দারেমী সালাত অধ্যায় ৭ম ভাগ হাদিস নং ১৬১১ – ১৬৫১

দারেমী সালাত অধ্যায় ৭ম ভাগ হাদিস নং ১৬১১ – ১৬৫১

১৬১১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২০৭. বা’দাল জুমু’আ (জুমু’আর পরের সুন্নাত/নফল) সালাত সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছ

১৬১১. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমু’আর সালাতের পরে তাঁর বাড়িতে গিয়ে দু’ রাকা’আত সালাত আদায় করতেন।”[1]

[1]তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

তাখরীজ: এটি বুখারী মুসলিম সম্মিলিত বর্ণনা। এটি ১৪৭৭ (অনূবাদে ১৪৭৩) নং এ গত হয়েছে।

بَاب مَا جَاءَ فِي الصَّلَاةِ بَعْدَ الْجُمُعَةِ

أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّي بَعْدَ الْجُمُعَةِ رَكْعَتَيْنِ فِي بَيْتِهِ

أخبرنا أبو عاصم عن مالك عن نافع عن ابن عمر أن النبي صلى الله عليه وسلم كان يصلي بعد الجمعة ركعتين في بيته

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)

 ১৬১২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২০৭. বা’দাল জুমু’আ (জুমু’আর পরের সুন্নাত/নফল) সালাত সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছ

১৬১২. সালিমের পিতা (ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমু’আর সালাতের পরে দু’ রাকা’আত সালাত আদায় করতেন।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। এটি বুখারী মুসলিম সম্মিলিত বর্ণনা।

তাখরীজ: ((বুখারী জুমু’আ ৯৩৭; মুসলিম জুমু’আ ৮৮২)) আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৪৩৫ তে। আর এটি পূর্বের হাদীসের পুনরাবৃত্তি।

بَاب مَا جَاءَ فِي الصَّلَاةِ بَعْدَ الْجُمُعَةِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَمْرٍو يَعْنِي ابْنَ دِينَارٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّي بَعْدَ الْجُمُعَةِ رَكْعَتَيْنِ

أخبرنا محمد بن أحمد بن أبي خلف حدثنا سفيان عن عمرو يعني ابن دينار عن ابن شهاب عن سالم عن أبيه أن النبي صلى الله عليه وسلم كان يصلي بعد الجمعة ركعتين

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)

 ১৬১৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২০৭. বা’দাল জুমু’আ (জুমু’আর পরের সুন্নাত/নফল) সালাত সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছ

১৬১৩. আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি জুমু’আর সালাতের পরে সালাত আদায় করবে, সে যেন এরপর চার রাকা’আত সালাত আদায় করে।”[1]

আবূ মুহাম্মদ বলেন, আমি জুমু’আর পরে দু’ রাকা’আত অথবা চার রাকা’আত সালাত আদায় করি।

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

তাখরীজ: মুসলিম, জুমু’আ ৮৮১; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৪৭৭, ২৪৭৮, ২৪৭৯, ২৪৮০, ২৪৮১ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ১০০৬ তে।

بَاب مَا جَاءَ فِي الصَّلَاةِ بَعْدَ الْجُمُعَةِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ كَانَ مِنْكُمْ مُصَلِّيًا بَعْدَ الْجُمُعَةِ فَلْيُصَلِّ بَعْدَهَا أَرْبَعًا قَالَ أَبُو مُحَمَّد أُصَلِّي بَعْدَ الْجُمُعَةِ رَكْعَتَيْنِ أَوْ أَرْبَعًا

أخبرنا محمد بن يوسف حدثنا سفيان عن سهيل بن أبي صالح عن أبيه عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال من كان منكم مصليا بعد الجمعة فليصل بعدها أربعا قال أبو محمد أصلي بعد الجمعة ركعتين أو أربعا

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)

 ১৬১৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২০৮. বিতর সম্পর্কে

১৬১৪. খারিজা ইবনু হুযাফাহ আল আদাবী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের নিকট বের হয়ে বললেন: “আল্লাহ তোমাদের জন্য একটি সালাত বৃদ্ধি করেছেন, যা লাল রংয়ের চতুস্পদ জন্তু হতেও উত্তম। আর তিনি তোমাদের জন্য একে নির্ধারণ করেছেন ঈশার সালাত হতে শুরু করে ফজর উদিত হওয়া পর্যন্ত সময়ের মাঝে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান।

তাখরীজ: আবু দাউদ, সালাত ১৪১৮; তাবারাণী, কাবীর ৪/২১১ নং ৪১৩৬; হাকিম ১/৩০৬; তিরমিযী, সালাত ৪৫২; ইবনু মাজাহ, ইকামাতিস সালাত ১১৬৮; তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ১/৪৩০; ইবনু আদী, আল কামিল ৩/৯২০; দারুকুতনী, সুনান ২/৩০; তার সূত্রে ইবনুল জাউযী, আল ইলালুল মুতানাহিয়্যাহ নং ৭৬৯; বাইহাকী, সালাত ২/৪৬৯, ৪৭৮; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ৯৭৫; ইবনু আবী শাইবা ২/২৯৬-২৯৭;

তিরমিযী বলেন: খারিজা ইবনু হুযাফাহ এর হাদীস গারীব। আমরা ইয়াযীদ ইবনু আবী হাবীব ব্যতীত আর কারো সূত্রে এটি জানতে পারিনি।’

আমি বলি: কিন্তু ইয়াযীদ ইবনু আবী হাবীব ছিকাহ’ (নির্ভরযোগ্য), ফকীহ। আর তার একাকী বর্ণনা করাটা এ হাদীসের কোনো ঘাটতি (ক্ষতি) করে না। আল্লাহই ভাল জানেন।

হাকিম বলেন: এ হাদীসটির সনদ সহীহ যদিও তারা এটি বর্ণনা করেননি…..। যাহাবী তা সমর্থন করেছেন।

আর এ হাদীসের শাহিদ হাদীস দেখুন, নাসবুর রায়াহ ২/১০৮-১১২; তালখীসুল হাবীর ২/১৬; দিরায়াহ ১/১৮৮-১৮৯ তে।

بَاب فِي الْوِتْرِ

حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ حَدَّثَنَا لَيْثٌ هُوَ ابْنُ سَعْدٍ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَاشِدٍ الزَّوْفِيِّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُرَّةَ الزَّوْفِيِّ عَنْ خَارِجَةَ بْنِ حُذَافَةَ الْعَدَوِيِّ قَالَ خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَمَدَّكُمْ بِصَلَاةٍ هِيَ خَيْرٌ لَكُمْ مِنْ حُمْرِ النَّعَمِ جَعَلَهُ لَكُمْ فِيمَا بَيْنَ صَلَاةِ الْعِشَاءِ إِلَى أَنْ يَطْلُعَ الْفَجْرُ

حدثنا أبو الوليد الطيالسي حدثنا ليث هو ابن سعد حدثنا يزيد بن أبي حبيب عن عبد الله بن راشد الزوفي عن عبد الله بن أبي مرة الزوفي عن خارجة بن حذافة العدوي قال خرج علينا رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال إن الله قد أمدكم بصلاة هي خير لكم من حمر النعم جعله لكم فيما بين صلاة العشاء إلى أن يطلع الفجر

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ খারিজাহ বিন হুযাফাহ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)

 ১৬১৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২০৮. বিতর সম্পর্কে

১৬১৫. জুমাহী – যিনি শামে বসবাস করতেন এবং মুওয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু’র সাক্ষাত লাভ করেছিলেন- তিনি বর্ণনা করেন যে, বনী কিনানা’র অপরিণত অবস্থায় জন্ম গ্রহণকারী এক ব্যক্তি তার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, শামে আবূ ‍মুহাম্মদ নামে এক লোক ছিল। তিনি তার সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন। (একদা) সেই লোকটি তাকে জানাল যে, বিতর (সালাত) ওয়াজিব। অপরিণত অবস্থায় জন্ম গ্রহণকারী লোকটি ’উবাদাহ ইবনুস সামিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু’র নিকট চলে গেলেন এবং তাঁর নিকট এ বিষয়টি উত্থাপন করলেন। তখন উবাদা রা: বলেন, আবূ মুহাম্মদ মিথ্যা (ভূল) বলেছে। আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি: “আল্লাহ তা’আলা তাঁর বান্দাদের উপর পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন। যে ব্যক্তি সালাতের কোন হককে গুরুত্বহীন বিবেচনা করে নষ্ট না করে তা যথাযথভাবে আদায় করবে, নিশ্চয় তার জন্য আল্লাহর নিকট অঙ্গীকার হলো, তিনি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আর যে ব্যক্তি তা (সালাতের হক নষ্ট করবে কিংবা যথাযথভাবে সালাত) আদায় করবে না, তার জন্য আল্লাহর নিকট কোন অঙ্গীকার নেই। তিনি ইচ্ছা করলে তাকে শাস্তি দিবেন, আর ইচ্ছা করলে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ জাইয়্যেদ (উত্তম)।

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি ও টীকা সংযোজন করেছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৭৩১, ১৭৩২, ২৭১৪ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৫২, ২৫৩ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৩৯১ তে। এছাড়াও: তায়ালিসী ১/৬৬-৬৭ নং ২৫৪; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান ৩/১৪৩-১৪৪ নং ৩১৪০।

((আবু দাউদ, বিতর ১৪২০; নাসাঈ, সালাত বাব:৬; ইবনু মাজাহ, ইকামাতিস সালাত ১৪০১; আহমাদ ৪/২৪২ ও ৫/৩১৫, ৩১৯, ৩২২; হাকিম ও ইবনু হিব্বান- ফাওয়ায আহমেদের তাহক্বীক্বকৃত সুনানে দারেমী হা/১৫৭৭ এর টীকা হতে-অনুবাদক))

بَاب فِي الْوِتْرِ

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْأَنْصَارِيُّ أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ أَخْبَرَهُ أَنَّ ابْنَ مُحَيْرِيزٍ الْقُرَشِيَّ ثُمَّ الْجُمَحِيَّ أَخْبَرَهُ وَكَانَ يَسْكُنُ بِالشَّامِ وَكَانَ أَدْرَكَ مُعَاوِيَةَ أَنَّ الْمُخْدَجِيَّ رَجُلٌ مِنْ بَنِي كِنَانَةَ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَجُلًا مِنْ أَهْلِ الشَّامِ وَكَانَتْ لَهُ صُحْبَةٌ يُكْنَى أَبَا مُحَمَّدٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ الْوِتْرَ وَاجِبٌ فَرَاحَ الْمُخْدَجِيُّ إِلَى عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ عُبَادَةُ كَذَبَ أَبُو مُحَمَّدٍ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ خَمْسُ صَلَوَاتٍ كَتَبَهُنَّ اللَّهُ عَلَى الْعِبَادِ مَنْ أَتَى بِهِنَّ لَمْ يُضَيِّعْ مِنْ حَقِّهِنَّ شَيْئًا اسْتِخْفَافًا بِحَقِّهِنَّ كَانَ لَهُ عِنْدَ اللَّهِ عَهْدٌ أَنْ يُدْخِلَهُ الْجَنَّةَ وَمَنْ لَمْ يَأْتِ بِهِنَّ جَاءَ وَلَيْسَ لَهُ عِنْدَ اللَّهِ عَهْدٌ إِنْ شَاءَ عَذَّبَهُ وَإِنْ شَاءَ أَدْخَلَهُ الْجَنَّةَ

أخبرنا يزيد بن هارون أخبرنا يحيى بن سعيد الأنصاري أن محمد بن يحيى بن حبان أخبره أن ابن محيريز القرشي ثم الجمحي أخبره وكان يسكن بالشام وكان أدرك معاوية أن المخدجي رجل من بني كنانة أخبره أن رجلا من أهل الشام وكانت له صحبة يكنى أبا محمد أخبره أن الوتر واجب فراح المخدجي إلى عبادة بن الصامت فذكر ذلك له فقال عبادة كذب أبو محمد سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول خمس صلوات كتبهن الله على العباد من أتى بهن لم يضيع من حقهن شيئا استخفافا بحقهن كان له عند الله عهد أن يدخله الجنة ومن لم يأت بهن جاء وليس له عند الله عهد إن شاء عذبه وإن شاء أدخله الجنة

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)

 ১৬১৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২০৮. বিতর সম্পর্কে

১৬১৬. তালহা ইবন ’উবাদুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, একজন গ্রাম্য আরব রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট এলেন, যার মাথা (-এর চুল) ছিল বিক্ষিপ্ত (এলোমেলো)। তারপর তিনি বললেন, ইয়ারাসুলুল্লাহ! আল্লাহ তা’আলা আমার উপর কী কী সালাত ফরজ করেছেন? তিনি বললেনঃ পাঁচ (ওয়াক্ত) সালাত এবং সিয়াম।” রাবী বলেন, এভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে ইসলামের (ফরয) বিধানসমূহ জানিয়ে দিলেন। এরপর তিনি বললেন, ঐ সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সত্য দিয়ে সম্মানিত করেছেন, আল্লাহ আমার উপর যা ফরয করেছেন, আমি এর অতিরিক্ত আর কিছুই করব না এবং এর থেকে কিছু কমাবোও না। রাসূলুল্লাহ (সাঃ)বললেনঃ “তার পিতার শপথ, সে সত্য বলে থাকলে সফলতা লাভ করল” কিংবা বলেছেন: “তার পিতার শপথ, সে সত্য বলে থাকলে জান্নাত লাভ করল।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। এটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

তাখরীজ: বুখারী, ঈমান ৪৬; মুসলিম, ঈমান ১১; সহীহ ইবনু খুযাইমাহ, আস সহীহ নং ৩০৬; ইবনু মানদাহ, আত তাওহীদ ১/২৭৯ নং ১৩৪; ইবনু বিশকাল, গাওয়াযুল আসমা নং ১।

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৭২৪, ৩২৬২ তে।

بَاب فِي الْوِتْرِ

أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ عَنْ أَبِي سُهَيْلٍ نَافِعِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ أَنَّ أَعْرَابِيًّا جَاءَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَائِرَ الرَّأْسِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَاذَا فَرَضَ اللَّهُ عَلَيَّ مِنْ الصَّلَاةِ قَالَ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسَ وَالصِّيَامَ فَأَخْبَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِشَرَائِعِ الْإِسْلَامِ فَقَالَ وَالَّذِي أَكْرَمَكَ لَا أَتَطَوَّعُ شَيْئًا وَلَا أَنْقُصُ مِمَّا فَرَضَ اللَّهُ عَلَيَّ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفْلَحَ وَأَبِيهِ إِنْ صَدَقَ أَوْ دَخَلَ الْجَنَّةَ وَأَبِيهِ إِنْ صَدَقَ

أخبرنا يحيى بن حسان حدثنا إسمعيل بن جعفر عن أبي سهيل نافع بن مالك عن أبيه عن طلحة بن عبيد الله أن أعرابيا جاء إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم ثائر الرأس فقال يا رسول الله ماذا فرض الله علي من الصلاة قال الصلوات الخمس والصيام فأخبره رسول الله صلى الله عليه وسلم بشرائع الإسلام فقال والذي أكرمك لا أتطوع شيئا ولا أنقص مما فرض الله علي فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم أفلح وأبيه إن صدق أو دخل الجنة وأبيه إن صدق

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ তালহা ইবনু উবায়দুল্লাহ্ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)

 ১৬১৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২০৮. বিতর সম্পর্কে

১৬১৭. আসিম ইবনু জামরাহ বলেন, আমি আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) কে বলতে শুনেছি যে, নিশ্চয় বিতির (ফরয) সালাতের ন্যায় বাধ্যতামূলক নয়, তবে এটি একটি সুন্নাত। তাই তোমরা এটি পরিত্যাগ করো না।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু পর্যন্ত এর সনদ সহীহ।

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩১৭ তে।

بَاب فِي الْوِتْرِ

حَدَّثَنَا عَفَّانُ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ قَالَ سَمِعْتُ عَاصِمَ بْنَ ضَمْرَةَ قَالَ سَمِعْتُ عَلِيًّا يَقُولُ إِنَّ الْوِتْرَ لَيْسَ بِحَتْمٍ كَالصَّلَاةِ وَلَكِنَّهُ سُنَّةٌ فَلَا تَدَعُوهُ

حدثنا عفان حدثنا شعبة عن أبي إسحق قال سمعت عاصم بن ضمرة قال سمعت عليا يقول إن الوتر ليس بحتم كالصلاة ولكنه سنة فلا تدعوه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আসিম ইবনু যামরাহ (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)

 ১৬১৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২০৯. বিতর আদায়ের ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান

১৬১৮. আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “নিশ্চয়ই আল্লাহ হচ্ছেন ’বিতর’ বা বেজোড় (অর্থাৎ এক); আর তাই তিনি বিতর (বেজোড়) কে পছন্দ করেন।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

তাখরীজ: বুখারী, শুরুত্ব ২৭৩৬; মুসলিম, যিকির ওয়াদ দু’আ ২৬৭৭; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬২৭৭ ; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৮০৭, ৮০৮ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৩৮৪ এবং মুসনাদুল হুমাইদী নং ১১৬৪ তে।

بَاب الْحَثِّ عَلَى الْوِتْرِ

أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ مُوسَى عَنْ هِقْلِ بْنِ زِيَادٍ عَنْ هِشَامٍ عَنْ ابْنِ سِيرِينَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ اللَّهَ وِتْرٌ يُحِبُّ الْوِتْرَ

أخبرنا الحكم بن موسى عن هقل بن زياد عن هشام عن ابن سيرين عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال إن الله وتر يحب الوتر

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)

 ১৬১৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২১০. বিতর কত রাকা’আত

১৬১৯. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রাতের সালাত ছিল তেরো রাকা’আত, এবং এর মধ্যে তিনি পাঁচ রাকা’আত বিতর আদায় করতেন। এছাড়া, তিনি এ পাঁচ রাকা’আতের মধ্যে আর কোথাও বসতেন না, এমনকি তিনি (কেবলমাত্র) শেষ (রাকা’আতে/ বৈঠকে) বসতেন, এরপর সালাম ফিরাতেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

তাখরীজ: বুখারী, তাহাজ্জুদ ১১৪০; মুসলিম, সালাতুল মুসাফিরীন ৭৩৬; আমরা এর সকল সনদ একত্রিত করেছি এবং এর উপর টীকা দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৬৫০ তে। আরও দেখুন, ৪৫২৬, ৪৬৫৭, ৪৭৩৭, ৪৭৮৭ নং গুলো।

এছাড়াও তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৪৩০, ২৪৩৭, ২৪৩৯, ২৪৪০, ২৬১২, ২৬১৩, ২৬১৯ তে।

بَاب كَمْ الْوِتْرُ

أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَتْ صَلَاتُهُ مِنْ اللَّيْلِ ثَلَاثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً يُوتِرُ مِنْهَا بِخَمْسٍ لَا يَجْلِسُ فِي شَيْءٍ مِنْ الْخَمْسِ حَتَّى يَجْلِسَ فِي الْآخِرَةِ فَيُسَلِّمَ

أخبرنا جعفر بن عون حدثنا هشام عن أبيه عن عائشة أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كانت صلاته من الليل ثلاث عشرة ركعة يوتر منها بخمس لا يجلس في شيء من الخمس حتى يجلس في الآخرة فيسلم

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)

 ১৬২০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২১০. বিতর কত রাকা’আত

১৬২০. আবী আইয়্যূব আল আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বলেছেনঃ “তুমি বিতির আদায় করো পাঁচ রাকা’আত; যদি তুমি তা করতে সক্ষম না হও, তবে তিন রাকা’আত। যদি তুমি তাও করতে সক্ষম না হও, তবে এক রাকা’আত। যদি তুমি তাও করতে সক্ষম না হও, তবে (মাথা কিংবা চোখ দ্বারা) একবার ইশারা করো।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: সুফিয়ান ইবনু হুসাইন যুহরীর নিকট ব্যতীত ছিকাহ। যুহুরীর থেকে তার বর্ণনাসমূহ দুর্বল। তবে তিনি এ বর্ণনার ক্ষেত্রে একাকী নন; এর ‘মুতাবি’আত বর্ণনা রয়েছে যেমন পরের হাদীসটি। তাই এ হাদীসটি সহীহ।

তাখরীজ: ((নাসাঈ, কিয়ামুল লাইল, বাব: ৪০; ইবনু মাজাহ, ইকামাতিস সালাত ১১৯০; আহমাদ ৫/৩৫৬- ফাওয়ায আহমেদের তাহক্বীক্বকৃত সুনানে দারেমী হা/১৫৭৭ এর টীকা হতে-অনুবাদক))

তায়ালিসী ১/১১৯-১২০ ৫৫৮ -৫৫৯ নং এর মাঝে নম্বরবিহীনভাবে।

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬২৭৭ ; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৮০৭, ৮০৮ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৩৮৪ এবং মুসনাদুল হুমাইদী নং ১১৬৪ তে।

بَاب كَمْ الْوِتْرُ

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ حُسَيْنٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيِّ قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْتِرْ بِخَمْسٍ فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَبِثَلَاثٍ فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَبِوَاحِدَةٍ فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَأَوْمِ إِيمَاءً

أخبرنا يزيد بن هارون حدثنا سفيان بن حسين عن الزهري عن عطاء بن يزيد الليثي عن أبي أيوب الأنصاري قال قال لي رسول الله صلى الله عليه وسلم أوتر بخمس فإن لم تستطع فبثلاث فإن لم تستطع فبواحدة فإن لم تستطع فأوم إيماء

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ আইয়ুব আনসারী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)

 ১৬২১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২১০. বিতর কত রাকা’আত

১৬২১. আবী আইয়্যূব আল আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে তিনি অনূরূপ বর্ণনা করেছেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি।

بَاب كَمْ الْوِتْرُ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ الْأَوْزَاعِيِّ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيِّ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ

أخبرنا محمد بن يوسف عن الأوزاعي عن الزهري عن عطاء بن يزيد الليثي عن أبي أيوب الأنصاري عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ আইয়ুব আনসারী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)

 ১৬২২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২১০. বিতর কত রাকা’আত

১৬২২. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোনো এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে রাতের সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলো। তখন তিনি বললেন: “দু’- দু’ রাকা’আত করে। আর যখন তোমাদের কেউ ভোর হয়ে যাওয়ার আশংকা করবে তখন সে যেন এক রাকা’আত সালাত আদায় করে নেয়, যা তার (পূর্বে) আদায়কৃত সালাতকে বিতর (বিজোড়) করে দেবে।”[1]

আবূ মুহাম্মদকে জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি কি এমত গ্রহণ করেছেন? তিনি বললেন: হাঁ।

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ শক্তিশালী। তবে এটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

তাখরীজ: এটি ১৫০০ (অনূবাদে ১৪৯৭) নং এ গত হয়েছে। ((বুখারী ৪৭২; ‍মুসলিম ৭৪৯। আমরা এর তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৬২৩, ৫৪৩১, ৫৪৯৪, ৫৬১৮, ৫৬২০; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৪২৬, ২৬১৯, ২৬২০, ২৬২৩, ২৬২৪ তে।- ১৪৯৭ নং এর টীকা হতে- অনুবাদক))

بَاب كَمْ الْوِتْرُ

أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ سَأَلَ رَجُلٌ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ صَلَاةِ اللَّيْلِ فَقَالَ مَثْنَى مَثْنَى فَإِذَا خَشِيَ أَحَدُكُمْ الصُّبْحَ فَلْيُصَلِّ رَكْعَةً وَاحِدَةً تُوتِرُ مَا قَدْ صَلَّى قِيلَ لِأَبِي مُحَمَّدٍ تَأْخُذُ بِهِ قَالَ نَعَمْ

أخبرنا خالد بن مخلد حدثنا مالك عن نافع عن ابن عمر قال سأل رجل رسول الله صلى الله عليه وسلم عن صلاة الليل فقال مثنى مثنى فإذا خشي أحدكم الصبح فليصل ركعة واحدة توتر ما قد صلى قيل لأبي محمد تأخذ به قال نعم

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)

 ১৬২৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২১০. বিতর কত রাকা’আত

১৬২৩. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈশার সালাত ও ফজরের সালাতের মধ্যবর্তী সময়ে এগারো রাকা’আত সালাত আদায় করতেন। আর তিনি এর প্রত্যেক দু’ রাকা’আতে সালাম ফেরাতেন। এক রাকা’আত বিতর পড়তেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। এটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

তাখরীজ: এটি গত হয়েছে ১৪৮৭ (অনূবাদে ১৪৮৪) নং এ। ((বুখারী, তাহাজ্জুদ, ১১৩৭; মুসলিম, সালাতুল মুসাফিরীন, ৭৪৯; তিরমিযী ৪৩৭; মালিক, সালাতুল লাইল হা/১৩- ফাওয়ায আহমেদের তাহক্বীক্বকৃত দারেমী হা/১৫৮৫ এর টীকা হতে।-অনুবাদক))

بَاب كَمْ الْوِتْرُ

خْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ عَنْ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي مَا بَيْنَ الْعِشَاءِ إِلَى الْفَجْرِ إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً يُسَلِّمُ فِي كُلِّ رَكْعَتَيْنِ وَيُوتِرُ بِوَاحِدَةٍ

خبرنا يزيد بن هارون عن ابن أبي ذئب عن الزهري عن عروة عن عائشة قالت كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يصلي ما بين العشاء إلى الفجر إحدى عشرة ركعة يسلم في كل ركعتين ويوتر بواحدة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)

 ১৬২৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২১০. বিতর কত রাকা’আত

১৬২৪. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিন রাকা’আত বিতর পড়তেন [“সাব্বিহিসমা রব্বিকাল আ’লা” সূরা আ’লা: ১], [“ক্বুল ইয়া আইয়্যুহাল কাফিরূণ।” সূরা কাফিরূণ: ১] এবং [“ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ।” সূরা ইখলাছ: ১] দ্বারা।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

তাখরীজ: আমরা এর তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৫৫৫ তে। (( তিরমিযী, আবওয়াবুস সালাত ৪৬২; নাসাঈ, কিয়ামুল লাইল ৩/১৩৬; ইবনু মাজাহ, আহমাদ- ফাওয়ায আহমেদের তাহক্বীক্বকৃত দারেমী হা/১৫৮৬ এর টীকা হতে।-অনুবাদক))

بَاب كَمْ الْوِتْرُ

أَخْبَرَنَا مَالِكُ بْنُ إِسْمَعِيلَ حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُوتِرُ بِثَلَاثٍ بِسَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى وَقُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ وَقُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ

أخبرنا مالك بن إسمعيل حدثنا إسرائيل عن أبي إسحق عن سعيد بن جبير عن ابن عباس قال كان النبي صلى الله عليه وسلم يوتر بثلاث بسبح اسم ربك الأعلى وقل يا أيها الكافرون وقل هو الله أحد

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)

 ১৬২৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২১১. বিতরের ওয়াক্ত সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে

১৬২৫. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাতের সকল অংশেই (প্রথম রাতে, মধ্য রাতে এবং শেষ রাতে) বিতর আদায় করেছেন। এবং (জীবনের) শেষের দিকে এসে তিনি সেহেরীর সময় বিতর আদায় করতেন।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। এটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা ।

তাখরীজ: বুখারী, বিতর ৯৯৬; মুসলিম, সালাতুল মুসাফিরীন ৭৪২; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৩৭০; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৪৪৩ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ১৮৮ তে।

بَاب مَا جَاءَ فِي وَقْتِ الْوِتْرِ

أَخْبَرَنَا قَبِيصَةُ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ أَبِي حَصِينٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ وَثَّابٍ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ فِي كُلِّ الْوَقْتِ قَدْ أَوْتَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَانْتَهَى وِتْرُهُ إِلَى السَّحَرِ

أخبرنا قبيصة حدثنا سفيان عن أبي حصين عن يحيى بن وثاب عن مسروق عن عائشة قالت في كل الوقت قد أوتر رسول الله صلى الله عليه وسلم وانتهى وتره إلى السحر

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)

 ১৬২৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২১১. বিতরের ওয়াক্ত সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে

১৬২৬. আবী সাঈদ আল খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বিতর সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি বললেন: “তোমরা ফজরের (সুবহে সাদিকের) পূর্বে বিতর আদায় করো।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

তাখরীজ: আহমাদ ৩/৭১; তায়ালিসী ১/১১৯ নং ৫৫৪; আবূ আউয়ানাহ ২/৩০৯; ইবনু আবী শাইবা ২/২৮৮; মুসলিম, সালাতুল মুসাফিরীন ৭৫৪; বাইহাকী, সালাত ২/৪৭৮; ইবনু খুযাইমা নং ১০৮৯; হাকিম ১/৩০১; আব্দুর রাযযাক নং ৪৫৮৯;তিরমিযী, সালাত ৪৬৮; নাসাঈ, কিয়ামুল লাইল ৩/২৩১; আবু নুয়াইম, হিলইয়াতুল আউলিয়া ৯/৬১।

بَاب مَا جَاءَ فِي وَقْتِ الْوِتْرِ

حَدَّثَنَا عَفَّانُ حَدَّثَنَا أَبَانُ بْنُ يَزِيدَ الْعَطَّارُ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ حَدَّثَنِي أَبُو نَضْرَةَ أَنَّ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ حَدَّثَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ عَنْ الْوِتْرِ فَقَالَ أَوْتِرُوا قَبْلَ الْفَجْرِ

حدثنا عفان حدثنا أبان بن يزيد العطار حدثني يحيى بن أبي كثير حدثني أبو نضرة أن أبا سعيد الخدري حدثه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم سئل عن الوتر فقال أوتروا قبل الفجر

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)

 ১৬২৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২১২. বিতরের সালাতের কিরা’আত

১৬২৭. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিন রাকা’আত বিতর পড়তেন। এর প্রথম রাকা’আতে তিনি [“সাব্বিহিসমা রব্বিকাল আ’লা” সূরা আ’লা: ১], দ্বিতীয় রাকা’আতে [“ক্বুল ইয়া আইয়্যুহাল কাফিরূণ।” সূরা কাফিরূণ: ১] এবং তৃতীয় রাকা’আতে [“ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ।” সূরা ইখলাছ: ১] পাঠ করতেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

তাখরীজ: এটি ১৬২৭ (অনূবাদে ১৬২৩) নং এ গত হয়েছে।

بَاب الْقِرَاءَةِ فِي الْوِتْرِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ قَالَ زَكَرِيَّاءُ حَدَّثَنِي عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُوتِرُ بِثَلَاثٍ يَقْرَأُ فِي الْأُولَى بِسَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى وَفِي الثَّانِيَةِ بِقُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ وَفِي الثَّالِثَةِ بِقُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ

حدثنا عبد الله بن سعيد حدثنا أبو أسامة قال زكرياء حدثني عن أبي إسحق عن سعيد بن جبير عن ابن عباس قال كان النبي صلى الله عليه وسلم يوتر بثلاث يقرأ في الأولى بسبح اسم ربك الأعلى وفي الثانية بقل يا أيها الكافرون وفي الثالثة بقل هو الله أحد

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)

 ১৬২৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২১৩. সাওয়ারীর পিঠে (আরোহী অবস্থায়) বিতর আদায়

১৬২৮. ইবনু ‍উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উটের পিঠে (আরোহী অবস্থায়) বিতরের সালাত আদায় করতেন।[1]

আবূ মুহাম্মদকে জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি কি এমত গ্রহণ করেছেন? তিনি বললেন, হাঁ।

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

তাখরীজ: বুখারী, বিতর ৯৯৯; মুসলিম, সালাতুল মুসাফিরীন ৭০০; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৪৫৯ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৪১৩, ২৫১৭ তে।

بَاب الْوِتْرِ عَلَى الرَّاحِلَةِ

أَخْبَرَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا مَالِكٌ حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ عُمَرَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُوتِرُ عَلَى الْبَعِيرِ قِيلَ لِأَبِي مُحَمَّدٍ تَقُولُ بِهِ قَالَ نَعَمْ

أخبرنا مروان بن محمد حدثنا مالك حدثني أبو بكر بن عمر عن سعيد بن يسار عن ابن عمر أن النبي صلى الله عليه وسلم كان يوتر على البعير قيل لأبي محمد تقول به قال نعم

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)

 ১৬২৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২১৪. কুনুতের দু’আ

১৬২৯. আবীল হাওরা’ আস সা’দী থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হাসান ইবনু আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা কে জিজ্ঞেস করলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে কোন্ বিষয়টি স্মরণে রেখেছেন?

তিনি বললেন: তিনি আমাকে তাঁর কাঁধে বহন করছিলেন, তখন আমি সাদাকা’র খেজুর থেকে একটি খেজুর তুলে নিয়েছিলাম। অতঃপর তা আমার মুখে পুরে দিয়েছিলাম। তখন তিনি আমাকে বললেন: “সেটি ছুঁড়ে ফেলে দাও। তুমি কি জানো না যে, আমাদের জন্য সাদাকাহ হালাল নয়?”

তিনি বলেন, আর তিনি এ দু’আটি দিয়ে ‍দু’আ করতেন: “আল্লাহুম্মা ইহদিনী ফী মান হাদাইতা, ওয়া ’আফিনী ফী মান ’আফাইতা, ওয়া তাওয়াল্লানী ফী মান তাওয়াল্লাইতা। ওয়া বারিক লী ফী মা আ’ত্বইতা, ওয়া ক্বিনী শারর মা ক্বযাইতা। ইন্নাকা তাক্বযী ওয়ালা ইয়্যূক্বযা আলাইকা। ইন্নাহু লা ইয়াযিল্লু মান ওয়ালাইতা, তাবারকতা ওয়া তা’আলাইতা।”[1]

(অর্থ: হে আল্লাহ আপনি যাদেরকে হেদায়েত দান করেছেন, আমাকে তাদের সাথে হেদায়েত করুন। আপনি যাদেরকে নিরাপত্তা দান করেছেন, আমাকেও তাদের সাথে নিরাপত্তা দান করুন। আপনি যাদেরকে আপনার নৈকট্য দান করেছেন, আমাকেও তাদের সাথে আপনার নৈকট্য দান করুন। আর আপনি আমাকে যা দান করেছেন, তাতে বরকত দান করুন। আর আপনি যে (তাক্বদীর) নির্ধারণ করেছেন, তার অকল্যাণ থেকে আমাকে বাঁচান। আপনিই নির্ধারণ করেন, আপনার বিরুদ্ধে নির্ধারণ করা যায় না। আর নিশ্চয়ই আপনি যাকে নৈকট্য দান করেছেন, তাকে কেউ অপমানিত করতে পারে না। আর আপনি মহা বরকতময় এবং সর্বোচ্চ মহান।)

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৭৫৯, ৬৭৬২ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৯৪৫ ও মাওয়ারিদুয যাম্’আন নং ৫১২,৫১৩; পরবর্তী হাদীস দু’টিও দেখুন। ((আবু দাউদ, সালাত ১৪২৫-১৪২৬; তিরমিযী, আবওয়াবুস সালাত ৪৬৪; নাসাঈ, কিয়ামুল লাইল ৩/২৪৯; ইবনু মাজাহ, ইকামাতিস সালাত ১১৭৮; আহমাদ ১/১৯৯-২০০; ইবনুল জারুদ, আল মুনতাকা পৃ: ১৪২; মারওয়াযী, বিতর পৃ: ১৩৪; হাকিম, ৩/১৭২ ও ৪/৯৯; বাইহাকী, সুনান ২/২০৯; হাকিম একে সহীহ বলেছেন। শাইখ আহমেদ শাকিরও (তাহক্বীক্ব: তিরমিযী ২/৩২৯ তে) একে সহীহ বলেছেন।- ফাওয়ায আহমেদের টীকা, দারেমী হা/১৫৯৩।- অনুবাদক))

بَاب الدُّعَاءِ فِي الْقُنُوتِ

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ بُرَيْدِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ عَنْ أَبِي الْحَوْرَاءِ السَّعْدِيِّ قَالَ قُلْتُ لِلْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ مَا تَذْكُرُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ حَمَلَنِي عَلَى عَاتِقِهِ فَأَخَذْتُ تَمْرَةً مِنْ تَمْرِ الصَّدَقَةِ فَأَدْخَلْتُهَا فِي فَمِي فَقَالَ أَلْقِهَا أَمَا شَعَرْتَ أَنَّا لَا تَحِلُّ لَنَا الصَّدَقَةُ قَالَ وَكَانَ يَدْعُو بِهَذَا الدُّعَاءِ اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ إِنَّكَ تَقْضِي وَلَا يُقْضَى عَلَيْكَ وَإِنَّهُ لَا يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ تَبَارَكْتَ وَتَعَالَيْتَ

حدثنا عثمان بن عمر حدثنا شعبة عن بريد بن أبي مريم عن أبي الحوراء السعدي قال قلت للحسن بن علي ما تذكر من رسول الله صلى الله عليه وسلم قال حملني على عاتقه فأخذت تمرة من تمر الصدقة فأدخلتها في فمي فقال ألقها أما شعرت أنا لا تحل لنا الصدقة قال وكان يدعو بهذا الدعاء اللهم اهدني فيمن هديت وعافني فيمن عافيت وتولني فيمن توليت وبارك لي فيما أعطيت وقني شر ما قضيت إنك تقضي ولا يقضى عليك وإنه لا يذل من واليت تباركت وتعاليت

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)

 ১৬৩০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২১৪. কুনুতের দু’আ

১৬৩০. হাসান ইবনু আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে কিছু (দু’আর) বাক্যাবলী শিখিয়েছিলেন, যেগুলো আমি কুনুতে পড়ি।’ এরপর তিনি (পূর্বের) অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করলেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি।

بَاب الدُّعَاءِ فِي الْقُنُوتِ

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ إِسْرَائِيلَ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ بُرَيْدِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ عَنْ أَبِي الْحَوْرَاءِ عَنْ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ عَلَّمَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَلِمَاتٍ أَقُولُهُنَّ فِي الْقُنُوتِ فِي الْوِتْرِ فَذَكَرَ مِثْلَهُ

أخبرنا عبيد الله بن موسى عن إسرائيل عن أبي إسحق عن بريد بن أبي مريم عن أبي الحوراء عن الحسن بن علي رضي الله عنه قال علمني رسول الله صلى الله عليه وسلم كلمات أقولهن في القنوت في الوتر فذكر مثله

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ হাসান ইবনু আলী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)

 ১৬৩১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২১৪. কুনুতের দু’আ

১৬৩১. (অপর সনদে) হাসান ইবনু আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে কিছু (দু’আর) বাক্যাবলী শিখিয়েছিলেন, যেগুলো আমি বিতরের কুনুতে পড়ি। (তা হলো:) “আল্লাহুম্মা ইহদিনী ফী মান হাদাইতা, ওয়া ’আফিনী ফী মান ’আফাইতা, ওয়া তাওয়াল্লানী ফী মান তাওয়াল্লাইতা। ওয়া বারিক লী ফী মা আ’ত্বইতা, ওয়া ক্বিনী শারর মা ক্বযাইতা। ফাইন্নাকা তাক্বযী ওয়ালা ইয়্যূক্বযা আলাইকা। ওয়া ইন্নাহু লা ইয়াযিল্লু মান ওয়ালাইতা, তাবারকতা ওয়া তা’আলাইতা।”[1]

((অর্থ: হে আল্লাহ আপনি যাদেরকে হেদায়েত দান করেছেন, আমাকে তাদের সাথে হেদায়েত করুন। আপনি যাদেরকে নিরাপত্তা দান করেছেন, আমাকেও তাদের সাথে নিরাপত্তা দান করুন। আপনি যাদেরকে আপনার নৈকট্য দান করেছেন, আমাকেও তাদের সাথে আপনার নৈকট্য দান করুন। আর আপনি আমাকে যা দান করেছেন, তাতে বরকত দান করুন। আর আপনি যে (তাক্বদীর) নির্ধারণ করেছেন, তার অকল্যাণ থেকে আমাকে বাঁচান। আপনিই নির্ধারণ করেন, আপনার বিরুদ্ধে নির্ধারণ করা যায় না। আর নিশ্চয়ই আপনি যাকে নৈকট্য দান করেছেন, তাকে কেউ অপমানিত করতে পারে না। আর আপনি মহা বরকতময় এবং সর্বোচ্চ মহান।))

আবূ মুহাম্মদ বলেন, আবুল হাওরা’র নাম রবী’আ ইবনু শাইবান।

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি।

بَاب الدُّعَاءِ فِي الْقُنُوتِ

أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو الْأَحْوَصِ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ بُرَيْدِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ عَنْ أَبِي الْحَوْرَاءِ السَّعْدِيِّ عَنْ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ عَلَّمَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَلِمَاتٍ أَقُولُهُنَّ فِي قُنُوتِ الْوِتْرِ اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ فَإِنَّكَ تَقْضِي وَلَا يُقْضَى عَلَيْكَ وَإِنَّهُ لَا يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ تَبَارَكْتَ وَتَعَالَيْتَ قَالَ أَبُو مُحَمَّد أَبُو الْحَوْرَاءِ اسْمُهُ رَبِيعَةُ بْنُ شَيْبَانَ

أخبرنا يحيى بن حسان قال حدثني أبو الأحوص عن أبي إسحق عن بريد بن أبي مريم عن أبي الحوراء السعدي عن الحسن بن علي رضي الله عنه قال علمني رسول الله صلى الله عليه وسلم كلمات أقولهن في قنوت الوتر اللهم اهدني فيمن هديت وعافني فيمن عافيت وتولني فيمن توليت وبارك لي فيما أعطيت وقني شر ما قضيت فإنك تقضي ولا يقضى عليك وإنه لا يذل من واليت تباركت وتعاليت قال أبو محمد أبو الحوراء اسمه ربيعة بن شيبان

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ হাসান ইবনু আলী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)

 ১৬৩২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২১৫. বিতর সালাতের পরে দু’ রাকা’আত সালাত আদায় প্রসঙ্গে

১৬৩২. ছাওবান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “(রাত্রি) জাগরণ অতি কষ্টকর এবং অত্যন্ত ভারী। ফলে যখন তোমাদের কেউ বিতর আদায় করে, এরপর সে যেন দু’ রাকা’আত সালাত আদায় করে নেয়। এরপর যদি সে রাতে (সালাতে) দণ্ডায়মান হতে পারে, (তবে তো ভালো); নতুবা এ দু’ রাকা’আতই তার জন্য (যথেষ্ট) হবে।”[1]

আর বর্ণিত হয়েছে: هَذَا السَّفَرَ (এই সফর)। তবে আমি বলি: السَّهَرَ (রাত্রি জাগরণ)।

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৫৭৭; মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৬৮৩; মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৩০২১, ৩৫২৪ তে। ((ইহসান, ৪/১২২ নং ২৫৬৮; ইবনু খুযাইমা ২/১৫৯ নং ১১০৬; বাযযার ১/৩৩৩ নং ৬৯২; তাবারাণী, কাবীর ২/৯২ নং ১৪১০; বাইহাকী, সালাত ৩/৩৩; হাইছামী, মাজমাউয যাওয়াইদ ২/১৬৩ তিনি বলেন: এটি বাযযার বর্ণনা করেছেন, এতে লাইছের কাতিব আব্দুল্লাহ ইবনু সালিহ রয়েছে; তার দলীলযোগ্য হওয়ার ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে।… মুহাক্বিক্বের মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৬৮৩ নং এ টীকা হতে। -অনুবাদক))

بَاب فِي الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْوِتْرِ

أَخْبَرَنَا مَرْوَانُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ وَهْبٍ عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ عَنْ شُرَيْحِ بْنِ عُبَيْدٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ثَوْبَانَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ هَذَا السَّهَرَ جَهْدٌ وَثِقَلٌ فَإِذَا أَوْتَرَ أَحَدُكُمْ فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ فَإِنْ قَامَ مِنْ اللَّيْلِ وَإِلَّا كَانَتَا لَهُ

أخبرنا مروان عن عبد الله بن وهب عن معاوية بن صالح عن شريح بن عبيد عن عبد الرحمن بن جبير بن نفير عن أبيه عن ثوبان عن النبي صلى الله عليه وسلم قال إن هذا السهر جهد وثقل فإذا أوتر أحدكم فليركع ركعتين فإن قام من الليل وإلا كانتا له

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ সাওবান (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)

 ১৬৩৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২১৬. রুকূ’র পরে ‘কুনুত’ পাঠ করা

১৬৩৩. আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন; রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কারো বিপক্ষে বদদু’আ করার ইচ্ছা করতেন কিংবা কারো জন্য দু’আ করতে চাইতেন, তখন তিনি রুকূ’র পরে ’কুনুত’ পড়তেন। কখনো “সামি’আল্লাহু লিমান হামিদাহ, রব্বানা ওয়া লাকাল হামদু’” বলার পরেই তিনি (দু’আয়) বলতেন: ’’হে আল্লাহ্! ওয়ালীদ ইবনুল ওয়ালীদ, সালামাহ ইবনু হিশাম, আইয়াশ ইবনু আবূ রবীআ ও (মক্কা’র) অসহায় মু’মিনদের নাজাত (মুক্তি) দিন। হে আল্লাহ্! মুযার গোত্রের উপর আপনার পাকড়াও জোরদার করুন এবং তাদের উপর ইউসুফ (আ:) এর সময়কার দুর্ভিক্ষের মত দুর্ভিক্ষ দিন।’’ তিনি উচ্চ স্বরে এ দু’আ করতেন। আর তিনি আরবের গোত্রসমূহের মধ্য থেকে কোনো কোনো গোত্রের বিরুদ্ধে ফজরের সালাতে (দু’আ কুনুতে) বলতেন: “হে আল্লাহ! অমুক অমুকের উপর লা’নত বর্ষণ করুন।” ফলে আল্লাহ তা’আলা (এ আয়াত) নাযিল করলেন: [“এ কার্যে তোমার কোনোই কর্তৃত্ব নেই যে, তিনি তাদেরকে ক্ষমা করেন অথবা শাস্তি প্রদান করেন; কেননা, নিশ্চয়ই তারা অত্যাচারী।”][1] (সূরা: আলে ইমরান: ১২৮)

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

তাখরীজ: বুখারী, আযান ৭৯৭, দাওয়াত ৬৩৯৩; মুসলিম, মাসাজিদ ৬৭৫; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৮৭৩, ৫৯৯৫ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৯৭২, ১৯৮৩ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৯৬৮ তে।

بَاب فِي الْقُنُوتِ بَعْدَ الرُّكُوعِ

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ ابْنِ الْمُسَيَّبِ وَأَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَدْعُوَ عَلَى أَحَدٍ أَوْ يَدْعُوَ لِأَحَدٍ قَنَتَ بَعْدَ الرُّكُوعِ فَرُبَّمَا قَالَ إِذَا قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ اللَّهُمَّ أَنْجِ الْوَلِيدَ بْنَ الْوَلِيدِ وَسَلَمَةَ بْنَ هِشَامٍ وَعَيَّاشَ بْنَ أَبِي رَبِيعَةَ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنْ الْمُؤْمِنِينَ اللَّهُمَّ اشْدُدْ وَطْأَتَكَ عَلَى مُضَرَ وَاجْعَلْهَا سِنِينَ كَسِنِي يُوسُفَ وَيَجْهَرُ بِذَلِكَ يَقُولُ فِي بَعْضِ صَلَاتِهِ فِي صَلَاةِ الْفَجْرِ اللَّهُمَّ الْعَنْ فُلَانًا وَفُلَانًا لِحَيَّيْنِ مِنْ أَحْيَاءِ الْعَرَبِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى لَيْسَ لَكَ مِنْ الْأَمْرِ شَيْءٌ أَوْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ أَوْ يُعَذِّبَهُمْ فَإِنَّهُمْ ظَالِمُونَ

حدثنا يحيى بن حسان حدثنا إبراهيم بن سعد عن الزهري عن ابن المسيب وأبي سلمة بن عبد الرحمن عن أبي هريرة أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان إذا أراد أن يدعو على أحد أو يدعو لأحد قنت بعد الركوع فربما قال إذا قال سمع الله لمن حمده ربنا ولك الحمد اللهم أنج الوليد بن الوليد وسلمة بن هشام وعياش بن أبي ربيعة والمستضعفين من المؤمنين اللهم اشدد وطأتك على مضر واجعلها سنين كسني يوسف ويجهر بذلك يقول في بعض صلاته في صلاة الفجر اللهم العن فلانا وفلانا لحيين من أحياء العرب فأنزل الله تعالى ليس لك من الأمر شيء أو يتوب عليهم أو يعذبهم فإنهم ظالمون

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)

 ১৬৩৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২১৬. রুকূ’র পরে ‘কুনুত’ পাঠ করা

১৬৩৪. আসিম রাহি. বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে ’কুনুত’ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি উত্তরে বললেন: “(তা) রুকূ’র পূর্বে।” তিনি (আসিম) বলেন, আমি তাঁকে বললাম, অমুকের ধারণা, আপনি নাকি বলেছেন, (তা হচ্ছে) রুকূ’র পরে। তিনি বললেন, সে মিথ্যা বলেছে। এরপর তিনি হাদীস বর্ণনা করলেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম (ফজরের সালাতে) এক মাস ধরে রুকূ’র পরে কুনূত (-এ নাযেলা) পড়েছেন। আর এতে তিনি বনী সুলাইম গোত্রের বিরূদ্ধে বদদোয়া করেছিলেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

তাখরীজ: বুখারী, বিতর ১০০১, ১০০২, ১০০৩; মুসলিম, মাসাজিদ ৬৭৭; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৯২১, ৩০২৮, ৩০৫৭, ৩০৬৯, ৩০৮২, ৩০৯৬, ৩১১৫, ৩২৩১, ৩৯১৬, ৩৯৯৪, ৪০০০, ৪০২৬, ৪০৩১ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৯৭৩, ১৯৮২, ১৯৮৫ তে।

بَاب فِي الْقُنُوتِ بَعْدَ الرُّكُوعِ

أَخْبَرَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا ثَابِتُ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا عَاصِمٌ قَالَ سَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ عَنْ الْقُنُوتِ فَقَالَ قَبْلَ الرُّكُوعِ قَالَ فَقُلْتُ إِنَّ فُلَانًا زَعَمَ أَنَّكَ قُلْتَ بَعْدَ الرُّكُوعِ قَالَ كَذَبَ ثُمَّ حَدَّثَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَنَتَ شَهْرًا بَعْدَ الرُّكُوعِ يَدْعُو عَلَى حَيٍّ مِنْ بَنِي سُلَيْمٍ

أخبرنا أبو النعمان حدثنا ثابت بن يزيد حدثنا عاصم قال سألت أنس بن مالك عن القنوت فقال قبل الركوع قال فقلت إن فلانا زعم أنك قلت بعد الركوع قال كذب ثم حدث أن النبي صلى الله عليه وسلم قنت شهرا بعد الركوع يدعو على حي من بني سليم

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ মুগীরাহ (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)

 ১৬৩৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২১৬. রুকূ’র পরে ‘কুনুত’ পাঠ করা

১৬৩৫. বারা’আ ইবনু আযিব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকালের (ফজরের) সালাতে কুনূত (-এ নাযেলা) পড়তেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

তাখরীজ: মুসলিম, মাসাজিদ ৬৭৮; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৬৭৪ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৯৮০ তে।

بَاب فِي الْقُنُوتِ بَعْدَ الرُّكُوعِ

حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ عَنْ ابْنِ أَبِي لَيْلَى عَنْ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقْنُتُ فِي الصُّبْحِ

حدثنا أبو الوليد حدثنا شعبة عن عمرو بن مرة عن ابن أبي ليلى عن البراء بن عازب أن النبي صلى الله عليه وسلم كان يقنت في الصبح

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ বারা’আ ইবনু আযিব (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)

 ১৬৩৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২১৬. রুকূ’র পরে ‘কুনুত’ পাঠ করা

১৬৩৬. শু’বাহ হতে, তার সনদে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি। পরের হাদীসটিও দেখুন।

بَاب فِي الْقُنُوتِ بَعْدَ الرُّكُوعِ

حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ عَنْ شُعْبَةَ بِإِسْنَادِهِ نَحْوَهُ

حدثنا أبو نعيم عن شعبة بإسناده نحوه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ শু’বা (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)

 ১৬৩৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২১৬. রুকূ’র পরে ‘কুনুত’ পাঠ করা

১৬৩৭. মুহাম্মদ রাহি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আনাস ইবনু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে জিজ্ঞাসা করা হলো, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি সকালের (ফজরের) সালাতে কুনূত (-এ নাযেলা) পড়েছেন? তিনি উত্তরে বললেন: হাঁ। অতঃপর তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো, রুকূ’র পূর্বে না-কি রুকূ’র পরে? তিনি বললেন, রুকূ’র পরে সংক্ষিপ্তভাবে।

আবূ ‍মুহাম্মদ বলেন, আমিও এ মত পোষণ করি। আর একমাত্র যুদ্ধ ক্ষেত্রেই এটি অবলম্বন করা যায় (কুনূতে নাযেলা পড়া যায়) বলে আমি মনে করি।

بَاب فِي الْقُنُوتِ بَعْدَ الرُّكُوعِ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ مُحَمَّدٍ قَالَ سُئِلَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ أَقَنَتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي صَلَاةِ الصُّبْحِ قَالَ نَعَمْ فَقِيلَ لَهُ أَوَ قُلْتَ لَهُ قَبْلَ الرُّكُوعِ أَوْ بَعْدَ الرُّكُوعِ قَالَ بَعْدَ الرُّكُوعِ يَسِيرًا قَالَ أَبُو مُحَمَّد أَقُولُ بِهِ وَآخُذُ بِهِ وَلَا أَرَى أَنْ آخُذَ بِهِ إِلَّا فِي الْحَرْبِ

حدثنا مسدد حدثنا حماد بن زيد عن أيوب عن محمد قال سئل أنس بن مالك أقنت رسول الله صلى الله عليه وسلم في صلاة الصبح قال نعم فقيل له أو قلت له قبل الركوع أو بعد الركوع قال بعد الركوع يسيرا قال أبو محمد أقول به وآخذ به ولا أرى أن آخذ به إلا في الحرب

 হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ  বর্ণনাকারীঃ ইবনু সীরীন (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)

 ১৬৩৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২১৭. ঈদের দিন (সালাতের উদ্দেশ্যে) বের হওয়ার পূর্বে কিছু খাওয়া প্রসঙ্গে

১৬৩৮. আব্দুল্লাহ ইবনু বুরাইদার পিতা (বুরাইদা আল আসলামী) রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম (ঈদুল) ফিতরের দিন (সালাতের উদ্দেশ্যে) বের হওয়ার পূর্বে কিছু খেয়ে যেতেন আর কুরবানীর (ঈদের) দিন (ঈদের সালাত শেষ করে) ফিরে না আসা পর্যন্ত তিনি কিছু খেতেন না। এরপর ফিরে এসে তিনি তাঁর কুরবানীর গোশত থেকে খেতেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ উক্ববাহ’র যয়ীফ হওয়ার কারণে। তবে হাদীসটি সহীহ।

তাখরীজ: বুখারী, ঈদাইন ৯৫৩; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৮১২, ২৮১৩, ২৮১৪ তে।

بَاب فِي الْأَكْلِ قَبْلَ الْخُرُوجِ يَوْمَ الْعِيدِ

أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ الْأَصَمِّ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَطْعَمُ يَوْمَ الْفِطْرِ قَبْلَ أَنْ يَخْرُجَ وَكَانَ إِذَا كَانَ يَوْمُ النَّحْرِ لَمْ يَطْعَمْ حَتَّى يَرْجِعَ فَيَأْكُلَ مِنْ ذَبِيحَتِهِ

أخبرنا يحيى بن حسان حدثنا عقبة بن الأصم حدثنا عبد الله بن بريدة عن أبيه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يطعم يوم الفطر قبل أن يخرج وكان إذا كان يوم النحر لم يطعم حتى يرجع فيأكل من ذبيحته

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ বুরায়দাহ ইবনু হুসাইব আল-আসলামী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)

 ১৬৩৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২১৭. ঈদের দিন (সালাতের উদ্দেশ্যে) বের হওয়ার পূর্বে কিছু খাওয়া প্রসঙ্গে

১৬৩৯. আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর রাবীগণ বিশ্বস্ত; তবে ইবনু ইসহাক এটি ‘আন‘আন পদ্ধতিতে বর্ণনা করেছেন। আর তিনি হলেন মুদাল্লিস। তবে হাদীসটি সহীহ।

তাখরীজ: এটি আগের হাদীসের পুনরাবৃত্তি।

بَاب فِي الْأَكْلِ قَبْلَ الْخُرُوجِ يَوْمَ الْعِيدِ

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَقَ عَنْ حَفْصِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ أَنَسٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَحْوِهِ

حدثنا عمرو بن عون حدثنا هشيم عن محمد بن إسحق عن حفص بن عبيد الله عن أنس عن النبي صلى الله عليه وسلم بنحوه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)

 ১৬৪০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২১৮. দু’ ঈদের সালাতে কোনো আযান ও ইক্বামাত নেই এবং সালাত হবে খুতবার পূর্বে

১৬৪০. জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে এক ঈদের দিনের সালাতে উপস্থিত ছিলাম। তখন তিনি আযান ও ইকামাত ছাড়াই খুতবার পূর্বে সর্বপ্রথম সালাত আদায় করা আরম্ভ করলেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

তাখরীজ: বুখারী, ঈদাইন ৯৫৩; মুসলিম, সালাতুল ঈদাইন ৮৮৫; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৮১৯ ও মুসনাদুল মাউসিলী নং ২০৩৩ তে। সেখানকার টীকা দেখুন।

بَاب صَلَاةِ الْعِيدَيْنِ بِلَا أَذَانٍ وَلَا إِقَامَةٍ وَالصَّلَاةِ قَبْلَ الْخُطْبَةِ

أَخْبَرَنَا يَعْلَى حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ جَابِرٍ قَالَ شَهِدْتُ الصَّلَاةَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي يَوْمِ عِيدٍ فَبَدَأَ بِالصَّلَاةِ قَبْلَ الْخُطْبَةِ بِغَيْرِ أَذَانٍ وَلَا إِقَامَةٍ

أخبرنا يعلى حدثنا عبد الملك عن عطاء عن جابر قال شهدت الصلاة مع رسول الله صلى الله عليه وسلم في يوم عيد فبدأ بالصلاة قبل الخطبة بغير أذان ولا إقامة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)

 ১৬৪১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২১৮. দু’ ঈদের সালাতে কোনো আযান ও ইক্বামাত নেই এবং সালাত হবে খুতবার পূর্বে

১৬৪১. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লামের ব্যাপারে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তিনি ঈদের দিন খুতবার পূর্বে সর্বপ্রথম দু রাকা’আত সালাত দিয়ে শুরু করেন। এরপর তিনি খুতবা দেন। তারপর যখন তাঁর মনে হলো যে, মহিলারা তাঁর কথা শুনতে পাননি, তখন তিনি তাদের নিকট এলেন এবং তাদেরকে উপদেশ ‍দিলেন, নসীহত করলেন এবং তাদেরকে নির্দেশ দিলেন যে, তারা যেনো সাদাকা করে। সেই সময় বিলাল তার কাপড়ে তা সংগ্রহ করছিলেন। তখন এক এক করে মহিলাগণ তাদের আংটি ও যা ছিল তা-ই নিয়ে আসতে লাগলেন এবং সেগুলি বিলালের কাপড়ে ছুঁড়ে দিতে লাগলেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। এটি বুখারী ও মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন।

তাখরীজ: বুখারী, ঈলম ৯৮; মুসলিম, সালাতুল ঈদাইন ৮৮৪; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৮২৩, ২৮২৪ ও মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৫৭২ এবং মুসনাদুল হুমাইদী নং ৪৮২ তে।

بَاب صَلَاةِ الْعِيدَيْنِ بِلَا أَذَانٍ وَلَا إِقَامَةٍ وَالصَّلَاةِ قَبْلَ الْخُطْبَةِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنِي ابْنُ عُيَيْنَةَ حَدَّثَنِي أَيُّوبُ السَّخْتِيَانِيُّ قَالَ سَمِعْتُ عَطَاءً يَقُولُ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ يَقُولُ أَشْهَدُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ بَدَأَ بِالصَّلَاةِ قَبْلَ الْخُطْبَةِ يَوْمَ الْعِيدِ ثُمَّ خَطَبَ فَرَأَى أَنَّهُ لَمْ يُسْمِعْ النِّسَاءَ فَأَتَاهُنَّ فَذَكَّرَهُنَّ وَوَعَظَهُنَّ وَأَمَرَهُنَّ أَنْ يَتَصَدَّقْنَ وَبِلَالٌ قَابِضٌ بِثَوْبِهِ فَجَعَلَتْ الْمَرْأَةُ تَجِيءُ بِالْخُرْصِ وَالشَّيْءِ ثُمَّ تُلْقِيهِ فِي ثَوْبِ بِلَالٍ

حدثنا محمد بن يوسف حدثني ابن عيينة حدثني أيوب السختياني قال سمعت عطاء يقول سمعت ابن عباس يقول أشهد على رسول الله صلى الله عليه وسلم أنه بدأ بالصلاة قبل الخطبة يوم العيد ثم خطب فرأى أنه لم يسمع النساء فأتاهن فذكرهن ووعظهن وأمرهن أن يتصدقن وبلال قابض بثوبه فجعلت المرأة تجيء بالخرص والشيء ثم تلقيه في ثوب بلال

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)

 ১৬৪২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২১৮. দু’ ঈদের সালাতে কোনো আযান ও ইক্বামাত নেই এবং সালাত হবে খুতবার পূর্বে

১৬৪২. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে এবং (তারপরে) আবূ বকর, উমার ও উছমান (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম)-এর সাথে (ঈদের সালাতে) উপস্থিত থেকেছি। তারা সকলেই খুতবার পূর্বে ঈদের সালাত আদায় করেছেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। এটি বুখারী ও মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন।

তাখরীজ: বুখারী, ঈদাইন ৯৬২; মুসলিম, সালাতুল ঈদাইন ৮৮৪; আব্দুর রাযযাক নং ৬৫৩২; ইবনু হাযম, আল মুহাল্লা ৫/৫৮৮; পূর্ণ তাখরীজের জন্য পূর্বের ও পরের হাদীসটি দেখুন।

بَاب صَلَاةِ الْعِيدَيْنِ بِلَا أَذَانٍ وَلَا إِقَامَةٍ وَالصَّلَاةِ قَبْلَ الْخُطْبَةِ

أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُسْلِمٍ عَنْ طَاوُسٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ شَهِدْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ يُصَلُّونَ قَبْلَ الْخُطْبَةِ فِي الْعِيدِ

أخبرنا أبو عاصم عن ابن جريج أخبرنا الحسن بن مسلم عن طاوس عن ابن عباس قال شهدت النبي صلى الله عليه وسلم وأبا بكر وعمر وعثمان يصلون قبل الخطبة في العيد

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)

 ১৬৪৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২১৯. ঈদের সালাতের পূর্বেও কোনো সালাত নেই, আবার এর পরেও কোনো সালাত নেই

১৬৪৩. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতরের দিন (ঈদের সালাতের জন্য) বের হলেন, অতঃপর দু’ রাকা’আত সালাত আদায় করলেন। আর এর পূর্বেও তিনি কোনো সালাত আদায় করেননি এবং এর পরেও নয়।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। এটি বুখারী ও মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন।

তাখরীজ: বুখারী, ঈদাইন ৯৬৪; মুসলিম, সালাতুল ঈদাইন ৮৮৪ (১৩); পূর্বের হাদীসটি দেখুন। পূর্ণ তাখরীজের জন্য দেখুন সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৮১৮ টি।

بَاب لَا صَلَاةَ قَبْلَ الْعِيدِ وَلَا بَعْدَهَا

أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنِي عَدِيُّ بْنُ ثَابِتٍ قَالَ سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ يُحَدِّثُ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ يَوْمَ الْفِطْرِ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ وَلَمْ يُصَلِّ قَبْلَهَا وَلَا بَعْدَهَا قِيلَ لِأَبِي مُحَمَّدٍ تَقُولُ بِهَذَا قَالَ لِي وَأَوْمَأَ إِي نَعَمْ

أخبرنا أبو الوليد الطيالسي حدثنا شعبة حدثني عدي بن ثابت قال سمعت سعيد بن جبير يحدث عن ابن عباس أن النبي صلى الله عليه وسلم خرج يوم الفطر فصلى ركعتين ولم يصل قبلها ولا بعدها قيل لأبي محمد تقول بهذا قال لي وأومأ إي نعم

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)

 ১৬৪৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২২০. দু’ ঈদের সালাতে তাকবীর

১৬৪৪. আব্দুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ ইবনু আম্মারের দাদা (আম্মার বিন সা’দ) রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম দু’ ঈদের সালাতের প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাক’আতে পাঁচ তাকবীর দিতেন। আর তিনি খুতবার পূর্বেই সালাত আদায় করা শুরু করতেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ, আব্দুর রহমান ইবনু সা’দ যয়ীফ হওয়ার কারণে। আমি বলি: তবে এর শাহিদ হাদীস বর্ণিত আছে আব্দুল্লাহ ইবনু আমর, আয়িশা ও আমর ইবনু আওফ হতে, যা এর সনদকে শক্তিশালী করে। আল্লাহই ভাল জানেন।

তাখরীজ: ইবনু মাজাহ, ইকামাতিস সালাত ১২৭৭।

بَاب التَّكْبِيرِ فِي الْعِيدَيْنِ

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْحَجَّاجِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَعْدِ بْنِ عَمَّارِ بْنِ سَعْدٍ الْمُؤَذِّنِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمَّارٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُكَبِّرُ فِي الْعِيدَيْنِ فِي الْأُولَى سَبْعًا وَفِي الْأُخْرَى خَمْسًا وَكَانَ يَبْدَأُ بِالصَّلَاةِ قَبْلَ الْخُطْبَةِ

أخبرنا أحمد بن الحجاج عن عبد الرحمن بن سعد بن عمار بن سعد المؤذن عن عبد الله بن محمد بن عمار عن أبيه عن جده قال كان النبي صلى الله عليه وسلم يكبر في العيدين في الأولى سبعا وفي الأخرى خمسا وكان يبدأ بالصلاة قبل الخطبة

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)

 ১৬৪৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২২১. দু’ ঈদের সালাতের কিরা’আত

১৬৪৫. নূমান ইবন বাশীর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দু’ ঈদের সালাতে এবং জুমু’আর সালাতে [“সাব্বি হিসমা রব্বিকাল আ’লা”-(সূরা আ’লা:১)] এবং [“হাল আতাকা হাদীছুল গশিয়াহ।”] (সূরা গশিয়াহ:১)পাঠ করতেন । রাবী বলেন, কখনো এ দু’টি (ঈদ ও জুমু-আ) একই দিনে একত্রিত হয়ে পড়লে উক্ত সূরা দু-টি উভয় সালাতে পাঠ করতেন ।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

তাখরীজ: সহীহ মুসলিম, জুমু’আহ ৮৭৮ (৬৩); এটি গত হয়েছে ১৬০৯ (অনূবাদে ১৬০৬) নং এ, সেখানে দেখুন।এছাড়াও পূর্ণ তাখরীজের জন্য সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৮২১ দেখুন।

بَاب الْقِرَاءَةِ فِي الْعِيدَيْنِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْتَشِرِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ حَبِيبِ بْنِ سَالِمٍ عَنْ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرَأُ فِي الْعِيدَيْنِ وَالْجُمُعَةِ بِسَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى وَهَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ الْغَاشِيَةِ وَرُبَّمَا اجْتَمَعَا فَقَرَأَ بِهِمَا

أخبرنا محمد بن يوسف حدثنا سفيان عن إبراهيم بن محمد بن المنتشر عن أبيه عن حبيب بن سالم عن النعمان بن بشير قال كان النبي صلى الله عليه وسلم يقرأ في العيدين والجمعة بسبح اسم ربك الأعلى وهل أتاك حديث الغاشية وربما اجتمعا فقرأ بهما

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ নু’মান ইবনু বশীর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)

 ১৬৪৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২২২. সাওয়ারীর উপর খুতবা দান

১৬৪৬. ইবনু নুবাইত ইবনু আবী হিনদ থেকে তার পিতার সূত্রে অথবা, নুয়াইম ইবনু আবী হিন্দ থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার পিতা ও চাচার সাথে হাজ্জ করলাম। তখন আমার পিতা আমাকে বলেন, লাল উটের পিঠে আরোহনকারী এই ব্যক্তিকে দেখো! যিনি উটের পিঠে আরোহিত অবস্থায় খুতবাহ দিচ্ছেন, ইনিই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এ সনদের কতক অংশ সহীহ। সালামাহ ইবনু নুবাইত্ব সম্পর্কে বলা হয় যে, তিনি তার পিতা হতে কিছু শ্রবণ করেননি। তবে তিনি ‘ছিকাহ’ বা নির্ভরযোগ্য। এবং তিনি ‘এটি হাদ্দাছানা’ বলে বর্ণনা করেছেন। আর তিনি মুদাল্লিস হিসেবে অভিযুক্ত রাবী নন। সুতরাং “সালামাহ ইবনু নুবাইত্ব, তিনি আবী হিন্দ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি নুবাইত্ব থেকে” এ দ্বিতীয় সনদটি মুত্তাসিলের মধ্যে অতিরিক্ত। আল্লাহই ভাল জানেন।

তাখরীজ: আহমাদ ৪/৩০৫; ইবনু মাজাহ, ইকামাতিস সালাত ১২৮৬; নাসাঈ, মানাসিক ৫/২৫৩; বুখারী, তারীখূল কাবীর ৪/২/১৩৭; ইবনু কানি’, মু’জামুল সাহাবাহ ১১৪৪; আবূ দাউদ, মানাসিক ১৯১৬ জাহালতপূর্ণ সনদে; আবূ দাউদের সনদে ইবনু কাছীর, আল বিদা’আ ৫/১৭১।

بَاب الْخُطْبَةِ عَلَى الرَّاحِلَةِ

أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا سَلَمَةُ يَعْنِي ابْنَ نُبَيْطٍ حَدَّثَنِي أَبِي أَوْ نُعَيْمُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ عَنْ أَبِي قَالَ حَجَجْتُ مَعَ أَبِي وَعَمِّي فَقَالَ لِي أَبِي تَرَى ذَلِكَ صَاحِبَ الْجَمَلِ الْأَحْمَرِ الَّذِي يَخْطُبُ ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

أخبرنا أبو نعيم حدثنا سلمة يعني ابن نبيط حدثني أبي أو نعيم بن أبي هند عن أبي قال حججت مع أبي وعمي فقال لي أبي ترى ذلك صاحب الجمل الأحمر الذي يخطب ذلك رسول الله صلى الله عليه وسلم

 হাদিসের মানঃ সহিহ/যঈফ [মিশ্রিত]  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)

 ১৬৪৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২২৩. দু’ ঈদের সালাতের জন্য নারীদের বের হওয়া

১৬৪৭. উম্মে আতিয়্যা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, তিনি (নবী) সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- আমার পিতা তাঁর জন্য কুরবান হোন- আমাদেরকে ঈদুল ফিতরের দিন এবং কুরবানীর ঈদের সালাতের জন্য বের করতে আদেশ করেছেন। বয়স্কা ও পর্দানশীল নির্বিশেষে সবার জন্য এ আদেশ। তবে ঋতুমতী মহিলারা কাতার (ঈদের সালাত) হতে দূরে থাকবে কিন্তু ’কল্যাণ ও মুসলিমদের দু’আতে অংশগ্রহণ করবে।” আমি আরয করলাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ! যদি আমাদের কারো ওড়না থাকে না (সে কি করবে?) তিনি বললেন, “নিজের ওড়নার ভেতরে তার বোনকে নিয়ে (ওড়না পরিধানে) শরীক করবে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। এটি বুখারী ও মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন।

তাখরীজ: বুখারী, হায়েয ৩২৪; মুসলিম, সালাতুল ঈদাইন ৮৯০; ইবনু খুযাইমা নং ১৪৬৬; ইবনু আবী শাইবা ২/১৮২; বাইহাকী, ঈদাইন ৩/৩০৫, ৩০৬; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৮১৬, ২৮১৭ তে।

بَاب خُرُوجِ النِّسَاءِ فِي الْعِيدَيْنِ

أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ عَنْ هِشَامٍ عَنْ حَفْصَةَ عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ قَالَتْ أَمَرَنَا بِأَبِي هُوَ أَنْ نُخْرِجَ يَوْمَ الْفِطْرِ وَيَوْمَ النَّحْرِ الْعَوَاتِقَ وَذَوَاتِ الْخُدُورِ فَأَمَّا الْحُيَّضُ فَإِنَّهُنَّ يَعْتَزِلْنَ الصَّفَّ وَيَشْهَدْنَ الْخَيْرَ وَدَعْوَةَ الْمُسْلِمِينَ قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَإِنْ لَمْ يَكُنْ لِإِحْدَاهُنَّ الْجِلْبَابُ قَالَ تُلْبِسُهَا أُخْتُهَا مِنْ جِلْبَابِهَا

أخبرنا إبراهيم بن موسى حدثنا عبد العزيز بن عبد الصمد عن هشام عن حفصة عن أم عطية قالت أمرنا بأبي هو أن نخرج يوم الفطر ويوم النحر العواتق وذوات الخدور فأما الحيض فإنهن يعتزلن الصف ويشهدن الخير ودعوة المسلمين قالت قلت يا رسول الله فإن لم يكن لإحداهن الجلباب قال تلبسها أختها من جلبابها

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ উম্মু আতিয়্যাহ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)

 ১৬৪৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২২৪. ঈদের দিন সাদাকা করার জন্য অনুপ্রাণিত করা

১৬৪৮. জাবির ইবন আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে ঈদের দিন সালাতে উপস্থিত ছিলাম। তিনি খুতবার পূর্বে প্রথমে সালাত আরম্ভ করলেন। তারপর তিনি বিলালের গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়ালেন। এরপর মহিলাদের নিকট গেলেন এরপর তাদের উদ্দেশ্যে ওয়ায-নসীহত করলেন এবং তাদেরকে তাকওয়া অবলম্বনের নির্দেশ দিয়ে বললেন, “তোমরা সাদাকা কর।” এরপর তিনি তাদেরকে জাহান্নামের কোনো একটি বিষয় বর্ণনা করলেন। তখন মহিলাদের মধ্যে থেকে একজন মহিলা উঠে দাঁড়াল যার উভয় গালে কিছু কালো দাগ ছিল। সে বলল, ইয়া রাসুলুল্লাহ! তা কেন? তিনি বললেন, “তোমরা অধিক হারে অভিযোগ করে থাকো এবং লা’নত (অভিশাপ) দিয়ে থাকো এবং স্বামীদের উপকার অস্বীকার কর।” (রাবী বলেন), তখন মহিলাগণ সাদাকা স্বরূপ তাদের অলংকারাদি- তাদের কানের দুল, তাদের আংটি ইত্যাদি খুলে বিলাল (রাঃ) এর কাপড়ে ছুঁড়ে ফেলতে আরম্ভ করল।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

তাখরীজ: এটি সংক্ষিপ্ত আকারে ১৬৪৩ (অনূবাদে ১৬৩৯ ) নং এ গত হয়েছে। পূর্ণ তাখরীজ দেখুন সেখানে।

بَاب الْحَثِّ عَلَى الصَّدَقَةِ يَوْمَ الْعِيدِ

أَخْبَرَنَا يَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ جَابِرٍ قَالَ شَهِدْتُ الصَّلَاةَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي يَوْمِ عِيدٍ فَبَدَأَ بِالصَّلَاةِ قَبْلَ الْخُطْبَةِ ثُمَّ قَامَ مُتَوَكِّئًا عَلَى بِلَالٍ حَتَّى أَتَى النِّسَاءَ فَوَعَظَهُنَّ وَذَكَّرَهُنَّ وَأَمَرَهُنَّ بِتَقْوَى اللَّهِ قَالَ تَصَدَّقْنَ فَذَكَرَ شَيْئًا مِنْ أَمْرِ جَهَنَّمَ فَقَامَتْ امْرَأَةٌ مِنْ سَفِلَةِ النِّسَاءِ سَفْعَاءُ الْخَدَّيْنِ فَقَالَتْ لِمَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ لِأَنَّكُنَّ تُفْشِينَ الشَّكَاءَ وَاللَّعْنَ وَتَكْفُرْنَ الْعَشِيرَ فَجَعَلْنَ يَأْخُذْنَ مِنْ حُلِيِّهِنَّ وَأَقْرَاطِهِنَّ وَخَوَاتِيمِهِنَّ يَطْرَحْنَهُ فِي ثَوْبِ بِلَالٍ يَتَصَدَّقْنَ بِهِ

أخبرنا يعلى بن عبيد حدثنا عبد الملك عن عطاء عن جابر قال شهدت الصلاة مع رسول الله صلى الله عليه وسلم في يوم عيد فبدأ بالصلاة قبل الخطبة ثم قام متوكئا على بلال حتى أتى النساء فوعظهن وذكرهن وأمرهن بتقوى الله قال تصدقن فذكر شيئا من أمر جهنم فقامت امرأة من سفلة النساء سفعاء الخدين فقالت لم يا رسول الله قال لأنكن تفشين الشكاء واللعن وتكفرن العشير فجعلن يأخذن من حليهن وأقراطهن وخواتيمهن يطرحنه في ثوب بلال يتصدقن به

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)

 ১৬৪৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২২৪. ঈদের দিন সাদাকা করার জন্য অনুপ্রাণিত করা

১৬৪৯. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে এর অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

তাখরীজ: এটি ১৬৪৬ (অনূবাদে ১৬৪২ ) নং এ গত হয়েছে। দেখুন, সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৮১৮; মুসান্নাফ ইবনু আবী শাইবা ২/১৮৮।

بَاب الْحَثِّ عَلَى الصَّدَقَةِ يَوْمَ الْعِيدِ

أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَ هَذَا

أخبرنا أبو الوليد حدثنا شعبة عن عدي بن ثابت عن سعيد بن جبير عن ابن عباس عن النبي صلى الله عليه وسلم نحو هذا

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)

 ১৬৫০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২২৫. যখন দু’ ঈদ (তথা ঈদ ও জুমু’আ) একই দিনে একত্রিত হয়

১৬৫০. ইয়াস ইবনু আবী রামলা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু’র নিকট উপস্থিত ছিলাম। তিনি যাইদ ইবনু আরক্বাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কি এমন দিনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে উপস্থিত ছিলেন যেদিন একই দিনে দু’ঈদ (অর্থাৎ ঈদ ও জুম’আ) একত্রিত হয়েছিল? তিনি বললেন, হাঁ। তখন তিনি পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেন, সেদিন তিনি কী করেছিলেন? তিনি বলেন, তিনি ঈদের সালাত আদায় করেছিলেন এবং জুম’আর ব্যাপারে ছাড় দিয়েছিলেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন: “যে (জুমু’আর) সালাত আদায় করতে চায়, সে আদায় করুক, (যে না চায়, সে না করুক)।” [1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ জাইয়্যেদ (উত্তম)।

তাখরীজ: আল ফাসাওয়ী, আল মা’রিফাতু ওয়াত তারীখ ১/৩০৩; তার সূত্রে বাইহাকী, সালাতুল ঈদাইন ৩/৩১৭; তায়ালিসী, মানিহাতুল মা’বূদ ১/১৪৫-১৪৬ নং ৭০৪; তার সূত্রে তাহাবী, মুশকিলিল আছার ২/৫৩; আহমাদ ৪/৩৭২; ইবনু আবী শাইবা ২/১৮৮; আবূ দাউদ, সালাত ১০৭০; নাসাঈ, সালাতুল ঈদাইন ৩/১৯৪; ইবনু মাজাহ, ইকামাতিস সালাত ১৩১০; হাকিম, আল মুসতাদরাক ১/২৮৮; হাকিম বলেন: এ হাদীসের সনদ সহীহ যদিও তা তারা উভয়ে বর্ণনা করেননি।’ যাহাবী তার মত সমর্থন করেছেন।

আমরা বলছি: এর অনেকগুলি শাহিদ হাদীস রয়েছে, যা এক শক্তিশালী ও সহীহ পর্যায়ে উন্নীত করবে। আল্লাহই ভাল জানেন।

بَاب إِذَا اجْتَمَعَ عِيدَانِ فِي يَوْمٍ

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ إِسْرَائِيلَ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ عَنْ إِيَاسِ بْنِ أَبِي رَمْلَةَ قَالَ شَهِدْتُ مُعَاوِيَةَ يَسْأَلُ زَيْدَ بْنَ أَرْقَمَ أَشَهِدْتَ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِيدَيْنِ اجْتَمَعَا فِي يَوْمٍ قَالَ نَعَمْ قَالَ فَكَيْفَ صَنَعَ قَالَ صَلَّى الْعِيدَ ثُمَّ رَخَّصَ فِي الْجُمُعَةِ فَقَالَ مَنْ شَاءَ أَنْ يُصَلِّيَ فَلْيُصَلِّ

أخبرنا عبيد الله بن موسى عن إسرائيل عن عثمان بن المغيرة عن إياس بن أبي رملة قال شهدت معاوية يسأل زيد بن أرقم أشهدت مع النبي صلى الله عليه وسلم عيدين اجتمعا في يوم قال نعم قال فكيف صنع قال صلى العيد ثم رخص في الجمعة فقال من شاء أن يصلي فليصل

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)

 ১৬৫১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২২৬. ঈদের ময়দানে এক রাস্তা দিয়ে গমণ করা এবং তা ভিন্ন অন্য রাস্তা দিয়ে ফিরে আসা

১৬৫১. আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদের (মাঠের) উদ্দেশ্যে (এক রাস্তা দিয়ে) গমণ করেছিলেন আর অন্য রাস্তা দিয়ে ফিরে এসেছিলেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান।

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৮১৫; মাওয়ারিদুয যাম্’আন নং ৫৯২ তে। আর এর শাহিদ হাদীস জাবির রা: হতে বুখারী, ঈদাইন ৯৮৬ তে বর্ণিত হয়েছে।

((তিরমিযী, সালাত ৫৪১; হাকিম, আল মুসতাদরাক ১/২৯৬ হাকিম একে সহীহ বলেছেন, এবং যাহাবী তা সমর্থন করেছেন; আবূ দাউদ, সালাত ১১৫৬।- ফাওয়ায আহমেদের তাহক্বীক্বকৃত দারেমী নং ১৬১৩।-অনুবাদক))

بَاب الرُّجُوعِ مِنْ الْمُصَلَّى مِنْ غَيْرِ الطَّرِيقِ الَّذِي خَرَجَ مِنْهُ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّلْتِ حَدَّثَنَا فُلَيْحٌ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْحَارِثِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا خَرَجَ إِلَى الْعِيدِ رَجَعَ فِي طَرِيقٍ آخَرَ

أخبرنا محمد بن الصلت حدثنا فليح عن سعيد بن الحارث عن أبي هريرة أن النبي صلى الله عليه وسلم كان إذا خرج إلى العيد رجع في طريق آخر

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ২. সালাত অধ্যায় (كتاب الصلاة)