দারেমী ভূমিকা ৪র্থ ভাগ হাদিস নং ৯৬ – ১৫৮
৯৬
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৬. সুন্নাহর অনুসরণ
৯৬. ইরবায ইবনু সারিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের নিয়ে ফজরের সালাত আদায় করলেন। এরপর তিনি এমন এক উচ্চাঙ্গের ভাষণ দান করলেন যে, তাতে আমাদের চোখ থেকে অশ্রু প্রবাহিত হতে লাগল এবং আমাদের অন্তরসমূহ ভীত-প্রকম্পিত হল। তখন এক ব্যক্তি বলল: এ তো বিদায়ী নসীহত, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনি আমাদের প্রতি অসীয়াত করুন (উপদেশ দিন)।
তিনি বললেন: আমি তোমাদের আল্লাহকে ভয় করার এবং শোনার ও আনুগত্য করার অসীয়াত করছি। যদি একজন হাবশী গোলামও তোমাদের আমীর নিযুক্ত হয় (তবুও তার কথা শুনবে ও তার আনুগত্য করবে)। আর তোমাদের মধ্যে যারা আমার পরে জীবিত থাকবে, তারা বহু মতবিরোধ প্রত্যক্ষ করবে। সুতরাং তোমাদের উপর কর্তব্য হল, আমার সুন্নাত ও হিদায়াতপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশিদীনের সুন্নাতের উপর অবিচল থাকা, তা শক্তভাবে মাড়ির দাঁত দিয়ে আঁকড়ে থাকা। আর আমি তোমাদেরকে নতুন প্রবর্তিত (বিষয়াবলী) থেকে সাবধান করছি। কেননা, প্রত্যেক নতুন বিষয়ই বিদ্আত।”
আবার আবু আসিম কখনো বর্ণনা করতেন: ’’আর আমি তোমাদেরকে নতুন প্রবর্তিত বিষয়াবলী থেকে সাবধান করছি। কেননা, প্রত্যেক বিদআতই গোমরাহী।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। (তিরযিমী, হাকিম, যাহাবী, আলবানীও এ হাদীসকে সহীহ বলেছেন (আল ইহসান, তাক্বরীব ইবনু হিব্বান, তাহক্বীক্ব:আরনাউত্ব, আলবানী, হা/৫)-অনুবাদক)।
তাখরীজ: আবু দাউদ (৪৬০৭); তিরমিযী (২৬৭৬); ইবনু মাজাহ (৪৩, ৪৪); হাকিম (১/৯৫); ইবনু হিব্বান, হা/৫)
بَابُ اتِّبَاعِ السُّنَّةِ
أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ، أَنبَأَنَا ثَوْرُ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنِي خَالِدُ بْنُ مَعْدَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ عِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: صَلَّى لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاةَ الْفَجْرِ، ثُمَّ وَعَظَنَا مَوْعِظَةً بَلِيغَةً ذَرَفَتْ مِنْهَا الْعُيُونُ، وَوَجِلَتْ مِنْهَا الْقُلُوبُ. فَقَالَ قَائِلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَأَنَّهَا مَوْعِظَةُ مُوَدِّعٍ؟ فَأَوْصِنَا. فَقَالَ: «أُوصِيكُمْ بِتَقْوَى اللَّهِ وَالسَّمْعِ وَالطَّاعَةِ وَإِنْ كَانَ عَبْدًا حَبَشِيًّا، فَإِنَّهُ مَنْ يَعِشْ مِنْكُمْ بَعْدِي، فَسَيَرَى اخْتِلَافًا كَثِيرًا، فَعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِي وَسَنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ الْمَهْدِيِّينَ، عَضُّوا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ، وَإِيَّاكُمْ وَالْمُحْدَثَاتِ، فَإِنَّ كُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ» وقالَ أَبُو عَاصِمٍ مَرَّةً: وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ فَإِنَّ كُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ
إسناده صحيح
أخبرنا أبو عاصم، أنبأنا ثور بن يزيد، حدثني خالد بن معدان، عن عبد الرحمن بن عمرو، عن عرباض بن سارية رضي الله عنه، قال: صلى لنا رسول الله صلى الله عليه وسلم صلاة الفجر، ثم وعظنا موعظة بليغة ذرفت منها العيون، ووجلت منها القلوب. فقال قائل: يا رسول الله، كأنها موعظة مودع؟ فأوصنا. فقال: «أوصيكم بتقوى الله والسمع والطاعة وإن كان عبدا حبشيا، فإنه من يعش منكم بعدي، فسيرى اختلافا كثيرا، فعليكم بسنتي وسنة الخلفاء الراشدين المهديين، عضوا عليها بالنواجذ، وإياكم والمحدثات، فإن كل محدثة بدعة» وقال أبو عاصم مرة: وإياكم ومحدثات الأمور فإن كل بدعة ضلالة إسناده صحيح
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
৯৭
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৬. সুন্নাহর অনুসরণ
৯৭. যুহরী রাহিমাহুল্লাহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাদের আলিমদের মাঝে যারা গত হয়েছেন, তারা বলতেন, সুন্নাতকে আকড়ে থাকার মাঝেই মুক্তি নিহিত রয়েছে। দ্রুত ইলমকে উঠিয়ে নেয়া হবে। কাজেই ইলমের উন্নতি মূলত দীন ও দুনিয়ার স্থায়িত্ব। আর ইলম মিটে যাওয়ার অর্থ এসকল কিছুরই পরিসমাপ্তি।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: লালিকায়ী, শারহু ই’তিকাদ নং ৬৯-৭২; আবু নুয়াইম, হিলিইয়া ৩/৩৬৯; ইবনুল মুবারক, আয যুহদ নং ৮১৭; আলফাসাওয়ী, মা’রিফাতু ওয়াত তারীখ ৩/৩৮৬-৩৮৭।
بَابُ اتِّبَاعِ السُّنَّةِ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ، عَنْ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: كَانَ مَنْ مَضَى مِنْ عُلَمَائِنَا يَقُولُونَ: الِاعْتِصَامُ بِالسُّنَّةِ نَجَاةٌ، وَالْعِلْمُ يُقْبَضُ قَبْضًا سَرِيعًا، فَنَعْشُ الْعِلْمِ ثَبَاتُ الدِّينِ وَالدُّنْيَا، وَفِي ذَهَابِ الْعِلْمِ ذَهَابُ ذَلِكَ كُلِّهِ
إسناده صحيح
أخبرنا أبو المغيرة، حدثنا الأوزاعي، عن يونس بن يزيد، عن الزهري قال: كان من مضى من علمائنا يقولون: الاعتصام بالسنة نجاة، والعلم يقبض قبضا سريعا، فنعش العلم ثبات الدين والدنيا، وفي ذهاب العلم ذهاب ذلك كله إسناده صحيح
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
৯৮
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৬. সুন্নাহর অনুসরণ
৯৮. আব্দুল্লাহ ইবনু দাইলামী থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার নিকট বর্ণিত হয়েছে যে, সর্বপ্রথম দীনের পরিসমাপ্তি ঘটবে সুন্নাহ বিনষ্ট হওয়ার মাধ্যমে। এভাবে একটি একটি করে সুন্নাত বিনষ্ট হওয়ার মাধ্যমে পুরো দীনই বিনষ্ট হয়ে যাবে, যেভাবে একটি একটি করে আঁশ বাদ দিতে দিতে পুরো রশিটিই উধাও হয়ে যায়।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: ইয়াকুব আল ফাসাওয়ী,, মারেফাতু ওয়াত তারীখ ৩/৩৮৬; লালিকায়ী, শারহু ই’তিকাদ ১/১০৪ নং ১২৭; ইবনু বাত্তাহ, আল ইবানাহ ১/৩৫০ নং ২২৯।
بَابُ اتِّبَاعِ السُّنَّةِ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي عَمْرٍو السَّيْبَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الدَّيْلَمِيِّ، قَالَ: بَلَغَنِي أَنَّ أَوَّلَ ذَهَابِ الدِّينِ تَرْكُ السُّنَّةِ، يَذْهَبُ الدِّينُ سُنَّةً سُنَّةً، كَمَا يَذْهَبُ الْحَبْلُ قُوَّةً قُوَّةً
أخبرنا أبو المغيرة، حدثنا الأوزاعي، عن يحيى بن أبي عمرو السيباني، عن عبد الله بن الديلمي، قال: بلغني أن أول ذهاب الدين ترك السنة، يذهب الدين سنة سنة، كما يذهب الحبل قوة قوة
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
৯৯
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৬. সুন্নাহর অনুসরণ
৯৯. হাস্সান রাহিমাহুল্লাহ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখনই কোন জাতি তাদের দীনের মধ্যে একটি বিদ’আত সৃষ্টি করে, তখনই আল্লাহ তাদের সুন্নাতসমূহের মধ্যে থেকে অনুরূপ একটি সুন্নাত অপসারিত করে দেন, যা আর কিয়ামত পর্যন্ত তাদের নিকট ফিরিয়ে দেয়া হয় না।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: ইয়াকুব আল ফাসাওয়ী,, মারেফাত ওয়াত তারীখ ৩/৩৮৬; লালিকায়ী, শারহু ই’তিকাদ ১/১০৪ নং ১২৭; ইবনু বাত্তাহ, আল ইবানাহ ১/৩৫১ নং ৩২৮।
بَابُ اتِّبَاعِ السُّنَّةِ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ، عَنْ حَسَّانَ، قَالَ: مَا ابْتَدَعَ قَوْمٌ بِدْعَةً فِي دِينِهِمْ إِلَّا نَزَعَ اللَّهُ مِنْ سُنَّتِهِمْ مِثْلَهَا ثُمَّ لَا يُعِيدُهَا إِلَيْهِمْ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
إسناده صحيح
أخبرنا أبو المغيرة، حدثنا الأوزاعي، عن حسان، قال: ما ابتدع قوم بدعة في دينهم إلا نزع الله من سنتهم مثلها ثم لا يعيدها إليهم إلى يوم القيامة إسناده صحيح
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১০০
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৬. সুন্নাহর অনুসরণ
১০০. আবী কিলাবা হতে বর্ণিত, তিনি বলতেন: যখনই কোন লোক একটি বিদ’আত উদ্ভাবন করলো, তখন সে তরবারীকে হালাল করে নিল।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আজুরী, আশ শরীয়াহ পৃ: ৬৮; ইবনু সা’দ, আত তাবাকাত ৭/১/১৩৪; লালিকায়ী, শারহু ই’তিকাদ ১/১৫২ নং ২৪৭।
بَابُ اتِّبَاعِ السُّنَّةِ
أَخْبَرَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، قَالَ: مَا ابْتَدَعَ رَجُلٌ بِدْعَةً إِلَّا اسْتَحَلَّ السَّيْفَ
أخبرنا مسلم بن إبراهيم، حدثنا وهيب، حدثنا أيوب، عن أبي قلابة، قال: ما ابتدع رجل بدعة إلا استحل السيف
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১০১
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৬. সুন্নাহর অনুসরণ
১০১. আবূ ক্বিলাবাহ রাহিমাহুল্লাহ হতে বর্ণিত তিনি বলেন, প্রবৃত্তি পূজারীগণ বিভ্রান্ত সম্প্রদায়[1] এবং আমার ধারণা জাহান্নামই হবে এদের ঠিকানা। যদি তুমি তাদেরকে পরীক্ষা কর, (তবে দেখবে যে,) তাদের মধ্যকার কেউই কোন কথা বা হাদীস গ্রহণ করে না এবং ফলে সকল বিষয়ই তরবারীর নিকট গিয়ে পরিসমাপ্তি ঘটে। আর নিশ্চয়ই এটি নিফাক বা মুনাফিকীরই একটি শাখা।’ অতঃপর তিনি তিলাওয়াত করলেন: [আর তাদের মধ্যে এমন কতিপয় লোক রয়েছে যারা আল্লাহর সাথে অঙ্গীকার করে, আল্লাহ যদি আমাদেরকে নিজ অনুগ্রহে (প্রচুর সম্পদ) দান করেন, তবে আমরা অবশ্যই খুব দান-খয়রাত করবো এবং সৎ লোকদের অন্তর্ভুক্ত হবো।] [সুরা তাওবা, ৯ : ৭৫] [আর তাদের মধ্যে এমন কতক লোক রয়েছে যারা সাদকার ব্যাপারে তোমার প্রতি দোষারোপ করে, অতঃপর যদি ঐ সমস্ত সাদকা হতে তাদেরকে কিছু দেয়া হয়, তবে তারা সন্তুষ্ট হয়, আর যদি তারা তা থেকে না পায় তবে তারা অসন্তুষ্ট হয়ে যায়।” সুরা তাওবা, ৯ : ৫৮] [আর তাদের মধ্যে এমন কতিপয় লোক রয়েছে, যারা নবীকে কষ্ট দেয় এবং বলে যে, তিনি প্রত্যেক কথায় কর্ণপাত করে থাকেন; তুমি বলে দাও: এই নবী তো কর্ণপাত করে থাকেন সেই কথাতেই যা তোমাদের জন্য কল্যাণকর।” সুরা তাওবা, ৯ : ৬১]।
সুতরাং তাদের কথাবার্তা মতভেদপূর্ণ হলেও সন্দেহ ও অবিশ্বাসের বিষয়ে তারা একমত পোষণ করে। আর এ সকল লোকদের কথাবার্তা বিভিন্ন রকমের হয়, কিন্তু তরবারী (দিয়ে ফায়সালা করার) বিষয়ে তারা একমত পোষণ করে থাকে।[2] আর আমার ধারণা, জাহান্নামই হবে তাদের আবাসস্থল।”[3]
হাম্মাদ বলেন, অতঃপর হাদীস বর্ণনাকারীর নিকট কিংবা প্রথমজনের নিকট আইয়্যূব বলেন, আল্লাহর কসম, ইনি অর্থাৎ আবু ক্বিলাবাহ একজন ফকীহ, চিন্তাশীল লোকদের অন্যতম।
[1] সালাম ইবনু আবী মুতী’, আইয়্যুব হতে বর্ণনা করেন, তিনি প্রবৃত্তিপুজারী’ বলতে খারিজীগণকে বোঝাতেন। (ফাতহুল মান্নান শরহে দারিমী, ২য় খ: পৃ. ৩৭)
[2] তিনি আরও বলতেন: নিশ্চয়ই খারিজীগণ (আল্লাহ’র) নামের ব্যাপারে ইখতিলাফ করে, কিন্তু তরবারীর (দ্বারা পাপী মুসলিমদেরকে হত্যা করা) বিষয়ে তারা একমত পোষণ করে। (ফাতহুল মান্নান শরহে দারিমী, ২য় খ: পৃ. ৩৭ )
[3] তাহকীক: শাইখ হুসাইন সালীম আসাদ আদ দারানী বলেন, এর সনদ সহীহ ।
তাখরীজ: ইবনু সা’দ, আত তাবাক্বাত ৭/১/১৩৪; আজুরী, আশ শরীয়াহ পৃ: ৬৭-৬৮; সুয়ূতী, তাফসীর দুররে মানছুর, ৩/২৬২।
بَابُ اتِّبَاعِ السُّنَّةِ
أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، قَالَ: ” إِنَّ أَهْلَ الْأَهْوَاءِ أَهْلُ الضَّلَالَةِ، وَلَا أَرَى مَصِيرَهُمْ إِلَّا إِلَى النَّارَ، فَجَرِّبْهُمْ فَلَيْسَ أَحَدٌ مِنْهُمْ يَنْتَحِلُ قَوْلًا أَوْ قَالَ: حَدِيثًا فَيَتَنَاهَى بِهِ الْأَمْرُ دُونَ السَّيْفِ. وَإِنَّ النِّفَاقَ كَانَ ضُرُوبًا، ثُمَّ تَلَا: (وَمِنْهُمْ مَنْ عَاهَدَ اللَّهَ لَئِنْ آتَانَا مِنْ فَضْلِهِ لَنَصَّدَّقَنَّ وَلَنَكُونَنَّ مِنَ الصَّالِحِينَ) [التوبة: 75]، (وَمِنْهُمْ مَنْ يَلْمِزُكَ فِي الصَّدَقَاتِ فَإِنْ أُعْطُوا مِنْهَا رَضُوا وَإِنْ لَمْ يُعْطَوْا مِنْهَا إِذَا هُمْ يَسْخَطُونَ) [التوبة: 58]، (وَمِنْهُمُ الَّذِينَ يُؤْذُونَ النَّبِيَّ وَيَقُولُونَ هُوَ أُذُنٌ قُلْ أُذُنُ خَيْرٍ لَكُمْ) [التوبة: 61] فَاخْتَلَفَ قَوْلُهُمْ وَاجْتَمَعُوا، فِي الشَّكِّ وَالتَّكْذِيبِ، وإنَّ هَؤُلَاءِ اخْتَلَفَ قَوْلُهُمْ وَاجْتَمَعُوا فِي السَّيْفِ، وَلَا أَرَى مَصِيرَهُمْ إِلَّا إِلَى النَّارِ ” قَالَ حَمَّادٌ: ثُمَّ قَالَ أَيُّوبُ عِنْدَ ذَا الْحَدِيثِ أَوْ عِنْدَ الْأَوَّلِ: وَكَانَ وَاللَّهِ مِنَ الْفُقَهَاءِ ذَوِي الْأَلْبَابِ يَعْنِي: أَبَا قِلَابَةَ
أخبرنا سليمان بن حرب، حدثنا حماد بن زيد، عن أيوب، عن أبي قلابة، قال: ” إن أهل الأهواء أهل الضلالة، ولا أرى مصيرهم إلا إلى النار، فجربهم فليس أحد منهم ينتحل قولا أو قال: حديثا فيتناهى به الأمر دون السيف. وإن النفاق كان ضروبا، ثم تلا: (ومنهم من عاهد الله لئن آتانا من فضله لنصدقن ولنكونن من الصالحين) [التوبة: 75]، (ومنهم من يلمزك في الصدقات فإن أعطوا منها رضوا وإن لم يعطوا منها إذا هم يسخطون) [التوبة: 58]، (ومنهم الذين يؤذون النبي ويقولون هو أذن قل أذن خير لكم) [التوبة: 61] فاختلف قولهم واجتمعوا، في الشك والتكذيب، وإن هؤلاء اختلف قولهم واجتمعوا في السيف، ولا أرى مصيرهم إلا إلى النار ” قال حماد: ثم قال أيوب عند ذا الحديث أو عند الأول: وكان والله من الفقهاء ذوي الألباب يعني: أبا قلابة
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১০২
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে মাসয়ালায় আয়াত এবং হাদীস নেই এমন বিষয়ের উত্তর প্রদান থেকে বিরত থাকা
১০২. আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু ও হুযাইফা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তাঁরা দু’জন (একদা) বসে ছিলেন, তখন এক ব্যক্তি তাঁদের দু’জনকে কোন একটি বিষয় সম্পর্কে প্রশ্ন করলেন। তখন ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হুযাইফা রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে বললেন, কোন্ কারণে এ ব্যক্তি এ বিষয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করছে বলে আপনি মনে করেন? হুযায়ফা রাদিয়াল্লাহু আনহু জবাবে বলেন: তারা এ বিষয়ে জানবে এবং তা পরিত্যাগ করবে। অতঃপর ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু সে ব্যক্তির মুখোমুখি হয়ে বললেন: আল্লাহ তা’আলার কিতাব হতে আমরা যা জানি তা থেকে তোমরা যা জানতে চাইবে, তা আমরা তোমাদেরকে জানাব, কিংবা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাতের বিষয়ে তোমরা যা জানতে চাইবে, আমাদের জানা অনুসারে আমরা সেগুলো তোমাদেরকে জানাব। আর তোমরা যে সকল নতুন নতুন বিষয় উদ্ভাবন করেছো (অর্থাৎ বিদ’আত করেছ), সে বিষয়ে (জানাতে) আমরা সক্ষম নই।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ। এর সনদে খালিদ ইবনু আব্দুল্লাহ রয়েছে যে আতা হতে হাদীস শ্রবণ হতে পিছিয়ে রয়েছে । আর ইবনু মাসউদ-এর সনদ মুনক্বাতা’ বা বিচ্ছিন্ন। কেননা, শু’বা ইবনু মাসউদ হতে কিছু শোনেননি ।
তাখরীজ: এখানে ব্যতীত অন্য কোথাও এটি আমি খুঁজে পাইনি (শাইখ দারানী)।
