দারেমী যাকাত অধ্যায় হাদিস নং ১৬৫২ – ১৭১৮

দারেমী যাকাত অধ্যায় হাদিস নং ১৬৫২ – ১৭১৮

১৬৫২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১. যাকাত ফরয সম্পর্কে

১৬৫২. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ‍ওয়া সাল্লাম মু’আয রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে (শাসকরূপে) ইয়ামান অভিমুখে প্রেরণকালে বলেন, “তুমি আহলে কিতাব সম্প্রদায়ের নিকট যাচ্ছো। ফলে তুমি তাদেরকে ’আল্লাহ ব্যতিত কোন ইলাহ নেই এবং আমি (মুহাম্মদ) (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ‍ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর রাসূল’- এ কথার সাক্ষ্যদানের জন্য আহবান করবে। তারা যদি তোমার এ কথা মেনে নেয়, তাহলে তাদেরকে জানিয়ে দিবে, আল্লাহ তাদের উপর প্রতি দিন ও রাতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন। তারা যদি তোমার এ কথা মেনে নেয়, তবে তাদেরকে জানিয়ে দিবে, আল্লাহ তাদের সম্পদে সাদাকা (যাকাত) ফরয করেছেন। তা (যাকাত) তাদের মধ্যকার (নিসাব পরিমাণ) সম্পদশালীদের নিকট থেকে আদায় করা হবে এবং তাদের দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। তারা যদি তোমার এ কথা মেনে নেয়, তবে তুমি তাদের ভাল ভাল মাল গ্রহণ করা হতে বিরত থাকবে। আর তুমি আত্মরক্ষা করবে মাযলুমের দু’আ থেকে। কেননা, তা এবং আল্লাহর মাঝে কোনো পর্দা থাকে না।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ননা করেছেন।

তাখরীজ: বুখারী, যাকাত ১৩৯৫; মুসলিম, ঈমান ১৯; এটি সামনে ১৬৭১ নং এও আসছে।

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৫৬, ২৪১৯ নং এ।

بَاب فِي فَرْضِ الزَّكَاةِ

حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ زَكَرِيَّا بْنِ إِسْحَقَ عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَيْفِيٍّ عَنْ أَبِي مَعْبَدٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا بَعَثَ مُعَاذًا إِلَى الْيَمَنِ قَالَ إِنَّكَ تَأْتِي قَوْمًا أَهْلَ كِتَابٍ فَادْعُهُمْ إِلَى أَنْ يَشْهَدُوا أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ فَإِنْ أَطَاعُوا لَكَ فِي ذَلِكَ فَأَخْبِرْهُمْ أَنَّ اللَّهَ فَرَضَ عَلَيْهِمْ خَمْسَ صَلَوَاتٍ فِي كُلِّ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ فَإِنْ هُمْ أَطَاعُوا لَكَ فِي ذَلِكَ فَأَخْبِرْهُمْ أَنَّ اللَّهَ فَرَضَ عَلَيْهِمْ صَدَقَةً فِي أَمْوَالِهِمْ تُؤْخَذُ مِنْ أَغْنِيَائِهِمْ وَتُرَدُّ عَلَى فُقَرَائِهِمْ فَإِنْ هُمْ أَطَاعُوا لَكَ فِي ذَلِكَ فَإِيَّاكَ وَكَرَائِمَ أَمْوَالِهِمْ وَإِيَّاكَ وَدَعْوَةَ الْمَظْلُومِ فَإِنَّهُ لَيْسَ لَهَا مِنْ دُونِ اللَّهِ حِجَابٌ

حدثنا أبو عاصم عن زكريا بن إسحق عن يحيى بن عبد الله بن صيفي عن أبي معبد عن ابن عباس أن النبي صلى الله عليه وسلم لما بعث معاذا إلى اليمن قال إنك تأتي قوما أهل كتاب فادعهم إلى أن يشهدوا أن لا إله إلا الله وأن محمدا رسول الله فإن أطاعوا لك في ذلك فأخبرهم أن الله فرض عليهم خمس صلوات في كل يوم وليلة فإن هم أطاعوا لك في ذلك فأخبرهم أن الله فرض عليهم صدقة في أموالهم تؤخذ من أغنيائهم وترد على فقرائهم فإن هم أطاعوا لك في ذلك فإياك وكرائم أموالهم وإياك ودعوة المظلوم فإنه ليس لها من دون الله حجاب

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৫৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২. যে সকল মিসকীনকে সাদাকা দেয়া যায়

১৬৫৩. আবূ হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “এক দু’ লোকমা খাদ্য, দু’-এক টুকরো রুটি ও দু’ একটা খেজুরের জন্য যাকে (দ্বারে দ্বারে) ঘুরতে হয়, সে মিসকীন নয় বরং (প্রকৃত) মিসকীন হল সেই ব্যক্তি যার (মৌলিক) প্রয়োজন পূরণের মতো স্বচ্ছলতা/সম্পদ নেই। আবার মানুষের কাছে অনুনয় বিনয় করে চাইতেও সে লজ্জা বোধ করে, অথবা, মানুষের কাছে অনুনয় বিনয় করে কিছু চায় না।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

তাখরীজ: ‍বুখারী, যাকাত ১৪৭৬; মুসলিম , যাকাত, ১০৩৯;

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৫৬, ২৪১৯ নং এ।

بَاب مَنْ الْمِسْكِينُ الَّذِي يُتَصَدَّقُ عَلَيْهِ

أَخْبَرَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يُحَدِّثُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ لَيْسَ الْمِسْكِينُ الَّذِي تَرُدُّهُ اللُّقْمَةُ وَاللُّقْمَتَانِ وَالْكِسْرَةُ وَالْكِسْرَتَانِ وَالتَّمْرَةُ وَالتَّمْرَتَانِ وَلَكِنْ الْمِسْكِينُ الَّذِي لَيْسَ لَهُ غِنًى يُغْنِيهِ يَسْتَحْيِي أَنْ يَسْأَلَ النَّاسَ إِلْحَافًا أَوْ لَا يَسْأَلُ النَّاسَ إِلْحَافًا

أخبرنا هاشم بن القاسم حدثنا شعبة عن محمد بن زياد قال سمعت أبا هريرة يحدث عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال ليس المسكين الذي ترده اللقمة واللقمتان والكسرة والكسرتان والتمرة والتمرتان ولكن المسكين الذي ليس له غنى يغنيه يستحيي أن يسأل الناس إلحافا أو لا يسأل الناس إلحافا

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৫৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩. যে ব্যক্তি উট, গরু ও ছাগলের যাকাত আদায় করে না (তার পরিণতি)

১৬৫৪. জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে উট, গরু ও ছাগলের মালিক তার হক্ব আদায় করে না, কিয়ামতের দিন সে তাকে এক প্রশস্ত সমতল ভূমিতে বসান হবে । এরপর খূর বিশিষ্ট পশুগুলি তাকে স্বীয় খূর দ্বারা দলিত করতে থাকবে এবং শিংবিশিষ্ট পশুগুলি তাকে স্বীয় শিং দ্বারা আঘাত করতে থাকবে। সেদিন এদের মধ্যে শিংবিহীন এবং শিং ভাঙ্গা কোন পশু থাকবে না।” তাঁরা বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! এগুলির হক্ক কি? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “এদের মধ্যকার পুরুষগুলিকে (মাদীগুলির) পাল নেওয়ার জন্য দেয়া, এদের পাত্রগুলি (পানি উঠাবার জন্য অন্যকে) ধার দেওয়া, দুগ্ধবতী উটনী অন্যকে দুধপানের জন্য দেয়া, পানি পান করানোর শর্তে এর দুধ দোহন করতে দেওয়া এবং আল্লাহর পথে এদের উপর (লোকদেরকে) পরিবহণ করা।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ৩/২১৩; ইবনু আব্দুল বারর, আত তামহীদ ৪/২১৪; মুসলিম, যাকাত ৯৮৮ (২৮); পূর্ণ তাখরীজের জন্য পরবর্তী হাদীসটি দেখুন।

بَاب مَنْ لَمْ يُؤَدِّ زَكَاةَ الْإِبِلِ وَالْبَقَرِ وَالْغَنَمِ

أَخْبَرَنَا يَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا مِنْ صَاحِبِ إِبِلٍ وَلَا بَقَرٍ وَلَا غَنَمٍ لَا يُؤَدِّي حَقَّهَا إِلَّا أُقْعِدَ لَهَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِقَاعٍ قَرْقَرٍ تَطَؤُهُ ذَاتُ الظِّلْفِ بِظِلْفِهَا وَتَنْطَحُهُ ذَاتُ الْقَرْنِ بِقَرْنِهَا لَيْسَ فِيهَا يَوْمَئِذٍ جَمَّاءُ وَلَا مَكْسُورَةُ الْقَرْنِ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا حَقُّهَا قَالَ إِطْرَاقُ فَحْلِهَا وَإِعَارَةُ دَلْوِهَا وَمِنْحَتُهَا وَحَلَبُهَا عَلَى الْمَاءِ وَحَمْلٌ عَلَيْهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ

أخبرنا يعلى بن عبيد حدثنا عبد الملك عن أبي الزبير عن جابر قال قال النبي صلى الله عليه وسلم ما من صاحب إبل ولا بقر ولا غنم لا يؤدي حقها إلا أقعد لها يوم القيامة بقاع قرقر تطؤه ذات الظلف بظلفها وتنطحه ذات القرن بقرنها ليس فيها يومئذ جماء ولا مكسورة القرن قالوا يا رسول الله وما حقها قال إطراق فحلها وإعارة دلوها ومنحتها وحلبها على الماء وحمل عليها في سبيل الله

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৫৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩. যে ব্যক্তি উট, গরু ও ছাগলের যাকাত আদায় করে না (তার পরিণতি)

১৬৫৫. জাবির ইবন আব্দুল্লাহ আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলতে শুনেছি, “যে উটের মালিক তারহক্ক আদায় করবে না, কিয়ামতের দিন সে উট পুর্বের চেয়ে অধিক মোটাতাজা হয়ে মালিকের নিকট উপস্থিত হবে। এরপর তাকে একটি প্রশস্ত সমতল মাঠে বসানো হবে এবং ঐ উট তার পা ও খুরের দ্বারা তাকে পদদলিত করবে। আর কোন গরুর মালিক তার হক্ক আদায় না করলে কিয়ামতের দিন সে গরু পূর্বের চেয়ে ও অধিক মোটা-তাজা অবস্থায় মালিকের নিকট উপস্থিত হবে। এরপর তাকে এক প্রশস্ত সমতল প্রান্তরে বসানো হবে এবং সে গরু তাকে শিং দ্বারা গুতাবে ও খুর দ্বারা পদদলিত করতে থাকবে। আর কোন ছাগলের মালিক তার হক্ক আদায় না করলে কিয়ামতের দিন সে ছাগল পূর্বের চেয়ে ও অধিক মোটা-তাজা অবস্থায় মালিকের নিকট উপস্থিত হবে।

এরপর তাকে এক প্রশস্ত সমতল প্রান্তরে বসানো হবে এবং সে ছাগল তাকে শিং দ্বারা গুতাবে ও খুর দ্বারা পদদলিত করতে থাকবে। সেদিন এ ছাগল সমুহে কোনটি শিংবিহীন এবং শিংভাঙ্গা হবে না। আর যদি সোনা-রুপা সঞ্চয়কারী কোন ব্যক্তি এর হক আদায় না করে, তবে তার এ সঞ্চিত ধনরাশি কিয়ামতের দিন টাক মাথাওয়ালা বিষধর সাপরুপে মালিকের নিকট উপস্থিত হবে এবং মুখ হা করে তার পিছু ধাওয়া করবে। যখন সে সাপ তার নিকট আসবে তখন সে এর থেকে পালাবে। তখন সে তাকে ডেকে বলবে, তুমি তোমার সঞ্চয় গ্রহণ কর, যা তুমি লুকিয়ে রেখেছিলে।

তখন সে বলবে: আমার তার কোন প্রয়োজন নেই। আর মালিক যখন দেখবে যে, এর থেকে বাঁচবার কোন উপায় নেই তখন সে সাপটির মুখে হাত ঢুঁকিয়ে দিবে। এর পর সাপটি তার হাতকে ষাঁড়ের মত কামড় দিয়ে ধরবে।”

আবু যুবাইর রাহি. বলেন, আমি উবাইদ ইবন উমাইর (রাহি)-কে এ কথা বলতে শুনেছি । এর পর আমি জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-কে এ সস্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম তিনিও উবাইদ ইবন উমাইর (রা-)-এর অনুরূপ বললেন। তিনি বলেন, আবু যুবাইর (র) বলেন, আমি উবাইদ ইবন উমাইরকে বলতে শুনেছি, এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল, ইয়া রাসুলুল্লাহ! উটের হক্ব কি? তিনি বললেন, এর হক্ক হল, “পানি পান করানোর শর্তে এর দুধ দোহন করতে দেওয়া, এদের পাত্রগুলি (পানি উঠাবার জন্য অন্যকে) ধার দেওয়া, এদের মধ্যকার পুরুষগুলিকে (মাদীগুলির) পাল নেওয়ার জন্য দেয়া, দুগ্ধবতী উটনী (অন্যকে দুধপানের জন্য) দেয়া এবং আল্লাহর পথে এদের উপর (লোকদেরকে) পরিবহণ করা।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

তাখরীজ: আব্দুর রাযযাক নং ৬৮৫৯, ৬৮৬৬; তার সূত্রে মুসলিম, যাকাত ৯৮৮; ইবনুল জারূদ, আল মুনতাক্বা নং ৩৩৫; আরো দেখুন, আগের টীকাটি দেখুন। আরও দেখুন, ইবনু হাযম, আল মুহাল্লা ৬/৮০; নিসবুর রায়াহ ৪/৪০৯; আমার তাহক্বী্ক্বকৃত মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৪৪০১ ও এর পরবর্তী হাদীসটি যা অত্র হাদীসের দু’টি শাহিদ হাদীস। আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩২৫৫। এবং পরবর্তী হাদীসটিও দেখুন।

بَاب مَنْ لَمْ يُؤَدِّ زَكَاةَ الْإِبِلِ وَالْبَقَرِ وَالْغَنَمِ

حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْحَكَمِ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ مَا مِنْ صَاحِبِ إِبِلٍ لَا يَفْعَلُ فِيهَا حَقَّهَا إِلَّا جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَكْثَرُ مَا كَانَتْ قَطُّ وَأُقْعِدَ لَهَا بِقَاعٍ قَرْقَرٍ تَسْتَنُّ عَلَيْهِ بِقَوَائِمِهَا وَأَخْفَافِهَا وَلَا صَاحِبِ بَقَرٍ لَا يَفْعَلُ فِيهَا حَقَّهَا إِلَّا جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَكْثَرُ مَا كَانَتْ قَطُّ وَأُقْعِدَ لَهَا بِقَاعٍ قَرْقَرٍ تَنْطَحُهُ بِقُرُونِهَا وَتَطَؤُهُ بِقَوَائِمِهَا وَلَا صَاحِبِ غَنَمٍ لَا يَفْعَلُ فِيهَا حَقَّهَا إِلَّا جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَكْثَرُ مَا كَانَتْ وَأُقْعِدَ لَهَا بِقَاعٍ قَرْقَرٍ تَنْطَحُهُ بِقُرُونِهَا وَتَطَؤُهُ بِأَظْلَافِهَا لَيْسَ فِيهَا جَمَّاءُ وَلَا مَكْسُورَةٌ قَرْنُهَا وَلَا صَاحِبِ كَنْزٍ لَا يَفْعَلُ فِيهِ حَقَّهُ إِلَّا جَاءَ كَنْزُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ شُجَاعًا أَقْرَعَ يَتْبَعُهُ فَاتِحًا فَاهُ فَإِذَا أَتَاهُ فَرَّ مِنْهُ فَيُنَادِيهِ خُذْ كَنْزَكَ الَّذِي خَبَّأْتَهُ قَالَ فَأَنَا عَنْهُ غَنِيٌّ فَإِذَا رَأَى أَنَّهُ لَا بُدَّ مِنْهُ سَلَكَ يَدَهُ فِي فَمِهِ فَيَقْضِمُهَا قَضْمَ الْفَحْلِ قَالَ أَبُو الزُّبَيْرِ سَمِعْتُ عُبَيْدَ بْنَ عُمَيْرٍ يَقُولُ هَذَا الْقَوْلَ ثُمَّ سَأَلْنَا جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ فَقَالَ مِثْلَ قَوْلِ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ قَالَ وَقَالَ أَبُو الزُّبَيْرِ سَمِعْتُ عُبَيْدَ بْنَ عُمَيْرٍ يَقُولُ قَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا حَقُّ الْإِبِلِ قَالَ حَلَبُهَا عَلَى الْمَاءِ وَإِعَارَةُ دَلْوِهَا وَإِعَارَةُ فَحْلِهَا وَمَنْحُهَا وَحَمْلٌ عَلَيْهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ

حدثنا بشر بن الحكم حدثنا عبد الرزاق أخبرنا ابن جريج قال أخبرني أبو الزبير أنه سمع جابر بن عبد الله يقول سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ما من صاحب إبل لا يفعل فيها حقها إلا جاء يوم القيامة أكثر ما كانت قط وأقعد لها بقاع قرقر تستن عليه بقوائمها وأخفافها ولا صاحب بقر لا يفعل فيها حقها إلا جاء يوم القيامة أكثر ما كانت قط وأقعد لها بقاع قرقر تنطحه بقرونها وتطؤه بقوائمها ولا صاحب غنم لا يفعل فيها حقها إلا جاء يوم القيامة أكثر ما كانت وأقعد لها بقاع قرقر تنطحه بقرونها وتطؤه بأظلافها ليس فيها جماء ولا مكسورة قرنها ولا صاحب كنز لا يفعل فيه حقه إلا جاء كنزه يوم القيامة شجاعا أقرع يتبعه فاتحا فاه فإذا أتاه فر منه فيناديه خذ كنزك الذي خبأته قال فأنا عنه غني فإذا رأى أنه لا بد منه سلك يده في فمه فيقضمها قضم الفحل قال أبو الزبير سمعت عبيد بن عمير يقول هذا القول ثم سألنا جابر بن عبد الله فقال مثل قول عبيد بن عمير قال وقال أبو الزبير سمعت عبيد بن عمير يقول قال رجل يا رسول الله ما حق الإبل قال حلبها على الماء وإعارة دلوها وإعارة فحلها ومنحها وحمل عليها في سبيل الله

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৫৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩. যে ব্যক্তি উট, গরু ও ছাগলের যাকাত আদায় করে না (তার পরিণতি)

১৬৫৬. আবী যারর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে এ হাদীসের কোনো কোনো অংশ বর্ণনা করেছেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন।

তাখরীজ: ‍বুখারী, যাকাত ১৪৬০; মুসলিম , যাকাত, ৯৯০;

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩২৫৬ নং এ।

بَاب مَنْ لَمْ يُؤَدِّ زَكَاةَ الْإِبِلِ وَالْبَقَرِ وَالْغَنَمِ

أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ الرَّبِيعِ حَدَّثَنَا أَبُو الْأَحْوَصِ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ الْمَعْرُورِ بْنِ سُوَيْدٍ عَنْ أَبِي ذَرٍّ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِبَعْضِ هَذَا الْحَدِيثِ

أخبرنا الحسن بن الربيع حدثنا أبو الأحوص عن الأعمش عن المعرور بن سويد عن أبي ذر عن النبي صلى الله عليه وسلم ببعض هذا الحديث

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৫৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪. ছাগলের যাকাত

১৬৫৭. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, সাদকা (যাকাত) প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি ফরমান (অধ্যাদেশ) লিখালেন। (তাতে লেখা ছিল:) ছাগলের যাকাত হলঃ মুক্তভাবে বিচরণশীল প্রতি চল্লিশটি হতে একশত বিশটি পর্যন্ত ছাগলের জন্য একটি ছাগল; এর বেশি হলে দু’শত পর্যন্ত দু’টি ছাগল; এর বেশি হলে তিনশত পর্যন্ত ছাগলের জন্য তিনটি ছাগল; তারপর ছাগলের সংখ্যা বেশি হলেও আবার চারশত পর্যন্ত না পৌঁছানো পর্যন্ত এতে (বাড়তি ছাগলগুলির জন্য) তিনটি ছাগলের অধিক কোন কিছুই ওয়াজিব হবে না। এরপর ছাগলের সংখ্যা চারশতে পৌঁছালে প্রতি একশত ছাগলের জন্য একটি করে ছাগল (যাকাত দিতে হবে)। যাকাতে বৃদ্ধ এবং খুঁত ও ত্রুটিযুক্ত পশু গ্রহণ করা হবে না।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদে সুফিয়ান ইবনু হুসাইন রয়েছে যে যুহুরী হতে বর্ণনা করেছেন। ইবনু হিব্বান বলেছেন: যুহুরী হতে তার বর্ণনাসমূহে সংমিশ্রণ রয়েছে। …. যুহুরী ব্যতীত অন্যান্যদের থেকে তার বর্ণনা নির্ভরযোগ্য। তবে কতকগুলি শাহিদ হাদীস থাকার কারণে হাদীসটি সহীহ।

