দারেমী কোমলতা অধ্যায় ১ম ভাগ হাদিস নং ২৭৪৪ – ২৮২০
২৭৪৪
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১. আল্লাহ যার কল্যাণ চান, তাকে দীনের জ্ঞান দান করেন
২৭৪৪. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহ যার কল্যাণ চান, তাকে দীনের জ্ঞান দান করেন।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আহমাদ ১/৩০৬; তিরমিযী, ইলম ২৬৪৭; তাবারাণী, কাবীর ১১/৩৯২ নং ১০৭৮৬; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ১৩২; তিরমিযী বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ’। এটি গত হয়েছে ২৩১ নং তে।
এর শাহিদ হাদীস রয়েছে মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, যা বুখারী ও মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন, আমরা যার তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭৩৮১ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৮৯ তে। এটি গত হয়েছে ২৩০ নং এ্।
এর শাহিদ রয়েছে আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে আমরা যার তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৮৫৫ তে।
وَمِنْ كِتَابِ الرِّقَاقِ بَاب مَنْ يُرِدْ اللَّهُ بِهِ خَيْرًا يُفَقِّهْهُ فِي الدِّينِ
أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ إِسْمَعِيلَ بْنِ جَعْفَرٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ يُرِدْ اللَّهُ بِهِ خَيْرًا يُفَقِّهْهُ فِي الدِّينِ
أخبرنا سعيد بن سليمان عن إسمعيل بن جعفر عن عبد الله بن سعيد بن أبي هند عن أبيه عن ابن عباس قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من يرد الله به خيرا يفقهه في الدين
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৪৫
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ২. সুস্থতা ও অবসর সম্পর্কে
২৭৪৫. ইবনু ’আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এমন দু’টি নিয়ামত আছে, যে দু’টোর ক্ষেত্রে অধিকাংশ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। তা হচ্ছে, সুস্থতা আর অবসর।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আহমাদ ১/২৫৮, ৩৪৪; খতীব, আলমুত্তাফাকু ওয়াল মুফতারিক্বু ২/৮৭; বুখারী, রিক্কাক্ব ৬৪১২; হাকিম ৪/৩০৬; ইবনু আবী শাইবা ১৩/২৪৩ নং ১৬২০৪; আব্দুল্লাহ ইবনু মুবারক, যুহদ ১; তিরমিযী, যুহদ ২৩০৫; বাইহাকী, জানাইয ৩/৩৭০; আবূ নুয়াইম, হিলইয়া ৮/১৭৪; ইবনু মাজাহ, আদাব ৪১৭০; তাবারাণী, কাবীর ১০/৩৯২ নং ১০৭৮৭; ইবনু আদী, আল কামিল ৬/২০৭১, ২২৪৬।
باب فِي الصِّحَّةِ وَالْفَرَاغِ
أَخْبَرَنَا الْمَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ هُوَ ابْنُ سَعِيدٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَاهُ يُحَدِّثُ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ الصِّحَّةَ وَالْفَرَاغَ نِعْمَتَانِ مِنْ نِعَمِ اللَّهِ مَغْبُونٌ فِيهِمَا كَثِيرٌ مِنْ النَّاسِ
أخبرنا المكي بن إبراهيم حدثنا عبد الله هو ابن سعيد أنه سمع أباه يحدث عن ابن عباس قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إن الصحة والفراغ نعمتان من نعم الله مغبون فيهما كثير من الناس
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৪৬
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৩. শ্রবণেন্দ্রিয়কে সংরক্ষণ করা
২৭৪৬. ইবনু ’আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, যে লোক কোন এক দলের কথার দিকে কান লাগাল। অথচ তারা এটা পছন্দ করে না, কিয়ামতের দিন তার উভয় কানে সীসা ঢেলে দেয়া হবে।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: বুখারী, তা’বীর ৭০৪২।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৫৭৭ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৬৮৫, ৫৬৮৬ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৫৪১ তে।
باب فِي حِفْظِ السَّمْعِ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ أَخْبَرَنَا خَالِدٌ يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ اسْتَمَعَ إِلَى حَدِيثِ قَوْمٍ وَهُمْ لَهُ كَارِهُونَ صُبَّ فِي أُذُنِهِ الْآنُكُ
أخبرنا عمرو بن عون أخبرنا خالد يعني ابن عبد الله عن خالد الحذاء عن عكرمة عن ابن عباس عن النبي صلى الله عليه وسلم قال من استمع إلى حديث قوم وهم له كارهون صب في أذنه الآنك
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৪৭
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৩. শ্রবণেন্দ্রিয়কে সংরক্ষণ করা
২৭৪৭. আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেন, “তোমার প্রথম দৃষ্টিপাতকে (বেগানা স্ত্রীলোকের প্রতি) তোমার দ্বিতীয় দৃষ্টি (যা ইচ্ছাকৃত) যেন অনুসরণ না করে। কেননা, প্রথমবার দৃষ্টিপাত তোমারজন্য (জায়িয),আর দ্বিতীয়বার (ইচ্ছাকৃতভাবে) দৃষ্টিপাত করাতেমার বিপক্ষে (যা বৈধ নয়)।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ জাইয়্যেদ।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৫৭০ তে।
সংযোজনী: এছাড়াও, ইবনু আবী শাইবা ৪/৩২৬। আরও দেখুন, ফাতহুল বারী ১১/২৫; তারগীব ওয়াত তারহীব ৩/৩৫।
باب فِي حِفْظِ السَّمْعِ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَقَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ أَبِي الطُّفَيْلِ عَنْ عَلِيٍّ قَالَ لِي قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تُتْبِعْ النَّظْرَةَ النَّظْرَةَ فَإِنَّ الْأُولَى لَكَ وَالْآخِرَةَ عَلَيْكَ
أخبرنا أبو الوليد الطيالسي حدثنا حماد بن سلمة عن محمد بن إسحق عن محمد بن إبراهيم عن سلمة بن أبي الطفيل عن علي قال لي قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا تتبع النظرة النظرة فإن الأولى لك والآخرة عليك
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) বর্ণনাকারীঃ আলী ইবনু আবী তালিব (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৪৮
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৪. জিহ্বাকে সংযত রাখা সম্পর্কে
২৭৪৮. সুফইয়ান ইবনু আবদুল্লাহ ছাকাফী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! এমন একটি বিষয়ের কথা আমাকে বলুন যা আপনার পরে আর কাউকে জিজ্ঞেস করতে হবে না।
তিনি বললেনঃ “তুমি আল্লাহকে ভয় করো, তারপর এতে দৃঢ় হয়ে থেকো।”
আমি বললাম, এরপর কোন কাজটি? তিনি তার জিহ্বার দিকে ইশারা করলেন।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৬৯৮ ও ৫৬৯৯, ৫৭০০ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নরং ২৫৪৩, ২৫৪৪, ২৫৪৫ তে।
এটি রয়েছে মুসলিম, ঈমান ৩৮; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৯৪২ তে। আর দেখুন, ফাতহুল বারী ১১/৩০৯।
সংযোজনী: ইবনু আবীদ দুনিয়া, কিতাবুস ছামতু ১।
باب فِي حِفْظِ اللِّسَانِ
أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ الرَّبِيعِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سُفْيَانَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَخْبِرْنِي بِعَمَلٍ فِي الْإِسْلَامِ لَا أَسْأَلُ عَنْهُ أَحَدًا قَالَ اتَّقِ اللَّهَ ثُمَّ اسْتَقِمْ قَالَ قُلْتُ ثُمَّ أَيُّ شَيْءٍ قَالَ فَأَشَارَ إِلَى لِسَانِهِ
أخبرنا سعيد بن الربيع حدثنا شعبة عن يعلى بن عطاء قال سمعت عبد الله بن سفيان عن أبيه قال قلت يا رسول الله أخبرني بعمل في الإسلام لا أسأل عنه أحدا قال اتق الله ثم استقم قال قلت ثم أي شيء قال فأشار إلى لسانه
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ সুফ্ইয়ান ইবনু ‘আবদুল্লাহ আস্ সাকাফী (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৪৯
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৪. জিহ্বাকে সংযত রাখা সম্পর্কে
২৭৪৯. (অপর সনদে) সুফইয়ান ইবন আবদুল্লাহ ছাকাফী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! এমন একটি বিষয়ের কথা আমাকে বলুন যা আমি দৃঢ়ভাবে ধারণ করতে পারি।
তিনি বললেনঃ “তুমি বল, আমার রব হচ্ছেন একমাত্র আল্লাহ, তারপর এতে দৃঢ় হয়ে থেকো।”
রাবী বলেন আমি বললামঃ ইয়া নবীয়াল্লাহ, আমার ব্যাপারে সবচে বেশী কোন্ বিষয়টির আপনি আশংকা করেন? তিনি বলেন, এরপর আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জিহ্বা ধরলেন এরপর বললেনঃ “এটির।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ ইবরাহীম ইবনু ইসমাঈল ইবনু মুজাম্মি’ এর দুর্বলতার কারণে। তবে হাদীসটি সহীহ।
তাখরীজ: আগের টীকাটি দেখুন।
باب فِي حِفْظِ اللِّسَانِ
أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ يَعْنِي ابْنَ إِسْمَعِيلَ بْنِ مُجَمِّعٍ قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ شِهَابٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مُعَاذٍ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مُرْنِي بِأَمْرٍ أَعْتَصِمُ بِهِ قَالَ قُلْ رَبِّيَ اللَّهُ ثُمَّ اسْتَقِمْ قَالَ قُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ مَا أَكْثَرُ مَا تَخَوَّفُ عَلَيَّ قَالَ فَأَخَذَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِلِسَانِهِ ثُمَّ قَالَ هَذَا
أخبرنا أبو نعيم حدثنا إبراهيم يعني ابن إسمعيل بن مجمع قال أخبرني ابن شهاب عن عبد الرحمن بن معاذ عن سفيان بن عبد الله قال قلت يا رسول الله مرني بأمر أعتصم به قال قل ربي الله ثم استقم قال قلت يا نبي الله ما أكثر ما تخوف علي قال فأخذ نبي الله صلى الله عليه وسلم بلسانه ثم قال هذا
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ সুফ্ইয়ান ইবনু ‘আবদুল্লাহ আস্ সাকাফী (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৫০
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৪. জিহ্বাকে সংযত রাখা সম্পর্কে
২৭৫০. জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, বলা হলো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কোন্ ইসলাম সর্বোত্তম? তিনি বললেন, “যার জিহ্বা ও হাত থেকে মুসলিমগণ নিরাপদ থাকে।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: মুসলিম, ঈমান ৪১;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২২৭৩ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৯৭ তে। এটি বিগত ২৪৩৭ এর অংশ।
باب فِي حِفْظِ اللِّسَانِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ مِغْوَلٍ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي سُفْيَانَ عَنْ جَابِرٍ قَالَ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيُّ الْإِسْلَامِ أَفْضَلُ قَالَ مَنْ سَلِمَ الْمُسْلِمُونَ مِنْ لِسَانِهِ وَيَدِهِ
أخبرنا محمد بن يوسف حدثنا مالك بن مغول عن الأعمش عن أبي سفيان عن جابر قال قيل يا رسول الله أي الإسلام أفضل قال من سلم المسلمون من لسانه ويده
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৫১
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৫. মৌনতা অবলম্বন করা বা চুপ থাকা প্রসঙ্গে
২৭৫১. আব্দুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি চুপ থাকলো, সে মুক্তি পেলো।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ।
তাখরীজ: আহমাদ ২/১৫৯, ১৭৭; তিরমিযী, সিফাতুল কিয়ামাহ ২৫০৩; কুদায়ী, মুসনাদুশ শিহাব নং ৩৩৪; ইবনু আবীদ দুনিয়া, কিতাবুস ছামতু ১০; আব্দুল্লাহ ইবনু মুবারক, যুহদ ৩৮৫; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ৪১২৯; ইবনু হাজার ফাতহ ১১/৩০৯ এ বলেন, এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন আর এর রাবীগণ বিশ্বস্ত।’
সাখাবী মাকাসিদুল হাসানাহ নং ১১৪১ তে বলেন, ‘এর অনেকগুলি শাহিদ রয়েছে, যার মধ্যে একটি রয়েছে তাবারাণীতে জাইয়্যেদ সনদে।’
ইরাকী বলেন, এটি রয়েছে তাবারাণীতে জাইয়্যেদ সনদে।’
দরবেশ হুত তার আসনাল মাতালিব নং ১৪২৮ তে বলেন, এতে ইবনু লাহিয়াহ রয়েছে সে যয়ীফ। তবে তাবারাণীতে রয়েছে জাইয়্যেদ সনদে, ফলে এটি হাসান হবে।’
তবে আমাদের বক্তব্য হলো: তাবারাণী, আওসাত নং ১৯৫৪ তে ইবনু লাহিয়াহ সূত্রে এটি বর্ণনা করেছেন । আর ইবনু লাহিয়াহ’র মুতাবিয়াত বা অনুসরণকারী বর্ণনা করেছেন আমর ইবনুল হারিছ, এর সনদ যদি ঠিক থাকে , তবে এটি জাইয়্যেদ হয়। তাবারাণী’কে অভিযুক্ত করেছেন ইবনুল জাওযী; এবং এর সনদের অজ্ঞাত পরিচয় (জাহালাত) এর কথা বলেছেন যাহাবী।
আমরা বলি: এর অনেক শাহিদ রয়েছে যা একে শক্তিশালী করে। দেখুন, ইবনু আবীদ দুনিয়া, কিতাবুস ছামতু; মুনযিরী, তারগীব ৩/৫৩৬; ফাতহুল বারী ৭/১৫১।
باب فِي الصَّمْتِ
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ عِيسَى عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُقْبَةَ عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَمْرٍو عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيِّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ صَمَتَ نَجَا
أخبرنا إسحق بن عيسى عن عبد الله بن عقبة عن يزيد بن عمرو عن أبي عبد الرحمن الحبلي عن عبد الله بن عمرو بن العاص قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من صمت نجا
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৫২
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৬. গীবত সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
২৭৫২. আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলা হলো, গীবত কি? তিনি বললেন: “তোমার ভাইয়ের প্রসঙ্গে তোমার এমন ধরনের কথা-বার্তা বলা, যা সে অপছন্দ করে।” প্রশ্নকারী বলল, আমি যে কথাগুলো বলি, তা প্রকৃতপক্ষেই তার মধ্যে নিহিত থাকলে (সেটাও কি গীবত)? তিনি বললেন: “(তুমি যে কথাগুলো বল), তা প্রকৃতই তার মধ্যে নিহিত থাকলে তবেই তো তুমি তার গীবত করলে। (তুমি যা বল), যদি সেগুলো তার মধ্যে না থাকে তাহলে তো তুমি তাকে মিথ্যা অপবাদ দিলে।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ, তবে হাদীসটি সহীহ।
তাখরীজ: মুসলিম, বিরর ওয়াস সুলহ ২৫৮৯;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৪৯৩, ৬৫২৮, ৬৫৩২ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৭৫৮, ৫৭৫৯ তে।
باب فِي الْغِيبَةِ
أَخْبَرَنَا نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ الْعَلَاءِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قِيلَ لَهُ مَا الْغِيبَةُ قَالَ ذِكْرُكَ أَخَاكَ بِمَا يَكْرَهُ قِيلَ وَإِنْ كَانَ فِي أَخِي مَا أَقُولُ قَالَ فَإِنْ كَانَ فِيهِ فَقَدْ اغْتَبْتَهُ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِيهِ فَقَدْ بَهَتَّهُ
أخبرنا نعيم بن حماد عن عبد العزيز بن محمد عن العلاء عن أبيه عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قيل له ما الغيبة قال ذكرك أخاك بما يكره قيل وإن كان في أخي ما أقول قال فإن كان فيه فقد اغتبته وإن لم يكن فيه فقد بهته
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৫৩
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৭. মিথ্যা সম্পর্কে
২৭৫৩. আবদুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন: “সবচেয়ে নিকৃষ্ট বর্ণনাকারী হলো মিথ্যা বর্ণনাকারী। অন্তর থেকে (তথা প্রকৃত) হোক কিংবা হাসি-ঠাট্টা-রসিকতা করেই হোক, মিথ্যা বলা ঠিক নয়। এমনকি কোনো লোক যেন নিজ সন্তানের সাথেও এমন ওয়াদা না করে, যা সে পূরণ করবে না। নিশ্চয় সত্যবাদীতা (মানুষকে) পুণ্যের পথে চালিত করে এবং পুণ্য জান্নাতের দিকে চালিত করে। পক্ষান্তরে মিথ্যাচার (মানুষকে) পাপাচারের দিকে চালিত করে এবং পাপাচার জাহান্নামের দিকে চালিত করে। আর সত্যবাদী ব্যক্তি সম্পর্কে বলা হয়, সে সত্য বলেছে ও পুণ্যের কাজ করেছে।
বিপরীতে মিথ্যবাদী সম্পর্কে বলা হয়, সে মিথ্যা বলেছে ও পাপাচার করেছে। কোন ব্যক্তি সত্য কথা বলতে বলতে অবশেষে আল্লাহর নিকট ’সিদ্দীক’ বা সত্যবাদী হিসাবে লিপিবদ্ধ হয়ে যায়। অপর দিকে কোন ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলতে বলতে অবশেষে আল্লাহর নিকট ’কাযযাব’ বা মিথ্যাবাদী হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়।”তিনি আমাদেরকে বলেন: “আমি কি তোমাদেরকে জানিয়ে দেব না, ’আযহ’ বা চোগলখুরী কী? তা হচ্ছে কুৎসা রটনা করা, যা মানুষের মাঝে বৈরিতার সৃষ্টি করে।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৫৭৭ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৬৮৫ তে।
তাখরীজ: হাকিম ৪/৩০৬; ইবনু মাজাহ, মুকাদ্দামা ৪৬।
আর ‘সত্যবাদীতা ও মিথ্যাবাদীতা সম্পর্কে এবং ‘সত্যবাদী ও মিথ্যাবাদীর পরিণতি সম্পর্কে বুখারী ও মুসলিমে হাদীস বর্ণিত হয়েছে। আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫১৩৮ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৭৩, ২৭৪ তে মারফু’ হিসেবে।
আবার ‘আযহ’ বা চোগলখুরী’র অংশটি বর্ণনা করেছেন আহমাদ ১/৪৩৭ ও মুসলিম, বিরর ওয়াস সুলহ ২৬০৬ তে মারফু’ হিসেবে।
হাকিম বলেন, এ হাদীসের সনদ বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ।…’ আর যাহাবী তাকে সমর্থন করেছেন।
আমাদের বক্তব্য: এর সনদ মারফু’ হিসেবে সহীহ, আর তা শাইখাইন বা বুখারী মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ।… আল্লাহ ভাল জানেন।
باب فِي الْكَذِبِ
أَخْبَرَنَا عُثْمَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ إِدْرِيسَ الْأَوْدِيِّ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ يَرْفَعُ الْحَدِيثَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ شَرَّ الرَّوَايَا رَوَايَا الْكَذِبِ وَلَا يَصْلُحُ مِنْ الْكَذِبِ جِدٌّ وَلَا هَزْلٌ وَلَا يَعِدُ الرَّجُلُ ابْنَهُ ثُمَّ لَا يُنْجِزُ لَهُ إِنَّ الصِّدْقَ يَهْدِي إِلَى الْبِرِّ وَإِنَّ الْبِرَّ يَهْدِي إِلَى الْجَنَّةِ وَإِنَّ الْكَذِبَ يَهْدِي إِلَى الْفُجُورِ وَإِنَّ الْفُجُورَ يَهْدِي إِلَى النَّارِ وَإِنَّهُ يُقَالُ لِلصَّادِقِ صَدَقَ وَبَرَّ وَيُقَالُ لِلْكَاذِبِ كَذَبَ وَفَجَرَ وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيَصْدُقُ حَتَّى يُكْتَبَ عِنْدَ اللَّهِ صِدِّيقًا وَيَكْذِبُ حَتَّى يُكْتَبَ عِنْدَ اللَّهِ كَذَّابًا وَإِنَّهُ قَالَ لَنَا هَلْ أُنَبِّئُكُمْ مَا الْعَضْهُ وَإِنَّ الْعَضْهَ هِيَ النَّمِيمَةُ الَّتِي تُفْسِدُ بَيْنَ النَّاسِ