بَابُ التَّوَرُّعِ عَنِ الْجَوَابِ فِيمَا لَيْسَ فِيهِ كِتَابٌ وَلَا سُنَّةٌ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ عَامِرٍ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، وَحُذَيْفَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، أَنَّهُمَا كَانَا جَالِسَيْنِ فَجَاءَ رَجُلٌ فَسَأَلَهُمَا عَنْ شَيْءٍ فَقَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ لِحُذَيْفَةَ: لِأَيِّ شَيْءٍ تَرَى يَسْأَلُونِي عَنْ هَذَا؟ قَالَ: يَعْلَمُونَهُ ثُمَّ يَتْرُكُونَهُ. فَأَقْبَلَ إِلَيْهِ ابْنُ مَسْعُودٍ فَقَالَ: مَا سَأَلْتُمُونَا عَنْ شَيْءٍ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ تَعَالَى نَعْلَمُهُ، أَخْبَرْنَاكُمْ بِهِ، أَوْ سُنَّةٍ مِنْ نَبِيِّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخْبَرْنَاكُمْ بِهِ، وَلَا طَاقَةَ لَنَا بِمَا أَحْدَثْتُمْ
إسناده ضعيف خالد بن عبد الله متأخر السماع من عطاء وطريق ابن مسعود منقطعة لأن الشعبي لم يسمع منه
أخبرنا عمرو بن عون، عن خالد بن عبد الله، عن عطاء، عن عامر، عن ابن مسعود، وحذيفة رضي الله عنهما، أنهما كانا جالسين فجاء رجل فسألهما عن شيء فقال ابن مسعود لحذيفة: لأي شيء ترى يسألوني عن هذا؟ قال: يعلمونه ثم يتركونه. فأقبل إليه ابن مسعود فقال: ما سألتمونا عن شيء من كتاب الله تعالى نعلمه، أخبرناكم به، أو سنة من نبي الله صلى الله عليه وسلم أخبرناكم به، ولا طاقة لنا بما أحدثتم إسناده ضعيف خالد بن عبد الله متأخر السماع من عطاء وطريق ابن مسعود منقطعة لأن الشعبي لم يسمع منه
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১০৩
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে মাসয়ালায় আয়াত এবং হাদীস নেই এমন বিষয়ের উত্তর প্রদান থেকে বিরত থাকা
১০৩. নাযযাল ইবনু সাবরাহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু কুফায় যত খুতবা দিয়েছেন, তার প্রত্যেকটিতে আমি উপস্থিত থেকেছি। একদিন তাঁর নিকট জানতে চাওয়া হল যে, এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে আটবার তালাক দিয়েছে এবং এগুলো একত্রে দিয়েছে। (এর জবাবে) আমি তাঁকে বলতে শুনেছি, তা তেমনি যেমন সে বলেছে। অতঃপর তিনি বললেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা তাঁর কিতাব নাযিল করেছেন এবং সুস্পষ্টভাবে (এতে বিধানাবলী) বর্ণনা করে দিয়েছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি তার নিজের থেকে এ ধরণের (কুরআনে বর্ণিত) কাজ করে, তবে তার জন্য তো সেটি বর্ণনা করে দেয়া হয়েছে। আর যে ব্যক্তি এর অন্যথা করল (যা কুরআনে বর্ণিত হয়নি), তবে, আল্লাহর কসম, তোমাদের (কুরআন-সুন্নাহর) খেলাফ বিষয়ে [1] আমরা কিছুই বলতে পারব না।”[2]
[1] তিন পবিত্র অবস্থায় তিন তালাক’ এর ব্যতিক্রম এক মজলিসে তিন তালাক কিংবা তার অধিক তালাক দেয়া দীনের মধ্যে নতুন বিদ’আতী মাস’আলা। যা কুরআনেও নেই, হাদীসেও নেই। ফলে দীনের খেলাফ নতুন সৃষ্ট বিদ’আত। (দেখুন, ফাতহুল মান্নান, ২য় খণ্ড, পৃ: ৪১, অত্র হাদীসের ব্যাখ্যা)
[2] তাহক্বীক্ব: শাইখ দারানী বলেন: এর সনদ যয়ীফ বা দুর্বল, আব্দুর রহমান ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু উতবাহ আল্ মাসউদী’র দুর্বলতার কারণে । (তবে অপর একটি সূত্রে এটি সহীহ সনদে বর্ণিত হয়েছে- তাখরীজে তা উল্লেখ করা হয়েছে ।)
তাখরীজ: তাবারানী, মুজামুল কাবীর ৯/২২৭, নং ৮৯৮২; তাবারানীর অপর বর্ণনা অনুযায়ী আলকামা কর্তক বর্ণিত এ হাদীসটি সহীহ সনদে বর্ণিত হয়েছে । (তাবারানী, মুজামুল কাবীর নং ৯৬২৮ ও ৯৬২৯)
بَابُ التَّوَرُّعِ عَنِ الْجَوَابِ فِيمَا لَيْسَ فِيهِ كِتَابٌ وَلَا سُنَّةٌ
أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا الْمَسْعُودِيُّ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنِ النَّزَّالِ بْنِ سَبْرَةَ قَالَ: مَا خَطَبَ عَبْدُ اللَّهِ خُطْبَةً بِالْكُوفَةِ إِلَّا شَهِدْتُهَا، فَسَمِعْتُهُ يَوْمًا – وَسُئِلَ عَنْ رَجُلٍ يُطَلِّقُ امْرَأَتَهُ ثَمَانِيَةً وَأَشْبَاهِ ذَلِكَ – قَالَ: هُوَ كَمَا قَالَ. ثُمَّ قَالَ: إِنَّ اللَّهَ أَنْزَلَ كِتَابَهُ وَبَيَّنَ بَيَانَهُ، فَمَنْ أَتَى الْأَمْرَ مِنْ قِبَلِ وَجْهِهِ فَقَدْ بُيِّنَ لَهُ، وَمَنْ خَالَفَ فَوَاللَّهِ مَا نُطِيقُ خِلَافَكُمْ
إسناده ضعيف لضعف عبد الرحمن بن عبد الله بن عتبة المسعودي
أخبرنا أبو نعيم، حدثنا المسعودي، عن عبد الملك بن ميسرة، عن النزال بن سبرة قال: ما خطب عبد الله خطبة بالكوفة إلا شهدتها، فسمعته يوما – وسئل عن رجل يطلق امرأته ثمانية وأشباه ذلك – قال: هو كما قال. ثم قال: إن الله أنزل كتابه وبين بيانه، فمن أتى الأمر من قبل وجهه فقد بين له، ومن خالف فوالله ما نطيق خلافكم إسناده ضعيف لضعف عبد الرحمن بن عبد الله بن عتبة المسعودي
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f) বর্ণনাকারীঃ নাযযাল ইবনু সাবরা (রহ.) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১০৪
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে মাসয়ালায় আয়াত এবং হাদীস নেই এমন বিষয়ের উত্তর প্রদান থেকে বিরত থাকা
১০৪. নাযযাল ইবনু সাবরাহ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। তখন এক লোক ও এক মহিলা এলো তাহরীম (তালাক[1]) বিষয়ে জিজ্ঞাসা করার উদ্দেশ্যে। তখন তিনি বললেন: নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা তাঁর কিতাব নাযিল করেছেন এবং সুস্পষ্টভাবে (এতে বিধানাবলী) বর্ণনা করে দিয়েছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি তার নিজের থেকে এ ধরণের (কুরআনে বর্ণিত) কাজ করে, তবে তার জন্য তো সেটি বর্ণনা করে দেয়া হয়েছে। আর যে ব্যক্তি এর অন্যথা করল (যা কুরআনে বর্ণিত হয়নি), তবে আল্লাহর কসম, তোমাদের (কুরআন-সুন্নাহর) খেলাফ বিষয়ে [1] আমরা কিছুই বলতে পারব না।” [2]
[1] তাহরীম বলতে এখানে এক বাক্যে এক মজলিসে তিন তালাকের অধিক তালাক’কে বোঝানো হয়েছে। (ফাতহুল মান্নান শরহে সুনানে দারেমী, ২য় খণ্ড, পৃ, ৪১, অত্র হাদীসের ব্যাখ্যা দ্র:)
[2] তাহক্বীক্ব: শাইখ দারানী বলেন: এর সনদ সহীহ ।
তাখরীজ: তাবারানী, মু’জামুল কাবীর [৯/৩৮২]; ইবনু হাযম, আল আহকাম [৮/৫৩৯]।
بَابُ التَّوَرُّعِ عَنِ الْجَوَابِ فِيمَا لَيْسَ فِيهِ كِتَابٌ وَلَا سُنَّةٌ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَيْسَرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ النَّزَّالَ بْنَ سَبْرَةَ، قَالَ: شَهِدْتُ عَبْدَ اللَّهِ وَأَتَاهُ رَجُلٌ وَامْرَأَةٌ فِي تَحْرِيمٍ، فَقَالَ: «إِنَّ اللَّهَ قَدْ بَيَّنَ، فَمَنْ أَتَى الْأَمْرَ مِنْ قِبَلِ وَجْهِهِ فَقَدْ بُيِّنَ وَمَنْ خَالَفَ فَوَاللَّهِ مَا نُطِيقُ خِلَافَكُمْ
إسناده صحيح
أخبرنا أبو الوليد الطيالسي، حدثنا شعبة، أخبرني عبد الملك بن ميسرة، قال سمعت النزال بن سبرة، قال: شهدت عبد الله وأتاه رجل وامرأة في تحريم، فقال: «إن الله قد بين، فمن أتى الأمر من قبل وجهه فقد بين ومن خالف فوالله ما نطيق خلافكم إسناده صحيح
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ নাযযাল ইবনু সাবরা (রহ.) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১০৫
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে মাসয়ালায় আয়াত এবং হাদীস নেই এমন বিষয়ের উত্তর প্রদান থেকে বিরত থাকা
১০৫. ইবনু সীরীন রাহি. থেকে বর্ণিত যে, তিনি (সাহাবীদের নিকট থেকে) যা কিছু শুনেছেন, তা ব্যতীত আপন রায় (মত) অনুযায়ী কিছুই বলতেন না।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: খতীব বাগদাদী তাঁর ‘আল ফকীহ ওয়াল মুতাফাকিহ’ গ্রন্থে নং ৫০৩।
بَابُ التَّوَرُّعِ عَنِ الْجَوَابِ فِيمَا لَيْسَ فِيهِ كِتَابٌ وَلَا سُنَّةٌ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَفْصٌ، عَنْ أَشْعَثَ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ أَنَّهُ كَانَ لَا يَقُولُ بِرَأْيِهِ إِلَّا شَيْئًا سَمِعَهُ
إسناده صحيح
أخبرنا عبد الله بن سعيد، حدثنا حفص، عن أشعث، عن ابن سيرين أنه كان لا يقول برأيه إلا شيئا سمعه إسناده صحيح
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১০৬
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে মাসয়ালায় আয়াত এবং হাদীস নেই এমন বিষয়ের উত্তর প্রদান থেকে বিরত থাকা
১০৬. আ’মাশ রাহিমাহুল্লাহ বলেন, আমি ইবরাহীম (নাখয়ী)-কে তাঁর আপন রায় দ্বারা কখনো কোন বিষয়ে কিছু বলতে শুনিনি।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আবী খায়ছামা, আল ইলম নং ৩৮।
بَابُ التَّوَرُّعِ عَنِ الْجَوَابِ فِيمَا لَيْسَ فِيهِ كِتَابٌ وَلَا سُنَّةٌ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَثَّامٌ وَالِدُ عَلِيِّ بْنِ عَثَّامٍ، عَنِ الْأَعْمَشِ قَالَ: مَا سَمِعْتُ إِبْرَاهِيمَ يَقُولُ بِرَأْيِهِ فِي شَيْءٍ قَطُّ
إسناده صحيح
أخبرنا عبد الله بن سعيد، حدثنا عثام والد علي بن عثام، عن الأعمش قال: ما سمعت إبراهيم يقول برأيه في شيء قط إسناده صحيح
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১০৭
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে মাসয়ালায় আয়াত এবং হাদীস নেই এমন বিষয়ের উত্তর প্রদান থেকে বিরত থাকা
১০৭. কাতাদা রাহিমাহুল্লাহ বলেন, আমি তিরিশ বছর যাবত নিজস্ব মতামত দ্বারা কিছু বলিনি। আবী হিলাল বলেন, চল্লিশ বছর যাবত (তিনি এরূপ বলেননি)।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আবু নুয়াইম, হিলইয়াতুল আউলিয়া ২/৩৩৫।
بَابُ التَّوَرُّعِ عَنِ الْجَوَابِ فِيمَا لَيْسَ فِيهِ كِتَابٌ وَلَا سُنَّةٌ
أَخْبَرَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ: مَا قُلْتُ بِرَأْيِي مُنْذُ ثَلَاثِينَ سَنَةً، قَالَ أَبُو هِلَالٍ مُنْذُ أَرْبَعِينَ سَنَةً
إسناده صحيح
أخبرنا أبو النعمان، حدثنا أبو عوانة، عن قتادة، قال: ما قلت برأيي منذ ثلاثين سنة، قال أبو هلال منذ أربعين سنة إسناده صحيح
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১০৮
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে মাসয়ালায় আয়াত এবং হাদীস নেই এমন বিষয়ের উত্তর প্রদান থেকে বিরত থাকা
১০৮. আব্দুল আযীয ইবনু রুফাঈ’ বলেন, ’আতা রাহিমাহুল্লাহকে কোন বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, আমি জানি না। বর্ণনাকারী বলেন, তাকে বলা হল, আপনি এ বিষয়ে আপনার নিজস্ব মতামত কী তা বলবেন না? তখন তিনি বললেন, আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা’র সম্মুখে এটি আমার জন্য লজ্জার বিষয় যে, আমার মতামত দ্বারা এ দুনিয়ার বুকে (কাউকে) অভিযুক্ত করা হবে।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: সনদবিহীনভাবে বর্ণনা করেছেন, ইবনু বাত্তাহ, আল ইবানাহ ১/৪২৩ নং ৩৪৭ তে। এছাড়া অন্য কোথাও এটি আমি পাইনি।
بَابُ التَّوَرُّعِ عَنِ الْجَوَابِ فِيمَا لَيْسَ فِيهِ كِتَابٌ وَلَا سُنَّةٌ
حَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ مَالِكٍ، ثَنَا حَكَّامُ بْنُ سَلْمٍ، عَنْ أَبِي خَيْثَمَةَ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ رُفَيْعٍ، قَالَ: سُئِلَ عَطَاءٌ عَنْ شَيْءٍ فقالَ: ” لَا أَدْرِي، قَالَ: قِيلَ لَهُ: أَلَا تَقُولُ فِيهَا بِرَأْيِكَ؟ قَالَ: إِنِّي أَسْتَحْيِي مِنَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ يُدَانَ فِي الْأَرْضِ بِرَأْيِي
إسناده صحيح
حدثنا مخلد بن مالك، ثنا حكام بن سلم، عن أبي خيثمة، عن عبد العزيز بن رفيع، قال: سئل عطاء عن شيء فقال: ” لا أدري، قال: قيل له: ألا تقول فيها برأيك؟ قال: إني أستحيي من الله عز وجل أن يدان في الأرض برأيي إسناده صحيح
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১০৯
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে মাসয়ালায় আয়াত এবং হাদীস নেই এমন বিষয়ের উত্তর প্রদান থেকে বিরত থাকা
১০৯. ঈসা থেকে বর্ণিত, তিনি শা’বী রাহিমাহুল্লাহ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি এসে তাকে কোন একটি বিষয়ে প্রশ্ন করল। তখন তিনি জবাবে বলেন, ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এ ব্যাপারে এই এই কথা বলেছেন। তখন সে ব্যক্তি বলল, এ ব্যাপারে আপনার নিজস্ব মতামত কী, আমাকে তাই বলুন। তখন তিনি বললেন, এ লোকটির ব্যাপারে কি তোমাদের বিস্ময় জাগে না? আমি তাকে ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু এর মতামত বর্ণনা করছি, আর সে আমার নিকট আমার নিজস্ব মতামত জানতে চাচ্ছে! তা (নিজের মতামত দেওয়া) থেকে আমার নিকট আমার দীন (রক্ষা করা) শ্রেয় মনে করি । আল্লাহর কসম! দীনের ব্যাপারে তোমাকে আমার নিজস্ব মতামত প্রদান করার চেয়ে কোন একটি গান গাওয়াও আমার নিকট অধিকতর পছন্দনীয়।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ। ঈসা পরিত্যক্ত রাবী।
তাখরীজ: খতীব, ফাকীহ ওয়াল মুতাফাক্কিহ নং ৪৯২।
بَابُ التَّوَرُّعِ عَنِ الْجَوَابِ فِيمَا لَيْسَ فِيهِ كِتَابٌ وَلَا سُنَّةٌ
أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبَانَ، أَخْبَرَنِي حَاتِمٌ هُوَ ابْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ عِيسَى، عَنِ الشَّعْبِيِّ، قالَ: ” جَاءَهُ رَجُلٌ يَسْأَلُهُ عَنْ شَيْءٍ فَقَالَ: كَانَ ابْنُ مَسْعُودٍ يَقُولُ فِيهِ كَذَا وَكَذَا. قَالَ أَخْبِرْنِي أَنْتَ بِرَأْيِكَ. فَقَالَ: أَلَا تَعْجَبُونَ مِنْ هَذَا؟ أَخْبَرْتُهُ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَيَسْأَلُنِي عَنْ رَأْيِي، وَدِينِي عِنْدِي آثَرُ مِنْ ذَلِكَ. وَاللَّهِ لَأَنْ أَتَعَنَّى بِعَنِيَّةٍ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أُخْبِرَكَ بِرَأْيِي
إسناده ضعيف وعيسى هو: الحناط متروك الحديث
أخبرنا إسماعيل بن أبان، أخبرني حاتم هو ابن إسماعيل، عن عيسى، عن الشعبي، قال: ” جاءه رجل يسأله عن شيء فقال: كان ابن مسعود يقول فيه كذا وكذا. قال أخبرني أنت برأيك. فقال: ألا تعجبون من هذا؟ أخبرته عن ابن مسعود ويسألني عن رأيي، وديني عندي آثر من ذلك. والله لأن أتعنى بعنية أحب إلي من أن أخبرك برأيي إسناده ضعيف وعيسى هو: الحناط متروك الحديث
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১১০
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে মাসয়ালায় আয়াত এবং হাদীস নেই এমন বিষয়ের উত্তর প্রদান থেকে বিরত থাকা
১১০. শা’বী হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমরা কিয়াস (তুলনা) করা থেকে দূরে থাকবে! যার হাতে আমার প্রাণ, সেই মহান সত্তার কসম! তোমরা যদি কিয়াসকে আঁকড়ে ধর, তবে অবশ্যই তোমরা হারামকে হালাল আর হালালকে হারাম বানিয়ে ফেলবে। বরং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবীগণ থেকে যারা সংরক্ষণ করেছেন (হাদীস মুখস্থ রেখেছেন), তাদের নিকট থেকে তোমাদের নিকট যা পৌঁছেছে, সে অনুযায়ী তোমরা আমল করবে।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ। এটিও পূর্ববর্তী সনদের অনুরূপ।
তাখরীজ: খতীব, ফাকীহ ওয়াল মুতাফাক্কিহ নং ৪৯৭।
بَابُ التَّوَرُّعِ عَنِ الْجَوَابِ فِيمَا لَيْسَ فِيهِ كِتَابٌ وَلَا سُنَّةٌ
أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبَانَ، حَدَّثَنَا حَاتِمٌ هُوَ ابْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ عِيسَى، عَنِ الشَّعْبِيِّ، قَالَ: «إِيَّاكُمْ وَالْمُقَايَسَةَ، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَئِنْ أَخَذْتُمْ بِالْمُقَايَسَةِ لَتُحِلُّنَّ الْحَرَامَ وَلَتُحَرِّمُنَّ الْحَلَالَ، وَلَكِنْ مَا بَلَغَكُمْ عَمَّنْ حَفِظَ مِنْ أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاعْمَلُوا بِهِ
إسناده ضعيف
أخبرنا إسماعيل بن أبان، حدثنا حاتم هو ابن إسماعيل، عن عيسى، عن الشعبي، قال: «إياكم والمقايسة، والذي نفسي بيده لئن أخذتم بالمقايسة لتحلن الحرام ولتحرمن الحلال، ولكن ما بلغكم عمن حفظ من أصحاب محمد صلى الله عليه وسلم فاعملوا به إسناده ضعيف
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১১১
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে মাসয়ালায় আয়াত এবং হাদীস নেই এমন বিষয়ের উত্তর প্রদান থেকে বিরত থাকা
১১১. ইবনু সীরীন আলকামাহ (রাহিমাহুমাল্লাহ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর নিকট এসে বললো, গতকাল সে তার স্ত্রীকে আট তালাক দিয়েছে। তিনি বললেন: সেটি কি এক বাক্যে ছিল? সে জবাবে বলল, তা এক বাক্যেই ছিল। তখন তিনি বললেন, লোকেরা কি এর মাধ্যমে তোমার নিকট হতে তোমার স্ত্রীকে আলাদা করে দিতে চায়? সে বলল, জ্বি, হাঁ। আরেক ব্যক্তি এসে বলল, সে ব্যক্তি তার স্ত্রীকে একশ তালাক দিয়েছে। তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন: সেটি কি এক বাক্যে ছিল? সে জবাবে বলল, তা এক বাক্যেই ছিল। তখন তিনি বললেন, লোকেরা কি এর মাধ্যমে তোমার নিকট হতে তোমার স্ত্রীকে আলাদা করে দিতে চায়? সে বলল, জ্বি, হাঁ।
তখন আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন, আল্লাহ যেভাবে তালাক দিতে আদেশ করেছেন, সেইভাবে যে ব্যক্তি তালাক প্রদান করে, তবে আল্লাহ তা’আলা (তার জন্য) তা’লাকের বিধান তো পরিষ্কারভাবেই বর্ণনা করে দিয়েছেন। আর যে ব্যক্তি নিজেই বিষয়টি সন্দেহপূর্ণ করে ফেলেছে, তার সন্দেহপূর্ণ ব্যাপারটি আমরা তার উপরই ন্যস্ত করব। আল্লাহর কসম! তোমরা নিজেরা (হক ও বাতিলকে মিশিয়ে) বিষয়টিকে সন্দেহপূর্ণ করবে, আর আমরা তার দায়ভার বহন করবো, তাতো হতে পারে না। বরং বিষয়টি তোমরা যেমন বলেছো, তেমনি।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: তাবারাণী, মু’জামুল কাবীর ৯/৩৭৯-৩৮০ নং ৯৬২৮-৯৬২৯; বাইহাকী, খূলা’ ওয়াত তালাক ৭/৩৩৫; দেখুন আব্দুর রাযযাক, আল মুছান্নাফ ১১৩৪৩; ইবনু আবী শাইবা ৫/১২।
بَابُ التَّوَرُّعِ عَنِ الْجَوَابِ فِيمَا لَيْسَ فِيهِ كِتَابٌ وَلَا سُنَّةٌ
أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ عَلْقَمَةَ قَالَ: ” جَاءَ رَجُلٌ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ فَقَالَ: إِنَّهُ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ الْبَارِحَةَ ثَمَانِيًا. قَالَ: بِكَلَامٍ وَاحِدٍ؟ قَالَ: بِكَلَامٍ وَاحِدٍ. قَالَ: فَيُرِيدُونَ أَنْ يُبِينُوا مِنْكَ امْرَأَتَكَ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: وَجَاءَهُ رَجُلٌ فَقَالَ: إِنَّهُ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ مِائَةَ طَلْقَةٍ، قَالَ بِكَلَامٍ وَاحِدٍ؟ قَالَ: بِكَلَامٍ وَاحِدٍ. قَالَ: فَيُرِيدُونَ أَنْ يُبِينُوا مِنْكَ امْرَأَتَكَ؟ قَالَ: نَعَمْ، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: مَنْ طَلَّقَ كَمَا أَمَرَ اللَّهُ، فَقَدْ بَيَّنَ اللَّهُ الطَّلَاقَ، وَمَنْ لَبَّسَ عَلَى نَفْسِهِ، وَكَّلْنَا بِهِ لَبْسَهُ وَاللَّهِ لَا تُلَبِّسُونَ عَلَى أَنْفُسِكُمْ وَنَتَحَمَّلُهُ نَحْنُ، هُوَ كَمَا تَقُولُونَ
إسناده صحيح
أخبرنا سعيد بن عامر، عن ابن عون، عن محمد بن سيرين، عن علقمة قال: ” جاء رجل إلى عبد الله فقال: إنه طلق امرأته البارحة ثمانيا. قال: بكلام واحد؟ قال: بكلام واحد. قال: فيريدون أن يبينوا منك امرأتك؟ قال: نعم. قال: وجاءه رجل فقال: إنه طلق امرأته مائة طلقة، قال بكلام واحد؟ قال: بكلام واحد. قال: فيريدون أن يبينوا منك امرأتك؟ قال: نعم، فقال عبد الله: من طلق كما أمر الله، فقد بين الله الطلاق، ومن لبس على نفسه، وكلنا به لبسه والله لا تلبسون على أنفسكم ونتحمله نحن، هو كما تقولون إسناده صحيح
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১১২
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে মাসয়ালায় আয়াত এবং হাদীস নেই এমন বিষয়ের উত্তর প্রদান থেকে বিরত থাকা
১১২. আল-কাসিম রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, কোন ব্যক্তির অজানা বিষয়ে কথা বলার চেয়ে তার উপর আল্লাহর যে হক রয়েছে, তা জানার পর জাহিল বা মুর্খ অবস্থায় জীবন যাপন করা তার তার জন্য বহুগুণে উত্তম।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আবু নুয়াইম, হিলইয়া ২/১৮৪; আবু খায়ছামা, আল ইলম নং ৯০। এ দুটি সনদও সহীহ।
بَابُ التَّوَرُّعِ عَنِ الْجَوَابِ فِيمَا لَيْسَ فِيهِ كِتَابٌ وَلَا سُنَّةٌ
أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنِ الْقَاسِمِ قَالَ: «لَأَنْ يَعِيشَ الرَّجُلُ جَاهِلًا بَعْدَ أَنْ يَعْلَمَ حَقَّ اللَّهِ عَلَيْهِ خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَقُولَ مَا لَا يَعْلَمُ
إسناده صحيح
أخبرنا سليمان بن حرب، حدثنا حماد بن زيد، عن يحيى بن سعيد، عن القاسم قال: «لأن يعيش الرجل جاهلا بعد أن يعلم حق الله عليه خير له من أن يقول ما لا يعلم إسناده صحيح
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১১৩
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে মাসয়ালায় আয়াত এবং হাদীস নেই এমন বিষয়ের উত্তর প্রদান থেকে বিরত থাকা
১১৩. আইয়্যুব থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল-কাসিম রাহিমাহুল্লাহকে কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে আমি তাকে বলতে শুনেছি, আল্লাহর কসম, তোমরা যেসকল বিষয়ে আমাদেরকে জিজ্ঞেস কর তার সবগুলো আমাদের জানা থাকে না। যদি আমাদের তা জানা থাকত, তবে অবশ্যই আমরা তোমাদের থেকে তা গোপন করতাম না। আর তোমাদের নিকট কিছু গোপন করা আমাদের জন্য বৈধও নয়।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: ফাসাওয়ী, মা’রিফাত ওয়াত তারীখ ১/৫৪৮; খতীব আল ফকীহ ওয়াল মুতাফাক্কিহ ২/১৭৩; আবু নুয়াইম, হিলইয়া ২/১৮৪; ইবনু আব্দুল বার্রা, জামি’ বয়ানুল ইলম নং ১৪১০; এসকল সনদগুলোও সহীহ।
بَابُ التَّوَرُّعِ عَنِ الْجَوَابِ فِيمَا لَيْسَ فِيهِ كِتَابٌ وَلَا سُنَّةٌ
أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، قَالَ: سَمِعْتُ الْقَاسِمَ، سْئلُ قَالَ: إِنَّا وَاللَّهِ مَا نَعْلَمُ كُلَّ مَا تَسْأَلُونَ عَنْهُ، وَلَوْ عَلِمْنَا مَا كَتَمْنَاكُمْ، وَلَا حَلَّ لَنَا أَنْ نَكْتُمَكُمْ
إسناده صحيح
أخبرنا سليمان بن حرب، حدثنا حماد بن زيد، عن أيوب، قال: سمعت القاسم، سئل قال: إنا والله ما نعلم كل ما تسألون عنه، ولو علمنا ما كتمناكم، ولا حل لنا أن نكتمكم إسناده صحيح
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১১৩
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে মাসয়ালায় আয়াত এবং হাদীস নেই এমন বিষয়ের উত্তর প্রদান থেকে বিরত থাকা
১১৪. ইবনু আউন হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল-কাসিম রাহিমাহুল্লাকে উদ্দেশ্যে করে কোনো একটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো। তখন তিনি বললেন, আমি উপদেশ দিতে বাধ্য নই; আর আমি কোনো বিষয়েই উপদেশ দেওয়ার উপযুক্ত নই।’[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: ইবনু সা’দ, তাবাকাত ৫/১৩৯;
بَابُ التَّوَرُّعِ عَنِ الْجَوَابِ فِيمَا لَيْسَ فِيهِ كِتَابٌ وَلَا سُنَّةٌ
أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، قَالَ: سُئِلَ الْقَاسِمُ عَنْ شَيْءٍ قَدْ سَمَّاهُ، فَقَالَ: مَا أَضْطَرُّ إِلَى مَشُورَةٍ، وَمَا أَنَا مِنْ ذِي فِي شَيْءٍ
إسناده صحيح
أخبرنا سعيد بن عامر، عن ابن عون، قال: سئل القاسم عن شيء قد سماه، فقال: ما أضطر إلى مشورة، وما أنا من ذي في شيء إسناده صحيح
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১১৫
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে মাসয়ালায় আয়াত এবং হাদীস নেই এমন বিষয়ের উত্তর প্রদান থেকে বিরত থাকা
১১৫. ইয়াহইয়া রাহিমাহুল্লাহ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল-কাসিম রাহিমাহুল্লাহকে বললাম, আমার নিকট এরচেয়ে কঠিন আর কিছুই নেই যে,আপনাকে এমন কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হবে, যার (জ্ঞান) আপনার নিকট নেই অথচ আপনার পিতা ছিলেন একজন ইমাম। তিনি বলেন: কিন্তু আল্লাহর নিকট এবং আল্লাহর সম্পর্কে অবগত লোকের নিকট এটি আরও বেশি কঠিন যে, আমি ইলম ছাড়া ফতওয়া দেবো অথবা আমি বিশ্বস্ত বর্ণনাকারী ব্যতীত অন্য কারো নিকট হতে হাদীস বর্ণনা করবো।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ। কিন্তু এ হাদীসটি সহীহ। দেখুন সহীহ মুসলিম, মুকাদ্দমা ১/১৬।
তাখরীজ: সহীহ মুসলিম, মুকাদ্দমা ১/১৬; বাইহাকী, মা’রেফাতুস সুনান ওয়াল আছার, ১/১৪১।
بَابُ التَّوَرُّعِ عَنِ الْجَوَابِ فِيمَا لَيْسَ فِيهِ كِتَابٌ وَلَا سُنَّةٌ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ يَحْيَى قَالَ: قُلْتُ لِلْقَاسِمِ: مَا أَشَدَّ عَلَيَّ أَنْ تُسْأَلَ عَنِ الشَّيْءِ لَا يَكُونُ عِنْدَكَ، وَقَدْ كَانَ أَبُوكَ إِمَامًا، قَالَ: «إِنَّ أَشَدَّ مِنْ ذَلِكَ عِنْدَ اللَّهِ وَعِنْدَ مَنْ عَقَلَ عَنِ اللَّهِ أَنْ أُفْتِيَ بِغَيْرِ عِلْمٍ أَوْ أَرْوِيَ عَنْ غَيْرِ ثِقَةٍ
أخبرنا محمد بن كثير، عن سفيان بن عيينة، عن يحيى قال: قلت للقاسم: ما أشد علي أن تسأل عن الشيء لا يكون عندك، وقد كان أبوك إماما، قال: «إن أشد من ذلك عند الله وعند من عقل عن الله أن أفتي بغير علم أو أروي عن غير ثقة
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১১৬
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে মাসয়ালায় আয়াত এবং হাদীস নেই এমন বিষয়ের উত্তর প্রদান থেকে বিরত থাকা
১১৬. মুসায়্যেব ইবনু রাফি’ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন তাদের নিকট এমন কোন মোকদ্দমা (সমস্যা) আসত, যে বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে কোন হাদীস নেই, তখন বিষয়টি নিয়ে তারা (সাহাবীগণ) একত্রে সমবেত হতেন এবং তারা সবাই মিলে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেন। ফলে তারা যে মত পোষণ করতেন, তাঁদের সেই (ঐক্যবদ্ধ) মতের মধ্যেই হক (সত্য) নিহিত, তাদের সেই (ঐক্যবদ্ধ) মতেই হক (সত্য) নিহিত।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ। হুশাইম মুদাল্লিস, তিনি এটি ‘আন’আন’ শব্দে বর্ণনা করেছেন। (তবে অপর একটি সহীহ সনদে এটি বর্ণিত, আর তা হলো পরবর্তী হাদীসটি।- অনুবাদক)
তাখরীজ: ইবনু আব্দুল বাররা, জামি’ বায়ানুল ইলম ২/১৬৭ নং ১৮২৪।
بَابُ التَّوَرُّعِ عَنِ الْجَوَابِ فِيمَا لَيْسَ فِيهِ كِتَابٌ وَلَا سُنَّةٌ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، أَنبأَنَا هُشَيْمٌ، عَنِ الْعَوَّامِ، عَنِ الْمُسَيَّبِ بْنِ رَافِعٍ قَالَ: ” كَانُوا إِذَا نَزَلَتْ بِهِمْ قَضِيَّةٌ لَيْسَ فِيهَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَثَرٌ، اجْتَمَعُوا لَهَا وَأَجْمَعُوا، فَالْحَقُّ فِيمَا رَأَوْا، فَالْحَقُّ فِيمَا رَأَوْا
أخبرنا عمرو بن عون، أنبأنا هشيم، عن العوام، عن المسيب بن رافع قال: ” كانوا إذا نزلت بهم قضية ليس فيها من رسول الله صلى الله عليه وسلم أثر، اجتمعوا لها وأجمعوا، فالحق فيما رأوا، فالحق فيما رأوا
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১১৭
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে মাসয়ালায় আয়াত এবং হাদীস নেই এমন বিষয়ের উত্তর প্রদান থেকে বিরত থাকা
১১৭. ইয়াযিদ (ইবনু হারুন)ও আওয়াম’ হতে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
[দেখুন পূর্বের হাদীস]
بَابُ التَّوَرُّعِ عَنِ الْجَوَابِ فِيمَا لَيْسَ فِيهِ كِتَابٌ وَلَا سُنَّةٌ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَنْبَأَنَا يَزِيدُ، عَنِ الْعَوَّامِ بِهَذَا
أخبرنا عبد الله، أنبأنا يزيد، عن العوام بهذا
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১১৮
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে মাসয়ালায় আয়াত এবং হাদীস নেই এমন বিষয়ের উত্তর প্রদান থেকে বিরত থাকা
১১৮. আবু সালামাহ আল হিমছী বর্ণনা করেছেন, ওয়াহাব ইবনু আমর আল জুমাহী তার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: ’কোন বালাই বা বিপদ আপতিত হওয়ার পূর্বেই তোমরা তা নিয়ে আগ বাড়িয়ে কিছু (জিজ্ঞাসা) করো না। কেননা, যদি কোন বিপদ নাযিল হওয়ার পূর্বে তা নিয়ে তোমরা তাড়াহুড়া না কর, তবে মুসলিমগণ বিচ্ছিন্ন হবে না যখন তাদের মাঝে তা নাযিল হবে, তখন যে তা নিয়ে কথা বলবে, সে তাওফীক (সৌভাগ্য) এবং সঠিকপথ প্রাপ্ত হবে। আর তোমরা যদি তা নিয়ে তাড়াহুড়া কর, তবে তোমাদের অন্তরগুলি অনৈক্য-মতভেদপূর্ণ হয়ে যাবে, ফলে তোমরা এভাবে এভাবে ধরতে থাকবে’- এ কথা বলে তিনি ডান ও বাম থেকে এবং সামনের দিকে ইশারা করে দেখালেন।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ। ওয়াহাব ইবনু আমরকে আমি চিনি না। আর এটি মুরসাল।
তাখরীজ: মুহাক্কিক্ক এর কোন তাখরীজ করেননি।
بَابُ التَّوَرُّعِ عَنِ الْجَوَابِ فِيمَا لَيْسَ فِيهِ كِتَابٌ وَلَا سُنَّةٌ
أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُبَارَكِ، قَالَا: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ الْحِمْصِيُّ، أَنَّ وَهْبَ بْنَ عَمْرٍو الْجُمَحِيَّ حَدَّثَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا تَعْجَلُوا بِالْبَلِيَّةِ قَبْلَ نُزُولِهَا، فَإِنَّكُمْ إِنْ لَا تَعْجَلُوهَا قَبْلَ نُزُولِهَا، لَا يَنْفَكُّ الْمُسْلِمُونَ وَفِيهِمْ إِذَا هِيَ نَزَلَتْ مَنْ إِذَا قَالَ وُفِّقَ وَسُدِّدَ، وَإِنَّكُمْ إِنْ تَعْجَلُوهَا، تَخْتَلِفْ بِكُمِ الْأَهْوَاءُ، فَتَأْخُذُوا هَكَذَا وَهَكَذَا» وَأَشَارَ بَيْنَ يَدَيْهِ وَعَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ شِمَالِهِ
إسناده ضعيف وهب بن عمرو ما عرفته وهو مرسل
أخبرنا يحيى بن حسان ومحمد بن المبارك، قالا: حدثنا يحيى بن حمزة، حدثنا أبو سلمة الحمصي، أن وهب بن عمرو الجمحي حدثه أن النبي صلى الله عليه وسلم قال: «لا تعجلوا بالبلية قبل نزولها، فإنكم إن لا تعجلوها قبل نزولها، لا ينفك المسلمون وفيهم إذا هي نزلت من إذا قال وفق وسدد، وإنكم إن تعجلوها، تختلف بكم الأهواء، فتأخذوا هكذا وهكذا» وأشار بين يديه وعن يمينه وعن شماله إسناده ضعيف وهب بن عمرو ما عرفته وهو مرسل
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১১৯
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে মাসয়ালায় আয়াত এবং হাদীস নেই এমন বিষয়ের উত্তর প্রদান থেকে বিরত থাকা
১১৯. আবু সালামাহ রাহিমাহুল্লাহ বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নতুন উদ্ভাবিত কোন বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো, যা আল্লাহর কিতাবেও নেই, (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের) সুন্নাতেও নেই। তখন তিনি বললেন: ’মু’মিনদের মধ্যকার আবিদগণ (ইবাদতগুজার মুত্তাকী) সে ব্যাপারে চিন্তা-গবেষণা করবে।’[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ। তবে এটি মুরসাল।
