَنْ أَبِي قِلَابَةَ عَنْ أَبِي الْأَشْعَثِ الصَّنْعَانِيِّ عَنْ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ اللَّهَ كَتَبَ كِتَابًا قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضَ بِأَلْفَيْ عَامٍ فَأَنْزَلَ مِنْهُ آيَتَيْنِ خَتَمَ بِهِمَا سُورَةَ الْبَقَرَةِ وَلَا تُقْرَآنِ فِي دَارٍ ثَلَاثَ لَيَالٍ فَيَقْرَبُهَا شَيْطَانٌ

حدثنا عفان حدثنا حماد بن سلمة أخبرنا أشعث بن عبد الرحمن الجرمي عن أبي قلابة عن أبي الأشعث الصنعاني عن النعمان بن بشير أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال إن الله كتب كتابا قبل أن يخلق السموات والأرض بألفي عام فأنزل منه آيتين ختم بهما سورة البقرة ولا تقرآن في دار ثلاث ليال فيقربها شيطان

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ নু’মান ইবনু বশীর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪২৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৪. সুরা বাকারার প্রথমাংশ ও আয়াতুল কুরসীর ফযীলত

৩৪২৭. আবূ মাস’ঊদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “কেউ যদি রাতে সূরাহ বাকারার শেষ দু’টি আয়াত পাঠ করে, সেদু’টিই তার জন্য যথেষ্ট হবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: বুখারী, ফাযাইলূল কুরআন নং ৫০০৯; মুসলিম, সালাতুল মুসাফিরীন ৮০৭।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৮১ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৪৫৭ তে।

 

এছাড়াও, ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ১৬১; নাসাঈ, ফাযাইলূল কুরআন নং ২৮, ২৯, ৪৩; আব্দুর রাযযাক নং ৬০২০;

باب فَضْلِ أَوَّلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَآيَةِ الْكُرْسِيِّ

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ قَرَأَ الْآيَتَيْنِ الْآخِرَتَيْنِ مِنْ سُورَةِ الْبَقَرَةِ فِي لَيْلَةٍ كَفَتَاهُ

حدثنا سعيد بن عامر عن شعبة عن منصور عن إبراهيم عن عبد الرحمن بن يزيد عن أبي مسعود عن النبي صلى الله عليه وسلم قال من قرأ الآيتين الآخرتين من سورة البقرة في ليلة كفتاه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ‌ ইব্‌ন মাসউদ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪২৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৪. সুরা বাকারার প্রথমাংশ ও আয়াতুল কুরসীর ফযীলত

৩৪২৮. আসমা বিনতে ইয়াযীদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহর মহান নাম (ইসমে আযম) এই দু’ আয়াতের মধ্যে নিহিত আছে: (অনুবাদ): “আল্লাহ, যিনি ছাড়া কোন উপাস্য নেই, তিনি চিরঞ্জীব চিরস্থায়ী।” (বাক্বারাঃ ২৫৫) এবং ’’আর তোমাদের ইলাহ একমাত্র ইলাহ।’’ (২: ১৬৩)[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান উবাইদুল্লাহ ইবনু আবী যিয়াদ এর জন্য।

 

তাখরীজ: আহমাদ, আল মুসনাদ ৬/৪৬১; ইবনু আবী শাইবা ১০/২৭২ নং ৯৪১২; ইবনু মাজাহ, দু’আ ৩৮৫৫; আবূ দাউদ, সালাত ১৪৯৬; তিরমিযী, দাওয়াত নং ৩৪৭২; ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ১৮২; তাহাবী, মুশকিলীল আছার ১/৬৪; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ১২৬১; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৩৮৩।

باب فَضْلِ أَوَّلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَآيَةِ الْكُرْسِيِّ

حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي زِيَادٍ عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ يَزِيدَ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْمُ اللَّهِ الْأَعْظَمُ فِي هَاتَيْنِ الْآيَتَيْنِ اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ وَإِلَهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ

حدثنا أبو عاصم حدثنا عبيد الله بن أبي زياد عن شهر بن حوشب عن أسماء بنت يزيد قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اسم الله الأعظم في هاتين الآيتين الله لا إله إلا هو الحي القيوم وإلهكم إله واحد

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ আসমা বিনতু ইয়াযীদ ইবনুস সাকান (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪২৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৪. সুরা বাকারার প্রথমাংশ ও আয়াতুল কুরসীর ফযীলত

৩৪২৯. জুবাইর ইবনু নুফাইর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “নিশ্চয়ই আল্লাহ সুরাহ বাক্বারাহ সমাপ্ত করেছেন এমন দু’টি আয়াত দ্বারা যা আমাকে প্রদান করা হয়েছে তাঁর আরশের নিচের ভাণ্ডার হতে। ফলে তোমরা এ আয়াত দু’টি শিক্ষা কর এবং তোমাদের নারীদেরকে শিখাও, কেননা, এ হলো রহমত, কুরআন এবং দু’আ।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর রাবীগণ বিশ্বস্ত; তবে এটি মুরসাল।

 

তাখরীজ: আবূ দাউদ, মারাসীল নং ৯১; হাকিম নং ২০৬৭; তিবরিযী, মিশকাতুল মাসাবীহ নং ২১৭৪ মুরসাল হিসেবে।

 

আর হাকিম নং ২০৬৬ ও বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৪০৩ তে আবী যার হতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে, যয়ীফ সনদে মুত্তাসিল হিসেবে।

 

মুসলিম হুযাইফা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন: “আমাকে সুরা বাক্বারার শেষাংশ দেওয়া হয়েছে আরশের নিচের ভাণ্ডার হতে।”

 

আমরা বলছি: এটি বর্ণনা করেছেন আহমাদ ৫/৩৮৩ ও ১৫১, ১৮০; ফিরইয়াবী, ফাযাইলুল কুরআন ৫৩; নাসাঈ,ফাযাইলূল কুরআন নং ৪৭; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৩৯৯। এটি গত হয়েছে নং ৩৪১৫ তে।

باب فَضْلِ أَوَّلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَآيَةِ الْكُرْسِيِّ

حَدَّثَنَا مُجَاهِدٌ هُوَ ابْنُ مُوسَى حَدَّثَنَا مَعْنٌ حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ عَنْ أَبِي الزَّاهِرِيَّةِ عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ اللَّهَ خَتَمَ سُورَةَ الْبَقَرَةِ بِآيَتَيْنِ أُعْطِيتُهُمَا مِنْ كَنْزِهِ الَّذِي تَحْتَ الْعَرْشِ فَتَعَلَّمُوهُنَّ وَعَلِّمُوهُنَّ نِسَاءَكُمْ فَإِنَّهُمَا صَلَاةٌ وَقُرْآنٌ وَدُعَاءٌ

حدثنا مجاهد هو ابن موسى حدثنا معن حدثنا معاوية بن صالح عن أبي الزاهرية عن جبير بن نفير أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال إن الله ختم سورة البقرة بآيتين أعطيتهما من كنزه الذي تحت العرش فتعلموهن وعلموهن نساءكم فإنهما صلاة وقرآن ودعاء

 হাদিসের মানঃ মুরসাল  বর্ণনাকারীঃ জুবায়র ইবন নুফায়র (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৩০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৫. সূরাহ বাক্বারাহ ও আলে ইমরান এর ফযীলত

৩৪৩০. বুরাইদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন যে, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম, এমতাবস্থায় তাঁকে আমি বলতে শুনেছি যে, “তোমরা সূরা বাক্বারা শিক্ষা কর, কেননা, এ দু’টি মনোহর জ্যোতি; আর তা শিক্ষা করাতে কল্যাণ রয়েছে এবং তা পরিত্যাগ করাতে পরিতাপ রয়েছে। আর বাতিলপন্থীগণ (যাদুকররা) এটি (মোকাবেলা করতে) সক্ষম হবে না।”

এরপর তিনি কিছু সময় চুপ করে থাকলেন। অত:পর তিনি বললেন: “তোমরা সূরা বাক্বারাহ ও আলে ইমরাণ শিক্ষা কর, কেননা, সে দুঁটি যেন সমুজ্জল জ্যোতি। কেননা, এ দুটি কিয়ামতের দিনে উপস্থিত হবে তার পাঠকের জন্য যেন সে দুটি ’গামামা’ তথা দু’ খণ্ড মেঘ- কিংবা (তিনি বলেছিলেন) সে দুটি ’গায়ায়া’- তথা মেঘ বা বাদল; কিংবা যেন সে দুটি ডানা বিস্তারকারী পাখীর দুটি ঝাঁক।

কিয়ামতের দিন যখন কবর ফেটে যাবে তখন কুরআন তার পাঠকের নিকট পর্যুদস্ত লোকের অবয়বে উপস্থিত হয়ে বলবে, তুমি কি আমাকে চিনতে পারছ? তখন লোকটি বলবে, নাতো, আমি তো তোমাকে চিনি না। তখন কুরআন বলবে, আমিই তোমার সাথী, কুরআন। এই আমিই তোমাকে দিনে পিপাসার্ত-পরিশ্রান্ত করেছি এবং রাতে বিনিদ্র করেছি। আর প্রত্যেক ব্যবসায়ীর ব্যবসায় ‍মুনাফা লাভ করে, আর আজকে তুমিও তোমার সকল ব্যবসার মুনাফা লাভ করবে। তখন তার ডান হাতে রাজত্ব দান করা হবে, তার বাম হাতে অমরত্ব দান করা হবে, আর তার মাথায় মর্যাদা (এর মুকুট) পরানো হবে। আর তার মাতা-পিতাকে দু’প্রস্থ পোশাক পরিধান করানো হবে, যা দুনিয়াতে তাদের জন্য তৈরী করা হয়নি। তখন তারা উভয়ে বলবে, আমাদেরকে এ পোশাক পরিধান করানো হলো (কেন)? তখন তাদের উভয়কে বলা হবে, তোমাদের উভয়ের সন্তানদের কুরআনকে গ্রহণ করার জন্য। তখন তাকে (কুরআন পাঠককে) বলা হবে: তুমি পাঠ করতে থাকে এবং জান্নাতের সিড়ি ও কামরা বেয়ে উপরে আরোহন করতে থাকো। তার দ্রুত বা ধীর পাঠ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তার আরোহন করা চলতেই থাকবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান বুশাইর ইবনু মুহাজির এর জন্য।

 

তাখরীজ: আহমাদ, আল মুসনাদ ৫/৩৪৮; ইবনু আবী শাইবা ১০/৪৯২-৪৯৩ নং ১০০৯৪; ইবনু মাজাহ, দু’আ ৩৭৮১; হাকিম নং ২০৫৭; আব্দুর রাযযাক নং ৬০১৪।

 

(তবে এর শুরু হতে ‘এবং রাতে বিনিদ্র করেছি।’ পর্যন্ত বর্ণনা করেছেন মুসলিম, সালাতুল মুসাফিরীন নং ৪০৮ তে।–অনুবাদক)

باب فِي فَضْلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَآلِ عِمْرَانَ

حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا بَشِيرٌ هُوَ ابْنُ الْمُهَاجِرِ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ كُنْتُ جَالِسًا عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ تَعَلَّمُوا سُورَةَ الْبَقَرَةِ فَإِنَّ أَخْذَهَا بَرَكَةٌ وَتَرْكَهَا حَسْرَةٌ وَلَا يَسْتَطِيعُهَا الْبَطَلَةُ ثُمَّ سَكَتَ سَاعَةً ثُمَّ قَالَ تَعَلَّمُوا سُورَةَ الْبَقَرَةِ وَآلِ عِمْرَانَ فَإِنَّهُمَا الزَّهْرَاوَانِ وَإِنَّهُمَا تُظِلَّانِ صَاحِبَهُمَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ كَأَنَّهُمَا غَمَامَتَانِ أَوْ غَيَايَتَانِ أَوْ فِرْقَانِ مِنْ طَيْرٍ صَوَافَّ وَإِنَّ الْقُرْآنَ يَلْقَى صَاحِبَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ حِينَ يَنْشَقُّ عَنْهُ الْقَبْرُ كَالرَّجُلِ الشَّاحِبِ فَيَقُولُ لَهُ هَلْ تَعْرِفُنِي فَيَقُولُ مَا أَعْرِفُكَ فَيَقُولُ أَنَا صَاحِبُكَ الْقُرْآنُ الَّذِي أَظْمَأْتُكَ فِي الْهَوَاجِرِ وَأَسْهَرْتُ لَيْلَكَ وَإِنَّ كُلَّ تَاجِرٍ مِنْ وَرَاءِ تِجَارَتِهِ وَإِنَّكَ الْيَوْمَ مِنْ وَرَاءِ كُلِّ تِجَارَةٍ فَيُعْطَى الْمُلْكَ بِيَمِينِهِ وَالْخُلْدَ بِشِمَالِهِ وَيُوضَعُ عَلَى رَأْسِهِ تَاجُ الْوَقَارِ وَيُكْسَى وَالِدَاهُ حُلَّتَيْنِ لَا يُقَوَّمُ لَهُمَا الدُّنْيَا فَيَقُولَانِ بِمَ كُسِينَا هَذَا وَيُقَالُ لَهُمَا بِأَخْذِ وَلَدِكُمَا الْقُرْآنَ ثُمَّ يُقَالُ لَهُ اقْرَأْ وَاصْعَدْ فِي دَرَجِ الْجَنَّةِ وَغُرَفِهَا فَهُوَ فِي صُعُودٍ مَا دَامَ يَقْرَأُ هَذًّا كَانَ أَوْ تَرْتِيلًا

حدثنا أبو نعيم حدثنا بشير هو ابن المهاجر حدثني عبد الله بن بريدة عن أبيه قال كنت جالسا عند النبي صلى الله عليه وسلم فسمعته يقول تعلموا سورة البقرة فإن أخذها بركة وتركها حسرة ولا يستطيعها البطلة ثم سكت ساعة ثم قال تعلموا سورة البقرة وآل عمران فإنهما الزهراوان وإنهما تظلان صاحبهما يوم القيامة كأنهما غمامتان أو غيايتان أو فرقان من طير صواف وإن القرآن يلقى صاحبه يوم القيامة حين ينشق عنه القبر كالرجل الشاحب فيقول له هل تعرفني فيقول ما أعرفك فيقول أنا صاحبك القرآن الذي أظمأتك في الهواجر وأسهرت ليلك وإن كل تاجر من وراء تجارته وإنك اليوم من وراء كل تجارة فيعطى الملك بيمينه والخلد بشماله ويوضع على رأسه تاج الوقار ويكسى والداه حلتين لا يقوم لهما الدنيا فيقولان بم كسينا هذا ويقال لهما بأخذ ولدكما القرآن ثم يقال له اقرأ واصعد في درج الجنة وغرفها فهو في صعود ما دام يقرأ هذا كان أو ترتيلا