أخبرنا عثمان بن محمد حدثنا جرير عن إدريس الأودي عن أبي إسحق عن أبي الأحوص أن عبد الله يرفع الحديث إلى النبي صلى الله عليه وسلم قال إن شر الروايا روايا الكذب ولا يصلح من الكذب جد ولا هزل ولا يعد الرجل ابنه ثم لا ينجز له إن الصدق يهدي إلى البر وإن البر يهدي إلى الجنة وإن الكذب يهدي إلى الفجور وإن الفجور يهدي إلى النار وإنه يقال للصادق صدق وبر ويقال للكاذب كذب وفجر وإن الرجل ليصدق حتى يكتب عند الله صديقا ويكذب حتى يكتب عند الله كذابا وإنه قال لنا هل أنبئكم ما العضه وإن العضه هي النميمة التي تفسد بين الناس
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৫৪
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৮. হাতকে হেফাজত করা সম্পর্কে
২৭৫৪. আবদুল্লাহ্ ইবনু ’আমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “মুসলিম হলো ঐ ব্যক্তি যার জবান ও হাত থেকে মুসলিমগণ নিরাপদ থাকে।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। এটি বুখারী ও মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন।
তাখরীজ: বুখারী, ঈমান ১০; মুসলিম, ঈমান ৪০।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৯৬, ২৩০, ৩৯৯, ৪০০ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৬০৬, ৬০৭ তে।
باب فِي حِفْظِ الْيَدِ
أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا عَنْ الشَّعْبِيِّ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمُسْلِمُ مَنْ سَلِمَ الْمُسْلِمُونَ مِنْ لِسَانِهِ وَيَدِهِ
أخبرنا أبو نعيم حدثنا زكريا عن الشعبي قال سمعت عبد الله بن عمرو يقول قال رسول الله صلى الله عليه وسلم المسلم من سلم المسلمون من لسانه ويده
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৫৫
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৯. হালাল-পবিত্র খাদ্য খাওয়া সম্পর্কে
২৭৫৫. আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “হে লোক সকল! নিশ্চয় আল্লাহ্ পবিত্র আর পবিত্র জিনিস ছাড়া তিনি কিছু গ্রহণ করেন না। আল্লাহ্ তা’আলা তার রাসূলগণকে যে বিষয়ের নির্দেশ দিয়েছেন মু’মিনদেরও সে বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন:
অর্থ: ’’হে রাসূলগণ, তোমরা পবিত্র বস্ত্তু থেকে আহার করো এবং সৎকর্ম করো। তোমরা যা করো সেসম্বন্ধে আমি সবিশেষ অবহিত।” (মু’মিনূন ২৩: ৫১)।
তিনি আরও বলেন,
“হে মু’মিনগণ, তোমাদেরকে আমি যে সব পবিত্র বস্তু দিয়েছি তা থেকে আহার কর, আর আল্লাহরই শোকর করো, যদি তোমরা একমাত্র তাঁরই ইবাদত করে থাকো।” (বাক্বারাহ ২:১৭২)
তিনি (আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বলেন: তিনি এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, দীর্ঘ সফরে তার অবস্থা এলোমেলো চুল, ধূলি মলিন অবস্থায় আসমানের দিকে হাত উঠিয়ে (বলে): ’হে রব!, হে রব!’ কিন্তু খাদ্য তার হারাম, পোষাক-পরিচ্ছদ তার হারাম, পানীয় তার হারাম। আর তার লালিত-পালিত হয়েছে হারাম (মাল) দিয়ে। সুতরাং কেমন করে তার (দু’আ) কবূল করা হবে?”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ।
তাখরীজ: তিরমিযী, তাফসীর ২৯৯২; আহমাদ ২/৩২৮; মুসলিম, যাকাত ১০১৫; বাইহাকী, সালাতুল ইসতিস্কা ৩/৩৪৬; আব্দুর রাযযাক, নং ৮৮৩৯; ইবনু আদী, আল কামিল ১/২৬৪। আরও দেখুন, ফাতহুল বারী ৯/৫১৮; তালখীসুল হাবীর ২/৯৬।
باب فِي أَكْلِ الطَّيِّبِ
أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا الْفُضَيْلُ بْنُ مَرْزُوقٍ حَدَّثَنَا عَدِيُّ بْنُ ثَابِتٍ عَنْ أَبِي حَازِمٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ اللَّهَ طَيِّبٌ لَا يَقْبَلُ إِلَّا الطَّيِّبَ إِنَّ اللَّهَ أَمَرَ الْمُؤْمِنِينَ بِمَا أَمَرَ بِهِ الْمُرْسَلِينَ قَالَ يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنْ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ وَقَالَ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ قَالَ ثُمَّ ذَكَرَ الرَّجُلَ يُطِيلُ السَّفَرَ أَشْعَثَ أَغْبَرَ يَمُدُّ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ يَا رَبِّ يَا رَبِّ وَمَطْعَمُهُ حَرَامٌ وَمَلْبَسُهُ حَرَامٌ وَمَشْرَبُهُ حَرَامٌ وَغُذِّيَ بِالْحَرَامِ فَأَنَّى يُسْتَجَابُ لِذَلِكَ
أخبرنا أبو نعيم حدثنا الفضيل بن مرزوق حدثنا عدي بن ثابت عن أبي حازم عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يا أيها الناس إن الله طيب لا يقبل إلا الطيب إن الله أمر المؤمنين بما أمر به المرسلين قال يا أيها الرسل كلوا من الطيبات واعملوا صالحا إني بما تعملون عليم وقال يا أيها الذين آمنوا كلوا من طيبات ما رزقناكم قال ثم ذكر الرجل يطيل السفر أشعث أغبر يمد يديه إلى السماء يا رب يا رب ومطعمه حرام وملبسه حرام ومشربه حرام وغذي بالحرام فأنى يستجاب لذلك
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৫৬
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১০. দুনিয়ার যে সকল বস্তু থাকা কারো জন্য যথেষ্ট
২৭৫৬. বুরাইদাহ আল আসলামী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “একজন খাদেম এবং একটি বাহনই দুনিয়াতে (সম্পদের ক্ষেত্রে) তোমাদের কারো জন্য যথেষ্ট।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আহমাদ ৫/৩৬০; ইবনু আবী শাইবা ১৩/২৪৫; আবূ নুয়াইম, হিলইয়া ৬/২০৬।
এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আবী হাশিম ইবনু উতবাহ হতে, আামরা যার তাখরীজ দিয়েছি আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৪৭৮ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬৬৮ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন তে।
এর অপর শাহিদ হাদীস রয়েছে আয়িশাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে ইবনু সা’দ ৮/৫২-৫৩; তিরমিযী, লিবাস ১৭৮১; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ; এ সনদের সালিহ ইবনুল হাসান মাতরুকুল হাদীন।
এর শাহিদ হাদীস রয়েছে খাব্বাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, আামরা যার তাখরীজ দিয়েছি আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি ও এর শাহিদ উল্লেখ করেছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭২১৪ তে।
باب مَا يَكْفِي مِنْ الدُّنْيَا
حَدَّثَنَا عَفَّانُ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ الْجُرَيْرِيِّ عَنْ أَبِي نَضْرَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوَلَةَ عَنْ بُرَيْدَةَ الْأَسْلَمِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَكْفِي أَحَدَكُمْ مِنْ الدُّنْيَا خَادِمٌ وَمَرْكَبٌ
حدثنا عفان حدثنا حماد بن سلمة عن الجريري عن أبي نضرة عن عبد الله بن مولة عن بريدة الأسلمي قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يكفي أحدكم من الدنيا خادم ومركب
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ বুরায়দাহ ইবনু হুসাইব আল-আসলামী (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৫৭
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১১. নেককার ব্যক্তিদের মৃত্যুবরণ করা
২৭৫৭. মিরদাস আল আসলামী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “পূর্ববর্তী নেককার ব্যক্তিরা একে একে চলে যাবেন। আর যবের খোসা (সদৃশ লোকেরা) অবশিষ্ট থাকবে।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: বুখারী, রিক্কাক্ব ৬৪৩৪;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬৮৫২ তে।
সংযোজনী: এছাড়াও, হাকিম ৪/৪০১; বুখারী, কাবীর ৭/৪৩৪; ইবনুল কানি’, মু’জামুস সাহাবাহ নং ১০৮৬।
باب فِي ذَهَابِ الصَّالِحِينَ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ بَيَانٍ هُوَ ابْنُ بِشْرٍ الْأَحْمَسِيُّ عَنْ قَيْسٍ عَنْ مِرْدَاسٍ الْأَسْلَمِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَذْهَبُ الصَّالِحُونَ أَسْلَافًا وَيَبْقَى حُثَالَةٌ كَحُثَالَةِ الشَّعِيرِ
حدثنا سعيد بن منصور حدثنا أبو عوانة عن بيان هو ابن بشر الأحمسي عن قيس عن مرداس الأسلمي قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يذهب الصالحون أسلافا ويبقى حثالة كحثالة الشعير
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ মিরদাস আসলামী (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৫৮
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১২. সিয়ামের হেফাজত করা সম্পর্কে
২৭৫৮. আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “কত রোযাদার আছে যাদের রোযার বিনিময়ে ক্ষুধা-পিপাসা ছাড়া আর কিছুই জোটে না। কত (তাহাজ্জুদ) সালাত আদায়কারী আছে যাদের রাত্রি জাগরণ ছাড়া আর কিছুই জোটে না।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান। তবে হাদীসটি সহীহ।
তাখরীজ: আামরা এর তাখরীজ দিয়েছি আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৫৫১ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৪৮১ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৬৫৪ তে। ((ইবনু মাজাহ, সাওম ১৬৯০; আহমাদ ২/৩৭৩; ইবনু খুযাইমা ১৯৯৭; হাকিম, ১/৪৩১; তিনি একে বুখারী শর্তানুযায়ী বলেছেন এবং যাহাবী তা সমর্থন করেছেন।– ফাতহুল মান্নান হা/২৮৮৫ এর টীকা হতে।-অনুবাদক))
باب فِي الْمُحَافَظَةِ عَلَى الصَّوْمِ
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ عِيسَى عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ كَمْ مِنْ صَائِمٍ لَيْسَ لَهُ مِنْ صِيَامِهِ إِلَّا الظَّمَأُ وَكَمْ مِنْ قَائِمٍ لَيْسَ لَهُ مِنْ قِيَامِهِ إِلَّا السَّهَرُ
أخبرنا إسحق بن عيسى عن عبد الرحمن بن أبي الزناد عن عمرو بن أبي عمرو عن سعيد المقبري عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال كم من صائم ليس له من صيامه إلا الظمأ وكم من قائم ليس له من قيامه إلا السهر
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৫৯
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৩. সালাতের হেফাজত করা সম্পর্কে
২৭৫৯. আব্দুল্লাহ ইবনু আমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন সালাতের কথা উল্লেখ করে বলেন: “যে ব্যক্তি তা (সালাত) হেফাজত করবে, কিয়ামত দিবসে তা তার জন্য নূর, দলীল-প্রমাণ ও জাহান্নাম হতে মুক্তি (এর উপায়) হবে। আর যে ব্যক্তি তা (সালাত) হেফাজত করবে না, কিয়ামত দিবসে তা তার জন্য নূর, দলীল-প্রমাণ ও জাহান্নাম হতে মুক্তি (এর উপায়) হবে না। আর এ ব্যক্তি কিয়ামত দিবসে ক্বারুন, ফিরআউন ও হামান ও উবাই ইবনু খালফ-এর সাথে থাকবে।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৪৬৭ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৫৪ ও মাজমাউয যাওয়াইদ নং ১৬৩৪ তে।
باب فِي الْمُحَافَظَةِ عَلَى الصَّلَاةِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ هُوَ ابْنُ أَبِي أَيُّوبَ قَالَ حَدَّثَنِي كَعْبُ بْنُ عَلْقَمَةَ عَنْ عِيسَى بْنِ هِلَالٍ الصَّدَفِيِّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ ذَكَرَ الصَّلَاةَ يَوْمًا فَقَالَ مَنْ حَافَظَ عَلَيْهَا كَانَتْ لَهُ نُورًا وَبُرْهَانًا وَنَجَاةً مِنْ النَّارِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَنْ لَمْ يُحَافِظْ عَلَيْهَا لَمْ تَكُنْ لَهُ نُورًا وَلَا نَجَاةً وَلَا بُرْهَانًا وَكَانَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَعَ قَارُونَ وَفِرْعَوْنَ وَهَامَانَ وَأُبَيِّ بْنِ خَلَفٍ
أخبرنا عبد الله بن يزيد حدثنا سعيد هو ابن أبي أيوب قال حدثني كعب بن علقمة عن عيسى بن هلال الصدفي عن عبد الله بن عمرو عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه ذكر الصلاة يوما فقال من حافظ عليها كانت له نورا وبرهانا ونجاة من النار يوم القيامة ومن لم يحافظ عليها لم تكن له نورا ولا نجاة ولا برهانا وكان يوم القيامة مع قارون وفرعون وهامان وأبي بن خلف
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৬০
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৪. কিয়ামুল্লাইল সম্পর্কে
২৭৬০. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিয়ামুল লাইল (রাতের সালাত)-এর ব্যাপারে উৎসাহিত করতেন। এমনকি তিনি বলতেন: “এক রাকাত হলেও (আদায় করো)।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ জিদ্দান (অত্যন্ত দুর্বল), হুসাইন ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু উবাইদুল্লাহর কারণে। তবে হাদীসটি সহীহ লিগয়রিহী।
তাখরীজ: আামরা এর তাখরীজ দিয়েছি ও এর শাহিদসমূহ উল্লেখ করেছি মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৩৫৬৫ তে।
باب فِي قِيَامِ اللَّيْلِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ قَالَ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ عَجْلَانَ عَنْ حُسَيْنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَرْغَبُ فِي قِيَامِ اللَّيْلِ حَتَّى قَالَ وَلَوْ رَكْعَةً
أخبرنا عبد الله بن صالح قال حدثني الليث قال حدثني ابن عجلان عن حسين بن عبد الله بن عبيد الله بن عباس عن عكرمة عن ابن عباس أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يرغب في قيام الليل حتى قال ولو ركعة
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৬১
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৫. ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা সম্পর্কে
২৭৬১. হুযাইফা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার পরিবারের উপর জিহ্বা ছিল খুবই ধারালো (তথা তাদেরকে খুব বকা-ঝকা করতাম)। তবে সেটি তাদেরকে অতিক্রম করে অন্যদের পর্যন্ত যেত না। এরপর আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলাম। তখন তিনি বললেন: “তুমি তোমার ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা থেকে কোথায় আছ? আমি দৈনিক একশতবার আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি।”[1]
আবূ ইসহাক বলেন, আমি আবী মূসা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর দু’ছেলে আবূ বুরদাহ ও আবূ বকরের নিকট বর্ণনা এ হাদীস করলাম, তখন তারা বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আমি দৈনিক একশতবার আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি। আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং তাঁর নিকট তাওবা করি।”[2]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ জাইয়্যেদ বা উত্তম।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৯২৬ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৪৫৮ তে।
সংযোজনী: এছাড়াও, ইবনু আবী শাইবা ১৩/৪৬৩ নং ১৬৯২৬; আবূ নুয়াইম, হিলইয়া ৬/২৭৬; ইবনুস সুন্নী, আমলুল ইয়ামু ওয়াল লাইলাহ নং ৩৬২; তায়ালিসী, মানিহাতুল মা’বুদ ১/২৫১ নং ১২৩৯।
এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৯২৫ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৪৫৬ তে।
এর অপর শাহিদ হাদীসটি রয়েছে আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, আামরা যার তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৯৩৪ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৯২৪ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৪৫৭ তে।
[2] তাহক্বীক্ব: এ মুরসাল হাদীসটির সনদ জাইয়্যেদ বা উত্তম।
তাখরীজ: আর এটি মাওসুল ও মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন আহমাদ ৪/৪১০; নাসাঈ, আমলুল ইয়ামু ওয়াল লাইলাহ নং ৪৪০; তাহাবী, শারহু মাআনিল আছার ৪/২৮৯ তে। আগের টীকাটিও দেখুন।
باب فِي الِاسْتِغْفَارِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَقَ عَنْ عُبَيْدِ بْنِ عَمْرٍو أَبِي الْمُغِيرَةِ عَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ كَانَ فِي لِسَانِي ذَرَبٌ عَلَى أَهْلِي وَلَمْ يَكُنْ يَعْدُهُمْ إِلَى غَيْرِهِمْ فَسَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ أَيْنَ أَنْتَ عَنْ الِاسْتِغْفَارِ إِنِّي لَأَسْتَغْفِرُ اللَّهَ كُلَّ يَوْمٍ مِائَةَ مَرَّةٍ قَالَ أَبُو إِسْحَقَ فَحَدَّثْتُ أَبَا بُرْدَةَ وَأَبَا بَكْرٍ ابْنَيْ أَبِي مُوسَى قَالَا قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ كُلَّ يَوْمٍ مِائَةَ مَرَّةٍ أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
أخبرنا محمد بن يوسف حدثنا إسرائيل حدثنا أبو إسحق عن عبيد بن عمرو أبي المغيرة عن حذيفة قال كان في لساني ذرب على أهلي ولم يكن يعدهم إلى غيرهم فسألت النبي صلى الله عليه وسلم فقال أين أنت عن الاستغفار إني لأستغفر الله كل يوم مائة مرة قال أبو إسحق فحدثت أبا بردة وأبا بكر ابني أبي موسى قالا قال النبي صلى الله عليه وسلم أستغفر الله كل يوم مائة مرة أستغفر الله وأتوب إليه
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) বর্ণনাকারীঃ হুযায়ফাহ ইবন আল-ইয়ামান (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৬২
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৬. আল্লাহর ভয় (তাক্বওয়া) সম্পর্কে
