দারেমী সাওম অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ১৭৭১ – ১৮২০

দারেমী সাওম অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ১৭৭১ – ১৮২০

১৭৭১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৯. আল্লাহ তা’আলার বাণী: ‘ফলে তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ মাস পাবে, সে যেন এ মাসে রোযা রাখে’ – এর ব্যাখ্যা সম্পর্কে

১৭৭১. সালামা ইবনুল আকওয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন এ আয়াত নাযিল হয়ঃ (অর্থ:) ’’আর যারা এ ব্যাপারে (রোযা রাখতে) সক্ষম, তারা তারপরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাদ্য দান করবে।” (সূরা বাক্বারা: ১৮৭) তিনি বলেন, তখন আমাদের মধ্যে যারা রোযা না রেখে ফিদিয়া (খাদ্য) দেওয়ার ইচ্ছা করতো, তারা তা করতো, যতক্ষণ না এর পরবর্তী আয়াতটি নাযিল হয়, যা পূরবর্তী আয়াতের হুকুম মানসূখ (রহিত) করে দেয়।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ। তবে হাদীসটি (সহীহ এবং তা) বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, তাফসীর ৪৫০৬; মুসলিম, সিয়াম ১১৪৫।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ এবং টীকা দিয়েছি ‘নাওয়াসিখুল কুরআন ওয়া মানসূখাহ- নাওয়াসিখুল কুরআন পৃ: ২০৮ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৪৭৮, ৩৪৮৯, ৩৬২৪ তে।

بَاب فِي تَفْسِيرِ قَوْلِهِ تَعَالَى فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمْ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنِي بَكْرٌ هُوَ ابْنُ مُضَرَ عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ عَنْ يَزِيدَ مَوْلَى سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ أَنَّهُ قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ قَالَ كَانَ مَنْ أَرَادَ أَنْ يُفْطِرَ وَيَفْتَدِيَ فَعَلَ حَتَّى نَزَلَتْ الْآيَةُ الَّتِي بَعْدَهَا فَنَسَخَتْهَا

أخبرنا عبد الله بن صالح حدثني بكر هو ابن مضر عن عمرو بن الحارث عن يزيد مولى سلمة بن الأكوع عن سلمة بن الأكوع أنه قال لما نزلت هذه الآية وعلى الذين يطيقونه فدية طعام مسكين قال كان من أراد أن يفطر ويفتدي فعل حتى نزلت الآية التي بعدها فنسختها

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ সালামাহ ইবনু আক্ওয়া‘ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৭৭২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩০. যে ব্যক্তি নফল রোযার নিয়াত করে সকালে (ঘুম থেকে) উঠে এরপর রোযা ভেঙ্গে ফেলে, তার সম্পর্কে

১৭৭২. উম্মু হানী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত যে, (একবার) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার নিকট প্রবেশ করলেন, আর তখন তিনি রোযাদার ছিলেন। এমতাবস্থায় তাঁর নিকট কিছু শরবত এল। এরপর তিনি এ থেকে পান করলেন, এরপর তাকে তা দিলেন। তিনিও তা থেকে কিছু পান করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “তা যদি রমযানের রোযার কাযা আদায় করার জন্য হয়ে থাকে, তবে অন্য একদিন রোযা রাখবে। আর যদি তা নফল রোযা হয়ে থাকে, তবে তুমি চাইলে এর কাযা আদায় করবে, না চাইলে এর কাযা আদায় করবে না।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ। হারুণ মাজহুল (অজ্ঞাত পরিচয় রাবী)।

তাখরীজ: তায়ালিসী ১/১৯১ নং ৯১৬; বাইহাকী ৪/২৭৮; মা’রিফাহ নং ৮৯২০; আহমাদ ৬/৩৪৩; তাবারাণী, আল কাবীর ২৪/৪০৭ নং ৯৯০; নাসাঈ, আল কুবরা নং ৩৩০৫; তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ২/১০৭; দারুকুতনী, ‍সুনান ২/১৭৪ নং ১২; তিরমিযী, সওম ৭৩১, ৭৩২; হাকিম ১/৪৩৯; পরবর্তী হাদীসটি দেখুন।

بَاب فِيمَنْ يُصْبِحُ صَائِمًا تَطَوُّعًا ثُمَّ يُفْطِرُ

أَخْبَرَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ عَنْ هَارُونَ ابْنِ ابْنَةِ أُمِّ هَانِئٍ أَوْ ابْنِ ابْنِ أُمِّ هَانِئٍ عَنْ أُمِّ هَانِئٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ عَلَيْهَا وَهِيَ صَائِمَةٌ فَأُتِيَ بِإِنَاءٍ فَشَرِبَ ثُمَّ نَاوَلَهَا فَشَرِبَتْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنْ كَانَ قَضَاءَ رَمَضَانَ فَصُومِي يَوْمًا آخَرَ وَإِنْ كَانَ تَطَوُّعًا فَإِنْ شِئْتِ فَاقْضِيهِ وَإِنْ شِئْتِ فَلَا تَقْضِيهِ

أخبرنا أبو النعمان حدثنا حماد بن سلمة عن سماك بن حرب عن هارون ابن ابنة أم هانئ أو ابن ابن أم هانئ عن أم هانئ أن النبي صلى الله عليه وسلم دخل عليها وهي صائمة فأتي بإناء فشرب ثم ناولها فشربت فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم إن كان قضاء رمضان فصومي يوما آخر وإن كان تطوعا فإن شئت فاقضيه وإن شئت فلا تقضيه

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ উম্মু হানী বিনতু আবূ তালিব (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৭৭৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩০. যে ব্যক্তি নফল রোযার নিয়াত করে সকালে (ঘুম থেকে) উঠে এরপর রোযা ভেঙ্গে ফেলে, তার সম্পর্কে

১৭৭৩. উম্মে হানী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন ফাতিমা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা আগমন করেন। এরপর তিনি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বামদিকে উপবেশন করেন এবং উম্মে হানী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা ডানদিকে। তিনি (রাবী) বলেন, এ সময় জনৈক দাসী একটি পাত্রে কিছু পানীয় দ্রব্য এনে পেশ করলে তিনি তা পান করেন। এরপর তিনি তা (এর অবশিষ্টাংশ) উম্মে হানীকে পান করতে দেন। তিনি তা পান করে বলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আমি তো ইফতার করে ফেললাম, কিন্তু আমি যে রোযা ছিলাম। তিনি তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন: “তুমি কি কোন (রোযার) কাযা আদায় করছিলে?” তিনি বলেন, না। তিনি বলেন: “যদি তা নফল রোযা হয়, তবে এতে তোমার কোন ক্ষতি হবে না।”[1]

আবূ মুহাম্মদ বলেন: এটিই আমার মত।

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ। ইয়াযীদ ইবনু আবী যিয়াদের দুর্বলতা (যু’আফ)-এর কারণে।

তাখরীজ: আবূ দাউদ, সওম ২৪৫৬; তার সূত্রে বাইহাকী, সিয়াম ৪/২৭৭।

 

নাসাঈ বলেন: “এ হাদীসটি মুযতারিব (বিক্ষিপ্ত)।… আর জা’দাহ’র হাদীসের বিষয়টি হলো, তিনি উম্মু হানী থেকে কোনো কিছু শ্রবণ করেননি।”

 

তুর্কমানী ‘জাওহারুন নাক্বী হামিশ বাইহাকী ৪/২৭৮ তে বলেন: “এ হাদীসটি মতন ও সনদের দিক থেকে ‘ইযতিরাব’যুক্ত (বিক্ষিপ্ততা)।….

بَاب فِيمَنْ يُصْبِحُ صَائِمًا تَطَوُّعًا ثُمَّ يُفْطِرُ

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ عَنْ أُمِّ هَانِئٍ قَالَتْ لَمَّا كَانَ يَوْمُ فَتْحِ مَكَّةَ جَاءَتْ فَاطِمَةُ فَجَلَسَتْ عَنْ يَسَارِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأُمُّ هَانِئٍ عَنْ يَمِينِهِ قَالَتْ فَجَاءَتْ الْوَلِيدَةُ بِإِنَاءٍ فِيهِ شَرَابٌ فَنَاوَلَتْهُ فَشَرِبَ مِنْهُ ثُمَّ نَاوَلَهُ أُمَّ هَانِئٍ فَشَرِبَتْ مِنْهُ ثُمَّ قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَقَدْ أَفْطَرْتُ وَكُنْتُ صَائِمَةً فَقَالَ لَهَا أَكُنْتِ تَقْضِينَ شَيْئًا قَالَتْ لَا قَالَ فَلَا يَضُرُّكِ إِنْ كَانَ تَطَوُّعًا قَالَ أَبُو مُحَمَّد أَقُولُ بِهِ

حدثنا عثمان بن محمد حدثنا جرير عن يزيد بن أبي زياد عن عبد الله بن الحارث عن أم هانئ قالت لما كان يوم فتح مكة جاءت فاطمة فجلست عن يسار رسول الله صلى الله عليه وسلم وأم هانئ عن يمينه قالت فجاءت الوليدة بإناء فيه شراب فناولته فشرب منه ثم ناوله أم هانئ فشربت منه ثم قالت يا رسول الله لقد أفطرت وكنت صائمة فقال لها أكنت تقضين شيئا قالت لا قال فلا يضرك إن كان تطوعا قال أبو محمد أقول به

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ উম্মু হানী বিনতু আবূ তালিব (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৭৭৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩১. রোযাদারকে খাওয়ার জন্য আহবান করা হলে সে যেনো বলে ‘আমি রোযাদার’

১৭৭৪. আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ রোযা রাখলে যদি তাকে খাওয়ার জন্য ডাকা হয়, তবে সে যেনো বলে, ’আমি রোযাদার’।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

তাখরীজ: মুসলিম, সিয়াম ১১৫০; ইবনু হাযম, আল মুহাল্লা ৭/৩৩ ((আবূ দাউদ ২৪৬১, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ-অনুবাদক।)) আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬২৮০ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ১০৪২, ১০৪৩ তে।

بَاب مَنْ دُعِيَ إِلَى الطَّعَامِ وَهُوَ صَائِمٌ فَلْيَقُلْ إِنِّي صَائِمٌ

أَخْبَرَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا دُعِيَ أَحَدُكُمْ إِلَى طَعَامٍ وَهُوَ صَائِمٌ فَلْيَقُلْ إِنِّي صَائِمٌ

أخبرنا حجاج بن منهال حدثنا سفيان بن عيينة عن أبي الزناد عن الأعرج عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا دعي أحدكم إلى طعام وهو صائم فليقل إني صائم

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৭৭৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩২. রোযাদারের নিকট বসে খাওয়া হলে (রোযাদার যে ফযীলত লাভ করে), তা সম্পর্কে

১৭৭৫. উম্মু ’উমারা বিনতে কা’ব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের এখানে আসলে আমরা তাঁর সামনে খাদ্যসামগ্রী পরিবেশন করলাম। তখন তিনি তাকে বলেনঃ “তুমি খাও।” তখন তিনি (উমারাহ) বলেন: ’আমি তো রোযাদার।’ তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “যখন রোযাদারের সামনে আহার করা হয়, তখন ফেরেশতাগণ তার জন্য (আল্লাহর) অনুগ্রহ কামনা করতে থাকেন, যতক্ষণ তারা আহার করা হতে বিরত না হয়।” তিনি (বর্ণনাকারী) কখনো বলেন, “যতক্ষণ তারা তাদের আহার গ্রহণ শেষ না করে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ জাইয়্যেদ (উত্তম)।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি ও মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭১৪৮ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৪৩০ এবং মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৯৫৩ তে।

 

এছাড়া, নাসাঈ, আল কুবরা নং ৩২৬৭, ৩২৬৮। ((তিরমিযী, সওম ৭৮৫; তিনি বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ; ইবনু মাজাহ, সিয়াম ১৭৪৮; আহমাদ ৬/৩৬৫, ৪৩৯; তায়ালিসী ১৬৬৬; আলবানী যয়ীফূল জামি’ ২/৫৪ তে বলেন: যয়ীফ’।– ফাওয়ায আহমেদের তাহক্বীর্ক্ককৃত দারেমী হা/১৭৩৮ এর টীকা হতে।–অনুবাদক))

