দারেমী বিবাহ অধ্যায় ১ম ভাগ হাদিস নং ২২০৩ – ২২৫০
দারেমী বিবাহ অধ্যায় ১ম ভাগ হাদিস নং ২২০৩ – ২২৫০
২২০৩
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১. বিবাহে উৎসাহ দান
২২০৩. আবী নাজীহ রাহি: হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি বিবাহ করার সামর্থ থাকা সত্ত্বেও বিবাহ করেনা, সে আমাদের দলভূক্ত নয়।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর রাবীগণ বিশ্বস্ত এবং ইবনু ইসহাক এটি ‘হাদ্দাসানা’ বলে বর্ণনা করেছেন। তবে এটি মুরসাল (তাবেঈ কর্তৃক বর্ণিত হাদীস)।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছ মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৭৩৯৬ তে। আরও দেখুন, মাতালিবুল আলিয়াহ নং ১৫৭৯ ও আবু দাউদের মারাসীল নং ২০২।
بَاب الْحَثِّ عَلَى التَّزْوِيجِ
أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ أَبِي الْمُغَلِّسِ عَنْ أَبِي نَجِيحٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ قَدَرَ عَلَى أَنْ يَنْكِحَ فَلَمْ يَنْكِحْ فَلَيْسَ مِنَّا
أخبرنا أبو عاصم عن ابن جريج عن أبي المغلس عن أبي نجيح قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من قدر على أن ينكح فلم ينكح فليس منا
হাদিসের মানঃ মুরসাল বর্ণনাকারীঃ ইবনু আবী নাজীহ (রহঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২০৪
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ২. যে সামর্থ রাখে, সে যেন বিয়ে করে
২২০৪. আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে আমরা কয়েক জন যুবক থাকতাম। আমাদের কোনো ধন-সম্পদ ছিল না। তখন তিনি বলেন: “হে যুব সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যে বিয়ের সামর্থ রাখে, সে যেন বিয়ে করে। কেননা, তা দৃষ্টিকে অধিক অবনতকারী এবং যৌনাঙ্গকে সর্বাধিক সংরক্ষণকারী। আর যে তাতে সক্ষম নয়, সে যেন সিয়াম পালন করে। কেননা, সওম তার প্রবৃত্তিকে দমনকারী।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।
তাখরীজ: বুখারী, সাওম ১৯০৫; মুসলিম, নিকাহ ১৪০০;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫১১০, ৫১৯২; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪০২৬ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ১১৫ তে।
بَاب مَنْ كَانَ عِنْدَهُ طَوْلٌ فَلْيَتَزَوَّجْ
أَخْبَرَنَا يَعْلَى حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ عُمَارَةَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَبَابٌ لَيْسَ لَنَا شَيْءٌ فَقَالَ يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ مَنْ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ فَإِنَّ الصَّوْمَ لَهُ وِجَاءٌ
أخبرنا يعلى حدثنا الأعمش عن عمارة عن عبد الرحمن بن يزيد قال قال عبد الله كنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم شباب ليس لنا شيء فقال يا معشر الشباب من استطاع منكم الباءة فليتزوج فإنه أغض للبصر وأحصن للفرج ومن لم يستطع فعليه بالصوم فإن الصوم له وجاء
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২০৫
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ২. যে সামর্থ রাখে, সে যেন বিয়ে করে
২২০৫. আলকামাহ থেকে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, উছমান তার সাথে সাক্ষাত করলেন এবং আমি তার সাথে ছিলাম। তিনি তাকে বললেন, হে আবু আব্দুর রহমান! আপনার স্মরণ করানোর মতো এমন কোনো কুমারী দাসী আছে কি? এরপর তিনি বললেন, নিশ্চয়ই আপনি সেটা বলবেন, আর আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতে শুনেছি: “হে যুব সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যে বিয়ের সামর্থ রাখে, সে যেন বিয়ে করে। কেননা, তা দৃষ্টিকে অধিক অবনতকারী এবং যৌনাঙ্গকে সর্বাধিক সংরক্ষণকারী। আর যে তাতে সক্ষম নয়, সে যেন সিয়াম পালন করে। কেননা, সওম তার প্রবৃত্তিকে দমনকারী।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।
তাখরীজ: নাসাঈ, আল কুবরা নং ৫৩১৬; এটি পূর্বের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি।
بَاب مَنْ كَانَ عِنْدَهُ طَوْلٌ فَلْيَتَزَوَّجْ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَلْقَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ لَقِيَهُ عُثْمَانُ وَأَنَا مَعَهُ فَقَالَ لَهُ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ هَلْ لَكَ فِي جَارِيَةٍ بِكْرٍ تُذَكِّرُكَ فَقَالَ لَئِنْ قُلْتَ ذَاكَ فَقَدْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ مَنْ كَانَ يَسْتَطِيعُ مِنْكُمْ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَلْيَصُمْ فَإِنَّ الصَّوْمَ لَهُ وِجَاءٌ
أخبرنا محمد بن يوسف حدثنا سفيان عن الأعمش عن إبراهيم عن علقمة عن عبد الله قال لقيه عثمان وأنا معه فقال له يا أبا عبد الرحمن هل لك في جارية بكر تذكرك فقال لئن قلت ذاك فقد سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول يا معشر الشباب من كان يستطيع منكم الباءة فليتزوج فإنه أغض للبصر وأحصن للفرج ومن لم يستطع فليصم فإن الصوم له وجاء
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আলকামাহ (রহঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২০৬
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৩. বিয়ে না করা বা স্ত্রী সংসর্গ ত্যাগ করা নিষিদ্ধ
২২০৬. সা’দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’উসমান ইবনু মায’উন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে বিয়ে করা থেকে বিরত থাকতে নিষেধ করেছেন। তিনি যদি তাঁকে খাসি থাকার অনুমতি দিতেন, তাহলে আমরাও খাসি হয়ে যেতাম।[1]
* স্ত্রী সংসর্গ ত্যাগ করা অর্থ: বিয়ে পরিত্যাগ করা। নারী সংসর্গ বর্জন করা এবং বিয়ে পরিত্যাগ করা।
নারীর বিয়ে পরিত্যাগ করা হলো: পুরুষদের সংসর্গ সম্পূর্ণরূপে বর্জন করা, যাতে তাদের প্রতি তার কোনো চাহিদা না থাকে। মরিয়ম আলাইহিস সালাম কে এ নামে ডাকা হয়েছে।
আর ফাতিমাহ’র ব্যাপারে এর অর্থ হলো, তার যুগের নারীদের চেয়ে ফযীলত, দীনদারী ও সাওয়াবের ক্ষেত্রে অগ্রগামী হওয়ার জন্য।
এর আরেক অর্থ: দুনিয়া বিমুখ হওয়া ও আল্লাহমুখী হওয়া।
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।
তাখরীজ: বুখারী, নিকাহ ৫০৭৩; মুসলিম, নিকাহ ১৪০২;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭৮৮; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪০২৭ তে। এটি সম্মুখেও সংক্ষিপ্ত আকারে আসছে।
بَاب النَّهْيِ عَنْ التَّبَتُّلِ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ أَنَّهُ سَمِعَ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ يَقُولُ لَقَدْ رَدَّ ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى عُثْمَانَ وَلَوْ أَجَازَ لَهُ التَّبَتُّلَ لَاخْتَصَيْنَا
أخبرنا أبو اليمان أخبرنا شعيب عن الزهري أخبرني سعيد بن المسيب أنه سمع سعد بن أبي وقاص يقول لقد رد ذلك رسول الله صلى الله عليه وسلم على عثمان ولو أجاز له التبتل لاختصينا
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ সা’দ বিন আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২০৭
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৩. বিয়ে না করা বা স্ত্রী সংসর্গ ত্যাগ করা নিষিদ্ধ
২২০৭. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিয়ে না করা বা স্ত্রী সংসর্গ পরিত্যাগ করা থেকে নিষেধ করেছেন।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আহমাদ ৫/১৭, ৬/১৫৭, ২৫৩; আব্দুল্লাহ ইবনু আহমাদ ৬/২৫৩; নাসাঈ, আল কুবরা নং ২৩২১, ৫৩২২; ইবনু আবী শাইবা ৪/১২৮; তিরমিযী, নিকাহ ১০৮২; ইবনু মাজাহ, নিকাহ ১৮৪৯, এ হাদীসটি বিচ্ছিন্নতার কারণে যয়ীফ।
بَاب النَّهْيِ عَنْ التَّبَتُّلِ
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ مَسْعَدَةَ حَدَّثَنَا الْأَشْعَثُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ عَنْ الْحَسَنِ عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ التَّبَتُّلِ
أخبرنا إسحق حدثنا حماد بن مسعدة حدثنا الأشعث بن عبد الملك عن الحسن عن سعد بن هشام عن عائشة قالت نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم عن التبتل
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২০৮
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৩. বিয়ে না করা বা স্ত্রী সংসর্গ ত্যাগ করা নিষিদ্ধ
২২০৮. সা’দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন উসমান ইবনু মাযউন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর স্ত্রী সংসর্গ পরিত্যাগের বিষয়টি (জানতে পারার পর) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার নিকট লোক পাঠিয়ে ডেকে আনলেন। তখন তিনি বললেন: “হে উসমান! আমাকে ’রাহবানিয়্যাত’ বা বৈরাগ্যের নির্দেশ দেওয়া হয়নি। তুমি কি আমার সুন্নাতকে অপছন্দ করছো?”
