আহমদ মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] অধ্যায় ১ম ভাগ হাদিস নং ১ – ২০

পরিচ্ছেদঃ

১। আবু আবদুর রহমান আবদুল্লাহ ইবনে আহমাদ বিন মুহাম্মাদ বিন হাম্বল বলেনঃ আমাকে আমার পিতা আহমাদ বিন মুহাম্মাদ বিন হাম্বল বিন হিলাল বিন আসাদ তদীয় পুস্তক থেকে জানিয়েছেন এবং বলেছেনঃ আমাকে আবদুল্লাহ বিন নুমায়ের বলেছেন, আমাকে ইসমাঈল (অর্থাৎ খালিদের পিতা) কায়েস থেকে বর্ণনা করেছেন যে, একদিন আবু বাকর (রাঃ) জনসমক্ষে দাঁড়ালেন, আল্লাহর প্রশংসা করলেন, অতঃপর বললেনঃ হে জনগণ! তোমাদের মধ্যে যে কোন ব্যক্তি এ আয়াত পাঠ করে থাকেঃ

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا عَلَيْكُمْ أَنفُسَكُمْ لَا يَضُرُّكُم مَّن ضَلَّ إِذَا اهْتَدَيْتُمْ

অর্থাৎ “হে মুমিনগণ! তোমরা নিজেদের ব্যাপারে সাবধান হও। তোমরা নিজেরা যখন হিদায়াত লাভ করবে (সৎপথে চলবে) তখন যে ব্যক্তি বিপথগামী হয়েছে, সে তোমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না”। (মায়েদাঃ ১০৫)

কিন্তু আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ “লোকেরা যখন অন্যায় সংঘটিত হতে দেখবে, অথচ তার প্রতিরোধ করবে না, তখন অচিরেই আল্লাহ্ তাদের ওপর সর্বব্যাপী আযাব নাযিল করবেন।” (অর্থাৎ অন্যায়কারী ও অন্যায় সহ্যকারী-সকলেই সেই আযাবে নিপতিত হবে।) [১]

[১]. হুমায়দী, ইবনে আবি শায়বাহ আবদ বিন হুমাইদ, আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, বাযযার, মারওয়ায, আবু ইয়ালা, তাহাবী, ইবনে হিব্বান, বাইহাকী ও বাগাওয়ী নিজ নিজ হাদীস গ্রন্থে এবং আত্‌তাবারী তদীয় তাফসীরে এ হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন। এর সকল বর্ণনাকারী বিশ্বস্ত। অত্র মুসনাদেও ১৬, ২৯, ৩০ ও ৫৩ নং হাদীসে এর পুনরাবৃত্তি লক্ষণীয়।

حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَبْدُ اللهِ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلِ بْنِ هِلَالِ بْنِ أَسَدٍ، مِنْ كِتَابِهِ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ نُمَيْرٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ – يَعْنِي ابْنَ أَبِي خَالِدٍ – عَنْ قَيْسٍ، قَالَ: قَامَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَحَمِدَ اللهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّكُمْ تَقْرَؤونَ هَذِهِ الْآيَةَ: (يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا عَلَيْكُمْ أَنْفُسَكُمْ لَا يَضُرُّكُمْ مَنْ ضَلَّ إِذَا اهْتَدَيْتُمْ) [المائدة: ١٠٥] ، وَإِنَّا سَمِعْنَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: ” إِنَّ النَّاسَ إِذَا رَأَوْا الْمُنْكَرَ فَلَمْ يُغيِّرُوهُ، أَوْشَكَ أَنْ يَعُمَّهُمُ اللهُ بِعِقَابِهِ

إسناده صحيح على شرط الشيخين. قيس: هو ابن أبي حازم. وأخرجه ابن أبي شيبة ١٥ / ١٧٤ – ١٧٥، وعنه ابن ماجه (٤٠٠٥) ، والمروزي في ” مسند أبى بكر ” (٨٨) عن عبد الله بن نمير، بهذا الإسناد.

وأخرجه الحديدي (٣) ، وأبو داود (٤٣٣٨) ، والمروزي (٨٦) و (٨٧) ، والبزار (٦٥) ، وأبو يعلى (١٣٢) ، وابن حبان (٣٠٤) من طرق عن إسماعيل بن أبي خالد، به.

وسيأتي برقم (١٦) و (٢٩) و (٣٠) و (٥٣)

حدثنا أبو عبد الرحمن عبد الله بن أحمد بن محمد بن حنبل، قال: حدثني أبي أحمد بن محمد بن حنبل بن هلال بن أسد، من كتابه، قال: حدثنا عبد الله بن نمير، قال أخبرنا إسماعيل – يعني ابن أبي خالد – عن قيس، قال: قام أبو بكر رضي الله عنه فحمد الله وأثنى عليه، ثم قال: يا أيها الناس، إنكم تقرؤون هذه الآية: (يا أيها الذين آمنوا عليكم أنفسكم لا يضركم من ضل إذا اهتديتم) [المائدة: ١٠٥] ، وإنا سمعنا رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: ” إن الناس إذا رأوا المنكر فلم يغيروه، أوشك أن يعمهم الله بعقابه إسناده صحيح على شرط الشيخين. قيس: هو ابن أبي حازم. وأخرجه ابن أبي شيبة ١٥ / ١٧٤ – ١٧٥، وعنه ابن ماجه (٤٠٠٥) ، والمروزي في ” مسند أبى بكر ” (٨٨) عن عبد الله بن نمير، بهذا الإسناد. وأخرجه الحديدي (٣) ، وأبو داود (٤٣٣٨) ، والمروزي (٨٦) و (٨٧) ، والبزار (٦٥) ، وأبو يعلى (١٣٢) ، وابن حبان (٣٠٤) من طرق عن إسماعيل بن أبي خالد، به. وسيأتي برقم (١٦) و (٢٩) و (٣٠) و (٥٣)

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر)

 ২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية
  • English

পরিচ্ছেদঃ

২। আলী (রাঃ) বলেনঃ আমি যখন সরাসরি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট থেকে কোন হাদীস শুনতাম, তখন তা দ্বারা আল্লাহ আমাকে যতটা ইচ্ছা উপকৃত করতেন। আর যখন অন্য কেউ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছ থেকে শ্রুত কোন হাদীস আমাকে জানাতো, তখন আমি তার কাছ থেকে শপথ নিতাম (যে, সে সত্যই নিজ কানে হাদীসটি হুবহু শুনেছে কিনা) যখন সে শপথ করতো, কেবল তখনই আমি তাকে বিশ্বাস করতাম। আবু বাকর আমাকে একটা হাদীস শুনিয়েছেন এবং তিনি সত্যই বলেছেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেনঃ যখন কোন ব্যক্তি কোন গুনাহর কাজ করে, তার অব্যবহিত পর খুব ভালভাবে ওযূ করে, (মিসয়ারের বর্ণনা মুতাবিক, অতঃপর নামায পড়ে, সুফিয়ানের বর্ণনা মুতাবিক, অতঃপর দুরাক’আত নামায পড়ে) অতঃপর মহান আল্লাহর নিকট ক্ষমা চায়, তখন অবশ্যই আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন।[১]

[১] তায়ালিসী, হুমাইদী, ইবনে আবী শাইবা, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ, বাযযার, আবু ইয়ালা, আত-তাবারী, উকাইলী, মারওয়াযী, ইবনু হিব্বান, তাবারানী, তুম্মাম, আবু নাঈম, বাগাওয়ী ও ইবনে আবি হাতেম নিজ নিজ হাদীস গ্রন্থে এ হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন। মুসনাদে আহমাদেও ৪৭ ও ৪৮ নং হাদীসে এর পুনরাবৃত্তি হয়েছে।

حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، قَالَ حَدَّثَنَا مِسْعَرٌ وَسُفْيَانُ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ الثَّقَفِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ رَبِيعَةَ الْوَالِبِيِّ، عَنْ أَسْمَاءَ بْنِ الْحَكَمِ الْفَزَارِيِّ

عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، قَالَ: كُنْتُ إِذَا سَمِعْتُ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدِيثًا نَفَعَنِي اللهُ بِمَا شَاءَ مِنْهُ، وَإِذَا حَدَّثَنِي عَنْهُ غَيْرِي اسْتَحْلَفْتُهُ، فَإِذَا حَلَفَ لِي صَدَّقْتُهُ، وَإِنَّ أَبَا بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ حَدَّثَنِي – وَصَدَقَ أَبُو بَكْرٍ – أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” مَا مِنْ رَجُلٍ يُذْنِبُ ذَنْبًا فَيَتَوَضَّأُ فَيُحْسِنُ الْوُضُوءَ، قَالَ مِسْعَرٌ: وَيُصَلِّي، وَقَالَ سُفْيَانُ: ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ، فَيَسْتَغْفِرُ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ إِلَّا غُفَرَ لَهُ

إسناده صحيح

أخرجه الحميدي (٤) ، وابن أبي شيبة ٢ / ٣٨٧، وعنه ابن ماجه (١٣٩٥) ، والمروزي (٩) عن وكيع، بهذا الإسناد

وأخرجه ابن ماجه (١٣٩٥) ، والمروزي (٩) ، والبزار (٩) ، وأبو يعلى (١٢) ، والطبري ٤ / ٩٦ من طرق عن وكيع، به

وأخرجه الحميدي (١) ، والنسائي في ” عمل اليوم والليلة ” (٤١٥) ، والطبراني في ” الدعاء ” (١٨٤٢) من طرق عن مسعر، به

حدثنا وكيع، قال حدثنا مسعر وسفيان، عن عثمان بن المغيرة الثقفي، عن علي بن ربيعة الوالبي، عن أسماء بن الحكم الفزاري عن علي رضي الله عنه، قال: كنت إذا سمعت من رسول الله صلى الله عليه وسلم حديثا نفعني الله بما شاء منه، وإذا حدثني عنه غيري استحلفته، فإذا حلف لي صدقته، وإن أبا بكر رضي الله عنه حدثني – وصدق أبو بكر – أنه سمع النبي صلى الله عليه وسلم قال: ” ما من رجل يذنب ذنبا فيتوضأ فيحسن الوضوء، قال مسعر: ويصلي، وقال سفيان: ثم يصلي ركعتين، فيستغفر الله عز وجل إلا غفر له إسناده صحيح أخرجه الحميدي (٤) ، وابن أبي شيبة ٢ / ٣٨٧، وعنه ابن ماجه (١٣٩٥) ، والمروزي (٩) عن وكيع، بهذا الإسناد وأخرجه ابن ماجه (١٣٩٥) ، والمروزي (٩) ، والبزار (٩) ، وأبو يعلى (١٢) ، والطبري ٤ / ٩٦ من طرق عن وكيع، به وأخرجه الحميدي (١) ، والنسائي في ” عمل اليوم والليلة ” (٤١٥) ، والطبراني في ” الدعاء ” (١٨٤٢) من طرق عن مسعر، به

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر)

 ৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية
  • English

পরিচ্ছেদঃ

৩। বারা ইবন আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার হযরত আবু বাকর আযিবের কাছ থেকে তেরো দিরহাম দিয়ে একটি জিন (উট বা ঘোড়ার পিঠে বসার কাঠ নির্মিত আসন) কিনলেন। অতঃপর আবু বাকর (রাঃ) আযিব (রাঃ) কে বললেন, বারাকে আদেশ দাও সে যেন জিনটি আমার বাড়িতে পৌছিয়ে দেয়। আযিব বললেনঃ না, আপনি যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সাথে নিয়ে (মদীনা অভিমুখে হিজরত করতে) বের হয়েছিলেন, তখনকার ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ আমাকে না বলা পর্যন্ত আমি বারাকে জিন পৌছে দিতে আদেশ দেব না। তখন আবু বাকর নিম্নরূপ বিবরণ দিলেনঃ

“আমরা রাতের অন্ধকারে বাড়ি থেকে বের হলাম। পুরো একদিন ও একরাত বাহক জন্তুটিকে দ্রুত গতিতে চালাতে লাগলাম। যখন দুপুর হলো, চারদিকে তাকিয়ে খুঁজতে লাগলাম, কোথাও একটু ছায়া পাওয়া যায় কিনা যার নিচে আমরা আশ্রয় নিতে পারি। একটু পরে একটা ছোট পাহাড় দেখেই সেদিকে ছুটে গেলাম। দেখলাম তার ছায়ার কিছু অংশ অবশিষ্ট আছে। তাই আমি সেই ছায়াটুকুতেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অবস্থানের ব্যবস্থা করলাম এবং একটি পশুর চামড়া তাঁকে বিছিয়ে দিলাম। তারপর আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি এখানে শুয়ে পড়ুন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুয়ে পড়লেন। এরপর আমি বেরিয়ে এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখতে লাগলাম, আমাদের তালাশ করছে এমন কাউকে দেখা যায় কিনা।

সহসা দেখলাম, আমার কাছেই একজন রাখাল। আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে কিশোর, তুমি কার মেষপাল চরাও? সে বললোঃ কুরাইশের এক ব্যক্তির। সে ঐ ব্যক্তির নাম বললো এবং আমি তাকে চিনলাম। আমি বললামঃ তোমার মেষপালে কি দুধ আছে? সে বললোঃ আছে। আমি বললামঃ তুমি কি আমার জন্য একটু দুধ দুইয়ে দেবে? সে বললোঃ দেব। অতঃপর আমি তাকে একটা ছাগল বাঁধতে আদেশ দিলে সে একটা ছাগল বাঁধলো। তারপর আমি তার স্তন থেকে ধুলো মুছতে আদেশ দিলে সে তা মুছে ফেললো। তারপর আমি বললামঃ তোমার দুই হাতের তালুর ধুলো মুছে ফেল। সে মুছে ফেললো। আমার কাছে একটা পাত্র ছিল- যার মুখ ন্যাকড়া দিয়ে ঢাকা ছিল। রাখাল আমার জন্য বেশ খানিকটা দুধ দোহালো। অতঃপর আমি পেয়ালায় পানি ঢেলে তার তলা ঠাণ্ডা করলাম। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এলাম এবং তাকে জাগ্রত অবস্থায় পেলাম। বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! দুধ পান করুন। তিনি পান করলেন এবং তা দেখে আমি তৃপ্তি বোধ করলাম।

তারপর বললামঃ এখন কি রওনা হবার সময় হয়েছে? অতঃপর আমরা রওনা হলাম। তখনো কুরাইশের লোকেরা আমাদের তালাশ করছিল। তাদের মধ্য থেকে একজন ঘোড় সওয়ার সুরাকা ইবনে মালিক আমাদেরকে দেখে ফেললো। আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, ঐ যে একজন সন্ধানকারী আমাদের সন্ধান পেয়ে গেছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ দুশ্চিন্তা করো না। আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন। সুরাকা আমাদের দিকে আরো এগিয়ে এল এবং এত কাছে এল যে, আমাদেরও তার মধ্যে একটা, দুইটা বা তিনটে বর্শার ব্যবধান ছিল। আমি আবার বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! এই যে সন্ধানকারীরা আমাদের সন্ধান পেয়ে গেছে। আমি কেঁদে ফেললাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ কাঁদছ কেন? আমি বললামঃ আল্লাহর কসম! আমি নিজের জন্য কাঁদছিনা। আমি শুধু আপনার জন্য কাঁদছি। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুরাকার বিরুদ্ধে এই বলে বদদেয়া করলেন-اللهُمَّ اكْفِنَاهُ بِمَا شِئْتَ “হে আল্লাহ, তুমি যেভাবে চাও, ওকে প্রতিহত করতে যথেষ্ট হয়ে যাও।”

সঙ্গে সঙ্গে তার ঘোড়ার পাগুলো কঠিন মাটিতে তার পেট পর্যন্ত দেবে গেল। সুরাকা তার পিঠের ওপর থেকে লাফ দিয়ে নেমে পড়লো। অতঃপর সে বললোঃ হে মুহাম্মাদ, আমি বুঝেছি, এটা তোমার কাজ। সুতরাং তুমি আল্লাহর কাছে দু’আ কর। যেন আমি যে দুর্দশায় পতিত হয়েছি, তা থেকে তিনি আমাকে নিষ্কৃতি দেন। আল্লাহর কসম! আমার পেছনে অন্য যারা তোমার অনুসন্ধান করছে, তাদের কাউকে আমি তোমাদের খবর জানাবো না। এই যে আমার তীর ধনুক। এখান থেকে একটা তীর নিয়ে নাও। তুমি অমুক জায়গা দিয়ে যাওয়ার সময় আমার উট ও মেষপাল পাবে। সেখান থেকে যে কটা দরকার নিয়ে নিও। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ওগুলোর আমার প্রয়োজন নেই।

এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুরাকার জন্য দু’আ করলেন। সে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে পেল এবং তার দলবলের কাছে ফিরে গেল। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চলতে লাগলেন। আমিও তার সাথে চলতে লাগলাম। অবশেষে মদীনায় পৌছলাম। মদীনাবাসী রাস্তায় নেমে এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অভ্যর্থনা জানালো। রাস্তায় শিশু কিশোররা প্রবল ভীড় জমিয়ে ধ্বনি তুললোঃ “আল্লাহু আকবার, রাসূলুল্লাহ এসেছেন, মুহাম্মাদ এসেছেন”। এরপর মদীনাবাসী প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে গেল কে আগে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মেহমানদারী করবে তা নিয়ে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন- আজকের রাতটা আবদুল মুত্তালিবের মামাবাড়ি বনু নাজ্জারদের বাড়িতে কাটিয়ে তাদেরকে সম্মানিত করবো। পরদিন সকালে যে দিকে আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্দেশ পেলেন সেদিকে রওনা হলেন।

বারা বিন আযিব বলেনঃ আমাদের কাছে প্রথম হিজরত করে যিনি এলেন, তিনি ছিলেন বনু আবদুদ্দারের মুসয়াব বিন উমাইর। তারপর বনু ফিহরের অন্ধ ইবনে উম্মে মাকতুম। তারপর বিশজন আরোহীসহ উমার ইবনুল খাত্তাব। আমরা উমারকে জিজ্ঞেস করলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোথায়? তিনি বললেন, তিনি আমার পরে আসছেন। এরপরই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আবু বাকর এলেন, তখন আমি কয়েকটি লম্বা সূরা মুখস্থ করে ফেলেছি। বর্ণনাকারী ইসরাইল বলেছেনঃ বারা ছিলেন বনু হারেসা নামক আনসার গোত্রের লোক।

[বুখারী, ৩৬১৫, মুসলিম, ২০০৯, ইবনু হিব্বান ২৬৮১, বুখারী এটিকে সহীহ সাব্যস্ত করেছেন।]

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مُحَمَّدٍ أَبُو سَعِيدٍ – يَعْنِي الْعَنْقَزِيَّ – قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ

عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ: اشْتَرَى أَبُو بَكْرٍ مِنْ عَازِبٍ سَرْجًا بِثَلاثَةَ عَشَرَ دِرْهَمًا. قَالَ: فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ لِعَازِبٍ: مُرِ الْبَرَاءَ فَلْيَحْمِلْهُ إِلَى مَنْزِلِي، فَقَالَ: لَا، حَتَّى تُحَدِّثَنَا كَيْفَ صَنَعْتَ حِينَ خَرَجَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنْتَ مَعَهُ؟

قَالَ: فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: خَرَجْنَا فَأَدْلَجْنَا، فَأَحْثَثْنَا يَوْمَنَا وَلَيْلَتَنَا، حَتَّى أَظْهَرْنَا، وَقَامَ قَائِمُ الظَّهِيرَةِ، فَضَرَبْتُ بِبَصَرِي: هَلْ أَرَى ظِلًّا نَأْوِي إِلَيْهِ؟ فَإِذَا أَنَا بِصَخْرَةٍ، فَأَهْوَيْتُ إِلَيْهَا فَإِذَا بَقِيَّةُ ظِلِّهَا، فَسَوَّيْتُهُ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَفَرَشْتُ لَهُ فَرْوَةً، وَقُلْتُ: اضْطَجِعْ يَا رَسُولَ اللهِ، فَاضْطَجَعَ، ثُمَّ خَرَجْتُ أَنْظُرُ: هَلْ أَرَى أَحَدًا مِنَ الطَّلَبِ؟ فَإِذَا أَنَا بِرَاعِي غَنَمٍ، فَقُلْتُ: لِمَنْ أَنْتَ يَا غُلامُ؟ فَقَالَ: لِرَجُلٍ مِنْ قُرَيْشٍ. فَسَمَّاهُ فَعَرَفْتُهُ، فَقُلْتُ: هَلْ فِي غَنَمِكَ مِنْ لَبَنٍ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: قُلْتُ: هَلْ أَنْتَ حَالِبٌ لِي؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَأَمَرْتُهُ فَاعْتَقَلَ شَاةً مِنْهَا، ثُمَّ أَمَرْتُهُ فَنَفَضَ ضَرْعَهَا مِنَ الْغُبَارِ، ثُمَّ أَمَرْتُهُ فَنَفَضَ كَفَّيْهِ مِنَ الْغُبَارِ، وَمَعِي إِدَاوَةٌ عَلَى فَمِهَا خِرْقَةٌ، فَحَلَبَ لِي كُثْبَةً مِنَ اللَّبَنِ، فَصَبَبْتُ عَلَى الْقَدَحِ حَتَّى بَرَدَ أَسْفَلُهُ، ثُمَّ أَتَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

فَوَافَيْتُهُ وَقَدِ اسْتَيْقَظَ، فَقُلْتُ: اشْرَبْ يَا رَسُولَ اللهِ. فَشَرِبَ حَتَّى رَضِيتُ، ثُمَّ قُلْتُ: هَلْ أَنَى الرَّحِيلُ قَالَ: فَارْتَحَلْنَا، وَالْقَوْمُ يَطْلُبُونَا، فَلَمْ يُدْرِكْنَا أَحَدٌ مِنْهُمْ إِلَّا سُرَاقَةُ بْنُ مَالِكِ بْنِ جُعْشُمٍ عَلَى فَرَسٍ لَهُ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ، هَذَا الطَّلَبُ قَدْ لَحِقَنَا. فَقَالَ: ” لَا تَحْزَنْ إِنَّ اللهَ مَعَنَا ” حَتَّى إِذَا دَنَا مِنَّا فَكَانَ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُ قَدْرُ رُمْحٍ أَوْ رُمْحَيْنِ أَوْ ثَلاثَةٍ، قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ، هَذَا الطَّلَبُ قَدْ لَحِقَنَا. وَبَكَيْتُ، قَالَ: ” لِمَ تَبْكِي؟ ” قَالَ: قُلْتُ: أَمَا وَاللهِ مَا عَلَى نَفْسِي أَبْكِي، وَلَكِنْ أَبْكِي عَلَيْكَ. قَالَ: فَدَعَا عَلَيْهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: ” اللهُمَّ اكْفِنَاهُ بِمَا شِئْتَ “. فَسَاخَتْ قَوَائِمُ فَرَسِهِ إِلَى بَطْنِهَا فِي أَرْضٍ صَلْدٍ، وَوَثَبَ عَنْهَا، وَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، قَدْ عَلِمْتُ أَنَّ هَذَا عَمَلُكَ، فَادْعُ اللهَ أَنْ يُنْجِّيَنِي مِمَّا أَنَا فِيهِ، فَوَاللهِ لَأُعَمِّيَنَّ عَلَى مَنْ وَرَائِي مِنَ الطَّلَبِ، وَهَذِهِ كِنَانَتِي فَخُذْ مِنْهَا سَهْمًا، فَإِنَّكَ سَتَمُرُّ بِإِبِلِي وَغَنَمِي فِي مَوْضِعِ كَذَا وَكَذَا، فَخُذْ مِنْهَا حَاجَتَكَ. قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” لَا حَاجَةَ لِي فِيهَا “. قَالَ: وَدَعَا لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأُطْلِقَ، فَرَجَعَ إِلَى أَصْحَابِه

وَمَضَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنَا مَعَهُ حَتَّى قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ، فَتَلَقَّاهُ النَّاسُ، فَخَرَجُوا فِي الطَّرِيقِ، وَعَلَى الْأَجَاجِيرِ، فَاشْتَدَّ الْخَدَمُ وَالصِّبْيَانُ فِي الطَّرِيقِ يَقُولُونَ: اللهُ أَكْبَرُ، جَاءَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، جَاءَ مُحَمَّدٌ. قَالَ: وَتَنَازَعَ الْقَوْمُ أَيُّهُمْ يَنْزِلُ عَلَيْهِ، قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” أَنْزِلُ اللَّيْلَةَ عَلَى بَنِي النَّجَّارِ، أَخْوَالِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، لِأُكْرِمَهُمْ بِذَلِكَ ” فَلَمَّا أَصْبَحَ غَدَا حَيْثُ أُمِرَ

قَالَ الْبَرَاءُ بْنُ عَازِبٍ: أَوَّلُ مَنْ كَانَ قَدِمَ عَلَيْنَا مِنَ الْمُهَاجِرِينَ مُصْعَبُ بْنُ عُمَيْرٍ أَخُو بَنِي عَبْدِ الدَّارِ، ثُمَّ قَدِمَ عَلَيْنَا ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ الْأَعْمَى أَخُو بَنِي فِهْرٍ، ثُمَّ قَدِمَ عَلَيْنَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فِي عِشْرِينَ رَاكِبًا، فَقُلْنَا مَا فَعَلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالَ: هُوَ عَلَى أَثَرِي، ثُمَّ قَدِمَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ مَعَهُ

قَالَ الْبَرَاءُ: وَلَمْ يَقْدَمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى قَرَأْتُ سُوَرًا مِنَ الْمُفَصَّلِ، قَالَ إِسْرَائِيلُ: وَكَانَ الْبَرَاءُ مِنَ الْأَنْصَارِ مِنْ بَنِي حَارِثَةَ

إسناده صحيح على شرط مسلم، رجاله ثقات رجال الشيخين غير عمرو بن محمد العنقزي، فمن رجال مسلم

إسرائيل: هو ابن يونس بن أبي إسحاق السَّبيعي، وسماعه من جده أبي إسحاق – عمرو بن عبد الله – في غاية الإتقان للزومه إياه، وكان خصِّيصاً به. قاله الحافظ ابن حجر في ” الفتح ” ١ / ٣٥١

أخرجه ابن أبي شيبة ١٤ / ٣٢٧ – ٣٣٠، والبخاري (٣٦١٥) و (٣٦٥٢) ومسلم ٤ / ٢٣١٠

حدثنا عمرو بن محمد أبو سعيد – يعني العنقزي – قال: حدثنا إسرائيل، عن أبي إسحاق عن البراء بن عازب، قال: اشترى أبو بكر من عازب سرجا بثلاثة عشر درهما. قال: فقال أبو بكر لعازب: مر البراء فليحمله إلى منزلي، فقال: لا، حتى تحدثنا كيف صنعت حين خرج رسول الله صلى الله عليه وسلم، وأنت معه؟ قال: فقال أبو بكر: خرجنا فأدلجنا، فأحثثنا يومنا وليلتنا، حتى أظهرنا، وقام قائم الظهيرة، فضربت ببصري: هل أرى ظلا نأوي إليه؟ فإذا أنا بصخرة، فأهويت إليها فإذا بقية ظلها، فسويته لرسول الله صلى الله عليه وسلم، وفرشت له فروة، وقلت: اضطجع يا رسول الله، فاضطجع، ثم خرجت أنظر: هل أرى أحدا من الطلب؟ فإذا أنا براعي غنم، فقلت: لمن أنت يا غلام؟ فقال: لرجل من قريش. فسماه فعرفته، فقلت: هل في غنمك من لبن؟ قال: نعم. قال: قلت: هل أنت حالب لي؟ قال: نعم. قال: فأمرته فاعتقل شاة منها، ثم أمرته فنفض ضرعها من الغبار، ثم أمرته فنفض كفيه من الغبار، ومعي إداوة على فمها خرقة، فحلب لي كثبة من اللبن، فصببت على القدح حتى برد أسفله، ثم أتيت رسول الله صلى الله عليه وسلم فوافيته وقد استيقظ، فقلت: اشرب يا رسول الله. فشرب حتى رضيت، ثم قلت: هل أنى الرحيل قال: فارتحلنا، والقوم يطلبونا، فلم يدركنا أحد منهم إلا سراقة بن مالك بن جعشم على فرس له، فقلت: يا رسول الله، هذا الطلب قد لحقنا. فقال: ” لا تحزن إن الله معنا ” حتى إذا دنا منا فكان بيننا وبينه قدر رمح أو رمحين أو ثلاثة، قال: قلت: يا رسول الله، هذا الطلب قد لحقنا. وبكيت، قال: ” لم تبكي؟ ” قال: قلت: أما والله ما على نفسي أبكي، ولكن أبكي عليك. قال: فدعا عليه رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال: ” اللهم اكفناه بما شئت “. فساخت قوائم فرسه إلى بطنها في أرض صلد، ووثب عنها، وقال: يا محمد، قد علمت أن هذا عملك، فادع الله أن ينجيني مما أنا فيه، فوالله لأعمين على من ورائي من الطلب، وهذه كنانتي فخذ منها سهما، فإنك ستمر بإبلي وغنمي في موضع كذا وكذا، فخذ منها حاجتك. قال: فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ” لا حاجة لي فيها “. قال: ودعا له رسول الله صلى الله عليه وسلم، فأطلق، فرجع إلى أصحابه ومضى رسول الله صلى الله عليه وسلم، وأنا معه حتى قدمنا المدينة، فتلقاه الناس، فخرجوا في الطريق، وعلى الأجاجير، فاشتد الخدم والصبيان في الطريق يقولون: الله أكبر، جاء رسول الله صلى الله عليه وسلم، جاء محمد. قال: وتنازع القوم أيهم ينزل عليه، قال: فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ” أنزل الليلة على بني النجار، أخوال عبد المطلب، لأكرمهم بذلك ” فلما أصبح غدا حيث أمر قال البراء بن عازب: أول من كان قدم علينا من المهاجرين مصعب بن عمير أخو بني عبد الدار، ثم قدم علينا ابن أم مكتوم الأعمى أخو بني فهر، ثم قدم علينا عمر بن الخطاب في عشرين راكبا، فقلنا ما فعل رسول الله صلى الله عليه وسلم؟ فقال: هو على أثري، ثم قدم رسول الله صلى الله عليه وسلم وأبو بكر معه قال البراء: ولم يقدم رسول الله صلى الله عليه وسلم حتى قرأت سورا من المفصل، قال إسرائيل: وكان البراء من الأنصار من بني حارثة إسناده صحيح على شرط مسلم، رجاله ثقات رجال الشيخين غير عمرو بن محمد العنقزي، فمن رجال مسلم إسرائيل: هو ابن يونس بن أبي إسحاق السبيعي، وسماعه من جده أبي إسحاق – عمرو بن عبد الله – في غاية الإتقان للزومه إياه، وكان خصيصا به. قاله الحافظ ابن حجر في ” الفتح ” ١ / ٣٥١ أخرجه ابن أبي شيبة ١٤ / ٣٢٧ – ٣٣٠، والبخاري (٣٦١٥) و (٣٦٥٢) ومسلم ٤ / ٢٣١٠

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر)

 ৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية
  • English

পরিচ্ছেদঃ

৪। যায়িদ বিন ইউসাই হযরত আবু বকর (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে মক্কাবাসীর সাথে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা দেয়ার উদ্দেশ্যে প্রেরণ করলেন। সেই সাথে তাকে এ ঘোষণা দিতেও আদেশ দেন যে, এ বছরের (৯ম হিজরীর অর্থাৎ বিদায় হজ্জের পূর্ববর্তী বছরের) পর আর কোন মুশরিক হজ্জ করতে পারবে না। আর কোন নগ্ন ব্যক্তি পবিত্র কাবা ঘরের তাওয়াফ করতে পারবে না। মুসলিম ব্যক্তি ব্যতীত কেউ জান্নাতে যাবে না, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে যার কোন নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত নিরাপত্তার চুক্তি হয়েছে, তার চুক্তি সেই মেয়াদ পর্যন্ত বহাল থাকবে। অতঃপর আল্লাহ ও তার রাসূলের মুশরিকদের সাথে কোন সম্পর্ক থাকবে না। এই ঘোষণা দেয়ার জন্য হযরত আবু বকরের রওনা হয়ে যাওয়ার পর তিন দিন অতিবাহিত হলো। অতঃপর তিনি আলী (রাঃ) কে বললেন, তুমি গিয়ে আবু বাকরের সাথে মিলিত হও। তাকে আমার কাছে ফেরত পাঠাও এবং এ ঘোষণাগুলো তুমি নিজে দাও।

আলী (রাঃ) তাই করলেন। অতঃপর আবু বাকর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে ফিরে এসেই কাঁদতে লাগলেন এবং বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার দ্বারা কি কিছু ঘটেছে? (অর্থাৎ কোন অন্যায় কাজ হয়েছে?) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমার দ্বারা ভালো কাজ ছাড়া কিছুই সংঘটিত হয়নি। তবে আমাকে আদেশ দেয়া হয়েছে যে, এই কথাগুলো যেন আমি স্বয়ং অথবা আমার কোন লোক ব্যতীত আর কেউ ঘোষণা না করে।[১]

[১]. হাদীসটির সনদ দুর্বল। ইমাম আহমাদ বলেছেনঃ এটি একটি দুর্বল হাদীস। ইমাম ইবনে তাইমিয়া তাঁর গ্রন্থ মিনহাজের ৫ম খণ্ডের ৬৩ পৃষ্ঠায় লিখেছেনঃ “আমার পক্ষ থেকে আলী ব্যতীত আর কেউ এ দায়িত্ব পালন করবে না” এ উক্তি মিথ্যা।

حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، قَالَ: قَالَ إِسْرَائِيلُ، قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ: عَنْ زَيْدِ بْنِ يُثَيْعٍ عَنْ أَبِي بَكْرٍ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَهُ بِبَرَاءَةٌ لِأَهْلِ مَكَّةَ: لَا يَحُجُّ بَعْدَ الْعَامِ مُشْرِكٌ، وَلا يَطُوفُ بِالْبَيْتِ عُرْيَانٌ، وَلا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلَّا نَفْسٌ مُسْلِمَةٌ، مَنْ كَانَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُدَّةٌ فَأَجَلُهُ إِلَى مُدَّتِهِ، وَاللهُ بَرِيءٌ مِنَ الْمُشْرِكِينَ وَرَسُولُهُ. قَالَ: فَسَارَ بِهَا ثَلاثًا، ثُمَّ قَالَ لِعَلِيٍّ، رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ: ” الْحَقْهُ فَرُدَّ عَلَيَّ أَبَا بَكْرٍ، وَبَلِّغْهَا أَنْتَ ” قَالَ: فَفَعَلَ، قَالَ: فَلَمَّا قَدِمَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبُو بَكْرٍ بَكَى، قَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ، حَدَثَ فِيَّ شَيْءٌ؟ قَالَ: مَا حَدَثَ فِيكَ إِلَّا خَيْرٌ، وَلَكِنْ أُمِرْتُ أَنْ لَا يُبَلِّغَهُ إِلَّا أَنَا أَوْ رَجُلٌ مِنِّي

إسناده ضعيف، رجاله ثقات رجال الشيخين غيرَ زيد بن يُثيع – ويقال: أثيع – فقد روى له الترمذي والنسائي في ” الخصائص “، و” مسند علي “، وانفرد بالرواية عنه أبو إسحاق، ولم يوثقه غير العجلي، وابن حبان، فهو في عداد المجهولين.

وقال ابن حجر في ” أطراف المسند ” 2 / ورقة 312: هذا منقطع – يعني بين زيد وأبي بكر –

وأخرجه الجورقاني في ” الأباطيل والمناكير ” (124) من طريق أحمد بن حنبل، بهذا الإسناد. وقال: هذا حديث منكر، ثم أورد نحوه من عدة روايات، وقال: فهذه الروايات كلها مضطربة مختلفة منكرة. وأخرجه المروزي (132) ، وأبو يعلى (104) من طريق وكيع، به. وسيأتي في مسند علي مختصراً برقم (594) وهو المحفوظ، وله شواهد من حديث أبي هريرة وابن عباس وجابر بن عبد الله.

