দারেমী অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় হাদিস নং ২৬৬৭ – ২৭৪৩

দারেমী অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় হাদিস নং ২৬৬৭ – ২৭৪৩

২৬৬৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১. অনুমতিগ্রহণ তিনবার

২৬৬৭. আবূ সা’ঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ মুসা আশ’আরী তিনবার ’উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর নিকট অনুমতি চাইলো, কিন্তু তাঁকে অনুমতি দেয়া হলো না। তাই তিনি ফিরে এলেন। ’উমার তাঁকে জিজ্ঞেস করলেনঃ কিসে তোমাকে ফিরিয়ে নিয়ে গেল? তিনি বললেন: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: “যদি তোমাদের কেউ তিনবার প্রবেশের অনুমতি চায়, কিন্তু তাকে অনুমতি দেয়া না হয় তবে সে যেন ফিরে যায়।” তখন ’উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেনঃ তোমাকে এ কথার উপর অবশ্যই সাক্ষী উপস্থিত করতে হবে। নচেত নিশ্চয় আমি তোমাকে এই এই (শাস্তি প্রদান) করব। আবূ সাঈদ বলেন: আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীগণের সাথে মসজিদে উপস্থিত ছিলাম।

এমন সময় আবূ মূসা আমাদের নিকট আসলেন। আর তিনি এসময় উমারের হুমকি’র কারণে ভীষণ ভীত-সন্ত্রস্ত ছিলেন। তিনি দাঁড়িয়ে বললেনঃ আমি আপনাদেরকে আল্লাহর দোহায় দিয়ে অনুরোধ করছি আপনাদের মাঝে যিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এ হাদীস শুনেছেন, তিনি আমার পক্ষে এর সাক্ষ্য দান করবেন। তিনি বলেনঃ তখন আমি দলের প্রধান ব্যক্তি (উবাই ইবনু কা’ব)-এর নিকট উঠে গিয়ে বললাম, আপনি তাকে বলে দিন আমিই এজন্য আপনার সাথে যাচ্ছি। অপর একজনও একথা বললেন। ফলে আবী মুসার দু:খ দূর হয়ে গেলো।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: বুখারী, ইসতি’যান ৬২৪৫; মুসলিম, আদাব ২১৫৩।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৯৮১ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৮০৬, ৫৮০৭, ৫৮১০ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৭৫১ তে।

بَاب الِاسْتِئْذَانِ ثَلَاثٌ

أَخْبَرَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ حَدَّثَنَا دَاوُدُ عَنْ أَبِي نَضْرَةَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّ أَبَا مُوسَى الْأَشْعَرِيَّ اسْتَأْذَنَ عَلَى عُمَرَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ فَلَمْ يُؤْذَنْ لَهُ فَرَجَعَ فَقَالَ مَا رَجَعَكَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ إِذَا اسْتَأْذَنَ الْمُسْتَأْذِنُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ فَإِنْ أُذِنَ لَهُ وَإِلَّا فَلْيَرْجِعْ فَقَالَ لَتَأْتِيَنَّ بِمَنْ يَشْهَدُ مَعَكَ أَوْ لَأَفْعَلَنَّ وَلَأَفْعَلَنَّ قَالَ أَبُو سَعِيدٍ فَأَتَانَا وَأَنَا فِي قَوْمٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمَسْجِدِ وَهُوَ فَزِعٌ مِنْ وَعِيدِ عُمَرَ إِيَّاهُ فَقَامَ عَلَيْنَا فَقَالَ أَنْشُدُ اللَّهَ مِنْكُمْ رَجُلًا سَمِعَ ذَلِكَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا شَهِدَ لِي بِهِ قَالَ فَرَفَعْتُ رَأْسِي فَقُلْتُ أَخْبِرْهُ أَنِّي مَعَكَ عَلَى هَذَا وَقَالَ ذَاكَ آخَرُونَ فَسُرِّيَ عَنْ أَبِي مُوسَى

أخبرنا أبو النعمان حدثنا يزيد بن زريع حدثنا داود عن أبي نضرة عن أبي سعيد الخدري أن أبا موسى الأشعري استأذن على عمر ثلاث مرات فلم يؤذن له فرجع فقال ما رجعك قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول إذا استأذن المستأذن ثلاث مرات فإن أذن له وإلا فليرجع فقال لتأتين بمن يشهد معك أو لأفعلن ولأفعلن قال أبو سعيد فأتانا وأنا في قوم من أصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم في المسجد وهو فزع من وعيد عمر إياه فقام علينا فقال أنشد الله منكم رجلا سمع ذلك من رسول الله صلى الله عليه وسلم إلا شهد لي به قال فرفعت رأسي فقلت أخبره أني معك على هذا وقال ذاك آخرون فسري عن أبي موسى

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৬৬৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২. যেভাবে অনুমতি গ্রহণ করতে হবে

২৬৬৮. জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, একবার আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এলাম এবং তাঁর দরজায় আঘাত করলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ কে? আমি বললামঃ আমি। তখন তিনি বললেনঃ আমি, আমি। যেন তিনি তা অপছন্দ করলেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: বুখারী, ইসতি’যান ৬২৫০; মুসলিম, আদাব ২১৫৫।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৮০৮ তে।

 

সংযোজনী: এছাড়াও, নাসাঈ, আল কুবরা ১০১৬০।

باب كَيْفَ الِاسْتِئْذَانُ

أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ الرَّبِيعِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَضَرَبْتُ بَابَهُ فَقَالَ مَنْ ذَا فَقُلْتُ أَنَا قَالَ أَنَا أَنَا فَكَرِهَ ذَاكَ

أخبرنا سعيد بن الربيع حدثنا شعبة عن محمد بن المنكدر قال سمعت جابر بن عبد الله قال أتيت رسول الله صلى الله عليه وسلم فضربت بابه فقال من ذا فقلت أنا قال أنا أنا فكره ذاك

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৬৬৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩. কোনো ব্যক্তির জন্য তার পরিবারের নিকট রাতে প্রবেশ করা নিষেধ

২৬৬৯. জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সফর থেকে ফিরে এসে রাতে ঘরে প্রবেশ করা হতে অথবা, তাদের (আপন পরিবার সম্পর্কে) সন্দেহ পোষণ করা হতে, অথবা তাদের স্খলন বা দোষত্রুটি অন্বেষণ করা হতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন।[1] সুফিয়ান বলেন: তাঁর বাণীঃ ’অথবা তাদের (আপন পরিবার সম্পর্কে) সন্দেহ পোষণ করা হতে, অথবা তাদের স্খলন বা দোষত্রুটি অন্বেষণ করা হতে’ সম্পর্কে আমি জানিনা ওটা কি। এ ব্যাপারে মুহারিব বলেন: অথবা, হাদীসের মধ্যকার বিষয়টি কী (তা জানি না)।

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: বুখারী, নিকাহ ৫২৪৩; মুসলিম, ইমারাহ ৭১৫ (১৮৪)।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৮৪৩, ১৮৯১ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৭১৩, ২৭১৪, ৪১৮৪ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ১৩৩৪ তে।

باب فِي النَّهْيِ أَنْ يَطْرُقَ الرَّجُلُ أَهْلَهُ لَيْلًا

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ سَمِعْتُ مُحَارِبَ بْنَ دِثَارٍ يَذْكُرُ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَطْرُقَ الرَّجُلُ أَهْلَهُ لَيْلًا أَوْ يُخَوِّنَهُمْ أَوْ يَلْتَمِسَ عَثَرَاتِهِمْ قَالَ سُفْيَانُ قَوْلُهُ أَوْ يُخَوِّنَهُمْ أَوْ يَلْتَمِسَ عَثَرَاتِهِمْ مَا أَدْرِي شَيْءٌ قَالَهُ مُحَارِبٌ أَوْ شَيْءٌ هُوَ فِي الْحَدِيثِ

أخبرنا محمد بن يوسف حدثنا سفيان قال سمعت محارب بن دثار يذكر عن جابر بن عبد الله قال نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم أن يطرق الرجل أهله ليلا أو يخونهم أو يلتمس عثراتهم قال سفيان قوله أو يخونهم أو يلتمس عثراتهم ما أدري شيء قاله محارب أو شيء هو في الحديث

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৬৭০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪. সালামের প্রসার করা

২৬৭০. আবদুল্লাহ ইবনু সালাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন (হিজরত করে মক্কা থেকে) মদীনায় এলেন তখন লোকেরা তাঁর দিকে চোখ তুলে তাকাতে লাগলো এবং বলাবলি হতে লাগলোঃ আল্লাহর রাসূল এসেছেন। আমিও লোকজনের সাথে (তাঁকে) দেখতে গেলাম। আমি তাঁর মুখমন্ডল উত্তমরূপে দেখার পর বুঝতে পারলাম যে, এই চেহারা কোনো মিথ্যাবাদীর চেহারা নয়। সর্বপ্রথম তাঁর মুখে আমার শোনা কথা এই যে, তিনি বললেন: “হে লোক সকল! তোমরা সালামের ব্যাপক প্রসার করো, খাদ্য খাওয়াও, আত্মীয়তার সম্পর্ক বহাল রাখো এবং লোকজন যখন ঘুমিয়ে থাকে, তখন (রাতের বেলা) নামায পড়ো। তাহলে তোমরা শান্তিতে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ৮/৫৩৬ নং ৫৪৪১, ১৪/৯৫ নং ১৭৬৯৬; ইবনু মাজাহ, আতইমাহ ৩২৫১, ইকামাতিস সালাত ১৩৩৪; আহমাদ ৫/৪৫১; তিরমিযী, সিফাতুল কিয়ামাহ ২৪৮৭; ইবনুস সুন্নী, আমলুল ইয়ামু ওয়াল লাইলাহ নং ২১৫; ইবনু সা’দ, তাবাকাত ১/১/১৫৯; হাকিম ৩/১৩, ৪/১৬০; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ ৪/৪০ নং ৯২৬। দেখুন, মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬২৩৪ এ আমাদের প্রদত্ত টীকা দেখুন।

باب فِي إِفْشَاءِ السَّلَامِ

أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ عَنْ عَوْفٍ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ قَالَ لَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ اسْتَشْرَفَهُ النَّاسُ فَقَالُوا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فَخَرَجْتُ فِيمَنْ خَرَجَ فَلَمَّا رَأَيْتُ وَجْهَهُ عَرَفْتُ أَنَّ وَجْهَهُ لَيْسَ بِوَجْهِ كَذَّابٍ فَكَانَ أَوَّلَ مَا سَمِعْتُهُ يَقُولُ يَا أَيُّهَا النَّاسُ أَفْشُوا السَّلَامَ وَأَطْعِمُوا الطَّعَامَ وَصِلُوا الْأَرْحَامَ وَصَلُّوا وَالنَّاسُ نِيَامٌ تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ بِسَلَامٍ

أخبرنا سعيد بن عامر عن عوف عن زرارة بن أوفى عن عبد الله بن سلام قال لما قدم رسول الله صلى الله عليه وسلم المدينة استشرفه الناس فقالوا قدم رسول الله صلى الله عليه وسلم قال فخرجت فيمن خرج فلما رأيت وجهه عرفت أن وجهه ليس بوجه كذاب فكان أول ما سمعته يقول يا أيها الناس أفشوا السلام وأطعموا الطعام وصلوا الأرحام وصلوا والناس نيام تدخلوا الجنة بسلام

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ বিন সালাম (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৬৭১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫. এক মুসলিমের উপর অপর মুসলিমের হাক্ক (অধিকার)

২৬৭১. আবু হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “মুসলিমের প্রতি মুসলিমের হক ছয়টি (সেগুলো হলোঃ) তার সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে তাকে সালাম করবে; সে হাঁচি দিয়ে (আলহামদু লিল্লাহ বললে) তার জন্য সে (ইয়ারহামুকাল্লাহ বলে) রহমতের দুআ করবে; সে অসুস্হ হলে সে তার সেবা- ‍শুশ্রুষা করবে; তাকে আহবান করলে সে তাতে সাড়া দেবে; সে মারা গেলে তার (জানাযায়) উপস্থিত হবে, সে তার জন্য তা-ই পছন্দ করবে, যা সে নিজের জন্য পছন্দ করবে এবং তার অনুপস্থিতিতে তার কল্যাণ কামনা করবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৩৫ তে এবং সেখানে আমি নিজে তাহক্বীক্ব করার পূর্বে অন্যান্যদের অনুসরণে হারিছকে যয়ীফ বলেছি।

 

এছাড়াও, খতীব, তারীখ বাগদাদ ৭/৪৮।

 

এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আবূ হুরাইরা হতে সহীহ মুসলিম, সালাম ২১৬২ তে, আমরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৪২ তে।

باب فِي حَقِّ الْمُسْلِمِ عَلَى الْمُسْلِمِ

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ عَنْ إِسْرَائِيلَ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ الْحَارِثِ عَنْ عَلِيٍّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْمُسْلِمِ عَلَى الْمُسْلِمِ سِتٌّ يُسَلِّمُ عَلَيْهِ إِذَا لَقِيَهُ وَيُشَمِّتُهُ إِذَا عَطَسَ وَيَعُودُهُ إِذَا مَرِضَ وَيُجِيبُهُ إِذَا دَعَاهُ وَيَشْهَدُهُ إِذَا تُوُفِّيَ وَيُحِبُّ لَهُ مَا يُحِبُّ لِنَفْسِهِ وَيَنْصَحُ لَهُ بِالْغَيْبِ

أخبرنا عبيد الله عن إسرائيل عن أبي إسحق عن الحارث عن علي قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم للمسلم على المسلم ست يسلم عليه إذا لقيه ويشمته إذا عطس ويعوده إذا مرض ويجيبه إذا دعاه ويشهده إذا توفي ويحب له ما يحب لنفسه وينصح له بالغيب

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৬৭২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৬. আরোহী ব্যক্তি পায়ে হেঁটে চলা ব্যক্তিকে সালাম দিবে

২৬৭২. ফাযালা ইবনু উবাইদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আরোহী ব্যক্তি পথচারী ব্যক্তিকে, পথচারী ব্যক্তি দন্ডায়মান ব্যক্তিকে এবং কমসংখ্যক লোক বেশী সংখ্যক লোককে সালাম দিবে।”[1]

[1]তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৯৭ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৯৩৬ তে।

باب فِي تَسْلِيمِ الرَّاكِبِ عَلَى الْمَاشِي

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا حَيْوَةُ أَخْبَرَنَا أَبُو هَانِىءٍ الْخَوْلَانِيُّ أَنَّ أَبَا عَلِيٍّ الْجَنْبِيَّ حَدَّثَهُ عَنْ فَضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٍ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ يُسَلِّمُ الرَّاكِبُ عَلَى الْمَاشِي وَالْقَائِمُ عَلَى الْقَاعِدِ وَالْقَلِيلُ عَلَى الْكَثِيرِ

أخبرنا عبد الله بن يزيد حدثنا حيوة أخبرنا أبو هانىء الخولاني أن أبا علي الجنبي حدثه عن فضالة بن عبيد عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال يسلم الراكب على الماشي والقائم على القاعد والقليل على الكثير

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ ফাযালা ইবন উবায়দ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৬৭৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৭. আহলে কিতাবের সালামের জবাব দেওয়া

২৬৭৩. আবদুল্লাহ ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন কোনো ইয়াহূদী তোমাদের কাউকে সালাম দেয়, তখন সে বলেঃ আস-সামু আলাইকা, অর্থাৎ তুমি মর। কাজেই তুমি (তার সালামের জবাবে) বলবেঃ ওয়া- আলাইকা- অর্থাৎ তুমি মর।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: বুখারী, নিকাহ ৫২৪৩; মুসলিম, ইমারাহ ৭১৫ (১৮৪)।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৯৭ তে।

باب فِي رَدِّ السَّلَامِ عَلَى أَهْلِ الْكِتَابِ

أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ الْيَهُودَ إِذَا سَلَّمَ أَحَدُهُمْ فَإِنَّمَا يَقُولُ السَّامُ عَلَيْكَ قُلْ عَلَيْكَ

أخبرنا خالد بن مخلد حدثنا مالك عن عبد الله بن دينار عن ابن عمر قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إن اليهود إذا سلم أحدهم فإنما يقول السام عليك قل عليك

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৬৭৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

২৬৭৪. সায়ার (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ছাবিত আল বুনানী (রহঃ) এর সঙ্গে চলছিলাম। একদল শিশুদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি তাদের সালাম দেন এবং ছাবিত (রহঃ) বলেন যে, তিনি আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর সঙ্গে ছিলেন। এমতাবস্থায় তিনি শিশুদের পাশ দিয়ে পথ অতিক্রমের সময় তাদের সালাম দেন এবং তিনি বর্ণনা করেন যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ছিলেন। এসময় তিনি শিশুদের পাশ দিয়ে পথ অতিক্রম কালে তাদের সালাম করেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: তিরমিযী, ইসতি’আযান ২৬৯৭; বুখারী, ইসতি’আযান ৬২৪৭, আদাবুল মুফরাদ নং ১০৪৩; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ৩৩০৫; ইবনুস ‍সুন্নী, আমলুল ইয়ামু ওয়াল লাইল নং ২২৬; মুসলিম, সালাম ২১৬৮; নাসাঈ, কুবরা নং ১০১৬২; আবু দাউদ, আদাব ৫২০২; আহামদ ৩/১৮৩; ইবনু আবী শাইবা ৮/৬৩৪ নং ৫৮২৫; আবূ নুয়াইম, হিলইয়া ৮/৩৬৮; ইবনু মাজাহ, আদাব ৩৭০০।

حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ سَيَّارٍ قَالَ كُنْتُ أَمْشِي مَعَ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ فَمَرَّ بِصِبْيَانٍ فَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ وَحَدَّثَ ثَابِتٌ أَنَّهُ كَانَ مَعَ أَنَسٍ فَمَرَّ بِصِبْيَانٍ فَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ وَحَدَّثَ أَنَسٌ أَنَّهُ كَانَ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَرَّ بِصِبْيَانٍ فَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ

حدثنا سهل بن حماد حدثنا شعبة عن سيار قال كنت أمشي مع ثابت البناني فمر بصبيان فسلم عليهم وحدث ثابت أنه كان مع أنس فمر بصبيان فسلم عليهم وحدث أنس أنه كان مع النبي صلى الله عليه وسلم فمر بصبيان فسلم عليهم

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৬৭৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৯. নারীদেরকে সালাম করা প্রসঙ্গে

২৬৭৫. বনী আব্দু আশহাল গোত্রের এক নারী আসমা বিনতে ইয়াযীদ ইবনু সাকান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিনি কিছু মহিলাদের মাঝে ছিলেন, এমতাবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের মহিলাদের নিকট দিয়ে যাবার সময় তাদের সালাম দিয়েছেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান। শাহর ইবনু হাওশাব সম্পর্কে তিরমিযী বলেন, মুহাম্মদ ইবনু ইসমাঈল তার সম্পর্কে বলেন, ‘শাহর ইবনু হাওশাব হাসানুল হাদীস, এবং তার হুকুম শক্তিশালী।’

 

তাখরীজ: আহামদ ৬/৪৫২; ইবনু আবী শাইবা ৮/৬৩৪-৬৩৫ নং ৫৮২৬; আবু দাউদ, আদাব ৫২০৪; ইবনু মাজাহ, আদাব ৩৭০১; তিরমিযী, ইসতি’আযান ২৬৯৮; বুখারী, আদাবুল মুফরাদ নং ১০৪৭।

باب فِي التَّسْلِيمِ عَلَى النِّسَاء

أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ عَنْ شُعَيْبِ بْنِ أَبِي حَمْزَةَ عَنْ ابْنِ أَبِي حُسَيْنٍ حَدَّثَنِي شَهْرٌ عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ يَزِيدَ بْنِ السَّكَنِ إِحْدَى نِسَاءِ بَنِي عَبْدِ الْأَشْهَلِ أَنَّهَا بَيْنَا هِيَ فِي نِسْوَةٍ مَرَّ عَلَيْهِنَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَلَّمَ عَلَيْهِنَّ

أخبرنا الحكم بن نافع عن شعيب بن أبي حمزة عن ابن أبي حسين حدثني شهر عن أسماء بنت يزيد بن السكن إحدى نساء بني عبد الأشهل أنها بينا هي في نسوة مر عليهن النبي صلى الله عليه وسلم فسلم عليهن