তিনি বললেন, না, ইয়া রাসূলুল্লাহ! তিনি বললেন: “আমি (রাতে) সালাত আদায় করি, আবার ঘুমায়। আমি সিয়াম পালন করি, আবার আহার করি (তথা সিয়াম পরিত্যাগ করি); আমি বিবাহ করি, আবার তালাক দিই।–(এ সবই) আমার সুন্নাত। অতএব, যে ব্যক্তি আমার সুন্নাতকে অপছন্দ করবে, সে আমার দলভূক্ত নয়। হে উসমান! তোমার উপর তোমার পরিবারের হক্ব (অধিকার) রয়েছে, অনুরূপ তোমার উপর তোমার নিজের নফসের ও হক্ব (অধিকার) রয়েছে।”সা’দ বলেন, আল্লাহর কসম! মুসলিমদের বেশকিছু লোক এ ব্যাপারে একজোট হয়েছিলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যদি উসমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর বিষয়টি সমর্থন দেন, তবে আমরা খাসী হয়ে যাবো এবং বিয়ে বা নারী সংসর্গ পরিত্যাগ করবো।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।
তাখরীজ: এটি পূর্বের ২২০৩ নং হাদীসটির পুনরাবৃত্তি।
بَاب النَّهْيِ عَنْ التَّبَتُّلِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ الْحِزَامِيُّ حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنِي ابْنُ إِسْحَقَ حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ قَالَ لَمَّا كَانَ مِنْ أَمْرِ عُثْمَانَ بْنِ مَظْعُونٍ الَّذِي كَانَ مِنْ تَرْكِ النِّسَاءِ بَعَثَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا عُثْمَانُ إِنِّي لَمْ أُومَرْ بِالرَّهْبَانِيَّةِ أَرَغِبْتَ عَنْ سُنَّتِي قَالَ لَا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ إِنَّ مِنْ سُنَّتِي أَنْ أُصَلِّيَ وَأَنَامَ وَأَصُومَ وَأَطْعَمَ وَأَنْكِحَ وَأُطَلِّقَ فَمَنْ رَغِبَ عَنْ سُنَّتِي فَلَيْسَ مِنِّي يَا عُثْمَانُ إِنَّ لِأَهْلِكَ عَلَيْكَ حَقًّا وَلِعَيْنِكَ عَلَيْكَ حَقًّا قَالَ سَعْدٌ فَوَاللَّهِ لَقَدْ كَانَ أَجْمَعَ رِجَالٌ مِنْ الْمُسْلِمِينَ عَلَى أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنْ هُوَ أَقَرَّ عُثْمَانَ عَلَى مَا هُوَ عَلَيْهِ أَنْ نَخْتَصِيَ فَنَتَبَتَّلَ
حدثنا محمد بن يزيد الحزامي حدثنا يونس بن بكير حدثني ابن إسحق حدثني الزهري عن سعيد بن المسيب عن سعد بن أبي وقاص قال لما كان من أمر عثمان بن مظعون الذي كان من ترك النساء بعث إليه رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال يا عثمان إني لم أومر بالرهبانية أرغبت عن سنتي قال لا يا رسول الله قال إن من سنتي أن أصلي وأنام وأصوم وأطعم وأنكح وأطلق فمن رغب عن سنتي فليس مني يا عثمان إن لأهلك عليك حقا ولعينك عليك حقا قال سعد فوالله لقد كان أجمع رجال من المسلمين على أن رسول الله صلى الله عليه وسلم إن هو أقر عثمان على ما هو عليه أن نختصي فنتبتل
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ সা’দ বিন আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২০৯
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৪. স্ত্রী লোকের চারটি বৈশিষ্ট্য দেখে বিয়ে করা হয়
২২০৯. আবী হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “নারীদেরকে চারটি বৈশিষ্ট্য দেখে বিয়ে করা হয়: দীনদারী, সৌন্দর্য্য, ধন-সম্পদ ও বংশ মর্যাদা। তোমার হাত ধুলায় ধুসরিত হোক! তোমার কর্তব্য হলো, দীনদারকে অগ্রাধিকার দেয়া।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।
তাখরীজ: বুখারী, নিকাহ ৫০৯০; মুসলিম, রিদা’আ’ ১৪৬৬;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৫৭৮; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪০৩৬ তে।
بَاب تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ عَلَى أَرْبَعٍ
أَخْبَرَنَا صَدَقَةُ بْنُ الْفَضْلِ أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ تُنْكَحُ النِّسَاءُ لِأَرْبَعٍ لِلدِّينِ وَالْجَمَالِ وَالْمَالِ وَالْحَسَبِ فَعَلَيْكَ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ
أخبرنا صدقة بن الفضل أخبرنا يحيى بن سعيد عن عبيد الله عن سعيد بن أبي سعيد عن أبيه عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال تنكح النساء لأربع للدين والجمال والمال والحسب فعليك بذات الدين تربت يداك
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২১০
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৪. স্ত্রী লোকের চারটি বৈশিষ্ট্য দেখে বিয়ে করা হয়
২২১০. জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতেও এ হাদীস বর্ণিত হয়েছে।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।
তাখরীজ: আমরা এর সকল বর্ণনা একত্রিত করেছি এবং পূর্ণ তাখরীজ ও টীকা দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৭৯৩, ১৮৫০, ১৮৯৮, ২১১৭, ২১২৪, ২১২৫; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৭১৭, ৬৫১৭, ৬৫১৮, ৬৫১৯, ৬৬৮৩, ৬৭৩৮ তে। আরও দেখুন, মুসনাদুল হুমাইদী নং ১২৬১।
بَاب تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ عَلَى أَرْبَعٍ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُسْهِرٍ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ جَابِرٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِهَذَا الْحَدِيثِ
أخبرنا محمد بن عيينة عن علي بن مسهر عن عبد الملك عن عطاء عن جابر عن النبي صلى الله عليه وسلم بهذا الحديث
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২১১
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৫. বাগদানের সময় স্ত্রীলোককে দেখার অনুমতি
২২১১. মুগীরাহ ইবনু শু’বাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি এক আনসারী মহিলাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেন, “তুমি গিয়ে তাকে দেখে নাও। কেননা তা তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও সহমর্মিতা অব্যাহত রাখতে অধিক সহায়ক হবে।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৭৪১৮; মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩৪৩৮ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪০৪৩ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১২৩৬ তে।
এর শাহিদ রয়েছে আবূ হুরাইরাহ’র হাদীস মুসলিম, নিকাহ ১৪২৪।
بَاب الرُّخْصَةِ فِي النَّظَرِ إِلَى الْمَرْأَةِ عِنْدَ الْخِطْبَةِ
أَخْبَرَنَا قَبِيصَةُ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَاصِمٍ الْأَحْوَلِ عَنْ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمُزَنِيِّ عَنْ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ أَنَّهُ خَطَبَ امْرَأَةً مِنْ الْأَنْصَارِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اذْهَبْ فَانْظُرْ إِلَيْهَا فَإِنَّهُ أَجْدَرُ أَنْ يُؤْدَمَ بَيْنَكُمَا
أخبرنا قبيصة حدثنا سفيان عن عاصم الأحول عن بكر بن عبد الله المزني عن المغيرة بن شعبة أنه خطب امرأة من الأنصار فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم اذهب فانظر إليها فإنه أجدر أن يؤدم بينكما
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ মুগীরা ইবনু শু’বা (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২১২
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৬. কোনো লোক যখন বিয়ে করে, তখন তাকে যা বলা (দু’আ করা) হবে
২২১২. আকীল ইবনু আবূ ত্বলিব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিনি বসরায় এসে বনু জুশম গোত্রের এক মহিলাকে বিবাহ করলে লোকেরা (মুবারকবাদ দিয়ে) বললো, ’সুখী হও এবং অধিক সন্তান হোক।’ তিনি বলেন, তোমরা এরূপ বলো না। বরং রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ বলতে নিষেধ করেছেন এবং আমাদেরকে আদেশ করেছেন যেন, আমরা বলি: ’বারাকাল্লাহ লাকা ওয়া বারাকা আলাইকা।’ (অর্থ: তোমাকে বরকত দান করুন এবং তোমার উপর বরকত নাযিল করুন।)[1]
[1] তাহক্বীক্ব: (আমার) অন্তরে ঝোঁক হচ্ছে এর সনদ সহীহ হওয়ার প্রতিই। ‘ফাতহুল বারী ৯/২২২ এ একে নাসাঈ ও তাবারাণী’র প্রতি সম্বন্ধিত করে হাফিজ ইবনু হাজার বলেন: ‘ হাসান সম্পর্কে বলা হয় যে, তিনি আকীল হতে কিছু শোনেননি।’ তবে আকীলের মৃত্যুর সময় হাসানের বয়স প্রায় ৪০ বছর। আর আকীল বসরায় এসেছিলেন। ফলে এটি অসম্ভব কিংবা দূরবর্তী নয় যে, হাসান তার নিকট শুনেছেন। আল্লাহই ভাল জানেন।
তাখরীজ: বাইহাকী, নিকাহ ৭/১৪৮; ইবনুল আ’রাবী, আল মু’জাম নং ২৫৪; আবুশ শাইখ, তাবাকাতুল মুহাদ্দিসীন বিআসবাহান নং ২৩৮; আহমাদ ১/২০১,৩/৪৫১; ইবনুল কানী’, মু’জামুস সাহাবাহ তরজমাহ নং ৮২৩; তাবারাণী, কাবীর ১৭/১৯৩ নং ৫১৪, ৫১৬; নাসাঈ, কুবরা নং ১০০৯২; ইবনু মাজাহ, নিকাহ নং ১৯০৬; আব্দুর রাযযাক নং ১০৪৫৭।
পরবর্তী হাদীসটি এর শাহিদ।
بَاب إِذَا تَزَوَّجَ الرَّجُلُ مَا يُقَالُ لَهُ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ الْعَبْدِيُّ الْبَصْرِيُّ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ عَنْ يُونُسَ عَنْ الْحَسَنِ قَالَ سَمِعْتُهُ يَقُولُ قَدِمَ عَقِيلُ بْنُ أَبِي طَالِبٍ الْبَصْرَةَ فَتَزَوَّجَ امْرَأَةً مِنْ بَنِي جُشَمٍ فَقَالُوا لَهُ بِالرِّفَاءِ وَالْبَنِينَ فَقَالَ لَا تَقُولُوا ذَلِكَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَانَا عَنْ ذَلِكَ وَأَمَرَنَا أَنْ نَقُولَ بَارَكَ اللَّهُ لَكَ وَبَارَكَ عَلَيْكَ
أخبرنا محمد بن كثير العبدي البصري أخبرنا سفيان عن يونس عن الحسن قال سمعته يقول قدم عقيل بن أبي طالب البصرة فتزوج امرأة من بني جشم فقالوا له بالرفاء والبنين فقال لا تقولوا ذلك إن رسول الله صلى الله عليه وسلم نهانا عن ذلك وأمرنا أن نقول بارك الله لك وبارك عليك
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২১৩
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৬. কোনো লোক যখন বিয়ে করে, তখন তাকে যা বলা (দু’আ করা) হবে
২২১৩. আবী হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদের বিয়ের পরে দু’আ করার সময় বলতেন: “বারাকাল্লাহ লাকা ওয়া বারাকা আলাইকা। ওয়া জামা’আ বাইনাকুমা ফী খইর।”[1] (অর্থ: তোমাকে বরকত দান করুন এবং তোমার উপর বরকত নাযিল করুন। আর তোমাদেরকে কল্যাণের মধ্যে মিলিত করুন।)
[1] তাহক্বীক্ব: নু’আইম ইবনু হাম্মাদের কারণে এর সনদ হাসান। তবে তিনি এ বর্ণনায় একাকী নন, তার অনুসরণে বর্ণনা করেছেন অনেক বিশ্বস্ত বর্ণনাকারীগণ। ফলে এর সনদ সহীহের স্তরে উন্নীত হয়। আল্লাহই ভাল জানেন।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মাউসিলী, মু’জামুশ শুয়ুখ নং ৩২৫ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪০৫২ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১২৮৪ তে।
بَاب إِذَا تَزَوَّجَ الرَّجُلُ مَا يُقَالُ لَهُ
حَدَّثَنَا نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ عَنْ سُهَيْلٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ كَانَ إِذَا رَفَّأَ لِإِنْسَانٍ قَالَ بَارَكَ اللَّهُ لَكَ وَبَارَكَ عَلَيْكَ وَجَمَعَ بَيْنَكُمَا فِي خَيْرٍ
حدثنا نعيم بن حماد حدثنا عبد العزيز عن سهيل عن أبيه عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه كان إذا رفأ لإنسان قال بارك الله لك وبارك عليك وجمع بينكما في خير
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২১৪
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৭. এক (মুসলিম) ভাইয়ের বিয়ের প্রস্তাবের উপর অপর জনের প্রস্তাব দেয়া নিষেধ
২২১৪. আবী হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক (মুসলিম) ভাইয়ের বিয়ের প্রস্তাবের অপর ব্যক্তির প্রস্তাব দিতে নিষেধ করেছেন।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।
