দারেমী শাস্তি অধ্যায় হাদিস নং ২৩৩৫ – ২৩৭০

দারেমী শাস্তি অধ্যায় হাদিস নং ২৩৩৫ – ২৩৭০

২৩৩৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১. তিন ব্যক্তির উপর হতে কলম উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে

২৩৩৫. আয়িশাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহাথেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “তিন ব্যক্তির উপর থেকে কলম উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে: ঘুমন্ত ব্যক্তি যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়; নাবালেগ, যতক্ষণ না সে বালেগ হয় এবং পাগল, যতক্ষণ না সে জ্ঞান ফিরে পায় বা সুস্থ হয়। আর অধস্তন রাবী হাম্মাদ (রহ.)-এর বর্ণনায় আছে : “বিকৃতমস্তিষ্ক ব্যক্তি যতক্ষণ না সে হুঁশ ফিরে পায়।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৪০০ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৪২ ও মাওয়ারিদুয যামআন নং ১৪৯৬ তে। এছাড়াও, ইবনু আবী শাইবা ৫/২৬৮; ইবনু হাযম, আল মুহাল্লা ৮/২৭৯; বাইহাকী, মাকাতীব ১০/৩১৭।

 

((আবূ দাউদ, হুদুদ ৪৩৯৮; তিরমিযী, হুদুদ ১৪২৩; নাসাঈ, তালাক বাব ২১; ইবনু মাজাহ, তালাক ২০৪১; আহমাদ ১/১০১, ১১৮, ১৪০, ১৫৫, ১৫৮।-ফাওয়ায আহমেদের তাহক্বীক্ব, দারেমী হা/২২৯৫ এর টীকা হতে।-অনুবাদক))

بَاب رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلَاثَةٍ

أَخْبَرَنَا عَفَّانُ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ الْأَسْوَدِ عَنْ عَائِشَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلَاثَةٍ عَنْ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ وَعَنْ الصَّغِيرِ حَتَّى يَحْتَلِمَ وَعَنْ الْمَجْنُونِ حَتَّى يَعْقِلَ وَقَدْ قَالَ حَمَّادٌ أَيْضًا وَعَنْ الْمَعْتُوهِ حَتَّى يَعْقِلَ

أخبرنا عفان حدثنا حماد بن سلمة حدثنا حماد عن إبراهيم عن الأسود عن عائشة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال رفع القلم عن ثلاثة عن النائم حتى يستيقظ وعن الصغير حتى يحتلم وعن المجنون حتى يعقل وقد قال حماد أيضا وعن المعتوه حتى يعقل

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৩. শাস্তি অধ্যায় (كتاب الحدود)

 ২৩৩৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২. যার মাধ্যমে কোনো মুসলিমের রক্ত (হত্যা করা) হালাল করে

২৩৩৬. উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি: “এই তিনটি কারণের কোনো একটি ছাড়া কোনো মুসলিম ব্যক্তির রক্ত হালাল নয়- ইসলাম গ্রহণের পর যদি মুরতাদ হয়ে যায়; কিংবা বিবাহ করার পর যিনা করলে বা বা অন্যায়ভাবে যদি কাউকে হত্যা করে আর সে জন্য তাকে হত্যা করা হয়।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আহমাদ নং ৪৩৭, ৪৫২; তার পূত্র আহমাদ, যাওয়াইদ আলাল মুসনাদ নং ৪৩৮; আবূ দাউদ, হুদুদ ৪৫০২; তিরমিযী, ফিতান ২১৫৯; নাসাঈ, তাহরীমুদ দাম ৭/৯১-৯২; ইবনু মাজাহ, হুদুদ ২৫৩৩; তায়ালিসী, মানিহাতুল মা’বুদ ১/২৯০ নং ১৪৭২; ইবনুল জারুদ, আল মুনতাক্বা নং ৮৩৬; তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ৩/১৫৯-১৬০; মুশকিলিল আছার ২/৩২১; ইবনু সা’দ, আত তাবাকাত ৩/১/৪৬; ইবনু আবী আসিম, আল আহাদ ওয়াল মাছানী নং ১৪৯; বাইহাকী, ‍মুরতাদ ৮/১৯৪; আরও দেখুন, ইলালুল হাদীস নং ১৩৫১ এবং পরবর্তী হাদীসটি।

بَاب مَا يَحِلُّ بِهِ دَمُ الْمُسْلِمِ

أَخْبَرَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ عَنْ عُثْمَانَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَا يَحِلُّ دَمُ امْرِئٍ مُسْلِمٍ إِلَّا بِإِحْدَى ثَلَاثٍ بِكُفْرٍ بَعْدَ إِيمَانٍ أَوْ بِزِنًى بَعْدَ إِحْصَانٍ أَوْ يَقْتُلُ نَفْسًا بِغَيْرِ نَفْسٍ فَيُقْتَلُ

أخبرنا أبو النعمان حدثنا حماد بن زيد عن يحيى بن سعيد عن أبي أمامة بن سهل بن حنيف عن عثمان قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول لا يحل دم امرئ مسلم إلا بإحدى ثلاث بكفر بعد إيمان أو بزنى بعد إحصان أو يقتل نفسا بغير نفس فيقتل

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ উসমান ইবন আফফান (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৩. শাস্তি অধ্যায় (كتاب الحدود)

 ২৩৩৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২. যার মাধ্যমে কোনো মুসলিমের রক্ত (হত্যা করা) হালাল করে

২৩৩৭. আবদুল্লাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “কোন মুসলিম ব্যক্তি যদি সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ্ ব্যতীত আর কোন ইলাহ্ নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল, তাহলে তিনটি কারণের কোনো একটি কারণ ছাড়া তাকে হত্যা করা বৈধ নয়। (যথা) জানের বদলে জান, বিবাহিত ব্যভিচারী, আর নিজের দ্বীন ত্যাগকারী মুসলিম জামাআত থেকে পৃথক হয়ে যাওয়া ব্যক্তি।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: বুখারী, দিয়াত ৬৮৭৮; মুসলিম, কাসামাহ ১৬৭৬।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫২০২ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৪০৭, ৪৪০৮ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ১১৯ তে। এছাড়াও, তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ৩/১৬০; মুশকিলিল আছার ২/৩২১; বাইহাকী, মুরতাদ ৮/১৯৪-১৯৫; ইবনু আবী শাইবা ৯/৪১৩ নং ৭৯৫০।

بَاب مَا يَحِلُّ بِهِ دَمُ الْمُسْلِمِ

حَدَّثَنَا يَعْلَى حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُرَّةَ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَحِلُّ دَمُ رَجُلٍ يَشْهَدُ أَنَّ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ إِلَّا أَحَدَ ثَلَاثَةِ نَفَرٍ النَّفْسُ بِالنَّفْسِ وَالثَّيِّبُ الزَّانِي وَالتَّارِكُ لِدِينِهِ الْمُفَارِقُ لِلْجَمَاعَةِ

حدثنا يعلى حدثنا الأعمش عن عبد الله بن مرة عن مسروق عن عبد الله قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا يحل دم رجل يشهد أن لا إله إلا الله وأني رسول الله إلا أحد ثلاثة نفر النفس بالنفس والثيب الزاني والتارك لدينه المفارق للجماعة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ‌ ইব্‌ন মাসউদ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৩. শাস্তি অধ্যায় (كتاب الحدود)

 ২৩৩৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩. চুরি করার পর চোরকে তার চুরি করা মাল দান করা

২৩৩৮. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ সাফওয়ান ইবনু উমাইয়া মসজিদে (তার চাদর মাথার নীচে রেখে) ঘুমাচ্ছিলেন। এক ব্যক্তি এলো, তখনও তিনি ঘুমাচ্ছিলেন। এর সে তার চাদর তার মাথার নিচ থেকে আস্তে আস্তে চুরি করলো। তিনি সেটি খেয়াল করলেন, অত:পর তিনি দৌড় দিয়ে চোরকে ধরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট নিয়ে আসলেন। এরপর বললেন: ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি মসজিদে নিদ্রিত ছিলাম। এ ব্যক্তি এসে আমার মাথার নিচ থেকে আমার চাদরটি উঠিয়ে নিয়ে যায় এবং পরে আমি দৌড়ে তাকে ধরে ফেলি। তখন তিনি তার হাত কাটার আদেশ দান করলেন। তখন সাফওয়ান তাঁকে বললেনঃ ”ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমার চাদরটি এর উপযোগী নয় যে, এর বিনিময়ে একজনের হাত কাটা যেতে পারে। তিনি বললেনঃ “তাকে নিয়ে আমার কাছে আসার আগে কেন একথা মনে করনি?”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ। আশ’আস এর যয়ীফ হওয়ার কারণে। তিনি হলেন ইবনু সিওয়ার। ((তবে এটি অন্যত্র সহীহ সনদেও বর্ণিত হয়েছে যেমন তাখরীজে উল্লেখিত হয়েছে।– অনুবাদক))

 

তাখরীজ: নাসাঈ, কিতাবুস সারিক্ব ৮/৬৮; কুবরা নং ৭৩৬৮, ৭৩৬৯; তাবারাণী, কাবীর ৮/৫৫ নং ৭৩২৬ (সহীহ সনদে), ৭৩২৭ ও ১১/২৭০ নং ১১৩০৭; হাকিম ৪/৩৮০; হাকিম একে সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী তাকে সমর্থন করেছেন; আহমাদ ৬/৪৬৫, ৪৬৬; আবূ দাউদ, হুদুদ ৪৩৯৪; তাহাবী, মুশকিলিল আছার ৩/১৩৫; বুখারী, কাবীর ৪/৩০৪; ইবনুল জারুদ, আল মুনতাক্বা নং ৮২৮; বাইহাকী, সারিকাহ ৮/২৬৫; মিযযী, তাহযীবুল কামাল ৭/৪১৭ হাসান সনদে; আব্দুর রাযযাক নং ১৮৯৩৯; ইবনু আবী শাইবা ১৪/২৩১ নং ১৮১৯০; সাঈদ ইবনু মানসূর, সুনান নং ২৩৫২; মালিক, হুদুদ ২৮; ইবনু মাজাহ, হুদুদ ২৫৯৫।

 

আর এর মুতাবি’আত হাদীস রয়েছে মুহাম্মদ ইবনু আবী হাফসা মালিক হতে মুরসাল হিসেবে আহমাদ ৩/৪০১ ও ৬/৪৬৫; তাবারাণী, কাবীর নং ৭৩৩৮ তে যা একে শক্তিশালী করে। আল্লাহই ভাল জানেন।

بَاب السَّارِقِ يُوهَبُ مِنْهُ السَّرِقَةُ بَعْدَ مَا سَرَقَ

أَخْبَرَنَا سَعْدُ بْنُ حَفْصٍ حَدَّثَنَا شَيْبَانُ عَنْ أَشْعَثَ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ كَانَ صَفْوَانُ بْنُ أُمَيَّةَ نَائِمًا فِي الْمَسْجِدِ فَأَتَاهُ رَجُلٌ وَهُوَ نَائِمٌ فَاسْتَلَّ رِدَاءَهُ مِنْ تَحْتِ رَأْسِهِ فَنَبِهَ بِهِ فَلَحِقَهُ فَأَخَذَهُ فَانْطَلَقَ بِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ كُنْتُ نَائِمًا فِي الْمَسْجِدِ فَأَتَانِي هَذَا فَاسْتَلَّ رِدَائِي مِنْ تَحْتِ رَأْسِي فَلَحِقْتُهُ فَأَخَذْتُهُ فَأَمَرَ بِقَطْعِهِ فَقَالَ لَهُ صَفْوَانُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ رِدَائِي لَمْ يَبْلُغْ أَنْ يُقْطَعَ فِيهِ هَذَا قَالَ فَهَلَّا قَبْلَ أَنْ تَأْتِيَنِي بِهِ

