আহমদ মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] অধ্যায় ১১শ ভাগ হাদিস নং ১১৮১ – ১২৮০

পরিচ্ছেদঃ

১১৮১। ৬২১ নং হাদীস দ্রষ্টব্য। (অদৃষ্ট নির্ধারিত থাকলেও আমল জরুরী)

৬২১। আলী (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন বসেছিলেন। তাঁর হাতে একটা কাঠি ছিল। তা দিয়ে তিনি মাটি খুদছিলেন। হঠাৎ তিনি মাথা তুললেন এবং বললেনঃ তোমাদের প্রত্যেকেরই জান্নাতের ও জাহান্নামের বাসস্থান (অর্থাৎ কার বাসস্থান কোথায়) জানা হয়ে গেছে। উপস্থিত সাহাবীগণ বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, তাহলে আমরা আর আমল করবো কেন? তিনি বললেনঃ আমল করে যাও। কারণ প্রত্যেককে যে আমলের জন্য তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে, সে আমল তার জন্য সহজ সাধ্য করা হয়েছে। “যে ব্যক্তি দান করে, আল্লাহকে ভয় করে এবং যা ভালো তা মেনে নেয়, তার জন্য আমি শান্তির পথ সহজ করে দেব”। [সূরা লায়লঃ ৫-১০]

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

পরিচ্ছেদঃ

১১৮২। ৬০২ নং হাদীস দ্রষ্টব্য। (মযি বেরুলে ওযূ করতে হয়)

৬০২। আলী (রাঃ) বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে ছিলাম। সহসা আবু বাকর ও উমার এলেন। তিনি বললেন, হে আলী, এরা দু’জন নবী ও রাসূলগণের পর জান্নাতের যুবক ও প্রৌঢ়দের দুই নেতা।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১১৮৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১১৮৩। ৯৪০ নং হাদীস দ্রষ্টব্য। (পাগলের উপর “হদ কার্যকর হবে না)

৯৪০। আলী (রাঃ) বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিন ব্যক্তির উপর থেকে কলম তুলে নেয়া হয়েছে অর্থাৎ তাদেরকে দায়মুক্তি দেয়া হয়েছেঃ অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশুর উপর থেকে, যতক্ষণ না সে প্রাপ্তবয়স্ক হয়, ঘুমন্ত ব্যক্তি থেকে, যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয় এবং বিপদগ্ৰস্ত ব্যক্তি থেকে, যতক্ষণ না সে বিপদমুক্ত হয়।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১১৮৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১১৮৪। ৬২৪ নং হাদীস দ্রষ্টব্য। (অবিবাহিত ব্যভিচারীর শান্তি ৮০ ঘা বেত)

৬২৪। হুদাইন আবু সাসান আর-রাক্কাশী বলেছেন, কুফাবাসীর একটি দল উসমানের কাছে এল। তারা ওয়ালীদের কার্যকলাপ সম্পর্কে তাকে অবহিত করলো। অর্থাৎ ওয়ালীদের মদপান সম্পর্কে। আলী (রাঃ) এ ব্যাপারে তার সাথে কথা বললেন। তিনি বললেনঃ তোমার চাচাতো ভাইকে গ্রেফতার কর এবং তার ওপর হদ (শাস্তি) কার্যকর কর। তারপর বললেনঃ হে হাসান, ওঠ; ওকে বেত্ৰাঘাত কর। তিনি বললেনঃ এ ব্যাপারে আপনার কিছু করণীয় নেই। এ কাজে অন্য কাউকে দায়িত্ব দিন। তিনি বললেনঃ বরঞ্চ তুমি দুর্বল ও অক্ষম হয়ে গিয়েছ। হে আবদুল্লাহ ইবনে জাফর, তুমি ওঠ। তারপর আবদুল্লাহ বেত্ৰাঘাত করতে লাগলো আর আলী গণনা করতে লাগলেন। চল্লিশটিতে পৌছলে আলী বললেনঃ থাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চল্লিশটি বেত্ৰাঘাত করেছেন, আবু বাকরও চল্লিশটি বেত্ৰাঘাত করেছেন। কেবল উমার আশিটি পূর্ণ করেছেন। এর যেটাই করা হবে, সেটাই সুন্নাত।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১১৮৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১১৮৫। ৭১৬ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

৭১৬। কুফাবাসী এক মহিলাকে আলী (রাঃ) (ব্যভিচারের দায়ে) যখন পাথর মেরে হত্যা করলেন, তখন বৃহস্পতিবারে তাকে বেত্ৰাঘাত করলেন এবং শুক্রবারে পাথর মেরে হত্যা করলেন। তিনি বললেন, তাকে বেত্ৰাঘাত করছি আল্লাহর কিতাবের আদেশে আর পাথর মারছি আল্লাহর নবীর সুন্নাত অনুসারে।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১১৮৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১১৮৬। ৪৩৫ নং হাদীস দ্রষ্টব্য। (কুরবানীর জন্য তিন দিন নির্ধারিত)

৪৩৫। আবদুর রহমান বিন আযহারের মুক্ত গোলাম আবু উবাইদ বলেন, আমি আলী (রাঃ) ও উসমান (রাঃ) কে দেখেছি, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার নামায পড়তেন, তারপর পেছনের দিকে ফিরে জনগণকে উপদেশ দিতেন। আবু উবাইদ আরো বলেন, আমি উক্ত দু’জনকেই বলতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দু’দিন রোযা থাকতে নিষেধ করেছেন। আবু উবাইদ বলেন, আলী (রাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, তিন দিন পরে তোমাদের কুরবানীর কিছু অবশিষ্ট রাখতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১১৮৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১১৮৭। ৭১৪ নং হাদীস দ্রষ্টব্য। (প্রতি একশো বছর পর মুসলিম জাতির সুদিন)

৭১৪। একবার আবু মাসউদ (রাঃ) আলী (রাঃ)-এর কাছে এলেন। তখন আলী (রাঃ) তাঁকে বললেন, আপনিই কি সেই ব্যক্তি, যে বলে, মানুষের ওপর একশো বছর এমন অবস্থায় অতিক্রম করবে না। যখন পৃথিবীতে কোন ব্যক্তি জীবিত থাকবে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন ঠিকই যে, মানুষের ওপর একশো বছর এমন অবস্থায় অতিক্রম করবে না যখন পৃথিবীতে কেউ জীবিত থাকবে। তবে সেটা বলেছিলেন আজ যারা জীবিত তাদের সম্পর্কে। আল্লাহর কসম, এ জাতির আশা ভরসা একশো বছর পর।” (অর্থাৎ সাধারণতঃ এ উম্মাতের লোকেরা একশো বছরের কম আয়ুষ্কাল পাবে এবং প্রতি একশো বছর পর তাদের জীবনে শুভ পরিবর্তন আসবে।)

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১১৮৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১১৮৮। ১১৭৯ হাদীস দ্রষ্টব্য।

১১৭৯। আবুল ওয়াযী বলেন, আলী (রাঃ) যখন নাহরাওয়ানবাসীদেরকে হত্যা করেন, তখন আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম। তিনি বললেন, পঙ্গু হস্তধারী লোকটিকে খুঁজে আমার নিকট নিয়ে এস। লোকেরা নিহতদের মধ্যে তাকে খুঁজলো। তারপর তারা বললো, তাকে পাচ্ছি না। আলী (রাঃ) বললেন, আবার যাও, অনুসন্ধান কর। আল্লাহর কসম, আমি মিথ্যা বলিনি, আমাকে মিথ্যা কথা বলাও হয়নি। অগত্যা লোকেরা ফিরে গেল ও আবার তাকে খুঁজলো। আলী (রাঃ) তা সত্ত্বেও বহুবার আগের কথার পুনরাবৃত্তি করলেন। প্রতিবার কসম খেয়ে বললেন, আমি মিথ্যা বলিনি, আমাকে মিথ্যা বলাও হয়নি। তাই তারা তাকে খুঁজতে চলে গেল এবং কাদামাটির ভেতরে নিহতদের মধ্যে তাকে পেল। সেখান থেকে তাকে বের করে আলীর নিকট নেয়া হলো। আবুল ওযী বলেন, আমি যেন এখনো দেখতে পাচ্ছি, একজন হাবশী, যার দেহে একটি স্তন রয়েছে, নারীর স্তনের মত। তার উপর ইদুরের লেজের চুলের মত চুল রয়েছে, যা তার একখানা হাত ছেয়ে গেছে।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১১৮৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১১৮৯। ১১৭৯ নং হাদীস দ্রষ্টব্য। [দেখুন পূর্বের হাদিস]

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১১৯০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১১৯০। ৭১৬ নং হাদীস দ্রষ্টব্য। (ব্যভিচারের শাস্তি)

৭১৬। কুফাবাসী এক মহিলাকে আলী (রাঃ) (ব্যভিচারের দায়ে) যখন পাথর মেরে হত্যা করলেন, তখন বৃহস্পতিবারে তাকে বেত্ৰাঘাত করলেন এবং শুক্রবারে পাথর মেরে হত্যা করলেন। তিনি বললেন, তাকে বেত্ৰাঘাত করছি আল্লাহর কিতাবের আদেশে আর পাথর মারছি আল্লাহর নবীর সুন্নাত অনুসারে।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১১৯১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১১৯১। ৭৭৬ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

৭৭৬। হাব্বা আল-উরানী বলেন, আলী (রাঃ)-কে আমি একদিন মিম্বারের ওপর হাসতে দেখলাম। তার আগে তাঁকে কখনো এত হাসতে দেখিনি। হাসতে হাসতে তাঁর মাড়ির দাঁত পর্যন্ত বেরিয়ে গিয়েছিল। তারপর বললেনঃ আবু তালিবের কথা আমার মনে পড়ে গেল। আমি আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাতনে নাখলায় (গোপনে) নামায পড়ছিলাম। সহসা সেখানে আবু তালিব উপস্থিত হলেন। বললেনঃ হে ভাতিজা, তোমরা দু’জনে কী করছ? তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ইসলামের দাওয়াত দিলেন। তিনি বললেনঃ তোমরা দু’জনে যা করছ বা যা বলছি, তাতে কোন আপত্তি নেই। তবে তুমি কখনো আমাকে আমার ভিত্তি থেকে উচ্ছেদ করবে না।” আলী (রাঃ) তাঁর পিতার এ কথায় বিস্ময় প্রকাশার্থে হাসলেন। তারপর বললেনঃ হে আল্লাহ, আমি স্বীকার করি না যে, তোমার নবী ব্যতীত আর কেউ আমার আগে তোমার ইবাদত করেছে। এ কথা তিনবার বললেন। অন্য মানুষ নামায পড়ার আগে আমি নামায পড়েছি সাত বছর বয়সে।

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১১৯২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১১৯২। ৭৭৬ নং হাদীস দ্রষ্টব্য। [দেখুন পূর্বের হাদিস]

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১১৯৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১১৯৩। ৪৩৫ নং হাদীস দ্রষ্টব্য। (তিন দিনের পর কুরবানী নিষিদ্ধ)

৪৩৫। আবদুর রহমান বিন আযহারের মুক্ত গোলাম আবু উবাইদ বলেন, আমি আলী (রাঃ) ও উসমান (রাঃ) কে দেখেছি, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার নামায পড়তেন, তারপর পেছনের দিকে ফিরে জনগণকে উপদেশ দিতেন। আবু উবাইদ আরো বলেন, আমি উক্ত দু’জনকেই বলতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দু’দিন রোযা থাকতে নিষেধ করেছেন। আবু উবাইদ বলেন, আলী (রাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, তিন দিন পরে তোমাদের কুরবানীর কিছু অবশিষ্ট রাখতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১১৯৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১১৯৪। ৬১০ নং হাদীস দ্রষ্টব্য। (আছরের পর নফল নেই)

৬১০। আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আছরের পরে সূর্য কিরণ অত্যন্ত প্রখর ও সূর্য অনেক ওপরে থাকা ব্যতীত অন্য কোন নামায পড়া যাবে না।

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১১৯৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১১৯৫। আলী (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শেষ রাত থেকে শেষ রাত পর্যন্ত একটানা রোযা রাখতেন।

[হাদিসটি হাসান লিগাইরিহী কিন্তু এই সানাদটি দুর্বল]

حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ عَبْدِ الْأَعْلَى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ عَلِيٍّ: ” أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُوَاصِلُ مِنَ السَّحَرِ إِلَى السَّحَرِ

 

 

حسن لغيره، وهذا إسناد ضعيف لضعف عبد الأعلى- وهو ابن عامر الثعلبي

وهو في “مصنف عبد الرزاق” (7752) ، إلا أنه لم يذكر فيه علياً. وانظر ما تقْدم برقم (700)

حدثنا عبد الرزاق، حدثنا إسرائيل، عن عبد الأعلى، عن محمد بن علي، عن علي: ” أن النبي صلى الله عليه وسلم كان يواصل من السحر إلى السحر – حسن لغيره، وهذا إسناد ضعيف لضعف عبد الأعلى- وهو ابن عامر الثعلبي وهو في “مصنف عبد الرزاق” (7752) ، إلا أنه لم يذكر فيه عليا. وانظر ما تقدم برقم (700)

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১১৯৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১১৯৬। আলী (রাঃ) এর ছেলে মুহাম্মাদ বলেন, একদল লোক আলীর (রাঃ) নিকট এল। তারা উসমানের যাকাত আদায়কারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেশ করলো। তখন আমার পিতা আমাকে বললেন, এই পুস্তকখানি নিয়ে উসমানের নিকট যাও। তাকে বল, লোকেরা আপনার যাকাত আদায়কারীদের সম্পর্কে অভিযোগ তুলেছে। আর এ হচ্ছে সাদাকা সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদেশ। কাজেই আদায়কারীদেরকে বলে দিন এ আদেশ মেনে চলতে। আমি উসমানের নিকট গেলাম এবং বিষয়টি তাকে জানালাম। আলী যদি উসমানের সম্পর্কে কিছু বলতেন, তবে সেদিন অপ্রীতিকর কিছু বলতেন।

[বুখারী-৩১১১]

حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سُوقَةَ، عَنْ مُنْذِرٍ الثَّوْرِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ، قَالَ: جَاءَ إِلَى عَلِيٍّ نَاسٌ مِنَ النَّاسِ، فَشَكَوْا سُعَاةَ عُثْمَانَ، قَالَ: فَقَالَ لِي أَبِي: اذْهَبْ بِهَذَا الْكِتَابِ إِلَى عُثْمَانَ، فَقُلْ لَهُ: إِنَّ النَّاسَ قَدْ شَكَوْا سُعَاتَكَ ” وَهَذَا أَمْرُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الصَّدَقَةِ ” فَمُرْهُمْ فَلْيَأْخُذُوا بِهِ، قَالَ: فَأَتَيْتُ عُثْمَانَ، فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ قَالَ: فَلَوْ كَانَ ذَاكِرًا عُثْمَانَ بِشَيْءٍ لَذَكَرَهُ يَوْمَئِذٍ – يَعْنِي – بِسُوءٍ

 

 

إسناده صحيح على شرط الشيخين

وأخرجه البخاري (3111) عن قتيبة بن سعيد، عن سفيان بن عيينة بهذا الإسناد

وفيه: فقال لي علي: اذهب إلى عثمانَ فأخبره أنها صدقةُ رسولِ الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فمرْ سُعاتَك يعملوا بها. فأتيتُه بها، فقال: أغْنِها عنا (أي: اصرفها عنا) فأتيتُ بها علياً فأخبرتُه، فقال: ضَعْها حيث أخذتها

وعلقه مختصراً البخاري أيضاً (3112) فقال: وقال الحميديُّ: حدثنا سفيان، حدثنا محمد بن سوقة، قال: سمعتُ منذراً الثوريّ، عن ابن الحنفية قال أرسلني أبي؟ خُذ هذا الكتابَ، فاذهب به إلى عثمان، فإن فيه أمرَ النبي صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بالصدقة

قال الحافظ في “الفتح” 6/215: هو في كتاب “النوادر” للحميدي بهذا الإسناد، والحميدي من شيوخ البخاري في الفقه والحديث، وأراد بروايته هذه بيانَ تصريح سفيان بالتحديث، وكذا التصريح بسماع محمد بن سوقة من منذر

السعاة: جمع ساع، وهو العامل الذي يسعى في استخراج الصدقة ممن تجب عليه، ويحملها إلى الإِمام

قوله: “فذكرت ذلك له”، قال السندي: فيه اختصار، أي: فرده عثمان رضي الله تعالى عنه، كما في البخاري.