তাখরীজ: বুখারী, বুয়ূ ২১৪০; মুসলিম, নিকাহ ১৪১৩;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৮৮৪; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪০৪৬ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ১০৫৬, ১০৫৭ তে।
بَاب النَّهْيِ عَنْ خِطْبَةِ الرَّجُلِ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ نَهَى عَنْ أَنْ يَخْطُبَ الرَّجُلُ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ
أخبرنا أبو الوليد الطيالسي حدثنا شعبة عن سهيل بن أبي صالح عن أبيه عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه نهى عن أن يخطب الرجل على خطبة أخيه
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২১৫
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৭. এক (মুসলিম) ভাইয়ের বিয়ের প্রস্তাবের উপর অপর জনের প্রস্তাব দেয়া নিষেধ
২২১৫. ইবনু ’উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মুসলিম ভাইয়ের বিয়ের প্রস্তাবের ওপরে অন্য ভাইকে প্রস্তাব দিতে এবং এক ভাই দরদাম করলে অন্যকে তার দরদাম করতে নিষেধ করেছেন নিষেধ করেছেন, যতক্ষণ না প্রথম প্রস্তাবকারী তাকে অনুমতি দেবে।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।
তাখরীজ: বুখারী, বুয়ূ ২১৩৯; মুসলিম, নিকাহ ১৪১২;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৮০১, ৫৮০৭; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪০৪৭, ৪০৫১ তে।
بَاب النَّهْيِ عَنْ خِطْبَةِ الرَّجُلِ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ خَالِدٍ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ قَالَ حَدَّثَنِي نَافِعٌ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا يَخْطُبُ أَحَدُكُمْ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ وَلَا يَبِيعُ عَلَى بَيْعِ أَخِيهِ حَتَّى يَأْذَنَ لَهُ
حدثنا عبد الله بن سعيد حدثنا عقبة بن خالد عن عبيد الله قال حدثني نافع عن ابن عمر أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لا يخطب أحدكم على خطبة أخيه ولا يبيع على بيع أخيه حتى يأذن له
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২১৬
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৭. এক (মুসলিম) ভাইয়ের বিয়ের প্রস্তাবের উপর অপর জনের প্রস্তাব দেয়া নিষেধ
২২১৬. ফাতিমা বিনত কায়স রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিনি কুরাইশ গোত্রের বনী মাখযুম উপগোত্রের এক ব্যক্তির (আবূ আমর ইবন হাফসের) সাথে বিবাহাধীন ছিলেন। আর তিনি তাকে তিন তালাক বায়েন প্রদান করেন। এরপর তিনি তার উকিল মারফত তার নিকট খোরপোশ দাবী করেন। তখন তিনি বলেন, আল্লার শপথ! তোমার জন্য কোনো খোরপোশ প্রাপ্য নেই। এ খবরটি রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কে অবহিত করা হলে তিনি বলেন, “তার নিকট তোমার কিছুই পাওনা নেই। আর তোমার উপর ইদ্দত পালন ওয়াজিব। আর তুমি উম্মু শারীকের ঘরে চলে যাও (অবস্থান করো) এবং তোমার নিজের (নফসের) দ্বারা আমাদেরকে ফিতনায় ফেলো না।”
এরপর তিনি বলেন, “উম্মু শারীক এমন এক মহিলা, যার ঘরে তার মুহাজির ভাইয়েরা যাতায়াত করে। তুমি বরং উম্মে মাখতুমের ঘরে যাও (অবস্থান কর)। কেননা, সে হল একজন অন্ধ লোক, কাজেই তুমি তোমার কাপড় খুলে রাখলে সে কিছুই দেখতে পাবে না। আর তোমার নিজের (নফসের) দ্বারা আমাদেরকে ফিতনায় ফেলো না।” এরপর তিনি উম্মু মাকতুমের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নিলেন। এবং যখন তিনি হালাল হলেন (ইদ্দত পূর্ণ করলেন), তখন তিনি উল্লেখ করলেন যে, মু’আবিয়া ও আবূ জাহাম উভয়ে তার নিকট বিবাহের উদ্দেশ্যে পয়গাম পাঠান। তখন রাসূলূল্লাহ্ (সাঃ) বলেন, “মু’আবিয়া – সে তো ফকীর। আর আবূ জাহাম তো তার কাঁধ হতে লাঠিই সরায় না ( অর্থাৎ অধিক মারধরকারী)। এবং তার কোন মাল নেই। উসামার ব্যাপারে তোমার মত কি?” তার পরিবারের লোকদের নিকট তা অপছন্দনীয় মনে হলো। অত:পর সে বললো, আল্লাহর কসম! রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমারকে যার সাথে বিয়ে দিবেন, তাকে ছাড়া আমি বিয়েই করব না। এরপর তিনি উসামাকে বিবাহ করেন।
বর্ণনাকারী মুহাম্মদ ইবনু আমির (রহঃ) বলে, মুহাম্মদ ইবনু ইবরাহীম বলেন, হে ফাতিমাহ! আল্লাহকে ভয় করো। তুমি জানো তো যে এটি কোন্ বিষয়ে ছিল।
তিনি বলেন, আর ইবনু আব্বাস বলেছেন: আল্লাহ তা’আলা বলেন, “হে নবী! তোমরা যখন তোমাদের স্ত্রীদেরকে তালাক দিতে ইচ্ছা কর তবে তাদেরকে তালাক দিয়ো ইদ্দতের প্রতি লক্ষ্য রেকে, ইদ্দতের হিসাব রেখো এবং তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় করো; তোমরা তাদেরকে তাদের বাসগৃহ হতে বের করে দিও না এবং তারাও যেন বের না হয়, যদি না তারা স্পষ্ট অশ্লীলতায় লিপ্ত হয়।” (সুরা তালাক: ১) আর ফাহিশাহ (অশ্লীল কাজ)এর মধ্যে এও শামিল রয়েছে যে, সে তার পরিবারকে কষ্ট দেবে; সে একাজ করলে তাদের জন্য তাকে বের করে দেওয়া হালাল হয়ে যাবে।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: মুসলিম, তালাক ১৪৮০;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪০৪৯ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৩৬৭ তে।
এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আবী হুরাইরাহ হতে, আমরা যার তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৯২৮ তে।
بَاب النَّهْيِ عَنْ خِطْبَةِ الرَّجُلِ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ أَنَّهَا حَدَّثَتْهُ وَكَتَبَهُ مِنْهَا كِتَابًا أَنَّهَا كَانَتْ تَحْتَ رَجُلٍ مِنْ قُرَيْشٍ مِنْ بَنِي مَخْزُومٍ فَطَلَّقَهَا الْبَتَّةَ فَأَرْسَلَتْ إِلَى أَهْلِهِ تَبْتَغِي مِنْهُمْ النَّفَقَةَ فَقَالُوا لَيْسَ لَكِ نَفَقَةٌ فَبَلَغَ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لَيْسَ لَكِ نَفَقَةٌ وَعَلَيْكِ الْعِدَّةُ وَانْتَقِلِي إِلَى بَيْتِ أُمِّ شَرِيكٍ وَلَا تُفَوِّتِينَا بِنَفْسِكِ ثُمَّ قَالَ إِنَّ أُمَّ شَرِيكٍ امْرَأَةٌ يَدْخُلُ عَلَيْهَا إِخْوَانُهَا مِنْ الْمُهَاجِرِينَ وَلَكِنْ انْتَقِلِي إِلَى بَيْتِ ابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ فَإِنَّهُ رَجُلٌ أَعْمَى إِنْ وَضَعْتِ ثِيَابَكِ لَمْ يَرَ شَيْئًا وَلَا تُفَوِّتِينَا بِنَفْسِكِ فَانْطَلَقَتْ إِلَى بَيْتِ ابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ فَلَمَّا حَلَّتْ ذَكَرَتْ أَنَّ مُعَاوِيَةَ وَأَبَا جَهْمٍ خَطَبَاهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَّا مُعَاوِيَةُ فَرَجُلٌ لَا مَالَ لَهُ وَأَمَّا أَبُو جَهْمٍ فَلَا يَضَعُ عَصَاهُ عَنْ عَاتِقِهِ فَأَيْنَ أَنْتُمْ مِنْ أُسَامَةَ فَكَأَنَّ أَهْلَهَا كَرِهُوا ذَلِكَ فَقَالَتْ وَاللَّهِ لَا أَنْكِحُ إِلَّا الَّذِي قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَكَحَتْ أُسَامَةَ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ يَا فَاطِمَةُ اتَّقِي اللَّهَ فَقَدْ عَلِمْتِ فِي أَيِّ شَيْءٍ كَانَ هَذَا قَالَ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى لَا تُخْرِجُوهُنَّ مِنْ بُيُوتِهِنَّ وَلَا يَخْرُجْنَ إِلَّا أَنْ يَأْتِينَ بِفَاحِشَةٍ مُبَيِّنَةٍ وَالْفَاحِشَةُ أَنْ تَبْذُوَ عَلَى أَهْلِهَا فَإِذَا فَعَلَتْ ذَلِكَ فَقَدْ حَلَّ لَهُمْ أَنْ يُخْرِجُوهَا
أخبرنا يزيد بن هارون أخبرنا محمد بن عمرو عن أبي سلمة عن فاطمة بنت قيس أنها حدثته وكتبه منها كتابا أنها كانت تحت رجل من قريش من بني مخزوم فطلقها البتة فأرسلت إلى أهله تبتغي منهم النفقة فقالوا ليس لك نفقة فبلغ ذلك رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال ليس لك نفقة وعليك العدة وانتقلي إلى بيت أم شريك ولا تفوتينا بنفسك ثم قال إن أم شريك امرأة يدخل عليها إخوانها من المهاجرين ولكن انتقلي إلى بيت ابن أم مكتوم فإنه رجل أعمى إن وضعت ثيابك لم ير شيئا ولا تفوتينا بنفسك فانطلقت إلى بيت ابن أم مكتوم فلما حلت ذكرت أن معاوية وأبا جهم خطباها فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم أما معاوية فرجل لا مال له وأما أبو جهم فلا يضع عصاه عن عاتقه فأين أنتم من أسامة فكأن أهلها كرهوا ذلك فقالت والله لا أنكح إلا الذي قال رسول الله صلى الله عليه وسلم فنكحت أسامة قال محمد بن عمرو قال محمد بن إبراهيم يا فاطمة اتقي الله فقد علمت في أي شيء كان هذا قال وقال ابن عباس قال الله تعالى لا تخرجوهن من بيوتهن ولا يخرجن إلا أن يأتين بفاحشة مبينة والفاحشة أن تبذو على أهلها فإذا فعلت ذلك فقد حل لهم أن يخرجوها
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২১৭
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৮. যে অবস্থায় কোনো লোকের জন্য বিবাহের প্রস্তাব দেওয়া জায়েয হয়
২২১৭. আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো নারী ও তার ফুফুকে (একত্রে) বা ফুফু ও তার ভাতিজীকে (একত্রে) এবং কোনো নারী ও তার খালাকে (একত্রে) কিংবা খালা ও তার বোনঝিকে একত্রে, এবং ছোট বোন ও বড় বোনকে একত্রে কিংবা বড় ও ছোট বোনকে একত্রে বিয়ে করতে নিষেধ করেছেন।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।
তাখরীজ: বুখারী, নিকাহ ৫১০৯, ৫১১০; মুসলিম, নিকাহ ১৪০৮;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৬৪১; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪০৬৮, ৪১১৩, ৪১১৫, ৪১১৭, ৪১১৮ তে। পরবর্তী টীকাটিও দেখুন।
بَاب الْحَالِ الَّتِي يَجُوزُ لِلرَّجُلِ أَنْ يَخْطُبَ فِيهَا
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ حَدَّثَنَا دَاوُدُ يَعْنِي ابْنَ أَبِي هِنْدٍ حَدَّثَنَا عَامِرٌ حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى أَنْ تُنْكَحَ الْمَرْأَةُ عَلَى عَمَّتِهَا وَالْعَمَّةُ عَلَى ابْنَةِ أَخِيهَا أَوْ الْمَرْأَةُ عَلَى خَالَتِهَا أَوْ الْخَالَةُ عَلَى بِنْتِ أُخْتِهَا وَلَا تُنْكَحُ الصُّغْرَى عَلَى الْكُبْرَى وَلَا الْكُبْرَى عَلَى الصُّغْرَى
أخبرنا يزيد بن هارون حدثنا داود يعني ابن أبي هند حدثنا عامر حدثنا أبو هريرة أن رسول الله صلى الله عليه وسلم نهى أن تنكح المرأة على عمتها والعمة على ابنة أخيها أو المرأة على خالتها أو الخالة على بنت أختها ولا تنكح الصغرى على الكبرى ولا الكبرى على الصغرى
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২১৮
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৮. যে অবস্থায় কোনো লোকের জন্য বিবাহের প্রস্তাব দেওয়া জায়েয হয়
২২১৮. আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাউকে একসঙ্গে কোনো নারী ও তার ফুফুকে একত্রে এবং কোনো নারী ও তার খালাকে একত্রে বিয়ে করতে নিষেধ করেছেন।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: মালিক, নিকাহ ২০; তার সূত্রে বুখারী, নিকাহ ৫১০৯; মুসলিম, নিকাহ ১৪০৮; আগের হাদীসটি দেখুন।
بَاب الْحَالِ الَّتِي يَجُوزُ لِلرَّجُلِ أَنْ يَخْطُبَ فِيهَا
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى أَنْ يُجْمَعَ بَيْنَ الْمَرْأَةِ وَعَمَّتِهَا وَالْمَرْأَةِ وَخَالَتِهَا
حدثنا عبيد الله بن عبد المجيد حدثنا مالك عن أبي الزناد عن الأعرج عن أبي هريرة أن رسول الله صلى الله عليه وسلم نهى أن يجمع بين المرأة وعمتها والمرأة وخالتها
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২১৯
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৯. শিগার’ বা আপন বোন বা নিকটস্থ কোনো মেয়েকে মাহর ছাড়া একে অপরের নিকট বিবাহ দেয়ার নিষেধাজ্ঞা
২২১৯. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিগার’ (বা আপন বোন বা নিকটস্থ কোনো মেয়েকে মাহর ছাড়া একে অপরের নিকট বিবাহ দেয়া) থেকে নিষেধ করেছেন।
মালিক (রহঃ) বলেন: শিগার হলো কোনো লোক তার মেয়েকে অপর ব্যক্তির সাথে বিবাহ দেয়া এ শর্তে যে, সে তার মেয়েকে বিবাহ দেবে কোনো মোহরানা ব্যতীত।[1] আবূ মুহাম্মদ কে জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি কি মনে করেন তাদের মধ্যে বিবাহ সম্পন্ন হয়? তিনি বলেন, না, তা আমাকে বিস্মিত করে।
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ শক্তিশালী।
তাখরীজ: মালিক, নিকাহ ২৪; তার সূত্রে বুখারী, নিকাহ ৫১১২; মুসলিম, নিকাহ ১৪১৫; আগের হাদীসটি দেখুন।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ ও টীকা দিয়েছি ও (হাদীসটির সনদের ব্যাপারে) হাসান-এর দিকে মতামত প্রত্যাবর্তন করেছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৭৯৫, ৫৮১৯; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪১৫২ তে।
بَاب فِي النَّهْيِ عَنْ الشِّغَارِ
حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ الشِّغَارِ قَالَ مَالِكٌ وَالشِّغَارُ أَنْ يُزَوِّجَ الرَّجُلُ الْآخَرَ ابْنَتَهُ عَلَى أَنْ يُزَوِّجَهُ الْآخَرُ ابْنَتَهُ بِغَيْرِ صَدَاقٍ قِيلَ لِأَبِي مُحَمَّدٍ تَرَى بَيْنَهُمَا نِكَاحًا قَالَ لَا يُعْجِبُنِي
حدثنا خالد بن مخلد حدثنا مالك عن نافع عن ابن عمر قال نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم عن الشغار قال مالك والشغار أن يزوج الرجل الآخر ابنته على أن يزوجه الآخر ابنته بغير صداق قيل لأبي محمد ترى بينهما نكاحا قال لا يعجبني
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২২০
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১০. নেককার পুরুষের সাথে নেককার স্ত্রীলোকের বিবাহ সম্পর্কে
২২২০. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তোমরা নেককার পুরুষের সাথে নেককার স্ত্রীলোকের বিবাহ দাও।”আবূ মুহাম্মদ বলেন, এ হাদীসের কিছু অংশ আমার থেকে বাদ পড়ে গেছে, তা হলো: “ফলে পরবর্তী প্রজন্মও নেককার বা উত্তম হবে।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান।
তাখরীজ: সুয়ূতী, দুররে মানসূর ৫/৪৪ এ একে ইবনু মারদুবিয়ার প্রতি সম্বন্ধিত করেছেন। এছাড়া আর কোথাও আমি পাইনি।
بَاب فِي نِكَاحِ الصَّالِحِينَ وَالصَّالِحَاتِ
أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عُمَرَ بْنِ كَيْسَانَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ وَهْبِ بْنِ أَبِي مُغِيثٍ حَدَّثَتْنِي أَسْمَاءُ بِنْتُ أَبِي بَكْرٍ عَنْ عَائِشَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَنْكِحُوا الصَّالِحِينَ وَالصَّالِحَاتِ قَالَ أَبُو مُحَمَّد وَسَقَطَ عَلَيَّ مِنْ الْحَدِيثِ فَمَا تَبِعَهُمْ بَعْدُ فَحَسَنٌ
أخبرنا أبو عاصم عن إبراهيم بن عمر بن كيسان عن أبيه عن وهب بن أبي مغيث حدثتني أسماء بنت أبي بكر عن عائشة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال أنكحوا الصالحين والصالحات قال أبو محمد وسقط علي من الحديث فما تبعهم بعد فحسن
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২২১
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১১. ওলী (অভিভাক) ব্যতীত বিয়ে নিষিদ্ধ
২২২১. আবী বুরদাহ তার পিতা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “ওলী (শরী’আ সম্মত অভিভাবক) ব্যতীত বিয়ে নেই।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭২২৭; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪০৭৭, ৪০৭৮, ৪০৮৩, ৪০৯০ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১২৪৩, ১২৪৪, ১২৪৫ তে।
بَاب النَّهْيِ عَنْ النِّكَاحِ بِغَيْرِ وَلِيٍّ
أَخْبَرَنَا مَالِكُ بْنُ إِسْمَعِيلَ حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا نِكَاحَ إِلَّا بِوَلِيٍّ
أخبرنا مالك بن إسمعيل حدثنا إسرائيل عن أبي إسحق عن أبي بردة عن أبيه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا نكاح إلا بولي
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবূ বুরদাহ্ ইবনু আবূ মূসা আশ‘আরী (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২২২
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১১. ওলী (অভিভাক) ব্যতীত বিয়ে নিষিদ্ধ
২২২২. আবী মুসা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “ওলী (শরী’আ সম্মত অভিভাবক) ব্যতীত বিয়ে নেই।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ।
তাখরীজ: হাদীসটি পূর্বের হাদীসের পুনরাবৃত্তি। সেখানে দেখুন।
بَاب النَّهْيِ عَنْ النِّكَاحِ بِغَيْرِ وَلِيٍّ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِي مُوسَى عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا نِكَاحَ إِلَّا بِوَلِيٍّ
حدثنا علي بن حجر أخبرنا شريك عن أبي إسحق عن أبي بردة عن أبي موسى عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لا نكاح إلا بولي
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f) বর্ণনাকারীঃ আবূ মূসা আল- আশ’আরী (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২২৩
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১১. ওলী (অভিভাক) ব্যতীত বিয়ে নিষিদ্ধ
২২২৩. আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে কোন মহিলা তার ওলীর অনুমতি ব্যতিরেকে বিয়ে করবে,তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল,তার বিবাহ বাতিল।” বর্ণনাকারী আবূ আসিম বলেন, তিনি আরেকবার বলেন, “তারা দ্বন্দ্বে লিপ্ত হলে, শাসকই হবে তার ওলী,যার ওলী নেই। যদি এরপর স্বামী তার সাথে সঙ্গত হয় তবে স্ত্রী মোহরানার হকদার হবে। যেহেতু তার স্বামী তার লজ্জাস্থানকে হালাল মনে করে ভোগ করেছে।”আবূ আসিম বলেন, হাদীসটি আমার দ্বারা লেখানো হয় ১৪৬ (হিজরী) সালে।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান। সুলাইমান ইবনু মূসা’র কারণে। তবে ইবনু জুরাইজ হাদ্দাসান’ বলে বর্ণনা করেছেন মাউসিলীতে।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৫০৭, ২৫০৮, ৪৬৮২, ৪৬৯২, ৪৭৪৯; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪০৭৫ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১২৪৮ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ২৩০ তে, যেখানে বাড়তিভাবে লেখা হয়েছে : ‘এর সনদ সহীহ’। ((আবূ দাউদ, নিকাহ ২০৮৩; তিরমিযী, নিকাহ ১১০৮; ইবনু মাজাহ, নিকাহ ১৮৭৯।– ফাওয়ায আহমেদের দারেমী, হা/২১৮৪ এর টীকা হতে।-অনুবাদক))
بَاب النَّهْيِ عَنْ النِّكَاحِ بِغَيْرِ وَلِيٍّ
حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَيُّمَا امْرَأَةٍ نُكِحَتْ بِغَيْرِ إِذْنِ وَلِيِّهَا فَنِكَاحُهَا بَاطِلٌ فَنِكَاحُهَا بَاطِلٌ فَنِكَاحُهَا بَاطِلٌ فَإِنْ اشْتَجَرُوا قَالَ أَبُو عَاصِمٍ وَقَالَ مَرَّةً فَإِنْ تَشَاجَرُوا فَالسُّلْطَانُ وَلِيُّ مَنْ لَا وَلِيَّ لَهُ فَإِنْ أَصَابَهَا فَلَهَا الْمَهْرُ بِمَا اسْتَحَلَّ مِنْ فَرْجِهَا قَالَ أَبُو عَاصِمٍ أَمْلَاهُ عَلَيَّ سَنَةَ سِتٍّ وَأَرْبَعِينَ وَمِائَةٍ
حدثنا أبو عاصم عن ابن جريج عن سليمان بن موسى عن الزهري عن عروة عن عائشة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال أيما امرأة نكحت بغير إذن وليها فنكاحها باطل فنكاحها باطل فنكاحها باطل فإن اشتجروا قال أبو عاصم وقال مرة فإن تشاجروا فالسلطان ولي من لا ولي له فإن أصابها فلها المهر بما استحل من فرجها قال أبو عاصم أملاه علي سنة ست وأربعين ومائة
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২২৪
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১২. ইয়াতীম মেয়ের বিয়ে প্রসঙ্গে
২২২৪. আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমরা ইয়াতীম মেয়েদেরকে বিয়ে করার জন্য তাদের নিকট থেকে সম্মতি গ্রহণ করো। যদি তারা চুপ থাকে, তবে সে অনুমতি দিল (বলে গণ্য হবে)। আর যদি সে অস্বীকার করে, তবে তাকে বাধ্য করা যাবে না।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭৩২৭; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪০৮৫ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১২৩৮ তে। ((আবূ দাউদ, নিকাহ ২০৯৩।- অনুবাদক))
بَاب فِي الْيَتِيمَةِ تُزَوِّجُ
أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ أَبِي إِسْحَقَ حَدَّثَنِي أَبُو بُرْدَةَ بْنُ أَبِي مُوسَى عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تُسْتَأْمَرُ الْيَتِيمَةُ فِي نَفْسِهَا فَإِنْ سَكَتَتْ فَقَدْ أَذِنَتْ وَإِنْ أَبَتْ لَمْ تُكْرَهْ
أخبرنا أبو نعيم حدثنا يونس بن أبي إسحق حدثني أبو بردة بن أبي موسى عن أبي موسى قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم تستأمر اليتيمة في نفسها فإن سكتت فقد أذنت وإن أبت لم تكره
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২২৫
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৩. কুমারী ও অকুমারী (বিধবা বা তালাকপ্রাপ্তা) মেয়েদের থেকে সম্মতি গ্রহণ
২২২৫. আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “অকুমারী মেয়েদেরকে তাদের সম্মতি না পাওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেওয়া যাবে না। আবার কুমারী মেয়েদেরকেও তাদের অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেওয়া যাবে না। আর চুপ থাকাই তার অনুমতি প্রদান।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬০১৯, ৭৩২৮; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪০৭৯, ৪০৮৬ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১২৩৯ তে। পূর্ণ তাখরীজের জন্য পরবর্তী হাদীসটি দেখুন।
بَاب اسْتِئْمَارِ الْبِكْرِ وَالثَّيِّبِ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تُنْكَحُ الثَّيِّبُ حَتَّى تُسْتَأْمَرَ وَلَا تُنْكَحُ الْبِكْرُ حَتَّى تُسْتَأْذَنَ وَإِذْنُهَا الصُّمُوتُ
أخبرنا أبو المغيرة حدثنا الأوزاعي حدثني يحيى عن أبي سلمة عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا تنكح الثيب حتى تستأمر ولا تنكح البكر حتى تستأذن وإذنها الصموت
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২২৬
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৩. কুমারী ও অকুমারী (বিধবা বা তালাকপ্রাপ্তা) মেয়েদের থেকে সম্মতি গ্রহণ
২২২৬. (অপর সূত্রে) আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এ হাদীস বর্ণিত আছে।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: বুখারী, নিকাহ ৫১৩৬; মুসলিম, নিকাহ ১৪১৯; আগের হাদীসটি দেখুন।
بَاب اسْتِئْمَارِ الْبِكْرِ وَالثَّيِّبِ
أَخْبَرَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ يَحْيَى عَنْ أَبِي سَلَمَةَ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ حَدَّثَهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِهَذَا الْحَدِيثِ
أخبرنا وهب بن جرير حدثنا هشام عن يحيى عن أبي سلمة أن أبا هريرة حدثه عن رسول الله صلى الله عليه وسلم بهذا الحديث
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২২৭
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৩. কুমারী ও অকুমারী (বিধবা বা তালাকপ্রাপ্তা) মেয়েদের থেকে সম্মতি গ্রহণ
২২২৭. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বিধবা নারী তার নিজের (বিয়ের) ব্যাপারে তার ওলীর চেয়ে অধিক কর্তৃত্বশীল। আর কুমারী মেয়ে থেকেও তার (বিয়ের) ব্যাপারে অনুমতি গ্রহণ করা কর্তব্য। আর তার চুপ থাকাই তার অনুমতি প্রদান।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ শক্তিশালী।
তাখরীজ: মালিক, নিকাহ ৪; মুসলিম, নিকাহ ১৪২১;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪০৮৪, ৪০৮৭, ৪০৮৮ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৫২৭ তে। এছাড়া, সাঈদ ইবনু মানসূর নং ৫৫৬; তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ৩/১১, ৪/৩৬৬।
بَاب اسْتِئْمَارِ الْبِكْرِ وَالثَّيِّبِ
حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْفَضْلِ عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْأَيِّمُ أَحَقُّ بِنَفْسِهَا مِنْ وَلِيِّهَا وَالْبِكْرُ تُسْتَأْذَنُ فِي نَفْسِهَا وَإِذْنُهَا صُمَاتُهَا
حدثنا خالد بن مخلد حدثنا مالك عن عبد الله بن الفضل عن نافع بن جبير بن مطعم عن ابن عباس قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الأيم أحق بنفسها من وليها والبكر تستأذن في نفسها وإذنها صماتها
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২২৮
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৩. কুমারী ও অকুমারী (বিধবা বা তালাকপ্রাপ্তা) মেয়েদের থেকে সম্মতি গ্রহণ
২২২৮. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “কুমারী মেয়ে থেকে তার (বিয়ের) ব্যাপারে অনুমতি গ্রহণ করা হবে। আর তার চুপ থাকাই তার অনুমতি প্রদান।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: এটি আগের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি।
بَاب اسْتِئْمَارِ الْبِكْرِ وَالثَّيِّبِ
حَدَّثَنَا إِسْحَقُ بْنُ عِيسَى حَدَّثَنِي مَالِكٌ أَوَّلُ شَيْءٍ سَأَلْتُهُ عَنْهُ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْفَضْلِ عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تُسْتَأْذَنُ الْبِكْرُ وَإِذْنُهَا صُمَاتُهَا
حدثنا إسحق بن عيسى حدثني مالك أول شيء سألته عنه قال حدثنا عبد الله بن الفضل عن نافع بن جبير عن ابن عباس قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم تستأذن البكر وإذنها صماتها
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২২৯
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৩. কুমারী ও অকুমারী (বিধবা বা তালাকপ্রাপ্তা) মেয়েদের থেকে সম্মতি গ্রহণ
২২২৯. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “বিধবা নারী তার নিজের (বিয়ের) বিষয়ে তার ওলীর চেয়ে অধিক ক্ষমতাবান। আর কুমারী মেয়ে থেকেও তার (বিয়ের) ব্যাপারে অনুমতি গ্রহণ করতে হবে। আর তার চুপ থাকাই তার স্বীকারোক্তি।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান উবাইদুল্লাহ ইবনু আব্দুর রহমান ইবনু মুহাব এর কারণে। তবে হাদীসটি সহীহ। এটি আগের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি।
তাখরীজ: আহমাদ ১/২৭৪; তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ৩/১১, ৪/৩৬৬।
بَاب اسْتِئْمَارِ الْبِكْرِ وَالثَّيِّبِ
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَوْهَبٍ أَخْبَرَنَا نَافِعُ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الْأَيِّمُ أَمْلَكُ بِأَمْرِهَا مِنْ وَلِيِّهَا وَالْبِكْرُ تُسْتَأْمَرُ فِي نَفْسِهَا وَصَمْتُهَا إِقْرَارُهَا
أخبرنا عبيد الله بن عبد المجيد حدثني عبيد الله بن عبد الرحمن بن موهب أخبرنا نافع بن جبير بن مطعم عن ابن عباس أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال الأيم أملك بأمرها من وليها والبكر تستأمر في نفسها وصمتها إقرارها
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২৩০
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৪. অকুমারী (বিধবা বা বিপত্নীক) নারীকে তার অপছন্দ মতে তার ওলী বিয়ে দিলে
২২৩০. ’আবদুর রহমান ইবনু ইয়াযীদ ও মুজাম্মি’উ ইবনু ইয়াযীদ আল-আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। খিযাম নামক এক ব্যক্তি তার মেয়েকে বিয়ে দেন। সে তার পিতার দেয়া এই বিয়ে অপছন্দ করে। এরপর মেয়েটি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে বিষয়টি তাঁকে অবহিত করে। ফলে তিনি তার পিতার দেয়া তার এই বিবাহ বাতিল করে দেন। পরে সেই মেয়ে আবূ লুবাবা ইবনু ’আবদুল মুনযির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-কে বিয়ে করে। ইয়াহ্ইয়া (রহ.) বলেন যে, তার নিকট এ খবর পৌঁছেছে যে, সে ছিল সায়্যিবা (বিধবা)।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা, ৪/১৩৪; ইবনু মাজাহ, নিকাহ ১৮৭৩; আহমাদ ৬/৩২৮; বুখারী, নিকাহ ৫১৩৯, হিয়াল ৬৯৬৯; সাঈদ ইবনু মানসূর নং ৫৭৬;
পূর্ণ তাখরীজের জন্য পরবর্তী টীকাটিও দেখুন।
بَاب الثَّيِّبِ يُزَوِّجُهَا أَبُوهَا وَهِيَ كَارِهَةٌ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ أَنَّهُ سَمِعَ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ يَزِيدَ وَمُجَمِّعَ بْنَ يَزِيدَ الْأَنْصَارِيَّيْنِ حَدَّثَاهُ أَنَّ رَجُلًا مِنْهُمْ مِنْ الْأَنْصَارِ يُدْعَى خِذَامًا أَنْكَحَ بِنْتًا لَهُ فَكَرِهَتْ نِكَاحَ أَبِيهَا فَأَتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لَهُ فَرَدَّ عَنْهَا نِكَاحَ أَبِيهَا فَنَكَحَتْ أَبَا لُبَابَةَ بْنَ عَبْدِ الْمُنْذِرِ فَذَكَرَ يَحْيَى أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّهَا كَانَتْ ثَيِّبًا
أخبرنا يزيد بن هارون أخبرنا يحيى بن سعيد أنه سمع القاسم بن محمد أنه سمع عبد الرحمن بن يزيد ومجمع بن يزيد الأنصاريين حدثاه أن رجلا منهم من الأنصار يدعى خذاما أنكح بنتا له فكرهت نكاح أبيها فأتت رسول الله صلى الله عليه وسلم فذكرت ذلك له فرد عنها نكاح أبيها فنكحت أبا لبابة بن عبد المنذر فذكر يحيى أنه بلغه أنها كانت ثيبا
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবন ইয়াযীদ (রহঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২৩১
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৪. অকুমারী (বিধবা বা বিপত্নীক) নারীকে তার অপছন্দ মতে তার ওলী বিয়ে দিলে
২২৩১. ’আবদুর রহমান ইবনু ইয়াযীদ ও মুজাম্মি’উ ইবনু ইয়াযীদ আল-আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। খিযামের মেয়ে খানসাকে তার পিতা বিয়ে দেন। সে ছিল সায়্যিবা (বিধবা)। আর সে একে (পিতার দেয়া এই বিয়েকে) অপছন্দ করে। এরপর মেয়েটি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হলে তিনি তার (পিতার দেয়া) এই বিয়ে বাতিল করে দেন।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ শক্তিশালী।
তাখরীজ: মালিক, নিকাহ ২৫; তার সূত্রে আহমাদ ৬/৩২৮; বুখারী, নিকাহ ৫১৩৮, ইকরাহ ৬৯৪৫; আবূ দাউদ, নিকাহ ২১০১; নাসাঈ, নিকাহ ৬/৮৬।
بَاب الثَّيِّبِ يُزَوِّجُهَا أَبُوهَا وَهِيَ كَارِهَةٌ
أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وُمُجَمِّعٍ ابْنَيْ يَزِيدَ ابْنِ جَارِيَةَ أَنَّ خَنْسَاءَ بِنْتَ خِذَامٍ زَوَّجَهَا أَبُوهَا وَهِيَ ثَيِّبٌ فَكَرِهَتْ ذَلِكَ فَأَتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرَدَّ نِكَاحَهَا
أخبرنا خالد بن مخلد حدثنا مالك عن عبد الرحمن بن القاسم عن أبيه عن عبد الرحمن ومجمع ابني يزيد ابن جارية أن خنساء بنت خذام زوجها أبوها وهي ثيب فكرهت ذلك فأتت رسول الله صلى الله عليه وسلم فرد نكاحها
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবন ইয়াযীদ (রহঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২৩২
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৫. কোনো নারীকে দুই জন অভিভাবক বিয়ে দিলে
২২৩২. উক্ববাহ ইবনু আমির অথবা সামুরাহ ইবনু জুনদুব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “কোন মহিলাকে যদি (সমপর্যায়ের) দুই ওলী বিয়ে দেয় তবে তাদের প্রথম জনের দেয়া বিয়েই কার্যকর হবে। আর কেউ যদি দুইজনের কাছে কোন জিনিস বিক্রি করে তবে তা এদের মধ্যে প্রথম জনই পাবে।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ। কেননা, হাসান সামুরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ও উকবাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে শোনেননি।
তাখরীজ: আহমাদ ৫/৮; তিরমিযী, নিকাহ ১১১০,; আবূ দাউদ, নিকাহ ২১০১; নাসাঈ, বুয়ূ ৭/৩১৪; কুবরা নং ৬২৭৯; ইবনু আবী শাইবা, ৪/১৩৯; ইবনু মাজাহ, ২য় অংশ সংক্ষিপ্ত আকারে, তিজারাহ ২১৯০; তাবারাণী, কাবীর ৭/২০৩ নং ৬৮৪২;
উকবাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হাদীসটি বর্ণনা করেছেন, আহমাদ ৪/১৪৯; ইবনু আবী শাইবা, ৪/১৩৯; বাইহাকী, নিকাহ ৭/১৩৯। সামুরাহ’র হাদীসটি হলো পরবর্তী হাদীস।
بَاب الْمَرْأَةِ يُزَوِّجُهَا الْوَلِيَّانِ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا سَعِيدٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ الْحَسَنِ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ أَوْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَيُّمَا امْرَأَةٍ زَوَّجَهَا وَلِيَّانِ لَهَا فَهِيَ لِلْأَوَّلِ مِنْهُمَا وَأَيُّمَا رَجُلٍ بَاعَ بَيْعًا مِنْ رَجُلَيْنِ فَهُوَ لِلْأَوَّلِ مِنْهُمَا
أخبرنا يزيد بن هارون أخبرنا سعيد عن قتادة عن الحسن عن عقبة بن عامر أو سمرة بن جندب أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال أيما امرأة زوجها وليان لها فهي للأول منهما وأيما رجل باع بيعا من رجلين فهو للأول منهما
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f) বর্ণনাকারীঃ উকবাহ ইবনু আমির (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২৩৩
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৫. কোনো নারীকে দুই জন অভিভাবক বিয়ে দিলে
২২৩৩. সামুরাহ ইবনু জুনদুব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে (পূর্বোক্ত হাদীসের) অনুরূপ।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ ইনকিতা’ বা বিচ্ছিন্নতার কারণে যয়ীফ।
তাখরীজ: আবূ দাউদ, নিকাহ ২০৮৮; তাবারাণী, কাবীর ৭/২০৩ নং ৬৮৩৯, ৬৮৪১, ৬৮৪৩; তায়ালিসী, ১/৩০৫ নং ১৫৫৫; বাইহাকী, নিকাহ ৭/১৩৯; আহমাদ ৫/১১, ১২,১৮; ইবনুল জারুদ নং ৬২২; হাকিম ২/৩৫, ১৭৪, ১৭৫; ইবনু মাজাহ, তিজারাহ ২১৯১। দেখুন, তালখীসুল হাবীর ৩/১৬৫।
بَاب الْمَرْأَةِ يُزَوِّجُهَا الْوَلِيَّانِ
حَدَّثَنَا عَفَّانُ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ أَخْبَرَنَا قَتَادَةُ عَنْ الْحَسَنِ عَنْ سَمُرَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَحْوِهِ
حدثنا عفان حدثنا حماد بن سلمة أخبرنا قتادة عن الحسن عن سمرة عن رسول الله صلى الله عليه وسلم بنحوه
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f) বর্ণনাকারীঃ সামুরাহ ইবনু জুনদুব (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২৩৪
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৬. নারীদের সাথে মুত’আহ বিয়ে করা নিষিদ্ধ
২২৩৪. রাবী ইবনু সাবরা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তাঁর পিতা বিদায় হাজ্জে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন । তিনি বললেন: “তোমরা এ নারীদের সাথে মুতআ (বিয়ে) করো।” আর মুত’আ করা আমাদের নিকট বিয়ে হিসেবেই গণ্য ছিল। ফলে আমরা নারীদেরকে এর প্রস্তাব দিলে তারা আমাদের ও তাদের মাঝে একটি মেয়াদ নির্ধারিত না করলে তারা মানতে রাজি হচ্ছিল না। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: “তোমরা (তা-ই) করো।” তখন আমিও আমার চাচাতো ভাই বেরিয়ে পড়লাম। আমাদের উভয়ের সাথে একটি করে চাদর ছিল। আমার চাদরটির চেয়ে আমার চাচাতো ভাইয়ের চাদরটি ছিল উৎকৃষ্ট। তবে আমি তার তুলনায় বয়সে অধিক তরুণ ছিলাম।
অবশেষে আমরা একটি যুবতী মেয়ের নিকট এলাম। আমার তারুণ্য তাকে মুগ্ধ করলো, আবার তার চাদরও তার পছন্দ হলো। ফলে সে বলতে লাগলো, চাদর তো চাদরের মতোই (চাদরে কী যায় আসে)। অতঃপর আমি তকে মুতআ বিবাহ করলাম দশদিনের মেয়াদে। এরপর আমি তার নিকট সেই রাত অতিবাহিত করলাম, এরপর সকাল হলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকনে ইয়ামানী ও বাবের মাঝে দাঁড়িয়ে বলতে লাগলেন: “হে লোক সকল! আমি তোমাদেরকে স্ত্রীলোকদের সাথে মুতআ বিবাহের অনুমতি দিয়েছিলাম। কিন্তু আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন পর্যন্ত তা হারাম করেছেন। অতএব, যার নিকট এই ধরনের (বিবাহ সূত্রে কোন স্ত্রীলোক) আছে, সে যেন তার পথ ছেড়ে দেয়। আর তোমরা তাদের যা কিছু দিয়েছ তা থেকে কিছুই কেড়ে রেখে দিও না।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: মুসলিম, নিকাহ ১৪০৬; বাইহাকী, নিকাহ ৭/২০২, ২০৩, ২০৪; এছাড়াও আহমাদ ৩/৪০৪-৪০৬; আব্দুর রাযযাক ৭/৪৯৬-৫০৬; ইবনু আবী শাইবা, ৪/২৯২; তাবারাণী, কাবীর ৭/২০৩ নং ৬৮৩৯; তামহীদ ১০/১০২-১০৯ তে এর অনেকগুলি সূত্র রয়েছে।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৯৩৮, ৯৩৯; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪১৪৪, ৪১৪৬, ৪১৪৭, ৪১৪৮, ৪১৫০ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৮৭০ তে। পরবর্তী হাদীসটিও দেখুন।
بَاب النَّهْيِ عَنْ مُتْعَةِ النِّسَاءِ
أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَنْ الرَّبِيعِ بْنِ سَبْرَةَ أَنَّ أَبَاهُ حَدَّثَهُ أَنَّهُمْ سَارُوا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حِجَّةِ الْوَدَاعِ فَقَالَ اسْتَمْتِعُوا مِنْ هَذِهِ النِّسَاءِ وَالِاسْتِمْتَاعُ عِنْدَنَا التَّزْوِيجُ فَعَرَضْنَا ذَلِكَ عَلَى النِّسَاءِ فَأَبَيْنَ أَنْ لَا نَضْرِبَ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُنَّ أَجَلًا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ افْعَلُوا فَخَرَجْتُ أَنَا وَابْنُ عَمٍّ لِي مَعَهُ بُرْدٌ وَمَعِي بُرْدٌ وَبُرْدُهُ أَجْوَدُ مِنْ بُرْدِي وَأَنَا أَشَبُّ مِنْهُ فَأَتَيْنَا عَلَى امْرَأَةٍ فَأَعْجَبَهَا شَبَابِي وَأَعْجَبَهَا بُرْدُهُ فَقَالَتْ بُرْدٌ كَبُرْدٍ وَكَانَ الْأَجَلُ بَيْنِي وَبَيْنَهَا عَشْرًا فَبِتُّ عِنْدَهَا تِلْكَ اللَّيْلَةَ ثُمَّ غَدَوْتُ فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَائِمٌ بَيْنَ الرُّكْنِ وَالْبَابِ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي قَدْ كُنْتُ أَذِنْتُ لَكُمْ فِي الِاسْتِمْتَاعِ مِنْ النِّسَاءِ أَلَا وَإِنَّ اللَّهَ قَدْ حَرَّمَهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ فَمَنْ كَانَ عِنْدَهُ مِنْهُنَّ شَيْءٌ فَلْيُخَلِّ سَبِيلَهَا وَلَا تَأْخُذُوا مِمَّا آتَيْتُمُوهُنَّ شَيْئًا
أخبرنا جعفر بن عون عن عبد العزيز بن عمر بن عبد العزيز عن الربيع بن سبرة أن أباه حدثه أنهم ساروا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم في حجة الوداع فقال استمتعوا من هذه النساء والاستمتاع عندنا التزويج فعرضنا ذلك على النساء فأبين أن لا نضرب بيننا وبينهن أجلا فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم افعلوا فخرجت أنا وابن عم لي معه برد ومعي برد وبرده أجود من بردي وأنا أشب منه فأتينا على امرأة فأعجبها شبابي وأعجبها برده فقالت برد كبرد وكان الأجل بيني وبينها عشرا فبت عندها تلك الليلة ثم غدوت فإذا رسول الله صلى الله عليه وسلم قائم بين الركن والباب فقال يا أيها الناس إني قد كنت أذنت لكم في الاستمتاع من النساء ألا وإن الله قد حرمه إلى يوم القيامة فمن كان عنده منهن شيء فليخل سبيلها ولا تأخذوا مما آتيتموهن شيئا
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ রবী’ ইবন সাবরা জুহানী (রহঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২৩৫
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৬. নারীদের সাথে মুত’আহ বিয়ে করা নিষিদ্ধ
২২৩৫. রবী’ ইবনু সাবরা আল জুহানী ((রহঃ)) থেকে তাঁর পিতার সুত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা বিজয়ের বছরে মুতঁআ বিয়ে নিষিদ্ধ করেন।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: মুসলিম, নিকাহ ১৪০৬; মুসনাদুল হুমাইদী নং ৮৬৯। এটি পূর্বের হাদীসটির সংক্ষিপ্তসার; সুতরাং পূর্ণ তাখরীজের জন্য সেটি দেখুন।
بَاب النَّهْيِ عَنْ مُتْعَةِ النِّسَاءِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ الرَّبِيعِ بْنِ سَبْرَةَ الْجُهَنِيِّ عَنْ أَبِيهِ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ نِكَاحِ الْمُتْعَةِ عَامَ الْفَتْحِ
أخبرنا محمد بن يوسف حدثنا ابن عيينة عن الزهري عن الربيع بن سبرة الجهني عن أبيه قال نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم عن نكاح المتعة عام الفتح
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ রবী’ ইবন সাবরা জুহানী (রহঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২৩৬
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৬. নারীদের সাথে মুত’আহ বিয়ে করা নিষিদ্ধ
২২৩৬. হাসান ও আব্দুল্লাহ হতে তাদের উভয়ের পিতার সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে লক্ষ্য করে আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে বলতে শুনেছি: রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বারের ষুদ্ধের বছরে মুত’আ: তখা নারীদের সাথে মুত’আ বিয়ে এবং গৃহপালিত গাধার গোশত নিষিদ্ধ করেছেন।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।
তাখরীজ: এটির তাখরীজ ২০৩৩ (অনুবাদে সম্ভবত: ২০২৩) নং এ গত হয়েছে।
بَاب النَّهْيِ عَنْ مُتْعَةِ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ حَدَّثَنِي ابْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ الْحَسَنِ وَعَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِيهِمَا قَالَ سَمِعْتُ عَلِيًّا يَقُولُ لِابْنِ عَبَّاسٍ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ الْمُتْعَةِ مُتْعَةِ النِّسَاءِ وَعَنْ لُحُومِ الْحُمُرِ الْأَهْلِيَّةِ عَامَ خَيْبَرَ
حدثنا محمد حدثني ابن عيينة عن الزهري عن الحسن وعبد الله عن أبيهما قال سمعت عليا يقول لابن عباس إن رسول الله صلى الله عليه وسلم نهى عن المتعة متعة النساء وعن لحوم الحمر الأهلية عام خيبر
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২৩৭
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৭. মুহরিম ব্যাক্তির বিবাহ
২২৩৭. উছমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “মুহরিম (হাজ্জের ইহরামরত) ব্যক্তি বিয়ে করবে না এবং (কাউকে) বিয়ে দিবেও না।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: মুসলিম, নিকাহ ১৪০৯;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪১২৩, ৪১২৪, ৪১২৫, ৪১২৬ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৩৩ তে। আরও দেখুন, মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১২৭৪ এর টীকা।
بَاب فِي نِكَاحِ الْمُحْرِمِ
أَخْبَرَنَا عُثْمَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ أَيُّوبَ بْنِ مُوسَى عَنْ نُبَيْهِ بْنِ وَهْبٍ عَنْ أَبَانَ بْنِ عُثْمَانَ عَنْ عُثْمَانَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الْمُحْرِمُ لَا يَنْكِحُ وَلَا يُنْكِحُ
أخبرنا عثمان بن محمد حدثنا ابن عيينة عن أيوب بن موسى عن نبيه بن وهب عن أبان بن عثمان عن عثمان عن النبي صلى الله عليه وسلم قال المحرم لا ينكح ولا ينكح
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ উসমান ইবন আফফান (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২৩৮
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৮. নাবী (ﷺ) এর স্ত্রীগণের এবং তাঁর কন্যাগণের মোহর কেমন ছিলো
২২৩৮. আবূ সালামা হতেবর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকেজিজ্ঞাসা করলাম যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রীদেরমোহরানা কেমন ছিলো? তিনি বলেন, তাঁর স্ত্রীদেরমোহরানার পরিমাণ ছিল বারো উকিয়াএবং এক’নাশ’। আবারতিনিজিজ্ঞাসাকরেন, ’নাশ’কী তা তুমি জানো? তিনি বলেন,আমি বললাম, না। তখন তিনি বললেন, তাহলঅর্ধ –উকিয়া। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্ত্রীদেরজন্য এ মোহরানাই ধার্য্য করেছিলেন।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান।
তাখরীজ: শাফিঈ, আল মুসনাদ পৃ: ২৪৬; তার সূত্রে আবু নুয়াইম, হিলইয়াতুল আউলিয়া ৯/১৬১; সহীহ সনদে। আহমাদ ৬/৯৩-৯৪; মুসলিম, নিকাহ ১৪২৬; নাসাঈ, নিকাহ ৬/১১৬-১১৭; আবূ দাউদ, নিকাহ ২১০৫; ইবনু মাজাহ, নিকাহ ১৮৮৬; ইবনু সা’দ, আত তাবাকাত ৮/১১৫ যয়ীফ সনদে।
بَاب كَمْ كَانَتْ مُهُورُ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبَنَاتِهِ
أَخْبَرَنَا نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ هُوَ ابْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ كَمْ كَانَ صَدَاقُ أَزْوَاجِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ كَانَ صَدَاقُهُ لِأَزْوَاجِهِ اثْنَتَيْ عَشْرَةَ أُوقِيَّةً وَنَشًّا وَقَالَتْ أَتَدْرِي مَا النَّشُّ قَالَ قُلْتُ لَا قَالَتْ نِصْفُ أُوقِيَّةٍ فَهَذَا صَدَاقُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَزْوَاجِهِ
أخبرنا نعيم بن حماد حدثنا عبد العزيز هو ابن محمد عن يزيد بن عبد الله عن محمد بن إبراهيم عن أبي سلمة قال سألت عائشة كم كان صداق أزواج رسول الله صلى الله عليه وسلم قالت كان صداقه لأزواجه اثنتي عشرة أوقية ونشا وقالت أتدري ما النش قال قلت لا قالت نصف أوقية فهذا صداق رسول الله صلى الله عليه وسلم لأزواجه
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) বর্ণনাকারীঃ আবূ সালামাহ্ ইবনু আবদুর রাহমান (রহঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২৩৯
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৮. নাবী (ﷺ) এর স্ত্রীগণের এবং তাঁর কন্যাগণের মোহর কেমন ছিলো
২২৩৯. আবীল আজফা’আ আস সুলামী (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি উমার ইবনুল খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে খুতবা দান কালে বলতে শুনেছি, প্রথমে তিনি আল্লাহর হামদ ও ছানা পাঠ করেন অতঃপর বলেন, মহিলাদের মাহরের ব্যাপারে তোমরা বাড়াবাড়ি করো না। কেননা তা যদি পার্থিব জীবনে সম্মানের বস্তু অথবা আল্লাহর কাছে তাক্ওয়ার প্রতীক হতো, তাহলে তোমাদের চেয়ে মুহাম্মাদ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ব্যাপারে অধিকতর যোগ্য ও অগ্রগণ্য হতেন। তিনি তাঁর স্ত্রী ও কন্যাদের মাহর বারো উকিয়ার বেশি ধার্য করেননি। জেনে রাখো, তোমাদের কেউ কেউ তার স্ত্রীর মোহরের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করে। তখন স্ত্রীর প্রতি স্বামীর মনে শত্রুতা সৃষ্টি হয়, এমনকি সে বলতে থাকে, আমি তোমার জন্য পানির মশক টানতে টানতে নিজেকে মলিন করেছি অথবা ঘর্মাক্ত হয়ে পড়েছি।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৬২০ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১২৫৯ তে। ((তিরমিযী, নিকাহ ১১১৪; আবূ দাউদ, নিকাহ ১৮৩৪; ইবনু মাজাহ, নিকাহ ১৮৮৭- অনুবাদক।))
بَاب كَمْ كَانَتْ مُهُورُ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبَنَاتِهِ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ عَنْ مَنْصُورِ بْنِ زَاذَانَ عَنْ ابْنِ سِيرِينَ عَنْ أَبِي الْعَجْفَاءِ السُّلَمِيِّ قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ خَطَبَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ أَلَا لَا تُغَالُوا فِي صُدُقِ النِّسَاءِ فَإِنَّهَا لَوْ كَانَتْ مَكْرُمَةً فِي الدُّنْيَا أَوْ تَقْوَى عِنْدَ اللَّهِ كَانَ أَوْلَاكُمْ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا أَصْدَقَ امْرَأَةً مِنْ نِسَائِهِ وَلَا أُصْدِقَتْ امْرَأَةٌ مِنْ بَنَاتِهِ فَوْقَ اثْنَتَيْ عَشْرَةَ أُوقِيَّةً أَلَا وَإِنَّ أَحَدَكُمْ لَيُغَالِي بِصَدَاقِ امْرَأَتِهِ حَتَّى يَبْقَى لَهَا فِي نَفْسِهِ عَدَاوَةٌ حَتَّى يَقُولَ كَلِفْتُ إِلَيْكِ عَلَقَ الْقِرْبَةِ أَوْ عَرَقَ الْقِرْبَةِ
أخبرنا عمرو بن عون أخبرنا هشيم عن منصور بن زاذان عن ابن سيرين عن أبي العجفاء السلمي قال سمعت عمر بن الخطاب خطب فحمد الله وأثنى عليه ثم قال ألا لا تغالوا في صدق النساء فإنها لو كانت مكرمة في الدنيا أو تقوى عند الله كان أولاكم بها رسول الله صلى الله عليه وسلم ما أصدق امرأة من نسائه ولا أصدقت امرأة من بناته فوق اثنتي عشرة أوقية ألا وإن أحدكم ليغالي بصداق امرأته حتى يبقى لها في نفسه عداوة حتى يقول كلفت إليك علق القربة أو عرق القربة
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২৪০
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৯. কোন কোন জিনিস মোহরানা হিসেবে জায়েয হতে পারে
২২৪০. সাহল ইবন সা’দ সাঈদী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে জনৈকা মহিলা এসে বলল যে, সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য তার নিজেকে হেবা করল। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “আমার কোনো নারীর প্রয়োজন নেই।” তখন এক ব্যক্তি বলল, এই মহিলাকে আমার সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দিন। তিনি বললেন, “একে (মোহরানা হিসেবে) একটি কাপড় দাও।” লোকটি বলল, আমার কাছে কিছুই নাই। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, একটি লোহার আংটি হলেও তাকে দাও।”বর্ণনাকারী বলেন, লোকটি বেশ দু:খিত হয়ে পড়লো। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “তোমার কাছে কোরানের কী পরিমাণ (মুখস্ত) আছে?” লোকটি বলল: অমুক সূরা অমুক সূরা। তিনি বললেন, “তোমার কাছে কোরানের যা আছে তার বিনিময়ে এই মহিলাকে তোমার সাথে বিয়ে দিয়ে দিলাম।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।
তাখরীজ: বুখারী, ওয়াকালাত ২৩১০; মুসলিম, নিকাহ ১৪২৫;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭৫২১, ৭৫২২, ৭৫৩৯; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪০৯৩ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৯৫৭ তে।
بَاب مَا يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ مَهْرًا
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَبِي حَازِمٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ أَتَتْ امْرَأَةٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ إِنَّهَا وَهَبَتْ نَفْسَهَا لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا لِي فِي النِّسَاءِ مِنْ حَاجَةٍ فَقَالَ رَجُلٌ زَوِّجْنِيهَا فَقَالَ أَعْطِهَا ثَوْبًا فَقَالَ لَا أَجِدُ قَالَ أَعْطِهَا وَلَوْ خَاتَمًا مِنْ حَدِيدٍ فَاعْتَلَّ لَهُ فَقَالَ مَا مَعَكَ مِنْ الْقُرْآنِ قَالَ كَذَا وَكَذَا قَالَ فَقَدْ زَوَّجْتُكَهَا عَلَى مَا مَعَكَ مِنْ الْقُرْآنِ
حدثنا عمرو بن عون أخبرنا حماد بن زيد عن أبي حازم عن سهل بن سعد قال أتت امرأة إلى النبي صلى الله عليه وسلم فقالت إنها وهبت نفسها لله ولرسوله فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ما لي في النساء من حاجة فقال رجل زوجنيها فقال أعطها ثوبا فقال لا أجد قال أعطها ولو خاتما من حديد فاعتل له فقال ما معك من القرآن قال كذا وكذا قال فقد زوجتكها على ما معك من القرآن
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা’দ (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২৪১
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ২০. বিয়ের খুতবাহ
২২৪১. ’আবদুল্লাহ্ ইবনু মাস’উদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের প্রয়োজনের (বিবাহের) খুতবা শিক্ষা দিয়েছেন (এভাবে):
’’সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। অথবা, সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য। আমরা তাঁর প্রশংসা করি, তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করি, তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি। আমরা আমাদের প্রবৃত্তির অনিষ্ট থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই। আল্লাহ্ যাকে সৎপথে পরিচালিত করেন তাকে কেউ পথভ্রষ্ট করতে পারে না এবং যাকে পথভ্রষ্ট করেন তার কোন পথপ্রদর্শক নাই। আমি সাক্ষ্য দেই যে, আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ নাই, এবং আমি আরো সাক্ষ্য দেই যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রসূল।’’
এরপর সে (খুতবার সাথে কুরআনের) এ তিনটি আয়াত পাঠ করবে:
(يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِ وَلاَ تَمُوتُنَّ إِلاَّ وَأَنْتُمْ مُسْلِمُونَ)
(يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمُ الَّذِى خَلَقَكُمْ مِنْ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ وَخَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا)
(يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَقُولُوا قَوْلاً سَدِيداً يُصْلِحْ لَكُمْ أَعْمَالَكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَمَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ فَازَ فَوْزاً عَظِيماً)
১. ’’হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে যেরূপ ভয় করা উচিত, তোমরা তাঁকে তদ্রূপ ভয় করো এবং মুসলিম না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না’’ (সূরা আল ইমরান : ১০২)।
’’হে মানবজাতি! তোমরা তোমাদের প্রভুকে ভয় করো, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গিণীকে সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের দু’জন থেকে অসংখ্য পুরুষ ও নারী ছড়িয়ে দিয়েছেন। অতএব তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, যাঁর নামে তোমরা একে অপরের নিকট যাচ্ঞা করে থাকো এবং জ্ঞাতিদের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করো। নিশ্চয় আল্লাহ্ তোমাদের উপর পর্যবেক্ষক’’ (সূরা নিসা : ১)।
’’হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সঠিক কথা বলো। তিনি তোমাদের কার্যাবলি সংশোধন করে দিবেন এবং তোমাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা করবেন। যে কেউ আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করে সে অবশ্যই মহাসাফল্য অর্জন করবে’’ (সূরা আহযাব : ৭০-৭১)।” এরপর সে তার প্রয়োজনীয় কথা বলবে।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ মুনকাতি’ বা বিচ্ছিন্ন। তবে হাদীসটি সহীহ।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫২৩৩, ৫২৩৪ তে। ((আবূ দাউদ, নিকাহ ২১১৮; তিরমিযী, নিকাহ ১১০৫; নাসাঈ ৩/১০৫; ইবনু মাজাহ, নিকাহ ১৮৯২- ফাওয়ায আহমেদের দারেমীর তাহক্বীক্ব নং ২২০২।-অনুবাদক))
بَاب فِي خُطْبَةِ النِّكَاحِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ وَحَجَّاجٌ قَالَا حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ أَنْبَأَنَا أَبُو إِسْحَقَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا عُبَيْدَةَ يُحَدِّثُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ عَلَّمَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خُطْبَةَ الْحَاجَةِ الْحَمْدُ لِلَّهِ أَوْ إِنَّ الْحَمْدَ لِلَّهِ نَحْمَدُهُ وَنَسْتَعِينُهُ وَنَسْتَغْفِرُهُ وَنَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ شُرُورِ أَنْفُسِنَا مَنْ يَهْدِهِ اللَّهُ فَلَا مُضِلَّ لَهُ وَمَنْ يُضْلِلْ فَلَا هَادِيَ لَهُ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ ثُمَّ يَقْرَأُ ثَلَاثَ آيَاتٍ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِ وَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنْتُمْ مُسْلِمُونَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمْ الَّذِي خَلَقَكُمْ مِنْ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ وَخَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَقُولُوا قَوْلًا سَدِيدًا يُصْلِحْ لَكُمْ أَعْمَالَكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَمَنْ يُطِعْ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ فَازَ فَوْزًا عَظِيمًا ثُمَّ يَتَكَلَّمُ بِحَاجَتِهِ
حدثنا أبو الوليد وحجاج قالا حدثنا شعبة قال أنبأنا أبو إسحق قال سمعت أبا عبيدة يحدث عن عبد الله قال علمنا رسول الله صلى الله عليه وسلم خطبة الحاجة الحمد لله أو إن الحمد لله نحمده ونستعينه ونستغفره ونعوذ بالله من شرور أنفسنا من يهده الله فلا مضل له ومن يضلل فلا هادي له أشهد أن لا إله إلا الله وأشهد أن محمدا عبده ورسوله ثم يقرأ ثلاث آيات يا أيها الذين آمنوا اتقوا الله حق تقاته ولا تموتن إلا وأنتم مسلمون يا أيها الناس اتقوا ربكم الذي خلقكم من نفس واحدة وخلق منها زوجها يا أيها الذين آمنوا اتقوا الله وقولوا قولا سديدا يصلح لكم أعمالكم ويغفر لكم ذنوبكم ومن يطع الله ورسوله فقد فاز فوزا عظيما ثم يتكلم بحاجته
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২৪২
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ২১. বিবাহে শর্ত দেওয়া
২২৪২. ’উক্ববাহ ইবনু আমির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “সকল শর্তের চেয়ে বিয়ের শর্ত পালন করা তোমাদের অধিক কর্তব্য, যার মাধ্যমে তোমাদের জন্য স্ত্রী অঙ্গ ভোগ করা হালাল করা হয়েছে।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।
তাখরীজ: বুখারী, শুরুত্ব ২৭২১, নিকাহ ৫১৫১; মুসলিম, নিকাহ ১৪১৮;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৭৫৪; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪০৯২ তে।
بَاب الشَّرْطِ فِي النِّكَاحِ
أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ جَعْفَرٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ عَنْ مَرْثَدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ أَحَقَّ الشُّرُوطِ أَنْ تُوفُوا بِهِ مَا اسْتَحْلَلْتُمْ بِهِ الْفُرُوجَ
أخبرنا أبو عاصم عن عبد الحميد بن جعفر عن يزيد بن أبي حبيب عن مرثد بن عبد الله عن عقبة بن عامر عن النبي صلى الله عليه وسلم قال إن أحق الشروط أن توفوا به ما استحللتم به الفروج
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ উকবাহ ইবনু আমির (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২৪৩
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ২২. ওয়ালীমাহ সম্পর্কে
২২৪৩. আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’আবদুর রহমান ইবনু ’আওফ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর শরীরে হলুদ রং দেখতে পেলেন। তখন তিনি তাকে বললেন: “এ হলুদ রং কিসের?” তখন সে বললো, আমি একজন (আনসারী) মহিলাকে খেজুরের আঁটির পরিমাণ স্বর্ণ (মোহরাণা) দিয়ে বিয়ে করেছি। তিনি বললেন: “আল্লাহ্ তোমাকে বারকাত দান করুন। একটি ছাগল দিয়ে হলেও ওয়ালীমাহ কর।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।
তাখরীজ: বুখারী, বুয়ূ ২০৪৯, নিকাহ ৫১৬৭; মুসলিম, নিকাহ ১৪২৭;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩২০৫, ৩৩৪৮; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪০৬০, ৪০৯৬ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ১২৫২ তে।
بَاب فِي الْوَلِيمَةِ
أَخْبَرَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى عَلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ صُفْرَةً فَقَالَ مَا هَذِهِ الصُّفْرَةُ قَالَ تَزَوَّجْتُ امْرَأَةً عَلَى وَزْنِ نَوَاةٍ مِنْ ذَهَبٍ قَالَ بَارَكَ اللَّهُ لَكَ أَوْلِمْ وَلَوْ بِشَاةٍ
أخبرنا أبو النعمان حدثنا حماد بن زيد عن ثابت عن أنس أن النبي صلى الله عليه وسلم رأى على عبد الرحمن بن عوف صفرة فقال ما هذه الصفرة قال تزوجت امرأة على وزن نواة من ذهب قال بارك الله لك أولم ولو بشاة
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২৪৪
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ২৩. ওয়ালীর দাওয়াত কবুল করা প্রসঙ্গে
২২৪৪. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তোমাদের কাউকে ওয়ালীমা (ভোজ)-এর দাওয়াত দিলে সে যেন তা কবুল করে।”[1] আবূ মুহাম্মদ বলেন, দাওয়াত কবুল করা উচিত, তবে তাতে খাওয়া-দাওয়া করা ওয়াজিব নয়।
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।
তাখরীজ: বুখারী, নিকাহ ৫১৭৩; মুসলিম, নিকাহ ১৪২৯;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫২৯৪ তে।
بَاب فِي إِجَابَةِ الْوَلِيمَةِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ خَالِدٍ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا دُعِيَ أَحَدُكُمْ إِلَى وَلِيمَةٍ فَلْيُجِبْ قَالَ أَبُو مُحَمَّد يَنْبَغِي أَنْ يُجِيبَ وَلَيْسَ الْأَكْلُ عَلَيْهِ بِوَاجِبٍ
أخبرنا عبد الله بن سعيد حدثنا عقبة بن خالد عن عبيد الله عن نافع عن ابن عمر قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا دعي أحدكم إلى وليمة فليجب قال أبو محمد ينبغي أن يجيب وليس الأكل عليه بواجب
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২৪৫
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ২৪. স্ত্রীগণের মাঝে সমতা বিধান করা
২২৪৫. আবী হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যার দু’জন স্ত্রী আছে, আর সে তাদের একজনের চেয়ে অপরজনের প্রতি বেশি ঝুঁকে পড়ে, তবে সে কিয়ামতের দিন এমন অবস্থায় উপস্থিত হবে যে, তার (দেহের) এক পার্শ্ব কাত হয়ে থাকবে।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪২০৭ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৩০৭ তে। ((আবূ দাউদ, নিকাহ ২১৩৩; তিরমিযী, নিকাহ ১১৪১; নাসাঈ, নিকাহ ৭/৬৩; ইবনু মাজাহ, নিকাহ ১৯৬৯; আহমাদ ২/৩৪৭-৪৭১।- ফাওয়ায আহমেদের দারেমীর তাহক্বীক্ব নং ২২০৬ এর টীকা।-অনুবাদক))
بَاب فِي الْعَدْلِ بَيْنَ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ النَّضْرِ بْنِ أَنَسٍ عَنْ بَشِيرِ بْنِ نَهِيكٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ كَانَتْ لَهُ امْرَأَتَانِ فَمَالَ إِلَى إِحْدَاهُمَا جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَشِقُّهُ مَائِلٌ
حدثنا أبو الوليد حدثنا همام عن قتادة عن النضر بن أنس عن بشير بن نهيك عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال من كانت له امرأتان فمال إلى إحداهما جاء يوم القيامة وشقه مائل
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২৪৬
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ২৫. স্ত্রীগণের মাঝে পালা বন্টন
২২৪৬. আয়িশাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপন স্ত্রীদের মধ্যে ন্যায়পরায়নতার সাথে সমানভাবে বণ্টন করতেন, অতঃপর বলতেন : “হে আল্লাহ্! এ হলো আমার সামর্থ্য অনুযায়ী আমার বন্টন। যে বিষয় তোমার ক্ষমতাধীন আছে, আমার সাধ্যাতীত, সে বিষয়ে আমাকে তিরস্কার করো না।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪২০৫ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৩০৫ তে। এছাড়াও, ইবনু সা’দ, আত তাবাকাত ২/২/২৮ ও ৮/১২১ মুরসাল হিসেবে। আবূ দাউদ, নিকাহ ২১৩৪; তিরমিযী, নিকাহ ১১৪০; নাসাঈ, নিকাহ ৭/৬৪; ইবনু মাজাহ, নিকাহ ১৯৭১; আহমাদ, ইবনু হিব্বান ও হাকিম। হাকিম ও যাহাবী একে সহীহ বলেছেন।- ফাওয়ায আহমেদের দারেমীর তাহক্বীক্ব নং ২২০৬ এর টীকা।-অনুবাদক))
بَاب فِي الْقِسْمَةِ بَيْنَ النِّسَاءِ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ أَبِي قِلَابَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ الْخَطْمِيِّ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْسِمُ فَيَعْدِلُ وَيَقُولُ اللَّهُمَّ هَذِهِ قِسْمَتِي فِيمَا أَمْلِكُ فَلَا تَلُمْنِي فِيمَا تَمْلِكُ وَلَا أَمْلِكُ
أخبرنا عمرو بن عاصم حدثنا حماد بن سلمة عن أيوب عن أبي قلابة عن عبد الله بن يزيد الخطمي عن عائشة قالت كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يقسم فيعدل ويقول اللهم هذه قسمتي فيما أملك فلا تلمني فيما تملك ولا أملك
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২৪৭
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ২৬. যে ব্যক্তির নিকট (সর্বদা) কোনো একজন স্ত্রী বিদ্যমান থাকে
২২৪৭. আয়িশাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফরে রওয়ানা হলে তাঁর স্ত্রীদের মধ্যে (কে তাঁর সাথে যাবেন তা নির্ধারণের জন্য) লটারির ব্যবস্থা করতেন। তাদের মধ্যে যার পালা লটারীতে উঠতো, তিনি তাঁর সাথে যেতেন।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।
তাখরীজ: বুখারী, হিবাহ ২৫৯৩; মুসলিম, তাওবাহ ২৭৭০।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৩৯৭, ৪৯২৭, ৪৯২৮; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪২১২, ৭০৯৯ তে। ইবনু সা’দ, আত তাবাকাত ৮/১২১।
بَاب الرَّجُلِ يَكُونُ عِنْدَهُ النِّسْوَةُ
أَخْبَرَنَا إِسْمَعِيلُ حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ عَنْ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا سَافَرَ أَقْرَعَ بَيْنَ نِسَائِهِ فَأَيَّتُهُنَّ خَرَجَ سَهْمُهَا خَرَجَ بِهَا مَعَهُ
أخبرنا إسمعيل حدثنا ابن المبارك عن يونس بن يزيد عن الزهري عن عروة عن عائشة قالت كان رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا سافر أقرع بين نسائه فأيتهن خرج سهمها خرج بها معه
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২৪৮
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ২৭. ছাইয়্যেব (অকুমারী) ও কুমারী মেয়ের সাথে বিয়ের পরে অবস্থান (এর পরিমাণ)
২২৪৮. আনাস ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “(অন্য স্ত্রী থাকা অবস্থায়) কুমারী মহিলা (বিয়ে করলেতার) নিকট লাগাতার সাত দিন অবস্থান করবে আর অকুমারী মহিলা (কে বিয়ে করলে তার) নিকট সে লাগাতার তিন দিন অবস্থান করবে।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর রাবীগণ সকলেই বিশ্বস্ত। তবে, ইবনু ইসহাক এটি আন’আন পদ্ধতিতে বর্ণনা করেছেন। তবে, হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।
তাখরীজ: বুখারী, নিকাহ ৫২১৩; মুসলিম, রিদা’আ ১৪৬১।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৮২৩, ৩৭৮৯; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪২০৮, ৪২০৯ তে।
بَاب الْإِقَامَةِ عِنْدَ الثَّيِّبِ وَالْبِكْرِ إِذَا بَنَى بِهَا
أَخْبَرَنَا يَعْلَى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَقَ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ أَبِي قِلَابَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْبِكْرِ سَبْعٌ وَلِلثَّيِّبِ ثَلَاثٌ
أخبرنا يعلى حدثنا محمد بن إسحق عن أيوب عن أبي قلابة عن أنس بن مالك قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم للبكر سبع وللثيب ثلاث
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২৪৯
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ২৭. ছাইয়্যেব (অকুমারী) ও কুমারী মেয়ের সাথে বিয়ের পরে অবস্থান (এর পরিমাণ)
২২৪৯. উম্মু সালামা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন উম্মু সালামা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহাকে বিবাহ করেন, তখন তাঁর নিকট তিন রাত অবস্থান করেন। এরপর তিনি বলেন, “এটা তোমার জন্য তোমার পরিবারের উপর কোনো অপমান নয়। অবশ্য যদি তুমি চাও তবে আমি তোমার সাথে সাত রাত অবস্থান করব। আর আমি যদি তোমার সাথে সাত রাত অবস্থান করি, তখন আমার অন্যান্য স্ত্রীদের সাথেও আমাকে (সমতা রক্ষার্থে) সাত রাত অতিবাহিত করতে হবে।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: মুসলিম, রিদা’আ ১৪৬০।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৯৯৬; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪২১০ তে।
بَاب الْإِقَامَةِ عِنْدَ الثَّيِّبِ وَالْبِكْرِ إِذَا بَنَى بِهَا
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا تَزَوَّجَ أُمَّ سَلَمَةَ أَقَامَ عِنْدَهَا ثَلَاثًا وَقَالَ إِنَّهُ لَيْسَ بِكِ عَلَى أَهْلِكِ هَوَانٌ إِنْ شِئْتِ سَبَّعْتُ لَكِ وَإِنْ سَبَّعْتُ لَكِ سَبَّعْتُ لِسَائِرِ نِسَائِي
أخبرنا عبد الله بن محمد بن أبي شيبة حدثنا يحيى بن سعيد عن سفيان عن محمد بن أبي بكر عن عبد الملك بن أبي بكر بن عبد الرحمن بن الحارث بن هشام عن أبيه عن أم سلمة أن رسول الله صلى الله عليه وسلم لما تزوج أم سلمة أقام عندها ثلاثا وقال إنه ليس بك على أهلك هوان إن شئت سبعت لك وإن سبعت لك سبعت لسائر نسائي
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২৫০
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ২৮. যে ব্যক্তি শাওয়াল মাসে তাঁর স্ত্রীর সাথে বাসর যাপন করেন
২২৫০. আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে শাওয়াল মাসে বিবাহ করেনএবং শাওয়াল মাসেই তাঁর সঙ্গে আমার বাসর হয়। আর তাঁর কোন্ স্ত্রী তাঁর নিকট আমার চেয়ে অধিক মর্যাদাবান? তিনি (আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) (তাঁর পরিবারের) মেয়েদের জন্য শাওয়াল মাসে বাসর হওয়া পছন্দ করতেন।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আহমাদ ৬/৫৪, ২০৬; মুসলিম, নিকাহ ১৪২৩; ইবনু মাজাহ ১৯৯০; তিরমিযী, নিকাহ ১০৯৩।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪০৫৮ তে। আরও দেখুন, ইবনু আদী, আল কামিল ৫/১৮৮১।
بَاب بِنَاءِ الرَّجُلِ بِأَهْلِهِ فِي شَوَّالٍ
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ سُفْيَانَ عَنْ إِسْمَعِيلَ بْنِ أُمَيَّةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ تَزَوَّجَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي شَوَّالٍ وَأُدْخِلْتُ عَلَيْهِ فِي شَوَّالٍ فَأَيُّ نِسَائِهِ كَانَ أَحْظَى عِنْدَهُ مِنِّي قَالَ وَكَانَتْ تَسْتَحِبُّ أَنْ تُدْخِلَ عَلَى النِّسَاءِ فِي شَوَّالٍ
أخبرنا عبيد الله بن موسى عن سفيان عن إسمعيل بن أمية عن عبد الله بن عروة عن عروة عن عائشة قالت تزوجني رسول الله صلى الله عليه وسلم في شوال وأدخلت عليه في شوال فأي نسائه كان أحظى عنده مني قال وكانت تستحب أن تدخل على النساء في شوال
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)