وأخرجه الطبري 10 / 64 من طريق إسرائيل عن أبي إسحاق، عن زيد بن يثيع مرسلاً

وقال شيخ الإسلام ابن تيمية في ” منهاج السنة ” 5 / 63: وكذلك قوله ” لا يؤدي عني إلا علي ” من الكذب، وقال الخطابي في كتاب ” شعار الدين “: وقوله: ” لا يؤدي عني إلا رجلٌ من أهل بيتي ” هو شيء جاء به أهلُ الكوفة عن زيد بن يُثيع، وهو متهم في الرواية منسوب إلى الرفض، وعامة من بَلَّغ عنه غير أهل بيته، فقد بعث رسول الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أسعد بن زرارة إلى المدينة يدعو الناسَ إلى الإسلام، ويعلم الأنصار القرآن، ويفقههم في الدين، وبعث العلاء بن الحضرمي إلى البحرين في مثل ذلك، وبعث معاذاً وأبا موسى إلى اليمن، وبعث عتاب بن أَسيد إلى مكة: فأين قول من زعم أنه لم يبلغ عنه إلا رجل من أهل بيته؟

حدثنا وكيع، قال: قال إسرائيل، قال أبو إسحاق: عن زيد بن يثيع عن أبي بكر: أن النبي صلى الله عليه وسلم بعثه ببراءة لأهل مكة: لا يحج بعد العام مشرك، ولا يطوف بالبيت عريان، ولا يدخل الجنة إلا نفس مسلمة، من كان بينه وبين رسول الله صلى الله عليه وسلم مدة فأجله إلى مدته، والله بريء من المشركين ورسوله. قال: فسار بها ثلاثا، ثم قال لعلي، رضي الله تعالى عنه: ” الحقه فرد علي أبا بكر، وبلغها أنت ” قال: ففعل، قال: فلما قدم على النبي صلى الله عليه وسلم أبو بكر بكى، قال: يا رسول الله، حدث في شيء؟ قال: ما حدث فيك إلا خير، ولكن أمرت أن لا يبلغه إلا أنا أو رجل مني إسناده ضعيف، رجاله ثقات رجال الشيخين غير زيد بن يثيع – ويقال: أثيع – فقد روى له الترمذي والنسائي في ” الخصائص “، و” مسند علي “، وانفرد بالرواية عنه أبو إسحاق، ولم يوثقه غير العجلي، وابن حبان، فهو في عداد المجهولين. وقال ابن حجر في ” أطراف المسند ” 2 / ورقة 312: هذا منقطع – يعني بين زيد وأبي بكر – وأخرجه الجورقاني في ” الأباطيل والمناكير ” (124) من طريق أحمد بن حنبل، بهذا الإسناد. وقال: هذا حديث منكر، ثم أورد نحوه من عدة روايات، وقال: فهذه الروايات كلها مضطربة مختلفة منكرة. وأخرجه المروزي (132) ، وأبو يعلى (104) من طريق وكيع، به. وسيأتي في مسند علي مختصرا برقم (594) وهو المحفوظ، وله شواهد من حديث أبي هريرة وابن عباس وجابر بن عبد الله. وأخرجه الطبري 10 / 64 من طريق إسرائيل عن أبي إسحاق، عن زيد بن يثيع مرسلا وقال شيخ الإسلام ابن تيمية في ” منهاج السنة ” 5 / 63: وكذلك قوله ” لا يؤدي عني إلا علي ” من الكذب، وقال الخطابي في كتاب ” شعار الدين “: وقوله: ” لا يؤدي عني إلا رجل من أهل بيتي ” هو شيء جاء به أهل الكوفة عن زيد بن يثيع، وهو متهم في الرواية منسوب إلى الرفض، وعامة من بلغ عنه غير أهل بيته، فقد بعث رسول الله صلى الله عليه وسلم أسعد بن زرارة إلى المدينة يدعو الناس إلى الإسلام، ويعلم الأنصار القرآن، ويفقههم في الدين، وبعث العلاء بن الحضرمي إلى البحرين في مثل ذلك، وبعث معاذا وأبا موسى إلى اليمن، وبعث عتاب بن أسيد إلى مكة: فأين قول من زعم أنه لم يبلغ عنه إلا رجل من أهل بيته؟

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر)

 ৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية
  • English

পরিচ্ছেদঃ

৫। একবার আবু বাকর (রাঃ) তাঁর ভাষণে বলেন: গত বছর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার এই জায়গায় দাঁড়িয়ে নামায পড়িয়েছিলেন। এ কথা বলে আবু বাকর (রাঃ) কাঁদতে লাগলেন। তারপর বললেনঃ তোমরা আল্লাহর নিকট সুস্থতা কামনা কর। কেননা ইয়াকীনের (দৃঢ় বিশ্বাস বা মজবুত ঈমান) পর কেউ সুস্থতার চেয়ে উত্তম কোন জিনিস প্রাপ্ত হয়নি। (অর্থাৎ ঈমানের পর সুস্থতা আল্লাহর শ্রেষ্ঠতম নিয়ামত।) তোমরা সত্যবাদিতাকে আঁকড়ে ধর। কেননা তা পুণ্যের সাথে যুক্ত। এই দুটোই জান্নাতে যাওয়ার উপকরণ। তোমরা মিথ্যাচার থেকে সাবধান থাক। কেননা মিথ্যাচার পাপাচারের অন্তর্ভুক্ত। এই দুটোই জাহান্নামে যাওয়ার উপকরণ। তোমরা পরস্পরে হিংসা করো না, বিদ্বেষ পোষণ করো না, সম্পর্কচ্ছেদ করো না। একে অন্যের পেছনে লেগো না। বরঞ্চ আল্লাহর নির্দেশ মুতাবিক ভাই ভাই হয়ে থাক।[১]

[১]. ইবনু হিব্বান (৯৫২), ও আল হাকেম (১/৫২৯) কর্তৃক সহীহ বলে অভিহিত। আলবানী বলেছেনঃ সহীহ। (ইবনু মাজাহ-৩৮৪৯) অত্র হাদীস গ্রন্থে ১৭, ৩৪ ও ৪৪ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ خُمَيْرٍ، عَنْ سُلَيْمِ بْنِ عَامِرٍ، عَنْ أَوْسَطَ، قَالَ خَطَبَنَا أَبُو بَكْرٍ، فَقَالَ: قَامَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَقَامِي هَذَا عَامَ الْأَوَّلِ، وَبَكَى أَبُو بَكْرٍ، فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: سَلُوا اللهَ الْمُعَافَاةَ – أَوْ قَالَ: الْعَافِيَةَ – فَلَمْ يُؤْتَ أَحَدٌ قَطُّ بَعْدَ الْيَقِينِ أَفْضَلَ مِنَ الْعَافِيَةِ – أَوِ الْمُعَافَاةِ – عَلَيْكُمْ بِالصِّدْقِ فَإِنَّهُ مَعَ الْبِرِّ، وَهُمَا فِي الْجَنَّةِ، وَإِيَّاكُمْ وَالْكَذِبَ فَإِنَّهُ مَعَ الْفُجُورِ، وَهُمَا فِي النَّارِ، وَلا تَحَاسَدُوا، وَلا تَبَاغَضُوا، وَلا تَقَاطَعُوا، وَلا تَدَابَرُوا، وَكُونُوا إِخْوَانًا كَمَا أَمَرَكُمُ اللهُ

إسناده صحيح، أوسط – وهو ابن إسماعيل بن أوسط البجلي – ثقة روى له النسائي وابنُ ماجه، وباقي رجاله رجال الصحيح

وأخرجه المروزي (95) ، والبزار (75) من طريق محمد بن جعفر، بهذا الإسناد

وأخرجه الطيالسي (5) ، والحميدي (7) ، وابن أبي شيبة 8 / 530، والبخاري في ” الأدب المفرد ” (724) ، وابن ماجه (3849) ، والمروزي (92) و (93) ، والنسائي في ” عمل اليوم والليلة ” (882) ، وأبو يعلى (121) و (122) و (123) و (124) ، والبغوي في ” الجعديات ” (1777) من طرق عن شعبة، به

وأخرجه الحميدي (2) ، والمروزي (94) ، والنسائي في ” عمل اليوم والليلة (880) و (881) ، والحاكم 1 / 529 من طريقين عن سليم بن عامر، به. قال الحاكم هذا حديث صحيح الإسناد

وأخرجه البزار (74) ، والنسائي (879) من طريقين عن أوسط، به. وسيأتي برقم (17) و (34) و (44)

حدثنا محمد بن جعفر، قال: حدثنا شعبة، عن يزيد بن خمير، عن سليم بن عامر، عن أوسط، قال خطبنا أبو بكر، فقال: قام رسول الله صلى الله عليه وسلم مقامي هذا عام الأول، وبكى أبو بكر، فقال أبو بكر: سلوا الله المعافاة – أو قال: العافية – فلم يؤت أحد قط بعد اليقين أفضل من العافية – أو المعافاة – عليكم بالصدق فإنه مع البر، وهما في الجنة، وإياكم والكذب فإنه مع الفجور، وهما في النار، ولا تحاسدوا، ولا تباغضوا، ولا تقاطعوا، ولا تدابروا، وكونوا إخوانا كما أمركم الله إسناده صحيح، أوسط – وهو ابن إسماعيل بن أوسط البجلي – ثقة روى له النسائي وابن ماجه، وباقي رجاله رجال الصحيح وأخرجه المروزي (95) ، والبزار (75) من طريق محمد بن جعفر، بهذا الإسناد وأخرجه الطيالسي (5) ، والحميدي (7) ، وابن أبي شيبة 8 / 530، والبخاري في ” الأدب المفرد ” (724) ، وابن ماجه (3849) ، والمروزي (92) و (93) ، والنسائي في ” عمل اليوم والليلة ” (882) ، وأبو يعلى (121) و (122) و (123) و (124) ، والبغوي في ” الجعديات ” (1777) من طرق عن شعبة، به وأخرجه الحميدي (2) ، والمروزي (94) ، والنسائي في ” عمل اليوم والليلة (880) و (881) ، والحاكم 1 / 529 من طريقين عن سليم بن عامر، به. قال الحاكم هذا حديث صحيح الإسناد وأخرجه البزار (74) ، والنسائي (879) من طريقين عن أوسط، به. وسيأتي برقم (17) و (34) و (44)

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر)

 ৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية
  • English

পরিচ্ছেদঃ

৬। আবু বাকর (রাঃ) একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মিম্বরে দাঁড়িয়ে বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথা উচ্চারণের সাথে সাথে আবু বাকর কেঁদে ফেললেন, অতঃপর শান্ত হলেন। তারপর বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে গত বছর ঠিক এই গ্রীষ্মে বলতে শুনেছিঃ “তোমরা আল্লাহর কাছে দুনিয়া ও আখিরাতে ক্ষমা, সুস্থতা ও মজবুত ঈমান কামনা কর।”[১]

[১]. তিরমিযী বলেছেনঃ এটি একটি ভালো ও বিরল হাদীস। (তিরমিযী-৩৫৫৮) (অত্র গ্রন্থের ৫ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ وَأَبُو عَامِرٍ، قَالا: حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ – يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ -، عَنْ عَبْدِ اللهِ – يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ -، عَنْ مُعَاذِ بْنِ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ الْأَنْصَارِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، يَقُولُ عَلَى مِنْبَرِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: فَبَكَى أَبُو بَكْرٍ حِينَ ذَكَرَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ سُرِّيَ عَنْهُ، ثُمَّ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ فِي هَذَا الْقَيْظِ عَامَ الْأَوَّلِ: ” سَلُوا اللهَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ، وَالْيَقِينَ فِي الْآخِرَةِ وَالْأُولَى

إسناده حسن، عبد الله بن محمد بن عقيل روى له أبو داود والترمذي وابن ماجه، وهو صدوق حسن الحديث إلا عند المخالفة، وباقي رجاله ثقات رجال الصحيح. أبو عامر: هو عبد الملك بن عمرو العقدي. وأخرجه الترمذي (3558) ، والبزار (34) ، والمروزي (47) ، وأبو يعلى (87) من طريق أبي عامر العقدي، بهذا الإسناد. وأخرجه ابن أبي شيبة 10 / 205، وأبو يعلى (86) من طريق يحيى بن أبي بكير (وقد تحرف في المطبوع من ابن أبي شيبة إلى يحيى بن أبي كثير) ، عن زهير بن محمد، به

حدثنا عبد الرحمن بن مهدي وأبو عامر، قالا: حدثنا زهير – يعني ابن محمد -، عن عبد الله – يعني ابن محمد بن عقيل -، عن معاذ بن رفاعة بن رافع الأنصاري، عن أبيه، رفاعة بن رافع، قال: سمعت أبا بكر الصديق، رضي الله عنه، يقول على منبر رسول الله صلى الله عليه وسلم: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: فبكى أبو بكر حين ذكر رسول الله صلى الله عليه وسلم، ثم سري عنه، ثم قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول في هذا القيظ عام الأول: ” سلوا الله العفو والعافية، واليقين في الآخرة والأولى إسناده حسن، عبد الله بن محمد بن عقيل روى له أبو داود والترمذي وابن ماجه، وهو صدوق حسن الحديث إلا عند المخالفة، وباقي رجاله ثقات رجال الصحيح. أبو عامر: هو عبد الملك بن عمرو العقدي. وأخرجه الترمذي (3558) ، والبزار (34) ، والمروزي (47) ، وأبو يعلى (87) من طريق أبي عامر العقدي، بهذا الإسناد. وأخرجه ابن أبي شيبة 10 / 205، وأبو يعلى (86) من طريق يحيى بن أبي بكير (وقد تحرف في المطبوع من ابن أبي شيبة إلى يحيى بن أبي كثير) ، عن زهير بن محمد، به

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر)

 ৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية
  • English

পরিচ্ছেদঃ

৭। আবু বাকর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দাঁত মাজা মুখ পবিত্র করে ও আল্লাহকে সন্তুষ্ট করে।

حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ – يَعْنِي ابْنَ سَلَمَةَ -، عَنِ ابْنِ أَبِي عَتِيقٍ، عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” السِّوَاكُ مَطْهَرَةٌ لِلْفَمِ، مَرْضَاةٌ لِلرَّبّ

صحيح لغيره، وهذا سند رجاله ثقات، إلا أن فيه انقطاعاً، والد ابن أبي عتيق لم يسمع من أبي بكر. ابن أبي عتيق: هو محمد بن عبد الله بن أبي عتيق محمد بن عبد الرحمن بن أبي بكر، وأبو كامل: هو مظفَّر بن مدرك الخراساني

قال الدارقطني في ” العلل ” 1 / 277 وقد سُئل عن هذا الحديث: يرويه حماد بن سلمة، عن ابن أبي عتيق، عن أبيه، عن أبي بكر، وخالفه جماعة من أهل الحجاز وغيرهم، فروَوْه عن ابن أبي عتيق، عن أبيه، عن عائشة، عن النبي صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وهو الصواب

وقال أبو زرعة وأبو حاتم كما في ” العلل ” 1 / 12 لابن أبي حاتم: هذا خطأ، إنما هو ابن أبي عتيق، عن أبيه، عن عائشة، قال أبو زرعة: أخطأ فيه حماد، وقال أبي: الخطأ من حماد أو ابن أبي عتيق

قلنا: وحديث عائشة صحيح، وسيرد في مسندها ويخرج هناك إن شاء الله، وصححه ابن حبان (1067)

وأما حديث الباب فأخرجه المروزي (108) و (110) ، وأبو يعلى (109) و (110) من طريقين عن حماد بن سلمة، بهذا الإسناد. وسيأتي برقم (62)

وقوله: ” مطهرة “، التاء ليست للتأنيث، وإنما هي مفعلة الدَّالة على الكثرة، كقوله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” الولد مبخلة مجبنة ” أي: محل لتحصيل الجبن والبخل لأبيه بكثرة

حدثنا أبو كامل، قال: حدثنا حماد – يعني ابن سلمة -، عن ابن أبي عتيق، عن أبيه عن أبي بكر الصديق: أن النبي صلى الله عليه وسلم قال: ” السواك مطهرة للفم، مرضاة للرب صحيح لغيره، وهذا سند رجاله ثقات، إلا أن فيه انقطاعا، والد ابن أبي عتيق لم يسمع من أبي بكر. ابن أبي عتيق: هو محمد بن عبد الله بن أبي عتيق محمد بن عبد الرحمن بن أبي بكر، وأبو كامل: هو مظفر بن مدرك الخراساني قال الدارقطني في ” العلل ” 1 / 277 وقد سئل عن هذا الحديث: يرويه حماد بن سلمة، عن ابن أبي عتيق، عن أبيه، عن أبي بكر، وخالفه جماعة من أهل الحجاز وغيرهم، فرووه عن ابن أبي عتيق، عن أبيه، عن عائشة، عن النبي صلى الله عليه وسلم، وهو الصواب وقال أبو زرعة وأبو حاتم كما في ” العلل ” 1 / 12 لابن أبي حاتم: هذا خطأ، إنما هو ابن أبي عتيق، عن أبيه، عن عائشة، قال أبو زرعة: أخطأ فيه حماد، وقال أبي: الخطأ من حماد أو ابن أبي عتيق قلنا: وحديث عائشة صحيح، وسيرد في مسندها ويخرج هناك إن شاء الله، وصححه ابن حبان (1067) وأما حديث الباب فأخرجه المروزي (108) و (110) ، وأبو يعلى (109) و (110) من طريقين عن حماد بن سلمة، بهذا الإسناد. وسيأتي برقم (62) وقوله: ” مطهرة “، التاء ليست للتأنيث، وإنما هي مفعلة الدالة على الكثرة، كقوله صلى الله عليه وسلم: ” الولد مبخلة مجبنة ” أي: محل لتحصيل الجبن والبخل لأبيه بكثرة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر)

 ৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية
  • English

পরিচ্ছেদঃ

৮। আবু বাকর আস সিদ্দিক (রাঃ) বলেছেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলেছিলেন আমাকে এমন একটি দু’আ শিখিয়ে দিন, যা দ্বারা আমি নামাযের মধ্যে দু’আ করতে পারি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এই দু’আটি পড়ঃ

اللهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْمًا كَثِيرًا، وَلا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ، وَارْحَمْنِي، إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ

অর্থাৎ হে আল্লাহ, আমি নিজের ওপর অনেক অত্যাচার করেছি। তুমি তোমার পক্ষ হতে আমার গুনাহ মাফ করে দাও এবং আমার প্রতি করুণা কর। নিশ্চয়ই তুমিই ক্ষমাশীল ও দয়াশীল”। (হাদীস নং ২৮ দ্রষ্টব্য) অন্য বর্ণনায় “অনেক অত্যাচার” এর পরিবর্তে “বিরাট অত্যাচার” বলা হয়েছে। [১]

[১]. [ইমাম বুখারী (৮৩৪) ইমাম মুসলিম (২৭০৫) ইবনু খুযাইমা (৮৪৫) ও ইবনু হিব্বান (১৯৭৬) এ হাদীসকে সহীহ আখ্যায়িত করেছেন]

حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، قَالَ: حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي الْخَيْرِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، أَنَّهُ قَالَ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: عَلِّمْنِي دُعَاءً أَدْعُو بِهِ فِي صَلاتِي. قَالَ: ” قُلِ: اللهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْمًا كَثِيرًا، وَلا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ، وَارْحَمْنِي، إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ

إسناده صحيح على شرط الشيخين

هاشم بن القاسم: هو ابن مسلم الليثي، والليث: هو ابن سعد، وأبو الخير: هو مَرثَد بن عبد الله اليَزَني

وأخرجه المروزي (61) ، وأبو يعلى (30) ، والبغوي في ” شرح السنة ” (694) من طريق هاشم بن القاسم، بهذا الإسناد