أخبرنا سعد بن حفص حدثنا شيبان عن أشعث عن عكرمة عن ابن عباس قال كان صفوان بن أمية نائما في المسجد فأتاه رجل وهو نائم فاستل رداءه من تحت رأسه فنبه به فلحقه فأخذه فانطلق به إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال يا رسول الله كنت نائما في المسجد فأتاني هذا فاستل ردائي من تحت رأسي فلحقته فأخذته فأمر بقطعه فقال له صفوان يا رسول الله إن ردائي لم يبلغ أن يقطع فيه هذا قال فهلا قبل أن تأتيني به

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৩. শাস্তি অধ্যায় (كتاب الحدود)

 ২৩৩৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪. কী পরিমাণ (মাল চুরির) কারণে হাত কাটা যাবে

২৩৩৯. আয়িশাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “দীনারের চার ভাগের এক ভাগ বা এর অধিক (মূল্যের সম্পদ) চুরি করলে তাতে হাত কাটা যাবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: বুখারী, হুদুদ ৬৭৮৯; মুসলিম, হুদুদ ১৬৮৪।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৪১১ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৪৫৫, ৪৪৫৯, ৪৪৬০ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ২৮১, ২৮২ তে।

بَاب مَا تُقْطَعُ فِيهِ الْيَدُ

أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْهَاشِمِيُّ أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ تُقْطَعُ الْيَدُ فِي رُبْعِ دِينَارٍ فَصَاعِدًا

أخبرنا سليمان بن داود الهاشمي أخبرنا إبراهيم بن سعد عن الزهري عن عمرة بنت عبد الرحمن عن عائشة أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال تقطع اليد في ربع دينار فصاعدا

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৩. শাস্তি অধ্যায় (كتاب الحدود)

 ২৩৪০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪. কী পরিমাণ (মাল চুরির) কারণে হাত কাটা যাবে

২৩৪০. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন দিরহাম মূল্যের একটি ঢাল চুরির জন্য হাত কেটে দেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: বুখারী, হুদুদ ৬৭৯৫; মুসলিম, হুদুদ ১৬৮৬।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৮৩৩ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৪৬১, ৪৪৬২ তে।

بَاب مَا تُقْطَعُ فِيهِ الْيَدُ

أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ أَيُّوبَ وَإِسْمَعِيلَ بْنِ أُمَيَّةَ وَعُبَيْدِ اللَّهِ وَمُوسَى بْنِ عُقْبَةَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَطَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مِجَنٍّ قِيمَتُهُ ثَلَاثَةُ دَرَاهِمَ

أخبرنا أبو نعيم حدثنا سفيان عن أيوب وإسمعيل بن أمية وعبيد الله وموسى بن عقبة عن نافع عن ابن عمر قال قطع رسول الله صلى الله عليه وسلم في مجن قيمته ثلاثة دراهم

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৩. শাস্তি অধ্যায় (كتاب الحدود)

 ২৩৪১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫. শাসকের সামনে ‘হাদ্দ’ (নির্ধারিত শাস্তি)-এর ব্যাপারে সুপারিশ করা প্রসঙ্গে

২৩৪১. আয়িশাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। মাখযূম গোত্রের এক নারী চুরি করে ধরা পড়লে তার বিষয়টি কুরায়শদেরকে অত্যন্ত বিচলিত করে তোলে। তারা বলাবলি করতে লাগলো যে, বিষয়টি নিয়ে কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে কথা বলতে পারে? তারা বলাবলি করলো, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রিয়পাত্র উসামা ইবনু যায়িদ ছাড়া আর কে এমন দুঃসাহস করতে পারে? অতঃপর উসামা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাঁর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “তুমি কি আল্লাহ’র নির্ধারিত হদ্দের ব্যাপারে সুপারিশ করছো?” অতঃপর তিনি দাঁড়িয়ে খুতবা দিলেন এবং বললেনঃ “তোমাদের পূর্ববর্তীরা এ কারণে ধ্বংস হয়েছে যে, তাদের মধ্যকার কোন সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি চুরি করলে তারা তাকে ছেড়ে দিতো এবং কোন দুর্বল অসহায় ব্যক্তি চুরি করলে তাকে শাস্তি দিতো। আল্লাহর শপথ! মুহাম্মাদের কন্যা ফাতেমাও যদি চুরি করতো, তাহলে আমি অবশ্যই তার হাতও কেটে দিতাম।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: বুখারী, ফাযাইলু আসহাবিন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৩৭৩২, ৩৭৩৩; মুসলিম, হুদুদ ১৬৮৮।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৫৪৯ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৪০২ তে।

بَاب فِي الشَّفَاعَةِ فِي الْحَدِّ دُونَ السُّلْطَانِ

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ قُرَيْشًا أَهَمَّهُمْ شَأْنُ الْمَرْأَةِ الْمَخْزُومِيَّةِ الَّتِي سَرَقَتْ فَقَالُوا مَنْ يُكَلِّمُ فِيهَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالُوا وَمَنْ يَجْتَرِئُ عَلَيْهِ إِلَّا أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ حِبُّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَلَّمَهُ أُسَامَةُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتَشْفَعُ فِي حَدٍّ مِنْ حُدُودِ اللَّهِ ثُمَّ قَامَ فَاخْتَطَبَ فَقَالَ إِنَّمَا هَلَكَ الَّذِينَ قَبْلَكُمْ أَنَّهُمْ كَانُوا إِذَا سَرَقَ فِيهِمْ الشَّرِيفُ تَرَكُوهُ وَإِذَا سَرَقَ فِيهِمْ الضَّعِيفُ أَقَامُوا عَلَيْهِ الْحَدَّ وَايْمُ اللَّهِ لَوْ أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ مُحَمَّدٍ سَرَقَتْ لَقَطَعْتُ يَدَهَا

أخبرنا أحمد بن عبد الله حدثنا الليث عن ابن شهاب عن عروة بن الزبير عن عائشة أن قريشا أهمهم شأن المرأة المخزومية التي سرقت فقالوا من يكلم فيها رسول الله صلى الله عليه وسلم قالوا ومن يجترئ عليه إلا أسامة بن زيد حب رسول الله صلى الله عليه وسلم فكلمه أسامة فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم أتشفع في حد من حدود الله ثم قام فاختطب فقال إنما هلك الذين قبلكم أنهم كانوا إذا سرق فيهم الشريف تركوه وإذا سرق فيهم الضعيف أقاموا عليه الحد وايم الله لو أن فاطمة بنت محمد سرقت لقطعت يدها

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৩. শাস্তি অধ্যায় (كتاب الحدود)

 ২৩৪২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৬. চুরির বিষয়ে স্বীকৃতিদানকারী হতে হবে

২৩৪২. আবূ উমাইয়্যা আল মাখযুমী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এক চোরকে উপস্থিত করা হলে সে তার অপরাধের স্বীকারোক্তি করলো। কিন্তু তার কাছে চুরিকৃত মাল পাওয়া গেলো না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ “আমার তো মনে হয় না যে, তুমি চুরি করেছো।” সে বললো, হাঁ (চুরি করেছি)। তিনি আবার বললেনঃ “আমার তো মনে হয় না যে, তুমি চুরি করেছো।” সে বললো, হাঁ (চুরি করেছি)। অতঃপর তিনি বললেন: “একে নিয়ে গিয়ে তার হাত কেটে দাও এরপর তাকে আমার নিকট নিয়ে এসো।” নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (লোকটিকে) বললেনঃ “তুমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর এবং তাঁর কাছে তাওবা কর।” সে বললোঃ ’’আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাঁর কাছে তওবা করছি’’। তখন তিনি বললেনঃ ’’হে আল্লাহ! তুমি তার তওবা কবুল করো। হে আল্লাহ! তুমি তার তওবা কবুল করো।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: (বর্ণনাকারী) আবীল মুনযিরকে নির্ভরযোগ্য বলেছেন-এমন কাউকে আমি পাইনি। অন্যান্য রাবীগণ নির্ভরযোগ্য। ((তবে আবী হুরাইরা হতে এর সহীহ শাহিদ থাকার কারণে এটি সহীহ লিগয়রিহী হওয়ার কথা। আল্লাহই ভাল জানেন।–অনুবাদক))

 

তাখরীজ: তাবারাণী, কাবীর ২২/৩৬০ নং ৯০৫; আহমাদ ৫/২৯৩; আবূ দাউদ, হুদুদ ৪৩৮০; নাসাঈ, কুবরা নং ৭৩৬৩; দাওলাবী, আল কুন্নী ১/১৪; ইবনু মাজাহ, হুদুদ ২৫৯৭; তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ৩/১৬৮-১৬৯; বাইহাকী, আল মা’রিফাহ নং ১৭২২৮; বাইহাকী, সারিকাহ ৮/২৭৬।

 

আর এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আবী হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে হাকিম ৪/৩৮১; দারুকুতনী ৩/১০২; বাইহাকী, সারিকাহ ৮/২৭১ তে; হাকিম একে মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী চুপ থেকেছেন।

 

আমরা বলছি: বরং এর রাবীগণ বুখারী মুসলিমের রাবী। আল্লাহই ভাল জানেন।

بَاب الْمُعْتَرِفِ بِالسَّرِقَةِ

أَخْبَرَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ إِسْحَقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ عَنْ أَبِي الْمُنْذِرِ مَوْلَى أَبِي ذَرٍّ عَنْ أَبِي أُمَيَّةَ الْمَخْزُومِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُتِيَ بِسَارِقٍ اعْتَرَفَ اعْتِرَافًا لَمْ يُوجَدْ مَعَهُ مَتَاعٌ فَقَالَ مَا إِخَالُكَ سَرَقْتَ قَالَ بَلَى قَالَ مَا إِخَالُكَ سَرَقْتَ قَالَ بَلَى قَالَ فَاذْهَبُوا فَاقْطَعُوا يَدَهُ ثُمَّ جِيئُوا بِهِ فَقَطَعُوا يَدَهُ ثُمَّ جَاءُوا بِهِ فَقَالَ اسْتَغْفِرْ اللَّهَ وَتُبْ إِلَيْهِ فَقَالَ أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ فَقَالَ اللَّهُمَّ تُبْ عَلَيْهِ اللَّهُمَّ تُبْ عَلَيْهِ

أخبرنا حجاج بن منهال حدثنا حماد بن سلمة عن إسحق بن عبد الله بن أبي طلحة عن أبي المنذر مولى أبي ذر عن أبي أمية المخزومي أن رسول الله صلى الله عليه وسلم أتي بسارق اعترف اعترافا لم يوجد معه متاع فقال ما إخالك سرقت قال بلى قال ما إخالك سرقت قال بلى قال فاذهبوا فاقطعوا يده ثم جيئوا به فقطعوا يده ثم جاءوا به فقال استغفر الله وتب إليه فقال أستغفر الله وأتوب إليه فقال اللهم تب عليه اللهم تب عليه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ উমায়য়া মাখযূমী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৩. শাস্তি অধ্যায় (كتاب الحدود)

 ২৩৪৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৭. যে সকল ফল-ফলাদি চুরির কারণে হাত কাটা হবে না

২৩৪৩. রাফি’ ইবনু খাদীজ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি: “ফল এবং খেজুর গাছের মজ্জা চুরিতে হাত কাটা নেই।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: তাবারাণী, কাবীর ৪/২৬০ নং ৪৩৩৯। ((আবূ দাউদ, হুদুদ ৪৩৮৮; তিরমিযী, হুদুদ ১৪৪৯; নাসাঈ, ক্বতঈস সারিক্ব ৮/৮৭; ইবনু মাজাহ, হুদুদ ২৫৯৩; মালিক, হুদুদ হা/৩২।- ফাওয়ায আহমেদের তাহক্বীক্ব, দারেমী হা/২৩০৪ এর টীকা হতে।-অনুবাদক))

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৪৬৬ ও মাওয়ারিদুয যামআন নং ১৫০৫ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৪১১ তে।

بَاب مَا لَا يُقْطَعُ فِيهِ مِنْ الثِّمَارِ

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا يَحْيَى هُوَ ابْنُ سَعِيدٍ أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ أَخْبَرَهُ عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَا قَطْعَ فِي ثَمَرٍ وَلَا كَثَرٍ