قلنا: وفي سبب رد عثمان للكتاب قال الحافظ في “الفتح” 6/215: قيل: كان علم ذلك عند عثمان، فاستغنى عن النظر في الصحيفة، وقال الحميدي في “الجمع “؟ قال بعض الرواة عن ابن عيينة: لم يجد علي بُدْاً حين كان عنده علم منه أن ينْهِيَه إليه، ونرى أن عثمان إنما رده، لأن عنده علما من ذلك، فاستغنى عنه، ويستفاد من الحديث بَذْلُ النصيحة للأمراء، وكشف أحوال مَن يقعُ منه الفساد من أتباعهم، وللإمام التنقيب عن ذلك

ويحتمل أن يكون عثمان لم يثبت عنده ما طعِن به على سُعاتِه، أو ثبت عنده وكان التدبير يقتضي تأخير الإنكار، أو كان الذي أنكره من المستَحَبات، لا من الواجبات، ولذلك عَذَرَه علي ولم يذكره بسوء

وقال السندي في “حاشيته ” ورقة 36: لعل وجه ذلك أن عثمان رضي الله تعالى عنه رأى أن عماله عالِمون بما في الكتاب وعاملون به، فلا حاجة إليه، فأمر بصرفه، وعلم أن شكاية الناس ليست لظُلم العمال، وإنما هي في طبعهم من حث المال، وكراهية الإنفاق، أو علم أن عماله ظَلَمة يستحقون العزلَ، ولا ينفعهم الكتاب، فأراد أن يَعزِلهم وينصب موضعهم مَنْ هو عالم بالكتاب، فأمره يصرف الكتاب لذلك، ولم يُرِد إعراضَه عن العمل بما في الكتاب، حاشاه عن ذلك رضي الله تعالى عنه، والله تعالى أعلم

حدثنا عبد الرزاق، أخبرنا ابن عيينة، عن محمد بن سوقة، عن منذر الثوري، عن محمد بن علي، قال: جاء إلى علي ناس من الناس، فشكوا سعاة عثمان، قال: فقال لي أبي: اذهب بهذا الكتاب إلى عثمان، فقل له: إن الناس قد شكوا سعاتك ” وهذا أمر رسول الله صلى الله عليه وسلم في الصدقة ” فمرهم فليأخذوا به، قال: فأتيت عثمان، فذكرت ذلك له قال: فلو كان ذاكرا عثمان بشيء لذكره يومئذ – يعني – بسوء – إسناده صحيح على شرط الشيخين وأخرجه البخاري (3111) عن قتيبة بن سعيد، عن سفيان بن عيينة بهذا الإسناد وفيه: فقال لي علي: اذهب إلى عثمان فأخبره أنها صدقة رسول الله صلى الله عليه وسلم، فمر سعاتك يعملوا بها. فأتيته بها، فقال: أغنها عنا (أي: اصرفها عنا) فأتيت بها عليا فأخبرته، فقال: ضعها حيث أخذتها وعلقه مختصرا البخاري أيضا (3112) فقال: وقال الحميدي: حدثنا سفيان، حدثنا محمد بن سوقة، قال: سمعت منذرا الثوري، عن ابن الحنفية قال أرسلني أبي؟ خذ هذا الكتاب، فاذهب به إلى عثمان، فإن فيه أمر النبي صلى الله عليه وسلم بالصدقة قال الحافظ في “الفتح” 6/215: هو في كتاب “النوادر” للحميدي بهذا الإسناد، والحميدي من شيوخ البخاري في الفقه والحديث، وأراد بروايته هذه بيان تصريح سفيان بالتحديث، وكذا التصريح بسماع محمد بن سوقة من منذر السعاة: جمع ساع، وهو العامل الذي يسعى في استخراج الصدقة ممن تجب عليه، ويحملها إلى الإمام قوله: “فذكرت ذلك له”، قال السندي: فيه اختصار، أي: فرده عثمان رضي الله تعالى عنه، كما في البخاري. قلنا: وفي سبب رد عثمان للكتاب قال الحافظ في “الفتح” 6/215: قيل: كان علم ذلك عند عثمان، فاستغنى عن النظر في الصحيفة، وقال الحميدي في “الجمع “؟ قال بعض الرواة عن ابن عيينة: لم يجد علي بدا حين كان عنده علم منه أن ينهيه إليه، ونرى أن عثمان إنما رده، لأن عنده علما من ذلك، فاستغنى عنه، ويستفاد من الحديث بذل النصيحة للأمراء، وكشف أحوال من يقع منه الفساد من أتباعهم، وللإمام التنقيب عن ذلك ويحتمل أن يكون عثمان لم يثبت عنده ما طعن به على سعاته، أو ثبت عنده وكان التدبير يقتضي تأخير الإنكار، أو كان الذي أنكره من المستحبات، لا من الواجبات، ولذلك عذره علي ولم يذكره بسوء وقال السندي في “حاشيته ” ورقة 36: لعل وجه ذلك أن عثمان رضي الله تعالى عنه رأى أن عماله عالمون بما في الكتاب وعاملون به، فلا حاجة إليه، فأمر بصرفه، وعلم أن شكاية الناس ليست لظلم العمال، وإنما هي في طبعهم من حث المال، وكراهية الإنفاق، أو علم أن عماله ظلمة يستحقون العزل، ولا ينفعهم الكتاب، فأراد أن يعزلهم وينصب موضعهم من هو عالم بالكتاب، فأمره يصرف الكتاب لذلك، ولم يرد إعراضه عن العمل بما في الكتاب، حاشاه عن ذلك رضي الله تعالى عنه، والله تعالى أعلم

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১১৯৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১১৯৭। ১১৮৯ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

আবুল ওয়াযী বলেন, আলী (রাঃ) যখন নাহরাওয়ানবাসীদেরকে হত্যা করেন, তখন আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম। তিনি বললেন, পঙ্গু হস্তধারী লোকটিকে খুঁজে আমার নিকট নিয়ে এস। লোকেরা নিহতদের মধ্যে তাকে খুঁজলো। তারপর তারা বললো, তাকে পাচ্ছি না। আলী (রাঃ) বললেন, আবার যাও, অনুসন্ধান কর। আল্লাহর কসম, আমি মিথ্যা বলিনি, আমাকে মিথ্যা কথা বলাও হয়নি। অগত্যা লোকেরা ফিরে গেল ও আবার তাকে খুঁজলো। আলী (রাঃ) তা সত্ত্বেও বহুবার আগের কথার পুনরাবৃত্তি করলেন। প্রতিবার কসম খেয়ে বললেন, আমি মিথ্যা বলিনি, আমাকে মিথ্যা বলাও হয়নি। তাই তারা তাকে খুঁজতে চলে গেল এবং কাদামাটির ভেতরে নিহতদের মধ্যে তাকে পেল। সেখান থেকে তাকে বের করে আলীর নিকট নেয়া হলো। আবুল ওযী বলেন, আমি যেন এখনো দেখতে পাচ্ছি, একজন হাবশী, যার দেহে একটি স্তন রয়েছে, নারীর স্তনের মত। তার উপর ইদুরের লেজের চুলের মত চুল রয়েছে, যা তার একখানা হাত ছেয়ে গেছে ।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১১৯৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১১৯৮। ৮৭৬ নং হাদীস দ্রষ্টব্য। (ওযূর নিয়ম)

৮৭৬। আবদ খায়র বলেছেন, আলী (রাঃ) আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওযূ শিখিয়েছিলেন। এক যুবক তার হাতে পানি ঢেলে দিল এবং তা দিয়ে তিনি হাত পরিষ্কার করলেন। তারপর তিনি হাত ঢুকিয়ে দিলেন বালতিতে। তারপর কুলি করলেন। নাকে পানি দিলেন। মুখ ধুলেন তিনবার করে। কনুই পর্যন্ত দু’হাত ধুলেন তিনবার করে। পুনরায় বালতিতে হাত ঢুকালেন, হাত পাত্রের নিচ পর্যন্ত ডুবালেন, তারপর হাত উঠালেন এবং তা দ্বারা অন্য হাত মাসেহ করলেন, তারপর দু’হাতের তালু দিয়ে একবার মাথা মাসেহ করলেন, তারপর তিনবার গিরা পর্যন্ত পা ধুলেন, তারপর হাতে এক কোষ পানি নিয়ে তা পান করলেন। তারপর বললেন, এভাবেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওযূ করতেন।

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১১৯৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১১৯৯। ৮৭৬ নং হাদীস দ্রষ্টব্য। [দেখুন পূর্বের হাদিস]

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২০০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২০০। আবু মুয়াম্মার বলেছেন, আমরা আলী (রাঃ) এর সাথে ছিলাম। তাঁর পাশ দিয়ে একটা মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হলো। তা দেখে কতক লোক উঠে দাঁড়ালো। আলী (রাঃ) বললেন, তোমাদেরকে কে ফতোয়া দিয়েছে যে, মৃতদেহ দেখলে দাঁড়াতে হবে? তারা বললো, আবু মূসা। আলী (রাঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কাজ একবার মাত্র করেছিলেন। এতে ইহুদী ও খৃষ্টানদের সাথে সাদৃশ্যের সৃষ্টি হতো। অতঃপর যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এটা বলা হলো, তিনি বিরত হলেন। [নাসায়ী-৪/৪৬]

حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ أَبِي مَعْمَرٍ قَالَ: كُنَّا مَعَ عَلِيٍّ، فَمَرَّ بِهِ جَنَازَةٌ فَقَامَ لَهَا نَاسٌ، فَقَالَ عَلِيٌّ: مَنْ أَفْتَاكُمْ هَذَا؟ فَقَالُوا: أَبُو مُوسَى، قَالَ: ” إِنَّمَا فَعَلَ ذَلِكَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّةً، فَكَانَ يَتَشَبَّهُ بِأَهْلِ الْكِتَابِ، فَلَمَّا نُهِيَ انْتَهَى

 

 

صحيح، ليث- وهو ابن أبي سليم وإن كان ضعيفاٌ – قد توبع، وباقي رجاله ثقات رجال الشيخين، سفيان: هو الثوري، وأبو معمر: هو عبد الله بن سخبرة. وهو في “مصنف عبد الرزاق” (6311)

وأخرجه الطيالسي (162) عن زاثدة بن قدامة، والحميدي (50) عن سفيان بن عيينة، وأبو يعلى (266) من طريق أبي معاوية محمد بن خازم، ثلاثتهم عن ليث بن أبي سليم، به. وسيأتي من طريق ليث أيضاً في مسند أبي موسى الأشعري (4/413 الطبعة الميمنية)

وأخرجه بنحوه ابن أبي شيبة 3/358، والنسائي 4/46 من طريق سفيان بن عيينة، عن عبد الله بن أبي نجيح، عن مجاهد، به

وأخرج مالك في “الموطأ” 1/232، ومسلم (962) ، وأبو داود (3175) ، والترمذي (1044) من طريق مسعود بن الحكم الأنصاري، عن علي بن أبي طالب: أن رسول الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كان يقوم في الجنائز، ثم جلس بعد

حدثنا عبد الرزاق، أخبرنا سفيان، عن ليث، عن مجاهد، عن أبي معمر قال: كنا مع علي، فمر به جنازة فقام لها ناس، فقال علي: من أفتاكم هذا؟ فقالوا: أبو موسى، قال: ” إنما فعل ذلك رسول الله صلى الله عليه وسلم مرة، فكان يتشبه بأهل الكتاب، فلما نهي انتهى – صحيح، ليث- وهو ابن أبي سليم وإن كان ضعيفا – قد توبع، وباقي رجاله ثقات رجال الشيخين، سفيان: هو الثوري، وأبو معمر: هو عبد الله بن سخبرة. وهو في “مصنف عبد الرزاق” (6311) وأخرجه الطيالسي (162) عن زاثدة بن قدامة، والحميدي (50) عن سفيان بن عيينة، وأبو يعلى (266) من طريق أبي معاوية محمد بن خازم، ثلاثتهم عن ليث بن أبي سليم، به. وسيأتي من طريق ليث أيضا في مسند أبي موسى الأشعري (4/413 الطبعة الميمنية) وأخرجه بنحوه ابن أبي شيبة 3/358، والنسائي 4/46 من طريق سفيان بن عيينة، عن عبد الله بن أبي نجيح، عن مجاهد، به وأخرج مالك في “الموطأ” 1/232، ومسلم (962) ، وأبو داود (3175) ، والترمذي (1044) من طريق مسعود بن الحكم الأنصاري، عن علي بن أبي طالب: أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يقوم في الجنائز، ثم جلس بعد

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২০১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২০১। আলী (রাঃ) বলেছেন, বদরের যুদ্ধের গনিমত হিসাবে আমি একটা বৃদ্ধা উটনী পেয়েছিলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে আরো একটা উটনী দিয়েছিলেন। এই দুটি উটনীকে একদিন জনৈক আনসারীর দরজার উপর থামালাম। আমার ইচ্ছা ছিল ঐ উটনীদ্বয়ের উপর ইজখির বহন করে নিয়ে বিক্রি করার। বনু কাইনুকার জনৈক স্বর্ণকার আমার সাথে ছিল, যাতে ফাতিমার ওয়ালীমায় তার সাহায্য নিতে পারি। আনসারীর সেই বাড়ীতে তখন হামযা মদ্যপান করছিল। সহসা হামযা উটনী দুটির দিকে তরবারী নিয়ে তেড়ে এল এবং উভয়ের কুঁজ কেটে ফেললো ও কোমর চিরে ফেললো। তারপর উভয়ের কলিজা তুলে নিল।

বৰ্ণনাকারী বলেন, কুঁজ দুটো কেটে নিয়ে হামযা চলে গেল। তখন আমি একটা বিভৎস দৃশ্য দেখলাম। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এলাম। তখন তার কাছে যায়িদ বিন হারিসাও ছিল। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সমস্ত ঘটনা আদ্যোপান্ত জানালাম। তিনি তৎক্ষণাত যায়িদ সহকারে হামযার কাছে গেলেন এবং তার উপর প্রচণ্ড ক্রোধ প্রকাশ করলেন। তখন হামযা তার চোখ তুলে তাকালো এবং বললো, তোমরা সবাই আমার পিতার ক্রীতদাস ছাড়া আর কিছু নও। এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পিছু হটলেন এবং স্থান ত্যাগ করলেন। এ ঘটনা মদ হারাম হওয়ার পূর্বে ঘটেছিল।

[বুখারী-২৩৭৫, ১৯৭৯, ইবনু হিব্বান-৪৫৩৬]

حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنِي ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ أَبِيهِ حُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ : قَالَ عَلِيٌّ: ” أَصَبْتُ شَارِفًا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمَغْنَمِ يَوْمَ بَدْرٍ، وَأَعْطَانِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَارِفًا أُخْرَى “، فَأَنَخْتُهُمَا يَوْمًا عِنْدَ بَابِ رَجُلٍ مِنَ الْأَنْصَارِ، وَأَنَا أُرِيدُ أَنْ أَحْمِلَ عَلَيْهِمَا إِذْخِرًا لِأَبِيعَهُ، وَمَعِي صَائِغٌ مِنْ بَنِي قَيْنُقَاعَ، لِأَسْتَعِينَ بِهِ عَلَى وَلِيمَةِ فَاطِمَةَ، وَحَمْزَةُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، يَشْرَبُ فِي ذَلِكَ الْبَيْتِ، فَثَارَ إِلَيْهِمَا حَمْزَةُ بِالسَّيْفِ، فَجَبَّ أَسْنِمَتَهُمَا وَبَقَرَ خَوَاصِرَهُمَا، ثُمَّ أَخَذَ مِنْ أَكْبَادِهِمَا – قُلْتُ لِابْنِ شِهَابٍ: وَمِنَ السَّنَامِ؟ قَالَ: جَبَّ أَسْنِمَتَهُمَا – فَذَهَبَ بِهَا قَالَ: فَنَظَرْتُ إِلَى مَنْظَرٍ أَفْظَعَنِي، فَأَتَيْتُ نَبِيَّ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعِنْدَهُ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ، فَأَخْبَرْتُهُ الْخَبَرَ، فَخَرَجَ وَمَعَهُ زَيْدٌ، فَانْطَلَقَ مَعَهُ فَدَخَلَ عَلَى حَمْزَةَ فَتَغَيَّظَ عَلَيْهِ، فَرَفَعَ حَمْزَةُ بَصَرَهُ، فَقَالَ: هَلْ أَنْتُمْ إِلَّا عَبِيدٌ لِأَبِي، فَرَجَعَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقَهْقِرُ حَتَّى خَرَجَ عَنْهُمْ وَذَلِكَ قَبْلَ تَحْرِيمِ الْخَمْرِ

 

 

إسناده صحيح على شرط الشيخين

وأخرجه مسلم (1979) (1) من طريق عبد الرزاق، بهذا الإسناد

وأخرجه البخاري (2375) ، ومسلم (1979) (1) ، والبزار (502) ، وأبو يعلى (547) ، وابن حبان (4536) من طرق عن ابن جريح، به

وأخرجه البخاري (2089) و (3091) و (4003) و (5793) ، ومسلم (1979) (2) ، وأبو داود (2986) ، والبيهقي 6/153 و341-342 من طريق يونس بن يزيد الأيلي، عن الزهري، به

والشارف: الناقة المسنة

وجب أسنمتهما: قطعهما، والجَمت الاستئصال في القطع

حدثنا عبد الرزاق، أخبرنا ابن جريج، حدثني ابن شهاب، عن علي بن حسين بن علي، عن أبيه حسين بن علي، عن علي بن أبي طالب، قال : قال علي: ” أصبت شارفا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم في المغنم يوم بدر، وأعطاني رسول الله صلى الله عليه وسلم شارفا أخرى “، فأنختهما يوما عند باب رجل من الأنصار، وأنا أريد أن أحمل عليهما إذخرا لأبيعه، ومعي صائغ من بني قينقاع، لأستعين به على وليمة فاطمة، وحمزة بن عبد المطلب، يشرب في ذلك البيت، فثار إليهما حمزة بالسيف، فجب أسنمتهما وبقر خواصرهما، ثم أخذ من أكبادهما – قلت لابن شهاب: ومن السنام؟ قال: جب أسنمتهما – فذهب بها قال: فنظرت إلى منظر أفظعني، فأتيت نبي الله صلى الله عليه وسلم وعنده زيد بن حارثة، فأخبرته الخبر، فخرج ومعه زيد، فانطلق معه فدخل على حمزة فتغيظ عليه، فرفع حمزة بصره، فقال: هل أنتم إلا عبيد لأبي، فرجع رسول الله صلى الله عليه وسلم يقهقر حتى خرج عنهم وذلك قبل تحريم الخمر – إسناده صحيح على شرط الشيخين وأخرجه مسلم (1979) (1) من طريق عبد الرزاق، بهذا الإسناد وأخرجه البخاري (2375) ، ومسلم (1979) (1) ، والبزار (502) ، وأبو يعلى (547) ، وابن حبان (4536) من طرق عن ابن جريح، به وأخرجه البخاري (2089) و (3091) و (4003) و (5793) ، ومسلم (1979) (2) ، وأبو داود (2986) ، والبيهقي 6/153 و341-342 من طريق يونس بن يزيد الأيلي، عن الزهري، به والشارف: الناقة المسنة وجب أسنمتهما: قطعهما، والجمت الاستئصال في القطع