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ বুরায়দাহ ইবনু হুসাইব আল-আসলামী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৩১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৫. সূরাহ বাক্বারাহ ও আলে ইমরান এর ফযীলত

৩৪৩১. সুলাইম ইবনু আমির (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি আবূ উমামাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বলতে ‍শুনেছেন, তোমাদের এক ভাই স্বপ্নে দেখেছে যে, লোকদেরকে একটি পাহাড়ের সরু বিপজ্জনক একটি ফাটলের ভিতর ঢুকানো হচ্ছে। আর পাহাড়ের চুড়ায় রয়েছে দু’টি সবুজ (খেজুর) গাছ যারা ডেকে বলছিল, তোমাদের মধ্যে কি এমন কোন লোক আছে যে, সুরাহ বাক্বারা পাঠ করে? তোমাদের মধ্যে কি এমন কোন লোক আছে যে, সুরাহ আলে ইমরাণ পাঠ করে? এরপর যখন এক ব্যক্তি বলল, হাঁ। তখন এ দু’টি গাছ তাদের (ফলের) কাঁদিসহ তার নিকটবর্তী হলো, এমনকি এ দু’টি তাদের কাঁদিসহ ঝুলে রইল। অত:পর এ ব্যক্তিকে নিয়ে এ গাছ দু’টি পাহাড়ের নিকট গর্ব করতে লাগল।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ আব্দুল্লাহ ইবনু সালিহ এর দুর্বলতার কারণে।

 

তাখরীজ: আবী উবাইদ, ফাযাইলুল কুরআন নং ২৩৬। দেখুন, দুররে মানসুর ১/১৮।

باب فِي فَضْلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَآلِ عِمْرَانَ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ عَنْ أَبِي يَحْيَى سُلَيْمِ بْنِ عَامِرٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا أُمَامَةَ يَقُولُ إِنَّ أَخًا لَكُمْ أُرِيَ فِي الْمَنَامِ أَنَّ النَّاسَ يَسْلُكُونَ فِي صَدْعِ جَبَلٍ وَعْرٍ طَوِيلٍ وَعَلَى رَأْسِ الْجَبَلِ شَجَرَتَانِ خَضْرَاوَانِ تَهْتِفَانِ هَلْ فِيكُمْ مَنْ يَقْرَأُ سُورَةَ الْبَقَرَةِ هَلْ فِيكُمْ مَنْ يَقْرَأُ سُورَةَ آلِ عِمْرَانَ فَإِذَا قَالَ الرَّجُلُ نَعَمْ دَنَتَا بِأَعْذَاقِهِمَا حَتَّى يَتَعَلَّقَ بِهِمَا فَتَخْطِرَانِ بِهِ الْجَبَلَ قَالَ أَبُو مُحَمَّد الْأَعْذَاقُ الْأَغْصَانُ

حدثنا عبد الله بن صالح حدثني معاوية عن أبي يحيى سليم بن عامر أنه سمع أبا أمامة يقول إن أخا لكم أري في المنام أن الناس يسلكون في صدع جبل وعر طويل وعلى رأس الجبل شجرتان خضراوان تهتفان هل فيكم من يقرأ سورة البقرة هل فيكم من يقرأ سورة آل عمران فإذا قال الرجل نعم دنتا بأعذاقهما حتى يتعلق بهما فتخطران به الجبل قال أبو محمد الأعذاق الأغصان

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৩২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৫. সূরাহ বাক্বারাহ ও আলে ইমরান এর ফযীলত

৩৪৩২. মাসরুক (রহঃ) হতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর নিকট এক ব্যক্তি সুরাহ বাক্বারাহ ও আলে ইমরাণ পাঠ করল। তখন তিনি (আব্দুল্লাহ) রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন, তুমি এমন দু’টি সুরাহ পাঠ করলে, যাতে রয়েছে ’ইসমে আ’যম’ (আল্লাহর মহান নাম), যা দ্বারা দু’আ করলে দু’আ কবুল হয়, যা দ্বারা কোন কিছু চাইলে প্রদান করা হয়।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ আব্দুল্লাহ ইবনু সালিহ এর দুর্বলতার কারণে।

 

তাখরীজ: ফিরইয়াবী, ফাযাইলুল কুরআন নং ৪৪ যয়ীফ সনদে।

 

তবে এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আসমা বিনতে ইয়াযিদ হতে যা গত হয়েছে নং ৩৪২৪ তে।

 

এর অপর শাহিদ হাদীস রয়েছে আবু উমামাহ হতে তাহাবী, মুশকিলীল আছার ১/৬৩; তাবারাণী, কাবীর ৮/২৮২ নং ৮৯২৫; ফিরইয়াবী, ফাযাইলুল কুরআন নং ৪৭; হাকিম নং ১৮৬১ উত্তম সনদে।

باب فِي فَضْلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَآلِ عِمْرَانَ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ الرَّقِّيُّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ زَيْدٍ عَنْ جَابِرٍ عَنْ أَبِي الضُّحَى عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ قَرَأَ رَجُلٌ عِنْدَ عَبْدِ اللَّهِ الْبَقَرَةَ وَآلَ عِمْرَانَ فَقَالَ قَرَأْتَ سُورَتَيْنِ فِيهِمَا اسْمُ اللَّهِ الْأَعْظَمُ الَّذِي إِذَا دُعِيَ بِهِ أَجَابَ وَإِذَا سُئِلَ بِهِ أَعْطَى

حدثنا عبد الله بن جعفر الرقي عن عبيد الله بن عمرو عن زيد عن جابر عن أبي الضحى عن مسروق عن عبد الله قال قرأ رجل عند عبد الله البقرة وآل عمران فقال قرأت سورتين فيهما اسم الله الأعظم الذي إذا دعي به أجاب وإذا سئل به أعطى

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ মাসরূক (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৩৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৫. সূরাহ বাক্বারাহ ও আলে ইমরান এর ফযীলত

৩৪৩৩. আত্তাফ হতে বর্ণিত, কা’ব (রহঃ) বলেন, যে ব্যক্তি সুরাহ বাক্বারাহ ও আলে ইমরাণ পাঠ করবে, কিয়ামতের দিনে এ সুরাহ দু’টি এসে বলবে, হে আমাদের রব্ব, এর কাছে কোনো কৈফিয়ত চাইবেন না।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ আব্দুস সালাম সাঈদ ইবনু ইয়্যাস আল জারিরী নিকট থেকে শ্রবন করা হতে পিছিয়ে রয়েছে। এটি কা’ব আহবারের বক্তব্য (মাওকুফ)।

 

তাখরীজ: আমি এটি আর কোথাও পাইনি। দেখুন, দুররে মানসুর ১/১৯।

باب فِي فَضْلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَآلِ عِمْرَانَ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلَامِ بْنُ حَرْبٍ عَنْ الْجُرَيْرِيِّ عَنْ أَبِي عَطَّافٍ عَنْ كَعْبٍ قَالَ مَنْ قَرَأَ الْبَقَرَةَ وَآلَ عِمْرَانَ جَاءَتَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ تَقُولَانِ رَبَّنَا لَا سَبِيلَ عَلَيْهِ

حدثنا محمد بن سعيد حدثنا عبد السلام بن حرب عن الجريري عن أبي عطاف عن كعب قال من قرأ البقرة وآل عمران جاءتا يوم القيامة تقولان ربنا لا سبيل عليه

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৩৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৬. সুরাহ আলে ইমরানের ফযীলত

৩৪৩৪. হানযালাহ আল বাকরী হতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, যে ব্যক্তি সুরাহ আলে ইমরান পাঠ করে সে লোক সম্পদশালী এবং সে স্ত্রীলোক সুসজ্জিতা।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ উত্তম। এটি ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর বক্তব্য (মাওকুফ)।

 

তাখরীজ: আবী উবাইদ, ফাযাইলুল কুরআন পৃ: নং ২৩৭-২৩৮, সেখানে স্ত্রীলোক সুসজ্জিতা’ এ অংশটুকু নেই; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৬১৫; আব্দুর রাযযাক নং ৬০১৫ মু’দ্বাল সনদে; সাখাবী, জামালুল কুররা ১/১২৪।

باب فِي فَضْلِ آلِ عِمْرَانَ

حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ سُلَيْمِ بْنِ حَنْظَلَةَ الْبَكْرِيِّ قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ مَنْ قَرَأَ آلَ عِمْرَانَ فَهُوَ غَنِيٌّ وَالنِّسَاءُ مُحَبِّرَةٌ قَالَ أَبُو مُحَمَّد مُحَبِّرَةٌ مُزَيِّنَةٌ

حدثنا أبو نعيم حدثنا إسرائيل عن أبي إسحق عن سليم بن حنظلة البكري قال قال عبد الله بن مسعود من قرأ آل عمران فهو غني والنساء محبرة قال أبو محمد محبرة مزينة

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৩৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৬. সুরাহ আলে ইমরানের ফযীলত

৩৪৩৫. আবুল খাইর হতে বর্ণিত, উছমান ইবনু আফ্ফান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, যে ব্যক্তি রাতে সুরাহ আলে ইমরানের শেষাংশ পাঠ করবে, তার জন্য কিয়ামুল লাইল’ (রাতের সালাত আদায়)-এর সাওয়াব লেখা হবে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ ইবনু লাহিয়াহ এর দুর্বলতার কারণে।

 

তাখরীজ: মিশকাতুল মাসাবীহ নং ২১৭১ তে তিবরিযী দারেমী’র প্রতি এটি সম্বোন্থিত করেছেন। দেখুন, দুররে মানসুর ১/১১৬।

باب فِي فَضْلِ آلِ عِمْرَانَ

حَدَّثَنَا إِسْحَقُ بْنُ عِيسَى عَنْ ابْنِ لَهِيعَةَ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ عَنْ أَبِي الْخَيْرِ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ قَالَ مَنْ قَرَأَ آخِرَ آلِ عِمْرَانَ فِي لَيْلَةٍ كُتِبَ لَهُ قِيَامُ لَيْلَةٍ

حدثنا إسحق بن عيسى عن ابن لهيعة عن يزيد بن أبي حبيب عن أبي الخير عن عثمان بن عفان قال من قرأ آخر آل عمران في ليلة كتب له قيام ليلة

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৩৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৬. সুরাহ আলে ইমরানের ফযীলত

৩৪৩৬. মাকহুল হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরাহ আলে ইমরান পাঠ করবে, তার জন্য ফিরিশতাগণ রাত পর্যন্ত রহমতের দু’আ করতে থাকবে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ মাকহুল পর্যন্ত সহীহ। এটি মাকহুল এর বক্তব্য (মাওকুফ)।

 

তাখরীজ: মিশকাতুল মাসাবীহ নং ২১৭২ তে তিবরিযী দারেমী’র প্রতি এটি সম্বোন্থিত করেছেন।

باب فِي فَضْلِ آلِ عِمْرَانَ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُبَارَكِ حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ خَالِدٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ الْحَارِثِ عَنْ مَكْحُولٍ قَالَ مَنْ قَرَأَ سُورَةَ آلِ عِمْرَانَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ صَلَّتْ عَلَيْهِ الْمَلَائِكَةُ إِلَى اللَّيْلِ

حدثنا محمد بن المبارك حدثنا صدقة بن خالد عن يحيى بن الحارث عن مكحول قال من قرأ سورة آل عمران يوم الجمعة صلت عليه الملائكة إلى الليل

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ মাকহূল (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৩৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৬. সুরাহ আলে ইমরানের ফযীলত

৩৪৩৭. শা’বী হতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নি:সম্বল হতদরিদ্র ব্যক্তির কতই না উত্তম গুপ্তধন সূরা আলে ইমরান, যা সে শেষ রাতে সালাতে পাঠ করে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। এটি আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর বক্তব্য (মাওকুফ)।

 

তাখরীজ: আবী উবাইদ, ফাযাইলুল কুরআন পৃ: নং ২৩৮; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৬১৬; আব্দুর রাযযাক নং ৬০১৫ মু’দ্বাল সনদে।

باب فِي فَضْلِ آلِ عِمْرَانَ

حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ سَلَّامٍ أَبُو عُبَيْدٍ قَالَ حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ الْأَشْجَعِيُّ حَدَّثَنِي مِسْعَرٌ حَدَّثَنِي جَابِرٌ قَبْلَ أَنْ يَقَعَ فِيمَا وَقَعَ فِيهِ عَنْ الشَّعْبِيِّ قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ نِعْمَ كَنْزُ الصُّعْلُوكِ سُورَةُ آلِ عِمْرَانَ يَقُومُ بِهَا فِي آخِرِ اللَّيْلِ

حدثنا القاسم بن سلام أبو عبيد قال حدثني عبيد الله الأشجعي حدثني مسعر حدثني جابر قبل أن يقع فيما وقع فيه عن الشعبي قال قال عبد الله نعم كنز الصعلوك سورة آل عمران يقوم بها في آخر الليل

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ শা‘বী (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৩৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৬. সুরাহ আলে ইমরানের ফযীলত

৩৪৩৮. আবী সালীল হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি (পথে) আক্রান্ত হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি উপত্যকায় আশ্রয় গ্রহণ করল, যা ছিল জ্বিনদের আবাসস্থল, যেখানে জ্বিনগ্রস্ত লোক ব্যতীত কেউ সেখানে রাত্রি যাপন করত না। আর এ উপত্যকার পাশেই দু’জন সন্ন্যাসী (দরবেশ) বাস করতো। এরপর যখন রাত্রি ঘনিয়ে এলে দরবেশদের একজন অপরজনকে বলতে লাগল, আল্লাহর কসম, লোকটি ধ্বংস হয়ে গেল।’

বর্ণনাকারী বলেন, এরপর লোকটি সুরা আলে ইমরান পাঠ করা আরম্ভ করল। তখন তারা (দরবেশ) দু’জন বলতে লাগলো, এ ব্যক্তি তো এমন উত্তম সুরাহ পাঠ করলো, সম্ভবত: (এর কারণে) সে মুক্তি লাভ করবে।

বর্ণনাকারী বলেন, এর সে লোকটি নিরাপত্তার সাথে সকালে উঠলো।[1] আবূ মুহাম্মদ বলেন, আবূ সালীল হলেন যুরাইব বিন নুক্বাইর- তাকে ইবনু নুফাইর বলা হতো।