২৭৬২. আনাস ইবনু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই আয়াত পাঠ করলেন (أَهْلُ التَّقْوَى وَأَهْلُ الْمَغْفِرَةِ) (অনুবাদ): ’’একমাত্র তিনিই ভয়ের যোগ্য এবং তিনিই ক্ষমা করার অধিকারী’’ (সূরা মুদ্দাসসিরঃ ৫৬), অতঃপর বলেনঃ তোমাদের রব বলেছেন, ’আমিই উপযুক্ত যে, কেবল আমাকেই ভয় করতে হবে। অতএব যে আমাকে ভয় করবে, তবে আমি তাকে ক্ষমা করার যোগ্য।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ সুহাইল ইবনু আবী হাযিম এর কারণে।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৯৩৪ তে।
باب فِي تَقْوَى اللَّهِ
حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ الْمُبَارَكِ عَنْ سَلْمِ بْنِ قُتَيْبَةَ عَنْ سُهَيْلٍ الْقُطَعِيِّ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَرَأَ أَهْلُ التَّقْوَى وَأَهْلُ الْمَغْفِرَةِ قَالَ قَالَ رَبُّكُمْ أَنَا أَهْلٌ أَنْ أُتَّقَى فَمَنْ اتَّقَانِي فَأَنَا أَهْلٌ أَنْ أَغْفِرَ لَهُ
حدثنا الحكم بن المبارك عن سلم بن قتيبة عن سهيل القطعي عن ثابت عن أنس عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قرأ أهل التقوى وأهل المغفرة قال قال ربكم أنا أهل أن أتقى فمن اتقاني فأنا أهل أن أغفر له
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f) বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৬৩
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৬. আল্লাহর ভয় (তাক্বওয়া) সম্পর্কে
২৭৬৩. আবূ যার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আমি এমন একটি বাক্য বা আয়াত জানি, সকলেই যদি তা গ্রহণ করতো তবে অবশ্যই তা-ই তাদের জন্য যথেষ্ট হতো। (তা হলো:) (وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجاً) (অনুবাদ): ’’যে কেউ আল্লাহকে ভয় করলে তিনি তার জন্য নিস্কৃতির পথ করে দেন।’’[1] (সূরা তালাকঃ ২)।
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬৬৬৮, ৬৬৬৯ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৫৪৭, ১৫৪৮ তে।
সংযোজনী: এছাড়াও, আহমাদ, যুহদ পৃ: ১৪৬; খতীব, তারীখ বাগদাদ ৫/৪১৩ তে।
باب فِي تَقْوَى اللَّهِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ عَنْ كَهْمَسِ بْنِ الْحَسَنِ عَنْ أَبِي السَّلِيلِ عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنِّي لَأَعْلَمُ آيَةً لَوْ أَخَذَ بِهَا النَّاسُ لَكَفَتْهُمْ وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجًا
حدثنا عثمان بن محمد حدثنا معتمر عن كهمس بن الحسن عن أبي السليل عن أبي ذر قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إني لأعلم آية لو أخذ بها الناس لكفتهم ومن يتق الله يجعل له مخرجا
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f) বর্ণনাকারীঃ আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৬৪
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৭. অবজ্ঞা বা তুচ্ছজ্ঞান করা সম্পর্কে
২৭৬৪. আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ “হে আয়েশা! কোনো পাপকে ছোট মনে করা থেকে সাবধান হও। কারণ তার জন্যও আল্লাহর নিকট জবাবদিহি করতে হবে।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ জাইয়্যেদ বা উত্তম।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৫৬৮ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৪৯৭ তে।
সংযোজনী: এছাড়াও, আহমাদ, যুহদ পৃ: ১৪।
باب فِي الْمُحَقَّرَاتِ
أَخْبَرَنَا مَنْصُورُ بْنُ سَلَمَةَ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ هُوَ ابْنُ مُسْلِمِ بْنِ بَانَكَ عَنْ مَالِكٍ عَنْ عَامِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَوْفِ بْنِ الْحَارِثِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا عَائِشُ إِيَّاكِ وَمُحَقَّرَاتِ الذُّنُوبِ فَإِنَّ لَهَا مِنْ اللَّهِ طَالِبًا
أخبرنا منصور بن سلمة حدثنا سعيد هو ابن مسلم بن بانك عن مالك عن عامر بن عبد الله بن الزبير عن عوف بن الحارث عن عائشة قالت قال لي رسول الله صلى الله عليه وسلم يا عائش إياك ومحقرات الذنوب فإن لها من الله طالبا
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৬৫
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৮. তাওবা সম্পর্কে
২৭৬৫. আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “প্রত্যেক আদম সন্তানই পাপী। আর গুনাহগারদের মধ্যে তওবাকারীগণ উত্তম।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৯২২ তে।
সংযোজনী: এছাড়াও, ইবনু আবী শাইবা ১৩/১৮৭ নং ১৬০৬৩।
باب فِي التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَسْعَدَةَ الْبَاهِلِيُّ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُلُّ بَنِي آدَمَ خَطَّاءٌ وَخَيْرُ الْخَطَّائِينَ التَّوَّابُونَ
حدثنا مسلم بن إبراهيم حدثنا علي بن مسعدة الباهلي حدثنا قتادة عن أنس قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم كل بني آدم خطاء وخير الخطائين التوابون
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৬৬
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৯. বান্দার তাওবায় মহান আল্লাহ সর্বাধিক খুশী হন
২৭৬৬. নু’মান ইবনু বাশীর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “কোনো এক লোক কোনো এক বিজন মরুভূমিতে সফর করলো; অত:পর সে (ক্লান্ত হয়ে) সেখানে একটি গাছের নীচে ঘুমিয়ে পড়লো। তার সাথে ছিল তার সাওয়ারী, তার সাওয়ারিটি তার থেকে হারিয়ে গেল। আর তার উপর ছিল তার খাদ্য ও মালপত্র। এরপর সে ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখলো যে, তার সাওয়ারীটি হারিয়ে গেছে। এরপর (তার খোঁজে) সে একটি উঁচুস্থানে আরোহন করলো, কিন্তু কিছুই দেখতে পেলো না। সে পুনরায় একটি উঁচুস্থানে আরোহন করলো, কিন্তু কিছুই দেখতে পেলোনা। সে আরেকটি উঁচুস্থানে আরোহন করলো, কিন্তু (এবারও) সে কিছুই দেখতে পেলো না। তিনি বলেন, এমতাবস্হায় সে হঠাৎ পিছনে ফিরেই (দেখতে পেলো) সাওয়ারীটি লাগাম টানতে টানতে আসছে। ঐ ব্যক্তি তা পেয়ে যে পরিমাণ আনন্দিত হয়, বান্দা যখন আল্লাহর নিকট তাওবা করে তখন তিনি তার থেকেও অধিক খুশী হন।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ জাইয়্যেদ বা উত্তম।
তাখরীজ: আহমাদ ৩/২৭৩; মুসলিম, তাওবাহ ২৭৪৫।
এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, যেটি বুখারী ও মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন। আামরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৬০০ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬৬২১ তে।
এর অপর শাহিদ হাদীস রয়েছে ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, যেটি বুখারী ও মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন। আামরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫১০০ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬১৮ তে।
এর অপর শাহিদ হাদীস রয়েছে বারা’আ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, দেখুন মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৭০৪ ও খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৩০২ তে।
এর পঞ্চম শাহিদ হাদীস রয়েছে আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, যেটি বুখারী ও মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন। আামরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৮৬০ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬১৭ তে।
باب لَلَّهُ أَفْرَحُ بِتَوْبَةِ الْعَبْدِ
أَخْبَرَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ عَنْ النُّعْمَانِ هُوَ ابْنُ بَشِيرٍ أَنَّهُ سَمِعَهُ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَافَرَ رَجُلٌ فِي أَرْضٍ تَنُوفَةٍ فَقَالَ تَحْتَ شَجَرَةٍ وَمَعَهُ رَاحِلَتُهُ عَلَيْهَا زَادُهُ وَطَعَامُهُ فَاسْتَيْقَظَ وَقَدْ ذَهَبَتْ رَاحِلَتُهُ فَعَلَا شَرَفًا فَلَمْ يَرَ شَيْئًا ثُمَّ عَلَا شَرَفًا فَلَمْ يَرَ شَيْئًا ثُمَّ عَلَا شَرَفًا فَلَمْ يَرَ شَيْئًا قَالَ فَالْتَفَتَ فَإِذَا هُوَ بِهَا تَجُرُّ خِطَامَهَا فَمَا هُوَ بِأَشَدَّ فَرَحًا بِهَا مِنْ اللَّهِ بِتَوْبَةِ عَبْدِهِ إِذَا تَابَ إِلَيْهِ
أخبرنا النضر بن شميل حدثنا حماد بن سلمة عن سماك بن حرب عن النعمان هو ابن بشير أنه سمعه يقول قال رسول الله صلى الله عليه وسلم سافر رجل في أرض تنوفة فقال تحت شجرة ومعه راحلته عليها زاده وطعامه فاستيقظ وقد ذهبت راحلته فعلا شرفا فلم ير شيئا ثم علا شرفا فلم ير شيئا ثم علا شرفا فلم ير شيئا قال فالتفت فإذا هو بها تجر خطامها فما هو بأشد فرحا بها من الله بتوبة عبده إذا تاب إليه
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) বর্ণনাকারীঃ নু’মান ইবনু বশীর (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৬৭
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ২০. আশা-আকাঙ্ক্ষা ও মৃত্যু সম্পর্কে
২৭৬৭. আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি বর্গাকৃতির চতুর্ভুজ আঁকলেন, এর মধ্যভাগে একটি সরল রেখা টানলেন, অতঃপর (চতুর্ভুজের মধ্যবর্তী) এ রেখার চতুর্দিকে অনেকগুলো ক্ষুদ্র রেখা টানলেন, অতঃপর চতুর্ভুজের বাইরে একটি সরল রেখা টানলেন। অতঃপর তিনি বললেনঃ “এই মধ্যবর্তী রেখাটি হলো মানুষ। এই (বর্গক্ষেত্র) টি হলো তার জীবনকালের সীমা, যা তাকে বেষ্টন করে রেখেছে। আর ঐ (সরল রেখার) পার্শ্ববর্তী রেখাগুলো হলো বিপদাপদ। সে একটি বিপদ থেকে মুক্তি পেলে আরেকটি বিপদ তাকে দংশন করে। আর (বর্গক্ষেত্র ভেদ করে) বাইরে আসা রেখাটি হলো তার কামনা-বাসনা।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আহমাদ ১৩/৩৮৫; বুখারী, রিক্বাক্ব ৬৪১৭; ইবনু মাজাহ, যুহদ ৪২৩১; রমহারমুযী, আমছালুল হাদীস নং ৭২ তে।
আামরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫২৪৩ তে।
باب فِي الْأَمَلِ وَالْأَجَلِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ سُفْيَانَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي يَعْلَى عَنْ الرَّبِيعِ بْنِ خُثَيْمٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ خَطَّ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَطًّا مُرَبَّعًا ثُمَّ خَطَّ وَسَطَهُ خَطًّا ثُمَّ خَطَّ حَوْلَهُ خُطُوطًا وَخَطَّ خَطًّا خَارِجًا مِنْ الْخَطِّ فَقَالَ هَذَا الْإِنْسَانُ لِلْخَطِّ الْأَوْسَطِ وَهَذَا الْأَجَلُ مُحِيطٌ بِهِ وَهَذِهِ الْأَعْرَاضُ لِلْخُطُوطِ فَإِذَا أَخْطَأَهُ وَاحِدٌ نَهَشَهُ الْآخَرُ وَهَذَا الْأَمَلُ لِلْخَطِّ الْخَارِجِ
حدثنا مسدد حدثنا يحيى عن سفيان عن أبيه عن أبي يعلى عن الربيع بن خثيم عن عبد الله قال خط لنا رسول الله صلى الله عليه وسلم خطا مربعا ثم خط وسطه خطا ثم خط حوله خطوطا وخط خطا خارجا من الخط فقال هذا الإنسان للخط الأوسط وهذا الأجل محيط به وهذه الأعراض للخطوط فإذا أخطأه واحد نهشه الآخر وهذا الأمل للخط الخارج
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৬৮
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ২১. যে জিনিস যেন দু’টি ক্ষুধার্ত নেকড়ে
২৭৬৮. ইবন কা’ব ইবন মালিক আনসারী তার পিতা কা’ব ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ“দুটো ক্ষুধার্ত নেকড়ে বাঘকে বকরীর পালে ছেড়ে দিলেও তারা এতটুকু ক্ষতি করতে পারে না, কোনো ব্যক্তির অর্থ ও মর্যাদা-সম্মান-আভিজাত্যের মোহ তার দীনের যতটুকু ক্ষতি করতে পারে।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩২২৮ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৪৭২ তে।
এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, আমরা উল্লেখ করেছি মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৪৭২ তে।
সংযোজনী: এছাড়াও, তাবারাণী, কাবীর ১৯/৯৬ নং ১৮৯।
ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে হিলইয়া ৭/৬৯ ও বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ১০২৬৫।
আবার জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ’ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর হাদীস রয়েছে, আবূ নুয়াইম, যিকরু আখবারিল আসবাহান ও বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ১০২৬৮, ১০২৬৯ তে।
আবার আসিম ইবনু আদী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর হাদীস রয়েছে বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ১০২৭২ তে।
باب مَا ذِئْبَانِ جَائِعَانِ
أَخْبَرَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ عَنْ زَكَرِيَّا عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَعْدِ بْنِ زُرَارَةَ عَنْ ابْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا ذِئْبَانِ جَائِعَانِ أُرْسِلَا فِي غَنَمٍ بِأَفْسَدَ لَهَا مِنْ حِرْصِ الْمَرْءِ عَلَى الْمَالِ وَالشَّرَفِ لِدِينِهِ
أخبرنا أبو النعمان حدثنا عبد الله بن المبارك عن زكريا عن محمد بن عبد الرحمن بن سعد بن زرارة عن ابن كعب بن مالك عن أبيه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ما ذئبان جائعان أرسلا في غنم بأفسد لها من حرص المرء على المال والشرف لدينه
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৬৯
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ২২. আল্লাহর প্রতি সু-ধারণা পোষণ
২৭৬৯. ওয়সিলা ইবনুল আসক্বা’ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহ তাবারক ওয়া তা’আলা ইরশাদ করেছেনঃ ’আমার প্রতি আমার বান্দার ধারণা অনুযায়ী আমি তার সঙ্গে থাকি। সুতরাং সে আমার সম্পর্কে যেমন ইচ্ছা ধারণা রাখুক।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬৩৩, ৬৩৪, ৬৩৫ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৭১৭, ২৩৯৩, ২৪৬৮ তে।
باب فِي حُسْنِ الظَّنِّ بِاللَّهِ
أَخْبَرَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ الْغَازِ عَنْ حَيَّانَ أَبِي النَّضْرِ عَنْ وَاثِلَةَ بْنِ الْأَسْقَعِ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ قَالَ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى أَنَا عِنْدَ ظَنِّ عَبْدِي بِي فَلْيَظُنَّ بِي مَا شَاءَ
أخبرنا أبو النعمان حدثنا عبد الله بن المبارك حدثنا هشام بن الغاز عن حيان أبي النضر عن واثلة بن الأسقع عن النبي صلى الله عليه وسلم قال قال الله تبارك وتعالى أنا عند ظن عبدي بي فليظن بي ما شاء
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ ওয়াসিলাহ ইবনু আসকা‘ (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৭০
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ২৩. তোমার নিকটাত্মীয়দেরকে ভয় প্রদর্শন কর
২৭৭০. আবূ হুরাইরাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন আল্লাহ্ তা’আলা কুরআনের এই আয়াতটি নাযিল করলেন, ’’আপনি আপনার নিকটাত্মীদেরকে সতর্ক করে দিন’’ (শু’আরাঃ ২১৪)। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়ালেন এবং বললেন, “হে কুরায়শ সম্প্রদায়! তোমরা আত্মরক্ষা কর। আল্লাহর মোকাবেলায় আমি তোমাদের কোন উপকার করতে পারব না। হে বানূ আব্দ মানাফ! আল্লাহর মোকাবেলায় আমি তোমাদের কোন উপকার করতে পারব না। হে ’আব্বাস ইবনু ’আবদুল মুত্তালিব! আল্লাহর মোকাবেলায় আমি তোমার কোন উপকার করতে পারব না। হে সাফিয়্যাহ! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ফুফু, আল্লাহর মোকাবেলায় আমি তোমার কোন উপকার করতে পারব না। হে মুহাম্মদ এর মেয়ে ফাতিমাহ! আমার ধন-সম্পদ থেকে যা ইচ্ছা চেয়ে নাও। আল্লাহর মোকাবেলায় আমি তোমার কোন উপকার করতে পারব না। [1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। এটি বুখারী ও মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন।
তাখরীজ: বুখারী, ওয়াসা’আ ২৭৫৩; মুসলিম, ঈমান ২০৪।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬৪৬ তে।
باب وأنذر عشيرتك الأقربين
حدثنا الحكم بن نافع عن شعيب عن الزهري قال أخبرني سعيد بن المسيب وأبو سلمة بن عبد الرحمن أن أبا هريرة قال قام النبي صلى الله عليه وسلم حين أنزل الله تعالى وأنذر عشيرتك الأقربين فقال يا معشر قريش اشتروا أنفسكم من الله لا أغني عنكم من الله شيئا يا بني عبد مناف لا أغني عنكم من الله شيئا يا عباس بن عبد المطلب لا أغني عنك من الله شيئا يا صفية عمة رسول الله لا أغني عنك من الله شيئا يا فاطمة بنت محمد سليني ما شئت لا أغني عنك من الله شيئا
حدثنا الحكم بن نافع عن شعيب عن الزهري قال أخبرني سعيد بن المسيب وأبو سلمة بن عبد الرحمن أن أبا هريرة قال قام النبي صلى الله عليه وسلم حين أنزل الله تعالى وأنذر عشيرتك الأقربين فقال يا معشر قريش اشتروا أنفسكم من الله لا أغني عنكم من الله شيئا يا بني عبد مناف لا أغني عنكم من الله شيئا يا عباس بن عبد المطلب لا أغني عنك من الله شيئا يا صفية عمة رسول الله لا أغني عنك من الله شيئا يا فاطمة بنت محمد سليني ما شئت لا أغني عنك من الله شيئا
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৭১
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ২৪. তোমাদের কারো আমল তাকে মুক্তি দিতে পারবে না
২৭৭১. জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তোমরা নিকটবর্তী হও এবং তোমরা মধ্যম পন্থা অবলম্বন করো। আর জেনে রাখ যে, তোমাদের কারো আমলই তাকে নাজাত দিতে পারবেনা। তারা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনিও কি নন? তিনি বললেন, “হ্যাঁ, আমিও নই। তবে আল্লাহ তাআলা তাঁর রহমত ও ফযল দ্বারা আমাকে আবৃত করে নেন।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: মুসলিম, সিফাতুল মুনাফিকীন ২৮১৭।
আামরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৭৭৫ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৫০ তে।