بَاب فِي الصَّائِمِ إِذَا أُكِلَ عِنْدَهُ

أَخْبَرَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ حَبِيبٍ الْأَنْصَارِيِّ قَالَ سَمِعْتُ مَوْلَاةً لَنَا يُقَالُ لَهَا لَيْلَى تُحَدِّثُ عَنْ جَدَّتِهَا أُمِّ عُمَارَةَ بِنْتِ كَعْبٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ عَلَيْهَا فَدَعَتْ لَهُ بِطَعَامٍ فَقَالَ لَهَا كُلِي فَقَالَتْ إِنِّي صَائِمَةٌ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ الصَّائِمَ إِذَا أُكِلَ عِنْدَهُ صَلَّتْ عَلَيْهِ الْمَلَائِكَةُ حَتَّى يَفْرُغُوا وَرُبَّمَا قَالَ حَتَّى يَقْضُوا أَكْلَهُمْ

أخبرنا هاشم بن القاسم حدثنا شعبة عن حبيب الأنصاري قال سمعت مولاة لنا يقال لها ليلى تحدث عن جدتها أم عمارة بنت كعب أن النبي صلى الله عليه وسلم دخل عليها فدعت له بطعام فقال لها كلي فقالت إني صائمة فقال النبي صلى الله عليه وسلم إن الصائم إذا أكل عنده صلت عليه الملائكة حتى يفرغوا وربما قال حتى يقضوا أكلهم

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৭৭৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৩. শা’বান কে রমযানের সাথে সংযুক্ত করা

১৭৭৬. উম্মু সালামাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে শা’বান ব্যতীত আর কোন মাসে পুরা মাসব্যাপী সাওম পালন করতে দেখি নি। আর তিনি একে (শাবান মাসের রোযাকে) রমযানের সাথে মিলিয়ে দিতেন, যাতে একাধারে দু’মাস (সাওম পালন) হয়ে যায়। কোনো মাসে তিনি এমনভাবে (নফল) সাওম পালন করতে থাকতেন এমনকি আমরা বলতাম, তিনি হয়তো আর সাওম পালন পরিত্যাগই করবেন না।’ আবার (কখনো) এতদিন ধরে সাওম পালন পরিত্যাগ করতেন এমনকি আমরা বলতাম, ’তিনি (হয়তো আর) সাওমই পালন করবেন না।’[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৯৭০ তে। আর এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আয়িশা রা: হতে বুখারী ও মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনায়। সেটির তাখরীজ আমরা দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৬৩৩, ৪৭৫১ তে।

 

((আবূ দাউদ, সওম ২৩৩৬; তিরমিযী, সওম ৭৩৬ তিনি একে হাসান বলেছেন। নাসাঈ, সিয়াম বাব: ৩৩, ৩৪, ৭০; ইবনু মাজাহ, সিয়াম ১৬৪৮।’- ফাওয়ায আহমেদের তাহক্বীর্ক্ককৃত দারেমী হা/১৭৩৯ এর টীকা হতে।–অনুবাদক))

بَاب فِي وِصَالِ شَعْبَانَ بِرَمَضَانَ

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ إِسْرَائِيلَ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ سَالِمٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَامَ شَهْرًا تَامًّا إِلَّا شَعْبَانَ فَإِنَّهُ كَانَ يَصِلُهُ بِرَمَضَانَ لِيَكُونَا شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ وَكَانَ يَصُومُ مِنْ الشَّهْرِ حَتَّى نَقُولَ لَا يُفْطِرُ وَيُفْطِرُ حَتَّى نَقُولَ لَا يَصُومُ

أخبرنا عبيد الله بن موسى عن إسرائيل عن منصور عن سالم عن أبي سلمة عن أم سلمة قالت ما رأيت رسول الله صلى الله عليه وسلم صام شهرا تاما إلا شعبان فإنه كان يصله برمضان ليكونا شهرين متتابعين وكان يصوم من الشهر حتى نقول لا يفطر ويفطر حتى نقول لا يصوم

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৭৭৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৪. শা’বান মাসের অর্ধেক অতিক্রান্ত হওয়ার পরে সিয়াম পালন করা নিষিদ্ধ

১৭৭৭. আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: যখন শা’বান মাসের অর্ধেক (১৫ তারিখ) অতিবাহিত হয়, তখন তোমরা সাওম পালন হতে বিরত হয়ে যাবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: ((মুহাক্বিক্ব এর কোনো হুকুম লাগান নি। রাবী আব্দুর রহমান ইবনু ইবরাহীম সম্পর্কে বিভিন্ন মুহাদ্দিসের মতভেদ উল্লেখ করেছেন। তবে শেষের দিকে এর সনদকে সহীহ বলেছেন। তবে তিরমিযী একে হাসান সহীহ এবং আলবানী (সহীহুল জামি’ ১/১৬৮) একে সহীহ বলেছেন।–অনুবাদক))

 

তাখরীজ: তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ২/২৮; আহমাদ ২/৪৪২; ইবনু আবী শাইবা ৩/২১; নাসাঈ, আল কুবরা নং ২৯১১; আব্দুর রাযযাক নং ৭৩২৫; আবূ দাউদ, সওম ২৩৩৭; তিরমিযী, সওম ৭৩৮; ইবনু মাজাহ, সিয়াম ১৬৫১; বাইহাকী, সিয়াম ৪/২০৯; ইবনু হিব্বান, আস সহীহ নং ৩৫৮৯; মাওয়ারিদ নং ৮৭৬; খতীব, তারীখ বাগদাদ ৮/৪৮; আবূ নুয়াইম যিকরু আখবারু আসবাহান ১/২৮৩; ইবনু আদী আল কামিল ২/৪৭৬, ৪/১৬১৭।

بَاب النَّهْيِ عَنْ الصَّوْمِ بَعْدَ انْتِصَافِ شَعْبَانَ

أَخْبَرَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ الْحَنَفِيُّ يُقَالُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ عَنْ الْعَلَاءِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا كَانَ النِّصْفُ مِنْ شَعْبَانَ فَأَمْسِكُوا عَنْ الصَّوْمِ

أخبرنا عبد الصمد بن عبد الوارث حدثنا عبد الرحمن الحنفي يقال عبد الرحمن بن إبراهيم عن العلاء عن أبيه عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا كان النصف من شعبان فأمسكوا عن الصوم

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৭৭৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৪. শা’বান মাসের অর্ধেক অতিক্রান্ত হওয়ার পরে সিয়াম পালন করা নিষিদ্ধ

১৭৭৮. (অপর সনদে) আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: এটি আগের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি। দেখুন, মাকাসিদুল হাসানাহ নং ৫৫, শাযারাহ নং ৫১; কাশফুল খফা’ নং ২০৯।

بَاب النَّهْيِ عَنْ الصَّوْمِ بَعْدَ انْتِصَافِ شَعْبَانَ

أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ الْمُبَارَكِ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ الْعَلَاءِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ نَحْوَ هَذَا

أخبرنا الحكم بن المبارك عن عبد العزيز بن محمد عن العلاء عن أبيه عن أبي هريرة نحو هذا

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৭৭৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৫. মাসের শেষের দিকে রোযা রাখা

১৭৭৯. ইমরান ইবন হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করেন: “তুমি কি এ মাসের শেষে[1] রোযা রাখ?” সে বলে, না। তিনি বললেনঃ “যখন তুমি রামাযানের রোযা শেষ করবে, তখন দু’দিন রোযা রাখবে।”[2]আবূ মুহাম্মদ বলেন, ’سَرَرُهُ’ অর্থ: ’آخِرُهُ’ ’এর শেষাংশে’।

[1] আবী উবাইদ এবং জমহুর তথা অধিকাংশ উলামা এ অর্থই বলেছেন। এ ছাড়া এ সম্পর্কে এও বলা হয়েছে যে, মাসের শুরু’। এবং ‘মাসের মাঝামাঝি’ ও বলা হয়েছে।

 

[2] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। আর হাদীসটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, সাওম ১৯৮৩; মুসলিম, সিয়াম ১১৬১। এছাড়াও তাবারাণী, আল কাবীর ১৮/১১৪, ১১৫, ১১৬ নং ২১৯-২২৫; তাহাবী, শারহু মা’আনিল আাছার ২/৮৪; বাইহাকী, মা’রিফাহ নং ৮৫৯৬; ইবনু হাযম আল মুহাল্লা ৭/২৪।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ এবং টীকা দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৫৮৭, ৩৫৮৮ তে।

بَاب الصَّوْمِ مِنْ سَرَرِ الشَّهْرِ

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا الْجُرَيْرِيُّ عَنْ أَبِي الْعَلَاءِ بْنِ الشِّخِّيرِ عَنْ مُطَرِّفٍ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِرَجُلٍ هَلْ صُمْتَ مِنْ سَرَرِ هَذَا الشَّهْرِ فَقَالَ لَا قَالَ فَإِذَا أَفْطَرْتَ مِنْ رَمَضَانَ فَصُمْ يَوْمَيْنِ قَالَ أَبُو مُحَمَّد سَرَرُهُ آخِرُهُ

أخبرنا يزيد بن هارون أخبرنا الجريري عن أبي العلاء بن الشخير عن مطرف عن عمران بن حصين أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لرجل هل صمت من سرر هذا الشهر فقال لا قال فإذا أفطرت من رمضان فصم يومين قال أبو محمد سرره آخره

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৭৮০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৬. নাবী (ﷺ) এর সিয়াম সম্পর্কে

১৭৮০. ইবন ’আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমযান ব্যতীত কোন মাসে পুরা মাসব্যাপী সাওম পালন করেন নাই। তিনি (নফল) সাওম পালন করা শুরু করলে তা করতেই থাকতেন, এমনকি কেউ বলতে চাইলে বলতে পারতো, ’আল্লাহর কসম! তিনি আর সাওম পালন পরিত্যাগ করবেন না।’ আবার এমনভাবে (নফল) সাওম পরিত্যাগ করে চলতেন যে, কেউ বলতে চাইলে বলতে পারতো, ’আল্লাহর কসম! তিনি আর সাওম পালন করবেন না।’[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। আর হাদীসটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, সাওম ১৯৭১; মুসলিম, সিয়াম ১১৫৭।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৬০২ তে।

بَاب فِي صِيَامِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ أَبِي بِشْرٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ مَا صَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَهْرًا كَامِلًا غَيْرَ رَمَضَانَ وَإِنْ كَانَ لَيَصُومُ إِذَا صَامَ حَتَّى يَقُولَ الْقَائِلُ لَا وَاللَّهِ لَا يُفْطِرُ وَيُفْطِرُ إِذَا أَفْطَرَ حَتَّى يَقُولَ الْقَائِلُ لَا وَاللَّهِ لَا يَصُومُ

أخبرنا محمد بن عيسى حدثنا أبو عوانة عن أبي بشر عن سعيد بن جبير عن ابن عباس قال ما صام النبي صلى الله عليه وسلم شهرا كاملا غير رمضان وإن كان ليصوم إذا صام حتى يقول القائل لا والله لا يفطر ويفطر إذا أفطر حتى يقول القائل لا والله لا يصوم

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৭৮১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৭. সারা বছর রোযা রাখা নিষেধ

১৭৮১. আব্দুল্লাহ ইবনু শিখখীর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট এক ব্যক্তির কথা আলোচনা করা হলো যে সারা বছর সাওম পালন করে। তখন তিনি বললেন, “সে সাওমও পালন করেনি এবং ইফতারও করেনি।”[1] (তার এ দু’টির কোনোটিই গ্রহণযোগ্য হবে না।)

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৫৮২, ৩৫৮৩ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৯৩৭, ৯৩৮ তে।

 

((মুসলিম, সিয়াম ১১৫৯; নাসাঈ, সিয়াম বাব: ৭২; ইবনু মাজাহ, সিয়াম ১৭০৫।– ফাওয়ায আহমেদের দারেমী’ নং ১৭৪৪ এর টীকা হতে।-অনুবাদক))

بَاب النَّهْيِ عَنْ صِيَامِ الدَّهْرِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ الْأَوْزَاعِيِّ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ مُطَرِّفِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الشِّخِّيرِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ ذُكِرَ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلٌ يَصُومُ الدَّهْرَ فَقَالَ لَا صَامَ وَلَا أَفْطَرَ

أخبرنا محمد بن يوسف عن الأوزاعي عن قتادة عن مطرف بن عبد الله بن الشخير عن أبيه قال ذكر عند رسول الله صلى الله عليه وسلم رجل يصوم الدهر فقال لا صام ولا أفطر

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ বিন শিখখীর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৭৮২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৮. প্রতি মাসে তিনদিন রোযা রাখা প্রসঙ্গে