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

পরিচ্ছেদঃ

১২০২। ৬৫০ নং হাদীস দ্রষ্টব্য। (দিনের বেলায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নফল নামায সংক্রান্ত)

৬৫০। আসিম বিন যামরা বলেন, আমরা আলী (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিনের বেলায় কেমন নফল ইবাদাত করতেন? আলী (রাঃ) বললেনঃ তোমরা তা পারবে না। আমরা বললামঃ আমাদেরকে বলুন না, যতদূর পারি অনুকরণ করবো। তিনি বললেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের নামায পড়ার পর কিছুটা বিরতি দিতেন। তারপর সূর্য যখন পূর্ব প্রান্তে এতটা ওপরে উঠতো, যতটা আছরের সময় পশ্চিম প্রান্তে থাকে, তখন উঠে দু’রাকাআত পড়তেন। তারপর আবার কিছুক্ষণ বিরতি দিতেন। তারপর যোহরের সময় সূর্য পশ্চিম প্রান্তে যতটা ওপরে থাকে, ততটা যখন পূর্ব প্রান্তে থাকতো, তখন উঠে চার রাকাআত পড়তেন। তারপর সূর্য পশ্চিমে ঢলে পড়ার পর যোহরের পূর্বে চার রাকাআত পড়তেন এবং দুরাকাআত যোহরের পরে পড়তেন। আর আছরের পূর্বে চার রাকাআত পড়তেন। এই চার রাকাআতের দুই দুই রাকাআত শেষে আল্লাহর ঘনিষ্ঠতম ফেরেশতাদের ওপর, নবীদের ওপর ও তাদের অনুসারী মুমিন ও মুসলিম নরনারীর ওপর সালাম পাঠাতেন। আলী (রাঃ) বললেনঃ এই ষোল রাকাআত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দিনের নফল নামায। তবে এই নামাযগুলো নিয়মিতভাবে খুব কম সংখ্যক লোকই পড়ে থাকে।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২০৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২০৩। ৬৫০ নং হাদীস দ্রষ্টব্য। [দেখুন পূর্বের হাদিস]

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২০৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২০৪। ৫৯২ নং হাদীস দ্রষ্টব্য। (মুতয়া বিয়ে চিরতরে হারাম)

৫৯২। আলী (রাঃ) ইবনুল আব্বাসকে বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাইবরের যুদ্ধের সময় মুতা’আ (নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য) বিয়ে ও গৃহপালিত গাধার গোশত নিষিদ্ধ করেছেন।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২০৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২০৫। ৯৭১ নং হাদীস দ্রষ্টব্য। (রাসূলুল্লাহর ওযূর বর্ণনা)

৯৭১। আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি তিনবার করে সংশ্লিষ্ট অংগসমূহ ধুয়ে ওযূ করলেন এবং ওযূর উদ্বৃত্ত পানি পান করলেন। তারপর বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এ রকমই করতে দেখেছি।

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২০৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২০৬। ৬৬৫ নং হাদীস দ্রষ্টব্য। (আবু বাকর ও উমারসহ উম্মাতে মুহাম্মাদীর ১৪ জন নাকীব)

৬৬৫। আলী (রাঃ) বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ আমার পূর্ববতী প্রত্যেক নবী সাতজন এমন উপদেষ্ট পেতেন যারা হতেন তার উত্তরাধিকারীদের নেতা ও সর্বগুণে গুণান্বিত। আর আমি পেয়েছি চৌদ্দজন সর্বগুণে গুণান্বিত, উত্তরাধিকারীদের নেতা ও উপদেষ্টা। সাতজন কুরাইশ থেকে এবং সাতজন মুহাজিরদের মধ্য থেকে।

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২০৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২০৭। কায়েস বিন উবাদ বলেন, আমরা আলীর (রাঃ) সাথে এক সফরে ছিলাম। এই সফরে তিনি যখনই কোন যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে এমন প্রান্তর দেখতেন, কোন পাহাড়ের উঁচু স্থানে উঠতেন বা সমতলে নামতেন, বলতেন, “সুবহানাল্লাহ, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সত্য বলেছেন।” আমি বনু ইয়াশকার গোত্রের এক ব্যক্তিকে বললাম, চল, আমরা আমীরুল মুমিনীনের কাছে যাই এবং তাঁকে জিজ্ঞাসা করি। কেন তিনি “আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সত্য বলেছেন” এ কথা বলেন। অতঃপর আমরা তার কাছে গেলাম এবং বললাম, হে আমীরুল মুমিনীন, আমরা লক্ষ্য করলাম, আপনি যখনই কোন যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে এমন স্থানে উপস্থিত হন, কিংবা কোন পাহাড়ের উপরে উঠেন অথবা সমতল ভূমিতে নামেন, তখনই বলেন, “সুবহানাল্লাহ, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সত্য বলেছেন।” এ ব্যাপারে কি আল্লাহর রাসূল আপনাকে কোন বিশেষ দায়িত্ব অৰ্পণ করেছেন? কিন্তু আমীরুল মুমিনীন এর জবাব এড়িয়ে গেলেন। তথাপি আমরা অনেক পিড়াপিড়ি করলাম। অগত্যা তিনি বললেন, আল্লাহর কসম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাধারণ জনগণকে যা কিছু আদেশ দিয়েছেন তা ছাড়া আর কোনো আদেশ আমাকে দেননি। কিন্তু একদল লোক উসমানের উপর হামলা চালালো ও তাকে হত্যা করলো। সেদিন আমি ব্যতীত অন্য সবাই আমার চেয়ে খারাপ অবস্থায় ছিল। তারপর আমি উপলব্ধি করলাম যে, এ ব্যাপারে অন্য সবার চেয়ে আমি অধিকতর হকদার। তাই এই কাজে আমি ঝাঁপিয়ে পড়লাম। (অর্থাৎ উসমানের হত্যাকারীর অনুসন্ধানের কাজে) এখন আল্লাহই ভালো জানেন। আমরা সঠিক কাজ করেছি না ভুল করেছি।

[আবু দাউদ-8৬৬৬, মুসনাদে আহমাদ-১২৭১]

حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ قَيْسِ بْنِ عُبَادٍ، قَالَ: كُنَّا مَعَ عَلِيٍّ، فَكَانَ إِذَا شَهِدَ مَشْهَدًا أَوْ أَشْرَفَ عَلَى أَكَمَةٍ، أَوْ هَبَطَ وَادِيًا، قَالَ: ” سُبْحَانَ اللهِ، صَدَقَ اللهُ وَرَسُولُهُ “، فَقُلْتُ لِرَجُلٍ مِنْ بَنِي يَشْكُرَ: انْطَلِقْ بِنَا إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، حَتَّى نَسْأَلَهُ عَنْ قَوْلِهِ: ” صَدَقَ اللهُ وَرَسُولُهُ “، قَالَ: فَانْطَلَقْنَا إِلَيْهِ، فَقُلْنَا: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، رَأَيْنَاكَ إِذَا شَهِدْتَ مَشْهَدًا، أَوْ هَبَطْتَ وَادِيًا، أَوْ أَشْرَفْتَ عَلَى أَكَمَةٍ، قُلْتَ: ” صَدَقَ اللهُ وَرَسُولُهُ “. فَهَلْ عَهِدَ رَسُولُ اللهِ إِلَيْكَ شَيْئًا فِي ذَلِكَ؟ قَالَ: فَأَعْرَضَ عَنَّا وَأَلْحَحْنَا عَلَيْهِ، فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ، قَالَ: ” وَاللهِ مَا عَهِدَ إِلَيَّ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَهْدًا إِلا شَيْئًا عَهِدَهُ إِلَى النَّاسِ، وَلَكِنَّ النَّاسَ وَقَعُوا عَلَى عُثْمَانَ، فَقَتَلُوهُ، فَكَانَ غَيْرِي فِيهِ أَسْوَأَ حَالًا وَفِعْلًا مِنِّي، ثُمَّ إِنِّي رَأَيْتُ أَنِّي أَحَقُّهُمْ بِهَذَا الْأَمْرِ، فَوَثَبْتُ عَلَيْهِ، فَاللهُ أَعْلَمُ أَصَبْنَا أَمْ أَخْطَأْنَا

 

 

إسناده ضعيف لضعف علي بن زيد- وهو ابن جُدْعان-. الحسن: هو البصري. وانظر ما سيأتي برقم (1271)

حدثنا عبد الرزاق، أخبرنا معمر، عن علي بن زيد، عن الحسن، عن قيس بن عباد، قال: كنا مع علي، فكان إذا شهد مشهدا أو أشرف على أكمة، أو هبط واديا، قال: ” سبحان الله، صدق الله ورسوله “، فقلت لرجل من بني يشكر: انطلق بنا إلى أمير المؤمنين، حتى نسأله عن قوله: ” صدق الله ورسوله “، قال: فانطلقنا إليه، فقلنا: يا أمير المؤمنين، رأيناك إذا شهدت مشهدا، أو هبطت واديا، أو أشرفت على أكمة، قلت: ” صدق الله ورسوله “. فهل عهد رسول الله إليك شيئا في ذلك؟ قال: فأعرض عنا وألححنا عليه، فلما رأى ذلك، قال: ” والله ما عهد إلي رسول الله صلى الله عليه وسلم عهدا إلا شيئا عهده إلى الناس، ولكن الناس وقعوا على عثمان، فقتلوه، فكان غيري فيه أسوأ حالا وفعلا مني، ثم إني رأيت أني أحقهم بهذا الأمر، فوثبت عليه، فالله أعلم أصبنا أم أخطأنا – إسناده ضعيف لضعف علي بن زيد- وهو ابن جدعان-. الحسن: هو البصري. وانظر ما سيأتي برقم (1271)

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২০৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২০৮। ৬৫০ নং হাদীস দ্রষ্টব্য। (দিনের বেলায় রাসূল সা. এর ১৬ রাকাত সুন্নাত ও নফল নামায)

৬৫০। আসিম বিন যামরা বলেন, আমরা আলী (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিনের বেলায় কেমন নফল ইবাদাত করতেন? আলী (রাঃ) বললেনঃ তোমরা তা পারবে না। আমরা বললামঃ আমাদেরকে বলুন না, যতদূর পারি অনুকরণ করবো। তিনি বললেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের নামায পড়ার পর কিছুটা বিরতি দিতেন। তারপর সূর্য যখন পূর্ব প্রান্তে এতটা ওপরে উঠতো, যতটা আছরের সময় পশ্চিম প্রান্তে থাকে, তখন উঠে দু’রাকাআত পড়তেন। তারপর আবার কিছুক্ষণ বিরতি দিতেন। তারপর যোহরের সময় সূর্য পশ্চিম প্রান্তে যতটা ওপরে থাকে, ততটা যখন পূর্ব প্রান্তে থাকতো, তখন উঠে চার রাকাআত পড়তেন। তারপর সূর্য পশ্চিমে ঢলে পড়ার পর যোহরের পূর্বে চার রাকাআত পড়তেন এবং দুরাকাআত যোহরের পরে পড়তেন। আর আছরের পূর্বে চার রাকাআত পড়তেন। এই চার রাকাআতের দুই দুই রাকাআত শেষে আল্লাহর ঘনিষ্ঠতম ফেরেশতাদের ওপর, নবীদের ওপর ও তাদের অনুসারী মুমিন ও মুসলিম নরনারীর ওপর সালাম পাঠাতেন। আলী (রাঃ) বললেনঃ এই ষোল রাকাআত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দিনের নফল নামায। তবে এই নামাযগুলো নিয়মিতভাবে খুব কম সংখ্যক লোকই পড়ে থাকে।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২০৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২০৯। ৫৯৩ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

৫৯৩। আলী (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে আদেশ করেছেন যেন, যে উটনী আমি কুরবানী দেব, তা যেন আমিই বণ্টন করি, তার চামড়া ও গায়ের চটও যেন বণ্টন করি এবং যাবাইকারীকে যেন তা থেকে (পারিশ্রমিক হিসাবে) কিছু না দিই। তিনি বলেছেনঃ তাকে আমরা নিজেদের পক্ষ থেকে দিয়ে থাকি।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২১০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২১০। ৭১৬ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

৭১৬। কুফাবাসী এক মহিলাকে আলী (রাঃ) (ব্যভিচারের দায়ে) যখন পাথর মেরে হত্যা করলেন, তখন বৃহস্পতিবারে তাকে বেত্ৰাঘাত করলেন এবং শুক্রবারে পাথর মেরে হত্যা করলেন। তিনি বললেন, তাকে বেত্ৰাঘাত করছি আল্লাহর কিতাবের আদেশে আর পাথর মারছি আল্লাহর নবীর সুন্নাত অনুসারে।

[উক্ত সানাদটি দুর্বল]

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২১১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২১১। ৬৯০ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

৬৯০। আলী (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছেনঃ তোমার কাছে যখন দুই ব্যক্তি বাদী ও বিবাদী হয়ে আসবে, তখন একজনকে বাদ দিয়ে অপরজনের বক্তব্য শুনো না। দু’জনেরই বক্তব্য শুনলে বুঝবে কিভাবে বিচার করতে হয়। আলী (রাঃ) বলেনঃ এরপর থেকে আমি বিচারক হিসাবে কাজ করতে লাগলাম।

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২১২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২১২। ৬৪০ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

৬৪০। আলী (রাঃ) বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ পূর্ববতী উম্মাতের শ্রেষ্ঠ নারী ইমরানের কন্যা মারইয়াম, আর বর্তমান উম্মাতের শ্রেষ্ঠ নারী খাদীজা (রাঃ)।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২১৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২১৩। আলী (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি চায় যে তার আয়ু দীর্ঘ হোক, জীবিকা প্রশস্ত হোক এবং অপমৃত্যু থেকে রক্ষা পাক, সে যেন আল্লাহকে ভয় করে ও রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়তা সংরক্ষণ করে।

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُعَاذٍ يَعْنِي الصَّنْعَانِيَّ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” مَنْ سَرَّهُ أَنْ يُمَدَّ لَهُ فِي عُمْرِهِ، وَيُوَسَّعَ لَهُ فِي رِزْقِهِ، وَيُدْفَعَ عَنْهُ مِيتَةُ السُّوءِ، فَلْيَتَّقِ اللهَ وَلْيَصِلْ رَحِمَهُ

 

 

إسناده قوي، وجوده الحافظ المنذري في “الترغيب والترهيب ” 3/335

محمد بن عباد: هو المكي

وأخرجه ابن عدي في “الكامل” 4/1553 من طريق محمد بن عباد، بهذا الإسناد

وأخرجه الخرائطي في “مكارم الأخلاق” ص 44، وابن عدي 7/2570، والحاكم 4/160 من طريق هشام بن يوسف، عن معمر، به

وأخرجه البزار (693) ، والصيداوي في “معجمه” (223) من طريق حبيب بن أبي ثابت، عن عاصم بنِ ضمرة، به

قال ابن حجر في “فتح الباري” 10/416: قال ابن التين: ظاهر الحديث يعارض قوله تعالى: (فإذا جاء أجَلهم لا يستأخرون ساعة ولا يَستَقْدِمون) ، والجمع بينهما من وجهين

أحدُهما: أن هذه الزيادة كناية عن البركة في العمر بسبب التوفيق إلى الطاعة وعمارة وقته بما ينفعه في الآخرة، وصيانته عن تضييعه في غيرِ ذلك، ومثلُ هذا ما جاء: أن النبي صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تقاصر أعمار أمته بالنسبة لأعمار مَنْ مضى من الأمم، فأعطاه الله ليلةَ القدر. وحاصله أن صلةَ الرحم تكون سبباً للتوفيق للطاعة، والصيانة عن المعصية، فيبقى بعده الدكْرُ الجميلُ، فكأنه لم يمت، ومن جملة ما يحْصُلُ له من التوفيق العلمً الذي ينتفع به من بعده، والصدقة الجارية عليه، والخلف الصالح

ثانيهما: أن الزيادة على حقيقتها، وذلك بالنسبة إلى علم الملَك الموكل بالعمر، وأما الأول الذي دلت عليه الآية، فبالنسبة إلى علم الله تعالى، كأن يقال للمَلَك مثلاً: إن عمر فلانٍ مئة مثلاً إن وصل رَجمَه، وستون إن قطعها، وقد سبق في علم الله أنه يصل أو يقطع، فالذي في علم الله لا يتقدم ولا يتأخر، والذي في علم الملَك هو الذي يمكن فيه الزيادة والنقص، وإليه الإشارة بقوله تعالى: (يَمْحُو الله ما يشاءُ وبُثْبتُ وعنده أم الكتاب) ، فالمحو والإثبات بالنسبة لما في علم الملَك، وما في أم الكتاب هو الذي في علم الله تعالى، فلا مَحْو فيه البَتة، ويقال له: القضاء المبرم، ويقال للأول: القضاء المعلق

ورجح الحافظ ابن حجر الوجه الأول، ونقله عن الطيبي

ثم قال الحافظ: وجزم ابن فورك بأن المراد بزيادة العمر نَفْى الآفاتِ عن صاحب البِرِّ في فهمه وعقله، وقال غيره في أعم من ذلك وفي وجود البركة في رزقه وعلمه ونحو ذلك