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ। আব্দুস সালাম ইবনু আবী ইসহাকের নিকট থেকে শ্রবন করা হতে পিছিয়ে রয়েছে। এটি আবু সালীল বক্তব্য (মাওকুফ)।

 

তাখরীজ: আমি এটি আর কোথাও পাইনি।

باب فِي فَضْلِ آلِ عِمْرَانَ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلَامِ عَنْ الْجُرَيْرِيِّ عَنْ أَبِي السَّلِيلِ قَالَ أَصَابَ رَجُلٌ دَمًا قَالَ فَأَوَى إِلَى وَادِي مَجَنَّةٍ وَادٍ لَا يُمْسِي فِيهِ أَحَدٌ إِلَّا أَصَابَتْهُ حَيَّةٌ وَعَلَى شَفِيرِ الْوَادِي رَاهِبَانِ فَلَمَّا أَمْسَى قَالَ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ هَلَكَ وَاللَّهِ الرَّجُلُ قَالَ فَافْتَتَحَ سُورَةَ آلِ عِمْرَانَ قَالَا فَقَرَأَ سُورَةً طَيِّبَةً لَعَلَّهُ سَيَنْجُو قَالَ فَأَصْبَحَ سَلِيمًا قَالَ أَبُو مُحَمَّد أَبُو السَّلِيلِ ضُرَيْبُ بْنُ نُقَيْرٍ

حدثنا محمد بن سعيد حدثنا عبد السلام عن الجريري عن أبي السليل قال أصاب رجل دما قال فأوى إلى وادي مجنة واد لا يمسي فيه أحد إلا أصابته حية وعلى شفير الوادي راهبان فلما أمسى قال أحدهما لصاحبه هلك والله الرجل قال فافتتح سورة آل عمران قالا فقرأ سورة طيبة لعله سينجو قال فأصبح سليما قال أبو محمد أبو السليل ضريب بن نقير

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৩৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৭. সুরা আন’আমের ফযীলত

৩৪৩৯. মুসাইয়্যিব ইবনু রাফি’ হতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, সাতটি তিওয়াল (লম্বা) সূরা হলো তাওরাতের ন্যায়, দু’ দু’শ আয়াতবিশিষ্ট সূরাগুলি হলো ইনজিলের ন্যায়, মাছানী (ফাতিহাহ) যাবুরের ন্যায়। আর অবশিষ্ট পুরো কুরআনই মর্যাদার অধিকারী।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ বিচ্ছিন্নতার কারণে। মুসাইয়্যেব ইবনু রাফি’ ইবনু মাসউদের সাক্ষাত লাভ করেনি। আল্লাহই ভাল জানেন।

 

তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১০/৫৫৪ নং ১০৩২০।

باب فَضَائِلِ الْأَنْعَامِ وَالسُّوَرِ

حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هَانِئٍ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ حَدَّثَنَا عَاصِمٌ عَنْ الْمُسَيَّبِ بْنِ رَافِعٍ قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ السَّبْعُ الطُّوَلُ مِثْلُ التَّوْرَاةِ وَالْمِئِينَ مِثْلُ الْإِنْجِيلِ وَالْمَثَانِي مِثْلُ الزَّبُورِ وَسَائِرُ الْقُرْآنِ بَعْدُ فَضْلٌ

حدثنا معاذ بن هانئ حدثنا إبراهيم بن طهمان حدثنا عاصم عن المسيب بن رافع قال قال عبد الله السبع الطول مثل التوراة والمئين مثل الإنجيل والمثاني مثل الزبور وسائر القرآن بعد فضل

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৪০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৭. সুরা আন’আমের ফযীলত

৩৪৪০. আব্দুল্লাহ ইবনু খলীফাহ হতে বর্ণিত, উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, সুরাহ আন’আম কুরআনের বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ সূরা সমূহের অন্তর্গত।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু পর্যন্ত সহীহ। এটি উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর বক্তব্য (মাওকুফ)।

 

তাখরীজ: আবী উবাইদ, ফাযাইলুল কুরআন পৃ: নং ২৪০; সাখাবী, জামালুল কুররা ১/১২৫; দেখুন, দুররে মানসুর ৩/৩।

باب فَضَائِلِ الْأَنْعَامِ وَالسُّوَرِ

حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَلِيفَةَ عَنْ عُمَرَ قَالَ الْأَنْعَامُ مِنْ نَوَاجِبِ الْقُرْآنِ

حدثنا أبو نعيم حدثنا زهير عن أبي إسحق عن عبد الله بن خليفة عن عمر قال الأنعام من نواجب القرآن

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৪১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৭. সুরা আন’আমের ফযীলত

৩৪৪১. আব্দুল্লাহ ইবনু রাবাহ হতে বর্ণিত, কা’ব বলেন, তাওরাতের শুরু সূরা আন’আম দিয়ে, আর এর সমাপ্তি সূরাহ হুদ দিয়ে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ কা’ব পর্যন্ত সহীহ। এটি কাব এর বক্তব্য (মাওকুফ)।

 

তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১০/৫৫৫ নং ১০৩২৩। দেখুন, দুররে মানসুর ৩/৩৫৭।

باب فَضَائِلِ الْأَنْعَامِ وَالسُّوَرِ

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَبَاحٍ عَنْ كَعْبٍ قَالَ فَاتِحَةُ التَّوْرَاةِ الْأَنْعَامُ وَخَاتِمَتُهَا هُودٌ

حدثنا مسلم بن إبراهيم حدثنا همام عن أبي عمران الجوني عن عبد الله بن رباح عن كعب قال فاتحة التوراة الأنعام وخاتمتها هود

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৪২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৭. সুরা আন’আমের ফযীলত

৩৪৪২. (উক্ত রাবী) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “তোমরা জুমু’আর দিনে সুরাহ হুদ পাঠ কর।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ মুরসাল হওয়ার কারণে।

 

তাখরীজ: পূর্ণ তাখরীজের জন্য পরবর্তী হাদীসটি দেখুন।

باب فَضَائِلِ الْأَنْعَامِ وَالسُّوَرِ

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا هَمَّامٌ عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَبَاحٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اقْرَءُوا سُورَةَ هُودٍ يَوْمَ الْجُمُعَةِ

أخبرنا يزيد بن هارون أخبرنا همام عن أبي عمران الجوني عن عبد الله بن رباح أن النبي صلى الله عليه وسلم قال اقرءوا سورة هود يوم الجمعة

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৪৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৭. সুরা আন’আমের ফযীলত

৩৪৪৩. কা’ব হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “তোমরা জুমু’আর দিনে সুরাহ হুদ পাঠ কর।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ মুরসাল হওয়ার কারণে।

 

তাখরীজ: আবূ দাউদ, মারাসীল নং ৫৯; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৪৩৮। আরও দেখুন, দুররে মানছুর ১/৩১৯।

باب فَضَائِلِ الْأَنْعَامِ وَالسُّوَرِ

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ حَدَّثَنَا أَبُو عِمْرَانَ الْجَوْنِيُّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَبَاحٍ عَنْ كَعْبٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اقْرَءُوا سُورَةَ هُودٍ يَوْمَ الْجُمُعَةِ

حدثنا مسلم بن إبراهيم حدثنا همام حدثنا أبو عمران الجوني عن عبد الله بن رباح عن كعب قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اقرءوا سورة هود يوم الجمعة

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ কা’ব আল-আহবার (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৪৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৮. সূরাহ কাহফের ফযীলত

৩৪৪৪. খালিদ ইবনু মা’দান বলেন, যে ব্যক্তি সূরা কাহফের দশ আয়াত পাঠ করবে, তার দাজ্জালের ভয় থাকবে না।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: আবদাহ বিনতে খালিদ ইবনু মা’দানের জীবনী আমি পাইনি। আর এটি খালিদের উপর মাওকুফ।

 

তাখরীজ: আমি এটি আর কোথাও পাইনি।

 

তবে এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আবী দারদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে সহীহ মুসলিম, সালাতুল মুসাফিরীন ৮০৯ তে।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৮৫-৭৮৬ তে।

 

সংযোজনী: এছাড়াও, আবী উবাইদ, ফাযাইলুল কুরআন পৃ: নং ২৪৫; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৪৪৩; ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ১৮২; সাখাবী, জামালুল কুররা ১/১২৮-১২৯; ইবনুস সুন্নী, আমলুল ইয়াম ওয়াল লাইলাহ নং ৬৭৬।

باب فِي فَضْلِ سُورَةِ الْكَهْفِ

حَدَّثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ حَدَّثَتْنَا عَبْدَةُ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ قَالَ مَنْ قَرَأَ عَشْرَ آيَاتٍ مِنْ الْكَهْفِ لَمْ يَخَفْ الدَّجَّالَ

حدثنا أبو المغيرة حدثتنا عبدة عن خالد بن معدان قال من قرأ عشر آيات من الكهف لم يخف الدجال

 হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ  বর্ণনাকারীঃ খালিদ ইবনু মা‘দান (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৪৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৮. সূরাহ কাহফের ফযীলত

৩৪৪৫. যিরর ইবনু হুবাইশ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাতে যেকোন সময় উঠার জন্য সূরাহ কাহফের শেষাংশ পাঠ করবে, সে সে সময়ই উঠতে পারবে।বর্ণনাকারী আব্দাহ বলেন, আমরা এটি পরীক্ষা করে দেখেছি এবং অনুরূপ ফলই পেয়েছি।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ মুহাম্মদ ইবনু কাছির এর দুর্বলতার কারণে।

 

তাখরীজ: আবী উবাইদ, ফাযাইলুল কুরআন পৃ: নং ২৪৬; আরও দেখুন, সাখাবী, জামালুল কুররা ১/১৩০।

باب فِي فَضْلِ سُورَةِ الْكَهْفِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ عَنْ الْأَوْزَاعِيِّ عَنْ عَبْدَةَ عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ قَالَ مَنْ قَرَأَ آخِرَ سُورَةِ الْكَهْفِ لِسَاعَةٍ يُرِيدُ يَقُومُ مِنْ اللَّيْلِ قَامَهَا قَالَ عَبْدَةُ فَجَرَّبْنَاهُ فَوَجَدْنَاهُ كَذَلِكَ

حدثنا محمد بن كثير عن الأوزاعي عن عبدة عن زر بن حبيش قال من قرأ آخر سورة الكهف لساعة يريد يقوم من الليل قامها قال عبدة فجربناه فوجدناه كذلك

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ যির ইবন হুবায়শ (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৪৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৮. সূরাহ কাহফের ফযীলত

৩৪৪৬. আবূ সাঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি জুমু’আর দিন সূরা কাহফ পাঠ করবে, তার জন্য তার ও বাইতুল আতিক্ব (কা’বা)-এর মধ্যবর্তী জায়গা নূরে আলোকিত হয়ে যাবে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ আবূ সাঈদ পর্যন্ত সহীহ। এটি তার এর বক্তব্য (মাওকুফ)।

 

তাখরীজ: আবী উবাইদ, ফাযাইলুল কুরআন পৃ: নং ২৪৪; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৪৪৪; নাসাঈ, আমলুল ইয়াম ওয়াল লাইলাহ নং ৯৫৩ মাওকুফ হিসেবে। তবে নাসাঈ, আমলুল ইয়াম ওয়াল লাইলাহ নং ৯৫২; তাবারাণী, আওসাত নং ১৪৭৮; হাকিম নং ২০৭২; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৪৪৬ মারফু’ হিসেবে।

 

তবে নাসাঈ বলেছেন এটি মাওকুফ হিসেবেই সঠিক।

 

তাবারাণী বলেছেন, ইয়াহইয়া ইবনু কাছীর ব্যতীত আর কেউ এটি মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করেনি। বাইহাকী বলেন, এটি মাওকুফ হিসেবেই মাহফুজ (সংরক্ষিত)।

 

আমাদের বক্তব্য: মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করাটা হলো যিয়াদাহ (অতিরিক্ত); আর বিশ্বস্ত রাবীর ‘যিয়াদাহ’ (অতিরিক্ত বর্ণনা) গ্রহণযোগ্য। আল্লাহই ভাল জানেন।

باب فِي فَضْلِ سُورَةِ الْكَهْفِ

حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ حَدَّثَنَا أَبُو هَاشِمٍ عَنْ أَبِي مِجْلَزٍ عَنْ قَيْسِ بْنِ عُبَادٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ مَنْ قَرَأَ سُورَةَ الْكَهْفِ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ أَضَاءَ لَهُ مِنْ النُّورِ فِيمَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْبَيْتِ الْعَتِيقِ

حدثنا أبو النعمان حدثنا هشيم حدثنا أبو هاشم عن أبي مجلز عن قيس بن عباد عن أبي سعيد الخدري قال من قرأ سورة الكهف ليلة الجمعة أضاء له من النور فيما بينه وبين البيت العتيق

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৪৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৯. সুরাহ তানযীলুস সিজদা ও তাবারাকা (মুলক) এর ফযীলত

৩৪৪৭. খালিদ ইবনু মা’দান হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমরা ’মুনজিয়্যাহ’ (’নাজাত দানকারী’) পাঠ কর আর তা হলো: “আলিফ লাম মীম (১) তানযীল।” [সুরা আস সিজদা: ১-২] কেননা, আমার নিকট বর্ণিত হয়েছে যে, কোন এক লোক কেবল এ সুরাটিই পাঠ করতো, এ ব্যতীত আর কোনো কিছুই পাঠ করতো না। আর সে ছিল অনেক পাপী। (মৃত্যুর পরে) এ ব্যক্তির উপর এ সুরা তার ডানা বিছিয়ে দিয়েছিল, এবং (তার জন্য আল্লাহর নিকট শাফা’আত করে) বলেছিল: হে রব্ব, তাকে ক্ষমা করে দিন। কেননা, সে আমাকে প্রচুর পরিমাণে পাঠ করেছে। ফলে রব তার ব্যাপারে তার শাফা’আত কবুল করবেন। তিনি বলবেন, তার সকল পাপ পূণ্য দ্বারা পরিবর্তন করে দাও এবং তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দাও।’[1]

[1] তাহক্বীক্ব: আবদাহ বিনতে খালিদ ইবনু মা’দানের জীবনী আমি পাইনি। আর এটি খালিদের উপর মাওকুফ।

 

তাখরীজ: মিশকাতুল মাসাবীহ নং ২১৭৬ তে তিবরিযী দারেমী’র প্রতি এটি সম্বোন্থিত করেছেন।