১৭৮২. আবী হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার প্রিয়তম বন্ধু আমাকে তিনটি বিষয়ে ওয়াসীয়াত (নির্দেশ প্রদান) করেছেন, যেগুলি আমি (আমার মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত) পরিত্যাগ করবো না: আমি যেন ঘুমানোর পূর্বে বিতর আদায় করি, প্রত্যেক মাসে তিনদিন সিয়াম পালন করি এবং দু’হার (পূর্বাহ্নের) সময় দু’ রাকা’আত সালাত আমি যেন না ছাড়ি।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: বুখারী, তাহাজ্জুদ ১১৭৮; মুসলিম, সালাতুল মুসাফিরীন ৭২১; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬২২৬, ৬৩৬৯; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৫৩৬ যা সামনে ১৭৮৬ নং এ আসছে। এছাড়া, খতীব, আল মুত্তাফিক ওয়াল মুফতারিক্ব নং ৯৪৬; আহমাদ ২/২২৯, ২৩৩, ২৬০, ৩২৯, ৩৩১, ৭২-৪৭৩; তায়ালিসী ২/৫২ নং ২১৪০; নাসাঈ ৪/২১৮; তাবারাণী, আস সগীর ১/১৭৯; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান ৩৮৪৩; বুখারী, আল কাবীর ৪/১৫; ইবনু হাযম, আল মুহাল্লা ২/২৩২; আবু নুয়াইম, হিলইয়াতুল আউলিয়া: (সেখানে) ‘সালাতুত দুহা’-র পরিবর্তে ‘জুম’আর দিনে গোসল করা’র কথা রয়েছে।

بَاب فِي صَوْمِ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ حَدَّثَنَا الْعَوَّامُ بْنُ حَوْشَبٍ قَالَ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ أَوْصَانِي خَلِيلِي بِثَلَاثٍ لَسْتُ بِتَارِكِهِنَّ أَنْ لَا أَنَامَ إِلَّا عَلَى وِتْرٍ وَأَنْ أَصُومَ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ وَأَنْ لَا أَدَعَ رَكْعَتَيْ الضُّحَى

أخبرنا يزيد بن هارون حدثنا العوام بن حوشب قال حدثنا سليمان بن أبي سليمان أنه سمع أبا هريرة يقول أوصاني خليلي بثلاث لست بتاركهن أن لا أنام إلا على وتر وأن أصوم ثلاثة أيام من كل شهر وأن لا أدع ركعتي الضحى

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৭৮৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৮. প্রতি মাসে তিনদিন রোযা রাখা প্রসঙ্গে

১৭৮৩. (অপর সনদে) আবী হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। এটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: এটি আগের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি। সেখানে পূর্ণ তাখরীজ দেখুন।

بَاب فِي صَوْمِ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ

أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَبَّاسٍ الْجُرَيْرِيِّ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ نَحْوَهُ

أخبرنا أبو الوليد حدثنا شعبة عن عباس الجريري عن أبي عثمان عن أبي هريرة نحوه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৭৮৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৮. প্রতি মাসে তিনদিন রোযা রাখা প্রসঙ্গে

১৭৮৪. মু’আবিয়া ইবনু কুররাহ তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: ’ইয়াও্মিল বীয’ শুক্লপক্ষের (অর্থাৎ চন্দ্র মাসের তেরো, চৌদ্দ ও পনের তারিখে) রোযা সমূহের মর্যাদা (ফযীলত) সারা বছর রোযা ও ইফতারের সমতুল্য।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৬৫২, ৩৬৫৩ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৯৪৭, ৯৪৮; মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৫২৫৮ তে। আর মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৩/৪৯২, ৪৯৩ এর শাহিদসমূহ উল্লেখ করেছি।

بَاب فِي صَوْمِ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ

حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ صِيَامُ الْبِيضِ صِيَامُ الدَّهْرِ وَإِفْطَارُهُ

حدثنا أبو الوليد حدثنا شعبة عن معاوية بن قرة عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال صيام البيض صيام الدهر وإفطاره

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ মু‘আবিয়াহ্ ইবনু কুররাহ্ (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৭৮৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৯. জুম’আর দিবসে সিয়াম পালন নিষেধ

১৭৮৫. মুহাম্মাদ ইবনু আব্বাদ ইবনু জা’ফর (রাহি.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি (আল্লাহর ঘর তাওয়াফকালে) জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-কে জিজ্ঞেস করলাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কি জুমু’আহ’র দিন রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন? তিনি বলেন, হাঁ, এই ঘরের প্রভুর শপথ![1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, সওম ১৯৮৪; মুসলিম, সিয়াম ১১৪৩; বাইহাকী, সিয়াম ৪/৩০১-৩০২; আল মারিফাহ নং ৯০৪০; আব্দুর রাযযাক নং ৭৮০৮; আহমাদ ৩/২৯৬; ইবনু মাজাহ, সিয়াম ১৭২৪; এর তাখরীজ আমি দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২২০৬ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ১২৬০ তে।

بَاب فِي النَّهْيِ عَنْ الصِّيَامِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ

أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ شَيْبَةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبَّادِ بْنِ جَعْفَرٍ قَالَ قُلْتُ لِجَابِرٍ أَنَهَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ صَوْمِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ قَالَ نَعَمْ وَرَبِّ هَذَا الْبَيْتِ

أخبرنا أبو عاصم عن ابن جريج عن عبد الحميد بن جبير بن شيبة عن محمد بن عباد بن جعفر قال قلت لجابر أنهى النبي صلى الله عليه وسلم عن صوم يوم الجمعة قال نعم ورب هذا البيت

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৭৮৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪০. শনিবার রোযা রাখা নিষেধ

১৭৮৬. আব্দুল্লাহ ইবনু বুসর তার সাম্মাহ নামক এক বোন থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ফরয সিয়াম ব্যতীত তোমরা শনিবার সিয়াম পালন করবেনা। যদি তোমাদের কেউ এরূপ বা গাছের ডাল ছাড়া আর কিছুই না পায়, তবে সে যেন তা-ই চিবিয়ে নেয়।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আহমাদ ৬/৩৬৮; তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ২/৮০; তাবারাণী, আল কাবীর ২৪/৩২৫ নং ৮১৮; ইবনু খুযাইমা, আস সহীহ নং ২১৬৪, ২১৬৫; বাইহাকী, সিয়াম ৪/৩০২; নাসাঈ, আল কুবরা নং ২৭৬৪; আবূ দাউদ, সওম ২৪২১; তিরমিযী, সওম ৭৪৪; ইবনু মাজাহ, সিয়াম ১৭২৬; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ৬/৩৬১ নং ১৮০৬; হাকিম ১/৪৩৫।

 

আমরা আব্দুল্লাহ ইবনু বুসরের হাদীসটির পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৬১৫ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৯৪০ তে।…

بَاب فِي صِيَامِ يَوْمِ السَّبْتِ

أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ ثَوْرٍ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُسْرٍ عَنْ أُخْتِهِ يُقَالُ لَهَا الصَّمَّاءُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا تَصُومُوا يَوْمَ السَّبْتِ إِلَّا فِيمَا افْتُرِضَ عَلَيْكُمْ وَإِنْ لَمْ يَجِدْ أَحَدُكُمْ إِلَّا كَذَا أَوْ لِحَاءَ شَجَرَةٍ فَلْيَمْضَغْهُ

أخبرنا أبو عاصم عن ثور عن خالد بن معدان حدثني عبد الله بن بسر عن أخته يقال لها الصماء أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لا تصوموا يوم السبت إلا فيما افترض عليكم وإن لم يجد أحدكم إلا كذا أو لحاء شجرة فليمضغه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু বুসর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৭৮৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪১. সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোযা রাখা প্রসঙ্গে

১৭৮৭. উসামা ইবন যায়দের আযাদকৃত গোলাম (মূসা ইবন ইসমাঈল) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা তিনি উসামা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু’র সাথে কুরা নামক উপত্যকায় তাঁর মালের উদ্দেশ্যে আরোহী হয়ে গমন করেন। এ সফরে তিনি (উসামা) সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোযা রাখেন। আমি তাঁকে বললাম, আপনি সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোযা রাখেন কেন অথচ আপনি অতি বৃদ্ধ ও দুর্বল- অথবা (রাবী বলেন), শীর্ণকায় হয়ে গেছেন। তখন তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সোম ও বৃহস্পতিবার রোযা রাখতেন। (এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হয়ে) তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ মানুষের আমলসমূহ সোমবার ও বৃহস্পতিবার (আল্লাহর সমীপে) পেশ করা হয়।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ। এতে দু’জন মাজহুল রাবী রয়েছে।

 

তাখরীজ: ইবনে আবী শাইবা ৩/৪২-৪৩; আহমাদ ৫/২০৪-২০৫, ২০৮-২০৯; তায়ালিসী ১/১৯৩-১৯৪; বাইহাকী, সিয়াম ৪/২৯৩; আবূ দাউদ, সওম ২৪৩৬; তাবারাণী, আল কাবীর ১/১৬৭ নং ৪০৯; নাসাঈ, কুবরা নং ২৬৬৭।

بَاب فِي صِيَامِ يَوْمِ الِاثْنَيْنِ وَالْخَمِيسِ

حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ يَحْيَى عَنْ عُمَرَ بْنِ الْحَكَمِ بْنِ ثَوْبَانَ أَنَّ مَوْلَى قُدَامَةَ بْنِ مَظْعُونٍ حَدَّثَهُ أَنَّ مَوْلَى أُسَامَةَ حَدَّثَهُ قَالَ كَانَ أُسَامَةُ يَرْكَبُ إِلَى مَالٍ لَهُ بِوَادِي الْقُرَى فَيَصُومُ الِاثْنَيْنِ وَالْخَمِيسَ فِي الطَّرِيقِ فَقُلْتُ لَهُ لِمَ تَصُومُ الِاثْنَيْنِ وَالْخَمِيسَ فِي السَّفَرِ وَقَدْ كَبِرْتَ وَضَعُفْتَ أَوْ رَقِقْتَ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَصُومُ الِاثْنَيْنِ وَالْخَمِيسَ وَقَالَ إِنَّ أَعْمَالَ النَّاسِ تُعْرَضُ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ وَالْخَمِيسِ

حدثنا وهب بن جرير حدثنا هشام عن يحيى عن عمر بن الحكم بن ثوبان أن مولى قدامة بن مظعون حدثه أن مولى أسامة حدثه قال كان أسامة يركب إلى مال له بوادي القرى فيصوم الاثنين والخميس في الطريق فقلت له لم تصوم الاثنين والخميس في السفر وقد كبرت وضعفت أو رققت فقال إن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يصوم الاثنين والخميس وقال إن أعمال الناس تعرض يوم الاثنين والخميس

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৭৮৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪১. সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোযা রাখা প্রসঙ্গে

১৭৮৮. আবী হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সোম ও বৃহস্পতিবার রোযা রাখতেন। (এ ব্যাপারে) আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ “আমলসমূহ সোমবার ও বৃহস্পতিবার (আল্লাহর সমীপে) পেশ করা হয়।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান।

 

তাখরীজ: তিরমিযী, সওম ৭৪৭ তিনি একে হাসান বলেছেন; শামাইল নং ২৯৮; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ১৭৯৯; ইবনু মাজাহ, সিয়াম ১৭৪০; বুসীরী মিসবাহুজ যুজাজাহ ২/৩১ এ বলেন, এর সনদ সহীহ।; তায়ালিসী, মানিহাতুল মা’বূদ ২/৬২, ২০৭ নং ২১৯৪, ২৭৪৫ সহীহ সনদে; মুসলিম, ‍বিরর ওয়াস সুলহ ২৫৬৫; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ৬৬২৭; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৬৪৪;

 

এর শাহিদ রয়েছে উসামাহ ইবনু যাইদ হতে যেটি আবূ দাউদ ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন; তালহা ইবনু উবাইদুল্লাহ হতে খতীব তারীখ বাগদাদ ৩/২৫ তে এবং ইবনু মাসউদ হতে ইবনু আদী, আল কামিল ৪/১৬৩২ এ বর্ণনা করেছেন।

بَاب فِي صِيَامِ يَوْمِ الِاثْنَيْنِ وَالْخَمِيسِ

أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ رِفَاعَةَ عَنْ سُهَيْلٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَصُومُ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ وَالْخَمِيسِ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ إِنَّ الْأَعْمَالَ تُعْرَضُ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ وَالْخَمِيسِ

أخبرنا أبو عاصم عن محمد بن رفاعة عن سهيل عن أبيه عن أبي هريرة أن النبي صلى الله عليه وسلم كان يصوم يوم الاثنين والخميس فسألته فقال إن الأعمال تعرض يوم الاثنين والخميس

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৭৮৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪২. দাউদ (আ.) এর রোযা