حدثنا عبد الله، حدثنا محمد بن عباد، حدثنا عبد الله بن معاذ يعني الصنعاني، عن معمر، عن أبي إسحاق، عن عاصم بن ضمرة، عن علي، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: ” من سره أن يمد له في عمره، ويوسع له في رزقه، ويدفع عنه ميتة السوء، فليتق الله وليصل رحمه – إسناده قوي، وجوده الحافظ المنذري في “الترغيب والترهيب ” 3/335 محمد بن عباد: هو المكي وأخرجه ابن عدي في “الكامل” 4/1553 من طريق محمد بن عباد، بهذا الإسناد وأخرجه الخرائطي في “مكارم الأخلاق” ص 44، وابن عدي 7/2570، والحاكم 4/160 من طريق هشام بن يوسف، عن معمر، به وأخرجه البزار (693) ، والصيداوي في “معجمه” (223) من طريق حبيب بن أبي ثابت، عن عاصم بن ضمرة، به قال ابن حجر في “فتح الباري” 10/416: قال ابن التين: ظاهر الحديث يعارض قوله تعالى: (فإذا جاء أجلهم لا يستأخرون ساعة ولا يستقدمون) ، والجمع بينهما من وجهين أحدهما: أن هذه الزيادة كناية عن البركة في العمر بسبب التوفيق إلى الطاعة وعمارة وقته بما ينفعه في الآخرة، وصيانته عن تضييعه في غير ذلك، ومثل هذا ما جاء: أن النبي صلى الله عليه وسلم تقاصر أعمار أمته بالنسبة لأعمار من مضى من الأمم، فأعطاه الله ليلة القدر. وحاصله أن صلة الرحم تكون سببا للتوفيق للطاعة، والصيانة عن المعصية، فيبقى بعده الدكر الجميل، فكأنه لم يمت، ومن جملة ما يحصل له من التوفيق العلم الذي ينتفع به من بعده، والصدقة الجارية عليه، والخلف الصالح ثانيهما: أن الزيادة على حقيقتها، وذلك بالنسبة إلى علم الملك الموكل بالعمر، وأما الأول الذي دلت عليه الآية، فبالنسبة إلى علم الله تعالى، كأن يقال للملك مثلا: إن عمر فلان مئة مثلا إن وصل رجمه، وستون إن قطعها، وقد سبق في علم الله أنه يصل أو يقطع، فالذي في علم الله لا يتقدم ولا يتأخر، والذي في علم الملك هو الذي يمكن فيه الزيادة والنقص، وإليه الإشارة بقوله تعالى: (يمحو الله ما يشاء وبثبت وعنده أم الكتاب) ، فالمحو والإثبات بالنسبة لما في علم الملك، وما في أم الكتاب هو الذي في علم الله تعالى، فلا محو فيه البتة، ويقال له: القضاء المبرم، ويقال للأول: القضاء المعلق ورجح الحافظ ابن حجر الوجه الأول، ونقله عن الطيبي ثم قال الحافظ: وجزم ابن فورك بأن المراد بزيادة العمر نفى الآفات عن صاحب البر في فهمه وعقله، وقال غيره في أعم من ذلك وفي وجود البركة في رزقه وعلمه ونحو ذلك

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২১৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২১৪। ৬৫২ নং হাদীস দ্রষ্টব্য। (আল্লাহ বেজোড় সংখ্যা পছন্দ করেন।)

৬৫২। আলী (রাঃ) বলেছেন, বিতর ফরয নামাযের মত বাধ্যতামূলক নয়। তবে এটা সুন্নাত- যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চালু করেছেন।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২১৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২১৫। ৫৮০ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

৫৮০। আলী (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের প্রথমাংশে, মধ্যরাতে ও শেষ রাতে বিতর পড়তেন। তারপর শেষ রাতের বিতরই তাঁর জন্য স্থায়ী হলো।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২১৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২১৬। আলী (রাঃ) সূর্যগ্রহণের নামায পড়ালেন। নামাযে সূরা ইয়াসীন বা অনুরূপ কোন সূরা তিলাওয়াত করলেন। তারপর প্রায় অনুরূপ সূরা পরিমাণ লম্বা রুকু করলেন। তারপর মাথা উঠালেন। বললেন, সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ। তারপর উঠে দাঁড়ালেন। তারপর অনুরূপ সূরার সমান দাঁড়ালেন। অতঃপর অনুরূপ দীর্ঘ রূকু করলেন। এবং দু’আ ও তাকবীর পড়লেন। পুনরায় তার কিরাআত সমান রুকু করলেন। তারপর সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদা বলে উঠে সূরার সমান দাঁড়ালেন। তারপর পুনরায় অনুরূপ দীর্ঘ রুকূ করলেন। এভাবে চারটি রুকূ করলেন। তারপর সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ বললেন, তারপর সিজদা দিলেন, অতঃপর দ্বিতীয় রাকায়াতে দাঁড়ালেন এবং প্রথম রাকায়াতে যা যা করেছিলেন তা করলেন। তারপর বসে দু’আ করতে লাগলেন। তারপর জনগণকে জানালেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরকমই করেছেন।

[ইবনু খুযাইমা-১৩৮৮, ১৩৪৯]

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ الْحُرِّ، حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ عُتَيْبَةَ، عَنْ رَجُلٍ يُدْعَى حَنَشًا، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ: ” كَسَفَتِ الشَّمْسُ فَصَلَّى عَلِيٌّ لِلنَّاسِ، فَقَرَأَ يس أَوْ نَحْوَهَا – ثُمَّ رَكَعَ نَحْوًا مِنْ قَدْرِ سُّورَةٍ، ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ، فَقَالَ: سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ، ثُمَّ قَامَ قَدْرَ السُّورَةِ يَدْعُو وَيُكَبِّرُ، ثُمَّ رَكَعَ قَدْرَ قِرَاءَتِهِ أَيْضًا ثُمَّ قَالَ: سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ، ثُمَّ قَامَ أَيْضًا قَدْرَ السُّورَةِ ثُمَّ رَكَعَ قَدْرَ ذَلِكَ أَيْضًا، حَتَّى صَلَّى أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ، ثُمَّ قَالَ: سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ثُمَّ سَجَدَ، ثُمَّ قَامَ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ فَفَعَلَ كَفِعْلِهِ فِي الرَّكْعَةِ الْأُولَى، ثُمَّ جَلَسَ يَدْعُو وَيَرْغَبُ، حَتَّى انْكَشَفَتِ الشَّمْسُ ” ثُمَّ حَدَّثَهُمِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَذَلِكَ فَعَلَ

 

 

إسناده ضعيف، حنش- وهو ابن المعتمر، ويقال: ابن ربيعة الكوفي- الأكثرون على تضعيفه، وقال ابن حبان في “المجروحين” 1/269: كان كثيرَ الوهم في الأخبار، ينفرد عن علي بأشياء لا تشبه حديثَ الثقات، حتى صار ممن لا يحْتَج بحديثه. قلنا: وقد انفرد هنا بهذا الخبر عن علي. زهير: هو ابنُ معاوية الجُعفي

وأخرجه البيهقي 3/330-331 من طريق يحيى بن آدم، بهذا الإسناد

وأخرجه ابن خزيمة (1388) و (1394) ، والبيهقي 3/330 من طرق عن زهير بن معاوية، به

وأخرجه البيهقي 3/330 من طريق سليمان الشيباني، عن الحكم بن عتيبة، عن حنش، به. ولم يرفعه، وذكر فيه أنه قرأ سورة الحج وشى

وقال مسلم (908) لما أخرج من طريق حبيب بن أبي ثابت، عن طاووس، عن ابن عباس قال: صلى رسولُ الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حين كسَفَت الشمسُ ثمانَ ركعات في أربعِ سجدات؟

قال: وعن علي مثلُ ذلك. ولم يسق لفظه

حدثنا يحيى بن آدم، حدثنا زهير، حدثنا الحسن بن الحر، حدثنا الحكم بن عتيبة، عن رجل يدعى حنشا، عن علي، قال: ” كسفت الشمس فصلى علي للناس، فقرأ يس أو نحوها – ثم ركع نحوا من قدر سورة، ثم رفع رأسه، فقال: سمع الله لمن حمده، ثم قام قدر السورة يدعو ويكبر، ثم ركع قدر قراءته أيضا ثم قال: سمع الله لمن حمده، ثم قام أيضا قدر السورة ثم ركع قدر ذلك أيضا، حتى صلى أربع ركعات، ثم قال: سمع الله لمن حمده ثم سجد، ثم قام في الركعة الثانية ففعل كفعله في الركعة الأولى، ثم جلس يدعو ويرغب، حتى انكشفت الشمس ” ثم حدثهم أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كذلك فعل – إسناده ضعيف، حنش- وهو ابن المعتمر، ويقال: ابن ربيعة الكوفي- الأكثرون على تضعيفه، وقال ابن حبان في “المجروحين” 1/269: كان كثير الوهم في الأخبار، ينفرد عن علي بأشياء لا تشبه حديث الثقات، حتى صار ممن لا يحتج بحديثه. قلنا: وقد انفرد هنا بهذا الخبر عن علي. زهير: هو ابن معاوية الجعفي وأخرجه البيهقي 3/330-331 من طريق يحيى بن آدم، بهذا الإسناد وأخرجه ابن خزيمة (1388) و (1394) ، والبيهقي 3/330 من طرق عن زهير بن معاوية، به وأخرجه البيهقي 3/330 من طريق سليمان الشيباني، عن الحكم بن عتيبة، عن حنش، به. ولم يرفعه، وذكر فيه أنه قرأ سورة الحج وشى وقال مسلم (908) لما أخرج من طريق حبيب بن أبي ثابت، عن طاووس، عن ابن عباس قال: صلى رسول الله صلى الله عليه وسلم حين كسفت الشمس ثمان ركعات في أربع سجدات؟ قال: وعن علي مثل ذلك. ولم يسق لفظه

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২১৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২১৭। ১০১২ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

১০১২। আলী (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আছর ও ফজর ব্যতীত প্রত্যেক ফরয নামাযের অব্যবহিত পর দু’রাকায়াত নামায পড়তেন।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২১৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২১৮। ৫৮০ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

৫৮০। আলী (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের প্রথমাংশে, মধ্যরাতে ও শেষ রাতে বিতর পড়তেন। তারপর শেষ রাতের বিতরই তাঁর জন্য স্থায়ী হলো।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২১৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২১৯। আলী (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বান্দাহ যখন নামায পড়ার পর তার নামাযের জায়গায় বসে থাকে, তখন ফেরেশতারা “হে আল্লাহ, ওকে ক্ষমা কর, হে আল্লাহ ওর উপর রহমত বর্ষণ কর” বলে দু’আ করতে থাকে। আর যদি নামাযের অপেক্ষায় বসে থাকে তাহলেও ফেরেশতারা “হে আল্লাহ, ওকে ক্ষমা কর, হে আল্লাহ, ওর উপর রহমত কর” বলে তার জন্য দু’আ করতে থাকে। (১২৫১ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।)

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: سَمِعْتُ عَلِيًّا، يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” إِنَّ الْعَبْدَ إِذَا جَلَسَ فِي مُصَلاهُ بَعْدَ الصَّلاةِ، صَلَّتْ عَلَيْهِ الْمَلائِكَةُ، وَصَلاتُهُمْ عَلَيْهِ: اللهُمَّ اغْفِرْ لَهُ اللهُمَّ ارْحَمْهُ، وَإِنْ جَلَسَ يَنْتَظِرُ الصَّلاةَ، صَلَّتْ عَلَيْهِ الْمَلائِكَةُ وَصَلاتُهُمْ عَلَيْهِ: اللهُمَّ اغْفِرْ لَهُ اللهُمَّ ارْحَمْهُ

 

 

حسن لغيره، أبو عبد الرحمن: هو السلمي وسيأتي برقم (1251)

حدثنا يحيى بن آدم، حدثنا إسرائيل، عن عطاء بن السائب، عن أبي عبد الرحمن، قال: سمعت عليا، يقول: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ” إن العبد إذا جلس في مصلاه بعد الصلاة، صلت عليه الملائكة، وصلاتهم عليه: اللهم اغفر له اللهم ارحمه، وإن جلس ينتظر الصلاة، صلت عليه الملائكة وصلاتهم عليه: اللهم اغفر له اللهم ارحمه – حسن لغيره، أبو عبد الرحمن: هو السلمي وسيأتي برقم (1251)

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২২০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২২০। ৬৫২ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

৬৫২। আলী (রাঃ) বলেছেন, বিতর ফরয নামাযের মত বাধ্যতামূলক নয়। তবে এটা সুন্নাত- যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চালু করেছেন।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২২১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২২১। ৫৯১ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

৫৯১। আলী (রাঃ) বলেছেন, খন্দক যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তারা যেমন সূর্য ডুবে যাওয়া পর্যন্ত আমাদেরকে নামায পড়তে দেয়নি, তেমনি আল্লাহ তাদের বাড়িঘর ও কবরকে আগুন দিয়ে ভরে দিন।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

পরিচ্ছেদঃ

১২২২। ৫৯৫ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

৫৯৫। আলী (রাঃ) বলেছেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফায়সালা করে দিয়েছেন, ওয়াসিয়াত পালনের আগে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। অথচ তোমরা ঋণ পরিশোধের আগে ওয়াসিয়াত পাঠ করে থাক। মায়ের আপন (গৰ্ভজাত) সন্তানরাই তার (সম্পদে) উত্তরাধিকারী হয়ে থাকে, একই পিতার ঔরষজাত বিভিন্ন মায়ের সন্তানরা নয়।

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২২৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২২৩। ৫৮৩ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

৫৮৩। নাযযাল ইবনে সাবরা (রাঃ) বলেছেন, আলীর নিকট এক মগ পানি আনা হলো। তিনি তখন বাড়ির প্রাঙ্গনে ছিলেন। তিনি এক আঁজল পানি নিয়ে কুলি করলেন। নাকে পানি দিলেন। তাঁর মুখমণ্ডল, দু’হাত ও মাথা মাসেহ করলেন। অতঃপর দাঁড়িয়ে পানি পান করলেন। তারপর বললেনঃ এ হলো সেই ব্যক্তির ওযূ, যে অপবিত্র হয়নি। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এ রকম ওযূ করতে দেখেছি।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২২৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২২৪। ৬২৬ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

৬২৬। একবার আলী (রাঃ) এর উপস্থিতিতে খারিজীদের (বিদ্রোহী গোষ্ঠী) প্রসঙ্গ আলোচিত হলো। আলী (রাঃ) বললেনঃ তাদের মধ্যে একজনের হাত জন্মগতভাবে অসম্পূর্ণ। তোমরা অহঙ্কারী হয়ে যাবে এই আশঙ্কা যদি না থাকতো, তবে আমি তোমাদেরকে জানাতাম, যারা তাদেরকে হত্যা করবে তাদের ব্যাপারে আল্লাহ্‌ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুখ দিয়ে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সে সম্পর্কে। আবিদা বললেনঃ আমি জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুখ থেকে এ কথা শুনেছেন? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, কাবার প্রভুর শপথ, হ্যাঁ, কা’বার প্রভুর শপথ, হ্যাঁ, কা’বার প্রভুর শপথ!

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২২৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২২৫। ৬৫২ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

৬৫২। আলী (রাঃ) বলেছেন, বিতর ফরয নামাযের মত বাধ্যতামূলক নয়। তবে এটা সুন্নাত- যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চালু করেছেন।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২২৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২২৬। ১০১২ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

১০১২। আলী (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আছর ও ফজর ব্যতীত প্রত্যেক ফরয নামাযের অব্যবহিত পর দু’রাকায়াত নামায পড়তেন।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২২৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২২৭। ১০১২ নং হাদীস দ্রষ্টব্য। [দেখুন পূর্বের হাদিস]

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২২৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২২৮। ৬৫২ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

৬৫২। আলী (রাঃ) বলেছেন, বিতর ফরয নামাযের মত বাধ্যতামূলক নয়। তবে এটা সুন্নাত- যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চালু করেছেন।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২২৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২২৯। ৬০৪ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

৬০৪। আলী (রাঃ) বলেন, ফাতিমা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট উপস্থিত হয়ে একজন খাদিম চাইলেন। তিনি বললেনঃ আমি কি তোমাকে এর চেয়ে ভালো একটা জিনিসের সন্ধান দেবনা? তেত্রিশবার সুবহানাল্লাহ, তেত্রিশবার আল্লাহু আকবার ও তেত্রিশবার আলহামদুলিল্লাহ পড়বে। এর একটা চৌত্রিশবার পড়বে।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৩০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৩০। ৬২৪ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

৬২৪। হুদাইন আবু সাসান আর-রাক্কাশী বলেছেন, কুফাবাসীর একটি দল উসমানের কাছে এল। তারা ওয়ালীদের কার্যকলাপ সম্পর্কে তাকে অবহিত করলো। অর্থাৎ ওয়ালীদের মদপান সম্পর্কে। আলী (রাঃ) এ ব্যাপারে তার সাথে কথা বললেন। তিনি বললেনঃ তোমার চাচাতো ভাইকে গ্রেফতার কর এবং তার ওপর হদ (শাস্তি) কার্যকর কর। তারপর বললেনঃ হে হাসান, ওঠ; ওকে বেত্ৰাঘাত কর। তিনি বললেনঃ এ ব্যাপারে আপনার কিছু করণীয় নেই। এ কাজে অন্য কাউকে দায়িত্ব দিন। তিনি বললেনঃ বরঞ্চ তুমি দুর্বল ও অক্ষম হয়ে গিয়েছ। হে আবদুল্লাহ ইবনে জাফর, তুমি ওঠ। তারপর আবদুল্লাহ বেত্ৰাঘাত করতে লাগলো আর আলী গণনা করতে লাগলেন। চল্লিশটিতে পৌছলে আলী বললেনঃ থাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চল্লিশটি বেত্ৰাঘাত করেছেন, আবু বাকরও চল্লিশটি বেত্ৰাঘাত করেছেন। কেবল উমার আশিটি পূর্ণ করেছেন। এর যেটাই করা হবে, সেটাই সুন্নাত।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৩১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৩১। ৬৭৯ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

৬৭৯। আবু জামিলা আলী (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, একজন বাঁদী ব্যভিচার করে গর্ভবতী হয়ে পড়লো। আলী (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে গেলেন এবং ঘটনাটা জানালেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ওকে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়া পর্যন্ত অবকাশ দাও, তারপর বেত মারো।

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৩২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৩২। ৬৫২ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

৬৫২। আলী (রাঃ) বলেছেন, বিতর ফরয নামাযের মত বাধ্যতামূলক নয়। তবে এটা সুন্নাত- যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চালু করেছেন।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৩৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৩৩। ৭১১ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

৭১১। আলী (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ঘোড়া ও দাসদাসীর যাকাত থেকে আমি তোমাদেরকে অব্যাহতি দিয়েছি। তবে তোমরা রৌপ্য মুদ্রার যাকাত দাও। প্রত্যেক চল্লিশ দিরহাম থেকে এক দিরহাম। একশো নব্বই দিরহামে কিছু নয়। দুইশো হলে তাতে পাঁচ দিরহাম যাকাত।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৩৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৩৪। আলী (রাঃ) কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রাতের নামায সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, তিনি রাতে ষোল রাকাআত নামায পড়তেন। (১২৪১ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।)

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ، حَدَّثَنِي الْعَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ، قَالَ: سُئِلَ عَلِيٌّ عَنْ صَلاةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: ” كَانَ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ سِتَّ عَشْرَةَ رَكْعَةً

 

 

إسناده قوي، وقوله في هذا الحديث. “من الليل” خطأ من أعد الرواة، ولعله من أبي إسحاق نفسه فقد رواه عنه العلاء بن المسيب أيضاً فيما يأتي برقم (1241) فقال فيه: “من الليل”، وانظر الحديث المتقدم برقم (650)

حدثنا عبد الله، حدثني العباس بن الوليد، حدثنا أبو عوانة، عن أبي إسحاق، عن عاصم بن ضمرة، قال: سئل علي عن صلاة رسول الله صلى الله عليه وسلم، قال: ” كان يصلي من الليل ست عشرة ركعة – إسناده قوي، وقوله في هذا الحديث. “من الليل” خطأ من أعد الرواة، ولعله من أبي إسحاق نفسه فقد رواه عنه العلاء بن المسيب أيضا فيما يأتي برقم (1241) فقال فيه: “من الليل”، وانظر الحديث المتقدم برقم (650)

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৩৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৩৫। ৭৪৭ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

৭৪৭। আলী (রাঃ) বলেছেন, পারস্য সম্রাট রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হাদিয়া পাঠিয়েছিলেন এবং তিনি তা গ্ৰহণ করেছেন। রোম সম্রাট তাকে হাদিয়া পাঠিয়েছেন, তাও তিনি গ্ৰহণ করেছেন, বহু রাজা বাদশাহ তাকে উপহার উপটৌকন পাঠাতেন এবং তিনি তা গ্ৰহণ করতেন।

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৩৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৩৬। আলী (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রথমে কবর যিয়ারত করতে, কিছু পানপাত্র ব্যবহার করতে ও তিন দিনের বেশি কুরবানীর গোশত আটকে রাখতে নিষেধ করেছিলেন। পরে বললেন, আমি তোমাদেরকে কবর যিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম। এখন যিয়ারত করতে পার। কেননা কবর যিয়ারত তোমাদেরকে আখিরাতের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। কিছু পানপাত্র ব্যবহার করতে নিষেধ করেছিলাম। এখন ওগুলোতে পানীয় রাখতে ও পান করতে পার। কেবল নেশাকর ও মাদক দ্রব্য এড়িয়ে চল। আর কুরবানীর গোশত তিনদিনের বেশি আটকে রাখতে তোমাদেরকে নিষেধ করেছিলাম। এখন যতদিন ইচ্ছা ওটা আটখে রাখ।

حَدَّثَنَا يَزِيدُ، أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ النَّابِغَةِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيٍّ، ” أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ زِيَارَةِ الْقُبُورِ، وَعَنِ الْأَوْعِيَةِ وَأَنْ تُحْبَسَ لُحُومُ الْأَضَاحِيِّ بَعْدَ ثَلاثٍ “، ثُمَّ قَالَ: ” إِنِّي كُنْتُ نَهَيْتُكُمْ عَنْ زِيَارَةِ الْقُبُورِ فَزُورُوهَا فَإِنَّهَا تُذَكِّرُكُمِ الْآخِرَةَ، وَنَهَيْتُكُمْ عَنِ الْأَوْعِيَةِ فَاشْرَبُوا فِيهَا، وَاجْتَنِبُوا كُلَّ مَا أَسْكَرَ، وَنَهَيْتُكُمْ عَنْ لُحُومِ الْأَضَاحِيِّ أَنْ تَحْبِسُوهَا بَعْدَ ثَلاثٍ، فَاحْبِسُوا مَا بَدَا لَكُمْ

 

 

صحيح لغيره، وهذا إسناد ضعيف لضعف علي بن زيد- وهو ابن جدعان- ولجهالة ربيعة بن النابغة وأبيه

وأخرجه ابن أبي شيبة 8/111 و160، وأبو يعلى (278) ، وعنه ابن عدي في “الكامل” 3/1019 من طريق يزيد بن هارون، بهذا الإسناد. وحديث ابن أبي شيبة مختصر بلفظ: “كنت نهيتكم عن هذه الأوعية، فاشربوا فيها واجتنبوا ما أسكر”

وأخرجه مختصراً بقصة لحوم الأضاحي الطحاوي في “شرح معاني الآثار” 4/185 من طريق أسد وحجاج، كلاهما عن حماد بن سلمة، به

وأخرج مثله الطحاوي أيضاً 4/185 من طريق عبد الوارث بن سعيد، عن علي بن زيد، عن النابغة بن مخارق بن سليم، عن أبيه، عن علي. والنابغة بن مخارق مجهول، وقال ابن حجر في “التعجيل” ص 418: مخارق بن سليم شيبانى أخرج له النسائي، وذكر صاحب “التهذيب” أنه روى عنه ولداه قابوس وعبد الله، ولم يذكر نابغةَ، والله أعلم

وفي الباب عن بريدة الأسلمي عند أحمد في “المسند” 5/350، ومسلم في “صحيحه” (977)

حدثنا يزيد، أخبرنا حماد بن سلمة، عن علي بن زيد، عن ربيعة بن النابغة، عن أبيه، عن علي، ” أن رسول الله صلى الله عليه وسلم نهى عن زيارة القبور، وعن الأوعية وأن تحبس لحوم الأضاحي بعد ثلاث “، ثم قال: ” إني كنت نهيتكم عن زيارة القبور فزوروها فإنها تذكركم الآخرة، ونهيتكم عن الأوعية فاشربوا فيها، واجتنبوا كل ما أسكر، ونهيتكم عن لحوم الأضاحي أن تحبسوها بعد ثلاث، فاحبسوا ما بدا لكم – صحيح لغيره، وهذا إسناد ضعيف لضعف علي بن زيد- وهو ابن جدعان- ولجهالة ربيعة بن النابغة وأبيه وأخرجه ابن أبي شيبة 8/111 و160، وأبو يعلى (278) ، وعنه ابن عدي في “الكامل” 3/1019 من طريق يزيد بن هارون، بهذا الإسناد. وحديث ابن أبي شيبة مختصر بلفظ: “كنت نهيتكم عن هذه الأوعية، فاشربوا فيها واجتنبوا ما أسكر” وأخرجه مختصرا بقصة لحوم الأضاحي الطحاوي في “شرح معاني الآثار” 4/185 من طريق أسد وحجاج، كلاهما عن حماد بن سلمة، به وأخرج مثله الطحاوي أيضا 4/185 من طريق عبد الوارث بن سعيد، عن علي بن زيد، عن النابغة بن مخارق بن سليم، عن أبيه، عن علي. والنابغة بن مخارق مجهول، وقال ابن حجر في “التعجيل” ص 418: مخارق بن سليم شيبانى أخرج له النسائي، وذكر صاحب “التهذيب” أنه روى عنه ولداه قابوس وعبد الله، ولم يذكر نابغة، والله أعلم وفي الباب عن بريدة الأسلمي عند أحمد في “المسند” 5/350، ومسلم في “صحيحه” (977)

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৩৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৩৭। ১২৪৬ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

 হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৩৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৩৮। ৮৬৮ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

৮৬৮। আলী (রাঃ) বলেন, আমার অত্যধিক মযি নিৰ্গত হতো। এ জন্য শীতকালেও আমি ঘন ঘন গোসল করতাম। ফলে আমার পিঠ ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হলো। পরে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বিষয়টা জানালাম। শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এরূপ করো না। মযি বের হলে তোমার পুরুষাঙ্গ ধুয়ে ফেল এবং নামাযের ওযূর মত ওযূ করা। কিন্তু যদি তীব্ৰ বেগে পানি ঝরাও তাহলে গোসল কর। (অর্থাৎ তীব্ৰ বেগে নিৰ্গত হওয়া বীর্যপাতের লক্ষণ।)

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৩৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৩৯। ১১৭০ ও ৬৫৭ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

৬৫৭। আলী (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি জানাযায় ছিলেন। তারপর বললেনঃ তোমাদের মধ্যে এমন কে আছে যে, মদীনায় গিয়ে সকল মূর্তি ভেঙ্গে দেবে, সকল কবর সমান করে দেবে এবং সকল ছবির ওপর কালো কালি মেখে দেবে? এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমি পারবো। অতঃপর সে চলে গেল। কিন্তু মদীনাবাসীর ভয়ে ভীত হয়ে ফিরে এল। তখন আলী (রাঃ) বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমি যাবো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ বেশ, যাও। তিনি গেলেন, আবার ফিরে এলেন। এসে বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমি প্রতিটি মূর্তি ভেঙ্গে এসেছি, প্রতিটি কবর সমান করে এসেছি এবং প্রতিটি ছবিতে কালি মেখে এসেছি। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এর একটিও যে ব্যক্তি পুনরায় করবে, সে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নাযিলকৃত দীনকে অস্বীকার করবে। তারপর বললেনঃ কেউ নির্যাতনকারী হয়ো না, অহংকারী হয়ো না, ব্যবসায়ী হয়ো না, তবে সৎ ব্যবসায়ী হয়ো। কেননা এসকল (নির্যাতনকারী, অহংকারী ও অসৎ ব্যবসায়ী) লোক সৎকাজে পেছনে পড়ে যাবে। (সুতরাং কোন অজুহাতেই কোন প্রাণীর ছবি বা প্রতিকৃতি তৈরি করা ও স্থাপন করা ইসলাম সম্মত নয়।)

[হাদিসটি সহীহ লিগায়রিহী, তবে এই সানাদটি দুর্বল।]

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৪০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৪০। আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বৃষ্টির পানি দ্বারা যে ফসল ফলে তাতে এক দশমাংশ এবং যে ফসল সেঁচের পানি দ্বারা জন্মে, তাতে এক দশমাংশের অর্ধেক যাকাত দিতে হবে।

[হাদিসটি সহীহ তবে এই সানাদটি মারফু’ হিসেবে দুর্বল]

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ، حَدَّثَنِي عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَالِمٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” فِيمَا سَقَتِ السَّمَاءُ فَفِيهِ الْعُشْرُ، وَمَا سُقِيَ بِالْغَرْبِ وَالدَّالِيَةِ فَفِيهِ نِصْفُ الْعُشْرِ ” قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ: فَحَدَّثْتُ أَبِي بِحَدِيثِ عُثْمَانَ، عَنْ جَرِيرٍ ” فَأَنْكَرَهُ، وَكَانَ أَبِي لَا يُحَدِّثُنَا عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَالِمٍ لِضَعْفِهِ عِنْدَهُ وَإِنْكَارِهِ لِحَدِيثِهِ

 

 

حديث صحيح، وإسناد هذا مرفوعاً ضعيف لضعف محمد بن سالم الهمداني

وأخرجه البزار (690) عن يوسف بن موسى، عن جرير، بهذا الإسناد

وأخرجه البزار أيضاً (691) من طريق زهير بن معاوية، عن أبي إسحاق، به. وفيه: وأظنه رفعه إلى النبي صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. ورواية زهير بن معاوية عن أبي إسحاق بأخرة بعد ما تغير

قلنا: وقد صح موقوفاً عن علي، فقد أخرجه يحيى بن آدم في “الخراج” (373) و (374) و (375) و (376) و (377) و (378) و (379) ، وعبد الرزاق في “مصنفه” (7233) ، وأبو عبيد في “الأموال” (1416) ، وابن أبي شيبة 3/145، والبيهقي 4/131 من طرق- فيها سفيان الثوري وإسرائيل بن يونس – عن أبي إسحاق، عن عاصم بن ضمرة، عن علي. قال الدارقطني في “العلل” 4/72: والصحيح موقوف

وفي الباب عن ابن عمر عند البخاري (1483) وغيره، وعن جابر وسيأتي في “المسند” (3/341 الميمنية) ، وعن معاذ وسيأتي في “المسند” أيضاً (5/233)

الغَرْب: دلو عظيمة تتخذ من جلد ثور

والدالية: شيء يتخذ من خوص يُستقى به يُشد بحبال في رأس جذع طويل، يدار بالبقر ونحوه

حدثنا عبد الله، حدثني عثمان بن أبي شيبة، حدثنا جرير، عن محمد بن سالم، عن أبي إسحاق، عن عاصم بن ضمرة، عن علي، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ” فيما سقت السماء ففيه العشر، وما سقي بالغرب والدالية ففيه نصف العشر ” قال أبو عبد الرحمن: فحدثت أبي بحديث عثمان، عن جرير ” فأنكره، وكان أبي لا يحدثنا عن محمد بن سالم لضعفه عنده وإنكاره لحديثه – حديث صحيح، وإسناد هذا مرفوعا ضعيف لضعف محمد بن سالم الهمداني وأخرجه البزار (690) عن يوسف بن موسى، عن جرير، بهذا الإسناد وأخرجه البزار أيضا (691) من طريق زهير بن معاوية، عن أبي إسحاق، به. وفيه: وأظنه رفعه إلى النبي صلى الله عليه وسلم. ورواية زهير بن معاوية عن أبي إسحاق بأخرة بعد ما تغير قلنا: وقد صح موقوفا عن علي، فقد أخرجه يحيى بن آدم في “الخراج” (373) و (374) و (375) و (376) و (377) و (378) و (379) ، وعبد الرزاق في “مصنفه” (7233) ، وأبو عبيد في “الأموال” (1416) ، وابن أبي شيبة 3/145، والبيهقي 4/131 من طرق- فيها سفيان الثوري وإسرائيل بن يونس – عن أبي إسحاق، عن عاصم بن ضمرة، عن علي. قال الدارقطني في “العلل” 4/72: والصحيح موقوف وفي الباب عن ابن عمر عند البخاري (1483) وغيره، وعن جابر وسيأتي في “المسند” (3/341 الميمنية) ، وعن معاذ وسيأتي في “المسند” أيضا (5/233) الغرب: دلو عظيمة تتخذ من جلد ثور والدالية: شيء يتخذ من خوص يستقى به يشد بحبال في رأس جذع طويل، يدار بالبقر ونحوه

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৪১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৪১। ১২৩৪ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

১২৩৪। আলী (রাঃ) কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রাতের নামায সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, তিনি রাতে ষোল রাকাআত নামায পড়তেন।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

পরিচ্ছেদঃ

১২৪২। ৬৫০ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

৬৫০। আসিম বিন যামরা বলেন, আমরা আলী (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিনের বেলায় কেমন নফল ইবাদাত করতেন? আলী (রাঃ) বললেনঃ তোমরা তা পারবে না। আমরা বললামঃ আমাদেরকে বলুন না, যতদূর পারি অনুকরণ করবো। তিনি বললেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের নামায পড়ার পর কিছুটা বিরতি দিতেন। তারপর সূর্য যখন পূর্ব প্রান্তে এতটা ওপরে উঠতো, যতটা আছরের সময় পশ্চিম প্রান্তে থাকে, তখন উঠে দু’রাকাআত পড়তেন। তারপর আবার কিছুক্ষণ বিরতি দিতেন। তারপর যোহরের সময় সূর্য পশ্চিম প্রান্তে যতটা ওপরে থাকে, ততটা যখন পূর্ব প্রান্তে থাকতো, তখন উঠে চার রাকাআত পড়তেন। তারপর সূর্য পশ্চিমে ঢলে পড়ার পর যোহরের পূর্বে চার রাকাআত পড়তেন এবং দুরাকাআত যোহরের পরে পড়তেন। আর আছরের পূর্বে চার রাকাআত পড়তেন। এই চার রাকাআতের দুই দুই রাকাআত শেষে আল্লাহর ঘনিষ্ঠতম ফেরেশতাদের ওপর, নবীদের ওপর ও তাদের অনুসারী মুমিন ও মুসলিম নরনারীর ওপর সালাম পাঠাতেন। আলী (রাঃ) বললেনঃ এই ষোল রাকাআত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দিনের নফল নামায। তবে এই নামাযগুলো নিয়মিতভাবে খুব কম সংখ্যক লোকই পড়ে থাকে।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৪৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৪৩। ৯৮৪ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

৯৮৪। আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি তোমাদেরকে ঘোড়া ও দাসদাসীর যাকাত থেকে অব্যাহতি দিয়েছি। তবে রৌপ্যের শতকরা আড়াই ভাগ যাকাত দিতে হবে।

[হাদিসটি সহীহ লিগাইরিহী তবে এই সানাদটি দুর্বল]

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৪৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৪৪। ৬১৯ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

৬১৯। আলী (রাঃ) বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকুতে বা সিজদায় থাকাকালে (কুরআন) পাঠ করতে নিষেধ করেছেন।

[এই সানাদটি দুর্বল]

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৪৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৪৫। ৭৪৮ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

৭৪৮। শুরাইহ ইবনে হানী বলেন, আমি আয়িশা (রাঃ) কে মোজার ওপর মাসিহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেনঃ আলীকে জিজ্ঞাসা কর। তিনি এ বিষয়ে আমার চেয়ে বেশী জানেন। (কারণ) তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে (প্রায়ই) সফর করতেন। অতঃপর আমি আলী (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুসাফির তিন দিন তিন রাত এবং মুকীম এক দিন ও এক রাত মোজার ওপর মাসিহ করবে।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৪৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৪৬। ৬১৭ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

৬১৭। আলী (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আহযাব (খন্দক) যুদ্ধের দিন বলেছিলেনঃ ওরা (মুশরিক ও ইহুদীরা) আমাদের আছরের নামায পড়তে না দিয়ে যুদ্ধে লিপ্ত রেখেছে। আল্লাহ ওদের কবর ও বাড়িগুলোকে আগুন দিয়ে ভরে দিন। তারপর তিনি মাগরিব ও ইশার মধ্যবর্তী সময় আছরের নামায পড়লেন।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৪৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৪৭। আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমার কাছে জিবরীল এসেছিল। কিন্তু ঘরে ঢোকেনি। আমি জিবরীলকে বললাম, ঘরে ঢুকতে তোমাকে কিসে বাধা দিয়েছিল? জিবরীল (আঃ) বললেন, যে ঘরে কোনো ছবি বা প্রস্রাব আছে, সেখানে আমরা ঢুকিনা।

(১২৪৮ নং হাদীস ও ১২৭০ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।)

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ أَبُو مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ ذَكْوَانَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ خَالِدٍ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” أَتَانِي جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلامُ فَلَمْ يَدْخُلْ عَلَيَّ ” فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” مَا مَنَعَكَ أَنْ تَدْخُلَ؟ ” قَالَ: إِنَّا لَا نَدْخُلُ بَيْتًا فِيهِ صُورَةٌ وَلا بَوْلٌ

 

 

إسناده ضعيف جداً، الحسن بن ذكوان ليس بالقوي، وعمرو بن خالد- وهو أبو خالد القرشي مولاهم- متروك، ورماه وكيع وأحمد وابن معين وغيرهم بالكذب.

وسيأتي برقم (1248) ، وانظر (1270)

حدثنا عبد الله، حدثنا شيبان أبو محمد، حدثنا عبد الوارث بن سعيد، حدثنا الحسن بن ذكوان، عن عمرو بن خالد، عن حبيب بن أبي ثابت، عن عاصم بن ضمرة، عن علي، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: ” أتاني جبريل عليه السلام فلم يدخل علي ” فقال له النبي صلى الله عليه وسلم: ” ما منعك أن تدخل؟ ” قال: إنا لا ندخل بيتا فيه صورة ولا بول – إسناده ضعيف جدا، الحسن بن ذكوان ليس بالقوي، وعمرو بن خالد- وهو أبو خالد القرشي مولاهم- متروك، ورماه وكيع وأحمد وابن معين وغيرهم بالكذب. وسيأتي برقم (1248) ، وانظر (1270)

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৪৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৪৮। ১২৪৭ নং হাদীস দ্রষ্টব্য। [দেখুন পূর্বের হাদিস]

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৪৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৪৯। আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ তোমার উরু উন্মুক্ত করো না। কোন জীবিত বা মৃত ব্যক্তির উরুর প্রতি দৃষ্টি দিও না।

[আবু দাউদ-৩১৪০, ৪০১৫, ইবনু মাজাহ-১৪৬০]

[হাদিসটি সহীহ লিগাইরিহী, তবে ইনকিতা’ (বিচ্ছিন্নতা) এর জন্য এই সানাদটি দুর্বল]

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ، حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ، حَدَّثَنِي يَزِيدُ أَبُو خَالِدٍ الْبَيْسَرِيُّ الْقُرَشِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي حَبِيبُ بْنُ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” لَا تُبْرِزْ فَخِذَكَ، وَلا تَنْظُرِ الَى فَخِذِ حَيٍّ وَلا مَيِّتٍ

 

 

صحيح لغيره، وهذا إسناد ضعيف لانقطاعه، وحبيب بن أبي ثابت مدلس وقد عنعن، وهو لم يسمع من عاصم بن ضمرة شيئاً، قاله سفيان الثوري ويحيى بن معين وأبو داود وأبو حاتم والدارقطني وغيرهم، وابن جريج قد صرح بالسماع هنا فقال: أخبرني، لكن رواه عنه حجاج بن محمد فقال: أخبرت عن حبيب بن أبي ثابت، قال أبو حاتم عن هذا الحديث فيما أورده ابنه في “العلل” 2/271: ابن جريج لم يسمع هذا الحديث بهذا الإسناد من حبيب، إنما هو من حديث عمرو بن خالد الواسطي، ولا يثبت لحبيب (تحرف في المطبوع إلى: لحسن) رواية عن عاصم، فأرى أن ابن جريج أخذه من الحسن بن ذكوان عن عمرو بن خالد عن حبيب، والحسن بن ذكوان وعمرو بن خالد ضعيفا الحديث، وقال الحافظ ابن حجر في “التلخيص” 1/279: ووقع في زيادات المسند وفي الدارقطني ومسند الهيثم بن كليب تصريح ابن جريج بإخبار حبيب له، وهو وهم في نقدي، وقد تكلمت عليه في الإملاء على أحاديث مختصر ابن الحاجب

وأخرجه أبو يعلى (331) وعنه ابن عدي في “الكامل” 7/2734 عن عبيد الله بن عمر القواريري، بهذا الإسناد

وأخرجه أبو داود (3140) و (4015) ، وابن ماجه (1460) ، والبزار (694) ، والطحاوي في “مشكل الآثار” 2/284، و”شرح معاني الآثار” 1/474، والدارقطني 1/225، والحاكم 4/180-181، والبيهقي 2/228 من طرق عن ابن جريج، به.

ورواية روح بن عبادة عن ابن جريج عند الدارقطني والبيهقي بلفظ: “لا تكشف عن فخذك فإن الفخذ من العورة”. قال أبو داود: هذا الحديث فيه نكارة

وفي الباب عن ابن عباس وعبد الله بن عمرو بن العاص وجرهد الأسلمي ومحمد بن عبد الله بن جحش، وهي عند أحمد في “المسند” على التوالي 1/275 و2/187 و3/478 و5/290، وهذه الأحاديث- وإن كان في أسانيدها مقال- يشد بعضها بعضا، وتقوى. وهو (يعني كون الفخذ عورة) مذهبُ أحمد والشافعي وأبي حنيفة وأكثر أهل العلم، وقال مالك وابن أبي ذئب: الفخذ ليست بعورة. انظر “شرح السنة” للبغوي 9/20، و”المغني” لابن قدامة 1/577- 578

حدثنا عبد الله، حدثني عبيد الله بن عمر القواريري، حدثني يزيد أبو خالد البيسري القرشي، حدثنا ابن جريج، أخبرني حبيب بن أبي ثابت، عن عاصم بن ضمرة ، عن علي، قال: قال لي رسول الله صلى الله عليه وسلم: ” لا تبرز فخذك، ولا تنظر الى فخذ حي ولا ميت – صحيح لغيره، وهذا إسناد ضعيف لانقطاعه، وحبيب بن أبي ثابت مدلس وقد عنعن، وهو لم يسمع من عاصم بن ضمرة شيئا، قاله سفيان الثوري ويحيى بن معين وأبو داود وأبو حاتم والدارقطني وغيرهم، وابن جريج قد صرح بالسماع هنا فقال: أخبرني، لكن رواه عنه حجاج بن محمد فقال: أخبرت عن حبيب بن أبي ثابت، قال أبو حاتم عن هذا الحديث فيما أورده ابنه في “العلل” 2/271: ابن جريج لم يسمع هذا الحديث بهذا الإسناد من حبيب، إنما هو من حديث عمرو بن خالد الواسطي، ولا يثبت لحبيب (تحرف في المطبوع إلى: لحسن) رواية عن عاصم، فأرى أن ابن جريج أخذه من الحسن بن ذكوان عن عمرو بن خالد عن حبيب، والحسن بن ذكوان وعمرو بن خالد ضعيفا الحديث، وقال الحافظ ابن حجر في “التلخيص” 1/279: ووقع في زيادات المسند وفي الدارقطني ومسند الهيثم بن كليب تصريح ابن جريج بإخبار حبيب له، وهو وهم في نقدي، وقد تكلمت عليه في الإملاء على أحاديث مختصر ابن الحاجب وأخرجه أبو يعلى (331) وعنه ابن عدي في “الكامل” 7/2734 عن عبيد الله بن عمر القواريري، بهذا الإسناد وأخرجه أبو داود (3140) و (4015) ، وابن ماجه (1460) ، والبزار (694) ، والطحاوي في “مشكل الآثار” 2/284، و”شرح معاني الآثار” 1/474، والدارقطني 1/225، والحاكم 4/180-181، والبيهقي 2/228 من طرق عن ابن جريج، به. ورواية روح بن عبادة عن ابن جريج عند الدارقطني والبيهقي بلفظ: “لا تكشف عن فخذك فإن الفخذ من العورة”. قال أبو داود: هذا الحديث فيه نكارة وفي الباب عن ابن عباس وعبد الله بن عمرو بن العاص وجرهد الأسلمي ومحمد بن عبد الله بن جحش، وهي عند أحمد في “المسند” على التوالي 1/275 و2/187 و3/478 و5/290، وهذه الأحاديث- وإن كان في أسانيدها مقال- يشد بعضها بعضا، وتقوى. وهو (يعني كون الفخذ عورة) مذهب أحمد والشافعي وأبي حنيفة وأكثر أهل العلم، وقال مالك وابن أبي ذئب: الفخذ ليست بعورة. انظر “شرح السنة” للبغوي 9/20، و”المغني” لابن قدامة 1/577- 578

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৫০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৫০। আলী (রাঃ) বলেছেন, আমি ফাতিমাকে বললাম, তুমি যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে গিয়ে একজন চাকর চাইতে তবে ভালো হতো। কারণ ঘরের কাজকর্ম ও আটা পেষা তোমাকে খুবই অবসন্ন করে দিয়েছে। ফাতিমা (রাঃ) বললেন, তাহলে আপনি আমার সাথে চলুন। আমি তার সাথে গেলাম এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট একটা চাকর চাইলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি কি তোমাদেরকে এর চেয়ে ভালো জিনিসের সন্ধান দেব না? যখন তোমরা বিছানায় যাবে, তখন সুবহানাল্লাহ তেত্রিশবার, আল হামদুলিল্লাহ তেত্রিশবার ও আল্লাহু আকবার চৌত্রিশবার বলবে। জিহ্বার উপর একশোবার উচ্চারিত এই শব্দগুলো দাঁড়িপাল্লায় এক হাজার শব্দে পরিণত হবে। আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছ থেকে এ কথা শোনার পর আর কখনো আমি এটা ত্যাগ করিনি। এক ব্যক্তি বললেন, যেদিন সিফফীন যুদ্ধ হয়, সে রাতেও না? তিনি বললেন, সিফফীন যুদ্ধের রাতেও না।

حَدَّثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، وَحُسَيْنٌ، وَأَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، قَالُوا: حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ هُبَيْرَةَ بْنِ يَرِيمَ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ: قُلْتُ لِفَاطِمَةَ: لَوِ أَتَيْتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلْتِيهِ خَادِمًا، فَقَدِ أجْهَدَكِ الطَّحْنُ وَالْعَمَلُ؟ – قَالَ حُسَيْنٌ: إِنَّهُ قَدْ جَهَدَكِ الطَّحْنُ وَالْعَمَلُ، وَكَذَلِكَ قَالَ أَبُو أَحْمَدَ – قَالَتْ: فَانْطَلِقْ مَعِي. قَالَ: فَانْطَلَقْتُ مَعَهَا. فَسَأَلْنَاهُ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” أَلا أَدُلُّكُمَا عَلَى مَا هُوَ خَيْرٌ لَكُمَا مِنْ ذَلِكَ؟ إِذَا أَوَيْتُمَا إِلَى فِرَاشِكُمَا فَسَبِّحَا اللهَ ثَلاثًا وَثَلاثِينَ، وَاحْمَدَاهُ ثَلاثًا وَثَلاثِينَ، وَكَبِّرَاهُ أَرْبَعًا وَثَلاثِينَ، فَتِلْكَ مِائَةٌ عَلَى اللِّسَانِ، وَأَلْفٌ فِي الْمِيزَانِ ” فَقَالَ عَلِيٌّ: رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: ” مَا تَرَكْتُهَا بَعْدَمَا سَمِعْتُهَا مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ” فَقَالَ رَجُلٌ: وَلا لَيْلَةَ صِفِّينَ؟ قَالَ: ” وَلا لَيْلَةَ صِفِّينَ

 

 

حديث صحيح، وهذا إسناد حسن، رجاله ثقات رجال الشيخين غير هبيرة بن يريم، فمن رجال أصحاب السنن، وهو حسن الحديث

حسين: هو ابن محمد المَرُّوذي، وأبو أحمد الزبيري: هو محمد بن عبد الله بن الزبير الأسدي

وأخرجه أبو يعلى (551) من طريق عثمان بن عمر، عن إسرائيل، بهذا الإسناد

وانظر ما تقدم برقم (1229)

حدثنا أسود بن عامر، وحسين، وأبو أحمد الزبيري، قالوا: حدثنا إسرائيل، عن أبي إسحاق، عن هبيرة بن يريم، عن علي، قال: قلت لفاطمة: لو أتيت النبي صلى الله عليه وسلم فسألتيه خادما، فقد أجهدك الطحن والعمل؟ – قال حسين: إنه قد جهدك الطحن والعمل، وكذلك قال أبو أحمد – قالت: فانطلق معي. قال: فانطلقت معها. فسألناه، فقال النبي صلى الله عليه وسلم: ” ألا أدلكما على ما هو خير لكما من ذلك؟ إذا أويتما إلى فراشكما فسبحا الله ثلاثا وثلاثين، واحمداه ثلاثا وثلاثين، وكبراه أربعا وثلاثين، فتلك مائة على اللسان، وألف في الميزان ” فقال علي: رضي الله عنه: ” ما تركتها بعدما سمعتها من النبي صلى الله عليه وسلم ” فقال رجل: ولا ليلة صفين؟ قال: ” ولا ليلة صفين – حديث صحيح، وهذا إسناد حسن، رجاله ثقات رجال الشيخين غير هبيرة بن يريم، فمن رجال أصحاب السنن، وهو حسن الحديث حسين: هو ابن محمد المروذي، وأبو أحمد الزبيري: هو محمد بن عبد الله بن الزبير الأسدي وأخرجه أبو يعلى (551) من طريق عثمان بن عمر، عن إسرائيل، بهذا الإسناد وانظر ما تقدم برقم (1229)

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৫১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৫১। ১২১৯ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

১২১৯। আলী (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বান্দাহ যখন নামায পড়ার পর তার নামাযের জায়গায় বসে থাকে, তখন ফেরেশতারা “হে আল্লাহ, ওকে ক্ষমা কর, হে আল্লাহ ওর উপর রহমত বর্ষণ কর” বলে দু’আ করতে থাকে। আর যদি নামাযের অপেক্ষায় বসে থাকে তাহলেও ফেরেশতারা “হে আল্লাহ, ওকে ক্ষমা কর, হে আল্লাহ, ওর উপর রহমত কর” বলে তার জন্য দু’আ করতে থাকে।

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৫২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৫২। ৬৫০ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

৬৫০। আসিম বিন যামরা বলেন, আমরা আলী (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিনের বেলায় কেমন নফল ইবাদাত করতেন? আলী (রাঃ) বললেনঃ তোমরা তা পারবে না। আমরা বললামঃ আমাদেরকে বলুন না, যতদূর পারি অনুকরণ করবো। তিনি বললেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের নামায পড়ার পর কিছুটা বিরতি দিতেন। তারপর সূর্য যখন পূর্ব প্রান্তে এতটা ওপরে উঠতো, যতটা আছরের সময় পশ্চিম প্রান্তে থাকে, তখন উঠে দু’রাকাআত পড়তেন। তারপর আবার কিছুক্ষণ বিরতি দিতেন। তারপর যোহরের সময় সূর্য পশ্চিম প্রান্তে যতটা ওপরে থাকে, ততটা যখন পূর্ব প্রান্তে থাকতো, তখন উঠে চার রাকাআত পড়তেন। তারপর সূর্য পশ্চিমে ঢলে পড়ার পর যোহরের পূর্বে চার রাকাআত পড়তেন এবং দুরাকাআত যোহরের পরে পড়তেন। আর আছরের পূর্বে চার রাকাআত পড়তেন। এই চার রাকাআতের দুই দুই রাকাআত শেষে আল্লাহর ঘনিষ্ঠতম ফেরেশতাদের ওপর, নবীদের ওপর ও তাদের অনুসারী মুমিন ও মুসলিম নরনারীর ওপর সালাম পাঠাতেন। আলী (রাঃ) বললেনঃ এই ষোল রাকাআত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দিনের নফল নামায। তবে এই নামাযগুলো নিয়মিতভাবে খুব কম সংখ্যক লোকই পড়ে থাকে।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৫৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৫৩। আলী (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি নিজের সচ্ছলতা থাকা সত্ত্বেও কারো কাছে সাহায্য চায়, জাহান্নামে তাকে দগ্ধ করার জন্য উত্তাপ বাড়ানো হবে। লোকেরা বললো, সচ্ছলতা কী? তিনি বললেন, এক রাতের খাবার।

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ أَبِي سَمِينَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا حَسَنُ بْنُ ذَكْوَانَ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” مَنْ سَأَلَ مَسْأَلَةً عَنْ ظَهْرِ غِنًى اسْتَكْثَرَ بِهَا مِنْ رَضْفِ جَهَنَّمَ ” قَالُوا: مَا ظَهْرُ غِنًى؟ قَالَ: ” عَشَاءُ لَيْلَةٍ

 

 

إسناده ضعيف جداً، حسن بن ذكوان ضعيف، وهو لم يسمع من حبيب بن أبي ئابت، بينهما عمرو بن خالد القرشي مولاهم المتهم بالكذب

عبد الصمد: هو ابن عبد الوارث بن سعيد

وأخرجه العقيليُّ في “الضعفاء” 1/224، وابن عدي في “الكامل” 5/1776 من طريقين عن عبد الصمد بن عبد الوارث، بهذا الإسناد

وأخرجه الدارقطني في “السنن” 2/121 من طريق أبي معمر المقعد، عن عبد الوارث بن سعيد، عن حسن (في المطبوع: حسين) ، عن عمرو بن خالد، عن حبيب

وفي الباب ما يغني عنه عن أبي هريرة عند مسلم (1041) ولفظه: “من سأل الناسَ أموالَهم تكثراً، فإنما يسأل جمراً، فليستقل أو ليستكثر