তাখরীজ: আবু দাউদ, মারাসীল ৪৫৮, সনদ হাসান। এর শাহিদ রয়েছে মুয়ায রা: হতে মারফু’ হিসেবে তাবারানী, কাবীর ২০/১৭৬ নং ৩৫৩; আবূ দাউদ মারাসীল ৪৫৭; ইবনু আব্দুল বারর, জামি’ বয়ানিল ইলম ১৮১০; ইবনু বাত্তাহ আল ইবানাহ ১/৩৯৬ নং ২৯৩ তবে সনদ বিচ্ছিন্ন। অপর সনদে মুয়ায রা: হতে মাওকুফ হিসেবে আজুরী, আখলাকুল উলামা পৃ. ১২১-১২২।
بَابُ التَّوَرُّعِ عَنِ الْجَوَابِ فِيمَا لَيْسَ فِيهِ كِتَابٌ وَلَا سُنَّةٌ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُبَارَكِ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ عَنِ الْأَمْرِ يَحْدُثُ لَيْسَ فِي كِتَابٍ وَلَا سُنَّةٍ قَالَ: يَنْظُرُ فِيهِ الْعَابِدُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ
أخبرنا محمد بن المبارك، حدثنا يحيى بن حمزة حدثني أبو سلمة، أن النبي صلى الله عليه وسلم سئل عن الأمر يحدث ليس في كتاب ولا سنة قال: ينظر فيه العابدون من المؤمنين
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১২০
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে মাসয়ালায় আয়াত এবং হাদীস নেই এমন বিষয়ের উত্তর প্রদান থেকে বিরত থাকা
১২০. ইবনু আউন বলেন, আল-কাসিম রাহিমাহুল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই তোমরা এমন সব বিষয়ে আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করছ, যে সম্পর্কে আমরা (পূর্ববর্তীদেরকে) জিজ্ঞাসা করিনি। আবার তোমরা এমন সকল বিষয় অনুসন্ধানে লিপ্ত হচ্ছো, যে বিষয়ে আমরা অনুসন্ধান করিনি। আর তোমরা এমন সব বিষয়ে জিজ্ঞেস করছ, সেটা কি তা আমি জানি না। আর যদি আমি সেটা জানতাম, তবে (অবশ্যই তোমাদেরকে তা বলে দিতাম, কেননা), তোমাদের নিকট থেকে তা গোপন করা আমদের জন্য বৈধ নয়।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: পূর্বের ১১৩ নং হাদীসটি দেখুন।
بَابُ التَّوَرُّعِ عَنِ الْجَوَابِ فِيمَا لَيْسَ فِيهِ كِتَابٌ وَلَا سُنَّةٌ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ قَالَ: قَالَ الْقَاسِمُ: ” إِنَّكُمْ لَتَسْأَلُونَا عَنْ أَشْيَاءَ مَا كُنَّا نَسْأَلُ عَنْهَا، وَتُنَقِّرُونَ عَنْ أَشْيَاءَ مَا كُنَّا نُنَقِّرُ عَنْهَا، وَتَسْأَلُونَ عَنْ أَشْيَاءَ مَا أَدْرِي مَا هِيَ، وَلَوْ عَلِمْنَاهَا مَا حَلَّ لَنَا أَنْ نَكْتُمَكُمُوهَا
إسناده صحيح
أخبرنا أحمد بن عبد الله، حدثنا معاذ بن معاذ، عن ابن عون قال: قال القاسم: ” إنكم لتسألونا عن أشياء ما كنا نسأل عنها، وتنقرون عن أشياء ما كنا ننقر عنها، وتسألون عن أشياء ما أدري ما هي، ولو علمناها ما حل لنا أن نكتمكموها إسناده صحيح
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১২১
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে মাসয়ালায় আয়াত এবং হাদীস নেই এমন বিষয়ের উত্তর প্রদান থেকে বিরত থাকা
১২১. উমার ইবনুল খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন: অচিরেই এমন সব লোকের আবির্ভাব হবে, যারা কুরআন কারীমের ’মুতাশাবিহা’ (অস্পষ্ট/দ্ব্যর্থবোধক) আয়াত নিয়ে তোমাদের সাথে বিতর্কে লিপ্ত হবে। তোমরা তাদেরকে সুন্নাহ দিয়ে আটকে দিবে। কেননা, ’আসহাবুস সুন্নাহ’ (সুন্নাহ বিষয়ে জ্ঞানীগণ) আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা’র কিতাব সম্পর্কেও অধিক জ্ঞান রাখেন।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ। আব্দুল্লাহ ইবনু সালিহ যয়ীফ। অন্যান্য বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। (তবে একাধিক সহীহ সনদে এটি বর্ণিত হয়েছে। তাখরীজ দেখুন-অনুবাদক)
তাখরীজ: ইবনু বাত্তাহ, আল ইবানাহ ১/২৫০-২৫২ নং ৮৩, ২২৯, এর সনদ সহীহ।
অপর একটি উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন আজুরী, আশ শরীয়াহ পৃ. ৫৫, ৫৮, ৭৬; লালিকায়ী, শারহুল উসূলুল ই’তিকাদ আহলিস সুন্নাহ ১/১৩৯ নং ২০২; ইবনু আব্দুল বারর, জামি’ বয়ানিল ইলম নং ১৭০১; ইবনু বাত্তাহ, আল ইবানাহ নং ৮৪; খতীব, ফাকীহ ওয়াল মুতাফাক্কিহ নং ৬০৮।
بَابُ التَّوَرُّعِ عَنِ الْجَوَابِ فِيمَا لَيْسَ فِيهِ كِتَابٌ وَلَا سُنَّةٌ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي يَزِيدُ ابْنُ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْأَشَجِّ: أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: ” إِنَّهُ سَيَأْتِي نَاسٌ يُجَادِلُونَكُمْ بِشُبُهَاتِ الْقُرْآنِ، فَخُذُوهُمْ بِالسُّنَنِ، فَإِنَّ أَصْحَابَ السُّنَنِ أَعْلَمُ بِكِتَابِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ
إسناده ضعيف لضعف عبد الله بن صالح وباقي رجاله ثقات
أخبرنا عبد الله بن صالح، حدثني الليث، حدثني يزيد ابن أبي حبيب، عن عمر بن الأشج: أن عمر بن الخطاب رضي الله عنه، قال: ” إنه سيأتي ناس يجادلونكم بشبهات القرآن، فخذوهم بالسنن، فإن أصحاب السنن أعلم بكتاب الله عز وجل إسناده ضعيف لضعف عبد الله بن صالح وباقي رجاله ثقات
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১২২
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে মাসয়ালায় আয়াত এবং হাদীস নেই এমন বিষয়ের উত্তর প্রদান থেকে বিরত থাকা
১২২. উরওয়া ইবনু যুবায়ের বলেন, বনী ইসরাঈল বিজাতীয় যেসব মহিলাদেরকে অন্য সম্প্রদায় থেকে যুদ্ধবন্দিনী হিসেবে ধরে এনেছিলো সেসব বিজাতীয় মহিলাদের সন্তানেরা যখন তাদের মাঝে প্রতিপালিত হতে লাগলো তার পূর্ব পর্যন্ত বনী ইসরাঈলের কাজকর্ম ন্যায়সঙ্গতই চলছিল, তাদের মধ্যে কোন (অন্যায্য) কিছুই ছিল না। যখন তারা (বিজাতীয় মহিলাদের সন্তানেরা) তাদের নিজস্ব মতামত দ্বারা বনী ইসরাঈলদের মাঝে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতে লাগল, তখন এভাবেই তারা বনী ইসরাঈলদেরকে পথভ্রষ্ট করতে শুরু করল।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ জাইয়্যেদ (উত্তম)।
তাখরীজ: ইবন আব্দুল বাররা, জামি’ বয়ানুল ইলম নং ১৭৭৪, সনদ সহীহ; ফাসাওয়ী, আল মা’রেফাতু ওয়াত তারীখ ৩/৯৩; খতীব, আল ফাকীহ ওয়াল মুতাফাক্কিহ ১/১৮০।
بَابُ التَّوَرُّعِ عَنِ الْجَوَابِ فِيمَا لَيْسَ فِيهِ كِتَابٌ وَلَا سُنَّةٌ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُيَيْنَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيٌّ هُوَ ابْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ هِشَامٍ هُوَ ابْنُ عُرْوَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ نَوْفَلٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، قَالَ: مَا زَالَ أَمْرُ بَنِي إِسْرَائِيلَ مُعْتَدِلًا لَيْسَ فِيهِ شَيْءٌ حَتَّى نَشَأَ فِيهِمُ الْمُوَلَّدُونَ أَبْنَاءُ سَبَايَا الْأُمَمِ أَبْنَاءُ النِّسَاءِ الَّتِي سَبَتْ بَنُو إِسْرَائِيلَ مِنْ غَيْرِهِمْ فَقَالُوا فِيهِمْ بِالرَّأْيِ فَأَضَلُّوهُمْ
إسناده جيد
أخبرنا محمد بن عيينة، حدثنا علي هو ابن مسهر، عن هشام هو ابن عروة، عن محمد بن عبد الرحمن بن نوفل، عن عروة بن الزبير، قال: ما زال أمر بني إسرائيل معتدلا ليس فيه شيء حتى نشأ فيهم المولدون أبناء سبايا الأمم أبناء النساء التي سبت بنو إسرائيل من غيرهم فقالوا فيهم بالرأي فأضلوهم إسناده جيد
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১২৩
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৮. ফাতওয়া প্রদানে অনীহা
১২৩. হাম্মাদ ইবনু ইয়াযীদ আল-মিনকারী তার পিতা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, একদিন এক লোক ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা’র নিকট এলো এবং তাঁকে একটি বিষয়ে জ্ঞিজ্ঞেস করল, আমি জানি না সে বিষয়টি কী। তখন ইবনু উমার তাকে বললেন, যা এখনও সংঘটিত হয়নি, সে বিষয়ে প্রশ্ন কর না। কেননা, যা ঘটেনি এমন একটি বিষয়ে প্রশ্নকারীর প্রতি আমি উমার ইবনুল খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে লা’নত (অভিশাপ) করতে শুনেছি।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ জাইয়্যেদ (উত্তম)।
তাখরীজ: ইবন আব্দুল বাররা, জামি’ বয়ানুল ইলম নং ১৮২০, সনদ যয়ীফ; আবী খায়ছামা, আল ইলম নং ১৪৪; খতীব, আল ফাকীহ ওয়াল মুতাফাকিহ ২/৭, ৮, সনদ যয়ীফ।
بَابُ كَرَاهِيَةِ الْفُتْيَا
أَخْبَرَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ يَزِيدَ الْمِنْقَرِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي، قَالَ: ” جَاءَ رَجُلٌ يَوْمًا إِلَى ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، فَسَأَلَهُ عَنْ شَيْءٍ لَا أَدْرِي مَا هُوَ، فَقَالَ لَهُ: ابْنُ عُمَرَ: لَا تَسْأَلْ عَمَّا لَمْ يَكُنْ، فَإِنِّي سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رِضْوَانُ اللَّهِ عَلَيْهِ يَلْعَنُ مَنْ سَأَلَ عَمَّا لَمْ يَكُنْ
إسناده جيد
أخبرنا مسلم بن إبراهيم، حدثنا حماد بن يزيد المنقري، حدثني أبي، قال: ” جاء رجل يوما إلى ابن عمر رضي الله عنهما، فسأله عن شيء لا أدري ما هو، فقال له: ابن عمر: لا تسأل عما لم يكن، فإني سمعت عمر بن الخطاب رضوان الله عليه يلعن من سأل عما لم يكن إسناده جيد
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১২৪
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৮. ফাতওয়া প্রদানে অনীহা
১২৪. যুহরী রাহিমাহুল্লাহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাদের নিকট এ খবর পৌঁছেছে যে, যায়দ ইবনু ছাবিত আল-আনসারী রিদ্বওয়ানুল্লাহি আলাইহি-কে কোনো বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জিজ্ঞেস করতেন, এটি কি ঘটেছে? যদি তারা বলত, হ্যাঁ, ঘটেছে, তখন সে বিষয়ে তিনি যা জানেন এবং যা দেখেছেন, তা বর্ণনা করতেন। আর যদি তারা বলত, না, এটি (এখনও) ঘটেনি, তবে তিনি বলতেন, তাহলে এটি না ঘটা পর্যন্ত একে (এ বিষয়ে প্রশ্ন করা) ছেড়ে দাও।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এটি যুহরীর কথা। (এটি হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন ইবনু আব্দুল বারর, তাখরীজে দেখুন)
তাখরীজ: খতীব, আল ফাকীহ ওয়াল মুতাফাক্কিহ ২/৮; ইবন আব্দুল বাররা, জামি’ বয়ানুল ইলম নং ১৮১৩, সনদ হাসান; ইবনু বাত্তাহ, আল ইবানাহ ১/৪০৯ নং ৩১৮; মুত্তাকী আল হিন্দ, কানযুল উম্মাল নং ৮৯০৪।
بَابُ كَرَاهِيَةِ الْفُتْيَا
أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ، أَنبَأَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: بَلَغَنَا أَنَّ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ الْأَنْصَارِيَّ رِضْوَانُ اللَّهِ عَلَيْهِ، كَانَ يَقُولُ ” إِذَا سُئِلَ عَنِ الْأَمْرِ: أَكَانَ هَذَا؟ فَإِنْ قَالُوا: نَعَمْ، قَدْ كَانَ، حَدَّثَ فِيهِ بِالَّذِي يَعْلَمُ وَالَّذِي يَرَى، وَإِنْ قَالُوا: لَمْ يَكُنْ، قَالَ: فَذَرُوهُ حَتَّى يَكُونَ
لم يحكم عليه المحقق
أخبرنا الحكم بن نافع، أنبأنا شعيب، عن الزهري قال: بلغنا أن زيد بن ثابت الأنصاري رضوان الله عليه، كان يقول ” إذا سئل عن الأمر: أكان هذا؟ فإن قالوا: نعم، قد كان، حدث فيه بالذي يعلم والذي يرى، وإن قالوا: لم يكن، قال: فذروه حتى يكون لم يحكم عليه المحقق
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১২৫
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৮. ফাতওয়া প্রদানে অনীহা
১২৫. আমির রাহিমাহুল্লাহ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আম্মার ইবনু ইয়াসার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে কোন একটি মাস’আলা জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তখন তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কি এটা সংঘটিত হয়েছে? তারা বলল, না। তিনি বললেন, তাহলে এটি না ঘটা পর্যন্ত আমাদেরকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা ছাড়ো। আর যখন তা ঘটবে, তখন তোমাদেরকে তা জানানোর দায়িত্ব আমরা গ্রহণ করবো।’[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর বর্ণনাকারীগণ সকলেই বিশ্বস্ত। তবে এর সনদে বিচ্ছিন্নতা (ইনক্বিতা) রয়েছে। আমির শা’বী আম্মার থেকে কিছু শোনেননি।
তাখরীজ: খতীব, আল ফাকীহ ওয়াল মুতাফাক্কিহ ২/৮; মুত্তাকী আল হিন্দ, কানযুল উম্মাল ৮৯০৫।
بَابُ كَرَاهِيَةِ الْفُتْيَا
أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَنبَأَنَا أَبُو هِشَامٍ الْمَخْزُومِيُّ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ، عَنْ عَامِرٍ قَالَ سُئِلَ عَمَّارُ بْنُ يَاسِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنْ مَسْأَلَةٍ فَقَالَ: ” هَلْ كَانَ هَذَا بَعْدُ؟ قَالُوا: لَا، قَالَ: دَعُونَا حَتَّى يَكُونَ، فَإِذَا كَانَ، تَجَشَّمْنَاهَا لَكُمْ
رجاله ثقات غير أنه منقطع عامر الشعبي لم يسمع من عمار
أخبرنا إسحاق بن إبراهيم، أنبأنا أبو هشام المخزومي، حدثنا وهيب، حدثنا داود، عن عامر قال سئل عمار بن ياسر رضي الله عنه، عن مسألة فقال: ” هل كان هذا بعد؟ قالوا: لا، قال: دعونا حتى يكون، فإذا كان، تجشمناها لكم رجاله ثقات غير أنه منقطع عامر الشعبي لم يسمع من عمار
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১২৬
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৮. ফাতওয়া প্রদানে অনীহা
১২৬. তাউস রাহিমাহুল্লাহ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু মিম্বারে দাঁড়িয়ে বলেছেন: আল্লাহ’র ওয়াস্তে আমি সেই লোকের উপর কঠোরতা আরোপ করবো (কঠিন শাস্তি দেব), যে ব্যক্তি এমন বিষয়ে প্রশ্ন করবে, যা এখনও ঘটেনি। কারণ নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা বিদ্যমান সকল বিষয় (এর হুকুম) সম্পর্কে স্পষ্টভাবে বর্ণনা করে দিয়েছেন।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: ইবন আব্দুল বাররা, জামি’ বয়ানুল ইলম নং ১৮০৭,১৮০৮; ফাকীহ ওয়াল মুতাফাক্কিহ ২/৭; কিতাবুল ইলম নং ১২৫।
بَابُ كَرَاهِيَةِ الْفُتْيَا
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَمْرٍو، عَنْ طَاوُسٍ، قَالَ: قَالَ عُمَرُ رِضْوُانُ اللَّهِ عَلَيْهِ، عَلَى الْمِنْبَرِ: «أُحَرِّجُ بِاللَّهِ عَلَى رَجُلٍ سَأَلَ عَمَّا لَمْ يَكُنْ، فَإِنَّ اللَّهَ قَدْ بَيَّنَ مَا هُوَ كَائِنٌ
إسناده صحيح
أخبرنا محمد بن أحمد، حدثنا سفيان عن عمرو، عن طاوس، قال: قال عمر رضوان الله عليه، على المنبر: «أحرج بالله على رجل سأل عما لم يكن، فإن الله قد بين ما هو كائن إسناده صحيح
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১২৭
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৮. ফাতওয়া প্রদানে অনীহা
১২৭. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবীগণ থেকে উত্তম কোন লোকদেরকে দেখিনি। তারা তাঁর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাঁকে মাত্র তেরোটি প্রশ্ন করেছিলেন, আর সে সবগুলোই কুরআনে রয়েছে:
সেগুলোর মধ্যে রয়েছে:
(يسألونك عن الشهر الحرام)… (سورة البقرة: 217)
“তারা আপনাকে হারাম (সম্মানিত) মাসসমূহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছে…।” (সুরা বাক্বারাহ: ২১৭)
(ويسألونك عن المحيض)… (سورة البقرة: 222)