أخبرنا يزيد بن هارون أخبرنا يحيى هو ابن سعيد أن محمد بن يحيى بن حبان أخبره عن رافع بن خديج قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول لا قطع في ثمر ولا كثر

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ রাফি‘ ইবনু খাদীজ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৩. শাস্তি অধ্যায় (كتاب الحدود)

 ২৩৪৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৭. যে সকল ফল-ফলাদি চুরির কারণে হাত কাটা হবে না

২৩৪৪. (অপর সূত্রে) রাফি’ ইবনু খাদীজ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “ফল এবং খেজুর গাছের মজ্জা চুরিতে হাত কাটা নেই।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ, এ সনদে ‘জাহালত’ বা অজ্ঞাত পরিচয় রাবী রয়েছে।

 

তাখরীজ: নাসাঈ, ক্বতঈস সারিক্ব ৮/৮৮; এটি পূর্বের হাদীসের পূনরাবৃত্তি। পরের হাদীসটি দেখুন।

بَاب مَا لَا يُقْطَعُ فِيهِ مِنْ الثِّمَارِ

حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ مَنْصُورٍ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ عَنْ رَجُلٍ مِنْ قَوْمِهِ عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا قَطْعَ فِي ثَمَرٍ وَلَا كَثَرٍ

حدثنا الحسين بن منصور حدثنا أبو أسامة عن يحيى بن سعيد عن محمد بن يحيى بن حبان عن رجل من قومه عن رافع بن خديج عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لا قطع في ثمر ولا كثر

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ রাফি‘ ইবনু খাদীজ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৩. শাস্তি অধ্যায় (كتاب الحدود)

 ২৩৪৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৭. যে সকল ফল-ফলাদি চুরির কারণে হাত কাটা হবে না

২৩৪৫. (অপর সূত্রে) রাফি’ ইবনু খাদীজ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “ফল এবং খেজুর গাছের মজ্জা চুরিতে হাত কাটা নেই।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: নাসাঈ, ক্বতঈস সারিক্ব ৮/৮৭; এটি পূর্বের হাদীসের পূনরাবৃত্তি।

بَاب مَا لَا يُقْطَعُ فِيهِ مِنْ الثِّمَارِ

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ عَنْ عَمِّهِ وَاسِعِ بْنِ حَبَّانَ عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا قَطْعَ فِي ثَمَرٍ وَلَا كَثَرٍ

أخبرنا إسحق حدثنا وكيع عن سفيان عن يحيى بن سعيد عن محمد بن يحيى بن حبان عن عمه واسع بن حبان عن رافع بن خديج قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا قطع في ثمر ولا كثر

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ রাফি‘ ইবনু খাদীজ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৩. শাস্তি অধ্যায় (كتاب الحدود)

 ২৩৪৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৭. যে সকল ফল-ফলাদি চুরির কারণে হাত কাটা হবে না

২৩৪৬. (অপর সনদে) রাফি’ ইবনু খাদীজ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: নাসাঈ, ক্বতঈস সারিক্ব ৮/৮৭; তাবারাণী, কাবীর ৪/২৬০ নং ৪৩৪০। এটি পূর্বের হাদীসের পূনরাবৃত্তি।

بَاب مَا لَا يُقْطَعُ فِيهِ مِنْ الثِّمَارِ

حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ

حدثنا أبو نعيم حدثنا سفيان عن يحيى بن سعيد عن محمد بن يحيى بن حبان عن رافع بن خديج عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ রাফি‘ ইবনু খাদীজ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৩. শাস্তি অধ্যায় (كتاب الحدود)

 ২৩৪৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৭. যে সকল ফল-ফলাদি চুরির কারণে হাত কাটা হবে না

২৩৪৭. (অপর সূত্রে) রাফি’ ইবনু খাদীজ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি: “ফল এবং খেজুর গাছের মজ্জা চুরিতে হাত কাটা নেই।”

তিনি বলেন, তা হলো খেজুর গাছের মজ্জা। আর ’কাছর’ অর্থ মজ্জা।

بَاب مَا لَا يُقْطَعُ فِيهِ مِنْ الثِّمَارِ

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ وَالثَّقَفِيُّ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَا قَطْعَ فِي ثَمَرٍ وَلَا كَثَرٍ قَالَ وَهُوَ شَحْمُ النَّخْلِ وَالْكَثَرُ الْجُمَّارُ

أخبرنا إسحق حدثنا جرير والثقفي عن يحيى بن سعيد أخبرني محمد بن يحيى بن حبان عن رافع بن خديج قال سمعت النبي صلى الله عليه وسلم يقول لا قطع في ثمر ولا كثر قال وهو شحم النخل والكثر الجمار

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ রাফি‘ ইবনু খাদীজ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৩. শাস্তি অধ্যায় (كتاب الحدود)

 ২৩৪৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৭. যে সকল ফল-ফলাদি চুরির কারণে হাত কাটা হবে না

২৩৪৮. রাফি’ ইবনু খাদীজ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি: “খেজুর গাছের মজ্জা চুরিতে হাত কাটা নেই।”[1] আবূ মুহাম্মদ বলেন: আবূ উসামাহ’র মতই এ বিষয়ে (সঠিক) মত।

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ, এ সনদে ‘জাহালত’ বা অজ্ঞাত পরিচয় রাবী রয়েছে।

 

তাখরীজ: নাসাঈ, ক্বতঈস সারিক্ব ৮/৮৮। আগের হাদীস দেখুন।

بَاب مَا لَا يُقْطَعُ فِيهِ مِنْ الثِّمَارِ

أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ عَنْ أَبِي مَيْمُونٍ عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَا قَطْعَ فِي كَثَرٍ قَالَ أَبُو مُحَمَّد الْقَوْلُ مَا قَالَ أَبُو أُسَامَةَ

أخبرنا سعيد بن منصور حدثنا عبد العزيز بن محمد عن يحيى بن سعيد عن محمد بن يحيى بن حبان عن أبي ميمون عن رافع بن خديج قال سمعت النبي صلى الله عليه وسلم يقول لا قطع في كثر قال أبو محمد القول ما قال أبو أسامة

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ রাফি‘ ইবনু খাদীজ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৩. শাস্তি অধ্যায় (كتاب الحدود)

 ২৩৪৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৮. যে সকল চোরাই মালের কারণে হাত কাটা হবে না

২৩৪৯. জাবির ইবনু আবদুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “লুণ্ঠনকারী, ছিনতাইকারী ও আত্মসাৎকারীর হাত কর্তন করা হবে না।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: হাদীসটি সহীহ।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৪৫৬, ৪৪৫৭, ৪৪৫৮ ও মাওয়ারিদুয যামআন নং ১৫০২, ১৫০৩, ১৫০৪ তে।

 

((আবূ দাউদ, হুদুদ ৪৩৯১; তিরমিযী, হুদুদ ১৪৪৮; নাসাঈ, ক্বতঈস সারিক্ব ৮/৮৮-৮৯; ইবনু মাজাহ, হুদুদ ২৫৯১।- ফাওয়ায আহমেদের তাহক্বীক্ব, দারেমী হা/২৩১০ এর টীকা হতে।-অনুবাদক))

بَاب مَا لَا يُقْطَعُ مِنْ السُّرَّاقِ

أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ قَالَ قَالَ أَبُو الزُّبَيْرِ قَالَ جَابِرٌ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْسَ عَلَى الْمُنْتَهِبِ وَلَا عَلَى الْمُخْتَلِسِ وَلَا عَلَى الْخَائِنِ قَطْعٌ

أخبرنا أبو عاصم عن ابن جريج قال قال أبو الزبير قال جابر قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ليس على المنتهب ولا على المختلس ولا على الخائن قطع

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৩. শাস্তি অধ্যায় (كتاب الحدود)

 ২৩৫০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৯. মদপানের হাদ্দ বা শাস্তি সম্পর্কে

২৩৫০. আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এক ব্যক্তিকে আনা হল। সে মদ পান করেছিল। তখন তিনি তাকে দুইটি খেজুর ডাল দিয়ে (প্রায় চল্লিশ) ঘা মারেন। পরবর্তীতে আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু ও অনুরূপ করেন। এরপর যখন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু খলীফা হলেন তখন তিনি এ বিষয়ে লোকদের সঙ্গে পরামর্শ করেন। আবদুর রহমান ইবন আওফ রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, সর্বনিম্ন হদ্দ হল আশি ঘা বেত মারা। তখন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু এ সংখ্যক হদ্দ কার্যকরী করেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: বুখারী, হুদুদ ৬৭৭৩; মুসলিম, হুদুদ ১৭০৬।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৮৯৪, ৩০১৫, ৩০৫৩, ৩১২৭, ৩২১৯ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৪৪৮, ৪৪৪৯, ৪৪৫০ তে।

بَاب فِي حَدِّ الْخَمْرِ

حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُتِيَ بِرَجُلٍ قَدْ شَرِبَ خَمْرًا فَضَرَبَهُ بِجَرِيدَتَيْنِ ثُمَّ فَعَلَ أَبُو بَكْرٍ مِثْلَ ذَلِكَ فَلَمَّا كَانَ عُمَرُ اسْتَشَارَ النَّاسَ فَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ أَخَفُّ الْحُدُودِ ثَمَانِينَ قَالَ فَفَعَلَ

حدثنا هاشم بن القاسم حدثنا شعبة عن قتادة عن أنس أن النبي صلى الله عليه وسلم أتي برجل قد شرب خمرا فضربه بجريدتين ثم فعل أبو بكر مثل ذلك فلما كان عمر استشار الناس فقال عبد الرحمن بن عوف أخف الحدود ثمانين قال ففعل

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৩. শাস্তি অধ্যায় (كتاب الحدود)

 ২৩৫১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৯. মদপানের হাদ্দ বা শাস্তি সম্পর্কে

২৩৫১. হুসাইন ইবনুল মুনযির (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি উসমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু -এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। এ সময় ওয়ালিদ ইবনু উকবাকে আনা হলো। (সাক্ষ্য-প্রমাণে তার মদ্যপানের অপরাধ প্রমাণিত হলে তিনি ’আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে তার উপর হদ্দ কার্যকর করতে বলেন।) তখন ’আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মদ্যপকে) চল্লিশ বেত্রাঘাত করেছেন, আবূ বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুও চল্লিশ বেত্রাঘাত করেছেন এবং উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আশি বেত্রাঘাত করেছেন। এ সবই সুন্নাত।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: মুসলিম, হুদুদ ১৭০৭।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫০৪, ৪৯৮ তে।

بَاب فِي حَدِّ الْخَمْرِ

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الْمُخْتَارِ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ الدَّانَاجُ حَدَّثَنَا حُضَيْنُ بْنُ الْمُنْذِرِ الرَّقَاشِيُّ قَالَ شَهِدْتُ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ وَأُتِيَ بِالْوَلِيدِ بْنِ عُقْبَةَ فَقَالَ عَلِيٌّ جَلَدَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْبَعِينَ وَجَلَدَ أَبُو بَكْرٍ أَرْبَعِينَ وَعُمَرُ ثَمَانِينَ وَكُلٌّ سُنَّةٌ

حدثنا مسلم بن إبراهيم أخبرنا عبد العزيز بن المختار حدثنا عبد الله الداناج حدثنا حضين بن المنذر الرقاشي قال شهدت عثمان بن عفان وأتي بالوليد بن عقبة فقال علي جلد النبي صلى الله عليه وسلم أربعين وجلد أبو بكر أربعين وعمر ثمانين وكل سنة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৩. শাস্তি অধ্যায় (كتاب الحدود)

 ২৩৫২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১০. মদপান কারীকে যখন চতুর্থবার নিয়ে আসা হবে