১৭৮৯. আব্দুল্লাহ ইবনু আমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু মারফু’ হিসেবে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে) বর্ণনা করেন যে, আল্লাহ্ আযযা ওয়া জাল্লা’র নিকট অধিক প্রিয় রোযা হল দাঊদ (আ.)-এর রোযা। তিনি একদিন রোযা রাখতেন এবং একদিন রোযা রাখা পরিত্যাগ করতেন (অর্থাৎ একদিন অন্তর রোযা রাখতেন)। আবার আল্লাহ্ আযযা ওয়া জাল্লা’র নিকট সবচেয়ে প্রিয় সালাত হল দাঊদ (আ.)-এর সালাত। তিনি অর্ধরাত পর্যন্ত সালাত আদায় করতেন এবং পরে এর এক তৃতীআংশ সময় ঘুমাতেন। আর (সব কাজ শেষে) তিনি এর এক ষষ্ঠাংশ সময় তাসবীহ পড়তেন।” [1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, তাহজ্জুদ ১১৩১; মুসলিম, সালাত ১১৫৯;

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৫২, ২৯৫০ মুসনাদুল হুমাইদী নং ৬০০, ৬০১ তে ।

بَاب فِي صَوْمِ دَاوُدَ عَلَيْهِ السَّلَام

أَخْبَرَنَا عُثْمَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ عَمْرٍو يَعْنِي ابْنَ دِينَارٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ أَوْسٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو يَرْفَعُهُ قَالَ أَحَبُّ الصِّيَامِ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ صِيَامُ دَاوُدَ كَانَ يَصُومُ يَوْمًا وَيُفْطِرُ يَوْمًا وَأَحَبُّ الصَّلَاةِ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ صَلَاةُ دَاوُدَ كَانَ يُصَلِّي نِصْفًا وَيَنَامُ ثُلُثًا وَيُسَبِّحُ سُدُسًا قَالَ أَبُو مُحَمَّد هَذَا اللَّفْظُ الْأَخِيرُ غَلَطٌ أَوْ خَطَأٌ إِنَّمَا هُوَ أَنَّهُ كَانَ يَنَامُ نِصْفَ اللَّيْلِ وَيُصَلِّي ثُلُثَهُ وَيُسَبِّحُ تَسْبِيحَةً

أخبرنا عثمان بن محمد حدثنا سفيان بن عيينة عن عمرو يعني ابن دينار عن عمرو بن أوس عن عبد الله بن عمرو يرفعه قال أحب الصيام إلى الله عز وجل صيام داود كان يصوم يوما ويفطر يوما وأحب الصلاة إلى الله عز وجل صلاة داود كان يصلي نصفا وينام ثلثا ويسبح سدسا قال أبو محمد هذا اللفظ الأخير غلط أو خطأ إنما هو أنه كان ينام نصف الليل ويصلي ثلثه ويسبح تسبيحة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৭৯০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪৩. ইয়ামুল ফিতর ও ইয়ামুদ আযহা (দু’ঈদের দিন) রোযা রাখা নিষেধ

১৭৯০. আবী সাঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “তোমরা দু’টি দিনে রোযা রাখবে না: ইয়ামুল ফিতর (রোযার ঈদের দিন) ও ইয়ামুদ নাহর (কুরবাণীর ঈদের দিন)।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, ফাযলুস সালাত বিমক্কা ১১৮৮; মুসলিম, হাজ্জ ৮২৭;

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১১৬০; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৬১৭, ২৬১৮, ২৭১৯, ৩৫৯৯ এবং মুসনাদুল হুমাইদী নং ৭৬৭ তে ।

بَاب النَّهْيِ عَنْ الصِّيَامِ يَوْمَ الْفِطْرِ وَيَوْمَ الْأَضْحَى

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ عَنْ قَزَعَةَ مَوْلَى زِيَادٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا صَوْمَ يَوْمَيْنِ يَوْمَ الْفِطْرِ وَيَوْمَ النَّحْرِ

حدثنا سعيد بن عامر عن شعبة عن عبد الملك بن عمير عن قزعة مولى زياد عن أبي سعيد الخدري عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لا صوم يومين يوم الفطر ويوم النحر

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৭৯১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪৪. শাওয়াল মাসে ছয়টি রোযা রাখা

১৭৯১. আবী আইয়্যুব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি রমযানের রোযা রাখল এবং এরপরই শাওয়ালে ছয়টি রোযা রাখল, তবে তা পূর্ণ এক বছরের রোযা রাখার সমতুল্য (সাওয়াব) হলো।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান। তবে হাদীসটি সহীহ।

 

তাখরীজ: মুসলিম, সিয়াম ১১৬৪;

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৬৩৪ এবং মুসনাদুল হুমাইদী নং ৩৮৫, ৩৮৬ তে । আরো দেখুন, মাজমাউয যাওয়াইদ হাদীস ৫১৭৭ এবং এর টীকা।

بَاب فِي صِيَامِ السِّتَّةِ مِنْ شَوَّالٍ

حَدَّثَنَا نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا صَفْوَانُ وسَعْدُ بْنُ سَعِيدٍ عَنْ عُمَرَ بْنِ ثَابِتٍ عَنْ أَبِي أَيُّوبَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ صَامَ رَمَضَانَ ثُمَّ أَتْبَعَهُ سِتَّةً مِنْ شَوَّالٍ فَذَلِكَ صِيَامُ الدَّهْرِ

حدثنا نعيم بن حماد حدثنا عبد العزيز بن محمد حدثنا صفوان وسعد بن سعيد عن عمر بن ثابت عن أبي أيوب عن النبي صلى الله عليه وسلم قال من صام رمضان ثم أتبعه ستة من شوال فذلك صيام الدهر

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ আইয়ুব আনসারী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৭৯২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪৪. শাওয়াল মাসে ছয়টি রোযা রাখা

১৭৯২. সাওবান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “এক মাসের রোযা (রমযানের রোযা) দশমাসের রোযার সমতুল্য। এরপর আরও (শাওয়ালের) ছয়দিনের রোযা দুই মাসের সমতুল্য। এভাবে তা (সাওয়াবের দিক দিয়ে) পূর্ণ এক বছর এর সমতুল্য হলো।”[1]

আবূ মুহাম্মদ বলেন, এর অর্থ: রমযান মাস ও এর পরবর্তী (মাসের) ছয় দিনকে বুঝানো হয়েছে।

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৬৩৫, মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৯২৮ তে এবং মাওয়ারিদ-এ এর শাহিদ হাদীসও উল্লেখ করেছি।

بَاب فِي صِيَامِ السِّتَّةِ مِنْ شَوَّالٍ

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ الْحَارِثِ الذِّمَارِيُّ عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ الرَّحَبِيِّ عَنْ ثَوْبَانَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ صِيَامُ شَهْرٍ بِعَشَرَةِ أَشْهُرٍ وَسِتَّةِ أَيَّامٍ بَعْدَهُنَّ بِشَهْرَيْنِ فَذَلِكَ تَمَامُ سَنَةٍ يَعْنِي شَهْرَ رَمَضَانَ وَسِتَّةَ أَيَّامٍ بَعْدَهُ

حدثنا يحيى بن حسان حدثنا يحيى بن حمزة حدثنا يحيى بن الحارث الذماري عن أبي أسماء الرحبي عن ثوبان أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال صيام شهر بعشرة أشهر وستة أيام بعدهن بشهرين فذلك تمام سنة يعني شهر رمضان وستة أيام بعده

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ সাওবান (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৭৯৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪৫. মুহাররম মাসের রোযা

১৭৯৩. নু’মান ইবনু সা’দ রাহি. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, একবার জনৈক ব্যক্তি আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর নিকট এসে তাঁকে রমযান মাসের পরে কোনো একটি মাসের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করল, যে মাসে সে সিয়াম পালন করতে পারে। তখন আলী রা: তাকে বললেন, যেদিন আমি এক ব্যক্তিকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট এ বিষয়ে প্রশ্ন করতে শুনেছি, তারপর থেকে এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে আমাকে কেউ প্রশ্ন করেনি: (প্রশ্নটি ছিল,) সে রমযান ব্যতীত বছরের কোন্ মাসটিতে (নফল) সিয়াম পালন করবে? তখন তিনি তাকে মুহাররামের সিয়াম পালন করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেছিলেন: “নিশ্চয়ই এতে (এ মাসে) এমন একটি দিন আছে যে দিন আল্লাহ তায়ালা এক সম্প্রদায়ের তওবা কবুল করেছিলেন এবং আগামীতেও তিনি আরেক সম্প্রদায়ের তওবা এই দিনে কবুল করবেন।”[1]

[1] তাহ্ক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ, আব্দুর রহমান ইবনু ইসহাক্ব যয়ীফ হওয়ার জন্য। তবে পরবর্তী হাদীসটি একে শক্তিশালী করে। তিরমিযী বলেন: হাদীসটি হাসান গারীব।’

 

তাখরীজ: তিরমিযী, সওম ৭৪১; ইবনু আবী শাইবা ৩/৪১; আব্দুল্লাহ ইবনু আহমাদ, যাওয়াইদ আলাল মুসনাদ ১/১৫৫; আবূ ইয়ালা আল মাউসিলী নং ২৬৭; ইবনু আদী, আল কামিল৪/১৬১৪;

بَاب فِي صِيَامِ الْمُحَرَّمِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَقَ عَنْ النُّعْمَانِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى عَلِيٍّ فَسَأَلَهُ عَنْ شَهْرٍ يَصُومُهُ فَقَالَ لَهُ عَلِيٌّ مَا سَأَلَنِي أَحَدٌ عَنْ هَذَا بَعْدَ إِذْ سَمِعْتُ رَجُلًا سَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيُّ شَهْرٍ يَصُومُهُ مِنْ السَّنَةِ فَأَمَرَهُ بِصِيَامِ الْمُحَرَّمِ وَقَالَ إِنَّ فِيهِ يَوْمًا تَابَ اللَّهُ عَلَى قَوْمٍ وَيَتُوبُ فِيهِ عَلَى قَوْمٍ

حدثنا محمد بن سعيد حدثنا محمد بن فضيل عن عبد الرحمن بن إسحق عن النعمان بن سعد قال جاء رجل إلى علي فسأله عن شهر يصومه فقال له علي ما سألني أحد عن هذا بعد إذ سمعت رجلا سأل النبي صلى الله عليه وسلم أي شهر يصومه من السنة فأمره بصيام المحرم وقال إن فيه يوما تاب الله على قوم ويتوب فيه على قوم

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৭৯৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪৫. মুহাররম মাসের রোযা

১৭৯৪. আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “রামাযান মাসের সিয়ামের পরে সবচেয়ে ফযীলতপূর্ণ সিয়াম হলো আল্লাহর মাসের সিয়াম, যাকে তোমরা ’মুহাররাম’ নামে ডাকো।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: যাইদ ইবনু আউফ মাতরুক (পরিত্যক্ত)। আবূ যুরআহ তার ত্রুটি উল্লেখ করেছেন। তবে হাদীসটি সহীহ মুত্তাসিল। দেখুন পরবর্তী হাদীসটি।

 

তাখরীজ: মুসলিম, সিয়াম ১১৬৩; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৫৬৩, ৩৬৩৬ তে। এছাড়া আরো বর্ণনা করেন: আহমাদ ২/৩০৩; তাহাবী, মুশকিলিল আছার ২/১০১; বাইহাকী, সিয়াম ৪/২৯১; শুয়াবুল ঈমান নং ৩৭৭২, ৩৭৭৩, ৩৭৭৪; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ৯২৩, ১৭৮৮।

بَاب فِي صِيَامِ الْمُحَرَّمِ

أَخْبَرَنَا زَيْدُ بْنُ عَوْفٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْتَشِرِ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ شَهْرِ رَمَضَانَ شَهْرُ اللَّهِ الَّذِي تَدْعُونَهُ الْمُحَرَّمَ

أخبرنا زيد بن عوف حدثنا أبو عوانة عن عبد الملك بن عمير عن محمد بن المنتشر عن حميد بن عبد الرحمن عن أبي هريرة أن النبي صلى الله عليه وسلم قال أفضل الصيام بعد شهر رمضان شهر الله الذي تدعونه المحرم

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৭৯৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪৫. মুহাররম মাসের রোযা

১৭৯৫. (অপর সূত্রে) আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “রামাযান মাসের সিয়ামের পরে সবচেয়ে ফযীলতপূর্ণ সিয়াম হলো মুহাররাম মাসের সিয়াম।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: মুসলিম, সিয়াম ১১৬৩ যা আমরা পূর্বের হাদীসটিত উল্লেখ করেছি। এছাড়া বাগাবী নং ১৭৮৮। পূর্ণ তাখরীজ দেখুন পূর্বের হাদীসটিতে।