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৬৭৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১০. কোনো ব্যক্তিকে সালাম দিলে সে কিভাবে সালামের জবাব দিবে

২৬৭৬. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিনী আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ “হে আয়িশা! জীবরীল (আ.) তোমাকে সালাম দিচ্ছেন।” আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা বলেন, ’তাঁর প্রতিও সালাম এবং আল্লাহর রহমত ও বরকত।’ তিনি বলেন, তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এমন কিছু দেখতেন, যা আমরা দেখতে পেতাম না।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: মুসলিম, ফাযাইলুস সাহাবাহ ২৪৪৭; বুখারী, ইসতি’আযান ৬২৪৯।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৭৮১ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭০৯৮ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ২৭৯ তে।

باب إِذَا قُرِئَ عَلَى الرَّجُلِ السَّلَامُ كَيْفَ يَرُدُّ

أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ عَنْ شُعَيْبِ بْنِ أَبِي حَمْزَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا عَائِشُ هَذَا جِبْرِيلُ يَقْرَأُ عَلَيْكِ السَّلَامَ قَالَتْ وَعَلَيْهِ السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ قَالَتْ وَهُوَ يَرَى مَا لَا أَرَى

أخبرنا الحكم بن نافع عن شعيب بن أبي حمزة عن الزهري قال حدثني أبو سلمة بن عبد الرحمن أن عائشة زوج النبي صلى الله عليه وسلم قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يا عائش هذا جبريل يقرأ عليك السلام قالت وعليه السلام ورحمة الله قالت وهو يرى ما لا أرى

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৬৭৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১১. সালামের জবাবদান প্রসঙ্গে

২৬৭৭. আবী যারর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করলেন এবং মাকামে ইবরাহীমের পেছনে দুই রাকআত) সালাত আদায় করলেন। এরপর তিনি সালাত শেষ করলে আমি তাঁর কাছে আসলাম। আর আমিই হলাম প্রথম ব্যক্তি যে তাঁকে ইসলামী রীতি অনুযায়ী সালাম দিয়েছে। (আমি বললাম, আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসূলাল্লাহ!) তিনি বললেনঃ “ওয়া আলাইকাস-সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। তুমি কোন্ গোত্রের লোক?” তিনি বলেন, আমি বললাম, গিফার গোত্রের। তিনি বলেন, তখন তিনি হাত দিয়ে আঘাত করতে লাগলেন। আমি মনে মনে ভাবলাম, আমার নিজেকে গিফার গোত্রের সাথে সম্পর্কিত করাকে তিনি অপছন্দ করলেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: মুসলিম, ফাযাইলুস সাহাবাহ ২৪৭৩;

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭১৩৩ তে।

 

সংযোজনী: এছাড়াও, ইবনু আবী শাইবা ১৪/৩১৮ নং ১৭৪৪৭; তাহাবী, মুশকিলিল আছার ২/৬; তায়ালিসী, মানহাতুল মা’বুদ নং ২৫৮২, ২৫৮৩, ২৫৮৪; বাইহাকী, হাজ্জ ৫/১৪৭।

باب فِي رَدِّ السَّلَامِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ هُوَ ابْنُ الْمُغِيرَةِ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلَالٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَتَيْتُهُ حِينَ قَضَى صَلَاتَهُ فَكُنْتُ أَوَّلَ مَنْ حَيَّا بِتَحِيَّةِ الْإِسْلَامِ قَالَ عَلَيْكَ السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ مِمَّنْ أَنْتَ قَالَ قُلْتُ مِنْ غِفَارٍ قَالَ فَأَهْوَى بِيَدِهِ قُلْتُ فِي نَفْسِي كَرِهَ أَنِّي انْتَمَيْتُ إِلَى غِفَارٍ

حدثنا عبد الله بن مسلمة حدثنا سليمان هو ابن المغيرة عن حميد بن هلال عن عبد الله بن الصامت عن أبي ذر قال صلى رسول الله صلى الله عليه وسلم فأتيته حين قضى صلاته فكنت أول من حيا بتحية الإسلام قال عليك السلام ورحمة الله ممن أنت قال قلت من غفار قال فأهوى بيده قلت في نفسي كره أني انتميت إلى غفار

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৬৭৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১২. সালাম দেওয়া ও তার জবাব দেওয়ার ফযীলত

২৬৭৮. ইমরান ইবনু হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বলল: আস্‌ সালামু আলাইকুম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সালামের জবাব দিলেন এবং বললেন: “দশ (নেকী)।” তারপর অন্য এক ব্যক্তি এসে সালাম দিতে গিয়ে বলল: আস্ সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সালামের জবাব দিলেন এবং বললেন: “বিশ (নেকী)।” তারপর আরেক ব্যক্তি এসে সালাম দিতে গিয়ে বলল: আস্ সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সালামের জবাব দিলেন এবং বললেন: “ত্রিশ (নেকী)।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আহামদ ৪/৪৩৯-৪৪০; আবু দাউদ, আদাব ৫১৯৫; তিরমিযী, ইসতি’আযান ২৬৯০; তাবারাণী, কাবীর ১৮/১৩৪ নং ২৮০।

 

আর এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে আমরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৯৩ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৯৩১ তে।

باب فِي فَضْلِ التَّسْلِيمِ وَرَدِّهِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ عَوْفٍ عَنْ أَبِي رَجَاءٍ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ السَّلَامُ عَلَيْكُمْ فَرَدَّ عَلَيْهِ وَقَالَ عَشْرٌ ثُمَّ جَاءَ رَجُلٌ فَسَلَّمَ فَقَالَ السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ فَرَدَّ عَلَيْهِ وَقَالَ عِشْرُونَ ثُمَّ جَاءَ رَجُلٌ فَسَلَّمَ فَقَالَ السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ فَرَدَّ عَلَيْهِ وَقَالَ ثَلَاثُونَ

حدثنا محمد بن كثير حدثنا جعفر بن سليمان عن عوف عن أبي رجاء عن عمران بن حصين قال جاء رجل إلى النبي صلى الله عليه وسلم فقال السلام عليكم فرد عليه وقال عشر ثم جاء رجل فسلم فقال السلام عليكم ورحمة الله فرد عليه وقال عشرون ثم جاء رجل فسلم فقال السلام عليكم ورحمة الله وبركاته فرد عليه وقال ثلاثون

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৬৭৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৩. পেশাবরত অবস্থায় কোনো ব্যক্তিকে সালাম দেওয়া হলে

২৬৭৯. আল-মুহাজির ইবন কুনফুয রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেছেন যে, একদা তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে এসে তাঁকে সালাম দিলেন যখন তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পেশাবরত ছিলেন। কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উযূ না করা পর্যন্ত তার সালামের জবাব দিলেন না। অতঃপর তিনি উযূ করে তার সালামের জবাব দিলেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৮০৩, ৮০৬ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৮৯, ১৯০ তে। ((আহমাদ ৪/৩৪৫, ৫/৮০; আবু দাউদ, তাহারাত ১৭; নাসাঈ, তাহারাত ৩৮; ইবনু মাজাহ, তাহারাত ৩৫০; তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ১/৮৫; হাকিম ১/১৬৭; বাইহাকী, কুবরা ১/৯০।– ফাতহুল মান্নান হা/২৮০৫ এর টীকা হতে।–অনুবাদক))

 

সংযোজনী: এছাড়াও, তাবারাণী, কাবীর ২০/৩২৯ নং ৭৮০; ইবনু আবী আসিম, আহাদ ওয়াল মাছানী নং ৬৭৪; ইবনুল কানি’, মুজামুস সাহাবাহ নং ১০০৮।

باب إِذَا سُلِّمَ عَلَى الرَّجُلِ وَهُوَ يَبُولُ

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ قَتَادَةَ عَنْ الْحَسَنِ عَنْ الْحُضَيْنِ عَنْ الْمُهَاجِرِ بْنِ قُنْفُذٍ أَنَّهُ سَلَّمَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَبُولُ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ السَّلَامَ حَتَّى تَوَضَّأَ فَلَمَّا تَوَضَّأَ رَدَّهُ عَلَيْهِ

أخبرنا إسحق حدثنا معاذ بن هشام حدثني أبي عن قتادة عن الحسن عن الحضين عن المهاجر بن قنفذ أنه سلم على النبي صلى الله عليه وسلم وهو يبول فلم يرد عليه السلام حتى توضأ فلما توضأ رده عليه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৬৮০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৪. নারীদের নিকট প্রবেশ করার নিষেধাজ্ঞা

২৬৮০. উকবা ইবনু আমির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমরা স্ত্রীলোকদের কাছে যেও না।” তখন তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, ইয়া রাসূলুল্লাহ! ’হামউ’ (দেবর-ভাসূর-স্বামীর ভগ্নিপতি) বাদে। তিনি বললেন, ’হামউ’ তো মৃত্যুতুল্য।”[1] ইয়াহইয়া বলেন, ’হামউ’ অর্থ স্বামীর নিকটাত্মীয় পুরুষগণ।

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: বুখারী, নিকাহ ৫২৩২; মুসলিম, সালাম ২১৭২।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৫৮৮ তে। ((তিরমিযী, রাদা’আ ১১৭১; আহমাদ ৪/১৪৯।–অনুবাদক))

 

সংযোজনী: এছাড়াও, ইবনু আবী শাইবা ৪/৩২৪।

باب فِي النَّهْيِ عَنْ الدُّخُولِ عَلَى النِّسَاءِ

أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ بِسْطَامَ حَدَّثَنَا لَيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ عَنْ أَبِي الْخَيْرِ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تَدْخُلُوا عَلَى النِّسَاءِ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِلَّا الْحَمْوُ قَالَ الْحَمْوُ الْمَوْتُ قَالَ يَحْيَى الْحَمْوُ يَعْنِي قَرَابَةَ الزَّوْجِ

أخبرنا يحيى بن بسطام حدثنا ليث بن سعد عن يزيد بن أبي حبيب عن أبي الخير عن عقبة بن عامر قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا تدخلوا على النساء قيل يا رسول الله إلا الحمو قال الحمو الموت قال يحيى الحمو يعني قرابة الزوج

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ উকবাহ ইবনু আমির (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৬৮১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৫. আকস্মিক দৃষ্টি সম্পর্কে

২৬৮১. জারীর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে হঠাৎ দৃষ্টি পড়ে যাওয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি বললেন: তুমি তোমার দৃষ্টি ফিরিয়ে নাও।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: মুসলিম, আদাব ২১৫৯।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৫৭১ তে। ((আবু দাউদ, নিকাহ ২১৪৮; তিরমিযী, আদাব ২৭৭৬; হাকিম ২/৩৯৬।– ফাওয়ায আহমেদের দারেমী হা/২৬৪৩ এর টীকা হতে।-অনুবাদক))

 

সংযোজনী: এছাড়াও, ইবনু আবী শাইবা ৪/৩২৪।

باب فِي نَظْرَةِ الْفَجْأَةِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ وَأَبُو نُعَيْمٍ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ يُونُسَ عَنْ عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ عَنْ أَبِي زُرْعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ عَنْ جَرِيرٍ قَالَ سَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ نَظْرَةِ الْفَجْأَةِ فَقَالَ اصْرِفْ بَصَرَكَ

حدثنا محمد بن يوسف وأبو نعيم عن سفيان عن يونس عن عمرو بن سعيد عن أبي زرعة بن عمرو بن جرير عن جرير قال سألت النبي صلى الله عليه وسلم عن نظرة الفجأة فقال اصرف بصرك

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ জারীর ইবনু আবদুল্লাহ আল বাজলী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৬৮২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৬. মহিলাদের কাপড়ের আঁচল বা নিম্নভাগ সম্পর্কে

২৬৮২. উম্মু সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মহিলাদের আঁচল বা কাপড়ের নিম্নপ্রান্ত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, “(নিসফে সাক্ব হতে) এক বিঘত (নিচে নামিয়ে দিবে)।” আমি বললাম, তা হলে তো তাদের পা অনাবৃত হয়ে যেতে পারে?

তিনি বললেন, তা হলে এক হাত (নিচে ঝুলিয়ে দিবে)। এর বেশী করবে না।”[1] আব্দুল্লাহ বলেন, লোকেরা নাফি’ হতে সুলাইমান ইবনু ইয়াসার সূত্রে (এটি) বর্ণনা করতো।[2]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ, ইবনু ইসহাক কর্তৃক এটি ‘আন আন’ শব্দে বর্ণিত হওয়ার কারণে। তবে এর মুতাবি’আত বা অনুসরণে বর্ণিত হাদীস রয়েছে যা এর সনদকে সহীহতে উন্নীত করে। আল্লাহই সর্বাধিক অবগত।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৮৯১, ৬৯৭৭ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৪৫১ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৪৫১ তে। পূর্ণ তাখরীজের জন্য পরবর্তী টীকাটিও দেখুন।

 

[2] আহমাদ ৬/২৯৩, ৩১৫; আবূ দাউদ, লিবাস ৪১১৮; নাসাঈ, যীনাত ৮/২০৯; ইবনু মাজাহ, লিবাস ৩৫৮০ সহীহ সনদে।

باب فِي ذُيُولِ النِّسَاءِ

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ هُوَ ابْنُ إِسْحَقَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ أَبِي عُبَيْدٍ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ سُئِلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَيْلِ الْمَرْأَةِ فَقَالَ شِبْرًا فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِذَنْ تَبْدُوَ أَقْدَامُهُنَّ قَالَ قَدْرَ ذِرَاعٍ لَا يَزِدْنَ عَلَيْهِ قَالَ عَبْد اللَّهِ النَّاسُ يَقُولُونَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ

أخبرنا أحمد بن خالد حدثنا محمد هو ابن إسحق عن نافع عن صفية بنت أبي عبيد عن أم سلمة زوج النبي صلى الله عليه وسلم قالت سئل النبي صلى الله عليه وسلم عن ذيل المرأة فقال شبرا فقلت يا رسول الله إذن تبدو أقدامهن قال قدر ذراع لا يزدن عليه قال عبد الله الناس يقولون عن نافع عن سليمان بن يسار

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৬৮৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৭. যিনাত বা সৌন্দর্য প্রদর্শন বা প্রকাশ করা অপছন্দনীয়

২৬৮৩. হুযাইফার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর বোন থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের উদ্দেশ্যে খুতবা দানকালে বলেন: “হে নারী সমাজ! তোমাদের কি রূপা (এর অলংকার) নেই যা দিয়ে তোমরা নিজেকে অলংকৃত করবে? তোমাদের মধ্যে যে কোনো নারী সোনা (এর অলংকার) পরিধান করবে, অত:পর তা প্রকাশ (বা প্রদর্শন) করে বেড়াবে, তাকে এর দ্বারাই শাস্তি দেওয়া হবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ, এতে রবী’ ইবনু হিরাশের এক স্ত্রী রয়েছে, যে মাজহুল (অজ্ঞাত পরিচয়)।

 

তাখরীজ: আহমাদ ৬/৩৫৭-৩৫৮; নাসাঈ, কুবরা ৯৪৩৭, ৯৪৩৮; তাবারাণী, কাবীর ২৪/২৪৩ নং ৬১৮, ৬১৯, ৬২০, ৬২১, ৬২২, ৬২৩, ৬২৪, ৬২৫; আবূ দাউদ, খতামা ৪২৩৭; ইবনু হাযম, আল মুহাল্লা ১০/৮৩।

باب فِي كَرَاهِيَةِ إِظْهَارِ الزِّينَةِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ مَنْصُورٍ حَدَّثَنِي رِبْعِيُّ بْنُ حِرَاشٍ عَنْ امْرَأَتِهِ عَنْ أُخْتٍ لِحُذَيْفَةَ قَالَتْ خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا مَعْشَرَ النِّسَاءِ أَمَا لَكُنَّ فِي الْفِضَّةِ مَا تَحَلَّيْنَ بِهِ أَمَا إِنَّهُ لَيْسَتْ مِنْكُنَّ امْرَأَةٌ تَحَلَّى الذَّهَبَ فَتُظْهِرَهُ إِلَّا عُذِّبَتْ بِهِ

أخبرنا محمد بن يوسف حدثنا سفيان عن منصور حدثني ربعي بن حراش عن امرأته عن أخت لحذيفة قالت خطبنا رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال يا معشر النساء أما لكن في الفضة ما تحلين به أما إنه ليست منكن امرأة تحلى الذهب فتظهره إلا عذبت به

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৬৮৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৮. নারীদের বাইরে বের হওয়ার সময় সুগন্ধি ব্যবহার করা নিষেধ

২৬৮৪. আবূ মূসা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে কোন মহিলা সুগন্ধি লাগিয়ে বাইরে যায়, যাতে তার সুগন্ধি পাওয়া যায়, তবে সে হল ব্যভিচারিণী। আর প্রতিটি চোখই ব্যভিচারী।”[1] আবী আসিম বলেন, আমাদের কোনো কোনো সাথী এটিকে মারফু’ হিসেবে (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূত্রে) বর্ণনা করেছেন।

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ মুরসাল হিসেবে সহীহ, মাওসূল হিসেবেও সহীহ।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৪২৪ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৪৭৪ তে।

باب فِي النَّهْيِ عَنْ الطِّيبِ إِذَا خَرَجَتْ

أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ ثَابِتِ بْنِ عُمَارَةَ عَنْ غُنَيْمِ بْنِ قَيْسٍ عَنْ أَبِي مُوسَى أَيُّمَا امْرَأَةٍ اسْتَعْطَرَتْ ثُمَّ خَرَجَتْ لِيُوجَدَ رِيحُهَا فَهِيَ زَانِيَةٌ وَكُلُّ عَيْنٍ زَانٍ وَقَالَ أَبُو عَاصِمٍ يَرْفَعُهُ بَعْضُ أَصْحَابِنَا

أخبرنا أبو عاصم عن ثابت بن عمارة عن غنيم بن قيس عن أبي موسى أيما امرأة استعطرت ثم خرجت ليوجد ريحها فهي زانية وكل عين زان وقال أبو عاصم يرفعه بعض أصحابنا

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ মূসা আল- আশ’আরী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৬৮৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৯. (পরচুলা) সংযোজনকারী নারী ও যে নারী তা সংযোজন করায়, তাদের সম্পর্কে

২৬৮৫. ’আবদুল্লাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ্ লা’নাত করেছেন ঐ সমস্ত নারীর প্রতি যারা অন্যের শরীরে উল্কি অংকণ করে এবং যারা নিজ শরীরে উল্কি অংকন করায়, যারা (ভ্রু-চুল) উপড়িয়ে ফেলে এবং সৌন্দর্যের জন্য দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করে। সে সব নারী আল্লাহর সৃষ্টিতে বিকৃতি আনয়ন করে। এরপর বানী আসাদ গোত্রের উম্মু ইয়াকূব নামের এক মহিলার কাছে এ সংবাদ পৌঁছলে সে এসে বলল, আমি জানতে পারলাম, আপনি এই এই ধরনের মহিলাদের প্রতি লা’নাত করেছেন। তিনি বললেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম যার প্রতি লা’নাত করেছেন, আল্লাহর কিতাবে তা রয়েছে, আমি তার প্রতি লা’নাত করব না কেন? তখন মহিলা বলল, আমি দুই ফলকের মাঝে যা আছে তা (পূর্ণ কুরআন) পড়েছি। কিন্তু আপনি যা বলেছেন, তা তো এতে পাইনি।

’আবদুল্লাহ্ বললেন, যদি তুমি কুরআন পড়তে তাহলে অবশ্যই তা পেতে, তুমি কি পড়নি: “রাসূল তোমাদেরকে যা দেন তা তোমরা গ্রহণ কর এবং যা থেকে তোমাদেরকে নিষেধ করেন তা হতে বিরত থাক।” (সূরা হাশর: ৭) মহিলাটি বলল, হাঁ নিশ্চয়ই পড়েছি। ’আবদুল্লাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কাজ করতে নিষেধ করেছেন। তখন মহিলা বলল, আমার মনে হয় আপনার পরিবারও এ কাজ করে। তিনি বললেন, তুমি যাও এবং ভালমত দেখে এসো। এরপর মহিলা গেল এবং ভালভাবে দেখে এলো। কিন্তু তার দেখার বিষয়ে কিছুই দেখতে পেলো না। তখন ’আবদুল্লাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন, যদি আমার স্ত্রী এমন করত, তবে সে আমার সঙ্গে একত্র থাকতে পারত না।’[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: বুখারী, তাফসীর সুরাতুল হাশর ৪৮৮৬; মুসলিম, লিবাস ২১২৫।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫১৪১ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৫০৪ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৯৭ তে।

باب فِي الْوَاصِلَةِ وَالْمُسْتَوْصِلَةِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَلْقَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ لَعَنَ اللَّهُ الْوَاشِمَاتِ وَالْمُسْتَوْشِمَاتِ وَالْمُتَنَمِّصَاتِ وَالْمُتَفَلِّجَاتِ لِلْحُسْنِ الْمُغَيِّرَاتِ خَلْقَ اللَّهِ فَبَلَغَ ذَلِكَ امْرَأَةً مِنْ بَنِي أَسَدٍ يُقَالُ لَهَا أُمُّ يَعْقُوبَ فَجَاءَتْ فَقَالَتْ بَلَغَنِي أَنَّكَ لَعَنْتَ كَيْتَ وَكَيْتَ فَقَالَ وَمَا لِي لَا أَلْعَنُ مَنْ لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ فِي كِتَابِ اللَّهِ فَقَالَتْ لَقَدْ قَرَأْتُ مَا بَيْنَ اللَّوْحَيْنِ فَمَا وَجَدْتُ فِيهِ مَا تَقُولُ قَالَ لَئِنْ كُنْتِ قَرَأْتِيهِ لَقَدْ وَجَدْتِيهِ أَمَا قَرَأْتِ مَا آتَاكُمْ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوا فَقَالَتْ بَلَى قَالَ فَإِنَّهُ قَدْ نَهَى عَنْهُ فَقَالَتْ فَإِنِّي أَرَى أَهْلَكَ يَفْعَلُونَهُ قَالَ فَادْخُلِي فَانْظُرِي فَدَخَلَتْ فَنَظَرَتْ فَلَمْ تَرَ مِنْ حَاجَتِهَا شَيْئًا فَقَالَ لَوْ كَانَتْ كَذَلِكِ مَا جَامَعْتُهَا

أخبرنا محمد بن يوسف عن سفيان عن منصور عن إبراهيم عن علقمة عن عبد الله قال لعن الله الواشمات والمستوشمات والمتنمصات والمتفلجات للحسن المغيرات خلق الله فبلغ ذلك امرأة من بني أسد يقال لها أم يعقوب فجاءت فقالت بلغني أنك لعنت كيت وكيت فقال وما لي لا ألعن من لعن رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو في كتاب الله فقالت لقد قرأت ما بين اللوحين فما وجدت فيه ما تقول قال لئن كنت قرأتيه لقد وجدتيه أما قرأت ما آتاكم الرسول فخذوه وما نهاكم عنه فانتهوا فقالت بلى قال فإنه قد نهى عنه فقالت فإني أرى أهلك يفعلونه قال فادخلي فانظري فدخلت فنظرت فلم تر من حاجتها شيئا فقال لو كانت كذلك ما جامعتها

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ‌ ইব্‌ন মাসউদ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৬৮৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২০. কোনো পুরুষের সাথে পুরুষ এবং কোনো নারীর সাথে নারী একসাথে শয়ন করা নিষেধ

২৬৮৬. আবু আমের থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবী আবু রাইহানা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দশটি জিনিস থেকে নিষেধ করেছেনঃ উভয়ের শরীরে (পোশাক বা বস্ত্র জাতীয়) কোনো কিছু ব্যতীত এক পুরুষের সাথে অন্য পুরুষের একই কাপড়ের মধ্যে শয়ন করা, অনুরুপ উভয়ের শরীরে (পোশাক বা বস্ত্র জাতীয়) কোনোকিছু ব্যতীত অন্য মহিলার সাথে কোন মহিলার একই কাপড়ের মধ্যে শয়ন করা, (ভ্রু-চুল) উপড়িয়ে ফেলা, শরীরে উল্কি অংকন করা, (কারো সম্পদ) লুট করা, চিতা বাঘের চামড়া ব্যবহার করা, (বস্ত্রের) দুই কাঁধের উপরে রেশম ব্যবহার করা, কাপড় (পায়ের গিঁঠের) নিচে ঝুলিয়ে পরিধান করা।”[1]আব্দুল্লাহ বলেন, আবূ আমির তাদের শাইখ। আর মুকা’আমাহ’ অর্থ একত্রে শয়ন করা।

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদে আবূ আমির আল হুজরী রয়েছে, যার সম্পর্কে বুখারী তার কাবীর ৯/৫৭ ও ইবনু আবী হাতিম তার জারহু ওয়াত তা’দীল ৯/৪১১ এ উল্লেখ করেছেন কিন্তু তার সম্পর্কে ‘জারাহ’ বা তা’দীল করেননি। আর তার জারাহ’ (সমালোচনা) করতে আমি কাউকে দেখিনি।… ফলে এটি ইবনু হিব্বানের শর্তানুযায়ী (সহীহ)। অন্যান্য রাবীগণ সকলেই বিশ্বস্ত।

 

তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ৮/৪৯৩-৪৯৪ নং ৫২৯৫; ইবনু মাজাহ, লিবাস ৩৬৫৫ সংক্ষেপে; আহমাদ ৪/১৩৪, ১৩৫; ইবনুল আসীর, আসাদুল গাবাহ ২/৫২৯-৫৩০; আবূ দাউদ, লিবাস ৪০৪৯; নাসাঈ, কুবরা নং ৯৩৬৬; মুজতাবা ৮/১৪৩; মিযযী, তাহযীবুল কামাল ১২/৫৬৫।

باب فِي النَّهْيِ عَنْ مُكَامَعَةِ الرَّجُلِ الرَّجُلَ وَالْمَرْأَةِ الْمَرْأَةَ

أَخْبَرَنَا عُثْمَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ الْحَضْرَمِيُّ أَخْبَرَنِي عَيَّاشُ بْنُ عَبَّاسٍ الْحِمْيَرِيُّ عَنْ أَبِي الْحُصَيْنِ الْحَجْرِيِّ عَنْ أَبِي عَامِرٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا رَيْحَانَةَ صَاحِبَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْهَى عَنْ عَشْرِ خِصَالٍ مُكَامَعَةِ الرَّجُلِ الرَّجُلَ فِي شِعَارٍ وَاحِدٍ لَيْسَ بَيْنَهُمَا شَيْءٌ وَمُكَامَعَةِ الْمَرْأَةِ الْمَرْأَةَ فِي شِعَارٍ وَاحِدٍ لَيْسَ بَيْنَهُمَا شَيْءٌ وَالنَّتْفِ وَالْوَشْمِ وَالنُّهْبَةِ وَرُكُوبِ النُّمُورِ وَاتِّخَاذِ الدِّيبَاجِ هَا هُنَا عَلَى الْعَاتِقَيْنِ وَفِي أَسْفَلِ الثِّيَابِ قَالَ عَبْد اللَّهِ أَبُو عَامِرٍ شَيْخٌ لَهُمْ وَالْمُكَامَعَةُ الْمُضَاجَعَةُ

أخبرنا عثمان بن محمد حدثنا زيد بن الحباب حدثني يحيى بن أيوب الحضرمي أخبرني عياش بن عباس الحميري عن أبي الحصين الحجري عن أبي عامر قال سمعت أبا ريحانة صاحب رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول كان رسول الله صلى الله عليه وسلم ينهى عن عشر خصال مكامعة الرجل الرجل في شعار واحد ليس بينهما شيء ومكامعة المرأة المرأة في شعار واحد ليس بينهما شيء والنتف والوشم والنهبة وركوب النمور واتخاذ الديباج ها هنا على العاتقين وفي أسفل الثياب قال عبد الله أبو عامر شيخ لهم والمكامعة المضاجعة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৬৮৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২১. নারীর বেশধারী পুরুষদেরকে এবং পুরুষের বেশধারী নারীদের উপর লা’নত করা

২৬৮৭. ইবনু ’আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীর বেশধারী পুরুষদেরকে এবং পুরুষের বেশধারী নারীদের উপর লা’নত করেছেন। তিনি বলেছেনঃ “ওদেরকে তোমাদের ঘর থেকে বের করে দাও।” ইবনু ’আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অমুককে বের করেছেন এবং ’উমার অমুক পুরুষকে অথবা অমুক নারীকে বের করে দিয়েছেন- আবূ মুহাম্মদ বলেন, আমার সন্দেহ।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: বুখারী, লিবাস ৫৮৮৫, ৫৮৮৬, ৬৮৩৪;

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৪৩৩ তে।

 

সংযোজনী: বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ ৩২০৭; আবূ নুয়াইম, আখবারু আসবাহান ১/১২০।

باب لَعْنِ الْمُخَنَّثِينَ وَالْمُتَرَجِّلَاتِ

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ وَوَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ قَالَا حَدَّثَنَا هِشَامٌ هُوَ الدَّسْتَوَائِيُّ عَنْ يَحْيَى عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَعَنَ الْمُخَنَّثِينَ مِنْ الرِّجَالِ وَالْمُتَرَجِّلَاتِ مِنْ النِّسَاءِ وَقَالَ أَخْرِجُوهُمْ مِنْ بُيُوتِكُمْ قَالَ فَأَخْرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فُلَانًا وَأَخْرَجَ عُمَرُ فُلَانًا أَوْ فُلَانَةً قَالَ عَبْد اللَّهِ فَأَشُكُّ

أخبرنا يزيد بن هارون ووهب بن جرير قالا حدثنا هشام هو الدستوائي عن يحيى عن عكرمة عن ابن عباس أن النبي صلى الله عليه وسلم لعن المخنثين من الرجال والمترجلات من النساء وقال أخرجوهم من بيوتكم قال فأخرج النبي صلى الله عليه وسلم فلانا وأخرج عمر فلانا أو فلانة قال عبد الله فأشك

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৬৮৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২২. উরু সতরের অন্তর্ভূক্ত

২৬৮৮. যুর’আহ ইবনু আব্দুর রহমান তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন, -আর তিনি আসহাবে সুফফা’র অন্তর্ভূক্ত ছিলেন- তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিকট বসলেন, তখন আমার উরু খোলা ছিল। ফলে তিনি বললেন: “তোমার উরু ঢেকে রাখো। তুমি কি জান না যে, উরু সতরের অন্তর্ভূক্ত?”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ জাইয়্যেদ। আর শাহিদ রয়েছে যা একে শক্তিশালী করে।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৭১০ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৮৮০, ৮৮১ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৩৫৩ তে। আরও দেখুন, ইবনুল কানি’, মু’জামুস সাহাবাহ ১৫৩; ইবনুল জাওযী, তাহক্বীক্ব ১/৩২০-৩২৩; তাবারাণী, কাবীর ২/২৭৩ নং ২১৫০।

باب فِي أَنَّ الْفَخِذَ عَوْرَةٌ

أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ الْمُبَارَكِ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ أَبِي النَّضْرِ عَنْ زُرْعَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِيهِ وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ الصُّفَّةِ قَالَ جَلَسَ عِنْدَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَفَخِذِي مُنْكَشِفَةٌ فَقَالَ خَمِّرْ عَلَيْكَ أَمَا عَلِمْتَ أَنَّ الْفَخِذَ عَوْرَةٌ

أخبرنا الحكم بن المبارك أخبرنا مالك عن أبي النضر عن زرعة بن عبد الرحمن عن أبيه وكان من أصحاب الصفة قال جلس عندنا رسول الله صلى الله عليه وسلم وفخذي منكشفة فقال خمر عليك أما علمت أن الفخذ عورة

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৬৮৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৩. হাম্মাম বা গণশৌচাগারে কোনো নারীর প্রবেশ করা নিষেধ

২৬৮৯. সালিম ইবনু আবীল জা’দ বলেন, হিমসবাসী কয়েকজন মহিলা আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা এর কাছে প্রবেশ করে ফতোয়া জানতে চায়। তিনি বলেন, সম্ভবত: তোমরা সেই নারীদের অন্তর্ভূক্ত যারা হাম্মামখানায় প্রবেশ করো। তারা বললো, হাঁ। তিনি বললেন: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: “যে মহিলা তার স্বামীর ঘর ছাড়া অন্য কোথাও স্বীয় কাপুড় খুলে রাখল সে তার ও আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা’র মাঝের পর্দা ছিন্ন করল।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ মুনকাতি’ বা বিচ্ছিন্ন। আবীল জা’দ সালিম আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে কিছু শোনেননি। তবে পরবর্তী হাদীসটির সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: পরবর্তী টীকাটি দেখুন। ((আবূ দাউদ, হাম্মাম ৪০১৪; তিরমিযী, আদাব ২৭৯৫; আহমাদ ৩/৪৭৮-৪৭৯; তায়ালিসী, হা/১১৭৬; হাকিম, ইবনু হিব্বান।– ফাওয়ায আহমেদের দারেমী হা/২৬৫১ এর টীকা হতে।–অনুবাদক))

باب فِي النَّهْيِ عَنْ دُخُولِ الْمَرْأَةِ الْحَمَّامَ

أَخْبَرَنَا يَعْلَى حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ قَالَ دَخَلَ عَلَى عَائِشَةَ نِسْوَةٌ مِنْ أَهْلِ حِمْصَ يَسْتَفْتِينَهَا فَقَالَتْ لَعَلَّكُنَّ مِنْ النِّسْوَةِ اللَّاتِي يَدْخُلْنَ الْحَمَّامَاتِ قُلْنَ نَعَمْ قَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ مَا مِنْ امْرَأَةٍ تَضَعُ ثِيَابَهَا فِي غَيْرِ بَيْتِ زَوْجِهَا إِلَّا هَتَكَتْ مَا بَيْنَهَا وَبَيْنَ اللَّهِ

أخبرنا يعلى حدثنا الأعمش عن عمرو بن مرة عن سالم بن أبي الجعد قال دخل على عائشة نسوة من أهل حمص يستفتينها فقالت لعلكن من النسوة اللاتي يدخلن الحمامات قلن نعم قالت سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ما من امرأة تضع ثيابها في غير بيت زوجها إلا هتكت ما بينها وبين الله

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৬৯০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৩. হাম্মাম বা গণশৌচাগারে কোনো নারীর প্রবেশ করা নিষেধ

২৬৯০. আবী মালিহ (রহঃ) আয়িশাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসের পুনরাবৃত্তি। এছাড়াও, বুখারী, কাবীর ৫/২৯২; খতীব, তারীখ বাগদাদ ৩/৫৮; হাকিম ৪/২৮৯।

باب فِي النَّهْيِ عَنْ دُخُولِ الْمَرْأَةِ الْحَمَّامَ

قَالَ أَبُو مُحَمَّد أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ عَنْ إِسْرَائِيلَ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ سَالِمٍ عَنْ أَبِي الْمَلِيحِ عَنْ عَائِشَةَ هَذَا الْحَدِيثَ

قال أبو محمد أخبرنا عبيد الله عن إسرائيل عن منصور عن سالم عن أبي المليح عن عائشة هذا الحديث

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ মালীহ্ আল হুযালী (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৬৯১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৪. তোমাদের কেউ যেন তার ভাইকে তার বসার স্থান থেকে উঠিয়ে না দেয়

২৬৯১. ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলু্ল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “কোন লোক তার (মুসলিম) ভাইকে আসন থেকে উঠিয়ে দিয়ে তাতে আসন গ্রহণ করবে না। তবে তোমরা বসার জায়গা করে দেবে এবং প্রশস্ত করে দেবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: বুখারী, জুমু’আহ ৯১১; মুসলিম, সালাম ২১৭৭।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৮৬, ৫৮৭ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৬৭৯ তে। ((আবূ দাউদ, আদাব ৪৮২৮; তিরমিযী, আদাব ২৭৪৯, ২৭৫০; আহমাদ ২/১৭, ৪৫, ৩৩৮, ৪৮৩, ৫২৩ ৫/৪৮; হাকিম ১/২৯৩।- ফাওয়ায আহমেদের দারেমী হা/২৬৫৩ এর টীকা হতে।–অনুবাদক))

باب لَا يُقِيمَنَّ أَحَدُكُمْ أَخَاهُ مِنْ مَجْلِسِهِ

أَخْبَرَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يُقِيمُ الرَّجُلُ يَعْنِي أَخَاهُ مِنْ مَجْلِسِهِ ثُمَّ يَقْعُدُ فِيهِ وَلَكِنْ تَفَسَّحُوا وَتَوَسَّعُوا

أخبرنا مسدد حدثنا بشر بن المفضل حدثنا عبيد الله عن نافع عن ابن عمر قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا يقيم الرجل يعني أخاه من مجلسه ثم يقعد فيه ولكن تفسحوا وتوسعوا

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৬৯২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৫. যে ব্যক্তি তার বসার স্থান হতে উঠে যায়, অত:পর পুনরায় ফিরে আসে, তখন সে-ই সেখানে বসার অধিক হকদার

২৬৯২. আবূ হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “তোমাদের কেউ তার বসার স্থান থেকে উঠে গিয়ে আবার ফিরে এলে সে-ই উক্ত স্থানের অধিক হকদার।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: মুসলিম, সালাম ২১৭৯। ((আবূ দাউদ, আদাব ৪৮৫৩; ইবনু মাজাহ আদাব ৩৭১৭।- ফাওয়ায আহমেদের দারেমী হা/২৬৫৪ এর টীকা হতে।–অনুবাদক))

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৮৮ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৯৫৭ তে।

باب إِذَا قَامَ مِنْ مَجْلِسِهِ ثُمَّ رَجَعَ فَهُوَ أَحَقُّ بِهِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا سُهَيْلٌ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا قَامَ أَحَدُكُمْ أَوْ الرَّجُلُ مِنْ مَجْلِسِهِ ثُمَّ رَجَعَ إِلَيْهِ فَهُوَ أَحَقُّ بِهِ

حدثنا أحمد بن عبد الله حدثنا زهير حدثنا سهيل عن أبيه عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا قام أحدكم أو الرجل من مجلسه ثم رجع إليه فهو أحق به

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৬৯৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৬. রাস্তায় বসা নিষেধ

২৬৯৩. বারা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কতিপয় আনসারী লোকের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তারা পথে বসা ছিল। তিনি তাদের বললেন:“তোমাদের যদি পথের পাশে বসতেই হয়, তবে (লোকদেরকে) পথ দেখিয়ে দেবে, সালামের প্রসার করবে এবং মজলুমের সাহায্য করবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ মুনকাতি’ বা বিচ্ছিন্ন। তবে হাদীসটি সহীহ।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৭১৭, ১৭১৮ তে।((তিরমিযী, ইসতি’আযান ২৭২৬। -অনুবাদক))

 

সংযোজনী: এছাড়াও, তাহাবী, মুশকিলিল আছার ১/৫৯, ৬০।

 

তবে এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আবূ সাঈদ আল খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১২৪৭ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৯৫ তে।

 

এর শাহিদ সহীহ হাদীস রয়েছে আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৯৬ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৯৫৪ তে।

باب فِي النَّهْيِ عَنْ الْجُلُوسِ عَلَى الطُّرُقَاتِ

أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَقَ عَنْ الْبَرَاءِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ بِنَاسٍ جُلُوسٍ مِنْ الْأَنْصَارِ فَقَالَ إِنْ كُنْتُمْ لَا بُدَّ فَاعِلِينَ فَاهْدُوا السَّبِيلَ وَأَفْشُوا السَّلَامَ وَأَعِينُوا الْمَظْلُومَ قَالَ شُعْبَةُ لَمْ يَسْمَعْ هَذَا الْحَدِيثَ أَبُو إِسْحَقَ مِنْ الْبَرَاءِ

أخبرنا أبو الوليد الطيالسي حدثنا شعبة حدثنا أبو إسحق عن البراء أن رسول الله صلى الله عليه وسلم مر بناس جلوس من الأنصار فقال إن كنتم لا بد فاعلين فاهدوا السبيل وأفشوا السلام وأعينوا المظلوم قال شعبة لم يسمع هذا الحديث أبو إسحق من البراء

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ বারা’আ ইবনু আযিব (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৬৯৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৭. (শোয়ার সময়) এক পায়ের উপর আরেক পা রাখা

২৬৯৪. ’আব্বাদ ইবনু তামীম (রহ.) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন, তিনি (তাঁর চাচা) বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মসজিদে চিত হয়ে এক পায়ের উপর আরেক পা রেখে শুয়ে থাকতে দেখেছি।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: বুখারী, সালাত ৪৭৫; মুসলিম, লিবাস ২১০০।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৫৫২ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৪১৮ তে।

باب فِي وَضْعِ إِحْدَى الرِّجْلَيْنِ عَلَى الْأُخْرَى

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ سَمِعْتُ الزُّهْرِيَّ يُحَدِّثُ عَنْ عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ عَنْ عَمِّهِ قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُسْتَلْقِيًا فِي الْمَسْجِدِ وَاضِعًا إِحْدَى رِجْلَيْهِ عَلَى الْأُخْرَى

أخبرنا محمد بن أحمد بن أبي خلف حدثنا سفيان قال سمعت الزهري يحدث عن عباد بن تميم عن عمه قال رأيت رسول الله صلى الله عليه وسلم مستلقيا في المسجد واضعا إحدى رجليه على الأخرى

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আব্বাদ ইবনু তামীম (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৬৯৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৮. সঙ্গীকে বাদ দিয়ে দু’ব্যক্তি চুপে চুপে কথা বলবে না

২৬৯৫. আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তোমরা যখন তিনজন থাকবে তখন সঙ্গীকে বাদ দিয়ে দুইজনে চুপে চুপে কথা বলবে না। কেননা এ জিনিস তাকে চিন্তিত করবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: বুখারী, ইসতি’আযান ৬২৯০; মুসলিম, সালাম ২১৮৪।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাওসিলী নং ৫১১৪, ৫১৩২, ৫২২০, ৫২৫৫ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৮৩ তে।

باب لَا يَتَنَاجَى اثْنَانِ دُونَ صَاحِبِهِمَا

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا كُنْتُمْ ثَلَاثَةً فَلَا يَتَنَاجَى اثْنَانِ دُونَ صَاحِبِهِمَا فَإِنَّ ذَلِكَ يُحْزِنُهُ

أخبرنا عبيد الله بن موسى عن الأعمش عن أبي وائل عن عبد الله قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا كنتم ثلاثة فلا يتناجى اثنان دون صاحبهما فإن ذلك يحزنه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ‌ ইব্‌ন মাসউদ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৬৯৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৯. মজলিসের কাফ্‌ফারা সম্পর্কে

২৬৯৬. আবূ বারযা আসলামী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোন মজলিসে বসতেন, এরপর বসা শেষে উঠে যাওয়ার ইচ্ছা করতেন, তখন তিনি এ দু’আ পাঠ করতেনঃ “সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, আশহাদু আন লা-ইলাহা ইল্লা আনতা আস্তাগফিরুকা ওয়া-আতুবু ইলায়কা।’ তখন তারা বলেঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি আজকে এমন দু’আ পাঠ করলেন, যা ইতোপূর্বে আর কখনো পাঠ করেন নি। তখন তিনি বলেনঃ “এ (দু’আ) হলো মজলিসের (কথাবার্তার) ভুল-ত্রুটির জন্য কাফফারা স্বরূপ।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাওসিলী নং ৭৪২৬ তে।

 

এর শাহিদ সহীহ হাদীস রয়েছে আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৯৪ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৩৬৬ তে।

باب فِي كَفَّارَةِ الْمَجْلِسِ

حَدَّثَنَا يَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ يَعْنِي ابْنَ دِينَارٍ عَنْ أَبِي هَاشِمٍ عَنْ رُفَيْعٍ أَبِي الْعَالِيَةِ عَنْ أَبِي بَرْزَةَ الْأَسْلَمِيِّ قَالَ لَمَّا كَانَ بِأَخَرَةٍ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا جَلَسَ فِي الْمَجْلِسِ فَأَرَادَ أَنْ يَقُومَ قَالَ سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّكَ لَتَقُولُ الْآنَ كَلَامًا مَا كُنْتَ تَقُولُهُ فِيمَا خَلَا فَقَالَ هَذَا كَفَّارَةٌ لِمَا يَكُونُ فِي الْمَجَالِسِ

حدثنا يعلى بن عبيد حدثنا حجاج يعني ابن دينار عن أبي هاشم عن رفيع أبي العالية عن أبي برزة الأسلمي قال لما كان بأخرة كان رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا جلس في المجلس فأراد أن يقوم قال سبحانك اللهم وبحمدك أشهد أن لا إله إلا أنت أستغفرك وأتوب إليك فقالوا يا رسول الله إنك لتقول الآن كلاما ما كنت تقوله فيما خلا فقال هذا كفارة لما يكون في المجالس

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ বারযা আল-আসলামী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৬৯৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩০. কোনো ব্যক্তি হাঁচি দিয়ে যা বলবে

২৬৯৭. আবূ আয়্যুব আল আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “হাঁচি দানকারী বলবে: ’আলহামদুলিল্লাহি আলা কুল্লি হাল’ (অর্থ: সর্বাবস্থায় আল্লাহরই সকল প্রশংসা)। আর যে এটি (হাঁচিদাতাকে ’আলহামদুলিল্লাহ’ বলতে) শুনবে, সে যেন বলে: ’ইয়ারহামুকাল্লাহ’ (অর্থ: আল্লাহ তোমার উপর রহম করুন)। এরপর হাঁচিদাতা জবাবে বলবে: ’ইয়াহদীকুমুল্লাহ ওয়া ইউসলিহু বালাকুম’ (অর্থ: আল্লাহ তোমাদের হেদায়েত দান করুন এবং তোমাদের অবস্থা ভাল বানিয়ে দিন)।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ, মুহাম্মদ ইবনু আব্দুর রহমান ইবনু আবী লাইলা হিফজ’ (স্মরণ শক্তি) খুবই দুর্বল।

 

তাখরীজ: হাকিম ৪/২৬৬; তায়ালিসী, মানিহাতুল মা’বুদ ১/৩৬১ নং ১৮৬৪; আহমাদ ৫/৪১৯-৪২২; তিরমিযী, আদাব ২৭৪২; ইবনুস সু্ন্নী, আমলুল ইয়ামি ওয়াল লাইলাহ নং ২৫৫; তাবারাণী, কাবীর ৪/১৬১ নং ৪০০৯; আবূ নুয়াইম, হিলইয়া ৭/১৬৩।

 

তিরমিযী বলেন, ‘ইবনু আবী লাইলা এ হাদীসটিতে ইযতিরাব করেছেন। কখনো এটি আবী আইয়্যুব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে আবার কখনো এটি আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন।’

 

তিরমিযী আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর থেকে যে হাদীসটি উল্লেখ করেছেন, আমরা এ হাদীসটির পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩০৬ তে।

 

এর শাহিদ সহীহ হাদীস রয়েছে আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বুখারী, আদাব ৬২২৪ ও আবূ দাউদ, আদাব ৫০৩৩ তে, ফলে এ শাহীদ আমাদের এ হাদীসটিকে সহীহতে উন্নীত করে। আল্লাহই ভাল জানেন।

باب إِذَا عَطَسَ الرَّجُلُ مَا يَقُولُ

أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى عَنْ أَخِيهِ عِيسَى عَنْ أَبِيهِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيِّ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الْعَاطِسُ يَقُولُ الْحَمْدُ لِلَّهِ عَلَى كُلِّ حَالٍ وَيَقُولُ الَّذِي يُشَمِّتُهُ يَرْحَمُكُمْ اللَّهُ وَيَرُدُّ عَلَيْهِ يَهْدِيكُمُ اللَّهُ وَيُصْلِحُ بَالَكُمْ

أخبرنا سعيد بن عامر عن شعبة عن محمد بن عبد الرحمن بن أبي ليلى عن أخيه عيسى عن أبيه عبد الرحمن بن أبي ليلى عن أبي أيوب الأنصاري عن النبي صلى الله عليه وسلم قال العاطس يقول الحمد لله على كل حال ويقول الذي يشمته يرحمكم الله ويرد عليه يهديكم الله ويصلح بالكم

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ আইয়ুব আনসারী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৬৯৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩১. যে ব্যক্তি (হাঁচি দিয়ে) ‘আলহামদু লিল্লাহ’ না বলে, তার (হাঁচির) জবাবে ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ না বলা

২৬৯৮. আনাস ইবনু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সম্মুখে দু’ ব্যক্তি হাঁচি দিল। তখন তিনি তাদের একজনের জবাবে দু’আ করলেন[1] আর অন্যজনের জন্য দু’আ করলেন না। তাঁকে কারণ জিজ্ঞেস করা হলো: ইয়া রাসূলুল্লাহ! এ ব্যক্তির জবাবে দু’আ করলেন আর অন্যজনের জন্য দু’আ করলেন না। তিনি বললেনঃ এ ব্যক্তি ’আলহামদু লিল্লাহ’ বলেছে। আর ঐ ব্যক্তি ’আলহামদু লিল্লাহ’ বলেনি।”[2] আবূ মুহাম্মদ বলেন, সুলাইমান হলেন তাইমী।

[1] আত ‘তাশমীত’: কল্যাণ ও বরকতের দু’আ করা।…

 

[2] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: বুখারী, আদাব ৬২২১; মুসলিম, যুহদ ২৯৯১।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪০৬০ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬০১০, ৬০১ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ১২৪২ তে।

باب إِذَا لَمْ يَحْمَدْ اللَّهَ لَا يُشَمِّتْهُ

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ عَنْ سُلَيْمَانَ عَنْ أَنَسٍ قَالَ عَطَسَ رَجُلَانِ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَشَمَّتَ أَوْ سَمَّتَ أَحَدَهُمَا وَلَمْ يُشَمِّتْ الْآخَرَ فَقِيلَ لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ شَمَّتَّ هَذَا وَلَمْ تُشَمِّتْ الْآخَرَ فَقَالَ إِنَّ هَذَا حَمِدَ اللَّهَ وَإِنَّ هَذَا لَمْ يَحْمَدْ اللَّهَ قَالَ عَبْد اللَّهِ سُلَيْمَانُ هُوَ التَّيْمِيُّ

أخبرنا أحمد بن عبد الله حدثنا زهير عن سليمان عن أنس قال عطس رجلان عند النبي صلى الله عليه وسلم فشمت أو سمت أحدهما ولم يشمت الآخر فقيل له يا رسول الله شمت هذا ولم تشمت الآخر فقال إن هذا حمد الله وإن هذا لم يحمد الله قال عبد الله سليمان هو التيمي

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৬৯৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩২. হাঁচি দাতার জন্য কতবার দু’আ করতে হবে

২৬৯৯. সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত এক ব্যক্তি হাঁচি দেয়। তখন তিনি বললেন: “ইয়ারহামুকাল্লাহ।” লোকটি দ্বিতীয়বার হাঁচি দিল। তখন তিনি বললেন: “এই লোকটি তো সর্দিতে আক্রান্ত।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ শক্তিশালী।

 

তাখরীজ: মুসলিম, যুহদ ২৯৯৩।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬০৩ তে।

 

সংযোজনী: এছাড়াও, ইবনুস সু্ন্নী, আমলুল ইয়ামি ওয়াল লাইলাহ নং ২৫৫; তাবারাণী, কাবীর ৪/১৬১ নং ৪০০৯;

باب كَمْ يُشَمَّتُ الْعَاطِسُ

أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ هُوَ ابْنُ عَمَّارٍ قَالَ حَدَّثَنِي إِيَاسُ بْنُ سَلَمَةَ قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ عَطَسَ رَجُلٌ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَرْحَمُكَ اللَّهُ ثُمَّ عَطَسَ أُخْرَى فَقَالَ الرَّجُلُ مَزْكُومٌ

أخبرنا أبو الوليد حدثنا عكرمة هو ابن عمار قال حدثني إياس بن سلمة قال حدثني أبي قال عطس رجل عند النبي صلى الله عليه وسلم فقال يرحمك الله ثم عطس أخرى فقال الرجل مزكوم

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ সালামাহ ইবনু আক্ওয়া‘ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭০০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৩. ছবি থেকে নিষেধাজ্ঞা

২৭০০. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাদের একখন্ড কাপড় ছিল, যাতে ছবি ছিল এবং তা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে স্থাপন করলাম। আর তখন তিনি সালাত আদায় করছিলেন। কিন্তু তিনি আমাকে নিষেধ করলেন। অথবা, তিনি (আয়েশা) বলেনঃ কিন্তু তিনি সেটি অপছন্দ করলেন। তিনি বলেন, এরপর আমি সেটি দিয়ে কয়েকটি বালিশ বানিয়ে নিলাম।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক সম্মিলিত ভাবে বর্ণিত।

 

তাখরীজ: বুখারী, মাযালিম ২৪৭৬; মুসলিম, লিবাস ২১০৭।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৪০৩, ৪৪০৯, ৪৪৩৮, ৪৪৬৮, ৪৬৪১, ৪৬৪৬, ৪৭২৩ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৮৪৩ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ২৫৩ তে।

باب فِي النَّهْيِ عَنْ التَّصَاوِيرِ

أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ كَانَ لَنَا ثَوْبٌ فِيهِ تَصَاوِيرُ فَجَعَلْتُهُ بَيْنَ يَدَيْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يُصَلِّي فَنَهَانِي أَوْ قَالَتْ فَكَرِهَهُ قَالَتْ فَجَعَلْتُهُ وَسَائِدَ

أخبرنا سعيد بن عامر عن شعبة عن عبد الرحمن بن القاسم عن أبيه قال قالت عائشة كان لنا ثوب فيه تصاوير فجعلته بين يدي النبي صلى الله عليه وسلم وهو يصلي فنهاني أو قالت فكرهه قالت فجعلته وسائد

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭০১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৪. যে ঘর-বাড়িতে ছবি থাকে, সেখানে (রহমতের) ফিরিশতা প্রবেশ করেন না

২৭০১. আলী ইবনে আবু তালিব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ঘরে কুকুর, ছবি ও ’জুনুবী’ (অপবিত্র) ব্যক্তি থাকে, সেই ঘরে ফেরেশতাগণ প্রবেশ করেন না।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ জাইয়্যেদ যদি আব্দুল্লাহ বিন নুজাই আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে শ্রবণ করে থাকেন।…

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩১৩ (জাইয়্যেদ সনদে), ৫৯২, ৬২৬ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১২০৫ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৪৮৪ তে।

باب لَا تَدْخُلُ الْمَلَائِكَةُ بَيْتًا فِيهِ تَصَاوِيرُ

أَخْبَرَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ حَدَّثَنَا عُمَارَةُ بْنُ الْقَعْقَاعِ حَدَّثَنَا الْحَارِثُ الْعُكْلِيُّ عَنْ أَبِي زُرْعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُجَيٍّ عَنْ عَلِيٍّ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ الْمَلَكَ لَا يَدْخُلُ بَيْتًا فِيهِ كَلْبٌ وَلَا صُورَةٌ وَلَا جُنُبٌ

أخبرنا أبو النعمان حدثنا عبد الواحد بن زياد حدثنا عمارة بن القعقاع حدثنا الحارث العكلي عن أبي زرعة بن عمرو بن جرير عن عبد الله بن نجي عن علي أن النبي صلى الله عليه وسلم قال إن الملك لا يدخل بيتا فيه كلب ولا صورة ولا جنب

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ আলী ইবনু আবী তালিব (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭০২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৫. পরিবার-পরিজন ও পোষ্যদের জন্য খরচ করা

২৭০২. আবী মাসউদ আল বাদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “কোন মুসলিম তার পরিবারের জন্য সাওয়াবের আশায় যখন খরচ করে তখন তা হয় তার পক্ষ থেকে সাদাকা স্বরূপ।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: বুখারী, ঈমান ৫৫; মুসলিম, যাকাত ১০০২।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪২৩৮, ৪২৩৯ তে।

 

সংযোজনী: এছাড়াও, তায়ালিসী, মানিহাতুল মা’বুদ ১/৩২৫ নং ১৬৩৮; আরও দেখুন, মা’রিফাতুস সুনান ৮/২০৮ নং ৮৫০৮।

باب فِي النَّفَقَةِ عَلَى الْعِيَالِ

حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ عَدِيُّ بْنُ ثَابِتٍ أَخْبَرَنِي قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ يَزِيدَ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الْبَدْرِيِّ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ الْمُسْلِمُ إِذَا أَنَفْقَ نَفَقَةً عَلَى أَهْلِهِ وَهُوَ يَحْتَسِبُهَا فَهِيَ لَهُ صَدَقَةٌ

حدثنا أبو الوليد حدثنا شعبة قال عدي بن ثابت أخبرني قال سمعت عبد الله بن يزيد يحدث عن أبي مسعود البدري عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال المسلم إذا أنفق نفقة على أهله وهو يحتسبها فهي له صدقة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ মাসউদ আনসারী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭০৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৬. একই প্রাণীর উপর তিনজন লোক আরোহন করা

২৭০৩. আবদুল্লাহ্ ইবনু জাফর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন সফর হতে ফেরার সময় একদিন আমাকে এবং হাসান বা হুসাইনকে সম্মুখে পেলেন। তিনি (রাবী) বলেন, আমার মনে হয় হাসানকে। তারপর তিনি আমাকে তাঁর সামনে বসালেন আর হাসানকে তাঁর পেছনে বসালেন। এমনকি এভাবে আমরা সেই পশুর উপর আরোহী অবস্থায় মদীনায় প্রবেশ করলাম, যার উপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: মুসলিম, ফাযাইলুস সাহাবাহ ২৪২৮; ((আবূ দাউদ, জিহাদ ২৫৬৬; নাসাঈ, কুবরা ২/৪৭৭-৪৭৮ নং ৪২৪৬; ইবনু মাজাহ, আদাব ৩৭৭৩ আহমাদ ১/২০৩।– ফাতহুল মান্নান হা/২৮৩০ এর টীকা হতে।–অনুবাদক))

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৭৯১ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৫৪৮ তে।

 

সংযোজনী: ইবনু আবী শাইবা ৯/৩৫ নং ৬৪২৪।

باب فِي الدَّابَّةِ يَرْكَبُ عَلَيْهَا ثَلَاثَةٌ

أَخْبَرَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا ثَابِتُ بْنُ يَزِيدَ قَالَ حَدَّثَنَا عَاصِمٌ الْأَحْوَلُ عَنْ مُوَرِّقٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا قَفَلَ تُلُقِّيَ بِي وَبِالْحَسَنِ أَوْ بِالْحُسَيْنِ قَالَ وَأُرَاهُ قَالَ الْحَسَنَ فَحَمَلَنِي بَيْنَ يَدَيْهِ وَالْحَسَنَ وَرَاءَهُ قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ وَنَحْنُ عَلَى الدَّابَّةِ الَّتِي عَلَيْهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

أخبرنا أبو النعمان حدثنا ثابت بن يزيد قال حدثنا عاصم الأحول عن مورق عن عبد الله بن جعفر قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا قفل تلقي بي وبالحسن أو بالحسين قال وأراه قال الحسن فحملني بين يديه والحسن وراءه قدمنا المدينة ونحن على الدابة التي عليها النبي صلى الله عليه وسلم

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু জা‘ফার (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭০৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৭. ভারবাহী পশুর মালিক উহার পিঠের সামনে বসার অধিক হকদার

২৭০৪. কু’ফার আমীর আব্দুল্লাহ ইবনু ইয়াযীদ আল খাত্বমী (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা কাইস ইবনু সা’দ ইবনু উবাদাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর বাড়িতে তার নিকট এলাম। তখন মুয়াযযিন সালাতের জন্য আযান দিলেন। তাই আমরা কাইস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বললাম, আপনি উঠে আমাদের নিয়ে সালাত আদায় করুন। তখন তিনি বললেন, আমি যাদের আমীর নই, সেই লোকদের নিয়ে আমি কিছুতেই সালাত আদায় করব না। আব্দুল্লাহ ইবনু হানযালাহ ইবনুল গাছিল নামক এক ব্যক্তি যিনি নিকটে ছিলেন না, তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “মানুষ নিজেই তার বাহনের পশুর (মর্যাদাপূর্ণ) অগ্রভাগের, তার বিছানার (মর্যাদাপূর্ণ) অগ্রভাগের এবং তার বাড়িতে ইমামতি করার সর্বাধিক হকদার।” এ সময় কাইস ইবনু সা’দ তার এক গোলামকে বললেন, হে অমুক, উঠে তাদের কে নিয়ে সালাত আদায় করো।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মাজমাউয যাওয়াইদ নং ২৩৬৩ তে। তবে এর কয়েকটি শাহিদ রয়েছে যা একে শক্তিশালী করে। এ ব্যাপারে আমার বিস্তারিত আলোচনা করেছি মাজমাউয যাওয়াইদ নং ২৩৬৩ তে।

باب فِي صَاحِبُ الدَّابَّةِ أَحَقُّ بِصَدْرِهَا

أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ إِسْحَقَ بْنِ يَحْيَى بْنِ طَلْحَةَ عَنْ الْمُسَيَّبِ بْنِ رَافِعٍ وَمَعْبَدِ بْنِ خَالِدٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ الْخَطْمِيِّ وَكَانَ أَمِيرًا عَلَى الْكُوفَةِ قَالَ أَتَيْنَا قَيْسَ بْنَ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ فِي بَيْتِهِ فَأَذَّنَ الْمُؤَذِّنِ لِلصَّلَاةِ وَقُلْنَا لِقَيْسٍ قُمْ فَصَلِّ لَنَا فَقَالَ لَمْ أَكُنْ لِأُصَلِّيَ بِقَوْمٍ لَسْتُ عَلَيْهِمْ بِأَمِيرٍ فَقَالَ رَجُلٌ لَيْسَ بِدُونِهِ يُقَالُ لَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَنْظَلَةَ بْنِ الْغَسِيلِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الرَّجُلُ أَحَقُّ بِصَدْرِ دَابَّتِهِ وَصَدْرِ فِرَاشِهِ وَأَنْ يَؤُمَّ فِي رَحْلِهِ قَالَ قَيْسُ بْنُ سَعْدٍ عِنْدَ ذَاكَ يَا فُلَانُ لِمَوْلًى لَهُ قُمْ فَصَلِّ لَهُمْ

أخبرنا سعيد بن سليمان عن إسحق بن يحيى بن طلحة عن المسيب بن رافع ومعبد بن خالد عن عبد الله بن يزيد الخطمي وكان أميرا على الكوفة قال أتينا قيس بن سعد بن عبادة في بيته فأذن المؤذن للصلاة وقلنا لقيس قم فصل لنا فقال لم أكن لأصلي بقوم لست عليهم بأمير فقال رجل ليس بدونه يقال له عبد الله بن حنظلة بن الغسيل قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الرجل أحق بصدر دابته وصدر فراشه وأن يؤم في رحله قال قيس بن سعد عند ذاك يا فلان لمولى له قم فصل لهم

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু ইয়াযীদ (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭০৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৮. প্রতিটি উটের উপরিভাগে এক একটি শয়তান থাকে – এসম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে

২৭০৫. মুহাম্মদ ইবনু হামযাহ ইবনু আমর আল আসলামী যার পিতা ছিলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবী, তিনি বলেন, আমি আমার পিতাকে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “প্রত্যেক উটের উপরিভাগে একটি করে শয়তান থাকে, সুতরাং তোমরা যখন এর পিঠে আরোহন করবে, তখন বিসমিল্লাহ’ বলবে, কিন্তু তোমাদের প্রয়োজন সমূহ থেকে বিরত থাকবে না।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৭০৩, ২৬৯৪ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২০০০ তে।

 

সংযোজনী: এছাড়া, ইবনু আবী শাইবা ১০/৩৯১ নং ৯৭৭২; তাবারাণী, আওসাত নং ১৯৪৫।

باب مَا جَاءَ أَنَّ عَلَى ذِرْوَةِ كُلِّ بَعِيرٍ شَيْطَانًا

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ حَمْزَةَ بْنِ عَمْرٍو الْأَسْلَمِيِّ قَالَ وَقَدْ صَحِبَ أَبُوهُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى ذِرْوَةِ كُلِّ بَعِيرٍ شَيْطَانٌ فَإِذَا رَكِبْتُمُوهَا فَسَمُّوا اللَّهَ وَلَا تُقَصِّرُوا عَنْ حَاجَاتِكُمْ

أخبرنا عبيد الله بن موسى عن أسامة بن زيد عن محمد بن حمزة بن عمرو الأسلمي قال وقد صحب أبوه رسول الله صلى الله عليه وسلم قال سمعت أبي يقول قال رسول الله صلى الله عليه وسلم على ذروة كل بعير شيطان فإذا ركبتموها فسموا الله ولا تقصروا عن حاجاتكم

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭০৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৯. আরোহনের পশুকে চেয়ার বা সিংহাসনরূপে ব্যবহার করা নিষেধ

২৭০৬. সাহল ইবনু মুয়ায ইবনু আনাস যার পিতা ছিলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবী, তিনি তার পিতা হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “এ সকল পশুদের উপর নিরাপদে তোমরা আরোহন করো, তবে এদেরকে চেয়ার বা সিংহাসনরূপে ব্যবহার করো না।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৬১৯ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২০০২ তে।

 

সংযোজনী: এছাড়া, ইবনুল কানি’, মু’জামুস সাহাবাহ ৯৭৩।

باب فِي النَّهْيِ عَنْ أَنْ تُتَّخَذَ الدَّوَابُّ كَرَاسِيَّ

أَخْبَرَنَا عُثْمَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا شَبَابَةُ بْنُ سَوَّارٍ حَدَّثَنَا لَيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذِ بْنِ أَنَسٍ عَنْ أَبِيهِ وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ ارْكَبُوا هَذِهِ الدَّوَابَّ سَالِمَةً وَلَا تَتَّخِذُوهَا كَرَاسِيَّ

أخبرنا عثمان بن محمد حدثنا شبابة بن سوار حدثنا ليث بن سعد عن يزيد بن أبي حبيب عن سهل بن معاذ بن أنس عن أبيه وكان من أصحاب النبي صلى الله عليه وسلم أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال اركبوا هذه الدواب سالمة ولا تتخذوها كراسي

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭০৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৯. আরোহনের পশুকে চেয়ার বা সিংহাসনরূপে ব্যবহার করা নিষেধ

২৭০৭. আব্দুল্লাহ ইবনু সালিহ সূত্রে তিনি লাইছ হতে ….(এটি বর্ণনা করেছেন), তবে তিনি কিছু বিষয়ে ’শাবাবাহ’র বিরোধীতা করেছেন।[1]

[1] আব্দুল্লাহ ইবনু সালিহ যয়ীফ। ফলে তার আগের সনদটির বিরোধিতা করা সেটির কোন ক্ষতি করতে পারবে না।

باب فِي النَّهْيِ عَنْ أَنْ تُتَّخَذَ الدَّوَابُّ كَرَاسِيَّ

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ عَنْ اللَّيْثِ إِلَّا أَنَّهُ يُخَالِفُ شَبَابَةَ فِي شَيْءٍ

أخبرنا عبد الله بن صالح عن الليث إلا أنه يخالف شبابة في شيء

 হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭০৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪০. সফর আযাবের একটি অংশ

২৭০৮. আবূ হুরাইরাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “সফর ’আযাবের অংশ বিশেষ। তা তোমাদের যথাসময় নিদ্রা ও পানাহারে ব্যঘাত ঘটায়। কাজেই নিজের প্রয়োজন মিটিয়ে অবিলম্বে সে যেন আপন পরিজনের কাছে ফিরে যায়।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ শক্তিশালী।

 

তাখরীজ: মালিক, ইসতিআযান ৩৯; বুখারী, উমরাহ ১৮০৪; মুসলিম, ইমারাহ ১৯২৭।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৭০৩ তে।

 

সংযোজনী: এছাড়া, তাবারাণী, সগীর ১/২২০; আবূ নুয়াইম, হিলইয়া ৬/৩৪৪; খতীব বাগদাদী, তারীখ ২/৫৩-৫৪; ৭/২৮৪; সাহমী, তারীখ জুরজান পৃ: ৩৯৪।

باب السَّفَرُ قِطْعَةٌ مِنْ الْعَذَابِ

أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ سُمَيٍّ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ السَّفَرُ قِطْعَةٌ مِنْ الْعَذَابِ يَمْنَعُ أَحَدَكُمْ نَوْمَهُ وَطَعَامَهُ وَشَرَابَهُ فَإِذَا قَضَى نَهْمَتَهُ مِنْ وَجْهِهِ فَلْيُعَجِّلْ الرَّجْعَةَ إِلَى أَهْلِهِ

أخبرنا خالد بن مخلد حدثنا مالك عن سمي عن أبي صالح عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم السفر قطعة من العذاب يمنع أحدكم نومه وطعامه وشرابه فإذا قضى نهمته من وجهه فليعجل الرجعة إلى أهله

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭০৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪১. কোনো লোককে বিদায় জানানোর সময় তিনি যা বলবেন

২৭০৯. আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বললঃ ইয়া নাবিয়াল্লাহ! আমি সফরের ইচ্ছা করছি। তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, “কখন?” সে বলল, আগামীকাল ইনশা আল্লাহ। এরপর তিনি এসে নিজ হাতে তার হাত ধরলেন। এরপর তিনি বললেনঃ “আল্লাহর হেফাজতে ও তাঁর আশ্রয়ে (হাওয়ালা করছি)। আল্লাহ তা’আলা তোমাকে পাথেয় হিসাবে তাকওয়া দান করুন। আর তিনি তোমার গুনাহ মাফ করুন। তোমার জন্য আল্লাহ তা’আলা কল্যাণ সহজলভ্য করে দিন, তুমি যে স্থানেরই নিয়াত করনা কেন- কিংবা যে স্থানই উদ্দেশ্য করনা কেন।” রাবী সাঈদের সন্দেহ, এ দু’বাক্যের কোন একটি হবে। [1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ জাইয়্যেদ।

 

তাখরীজ: ইবনুস সুন্নী, আমলুল ইয়াওমু ওয়াল লাইলাহ নং ৫০২, ৫০৩; তিরমিযী, দাওয়াত ৩৪৪০; হাকিম ২/৯৭।

باب مَا يَقُولُ إِذَا وَدَّعَ رَجُلًا

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي كَعْبٍ أَبُو الْحَسَنِ الْعَبْدِيُّ قَالَ حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ مَيْسَرَةَ الْعَبْدِيُّ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لَهُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ إِنِّي أُرِيدُ السَّفَرَ فَقَالَ لَهُ مَتَى قَالَ غَدًا إِنْ شَاءَ اللَّهُ قَالَ فَأَتَاهُ فَأَخَذَ بِيَدِهِ فَقَالَ لَهُ فِي حِفْظِ اللَّهِ وَفِي كَنَفِهِ زَوَّدَكَ اللَّهُ التَّقْوَى وَغَفَرَ لَكَ ذَنْبَكَ وَوَجَّهَكَ لِلْخَيْرِ أَيْنَمَا تَوَخَّيْتَ أَوْ أَيْنَمَا تَوَجَّهْتَ شَكَّ سَعِيدٌ فِي إِحْدَى الْكَلِمَتَيْنِ

حدثنا مسلم بن إبراهيم حدثنا سعيد بن أبي كعب أبو الحسن العبدي قال حدثني موسى بن ميسرة العبدي عن أنس بن مالك قال جاء رجل إلى النبي صلى الله عليه وسلم فقال له يا نبي الله إني أريد السفر فقال له متى قال غدا إن شاء الله قال فأتاه فأخذ بيده فقال له في حفظ الله وفي كنفه زودك الله التقوى وغفر لك ذنبك ووجهك للخير أينما توخيت أو أينما توجهت شك سعيد في إحدى الكلمتين

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭১০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪২. সফরকালীন দু’আ

২৭১০. আবদুল্লাহ ইবনে সারজিস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফরে রওয়ানার প্রাক্কালে বলতেনঃ ’’হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট সফরের কষ্ট-ক্লান্তি বা মন্দ কাজ, প্রত্যাবর্তন স্থলের বিষন্নতা বা অবসাদ, প্রাচুর্যের পরে রিক্ততা, নির্যাতিতের বদদোয়া এবং পরিবার-পরিজন ও মাল-সম্পদের প্রতি কুদৃষ্টি থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করি।’’[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আহমাদ ৫/৮২, ৮৩; নাসাঈ, ইসতিআযান ৮/২৭২; মুসলিম, হাজ্জ ১৩৪৩; ইবনু মাজাহ, দু’আ ৩৮৮৮; তিরমিযী, দাওয়াত ৩৪৩৫; ইবনুস সুন্নী, আমলুল ইয়াওমু ওয়াল লাইলাহ নং ৪৯২; আব্দুর রাযযাক, নং ৯২৩১, ২০৯২৭; ইবনু আবী শাইবা ১০/৩৫৯ নং ৯৬৫৬; আবূ নুয়াইম, হিলইয়া ৩/১২২।

باب فِي الدُّعَاءِ إِذَا سَافَرَ

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا عَاصِمٌ هُوَ الْأَحْوَلُ قَالَ وَثَبَّتَنِي شُعْبَةُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَرْجِسٍ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا سَافَرَ قَالَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ وَكَآبَةِ الْمُنْقَلَبِ وَالْحَوْرِ بَعْدَ الْكَوْرِ وَدَعْوَةِ الْمَظْلُومِ وَسُوءِ الْمَنْظَرِ فِي الْأَهْلِ وَالْمَالِ

أخبرنا يزيد بن هارون أخبرنا عاصم هو الأحول قال وثبتني شعبة عن عبد الله بن سرجس قال كان النبي صلى الله عليه وسلم إذا سافر قال اللهم إني أعوذ بك من وعثاء السفر وكآبة المنقلب والحور بعد الكور ودعوة المظلوم وسوء المنظر في الأهل والمال

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু সারজিস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭১১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪২. সফরকালীন দু’আ

২৭১১. ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সফর করতেন তখন সওয়ারীতে আরোহন করে তিন বার আল্লাহু আকবার বলতেন এরপর বলতেনঃ

“সুবহানাল্লাযী সাখখারা লানা হাযা ওয়ামা কুন্না লাহু মুক্বরিনীন। ওয়াইন্না-ইলা রব্বিনা লামুনক্বলিবুন। আল্লাহুম্মা! ইন্নী আসআলুকা ফী সাফারী হাযাল বিরর ওয়াত তাক্বওয়া ওয়া মিনাল আমলি মা তারদ্ব’। আল্লাহুম্মা হাওয়িন্ আলাইনাস সাফারা ওয়াত্বয়ি লানা বু’দাল আরদি। আল্লাহুম্মা আনতাস সাহিবু ফিস সাফার ওয়া খলিফাতু ফী আহলি; আল্লাহুম্মাসহ(মাসেহ)াবনা ফী সাফারিনা; ওয়াখলুফনা ফী আহলিনা বিখইরিন।”[1]

(অর্থ: হে আল্লাহ! আমার এই সফরে এমন নেকি তাকওয়া ও আমল প্রার্থনা করি যার উপর তুমি সন্তুষ্ট থাক। হে আল্লাহ! আমাদের উপর এই সফর সহজ করে দাও। আমাদের জন্য যমীনের দূরত্ব সংকুচিত করে দাও। হে আল্লাহ! তুমিই আমার সফরের সাথী আর পরিজনদের মাঝে স্থলবর্তী। হে আল্লাহ! আমাদের এ সফরে তুমি কল্যাণসহ আমাদের সঙ্গী হও আর আমাদের পরিজনদের মধ্যে আমাদের স্থলবর্তী হও।)

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: মুসলিম, হাজ্জ ১৩৪২।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৬৯৫, ২৬৯৬ তে। সামনের ২৭২৫ নং এ এর কিয়দংশের টীকায় দেখুন।

باب فِي الدُّعَاءِ إِذَا سَافَرَ

أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْبَارِقِيِّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا سَافَرَ فَرَكِبَ رَاحِلَتَهُ كَبَّرَ ثَلَاثًا وَيَقُولُ سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ وَإِنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُونَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ فِي سَفَرِي هَذَا الْبِرَّ وَالتَّقْوَى وَمِنْ الْعَمَلِ مَا تَرْضَى اللَّهُمَّ هَوِّنْ عَلَيْنَا السَّفَرَ وَاطْوِ لَنَا بُعْدَ الْأَرْضِ اللَّهُمَّ أَنْتَ الصَّاحِبُ فِي السَّفَرِ وَالْخَلِيفَةُ فِي الْأَهْلِ اللَّهُمَّ اصْحَبْنَا فِي سَفَرِنَا وَاخْلُفْنَا فِي أَهْلِنَا بِخَيْرٍ

أخبرنا يحيى بن حسان حدثنا حماد بن سلمة عن أبي الزبير عن علي بن عبد الله البارقي عن عبد الله بن عمر أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان إذا سافر فركب راحلته كبر ثلاثا ويقول سبحان الذي سخر لنا هذا وما كنا له مقرنين وإنا إلى ربنا لمنقلبون اللهم إني أسألك في سفري هذا البر والتقوى ومن العمل ما ترضى اللهم هون علينا السفر واطو لنا بعد الأرض اللهم أنت الصاحب في السفر والخليفة في الأهل اللهم اصحبنا في سفرنا واخلفنا في أهلنا بخير

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭১২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪৩. (উচু স্থানে) আরোহন করার সময় এবং (নিচু স্থানে) অবতরণের সময় তিনি যা বলবেন

২৭১২. জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা যখন কোন (উঁচু স্থানে) আরোহণ করতাম, তখন ’তাকবীর’ ধ্বনি উচ্চারণ করতাম আর যখন কোন (উপত্যকায়) অবতরণ করতাম, সে সময় ’সুবহানাল্লাহ্’ বলতাম।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: বুখারী, জিহাদ ২৯৯৩, ২৯৯৪; সহীহ ইবনু খুযাইমা ৩/৩৩৩; আহমাদ ৫/৮২ (যয়ীফ সনদে)।

باب مَا يَقُولُ عِنْدَ الصُّعُودِ وَالْهُبُوطِ

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنَا أَبُو زُبَيْدٍ عَنْ حُصَيْنٍ عَنْ سَالِمٍ عَنْ جَابِرٍ قَالَ كُنَّا إِذَا صَعِدْنَا كَبَّرْنَا وَإِذَا هَبَطْنَا سَبَّحْنَا

أخبرنا أحمد بن عبد الله حدثنا أبو زبيد عن حصين عن سالم عن جابر قال كنا إذا صعدنا كبرنا وإذا هبطنا سبحنا

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭১৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪৪. ঘন্টা নিষিদ্ধ

২৭১৩. উম্মু হাবীবা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “(রহমতের) ফিরিশতাগণ সে কাফেলা বা অভিযাত্রী দলের সহগামী হন না, যাদের মধ্যে ঘন্টা থাকে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২১২৫, ৭১৩৩, ৭১৩৬ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৭০০, ৪৭০৫ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন ১৪৯২ তে। পরবর্তী হাদীসটি দেখুন।

باب فِي النَّهْيِ عَنْ الْجَرَسِ

أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ الْمُبَارَكِ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ سَالِمٍ عَنْ أَبِي الْجَرَّاحِ مَوْلَى أَمِّ حَبِيبَةَ عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الْعِيرُ الَّتِي فِيهَا الْجَرَسُ لَا تَصْحَبُهَا الْمَلَائِكَةُ

أخبرنا الحكم بن المبارك حدثنا مالك عن نافع عن سالم عن أبي الجراح مولى أم حبيبة عن أم حبيبة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال العير التي فيها الجرس لا تصحبها الملائكة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ উম্মু হাবীবা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭১৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪৪. ঘন্টা নিষিদ্ধ

২৭১৪. আবী হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “(রহমতের) ফিরিশতাগণ সে কাফেলা বা অভিযাত্রী দলের ঘনিষ্ঠ সহগামী হন না, যাদের মধ্যে কুকুর অথবা ঘন্টা থাকে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: মুসলিম, লিবাস ২১১৪।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৫১৯ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৭০৪ তে। আগের হাদীসটিও দেখুন।

باب فِي النَّهْيِ عَنْ الْجَرَسِ

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا سُهَيْلُ بْنُ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا تَصْحَبُ الْمَلَائِكَةُ رِفْقَةً فِيهَا كَلْبٌ أَوْ جَرَسٌ

أخبرنا أحمد بن عبد الله حدثنا زهير حدثنا سهيل بن أبي صالح عن أبيه عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لا تصحب الملائكة رفقة فيها كلب أو جرس

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭১৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪৫. পশুকে লা’নত করা নিষেধ

২৭১৫. ইমরান ইবন হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন এক সফরে যেতে যেতে পথিমধ্যে অভিশাপের বাণী শুনতে পেলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, “কেন এ অভিশাপ?” লোকজন উত্তরে বললেন, অমুক নারী তার ভারবাহী পশুকে অভিশাপ দিচ্ছে। তখন তিনি বললেনঃ “তোমরা (এর পিঠ হতে) তাকে তার (মালপত্রসহ) নামিয়ে ফেল। কারণ তার পশুটি তো অভিশপ্ত।” লোকজন তাকে নামিয়ে ফেলল। ইমরান বলেন, আমি যেন এখনও উক্ত পশুটিকে দেখতে পাচ্ছি যে, তা একটি সাদা- কালো মিশ্রিত উটনীছিল।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: মুসলিম, বিরর ওয়াস সুলহ ২৫৯৫। (আবূ দাউদ, জিহাদ ২৫৬১)

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৭৪০, ৫৭৪১ তে।

 

সংযোজনী: এছাড়াও, তাবারাণী, কাবীর ১৮/১৮৯ নং ৪৫০; ইবনু আবী শাইবা নং ৫৯৮৩; আব্দুর রাযযাক, নং ১৯৫৩২।

باب فِي النَّهْيِ عَنْ لَعْنِ الدَّوَابِّ

أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ أَبِي قِلَابَةَ عَنْ أَبِي الْمُهَلَّبِ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ فِي سَفَرٍ فَسَمِعَ لَعْنَةً فَقَالَ مَا هَذَا قَالُوا فُلَانَةُ لَعَنَتْ رَاحِلَتَهَا فَقَالَ ضَعُوا عَنْهَا فَإِنَّهَا مَلْعُونَةٌ قَالَ فَوَضَعُوا عَنْهَا قَالَ عِمْرَانُ كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَيْهَا نَاقَةً وَرْقَاءَ

أخبرنا سليمان بن حرب حدثنا حماد بن زيد عن أيوب عن أبي قلابة عن أبي المهلب عن عمران بن حصين أن النبي صلى الله عليه وسلم كان في سفر فسمع لعنة فقال ما هذا قالوا فلانة لعنت راحلتها فقال ضعوا عنها فإنها ملعونة قال فوضعوا عنها قال عمران كأني أنظر إليها ناقة ورقاء

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭১৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪৬. মাহরাম (যাদের সাথে স্থায়ীভাবে বিবাহ নিষিদ্ধ) পুরুষ ব্যতীত কোনো নারী ভ্রমন করবে না

২৭১৬. আবূ সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে নারী আল্লাহ্এবং শেষ দিনে ঈমান রাখে তার জন্য তার পিতা, ভ্রাতা, স্বামী বা যাকে বিয়ে করা হারাম এমন ব্যক্তির সঙ্গে ছাড়া তিন দিন বা ততোধিক দিনের সফর করা বিধেয় নয়।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: বুখারী, ফাযলুস সালাত ১১৯৭; মুসলিম, হাজ্জ ১৩৪০।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১১৬১, ১১৬৬ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৬১৭, ২৭১৮, ২৭১৯, ৩৫৯৯ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৭৬৭ তে।

باب لَا تُسَافِرْ الْمَرْأَةُ إِلَّا وَمَعَهَا مَحْرَمٌ

حَدَّثَنَا يَعْلَى حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تُسَافِرْ الْمَرْأَةُ سَفَرًا ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ فَصَاعِدًا إِلَّا وَمَعَهَا أَبُوهَا أَوْ أَخُوهَا أَوْ زَوْجُهَا أَوْ ذُو مَحْرَمٍ مِنْهَا

حدثنا يعلى حدثنا الأعمش عن أبي صالح عن أبي سعيد قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا تسافر المرأة سفرا ثلاثة أيام فصاعدا إلا ومعها أبوها أو أخوها أو زوجها أو ذو محرم منها

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭১৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪৭. সফরে একাকী থাকা শয়তানী

২৭১৭. ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “একা চলার মধ্যে যা (যে ক্ষতি) রয়েছে, যদি লোকেরা তা জানতো, তাহলে কোন আরোহী রাতে কখনো একা সফর করত না।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: বুখারী, জিহাদ ২৯৯৮।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৭০৪ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৯৭০ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৬৭৬ তে।

باب إِنَّ الْوَاحِدَ فِي السَّفَرِ شَيْطَانٌ

أَخْبَرَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ جَمِيلٍ حَدَّثَنَا عَاصِمٌ هُوَ ابْنُ مُحَمَّدٍ الْعُمَرِيُّ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَوْ يَعْلَمُ النَّاسُ مَا فِي الْوَحْدَةِ لَمْ يَسْرِ رَاكِبٌ بِلَيْلٍ وَحْدَهُ أَبَدًا

أخبرنا الهيثم بن جميل حدثنا عاصم هو ابن محمد العمري عن أبيه عن ابن عمر قال قال النبي صلى الله عليه وسلم لو يعلم الناس ما في الوحدة لم يسر راكب بليل وحده أبدا

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭১৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪৮. কোন স্থানে অবতরণ করলে যা বলতে হয়

২৭১৮. খাওলা বিনতে হাকীম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি: তোমাদের কেউ কোন স্থানে অবতরণ করে যদি বলে, ’আউযু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন শাররি মা খালাক্ব’- (অর্থ: আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ বাক্যাবলীর উসীলায় তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি), তাহলে সে স্থান থেকে বিদায় হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সেখানে কোন কিছু তার ক্ষতি করতে পারবে না।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান, তবে হাদীসটি সহীহ।

 

তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১০/২৮৭ নং ৯৪৫৭; ইবনু মাজাহ, তিব্ব ৩৫৪৭; তাবারাণী, কাবীর ২৪/২৩৮ নং ৬০৬; আহমাদ ৬/৩৭৭, ৪০৯; মুসলিম, যিকর ওয়াদ দু’আ ২৭০৮; তিরমিযী, দাওয়াত ৩৪৩৩; বাইহাকী, হাজ্জ ৫/২৫৩; ইবনুস সুন্নী, আমলুল ইয়াওমু ওয়াল লাইলাহ নং ৫২৮; সহীহ ইবনু খুযাইমা নং ২৫৬৬, ২৫৬৭; মালিক, ইসতিআযান ৩৪; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ ৫/১৪৫ নং ১৩৪৭।

باب مَا يَقُولُ إِذَا نَزَلَ مَنْزِلًا

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِسْحَقَ وَعَفَّانُ قَالَا حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ حَدَّثَنَا ابْنُ عَجْلَانَ عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْأَشَجِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ سَعْدِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ خَوْلَةَ بِنْتِ حَكِيمٍ قَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَوْ أَنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا نَزَلَ مَنْزِلًا قَالَ أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ لَمْ يَضُرَّهُ فِي ذَلِكَ الْمَنْزِلِ شَيْءٌ حَتَّى يَرْتَحِلَ مِنْهُ

أخبرنا أحمد بن إسحق وعفان قالا حدثنا وهيب حدثنا ابن عجلان عن يعقوب بن عبد الله بن الأشج عن سعيد بن المسيب عن سعد بن مالك عن خولة بنت حكيم قالت سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول لو أن أحدكم إذا نزل منزلا قال أعوذ بكلمات الله التامات من شر ما خلق لم يضره في ذلك المنزل شيء حتى يرتحل منه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭১৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪৯. কোনো স্থানে অবতরণ করলে সেখানে দু’রাকা’আত সালাত আদায় প্রসঙ্গে

২৭১৯. আনাস ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোনো স্থানে অবতরণ (যাত্রা বিরতি) করতেন, সেখানে দু’রাকা’আত সালাত আদায় না করা পর্যন্ত সেস্থান থেকে চলে যেতেন না। অথবা দু’রাকাআত সালাত আদায় করার পর কোনো স্থান থেকে বিদায় নিতেন।[1] আব্দুল্লাহ বলেন, ইছমান ইবনু সা’দ যয়ীফ বা দুর্বল।

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ, উছমান ইবনু সা’দ এর দুর্বলতার কারণে।

 

তাখরীজ: বাযযার, কাশফুল আসতার ১/৩৫৭ নং ৭৪৭; তাবারাণী, আওসাত নং ৩৪৬৫; ইবনু আদী, আল কামিল ৫/১৮১৭; উকাইলী, দু’আফা ৩/২০৫;

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৩১৫, ৪৩১৬ ও মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৩৭২৫ তে।

باب فِي الرَّكْعَتَيْنِ إِذَا نَزَلَ مَنْزِلًا

أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ سَعْدٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا نَزَلَ مَنْزِلًا لَمْ يَرْتَحِلْ مِنْهُ حَتَّى يُصَلِّيَ رَكْعَتَيْنِ أَوْ يُوَدِّعَ الْمَنْزِلَ بِرَكْعَتَيْنِ قَالَ عَبْد اللَّهِ عُثْمَانُ بْنُ سَعْدٍ ضَعِيفٌ

أخبرنا أبو عاصم عن عثمان بن سعد عن أنس بن مالك أن النبي صلى الله عليه وسلم كان إذا نزل منزلا لم يرتحل منه حتى يصلي ركعتين أو يودع المنزل بركعتين قال عبد الله عثمان بن سعد ضعيف

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭২০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫০. সফর হতে ফিরে আসার সময় যা বলতে হবে

২৭২০. আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোন সফর থেকে প্রত্যাবর্তন করতেন তখন বলতেনঃ “আয়িবুনা ইনশা আল্লাহু, তায়িবূনা আবিদূনা, লিরব্বিনা হামিদূন।” (অর্থ: আমরা আল্লাহর ইচ্ছায় প্রত্যাবর্তনকারী, আমরা তাওবাকারী, আমারা ইবাদতকারী, আমরা আমাদের প্রভুর প্রশংসা কারী।)[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: বুখারী, উমরাহ ১৭৯৭; মুসলিম, হাজ্জ ১৩৪৪।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৫১৩ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৭০৭ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৬৫৭ তে। পূর্ণ তাখরীজের জন্য বিগত ১৭১৬ নং হাদীসের অংশবিশেষ দেখুন।

باب مَا يَقُولُ إِذَا قَفَلَ مِنْ السَّفَرِ

أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْبَارِقِيِّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا رَجَعَ مِنْ سَفَرِهِ قَالَ آيِبُونَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَائِبُونَ عَابِدُونَ لِرَبِّنَا حَامِدُونَ

أخبرنا يحيى بن حسان حدثنا حماد بن سلمة عن أبي الزبير عن علي بن عبد الله البارقي عن عبد الله بن عمر أن النبي صلى الله عليه وسلم كان إذا رجع من سفره قال آيبون إن شاء الله تائبون عابدون لربنا حامدون

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭২১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫১. ঘুমের সময় দু’আ

২৭২১. বারা ইবনু ’আযিব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো ব্যক্তিকে আদেশ করেন যে, সে যেন বিছানায় যাওয়ার সময় একথা বলে:

“হে আল্লাহ্! আমার জীবন আপনার কাছে সমর্পণ করলাম। আমার চেহারাকে আপনার অভিমুখী করলাম, আর আমার সকল কাজ আপনার কাছে সোপর্দ করলাম এবং আমি আপনার আশ্রয় গ্রহণ করলাম, আপনার প্রতি আগ্রহ ও ভয় নিয়ে। আপনি ছাড়া কোন আশ্রয়স্থল ও নাজাতের স্থান নেই। হে আল্লাহ্! আমি ঈমান আনলাম আপনার নাযিলকৃত কিতাবের উপর এবং আপনার প্রেরিত নবীর উপর।’ তারপর যদি সে রাতেই তোমার মৃত্যু হয় তবে ফিতরাতে ইসলামের উপর তোমার মৃত্যু হবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: বুখারী, উযু ২৪৭; মুসলিম, যিকর ওয়াদ ‍দু’আ ২৭১০।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৬৬৮, ১৭২১ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৫২৭, ৫৫৩৬, ৫৫৪২ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৭৪০ তে।

باب الدُّعَاءِ عِنْدَ النَّوْمِ

أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَقَ قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ يَقُولُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ رَجُلًا إِذَا أَخَذَ مَضْجَعَهُ أَنْ يَقُولَ اللَّهُمَّ أَسْلَمْتُ نَفْسِي إِلَيْكَ وَوَجَّهْتُ وَجْهِي إِلَيْكَ وَفَوَّضْتُ أَمْرِي إِلَيْكَ وَأَلْجَأْتُ ظَهْرِي إِلَيْكَ رَغْبَةً وَرَهْبَةً إِلَيْكَ لَا مَلْجَأَ وَلَا مَنْجَى مِنْكَ إِلَّا إِلَيْكَ آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِي أَنْزَلْتَ وَنَبِيِّكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ فَإِنْ مَاتَ مَاتَ عَلَى الْفِطْرَةِ

أخبرنا أبو الوليد حدثنا شعبة قال حدثنا أبو إسحق قال سمعت البراء بن عازب يقول إن رسول الله صلى الله عليه وسلم أمر رجلا إذا أخذ مضجعه أن يقول اللهم أسلمت نفسي إليك ووجهت وجهي إليك وفوضت أمري إليك وألجأت ظهري إليك رغبة ورهبة إليك لا ملجأ ولا منجى منك إلا إليك آمنت بكتابك الذي أنزلت ونبيك الذي أرسلت فإن مات مات على الفطرة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ বারা’আ ইবনু আযিব (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭২২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫১. ঘুমের সময় দু’আ

২৭২২. আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “যদি তোমাদের কোন ব্যক্তি শয্যা গ্রহণ করতে যায়, তখন সে যেন তার লুঙ্গির ভেতর দিক দিয়ে নিজ বিছানাটা ঝেড়ে নেয়। কারণ, সে জানে না যে, বিছানার উপর তার অনুপস্থিতিতে পীড়াদায়ক কোন কিছু আছে কিনা। তারপর পড়বেঃ ’হে আমার রব! আপনারই নামে আমার শরীরটা বিছানায় রাখলাম এবং আপনারই নামে আবার উঠবো। যদি আপনি ইতোমধ্যে আমার জান কবয করে নেন তা হলে, তার উপর রহম করবেন। আর যদি তা আমাকে ফিরিয়ে দেন, তবে তাকে এমনভাবে হিফাযত করবেন, যেভাবে আপনি আপনার নেক বান্দাদের হিফাযাত করে থাকেন।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম উভয়ে সমন্বিতভাবে বর্ণনা করেছেন।

 

তাখরীজ: বুখারী, দাওয়াত ৬৩২০; মুসলিম, যিকর ওয়াদ ‍দু’আ ২৭১৪।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৫৩৪, ৫৫৩৫ তে।

 

সংযোজনী: বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ ৫/৯৯ নং ১৩১৩; ইবনুস সুন্নী, আমলুল ইয়াওমু ওয়াল লাইলাহ নং ৭১০।

باب الدُّعَاءِ عِنْدَ النَّوْمِ

أَخْبَرَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَوَى أَحَدُكُمْ إِلَى فِرَاشِهِ فَلْيَنْفُضْ فِرَاشَهُ بِدَاخِلَةِ إِزَارِهِ فَإِنَّهُ لَا يَدْرِي مَا خَلَفَهُ فِيهِ وَلْيَقُلْ اللَّهُمَّ بِكَ وَضَعْتُ جَنْبِي وَبِكَ أَرْفَعُهُ اللَّهُمَّ إِنْ أَمْسَكْتَ نَفْسِي فَاغْفِرْ لَهَا وَإِنْ أَرْسَلْتَهَا فَاحْفَظْهَا بِمَا تَحْفَظُ بِهِ عِبَادَكَ الصَّالِحِينَ

أخبرنا أبو النعمان حدثنا حماد بن زيد عن عبيد الله بن عمر عن سعيد بن أبي سعيد المقبري عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا أوى أحدكم إلى فراشه فلينفض فراشه بداخلة إزاره فإنه لا يدري ما خلفه فيه وليقل اللهم بك وضعت جنبي وبك أرفعه اللهم إن أمسكت نفسي فاغفر لها وإن أرسلتها فاحفظها بما تحفظ به عبادك الصالحين

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭২৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫২. ঘুমের সময় তাসবীহ পড়া সম্পর্কে

২৭২৩. আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের এখানে আসলেন এবং আমার ও ফাতিমা’র মাঝে পা দিয়ে (বসে) পড়লেন। এরপর তিনি আমাদেরকে শিক্ষা দিলেন, যা আমরা ঘুমানোর উদ্দেশে বিছানায় যাওয়ার সময় বলবো যে: তেত্রিশবার ’সুবহানাল্লাহ’, তেত্রিশবার আল হামদুলিল্লাহ’ ও চৌত্রিশ বার ’আল্লাহ্ আকবার’। আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, এরপর থেকে আমি আর কখনো এটা পরিত্যাগ করিনি। তাকে এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলো, এমনকি সিফফীনের রাতেও না? তিনি বললেন, সিফফীনের রাতেও না।’[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম উভয়ে সমন্বিতভাবে বর্ণনা করেছেন।

 

তাখরীজ: বুখারী, ফারযুল খুমুস ৩১১৩; মুসলিম, যিকর ওয়াদ ‍দু’আ ২৭২৭।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৭৪, ৩৪৫, ৫৫১, ৫৭৮ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৫২৪, ৫৫২৯ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৪৩ তে।

باب فِي التَّسْبِيحِ عِنْدَ النَّوْمِ

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا الْعَوَّامُ بْنُ حَوْشَبٍ قَالَ حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ مُرَّةَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى عَنْ عَلِيٍّ قَالَ أَتَانَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى وَضَعَ قَدَمَهُ بَيْنِي وَبَيْنَ فَاطِمَةَ فَعَلَّمَنَا مَا نَقُولُ إِذَا أَخَذْنَا مَضَاجِعَنَا ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ تَسْبِيحَةً وَثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ تَحْمِيدَةً وَأَرْبَعًا وَثَلَاثِينَ تَكْبِيرَةً قَالَ عَلِيٌّ فَمَا تَرَكْتُهَا بَعْدُ فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ وَلَا لَيْلَةَ صِفِّينَ قَالَ وَلَا لَيْلَةَ صِفِّينَ

أخبرنا يزيد بن هارون أخبرنا العوام بن حوشب قال حدثني عمرو بن مرة عن عبد الرحمن بن أبي ليلى عن علي قال أتانا رسول الله صلى الله عليه وسلم حتى وضع قدمه بيني وبين فاطمة فعلمنا ما نقول إذا أخذنا مضاجعنا ثلاثا وثلاثين تسبيحة وثلاثا وثلاثين تحميدة وأربعا وثلاثين تكبيرة قال علي فما تركتها بعد فقال له رجل ولا ليلة صفين قال ولا ليلة صفين

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আলী ইবনু আবী তালিব (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭২৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫৩. ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার সময় যা বলবে

২৭২৪. হুযাইফাহ ইবনু ইয়ামান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ঘুম থেকে জেগে উঠতেন তখন বলতেনঃ “যাবতীয় প্রশংসা সেই আল্লাহর জন্য যিনি আমাদের মৃত্যুদানের পর আবার আমাদের পুনর্জীবিত করেছেন। আর প্রত্যাবর্তন তো তাঁর দিকেই।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ বুখারীর শর্তানুযায়ী সহীহ।

 

তাখরীজ: বুখারী, দাওয়াত ৬৩১২।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৫৩২, ৫৫৩৯ তে।

 

সংযোজনী: আদাবুল মুফরাদ ১২০৫; ইবনুস সু্ন্নী, আমলূল ইয়াওমু ওয়াল লাইলাহ নং ৭০৭; খতীব, তারীখ বাগদাদ ১২/৪৪২।

باب مَا يَقُولُ إِذَا انْتَبَهَ مِنْ نَوْمِهِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ عَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا اسْتَيْقَظَ قَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا وَإِلَيْهِ النُّشُورُ

أخبرنا محمد بن يوسف عن سفيان عن عبد الملك بن عمير عن ربعي بن حراش عن حذيفة قال كان النبي صلى الله عليه وسلم إذا استيقظ قال الحمد لله الذي أحيانا بعد ما أماتنا وإليه النشور

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ হুযায়ফাহ ইবন আল-ইয়ামান (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭২৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫৩. ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার সময় যা বলবে

২৭২৫. উবাদাহ ইবনু সামিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রাতে জেগে ওঠে বলে- ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন ক্বদীর। সুবহানাল্লাহি ওয়াল আলহামদু লিল্লাহি ওয়া আল্লাহু আকবার ওয়া লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।’ ’রব্বিগফিরলী’

(অর্থ: ’এক আল্লাহ্ ব্যতীত প্রকৃত কোন ইলাহ নেই। তিনি এক তাঁর কোন শরীক নেই। রাজ্য তাঁরই। যাবতীয় প্রশংসা তাঁরই। তিনিই সব কিছুর উপরে শক্তিমান। যাবতীয় হাম্দ আল্লাহরই জন্য, আল্লাহ্ তা’আলা পবিত্র, আল্লাহ্ ব্যতীত সত্য কোন ইলাহ নেই। আল্লাহ্ মহান, গুনাহ হতে বাঁচার এবং নেক কাজ করার কোন শক্তি নেই আল্লাহর তাওফীক ব্যতীত।’) অতঃপর বলে, ’রব্বিগফিরলী’ (’হে আল্লাহ্! আমাকে ক্ষমা করুন।)’ বা (অন্য কোন) দু’আ করে, তাঁর দু’আ কবূল করা হয়। অতঃপর উযূ করে সালাত আদায় করলে তার সালাত কবূল করা হয়।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: বুখারী, তাহাজ্জুদ ১১৫৪।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৫৯৬ তে।

 

সংযোজনী: আবূ নুয়াইম, হিলইয়া ৫/১৫৯; আবূ নুয়াইম বলেন, ‘সহীহ, আমির ইবনু হানী ও আওযাঈ’র হাদীসটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

باب مَا يَقُولُ إِذَا انْتَبَهَ مِنْ نَوْمِهِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ الْحِزَامِيُّ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ قَالَ حَدَّثَنِي عُمَيْرُ بْنُ هَانِىءٍ الْعَنْسِيُّ قَالَ حَدَّثَنِي جُنَادَةُ بْنُ أَبِي أُمَيَّةَ قَالَ حَدَّثَنِي عُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ تَعَارَّ مِنْ اللَّيْلِ فَقَالَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَاللَّهُ أَكْبَرُ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ ثُمَّ قَالَ رَبِّ اغْفِرْ لِي أَوْ قَالَ ثُمَّ دَعَا اسْتُجِيبَ لَهُ فَإِنْ عَزَمَ فَتَوَضَّأَ ثُمَّ صَلَّى قُبِلَتْ صَلَاتُهُ

أخبرنا محمد بن يزيد الحزامي حدثنا الوليد بن مسلم حدثنا الأوزاعي قال حدثني عمير بن هانىء العنسي قال حدثني جنادة بن أبي أمية قال حدثني عبادة بن الصامت عن النبي صلى الله عليه وسلم قال من تعار من الليل فقال لا إله إلا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيء قدير سبحان الله والحمد لله والله أكبر ولا حول ولا قوة إلا بالله ثم قال رب اغفر لي أو قال ثم دعا استجيب له فإن عزم فتوضأ ثم صلى قبلت صلاته

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ উবাদা ইব্‌নুস সামিত (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭২৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫৪. সকাল বেলায় যা বলবে

২৭২৬. আব্দুল্লাহ ইবনু আব্দুর রহমান ইবনু আবযা তার পিতা সূত্রে বর্ণনা করেন তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকালবেলায় বলতেন: “আসবাহনা আলা ফিতরাতিল ইসলাম ওয়া কালিমাতিল ইখলাসি ওয়া দীনি নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদিন ওয়া মিল্লাতি আবীনা ইবরাহীমা হানিফান মুসলিমান। (অর্থ: আমরা স্বভাব ধর্ম ইসলামের উপর, ইখলাসের কালিমার উপর, আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দীনের উপর এবং আমাদের পিতা ইবরাহীম (আ.) এর মিল্লাতের উপর একনিষ্ঠ মুসলিম হিসেবে সকাল করলাম।)[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। আব্দুল্লাহ ইবনু আব্দুর রহমানকে আহমাদ ও ইবনু হিব্বান ‘ছিকাহ’ বা বিশ্বস্ত বলেছেন।

 

তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ৯/৭৭ নং ৬৫৯১;; ইবনুস সুন্নী, আমলুল ইয়াওমু ওয়াল লাইলাহ নং ৩৪; আহমাদ ৩/৪০৬( বুখারীর শর্তানুযায়ী সহীহ), ৪০৭।

باب مَا يَقُولُ إِذَا أَصْبَحَ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى عَنْ أَبِيهِ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَصْبَحَ قَالَ أَصْبَحْنَا عَلَى فِطْرَةِ الْإِسْلَامِ وَكَلِمَةِ الْإِخْلَاصِ وَدِينِ نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ وَمِلَّةِ أَبِينَا إِبْرَاهِيمَ حَنِيفًا مُسْلِمًا

أخبرنا محمد بن يوسف عن سفيان عن سلمة بن كهيل عن عبد الله بن عبد الرحمن بن أبزى عن أبيه قال كان النبي صلى الله عليه وسلم إذا أصبح قال أصبحنا على فطرة الإسلام وكلمة الإخلاص ودين نبينا محمد وملة أبينا إبراهيم حنيفا مسلما

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ ইবনু ‘আবদুর রহমান ইবনু আবযা (রহ.)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭২৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫৪. সকাল বেলায় যা বলবে

২৭২৭. আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু একদিন বললেনঃ ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমাকে এমন কিছু বিষয় বলুন যা আমি সকাল সন্ধ্যা পাঠ করতে পারি।

তিনি বললেনঃ “বলুন, ’আল্লাহুম্মা ফাতিরিস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ, আলিমিল গইবী ওয়াশ শাহাদাতি, রব্বি কুল্লি শাইয়্যিন ওয়া মালিকাহু, আশহাদু আন লা-ইলাহা ইল্লা আনতা, আউযুবিকা মিন শাররি নাফসী, ওয়া মিন শাররিশ শায়তানি ওয়া শিরকিহ।”

(অর্থ: হে আল্লাহ ! যিনি অদৃশ্য ও দৃশ্যের পরিজ্ঞাতা, যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা যিনি প্রতিটি বস্ত্তর প্রতিপালক ও নিয়ন্ত্রক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে কোন ইলাহ নেই তুমি ছাড়া। তোমারই নিকট পানাহ চাই আমার নফসের মন্দ থেকে এবং শয়তানের ক্ষতি ও তার শিরক থেকে।) তিনি বললেনঃ “সকাল, সন্ধ্যা এবং শয্যাগ্রহণের সময় তুমি এই দু’আ পাঠ করবে।” [1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭৭ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৯৬২ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৩৪৯ তে।

باب مَا يَقُولُ إِذَا أَصْبَحَ

أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ عَاصِمٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ أَبُو بَكْرٍ يَا رَسُولَ اللَّهِ مُرْنِي بِشَيْءٍ أَقُولُهُ إِذَا أَصْبَحْتُ وَإِذَا أَمْسَيْتُ قَالَ قُلْ اللَّهُمَّ فَاطِرَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ رَبَّ كُلِّ شَيْءٍ وَمَلِيكَهُ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِي وَمِنْ شَرِّ الشَّيْطَانِ وَشِرْكِهِ قَالَ قُلْهُ إِذَا أَصْبَحْتَ وَإِذَا أَمْسَيْتَ وَإِذَا أَخَذْتَ مَضْجَعَكَ

أخبرنا سعيد بن عامر عن شعبة عن يعلى بن عطاء عن عمرو بن عاصم عن أبي هريرة قال قال أبو بكر يا رسول الله مرني بشيء أقوله إذا أصبحت وإذا أمسيت قال قل اللهم فاطر السموات والأرض عالم الغيب والشهادة رب كل شيء ومليكه أشهد أن لا إله إلا أنت أعوذ بك من شر نفسي ومن شر الشيطان وشركه قال قله إذا أصبحت وإذا أمسيت وإذا أخذت مضجعك

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭২৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫৫. নতুন পোশাক পরিধানের সময় যা বলবে

২৭২৮. সাহল ইবনু মুআয ইবনু আনাস থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “যে ব্যক্তি কোনো পোশাক পরিধান করে একথাগুলি বলে, ’’আলহামদু লিল্লাহিল্লাযী কাসানী হাযা ওয়া রযাক্বানীহি মিন গাইরি হাওলিম মিন্নী ওয়ালা কুওয়াতিন’’ (অর্থ: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার জন্য যিনি আমাকে আমার শক্তি ও ক্ষমতা ব্যতীত এটি পরিধান করিয়েছেন ও তা রিযিকরুপে দান করেছেন’), তাহলে তার পূর্ববর্তী গুনাহসমুহ মাফ করে দেয়া হবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান।

 

তাখরীজ: আহমাদ ৩/৪৩৯; আবূ দাউদ, লিবাস ৪০২৩; তিরমিযী, দাওয়াত ৩৪৫৪; ইবনুস সু্ন্নী, আমলূল ইয়াওমু ওয়াল লাইলাহ নং ২৭১; ইবনু মাজাহ, আতইমাহ ৩২৮৫; হাকিম৪/১৬২ হাসান সনদে।

باب مَا يَقُولُ إِذَا لَبِسَ ثَوْبًا جَدِيدًا

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ الْمُقْرِئُ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ هُوَ ابْنُ أَبِي أَيُّوبَ عَنْ أَبِي مَرْحُومٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذِ بْنِ أَنَسٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ لَبِسَ ثَوْبًا فَقَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي كَسَانِي هَذَا وَرَزَقَنِيهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّي وَلَا قُوَّةٍ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ

أخبرنا عبد الله بن يزيد المقرئ حدثنا سعيد هو ابن أبي أيوب عن أبي مرحوم عن سهل بن معاذ بن أنس عن أبيه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من لبس ثوبا فقال الحمد لله الذي كساني هذا ورزقنيه من غير حول مني ولا قوة غفر له ما تقدم من ذنبه

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭২৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫৬. মসজিদে প্রবেশকালে এবং বের হওয়ার সময় যা বলবে

২৭২৯. আবূ হুমাইদ অথবা আবী উসাইদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশকালে যেন বলেঃ “আল্লাহুম্মাফতাহলী আবওয়াবা রহমতিকা’ (অর্থ: হে আল্লাহ্! আমার জন্য আপনার রহমতের দরজাসমূহ উন্মুক্ত করে দিন) এবং বের হওয়ার সময় যেন বলেঃ “আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা মিন ফাযলিকা’ (অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আপনার অনুগ্রহ প্রার্থনা করি’)।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: মুসলিম, সালাতুল মুসাফিরীন ৭১৩; আহমাদ ৩/৪৯৭, ৫/৪২৫; নাসাঈ, মাসাজিদ ২/৫৩; ইবনুস সু্ন্নী, আমলূল ইয়াওমু ওয়াল লাইলাহ নং ১৭৭; ইবনু হিব্বান নং ২০৪৯।

 

এর শাহিদ হাদীস রয়েছে ফাতিমা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে আমরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৭৫৪ তে।

باب مَا يَقُولُ إِذَا دَخَلَ الْمَسْجِدَ وَإِذَا خَرَجَ

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ يَعْنِي ابْنَ بِلَالٍ عَنْ رَبِيعَةَ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ سَعِيدٍ عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ أَوْ أَبِي أُسَيْدٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا دَخَلَ أَحَدُكُمْ الْمَسْجِدَ فَلْيَقُلْ اللَّهُمَّ افْتَحْ لِي أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ وَإِذَا خَرَجَ فَلْيَقُلْ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ

أخبرنا عبد الله بن مسلمة حدثنا سليمان يعني ابن بلال عن ربيعة عن عبد الملك بن سعيد عن أبي حميد أو أبي أسيد قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا دخل أحدكم المسجد فليقل اللهم افتح لي أبواب رحمتك وإذا خرج فليقل اللهم إني أسألك من فضلك

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুমায়দ সা‘ঈদ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭৩০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫৭. হাট-বাজারে প্রবেশকালে যা বলবে

২৭৩০. সালিম ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু উমার তার পিতার সূত্রে তার পিতামহ উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “কেউ যদি বাজারে প্রবেশ করে এই দু’আটি পাঠ করে: “’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ইউহয়ী ওয়া ইইমিতু ওয়াহুয়া হাইয়্যূ লা ইয়ামুতু বিইয়াদিহিল খাইর, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন ক্বদীর” (অর্থ: ’এক আল্লাহ্ ব্যতীত প্রকৃত কোন ইলাহ নেই। তিনি এক তাঁর কোন শরীক নেই। রাজ্য তাঁরই। যাবতীয় প্রশংসা তাঁরই। তিনিই জীবিত করেন, এবং তিনিই মৃত্যু দেন, তিনি চিরঞ্জীব, তিনি কখনো মৃত্যুবরণ করেন না, সকল কল্যাণ তাঁরই হাতে, তিনিই সব কিছুর উপরে শক্তিমান’) তবে আল্লাহ তা’আলা তার জন্য দশ লক্ষ সাওয়াব লিখবেন, দশ লক্ষ গুনাহ মাফ করে দিবেন এবং তার দশ লক্ষ মর্যাদা বুলন্দ করে দিবেন।”[1] তিনি বলেন, আমি খুরাসানে কুতাইবা ইবনু মুসলিমের সাক্ষাতে গিয়ে তাকে বললাম, আমি আপনার জন্য একটি হাদিয়া নিয়ে এসেছি, এ বলে আমি তাকে হাদীসটি বর্ণনা করলাম। এরপর থেকে তার বাহনে আরোহী হয়ে তিনি বাজারে আসতেন, এরপর দাঁড়িয়ে এ দু’আটি বলতেন এরপর সেখান থেকে ফিরে যেতেন।

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ, আযহার বিন সিনান এর দুর্বলতার কারণে।

 

তাখরীজ: তিরমিযী, দাওয়াত ৩৪২৪; ইবনু মাজাহ, তিজারাত ২২৩৫; ইবনুস সু্ন্নী, আমলূল ইয়াওমু ওয়াল লাইলাহ নং ১৮২; বাযযার, বাহরুয যুখার নং ১২৪, ১২৫; ১২৬ যয়ীফ সনদে; আবী হাতিম, ইলাল নং ২০৩৮; হাকিম ১/৫৩৯; আবূ নুয়াইম, যিকরু আখবারিল আসবাহান ২/১৮০, হিলইয়া ৮/২৮০; আবীশ শাইখ, তাবাকাতুল মুহাদ্দিসীন বিআসবাহান ২/১৭৪ নং ১৮৫; ইবনু আদী, আল কামিল ৫/১৭৮৬; দাওলাবী, আল কুন্নী ১/১২৯; তাবারাণী, কাবীর ১২/৩০০ নং ১৩১৭৫।

 

হাকিম বলেন, এ বাবে জাবির, আবী হুরাইরা, বুরাইদা আল আসলামী ও আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম আজমাঈন হতে হাদীস বর্ণিত আছে।’

 

………..

 

মুনযিরী তারগীব ২/৫৩১ এ বলেন, এর সনদ মুত্তাসিল হাসান। নির্ভরযোগ্য ছিকাহ রাবী হতে বর্ণিত। আর আযহার ইবনু সিনান সম্পর্কে ইবনু আদী বলেন, আমি আশা করি তার ব্যাপারে ‘কোনো দোষ নেই’…।

 

আর আমরা আগের পরের আলোচনা থেকে এ কথা বলতে পারি যে, হাদীসটি তার অনেকগুলি সনদ ও শাহিদ থাকার কারণে হাসান হবে। আল্লাহই ভাল জানেন।

باب مَا يَقُولُ إِذَا دَخَلَ السُّوقَ

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا أَزْهَرُ بْنُ سِنَانٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ وَاسِعٍ قَالَ قَدِمْتُ مَكَّةَ فَلَقِيتُ بِهَا أَخِي سَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ فَحَدَّثَنِي عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ دَخَلَ السُّوقَ فَقَالَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ حَيٌّ لَا يَمُوتُ بِيَدِهِ الْخَيْرُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ كَتَبَ اللَّهُ لَهُ أَلْفَ أَلْفِ حَسَنَةٍ وَمَحَا عَنْهُ أَلْفَ أَلْفِ سَيِّئَةٍ وَرَفَعَ لَهُ أَلْفَ أَلْفِ دَرَجَةٍ قَالَ فَقَدِمْتُ خُرَاسَانَ فَلَقِيتُ قُتَيْبَةَ بْنَ مُسْلِمٍ فَقُلْتُ إِنِّي أَتَيْتُكَ بِهَدِيَّةٍ فَحَدَّثْتُهُ فَكَانَ يَرْكَبُ فِي مَوْكِبِهِ فَيَأْتِي السُّوقَ فَيَقُومُ فَيَقُولُهَا ثُمَّ يَرْجِعُ

أخبرنا يزيد بن هارون أخبرنا أزهر بن سنان عن محمد بن واسع قال قدمت مكة فلقيت بها أخي سالم بن عبد الله فحدثني عن أبيه عن جده أن النبي صلى الله عليه وسلم قال من دخل السوق فقال لا إله إلا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد يحيي ويميت وهو حي لا يموت بيده الخير وهو على كل شيء قدير كتب الله له ألف ألف حسنة ومحا عنه ألف ألف سيئة ورفع له ألف ألف درجة قال فقدمت خراسان فلقيت قتيبة بن مسلم فقلت إني أتيتك بهدية فحدثته فكان يركب في موكبه فيأتي السوق فيقوم فيقولها ثم يرجع

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ সালিম ইবনু ‘আবদুল্লাহ্ (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭৩১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫৮. তোমরা আমার নামে নাম রাখো; তবে আমার কুনিয়াতে (উপনামে) কুনিয়াত রেখো না

২৭৩১. আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আমার নামে তোমরা নাম রেখ; কিন্তু আমার উপনামে (কুনিয়াতে) তোমরা উপনাম রেখ না।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম উভয়ে সমন্বিতভাবে বর্ণনা করেছেন।

 

তাখরীজ: বুখারী, ইলম ১১০; মুসলিম, আদাব ২১৩৪।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬১০২, ৬১২২, ৬৫৩০ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৮১২ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ১১৭৮ তে।

 

এ মাসআলার ক্ষেত্রে আলিমগণের মতভিন্নতা দেখতে চাইলে দেখুন, শারহু মুসলিম, ৪/৮৪২, ৮৪৩; ফাতহুল বারী ১০/৫৭১, ৫৭৪।

باب تَسَمَّوْا بِاسْمِي وَلَا تَكَنَّوْا بِكُنْيَتِي

أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ عَنْ هِشَامٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَسَمَّوْا بِاسْمِي وَلَا تَكَنَّوْا بِكُنْيَتِي

أخبرنا سعيد بن عامر عن هشام عن محمد بن سيرين عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم تسموا باسمي ولا تكنوا بكنيتي

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭৩২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫৯. উত্তম নাম রাখা সম্পর্কে

২৭৩২. আবূ দারদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “কিয়ামতের দিন তোমাদেরকে তোমাদের স্ব-স্ব নাম ও তোমাদের পিতার নাম সহকারে ডাকা হবে। অতএব তোমরা সুন্দর নাম রাখবে।” [1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৮১৮ ও মাওয়ারিদুয যাম্’আন নং ১৯৪৪ তে।

 

সংযোজনী: এছাড়া, ইবনু হাজার, ফাতহুল বারী ১০/৫৭৭ এ এটি উল্লেখ করে একে আবূ দাউদ ও ইবনু হিব্বানের প্রতি সম্পর্কিত করেছেন। এবং তিনি বলেছেন: তবে এর সনদে ‘ইনকিতা’ বা বিচ্ছিন্নতা রয়েছে।’ আরও দেখুন, তারগীব ওয়াত তারহীব ৩/৬৯।

باب فِي حُسْنِ الْأَسْمَاءِ

حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ أَخْبَرَنَا دَاوُدُ بْنُ عَمْرٍو عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي زَكَرِيَّا الْخُزَاعِيِّ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّكُمْ تُدْعَوْنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِأَسْمَائِكُمْ وَأَسْمَاءِ آبَائِكُمْ فَأَحْسِنُوا أَسْمَاءَكُمْ

حدثنا عفان بن مسلم حدثنا هشيم أخبرنا داود بن عمرو عن عبد الله بن أبي زكريا الخزاعي عن أبي الدرداء قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إنكم تدعون يوم القيامة بأسمائكم وأسماء آبائكم فأحسنوا أسماءكم

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ আবুদ দারদা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭৩৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৬০. যে সকল নাম রাখা মুস্তাহাব (পছন্দনীয়)

২৭৩৩. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহর কাছে সব চাইতে প্রিয় নাম হলো ’আবদুল্লাহ’ এবং ’আবদুর রহমান’।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: ((এর সনদ হাসান- যা মুহাক্কিক্ব টীকার শেষে উল্লেখ করেছেন- অনুবাদক))

 

তাখরীজ: আহমাদ ২/২৪, ১২৮; ইবনু আবী শাইবা ৮/৬৬৭ নং ৫৯৬২; ইবনু মাজাহ, আদাব ৩৭২৮; তিরমিযী, আদাব ২৮৩৬; ইবনু আদী, আল কামিল ৪/১৪৬০ এ সনদটি হাসান।

 

মুসলিম, আদাব ২১৩২; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ৩৩৬৭; আবূ দাউদ, আদাব ৪৯৪৯; তাবারাণী, কাবীর ১২/৩৭০ নং ১৩৩৭৪; বাইহাকী, যাহাইয়া ৯/৩০৬;

 

খতীব, তারীখ বাগদাদ ১০/৩২৩।

 

তিরমিযী ২৮৩৫; হাকিম ৪/২৭৪; খতীব, আলমুত্তাফাকু ওয়াল মুফতারিক্বু ৩/১৪৮৯ নং ৯০৭। ((এরপর মুহাক্বিক্ব এ সনদটিকে জাইয়্যেদ বলেছেন, অত:পর এর রাবী আলী ইবনু সালিহ আল মাক্কী সম্পর্কে মুহাদ্দিসগণের ইখতিলাফ উল্লেখ করেন। …))

 

এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে আমরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৭৭৮ তে।

باب مَا يُسْتَحَبُّ مِنْ الْأَسْمَاءِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ أَخْبَرَنَا عَبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحَبُّ الْأَسْمَاءِ إِلَى اللَّهِ عَبْدُ اللَّهِ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ

أخبرنا محمد بن كثير أخبرنا عبيد الله بن عمر عن نافع عن ابن عمر قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم أحب الأسماء إلى الله عبد الله وعبد الرحمن

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭৩৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

২৭৩৪. সামুরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের দাস-দাসীদের চারটি নাম রাখতে নিষেধ করেছেন; আর তা হলোঃ আফলাহ, নাফি’ ও রাবাহ, ইয়াসার।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: মুসলিম, আদাব ২১৩৬।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৮৩৭, ৫৮৩৮, ৫৮৩৯ তে।

أَخْبَرَنَا زَكَرِيَّا بْنُ عَدِيٍّ حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ عَنْ الرُّكَيْنِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ سَمُرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى أَنْ نُسَمِّيَ أَرِقَّاءَنَا أَرْبَعَةَ أَسْمَاءٍ أَفْلَحُ وَنَافِعٌ وَرَبَاحٌ وَيَسَارٌ

أخبرنا زكريا بن عدي حدثنا معتمر عن الركين عن أبيه عن سمرة أن النبي صلى الله عليه وسلم نهى أن نسمي أرقاءنا أربعة أسماء أفلح ونافع ورباح ويسار

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ সামুরাহ ইবনু জুনদুব (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭৩৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৬২. নাম পরিবর্তন করা সম্পর্কে

২৭৩৫. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ উম্মু আসিমকে ’আসিয়াহ’ নামে ডাকা হতো, অত:পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার নাম রাখেন ’জামিলা’।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: মুসলিম, আদাব ২১৩৯।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৮১৯, ৫৮২০ তে।

 

সংযোজনী: এছাড়াও, ইবনু সা’দ, আত তাবাকাত ৩/১/১৯০।

باب فِي تَغْيِيرِ الْأَسْمَاءِ

حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ هُوَ ابْنُ سَلَمَةَ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ أُمَّ عَاصِمٍ كَانَ يُقَالُ لَهَا عَاصِيَةُ فَسَمَّاهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَمِيلَةَ

حدثنا حجاج بن منهال حدثنا حماد هو ابن سلمة عن عبيد الله عن نافع عن ابن عمر أن أم عاصم كان يقال لها عاصية فسماها النبي صلى الله عليه وسلم جميلة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭৩৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৬২. নাম পরিবর্তন করা সম্পর্কে

২৭৩৬. আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, আগে যাইনাবের নাম ছিল বাররা। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার নাম রাখেন যায়নব।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: বুখারী, আদাব ৬১৯২; মুসলিম, আদাব ২১৪১।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৮৩০ তে।

باب فِي تَغْيِيرِ الْأَسْمَاءِ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنَا عَطَاءُ بْنُ أَبِي مَيْمُونَةَ عَنْ أَبِي رَافِعٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ كَانَ اسْمُ زَيْنَبَ بَرَّةَ فَسَمَّاهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْنَبَ

حدثنا مسدد حدثنا يحيى بن سعيد حدثنا شعبة حدثنا عطاء بن أبي ميمونة عن أبي رافع عن أبي هريرة قال كان اسم زينب برة فسماها النبي صلى الله عليه وسلم زينب

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭৩৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৬৩. আল্লাহ যা চান এবং অমুক যা চায় – এ কথা বলা নিষেধ

২৭৩৭. আয়িশার ভাই তুফাইল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। মুশরিকদের এক ব্যক্তি মুসলিমদের এক ব্যক্তিকে বললো, তোমরা কতই না উত্তম জাতি, যদি তোমরা একথা না বলে থাকতে যে, ’’আল্লাহ্ যা ইচ্ছা করেন এবং মুহাম্মাদ যা ইচ্ছা করেন।’’ অতঃপর সে কথাটি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুনে ফেললেন। তখন তিনি বললেন: “তোমরা একথা বলবে না যে, ’আল্লাহ্ যা ইচ্ছা করেন এবং মুহাম্মাদ যা ইচ্ছা করেন।’ বরং তোমরা বলবে, ’আল্লাহ্ যা ইচ্ছা করেন, এরপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা চান’।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: ইবনুল কানি’, মু’জামুস সাহাবাহ নং ৪৮৯। পূর্ণ তাখরীজের জন্য দেখুন, সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৭২৫ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৯৯৮ ও মুসনাদুল মাউসিলী ৮/১১৯।

 

আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন, মাউসিলী নং ৪৬৫৫ আর সেখানে আমরা এর তাখরীজ দিয়েছি।

باب فِي النَّهْيِ عَنْ أَنْ يَقُولَ مَا شَاءَ اللَّهُ وَشَاءَ فُلَانٌ

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ عَنْ الطُّفَيْلِ أَخِي عَائِشَةَ قَالَ قَالَ رَجُلٌ مِنْ الْمُشْرِكِينَ لِرَجُلٍ مِنْ الْمُسْلِمِينَ نِعْمَ الْقَوْمُ أَنْتُمْ لَوْلَا أَنَّكُمْ تَقُولُونَ مَا شَاءَ اللَّهُ وَشَاءَ مُحَمَّدٌ فَسَمِعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لَا تَقُولُوا مَا شَاءَ اللَّهُ وَشَاءَ مُحَمَّدٌ وَلَكِنْ قُولُوا مَا شَاءَ اللَّهُ ثُمَّ شَاءَ مُحَمَّدٌ

أخبرنا يزيد بن هارون أخبرنا شعبة عن عبد الملك بن عمير عن ربعي بن حراش عن الطفيل أخي عائشة قال قال رجل من المشركين لرجل من المسلمين نعم القوم أنتم لولا أنكم تقولون ما شاء الله وشاء محمد فسمع النبي صلى الله عليه وسلم فقال لا تقولوا ما شاء الله وشاء محمد ولكن قولوا ما شاء الله ثم شاء محمد

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭৩৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৬৪. আঙ্গুরকে ‘আল কারমু’ বলা নিষেধ

২৭৩৮. আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “তোমরা আঙ্গুর বাগানকে ’কারম’ বলো না, কেননা, প্রকৃতপক্ষে ’কারম’ হলো মুসলিম ব্যক্তি।” [1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ, তবে হাদীসটি সহীহ, এটি বুখারী ও মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন।

 

তাখরীজ: বুখারী, আদাব ৬১৮২; মুসলিম, আলফাজ ২২৪৭।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৯২৯,৬৩১৫, ৬৩৩৬ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৮৩২, ৫৮৩৩, ৫৮৩৪ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ১১৩০ তে।

باب لَا يُقَالُ لِلْعِنَبِ الْكَرْمُ

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدٌ هُوَ ابْنُ إِسْحَقَ عَنْ صَالِحِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تَقُولُوا لِحَائِطِ الْعِنَبِ الْكَرْمُ إِنَّمَا الْكَرْمُ الرَّجُلُ الْمُسْلِمُ

أخبرنا يزيد بن هارون أخبرنا محمد هو ابن إسحق عن صالح بن إبراهيم عن عبد الرحمن الأعرج عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا تقولوا لحائط العنب الكرم إنما الكرم الرجل المسلم

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭৩৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৬৫. কৌতুক-রসিকতা সম্পর্কে

২৭৩৯. আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একটি গোলাম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিনীগণকে নিয়ে উট হাকিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তিনি (গোলামটিকে) বললেন: “হে আনজাশা! তোমার কাঁচপাত্র (রূপী স্ত্রীলোকদের)কে নিয়ে ধীরে চালাও।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদের কোনো নাকও নেই, লাগামও (আগা-মাথা কিছুই) নেই। তবে হাদীসটি সহীহ, এটি বুখারী ও মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন।

 

তাখরীজ: বুখারী, আদাব ৬১৪৯; মুসলিম, আলফাজ ২৩২৩।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৮০৯, ২৮১০, ২৮৬৮, ৩১২৬, ৪০৬৪, ৪০৭৫ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৮০১, ৫৮০২, ৫৮০৩ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ১২৪৩ তে।

 

সংযোজনী: ইবনু সা’দ, ৮/৩১৫, রমহরমুযী, আমছালুল হাদীস ৮৭, ৮৮; আবূ নুয়াইম, হিলইয়া ৩/১০৬।

باب فِي الْمُزَاحِ

حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدٍ عَنْ أَنَسٍ قَالَ كَانَ غُلَامٌ يَسُوقُ بِأَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا أَنْجَشَةُ رُوَيْدًا سَوْقَكَ بِالْقَوَارِيرِ

حدثنا أبو عاصم عن عبد الله بن عبيد عن أنس قال كان غلام يسوق بأزواج النبي صلى الله عليه وسلم فقال يا أنجشة رويدا سوقك بالقوارير

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭৪০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৬৬. যে ব্যক্তি লোকদেরকে হাসানোর উদ্দেশ্যে মিথ্যা বলে, তার সম্পর্কে

২৭৪০. বাহয ইবন হাকীম তার পিতা সূত্রে তার পিতামহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, “ধ্বংস সেই ব্যক্তির জন্য, যে লোকদের হাসানোর উদ্দেশ্যে কথা বলতে গিয়ে মিথ্যা বলে; তার জন্য ধ্বংস; তার জন্য ধ্বংস।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ জাইয়্যেদ।

 

তাখরীজ: আহমাদ ৫/২, ৩, ৭; হাকিম নং ১৪৪; আব্দুল্লাহ ইবনু মুবারক, যুহদ নং ৭৩৩; নাসাঈ, কুবরা ১১৬৫৫; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ৪১৩০;

 

আবূ দাউদ, আদাব ৪৯৯০; তিরমিযী, যুহদ ২৩১৬; তাবারাণী, কাবীর ১৯/৪০৩ নং ৯৫০; খতীব, তারীখ বাগদাদ ৪/৪, ৭/১৩৩-১৩৪।

باب فِي الَّذِي يَكْذِبُ لِيُضْحِكَ بِهِ الْقَوْمَ

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا بَهْزُ بْنُ حَكِيمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ وَيْلٌ لِلَّذِي يُحَدِّثُ فَيَكْذِبُ لِيُضْحِكَ بِهِ الْقَوْمَ وَيْلٌ لَهُ وَيْلٌ لَهُ

أخبرنا يزيد بن هارون أخبرنا بهز بن حكيم عن أبيه عن جده قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ويل للذي يحدث فيكذب ليضحك به القوم ويل له ويل له

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ বাহয ইবনু হাকীম (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭৪১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৬৭. কবিতা বা কাব্য সম্পর্কে

২৭৪১. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাল্লাল্লাহ ‍আলাইহি ওয়া সাল্লাম (কবি) উমাইয়া ইবনু আবী সালতের দু’টি পংক্তিকে সত্যায়ন করেছেন। (তাতে) সে বলেছিল:

’(আরশ বহনকারী ফিরিশতাগণ হলেন[1]:) একজন পুরুষ (আকৃতির), (অপর) একটি ষাঁড় (আকৃতির, যারা রয়েছে) তাঁর ডান পায়ের নীচে, আরেকটি ঈগল (আকৃতির), সিংহ(আকৃতির অপরটি) সদা প্রস্তুত।’

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সে সত্যই বলেছে।

তিনি বলেন,

’আর প্রত্যেক নিশি শেষে সুর্য উদিত হয়, চমতকার রক্তিম বর্ণে সুশোভিত হয়ে।’

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সে সত্যই বলেছে।

তখন এক ব্যক্তি বললো,

সুর্য প্রত্যাবর্তন করে আমাদের উপর ধীরে ধীরে উদিত হয়, কেবল শাস্তিপ্রাপ্ত ও আঘাতপ্রাপ্ত হিসেবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সে সত্যই বলেছে।[2]

[1] ((অনুবাদকের টীকা: এগুলি ইবনু খুযাইমা, বাইহাকী ও অন্যান্য আলিমগণ কুরাআন সুন্নাহয় বর্ণিত মহান আল্লাহর কোনো কোনো সিফাতের বর্ণনায় নিয়ে এসেছেন। বিস্তারিত দেখুন, ফাতহুল মান্নান, হা/২৮৬৮ এর টীকাটি))

 

[2] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ।

 

তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ৮/৬৯৩ নং ৬০৬৪; ইবনু আবী আসিম, আসসুন্নাহ ১/২৫৬ নং ৫৭৯; তাবারাণী, কাবীর ১১/২৩৩ নং ১১৫৯১; ইবনু আব্দুল বারর, আত তামহীদ ৪/৮-৯; ইবনু কাছীর, আল বিদায়া ১/১২। ইবনু কাছীর বলেন, এ হাদীসের সনদ সহীহ, রাবীগণ সকলেই বিশ্বস্ত।’

 

আমি বলছি: রাবীগণ সকলেই বিশ্বস্ত, কথাটি সত্য, তবে এর সনদ সহীহ হওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। কেননা, ইবনু ইসহাক এটি ‘আন আন’ শব্দে বর্ণনা করেছেন, আর তিনি মুদাল্লিস।

 

এছাড়া, আহমাদ, মুসনাদ ও তাঁর ছেলে, যাওয়াইদ আলাল মুসনাদ ১/২৫৬; তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ৪/২৯৯; বাইহাকী, আসমা ওয়াস সিফাত পৃ: ৩৬০ (যয়ীফ সনদে)।

باب فِي الشِّعْرِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَقَ عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ عُتْبَةَ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ صَدَّقَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُمَيَّةَ بْنَ أَبِي الصَّلْتِ فِي بَيْتَيْنِ مِنْ الشِّعْرِ فَقَالَ

 

رَجُلٌ وَثَوْرٌ تَحْتَ رِجْلِ يَمِينِهِ وَالنَّسْرُ لِلْأُخْرَى وَلَيْثٌ مُرْصَدُ

فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَدَقَ قَالَ

 

وَالشَّمْسُ تَطْلُعُ كُلَّ آخِرِ لَيْلَةٍ حَمْرَاءَ يُصْبِحُ لَوْنُهَا يَتَوَرَّدُ

فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَدَقَ قَالَ

 

تَأْبَى فَمَا تَطْلُعُ لَنَا فِي رِسْلِهَا إِلَّا مُعَذَّبَةً وَإِلَّا تُجْلَدُ

فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَدَقَ

أخبرنا محمد بن عيسى حدثنا عبدة بن سليمان عن محمد بن إسحق عن يعقوب بن عتبة عن عكرمة عن ابن عباس قال صدق النبي صلى الله عليه وسلم أمية بن أبي الصلت في بيتين من الشعر فقال رجل وثور تحت رجل يمينه والنسر للأخرى وليث مرصد فقال النبي صلى الله عليه وسلم صدق قال والشمس تطلع كل آخر ليلة حمراء يصبح لونها يتورد فقال النبي صلى الله عليه وسلم صدق قال تأبى فما تطلع لنا في رسلها إلا معذبة وإلا تجلد فقال النبي صلى الله عليه وسلم صدق

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭৪২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৬৮. কবিতা প্রজ্ঞার প্রকাশ – এ সম্পর্কে

২৭৪২. ’উবাই ইবনু কা’ব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “নিশ্চয়ই কোন কোন কবিতার মধ্যে জ্ঞানের কথাও আছে।” [1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ। ইবনু জুরাইজ এটি ‘আন আন’ শব্দে বর্ণনা করেছেন, তবে আহমাদে তিনি ‘হাদ্দাছানা’ বলে বর্ণনা করেছেন। (ফলে আহমাদের সনদটি জাইয়্যেদ- যা পরে উল্লেখিত হয়েছে।’

 

তাখরীজ: বুখারী, আদাবুল মুফরাদ নং ৮৫৮, ৮৬৪; আস সহীহ, আদাব ৬১৪৫; আহমাদ ৫/১২৫ জাইয়্যেদ সনদে; ; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ৩৩৯৮; বাইহাকী; হাজ্জ ৫/৬৮, শাহাদাত ১০/২৩৭; মা’রিফাতুস সুনান ওয়াল আছার নং ২০২১০; আহমাদ, মুসনাদ ও আব্দুল্লাহ ইবনু আহমাদ, যাওয়াইদ আলাল মুসনাদ ৫/১২৫; তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ৪/২৯৭; ইবনু আবী শাইবা ৮/৬৯১ নং ৬০৫৬; আবূ দাউদ, আদাব ৫০১০; ইবনু মাজাহ, আদাব ৩৭৫৫; আব্দুর রাযযাক, নং ২০৪৯৯; তায়ালিসী ২/৬৬ নং ২২২০, এ সনদটি সহীহ।

باب فِي إِنَّ مِنْ الشِّعْرِ حِكْمَةً

أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ زِيَادٍ هُوَ ابْنُ سَعْدٍ أَخْبَرَنِي أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ أَخْبَرَهُ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ هِشَامٍ عَنْ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْأَسْوَدِ بْنِ عَبْدِ يَغُوثَ عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ مِنْ الشِّعْرِ حِكْمَةً

أخبرنا أبو عاصم عن ابن جريج عن زياد هو ابن سعد أخبرني أن ابن شهاب أخبره عن أبي بكر بن عبد الرحمن بن هشام عن مروان بن الحكم عن عبد الرحمن بن الأسود بن عبد يغوث عن أبي بن كعب عن النبي صلى الله عليه وسلم قال إن من الشعر حكمة

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)

 ২৭৪৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৬৯. তোমাদের কারো পেট (কবিতা দিয়ে) পূর্ণ হওয়া

২৭৪৩. ইবনু ’উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “তোমাদের কারো পেট কবিতা দিয়ে ভরার চেয়ে পুঁজ বা রক্তে ভরা অনেক ভাল।” [1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: বুখারী, আদাব ৬১৫৪।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৫১৬, ৫৫৭৩ তে।

باب لَأَنْ يَمْتَلِئَ جَوْفُ أَحَدِكُمْ

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى حَدَّثَنَا حَنْظَلَةُ عَنْ سَالِمٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَأَنْ يَمْتَلِئَ جَوْفُ أَحَدِكُمْ قَيْحًا أَوْ دَمًا خَيْرٌ مِنْ أَنْ يَمْتَلِئَ شِعْرًا

أخبرنا عبيد الله بن موسى حدثنا حنظلة عن سالم عن ابن عمر قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لأن يمتلئ جوف أحدكم قيحا أو دما خير من أن يمتلئ شعرا

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ১৯. অনুমতি গ্রহণ অধ্যায় (كتاب الاستئذان)