باب لَا يُنْجِي أَحَدَكُمْ عَمَلُهُ
أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ الرَّبِيعِ حَدَّثَنَا أَبُو الْأَحْوَصِ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي سُفْيَانَ عَنْ جَابِرٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَارِبُوا وَسَدِّدُوا وَاعْلَمُوا أَنَّ أَحَدًا مِنْكُمْ لَنْ يُنْجِيَهُ عَمَلُهُ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَلَا أَنْتَ قَالَ وَلَا أَنَا إِلَّا أَنْ يَتَغَمَّدَنِيَ اللَّهُ بِرَحْمَةٍ مِنْهُ وَفَضْلٍ
أخبرنا الحسن بن الربيع حدثنا أبو الأحوص عن الأعمش عن أبي سفيان عن جابر قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم قاربوا وسددوا واعلموا أن أحدا منكم لن ينجيه عمله قالوا يا رسول الله ولا أنت قال ولا أنا إلا أن يتغمدني الله برحمة منه وفضل
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৭২
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ২৫. তোমাদের প্রত্যেকের নিকট একজন জ্বিন সঙ্গী রয়েছে
২৭৭২. আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির সাথেই একজন সহচর জ্বিন (শয়তান) ও একজন সহচর ফিরিশতা নির্ধারিত আছে। তারা প্রশ্ন করলেন, আপনার সাথেও কি? তিনি বললেন, “হ্যাঁ, আমার সাথেও। কিন্তু তার মুকাবিলায় আল্লাহ আমাকে সহযোগিতা করেছেন। ফলে সে আত্মসমর্পণ করেছে।”[1] আবূ মুহাম্মদ বলেন, লোকেরা বলেন, ’সে আত্মসমর্পণ করেছে’-এর অর্থ: সে অনুগত হয়েছে। কেউ বলেন: বশ্যতা স্বীকার করেছে।
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: মুসলিম, সিফাতুল মুনাফিকীন ২৮১৪।
আামরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫১৪৩ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬৪১৭ তে।
সংযোজনী: এছাড়াও, আবূ নুয়াইম, দালাইলুল নুবুওয়াত নং ১২৭।
باب مَا مِنْكُمْ أَحَدٌ إِلَّا وَمَعَهُ قَرِينُهُ مِنْ الْجِنِّ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ إِلَّا وَمَعَهُ قَرِينُهُ مِنْ الْجِنِّ وَقَرِينُهُ مِنْ الْمَلَائِكَةِ قَالُوا وَإِيَّاكَ قَالَ نَعَمْ وَإِيَّايَ وَلَكِنَّ اللَّهَ أَعَانَنِي عَلَيْهِ فَأَسْلَمُ قَالَ أَبُو مُحَمَّد مِنْ النَّاسِ مَنْ يَقُولُ أَسْلَمَ اسْتَسْلَمَ يَقُولُ ذَلَّ
أخبرنا محمد بن يوسف عن سفيان عن منصور عن سالم بن أبي الجعد عن أبيه عن عبد الله قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ما منكم من أحد إلا ومعه قرينه من الجن وقرينه من الملائكة قالوا وإياك قال نعم وإياي ولكن الله أعانني عليه فأسلم قال أبو محمد من الناس من يقول أسلم استسلم يقول ذل
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৭৩
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ২৬. আমি যা জানি তোমরা যদি তা জানতে
২৭৭৩. আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’আমি যা জানি তা যদি তোমরা জানতে তবে তোমরা খুব কমই হাসতে এবং অধিক হারে কাঁদতে।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। এটি বুখারী ও মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন।
তাখরীজ: বুখারী, তাফসীর ৪৬২১; মুসলিম, ফাযাইল ২৩৫৯।
আামরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩১০৫ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৭৯২ তে।
باب لَوْ تَعْلَمُونَ مَا أَعْلَمُ
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ مُوسَى بْنِ أَنَسٍ عَنْ أَنَسٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَوْ تَعْلَمُونَ مَا أَعْلَمُ لَضَحِكْتُمْ قَلِيلًا وَلَبَكَيْتُمْ كَثِيرًا
حدثنا أبو الوليد حدثنا شعبة عن موسى بن أنس عن أنس عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لو تعلمون ما أعلم لضحكتم قليلا ولبكيتم كثيرا
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৭৪
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ২৬. আমি যা জানি তোমরা যদি তা জানতে
২৭৭৪. (অপর সনদে) আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এর অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। [1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: এটি আগের হাদীসের পুনরাবৃত্তি।
باب لَوْ تَعْلَمُونَ مَا أَعْلَمُ
حَدَّثَنَا عَفَّانُ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ أَنَسٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِثْلِ هَذَا
حدثنا عفان حدثنا همام حدثنا قتادة عن أنس عن النبي صلى الله عليه وسلم بمثل هذا
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৭৫
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ২৭. আল্লাহর নিকট দুনিয়ার তুচ্ছতা বা হীনতা
২৭৭৫. আবী হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খোশ-পাঁচড়ায় আক্রান্ত একটি বকরীর বাচ্চার পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন, যাকে এর মালিক বাইরে নিক্ষেপ করেছিল। তিনি বললেনঃ “তোমরা কি মনে কর, এই বাচ্চাটি তার মালিকের নিকট তুচ্ছ (বা নিকৃষ্ট)?” তারা বললেনঃ হাঁ।তিনি বললেন: আল্লাহর কসম! এটি তার মালিকদের নিকট যতটুকু নিকৃষ্ট আল্লাহর নিকট দুনিয়াটা এর চেয়েও বেশী নিকৃষ্ট।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ জিদ্দান (অত্যন্ত দুর্বল), আবুল মাহযুম মাতরুক। (তবে হাদীসটি সহীহ লিগয়রিহী)
তাখরীজ: আহমেদ ২/৩৩৮।
এর শাহিদ হাদীসটি রয়েছে জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে মুসলিম ২৯৫৭;
এর অপর শাহিদ হাদীসটি রয়েছে ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে আামরা যার তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৫৯৩ তে।
এর অপর শাহিদ হাদীসটি রয়েছে মুসতাওরিদ ইবনু শাদ্দাদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে তিরমিযী, যুহদ ২৩২১; ইবনু মাজাহ, যুহদ ৪১১১; আহমাদ ৪/২৩০, ২৩৬।
এর অপর শাহিদ হাদীসটি রয়েছে সাহল ইবনু সা’দ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে ইবনু মাজাহ, যুহদ ৪১১০; হাকিম ৪/৩০৬।
باب فِي هَوَانِ الدُّنْيَا عَلَى اللَّهِ
أَخْبَرَنَا حَجَّاجٌ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ أَبِي الْمُهَزِّمِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ بِسَخْلَةٍ جَرْبَاءَ قَدْ أَخْرَجَهَا أَهْلُهَا قَالَ تُرَوْنَ هَذِهِ هَيِّنَةً عَلَى أَهْلِهَا قَالُوا نَعَمْ قَالَ وَاللَّهِ لَلدُّنْيَا أَهْوَنُ عَلَى اللَّهِ مِنْ هَذِهِ عَلَى أَهْلِهَا
أخبرنا حجاج حدثنا حماد بن سلمة عن أبي المهزم عن أبي هريرة أن النبي صلى الله عليه وسلم مر بسخلة جرباء قد أخرجها أهلها قال ترون هذه هينة على أهلها قالوا نعم قال والله للدنيا أهون على الله من هذه على أهلها
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৭৬
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ২৮. কোন্ আমল উত্তম
২৭৭৬. আবূ যার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করল, ’কোন্ ’আমল উত্তম?’ তিনি বললেন, “আল্লাহর প্রতি ঈমান এবং আল্লাহর পথে জিহাদ করা।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। এটি বুখারী ও মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন।
তাখরীজ: বুখারী, ইতক্ব ২৫১৮; মুসলিম, ঈমান ৮৪।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৫২, ৪৩১০, ৪৫৯৬ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ১৩১ তে।
باب أَيُّ الْأَعْمَالِ أَفْضَلُ
أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي الْمُرَاوِحِ عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ سَأَلَ رَجُلٌ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ أَيُّ الْأَعْمَالِ أَفْضَلُ قَالَ إِيمَانٌ بِاللَّهِ وَجِهَادٌ فِي سَبِيلِ اللَّهِ
أخبرنا جعفر بن عون حدثنا هشام بن عروة عن أبيه عن أبي المراوح عن أبي ذر قال سأل رجل النبي صلى الله عليه وسلم فقال أي الأعمال أفضل قال إيمان بالله وجهاد في سبيل الله
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৭৭
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ২৮. কোন্ আমল উত্তম
২৭৭৭. আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহর নিকট উত্তম আমল হলো সন্দেহমুক্ত ঈমান।”[1] আবূ মুহাম্মদ বলেন, আবূ জাফর হলেন আনসারী এক লোক।
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ জাইয়্যেদ।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৫৯৭ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২২ তে।
باب أَيُّ الْأَعْمَالِ أَفْضَلُ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ يَحْيَى عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفْضَلُ الْأَعْمَالِ عِنْدَ اللَّهِ إِيمَانٌ لَا شَكَّ فِيهِ قَالَ أَبُو مُحَمَّد أَبُو جَعْفَرٍ رَجُلٌ مِنْ الْأَنْصَارِ
أخبرنا يزيد بن هارون حدثنا هشام عن يحيى عن أبي جعفر أنه سمع أبا هريرة يقول قال رسول الله صلى الله عليه وسلم أفضل الأعمال عند الله إيمان لا شك فيه قال أبو محمد أبو جعفر رجل من الأنصار
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৭৮
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ২৯. তোমাদের কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হবে না, যতক্ষণ সে তার ভাইয়ের জন্য তা-ই পছন্দ করবে, যা তার নিজের জন্য পছন্দ করে
২৭৭৮. আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ তোমাদের কেউ (প্রকৃত) মু’মিন হবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য তা-ই পছন্দ করবে, যা নিজের জন্য পছন্দ করে।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: বুখারী, ঈমান ১৩; মুসলিম, ঈমান ৪৫।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৮৮৭ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৩৪, ২৩৫ তে।
باب لَا يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى يُحِبَّ لِأَخِيهِ مَا يُحِبُّ لِنَفْسِهِ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى يُحِبَّ لِأَخِيهِ مَا يُحِبُّ لِنَفْسِهِ
أخبرنا يزيد بن هارون أخبرنا شعبة عن قتادة عن أنس قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا يؤمن أحدكم حتى يحب لأخيه ما يحب لنفسه
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৭৯
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ২৯. তোমাদের কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হবে না, যতক্ষণ সে তার ভাইয়ের জন্য তা-ই পছন্দ করবে, যা তার নিজের জন্য পছন্দ করে
২৭৭৯. আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “তোমাদের কেউ ততক্ষন পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষন আমি তার কাছে তার পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি ও সকল লোকদের চাইতে অধিক প্রিয় না হব।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: বুখারী, ঈমান ১৫; মুসলিম, ঈমান ৪৪।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩০৪৯, ৩২৫৮, ৩৮৯৫ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৭৯ তে।
باب لَا يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى يُحِبَّ لِأَخِيهِ مَا يُحِبُّ لِنَفْسِهِ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ وَهَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ قَالَا حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى أَكُونَ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ وَالِدِهِ وَوَلَدِهِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ
أخبرنا يزيد بن هارون وهاشم بن القاسم قالا حدثنا شعبة عن قتادة عن أنس عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لا يؤمن أحدكم حتى أكون أحب إليه من والده وولده والناس أجمعين
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৮০
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৩০. কোন্ মু’মিন উত্তম
২৭৮০. আবূ বকরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি বললঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, সবচেয়ে উত্তম লোক কে?
তিনি বললেনঃ “যার জীবনকাল দীর্ঘ এবং আমল উত্তম হয়।”
লোকটি বললঃ সবচেয়ে মন্দ লোক কে? তিনি বললেনঃ “যার জীবনকাল দীর্ঘ এবং আমল মন্দ হয়।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ।
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১৩/২৫৬ নং ১৬২৭১; আহমাদ ৫/৪০, ৪৩, ৪৭, ৪৮, ৪৯, ৫০; তিরমিযী, যুহদ ২৩৩১; তাবারাণী, সগীর ২/২০; হাকিম ১/৩৩৯; বাইহাকী, জানাইয ৩/১৭১।
আমরা বলছি: এ সনদটি সহীহ;
এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আব্দুল্লাহ ইবনু বুসর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে যার সনদগুলি উল্লেখ করেছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৯৮১ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৯১৯ ও ২৪৬৫।
এর অপর শাহিদ হাদীস রয়েছে আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে যার পুর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৯৮১ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৯১৯ ও ২৪৬৫।
এর অপর শাহিদ হাদীস রয়েছে জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে হাকিম ১/৩৩৯; বাইহাকী, জানাইয ৩/৩৭১;
এর অপর শাহিদ হাদীস রয়েছে আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে যার পুর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩৪৯৬ তে।
باب أَيُّ الْمُؤْمِنِينَ خَيْرٌ
أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ عَنْ أَبِي بَكْرَةَ أَنَّ رَجُلًا قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيُّ النَّاسِ خَيْرٌ قَالَ مَنْ طَالَ عُمُرُهُ وَحَسُنَ عَمَلُهُ قَالَ فَأَيُّ النَّاسِ شَرٌّ قَالَ مَنْ طَالَ عُمُرُهُ وَسَاءَ عَمَلُهُ
أخبرنا أبو نعيم حدثنا زهير عن علي بن زيد بن جدعان عن عبد الرحمن بن أبي بكرة عن أبي بكرة أن رجلا قال يا رسول الله أي الناس خير قال من طال عمره وحسن عمله قال فأي الناس شر قال من طال عمره وساء عمله
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f) বর্ণনাকারীঃ আবূ বাকরা (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৮১
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৩০. কোন্ মু’মিন উত্তম
২৭৮১. আলী ইবনু যাইদের সনদেও অনুরূপ বর্ণিত আছে।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ।
তাখরীজ: এটি আগের হাদীসটি দেখুন।
باب أَيُّ الْمُؤْمِنِينَ خَيْرٌ
حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
حدثنا حجاج حدثنا حماد بن سلمة عن علي بن زيد بإسناده مثله
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f) বর্ণনাকারীঃ আলী ইবনু যাইদ (রহঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৮২
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৩১. এ উম্মতের শেষ অংশের (যামানার) ফযীলত
২৭৮২. মুহাইরিয (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবী জুমু’আহ- যিনি সাহাবীগণের মধ্যেকার একজন-তাকে বললাম, আপনি আমাদেরকে এমন একটি হাদীস শুনান যা আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছেন।
তিনি বললেন: আচ্ছা, আমি তোমাদেরকে একটি উত্তম হাদীস শুনাচ্ছি। আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে সকালের খাবার খেলাম, তখন্ আমাদের সাথে আবী উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুও ছিলেন। তখন তিনি বললেন: ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের চেয়েও উত্তম কেউ আছে? যেখানে আমরা ইসলাম গ্রহণ করেছি এবং আপনার সাথে থেকে জিহাদ করেছি? তিনি বললেন: হাঁ। তারা হবে সেই সকল লোক, যারা তোমাদের পরে আসবে; তারা আমার প্রতি ঈমান আনবে, অথচ তারা আমাকে দেখেনি।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৫৫৯ তে।
সংযোজনী: এছাড়াও, তাবারাণী, কাবীর ৪/২২ নং ৩৫৩৮, ৩৫৩৯, ৩৫৪০; ইবনু আবী আসীম, আহাদ ওয়াল মাছানী ২১৩৫; ইবনুল কানি’, মু’জামুস সাহাবাহ নং ২১১; আহমাদ ৪/১৬০; বুখারী, কাবীর ২/৩১০, ৩১১; হাকিম ৪/৮৫।
باب فِي فَضْلِ آخِرِ هَذِهِ الْأُمَّةِ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ قَالَ حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ حَدَّثَنَا أَسِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ خَالِدِ بْنِ دُرَيْكٍ عَنْ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ قَالَ قُلْتُ لِأَبِي جُمُعَةَ رَجُلٍ مِنْ الصَّحَابَةِ حَدِّثْنَا حَدِيثًا سَمِعْتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ نَعَمْ أُحَدِّثُكَ حَدِيثًا جَيِّدًا تَغَدَّيْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَعَنَا أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَحَدٌ خَيْرٌ مِنَّا أَسْلَمْنَا وَجَاهَدْنَا مَعَكَ قَالَ نَعَمْ قَوْمٌ يَكُونُونَ مِنْ بَعْدِكُمْ يُؤْمِنُونَ بِي وَلَمْ يَرَوْنِي
أخبرنا أبو المغيرة قال حدثنا الأوزاعي حدثنا أسيد بن عبد الرحمن عن خالد بن دريك عن ابن محيريز قال قلت لأبي جمعة رجل من الصحابة حدثنا حديثا سمعته من رسول الله صلى الله عليه وسلم قال نعم أحدثك حديثا جيدا تغدينا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم ومعنا أبو عبيدة بن الجراح فقال يا رسول الله أحد خير منا أسلمنا وجاهدنا معك قال نعم قوم يكونون من بعدكم يؤمنون بي ولم يروني
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ ইবনু মুহায়রিয (রহঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৮৩