২৩৫২. আমর ইবনু শারীদ তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি: “তোমাদের কেউ মদপান করলে তাকে বেত্রাঘাত করো। সে পুনরায় মাদক গ্রহণ করলে তাকে পুনরায় বেত্রাঘাত করো, সে পুনরায় মাদক গ্রহণ করলে তাকে বেত্রাঘাত করো। এরপর সে চতুর্থবার মাদক গ্রহণ করলে তাকে হত্যা করো।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ, আব্দুল্লাহ ইবনু উতবাহ ইবনু উরওয়াহ ইবনু মাসউদ সাকাফীর জীবন বৃন্তান্ত আমি খুঁজে পাইনি। অন্যান্য রাবীগণ বিশ্বস্ত। ((তবে হাদীসটি সহীহ, যেমন তাখরীজে উল্লেখিত হয়েছে।–অনুবাদক))

 

তাখরীজ: নাসাঈ, কুবরা নং ৫৩০১; তাবারাণী, কাবীর ৭/৩১৭ নং ৭২৪৪; আহমাদ ৪/৩৮৮-৩৮৯; হাকিম ৪/৩৭২; হাকিম বলেন: হাদীসটি মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ..।’ এবং যাহাবী তাকে সমর্থন করেছেন। তবে আমরা বলছি: হাদীসটি সহীহ মুসলিমের শর্তানুযায়ী নয়; আর এর সনদ মোটেও সহীহ নয়।

 

তবে এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে আমরা যার তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৪৪৭ ও মাওয়ারিদুয যামআন নং ১৫১৭ তে। ((আবূ দাউদ, হুদুদ ৪৪৮৪; ইবনু মাজাহ, হুদুদ ২৫৭২ (আলবানী (রহঃ) একে সহীহ বলেছেন); আহমাদ ৭৭০৪, ৭৮৫১, ১০১৬৯, ১০৩৫১।-অনুবাদক))

 

এর অপর শাহিদ হাদীস রয়েছে মু’আবি’য়া ইবনু আবু সুফিয়ান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে আমরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭৩৬৩ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৪৪৬ ও মাওয়ারিদুয যামআন নং ১৫১৯ তে। ((তিরমিযী, হুদুদ ১৪৪৪; ইবনু মাজাহ, হুদুদ ২৫৭৩ ,আলবানীর তাহক্বীক্বে হাদীসটি হাসান।-অনুবাদক))

بَاب فِي شَارِبِ الْخَمْرِ إِذَا أُتِيَ بِهِ الرَّابِعَةَ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الرَّقَاشِيُّ حَدَّثَنَا يَزِيدُ هُوَ ابْنُ زُرَيْعٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ هُوَ ابْنُ إِسْحَقَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُتْبَةَ بْنِ عُرْوَةَ بْنِ مَسْعُودٍ الثَّقَفِيُّ عَنْ عَمْرِو بْنِ الشَّرِيدِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ إِذَا شَرِبَ أَحَدُكُمْ فَاضْرِبُوهُ ثُمَّ إِنْ عَادَ فَاضْرِبُوهُ ثُمَّ إِنْ عَادَ فَاضْرِبُوهُ ثُمَّ إِنْ عَادَ الرَّابِعَةَ فَاقْتُلُوهُ

حدثنا محمد بن عبد الله الرقاشي حدثنا يزيد هو ابن زريع حدثنا محمد هو ابن إسحق حدثنا عبد الله بن عتبة بن عروة بن مسعود الثقفي عن عمرو بن الشريد عن أبيه قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول إذا شرب أحدكم فاضربوه ثم إن عاد فاضربوه ثم إن عاد فاضربوه ثم إن عاد الرابعة فاقتلوه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আমর ইবনু শারীদ (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৩. শাস্তি অধ্যায় (كتاب الحدود)

 ২৩৫৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১১. অন্যান্য পাপের ক্ষেত্রে তিরস্কার বা শাসনমুলক শাস্তির পরিমাণ

২৩৫৩. আবূ বুরদা ইবনু নিয়ার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি: “আল্লাহর নির্দিষ্ট হাদ্দসমূহের কোন হাদ্দ ছাড়া অন্য ক্ষেত্রে দশ বেত্রাঘাতের বেশি দন্ড দেয়া যাবে না।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: বুখারী, হুদুদ ৬৮৪৮; মুসলিম, হুদুদ ১৭০৮।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৪৫২, ৪৪৫৩ তে।

بَاب التَّعْزِيرِ فِي الذُّنُوبِ

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ هُوَ ابْنُ أَبِي أَيُّوبَ حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْأَشَجِّ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ هُوَ ابْنُ جَابِرٍ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ بْنِ نِيَارٍ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَا يَحِلُّ لِأَحَدٍ أَنْ يَضْرِبَ أَحَدًا فَوْقَ عَشَرَةِ أَسْوَاطٍ إِلَّا فِي حَدٍّ مِنْ حُدُودِ اللَّهِ

أخبرنا عبد الله بن يزيد حدثنا سعيد هو ابن أبي أيوب حدثني يزيد بن أبي حبيب عن بكير بن عبد الله بن الأشج عن سليمان بن يسار عن عبد الرحمن هو ابن جابر عن أبي بردة بن نيار قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول لا يحل لأحد أن يضرب أحدا فوق عشرة أسواط إلا في حد من حدود الله

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবু বুরদা ইবন নিয়ার (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৩. শাস্তি অধ্যায় (كتاب الحدود)

 ২৩৫৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১২. (যিনাকারী কর্তৃক) যিনার স্বীকারোক্তি

২৩৫৪. জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, বনী আসলাম গোত্রের এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলল যে, সে যিনা করেছে। এরপর সে নিজের বিরূদ্ধে চার বার সাক্ষ্য দিল যে, নিশ্চয় সে যিনা করেছে। ফলে তিনি তাকে রজম (পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা) করার আদেশ দিলেন। আর সে ছিল বিবাহিত।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: বুখারী, নিকাহ ৫২৭০; মুসলিম, হুদুদ ১৬৯১ (১৬)

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩০৯৪, ৪৪৪০ তে।

بَاب الِاعْتِرَافِ بِالزِّنَا

أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي ابْنُ شِهَابٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ جَابِرٍ أَنَّ رَجُلًا مِنْ أَسْلَمَ أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَحَدَّثَهُ أَنَّهُ زَنَى فَشَهِدَ عَلَى نَفْسِهِ أَنَّهُ زَنَى أَرْبَعًا فَأَمَرَ بِرَجْمِهِ وَكَانَ قَدْ أُحْصِنَ

أخبرنا أبو عاصم حدثنا ابن جريج أخبرني ابن شهاب عن أبي سلمة عن جابر أن رجلا من أسلم أتى النبي صلى الله عليه وسلم فحدثه أنه زنى فشهد على نفسه أنه زنى أربعا فأمر برجمه وكان قد أحصن

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৩. শাস্তি অধ্যায় (كتاب الحدود)

 ২৩৫৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১২. (যিনাকারী কর্তৃক) যিনার স্বীকারোক্তি

২৩৫৫. জাবির ইবন সামুরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট মায়িয ইবনু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে আনা হলো। তিনি ছিলেন বেঁটে প্রকৃতির, ইযার পরিহিত, তার গায়ে ছিল কোনো চাদর ছিল না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বামদিকে বালিশে হেলান দেওয়া অবস্থায় ছিলেন। অতঃপর তিনি তার সাথে কথা বললেন। তবে আমি জানিনা তিনি তার সাথে কী কথা বললেন। কারণ, আমি তাঁর থেকে বেশ দূরে ছিলাম, আর আমার ও তাঁর মাঝে কয়েকজন লোক ছিল। যাহোক, এরপর তিনি বললেন, “তোমরা একে নিয়ে গিয়ে রজম করো।”

এরপর তিনি আবার বললেন: “তোমরা তাকে ফিরিয়ে নিয়ে এসো।” অতঃপর তিনি তার সাথে কথা বললেন। আর আমি তাদের কথা শুনছিলাম। তবে (আমি জানিনা তিনি তার সাথে কী কথা বললেন।) কারণ, আর আমার ও তাঁর মাঝে কয়েকজন লোক ছিল। । যাহোক, এরপর তিনি বললেন, “তোমরা একে নিয়ে গিয়ে রজম করো।” এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদের মাঝে দাঁড়িয়ে খুতবা দিলেন এবং আমি তা শুনছিলাম। তিনি বললেন: “আমরা যখনই আল্লাহর পথে জিহাদের উদ্দেশ্যে বের হই তখন তাদের মধ্য হতে কেউ না কেউ পিছনে থেকে যায় এবং পাঁঠার ন্যায় আওয়ায করে বেড়ায়। সে তখন কোন নারীকে অল্পই দুধ প্রদান করে (অর্থাৎ বীর্য্য প্রদান করে তথা ব্যভিচার করে)। আল্লাহ যদি আমাকে তাদের কারো উপর ক্ষমতা প্রদান করেন, তবে নিশ্চয়ই আমি তাকে এমন শাস্তি প্রদান করবো যা (অন্যদের জন্য) দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: মুসলিম, হুদুদ ১৬৯২।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭৪৪৬ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৪৩৬ তে।

بَاب الِاعْتِرَافِ بِالزِّنَا

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ إِسْرَائِيلَ عَنْ سِمَاكٍ أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ سَمُرَةَ يَقُولُ أُتِيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ رَجُلٍ قَصِيرٍ فِي إِزَارٍ مَا عَلَيْهِ رِدَاءٌ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُتَّكِئٌ عَلَى وِسَادَةٍ عَلَى يَسَارِهِ فَكَلَّمَهُ فَمَا أَدْرِي مَا يُكَلِّمُهُ بِهِ وَأَنَا بَعِيدٌ مِنْهُ بَيْنِي وَبَيْنَهُ الْقَوْمُ ثُمَّ قَالَ اذْهَبُوا بِهِ فَارْجُمُوهُ ثُمَّ قَالَ رُدُّوهُ فَكَلَّمَهُ أَيْضًا وَأَنَا أَسْمَعُ غَيْرَ أَنَّ بَيْنِي وَبَيْنَهُ الْقَوْمَ فَقَالَ اذْهَبُوا بِهِ فَارْجُمُوهُ ثُمَّ قَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَخَطَبَ وَأَنَا أَسْمَعُهُ ثُمَّ قَالَ كُلَّمَا نَفَرْنَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ خَلَفَ أَحَدُهُمْ لَهُ نَبِيبٌ كَنَبِيبِ التَّيْسِ يَمْنَحُ إِحْدَاهُنَّ الْكُثْبَةَ مِنْ اللَّبَنِ وَاللَّهِ لَا أَقْدِرُ عَلَى أَحَدٍ مِنْهُمْ إِلَّا نَكَّلْتُ بِهِ

أخبرنا عبيد الله بن موسى عن إسرائيل عن سماك أنه سمع جابر بن سمرة يقول أتي النبي صلى الله عليه وسلم بماعز بن مالك رجل قصير في إزار ما عليه رداء ورسول الله صلى الله عليه وسلم متكئ على وسادة على يساره فكلمه فما أدري ما يكلمه به وأنا بعيد منه بيني وبينه القوم ثم قال اذهبوا به فارجموه ثم قال ردوه فكلمه أيضا وأنا أسمع غير أن بيني وبينه القوم فقال اذهبوا به فارجموه ثم قام النبي صلى الله عليه وسلم فخطب وأنا أسمعه ثم قال كلما نفرنا في سبيل الله خلف أحدهم له نبيب كنبيب التيس يمنح إحداهن الكثبة من اللبن والله لا أقدر على أحد منهم إلا نكلت به

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ জাবির ইবনু সামুরাহ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৩. শাস্তি অধ্যায় (كتاب الحدود)

 ২৩৫৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১২. (যিনাকারী কর্তৃক) যিনার স্বীকারোক্তি

২৩৫৬. আবু হুরাইরা এবং যায়িদ ইবন খালিদ ও শিবলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম থেকে বর্ণিত, তারা বলেন, এক লোক রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বলল, আমি আপনাকে আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি যে, আপনি আমাদের মাঝে আল্লাহর কিতাব অনুসারে হুকুম প্রদান করুন। তখন তার প্রতিপক্ষ অপর ব্যক্তি যে তার চেযে অধিক বুদ্ধিমান ছিল বলল, সত্যিই আপনি আমাদের মাঝে আল্লাহর কিতাব অনুসারে ফায়সালা করুন। তবে এর আগে আমাকে (কথা বলার) অনুমতি প্রদান করুন, ইয়া রাসূলুল্লাহ। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ, বলো । লোকটি বললো, আমার এক ছেলে ঐ ব্যক্তির বাড়িতে চাকর ছিল। আর সে তার স্ত্রীর সঙ্গে ব্যাভিচার করেছে। অতএব, আমি উহার বিনিময়ে প্রদান করলাম একশ, ছাগল ও একটি দাসী। এরপর আমি এ ব্যাপারে আলেমগণের কাছে জিজ্ঞাসা করলাম।

তখন তারা আমাকে বললেনঃ যে, আমার ছেলের উপর একশ বেত্রাঘাত এবং এক বছর কাল নির্বাসনের হুকুম রয়েছে। আর ঐ লোকের স্ত্রীর উপর রজম (পাথর নিক্ষেপ) এর হুকুম কার্যকর হবে। তিনি তখন বললেনঃ “সেই মহান সত্তার শপথ! যার হস্তে আমার জীবন, নিশ্চয়ই আমি তোমাদের মাঝে আল্লাহর কিতাব অনুসারে ফায়সালা করে দেব। সুতরাং দাসী এবং ছাগল তুমি ফিরে পাবে। আর তোমার ছেলের উপর একশ বেত্রাঘাত এবং এক বছরের জন্য নির্বাসনের হুকুম কার্যকর হবে। হে উনাইস! তুমি আগামীকাল প্রতূষ্যে ঐ মহিলার কাছে গমন করবে এবং এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করবে । যদি সে তা স্বীকার করে তবে তাকে রজম (পাথর নিক্ষেপ) করে হত্যা করবে।” রাবী বলেনঃ (পরদিন মহিলাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে) সে তা স্বীকার করলো।অতঃপর তিনি তাকে (মহিলাকে) পাথর মারলেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: বুখারী, ওয়াকাত ২৩১৪, ২৩১৫; মুসলিম, হুদুদ ১৬৯৭, ১৬৯৮।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৪৩৭ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৮৩০ তে।

بَاب الِاعْتِرَافِ بِالزِّنَا

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ وَشِبْلٍ قَالُوا جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ أَنْشُدُكَ اللَّهَ إِلَّا قَضَيْتَ بَيْنَنَا بِكِتَابِ اللَّهِ فَقَالَ خَصْمُهُ وَكَانَ أَفْقَهَ مِنْهُ صَدَقَ اقْضِ بَيْنَنَا بِكِتَابِ اللَّهِ وَأْذَنْ لِي يَا رَسُولَ اللَّهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُلْ فَقَالَ إِنَّ ابْنِي كَانَ عَسِيفًا عَلَى أَهْلِ هَذَا فَزَنَى بِامْرَأَتِهِ فَافْتَدَيْتُ مِنْهُ بِمِائَةِ شَاةٍ وَخَادِمٍ وَإِنِّي سَأَلْتُ رِجَالًا مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ فَأَخْبَرُونِي أَنَّ عَلَى ابْنِي جَلْدَ مِائَةٍ وَتَغْرِيبَ عَامٍ وَأَنَّ عَلَى امْرَأَةِ هَذَا الرَّجْمَ فَقَالَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَأَقْضِيَنَّ بَيْنَكُمَا بِكِتَابِ اللَّهِ الْمِائَةُ شَاةٍ وَالْخَادِمُ رَدٌّ عَلَيْكَ وَعَلَى ابْنِكَ جَلْدُ مِائَةٍ وَتَغْرِيبُ عَامٍ وَيَا أُنَيْسُ اغْدُ عَلَى امْرَأَةِ هَذَا فَسَلْهَا فَإِنْ اعْتَرَفَتْ فَارْجُمْهَا فَاعْتَرَفَتْ فَرَجَمَهَا

أخبرنا محمد بن يوسف حدثنا سفيان بن عيينة عن الزهري عن عبيد الله بن عبد الله بن عتبة عن أبي هريرة وزيد بن خالد وشبل قالوا جاء رجل إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال أنشدك الله إلا قضيت بيننا بكتاب الله فقال خصمه وكان أفقه منه صدق اقض بيننا بكتاب الله وأذن لي يا رسول الله فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم قل فقال إن ابني كان عسيفا على أهل هذا فزنى بامرأته فافتديت منه بمائة شاة وخادم وإني سألت رجالا من أهل العلم فأخبروني أن على ابني جلد مائة وتغريب عام وأن على امرأة هذا الرجم فقال والذي نفسي بيده لأقضين بينكما بكتاب الله المائة شاة والخادم رد عليك وعلى ابنك جلد مائة وتغريب عام ويا أنيس اغد على امرأة هذا فسلها فإن اعترفت فارجمها فاعترفت فرجمها

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৩. শাস্তি অধ্যায় (كتاب الحدود)

 ২৩৫৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৩. যিনাকারী ব্যক্তি যখন তার যিনার স্বীকারোক্তি প্রত্যাহার করে নেয়

২৩৫৭. নাসর ইবনু দাহর আল আসলামী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যারা তাকে পাথর মেরে হত্যা করেছিল- আমিও তাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম।

আবূ মুহাম্মদ বলেন, ’তাকে’ অর্থ মায়িয ইবনু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে। এরপর যখন তার শরীরে পাথর আঘাত হানতে লাগলো, তখন সে ভীষণ অস্থির হয়ে উঠলো।রাবী বলেন, তখন আমরা এ কথা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জানালে তিনি বললেন: “তাহলে তোমরা তাকে ছেড়ে দিলে না কেন?”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদে আবী হাইছাম ইবনু নাসর রয়েছে। যার সম্পর্কে বুখারী (কাবীর, ৯/৭৯) ও ইবনু আবী হাতিম (জারহ ওয়া তা’দীল ৯/৪৫৩) কোনো সমালোচনা বা প্রশংসা করেননি। আর আমিও তার কোনো সমালোচনা বা প্রশংসা খুঁজে পাইনি। আর হাফিজ ইবনু হাজার, ‘তাক্বরীব’ এ তাকে ‘মাকবুল’ বলেছেন। তবে আল ইসাবা ৯/১৪৮ এ তার পিতা নাসর এর জাীবনীতে বলেন: ‘তার থেকে তার ছেলে আবীল হাইছাম সূত্রে মায়িয ইবনু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর ঘটনা সংক্রান্ত তার হাদীসটি নাসাঈ বর্ণনা করেছেন, যার সনদ জাইয়্যেদ বা উত্তম।’ অন্যান্য রাবীগণ বিশ্বস্ত।

 

তাখরীজ: আহমাদ ৪/৪৩১; নাসাঈ, নং ৭২০৬; ইবনু আবী আসিম, আল আহাদ ওয়াল মাছানী ২৩৮১।

بَاب الْمُعْتَرِفِ يَرْجِعُ عَنْ اعْتِرَافِهِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الرَّقَاشِيُّ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ هُوَ ابْنُ إِسْحَقَ بْنِ يَسَارٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيُّ عَنْ أَبِي الْهَيْثَمِ بْنِ نَصْرِ بْنِ دَهْرٍ الْأَسْلَمِيِّ عَنْ أَبِيهِ قَالَ كُنْتُ فِيمَنْ رَجَمَهُ قَالَ أَبُو مُحَمَّد يَعْنِي مَاعِزَ بْنَ مَالِكٍ فَلَمَّا وَجَدَ مَسَّ الْحِجَارَةِ جَزِعَ جَزَعًا شَدِيدًا قَالَ فَذَكَرْنَا ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فَهَلَّا تَرَكْتُمُوهُ

أخبرنا محمد بن عبد الله الرقاشي حدثنا يزيد بن زريع حدثنا محمد هو ابن إسحق بن يسار حدثنا محمد بن إبراهيم التيمي عن أبي الهيثم بن نصر بن دهر الأسلمي عن أبيه قال كنت فيمن رجمه قال أبو محمد يعني ماعز بن مالك فلما وجد مس الحجارة جزع جزعا شديدا قال فذكرنا ذلك لرسول الله صلى الله عليه وسلم قال فهلا تركتموه

 হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৩. শাস্তি অধ্যায় (كتاب الحدود)

 ২৩৫৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৪. কোনো ব্যক্তিকে রজম করার উদ্দেশ্যে কূপ খনন করা

২৩৫৮. আবী সাঈদ আল খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: “তোমরা মায়িয ইবনু মালিককে নিয়ে গিয়ে রজম করো।” তখন আমরা তখন তাকে ’বাক্বীউল গারক্বাদ’ নামক স্থানে (কবরস্থানে) নিয়ে চললাম। আর আল্লাহর কসম! আমরা তাকে বাঁধিওনি, আবার তাকে (পূঁতে রাখার জন্য) কোনো কূপও খনন করিনি। বরং তার দাঁড়ানো অবস্থাতেই তাকে আমরা হাড়, মাটির ঢেলা ও পাথর নিক্ষেপ (করে হত্যা) করলাম।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: মুসলিম, হুদুদ ১৬৯৪।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১২১৫ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৪৩৮ তে।

بَاب الْحَفْرِ لِمَنْ يُرَادُ رَجْمُهُ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي زَائِدَةَ عَنْ دَاوُدَ عَنْ أَبِي نَضْرَةَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ انْطَلِقُوا بِمَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ فَارْجُمُوهُ فَانْطَلَقْنَا بِهِ إِلَى بَقِيعِ الْغَرْقَدِ فَوَاللَّهِ مَا أَوْثَقْنَاهُ وَلَا حَفَرْنَا لَهُ وَلَكِنْ قَامَ فَرَمَيْنَاهُ بِالْعِظَامِ وَالْخَزَفِ وَالْجَنْدَلِ

أخبرنا محمد بن عيسى حدثنا يحيى بن أبي زائدة عن داود عن أبي نضرة عن أبي سعيد الخدري قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم انطلقوا بماعز بن مالك فارجموه فانطلقنا به إلى بقيع الغرقد فوالله ما أوثقناه ولا حفرنا له ولكن قام فرميناه بالعظام والخزف والجندل

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৩. শাস্তি অধ্যায় (كتاب الحدود)

 ২৩৫৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৪. কোনো ব্যক্তিকে রজম করার উদ্দেশ্যে কূপ খনন করা

২৩৫৯. বুরাইদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামএর নিকট বসেছিলাম। এমতাবস্থায় মায়িয ইবনু মালিক নামক একব্যক্তি আগমন করলো। অতঃপর সে তাঁর নিকট যিনার কথা স্বীকার করল। তখন তিনি তাকে তিনবার ফিরিয়ে দিলেন । এরপর সে চতুর্থবার তাঁর কাছে আগমন করলো এবং যিনার কথা স্বীকার করল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার প্রতি (রজম করার) নির্দেশ তার জন্য একটি গর্ত খনন করা হল এবং এর মধ্যে তাকে বুক পর্যন্ত পুঁতে দেওয়া হলো এবং এরপর তিনি লোকদের প্রতি তাকে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা (’রজম’) করার নির্দেশ প্রদান করলেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: বাশীর ইবনুল মুহাজির এর কারণে এর সনদ হাসান।

 

তাখরীজ: আহমাদ ৫/৩৪৭, ৩৪৮; মুসলিম, হুদুদ ১৬৯৫ (২৩); তাহাবী, মুশকিলিল আছার ১/১৮২; দারুকুতনী, ৩/৯২, ১২৭; বাইহাকী, উকালাহ ৬/৮৩; হুদুদ ৮/২২৬; ইবনু সা’দ, আত তাবাকাত ৪/২/২৫।

بَاب الْحَفْرِ لِمَنْ يُرَادُ رَجْمُهُ

حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا بَشِيرُ بْنُ الْمُهَاجِرِ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ كُنْتُ جَالِسًا عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجَاءَهُ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ مَاعِزُ بْنُ مَالِكٍ فَاعْتَرَفَ عِنْدَهُ بِالزِّنَا فَرَدَّهُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ جَاءَ الرَّابِعَةَ فَاعْتَرَفَ فَأَمَرَ بِهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَحُفِرَ لَهُ حُفْرَةٌ فَجُعِلَ فِيهَا إِلَى صَدْرِهِ وَأَمَرَ النَّاسَ أَنْ يَرْجُمُوهُ

حدثنا أبو نعيم حدثنا بشير بن المهاجر حدثني عبد الله بن بريدة عن أبيه قال كنت جالسا عند النبي صلى الله عليه وسلم فجاءه رجل يقال له ماعز بن مالك فاعترف عنده بالزنا فرده ثلاث مرات ثم جاء الرابعة فاعترف فأمر به النبي صلى الله عليه وسلم فحفر له حفرة فجعل فيها إلى صدره وأمر الناس أن يرجموه

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ বুরায়দাহ ইবনু হুসাইব আল-আসলামী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৩. শাস্তি অধ্যায় (كتاب الحدود)

 ২৩৬০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৫. আহলে কিতাবগণ যদি মুসলিম বিচারকের নিকট বিচারপ্রার্থী হয়, তবে তাদের মাঝে বিচার-ফায়সালা করা প্রসঙ্গে

২৩৬০. আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট একজন ইয়াহুদী তাদের মধ্যকার একজন পুরুষ এবং একজন মহিলাকে নিয়ে এলো, যারা উভয়েই ব্যভিচার করেছিল । তখন তিনি তাদেরকে লক্ষ্য করে বললেনঃ “তোমাদের মধ্যে কেউ যিনা করলে তোমরা কী করো? তারা বলল, এতে (তাওরাতে) আমরা এ ব্যাপারে কিছুই পাইনা। তখন আব্দুল্লাহ ইবন সালাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাদেরকে লক্ষ্য করে বললেন, তোমরা মিথ্যা বলছো; তাওরাতে রজমের নির্দেশ রয়েছে। তোমরা তাওরাত কিতাব আনয়ন কর ও তা পাঠ কর, যদি তোমরা এ ব্যাপারে সত্যবাদী হয়ে থাক। তারা তখন তাওরাত কিতাব নিয়ে এল এবং পাঠ করতে শুরু করল। (যখন ব্যভিচারের শাস্তি এর আয়াতের নিকটবর্তী হল) তখন যে যুবকটি তাওরাতঁ পাঠ করছিল সে আপন-হাত রজমের (পাথর নিক্ষেপের) আয়াত এর উপর রেখে দিল। তখন তাকে তিনি বললেন, এটা কী? যখন তারা দেখতে তা দেখতে পেলো, তখন তিনি বললেন, ওটাই তো রজমের আয়াত। সুতরাং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের উভয়কে পাথর (রজম করার) নির্দেশ দিলেন। তখন মসজিদের নিকটবর্তী স্থানে যেখানে জানাযা রাখা হতো, সেখানে তাদের উভয়কে পাথর মারা হলো। আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন যে, আমি দেখতে পেলাম যে, পুরুষটি মহিলাটিকে পাথরের আঘাত থেকে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: বুখারী, জানায়িয ১৩২৯; মুসলিম, হুদুদ ১৬৯৯।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৪৩৪, ৪৪৩৫ তে।

بَاب فِي الْحُكْمِ بَيْنَ أَهْلِ الْكِتَابِ إِذَا تَحَاكَمُوا إِلَى حُكَّامِ الْمُسْلِمِينَ

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ الْيَهُودَ جَاءُوا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِرَجُلٍ مِنْهُمْ وَامْرَأَةٍ قَدْ زَنَيَا فَقَالَ كَيْفَ تَفْعَلُونَ بِمَنْ زَنَى مِنْكُمْ قَالُوا لَا نَجِدُ فِيهَا شَيْئًا فَقَالَ لَهُمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلَامٍ كَذَبْتُمْ فِي التَّوْرَاةِ الرَّجْمُ فَأْتُوا بِالتَّوْرَاةِ فَاتْلُوهَا إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ فَجَاءُوا بِالتَّوْرَاةِ فَوَضَعَ مِدْرَاسُهَا الَّذِي يَدْرُسُهَا مِنْهُمْ كَفَّهُ عَلَى آيَةِ الرَّجْمِ فَقَالَ مَا هَذِهِ فَلَمَّا رَأَوْا ذَلِكَ قَالُوا هِيَ آيَةُ الرَّجْمِ فَأَمَرَ بِهِمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرُجِمَا قَرِيبًا مِنْ حَيْثُ تُوضَعُ الْجَنَائِزُ عِنْدَ الْمَسْجِدِ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ فَرَأَيْتُ صَاحِبَهَا يَجْنَأُ عَلَيْهَا يَقِيهَا الْحِجَارَةَ

أخبرنا أحمد بن عبد الله حدثنا زهير حدثنا موسى بن عقبة عن نافع عن ابن عمر أن اليهود جاءوا إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم برجل منهم وامرأة قد زنيا فقال كيف تفعلون بمن زنى منكم قالوا لا نجد فيها شيئا فقال لهم عبد الله بن سلام كذبتم في التوراة الرجم فأتوا بالتوراة فاتلوها إن كنتم صادقين فجاءوا بالتوراة فوضع مدراسها الذي يدرسها منهم كفه على آية الرجم فقال ما هذه فلما رأوا ذلك قالوا هي آية الرجم فأمر بهما رسول الله صلى الله عليه وسلم فرجما قريبا من حيث توضع الجنائز عند المسجد قال عبد الله فرأيت صاحبها يجنأ عليها يقيها الحجارة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৩. শাস্তি অধ্যায় (كتاب الحدود)

 ২৩৬১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৬. বিবাহিত ব্যক্তির যিনার হাদ্দ (নির্ধারিত শাস্তি)

২৩৬১. ইবনু ’আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ্ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সত্য সহকারে পাঠিয়েছেন। আর তাঁর উপর কিতাব অবতীর্ণ করেছেন এবং আল্লাহর অবতীর্ণ বিষয়াদির একটি ছিল রজমের আয়াত। আমরা সে আয়াত পড়েছি, আয়ত্ত করেছি, বুঝেছি। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাথর মেরে হত্যা করেছেন। আমরাও তাঁর পরে পাথর মেরে হত্যা করেছি। আমি আশংকা করছি যে, দীর্ঘকাল অতিবাহিত হবার পর কোন লোক এ কথা বলে ফেলতে পারে যে, আল্লাহর কসম! আমরা আল্লাহর কিতাবে পাথর মেরে হত্যার আয়াত পাচ্ছি না। (ফলে তারা এমন একটি ফরজ ত্যাগের কারণে পথভ্রষ্ট হবে, যা আল্লাহ্ অবতীর্ণ করেছেন।) আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী ঐ ব্যক্তির উপর পাথর মেরে হত্যা অবধারিত, যে বিবাহিত হবার পর যিনা করবে, সে পুরুষ হোক বা নারী। যখন সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যাবে অথবা গর্ভ বা স্বীকারোক্তি পাওয়া যাবে।’[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: বুখারী, হুদুদ ৬৮২৯; মুসলিম, হুদুদ ১৬৯১।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৪৬, ১৫১ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ২৫ ও ইবনুল জাউযীর ‘নাসিখুল কুরআন ওয়াল মানসূখাহ’ পৃ: ১৪০-১৪১।

بَاب فِي حَدِّ الْمُحْصَنِينَ بِالزِّنَا

أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ عُمَرُ إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى بَعَثَ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْحَقِّ وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ الْكِتَابَ وَكَانَ فِيمَا أَنْزَلَ آيَةُ الرَّجْمِ فَقَرَأْنَاهَا وَوَعَيْنَاهَا وَعَقَلْنَاهَا وَرَجَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَجَمْنَا بَعْدَهُ فَأَخْشَى إِنْ طَالَ بِالنَّاسِ زَمَانٌ أَنْ يَقُولَ الْقَائِلُ لَا نَجِدُ حَدَّ آيَةِ الرَّجْمِ فِي كِتَابِ اللَّهِ وَالرَّجْمُ فِي كِتَابِ اللَّهِ حَقٌّ عَلَى مَنْ زَنَى مِنْ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ إِذَا أُحْصِنَ إِذَا قَامَتْ عَلَيْهِ الْبَيِّنَةُ أَوْ كَانَ الْحَبَلُ أَوْ الِاعْتِرَافُ

أخبرنا خالد بن مخلد حدثنا مالك عن الزهري عن عبيد الله بن عبد الله بن عتبة عن ابن عباس قال قال عمر إن الله تعالى بعث محمدا صلى الله عليه وسلم بالحق وأنزل عليه الكتاب وكان فيما أنزل آية الرجم فقرأناها ووعيناها وعقلناها ورجم رسول الله صلى الله عليه وسلم ورجمنا بعده فأخشى إن طال بالناس زمان أن يقول القائل لا نجد حد آية الرجم في كتاب الله والرجم في كتاب الله حق على من زنى من الرجال والنساء إذا أحصن إذا قامت عليه البينة أو كان الحبل أو الاعتراف

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৩. শাস্তি অধ্যায় (كتاب الحدود)

 ২৩৬২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৬. বিবাহিত ব্যক্তির যিনার হাদ্দ (নির্ধারিত শাস্তি)

২৩৬২. যাইদ ইবনু ছাবিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি অবশ্যই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি: “বিবাহিত বয়স্ক পুরুষ ও বয়স্ক স্ত্রীলোক যদি ব্যভিচার করে, তবে তোমরা তাদের উভয়কে পাথর মেরে হত্যা করবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান।

 

তাখরীজ: আহমাদ ৫/৩৪৭; হাকিম ৪/৩৬০ হাকিম একে সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী তাকে সমর্থন করেছেন; বাইহাকী, হুদুদ ৮/২১১ সহীহ সনদে।

 

আরও দেখুন, ফাতহুল বারী ৯/৬৫ ও ১২/১৪৩; আরও দেখুন, ইবনুল জাউযীর ‘নাসিখুল কুরআন ওয়াল মানসূখাহ’ পৃ: ১৩৬-১৪৮ এর হাদীস ও আছার সমূহে আমাদের প্রদত্ত টীকা সমূহ।

بَاب فِي حَدِّ الْمُحْصَنِينَ بِالزِّنَا

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ الرِّفَاعِيُّ حَدَّثَنَا الْعَقَدِيُّ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ يُونُسَ بْنِ جُبَيْرٍ يُحَدِّثُ عَنْ كَثِيرِ بْنِ الصَّلْتِ عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ قَالَ أَشْهَدُ لَسَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ الشَّيْخُ وَالشَّيْخَةُ إِذَا زَنَيَا فَارْجُمُوهُمَا الْبَتَّةَ

أخبرنا محمد بن يزيد الرفاعي حدثنا العقدي حدثنا شعبة عن قتادة عن يونس بن جبير يحدث عن كثير بن الصلت عن زيد بن ثابت قال أشهد لسمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول الشيخ والشيخة إذا زنيا فارجموهما البتة

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৩. শাস্তি অধ্যায় (كتاب الحدود)

 ২৩৬৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৭. গর্ভবতী মহিলা যখন ব্যভিচারের স্বীকারোক্তি করে

২৩৬৩. বুরাইদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামএর নিকট বসেছিলাম। এমতাবস্থায় গামিদ গোত্রের জনৈক মহিলা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললো, ইয়া নবীয়াল্লাহ! আমি তো যিনা করেছি আর আমি আশা করছি, আপনি আমাকে (এ পাপ হতে) পবিত্র করবেন। তখন তিনি তাকে বলেনঃ “তুমি ফিরে যাও।” (এরপর সে মহিলা চলে যায়,) কিন্তু পরদিন আবার সে মহিলা হাযির হয়ে তার যিনার স্বীকারোক্তি করে বলেঃ ইয়া নবীয়াল্লাহ! আপনি আমাকে (এ পাপ হতে) পবিত্র করুন। সম্ভবত আপনি আমাকে সেরুপভাবে ফিরিয়ে দিতে চান, যেভাবে আপনি মায়িয ইবনু মালিককে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু আল্লাহর শপথ! আমি তো গর্ভবতী। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “তুমি ফিরে যাও, যতক্ষণ না তুমি তোমার সন্তান প্রসব করছ।” এরপর সন্তান প্রসবের পর সে নব-জাতককে একটি কাপড়ে জড়িয়ে নিয়ে তাঁর নিকট হাযির হয় এবং বলেঃ ইয়া নবীয়াল্লাহ! আমি একে প্রসব করেছি। তখন তিনি বলেনঃ “তুমি ফিরে যাও এবং এ সন্তানকে ততদিন দুধপান করাও, যতদিন সে দুধ না ছাড়ে।” এরপর সে মহিলা (চলে যায় এবং) দুধ ছাড়াবার পর পুনরায় তার সন্তানকে নিয়ে তাঁর কাছে হাযির হয়।

এ সময় তার সন্তানের হাতে রুটির একটি টুকরা ছিল। তখন সে বললো, ইয়া নবীয়াল্লাহ! সে দুধ ছেড়েছে। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশ দিলে সেই সন্তানকে কোন মুসলিমের হাতে সোপর্দ করা হলো এবং তিনি সে মহিলাকে (’রজম’ করার) হুকুম দেন। তখন একটি গর্ত খুঁড়ে তাকে সেখানে বুক পর্যন্ত পোঁতা হয়, অতঃপর লোকদেরকে তাকে পাথর মেরে হত্যা করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর খালিদ ইবনু ওয়ালিদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু উপস্থিত হয়ে সে মহিলার মাথায় একটি পাথর দিয়ে আঘাত করলো। সে মহিলার দেহের রক্তের ফোঁটা তার গালের উপর এসে পড়ে, ফলে তিনি (রাগান্বিত হয়ে) সে মহিলা সম্পর্কে কটুক্তি করেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মহিলার প্রতি খালিদের কটুক্তি শুনে ফেলেন। তখন তিনি তাকে বলেনঃ “হে খালিদ! তুমি থামো । আল্লাহর শপথ! যার হাতে আমার জীবন; এ মহিলা এমন তাওবা করেছে, যদি কোন জালিম ব্যক্তি এরুপ তাওবা করতো, তবে অবশ্যই তার সমস্ত গুনাহ মাফ করা হতো। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশে সে মহিলার জানাযার নামায আদায়ের পর তাকে দাফন করা হয়।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: আর এটি পূর্বের ২৩৬৬ (অনুবাদে ক্রমিক নং ২৩৫৬) নং এ এর অংশবিশেষ গত হয়েছে যেখানে আমরা এর তাখরীজ দিয়েছি। ((আবূ দাউদ, কিতাবুল হুদুদ ৪৪৪০।– অনুবাদক))

بَاب الْحَامِلِ إِذَا اعْتَرَفَتْ بِالزِّنَا

أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا بَشِيرُ بْنُ الْمُهَاجِرِ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ كُنْتُ جَالِسًا عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجَاءَتْهُ امْرَأَةٌ مِنْ بَنِي غَامِدٍ فَقَالَتْ يَا نَبِيَّ اللَّهِ إِنِّي قَدْ زَنَيْتُ وَإِنِّي أُرِيدُ أَنْ تُطَهِّرَنِي فَقَالَ لَهَا ارْجِعِي فَلَمَّا كَانَ مِنْ الْغَدِ أَتَتْهُ أَيْضًا فَاعْتَرَفَتْ عِنْدَهُ بِالزِّنَا فَقَالَتْ يَا نَبِيَّ اللَّهِ طَهِّرْنِي فَلَعَلَّكَ أَنْ تَرْدُدَنِي كَمَا رَدَدْتَ مَاعِزَ بْنَ مَالِكٍ فَوَاللَّهِ إِنِّي لَحُبْلَى فَقَالَ لَهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ارْجِعِي حَتَّى تَلِدِي فَلَمَّا وَلَدَتْ جَاءَتْ بِالصَّبِيِّ تَحْمِلُهُ فِي خِرْقَةٍ فَقَالَتْ يَا نَبِيَّ اللَّهِ هَذَا قَدْ وَلَدْتُ قَالَ فَاذْهَبِي فَأَرْضِعِيهِ ثُمَّ افْطِمِيهِ فَلَمَّا فَطَمَتْهُ جَاءَتْ بِالصَّبِيِّ فِي يَدِهِ كِسْرَةُ خُبْزٍ فَقَالَتْ يَا نَبِيَّ اللَّهِ قَدْ فَطَمْتُهُ فَأَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالصَّبِيِّ فَدُفِعَ إِلَى رَجُلٍ مِنْ الْمُسْلِمِينَ وَأَمَرَ بِهَا فَحُفِرَ لَهَا حُفْرَةٌ فَجُعِلَتْ فِيهَا إِلَى صَدْرِهَا ثُمَّ أَمَرَ النَّاسَ أَنْ يَرْجُمُوهَا فَأَقْبَلَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ بِحَجَرٍ فَرَمَى رَأْسَهَا فَتَلَطَّخَ الدَّمُ عَلَى وَجْنَةِ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ فَسَبَّهَا فَسَمِعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَبَّهُ إِيَّاهَا فَقَالَ مَهْ يَا خَالِدُ لَا تَسُبَّهَا فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَدْ تَابَتْ تَوْبَةً لَوْ تَابَهَا صَاحِبُ مَكْسٍ لَغُفِرَ لَهُ فَأَمَرَ بِهَا فَصُلِّيَ عَلَيْهَا وَدُفِنَتْ

أخبرنا أبو نعيم حدثنا بشير بن المهاجر حدثني عبد الله بن بريدة عن أبيه قال كنت جالسا عند النبي صلى الله عليه وسلم فجاءته امرأة من بني غامد فقالت يا نبي الله إني قد زنيت وإني أريد أن تطهرني فقال لها ارجعي فلما كان من الغد أتته أيضا فاعترفت عنده بالزنا فقالت يا نبي الله طهرني فلعلك أن ترددني كما رددت ماعز بن مالك فوالله إني لحبلى فقال لها النبي صلى الله عليه وسلم ارجعي حتى تلدي فلما ولدت جاءت بالصبي تحمله في خرقة فقالت يا نبي الله هذا قد ولدت قال فاذهبي فأرضعيه ثم افطميه فلما فطمته جاءت بالصبي في يده كسرة خبز فقالت يا نبي الله قد فطمته فأمر النبي صلى الله عليه وسلم بالصبي فدفع إلى رجل من المسلمين وأمر بها فحفر لها حفرة فجعلت فيها إلى صدرها ثم أمر الناس أن يرجموها فأقبل خالد بن الوليد بحجر فرمى رأسها فتلطخ الدم على وجنة خالد بن الوليد فسبها فسمع النبي صلى الله عليه وسلم سبه إياها فقال مه يا خالد لا تسبها فوالذي نفسي بيده لقد تابت توبة لو تابها صاحب مكس لغفر له فأمر بها فصلي عليها ودفنت

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ বুরায়দাহ ইবনু হুসাইব আল-আসলামী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৩. শাস্তি অধ্যায় (كتاب الحدود)

 ২৩৬৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৭. গর্ভবতী মহিলা যখন ব্যভিচারের স্বীকারোক্তি করে

২৩৬৪. ইমরান ইবনু হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একদা জুহায়না গোত্রের জনৈক মহিলা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হয়। আর সে যিনার দ্বারা গর্ভবতী হয়েছিল। তখন সে বললো, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি হাদ (নির্ধারিত শাস্তি)-এর যোগ্য হয়েছি। ফলে আপনি আমার উপর হাদ কায়িম করুন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার অভিভাবকদের ডেকে বলেনঃ “তোমরা একে নিয়ে গিয়ে এর সাথে সদ্ব্যবহার করবে, আর যখন সে বাচ্চা প্রসব করবে, তখন তাকে আমার কাছে নিয়ে আসবে।” এরপর তারা তা করলে (সন্তান প্রসবের পর তাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট হাযির করলে) তিনি তার শরীরে ভালভাবে কাপড় পেঁচিয়ে, তাকে পাথর মেরে হত্যার নির্দেশ দেন।

ফলে তাকে পাথর মেরে হত্যা করার পর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জানাযার সালাত আদায় করেন। তখন উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আপনি কি তার জানাযার নামায পড়বেন, অথচ সে যিনা করেছে? তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “আল্লাহর শপথ! যার হাতে আমার জীবন; সে মহিলা এমন তাওবা করেছে, যদি তা মদীনার সত্তর জন ব্যক্তির মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়, তবে তা-ই যথেষ্ট হবে । এর চাইতে উত্তম আর কি হতে পারে যে, সে তো আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা’র উদ্দেশ্যে তার জীবনটাই উৎসর্গ করে দিয়েছে!”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: মুসলিম, হুদুদ ১৬৯৬।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৪০৩, ৪৪৪১ তে। এছাড়াও, ইবনুল জারুদ, আল মুনতাকা নং ৮১০; বাইহাকী, আল মা’রিফাতুস সুনান ওয়াল আছার নং ১৬৬৯৯ তে।

بَاب الْحَامِلِ إِذَا اعْتَرَفَتْ بِالزِّنَا

حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ يَحْيَى عَنْ أَبِي قِلَابَةَ عَنْ أَبِي الْمُهَلَّبِ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ أَنَّ امْرَأَةً مِنْ جُهَيْنَةَ أَتَتْ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهِيَ حُبْلَى مِنْ الزِّنَا فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَصَبْتُ حَدًّا فَأَقِمْهُ عَلَيَّ فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلِيَّهَا فَقَالَ اذْهَبْ فَأَحْسِنْ إِلَيْهَا فَإِذَا وَضَعَتْ حَمْلَهَا فَأْتِنِي بِهَا فَفَعَلَ فَأَمَرَ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَشُكَّتْ عَلَيْهَا ثِيَابُهَا ثُمَّ أَمَرَ بِهَا فَرُجِمَتْ ثُمَّ صَلَّى عَلَيْهَا فَقَالَ عُمَرُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَتُصَلِّي عَلَيْهَا وَقَدْ زَنَتْ فَقَالَ لَقَدْ تَابَتْ تَوْبَةً لَوْ قُسِمَتْ بَيْنَ سَبْعِينَ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ لَوَسِعَتْهُمْ وَهَلْ وَجَدْتَ أَفْضَلَ مِنْ أَنْ جَادَتْ بِنَفْسِهَا لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ

حدثنا وهب بن جرير حدثنا هشام عن يحيى عن أبي قلابة عن أبي المهلب عن عمران بن حصين أن امرأة من جهينة أتت النبي صلى الله عليه وسلم وهي حبلى من الزنا فقالت يا رسول الله إني أصبت حدا فأقمه علي فدعا رسول الله صلى الله عليه وسلم وليها فقال اذهب فأحسن إليها فإذا وضعت حملها فأتني بها ففعل فأمر بها رسول الله صلى الله عليه وسلم فشكت عليها ثيابها ثم أمر بها فرجمت ثم صلى عليها فقال عمر يا رسول الله أتصلي عليها وقد زنت فقال لقد تابت توبة لو قسمت بين سبعين من أهل المدينة لوسعتهم وهل وجدت أفضل من أن جادت بنفسها لله عز وجل

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৩. শাস্তি অধ্যায় (كتاب الحدود)

 ২৩৬৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৮. দাস-দাসী যদি যিনা করে, তবে শাসক ছাড়াও তাদের মনিব তাদেরকে শাস্তি দিতে পারে

২৩৬৫. যাইদ ইবনু খালিদ আল জুহানী এবং আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে অবিবাহিত দাসী যিনা করা (এর শাস্তি) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, “যদি সে দাসী যিনা করে তবে তাকে বেত্রাঘাত মারো। এরপর আবার সে যিনা করলে তাকে পুনরায় বেত্রাঘাত মারো।” রাবী বলেন, আমি জানিনা, তৃতীয় বারে নাকি চতুর্থবারে তিনি বলেছেন: “এরপর একটি রশির বিনিময়ে হলেও তাকে বিক্রি করে দাও।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ শক্তিশালী।

 

তাখরীজ: মালিক, হুদুদ ১৪; বুখারী, বুয়ূ ২১৫৩; মুসলিম, হুদুদ ১৭০৪;

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৪৪৪ ও মুসনাদুল হুমাইদী ন্ং ৮৩১ তে।

بَاب فِي الْمَمَالِيكِ إِذَا زَنَوْا يُقِيمُ عَلَيْهِمْ سَادَتُهُمْ الْحَدَّ دُونَ السُّلْطَانِ

حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ وَأَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ عَنْ الْأَمَةِ تَزْنِي وَلَمْ تُحْصَنْ فَقَالَ إِنْ زَنَتْ فَاجْلِدُوهَا ثُمَّ إِنْ زَنَتْ فَاجْلِدُوهَا ثُمَّ إِنْ زَنَتْ فَاجْلِدُوهَا قَالَ مَا أَدْرِي فِي الثَّالِثَةِ أَوْ فِي الرَّابِعَةِ فَبِيعُوهَا وَلَوْ بِضَفِيرٍ

حدثنا خالد بن مخلد حدثنا مالك عن ابن شهاب عن عبيد الله بن عبد الله بن عتبة عن زيد بن خالد الجهني وأبي هريرة أن النبي صلى الله عليه وسلم سئل عن الأمة تزني ولم تحصن فقال إن زنت فاجلدوها ثم إن زنت فاجلدوها ثم إن زنت فاجلدوها قال ما أدري في الثالثة أو في الرابعة فبيعوها ولو بضفير

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ যায়দ ইবনু খালিদ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৩. শাস্তি অধ্যায় (كتاب الحدود)

 ২৩৬৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৯. আল্লাহর এ বাণীর তাফসীর প্রসঙ্গে: অথবা আল্লাহ তাদের জন্য কোনো পথ বের করবেন (সূরা নিসাঃ ১৫)

২৩৬৬. উবাদাহ ইবনু সামিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “তোমরা আমার কাছ থেকে গ্রহণ কর, তোমরা আমার কাছ থেকে গ্রহণ কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁআলা মহিলাদের জন্য একটি পথ বের করে দিয়েছেন। (তা হলো:) যদি কোন অবিবাহিত পুরুষ কোন কূমারী মেয়ের সাথে ব্যভিচার করে তবে একশ বেত্রাঘাত কর এবং এক বছরের জন্য নির্বাসন দাও। আর যদি বিবাহিত ব্যক্তি কোন বিবাহিতা মহিলার সঙ্গে ব্যভিচার করে- তবে তাদেরকে প্রথমত একশ- বেত্রাঘাত করবে এরপর পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: মুসলিম, হুদুদ ১৬৯০।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি ইবনুল জাউযীর ‘নাসিখুল কুরআন ওয়াল মানসূখাহ’ পৃ: ৩২৩-৩২৪ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৪২৫, ৪৪২৬, ৪৪২৭, ৪৪৪৩ তে।

بَاب فِي تَفْسِيرِ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى أَوْ يَجْعَلَ اللَّهُ لَهُنَّ سَبِيلًا

أَخْبَرَنَا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ الزَّهْرَانِيُّ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ الْحَسَنِ عَنْ حِطَّانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ خُذُوا عَنِّي خُذُوا عَنِّي قَدْ جَعَلَ اللَّهُ لَهُنَّ سَبِيلًا الْبِكْرُ بِالْبِكْرِ وَالثَّيِّبُ بِالثَّيِّبِ الْبِكْرُ جَلْدُ مِائَةٍ وَنَفْيُ سَنَةٍ وَالثَّيِّبُ جَلْدُ مِائَةٍ وَالرَّجْمُ

أخبرنا بشر بن عمر الزهراني حدثنا حماد بن سلمة عن قتادة عن الحسن عن حطان بن عبد الله عن عبادة بن الصامت أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال خذوا عني خذوا عني قد جعل الله لهن سبيلا البكر بالبكر والثيب بالثيب البكر جلد مائة ونفي سنة والثيب جلد مائة والرجم

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ উবাদা ইব্‌নুস সামিত (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৩. শাস্তি অধ্যায় (كتاب الحدود)

 ২৩৬৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৯. আল্লাহর এ বাণীর তাফসীর প্রসঙ্গে: অথবা আল্লাহ তাদের জন্য কোনো পথ বের করবেন (সূরা নিসাঃ ১৫)

২৩৬৭. উবাদাহ ইবনু সামিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে অপর সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসের পূনরাবৃত্তি।

بَاب فِي تَفْسِيرِ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى أَوْ يَجْعَلَ اللَّهُ لَهُنَّ سَبِيلًا

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ الْحَسَنِ عَنْ حِطَّانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَحْوِهِ

أخبرنا عمرو بن عون أخبرنا هشيم عن منصور عن الحسن عن حطان بن عبد الله عن عبادة بن الصامت عن النبي صلى الله عليه وسلم بنحوه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ উবাদা ইব্‌নুস সামিত (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৩. শাস্তি অধ্যায় (كتاب الحدود)

 ২৩৬৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২০. যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর দাসীর সাথে যিনায় লিপ্ত হয়

২৩৬৮. হাবীব ইবনু সালিম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ জনৈক লোক, যাকে ’কুরকুর’ বলা হতো, সে তার স্ত্রীর দাসীর সাথে যিনা করে। তখন এ ব্যাপারটি (কূফার শাসনকর্তা) নু’মান ইবন বশীরের গোচরে আনা হয। তিনি বলেনঃ আমি এ ব্যাপারে সন্তোষজনক ফায়সালা করবো।

এরপর তিনি বলেন: যদি তোমার স্ত্রী তোমার জন্য এ দাসীকে হালাল করে থাকে তবুও আমি তোমাকে একশত বেত্রাঘাত করবো। আর যদি সে তাকে তোমার জন্য হালাল না করে থাকে, তবুও আমি তোমাকে একশত বেত্রাঘাত করবো। আর যদি সে তাকে তোমার জন্য হালাল না করে থাকে, তবে আমি তোমাকে রজম করবো অর্থাৎ পাথর মেরে হত্যা করবো। তার স্ত্রীকে বলা হলো: তোমার স্বামী তো (তোমার দাসীর সাথে যিনা করেছে)! তখন তার স্ত্রী বললো: আমি নিশ্চয়ই তার জন্য সে দাসীকে হালাল করেছিলাম। এরপর নু’মান ইবন বাশীর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাকে একশত বেত্রাদণ্ডের নির্দেশ প্রদান করেন।[1]ইয়াহইয়া বলেন, এটি মারফু’ তথা এর সূত্র রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত পৌঁছেছে।

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ মাওকুফ হিসেবে যয়ীফ।

 

তাখরীজ: আহমাদ ৪/২৭৬; আবূ দাউদ, কিতাবুল হুদুদ ৪৪৫৮; বাইহাকী, হুদুদ ৮/২৩৯। পরবর্তী টীকাটিও দেখুন।

بَاب فِيمَنْ يَقَعُ عَلَى جَارِيَةِ امْرَأَتِهِ

أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا أَبَانُ بْنُ يَزِيدَ عَنْ قَتَادَةَ قَالَ كَتَبَ إِلَيَّ خَالِدُ بْنُ عُرْفُطَةَ عَنْ حَبِيبِ بْنِ سَالِمٍ أَنَّ غُلَامًا كَانَ يُنْبَزُ فُرْفُورًا فَوَقَعَ عَلَى جَارِيَةِ امْرَأَتِهِ فَرُفِعَ إِلَى النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ فَقَالَ لَأَقْضِيَنَّ فِيهِ بِقَضَاءٍ شَافٍ إِنْ كَانَتْ أَحَلَّتْهَا لَهُ جَلَدْتُهُ مِائَةً وَإِنْ كَانَتْ لَمْ تُحِلَّهَا لَهُ رَجَمْتُهُ فَقِيلَ لَهَا زَوْجُكِ فَقَالَتْ إِنِّي قَدْ أَحْلَلْتُهَا لَهُ فَضَرَبَهُ مِائَةً قَالَ يَحْيَى هُوَ مَرْفُوعٌ

أخبرنا يحيى بن حماد حدثنا أبان بن يزيد عن قتادة قال كتب إلي خالد بن عرفطة عن حبيب بن سالم أن غلاما كان ينبز فرفورا فوقع على جارية امرأته فرفع إلى النعمان بن بشير فقال لأقضين فيه بقضاء شاف إن كانت أحلتها له جلدته مائة وإن كانت لم تحلها له رجمته فقيل لها زوجك فقالت إني قد أحللتها له فضربه مائة قال يحيى هو مرفوع

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৩. শাস্তি অধ্যায় (كتاب الحدود)

 ২৩৬৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২০. যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর দাসীর সাথে যিনায় লিপ্ত হয়

২৩৬৯. হাবীব ইবনু সালিম সূত্রে নু’মান ইবন বশীর হতে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ খালিদ ইবনু উরফাতাহ’র দুর্বলতার কারণে যয়ীফ।

 

তাখরীজ: আহমাদ ৪/২৭৭; আবূ দাউদ, কিতাবুল হুদুদ ৪৪৫৯; তায়ালিসী ১/৩০০ নং ১৫২৯; বাইহাকী, হুদুদ ৮/২৩৯; তিরমিযী, হুদুদ ১৪৫১; আহমাদ ৪/২৭২; বাইহাকী ৮/২৩৯; তিরমিযী, হুদুদ ১৪৫১; ইবনু মাজাহ, হুদুদ ২৫৫১।

بَاب فِيمَنْ يَقَعُ عَلَى جَارِيَةِ امْرَأَتِهِ

حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ الْفَضْلِ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ أَبِي بِشْرٍ عَنْ خَالِدِ بْنِ عُرْفُطَةَ عَنْ حَبِيبِ بْنِ سَالِمٍ عَنْ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ

حدثنا صدقة بن الفضل أخبرنا محمد بن جعفر عن شعبة عن أبي بشر عن خالد بن عرفطة عن حبيب بن سالم عن النعمان بن بشير عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৩. শাস্তি অধ্যায় (كتاب الحدود)

 ২৩৭০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২১. যার উপর হাদ (শাস্তি) প্রয়োগ করা হয়েছে, তা তার গুনাহের কাফ্‌ফারা হয়ে যাবে

২৩৭০. খুযাইমা ইবনু ছাবিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যার উপর হাদ (শাস্তি) প্রয়োগ করা হয়েছে, তার এ গুনাহ মাফ করা দেওয়া হবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান।

 

তাখরীজ: তাবারাণী, আল কাবীর ৪/৮৮ ৩৭৩১; বুখারী, কাবীর ৩/২০৬ তা’লীক হিসেবে; দারুকুতনী ৩/২১৪; বাইহাকী, আশরিবাহ ৮/৩২৮; খতীব, তারীখ বাগদাদ ৫/১৯৮; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ ৩৭৩২; আহমাদ ৫/২১৪, ২১৫ বিচ্ছিন্ন সনদে।

 

হাফিজ ইবনু হাজার, ফাতহুল বারী ১২/৮৪ তে বলেন: এর সনদ হাসান’ আর গত হয়েছে যে, আহমাদ এর সনদ বিচ্ছিন্ন।

 

তবে এর শাহিদ হাদীস রয়েছে উবাদাহ ইবনু ছামিত হতে যা বুখারী ও মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন। আমরা যার তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৪০৫ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৩৯১ তে।

بَاب الْحَدُّ كَفَّارَةٌ لِمَنْ أُقِيمَ عَلَيْهِ

أَخْبَرَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ الدِّمَشْقِيُّ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنَكْدِرِ عَنْ ابْنِ خُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ أُقِيمَ عَلَيْهِ حَدٌّ غُفِرَ لَهُ ذَلِكَ الذَّنْبُ

أخبرنا مروان بن محمد الدمشقي حدثنا ابن وهب عن أسامة بن زيد عن محمد بن المنكدر عن ابن خزيمة بن ثابت عن أبيه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من أقيم عليه حد غفر له ذلك الذنب

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ খুযাইমাহ ইবনু ছাবিত আল আনসারী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৩. শাস্তি অধ্যায় (كتاب الحدود)