“তারা আপনাকে (স্ত্রী লোকদের) ঋতুস্রাব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছে…।” (সুরা বাক্বারাহ: ১২২)
তিনি (ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন: তারা কখনো এমন বিষয়ে প্রশ্ন করতেন না, যাতে তাদের কল্যাণ হতো না বা উপকারে আসতো না।’[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ। মুহাম্মদ ইবনু ফাদল আত্বা ইবনু সায়্যিব থেকে শ্রবণের ব্যাপারে পিছিয়ে রয়েছেন।
তাখরীজ: ইবন আব্দুল বাররা, জামি’ বয়ানুল ইলম নং ১৮০৯, ২০৫৩; ইবনু বাত্তাহ, আল ইবানাহ ১/৩৯৮ নং ২৯৬।
بَابُ كَرَاهِيَةِ الْفُتْيَا
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: ” مَا رَأَيْتُ قَوْمًا كَانُوا خَيْرًا مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا سَأَلُوهُ إِلَّا عَنْ ثَلَاثَ عَشْرَةَ مَسْأَلَةً حَتَّى قُبِضَ، كُلُّهُنَّ، فِي الْقُرْآنِ، مِنْهُنَّ (يَسْأَلُونَكَ عَنِ الشَّهْرِ الْحَرَامِ) [البقرة: 217]، وَ (وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ) [البقرة: 222] قَالَ: مَا كَانُوا يَسْأَلُونَ إِلَّا عَمَّا يَنْفَعُهُمْ
أخبرنا عبد الله بن محمد بن أبي شيبة، حدثنا ابن فضيل، عن عطاء، عن سعيد، عن ابن عباس رضي الله عنهما، قال: ” ما رأيت قوما كانوا خيرا من أصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم ما سألوه إلا عن ثلاث عشرة مسألة حتى قبض، كلهن، في القرآن، منهن (يسألونك عن الشهر الحرام) [البقرة: 217]، و (ويسألونك عن المحيض) [البقرة: 222] قال: ما كانوا يسألون إلا عما ينفعهم
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১২৮
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৮. ফাতওয়া প্রদানে অনীহা
১২৮. উমায়র ইবনু ইসহাক থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবীগণের মধ্যে যারা আমার পূর্বে গত হয়েছেন, তাদের তুলনায় আমি যে সকল সাহাবীর সাক্ষাৎ পেয়েছি, তাদের সংখ্যাই বেশি। আর তাঁদের মত এত বেশি সহজ-সরল প্রকৃতির ও অতি স্বল্প কঠোরতা আরোপকারী এমন কোন দলকে আমি দেখিনি।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ জাইয়্যেদ (উত্তম)।
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা, ১৪/১৭ নং ১৭৪০৯; ইবনু সা’দ, আত তাবাকাত ৭/১১৬০।
بَابُ كَرَاهِيَةِ الْفُتْيَا
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، أَنبَأَنَا ابْنُ عَوْنٍ، عَنْ عُمَيْرِ بْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ: لَمَنْ أَدْرَكْتُ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَكْثَرُ مِمَّنْ سَبَقَنِي مِنْهُمْ، فَمَا رَأَيْتُ قَوْمًا أَيْسَرَ سِيرَةً، وَلَا أَقَلَّ تَشْدِيدًا مِنْهُمْ
إسناده جيد
حدثنا عثمان بن عمر، أنبأنا ابن عون، عن عمير بن إسحاق، قال: لمن أدركت من أصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم أكثر ممن سبقني منهم، فما رأيت قوما أيسر سيرة، ولا أقل تشديدا منهم إسناده جيد
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১২৯
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৮. ফাতওয়া প্রদানে অনীহা
১২৯. রাজা ইবনু হায়াওয়াত বলেন, এক ওয়ালী বিহীন মহিলা যে তার নিজ গোত্রে মারা গেছে- এ জাতীয় মহিলা সম্পর্কে উবাদাহ ইবনু নুসাই আল-কিনদী রাহিমাহুল্লাহকে প্রশ্ন করা হলে, উত্তরে আমি তাঁকে বলতে শুনেছি: আমি এমন লোকদেরকে পেয়েছি, যারা কখনও তোমাদের কঠোরতার ন্যায় কঠোরতা আরোপ করতেন না এবং তোমাদের এ জাতীয় প্রশ্নের ন্যায় প্রশ্ন করতেন না।’[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: ইবনু আসাকীর, আত তারীখ পৃ: ৪৭।
بَابُ كَرَاهِيَةِ الْفُتْيَا
أَخْبَرَنِي الْعَبَّاسُ بْنُ سُفْيَانَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ حُبَابٍ، أَخْبَرَنِي رَجَاءُ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَ سَمِعْتُ عُبَادَةَ بْنَ نُسَيٍّ الْكِنْدِيَّ وَسُئِلَ عَنِ امْرَأَةٍ مَاتَتْ مَعَ قَوْمٍ لَيْسَ لَهَا وَلِيٌّ، فَقَالَ: «أَدْرَكْتُ أَقْوَامًا مَا كَانُوا يُشَدِّدُونَ تَشْدِيدَكُمْ، وَلَا يَسْأَلُونَ مَسَائِلَكُمْ
إسناده صحيح
أخبرني العباس بن سفيان، عن زيد بن حباب، أخبرني رجاء بن أبي سلمة، قال سمعت عبادة بن نسي الكندي وسئل عن امرأة ماتت مع قوم ليس لها ولي، فقال: «أدركت أقواما ما كانوا يشددون تشديدكم، ولا يسألون مسائلكم إسناده صحيح
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১৩০
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৮. ফাতওয়া প্রদানে অনীহা
১৩০. হিশাম ইবনু মুসলিম আল কুরাশী থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ইবনু মুহাইরিয রাহিমাহুল্লাহ’র সাথে একটি রেশমী বস্ত্রের মত (মনোরম দর্শনীয়) উপত্যকায়[1] ছিলাম, সেখানে আমি তার একটি নির্জন বৈঠকখানা (খালওয়া) দেখলাম। তখন আমি তাঁকে একটি মাস’আলা জিজ্ঞেস করলাম। উত্তরে তিনি আমাকে বললেন, এত প্রশ্ন করো কেন? আমি বললাম, যদি প্রশ্ন না করা হয়, তবে ইলম তো উঠে যাবে। তিনি বলেন, ’ইলম উঠে যাবে’ বলো না। ইলম ততক্ষণ পর্যন্ত উঠে যাবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত কুরআন পাঠ করা হবে। বরং তুমি যদি বলতে, ফিকহ্ উঠে যাবে (তবে সেটাই যথাযথ হত)।[2]
[1] একটি দর্শনীয় মনোরম উপত্যকা। একটি উপত্যকা, পাহাড়ের মাঝ আমোদস্থল। (এর এবং স্যাঁতসেতে অঞ্চলের (নদী অববাহিকা) মাঝে দশ মাইলের দূরত্ব বিদ্যমান- ফতহুল মান্নান, অত্র হাদীসের ব্যাখ্যা দেখুন।-অনুবাদক)
[2] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ।
তাখরীজ: ইবনু আসাকীর ৩৮/৪০৬; আবু নুয়াইম হিলইয়া ৫/১৪১।
بَابُ كَرَاهِيَةِ الْفُتْيَا
أَخْبَرَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ سُفْيَانَ، أَنبَأَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، أَخْبَرَنِي رَجَاءُ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَ: حَدَّثَنِي خَالِدُ بْنُ حَازِمٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ مُسْلِمٍ الْقُرَشِيِّ، قَالَ: كُنْتُ مَعَ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ بِمَرْجِ الدِّيبَاجِ فَرَأَيْتُ مِنْهُ خَلْوَةً، فَسَأَلْتُهُ عَنْ مَسْأَلَةٍ فَقَالَ لِي: مَا تَصْنَعُ بِالْمَسَائِلِ؟ قُلْتُ: لَوْلَا الْمَسَائِلُ، لَذَهَبَ الْعِلْمُ. قَالَ: «لَا تَقُلْ ذَهَبَ الْعِلْمُ، إِنَّهُ لَا يَذْهَبُ الْعِلْمُ مَا قُرِئَ الْقُرْآنُ، وَلَكِنْ لَوْ قُلْتَ يَذْهَبُ الْفِقْهُ
إسناده ضعيف
أخبرنا العباس بن سفيان، أنبأنا زيد بن حباب، أخبرني رجاء بن أبي سلمة، قال: حدثني خالد بن حازم، عن هشام بن مسلم القرشي، قال: كنت مع ابن محيريز بمرج الديباج فرأيت منه خلوة، فسألته عن مسألة فقال لي: ما تصنع بالمسائل؟ قلت: لولا المسائل، لذهب العلم. قال: «لا تقل ذهب العلم، إنه لا يذهب العلم ما قرئ القرآن، ولكن لو قلت يذهب الفقه إسناده ضعيف
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১৩১
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ
১৩১. শা’বী বলেন, উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, হে মানবমণ্ডলী! আমরা (অনেক কিছুই) জানি না। আমরা হয়তো তোমাদেরকে এমন বিষয়ে আদেশ করে ফেলি, যা তোমাদের জন্য হালাল নয়। আবার এমন সব বস্তু হয়তো তোমাদের উপর হারাম ঘোষণা করি, যা মূলত তোমাদের জন্য হালাল। আর কুরআনের সর্বশেষ নাযিল হওয়া আয়াত হল, সুদ সংক্রান্ত আয়াত। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে মৃত্যু পর্যন্ত তা (তোমরা যেসকল বিষয়ে প্রশ্ন কর, তার সমস্ত বিষয়) সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করে যাননি। ফলে যা তোমাদেরকে সন্দেহে ফেলে তা পরিত্যাগ করে যা সন্দেহে ফেলে না, তা গ্রহণ করো।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ। শা’বী উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু এর সাক্ষাত পাননি। এজন্য এর সনদে ইনক্বিতা’ (বিচ্ছিন্নতা) থাকায় এটি যয়ীফ। (তবে সহীহ বুখারীতে ইবনু আব্বাস থেকে সর্বশেষ আয়াত সম্পর্কে হাদীস বর্ণিত রয়েছে , সহীহ বুখারী, কিতাবুত তাফসীর, হাদীস নং- ৪৫৪৪।- ফাতহুল মান্নান।)
তাখরীজ: তাবারী, তাফসীর ৩/১১৪; (ইবনু মাজাহ, কিতাবুত তিজারাত, নং ২২৭৬ সাঈদ ইবনুল মুসায়্যেব, উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে (আলবানী এর সনদকে সহীহ বলেছেন ; বুখারী, তা’লিক হিসেবে – ফাতহুল মান্নান, অত্র হাদীসের ব্যাখ্যা দ্র:- অনুবাদক)
أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ دَاوُدَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، أَنَّ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّا لَا نَدْرِي، لَعَلَّنَا نَأْمُرُكُمْ بِأَشْيَاءَ لَا تَحِلُّ لَكُمْ، وَلَعَلَّنَا نُحَرِّمُ عَلَيْكُمْ أَشْيَاءَ هِيَ لَكُمْ حَلَالٌ، إِنَّ آخِرَ مَا نَزَلَ مِنَ الْقُرْآنِ آيَةُ الرِّبَا، وَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يُبَيِّنْهَا لَنَا حَتَّى مَاتَ، فَدَعُوا مَا يَرِيبُكُمْ إِلَى مَا لَا يَرِيبُكُمْ
إسناده ضعيف لانقطاعه الشعبي لم يدرك عمر بن الخطاب
أخبرنا سليمان بن حرب، حدثنا حماد بن سلمة، عن داود، عن الشعبي، أن عمر رضي الله عنه، قال: يا أيها الناس إنا لا ندري، لعلنا نأمركم بأشياء لا تحل لكم، ولعلنا نحرم عليكم أشياء هي لكم حلال، إن آخر ما نزل من القرآن آية الربا، وإن رسول الله صلى الله عليه وسلم لم يبينها لنا حتى مات، فدعوا ما يريبكم إلى ما لا يريبكم إسناده ضعيف لانقطاعه الشعبي لم يدرك عمر بن الخطاب
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১৩২
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৯. যে ব্যক্তি ফাতওয়া প্রদানে ভয় পান এবং অধিক বাড়াবাড়ি করা ও বিদ’আত বা নতুন মত প্রবর্তন করাকে অপছন্দ করেন
১৩২. ইবনু ইদরীস তার চাচা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি ইবরাহীম এর নিকট থেকে বের হয়ে এলাম। তখন হাম্মাদ আমার সাথে সাক্ষাত করে আমার উপর আটটি বিষয়ে প্রশ্ন (মাস’আলা) চাপিয়ে দিলেন। ফলে আমি তাঁকে (ইবরাহীমকে) (সেই মাস’আলাগুলো সম্পর্কে) জিজ্ঞেস করলাম। আর তিনি চারটি মাস’আলার জবাব দিলেন এবং চারটি মাস’আলা উপেক্ষা করলেন (জবাব দিলেন না)।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: সনদ যয়ীফ। আব্দুল্লাহ ইবনু ইদরীসের চাচা দাউদ ইবনু ইয়াযীদ আল আউদী যয়ীফ।
তাখরীজ: আমি আর কোথাও এ হাদীসটি খুঁজে পাইনি।
بَابُ مَنْ هَابَ الْفُتْيَا وَكَرِهَ التَّنَطُّعَ وَالتَّبَدُّعَ
أَخْبَرَنَا سَلْمُ بْنُ جُنَادَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ عَنْ عَمِّهِ، قَالَ: خَرَجْتُ مِنْ عِنْدِ إِبْرَاهِيمَ، فَاسْتَقْبَلَنِي حَمَّادٌ، «فَحَمَّلَنِي ثَمَانِيَةَ أَبْوَابٍ، مَسَائِلَ. فَسَأَلْتُهُ، فَأَجَابَنِي عَنْ أَرْبَعٍ وَتَرَكَ أَرْبَعًا
إسناده ضعيف لضعف عم عبد الله بن إدريس وهو داود بن يزيد الأودي
أخبرنا سلم بن جنادة، حدثنا ابن إدريس عن عمه، قال: خرجت من عند إبراهيم، فاستقبلني حماد، «فحملني ثمانية أبواب، مسائل. فسألته، فأجابني عن أربع وترك أربعا إسناده ضعيف لضعف عم عبد الله بن إدريس وهو داود بن يزيد الأودي
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১৩৩
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৯. যে ব্যক্তি ফাতওয়া প্রদানে ভয় পান এবং অধিক বাড়াবাড়ি করা ও বিদ’আত বা নতুন মত প্রবর্তন করাকে অপছন্দ করেন
১৩৩. যুবাইদ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি যখনই ইবরাহীমকে কোন বিষয়ে কোন প্রশ্ন করেছি, তখনই তার চেহারায় অপছন্দনীয়-ভাব লক্ষ্য করেছি।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: সনদ সহীহ।
তাখরীজ: মা’রিফাতু ওয়াত তারীখ ২/৬০৫; আবু নুয়াইম, হিলইয়া ৪/২২০, সনদ সহীহ;
بَابُ مَنْ هَابَ الْفُتْيَا وَكَرِهَ التَّنَطُّعَ وَالتَّبَدُّعَ
أَخْبَرَنَا قَبِيصَةُ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبْجَرَ، عَنْ زُبَيْدٍ، قَالَ: مَا سَأَلْتُ إِبْرَاهِيمَ عَنْ شَيْءٍ إِلَّا عَرَفْتُ الْكَرَاهِيَةَ فِي وَجْهِهِ
أخبرنا قبيصة، أخبرنا سفيان، عن عبد الملك بن أبجر، عن زبيد، قال: ما سألت إبراهيم عن شيء إلا عرفت الكراهية في وجهه
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১৩৪
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৯. যে ব্যক্তি ফাতওয়া প্রদানে ভয় পান এবং অধিক বাড়াবাড়ি করা ও বিদ’আত বা নতুন মত প্রবর্তন করাকে অপছন্দ করেন
১৩৪. উমার ইবনু আবী যায়িদাহ বলেন, কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে ’এ বিষয়ে আমার জানা নাই’- এ কথাটি শা’বী’র চেয়ে অপর কোন ব্যক্তিকে এত অধিকবার বলতে শুনিনি।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: ইবনু সা’দ, আত তাবাকাত ৬/১৭৪;
بَابُ مَنْ هَابَ الْفُتْيَا وَكَرِهَ التَّنَطُّعَ وَالتَّبَدُّعَ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، قَالَ: مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَكْثَرَ أَنْ يَقُولَ إِذَا سُئِلَ عَنْ شَيْءٍ لَا عِلْمَ لِي بِهِ مِنَ الشَّعْبِيِّ
إسناده صحيح
أخبرنا محمد بن أحمد، حدثنا إسحاق بن منصور، عن عمر بن أبي زائدة، قال: ما رأيت أحدا أكثر أن يقول إذا سئل عن شيء لا علم لي به من الشعبي إسناده صحيح
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১৩৫
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৯. যে ব্যক্তি ফাতওয়া প্রদানে ভয় পান এবং অধিক বাড়াবাড়ি করা ও বিদ’আত বা নতুন মত প্রবর্তন করাকে অপছন্দ করেন
১৩৫. ইবনু আউন থেকে বর্ণিত, আমি তাকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন: শা’বী’র নিকট কোন বিষয় (সম্পর্কে প্রশ্ন) আসলে, তিনি বিরত থাকতেন। আর ইবরাহীম (জবাবে) বলতেই থাকতেন, আর বলতেই থাকতেন আর বলতেই থাকতেন (জবাব দিয়েই যেতেন)। আবু আসিম (বর্ণনাকারী) বলেন, এ বিষয়ে ইবরাহীমের চেয়ে শা’বী’র অবস্থা-ই ইবনু আউনের নিকট অধিক উত্তম ছিল।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আবু যুর’আহ, আত তারীখ নং ২০০৪।
بَابُ مَنْ هَابَ الْفُتْيَا وَكَرِهَ التَّنَطُّعَ وَالتَّبَدُّعَ
أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، – قَالَ سَمِعْتُهُ يَذْكُرُ – قَالَ: كَانَ الشَّعْبِيُّ إِذَا جَاءَهُ شَيْءٌ اتَّقَى. وَكَانَ إِبْرَاهِيمُ يَقُولُ، وَيَقُولُ، وَيَقُولُ “. قَالَ أَبُو عَاصِمٍ: كَانَ الشَّعْبِيُّ فِي هَذَا أَحْسَنَ حَالًا عِنْدَ ابْنِ عَوْنٍ مِنْ إِبْرَاهِيمَ
إسناده صحيح
أخبرنا أبو عاصم، عن ابن عون، – قال سمعته يذكر – قال: كان الشعبي إذا جاءه شيء اتقى. وكان إبراهيم يقول، ويقول، ويقول “. قال أبو عاصم: كان الشعبي في هذا أحسن حالا عند ابن عون من إبراهيم إسناده صحيح
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১৩৬
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৯. যে ব্যক্তি ফাতওয়া প্রদানে ভয় পান এবং অধিক বাড়াবাড়ি করা ও বিদ’আত বা নতুন মত প্রবর্তন করাকে অপছন্দ করেন