তাখরীজ: দেখুন, মুসনাদুল হুমাইদী নং ১২৭; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩২৬৬ (মুহাক্কিক্বের টীকাগুলি-অনুবাদক)। আমার এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৪৭০ তে। সামনে ১৬৬৬, ১৬৬৭ তেও এর কিছু অংশ আসছে।

((আবু দাউদ, যাকাত ১৫৬৮-১৫৬৯; তিরমিযী, যাকাত ৬২১; ইবনু মাজাহ , যাকাত ১৮০৫; দারুকুতনী, যাকাত ৪ ১১৬/২- ফাওয়ায আহমাদের তাহক্বীক্বকৃত দারেমী নং ১৬২০ এর টীকা হতে। – অনুবাদক))

بَاب فِي زَكَاةِ الْغَنَمِ

أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ الْمُبَارَكِ حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ الْعَوَّامِ وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ صَدَقَةَ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ حُسَيْنٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَالِمٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَتَبَ الصَّدَقَةَ فَكَانَ فِي الْغَنَمِ فِي كُلِّ أَرْبَعِينَ سَائِمَةً شَاةٌ إِلَى عِشْرِينَ وَمِائَةٍ فَإِذَا زَادَتْ فَفِيهَا شَاتَانِ إِلَى مِائَتَيْنِ فَإِذَا زَادَتْ فَفِيهَا ثَلَاثُ شِيَاهٍ إِلَى ثَلَاثِ مِائَةٍ فَإِذَا زَادَتْ شَاةً لَمْ يَجِبْ فِيهَا إِلَّا ثَلَاثُ شِيَاهٍ حَتَّى تَبْلُغَ أَرْبَعَ مِائَةٍ فَإِذَا بَلَغَتْ أَرْبَعَ مِائَةِ شَاةٍ فَفِي كُلِّ مِائَةٍ شَاةٌ وَلَا تُؤْخَذُ فِي الصَّدَقَةِ هَرِمَةٌ وَلَا ذَاتُ عَوَارٍ وَلَا ذَاتُ عَيْبٍ

أخبرنا الحكم بن المبارك حدثنا عباد بن العوام وإبراهيم بن صدقة عن سفيان بن حسين عن الزهري عن سالم عن ابن عمر أن النبي صلى الله عليه وسلم كتب الصدقة فكان في الغنم في كل أربعين سائمة شاة إلى عشرين ومائة فإذا زادت ففيها شاتان إلى مائتين فإذا زادت ففيها ثلاث شياه إلى ثلاث مائة فإذا زادت شاة لم يجب فيها إلا ثلاث شياه حتى تبلغ أربع مائة فإذا بلغت أربع مائة شاة ففي كل مائة شاة ولا تؤخذ في الصدقة هرمة ولا ذات عوار ولا ذات عيب

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৫৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪. ছাগলের যাকাত

১৬৫৮. আমর ইবনু হাযম তার পিতার সূত্রে তার দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমর ইবনু হাযমের মারফত ইয়ামানবাসীর নিকট একটি ফরমান (অধ্যাদেশ) লিখে পাঠালেন। (যাতে ছিল:) “পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে’। নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পক্ষ হতে শুরাহবীল ইবনু আব্দি কালাল, হারিছ ইবনু আব্দি কালাল এবং নু’আইম ইবনু আব্দি কালালের প্রতি। প্রতি চল্লিশটি ছাগল হতে একশত বিশটি পর্যন্ত ছাগলের জন্য একটি ছাগল; একশ’ বিশটি হতে একটি ছাগলও বেশি হলে দু’শত পর্যন্ত তা হতে দু’টি ছাগল; এর থেকে একটি মাত্র ছাগল বেশি হলেও তা হতে তিনশত পর্যন্ত ছাগলের জন্য তিনটি ছাগল; এরপর ছাগলের সংখ্যা বেশি হলে এতে প্রতি একশত ছাগলের জন্য একটি করে ছাগল (যাকাত দিতে হবে)।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ। আমরা এর যয়ীফ হওয়ার কারণ বর্ণনা করেছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং৬৫৫৯ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৭৯৩ তে।

তাখরীজ: এটি সামনে ১৬৬২, ১৬৬৮, ১৬৭১, ১৬৭৫ (অনূবাদে ১৬৫৮, ১৬৬৪, ১৬৬৭, ১৬৭১) নং এ আসছে।

((তাখরীজের জন্য পরবর্তী হাদীসটি দেখুন।– অনুবাদক))

بَاب فِي زَكَاةِ الْغَنَمِ

أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ مُوسَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ الْخَوْلَانِيِّ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَتَبَ إِلَى أَهْلِ الْيَمَنِ مَعَ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ مِنْ مُحَمَّدٍ النَّبِيِّ إِلَى شُرَحْبِيلَ بْنِ عَبْدِ كُلَالٍ وَالْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ كُلَالٍ وَنُعَيْمِ بْنِ عَبْدِ كُلَالٍ فِي أَرْبَعِينَ شَاةً شَاةٌ إِلَى أَنْ تَبْلُغَ عِشْرِينَ وَمِائَةٍ فَإِذَا زَادَتْ عَلَى عِشْرِينَ وَمِائَةٍ وَاحِدَةً فَفِيهَا شَاتَانِ إِلَى أَنْ تَبْلُغَ مِائَتَيْنِ فَإِذَا زَادَتْ وَاحِدَةً فَفِيهَا ثَلَاثَةٌ إِلَى أَنْ تَبْلُغَ ثَلَاثَ مِائَةٍ فَمَا زَادَ فَفِي كُلِّ مِائَةِ شَاةٍ شَاةٌ

أخبرنا الحكم بن موسى حدثنا يحيى بن حمزة عن سليمان بن داود الخولاني عن الزهري عن أبي بكر بن محمد بن عمرو بن حزم عن أبيه عن جده أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كتب إلى أهل اليمن مع عمرو بن حزم بسم الله الرحمن الرحيم من محمد النبي إلى شرحبيل بن عبد كلال والحارث بن عبد كلال ونعيم بن عبد كلال في أربعين شاة شاة إلى أن تبلغ عشرين ومائة فإذا زادت على عشرين ومائة واحدة ففيها شاتان إلى أن تبلغ مائتين فإذا زادت واحدة ففيها ثلاثة إلى أن تبلغ ثلاث مائة فما زاد ففي كل مائة شاة شاة

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ আবু বকর ইবন মুহাম্মাদ ইবন আমর ইবন হাযম (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৫৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৪. ছাগলের যাকাত

১৬৫৯. (অপর সনদে) আমর ইবনু হাযম তার পিতার সূত্রে তার দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের নিকট একটি ফরমান (অধ্যাদেশ) লিখে পাঠালেন। এরপর তিনি অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এটি আগের হাদীসের পূণরাবৃত্তি। (তথা যয়ীফ)

তাখরীজ: ((নাসাঈ, কাসামাহ নং ৪৮৫৩, ৪৮৫৭; দারুকুতনী ১/১২২, ২/২৮৫; বাইহাকী, আল কুবরা ১/৮৭-৮৮, ৪/৮৯, ৮/২৫, ২৮, ৭৩, ৭৯, ৮১, ৮৮, ৯৫, ৯৭; খিলাফিয়াত নং ২৯৭; খতীব, তারীখ ৮/২২৮; ইবনু আদী, আল কামিল ৩/১১২৩-১১২৪; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ২৫৩৮; ও মাসাইলু ইমাম আহমদ নং ৭৩, ৯৯; তাবারাণী, (সম্ভবত)কাবীর; তার সূত্রে মিযযী, তাহযীব ১১/৪১৯; লালিকাঈ, শারহু উসূলুল ই’তিক্বাদ নং ৫৭১; ইবনু হিব্বান যেমন আল ইহসানে রয়েছে ৬৫৫৯ নং এ; মালিক, মুয়াত্তা; শাফিঈ, আল মুসনাদ নং ৩৬৩; আবী দাউদ, আল মারাসীল নং ২২৬; ইবনুল জারুদ, আল মুনতাক্বা নং ৭৮৪, ৭৮৬; ইবনু খুযাইমা নং ২২৬৯; হাকিম, আল মুসতাদরাক ১/৩৯৫…। -ফাতহুল মান্নান, হা/১৭৪৪, ১৭৪৫ এর টীকা হতে। (অনুবাদক)))

بَاب فِي زَكَاةِ الْغَنَمِ

حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْحَكَمِ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَتَبَ لَهُمْ كِتَابًا فَذَكَرَ نَحْوَهُ

حدثنا بشر بن الحكم حدثنا عبد الرزاق أخبرنا معمر عن عبد الله بن أبي بكر بن محمد بن عمرو بن حزم عن أبيه عن جده أن النبي صلى الله عليه وسلم كتب لهم كتابا فذكر نحوه

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ আবু বকর ইবন মুহাম্মাদ ইবন আমর ইবন হাযম (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৬০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫. গরুর যাকাত

১৬৬০. মু’আয রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইয়ামান অভিমূখে পাঠানোর সময় নির্দেশ দিলেন যে, আমি যেন প্রত্যেক চল্লিশটি গরু থেকে একটি (তৃতীয় বছরে পদার্পণকারিণী[1]) বাছুর এবং প্রত্যেক ত্রিশটি গরু থেকে একটি (পূর্ণ এক বছর বয়সী) এঁড়ে বা বকনা বাছুর (যাকাত) আদায় করি।[2]

[1] ((মুহাক্বিক্বের টীকা হতে- অনুবাদক।))

[2] তাহক্বীক্ব: মাসরূক্ব এর সনদে এটি সহীহ, তবে ইবরাহীম এর সনদে এটি মাকতু’ (ছিন্নসূত্র)।

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৮৮৬ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৭৯৪ তে। পরবর্তী হাদীসটিও দেখুন।

তবে এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ থেকে, যার পূর্ণ তাখরীজ আমরা দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫০১৬ তে।

بَاب زَكَاةِ الْبَقَرِ

حَدَّثَنَا يَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ شَقِيقٍ عَنْ مَسْرُوقٍ وَالْأَعْمَشُ عَنْ إِبْرَاهِيمَ قَالَا قَالَ مُعَاذٌ بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْيَمَنِ فَأَمَرَنِي أَنْ آخُذَ مِنْ كُلِّ أَرْبَعِينَ بَقَرَةً مُسِنَّةً وَمِنْ كُلِّ ثَلَاثِينَ تَبِيعًا أَوْ تَبِيعَةً

حدثنا يعلى بن عبيد حدثنا الأعمش عن شقيق عن مسروق والأعمش عن إبراهيم قالا قال معاذ بعثني رسول الله صلى الله عليه وسلم إلى اليمن فأمرني أن آخذ من كل أربعين بقرة مسنة ومن كل ثلاثين تبيعا أو تبيعة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ মু‘আয বিন জাবাল (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৬১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫. গরুর যাকাত

১৬৬১. মাসরূক্ব রাহি. হতে (অপর সনদে), তিনি মু’আয রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে, তিনি বলেন, আমাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইয়ামান অভিমূখে পাঠানোর সময় নির্দেশ দিলেন যে, আমি যেন প্রত্যেক চল্লিশটি গরু থেকে একটি (তৃতীয় বছরে পদার্পণকারিণী) বাছুর এবং প্রত্যেক ত্রিশটি গরু থেকে একটি পূর্ণ এক বছর বয়সী এঁড়ে বাছুর (যাকাত) আদায় করি।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান।

তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি।

بَاب زَكَاةِ الْبَقَرِ

أَخْبَرَنَا عَاصِمُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ مُعَاذٍ قَالَ بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْيَمَنِ فَأَمَرَنِي أَنْ آخُذَ مِنْ الْبَقَرِ مِنْ ثَلَاثِينَ تَبِيعًا حَوْلِيًّا وَمِنْ أَرْبَعِينَ بَقَرَةً مُسِنَّةً

أخبرنا عاصم بن يوسف حدثنا أبو بكر بن عياش عن عاصم عن أبي وائل عن مسروق عن معاذ قال بعثني رسول الله صلى الله عليه وسلم إلى اليمن فأمرني أن آخذ من البقر من ثلاثين تبيعا حوليا ومن أربعين بقرة مسنة

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ মাসরূক (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৬২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৫. গরুর যাকাত

১৬৬২. আবী বাকর ইবনু আইয়্যাশ রাহি. হতেও অনুরূপ বর্ণিত আছে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান।

তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি।

بَاب زَكَاةِ الْبَقَرِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَيَّاشٍ بِنَحْوِهِ

حدثنا أحمد بن يونس عن أبي بكر بن عياش بنحوه

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৬৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৬. উটের যাকাত

১৬৬৩. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, সাদাকা (যাকাত) প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম (একটি ফরমান বা অধ্যাদেশ) লিখালেন। তাঁর কর্মচারিদের নিকটে পাঠানোর আগেই তিনি মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর আবূ বাকার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তা গ্রহণ করেন এবং তাঁর পরে তিনি তা কার্যকর করেন। এরপর যখন আবূ বাকার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুও মারা যান, তখন উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তা গ্রহণ করেন ও তাঁদের উভয়ের পরে তিনি সে অনুযায়ী কাজ করেন। তারপর তিনি নিহত হন। আর তিনি এটা নিজের তরবারি কিংবা ওয়াসীয়াতের সাথে রেখেছিলেন। তাতে উটের সাদাকা (যাকাত)-এর ব্যাপারে(লেখা) ছিল উটের সংখ্যা পঁচিশ হওয়া পর্যন্ত প্রতি পাঁচটি উটের জন্য একটি বকরী। উটের সংখ্যা পঁচিশে পৌঁছলে তা হতে পঁয়ত্রিশ পর্যন্ত উটের জন্য একটি ’বিনতু মাখায’ (পূর্ণ এক বছর বয়স্ক মাদী উট); ’বিনতু মাখায’ না পাওয়া গেলে একটি নর ’ইবনু লাবুন’ (একটি পূর্ণ দুই বছরের নর উট); এর বেশি হলে পঁয়তাল্লিশ পর্যন্ত (ছত্রিশ হতে পঁয়তাল্লিশ পর্যন্ত) উটের জন্য একটি ’বিনতু লাবূন’ (একটি পূর্ণ দুই বছরের মাদী উট); এর বেশি হলে ষাট পর্যন্ত (ছেচল্লিশ হতে ষাট পর্যন্ত) উটের জন্য একটি হিক্কাহ (একটি পূর্ণ তিন বছরের মাদী উট); আবার এর বেশি হলে পঁচাত্তর পর্যন্ত (একষট্টি হতে পঁচাত্তর পর্যন্ত) উটের জন্য একটি ’জাযাআহ’ (একটি চার বছরের মাদী উট); আরো বেশি হলে নব্বই পর্যন্ত (ছিয়াত্তর হতে নব্বই পর্যন্ত) উটের জন্য দু’টি ’বিনতু লাবূন’; আরো বেশি হলে একশত বিশ পর্যন্ত (একানব্বই হতে একশত বিশ) উটের জন্য দু’টি ’হিক্কাহ’ এবং যখন একশত বিশের বেশি হবে তখন প্রতি পঞ্চাশ উটের জন্য একটি ’হিক্কাহ’ এবং প্রতি চল্লিশ উটের জন্য একটি ’বিনতু’ লাবূন যাকাত আদায় করতে হবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ। তবে শাহিদ হাদীসসমূহ থাকার কারণে হাদীসটি সহীহ।

তাখরীজ: এটি ১৬৬০ (অনূবাদে ১৬৫৬) নং এ গত হয়েছে। দেখুন, মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৪৭০।

بَاب زَكَاةِ الْإِبِلِ

أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ الْمُبَارَكِ حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ الْعَوَّامِ وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ صَدَقَةَ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ حُسَيْنٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَالِمٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَتَبَ الصَّدَقَةَ فَلَمْ تُخْرَجْ إِلَى عُمَّالِهِ حَتَّى قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا قُبِضَ أَخَذَهَا أَبُو بَكْرٍ فَعَمِلَ بِهَا مِنْ بَعْدِهِ فَلَمَّا قُبِضَ أَبُو بَكْرٍ أَخَذَهَا عُمَرُ فَعَمِلَ بِهَا مِنْ بَعْدِهِمَا وَلَقَدْ قُتِلَ عُمَرُ وَإِنَّهَا لَمَقْرُونَةٌ بِسَيْفِهِ أَوْ بِوَصِيَّتِهِ وَكَانَ فِي صَدَقَةِ الْإِبِلِ فِي كُلِّ خَمْسٍ شَاةٌ إِلَى خَمْسٍ وَعِشْرِينَ فَإِذَا بَلَغَتْ خَمْسًا وَعِشْرِينَ فَفِيهَا بِنْتُ مَخَاضٍ إِلَى خَمْسٍ وَثَلَاثِينَ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ بِنْتُ مَخَاضٍ فَابْنُ لَبُونٍ ذَكَرٌ فَإِذَا زَادَتْ فَفِيهَا بِنْتُ لَبُونٍ إِلَى خَمْسٍ وَأَرْبَعِينَ فَإِذَا زَادَتْ فَفِيهَا حِقَّةٌ إِلَى سِتِّينَ فَإِذَا زَادَتْ فَفِيهَا جَذَعَةٌ إِلَى خَمْسٍ وَسَبْعِينَ فَإِذَا زَادَتْ فَفِيهَا بِنْتَا لَبُونٍ إِلَى تِسْعِينَ فَإِذَا زَادَتْ فَفِيهَا حِقَّتَانِ إِلَى عِشْرِينَ وَمِائَةٍ فَإِذَا زَادَتْ فَفِيهَا فِي كُلِّ خَمْسِينَ حِقَّةٌ وَفِي كُلِّ أَرْبَعِينَ بِنْتُ لَبُونٍ

أخبرنا الحكم بن المبارك حدثنا عباد بن العوام وإبراهيم بن صدقة عن سفيان بن حسين عن الزهري عن سالم عن ابن عمر أن النبي صلى الله عليه وسلم كتب الصدقة فلم تخرج إلى عماله حتى قبض رسول الله صلى الله عليه وسلم فلما قبض أخذها أبو بكر فعمل بها من بعده فلما قبض أبو بكر أخذها عمر فعمل بها من بعدهما ولقد قتل عمر وإنها لمقرونة بسيفه أو بوصيته وكان في صدقة الإبل في كل خمس شاة إلى خمس وعشرين فإذا بلغت خمسا وعشرين ففيها بنت مخاض إلى خمس وثلاثين فإن لم تكن بنت مخاض فابن لبون ذكر فإذا زادت ففيها بنت لبون إلى خمس وأربعين فإذا زادت ففيها حقة إلى ستين فإذا زادت ففيها جذعة إلى خمس وسبعين فإذا زادت ففيها بنتا لبون إلى تسعين فإذا زادت ففيها حقتان إلى عشرين ومائة فإذا زادت ففيها في كل خمسين حقة وفي كل أربعين بنت لبون

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৬৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৬. উটের যাকাত

১৬৬৪. (অপর সূত্রে) ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ।

তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি।

بَاب زَكَاةِ الْإِبِلِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ الْفَزَارِيِّ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ حُسَيْنٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَالِمٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ

حدثنا محمد بن عيينة عن أبي إسحق الفزاري عن سفيان بن حسين عن الزهري عن سالم عن ابن عمر عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৬৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৭. রৌপ্য মুদ্রার যাকাত প্রসঙ্গে

১৬৬৫. আমর ইবনু হাযম তার পিতার সূত্রে তার দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমর ইবনু হাযমের মারফত শুরাহবীল ইবনু আব্দি কালাল, হারিছ ইবনু আব্দি কালাল এবং নু’আইম ইবনু আব্দি কালালের প্রতি একটি ফরমান (অধ্যাদেশ) লিখে পাঠালেন। (যাতে ছিল:) “প্রতি পাঁচ উকিয়া রৌপ্য মুদ্রায় পাঁচ দিরহাম; এর অধিক হলে প্রতি চল্লিশ দিরহামে এক দিরহাম; আর পাঁচ উকিয়ার কমে কোনো (যাকাত) নেই।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ।

তাখরীজ: এটি ১৬৬১ (অনূবাদে ১৬৫৭) নং এ গত হয়েছে।

بَاب فِي زَكَاةِ الْوَرِقِ

أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ مُوسَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ الْخَوْلَانِيِّ حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَتَبَ مَعَ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ إِلَى شُرَحْبِيلَ بْنِ عَبْدِ كُلَالٍ وَالْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ كُلَالٍ وَنُعَيْمِ بْنِ عَبْدِ كُلَالٍ إِنَّ فِي كُلِّ خَمْسِ أَوَاقٍ مِنْ الْوَرِقِ خَمْسَةَ دَرَاهِمَ فَمَا زَادَ فَفِي كُلِّ أَرْبَعِينَ دِرْهَمًا دِرْهَمٌ وَلَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسِ أَوَاقٍ شَيْءٌ

أخبرنا الحكم بن موسى حدثنا يحيى بن حمزة عن سليمان بن داود الخولاني حدثني الزهري عن أبي بكر بن محمد بن عمرو بن حزم عن أبيه عن جده أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كتب مع عمرو بن حزم إلى شرحبيل بن عبد كلال والحارث بن عبد كلال ونعيم بن عبد كلال إن في كل خمس أواق من الورق خمسة دراهم فما زاد ففي كل أربعين درهما درهم وليس فيما دون خمس أواق شيء

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ আবু বকর ইবন মুহাম্মাদ ইবন আমর ইবন হাযম (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৬৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৭. রৌপ্য মুদ্রার যাকাত প্রসঙ্গে

১৬৬৬. আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি একে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত পৌঁছিয়েছেন। তিনি বলেছেন: “ঘোড়া ও গোলামের সাদাকা (যাকাত) আমি ক্ষমা করে দিয়েছি। আর প্রতি চল্লিশ দিরহাম রূপার ক্ষেত্রে এক দিরহাম সাদাকা (যাকাত) আদায় কর। কিন্তু একশত নব্বই দিরহামে কোন সাদাকা নেই। যখন তা দু’ই শত দিরহামে পৌঁছবে তখন তাতে পাঁচ দিরহাম সাদাকা দিতে হবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ জাইয়্যেদ বা উত্তম। আবূ আওয়ানাহ এটি একাকী বর্ণনা করেননি। বরং অনেকেই তার সমর্থক বর্ণনা করেছেন, যেমন: আ’মাশ। তিনি প্রথম জীবনে আবূ ইসহাকের নিকট শ্রবণ করেছেন।

তাখরীজ: আমি এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি ও এর শাহিদ হাদীসসমূহ উল্লেখ করেছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৯৯ তে।

সেখানকার সাথে সংযোজন করছি: এটি বর্ণনা করেছেন, বাইহাকী, যাকাত ৪/১১৮; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ১৫৮২; দারুকুতনী ২/১২৬; তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ২/২৮; আবু নুয়াইম, আখবারুল আসবাহান ২/২৬৩; তাবারাণী, সগীর ১/২৩২; ইবনু খুযাইমা, আস সহীহ নং ২২৮৪; খতীব, তারীখ বাগদাদ ৭/১৪১, ৩০২ হাসান সনদে।

((আবূ দাউদ, যাকাত ১৫৭৪; তিরমিযী, যাকাত ৬২০; তিরমিযী বলেন: আমি এ হাদীস সম্পর্কে মুহাম্মদ (তথা বুখারী) কে জিজ্ঞেস করেছি। তিনি বলেছেন, আমার নিকট এ উভয়েই সহীহ।”; নাসাঈ, যাকাত ৫/৩৭; ইবনু মাজাহ, যাকাত ১৭৯০; আহমাদ ১/৯২, ১১৩, ১৩২, ১৪৫, ১৪৬।– ফাওয়ায আহমেদে তাহক্বীক্বকৃত দারেমী নং ১৬২৯ এর টীকা হতে।– অনুবাদক))

بَاب فِي زَكَاةِ الْوَرِقِ

أَخْبَرَنَا الْمُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ عَنْ عَلِيٍّ رَفَعَهُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ عَفَوْتُ عَنْ صَدَقَةِ الْخَيْلِ وَالرَّقِيقِ هَاتُوا صَدَقَةَ الرِّقَةِ مِنْ كُلِّ أَرْبَعِينَ دِرْهَمًا دِرْهَمٌ وَلَيْسَ فِي تِسْعِينَ وَمِائَةٍ شَيْءٌ حَتَّى تَبْلُغَ مِائَتَيْنِ

أخبرنا المعلى بن أسد حدثنا أبو عوانة عن أبي إسحق عن عاصم بن ضمرة عن علي رفعه إلى النبي صلى الله عليه وسلم قال عفوت عن صدقة الخيل والرقيق هاتوا صدقة الرقة من كل أربعين درهما درهم وليس في تسعين ومائة شيء حتى تبلغ مائتين

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ আলী ইবনু আবী তালিব (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৬৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৮. বিচ্ছিন্ন মালকে একত্র করা এবং একত্রিত মালকে বিচ্ছিন্ন করা নিষেধ

১৬৬৭. সুয়াইদ ইবনু গাফালা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর যাকাত আদায়কারী কর্মচারি আমাদের নিকট আসলে আমি তার হাত ধরে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর এই শপথ পাঠ করে শুনালাম : ’’যাকাতের ভয়ে বিচ্ছিন্ন মালকে একত্র করা এবং একত্রিত মালকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না।’’[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান।

তাখরীজ: আবু দাউদ, যাকাত ১৫৭৯, ১৫৮০; ইবনু মাজাহ, যাকাত ১৮০১; নাসাঈ, যাকাত ৫/৩৯-৪০ উত্তম (জাইয়্যেদ) সনদে।

আর এর শাহিদ হাদীস বর্ণিত রয়েছৈ আবূ বাকরা রা: হতে, যার তাখরীজ আমরা দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১২৭।

بَاب النَّهْيِ عَنْ الْفَرْقِ بَيْنَ الْمُجْتَمِعِ وَالْجَمْعِ بَيْنَ الْمُتَفَرِّقِ

أَخْبَرَنَا الْأَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ حَدَّثَنَا شَرِيكٌ عَنْ عُثْمَانَ الثَّقَفِيِّ عَنْ أَبِي لَيْلَى هُوَ الْكِنْدِيُّ عَنْ سُوَيْدِ بْنِ غَفَلَةَ قَالَ أَتَانَا مُصَدِّقُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخَذْتُ بِيَدِهِ فَقَرَأْتُ فِي عَهْدِهِ أَنْ لَا يُجْمَعَ بَيْنَ مُتَفَرِّقٍ وَلَا يُفَرَّقَ بَيْنَ مُجْتَمِعٍ خَشْيَةَ الصَّدَقَةِ

أخبرنا الأسود بن عامر حدثنا شريك عن عثمان الثقفي عن أبي ليلى هو الكندي عن سويد بن غفلة قال أتانا مصدق النبي صلى الله عليه وسلم فأخذت بيده فقرأت في عهده أن لا يجمع بين متفرق ولا يفرق بين مجتمع خشية الصدقة

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ সুওয়াইদ ইবনু গাফালা (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৬৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৯. লোকদের সর্বোত্তম মালসমূহ থেকে সাদাকা (যাকাত) আদায় করা নিষেধ

১৬৬৮. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মুয়ায রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে ইয়ামান অভিমুখে পাঠালেন, তখন তিনি বললেন: “তুমি তাদের ভাল ভাল সম্পদ (গ্রহণ করা) হতে বিরত থাকবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

তাখরীজ: এটি ১৬৫৫ (অনূবাদে ১৬৫১) নং এ গত হয়েছে।

بَاب النَّهْيِ عَنْ أَخْذِ الصَّدَقَةِ مِنْ كَرَائِمِ أَمْوَالِ النَّاسِ

أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ زَكَرِيَّا عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَيْفِيٍّ عَنْ أَبِي مَعْبَدٍ مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا بَعَثَ مُعَاذًا إِلَى الْيَمَنِ قَالَ إِيَّاكَ وَكَرَائِمَ أَمْوَالِهِمْ

أخبرنا أبو عاصم عن زكريا عن يحيى بن عبد الله بن صيفي عن أبي معبد مولى ابن عباس عن ابن عباس أن النبي صلى الله عليه وسلم لما بعث معاذا إلى اليمن قال إياك وكرائم أموالهم

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৬৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১০. যে সকল জীব-জন্তুর উপর সাদাকা (যাকাত) ওয়াজিব নয়

১৬৬৯. আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “মুসলিম ব্যক্তির ঘোড়া ও দাসের উপর কোনো সাদাকা (যাকাত) নেই।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

তাখরীজ: বুখারী, যাকাত ১৪৬৩; মুসলিম, যাকাত ৯৮২।

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬১৩৮, ৬১৩৯, ৬৫৬৩, ৬৫৬৪; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩২৭১, ৩২৭২; মুসনাদুল হুমাইদী নং ১১০৪, ১১০৫, ১১০৬ তে।

সেখানকার সাথে সংযোজন করছি: এটি আরও বর্ণনা করেছেন, ইবনুল জারুদ, আল মুনতাকা নং ৩৫৫; তাহাবী, মুশকিলিল আছার ৩/৮০, ৮১।

بَاب مَا لَا تَجِبُ فِيهِ الصَّدَقَةُ مِنْ الْحَيَوَانِ

حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ أَخْبَرَنِي قَالَ سَمِعْتُ سُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ يُحَدِّثُ عَنْ عِرَاكِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَيْسَ عَلَى فَرَسِ الْمُسْلِمِ وَلَا عَلَى غُلَامِهِ صَدَقَةٌ

حدثنا هاشم بن القاسم حدثنا شعبة قال عبد الله بن دينار أخبرني قال سمعت سليمان بن يسار يحدث عن عراك بن مالك عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ليس على فرس المسلم ولا على غلامه صدقة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৭০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১১. যে পরিমাণ ফসল, সোনা ও রূপায় যাকাত ওয়াজিব হয় না

১৬৭০. আবূ সাঈদ আল-খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “পাঁচ ’ওয়াসাক’-এর কম পরিমাণ উ?পাদিত শস্যে, পাঁচ ’উকিয়া’-এর কম পরিমাণ মুদ্রায় এবং পাঁচের কম সংখ্যক উটে যাকাত নেই।”[1]

আবূ মুহাম্মদ বলেন: ’ওয়াসাক’ হয় ছয় সা’ এ; হিজাজবাসীদের মতে আর এক সা’ হলো আড়াই ’মানা’-তে (এক ’মানা’ দুই রতলের সমান[2])। আর ইরাকবাসীদের মতে, এক সা চার ’মানা’র সমান।

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

তাখরীজ: বুখারী, ১৪০৫; মুসলিম, যাকাত ৯৭৯।

আমরা এর তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৯৭৯, ১০৩৪, ১০৭১; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩২৬৮, ৩২৭৫, ৩২৭৬, ৩২৭৭; মুসনাদুল হুমাইদী নং ৭৫২ তে।

[2] ((মুহাক্বিক্বের টীকা হতে। -অনুবাদক))

بَاب مَا لَا يَجِبُ فِيهِ الصَّدَقَةُ مِنْ الْحُبُوبِ وَالْوَرِقِ وَالذَّهَبِ

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ سُفْيَانَ عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسَةِ أَوْسُقٍ صَدَقَةٌ وَلَا فِيمَا دُونَ خَمْسِ أَوَاقٍ صَدَقَةٌ وَلَا فِيمَا دُونَ خَمْسِ ذَوْدٍ صَدَقَةٌ قَالَ أَبُو مُحَمَّد الْوَسْقُ سِتُّونَ صَاعًا وَالصَّاعُ مَنَوَانِ وَنِصْفٌ فِي قَوْلِ أَهْلِ الْحِجَازِ وَأَرْبَعَةُ أَمْنَاءٍ فِي قَوْلِ أَهْلِ الْعِرَاقِ

حدثنا عبيد الله بن موسى عن سفيان عن عمرو بن يحيى عن أبيه عن أبي سعيد الخدري عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ليس فيما دون خمسة أوسق صدقة ولا فيما دون خمس أواق صدقة ولا فيما دون خمس ذود صدقة قال أبو محمد الوسق ستون صاعا والصاع منوان ونصف في قول أهل الحجاز وأربعة أمناء في قول أهل العراق

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৭১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১১. যে পরিমাণ ফসল, সোনা ও রূপায় যাকাত ওয়াজিব হয় না

১৬৭১. আবূ সাঈদ আল-খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “পাঁচ ’ওয়াসাক’-এর কম পরিমাণ উৎপাদিত শস্যে এবং খেজুরে যাকাত নেই, পাঁচ ’উকিয়া’-এর কম পরিমাণ মুদ্রায়ও যাকাত নেই এবং পাঁচের কম সংখ্যক উটেও যাকাত নেই।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি।

بَاب مَا لَا يَجِبُ فِيهِ الصَّدَقَةُ مِنْ الْحُبُوبِ وَالْوَرِقِ وَالذَّهَبِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ إِسْمَعِيلَ بْنِ أُمَيَّةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ عَنْ يَحْيَى بْنِ عُمَارَةَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسَةِ أَوْسُقٍ صَدَقَةٌ مِنْ حَبٍّ وَلَا تَمْرٍ وَلَا فِيمَا دُونَ خَمْسِ أَوَاقٍ صَدَقَةٌ وَلَا فِيمَا دُونَ خَمْسِ ذَوْدٍ صَدَقَةٌ

حدثنا محمد بن يوسف عن سفيان عن إسمعيل بن أمية عن محمد بن يحيى بن حبان عن يحيى بن عمارة عن أبي سعيد الخدري قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ليس فيما دون خمسة أوسق صدقة من حب ولا تمر ولا فيما دون خمس أواق صدقة ولا فيما دون خمس ذود صدقة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৭২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১১. যে পরিমাণ ফসল, সোনা ও রূপায় যাকাত ওয়াজিব হয় না

১৬৭২. আমর ইবনু হাযম তার পিতার সূত্রে তার দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমর ইবনু হাযমের মারফত শুরাহবীল ইবনু আব্দি কালাল, হারিছ ইবনু আব্দি কালাল এবং নু’আইম ইবনু আব্দি কালালের প্রতি একটি ফরমান (অধ্যাদেশ) লিখে পাঠালেন। (যাতে ছিল:) “প্রতি পাঁচ উকিয়া রৌপ্য মুদ্রায় পাঁচ দিরহাম; এর অধিক হলে প্রতি চল্লিশ দিরহামে এক দিরহাম; আর পাঁচ উকিয়ার কমে কোনো (যাকাত) নেই।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ।

তাখরীজ: এটি ১৬৬৮ (অনূবাদে ১৬৬৪) নং এ গত হয়েছে।

بَاب مَا لَا يَجِبُ فِيهِ الصَّدَقَةُ مِنْ الْحُبُوبِ وَالْوَرِقِ وَالذَّهَبِ

أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ مُوسَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ الْخَوْلَانِيِّ حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَتَبَ مَعَ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ إِلَى شُرَحْبِيلَ بْنِ عَبْدِ كُلَالٍ وَالْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ كُلَالٍ وَنُعَيْمِ بْنِ عَبْدِ كُلَالٍ إِنَّ فِي كُلِّ خَمْسِ أَوَاقٍ مِنْ الْوَرِقِ خَمْسَةَ دَرَاهِمَ فَمَا زَادَ فَفِي كُلِّ أَرْبَعِينَ دِرْهَمًا دِرْهَمٌ وَلَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسِ أَوَاقٍ شَيْءٌ

أخبرنا الحكم بن موسى حدثنا يحيى بن حمزة عن سليمان بن داود الخولاني حدثني الزهري عن أبي بكر بن محمد بن عمرو بن حزم عن أبيه عن جده أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كتب مع عمرو بن حزم إلى شرحبيل بن عبد كلال والحارث بن عبد كلال ونعيم بن عبد كلال إن في كل خمس أواق من الورق خمسة دراهم فما زاد ففي كل أربعين درهما درهم وليس فيما دون خمس أواق شيء

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ আবু বকর ইবন মুহাম্মাদ ইবন আমর ইবন হাযম (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৭৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১২. অগ্রিম যাকাত আদায়

১৬৭৩. আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বছর পূর্ণ হওয়ার পূর্বেই অগ্রিম যাকাত আদায় করার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলেন। তখন তিনি তাকে এ ব্যাপারে অনুমতি দিলেন।[1]আবূ মুহাম্মদ বলেন, আমি এ মত গ্রহণ করেছি এবং বছর পূর্তির পূর্বে যাকাত প্রদানে আমি কোনো দোষ দেখি না।

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ জাইয়্যেদ (উত্তম)।

তাখরীজ: আহমাদ ১/১০৪; আবূ দাউদ, যাকাত ১৬২৪; তিরমিযী, যাকাত ৬৭৮; ইবনু মাজাহ, যাকাত ১৭৯৫; ইবনু সা’দ, আত তাবাকাত ৪/১/১৭; বাইহাকী, যাকাত ৪/১১১; হাকিম ৩/৩৩২ একে সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী তা সমর্থন করেছেন।

.. এর হাদীসের কয়েকটি শাহিদ হাদীস রয়েছে যা একে শক্তিশালী করে। দেখুন, তাবাকাত ৪/১/১৭; মুসান্নাফ ইবনু আবী শাইবা ৩/১৪৮; বাইহাকী ৪/১১১।

তিরমিযী বলেন, আলিমদের মাঝে অগ্রিম যাকাত আদায় করার ব্যাপারে দ্বিমত আছে। একদল মনীষী অগ্রিম যাকাত আদায় করা উচিৎ নয় বলে মত ব্যক্ত করেছেন। সুফিয়ান সাওরি এই মতের সমর্থন করেছেন। তিনি বলেছেন, এটা না করাই আমার মতে উত্তম। বেশিরভাগ মনীষী অগ্রিম যাকাত আদায় করলে তা জায়িয হওয়ার কথা বলেছেন। এ মতের প্রবক্তা হচ্ছেন শাফিঈ, আহ্মাদ ও ইসহাক।’ দেখুন, নাইলূল আওতার ৪/২১২-২১৪।

بَاب فِي تَعْجِيلِ الزَّكَاةِ

أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ زَكَرِيَّا عَنْ الْحَجَّاجِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ الْحَكَمِ بْنِ عُتَيْبَةَ عَنْ حُجَيَّةَ بْنِ عَدِيٍّ عَنْ عَلِيٍّ أَنَّ الْعَبَّاسَ سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي تَعْجِيلِ صَدَقَتِهِ قَبْلَ أَنْ تَحِلَّ فَرَخَّصَ فِي ذَلِكَ قَالَ أَبُو مُحَمَّد آخُذُ بِهِ وَلَا أَرَى فِي تَعْجِيلِ الزَّكَاةِ بَأْسًا

أخبرنا سعيد بن منصور حدثنا إسمعيل بن زكريا عن الحجاج بن دينار عن الحكم بن عتيبة عن حجية بن عدي عن علي أن العباس سأل رسول الله صلى الله عليه وسلم في تعجيل صدقته قبل أن تحل فرخص في ذلك قال أبو محمد آخذ به ولا أرى في تعجيل الزكاة بأسا

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ আলী ইবনু আবী তালিব (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৭৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৩. যাকাত ছাড়াও মাল-সম্পদে যা ওয়াজিব (হক্ব) রয়েছে

১৬৭৪. ফাতিমাহ বিনতে কাইস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, “তোমাদের মাল-সম্পদে যাকাত ছাড়া আরো হক্ক রয়েছে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ, আবী হামযাহ মায়মূন আল আউর এর যয়ীফ হওয়ার কারণে।

তাখরীজ: তিরমিযী, যাকাত ৬৫৯,৬৬০; ইবনু আদী, আল কামিল৪/১৩২৮; দারুকুতনী ২/১২৫; বাইহাকী, যাকাত ৪/৮৪; ইবনু আবী হাতিম, ইবনু মারদুবিয়াহ-যা ইবনু কাছীর তার তাফসীর ১/২৯৮ এ উল্লেখ করেছেন; তাবারী ২/৯৬; ইবনু মাজাহ, যাকাত ১৭৮৯;

ইমাম বাইহাকী (মা’রেফাতুস সুনান ৬/১২ তে) এর দূর্বলতার কথা ইমাম আহমাদ, ইবনু মাঈন ও অন্যান্যদের থেকে উল্লেখ করেছেন।

بَاب مَا يَجِبُ فِي مَالٍ سِوَى الزَّكَاةِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الطُّفَيْلِ حَدَّثَنَا شَرِيكٌ عَنْ أَبِي حَمْزَةَ عَنْ عَامِرٍ عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ قَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ إِنَّ فِي أَمْوَالِكُمْ حَقًّا سِوَى الزَّكَاةِ

أخبرنا محمد بن الطفيل حدثنا شريك عن أبي حمزة عن عامر عن فاطمة بنت قيس قالت سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول إن في أموالكم حقا سوى الزكاة

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৭৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৪. যে ব্যক্তি ধনী ব্যক্তিকে সাদাকা করে

১৬৭৫. মা’না ইবনু ইয়াযীদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি, আমার পিতা ও আমার দাদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাতে বাইয়াত গ্রহণ করলাম। আর তিনি আমার বিবাহের প্রস্তাব দেন এবং আমার বিবাহ সম্পন্ন করে দেন। আমি তাঁর নিকট (এক বিষয়ে) বিচার প্রার্থী হই, একদা আমার পিতা ইয়াযীদ কিছু স্বর্ণ মুদ্রা সাদাকাহ করার নিয়্যাতে মসজিদে এক ব্যক্তি নিকট রেখে আসেন। আমি সে ব্যক্তি নিকট হতে তা গ্রহণ করে পিতার নিকট আসলাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! তোমাকে দেওয়ার ইচ্ছা আমার ছিল না। আমি বিষয়টি নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট বিচার প্রার্থী হলাম। তিনি বললেন: “হে ইয়াযীদ, তুমি যার নিয়্যাত করেছো, তা তুমি পাবে। আর হে মা’ন! তুমি যা গ্রহণ করেছো, তা তোমারই।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

তাখরীজ: বুখারী, যাকাত ১৪২২; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৫৫১ তে।

সেখানে আমার সংযোজন: ইবনু কানি’, মু’জামুল সাহাবাহ নং ১০৫৫।

بَاب فِيمَنْ يَتَصَدَّقُ عَلَى غَنِيٍّ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ حَدَّثَنَا أَبُو الْجُوَيْرِيَةِ الْجَرْمِيُّ أَنَّ مَعْنَ بْنَ يَزِيدَ حَدَّثَهُ قَالَ بَايَعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَا وَأَبِي وَجَدِّي وَخَطَبَ عَلَيَّ فَأَنْكَحَنِي وَخَاصَمْتُ إِلَيْهِ كَانَ أَبِي يَزِيدُ أَخْرَجَ دَنَانِيرَ يَتَصَدَّقُ بِهَا فَوَضَعَهَا عِنْدَ رَجُلٍ فِي الْمَسْجِدِ فَجِئْتُ فَأَخَذْتُهَا فَأَتَيْتُهُ بِهَا فَقَالَ وَاللَّهِ مَا إِيَّاكَ أَرَدْتُ بِهَا فَخَاصَمْتُهُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لَكَ مَا نَوَيْتَ يَا يَزِيدُ وَلَكَ يَا مَعْنُ مَا أَخَذْتَ

أخبرنا محمد بن يوسف حدثنا إسرائيل حدثنا أبو الجويرية الجرمي أن معن بن يزيد حدثه قال بايعت رسول الله صلى الله عليه وسلم أنا وأبي وجدي وخطب علي فأنكحني وخاصمت إليه كان أبي يزيد أخرج دنانير يتصدق بها فوضعها عند رجل في المسجد فجئت فأخذتها فأتيته بها فقال والله ما إياك أردت بها فخاصمته إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال لك ما نويت يا يزيد ولك يا معن ما أخذت

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ মা‘ন ইবনু ইয়াযীদ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৭৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৫. যাদের জন্য সাদাকা নেওয়া বৈধ

১৬৭৬. আব্দুল্লাহ ইবনু আমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “অবস্থা সম্পন্ন সচ্ছল ও সুস্থ–সবল লোকের জন্য যাকাত নেয়া বৈধ নয়।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

তাখরীজ: বুখারী, আল কাবীর ৩/৩২৯; বাইহাকী, সাদাকাত ৭/১৩; তায়ালিসী ১/১৭৭ নং ৮৪২; তিরমিযী, যাকাত ৬৫২; আব্দুর রাযযাক নং ৭১৫৫; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ ১৫৯৯; ইবনু আবী শাইবা ৩/২০৭; আহমাদ ২/১৬৪, ১৯২; আবী উবাইদ, আল আমওয়াল নং ১৭২৭; আবূ দাউদ, যাকাত ১৬৩৪; হাকিম ১/৪০৭; তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ২/১৪।

তিরমিযী বলেন: আব্দুল্লাহ ইবনু আমরের হাদীসটি হাসান।…

এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আবী হুরাইরা কর্তৃক যার পূর্ণ তাখরীজ আমরা দিয়েছি মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৮০৬ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩২৯০ ও মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩২৯০ তে।

بَاب مَنْ تَحِلُّ لَهُ الصَّدَقَةُ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ وَأَبُو نُعَيْمٍ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنْ رَيْحَانَ بْنِ يَزِيدَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تَحِلُّ الصَّدَقَةُ لِغَنِيٍّ وَلَا لِذِي مِرَّةٍ سَوِيٍّ قَالَ أَبُو مُحَمَّد يَعْنِي قَوِيٍّ

أخبرنا محمد بن يوسف وأبو نعيم عن سفيان عن سعد بن إبراهيم عن ريحان بن يزيد عن عبد الله بن عمرو قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا تحل الصدقة لغني ولا لذي مرة سوي قال أبو محمد يعني قوي

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৭৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৫. যাদের জন্য সাদাকা নেওয়া বৈধ

১৬৭৭. আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি সচ্ছলতা সত্ত্বেও (মানুষের নিকট) হাত পাতে (সাহায্য প্রার্থনা করে),সে কিয়ামত দিবসে (এই সাহায্য চাওয়ার জন্য) তার মুখমণ্ডলে অসংখ্য জখম, নখের আঁচড় ও ক্ষত চিহ্ন নিয়ে উপস্থিত হবে।” প্রশ্ন করা হল, হে আল্লাহর রাসূল! সচ্ছলতা (-এর সীমা) কি? তিনি বললেনঃ “পঞ্চাশ দিরহাম বা সমমূল্যের স্বর্ণ।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান।

তাখরীজ: আমরা এর ‍পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি ও এর শাহিদ হাদীসসমূহ উল্লেখ করেছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫২১৭ তে।

এখানে তার সাথে সংযোজন করছি: ইবনু আবী শাইবা ৩/১৮০; ফাসাওয়ী, মা’রিফাতুত তারীখ ৩/৯৮-৯৯; ইবনু আদী, আল কামিল ২/৬৩৫, ৬৩৭; খতীব, তারীখ বাগদাদ ৩/২০৫; পরবর্তী হাদীসটি দেখুন।

بَاب مَنْ تَحِلُّ لَهُ الصَّدَقَةُ

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ عَنْ حَكِيمِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ سَأَلَ عَنْ ظَهْرِ غِنًى جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَفِي وَجْهِهِ خُمُوشٌ أَوْ كُدُوحٌ أَوْ خُدُوشٌ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا الْغِنَى قَالَ خَمْسُونَ دِرْهَمًا أَوْ قِيمَتُهَا مِنْ الذَّهَبِ

أخبرنا يزيد بن هارون أخبرنا شريك عن حكيم بن جبير عن محمد بن عبد الرحمن بن يزيد عن أبيه عن عبد الله قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من سأل عن ظهر غنى جاء يوم القيامة وفي وجهه خموش أو كدوح أو خدوش قيل يا رسول الله وما الغنى قال خمسون درهما أو قيمتها من الذهب

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ‌ ইব্‌ন মাসউদ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৭৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৫. যাদের জন্য সাদাকা নেওয়া বৈধ

১৬৭৮. (অপর সনদে) আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান।

তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি। এছাড়া ইবনু আদী, আল কামিল ২/৬৩৬।

بَاب مَنْ تَحِلُّ لَهُ الصَّدَقَةُ

أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ حَكِيمِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَحْوِهِ

أخبرنا أبو عاصم ومحمد بن يوسف عن سفيان عن حكيم بن جبير عن محمد بن عبد الرحمن عن أبيه عن عبد الله عن النبي صلى الله عليه وسلم بنحوه

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ‌ ইব্‌ন মাসউদ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৭৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৬. নাবী (ﷺ) ও তাঁর আহলে বাইতের (পরিবারের সদস্যদের) জন্য সাদাকা বৈধ নয়

১৬৭৯. আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা হাসান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু সাদাকার খেজুর হতে একটি খেজুর তুলে নিয়েই তার মুখে পুরে দিলেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “ওয়াক্ ওয়াক্ (বমির পূর্বের আওয়াজের মত) করে ওটি ফেলে দাও। তুমি কি জান না যে, আমরা সাদাকা ভক্ষণ করি না?”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ্

তাখরীজ: বুখারী ১৪৯১; মুসলিম, যাকাত ১০৬৯; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩২৯৪, ৩২৯৫ তে। এছাড়া সেখানকার সাথে আমার সংযোজনী: তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ২/৯; ইবনু আব্দুল বারর, আত তামহীদ ৩/৯১।

بَاب الصَّدَقَةِ لَا تَحِلُّ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا لِأَهْلِ بَيْتِهِ

أَخْبَرَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ زِيَادٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ أَخَذَ الْحَسَنُ تَمْرَةً مِنْ تَمْرِ الصَّدَقَةِ فَجَعَلَهَا فِي فِيهِ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كِخْ كِخْ أَلْقِهَا أَمَا شَعَرْتَ أَنَّا لَا نَأْكُلُ الصَّدَقَةَ

أخبرنا هاشم بن القاسم حدثنا شعبة أخبرني محمد بن زياد قال سمعت أبا هريرة قال أخذ الحسن تمرة من تمر الصدقة فجعلها في فيه فقال النبي صلى الله عليه وسلم كخ كخ ألقها أما شعرت أنا لا نأكل الصدقة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৮০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৬. নাবী (ﷺ) ও তাঁর আহলে বাইতের (পরিবারের সদস্যদের) জন্য সাদাকা বৈধ নয়

১৬৮০. আবী লাইলা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট ছিলাম এবং তাঁর সাথে হাসান ইবনু আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমাও ছিলেন। হঠাৎ তিনি (হাসান রা:) সাদাকার খেজুর হতে একটি খেজুর তুলে নিলেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার নিকট হতে সেটি কেড়ে নিলেন, তারপর বললেন: “তুমি কি জান না যে, আমাদের জন্য সাদাকাহ বৈধ নয়?”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

তাখরীজ: আহমাদ ৪/৩৪৮; ইবনু আবী শাইবা ৩/২১৫, ১৪/২৭৯ নং ১৮৩৭৫; তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ২/১০; আগের হাদীসটি এর শাহিদ।

بَاب الصَّدَقَةِ لَا تَحِلُّ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا لِأَهْلِ بَيْتِهِ

أَخْبَرَنَا الْأَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عِيسَى عَنْ عِيسَى عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى عَنْ أَبِي لَيْلَى قَالَ كُنْتُ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعِنْدَهُ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ فَأَخَذَ تَمْرَةً مِنْ تَمْرِ الصَّدَقَةِ فَانْتَزَعَهَا مِنْهُ وَقَالَ أَمَا عَلِمْتَ أَنَّهُ لَا تَحِلُّ لَنَا الصَّدَقَةُ

أخبرنا الأسود بن عامر حدثنا زهير عن عبد الله بن عيسى عن عيسى عن عبد الرحمن بن أبي ليلى عن أبي ليلى قال كنت عند النبي صلى الله عليه وسلم وعنده الحسن بن علي فأخذ تمرة من تمر الصدقة فانتزعها منه وقال أما علمت أنه لا تحل لنا الصدقة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৮১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৭. সচ্ছল ব্যক্তির জন্য কোনো কিছু চাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করা

১৬৮১. মুআবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “তোমরা আমার নিকট কোনো কিছু চাওয়ার ক্ষেত্রে পীড়াপীড়ি করবে না। কেননা, আল্লাহর কসম, তোমাদের কেউ আমার কাছে এমন জিনিস চাইবে, যা আমি অপছন্দনীয় করি, আর আমি তাকে তা দেব, তাহলে আল্লাহ্ তা’আলা তাতে বরকত দেবেন না।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

তাখরীজ: মসলিম , যাকাত ১০৩৮; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৩৮৯ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৬১৫ তে। আর এর শাহিদ হাদীস রয়েছে যা সামনে ১৬৯০ ও ২৭৯৩ (অনূবাদে ১৬৮৬ ) নং এ আসছে।

بَاب التَّشْدِيدِ عَلَى مَنْ سَأَلَ وَهُوَ غَنِيٌّ

أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ عَنْ وَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ عَنْ أَخِيهِ عَنْ مُعَاوِيَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تُلْحِفُوا بِي فِي الْمَسْأَلَةِ فَوَاللَّهِ لَا يَسْأَلُنِي أَحَدٌ شَيْئًا فَأُعْطِيَهُ وَأَنَا كَارِهٌ فَيُبَارَكَ لَهُ فِيهِ

أخبرنا سعيد بن منصور حدثنا سفيان بن عيينة عن عمرو بن دينار عن وهب بن منبه عن أخيه عن معاوية قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا تلحفوا بي في المسألة فوالله لا يسألني أحد شيئا فأعطيه وأنا كاره فيبارك له فيه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ মু‘আবিয়াহ ইবন আবূ সুফিয়ান (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৮২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৭. সচ্ছল ব্যক্তির জন্য কোনো কিছু চাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করা

১৬৮২. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুক্তদাস ছাওবান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “সচ্ছল হওয়া সত্বেও যে ব্যক্তি লোকদের নিকট চেয়ে চেয়ে বেড়াবে, (কিয়ামত দিবসে) তার মুখমণ্ডল বিকৃত হয়ে যাবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সহীহ।

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৪৫৮৯ তে। ((আহমাদ ও বাযযার ও তাবারাণী তার কাবীরে, আর এর রাবীগণ সকলেই বিশ্বস্ত।– ফাওয়ায আহমেদের দারেমী ১৬৪৫ এর টীকা হতে।– অনুবাদক))

بَاب التَّشْدِيدِ عَلَى مَنْ سَأَلَ وَهُوَ غَنِيٌّ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الرَّقَاشِيُّ حَدَّثَنَا يَزِيدُ هُوَ ابْنُ زُرَيْعٍ أَخْبَرَنَا سَعِيدٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ عَنْ مَعْدَانَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ عَنْ ثَوْبَانَ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ سَأَلَ النَّاسَ مَسْأَلَةً وَهُوَ عَنْهَا غَنِيٌّ كَانَتْ شَيْنًا فِي وَجْهِهِ

أخبرنا محمد بن عبد الله الرقاشي حدثنا يزيد هو ابن زريع أخبرنا سعيد عن قتادة عن سالم بن أبي الجعد عن معدان بن أبي طلحة عن ثوبان مولى رسول الله صلى الله عليه وسلم أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال من سأل الناس مسألة وهو عنها غني كانت شينا في وجهه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ সাওবান (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৮৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৮. চাওয়া থেকে বিরত থাকা

১৬৮৩. আবূ সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। আনসারের কিছু লোক একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট কিছু সাহায্য প্রার্থনা করলে তিনি তাদের কিছু সাহায্য দিলেন। এরপর তারা আবার সাহায্য চাইলে তিনি তাদের তা দিলেন। অত:পর যখন তা শেষ হয়ে গেলো তখন তিনি বললেনঃ আমার কাছে যে অর্থ-সম্পদ আছে তোমাদের না দিয়ে আমি তা কখনো পুঞ্জিভূত করে রাখি না। যে মুখাপেক্ষীহীন হতে চায় আল্লাহ তাকে মুখাপেক্ষীহীন করে দেন। যে ব্যক্তি (যাঞ্চা থেকে) পবিত্র থাকতে চায় আল্লাহ তাকে পবিত্র রাখেন, যে ব্যক্তি ধৈর্য ধারণের তওফীক চায় আল্লাহ তাকে ধৈর্য ধারণের তওফীক দিয়ে দেন। ধৈর্য ধারণের চেয়ে উত্তম এবং ব্যাপক সম্পদ কাউকে প্রদান করা হয়নি।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

তাখরীজ: বুখারী, ১৪৬৯; মুসলিম, যাকাত ১০৫৩; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১১২৯, ১২৬৭, ১৩৫২ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৪০০ তে।

بَاب فِي الِاسْتِعْفَافِ عَنْ الْمَسْأَلَةِ

أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ الْمُبَارَكِ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّ نَاسًا مِنْ الْأَنْصَارِ سَأَلُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَعْطَاهُمْ ثُمَّ سَأَلُوهُ فَأَعْطَاهُمْ حَتَّى إِذَا نَفِدَ مَا عِنْدَهُ قَالَ مَا يَكُونُ عِنْدِي مِنْ خَيْرٍ فَلَنْ أَدَّخِرَهُ عَنْكُمْ وَمَنْ يَسْتَعِفَّ يُعِفَّهُ اللَّهُ وَمَنْ يَسْتَغْنِ يُغْنِهِ اللَّهُ وَمَنْ يَتَصَبَّرْ يُصَبِّرْهُ اللَّهُ وَمَا أُعْطِيَ أَحَدٌ عَطَاءً هُوَ خَيْرٌ وَأَوْسَعُ مِنْ الصَّبْرِ

أخبرنا الحكم بن المبارك حدثنا مالك عن ابن شهاب عن عطاء بن يزيد الليثي عن أبي سعيد الخدري أن ناسا من الأنصار سألوا رسول الله صلى الله عليه وسلم فأعطاهم ثم سألوه فأعطاهم حتى إذا نفد ما عنده قال ما يكون عندي من خير فلن أدخره عنكم ومن يستعف يعفه الله ومن يستغن يغنه الله ومن يتصبر يصبره الله وما أعطي أحد عطاء هو خير وأوسع من الصبر

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৮৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৯. হাদিয়া বা দান ফিরিয়ে দেয়া নিষেধ

১৬৮৪. আব্দুল্লাহ (ইবনু উমার) রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি উমার ইবনুল খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে কোনো একটি জিনিস দান করলেন। তখন আমি বললাম, এটি এমন কাউকে দিন, আমার চেয়েও এটি যার অধিক প্রয়োজন। তিনি বললেন, তুমি এটা নাও, আর তোমার চাওয়া এবং লালসা ব্যতীতে আল্লাহ যে সম্পদই তোমাকে দান করেন, তুমি তা নেবে। অন্যথায় তুমি তোমার মনকে তার পেছনে ধাবিত করবে না।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ। তবে হাদীসটি (সহীহ এবং) বুখারী ও মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

তাখরীজ: বুখারী, যাকাত ১৪৭৩, আহকাম ৭১৬৪; মুসলিম, যাকাত ১০৪৫। আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৬৭ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৩০৫ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ২১ তে। এবং পরবর্তী টীকা দু’টিও দেখুন।

بَاب النَّهْيِ عَنْ رَدِّ الْهَدِيَّةِ

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ قَالَ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمٍ أَنَّهُ قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعْطِينِي الْعَطَاءَ فَأَقُولُ أَعْطِهِ مَنْ هُوَ أَفْقَرُ إِلَيْهِ مِنِّي فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خُذْهُ وَمَا آتَاكَ اللَّهُ مِنْ هَذَا الْمَالِ وَأَنْتَ غَيْرُ مُشْرِفٍ وَلَا سَائِلٍ فَخُذْهُ وَمَا لَا فَلَا تُتْبِعْهُ نَفْسَكَ

أخبرنا عبد الله بن صالح قال حدثني الليث حدثني يونس عن ابن شهاب عن سالم أنه قال قال عبد الله سمعت عمر بن الخطاب يقول كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يعطيني العطاء فأقول أعطه من هو أفقر إليه مني فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم خذه وما آتاك الله من هذا المال وأنت غير مشرف ولا سائل فخذه وما لا فلا تتبعه نفسك

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৮৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৯. হাদিয়া বা দান ফিরিয়ে দেয়া নিষেধ

১৬৮৫. আব্দুল্লাহ ইবনু সা’দী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

তাখরীজ; এটি পূর্বের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি। আবীল ইয়ামান হাকাম ইবনু নাফি’ হতে এটি বুখারী, আহকাম ৭১৬৩ তে বর্ণনা করেছেন। আগের এবং পরের হাদীসটি দেখুন।

بَاب النَّهْيِ عَنْ رَدِّ الْهَدِيَّةِ

أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ عَنْ شُعَيْبِ بْنِ أَبِي حَمْزَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ حَدَّثَنِي السَّائِبُ بْنُ يَزِيدَ أَنَّ حُوَيْطِبَ بْنَ عَبْدِ الْعُزَّى أَخْبَرَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ السَّعْدِيِّ أَخْبَرَهُ عَنْ عُمَرَ بِنَحْوِهِ

أخبرنا الحكم بن نافع عن شعيب بن أبي حمزة عن الزهري حدثني السائب بن يزيد أن حويطب بن عبد العزى أخبره أن عبد الله بن السعدي أخبره عن عمر بنحوه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আব্দুল্লাহ ইবন সাদী (রহ.)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৮৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ১৯. হাদিয়া বা দান ফিরিয়ে দেয়া নিষেধ

১৬৮৬. (অপর সনদে) আব্দুল্লাহ ইবনু সা’দী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আমাকে (সাদাকা আদায়কারী রূপে) নিযুক্ত করেন…” অত:পর তিনি তাঁর (উমার রা:) থেকে এরূপ বর্ণনা করেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

তাখরীজ; এটি পূর্বের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি। কুতাইবা ইবনু সাঈদ হতে মুসলিম, যাকাত ১০৪৫ (১১২)। পূর্ণ তাখরীজের জন্য আগের টীকা দু’টি দেখুন।

بَاب النَّهْيِ عَنْ رَدِّ الْهَدِيَّةِ

أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ بُكَيْرٍ عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ عَنْ ابْنِ السَّعْدِيِّ قَالَ اسْتَعْمَلَنِي عُمَرُ فَذَكَرَ نَحْوًا مِنْهُ

أخبرنا أبو الوليد حدثنا الليث عن بكير عن بسر بن سعيد عن ابن السعدي قال استعملني عمر فذكر نحوا منه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আব্দুল্লাহ ইবন সাদী (রহ.)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৮৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২০. (কারো কাছে কোনো কিছু) চাওয়া নিষেধ

১৬৮৭. হাকীম ইবনু হিযাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, আমি একবার রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম –এর কাছে কিছু (সাহায্য) চাইলে তিনি আমাকে দান করলেন। এরপর আমি তাঁর কাছে পুনরায় চাইলে তিনি আমাকে কিছু দান (সাহায্য) করলেন। এরপর আমি তাঁর কাছে পুনরায় চাইলে তিনি এবারও আমাকে কিছু দান (সাহায্য) করলেন। এরপর পুনরায় চাইলাম, তখন তিনি বললেন, হে হাকীম! এ সমস্ত ধন- সম্পদ সবুজ-শ্যামল ও সুমিষ্ট। ফলে যে ব্যক্তি সেগুলো লোভ-লালসামুক্ত মন নিয়ে গ্রহণ করে, তার জন্য তাতে বরকত দেয়া হয়। আর যে ব্যক্তি তা লোভাতুর অন্তরে গ্রহণ করে, তার জন্য তাতে বরকত দেয়া হয় না। সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় হয়ে যায়, যে আহার করে কিন্তু পরিতৃপ্ত হয় না।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। এটি বুখারী ও মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

তাখরীজ: বুখারী, যাকাত, ১৪৭২; মুসলিম, যাকাত ১০৫৩; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩২২০, ২৪০২, ২৪০৬ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৫৬৩ তে। সামনে ২৭৯৩ এ আসছে।

بَاب النَّهْيِ عَنْ الْمَسْأَلَةِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ الْأَوْزَاعِيِّ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ وَعُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ أَنَّ حَكِيمَ بْنَ حِزَامٍ قَالَ سَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَعْطَانِي ثُمَّ سَأَلْتُهُ فَأَعْطَانِي ثُمَّ سَأَلْتُهُ فَأَعْطَانِي ثُمَّ سَأَلْتُهُ فَقَالَ يَا حَكِيمُ إِنَّ هَذَا الْمَالَ خَضِرٌ حُلْوٌ فَمَنْ أَخَذَهُ بِسَخَاوَةِ نَفْسٍ بُورِكَ لَهُ فِيهِ وَمَنْ أَخَذَهُ بِإِشْرَافِ نَفْسٍ لَمْ يُبَارَكْ لَهُ فِيهِ وَكَانَ كَالَّذِي يَأْكُلُ وَلَا يَشْبَعُ

أخبرنا محمد بن يوسف عن الأوزاعي عن ابن شهاب عن سعيد بن المسيب وعروة بن الزبير أن حكيم بن حزام قال سألت النبي صلى الله عليه وسلم فأعطاني ثم سألته فأعطاني ثم سألته فأعطاني ثم سألته فقال يا حكيم إن هذا المال خضر حلو فمن أخذه بسخاوة نفس بورك له فيه ومن أخذه بإشراف نفس لم يبارك له فيه وكان كالذي يأكل ولا يشبع

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ হাকীম ইবনু হিযাম (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৮৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২১. কোনো লোকের জন্য কোন্ অবস্থায় সাদাকা করা মুস্তাহাব?

১৬৮৮. আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন: “সচ্ছল অবস্থায় যে দান করা হয়, সেটিই সর্বোত্তম দান। আর তোমরা যাদের ভরণ-পোষণ করো, প্রথমে তাদেরকে দান করার মাধ্যমেই (দান) শুরু করবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ। তবে হাদীসটি সহীহ।

তাখরীজ: বুখারী, যাকাত ১৪২৬; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৩৬৩, ৪২৪৩ তে।

সেখানে আরো সংযোজন করছি: এটি আরো বর্ণনা করেছেন আব্দুর রাযযাক নং ১৬৪০৪; ইবনু খুযাইমা, আস সহীহ নং ২৪৩৯; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ১৬৭৪, ১৬৭৫; দাওলাবী, আল কুন্নী ১/১০৮; ইবনু আদী, আল কামিল ৪/১৫৮৬; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ৩৪১৯, ৮৫৭৫; আল মা’রিফাতুস সুনান ওয়াল আছার নং ৮৫০১।

بَاب مَتَى يُسْتَحَبُّ لِلرَّجُلِ الصَّدَقَةُ

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ حَدَّثَنِي هِشَامٌ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ خَيْرُ الصَّدَقَةِ مَا تُصُدِّقَ بِهِ عَنْ ظَهْرِ غِنًى وَلْيَبْدَأْ أَحَدُكُمْ بِمَنْ يَعُولُ

أخبرنا عبد الله بن صالح حدثني الليث حدثني هشام عن عروة عن أبي هريرة قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول خير الصدقة ما تصدق به عن ظهر غنى وليبدأ أحدكم بمن يعول

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৮৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২২. উপরের হাত (দাতার হাত)-এর মর্যাদা সম্পর্কে

১৬৮৯. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন: “নিচের হাতের চেয়ে উপরের হাত উত্তম।”তিনি বলেন, “উপরের হাত হলো দাতার হাত এবং নিচের হাত হলো দান প্রার্থীর (যাচ্ঞাকারীর) হাত।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

তাখরীজ: বুখারী, যাকাত ১৪২৯; মুসলিম, যাকাত ১০৩৩।

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৭৩০ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৩৬১, ৩৩৬৪ তে।

بَاب فِي فَضْلِ الْيَدِ الْعُلْيَا

أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ الْيَدُ الْعُلْيَا خَيْرٌ مِنْ الْيَدِ السُّفْلَى قَالَ وَالْيَدُ الْعُلْيَا يَدُ الْمُعْطِي وَالْيَدُ السُّفْلَى يَدُ السَّائِلِ

أخبرنا سليمان بن حرب حدثنا حماد بن زيد عن أيوب عن نافع عن ابن عمر قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول اليد العليا خير من اليد السفلى قال واليد العليا يد المعطي واليد السفلى يد السائل

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৯০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২২. উপরের হাত (দাতার হাত)-এর মর্যাদা সম্পর্কে

১৬৯০. হাকিম ইবনু হিযাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “সচ্ছল অবস্থায় যে দান করা হয়, সেটিই সর্বোত্তম দান। আর উপরের হাত (দাতা) নিচের হাত (গ্রহীতা) হতে উত্তম। আর তোমরা যাদের ভরণ-পোষণ করো, প্রথমে তাদেরকে দান করার মাধ্যমেই (দান) শুরু করবে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

তাখরীজ: বাইহাকী, যাকাত ৪/১৮০। ((বুখারী, যাকাত ১৪২৭; মুসলিম, যাকাত ১০৩৪; নাসাঈ, যাকাত ৫/৬৯; আহমাদ ৩/৪০২-৪০৩- ফাওয়ায আহমেদের দারেমী হা/১৬৫৩ নং হাদীসের টীকা হতে। -অনুবাদক))

بَاب فِي فَضْلِ الْيَدِ الْعُلْيَا

حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ قَالَ سَمِعْتُ مُوسَى بْنَ طَلْحَةَ يَذْكُرُ عَنْ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْرُ الصَّدَقَةِ عَنْ ظَهْرِ غِنًى وَالْيَدُ الْعُلْيَا خَيْرٌ مِنْ الْيَدِ السُّفْلَى وَابْدَأْ بِمَنْ تَعُولُ

حدثنا أبو نعيم حدثنا عمرو بن عثمان قال سمعت موسى بن طلحة يذكر عن حكيم بن حزام قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم خير الصدقة عن ظهر غنى واليد العليا خير من اليد السفلى وابدأ بمن تعول

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ হাকীম ইবনু হিযাম (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৯১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৩. কো্ন্ সাদাকা সর্বোত্তম?

১৬৯১. আব্দুল্লাহ’র স্ত্রী যাইনাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “হে নারী সমাজ! তোমরা সাদাকা কর যদিও তা তোমাদের অলংকারই হোক না কেন। রাবী বলেন, আবদুল্লাহ দরিদ্র ছিলেন। ফলে আমি এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করার জন্য নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম –এর নিকট এসে (দেখলাম তাঁর দরজার সামনে দণ্ডায়মান) যয়নাব নাম্নী অপর একজন আনসারী মহিলার সাথে (আমার বিষয়টি) মিলে গেলো এবং আমি যে ব্যাপারে প্রশ্ন করতে এসেছি তিনিও সে ব্যাপারেই প্রশ্ন করছেন। তখন আমি বিলালকে বললাম যে, আপনি আমার পক্ষ হতে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম –এর কাছে গিয়ে এ ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞাসাকরুন যে, আমি আমার সাদাকা কোথায় দান করবো- আব্দুল্লাহ’কে নাকি আমার আত্মীয়-স্বজনকে? তিনি নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম –এর কাছে জিজ্ঞাসা করলেন। তখন তিনি প্রশ্ন করলেন, “কোন্ যাইনাব?” তিনি (বিলাল) বললেন, আবদুল্লাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর স্ত্রী যয়নাব। তিনি বললেন, হ্যাঁ; তার জন্য দু’টি (দুই গুণ) সাওয়াব রয়েছে, আত্মীয়তার (সম্পর্ক বজায় রাখার) সাওয়াব এবং দান করার সাওয়াব।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

তাখরীজ: আহমাদ ৩/৪০২, ৪৩৪; মুসলিম, যাকাত ১০৩৪; তিরমিযী, যাকাত ৬৩৫; বাইহাকী, যাকাত ৪/১৮০; শুয়াবুল ঈমান নং ৩৪১৮; নাসাঈ, আল কুবরা নং ২৩২৩; বুখারী, যাকাত ১৪২৭।

আর এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আবী হুরাইরা হতে বুখারী ও মুসলিমের সম্মিলিতভাবে বর্ণিত, আমরা যার তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মা্ওসিলী নং ৬৫৮৫ তে।

بَاب أَيُّ الصَّدَقَةِ أَفْضَلُ

أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ سُلَيْمَانُ أَخْبَرَنِي قَالَ سَمِعْتُ أَبَا وَائِلٍ يُحَدِّثُ عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ عَنْ زَيْنَبَ امْرَأَةِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّهَا قَالَتْ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ يَا مَعْشَرَ النِّسَاءِ تَصَدَّقْنَ وَلَوْ مِنْ حُلِيِّكُنَّ وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ خَفِيفَ ذَاتِ الْيَدِ فَجِئْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَسْأَلُهُ فَوَافَقَتْ زَيْنَبَ امْرَأَةٌ مِنْ الْأَنْصَارِ تَسْأَلُ عَمَّا أَسْأَلُ عَنْهُ فَقُلْتُ لِبِلَالٍ سَلْ لِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيْنَ أَضَعُ صَدَقَتِي عَلَى عَبْدِ اللَّهِ أَوْ فِي قَرَابَتِي فَسَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ أَيُّ الزَّيَانِبِ فَقَالَ امْرَأَةُ عَبْدِ اللَّهِ فَقَالَ لَهَا أَجْرَانِ أَجْرُ الْقَرَابَةِ وَأَجْرُ الصَّدَقَةِ

أخبرنا أبو الوليد الطيالسي حدثنا شعبة قال سليمان أخبرني قال سمعت أبا وائل يحدث عن عمرو بن الحارث عن زينب امرأة عبد الله أنها قالت إن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال يا معشر النساء تصدقن ولو من حليكن وكان عبد الله خفيف ذات اليد فجئت إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم أسأله فوافقت زينب امرأة من الأنصار تسأل عما أسأل عنه فقلت لبلال سل لي رسول الله صلى الله عليه وسلم أين أضع صدقتي على عبد الله أو في قرابتي فسأل النبي صلى الله عليه وسلم فقال أي الزيانب فقال امرأة عبد الله فقال لها أجران أجر القرابة وأجر الصدقة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ যায়নাব (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৯২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৩. কো্ন্ সাদাকা সর্বোত্তম?

১৬৯২. আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, মদীনার আনসারগণের মধ্যে আবূ তালহা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু সবচাইতে বেশি খেজুর বাগানের মালিক ছিলেন। মসজিদে নাববীর সম্মুখে অবস্থিত বায়রূহা নামক বাগানটি তাঁর নিকট অধিক প্রিয় ছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বাগানে প্রবেশ করে এর সুপেয় পানি পান করতেন। আনাস রা: বলেন, যখন এ আয়াত অবতীর্ণ হলো: “তোমরা যা ভালবাস তা হতে ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা কখনো পূণ্য লাভ করতে পারবে না”- (সূরা আলে ইমরাণ: ৯২)। তখন তিনি বললেন, আমার সকল মাল-সম্পদের মধ্যে বায়রূহা বাগানটিকে আমি অধিক ভালবাসি। ফলে এটিকে আল্লাহর নামে সাদাকাহ করা হলো। আমি এর সাওয়াব ও সঞ্চিত সম্পদ (বিনিময়) আ্ল্লাহর নিকটই আশা করি। তাই আপনি যাকে ইচ্ছা তাকে এটি দান করুন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “বেশ তো! এটি হচ্ছে লাভজনক কিংবা অগ্রাধিকারযোগ্য সম্পদ। তুমি যা বলেছো, তা আমি শুনেছি। আর আমি মনে করি, তুমি তোমার আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে এটি বন্টন করে দাও।” তখন আবূ তালহা বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি তাই করব। এরপর আবূ তালহা সেটি তাঁর চাচার বংশধর আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে এটি বন্টন করে দিলেন।[1]

[1]তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

তাখরীজ: মালিক, সাদাকা (২); বুখারী, যাকাত ১৪৬১; মুসলিম, যাকাত ৯৯৬। আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি ‍মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩৭৩২ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৩৪০ তে।

بَاب أَيُّ الصَّدَقَةِ أَفْضَلُ

أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ الْمُبَارَكِ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ إِسْحَقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ عَنْ أَنَسٍ قَالَ كَانَ أَبُو طَلْحَةَ أَكْثَرَ أَنْصَارِيٍّ بِالْمَدِينَةِ مَالًا نَخْلًا وَكَانَتْ أَحَبَّ أَمْوَالِهِ إِلَيْهِ بَيْرُحَاءُ وَكَانَتْ مُسْتَقْبِلَةَ الْمَسْجِدِ وَكَانَ يَدْخُلُهَا وَيَشْرَبُ مِنْ مَائِهَا طَيِّبٌ فَقَالَ أَنَسٌ فَلَمَّا أُنْزِلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ لَنْ تَنَالُوا الْبِرَّ حَتَّى تُنْفِقُوا مِمَّا تُحِبُّونَ قَالَ إِنَّ أَحَبَّ أَمْوَالِي إِلَيَّ بَيْرُحَاءُ وَإِنَّهَا صَدَقَةٌ لِلَّهِ أَرْجُو بِرَّهَا وَذُخْرَهَا عِنْدَ اللَّهِ فَضَعْهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ حَيْثُ شِئْتَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَخٍ ذَلِكَ مَالٌ رَابِحٌ أَوْ رَائِحٌ وَقَدْ سَمِعْتُ مَا قُلْتَ فِيهِ وَإِنِّي أَرَى أَنْ تَجْعَلَهُ فِي الْأَقْرَبِينَ فَقَالَ أَبُو طَلْحَةَ أَفْعَلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَقَسَّمَهُ أَبُو طَلْحَةَ فِي قَرَابَةِ بَنِي عَمِّهِ

أخبرنا الحكم بن المبارك حدثنا مالك عن إسحق بن عبد الله بن أبي طلحة عن أنس قال كان أبو طلحة أكثر أنصاري بالمدينة مالا نخلا وكانت أحب أمواله إليه بيرحاء وكانت مستقبلة المسجد وكان يدخلها ويشرب من مائها طيب فقال أنس فلما أنزلت هذه الآية لن تنالوا البر حتى تنفقوا مما تحبون قال إن أحب أموالي إلي بيرحاء وإنها صدقة لله أرجو برها وذخرها عند الله فضعها يا رسول الله حيث شئت فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم بخ ذلك مال رابح أو رائح وقد سمعت ما قلت فيه وإني أرى أن تجعله في الأقربين فقال أبو طلحة أفعل يا رسول الله فقسمه أبو طلحة في قرابة بني عمه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৯৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৪. সাদাকা করতে অনুপ্রাণিত করা

১৬৯৩. ইমরান ইবনু হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক আমাদের সামনে প্রদত্ত প্রতিটি খুতবাতেই তিনি আমাদেরকে দান করার নির্দেশ দিতেন এবং অঙ্গছেদন (হাত, পা ইত্যাদি কর্তন) করতে নিষেধ করতেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ শক্তিশালী।

তাখরীজ: বুখারী, গোসল ২৯১; মুসলিম, হায়িয ৩৪৮; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মু’জামুস শুয়ূখ আবী ইয়ালা নং ১৬৪ ও মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৭০৬০।

بَاب الْحَثِّ عَلَى الصَّدَقَةِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ حَدَّثَنَا أَبِي عَنْ قَتَادَةَ عَنْ الْحَسَنِ عَنْ هَيَّاجِ بْنِ عِمْرَانَ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ قَالَ مَا خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا أَمَرَنَا فِيهَا بِالصَّدَقَةِ وَنَهَانَا عَنْ الْمُثْلَةِ

أخبرنا محمد بن بشار حدثنا معاذ بن هشام حدثنا أبي عن قتادة عن الحسن عن هياج بن عمران عن عمران بن حصين قال ما خطبنا رسول الله صلى الله عليه وسلم إلا أمرنا فيها بالصدقة ونهانا عن المثلة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৯৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৪. সাদাকা করতে অনুপ্রাণিত করা

১৬৯৪. আদী ইবনু হাতিম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “তোমরা আগুন থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করো, যদিও তা এক টুকরা খেজুর (সাদাকা করার) দ্বারাও হয়। আর যদি তাও না পাও, তবে উত্তম কথার দ্বারা।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

তাখরীজ: বুখারী, যাকাত ১৪১৩; মুসলিম, যাকাত ১০১৬; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৭৩, ৬৬৬, ২৮০৪ তে।

بَاب الْحَثِّ عَلَى الصَّدَقَةِ

أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ مُرَّةَ قَالَ سَمِعْتُ خَيْثَمَةَ عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اتَّقُوا النَّارَ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ فَإِنْ لَمْ تَجِدُوا فَبِكَلِمَةٍ طَيِّبَةٍ

أخبرنا أبو الوليد الطيالسي حدثنا شعبة أخبرني عمرو بن مرة قال سمعت خيثمة عن عدي بن حاتم عن النبي صلى الله عليه وسلم قال اتقوا النار ولو بشق تمرة فإن لم تجدوا فبكلمة طيبة

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আদী ইবনু হাতিম (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৯৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৫. কোনো লোকের সমস্ত সম্পদ সাদাকা করা নিষেধ

১৬৯৫. আব্দুর রহমান ইবনু আবী লুবাবাহ হতে বর্ণিত, আবী লুবাবাহ তার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার প্রতি সন্তুষ্ট হলেন, তখন তিনি বলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমার তওবা (সম্পূর্ণ করার উদ্দেশ্যে) আমি আমার সম্প্রদায়ের বাসস্থান হতে হিজরত করে আপনার নিকট বসবাস করতে চাই এবং আমার সমস্ত মাল আল্লাহর উদ্দেশ্যে ও তাঁর রাসূলের জন্য সাদাকা হিসেবে দান করে দিতে চাই। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “তোমার (মালের) এক তৃতীয়াংশ (সাদাকা করা)-ই যথেষ্ট।”[1]

[1]তাহক্বীক্ব: এর সনদে দু’টি ত্রুটি বিদ্যমান। এক. সাঈদ ইবনুল মাসলামাহ যয়ীফ; দুই. আব্দুর রহমান ইবনু আবী লুবাবাহ পরিচয়হীনতা। তবে হাদীসটি সহীহ।

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৩৭১ ও মাওয়ারিদুয যামআন নং ৮৪১ তে।

بَاب النَّهْيِ عَنْ الصَّدَقَةِ بِجَمِيعِ مَا عِنْدَ الرَّجُلِ

أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ دُحَيْمٌ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَسْلَمَةَ عَنْ إِسْمَعِيلَ بْنِ أُمَيَّةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لُبَابَةَ أَنَّ أَبَا لُبَابَةَ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ لَمَّا رَضِيَ عَنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ مِنْ تَوْبَتِي أَنْ أَهْجُرَ دَارَ قَوْمِي وَأُسَاكِنَكَ وَأَنْخَلِعَ مِنْ مَالِي صَدَقَةً لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُجْزِي عَنْكَ الثُّلُثُ

أخبرنا عبد الرحمن بن إبراهيم الدمشقي دحيم حدثنا سعيد بن مسلمة عن إسمعيل بن أمية عن الزهري عن عبد الرحمن بن أبي لبابة أن أبا لبابة أخبره أنه لما رضي عنه رسول الله صلى الله عليه وسلم قال يا رسول الله إن من توبتي أن أهجر دار قومي وأساكنك وأنخلع من مالي صدقة لله ولرسوله فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم يجزي عنك الثلث

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৯৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৫. কোনো লোকের সমস্ত সম্পদ সাদাকা করা নিষেধ

১৬৯৬. জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট উপস্থিত ছিলাম। এমতাবস্থায় জনৈক ব্যক্তি ডিমের পরিমাণ এক টুকরা স্বর্ণ-যা সে কোনো যুদ্ধে (গণিমাত হিসেবে) –(বর্ণনাকারী আহমাদ বলেন, ’কোনো খনিতে’- আর সেটিই সঠিক)- পেয়েছিল- তা নিয়ে তাঁর নিকট উপস্থিত হলো। অত:পর সে বললো, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমার নিকট থেকে এটি সাদাকা হিসেবে গ্রহণ করুন। আল্লাহর কসম! এ ব্যতীত আমার আর কোনোই সম্পদ নেই। তখন তিনি তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। এরপর সে বাম পাশ থেকে এসে পুণরায় একই কথা বললো। এরপর সে সামনে দিয়ে এসে পুণরায় একই কথা বললো। তখন তিনি রেগে গিয়ে বললেন: “যাও, নিয়ে এসো!” এরপর তিনি সেটি (নিয়ে) এত জোরে তার দিকে নিক্ষেপ করলেন যে, যদি সেটি তার গায়ে লাগত তবে নিশ্চয়ই সে আঘাত পেতো, কিংবা আহত হতো। অত:পর তিনি বললেন: “তোমাদের কেউ তার মালিকানার সমস্ত মাল-সম্পদ নিয়ে এসে বলে, ’এটা সাদাকা স্বরূপ (দান করলাম)।’ অত:পর সে লোকদের নিকট সাহায্যের জন্য স্বীয় হাত প্রসারিত করে। (জেনে রাখো!) উত্তম সাদাকা তো তাই- যা সচ্ছল অবস্থায় দেওয়া হয়। (এরপর লোকটিকে উদ্দেশ্যে করে বললেন:) তোমার মাল তুমি নিয়ে যাও, এতে আমাদের কোনোই প্রয়োজন নেই।”

এরপর লোকটি তার মাল নিয়ে চলে গেলো।[1] আবূ মুহাম্মদ বলেন, মালিক বলতেন, যখন কোনো লোক তার মাল মিসকীনদেরকে দান করতে চাই, তখন সে যেন তার মালের এক তৃতীয়াংশ দান করে।

[1] তাহক্বীক্ব: এর রাবীগণ সকলেই বিশ্বস্ত তবে ইবনু ইসহাক এটি আন’আন পদ্ধতিতে বর্ণনা করেছেন, আর তিনি মুদাল্লিস রাবী। ((আলবানী একে হাসান বলেছেন, আবু দাউদ ১৬৫৭-অনুবাদক))।

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২০৮৪; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৩৭২ ও মাওয়ারিদুয যামআন নং ৮৩৯ তে। ((আবূ দাউদ, যাকাত ১৬৭৩-অনুবাদক))

بَاب النَّهْيِ عَنْ الصَّدَقَةِ بِجَمِيعِ مَا عِنْدَ الرَّجُلِ

أَخْبَرَنَا يَعْلَى وَأَحْمَدُ بْنُ خَالِدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَقَ عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ عَنْ مَحْمُودِ بْنِ لَبِيدٍ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ بَيْنَا نَحْنُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ جَاءَ رَجُلٌ بِمِثْلِ الْبَيْضَةِ مِنْ ذَهَبٍ أَصَابَهَا فِي بَعْضِ الْمَغَازِي قَالَ أَحْمَدُ فِي بَعْضِ الْمَعَادِنِ وَهُوَ الصَّوَابُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ خُذْهَا مِنِّي صَدَقَةً فَوَاللَّهِ مَا لِي مَالٌ غَيْرَهَا فَأَعْرَضَ عَنْهُ ثُمَّ جَاءَهُ عَنْ رُكْنِهِ الْأَيْسَرِ فَقَالَ مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ جَاءَهُ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ فَقَالَ مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ قَالَ هَاتِهَا مُغْضَبًا فَحَذَفَهُ بِهَا حَذْفَةً لَوْ أَصَابَهُ لَأَوْجَعَهُ أَوْ عَقَرَهُ ثُمَّ قَالَ يَعْمِدُ أَحَدُكُمْ إِلَى مَالِهِ لَا يَمْلِكُ غَيْرَهُ فَيَتَصَدَّقُ بِهِ ثُمَّ يَقْعُدُ يَتَكَفَّفُ النَّاسَ إِنَّمَا الصَّدَقَةُ عَنْ ظَهْرِ غِنًى خُذْ الَّذِي لَكَ لَا حَاجَةَ لَنَا بِهِ فَأَخَذَ الرَّجُلُ مَالَهُ وَذَهَبَ قَالَ أَبُو مُحَمَّد كَانَ مَالِكٌ يَقُولُ إِذَا جَعَلَ الرَّجُلُ مَالَهُ فِي الْمَسَاكِينِ يَتَصَدَّقُ بِثُلُثِ مَالِهِ

أخبرنا يعلى وأحمد بن خالد عن محمد بن إسحق عن عاصم بن عمر بن قتادة عن محمود بن لبيد عن جابر بن عبد الله قال بينا نحن عند رسول الله صلى الله عليه وسلم إذ جاء رجل بمثل البيضة من ذهب أصابها في بعض المغازي قال أحمد في بعض المعادن وهو الصواب فقال يا رسول الله خذها مني صدقة فوالله ما لي مال غيرها فأعرض عنه ثم جاءه عن ركنه الأيسر فقال مثل ذلك ثم جاءه من بين يديه فقال مثل ذلك ثم قال هاتها مغضبا فحذفه بها حذفة لو أصابه لأوجعه أو عقره ثم قال يعمد أحدكم إلى ماله لا يملك غيره فيتصدق به ثم يقعد يتكفف الناس إنما الصدقة عن ظهر غنى خذ الذي لك لا حاجة لنا به فأخذ الرجل ماله وذهب قال أبو محمد كان مالك يقول إذا جعل الرجل ماله في المساكين يتصدق بثلث ماله

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৯৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৬. যে ব্যক্তি তার সম্পদের পুরোটাই সাদাকা করে দেয়

১৬৯৭. উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম আামাদেরকে দান করার নির্দেশ দিলেন। ঘটনাক্রমে সেদিন আমার নিকট মাল ছিল। আমি (মনে মনে) বললাম: আজকে আমি আবূ বকর রা: এর চাইতে (দানের ব্যাপারে) অগ্রগামী হবই, যদিও কোনোদিনই আমি তার চেয়ে অগ্রগামী হতে পারিনি। তাই আমি আমার অর্ধেক মাল নিয়ে আসলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি তোমার পরিবারের জন্য কি রেখে এসেছো?” আমি বললাম, এর সমপরিমাণ সম্পদ। উমার রা: বলেন, আর আবূ বকর রা: আনলেন তাঁর সমস্ত মাল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি তোমার পরিবারের জন্য কি রেখে এসেছো?” তিনি বললেন, আমি তাদের জন্য আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকেই রেখে এসেছি। উমার রা: বলেন, তখন আমি বললাম, আমি (ভবিষ্যতে) আর কোনোদিন কোনো ব্যাপারে (অধিক ফযীলতের অধিকারী হওয়ার জন্য) আপনার সাথে প্রতিযোগীতা করব না।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান, হিশাম ইবনু সা’দের কারণে।

তাখরীজ: আবূ দাউদ, যাকাত ১৬৭৮; তিরমিযী, মানাকিব ৩৬৭৬।

بَاب الرَّجُلِ يَتَصَدَّقُ بِجَمِيعِ مَا عِنْدَهُ

أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ قَالَ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ نَتَصَدَّقَ فَوَافَقَ ذَلِكَ مَالًا عِنْدِي فَقُلْتُ الْيَوْمَ أَسْبِقُ أَبَا بَكْرٍ إِنْ سَبَقْتُهُ يَوْمًا فَجِئْتُ بِنِصْفِ مَالِي فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا أَبْقَيْتَ لِأَهْلِكَ قُلْتُ مِثْلَهُ قَالَ فَأَتَى أَبُو بَكْرٍ بِكُلِّ مَا عِنْدَهُ فَقَالَ يَا أَبَا بَكْرٍ مَا أَبْقَيْتَ لِأَهْلِكَ فَقَالَ أَبْقَيْتُ لَهُمْ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقُلْتُ لَا أُسَابِقُكَ إِلَى شَيْءٍ أَبَدًا

أخبرنا أبو نعيم حدثنا هشام بن سعد عن زيد بن أسلم عن أبيه قال سمعت عمر قال أمرنا رسول الله صلى الله عليه وسلم أن نتصدق فوافق ذلك مالا عندي فقلت اليوم أسبق أبا بكر إن سبقته يوما فجئت بنصف مالي فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ما أبقيت لأهلك قلت مثله قال فأتى أبو بكر بكل ما عنده فقال يا أبا بكر ما أبقيت لأهلك فقال أبقيت لهم الله ورسوله فقلت لا أسابقك إلى شيء أبدا

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৯৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৭. সাদাকাতুল ফিতর (যাকাতুল ফিতর) সম্পর্কে

১৬৯৮. আব্দুল্লাহ্ ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে, স্বাধীন লোক অথবা গোলাম, পুরুষ অথবা স্ত্রীলোক নির্বিশেষে প্রত্যেক মুসলিমের উপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক সা’আ পরিমাণ খেজুর অথবা এক সা’আ পরিমাণ যব রামাযান মাসের ফিতরা হিসাবে নির্ধারণ করে দিয়েছেন।[1]

আবূ মুহাম্মদ কে জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি কি এমত গ্রহণ করেছেন? তিনি বললেন, মালিক এ মতামত দিতেন।

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ শক্তিশালী। আর হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

তাখরীজ: বুখারী, যাকাত ১৫০৪; মুসলিম, যাকাত ৯৮৪; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৮৩৪; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৩০১, ৩৩০২, ৩৩০৩, ৩৩০৪ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৭১৮ তে।

بَاب فِي زَكَاةِ الْفِطْرِ

أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ فَرَضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَكَاةَ الْفِطْرِ مِنْ رَمَضَانَ صَاعًا مِنْ تَمْرٍ أَوْ صَاعًا مِنْ شَعِيرٍ عَلَى كُلِّ حُرٍّ وَعَبْدٍ ذَكَرٍ أَوْ أُنْثَى مِنْ الْمُسْلِمِينَ قِيلَ لِأَبِي مُحَمَّدٍ تَقُولُ بِهِ قَالَ مَالِكٌ كَانَ يَقُولُ بِهِ

أخبرنا خالد بن مخلد حدثنا مالك عن نافع عن عبد الله بن عمر قال فرض رسول الله صلى الله عليه وسلم زكاة الفطر من رمضان صاعا من تمر أو صاعا من شعير على كل حر وعبد ذكر أو أنثى من المسلمين قيل لأبي محمد تقول به قال مالك كان يقول به

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৬৯৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৭. সাদাকাতুল ফিতর (যাকাতুল ফিতর) সম্পর্কে

১৬৯৯. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছোট-বড়, স্বাধীন- দাস – নির্বিশেষে প্রত্যেকের পক্ষ থেকে এক সা’আ পরিমাণ যব অথবা এক সা’আ পরিমাণ খেজুর যাকাতুল ফিতর হিসাবে আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন। ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, কিন্তু পরবর্তিতে লোকেরা দুই ’মুদ্দ’ পরিমাণ গমকে এর সমপরিমাণ ধরে নিয়েছে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। এটিও বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি।

بَاب فِي زَكَاةِ الْفِطْرِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِزَكَاةِ الْفِطْرِ عَنْ كُلِّ صَغِيرٍ وَكَبِيرٍ حُرٍّ أَوْ عَبْدٍ صَاعًا مِنْ شَعِيرٍ أَوْ صَاعًا مِنْ تَمْرٍ قَالَ ابْنُ عُمَرَ فَعَدَلَهُ النَّاسُ بِمُدَّيْنِ مِنْ بُرٍّ

أخبرنا محمد بن يوسف عن سفيان عن عبيد الله عن نافع عن ابن عمر قال أمرنا رسول الله صلى الله عليه وسلم بزكاة الفطر عن كل صغير وكبير حر أو عبد صاعا من شعير أو صاعا من تمر قال ابن عمر فعدله الناس بمدين من بر

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৭০০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৭. সাদাকাতুল ফিতর (যাকাতুল ফিতর) সম্পর্কে

১৭০০. আবূ সাঈদ আল–খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের মাঝে থাকা অবস্থায় আমরা ছোট-বড়, স্বাধীন- দাস – নির্বিশেষে প্রত্যেকের পক্ষ থেকে এক সা’আ খাবার অথবা এক সা’আ খেজুর অথবা এক সা’আ যব অথবা এক সা’ পনির অথবা এক সা’ কিশমিশ যাকাতুল ফিতর হিসেবে দান করতাম। এটি এভাবেই চলে আসছিল। কিন্তু মুআবিয়া (রা) হজ্জ্ব কিংবা উমরার সফরে মাদিনায় এসে বললেন, আমি দেখছি, শামের (সিরিয়ার) দুই মুদ্দ গম এক সা’আ খেজুরের সমান। বর্ণনাকারী বলেন, তারপর লোকেরা এটাই (এ মতটিই) অবলম্বন করলো। আবূ সাঈদ (রা) বলেন, কিন্তু আমি পূর্বে যেভাবে আদায় করতাম, সেভাবেই আদায় করতে থাকব।[1]

আবূ মুহাম্মদ বলেন, আমার মতে, প্রত্যেক জিনিসের (খাদ্যের) এক সা’আ পরিমাণ (দিয়েই আদায় করা যাবে)।

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

তাখরীজ: বুখারী, যাকাত ১৫০৬; মুসলিম, যাকাত ৯৮৫।

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১২২৭; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৩০৫, ৩৩০৬ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৭১৮।

بَاب فِي زَكَاةِ الْفِطْرِ

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ قَيْسٍ عَنْ عِيَاضِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ كُنَّا نُخْرِجُ زَكَاةَ الْفِطْرِ إِذْ كَانَ فِينَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ كُلِّ صَغِيرٍ وَكَبِيرٍ حُرٍّ وَمَمْلُوكٍ صَاعًا مِنْ طَعَامٍ أَوْ صَاعًا مِنْ تَمْرٍ أَوْ صَاعًا مِنْ شَعِيرٍ أَوْ صَاعًا مِنْ أَقِطٍ أَوْ صَاعًا مِنْ زَبِيبٍ فَلَمْ يَزَلْ ذَلِكَ كَذَلِكَ حَتَّى قَدِمَ عَلَيْنَا مُعَاوِيَةُ الْمَدِينَةَ حَاجًّا أَوْ مُعْتَمِرًا فَقَالَ إِنِّي أَرَى مُدَّيْنِ مِنْ سَمْرَاءِ الشَّامِ يَعْدِلُ صَاعًا مِنْ التَّمْرِ فَأَخَذَ النَّاسُ بِذَلِكَ قَالَ أَبُو سَعِيدٍ أَمَّا أَنَا فَلَا أَزَالُ أُخْرِجُهُ كَمَا كُنْتُ أُخْرِجُهُ قَالَ أَبُو مُحَمَّد أَرَى صَاعًا مِنْ كُلِّ شَيْءٍ

حدثنا عثمان بن عمر حدثنا داود بن قيس عن عياض بن عبد الله عن أبي سعيد الخدري قال كنا نخرج زكاة الفطر إذ كان فينا رسول الله صلى الله عليه وسلم عن كل صغير وكبير حر ومملوك صاعا من طعام أو صاعا من تمر أو صاعا من شعير أو صاعا من أقط أو صاعا من زبيب فلم يزل ذلك كذلك حتى قدم علينا معاوية المدينة حاجا أو معتمرا فقال إني أرى مدين من سمراء الشام يعدل صاعا من التمر فأخذ الناس بذلك قال أبو سعيد أما أنا فلا أزال أخرجه كما كنت أخرجه قال أبو محمد أرى صاعا من كل شيء

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৭০১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৭. সাদাকাতুল ফিতর (যাকাতুল ফিতর) সম্পর্কে

১৭০১. আবূ সাঈদ আল–খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা এক সা’আ খাবার অথবা এক সা’আ খেজুর অথবা এক সা’আ যব অথবা এক সা’ কিশমিশ অথবা এক সা’ পনির যাকাতুল ফিতর হিসেবে দান করতাম।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ শক্তিশালী; আর হাদীসটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

তাখরীজ: মালিক, যাকাত ৫৪; এটি পূর্বের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি। পূর্ণ তাখরীজের জন্য সেখানে দেখুন।

بَاب فِي زَكَاةِ الْفِطْرِ

حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عِيَاضِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ كُنَّا نُخْرِجُ زَكَاةَ الْفِطْرِ مِنْ رَمَضَانَ صَاعًا مِنْ طَعَامٍ أَوْ صَاعًا مِنْ تَمْرٍ أَوْ صَاعًا مِنْ شَعِيرٍ أَوْ صَاعًا مِنْ زَبِيبٍ أَوْ صَاعًا مِنْ أَقِطٍ

حدثنا خالد بن مخلد حدثنا مالك عن زيد بن أسلم عن عياض بن عبد الله بن سعد بن أبي سرح عن أبي سعيد الخدري قال كنا نخرج زكاة الفطر من رمضان صاعا من طعام أو صاعا من تمر أو صاعا من شعير أو صاعا من زبيب أو صاعا من أقط

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৭০২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৭. সাদাকাতুল ফিতর (যাকাতুল ফিতর) সম্পর্কে

১৭০২. আবূ সাঈদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লামের যামানায় (যাকাতুল ফিতর হিসেবে) দান করতাম …” -অত:পর তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

তাখরীজ: বুখারী, যাকাত ১৫০৮। আর হাদীসটি আগের হাদীস দু’টির পুনরাবৃত্তি।

بَاب فِي زَكَاةِ الْفِطْرِ

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ سُفْيَانَ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عِيَاضِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ كُنَّا نُعْطِي عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَ نَحْوَهُ

أخبرنا عبيد الله بن موسى عن سفيان عن زيد بن أسلم عن عياض بن عبد الله عن أبي سعيد قال كنا نعطي على عهد النبي صلى الله عليه وسلم فذكر نحوه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৭০৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৮. ওশর (ফল-ফসলের যাকাত) আদায়ের কর্মাচারী হওয়া অপছন্দনীয়

১৭০৩. উকবা ইবনু আমির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, “(নিদিষ্ট পরিমাণের চাইতে অধিক হারে) যাকাত আদায়কারী ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না।”[1] আবূ মুহাম্মদ বলেন, এর (’যাকাত আদায়কারী ব্যক্তি’র) অর্থ: ওশর (এক দশমাংশ) আদায়কারী কর্মচারী।

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ, এতে ইবনু ইসহাক রয়েছে, তিনি এটি ‘আন‘আন’ পদ্ধতে বর্ণনা করেছেন (আর তিনি মুদাল্লিস)।

তাখরীজ: আমরা এর তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৭৫৬ তে। (আবূ দাউদ, যাকাত ২৯৩৭-অনুবাদক)

আমাদের সংযোজন: তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ২/৩১; তাবারাণী, কাবীর ১৭/৩১৭, ৩১৮ নং ৮৭৮, ৮৭৯, ৮৮০; ইবনুল জারুদ, আল মুনতাক্বা, নং ৩৩৯; বাইহাকী, সাদাকাত ৭/১৬; ….।

بَاب كَرَاهِيَةِ أَنْ يَكُونَ الرَّجُلُ عَشَّارًا

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَقَ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ شِمَاسَةَ قَالَ سَمِعْتُ عُقْبَةَ بْنَ عَامِرٍ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ صَاحِبُ مَكْسٍ قَالَ قَالَ أَبُو مُحَمَّد يَعْنِي عَشَّارًا

أخبرنا أحمد بن خالد حدثنا محمد بن إسحق عن يزيد بن أبي حبيب عن عبد الرحمن بن شماسة قال سمعت عقبة بن عامر يقول سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول لا يدخل الجنة صاحب مكس قال قال أبو محمد يعني عشارا

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ উকবাহ ইবনু আমির (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৭০৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ২৯. বৃষ্টির পানি দ্বারা উৎপন্ন এবং (কৃত্রিম) সেচের দ্বারা উৎপাদিত ফসলের উশর (যাকাত) আদায়:

১৭০৪. মুয়ায রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে ইয়ামান অভিমুখে পাঠান, তখন তিনি আমাকে নির্দেশ দেন যে, আমি যেন বৃষ্টি দ্বারা সিঞ্চিত জমি হতে এক দশমাংশ এবং সেচ ব্যবস্থার মাধ্যমে সিঞ্চিত জমি হতে ফসলের অর্ধ-উশর (যাকাত হিসেবে) গ্রহণ করি।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান।

তাখরীজ: নাসাঈ, যাকাত ৫/৪২; ইবনু মাজাহ যাকাত ১৮১৮;

আর এর শাহিদ বর্ণিত হয়েছে জাবির রা: হতে সহীহ বুখারী ও মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনায়- বুখারী, যাকাত ১৪৮৩ ও মুসলিম, যাকাত ৯৮১ তে। আর ‍মুয়ায রা: এর হাদীস দেখুন, বিগত ১৬৬৩, ১৬৬৪ নং এ।

بَاب الْعُشْرِ فِيمَا سَقَتْ السَّمَاءُ وَمَا سُقِيَ بِالنَّضْحِ

أَخْبَرَنَا عَاصِمُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ مُعَاذٍ قَالَ بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْيَمَنِ فَأَمَرَنِي أَنْ آخُذَ مِنْ الثِّمَارِ مَا سُقِيَ بَعْلًا الْعُشْرَ وَمَا سُقِيَ بِالسَّانِيَةِ فَنِصْفَ الْعُشْرِ

أخبرنا عاصم بن يوسف حدثنا أبو بكر عن عاصم عن أبي وائل عن مسروق عن معاذ قال بعثني رسول الله صلى الله عليه وسلم إلى اليمن فأمرني أن آخذ من الثمار ما سقي بعلا العشر وما سقي بالسانية فنصف العشر

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ মু‘আয বিন জাবাল (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৭০৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩০. ‘রিকায’ (গুপ্ত ধন বা খনি) হতে প্রাপ্ত সম্পদে’র (যাকাত) সম্পর্কে

১৭০৫. আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “পশুর আঘাতে কোনো ক্ষতিপূরণ নেই (বৃথা); আবার কূপে (পড়ে আহত/নিহত অবস্থার)ও কোনো ক্ষতিপূরণ নেই এবং খনিতে (প্রাপ্ত) সম্পদে যাকাত হলো এক পঞ্চমাংশ।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ শক্তিশালী। হাদীসটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

তাখরীজ: মালিক, যাকাত (৯); বুখারী, যাকাত ১৪৯৯; মুসলিম, হুদুদ ১৭১০; ((আবূ দাউদ, ইমারাহ ৩০৮৫; তিরমিযী, যাকাত ৬৪২; নাসাঈ, যাকাত ৫/৪৫; ইবনু মাজাহ, দিয়াত ২৬৭৩; আহমাদ ২/২২৮-২৩৯…. ফাওয়ায আহমেদের তাহক্বীক্বকৃত দারেমী নং ১৬৬৮ এর টীকা হতে।–অনুবাদক))

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি ‍মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬০৫০; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬০০৫-৬০০৭; মুসনাদুল হুমাইদী নং ১১১০; আর এটি সামনে ২৪২২, ২৪২৩, ২৪২৫ নং এ আসছে।

بَاب فِي الرِّكَازِ

أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ وَأَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ جُرْحُ الْعَجْمَاءِ جُبَارٌ وَالْبِئْرُ جُبَارٌ وَالْمَعْدِنُ جُبَارٌ وَفِي الرِّكَازِ الْخُمُسُ

أخبرنا خالد بن مخلد حدثنا مالك عن ابن شهاب عن سعيد بن المسيب وأبي سلمة عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال جرح العجماء جبار والبئر جبار والمعدن جبار وفي الركاز الخمس

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৭০৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩১. সাদাকা (যাকাত) আদায়কারী কর্মাচারীকে হাদীয়া দেয়া হলে তা কার জন্য?

১৭০৬. হুমায়দ সা’ইদী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জনৈক ব্যক্তিকে যাকাত আদায়ের জন্য কর্মচারী হিসাবে নিয়োগ করেন। যখন সে যাকাত আদায় করে ফিরে আসলো, তখন সে বললোঃ এগুলো আপনাদের জন্য এবং এগুলো আমাকে হাদিয়া স্বরূপ দেওয়া হয়েছে । তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: ”তুমি তোমার পিতা- মাতার গৃহে বসে থেকে দেখতে যে, তোমাকে হাদিয়া দেওয়া হয় কিনা? “অত:পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিকালের সালাত শেষে মিম্বরের উপর দাঁড়ালেন এবং শাহাদতের বাক্য উচ্চারণ করে আল্লাহর যথাযোগ্য প্রশংসা ও গুণগান আদায়ের পর বললেনঃ “অত:পর, আমি যাকে কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ করে পাঠাই, তার কী হলো যে, সে ফিরে এসে বলবেঃ ’এই মাল তোমাদের এবং এই হাদিয়া আমাকে দেওয়া হয়েছে?!’

সে তার পিতা-মাতার গৃহে বসে থেকে দেখলো না কেন যে, তাকে হাদিয়া দেওয়া হয় কিনা? যাঁর হাতে আমার জীবন, সেই মহান সত্তার কসম! তোমাদের কেউ (যাকাতের সম্পদ হতে) ‍কোনো জিনিস আত্মসাৎ করলে কিয়ামতের দিন সে তা (কাঁধে) বহন করে নিয়ে উপস্থিত হবে। যদি তা উট হয়, তবে সে উট আওয়ায করতে থাকবে। যদি গাভী হয়, তবে গরু হাম্বা-হাম্বা ডাক দিতে দিতে আসবে। আর যদি বকরী হয়, তবে সেটিও ডাকতে থাকবে। এরপর তিনি (সা) তাঁর দু’হাত (দু’আর জন্য) এত উপরে উঠালেন যে, আমরা তাঁর বগলের শুভ্রতা দেখতে পাচ্ছিলাম। অতঃপর তিনি বলেনঃ ইয়া আল্লাহ্! আমি কি (তোমার হুকুম) পৌছে দিয়েছি ?” আবূ হুমাইদ বলেন, যাইদ ইবনু ছাবিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুও আমার সাথে এটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে শুনেছেন। ফলে তোমরা তাঁকে জিজ্ঞেস করে দেখ।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

তাখরীজ: বুখারী, জুমু’আহ ৯২৫, হাইল (কুটকৌশল) ৬৯৭৯; মুসলিম, ইমারাহ ১৮৩২। ((আবূ দাউদ, ইমারাহ ২৯৪৬; আহমাদ ৫/২২৭-, ২৮৫, ৪২৩-ফাওয়ায আহমেদের তাহক্বীক্বকৃত দারেমী ১৬৬৯ এর টীকা হতে। -অনুবাদক))

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি ‍ুসহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৫১৫; মুসনাদুল হুমাইদী নং ৮৬৩ তে।

بَاب مَا يُهْدَى لِعُمَّالِ الصَّدَقَةِ لِمَنْ هُوَ

أَخْبَرَنَا أَبُو الْيَمَانِ الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ حَدَّثَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ الْأَنْصَارِيِّ ثُمَّ السَّاعِدِيِّ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَعْمَلَ عَامِلًا عَلَى الصَّدَقَةِ فَجَاءَهُ الْعَامِلُ حِينَ فَرَغَ مِنْ عَمَلِهِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا الَّذِي لَكُمْ وَهَذَا أُهْدِيَ لِي فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَهَلَّا قَعَدْتَ فِي بَيْتِ أَبِيكَ وَأُمِّكَ فَنَظَرْتَ أَيُهْدَى لَكَ أَمْ لَا ثُمَّ قَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَشِيَّةً بَعْدَ الصَّلَاةِ عَلَى الْمِنْبَرِ فَتَشَهَّدَ وَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قَالَ أَمَّا بَعْدُ مَا بَالُ الْعَامِلِ نَسْتَعْمِلُهُ فَيَأْتِينَا فَيَقُولُ هَذَا مِنْ عَمَلِكُمْ وَهَذَا أُهْدِيَ لِي فَهَلَّا قَعَدَ فِي بَيْتِ أَبِيهِ وَأُمِّهِ فَيَنْظُرَ هَلْ يُهْدَى لَهُ أَمْ لَا وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَا يَغُلُّ أَحَدُكُمْ مِنْهَا شَيْئًا إِلَّا جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يَحْمِلُهُ عَلَى عُنُقِهِ إِنْ كَانَ بَعِيرًا جَاءَ بِهِ لَهُ رُغَاءٌ وَإِنْ كَانَتْ بَقَرَةً جَاءَ بِهَا لَهَا خُوَارٌ وَإِنْ كَانَتْ شَاةً جَاءَ بِهَا تَيْعَرُ فَقَدْ بَلَّغْتُ قَالَ أَبُو حُمَيْدٍ ثُمَّ رَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَيْهِ حَتَّى إِنَّا لَنَنْظُرُ إِلَى عُفْرَةِ إِبْطَيْهِ قَالَ أَبُو حُمَيْدٍ وَقَدْ سَمِعَ ذَلِكَ مَعِي مِنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ فَسَلُوهُ

أخبرنا أبو اليمان الحكم بن نافع أخبرنا شعيب عن الزهري حدثني عروة بن الزبير عن أبي حميد الأنصاري ثم الساعدي أنه أخبره أن النبي صلى الله عليه وسلم استعمل عاملا على الصدقة فجاءه العامل حين فرغ من عمله فقال يا رسول الله هذا الذي لكم وهذا أهدي لي فقال النبي صلى الله عليه وسلم فهلا قعدت في بيت أبيك وأمك فنظرت أيهدى لك أم لا ثم قام النبي صلى الله عليه وسلم عشية بعد الصلاة على المنبر فتشهد وأثنى على الله بما هو أهله ثم قال أما بعد ما بال العامل نستعمله فيأتينا فيقول هذا من عملكم وهذا أهدي لي فهلا قعد في بيت أبيه وأمه فينظر هل يهدى له أم لا والذي نفس محمد بيده لا يغل أحدكم منها شيئا إلا جاء يوم القيامة يحمله على عنقه إن كان بعيرا جاء به له رغاء وإن كانت بقرة جاء بها لها خوار وإن كانت شاة جاء بها تيعر فقد بلغت قال أبو حميد ثم رفع رسول الله صلى الله عليه وسلم يديه حتى إنا لننظر إلى عفرة إبطيه قال أبو حميد وقد سمع ذلك معي من النبي صلى الله عليه وسلم زيد بن ثابت فسلوه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুমায়দ সা‘ঈদ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৭০৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩২. যাকাত আদায়কারী কর্মচারী যেন তোমাদের নিকট হতে সন্তুষ্ট হয়ে ফিরে আসে

১৭০৭. জারীর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ যাকাত আদায়কারী (সংগ্রহকারী) তোমাদের নিকটে আসলে তিনি যেন অবশ্যই (তোমাদের উপর) সন্তুষ্ট হয়েই ফিরতে পারে।”[1] (তার সাথে ভাল ব্যবহার কর।)

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ, কেননা ‘আন আন’ পদ্ধতিতে হিশাম এটি বর্ণনা করেছেন। তবে হাদীসটি সহীহ।

তাখরীজ: মুসলিম, যাকাত ৯৮৯। ((আবূ দাউদ, যাকাত ১৫৮৯; তিরমিযী, যাকাত ৬৪৭; নাসাঈ, যাকাত ৫/৩১; -ফাওয়ায আহমেদের তাহক্বীক্বকৃত দারেমী ১৬৭০ এর টীকা হতে। -অনুবাদক))

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল হুমাইদী নং ৮১৪ তে। পরবর্তী টীকাটিও দেখুন।

بَاب لِيَرْجِعْ الْمُصَدِّقُ عَنْكُمْ وَهُوَ رَاضٍ

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ عَنْ دَاوُدَ وَمُجَالِدٍ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ جَرِيرٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا جَاءَكُمْ الْمُصَدِّقُ فَلَا يَصْدُرَنَّ عَنْكُمْ إِلَّا وَهُوَ رَاضٍ

أخبرنا عمرو بن عون أخبرنا هشيم عن داود ومجالد عن الشعبي عن جرير قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا جاءكم المصدق فلا يصدرن عنكم إلا وهو راض

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ জারীর ইবনু আবদুল্লাহ আল বাজলী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৭০৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩২. যাকাত আদায়কারী কর্মচারী যেন তোমাদের নিকট হতে সন্তুষ্ট হয়ে ফিরে আসে

১৭০৮. (অপর সনদে) জারীর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে অনূরূপ বর্ণিত হয়েছে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

তাখরীজ: এটি আগের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি।

بَاب لِيَرْجِعْ الْمُصَدِّقُ عَنْكُمْ وَهُوَ رَاضٍ

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ الْفَزَارِيِّ عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ عَنْ عَامِرٍ عَنْ جَرِيرٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ

حدثني محمد بن عيينة عن أبي إسحق الفزاري عن داود بن أبي هند عن عامر عن جرير عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ জারীর ইবনু আবদুল্লাহ আল বাজলী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৭০৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৩. কেউ কোনো কিছু চাইলে তাকে কিছু না দিয়ে ফিরিয়ে দেয়া অপছন্দনীয়

১৭০৯. আমর ইবনু মুয়ায তার হাওয়া নাম্নী দাদী হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “হে মুসলিম নারীগণ! তোমাদের কেউ যেন তার প্রতিবেশীদেরকে অবজ্ঞা না করে, যদিও তা ছাগলের পায়ের একটি ঝলসানো হাড্ডি (হাদীয়া দেওয়ার মাধ্যমে) ও হয়।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ জাইয়্যেদ বা উত্তম।

তাখরীজ: মালিক, সাদাকা ৪; আহমাদ ৬/৪৩৪; বুখারী,, আদাবুল মুফরাদ নং ১২২; তাবারাণী, আল কাবীর ২৪/২২১ নং ৫৫৯; ইবনু আব্দুল বারর, আত তামহীদ ৪/২৯৫; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ৩৪৬২।

এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আবী হুরাইরা রা: হতে বুখারী, হিবাহ ২৫৬৬; মুসলিম, যাকাত ১০৩০।

بَاب كَرَاهِيَةِ رَدِّ السَّائِلِ بِغَيْرِ شَيْءٍ

أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ الْمُبَارَكِ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُعَاذٍ الْأَشْهَلِيِّ عَنْ جَدَّتِهِ يُقَالُ لَهَا حَوَّاءُ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ يَا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نِسَاءَ الْمُسْلِمَاتِ لَا تَحْقِرَنَّ إِحْدَاكُنَّ لِجَارَتِهَا وَلَوْ كُرَاعُ شَاةٍ مُحَرَّقٌ

أخبرنا الحكم بن المبارك أخبرنا مالك عن زيد بن أسلم عن عمرو بن معاذ الأشهلي عن جدته يقال لها حواء قالت قال رسول الله يا صلى الله عليه وسلم نساء المسلمات لا تحقرن إحداكن لجارتها ولو كراع شاة محرق

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৭১০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৪. যে ব্যক্তি কোনো শর্তে ইসলাম গ্রহণ করে

১৭১০. সাখর ইবনুল আইলাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি মুগীরা ইবন শো’বা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর ফুফুকে বন্দী করলাম। তখন সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হলো। এরপর তিনি নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট গিয়ে তাঁর ফুফুকে (ফেরত) চাইলেন। এরপর তিনি (আমাকে ডেকে) বললেন: “হে সাখর! যখন কোন কওম মুসলিম হয়, তখন তাদের রক্ত (জান)-মালের হিফাযত করবে । তুমি তাকে (মুগীরার ফুফুকে) তাঁর (মুগীরার) নিকট ফিরিয়ে দাও।” আবার বনী সুলাইমের একটি পুকুর ছিল। অবশেষে বনী-সুলাইম ইসলাম গ্রহণ করার পর তারা তাঁর নিকট এটি ফেরত চাইলো। এরপর তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) আমাকে ডেকে বললেন: “হে সাখর! যখন কোন কওম মুসলিম হয়, তখন তাদের রক্ত (জান)-মালের হিফাযত করবে। সুতরাং ঐ (কওমের পুকুর)-টি তাদেরকে ফিরিয়ে দাও।” ফলে আমি তা ফেরত দিলাম।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান।

তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা, ১২/৩১১; ইবনু সা’দ, আত তাবাকাত ৬/১৯; তাবারাণী, কাবীর ৪/৩১০-৩১১; ৮/২৯-৩০ নং ৭২৭৯, ৭২৮০; আবূ দাউদ, খারাজ ওয়াল ইমারাহ ৩০৬৭; বাইহাকী, সিয়ার ১/১১৪; ইবনু কাছীর, বিদা’আহ ৪/৩৪২; আহমাদ ৪/৩১০; পরবর্তী হাদীসটি দেখুন। আরও দেখুন, আদ দিরায়াহ ২/১২১-১২২; তালখীসুল হাবীর ৪/১১০, ১২০; আর আবী হুরাইরা রা: এর হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৮৪৭ তে।

بَاب مَنْ أَسْلَمَ عَلَى شَيْءٍ

أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا أَبَانُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيُّ حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي حَازِمٍ عَنْ صَخْرِ بْنِ الْعَيْلَةِ قَالَ أُخِذَتْ عَمَّةُ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ فَقَدِمَتْ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَمَّتَهُ فَقَالَ يَا صَخْرُ إِنَّ الْقَوْمَ إِذَا أَسْلَمُوا أَحْرَزُوا أَمْوَالَهُمْ وَدِمَاءَهُمْ فَادْفَعْهَا إِلَيْهِ وَكَانَ مَاءٌ لِبَنِي سُلَيْمٍ فَأَسْلَمُوا فَسَأَلُوهُ ذَلِكَ فَدَعَانِي فَقَالَ يَا صَخْرُ إِنَّ الْقَوْمَ إِذَا أَسْلَمُوا أَحْرَزُوا أَمْوَالَهُمْ وَدِمَاءَهُمْ فَادْفَعْهَا إِلَيْهِمْ فَدَفَعْتُهُ

أخبرنا أبو نعيم حدثنا أبان بن عبد الله البجلي حدثنا عثمان بن أبي حازم عن صخر بن العيلة قال أخذت عمة المغيرة بن شعبة فقدمت على رسول الله صلى الله عليه وسلم فسأل النبي صلى الله عليه وسلم عمته فقال يا صخر إن القوم إذا أسلموا أحرزوا أموالهم ودماءهم فادفعها إليه وكان ماء لبني سليم فأسلموا فسألوه ذلك فدعاني فقال يا صخر إن القوم إذا أسلموا أحرزوا أموالهم ودماءهم فادفعها إليهم فدفعته

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ সাখর ইবনু আইলাহ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৭১১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৪. যে ব্যক্তি কোনো শর্তে ইসলাম গ্রহণ করে

১৭১১. (অপর সনদে) সাখর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, (পূর্বের হাদীসের প্রথম দিকের রাবী) আবী নুয়াইমের হাদীসের চেয়ে দীর্ঘ আকারে বর্ণিত হয়েছে।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: ((মুহাক্কীক্ব এ হাদীসের কোনো হুকুম লাগাননি। আগের হাদীসটি হাসান হওয়ায় এটি হাসান লি গয়রিহী হবে ইনশাআল্লাহ।–অনুবাদক))

তাখরীজ: আবূ দাউদ, খারাজ ওয়াল ইমারাহ ৩০৬৭; পূর্ণ তাখরীজের জন্য আগের হাদীসটি দেখুন।

بَاب مَنْ أَسْلَمَ عَلَى شَيْءٍ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا أَبَانُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنِي عُثْمَانُ بْنُ أَبِي حَازِمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ صَخْرٍ أَطْوَلَ مِنْ حَدِيثِ أَبِي نُعَيْمٍ

أخبرنا محمد بن يوسف حدثنا أبان بن عبد الله حدثني عثمان بن أبي حازم عن أبيه عن جده صخر أطول من حديث أبي نعيم

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ সাখর ইবনু আইলাহ (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৭১২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৫. সাদাকা (যাকাতের) ফযীলত সম্পর্কে

১৭১২. আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “যে লোক পবিত্র (হালাল) উপার্জন হতে দান-খায়রাত করে, -আর আল্লাহ্ তা’আলা পবিত্র (হালাল) মাল ছাড়া গ্রহণ করেন না- সে যখন এটি (কাউকে) অর্পণ করে, তখন সে যেন দয়াময় ’রহমান’ এর হাতে তা সমর্পণ করে। আর নিশ্চয়ই দয়াময় রাহমান তোমাদের কারো (দাতার) জন্য সেই (দানকৃত) খেজুরটি প্রতিপালন করতে থাকেন যেভাবে তোমাদের কেউ তার ঘোড়ার বা উটের দুধ ছাড়ানো বাচ্চাকে লালন পালন করে থাকে। এমনকি সেটি বড় হতে হতে উহুদ (পাহাড়) এর সমান হয়ে যায়।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। হাদীসটি বুখারী মুসলিমের সম্মিলিত বর্ণনা।

তাখরীজ: বুখারী, যাকাত ১৪১০; মুসলিম, যাকাত ১০১৪।

আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৭০, ৩৩১৬, ৩৩১৮, ৩৩১৯ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ১১৮৮ তে।

بَاب فِي فَضْلِ الصَّدَقَةِ

أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ الْمُغِيرَةِ عَنْ عِيسَى بْنِ يُونُسَ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا تَصَدَّقَ امْرُؤٌ بِصَدَقَةٍ مِنْ كَسْبٍ طَيِّبٍ وَلَا يَقْبَلُ اللَّهُ إِلَّا طَيِّبًا إِلَّا وَضَعَهَا حِينَ يَضَعُهَا فِي كَفِّ الرَّحْمَنِ وَإِنَّ اللَّهَ لَيُرَبِّي لِأَحَدِكُمْ التَّمْرَةَ كَمَا يُرَبِّي أَحَدُكُمْ فَلُوَّهُ أَوْ فَصِيلَهُ حَتَّى تَكُونَ مِثْلَ أُحُدٍ

أخبرنا سعيد بن المغيرة عن عيسى بن يونس عن يحيى بن سعيد عن سعيد بن يسار عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ما تصدق امرؤ بصدقة من كسب طيب ولا يقبل الله إلا طيبا إلا وضعها حين يضعها في كف الرحمن وإن الله ليربي لأحدكم التمرة كما يربي أحدكم فلوه أو فصيله حتى تكون مثل أحد

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৭১৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৫. সাদাকা (যাকাতের) ফযীলত সম্পর্কে

১৭১৩. আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “সাদাকার কারণে সম্পদ হ্রাস পায় না, ক্ষমা করার দ্বারা আল্লাহ তাআলা ব্যক্তির সম্মানই বৃদ্ধি করে থাকেন।আল্লাহর জন্য যদি কেউ বিনয় অবলম্বন করে তবে আল্লাহ তাআলা অবশ্যই তার মর্যাদা সমুচ্চ করেন।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

তাখরীজ: মুসলিম, বিরর ওয়াল সুলহ ২৫৮৮; এছাড়াও, বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ৩৪১১ ও ৮০৭১, ৮৩২৮; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ ও টীকা দিয়েছি ও মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৪৫৮ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩২৪৮ তে।

بَاب فِي فَضْلِ الصَّدَقَةِ

حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ عَنْ الْعَلَاءِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا نَقَصَتْ صَدَقَةٌ مِنْ مَالٍ وَمَا زَادَ اللَّهُ عَبْدًا بِعَفْوٍ إِلَّا عِزًّا وَمَا تَوَاضَعَ أَحَدٌ لِلَّهِ إِلَّا رَفَعَهُ اللَّهُ

حدثنا أبو الربيع الزهراني حدثنا إسمعيل بن جعفر عن العلاء عن أبيه عن أبي هريرة أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ما نقصت صدقة من مال وما زاد الله عبدا بعفو إلا عزا وما تواضع أحد لله إلا رفعه الله

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৭১৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৬. দ্রুতগামী ঘোড়ায় সাদাকা (যাকাত) নেই

১৭১৪. বাহয ইবন হাকীম (র)-এর পিতার সূত্রে তাঁর দাদা থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম -কে বলতে শুনেছি: “প্রত্যেক বিচরণকারী উটের যাকাত হল প্রত্যেক চল্লিশে একটি ’ইবনাতুল লাবুন’ (তিন বছর বয়সী উটনী) । উটের হিসাব থেকে কোন উটকে বাদ দেওয়া হবে না । যে ব্যক্তি সওয়াবের নিয়্যাতে তা দান করবে তার জন্য তার সওয়াব রয়েছে। আর যে ব্যক্তি তা দেওয়া হতে বিরত থাকবে, তবে নিশ্চয়েই আমরা তার থেকে তা উসূল করে নেব, আর তার সাথে আরো অর্ধেক উট নিয়ে নেব আল্লাহ প্রদত্ত আবশ্যিক বিধানসমূহ থেকে একটি বিধান । মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর বংশধরদের জন্য এর সামান্য পরিমাণও হালাল হবে না।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ জাইয়্যেদ।

তাখরীজ: তাবারাণী, আল কাবীর ১৯/৪১১ নং ৯৮৮; আবূ দাউদ, যাকাত ১৫৭৫; আহমাদ ৫/২, ৪; নাসাঈ, যাকাত ৫/১৫-১৬; ইবনুল জারুদ নং ৩৪১; আব্দুর রাযযাক ৬৮২৪; ইবনু আবী শাইবা, ২/১২২; ইবনু খুযাইমা নং ২২৬৬; বাইহাকী, যাকাত ৪/১১৬; তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ২/৯, ৩/৯৭; হাকিম ১/৩৯৮।

بَاب لَيْسَ فِي عَوَامِلِ الْإِبِلِ صَدَقَةٌ

أَخْبَرَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ حَدَّثَنَا بَهْزُ بْنُ حَكِيمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدَّهِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ فِي كُلِّ إِبِلٍ سَائِمَةٍ فِي كُلِّ أَرْبَعِينَ بِنْتُ لَبُونٍ لَا تُفَرَّقُ إِبِلٌ عَنْ حِسَابِهَا مَنْ أَعْطَاهَا مُؤْتَجِرًا بِهَا فَلَهُ أَجْرُهَا وَمَنْ مَنَعَهَا فَإِنَّا آخِذُوهَا وَشَطْرَ إِبِلِهِ عَزْمَةٌ مِنْ عَزَمَاتِ اللَّهِ لَا يَحِلُّ لِآلِ مُحَمَّدٍ مِنْهَا شَيْءٌ

أخبرنا النضر بن شميل حدثنا بهز بن حكيم عن أبيه عن جده قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول في كل إبل سائمة في كل أربعين بنت لبون لا تفرق إبل عن حسابها من أعطاها مؤتجرا بها فله أجرها ومن منعها فإنا آخذوها وشطر إبله عزمة من عزمات الله لا يحل لآل محمد منها شيء

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ বাহয ইবনু হাকীম (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৭১৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৭. যার জন্য সাদাকা নেয়া হালাল (বৈধ)

১৭১৫. কাবীসা ইবনু মুখারিক আল হিলালী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি একজনের পাওনা আদায় করে দেয়ার দায়িত্ব নিয়েছিলাম এবং তাই রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে এ ব্যাপারে তাঁর সাহায্য চাইলাম। তখন তিনি বললেন: “হে ক্বাবীসা! আমার নিকট সাদাকার কোন মাল আসা পর্যন্ত তুমি অপেক্ষা কর; তবে (আসলেই) আমি তোমাকে দিয়ে দেয়ার আদেশ দেব।” এরপর বললেন, “হে ক্বাবীসা! সাদাকা তিন ব্যক্তি ছাড়া আর কারো জন্য বৈধ নয়: যে কারো পাওনা আদায় করে দেয়ার যামিন হয় (দায়িত্ব নেয়), তার জন্য সাহায্য চাওয়া বৈধ। এমতাবস্থায় তা (পাওনা) পরিশোধ হওয়ার মতো না পাওয়া পর্যন্ত সে চাইতে পারে। এরপর (পাওনা পরিশোধ পরিমাণ যোগাড় হলে) সে (চাওয়া হতে) বিরত থাকবে। এরপর সেই ব্যক্তি যার উপর কোন বিপদ নিপতিত হয় এবং তার ধন –সম্পত্তি সমূলে শেষ করে দেয়- তার জন্য সাহায্য চাওয়া বৈধ, যতক্ষণ না তা তার জীবন ধারনের জন্য যথেষ্ট -কিংবা তিনি বলেছেন,- জীবন ধারণের উপযোগী হয়ে যায়। এরপর এমন (ধনাঢ্য) ব্যক্তি যার উপর দারিদ্র চেপে বসেছে, যার সম্পর্কে তার গোত্রের তিনজন জ্ঞানী ব্যক্তি সাক্ষ্য দেয় যে, ’অমুকের উপর দারিদ্র চেপে বসেছে।’ তাহলে তার জন্যও সাহায্য চাওয়া বৈধ, যতক্ষণ না তা তার জীবন ধারনের জন্য যথেষ্ট (প্রয়োজন পরিমাণ) -কিংবা তিনি বলেছেন,- জীবন ধারণের উপযোগী হয়ে যায়। এরপর (যথেষ্ট হয়ে গেলে) সে (চাওয়া হতে) বিরত হয়ে যাবে। হে কাবীসা! এ তিন প্রকার ব্যক্তি ব্যতীত আর কারো জন্য সাহায্য চাওয়া হারাম। যার আহরণকারী তা হারাম রূপে ভক্ষণ করে।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।

তাখরীজ: মুসলিম, যাকাত ১০৪৪; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩২৯১, ৩৩৯৫, ৩৩৯৬ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৮৩৮ তে।

بَاب مَنْ تَحِلُّ لَهُ الصَّدَقَةُ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ وَأَبُو نُعَيْمٍ قَالَا حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ هَارُونَ بْنِ رِيَابٍ حَدَّثَنِي كِنَانَةُ بْنُ نُعَيْمٍ عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ مُخَارِقٍ الْهِلَالِيِّ قَالَ تَحَمَّلْتُ بِحَمَالَةٍ فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَسْأَلُهُ فِيهَا فَقَالَ أَقِمْ يَا قَبِيصَةُ حَتَّى تَأْتِيَنَا الصَّدَقَةُ فَنَأْمُرَ لَكَ بِهَا ثُمَّ قَالَ يَا قَبِيصَةُ إِنَّ الْمَسْأَلَةَ لَا تَحِلُّ إِلَّا لِأَحَدِ ثَلَاثَةٍ رَجُلٍ تَحَمَّلَ حَمَالَةً فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ فَسَأَلَ حَتَّى يُصِيبَهَا ثُمَّ يُمْسِكَ وَرَجُلٍ أَصَابَتْهُ جَائِحَةٌ فَاجْتَاحَتْ مَالَهُ فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ فَسَأَلَ حَتَّى يُصِيبَ قِوَامًا مِنْ عَيْشٍ أَوْ قَالَ سِدَادًا مِنْ عَيْشٍ وَرَجُلٍ أَصَابَتْهُ فَاقَةٌ حَتَّى يَقُولَ ثَلَاثَةٌ مِنْ ذَوِي الْحِجَى مِنْ قَوْمِهِ قَدْ أَصَابَ فُلَانًا الْفَاقَةُ فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ فَسَأَلَ حَتَّى يُصِيبَ قِوَامًا مِنْ عَيْشٍ أَوْ سِدَادًا مِنْ عَيْشٍ ثُمَّ يُمْسِكَ وَمَا سِوَاهُنَّ مِنْ الْمَسْأَلَةِ سُحْتٌ يَا قَبِيصَةُ يَأْكُلُهَا صَاحِبُهَا سُحْتًا

حدثنا مسدد وأبو نعيم قالا حدثنا حماد بن زيد عن هارون بن رياب حدثني كنانة بن نعيم عن قبيصة بن مخارق الهلالي قال تحملت بحمالة فأتيت النبي صلى الله عليه وسلم أسأله فيها فقال أقم يا قبيصة حتى تأتينا الصدقة فنأمر لك بها ثم قال يا قبيصة إن المسألة لا تحل إلا لأحد ثلاثة رجل تحمل حمالة فحلت له المسألة فسأل حتى يصيبها ثم يمسك ورجل أصابته جائحة فاجتاحت ماله فحلت له المسألة فسأل حتى يصيب قواما من عيش أو قال سدادا من عيش ورجل أصابته فاقة حتى يقول ثلاثة من ذوي الحجى من قومه قد أصاب فلانا الفاقة فحلت له المسألة فسأل حتى يصيب قواما من عيش أو سدادا من عيش ثم يمسك وما سواهن من المسألة سحت يا قبيصة يأكلها صاحبها سحتا

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ কবীসা ইবন মুখারিক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৭১৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৮. আত্মীয়-স্বজনদেরকে যাকাত দেওয়া

১৭১৬. হাকিম ইবনু হিযাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে জিজ্ঞেস করলো, সাদাকাসমূহের মাঝে কোন্ সাদাকাটি উত্তম? তিনি বললেন: “সম্পর্ক ছিন্নকারী নিকটাত্মীয়দেরকে (দেয়া সাদাকা)।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ।

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৪৭১৫ তে। ((আহমাদ ৩/৪০২ হাসান সনদে- ফাওয়ায আহমেদের তাহক্বীক্বকৃত দারেমী নং ১৬৭৯ এর টীকা হতে।–অনুবাদক))

بَاب الصَّدَقَةِ عَلَى الْقَرَابَةِ

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ عَبَّادِ بْنِ الْعَوَّامِ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ حُسَيْنٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَيُّوبَ بْنِ بَشِيرٍ عَنْ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ الصَّدَقَاتِ أَيُّهَا أَفْضَلُ قَالَ عَلَى ذِي الرَّحِمِ الْكَاشِحِ

حدثنا سعيد بن سليمان عن عباد بن العوام عن سفيان بن حسين عن الزهري عن أيوب بن بشير عن حكيم بن حزام أن رجلا سأل النبي صلى الله عليه وسلم عن الصدقات أيها أفضل قال على ذي الرحم الكاشح

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  বর্ণনাকারীঃ হাকীম ইবনু হিযাম (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৭১৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৮. আত্মীয়-স্বজনদেরকে যাকাত দেওয়া

১৭১৭. সালমান ইবনু আমির আয যবী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “মিসকীনদেরকে দান –খয়রাত করা শুধুমাত্র একটি (সাধারণ) দান বলেই গণ্য হয়; কিন্তু আত্মীয় –স্বজনকে দান করলে তাতে দু’টি (সাওয়াব) হয়: (সাধারণ) দান এবং আত্মীয়তা রক্ষা (এর সাওয়াব) হয়।[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ জাইয়্যেদ বা উত্তম।

তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু ‍হিব্বান নং ৩৩৪৪; মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৮৩৩ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৮৪৪ তে। ((তিরমিযী ৬৫৮; ইবনু মাজাহ, যাকাত ১৮৪৪; নাসাঈ, যাকাত বা ৮২; আহমাদ ৪/১৭-১৮; আলবানী সহীহুল জামি’ ৩/২৬৩ এ বলেন: সহীহ।’- ফাওয়ায আহমেদের তাহক্বীক্বকৃত দারেমী নং ১৬৮০ এর টীকা হতে।–অনুবাদক))

بَاب الصَّدَقَةِ عَلَى الْقَرَابَةِ

أَخْبَرَنَا أَبُو حَاتِمٍ الْبَصْرِيُّ حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ سِيرِينَ عَنْ أُمِّ الرَّائِحِ بِنْتِ صُلَيْعٍ عَنْ سَلْمَانَ بْنِ عَامِرٍ الضَّبِّيِّ ذَكَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ الصَّدَقَةَ عَلَى الْمِسْكِينِ صَدَقَةٌ وَإِنَّهَا عَلَى ذِي الرَّحِمِ اثْنَتَانِ صَدَقَةٌ وَصِلَةٌ

أخبرنا أبو حاتم البصري حدثنا ابن عون عن حفصة بنت سيرين عن أم الرائح بنت صليع عن سلمان بن عامر الضبي ذكر أن النبي صلى الله عليه وسلم قال إن الصدقة على المسكين صدقة وإنها على ذي الرحم اثنتان صدقة وصلة

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ সালমান ইবনু ‘আমির আয্ যব্বী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)

 ১৭১৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ ৩৮. আত্মীয়-স্বজনদেরকে যাকাত দেওয়া

১৭১৮. (অপর সনদে) সালমান ইবনু আমির আয্ যবী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু (নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন যে: “দরিদ্র-মিসকীনদেরকে দান–খয়রাত করা শুধুমাত্র একটি (সাধারণ) দান বলেই গণ্য হয়; কিন্তু আত্মীয়–স্বজনকে দান করলে তাতে দু’টি (সাওয়াব) হয়: (সাধারণ) দান এবং আত্মীয়তা রক্ষা (এর সাওয়াব) হয়।”[1]

[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ জাইয়্যেদ বা উত্তম।

তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি।

بَاب الصَّدَقَةِ عَلَى الْقَرَابَةِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ ابْنِ عُيَيْنَةَ قَالَ وَقَدْ سَمِعْتُهُ مِنَ الثَّوْرِيِّ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ سِيرِينَ عَنْ الرَّبَابِ عَنْ سَلْمَانَ بْنِ عَامِرٍ الضَّبِّيِّ يَرْفَعُهُ قَالَ الصَّدَقَةُ عَلَى الْمِسْكِينِ صَدَقَةٌ وَهِيَ عَلَى ذِي الرَّحِمِ اثْنَتَانِ صَدَقَةٌ وَصِلَةٌ

أخبرنا محمد بن يوسف عن ابن عيينة قال وقد سمعته من الثوري عن عاصم عن حفصة بنت سيرين عن الرباب عن سلمان بن عامر الضبي يرفعه قال الصدقة على المسكين صدقة وهي على ذي الرحم اثنتان صدقة وصلة

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ সালমান ইবনু ‘আমির আয্ যব্বী (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)  ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)