 

দেখুন, দুররে মানসুর ৫/১৭০-১৭১। এটি সামনেও আসছে।

باب فِي فَضْلِ سُورَةِ تَنْزِيلُ السَّجْدَةِ وَتَبَارَكَ

أَخْبَرَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ حَدَّثَتْنَا عَبْدَةُ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ قَالَ اقْرَءُوا الْمُنَجِّيَةَ وَهِيَ الم تَنْزِيلُ فَإِنَّهُ بَلَغَنِي أَنَّ رَجُلًا كَانَ يَقْرَؤُهَا مَا يَقْرَأُ شَيْئًا غَيْرَهَا وَكَانَ كَثِيرَ الْخَطَايَا فَنَشَرَتْ جَنَاحَهَا عَلَيْهِ وَقَالَتْ رَبِّ اغْفِرْ لَهُ فَإِنَّهُ كَانَ يُكْثِرُ قِرَاءَتِي فَشَفَّعَهَا الرَّبُّ فِيهِ وَقَالَ اكْتُبُوا لَهُ بِكُلِّ خَطِيئَةٍ حَسَنَةً وَارْفَعُوا لَهُ دَرَجَةً

أخبرنا أبو المغيرة حدثتنا عبدة عن خالد بن معدان قال اقرءوا المنجية وهي الم تنزيل فإنه بلغني أن رجلا كان يقرؤها ما يقرأ شيئا غيرها وكان كثير الخطايا فنشرت جناحها عليه وقالت رب اغفر له فإنه كان يكثر قراءتي فشفعها الرب فيه وقال اكتبوا له بكل خطيئة حسنة وارفعوا له درجة

 হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ  বর্ণনাকারীঃ খালিদ ইবনু মা‘দান (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৪৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৯. সুরাহ তানযীলুস সিজদা ও তাবারাকা (মুলক) এর ফযীলত

৩৪৪৮. কা’ব হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি (“আলিফ লা-ম, মী-ম (১) তানযীল”) [সুরাহ আস সাজদা: ১-২] ও “তাবারাকাল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক” (সুরাহ মুলক:১) পাঠ করবে, তার জন্য ৭০ টি সাওয়াব লেখা হবে, এর জন্য ৭০ টি পাপ মোচন করা হবে এবং এর জন্য ৭০ টি মর্যাদা বৃদ্ধি করা হবে।[1]

[1] তাখরীজ: ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ২১৩; দেখুন, দুররে মানসুর ৫/১৭০

باب فِي فَضْلِ سُورَةِ تَنْزِيلُ السَّجْدَةِ وَتَبَارَكَ

حَدَّثَنَا عَفَّانُ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ أَخْبَرَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ ضَمْرَةَ عَنْ كَعْبٍ قَالَ مَنْ قَرَأَ تَنْزِيلُ السَّجْدَةَ وَ تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ كُتِبَ لَهُ سَبْعُونَ حَسَنَةً وَحُطَّ عَنْهُ بِهَا سَبْعُونَ سَيِّئَةً وَرُفِعَ لَهُ بِهَا سَبْعُونَ دَرَجَةً

حدثنا عفان حدثنا حماد بن سلمة أخبرنا أبو الزبير عن عبد الله بن ضمرة عن كعب قال من قرأ تنزيل السجدة و تبارك الذي بيده الملك كتب له سبعون حسنة وحط عنه بها سبعون سيئة ورفع له بها سبعون درجة

 হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ  বর্ণনাকারীঃ কা’ব আল-আহবার (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৪৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৯. সুরাহ তানযীলুস সিজদা ও তাবারাকা (মুলক) এর ফযীলত

৩৪৪৯. খালিদ ইবনু মা’দান হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, (“আলিফ লা-ম, মী-ম (১) তানযীল”) [সুরাহ আস সাজদা: ১-২] তার পাঠকের জন্য কবরে বিতর্ক করবে। সে বলবে: হে আল্লাহ, আমি যদি আপনার কিতাবের অংশ হয়ে থাকি, তবে আপনি তার ব্যাপারে আমার শাফা’আত কবুল করুন। আর আমি যদি আপনার কিতাবের অংশ না হয়ে থাকি, তবে আপনি আপনার কিতাব থেকে আমাকে ‍মুছে দিন। আর এটি তার উপর ডানাবিস্তারকারী পাখির মতো হবে। এরপর সে তার জন্য আল্লাহর নিকট শাফা’আত করবে। এভাবে সে তাকে কবরের আযাব থেকে বাঁচিয়ে দেবে। আর “তাবারাকাল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক” (সুরাহ মুলক: ১) এর সম্পর্কে অনুরূপ (বর্ণনা করেছেন)। আর খালিদ ইবনু মা’দান এ দু’টি পাঠ না করে রাত্রি যাপন করতেন না।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ আব্দুল্লাহ ইবনু সালিহ এর দুর্বলতার কারণে। আর এটি খালিদের উপর মাওকুফ।

 

তাখরীজ: মিশকাতুল মাসাবীহ নং ২১৭৬ তে তিবরিযী দারেমী’র প্রতি এটি সম্বোন্থিত করেছেন।

 

দেখুন, দুররে মানসুর ৫/১৭১।

باب فِي فَضْلِ سُورَةِ تَنْزِيلُ السَّجْدَةِ وَتَبَارَكَ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا خَالِدٍ عَامِرَ بْنَ جَشِيبٍ وَبَحِيرَ بْنَ سَعْدٍ يُحَدِّثَانِ أَنَّ خَالِدَ بْنَ مَعْدَانَ قَالَ إِنَّ الم تَنْزِيلُ تُجَادِلُ عَنْ صَاحِبِهَا فِي الْقَبْرِ تَقُولُ اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتُ مِنْ كِتَابِكَ فَشَفِّعْنِي فِيهِ وَإِنْ لَمْ أَكُنْ مِنْ كِتَابِكَ فَامْحُنِي عَنْهُ وَإِنَّهَا تَكُونُ كَالطَّيْرِ تَجْعَلُ جَنَاحَهَا عَلَيْهِ فَيُشْفَعُ لَهُ فَتَمْنَعُهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَفِي تَبَارَكَ مِثْلَهُ فَكَانَ خَالِدٌ لَا يَبِيتُ حَتَّى يَقْرَأَ بِهِمَا

حدثنا عبد الله بن صالح حدثني معاوية بن صالح أنه سمع أبا خالد عامر بن جشيب وبحير بن سعد يحدثان أن خالد بن معدان قال إن الم تنزيل تجادل عن صاحبها في القبر تقول اللهم إن كنت من كتابك فشفعني فيه وإن لم أكن من كتابك فامحني عنه وإنها تكون كالطير تجعل جناحها عليه فيشفع له فتمنعه من عذاب القبر وفي تبارك مثله فكان خالد لا يبيت حتى يقرأ بهما

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ খালিদ ইবনু মা‘দান (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৫০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৯. সুরাহ তানযীলুস সিজদা ও তাবারাকা (মুলক) এর ফযীলত

৩৪৫০. জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দু’টি সূরাহ পাঠ না করে ঘুমাতেন করতেন না।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ লাইছ এর দুর্বলতার কারণে।

 

তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১০/৪২৪ নং ৯৮৬৫; আহমাদ, আল মুসনাদ ৩/৩৪০; তিরমিযী, ছাওয়াবুল কুরআন ২৮৯৪; নাসাঈ, কুবরা নং ১০৫৪৩;

 

ইবনু সুন্নী, আমলুল ইয়াম ওয়াল লাইলাহ নং ৬৭৫; হাকিম নং ৩৫৪৫ সেখানে জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে…। তিনি বলেন, আসলে জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তার নিকট হাদীস বর্ণনা করেননি, তাকে এ বর্ণনা করেছেন সাফওয়ান কিংবা ইবনু সাফওয়ান। আর যদি এ সাফওয়ান সাফওয়ান ইবনু সালমি হয়ে তবে হাদীসটি সহীহ। আর যদি আবী সাফওয়ান ইবনু মাসউদ সূত্রে যা বর্ণনা করেছেন তা মুরসাল আর তিনি মাজহুল রাবী।

 

বুখারী, আদাবুল মুফরাদ নং ১২০৭; নাসাঈ, কুবরা নং ১০৫৪২ জাবির হতে সহীহ সনদে। আরও দেখুন, এ হাদীসের উপর তিরমিযীর টিকা ও মিশকাতুল মাসাবীহ নং ২১৫৫ এবং দুররে মানসুর ৫/১৭০।

باب فِي فَضْلِ سُورَةِ تَنْزِيلُ السَّجْدَةِ وَتَبَارَكَ

أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ لَيْثٍ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَنَامُ حَتَّى يَقْرَأَ تَنْزِيلُ السَّجْدَةَ وَتَبَارَكَ

أخبرنا أبو نعيم حدثنا سفيان عن ليث عن أبي الزبير عن جابر قال كان النبي صلى الله عليه وسلم لا ينام حتى يقرأ تنزيل السجدة وتبارك

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৫১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৯. সুরাহ তানযীলুস সিজদা ও তাবারাকা (মুলক) এর ফযীলত

৩৪৫১. তাউস হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এ দু’টি সুরাহ কে কুরআনের অন্য যে কোন সূরার চেয়ে অতিরিক্ত ৬০টি সাওয়াব প্রদানের মাধ্যমে মর্যাদাবান করা হয়েছে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ তাউস পর্যন্ত যয়ীফ। এটি তার এর বক্তব্য (মাওকুফ)।

 

তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১০/৪২৪ নং ৯৮৬৬; ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ২৩৩, ২৩৭; আব্দুর রাযযাক নং ৬০৩৫ ইবনু আবী কাছীর সূত্রে তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবীগণকে সূরাহ সাজদা ও সুরাহ মুলক পাঠ করার নির্দেশ দিতেন। কারণ এ দু’টি সুরার প্রত্যেক আয়াত অন্য সুরার ৭০ আয়াতের সমান। আর যে ব্যক্তি এ দু’টি সুরাহ ইশার শেষে পাঠ করবে, সে যেন তার লাইলাতুল ক্বদরে পাঠ করলো।’ আমার বক্তব্য হলো, এ সনদ মু’দ্বাল। আল্লাহই ভাল জানেন।

باب فِي فَضْلِ سُورَةِ تَنْزِيلُ السَّجْدَةِ وَتَبَارَكَ

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ عَنْ لَيْثٍ عَنْ طَاوُسٍ قَالَ فُضِّلَتَا عَلَى كُلِّ سُورَةٍ فِي الْقُرْآنِ بِسِتِّينَ حَسَنَةً

حدثنا موسى بن خالد حدثنا معتمر عن ليث عن طاوس قال فضلتا على كل سورة في القرآن بستين حسنة

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ তাঊস (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৫২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৯. সুরাহ তানযীলুস সিজদা ও তাবারাকা (মুলক) এর ফযীলত

৩৪৫২. মুররাহ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন কোন লোককে কবরে রাখা হবে, তখন তার নিকট কবরের পার্শ্বদেশ থেকে এক (ফেরেশতা) আগমণ করে। এরপর কুরআনের তিরিশ আয়াত বিশিষ্ট একটি সুরাহ তার পক্ষ হতে বিতর্ক করতে আরম্ভ করে।’ তিনি (বর্ণনাকারী মুররাহ) বলেন, এরপর আমি ও মাসরুক্ব লক্ষ্য করে দেখলাম, কুরআনের ’তাবারাকা’ (সুরাহ মুলক) ব্যতীত আর কোনো সুরাহ-ই তিরিশ আয়াত বিশিষ্ট নয়।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ মুররাহ পর্যন্ত সহীহ। এটি তার এর বক্তব্য (মাওকুফ)।

 

তাখরীজ: ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ২৩৪;

 

ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে আবী উবাইদ, ফাযাইলুল কুরআন নং ২৬০ মাওকুফ হিসেবে সহীহ সনদে; ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ২৩২; আব্দুর রাযযাক নং ৬০২৫; তাবারাণী, কাবীর ৯/১৪০ নং ৮৬৫১ সনদ হাসান।

باب فِي فَضْلِ سُورَةِ تَنْزِيلُ السَّجْدَةِ وَتَبَارَكَ

أَخْبَرَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ مُرَّةَ قَالَ سَمِعْتُ مُرَّةَ يَقُولُ أُتِيَ رَجُلٌ فِي قَبْرِهِ فَأُتِيَ جَانِبُ قَبْرِهِ فَجَعَلَتْ سُورَةٌ مِنْ الْقُرْآنِ ثَلَاثُونَ آيَةً تُجَادِلُ عَنْهُ حَتَّى قَالَ فَنَظَرْنَا أَنَا وَمَسْرُوقٌ فَلَمْ نَجِدْ فِي الْقُرْآنِ سُورَةً ثَلَاثِينَ آيَةً إِلَّا تَبَارَكَ

أخبرنا حجاج بن منهال حدثنا شعبة حدثني عمرو بن مرة قال سمعت مرة يقول أتي رجل في قبره فأتي جانب قبره فجعلت سورة من القرآن ثلاثون آية تجادل عنه حتى قال فنظرنا أنا ومسروق فلم نجد في القرآن سورة ثلاثين آية إلا تبارك

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৫৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২০. সূরাহ ত্ব-হা ও ইয়াসীন এর ফযীলত

৩৪৫৩. আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত হয়েছে যে, আল্লাহ তা’আলা আসমানসমুহ ও পৃথিবী সৃষ্টির এক হাজার বছর পূর্বে সুরাহ ত্ব-হা ও ইয়াসীন পাঠ করলেন। যখন ফেরেশতাগণ শুনলেন, তা শুনলেন, তখন বললেন, সুসংবাদ সেই সকল লোকদের জন্য, যাদের উপর এটি নাযিল হবে। আর সুসংবাদ সেই বক্ষের জন্যও, যে এটাকে বহন (ধারণ) করবে। আর সুসংবাদ সেই মুখের জন্যও যে একে পাঠ করবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ অত্যন্ত যয়ীফ।

 

তাখরীজ: তাবারাণী, আওসাত ৪৩৭৩; ইবনু আবী আসিম, আস সুন্নাহ নং ৬০৭; ইবনু খুযাইমা, আত তাওহীদ নং ২৩৬; ইবনু হিব্বান, মাজরুহীন ১/১০৮; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৪৫০; আসমা ওয়াস সিফাত পৃ: ২৩২; ইবনু জাওযী, আল মাওযু’আত ১/১১০; ইবনু আদী, আল কামিল ১/২১৮; উকাইলী, আয যু’আফা ১৬৬; ইবনু হিব্বান ও ইবনুল জাওযী বলেন, এ মতন (বক্তব্য) মাওযু’ বা জাল। আরও দেখুন, আল লা’আলী আল মাসনু’আ ১/১০; মীযানুল ই’তিদাল ১/৬৭; মিশকাতুল মাসাবীহ নং ২১৪৮।

باب فِي فَضْلِ سُورَةِ طه وَ يس

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُهَاجِرِ بْنِ الْمِسْمَارِ عَنْ عُمَرَ بْنِ حَفْصِ بْنِ ذَكْوَانَ عَنْ مَوْلَى الْحُرَقَةِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى قَرَأَ طه وْ يس قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضَ بِأَلْفِ عَامٍ فَلَمَّا سَمِعَتْ الْمَلَائِكَةُ الْقُرْآنَ قَالَتْ طُوبَى لِأُمَّةٍ يَنْزِلُ هَذَا عَلَيْهَا وَطُوبَى لِأَجْوَافٍ تَحْمِلُ هَذَا وَطُوبَى لِأَلْسِنَةٍ تَتَكَلَّمُ بِهَذَا

حدثنا إبراهيم بن المنذر حدثنا إبراهيم بن المهاجر بن المسمار عن عمر بن حفص بن ذكوان عن مولى الحرقة عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إن الله تبارك وتعالى قرأ طه و يس قبل أن يخلق السموات والأرض بألف عام فلما سمعت الملائكة القرآن قالت طوبى لأمة ينزل هذا عليها وطوبى لأجواف تحمل هذا وطوبى لألسنة تتكلم بهذا

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৫৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২১. সুরাহ ইয়াসীনের ফযীলত

৩৪৫৪. হাসান হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি কোনো রাতে আল্লাহর উদ্দেশ্যে বা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সুরাহ ইয়াসীন পাঠ করবে, তাকে ক্ষমা করা হবে।[1] বর্ণনাকারী বলেন, আমার নিকট বর্ণনা করা হয়েছে যে, এটি পুরো কুরআনের সমান মর্যাদা রাখে।[2]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ তাউস পর্যন্ত যয়ীফ। এটি তার এর বক্তব্য (মাওকুফ)।

 

তাখরীজ: আমি এটি আর কোথাও পাইনি। তবে দেখুন, দুররে মানসুর ৫/২৫৬। পরবর্তী হাদীসটিও দেখুন।

 

[2] তাহক্বীক্ব: এর সনদ আগের সনদই।

 

তাখরীজ: আমি এটি আর কোথাও পাইনি। তবে পূর্বের হাদীসটি দেখুন।

باب فِي فَضْلِ يس

حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ مُوسَى بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ عَنْ أَبِيهِ قَالَ بَلَغَنِي عَنْ الْحَسَنِ قَالَ مَنْ قَرَأَ يس فِي لَيْلَةٍ ابْتِغَاءَ وَجْهِ اللَّهِ أَوْ مَرْضَاةِ اللَّهِ غُفِرَ لَهُ وَقَالَ بَلَغَنِي أَنَّهَا تَعْدِلُ الْقُرْآنَ كُلَّهُ

حدثنا أبو الوليد موسى بن خالد حدثنا معتمر عن أبيه قال بلغني عن الحسن قال من قرأ يس في ليلة ابتغاء وجه الله أو مرضاة الله غفر له وقال بلغني أنها تعدل القرآن كله

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ হাসান বাসরী (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৫৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২১. সুরাহ ইয়াসীনের ফযীলত

৩৪৫৫. আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “প্রতিটি বস্তুরই অন্তর আছে। কুরআনের অন্তর হল সূরা ইয়াসীন। যে ব্যক্তি সূরা ইয়াসীন পাঠ করলো, সে যেন দশ বার (পূর্ণ) কুরআন পাঠ করলো।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: রাবী হারুণ আবূ মুহাম্মদ মাজহুল (অজ্ঞাত পরিচয়)। (ফলে সনদটি দুর্বল)

 

তাখরীজ: তিরমিযী, ছাওবুল কুরআন নং ২৮৮৯; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৪৬০, ২০৬১; ইবনু কাছীর, তাফসীর ৬/৫৪৭; সাখাবী, জামালুল কুর্রা’ ১/২৩৪; কুযাঈ, মুসনাদুশ শিহাব নং ১০৩৫; সুয়ূতী, দুররে মানছুর ৫/২৫৬; তারগীব ২/৩৭৭; কাশফুল খফা’ নং ৭০৯; মিশকাতুল মাসাবীহ নং ২১৪৭।

باب فِي فَضْلِ يس

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ الْحَسَنِ بْنِ صَالِحٍ عَنْ هَارُونَ أَبِي مُحَمَّدٍ عَنْ مُقَاتِلِ بْنِ حَيَّانَ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ لِكُلِّ شَيْءٍ قَلْبًا وَإِنَّ قَلْبَ الْقُرْآنِ يس مَنْ قَرَأَهَا فَكَأَنَّمَا قَرَأَ الْقُرْآنَ عَشْرَ مَرَّاتٍ

حدثنا محمد بن سعيد حدثنا حميد بن عبد الرحمن عن الحسن بن صالح عن هارون أبي محمد عن مقاتل بن حيان عن قتادة عن أنس قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إن لكل شيء قلبا وإن قلب القرآن يس من قرأها فكأنما قرأ القرآن عشر مرات

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৫৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২১. সুরাহ ইয়াসীনের ফযীলত

৩৪৫৬. আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যে ব্যক্তি কোনো রাতে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সুরাহ ইয়াসীন পাঠ করবে, সেই রাতে তাকে ক্ষমা করা হবে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ বিচ্ছিন্নতা’র (ইনকিতা) কারণে ।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মুাউসিলী নং ৬২২৪; মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৬৬৫ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৫৭৪ তে।

 

বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান ২৪৬৩, ২৪৬৪ বিচ্ছিন্ন সনদে।

 

জুনদুব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে ইবনু হিব্বান নং ২৫৭৪ একই ভাবে বিচ্ছিন্ন সনদে, আমরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৬৬৫ তে।

 

আরও দেখুন, সুয়ূতী, দুররে মানছুর ৫/২৫৭; তিবরিযী, মিশকাতুল মাসাবীহ নং ২১৭৭ মুরসাল হিসেবে।

باب فِي فَضْلِ يس

حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ شُجَاعٍ حَدَّثَنِي أَبِي حَدَّثَنِي زِيَادُ بْنُ خَيْثَمَةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُحَادَةَ عَنْ الْحَسَنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ قَرَأَ يس فِي لَيْلَةٍ ابْتِغَاءَ وَجْهِ اللَّهِ غُفِرَ لَهُ فِي تِلْكَ اللَّيْلَةِ

حدثنا الوليد بن شجاع حدثني أبي حدثني زياد بن خيثمة عن محمد بن جحادة عن الحسن عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من قرأ يس في ليلة ابتغاء وجه الله غفر له في تلك الليلة

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৫৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২১. সুরাহ ইয়াসীনের ফযীলত

৩৪৫৭. আতা ইবনু আবী রাবাহ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি কোনো দিনের প্রারম্ভে (সকালে) সুরাহ ইয়াসীন পাঠ করবে, তার সকল প্রয়োজন পুর্ণ করা হবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ, মুরসাল।

 

তাখরীজ: বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান ২৪৬৩, ২৪৬৪ আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বিচ্ছিন্ন সনদে, আমরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬২২৪ তে।

 

জুনদুব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে ইবনু হিব্বান নং ২৫৭৪ একই ভাবে বিচ্ছিন্ন সনদে, আমরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৬৬৫ তে।

 

আরও দেখুন, সুয়ূতী, দুররে মানছুর ৫/২৫৭; তিবরিযী, মিশকাতুল মাসাবীহ নং ২১৭৭ মুরসাল হিসেবে।

باب فِي فَضْلِ يس

حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ شُجَاعٍ حَدَّثَنِي أَبِي حَدَّثَنِي زِيَادُ بْنُ خَيْثَمَةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُحَادَةَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ قَالَ بَلَغَنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ قَرَأَ يس فِي صَدْرِ النَّهَارِ قُضِيَتْ حَوَائِجُهُ

حدثنا الوليد بن شجاع حدثني أبي حدثني زياد بن خيثمة عن محمد بن جحادة عن عطاء بن أبي رباح قال بلغني أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال من قرأ يس في صدر النهار قضيت حوائجه

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ আতা ইবনু আবী রাবাহ (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৫৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২১. সুরাহ ইয়াসীনের ফযীলত

৩৪৫৮. শাহর ইবনু হাওশাব হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন: “যে ব্যক্তি সকালে সুরাহ ইয়াসীন পাঠ করবে, সন্ধ্যা পর্যন্ত তার দিনটি সহজ-সাবলীল করা হবে এবং যে ব্যক্তি রাতের প্রারম্ভে (সন্ধ্যায়) সুরাহ ইয়াসীন পাঠ করবে, সকাল পর্যন্ত তার রাতটি সহজ-সাবলীল করা হবে ।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান । এটি ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর বক্তব্য (মাওকুফ)।

 

তাখরীজ: সুয়ূতী, দুররে মানসুর ৫/২৫৭ তে দারেমী’র প্রতি এটি সম্বোন্ধিত করেছেন।

باب فِي فَضْلِ يس

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ زُرَارَةَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ حَدَّثَنَا رَاشِدٌ أَبُو مُحَمَّدٍ الْحِمَّانِيُّ عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ قَالَ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ مَنْ قَرَأَ يس حِينَ يُصْبِحُ أُعْطِيَ يُسْرَ يَوْمِهِ حَتَّى يُمْسِيَ وَمَنْ قَرَأَهَا فِي صَدْرِ لَيْلِهِ أُعْطِيَ يُسْرَ لَيْلَتِهِ حَتَّى يُصْبِحَ

حدثنا عمرو بن زرارة حدثنا عبد الوهاب حدثنا راشد أبو محمد الحماني عن شهر بن حوشب قال قال ابن عباس من قرأ يس حين يصبح أعطي يسر يومه حتى يمسي ومن قرأها في صدر ليله أعطي يسر ليلته حتى يصبح

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ শাহর ইবনু হাওশাব (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৫৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২২. হামীম আদ দুখান ও হাওয়ামীম (হামীমযুক্ত সুরাহ সমূহ) ও মুসাব্বিহাত সূরাহসমূহের ফযীলত

৩৪৫৯. আব্দুল্লাহ ইবনু ঈসা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার নিকট বর্ণনা করা হয়েছে যে, যে ব্যক্তি ঈমানও নিষ্ঠার সাথে জুমু’আর রাতে সূরা হা-মীম আদ দুখান পাঠ করবে, সে ক্ষমাপ্রাপ্ত অবস্থায় সকালে উঠবে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ আব্দুল্লাহ ইবনু ঈসা পর্যন্ত সহীহ। এটি তার এর বক্তব্য (মাওকুফ)।

 

তাখরীজ: সুয়ূতী, দুররে মানসুর ৬/২৪-২৫ তে দারেমী’র প্রতি এটি সম্বোন্ধিত করেছেন।

 

এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আবী হুরাইরাহ হতে তিরমিযী, ছাওবুল কুরআন ২৮৯১; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান ২৪৭৬ বিচ্ছিন্নতাসহ ও মাতরুক রাবীসহ।

باب فِي فَضْلِ حم الدُّخَانِ وَالْحَوَامِيمِ وَالْمُسَبِّحَاتِ

حَدَّثَنَا يَعْلَى حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عِيسَى قَالَ أُخْبِرْتُ أَنَّهُ مَنْ قَرَأَ حم الدُّخَانَ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ إِيمَانًا وَتَصْدِيقًا بِهَا أَصْبَحَ مَغْفُورًا لَهُ

حدثنا يعلى حدثنا إسمعيل عن عبد الله بن عيسى قال أخبرت أنه من قرأ حم الدخان ليلة الجمعة إيمانا وتصديقا بها أصبح مغفورا له

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৬০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২২. হামীম আদ দুখান ও হাওয়ামীম (হামীমযুক্ত সুরাহ সমূহ) ও মুসাব্বিহাত সূরাহসমূহের ফযীলত

৩৪৬০. আবী রাফী’ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি জুমু’আর রাতে সূরা আদ দুখান পাঠ করবে, সে ক্ষমাপ্রাপ্ত অবস্থায় সকালে উঠবে এবং তাকে আয়তলোচনা হুরের সাথে বিবাহ দেওয়া হবে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ আবী রাফি’ নাফি’ ইবনু রাফি’ পর্যন্ত সহীহ। এটি তার এর বক্তব্য (মাওকুফ)।

 

তাখরীজ: সুয়ূতী, দুররে মানসুর ৬/২৪ তে দারেমী’র প্রতি এটি সম্বোন্ধিত করেছেন।

باب فِي فَضْلِ حم الدُّخَانِ وَالْحَوَامِيمِ وَالْمُسَبِّحَاتِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُبَارَكِ حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ خَالِدٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ الْحَارِثِ عَنْ أَبِي رَافِعٍ قَالَ مَنْ قَرَأَ الدُّخَانَ فِي لَيْلَةِ الْجُمُعَةِ أَصْبَحَ مَغْفُورًا لَهُ وَزُوِّجَ مِنْ الْحُورِ الْعِينِ

حدثنا محمد بن المبارك حدثنا صدقة بن خالد عن يحيى بن الحارث عن أبي رافع قال من قرأ الدخان في ليلة الجمعة أصبح مغفورا له وزوج من الحور العين

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ রাফি‘ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৬১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২২. হামীম আদ দুখান ও হাওয়ামীম (হামীমযুক্ত সুরাহ সমূহ) ও মুসাব্বিহাত সূরাহসমূহের ফযীলত

৩৪৬১. সা’দ ইবনু ইবরাহীম হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হা-মীম যুক্ত সুরাসমূহকে ’নববধূ’ নামকরণ করা হয়েছে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ আবী রাফি’ নাফি’ ইবনু রাফি’ পর্যন্ত সহীহ। এটি তার এর বক্তব্য (মাওকুফ)।

 

তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা, ১০/৫৫৮ নং ১০৩৩৩; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান ২৪৮২।

 

সুয়ূতী, দুররে মানসুর ৫/৩৪৪ তে দারেমী’র প্রতি এটি সম্বোন্ধিত করেছেন।

باب فِي فَضْلِ حم الدُّخَانِ وَالْحَوَامِيمِ وَالْمُسَبِّحَاتِ

حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ عَنْ مِسْعَرٍ عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ قَالَ كُنَّ الْحَوَامِيمُ يُسَمَّيْنَ الْعَرَائِسَ

حدثنا جعفر بن عون عن مسعر عن سعد بن إبراهيم قال كن الحواميم يسمين العرائس

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ সা’দ ইবনু ইবরাহীম (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৬২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২২. হামীম আদ দুখান ও হাওয়ামীম (হামীমযুক্ত সুরাহ সমূহ) ও মুসাব্বিহাত সূরাহসমূহের ফযীলত

৩৪৬২. হাসান (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি সকালে সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পাঠ করে, সে যদি সেই দিন মৃত্যুবরণ করে, তবে তাকে শাহাদাতের সীল (টিকিট) প্রদান করা হবে এবং সন্ধ্যায় তা পাঠ করলে সে যদি সেই রাতে মৃত্যুবরণ করে, তবে তাকে শাহাদাতের সীল লাভ প্রদান করা হবে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান পর্যন্ত সহীহ। এটি তার এর বক্তব্য (মাওকুফ)।

 

তাখরীজ: ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ২২৭।

 

সুয়ূতী, দুররে মানসুর ১/২০২ তে দারেমী’র প্রতি এটি সম্বোন্ধিত করেছেন।

باب فِي فَضْلِ حم الدُّخَانِ وَالْحَوَامِيمِ وَالْمُسَبِّحَاتِ

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ عَنْ هِشَامٍ عَنْ الْحَسَنِ قَالَ مَنْ قَرَأَ ثَلَاثَ آيَاتٍ مِنْ آخِرِ سُورَةِ الْحَشْرِ إِذَا أَصْبَحَ فَمَاتَ مِنْ يَوْمِهِ ذَلِكَ طُبِعَ بِطَابَعِ الشُّهَدَاءِ وَإِنْ قَرَأَ إِذَا أَمْسَى فَمَاتَ مِنْ لَيْلَتِهِ طُبِعَ بِطَابَعِ الشُّهَدَاءِ

حدثنا سعيد بن عامر عن هشام عن الحسن قال من قرأ ثلاث آيات من آخر سورة الحشر إذا أصبح فمات من يومه ذلك طبع بطابع الشهداء وإن قرأ إذا أمسى فمات من ليلته طبع بطابع الشهداء

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ হাসান বাসরী (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৬৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২২. হামীম আদ দুখান ও হাওয়ামীম (হামীমযুক্ত সুরাহ সমূহ) ও মুসাব্বিহাত সূরাহসমূহের ফযীলত

৩৪৬৩. খালিদ ইবনু মা’দান হতে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি ঘুমের পূর্বে ’মুসাব্বিহাত’ (যে সকল সূরা শুরু ’সাব্বাহা বা ইউসাব্বিহু’ দিয়ে) পাঠ করতেন এবং তিনি বলতেন: “এগুলোর মধ্যে এমন একটি আয়াত রয়েছে, যা এক হাজার আয়াতের সমান।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ, মুরসাল, তবে সম্ভবত মু’দ্বাল।

 

তাখরীজ: নাসাঈ, কুবরা নং ১০৫৫১।

 

নাসাঈ বলেন, ‘মু’আবিয়া বলেন: কোন কোন আহলে ইলম ছয়টি সুরাহকে মুসাব্বিহাত গণ্য করতেন: সুরাহ হাদীদ, হাশর, ওয়াল হাওয়ারিঈন (আস সফ); সুরাহ জুমু’আ, তাগাবুন এবং সুরা আ’লা।’

 

এর বিপরীত বর্ণিত হয়েছে বুকাইয়া হতে… খালিদ ইবনু মা’দান হতে … ইরবায ইবনু সারিয়াহ হতে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম… এর সনদ যয়ীফ। বুকাইয়া এটি আন’আন শব্দে বর্ণনা করেছেন আর তিনি মুদাল্লিস।

 

আবূ দাউদ, আদাব ৫০৫৭; তিরমিযী, ছাওবুল কুরআন নং ২৯২২; দাওয়াত ৩৪০৩; নাসাঈ, কুবরা নং ১০৫৫০; আমলুল ইয়ামি ওয়াল লাইল নং ৭১৩; ইবনুস সুন্নী, আমলুল ইয়ামি ওয়াল লাইল নং ৬৮২; তাবারাণী, কাবীর ১৮/২৪৭ নং ৬২৪।

 

তবে আহমাদ ৪/১২৮ ও বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৫০৩ তে বুকাইয়া সূত্রে হাদ্দাছানা শব্দে আগের সনদে বর্ণনা করেছেন। এ সনদটি সহীহ।

باب فِي فَضْلِ حم الدُّخَانِ وَالْحَوَامِيمِ وَالْمُسَبِّحَاتِ

حَدَّثَنَا إِسْحَقُ بْنُ عِيسَى عَنْ مَعْنٍ عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ عَنْ بَحِيرِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ كَانَ يَقْرَأُ الْمُسَبِّحَاتِ عِنْدَ النَّوْمِ وَيَقُولُ إِنَّ فِيهِنَّ آيَةً تَعْدِلُ أَلْفَ آيَةٍ

حدثنا إسحق بن عيسى عن معن عن معاوية بن صالح عن بحير بن سعد عن خالد بن معدان عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه كان يقرأ المسبحات عند النوم ويقول إن فيهن آية تعدل ألف آية

 হাদিসের মানঃ মুরসাল  বর্ণনাকারীঃ খালিদ ইবনু মা‘দান (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৬৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২২. হামীম আদ দুখান ও হাওয়ামীম (হামীমযুক্ত সুরাহ সমূহ) ও মুসাব্বিহাত সূরাহসমূহের ফযীলত

৩৪৬৪. মা’কিল ইবনু ইয়াসার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি সকালে তিনবার ’আউযু বিল্লাহিস্ সামি’য়ি্‌ল আলিমি মিনাশ শায়ত্বনির রজীম’ পাঠ করবে এবং (এরপর) সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পাঠ করবে, আল্লাহ্ তা’আলা তার জন্য সত্তর হাজার ফিরিশতা নিযুক্ত করে দেন, যাঁরা সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য রহমতের দু’আ করতে থাকেন। আর যদি সে সন্ধ্যায় পাঠ করে তবুও সে সকাল পর্যন্ত অনুরূপ (ফযীলত) পেতে থাকবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ। নাফি’ ইবনু আবী নাফি’ তিনি বাযযার নন, বরং তিনি নাফী’ ইবনুল হারিছ আল আ’মা, তার যয়ীফ হওয়া সম্পর্কে সকলেই একমত।

 

তাখরীজ: আহমাদ ৫/২৬; তিরমিযী, ছাওবুল কুরআন নং ২৯২৩; ইবনুস সুন্নী, আমলুল ইয়ামি ওয়াল লাইল নং ৮০; ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ২৩০; তাবারাণী, কাবীর ২০/২২৯ নং ৫৩৭; কিতাবুদ দু’আ নং ৩০৮; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৫০২।

باب فِي فَضْلِ حم الدُّخَانِ وَالْحَوَامِيمِ وَالْمُسَبِّحَاتِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْفَرَجِ الْبَغْدَادِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ طَهْمَانَ أَبُو الْعَلَاءِ الْخَفَّافُ حَدَّثَنِي نَافِعُ بْنُ أَبِي نَافِعٍ عَنْ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ قَالَ حِينَ يُصْبِحُ أَعُوذُ بِاللَّهِ السَّمِيعِ الْعَلِيمِ مِنْ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ وَثَلَاثَ آيَاتٍ مِنْ آخِرِ سُورَةِ الْحَشْرِ وَكَّلَ اللَّهُ بِهِ سَبْعِينَ أَلْفَ مَلَكٍ يُصَلُّونَ عَلَيْهِ حَتَّى يُمْسِيَ وَإِنْ قَالَهَا مَسَاءً فَمِثْلُ ذَلِكَ حَتَّى يُصْبِحَ

حدثنا محمد بن الفرج البغدادي حدثنا محمد بن عبد الله بن الزبير حدثنا خالد بن طهمان أبو العلاء الخفاف حدثني نافع بن أبي نافع عن معقل بن يسار عن النبي صلى الله عليه وسلم قال من قال حين يصبح أعوذ بالله السميع العليم من الشيطان الرجيم وثلاث آيات من آخر سورة الحشر وكل الله به سبعين ألف ملك يصلون عليه حتى يمسي وإن قالها مساء فمثل ذلك حتى يصبح

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ মা‘ক্বিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৬৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৩. ক্বুল ইয়া আইয়্যহাল কাফিরুন (সুরা কাফিরুন) এর ফযীলত সম্পর্কে

৩৪৬৫. আবুল হাসান মুহাজির হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যিয়াদের শাসনামলে এক ব্যক্তি কুফায় এলো। এরপর আমি তাকে হাদীস বর্ণনা করতে শুনলাম। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে কোনো এক সফরে ছিলেন। তিনি বলেন, আমার হাঁটু তাঁর হাঁটুর সঙ্গে লাগানো ছিল, এমতাবস্থায় তিনি এক ব্যক্তিকে “ক্বুল ইয়া আইয়্যুহাল কাফিরুন” (সুরা কাফিরুন) পাঠ করতে শুনলেন। তখন তিনি বললেন, “সে শিরক হতে মুক্তি পেল।” আবার তিনি অপর এক ব্যক্তিকে “ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ” (সুরা ইখলাস) পাঠ করতে শুনলেন, তখন তিনি বললেন, “তাকে ক্ষমা করা হয়েছে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। সাহাবী’র নাম উল্লেখ না থাকা হাদীসকে সমালোচিত করে না।

 

তাখরীজ: ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ৩০৫ সনদ সহীহ; নাসাঈ, কুবরা নং ১০৫৪০; আহমাদ ৪/৬৩, ৬৪, ৬৫ হাসান সনদে; সুয়ূতী, দুররে মানসুর ৬/৪০৫ তে আহমদা, ইবনু যরীস, বাগাবীর প্রতি এটি সম্বোন্ধিত করেছেন।

باب فِي فَضْلِ قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ

حَدَّثَنَا أَبُو زَيْدٍ سَعِيدُ بْنُ الرَّبِيعِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَبِي الْحَسَنِ مُهَاجِرٍ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ زَمَنَ زِيَادٍ إِلَى الْكُوفَةِ فَسَمِعْتُهُ يُحَدِّثُ أَنَّهُ كَانَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَسِيرٍ لَهُ قَالَ وَرُكْبَتِي تُصِيبُ أَوْ تَمَسُّ رُكْبَتَهُ فَسَمِعَ رَجُلًا يَقْرَأُ قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ قَالَ بَرِئَ مِنْ الشِّرْكِ وَسَمِعَ رَجُلًا يَقْرَأُ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ قَالَ غُفِرَ لَهُ

حدثنا أبو زيد سعيد بن الربيع حدثنا شعبة عن أبي الحسن مهاجر قال جاء رجل زمن زياد إلى الكوفة فسمعته يحدث أنه كان مع رسول الله صلى الله عليه وسلم في مسير له قال وركبتي تصيب أو تمس ركبته فسمع رجلا يقرأ قل يا أيها الكافرون قال برئ من الشرك وسمع رجلا يقرأ قل هو الله أحد قال غفر له

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৬৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৩. ক্বুল ইয়া আইয়্যহাল কাফিরুন (সুরা কাফিরুন) এর ফযীলত সম্পর্কে

৩৪৬৬. ফুরওয়াহ ইবনু নাওফিল তার পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “কোন প্রয়োজন তোমাকে এখানে নিয়ে এসেছে? তিনি বলেন, আমি আপনার নিকট এসেছি এজন্য যে, আপনি আমাকে এমন একটি বিষয় (দু’আ বা যিকির) শিখিয়ে দিবেন, যা আমি ঘুমের সময় পড়তে পারি। তিনি বললেন, “যখন তুমি শয্যা গ্রহণ করবে, তখন “ক্বুল ইয়া আইয়্যূহাল কাফিরূন” (সূরাহ কাফিরূন) পাঠ করবে, এরপর তুমি তা শেষ করে ঘুমাবে। কেননা, কেননা, এ সূরা শিরক থেকে মুক্তিদানকারী।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মুাউসিলী নং ১৫৯৬; মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৩৬৩, ২৩৬৪ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৮৯, ৭৯০ তে। এছাড়াও, আবী উবাইদ, ফাযাইলুল কুরআন পৃ. ২৬৪; নাসাঈ, কুবরা নং ১০৬৩৭, ১০৬৩৮। দেখুন, সুয়ূতী, দুররে মানসুর ৬/৪০৫। (আবূ দাউদ, আদাব ৫০৫৫; তিরমিযী, দাওয়াত ৩৪০৩)

باب فِي فَضْلِ قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ

حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ فَرْوَةَ بْنِ نَوْفَلٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَجِيءٌ مَا جَاءَ بِكَ قَالَ جِئْتُ لِتُعَلِّمَنِي شَيْئًا أَقُولُهُ عِنْدَ مَنَامِي قَالَ فَإِذَا أَخَذْتَ مَضْجَعَكَ فَاقْرَأْ قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَثُمَّ نَمْ عَلَى خَاتِمَتِهَا فَإِنَّهَا بَرَاءَةٌ مِنْ الشِّرْكِ

حدثنا أبو نعيم حدثنا زهير عن أبي إسحق عن فروة بن نوفل عن أبيه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال مجيء ما جاء بك قال جئت لتعلمني شيئا أقوله عند منامي قال فإذا أخذت مضجعك فاقرأ قل يا أيها الكافرونثم نم على خاتمتها فإنها براءة من الشرك

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৬৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৪. ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ (সুরাহ ইখলাস) এর ফযীলত

৩৪৬৭. নাওফ আল বিকালী হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহ কুরআনকে তিনটি অংশে বিভক্ত করেছেন। অত:পর তিনি “ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ” (সুরাহ ইখলাস: ১)-কে কুরআনের এক তৃতীয়াংশ বানিয়েছেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: ইয়্যাস আল বিকালী মাজহুল (অজ্ঞাত পরিচয়) রাবী। আর নাওফ ইবনু ফুযালাহর উপর মাওকুফ।

 

তাখরীজ: আমি এটি এখানে ব্যতীত আর কোথাও পাইনি।

باب فِي فَضْلِ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ

حَدَّثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ حَدَّثَنَا صَفْوَانُ حَدَّثَنَا إِيَاسٌ الْبِكَالِيُّ عَنْ نَوْفٍ الْبِكَالِيِّ قَالَ إِنَّ اللَّهَ جَزَّأَ الْقُرْآنَ عَلَى ثَلَاثَةِ أَجْزَاءٍ فَجَعَلَ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ ثُلُثَ الْقُرْآنِ

حدثنا أبو المغيرة حدثنا صفوان حدثنا إياس البكالي عن نوف البكالي قال إن الله جزأ القرآن على ثلاثة أجزاء فجعل قل هو الله أحد ثلث القرآن

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৬৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৪. ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ (সুরাহ ইখলাস) এর ফযীলত

৩৪৬৮. সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যেব হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি “ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ” (সুরাহ ইখলাস: ১) দশবার পাঠ করবে, জান্নাতে তার জন্য একটি প্রাসাদ নির্মাণ করা হবে। যে ব্যক্তি তা বিশবার পাঠ করবে, জান্নাতে তার জন্য দু’টি প্রাসাদ নির্মাণ করা হবে। যে ব্যক্তি তা ত্রিশবার পাঠ করবে, জান্নাতে তার জন্য তিনটি প্রাসাদ নির্মাণ করা হবে।” তখন উমার ইবনুল খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন: আল্লাহর কসম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তাহলে তো আমাদের অনেক প্রাসাদ হবে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: “আল্লাহ (এর ভাণ্ডার) এ থেকেও অধিক প্রশস্ত।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ মুরসাল হওয়ার কারণে যয়ীফ। তবে তাবারানী এটি মুত্তাসিল হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

 

তাখরীজ: তাবারাণী, আওসাত নং ২৮৩ আবী হুরাইরা হতে, তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে …। এ সনদে দু’জন যয়ীফ রাবী রয়েছে।

 

তবে এর শাহিদ হাদীস রয়েছে মুয়ায ইবনু আনাস হতে আহমাদ ৩/৪৩৭ এ, যা ইবনু কাছীর তার তাফসীর, ৫/২৫১; ইবনুস সু্ন্নী, আমলুল ইয়াওমী ওয়াল লাইলাহ নং ৬৯৩; উকাইলী, আয যু’আফা ২/৯৬; তাবারাণী, কাবীর ২০/১৮৪ নং ৩৯৭ ও ৩৯৮ যয়ীফ সনদে।

 

আমাদের বক্তব্য: মুরসাল সহ এ সকল বর্ণনাগুলি একটি অপরটিকে শক্তিশালী করবে ফলে হাদীসটি হাসান স্তরে উন্নীত হবে, আল্লাহই ভাল জানেন।

باب فِي فَضْلِ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا حَيْوَةُ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو عَقِيلٍ أَنَّهُ سَمِعَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ يَقُولُ إِنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ قَرَأَ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ عَشْرَ مَرَّاتٍ بُنِيَ لَهُ بِهَا قَصْرٌ فِي الْجَنَّةِ وَمَنْ قَرَأَ عِشْرِينَ مَرَّةً بُنِيَ لَهُ بِهَا قَصْرَانِ فِي الْجَنَّةِ وَمَنْ قَرَأَهَا ثَلَاثِينَ مَرَّةً بُنِيَ لَهُ بِهَا ثَلَاثَةُ قُصُورٍ فِي الْجَنَّةِ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِذَنْ لَتَكْثُرَنَّ قُصُورُنَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اللَّهُ أَوْسَعُ مِنْ ذَلِكَ قَالَ أَبُو مُحَمَّد أَبُو عَقِيلٍ زُهْرَةُ بْنُ مَعْبَدٍ وَزَعَمُوا أَنَّهُ كَانَ مِنْ الْأَبْدَالِ

 

 

حدثنا عبد الله بن يزيد حدثنا حيوة قال أخبرني أبو عقيل أنه سمع سعيد بن المسيب يقول إن نبي الله صلى الله عليه وسلم قال من قرأ قل هو الله أحد عشر مرات بني له بها قصر في الجنة ومن قرأ عشرين مرة بني له بها قصران في الجنة ومن قرأها ثلاثين مرة بني له بها ثلاثة قصور في الجنة فقال عمر بن الخطاب والله يا رسول الله إذن لتكثرن قصورنا فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم الله أوسع من ذلك قال أبو محمد أبو عقيل زهرة بن معبد وزعموا أنه كان من الأبدال

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ সাঈদ ইবনু মুসাইয়্যাব (রহ.)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৬৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৪. ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ (সুরাহ ইখলাস) এর ফযীলত

৩৪৬৯. উতবাহ ইবনু যামরাহ ইবনু হাবীব তার পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন, যে, তিনি যখন কোন সুরাহ পাঠ শেষ করতেন তখন তারপরই তিনি “ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ” (সুরাহ ইখলাস: ১) পাঠ করতেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যামরাহ ইবনু হাবীব পর্যন্ত সহীহ। আর এটি তার উপর মাওকুফ।

 

তাখরীজ: আমি এটি এখানে ব্যতীত আর কোথাও পাইনি।

باب فِي فَضْلِ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ

أَخْبَرَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ عَنْ عُتْبَةَ بْنِ ضَمْرَةَ بْنِ حَبِيبٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ كَانَ إِذَا قَرَأَ سُورَةً فَخَتَمَهَا أَتْبَعَهَا بِقُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ

أخبرنا أبو المغيرة عن عتبة بن ضمرة بن حبيب عن أبيه أنه كان إذا قرأ سورة فختمها أتبعها بقل هو الله أحد

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৭০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৪. ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ (সুরাহ ইখলাস) এর ফযীলত

৩৪৭০. আবু দারদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের কেউ কি এতে অক্ষম যে, এক রাতে কুরআনের এক তৃতীয়াংশ পড়বে?” তারা (সাহাবাগণ) বললেন, কুরআনের তৃতীয়াংশ পড়তে তো আমরা অক্ষম অথবা দুর্বল। তখন তিনি বললেন, “আল্লাহ কুরআনকে তিনটি অংশে বিভক্ত করেছেন। অত:পর তিনি “ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ” (সুরাহ ইখলাস: ১)-কে কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমতুল্য বানিয়েছেন।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আবূ দাউদ তায়ালিসী ২/২৭ নং ১৯৯২;; আহমাদ ৫/১৯৫, ৬/৪৪২, ৪৪৭; আব্দ ইবনু হুমাইদ, আল মুনতাখাব নং ২১১; মুসলিম, সালাতুল মুসাফিরীন ৮১১; নাসাঈ, আমলুল ইয়ামি ওয়াল লাইল নং ৭০১; ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ২৫২; আব্দুর রহমান ইবনু আহমাদ আর রাযী, ফাযাইলুল কুরআন নং ১০৫; আবূ উবাইদ, ফাযাইলুল কুরআন পৃ. নং ২৬৮-২৬৯; আবূ নুয়াইম, যিকরু আখবারিল আসবাহান ২/২৮৬; ইবনু আব্দুল বারর, আত তামহীদ ৭/২৫৭; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৫৩৪।

باب فِي فَضْلِ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ عَنْ أَبَانَ بْنِ يَزِيدَ الْعَطَّارِ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ عَنْ مَعْدَانَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيَعْجِزُ أَحَدُكُمْ أَنْ يَقْرَأَ فِي لَيْلَةٍ ثُلُثَ الْقُرْآنِ قَالُوا نَحْنُ أَعْجَزُ وَأَضْعَفُ مِنْ ذَلِكَ فَقَالَ إِنَّ اللَّهَ جَزَّأَ الْقُرْآنَ ثَلَاثَةَ أَجْزَاءٍ فَجَعَلَ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ ثُلُثَ الْقُرْآنِ

حدثنا مسلم بن إبراهيم عن أبان بن يزيد العطار حدثنا قتادة عن سالم بن أبي الجعد عن معدان بن أبي طلحة عن أبي الدرداء قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم أيعجز أحدكم أن يقرأ في ليلة ثلث القرآن قالوا نحن أعجز وأضعف من ذلك فقال إن الله جزأ القرآن ثلاثة أجزاء فجعل قل هو الله أحد ثلث القرآن

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবুদ দারদা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৭১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৪. ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ (সুরাহ ইখলাস) এর ফযীলত

৩৪৭১. হুমাইদ ইবনু আব্দুর রহমান হতে বর্ণিত, আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ” (সুরাহ ইখলাস: ১) কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমতুল্য।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ। আর এটি আবূ হুরাইরার উপর মাওকুফ।

 

তাখরীজ: তিরমিযী, ছাওবুল কুরআন নং ২৯০১; ইবনু মাজাহ, আদাব ৩৭৮৭; ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ২৪৮; তাহাবী, মুশকিলিল আছার নং ১২২১, ১২২২; ইবনু আব্দুল বারর, আত তামহীদ ৭/২৫৪ আবূ হুরাইরা হতে মারফু’ হিসেবে; এর সনদ সহীহ।

 

এছাড়াও, এর সহীহ শাহিদ রয়েছে, আমরা যার তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬১৮০ তে। আরও দেখুন, বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৫৩৭।

باب فِي فَضْلِ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ

حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ إِسْمَعِيلَ بْنِ مُجَمِّعٍ قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ شِهَابٍ أَنَّ حُمَيْدَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ حَدَّثَهُ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ كَانَ يَقُولُ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ تَعْدِلُ ثُلُثَ الْقُرْآنِ

حدثنا أبو نعيم عن إبراهيم بن إسمعيل بن مجمع قال أخبرني ابن شهاب أن حميد بن عبد الرحمن حدثه أن أبا هريرة كان يقول قل هو الله أحد تعدل ثلث القرآن

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ হুমায়দ ইবনু ‘আবদুর রহমান (রহ.)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৭২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৪. ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ (সুরাহ ইখলাস) এর ফযীলত

৩৪৭২. যির হতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ (সুরাহ ইখলাস: ১) কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমতুল্য।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ আসিম ইবনু আবী নুজুদ এর কারণে হাসান। আর এটি আব্দুল্লাহ’র উপর মাওকুফ।

 

তাখরীজ: দেখুন পরবর্তী হাদীসটি।

باب فِي فَضْلِ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ

أَخْبَرَنَا الْمُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ عَنْ سَلَّامِ بْنِ أَبِي مُطِيعٍ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ زِرٍّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ تَعْدِلُ ثُلُثَ الْقُرْآنِ

أخبرنا المعلى بن أسد عن سلام بن أبي مطيع عن عاصم عن زر عن عبد الله قال قل هو الله أحد تعدل ثلث القرآن

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ যির ইবন হুবায়শ (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৭৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৪. ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ (সুরাহ ইখলাস) এর ফযীলত

৩৪৭৩. (অপর সনদে) যির হতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে অনুরূপ বর্ণিত আছে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদও হাসান।

 

তাখরীজ: নাসাঈ, কুবরা নং ১০৫০৯, ১০৫১১; আবী উবাইদ, ফাযাইলুল কুরআন পৃ. ২৬৮; ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ২৪৩, ২৬২; আব্দুর রহমান ইবনু আহমাদ আর রাযী, ফাযাইলুল কুরআন নং ১০৬ যয়ীফ সনদে; তাবারাণী, কাবীর ১০/১৭২ নং ১০২৪৫, ১০৪৮৪ মারফু’ হিসেবে; তায়ালিসী ২/২৬ নং ১৯৯১; ইবনুস সু্ন্নী, আমলুল ইয়াওমী ওয়াল লাইলাহ নং ৬৯২; তাহাবী, মুশকিলিল আছার নং ২/৮০; বাযযার, বাহরুয যুখ্খার নং ১৮৬৬ যা কাশফুল আস্তার ৩/৮৫ নং ২২৯৮; ইবনু আব্দুল বারর, আত তামহীদ ৭/২২৪-২২৫ মারফু’ হিসেবে সহীহ সনদে। ইবনু মাজাহ, আদাব ৩৭৮৯; আহমাদ ৪/১২২ সহীহ সনদে।…

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৫৭৬; মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৬৬৬ তে।

باب فِي فَضْلِ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ زِرٍّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ مِثْلَهُ

حدثنا عمرو بن عاصم عن حماد بن سلمة عن عاصم عن زر عن عبد الله مثله

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ যির ইবন হুবায়শ (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৭৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৪. ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ (সুরাহ ইখলাস) এর ফযীলত

৩৪৭৪. আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি বললো, আল্লাহর কসম, আমি অবশ্যই এ সূরাহ ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ (সুরাহ ইখলাস: ১)-কে ভালবাসি। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “এ সূরাহ’র ভালবাসাই তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩৩৩৬; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৯৩, ৭৯৪; মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৭৭৪, ১৭৭৫ তে।

 

এছাড়াও, রাযী, ফাযাইলুল কুরআন নং ১০৮; ইবনুস সু্ন্নী, আমলুল ইয়াওমী ওয়াল লাইলাহ নং ৬৯০; ইবনু খুযাইমা নং ৫৩৭; আব্দ ইবনু হুমাইদ, আল মুনতাখাব নং ১৩০৬।

باب فِي فَضْلِ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ

حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا مُبَارَكُ بْنُ فَضَالَةَ حَدَّثَنَا ثَابِتٌ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ رَجُلًا قَالَ وَاللَّهِ إِنِّي لَأُحِبُّ هَذِهِ السُّورَةَ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حُبُّكَ إِيَّاهَا أَدْخَلَكَ الْجَنَّةَ

حدثنا يزيد بن هارون أخبرنا مبارك بن فضالة حدثنا ثابت عن أنس أن رجلا قال والله إني لأحب هذه السورة قل هو الله أحد فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم حبك إياها أدخلك الجنة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৭৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৪. ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ (সুরাহ ইখলাস) এর ফযীলত

৩৪৭৫. হুমাইদ ইবনু আব্দুর রহমান তার মাতা হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে “ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ” (সুরাহ ইখলাস: ১) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তখন তিনি বলেন, “কুরআনের এক তৃতীয়াংশ অথবা তার সমান।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান।

 

তাখরীজ: রাযী, ফাযাইলুল কুরআন নং ১০৭; ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ২৪২; তাবারাণী, কাবীর ২৫/৭৪ নং ১৮২; আওসাত- মাজমাউল বাহরাইন নং ৩৪৩৪; ইবনু আব্দুল বারর, আত তামহীদ ৭/২৫২; আহমাদ ৬/৪০৪; নাসাঈ, কুবরা নং ১০৫৩১।

 

মালিক, কুরআন ১৯, মুরসালরূপে এবং আবূ সাঈদ হতে সহীহ সনদে, আমরা যার তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৯১ তে।…

باب فِي فَضْلِ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُسْلِمٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ شِهَابٍ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أُمِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ عَنْ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ فَقَالَ ثُلُثُ الْقُرْآنِ أَوْ تَعْدِلُهُ

حدثنا عبد الله بن مسلمة حدثنا محمد بن عبد الله بن مسلم عن محمد بن شهاب عن حميد بن عبد الرحمن عن أمه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم سئل عن قل هو الله أحد فقال ثلث القرآن أو تعدله

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ হুমায়দ ইবনু ‘আবদুর রহমান (রহ.)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৭৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৪. ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ (সুরাহ ইখলাস) এর ফযীলত

৩৪৭৬. এক মহিলা আনসারী সূত্রে আবূ আইয়্যুব আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, তিনি সে মহিলার নিকট আগমণ করে বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা নিয়ে এসেছেন, সে দিকে কি তোমরা লক্ষ্য কর না? মহিলা বললো, সম্ভবত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের জন্য কল্যাণই নিয়ে এসেছেন। তবে তা কি? তিনি বললেন, তিনি আমাদের বলেন: “তোমাদের কেউ কি এতে অক্ষম যে, এক রাতে কুরআনের এক তৃতীয়াংশ পড়বে?” তিনি বলেন, আমরা আশংকা করলাম যে, তিনি হয়তো (কুরআন পাঠের) বাড়তি নির্দেশ দিবেন, যা পালন করতে আমরা অক্ষম। ফলে আমরা তাঁর কথার প্রতি উত্তর দিলাম না। এমনকি তিনি তিনবার একথাটি বললেন। এরপর তিনি বললেন, “তোমাদের কেউ কি এতে সক্ষম নয় যে, সে “ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ” (সুরাহ ইখলাস: ১) পাঠ করবে?”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: যদি এ মহিলা সাহাবী হন, তবে এর সনদ সহীহ। আর তা নাহলে এ সনদে অজ্ঞাত পরিচয় রাবী রয়েছে।

 

তাখরীজ: তিরমিযী, ছাওবুল কুরআন নং ২৮৯৮; নাসাঈ, কুবরা নং ১০৫১৪, ১০৫১৬, ১০৫১৭, ১০৫১৯; ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ২৫৪, ২৫৯,২৬৮,; ইবনু আব্দুল বারর, আত তামহীদ ৭/২৫৫-২৫৬। …

 

আমাদের বক্তব্য: হাদীসটি সহীহ। দেখুন, এর শাহিদ হিসেবে আবী সাঈদ খুদরীর হাদীসের উপর আমাদের টীকাটি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১০১৮ তে।

باب فِي فَضْلِ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ إِسْرَائِيلَ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ هِلَالٍ عَنْ الرَّبِيعِ بْنِ خُثَيْمٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى عَنْ امْرَأَةٍ مِنْ الْأَنْصَارِ عَنْ أَبِي أَيُّوبَ قَالَ أَتَاهَا فَقَالَ أَلَا تَرَيْنَ إِلَى مَا جَاءَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ رُبَّ خَيْرٍ قَدْ أَتَانَا بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَا هُوَ قَالَ قَالَ لَنَا أَيَعْجِزُ أَحَدُكُمْ أَنْ يَقْرَأَ ثُلُثَ الْقُرْآنِ فِي لَيْلَةٍ قَالَ فَأَشْفَقْنَا أَنْ يُرِيدَنَا عَلَى أَمْرٍ نَعْجِزُ عَنْهُ فَلَمْ نَرْجِعْ إِلَيْهِ شَيْئًا حَتَّى قَالَهَا ثَلَاثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ قَالَ أَمَا يَسْتَطِيعُ أَحَدُكُمْ أَنْ يَقْرَأَ اللَّهُ الْوَاحِدُ الصَّمَدُ

حدثنا عبيد الله بن موسى عن إسرائيل عن منصور عن هلال عن الربيع بن خثيم عن عمرو بن ميمون عن عبد الرحمن بن أبي ليلى عن امرأة من الأنصار عن أبي أيوب قال أتاها فقال ألا ترين إلى ما جاء به رسول الله صلى الله عليه وسلم قالت رب خير قد أتانا به رسول الله صلى الله عليه وسلم فما هو قال قال لنا أيعجز أحدكم أن يقرأ ثلث القرآن في ليلة قال فأشفقنا أن يريدنا على أمر نعجز عنه فلم نرجع إليه شيئا حتى قالها ثلاث مرات ثم قال أما يستطيع أحدكم أن يقرأ الله الواحد الصمد

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৭৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৪. ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ (সুরাহ ইখলাস) এর ফযীলত

৩৪৭৭. আনাস ইবনু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি “ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ” (সুরাহ ইখলাস: ১) পঞ্চাশবার পাঠ করবে, আল্লাহ তার পঞ্চাশ বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: উম্মু কাছীর আল আনসারীর পরিচয় আমি জানতে পারিনি। অন্যান্য রাবীগণ বিশ্বস্ত।

 

তাখরীজ: ইবনু কাছীর, তাফসীর ৮/৫৪৪ তে একে আবু ইয়ালা মাউসিলী’র প্রতি সম্বোন্ধিত করেছেন। কিন্তু আমি মাউসিলীর কোন কিতাবে পাইনি। এবং মাউসিলীর ছাত্রদের মধ্যে ইবনু হিব্বানের সহীহ তেও পাইনি।

 

তবে তিরমিযী, ছাওবুল কুরআন নং ২৯০০; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৫৪৭, ২৫৪৮; মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩৩৬৫; খতীব, তারীখ বাগদাদ ৬/২০৪ অন্য সনদে আনাস হতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণান করেছেন: “যে ব্যক্তি প্রত্যেক দিন “ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ” (সুরাহ ইখলাস: ১) দু’শবার পাঠ করবে, তার পঞ্চাশ বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।” এর সনদ অত্যন্ত দুর্বল।

 

এছাড়াও, ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ২৬৬; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৫৬৪; খতীব, তারীখ বাগদাদ ৬/১৮৭ তে অপর সুত্রে আনাস হতে, তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন: ““যে ব্যক্তি “ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ” (সুরাহ ইখলাস: ১) দু’শবার পাঠ করবে, তার দু’শ বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।” এর সনদও দুর্বল। এর বক্তব্য মুযতারিব (বিক্ষিপ্ত); এতে অস্বীকৃতি রয়েছে। আল্লাহই ভাল জানেন।

باب فِي فَضْلِ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ عَنْ نُوحِ بْنِ قَيْسٍ عَنْ مُحَمَّدٍ الْعَطَّارِ عَنْ أُمِّ كَثِيرٍ الْأَنْصَارِيَّةِ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ قَرَأَ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ خَمْسِينَ مَرَّةً غَفَرَ اللَّهُ لَهُ ذُنُوبَ خَمْسِينَ سَنَةً

حدثنا نصر بن علي عن نوح بن قيس عن محمد العطار عن أم كثير الأنصارية عن أنس بن مالك قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من قرأ قل هو الله أحد خمسين مرة غفر الله له ذنوب خمسين سنة

 হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ  বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৭৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৫. মু’আওয়িযাতাইন (সুরা ফালাক্ব ও নাস) এর ফযীলত

৩৪৭৮. উক্ববাহ ইবনু আমির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কদমে (তাঁর খিদমাতে) লেগে থাকতাম। এমতাবস্থায় আমি তাঁকে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি আমাকে সূরাহ হুদ ও সুরাহ ইউসূফ শিক্ষা দিন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন: “হে উক্ববাহ! কুরআনের “ক্বুল আউযু বিরব্বিল ফালাক্ব” (সূরাহ ফালাক্ব: ১) এর চেয়ে আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় ও তার নিকট সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ কোনো সূরাহ তুমি কখনো পাঠ করবে না।” বর্ণনাকারী ইয়াযীদ বলেন, (উর্ধ্বতন বর্ণনাকারী) আবূ ইমরান মাগরিবের সালাতে তা পাঠ করা ছাড়তেন না।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আহমাদ ৪/১৫৯, ৫/১৫৫; তাবারাণী, কাবীর ১৭/৩১২ নং ৮৬০, ৮৬২; ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ২৪২; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ১২১৩; মুসলিম, সালাতুল মুসাফিরীন ৮১৪।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৭৩৪, ১৭৩৫, ১৭৩৬; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৯৫, ১৮১৮, ১৮৪২; মুসনাদুল হুমাইদী নং ৮৭৪ তে। এর বর্ণনাগুলি বিভিন্ন রকমের।

 

এছাড়াও, ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ২৮২-২৮৯; আবী উবাইদ, ফাযাইলুল কুরআন পৃ. ২৭১; ইবনুস সু্ন্নী, আমলুল ইয়াওমী ওয়াল লাইলাহ নং ৬৯৬।

باب فِي فَضْلِ الْمُعَوِّذَتَيْنِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا حَيْوَةُ وَابْنُ لَهِيعَةَ قَالَا سَمِعْنَا يَزِيدَ بْنَ أَبِي حَبِيبٍ يَقُولُ حَدَّثَنِي أَبُو عِمْرَانَ أَنَّهُ سَمِعَ عُقْبَةَ بْنَ عَامِرٍ يَقُولُ تَعَلَّقْتُ بِقَدَمِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَقْرِئْنِي سُورَةَ هُودٍ وَسُورَةَ يُوسُفَ فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا عُقْبَةُ إِنَّكَ لَنْ تَقْرَأَ مِنْ الْقُرْآنِ سُورَةً أَحَبَّ إِلَى اللَّهِ وَلَا أَبْلَغَ عِنْدَهُ مِنْ قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ قَالَ يَزِيدُ فَلَمْ يَكُنْ أَبُو عِمْرَانَ يَدَعُهَا كَانَ لَا يَزَالُ يَقْرَؤُهَا فِي صَلَاةِ الْمَغْرِبِ

حدثنا عبد الله بن يزيد حدثنا حيوة وابن لهيعة قالا سمعنا يزيد بن أبي حبيب يقول حدثني أبو عمران أنه سمع عقبة بن عامر يقول تعلقت بقدم رسول الله صلى الله عليه وسلم فقلت يا رسول الله أقرئني سورة هود وسورة يوسف فقال لي رسول الله صلى الله عليه وسلم يا عقبة إنك لن تقرأ من القرآن سورة أحب إلى الله ولا أبلغ عنده من قل أعوذ برب الفلق قال يزيد فلم يكن أبو عمران يدعها كان لا يزال يقرؤها في صلاة المغرب

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ উকবাহ ইবনু আমির (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৭৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৫. মু’আওয়িযাতাইন (সুরা ফালাক্ব ও নাস) এর ফযীলত

৩৪৭৯. উক্ববাহ ইবনু আমির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে হাঁটছিলাম। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন: “হে উক্ববাহ! বল। আমি বললাম, আমি কী বলব, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি বলেন, এরপর তিনি আমার কথার জবাবে চুপ থাকলেন। এরপর তিনি আবার বললেন, “হে উক্ববাহ! বল। আমি বললাম, আমি কী বলব, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এরপর তিনি আবার বললেন, “ক্বুল আউযু বিরব্বিল ফালাক্ব” (সূরাহ ফালাক্ব: ১) এরপর আমি এর শেষ পর্যন্ত পাঠ করলাম। সে সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: “এর অনুরূপ কোন প্রার্থনাকারীর প্রার্থনা এবং কোন আশ্রয় প্রার্থনাকারীর আশ্রয় প্রার্থনা নেই।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান মুহাম্মদ ইবনু ইজলান এর কারণে; তবে হাদীসটি সহীহ।

 

তাখরীজ: নাসাঈ, আল ইসতিয়াযাহ ৮/২৫৪; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৫৬৪। আগের ও পরের হাদীসটি দেখুন।

باب فِي فَضْلِ الْمُعَوِّذَتَيْنِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنَا لَيْثٌ عَنْ ابْنِ عَجْلَانَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ أَنَّ عُقْبَةَ بْنَ عَامِرٍ قَالَ مَشَيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لِي قُلْ يَا عُقْبَةُ فَقُلْتُ أَيَّ شَيْءٍ أَقُولُ قَالَ فَسَكَتَ عَنِّي ثُمَّ قَالَ يَا عُقْبَةُ قُلْ فَقُلْتُ أَيَّ شَيْءٍ أَقُولُ قَالَ قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ فَقَرَأْتُهَا حَتَّى جِئْتُ عَلَى آخِرِهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَ ذَلِكَ مَا سَأَلَ سَائِلٌ وَلَا اسْتَعَاذَ مُسْتَعِيذٌ بِمِثْلِهَا

حدثنا أحمد بن عبد الله حدثنا ليث عن ابن عجلان عن سعيد بن أبي سعيد المقبري أن عقبة بن عامر قال مشيت مع النبي صلى الله عليه وسلم فقال لي قل يا عقبة فقلت أي شيء أقول قال فسكت عني ثم قال يا عقبة قل فقلت أي شيء أقول قال قل أعوذ برب الفلق فقرأتها حتى جئت على آخرها فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم عند ذلك ما سأل سائل ولا استعاذ مستعيذ بمثلها

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ উকবাহ ইবনু আমির (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪৮০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৫. মু’আওয়িযাতাইন (সুরা ফালাক্ব ও নাস) এর ফযীলত

৩৪৮০. উকবা ইবনু আমির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “আমার উপরে এমন কতক আয়াত নাযিল করা হয়েছে যার মত আর কখনও দেখিনি কিংবা দেখা যায় নি । অর্থাৎ তা হল ’মু-আববিযাতাইন’।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: মুসলিম, সালাতুল মুসাফিরীন ৮১৪; নাসাঈ, আল ইসতিয়াযাহ ৮/২৫৪; ফাযাইলুল কুরআন নং ৫৫।আগের হাদীস দু’টি দেখুন।

باب فِي فَضْلِ الْمُعَوِّذَتَيْنِ

حَدَّثَنَا يَعْلَى حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ هُوَ ابْنُ أَبِي خَالِدٍ عَنْ قَيْسٍ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَقَدْ أُنْزِلَ عَلَيَّ آيَاتٌ لَمْ أَرَ أَوْ لَمْ يُرَ مِثْلَهُنَّ يَعْنِي الْمُعَوِّذَتَيْنِ

حدثنا يعلى حدثنا إسمعيل هو ابن أبي خالد عن قيس عن عقبة بن عامر قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لقد أنزل علي آيات لم أر أو لم ير مثلهن يعني المعوذتين

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ উকবাহ ইবনু আমির (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)