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৩২. কুর’আন সংরক্ষণ করো
২৭৮৩. আবদুল্লাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এটা খুবই খারাপ কথা যে, তোমাদের মধ্যে কেউ বলবে, আমি কুরআনের অমুক অমুক আয়াত ভুলে গেছি; বরং তাকে ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। সুতরাং, তোমরা কুরআন মুখস্ত করতে থাক কেননা, জতুষ্পদ জন্তু তার বন্ধন খুলে বের হয়ে যাওয়ার চেয়েও মানুষের অন্তর থেকে কুরআন দ্রুত গতিতে পলায়নপর।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: বুখারী, ফাযাইলুল কুরআন ৫০৩২; মুসলিম, সালাতুল মুসাফিরীন ৭৯০।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫১৩৬ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৬১, ৭৬২, ৭৬৩ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৯১ তে।
সংযোজনী: এছাড়াও, বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ১৯৬৪; আবূল ফাযল আব্দুর রহমান বিন আহমাদ বিন হাসান, ফাযাইলুল কুরআন ৩; সাঈদ বিন মানসূর, নং ১৭০১৬।
باب فِي تَعَاهُدِ الْقُرْآنِ
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ مَنْصُورٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا وَائِلٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ بِئْسَمَا لِأَحَدِكُمْ أَنْ يَقُولَ نَسِيتُ آيَةَ كَيْتَ وَكَيْتَ بَلْ هُوَ نُسِّيَ فَاسْتَذْكِرُوا الْقُرْآنَ فَإِنَّهُ أَسْرَعُ تَفَصِّيًا مِنْ صُدُورِ الرِّجَالِ مِنْ النَّعَمِ مِنْ عُقُلِهَا
أخبرنا عبيد الله بن عبد المجيد حدثنا شعبة عن منصور قال سمعت أبا وائل عن عبد الله عن النبي صلى الله عليه وسلم قال بئسما لأحدكم أن يقول نسيت آية كيت وكيت بل هو نسي فاستذكروا القرآن فإنه أسرع تفصيا من صدور الرجال من النعم من عقلها
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৮৪
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৩৩. একথা বলা কারো জন্য উচিত নয় যে, আমি ইউসূফ ইবনু মাত্তা হতে উত্তম
২৭৮৪. আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তোমাদের কেউ যেন একথা না বলে: ’আমি ইউনূস ইবনু মাত্তা হতে উত্তম।’[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: বুখারী, আম্বিয়া ৩৪১২।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি ও এর শাহিদ উল্লেখ করেছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫২৭৮।
এর এর অপর শাহিদ হাদীস রয়েছে আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বুখারী, তাফসীর ৪৬৩১; মুসলিম, ফাযাইল ২৩৭৬, আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬২৩৮ তে।
এর অপর শাহিদ হাদীস রয়েছে ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বুখারী, আম্বিয়া ৩৪১৩; মুসলিম, ফাযাইল ২৩৭৭, আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৫৪৪ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬২৪১।
এর অপর শাহিদ হাদীস রয়েছে আব্দুল্লাহ ইবনু জা’ফর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৭৯৩ তে।
باب لَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ أَنْ يَقُولَ أَنَا خَيْرٌ مِنْ يُونُسَ بْنِ مَتَّى
أَخْبَرَنَا أَبُو نُعْيَمٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَقُولَنَّ أَحَدُكُمْ أَنَا خَيْرٌ مِنْ يُونُسَ بْنِ مَتَّى
أخبرنا أبو نعيم حدثنا سفيان عن الأعمش عن أبي وائل عن عبد الله قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا يقولن أحدكم أنا خير من يونس بن متى
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৮৫
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৩৪. প্রত্যেক মুসলিমের উপর সাদাকাহ (যাকাত) রয়েছে
২৭৮৫. আবূ মূসা আশ’আরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ প্রতিটি মুসলিমের সাদাকা করা আবশ্যক। সাহাবীগণ আরয করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কেউ যদি তা করতে সক্ষম না হয় কিংবা না করে? তিনি (উত্তরে) বললেনঃ সে ব্যক্তি তার নিজ হাতে কাজ করবে এবং নিজেও তা থেকে খাবে, সাদাকাও করবে।” তাঁরা বললেন, ধরুন, যদি এর সে ক্ষমতাও না থাকে? তিনি বললেনঃ “সে কোনো দুঃখক্লিষ্ট অভাবী ব্যক্তিকে সাহায্য করবে।” তাঁরা বললেন, আপনার কি ধারণা, যদি এতটুকুরও সামর্থ্য তার না থাকে? তিনি বললেনঃ “এ অবস্থায় সে যেন সৎ কাজের আদেশ করে।” তাঁরা বললেন, আপনার কি ধারণা, যদি এতটুকুরও সামর্থ্য তার না থাকে? তিনি বললেনঃ “তবে সে যেন অল্যাণকর কাজ হতে বিরত থাকে। এটা তার জন্য সাদাকা বলে গণ্য হবে।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আহমাদ ৪/৩৯৫, ৪১১; বুখারী, যাকাত ১৪৪৫; আদাব ৬০২২; আদাবুল মুফরাদ নং ২২৫, ৩০৬; বাইহাকী, যাকাত ৫/১৮৮; ইবনু আবী শাইবা ৯/১০৮ নং ৬৭০০; মুসলিম, যাকাত ১০০৮; নাসাঈ, কুবরা নং ২৩১৮; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ১৬৪৩; তায়ালিসী ১/১৮০ নং ৮৫৭।
باب عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ صَدَقَةٌ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ الْمَدَائِنِيُّ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ صَدَقَةٌ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ أَوْ لَمْ يَفْعَلْ قَالَ يَعْتَمِلُ بِيَدَيْهِ فَيَأْكُلُ مِنْهُ وَيَتَصَدَّقُ قَالُوا أَفَرَأَيْتَ إِنْ لَمْ يَفْعَلْ قَالَ يُعِينُ ذَا الْحَاجَةِ الْمَلْهُوفَ قَالُوا أَفَرَأَيْتَ إِنْ لَمْ يَفْعَلْ قَالَ يَأْمُرُ بِالْخَيْرِ قَالُوا أَفَرَأَيْتَ إِنْ لَمْ يَفْعَلْ قَالَ يُمْسِكُ عَنْ الشَّرِّ فَإِنَّهَا لَهُ صَدَقَةٌ
أخبرنا محمد بن جعفر المدائني حدثنا شعبة عن سعيد بن أبي بردة عن أبيه عن أبي موسى الأشعري قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم على كل مسلم صدقة قالوا يا رسول الله فإن لم يستطع أو لم يفعل قال يعتمل بيديه فيأكل منه ويتصدق قالوا أفرأيت إن لم يفعل قال يعين ذا الحاجة الملهوف قالوا أفرأيت إن لم يفعل قال يأمر بالخير قالوا أفرأيت إن لم يفعل قال يمسك عن الشر فإنها له صدقة
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবূ মূসা আল- আশ’আরী (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৮৬
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৩৫. যে ব্যক্তি (লোককে) দেখানোর উদ্দেশ্যে (আমল) করে, আল্লাহও তাকে (লোকদেরকে) দেখিয়ে দেবেন
২৭৮৬. আবী হিন্দ আদদারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন: “যে ব্যক্তি প্রদর্শনেচ্ছা ও সুনামের উদ্দেশ্যে কোনো স্থানে (সালাত) দণ্ডায়মান হয়, মহান আল্লাহ কিয়ামতের দিবসে তার সাথেও লোক দেখানো ও শুনানোর আচরণ করবেন।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আহমাদ ৫/২৭০; তাবারাণী, কাবীর ২২/৩১৯ নং ৮০৩, ৮০৪; দাওলাবী, আল কুন্নী ১/৬০; বাযযার, কাশফুল আস্তার ২/৪২৮ নং ২০২৬; ইবনুল কানি’, মু’জামুস সাহাবাহ; ফাসাওয়ী, মা’রিফাতু ওয়াত তারীখ ২/৪৪০ যয়ীফ সনদে।
মুনযিরী, তারগীব ওয়াত তারহীব ১/৬৫ তে বলেন, ‘এটি বর্ণনা করেছেন আহমাদ জাইয়্যেদ সনদে ও বাইহাকী, তাবারাণী…।”
باب مَنْ رَاءَى رَاءَى اللَّهُ بِهِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا حَيْوَةُ قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو صَخْرٍ أَنَّهُ سَمِعَ مَكْحُولًا يَقُولُ حَدَّثَنِي أَبُو هِنْدٍ الدَّارِيُّ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ مَنْ قَامَ مَقَامَ رِيَاءٍ وَسُمْعَةٍ رَاءَى اللَّهُ بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَسَمَّعَ
أخبرنا عبد الله بن يزيد حدثنا حيوة قال حدثني أبو صخر أنه سمع مكحولا يقول حدثني أبو هند الداري أنه سمع رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول من قام مقام رياء وسمعة راءى الله به يوم القيامة وسمع
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৮৭
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৩৬. মুমিনের দৃষ্টান্ত চারা গাছের মতো
২৭৮৭. কা’ব ইবনু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “মু’মিন ব্যক্তির উদাহরণ হল শস্যক্ষেতের নরম চারা গাছের মত, যাকে বাতাস এসে ডানে-বামে আন্দোলিত করে: একবার সোজা করে দেয়, আরেকবার শুইয়ে ফেলে- এভাবে একসময় মৃত্যু চলে আসে। আর কাফিরের দৃষ্টান্ত হলো, মুলের উপর দৃঢ়ভাবে স্থাপিত বৃক্ষ, যাকে কিছুতেই নোয়ানো যায় না। শেষে এক ঝটকায় মূলসহ তা উপড়ে যায়।”[1]
আবূ মুহাম্মদ বলেন, ’الْخَامَةُ’ অর্থ ’দুর্বল’।
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আহমাদ ৩/৪৫৪, ৬/৩৮৬; বুখারী, আশরিবাহ ৫৬৪৩; মুসলিম, সিফাতুল মুনাফিকীন ২৮১০(৬০); রমহারমুযী, আমছালুল হাদীস পৃ: ১২২ নং ২৭; আবূ নুয়াইম, হিলইয়া ১৩/১৭৩; ইবনু আবী শাইবা ১১/২১ নং ১০৩৯৪।
باب مَثَلُ الْمُؤْمِنِ كَمَثَلِ الزَّرْعِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبٍ عَنْ أَبِيهِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَثَلُ الْمُؤْمِنِ مَثَلُ الْخَامَةِ مِنْ الزَّرْعِ تُفَيِّئُهَا الرِّيَاحُ تُعَدِّلُهَا مَرَّةً وَتُضْجِعُهَا أُخْرَى حَتَّى يَأْتِيَهُ الْمَوْتُ وَمَثَلُ الْكَافِرِ كَمَثَلِ الْأَرْزَةِ الْمُجْذِيَةِ عَلَى أَصْلِهَا لَا يُصِيبُهَا شَيْءٌ حَتَّى يَكُونَ انْجِعَافُهَا مَرَّةً وَاحِدَةً قَالَ أَبُو مُحَمَّد الْخَامَةُ الضَّعِيفُ
حدثنا محمد بن يوسف حدثنا سفيان عن سعد بن إبراهيم عن عبد الله بن كعب عن أبيه كعب بن مالك قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم مثل المؤمن مثل الخامة من الزرع تفيئها الرياح تعدلها مرة وتضجعها أخرى حتى يأتيه الموت ومثل الكافر كمثل الأرزة المجذية على أصلها لا يصيبها شيء حتى يكون انجعافها مرة واحدة قال أبو محمد الخامة الضعيف
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ কা‘ব ইবনু মালিক (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৮৮
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৩৭. দুনিয়াটা সবুজ-শ্যামল সুমিষ্ট
২৭৮৮. হাকীম ইবনু হিযাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট কিছু চাইলাম, তিনি আমাকে দিলেন, আবার চাইলাম, তিনি আমাকে দিলেন, আবার চাইলাম, তিনি আমাকে দিলেন। অতঃপর আবার চাইলাম, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ “হে হাকীম! এই সম্পদ শ্যামল- সুস্বাদু। যে ব্যক্তি প্রশস্ত অন্তরে (লোভ ব্যতীত) তা গ্রহণ করে তার জন্য তা বরকতময় হয়। আর যে ব্যক্তি অন্তরের লোভসহ তা গ্রহণ করে তার জন্য তা বরকতময় করা হয় না। যেন সে এমন ব্যক্তির মত, যে খায় কিন্তু তার ক্ষুধা মেটে না। উপরের হাত নিচের হাত হতে উত্তম।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: বুখারী, যাকাত ১৪৭২; মুসলিম, যাকাত ১০৩৫।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩২২০, ৩৪০২, ৩৪০৬ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৫৬৩ তে। আরও দেখুন, মুসনাদুল মাউসিলী ১১/৪৮৭, ৪৮৮। এছাড়াও, ইবনুল মুবারক, যুহদ নং ৫০৩; ইবনুল কানি’, মু’জামুস সাহাবাহ নং ১৭৮।
باب الدُّنْيَا خَضِرَةٌ حُلْوَةٌ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ الْأَوْزَاعِيِّ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ وَعُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ أَنَّ حَكِيمَ بْنَ حِزَامٍ قَالَ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَعْطَانِي ثُمَّ سَأَلْتُهُ فَأَعْطَانِي ثُمَّ سَأَلْتُهُ فَأَعْطَانِي ثُمَّ سَأَلْتُهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا حَكِيمُ إِنَّ هَذَا الْمَالَ خَضِرٌ حُلْوٌ فَمَنْ أَخَذَهُ بِسَخَاوَةِ نَفْسٍ بُورِكَ لَهُ فِيهِ وَمَنْ أَخَذَهُ بِإِشْرَافِ نَفْسٍ لَمْ يُبَارَكْ لَهُ فِيهِ وَكَانَ كَالَّذِي يَأْكُلُ وَلَا يَشْبَعُ وَالْيَدُ الْعُلْيَا خَيْرٌ مِنْ الْيَدِ السُّفْلَى
أخبرنا محمد بن يوسف عن الأوزاعي عن ابن شهاب عن سعيد بن المسيب وعروة بن الزبير أن حكيم بن حزام قال سألت رسول الله صلى الله عليه وسلم فأعطاني ثم سألته فأعطاني ثم سألته فأعطاني ثم سألته فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم يا حكيم إن هذا المال خضر حلو فمن أخذه بسخاوة نفس بورك له فيه ومن أخذه بإشراف نفس لم يبارك له فيه وكان كالذي يأكل ولا يشبع واليد العليا خير من اليد السفلى
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ হাকীম ইবনু হিযাম (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৮৯
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৩৮. তোমাদের বিতর্ক করাকে আল্লাহ অপছন্দ করেন
২৭৮৯. মুগীরা ইবনু শু’বাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুথেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করতেন কন্যাদেরকে জীবন্ত প্রোথিত করা, মাতাপিতার অবাধ্যতা, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি থেকে বাধা দান, অনর্থক কথা নিয়ে বাদানুবাদ করা, অধিক প্রশ্ন করা এবং মালের অপচয় করা হতে।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: বুখারী, যাকাত ১৪৭৭, রিক্বাক্ব ৬৪৭৩, ই’তিসাম বিল কিতাব ওয়াস সুন্নাহ ৭২৯২; মুসলিম, আকযিয়াহ ৫৯৩।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৫৫৫, ৫৫৫৬, ৫৭১৯।
باب إِنَّ اللَّهَ كَرِهَ لَكُمْ قِيلَ وَقَالَ
حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ عَدِيٍّ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو الرَّقِّيُّ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ عَنْ وَرَّادٍ مَوْلَى الْمُغِيرَةِ عَنْ الْمُغِيرَةِ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ وَأْدِ الْبَنَاتِ وَعُقُوقِ الْأُمَّهَاتِ وَعَنْ مَنْعٍ وَهَاتِ وَعَنْ قِيلَ وَقَالَ وَكَثْرَةِ السُّؤَالِ وَإِضَاعَةِ الْمَالِ
حدثنا زكريا بن عدي حدثنا عبيد الله بن عمرو الرقي عن عبد الملك بن عمير عن وراد مولى المغيرة عن المغيرة قال نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم عن وأد البنات وعقوق الأمهات وعن منع وهات وعن قيل وقال وكثرة السؤال وإضاعة المال
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ মুগীরা ইবনু শু’বা (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৯০
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৩৯. পথভ্রষ্ট নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে
২৭৯০. ছাওবান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আমি আমার উম্মাতের উপর পথভ্রষ্ট-বিভ্রান্ত নেতৃবৃন্দের আশংকাবোধ করি।” [1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: এটি গত হয়েছে ২১৫ নং এ।
باب فِي الْأَئِمَّةِ الْمُضِلِّينَ
أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ أَبِي قِلَابَةَ عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ عَنْ ثَوْبَانَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّمَا أَخَافُ عَلَى أُمَّتِي الْأَئِمَّةَ الْمُضِلِّينَ
أخبرنا سليمان بن حرب حدثنا حماد بن زيد عن أيوب عن أبي قلابة عن أبي أسماء عن ثوبان أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال إنما أخاف على أمتي الأئمة المضلين
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ সাওবান (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৯১
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৪০. তোমার ভাইকে সাহায্য করো- সে যালিম হোক কিংবা মাযলুম হোক
২৭৯১. জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “মানুষ যেন তার ভাইকে সাহায্য করে- যালিম হোক কিংবা মাযলুম হোক। যদি সে যালিম হয়, তবে সে যেন তাকে (যুলুম করা) হতে বিরত রাখবে, আর এটিই হলো তাকে সাহায্য। আর যদি সে মাযলুম হয়, তবে সে তাকে (যুলুম থেকে বাঁচতে) সহায়তা করবে।” [1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: মুসলিম, বিরর ওয়াস সুলহ ২৫৮৪; বাইহাকী, আদাবুল কাযী ১০/১৩৭;
আমরা এর অংশবিশেষের তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৮২৪, ১৯৫৭ তে।
এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বুখারী, মুযালিম ২৪৫৩ তে; আমরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩৮৩৭ তে।
এর অপর শাহিদ হাদীস রয়েছে আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫১৬৬ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৮৪৭ তে।
باب انْصُرْ أَخَاكَ ظَالِمًا أَوْ مَظْلُومًا
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِيَنْصُرْ الرَّجُلُ أَخَاهُ ظَالِمًا أَوْ مَظْلُومًا فَإِنْ كَانَ ظَالِمًا فَلْيَنْهَهُ فَإِنَّهُ لَهُ نُصْرَةٌ وَإِنْ كَانَ مَظْلُومًا فَلْيَنْصُرْهُ
حدثنا أبو نعيم حدثنا زهير عن أبي الزبير عن جابر أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لينصر الرجل أخاه ظالما أو مظلوما فإن كان ظالما فلينهه فإنه له نصرة وإن كان مظلوما فلينصره
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৯২
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৪১. দীন হলো কল্যাণ কামনা
২৭৯২. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “দীন হলো নসীহত (কল্যাণ কামনা। তিনি বলেন, তখন আমরা জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কোন কোন ব্যক্তিদের জন্য? জবাবে তিনি বলেনঃ “আল্লাহর জন্য, তাঁর রাসূলের জন্য, তাঁর কিতাবের জন্য, মুসলিম নেতৃবৃন্দের জন্য এবং সমস্ত মুসলিমের জন্য।” [1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মাজমাউয যাওয়াইদ নং ২৯৩ তে।
এর শাহিদ হাদীস রয়েছে ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৩৭২ তে।
এর অপর শাহিদ তামীম দারী হতে নং ৭১৬৪ তে। এ দুস্থানে আমাদের টীকা দেখুন।
باب الدِّينُ النَّصِيحَةُ
أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ وَنَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الدِّينُ النَّصِيحَةُ قَالَ قُلْنَا لِمَنْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ وَلِكِتَابِهِ وَلِأَئِمَّةِ الْمُسْلِمِينَ وَعَامَّتِهِمْ
أخبرنا جعفر بن عون عن هشام بن سعد عن زيد بن أسلم ونافع عن ابن عمر قال قال لنا رسول الله صلى الله عليه وسلم الدين النصيحة قال قلنا لمن يا رسول الله قال لله ولرسوله ولكتابه ولأئمة المسلمين وعامتهم
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৯৩
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৪২. ইসলাম শুরু হয়েছে অপরিচিত হিসেবে
২৭৯৩. আব্দুল্লাহ ইবনু উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ “ইসলাম শুরুতে অপরিচিত ছিল, অচিরেই তা আবার শুরুর মত অপরিচিত হয়ে যাবে।” হাফসার ধারণা, তিনি এও বলেছেন: “সূতরাং এরূপ অপরিচিত অবস্হায়ও যারা ইসলামের উপর কায়েম থাকবে, তাদের জন্য মুবারকবাদ।” জিজ্ঞেস করা হলো, ’গুরাবা’ কারা? তিনি বলেন: “বিভিন্ন গোত্র হতে বের করে দেওয়া লোকেরা।” [1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৯৭৫ তে।
এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে মুসলিম, ঈমান ১৪৫ তে, আমরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬১৯০ তে।
সংযোজনী: এছাড়াও, ইবনু আবী শাইবা, ১৩/২৩৬ নং ১৬২১৩।
باب الْإِسْلَامُ بَدَأَ غَرِيبًا
حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ عَدِيٍّ حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ الْإِسْلَامَ بَدَأَ غَرِيبًا وَسَيَعُودُ غَرِيبًا أَظُنُّ حَفْصًا قَالَ فَطُوبَى لِلْغُرَبَاءِ قِيلَ وَمَنْ الْغُرَبَاءُ قَالَ النُّزَّاعُ مِنْ الْقَبَائِلِ
حدثنا زكريا بن عدي حدثنا حفص بن غياث عن الأعمش عن أبي إسحق عن أبي الأحوص عن عبد الله قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إن الإسلام بدأ غريبا وسيعود غريبا أظن حفصا قال فطوبى للغرباء قيل ومن الغرباء قال النزاع من القبائل
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৯৪
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৪৩. আল্লাহর সাক্ষাতকে পছন্দ করা সম্পর্কে
২৭৯৪. ’উবাদাহ ইবনু সামিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ পছন্দ করে, আল্লাহ্ও তার সাক্ষাৎ পছন্দ করেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সাক্ষাৎ অপছন্দ করে, আল্লাহ্ও তার সাক্ষাৎ অপছন্দ করেন।” তখন আয়িশাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা অথবা তাঁর অন্য কোন স্ত্রী বললেন, আমরাও তো মৃত্যুকে অপছন্দ করি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ব্যাপারটা এমন নয়। আসলে, যখন মুমিনের মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন তাকে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও তার সম্মানিত হবার খোশ খবর শোনানো হয়। তখন তার সামনের খোশ খবরের চেয়ে তার নিকট অধিক পছন্দনীয় কিছুই থাকে না। কাজেই সে তখন আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ করাকেই ভালবাসে, আর আল্লাহ্ও তার সাক্ষাৎ ভালবাসেন। আর কাফিরের যখন মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন তাকে আল্লাহর ’আযাব ও গজবের সুসংবাদ দেয়া হয়। তখন তার সামনে যা থাকে তার চেয়ে তার কাছে অধিক অপছন্দনীয় আর কিছুই থাকে না। সুতরাং সে তখন আল্লাহর সাক্ষাৎ অপছন্দ করে, আর আল্লাহ্ও তার সাক্ষাত অপছন্দ করেন।” [1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: বুখারী, রিক্বাক্ব ৬৫০৭; মুসলিম, যিকির ওয়াদ দু’আ ২৬৮৩।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩২৩৫, ৩২৩৬ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩০০৯ তে।
باب فِي حُبِّ لِقَاءِ اللَّهِ
أَخْبَرَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ أَحَبَّ لِقَاءَ اللَّهِ أَحَبَّ اللَّهُ لِقَاءَهُ وَمَنْ كَرِهَ لِقَاءَ اللَّهِ كَرِهَ اللَّهُ لِقَاءَهُ فَقَالَتْ عَائِشَةُ أَوْ بَعْضُ أَزْوَاجِهِ إِنَّا لَنَكْرَهُ الْمَوْتَ قَالَ لَيْسَ ذَلِكَ وَلَكِنَّ الْمُؤْمِنَ إِذَا حَضَرَهُ الْمَوْتُ بُشِّرَ بِرِضْوَانِ اللَّهِ وَكَرَامَتِهِ فَلَيْسَ شَيْءٌ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِمَّا أَمَامَهُ فَأَحَبَّ لِقَاءَ اللَّهِ وَأَحَبَّ اللَّهُ لِقَاءَهُ وَإِنَّ الْكَافِرَ إِذَا حَضَرَهُ الْمَوْتُ بُشِّرَ بِعَذَابِ اللَّهِ وَعُقُوبَتِهِ فَلَيْسَ شَيْءٌ أَكْرَهَ إِلَيْهِ مِمَّا أَمَامَهُ فَكَرِهَ لِقَاءَ اللَّهِ وَكَرِهَ اللَّهُ لِقَاءَهُ
أخبرنا حجاج بن منهال حدثنا همام عن قتادة عن أنس عن عبادة بن الصامت أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال من أحب لقاء الله أحب الله لقاءه ومن كره لقاء الله كره الله لقاءه فقالت عائشة أو بعض أزواجه إنا لنكره الموت قال ليس ذلك ولكن المؤمن إذا حضره الموت بشر برضوان الله وكرامته فليس شيء أحب إليه مما أمامه فأحب لقاء الله وأحب الله لقاءه وإن الكافر إذا حضره الموت بشر بعذاب الله وعقوبته فليس شيء أكره إليه مما أمامه فكره لقاء الله وكره الله لقاءه
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ উবাদা ইব্নুস সামিত (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৯৫
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৪৪. আল্লাহ উদ্দেশ্যে একজন অপরজনকে ভালবাসা সম্পর্কে
২৭৯৫. আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “কিয়ামতের দিন আল্লাহ বলবেন, ’আমার মহত্ত্বের নিমিত্তে পরস্পর ভালবাসা স্হাপনকারীরা কোথায়? আজ আমি তাদের আমার বিশেষ ছায়ায় ছায়া দান করব। আজ এমন দিন যে দিন আমার ছায়া ব্যতীত অন্য কোন ছায়া নেই।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: মালিক, আশ শি’র ১৩; আহমাদ ২/২৩৭, ৩৭০, ৫৩৫; মুসলিম, বিরর ওয়াল সুলহ ২৫৬৬; বাইহাকী, শাহাদাত ১০/২৩৩।
باب فِي الْمُتَحَابِّينَ فِي اللَّهِ
أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ الْمُبَارَكِ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَعْمَرٍ عَنْ أَبِي الْحُبَابِ سَعِيدِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى يَقُولُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَيْنَ الْمُتَحَابُّونَ بِجَلَالِ الْيَوْمَ أُظِلُّهُمْ فِي ظِلِّي يَوْمَ لَا ظِلَّ إِلَّا ظِلِّي
أخبرنا الحكم بن المبارك حدثنا مالك عن عبد الله بن عبد الرحمن بن معمر عن أبي الحباب سعيد بن يسار عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إن الله تعالى يقول يوم القيامة أين المتحابون بجلال اليوم أظلهم في ظلي يوم لا ظل إلا ظلي
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৯৬
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৪৫. তোমাদের কেউ যেন মৃত্যু কামনা না করে
২৭৯৬. আবূ হুরাইরাহ বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ “তোমাদের মধ্যে কেউ যেন মৃত্যু কামনা না করে। কেননা, সে ভাল লোক হলে (বয়স দ্বারা) তার নেক ’আমল বৃদ্ধি হতে পারে। আর খারাপ লোক হলে সে তওবা করার সুযোগ পাবে।” [1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: বুখারী, আলমারদ্বা ৫৬৭৩; মুসলিম, যিকির ওয়াদ দু’আ ২৬৮২।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩০০০, ৩০১৫ তে। সংযোজনী: এছাড়াও, আব্দুর রাযযাক ২০৬৩৪।
باب لَا يَتَمَنَّى أَحَدُكُمْ الْمَوْتَ
حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ أَخْبَرَنِي شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو عُبَيْدٍ مَوْلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَا يَتَمَنَّى أَحَدُكُمْ الْمَوْتَ إِمَّا مُحْسِنًا فَلَعَلَّهُ أَنْ يَزْدَادَ إِحْسَانًا وَإِمَّا مُسِيئًا فَلَعَلَّهُ أَنْ يَسْتَعْتِبَ
حدثنا الحكم بن نافع أخبرني شعيب عن الزهري قال أخبرني أبو عبيد مولى عبد الرحمن بن عوف أن أبا هريرة قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول لا يتمنى أحدكم الموت إما محسنا فلعله أن يزداد إحسانا وإما مسيئا فلعله أن يستعتب
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৯৭
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৪৬. নাবী (ﷺ) এর বাণীঃ আমাকে ও কিয়ামতকে এ দু’টির মতো (নিকটবর্তী) করে পাঠানো হয়েছে
২৭৯৭. আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: আমাকে ও কিয়ামতকে এ দু’টির মতো (নিকটবর্তী) করে পাঠানো হয়েছে। একথা বলে তিনি তর্জনী ও মধ্যমা অঙ্গুলির প্রতি ইশারা করলেন।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: বুখারী, রিক্বাক্ব ৬৫০৪; মুসলিম, ফিতান ২৯৫১।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৯২৫, ২৯৯৯, ৩১৪৬, ৩২৬৩, ৩২৬৪ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬৬৬০ তে।
এর শাহিদ সহীহ হাদীস রয়েছে জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, আমরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২১১১ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১০ তে।
باب فِي قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بُعِثْتُ أَنَا وَالسَّاعَةُ كَهَاتَيْنِ
حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ عَنْ أَنَسٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ بُعِثْتُ أَنَا وَالسَّاعَةُ كَهَاتَيْنِ وَأَشَارَ وَهْبٌ بِالسَّبَّاحَةِ وَالْوُسْطَى
حدثنا وهب بن جرير حدثنا شعبة عن أبي التياح عن أنس عن النبي صلى الله عليه وسلم قال بعثت أنا والساعة كهاتين وأشار وهب بالسباحة والوسطى
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৯৮
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৪৭. নাবী (ﷺ) এর বাণীঃ তোমরা সর্বশেষ উম্মত
২৭৯৮. বাহয ইবনে হাকীম থেকে তার পিতা ও তার দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ “নিশ্চয়ই তোমরা উম্মাতের সংখ্যা সত্তর পূর্ণ করেছো। এদের মধ্যে তোমরাই সর্বশেষ এবং আল্লাহর নিকট সর্বাধিক মর্যাদাবান।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ জাইয়্যেদ।
তাখরীজ: আহমাদ ৫/৩, ৫; আব্দ ইবনু হুমাইদ নং ৪০৯; তিরমিযী, তাফসীর ৩০০৪; ইবনু মাজাহ, যুহদ ৪২৮৭, ৪২৮৮।
باب فِي قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْتُمْ آخِرُ الْأُمَمِ
أَخْبَرَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ حَدَّثَنَا بَهْزُ بْنُ حَكِيمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ إِنَّكُمْ وَفَّيْتُمْ سَبْعِينَ أُمَّةً أَنْتُمْ آخِرُهَا وَأَكْرَمُهَا عَلَى اللَّهِ
أخبرنا النضر بن شميل حدثنا بهز بن حكيم عن أبيه عن جده قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول إنكم وفيتم سبعين أمة أنتم آخرها وأكرمها على الله
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) বর্ণনাকারীঃ বাহয ইবনু হাকীম (রহঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৯৯
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৪৮. বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের ফযীলত সম্পর্কে
২৭৯৯. আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: অমুক কোথায়?” তখন তাদের মধ্যে থেকে এক লোক তার সম্পর্কে বললো, সে এই, সে এই (করে)- এভাবে সে তার নামে কুৎসা রটাতে থাকলো। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: সে কি বদরের যুদ্ধে উপস্থিত ছিল না? তারা বললেন: জি-হাঁ। তিনি বললেন: আল্লাহ্ তা’আলা বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী সাহাবীদের এরূপ সুসংবাদ জানিয়ে দিয়েছেন যে, তোমরা তোমাদের খুশীমত আমল কর, আমি তোমাদের মাফ করে দিয়েছি ।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান, আসিম ইবনু বাহদালাহ’র কারণে।
তাখরীজ: আহমাদ ২/২৯৫-২৯৬; আবু দাউদ, সুন্নাহ ৪৬৫৪;
এর শাহিদ সহীহ হাদীস রয়েছে আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, যা বুখারী ও মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩৯৪, ৩৯৫, ৩৯৬, ৩৯৭, ৩৯৮ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৬৯৯, ৭১১৯ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২২২০ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৪৯ তে।
باب فِي فَضْلِ أَهْلِ بَدْرٍ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَيْنَ فُلَانٌ فَغَمَزَهُ رَجُلٌ مِنْهُمْ فَقَالَ إِنَّهُ وَإِنَّهُ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَلَيْسَ قَدْ شَهِدَ بَدْرًا قَالُوا بَلَى قَالَ فَلَعَلَّ اللَّهَ اطَّلَعَ عَلَى أَهْلِ بَدْرٍ فَقَالَ اعْمَلُوا مَا شِئْتُمْ فَقَدْ غَفَرْتُ لَكُمْ
حدثنا عمرو بن عاصم حدثنا حماد بن سلمة عن عاصم عن أبي صالح عن أبي هريرة أن النبي صلى الله عليه وسلم قال أين فلان فغمزه رجل منهم فقال إنه وإنه فقال النبي صلى الله عليه وسلم أليس قد شهد بدرا قالوا بلى قال فلعل الله اطلع على أهل بدر فقال اعملوا ما شئتم فقد غفرت لكم
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৮০০
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৪৯. অমুক অমুক তারকার প্রভাবে আমরা বৃষ্টি দান করা হয়েছে – এরূপ কথা বলা নিষিদ্ধ
২৮০০. আবূ সাঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ্ তা’আলা যদি দশ বছর আমার উম্মাতের থেকে বৃষ্টি বন্ধ রাখেন তারপর তা পাঠান তাহলে আমার উম্মাতের একদল মানুষ কাফির হয়ে যাবে। তার বলবে, মিজদাহ্ নক্ষত্রের প্রভাবে আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষিত হয়েছে।”[1]
আবু মুহাম্মদ বলেন, মিজদাহ’ হলো নক্ষত্রের নাম, যার পেছনের দিকে দু’টি অংশ রয়েছে।
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ জাইয়্যেদ।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৩১২ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬১৩০ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৬০৬ ও মুসনাদুল হুমাইদী তে।
এর শাহিদ হাদীস রয়েছে খালিদ আল জুহানী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, যা বুখারী ও মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৮৮, ৬১৩২ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৮৩২ তে, সেখানে টীকাসহ দেখুন।
باب النَّهْيِ أَنْ يَقُولَ مُطِرْنَا بِنَوْءِ كَذَا وَكَذَا
حَدَّثَنَا عَفَّانُ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ قَالَ أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ عَنْ عَتَّابِ بْنِ حُنَيْنٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَوْ حَبَسَ اللَّهُ الْقَطْرَ عَنْ أُمَّتِي عَشْرَ سِنِينَ ثُمَّ أُنْزِلَ لَأَصْبَحَتْ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِي بِهَا كَافِرِينَ يَقُولُونَ هُوَ بِنَوْءِ مِجْدَحٍ قَالَ الْمِجْدَحُ كَوْكَبٌ
حدثنا عفان حدثنا حماد بن سلمة قال أخبرنا عمرو بن دينار عن عتاب بن حنين عن أبي سعيد الخدري أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لو حبس الله القطر عن أمتي عشر سنين ثم أنزل لأصبحت طائفة من أمتي بها كافرين يقولون هو بنوء مجدح قال المجدح كوكب
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) বর্ণনাকারীঃ আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৮০১
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৫০. কোনো নেককর্মের সাওয়াব দশগুণ
২৮০১. ইয়ায ইবনু গুতাইফ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর অসুস্থ্যতার সময় তাকে দেখতে গেলাম। তখন তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতে শুনেছি: “কোনো নেককর্মের সাওয়াব দশগুণ ।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ জাইয়্যেদ।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ ও টীকা দিয়েছি মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৩৮৩০ তে।
মুনাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাইযুল কাদীর ৬/২০৯ তে বলেন, “হাফিজ ইরাকী বলেন, এর সনদ হাসান’…. বুখারী তার আদাবুল মুফরাদে এটি হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন।’’
باب الْحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ وَاصِلٍ مَوْلَى أَبِي عُيَيْنَةَ عَنْ بَشَّارِ بْنِ أَبِي سَيْفٍ عَنْ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عِيَاضِ بْنِ غُطَيْفٍ قَالَ أَتَيْنَا أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجَرَّاحِ نَعُودُهُ فَقَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ الْحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا
أخبرنا عمرو بن عون أخبرنا خالد بن عبد الله عن واصل مولى أبي عيينة عن بشار بن أبي سيف عن الوليد بن عبد الرحمن عن عياض بن غطيف قال أتينا أبا عبيدة بن الجراح نعوده فقال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول الحسنة بعشر أمثالها
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৮০২
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৫১. দ্বিমুখী (চোগলখোর) লোকের সম্পর্কে যা বলা হয়েছে
২৮০২.আম্মার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “দুনিয়াতে যে ব্যক্তি দু’মুখ বিশিষ্ট (মুনাফিক) হবে, কিয়ামতের দিন তার আগুনের দু’টি মুখ হবে।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৬২০ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৭৫৬ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৯৭৯ তে।
এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আবী হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, যা বুখারী ও মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬২৬৫ এবং সেখানে টীকায় এর আমরা ‘হাসান’ হওয়ার প্রতিই প্রত্যাবর্তন করেছি, অনুরূপ এর তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৭৫৪, ৫৭৫৫, ৫৭৫৭ তে।
باب مَا قِيلَ فِي ذِي الْوَجْهَيْنِ
أَخْبَرَنَا الْأَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ حَدَّثَنَا شَرِيكٌ عَنْ الرُّكَيْنِ عَنْ نُعَيْمِ بْنِ حَنْظَلَةَ قَالَ شَرِيكٌ وَرُبَّمَا قَالَ النُّعْمَانِ بْنِ حَنْظَلَةَ عَنْ عَمَّارٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ كَانَ ذَا وَجْهَيْنِ فِي الدُّنْيَا كَانَ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ لِسَانَانِ مِنْ نَارٍ
أخبرنا الأسود بن عامر حدثنا شريك عن الركين عن نعيم بن حنظلة قال شريك وربما قال النعمان بن حنظلة عن عمار عن النبي صلى الله عليه وسلم قال من كان ذا وجهين في الدنيا كان له يوم القيامة لسانان من نار
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) বর্ণনাকারীঃ আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৮০৩
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৫২. নাবী (ﷺ) এর বাণীঃ যে কোন যাকে আমি লা’নত বা গালি দিয়েছি – এ সম্পর্কে
২৮০৩. আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ দু’আ করতে শুনেছেনঃ হে আল্লাহ! আমি তো একজন মানুষ মাত্র। ফলে যদি আমি কোন মুসলিম লোককে লা’নত করি, কিংবা অভিশাপ বা গালি দেয়, অথবা খারাপ বলে থাকি, তবে আপনি সেটাকে কিয়ামতের দিন তার জন্য দু’আ, রহমত ও আপনার নৈকট্য অর্জনের উপায় বানিয়ে দিন।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১০/৩৩৯ নং ৯৬০০; মুসলিম, বিরর ওয়াল সুলহ ২৬০১; আহমাদ ২/২৯০, ৪৯৩ এবং ৩/৪০০; বুখারী, দাওয়াত ৬৩৬১।
باب فِي قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيُّمَا رَجُلٍ لَعَنْتُهُ أَوْ سَبَبْتُهُ
حَدَّثَنَا الْمُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اللَّهُمَّ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ فَأَيُّ الْمُسْلِمِينَ لَعَنْتُهُ أَوْ شَتَمْتُهُ أَوْ جَلَدْتُهُ فَاجْعَلْهَا لَهُ صَلَاةً وَرَحْمَةً وَقُرْبَةً تُقَرِّبُهُ بِهَا إِلَيْكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
حدثنا المعلى بن أسد حدثنا عبد الواحد بن زياد حدثنا الأعمش عن أبي صالح عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اللهم إنما أنا بشر فأي المسلمين لعنته أو شتمته أو جلدته فاجعلها له صلاة ورحمة وقربة تقربه بها إليك يوم القيامة
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৮০৪
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৫২. নাবী (ﷺ) এর বাণীঃ যে কোন যাকে আমি লা’নত বা গালি দিয়েছি – এ সম্পর্কে
২৮০৪. জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ বর্ণিত আছে। তবে তাতে রয়েছে: “(তা) পবিত্রতা ও রহমত (বানিয়ে দিন)।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: মুসলিম, বিরর ওয়াস সুলহ ২৬০২।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২২৭১ তে।
সংযোজনী: এছাড়াও, ইবনু আবী শাইবা ১০/৩৩৯ নং ৯৬০১।
باب فِي قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيُّمَا رَجُلٍ لَعَنْتُهُ أَوْ سَبَبْتُهُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي سُفْيَانَ عَنْ جَابِرٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ إِلَّا أَنَّ فِيهِ زَكَاةً وَرَحْمَةً
حدثنا محمد بن عبد الله بن نمير عن أبيه عن الأعمش عن أبي سفيان عن جابر عن النبي صلى الله عليه وسلم مثله إلا أن فيه زكاة ورحمة
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৮০৫
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৫৩. নাবী (ﷺ) এর বাণীঃ আমার জন্য ওহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ন হলেও
২৮০৫. আবী যার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: “আমি পছন্দ করি না যে, এই পাহাড়টি আমার জন্য সোনায় পরিণত করা হোক এবং আমার মৃত্যু সময়ে এর মধ্য হতে একটি দীনার- কিংবা অর্ধ দীনারও (স্বর্ণ মুদ্রা) আমার নিকট রয়ে যাক, তবে ঋণ আদায়ের জন্য (যতটুকু প্রয়োজন, সেই পরিমাণ) ব্যতীত।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ জাইয়্যেদ।
তাখরীজ: আহমাদ ৫/১৪৮-১৪৯, ১৬০-১৬১, ১৭৬।
আর এটি সহীহ হাদীসের অংশবিশেষ, আমরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৬৯, ১৭০, ৩৩২৬ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১০ তে, যার সনদ সহীহ। আরও দেখুন, বুখারী, যাকাত ১৪০৮। (( বুখারী, ইসতিকরায ২৩৮৮, ইসতিয়াযান ৬২৬৮, রিকাক ৬৪৪৩, ৬৪৪৪ এবং বাদাউল খালক ৩২২২; মুসলিম, যাকাত ২/৬৮৭-৬৮৮।– ফাতহুল মান্নান, হা/২৯৩৩ এর টীকা।–অনুবাদক))
باب فِي قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَوْ أَنَّ لِي مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ قَالَ سَمِعْتُ سُوَيْدَ بْنَ الْحَارِثِ عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ مَا يَسُرُّنِي أَنَّ جَبَلَ أُحُدٍ لِي ذَهَبًا أَمُوتُ يَوْمَ أَمُوتُ عِنْدِي دِينَارٌ أَوْ نِصْفُ دِينَارٍ إِلَّا لِغَرِيمٍ
حدثنا سليمان بن حرب حدثنا شعبة عن عمرو بن مرة قال سمعت سويد بن الحارث عن أبي ذر قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ما يسرني أن جبل أحد لي ذهبا أموت يوم أموت عندي دينار أو نصف دينار إلا لغريم
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) বর্ণনাকারীঃ আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৮০৬
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৫৪. ধ্বংসকারী বিষয়াবলী সম্পর্কে
২৮০৬. উবাদাহ ইবনু কুরত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমরা এমন সব কাজ করে থাক, যা তোমাদের দৃষ্টিতে চুল থেকেও সুক্ষ্ণ। কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সময়ে আমরা এগুলোকে ধ্বংসকারী বিষয় বলে গণ্য করতাম।[1] এরপর এটি মুহাম্মদ অর্থাৎ ইবনু সীরীন (রহঃ) নিকট উল্লেখ করা হলে তিনি বললেন, তিনি সত্য বলেছেন। আর আমি মনে করি এসবের মধ্যে রয়েছে ইযার বা লুঙ্গি (টাখনুর নিচে) ছেঁচড়ে চলা।”
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আহমাদ ৫/৭৯; ইবনুল আছীর, আসদুল গাবাহ ৩/১৬২; ইবনুল কানি’, মুজামুস সাহাবাহ ৬৯০।
আর এর শাহিদ হাদীস রয়েছে খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে আমরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৪০৪ তে, যার সনদ সহীহ। ((শাহিদ আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বুখারী, রিকাক ৬৪৯২।– মাজমাউয যাওয়াইদ হা/৪০৪ এ মুহাক্কিক্বের টীকা হতে।–অনুবাদক))
باب فِي الْمُوبِقَاتِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْفَضْلِ وَسُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ قَالَا حَدَّثَنَا حَمَّادٌ هُوَ ابْنُ زَيْدٍ قَالَ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلَالٍ عَنْ عُبَادَةَ بْنِ قُرْطٍ قَالَ إِنَّكُمْ لَتَأْتُونَ أُمُورًا هِيَ أَدَقُّ فِي أَعْيُنِكُمْ مِنْ الشَّعْرِ كُنَّا نَعُدُّهَا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ الْمُوبِقَاتِ فَذُكِرَ لِمُحَمَّدٍ يَعْنِي ابْنَ سِيرِينَ فَقَالَ صَدَقَ فَأَرَى جَرَّ الْإِزَارِ مِنْ ذَلِكَ
حدثنا محمد بن الفضل وسليمان بن حرب قالا حدثنا حماد هو ابن زيد قال حدثنا أيوب عن حميد بن هلال عن عبادة بن قرط قال إنكم لتأتون أمورا هي أدق في أعينكم من الشعر كنا نعدها على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم من الموبقات فذكر لمحمد يعني ابن سيرين فقال صدق فأرى جر الإزار من ذلك
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৮০৭
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৫৫. জ্বর জাহান্নামের উত্তাপ হতে
২৮০৭. রাফি ইবনু খাদীজ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “জ্বরের উত্পত্তি হয় জাহান্নামের ভীষণ উত্তাপ বা উন্মত্ততা হতে। অতএব তোমরা একে পানি দ্বারা ঠান্ডা কর।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: বুখারী, বাদাউল খালক ৩২৬২, তিব্ব ৫৭২৬; মুসলিম, সালাম ২২১২ (৮৪); তিরমিযী, তিব্ব ২০৭৪; তাহাবী, মুশকিলিল আছার ২/৩৪৬; ইবনু মাজাহ, তিব্ব ৩৪৭৩; ইবনু আবী শাইবা ৭/৪৩৮ নং ৩৭২২; তাবারাণী, কাবীর ৪/২৭৪ নং ৪৩৯৭, ৪৩৯৮; আহমাদ ৪/১৪১।
আর এর শাহিদ হাদীস রয়েছে ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, যেটি বুখারী ও মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন। আমরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬০৬৬, ৬০৬৭ তে।
আর এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে, যেটি বুখারী ও মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন। আমরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৬৩৫ তে।
باب الْحُمَّى مِنْ فَيْحِ جَهَنَّمَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَبَايَةَ بْنِ رِفَاعَةَ عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْحُمَّى مِنْ فَيْحِ جَهَنَّمَ أَوْ مِنْ فَوْرِ جَهَنَّمَ فَأَبْرِدُوهَا بِالْمَاءِ
حدثنا محمد بن يوسف عن سفيان عن أبيه عن عباية بن رفاعة عن رافع بن خديج قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الحمى من فيح جهنم أو من فور جهنم فأبردوها بالماء
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ রাফি‘ ইবনু খাদীজ (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৮০৮
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৫৬. রোগ-অসুস্থতা কাফ্ফারা স্বরুপ
২৮০৮. আব্দুল্লাহ ইবনু আমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “প্রত্যেক মুসলিমের শরীরে যখন কোনো রোগ-বালাই আপতিত হয়, তখন নিশ্চয়ই (আমল) সংরক্ষণকারী ফিরিশতাদেরকে আল্লাহ নির্দেশ দিয়ে বলেন: ’(অসুস্থতার পুর্বে) সে যেরূপ নেক আমল করতো, সে আমার শৃংখলে আবদ্ধ (অসুস্থ) থাকা পর্যন্ত তোমরা প্রতি দিনে-রাতে আমার বান্দার জন্য অনুরূপ (নেক আমলের সাওয়াব) লিখতে থাকো।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আমরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৩৮৫১, ৩৮৫২ তে।
باب الْمَرَضُ كَفَّارَةٌ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ مُخَيْمِرَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا أَحَدٌ مِنْ الْمُسْلِمِينَ يُصَابُ بِبَلَاءٍ فِي جَسَدِهِ إِلَّا أَمَرَ اللَّهُ الْحَفَظَةَ الَّذِينَ يَحْفَظُونَهُ فَقَالَ اكْتُبُوا لِعَبْدِي فِي كُلِّ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ مِثْلَ مَا كَانَ يَعْمَلُ مِنْ الْخَيْرِ مَا كَانَ مَحْبُوسًا فِي وِثَاقِي
أخبرنا يزيد بن هارون حدثنا سفيان عن علقمة بن مرثد عن القاسم بن مخيمرة عن عبد الله بن عمرو قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ما أحد من المسلمين يصاب ببلاء في جسده إلا أمر الله الحفظة الذين يحفظونه فقال اكتبوا لعبدي في كل يوم وليلة مثل ما كان يعمل من الخير ما كان محبوسا في وثاقي
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৮০৯
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৫৭. অসুস্থতার সাওয়াব
২৮০৯. আবদুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অসুস্থ অবস্থায় তাঁর কাছে গেলাম। এ সময় তিনি ভীষণ জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ফলে আমি তাঁর গায়ে আমার হাত রাখলাম। আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! নিশ্চয়ই আপনি ভীষণ জ্বরে আক্রান্ত। তিনি বললেন: “আমি তোমাদের দু’জনের সমান জ্বরে আক্রান্ত হই।” তিনি বলেন, আমি বললাম যে, এটা এজন্য যে, আপনার জন্য দ্বিগুণ সাওয়াব। তিনি বললেনঃ হাঁ। কোন মুসলিম যখন কোনো কষ্ট কিংবা রোগ ও অন্যান্য বিপদে নিপতিত হয়, তার থেকে গুনাহসমূহ এভাবে ঝরে যায়, যেভাবে গাছ হতে তার পাতাগুলো ঝরে যায়।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: বুখারী, মারদা ৫৬৪৭; মুসলিম, বিরর ওয়াস সুলহ ২৫৭১।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫১৬৪ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৯৩৭ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৭০১ তে।
باب أجر المريض
أَخْبَرَنَا يَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ عَنْ الْحَارِثِ بْنِ سُوَيْدٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ دَخَلْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يُوعَكُ فَوَضَعْتُ يَدِي عَلَيْهِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّكَ لَتُوعَكُ وَعْكًا شَدِيدًا فَقَالَ إِنِّي أُوعَكُ كَمَا يُوعَكُ رَجُلَانِ مِنْكُمْ قَالَ قُلْتُ ذَلِكَ بِأَنَّ لَكَ أَجْرَيْنِ قَالَ أَجَلْ وَمَا مِنْ مُسْلِمٍ يُصِيبُهُ أَذًى مَرَضٌ فَمَا سِوَاهُ إِلَّا حُطَّ عَنْهُ مِنْ سَيِّئَاتِهِ كَمَا تَحُطُّ الشَّجَرَةُ وَرَقَهَا
أخبرنا يعلى بن عبيد حدثنا الأعمش عن إبراهيم التيمي عن الحارث بن سويد عن عبد الله قال دخلت على رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو يوعك فوضعت يدي عليه فقلت يا رسول الله إنك لتوعك وعكا شديدا فقال إني أوعك كما يوعك رجلان منكم قال قلت ذلك بأن لك أجرين قال أجل وما من مسلم يصيبه أذى مرض فما سواه إلا حط عنه من سيئاته كما تحط الشجرة ورقها
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৮১০
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৫৮. নাবী (ﷺ) এর উপর একবার সালাত (দরুদ) পড়ার ফযীলত
২৮১০. আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি আমার উপর একবার সালাত পাঠ করবে, আল্লাহ তা’আলা তার উপর দশবার রহমত করবেন।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: মুসলিম, সালাত ৪০৮।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৪৯৫, ৬৫২৭ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৯০৫, ৯০৬ তে। ((আবূ দাউদ, সালাত ১৫৩০; তিরমিযী, সালাত ৪৮৫; নাসাঈ, সাহু, ১২৯৬; বুখারী, আদাবুল মুফরাদ।– ফাতহুল মান্নান, হা/২৯৩৮ এর টীকা হতে।–অনুবাদক।))
সংযোজনী: ইবনু আবী আসিম, আস সালাত আলান্নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নং ৫৩, ৫৪। আরও দেখুন, সাখাবী, কওলুল বাদী’ পৃ: ১৬৫।
باب فِي فَضْلِ الصَّلَاةِ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ الْمَدَنِيُّ عَنْ الْعَلَاءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ صَلَّى عَلَيَّ صَلَاةً وَاحِدَةً صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ عَشْرًا
أخبرنا يحيى بن حسان حدثنا إسمعيل بن جعفر المدني عن العلاء بن عبد الرحمن عن أبيه عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من صلى علي صلاة واحدة صلى الله عليه عشرا
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৮১১
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৫৮. নাবী (ﷺ) এর উপর একবার সালাত (দরুদ) পড়ার ফযীলত
২৮১১. আবু তালহা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন (আমাদের কাছে) আগমন করলেন। তখন তার চেহারায় প্রফুল্লতা দৃষ্টি গোচর হচ্ছিল। তখন তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা আপনার চেহারায় খুশী লক্ষ্য করছি, যা আগে কখনো দেখিনি। তিনি বললেন, “হাঁ। একজন ফিরিশতা (জিবরীল) আমার কাছে এসে বললেন, ইয়া মুহাম্মাদ! আপনার রব আপনার উদ্দেশ্যে বলেছেন: ’আপনাকে কি এই সংবাদ খুশি করে না যে, আপনার উম্মাতের মধ্য থেকে যদি কোন ব্যক্তি আপনার উপর একবার সালাত (দরুদ) পাঠ করে আমি তাকে দশবার রহমত করব, আর কেউ যদি আপনাকে একবার সালাম পাঠায় আমি তার প্রতি দশবার সালাম পাঠাব।’ তিনি বলেন, “আমি বললাম, হাঁ।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ। তবে হাদীসটি জাইয়্যেদ বা উত্তম।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৯১৫ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৩৯১ তে। ((নাসাঈ, সাহু, ফাযলুত তাসলীম আলান নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নং ১২৮৩ ও ফাযলুস সালাত আলান নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নং ১২৯৫।- ফাতহুল মান্নান, হা/২৯৩৯ এর টীকা হতে।–অনুবাদক।))
আরও দেখুন, সাখাবী, কওলুল বাদী’ পৃ: ১৬১-১৬৩।
باب فِي فَضْلِ الصَّلَاةِ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ سُلَيْمَانَ مَوْلَى الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ جَاءَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمًا وَهُوَ يُرَى الْبِشْرُ فِي وَجْهِهِ فَقِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا نَرَى فِي وَجْهِكَ بِشْرًا لَمْ نَكُنْ نَرَاهُ قَالَ أَجَلْ إِنَّ مَلَكًا أَتَانِي فَقَالَ لِي يَا مُحَمَّدُ إِنَّ رَبَّكَ يَقُولُ لَكَ أَمَا يُرْضِيكَ أَنْ لَا يُصَلِّيَ عَلَيْكَ أَحَدٌ مِنْ أُمَّتِكَ إِلَّا صَلَّيْتُ عَلَيْهِ عَشْرًا وَلَا يُسَلِّمَ عَلَيْكَ إِلَّا سَلَّمْتُ عَلَيْهِ عَشْرًا قَالَ قُلْتُ بَلَى
حدثنا سليمان بن حرب حدثنا حماد بن سلمة عن ثابت عن سليمان مولى الحسن بن علي عن عبد الله بن أبي طلحة عن أبيه قال جاء النبي صلى الله عليه وسلم يوما وهو يرى البشر في وجهه فقيل يا رسول الله إنا نرى في وجهك بشرا لم نكن نراه قال أجل إن ملكا أتاني فقال لي يا محمد إن ربك يقول لك أما يرضيك أن لا يصلي عليك أحد من أمتك إلا صليت عليه عشرا ولا يسلم عليك إلا سلمت عليه عشرا قال قلت بلى
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) বর্ণনাকারীঃ আবূ ত্বলহা (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৮১২
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৫৮. নাবী (ﷺ) এর উপর একবার সালাত (দরুদ) পড়ার ফযীলত
২৮১২. আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ তাঁআলার কতক ফেরেশতা এমন রয়েছে, যারা পৃথিবীতে বিচরণ করে বেড়ায়, তাঁরা আমার উম্মতের সালাম আমার কাছে পৌঁছিয়ে থাকেন।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫২১৩ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৯১৪ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৩৯২ তে। ((নাসাঈ, সাহু ১২৮২; আহমাদ ১/৩৮৭, ৪৪১, ৪৫২; হাকিম ২/৪২১।- ফাতহুল মান্নান, হা/২৯৪০ এর টীকা হতে।–অনুবাদক।))
باب فِي فَضْلِ الصَّلَاةِ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ السَّائِبِ عَنْ زَاذَانَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ لِلَّهِ مَلَائِكَةً سَيَّاحِينَ فِي الْأَرْضِ يُبَلِّغُونِي عَنْ أُمَّتِي السَّلَامَ
حدثنا محمد بن يوسف حدثنا سفيان عن عبد الله بن السائب عن زاذان عن عبد الله بن مسعود قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إن لله ملائكة سياحين في الأرض يبلغوني عن أمتي السلام
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৮১৩
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৫৯. নাবী (ﷺ) এর নামসমূহ
২৯১৩. যুবাইর ইবনু মুত’ইম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি: “আমার অনেকগুলো নাম আছে। আমি মুহাম্মাদ, আমি আহমাদ এবং আমি ’মাহী’- আমার দ্বারা আল্লাহ্ তা’আলা সমস্ত কুফরী দূর করবেন। আমি ’হাশির’, আমার পেছনে সমস্ত মানুষকে একত্রিত করা হবে এবং আমি ’আকিব’, সকলের শেষে আগমনকারী, যার পরে কেউ নেই।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: বুখারী, মানাকিব ৩৫৩২; মুসলিম, বিরর ওয়াস সুলহ ২৩৫৪।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭৩৯৫ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬৩১৩ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৫৬৫ তে। আরও দেখুন, ফাতহুল বারী ৬/৫৫৭।
باب فِي أَسْمَاءِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ أَخْبَرَنَا شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ إِنَّ لِي أَسْمَاءً أَنَا مُحَمَّدٌ وَأَنَا أَحْمَدُ وَأَنَا الْمَاحِي الَّذِي يَمْحُو اللَّهُ بِيَ الْكُفْرَ وَأَنَا الْحَاشِرُ الَّذِي يُحْشَرُ النَّاسُ عَلَى قَدَمِي وَأَنَا الْعَاقِبُ وَالْعَاقِبُ الَّذِي لَيْسَ بَعْدَهُ أَحَدٌ
أخبرنا الحكم بن نافع أخبرنا شعيب بن أبي حمزة عن الزهري قال أخبرني محمد بن جبير بن مطعم عن أبيه قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول إن لي أسماء أنا محمد وأنا أحمد وأنا الماحي الذي يمحو الله بي الكفر وأنا الحاشر الذي يحشر الناس على قدمي وأنا العاقب والعاقب الذي ليس بعده أحد
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ জুবায়র ইবনু মুত‘ইম (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৮১৪
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৬০. হারাম (উপার্জন) খাওয়া সম্পর্কে
২৮১৪. কা’ব ইবনু উজরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ “হে কা’ব ইবনু উজরা! হারাম (পন্থায় উপার্জিত সম্পদ) দ্বারা সৃষ্ট ও পরিপুষ্ট গোশত (দেহ) কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ শক্তিশালী।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৯৯৯ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৭২৩, ৪৫১৪ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৫৬৯ তে। ((তিরমিযী, ফিতান ২২৫৯; নাসাঈ, বাই’আহ নং ৪২০৮; হাকিম ১/৭৮, ৭৯।- ফাতহুল মান্নান, হা/২৯৪২ এর টীকা হতে।–অনুবাদক।))
باب فِي أَكْلِ السُّحْتِ
أَخْبَرَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَابِطٍ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ يَا كَعْبُ بْنَ عُجْرَةَ إِنَّهُ لَنْ يَدْخُلَ الْجَنَّةَ لَحْمٌ نَبَتَ مِنْ سُحْتٍ
أخبرنا حجاج بن منهال حدثنا حماد بن سلمة حدثنا عبد الله بن عثمان بن خثيم عن عبد الرحمن بن سابط عن جابر بن عبد الله أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال يا كعب بن عجرة إنه لن يدخل الجنة لحم نبت من سحت
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ কা‘ব ইবনু ‘উজরাহ (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৮১৫
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৬১. মুমিন সকল কাজেই সাওয়াব লাভ করে
২৮১৫. সুহাইব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বসে ছিলাম। এ সময় তিনি হেসে বললেন, “তোমরা কি জান, আমি হাসছি কেন?” তারা বললেন, কোন্ বিষয়টি আপনাকে হাসাচ্ছে? তখন তিনি বললেন: “মুমিনের বিষয়টি বিস্ময়কর। তার যাবতীয় ব্যাপারই তার জন্য কল্যাণকর। যদি তার পছন্দ কিছু ঘটে তবে সেজন্য সে আল্লাহর প্রশংসা করে, ফলে সেটি হয় তার জন্য কল্যাণকর; আবার যদি তার উপর অপছন্দনীয় কিছু (দুঃখ-মুসীবত) আসে, তবে সে সবর করে। ফলে সেটিও হয় তার জন্য কল্যাণকর। তাই প্রত্যেকটি কাজ কেবল মুমিনের জন্যই কল্যাণকর হয়ে থাকে।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ রূহ ইবনু আসলামের কারণে যয়ীফ। তবে হাদীসটি সহীহ।
তাখরীজ: মুসলিম, যুহদ ২৯৯৯।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৮৯৬ তে। আরও দেখুন, ফাতহুল বারী ১০/১০৯।
এর শাহিদ রয়েছে আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, আমরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪০১৯, ৪২১৭, ৪২১৮ তে।
باب الْمُؤْمِنِ يُؤْجَرُ فِي كُلِّ شَيْءٍ
أَخْبَرَنَا أَبُو حَاتِمٍ الْبَصْرِيُّ هُوَ رَوْحُ بِنُ أَسْلَمَ الْبَصْرِيُّ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ أَخْبَرَنَا ثَابِتٌ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى عَنْ صُهَيْبٍ قَالَ بَيْنَمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسٌ إِذْ ضَحِكَ فَقَالَ أَلَا تَسْأَلُونِي مِمَّا أَضْحَكُ فَقَالُوا مِمَّ تَضْحَكُ قَالَ عَجَبًا مِنْ أَمْرِ الْمُؤْمِنِ كُلُّهُ لَهُ خَيْرٌ إِنْ أَصَابَهُ مَا يُحِبُّ حَمِدَ اللَّهَ عَلَيْهِ فَكَانَ لَهُ خَيْرٌ وَإِنْ أَصَابَهُ مَا يَكْرَهُ فَصَبَرَ كَانَ لَهُ خَيْرٌ وَلَيْسَ كُلُّ أَحَدٍ أَمْرُهُ لَهُ خَيْرٌ إِلَّا الْمُؤْمِنَ
أخبرنا أبو حاتم البصري هو روح بن أسلم البصري حدثنا حماد بن سلمة أخبرنا ثابت عن عبد الرحمن بن أبي ليلى عن صهيب قال بينما رسول الله صلى الله عليه وسلم جالس إذ ضحك فقال ألا تسألوني مما أضحك فقالوا مم تضحك قال عجبا من أمر المؤمن كله له خير إن أصابه ما يحب حمد الله عليه فكان له خير وإن أصابه ما يكره فصبر كان له خير وليس كل أحد أمره له خير إلا المؤمن
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ সুহায়ব আর্ রূমী (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৮১৬
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৬২. আদম সন্তানের জন্য যদি সম্পদে পরিপূর্ণ দু’টি উপত্যকাও থাকে
২৮১৬. আনাস ইবনু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, আমি জানি না সেটি তাঁর উপর নাযিল হয়েছিল, নাকি তিনি নিজের থেকেই তা বলেছেন। তিনি বলেনঃ “যদি বানী আদমের স্বর্ণ ভরা দু’টি উপত্যকা থাকে, তথাপি সে এ দু’টির সাথে তৃতীয় উপত্যকা থাকার কামনা করবে। আর আদম সন্তানের পেট মাটি ব্যতীত অন্য কিছুতেই ভরবে না। তবে যে ব্যক্তি তওবা করবে, আল্লাহ্ তার তওবা কবুল করবেন।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: বুখারী, রিকাক্ব ৬৪৩৯; মুসলিম, যাকাত ১০৪৮।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৮৪৯, ২৮৫৮, ২৯৫১, ৩০৬৩, ৩১৪৩, ৩২৬৬, ৩২৬৭ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩২৩৫, ৩২৩৬ তে।
এর শাহিদ রয়েছে জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৮৯৯, ২৩০৩, আমরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩২৩২, ৩২৩৩, ৩২৩৪ তে।
এর শাহিদ রয়েছে ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৫৭৩ আমরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩২৩১ তে।
আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে হাদীস রয়েছে, আমরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৪৬০ তে।
باب لَوْ كَانَ لِابْنِ آدَمَ وَادِيَانِ مِنْ مَالٍ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ قَالَ كُنْتُ أَسْمَعُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَا أَدْرِي أَشَيْءٌ أُنْزِلَ عَلَيْهِ أَمْ شَيْءٌ يَقُولُهُ وَهُوَ يَقُولُ لَوْ كَانَ لِابْنِ آدَمَ وَادِيَانِ مِنْ مَالٍ لَابْتَغَى إِلَيْهِمَا ثَالِثًا وَلَا يَمْلَأُ جَوْفَ ابْنِ آدَمَ إِلَّا التُّرَابُ وَيَتُوبُ اللَّهُ عَلَى مَنْ تَابَ
أخبرنا يزيد بن هارون حدثنا شعبة عن قتادة عن أنس قال كنت أسمع رسول الله صلى الله عليه وسلم فلا أدري أشيء أنزل عليه أم شيء يقوله وهو يقول لو كان لابن آدم واديان من مال لابتغى إليهما ثالثا ولا يملأ جوف ابن آدم إلا التراب ويتوب الله على من تاب
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৮১৭
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৬৩. কিচ্ছা-কাহিনী বলা নিষেধ হওয়া সম্পর্কে
২৮১৭. আমর ইবনু শুআইব (রহঃ) থেকে তার পিতা থেকে তার দাদার সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “শাসক অথবা তার নির্ধারিত কর্মচারী অথবা রিয়াকার (লৌকিকতাকারী) ব্যক্তি মানুষের মধ্যে কিচ্ছা-কাহিনী বলে বেড়ায়।”[1] আমি আমর ইবনু শুয়াইব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে বললাম, আমরা তো শুনেছি, ’ভানকারী’। তখন তিনি বলেন, আমি তো এরকমই (তথা ’রিয়াকারী’) শুনেছি।
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ, আব্দুল্লাহ ইবনু আমির আল আসলামী’র দুর্বলতার কারণে। ((তবে এর মুতাবিয়াত ও শাহিদসমূহের কারণে এটি হাসান ও সহীহ লিগয়রিহী’ স্তরে উন্নীত হয়। আল্লাহই ভাল জানেন।– দেখুন, তাখরীজের আলোচনা।–অনুবাদক))
তাখরীজ: আহমাদ ২/৮৩; ইবনু মাজাহ, আদাব ৩৭৫৩।
আব্দুল্লাহ এ বর্ণনায় একাকী নন। তার মুতাবিয়াত বর্ণনা রয়েছে আব্দুর রহমান ইবনু হারমালাহ থেকে আহমাদ ২/১৭৮ তে হাসান সনদে।
আর এর শাহিদ হাদীসসমূহ রয়েছে আওফ ইবনু মালিক, কা’ব ইবনু ইয়ায, উবাদাহ ইবনু সামিত- এর প্রত্যেকটির তাখরীজ দিয়েছি মাজমাউয যাওয়াইদে যথাক্রমে ৯২১, ৯২২, ৯২৩ তে। ফলে এ হাদীসের সনদকে এটি সহীহ তে উন্নীত করে। আল্লাহই ভাল জানেন।
باب فِي النَّهْيِ عَنْ الْقَصَصِ
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَامِرٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَقُصُّ إِلَّا أَمِيرٌ أَوْ مَأْمُورٌ أَوْ مُرَاءٍ قُلْتُ لِعَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ إِنَّا كُنَّا نَسْمَعُ مُتَكَلِّفٌ فَقَالَ هَذَا مَا سَمِعْتُ
حدثنا أبو نعيم حدثنا عبد الله بن عامر عن عمرو بن شعيب عن أبيه عن جده قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا يقص إلا أمير أو مأمور أو مراء قلت لعمرو بن شعيب إنا كنا نسمع متكلف فقال هذا ما سمعت
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) বর্ণনাকারীঃ আমর ইবনু শু‘আয়ব (রহঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৮১৮
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৬৪. গল্প-কাহিনী বর্ণনার অনুমতি প্রসঙ্গে
২৮১৮. আব্দুল মালিক ইবনু মাইসারাহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কুর্দুস নামক একজন গল্পকার-কাহিনীকারকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, একজন বাদরী সাহাবী আমাকে বলেছেন, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন: “এ রকম মজলিসে বসা আমার নিকট চারটি গোলাম মুক্ত করার চেয়েও অধিক প্রিয়।”
তিনি (রাবী) বলেন: আমি বললাম, এ দ্বারা তিনি কোন্ মাজলিসের কথা বুঝিয়েছেন? তিনি বললেন, সে সময় তিনি তখন গল্প-কাহিনী বর্ণনা করছিলেন। আবূ মুহাম্মদ বলেন, একজন বদরী সাহাবী’, তিনি হলেন: আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ জাইয়্যেদ বা উত্তম।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মাজমাউয যাওয়াইদে নং ৭৪৬, ৯২৪, ৯২৫, ৯২৬ তে।
باب في الرخصة في القصص
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَيْسَرَةَ قَالَ سَمِعْتُ كُرْدُوسًا وَكَانَ قَاصًّا يَقُولُ أَخْبَرَنِي رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ بَدْرٍ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَأَنْ أَقْعُدَ فِي مِثْلِ هَذَا الْمَجْلِسِ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أُعْتِقَ أَرْبَعَ رِقَابٍ قَالَ قُلْتُ أَنَا أَيَّ مَجْلِسٍ يَعْنِي قَالَ كَانَ حِينَئِذٍ يَقُصُّ قَالَ أَبُو مُحَمَّد الرَّجُلُ مِنْ أَصْحَابِ بَدْرٍ هُوَ عَلِيٌّ
أخبرنا محمد بن العلاء حدثنا يحيى بن أبي بكير عن شعبة عن عبد الملك بن ميسرة قال سمعت كردوسا وكان قاصا يقول أخبرني رجل من أهل بدر أنه سمع رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول لأن أقعد في مثل هذا المجلس أحب إلي من أن أعتق أربع رقاب قال قلت أنا أي مجلس يعني قال كان حينئذ يقص قال أبو محمد الرجل من أصحاب بدر هو علي
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৮১৯
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৬৫. একই গর্তে মু’মিন ব্যক্তি দু’বার দংশিত হয় না
২৮১৯. আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “মু’মিন একই গর্ত থেকে দু’বার দংশিত হয় না।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ, তবে হাদীসটি (সহীহ এবং) বুখারী মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন।
তাখরীজ: বুখারী, আদাব ৬১৩৩; মুসলিম, যুহদ ওয়ার রাকাইক ২৯৯৮।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬৬৩ তে।
সংযোজনী: বুখারী, আদাবুল মুফরাদ নং ১২৭৮; তাহাবী, মুশকিলিল আছার ২/১৯৭; খতীব, তারীখ বাগদাদ ৫/২১৯।
باب لَا يُلْدَغُ الْمُؤْمِنُ مِنْ جُحْرٍ مَرَّتَيْنِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ قَالَ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ قَالَ حَدَّثَنَا عُقَيْلٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا يُلْدَغُ الْمُؤْمِنُ مِنْ جُحْرٍ وَاحِدٍ مَرَّتَيْنِ
أخبرنا عبد الله بن صالح قال حدثني الليث قال حدثنا عقيل عن ابن شهاب قال أخبرني سعيد بن المسيب أن أبا هريرة أخبره أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لا يلدغ المؤمن من جحر واحد مرتين
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৮২০
শেয়ার ও অন্যান্য
- বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ৬৬. শয়তান আদম সন্তানের রক্ত স্রোতে চলমান রয়েছে
২৮২০. জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যার স্বামী অনুপস্থিত, এমন স্ত্রীলোকের কাছে তোমরা প্রবেশ করোনা। কেননা, শয়তান বনী আদমের মাঝে রক্ত স্রোতের মতো চলমান রয়েছে।” তারা বললেন, আপনার মধ্যেও? তিনি বললেন, “হাঁ, (আমার মাঝেও)। তবে আল্লাহ তা’আলা আমাকে তার বিরুদ্ধে সাহায্য করেছেন। ফলে সে অনুগত হয়ে গেছে।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ, মুজালিদ ইবনু সাঈদের দুর্বলতার কারণে। ((তবে এর শাহিদসমূহের কারণে এটি সহীহ।– দেখুন, তাখরীজের আলোচনা।–অনুবাদক))
তাখরীজ: আহমাদ ও তাঁর ছেলের যাওয়াইদুল মুসনাদ ৩/৩৯৭; তিরমিযী, রিদা’আ ১১৭২; তাহাবী, মুশকিলিল আছার ১/৩০।
আমাদের বক্তব্য: এর ১ম অংশের শাহিদ রয়েছে আমর ইবনু আস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, আমরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭৩৪৮ তে।
এর বাকী অংশের শাহিদ সহীহ হাদীস রয়েছে আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, আমরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩৪৭০ তে।
এবং (অপর শাহিদ) সাফিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর হাদীস যেটি বুখারী মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন, আমরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১২১ তে।
باب الشَّيْطَانِ يَجْرِي من بن آدم مَجْرَى الدَّمِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنْ مُجَالِدٍ عَنْ عَامِرٍ عَنْ جَابِرٍ قَالَ وَرُبَّمَا سَكَتَ عَنْ جَابِرٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تَدْخُلُوا عَلَى الْمُغِيبَاتِ فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِي مِنْ ابْنِ آدَمَ كَمَجْرَى الدَّمِ قَالُوا وَمِنْكَ قَالَ نَعَمْ وَلَكِنَّ اللَّهَ أَعَانَنِي عَلَيْهِ فَأَسْلَمُ
أخبرنا محمد بن العلاء حدثنا أبو أسامة عن مجالد عن عامر عن جابر قال وربما سكت عن جابر قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا تدخلوا على المغيبات فإن الشيطان يجري من ابن آدم كمجرى الدم قالوا ومنك قال نعم ولكن الله أعانني عليه فأسلم
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)