وأخرجه عبد بن حميد (5) ، وابن أبي شيبة 10 / 269، والبخاري (834) و (6326) ، ومسلم (2705) ، وابن ماجه (3835) ، والترمذي (3531) ، والنسائي 3 / 53، والبزار (29) ، والمروزي (60) ، وأبو يعلى (29) و (31) ، وابن خزيمة (845) ، وابن حبان (1976) ، والبيهقي 2 / 154 من طرق عن الليث، به

وأخرجه البخاري (7387) ، ومسلم (2705) ، والنسائي في ” اليوم والليلة ” (179) ، وابويعلى (32) ، وابن خزيمة (746) و (846) من طريقين عن يزيد بن أبي حبيب، به. وقرن مسلم والنسائي عمرو بنَ الحارث برجل آخر لم يُسمَّ. وسيأتي برقم (28)

حدثنا هاشم بن القاسم، قال: حدثنا الليث، قال: حدثني يزيد بن أبي حبيب، عن أبي الخير، عن عبد الله بن عمرو عن أبي بكر الصديق، أنه قال لرسول الله صلى الله عليه وسلم: علمني دعاء أدعو به في صلاتي. قال: ” قل: اللهم إني ظلمت نفسي ظلما كثيرا، ولا يغفر الذنوب إلا أنت، فاغفر لي مغفرة من عندك، وارحمني، إنك أنت الغفور الرحيم إسناده صحيح على شرط الشيخين هاشم بن القاسم: هو ابن مسلم الليثي، والليث: هو ابن سعد، وأبو الخير: هو مرثد بن عبد الله اليزني وأخرجه المروزي (61) ، وأبو يعلى (30) ، والبغوي في ” شرح السنة ” (694) من طريق هاشم بن القاسم، بهذا الإسناد وأخرجه عبد بن حميد (5) ، وابن أبي شيبة 10 / 269، والبخاري (834) و (6326) ، ومسلم (2705) ، وابن ماجه (3835) ، والترمذي (3531) ، والنسائي 3 / 53، والبزار (29) ، والمروزي (60) ، وأبو يعلى (29) و (31) ، وابن خزيمة (845) ، وابن حبان (1976) ، والبيهقي 2 / 154 من طرق عن الليث، به وأخرجه البخاري (7387) ، ومسلم (2705) ، والنسائي في ” اليوم والليلة ” (179) ، وابويعلى (32) ، وابن خزيمة (746) و (846) من طريقين عن يزيد بن أبي حبيب، به. وقرن مسلم والنسائي عمرو بن الحارث برجل آخر لم يسم. وسيأتي برقم (28)

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر)

 ৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية
  • English

পরিচ্ছেদঃ

৯। ফাতিমা (রাঃ) ও আব্বাস (রাঃ) আবু বাকরের কাছে এলেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিত্যক্ত সম্পত্তির উত্তরাধিকার চাইলেন। তারা উভয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ফাদাকের জমি ও খাইবারের জমির অংশ চাইছিলেন। আবু বকর (রাঃ) তাঁদেরকে বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ আমাদের সম্পত্তির কোন উত্তরাধিকারী হয় না। আমরা (নবীরা) যা রেখে যাই, তা সাদাকা। মুহাম্মাদের বংশধরগণ, স্বগোত্রীয়রা, আত্মীয়স্বজন ও সঙ্গী সাথীরা সবাই এ সম্পত্তি ভোগ করবে। আল্লাহর কসম! আমি প্রতিটি ব্যাপারেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে যা করতে দেখেছি, তা ছাড়া অন্য কিছু করবো না।[১]

[১]. বুখারী (৪০৩৫), মুসলিম (১৭৫৯), ও ইবনু হিব্বান (৪৮২৩) কর্তৃক সহীহ আখ্যায়িত) অত্র গ্রন্থের হাদীস নং ২৫, ৫৫ ও ৫৮ দ্রষ্টব্য।

حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ: أَنَّ فَاطِمَةَ وَالْعَبَّاسَ أَتَيَا أَبَا بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، يَلْتَمِسَانِ مِيرَاثَهُمَا مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُمَا حِينَئِذٍ يَطْلُبَانِ أَرْضَهُ مِنْ فَدَكَ، وَسَهْمَهُ مِنْ خَيْبَرَ، فَقَالَ لَهُمْ أَبُو بَكْرٍ: إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: ” لَا نُورَثُ، مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ، إِنَّمَا يَأْكُلُ آلُ مُحَمَّدٍ فِي هَذَا الْمَالِ ” وَإِنِّي وَاللهِ لَا أَدَعُ أَمْرًا رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصْنَعُهُ فِيهِ إِلَّا صَنَعْتُهُ

إسناده صحيح على شرط الشيخين

معمر: هو ابن راشد. وهو في ” مصنف عبد الرزاق ” (9774) . وأخرجه مسلم (1759) (53) ، والبزار (57) ، والمروزي (38) ، والبيهقي 6 / 300 من طرق عن عبد الرزاق، بهذا الإسناد وأخرجه البخاري (4035) و (4036) و (6725) و (6726) من طريق هشام، عن معمر، به

وأخرجه البخاري (3711) ، وأبو داود (2969) ، والنسائي 7 / 132، وابن حبان (4823) ، والبيهقي 6 / 300 من طريق شعيب بن أبي حمزة، عن الزهري، به. وسيأتي برقم (25) و (55) و (58)

حدثنا عبد الرزاق، قال: حدثنا معمر، عن الزهري، عن عروة، عن عائشة: أن فاطمة والعباس أتيا أبا بكر رضي الله عنه، يلتمسان ميراثهما من رسول الله صلى الله عليه وسلم، وهما حينئذ يطلبان أرضه من فدك، وسهمه من خيبر، فقال لهم أبو بكر: إني سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: ” لا نورث، ما تركنا صدقة، إنما يأكل آل محمد في هذا المال ” وإني والله لا أدع أمرا رأيت رسول الله صلى الله عليه وسلم يصنعه فيه إلا صنعته إسناده صحيح على شرط الشيخين معمر: هو ابن راشد. وهو في ” مصنف عبد الرزاق ” (9774) . وأخرجه مسلم (1759) (53) ، والبزار (57) ، والمروزي (38) ، والبيهقي 6 / 300 من طرق عن عبد الرزاق، بهذا الإسناد وأخرجه البخاري (4035) و (4036) و (6725) و (6726) من طريق هشام، عن معمر، به وأخرجه البخاري (3711) ، وأبو داود (2969) ، والنسائي 7 / 132، وابن حبان (4823) ، والبيهقي 6 / 300 من طريق شعيب بن أبي حمزة، عن الزهري، به. وسيأتي برقم (25) و (55) و (58)

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر)

 ১০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية
  • English

পরিচ্ছেদঃ

১০। আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেন, আমি এই মিম্বারে (অর্থাৎ মসজিদে নববীর মিম্বারে) দাঁড়িয়ে আবু বাকর আস সিদ্দিক (রাঃ) কে বলতে শুনেছিঃ “আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে গত বছর এই দিনে বলতে শুনেছি … পর্যন্ত বলেই আবু বকর (রাঃ) অশ্রু বর্ষণ করতে লাগলেন ও কাঁদতে লাগলেন। কিছুক্ষণ পর বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ “আল্লাহর একত্বের বাণীর পর তোমাদেরকে সুস্থতার সমতুল্য আর কোন জিনিস দেয়া হয়নি। সুতরাং তোমরা আল্লাহর কাছে সুস্থতা প্রার্থনা কর।[১]

[১]. ইবনু হিব্বান এ হাদীসকে সহীহ আখ্যায়িত করেছেন (৯৫০) (অত্র গ্রন্থে ৫ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُقْرِئُ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ، قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ الْحَارِثِ، يَقُولُ: إِنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ عَلَى هَذَا الْمِنْبَرِ يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا الْيَوْمِ مِنْ عَامِ الْأَوَّلِ، ثُمَّ اسْتَعْبَرَ أَبُو بَكْرٍ وَبَكَى، ثُمَّ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: ” لَمْ تُؤْتَوْا شَيْئًا بَعْدَ كَلِمَةِ الْإِخْلاصِ مِثْلَ الْعَافِيَةِ، فَاسْأَلُوا اللهَ الْعَافِيَةَ

حديث صحيح لغيره، عبد الملك بن الحارث مترجم في ” التاريخ الكبير ” للبخاري 5 / 409، و” الجرح والتعديل ” 5 / 346، وذكره ابن حبان في ” الثقات ” 5 / 117، وقد توبع، ولم يترجم له الحافظ في ” تعجيل المنفعة ” مع أنه على شرطه، وأخطأ الشيخ أحمد شاكر رحمه الله فظنَّه عبدَ الملك بن أبي بكر بن عبد الرحمن بن الحارث بن هشام الثقة الذي روى له الجماعة. وباقي رجال الإسناد ثقات رجال الشيخين غير حيوة بن شريح، فمن رجال البخاري. أبو عبد الرحمن المقرئ: هو عبد الله بن يزيد المكي.

وأخرجه البزار (24) عن محمد بن مسكين، عن عبد الله بن يزيد، بهذا الإسناد

وأخرجه ابن حبان (950) من طريق عبد الله بن وهب، عن حيوة بن شريح، به

وأخرجه البزار (23) ، والمروزي (53) ، والنسائي في ” عمل اليوم والليلة ” (886) ، وأبو يعلى (74) من طريق عاصم بن أبي النجود، عن أبي صالح، عن أبي هريرة، به

وإسناده حسن من أجل عاصم، فإنه ينزل عن درجة أهل الحفظ والضبط

وأخرجه النسائي (887) من طريق عاصم، عن أبي صالح، عن أبي بكر دون واسطة أبي هريرة

وأخرجه النسائي (888) من طريق الأعمش، عن أبي صالح، عن بعض أصحاب النبي صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عن أبي بكر. وهذا إسناد صحيح. وانظر الحديث المتقدم برقم (5)

حدثنا أبو عبد الرحمن المقرئ، قال: حدثنا حيوة بن شريح، قال: سمعت عبد الملك بن الحارث، يقول: إن أبا هريرة، قال: سمعت أبا بكر الصديق على هذا المنبر يقول: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم في هذا اليوم من عام الأول، ثم استعبر أبو بكر وبكى، ثم قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: ” لم تؤتوا شيئا بعد كلمة الإخلاص مثل العافية، فاسألوا الله العافية حديث صحيح لغيره، عبد الملك بن الحارث مترجم في ” التاريخ الكبير ” للبخاري 5 / 409، و” الجرح والتعديل ” 5 / 346، وذكره ابن حبان في ” الثقات ” 5 / 117، وقد توبع، ولم يترجم له الحافظ في ” تعجيل المنفعة ” مع أنه على شرطه، وأخطأ الشيخ أحمد شاكر رحمه الله فظنه عبد الملك بن أبي بكر بن عبد الرحمن بن الحارث بن هشام الثقة الذي روى له الجماعة. وباقي رجال الإسناد ثقات رجال الشيخين غير حيوة بن شريح، فمن رجال البخاري. أبو عبد الرحمن المقرئ: هو عبد الله بن يزيد المكي. وأخرجه البزار (24) عن محمد بن مسكين، عن عبد الله بن يزيد، بهذا الإسناد وأخرجه ابن حبان (950) من طريق عبد الله بن وهب، عن حيوة بن شريح، به وأخرجه البزار (23) ، والمروزي (53) ، والنسائي في ” عمل اليوم والليلة ” (886) ، وأبو يعلى (74) من طريق عاصم بن أبي النجود، عن أبي صالح، عن أبي هريرة، به وإسناده حسن من أجل عاصم، فإنه ينزل عن درجة أهل الحفظ والضبط وأخرجه النسائي (887) من طريق عاصم، عن أبي صالح، عن أبي بكر دون واسطة أبي هريرة وأخرجه النسائي (888) من طريق الأعمش، عن أبي صالح، عن بعض أصحاب النبي صلى الله عليه وسلم، عن أبي بكر. وهذا إسناد صحيح. وانظر الحديث المتقدم برقم (5)

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر)

 ১১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية
  • English

পরিচ্ছেদঃ

১১। আনাস (রাঃ) বলেন, আবু বাকর আস সিদ্দিক তাকে বলেছেনঃ “আমি গুহার ভেতরে থাকা অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললামঃ তাদের (কুরাইশদের) কেউ যদি তার পায়ের নিচের দিকে তাকায় তাহলে আমাদেরকে দেখতে পাবে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে আবু বাকর, যে দু’জনের তৃতীয় সাথী আল্লাহ, তাদের সম্পর্কে তুমি কী ধারণা পোষণ করা? (অর্থাৎ এই গুহায় আল্লাহ আমাদের সাথী। তোমার দুশ্চিন্তার কোন প্রয়োজন নেই। – অনুবাদক)[১]

[১]. ইমাম বুখারী (৩৬৫৩), ইমাম মুসলিম (২৩৮১) এবং ইবনু হিব্বান, (৬২৭৮) একে সহীহ আখ্যায়িত করেছেন।

حَدَّثَنَا عَفَّانُ، قَالَ: حَدَّثَنَا هَمَّامٌ قَالَ: أَخْبَرَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ حَدَّثَهُ، قَالَ: قُلْتُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ فِي الْغَارِ – وَقَالَ مَرَّةً: وَنَحْنُ فِي الْغَارِ – لَوْ أَنَّ أَحَدَهُمْ نَظَرَ إِلَى قَدَمَيْهِ لَأَبْصَرَنَا تَحْتَ قَدَمَيْهِ. قَالَ: فَقَالَ: يَا أَبَا بَكْرٍ، مَا ظَنُّكَ بِاثْنَيْنِ اللهُ ثَالِثُهُمَا

إسناده صحيح على شرط الشيخين. عفان: هو ابن مسلم، وهمام: هو ابن يحيى، وثابت: هو ابن أسلم البناني

وأخرجه ابن أبي شيبة 7 / 12، والترمذي (3096) ، والمروزي (72) ، والبزار (36) وأبو يعلى (66) ، والطبري 10 / 136، وابن حبان (6278) و (6869) من طرق عن عفان، بهذا الإسناد. وقرن البزار والطبري في روايتهما بعفان حبانَ بن هلال

وأخرجه عبد بن حميد (2) ، والبخاري (3653) و (3922) و (4663) ، ومسلم (2381) ، والمروزي (71) ، وأبو يعلى (67) من طرق عن همام، به

حدثنا عفان، قال: حدثنا همام قال: أخبرنا ثابت، عن أنس أن أبا بكر حدثه، قال: قلت للنبي صلى الله عليه وسلم وهو في الغار – وقال مرة: ونحن في الغار – لو أن أحدهم نظر إلى قدميه لأبصرنا تحت قدميه. قال: فقال: يا أبا بكر، ما ظنك باثنين الله ثالثهما إسناده صحيح على شرط الشيخين. عفان: هو ابن مسلم، وهمام: هو ابن يحيى، وثابت: هو ابن أسلم البناني وأخرجه ابن أبي شيبة 7 / 12، والترمذي (3096) ، والمروزي (72) ، والبزار (36) وأبو يعلى (66) ، والطبري 10 / 136، وابن حبان (6278) و (6869) من طرق عن عفان، بهذا الإسناد. وقرن البزار والطبري في روايتهما بعفان حبان بن هلال وأخرجه عبد بن حميد (2) ، والبخاري (3653) و (3922) و (4663) ، ومسلم (2381) ، والمروزي (71) ، وأبو يعلى (67) من طرق عن همام، به

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر)

 ১২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية
  • English

পরিচ্ছেদঃ

১২। আবু বাকর আস সিদ্দিক (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বলেছেনঃ প্রাচ্যের খোরাসান নামক একটি জায়গা থেকে দাজ্জাল আবির্ভূত হবে। এমন কিছু জনগোষ্ঠী তার অনুসরণ করবে যাদের মুখমণ্ডল হাতুড়ি পিটিয়ে বানানো ঢাল সদৃশ।[১]

[১]. ইমাম তিরমিযীর মতে এটি একটি ভালো ও বিরল (হাসান গরীব) হাদীস। আলবানীর মতে সহীহ। [তিরমিযী-২২৩৭, ইবনু মাজাহ-৪০৭২, অত্র গ্রন্থে ৩৩ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

حَدَّثَنَا رَوْحٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ سُبَيْعٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، قَالَ: حَدَّثَنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” أَنَّ الدَّجَّالَ يَخْرُجُ مِنْ أَرْضٍ بِالْمَشْرِقِ يُقَالُ لَهَا: خُرَاسَانُ، يَتَّبِعُهُ أَقْوَامٌ كَأَنَّ وُجُوهَهُمُ الْمَجَانُّ الْمُطْرَقَ

إسناده صحيح، رجاله ثقات رجال الشيخين غير المغيرة بن سبيع، فقد روى له الترمذي والنسائي وابن ماجه، وهو ثقة. روح: هو ابن عبادة، وابن أبي عروبة: هو سعيد، وحديث روح عنه صالح فيما نقله الحافظ ابن رجب في ” شرح علل الترمذي ” 2 / 566 عن الإمام أحمد، وقد روى له الشيخان من طريق روح عنه في ” صحيحيهما وقد توبع، وأبو التياح: هو يزيد بن حميد الضبعي، وعمرو بن حريث: هو ابن عمرو القرشي المخزومي، صحابي صغير

وأخرجه عبد بن حميد (4) ، والترمذي (2237) ، وابن ماجه (4072) ، والبزار (48) ، والمروزي (57) ، وأبو يعلى (33) من طرق عن روح، بهذا الإسناد. قال الترمذي: حسن غريب

وأخرجه البزار (46) و (47) ، والمروزي (58) و (59) ، وأبو يعلى (34) و (35) و (36) من طريق عبد الله بن شوذب، عن أبي التياح، به. وسيأتي برقم (33)

والمجانُّ المُطرَقة: هي التُّروس التي يُطرق بعضها على بعض، أي: يركَّب بعضها فوق بعض، يعني أنها عريضة، ورواه بعضهم بتشديد الرَّاء من ” المطرقة ” للتكثير، قال ابن الأثير في ” النهاية ” 3 / 122: والأول أشهر

حدثنا روح، قال: حدثنا ابن أبي عروبة، عن أبي التياح، عن المغيرة بن سبيع، عن عمرو بن حريث عن أبي بكر الصديق، قال: حدثنا رسول الله صلى الله عليه وسلم: ” أن الدجال يخرج من أرض بالمشرق يقال لها: خراسان، يتبعه أقوام كأن وجوههم المجان المطرق إسناده صحيح، رجاله ثقات رجال الشيخين غير المغيرة بن سبيع، فقد روى له الترمذي والنسائي وابن ماجه، وهو ثقة. روح: هو ابن عبادة، وابن أبي عروبة: هو سعيد، وحديث روح عنه صالح فيما نقله الحافظ ابن رجب في ” شرح علل الترمذي ” 2 / 566 عن الإمام أحمد، وقد روى له الشيخان من طريق روح عنه في ” صحيحيهما وقد توبع، وأبو التياح: هو يزيد بن حميد الضبعي، وعمرو بن حريث: هو ابن عمرو القرشي المخزومي، صحابي صغير وأخرجه عبد بن حميد (4) ، والترمذي (2237) ، وابن ماجه (4072) ، والبزار (48) ، والمروزي (57) ، وأبو يعلى (33) من طرق عن روح، بهذا الإسناد. قال الترمذي: حسن غريب وأخرجه البزار (46) و (47) ، والمروزي (58) و (59) ، وأبو يعلى (34) و (35) و (36) من طريق عبد الله بن شوذب، عن أبي التياح، به. وسيأتي برقم (33) والمجان المطرقة: هي التروس التي يطرق بعضها على بعض، أي: يركب بعضها فوق بعض، يعني أنها عريضة، ورواه بعضهم بتشديد الراء من ” المطرقة ” للتكثير، قال ابن الأثير في ” النهاية ” 3 / 122: والأول أشهر

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر)

 ১৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية
  • English

পরিচ্ছেদঃ

১৩। আবু বাকর আস সিদ্দিক (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন কৃপণ, ছদ্মবেশধারী ধোঁকাবাজ, খিয়ানতকারী ও অসচ্চরিত্র ব্যক্তি জান্নাতে যেতে পারবে না। সর্বপ্রথম যারা জান্নাতের দরজার কড়া নাড়বে তারা হবে দাসদাসী যদি তারা আল্লাহর সাথে ও তাদের মনিবের সাথে ন্যায়সঙ্গত আচরণ করে। (ইমাম তিরমিযীর মতে, এটি গরীব অর্থাৎ বিরল হাদীস।)[১]

[১]. তিরমিযী-১৯৪৬, ১৯৬৩ এই গ্রন্থে ৩১ ও ৩২ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ مَوْلَى بَنِي هَاشِمٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ مُوسَى صَاحِبُ الدَّقِيقِ، عَنْ فَرْقَدٍ، عَنْ مُرَّةَ بْنِ شَرَاحِيلَ عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ بَخِيلٌ وَلا خَبٌّ وَلا خَائِنٌ وَلا سَيِّئُ الْمَلَكَةِ، وَأَوَّلُ مَنْ يَقْرَعُ بَابَ الْجَنَّةِ الْمَمْلُوكُونَ؛ إِذَا أَحْسَنُوا فِيمَا بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَفِيمَا بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ مَوَالِيهِمْ

إسناده ضعيف، صدقة بن موسى – وهو الدقيقي – متفق على ضعفه، وفرقد – وهو ابن يعقوب السَّبَخي – قال الإمام أحمد: رجل صالح ليس بقوي في الحديث، لم يكن صاحب حديث، يروي عن مرة منكرات، وقال البخاري: عنده مناكير، وباقي رجاله ثقات رجال الصحيح. أبو سعيد مولى بني هاشم: هو عبد الرحمن بن عبد الله بن عبيد البصري

وأخرجه الطيالسي (7) و (8) ، وأبو يعلى (93) من طريق صدقة بن موسى، بهذا الإسناد. وسيأتي برقم (31) و (32)

الخَِب: الخدّاع الذي يسعى بين الناس بالف

وسيئ الملكة: هو الذي يسيء صحبة المماليك

حدثنا أبو سعيد مولى بني هاشم، قال: حدثنا صدقة بن موسى صاحب الدقيق، عن فرقد، عن مرة بن شراحيل عن أبي بكر الصديق، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ” لا يدخل الجنة بخيل ولا خب ولا خائن ولا سيئ الملكة، وأول من يقرع باب الجنة المملوكون؛ إذا أحسنوا فيما بينهم وبين الله عز وجل، وفيما بينهم وبين مواليهم إسناده ضعيف، صدقة بن موسى – وهو الدقيقي – متفق على ضعفه، وفرقد – وهو ابن يعقوب السبخي – قال الإمام أحمد: رجل صالح ليس بقوي في الحديث، لم يكن صاحب حديث، يروي عن مرة منكرات، وقال البخاري: عنده مناكير، وباقي رجاله ثقات رجال الصحيح. أبو سعيد مولى بني هاشم: هو عبد الرحمن بن عبد الله بن عبيد البصري وأخرجه الطيالسي (7) و (8) ، وأبو يعلى (93) من طريق صدقة بن موسى، بهذا الإسناد. وسيأتي برقم (31) و (32) الخب: الخداع الذي يسعى بين الناس بالف وسيئ الملكة: هو الذي يسيء صحبة المماليك

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر)

 ১৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية
  • English

পরিচ্ছেদঃ

১৪। আবুত তুফাইল (রাঃ) বলেনঃ যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তিকাল করলেন, তখন ফাতিমা আবু বাকরের নিকট দূত পাঠিয়ে জিজ্ঞেস করলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সম্পত্তির উত্তরাধিকারী আপনি, না রাসূলের পরিবার? আবু বাকর আস সিদ্দিক জবাব দিলেনঃ রাসূলের পরিবার। ফাতিমার পক্ষ থেকে বলা হলোঃ তাহলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অংশ কোথায়? আবু বাকর আস সিদ্দিক (রাঃ) বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, যখন আল্লাহ কোন নবীকে কোন খাবার খাওয়ান অতঃপর তার মৃত্যু ঘটান, তখন সেই খাবারকে (সম্পত্তি) তার পরবর্তীদের সম্পত্তিতে পরিণত করেন। তাই আমি স্থির করেছি, তার পরিত্যক্ত সম্পত্তিকে মুসলিমদের সম্পত্তিতে রূপান্তরিত করবো। তখন ফাতিমা (রাঃ) বললেনঃ বেশ, আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছ থেকে যা শুনেছেন, সে সম্পর্কে আপনিই সবচেয়ে ভালো জানেন।[১]

[১]. ইবনে কাছীরের মতে হাদীসের ভাষা বিরল ও দুর্বল। আলবানীর মতে এটি হাসান বা উত্তম। (আবু দাউদ ২৯৭৩) (এই গ্রন্থের ৯ নং হাদীস দ্রষ্টব্য)

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ – وَسَمِعْتُهُ مِنْ عَبْدُ اللهِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ – قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ جُمَيْعٍ، عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ، قَالَ: لَمَّا قُبِضَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْسَلَتْ فَاطِمَةُ إِلَى أَبِي بَكْرٍ: أَنْتَ وَرِثْتَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَمْ أَهْلُهُ؟ قَالَ: فَقَالَ: لَا، بَلْ أَهْلُهُ. قَالَتْ: فَأَيْنَ سَهْمُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ: فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: ” إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ، إِذَا أَطْعَمَ نَبِيًّا طُعْمَةً، ثُمَّ قَبَضَهُ جَعَلَهُ لِلَّذِي يَقُومُ مِنْ بَعْدِهِ ” فَرَأَيْتُ أَنْ أَرُدَّهُ عَلَى الْمُسْلِمِينَ. قَالَتْ: فَأَنْتَ، وَمَا سَمِعْتَ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْلَمُ

إسناده حسن، رجاله ثقات رجال الشيخين غير الوليد بن جميع – وهو الوليد بن عبد الله بن جميع – فمن رجال مسلم، وفيه كلام يحطه عن رتبة الصحيح. أبو الطفيل: هو عامر بن واثلة، من صغار الصحابة، وهو آخرهم موتاً

وأخرجه عمر بن شبة في ” تاريخ المدينة ” 1 / 198، والمروزي (78) ، وأبو يعلى (37) عن عبد الله بن محمد بن أبي شيبة، بهذا الإسناد

وأخرجه أبو داود (2973) ، والبزار (54) من طريقين عن محمد بن فضيل، به

وله شاهد عند البخاري في ” تاريخه الكبير ” 4 / 46، والسهمي في ” تاريخ جرجان ” ص 493 من طريق سليمان بن عبد الرحمن، حدثنا الوليد بن مسلم، حدثنا عبد الله بن العلاء بن زبر وغيره أنهما سمعا بلال بن سعد يحدث عن أبيه سعد بن تميم السكوني وكان من الصحابة قال: قيل: يا رسول الله ما للخليفة من بعدك؟ قال: ” مثل الذي لي ما عدل في الحكم وقسط في القسط ورحم ذا الرحم، فمن فعل غير ذلك فليس مني ولست منه ” وهذا سند صحيح وأورده الهيثمي 5 / 231 – 232 وقال: رواه الطبراني، ورجاله ثقات

قال الحافظ ابن كثير في ” البداية ” 5 / 289 بعد أن أورد هذا الحديث عن ” المسند “: ففي لفظ هذا الحديث غرابة ونكارة، ولعله روي بمعنى ما فهمه بعض الرواة، وفيهم من فيه تشيُّع، فليعلم ذلك، وأحسن ما فيه قولُها: أنت وما سمعت من رسول الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وهذا هو الصواب والمظنون بها، واللائق بأمرها وسيادتها وعلمها ودينها رضي الله عنها، ولكنها سألته بعد هذا أن يجعل زوجها ناظراً على هذه الصدقة، فلم يجبها إلى ذلك لما قدمناه، فعتبت عليه بسبب ذلك، وهي امرأة من بنات آدم، تأسف كما يأسفن، وليست بواجبة العصمة مع وجود نص رسول الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ومخالفة أبي بكر الصديق، رضي الله عنها، وقد روينا عن أبي بكررضي الله عنه: أنَّه ترضَّى فاطمة وتلاينها قبل موتها، فرضيت رضي الله عنها.

حدثنا عبد الله بن محمد بن أبي شيبة – وسمعته من عبد الله بن أبي شيبة – قال: حدثنا محمد بن فضيل، عن الوليد بن جميع، عن أبي الطفيل، قال: لما قبض رسول الله صلى الله عليه وسلم أرسلت فاطمة إلى أبي بكر: أنت ورثت رسول الله صلى الله عليه وسلم، أم أهله؟ قال: فقال: لا، بل أهله. قالت: فأين سهم رسول الله صلى الله عليه وسلم؟ قال: فقال أبو بكر: إني سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: ” إن الله عز وجل، إذا أطعم نبيا طعمة، ثم قبضه جعله للذي يقوم من بعده ” فرأيت أن أرده على المسلمين. قالت: فأنت، وما سمعت من رسول الله صلى الله عليه وسلم أعلم إسناده حسن، رجاله ثقات رجال الشيخين غير الوليد بن جميع – وهو الوليد بن عبد الله بن جميع – فمن رجال مسلم، وفيه كلام يحطه عن رتبة الصحيح. أبو الطفيل: هو عامر بن واثلة، من صغار الصحابة، وهو آخرهم موتا وأخرجه عمر بن شبة في ” تاريخ المدينة ” 1 / 198، والمروزي (78) ، وأبو يعلى (37) عن عبد الله بن محمد بن أبي شيبة، بهذا الإسناد وأخرجه أبو داود (2973) ، والبزار (54) من طريقين عن محمد بن فضيل، به وله شاهد عند البخاري في ” تاريخه الكبير ” 4 / 46، والسهمي في ” تاريخ جرجان ” ص 493 من طريق سليمان بن عبد الرحمن، حدثنا الوليد بن مسلم، حدثنا عبد الله بن العلاء بن زبر وغيره أنهما سمعا بلال بن سعد يحدث عن أبيه سعد بن تميم السكوني وكان من الصحابة قال: قيل: يا رسول الله ما للخليفة من بعدك؟ قال: ” مثل الذي لي ما عدل في الحكم وقسط في القسط ورحم ذا الرحم، فمن فعل غير ذلك فليس مني ولست منه ” وهذا سند صحيح وأورده الهيثمي 5 / 231 – 232 وقال: رواه الطبراني، ورجاله ثقات قال الحافظ ابن كثير في ” البداية ” 5 / 289 بعد أن أورد هذا الحديث عن ” المسند “: ففي لفظ هذا الحديث غرابة ونكارة، ولعله روي بمعنى ما فهمه بعض الرواة، وفيهم من فيه تشيع، فليعلم ذلك، وأحسن ما فيه قولها: أنت وما سمعت من رسول الله صلى الله عليه وسلم، وهذا هو الصواب والمظنون بها، واللائق بأمرها وسيادتها وعلمها ودينها رضي الله عنها، ولكنها سألته بعد هذا أن يجعل زوجها ناظرا على هذه الصدقة، فلم يجبها إلى ذلك لما قدمناه، فعتبت عليه بسبب ذلك، وهي امرأة من بنات آدم، تأسف كما يأسفن، وليست بواجبة العصمة مع وجود نص رسول الله صلى الله عليه وسلم، ومخالفة أبي بكر الصديق، رضي الله عنها، وقد روينا عن أبي بكررضي الله عنه: أنه ترضى فاطمة وتلاينها قبل موتها، فرضيت رضي الله عنها.

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر)

 ১৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية
  • English

পরিচ্ছেদঃ

১৫। আবু বাকর আস সিদ্দিক (রাঃ) বলেনঃ একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভোরে উঠলেন, ফজরের নামায পড়লেন। তারপর একই জায়গায় বসে রইলেন। দুপুরের আগে তিনি হাসলেন, তারপর আবার যথাস্থানে বসে রইলেন। অতঃপর একে একে জোহর, আছর ও মাগরিব পড়লেন। সব কিছুই নীরবে করলেন। অতঃপর সর্বশেষ নামায ইশা পড়লেন। তারপর নিজ পরিবারের নিকট চলে গেলেন। এরপর লোকেরা আবু বাকরকে বললোঃ আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করেন না কেন, তার কী হয়েছে? আজ তিনি যা করলেন, তা তো আর কখনো করেন নি। অতঃপর আবু বাকর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করলেন।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হ্যাঁ, আমার সামনে দুনিয়া ও আখিরাতের ভবিষ্যতের দৃশ্য দেখানো হয়েছে। পূর্বের ও পরের সকলকে একই ময়দানে সমবেত করা হলো। লোকেরা আতংকিত হয়ে আদম (আঃ) এর নিকট উপস্থিত হলো। তখন ঘাম তাদেরকে প্রায় আকণ্ঠ নিমজ্জিত করে ফেলেছে। সবাই বললোঃ হে আদম, আপনি তো মানব জাতির পিতা এবং আল্লাহ আপনাকে বিশেষভাবে মনোনীত করেছেন। আপনি আপনার প্রতিপালকের নিকট আমাদের জন্য সুপারিশ করুন। আদম (আঃ) বললেনঃ তোমরা যে পরিস্থিতির সম্মুখীন, আমিও তদ্ৰপ পরিস্থিতির সম্মুখীন। তোমরা তোমাদের পিতার পরবর্তী পিতা নূহের নিকট যাও। আল্লাহ বলেছেনঃ “নিশ্চয় আল্লাহ আদমকে, নূহকে, ইবরাহীমের বংশধরকে ও ইমরানের বংশধরকে সমগ্ৰ বিশ্ববাসীর ওপরে অগ্ৰাধিকার দিয়েছেন”।

অতঃপর তারা নূহ (আঃ) এর নিকট গেল। তাঁকে বললোঃ আমাদের জন্য আপনার প্রতিপালকের নিকট সুপারিশ করুন। কেননা আল্লাহ আপনাকে বিশেষভাবে মনোনীত করেছেন এবং আপনার দু’আ কবুল করেছেন। আপনার দু’আর কারণে তিনি পৃথিবীতে কোন কাফির গৃহবাসীকে জ্যান্ত ছাড়েননি। নূহ (আঃ) বললেনঃ আমার দ্বারা ওটা হবে না। তোমরা বরং ইবরাহীম (আঃ) এর কাছে যাও। কেননা আল্লাহ তা’আলা তাকে ’খলীল’ তথা বন্ধুরূপে গ্ৰহণ করেছেন। সবাই ইবরাহীম (আঃ) এর নিকট যাবে।

ইবরাহীম (আঃ) বলবেনঃ আমার কিছু করার নেই। তবে তোমরা মূসার নিকট যাও। কেননা আল্লাহ তা’আলা তাঁর সাথে বিশেষভাবে কথোপকথন করেছেন। মূসা (আঃ) বলবেনঃ আমার দ্বারা ওটা হবে না। তোমরা বরং ঈসার (আঃ) এর নিকট যাও। তিনি তো অন্ধ ও কুণ্ঠরোগীকে আরোগ্য করতেন এবং মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করতেন। ঈসা (আঃ) বলবেনঃ ওটা আমার দ্বারা হবে না। তোমরা বরং আদম সন্তানদের যিনি সরদার, তার কাছে যাও। কিয়ামতের দিন তিনিই সর্ব প্রথম জীবিত হয়ে কবর থেকে বেরিয়ে আসবেন। তোমরা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট যাও। তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের প্রতিপালকের নিকট সুপারিশ করবেন। অতঃপর মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রওয়ানা হবেন। এই সময়ে জিবরীল (আঃ) তাঁর প্রতিপালকের নিকট আসবেন।

আল্লাহ তাঁকে বলবেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অনুমতি দাও এবং তাকে জান্নাতের সুসংবাদ দাও। জিবরীল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে রওয়ানা হবেন। অতঃপর মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিজদায় যাবেন এবং প্রায় এক জুমুআর সময় ব্যাপী সিজদায় থাকবেন। তখন আল্লাহ বলবেনঃ হে মুহাম্মাদ! তোমার মাথা ওঠাও। বল, শ্রবণ করা হবে। সুপারিশ কর, সুপারিশ গ্ৰহণ করা হবে। তারপর তিনি মাথা ওঠাবেন। তারপর যখন তাঁর প্রতিপালকের দিকে তাকাবেন, আবার সিজদায় পড়বেন এবং আরেক জুমুআহ পরিমাণ থাকবেন। তখন আল্লাহ তা’আলা বলবেনঃ তোমার মাথা ওঠাও, বল শ্রবণ করা হবে, সুপারিশ কর, গ্ৰহণ করা হবে। অতঃপর তিনি (পুনরায়) সিজদা করতে উদ্যত হবেন। তখন জিবরীল তাঁকে এমন দু’আ শিক্ষা দেবেন, যা আর কোন মানুষকে কখনো দেননি।

অতঃপর (মুহাম্মাদ) বলবেনঃ হে আমার প্রতিপালক, আমাকে আদম সন্তানদের সরদাররূপে সৃষ্টি করেছেন। এতে আমার কোন গর্ব নেই। আমাকে সর্ব প্রথম জীবিত করে কবর থেকে উঠিয়েছেন, এতেও কোন গর্ব নেই। এমনকি আমার নিকট হাউজ (কাউসার) আনা হবে- যা বিস্তৃত থাকবে সানয়া’ থেকে আইলা পর্যন্ত। তারপর বলা হবেঃ সিদ্দিকগণকে ডাক, তারা সুপারিশ করুক। পুনরায় বলা হবেঃ নবীগণকে ডাক, তারা সুপারিশ করুক। অতঃপর এক একজন নবী তাঁর দলসহ আসবেন। এক একজন নবী আসবেন পাঁচজন ছয়জন করে সাথী নিয়ে। এক একজন নবী আসবেন কোন সাথী ছাড়াই। পুনরায় বলা হবেঃ শহীদদেরকে ডাক, তারা যার যার জন্য ইচ্ছা সুপারিশ করুক। শহীদগণ যখন আসবেন ও সুপারিশ করবেন, তখন আল্লাহ বলবেনঃ আমি সকল দয়াবানের চেয়ে বড় দয়াবান। যারা আমার সাথে কাউকে শরীক করতো না তাদের সকলকে আমার জান্নাতে প্রবেশ করাও। অতঃপর তারা সবাই জান্নাতে প্ৰবেশ করবে।

পুনরায় আল্লাহ বলবেনঃ জাহান্নামের ভেতরে খুঁজে দেখ, সেখানে এমন কেউ আছে কিনা যে, কখনো কোন সৎকাজ করেছে। তখন তারা (ফেরেশতারা) জাহান্নামে এক ব্যক্তিকে পাবে। আল্লাহ তাকে বলবেনঃ তুমি কি কখনো কোন ভালো কাজ করেছ? সে বলবেঃ না। তবে ক্রয় বিক্রয়ের সময় আমি মানুষের প্রতি উদারতা প্ৰদৰ্শন করতাম। তখন তোমরা (ফেরেশতারা) তেমনি তার প্রতি উদারতা দেখাও। ফেরেশতারা পুনরায় জাহান্নাম থেকে অপর এক ব্যক্তিকে বের করে আনবে। আল্লাহ তাকে বলবেনঃ তুমি কি কখনো ভাল কাজ করেছ? সে বলবেঃ না। তবে আমি আমার সন্তানদের বলেছি, আমি মারা গেলে তোমরা আমাকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিও। অতঃপর আমাকে (আমার পোড়া লাশকে) চুৰ্ণ করো। যখন আমি সুরমার মত হয়ে যাবো, তখন আমাকে সমুদ্রের কাছে নিয়ে বাতাসে উড়িয়ে দিও। তাহলে আল্লাহর কসম! বিশ্ব প্ৰভু আমাকে শাস্তি দিতে পারবেন না।

তখন আল্লাহ বলবেনঃ তুমি এরূপ করেছিলে কেন? সে বলবেঃ আপনার ভয়ে। তখন আল্লাহ বলবেনঃ তাকাও সর্বশ্রেষ্ঠ রাজার রাজ্যের দিকে। তোমার জন্য অনুরূপ রাজ্য ও অদ্ৰপ আরো দশটি রাজ্য নির্ধারিত রয়েছে। সে বলবেঃ আপনি বিশ্ব সম্রাট হয়েও আমার সাথে ঠাট্টা করছেন? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলবেনঃ দুপুরের পূর্বে আমি যে হেসেছিলাম, তা এই কারণেই।[১]

[১]. ইবনু হিব্বানের মতে, এটি সহীহ হাদীস (৬৪৭৬) ইসহাক থেকে এই মর্মে উক্তি উদ্ধৃত হয়েছে যে, এটি একটি শ্ৰেষ্ঠ হাদীস।

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ إِسْحَاقَ الطَّالْقَانِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنِي النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ الْمَازِنِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو نَعَامَةَ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو هُنَيْدَةَ الْبَرَاءُ بْنُ نَوْفَلٍ، عَنْ وَالَانَ الْعَدَوِيِّ، عَنْ حُذَيْفَةَ

عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، قَالَ: أَصْبَحَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ يَوْمٍ فَصَلَّى الْغَدَاةَ، ثُمَّ جَلَسَ، حَتَّى إِذَا كَانَ مِنَ الضُّحَى ضَحِكَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ جَلَسَ مَكَانَهُ حَتَّى صَلَّى الْأُولَى وَالْعَصْرَ وَالْمَغْرِبَ، كُلُّ ذَلِكَ لَا يَتَكَلَّمُ، حَتَّى صَلَّى الْعِشَاءَ الْآخِرَةَ، ثُمَّ قَامَ إِلَى أَهْلِهِ، فَقَالَ النَّاسُ لِأَبِي بَكْرٍ: أَلا تَسْأَلُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا شَأْنُهُ؟ صَنَعَ الْيَوْمَ شَيْئًا لَمْ يَصْنَعْهُ قَطُّ، قَالَ: فَسَأَلَهُ، فَقَالَ: نَعَمْ عُرِضَ عَلَيَّ مَا هُوَ كَائِنٌ مِنْ أَمْرِ الدُّنْيَا، وَأَمْرِ الْآخِرَةِ، فَجُمِعَ الْأَوَّلُونَ وَالْآخِرُونَ بِصَعِيدٍ وَاحِدٍ، فَفَظِعَ النَّاسُ بِذَلِكَ، حَتَّى انْطَلَقُوا إِلَى آدَمَ عَلَيْهِ السَّلامُ، وَالْعَرَقُ يَكَادُ يُلْجِمُهُمْ، فَقَالُوا: يَا آدَمُ، أَنْتَ أَبُو الْبَشَرِ، وَأَنْتَ اصْطَفَاكَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ، اشْفَعْ لَنَا إِلَى رَبِّكَ، قَالَ: قَدْ لَقِيتُ مِثْلَ الَّذِي لَقِيتُمْ، انْطَلِقُوا إِلَى أَبِيكُمْ بَعْدَ أَبِيكُمْ، إِلَى نُوحٍ: (إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَى آدَمَ وَنُوحًا وَآلَ إِبْرَاهِيمَ وَآلَ عِمْرَانَ عَلَى الْعَالَمِينَ) [آل عمران: ٣٣] ، قَالَ: فَيَنْطَلِقُونَ إِلَى نُوحٍ عَلَيْهِ السَّلامُ، فَيَقُولُونَ: اشْفَعْ لَنَا إِلَى رَبِّكَ، فَأَنْتَ اصْطَفَاكَ اللهُ، وَاسْتَجَابَ لَكَ فِي دُعَائِكَ، وَلَمْ يَدَعْ عَلَى الْأَرْضِ مِنَ الْكَافِرِينَ دَيَّارًا، فَيَقُولُ: لَيْسَ ذَاكُمْ عِنْدِي، انْطَلِقُوا إِلَى إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلامُ، فَإِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ اتَّخَذَهُ خَلِيلًا، فَيَنْطَلِقُونَ إِلَى إِبْرَاهِيمَ، فَيَقُولُ: لَيْسَ ذَاكُمْ عِنْدِي، وَلَكِنِ انْطَلِقُوا إِلَى مُوسَى عَلَيْهِ السَّلامُ، فَإِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ كَلَّمَهُ تَكْلِيمًا، فَيَقُولُ مُوسَى عَلَيْهِ السَّلامُ: لَيْسَ ذَاكُمْ عِنْدِي، وَلَكِنِ انْطَلِقُوا إِلَى عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ، فَإِنَّهُ يُبْرِئُ الْأَكْمَهَ وَالْأَبْرَصَ وَيُحْيِي الْمَوْتَى، فَيَقُولُ عِيسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ: لَيْسَ ذَاكُمْ عِنْدِي، وَلَكِنِ انْطَلِقُوا إِلَى سَيِّدِ وَلَدِ آدَمَ، فَإِنَّهُ أَوَّلُ مَنْ تَنْشَقُّ عَنْهُ الْأَرْضُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، انْطَلِقُوا إِلَى مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَيَشْفَعَ لَكُمْ إِلَى رَبِّكُمْ عَزَّ وَجَلَّ

قَالَ: فَيَنْطَلِقُ، فَيَأْتِي جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلامُ رَبَّهُ، فَيَقُولُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ: ائْذَنْ لَهُ، وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ، قَالَ : فَيَنْطَلِقُ بِهِ جِبْرِيلُ فَيَخِرُّ سَاجِدًا قَدْرَ جُمُعَةٍ، وَيَقُولُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ: ارْفَعْ رَأْسَكَ يَا مُحَمَّدُ، وَقُلْ يُسْمَعْ، وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ، قَالَ: فَيَرْفَعُ رَأْسَهُ، فَإِذَا نَظَرَ إِلَى رَبِّهِ عَزَّ وَجَلَّ، خَرَّ سَاجِدًا قَدْرَ جُمُعَةٍ أُخْرَى، فَيَقُولُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ: ارْفَعْ رَأْسَكَ، وَقُلْ يُسْمَعْ، وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ، قَالَ: فَيَذْهَبُ لِيَقَعَ سَاجِدًا، فَيَأْخُذُ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلامُ بِضَبْعَيْهِ فَيَفْتَحُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَيْهِ مِنَ الدُّعَاءِ شَيْئًا لَمْ يَفْتَحْهُ عَلَى بَشَرٍ قَطُّ، فَيَقُولُ: أَيْ رَبِّ، خَلَقْتَنِي سَيِّدَ وَلَدِ آدَمَ، وَلا فَخْرَ، وَأَوَّلَ مَنْ تَنْشَقُّ عَنْهُ الْأَرْضُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَلا فَخْرَ، حَتَّى إِنَّهُ لَيَرِدُ عَلَيَّ الْحَوْضَ أَكْثَرُ مِمَّا بَيْنَ صَنْعَاءَ وَأَيْلَةَ، ثُمَّ يُقَالُ: ادْعُوا الصِّدِّيقِينَ فَيَشْفَعُونَ، ثُمَّ يُقَالُ: ادْعُوا الْأَنْبِيَاءَ ، قَالَ: فَيَجِيءُ النَّبِيُّ وَمَعَهُ الْعِصَابَةُ، وَالنَّبِيُّ وَمَعَهُ الْخَمْسَةُ وَالسِّتَّةُ، وَالنَّبِيُّ لَيْسَ مَعَهُ أَحَدٌ، ثُمَّ يُقَالُ: ادْعُوا الشُّهَدَاءَ فَيَشْفَعُونَ لِمَنْ أَرَادُوا، قَالَ: فَإِذَا فَعَلَتِ الشُّهَدَاءُ ذَلِكَ، قَالَ: يَقُولُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ: أَنَا أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ، أَدْخِلُوا جَنَّتِي مَنْ كَانَ لَا يُشْرِكُ بِي شَيْئًا، قَالَ: فَيَدْخُلُونَ الْجَنَّة

قَالَ: ثُمَّ يَقُولُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ: انْظُرُوا فِي النَّارِ: هَلْ تَلْقَوْنَ مِنْ أَحَدٍ عَمِلَ خَيْرًا قَطُّ؟ قَالَ: فَيَجِدُونَ فِي النَّارِ رَجُلًا، فَيَقُولُ لَهُ: هَلْ عَمِلْتَ خَيْرًا قَطُّ؟ فَيَقُولُ: لَا، غَيْرَ أَنِّي كُنْتُ أُسَامِحُ النَّاسَ فِي الْبَيْعِ ، فَيَقُولُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ: أَسْمِحُوا لِعَبْدِي كَإِسْمَاحِهِ إِلَى عَبِيدِي.

ثُمَّ يُخْرِجُونَ مِنَ النَّارِ رَجُلًا فَيَقُولُ لَهُ: هَلْ عَمِلْتَ خَيْرًا قَطُّ؟ فَيَقُولُ: لَا، غَيْرَ أَنِّي قَدْ أَمَرْتُ وَلَدِي: إِذَا مِتُّ فَأَحْرِقُونِي بِالنَّارِ، ثُمَّ اطْحَنُونِي، حَتَّى إِذَا كُنْتُ مِثْلَ الْكُحْلِ، فَاذْهَبُوا بِي إِلَى الْبَحْرِ، فَاذْرُونِي فِي الرِّيحِ، فَوَاللهِ لَا يَقْدِرُ عَلَيَّ رَبُّ الْعَالَمِينَ أَبَدًا، فَقَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ لَهُ: لِمَ فَعَلْتَ ذَلِكَ؟ قَالَ: مِنْ مَخَافَتِكَ، قَالَ: فَيَقُولُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ: انْظُرْ إِلَى مُلْكِ أَعْظَمِ مَلِكٍ، فَإِنَّ لَكَ مِثْلَهُ وَعَشَرَةَ أَمْثَالِهِ، قَالَ: فَيَقُولُ: لِمَ تَسْخَرُ بِي وَأَنْتَ الْمَلِكُ؟ قَالَ: وَذَاكَ الَّذِي ضَحِكْتُ مِنْهُ مِنَ الضُّحَى

إسناده حسن

أبو نعامة: هو عمرو بن عيسى بن سويد العدوي، وثقه ابن معين والنسائي وابن حبان، وقال أبو حاتم: لا بأس به، وقال أحمد: ثقة إلا أنه اختلط قبل موته، وقال الذهبي في الكاشف “: ثقة، قيل: تغير بأخرة، واحتج به مسلم وابن ماجه، وأبو هنيدة روى عنه جمع، وذكره ابن حبان في ” الثقات ” 7 / 668، وثقه ابن معين كما في ” الجرح والتعديل ” 2 / 40، وقال ابن سعد في ” الطبقات ” 7 / 226: كان معروفاً قليل الحديث، ووالان العدوي: هو والان بن بيهس أو ابن قرفة، قال الحافظ في ” تعجيل المنفعة ” رقم (1150) : قال ابن معين: والان بن قرفة بصري ثقة، وذكره ابن حبان في ” الثقات ” 5 / 497، وقول الدارقطني عنه في ” العلل ” 1 / 190 – 191: ليس بمشهور إلا في هذا الحديث، والحديث غير ثابت، متعقب بما في ” لسان الميزان ” 6 / 216: كذا قال، وقد قال يحيى بن معين: بصري ثقة، وذكره ابن حبان في ” الثقات “، وأخرج حديثه في ” صحيحه “، وكذا أخرجه أبو عوانة وهو من زياداته على مسلم

وأخرجه الدارمي في ” الرد على الجهمية ” 57 و88، وابن أبي عاصم في ” السنة ” (751) و (812) ، والمروزي (15) ، والبزار (76) ، وأبو يعلى (56) و (57) ، والدولابي في ” الكنى والأسماء ” 2 / 155، وأبو عوانة 1 / 175، وابن حبان (6476) من طرق عن النضر بن شميل، بهذا الإسناد

وأخرجه ابن حبان (6476) من طريق علي بن المديني، عن روح بن عبادة، عن أبي نعامة، به. ونقل عن إسحاق بن راهويه في آخر الحديث قوله: هذا من أشرف الحديث، وقد روى هذا الحديث عدةٌ عن النبي صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نحو هذا، منهم: حذيفة وابن مسعود وأبو هريرة وغيرهم

قوله: ” ففظع الناس بذلك “، أي: اشتدَّ عليهم وهابوه

الأكمه: الأعمى

وقوله: بضبعيه “، الضَّبْع وسط العَضُد، وقيل: هو ما تحت الإِبط

وقوله: اسمحوا لعبدي “، يقال: سَمَح وأسمَح، إذا جاد وأعطى عن كرم وسخاء

وقوله: ” حتى انطلقوا إلى آدم “، قال السندي: قيل: الحكمة في أن الله تعالى أَلهمهم سؤال آدم ومَن بعده من الأنبياء صلوات الله وسلامه عليهم ابتداءً ولم يُلهمهم سؤالَ نبينا محمد صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إظهار فضيلته صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فإنهم لو سألوه ابتداءً لكان يحتمل أن غيره يقدر على هذا، وأما إذا سألوا غيره ثم انتهوا إليه، فقد عُلِم أن هذا المقام المحمود لا يقدر على الإقدام عليه غيره صلوات الله وسلامه عليه وعليهم أجمعين

وقوله: ” فينطلق “، قال السندي: أي: محمد إلى ربه للشفاعة، وهذا اللفظ إما من كلام الصِّدِّيق يحكي به معنى ما سمع، أو من كلامه صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذكر نفسه على وجه الغيبة تنبيهاً على أنه يوم تغيب عنه فيه نفسه، إما هيبة لجلاله تعالى، أو لأنه في شأن أمته على خلاف سائر الخلق فإنهم في شأن أنفسهم كما هو معلوم، ففي الكلام على الوجه الثاني التفات لطيف، وفي بعض النسخ ” فينطلقون ” أي: الخلق إلى النبي صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وعلى النسختين في الكلام إيجاز كثير لا يخفى شأنه

وقوله: ” لا يقدر عليّ “، أي: بهذا الطريق، أي: ولئن قدر عليَّ يعذبني، وكأنه لم يقل ذلك تكذيباً للقُدرة، بل قال لأنه لحقه من شدة الحال ما غَيَّر عقله وصيره كالمجنون المبهوت، فلم يدر ماذا يقول وماذا يفعل، وهكذا حال العاجز المتحير في الأمر يفعل كلَّ ما يقدر عليه في ذلك الحال ولا يدري أنه ينفعه ذلك أم لا؟

حدثنا إبراهيم بن إسحاق الطالقاني، قال: حدثني النضر بن شميل المازني، قال: حدثني أبو نعامة، قال: حدثني أبو هنيدة البراء بن نوفل، عن والان العدوي، عن حذيفة عن أبي بكر الصديق، رضي الله عنه، قال: أصبح رسول الله صلى الله عليه وسلم ذات يوم فصلى الغداة، ثم جلس، حتى إذا كان من الضحى ضحك رسول الله صلى الله عليه وسلم، ثم جلس مكانه حتى صلى الأولى والعصر والمغرب، كل ذلك لا يتكلم، حتى صلى العشاء الآخرة، ثم قام إلى أهله، فقال الناس لأبي بكر: ألا تسأل رسول الله صلى الله عليه وسلم ما شأنه؟ صنع اليوم شيئا لم يصنعه قط، قال: فسأله، فقال: نعم عرض علي ما هو كائن من أمر الدنيا، وأمر الآخرة، فجمع الأولون والآخرون بصعيد واحد، ففظع الناس بذلك، حتى انطلقوا إلى آدم عليه السلام، والعرق يكاد يلجمهم، فقالوا: يا آدم، أنت أبو البشر، وأنت اصطفاك الله عز وجل، اشفع لنا إلى ربك، قال: قد لقيت مثل الذي لقيتم، انطلقوا إلى أبيكم بعد أبيكم، إلى نوح: (إن الله اصطفى آدم ونوحا وآل إبراهيم وآل عمران على العالمين) [آل عمران: ٣٣] ، قال: فينطلقون إلى نوح عليه السلام، فيقولون: اشفع لنا إلى ربك، فأنت اصطفاك الله، واستجاب لك في دعائك، ولم يدع على الأرض من الكافرين ديارا، فيقول: ليس ذاكم عندي، انطلقوا إلى إبراهيم عليه السلام، فإن الله عز وجل اتخذه خليلا، فينطلقون إلى إبراهيم، فيقول: ليس ذاكم عندي، ولكن انطلقوا إلى موسى عليه السلام، فإن الله عز وجل كلمه تكليما، فيقول موسى عليه السلام: ليس ذاكم عندي، ولكن انطلقوا إلى عيسى ابن مريم، فإنه يبرئ الأكمه والأبرص ويحيي الموتى، فيقول عيسى عليه السلام: ليس ذاكم عندي، ولكن انطلقوا إلى سيد ولد آدم، فإنه أول من تنشق عنه الأرض يوم القيامة، انطلقوا إلى محمد صلى الله عليه وسلم، فيشفع لكم إلى ربكم عز وجل قال: فينطلق، فيأتي جبريل عليه السلام ربه، فيقول الله عز وجل: ائذن له، وبشره بالجنة، قال : فينطلق به جبريل فيخر ساجدا قدر جمعة، ويقول الله عز وجل: ارفع رأسك يا محمد، وقل يسمع، واشفع تشفع، قال: فيرفع رأسه، فإذا نظر إلى ربه عز وجل، خر ساجدا قدر جمعة أخرى، فيقول الله عز وجل: ارفع رأسك، وقل يسمع، واشفع تشفع، قال: فيذهب ليقع ساجدا، فيأخذ جبريل عليه السلام بضبعيه فيفتح الله عز وجل عليه من الدعاء شيئا لم يفتحه على بشر قط، فيقول: أي رب، خلقتني سيد ولد آدم، ولا فخر، وأول من تنشق عنه الأرض يوم القيامة، ولا فخر، حتى إنه ليرد علي الحوض أكثر مما بين صنعاء وأيلة، ثم يقال: ادعوا الصديقين فيشفعون، ثم يقال: ادعوا الأنبياء ، قال: فيجيء النبي ومعه العصابة، والنبي ومعه الخمسة والستة، والنبي ليس معه أحد، ثم يقال: ادعوا الشهداء فيشفعون لمن أرادوا، قال: فإذا فعلت الشهداء ذلك، قال: يقول الله عز وجل: أنا أرحم الراحمين، أدخلوا جنتي من كان لا يشرك بي شيئا، قال: فيدخلون الجنة قال: ثم يقول الله عز وجل: انظروا في النار: هل تلقون من أحد عمل خيرا قط؟ قال: فيجدون في النار رجلا، فيقول له: هل عملت خيرا قط؟ فيقول: لا، غير أني كنت أسامح الناس في البيع ، فيقول الله عز وجل: أسمحوا لعبدي كإسماحه إلى عبيدي. ثم يخرجون من النار رجلا فيقول له: هل عملت خيرا قط؟ فيقول: لا، غير أني قد أمرت ولدي: إذا مت فأحرقوني بالنار، ثم اطحنوني، حتى إذا كنت مثل الكحل، فاذهبوا بي إلى البحر، فاذروني في الريح، فوالله لا يقدر علي رب العالمين أبدا، فقال الله عز وجل له: لم فعلت ذلك؟ قال: من مخافتك، قال: فيقول الله عز وجل: انظر إلى ملك أعظم ملك، فإن لك مثله وعشرة أمثاله، قال: فيقول: لم تسخر بي وأنت الملك؟ قال: وذاك الذي ضحكت منه من الضحى إسناده حسن أبو نعامة: هو عمرو بن عيسى بن سويد العدوي، وثقه ابن معين والنسائي وابن حبان، وقال أبو حاتم: لا بأس به، وقال أحمد: ثقة إلا أنه اختلط قبل موته، وقال الذهبي في الكاشف “: ثقة، قيل: تغير بأخرة، واحتج به مسلم وابن ماجه، وأبو هنيدة روى عنه جمع، وذكره ابن حبان في ” الثقات ” 7 / 668، وثقه ابن معين كما في ” الجرح والتعديل ” 2 / 40، وقال ابن سعد في ” الطبقات ” 7 / 226: كان معروفا قليل الحديث، ووالان العدوي: هو والان بن بيهس أو ابن قرفة، قال الحافظ في ” تعجيل المنفعة ” رقم (1150) : قال ابن معين: والان بن قرفة بصري ثقة، وذكره ابن حبان في ” الثقات ” 5 / 497، وقول الدارقطني عنه في ” العلل ” 1 / 190 – 191: ليس بمشهور إلا في هذا الحديث، والحديث غير ثابت، متعقب بما في ” لسان الميزان ” 6 / 216: كذا قال، وقد قال يحيى بن معين: بصري ثقة، وذكره ابن حبان في ” الثقات “، وأخرج حديثه في ” صحيحه “، وكذا أخرجه أبو عوانة وهو من زياداته على مسلم وأخرجه الدارمي في ” الرد على الجهمية ” 57 و88، وابن أبي عاصم في ” السنة ” (751) و (812) ، والمروزي (15) ، والبزار (76) ، وأبو يعلى (56) و (57) ، والدولابي في ” الكنى والأسماء ” 2 / 155، وأبو عوانة 1 / 175، وابن حبان (6476) من طرق عن النضر بن شميل، بهذا الإسناد وأخرجه ابن حبان (6476) من طريق علي بن المديني، عن روح بن عبادة، عن أبي نعامة، به. ونقل عن إسحاق بن راهويه في آخر الحديث قوله: هذا من أشرف الحديث، وقد روى هذا الحديث عدة عن النبي صلى الله عليه وسلم نحو هذا، منهم: حذيفة وابن مسعود وأبو هريرة وغيرهم قوله: ” ففظع الناس بذلك “، أي: اشتد عليهم وهابوه الأكمه: الأعمى وقوله: بضبعيه “، الضبع وسط العضد، وقيل: هو ما تحت الإبط وقوله: اسمحوا لعبدي “، يقال: سمح وأسمح، إذا جاد وأعطى عن كرم وسخاء وقوله: ” حتى انطلقوا إلى آدم “، قال السندي: قيل: الحكمة في أن الله تعالى ألهمهم سؤال آدم ومن بعده من الأنبياء صلوات الله وسلامه عليهم ابتداء ولم يلهمهم سؤال نبينا محمد صلى الله عليه وسلم، إظهار فضيلته صلى الله عليه وسلم، فإنهم لو سألوه ابتداء لكان يحتمل أن غيره يقدر على هذا، وأما إذا سألوا غيره ثم انتهوا إليه، فقد علم أن هذا المقام المحمود لا يقدر على الإقدام عليه غيره صلوات الله وسلامه عليه وعليهم أجمعين وقوله: ” فينطلق “، قال السندي: أي: محمد إلى ربه للشفاعة، وهذا اللفظ إما من كلام الصديق يحكي به معنى ما سمع، أو من كلامه صلى الله عليه وسلم ذكر نفسه على وجه الغيبة تنبيها على أنه يوم تغيب عنه فيه نفسه، إما هيبة لجلاله تعالى، أو لأنه في شأن أمته على خلاف سائر الخلق فإنهم في شأن أنفسهم كما هو معلوم، ففي الكلام على الوجه الثاني التفات لطيف، وفي بعض النسخ ” فينطلقون ” أي: الخلق إلى النبي صلى الله عليه وسلم، وعلى النسختين في الكلام إيجاز كثير لا يخفى شأنه وقوله: ” لا يقدر علي “، أي: بهذا الطريق، أي: ولئن قدر علي يعذبني، وكأنه لم يقل ذلك تكذيبا للقدرة، بل قال لأنه لحقه من شدة الحال ما غير عقله وصيره كالمجنون المبهوت، فلم يدر ماذا يقول وماذا يفعل، وهكذا حال العاجز المتحير في الأمر يفعل كل ما يقدر عليه في ذلك الحال ولا يدري أنه ينفعه ذلك أم لا؟

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر)

 ১৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية
  • English

পরিচ্ছেদঃ

১৬। একদিন আবু বাকর (রাঃ) ভাষণ দিতে দাঁড়িয়ে প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা করলেন, অতঃপর বললেনঃ হে জনমণ্ডলী, তোমরা নিশ্চয়ই এ আয়াতটি পড়ে থাকঃيَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا عَلَيْكُمْ أَنْفُسَكُمْ لَا يَضُرُّكُمْ مَنْ ضَلَّ إِذَا اهْتَدَيْتُمْ “হে মুমিনগণ! তোমরা নিজেদের ব্যাপারে সাবধান হও, তোমরা সৎপথে চললে বিপথগামীরা তোমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না।” (আয়াতের শেষ পর্যন্ত) তবে তোমরা এ আয়াতের ভুল অর্থ গ্রহণ করে থাক। আমি তো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, মানুষ যখন খারাপ কাজ সংঘটিত হতে দেখে, অথচ তাকে পাল্টে দেয় না (প্রতিবাদ বা প্রতিরোধের মাধ্যমে তা বন্ধ করেনা) তখন অচিরেই আল্লাহ তাদের ওপর তার সর্বব্যাপী আযাব নাযিল করেন। আবু বাকর (রাঃ) আরো বললেনঃ সাবধান, মিথ্যা বলোনা। মিথ্যা কথা ঈমানের পরিপন্থী। (অত্র গ্রন্থের ১ নং হাদীস দ্রষ্টব্য)।

حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، قَالَ: حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ – يَعْنِي ابْنَ مُعَاوِيَةَ – قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا قَيْسٌ، قَالَ: قَامَ أَبُو بَكْرٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، فَحَمِدَ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ، وَأَثْنَى عَلَيْهِ، فَقَالَ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّكُمْ تَقْرَءُونَ هَذِهِ الْآيَةَ: (يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا عَلَيْكُمْ أَنْفُسَكُمْ لَا يَضُرُّكُمْ مَنْ ضَلَّ إِذَا اهْتَدَيْتُمْ) [المائدة: ١٠٥] إِلَى آخِرِ الْآيَةِ، وَإِنَّكُمْ تَضَعُونَهَا عَلَى غَيْرِ مَوْضِعِهَا، وَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: ” إِنَّ النَّاسَ إِذَا رَأَوْا الْمُنْكَرَ، لا يُغَيِّرُوهُ (1) ، أَوْشَكَ اللهُ أَنْ يَعُمَّهُمْ بِعِقَابِهِ

قَالَ: وَسَمِعْتُ أَبَا بَكْرٍ، يَقُولُ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ، إِيَّاكُمْ وَالْكَذِبَ، فَإِنَّ الْكَذِبَ مُجَانِبٌ لِلْإِيمَانِ

إسناده صحيح على شرط الشيخين تقدم برقم (1) وسيأتي برقم (29) و (30) و (53)

حدثنا هاشم بن القاسم، قال: حدثنا زهير – يعني ابن معاوية – قال: حدثنا إسماعيل بن أبي خالد، قال: حدثنا قيس، قال: قام أبو بكر، رضي الله عنه، فحمد الله عز وجل، وأثنى عليه، فقال: يا أيها الناس إنكم تقرءون هذه الآية: (يا أيها الذين آمنوا عليكم أنفسكم لا يضركم من ضل إذا اهتديتم) [المائدة: ١٠٥] إلى آخر الآية، وإنكم تضعونها على غير موضعها، وإني سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم، يقول: ” إن الناس إذا رأوا المنكر، لا يغيروه (1) ، أوشك الله أن يعمهم بعقابه قال: وسمعت أبا بكر، يقول: يا أيها الناس، إياكم والكذب، فإن الكذب مجانب للإيمان إسناده صحيح على شرط الشيخين تقدم برقم (1) وسيأتي برقم (29) و (30) و (53)

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر)

 ১৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية
  • English

পরিচ্ছেদঃ

১৭। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তিকালের পর আবু বাকর (রাঃ) বললেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গত বছর আমার এই জায়গায় দাঁড়িয়েছিলেন। অতঃপর আবু বকর (রাঃ) কাঁদলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা সত্যবাদিতাকে আঁকড়ে ধর। কেননা সত্যবাদিতা সততার সাথী। এই দুটোই জান্নাতে যাওয়ার উপকরণ। সাবধান, মিথ্যা বলোনা। মিথ্যা পাপাচারের সাথী। আর এই দুটোই (মিথ্যা ও পাপাচার) জাহান্নামে যাওয়ার উপকরণ। আল্লাহর কাছে সুস্থতা চাও। কেননা কোন ব্যক্তি ঈমানের পরে সুস্থতার চেয়ে ভালো কোন নিয়ামত লাভ করেনি। তারপর বললেনঃ তোমরা একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ো না। একে অপরের পেছনে লেগো না। হিংসা ও বিদ্বেষ পোষণ করো না। আল্লাহর বান্দা ও ভাই ভাই হয়ে যাও। (৫ নং হাদীস দ্রষ্টব্য)।

حَدَّثَنَا هَاشِمٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: أَخْبَرَنِي يَزِيدُ بْنُ خُمَيْرٍ، قَالَ: سَمِعْتُ سُلَيْمَ بْنَ عَامِرٍ – رَجُلًا مِنْ حِمْيَرَ – يُحَدِّثُ، عَنْ أَوْسَطَ بْنِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَوْسَطَ الْبَجَلِيِّ، يُحَدِّثُ

عَنْ أَبِي بَكْرٍ: أَنَّهُ سَمِعَهُ حِينَ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: قَامَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْأَوَّلِ مَقَامِي هَذَا – ثُمَّ بَكَى – ثُمَّ قَالَ: ” عَلَيْكُمْ بِالصِّدْقِ فَإِنَّهُ مَعَ الْبِرِّ، وَهُمَا فِي الْجَنَّةِ، وَإِيَّاكُمْ وَالْكَذِبَ فَإِنَّهُ مَعَ الْفُجُورِ، وَهُمَا فِي النَّارِ، وَسَلُوا اللهَ الْمُعَافَاةَ، فَإِنَّهُ لَمْ يُؤْتَ رَجُلٌ بَعْدَ الْيَقِينِ شَيْئًا خَيْرًا مِنَ الْمُعَافَاةِ ” ثُمَّ قَالَ: لَا تَقَاطَعُوا، وَلا تَدَابَرُوا، وَلا تَبَاغَضُوا، وَلا تَحَاسَدُوا، وَكُونُوا عِبَادَ اللهِ إِخْوَانًا

إسناده صحيح. وقد تقدم برقم (5)

حدثنا هاشم، قال: حدثنا شعبة، قال: أخبرني يزيد بن خمير، قال: سمعت سليم بن عامر – رجلا من حمير – يحدث، عن أوسط بن إسماعيل بن أوسط البجلي، يحدث عن أبي بكر: أنه سمعه حين توفي رسول الله صلى الله عليه وسلم، قال: قام رسول الله صلى الله عليه وسلم عام الأول مقامي هذا – ثم بكى – ثم قال: ” عليكم بالصدق فإنه مع البر، وهما في الجنة، وإياكم والكذب فإنه مع الفجور، وهما في النار، وسلوا الله المعافاة، فإنه لم يؤت رجل بعد اليقين شيئا خيرا من المعافاة ” ثم قال: لا تقاطعوا، ولا تدابروا، ولا تباغضوا، ولا تحاسدوا، وكونوا عباد الله إخوانا إسناده صحيح. وقد تقدم برقم (5)

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر)

 ১৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية
  • English

পরিচ্ছেদঃ

১৮। হুমাইদ বিন আবদুর রহমান থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ইন্তিকাল করেন, তখন আবু বাকর (রাঃ) মদীনায় একটি দলের সাথে অবস্থান করছিলেন। তিনি এলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চেহারা খুললেন, তাঁকে চুমু খেলেন এবং বললেনঃ আপনার উপর আমার পিতামাতা উৎসর্গ হোক। জীবিত ও মৃত উভয় অবস্থায় আপনি মহাপবিত্র। কা’বার প্রভুর শপথ! মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মারা গেছেন। (অতঃপর বর্ণনাকারী পুরো হাদীস উল্লেখ করেন।) অতঃপর বলেনঃ এরপর আবু বাকর (রাঃ) ও উমার (রাঃ) দূতিয়ালীর ভঙ্গিতে রওনা হয়ে তাদের (যেসব মুহাজির ও আনসার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উত্তরসূরী নিয়োগের ব্যাপারে আলোচনা করছিলেন তাদের) কাছে উপনীত হলেন।

আবু বাকর (রাঃ) ভাষণ দিলেন। এই ভাষণে তিনি এমন একটি কথাও বলতে বাদ রাখলেন না, যা আনসারদের সম্পর্কে নাযিল হয়েছে কিংবা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উল্লেখ করেছেন। তিনি বললেনঃ আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সবাই যদি এক পথে চলে, আর আনসারগণ আরেক পথে চলে, তবে আমি আনসারদের পথে চলবো। হে সাদ, আপনি বসা থাকা অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে বলেছিলেন, কুরাইশ এই (ইসলামী) রাষ্ট্রের শাসক, তা আপনি অবশ্যই জানেন। সৎ লোকেরা সৎ লোকদের অনুগত হয়। আর অসৎ লোকেরা অসৎ লোকদের অনুগত হয়। সা’দ বললেনঃ আপনি সত্যই বলেছেন। আমরা উজীর (মন্ত্রণা দাতা) আর আপনারা শাসক। (অর্থাৎ আনসারগণ মন্ত্রী তথা পরামর্শদাতার ভূমিকা পালন করবে, আর মুহাজিররা শাসকের ভূমিকা।)

حَدَّثَنَا عَفَّانُ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ عَبْدِ اللهِ الْأَوْدِيِّ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: تُوُفِّيَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ فِي طَائِفَةٍ مِنَ الْمَدِينَةِ، قَالَ: فَجَاءَ فَكَشَفَ عَنْ وَجْهِهِ فَقَبَّلَهُ، وَقَالَ: فِدًى لَكَ أَبِي وَأُمِّي، مَا أَطْيَبَكَ حَيًّا وَمَيِّتًا، مَاتَ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَرَبِّ الْكَعْبَةِ … فَذَكَرَ الْحَدِيثَ

قَالَ: فَانْطَلَقَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ يَتَقَاوَدَانِ حَتَّى أَتَوْهُمْ، فَتَكَلَّمَ أَبُو بَكْرٍ، وَلَمْ يَتْرُكْ شَيْئًا أُنْزِلَ فِي الْأَنْصَارِ وَلا ذَكَرَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ شَأْنِهِمْ، إِلَّا وَذَكَرَهُ، وَقَالَ: وَلَقَدْ عَلِمْتُمْ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” لَوْ سَلَكَ النَّاسُ وَادِيًا، وَسَلَكَتِ الْأَنْصَارُ وَادِيًا، سَلَكْتُ وَادِيَ الْأَنْصَارِ “. وَلَقَدْ عَلِمْتَ يَا سَعْدُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ، وَأَنْتَ قَاعِدٌ: ” قُرَيْشٌ وُلاةُ هَذَا الْأَمْرِ، فَبَرُّ النَّاسِ تَبَعٌ لِبَرِّهِمْ، وَفَاجِرُهُمْ تَبَعٌ لِفَاجِرِهِمْ “. قَالَ: فَقَالَ لَهُ سَعْدٌ: صَدَقْتَ، نَحْنُ الْوُزَرَاءُ، وَأَنْتُمُ الْأُمَرَاءُ

صحيح لغيره، رجاله ثقات رجال الشيخين، وهو مرسل، فإن حميد بن عبد الرحمن – وهو الحِميري، فيما قاله ابن حجر في ” أطراف المسند ” 2 / ورقة 13 – تابعي ولم يدرك أبا بكر ولا عمر، وثم يصرح هنا بذكر من حدَّثه. وقد تفرد به الإمام أحمد

وقوله: ” توفي رسول الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ … ” له شاهد من حديث عائشة عند البخاري (1241) و (3667)

وقوله: ” لو سلك الناس وادياً … ” له شاهد من حديث أنس عند البخاري (3778) ، وآخر من حديث أبي هريرة عند البخاري أيضاً (3779) ، وثالث من حديث أُبي بن كعب عند الترمذي (3896)

وقوله: ” قريش ولاة هذا الأمر … ” له شاهد من حديث أبي هريرة عند البخاري (3495) ومسلم (1818) وصححه ابن حبان (6264) وسيأتي في ” المسند ” 2 / 161 و242 و319

وقوله ” يتقاودان “: قال ابن الأثير في ” النهاية ” 4 / 119: ” يتقاودان “، أي: يذهبان مسرعين كأن كل واحد منهما يَقود الآخر لسرعته

حدثنا عفان، قال: حدثنا أبو عوانة، عن داود بن عبد الله الأودي، عن حميد بن عبد الرحمن، قال: توفي رسول الله صلى الله عليه وسلم وأبو بكر في طائفة من المدينة، قال: فجاء فكشف عن وجهه فقبله، وقال: فدى لك أبي وأمي، ما أطيبك حيا وميتا، مات محمد صلى الله عليه وسلم، ورب الكعبة … فذكر الحديث قال: فانطلق أبو بكر وعمر يتقاودان حتى أتوهم، فتكلم أبو بكر، ولم يترك شيئا أنزل في الأنصار ولا ذكره رسول الله صلى الله عليه وسلم من شأنهم، إلا وذكره، وقال: ولقد علمتم أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: ” لو سلك الناس واديا، وسلكت الأنصار واديا، سلكت وادي الأنصار “. ولقد علمت يا سعد أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال، وأنت قاعد: ” قريش ولاة هذا الأمر، فبر الناس تبع لبرهم، وفاجرهم تبع لفاجرهم “. قال: فقال له سعد: صدقت، نحن الوزراء، وأنتم الأمراء صحيح لغيره، رجاله ثقات رجال الشيخين، وهو مرسل، فإن حميد بن عبد الرحمن – وهو الحميري، فيما قاله ابن حجر في ” أطراف المسند ” 2 / ورقة 13 – تابعي ولم يدرك أبا بكر ولا عمر، وثم يصرح هنا بذكر من حدثه. وقد تفرد به الإمام أحمد وقوله: ” توفي رسول الله صلى الله عليه وسلم … ” له شاهد من حديث عائشة عند البخاري (1241) و (3667) وقوله: ” لو سلك الناس واديا … ” له شاهد من حديث أنس عند البخاري (3778) ، وآخر من حديث أبي هريرة عند البخاري أيضا (3779) ، وثالث من حديث أبي بن كعب عند الترمذي (3896) وقوله: ” قريش ولاة هذا الأمر … ” له شاهد من حديث أبي هريرة عند البخاري (3495) ومسلم (1818) وصححه ابن حبان (6264) وسيأتي في ” المسند ” 2 / 161 و242 و319 وقوله ” يتقاودان “: قال ابن الأثير في ” النهاية ” 4 / 119: ” يتقاودان “، أي: يذهبان مسرعين كأن كل واحد منهما يقود الآخر لسرعته

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر)

 ১৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১৯। আবু বাকর আস সিদ্দিক (রাঃ) বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা যে আমল করি (ভাল হোক কি মন্দ) তা কি পূর্ব-নির্ধারিত (তাকদীদের লিখন) নাকি আমরা নতুনভাবে করি? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, বরং তা পূর্ব-নির্ধারিত। আবু বাকর (রাঃ) বলেন, আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! (যদি সবকিছু পূর্ব-নির্ধারিত হয়ে থাকে) তাহলে আমাদের আমলের কী প্রয়োজন? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ প্ৰত্যেকের জন্য সে কাজটি সহজ করা হয় যার জন্য তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে। (সুতরাং তোমরা আমল করতে থাকো)।

টীকাঃ মূলত: তাকদীর সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত কথা হচ্ছে, আল্লাহ তা’আলা আলীমুল গায়েব। অনাদিতেই তিনি জানেন কি হবে আর কি হবে না। সে অনুসারেই ‘লাওহে মাহফুযে’ তিনি সব লিখে রেখেছেন। সুতরাং আল্লাহ তা’আলা লিখে রেখেছেন বলে কেউ ভালো বা মন্দ কাজ করে না। বরং তার দ্বারা ঐ কাজটি যে সংঘটিত হবে সে সম্পর্কে তিনি জ্ঞাত। তাই তিনি লিখে রেখেছেন।

যেমন একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার তার রুগীর সমস্ত অবস্থা জানেন বলে তার ডায়েরীতে লিখে রাখলেন, এ রুগী অমুক সময় অমুক অবস্থায় মারা যাবে এবং রুগী সেভাবেই মারা গেল। এ ক্ষেত্রে ডাক্তারের লিখন তার মৃত্যুর কারণ নয়। মৃত্যুর কারণ হলো তার রোগ। অনুরূপভাবে আল্লাহ তা’আলা সব কিছু জানেন বলেই লিখে রেখেছেন। সুতরাং পরিণামের জন্য ব্যক্তির কর্মই দায়ী, আল্লাহর লিখন নয়।

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَيَّاشٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْعَطَّافُ بْنُ خَالِدٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبِي يَذْكُرُ أَنَّ أَبَاهُ سَمِعَ أَبَا بَكْرٍ، وَهُوَ يَقُولُ: قُلْتُ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا رَسُولَ اللهِ، أَنَعْمَلُ عَلَى مَا فُرِغَ مِنْهُ، أَوْ عَلَى أَمْرٍ مُؤْتَنَفٍ؟ قَالَ: بَلْ عَلَى أَمْرٍ قَدْ فُرِغَ مِنْهُ، قَالَ: قُلْتُ: فَفِيمَ الْعَمَلُ يَا رَسُولَ اللهِ؟ قَالَ: ” كُلٌّ مُيَسَّرٌ لِمَا خُلِقَ لَهُ

حسن لغيره، وهذا إسناد ضعيف لجهالة الراوي عن طلحة بن عبد الله

وأخرجه البزار (28) ، والطبراني في ” الكبير ” (47) من طريق الحكم بن نافع، عن عطاف بن خالد، بهذا الإسناد. وانظر حديث عمر الآتي برقم (184)

قوله: ” على ما فُرغ منه “، قال السندي: أي: على وَفْق ما كتب على الإنسان وفرغ منه من قدر الله. ” أمر مؤتنف “، أي: على وَفْق اختيار وإرادة وقصد من العبد مستأنف مبتدأ من غير سبق قضاء وقدر به، والمؤتنف اسم مفعول، من ائتنف العمل: استأنفه، افتعال من أنف، والأنسب بما بعده أن يقال: معناه: أنعمل لأجل ما قدر الله لنا من الجنة والنار، أو لتحصيل ما لم يقع به قضاء وقدر، بل يحصل لنا بواسطة العمل من غير سبق قضاءٍ وقدر به

قال السندي: فنبَّه على الجواب عنه بأن الله تعالى دَبَّر الأشياء على ما أراد، وربط بعضها ببعض، وجعلها أسباباً ومسبَّبات، ومن قدر له أنه من أهل الجنة قدر له ما يُقرِّبُه إليها من الأعمال، ووفقه لذلك بإقداره وتمكينه منه وتحريضه بالترغيب والترهيب، ومن قُدِّر له أنه من أهل النار قَدَّر له خلاف ذلك وخذله حتى اتبع هواه، وترك أمر مولاه، والحاصل أنه جعل الأعمال طريقاً إلى نَيْل ما قدر له من جنة أو نارٍ، فلا بُدَّ من المشي في الطريق، وبواسطة التقدير السابق يتيسَّرُ ذلك المشي لكلٍّ في طريقه، ويسهل عليه، والله تعالى أعلم

حدثنا علي بن عياش، قال: حدثنا العطاف بن خالد، قال: حدثني رجل من أهل البصرة، عن طلحة بن عبد الله بن عبد الرحمن بن أبي بكر الصديق، قال: سمعت أبي يذكر أن أباه سمع أبا بكر، وهو يقول: قلت لرسول الله صلى الله عليه وسلم: يا رسول الله، أنعمل على ما فرغ منه، أو على أمر مؤتنف؟ قال: بل على أمر قد فرغ منه، قال: قلت: ففيم العمل يا رسول الله؟ قال: ” كل ميسر لما خلق له حسن لغيره، وهذا إسناد ضعيف لجهالة الراوي عن طلحة بن عبد الله وأخرجه البزار (28) ، والطبراني في ” الكبير ” (47) من طريق الحكم بن نافع، عن عطاف بن خالد، بهذا الإسناد. وانظر حديث عمر الآتي برقم (184) قوله: ” على ما فرغ منه “، قال السندي: أي: على وفق ما كتب على الإنسان وفرغ منه من قدر الله. ” أمر مؤتنف “، أي: على وفق اختيار وإرادة وقصد من العبد مستأنف مبتدأ من غير سبق قضاء وقدر به، والمؤتنف اسم مفعول، من ائتنف العمل: استأنفه، افتعال من أنف، والأنسب بما بعده أن يقال: معناه: أنعمل لأجل ما قدر الله لنا من الجنة والنار، أو لتحصيل ما لم يقع به قضاء وقدر، بل يحصل لنا بواسطة العمل من غير سبق قضاء وقدر به قال السندي: فنبه على الجواب عنه بأن الله تعالى دبر الأشياء على ما أراد، وربط بعضها ببعض، وجعلها أسبابا ومسببات، ومن قدر له أنه من أهل الجنة قدر له ما يقربه إليها من الأعمال، ووفقه لذلك بإقداره وتمكينه منه وتحريضه بالترغيب والترهيب، ومن قدر له أنه من أهل النار قدر له خلاف ذلك وخذله حتى اتبع هواه، وترك أمر مولاه، والحاصل أنه جعل الأعمال طريقا إلى نيل ما قدر له من جنة أو نار، فلا بد من المشي في الطريق، وبواسطة التقدير السابق يتيسر ذلك المشي لكل في طريقه، ويسهل عليه، والله تعالى أعلم

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر)

 ২০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

২০। আয যুহরী বলেনঃ মদীনার আনসারগণের মধ্য থেকে অনেক জ্ঞানী ব্যক্তি আমাকে জানিয়েছেন যে, তাঁরা উসমান বিন আফফান (রাঃ) কে বলতে শুনেছেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তিকালে তাঁর কিছু সংখ্যক সাহাবী ভীষণ মর্মাহত হলেন, এমনকি তাদের কেউ কেউ নানা রকম দুশ্চিন্তায় আক্রান্ত হবার উপক্রম হলো। আমিও তাঁদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম। এই সময় একদিন আমি যখন বসে আছি, তখন উমার (রাঃ) আমার নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি আমাকে সালাম দিলেন। কিন্তু তিনি যে আমার কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন এবং আমাকে সালাম করেছেন তা আমি টের পাইনি। উমার (রাঃ) চলে গেলেন এবং আবু বাকরের (রাঃ) নিকট উপস্থিত হলেন। উমার (রাঃ) আবু বকর (রাঃ) কে বললেনঃ আমি উসমানের কাছ দিয়ে আসছিলাম এবং তাঁকে সালাম করলাম। কিন্তু তিনি আমার সালামের জবাব দিলেন না। এটা কি আপনার কাছে বিস্ময়কর লাগছে না?

অতঃপর আবু বাকরের শাসনকালে একদা আবু বাকর ও উমার আমার কাছে এলেন এবং উভয়ে আমাকে সালাম করলেন। তারপর আবু বাকর (রাঃ) বললেনঃ আমার কাছে আপনার ভাই উমার এসেছিলেন। তিনি জানালেন যে, তিনি আপনার কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন, যাওয়ার সময় সালাম করেছিলেন। কিন্তু আপনি জবাব দেননি। এর কারণ কী? আমি বললামঃ আমি এটা করিনি? উমার (রাঃ) বললেনঃ অবশ্যই, আপনি করেছেন। তবে হে বনী উমাইয়া, এ কাজটি (সালামের জবাব দেয়া) আপনাদেরকে ক্লান্ত ও বিরক্ত করে তুলেছে। আমি বললামঃ আল্লাহর শপথ! আমি টেরই পাইনি যে, আপনি আমার কাছ দিয়ে গিয়েছেন এবং সালাম করেছেন। আবু বাকর (রাঃ) বললেনঃ উসমান সত্য কথা বলেছে।

আচ্ছা, (হে উসমান) কোন বিষয়ের ব্যস্ততা আপনাকে তা থেকে (সালামের জবাব দেয়া থেকে) বিরত রেখেছিল? (অর্থাৎ কোন দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগের কারণে কি আপনি ব্যাপারটা টের পাননি এবং সেদিকে লক্ষ্য করতে পারেননি?)। আমি বললামঃ হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ জিনিসটি কী? উসমান (রাঃ) বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা তাঁর নবীকে তুলে নিলেন আমরা তাঁকে এ কথা জিজ্ঞেস করার আগে যে, এই সমাজের মুক্তির উপায় কী? আবু বাকর (রাঃ) বললেনঃ আমি এ প্রশ্ন তাঁকে করেছি। উসমান বলেনঃ এ কথা শ্ৰবণ করা মাত্ৰই আমি তার কাছে উঠে গেলাম, অতঃপর তাঁকে বললামঃ আমার পিতামাতা আপনার ওপর উৎসর্গ হোক। আপনিই এ কথা জিজ্ঞাসা করার অধিকতর যোগ্য। আবু বাকর (রাঃ) বললেনঃ আমি জিজ্ঞেস করলামঃ হে রাসূলুল্লাহ, এই জাতির মুক্তির উপায় কী? তিনি বললেনঃ যে কালেমা আমি আমার চাচার নিকট পেশ করলে তিনি তা প্ৰত্যাখ্যান করেছিলেন সেই কালেমা যে ব্যক্তি গ্ৰহণ করবে, সেটিই তার মুক্তির পথ।” (২৪ নং হাদীস দ্রষ্টব্য)

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ، مِنْ أَهْلِ الْفِقْهِ أَنَّهُ سَمِعَ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ – رَحِمَهُ اللهُ – يُحَدِّثُ: أَنَّ رِجَالًا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ تُوُفِّيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَزِنُوا عَلَيْهِ، حَتَّى كَادَ بَعْضُهُمْ يُوَسْوِسُ، قَالَ عُثْمَانُ: وَكُنْتُ مِنْهُمْ، فَبَيْنَا أَنَا جَالِسٌ فِي ظِلِّ أُطُمٍ مِنَ الْآطَامِ مَرَّ عَلَيَّ عُمَرُ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، فَسَلَّمَ عَلَيَّ، فَلَمْ أَشْعُرْ أَنَّهُ مَرَّ وَلا سَلَّمَ، فَانْطَلَقَ عُمَرُ حَتَّى دَخَلَ عَلَى أَبِي بَكْرٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، فَقَالَ لَهُ: مَا يُعْجِبُكَ أَنِّي مَرَرْتُ عَلَى عُثْمَانَ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيَّ السَّلامَ؟ وَأَقْبَلَ هُوَ وَأَبُو بَكْرٍ فِي وِلايَةِ أَبِي بَكْرٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، حَتَّى سَلَّمَا عَلَيَّ جَمِيعًا، ثُمَّ قَالَ أَبُو بَكْرٍ: جَاءَنِي أَخُوكَ عُمَرُ، فَذَكَرَ أَنَّهُ مَرَّ عَلَيْكَ، فَسَلَّمَ فَلَمْ تَرُدَّ عَلَيْهِ السَّلامَ، فَمَا الَّذِي حَمَلَكَ عَلَى ذَلِكَ؟ قَالَ: قُلْتُ: مَا فَعَلْتُ، فَقَالَ عُمَرُ: بَلَى وَاللهِ لَقَدْ فَعَلْتَ، وَلَكِنَّهَا عُبِّيَّتُكُمْ يَا بَنِي أُمَيَّةَ، قَالَ: قُلْتُ: وَاللهِ مَا شَعَرْتُ أَنَّكَ مَرَرْتَ بِي، وَلا سَلَّمْتَ، قَالَ أَبُو بَكْرٍ: صَدَقَ عُثْمَانُ، وَقَدْ شَغَلَكَ عَنْ ذَلِكَ أَمْرٌ؟ فَقُلْتُ: أَجَلْ، قَالَ: مَا هُوَ؟ فَقَالَ عُثْمَانُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: تَوَفَّى الله عَزَّ وَجَلَّ نَبِيَّهُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْلَ أَنْ نَسْأَلَهُ عَنْ نَجَاةِ هَذَا الْأَمْرِ، قَالَ أَبُو بَكْرٍ: قَدْ سَأَلْتُهُ عَنْ ذَلِكَ، قَالَ: فَقُمْتُ إِلَيْهِ فَقُلْتُ لَهُ: بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي، أَنْتَ أَحَقُّ بِهَا، قَالَ أَبُو بَكْرٍ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ، مَا نَجَاةُ هَذَا الْأَمْرِ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” مَنْ قَبِلَ مِنِّي الْكَلِمَةَ الَّتِي عَرَضْتُ عَلَى عَمِّي، فَرَدَّهَا عَلَيَّ، فَهِيَ لَهُ نَجَاةٌ

المرفوع منه صحيح بشواهده، رجاله ثفات رجال الشيخين غير الرجل الذي روى عنه الزهري، ووصف الزهري له بأنه من أهل الفقه – وسيأتي أيضاً أنه قال: غير متهم – تقوية لأمره وتوثيق له. وسيأتي برقم (24) ، وانظر (37)

وله شاهد عن عمر بن الخطاب سيأتي تخريجه في ” المسند ” برقم (187) ، وعن عثمان بن عفان وسيأتي تخريجه في “المسند” أيضاً برقم (447)

الأُطُم، وتُسكن الطاء: بناء مرتفع

والعبية: الكبر، وتُضم عينها وتُكسر

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر)