দারেমী কুরআনের ফজিলত অধ্যায় ১ম ভাগ হাদিস নং ৩৩৪৫ – ৩৪১৩

দারেমী কুরআনের ফজিলত অধ্যায় ১ম ভাগ হাদিস নং ৩৩৪৫ – ৩৪১৩

৩৩৪৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৪৫. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যার অভ্যন্তরে কুরআনের কোন অংশই নেই, সে বিরান ঘরের মত।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান।

 

তাখরীজ: সাহমী, তারীখ জুরজান পৃ: ৪১২; আহমাদ ১/২২৩; তিরমিযী, ছাওয়াবুল কুরআন ২৯১৪; তাবারাণী, কাবীর ১২/১০৯ নং ১২৬১৯; ইবনু কাছীর, ফাযাইলুল কুরআন পৃ: ২৮৪; ইবনু আদী, আল কামিল ৬/২০৭২; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ১১৮৫; হাকিম, মুসতাদরাক ১/৫৫৪; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান ৩৩৪৯। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ।’

 

হাকিম বলেন, তারা বর্ণনা না করলেও এর সনদ সহীহ। তবে যাহাবী তার অনুসরণে বলেছেন, আমি বলছি, (এর বর্ণনাকারী) কাবুস দুর্বল।’

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ زُرَارَةَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ قَابُوسَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ الرَّجُلَ الَّذِي لَيْسَ فِي جَوْفِهِ مِنْ الْقُرْآنِ شَيْءٌ كَالْبَيْتِ الْخَرِبِ

حدثنا عمرو بن زرارة حدثنا جرير عن قابوس عن أبيه عن ابن عباس قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إن الرجل الذي ليس في جوفه من القرآن شيء كالبيت الخرب

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৪৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৪৬. আবীল আহওয়াস হতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, এ কুরআন হলো আল্লাহর ভোজসভা, ফলে তোমার সাধ্যমত তা থেকে গ্রহণ করো। কেননা, আমার জানামতে সর্বাধিক ধন-সম্পদ শুন্য ঘর হলো সেই ঘর যার মধ্যে আল্লাহর কিতাবের কোনো অংশই নেই। অনুরূপ যে অন্তরের মধ্যে আল্লাহর কিতাবের কোনো অংশই নেই, তা সেইরূপ ধ্বংসপ্রাপ্ত, যেরূপ বিরাণ ঘর, যেখানে কোনো লোক বসবাস করে না।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর রাবীগণ সকলেই বিশ্বস্ত, তবে আবী সিনান সাঈদ ইবনু সিনান আবী ইসহাক হতে কিছু শোনার ব্যাপারে পিছিয়ে রয়েছেন। আর এটি ইবনু মাসউদের উপর মাওকুফ।

 

তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১০/৪৮৬ নং ১০০৭১ সংক্ষিপ্তাকারে সহীহ সনদে; আব্দুর রাযযাক ৫৯৯৮; তাবারানী, কাবীর ৯/১৩৮ নং ৮৬৪২; পূর্ণ তাখরীজের জন্য দেখুন, পরবর্তী হাদীসটি ও পূর্ববর্তী কিছু হাদীস।

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ خَالِدِ بْنِ حَازِمٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ حَدَّثَنَا أَبُو سِنَانٍ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ إِنَّ هَذَا الْقُرْآنَ مَأْدُبَةُ اللَّهِ فَخُذُوا مِنْهُ مَا اسْتَطَعْتُمْ فَإِنِّي لَا أَعْلَمُ شَيْئًا أَصْفَرَ مِنْ خَيْرٍ مِنْ بَيْتٍ لَيْسَ فِيهِ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ شَيْءٌ وَإِنَّ الْقَلْبَ الَّذِي لَيْسَ فِيهِ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ شَيْءٌ خَرِبٌ كَخَرَابِ الْبَيْتِ الَّذِي لَا سَاكِنَ لَهُ

أخبرنا عبد الله بن خالد بن حازم حدثنا محمد بن سلمة حدثنا أبو سنان عن أبي إسحق عن أبي الأحوص عن عبد الله قال إن هذا القرآن مأدبة الله فخذوا منه ما استطعتم فإني لا أعلم شيئا أصفر من خير من بيت ليس فيه من كتاب الله شيء وإن القلب الذي ليس فيه من كتاب الله شيء خرب كخراب البيت الذي لا ساكن له

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবুল আহওয়াস (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৪৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৪৭. আবূল আহওয়াস (রহঃ) হতে বর্ণিত, আবদুল্লাহ্ ইবনু মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন: ’তোমরা এ কুরআন শিক্ষা কর, কেননা, কুরআনের একটি হরফ পাঠ করার কারণে তোমাদেরকে দশটি সাওয়াব দেওয়া হবে। আমি বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম মিলে একটি হয়ফ; বরং আলিফ, লাম এবং মীম প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা হরফ, যার প্রত্যেকটির জন্য দশটি করে সাওয়াব রয়েছে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। এটি মাওকুফ (ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর বক্তব্য)।

 

তাখরীজ: তাবারাণী, কাবীর ৮৬৪৮, ৮৬৪৯; ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ৬০ মাওকুফ হিসেবে সহীহ; আব্দুর রাযযাক ৫৯৯৩ মুনকাতি সনদে; ইবনু আবী শাইবা ১০/৪৬১ নং ৯৯৮১, ১০০৭১।

 

বুখারী, কাবীর ১/২১৬; তিরমিযী, ছাওয়াবুল কুরআন ২৯১২; মারফু’ হিসেবে যার সনদ সহীহ। তিরমিযী, বলেন, এটি কেউ কেউ ইবনু মাসউদ থেকে মাওকুফ হিসেবে আবার কেউ কেউ মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।’ তিনি আরও বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ, এ সূত্রে গারীব।

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ قَبِيصَةُ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ تَعَلَّمُوا هَذَا الْقُرْآنَ فَإِنَّكُمْ تُؤْجَرُونَ بِتِلَاوَتِهِ بِكُلِّ حَرْفٍ عَشْرَ حَسَنَاتٍ أَمَا إِنِّي لَا أَقُولُ بْ الم وَلَكِنْ بِأَلِفٍ وَلَامٍ وَمِيمٍ بِكُلِّ حَرْفٍ عَشْرُ حَسَنَاتٍ

حدثنا أبو عامر قبيصة أخبرنا سفيان عن عطاء بن السائب عن أبي الأحوص عن عبد الله قال تعلموا هذا القرآن فإنكم تؤجرون بتلاوته بكل حرف عشر حسنات أما إني لا أقول ب الم ولكن بألف ولام وميم بكل حرف عشر حسنات

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবুল আহওয়াস (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৪৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৪৮. হাফস ইবনু ইনান আল হানাফী থেকে বর্ণিত, আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলতেন: যে ঘরে কুরআন পাঠ করা হয়, সেই ঘর তার বাসিন্দাদের উপর প্রশস্ত হয়ে যায়, সেখানে ফেরেশতাগণ উপস্থিত হয়, শয়তানরা সেই ঘর থেকে দূরে থাকে, এবং তার ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পায়। আর যে ঘরে কুরআন পাঠ করা হয় না, তা তার বাসিন্দাদের উপর সংকীর্ণ হয়ে যায়, সেখান থেকে ফেরেশতাগণ দূরে থাকে, শয়তানরা সেই ঘরে উপস্থিত হয় এবং তার ধন-সম্পদ কমে যায়।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। এটি মাওকুফ (আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর বক্তব্য)।

 

তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১০/৪৮৭ নং ১০০৭৬; ইবনুল মুবারক, যুহদ নং ৭৯০; ইবনুল যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ১৮৫ মুনকাতি সনদে।

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هَانِئٍ حَدَّثَنَا حَرْبُ بْنُ شَدَّادٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى هُوَ ابْنُ أَبِي كَثِيرٍ حَدَّثَنِي حَفْصُ بْنُ عِنَانٍ الْحَنَفِيُّ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ كَانَ يَقُولُ إِنَّ الْبَيْتَ لَيَتَّسِعُ عَلَى أَهْلِهِ وَتَحْضُرُهُ الْمَلَائِكَةُ وَتَهْجُرُهُ الشَّيَاطِينُ وَيَكْثُرُ خَيْرُهُ أَنْ يُقْرَأَ فِيهِ الْقُرْآنُ وَإِنَّ الْبَيْتَ لَيَضِيقُ عَلَى أَهْلِهِ وَتَهْجُرُهُ الْمَلَائِكَةُ وَتَحْضُرُهُ الشَّيَاطِينُ وَيَقِلُّ خَيْرُهُ أَنْ لَا يُقْرَأَ فِيهِ الْقُرْآنُ

حدثنا معاذ بن هانئ حدثنا حرب بن شداد حدثنا يحيى هو ابن أبي كثير حدثني حفص بن عنان الحنفي أن أبا هريرة كان يقول إن البيت ليتسع على أهله وتحضره الملائكة وتهجره الشياطين ويكثر خيره أن يقرأ فيه القرآن وإن البيت ليضيق على أهله وتهجره الملائكة وتحضره الشياطين ويقل خيره أن لا يقرأ فيه القرآن

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৪৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৪৯. উকবাহ ইবনু আমির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “কুরআনকে চামড়ার ভেতরে রেখে তা যদি আগুণেও নিক্ষেপ করা হয়, তবুও তা পুড়বে না।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ, ইবনু লাহিয়াহ’র দুর্বলতার কারণে।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৭৪৫ তে।

 

সংযোজনী: ফিরইয়াবী, ফাযাইলুল কুরআন নং ২; তাহাবী, শারহু মুশকিলিল আছার নং ৯০৬; ইবনু কাছীর, ফাযাইলুল কুরআন পৃ: ৩০৩; আহমাদ ৪/১৫১ ১৫৫; তাবারাণী, কাবীর ১৭/৩০৮ নং ৮৫০; আবীল ফযল রাযী, নং ১২৫; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান ২৬৯৯; ইবনু আদী, আল কামিল ৬/২৪৬।

 

আর এর শাহিদ রয়েছে উসামাহ ইবনু মালিক আলখাতমী হতে তাবারাণী, কাবীর ১৭/১৮৬ নং ৪৯৮; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান ২৭০০; ইবনু আদী, আল কামিল ৬/২০৪১। তবে এতে ফযল ইবনু মুখতার রয়েছে যে মুনকার ও বাতিল হাদীস সমুহ বর্ণনা করে, ফলে তার শাহিদ বর্ণনা একে শক্তিশালী করে না।

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مِشْرَحِ بْنِ هَاعَانَ قَالَ سَمِعْتُ عُقْبَةَ بْنَ عَامِرٍ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَوْ جُعِلَ الْقُرْآنُ فِي إِهَابٍ ثُمَّ أُلْقِيَ فِي النَّارِ مَا احْتَرَقَ

حدثنا عبد الله بن يزيد حدثنا ابن لهيعة عن مشرح بن هاعان قال سمعت عقبة بن عامر يقول سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول لو جعل القرآن في إهاب ثم ألقي في النار ما احترق

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ উকবাহ ইবনু আমির (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৫০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৫০. আবূ হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: তোমরা কুরআন পাঠ কর, কেননা, কুরআন কিয়ামতের দিবসে কতই না উত্তম সুপারিশকারী! কিয়ামত দিবসে কুরআন এসে বলবে: হে রব! তাকে মর্যাদার অলংকারে অলংকৃত করুন। তখন তাকে মর্যাদার অলংকারে অলংকৃত করা হবে। (সে আবার বলবে:) হে রব! তাকে মর্যাদার পোশাক পরিধান করান। তখন তাকে মর্যাদার পোষাক পরানো হবে। (সে আবার বলবে:) হে রব! তাকে মর্যাদার মুকুট পরিধান করান। তখন তাকে মর্যাদার মুকুট পরিধান করানো হবে। (এরপর সে বলবে:) ইয়া রব! আপনি তার উপর সন্তুষ্ট হয়ে যান। কেননা, আপনার সন্তুষ্টির পরে আর কিছু নেই।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান আসিম এর কারণে। তিনি হলেন ইবনু আবীন নুজুদ।

 

তাখরীজ: তিরমিযী, ছাওয়াবুল কুরআন ২৯১৬; হাকিম, মুসতাদরাক ১/৫৫২; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান ১৯৯৬, ১৯৯৭।

 

তিরমিযী বলেন, ‘হাদীসটি হাসান সহীহ।’

 

হাকিম বলেন, ‘তারা উভয়ে বর্ণনা না করলেও হাদীসটির সনদ সহীহ।’ যাহাবী বলেন, ‘সহীহ। ইবনু খুযাইমা এটি মারফু’ হিসেবে শু’বাহ হতে বর্ণনা করেছেন।’

 

আমরা বলছি: শু’বাহ হতে এটি মারফু’ ও মাওকুফ দু’ভাবেই বর্ণিত হয়েছে। তবে শু’বাহ’র মারফু’ বর্ণনা মুতাবিয়াত হলো যাইদাহ, মারফু’ হওয়াটা তার দিকেই ফিরে যায়। আল্লাহই ভাল জানেন।

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ الرَّقِّيُّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي أُنَيْسَةَ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ أَبِي صَالِحٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ اقْرَءُوا الْقُرْآنَ فَإِنَّهُ نِعْمَ الشَّفِيعُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّهُ يَقُولُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يَا رَبِّ حَلِّهِ حِلْيَةَ الْكَرَامَةِ فَيُحَلَّى حِلْيَةَ الْكَرَامَةِ يَا رَبِّ اكْسُهُ كِسْوَةَ الْكَرَامَةِ فَيُكْسَى كِسْوَةَ الْكَرَامَةِ يَا رَبِّ أَلْبِسْهُ تَاجَ الْكَرَامَةِ يَا رَبِّ ارْضَ عَنْهُ فَلَيْسَ بَعْدَ رِضَاكَ شَيْءٌ

حدثنا عبد الله بن جعفر الرقي عن عبيد الله بن عمرو عن زيد بن أبي أنيسة عن عاصم عن أبي صالح قال سمعت أبا هريرة يقول اقرءوا القرآن فإنه نعم الشفيع يوم القيامة إنه يقول يوم القيامة يا رب حله حلية الكرامة فيحلى حلية الكرامة يا رب اكسه كسوة الكرامة فيكسى كسوة الكرامة يا رب ألبسه تاج الكرامة يا رب ارض عنه فليس بعد رضاك شيء

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৫১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৫১. মুজাহিদ (রহঃ) হতে বর্ণিত, ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, কুরআন (কিয়ামত দিবসে) তার সাথীর (পাঠকারীর) জন্য সুপারিশকারী হিসেবে উপস্থিত হবে। সে বলবে: হে রব! প্রত্যেক কর্মকারীর তার কর্মের পুরস্কার বা বিনিময় পেয়ে থাকে। আর আমি তাকে ভোগ-আনন্দ ও ঘুম হতে বিরত রেখেছিলাম। তাই আপনি তাকে সম্মানিত করুন।তখন তাকে বলা হবে: তোমার ডান হাত প্রশস্ত কর। (সে প্রশস্ত করলে) তা আল্লাহর সন্তুষ্টি দ্বারা ভরপুর করে দেয়া হবে। এরপর তাকে বলা হবে: তোমার বাম হাত প্রশস্ত কর। (সে প্রশস্ত করলে) তা আল্লাহর সন্তুষ্টি দ্বারা ভরপুর করে দেয়া হবে। এবং তাকে মর্যাদার পোষাক পরানো হবে, তাকে মর্যাদার অলংকারে অলংকৃত করা হবে এবং তাকে মর্যাদার মুকুট পরিধান করানো হবে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান আসিম এর কারণে। এটি ইবনু উমারের উপর মাওকুফ।

 

তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১০/৪৯৬, ৪৯৭ নং ১০০৯৮, ১০০৯৯; ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ১০২; সাঈদ ইবনু মানসূর ২২।

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْفَزَارِيُّ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ مُجَاهِدٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ يَجِيءُ الْقُرْآنُ يَشْفَعُ لِصَاحِبِهِ يَقُولُ يَا رَبِّ لِكُلِّ عَامِلٍ عُمَالَةٌ مِنْ عَمَلِهِ وَإِنِّي كُنْتُ أَمْنَعُهُ اللَّذَّةَ وَالنَّوْمَ فَأَكْرِمْهُ فَيُقَالُ ابْسُطْ يَمِينَكَ فَتُمْلَأُ مِنْ رِضْوَانِ اللَّهِ ثُمَّ يُقَالُ ابْسُطْ شِمَالَكَ فَتُمْلَأُ مِنْ رِضْوَانِ اللَّهِ وَيُكْسَى كِسْوَةَ الْكَرَامَةِ وَيُحَلَّى بِحِلْيَةِ الْكَرَامَةِ وَيُلْبَسُ تَاجَ الْكَرَامَةِ

حدثنا موسى بن خالد حدثنا إبراهيم بن محمد الفزاري عن سفيان عن عاصم عن مجاهد عن ابن عمر قال يجيء القرآن يشفع لصاحبه يقول يا رب لكل عامل عمالة من عمله وإني كنت أمنعه اللذة والنوم فأكرمه فيقال ابسط يمينك فتملأ من رضوان الله ثم يقال ابسط شمالك فتملأ من رضوان الله ويكسى كسوة الكرامة ويحلى بحلية الكرامة ويلبس تاج الكرامة

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ মুজাহিদ (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৫২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৫২. মুসাইয়্যেব ইবনু রাফি’ঈ হতে বর্ণিত, আবী সালিহ (রহঃ) বলেন, কুরআন (কিয়ামত দিবসে) তার সাথীর (পাঠকারীর) জন্য সুপারিশ করবে। ফলে তাকে মর্যাদার পোষাক পরানো হবে। তখন কুরআন বলবে, হে রব! তার জন্য আরও বাড়িয়ে দিন। তখন তাকে মর্যাদার মুকুট পরিধান করানো হবে।

তিনি বলেন, তারপর সে বলবে: হে রব! তার জন্য আরও বাড়িয়ে দিন, আর তাকে দান করুন এবং তাকে আরও দান করুন … তিনি বলেন, (অবশেষে) তিনি (আল্লাহ তা’আলা) বলবেন: আমার সন্তুষ্টি (তাকে দান করলাম)।[1] আবূ মুহাম্মদ বলেন, উহাইব ইবনু ওয়ারদ বলেন, তোমার কুরআন পাঠ কর ইলমের উদ্দেশ্যে, তা পাঠকে শুধু (গতানুগতিক কোন) কাজ হিসেবে গণ্য করো না।

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ জাইয়্যেদ বা উত্তম। এটি আবূ সালিহ’র উপর মাওকুফ।

 

তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১০/৪৯৫ নং ১০০৯৭; ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ১০২।

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

أَخْبَرَنَا مُوسَى بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْفَزَارِيُّ عَنْ الْحَسَنِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ الْمُسَيَّبِ بْنِ رَافِعٍ عَنْ أَبِي صَالِحٍ قَالَ الْقُرْآنُ يَشْفَعُ لِصَاحِبِهِ فَيُكْسَى حُلَّةَ الْكَرَامَةِ ثُمَّ يَقُولُ رَبِّ زِدْهُ فَيُكْسَى تَاجَ الْكَرَامَةِ قَالَ فَيَقُولُ رَبِّ زِدْهُ فَإِنَّهُ فَإِنَّهُ فَيَقُولُ رِضَائِي قَالَ أَبُو مُحَمَّد قَالَ وُهَيْبُ بْنُ الْوَرْدِ اجْعَلْ قِرَاءَتَكَ الْقُرْآنَ عِلْمًا وَلَا تَجْعَلْهُ عَمَلًا

أخبرنا موسى بن خالد حدثنا إبراهيم بن محمد الفزاري عن الحسن بن عبيد الله عن المسيب بن رافع عن أبي صالح قال القرآن يشفع لصاحبه فيكسى حلة الكرامة ثم يقول رب زده فيكسى تاج الكرامة قال فيقول رب زده فإنه فإنه فيقول رضائي قال أبو محمد قال وهيب بن الورد اجعل قراءتك القرآن علما ولا تجعله عملا

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৫৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৫৩. আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেনঃ “তোমাদের কেউ কি তার ঘরে ফিরে এসে সেখানে তিনটি হৃষ্টপুষ্ট গর্ভবতী উষ্ট্রী পেতে পছন্দ করে?” আমরা বললাম, হাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি বলেনঃ “তোমাদের কারো তিনটি আয়াত পাঠ করা তার জন্য তিনটি হৃষ্টপুষ্ট গর্ভবতী উষ্ট্রীর চেয়েও উত্তম।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ জাইয়্যেদ বা উত্তম।

 

তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১০/৫০৩ নং ১০১২২; মুসলিম, সালাতুল মুসাফিরীন ৮০২; ইবনু মাজাহ, আদাব ৩৭৮২; ফিরইয়াবী, ফাযাইলুল কুরআন নং ৬৯, ৭০, ৭১; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ১১৭৭; আহমাদ ২/৩৯৬-৩৯৭, ৪৬৬, ৪৯৬-৪৯৭; আবূ উবাইদ, ফাযাইল নং ১০২; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান ২২৪২।

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ الْفَزَارِيُّ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ إِذَا أَتَى أَهْلَهُ أَنْ يَجِدَ ثَلَاثَ خَلِفَاتٍ سِمَانٍ قَالُوا نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ فَثَلَاثُ آيَاتٍ يَقْرَؤُهُنَّ أَحَدُكُمْ خَيْرٌ لَهُ مِنْهُنَّ

حدثنا موسى بن خالد حدثنا إبراهيم الفزاري عن الأعمش عن أبي صالح عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم أيحب أحدكم إذا أتى أهله أن يجد ثلاث خلفات سمان قالوا نعم يا رسول الله قال فثلاث آيات يقرؤهن أحدكم خير له منهن

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৫৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৫৪. আবীল আহওয়াস হতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নিশ্চয়ই এ কুরআন হলো আল্লাহর ভোজসভা, ফলে তোমার সাধ্যমত তা শিক্ষা করো। নিশ্চয়ই এ কুরআন হলো আল্লাহর রশি এবং প্রকাশ্য জ্যোতি, (অন্তরে রোগের) ঔষধ ও উপকারকারী, যে ব্যক্তি একে আঁকড়ে ধরে, তার জন্য এটি পাপমুক্তি-সংরক্ষণ (কারী); আর যে ব্যক্তি এর অনুসরণ করবে, তা তার জন্য নাজাত (মুক্তির কারণ), সে বিচ্যুত বা ভ্রষ্ট হয় না যে তাওবা করার প্রয়োজন পড়বে; তা কখনো বক্র হয় না, যাকে সোজা করার প্রয়োজন হবে; এর বিস্ময়সমূহ কখনো ধ্বংস হবে না; আর পুন: পুন: পাঠের পরেও তা কখনো পুরান ও জীর্ণ হয়ে যাবে না। ফলে তোমরা তা পাঠ করতে থাক, কেননা, এ কুরআনের একটি হরফ পাঠ করার কারণে আল্লাহ তোমাদেরকে দশটি সাওয়াব দেবেন। জেনে রাখ, আমি এ কথা বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম (মিলে একটি হয়ফ); বরং আলিফ, লাম এবং মীম (প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা হরফ, যার প্রত্যেকটির জন্য দশটি করে সাওয়াব রয়েছে)।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ ইবরাহীম আল হিজরী’র কারণে। আর এটি মাওকুফ।

 

তাখরীজ: বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান ১৯৮৫; আব্দুর রাযযাক ৬০১৭; তাবারাণী, কাবীর ৯/১৩৯ নং ৮৬৪৬; আবু নুয়াইম, হিলইয়াতুল আউলিয়া ১/১৩০-১৩১; হাকিম, মুসতাদরাক ১/৫৫৫; আবূ উবাইদ, ফাযাইলুল কুরআন পৃ: ৪৯-৫০; নাসাঈ, আমলুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ নং ৯৬৩; আবু নুয়াইম, যিকরু আখবারুল আসবাহান ২/২৭৮ মারফু’ হিসেবে।

 

সাঈদ ইবনু মানসূর ১/৪৩ নং ৭; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান ১৯৮৫ এ সনদে।

 

পূর্ণ ফায়িদাহ দেখুন, বিগত ৩৩৪৬ নং হাদীসটি।

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ هُوَ الْهَجَرِيُّ عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ إِنَّ هَذَا الْقُرْآنَ مَأْدُبَةُ اللَّهِ فَتَعَلَّمُوا مِنْ مَأْدُبَتِهِ مَا اسْتَطَعْتُمْ إِنَّ هَذَا الْقُرْآنَ حَبْلُ اللَّهِ وَالنُّورُ الْمُبِينُ وَالشِّفَاءُ النَّافِعُ عِصْمَةٌ لِمَنْ تَمَسَّكَ بِهِ وَنَجَاةٌ لِمَنْ اتَّبَعَهُ لَا يَزِيغُ فَيَسْتَعْتِبُ وَلَا يَعْوَجُّ فَيُقَوَّمُ وَلَا تَنْقَضِي عَجَائِبُهُ وَلَا يَخْلَقُ عَنْ كَثْرَةِ الرَّدِّ فَاتْلُوهُ فَإِنَّ اللَّهَ يَأْجُرُكُمْ عَلَى تِلَاوَتِهِ بِكُلِّ حَرْفٍ عَشْرَ حَسَنَاتٍ أَمَا إِنِّي لَا أَقُولُ الم وَلَكِنْ بِأَلِفٍ وَلَامٍ وَمِيمٍ

حدثنا جعفر بن عون حدثنا إبراهيم هو الهجري عن أبي الأحوص عن عبد الله قال إن هذا القرآن مأدبة الله فتعلموا من مأدبته ما استطعتم إن هذا القرآن حبل الله والنور المبين والشفاء النافع عصمة لمن تمسك به ونجاة لمن اتبعه لا يزيغ فيستعتب ولا يعوج فيقوم ولا تنقضي عجائبه ولا يخلق عن كثرة الرد فاتلوه فإن الله يأجركم على تلاوته بكل حرف عشر حسنات أما إني لا أقول الم ولكن بألف ولام وميم

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ আবুল আহওয়াস (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৫৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৫৫. যাইদ ইবনু আরকাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে আমাদের মাঝে দণ্ডায়মান হলেন। এরপর তিনি আল্লাহর প্রশংসা করলেন এবং তাঁর ছানা (গুণগান) বর্ণনা করে বললেন: “হে মানবমণ্ডলী! নিশ্চয় আমি এক জন মানুষ মাত্র। হয়তো অচিরেই আমার রবের দূত আমার নিকট এসে যাবে এবং আমি তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে চলে যাব। কিন্তু আমি তোমাদের মাঝে দু’টো ভারী বস্তু রেখে যাচ্ছি। প্রথমটি হচ্ছে আল্লাহর কিতাব যাতে রয়েছে হেদায়েত (পথনির্দেশনা) ও নূর। ফলে তোমরা আল্লাহর কিতাব আঁকড়ে থাঁকবে এবং তা অনুসরণ করবে।” এরপর তিনি এ ব্যাপারে অনুপ্রাণীত করলেন এবং উত্সাহ দিলেন। এরপর তিনি বললেন: “এবং আমার আহলে বাইত- আমার পরিবার। আমার আহলে বাইতের ব্যাপারে তোমাদেরকে আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি- তিনবার।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আহমাদ ৪/৩৬৬-৩৬৭; মুসলিম, ফাযাইলুস সাহাবাহ ২৪০৮; ((তিরমিযী, মানাকিব ৩৭৮৮)।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১২৩।

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ حَدَّثَنَا أَبُو حَيَّانَ عَنْ يَزِيدَ بْنِ حَيَّانَ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ قَالَ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمًا خَطِيبًا فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ يُوشِكُ أَنْ يَأْتِيَنِي رَسُولُ رَبِّي فَأُجِيبَهُ وَإِنِّي تَارِكٌ فِيكُمْ الثَّقَلَيْنِ أَوَّلُهُمَا كِتَابُ اللَّهِ فِيهِ الْهُدَى وَالنُّورُ فَتَمَسَّكُوا بِكِتَابِ اللَّهِ وَخُذُوا بِهِ فَحَثَّ عَلَيْهِ وَرَغَّبَ فِيهِ ثُمَّ قَالَ وَأَهْلَ بَيْتِي أُذَكِّرُكُمْ اللَّهَ فِي أَهْلِ بَيْتِي ثَلَاثَ مَرَّاتٍ

حدثنا جعفر بن عون حدثنا أبو حيان عن يزيد بن حيان عن زيد بن أرقم قال قام رسول الله صلى الله عليه وسلم يوما خطيبا فحمد الله وأثنى عليه ثم قال يا أيها الناس إنما أنا بشر يوشك أن يأتيني رسول ربي فأجيبه وإني تارك فيكم الثقلين أولهما كتاب الله فيه الهدى والنور فتمسكوا بكتاب الله وخذوا به فحث عليه ورغب فيه ثم قال وأهل بيتي أذكركم الله في أهل بيتي ثلاث مرات

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ যায়দ ইবনু আরক্বাম (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৫৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৫৬. আবী ওয়াইল হতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নিশ্চয়ই এ রাস্তা হলো সমাবেশ স্থল। আর সেখানে শয়তানেরা সমবেত হয়ে আহ্বান জানাতে থাকে, ’হে আল্লাহর বান্দারা! এ (ভ্রান্ত) পথই হলো (সঠিক) পথ।’ (আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করার উদ্দেশ্যেই সে এরূপ আহ্বান জানাতে থাকে)। সুতরাং তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে আঁকড়ে ধরো। আর আল্লাহর রজ্জু হলো কুরআন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ ইবনু উমার পর্যন্ত সহীহ। এটি ইবনু উমারের উপর মাওকুফ।

 

তাখরীজ: বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান ২০২৫; ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ৭৪; সুয়ূতী, দুররে মানসূর ২/৬০; তাবারাণী, কাবীর ৯/২৪০ নং ৯০৩১, ৯০৩২; সাঈদ ইবনু মানসূর ৩/১০৮৩ নং ৫১৯।

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ أَخْبَرَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ أَبِي وَائِلٍ قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ إِنَّ هَذَا الصِّرَاطَ مُحْتَضَرٌ تَحْضُرُهُ الشَّيَاطِينُ يُنَادُونَ يَا عَبْدَ اللَّهِ هَذَا الطَّرِيقُ فَاعْتَصِمُوا بِحَبْلِ اللَّهِ فَإِنَّ حَبْلَ اللَّهِ الْقُرْآنُ

حدثنا جعفر بن عون أخبرنا الأعمش عن أبي وائل قال قال عبد الله إن هذا الصراط محتضر تحضره الشياطين ينادون يا عبد الله هذا الطريق فاعتصموا بحبل الله فإن حبل الله القرآن

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ ওয়াইল (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৫৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৫৭. খালিদ ইবনু মা’দান হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোনো একটি সুরা শেষ না করা পর্যন্ত কুরআনের পাঠক ও শিক্ষাকারীর উপর ফিরিশতাগণ সালাত প্রেরণ (রহমতের দু’আ) করতে থাকেন। সুতরাং তোমাদের কেউ যখন কুরআনের কোনো সূরা পাঠ করায় বা শিক্ষা দেয়, সে যেন তা শেষ না করে তার দু’টো আয়াত দিনের শেষে পাঠ করে তা সমাপ্ত করার জন্য রেখে দেয়, যাতে ফিরিশতাগণ পাঠকারী ও শিক্ষাকারীর উপর দিনের শুরু হতে শেষ পর্যন্ত সালাত প্রেরণ (রহমতের দু’আ) করতে থাকে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: আবদাহ খালিদ ইবনু মা’দানের কন্যা। আমি তার জীবনী কোথাও পাইনি। অন্যান্য রাবীগণ সকলেই বিশ্বস্ত। আর এটি খালিদ ইবনু মা’দানের উপর মাওকুফ।

 

তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১০/৫০৫ নং ১০১২৮ আবী উমামার বক্তব্য হিসেবে জাইয়্যেদ সনদে বর্ণনা করেছেন। এছাড়াও, হিন্দী, কানযুল উম্মালে একে হাকীম তিরমিযী’র প্রতি সম্বন্ধ করেছেন, যা হাকীম তিরমিযীর নাওয়াদিরুল উসূল পৃ: ৩৩৩ তে রয়েছে।

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

أَخْبَرَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ حَدَّثَنَا عَبْدَةُ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ قَالَ إِنَّ قَارِئَ الْقُرْآنِ وَالْمُتَعَلِّمَ تُصَلِّي عَلَيْهِمْ الْمَلَائِكَةُ حَتَّى يَخْتِمُوا السُّورَةَ فَإِذَا أَقْرَأَ أَحَدُكُمْ السُّورَةَ فَلْيُؤَخِّرْ مِنْهَا آيَتَيْنِ حَتَّى يَخْتِمَهَا مِنْ آخِرِ النَّهَارِ كَيْ مَا تُصَلِّي الْمَلَائِكَةُ عَلَى الْقَارِئِ وَالْمُقْرِئِ مِنْ أَوَّلِ النَّهَارِ إِلَى آخِرِهِ

أخبرنا أبو المغيرة حدثنا عبدة عن خالد بن معدان قال إن قارئ القرآن والمتعلم تصلي عليهم الملائكة حتى يختموا السورة فإذا أقرأ أحدكم السورة فليؤخر منها آيتين حتى يختمها من آخر النهار كي ما تصلي الملائكة على القارئ والمقرئ من أول النهار إلى آخره

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ খালিদ ইবনু মা‘দান (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৫৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৫৮. শুরাহবিল বিন মুসলিম (রহঃ) হতে বর্ণিত, আবূ উমামাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তোমরা কুরআন পাঠ করতে থাকো। আর এ লটকানো কবিতাগুলি যেন তোমাদেরকে (কুরআন পাঠ থেকে) ধোকায় না ফেলে দেয়। অথচ যে অন্তর কুরআন সংরক্ষণ করেছে, আল্লাহ কখনোই তাকে শাস্তি দেবেন না।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১০/৫০৫ নং ১০১২৮।

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ أَخْبَرَنَا حَرِيزٌ عَنْ شُرَحْبِيلَ بْنِ مُسْلِمٍ الْخَوْلَانِيِّ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ اقْرَءُوا الْقُرْآنَ وَلَا يَغُرَّنَّكُمْ هَذِهِ الْمَصَاحِفُ الْمُعَلَّقَةُ فَإِنَّ اللَّهَ لَنْ يُعَذِّبَ قَلْبًا وَعَى الْقُرْآنَ

أخبرنا الحكم بن نافع أخبرنا حريز عن شرحبيل بن مسلم الخولاني عن أبي أمامة أنه كان يقول اقرءوا القرآن ولا يغرنكم هذه المصاحف المعلقة فإن الله لن يعذب قلبا وعى القرآن

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৫৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৫৯. সুলাইম ইবনু আমির (রহঃ) হতে বর্ণিত, আবূ উমামাহ বাহিলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তোমরা কুরআন পাঠ করতে থাকো। আর তোমাদেরকে যেন (কবিতার মতো) এ কুরআন (পাঠ) ধোকায় না ফেলে দেয়। কারণ যে অন্তর কুরআন সংরক্ষণ করেছে, আল্লাহ তাকে শাস্তি দেবেন না।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ আব্দুল্লাহ ইবনু সালিহ এর দুর্বলতার কারণে।

 

তাখরীজ: বুখারী, খালকু আফ’আলীল ইবাদ পৃ: ৮৭। আর এটি পূর্বের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি।

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ عَنْ سُلَيْمِ بْنِ عَامِرٍ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ الْبَاهِلِيِّ قَالَ اقْرَءُوا الْقُرْآنَ وَلَا يَغُرَّنَّكُمْ هَذِهِ الْمَصَاحِفُ الْمُعَلَّقَةُ فَإِنَّ اللَّهَ لَا يُعَذِّبُ قَلْبًا وَعَى الْقُرْآنَ

حدثنا عبد الله بن صالح حدثني معاوية بن صالح عن سليم بن عامر عن أبي أمامة الباهلي قال اقرءوا القرآن ولا يغرنكم هذه المصاحف المعلقة فإن الله لا يعذب قلبا وعى القرآن

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ সুলাইম ইবনু আমির (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৬০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৬০. আব্দুর রহমান ইবনু ইয়াযীদ হতে বর্ণিত, ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, সকল নিমন্ত্রিত ব্যক্তিই চায়, তাকে যথাযোগ্য আপ্যায়ন করা হোক। আর কুরআন হলো আল্লাহর (ভোজের) নিমন্ত্রণ।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ ইবনু মাসউদ পর্যন্ত সহীহ। এটি ইবনু মাসউদের উপর মাওকুফ।

 

তাখরীজ: এটি বিগত ৩৩৪২ নং হাদীসের অংশবিশেষ।

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا مِسْعَرٌ عَنْ مَعْنِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ لَيْسَ مِنْ مُؤَدِّبٍ إِلَّا وَهُوَ يُحِبُّ أَنْ يُؤْتَى أَدَبُهُ وَإِنَّ أَدَبَ اللَّهِ الْقُرْآنُ

أخبرنا محمد بن يوسف حدثنا مسعر عن معن بن عبد الرحمن عن ابن مسعود قال ليس من مؤدب إلا وهو يحب أن يؤتى أدبه وإن أدب الله القرآن

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৬১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৬১. আবূল আহওয়াস (রহঃ) হতে বর্ণিত, আবদুল্লাহ্ ইবনু মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন: এ কুরআন হলো আল্লাহর ভোজসভা। ফলে সেখানে যে ব্যক্তিই প্রবেশ করলো, সে নিরাপত্তা লাভ করলো।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: এটিও বিগত ৩৩৪২ নং হাদীসের অংশবিশেষ।

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَيْسَرَةَ عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ قَالَ كَانَ عَبْدُ اللَّهِ يَقُولُ إِنَّ هَذَا الْقُرْآنَ مَأْدُبَةُ اللَّهِ فَمَنْ دَخَلَ فِيهِ فَهُوَ آمِنٌ

حدثنا سهل بن حماد حدثنا شعبة عن عبد الملك بن ميسرة عن أبي الأحوص قال كان عبد الله يقول إن هذا القرآن مأدبة الله فمن دخل فيه فهو آمن

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবুল আহওয়াস (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৬২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৬২. আব্দুর রহমান ইবনু ইয়াযীদ হতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, যে ব্যক্তি কুরআনকে ভালবাসে সে যেন আনন্দিত হয়।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ পর্যন্ত সহীহ। এটি ইবনু মাসউদের উপর মাওকুফ।

 

তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১০/৫০৬ নং ১০১২৯; সাঈদ ইবনু মানসূর ১/১২ নং ৩।

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ مَنْ أَحَبَّ الْقُرْآنَ فَلْيُبْشِرْ

أخبرنا يحيى بن حماد حدثنا أبو عوانة عن الأعمش عن إبراهيم عن عبد الرحمن بن يزيد عن عبد الله قال من أحب القرآن فليبشر

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবন ইয়াযীদ (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৬৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৬৩. (অপর সনদে) আব্দুর রহমান ইবনু ইয়াযীদ হতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, যে ব্যক্তি কুরআনকে ভালবাসে সে যেন আনন্দিত হয়।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আর এটি পূর্বের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি।

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

حَدَّثَنَا يَعْلَى حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ مَنْ أَحَبَّ الْقُرْآنَ فَلْيُبْشِرْ

حدثنا يعلى حدثنا الأعمش عن إبراهيم عن عبد الرحمن بن يزيد عن عبد الله قال من أحب القرآن فليبشر

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবন ইয়াযীদ (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৬৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৬৪. শা’বী হতে বর্ণিত, ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলতেন, কিয়ামতের দিন কুরআন এসে তার সাথী (পাঠক)-এর জন্য শাফা’আত করবে এবং তাকে জান্নাতের দিকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবে। আবার তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে এবং তাকে জাহান্নামের দিকে চালিয়ে নিয়ে যাবে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ শা’বী পর্যন্ত হাসান।

 

তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১০/৪৯৭ নং ১০১০২; ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ৯৬, ১০৮; আবুল ফাযল আর রাযী, নং ১২৪ (কিছুটা ভিন্ন শব্দে।)

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا هَمَّامٌ عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النُّجُودِ عَنْ الشَّعْبِيِّ أَنَّ ابْنَ مَسْعُودٍ كَانَ يَقُولُ يَجِيءُ الْقُرْآنُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيَشْفَعُ لِصَاحِبِهِ فَيَكُونُ لَهُ قَائِدًا إِلَى الْجَنَّةِ وَيَشْهَدُ عَلَيْهِ وَيَكُونُ لَهُ سَائِقًا إِلَى النَّارِ

حدثنا يزيد بن هارون أخبرنا همام عن عاصم بن أبي النجود عن الشعبي أن ابن مسعود كان يقول يجيء القرآن يوم القيامة فيشفع لصاحبه فيكون له قائدا إلى الجنة ويشهد عليه ويكون له سائقا إلى النار

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ শা‘বী (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৬৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৬৫. আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: “নিশ্চয়ই লোকদের মাঝে আল্লাহর ’আহল’ বা পরিজন রয়েছে।” তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তারা কারা? তিনি বললেন: “আহলুল কুরআন’ বা কুরআনের অধিকারীগণ।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ হাসান ইবনু আবী জা’ফর এর দুর্বলতার কারণে। তবে তিনি এ বর্ণনায় একাকী নন, তার মুতাবিয়াত রয়েছে। যেমন তাখরীজে উল্লেখিত হয়েছে।

 

তাখরীজ: আবূ দাউদ তায়ালিসী, ২/৩ নং ১৮৮৫; আবী নুয়াইম, হিলইয়াতুল আউলিয়া ৩/৬৩; আহমাদ ৩/১২৭-১২৮, ২৪২; নাসাঈ, কুবরা ৫/১৭ নং ৮০৩১; সুনান, ফাযাইলুল কুরআন নং ৫৬; ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ৭৫; ইবনু কাছীর, ফাযাইলুল কুরআন পৃ: ২৭৫; ইবনু মাজাহ, মুকাদ্দমাহ নং ২১৫; আবুল ফাযল আর রাযী, নং ৩৭; হাকিম ১/৫৫৬ সহীহ সনদে।

 

বুসীরী, মিসবাহুয যুজাজাহ ১/৯১ তে বলেন, এ সনদ সহীহ, সকলেই বিশ্বস্ত।’

 

খতীব, তারীখ ২/৩১১ অপর সূত্রে।

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَبِي جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا بُدَيْلٌ عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ لِلَّهِ أَهْلِينَ مِنْ النَّاسِ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ هُمْ قَالَ أَهْلُ الْقُرْآنِ

حدثنا مسلم بن إبراهيم حدثنا الحسن بن أبي جعفر حدثنا بديل عن أنس قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إن لله أهلين من الناس قيل يا رسول الله من هم قال أهل القرآن

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৬৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৬৬. কা’ব হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমরা কুরআনকে আঁকড়ে ধরো। কেননা, মনের উপলব্ধি, প্রজ্ঞার আলোকবর্তিকা, ইলমের ঝরণা, কালের বিবেচনায় আল্লাহর কিতাবসমূহের মধ্যে সবচেয়ে নবতর কিতাব।[1] তিনি বলেন, তাওরাত কিতাবে আছে, হে মুহাম্মদ! আমি আপনার প্রতি নবতর তাওরাত নাযিল করেছি, যা অন্ধ দৃষ্টিকে, বধির কানকে এবং অনুভুতিহীন আবদ্ধ হৃদয়কে উন্মুক্ত করে দেবে।[2]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান।

 

তাখরীজ: আবী উবাইদ, ফাযাইলুল কুরআন পৃ: নং ৭৭।

 

[2] তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১১/৪৮১ নং ১১৭৮৭ মুগীছ হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম r বলেছেন: “আমার নিকট নাযিল করা হয়েছে তাতে রয়েছে প্রজ্ঞার আলোকবর্তিকা, ইলমের ঝরণা; এর দ্বারা অন্ধ দৃষ্টিকে, অনুভুতিহীন আবদ্ধ হৃদয়কে এবং বধির কানকে উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য।আর তা আল্লাহর কিতাবসমূহের মধ্যে সবচেয়ে নবতর কিতাব।”

 

এর সনদ মুগীছ পর্যন্ত সহীহ। তবে এটি মুগীছের উপর মাওকুফ (তার নিজের বক্তব্য হিসেবে বর্ণিত)।

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ عَاصِمِ بْنِ بَهْدَلَةَ عَنْ مُغِيثٍ عَنْ كَعْبٍ قَالَ عَلَيْكُمْ بِالْقُرْآنِ فَإِنَّهُ فَهْمُ الْعَقْلِ وَنُورُ الْحِكْمَةِ وَيَنَابِيعُ الْعِلْمِ وَأَحْدَثُ الْكُتُبِ بِالرَّحْمَنِ عَهْدًا وَقَالَ فِي التَّوْرَاةِ يَا مُحَمَّدُ إِنِّي مُنَزِّلٌ عَلَيْكَ تَوْرَاةً حَدِيثَةً تَفْتَحُ فِيهَا أَعْيُنًا عُمْيًا وَآذَانًا صُمًّا وَقُلُوبًا غُلْفًا

حدثنا عمرو بن عاصم حدثنا حماد بن سلمة عن عاصم بن بهدلة عن مغيث عن كعب قال عليكم بالقرآن فإنه فهم العقل ونور الحكمة وينابيع العلم وأحدث الكتب بالرحمن عهدا وقال في التوراة يا محمد إني منزل عليك توراة حديثة تفتح فيها أعينا عميا وآذانا صما وقلوبا غلفا

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ কা’ব আল-আহবার (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৬৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৬৭. আবী কিনানাহ হতে বর্ণিত, আবূ মুসা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, এ কুরআন হলো তোমাদের জন্য সাওয়াব অর্জনের মাধ্যম, যিকিরের উপাদান, তোমাদের জন্য আলোকবর্তিকা এবং তোমাদের পক্ষে বোঝা বহনকারী। তোমরা এ কুরআনের অনুসরণ করো, আর এ কুরআন যেন তোমাদের পশ্চাদ্ধাবন না করে। কারণ যে ব্যক্তি কুরআনের অনুসরণ করবে, এর মাধ্যমে সে জান্নাতের বাগানে অবতরণ (অবস্থান) করবে। আর যে ব্যক্তি কুরআনকে তার অনুগামী করবে, তা তার ঘাড় ধরে ঠেলে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: আবূ কিনানাহ সম্পর্কে আমি কোনো মুহাদ্দিসকে ‘জারাহ ও তা’দীল (সুনাম বা দুর্নাম) করতে দেখিনি। বাকী রাবীগণ বিশ্বস্ত। ফলে এটি ইবনু হিব্বানের শর্তানুযায়ী সহীহ।

 

তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১০/৪৮৪ নং ১০০৪৩, ১৩/২৮৬ নং ১৬৬৭১; ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ৬৭; সাঈদ ইবনু মানসূর ১/৪৯ নং ৮ ; আবী নুয়াইম, হিলইয়াতুল আউলিয়া ২/২৫৭; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান ২০২৩, ২০২৪।

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ مِخْرَاقٍ عَنْ أَبِي إِيَاسٍ عَنْ أَبِي كِنَانَةَ عَنْ أَبِي مُوسَى أَنَّهُ قَالَ إِنَّ هَذَا الْقُرْآنَ كَائِنٌ لَكُمْ أَجْرًا وَكَائِنٌ لَكُمْ ذِكْرًا وَكَائِنٌ بِكُمْ نُورًا وَكَائِنٌ عَلَيْكُمْ وِزْرًا اتَّبِعُوا الْقُرْآنَ وَلَا يَتَّبِعْكُمْ الْقُرْآنُ فَإِنَّهُ مَنْ يَتَّبِعْ الْقُرْآنَ يَهْبِطْ بِهِ فِي رِيَاضِ الْجَنَّةِ وَمَنْ اتَّبَعَهُ الْقُرْآنُ يَزُخُّ فِي قَفَاهُ فَيَقْذِفُهُ فِي جَهَنَّمَ قَالَ أَبُو مُحَمَّد يَزُخُّ يَدْفَعُ

حدثنا سهل بن حماد حدثنا شعبة حدثنا زياد بن مخراق عن أبي إياس عن أبي كنانة عن أبي موسى أنه قال إن هذا القرآن كائن لكم أجرا وكائن لكم ذكرا وكائن بكم نورا وكائن عليكم وزرا اتبعوا القرآن ولا يتبعكم القرآن فإنه من يتبع القرآن يهبط به في رياض الجنة ومن اتبعه القرآن يزخ في قفاه فيقذفه في جهنم قال أبو محمد يزخ يدفع

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৬৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৬৮. মুসা ইবনু আইয়্যূব হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার চাচা ইয়াস ইবনু আমির বলতেন, আলী ইবনু আবী তালিব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আমার হাত ধরে বলেন, তুমি যদি আমার পরে বেঁচে থাক, তবে অচিরেই (দেখবে), তিন প্রকারে কুরআন পাঠ করা হবে: ১. আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ২. তর্ক-বিতর্ক করার উদ্দেশ্যে এবং ৩. দুনিয়া (মাল-সম্পদ) কামাইয়ের উদ্দেশ্যে। আর তা দ্বারা যে যা-ই অন্বেষণ করবে, তা সে পাবে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: তাহক্বীক্ব, উস্তায আলী রিযা, মুসনাদু আলী নং ৭৩৪। তিনি একে যয়ীফ বলেছেন। তবে তা সেরূপ তথা যয়ীফ নয়।

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ أَيُّوبَ قَالَ سَمِعْتُ عَمِّي إِيَاسَ بْنَ عَامِرٍ يَقُولُ أَخَذَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ بِيَدِي ثُمَّ قَالَ إِنَّكَ إِنْ بَقِيتَ سَيَقْرَأُ الْقُرْآنَ ثَلَاثَةُ أَصْنَافٍ فَصِنْفٌ لِلَّهِ وَصِنْفٌ لِلْجِدَالِ وَصِنْفٌ لِلدُّنْيَا وَمَنْ طَلَبَ بِهِ أَدْرَكَ

حدثنا عبد الله بن يزيد حدثنا موسى بن أيوب قال سمعت عمي إياس بن عامر يقول أخذ علي بن أبي طالب بيدي ثم قال إنك إن بقيت سيقرأ القرآن ثلاثة أصناف فصنف لله وصنف للجدال وصنف للدنيا ومن طلب به أدرك

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৬৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৬৯. আবী কিলাবাহ হতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি আবূ দারদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে বললো, আপনার কুফাবাসী যিকিরকারী (অধিক কুরআন পাঠকারী খারেজীগণ) ভাইগণ আপনাকে সালাম প্রদান করেছেন। তখন তিনি বললেন, তাদের প্রতি সালাম। তাদেরকে আদেশ করো যে, তারা যেন কুরআনের হাতে তাদের আনুগত্যের লাগাম প্রদান করে (অর্থাৎ- তারা যেন কুরআনের হুকুমের আনুগত্য করে ও তার সাথে লেগে থাকে)। ফলে কুরআন তাদেরকে সরল-সোজা ও সহজ পথের দিকে অনুপ্রাণীত করবে এবং তাদেরকে বাড়াবাড়ি-জুলুম ও কাঠিন্য-কঠোরতা হতে দুরে রাখবে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ ইনকিতা’আ বা বিচ্ছিন্নতার কারণে। আবু কিলাবাহ আবূ দারদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর সাক্ষাত পাননি।

 

তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১০/৫২৭ নং ১০২১১; আব্দুর রাযযাক নং ৫৯৯৬।

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ أَبِي قِلَابَةَ أَنَّ رَجُلًا قَالَ لِأَبِي الدَّرْدَاءِ إِنَّ إِخْوَانَكَ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ مِنْ أَهْلِ الذِّكْرِ يُقْرِئُونَكَ السَّلَامَ فَقَالَ وَعَلَيْهِمْ السَّلَامُ وَمُرْهُمْ فَلْيُعْطُوا الْقُرْآنَ بِخَزَائِمِهِمْ فَإِنَّهُ يَحْمِلُهُمْ عَلَى الْقَصْدِ وَالسُّهُولَةِ وَيُجَنِّبُهُمْ الْجَوْرَ وَالْحُزُونَةَ

حدثنا سليمان بن حرب عن حماد بن زيد عن أيوب عن أبي قلابة أن رجلا قال لأبي الدرداء إن إخوانك من أهل الكوفة من أهل الذكر يقرئونك السلام فقال وعليهم السلام ومرهم فليعطوا القرآن بخزائمهم فإنه يحملهم على القصد والسهولة ويجنبهم الجور والحزونة

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ আবূ কিলাবাহ্ (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৭০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৭০. হারিছ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি একদা মসজিদে প্রবেশ করে দেখলাম কতক লোক সেখানে কথাবার্তায় নিমগ্ন। তখন আমি আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর নিকট গিয়ে বললাম, আপনি কি দেখছেন না যে, মসজিদে লোকেরা বাকবিতণ্ডায় নিমগ্ন হয়ে আছে? তখন তিনি বললেন, তারা কি তাই করছে? আমি বললাম, হাঁ। তিনি বললেন, শোন, নিশ্চয়ই আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন: “অচিরেই ফিতনাসমূহ আবির্ভাব হবে।” আমি বললাম, তা হতে বের হওয়ার উপায় কি? তিনি বললেন, “আল্লাহর কিতাব। আল্লাহর কিতাবে তোমাদের পূর্ববর্তীগণের সকল সংবাদ রয়েছে এবং তোমাদের পরবর্তীদের সংবাদও রয়েছে, এবং তোমাদের মধ্যকার প্রয়োজনীয় হুকুম-আহকাম রয়েছে। আর তা হলো চুড়ান্ত সত্য, এটি কোনো ঠাট্টা-তামাশার বস্তু নয়। দাপট-অহংকারবশত: যে ব্যক্তি একে বর্জন করবে, আল্লাহ তাকে ধ্বংস করবেন। আর যে ব্যক্তি এ ব্যতীত অন্য কোথাও হেদায়েত-পথনির্দেশনা অন্বেষণ করবে, আল্লাহ তাকে পথভ্রষ্ট করবেন।

আর এ হলো আল্লাহর মজবুত রশি; আর এ হলো প্রজ্ঞাপুর্ণ যিকির; আর এ হলো সিরাতুল মুস্তাক্বীম-সরল-সোজা পথ। এ হলো সেই বস্তু যার মাধ্যমে প্রবৃত্তি-মনমর্জি বক্র হয় না, আর এর দ্বারা জবান অস্পষ্ট হয় না। আর এ থেকে উলামাগণ কখনো পরিতৃপ্ত হয় না; বার বার পাঠেও তা কখনো জীর্ণ ও পুরাতন হয় না; এর বিস্ময়সমূহ কখনো শেষ হয় না; এ হলো সেই কুরআন যা শুনে জ্বিনেরা এ কথা না বলে পারেনি যে, إِنَّا سَمِعْنَا قُرْآناً عَجَباً (অর্থ: “আমরা তো এক বিস্ময়কর কুরআন শ্রবণ করেছি।” সুরা জ্বিন: ১) আর এ হলো সেই কুরআন, যার দ্বারা কেউ কথা বললে সত্য বলে; যার দ্বারা কেউ বিচার-ফায়সালা করলে, সে ন্যায়বিচার করে; এর দ্বারা যে আমল করে, সে প্রতিদান লাভ করলো; আর এর দিকে যে আহ্বান করলো, সে ’সিরাতুল মুস্তাক্বিম’ বা সরল পথের দিশা পেল।” (আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাকে বললেন,) হে আওয়ার, তুমি এ কুরআনকে অবলম্বন-অনুসরণ করো।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদে দু’জন অজ্ঞাত নামা রাবী রয়েছে: আবুল মুখতার সা’দ আত তাঈ ও ইবনু আখীল হারিছ (হারিছের ভাতিজা)।

 

তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১০/৪৮২ নং ১০০৫৬; তিরমিযী, ছাওয়াবুল কুরআন ২৯০৮; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান ১৯৩৫, ১৯৩৬; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ১১৮১। (তিরমিযী বলেন: হাদীসটি গারীব। হামযা আয যিয়াত হতে ব্যতীত এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। এর সনদ মাজহুল বা অজ্ঞাত। হারিছের বর্ণনা সম্পর্কে সমালোচনা রয়েছে।”

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ الرِّفَاعِيُّ حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ الْجُعْفِيُّ عَنْ حَمْزَةَ الزَّيَّاتِ عَنْ أَبِي الْمُخْتَارِ الطَّائِيِّ عَنْ ابْنِ أَخِي الْحَارِثِ عَنْ الْحَارِثِ قَالَ دَخَلْتُ الْمَسْجِدَ فَإِذَا أُنَاسٌ يَخُوضُونَ فِي أَحَادِيثَ فَدَخَلْتُ عَلَى عَلِيٍّ فَقُلْتُ أَلَا تَرَى أَنَّ أُنَاسًا يَخُوضُونَ فِي الْأَحَادِيثِ فِي الْمَسْجِدِ فَقَالَ قَدْ فَعَلُوهَا قُلْتُ نَعَمْ قَالَ أَمَا إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ سَتَكُونُ فِتَنٌ قُلْتُ وَمَا الْمَخْرَجُ مِنْهَا قَالَ كِتَابُ اللَّهِ كِتَابُ اللَّهِ فِيهِ نَبَأُ مَا قَبْلَكُمْ وَخَبَرُ مَا بَعْدَكُمْ وَحُكْمُ مَا بَيْنَكُمْ هُوَ الْفَصْلُ لَيْسَ بِالْهَزْلِ هُوَ الَّذِي مَنْ تَرَكَهُ مِنْ جَبَّارٍ قَصَمَهُ اللَّهُ وَمَنْ ابْتَغَى الْهُدَى فِي غَيْرِهِ أَضَلَّهُ اللَّهُ فَهُوَ حَبْلُ اللَّهِ الْمَتِينُ وَهُوَ الذِّكْرُ الْحَكِيمُ وَهُوَ الصِّرَاطُ الْمُسْتَقِيمُ وَهُوَ الَّذِي لَا تَزِيغُ بِهِ الْأَهْوَاءُ وَلَا تَلْتَبِسُ بِهِ الْأَلْسِنَةُ وَلَا يَشْبَعُ مِنْهُ الْعُلَمَاءُ وَلَا يَخْلَقُ عَنْ كَثْرَةِ الرَّدِّ وَلَا تَنْقَضِي عَجَائِبُهُ وَهُوَ الَّذِي لَمْ يَنْتَهِ الْجِنُّ إِذْ سَمِعَتْهُ أَنْ قَالُوا إِنَّا سَمِعْنَا قُرْآنًا عَجَبًا هُوَ الَّذِي مَنْ قَالَ بِهِ صَدَقَ وَمَنْ حَكَمَ بِهِ عَدَلَ وَمَنْ عَمِلَ بِهِ أُجِرَ وَمَنْ دَعَا إِلَيْهِ هُدِيَ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ خُذْهَا إِلَيْكَ يَا أَعْوَرُ

أخبرنا محمد بن يزيد الرفاعي حدثنا الحسين الجعفي عن حمزة الزيات عن أبي المختار الطائي عن ابن أخي الحارث عن الحارث قال دخلت المسجد فإذا أناس يخوضون في أحاديث فدخلت على علي فقلت ألا ترى أن أناسا يخوضون في الأحاديث في المسجد فقال قد فعلوها قلت نعم قال أما إني سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ستكون فتن قلت وما المخرج منها قال كتاب الله كتاب الله فيه نبأ ما قبلكم وخبر ما بعدكم وحكم ما بينكم هو الفصل ليس بالهزل هو الذي من تركه من جبار قصمه الله ومن ابتغى الهدى في غيره أضله الله فهو حبل الله المتين وهو الذكر الحكيم وهو الصراط المستقيم وهو الذي لا تزيغ به الأهواء ولا تلتبس به الألسنة ولا يشبع منه العلماء ولا يخلق عن كثرة الرد ولا تنقضي عجائبه وهو الذي لم ينته الجن إذ سمعته أن قالوا إنا سمعنا قرآنا عجبا هو الذي من قال به صدق ومن حكم به عدل ومن عمل به أجر ومن دعا إليه هدي إلى صراط مستقيم خذها إليك يا أعور

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ হারিছ আল-আ’ওয়ার (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৭১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৭১. হারিছ হতে বর্ণিত, আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলা হলো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার পরে অচিরেই আপনার উম্মাত ফিতনায় পতিত হবে। অত:পর তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন, অথবা, তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলো, তা হতে পরিত্রাণের হওয়ার উপায় কি? তিনি বললেন, “মহা পরাক্রান্ত আল্লাহর কিতাব – কোনো মিথ্যা এতে অনুপ্রবেশ করবে না- অগ্র হতেও নয়, পশ্চাত হতেও নয়। এটা প্রজ্ঞাবান, প্রশংসনীয় আল্লাহর নিকট হতে অবতীর্ণ। (সুরা ফুসসিলাত: ৪২) আর যে ব্যক্তি এ ব্যতীত অন্য কোথাও হেদায়েত-পথনির্দেশনা অন্বেষণ করবে, আল্লাহ তাকে পথভ্রষ্ট করবেন। আর যে ব্যক্তি শাসন ক্ষমতা লাভ করবে, অত:পর সে এ ব্যতীত অন্যকিছু দ্বারা বিচার-ফায়সালা করবে, আল্লাহ তাকে ধ্বংস করবেন। আর এ হলো প্রজ্ঞাপুর্ণ যিকির ও সুস্পষ্ট আলোকবর্তিকা; আর সিরাতুল মুস্তাক্বীম-সরল-সোজা পথ।

এতে তোমাদের পূর্ববর্তীগণের সকল খবরা-খবর এবং তোমাদের পরবর্তীদের সংবাদ রয়েছে, এবং তোমাদের মধ্যকার প্রয়োজনীয় হুকুম-আহকাম রয়েছে। আর তা হলো চুড়ান্ত সত্য, এটি কোনো ঠাট্টা-তামাশার বস্তু নয়। এ হলো সেই কুরআন যা শুনে জ্বিনেরা এ কথা না বলে পারেনি যে, إِنَّا سَمِعْنَا قُرْآناً عَجَباً (অর্থ: “আমরা তো এক বিস্ময়কর কুরআন শ্রবণ করেছি। এটি সুপথে পরিচালিত করে।” সুরা জ্বিন: ১) বার বার পাঠেও তা কখনো জীর্ণ ও পুরাতন হয় না; এর উপদেশ-শিক্ষা বিস্ময়সমূহ কখনো নষ্ট হবে না এবং এর বিস্ময়সমূহ কখনো শেষ হবে না।” এরপর আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হারিছকে বললেন, ’হে আওয়ার, তুমি একে (কুরআনকে) আঁকড়ে ধরো।’[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান। ((মুহাক্বিক্ব পুর্বের হাদীসটিতে আবুল মুখতার কে মাজহুল বা অজ্ঞাত পরিচয় বললেন, অথচ এখানে এর সনদকে ‘হাসান বললেন। এছাড়া, অপর রাবী হারিছের সম্পর্কে এর পূর্বের টীকায় তিরমিযীর সমালোচনা আমরা দেখেছি।– যার ফলে এর সনদও যয়ীফ হওয়াই বাঞ্ছনীয়। আল্লাহই ভাল জানেন।– অনুবাদক।))

 

তাখরীজ: খতীব, ফাকীহ ওয়াল মুত্তাফাকীহ ১/৫৫, ৫৬; আবুল ফাযল আর রাযী, ফাযাইলুল কুরআন নং ৩৫।

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ عَدِيٍّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ أَبِي سِنَانٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ عَنْ الْحَارِثِ عَنْ عَلِيٍّ قَالَ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أُمَّتَكَ سَتُفْتَتَنُ مِنْ بَعْدِكَ قَالَ فَسَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْ سُئِلَ مَا الْمَخْرَجُ مِنْهَا قَالَ الْكِتَابُ الْعَزِيزُ الَّذِي لَا يَأْتِيهِ الْبَاطِلُ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ وَلَا مِنْ خَلْفِهِ تَنْزِيلٌ مِنْ حَكِيمٍ حَمِيدٍ مَنْ ابْتَغَى الْهُدَى فِي غَيْرِهِ أَضَلَّهُ اللَّهُ وَمَنْ وَلِيَ هَذَا الْأَمْرَ مِنْ جَبَّارٍ فَحَكَمَ بِغَيْرِهِ قَصَمَهُ اللَّهُ هُوَ الذِّكْرُ الْحَكِيمُ وَالنُّورُ الْمُبِينُ وَالصِّرَاطُ الْمُسْتَقِيمُ فِيهِ خَبَرُ مَنْ قَبْلَكُمْ وَنَبَأُ مَا بَعْدَكُمْ وَحُكْمُ مَا بَيْنَكُمْ وَهُوَ الْفَصْلُ لَيْسَ بِالْهَزْلِ وَهُوَ الَّذِي سَمِعَتْهُ الْجِنُّ فَلَمْ تَتَنَاهَى أَنْ قَالُوا إِنَّا سَمِعْنَا قُرْآنًا عَجَبًا يَهْدِي إِلَى الرُّشْدِ وَلَا يَخْلَقُ عَنْ كَثْرَةِ الرَّدِّ وَلَا تَنْقَضِي عِبَرُهُ وَلَا تَفْنَى عَجَائِبُهُ ثُمَّ قَالَ عَلِيٌّ لِلْحَارِثِ خُذْهَا إِلَيْكَ يَا أَعْوَرُ

 

 

حدثنا محمد بن العلاء حدثنا زكريا بن عدي حدثنا محمد بن سلمة عن أبي سنان عن عمرو بن مرة عن أبي البختري عن الحارث عن علي قال قيل يا رسول الله إن أمتك ستفتتن من بعدك قال فسأل رسول الله صلى الله عليه وسلم أو سئل ما المخرج منها قال الكتاب العزيز الذي لا يأتيه الباطل من بين يديه ولا من خلفه تنزيل من حكيم حميد من ابتغى الهدى في غيره أضله الله ومن ولي هذا الأمر من جبار فحكم بغيره قصمه الله هو الذكر الحكيم والنور المبين والصراط المستقيم فيه خبر من قبلكم ونبأ ما بعدكم وحكم ما بينكم وهو الفصل ليس بالهزل وهو الذي سمعته الجن فلم تتناهى أن قالوا إنا سمعنا قرآنا عجبا يهدي إلى الرشد ولا يخلق عن كثرة الرد ولا تنقضي عبره ولا تفنى عجائبه ثم قال علي للحارث خذها إليك يا أعور

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ হারিছ আল-আ’ওয়ার (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৭২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৭২. আবী হুররাহ হতে বর্ণিত, وَمَنْ يُؤْتَ الْحِكْمَةَ فَقَدْ أُوتِىَ خَيْراً كَثِيراً (অর্থ: “আর যাকে হিকমাত (প্রজ্ঞা) প্রদান করা হয়েছে, বস্তুত: তাকে প্রভূত কল্যাণ দেওয়া হয়েছে।” সুরা বাকারা: ২৬৯) ইবরাহীম (রহঃ) এ আয়াত সম্পর্কে বলেন, (হিকমাত’ অর্থ:) কুরআনের জ্ঞান।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ ইবরাহীম পর্যন্ত যয়ীফ।

 

তাখরীজ: তাবারী, তাফসীর ৩/৯০।

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ أَبِي حُرَّةَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ وَمَنْ يُؤْتَ الْحِكْمَةَ فَقَدْ أُوتِيَ خَيْرًا كَثِيرًا قَالَ الْفَهْمَ بِالْقُرْآنِ

أخبرنا محمد بن يوسف حدثنا سفيان عن أبي حرة عن إبراهيم ومن يؤت الحكمة فقد أوتي خيرا كثيرا قال الفهم بالقرآن

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৭৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৭৩. আবী নাজীহ হতে বর্ণিত, يُؤْتِى الْحِكْمَةَ مَنْ يَشَاءُ (অর্থ: “আর তিনি যাকে ইচ্ছা হিকমাত (প্রজ্ঞা) প্রদান করেন।” সুরা বাকারা: ২৬৯) এ আয়াত সম্পর্কে মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, অর্থাৎ আল্লাহর কিতাব। যাকে ইচ্ছা তিনি কুরআন মাজীদের যথার্থ জ্ঞান দান করেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ মুজাহিদ পর্যন্ত সহীহ।

 

তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ৭/২৩১ নং ৩০০৯; তাবারী, তাফসীর ৩/৯০।

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ وَرْقَاءَ عَنْ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ عَنْ مُجَاهِدٍ يُؤْتِي الْحِكْمَةَ مَنْ يَشَاءُ قَالَ الْكِتَابَ يُؤْتِي إِصَابَتَهُ مَنْ يَشَاءُ

أخبرنا محمد بن يوسف عن ورقاء عن ابن أبي نجيح عن مجاهد يؤتي الحكمة من يشاء قال الكتاب يؤتي إصابته من يشاء

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ ইবনু আবী নাজীহ (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৭৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৭৪. আ’মাশ হতে বর্ণিত, খাইছামা তার স্ত্রীকে বলেন, এই তুমিই আমার বাড়িতে মদপানকারীকে প্রবেশ করতে দিয়েছ, যেখানে প্রতি তিন দিনে পুরো কুরআন পঠিত হতো।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান মুহাম্মদ ইবনু ইয়াযীদ আবী হাশিম রিফাঈ’র কারণে।

 

তাখরীজ: আলফাসাওয়ী, আল মা’রিফাতু ওয়াত তারীখ ৩/১৪৩ সহীহ সনদে; এছাড়া, আবূ নুয়াইম, হিলইয়া ৪/১১৫ তে সেখানে রয়েছে: খাইছামা বলেন, … আমি একজন মাত্র লোককে ভয় করি, সে আমার ভাই মুহাম্মদ ইবনু আব্দুর রহমান, সে ফাসিক লোক মদপান করে। ফলে আমার বাড়িতে মদ পান করা হবে, তা আমি অপছন্দ করি। কেননা, সেখানে প্রতি তিনদিন পর কুরআন পাঠ (খতম) করা হয়।’ এর সনদ সহীহ।

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ خَيْثَمَةَ قَالَ قَالَ لِامْرَأَتِهِ إِيَّاكِ أَنْ تُدْخِلِي بَيْتِي مَنْ يَشْرَبُ الْخَمْرَ بَعْدَ أَنْ كَانَ يُقْرَأُ فِيهِ الْقُرْآنُ كُلَّ ثَلَاثٍ

أخبرنا محمد بن يزيد حدثنا أبو بكر عن الأعمش عن خيثمة قال قال لامرأته إياك أن تدخلي بيتي من يشرب الخمر بعد أن كان يقرأ فيه القرآن كل ثلاث

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ আ‘মাশ (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৭৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৭৫. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমরা বাজার হতে কিংবা তোমাদের কোন প্রয়োজন সেরে বাড়িতে প্রবেশ করে বিছানায় হেলান দিয়ে বসে কুরআনের তিনটি আয়াত পাঠ করা হতে তোমাদেরকে কিসে বাধা দেয়?[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: ইবনুল মুবারক, যুহদ নং ৮০৭; ইবনু আদী, আল কামিল ১/২৪৯; তাবারাণী, কাবীর ১১/৩৯৮ নং ১২১১৯; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান ২০০৩, ২১৯৮ মারফু’ হিসেবে, এর সনদ সহীহ।

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا فِطْرٌ عَنْ الْحَكَمِ عَنْ مِقْسَمٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ مَا يَمْنَعُ أَحَدَكُمْ إِذَا رَجَعَ مِنْ سُوقِهِ أَوْ مِنْ حَاجَتِهِ فَاتَّكَأَ عَلَى فِرَاشِهِ أَنْ يَقْرَأَ ثَلَاثَ آيَاتٍ مِنْ الْقُرْآنِ

حدثنا أبو نعيم حدثنا فطر عن الحكم عن مقسم عن ابن عباس قال ما يمنع أحدكم إذا رجع من سوقه أو من حاجته فاتكأ على فراشه أن يقرأ ثلاث آيات من القرآن

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৭৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২. তোমাদের মাঝে সেই ব্যক্তি সর্বোত্তম যে কুরআন (নিজে) শিখে এবং (অপরকে) তা শিখায়

৩৩৭৬. আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তোমাদের মাঝে সেই ব্যক্তি সর্বোত্তম যে কুরআন (নিজে) শিখে এবং (অপরকে) তা শিখায়।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ আব্দুর রহমান ইবনু ইসহাক এর দুর্বলতার কারণে।

 

তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১০/৫০৩ নং ১০১২১; আব্দুল্লাহ ইবনু আহমাদ, যাওয়াইদুল মুসনাদ ১/১৫৩; তিরমিযী, ছাওয়াবুল কুরআন ২৯১১;

 

ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ১৩৬; আবুল ফাযল আর রাযী, ফাযাইলুল কুরআন নং ৩৮, ৩৯; তামাম ফী ফাওয়াইদুহ নং ১৩৬; কুযাঈ, মুসনাদুশ শিহাব নং ১২৪১; খতীব, তারীখ ১/৪৫৯।

 

তিরমিযী বলেন, আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত রিওয়ায়ত হিসাবে আবদুর রহমান ইবন ইসহাক (র)-এর সূত্র ছাড়া এই হাদীসটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই ‘

 

আমরা বলছি: তবে হাদীসটি সহীহ। পরবর্তী হাদীসটি দেখুন।

باب خِيَارُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَهُ

أَخْبَرَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِسْحَقَ حَدَّثَنَا النُّعْمَانُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ عَلِيٍّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْرُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَهُ

أخبرنا مسلم بن إبراهيم حدثنا عبد الواحد حدثنا عبد الرحمن بن إسحق حدثنا النعمان بن سعد عن علي قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم خيركم من تعلم القرآن وعلمه

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ আলী ইবনু আবী তালিব (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৭৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২. তোমাদের মাঝে সেই ব্যক্তি সর্বোত্তম যে কুরআন (নিজে) শিখে এবং (অপরকে) তা শিখায়

৩৩৭৭. উছমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি সর্বোত্তম যে (অপরকে) কুরআন শিক্ষা দেয় অথবা (নিজে) তা শিখে।”

আবূ আব্দুর রহমান উছমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর শাসনামলে কুরআন পড়িয়েছেন হাজ্জাজ আসার পুর্ব পর্যন্ত।তিনি বলেন, আমার এ বসার স্থানে তিনি আমাকে বসিয়েছিলেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: ইবনু কাছীর, ফাযাইলুল কুরআন পৃ: ২০৫; নাসাঈ, ফাযাইলুল কুরআন নং ৬১, ৬২; ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ১৩২; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান ২২০৫, ২২০৬, ২২০৭।

 

আর মারফু’ অংশটুকুর আমরা পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১১৮। আরও দেখুন, মুসনাদুল মাউসিলী ২/১৩৬-১৩৭; আসমা ওয়াস সিফাত পৃ: ২৩৭ -২৩৮; বাইহাকী, আল ই’তিকাদ পৃ: ৬২; ফিরইয়াবী, ফাযাইলুল কুরআন নং ১০-১৯।

باب خِيَارُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَهُ

حَدَّثَنَا الْحَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ أَخْبَرَنِي عَلْقَمَةُ بْنُ مَرْثَدٍ قَالَ سَمِعْتُ سَعْدَ بْنَ عُبَيْدَةَ عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ عَنْ عُثْمَانَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ خَيْرَكُمْ مَنْ عَلَّمَ الْقُرْآنَ أَوْ تَعَلَّمَهُ قَالَ أَقْرَأَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ فِي إِمْرَةِ عُثْمَانَ حَتَّى كَانَ الْحَجَّاجُ قَالَ ذَاكَ أَقْعَدَنِي مَقْعَدِي هَذَا

حدثنا الحجاج بن منهال حدثنا شعبة أخبرني علقمة بن مرثد قال سمعت سعد بن عبيدة عن أبي عبد الرحمن السلمي عن عثمان عن النبي صلى الله عليه وسلم قال إن خيركم من علم القرآن أو تعلمه قال أقرأ أبو عبد الرحمن في إمرة عثمان حتى كان الحجاج قال ذاك أقعدني مقعدي هذا

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ উসমান ইবন আফফান (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৭৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২. তোমাদের মাঝে সেই ব্যক্তি সর্বোত্তম যে কুরআন (নিজে) শিখে এবং (অপরকে) তা শিখায়

৩৩৭৮. সা’দ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু রাদি: থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তোমাদের মাঝে সেই ব্যক্তি সর্বোত্তম যে কুরআন (নিজে) শিখে এবং কুরআন (অপরকে) শিখায়।”তিনি বলেন, এরপর তিনি আমার হাত ধরে আমাকে এ স্থানে বসালেন আর আমি পাঠ করাচ্ছিলাম।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: হারিছ ইবনু নাবহান মাতরুক (পরিত্যক্ত রাবী)।

 

তাখরীজ: ইবনু মানসূর ১/১০২ নং ২০।

 

আমরা পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৮১৪।

 

তবে হাদীসটি সহীহ পূর্বের হাদীসগুলি এর শাহিদ।

باب خِيَارُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَهُ

حَدَّثَنَا الْمُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ حَدَّثَنَا الْحَارِثُ بْنُ نَبْهَانَ حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ بَهْدَلَةَ عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خِيَارُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَ الْقُرْآنَ قَالَ فَأَخَذَ بِيَدِي فَأَقْعَدَنِي هَذَا الْمَقْعَدَ أُقْرِئُ

حدثنا المعلى بن أسد حدثنا الحارث بن نبهان حدثنا عاصم بن بهدلة عن مصعب بن سعد عن أبيه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم خياركم من تعلم القرآن وعلم القرآن قال فأخذ بيدي فأقعدني هذا المقعد أقرئ

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ সা’দ বিন আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৭৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩. যে ব্যক্তি কুরআন শেখার পর ভুলে যায়

৩৩৭৯. সা’দ ইবনু উবাদাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে কুরআন শেখার পর তা ভুলে যায়, সে কিয়ামতের দিন হস্ত-কর্তিত অবস্থায় আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ক: এর সনদে তিনটি ত্রুটি বিদ্যমান: ১. ঈসা ইবনু ফাইদ এর জাহালাত বা পরিচয়হীনতা, ২. কোন এক ব্যক্তি’র জাহালাত বা পরিচয়হীনতা ৩. ইয়াযীদ ইবনু আবী যিনাদ এর দুর্বলতা।

 

তাখরীজ: বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান ১৯৬৯, ১৯৭০; আহমাদ ৫/২৮৪, ২৮৫; আবদ ইবনু হুমাইদ নং ৩০৬; বাযযার, কাশফুল আস্তার ২/২৫৪ নং ১৬৪২; আবূল ফাযল আব্দুর রহমান ইবনু আহমাদ, ফাযাইলুল কুরআন নং ১; ইবনু আব্দুল বারর, আত তামহীদ ১/১৩২; তাবারাণী, কাবীর নং ৫৩৯০, ৫৩৯২; আব্দুর রাযযাক নং ৫৯৮৯; ইবনু আবী শাইবা ১০/৭৪ নং ১০০৪৪; আব্দুর রাযযাক নং ৫৯৯৬; আবূ দাউদ, সালাত ১৪৭৪।

باب مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ ثُمَّ نَسِيَهُ

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ عَنْ عِيسَى عَنْ رَجُلٍ عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا مِنْ رَجُلٍ يَتَعَلَّمُ الْقُرْآنَ ثُمَّ يَنْسَاهُ إِلَّا لَقِيَ اللَّهَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَهُوَ أَجْذَمُ قَالَ أَبُو مُحَمَّد عِيسَى هُوَ ابْنُ فَائِدٍ

حدثنا سعيد بن عامر عن شعبة عن يزيد بن أبي زياد عن عيسى عن رجل عن سعد بن عبادة أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ما من رجل يتعلم القرآن ثم ينساه إلا لقي الله يوم القيامة وهو أجذم قال أبو محمد عيسى هو ابن فائد

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ সা’দ ইবন উবাদা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৮০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪. কুরআন (সংরক্ষণের) প্রতি যত্নবান হওয়া

৩৩৮০. আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, কুরআনকে তুলে নেওয়ার পূর্বে তোমরা বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত কর। লোকেরা বললো, এ কুরআনের মাসহাফসমূহকে না হয় তুলে নেওয়া হলো, কিন্তু লোকদের অন্তরে যে মুখস্ত কুরআন রয়েছে, তা কিভাবে তুলে নেওয়া হবে? তিনি বললেন, এক রাতে তার নিকট আগমণকারী আসবে (এবং তাদের থেকে কুরআনকে উঠিয়ে নিয়ে যাবে), অতঃপর তারা সকালে ঘুম থেকে উঠবে নিঃস্ব (কুরআন হীন) অবস্থায়। এমনকি তারা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ কালিমাও ভুলে যাবে। তখন তারা জাহিলী যুগের কথাবার্তা-ও কাব্য-কবিতাতে মত্ত হবে। আর এ সময় তাদের উপর প্রতিশ্রুতি (কিয়ামত) সংঘটিত হবে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ মুসা ইবনু উবাইদাহ’র দুর্বলতার কারণে যয়ীফ। আর এটি ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর বক্তব্য (মাওকুফ)। (অপর একটি উত্তম সনদেও এটি বর্ণিত। তাখরীজ দেখুন।–অনুবাদক))

 

তাখরীজ: বুখারী, কাবীর ৮/১০৭-১০৮ সংক্ষিপ্তাকারে প্রথম অংশটুকু।

 

ইবনুল মুবারাক, আয যুহদ নং ৮০৩ যয়ীফ সনদে; ইবনু আবী শাইবা ১০/৫৩৪ নং ১০২৪২; ইবনু মানসূর ২/৩৩৫ নং ৯৭; হাকিম ৪/৫০৪; আব্দুর রাযযাক নং ৫৯৮১; তাবারাণী, কাবীর ৯/১৫৩ নং ৮৬৯৮, ৮৬৯৯, ৮৭০০ এর সনদ উত্তম।

باب فِي تَعَاهُدِ الْقُرْآنِ

حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُبَيْدَةَ عَنْ صَفْوَانَ بْنِ سُلَيْمٍ عَنْ نَاجِيَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ أَكْثِرُوا تِلَاوَةَ الْقُرْآنِ قَبْلَ أَنْ يُرْفَعَ قَالُوا هَذِهِ الْمَصَاحِفُ تُرْفَعُ فَكَيْفَ بِمَا فِي صُدُورِ الرِّجَالِ قَالَ يُسْرَى عَلَيْهِ لَيْلًا فَيُصْبِحُونَ مِنْهُ فُقَرَاءَ وَيَنْسَوْنَ قَوْلَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَيَقَعُونَ فِي قَوْلِ الْجَاهِلِيَّةِ وَأَشْعَارِهِمْ وَذَلِكَ حِينَ يَقَعُ عَلَيْهِمْ الْقَوْلُ

حدثنا جعفر بن عون حدثنا موسى بن عبيدة عن صفوان بن سليم عن ناجية بن عبد الله بن عتبة عن أبيه عن عبد الله قال أكثروا تلاوة القرآن قبل أن يرفع قالوا هذه المصاحف ترفع فكيف بما في صدور الرجال قال يسرى عليه ليلا فيصبحون منه فقراء وينسون قول لا إله إلا الله ويقعون في قول الجاهلية وأشعارهم وذلك حين يقع عليهم القول

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ‌ ইব্‌ন মাসউদ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৮১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪. কুরআন (সংরক্ষণের) প্রতি যত্নবান হওয়া

৩৩৮১. ইবনু আবী মুতী’ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, কাতাদা বলতেন, তোমরা তোমাদের অন্তরগুলোকে তা দ্বারা আবাদ করো এবং তোমাদের ঘর-বাড়িগুলোকেও তা দ্বারা আবাদ কর। আমার (রাবী ইবনু আবী মুতী’) ধারণা, ’তা’ বলতে তিনি কুরআনকে বুঝিয়েছেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: কাতাদাহ হতে সালাম ইবনু আবী মুতী’র বর্ণনার ক্ষেত্রে সমালোচনা রয়েছে। আর এটি কাতাদাহ এর বক্তব্য (মাওকুফ)।

 

তাখরীজ: আমি এটি আর কোথাও পাইনি।

باب فِي تَعَاهُدِ الْقُرْآنِ

حَدَّثَنَا الْمُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ حَدَّثَنَا سَلَّامٌ يَعْنِي ابْنَ أَبِي مُطِيعٍ قَالَ كَانَ قَتَادَةُ يَقُولُ اعْمُرُوا بِهِ قُلُوبَكُمْ وَاعْمُرُوا بِهِ بُيُوتَكُمْ قَالَ أُرَاهُ يَعْنِي الْقُرْآنَ

حدثنا المعلى بن أسد حدثنا سلام يعني ابن أبي مطيع قال كان قتادة يقول اعمروا به قلوبكم واعمروا به بيوتكم قال أراه يعني القرآن

 হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৮২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪. কুরআন (সংরক্ষণের) প্রতি যত্নবান হওয়া

৩৩৮২. যির হতে বর্ণিত, ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, এক রাত্রিতে আগন্তুক এসে কুরআনকে উঠিয়ে নিয়ে যাবে, ফলে কুরআনের মুসহাফে এবং কোন লোকের অন্তরে কুরআনের একটি আয়াতও বিদ্যমান থাকবে না।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ আব্দুল্লাহ পর্যন্ত হাসান। আর এটি তার বক্তব্য (মাওকুফ)।

 

তাখরীজ: দীঘাকারে ও স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছেন ইবনু আবী শাইবা ১০/৫৩৪ নং ১০২৪২; আব্দুর রাযযাক নং ৫৯৮০; বুখারী, খালকু আফ’আলিল ইবাদ পৃ: ৮৬ সহীহ সনদে। আগের টীকাটি দেখুন।

باب فِي تَعَاهُدِ الْقُرْآنِ

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ زِرٍّ عَنْ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ لَيُسْرَيَنَّ عَلَى الْقُرْآنِ ذَاتَ لَيْلَةٍ فَلَا يُتْرَكُ آيَةٌ فِي مُصْحَفٍ وَلَا فِي قَلْبِ أَحَدٍ إِلَّا رُفِعَتْ

حدثنا عمرو بن عاصم حدثنا حماد بن سلمة عن عاصم عن زر عن ابن مسعود قال ليسرين على القرآن ذات ليلة فلا يترك آية في مصحف ولا في قلب أحد إلا رفعت

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ যির ইবন হুবায়শ (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৮৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪. কুরআন (সংরক্ষণের) প্রতি যত্নবান হওয়া

৩৩৮৩. আব্দুল্লাহ ইবনু ওয়াকিদ হতে বর্ণিত, কাতাদা বলেন, ’যে ব্যক্তি কুরআনের নিকট বসে, অত:পর সেখান থেকে উঠে যায়, সে হয় লাভবান হয় অথবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’ অত:পর তিনি তিলাওয়াত করেন, অর্থ: “আর আমি কুরআন নাযিল করেছি, যা মুমিনদের জন্য আরোগ্য ও দয়া। কিন্তু তা সীমালঙ্ঘনকারীদের কেবল ক্ষতিই বৃদ্ধি করে।” [সুরা বনী ইসরাঈল (ইসরা): ৮২][1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ মুহাম্মদ ইবনু কাছীর ইবনু আবী আতা’র দুর্বলতার কারণে যয়ীফ। আর এটি কাতাদা এর বক্তব্য (মাওকুফ)।

 

তাখরীজ: আবূ উবাইদ, ফাযাইল পৃ:৫৬-৫৭।

باب فِي تَعَاهُدِ الْقُرْآنِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ وَاقِدٍ عَنْ قَتَادَةَ قَالَ مَا جَالَسَ الْقُرْآنَ أَحَدٌ فَقَامَ عَنْهُ إِلَّا بِزِيَادَةٍ أَوْ نُقْصَانٍ ثُمَّ قَرَأَ وَنُنَزِّلُ مِنْ الْقُرْآنِ مَا هُوَ شِفَاءٌ وَرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِينَ وَلَا يَزِيدُ الظَّالِمِينَ إِلَّا خَسَارًا

حدثنا محمد بن كثير عن عبد الله بن واقد عن قتادة قال ما جالس القرآن أحد فقام عنه إلا بزيادة أو نقصان ثم قرأ وننزل من القرآن ما هو شفاء ورحمة للمؤمنين ولا يزيد الظالمين إلا خسارا

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৮৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪. কুরআন (সংরক্ষণের) প্রতি যত্নবান হওয়া

৩৩৮৪. ছাবিত ইবনু আজলান আল-আনসারী হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, তার নিকট বর্ণনা করা হতো যে, আল্লাহ তা’আলা জমিনবাসীদের উপর শাস্তি প্রদানের ইচ্ছা করেন, কিন্তু যখন তিনি অল্প বয়স্ক যুবকদের হিকমাহ’ শিক্ষা করতে দেখেন, তখন তাদের উপর থেকে তা উঠিয়ে নেন। মারওয়ান বলেন, হিকমাহ অর্থ: আল-কুরআন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ রিফদাহ ইবনু কুযা’আ’র দুর্বলতার কারণে যয়ীফ। আর এটি ছাবিত এর বক্তব্য (মাওকুফ)।

 

তাখরীজ: আমি এটি আর কোথাও পাইনি।

باب فِي تَعَاهُدِ الْقُرْآنِ

حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا رِفْدَةُ الْغَسَّانِيُّ حَدَّثَنَا ثَابِتُ بْنُ عَجْلَانَ الْأَنْصَارِيُّ قَالَ كَانَ يُقَالُ إِنَّ اللَّهَ لَيُرِيدُ الْعَذَابَ بِأَهْلِ الْأَرْضِ فَإِذَا سَمِعَ تَعْلِيمَ الصِّبْيَانِ الْحِكْمَةَ صَرَفَ ذَلِكَ عَنْهُمْ قَالَ مَرْوَانُ يَعْنِي بِالْحِكْمَةِ الْقُرْآنَ

حدثنا مروان بن محمد حدثنا رفدة الغساني حدثنا ثابت بن عجلان الأنصاري قال كان يقال إن الله ليريد العذاب بأهل الأرض فإذا سمع تعليم الصبيان الحكمة صرف ذلك عنهم قال مروان يعني بالحكمة القرآن

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৮৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪. কুরআন (সংরক্ষণের) প্রতি যত্নবান হওয়া

৩৩৮৫. আবী আমর নামক এক বৃদ্ধ হতে বর্ণিত, মু’আয ইবনু জাবাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, পোশাক যেমন জীর্ণ-পুরাতন হয়ে যায়, তদ্রূপ অচিরেই লোকদের অন্তরে কুরআন ও জীর্ণ-পুরাতন হয়ে যাবে। ফলে তার অবক্ষয়-অবনতি ঘটবে। তারা কুরআন পড়বে কিন্তু তাতে কোনো মজা ও স্বাদ অনুভব করবে না। যেন নেকড়ের অন্তরের উপর তারা ভেড়ার চামড়া পরিধান করবে (তাদের অন্তর নেকড়ের মত ধূর্ত হলেও উপরে তারা মেষের চামড়ার মতে পশম-কোমল পোশাক পরবে)। তাদের আমলসমূহ অত্যন্ত লোভনীয় হবে, কিন্তু তাতে ভয় মিশ্রিত থাকবে না; তারা (আমলে) শিথিলতা-অবহেলা করলেও তারা বলবে, আমরা তো অচিরেই (জান্নাতে) পৌঁছে যাব। আর যখন তারা মন্দ কাজ করবে, তখন বলবে, আমাদেরকে তো ক্ষমা করাই হবে। কেননা, আমরা তো আল্লাহর সাথে কোনো কিছু শরীক করি নি।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ মু’আয রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু পর্যন্ত সহীহ। আর এটি তার বক্তব্য (মাওকুফ)।

 

তাখরীজ: ((মুহাক্বিক্ব এর কোনো তাখরীজ করেননি। তবে মুহাম্মদ ইবনু নাসর, কিয়ামুল লাইল এ আবী লাইলা হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। ফাতহুল মান্নান হা/৩৬১০ দ্র:–অনুবাদক))

باب فِي تَعَاهُدِ الْقُرْآنِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُبَارَكِ حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ خَالِدٍ عَنْ ابْنِ جَابِرٍ حَدَّثَنَا شَيْخٌ يُكَنَّى أَبَا عَمْرٍو عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ قَالَ سَيَبْلَى الْقُرْآنُ فِي صُدُورِ أَقْوَامٍ كَمَا يَبْلَى الثَّوْبُ فَيَتَهَافَتُ يَقْرَءُونَهُ لَا يَجِدُونَ لَهُ شَهْوَةً وَلَا لَذَّةً يَلْبَسُونَ جُلُودَ الضَّأْنِ عَلَى قُلُوبِ الذِّئَابِ أَعْمَالُهُمْ طَمَعٌ لَا يُخَالِطُهُ خَوْفٌ إِنْ قَصَّرُوا قَالُوا سَنَبْلُغُ وَإِنْ أَسَاءُوا قَالُوا سَيُغْفَرُ لَنَا إِنَّا لَا نُشْرِكُ بِاللَّهِ شَيْئًا

أخبرنا محمد بن المبارك حدثنا صدقة بن خالد عن ابن جابر حدثنا شيخ يكنى أبا عمرو عن معاذ بن جبل قال سيبلى القرآن في صدور أقوام كما يبلى الثوب فيتهافت يقرءونه لا يجدون له شهوة ولا لذة يلبسون جلود الضأن على قلوب الذئاب أعمالهم طمع لا يخالطه خوف إن قصروا قالوا سنبلغ وإن أساءوا قالوا سيغفر لنا إنا لا نشرك بالله شيئا

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৮৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪. কুরআন (সংরক্ষণের) প্রতি যত্নবান হওয়া

৩৩৮৬. ’আবদুল্লাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “এটা খুবই খারাপ কথা যে, তোমাদের মধ্যে কেউ বলবে, আমি কুরআনের অমুক অমুক আয়াত ভুলে গেছি; বরং তাকে ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। সুতরাং, তোমরা কুরআন তিলাওয়াত করতে থাক কেননা, উটের রশি থেকে উটের পলায়নের চেয়েও তা মানুষের অন্তর থেকে দ্রুত গতিতে চলে যায়।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। আর এটি বুখারী ও মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, ফাযাইলুল কুরআন নং ৫০৩২; মুসলিম, সালাতুল মুসাফিরীন ৭৯০।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মুাউসিলী নং ৫১৩৬; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৬২; মুসনাদুল হুমাইদী নং ৯১; মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৭৮৪ তে। এছাড়াও, নাসাঈ, ফাযাইলুল কুরআন নং ৬৪, ৬৭।

باب فِي تَعَاهُدِ الْقُرْآنِ

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ مَنْصُورٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا وَائِلٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ بِئْسَمَا لِأَحَدِكُمْ أَنْ يَقُولَ نَسِيتُ آيَةَ كَيْتَ وَكَيْتَ بَلْ هُوَ نُسِّيَ وَاسْتَذْكِرُوا الْقُرْآنَ فَإِنَّهُ أَسْرَعُ تَفَصِّيًا مِنْ صُدُورِ الرِّجَالِ مِنْ النَّعَمِ مِنْ عُقُلِهَا

حدثنا عبيد الله بن عبد المجيد عن شعبة عن منصور قال سمعت أبا وائل عن عبد الله عن النبي صلى الله عليه وسلم قال بئسما لأحدكم أن يقول نسيت آية كيت وكيت بل هو نسي واستذكروا القرآن فإنه أسرع تفصيا من صدور الرجال من النعم من عقلها

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ‌ ইব্‌ন মাসউদ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৮৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪. কুরআন (সংরক্ষণের) প্রতি যত্নবান হওয়া

৩৩৮৭. উকবাহ ইবনু আমির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “তোমরা আল্লাহর কিতাব শিক্ষা কর, আর তার ব্যাপারে যত্নবান হও এবং তা সুন্দর আওয়াজে পাঠ কর এবং তার (জ্ঞান) অর্জন করতে থাকো। কেননা যার হাতে আমার জীবন, অথবা, যার হাতে মুহাম্মাদের জীবন তাঁর কসম- অবশ্যই রশি ছিড়ে পলায়নপর উটের চেয়েও তা অধিক পলায়নপর।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১০/৪৭৭ নং ১০০৪০; আহমাদ ৪/১৪৬, ১৫০, ১৫৩; নাসাঈ, ফাযাইলুল কুরআন নং ৫৯,৬০; মাওকুফ হিসেবে। পূর্ণ তাখরীজের জন্য পরবর্তী হাদীসটি দেখুন।

باب فِي تَعَاهُدِ الْقُرْآنِ

حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ حَدَّثَنَا مُوسَى يَعْنِي ابْنَ عُلَيٍّ قَالَ سَمِعْتُ أَبِي قَالَ سَمِعْتُ عُقْبَةَ بْنَ عَامِرٍ يَقُولُ تَعَلَّمُوا كِتَابَ اللَّهِ وَتَعَاهَدُوهُ وَتَغَنَّوْا بِهِ وَاقْتَنُوهُ فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ أَوْ فَوَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَهُوَ أَشَدُّ تَفَلُّتًا مِنْ الْمَخَاضِ فِي الْعُقُلِ

حدثنا وهب بن جرير حدثنا موسى يعني ابن علي قال سمعت أبي قال سمعت عقبة بن عامر يقول تعلموا كتاب الله وتعاهدوه وتغنوا به واقتنوه فوالذي نفسي بيده أو فوالذي نفس محمد بيده لهو أشد تفلتا من المخاض في العقل

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ উকবাহ ইবনু আমির (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৮৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪. কুরআন (সংরক্ষণের) প্রতি যত্নবান হওয়া

৩৩৮৮. (অপর সনদে) উকবাহ ইবনু আমির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “তোমরা আল্লাহর কিতাব শিক্ষা কর, আর তার ব্যাপারে যত্নবান হও, তা সংরক্ষণ কর এবং তা সুন্দর আওয়াজে পাঠ করতে থাকো। কেননা যার হাতে আমার জীবন, অথবা, যার হাতে মুহাম্মাদের জীবন তাঁর কসম- অবশ্যই রশি ছিড়ে পলায়নপর উটের চেয়েও তা অধিক পলায়নপর।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ আব্দুল্লাহ ইবনু সালিহ’র দুর্বলতার কারণে যয়ীফ।

 

তাখরীজ: নাসাঈ, ফাযাইলুল কুরআন নং ৬০; তাবারাণী, কাবীর ১৭/২৯০, ২৯১ নং ৮০০, ৮০১, ৮০২; আওসাত নং ৩২১১।

 

আমাদের বক্তব্য: হাদীসটি সহীহ। আগের টীকাটি দেখুন।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১১৯; মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৭৮৮ তে।

باب فِي تَعَاهُدِ الْقُرْآنِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ قَالَ حَدَّثَنِي مُوسَى عَنْ أَبِيهِ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ تَعَلَّمُوا كِتَابَ اللَّهِ تَعَالَى وَتَعَاهَدُوهُ وَاقْتَنُوهُ وَتَغَنَّوْا بِهِ فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَهُوَ أَشَدُّ تَفَلُّتًا مِنْ الْمَخَاضِ فِي الْعُقُلِ

حدثنا عبد الله بن صالح قال حدثني موسى عن أبيه عن عقبة بن عامر أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال تعلموا كتاب الله تعالى وتعاهدوه واقتنوه وتغنوا به فوالذي نفسي بيده لهو أشد تفلتا من المخاض في العقل

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ উকবাহ ইবনু আমির (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৮৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪. কুরআন (সংরক্ষণের) প্রতি যত্নবান হওয়া

৩৩৮৯. ইবনু আবী মুলাইকা (রহঃ) হতে বর্ণিত, ইকরিমাহ ইবনু আবূ জাহল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কুরআনকে তার মুখমণ্ডলের উপর রেখে বলতেন, ’আমার রবের কিতাব, আমার রবের কিতাব।’[1]

[1] তাহক্বীক্ক: এর সনদ মুনকাতি’, ইবনু আবী মুলাইকা ইকরিমাহ’র সাক্ষাত লাভ করেননি। আর এটি ইকরিমার উপর মাওকুফ।

 

তাখরীজ: হাকিম, ৩/২৪৩; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান ২২২৯; তাবারাণী, কাবীর ১৭/৩৭১ নং ১০১৮।

باب فِي تَعَاهُدِ الْقُرْآنِ

أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ أَنَّ عِكْرِمَةَ بْنَ أَبِي جَهْلٍ كَانَ يَضَعُ الْمُصْحَفَ عَلَى وَجْهِهِ وَيَقُولُ كِتَابُ رَبِّي كِتَابُ رَبِّي

أخبرنا سليمان بن حرب حدثنا حماد بن زيد عن أيوب عن ابن أبي مليكة أن عكرمة بن أبي جهل كان يضع المصحف على وجهه ويقول كتاب ربي كتاب ربي

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ ইবন আবূ মুলায়কা (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৯০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪. কুরআন (সংরক্ষণের) প্রতি যত্নবান হওয়া

৩৩৯০. ছাবিত হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আব্দুর রহমান ইবনু আবী লাইলা (রহঃ) ফজর সালাত আদায় করার পর সুর্য্য উদিত হওয়া পর্যন্ত কুরআন পড়তেন। রাবী বলেন, ছাবিতও এরূপ করতেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ ছাবিত পর্যন্ত সহীহ। আর এটি তার বক্তব্য (মাওকুফ)।

 

তাখরীজ: ইবনু সা’দ, আত তাবাকাত ৬/৭৫।

باب فِي تَعَاهُدِ الْقُرْآنِ

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ حَدَّثَنَا ثَابِتٌ قَالَ كَانَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي لَيْلَى إِذَا صَلَّى الصُّبْحَ قَرَأَ الْمُصْحَفَ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ قَالَ وَكَانَ ثَابِتٌ يَفْعَلُهُ

حدثنا مسلم بن إبراهيم حدثنا همام حدثنا ثابت قال كان عبد الرحمن بن أبي ليلى إذا صلى الصبح قرأ المصحف حتى تطلع الشمس قال وكان ثابت يفعله

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৯১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫. কুরআন আল্লাহর বাণী

৩৩৯১. ইয়াযীদ ইবনু যুরাঈ হতে বর্ণিত,

إِنَّ اللَّهَ لَا يَسْتَحْيِي أَنْ يَضْرِبَ مَثَلًا مَا بَعُوضَةً فَمَا فَوْقَهَا فَأَمَّا الَّذِينَ آَمَنُوا فَيَعْلَمُونَ أَنَّهُ الْحَقُّ مِنْ رَبِّهِمْ وَأَمَّا الَّذِينَ كَفَرُوا فَيَقُولُونَ مَاذَا أَرَادَ اللَّهُ بِهَذَا مَثَلًا يُضِلُّ بِهِ كَثِيرًا وَيَهْدِي بِهِ كَثِيرًا وَمَا يُضِلُّ بِهِ إِلَّا الْفَاسِقِينَ

(অর্থ: নিশ্চয় আল্লাহ মশা অথবা তদপেক্ষা ক্ষুদ্রতর দৃষ্টান্ত বর্ণনা করতে লজ্জাবোধ করেননা, সুতরাং যারা ঈমান এনেছে, তারা জানে যে, তা সত্যই তাদের রবের পক্ষ হতে। আর যারা কাফির হয়েছে, তারা বলবে যে, এসকল নগন্য বস্তুর উপমা দ্বারা আল্লাহর উদ্দেশ্যেই বা কি? তিনি এর দ্বারা অনেককে বিপথগামী করে থাকেন এবং এর দ্বারা অনেককে সঠিক পথ প্রদর্শন করেন, আর্ এর দ্বারা তিনি শুধু ফাসিকদেরকেই (পাপাচারী, অনাচারী) বিপথগামী করে থাকেন।” (সুরা বাকারা: ২৬)

এ আয়াতের ব্যাখ্যায় কাতাদা বলেন, এর অর্থ: তারা জানে যে, এটি দয়াময় আল্লাহর কালাম বা বাণী।’[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ কাতাদাহ পর্যন্ত সহীহ। আর এটি তার বক্তব্য (মাওকুফ)।

 

তাখরীজ: তাবারী, তাফসীর ১/১৮৯; সেখানে অতিরিক্ত রয়েছে: ‘এবং তা আল্লাহর পক্ষ হতে আগত সত্য।’ এর সনদও সহীহ।

باب الْقُرْآنُ كَلَامُ اللَّهِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الرَّقَاشِيُّ عَنْ يَزِيدَ بْنِ زُرَيْعٍ عَنْ سَعِيدٍ عَنْ قَتَادَةَ قَالَ فَأَمَّا الَّذِينَ آمَنُوا فَيَعْلَمُونَ أَنَّهُ الْحَقُّ مِنْ رَبِّهِمْ قَالَ أَيْ يَعْلَمُونَ أَنَّهُ كَلَامُ الرَّحْمَنِ

أخبرنا محمد بن عبد الله الرقاشي عن يزيد بن زريع عن سعيد عن قتادة قال فأما الذين آمنوا فيعلمون أنه الحق من ربهم قال أي يعلمون أنه كلام الرحمن

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৯২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫. কুরআন আল্লাহর বাণী

৩৩৯২. আতিয়্যাহ (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “আল্লাহর নিকট তাঁর নিজ কালাম (বাণী)-এর চেয়ে অধিক সম্মানিত আর কোন কালাম নেই; এবং বান্দা কর্তৃক বার বার পঠিত আর কোনো কালামই আল্লাহর নিকট তাঁর নিজ কালামের চেয়ে অধিক প্রিয় নয়।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদে দু’জন যয়ীফ রাবী রয়েছে: মুহাম্মদ ইবনু সালিহ এবং আবী বাকর ইবনু আবী মারইয়াম। আর এটি মুরসালও বটে।

 

তাখরীজ: বাইহাকী, আসমা ওয়াস সিফাত পৃ: ২৪৪। এটি আতিয়ার বক্তব্য (মাওকুফ) হিসেবেও তিনি বর্ণনা করেছেন।

باب الْقُرْآنُ كَلَامُ اللَّهِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ عَنْ عَطِيَّةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا مِنْ كَلَامٍ أَعْظَمُ عِنْدَ اللَّهِ مِنْ كَلَامِهِ وَمَا رَدَّ الْعِبَادُ إِلَى اللَّهِ كَلَامًا أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ كَلَامِهِ

حدثنا عبد الله بن صالح عن معاوية بن صالح عن أبي بكر بن أبي مريم عن عطية قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ما من كلام أعظم عند الله من كلامه وما رد العباد إلى الله كلاما أحب إليه من كلامه

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৯৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫. কুরআন আল্লাহর বাণী

৩৩৯৩. জাবির ইবনু আবদুল্লাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (হিজরতের পূর্বে) নিজেকে হজ্জের মওসুমে বিভিন্ন গোত্রের কাছে পেশ করে বলতেন: “এমন কোন ব্যক্তি আছে কি যে আমাকে তার সম্প্রদায়ে নিয়ে যাবে? কেননা কুরায়শরা তো আমার রবের কালাম পৌঁছে দিতে আমাকে বাধা দিচ্ছে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আহমাদ ৩/৩৯০; ইবনু আবী শাইবা ১৪/৩১০ নং ১৮৪৩১; আবূ দাউদ, সুন্নাহ ৪৭৩৪; তিরমিযী, ছাওবুল কুরআন ২৯২৬; বুখারী, খালকু আফ’আলিল ইবাদ পৃ: ৬০; বাইহাকী, আল ইতিকাদ পৃ: ৬১; আবূ নুয়াইম, দালাইল নং ২১৭;; হাকিম, ২/৬১৩; ইবনু কাছীর, আল বিদায়া ৩/১৪৬; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ১১৮।

باب الْقُرْآنُ كَلَامُ اللَّهِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ إِسْرَائِيلَ حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ الثَّقَفِيُّ عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعْرِضُ نَفْسَهُ فِي الْمَوْسِمِ عَلَى النَّاسِ فِي الْمَوْقِفِ فَيَقُولُ هَلْ مِنْ رَجُلٍ يَحْمِلُنِي إِلَى قَوْمِهِ فَإِنَّ قُرَيْشًا مَنَعُونِي أَنْ أُبَلِّغَ كَلَامَ رَبِّي

حدثنا محمد بن يوسف عن إسرائيل حدثنا عثمان بن المغيرة الثقفي عن سالم بن أبي الجعد عن جابر بن عبد الله قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يعرض نفسه في الموسم على الناس في الموقف فيقول هل من رجل يحملني إلى قومه فإن قريشا منعوني أن أبلغ كلام ربي

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৯৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫. কুরআন আল্লাহর বাণী

৩৩৯৪. আবু যা’রা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, উমার ইবনুল খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, এ কুরআন হলো আল্লাহর কালাম। ফলে তিনি তোমাদের সেসব অপরাধ ক্ষমা করবেন না, যা তোমরা তোমাদের মন-মর্জিমত এতে (এর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে) সংযোজন করার দ্বারা করেছো।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ লাইছ ইবনু আবী সালিম দুর্বলতার কারণে যয়ীফ।

 

তাখরীজ: বাইহাকী, আসমা ওয়াস সিফাত পৃ: ২৪২; আজুরী, আশ-শরীয়াহ পৃ: ৭৮ সহীহ সনদে; আরো দেখুন, মা’রিফাতু কুর্রাউল কিবার ১/৫২-৫৩;

 

বাইহাকী, আল ইতিকাদ পৃ: ৬৪।

باب الْقُرْآنُ كَلَامُ اللَّهِ

حَدَّثَنَا إِسْحَقُ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ لَيْثٍ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ عَنْ أَبِي الزَّعْرَاءِ قَالَ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ إِنَّ هَذَا الْقُرْآنَ كَلَامُ اللَّهِ فَلَا أَعْرِفَنَّكُمْ فِيمَا عَطَفْتُمُوهُ عَلَى أَهْوَائِكُمْ

حدثنا إسحق حدثنا جرير عن ليث عن سلمة بن كهيل عن أبي الزعراء قال قال عمر بن الخطاب إن هذا القرآن كلام الله فلا أعرفنكم فيما عطفتموه على أهوائكم

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৯৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৬. সকল বাণীর উপর আল্লাহর কালাম (বাণী)-এর মর্যাদা

৩৩৯৫. আবূ সাঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মহান ও বরকতময় রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন, কুরআন পাঠের ব্যস্ততা যাকে আমার কাছে প্রার্থনা করা থেকে এবং আমার যিকর বিরত রাখে আমি তাকে প্রার্থনাকারীদের চেয়ে উত্তম প্রতিদান দিব। সব কালামের উপর আল্লাহর কালামের মর্যাদা সেরূপ যেরূপ সকল সৃষ্টি উপর আল্লাহর মর্যাদা রয়েছে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদে দু’জন যয়ীফ রাবী রয়েছে: মুহাম্মদ ইবনু হাসান আল হামদানী এবং আতিয়া আল আওফী।

 

তাখরীজ: তিরমিযী, ছাওবুল কুরআন ২৯২৭; ইবনু কাছীর, ফাযাইলুল কুরআন পৃ: ২৭৪; উকাইলী, আয যুআফা ৪/৪৯; আবুল ফাযল আর রাযী, ফাযাইলুল কুরআন নং ৭৬; ইবনু হিব্বান, মাজরুহীন ২/২৭৭; আবূ নুয়াইম, হিলইয়া ৫/১০৬; বাইহাকী, আসমা ওয়াস সিফাত পৃ: ২৩৮; আল ই’তিকাদ পৃ: ৬২; শুয়াবুল ঈমান নং ২০১৫; ইবনুল আম্বারী, আল ওয়াকফ ওয়াল ইবতিদা … (এর মুহাক্বিক্ব লম্বা করে এ দু’জন রাবী সম্পর্কে মুহাদ্দিসগণের মন্তব্য উল্লেখ করেছেন।–অনুবাদক))

 

আর এর শাহিদ হাদীস রয়েছে উমার ইবনুল খাত্তাব হতে ইয়াহইয়া ইবনু আব্দুল হামীদ হিমানী, আল মুসনাদ, যা হাফিজ তার ফাতহুল বারী ৯/৬৬ তে উল্লেখ করেছেন। এছাড়া, মুসনাদুশ শিহাব ২/৩২৬ নং ১৪৫৫। এ সনদে সাফওয়ান বিন আবী সুহবাহ রয়েছে যার সম্পর্কে ইখতিলাফ রয়েছে।

 

(এ সনদের সাফওয়ান বিন আবী সুহবাহকে মুহাক্বিক্ব ছিকাহ বলে গণ্য করেছেন এবং ইয়াহইয়া আল হিমানীর হাদীসকে হাসান বলে মন্তব্য করেছেন।–অনুবাদক।); এছাড়া, বুখারী, খালকু আফআলীল ইবাদ পৃ: ১০৯; কাবীর ২/১১৫ যয়ীফ সনদে।

 

তবে এর মুতাবিয়াত বর্ণনা করেছেন উছমান ইবনু যাফর হতে বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ৫৭২ তে। আর তিনি বিশ্বস্ত রাবী।

 

এর অপর শাহিদ হাদীস রয়েছে হুযাইফা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে আবী নুয়াইম, হিলইয়াতুল আউলিয়া ৭/৩১৩ তে বর্ণিত। আর এটি হাসান হাদীস ইনশা আল্লাহ। এরপর অপর শাহিদ রয়েছে আবী হুরাইরা হতে, দেখুন, ইবনু আবী শাইবা ১০/২৩৭ নং ৯৩২০; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ৫৭৩, ৫৭৪; আল লা’আলী আল মাসনু’আহ ২/৩৪২-৩৪৩।

باب فَضْلِ كَلَامِ اللَّهِ عَلَى سَائِرِ الْكَلَامِ

أَخْبَرَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ التَّرْجُمَانِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ الْهَمْدَانِيُّ عَنْ عَمْرِو بْنِ قَيْسٍ عَنْ عَطِيَّةَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ شَغَلَهُ قِرَاءَةُ الْقُرْآنِ عَنْ مَسْأَلَتِي وَذِكْرِي أَعْطَيْتُهُ أَفْضَلَ ثَوَابِ السَّائِلِينَ وَفَضْلُ كَلَامِ اللَّهِ عَلَى سَائِرِ الْكَلَامِ كَفَضْلِ اللَّهِ عَلَى خَلْقِهِ

أخبرنا إسمعيل بن إبراهيم الترجماني حدثنا محمد بن الحسن الهمداني عن عمرو بن قيس عن عطية عن أبي سعيد الخدري قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من شغله قراءة القرآن عن مسألتي وذكري أعطيته أفضل ثواب السائلين وفضل كلام الله على سائر الكلام كفضل الله على خلقه

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৯৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৬. সকল বাণীর উপর আল্লাহর কালাম (বাণী)-এর মর্যাদা

৩৩৯৬. শাহর ইবনু হাওশাব হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “সৃষ্টিকুলের কালামের উপর আল্লাহর কালামের মর্যাদা সেরূপ যেরূপ সকল সৃষ্টি উপর আল্লাহর মর্যাদা।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান। (এর সনদে শাহর ইবনু হাওশাব রয়েছে যিনি যয়ীফ।–অনুবাদক) আর তা মুরসাল।

 

তাখরীজ: ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ১৩৯; আবু দাউদ, মারাসীল নং ৫৩৫; আবূ ইয়ালা, মু’জামুস শুয়ূখ নং ২৯৪; ইবনু আদী, আল কামিল ৫/১৭০৫; বাইহাকী, আসমা ওয়াস সিফাত পৃ: ২৩৯; শুয়াবুল ঈমান নং ২২০৮ আবী হুরাইরা হতে, আর তা মাওকুফ … সনদ যয়ীফ।

باب فَضْلِ كَلَامِ اللَّهِ عَلَى سَائِرِ الْكَلَامِ

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ أَشْعَثَ الْحُدَّانِيِّ عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَضْلُ كَلَامِ اللَّهِ عَلَى كَلَامِ خَلْقِهِ كَفَضْلِ اللَّهِ عَلَى خَلْقِهِ

حدثنا سليمان بن حرب حدثنا حماد بن سلمة عن أشعث الحداني عن شهر بن حوشب قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم فضل كلام الله على كلام خلقه كفضل الله على خلقه

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ শাহর ইবনু হাওশাব (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৯৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৬. সকল বাণীর উপর আল্লাহর কালাম (বাণী)-এর মর্যাদা

৩৩৯৭. আব্দুল্লাহ ইবনু আমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আসমানসমূহ, যমীন এবং এতদুভয়ের মাঝে যা কিছু আছে-সকল কিছুর চেয়ে কুরআন আল্লাহর নিকট বেশি প্রিয়।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ, এতে জাহালাত (অজ্ঞাত পরিচয় রাবী) রয়েছে। এছাড়া: আব্দুল্লাহ ইবনু সালিহর স্মৃতিশক্তি খুবই দুর্বল।

 

তাখরীজ: আবুল ফাযল আর রাযী, ফাযাইলুল কুরআন নং ২৮। এতে মিথ্যাবাদী রাবী রয়েছে।

باب فَضْلِ كَلَامِ اللَّهِ عَلَى سَائِرِ الْكَلَامِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي جَعْفَرٍ عَنْ رَجُلٍ مِنْ شُيُوخِ مِصْرَ أَنَّهُ حَدَّثَهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ الْقُرْآنُ أَحَبُّ إِلَى اللَّهِ مِنْ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ

حدثنا عبد الله بن صالح حدثنا يحيى بن أيوب عن عبيد الله بن أبي جعفر عن رجل من شيوخ مصر أنه حدثه عن عبد الله بن عمرو عن رسول الله صلى الله عليه وسلم أنه قال القرآن أحب إلى الله من السموات والأرض ومن فيهن

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৯৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৭. যখন তোমাদের মাঝে কুরআন নিয়ে মতভেদ হয়, তখন উঠে যাও

৩৩৯৮. জুনদুব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের (মনের) অনুকুল হয় ততক্ষণ কুরআন তিলাওয়াত করতে থাক এবং (তাতে) ইখতিলাফ ঘটলে পড়া ত্যাগ কর।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। আর এটি বুখারী ও মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, ফাযাইলুল কুরআন নং ৫০৬০; মুসলিম, ঈলম ২৬৬৭।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মুাউসিলী নং ১৫১৯; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৩২, ৭৫৯।

 

এছাড়াও, নাসাঈ, ফাযাইলুল কুরআন নং ১২১, ১২২, ১২৩, ১২৪; ইবনু কাছীর, ফাযাইলুল কুরআন পৃ: ২৬৭-২৬৮। এটি সামনেও আসছে মুরসাল ও মারফু’ হিসেবে।

باب إِذَا اخْتَلَفْتُمْ بِالْقُرْآنِ فَقُومُوا

حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا هَارُونُ الْأَعْوَرُ عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ عَنْ جُنْدُبٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اقْرَءُوا الْقُرْآنَ مَا ائْتَلَفْتُمْ عَلَيْهِ فَإِذَا اخْتَلَفْتُمْ فِيهِ فَقُومُوا

حدثنا أبو النعمان حدثنا هارون الأعور عن أبي عمران الجوني عن جندب أن النبي صلى الله عليه وسلم قال اقرءوا القرآن ما ائتلفتم عليه فإذا اختلفتم فيه فقوموا

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ জুনদুব ইবনু ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৩৯৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৭. যখন তোমাদের মাঝে কুরআন নিয়ে মতভেদ হয়, তখন উঠে যাও

৩৩৯৯. জুনদুব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের মনের অনুকুল হয় ততক্ষণ কুরআন তিলাওয়াত করতে থাক এবং (তাতে) ইখতিলাফ ঘটলে পড়া ত্যাগ কর।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। এটি জুনদুব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর বক্তব্য (মাওকুফ)।

 

তাখরীজ: তবে পূর্বের ও পরের হাদীস দু’টি দেখুন।

باب إِذَا اخْتَلَفْتُمْ بِالْقُرْآنِ فَقُومُوا

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ حَدَّثَنَا أَبُو عِمْرَانَ الْجَوْنِيُّ عَنْ جُنْدُبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ اقْرَءُوا الْقُرْآنَ مَا ائْتَلَفَتْ عَلَيْهِ قُلُوبُكُمْ فَإِذَا اخْتَلَفْتُمْ فِيهِ فَقُومُوا

أخبرنا يزيد بن هارون حدثنا همام حدثنا أبو عمران الجوني عن جندب بن عبد الله قال اقرءوا القرآن ما ائتلفت عليه قلوبكم فإذا اختلفتم فيه فقوموا

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ জুনদুব ইবনু ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪০০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৭. যখন তোমাদের মাঝে কুরআন নিয়ে মতভেদ হয়, তখন উঠে যাও

৩৪০০. জুনদুব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের (মনের) অনুকুল হয় ততক্ষণ কুরআন তিলাওয়াত করতে থাক এবং (তাতে) ইখতিলাফ ঘটলে পড়া ত্যাগ কর।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: এটি পূর্বের ৩৩৯৩ নং হাদীসটির পুনরাবৃত্তি।

باب إِذَا اخْتَلَفْتُمْ بِالْقُرْآنِ فَقُومُوا

حَدَّثَنَا أَبُو غَسَّانَ مَالِكُ بْنُ إِسْمَعِيلَ حَدَّثَنَا أَبُو قُدَامَةَ حَدَّثَنَا أَبُو عِمْرَانَ الْجَوْنِيُّ عَنْ جُنْدُبٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اقْرَءُوا الْقُرْآنَ مَا ائْتَلَفَتْ عَلَيْهِ قُلُوبُكُمْ فَإِذَا اخْتَلَفْتُمْ فِيهِ فَقُومُوا

حدثنا أبو غسان مالك بن إسمعيل حدثنا أبو قدامة حدثنا أبو عمران الجوني عن جندب قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اقرءوا القرآن ما ائتلفت عليه قلوبكم فإذا اختلفتم فيه فقوموا

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ জুনদুব ইবনু ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪০১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৮. যে মু’মিন কুরআন তিলাওয়াত করে তার দৃষ্টান্ত

৩৪০১. আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, লোকদের কতককে ঈমান প্রদান করা হয়েছে, কিন্তু কুরআন প্রদান করা হয়নি; আবার তাদের কতককে কুরআন প্রদান করা হয়েছে, কিন্তু ঈমান প্রদান করা হয়নি; আবার তাদের কতক লোককে ঈমান ও কুরআন উভয়ই প্রদান করা হয়েছে; আবার কতক লোককে ঈমান ও কুরআন কোনটিই প্রদান করা হয়নি। এরপর তিনি এসকল লোকদের দৃষ্টান্ত দিতে লাগলেন। তিনি বলেন, যাকে ঈমান প্রদান করা হয়েছে, কিন্তু কুরআন প্রদান করা হয়নি, তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে খেজুরের মত, যা সুগন্ধহীন, কিন্তু খেতে সুস্বাদু। আর যাকে কুরআন প্রদান করা হয়েছে, কিন্তু ঈমান প্রদান করা হয়নি, তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে এক প্রকার সুগন্ধি গুল্মের মত যার স্বাদ তিক্ত। আর যাকে কুরআন ও ঈমান উভয়ই প্রদান করা হয়েছে তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে এমন কমলালেবুর মত যা সুগন্ধযুক্ত, আবার খেতেও সুস্বাদু। আর যাকে কুরআন ও ঈমান কোনটিই প্রদান করা হয়নি, তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে মাকাল ফলের মত, যা খেতেও বিস্বাদ এবং যার কোন সুগন্ধও নেই।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ, আবী ইসহাকের প্রথম দিকে যারা তার থেকে বর্ণনা করেছেন, ফিতর ইবনু খলীফাহকে তাদের মধ্যে উল্লেখ করা হয়নি।

 

আর এটি আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর বক্তব্য (মাওকুফ)।

 

তাখরীজ: আবূ উবাইদ, ফাযাইল পৃ: ৩৮৭ সহীহ সনদে; সংক্ষিপ্তাকারে ইবনু আবী শাইবা ১০/৫২৯ নং ১০২২০ সনদ সহীহ।

باب مَثَلِ الْمُؤْمِنِ الَّذِي يَقْرَأُ الْقُرْآنَ

حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا فِطْرٌ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ الْحَارِثِ عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ مِنْ النَّاسِ مَنْ يُؤْتَى الْإِيمَانَ وَلَا يُؤْتَى الْقُرْآنَ وَمِنْهُمْ مَنْ يُؤْتَى الْقُرْآنَ وَلَا يُؤْتَى الْإِيمَانَ وَمِنْهُمْ مَنْ يُؤْتَى الْقُرْآنَ وَالْإِيمَانَ وَمِنْهُمْ مَنْ لَا يُؤْتَى الْقُرْآنَ وَلَا الْإِيمَانَ ثُمَّ ضَرَبَ لَهُمْ مَثَلًا قَالَ فَأَمَّا مَنْ أُوتِيَ الْإِيمَانَ وَلَمْ يُؤْتَ الْقُرْآنَ فَمَثَلُهُ مَثَلُ التَّمْرَةِ حُلْوَةُ الطَّعْمِ لَا رِيحَ لَهَا وَأَمَّا مَثَلُ الَّذِي أُوتِيَ الْقُرْآنَ وَلَمْ يُؤْتَ الْإِيمَانَ فَمَثَلُ الْآسَةِ طَيِّبَةُ الرِّيحِ مُرَّةُ الطَّعْمِ وَأَمَّا الَّذِي أُوتِيَ الْقُرْآنَ وَالْإِيمَانَ فَمَثَلُ الْأُتْرُجَّةِ طَيِّبَةُ الرِّيحِ حُلْوَةُ الطَّعْمِ وَأَمَّا الَّذِي لَمْ يُؤْتَ الْقُرْآنَ وَلَا الْإِيمَانَ فَمَثَلُهُ مَثَلُ الْحَنْظَلَةِ مُرَّةُ الطَّعْمِ لَا رِيحَ لَهَا

حدثنا أبو نعيم حدثنا فطر عن أبي إسحق عن الحارث عن علي رضي الله عنه قال من الناس من يؤتى الإيمان ولا يؤتى القرآن ومنهم من يؤتى القرآن ولا يؤتى الإيمان ومنهم من يؤتى القرآن والإيمان ومنهم من لا يؤتى القرآن ولا الإيمان ثم ضرب لهم مثلا قال فأما من أوتي الإيمان ولم يؤت القرآن فمثله مثل التمرة حلوة الطعم لا ريح لها وأما مثل الذي أوتي القرآن ولم يؤت الإيمان فمثل الآسة طيبة الريح مرة الطعم وأما الذي أوتي القرآن والإيمان فمثل الأترجة طيبة الريح حلوة الطعم وأما الذي لم يؤت القرآن ولا الإيمان فمثله مثل الحنظلة مرة الطعم لا ريح لها

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ আলী ইবনু আবী তালিব (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪০২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৮. যে মু’মিন কুরআন তিলাওয়াত করে তার দৃষ্টান্ত

৩৪০২. আবূ মূসা আশ’আরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে মু’মিন কুরআন তিলাওয়াত করে, তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে এ কমলা লেবুর মত যা সুস্বাদু এবং সুগন্ধযুক্ত। আর যে মু’মিন কুরআন পাঠ করে না, তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে এমন খেজুরের মত, যা সুগন্ধহীন, কিন্তু খেতে সুস্বাদু। আর মুনাফিক যে কুরআন পাঠ করে, তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে রায়হান জাতীয় লতার মত, যার সুগন্ধ আছে, কিন্তু খেতে বিস্বাদ। আর ঐ মুনাফিক যে কুরআন একেবারেই পাঠ করে না, তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে ঐ মাকাল ফলের মত, যা খেতেও বিস্বাদ এবং যার কোন সুগন্ধও নেই।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। আর এটি বুখারী ও মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, ফাযাইলুল কুরআন নং ৫০২০; মুসলিম, সালাতুল মুসাফিরীন ৭৯৭।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মুাউসিলী নং ৭২৩৭; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১২১, ৭৭০, ৭৭১।

 

এছাড়াও, রমহরমুজী, আল আমছাল নং ৪৭; আলিমুদ্দীন সাখাবী, জামালুল কুররা ১/১৫১; ইবনু কাছীর, ফাযাইলুল কুরআন পৃ: ১৭৩।

باب مَثَلِ الْمُؤْمِنِ الَّذِي يَقْرَأُ الْقُرْآنَ

حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَثَلُ الْمُؤْمِنِ الَّذِي يَقْرَأُ الْقُرْآنَ مَثَلُ الْأُتْرُجَّةِ طَعْمُهَا طَيِّبٌ وَرِيحُهَا طَيِّبٌ وَمَثَلُ الْمُؤْمِنِ الَّذِي لَا يَقْرَأُ الْقُرْآنَ مَثَلُ التَّمْرَةِ طَعْمُهَا حُلْوٌ وَلَيْسَ لَهَا رِيحٌ وَمَثَلُ الْمُنَافِقِ الَّذِي يَقْرَأُ الْقُرْآنَ مَثَلُ الرَّيْحَانَةِ رِيحُهَا طَيِّبٌ وَطَعْمُهَا مُرٌّ وَمَثَلُ الْمُنَافِقِ الَّذِي لَا يَقْرَأُ الْقُرْآنَ مَثَلُ الْحَنْظَلَةِ لَيْسَ لَهَا رِيحٌ وَطَعْمُهَا مُرٌّ

حدثنا أبو النعمان حدثنا أبو عوانة عن قتادة عن أنس بن مالك عن أبي موسى الأشعري عن النبي صلى الله عليه وسلم قال مثل المؤمن الذي يقرأ القرآن مثل الأترجة طعمها طيب وريحها طيب ومثل المؤمن الذي لا يقرأ القرآن مثل التمرة طعمها حلو وليس لها ريح ومثل المنافق الذي يقرأ القرآن مثل الريحانة ريحها طيب وطعمها مر ومثل المنافق الذي لا يقرأ القرآن مثل الحنظلة ليس لها ريح وطعمها مر

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ মূসা আল- আশ’আরী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪০৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৮. যে মু’মিন কুরআন তিলাওয়াত করে তার দৃষ্টান্ত

৩৪০৩. আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যাকে ঈমান প্রদান করা হয়েছে, কিন্তু কুরআন প্রদান করা হয়নি, তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে খেজুরের মত, যা সুগন্ধহীন, কিন্তু খেতে সুস্বাদু। আর যাকে কুরআন প্রদান করা হয়েছে, কিন্তু ঈমান প্রদান করা হয়নি, তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে রায়হানা জাতীয় লতা-গুল্মের মত যা সুগন্ধযুক্ত, কিন্তু স্বাদ তিক্ত। আর যাকে কুরআন ও ঈমান উভয়ই প্রদান করা হয়েছে তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে এমন কমলালেবুর মত যা সুগন্ধযুক্ত, আবার খেতেও সুস্বাদু। আর যাকে কুরআন ও ঈমান কোনটিই প্রদান করা হয়নি, তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে মাকাল ফলের মত, যা খেতেও বিস্বাদ এবং যা র্দুগন্ধযুক্ত।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আবূ উবাইদ, ফাযাইল পৃ: ৩৮৭ সহীহ সনদে; এটি গত হয়েছে নং ৩৩৯৬ তে।

باب مَثَلِ الْمُؤْمِنِ الَّذِي يَقْرَأُ الْقُرْآنَ

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ عَنْ إِسْرَائِيلَ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ الْحَارِثِ عَنْ عَلِيٍّ قَالَ مَثَلُ الَّذِي أُوتِيَ الْإِيمَانَ وَلَمْ يُؤْتَ الْقُرْآنَ مَثَلُ التَّمْرَةِ طَعْمُهَا طَيِّبٌ وَلَا رِيحَ لَهَا وَمَثَلُ الَّذِي أُوتِيَ الْقُرْآنَ وَلَمْ يُؤْتَ الْإِيمَانَ مَثَلُ الرَّيْحَانَةِ الْآسَةِ رِيحُهَا طَيِّبٌ وَطَعْمُهَا مُرٌّ وَمَثَلُ الَّذِي أُوتِيَ الْقُرْآنَ وَالْإِيمَانَ مَثَلُ الْأُتْرُجَّةِ رِيحُهَا طَيِّبٌ وَطَعْمُهَا طَيِّبٌ وَمَثَلُ الَّذِي لَمْ يُؤْتَ الْإِيمَانَ وَلَا الْقُرْآنَ مَثَلُ الْحَنْظَلَةِ رِيحُهَا خَبِيثٌ وَطَعْمُهَا خَبِيثٌ

أخبرنا عبيد الله عن إسرائيل عن أبي إسحق عن الحارث عن علي قال مثل الذي أوتي الإيمان ولم يؤت القرآن مثل التمرة طعمها طيب ولا ريح لها ومثل الذي أوتي القرآن ولم يؤت الإيمان مثل الريحانة الآسة ريحها طيب وطعمها مر ومثل الذي أوتي القرآن والإيمان مثل الأترجة ريحها طيب وطعمها طيب ومثل الذي لم يؤت الإيمان ولا القرآن مثل الحنظلة ريحها خبيث وطعمها خبيث

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আলী ইবনু আবী তালিব (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪০৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৯. এ কুরআনের মাধ্যমে আল্লাহ কোন কোন জাতীর উত্থান ঘটাবেন এবং কোন কোন জাতির পতন ঘটাবেন

৩৪০৪. নাফি’ ইবনু ’আবদুল হারিস (রহ.) থেকে বর্ণিত। তিনি ’উসফান নামক স্থানে ’উমার ইবনুল খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-এর সাথে সাক্ষাৎ করেন। ’উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাকে মক্কার গভর্নর নিয়োগ করেছিলেন। তিনি উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে সালাম দেন। তখন ’উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাকে বলেন, উপত্যকাবাসী (বেদুঈন)-দের জন্য তুমি কাকে প্রশাসক নিয়োগ করেছ? নাফি’ বলেন, আমি ইবনু আবযা কে তাদের প্রশাসক নিয়োগ করেছি। ’উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ইবনু আবযা কে? তিনি বলেন, সে আমাদের একজন মুক্তদাস। ’উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তুমি একজন মুক্তদাসকে জনগণের প্রশাসক নিয়োগ করলে? তিনি বলেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! সে তো মহান আল্লাহর কিতাবের বিশেষজ্ঞ আলিম, ফারায়িয সম্পর্কে অভিজ্ঞ। ’উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, শোন! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা এই কিতাবের দ্বারা কতক লোককে উচ্চ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেন এবং কতককে অবনমিত করেন।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: মুসলিম, সালাতুল মুসাফিরীন ৮১৭ ও এর পরে নম্বরবিহীনভাবে; বাইহাকী, সালাত ৩/৮৯।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মুাউসিলী নং ২১০; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৭২।

 

এছাড়াও, তাহাবী, শারহু মুশকিলীল আছার ৩/৫৭; আব্দুর রাযযাক নং ২০৯৪৩; আবীল ওয়ালীদ, আখবারু মক্কা ২/১৫২; আবুল ফাযল আর রাযী, ফাযাইলুল কুরআন নং ৬৩।

باب إِنَّ اللَّهَ يَرْفَعُ بِهَذَا الْقُرْآنِ أَقْوَامًا وَيَضَعُ آخَرِينَ

أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ عَنْ شُعَيْبِ بْنِ أَبِي حَمْزَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ حَدَّثَنِي عَامِرُ بْنُ وَاثِلَةَ أَنَّ نَافِعَ بْنَ عَبْدِ الْحَارِثِ لَقِيَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ بِعُسْفَانَ وَكَانَ عُمَرُ اسْتَعْمَلَهُ عَلَى أَهْلِ مَكَّةَ فَسَلَّمَ عَلَى عُمَرَ فَقَالَ لَهُ عُمَرُ مَنْ اسْتَخْلَفْتَ عَلَى أَهْلِ الْوَادِي فَقَالَ نَافِعٌ اسْتَخْلَفْتُ عَلَيْهِمْ ابْنَ أَبْزَى فَقَالَ عُمَرُ وَمَنْ ابْنُ أَبْزَى فَقَالَ مَوْلًى مِنْ مَوَالِينَا فَقَالَ عُمَرُ فَاسْتَخْلَفْتَ عَلَيْهِمْ مَوْلًى فَقَالَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ إِنَّهُ قَارِئٌ لِكِتَابِ اللَّهِ عَالِمٌ بِالْفَرَائِضِ فَقَالَ عُمَرُ أَمَا إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ اللَّهَ يَرْفَعُ بِهَذَا الْكِتَابِ أَقْوَامًا وَيَضَعُ بِهِ آخَرِينَ

أخبرنا الحكم بن نافع عن شعيب بن أبي حمزة عن الزهري حدثني عامر بن واثلة أن نافع بن عبد الحارث لقي عمر بن الخطاب بعسفان وكان عمر استعمله على أهل مكة فسلم على عمر فقال له عمر من استخلفت على أهل الوادي فقال نافع استخلفت عليهم ابن أبزى فقال عمر ومن ابن أبزى فقال مولى من موالينا فقال عمر فاستخلفت عليهم مولى فقال يا أمير المؤمنين إنه قارئ لكتاب الله عالم بالفرائض فقال عمر أما إن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال إن الله يرفع بهذا الكتاب أقواما ويضع به آخرين

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪০৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১০. যে ব্যক্তি মনযোগ সহকারে কুরআন তিলাওয়াত শোনে তার মর্যাদা

৩৪০৫. খালিদ ইবনু মা’দান হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে, তার জন্য একটি বিনিময়; আর যে ব্যক্তি তা মনযোগসহকারে শ্রবন করে তার জন্য রয়েছে দু’টি বিনিময়।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: আবিদাহ বিনতে খালিদের জীবনী আমি পাইনি।

 

তাখরীজ: আমি এটি আর কোথাও পাইনি।

باب فَضْلِ مَنْ اسْتَمَعَ إِلَى الْقُرْآنِ

حَدَّثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ حَدَّثَنَا عَبْدَةُ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ قَالَ إِنَّ الَّذِي يَقْرَأُ الْقُرْآنَ لَهُ أَجْرٌ وَإِنَّ الَّذِي يَسْتَمِعُ لَهُ أَجْرَانِ

حدثنا أبو المغيرة حدثنا عبدة عن خالد بن معدان قال إن الذي يقرأ القرآن له أجر وإن الذي يستمع له أجران

 হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ  বর্ণনাকারীঃ খালিদ ইবনু মা‘দান (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪০৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১০. যে ব্যক্তি মনযোগ সহকারে কুরআন তিলাওয়াত শোনে তার মর্যাদা

৩৪০৬. আতা (রহঃ) হতে বর্ণিত, ইবনু আব্বাস বলেন, যে ব্যক্তি কুরআনের একটি আয়াতও মনোযোগসহকারে শুনবে, তা তার জন্য আলোকবর্তিকা স্বরূপ হবে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ, ইবনু জুরাইজ এটি ‘আন আন’ শব্দে বর্ণনা করেছেন। এছাড়া, রযীন ইবনু আব্দুল্লাহ বিন হামীদ মাজহুল (অজ্ঞাত পরিচয়)।

 

তাখরীজ: আব্দুর রাযযাক নং ৬০১২; ফাযাইলুল কুরআন নং ৬৪।

باب فَضْلِ مَنْ اسْتَمَعَ إِلَى الْقُرْآنِ

حَدَّثَنَا رَزِينُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُمَيْدٍ عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ مَنْ اسْتَمَعَ إِلَى آيَةٍ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ كَانَتْ لَهُ نُورًا

حدثنا رزين بن عبد الله بن حميد عن عبد الرزاق عن ابن جريج عن عطاء عن ابن عباس قال من استمع إلى آية من كتاب الله كانت له نورا

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ আতা ইবনু আবী রাবাহ (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪০৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১১. যে ব্যক্তি তিলাওয়াতে কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও কুরআন তিলাওয়াত করে

৩৪০৭. আয়িশাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “কুরআনের সুদক্ষ পাঠক সম্মানিত লিপিকার মালাকের (ফিরিশতার) সাথে থাকবে। আর খুব কষ্টদায়ক হওয়া সত্ত্বেও যে ব্যক্তি (বারবার) কুরআন মাজীদ পাঠ করে, সে দ্বিগুণ পুরস্কার পাবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: বুখারী, তাফসীর নং ৪৯৩৭; মুসলিম, সালাতুল মুসাফিরীন ৭৯৮।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৬৭ তে।

 

এছাড়াও, নাসাঈ, ফাযাইলুল কুরআন নং ৭০, ৭১, ৭২; ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ২৯, ৩০; ফিরইয়াবী, ফাযাইলুল কুরআন নং ৩, ৪, ৫; আবুল ফাযল আর রাযী, ফাযাইলুল কুরআন নং ৯৮; ইবনু আব্দুল বারর, আত তামহীদ ১৪/১৩৪; তামাম ফী ফাওয়াইদ নং ১১৯৬-১১৯৭।

باب فَضْلِ مَنْ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَيَشْتَدُّ عَلَيْهِ

أَخْبَرَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ وَهَمَّامٌ قَالَا حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ عَنْ عَائِشَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الَّذِي يَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَهُوَ مَاهِرٌ بِهِ فَهُوَ مَعَ السَّفَرَةِ الْكِرَامِ الْبَرَرَةِ وَالَّذِي يَقْرَؤُهُ وَهُوَ يَشْتَدُّ عَلَيْهِ فَلَهُ أَجْرَانِ

أخبرنا مسلم بن إبراهيم حدثنا هشام وهمام قالا حدثنا قتادة عن زرارة بن أوفى عن سعد بن هشام عن عائشة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال الذي يقرأ القرآن وهو ماهر به فهو مع السفرة الكرام البررة والذي يقرؤه وهو يشتد عليه فله أجران

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪০৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১১. যে ব্যক্তি তিলাওয়াতে কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও কুরআন তিলাওয়াত করে

৩৪০৮. ইসমাঈল ইবনু উবাইদুল্লাহ হতে বর্ণিত, ওয়াহব যিমারী বলেন, আল্লাহ যাকে কুরআন দিয়েছেন, আর সে দিন রাত্রি তা পাঠ করে এবং কুরআন অনুযায়ী আমল করে এবং তার আনুগত্যের মধ্যেই মৃত্যু বরণ করে, কিয়ামত দিবসে তিনি তাকে লিপিকার ও অনুগত-বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের সাথে উঠাবেন।

(বর্ণনাকারী) সাঈদ বলেন, লিপিকার অর্থ: ফিরিশতা এবং বিশ্বস্ত ব্যক্তি অর্থ: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামগণ আ:।

তিনি বলেন, যে ব্যক্তির কুরআনের প্রতি আগ্রহী, আর তা তার থেকে ছুটে যায় (মুখস্ত রাখতে পারে না), কিন্তু সে তা (পড়া বা মুখস্ত করা) ছাড়ে না, তাকে দ্বিগুণ পুরস্কার দেওয়া হবে। আর যে ব্যক্তির কুরআনের প্রতি আগ্রহী, আর তা তার থেকে ছুটে যায় (মুখস্ত রাখতে পারে না), কিন্তু সে এর অনুসরণের মধ্যেই মৃত্যু বরণ করে, তবে সে ব্যক্তি তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিদের অন্যতম বলে গণ্য। আর তাকে লোকদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দেওয়া হবে, যেমন ঈগল পাখিকে সকল পাখির উপর শ্রেষ্ঠত্ব দেওয়া হয়েছে। যেমন সবুজ-শ্যামল বাগানকে এর আশপাশের ভূমির উপর শ্রেষ্ঠত্ব দেওয়া হয়েছে।

এরপর কিয়ামত দিবসে তাকে বলা হবে: সেসব লোকগুলো কোথায়, যারা আমার কিতাব তিলাওয়াত করতো, পশুপালের পেছনে লেগে থাকা যাদেরকে (তা থেকে) ভূলিয়ে রাখতে পারিনি? ফলে তাদেরকে (জান্নাতে) অমরত্ব ও নিয়ামত সমুহ দেওয়া হবে। আর তাদের পিতা-মাতা যদি আনুগত্যের মাঝে মৃত্যুবরণ করে থাকে, তবে তাদের উভয়ে মাথায় রাজমুকুট পরানো হবে। তখন তারা বলবে: হে আমাদের রব, আমাদের আমল তো এ পর্যন্ত পৌঁছে না (এমন আমল তো আমরা করতে পারিনি যার বিনিময়ে আমরা এটি পেতে পারি)? তখন মহান আল্লাহ বলবেন, নিশ্চয়ই, কারণ তোমাদের সন্তানেরা আমার কিতাব পাঠ করতো (যার বিনিময়ে তোমাদেরকে তা দেওয়া হয়েছে)।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: ওয়াহব আদ দিমারীকে ইবনু আবী হাতিম তার কিতাবে উল্লেখ করেছেন কিন্তু তার জারাহ ও তা’দীল (সমালোচনা বা প্রশংসা) কোনটাই করেননি। ফলে এটি ইবনু হিব্বানের শর্তানুযায়ী (সহীহ)।

 

তাখরীজ: আমি এটি আর কোথাও পাইনি।

باب فَضْلِ مَنْ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَيَشْتَدُّ عَلَيْهِ

حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ هُوَ ابْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَنْ إِسْمَعِيلَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ وَهْبٍ الذِّمَارِيِّ قَالَ مَنْ آتَاهُ اللَّهُ الْقُرْآنَ فَقَامَ بِهِ آنَاءَ اللَّيْلِ وَآنَاءَ النَّهَارِ وَعَمِلَ بِمَا فِيهِ وَمَاتَ عَلَى الطَّاعَةِ بَعَثَهُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَعَ السَّفَرَةِ وَالْأَحْكَامِ قَالَ سَعِيدٌ السَّفَرَةُ الْمَلَائِكَةُ وَالْأَحْكَامُ الْأَنْبِيَاءُ قَالَ وَمَنْ كَانَ حَرِيصًا وَهُوَ يَتَفَلَّتُ مِنْهُ وَهُوَ لَا يَدَعُهُ أُوتِيَ أَجْرَهُ مَرَّتَيْنِ وَمَنْ كَانَ عَلَيْهِ حَرِيصًا وَهُوَ يَتَفَلَّتُ مِنْهُ وَمَاتَ عَلَى الطَّاعَةِ فَهُوَ مِنْ أَشْرَافِهِمْ وَفُضِّلُوا عَلَى النَّاسِ كَمَا فُضِّلَتْ النُّسُورُ عَلَى سَائِرِ الطَّيْرِ وَكَمَا فُضِّلَتْ مَرْجَةٌ خَضْرَاءُ عَلَى مَا حَوْلَهَا مِنْ الْبِقَاعِ فَإِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ قِيلَ أَيْنَ الَّذِينَ كَانُوا يَتْلُونَ كِتَابِي لَمْ يُلْهِهِمْ اتِّبَاعُ الْأَنْعَامِ فَيُعْطَى الْخُلْدَ وَالنَّعِيمَ فَإِنْ كَانَ أَبَوَاهُ مَاتَا عَلَى الطَّاعَةِ جُعِلَ عَلَى رُءُوسِهِمَا تَاجُ الْمُلْكِ فَيَقُولَانِ رَبَّنَا مَا بَلَغَتْ هَذَا أَعْمَالُنَا فَيَقُولُ بَلَى إِنَّ ابْنَكُمَا كَانَ يَتْلُو كِتَابِي

حدثنا مروان بن محمد حدثنا سعيد هو ابن عبد العزيز عن إسمعيل بن عبيد الله عن وهب الذماري قال من آتاه الله القرآن فقام به آناء الليل وآناء النهار وعمل بما فيه ومات على الطاعة بعثه الله يوم القيامة مع السفرة والأحكام قال سعيد السفرة الملائكة والأحكام الأنبياء قال ومن كان حريصا وهو يتفلت منه وهو لا يدعه أوتي أجره مرتين ومن كان عليه حريصا وهو يتفلت منه ومات على الطاعة فهو من أشرافهم وفضلوا على الناس كما فضلت النسور على سائر الطير وكما فضلت مرجة خضراء على ما حولها من البقاع فإذا كان يوم القيامة قيل أين الذين كانوا يتلون كتابي لم يلههم اتباع الأنعام فيعطى الخلد والنعيم فإن كان أبواه ماتا على الطاعة جعل على رءوسهما تاج الملك فيقولان ربنا ما بلغت هذا أعمالنا فيقول بلى إن ابنكما كان يتلو كتابي

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪০৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১২. সুরা ফাতিহার ফযীলত

৩৪০৯. আব্দুল মালিক ইবনু উমাইর (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “ফাতিহাতুল কিতাব (সুরা ফাতিহা) সকল রোগের ঔষধ।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৩৭০; মুত্তাকী আল হিন্দ, কানযুল উম্মাল নং ২৫০০ ও খতীব তাবরীযী, মিশকাতুল মাসাবীহ নং ২১৭০ এবং সুয়ূতী, দুররে মানসূর ১/৫ তে একে দারেমী ও বাইহাকীর শুয়াবুল ঈমানের দিকে সম্বোন্ধিত করেছেন। সুয়ুতী বলেন, এর রাবীগণ সকলেই বিশ্বস্ত।’ আরো দেখুন, আসরারুল মারফু’আ নং ৩১৩ ও কাশফুল খ’ফা নং ১৮১৬।

باب فَضْلِ فَاتِحَةِ الْكِتَابِ

أَخْبَرَنَا قَبِيصَةُ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي فَاتِحَةِ الْكِتَابِ شِفَاءٌ مِنْ كُلِّ دَاءٍ

أخبرنا قبيصة أخبرنا سفيان عن عبد الملك بن عمير قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم في فاتحة الكتاب شفاء من كل داء

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪১০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১২. সুরা ফাতিহার ফযীলত

৩৪১০. আবূ সা’ঈদ ইবনু মু’আল্লা আল আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, (আমি একদা মসজিদে নাববীতে সালাত আদায় করছিলাম,) এমন সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার পাশ দিয়ে গমণ করেন। তিনি বললেন, “আল্লাহ কি বলেননি যে, “ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা সাড়া দেবে আল্লাহ্ ও রাসূলের ডাকে, যখন তিনি তোমাদেরকে ডাক দেন।” (সূরাহ আনফালঃ ২৪)?” তারপর তিনি আমাকে বললেন, “আমি মাসজিদ থেকে বের হওয়ার আগেই আমি কি তোমাকে কুরআনের এক অতি মহান সূরাহ্ শিক্ষা দিব না?। এরপর যখন তিনি মাসজিদ থেকে বের হওয়ার ইচ্ছা করেন তখন তিনি বললেন, الْحَمْدُ لِلهِ رَبِّ الْعٰلَمِيْنَ অর্থ: “সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি বিশ্ব জগতের প্রতিপালক।” (সুরা ফাতিহাহ: ১) এটা বারবার পঠিত সাতটি আয়াত এবং মহান কুরআন যা কেবল তোমাদেরকেই দেয়া হয়েছে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: বুখারী, তাফসীর নং ৪৪৭৪;

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মুাউসিলী নং ৬৮৩৭; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৭৭ তে।

 

এছাড়াও, নাসাঈ, ফাযাইলুল কুরআন নং ৩৫; তাহাবী, মুশকিলীল আছার ২/৭৭; আলিমুদ্দীন সাখাবী, জামালুল কুররা ১/১১৪।

باب فَضْلِ فَاتِحَةِ الْكِتَابِ

حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ الزَّهْرَانِيُّ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ خُبَيْبِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ عَنْ أَبِي سَعِيدِ بْنِ الْمُعَلَّى الْأَنْصَارِيِّ قَالَ مَرَّ بِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ أَلَمْ يَقُلْ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اسْتَجِيبُوا لِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ إِذَا دَعَاكُمْ قَالَ أَلَا أُعَلِّمُكَ أَعْظَمَ سُورَةٍ فِي الْقُرْآنِ قَبْلَ أَنْ أَخْرُجَ مِنْ الْمَسْجِدِ فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَخْرُجَ قَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ وَهِيَ السَّبْعُ الْمَثَانِي وَالْقُرْآنُ الْعَظِيمُ الَّذِي أُوتِيتُمْ

حدثنا بشر بن عمر الزهراني حدثنا شعبة عن خبيب بن عبد الرحمن عن حفص بن عاصم عن أبي سعيد بن المعلى الأنصاري قال مر بي رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال ألم يقل الله عز وجل يا أيها الذين آمنوا استجيبوا لله وللرسول إذا دعاكم قال ألا أعلمك أعظم سورة في القرآن قبل أن أخرج من المسجد فلما أراد أن يخرج قال الحمد لله رب العالمين وهي السبع المثاني والقرآن العظيم الذي أوتيتم

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ সা‘ঈদ ইবনু মু‘আল্লা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪১১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১২. সুরা ফাতিহার ফযীলত

৩৪১১. উবাই ইবনু কা’ব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “ফাতিহাতুল কিতাব (সুরা ফাতিহা) হলো ’সাব’উল মাছানী’ (বারবার পঠিত সাতটি আয়াত)।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ১৪৬; আব্দুল্লাহ বিন আহমাদ, যাওয়াইদু আলাল মুসনাদ ৫/১১৪; ইবনু খুযাইমা, আস সহীহ ৫০০; হাকিম ১/৫৫৭ ও ২/২৫৭-২৫৮; বাইহাকী, সালাত ২/৩৭৫-৩৭৬; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ১১৮৮; তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ২/৭৭-৭৮।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৭৫ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৭১৪ তে।

باب فَضْلِ فَاتِحَةِ الْكِتَابِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ جَعْفَرٍ عَنْ الْعَلَاءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاتِحَةُ الْكِتَابِ هِيَ السَّبْعُ الْمَثَانِي

حدثنا محمد بن سعيد حدثنا أبو أسامة عن عبد الحميد بن جعفر عن العلاء بن عبد الرحمن عن أبيه عن أبي هريرة عن أبي بن كعب قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم فاتحة الكتاب هي السبع المثاني

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪১২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১২. সুরা ফাতিহার ফযীলত

৩৪১২. আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তাওরাত ও ইনজিল ও যাবূর এবং কুরআনে এর অনুরূপ- অর্থাৎ ’উম্মুল কুরআন’ (ফাতিহা)-এর অনুরূপ কোনো সুরা নাযিল করা হয়নি। আর এটিই হলো ’সাবউল মাছানী’ (বারংবার পঠিত সাতটি আয়াত) এবং মহান কুরআন যা আমাকে প্রদান করা হয়েছে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান নুয়াইম ইবনু হাম্মাদের কারণে।

 

তাখরীজ: তিরমিযী, ছাওবুল কুরআন নং ২৮৭৫ ও তাফসীর নং ৩১২৫; সাখাবী, জামালুল কুররা ১/১১৫-১১৬।

 

তবে এর মুতাবিয়াত রয়েছে কুতাইবার সুত্রে তিরমিযী তে যা এর সনদকে সহীহতে পরিণত করে।

باب فَضْلِ فَاتِحَةِ الْكِتَابِ

حَدَّثَنَا نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ الْعَلَاءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا أُنْزِلَتْ فِي التَّوْرَاةِ وَلَا فِي الْإِنْجِيلِ وَالزَّبُورِ وَالْقُرْآنِ مِثْلُهَا يَعْنِي أُمَّ الْقُرْآنِ وَإِنَّهَا لَسَبْعٌ مِنْ الْمَثَانِي وَالْقُرْآنُ الْعَظِيمُ الَّذِي أُعْطِيتُ

حدثنا نعيم بن حماد حدثنا عبد العزيز بن محمد عن العلاء بن عبد الرحمن عن أبيه عن أبي هريرة أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ما أنزلت في التوراة ولا في الإنجيل والزبور والقرآن مثلها يعني أم القرآن وإنها لسبع من المثاني والقرآن العظيم الذي أعطيت

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

 ৩৪১৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১২. সুরা ফাতিহার ফযীলত

৩৪১৩. আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আল হামদুলিল্লাহ্ (সুরা ফাতিহাহ) হল, ’উম্মুল কুরআন’, ’উম্মুল কিতাব’ ও সা’বউল মাছানী’ (বারংবার পঠিত সাতটি আয়াত)।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: তিরমিযী, তাফসীর নং ৩১২৪ তিনি বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ; আহমাদ, আল মুসনাদ ২/৪৪৮; বুখারী, তাফসীর নং ৪৭০৪; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ১১৮৭; বাইহাকী, সালাত ২/৩৭৬; আবূ দাউদ, সালাত ১৪৫৭; তাহাবী, মুশকিলীল আছার ২/৭৮।

باب فَضْلِ فَاتِحَةِ الْكِتَابِ

أَخْبَرَنَا أَبُو عَلِيٍّ الْحَنَفِيُّ حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ عَنْ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْحَمْدُ لِلَّهِ أُمُّ الْقُرْآنِ وَأُمُّ الْكِتَابِ وَالسَّبْعُ الْمَثَانِي

أخبرنا أبو علي الحنفي حدثني ابن أبي ذئب عن المقبري عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الحمد لله أم القرآن وأم الكتاب والسبع المثاني

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)