بَاب فِي صِيَامِ الْمُحَرَّمِ

حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ وَأَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ أَخْبَرَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ أَبِي بِشْرٍ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحِمْيَرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ شَهْرِ رَمَضَانَ الْمُحَرَّمُ

حدثنا أبو نعيم وأخبرنا يحيى بن حسان أخبرنا أبو عوانة عن أبي بشر عن حميد بن عبد الرحمن الحميري عن أبي هريرة أن النبي صلى الله عليه وسلم قال أفضل الصيام بعد شهر رمضان المحرم

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৭৯৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪৬. আশুরার রোযা সম্পর্কে

১৭৯৬. ইবনু ’আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (হিজরত করে) মদীনায় উপনীত হলেন, সেই সময় ইয়াহুদীরা আশুরার দিন রোযা রাখত। তিনি তাদেরকে (এ ব্যাপারে) জিজ্ঞেস করলে তারা বললো, এ দিনে আল্লাহ্ মূসা (আঃ)-কে ফিরাউনের উপর বিজয় দান করেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাহাবীদেরকে লক্ষ্য করে) বলেন: “তোমরা মূসা (আঃ)-এর (অনুসরণের) ব্যাপারে তাদের চেয়ে) অধিক নিকটবর্তী। ফলে তোমরা এদিন রোযা পালন করো।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, সওম ২০০৪; মুসলিম, সিয়াম ১১৩০;

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৫৬৭; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৬২৫ এবং মুসনাদুল হুমাইদী নং ৫২৫ তে।

بَاب فِي صِيَامِ يَوْمِ عَاشُورَاءَ

أَخْبَرَنَا سَهْلُ بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَبِي بِشْرٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قَالَ قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ وَالْيَهُودُ يَصُومُونَ يَوْمَ عَاشُورَاءَ فَسَأَلَهُمْ فَقَالُوا هَذَا الْيَوْمُ الَّذِي ظَهَرَ فِيهِ مُوسَى عَلَى فِرْعَوْنَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْتُمْ أَوْلَى بِمُوسَى فَصُومُوهُ

أخبرنا سهل بن حماد حدثنا شعبة عن أبي بشر عن سعيد بن جبير عن ابن عباس أنه قال قدم رسول الله صلى الله عليه وسلم المدينة واليهود يصومون يوم عاشوراء فسألهم فقالوا هذا اليوم الذي ظهر فيه موسى على فرعون فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم أنتم أولى بموسى فصوموه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৭৯৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪৬. আশুরার রোযা সম্পর্কে

১৭৯৭. ’আয়িশাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহাথেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আশূরার দিন রোযা রাখতেন এবং এ দিন রোযা রাখতে নির্দেশ দিতেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, হাজ্জ ১৫৯২; মুসলিম, সিয়াম ১১২৫; বাইহাকী, আল মা’রিফাহ নং ৮৯৮৮;

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৬৩৮; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৬২১ এবং মুসনাদুল হুমাইদী নং ২০২ তে।

بَاب فِي صِيَامِ يَوْمِ عَاشُورَاءَ

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَصُومُ يَوْمَ عَاشُورَاءَ وَيَأْمُرُنَا بِصِيَامِهِ

أخبرنا عبيد الله بن عبد المجيد حدثنا ابن أبي ذئب عن الزهري عن عروة عن عائشة أن النبي صلى الله عليه وسلم كان يصوم يوم عاشوراء ويأمرنا بصيامه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৭৯৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪৬. আশুরার রোযা সম্পর্কে

১৭৯৮. সালামা ইবন আকওয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, ’আশূরার দিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আসলাম গোত্রের এক ব্যক্তিকে এ বলে লোকদের মধ্যে ঘোষণা দেওয়ার জন্য পাঠালেন: “আজকের দিনটি হলো আশুরার দিন। ফলে যে ব্যক্তি খেয়েছিল, বা পান করেছিল, সে যেন দিনের অবশিষ্টাংশ পূর্ণ করে। আর যে এখনো খায়নি বা পান করেনি, সে যেন সাওম পালন করে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, সাওম ১৯২৪; মুসলিম, সিয়াম ১১৩৫;

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৬১৯ তে।

بَاب فِي صِيَامِ يَوْمِ عَاشُورَاءَ

أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ يَوْمَ عَاشُورَاءَ رَجُلًا مِنْ أَسْلَمَ إِنَّ الْيَوْمَ يَوْمُ عَاشُورَاءَ فَمَنْ كَانَ أَكَلَ أَوْ شَرِبَ فَلْيُتِمَّ بَقِيَّةَ يَوْمِهِ وَمَنْ لَمْ يَكُنْ أَكَلَ أَوْ شَرِبَ فَلْيَصُمْهُ

أخبرنا أبو عاصم عن يزيد بن أبي عبيد عن سلمة بن الأكوع أن النبي صلى الله عليه وسلم بعث يوم عاشوراء رجلا من أسلم إن اليوم يوم عاشوراء فمن كان أكل أو شرب فليتم بقية يومه ومن لم يكن أكل أو شرب فليصمه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ সালামাহ ইবনু আক্ওয়া‘ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৭৯৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪৬. আশুরার রোযা সম্পর্কে

১৭৯৯. ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট আশূরার দিন সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “জাহিলী যুগে কুরাইশরা এ দিন রোযা রাখতো। অতএব তোমাদের কেউ এ দিন রোযা রাখতে আগ্রহী হলে সে রোযা রাখতে পারে এবং কেউ রোযা রাখতে অনাগ্রহী হলে নাও রাখতে পারে।”[1]

ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এ দিন রোযা রাখতেন না তবে তার (অন্য কোনো) রোযার সাথে এটি একইদিনে পড়লে সেটি ভিন্ন কথা।

[1] তাহক্বীক্ব: এর বর্ণনাকারীগণ সকলেই বিশ্বস্ত। তবে ইবনু ইসহাক ‘আন আন’ পদ্ধতিতে এটি বর্ণনা করেছেন। তবে এর মুতাবি’আত রয়েছে। আর হাদীসটি সহীহ। হাদীসটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, সাওম ১৮৯২; মুসলিম, সিয়াম ১১২৬;

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৬২২, ৩৬২৩ তে।

بَاب فِي صِيَامِ يَوْمِ عَاشُورَاءَ

أَخْبَرَنَا يَعْلَى عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَقَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَذَا يَوْمُ عَاشُورَاءَ كَانَتْ قُرَيْشٌ تَصُومُهُ فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَمَنْ أَحَبَّ مِنْكُمْ أَنْ يَصُومَهُ فَلْيَصُمْهُ وَمَنْ أَحَبَّ مِنْكُمْ أَنْ يَتْرُكَهُ فَلْيَتْرُكْهُ وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ لَا يَصُومُهُ إِلَّا أَنْ يُوَافِقَ صِيَامَهُ

أخبرنا يعلى عن محمد بن إسحق عن نافع عن ابن عمر قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم هذا يوم عاشوراء كانت قريش تصومه في الجاهلية فمن أحب منكم أن يصومه فليصمه ومن أحب منكم أن يتركه فليتركه وكان ابن عمر لا يصومه إلا أن يوافق صيامه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৮০০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪৬. আশুরার রোযা সম্পর্কে

১৮০০. আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আশূরা ছিল এমন একটি দিন যে দিন কুরাইশরা জাহেলী যুগেও সিয়াম পালন করত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (হিজরতের করে) মদীনায় আসার পর তিনি এই দিন সিয়াম পালন করেছেন এবং লোকদেরকেও সিয়াম পালন করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এরপর রামাযানের সিয়াম পালন ফরয হওয়ার পর রামাযানই ফরয হিসাবে রয়ে গেল আর আশূরার সিয়াম (ফরয হিসাবে) রইল না। ফলে যার ইচ্ছা এই দিনের সিয়াম পালন করে চললো আর যার ইচ্ছা তা ছেড়ে দিলো।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, সাওম ২০০১, ২০০২; মুসলিম, সিয়াম ১১৩৫; এছাড়া, বাইহাকী, আল মা’রিফাহ নং ৮৯৮০; মালিক, সওম (৩৩)।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী ৪৬৩৮ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৬২১ এবং মুসনাদুল হুমাইদী নং ২০২ তে। আরও দেখুন পূর্বের ১৮০০ (অনূবাদে ১৭৯৬) নং হাদীসটি।

بَاب فِي صِيَامِ يَوْمِ عَاشُورَاءَ

أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا شُعَيْبُ بْنُ إِسْحَقَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ يَوْمُ عَاشُورَاءَ يَوْمًا تَصُومُهُ قُرَيْشٌ فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَلَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ صَامَهُ وَأَمَرَ بِصِيَامِهِ حَتَّى إِذَا فُرِضَ رَمَضَانُ كَانَ رَمَضَانُ هُوَ الْفَرِيضَةُ وَتُرِكَ يَوْمُ عَاشُورَاءَ فَمَنْ شَاءَ صَامَهُ وَمَنْ شَاءَ تَرَكَهُ

أخبرنا عبد الوهاب بن سعيد حدثنا شعيب بن إسحق عن هشام بن عروة عن أبيه عن عائشة قالت كان يوم عاشوراء يوما تصومه قريش في الجاهلية فلما قدم رسول الله صلى الله عليه وسلم المدينة صامه وأمر بصيامه حتى إذا فرض رمضان كان رمضان هو الفريضة وترك يوم عاشوراء فمن شاء صامه ومن شاء تركه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৮০১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪৭. আরাফার দিবসের সিয়াম

১৮০১. উক্ববা ইবনু আমির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “আরাফার দিন এবং তাশরীকের দিনগুলো আমাদের মুসলিমদের জন্য ঈদ স্বরূপ। আর এই দিনগুলি পানাহারের জন্য নির্ধারিত।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৬০৩; মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৮৫৯ তে।

 

((আবূ দাউদ, সওম ২৪১৯; তিরমিযী, সওম ৭৭৩; আলবানী সহীহুল জামি’ ৬/৩৬৬ তে বলেন: সহীহ।’- ফাওয়ায আহমেদের তাহক্বীক্বকৃত দারেমী হা/১৭৬৪ এর টীকা হতে।– অনুবাদক))

بَاب فِي صِيَامِ يَوْمِ عَرَفَةَ

أَخْبَرَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُلَيٍّ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمُ عَرَفَةَ وَأَيَّامُ التَّشْرِيقِ عِيدُنَا أَهْلَ الْإِسْلَامِ وَهِيَ أَيَّامُ أَكْلٍ وَشُرْبٍ

أخبرنا وهب بن جرير حدثنا موسى بن علي عن أبيه عن عقبة بن عامر قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يوم عرفة وأيام التشريق عيدنا أهل الإسلام وهي أيام أكل وشرب

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ উকবাহ ইবনু আমির (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৮০২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪৭. আরাফার দিবসের সিয়াম

১৮০২. আবূ নাজীহ (রহঃ) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে আরাফার দিনে সিয়াম পালন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তিনি বললেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে হজ্জ করেছি, তিনি এ দিন সিয়াম পালন করেননি; আবূ বকর (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) এর সঙ্গেও হজ্জ পালন করেছি। তিনিও এ দিন সিয়াম পালন করেননি; উমার (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) এর সঙ্গেও হজ্জ করেছি তিনিও এ দিন সিয়াম পালন করেননি; উসমান (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) এর সঙ্গেও হজ্জ করেছি। তিনিও এ দিন সিয়াম পালন করেননি। আমি নিজেও এই সিয়াম পালন করিনা এবং তা কাউকে পালন করতে বলিওনা এবং নিষেধও করিনা।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৫৯৫; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৬০৪; মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৮৩৪ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৬৯৮ তে।

 

(( তিরমিযী, সওম ৭৫১; তিনি বলেন: হাদীসটি হাসান।’- ফাওয়ায আহমেদের তাহক্বীক্বকৃত দারেমী হা/১৭৬৫ এর টীকা হতে।– অনুবাদক))

بَاب فِي صِيَامِ يَوْمِ عَرَفَةَ

أَخْبَرَنَا الْمُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي نَجِيحٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ سُئِلَ ابْنُ عُمَرَ عَنْ صَوْمِ يَوْمِ عَرَفَةَ فَقَالَ حَجَجْتُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمْ يَصُمْهُ وَحَجَجْتُ مَعَ أَبِي بَكْرٍ فَلَمْ يَصُمْهُ وَحَجَجْتُ مَعَ عُمَرَ فَلَمْ يَصُمْهُ وَحَجَجْتُ مَعَ عُثْمَانَ فَلَمْ يَصُمْهُ وَأَنَا لَا أَصُومُهُ وَلَا آمُرُ بِهِ وَلَا أَنْهَى عَنْهُ

