দারেমী কোমলতা অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ২৮২১ – ২৮৮৭

দারেমী কোমলতা অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ২৮২১ – ২৮৮৭

২৮২১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৬৭. সবচেয়ে কঠিন বিপদ-মুসীবতে পতিত মানুষ

২৮২১. সা’দ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলো, সর্বাপেক্ষা কঠিন মুসীবতের সম্মুখীন হয় কোন্ মানুষ? তিনি বললেনঃ নবীগণ, এরপর তাদের অনুরূপ যারা, এরপর তাদের অনুরূপ যারা। একজন লোক তার দীনদারীর অনুপাতে পরীক্ষায় নিপতিত হয়। যদি সে তার দীনে মজবুত হয় তবে তার পরীক্ষাও তুলনামূলকভাবে কঠোরতর হয়; আর সে যদি দীনের ক্ষেত্রে দুর্বল হয়, তবে সে তার পরীক্ষাও হালকা করা হয়। আর এভাবে বান্দা বিপদ-আপদে পড়তেই থাকে শেষ পর্যন্ত সে জমিনের উপর এমনভাবে বিচরণ করতে থাকে যে তার আর কোন গুনাহ অবশিষ্ট থাকে না।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান, তবে হাদীসটি সহীহ।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৮৩০ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৯০০, ২৯০১, ২৯২০ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৬৯৮, ৬৯৯, ৭০০ তে।

 

সংযোজনী: তায়ালিসী ২/৪৪ নং ২০৯১; তাহাবী, মুশকিলিল আছার ৩/৬১; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ৯৭৭৫; আবূ নুয়াইম, হিলইয়া ১/৩৬৮।

 

এর শাহিদ হাদীস ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে গত হয়েছে ২৮১৪ তে।

باب فِي أَشَدِّ النَّاسِ بَلَاءً

أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ سَعْدٍ قَالَ سُئِلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيُّ النَّاسِ أَشَدُّ بَلَاءً قَالَ الْأَنْبِيَاءُ ثُمَّ الْأَمْثَلُ فَالْأَمْثَلُ يُبْتَلَى الرَّجُلُ عَلَى حَسَبِ دِينِهِ فَإِنْ كَانَ فِي دِينِهِ صَلَابَةٌ زِيدَ صَلَابَةً وَإِنْ كَانَ فِي دِينِهِ رِقَّةٌ خُفِّفَ عَنْهُ وَلَا يَزَالُ الْبَلَاءُ بِالْعَبْدِ حَتَّى يَمْشِيَ عَلَى الْأَرْضِ مَا لَهُ خَطِيئَةٌ

أخبرنا أبو نعيم حدثنا سفيان عن عاصم عن مصعب بن سعد عن سعد قال سئل النبي صلى الله عليه وسلم أي الناس أشد بلاء قال الأنبياء ثم الأمثل فالأمثل يبتلى الرجل على حسب دينه فإن كان في دينه صلابة زيد صلابة وإن كان في دينه رقة خفف عنه ولا يزال البلاء بالعبد حتى يمشي على الأرض ما له خطيئة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ সা’দ বিন আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮২২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৬৮. নাবী (ﷺ) এর বাণীঃ তোমরা আমার প্রশংসায় বাড়াবাড়ি করো না

২৮২২. ইবনু ’আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি ’উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-বলেন, “তোমরা আমার প্রশংসা করতে গিয়ে বাড়াবাড়ি করো না, যেমন ’ঈসা ইবনু মারইয়াম (আঃ) সম্পর্কে খ্রিস্টানরা বাড়াবাড়ি করেছিল। বরং তোমরা বলবে, ’আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল’।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: বুখারী, আহাদীসুল আম্বিয়া ৩৪৪৫।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৫৩ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪১৩, ৪১৪, ৬২৩৯ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ২৭ তে।

باب فِي قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تُطْرُونِي

أَخْبَرَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا تُطْرُونِي كَمَا تُطْرِي النَّصَارَى عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ وَلَكِنْ قُولُوا عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ

أخبرنا عثمان بن عمر حدثنا مالك عن الزهري عن عبيد الله عن ابن عباس عن عمر أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لا تطروني كما تطري النصارى عيسى ابن مريم ولكن قولوا عبد الله ورسوله

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮২৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৬৯. আল্লাহর নিকট একশতটি ‘রহমত’ রয়েছে

২৮২৩. আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ “আল্লাহ রহমতকে একশত ভাগে বিভক্ত করেছেন। তার মধ্যে নিরানব্বই ভাগ তিনি নিজের কাছে সংরক্ষিত রেখেছেন। আর পৃথিবীতে একভাগ পাঠিয়েছেন। ঐ এক ভাগ পাওয়ার কারণেই সৃষ্ট জগত পরস্পরের প্রতি দয়া করে। এমনকি ঘোড়া তার বাচ্চার উপর থেকে পা উঠিয়ে নেয় এই আশঙ্কায় যে, তা একে আঘাত করতে পারে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: বুখারী, রিকাক্ব ৬৪৬৯; মুসলিম, তাওবাহ ২৭৫২।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩৬৭২, ৬৫০৯ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬১৪৭, ৬১৪৮ তে।

باب إِنَّ لِلَّهِ مِائَةَ رَحْمَةٍ

حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ عَنْ شُعَيْبٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ جَعَلَ اللَّهُ الرَّحْمَةَ مِائَةَ جُزْءٍ فَأَمْسَكَ عِنْدَهُ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ وَأَنْزَلَ فِي الْأَرْضِ جُزْءًا وَاحِدًا فَمِنْ ذَلِكَ الْجُزْءِ يَتَرَاحَمُ الْخَلْقُ حَتَّى تَرْفَعَ الْفَرَسُ حَافِرَهَا عَنْ وَلَدِهَا خَشْيَةَ أَنْ تُصِيبَهُ

حدثنا الحكم بن نافع عن شعيب عن الزهري قال أخبرني سعيد بن المسيب عن أبي هريرة قال سمعت النبي صلى الله عليه وسلم يقول جعل الله الرحمة مائة جزء فأمسك عنده تسعة وتسعين وأنزل في الأرض جزءا واحدا فمن ذلك الجزء يتراحم الخلق حتى ترفع الفرس حافرها عن ولدها خشية أن تصيبه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮২৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৭০. যে ব্যক্তি কোনো একটি নেককাজ করতে মনস্থ করে

২৮২৪. ইবনু ’আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর প্রতিপালক আযযা ওয়া জাল্লা হতে বর্ণনা করে বলেন যে, আল্লাহ্ দয়াবান। যে ব্যক্তি কোন সৎ কাজের ইচ্ছা করল, কিন্তু তা করল না, তার জন্য একটি পূর্ণ সাওয়াব লিখা হয়। আর যদি সে সেটি করে, তবে তার জন্য দশ গুণ থেকে সাতশ’ গুণ পর্যন্ত এমন কি এর চেয়েও অধিক সাওযাব লিখে দেওয়া হয়। আর যে কোন মন্দ কাজের ইচ্ছা করে, কিন্তু তা সম্পাদন করে না, তার জন্য একটি পূর্ণ সাওয়াব লিখবেন। আর যদি সে মন্দ কাজের ইচ্ছা করে, এবং মন্দ কাজটি করেও ফেলে, তবে তার জন্য মাত্র একটা গুনাহ লিখা হয়, কিংবা তিনি সেটি ক্ষমা করে দেন। আর ধ্বংসপ্রাপ্ত ব্যক্তি ব্যতীত আল্লাহর কারণে কেউ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় না।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আহমাদ ১/৩৬০-৩৬১, ২৭৯; তাবারাণী, কাবীর ১২/১৬১ নং ১২৬৭০; খতীব, তারীখ বাগদাদ ৯/৪১৫; আবু নুয়াইম, হিলইয়া ৬/২৯২; বুখারী, রিকাক্ব ৬৪৯১; মুসলিম, ঈমান ১৩১।

باب مَنْ هَمَّ بِحَسَنَةٍ

حَدَّثَنَا عَفَّانُ حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ حَدَّثَنَا الْجَعْدُ أَبُو عُثْمَانَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا رَجَاءٍ الْعُطَارِدِيَّ قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا يَرْوِيهِ عَنْ رَبِّهِ عَزَّ وَجَلَّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَإِنَّ رَبَّكُمْ رَحِيمٌ مَنْ هَمَّ بِحَسَنَةٍ فَلَمْ يَعْمَلْهَا كُتِبَتْ لَهُ حَسَنَةً فَإِنْ عَمِلَهَا كُتِبَتْ عَشْرًا إِلَى سَبْعِ مِائَةٍ إِلَى أَضْعَافٍ كَثِيرَةٍ وَمَنْ هَمَّ بِسَيِّئَةٍ فَلَمْ يَعْمَلْهَا كُتِبَتْ لَهُ حَسَنَةً فَإِنْ عَمِلَهَا كُتِبَتْ وَاحِدَةً أَوْ يَمْحُوهَا وَلَا يَهْلِكُ عَلَى اللَّهِ إِلَّا هَالِكٌ

حدثنا عفان حدثنا جعفر بن سليمان حدثنا الجعد أبو عثمان قال سمعت أبا رجاء العطاردي قال سمعت ابن عباس عن رسول الله صلى الله عليه وسلم فيما يرويه عن ربه عز وجل قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلمإن ربكم رحيم من هم بحسنة فلم يعملها كتبت له حسنة فإن عملها كتبت عشرا إلى سبع مائة إلى أضعاف كثيرة ومن هم بسيئة فلم يعملها كتبت له حسنة فإن عملها كتبت واحدة أو يمحوها ولا يهلك على الله إلا هالك

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮২৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৭১. যে লোক যাকে ভালবাসে সে তার সাথে থাকবে

২৮২৫. আবূ যার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি একদিন বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! এক ব্যক্তি কোন লোকদেরকে ভালবাসে, কিন্তু তাদের আমলের অনুরূপ আমল করতে পারে না। তখন তিনি বলেনঃ “হে আবূ যার! তুমি তাদের সাথী হবে, যাদের সাথে তুমি মহব্বত রাখবে। তখন আবূ যার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ আমি তো আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলকে ভালবাসি। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ “তুমি তাঁর সাথী হবে, যাকে তুমি ভালবাস।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৫৬ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৫০৬ তে।

 

এর শাহিদ হাদীস রয়েছে সাফওয়ান ইবনু আসাল আলমুরাদী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৬২ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৫০৭ তে।

 

এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে যেটি বুখারী ও মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন, আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৫৬ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৭৫৮, ২৭৭৭, ২৮৮৮, ৩২৮০ তে।

 

আর ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর হাদীসটিও বুখারী ও মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন, আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫১৬৬ তে।

باب الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ

أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلَالٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ الرَّجُلُ يُحِبُّ الْقَوْمَ لَا يَسْتَطِيعُ أَنْ يَعْمَلَ مِثْلَ عَمَلِهِمْ قَالَ أَنْتَ يَا أَبَا ذَرٍّ مَعَ مَنْ أَحْبَبْتَ قُلْتُ فَإِنِّي أُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ قَالَ أَنْتَ مَعَ مَنْ أَحْبَبْتَ

أخبرنا سعيد بن سليمان عن سليمان بن المغيرة عن حميد بن هلال عن عبد الله بن الصامت عن أبي ذر قال قلت يا رسول الله الرجل يحب القوم لا يستطيع أن يعمل مثل عملهم قال أنت يا أبا ذر مع من أحببت قلت فإني أحب الله ورسوله قال أنت مع من أحببت

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮২৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৭২. বান্দা যখন আল্লাহর নিকটবর্তী হয়

২৮২৬. আবূ যার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর রব্বের পক্ষ হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন: “হে আদম সন্তান, তুমি যতক্ষণ আমাকে ডাকবে ও আমার নিকট করুণার আশা করবে, আমি তোমাকে ক্ষমা করব, তুমি যা-ই কর না কেন। হে আদম সন্তান, যদি তোমার পাপ আসমান স্পর্শ করে, আর তুমি যদি আমার সাথে কোনোকিছুকে শরীক না করো, তবে আমিও সমপরিমাণ ক্ষমা নিয়ে তোমার সাথে সাক্ষাত করব। হে আদম সন্তান, যদি তোমার পাপ আসমানের প্রান্ত স্পর্শ করে- এই পরিমাণ পাপও যদি তুমি করো, এরপরও তুমি আমার নিকট ইস্তিগফার কর বা ক্ষমা চাও আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব, কোনো পরোয়া করব না।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান। শাহর ইবনু হাওশাব হাসানুল হাদীস।

 

তাখরীজ: আহমাদ ৫/১৬৭, ১৭২, ৫/১৪৮, ১৫৩, ১৮০ (সহীহ সনদে) ৫/১৫৪ (হাসান সনদে); মুসলিম (দু’আ ২৬৮৭) আবী যার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেছেন, যার শব্দাবলি: রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ জালা শানূহু ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি একটি নেক কাজ করবে তার জন্য রয়েছে দশগুন পূরস্কার; আর আমি তাকে আরও বাড়িয়ে দেব । অ্যর যে ব্যক্তি একটি মন্দ কাজ করবে তার প্রতিফল সেই কাজের অনুরুপ কিংবা আমি তাকে ক্ষমা করে দেব । যে ব্যক্তি আমার দিকে এক বিঘত অগ্রসর হয় আমি তার দিকে একহাত এগিয়ে আসি । আর যে ব্যক্তি আমার প্রতি একহাত অগ্রসর হয় আমি তার দিকে এক গজ এগিয়ে আসি । যে ব্যক্তি আমার কাছে হেঁটে আসে আমি তার দিকে দৌড়িয়ে আসি । যে ব্যক্তি আমার কাছে পৃথিবী সমান গোনাহ করে এবং আমার সংগে কাউকে শরীক করেনি আমি তার সংগে অনুরুপ তুল্য মাগফিরাত নিয়ে মিলিত হই।”

 

এর অপর শাহিদ রয়েছে আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে তিরমিযী, দাওয়াত ৩৫৩৪ জাইয়্যেদ সনদে।

باب إِذَا تَقَرَّبَ الْعَبْدُ إِلَى اللَّهِ

أَخْبَرَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا مَهْدِيٌّ حَدَّثَنَا غَيْلَانُ عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ عَنْ مَعْدِي كَرِبَ عَنْ أَبِي ذَرٍّ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَرْوِيهِ عَنْ رَبِّهِ قَالَ يَا ابْنَ آدَمَ إِنَّكَ مَا دَعَوْتَنِي وَرَجَوْتَنِي غَفَرْتُ لَكَ مَا كَانَ فِيكَ ابْنَ آدَمَ إِنَّكَ إِنْ تَلْقَانِي بِقُرَابِ الْأَرْضِ خَطَايَا لَقِيتُكَ بِقُرَابِهَا مَغْفِرَةً بَعْدَ أَنْ لَا تُشْرِكَ بِي شَيْئًا ابْنَ آدَمَ إِنَّكَ إِنْ تُذْنِبْ حَتَّى يَبْلُغَ ذَنْبُكَ عَنَانَ السَّمَاءِ ثُمَّ تَسْتَغْفِرُنِي أَغْفِرْ لَكَ وَلَا أُبَالِي

أخبرنا أبو النعمان حدثنا مهدي حدثنا غيلان عن شهر بن حوشب عن معدي كرب عن أبي ذر عن النبي صلى الله عليه وسلم يرويه عن ربه قال يا ابن آدم إنك ما دعوتني ورجوتني غفرت لك ما كان فيك ابن آدم إنك إن تلقاني بقراب الأرض خطايا لقيتك بقرابها مغفرة بعد أن لا تشرك بي شيئا ابن آدم إنك إن تذنب حتى يبلغ ذنبك عنان السماء ثم تستغفرني أغفر لك ولا أبالي

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮২৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৭৩. নেককাজ ও পাপ সম্পর্কে

২৮২৭. নাওওয়াস ইবনু সাম’আন রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে নেক কাজ এবং পাপ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তখন তিনি বললেনঃ “নেক কর্ম হল সদাচার আর পাপ হল তোমার মনে যা দ্বিধা সৃষ্টি করে এবং মানুষ সেটা জেনে যাক, তা তুমি অপছন্দ কর।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ ইনকিতা’ বা বিচ্ছিন্নতার কারণে যয়ীফ। ((তবে হাদীসটি সহীহ যেমন তাখরীজে উল্লেখ করা হয়েছে।–অনুবাদক))

 

তাখরীজ: মুসলিম, বিরর ওয়াস সুলহ ২৫৫৩; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৯৭ তে। এছাড়াও, ইবনুল কানি’, ‍মু’জামুস সাহাবাহ নং ১১৩৮; ফাসাওয়ী, আল মা’রিফাতু ওয়াত তারীখ ২/৩৩৯।

باب فِي الْبِرِّ وَالْإِثْمِ

أَخْبَرَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ حَدَّثَنَا صَفْوَانُ هُوَ ابْنُ عَمْرٍو قَالَ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ جَابِرٍ الْقَاضِي عَنْ النَّوَّاسِ بْنِ سَمْعَانَ قَالَ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ الْبِرِّ وَالْإِثْمِ فَقَالَ الْبِرُّ حُسْنُ الْخُلُقِ وَالْإِثْمُ مَا حَاكَ فِي نَفْسِكَ وَكَرِهْتَ أَنْ يَعْلَمَهُ النَّاسُ

أخبرنا أبو المغيرة حدثنا صفوان هو ابن عمرو قال حدثني يحيى بن جابر القاضي عن النواس بن سمعان قال سألت رسول الله صلى الله عليه وسلم عن البر والإثم فقال البر حسن الخلق والإثم ما حاك في نفسك وكرهت أن يعلمه الناس

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ নাও্ওয়াস ইবনু সাম্‘আন (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮২৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৭৩. নেককাজ ও পাপ সম্পর্কে

২৮২৮. (অপর সনদে) নাওওয়াস ইবনু সাম’আন রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। অত:পর তিনি এর অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসের পুনরাবৃত্তি।

باب فِي الْبِرِّ وَالْإِثْمِ

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ عِيسَى عَنْ مَعْنِ بْنِ عِيسَى عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ النَّوَّاسِ بْنِ سَمْعَانَ قَالَ سَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَ بِنَحْوِهِ

أخبرنا إسحق بن عيسى عن معن بن عيسى عن معاوية بن صالح عن عبد الرحمن بن جبير بن نفير عن أبيه عن النواس بن سمعان قال سألت النبي صلى الله عليه وسلم فذكر بنحوه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ নাও্ওয়াস ইবনু সাম্‘আন (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮২৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৭৪. উত্তম চরিত্র সম্পর্কে

২৮২৯. আবূ যারর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তুমি যেখানে থাক না কেন, আল্লাহকে ভয় করবে; মন্দ কাজ হয়ে গেলে এর পরপরই কোন নেককাজ করবে; আর মানুষের সঙ্গে সুন্দর আচরন করবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর রাবীগণ বিশ্বস্ত; তবে ইবনু আবী হাতিম, মারাসীল পৃ: ২১৪ তে বলেন, আমি আমার পিতাকে জিজ্ঞেস করলাম, আবী যার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে মায়মূন বিন আবী শাবাবের বর্ণনা কি মুত্তাসিল (অবিচ্ছিন্ন) কি? তিনি বলেন, না।’

 

তাখরীজ: আহমাদ ৫/১৫৩, ১৫৮, ১৭৭; তাবারাণী, মাকারিমুল আখলাক নং ১৩, কাবীর ২০/১৪৫ নং ২৯৭, ২৯৮; ইবনু কুলাইব, আল মুসনাদ নং ১৩৬৭ (কুলাইব); আবু নুয়াইম, হিলইয়া ৪/৩৭৮; তিরমিযী, বিরর ওয়াস সুলহ ১৯৮৮; হাকিম ১/৫৪; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান ৬/২৪৬ নং ৮০২৩, ৮০২৪, ৮০২৬; কুযায়ী, মুসনাদুশ শিহাব ১৩৭৯ নং ৬৫২। তিরমিযী বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।’ হাকিম বলেন, এ হাদীসটি বুখারী মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ, যদিও তারা এটি বর্ণনা করেননি।’ আর যাহাবীও তাকে সমর্থন করেছেন। তবে এর অবস্থা তাঁরা দুজন যেমন বলেছেন তেমন নয়।

 

((এখানে মুহাক্কিক্ব রাবী হাবীব ইবনু আবী ছাবিত ও অপর কিছু সনদের উল্লেখ করে এর রাবী সম্পর্কে মুহাদ্দিসদের দুর্বল, মুনকার আখ্যা দেওয়া ও মুয়ায রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে অপর একটি শাহিদ হাদীস উল্লেখ করে এর দুর্বলতার লম্বা আলোচনা করেছেন। পরিশেষে তিনি একে মুরসাল বলে আখ্যায়িত করেছেন।-অনুবাদক))

 

এর কয়েকটি শাহিদ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আব্দুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর হাদীস, আমরা যার তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫২৪; মাওয়ারিদুয যাম’আন নং১৯২২ তে। পরবর্তী হাদীসটিও দেখুন।

باب فِي حُسْنِ الْخُلُقِ

حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ عَنْ مَيْمُونِ بْنِ أَبِي شَبِيبٍ عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اتَّقِ اللَّهَ حَيْثُمَا كُنْتَ وَأَتْبِعْ السَّيِّئَةَ الْحَسَنَةَ وَخَالِقْ النَّاسَ بِخُلُقٍ حَسَنٍ

حدثنا أبو نعيم حدثنا سفيان عن حبيب بن أبي ثابت عن ميمون بن أبي شبيب عن أبي ذر قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اتق الله حيثما كنت وأتبع السيئة الحسنة وخالق الناس بخلق حسن

 হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ  বর্ণনাকারীঃ আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৩০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৭৪. উত্তম চরিত্র সম্পর্কে

২৮৩০. আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “মুমিনদের মাঝে ঈমানে সেই পরিপূর্ণ, তাদের মাঝে যার চরিত্র সুন্দরতম।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান, মুহাম্মদ ইবনু ইজলান এর কারণে।

 

তাখরীজ: আমরা এর তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৭৯; মাওয়ারিদুয যাম’আন নং১৯২৬ তে। ((তিরযিমী, রিদা’আ ১১৬২; আবূ দাউদ, সুন্নাহ ৪৬৮২-অনুবাদক।))

 

সংযোজনী: এছাড়াও, ইবনু আবী শাইবা ৮/৫১৬ নং ৫৩৭৩।

 

আমাদের বক্তব্য: এর অনেক গুলি শাহিদ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, আবী দারদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর হাদীস, আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৮১ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৯২০, ১৯২১ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৩৯৮ তে।

باب فِي حُسْنِ الْخُلُقِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ هُوَ ابْنُ أَبِي أَيُّوبَ قَالَ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَجْلَانَ عَنْ الْقَعْقَاعِ بْنِ حَكِيمٍ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَكْمَلُ الْمُؤْمِنِينَ إِيمَانًا أَحْسَنُهُمْ خُلُقًا

حدثنا عبد الله بن يزيد حدثنا سعيد هو ابن أبي أيوب قال حدثني محمد بن عجلان عن القعقاع بن حكيم عن أبي صالح عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم أكمل المؤمنين إيمانا أحسنهم خلقا

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৩১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৭৫. বিনয়-নম্রতা সম্পর্কে

২৮৩১. আব্দুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “আল্লাহ হলেন রফীক (কোমল-দয়াদ্র), তিনি নম্রতা পছন্দ করেন। তিনি নম্র-দয়ালু লোকদেরকে যা দান করেন, কঠোর আচরণকারীকে তদ্রূপ দান করেন না।”[1]

[1]তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আব্দ ইবনু হুমাইদ নং ৫০৪; ইবনু আবী শাইবা ৮/৫১২ নং ৫৩৬৩; আহমাদ ৪/৮৭; আবূ দাউদ, আদাব ৪৮০৭; বুখারী, আদাবুল মুফরাদ নং ৪৭২।

 

এর শাহিদ রয়েছে পরবর্তী হাদীসটি এবং আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর হাদীস, আমরা যার তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৪৯; মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৯১৪ তে।

 

এর অপর একটি শাহিদ আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর হাদীস, আমরা যার তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৯০ তে।

باب فِي الرِّفْقِ

حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ هُوَ ابْنُ سَلَمَةَ عَنْ يُونُسَ وَحُمَيْدٍ عَنْ الْحَسَنِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ اللَّهَ رَفِيقٌ يُحِبُّ الرِّفْقَ وَيُعْطِي عَلَيْهِ مَا لَا يُعْطِي عَلَى الْعُنْفِ

حدثنا حجاج بن منهال حدثنا حماد هو ابن سلمة عن يونس وحميد عن الحسن عن عبد الله بن مغفل أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال إن الله رفيق يحب الرفق ويعطي عليه ما لا يعطي على العنف

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৩২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৭৫. বিনয়-নম্রতা সম্পর্কে

২৮৩২. আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “নিশ্চয় আল্লাহ প্রতিটি কাজে নম্রতা ও দয়ার্দ্রতা প্রদর্শন পছন্দ করেন।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: বুখারী, আদাব ৬০২৪; মুসলিম, সালাম ২১৬৫।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৪২১ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৪৯ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ২৫০ তে।

باب فِي الرِّفْقِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ الْأَوْزَاعِيِّ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الرِّفْقَ فِي الْأَمْرِ كُلِّهِ

حدثنا محمد بن يوسف عن الأوزاعي عن الزهري عن عروة عن عائشة قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إن الله يحب الرفق في الأمر كله

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৩৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৭৬. যে ব্যক্তির চোখের দৃষ্টি নষ্ট হয়ে গিয়েছে আর সে সবর করেছে

২৮৩৩. আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (তাঁর রব থেকে) বলেন, “যার দুই প্রিয় বস্তু (চোখ) আমি নিয়ে নেই, আর সে যদি তাতে সবর করে এবং ছওয়াবের আশা রাখে, তবে এর বিনিময়ে তাকে জান্নাত প্রদান ছাড়া আর কিছুতে আমি সন্তুষ্ট হব না।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আহমাদ ২/২৬৫; তিরমিযী, যুহদ ২৪০১; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহহি ইবনু হিব্বান নং ২৯৩২।

 

এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বুখারী,মারদআ ৫৬৫৩ তে। আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩৭১১, ৪২১১, ৪২৮৫ তে।

 

এর শাহিদ হাদীস রয়েছে ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৩৬৫ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৯৩০ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৭০৫ ও মু’জামুশ শুয়ূখ লি আবী ইয়ালা নং ৩৩১, ৩৩৫ তে।

 

এর অপর শাহিদ হাদীস রয়েছে ইরবায ইবনু সারিয়াহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৯৩১ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৭০৬ তে।

باب فِيمَنْ ذَهَبَ بَصَرُهُ فَصَبَرَ

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْكَرْمَانِيُّ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ أَذْهَبْتُ حَبِيبَتَيْهِ فَصَبَرَ وَاحْتَسَبَ لَمْ أَرْضَ لَهُ بِثَوَابٍ دُونَ الْجَنَّةِ

أخبرنا عبد الله بن محمد الكرماني حدثنا جرير عن الأعمش عن أبي صالح عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من أذهبت حبيبتيه فصبر واحتسب لم أرض له بثواب دون الجنة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৩৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৭৭. দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার বা নিরপেক্ষতা রক্ষা করা সম্পর্কে

২৮৩৪. হাসান বাসরী (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’উবাইদুল্লাহ্ ইবনু যিয়াদ মা’কিল ইবনু ইয়াসার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর কাছে তার মৃত্যুকালীন রোগে সেবা-শুশ্রূষার জন্য এলেন। তখন মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাকে বললেন, আমি তোমাকে এমন একটি হাদীস বর্ণনা করে শোনাব, যা আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছি। আমি যদি জানতাম যে, আমি জীবিত থাকব, তবে আমি তোমাকে এ হাদীস বলতাম না। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: “আল্লাহ কোন বান্দাকে (মুসলিম জনসাধারণের) দায়িত্ব প্রদান করলেন এবং তার মৃত্যু হল এ অবস্থায় যে, সে ছিল তার দায়িত্বের খিয়ানাতকারী, তাহলে আল্লাহ্ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেবেন।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: বুখারী, আহকাম ৭১৫০; মুসলিম, ঈমান ১৪২।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৪৯৫ তে।

باب فِي الْعَدْلِ بَيْنَ الرَّعِيَّةِ

أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا أَبُو الْأَشْهَبِ عَنْ الْحَسَنِ أَنَّ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ زِيَادٍ عَادَ مَعْقِلَ بْنَ يَسَارٍ فِي مَرَضِهِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ فَقَالَ لَهُ مَعْقِلٌ إِنِّي مُحَدِّثُكَ بِحَدِيثٍ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَوْ عَلِمْتُ أَنَّ بِي حَيَاةً مَا حَدَّثْتُكَ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ مَا مِنْ عَبْدٍ يَسْتَرْعِيهِ اللَّهُ رَعِيَّةً يَمُوتُ يَوْمَ يَمُوتُ وَهُوَ غَاشٌّ لِرَعِيَّتِهِ إِلَّا حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ

أخبرنا أبو نعيم حدثنا أبو الأشهب عن الحسن أن عبيد الله بن زياد عاد معقل بن يسار في مرضه الذي مات فيه فقال له معقل إني محدثك بحديث سمعته من رسول الله صلى الله عليه وسلم لو علمت أن بي حياة ما حدثتك إني سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ما من عبد يسترعيه الله رعية يموت يوم يموت وهو غاش لرعيته إلا حرم الله عليه الجنة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ হাসান বাসরী (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৩৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৭৮. রাষ্ট্রীয় আনুগত্য করা ও তা থেকে বিচ্ছিন্ন না থাকা সম্পর্কে

২৮৩৫. আওফ ইবনু মালিক আল-আশজায়ী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ “তোমাদের উত্তম শাসক হচ্ছে- যাদের তোমরা ভালোবাসো এবং তারাও তোমাদের ভালোবাসে। তোমরা তাদের জন্য দোয়া কর এবং তারাও তোমাদের জন্য দোয়া করে। তোমাদের দুষ্ট শাসক হচ্ছে, যাদের তোমরা ঘৃণা কর এবং তারাও তোমাদের ঘৃণা করে। তোমরা তাদের অভিশাপ দাও, আর তারাও তোমাদের অভিশাপ দেয়।” আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! এমন অবস্থার উদ্ভব হলে আমরা কি তাদের ক্ষমতাচ্যুত (বিরোধিতা) করব না? তিনি বললেনঃ “না, যতদিন তারা তোমাদের মাঝে সালাত কায়েম করে।

জেনে রাখ, যদি তোমাদের কেউ কারো ওপর শাসক নিযুক্ত হয় এবং সে তাকে আল্লাহর নাফরমানীতে লিপ্ত দেখে তাহলে সে যেন তাদের আল্লাহর নাফরমানীমূলক কাজের নিন্দা করে। কিন্তু সে যেন আনুগত্যের হাত (শপথ) তার থেকে তুলে না নেয়।”[1] ইবনে জাবির বলেন, আমি তাকে বললাম, “হে আবুল মিকদাম! আল্লাহর শপথ, আপনার এ হাদীসটি কি আপনি মুসলিম ইবনে কারাযাকে বর্ণনা করতে শুনেছেন? বর্ণনাকারী বলেন, আমার কথা শুনে তিনি হাঁটু গেড়ে কিবলার দিকে মুখ করে বসে আমাকে উত্তর দিলেনঃ আল্লাহর শপথ! আমি এ হাদীস মুসলিম ইবনু কারাযাকে বলতে শুনেছি, (তিনি বলেছেন) আমি আমার চাচা আউফ ইবনু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এটি বলতে শুনেছি।

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: মুসলিম, ইমারাহ ১৮৫৫।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৫৮৯ তে।

 

সংযোজনী: এছাড়াও, তাবারাণী, কাবীর ১৮/৬২, ৬৩ নং ১১৫, ১১৬,১১৭; মুসনাদুশ শামিয়্যীন নং ৫৮৬, ৫৮৭, ৬৩৭, ১৯৩৮; বুখারী, কাবীর ৭/২৭০-২৭১।

باب فِي الطَّاعَةِ وَلُزُومِ الْجَمَاعَةِ

حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ الْمُبَارَكِ أَخْبَرَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ قَالَ أَخْبَرَنِي زُرَيْقُ بْنُ حَيَّانَ مَوْلَى بَنِي فَزَارَةَ أَنَّهُ سَمِعَ مُسْلِمَ بْنَ قَرَظَةَ الْأَشْجَعِيَّ يَقُولُ سَمِعْتُ عَوْفَ بْنَ مَالِكٍ الْأَشْجَعِيَّ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ خِيَارُ أَئِمَّتِكُمْ الَّذِينَ تُحِبُّونَهُمْ وَيُحِبُّونَكُمْ وَتُصَلُّونَ عَلَيْهِمْ وَيُصَلُّونَ عَلَيْكُمْ وَشِرَارُ أَئِمَّتِكُمْ الَّذِينَ تُبْغِضُونَهُمْ وَيُبْغِضُونَكُمْ وَتَلْعَنُونَهُمْ وَيَلْعَنُونَكُمْ قُلْنَا أَفَلَا نُنَابِذُهُمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ عِنْدَ ذَلِكَ قَالَ لَا مَا أَقَامُوا فِيكُمْ الصَّلَاةَ أَلَا مَنْ وُلِّيَ عَلَيْهِ وَالٍ فَرَآهُ يَأْتِي شَيْئًا مِنْ مَعْصِيَةِ اللَّهِ فَلْيَكْرَهْ مَا يَأْتِي مِنْ مَعْصِيَةِ اللَّهِ وَلَا يَنْزِعَنَّ يَدًا مِنْ طَاعَةٍ قَالَ ابْنُ جَابِرٍ فَقُلْتُ آللَّهِ يَا أَبَا الْمِقْدَامِ أَسَمِعْتَ هَذَا مِنْ مُسْلِمِ بْنِ قَرَظَةَ فَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ وَجَثَا عَلَى رُكْبَتَيْهِ فَقَالَ آللَّهِ لَسَمِعْتُ هَذَا مِنْ مُسْلِمِ بْنِ قَرَظَةَ يَقُولُ سَمِعْتُ عَمِّي عَوْفَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُهُ

حدثنا الحكم بن المبارك أخبرنا الوليد بن مسلم عن عبد الرحمن بن يزيد بن جابر قال أخبرني زريق بن حيان مولى بني فزارة أنه سمع مسلم بن قرظة الأشجعي يقول سمعت عوف بن مالك الأشجعي يقول سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول خيار أئمتكم الذين تحبونهم ويحبونكم وتصلون عليهم ويصلون عليكم وشرار أئمتكم الذين تبغضونهم ويبغضونكم وتلعنونهم ويلعنونكم قلنا أفلا ننابذهم يا رسول الله عند ذلك قال لا ما أقاموا فيكم الصلاة ألا من ولي عليه وال فرآه يأتي شيئا من معصية الله فليكره ما يأتي من معصية الله ولا ينزعن يدا من طاعة قال ابن جابر فقلت آلله يا أبا المقدام أسمعت هذا من مسلم بن قرظة فاستقبل القبلة وجثا على ركبتيه فقال آلله لسمعت هذا من مسلم بن قرظة يقول سمعت عمي عوف بن مالك يقول سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقوله

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আউফ ইবনু মালিক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৩৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৭৯. সিঙ্গায় ফুঁৎকার দেওয়া প্রসঙ্গে

২৮৩৬. আবদুল্লাহ ইবনু আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে শিঙ্গা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো। তিনি বললেনঃ “একটি শিং যাতে ফুঁত্কার দেওয়া হবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৩১২ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৫৭০ তে। ((আবূ দাউদ, আস সুন্নাহ ৪৭৪২; তিরমিযী, সিফাতুল কিয়ামাহ ২৪৩০, তাফসীর ৩২৪৪; নাসাঈ, কুবরা ১১৩১২, ১১১৩৮১, ১১৪৫৬।– ফাতহুল মান্নান হা/২৯৬৪ এর টীকা।-অনুবাদক))

باب فِي نَفْخِ الصُّورِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ عَنْ أَسْلَمَ الْعِجْلِيِّ عَنْ بِشْرِ بْنِ شَغَافٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ سُئِلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ الصُّورِ فَقَالَ قَرْنٌ يُنْفَخُ فِيهِ

حدثنا محمد بن يوسف عن سفيان عن سليمان التيمي عن أسلم العجلي عن بشر بن شغاف عن عبد الله بن عمرو قال سئل النبي صلى الله عليه وسلم عن الصور فقال قرن ينفخ فيه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৩৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৮০. কিয়ামতের অবস্থা ও সর্বোচ্চ মহান প্রতিপালকের ‘নুযুল’ (নাযিল হওয়া)

২৮৩৭. আবূ হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ্ কিয়ামতের দিন পৃথিবী আপন মুষ্টিতে ধারণ করবেন এবং আসমান তাঁর ডান হাতে জড়িয়ে নিয়ে বলবেন: ’আমিই একমাত্র অধিপতি। পৃথিবীর অধিপতিরা কোথায়?”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: বুখারী, তাফসীর সুরাতুল যুমার ৪৮১২; মুসলিম, সিফাতুল মুনাফিকীন ২৭৮৭।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৮৫০ তে।

 

সংযোজনী: এছাড়াও, বাইহাকী, আসমা ওয়াস সিফাত পৃ: ২১৫-২১৬।

 

এর শাহিদ হাদীস রয়েছে ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে যা বুখারী ও মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন, আমরা এর তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৫৫৮ তে।

باب فِي شَأْنِ السَّاعَةِ وَنُزُولِ الرَّبِّ تَعَالَى

حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ حَدَّثَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ يَقْبِضُ اللَّهُ الْأَرْضَ وَيَطْوِي السَّمَوَاتِ بِيَمِينِهِ ثُمَّ يَقُولُ أَنَا الْمَلِكُ أَيْنَ مُلُوكُ الْأَرْضِ

حدثنا الحكم بن نافع حدثنا شعيب عن الزهري قال سمعت أبا سلمة بن عبد الرحمن قال سمعت أبا هريرة قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول يقبض الله الأرض ويطوي السموات بيمينه ثم يقول أنا الملك أين ملوك الأرض

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৩৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৮০. কিয়ামতের অবস্থা ও সর্বোচ্চ মহান প্রতিপালকের ‘নুযুল’ (নাযিল হওয়া)

২৮৩৮. ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলো, মাকামে মাহমূদ কী? উত্তরে তিনি বলেন: “এটা ঐ সময় যখন আল্লাহ তা’আলা তাঁর আপন ’কুরসী’তে ’নাযিল’ হবেন, তখন সংকীর্ণতার ফলে (আরোহী’র উপরের) নতুন জিন (গদী) যেমন (কড়মড়) শব্দ করতে থাকে, তেমনিভাবে তাঁর কারণে সেটি (কড়মড়) শব্দ করতে থাকবে। অথচ তার প্রশস্ততা হবে আসমান ও যমীনের মাঝের দূরত্বের সমান। আর তোমাদেরকে খালি পায়ে ও উলঙ্গ দেহে খতনাবিহীন অবস্থায় আনয়ন করা হবে। সর্বপ্রথম ইবরাহীম (আ.) কে কাপড় পরানো হবে। আল্লাহ তা’আলা বলবেন: ’আমার খলীল (দোস্ত)-কে কাপড় পরিয়ে দাও।’ তখন জান্নাত থেকে আনিত সাদা রং এর দু’টি নরম-কোমল চাদর পরানো হবে। তারপর আমাকে পোশাক পরানো হবে। আমি তাঁর ডানদিকে এমন স্থানে দাঁড়াবো যে, পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সমস্ত লোক তা দেখে ঈর্ষা করবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ অত্যন্ত দুর্বল। ‍উছমান বিন উমাইর সম্পর্কে আহমাদ ও বুখারী বলেছেন: মুনকারুল হাদীস।’ ইবনু হিব্বান মাজরুহীন’ ২/৯৫ তে বলেন: সে হলো এমন ব্যক্তি যে এলোমেলো বর্ণনা করতো, এমনকি সে জানতে পারতো যে সে কী বর্ণনা করছে। ফলে তার বর্ণনা প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপণ করা জায়েয নয়…।”

 

তাখরীজ: তাবারাণী, কাবীর ১০/৯৯ নং ১০০১৮; আবু নুয়াইম, হিলইয়া ৬/২৩৯; ; বুখারী, কাবীর ৪/১৩৭ তা’লীক হিসেবে; আবীশ শাইখ, আল আযিমাহ নং ২২৭; হাকিম ২/৩৬৪-৩৬৫; আহমাদ নং ৩৭৮৬ (নাশর: মাকতাবুল ইসলামী); তার সূত্রে ইবনু কাছীর, তাফসীর ৫/১০৪-১০৫।

 

“আর তোমাদেরকে খালি পায়ে ও উলঙ্গ দেহে খতনাবিহীন অবস্থায় আনয়ন করা হবে।” এ অংশটুকুর শাহিদ সহীহ হাদীস রয়েছে ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, আমরা যার তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৩৯৬ তে, সেটিই হলো পরবর্তী হাদীসটি। এছাড়াও, পোশাক পরানোর অংশটুকুর শাহিদ রয়েছে আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, আমরা যার তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৬৬ তে। আরও দেখুন, ফাতহুল বারী, ১১/৩৮৪-৩৮৫।

باب فِي شَأْنِ السَّاعَةِ وَنُزُولِ الرَّبِّ تَعَالَى

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْفَضْلِ حَدَّثَنَا الصَّعْقُ بْنُ حَزْنٍ عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحَكَمِ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عُمَيْرٍ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ ابْنِ مَسْعُودٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ قِيلَ لَهُ مَا الْمَقَامُ الْمَحْمُودُ قَالَ ذَاكَ يَوْمٌ يَنْزِلُ اللَّهُ تَعَالَى عَلَى كُرْسِيِّهِ يَئِطُّ كَمَا يَئِطُّ الرَّحْلُ الْجَدِيدُ مِنْ تَضَايُقِهِ بِهِ وَهُوَ كَسَعَةِ مَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ وَيُجَاءُ بِكُمْ حُفَاةً عُرَاةً غُرْلًا فَيَكُونُ أَوَّلَ مَنْ يُكْسَى إِبْرَاهِيمُ يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى اكْسُوا خَلِيلِي فَيُؤْتَى بِرَيْطَتَيْنِ بَيْضَاوَيْنِ مِنْ رِيَاطِ الْجَنَّةِ ثُمَّ أُكْسَى عَلَى إِثْرِهِ ثُمَّ أَقُومُ عَنْ يَمِينِ اللَّهِ مَقَامًا يَغْبِطُنِي الْأَوَّلُونَ وَالْآخِرُونَ

حدثنا محمد بن الفضل حدثنا الصعق بن حزن عن علي بن الحكم عن عثمان بن عمير عن أبي وائل عن ابن مسعود عن النبي صلى الله عليه وسلم قال قيل له ما المقام المحمود قال ذاك يوم ينزل الله تعالى على كرسيه يئط كما يئط الرحل الجديد من تضايقه به وهو كسعة ما بين السماء والأرض ويجاء بكم حفاة عراة غرلا فيكون أول من يكسى إبراهيم يقول الله تعالى اكسوا خليلي فيؤتى بريطتين بيضاوين من رياط الجنة ثم أكسى على إثره ثم أقوم عن يمين الله مقاما يغبطني الأولون والآخرون

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ‌ ইব্‌ন মাসউদ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৩৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৮১. মহান আল্লাহর দীদার বা দর্শন

২৮৩৯. আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার কয়েকজন লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলল, কিয়ামতের দিন আমরা কি আমাদের প্রতিপালককে দেখতে পাব? উত্তরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ “পূর্ণিমা রাতে চাঁদের নিচে কোনো মেঘের আড়াল না থাকে, তবে তা (দেখার ব্যাপারে) কি তোমাদের সন্দেহ থাকে? তারা বলল, না, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেনঃ সূর্যের নিচে যখন কোন মেঘ না থাকে তখন তা (দেখার ব্যাপারে) কি তোমাদের কোনো সন্দেহ থাকে? তারা বলল, না! তিনি বললেনঃ “তোমরা অবশ্যই কিয়ামতের দিন আল্লাহকে ঐরূপ দেখতে পাবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: বুখারী, আযান ৮০৬; মুসলিম, ঈমান ১৮২।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৩৬০, ৬৬৮৯ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৪২৯, ৭৪৪৫ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ১২১২ তে।

 

আল্লাহ তা’আলাকে দেখার ব্যাপারে তিনটি মতামত রয়েছে:

 

১. সাহাবা, তাবিঈন ও মুসলিম আইম্মাগণের মতামত হলো এই যে, আল্লাহ তআলাকে আখিরাতে সচক্ষে দেখা যাবে। আর দুনিয়াতে চক্ষু দ্বারা মহান আল্লাহকে দেখা সম্ভব নয়। তবে স্বপ্নে দেখতে পারে।

 

২. একদল লোক বলেন: দুনিয়া আখিরাতে কোথাওই আল্লাহ তা’আলাকে দেখা যাবে না।

 

৩. তৃতীয় দলের লোকের মত হলো, দুনিয়াতে এবং আখিরাতে উভয় স্থানেই আল্লাহকে দেখা যাবে।

 

মুলত: সাহাবাগণ, তাবিঈগণ ও মুসলিম আইম্মাগণই সঠিক (১ম মতটি)। আল্লাহই সর্বাধিক অবগত।

باب النَّظَرِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ عَنْ شُعَيْبِ بْنِ أَبِي حَمْزَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ وَعَطَاءُ بْنُ يَزِيدَ اللَّيْثِيُّ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ أَخْبَرَهُمَا أَنَّ النَّاسَ قَالُوا لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَلْ نَرَى رَبَّنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَلْ تُمَارُونَ فِي الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ لَيْسَ دُونَهُ سَحَابٌ قَالُوا لَا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ فَهَلْ تُمَارُونَ فِي الشَّمْسِ لَيْسَ دُونَهَا سَحَابٌ قَالُوا لَا قَالَ فَإِنَّكُمْ تَرَوْنَهُ كَذَلِكَ

حدثنا أبو اليمان الحكم بن نافع عن شعيب بن أبي حمزة عن الزهري أخبرني سعيد بن المسيب وعطاء بن يزيد الليثي أن أبا هريرة أخبرهما أن الناس قالوا للنبي صلى الله عليه وسلم هل نرى ربنا يوم القيامة فقال النبي صلى الله عليه وسلم هل تمارون في القمر ليلة البدر ليس دونه سحاب قالوا لا يا رسول الله قال فهل تمارون في الشمس ليس دونها سحاب قالوا لا قال فإنكم ترونه كذلك

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৪০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৮২. হাশরের বৈশিষ্ট্য বা বর্ণনা

২৮৪০. ইবনু ’আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মিম্বারে দাঁড়িয়ে এই বলে খুতবা দিতে শুনেছি: “হে লোকসকল! নিশ্চয়ই তোমাদেরকে আল্লাহ তা’আলার সামনে একত্রিত করা হবে নগ্ন পদ, নগ্ন দেহ ও খাতনাবিহীন অবস্থায়।” এ বলে তিনি তিলাওয়াত করলেন: “যেভাবে আমি সূচনা করেছিলাম, সেভাবেই পুনরায় সৃষ্টি করব; প্রতিশ্রুতি পালন আমার কর্তব্য, আমি এটা পালন করবই।” (সূরা আম্বিয়া: ১০৪)[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: বুখারী, রিকাক ৬৫২৪, ৬৫২৫; মুসলিম, সিফাতুল জান্নাহ ২৮৬০।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৩৯৬ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৩১৮, ৭৩২১, ৭৩৪৭ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৪৮৯ তে।

باب فِي صِفَةِ الْحَشْرِ

حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ النُّعْمَانِ قَالَ سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ يُحَدِّثُ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ خَطَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّكُمْ مَحْشُورُونَ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى حُفَاةً عُرَاةً غُرْلًا ثُمَّ قَرَأَ كَمَا بَدَأْنَا أَوَّلَ خَلْقٍ نُعِيدُهُ وَعْدًا عَلَيْنَا إِنَّا كُنَّا فَاعِلِينَ

حدثنا أبو الوليد الطيالسي حدثنا شعبة قال حدثنا المغيرة بن النعمان قال سمعت سعيد بن جبير يحدث عن ابن عباس قال خطب رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال يا أيها الناس إنكم محشورون إلى الله تعالى حفاة عراة غرلا ثم قرأ كما بدأنا أول خلق نعيده وعدا علينا إنا كنا فاعلين

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৪১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৮৩. কিয়ামত দিবসে মু’মিনগণের সাজদা করা প্রসঙ্গে

২৮৪১. আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: মহান আল্লাহ যখন বান্দাদেরকে একত্রিত করবেন একটি ভূমিতে, তখন একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা করবেন: যারা যে জিনিসের ’ইবাদাত করতো, তারা যেন সে জিনিসের কাছে গমন করে। এরপর যারা যার ইবাদত করতো, সকলেই তাদের উপাস্যের সঙ্গে যাবে। লোকেরা তাদের নিজ নিজ অবস্থার উপর থেকে যাবে। অবশেষে তিনি এসে বলবেন: লোকদের কী হলো, সকলেই চলে গেলো, আর তোমরা এখানে থেকে গেলে যে? তারা বলবে, আমরা অপেক্ষা করছি আমাদের রবের। তখন তিনি বলবেন: তোমরা কি তাঁকে চিনতে পারবে? উত্তরে তারা বলবে: তিনি যখন আমাদের কাছে পরিচয় দেবেন, তখন আমরা তাকে চিনতে পারব। এরপর তাদের সামনে তিনি তাঁর ’সাক্ব’ (পায়ের নলা) উন্মুক্ত করবেন, তখন তারা সিজদায় পড়ে যাবে। এটিই হলো, আল্লাহর বাণীঃ “সেইদিন যেদিন ’সাক্ব’ (পায়ের নিম্নাংশ) উন্মোচিত করা হবে,এবং তাদেরকে আহ্বান করা হবে সাজদা করার জন্য; কিন্তু তারা তা করতে সক্ষম হবে না।” (আল ক্বলম: ৪২) তবে অবশিষ্ট থেকে যাবে কেবল সকল মুনাফিক, কিন্তু তারা সিজদা করতে সক্ষম হবে না। এরপর লোকদেরকে জান্নাতের দিকে পথ প্রদর্শন করা হবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: বুখারী, আযান ৮০৬; মুসলিম, ঈমান ১৮২।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৩৬০ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৪২৯, ৭৪৪৫ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ১২১২ তে।

باب فِي سُجُودِ الْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ الْبَزَّازُ عَنْ يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ إِسْحَقَ قَالَ أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ يَسَارٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ إِذَا جَمَعَ اللَّهُ الْعِبَادَ فِي صَعِيدٍ وَاحِدٍ نَادَى مُنَادٍ لِيَلْحَقْ كُلُّ قَوْمٍ بِمَا كَانُوا يَعْبُدُونَ فَيَلْحَقُ كُلُّ قَوْمٍ بِمَا كَانُوا يَعْبُدُونَ وَيَبْقَى النَّاسُ عَلَى حَالِهِمْ فَيَأْتِيهِمْ فَيَقُولُ مَا بَالُ النَّاسِ ذَهَبُوا وَأَنْتُمْ هَا هُنَا فَيَقُولُونَ نَنْتَظِرُ إِلَهَنَا فَيَقُولُ هَلْ تَعْرِفُونَهُ فَيَقُولُونَ إِذَا تَعَرَّفَ إِلَيْنَا عَرَفْنَاهُ فَيَكْشِفُ لَهُمْ عَنْ سَاقِهِ فَيَقَعُونَ سُجُودًا فَذَلِكَ قَوْلُ اللَّهِ تَعَالَى يَوْمَ يُكْشَفُ عَنْ سَاقٍ وَيُدْعَوْنَ إِلَى السُّجُودِ فَلَا يَسْتَطِيعُونَ يَبْقَى كُلُّ مُنَافِقٍ فَلَا يَسْتَطِيعُ أَنْ يَسْجُدَ ثُمَّ يَقُودُهُمْ إِلَى الْجَنَّةِ

أخبرنا محمد بن يزيد البزاز عن يونس بن بكير قال أخبرني ابن إسحق قال أخبرني سعيد بن يسار قال سمعت أبا هريرة يقول سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول إذا جمع الله العباد في صعيد واحد نادى مناد ليلحق كل قوم بما كانوا يعبدون فيلحق كل قوم بما كانوا يعبدون ويبقى الناس على حالهم فيأتيهم فيقول ما بال الناس ذهبوا وأنتم ها هنا فيقولون ننتظر إلهنا فيقول هل تعرفونه فيقولون إذا تعرف إلينا عرفناه فيكشف لهم عن ساقه فيقعون سجودا فذلك قول الله تعالى يوم يكشف عن ساق ويدعون إلى السجود فلا يستطيعون يبقى كل منافق فلا يستطيع أن يسجد ثم يقودهم إلى الجنة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৪২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৮৪. শাফা’আত সম্পর্কে

২৮৪২. উক্ববা ইবনু আমির আল জুহানী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: “কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ পূর্বাপর সমস্ত মানুষকে একত্রিত করবেন। এরপর তিনি তাদের মাঝে ফায়সালা করবেন; যখন তিনি বিচার ফায়সালা শেষ করবেন, তখন মুমিনগণ বলবে, আমাদের রব তো আমাদের মাঝে ফায়সালা করে দিয়েছেন। আমাদের জন্য আমাদের প্রতিপালকের কাছে শাফাআত করবে কে? অত:পর তারা বলবেন, চলো, আদম (আ.) এর কাছে যাই, কেননা, তাঁকে আল্লাহ্ নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন ও তাঁর সাথে কথা বলেছেন। ফলে তারা সকলেই আদম (আ.)-এর কাছে এসে বলবে, আপনি উঠুন, আমাদের জন্য আমাদের প্রতিপালকের কাছে শাফাআত করুন।

আদম (আ.) বলবেনঃ তোমরা নূহ (আ.) এর কাছে চলে যাও। তখন তারা নূহ (আ.) এর কাছে আসবে। তখন তিনি তাদেরকে ইব্রাহীম (আ.)-কে দেখিয়ে দেবেন। তখন তারা ইবরাহীম (আ.) এর কাছে আসবে। তখন তিনি তাদেরকে মূসা (আ.)-কে দেখিয়ে দেবেন। তখন তারা মূসা (আ.) এর কাছে আসবে। তিনিও ঈসা (আ.)-কে দেখিয়ে দেবেন। এরপর তারা ঈসা (আ.) এর কাছে আসবে। তখন তিনি বলবেন: আমি তোমাদেরকে উম্মী নবীকে দেখিয়ে দিচ্ছি।” তিনি বলেন, “তখন তারা সকলেই আমার কাছে আসবে। তখন আমার প্রতিপালক আমাকে তাঁর সামনে দাঁড়ানোর অনুমতি দান করবেন। তখন আমার মাজলিস সবচেয়ে সুগন্ধময় হয়ে উঠবে। যখন আমি আমার প্রতিপালকের নিকট যাব, তখন তিনি আমাকে শাফা’আত করার অনুমতি দেবেন এবং তিনি আমার মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত নূর বানিয়ে দেবেন।

এ সময় ইবলিসকে কাফির বলবে, ’মুমিনগণ তাদের জন্য শাফা’আতকারীকে পেয়ে গেছে। ফলে ‍তুমি উঠে আমার জন্য তোমার রবের নিকট শাফা’আত কর। কারণ, তুমিই তো আমাদের পথভ্রষ্ট করেছিলে। তিনি বলেন, এরপর সে দাঁড়িয়ে যাবে, তখন তার মাজলিস ভীষণ দুর্গন্ধময় হয়ে উঠবে। তখন তাদের কান্না ব্যাপক আকার ধারণ করবে। ফলে তখন সে বলবে: যখন সবকিছুর মীমাংসা হয়ে যাবে, তখন শয়তান বলবে: আল্লাহ তোমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সত্য প্রতিশ্রুতি, আমিও তোমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম; কিন্তু আমি তোমাদেরকে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি রক্ষা করি নাই। (সূরা ইবরাহীম: ২২)[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ দুর্বল, আব্দুর রহমান ইবনু যিয়াদ বিন আনউমের সম্পর্কে হাফিজ (ইবনু হাজার) বলেন: ‘তার সম্পর্কে সত্য হলো অধিক সংখ্যক মুনকার হাদীস বর্ণনা করার কারণে সে যয়ীফ।…”

 

তাখরীজ: তাবারাণী, কাবীর ১৭/৩২০ নং ৮৮৭; নুয়াইম বিন হাম্মাদ, যাওয়াইদ আলা যুহদ লিইবনুল মুবারক নং ৩৭৪; তাবারী, তাফসীর ১৩/২০১; ইবনু কাছীর, তাফসীর ৫/৪০৯; সুয়ূতী, দুররে মানছুর ৪/৭৪ তে বলেন, এটি যয়ীফ সনদে ইবনু মুবারক তার যুহদে, ইবনু জারীর, ইবনু আবী হাতিম, তাবারাণী, ইবনু মারদুবিয়া, ইবনু আসাকীর বর্ণনা করেছেন।

 

((এর প্রথম অংশ তথা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট লোকদেরকে পাঠাবেন ঈসা আ: আর তিনি মানুষদের জন্য শাফা’আত করার অনুমতি লাভ করবেন- এ ঘটনা পর্যন্ত সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। দেখুন, সহীহ বুখারী, রিক্বাক্ব ৬৫৬৫।–অনুবাদক))

باب فِي الشَّفَاعَةِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ حَدَّثَنَا دُخَيْنٌ الْحَجْرِيُّ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ الْجُهَنِيِّ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ إِذَا جَمَعَ اللَّهُ الْأَوَّلِينَ وَالْآخِرِينَ فَقَضَى بَيْنَهُمْ وَفَرَغَ مِنْ الْقَضَاءِ قَالَ الْمُؤْمِنُونَ قَدْ قَضَى بَيْنَنَا رَبُّنَا فَمَنْ يَشْفَعُ لَنَا إِلَى رَبِّنَا فَيَقُولُونَ انْطَلِقُوا إِلَى آدَمَ فَإِنَّ اللَّهَ خَلَقَهُ بِيَدِهِ وَكَلَّمَهُ فَيَأْتُونَهُ فَيَقُولُونَ قُمْ فَاشْفَعْ لَنَا إِلَى رَبِّنَا فَيَقُولُ آدَمُ عَلَيْكُمْ بِنُوحٍ فَيَأْتُونَ نُوحًا فَيَدُلُّهُمْ عَلَى إِبْرَاهِيمَ فَيَأْتُونَ إِبْرَاهِيمَ فَيَدُلُّهُمْ عَلَى مُوسَى فَيَأْتُونَ مُوسَى فَيَدُلُّهُمْ عَلَى عِيسَى فَيَأْتُونَ عِيسَى فَيَقُولُ أَدُلُّكُمْ عَلَى النَّبِيِّ الْأُمِّيِّ قَالَ فَيَأْتُونِي فَيَأْذَنُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لِي أَنْ أَقُومَ إِلَيْهِ فَيَثُورُ مَجْلِسِي أَطْيَبَ رِيحٍ شَمَّهَا أَحَدٌ قَطُّ حَتَّى آتِيَ رَبِّي فَيُشَفِّعَنِي وَيَجْعَلَ لِي نُورًا مِنْ شَعْرِ رَأْسِي إِلَى ظُفْرِ قَدَمِي فَيَقُولُ الْكَافِرُونَ عِنْدَ ذَلِكَ لِإِبْلِيسَ قَدْ وَجَدَ الْمُؤْمِنُونَ مَنْ يَشْفَعُ لَهُمْ فَقُمْ أَنْتَ فَاشْفَعْ لَنَا إِلَى رَبِّكَ فَإِنَّكَ أَنْتَ أَضْلَلْتَنَا قَالَ فَيَقُومُ فَيَثُورُ مَجْلِسُهُ أَنْتَنَ رِيحٍ شَمَّهَا أَحَدٌ قَطُّ ثُمَّ يَعْظُمُ لِجَهَنَّمَ فَيَقُولُ عِنْدَ ذَلِكَ وَقَالَ الشَّيْطَانُ لَمَّا قُضِيَ الْأَمْرُ إِنَّ اللَّهَ وَعَدَكُمْ وَعْدَ الْحَقِّ وَوَعَدْتُكُمْ فَأَخْلَفْتُكُمْ إِلَى آخِرِ الْآيَةِ

حدثنا عبد الله بن يزيد حدثنا عبد الرحمن بن زياد حدثنا دخين الحجري عن عقبة بن عامر الجهني قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول إذا جمع الله الأولين والآخرين فقضى بينهم وفرغ من القضاء قال المؤمنون قد قضى بيننا ربنا فمن يشفع لنا إلى ربنا فيقولون انطلقوا إلى آدم فإن الله خلقه بيده وكلمه فيأتونه فيقولون قم فاشفع لنا إلى ربنا فيقول آدم عليكم بنوح فيأتون نوحا فيدلهم على إبراهيم فيأتون إبراهيم فيدلهم على موسى فيأتون موسى فيدلهم على عيسى فيأتون عيسى فيقول أدلكم على النبي الأمي قال فيأتوني فيأذن الله عز وجل لي أن أقوم إليه فيثور مجلسي أطيب ريح شمها أحد قط حتى آتي ربي فيشفعني ويجعل لي نورا من شعر رأسي إلى ظفر قدمي فيقول الكافرون عند ذلك لإبليس قد وجد المؤمنون من يشفع لهم فقم أنت فاشفع لنا إلى ربك فإنك أنت أضللتنا قال فيقوم فيثور مجلسه أنتن ريح شمها أحد قط ثم يعظم لجهنم فيقول عند ذلك وقال الشيطان لما قضي الأمر إن الله وعدكم وعد الحق ووعدتكم فأخلفتكم إلى آخر الآية

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ উকবাহ ইবনু আমির (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৪৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৮৫. প্রত্যেক নাবীর একটি দু’আ রয়েছে

২৮৪৩. আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “প্রত্যেক নবীর এমন একটি দু’আ থাকে, (যা আল্লাহর নিকট কবুল হয়)। আর আমার ইচ্ছা, ইনশা আল্লাহু তা’আলা, আমি আমার সে দু’আটি আখিরাতে আমার উম্মাতের শাফায়াতের জন্য গোপন করে রাখি।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: বুখারী, দা’ওয়াত ৬৩০৪; মুসলিম, ঈমান ১৯৮।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬৪৬১ তে।

باب إِنَّ لِكُلِّ نَبِيٍّ دَعْوَةً

أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِكُلِّ نَبِيٍّ دَعْوَةٌ وَأُرِيدُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى أَنْ أَخْتَبِئَ دَعْوَتِي شَفَاعَةً لِأُمَّتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ

أخبرنا الحكم بن نافع أخبرنا شعيب عن الزهري قال حدثني أبو سلمة بن عبد الرحمن أن أبا هريرة قال قال النبي صلى الله عليه وسلم لكل نبي دعوة وأريد إن شاء الله تعالى أن أختبئ دعوتي شفاعة لأمتي يوم القيامة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৪৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৮৫. প্রত্যেক নাবীর একটি দু’আ রয়েছে

২৮৪৪. (অপর সনদে) আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসের পুনরাবৃত্তি।

باب إِنَّ لِكُلِّ نَبِيٍّ دَعْوَةً

حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ أَبِي سُفْيَانَ بْنِ أَسِيدِ بْنِ جَارِيَةَ مِثْلَ ذَلِكَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

حدثنا الحكم بن نافع أخبرنا شعيب عن الزهري قال أخبرني عمرو بن أبي سفيان بن أسيد بن جارية مثل ذلك عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৪৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৮৬. আমার উম্মাতের মধ্য থেকে সত্তর হাযারের একটি দল বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে

২৮৪৫. আবূ হুরাইরাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “আমার উম্মাতের মধ্য থেকে সত্তর হাযারের একটি দল বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। ’উক্কাশাহ (ইবনু মিহসান) বললেন: “হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আল্লাহর নিকট আমার জন্য দু’আ করুন, যেন তিনি আমাকে তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করেন। তিনি দু’আ করলেন। তারপর অপর এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমার জন্যও আপনি আল্লাহর নিকট দু’আ করুন। তিনি বললেনঃ “উক্কাশাহ এ ব্যাপারে তোমার অগ্রগামী হয়েছে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: বুখারী, লিবাস ৫৮১১; মুসলিম, ঈমান ২১৬।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭২৪৪ তে।

 

সংযোজনী: এছাড়াও, ইবনু আবী আওয়ানা ১/১৪০।

 

এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আনাস, জাবির, ইবনু আব্বাস ও ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে। এ সকল হাদীসগুলির তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলীতে যথাক্রমে নং ২৮৪২, ২২৩৭, ২৩২৮, ৫৩৩৯ তে।

باب يَدْخُلُ الْجَنَّةَ سَبْعُونَ أَلْفًا مِنْ أُمَّتِي بِغَيْرِ حِسَابٍ

حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يُحَدِّثُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ سَبْعُونَ أَلْفًا مِنْ أُمَّتِي بِغَيْرِ حِسَابٍ فَقَالَ عُكَّاشَةُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ فَدَعَا فَقَالَ آخَرُ ادْعُ اللَّهَ لِي فَقَالَ سَبَقَكَ بِهَا عُكَّاشَةُ

حدثنا أبو الوليد حدثنا شعبة عن محمد بن زياد قال سمعت أبا هريرة يحدث عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال يدخل الجنة سبعون ألفا من أمتي بغير حساب فقال عكاشة يا رسول الله ادع الله أن يجعلني منهم فدعا فقال آخر ادع الله لي فقال سبقك بها عكاشة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৪৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৮৭. আমার উম্মাতের মধ্য থেকে এক ব্যক্তির শাফা’আতের মাধ্যমে সত্তর হাযার লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে

২৮৪৬. আবদুল্লাহ ইবনে আবুল জাদ’আ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি নবী (সাঃ) কে বলতে শুনেছেনঃ “আমার উম্মাতের এক ব্যক্তির শাফাআতে তামীম গোত্রের জনসংখ্যার চেয়েও অধিক লোক জান্নাতে যাবে।” তারা জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসূল। সেই ব্যক্তি কি আপনি ব্যতীত অন্য কেউ? তিনি বলেনঃ “আমি ছাড়াও।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৮৬৬ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৩৭৬ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৫৯৮ তে। ((আহমাদ ৩/৪৬৯, ৪৭০, ৫/৩৬৬; তিরমিযী, সিফাতুল কিয়ামাহ ২৪৩৮; ইবনু মাজাহ, যুহদ ৪৩১৬; ইবনু খুযাইমা, তাওহীদ /৩১৩; হাকিম ১/৭০, ৭১, ৩/৪০৮।–ফাতহুল মান্নান হা/২৯৭৪ এর টীকা হতে।–অনুবাদক))

باب فِي قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ بِشَفَاعَةِ رَجُلٍ مِنْ أُمَّتِي سَبْعُونَ أَلْفًا

أَخْبَرَنَا الْمُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ عَنْ خَالِدٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي الْجَدْعَاءِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَيَدْخُلَنَّ الْجَنَّةَ بِشَفَاعَةِ رَجُلٍ مِنْ أُمَّتِي أَكْثَرُ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ قَالُوا سِوَاكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ سِوَايَ

أخبرنا المعلى بن أسد حدثنا وهيب عن خالد عن عبد الله بن شقيق عن عبد الله بن أبي الجدعاء قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ليدخلن الجنة بشفاعة رجل من أمتي أكثر من بني تميم قالوا سواك يا رسول الله قال سواي

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৪৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৮৮. আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ এই পৃথিবী ছাড়াই পৃথিবীকে পরিবর্তন করা হবে

২৮৪৭. মাসরূক (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহাকে বললাম, আপনার কি মতামত, মহান আল্লাহর এ বাণীঃ “যেদিন এই পৃথিবী পরিবর্তিত হয়ে অন্য পৃথিবী হবে এবং আকাশমন্ডলীও এবং মানুষ উপস্থিত হবে আল্লাহর সামনে, যিনি একক পরাক্রমশালী।’’ (সূরা ইবরাহীমঃ ৪৮) শীর্ষক আয়াত সম্পর্কে? সেদিন মানুষ কোথায় থাকবে? তিনি বলেনঃ আমিও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তখন তিনি বললেন: “পুলসিরাতের উপর।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: মুসলিম, সিফাতুল কিয়ামাহ ওয়াল জান্নাতু ওয়ান নার, ২৭৯১।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৩৮০ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ২৭৬ তে। ((আহমাদ৬/৩৫; তিরমিযী, তাফসীর ৩১২১; ইবনু মাজাহ, যুহদ ৪২৭৯; হাকিম ২/৩৫২..। ফাতহুল মান্নান হা/২৯৭৫ এর টীকা হতে। -অনুবাদক))

باب قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى يَوْمَ تُبَدَّلُ الْأَرْضُ غَيْرَ الْأَرْضِ

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ أَخْبَرَنَا خَالِدٌ عَنْ دَاوُدَ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ مَسْرُوقٍ قَالَ قُلْتُ لِعَائِشَةَ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ أَرَأَيْتِ قَوْلَ اللَّهِ تَعَالَى يَوْمَ تُبَدَّلُ الْأَرْضُ غَيْرَ الْأَرْضِ وَالسَّمَوَاتُ وَبَرَزُوا لِلَّهِ الْوَاحِدِ الْقَهَّارِ أَيْنَ النَّاسُ يَوْمَئِذٍ قَالَتْ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ عَلَى الصِّرَاطِ

حدثنا عمرو بن عون أخبرنا خالد عن داود عن الشعبي عن مسروق قال قلت لعائشة يا أم المؤمنين أرأيت قول الله تعالى يوم تبدل الأرض غير الأرض والسموات وبرزوا لله الواحد القهار أين الناس يومئذ قالت سألت رسول الله صلى الله عليه وسلم عن ذلك فقال على الصراط

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ মাসরূক (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৪৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৮৯. জাহান্নামে উপনীত হওয়া সম্পর্কে

২৮৪৮. সুদ্দী (রহঃ) আল্লাহর এ বাণীঃ এবং তোমাদের প্রত্যেকেই ওটা অতিক্রম করবে; এটা তোমার প্রতিপালকের অমোঘ নিয়ম।” (সুরা মারইয়াম: ৭১)-সম্পর্কে মুররাহ (রহঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম। তখন তিনি আবদুল্লাহ্ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে এ হাদীস বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “সকল লোকই জাহান্নামের কাছে উপস্থিত হবে। এরপর তা থেকে তারা তাদের আমল অনুযায়ী চলে যেতে থাকবে। তাঁদের প্রথম দল বিদুৎ চমকের ন্যায় দ্রুত, পরের দল বাতাসের ন্যায়, পরের দল ঘোড়ার গতিতে, পরের দল উষ্ট্রারোহীর ন্যায়, এর পরের দল মানুষের দৌড়ের ন্যায়, এর পরের দল পায়ে হেঁটে প্রস্থান করবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫০৮৯ তে। ((তিরমিযী, তাফসীর ৩১৫৯; আহমাদ ১/৪৩৫; হাকিম ২/৩৭৫, ৪/৫৮৬-৫৮৭।–ফাতহুল মান্নান হা/২৯৭৬ এর টীকা হতে।–অনুবাদক))

باب فِي وُرُودِ النَّارِ

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ عَنْ إِسْرَائِيلَ عَنْ السُّدِّيِّ قَالَ سَأَلْتُ مُرَّةَ عَنْ قَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ وَإِنْ مِنْكُمْ إِلَّا وَارِدُهَا فَحَدَّثَنِي أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ حَدَّثَهُمْ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَرِدُ النَّاسُ النَّارَ ثُمَّ يَصْدُرُونَ عَنْهَا بِأَعْمَالِهِمْ فَأَوَّلُهُمْ كَلَمْحِ الْبَرْقِ ثُمَّ كَالرِّيحِ ثُمَّ كَحُضْرِ الْفَرَسِ ثُمَّ كَالرَّاكِبِ فِي رَحْلِهِ ثُمَّ كَشَدِّ الرَّجُلِ ثُمَّ كَمَشْيِهِ

أخبرنا عبيد الله عن إسرائيل عن السدي قال سألت مرة عن قول الله عز وجل وإن منكم إلا واردها فحدثني أن عبد الله حدثهم قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يرد الناس النار ثم يصدرون عنها بأعمالهم فأولهم كلمح البرق ثم كالريح ثم كحضر الفرس ثم كالراكب في رحله ثم كشد الرجل ثم كمشيه

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৪৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৯০. মৃত্যুকে যবেহ করে দেওয়া সম্পর্কে

২৮৪৯. ইবনু ’উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “মৃত্যুকে উপস্থিত করা হবে ধুসর বর্ণের একটি মেষের আকৃতিতে এবং একে জান্নাত ও জাহান্নামের মধ্য স্থানে দাঁড় করানো হবে। এরপর বলা হবে, হে জান্নাতবাসীগণ! তারা মাথা উঁচু করে দেখতে থাকবে। আবার বলা হবেঃ হে জাহান্নামীগণ! তখন তারাও মাথা উঁচু করে দেখতে থাকবে। আর তারা ধারণা করবে, হয়তো তাদের কষ্টের উপশম এসে গেছে। তখন একে যবেহ করে দেয়া হবে, অতঃপর (জান্নাতাবাসী ও জাহান্নামবাসীদের) বলা হবে, (তোমরা উভয় দল স্ব স্ব স্থানে) স্থায়ীভাবে অবস্থান করো। আর কখনো মৃত্যু নেই।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৬১৫ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৪৫০ তে। ((ইবনু মাজাহ, যুহদ ৪৩২৭; আহমাদ ২/২৬১, ৩৭৭, ৫১৩; হাকিম ১/৮৩; তিরমিযী,সিফাতুল জান্নাত ২৫৫৭; বুখারী, রিকাক ৬৫৪৫…–ফাতহুল মান্নান হা/২৯৭৭ এর টীকা হতে।–অনুবাদক))

 

এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আবু সাঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে যেটি বুখারী মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন। আমরা যার তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১১৭৫ তে।

 

এর অপর শাহিদ হাদীস রয়েছে আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে আমরা যার তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৮৯৮ তে।

 

এর শাহিদ হাদীস রয়েছে ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে যেটি বুখারী, রিকাক ৬৫৪৮ তে।

باب فِي ذَبْحِ الْمَوْتِ

أَخْبَرَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ يُؤْتَى بِالْمَوْتِ بِكَبْشٍ أَغْبَرَ فَيُوقَفُ بَيْنَ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ فَيُقَالُ يَا أَهْلَ الْجَنَّةِ فَيَشْرَئِبُّونَ وَيَنْظُرُونَ وَيُقَالُ يَا أَهْلَ النَّارِ فَيَشْرَئِبُّونَ وَيَنْظُرُونَ وَيَرَوْنَ أَنْ قَدْ جَاءَ الْفَرَجُ فَيُذْبَحُ وَيُقَالُ خُلُودٌ لَا مَوْتَ

أخبرنا حجاج بن منهال عن حماد بن سلمة عن عاصم عن أبي صالح عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال يؤتى بالموت بكبش أغبر فيوقف بين الجنة والنار فيقال يا أهل الجنة فيشرئبون وينظرون ويقال يا أهل النار فيشرئبون وينظرون ويرون أن قد جاء الفرج فيذبح ويقال خلود لا موت

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৫০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৯১. জাহান্নাম থেকে ভয় প্রদর্শন সম্পর্কে

২৮৫০. নু’মান ইবনু বাশীর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুৎবা দান কালে বলেছেনঃ “আমি তোমাদেরকে আগুন থেকে ভয় প্রদর্শন করছি। আমি তোমাদেরকে আগুন থেকে ভয় প্রদর্শন করছি। আমি তোমাদেরকে আগুন থেকে ভয় প্রদর্শন করছি।” এ কথাটি তিনি বলতেই থাকলেন, এমনকি তিনি যদি আমার এই অবস্থানে হতেন, তবে বাজারের লোকেরাও তাঁর কথা শুনতে পেতো এবং এমনকি তাঁর গায়ের কাপড়টি পায়ের কাছে পড়ে গেলো (সেদিকেও খেয়াল নেই)।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬৪৪, ৬৬৭ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৪৯০ ও মাজমাউয যাওয়াইদ ৩১৬৯ তে।

 

সংযোজনী: এছাড়াও, তায়ালিসী, মানিহাতুল মা’বুদ নং ৬৯৩; বাইহাকী, জুম’আহ ৩/২০৭;

باب فِي تَحْذِيرِ النَّارِ

أَخْبَرَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ عَنْ سِمَاكٍ عَنْ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ فَقَالَ أَنْذَرْتُكُمْ النَّارَ أَنْذَرْتُكُمْ النَّارَ أَنْذَرْتُكُمْ النَّارَ فَمَا زَالَ يَقُولُهَا حَتَّى لَوْ كَانَ فِي مَقَامِي هَذَا لَسَمِعَهُ أَهْلُ السُّوقِ حَتَّى سَقَطَتْ خَمِيصَةٌ كَانَتْ عَلَيْهِ عِنْدَ رِجْلَيْهِ

أخبرنا عثمان بن عمر أخبرنا شعبة عن سماك عن النعمان بن بشير قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يخطب فقال أنذرتكم النار أنذرتكم النار أنذرتكم النار فما زال يقولها حتى لو كان في مقامي هذا لسمعه أهل السوق حتى سقطت خميصة كانت عليه عند رجليه

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ নু’মান ইবনু বশীর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৫১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৯২. যে ব্যক্তি বলেন: আমি মৃত্যু বরণ করলে তোমরা আমার দেহটাকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলবে

২৮৫১. বাহায ইবনু হাকীম তার পিতা হতে, তার দাদা সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: “(তোমাদের পূর্বের উম্মাতের) আল্লাহর বান্দাদের মধ্যেকার এক বান্দা ছিল, যে আল্লাহর দীনের আনুগত্য করত না। এভাবে সে জীবন যাপন করতে থাকলো, এমনকি তার জীবনের কিছু অংশ অতিবাহিত হয়ে গেলো আর কিছু অংশ অবশিষ্ট রইল। এসময় সে বুঝতে পারলো যে, সে (তার আখিরাতের জীবনের জন্য) আল্লাহর নিকট কোন নেককাজই সঞ্চয় করেনি। সে তার ছেলেদের ডেকে বলল, পিতা হিসেবে তোমরা আমাকে কেমন জানো? তারা বললো, হে আমাদের পিতা, ভাল (বলেই জানি)। সে বললো, অবশ্যই আমার নির্দেশ মতো তোমরা কাজ করবে, তা না হলে তোমাদের নিকট থেকে আমার সকল মাল-সম্পদ আমি কেড়ে নেব।

তিনি বলেন, আমার রবের শপথ, এভাবে সে তাদের নিকট থেকে প্রতিশ্রুতি নিল। সে বলল: আমি মারা গেলে তখন তোমরা আমাকে নিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে আমার মৃতদেহ ছাইয়ের গুঁড়ায় পরিণত করবে। অতঃপর আমার ছাই বাতাসে ছড়িয়ে দেবে।

তিনি বলেন, “মুহাম্মদের রবের কসম, সে যখন মারা গেল, তখন তারা তা-ই করলো। অতঃপর (আলমে বারযাখে) তাকে পূর্বের চেয়েও সুন্দর আকৃতিতে নিয়ে আসা হলো এবং তার রবের সামনে পেশ করা হলো। তখন তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমাকে আগুনে (পোড়ানোর) ব্যাপারে কিসে প্ররোচিত করল? সে বললো, হে রব, একমাত্র আপনার ভয়ই (আমাকে এ কাজ করতে প্ররোচিত করেছে)। তিনি বললেনঃ আমি তোমাকে ’ভীত’ (শঙ্কিত)’ ব্যক্তি হিসেবে গ্রহণ করলাম।’ তিনি বলেন, তখন তাকে মাফ করে দেওয়া হলো।”[1]

আবূ মুহাম্মদ বলেন: يَبْتَئِر অর্থ: সঞ্চয় করা।

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ জাইয়্যেদ।

 

তাখরীজ: আহমাদ ৫/৩ (সনদ সহীহ) ৫/৫; তাবারাণী, কাবীর ১৯/৪২৩ নং ১০৭৬, ১০৭৭।

 

এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আবু সাঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে যেটি বুখারী মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন। আমরা যার তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১০৪৭, ১০৯৮, ৫০৫৫ তে।

 

এর অপর শাহিদ হাদীস রয়েছে ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে আমরা যার তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১০০২, ৫০৫৬, ৫১০৫ তে।

باب فِيمَنْ قَالَ إِذَا مُتُّ فَأَحْرِقُونِي بِالنَّارِ

أَخْبَرَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ قَالَ أَخْبَرَنَا بَهْزُ بْنُ حَكِيمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ كَانَ عَبْدٌ مِنْ عِبَادِ اللَّهِ وَكَانَ لَا يَدِينُ لِلَّهِ دِينًا وَإِنَّهُ لَبِثَ حَتَّى ذَهَبَ مِنْهُ عُمُرٌ وَبَقِيَ عُمُرٌ فَعَلِمَ أَنَّهُ لَمْ يَبْتَئِرْ عِنْدَ اللَّهِ خَيْرًا فَدَعَا بَنِيهِ فَقَالَ أَيُّ أَبٍ تَعْلَمُونِي قَالُوا خَيْرُهُ يَا أَبَانَا قَالَ فَإِنِّي لَا أَدَعُ عِنْدَ أَحَدٍ مِنْكُمْ مَالًا هُوَ مِنِّي إِلَّا أَخَذْتُهُ مِنْكُمْ أَوْ لَتَفْعَلُنَّ مَا آمُرُكُمْ قَالَ فَأَخَذَ مِنْهُمْ مِيثَاقًا وَرَبِّي قَالَ أَمَّا أَنَا إِذَا مُتُّ فَخُذُونِي فَأَحْرِقُونِي بِالنَّارِ حَتَّى إِذَا كُنْتُ حُمَمًا فَدُقُّونِي ثُمَّ اذْرُونِي فِي الرِّيحِ قَالَ فَفَعَلُوا ذَلِكَ بِهِ وَرَبِّ مُحَمَّدٍ حِينَ مَاتَ فَجِيءَ بِهِ أَحْسَنَ مَا كَانَ قَطُّ فَعُرِضَ عَلَى رَبِّهِ فَقَالَ مَا حَمَلَكَ عَلَى النَّارِ قَالَ خَشْيَتُكَ يَا رَبِّ قَالَ إِنِّي أَسْمَعُكَ لَرَاهِبًا قَالَ فَتِيبَ عَلَيْهِ قَالَ أَبُو مُحَمَّد يَبْتَئِرُ يَدَّخِرُ

أخبرنا النضر بن شميل قال أخبرنا بهز بن حكيم عن أبيه عن جده قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول كان عبد من عباد الله وكان لا يدين لله دينا وإنه لبث حتى ذهب منه عمر وبقي عمر فعلم أنه لم يبتئر عند الله خيرا فدعا بنيه فقال أي أب تعلموني قالوا خيره يا أبانا قال فإني لا أدع عند أحد منكم مالا هو مني إلا أخذته منكم أو لتفعلن ما آمركم قال فأخذ منهم ميثاقا وربي قال أما أنا إذا مت فخذوني فأحرقوني بالنار حتى إذا كنت حمما فدقوني ثم اذروني في الريح قال ففعلوا ذلك به ورب محمد حين مات فجيء به أحسن ما كان قط فعرض على ربه فقال ما حملك على النار قال خشيتك يا رب قال إني أسمعك لراهبا قال فتيب عليه قال أبو محمد يبتئر يدخر

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ বাহয ইবনু হাকীম (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৫২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৯৩. একটি বিড়ালের কারণে এক মহিলা জাহান্নামে প্রবেশ করবে

২৮৫২. আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “একটি বিড়ালের কারণে এক মহিলা জাহান্নামে প্রবেশ করেছিলো। তাকে বলা হয়েছিল: “বাঁধা থাকাকালীন তুমি তাকে না খেতে দিয়েছিলে, না পান করতে দিয়েছিলে এবং না তুমি তাকে ছেড়ে দিয়েছিলে, তা হলে সে জমিনের পোকা-কামড় খেয়ে (বেঁচে) থাকত।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: বুখারী, মাসাকাত ২৩৬৫, বাদাউল খালক ৩৩১৮, আহাদীসুল আম্বিয়া ৩৪৮২ ; মুসলিম, সালাম ২২৪২, বিরর ওয়াস ‍সুলহ ২২৪২ (১৩৩) (১৩৪); বাইহাকী, নাফাকাত ৮/১৩; আহমাদ ২/১৫৯, ১৮৮ (সহীহ সনদে)।

باب دَخَلَتْ امْرَأَةٌ النَّارَ فِي هِرَّةٍ

أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ الْمُبَارَكِ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَتْ امْرَأَةٌ النَّارَ فِي هِرَّةٍ فَقِيلَ لَا أَنْتِ أَطْعَمْتِيهَا وَسَقَيْتِيهَا وَلَا أَنْتِ أَرْسَلْتِيهَا فَتَأْكُلَ مِنْ خَشَاشِ الْأَرْضِ

أخبرنا الحكم بن المبارك أخبرنا مالك عن نافع عن ابن عمر قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم دخلت امرأة النار في هرة فقيل لا أنت أطعمتيها وسقيتيها ولا أنت أرسلتيها فتأكل من خشاش الأرض

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৫৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৯৪. জাহান্নামের কঠিন আযাব সম্পর্কে

২৮৫৩. আবু সাঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “কাফির ব্যক্তির কবরে তার উপর নিরানব্বইটি বিরাট সাপ নিযুক্ত করে দেওয়া হয়। কিয়ামত অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত এ সাপগুলি তাকে কামড়াতে থাকবে এবং খামচাতে থাকবে। এর একটিও যদি দুনিয়ায় নিঃশ্বাস ছাড়ে তবে দুনিয়াতে আর কখনো কোনো সবুজ বৃক্ষ-লতা জন্মাবে না।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ।

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৩২৯ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৭৮৩ ও মাজমাউয যাওয়াইদ ৪৩৪৫ তে।

এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে আমরা যার তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৬৪৪ তে। (তিরমিযী, সিফাতুল কিয়ামাহ ২৪৬০; আহমাদ ৩/৩৮।–অনুবাদক)

باب فِي شِدَّةِ عَذَابِ أَهْلِ النَّارِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ بْنِ مِقْلَاصٍ مَوْلَى أَبِي هُرَيْرَةَ وَكُنْيَتُهُ أَبُو يَحْيَى قَالَ سَمِعْتُ دَرَّاجًا أَبَا السَّمْحِ يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا الْهَيْثَمِ يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُسَلَّطُ عَلَى الْكَافِرِ فِي قَبْرِهِ تِسْعَةٌ وَتِسْعُونَ تِنِّينًا تَنْهَشُهُ وَتَلْدَغُهُ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ وَلَوْ أَنَّ تِنِّينًا مِنْهَا نَفَخَ فِي الْأَرْضِ مَا نَبَتَتْ خَضْرَاءُ

حدثنا عبد الله بن يزيد حدثنا سعيد بن أبي أيوب بن مقلاص مولى أبي هريرة وكنيته أبو يحيى قال سمعت دراجا أبا السمح يقول سمعت أبا الهيثم يقول سمعت أبا سعيد الخدري يقول قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يسلط على الكافر في قبره تسعة وتسعون تنينا تنهشه وتلدغه حتى تقوم الساعة ولو أن تنينا منها نفخ في الأرض ما نبتت خضراء

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৫৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৯৫. জাহান্নামের উপত্যকাসমুহের বর্ণনা

২৮৫৪. মুহাম্মদ ইবনু ওয়াসি’ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বিলাল ইবনু আবী বুরদাহ’র নিকট গিয়ে বললাম, তোমার পিতা তার পিতা হতে আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “নিশ্চয়ই জাহান্নামে একটি উপত্যকা রয়েছে যার নাম ’হাবহাব’। প্রত্যেক স্বেচ্ছাচারী-অহংকারী ব্যক্তি হবে সেখানকার অধিবাসী।” সুতরাং তুমি তাদের অন্তর্ভূক্ত হওয়া থেকে বেঁচে থাকবে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭২৪৯ তে।

 

সংযোজনী: এছাড়াও, ইবনু আদী, আলকামিল ১/৪২০; আবূ নুয়াইম, হিলইয়া ২/২৫৬; হাকিম ৪/৫৯৬-৫৯৭; তাবারাণী, আওসাত নং ৩৩৭২; বাইহাকী, বায়াছ ওয়ান নুশুর নং ৪৭৯; ইবনুল জাউযী, আল মাওযু’আত ৩/২৬৪।

باب فِي أَوْدِيَةِ جَهَنَّمَ

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا أَزْهَرُ بْنُ سِنَانٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ وَاسِعٍ قَالَ دَخَلْتُ عَلَى بِلَالِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ فَقُلْتُ إِنَّ أَبَاكَ حَدَّثَنِي عَنْ أَبِيهِ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ فِي جَهَنَّمَ وَادِيًا يُقَالُ لَهُ هَبْهَبُ يَسْكُنُهُ كُلُّ جَبَّارٍ فَإِيَّاكَ أَنْ تَكُونَ مِنْهُمْ

أخبرنا يزيد بن هارون أخبرنا أزهر بن سنان عن محمد بن واسع قال دخلت على بلال بن أبي بردة فقلت إن أباك حدثني عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال إن في جهنم واديا يقال له هبهب يسكنه كل جبار فإياك أن تكون منهم

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৫৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৯৬. মহান আল্লাহ তাঁর নিজ রহমতে কত জনকে জাহান্নাম থেকে বের করবেন

২৮৫৫. আবু সাঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ জাহান্নামের অধিবাসীরা (মুশরিক ও কাফিররা) জাহান্নামের (চিরস্থায়ী) অধিবাসী। জাহান্নামে তারা মরবে না। কিন্তু লোকদের মধ্যকার কিছু সংখ্যক লোককে নিজেদের পাপ অনুসারে আগুন আক্রমন করবে, তাদেরকে সেখানে জ্বালানো হবে, এমনকি তারা পুড়ে কয়লায় পরিণত হয়ে যাবে। অতঃপর তাদের জন্যে সুফারিশ করার অনুমতি দেয়া হবে। এরপর তাদেরকে পৃথকভাবে দলে দলে জাহান্নাম থেকে বের করে আনা হবে এবং জান্নাতের নহরের মধ্যে ছেড়ে দেয়া হবে। তারপর জান্নাতবাসীগণকে বলা হবে, ’এদের ওপর পানি ঢেলে দাও। তিনি বলেন, অতঃপর তাদের উপর পানি ঢেলে দেওয়া হবে, ফলে তাদের দেহের গোশতগুলি এমনভাবে তরতাজা গজিয়ে ওঠবে, যেভাবে প্রবাহমান স্রোতের ধারে বীজ অঙ্কুরিত হয়ে ওঠে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি সহীহ, এটি বুখারী ও মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন।

 

তাখরীজ: বুখারী, ঈমান ২২; মুসলিম, ঈমান ১৮৫।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১০৯৭, ১২১৯, ১২৫৩, ১২৫৫ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৮৪, ৭৩৭৯, ৭৪৮৫ তে।

باب مَا يُخْرِجُ اللَّهُ مِنْ النَّارِ بِرَحْمَتِهِ

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ عَنْ خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ يَزِيدَ أَبِي مَسْلَمَةَ عَنْ أَبِي نَضْرَةَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَّا أَهْلُ النَّارِ الَّذِينَ هُمْ أَهْلُ النَّارِ فَإِنَّهُمْ لَا يَمُوتُونَ فِي النَّارِ وَأَمَّا نَاسٌ مِنْ النَّاسِ فَإِنَّ النَّارَ تُصِيبُهُمْ عَلَى قَدْرِ ذُنُوبِهِمْ فَيُحْرَقُونَ فِيهَا حَتَّى إِذَا صَارُوا فَحْمًا أُذِنَ فِي الشَّفَاعَةِ فَيَخْرُجُونَ مِنْ النَّارِ ضَبَائِرَ ضَبَائِرَ فَيُنْثَرُونَ عَلَى أَنْهَارِ الْجَنَّةِ فَيُقَالُ لِأَهْلِ الْجَنَّةِ يُفِيضُوا عَلَيْهِمْ مِنْ الْمَاءِ قَالَ فَيُفِيضُونَ عَلَيْهِمْ فَتَنْبُتُ لُحُومُهُمْ كَمَا تَنْبُتُ الْحِبَّةُ فِي حَمِيلِ السَّيْلِ

أخبرنا عمرو بن عون عن خالد بن عبد الله عن سعيد بن يزيد أبي مسلمة عن أبي نضرة عن أبي سعيد الخدري قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم أما أهل النار الذين هم أهل النار فإنهم لا يموتون في النار وأما ناس من الناس فإن النار تصيبهم على قدر ذنوبهم فيحرقون فيها حتى إذا صاروا فحما أذن في الشفاعة فيخرجون من النار ضبائر ضبائر فينثرون على أنهار الجنة فيقال لأهل الجنة يفيضوا عليهم من الماء قال فيفيضون عليهم فتنبت لحومهم كما تنبت الحبة في حميل السيل

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৫৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৯৭. জান্নাতের দরজাসমূহ সম্পর্কে

২৮৫৬. আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “জান্নাতের আটটি দরজা রয়েছে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান শারীকের কারণে। আর যদিও তার হাদীসকে আমরা ইতিপূর্বে অনেক স্থানে যয়ীফ বলে এসেছি।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি এবং এর শাহিদ হাদীস উল্লেখ করেছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫০১২ তে।

 

সংযোজনী: তাবারাণী, কাবীর ১০/২৫৪ নং ১০৪৭৯; ‍মুনযিরী, তারগীব ওয়াত তারহীব ৪/৮৯ তে এটি উল্লেখ করে বলেন, এটি আবী ইয়া’লা ও তাবারাণী বর্ণনা করেছেন জাইয়্যেদ বা উত্তম সনদে।” ((হাইছামীও মাজমাউয যাওয়াইদে ১০/১৯৮ তে এর সনদকে জাইয়্যেদ বলে উল্লেখ করেছেন।–ফাতহুল মান্নান, হা/ ২৯৮৪ এর টীকা। -অনুবাদক))

باب فِي أَبْوَابِ الْجَنَّةِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حُمَيْدٍ حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ عَنْ شَرِيكٍ عَنْ عُثْمَانَ الثَّقَفِيِّ عَنْ أَبِي صَادِقٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِلْجَنَّةِ ثَمَانِيَةُ أَبْوَابٍ

حدثنا أحمد بن حميد حدثنا معاوية بن هشام عن شريك عن عثمان الثقفي عن أبي صادق عن عبد الرحمن بن يزيد عن عبد الله عن النبي صلى الله عليه وسلم قال للجنة ثمانية أبواب

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ‌ ইব্‌ন মাসউদ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৫৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৯৮. জান্নাতে প্রবেশকারী ব্যক্তির কোনো দু:খ-কষ্ট থাকবে না

২৮৫৭. আবূ হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুলস্নাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: “যে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে সে নিয়ামত ও সুখ ভোগ করবে, কষ্ট-যাতনা পাবে না। তাদের পোশাক-পরিচ্ছদ কখনও পুরাতন হবেনা, আর জান্নাতে তাদের যৌবনকখনও শেষ হবে না। তার জন্য জান্নাতে যা রয়েছে, তা কোন চোখ কখনও দেখেনি, কোন কান কখনো শুনেনি এবং কোন মানুষের অন্তরের কল্পনা তার ধারণাও করতে পারেনি।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৪২৮ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৩৮৭ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৬২১ তে। দেখুন, সামনে ২৮৬৫ নং হাদীসটিও।

 

সংযোজনী: এছাড়াও, বাইহাকী, বায়াছ ওয়ান ‍নুশুর নং ২৯৪; আবী নুয়াইম, সিফাতুল জান্নাত নং ৯৬, ৯৭, ৯৮, ৯৯, ১০০, ১০১, ১০৯, ১২১ । ((মুসলিম, জান্নাত ২৮৩৬; তিরমিযী, সিফাতুল জা্ন্নাত ২৫২৬; ইবনু মাজাহ, যুহদ ৪৩২৮।–ফাওয়ায আহমেদের দারেমীর টীকা হা/২৮১৯।- অনুবাদক))

باب مَنْ يَدْخُلْ الْجَنَّةَ لَا يَبْؤُسُ

حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ أَبِي رَافِعٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ دَخَلَ الْجَنَّةَ يَنْعَمُ لَا يَبْؤُسُ لَا تَبْلَى ثِيَابُهُ وَلَا يَفْنَى شَبَابُهُ فِي الْجَنَّةِ مَا لَا عَيْنٌ رَأَتْ وَلَا أُذُنٌ سَمِعَتْ وَلَا خَطَرَ عَلَى قَلْبِ بَشَرٍ

حدثنا حجاج بن منهال حدثنا حماد بن سلمة عن أيوب عن أبي رافع عن أبي هريرة أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال من دخل الجنة ينعم لا يبؤس لا تبلى ثيابه ولا يفنى شبابه في الجنة ما لا عين رأت ولا أذن سمعت ولا خطر على قلب بشر

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৫৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৯৯. জান্নাতে তোমাদের কারো চাবুক পরিমাণ জায়গাও দুনিয়া ও দুনিয়াতে যা কিছু আছে তার সবকিছু থেকে উত্তম

২৮৫৮. আবূ হুরাইরাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “জান্নাতে ধনুক পরিমাণ স্থান, তা থেকে উত্তম যার উপর সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত হয়। তোমরা ইচ্ছা হলে পড়ো: “সকল জীবই মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদ গ্রহণকারী এবং নিশ্চয়িই উত্থান দিবসে তোমাদেরকে পূর্ণ প্রতিদান দেয়া হবে; অতএব, যে কেউ অগ্নি হতে বিমুক্ত হয়েছে ও জান্নাতে প্রবিষ্ট হয়েছে, ফলত: নিশ্চয়ই সে সফলকাম; আর পার্থিব জীবন প্রতারণার সম্পদ ছাড়া কিছুই নয়।” (সূরা আলে ইমরান: ১৮৫)[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান তবে হাদীসটি সহীহ।

 

তাখরীজ: বুখারী, জিহাদ ২৭৯৩।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৪১৭, ৭৪১৮ তে।

 

আর এর শাহিদ হাদীস রয়েছে সাহল ইবনু সাদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে যেটি বুখারী ও মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন; আমরা যার তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭৫১৪ তে।

 

অপর শাহিদ আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর হাদীস দেখুন মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৩১৬ তে।

باب لَمَوْضِعُ سَوْطٍ فِي الْجَنَّةِ خَيْرٌ مِنْ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَمَوْضِعُ سَوْطٍ فِي الْجَنَّةِ خَيْرٌ مِنْ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا وَاقْرَءُوا إِنْ شِئْتُمْ فَمَنْ زُحْزِحَ عَنْ النَّارِ وَأُدْخِلَ الْجَنَّةَ فَقَدْ فَازَ الْآيَةَ

أخبرنا يزيد بن هارون أخبرنا محمد بن عمرو عن أبي سلمة عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لموضع سوط في الجنة خير من الدنيا وما فيها واقرءوا إن شئتم فمن زحزح عن النار وأدخل الجنة فقد فاز الآية

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৫৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১০০. জান্নাতের প্রাসাদসমূহ সম্পর্কে

২৮৫৯. আবূ হুরাইরাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আমরা বললাম: জান্নাতের নির্মাণ কি দিয়ে? তিনি বললেন: “এর একটি ইট হল সোনার আর একটি হল রূপার। এর গাঁথুনী হল সুগন্ধময় মিশকের। এর নুড়িগুলো হল ইয়াকুতের ও মোতির, মাটি হল জাফরানের। যে ব্যক্তি এতে প্রবেশ করবে, এখানে সে স্থায়ীভাবে থাকবে। সে নিয়ামত ও সুখ ভোগ করবে, কোনো দু:খ-কষ্ট পাবে না। তাদের যৌবনকখনও শেষ হবে না, আর তাদের পরিচ্ছদ কখনও পুরাতন ও জীর্ণ হবেনা।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ জাইয়্যেদ বা উত্তম।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৩৮৭ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৬২১ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ১১৮৪ তে। ((আহমাদ ২/৩০৪-৩০৫, ৩০৫, ৪৪৫; তিরমিযী, সিফাতুল জান্নাত ২৫২৬।- –ফাওয়ায আহমেদের দারেমীর টীকা হা/২৮২১।- অনুবাদক))

باب فِي بِنَاءِ الْجَنَّةِ

أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ سَعْدَانَ الْجُهَنِيِّ عَنْ أَبِي مُجَاهِدٍ حَدَّثَنَا أَبُو مُدِلَّةَ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ الْجَنَّةُ مَا بِنَاؤُهَا قَالَ لَبِنَةٌ مِنْ ذَهَبٍ وَلَبِنَةٌ مِنْ فِضَّةٍ مِلَاطُهَا الْمِسْكُ الْأَذْفَرُ وَحَصْبَاؤُهَا الْيَاقُوتُ وَاللُّؤْلُؤُ وَتُرَابُهَا الزَّعْفَرَانُ مَنْ يَدْخُلْهَا يَخْلُدْ فِيهَا يَنْعَمُ لَا يَبْؤُسُ لَا يَفْنَى شَبَابُهُمْ وَلَا تَبْلَى ثِيَابُهُمْ

أخبرنا أبو عاصم عن سعدان الجهني عن أبي مجاهد حدثنا أبو مدلة أنه سمع أبا هريرة يقول قلنا يا رسول الله الجنة ما بناؤها قال لبنة من ذهب ولبنة من فضة ملاطها المسك الأذفر وحصباؤها الياقوت واللؤلؤ وترابها الزعفران من يدخلها يخلد فيها ينعم لا يبؤس لا يفنى شبابهم ولا تبلى ثيابهم

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৬০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১০১. জান্নাতুল ফিরদাউস সম্পর্কে

২৮৬০. ’আবদুল্লাহ ইবনু কায়স রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জান্নাতুল ফিরদাউস হলো চারটি: “এ দু’টি হবে সোনার: এ দু’টির সকল ভূষণ, পাত্র এবং এর ভিতরে সকল বস্তু (সোনার তৈরী হবে)। এবং আরো দু’টি থাকবে রূপার: এ দু’টির সকল ভূষণ, পাত্র এবং ভিতরের সকল বস্তু (রৌপ্য নির্মিত হবে)। জান্নাতু আদনে এর অধিবাসী এবং তাদের প্রতিপালকের দর্শনের মাঝে আল্লাহর সত্তার ওপর জড়ানো তাঁর (কিবরিয়াই) বিরাটত্বের চাদর ছাড়া আর কোন জিনিস থাকবে না। এ নহর সমূহ জান্নাতু আদন এর একটি ফাটল থেকে উত্সারিত হয় এরপর সেগুলি পরবর্তীতে নহর হিসেবে প্রবাহিত হয়।”[1] আব্দুল্লাহ বলেন: ’জাওবাহ’ অর্থ: পৃথিবী যেখান থেকে আবর্তিত হয়।

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ, আবী কুদামাহ আল হারিছ ইবনু উবাইদ এর দুর্বলতার কারণে।

 

তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১৩/১৪৮ নং ১৫৯৫৬; আহমাদ ৪/৪১৬; আব্দ ইবনু হুমাইদ, মুনতাখাব নং ৫৪৫; আবূ আউয়ানা ১/১৫৭; আবূ নুয়াইম, সিফাতুল জান্নাত নং ১৪১; হিলইয়া ২/৩১৬-৩১৭; তায়ালিসী ২/২৪৩ নং ২৮৩৯; বাইহাকী, বায়াছ ওয়ান নুশূর নং ২১৭; আসলাম ইবনু সাহল, তারীখ ওয়াসীত পৃ: ১৯১।

 

আর এটি মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন বুখারী ও মুসলিম সম্মিলিতভাবে: “দু’টি হবে সোনার: এ দু’টির সকল ভূষণ, পাত্র এবং এর ভিতরে সকল বস্তু (সোনার তৈরী হবে)। এবং আরো দু’টি থাকবে রূপার: এ দু’টির সকল ভূষণ, পাত্র এবং ভিতরের সকল বস্তু (রৌপ্য নির্মিত হবে)। জান্নাতু আদনে এর অধিবাসী এবং তাদের প্রতিপালকের দর্শনের মাঝে আল্লাহর সত্তার ওপর জড়ানো তাঁর (কিবরিয়াই) বিরাটত্বের চাদর ছাড়া আর কোন জিনিস থাকবে না।”

 

আমরা এর তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৮৩৮৬ তে।

باب فِي جَنَّاتِ الْفِرْدَوْسِ

حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا أَبُو قُدَامَةَ عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَنَّاتُ الْفِرْدَوْسِ أَرْبَعٌ ثِنْتَانِ مِنْ ذَهَبٍ حِلْيَتُهُمَا وَآنِيَتُهُمَا وَمَا فِيهِمَا وَثِنْتَانِ مِنْ فِضَّةٍ حِلْيَتُهُمَا وَآنِيَتُهُمَا وَمَا فِيهِمَا وَلَيْسَ بَيْنَ الْقَوْمِ وَبَيْنَ أَنْ يَنْظُرُوا إِلَى رَبِّهِمْ إِلَّا رِدَاءُ الْكِبْرِيَاءِ عَلَى وَجْهِهِ فِي جَنَّاتِ عَدْنٍ وَهَذِهِ الْأَنْهَارُ تَشْخُبُ مِنْ جَنَّاتِ عَدْنٍ فِي جَوْبَةٍ ثُمَّ تَصْعَدُ بَعْدُ أَنْهَارًا قَالَ عَبْد اللَّهِ جَوْبَةٌ مَا يُجَابُ عَنْهُ الْأَرْضُ

حدثنا أبو نعيم حدثنا أبو قدامة عن أبي عمران الجوني عن أبي بكر بن عبد الله بن قيس عن أبيه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم جنات الفردوس أربع ثنتان من ذهب حليتهما وآنيتهما وما فيهما وثنتان من فضة حليتهما وآنيتهما وما فيهما وليس بين القوم وبين أن ينظروا إلى ربهم إلا رداء الكبرياء على وجهه في جنات عدن وهذه الأنهار تشخب من جنات عدن في جوبة ثم تصعد بعد أنهارا قال عبد الله جوبة ما يجاب عنه الأرض

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু কায়স আল-আশ‘আরী (রহ.)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৬১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১০২. যে দলটি সর্ব প্রথম জান্নাতে প্রবেশ করবে

২৮৬১. আবূ হুরাইরাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আমার উম্মতের প্রথম যে দলটি জান্নাতে প্রবেশ করবে, তারা পূর্ণিমার চাঁদের মত উজ্জ্বল চেহারা নিয়ে প্রবেশ করবে আর তাদের পর যারা প্রবেশ করবে তারা আসমানের অতি উজ্জ্বল তারকার ন্যায় আকৃতি ধারণ করবে।”

তখন উকাশা দাঁড়িয়ে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার জন্য আল্লাহর নিকট দু’আ করুন, আল্লাহ যেন আমাকে তাদের অন্তর্ভূক্ত করেন। তখন তিনি দু’আ করেন: “হে আল্লাহ! তাকে তাদের অন্তর্ভূক্ত করুন।”

এরপর অপর এক ব্যক্তি উঠে বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার জন্য আল্লাহর নিকট দু’আ করুন, আল্লাহ যেন আমাকে তাদের অন্তর্ভূক্ত করেন।তখন তিনি বললেন: “এ ব্যাপারে উক্কাশা তোমার চেয়ে অগ্রগামী হয়ে গেছে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান। (তবে হাদীসটি সহীহ), এটি বুখারী ও মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন।

 

তাখরীজ: বুখারী, বাদউল খালক ৩২৪৫, ৩২৪৬; মুসলিম, জান্নাত ২৮৩৪।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬০৮৪, ৬৪৩৭ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৪২০, ৭৪৩৭ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ১১৭৭ তে।

باب فِي أَوَّلِ زُمْرَةٍ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ أَوَّلَ زُمْرَةٍ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ مِنْ أُمَّتِي عَلَى صُورَةِ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ عَلَى أَحْسَنِ كَوْكَبٍ إِضَاءَةً فِي السَّمَاءِ فَقَامَ عُكَّاشَةُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ فَقَالَ اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ مِنْهُمْ ثُمَّ قَامَ رَجُلٌ آخَرُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ فَقَالَ سَبَقَكَ بِهَا عُكَّاشَةُ

أخبرنا يزيد بن هارون أخبرنا محمد بن عمرو عن أبي سلمة عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إن أول زمرة يدخلون الجنة من أمتي على صورة القمر ليلة البدر ثم الذين يلونهم على أحسن كوكب إضاءة في السماء فقام عكاشة فقال يا رسول الله ادع الله أن يجعلني منهم فقال اللهم اجعله منهم ثم قام رجل آخر فقال يا رسول الله ادع الله أن يجعلني منهم فقال سبقك بها عكاشة

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৬২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১০৩. জান্নাতীদের জান্নাতে প্রবেশের সময় যা বলা হবে

২৮৬২. আবূ হুরাইরা ও আবী সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (এ আয়াত): “আর তাদেরকে আহবান করা হবে যে, এ হলো তোমাদের জান্নাত, তোমাদেরকে যার অধিকারী করা হয়েছে তোমাদের কর্মফলস্বরূপ (আ’রাফ ৭: ৪৩)।” –এ সম্পর্কে বলেছেন: “তাদেরকে আহবান করে বলা হবে, ’তোমরা সদা সুস্থ থাকবে, কখনও অসুস্থ হবে না। তোমরা সদা সুখ-স্বাচ্ছন্দে থাকবে, কখনও দু:খ-কষ্টে পতিত হবে না। তোমরা সদা তরুণ থাকবে, কখনও বৃদ্ধ হবে না। তোমরা সদা জীবিত থাকবে, কখনও মরবে না।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ। হামযাহ ইবনু হাবীব যিয়াদ আবী ইসহাক সাবিঈ হতে শ্রবণ করা হতে পিছিয়ে। ((তবে হাদীসটি সহীহ- তাখরীজে দেখুন।-অনুবাদক))

 

তাখরীজ: আহমাদ ২/৩১৯ ৩/৩৮, ৯৫; নাসাঈ, কুবরা নং ১১১৮৪; আবূ নুয়াইম, সিফাতুল জান্নাত নং ৮৭, ২৯০; মুসলিম, জান্নাত ২৮৩৭; তিরমিযী, তাফসীর ৩২৪১ (৩২৪৬ -অনুবাদক); ইবনু হুমাইদ, মুনতাখাব নং ৯৪২; বাইহাকী, বা’আছ ওয়ান নুশূর নং ২৪০, ৪৪৩; এ সনদটি সহীহ।; তাবারী, তাফসীর ৮/১৮৫ অত্যন্ত যয়ীফ সনদে; ইবনুল মুবারক, যুহদ নং ৪২৮।

 

তিরমিযী বলেছেন: “এ হাদীসটি ইবনুল মুবারক ও অন্যান্যরা বর্ণনা করেছেন ছাওরী থেকে, তিনি এটি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম r হতে) মারফু’ করেননি।’

 

আমাদের বক্তব্য: এখানে মাওকুফ বর্ণনাটি এর কোনো ক্ষতি করেনা। কারণ, এখানে মারফু’ করাটা অতিরিক্তি (যিয়াদাহ)। আর ছিকাহ বা বিশ্বস্ত রাবীর অতিরিক্ত (যিয়াদাহ) মাকবুল (গ্রহণযোগ্য)। আর অনেকেই এটি ছিকাহ বা বিশ্বস্ত রাবী হতে মারফু’ রূপে বর্ণনা করেছেন।

باب مَا يُقَالُ لِأَهْلِ الْجَنَّةِ إِذَا دَخَلُوهَا

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ بْنُ يَعِيشَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ عَنْ حَمْزَةَ بْنِ حَبِيبٍ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ الْأَغَرِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَأَبِي سَعِيدٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنُودُوا أَنْ تِلْكُمْ الْجَنَّةُ قَالَ نُودُوا صِحُّوا فَلَا تَسْقَمُوا وَانْعَمُوا فَلَا تَبْؤُسُوا وَشِبُّوا فَلَا تَهْرَمُوا وَاخْلُدُوا فَلَا تَمُوتُوا

أخبرنا عبيد بن يعيش حدثنا يحيى بن آدم عن حمزة بن حبيب عن أبي إسحق عن الأغر عن أبي هريرة وأبي سعيد عن النبي صلى الله عليه وسلم ونودوا أن تلكم الجنة قال نودوا صحوا فلا تسقموا وانعموا فلا تبؤسوا وشبوا فلا تهرموا واخلدوا فلا تموتوا

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৬৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১০৪. জান্নাতের অধিবাসী ও এর নিয়ামতসমূহের বর্ণনা

২৮৬৩. যাইদ ইবনু আরকাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “জান্নাতের অধিবাসীদের একজন লোককে পানাহার, সহবাস ও কামশক্তি ইত্যাদির ক্ষেত্রে একশত পুরুষের শক্তি প্রদান করা হবে।” তখন এক ইয়াহুদী বললো, যারা পানাহার করবে, এজন্য তাদের তো প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণ (তথা পেশাব-পায়খানা) করতে হবে। তিনি বললেন: “তাদের গাত্র চামড়া হতে ঘাম বের হবে, তখন তাদের পেট আবার সংকুচিত হয়ে যাবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আহমাদ ৪/৩৭১; ইবনু আবী শাইবা ১৩/১০৮ নং ১৫৮৪১; তাবারাণী, কাবীর ৫/১৭৮ নং ৫০০৪, ৫০০৫, ৫০০৬, ৫০০৭, ৫০০৮, ৫০০৯; হুসাইন মারওয়াযী, যাওয়াইদ আলা যুহদি ইবনুল মুবারক নং ১৪৫৯; আবী নুয়াইম, সিফাতুল জান্নাত নং ৩২৯।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৪২৪ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৬৩৭ তে।

باب فِي أَهْلِ الْجَنَّةِ وَنَعِيمِهَا

أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ ثُمَامَةَ بْنِ عُقْبَةَ الْمُحَلِّمِيِّ قَالَ سَمِعْتُ زَيْدَ بْنَ أَرْقَمَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ الرَّجُلَ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ لَيُعْطَى قُوَّةَ مِائَةِ رَجُلٍ فِي الْأَكْلِ وَالشُّرْبِ وَالْجِمَاعِ وَالشَّهْوَةِ فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ الْيَهُودِ إِنَّ الَّذِي يَأْكُلُ وَيَشْرَبُ تَكُونُ مِنْهُ الْحَاجَةُ قَالَ يَفِيضُ مِنْ جِلْدِهِ عَرَقٌ فَإِذَا بَطْنُهُ قَدْ ضَمَرَ

أخبرنا جعفر بن عون عن الأعمش عن ثمامة بن عقبة المحلمي قال سمعت زيد بن أرقم يقول قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إن الرجل من أهل الجنة ليعطى قوة مائة رجل في الأكل والشرب والجماع والشهوة فقال رجل من اليهود إن الذي يأكل ويشرب تكون منه الحاجة قال يفيض من جلده عرق فإذا بطنه قد ضمر

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ যায়দ ইবনু আরক্বাম (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৬৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১০৪. জান্নাতের অধিবাসী ও এর নিয়ামতসমূহের বর্ণনা

২৮৬৪. আবূ হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুলস্নাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: জান্নাতের অধিবাসীগণ যুবক, লোমহীন- দাড়ি-গোঁফহীন এবং সুরমা লাগানো চোখ বিশিষ্ট হবেন। তাদের পোষাক-পরিচ্ছেদ কখনও পুরাতন ও জীর্ণ হবে না এবং তাঁদের যৌবন কখনও শেষ হবে না।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান।

 

তাখরীজ: তিরমিযী, সিফাতুল জান্নাত ২৫৪২।

 

এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে: আবী নুয়াইম, সিফাতুল জান্নাত নং ৩২৯; তাবারাণী, সগীর ৫/১৭৮; আবীশ শাইখ, আল আযিমাহ নং ৫৮৪; বাইহাকী, বা’আছ ওয়ান নুশূর নং ৪১৮; আবূ নুয়াইম, হিলইয়া ৩/৫৬, এ সনদটি সহীহ যদি হারুণ ইবনু রিয়ার আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে শ্রবণ করে থাকেন। (এর পূর্বে তিনি এ ব্যক্তির আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে হাদীস শ্রবণ করা সম্পর্কে মুহাদ্দিসগণের মতভেদ উল্লেখ করেছেন।–অনুবাদক))

 

এর অপর শাহিদ রয়েছে আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে: আহমাদ ২/২৯৫, ৩৪৩, ৫১৫; ইবনু আবী শাইবা ১৩/১১৪ নং ১৫৮৫৩; তাবারাণী, সগীর ২/১৭; আওসাত নং ৫৪১৮; আবীশ শাইখ, আল আযিমাহ নং ৫৯৬; আবী নুয়াইম, সিফাতুল জান্নাত নং ২৫৫; ইবনু আবী দাউদ, বা’আছ নং ৬৩; বাইহাকী, বা’আছ ওয়ান নুশূর নং ৪১৯, ৪২০; ইবনু আদী, আল কামিল ৫/১৮৪২; তবে এ সনদে আলী ইবনু যাইদ ইবনু জুদ’আন রয়েছে আর সে যয়ীফ।

باب فِي أَهْلِ الْجَنَّةِ وَنَعِيمِهَا

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ الرِّفَاعِيُّ حَدَّثَنَا مُعَاذٌ يْعَنِي ابْنَ هِشَامٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَامِرٍ الْأَحْوَلِ عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَهْلُ الْجَنَّةِ شَبَابٌ جُرْدٌ مُرْدٌ كُحْلٌ لَا تَبْلَى ثِيَابُهُمْ وَلَا يَفْنَى شَبَابُهُمْ

أخبرنا محمد بن يزيد الرفاعي حدثنا معاذ يعني ابن هشام عن أبيه عن عامر الأحول عن شهر بن حوشب عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال أهل الجنة شباب جرد مرد كحل لا تبلى ثيابهم ولا يفنى شبابهم

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৬৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১০৪. জান্নাতের অধিবাসী ও এর নিয়ামতসমূহের বর্ণনা

২৮৬৫. জাবির ইবন আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জান্নাতী লোকেরা তথায় পানাহার করবে। তবে তারা তথায় পেশাব করবেনা, নাকও ঝাড়বেনা, আবার পায়খানা করবে না। তাদের ঐগুলি হবে ঢেকুর আকারে। তারা আহার করবে, পান করবে, আর তাসবীহ-তাহলীলের যোগ্যতা তাদের অন্তকরণে ইলহাম করা হবে যেমনি ভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস তাদের মাঝে ইলহাম করা হয়।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ জাইয়্যেদ বা উত্তম।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৯০৬ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৪৩৫ তে।

 

সংযোজনী: খতীব বাগদাদী, তারীখ বাগদাদ ১৩/১৯৭; আব্দ ইবনু হুমাইদ, মুনতাখাব নং ১০৩০; আবীশ শাইখ, আল আযিমাহ নং ৫৮৩।

باب فِي أَهْلِ الْجَنَّةِ وَنَعِيمِهَا

أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرًا قِيلَ لِأَبِي عَاصِمٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ نَعَمْ أَهْلُ الْجَنَّةِ لَا يَبُولُونَ وَلَا يَمْتَخِطُونَ وَلَا يَتَغَوَّطُونَ وَيَكُونُ ذَلِكَ مِنْهُمْ جُشَاءً يَأْكُلُونَ وَيَشْرَبُونَ وَيُلْهَمُونَ التَّسْبِيحَ وَالْحَمْدَ كَمَا يُلْهَمُونَ النَّفَسَ

أخبرنا أبو عاصم عن ابن جريج قال أخبرني أبو الزبير أنه سمع جابرا قيل لأبي عاصم عن النبي صلى الله عليه وسلم قال نعم أهل الجنة لا يبولون ولا يمتخطون ولا يتغوطون ويكون ذلك منهم جشاء يأكلون ويشربون ويلهمون التسبيح والحمد كما يلهمون النفس

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৬৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১০৫. আল্লাহ তাঁর সালিহীন (নেককার) বান্দাদের জন্য যে নে’আমত প্রস্তুত করে রেখেছেন

২৮৬৬. আবূ হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “আল্লাহ বলেন, আমি আমার সালিহীন (নেককার) বান্দাদের জন্য যে নে’আমত প্রস্তুত করে রেখেছি, তা কোন চোখ কখনও দেখেনি, কোন কান কখনো শুনেনি এবং কোন মানুষের অন্তরের কল্পনা তার ধারণাও করতে পারেনি।’ তোমরা ইচ্ছা করলে পাঠ কর: কেউই জানে না তাদের জন্য নয়ন প্রীতিকর কি লুকায়িত রাখা হয়েছে তাদের কৃতকর্মের পুরস্কার স্বরূপ। [1] (সুরা সিজদা ৩২: ১৭)

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান। (তবে হাদীসটি সহীহ), এটি বুখারী ও মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন।

 

তাখরীজ: বুখারী, বাদউল খালক ৩২৪৪; মুসলিম, জান্নাত ২৮২৪।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬২৭৬ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৬৯ তে।

 

সংযোজনী: এছাড়াও, বাইহাকী, বায়াছ ওয়ান ‍নুশুর নং ৩৮৯; আবী নুয়াইম, সিফাতুল জান্নাত নং ১০৯-১১৫; হিলইয়া ৯/২৬; হুমাম ইবনু মামবাহ, তার সহীহফাতে নং ৩১। ((আহমাদ ২/৩১৩, ৩৭০, ৪১৬, ৪৩৮, ৪৬২, ৪৯৫, ৫০৬; তিরমিযী, তাফসীর ৩২৯২; ইবনু মাজাহ, যুহদ ৪৩২৮।–ফাওয়ায আহমেদের দারেমীর টীকা হা/২৮২৮।- অনুবাদক))

باب مَا أَعَدَّ اللَّهُ لِعِبَادِهِ الصَّالِحِينَ

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَعْدَدْتُ لِعِبَادِي الصَّالِحِينَ مَا لَا عَيْنٌ رَأَتْ وَلَا أُذُنٌ سَمِعَتْ وَلَا خَطَرَ عَلَى قَلْبِ بَشَرٍ وَاقْرَءُوا إِنْ شِئْتُمْ فَلَا تَعْلَمُ نَفْسٌ مَا أُخْفِيَ لَهُمْ مِنْ قُرَّةِ أَعْيُنٍ جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ

أخبرنا يزيد بن هارون أخبرنا محمد بن عمرو عن أبي سلمة عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول الله عز وجل أعددت لعبادي الصالحين ما لا عين رأت ولا أذن سمعت ولا خطر على قلب بشر واقرءوا إن شئتم فلا تعلم نفس ما أخفي لهم من قرة أعين جزاء بما كانوا يعملون

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৬৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১০৬. সবচেয়ে নিম্নস্তরের জান্নাতী লোকের অবস্থানস্থল সম্পর্কে

২৮৬৭. আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “জান্নাতবাসীদের মধ্যে যে কোনো ব্যক্তিকে সবচেয়ে নিম্নস্তরের বাসস্থান দেয়া হবে, যে আল্লাহর নিকট কামনা করবে। তখন তাকে বলা হবে: “(যা কামনা করেছো) তাতো তোমার জন্য দেওয়াই হলো, এবং তার সাথে অনুরুপ পারিমাণও (দেওয়া হলো)।” এছাড়াও, তাকে আরও শিখিয়ে দেওয়া হবে যে, (তুমি) এরূপ এরূপ (চাও)।

তখন তাকে বলা হবে: “তাতো তোমার জন্য দেওয়াই হলো, এবং তার সাথে অনুরুপ পারিমাণও (দেওয়া হলো)।”আবূ সাঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তখন তাকে বলা হবে: (যা কামনা করেছো) তাতো তোমার জন্য দেওয়াই হলো, এবং তার সাথে আরও দশ গুণ পারিমাণ (দেওয়া হলো)।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান। ((তবে হাদীসটি সহীহ- যেমন তাখরীজে উল্লেখিত হয়েছে।–অনুবাদক))

 

তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১৩/১১০-১১১ নং ১৫৮৪৬; আহমাদ ২/৪৫০; আবী নুয়াইম, সিফাতুল জান্নাত নং ৪৪৬, ৪৪৭; মুসলিম, ঈমান ১৮২ (৩০১); বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ৪৩৭০; হুমাম ইবনু মামবাহ, তার সহীহফাতে নং ৫৬। আমরা এর তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৯৩৯ তে।

 

এ হাদীসটি দীর্ঘাকারে বর্ণিত হয়েছে, বুখারী ও মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনায়: বুখারী, আযান ৮০৬; মুসলিম, ঈমান ১৮২ তে, আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৩৬০, ৬৩৬১ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৬৪২, ৭৪২৯, ৭৪৪৫ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ১২১২ তে।

 

এছাড়াও, নুয়াইম ইবনু হাম্মাদ, যাওয়াইদ আলা যুহদি ইবনুল মুবারক নং ২৮৪; বাইহাকী, বায়াছ ওয়ান ‍নুশুর নং ৯৪, ৪২৬।

باب فِي أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلًا

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلًا مَنْ يَتَمَنَّى عَلَى اللَّهِ فَيُقَالُ لَهُ لَكَ ذَاكَ وَمِثْلُهُ مَعَهُ إِلَّا أَنَّهُ يُلَقَّى سِوَى كَذَا وَكَذَا فَيُقَالُ لَهُ ذَاكَ لَكَ وَمِثْلُهُ مَعَهُ قَالَ أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيُقَالُ لَهُ ذَاكَ وَعَشْرَةُ أَمْثَالِهِ

أخبرنا يزيد بن هارون أخبرنا محمد بن عمرو عن أبي سلمة عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إن أدنى أهل الجنة منزلا من يتمنى على الله فيقال له لك ذاك ومثله معه إلا أنه يلقى سوى كذا وكذا فيقال له ذاك لك ومثله معه قال أبو سعيد الخدري قال رسول الله صلى الله عليه وسلم فيقال له ذاك وعشرة أمثاله

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৬৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১০৭. জান্নাতের কক্ষসমূহের বর্ণনা

২৮৬৮. সাহল ইবনু সা’দ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “জান্নাতীরা জান্নাতে বালাখানার মালিকদেরকে পরস্পর দেখতে পাবে, যেমন তোমরা আকাশে উজ্জ্বল তারকাগুলো দেখতে পাও।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: বুখারী, রিকাক ৬৫৫৫; মুসলিম, জান্নাত ২৮৩০।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭৫২৮ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২০৯, ৭৩৯২ তে।

باب فِي غُرَفِ الْجَنَّةِ

أَخْبَرَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ حَدَّثَنَا أَبُو حَازِمٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ أَهْلَ الْجَنَّةِ لَيَتَرَاءَوْنَ أَهْلَ الْغُرَفِ فِي الْجَنَّةِ كَمَا تَرَوْنَ الْكَوْكَبَ الدُّرِّيَّ فِي السَّمَاءِ

أخبرنا مسلم بن إبراهيم حدثنا وهيب حدثنا أبو حازم عن سهل بن سعد قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إن أهل الجنة ليتراءون أهل الغرف في الجنة كما ترون الكوكب الدري في السماء

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা’দ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৬৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১০৭. জান্নাতের কক্ষসমূহের বর্ণনা

২৮৬৯. আবূ সাঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আকাশে উজ্জ্বল তারকারাজি হলো পূর্ব ও পশ্চিম দিগন্তের (তারকারাজি)।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এ সনদটি আগের সনদের সাথে সংযুক্ত। ((তথা এ সনদটিও সহীহ।–অনুবাদক))

 

তাখরীজ: বুখারী, রিকাক ৬৫৫৬; মুসলিম, জান্নাত ২৮৩১।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১১৩০, ১১৭৮, ১২৭৮ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৩৯৩ তে।

باب فِي غُرَفِ الْجَنَّةِ

قَالَ أَبُو حَازِمٍ فَحَدَّثْتُ بِهَذَا الْحَدِيثِ النُّعْمَانَ بْنَ أَبِي عَيَّاشٍ فَحَدَّثَنِي عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّهُ قَالَ الْكَوْكَبُ الدُّرِّيُّ فِي السَّمَاءِ الشَّرْقِيُّ وَالْغَرْبِيُّ

قال أبو حازم فحدثت بهذا الحديث النعمان بن أبي عياش فحدثني عن أبي سعيد الخدري أنه قال الكوكب الدري في السماء الشرقي والغربي

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৭০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১০৮. আয়তলোচনা হুরদের গুণ-বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে

২৮৭০. আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “জান্নাতবাসীদের প্রত্যেকের জন্য এমন দু’জন স্ত্রী থাকবে (যাদের সৌন্দর্যের কারণে) তাদের সত্তরটি কাপড় ভেদ করেও পায়ের নলার হাড়ের মজ্জা দেখা যাবে। আর সেখানে সঙ্গীন (স্ত্রীহীন) কেউ থাকবে না।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: বুখারী, বাদউল খালক ৩২৪৩, তাফসীর ৪৮৭৯; মুসলিম, জান্নাত ২৮৩৮।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭৩৩২ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৩৯৫ তে।

 

এছাড়াও, ইবনু আবী শাইবা ১৩/১০৫-১০৬ নং ১৫৮৩১।

باب فِي صِفَةِ الْحُورِ الْعِينِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمِنْهَالِ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ حَدَّثَنَا هِشَامٌ الْقُرْدُوسِيُّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا فِي الْجَنَّةِ أَحَدٌ إِلَّا لَهُ زَوْجَتَانِ إِنَّهُ لَيَرَى مُخَّ سَاقِهِمَا مِنْ وَرَاءِ سَبْعِينَ حُلَّةً مَا فِيهَا مِنْ عَزَبٍ

أخبرنا محمد بن المنهال حدثنا يزيد بن زريع حدثنا هشام القردوسي عن محمد بن سيرين عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ما في الجنة أحد إلا له زوجتان إنه ليرى مخ ساقهما من وراء سبعين حلة ما فيها من عزب

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৭১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১০৯. জান্নাতের তাবুর বর্ণনা

২৮৭১. আবূ বাকার ইবনু ’আবদুল্লাহ ইবনু কায়স তার পিতা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “জান্নাতের মধ্যে মোতির নির্মিত শূণ্যগর্ভ একটি তাঁবু থাকবে। আসমানের দিকে এর উচ্চতা হবে ষাট মাইল। এর প্রতিটি কোণে থাকবে এক একজন মুমিনের পরিবার। এদের এক কোণের জন অপর কোণের জনকে দেখতে পাবে না।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: বুখারী, বাদউল খালক ৩২৪৫, ৩২৪৬; মুসলিম, জান্নাত ২৮৩৪।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬০৮৪, ৬৪৩৭ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৪২০, ৭৪৩৬, ৭৪৩৭ তে।

باب فِي خِيَامِ الْجَنَّةِ

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا هَمَّامٌ حَدَّثَنَا أَبُو عِمْرَانَ الْجَوْنِيُّ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْخَيْمَةُ دُرَّةٌ مُجَوَّفَةٌ طُولُهَا فِي السَّمَاءِ سِتُّونَ مِيلًا فِي كُلِّ زَاوِيَةٍ مِنْهَا أَهْلٌ لِلْمُؤْمِنِ لَا يَرَاهُمْ الْآخَرُونَ

أخبرنا يزيد بن هارون أخبرنا همام حدثنا أبو عمران الجوني عن أبي بكر بن عبد الله بن قيس عن أبيه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الخيمة درة مجوفة طولها في السماء ستون ميلا في كل زاوية منها أهل للمؤمن لا يراهم الآخرون

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৭২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১১০. জান্নাতবাসীদের সন্তান-সন্তুতির বর্ণনা

২৮৭২. আবূ সাঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “কোন মুমিন যদি জান্নাতে সন্তান কামনা করে, তবে তার কামনা অনুসারে সন্তানের গর্ভ, জন্ম ও বয়সের পূর্ণতা প্রাপ্তি সবকিছু এক মুহূর্তেই সংঘটিত হবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: বাইহাকী, বা’আছ ওয়ান নুশূর নং ৫৮৭। আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১০৫১ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৪০৪ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৬৩৬ তে। ((আহমাদ ৯/৩, ৮০; তিরমিযী, সিফাতুল জান্নাত ২৫৬৩, তিনি বলেন, হাসান-গারীব; ইবনু মাজাহ, যুহদ ৪৩৩৮।– ফাতহুল মান্নান, হা/৩০০২ এর টীকা হতে।–অনুবাদক))

باب فِي وَلَدِ أَهْلِ الْجَنَّةِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ وَالْقَوَارِيرِيُّ عَنْ مُعَاذِ بْنِ هِشَامٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَامِرٍ الْأَحْوَلِ عَنْ أَبِي الصِّدِّيقِ النَّاجِيِّ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ الْمُؤْمِنَ إِذَا اشْتَهَى الْوَلَدَ فِي الْجَنَّةِ كَانَ حَمْلُهُ وَوَضْعُهُ وَسِنُّهُ فِي سَاعَةٍ كَمَا اشْتَهَى

أخبرنا محمد بن يزيد والقواريري عن معاذ بن هشام عن أبيه عن عامر الأحول عن أبي الصديق الناجي عن أبي سعيد الخدري عن النبي صلى الله عليه وسلم قال إن المؤمن إذا اشتهى الولد في الجنة كان حمله ووضعه وسنه في ساعة كما اشتهى

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৭৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১১১. জান্নাতবাসীদের কাতারসমূহের বর্ণনা

২৮৭৩. বুরায়দা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “জান্নাতীদের একশত বিশটি কাতার হবে। তন্মধ্যে আশিটি কাতার হবে আমার উম্মাতের এবং চল্লিশটি হবে অন্যান্য লোকদের।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৪৫৯, ৭৪৬০ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৬৩৮, ২৬৩৯ তে। ((আহমাদ ৫/২৪৭-২৫৫; তিরমিযী, সিফাতুল জান্নাত ২৫৪৬, তিনি বলেন, হাসান; ইবনু মাজাহ, যুহদ ৪২৮৯; হাকিম ১/৮২, তিনি বলেন, এটি মুসলিমের শর্তানুযায়ী, যাহাবী তাকে সমর্থন করেন।– ফাতহুল মান্নান, হা/৩০০৩ এর টীকা হতে।–অনুবাদক))

 

এর শাহিদ রয়েছে ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে আমরা যার তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৩৫৮ তে।

باب فِي صُفُوفِ أَهْلِ الْجَنَّةِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ قَالَ حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ قَالَ أُرَاهُ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهْلُ الْجَنَّةِ عِشْرُونَ وَمِائَةُ صَفٍّ ثَمَانُونَ مِنْهَا أُمَّتِي وَأَرْبَعُونَ سَائِرُ النَّاسِ

أخبرنا محمد بن العلاء قال حدثنا معاوية بن هشام عن سفيان عن علقمة بن مرثد عن سليمان بن بريدة قال أراه عن أبيه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم أهل الجنة عشرون ومائة صف ثمانون منها أمتي وأربعون سائر الناس

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ বুরায়দাহ ইবনু হুসাইব আল-আসলামী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৭৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১১২. জান্নাতের নহর সমূহের বর্ণনা

২৮৭৪. হাকিম ইবনু মুআবিয়া হতে তার পিতার (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) সূত্রে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “জান্নাতে দুধের সাগর, মধুর সাগর ও শরাবের সাগর রয়েছে। এ থেকে অনেক নদীর শাখা-প্রশাখা বের হবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৪০৯ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৬২৩ তে। এছাড়াও, আবূ দাউদ, আল বায়াছ নং ৭০; আবী নুয়াইম, সিফাতুল জান্নাত নং ৩০৭। ((তিরমিযী, সিফাতুল জান্নাত ২৫৭১, তিনি একে হাসান-সহীহ’ বলেছেন; আহমাদ ৫/৫।–ফাওয়ায আহমেদের দারেমী, হা/২৮৩৬ এর টীকা হতে।–অনুবাদক))

باب فِي أَنْهَارِ الْجَنَّةِ

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ قَالَ أَخْبَرَنَا الْجُرَيْرِيُّ عَنْ حَكِيمِ بْنِ مُعَاوِيَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ فِي الْجَنَّةِ بَحْرَ اللَّبَنِ وَبَحْرَ الْعَسَلِ وَبَحْرَ الْخَمْرِ ثُمَّ تَشَقَّقُ مِنْهُ الْأَنْهَارُ

أخبرنا يزيد بن هارون قال أخبرنا الجريري عن حكيم بن معاوية عن أبيه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال إن في الجنة بحر اللبن وبحر العسل وبحر الخمر ثم تشقق منه الأنهار

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ হাকীম ইবনু হিযাম (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৭৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১১৩. (হাউযে) কাওছার সম্পর্কে

২৮৭৫. আবদুল্লাহ ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন “নিশ্চয়ই আমি তোমাকে ’আল কাওছার’ দান করেছি।” (সূরা আল কাওছার: ১) এ সূরাটি নাযিল হলো তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তা (কাওছার) হল জান্নাতের একটা নহর। এর দুই তীর হল স্বর্ণের, আর মোতি ও ইয়াকুতের উপর দিয়ে তা প্রবাহিত হয়। এর মাটি মিশকের সুগন্ধি অপেক্ষাও অধিক সুগন্ধময়। এটি খেতে মধু অপেক্ষাও মিষ্টি এবং এর পানি তুষার থেকে শুভ্র।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ ((তবে হাদীসটি সহীহ যেমন তাখরীজে উল্লেখ করা হয়েছে।–অনুবাদক))

 

তাখরীজ: আহমাদ ২/১১২; হাকিম ৩/৫২৪, তিনি বলেন, এর সনদ সহীহ, যাহাবী চুপ থেকেছেন; তিরমিযী, তাফসীর ৩৩৫৮; তিনি বলেন, ‘হাদীসটি হাসান সহীহ’; ইবনু মাজাহ, যুহদ ৪৩৩৪ সহীহ সনদে।

 

এর শাহিদ রয়েছে আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, যেটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৮৭৬, ৩১৮৬, ৩২৯০, ৩৫২৯ তে।

باب فِي الْكَوْثَرِ

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ أَخْبَرَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هُوَ نَهْرٌ فِي الْجَنَّةِ حَافَّتَاهُ مِنْ ذَهَبٍ يَجْرِي عَلَى الدُّرِّ وَالْيَاقُوتِ تُرْبَتُهُ أَطْيَبُ مِنْ رِيحِ الْمِسْكِ وَطَعْمُهُ أَحْلَى مِنْ الْعَسَلِ وَمَاؤُهُ أَشَدُّ بَيَاضًا مِنْ الثَّلْجِ

أخبرنا عمرو بن عون أخبرنا أبو عوانة عن عطاء بن السائب عن محارب بن دثار قال حدثنا عبد الله بن عمر قال لما نزلت إنا أعطيناك الكوثر قال رسول الله صلى الله عليه وسلم هو نهر في الجنة حافتاه من ذهب يجري على الدر والياقوت تربته أطيب من ريح المسك وطعمه أحلى من العسل وماؤه أشد بياضا من الثلج

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৭৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১১৪. জান্নাতের বৃক্ষরাজির বর্ণনা সম্পর্কে

২৮৭৬. আবূ হুরাইরাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “জান্নাতে এমন একটি বৃক্ষ আছে যার ছায়ায় কোন আরোহী শত বছর পর্যন্ত চলবে, তবুও তা অতিক্রম করতে পারবে না। আর তোমরা ইচ্ছা করলে তিলাওয়াত করতে পার (وَظِلٍّ مَمْدُوْدٍ) (অর্থ: “এবং দীর্ঘ ছায়া”) (সূরা ওয়াকিয়া)।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান, তবে হাদীসটি সহীহ, বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, বাদউল খালক ৩২৫২; মুসলিম, জান্নাত ২৮২৬।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৮৫৩ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৪১১, ৭৪১২ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ১১৬৫ তে। এছাড়াও, ইবনু তাহমান, মাশাইখাতুহ ১৩০; ইবনু আবী দাউদ, আল বায়াছ নং ৬৬; ইবনুল জাউযী, মাশাইখাতুহ, তারজমাহ শাইখ সাবি’ ওয়াস সাবিঈন পৃ: ১৮২-১৮৩।

 

এর শাহিদ রয়েছে আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, যেটি বুখারী, বাদউল খালক ৩২৫১; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৯৯১ তে। আবার, খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর হাদীস দেখুন, মাউসিলী নং ১৩৭৪ তে।

باب فِي أَشْجَارِ الْجَنَّةِ

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ فِي الْجَنَّةِ شَجَرَةً يَسِيرُ الرَّاكِبُ فِي ظِلِّهَا مِائَةَ عَامٍ لَا يَقْطَعُهَا وَاقْرَءُوا إِنْ شِئْتُمْ وَظِلٍّ مَمْدُودٍ

أخبرنا يزيد بن هارون أخبرنا محمد بن عمرو عن أبي سلمة عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إن في الجنة شجرة يسير الراكب في ظلها مائة عام لا يقطعها واقرءوا إن شئتم وظل ممدود

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৭৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১১৪. জান্নাতের বৃক্ষরাজির বর্ণনা সম্পর্কে

২৮৭৭. (অপর সনদে) আবূ হুরাইরাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জান্নাতে এমন একটি বৃক্ষ আছে যার ছায়ায় কোন আরোহী শত বছর পর্যন্ত চলবে, তবুও তা অতিক্রম করতে পারবে না। আর এটি হলো ’শাজারাতুল খুলদ’(’স্থায়ী বৃক্ষ’)।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি।

باب فِي أَشْجَارِ الْجَنَّةِ

أَخْبَرَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَبِي الضَّحَّاكِ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ فِي الْجَنَّةِ شَجَرَةً يَسِيرُ الرَّاكِبُ فِي ظِلِّهَا مِائَةَ عَامٍ لَا يَقْطَعُهَا هِيَ شَجَرَةُ الْخُلْدِ

أخبرنا عبد الصمد بن عبد الوارث حدثنا شعبة عن أبي الضحاك قال سمعت أبا هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال إن في الجنة شجرة يسير الراكب في ظلها مائة عام لا يقطعها هي شجرة الخلد

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৭৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১১৫. আজওয়া (উৎকৃষ্ট জাতের) খেুজর সম্পর্কে

২৮৭৮. আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আজওয়া হলো জান্নাতী খেজুর। এটি সকল বিষের প্রতিষেধক।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ, আব্বাদ ইবনু মানসূর এর দুর্বলতার কারণে। তবে হাদীসটি সহীহ

 

তাখরীজ: আমরা যার তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৩৯৭, ৬৪০০, ৬৪০৭ তে।

 

সংযোজনী: ইবনু আবী শাইবা নং ৫৩২৯; তায়ালিসী, ১/৩৪৫ নং ১৭৬১; আহমাদ ২/৩০১, ৩০৫, ৩২৫, ৪১২, ৫/৫১১; নাসাঈ, কুবরা নং ৬৭১৯, ৬৭২০, ৬৭২১; ইবনু মাজাহ, তিব্ব ৩৪৫৫; বাগাবী, শারহুস ‍সুন্নাহ নং ২৮৯৮।

باب فِي الْعَجْوَةِ

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا عَبَّادٌ هُوَ ابْنُ مَنْصُورٍ قَالَ سَمِعْتُ شَهْرَ بْنَ حَوْشَبٍ يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعَجْوَةُ مِنْ الْجَنَّةِ وَهِيَ شِفَاءٌ مِنْ السُّمِّ

أخبرنا يزيد بن هارون أخبرنا عباد هو ابن منصور قال سمعت شهر بن حوشب يقول سمعت أبا هريرة يقول قال رسول الله صلى الله عليه وسلم العجوة من الجنة وهي شفاء من السم

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৭৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১১৬. জান্নাতের বাজারের বর্ণনা

২৮৭৯. আনাস ইবনু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “নিশ্চয় জান্নাতে একটি বাজার থাকবে।” তারা বললেন, সেটি আবার কি? তিনি বললেন: “মিশক দিয়ে নির্মিত বালির টিলাসমূহ, যার উদ্দেশ্যে জান্নাতবাসীরা বের হবে, এরপর তারা সেখানে একত্রিত হবে, অতঃপর আল্লাহ তাদের উপর একটি বায়ু প্রবাহিত করবেন। (ধুলি-বালি তাদের চেহারায় লাগবে আর এতে তাদের সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি পাবে।) অতঃপর তারা তাদের ঘরে (নিজ পরিবারের নিকট) ফিরে আসবে। তখন তাদের পরিবারের লোকেরা তাদেরকে বলবে, আমাদের নিকট হতে যাবার পর তোমাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে। উত্তরে তারাও তাদের পরিবারের লোকদেরকে এরূপ বলবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ।

 

তাখরীজ: পরবর্তী হাদীসটি দেখুন। ((মুসলিম, সিফাতুল জান্নাত ২৮৩৩- অনুবাদক।))

باب فِي سُوقِ الْجَنَّةِ

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا حُمَيْدٌ عَنْ أَنَسٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ فِي الْجَنَّةِ لَسُوقًا قَالُوا وَمَا هِيَ قَالَ كُثْبَانٌ مِنْ مِسْكٍ يَخْرُجُونَ إِلَيْهَا فَيَجْتَمِعُونَ فِيهَا فَيَبْعَثُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ رِيحًا فَتُدْخِلُهُمْ بُيُوتَهُمْ فَيَقُولُ لَهُمْ أَهْلُوهُمْ لَقَدْ ازْدَدْتُمْ بَعْدَنَا حُسْنًا وَيَقُولُونَ لِأَهْلِيهِمْ مِثْلَ ذَلِكَ

أخبرنا يزيد بن هارون أخبرنا حميد عن أنس عن النبي صلى الله عليه وسلم قال إن في الجنة لسوقا قالوا وما هي قال كثبان من مسك يخرجون إليها فيجتمعون فيها فيبعث الله عليهم ريحا فتدخلهم بيوتهم فيقول لهم أهلوهم لقد ازددتم بعدنا حسنا ويقولون لأهليهم مثل ذلك

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৮০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১১৬. জান্নাতের বাজারের বর্ণনা

২৮৮০. (অপর সনদে) আনাস ইবনু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: মুসলিম, সিফাতুল জান্নাত ২৮৩৩; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ৪৩৮৯; আমরা এর তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৪২৫ তে।

باب فِي سُوقِ الْجَنَّةِ

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْجَبَّارِ عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَحْوِهِ

حدثنا سعيد بن عبد الجبار عن حماد بن سلمة عن ثابت عن أنس عن النبي صلى الله عليه وسلم بنحوه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৮১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১১৭. জান্নাতকে ঘিরে রাখা হয়েছে অপছন্দনীয় বস্তু দ্বারা

২৮৮১. আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “জান্নাতকে অপছন্দনীয়-কষ্টকর বস্তু দ্বারা বেষ্টন করা হয়েছে আর জাহান্নামকে প্রবৃত্তি-(কামনা-বাসনা) দ্বারা বেষ্টন করা হয়েছে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: মুসলিম, সিফাতুল জান্নাত ২৮২২। ((তিরমিযী, সিফাতুল জান্নাত ২৫৫৯))

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩২৭৫ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭১৬, ৭১৮ তে। এছাড়াও, আবী নুয়াইম, সিফাতুল জান্নাত নং ৪২।

باب حُفَّتْ الْجَنَّةُ بِالْمَكَارِهِ

أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حُفَّتْ الْجَنَّةُ بِالْمَكَارِهِ وَحُفَّتْ النَّارُ بِالشَّهَوَاتِ

أخبرنا سليمان بن حرب حدثنا حماد بن سلمة عن ثابت عن أنس قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم حفت الجنة بالمكاره وحفت النار بالشهوات

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৮২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১১৮. সম্পদশালীদের পূর্বে দরিদ্রদের জান্নাতে প্রবেশ

২৮৮২. আব্দুল্লাহ ইবনু আমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমি মসজিদে একস্থানে বসে ছিলাম, আবার দরিদ্র মুহাজিরগণও একটি হালকায় (বৃত্তাকারে) বসে ছিলেন। এমতাবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে প্রবেশ করে তাদের নিকট গিয়ে বসলেন। ফলে আমিও উঠে তাদের নিকট গেলাম। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের উদ্দেশ্যে বললেন: “দরিদ্র মুহাজিরগণ যেন সুসংবাদ গ্রহণ করে যা তাদেরকে চেহারাগুলিকে উত্ফুল্ল করবে। কেননা, তারা সম্পদশালীদের চল্লিশ বছর পুর্বে জান্নাতে প্রবেশ করবে।”

তিনি বলেন, আমি দেখলাম তাদের চেহারাগুলির রং (আনন্দে) আলোকিত হয়ে উঠলো।

আব্দুল্লাহ ইবনু আমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, এমনকি আমি আকাংখা করতে থাকলাম যে, আমি যদি তাদের সাথী হতাম!’[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ, আব্দুল্লাহ ইবনু সালিহএর দুর্বলতার কারণে। তবে তিনি এ বর্ণনায় একাকী নন, বরং তার সমর্থনে বর্ণনা করেন আব্দুল্লাহ ইবনু ওয়াহহাব-তাখরীজে যা উল্লেখিত হয়েছে।

 

তাখরীজ: আবূ নুয়াইম, হিলইয়া ৫/১৩৭; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬৭৭ (ইবনু ওয়াহহাব সূত্রে) এ সনদটি সহীহ; মুসলিম, যুহদ ২৯৭৯।

 

আমরা এর তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬৭৮ তে।

باب فِي دُخُولِ الْفُقَرَاءِ الْجَنَّةَ قَبْلَ الْأَغْنِيَاءِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ قَالَ حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ جُبَيْرٍ حَدَّثَهُ عَنْ أَبِيهِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ بَيْنَا أَنَا قَاعِدٌ فِي الْمَسْجِدِ وَحَلْقَةٌ مِنْ فُقَرَاءِ الْمُهَاجِرِينَ قُعُودٌ إِذْ دَخَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَعَدَ إِلَيْهِمْ فَقُمْتُ إِلَيْهِمْ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَهُمْ لِيُبْشِرْ فُقَرَاءُ الْمُهَاجِرِينَ بِمَا يَسُرُّ وُجُوهَهُمْ فَإِنَّهُمْ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ قَبْلَ الْأَغْنِيَاءِ بِأَرْبَعِينَ عَامًا قَالَ فَلَقَدْ رَأَيْتُ أَلْوَانَهُمْ أَسْفَرَتْ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو حَتَّى تَمَنَّيْتُ أَنْ أَكُونَ مَعَهُمْ

حدثنا عبد الله بن صالح قال حدثني معاوية أن عبد الرحمن بن جبير حدثه عن أبيه جبير بن نفير عن عبد الله بن عمرو قال بينا أنا قاعد في المسجد وحلقة من فقراء المهاجرين قعود إذ دخل النبي صلى الله عليه وسلم فقعد إليهم فقمت إليهم فقال النبي صلى الله عليه وسلم لهم ليبشر فقراء المهاجرين بما يسر وجوههم فإنهم يدخلون الجنة قبل الأغنياء بأربعين عاما قال فلقد رأيت ألوانهم أسفرت قال عبد الله بن عمرو حتى تمنيت أن أكون معهم

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৮৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১১৯. জাহান্নামের শ্বাস-প্রশ্বাস ছাড়ার বর্ণনা

২৮৮৩. আবূ হুরাইরাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “জাহান্নাম তার রবের নিকট অভিযোগ করে বলেছে, হে রব! আমার এক অংশ অপর অংশকে খেয়ে ফেলেছে। তখন তিনি তাকে দু’টি নিঃশ্বাস ফেলার অনুমতি প্রদান করেন। একটি নিঃশ্বাস শীতকালে আর একটি নিঃশ্বাস গ্রীষ্মকালে। ফলে তোমরা গরমের তীব্রতা এবং শীতের তীব্রতা অনুভব করে থাক।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: বুখারী, বাদউল খালক ৩২৬০; মুসলিম, মাসাজিদ ৬১৭ (১৮৫, ১৮৭)

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৮৭১ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৪৬৬ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৯৭২ তে।

باب فِي نَفَسِ جَهَنَّمَ

أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ سَمِعَهُ يَقُولُ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اشْتَكَتْ النَّارُ إِلَى رَبِّهَا فَقَالَتْ رَبِّ أَكَلَ بَعْضِي بَعْضًا فَأَذِنَ لَهَا بِنَفَسَيْنِ نَفَسٍ فِي الشِّتَاءِ وَنَفَسٍ فِي الصَّيْفِ فَهُوَ أَشَدُّ مَا تَجِدُونَ مِنْ الْحَرِّ وَأَشَدُّ مَا تَجِدُونَ مِنْ الزَّمْهَرِيرِ

أخبرنا الحكم بن نافع أخبرنا شعيب عن الزهري قال أخبرني أبو سلمة عن أبي هريرة أنه سمعه يقول قال النبي صلى الله عليه وسلم اشتكت النار إلى ربها فقالت رب أكل بعضي بعضا فأذن لها بنفسين نفس في الشتاء ونفس في الصيف فهو أشد ما تجدون من الحر وأشد ما تجدون من الزمهرير

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৮৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১১৯. জাহান্নামের শ্বাস-প্রশ্বাস ছাড়ার বর্ণনা

২৮৮৪. (অপর সনদে) আবূ হুরাইরাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। [1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান আসিম ইবনু বাহদালাহ’র কারণে।

 

তাখরীজ: আর হাদীসটি পূর্বের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি।

باب فِي نَفَسِ جَهَنَّمَ

أَخْبَرَنَا حَجَّاجٌ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ عَاصِمِ بْنِ بَهْدَلَةَ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ

أخبرنا حجاج حدثنا حماد بن سلمة عن عاصم بن بهدلة عن أبي صالح عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৮৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১২০. নাবী (ﷺ) এর বাণীঃ তোমাদের এ আগুন জাহান্নামের ঐ আগুনের এত ভাগ

২৮৮৫. আবূ হুরাইরাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তোমাদের এ আগুণ জাহান্নামের আগুণের সত্তর ভাগের একভাগ।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ, আল হিজরী এর দুর্বলতার কারণে। আর তিনি হলেন, ইবরাহীম ইবনু মুসলিম। তবে হাদীসটি সহীহ বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, বাদাইল খালক ৩২৬৫; মুসলিম, জান্নাত ২৮৪৩।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৪৬২, ৭৪৬৩ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৬০৮ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ১১৬৩ তে।

باب فِي قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَارُكُمْ هَذِهِ جُزْءٌ مِنْ كَذَا جُزْءًا

أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ أَخْبَرَنَا الْهَجَرِيُّ عَنْ أَبِي عِيَاضٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ نَارَكُمْ هَذِهِ جُزْءٌ مِنْ سَبْعِينَ جُزْءًا مِنْ نَارِ جَهَنَّمَ

أخبرنا جعفر بن عون أخبرنا الهجري عن أبي عياض عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إن ناركم هذه جزء من سبعين جزءا من نار جهنم

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৮৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১২১. জাহান্নামের অধিবাসীদের সর্বনিম্ন আযাবভোগকারীর বর্ণনা

২৮৮৬. আবূ হুরাইরাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: “(জাহান্নামে) সবচেয়ে হালকা আযাবভোগকারী ব্যক্তি হবে এমন যে, তার পায়ে একজোড়া আগুণের জুতা থাকবে, যার কারণে তার মস্তিষ্ক টগবগ করে ফুটতে থাকবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান।

 

তাখরীজ: আহমাদ ২/৪৩২।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৪৭২ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৬১৭ তে।

 

আর এর শাহিদ হাদীস রয়েছে ইবনু আবী শাইবা ১৩/১৫৭ নং ১৫৯৭৯ নু’মান ইবনু বাশীর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে সহীহ সনদে; সহীহ মুসলিম, ঈমান ২১৩; আবী আওয়ানা ১/৯৯।

باب فِي أَهْوَنِ أَهْلِ النَّارِ عَذَابًا

أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ ابْنِ عَجْلَانَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَهْوَنُ النَّاسِ عَذَابًا مَنْ لَهُ نَعْلَانِ يَغْلِي مِنْهُمَا دِمَاغُهُ

أخبرنا أبو عاصم عن ابن عجلان عن أبيه عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال أهون الناس عذابا من له نعلان يغلي منهما دماغه

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)

 ২৮৮৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১২২. আল্লাহর বাণীঃ আরও আছে কি?

২৮৮৭. আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছন: “যখন জাহান্নামের অধিবাসীদের তাতে নিক্ষেপ করা হবে, তখন জাহান্নাম বলবে, আরো আছে কি? আরো আছে কি? একথা তিনবার বলবে। তখন এর রব আল্লাহ্ তা’আলা নিজ পা তাতে রাখবেন। তখন জাহান্নাম গুটিয়ে গিয়ে বলবে, আর নয়, আর নয়, আর নয়।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: বুখারী, তাফসীর ৪৮৪৯, ৪৮৫০; মুসলিম, জান্নাত ২৮৪৬।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৪৪৭, ৭৪৭৬, ৭৪৭৭ তে।

 

আর এর শাহিদ হাদীস যেটি বুখারী ও মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন, আমরা যার তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩১৪০ তে।

باب قَوْلِهِ تَعَالَى هَلْ مِنْ مَزِيدٍ

أَخْبَرَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ عَمَّارِ بْنِ أَبِي عَمَّارٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ يُلْقَى فِي النَّارِ أَهْلُهَا وَتَقُولُ هَلْ مِنْ مَزِيدٍ هَلْ مِنْ مَزِيدٍ ثَلَاثًا حَتَّى يَأْتِيَهَا رَبُّهَا فَيَضَعَ قَدَمَهُ عَلَيْهَا فَتُزْوَى وَتَقُولُ قَطْ قَطْ قَطْ

أخبرنا حجاج بن منهال حدثنا حماد بن سلمة عن عمار بن أبي عمار عن أبي هريرة أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال يلقى في النار أهلها وتقول هل من مزيد هل من مزيد ثلاثا حتى يأتيها ربها فيضع قدمه عليها فتزوى وتقول قط قط قط

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)