১৩৬. জাফর ইবনু ইয়াস হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি সাঈদ ইবনু জুবাইরকে বললাম, আপনার কী হয়েছে, আপনি যে তালাক সম্বন্ধে কিছুই বলেন না? তিনি বললেন, এ (তালাকের) ব্যাপারে এমন কোন বিষয় নেই যা আমি (পূর্ববর্তীদেরকে) জিজ্ঞেস করিনি। কিন্তু, আমি অপছন্দ করি (এই আশংকায়) যে, (না জানি হয়তো) আমি কোন হারাম বিষয়কে হালাল বলে ফতওয়া দিয়ে ফেলি কিংবা কোন হালাল বিষয়কে হারাম বলে ফতওয়া দিয়ে ফেলি।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: এটি অন্য কোথায় পাইনি।
بَابُ مَنْ هَابَ الْفُتْيَا وَكَرِهَ التَّنَطُّعَ وَالتَّبَدُّعَ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، أَنبَأَنَا أَحْمَدُ بْنُ بَشِيرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ إِيَاسٍ، قَالَ: قُلْتُ لِسَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ مَا لَكَ لَا تَقُولُ فِي الطَّلَاقِ شَيْئًا؟ قَالَ: مَا مِنْهُ شَيْءٌ إِلَّا قَدْ سَأَلْتُ عَنْهُ، وَلَكِنِّي «أَكْرَهُ أَنْ أُحِلَّ حَرَامًا، أَوْ أُحَرِّمَ حَلَالًا
إسناده صحيح
أخبرنا عبد الله بن سعيد، أنبأنا أحمد بن بشير، حدثنا شعبة، عن جعفر بن إياس، قال: قلت لسعيد بن جبير ما لك لا تقول في الطلاق شيئا؟ قال: ما منه شيء إلا قد سألت عنه، ولكني «أكره أن أحل حراما، أو أحرم حلالا إسناده صحيح
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১৩৭
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৯. যে ব্যক্তি ফাতওয়া প্রদানে ভয় পান এবং অধিক বাড়াবাড়ি করা ও বিদ’আত বা নতুন মত প্রবর্তন করাকে অপছন্দ করেন
১৩৭. আতা ইবনু সায়িব বলেন, আমি আব্দুর রহমান ইবনু আবী লাইলাকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি এই মসজিদে একশত বিশ জন আনসার সাহাবীর সাক্ষাৎ পেয়েছি। তাদের কেউ হাদীস বর্ণনা করতে গেলে প্রত্যেকেই চাইতেন যে, তাঁর ভাই (অপর সাহাবী) হাদীস বর্ণনা করুক, যাতে তাঁর আর বর্ণনার প্রয়োজন না পড়ে। আবার তাদের নিকট ফতওয়া চাওয়া হলেও তাদের প্রত্যেকেই চাইতেন যে, তাঁর ভাই (অপর সাহাবী) ফাতাওয়া প্রদান করুক, যাতে তাঁর আর ফতোয়া দেওয়ার প্রয়োজন না পড়ে।।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: ইবনু সা’দ, তাবাকাত ৬/৭৪, ৭৫ সনদ সহীহ; আবু যুর’আহ, আত তারীখ নং ২০৩১; ইবনুল মুবারাক, আয যুহদ নং ৫৮; ইবনুল আব্দুল বারর, জামি’ বয়ানিল ইলম নং ১৯৪৪, ১৯৪৫।
بَابُ مَنْ هَابَ الْفُتْيَا وَكَرِهَ التَّنَطُّعَ وَالتَّبَدُّعَ
أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي لَيْلَى، يَقُولُ: لَقَدْ أَدْرَكْتُ فِي هَذَا الْمَسْجِدِ عِشْرِينَ وَمِائَةً مِنَ الْأَنْصَارِ، «وَمَا مِنْهُمْ مِنْ أَحَدٍ يُحَدِّثُ بِحَدِيثٍ إِلَّا وَدَّ أَنَّ أَخَاهُ كَفَاهُ الْحَدِيثَ، وَلَا يُسْأَلُ عَنْ فُتْيَا إِلَّا وَدَّ أَنَّ أَخَاهُ كَفَاهُ الْفُتْيَا
إسناده صحيح
أخبرنا أبو نعيم، حدثنا سفيان، عن عطاء بن السائب، قال: سمعت عبد الرحمن بن أبي ليلى، يقول: لقد أدركت في هذا المسجد عشرين ومائة من الأنصار، «وما منهم من أحد يحدث بحديث إلا ود أن أخاه كفاه الحديث، ولا يسأل عن فتيا إلا ود أن أخاه كفاه الفتيا إسناده صحيح
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১৩৮
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৯. যে ব্যক্তি ফাতওয়া প্রদানে ভয় পান এবং অধিক বাড়াবাড়ি করা ও বিদ’আত বা নতুন মত প্রবর্তন করাকে অপছন্দ করেন
১৩৮. দাউদ রাহি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি শা’বী রাহি.কে জিজ্ঞাসা করেছি, আপনাদেরকে কোন কিছু জিজ্ঞাসা করা হলে, আপনারা কীরূপ করতেন? তিনি বলেন, তুমি অভিজ্ঞ ব্যক্তির উপরই এসে পড়েছ। যখন কোন ব্যক্তিকে কোন বিষয়ে কিছু জিজ্ঞেস করা হত, তখন তিনি তাঁর সাথীকে বলতেন, আপনি তাদেরকে ফতওয়া দিন। ফলে (সবাইকে জিজ্ঞাসা শেষ করে) প্রথম জনের নিকট ফিরে আসা পর্যন্ত এভাবেই চলতে থাকতো।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান।
তাখরীজ: আমি এটি অন্য কোথাও পাইনি।
بَابُ مَنْ هَابَ الْفُتْيَا وَكَرِهَ التَّنَطُّعَ وَالتَّبَدُّعَ
حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ يَعْقُوبَ الصَّفَّارُ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، عَنْ دَاوُدَ، قَالَ سَأَلْتُ الشَّعْبِيَّ، كَيْفَ كُنْتُمْ تَصْنَعُونَ إِذَا سُئِلْتُمْ؟ قَالَ: عَلَى الْخَبِيرِ وَقَعْتَ، كَانَ ” إِذَا سُئِلَ الرَّجُلُ، قَالَ لِصَاحِبِهِ: أَفْتِهِمْ، فَلَا يَزَالُ حَتَّى يَرْجِعَ إِلَى الْأَوَّلِ
إسناده حسن من أجل أبي بكر بن عياش وداود هو ابن أبي هند
حدثنا يوسف بن يعقوب الصفار، حدثنا أبو بكر، عن داود، قال سألت الشعبي، كيف كنتم تصنعون إذا سئلتم؟ قال: على الخبير وقعت، كان ” إذا سئل الرجل، قال لصاحبه: أفتهم، فلا يزال حتى يرجع إلى الأول إسناده حسن من أجل أبي بكر بن عياش وداود هو ابن أبي هند
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১৩৯
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৯. যে ব্যক্তি ফাতওয়া প্রদানে ভয় পান এবং অধিক বাড়াবাড়ি করা ও বিদ’আত বা নতুন মত প্রবর্তন করাকে অপছন্দ করেন
১৩৯. ইবনুল মুনকাদির থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নিশ্চয় একজন আলিম আল্লাহ ও তাঁর বান্দার মধ্যবর্তী বিষয়াবলীতে প্রবেশ করে। ফলে সে যেন নিজের জন্য (তা থেকে) বের হওয়ার পথ খুঁজে নেয়।’[1]
[1] তাহক্বীক্ব: ইবনুল মুনকাদির পর্যন্ত সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আবু নুয়াইম, হিলইয়া ৩/১৫৩; খতীব, ফকীহ ওয়াল মুতাফকিহ নং ১০৮৮-১০৮৯ সনদ সহীহ।
بَابُ مَنْ هَابَ الْفُتْيَا وَكَرِهَ التَّنَطُّعَ وَالتَّبَدُّعَ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْحَجَّاجِ، قَالَ سَمِعْتُ سُفْيَانَ، عَنِ ابْنِ الْمُنْكَدِرِ، قَالَ: إِنَّ الْعَالِمَ يَدْخُلُ فِيمَا بَيْنَ اللَّهِ وَبَيْنَ عِبَادِهِ، فَلْيَطْلُبْ لِنَفْسِهِ الْمَخْرَجَ
إسناده صحيح إلى ابن المنكدر
أخبرنا أحمد بن الحجاج، قال سمعت سفيان، عن ابن المنكدر، قال: إن العالم يدخل فيما بين الله وبين عباده، فليطلب لنفسه المخرج إسناده صحيح إلى ابن المنكدر
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১৪০
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৯. যে ব্যক্তি ফাতওয়া প্রদানে ভয় পান এবং অধিক বাড়াবাড়ি করা ও বিদ’আত বা নতুন মত প্রবর্তন করাকে অপছন্দ করেন
১৪০. মিস’আর থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মা’ন ইবনু আব্দুর রহমান আমার নিকট একটি কিতাব বের করে আনলেন, তারপর আল্লাহর নামে কসম করে বললেন, এটি তার পিতার হাতের লেখা। সেখানে লেখা ছিল, আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, সেই মহান সত্তার কসম, যিনি ছাড়া কোন উপাস্য নেই, ’দ্বীনের ব্যাপারে অতিরঞ্জনকারী (নিজের উপর কঠোরতাকারী)’-দের বিরুদ্ধে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চেয়ে অধিক কঠোর আমি আর কাউকে দেখিনি। অনুরূপভাবে তাদের বিরুদ্ধে আবু বকরের চেয়ে কঠোর আর কাউকে দেখিনি। আর তাদের বিরুদ্ধে কিংবা তাদের জন্য উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর চেয়ে ভয়ংকর কাউকে দেখিনি।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা, আল মুছান্নাফ ৯/৫০ নং ৬৪৮০; আবী ইয়ালা আল মুসনাদ ৮/৪৩৮ নং ৫০২২; তাবারাণী, মু’জামুল কাবীর ১০/২১৬ নং ১০৩৬৭।
بَابُ مَنْ هَابَ الْفُتْيَا وَكَرِهَ التَّنَطُّعَ وَالتَّبَدُّعَ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ قُدَامَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ مِسْعَرٍ قَالَ: أَخْرَجَ إِلَيَّ مَعْنُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ كِتَابًا، فَحَلَفَ لِي بِاللَّهِ أنَّهُ خَطُّ أَبِيهِ، فَإِذَا فِيهِ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: وَالَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ «مَا رَأَيْتُ أَحَدًا كَانَ أَشَدَّ عَلَى الْمُتَنَطِّعِينَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمَا رَأَيْتُ أَحَدًا كَانَ أَشَدَّ عَلَيْهِمْ مِنْ أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ – وَإِنِّي لَأَرَى عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ – كَانَ أَشَدَّ خَوْفًا عَلَيْهِمْ أَوْ لَهُمْ
إسناده صحيح
أخبرنا محمد بن قدامة، حدثنا أبو أسامة، عن مسعر قال: أخرج إلي معن بن عبد الرحمن كتابا، فحلف لي بالله أنه خط أبيه، فإذا فيه: قال عبد الله: والذي لا إله إلا هو «ما رأيت أحدا كان أشد على المتنطعين من رسول الله صلى الله عليه وسلم، وما رأيت أحدا كان أشد عليهم من أبي بكر رضي الله عنه – وإني لأرى عمر رضي الله عنه – كان أشد خوفا عليهم أو لهم إسناده صحيح
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১৪১
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৯. যে ব্যক্তি ফাতওয়া প্রদানে ভয় পান এবং অধিক বাড়াবাড়ি করা ও বিদ’আত বা নতুন মত প্রবর্তন করাকে অপছন্দ করেন
১৪১. উছমান ইবনু হাযির আল-আযদী থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা’র নিকট প্রবেশ করে তাঁকে বললাম, আমাকে কিছু উপদেশ দিন। তিনি বললেন, ঠিক আছে, শোন। তুমি অবশ্যই আল্লাহকে ভয় করে চলবে, আর (দ্বীনে) অবিচল থাকবে। আর ইত্তিবা বা অনুসরণ করবে আর কখনো নতুন কিছু উদ্ভাবন (বিদ’আত) করবে না ।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ। কেননা, এর রাবী যাম’আহ যয়ীফ। (তবে মারওয়াযী, তার আস সুন্নাহ নং ৮৩ তে এটি হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন।)
তাখরীজ: ইবনু বাত্তাহ, আল ইবানাহ, ১/৩৩৭ নং ২০০, ২০৬,২৩৩; ইবনু আবী যামনীন, উসুলুস সুন্নাহ নং ১২; খতীব, আল ফাকিহ ওয়াল মুতাফাক্বিহ ১/১৭৩; ইবনু ওয়াদা, আল বিদা’আ ওয়ান নিহায়া আনহা, পৃ. ২৫; অপর সনদে মারওয়াযী, আস সুন্নাহ নং ৮৩-তে ইবনু আব্বাস হতে হাসান সনদে এটি বর্ণনা করেছেন।
بَابُ مَنْ هَابَ الْفُتْيَا وَكَرِهَ التَّنَطُّعَ وَالتَّبَدُّعَ
أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا زَمْعَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ حَاضِرٍ الْأَزْدِيِّ، قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا فَقُلْتُ أَوْصِنِي. فَقَالَ: نَعَمْ، عَلَيْكَ بِتَقْوَى اللَّهِ، وَالِاسْتِقَامَةِ، اتَّبِعْ وَلَا تَبْتَدِعْ
إسناده ضعيف لضعف زمعة
أخبرنا أبو نعيم، حدثنا زمعة بن صالح، عن عثمان بن حاضر الأزدي، قال: دخلت على ابن عباس رضي الله عنهما فقلت أوصني. فقال: نعم، عليك بتقوى الله، والاستقامة، اتبع ولا تبتدع إسناده ضعيف لضعف زمعة
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১৪২
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৯. যে ব্যক্তি ফাতওয়া প্রদানে ভয় পান এবং অধিক বাড়াবাড়ি করা ও বিদ’আত বা নতুন মত প্রবর্তন করাকে অপছন্দ করেন
১৪২. ইবনু সীরীন বলেন, তারা (তাবিঈদের সময়কার লোকেরা) মনে করতেন, যতক্ষণ পর্যন্ত কোন লোক হাদীসের উপর আমল করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত (সঠিক) পথেই থাকবে।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: ইবনু আব্দুল বার, জামিউ বায়ানিল ইলম, নং ১৭৭৮-১৭৭৯; সুয়ূতী, মিফতাহুল জান্নাহ পৃ: ২৯।
بَابُ مَنْ هَابَ الْفُتْيَا وَكَرِهَ التَّنَطُّعَ وَالتَّبَدُّعَ
أَخْبَرَنَا مَخْلَدُ بْنُ مَالِكِ بْنِ جَابِرٍ، أَنبَأَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، قَالَ: كَانُوا يَرَوْنَ أَنَّهُ عَلَى الطَّرِيقِ مَا كَانَ عَلَى الْأَثَرِ
إسناده صحيح
أخبرنا مخلد بن مالك بن جابر، أنبأنا النضر بن شميل، عن ابن عون، عن ابن سيرين، قال: كانوا يرون أنه على الطريق ما كان على الأثر إسناده صحيح
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১৪৩
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৯. যে ব্যক্তি ফাতওয়া প্রদানে ভয় পান এবং অধিক বাড়াবাড়ি করা ও বিদ’আত বা নতুন মত প্রবর্তন করাকে অপছন্দ করেন
১৪৩. ইবনু সীরীন হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত (কোন লোক) হাদীসের উপর আমল করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সে সঠিক পথেই থাকবে।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ; পুর্বের হাদীসের অনুরূপ।
بَابُ مَنْ هَابَ الْفُتْيَا وَكَرِهَ التَّنَطُّعَ وَالتَّبَدُّعَ
أَخْبَرَنَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا أَزْهَرُ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ قَالَ: «مَا دَامَ عَلَى الْأَثَرِ فَهُوَ عَلَى الطَّرِيقِ
إسناده صحيح
أخبرنا يوسف بن موسى، حدثنا أزهر، عن ابن عون، عن ابن سيرين قال: «ما دام على الأثر فهو على الطريق إسناده صحيح
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১৪৪
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৯. যে ব্যক্তি ফাতওয়া প্রদানে ভয় পান এবং অধিক বাড়াবাড়ি করা ও বিদ’আত বা নতুন মত প্রবর্তন করাকে অপছন্দ করেন
১৪৪. আবু কিলাবা হতে বর্ণিত, ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন: ইলম উঠিয়ে নেওয়ার পূর্বেই তোমরা তা শিখে নাও। আর ইলম উঠে যাওয়া অর্থ হলো আহলে ইলম বা জ্ঞানীদের মৃত্যু হওয়া। তোমরা (দ্বীনের ব্যাপারে নিজেদের উপর) কঠোরতা করা, গভীরে প্রবেশ (চুলচেরা বিশ্লেষণ) করা এবং নতুন বিষয় উদ্ভাবন (বিদ’আত) থেকে সাবধান থাকবে। আর প্রাচীনদের (পদ্ধতি তথা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর মহান সাহাবীদের [1]) কে আঁকড়ে থাকবে।[2]
[1] ফতহুল মান্নান, অত্র হাদীসের ব্যাখ্যা দ্র:
[2] তাহক্বীক্ব: এর বর্ণনাকারীগণ বিশ্বস্ত। তবে এতে ‘ইনক্বিতা’ (বিচ্ছিন্নতা) রয়েছে। আবী কিলাবাহ ইবনু মাসউদের সাক্ষাত পাননি।
তাখরীজ: ইবনু বাত্তাহ, আল ইবানাহ ১/৩২৪ নং ১৬৮; সূয়ূতী, মিফতাহুল জান্নাহ’, পৃ: ৩০ এ একে বাইহাকীর মাদখাল-এর দিকে সম্পৃক্ত করেছেন।
بَابُ مَنْ هَابَ الْفُتْيَا وَكَرِهَ التَّنَطُّعَ وَالتَّبَدُّعَ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: «تَعَلَّمُوا الْعِلْمَ قَبْلَ أَنْ يُقْبَضَ، وَقَبْضُهُ أَنْ يَذْهَبَ أَهْلُهُ، أَلَا وَإِيَّاكُمْ وَالتَّنَطُّعَ، وَالتَّعَمُّقَ، وَالْبِدَعَ، وَعَلَيْكُمْ بِالْعَتِيقِ
رجاله ثقات غير أنه منقطع أبو قلابة: عبد الله بن زيد الجرمي لم يدرك عبد الله بن مسعود
أخبرنا أبو المغيرة، حدثنا الأوزاعي، عن يحيى بن أبي كثير، عن أبي قلابة، قال: قال عبد الله بن مسعود رضي الله عنه: «تعلموا العلم قبل أن يقبض، وقبضه أن يذهب أهله، ألا وإياكم والتنطع، والتعمق، والبدع، وعليكم بالعتيق رجاله ثقات غير أنه منقطع أبو قلابة: عبد الله بن زيد الجرمي لم يدرك عبد الله بن مسعود
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১৪৫
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৯. যে ব্যক্তি ফাতওয়া প্রদানে ভয় পান এবং অধিক বাড়াবাড়ি করা ও বিদ’আত বা নতুন মত প্রবর্তন করাকে অপছন্দ করেন
১৪৫. আবী কিলাবাহ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ইলম উঠিয়ে নেওয়ার পূর্বেই তোমরা তা অর্জন করবে। আর ইলম উঠে যাওয়া অর্থ হলো আহলে ইলম বা জ্ঞানীদের মৃত্যু হওয়া। তোমরা অবশ্যই ইলম অর্জন করবে। কেননা, তোমরা কেউ জানো না, কখন তোমার এ ইলমের প্রয়োজন হবে, অথবা কোন সময় তোমাদের নিকট রক্ষিত (এ ইলমের) প্রয়োজনীয়তা (অন্যদের নিকট) অনুভূত হবে। অচিরেই তোমরা এমন কিছু লোকের সাক্ষাত পাবে যাদের ধারণা, তারা তোমাদেরকে আল্লাহর কিতাবের দিকেই আহ্বান করছে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা একে (কিতাবকে) তাদের পশ্চাতে নিক্ষেপ করেছে। সুতরাং তোমাদের উপর অবশ্য কর্তব্য হল ইলম অর্জন করা। আর তোমরা নতুন বিষয় উদ্ভাবন (বিদ’আত) থেকে বেঁচে থাকবে। তোমরা (দ্বীনের ব্যাপারে নিজেদের উপর) কঠোরতা আরোপ করা থেকে বেঁচে থাকবে, এবং কোন বিষয়ের গভীরে প্রবেশ (চুলচেরা বিশ্লেষণ) থেকেও বেঁচে থাকবে। তোমাদের উপর অবশ্য কর্তব্য হল, প্রাচীনদের (সুন্নাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সুন্নাতে সাহাবা)-কে আঁকড়ে থাকা।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ। এতে ‘ইনক্বিতা’ (বিচ্ছিন্নতা) রয়েছে। আবী কিলাবাহ ইবনু মাসউদের সাক্ষাত পাননি।
তাখরীজ: ইবনু বাত্তাহ, আল ইবানাহ ১/৩২৪ নং ১৬৯; মা’মার, জামি’ নং ২০৪৬৫; তাবারাণী, আল কাবীর ৯/১৮৯ নং ৮৮৪৫; মারওয়াযী, আস সুন্নাহ নং ৮৫; লালিকাই, শারহু উসুলুল ই’তিকাদ নং ১০৮; ইবনু ওয়াদা, আল বিদ’আ, পৃ. ২৫;
بَابُ مَنْ هَابَ الْفُتْيَا وَكَرِهَ التَّنَطُّعَ وَالتَّبَدُّعَ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، وَأَبُو النُّعْمَانِ عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، قَالَ: قَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ «عَلَيْكُمْ بِالْعِلْمِ قَبْلَ أَنْ يُقْبَضَ، وَقَبْضُهُ أَنْ يُذْهَبَ بِأَصْحَابِهِ، عَلَيْكُمْ بِالْعِلْمِ، فَإِنَّ أَحَدَكُمْ لَا يَدْرِي مَتَى يُفْتَقَرُ إِلَيْهِ أَوْ يُفْتَقَرُ إِلَى مَا عِنْدَهُ، إِنَّكُمْ سَتَجِدُونَ أَقْوَامًا يَزْعُمُونَ أَنَّهُمْ يَدْعُونَكُمْ إِلَى كِتَابِ اللَّهِ وَقَدْ نَبَذُوهُ وَرَاءَ ظُهُورِهِمْ فَعَلَيْكُمْ بِالْعِلْمِ، وَإِيَّاكُمْ وَالتَّبَدُّعَ، وَإِيَّاكُمْ وَالتَّنَطُّعَ، وَإِيَّاكُمْ وَالتَّعَمُّقَ، وَعَلَيْكُمْ بِالْعَتِيقِ
إسناده ضعيف لانقطاعه أبو قلابة لم يدرك ابن مسعود
حدثنا سليمان بن حرب، وأبو النعمان عن حماد بن زيد، عن أيوب، عن أبي قلابة، قال: قال ابن مسعود رضي الله عنه «عليكم بالعلم قبل أن يقبض، وقبضه أن يذهب بأصحابه، عليكم بالعلم، فإن أحدكم لا يدري متى يفتقر إليه أو يفتقر إلى ما عنده، إنكم ستجدون أقواما يزعمون أنهم يدعونكم إلى كتاب الله وقد نبذوه وراء ظهورهم فعليكم بالعلم، وإياكم والتبدع، وإياكم والتنطع، وإياكم والتعمق، وعليكم بالعتيق إسناده ضعيف لانقطاعه أبو قلابة لم يدرك ابن مسعود
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১৪৬
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৯. যে ব্যক্তি ফাতওয়া প্রদানে ভয় পান এবং অধিক বাড়াবাড়ি করা ও বিদ’আত বা নতুন মত প্রবর্তন করাকে অপছন্দ করেন
১৪৬. সুলাইমান ইবনু ইয়াসার রাহিমাহুল্লাহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’সুবাইগ’ নামে এক ব্যক্তি মদীনাতে এসে কুরআনের মুতাশাবিহা (অস্পষ্ট ও দ্ব্যর্থবোধক) আয়াত সম্পর্কে প্রশ্ন করতে শুরু করলো। তখন উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাকে ডাকতে লোক পাঠালেন এবং এদিকে তিনি খেজুরের কয়েকটি ডাল তার জন্য প্রস্তুত করে রাখলেন। (সে আসলে) তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কে? সে বলল, আমি আল্লাহর বান্দা সুবাইগ। তখন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু কেটে রাখা খেজুরের ডালগুলো হতে একটি ডাল নিয়ে তাকে পিটাতে লাগলেন এবং বলতে লাগলেন, আমি আল্লাহর বান্দা উমার। তিনি তাকে এভাবে পিটাতে থাকলেন। ফলে তার মাথা ফেটে রক্ত বের হতে লাগল। তখন সে বলল, হে আমীরুল মু’মিনীন, আপনি যথেষ্ট করেছেন। আমার মাথায় যা চেপেছিল, তা দূর হয়ে গেছে।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: রাবীগণ বিশ্বস্ত। কিন্তু এ সনদে ইনকিতা’ বা বিচ্ছিন্নতা রয়েছে। সুলায়মান ইবনু ইয়াসার উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু এর সাক্ষাত পাননি।
তাখরীজ: আজুরী, আশ শরীয়াহ, পৃ. ৭৫; দেখুন, পরবর্তী ১৫০ নং হাদীস।
بَابُ مَنْ هَابَ الْفُتْيَا وَكَرِهَ التَّنَطُّعَ وَالتَّبَدُّعَ
أَخْبَرَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ حَازِمٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ: أَنَّ رَجُلًا يُقَالُ لَهُ صَبِيغٌ قَدِمَ الْمَدِينَةَ فَجَعَلَ يَسْأَلُ عَنْ مُتَشَابِهِ الْقُرْآنِ، فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَقَدْ أَعَدَّ لَهُ عَرَاجِينَ النَّخْلِ، فَقَالَ: مَنْ أَنْتَ؟ قَالَ: أَنَا عَبْدُ اللَّهِ صَبِيغٌ، فَأَخَذَ عُمَرُ عُرْجُونًا مِنْ تِلْكَ الْعَرَاجِينِ، فَضَرَبَهُ وَقَالَ: أَنَا عَبْدُ اللَّهِ عُمَرُ، «فَجَعَلَ لَهُ ضَرْبًا حَتَّى دَمِيَ رَأْسُهُ،» فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، حَسْبُكَ، قَدْ ذَهَبَ الَّذِي كُنْتُ أَجِدُ فِي رَأْسِي
رجاله ثقات غير أنه منقطع سليمان بن يسار لم يدرك عمر بن الخطاب
أخبرنا أبو النعمان، حدثنا حماد بن زيد، حدثنا يزيد بن حازم، عن سليمان بن يسار: أن رجلا يقال له صبيغ قدم المدينة فجعل يسأل عن متشابه القرآن، فأرسل إليه عمر رضي الله عنه وقد أعد له عراجين النخل، فقال: من أنت؟ قال: أنا عبد الله صبيغ، فأخذ عمر عرجونا من تلك العراجين، فضربه وقال: أنا عبد الله عمر، «فجعل له ضربا حتى دمي رأسه،» فقال: يا أمير المؤمنين، حسبك، قد ذهب الذي كنت أجد في رأسي رجاله ثقات غير أنه منقطع سليمان بن يسار لم يدرك عمر بن الخطاب
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১৪৭
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৯. যে ব্যক্তি ফাতওয়া প্রদানে ভয় পান এবং অধিক বাড়াবাড়ি করা ও বিদ’আত বা নতুন মত প্রবর্তন করাকে অপছন্দ করেন
১৪৭. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তেলাওয়াত করলেন,
هُوَ الَّذِي أَنزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ مِنْهُ آيَاتٌ مُّحْكَمَاتٌ هُنَّ أُمُّ الْكِتَابِ وَأُخَرُ مُتَشَابِهَاتٌ
অর্থঃ তিনিই তোমার প্রতি গ্রন্থ অবতীর্ণ করেছেন, যাতে সুস্পষ্ট অকাট্য আয়াতসমূহ রয়েছে-ওগুলো গ্রন্থের মূল এ ব্যতীত কতিপয় আয়াত অস্পষ্ট; (সুরা আলে ইমরান, ৩ : ৭)
তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: ’তোমরা যে সকল লোকদেরকে কুরআনের মুতাশাবিহা আয়াতসমূহের পেছনে ছুটতে দেখবে,তোমরা তাদের থেকে সাবধান থাকবে।’[1]
[1] তাহক্বীক্ব: হাদীসটি বুখারী-মুসলিমে বর্ণিত। (মুহাক্বিক্ব বুখারী মুসলিমে বর্ণিত হওয়ায় হাদীসটির কোন হুকুমই উল্লেখ করেননি। কেনন, বুখারী-মুসলিমের সকল হাদীস সহীহ হওয়ার বিষয়ে সকল যুগে সকল বিশেষজ্ঞ আলিমগণ একমত পোষণ করেছেন।- অনুবাদক)
তাখরীজ: বুখারী, আস সহীহ, কিতাবুত তাফসীর, ৪৫৪৭; মুসলিম, আস সহীহ, কিতাবুল ইলম ২৬৬৫।
بَابُ مَنْ هَابَ الْفُتْيَا وَكَرِهَ التَّنَطُّعَ وَالتَّبَدُّعَ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، وَيَزِيدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: تَلَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (هُوَ الَّذِي أَنْزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ مِنْهُ آيَاتٌ مُحْكَمَاتٌ هُنَّ أُمُّ الْكِتَابِ وَأُخَرُ مُتَشَابِهَاتٌ) [آل عمران: 7]، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا رَأَيْتُمُ الَّذِينَ يَتَّبِعُونَ مَا تَشَابَهَ مِنْهُ فَاحْذَرُوهُمْ
حديث متفق عليه
أخبرنا أبو الوليد الطيالسي، حدثنا حماد بن سلمة، ويزيد بن إبراهيم، عن عبد الله بن أبي مليكة، عن القاسم، عن عائشة رضي الله عنها، قالت: تلا رسول الله صلى الله عليه وسلم (هو الذي أنزل عليك الكتاب منه آيات محكمات هن أم الكتاب وأخر متشابهات) [آل عمران: 7]، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «إذا رأيتم الذين يتبعون ما تشابه منه فاحذروهم حديث متفق عليه
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১৪৮
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৯. যে ব্যক্তি ফাতওয়া প্রদানে ভয় পান এবং অধিক বাড়াবাড়ি করা ও বিদ’আত বা নতুন মত প্রবর্তন করাকে অপছন্দ করেন
১৪৮. শাকীক রাহিমাহুল্লাহ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে কোন একটি বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হল। তখন তিনি বললেন, আমি অবশ্যই অপছন্দ করি যে, আল্লাহ তোমার উপর যা হারাম করেছেন, আমি তোমার জন্য তা হালাল ঘোষণা করে ফেলি। কিংবা আল্লাহ তোমার জন্য যা হালাল করেছেন, আমি তোমার জন্য তা হারাম করে ফেলি।’[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: এ হাদীসটি এখানে ব্যতীত অন্য কোথাও আমি পাইনি।
بَابُ مَنْ هَابَ الْفُتْيَا وَكَرِهَ التَّنَطُّعَ وَالتَّبَدُّعَ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا حَفْصٌ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ قَالَ: سُئِلَ عَبْدُ اللَّهِ عَنْ شَيْءٍ فَقَالَ: إِنِّي لَأَكْرَهُ أَنْ أُحِلَّ لَكَ شَيْئًا حَرَّمَهُ اللَّهُ عَلَيْكَ، أَوْ أُحَرِّمَ مَا أَحَلَّهُ اللَّهُ لَكَ
إسناده صحيح
أخبرنا عبد الله بن محمد، حدثنا حفص، عن الأعمش، عن شقيق قال: سئل عبد الله عن شيء فقال: إني لأكره أن أحل لك شيئا حرمه الله عليك، أو أحرم ما أحله الله لك إسناده صحيح
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১৪৯
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৯. যে ব্যক্তি ফাতওয়া প্রদানে ভয় পান এবং অধিক বাড়াবাড়ি করা ও বিদ’আত বা নতুন মত প্রবর্তন করাকে অপছন্দ করেন
১৪৯. ইবনু সীরীন রাহিমাহুল্লাহ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হুমাইদ ইবনু আব্দুর রহমান বলেন, আমি যা জানি না তা (জানার) ভান করার চেয়ে আমার অজ্ঞতা বা (জবাব দিতে) অক্ষমতার দরূণ তাকে ফিরিয়ে দেয়াটাই আমার নিকট অধিক প্রিয়।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ জাইয়্যেদ (উত্তম)।
তাখরীজ: আলফাসওয়ী, আল মা’রিফাত ওয়াত তারীখ ২/৬৮।
بَابُ مَنْ هَابَ الْفُتْيَا وَكَرِهَ التَّنَطُّعَ وَالتَّبَدُّعَ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الْفَزَارِيِّ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: «لَأَنْ أَرُدَّهُ بِعِيِّهِ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أَتَكَلَّفَ لَهُ مَا لَا أَعْلَمُ
أخبرنا محمد بن عيينة، عن أبي إسحاق الفزاري، عن ابن عون، عن ابن سيرين، عن حميد بن عبد الرحمن، قال: «لأن أرده بعيه أحب إلي من أن أتكلف له ما لا أعلم
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১৫০
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৯. যে ব্যক্তি ফাতওয়া প্রদানে ভয় পান এবং অধিক বাড়াবাড়ি করা ও বিদ’আত বা নতুন মত প্রবর্তন করাকে অপছন্দ করেন
১৫০. আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমার মুক্তদাস নাফি’ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, সুবাইগ আল ইরাকী মুসলিম সৈন্যদের মাঝে কুরআনের কিছু বিষয় সম্পর্কে প্রশ্ন করতে থাকে। অবশেষে সে মিশরে পৌঁছে যায়। তখন আমর ইবনুল ’আস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু উমার ইবনুল খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু’র নিকট তাকে পাঠিয়ে দেন (দূত মারফত চিঠিসহ)। যখন দূত চিঠি নিয়ে তাঁর নিকট এলো, তখন তিনি চিঠিটি পাঠ করে বললেন, লোকটি কোথায়? দূত বলল, সে বাহনের উপর আছে। ’উমার বললেন, দেখো, সে যেন আবার পালিয়ে না যায়। তেমন হলে তার জন্য তোমার উপর আমার পক্ষ থেকে বেদনাদায়ক শাস্তি আপতিত হবে। ফলে দূত তাকে নিয়ে আসল। তখন উমার বললেন: তুমি (দেখছি) নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে প্রশ্ন করে বেড়াচ্ছো। তিনি এক ব্যক্তিকে পাঠালেন খেজুরের ডাল নিয়ে আসার জন্য। সেই ডাল দিয়ে তিনি তাকে পেটাতে লাগলেন এমনকি তার পিঠ ঘায়েল করে ছাড়লেন। তারপর তাকে ছেড়ে দিলেন। যখন সে সুস্থ হল, তখন তিনি আবার তাকে পেটালেন। তারপর তাকে ছেড়ে দিলেন। তারপর যখন সে সুস্থ হল, তখন আবার তাকে মারার জন্য ডাকলেন। তিনি (রাবী) বলেন, তখন সুবাইগ বলল, আপনি যদি আমাকে হত্যা করার ইচ্ছা করেন, তবে সুন্দরভাবে আমাকে হত্যা করুন। আর যদি আপনি আমার রোগমুক্তি কামনা করেন, তাহলে, আল্লাহর কসম আমি রোগমুক্তি লাভ করেছি। তখন তাকে তার দেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হল এবং আবু মুসা আল আশ’আরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু’র নিকট তিনি লিখে পাঠালেন যে, তার নিকট যেন কোন মুসলিমকে বসতে দেয়া না হয়। ফলে লোকটির নিকট তা অত্যন্ত কঠিন ঠেকলো। তখন আবু মুসা রাদিয়াল্লাহু আনহু, উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু এর নিকট লিখে পাঠালেন যে, সে উত্তম তাওবা করেছে। তখন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু লিখে পাঠালেন যে, এখন লোকদেরকে যেন তার নিকট বসার অনুমতি দেয়া হয়।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ যয়ীফ, কেননা, আব্দুল্লাহ ইবনু সালিহ যয়ীফ। এছাড়া এতে ‘ইনক্বিতা’ বা বিচ্ছিন্নতা রয়েছে। কারণ, নাফি’ উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর সাক্ষাত পাননি। আল্লাহই ভাল জানেন।
তাখরীজ: ইবনু ওয়াদাহ, আল বিদ’আ, পৃ: ৫৬; আজুরী, আশ শরিয়াহ পৃ. ৭৫; পূর্বে ১৪৬ নং আছারটি দেখুন।
بَابُ مَنْ هَابَ الْفُتْيَا وَكَرِهَ التَّنَطُّعَ وَالتَّبَدُّعَ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، أَخْبَرَنِي ابْنُ عَجْلَانَ، عَنْ نَافِعٍ مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ صَبِيغًا الْعِرَاقِيَّ جَعَلَ يَسْأَلُ عَنْ أَشْيَاءَ مِنَ الْقُرْآنِ فِي أَجْنَادِ الْمُسْلِمِينَ حَتَّى قَدِمَ مِصْرَ، فَبَعَثَ بِهِ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَلَمَّا أَتَاهُ الرَّسُولُ بِالْكِتَابِ فَقَرَأَهُ فَقَالَ: أَيْنَ الرَّجُلُ؟ فَقَالَ: فِي الرَّحْلِ، قَالَ عُمَرُ: «أَبْصِرْ أَنْ يكونَ ذَهَبَ فَتُصِيبَكَ مِنِّي بِهِ الْعُقُوبَةُ الْمُوجِعَةُ»، فَأَتَاهُ بِهِ، فَقَالَ عُمَرُ: «تَسْأَلُ مُحْدَثَةً»، فأرْسلَ عُمَرُ إِلَى رَطَائِبَ مِنْ جَرِيدٍ، ” فَضَرَبَهُ بِهَا حَتَّى تَرَكَ ظَهْرَهُ دَبِرَةً، ثُمَّ تَرَكَهُ حَتَّى بَرَأَ، ثُمَّ عَادَ لَهُ، ثُمَّ تَرَكَهُ حَتَّى بَرَأَ، فَدَعَا بِهِ لِيَعُودَ لَهُ، قَالَ: فقالَ صَبِيغٌ: إِنْ كُنْتَ تُرِيدُ قَتْلِي، فَاقْتُلْنِي قَتْلًا جَمِيلًا، وَإِنْ كُنْتَ تُرِيدُ أَنْ تُدَاوِيَنِي، فَقَدْ وَاللَّهِ بَرَأْتُ، فَأَذِنَ لَهُ إِلَى أَرْضِهِ، وَكَتَبَ إِلَى أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنْ لَا يُجَالِسَهُ أَحَدٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، فَاشْتَدَّ ذَلِكَ عَلَى الرَّجُلِ، فَكَتَبَ أَبُو مُوسَى إِلَى عُمَرَ: أَنْ قَدْ حَسُنَتْ تَوْبَتُهُ، فَكَتَبَ عُمَرُ: أنِ ائْذَنْ لِلنَّاسِ بِمُجَالَسَتِهِ
إسناده ضعيف لضعف عبد الله بن صالح
أخبرنا عبد الله بن صالح، حدثني الليث، أخبرني ابن عجلان، عن نافع مولى عبد الله، أن صبيغا العراقي جعل يسأل عن أشياء من القرآن في أجناد المسلمين حتى قدم مصر، فبعث به عمرو بن العاص رضي الله عنه إلى عمر بن الخطاب رضي الله عنه فلما أتاه الرسول بالكتاب فقرأه فقال: أين الرجل؟ فقال: في الرحل، قال عمر: «أبصر أن يكون ذهب فتصيبك مني به العقوبة الموجعة»، فأتاه به، فقال عمر: «تسأل محدثة»، فأرسل عمر إلى رطائب من جريد، ” فضربه بها حتى ترك ظهره دبرة، ثم تركه حتى برأ، ثم عاد له، ثم تركه حتى برأ، فدعا به ليعود له، قال: فقال صبيغ: إن كنت تريد قتلي، فاقتلني قتلا جميلا، وإن كنت تريد أن تداويني، فقد والله برأت، فأذن له إلى أرضه، وكتب إلى أبي موسى الأشعري رضي الله عنه أن لا يجالسه أحد من المسلمين، فاشتد ذلك على الرجل، فكتب أبو موسى إلى عمر: أن قد حسنت توبته، فكتب عمر: أن ائذن للناس بمجالسته إسناده ضعيف لضعف عبد الله بن صالح
হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১৫১
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৯. যে ব্যক্তি ফাতওয়া প্রদানে ভয় পান এবং অধিক বাড়াবাড়ি করা ও বিদ’আত বা নতুন মত প্রবর্তন করাকে অপছন্দ করেন
১৫১. আমির রাহিমাহুল্লাহ বলেন, এক ব্যক্তি উবাই ইবনু কা’ব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর নিকট ফতোয়া চাইলো। অতঃপর বললো, হে আবুল মুনযির! আপনি এই এই বিষয়ে কী বলেন? তিনি বললেন, বেটা! তুমি আমাকে যেই বিষয়ে জিজ্ঞেস করেছ, সেটা কি ঘটেছে? সে বললো, না। তিনি বললেন, যদি না-ই ঘটে, তবে তা ঘটা পর্যন্ত সে ব্যাপারে আমাকে (জিজ্ঞেস করা) স্থগিত রাখ। যখন তা ঘটবে, তখন আমরা সমস্যাটি নিয়ে নিজেরা কথা বলব, যাতে আমরা তোমাদেরকে জানাতে পারি।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: সনদ যয়ীফ, ‘ইনকিতা’ বা বিচ্ছিন্নতার কারণে। আমির শা’বী উবাই ইবনু কা’ব-এর সাক্ষাত পাননি। (তবে অপর সনদে উবাই রা: এর পরবর্তী আছারটি সহীহ-অনুবাদক।)
তাখরীজ: পরবর্তী হাদীসের টীকা দেখুন।
بَابُ مَنْ هَابَ الْفُتْيَا وَكَرِهَ التَّنَطُّعَ وَالتَّبَدُّعَ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، قَالَ: سَمِعْتُ عَامِرًا يَقُولُ: اسْتَفْتَى رَجُلٌ أُبَيَّ بْنَ كَعْبٍ، فَقَالَ: يَا أَبَا الْمُنْذِرِ، مَا تَقُولُ فِي كَذَا وَكَذَا؟ قَالَ: «يَا بُنَيَّ، أَكَانَ الَّذِي سَأَلْتَنِي عَنْهُ؟»، قَالَ: لَا، قَالَ: «أَمَّا لَا»، فَأَجِّلْنِي حَتَّى يَكُونَ، فَنُعَالِجَ أَنْفُسَنَا حَتَّى نُخْبِرَكَ
إسناده ضعيف لانقطاعه عامر الشعبي لم يدرك أبي بن كعب
أخبرنا أحمد بن عبد الله بن يونس، حدثنا زهير، حدثنا إسماعيل بن أبي خالد، قال: سمعت عامرا يقول: استفتى رجل أبي بن كعب، فقال: يا أبا المنذر، ما تقول في كذا وكذا؟ قال: «يا بني، أكان الذي سألتني عنه؟»، قال: لا، قال: «أما لا»، فأجلني حتى يكون، فنعالج أنفسنا حتى نخبرك إسناده ضعيف لانقطاعه عامر الشعبي لم يدرك أبي بن كعب
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১৫২
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৯. যে ব্যক্তি ফাতওয়া প্রদানে ভয় পান এবং অধিক বাড়াবাড়ি করা ও বিদ’আত বা নতুন মত প্রবর্তন করাকে অপছন্দ করেন
১৫২. মাসরূক হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি উবাই ইবনু কা’ব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর সাথে হাঁটছিলাম। তখন একজন যুবক বলল, হে চাচা! এই এই বিষয়ে আপনার মতামত কী? তখন তিনি বলেন, হে ভাতিজা! এটা কি ঘটেছে? সে বলল, না। তিনি বললেন, সেটা না ঘটা পর্যন্ত তা থেকে আমাদেরকে অব্যাহতি দাও।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আবু খায়ছামা, আল ইলম, নং ৭৬; খতীব, ফাকিহ ওয়াল মুতাফাকিহ ২/৮; ইবনু বাত্তাহ, আল ইবানাহ১/৪০৮; ইবনু আব্দুল বাররাহ, জামিই’ বয়ানুল ইলম, নং ১৬০৪, সনদ সহীহ।
بَابُ مَنْ هَابَ الْفُتْيَا وَكَرِهَ التَّنَطُّعَ وَالتَّبَدُّعَ
أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو عَوَانَةَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَنْ فِرَاسٍ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ قَالَ: كُنْتُ أَمْشِي مَعَ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَقَالَ فَتًى: مَا تَقُولُ يَا عَمَّاهُ كَذَا وَكَذَا؟ قَالَ: يَا ابْنَ أَخِي، أَكَانَ هَذَا؟ قَالَ: لَا، قَالَ: فَأَعْفِنَا حَتَّى يَكُونَ
إسناده صحيح
أخبرنا يحيى بن حماد، أخبرنا أبو عوانة، قال: أخبرنا عن فراس، عن عامر، عن مسروق قال: كنت أمشي مع أبي بن كعب رضي الله عنه فقال فتى: ما تقول يا عماه كذا وكذا؟ قال: يا ابن أخي، أكان هذا؟ قال: لا، قال: فأعفنا حتى يكون إسناده صحيح
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১৫৩
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৯. যে ব্যক্তি ফাতওয়া প্রদানে ভয় পান এবং অধিক বাড়াবাড়ি করা ও বিদ’আত বা নতুন মত প্রবর্তন করাকে অপছন্দ করেন
১৫৩. আ’মাশ রাহিমাহুল্লাহ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইবরাহীমকে যখন কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হত, তখন তিনি কেবলমাত্র সেই কথাটারই জবাব দিতেন যে বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হতো (এর অতিরিক্ত কোন কথা বলতেন না)।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আবু নুয়াইম, হিলইয়া ৪/২১৯-২২০।
بَابُ مَنْ هَابَ الْفُتْيَا وَكَرِهَ التَّنَطُّعَ وَالتَّبَدُّعَ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ قَالَ: كَانَ إِبْرَاهِيمُ «إِذَا سُئِلَ عَنْ شَيْءٍ لَمْ يُجِبْ فِيهِ إِلَّا جَوَابَ الَّذِي سُئِلَ عَنْهُ
إسناده صحيح
أخبرنا عبد الله بن سعيد، حدثنا أبو أسامة، عن الأعمش قال: كان إبراهيم «إذا سئل عن شيء لم يجب فيه إلا جواب الذي سئل عنه إسناده صحيح
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১৫৪
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৯. যে ব্যক্তি ফাতওয়া প্রদানে ভয় পান এবং অধিক বাড়াবাড়ি করা ও বিদ’আত বা নতুন মত প্রবর্তন করাকে অপছন্দ করেন
১৫৪. হিশাম বলেন, মুহাম্মাদ ইবনু সীরীন হতে বর্ণিত, তিনি লজ্জাস্থান (হালাল-হারাম হওয়ার) বিষয়ে (অর্থাৎ বিয়ে ও তালাকের বিষয়ে), যাতে ইখতিলাফ বা মতভেদ রয়েছে, এ রকম কোন বিষয়ে কোন ফতওয়া দিতেন না।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: (মুহাক্বিক্ব এর কোন তাখরীজ দেননি।- অনুবাদক)
بَابُ مَنْ هَابَ الْفُتْيَا وَكَرِهَ التَّنَطُّعَ وَالتَّبَدُّعَ
أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنْ وُهَيْبٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ: أَنَّهُ كَانَ «لَا يُفْتِي فِي الْفَرْجِ بِشَيْءٍ فِيهِ اخْتِلَافٌ
إسناده صحيح
أخبرنا الحسين بن منصور، حدثنا الحسين بن الوليد، عن وهيب، عن هشام، عن محمد بن سيرين: أنه كان «لا يفتي في الفرج بشيء فيه اختلاف إسناده صحيح
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১৫৫
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৯. যে ব্যক্তি ফাতওয়া প্রদানে ভয় পান এবং অধিক বাড়াবাড়ি করা ও বিদ’আত বা নতুন মত প্রবর্তন করাকে অপছন্দ করেন
১৫৫. সালত ইবনু রাশিদ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি তাউসকে একটি মাস’আলা জিজ্ঞেস করলাম। তখন তিনি আমাকে বললেন, এটা কি ঘটেছে? আমি বললাম, হ্যাঁ।
তিনি বললেন: আল্লাহর কসম! আমিও বললাম, আল্লাহর কসম! তারপর তিনি বললেন: আমাদের সাথীগণ মু’আয ইবনু জাবাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু সম্পর্কে আমাদেরকে বলেছেন যে, তিনি বলেন: হে মানবমণ্ডলী! বালা’-মুসীবত নাযিল হওয়ার পূর্বে তোমরা তা নিয়ে তাড়াহুড়া করনা। (যদি কর) তবে এইখানে এইখানে তোমাদেরকে ধ্বংস করে দেয়া হবে। যদি কোন বালা-মুসিবত আসার পূর্বে তা নিয়ে তোমরা তাড়াহুড়া না কর, তাহলে মুসলিমদের মাঝে সর্বদা এমন ব্যক্তিবর্গ থাকবে যাদেরকে যখন কোন কিছু জিজ্ঞাসা করা হবে তখন তাকে সঠিক পথ দেখানো হবে (সঠিক উত্তর দিবে) আর যখন সে কথা বলবে তখন তাকে সঠিক কথা বলার তাওফীক দেয়া হবে।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: ইবনু বাত্তাহ, আল ইবানাহ ১/৩৯৬ নং ২৯৩; ১১৮ নং হাদীসে এর পূর্ণ তাখরীজ দেয়া হয়েছে।
بَابُ مَنْ هَابَ الْفُتْيَا وَكَرِهَ التَّنَطُّعَ وَالتَّبَدُّعَ
أَخْبَرَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا الصَّلْتُ بْنُ رَاشِدٍ، قَالَ: سَأَلْتُ طَاوُسًا عَنْ مَسْأَلَةٍ فَقَالَ لِي: كَانَ هَذَا؟، قُلْتُ: نَعَمْ، قَالَ: آللَّهِ. قُلْتُ آللَّهِ. ثُمَّ قَالَ: إِنَّ أَصْحَابَنَا أَخْبَرُونَا عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّهُ قَالَ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ «لَا تَعْجَلُوا بِالْبَلَاءِ قَبْلَ نُزُولِهِ، فَيُذْهَبُ بِكُمْ هَاهُنَا وَهَاهُنَا، فَإِنَّكُمْ إِنْ لَمْ تَعْجَلُوا بِالْبَلَاءِ قَبْلَ نُزُولِهِ، لَمْ يَنْفَكَّ الْمُسْلِمُونَ أَنْ يَكُونَ فِيهِمْ مَنْ إِذَا سُئِلَ، سُدِّدَ،» وَإِذَا قَالَ، وُفِّقَ
إسناده صحيح
أخبرنا مسلم بن إبراهيم، حدثنا حماد بن زيد، حدثنا الصلت بن راشد، قال: سألت طاوسا عن مسألة فقال لي: كان هذا؟، قلت: نعم، قال: آلله. قلت آلله. ثم قال: إن أصحابنا أخبرونا عن معاذ بن جبل رضي الله عنه، أنه قال: يا أيها الناس «لا تعجلوا بالبلاء قبل نزوله، فيذهب بكم هاهنا وهاهنا، فإنكم إن لم تعجلوا بالبلاء قبل نزوله، لم ينفك المسلمون أن يكون فيهم من إذا سئل، سدد،» وإذا قال، وفق إسناده صحيح
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১৫৬
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৯. যে ব্যক্তি ফাতওয়া প্রদানে ভয় পান এবং অধিক বাড়াবাড়ি করা ও বিদ’আত বা নতুন মত প্রবর্তন করাকে অপছন্দ করেন
১৫৬. আমর ইবনু মাইমুনের পিতা ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি তাকে এমন ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম যে ব্যক্তি দুই রমাযান মাসই পায় (অর্থাৎ লাগাতার দুই রমাযান রোযা রাখেনি অথবা এক রমযানের রোযা কাযা অবস্থায় আরেক রমযান এসে যায়)। তিনি তখন বললেন, এটা কি সংঘটিত হয়েছে, নাকি হবে? তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন, এটি এখনও ঘটেনি। তিনি বলেন, কোন বিপদ বা পরীক্ষা আপতিত হওয়ার আগ পর্যন্ত (সে সম্পর্কে প্রশ্ন করা) পরিহার করবে। (মাইমুন বলেন) আমরা মিছামিছি এক ব্যক্তিকে সাজিয়ে তার নিকট নিয়ে এলাম। সে এসে বলল, তা ঘটেছে। তখন তার জবাবে তিনি বললেন: দু’ রমযানের প্রথম রমযান মাসের কাফফারা হিসাবে ত্রিশজন মিসকিনকে খাদ্য খাওয়াবে। অর্থাৎ প্রতিদিনের জন্য একজন করে মিসকীনকে খাওয়াবে।’[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: বাইহাকী, সিয়াম ৪/২৫৩; আব্দুর রাযযাক, আল মুছান্নাফ ৪/২৩৬ নং ৭৬২৮।
এর শাহিদ রয়েছে আবূ হুরাইরা রা: হতে সহীহ সনদে, দেখুন, সুনানে দারুকুতনী ২/১৯৬ ও পরবর্তীগুলি; নববী, আল মাজমু’ ৬/৩৬৩-৩৬৪; আলমুগনী ৩/৮৩-৮৪ এবং মা’রিফাতুস সুনান ওয়াল আছার ৬/৩০৬।
بَابُ مَنْ هَابَ الْفُتْيَا وَكَرِهَ التَّنَطُّعَ وَالتَّبَدُّعَ
حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْحَكَمِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، – سَأَلْتُهُ عَنْ رَجُلٍ أَدْرَكَهُ رَمَضَانَانِ – فَقَالَ: أَكَانَ أَوْ لَمْ يَكُنْ؟ قَالَ: لَمْ يَكُنْ بَعْدُ، قَالَ: «اتْرُكْ بَلِيَّتَهُ حَتَّى تَنْزِلَ»، قَالَ: فَدَلَّسْنَا لَهُ رَجُلًا، فَقَالَ: قَدْ كَانَ، فَقَالَ: يُطْعِمُ عَنِ الْأَوَّلِ مِنْهُمَا ثَلَاثِينَ مِسْكِينًا، لِكُلِّ يَوْمٍ مِسْكِينٌ
إسناده صحيح
حدثنا بشر بن الحكم، حدثنا عبد العزيز بن محمد، عن عمرو بن ميمون، عن أبيه، عن ابن عباس رضي الله عنهما، – سألته عن رجل أدركه رمضانان – فقال: أكان أو لم يكن؟ قال: لم يكن بعد، قال: «اترك بليته حتى تنزل»، قال: فدلسنا له رجلا، فقال: قد كان، فقال: يطعم عن الأول منهما ثلاثين مسكينا، لكل يوم مسكين إسناده صحيح
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১৫৭
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৯. যে ব্যক্তি ফাতওয়া প্রদানে ভয় পান এবং অধিক বাড়াবাড়ি করা ও বিদ’আত বা নতুন মত প্রবর্তন করাকে অপছন্দ করেন
১৫৭. উবাইদ ইবনু জুরাইজ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি মক্কায় একদিন ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমার নিকট বসতাম, আর অন্যদিন বসতাম ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমার নিকট। ইবনু উমারকে যেসকল বিষয় জিজ্ঞাসা করা হত, তার মধ্যে তিনি যে কয়টি বিষয়ে ফতোয়া দিতেন, তার চেয়ে অধিক সংখ্যক বিষয়ে বলতেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই।’[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান।
তাখরীজ: দেখুন, খতীব, আল ফাকিহ ওয়াল মুতাফাক্কিহ, ২/১৭২।
بَابُ مَنْ هَابَ الْفُتْيَا وَكَرِهَ التَّنَطُّعَ وَالتَّبَدُّعَ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عِمْرَانَ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا الْعُمَرِيُّ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ: كُنْتُ أَجْلِسُ بِمَكَّةَ إِلَى ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَوْمًا، وَإِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا يَوْمًا، فَمَا يَقُولُ ابْنُ عُمَرَ فِيمَا يُسْأَلُ: ” لَا عِلْمَ لِي، أَكْثَرُ مِمَّا يُفْتِي بِهِ
إسناده حسن
أخبرنا عبد الله بن عمران، حدثنا إسحاق بن سليمان، حدثنا العمري، عن عبيد بن جريج، قال: كنت أجلس بمكة إلى ابن عمر رضي الله عنه، يوما، وإلى ابن عباس رضي الله عنهما يوما، فما يقول ابن عمر فيما يسأل: ” لا علم لي، أكثر مما يفتي به إسناده حسن
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)
১৫৮
শেয়ার ও অন্যান্য
বাংলা/ العربية
পরিচ্ছেদঃ ১৯. যে ব্যক্তি ফাতওয়া প্রদানে ভয় পান এবং অধিক বাড়াবাড়ি করা ও বিদ’আত বা নতুন মত প্রবর্তন করাকে অপছন্দ করেন
১৫৮. আবী ওয়াইল থেকে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলতেন, তোমরা জ্ঞান অর্জন কর। কেননা, তোমরা জান না, কোন্ সময় (বিভিন্ন প্রান্ত থেকে) লোকেরা তোমার নিকট (জ্ঞান অন্বেষণ করতে) আসবে।[1]
[1] তাহ্ক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: ইবনু আব্দুল বার, জামি’ বায়ানুল ইলম, ১/৩৬৭ নং ৫১০; আবু খায়ছামা, আল ইলম, নং ৮। আরো দেখুন, হাদীস ১৪৫।
بَابُ مَنْ هَابَ الْفُتْيَا وَكَرِهَ التَّنَطُّعَ وَالتَّبَدُّعَ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: «تَعَلَّمُوا، فَإِنَّ أَحَدَكُمْ لَا يَدْرِي مَتَى يُخْتلَفُ إِلَيْهِ
إسناده صحيح
أخبرنا محمد بن يوسف، عن سفيان، عن الأعمش، عن أبي وائل، قال: قال عبد الله: «تعلموا، فإن أحدكم لا يدري متى يختلف إليه إسناده صحيح
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ভূমিকা (المقدمة)