أخبرنا المعلى بن أسد حدثنا إسمعيل ابن علية حدثنا ابن أبي نجيح عن أبيه قال سئل ابن عمر عن صوم يوم عرفة فقال حججت مع النبي صلى الله عليه وسلم فلم يصمه وحججت مع أبي بكر فلم يصمه وحججت مع عمر فلم يصمه وحججت مع عثمان فلم يصمه وأنا لا أصومه ولا آمر به ولا أنهى عنه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ ইবনু আবী নাজীহ (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৮০৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪৮. ‘আইয়্যামুত তাশরীক’ এ সিয়াম পালন নিষেধ

১৮০৩. বিশর ইবনু সুহাইম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ’আইয়্যামে তাশরীকে’ তাকে অথবা কোনো এক ব্যক্তিকে এ ঘোষণা দেওয়ার আদেশ দেন: “মুসলিম ব্যক্তি ব্যতীত কেউ জান্নাতে প্রবেশ করবে না এবং এই দিনসমূহ হচ্ছে পানাহারের দিন।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আহমাদ ৩/৪১৫, ৪/৩৩৫; তাবারাণী, আল কাবীর ২/৩৭ নং ১২১৩; ইবনু খুযাইমা, আস সহীহ নং ২৯৬০; নাসাঈ, আল কুবরা নং ২৮৯৫, ২৮৯৬, ২৮৯৮; ইবনু আবী শাইবা, ঈমান নং ১২; ৪/২০-২১; ইবনু মাজাহ, সিয়াম ১৭২০; বাইহাকী, সিয়াম ৪/২৯৮।

بَاب النَّهْيِ عَنْ صِيَامِ أَيَّامِ التَّشْرِيقِ

حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ بِشْرِ بْنِ سُحَيْمٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهُ أَوْ أَمَرَ رَجُلًا يُنَادِي أَيَّامَ التَّشْرِيقِ أَنَّهُ لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلَّا مُؤْمِنٌ وَهِيَ أَيَّامُ أَكْلٍ وَشُرْبٍ

حدثنا أبو النعمان حدثنا حماد بن زيد عن عمرو بن دينار عن نافع بن جبير عن بشر بن سحيم أن رسول الله صلى الله عليه وسلم أمره أو أمر رجلا ينادي أيام التشريق أنه لا يدخل الجنة إلا مؤمن وهي أيام أكل وشرب

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ বিশর ইবন সুহায়ম (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৮০৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪৮. ‘আইয়্যামুত তাশরীক’ এ সিয়াম পালন নিষেধ

১৮০৪. আকীলের আযাদকৃত গোলাম আবূ মু্র্রা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা তিনি এবং আবদুল্লাহ্ ইবন আমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আমর ইবনুল ’আস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর নিকট গমন করেন। ঘটনাটি ছিল ঈদুল আযহার পরের দিন কিংবা তার পরের দিন (তথা তাশরীকের দিনে)। আমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাদের সম্মুখে কিছু খাদ্যদ্রব্য নিয়ে আসেন। তখন আবদুল্লাহ্ ইবন আমর বলেন, আমি তো রোযাদার। আমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তুমি রোযা ভেঙ্গে ফেলো, কেননা এসকল দিনগুলো সেই দিনসমূহের অন্তর্ভুক্ত যেই দিনগুলোতে রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে ইফতার করতে নির্দেশ দিতেন এবং রোযা রাখতে নিষেধ করতেন। তখন আবদুল্লাহ্ রা: রোযা ভেঙ্গে ফেললেন এবং খাবার খেলেন আর আমিও তাঁর সঙ্গে খেলাম।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ, আব্দুল্লাহ ইবনু সালিহ এর ‘দুর্বলতা-এর কারণে। তবে তিনি এ বর্ণনায় একাকী নন। তার অনুসরণে বর্ণনা করেছেন শুয়াইব ইবনু লাইছ ইবনু সা’দ, আর তিনি বিশ্বস্ত ফাকীহ শ্রেষ্ঠ। ফলে এটি এ সনদকে সহীহতে পরিণত করে।

 

তাখরীজ: ইবনু খুযাইমা, আস সহীহ নং ২১৪৯; মালিক, হাজ্জ্ব ১৩৮; আবূ দাউদ, সওম ২৪১৮; বাইহাকী, সিয়াম ৪/২৯৭।

بَاب النَّهْيِ عَنْ صِيَامِ أَيَّامِ التَّشْرِيقِ

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِي مُرَّةَ مَوْلَى عَقِيلٍ أَنَّهُ دَخَلَ هُوَ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو عَلَى عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ وَذَلِكَ الْغَدَ أَوْ بَعْدَ الْغَدِ مِنْ يَوْمِ الْأَضْحَى فَقَرَّبَ إِلَيْهِمْ عَمْرٌو طَعَامًا فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ إِنِّي صَائِمٌ فَقَالَ عَمْرٌو أَفْطِرْ فَإِنَّ هَذِهِ الْأَيَّامَ الَّتِي كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْمُرُنَا بِفِطْرِهَا وَيَنْهَانَا عَنْ صِيَامِهَا فَأَفْطَرَ عَبْدُ اللَّهِ فَأَكَلَ وَأَكَلْتُ مَعَهُ

أخبرنا عبد الله بن صالح حدثني الليث حدثني يزيد بن عبد الله عن أبي مرة مولى عقيل أنه دخل هو وعبد الله بن عمرو على عمرو بن العاص وذلك الغد أو بعد الغد من يوم الأضحى فقرب إليهم عمرو طعاما فقال عبد الله إني صائم فقال عمرو أفطر فإن هذه الأيام التي كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يأمرنا بفطرها وينهانا عن صيامها فأفطر عبد الله فأكل وأكلت معه

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৮০৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪৯. কোনো লোক মৃত্যুবরণ করলো কিন্তু তার উপর (ফরয কিংবা ওয়াজিব) রোযা রয়েছে

১৮০৫. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, একটি মহিলা রোযা মানত করার পরে মৃত্যু বরণ করলো। তখন তার ভাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম – এর নিকট এসে বিষয়টি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলো। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ “দেখো, কোন ঋণ যদি তোমার বোনের উপর থাকত, তাহলে কি তুমি সেটা পরিশোধ করতে? সে বলল, হ্যাঁ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ তাহলে আল্লাহর ঋণ পরিশোধ করো। কেননা, আল্লাহ্ তা’আলার ঋণ সবচেয়ে অগ্রগণ্য। তুমি তার পক্ষ থেকে রোযা রাখো।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, সওম ১৯৫৩; মুসলিম, সিয়াম ১১৪৮;

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৫৩০, ৩৫৭০ তে।… এসম্পর্কিত দু’টি ঘটনা রয়েছে ‘একটি সিয়াম আদায়ের, অপরটি হাজ্জ আদায়ের। দেখুন, সুনানুল কুবরা, নাসাঈ হাদীস ২৯১২ হতে ২৯১৮ পর্যন্ত এবং সহীহ বুখারীও।

بَاب الرَّجُلِ يَمُوتُ وَعَلَيْهِ صَوْمٌ

حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَبِي بِشْرٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ امْرَأَةً نَذَرَتْ أَنْ تَحُجَّ فَمَاتَتْ فَجَاءَ أَخُوهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلَهُ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَوْ كَانَ عَلَيْهَا دَيْنٌ أَكُنْتَ قَاضِيَهُ قَالَ نَعَمْ قَالَ فَاقْضُوا اللَّهَ اللَّهُ أَحَقُّ بِالْوَفَاءِ قَالَ فَصَامَ عَنْهَا

حدثنا سهل بن حماد حدثنا شعبة عن أبي بشر عن سعيد بن جبير عن ابن عباس أن امرأة نذرت أن تحج فماتت فجاء أخوها إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم فسأله عن ذلك فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم لو كان عليها دين أكنت قاضيه قال نعم قال فاقضوا الله الله أحق بالوفاء قال فصام عنها

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৮০৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫০. সিয়ামের ফযীলত সম্পর্কে

১৮০৬. আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “সাওম পালনকারীর মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিশকের সুগন্ধের চেয়েও অধিক উত্তম। আর সাওম পালনকারীর জন্য দু’টি আনন্দ। একটি আনন্দ হলো যখন সে ইফ্তার করে; আরেকটি হলো কিয়ামত দিবসে (যখন সে তার রবের সঙ্গে সাক্ষাত করবে)।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান, মুহাম্মদ ইবনু আমরের জন্য। তবে হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, সওম ১৮৯৪; মুসলিম, সিয়াম ১১৫১;

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৯৪৭; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৪২২, ৩৪২৩, ৩৪২৪ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ১০৪০ তে। পরবর্তী টীকাটিও দেখুন।

بَاب فِي فَضْلِ الصِّيَامِ

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خُلُوفُ فَمِ الصَّائِمِ أَطْيَبُ عِنْدَ اللَّهِ مِنْ رِيحِ الْمِسْكِ وَلِلصَّائِمِ فَرْحَتَانِ فَرْحَةٌ عِنْدَ فِطْرِهِ وَفَرْحَةٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ

أخبرنا يزيد بن هارون أخبرنا محمد بن عمرو عن أبي سلمة عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم خلوف فم الصائم أطيب عند الله من ريح المسك وللصائم فرحتان فرحة عند فطره وفرحة يوم القيامة

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৮০৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫০. সিয়ামের ফযীলত সম্পর্কে

১৮০৭. আবূ হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “আল্লাহ তা’আলা বলেন, সাওম ব্যতীত আদম সন্তানের প্রতিটি কাজই তাঁর নিজের জন্য, আর প্রত্যেক নেক কাজের বিনিময় দশ থেকে সাতশ’ গুণ। কিন্তু সিয়াম আমার জন্য, তাই আমি এর প্রতিদান দেব। সে আমার জন্য আহার ও কামাচার পরিত্যাগ করে এবং আমার জন্য পান ও কামাচার পরিত্যাগ করে। ফলে তা (সিয়াম) আমারই জন্য। তাই এর পুরষ্কার আমি নিজেই দান করব।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান, মুহাম্মদ ইবনু আমরের জন্য। তবে হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৪১৬ তে। পূর্ণ তাখরীজের জন্য আগের টীকাটি দেখুন।

 

তাঁর বাণী: ‘রোযা আমারই জন্য’ …. অর্থ রোযা একমাত্র আমার জন্য, এতে সে কাউকে শরীক করেনি, আর সে আমার ব্যতীত আর কারো ইবাদত এর মাধ্যমে করেনি। ফলে আজ আমি তার আমার প্রতি ইখলাছ এর পরিমাণে তাকে পুরস্কৃত করব; নিজেই তার দিব….। দেখুন, জামিউল উসূল, ৯/৪৫৪; ফাতহুর বারী ৪/১০৭-১১০।

بَاب فِي فَضْلِ الصِّيَامِ

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى كُلُّ عَمَلِ ابْنِ آدَمَ لَهُ فَالْحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا إِلَى سَبْعِ مِائَةِ ضِعْفٍ إِلَّا الصِّيَامَ هُوَ لِي وَأَنَا أَجْزِي بِهِ إِنَّهُ يَتْرُكُ الطَّعَامَ وَشَهْوَتَهُ مِنْ أَجْلِي وَيَتْرُكُ الشَّرَابَ وَشَهْوَتَهُ مِنْ أَجْلِي فَهُوَ لِي وَأَنَا أَجْزِي بِهِ

أخبرنا يزيد أخبرنا محمد بن عمرو عن أبي سلمة عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول الله تعالى كل عمل ابن آدم له فالحسنة بعشر أمثالها إلى سبع مائة ضعف إلا الصيام هو لي وأنا أجزي به إنه يترك الطعام وشهوته من أجلي ويترك الشراب وشهوته من أجلي فهو لي وأنا أجزي به

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৮০৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫০. সিয়ামের ফযীলত সম্পর্কে

১৮০৮. আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “সিয়াম হলো ঢাল স্বরূপ।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, সওম ১৮৯৪; মুসলিম, সিয়াম ১১৫১;

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৪২৭ তে। এটি আগের হাদীস দু’টির অংশ বিশেষ।

بَاب فِي فَضْلِ الصِّيَامِ

أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الصَّوْمُ جُنَّةٌ

أخبرنا أبو نعيم حدثنا الأعمش عن أبي صالح عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الصوم جنة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৮০৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫১. যার নিকট ইফতার করে, তার জন্য রোযাদারের দু’আ

১৮০৯. আনাস ইবনু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন কোনো লোকের নিকট (বাড়িতে) ইফতার করতেন, তখন বলতেন: “রোযাদারগণ তোমাদের নিকট ইফতার করেছে, নেককার গণ তোমাদের খাবার খেয়েছে এবং ফিরিশতাগণ তোমাদের উপর অবতীর্ণ হয়েছে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৩১৯ , ৪৩২০. ৪৩২১, ৪৩২২ তে।

 

এছাড়াও: ইবনু আবী শাইবা ৩/১০০। ((আহমাদ ৩/১৩৮ ও বাইহাকী ৭/২৮৭; আলবানী সহীহুল জামি’ ৪/২০৯ তে বলেন: সহীহ’– ফাওয়ায আহমেদের তাহক্বীক্বকৃত দারেমী হা/১৭৭২ এর টীকা হতে।– অনুবাদক))

بَاب دُعَاءِ الصَّائِمِ لِمَنْ يُفْطِرُ عِنْدَهُ

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا هِشَامٌ الدَّسْتَوَائِيُّ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا أَفْطَرَ عِنْدَ أُنَاسٍ قَالَ أَفْطَرَ عِنْدَكُمْ الصَّائِمُونَ وَأَكَلَ طَعَامَكُمْ الْأَبْرَارُ وَتَنَزَّلَتْ عَلَيْكُمْ الْمَلَائِكَةُ

أخبرنا يزيد بن هارون أخبرنا هشام الدستوائي عن يحيى بن أبي كثير عن أنس بن مالك أن النبي صلى الله عليه وسلم كان إذا أفطر عند أناس قال أفطر عندكم الصائمون وأكل طعامكم الأبرار وتنزلت عليكم الملائكة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৮১০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫২. (যিলহজ্জের প্রথম) দশদিনের আমলের ফযীলত

১৮১০. ইবনু ’আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “আল্লাহর নিকট যুলহিজ্জার দশ দিনের নেক আমলের চাইতে অধিক ফযীলতপূর্ণ আর কোনো দিনের নেক আমল নেই।” সাহাবীগণ বলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ্! আল্লাহর পথে জিহাদও কি নয়? তিনি বলেন, “আল্লাহর পথে জিহাদও নয়, কিন্তু যে ব্যক্তি তার জান-মালসহ আল্লাহর পথে বের হয়, কিন্তু তার কোন কিছু নিয়েই আর ফিরে আসে না (তার মর্যাদা অনেক)।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: বুখারী, ঈদাইন ৯৬৯; বাইহাকী, সিয়াম ৪/২৮৪; তা্য়ালিসী নং ২৬৩১; আহমাদ ১/৩৪৬; আবূ দাউদ, সওম ২৪৩৮; আব্দুর রাযযাক নং ৮১২১; তাবারাণী, আল কাবীর ২/১৩ নং ১২৩২৬; তিরমিযী, সওম ৭৫৭; বাগাব, শারহুস সুন্নাহ নং ১১২৫; ইবনু মাজাহ, সিয়াম ১৭২৭।

 

এর শাহিদ হাদীস জাবীর রা: হতে বর্ণিত হয়েছে যার তাখরীজ আমরা দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২০৯০ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৬২৩, ৬০১১ তে।

 

এছাড়া, আব্দুল্লাহ ইবনু আমর, আব্দুল্লাহ্ ইবনু মাসউদ, ইবনু আব্বাস এর অপর বর্ণনা: এর শাহিদ হিসেবে বর্ণিত আছে, যার তাখরীজ আমরা দিয়েছি মাজামউয যাওয়াইদ নং ৬০০৭-৬০১০ তে। আরও দেখুন, পরবর্তী হাদীসটি এবং তারগীব ২/১৯৮-২০০।

بَاب فِي فَضْلِ الْعَمَلِ فِي الْعَشْرِ

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ الرَّبِيعِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ سُلَيْمَانَ قَالَ سَمِعْتُ مُسْلِمًا الْبَطِينَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا الْعَمَلُ فِي أَيَّامٍ أَفْضَلَ مِنْ الْعَمَلِ فِي عَشْرِ ذِي الْحِجَّةِ قِيلَ وَلَا الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ قَالَ وَلَا الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ إِلَّا رَجُلٌ خَرَجَ بِنَفْسِهِ وَمَالِهِ ثُمَّ لَمْ يَرْجِعْ بِشَيْءٍ

حدثنا سعيد بن الربيع حدثنا شعبة عن سليمان قال سمعت مسلما البطين عن سعيد بن جبير عن ابن عباس عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ما العمل في أيام أفضل من العمل في عشر ذي الحجة قيل ولا الجهاد في سبيل الله قال ولا الجهاد في سبيل الله إلا رجل خرج بنفسه وماله ثم لم يرجع بشيء

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৮১১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫২. (যিলহজ্জের প্রথম) দশদিনের আমলের ফযীলত

১৮১১. (অপর সনদে) ইবনু ’আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “আযহা’র (যুলহিজ্জার) দশ দিনে যে নেক আমল করা হয়, তার চাইতে আল্লাহর নিকট অধিক পবিত্র, অধিক সাওয়াবের আর কোনো নেক আমল নেই।” জিজ্ঞাসা করা হলো, আল্লাহর পথে জিহাদও কি নয়? তিনি বলেন, “আল্লাহর পথে জিহাদও নয়, তবে, যে ব্যক্তি তার জান-মালসহ আল্লাহর পথে (জিহাদে) বের হয়, কিন্তু এর কোন কিছু নিয়েই সে আর ফিরে আসে না (তার মর্যাদা অনেক)।” [1] তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন, সাঈদ ইবনু যুবাইর যখন (যুলহাজ্জের) প্রথম দশকে উপনীত হতেন, তখন তিনি তাঁর সাধ্যানুযায়ী সর্বাধিক কঠোর সাধনা করতেন।

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: তাহাবী, মুশকিলিল আছার ৪/১১৩-১১৪; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ৩৭৫২; পূর্ণ তাখরীজের জন্য আগের টীকাটি দেখুন।

بَاب فِي فَضْلِ الْعَمَلِ فِي الْعَشْرِ

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا أَصْبَغُ عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ أَبِي أَيُّوبَ عَنْ سَعِيدٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا مِنْ عَمَلٍ أَزْكَى عِنْدَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ وَلَا أَعْظَمَ أَجْرًا مِنْ خَيْرٍ تَعْمَلُهُ فِي عَشْرِ الْأَضْحَى قِيلَ وَلَا الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ قَالَ وَلَا الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ إِلَّا رَجُلٌ خَرَجَ بِنَفْسِهِ وَمَالِهِ فَلَمْ يَرْجِعْ مِنْ ذَلِكَ بِشَيْءٍ قَالَ وَكَانَ سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ إِذَا دَخَلَ أَيَّامُ الْعَشْرِ اجْتَهَدَ اجْتِهَادًا شَدِيدًا حَتَّى مَا يَكَادُ يَقْدِرُ عَلَيْهِ

أخبرنا يزيد بن هارون أخبرنا أصبغ عن القاسم بن أبي أيوب عن سعيد عن ابن عباس عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ما من عمل أزكى عند الله عز وجل ولا أعظم أجرا من خير تعمله في عشر الأضحى قيل ولا الجهاد في سبيل الله عز وجل قال ولا الجهاد في سبيل الله عز وجل إلا رجل خرج بنفسه وماله فلم يرجع من ذلك بشيء قال وكان سعيد بن جبير إذا دخل أيام العشر اجتهد اجتهادا شديدا حتى ما يكاد يقدر عليه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৮১২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫৩. রমযান মাসের ফযীলত সম্পর্কে

১৮১২. আবী হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যখন রমযান মাস আগমন করে, তখন আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শয়তানদেরকে শৃংখলাবদ্ধ করা হয়।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, সওম ১৮৯৮; মুসলিম, সিয়াম ১০৭৯;

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৪৩৪, ৩৪৩৫ তে।

بَاب فِي فَضْلِ شَهْرِ رَمَضَانَ

حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا أَبُو سُهَيْلٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا جَاءَ رَمَضَانُ فُتِحَتْ أَبْوَابُ السَّمَاءِ وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ النَّارِ وَصُفِّدَتْ الشَّيَاطِينُ

حدثنا أبو الربيع الزهراني حدثنا إسمعيل بن جعفر حدثنا أبو سهيل عن أبيه عن أبي هريرة أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال إذا جاء رمضان فتحت أبواب السماء وغلقت أبواب النار وصفدت الشياطين

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৮১৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫৪. রমযানে মাসে রাত্রি জাগরণ (কিয়ামুল্লাইল)-এর ফযীলত

১৮১৩. আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “ঈমানের সাথে এবং সাওয়াবের প্রত্যাশায় যে লোক রামাযান মাসে (ইবাদাতের উদ্দেশ্যে) রাত্রি জাগরণ করলো, তার পূর্ববর্তী পাপগুলো ক্ষমা করে দেওয়া হলো। আর ঈমানের সাথে এবং সাওয়াবের প্রত্যাশায় যে লোক লাইলাতুল ক্বদরে (ইবাদাতের জন্য) রাত্রি জাগরণ করলো, তারও পূর্ববর্তী পাপগুলো ক্ষমা করে দেওয়া হয়।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, সওম ১৯০১; ঈমান ৩৫; মুসলিম, সালাতুল মুসাফিরীন ৭৬০;

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৯৬০, ৫৯৯৭ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৬৮২ তে।

 

এর প্রথম অংশটি আরো তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৯৩০ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৪৩২ তে। আর দ্বিতীয় অংশের তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩৬৩২। পূর্ণ তাখরীজের জন্য দেখুন, মুসনাদুল হুমাইদী নং ৯৮০, ১০৩৭ এবং ‘আল মা’রিফাহ নং ৯০৭৯।

بَاب فِي قِيَامِ رَمَضَانَ

حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَنْ قَامَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ

حدثنا وهب بن جرير حدثنا هشام عن يحيى بن أبي كثير عن أبي سلمة بن عبد الرحمن عن أبي هريرة أن النبي صلى الله عليه وسلم قال من قام رمضان إيمانا واحتسابا غفر له ما تقدم من ذنبه ومن قام ليلة القدر غفر له ما تقدم من ذنبه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৮১৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫৪. রমযানে মাসে রাত্রি জাগরণ (কিয়ামুল্লাইল)-এর ফযীলত

১৮১৪. আবী যার্র রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সঙ্গে আমরা রমযান মাসের সিয়াম পালন করেছি।– তিনি বলেন, তিনি রামাযান মাসে আমাদের নিয়ে (নফল) সালাত আদায় করেননি। যখন সাত দিন অবশিষ্ট রইলো (তেইশ রমযানের রাতে) তিনি আমাদের নিয়ে সালাত দাড়ালেন।’ তিনি বলেন- ’এমনকি রাতের এক তৃতীয়াংশ এতে অতিবাহিত হয়ে গেল।’ তিনি বলেন, ’এরপর ষষ্ঠ রাতে আর আমাদের নিয়ে সালাতে দাড়ালেন না। এরপর পঞ্চম রাত অবশিষ্ট থাকতে আবার আমাদের নিয়ে সালাতে দাড়ালেন। এমনকি এতে অর্ধেক রাত অতিবাহিত হয়ে গেল। আমরা তাঁকে বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমাদের অবশিষ্ট রাতটুকুও যদি নফল আদায় করে অতিবাহিত করে দিতেন।’ তিনি বললেন: “কেউ যদি ইমামের সঙ্গে সালাতে দাঁড়ায় এবং ইমামের সালাত শেষ করা পর্যন্ত তাঁর সাথে থাকে, তবে তার জন্য তা সারারাত সালাতে দাড়ানো বলে গণ্য হয়। এরপর চতুর্থ রাতে আমাদের নিয়ে আর সালাতে দাড়ালেন না। এরপর তৃতীয় (সাতাশে রমযানের) রাতে তিনি তাঁর পরিজন ও স্ত্রীগণকে ও লোকদেরকে একত্রিত করে আমাদের নিয়ে সালাতে দাড়ালেন। অনন্তর তিনি এত দীর্ঘক্ষণ সালাত আদায় করলেন যে আমরা আমাদের ’ফালাহ’ ছুটে যাওয়ার আশংকা করলাম।’ (রাবী বলেন) আমরা জিজ্ঞেস করলাম, ’ফালাহ’ কি? তিনি বললেন, ’সাহরী খাওয়া।’ তিনি বলেন, ’এরপর মাসের অবশিষ্ট (রাতসমূহ) আর সালাতের জন্য দাড়াননি।’[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: আব্দুর রাযযাক নং ৭৭০৬; আহমাদ ৫/১৫৯, ১৬০, ১৬৩; ইবনু আবী শাইবা ২/৩৯৪; আবূ দাউদ, সালাত ১৩৭৫; তিরমিযী, সালাত ৮০৬; নাসাঈ, কুবরা নং ১২৮৭; ইবনু মাজাহ, ইকামাতিস সালাত ১৩২৭; তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ১/৩৪৯; ইবনু খুযাইমা, সহীহ নং ২২০৬; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ৯৯১; ইবনুল জারুদ, আল মুনতাকা নং ৪০৩।

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৫৪৭ তে।

بَاب فِي قِيَامِ رَمَضَانَ

حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ عَدِيٍّ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ عَنْ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ صُمْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَهْرَ رَمَضَانَ قَالَ فَلَمْ يَقُمْ بِنَا مِنْ الشَّهْرِ شَيْئًا حَتَّى بَقِيَ سَبْعٌ قَالَ فَقَامَ بِنَا حَتَّى ذَهَبَ ثُلُثُ اللَّيْلِ قَالَ فَلَمَّا كَانَتْ السَّادِسَةُ لَمْ يَقُمْ بِنَا فَلَمَّا كَانَتْ الْخَامِسَةُ قَامَ بِنَا حَتَّى ذَهَبَ شَطْرُ اللَّيْلِ الْآخِرُ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوْ نَفَّلْتَنَا بَقِيَّةَ هَذِهِ اللَّيْلَةِ فَقَالَ إِنَّ الرَّجُلَ إِذَا قَامَ مَعَ الْإِمَامِ حَتَّى يَنْصَرِفَ مِنْ صَلَاتِهِ حُسِبَ لَهُ قِيَامُ لَيْلَتِهِ فَلَمَّا كَانَتْ الرَّابِعَةُ لَمْ يَقُمْ بِنَا فَلَمَّا كَانَتْ الثَّالِثَةُ جَمَعَ أَهْلَهُ وَنِسَاءَهُ وَالنَّاسَ فَقَامَ بِنَا حَتَّى خَشِينَا أَنْ يَفُوتَنَا الْفَلَاحُ قُلْنَا وَمَا الْفَلَاحُ قَالَ السُّحُورُ قَالَ ثُمَّ لَمْ يَقُمْ بِنَا بَقِيَّةَ الشَّهْرِ

حدثنا زكريا بن عدي حدثنا يزيد بن زريع عن داود بن أبي هند عن الوليد بن عبد الرحمن عن جبير بن نفير عن أبي ذر قال صمنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم شهر رمضان قال فلم يقم بنا من الشهر شيئا حتى بقي سبع قال فقام بنا حتى ذهب ثلث الليل قال فلما كانت السادسة لم يقم بنا فلما كانت الخامسة قام بنا حتى ذهب شطر الليل الآخر قلنا يا رسول الله لو نفلتنا بقية هذه الليلة فقال إن الرجل إذا قام مع الإمام حتى ينصرف من صلاته حسب له قيام ليلته فلما كانت الرابعة لم يقم بنا فلما كانت الثالثة جمع أهله ونساءه والناس فقام بنا حتى خشينا أن يفوتنا الفلاح قلنا وما الفلاح قال السحور قال ثم لم يقم بنا بقية الشهر

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৮১৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫৪. রমযানে মাসে রাত্রি জাগরণ (কিয়ামুল্লাইল)-এর ফযীলত

১৮১৫. (অপর সনদে) আবী যার্র রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: ইবনুল জারুদ, আল মুনতাকা। পূর্ণ তাখরীজের জন্য আগের টীকাটি দেখুন।

بَاب فِي قِيَامِ رَمَضَانَ

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ سُفْيَانَ عَنْ دَاوُدَ عَنْ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْجُرَشِيِّ عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ الْحَضْرَمِيِّ عَنْ أَبِي ذَرٍّ نَحْوَهُ

حدثنا عبيد الله بن موسى عن سفيان عن داود عن الوليد بن عبد الرحمن الجرشي عن جبير بن نفير الحضرمي عن أبي ذر نحوه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৮১৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫৫. নাবী (ﷺ) এর ই’তিকাফ

১৮১৬. আবী হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (প্রতি রমযান মাসে) শেষ দশ দিন ই’তিকাফে অতিবাহিত করতেন। কিন্তু যে বছর তাঁর ইন্তিকাল হয়, সে বছর তিনি বিশদিন ই’তিকাফ করেছিলেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান আবী বাকর ইবনু আয়্যাশ এর কারণে।

 

তাখরীজ: আহমাদ ২/৩৩৬, ৩৫৫; বুখারী, ই’তিকাফ ২০৪৪, ফাযাইলুল কুরআন ৪৯৯৮; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ১৮৩৫; আবূ দাউদ, সওম ২৪৬৬; ইবনু মাজাহ, সিয়াম ১৭৬৯; ইবনু খুযাইমা, আস সহীহ নং ২২২১; খতীব, তারীখ বাগদাদ ১৪/১৭৬; বাইহাকী, সিয়াম ৪/৩১৪; দালাইলুল নবুওয়াত ৭/১৪৬; শুয়াবুল ঈমান নং ৩৯৬১। আরো দেখুন, মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক নং ৭৬৮২; সুনানে দারুকুতনী ২/২০১ নং ১০।

بَاب اعْتِكَافِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنِ عَيَّاشٍ عَنْ أَبِي حَصِينٍ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعْتَكِفُ الْعَشْرَ الْأَوَاخِرَ فَلَمَّا كَانَ الْعَامُ الَّذِي قُبِضَ فِيهِ اعْتَكَفَ عِشْرِينَ يَوْمًا

حدثنا عاصم بن يوسف حدثنا أبو بكر بن عياش عن أبي حصين عن أبي صالح عن أبي هريرة قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يعتكف العشر الأواخر فلما كان العام الذي قبض فيه اعتكف عشرين يوما

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৮১৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫৫. নাবী (ﷺ) এর ই’তিকাফ

১৮১৭. সাফিয়্যা বিনতে হুয়াই রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত যে, তিনি একদা রমযান মাসের শেষ দশকে মাসজিদুল হারামে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে দেখা করতে আসেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেখানে ই’তিকাফরত ছিলেন। তিনি কিছুক্ষণ তাঁর সাথে কথাবার্তা বলেন। এরপর তিনি (ফিরে যাওয়ার জন্য) উঠে দাড়ান।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, ই’তিকাফ ২০৩৫; মুসলিম, সালাম ২১৭৫;

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭১২১ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৬৭১ তে।

بَاب اعْتِكَافِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ أَخْبَرَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ أَنَّ صَفِّيَةَ بِنْتَ حُيَيٍّ أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا جَاءَتْ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَزُورُهُ فِي اعْتِكَافِهِ فِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ فِي الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ فَتَحَدَّثَتْ عِنْدَهُ سَاعَةً ثُمَّ قَامَتْ

حدثنا أبو اليمان أخبرنا شعيب بن أبي حمزة عن الزهري أخبرني علي بن حسين أن صفية بنت حيي أخبرته أنها جاءت النبي صلى الله عليه وسلم تزوره في اعتكافه في المسجد الحرام في العشر الأواخر من رمضان فتحدثت عنده ساعة ثم قامت

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ সাফিয়্যা বিনতে হুয়াই (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৮১৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫৬. লাইলাতুল ক্বদর সম্পর্কে

১৮১৮. ’উবাদা ইবনুস সামিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে লাইলাতুল কাদরের (নির্দিষ্ট তারিখ) সম্পর্কে অবহিত করার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলেন। তখন দুজন মুসলিম ঝগড়া করছিল। তখন (তা দেখে) তিনি বললেন: আমি তোমাদেরকে লাইলাতুল ক্বদরের সংবাদ দিবার জন্য বের হয়েছিলাম, কিন্তু তখন অমুক অমুক ঝগড়া করছিল, ফলে তা (নির্দিষ্ট তারিখ) উঠিয়ে নেয়া হলো। সম্ভবত: এর মধ্যে তোমাদের জন্য কল্যাণ নিহিত রয়েছে। তোমরা শেষ দশদিনের মধ্যকার পঞ্চম (তথা পঁচিশতম), সপ্তম (সাতাশতম) ও নবম (ঊনত্রিশতম) রাতে তা অনুসন্ধান কর।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

 

তাখরীজ: বুখারী, ঈমান ৪৯, ই’তিকাফ ২০২৩; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৬৭৯ তে।

 

আরো সংযোজনী: ইবনু আবী শাইবা ২/৫১৪; ইবনু আব্দুল বারর, তামহীদ ২/২০০।

بَاب فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ عَنْ أَنَسٍ عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ قَالَ خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُخْبِرَنَا بِلَيْلَةِ الْقَدْرِ فَتَلَاحَى رَجُلَانِ مِنْ الْمُسْلِمِينَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنِّي خَرَجْتُ إِلَيْكُمْ وَأَنَا أُرِيدُ أَنْ أُخْبِرَكُمْ بِلَيْلَةِ الْقَدْرِ وَكَانَ بَيْنَ فُلَانٍ وَفُلَانٍ لِحَاءٌ فَرُفِعَتْ وَعَسَى أَنْ يَكُونَ خَيْرًا فَالْتَمِسُوهَا فِي الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ فِي الْخَامِسَةِ وَالسَّابِعَةِ وَالتَّاسِعَةِ

أخبرنا يزيد بن هارون حدثنا حميد عن أنس عن عبادة بن الصامت قال خرج علينا رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو يريد أن يخبرنا بليلة القدر فتلاحى رجلان من المسلمين فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم إني خرجت إليكم وأنا أريد أن أخبركم بليلة القدر وكان بين فلان وفلان لحاء فرفعت وعسى أن يكون خيرا فالتمسوها في العشر الأواخر في الخامسة والسابعة والتاسعة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ উবাদা ইব্‌নুস সামিত (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৮১৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫৬. লাইলাতুল ক্বদর সম্পর্কে

১৮১৯. আবী হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “আমাকে (স্বপ্নযোগে) লাইলাতুল কাদর (-এর নির্দিষ্ট তারিখ) দেখানো হয়েছিল। এরপর আমার পরিবারের কেউ আমাকে জাগিয়ে দেয়। ফলে আমাকে তা ভূলিয়ে দেয়া হয়। এমতাবস্থায় তোমরা শেষ দশকে তা অনুসন্ধান করো।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ। তবে হাদীসটি সহীহ।

 

তাখরীজ: মুসলিম, সিয়াম ১১৬৬;

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৯৭২ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৬৭৮ তে।

 

এ অনুচ্ছেদে আনাস, ইবনু উমার, আবী সাঈদ খুদরী হতেও হাদীস বর্ণিত আছে, যা আমরা তাখরীজ করেছি মুসনাদুল মাউসিলী আউয়াল নং ৩৭১২, ৪০২১, ছানী নং ৫৪১৯, ৫৪৮৪, ৫৫৪২ ও ছালিছ নং ১০৭৬, ১২৮০, ১৩২৪ তে।

بَاب فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ وَقَالَ أَبُو سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أُرِيتُ لَيْلَةَ الْقَدْرِ ثُمَّ أَيْقَظَنِي بَعْضُ أَهْلِي فَنَسِيتُهَا فَالْتَمِسُوهَا فِي الْعَشْرِ الْغَوَابِرِ

أخبرنا عبد الله بن صالح حدثني الليث حدثني يونس عن ابن شهاب قال وقال أبو سلمة عن أبي هريرة أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال أريت ليلة القدر ثم أيقظني بعض أهلي فنسيتها فالتمسوها في العشر الغوابر

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 ১৮২০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫৬. লাইলাতুল ক্বদর সম্পর্কে

১৮২০. আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “তোমরা শেষ (দশকের) সপ্তম দিনে তা অনুসন্ধান করো।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ। তবে (হাদীসটি সহীহ এবং) হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

 

তাখরীজ: বুখারী, ফাযলী লাইলাতুল ক্বদর, ২০১৫; মুসলিম, সিয়াম ১১৬৫;

 

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৪১৯ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৬৭৫, ৩৬৭৬, ৩৬৮১ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৬৪৭ তে। এছাড়াও, ইবনুল জারুদ, আল মুনতাক্বা নং ৪০৫।

بَاب فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الْتَمِسُوا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي السَّبْعِ الْأَوَاخِرِ

أخبرنا عبد الله بن صالح حدثني الليث حدثني عقيل عن ابن شهاب قال أخبرني سالم بن عبد الله أن عبد الله بن عمر قال إن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال التمسوا ليلة القدر في السبع الأواخر

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)

 

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *