দারেমী স্বপ্ন অধ্যায় হাদিস নং ২১৭৫ – ২২০২

দারেমী স্বপ্ন অধ্যায় হাদিস নং ২১৭৫ – ২২০২

২১৭৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১. আল্লাহ তা’আলার বাণী: “তাদের জন্য দুনিয়ার জীবনে রয়েছে সুসংবাদ।” (ইউনূস: ৬৪)

২১৭৫. উবাদাহ ইবনু ছামিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া নবীয়াল্লাহ! আল্লাহ তা’আলার বাণীর (অর্থ কি?): “তাদের জন্য দুনিয়ার জীবনে রয়েছে সুসংবাদ।” (ইউনূস: ৬৪) তিনি বললেন, “তুমি আমাকে এমন একটি বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে, যা তোমার পূর্বে কেউ কিংবা আমার উম্মাতের কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করেনি।” তিনি বলেন, “এটি হলো সুস্বপ্ন যা কোনো মুসলিম দেখে থাকে, কিংবা তার সম্পর্কে (অন্যকে) দেখানো হয়।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ, যদি আবী সালামাহ উবাদাহ হতে শ্রবণ করেন। ইবনু খিরাশ বলেন, আবী সালামাহ উবাদাহ ইবনু ছামিত হতে কিছু শোনেননি। আল্লাহই ভাল জানেন।

 

তাখরীজ: তাবারী, তাফসীর ১১/ ১৩৩, ১৩৪,১৩৫, ১৩৬; আহমাদ ৫/৩১৫; ইবনু মাজাহ, তা’বীরুর রু’ইয়া ৩৮৯৮; তিরমিযী, রু’ইয়া ২২৭৬; হাকিম ৪/৩৯১ মুনকাতি বা বিচ্ছন্ন সনদে।

 

এর শাহিদ রয়েছে ইবনু আব্বাসের হাদীস সহীহ মুসলিম, সালাত ৪৭৯ তে।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪১৭, ২৩৮৭ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৮৯৬ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৪৯৫। তে।

بَاب فِي قَوْلِهِ تَعَالَى لَهُمْ الْبُشْرَى فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا

أَخْبَرَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا أَبَانُ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ قَالَ قُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ قَوْلُ اللَّهِ لَهُمْ الْبُشْرَى فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا فَقَالَ سَأَلْتَنِي عَنْ شَيْءٍ مَا سَأَلَنِي عَنْهُ أَحَدٌ قَبْلَكَ أَوْ أَحَدٌ مِنْ أُمَّتِي قَالَ هِيَ الرُّؤْيَا الصَّالِحَةُ يَرَاهَا الْمُسْلِمُ أَوْ تُرَى لَهُ

أخبرنا مسلم بن إبراهيم حدثنا أبان حدثنا يحيى عن أبي سلمة عن عبادة بن الصامت قال قلت يا نبي الله قول الله لهم البشرى في الحياة الدنيا فقال سألتني عن شيء ما سألني عنه أحد قبلك أو أحد من أمتي قال هي الرؤيا الصالحة يراها المسلم أو ترى له

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ উবাদা ইব্‌নুস সামিত (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১০. স্বপ্ন অধ্যায় (كتاب الرؤيا)

 ২১৭৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২. মুসলিমের স্বপ্ন নবুওয়াতের ছেচল্লিশ ভাগের এক ভাগ

২১৭৬. উবাদাহ ইবনু ছামিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “মুসলিমের স্বপ্ন নবুওয়াতের ছেচল্লিশ ভাগের এক ভাগ।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: বুখারী, তা’বীর ৬৯৮৭; মুসলিম, রু’ইয়া ২২৬৪;

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩২৩৭ তে। এছাড়াও, ইবনু আবী শাইবা ১১/৫১-৫২ নং ১০৫০২; তায়ালিসী ১/৩৪৯ নং ১৭৮৮; হাইছাম ইবনু কুলাইব, আল মুসনাদ নং ১১৬৭, ১১৬৮।

 

আর আনাসের হাদীসের আমরা তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩৪৩০ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬০৪৩ তে। সনদ সহীহ, আর এটি আগের হাদীসটির পূনরাবৃত্তি।

بَاب فِي رُؤْيَا الْمُسْلِمِ جُزْءٌ مِنْ سِتَّةٍ وَأَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنْ النُّبُوَّةِ

أَخْبَرَنَا الْأَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ رُؤْيَا الْمُؤْمِنِ جُزْءٌ مِنْ سِتَّةٍ وَأَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنْ النُّبُوَّةِ

أخبرنا الأسود بن عامر حدثنا شعبة عن قتادة عن أنس عن عبادة بن الصامت عن النبي صلى الله عليه وسلم قال رؤيا المؤمن جزء من ستة وأربعين جزءا من النبوة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ উবাদা ইব্‌নুস সামিত (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১০. স্বপ্ন অধ্যায় (كتاب الرؤيا)

 ২১৭৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩. নবুওয়াত সমাপ্ত হয়ে গেছে, তবে মুবাশশিরাত বা সুসংবাদ অবশিষ্ট রয়ে গেছে

২১৭৭. উম্মু কুরয আল কা’বিয়াহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: “নবুওয়াত সমাপ্ত হয়ে গেছে, তবে মুবাশশিরাত বা সুসংবাদ অবশিষ্ট রয়ে গেছে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬০৪৭ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৩৫১ তে।

بَاب ذَهَبَتْ النُّبُوَّةُ وَبَقِيَتْ الْمُبَشِّرَاتُ

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي يَزِيدَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ سِبَاعِ بْنِ ثَابِتٍ عَنْ أُمِّ كُرْزٍ الْكَعْبِيَّةِ قَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ ذَهَبَتْ النُّبُوَّةُ وَبَقِيَتْ الْمُبَشِّرَاتُ

حدثنا هارون بن عبد الله حدثنا سفيان بن عيينة عن عبيد الله بن أبي يزيد عن أبيه عن سباع بن ثابت عن أم كرز الكعبية قالت سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ذهبت النبوة وبقيت المبشرات

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ উম্মু কুর্‌য (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১০. স্বপ্ন অধ্যায় (كتاب الرؤيا)

 ২১৭৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪. নাবী (ﷺ)-কে স্বপ্নে দেখা প্রসঙ্গে

২১৭৮. আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি আমাকে স্বপ্নে দেখে, সে যেন (সত্যই) আমাকেই দেখল। কেননা, শয়তান আমার রূপ ধারণ করতে পারে না।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫২৫০ তে। এছাড়াও, ইবনু আবী শাইবা ১১/৫৫ নং ১০৫১৬।

 

এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আবী হুরাইরা ও আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে যা বুখারী বর্ণনা করেছেন। এর তাখরীজ আমরা দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৪৮৮ ও ৩২৮৫ তে। এছাড়া আবী দারদার হাদীসের আমরা তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল হুমাইদী নং ৩৯৫ তে। যেমন জাবিরের হাদীস আমরা তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২২৬২ তে ও আবী জুহাইফাহর হাদীস ৮৮১ নং এ। দেখুন, ইবনু আবী, শাইবা, ১১/৫৫-৫৬।

بَاب فِي رُؤْيَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمَنَامِ

أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ رَآنِي فِي الْمَنَامِ فَقَدْ رَآنِي فَإِنَّ الشَّيْطَانَ لَا يَتَمَثَّلُ مِثْلِي

أخبرنا أبو نعيم حدثنا سفيان عن أبي إسحق عن أبي الأحوص عن عبد الله قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من رآني في المنام فقد رآني فإن الشيطان لا يتمثل مثلي

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ‌ ইব্‌ন মাসউদ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১০. স্বপ্ন অধ্যায় (كتاب الرؤيا)

 ২১৭৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪. নাবী (ﷺ)-কে স্বপ্নে দেখা প্রসঙ্গে

২১৭৯. আবী কাতাদাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি আমাকে স্বপ্নে দেখে, সে যেন প্রকৃতপক্ষে (আমাকে) দেখল।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ

 

তাখরীজ: আহমাদ ৫/৩০৬; বুখারী, তা’বীর ৬৯৯৬; মুসলিম, রু’ইয়া ২২৬৭।

بَاب فِي رُؤْيَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمَنَامِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُصَفَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ عَنْ الزُّبَيْدِيِّ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ رَآنِي فِي الْمَنَامِ فَقَدْ رَأَى الْحَقَّ

أخبرنا محمد بن المصفى حدثنا محمد بن حرب عن الزبيدي عن الزهري عن أبي سلمة عن أبي قتادة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من رآني في المنام فقد رأى الحق

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ কাতাদাহ্ আল-আনসারী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১০. স্বপ্ন অধ্যায় (كتاب الرؤيا)

 ২১৮০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫. যে ব্যক্তি অপছন্দনীয় স্বপ্ন দেখল

২১৮০. আবী কাতাদাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ভাল স্বপ্ন আল্লাহর তরফ হতে হয়ে থাকে। আর মন্দ স্বপ্ন শয়তানের তরফ হতে হয়ে থাকে। কাজেই তোমাদের কেউ যখন ভয়ানক মন্দ স্বপ্ন দেখে তখন সে যেন তার বাম দিকে তিনবার থুথু ফেলে আর শয়তানের ক্ষতি হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চায়। তা হলে এমন স্বপ্ন তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: বুখারী, বাদাউল খালক ৩২৯২; মুসলিম, রু’ইয়া ২২৬১;

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬০৫৯ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৪২৩ তে।

بَاب فِيمَنْ يَرَى رُؤْيَا يَكْرَهُها

أَخْبَرَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ عَنْ يَحْيَى عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الرُّؤْيَا الصَّالِحَةُ مِنْ اللَّهِ وَالْحُلْمُ مِنْ الشَّيْطَانِ فَإِذَا حَلَمَ أَحَدُكُمْ حُلْمًا يَخَافُهُ فَلْيَبْصُقْ عَنْ شِمَالِهِ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ وَلْيَتَعَوَّذْ بِاللَّهِ مِنْ الشَّيْطَانِ فَإِنَّهَا لَا تَضُرُّهُ

أخبرنا أبو المغيرة حدثنا الأوزاعي عن يحيى عن عبد الله بن أبي قتادة عن أبيه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الرؤيا الصالحة من الله والحلم من الشيطان فإذا حلم أحدكم حلما يخافه فليبصق عن شماله ثلاث مرات وليتعوذ بالله من الشيطان فإنها لا تضره

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ কাতাদাহ্ আল-আনসারী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১০. স্বপ্ন অধ্যায় (كتاب الرؤيا)

 ২১৮১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫. যে ব্যক্তি অপছন্দনীয় স্বপ্ন দেখল

২১৮১. আবূ সালামাহ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি এমন স্বপ্ন দেখতাম যা আমাকে রোগাক্রান্ত করে ফেলত। অবশেষে আমি আবূ ক্বাতাদাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-এর নিকট তা বর্ণনা করলে তিনি বলেন, আমি এমন স্বপ্ন দেখতাম যা আমাকে রোগাক্রান্ত করে দিত। অবশেষে আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, “পছন্দনীয় স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়ে থাকে। তাই যখন কেউ পছন্দনীয় কোন স্বপ্ন দেখে তখন সে যেন আল্লাহর প্রশংসা করে এবং এমন লোকের কাছেই বলবে, যাকে সে পছন্দ করে। আর যখন অপছন্দনীয় কোন স্বপ্ন দেখে তখন যেন সে এর ক্ষতি ও শয়তানের ক্ষতি থেকে আল্লাহর আশ্রয় চায় এবং তিনবার থু থু ফেলে আর সে যেন তা কারো কাছে বর্ণনা না করে। তাহলে এ স্বপ্ন তার কোন ক্ষতি করবে না।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: বুখারী, তা’বীর ৭০৪৪; মুসলিম, রু’ইয়া ২২৬১;

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬০৫৮ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৪২২ তে।

بَاب فِيمَنْ يَرَى رُؤْيَا يَكْرَهُها

أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَبْدِ رَبِّهِ بْنِ سَعِيدٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ يَقُولُ إِنْ كُنْتُ لَأَرَى الرُّؤْيَا تُمْرِضُنِي فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِأَبِي قَتَادَةَ قَالَ وَأَنَا إِنْ كُنْتُ لَأَرَى الرُّؤْيَا تُمْرِضُنِي حَتَّى سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ الرُّؤْيَا الصَّالِحَةُ مِنْ اللَّهِ فَإِذَا رَأَى أَحَدُكُمْ مَا يُحِبُّ فَلْيَحْمَدْ اللَّهَ وَلَا يُحَدِّثْ بِهَا إِلَّا مَنْ يُحِبُّ وَإِذَا رَأَى مَا يَكْرَهُ فَلْيَتْفُلْ عَنْ يَسَارِهِ ثَلَاثًا وَلْيَتَعَوَّذْ بِاللَّهِ مِنْ شَرِّهَا وَلَا يُحَدِّثْ بِهَا أَحَدًا فَإِنَّهَا لَنْ تَضُرَّهُ

أخبرنا أبو الوليد حدثنا شعبة عن عبد ربه بن سعيد قال سمعت أبا سلمة بن عبد الرحمن يقول إن كنت لأرى الرؤيا تمرضني فذكرت ذلك لأبي قتادة قال وأنا إن كنت لأرى الرؤيا تمرضني حتى سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول الرؤيا الصالحة من الله فإذا رأى أحدكم ما يحب فليحمد الله ولا يحدث بها إلا من يحب وإذا رأى ما يكره فليتفل عن يساره ثلاثا وليتعوذ بالله من شرها ولا يحدث بها أحدا فإنها لن تضره

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ সালামাহ্ ইবনু আবদুর রাহমান (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১০. স্বপ্ন অধ্যায় (كتاب الرؤيا)

 ২১৮২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৬. স্বপ্ন তিন প্রকার

২১৮২. আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “স্বপ্ন তিন প্রকার: সুস্বপ্ন যা আল্লাহর তরফ হতে সুসংবাদ, শয়তানের তরফ থেকে ভয় দেখানো এবং মানুষ মনে মনে যে কল্পনা করে। তাই যদি কেউ অপছন্দনীয় কিছু দেখে তবে সে যেন তা কারো কাছে বর্ণনা না করে। বরং উঠে যেন (নফল) সালাত আদায় করে নেয়।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: হাদীসটি সহীহ।

 

তাখরীজ: বুখারী, তা’বীর ৭০১৭; মুসলিম, রু’ইয়া ২২৬৩;

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬০৪০। পরবর্তী হাদীসটিও দেখুন।

بَاب الرُّؤْيَا ثَلَاثٌ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ عَنْ مَخْلَدِ بْنِ حُسَيْنٍ عَنْ هِشَامٍ عَنْ ابْنِ سِيرِينَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الرُّؤْيَا ثَلَاثٌ فَالرُّؤْيَا الْحَسَنَةُ بُشْرَى مِنْ اللَّهِ وَالرُّؤْيَا تَحْزِينٌ مِنْ الشَّيْطَانِ وَالرُّؤْيَا مِمَّا يُحَدِّثُ بِهِ الْإِنْسَانُ نَفْسَهُ فَإِذَا رَأَى أَحَدُكُمْ مَا يَكْرَهُهُ فَلَا يُحَدِّثْ بِهِ وَلْيَقُمْ وَلْيُصَلِّ

أخبرنا محمد بن كثير عن مخلد بن حسين عن هشام عن ابن سيرين عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الرؤيا ثلاث فالرؤيا الحسنة بشرى من الله والرؤيا تحزين من الشيطان والرؤيا مما يحدث به الإنسان نفسه فإذا رأى أحدكم ما يكرهه فلا يحدث به وليقم وليصل

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১০. স্বপ্ন অধ্যায় (كتاب الرؤيا)

 ২১৮৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৭. যে ব্যক্তি যত সত্যবাদী তার স্বপ্ন ততো অধিক সত্য হয়ে হয়ে থাকে

২১৮৩. আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) নিকটবর্তী হবে তখন মু’মিনের স্বপ্ন খুব কমই অবাস্তবায়িত থাকবে। যে ব্যক্তি যত সত্যবাদী তার স্বপ্ন ততো অধিক সত্যে পরিণত হবে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: হাদীসটি সহীহ।

 

তাখরীজ: এটি আগের হাদীসটির অংশবিশেষ। সুতরাং পূর্ণ তাখরীজের জন্য সেটি দেখুন। এছাড়াও, হাকিম ৪/৩৯০।

بَاب أَصْدَقُ النَّاسِ رُؤْيَا أَصْدَقُهُمْ حَدِيثًا

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ عَنْ مَخْلَدِ بْنِ حُسَيْنٍ عَنْ هِشَامٍ عَنْ ابْنِ سِيرِينَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا اقْتَرَبَ الزَّمَانُ لَمْ تَكَدْ رُؤْيَا الْمُؤْمِنِ تَكْذِبُ وَأَصْدَقُهُمْ رُؤْيَا أَصْدَقُهُمْ حَدِيثًا

أخبرنا محمد بن كثير عن مخلد بن حسين عن هشام عن ابن سيرين عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا اقترب الزمان لم تكد رؤيا المؤمن تكذب وأصدقهم رؤيا أصدقهم حديثا

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১০. স্বপ্ন অধ্যায় (كتاب الرؤيا)

 ২১৮৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৮. কোনো লোকের জন্য স্বপ্ন বানিয়ে বলা নিষেধ

২১৮৪. আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কেউ যদি মনগড়া (মিথ্যা) স্বপ্ন বর্ণনা করে, কিয়ামতের দিন তাকে (শাস্তি হিসাবে) যবের দানায় গিট লাগাতে বাধ্য করা হবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ।

 

তাখরীজ: আহমাদ ১/৭৬, ৯০, ৯১, ১৩১; তিরমিযী, রু’ইয়া ২২৮২, ২২৮৩; হাকিম ৪/৩৯২; খতীব, তারীখ বাগদাদ ১১/৯৩ হাসান সনদে; আর এর শাহিদ হাদীস রয়েছ্ ইবনু আব্বাস হতে যা বুখারী মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন। আমরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৫৭৭; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৬৮৫, ৫৬৮৬ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৫৪১ তে।

 

তিরমিযী বলেন: এ হাদীসটি হাসান।’ হাকিম বলেন: ‘এ হাদীসের সনদ সহীহ; যদিও তারা উভয়ে বর্ণনা করেননি।’ আর যাহাবী তাঁর বক্তব্যকে খণ্ডন করে বলেন: বরং আব্দুল আ’লাকে আবূ যুর’আ যয়ীফ বলেছেন।’

 

হাফিজ তার ফাতহুল বারী ১২/৪২৮ তে তিরমিযীর রিওয়ায়াত উল্লেখ করে বলে, এর সনদ হাসান।’

بَاب النَّهْيِ عَنْ أَنْ يَحْتَلِمَ الرَّجُلُ رُؤْيَا لَمْ يَرَهَا

أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ عَنْ عَبْدِ الْأَعْلَى عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَلِيٍّ يَرْفَعُ الْحَدِيثَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ كَذَبَ فِي حُلْمِهِ كُلِّفَ عَقْدَ شَعِيرَتَيْنِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ

أخبرنا أبو نعيم حدثنا إسرائيل عن عبد الأعلى عن أبي عبد الرحمن عن علي يرفع الحديث إلى النبي صلى الله عليه وسلم من كذب في حلمه كلف عقد شعيرتين يوم القيامة

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ আলী ইবনু আবী তালিব (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১০. স্বপ্ন অধ্যায় (كتاب الرؤيا)

 ২১৮৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৯. ভোরের স্বপ্ন অধিক সত্যে পরিণত হয়

২১৮৫. আবী সাঈদ আল খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “ভোর বেলার স্বপ্ন সর্বাধিক সত্য হয়।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৩৫৭; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬০৪১ তে।

بَاب أَصْدَقُ الرُّؤْيَا بِالْأَسْحَارِ

أَخْبَرَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ عَنْ دَرَّاجٍ أَبِي السَّمْحِ عَنْ أَبِي الْهَيْثَمِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَصْدَقُ الرُّؤْيَا بِالْأَسْحَارِ

أخبرنا مروان بن محمد حدثنا عبد الله بن وهب عن عمرو بن الحارث عن دراج أبي السمح عن أبي الهيثم عن أبي سعيد الخدري قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم أصدق الرؤيا بالأسحار

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১০. স্বপ্ন অধ্যায় (كتاب الرؤيا)

 ২১৮৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১০. আলিম কিংবা শুভাকাঙ্খী ব্যতীত অন্য কারো নিকট স্বপ্নের ব্যাখ্যা চাওয়া অপছন্দনীয়

২১৮৬. আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “তোমরা আলিম কিংবা শুভাকাঙ্খী ব্যতীত অন্য কারো নিকট স্বপ্ন বর্ণনা করো না।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। ইয়াযীদ ইবনু যারী’ঈ সাঈদের নিকট তাঁর স্মৃতিভ্রষ্ট হওয়ার পূর্বে হাদীস শ্রবণ করেছেন।

 

তাখরীজ: তিরমিযী, রু’ইয়া ২২৮১; তিনি বলেন, এ হাদীস হাসান সহীহ; আবুশ শাইখ, তাবাকাতুল মুহাদ্দিসীন বিআসবাহান নং ৮৪৫; আবু নুয়াইম, যিকরু আখবারু আসবাহান ২/২৪১; তাবারাণী, সাগীর ২/৪৯ যয়ীফ সনদে। পরবর্তী হাদীসটিও দেখুন।

بَاب كَرَاهِيَةِ أَنْ يَعْبُرَ الرُّؤْيَا إِلَّا عَلَى عَالِمٍ أَوْ نَاصِحٍ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ ابْنِ سِيرِينَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ لَا تَقُصُّوا الرُّؤْيَا إِلَّا عَلَى عَالِمٍ أَوْ نَاصِحٍ

أخبرنا محمد بن عبد الله حدثنا يزيد بن زريع حدثنا سعيد عن قتادة عن ابن سيرين عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه كان يقول لا تقصوا الرؤيا إلا على عالم أو ناصح

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১০. স্বপ্ন অধ্যায় (كتاب الرؤيا)

 ২১৮৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১১. স্বপ্ন বর্ণনা না করা হলে তা কার্যকর হয় না

২১৮৭. আবী রাযীন আল উকাইলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি: “স্বপ্নের ব্যাখ্যা না করা পর্যন্ত তা উড়ন্ত পাখির পায়ে ঝুলন্ত জিনিস সদৃশ। তার ব্যাখ্যা করা হলে তা ছিটকে পড়ে যায় (বাস্তবায়িত হয়)।[1]

[1] তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬০৪৯, ৬০৫০, ৬০৫৫ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৭৯৫, ১৭৯৬, ১৭৯৭ তে।

بَاب الرُّؤْيَا لَا تَقَعُ مَا لَمْ تُعَبَّرْ

أَخْبَرَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ قَالَ سَمِعْتُ وَكِيعَ بْنَ عُدُسٍ يُحَدِّثُ عَنْ عَمِّهِ أَبِي رَزِينٍ الْعُقَيْلِيِّ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ الرُّؤْيَا هِيَ عَلَى رِجْلِ طَائِرٍ مَا لَمْ يُحَدَّثْ بِهَا فَإِذَا حُدِّثَ بِهَا وَقَعَتْ

أخبرنا هاشم بن القاسم حدثنا شعبة عن يعلى بن عطاء قال سمعت وكيع بن عدس يحدث عن عمه أبي رزين العقيلي أنه سمع رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول الرؤيا هي على رجل طائر ما لم يحدث بها فإذا حدث بها وقعت

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ রাযীন আল ‘উকায়লী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১০. স্বপ্ন অধ্যায় (كتاب الرؤيا)

 ২১৮৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১২. স্বপ্নে মহান আল্লাহ কে দেখা সম্পর্কে

২১৮৮. আব্দুর রহমান ইবনু আয়িশ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি: “আমি আমার রবকে সর্বোত্তম সূরতে (স্বপ্নে) দেখেছি।” তিনি (মহান আল্লাহ) বললেন: ’মালাউল আ’লা’ (সর্বোচ্চ পরিষদ) কী নিয়ে বিতর্ক করছে?’ তখন আমি বললাম, “হে রব! আপনিই ভাল জানেন।”তিনি বলেন: “অত:পর তিনি তাঁর হাতের তালু[1] আমার উভয় কাঁধের উপর রাখলেন; এমনকি আমি আমার বুকে তাঁর হাতের শীতলতা অনূভব করলাম। এভাবে আমি আসমান ও যমীনসমূহে যা রয়েছে তা জানতে পারলাম। একথা বলে তিনি তিলাওয়াত করলেন: “এভাবে আমরা ইবরহীমকে আসমান ও যমিনসমূহের মুলুকিয়াত বা রাজত্ব দর্শন করালাম, যাতে সে দৃঢ় বিশ্বাসীদের অন্তর্ভূক্ত হতে পারে।[2] সূরা আন’আম ৫৭।”

[1] এ হাদীসটি সিফাত বা আল্লাহর গুণাবলী সংক্রান্ত হাদীসের অন্তর্ভুক্ত, ফলে আমাদের জন্য এর তাশবীহ ও তামছীল ও তা’বীল (সাদৃশ্য ও উপমা ও ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ) ছাড়াই এর বাহ্যিক অর্থের উপর সামগ্রিকভাবে ঈমান আনা ওয়াজিব। আর একে প্রত্যাখ্যান করা কিংবা ব্যাখ্যা করা ঠিক নয়।

 

((এরপর মুহাক্বিক্ব এবং সাহাবী ও তাবি’ঈগণের এবং সালাফদের মধ্যে বিশেষভাবে ইমাম আহমাদ, ইমাম জুওয়াইনী ইমামুল হারামাঈন-এর মতামত উল্লেখ করেছেন।–অনুবাদক))

 

[2] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ, যদি আব্দুর রহমান ইবনু আয়িশ এর সাহাবী হওয়া সাব্যস্ত হয়।

 

তাখরীজ: আবী আসিম, আস সুন্নাহ নং ৩৮৮, ৪৬৭, আহাদ ওয়াল মাছানী নং ২৫৮৫; ইবনুল জাওযী, আল ইলালুল্ মুতানাহিয়্যাহ ১/৩১ নং ১১; আজুরী, আশ শরীয়াহ পৃ: ৪৩৩; বাইহাকী, আসমা ওয়াস সিফাত পৃ: ২৯৮; হাকিম ১/৫২০; তাবারী, তাফসীর ৭/২৪৭; আহমাদ ১/৩৬৮, ৪/৬৬, ৫/৩৭৮; ইবনু খুযাইমা, আত তাওহীদ নং ৫৫; তিরমিযী, তাফসীর ৩২৩১, ৩২৩২, ৩২৩৩ একটি কে তিরযিমী হাসান সহীহ বলেছেন; তিনি আরও বলেন, ‘আমি এ হাদীস সম্পর্কে মুহাম্মদ ইবনু ইসমাঈল (বুখারী) কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তিনি বলেন, এ হাদীস হাসান সহীহ’।; আবূ ইয়ালা, আল মুসনাদ নং ২৬০৮; তাবারাণী, কাবীর ২০/১০৯ নং ২১৬; হাইছাম ইবনু কুলাইব, আল মুসনাদ নং ১৩৪৪; ইবনু আদী, আল কামিল ৬/২৩৪৪;

 

দারু কুতনী আল ইলাল ৬/৫৭ এ বলেন, এ হাদীসের সনদের বিভিন্নতা আলোচনা করে বলেন, এ ব্যাপারে কোনো সহীহ হাদীস নেই, এর প্রত্যেকটি মুযতারিব (বিক্ষিপ্ত)।’

 

বাইহাকী আসমা ওয়াস সিফাত পৃ: ৩০১ এ বলেন, এ হাদীস সাব্যস্ত হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ রয়েছে।’

 

এ ব্যাপারে সনদের দিক দিয়ে সর্বার্ধিক বিশুদ্ধ হলো মুয়ায রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, ১. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বানী: “এরপর আমার নিকট সকল বিষয় উদ্ভাষিত হয়ে উঠল এবং আমি জেনে নিলাম।”

 

২. “এরপর আমার নিকট সকল বিষয় উদ্ভাষিত হয়ে উঠল এবং আমি তা জেনে নিলাম।”

 

৩. “এরপর আমার নিকট আসমান যমীনের সকল বিষয় উদ্ভাষিত হয়ে উঠল।”

 

৪. “এরপর আমি আসমান যমীনের সকল বিষয় জেনে নিলাম।”

 

৫. “এরপর আমি পুর্ব ও পশ্চিমের মধ্যকার সকল বিষয় জেনে নিলাম।”

 

(অনুবাদকের টীকা: সম্মানিত পাঠক! এখানে মহামতি মুহাক্বিক্ব লম্বা টীকা দিয়েছেন, যার বিষয় বস্তু হলো, কিছু লোক এ হাদীস মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে ‘বাশারিয়াত’ তথা ‘মানুষ’-এর শ্রেণি থেকে বের করে দেয়। কেননা, তাদের নিকট ‘মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পূর্ব ও পরের সকল জ্ঞান পরিবেষ্টন করে আছেন।’ যা ছিল তা তিনি জানেন, যা হবে তাও তিনি জানেন, যা অচিরেই হবে তা তিনি জানেন, ফলে তিনি লাওহ ও কলমের জ্ঞানকেও পরিবেষ্টন করে আছেন।’

 

এ সকল আকীদা পোষণকারীদের খণ্ডণে মুহাক্বিক্ব ইমাম বুসীরী (রহঃ) এর বক্তব্য উদ্ধৃত করেছেন। এরপর আল কুরআন কারীমের অনেক গুলি আয়াত উদ্ধৃত করেছেন, যেখানে মহান আল্লাহ সকল রাসূলকে মানুষ হিসেবে প্রেরণ করার কথা উল্লেখ করেছন। এছাড়া আরও অনেক আয়াত উল্লেখ করেছেন যেখানে ইলমুল গায়িব মহান আল্লাহ নিজের জন্য খাস করেছেন, আসমান ও যমীনের আর কেউ জানেনা, বলে উল্লেখ করেছেন। এসকল আয়াতের মাধ্যমে তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মানবত্ব এবং সকল জ্ঞান পরিবেষ্টন করে থাকার অসম্ভবতা প্রমাণ করেছেন। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে দেখুন, ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লার ইসলামী আকীদা পৃ: ১৯৬-২০৭। এছাড়াও দেখুন, শাইখ ইহসান ইলাহী যহীর রাহিমাহুল্লাহ রচিত আমাদের কর্তৃক অনুদিত ‘আল বেরেলভীয়্যাহ’ বা বেরেলভী মতবাদ’, পৃ; ১৪৩-২০৫।)

 

আর এ হাদীসে যে জ্ঞান দানের কথা বলা হয়েছে: তা কী সম্পর্কিত, এ হাদীসেই তার জবাব রয়েছে, যাতে মহান আল্লাহ’র প্রশ্ন: মালাউল আ’লা কি নিয়ে বিতর্ক করছে? তিনবার এর উত্তরে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনবারই বলেছেন: ‘আমি জানিনা।’ এরপর যখন মহান আল্লাহ তাঁর হাত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাঁধের মাঝে রাখলেন, তখন তিনি কী জানতে পারলেন? তা হলো, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তা’আলার প্রশ্নের উত্তরে বললেন: ‘পাপের কাফ্ফারা, …..।’

 

ফলে এর মাধ্যমে সকল জ্ঞান অবগত হওয়ার আকীদা বাতিল। তবে নাবীদের স্বপ্ন যেহেতু ওহী তাই এ ওহী বর্ণনা করতে হবে।

بَاب فِي رُؤْيَةِ الرَّبِّ تَعَالَى فِي النَّوْمِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُبَارَكِ حَدَّثَنِي الْوَلِيدُ حَدَّثَنِي ابْنُ جَابِرٍ عَنْ خَالِدِ بْنِ اللَّجْلَاجِ وَسَأَلَهُ مَكْحُولٌ أَنْ يُحَدِّثَهُ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَائِشٍ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ رَأَيْتُ رَبِّي فِي أَحْسَنِ صُورَةٍ قَالَ فِيمَ يَخْتَصِمُ الْمَلَأُ الْأَعْلَى فَقُلْتُ أَنْتَ أَعْلَمُ يَا رَبِّ قَالَ فَوَضَعَ كَفَّهُ بَيْنَ كَتِفَيَّ فَوَجَدْتُ بَرْدَهَا بَيْنَ ثَدْيَيَّ فَعَلِمْتُ مَا فِي السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ وَتَلَا وَكَذَلِكَ نُرِي إِبْرَاهِيمَ مَلَكُوتَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ وَلِيَكُونَ مِنْ الْمُوقِنِينَ

أخبرنا محمد بن المبارك حدثني الوليد حدثني ابن جابر عن خالد بن اللجلاج وسأله مكحول أن يحدثه قال سمعت عبد الرحمن بن عائش يقول سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول رأيت ربي في أحسن صورة قال فيم يختصم الملأ الأعلى فقلت أنت أعلم يا رب قال فوضع كفه بين كتفي فوجدت بردها بين ثديي فعلمت ما في السموات والأرض وتلا وكذلك نري إبراهيم ملكوت السموات والأرض وليكون من الموقنين

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১০. স্বপ্ন অধ্যায় (كتاب الرؤيا)

 ২১৮৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১২. স্বপ্নে মহান আল্লাহ কে দেখা সম্পর্কে

২১৮৯. ইবনু সীরীন (রহঃ) বলেন, যে ব্যক্তি স্বপ্নে তার রবকে দেখল, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ। আর এটি ইবনু সীরীণের বক্তব্য।

 

তাখরীজ: ইবনু আদী, কামিল ৭/২৬২২; দেখুন, মীযানুল ই’তিদাল ৪/৪৭৫।

بَاب فِي رُؤْيَةِ الرَّبِّ تَعَالَى فِي النَّوْمِ

أَخْبَرَنَا نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ قُطْبَةَ عَنْ يُوسُفَ عَنْ ابْنِ سِيرِينَ قَالَ مَنْ رَأَى رَبَّهُ فِي الْمَنَامِ دَخَلَ الْجَنَّةَ

أخبرنا نعيم بن حماد عن عبد الحميد بن عبد الرحمن عن قطبة عن يوسف عن ابن سيرين قال من رأى ربه في المنام دخل الجنة

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ ইবনু সীরীন (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১০. স্বপ্ন অধ্যায় (كتاب الرؤيا)

 ২১৯০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৩. স্বপ্নে জামা, কূপ, দুধ, মধূ, ঘি, খেজুর ও অন্যান্য জিনিস দেখা

২১৯০. আবূ সা’ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন, তিনি বলেছেনঃ “একবার আমি নিদ্রাবস্থায় (স্বপ্নে) দেখলাম যে, লোকদেরকে আমার সামনে আনা হচ্ছে। আর তাদের পরণে রয়েছে জামা। কারো জামা বুক পর্যন্ত আর কারো জামা এর নীচ পর্যন্ত। আর ’উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযি.)-কে আমার সামনে আনা হল এমন অবস্থায় যে, তিনি তাঁর জামা (অধিক লম্বা হওয়ায়) টেনে ধরে নিয়ে যাচ্ছিলেন।” আশপাশের সাহাবীগণ আরয করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি এর কী তা’বীর করেছেন? তিনি বললেনঃ (এ জামা অর্থ) দ্বীন।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ। তবে হাদীসটি সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: বুখারী, ঈমান ২৩; মুসলিম, ফাযাইলুস সাহাবাহ ২৩৯০;

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১২৯০; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬৮৯০ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৪২২ তে।

بَاب فِي الْقُمُصِ وَالْبِئْرِ وَاللَّبَنِ وَالْعَسَلِ وَالسَّمْنِ وَالتَّمْرِ وَغَيْرِ ذَلِكَ فِي النَّوْمِ

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ هُوَ ابْنُ سَعْدٍ عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ بَيْنَا إِذَا أَنَا نَائِمٌ رَأَيْتُ النَّاسَ يُعْرَضُونَ عَلَيَّ وَعَلَيْهِمْ قُمُصٌ مِنْهَا مَا يَبْلُغُ الثُّدِيَّ وَمِنْهَا مَا يَبْلُغُ دُونَ ذَلِكَ وَعُرِضَ عَلَيَّ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَعَلَيْهِ قَمِيصٌ يَجُرُّهُ فَقَالَ مَنْ حَوْلَهُ فَمَاذَا تَأَوَّلْتَ ذَلِكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ الدِّينَ

أخبرنا عبد الله بن صالح حدثنا إبراهيم هو ابن سعد عن صالح بن كيسان عن ابن شهاب عن أبي أمامة بن سهل بن حنيف عن أبي سعيد الخدري أنه سمع رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول بينا إذا أنا نائم رأيت الناس يعرضون علي وعليهم قمص منها ما يبلغ الثدي ومنها ما يبلغ دون ذلك وعرض علي عمر بن الخطاب وعليه قميص يجره فقال من حوله فماذا تأولت ذلك يا رسول الله قال الدين

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১০. স্বপ্ন অধ্যায় (كتاب الرؤيا)

 ২১৯১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৩. স্বপ্নে জামা, কূপ, দুধ, মধূ, ঘি, খেজুর ও অন্যান্য জিনিস দেখা

২১৯১. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর জীবদ্দশায় আমি নওজোয়ান অবিবাহিত যুবক ছিলাম এবং আমি মসজিদেই নিদ্রা যেতাম। কোন ব্যক্তি স্বপ্ন দেখলে সকালে তা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে বর্ণনা করতেন। তিনি বলেন, আমি (মনে মনে) বলতাম যে, আমার কী হয়েছে যে, আমি কোনো স্বপ্ন দেখিনা? এরপর (একদিন) আমি স্বপ্ন দেখলাম যেন কিছু লোককে একত্র করে একটি কুপের মধ্যে তাদের পায়ের উপর পাথর নিক্ষেপ করা হচ্ছে। এরপর আমাকে ধরে একটি কুপের নিকট নিয়ে যাওয়া হলো । তখন একজন লোক বলল, এর ডান হাত ধরো। এরপর আমি জেগে উঠলাম। তখন আমার স্বপ্ন আমাকে খুব ভয় ও শংকায় ফেলে দিল।

তারপর আমি এই স্বপ্নের কথা হাফসা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা-এর কাছে বর্ণনা করলাম। হাফসা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা বললেন, তুমি যা দেখেছ, তা কতই না উত্তম! তখন আমি তাঁকে বললাম, আপনি তা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট ব্যক্ত করুন। তখন তিনি তা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে ব্যক্ত করলেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “আব্দুল্লাহ কতই না ভাল লোক! যদি সে রাতে (তাহাজ্জুদ) সালাত আদায় করত!”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান। তবে হাদীসটি সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: বুখারী, সালাত ৪৪০; মুসলিম, ফাযাইলুস সাহাবাহ ২৪৭৯;

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭০৭০। এছাড়াও, আব্দুর রাযযাক, আল মুসান্নাফ নং ১৬৪৫; বাইহাকী, সালাত ১/৫০১; আবূ নুয়াইম, হিলইয়া ১/৩০৩।

بَاب فِي الْقُمُصِ وَالْبِئْرِ وَاللَّبَنِ وَالْعَسَلِ وَالسَّمْنِ وَالتَّمْرِ وَغَيْرِ ذَلِكَ فِي النَّوْمِ

أَخْبَرَنَا أَبُو عَلِيٍّ الْحَنَفِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ هُوَ ابْنُ عُمَرَ عَنْ نَافِعٍ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ قَالَ كُنْتُ فِي عَهْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَا لِي مَبِيتٌ إِلَّا فِي مَسْجِدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَصْبَحَ يَأْتُونَهُ فَيَقُصُّونَ عَلَيْهِ الرُّؤْيَا قَالَ فَقُلْتُ مَا لِي لَا أَرَى شَيْئًا فَرَأَيْتُ كَأَنَّ النَّاسَ يُحْشَرُونَ فَيُرْمَى بِهِمْ عَلَى أَرْجُلِهِمْ فِي رَكِيٍّ فَأُخِذْتُ فَلَمَّا دَنَا إِلَى الْبِئْرِ قَالَ رَجُلٌ خُذُوا بِهِ ذَاتَ الْيَمِينِ فَلَمَّا اسْتَيْقَظْتُ هَمَّتْنِي رُؤْيَايَ وَأَشْفَقْتُ مِنْهَا فَسَأَلْتُ حَفْصَةَ عَنْهَا فَقَالَتْ نِعْمَ مَا رَأَيْتَ فَقُلْتُ لَهَا سَلِي النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلَتْهُ فَقَالَ نِعْمَ الرَّجُلُ عَبْدُ اللَّهِ لَوْ كَانَ يُصَلِّي مِنْ اللَّيْلِ

أخبرنا أبو علي الحنفي حدثنا عبد الله هو ابن عمر عن نافع أن ابن عمر قال كنت في عهد النبي صلى الله عليه وسلم وما لي مبيت إلا في مسجد النبي صلى الله عليه وسلم وكان النبي صلى الله عليه وسلم إذا أصبح يأتونه فيقصون عليه الرؤيا قال فقلت ما لي لا أرى شيئا فرأيت كأن الناس يحشرون فيرمى بهم على أرجلهم في ركي فأخذت فلما دنا إلى البئر قال رجل خذوا به ذات اليمين فلما استيقظت همتني رؤياي وأشفقت منها فسألت حفصة عنها فقالت نعم ما رأيت فقلت لها سلي النبي صلى الله عليه وسلم فسألته فقال نعم الرجل عبد الله لو كان يصلي من الليل

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১০. স্বপ্ন অধ্যায় (كتاب الرؤيا)

 ২১৯২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৩. স্বপ্নে জামা, কূপ, দুধ, মধূ, ঘি, খেজুর ও অন্যান্য জিনিস দেখা

২১৯২. (অপর সূত্রে) ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে এ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আর তখন আমি ঘুমালে সকাল হওয়ার আগে উঠতাম না।(বর্ণনাকারী) নাফি’ বলেন, (এরপর হতে) ইবনু উমার রাতে সালাত আদায় করতেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ জাইয়্যেদ বা উত্তম।

 

তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসের পুনরাবৃত্তি। সেখানে এর তাখরীজ দেখুন।

بَاب فِي الْقُمُصِ وَالْبِئْرِ وَاللَّبَنِ وَالْعَسَلِ وَالسَّمْنِ وَالتَّمْرِ وَغَيْرِ ذَلِكَ فِي النَّوْمِ

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ خَالِدٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدٍ الْفَزَارِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ بِهَذَا الْحَدِيثِ قَالَ ابْنُ عُمَرَ وَكُنْتُ إِذَا نِمْتُ لَمْ أَقُمْ حَتَّى أُصْبِحَ قَالَ نَافِعٌ وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يُصَلِّي اللَّيْلَ

حدثنا موسى بن خالد عن إبراهيم بن محمد الفزاري عن عبيد الله عن نافع عن ابن عمر بهذا الحديث قال ابن عمر وكنت إذا نمت لم أقم حتى أصبح قال نافع وكان ابن عمر يصلي الليل

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১০. স্বপ্ন অধ্যায় (كتاب الرؤيا)

 ২১৯৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৩. স্বপ্নে জামা, কূপ, দুধ, মধূ, ঘি, খেজুর ও অন্যান্য জিনিস দেখা

২১৯৩. ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমি বলতে শুনেছিঃ আমি ঘুমে ছিলাম এমন সময় আমার কাছে দুধের একটি পেয়ালা আনা হল। আমি তা থেকে দুধ পান করলাম এবং এতটাই পরিতৃপ্ত হলাম যে, তৃপ্তির চিহ্ন আমার নখে- কিংবা বলেছেন, আমার নখসমূহে দেখতে পেলাম।এরপর এর অবশিষ্ট অংশ উমার ইবন খাত্তাবকে দিলাম। সাহাবীগণ বললেনঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ, আপনি এর কী তা’বীর করেন? তিনি বললেনঃ ইলম।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: বুখারী, ইলম ৮২; মুসলিম, ফাযাইলুস সাহাবাহ ২৩৯১;

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬৮৭৮ তে।

بَاب فِي الْقُمُصِ وَالْبِئْرِ وَاللَّبَنِ وَالْعَسَلِ وَالسَّمْنِ وَالتَّمْرِ وَغَيْرِ ذَلِكَ فِي النَّوْمِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّلْتِ حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ عَنْ يُونُسَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ حَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ بَيْنَا أَنَا نَائِمٌ إِذْ أُتِيتُ بِقَدَحٍ مِنْ لَبَنٍ فَشَرِبْتُ مِنْهُ حَتَّى إِنِّي لَأَرَى الرِّيَّ فِي ظُفْرِي أَوْ قَالَ فِي أَظْفَارِي ثُمَّ نَاوَلْتُ فَضْلَهُ عُمَرَ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا أَوَّلْتَهُ قَالَ الْعِلْمَ

أخبرنا محمد بن الصلت حدثنا ابن المبارك عن يونس عن الزهري عن حمزة بن عبد الله بن عمر عن ابن عمر قال سمعت النبي صلى الله عليه وسلم يقول بينا أنا نائم إذ أتيت بقدح من لبن فشربت منه حتى إني لأرى الري في ظفري أو قال في أظفاري ثم ناولت فضله عمر فقالوا يا رسول الله ما أولته قال العلم

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১০. স্বপ্ন অধ্যায় (كتاب الرؤيا)

 ২১৯৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৩. স্বপ্নে জামা, কূপ, দুধ, মধূ, ঘি, খেজুর ও অন্যান্য জিনিস দেখা

২১৯৪. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কতক সাহাবী হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: (স্বপ্নের মধ্যে) দুধ (দেখা) হলো ফিতরাত (এর প্রতীক), নৌকা হলো নাজাত (এর প্রতীক), উট দু:খ-কষ্ট (এর প্রতীক), সবুজ গাছপালা- শাকসবজি জান্নাতের প্রতীক এবং স্ত্রীলোক কল্যাণের প্রতিক।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মাউসিলী, মু’জামুশ শুয়ূখ নং ৩২৪ তে।

بَاب فِي الْقُمُصِ وَالْبِئْرِ وَاللَّبَنِ وَالْعَسَلِ وَالسَّمْنِ وَالتَّمْرِ وَغَيْرِ ذَلِكَ فِي النَّوْمِ

أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ الْمُبَارَكِ أَخْبَرَنَا الْوَلِيدُ حَدَّثَنَا ابْنُ جَابِرٍ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ قَيْسٍ حَدَّثَنِي بَعْضُ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اللَّبَنُ الْفِطْرَةُ وَالسَّفِينَةُ نَجَاةٌ وَالْجَمَلُ حُزْنٌ وَالْخُضْرَةُ الْجَنَّةُ وَالْمَرْأَةُ خَيْرٌ

أخبرنا الحكم بن المبارك أخبرنا الوليد حدثنا ابن جابر حدثني محمد بن قيس حدثني بعض أصحاب النبي صلى الله عليه وسلم قال اللبن الفطرة والسفينة نجاة والجمل حزن والخضرة الجنة والمرأة خير

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১০. স্বপ্ন অধ্যায় (كتاب الرؤيا)

 ২১৯৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৩. স্বপ্নে জামা, কূপ, দুধ, মধূ, ঘি, খেজুর ও অন্যান্য জিনিস দেখা

২১৯৫. ইবনু ’আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক লোক রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবীগণকে বলতেন: “তোমাদের মধ্যে কেউ কোনো স্বপ্ন দেখলে সে যেন তা আমার নিকট বর্ণনা করে যাতে আমি তাকে এর ব্যাখ্যা বলে দিতে পারি।”

তিনি (ইবনু আব্বাস) বলেন, এরপর একজন লোক এসে বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি (স্বপ্নে) আসমান ও যমীনের মাঝে একখন্ড মেঘ দেখলাম, যা থেকে মধু ও ঘি ফোঁটায় ফোঁটায় ঝরছে। আমি আরও দেখলাম, একটা রশি যমীন থেকে আসমান পর্যন্ত মিলে রয়েছে। আমি লোকদেরকে দেখলাম তারা তা থেকে তুলে নিচ্ছে। কেউ অধিক পরিমাণ আবার কেউ কম পরিমাণ। আমি দেখলাম আপনি তা ধরে উপরে উঠছেন। আর আল্লাহ আপনাকে উপরে উঠিয়ে নিলেন। তারপর অন্য এক লোক তা ধরল ও এর সাহায্যে উপরে উঠে গেল। ফলে আল্লাহ তাঁকে উপরে উঠিয়ে নিলেন। আর এরপর আরেক লোক তা ধরে এর দ্বারা উপরে উঠে গেল। ফলে আল্লাহ তাঁকে উপরে উঠিয়ে নিলেন। এরপর আরেক লোক তা ধরল। কিন্তু তা ছিঁড়ে গেল। পুনরায় তা জোড়া লাগানো হলে তা জোড়া লেগে গেল। তখন আবূ বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি অবশ্যই আমাকে এ স্বপ্নের ব্যাখ্যা দেয়ার অনুমতি দিবেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ “তুমি এর ব্যাখ্যা দাও।” আর তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পরে লোকদেরকে স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিতেন।

আবূ বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন, মেঘের ব্যাখ্যা হল ইসলাম। আর তার থেকে যে ঘি ও মধু ঝরছে তা হল কুরআন। (তাতে রয়েছে) মধুর মিষ্টতা ও ঘিয়ের কোমলতা। আর যার তা (মধূ ও ঘি) সংগ্রহ করছিল, কেউ বেশি সংগ্রহ করছে, আর কেউ কম- তারা হলো কুরআন বহনকারী। আসমান থেকে যমীন পর্যন্ত ঝুলন্ত দড়িটি হচ্ছে ঐ হক (মহাসত্য) যার উপর আপনি প্রতিষ্ঠিত রয়েছেন। আপনি তা ধরবেন, আর আল্লাহ্ আপনাকে এর মাধ্যমে সুউচ্চে উঠাবেন। আপনার পরে আরেকজন তা ধরবে। ফলে এর দ্বারা সেও উচ্চে উঠবে। অতঃপর আরেকজন তা ধরে এর মাধ্যমে সে উচ্চে উঠবে। এরপর আকেরজন তা ধরবে। কিন্তু তা ছিঁড়ে যাবে। পুনরায় তা জোড়া লেগে যাবে, ফলে সে এর দ্বারা উচ্চে উঠবে। হে আল্লাহর রাসূল। আমাকে বলুন, আমি ঠিক বলেছি, না ভুল? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ “কিছু ঠিক বলেছ। আর কিছু ভুল বলেছ।” তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর কসম! আপনি অবশ্যই আমাকে বলে দিবেন যা আমি ভুল করেছি। কিন্তু তিনি তা বলতে অস্বীকার করলেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: বুখারী, তা’বীর ৭০০০, ৭০৪৬; মুসলিম, রু’ইয়া ২২৬৯;

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৫৬৫; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১১১ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৫৪৬ তে।

بَاب فِي الْقُمُصِ وَالْبِئْرِ وَاللَّبَنِ وَالْعَسَلِ وَالسَّمْنِ وَالتَّمْرِ وَغَيْرِ ذَلِكَ فِي النَّوْمِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ هُوَ ابْنُ كَثِيرٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ مِمَّا يَقُولُ لِأَصْحَابِهِ مَنْ رَأَى مِنْكُمْ رُؤْيَا فَلْيَقُصَّهَا عَلَيَّ فَأَعْبُرَهَا لَهُ قَالَ فَجَاءَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ رَأَيْتُ ظُلَّةً بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ تَنْطِفُ عَسَلًا وَسَمْنًا وَرَأَيْتُ أُنَاسًا يَتَكَفَّفُونَ مِنْهَا فَمُسْتَكْثِرٌ وَمُسْتَقِلٌّ وَرَأَيْتُ سَبَبًا وَاصِلًا مِنْ السَّمَاءِ إِلَى الْأَرْضِ فَأَخَذْتَ بِهِ فَعَلَوْتَ فَأَعْلَاكَ اللَّهُ ثُمَّ أَخَذَ بِهِ الَّذِي بَعْدَكَ فَعَلَا فَأَعْلَاهُ اللَّهُ ثُمَّ أَخَذَهُ الَّذِي بَعْدَهُ فَعَلَا فَأَعْلَاهُ اللَّهُ ثُمَّ أَخَذَهُ الَّذِي بَعْدَهُ فَقُطِعَ بِهِ ثُمَّ وُصِلَ فَاتَّصَلَ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ يَا رَسُولَ اللَّهِ ائْذَنْ لِي فَأَعْبُرَهَا فَقَالَ اعْبُرْهَا وَكَانَ أَعْبَرَ النَّاسِ لِلرُّؤْيَا بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ أَمَّا الظُّلَّةُ فَالْإِسْلَامُ وَأَمَّا الْعَسَلُ وَالسَّمْنُ فَالْقُرْآنُ حَلَاوَةُ الْعَسَلِ وَلِينُ السَّمْنِ وَأَمَّا الَّذِينَ يَتَكَفَّفُونَ مِنْهُ فَمُسْتَكْثِرٌ وَمُسْتَقِلٌّ فَهُمْ حَمَلَةُ الْقُرْآنِ فَقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَصَبْتَ وَأَخْطَأْتَ فَقَالَ فَمَا الَّذِي أَصَبْتُ وَمَا الَّذِي أَخْطَأْتُ فَأَبَى أَنْ يُخْبِرَهُ

أخبرنا محمد بن كثير حدثنا سليمان هو ابن كثير عن الزهري عن عبيد الله بن عبد الله عن ابن عباس أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان مما يقول لأصحابه من رأى منكم رؤيا فليقصها علي فأعبرها له قال فجاء رجل فقال يا رسول الله رأيت ظلة بين السماء والأرض تنطف عسلا وسمنا ورأيت أناسا يتكففون منها فمستكثر ومستقل ورأيت سببا واصلا من السماء إلى الأرض فأخذت به فعلوت فأعلاك الله ثم أخذ به الذي بعدك فعلا فأعلاه الله ثم أخذه الذي بعده فعلا فأعلاه الله ثم أخذه الذي بعده فقطع به ثم وصل فاتصل فقال أبو بكر يا رسول الله ائذن لي فأعبرها فقال اعبرها وكان أعبر الناس للرؤيا بعد رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال أما الظلة فالإسلام وأما العسل والسمن فالقرآن حلاوة العسل ولين السمن وأما الذين يتكففون منه فمستكثر ومستقل فهم حملة القرآن فقال صلى الله عليه وسلم أصبت وأخطأت فقال فما الذي أصبت وما الذي أخطأت فأبى أن يخبره

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১০. স্বপ্ন অধ্যায় (كتاب الرؤيا)

 ২১৯৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৩. স্বপ্নে জামা, কূপ, দুধ, মধূ, ঘি, খেজুর ও অন্যান্য জিনিস দেখা

২১৯৬. আব্বাস ইবনু আব্দুল মুত্তালিব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি একদিন স্বপ্নে দেখলাম যেন সূর্য- অথবা চন্দ্র- রাবী আবু জা’ফরের সংশয়- ভূ-পৃষ্ঠে নেমে এসেছে। আবার তাকে আসমানের দিকে একটি বিশাল লম্বা রশি দিয়ে টেনে তোলা হচ্ছে। এরপর তা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট বর্ণনা করা হলে তিনি বললেনঃ তা হচ্ছে আপনার ভাতিজার মৃত্যু– অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দ্বারা নিজেকেই বুঝিয়েছন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: বাযযার, কাশফুল আসতার ১/৩৯৭ নং ৮৪৪ উত্তম সনদে; দেখুন, মাজমাউয যাওয়াইদ ৯/২৩-২৪।

بَاب فِي الْقُمُصِ وَالْبِئْرِ وَاللَّبَنِ وَالْعَسَلِ وَالسَّمْنِ وَالتَّمْرِ وَغَيْرِ ذَلِكَ فِي النَّوْمِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مِهْرَانَ حَدَّثَنَا مِسْكِينٌ الْحَرَّانِيُّ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ بُرْقَانَ عَنْ يَزِيدَ بْنِ الْأَصَمِّ عَنْ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَقَالَ رَأَيْتُ فِي الْمَنَامِ كَأَنَّ شَمْسًا أَوْ قَمَرًا شَكَّ أَبُو جَعْفَرٍ فِي الْأَرْضِ تُرْفَعُ إِلَى السَّمَاءِ بِأَشْطَانٍ شِدَادٍ فَذَكَرَ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ ذَاكَ ابْنُ أَخِيكَ يَعْنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَفْسَهُ

أخبرنا محمد بن مهران حدثنا مسكين الحراني عن جعفر بن برقان عن يزيد بن الأصم عن العباس بن عبد المطلب فقال رأيت في المنام كأن شمسا أو قمرا شك أبو جعفر في الأرض ترفع إلى السماء بأشطان شداد فذكر ذلك للنبي صلى الله عليه وسلم فقال ذاك ابن أخيك يعني رسول الله صلى الله عليه وسلم نفسه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আব্বাস ইবনু আবদুল মুত্তালিব (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১০. স্বপ্ন অধ্যায় (كتاب الرؤيا)

 ২১৯৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৩. স্বপ্নে জামা, কূপ, দুধ, মধূ, ঘি, খেজুর ও অন্যান্য জিনিস দেখা

২১৯৭. আবূ মূসা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি স্বপ্নে দেখলাম যে আমি একটি তলোয়ার হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করছি। হঠাৎ তার মাঝখানে ভেঙ্গে গেল। উহুদ যুদ্ধের দিন মুসলিমদের যে বিপদ ঘটেছিল এটা তা-ই। অতঃপর দ্বিতীয় বার তলোয়ারটি হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করলাম তখন সেটি আগের চেয়েও আরো উত্তম হয়ে গেল। এটা হল এই যে, আল্লাহ্ বিজয় দান করলেন এবং মুসলিমগণকে একত্রিত করে দিলেন। আমি স্বপ্নে আরো দেখতে পেলাম, একটি গরু (যবহ হচ্ছে) এবং শুনতে পেলাম আল্লাহ্ যা করেন সবই ভাল। এটাই হল উহুদ যুদ্ধের দিন একদল মু’মিনের (শাহাদাত বরণ)। আর ’খয়ের’ বা কল্যাণ হল- আল্লাহর পক্ষ হতে ঐ সকল কল্যাণই কল্যাণ এবং সত্যবাদিতার পুরস্কার যা আল্লাহ্ আমাদেরকে ’বাদার’ যুদ্ধের পর দান করেছেন।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: বুখারী, মানাকিব ৩৬২২; মুসলিম, রু’ইয়া ২২৭২;

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭২৯৮; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬২৭৫, ৬২৭৬ তে।

بَاب فِي الْقُمُصِ وَالْبِئْرِ وَاللَّبَنِ وَالْعَسَلِ وَالسَّمْنِ وَالتَّمْرِ وَغَيْرِ ذَلِكَ فِي النَّوْمِ

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنْ بَرِيدَ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِي مُوسَى عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ رَأَيْتُ فِي رُؤْيَايَ هَذِهِ أَنِّي هَزَزْتُ سَيْفًا فَانْقَطَعَ صَدْرُهُ فَإِذَا هُوَ مَا أُصِيبَ مِنْ الْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ أُحُدٍ ثُمَّ هَزَزْتُهُ أُخْرَى فَعَادَ كَأَحْسَنِ مَا كَانَ فَإِذَا هُوَ مَا جَاءَ اللَّهُ بِهِ مِنْ الْفَتْحِ وَاجْتِمَاعِ الْمُؤْمِنِينَ وَرَأَيْتُ فِيهَا أَيْضًا بَقَرًا وَاللَّهِ خَيْرٌ فَإِذَا هُوَ النَّفَرُ مِنْ الْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ أُحُدٍ وَإِذَا الْخَيْرُ مَا جَاءَ اللَّهُ بِهِ مِنْ الْخَيْرِ وَثَوَابِ الصِّدْقِ الَّذِي آتَانَا بَعْدَ يَوْمِ بَدْرٍ

أخبرنا عبد الله بن سعيد حدثنا أبو أسامة عن بريد عن أبي بردة عن أبي موسى عن النبي صلى الله عليه وسلم قال رأيت في رؤياي هذه أني هززت سيفا فانقطع صدره فإذا هو ما أصيب من المؤمنين يوم أحد ثم هززته أخرى فعاد كأحسن ما كان فإذا هو ما جاء الله به من الفتح واجتماع المؤمنين ورأيت فيها أيضا بقرا والله خير فإذا هو النفر من المؤمنين يوم أحد وإذا الخير ما جاء الله به من الخير وثواب الصدق الذي آتانا بعد يوم بدر

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ মূসা আল- আশ’আরী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১০. স্বপ্ন অধ্যায় (كتاب الرؤيا)

 ২১৯৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৩. স্বপ্নে জামা, কূপ, দুধ, মধূ, ঘি, খেজুর ও অন্যান্য জিনিস দেখা

২১৯৮. জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি স্বপ্নে দেখলাম যে আমি যেন একটি সুরক্ষিত দুর্গে অবস্থান করছি। আমি আরও দেখছি একটি গরু যবেহ করা হয়েছে। আর আমি সেই দুর্গের অর্থ করলাম মদীনা। আর গরুর অর্থ (মুসলিমগণের) একটি দল। আর আল্লাহই সকল কল্যাণের মালিক। আমরা যদি মদীনায় অবস্থায় করি আর তারা (কাফিরগণ) সেখানে আমাদের নিকট চড়াও হয়, তবে আমরা তাদেরকে হত্যা করব।

তারা বললেন, আল্লাহর কসম! জাহিলী যুগে আমরা যেসবের সাক্ষাত লাভ করেছি, ইসলামেও কি আমরা সেসবের সাক্ষাত লাভ করব?

তিনি বললেন: “সেক্ষেত্রে তোমাদের অবস্থা (সম্পর্কে তোমরাই ভাল জান)।”আনসারদের একজন অপরজনকে বলতে লাগলেন, চলো, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট তাঁর মতামত পূণরায় জানতে চাই। এরপর তারা এসে বললো, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনার ব্যাপার কী? তখন তিনি বললেন, “এখন? কোনো নবীর জন্য এটি শোভনীয় নয় যে, তিনি যখন বর্ম পরিধান করেন, তখন যুদ্ধ না করা পর্যন্ত তা খুলে ফেলবেন।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ।

 

তাখরীজ: আহমাদ ৩/৩৫১; ইবনু সা’দ, তাবাকাত ২/১/৩১-৩২; নাসাঈ, আল কুবরা নং৭৬৪৭। আগের হাদীসটি এর শাহিদও বটে।

بَاب فِي الْقُمُصِ وَالْبِئْرِ وَاللَّبَنِ وَالْعَسَلِ وَالسَّمْنِ وَالتَّمْرِ وَغَيْرِ ذَلِكَ فِي النَّوْمِ

أَخْبَرَنَا الْحَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ رَأَيْتُ كَأَنِّي فِي دِرْعٍ حَصِينَةٍ وَرَأَيْتُ بَقَرًا يُنْحَرُ فَأَوَّلْتُ أَنَّ الدِّرْعَ الْمَدِينَةُ وَأَنَّ الْبَقَرَ نَفَرٌ وَاللَّهِ خَيْرٌ وَلَوْ أَقَمْنَا بِالْمَدِينَةِ فَإِذَا دَخَلُوا عَلَيْنَا قَاتَلْنَاهُمْ فَقَالُوا وَاللَّهِ مَا دُخِلَتْ عَلَيْنَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ أَفَتُدْخَلُ عَلَيْنَا فِي الْإِسْلَامِ قَالَ فَشَأْنَكُمْ إِذًا وَقَالَتْ الْأَنْصَارُ لِبَعْضٍ رَدَدْنَا عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأْيَهُ فَجَاءُوا فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ شَأْنُكَ فَقَالَ الْآنَ إِنَّهُ لَيْسَ لِنَبِيٍّ إِذَا لَبِسَ لَأْمَتَهُ أَنْ يَضَعَهُ حَتَّى يُقَاتِلَ

أخبرنا الحجاج بن منهال حدثنا حماد بن سلمة حدثنا أبو الزبير عن جابر أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال رأيت كأني في درع حصينة ورأيت بقرا ينحر فأولت أن الدرع المدينة وأن البقر نفر والله خير ولو أقمنا بالمدينة فإذا دخلوا علينا قاتلناهم فقالوا والله ما دخلت علينا في الجاهلية أفتدخل علينا في الإسلام قال فشأنكم إذا وقالت الأنصار لبعض رددنا على النبي صلى الله عليه وسلم رأيه فجاءوا فقالوا يا رسول الله شأنك فقال الآن إنه ليس لنبي إذا لبس لأمته أن يضعه حتى يقاتل

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১০. স্বপ্ন অধ্যায় (كتاب الرؤيا)

 ২১৯৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৩. স্বপ্নে জামা, কূপ, দুধ, মধূ, ঘি, খেজুর ও অন্যান্য জিনিস দেখা

২১৯৯. আবী হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন, “স্বপ্নে হাতকড়া দেখাকে আমি অপছন্দ করি এবং পায়ে বেড়ি দেখাকে আমি পছন্দ করি। পায়ে বেড়ি দেখার ব্যাখ্যা হলো দ্বীনের ওপর অবিচল থাকা।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত হাদীসের অংশবিশেষ।

 

তাখরীজ: বুখারী, তা’বীর ৭০১৭; মুসলিম, রু’ইয়া ২২৬৩;

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬০৪০ তে। আর এটি গত হয়েছে আগের হাদীস ২১৮৯, ২১৯০ তে। এছাড়াও, খতীব, ফাসল ওয়াল ওয়াসল ১/২১১-২১২; ইবনু আবী শাইবা ১১/৭৭ নং ১৮৪৪।

بَاب فِي الْقُمُصِ وَالْبِئْرِ وَاللَّبَنِ وَالْعَسَلِ وَالسَّمْنِ وَالتَّمْرِ وَغَيْرِ ذَلِكَ فِي النَّوْمِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الرَّقَاشِيُّ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ أَكْرَهُ الْغُلَّ وَأُحِبُّ الْقَيْدَ الْقَيْدُ ثَبَاتٌ فِي الدِّينِ

أخبرنا محمد بن عبد الله الرقاشي حدثنا يزيد بن زريع حدثنا سعيد عن قتادة عن محمد بن سيرين عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه كان يقول أكره الغل وأحب القيد القيد ثبات في الدين

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১০. স্বপ্ন অধ্যায় (كتاب الرؤيا)

 ২২০০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৩. স্বপ্নে জামা, কূপ, দুধ, মধূ, ঘি, খেজুর ও অন্যান্য জিনিস দেখা

২২০০. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: “আমি স্বপ্নে দেখলাম, এলোমেলো কালো চুল বিশিষ্ট পুতিগন্ধময় এক মহিলা যাকে মদীনা হতে বের করে দেওয়া হয়েছে। এরপর তাকে মাহইয়াহ (জুহফা নামক স্থানে) তে বাসস্থান দেয়া হয়েছে। আমি এ মহিলার অর্থ করলাম মদীনার প্লেগ বা মহামারি যাকে মাহইয়াহর দিকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আহমাদ ২/১৩৭; বুখারী, তা’বীর ৭০৩৮, ৭০৩৯, ৭০৪০। আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৫৮৮৭ তে।

بَاب فِي الْقُمُصِ وَالْبِئْرِ وَاللَّبَنِ وَالْعَسَلِ وَالسَّمْنِ وَالتَّمْرِ وَغَيْرِ ذَلِكَ فِي النَّوْمِ

أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْهَاشِمِيُّ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ رَأَيْتُ فِي الْمَنَامِ امْرَأَةً سَوْدَاءَ ثَائِرَةَ الشَّعْرِ تَفِلَةً أُخْرِجَتْ مِنْ الْمَدِينَةِ فَأُسْكِنَتْ مَهْيَعَةَ فَأَوَّلْتُهَا وَبَاءَ الْمَدِينَةِ يَنْقُلُهَا اللَّهُ إِلَى مَهْيَعَةَ

أخبرنا سليمان بن داود الهاشمي حدثنا ابن أبي الزناد عن موسى بن عقبة عن سالم بن عبد الله عن أبيه قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول رأيت في المنام امرأة سوداء ثائرة الشعر تفلة أخرجت من المدينة فأسكنت مهيعة فأولتها وباء المدينة ينقلها الله إلى مهيعة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১০. স্বপ্ন অধ্যায় (كتاب الرؤيا)

 ২২০১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৩. স্বপ্নে জামা, কূপ, দুধ, মধূ, ঘি, খেজুর ও অন্যান্য জিনিস দেখা

২২০১. জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি স্বপ্নে দেখলাম যে, এক ব্যক্তি আমার নিকট এক টুকরা খেজুর নিয়ে এলো এবং আমি তা খেতে লাগলাম। আর আমি তাতে একটি আঁটি পেলাম, যা আমাকে ব্যথা দিল। এরপর লোকটি আমাকে আরেকটি খেজুরের টুকরা দিল। তখন আমি তাকে বললাম, “তুমি যেটি আমাকে দিয়েছিলে, আমি তাতে একটি আঁটি পেয়েছিলাম যা আমাকে ব্যথা দিয়েছিল। এরপর আমি সেটি খেয়ে ফেললাম।”

তখন আবূ বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন: ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনারতো চোখ ঘুমিয়েছিল (আপনি স্বপ্নে দেখেছেন)। এ হলো সেই সেনাদল যা আপনি পাঠিয়েছিলেন। তারা দু’ দু’বার সাফল্য লাভ করেছে। এ দু’বারেই তারা এমন এক লোককে পেলো যে আপনার ’যিম্মা’ (আশ্রয়/নিরাপত্তা) তালাশ করছে।’তখন (বর্ণনাকারী) বলেন, আমি মুজালিদ (উর্ধ্বতন বর্ণনাকারী) কে বললাম, ’সে আপনার আশ্রয় তালাশ করছে’ –এর অর্থ কী? তিনি বলেন, সে বলছিল: ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।’[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ, মুজালিদ ইবনু সাঈদের কারণে।

 

তাখরীজ: আহমাদ ৩/৩৯৯।

بَاب فِي الْقُمُصِ وَالْبِئْرِ وَاللَّبَنِ وَالْعَسَلِ وَالسَّمْنِ وَالتَّمْرِ وَغَيْرِ ذَلِكَ فِي النَّوْمِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ حَدَّثَنَا عَبِيدَةُ بْنُ الْأَسْوَدِ عَنْ مُجَالِدٍ عَنْ عَامِرٍ عَنْ جَابِرٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ يَوْمًا مِنْ الْأَيَّامِ إِنِّي رَأَيْتُ فِي الْمَنَامِ أَنَّ رَجُلًا أَتَانِي بِكُتْلَةٍ مِنْ تَمْرٍ فَأَكَلْتُهَا فَوَجَدْتُ فِيهَا نَوَاةً فَآذَتْنِي حِينَ مَضَغْتُهَا ثُمَّ أَعْطَانِي كُتْلَةً أُخْرَى فَقُلْتُ إِنَّ الَّذِي أَعْطَيْتَنِي وَجَدْتُ فِيهَا نَوَاةً آذَتْنِي فَأَكَلْتُهَا فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ نَامَتْ عَيْنُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذِهِ السَّرِيَّةُ الَّتِي بَعَثْتَ بِهَا غَنِمُوا مَرَّتَيْنِ كِلْتَاهُمَا وَجَدُوا رَجُلًا يَنْشُدُ ذِمَّتَكَ فَقُلْتُ لِمُجَالِدٍ مَا يَنْشُدُ ذِمَّتَكَ قَالَ يَقُولُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ

أخبرنا محمد بن العلاء حدثنا يحيى بن عبد الرحمن حدثنا عبيدة بن الأسود عن مجالد عن عامر عن جابر عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال يوما من الأيام إني رأيت في المنام أن رجلا أتاني بكتلة من تمر فأكلتها فوجدت فيها نواة فآذتني حين مضغتها ثم أعطاني كتلة أخرى فقلت إن الذي أعطيتني وجدت فيها نواة آذتني فأكلتها فقال أبو بكر نامت عينك يا رسول الله هذه السرية التي بعثت بها غنموا مرتين كلتاهما وجدوا رجلا ينشد ذمتك فقلت لمجالد ما ينشد ذمتك قال يقول لا إله إلا الله

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১০. স্বপ্ন অধ্যায় (كتاب الرؤيا)

 ২২০২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৩. স্বপ্নে জামা, কূপ, দুধ, মধূ, ঘি, খেজুর ও অন্যান্য জিনিস দেখা

২২০২. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, মদীনাবাসী এক মহিলা ছিল যার স্বামী ছিল একজন ব্যবসায়ী। সে (ব্যবসায় লাভের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন স্থানে) বারবার যাতায়াত করতো। আর যখনই তার স্বামী তার কাছ থেকে অনুপস্থিত থাকতো, তখনই সে স্বপ্ন দেখতো। কিন্তু তার গর্ভাবস্থায় তাকে রেখে তার স্বামী খুব কমই বাইরে যেতো। এমতাবস্থায় সে মহিলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বললো: আমার স্বামী ব্যবসা উপলক্ষ্যে বাইরে যাতায়াত করেন। যখন তিনি আমাকে গর্ভাবস্থায় রেখে বাইরে গেলেন, তখন ঘুমন্ত ব্যক্তি যেরূপ (স্বপ্ন) দেখে, আমি তদ্রুপ (স্বপ্নে) দেখলাম যে, আমার ঘরের একটি খুঁটি ভেঙ্গে গিয়েছে এবং আমি একটি কানা সন্তান প্রসব করেছি।

তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: “ভাল। ইন্শা আল্লাহু তা’আলা তোমার স্বামী তোমার নিকট ভালভাবেই ফিরে আসবে এবং তুমি একটি নেককার সন্তান প্রসব করবে।”

এরপর সে এ স্বপ্নটি আরো দু’বার বা তিনবার দেখলো। আর প্রত্যেক বারই সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বলতো এবং তিনি তাকে (একথাই) বলতেন এবং তার স্বামীও ফিরে আসতো। আর সে একটি করে সন্তান প্রসব করতো। এরপর সে পূর্বে যেভাবে আসতো, সেভাবেই একদিন সে মহিলা এলো, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনুপস্থিত ছিলেন। আর সে ঐ স্বপ্নই দেখেছিল। তখন আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, হে আল্লাহর দাসী! তুমি কী ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করবে?

সে বললো, আমি যে স্বপ্ন দেখেছি, তা। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসেন, তখন আমি তাঁকে সেই (স্বপ্নের) ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উত্তম কথা বলেন এবং তিনি যেমন বলেন, তেমনই হয়।

তখন আমি তাকে বললাম, তুমি আমাকে তোমার স্বপ্নে কথা বলো দেখি। সে বললো, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসবেন, তখন আমি তাঁকে আমার স্বপ্নের কথা বলবো, যেমন আগে বলতাম।

কিন্তু আল্লাহর কসম! সে আমাকে তা না বলা পর্যন্ত আমি তাকে ছাড়লাম না। (এরপর যখন সে তার স্বপ্নের কথা বললো) তখন আমি বললাম, আল্লাহর কসম! তোমার স্বপ্ন সত্য হলে, (এর অর্থ) অবশ্যই তোমার স্বামী মারা যাবে এবং তুমি একটি পাপাচারী সন্তান জন্ম দেবে। তখন সে কাঁদতে কাঁদতে বসে পড়লো। সে বলতে লাগলো, আমি তোমার কাছে কেন আমার স্বপ্ন বলতে গেলাম?

তার কান্নারত অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রবেশ করলেন। তখন তিনি তাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, “হে আয়িশা! এর কি হয়েছে?”

আমি তাঁকে তার এ (স্বপ্নের) ঘটনাটি জানালাম এবং আমি এর যে ব্যাখ্যা দিয়েছি তাও বললাম।

তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: “হে আয়িশা! থামো। তুমি কোনো মুসলিমের স্বপ্নের তা’বীর (ব্যাখ্যা) করলে, তার কল্যাণকর ব্যাখ্যা দেবে। কেননা, ব্যাখ্যা দাতা যেখাবে ব্যাখ্যা দেবে, স্বপ্ন সেভাবেই বাস্তবায়িত হবে।”আল্লাহর কসম! এরপর তার স্বামী মৃত্যুবরণ করলো এবং আমি তাকে একটি পাপাচারী সন্তান জন্ম দিতে দেখলাম।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর রাবীগণ বিশ্বস্ত তবে, ইবনু ইসহাক এটি ‘আন আন’ পদ্ধতিতে বর্ণনা করেছেন। তবে হাফিজ তার ফাতহুল বারী ১২/৪৩২ তে বলেছেন: এটি রয়েছে দারেমীতে হাসান সনদে সুলাইমান ইবনু ইয়াসার হতে, তিনি আয়িশা হতে, তিনি বলেন……বলে তিনি এ হাদীসটি বর্ণনা করেন।

 

তাখরীজ: ((মুহাক্বিক্ব এর কোনো তাখরীজ দেননি।–অনুবাদক))

بَاب فِي الْقُمُصِ وَالْبِئْرِ وَاللَّبَنِ وَالْعَسَلِ وَالسَّمْنِ وَالتَّمْرِ وَغَيْرِ ذَلِكَ فِي النَّوْمِ

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ بْنُ يَعِيشَ حَدَّثَنَا يُونُسُ هُوَ ابْنُ بُكَيْرٍ أَخْبَرَنَا ابْنُ إِسْحَقَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ كَانَتْ امْرَأَةٌ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ لَهَا زَوْجٌ تَاجِرٌ يَخْتَلِفُ فَكَانَتْ تَرَى رُؤْيَا كُلَّمَا غَابَ عَنْهَا زَوْجُهَا وَقَلَّمَا يَغِيبُ إِلَّا تَرَكَهَا حَامِلًا فَتَأْتِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَتَقُولُ إِنَّ زَوْجِي خَرَجَ تَاجِرًا فَتَرَكَنِي حَامِلًا فَرَأَيْتُ فِيمَا يَرَى النَّائِمُ أَنَّ سَارِيَةَ بَيْتِي انْكَسَرَتْ وَأَنِّي وَلَدْتُ غُلَامًا أَعْوَرَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْرٌ يَرْجِعُ زَوْجُكِ عَلَيْكِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى صَالِحًا وَتَلِدِينَ غُلَامًا بَرًّا فَكَانَتْ تَرَاهَا مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلَاثًا كُلُّ ذَلِكَ تَأْتِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَقُولُ ذَلِكَ لَهَا فَيَرْجِعُ زَوْجُهَا وَتَلِدُ غُلَامًا فَجَاءَتْ يَوْمًا كَمَا كَانَتْ تَأْتِيهِ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَائِبٌ وَقَدْ رَأَتْ تِلْكَ الرُّؤْيَا فَقُلْتُ لَهَا عَمَّ تَسْأَلِينَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا أَمَةَ اللَّهِ فَقَالَتْ رُؤْيَا كُنْتُ أُرَاهَا فَآتِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَسْأَلُهُ عَنْهَا فَيَقُولُ خَيْرًا فَيَكُونُ كَمَا قَالَ فَقُلْتُ فَأَخْبِرِينِي مَا هِيَ قَالَتْ حَتَّى يَأْتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَعْرِضَهَا عَلَيْهِ كَمَا كُنْتُ أَعْرِضُ فَوَاللَّهِ مَا تَرَكْتُهَا حَتَّى أَخْبَرَتْنِي فَقُلْتُ وَاللَّهِ لَئِنْ صَدَقَتْ رُؤْيَاكِ لَيَمُوتَنَّ زَوْجُكِ وَتَلِدِينَ غُلَامًا فَاجِرًا فَقَعَدَتْ تَبْكِي وَقَالَتْ مَا لِي حِينَ عَرَضْتُ عَلَيْكِ رُؤْيَايَ فَدَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهِيَ تَبْكِي فَقَالَ لَهَا مَا لَهَا يَا عَائِشَةُ فَأَخْبَرْتُهُ الْخَبَرَ وَمَا تَأَوَّلْتُ لَهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَهْ يَا عَائِشَةُ إِذَا عَبَرْتُمْ لِلْمُسْلِمِ الرُّؤْيَا فَاعْبُرُوهَا عَلَى الْخَيْرِ فَإِنَّ الرُّؤْيَا تَكُونُ عَلَى مَا يَعْبُرُهَا صَاحِبُهَا فَمَاتَ وَاللَّهِ زَوْجُهَا وَلَا أُرَاهَا إِلَّا وَلَدَتْ غُلَامًا فَاجِرًا

أخبرنا عبيد بن يعيش حدثنا يونس هو ابن بكير أخبرنا ابن إسحق عن محمد بن عمرو بن عطاء عن سليمان بن يسار عن عائشة زوج النبي صلى الله عليه وسلم قالت كانت امرأة من أهل المدينة لها زوج تاجر يختلف فكانت ترى رؤيا كلما غاب عنها زوجها وقلما يغيب إلا تركها حاملا فتأتي رسول الله صلى الله عليه وسلم فتقول إن زوجي خرج تاجرا فتركني حاملا فرأيت فيما يرى النائم أن سارية بيتي انكسرت وأني ولدت غلاما أعور فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم خير يرجع زوجك عليك إن شاء الله تعالى صالحا وتلدين غلاما برا فكانت تراها مرتين أو ثلاثا كل ذلك تأتي رسول الله صلى الله عليه وسلم فيقول ذلك لها فيرجع زوجها وتلد غلاما فجاءت يوما كما كانت تأتيه ورسول الله صلى الله عليه وسلم غائب وقد رأت تلك الرؤيا فقلت لها عم تسألين رسول الله صلى الله عليه وسلم يا أمة الله فقالت رؤيا كنت أراها فآتي رسول الله صلى الله عليه وسلم فأسأله عنها فيقول خيرا فيكون كما قال فقلت فأخبريني ما هي قالت حتى يأتي رسول الله صلى الله عليه وسلم فأعرضها عليه كما كنت أعرض فوالله ما تركتها حتى أخبرتني فقلت والله لئن صدقت رؤياك ليموتن زوجك وتلدين غلاما فاجرا فقعدت تبكي وقالت ما لي حين عرضت عليك رؤياي فدخل رسول الله صلى الله عليه وسلم وهي تبكي فقال لها ما لها يا عائشة فأخبرته الخبر وما تأولت لها فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم مه يا عائشة إذا عبرتم للمسلم الرؤيا فاعبروها على الخير فإن الرؤيا تكون على ما يعبرها صاحبها فمات والله زوجها ولا أراها إلا ولدت غلاما فاجرا

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১০. স্বপ্ন অধ্যায় (كتاب الرؤيا)

 

Share the Post

Rate the Post

Rating Summary

0.0
0.0 out of 5 stars (based on 0 reviews)
Excellent0%
Very good0%
Average0%
Poor0%
Terrible0%

Latest Reviews

There are no reviews yet. Be the first one to write one.

Latest Book

Scroll to Top