وظهر الغنى: هو ما فضل عن الغنى، وقيل: ما فضل عن العيال

والرضف: الحجارة المحماة على النار، واحدتها: رَضْفة

حدثنا عبد الله، حدثني محمد بن يحيى بن أبي سمينة، حدثنا عبد الصمد، حدثني أبي، حدثنا حسن بن ذكوان، عن حبيب بن أبي ثابت، عن عاصم بن ضمرة، عن علي، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ” من سأل مسألة عن ظهر غنى استكثر بها من رضف جهنم ” قالوا: ما ظهر غنى؟ قال: ” عشاء ليلة – إسناده ضعيف جدا، حسن بن ذكوان ضعيف، وهو لم يسمع من حبيب بن أبي ئابت، بينهما عمرو بن خالد القرشي مولاهم المتهم بالكذب عبد الصمد: هو ابن عبد الوارث بن سعيد وأخرجه العقيلي في “الضعفاء” 1/224، وابن عدي في “الكامل” 5/1776 من طريقين عن عبد الصمد بن عبد الوارث، بهذا الإسناد وأخرجه الدارقطني في “السنن” 2/121 من طريق أبي معمر المقعد، عن عبد الوارث بن سعيد، عن حسن (في المطبوع: حسين) ، عن عمرو بن خالد، عن حبيب وفي الباب ما يغني عنه عن أبي هريرة عند مسلم (1041) ولفظه: “من سأل الناس أموالهم تكثرا، فإنما يسأل جمرا، فليستقل أو ليستكثر وظهر الغنى: هو ما فضل عن الغنى، وقيل: ما فضل عن العيال والرضف: الحجارة المحماة على النار، واحدتها: رضفة

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৫৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৫৪। আলী (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক হিংস্র পশু, প্রত্যেক ধারালো নখরধারী পাখি, মৃত জন্তুর বিক্রয় মূল্য, পালিত গাধার গোশত, ব্যভিচার দ্বারা অর্জিত অর্থ, ষাঁড় দ্বারা প্ৰজনন ক্রিয়ার বিনিময় গ্রহণ ও লাল রং এর পোশাক নিষিদ্ধ করেছেন।

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْد الصَّمَدِ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا حَسَنُ بْنُ ذَكْوَانَ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ، عَنْ عَلِيٍّ: ” أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ كُلِّ ذِي نَابٍ مِنَ السَّبُعِ، وَكُلِّ ذِي مِخْلَبٍ مِنَ الطَّيْرِ، وَعَنْ ثَمَنِ الْمَيْتَةِ، وَعَنْ لَحْمِ الْحُمُرِ الْأَهْلِيَّةِ، وَعَنْ مَهْرِ الْبَغِيِّ، وَعَنْ عَسْبِ الْفَحْلِ، وَعَنِ الْمَيَاثِرِ الْأُرْجُوَانِ

 

 

إسناده ضعيف جدا كسابقه

وأخرجه أبو يعلى (357) ، والعقيلي في “الضعفاء” 1/224 عن زهير بن حرب، عن عبد الصمد، بهذا الإسناد

وأخرجه ابن عدي في “الكامل” 5/1776 من طريق زهير بن حرب وأبي بكر بن أبي النضر، عن عبد الصمد، به. وقال: وهذا الحديث يرويه الحسن بن ذكوان، عن عمرو بن خالد، وعمرو متروك الحديث، ويُسقِط الحسن بن ذكوان من الإسناد عمرو بن خالد لشدة ضعفه

وأخرجه الحاكم في “معرفة علوم الحديث” ص 109 من طريق محمد بن نصر، عن جماعة، عن عبد الصمد، به. ثم قال: قال أبو عبد الله محمد بن نصر: وهذا حديث لم يسمعه الحسن بن ذكوان من حبيب بن أبي ثابت، وذلك أن محمد بن يحيى حدثنا قال: حدثنا أبو معمر، قال: حدثني عبد الوارث، عن الحسن بن ذكوان، عن عمرو بن خالد، عن حبيب بن أبي ثابت، وعمرو هذا منكرُ الحديثِ، فدلسَه الحسنُ عنه

وأخرجه مختصراً بالنهي عن مياثرِ الأرجوان أبو داود (4050) من طريق هشام بنِ حسان، عن محمد بن سيرين، عن عَبيدة، عن علي. وإسناده صحيح

وفي الباب في النهي عن كُل ذي نابٍ من السباعِ، وعن كُل ذي مِخْلَبٍ من الطير من حديث ابنِ عباس عند مسلم (1934)

وفي النهي عن ثمنِ الميتة من حديث أبي هريرة عند أبي داود (3485) ، وإسناده حسن

وفي النهي عن لحوم الحمر الأهلية من حديث علي، وقد تقدم في “المسند” برقم (592) . وهو متفق عليه من حديث جابر وابن عمر وابن عباس وأنس وغيرهم، انظر “تلخيص الحبير” 4/150

وفي النهي عن مهر البغي من حديث ابن عباس، وسيأتي في “المسند” برقم (2094) ، وإسناده صحيح

وفي النهي عن عَسْب الفحل من حديث ابن عمر عند البخاري (2284)

مهر البغي: ما تأخذه الزانية على الزنى، وسماه “مهراً” لكونه على صورته

وعسب الفحل: ثمن ماء الفحل، وقيل: أجرة الجماع، والفحل: الذكر من كل حيوان، فرساً كان أو جملاً أو تيساً أو غير ذلك

حدثنا عبد الله، حدثني محمد بن يحيى، حدثنا عبد الصمد، حدثني أبي، حدثنا حسن بن ذكوان، عن حبيب بن أبي ثابت، عن عاصم بن ضمرة، عن علي: ” أن النبي صلى الله عليه وسلم نهى عن كل ذي ناب من السبع، وكل ذي مخلب من الطير، وعن ثمن الميتة، وعن لحم الحمر الأهلية، وعن مهر البغي، وعن عسب الفحل، وعن المياثر الأرجوان – إسناده ضعيف جدا كسابقه وأخرجه أبو يعلى (357) ، والعقيلي في “الضعفاء” 1/224 عن زهير بن حرب، عن عبد الصمد، بهذا الإسناد وأخرجه ابن عدي في “الكامل” 5/1776 من طريق زهير بن حرب وأبي بكر بن أبي النضر، عن عبد الصمد، به. وقال: وهذا الحديث يرويه الحسن بن ذكوان، عن عمرو بن خالد، وعمرو متروك الحديث، ويسقط الحسن بن ذكوان من الإسناد عمرو بن خالد لشدة ضعفه وأخرجه الحاكم في “معرفة علوم الحديث” ص 109 من طريق محمد بن نصر، عن جماعة، عن عبد الصمد، به. ثم قال: قال أبو عبد الله محمد بن نصر: وهذا حديث لم يسمعه الحسن بن ذكوان من حبيب بن أبي ثابت، وذلك أن محمد بن يحيى حدثنا قال: حدثنا أبو معمر، قال: حدثني عبد الوارث، عن الحسن بن ذكوان، عن عمرو بن خالد، عن حبيب بن أبي ثابت، وعمرو هذا منكر الحديث، فدلسه الحسن عنه وأخرجه مختصرا بالنهي عن مياثر الأرجوان أبو داود (4050) من طريق هشام بن حسان، عن محمد بن سيرين، عن عبيدة، عن علي. وإسناده صحيح وفي الباب في النهي عن كل ذي ناب من السباع، وعن كل ذي مخلب من الطير من حديث ابن عباس عند مسلم (1934) وفي النهي عن ثمن الميتة من حديث أبي هريرة عند أبي داود (3485) ، وإسناده حسن وفي النهي عن لحوم الحمر الأهلية من حديث علي، وقد تقدم في “المسند” برقم (592) . وهو متفق عليه من حديث جابر وابن عمر وابن عباس وأنس وغيرهم، انظر “تلخيص الحبير” 4/150 وفي النهي عن مهر البغي من حديث ابن عباس، وسيأتي في “المسند” برقم (2094) ، وإسناده صحيح وفي النهي عن عسب الفحل من حديث ابن عمر عند البخاري (2284) مهر البغي: ما تأخذه الزانية على الزنى، وسماه “مهرا” لكونه على صورته وعسب الفحل: ثمن ماء الفحل، وقيل: أجرة الجماع، والفحل: الذكر من كل حيوان، فرسا كان أو جملا أو تيسا أو غير ذلك

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৫৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৫৫। ৮৪৮ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

৮৪৮। তারেক বিন যিয়াদ বলেছেন, আমরা আলী (রাঃ) এর সাথে খারিজীদের বিরুদ্ধে অভিযানে বের হয়েছিলাম। আলী (রাঃ) এই অভিযানে তাদেরকে হত্যা করলেন। তারপর বললেনঃ তোমরা খোঁজ নাও। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ একটা দল আবির্ভূত হবে। যারা সত্য কথা বলবে কিন্তু সে সত্য কথা তাদের মুখেই থাকবে, কণ্ঠ অতিক্রম করবে না। (অর্থাৎ অন্তর থেকে বলবে না) তীর যেভাবে ধনুক থেকে বের হয়, তারা সেই ভাবেই সত্য থেকে বের হবে। তাদের আলামত হলো, তাদের মধ্যে এক ব্যক্তির বর্ণ কালো ও হাত আংশিক পঙ্গু থাকবে। তার হাতে কালো পশম থাকবে। নিহতদের মধ্যে যদি এই ব্যক্তি থাকে, তাহলে তোমরা নিকৃষ্টতম লোককে হত্যা করেছ। সে যদি না থেকে থাকে তাহলে তোমরা সর্বোত্তম ব্যক্তিকে হত্যা করেছ।

আমরা এ কথা শুনে কেঁদে ফেললাম। তারপর তিনি বললেনঃ অনুসন্ধান কর। আমরা অনুসন্ধান করলাম এবং আংশিক পঙ্গু হাত ওয়ালাকে নিহতদের মধ্যে পেলাম। ফলে আমরা শোকর আদায়ের লক্ষে সিজদায় উপুড় হলাম। আলী (রাঃ)ও সিজদায় উপুড় হলেন। তবে তখনো তিনি বললেন, তারা মুখে যা বলতো সত্যই বলতো। (খারিজীদের শ্লোগান ছিলঃ “আল্লাহর হুকুম ছাড়া আর কিছু মানি না।” আলী (রাঃ) এর জবাবে বলতেনঃ ওদের কথাটা সত্য কিন্তু উদ্দেশ্য অসৎ। অর্থাৎ এই ধুয়া তুলে তারা আলী (রাঃ) ও খিলাফাতে রাশেদার শাসন উচ্ছেদের চেষ্টায় লিপ্ত ছিল।)

[হাদিসটি হাসান কিন্তু এই সানাদ দুর্বল]

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৫৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৫৬। আমর ইবনে সুফিয়ান বলেছেন, আলী (রাঃ) জয় লাভের পর বসরায় এক ব্যক্তি ভাষণ দিলেন। আলী(রাঃ) বললেন, ইনি সাহসী বক্তা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তিকাল করলেন, আবু বাকর জানাযার নামায পড়লেন এবং উমার (খিলাফাতের বিতর্কে) মধ্যস্থতা করলেন। তারপর গোলযোগ আমাদের বিপর্যস্ত করলো। গোলযোগে আল্লাহ যা চান তাই করেন।

حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنِ الْأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ سُفْيَانَ، قَالَ: خَطَبَ رَجُلٌ يَوْمَ الْبَصْرَةِ، حِينَ ظَهَرَ عَلِيٌّ، فَقَالَ عَلِيٌّ: ” هَذَا الْخَطِيبُ الشَّحْشَحُ سَبَقَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَصَلَّى أَبُو بَكْرٍ، وَثَلَّثَ عُمَرُ ثُمَّ خَبَطَتْنَا فِتْنَةٌ بَعْدَهُمْ يَصْنَعُ اللهُ فِيهَا مَا شَاءَ

 

 

حسن لغيره وهذا إسناد ضعيف، شريك النخعي سيئ الحفظ، وعمرو بن سفيان- وهو الثقفي- روى عنه الأسود بن قيس وحده، ولم يذكر له أحد رواية عن علي، ولم يوثقه غير ابن حبان. وانظر ما تقدم برقم (1020) .

والشَّحْشَح: الماهر الماضي في كلامه

حدثنا أبو نعيم، حدثنا شريك، عن الأسود بن قيس، عن عمرو بن سفيان، قال: خطب رجل يوم البصرة، حين ظهر علي، فقال علي: ” هذا الخطيب الشحشح سبق رسول الله صلى الله عليه وسلم، وصلى أبو بكر، وثلث عمر ثم خبطتنا فتنة بعدهم يصنع الله فيها ما شاء – حسن لغيره وهذا إسناد ضعيف، شريك النخعي سيئ الحفظ، وعمرو بن سفيان- وهو الثقفي- روى عنه الأسود بن قيس وحده، ولم يذكر له أحد رواية عن علي، ولم يوثقه غير ابن حبان. وانظر ما تقدم برقم (1020) . والشحشح: الماهر الماضي في كلامه

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৫৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৫৭। আলী (রাঃ) বলেছেন, বদরের যুদ্ধের দিন আলী (রাঃ) কে বলা হলো, তোমাদের একজনের সাথে জিবরীল ও অপরজনের সাথে মিকাইল রয়েছে। আর ইসরাফীল একজন ভয়ংকর ফেরেশতা, যিনি যুদ্ধের ময়দানে উপস্থিত থাকেন। অথবা বলেছেন, মুজাহিদের কাতারে উপস্থিত থাকেন।

حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا مِسْعَرٌ، عَنْ أَبِي عَوْنٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ الْحَنَفِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ: ” قِيلَ لِعَلِيٍّ، وَلِأَبِي بَكْرٍ يَوْمَ بَدْرٍ: مَعَ أَحَدِكُمَا جِبْرِيلُ، وَمَعَ الْآخَرِ مِيكَائِيلُ وَإِسْرَافِيلُ مَلَكٌ عَظِيمٌ يَشْهَدُ الْقِتَالَ – أَوْ قَالَ: يَشْهَدُ الصَّفَّ

 

 

إسناده صحيح على شرط مسلم، رجاله ثقات رجال الشيخين غير أبي صالح الحنفي- واسمه عبد الرحمن بن قيس- فمن رجال مسلم. مسعر: هو ابن كدام، وأبو عون: هو محمد بن عبيد الله بن سعيد الثقفي

وأخرجه ابن أبي شيبة 12/16، وابن أبي عاصم (1217) ، والبزار (729) ، وأبو يعلى (340) ، والحاكم 3/134 من طرق عن مسعر، بهذا الإسناد. وصحح إسناده الحاكم، ووافقه الذهبي إلا أنه جعله على شرط مسلم

حدثنا أبو نعيم، حدثنا مسعر، عن أبي عون، عن أبي صالح الحنفي، عن علي، قال: ” قيل لعلي، ولأبي بكر يوم بدر: مع أحدكما جبريل، ومع الآخر ميكائيل وإسرافيل ملك عظيم يشهد القتال – أو قال: يشهد الصف – إسناده صحيح على شرط مسلم، رجاله ثقات رجال الشيخين غير أبي صالح الحنفي- واسمه عبد الرحمن بن قيس- فمن رجال مسلم. مسعر: هو ابن كدام، وأبو عون: هو محمد بن عبيد الله بن سعيد الثقفي وأخرجه ابن أبي شيبة 12/16، وابن أبي عاصم (1217) ، والبزار (729) ، وأبو يعلى (340) ، والحاكم 3/134 من طرق عن مسعر، بهذا الإسناد. وصحح إسناده الحاكم، ووافقه الذهبي إلا أنه جعله على شرط مسلم

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৫৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৫৮। ৬৫০ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

৬৫০। আসিম বিন যামরা বলেন, আমরা আলী (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিনের বেলায় কেমন নফল ইবাদাত করতেন? আলী (রাঃ) বললেনঃ তোমরা তা পারবে না। আমরা বললামঃ আমাদেরকে বলুন না, যতদূর পারি অনুকরণ করবো। তিনি বললেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের নামায পড়ার পর কিছুটা বিরতি দিতেন। তারপর সূর্য যখন পূর্ব প্রান্তে এতটা ওপরে উঠতো, যতটা আছরের সময় পশ্চিম প্রান্তে থাকে, তখন উঠে দু’রাকাআত পড়তেন। তারপর আবার কিছুক্ষণ বিরতি দিতেন। তারপর যোহরের সময় সূর্য পশ্চিম প্রান্তে যতটা ওপরে থাকে, ততটা যখন পূর্ব প্রান্তে থাকতো, তখন উঠে চার রাকাআত পড়তেন। তারপর সূর্য পশ্চিমে ঢলে পড়ার পর যোহরের পূর্বে চার রাকাআত পড়তেন এবং দুরাকাআত যোহরের পরে পড়তেন। আর আছরের পূর্বে চার রাকাআত পড়তেন। এই চার রাকাআতের দুই দুই রাকাআত শেষে আল্লাহর ঘনিষ্ঠতম ফেরেশতাদের ওপর, নবীদের ওপর ও তাদের অনুসারী মুমিন ও মুসলিম নরনারীর ওপর সালাম পাঠাতেন। আলী (রাঃ) বললেনঃ এই ষোল রাকাআত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দিনের নফল নামায। তবে এই নামাযগুলো নিয়মিতভাবে খুব কম সংখ্যক লোকই পড়ে থাকে।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৫৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৫৯। ১০২০ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

১০২০। আলী (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তেকাল করলেন। তারপর আবু বকর (রাঃ) তাঁর জানাযার নামায পড়লেন, আর উমার (রাঃ) পড়লেন তৃতীয় জানাযা। এরপরই আমরা সেই অরাজকতায় পতিত হলাম, যা আল্লাহ চেয়েছিলেন।

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৬০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৬০। ৫৮০ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

৫৮০। আলী (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের প্রথমাংশে, মধ্যরাতে ও শেষ রাতে বিতর পড়তেন। তারপর শেষ রাতের বিতরই তাঁর জন্য স্থায়ী হলো।

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৬১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৬১। ৬৫০ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

৬৫০। আসিম বিন যামরা বলেন, আমরা আলী (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিনের বেলায় কেমন নফল ইবাদাত করতেন? আলী (রাঃ) বললেনঃ তোমরা তা পারবে না। আমরা বললামঃ আমাদেরকে বলুন না, যতদূর পারি অনুকরণ করবো। তিনি বললেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের নামায পড়ার পর কিছুটা বিরতি দিতেন। তারপর সূর্য যখন পূর্ব প্রান্তে এতটা ওপরে উঠতো, যতটা আছরের সময় পশ্চিম প্রান্তে থাকে, তখন উঠে দু’রাকাআত পড়তেন। তারপর আবার কিছুক্ষণ বিরতি দিতেন। তারপর যোহরের সময় সূর্য পশ্চিম প্রান্তে যতটা ওপরে থাকে, ততটা যখন পূর্ব প্রান্তে থাকতো, তখন উঠে চার রাকাআত পড়তেন। তারপর সূর্য পশ্চিমে ঢলে পড়ার পর যোহরের পূর্বে চার রাকাআত পড়তেন এবং দুরাকাআত যোহরের পরে পড়তেন। আর আছরের পূর্বে চার রাকাআত পড়তেন। এই চার রাকাআতের দুই দুই রাকাআত শেষে আল্লাহর ঘনিষ্ঠতম ফেরেশতাদের ওপর, নবীদের ওপর ও তাদের অনুসারী মুমিন ও মুসলিম নরনারীর ওপর সালাম পাঠাতেন। আলী (রাঃ) বললেনঃ এই ষোল রাকাআত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দিনের নফল নামায। তবে এই নামাযগুলো নিয়মিতভাবে খুব কম সংখ্যক লোকই পড়ে থাকে।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

পরিচ্ছেদঃ

১২৬২। ৬৫২ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

৬৫২। আলী (রাঃ) বলেছেন, বিতর ফরয নামাযের মত বাধ্যতামূলক নয়। তবে এটা সুন্নাত- যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চালু করেছেন।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৬৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৬৩। আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার পূর্বে এমন কোন নবী আসেননি, যাকে সাতজন বহু গুণসম্পন্ন বন্ধু ও উপদেষ্টা দেয়া হয়নি। আর আমাকে দেয়া হয়েছে চৌদ্দজন বহু গুণসম্পন্ন বন্ধু ও উপদেষ্টা। তারা হচ্ছে হামযা, জাফর, আলী, হাসান, হুসাইন, আবু বাকর, উমার, মিকদাদ, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ্দ, আবু যার, হুযাইফা, সালমান, আম্মার ও বিলাল।

(৬৬৫ নং হাদীস দ্রষ্টব্য)।

حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا فِطْرٌ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ نَافِعٍ النَّوَّاءِ، قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ اللهِ بْنَ مُلَيْلٍ، قَالَ: سَمِعْتُ عَلِيًّا، يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” إِنَّهُ لَمْ يَكُنْ قَبْلِي نَبِيٌّ إِلا قَدْ أُعْطِيَ سَبْعَةَ رُفَقَاءَ نُجَبَاءَ، وُزَرَاءَ، وَإِنِّي أُعْطِيتُ أَرْبَعَةَ عَشَرَ: حَمْزَةُ، وَجَعْفَرٌ، وَعَلِيٌّ، وَحَسَنٌ، وَحُسَيْنٌ، وَأَبُو بَكْرٍ، وَعُمَرُ، وَالْمِقْدَادُ، وَحُذَيْفَةُ، وَسَلْمَانُ، وَعَمَّارٌ، وَبِلالٌ

 

 

إسناده ضعيف. فطر: هو ابن خليفة

وأخرجه ابن أبي عاصم (1421) ، والبزار (896) من طريق الفضل بن دكين، بهذا الإسناد. وقد تقدم برقم (665)

حدثنا أبو نعيم، حدثنا فطر، عن كثير بن نافع النواء، قال: سمعت عبد الله بن مليل، قال: سمعت عليا، يقول: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ” إنه لم يكن قبلي نبي إلا قد أعطي سبعة رفقاء نجباء، وزراء، وإني أعطيت أربعة عشر: حمزة، وجعفر، وعلي، وحسن، وحسين، وأبو بكر، وعمر، والمقداد، وحذيفة، وسلمان، وعمار، وبلال – إسناده ضعيف. فطر: هو ابن خليفة وأخرجه ابن أبي عاصم (1421) ، والبزار (896) من طريق الفضل بن دكين، بهذا الإسناد. وقد تقدم برقم (665)

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৬৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৬৪। ৭৩৭ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

৭৩৭। আলী (রাঃ) বলেছেন, আমি মনে করতাম, পায়ের পিঠের চেয়ে পায়ের তলা মাসেহ করা বেশি যুক্তিসংগত। কিন্তু পরে দেখলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’পায়ের পিঠে মাসেহ করছেন।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৬৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৬৫। আলী (রাঃ) বলেছেন, কোন সম্পদের উপর এক বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত যাকাত ফারয হয় না।

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ، حَدَّثَنِي عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ: لَيْسَ فِي مَالٍ زَكَاةٌ حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ

 

 

حديث صحيح، شريك- وإن كان سيئ الحفظ- متابع، ونقل الزيلعي في “نصب الراية” 2/328 عن النووي أنه قال في “الخلاصة”: هو حديث صحيح أو حسن

وقال ابن حجر في “التلخيص الحبير” 2/156 بعد أن نسبه إلى البيهقي: حديث علي لا بأس بإسناده، والآثار تعضده فيصلح للحجة، والله أعلم

وأخرجه ابن أبي شيبة 3/158 و159 عن شريك، بهذا الإسناد

وأخرجه أبو عبيد في “الأموال” (1122) من طريق سفيان الثوري، والدارقطني في “السنن” 2/91 من طريق زكريا بن أبي زائدة، كلاهما عن أبي إسحاق، به

وأخرجه ابن عدي في “الكامل” 2/704 من طريق إسماعيل بن عياش، عن الحسن بن عمارة، عن أبي إسحاق، به مرفوعاً. قال ابن عدي: وهذا الحديث لعل البلاء فيه من إسماعيل بن عياش، لأنه إذا روى عن غير أهل بلده من الشاميين خلط، فإذا روى عن أهل الحجاز والبصرة والكوفة خلط عليهم، والحسن بن عمارة كوفي، والبلاء من ابن عياش لا من الحسن

وأخرجه كذلك مرفوعاً أبو داود (1573) ، والبيهقي 4/95 من طريق جرير بن حازم، عن أبي إسحاق، به. وقرن جرير بعاصم الحارثَ الأعور، ولم بسَم الحارث عند البيهقي. وفي الباب عن ابن عمر وعن أنس وعن عاثشة، انظر تخريجها في “نصب الراية” 2/330

حدثنا عبد الله، حدثني عثمان بن أبي شيبة، حدثنا شريك، عن أبي إسحاق، عن عاصم بن ضمرة، عن علي، قال: ليس في مال زكاة حتى يحول عليه الحول – حديث صحيح، شريك- وإن كان سيئ الحفظ- متابع، ونقل الزيلعي في “نصب الراية” 2/328 عن النووي أنه قال في “الخلاصة”: هو حديث صحيح أو حسن وقال ابن حجر في “التلخيص الحبير” 2/156 بعد أن نسبه إلى البيهقي: حديث علي لا بأس بإسناده، والآثار تعضده فيصلح للحجة، والله أعلم وأخرجه ابن أبي شيبة 3/158 و159 عن شريك، بهذا الإسناد وأخرجه أبو عبيد في “الأموال” (1122) من طريق سفيان الثوري، والدارقطني في “السنن” 2/91 من طريق زكريا بن أبي زائدة، كلاهما عن أبي إسحاق، به وأخرجه ابن عدي في “الكامل” 2/704 من طريق إسماعيل بن عياش، عن الحسن بن عمارة، عن أبي إسحاق، به مرفوعا. قال ابن عدي: وهذا الحديث لعل البلاء فيه من إسماعيل بن عياش، لأنه إذا روى عن غير أهل بلده من الشاميين خلط، فإذا روى عن أهل الحجاز والبصرة والكوفة خلط عليهم، والحسن بن عمارة كوفي، والبلاء من ابن عياش لا من الحسن وأخرجه كذلك مرفوعا أبو داود (1573) ، والبيهقي 4/95 من طريق جرير بن حازم، عن أبي إسحاق، به. وقرن جرير بعاصم الحارث الأعور، ولم بسم الحارث عند البيهقي. وفي الباب عن ابن عمر وعن أنس وعن عاثشة، انظر تخريجها في “نصب الراية” 2/330

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৬৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৬৬। আসেম বিন যামরা বলেন, আমি আলীর ছেলে হাসানকে বললাম, শীয়ারা দাবী করে আলী (রাঃ) আবার ফিরে আসবেন। হাসান বললেন, ঐ সব মিথ্যুক মিথ্যা বলেছে। আমরা যদি এটা জানতাম তবে তার স্ত্রীরা বিয়ে করতো না এবং আমরা তার উত্তরাধিকার বণ্টন করতাম না।

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ، حَدَّثَنِي عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ، قَالَ: قُلْتُ لِلحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ: إِنَّ الشِّيعَةَ يَزْعُمُونَ أَنَّ عَلِيًّا يَرْجِعُ. قَالَ: ” كَذَبَ أُولَئِكَ الْكَذَّابُونَ، لَوْ عَلِمْنَا ذَاكَ مَا تَزَوَّجَ نِسَاؤُهُ، وَلا قَسَمْنَا مِيرَاثَهُ

 

 

حسن لغيره، وأورده الهيثمي في “مجمع الزوائد” 10/22 وقال: رواه عبد الله وإسناده جيد

وأخرجه ابن سعد 3/39 من طريق حجاج بن أرطاة، وابن سعد أيضاً في 3/39، والطبراني في “الكبير” (2560) من طريق مطرف بن طريف، وأبو القاسم البغوي في “الجعديات” (2617) ، والقطيعي في زياداته على “الفضائل” (1128) ، والحاكم 3/145 من طريق زهير بن معاوية، ثلاثتهم عن أبي إسحاق، عن عمرو بن عبد الله الأصم، عن الحسن بن علي، وعمرو بن عبد اللُه بن الأصم ذكره البخاري في “التاريخ الكبير” 6/346، وابن أبي حاتم في “الجرح والتعديل” 6/242، فلم يوردا فيه جرحاً ولا تعديلاً، وذكره ابن حبان في “الثقات” 5/180

حدثنا عبد الله، حدثني عثمان بن أبي شيبة، حدثنا شريك، عن أبي إسحاق، عن عاصم بن ضمرة، قال: قلت للحسن بن علي: إن الشيعة يزعمون أن عليا يرجع. قال: ” كذب أولئك الكذابون، لو علمنا ذاك ما تزوج نساؤه، ولا قسمنا ميراثه – حسن لغيره، وأورده الهيثمي في “مجمع الزوائد” 10/22 وقال: رواه عبد الله وإسناده جيد وأخرجه ابن سعد 3/39 من طريق حجاج بن أرطاة، وابن سعد أيضا في 3/39، والطبراني في “الكبير” (2560) من طريق مطرف بن طريف، وأبو القاسم البغوي في “الجعديات” (2617) ، والقطيعي في زياداته على “الفضائل” (1128) ، والحاكم 3/145 من طريق زهير بن معاوية، ثلاثتهم عن أبي إسحاق، عن عمرو بن عبد الله الأصم، عن الحسن بن علي، وعمرو بن عبد الله بن الأصم ذكره البخاري في “التاريخ الكبير” 6/346، وابن أبي حاتم في “الجرح والتعديل” 6/242، فلم يوردا فيه جرحا ولا تعديلا، وذكره ابن حبان في “الثقات” 5/180

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৬৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৬৭। ৭১১ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

৭১১। আলী (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ঘোড়া ও দাসদাসীর যাকাত থেকে আমি তোমাদেরকে অব্যাহতি দিয়েছি। তবে তোমরা রৌপ্য মুদ্রার যাকাত দাও। প্রত্যেক চল্লিশ দিরহাম থেকে এক দিরহাম। একশো নব্বই দিরহামে কিছু নয়। দুইশো হলে তাতে পাঁচ দিরহাম যাকাত।

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৬৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৬৮। আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কুরআন অধ্যয়ন করে এবং তাকে বাস্তবায়িত করে, তাকে তার পরিবারের এমন দশজনের জন্য সুপারিশ করার ক্ষমতা দেয়া হবে, যাদের জন্য জাহান্নাম অবধারিত হয়ে গিয়েছিল।

[ইবনু মাজা-২১৬, তিরমিযী-২৯০৫, মুসনাদে আহমাদ-১২৭৮]

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ، حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ مُحَمَّدٍ النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ الرَّقِّيُّ، حَدَّثَنَا حَفْصٌ أَبُو عُمَرَ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ زَاذَانَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ فَاسْتَظْهَرَهُ، شُفِّعَ فِي عَشْرَةٍ مِنْ أَهْلِ بَيْتِهِ قَدْ وَجَبَتْ لَهُمِ النَّارُ

 

 

إسناده ضعيف جداً لضعف عمرو بن عثمان الرقي وحفص أبي عمر- وهو ابن سليمان البزاز القارئ-، ولجهالة كثير بن زاذان

وأخرجه ابن ماجه (216) ، والترمذي (2905) ، وابن عدي في “الكامل” 2/788، وأبو نعيم في “أخبار أصبهان” 1/255 من طرق عن حفص بن سليمان، بهذا الإسناد

وقد تحرف في المطبوع من ابن ماجه وابن عدي “عاصم بن ضمرة” إلى: “عاصم بن حمزة”. قال الترمذي: غريب، وليس له إسناد صحيح. وسيأتي برقم (1278)

حدثنا عبد الله، حدثني عمرو بن محمد الناقد، حدثنا عمرو بن عثمان الرقي، حدثنا حفص أبو عمر، عن كثير بن زاذان، عن عاصم بن ضمرة، عن علي، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ” من قرأ القرآن فاستظهره، شفع في عشرة من أهل بيته قد وجبت لهم النار – إسناده ضعيف جدا لضعف عمرو بن عثمان الرقي وحفص أبي عمر- وهو ابن سليمان البزاز القارئ-، ولجهالة كثير بن زاذان وأخرجه ابن ماجه (216) ، والترمذي (2905) ، وابن عدي في “الكامل” 2/788، وأبو نعيم في “أخبار أصبهان” 1/255 من طرق عن حفص بن سليمان، بهذا الإسناد وقد تحرف في المطبوع من ابن ماجه وابن عدي “عاصم بن ضمرة” إلى: “عاصم بن حمزة”. قال الترمذي: غريب، وليس له إسناد صحيح. وسيأتي برقم (1278)

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৬৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৬৯। ৭১১ নং হাদীস দ্রষ্টব্য। [দেখুন হাদিস নং ১২৬৭]

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৭০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৭০। ১২৪৭ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

১২৪৭। আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমার কাছে জিবরীল এসেছিল। কিন্তু ঘরে ঢোকেনি। আমি জিবরীলকে বললাম, ঘরে ঢুকতে তোমাকে কিসে বাধা দিয়েছিল? জিবরীল (আঃ) বললেন, যে ঘরে কোনো ছবি বা প্রস্রাব আছে, সেখানে আমরা ঢুকিনা।

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৭১

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৭১। ১২০৭ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

১২০৭। কায়েস বিন উবাদ বলেন, আমরা আলীর (রাঃ) সাথে এক সফরে ছিলাম। এই সফরে তিনি যখনই কোন যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে এমন প্রান্তর দেখতেন, কোন পাহাড়ের উঁচু স্থানে উঠতেন বা সমতলে নামতেন, বলতেন, “সুবহানাল্লাহ, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সত্য বলেছেন।” আমি বনু ইয়াশকার গোত্রের এক ব্যক্তিকে বললাম, চল, আমরা আমীরুল মুমিনীনের কাছে যাই এবং তাঁকে জিজ্ঞাসা করি। কেন তিনি “আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সত্য বলেছেন” এ কথা বলেন। অতঃপর আমরা তার কাছে গেলাম এবং বললাম, হে আমীরুল মুমিনীন, আমরা লক্ষ্য করলাম, আপনি যখনই কোন যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে এমন স্থানে উপস্থিত হন, কিংবা কোন পাহাড়ের উপরে উঠেন অথবা সমতল ভূমিতে নামেন, তখনই বলেন, “সুবহানাল্লাহ, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সত্য বলেছেন।” এ ব্যাপারে কি আল্লাহর রাসূল আপনাকে কোন বিশেষ দায়িত্ব অৰ্পণ করেছেন? কিন্তু আমীরুল মুমিনীন এর জবাব এড়িয়ে গেলেন। তথাপি আমরা অনেক পিড়াপিড়ি করলাম। অগত্যা তিনি বললেন, আল্লাহর কসম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাধারণ জনগণকে যা কিছু আদেশ দিয়েছেন তা ছাড়া আর কোনো আদেশ আমাকে দেননি। কিন্তু একদল লোক উসমানের উপর হামলা চালালো ও তাকে হত্যা করলো। সেদিন আমি ব্যতীত অন্য সবাই আমার চেয়ে খারাপ অবস্থায় ছিল। তারপর আমি উপলব্ধি করলাম যে, এ ব্যাপারে অন্য সবার চেয়ে আমি অধিকতর হকদার। তাই এই কাজে আমি ঝাঁপিয়ে পড়লাম। (অর্থাৎ উসমানের হত্যাকারীর অনুসন্ধানের কাজে) এখন আল্লাহই ভালো জানেন। আমরা সঠিক কাজ করেছি না ভুল করেছি।

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৭২

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৭২। আলী (রাঃ) বলেছেন, মুগীরার একটা বর্শা ছিল। আমরা যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে কোন অভিযানে বের হতাম, তখন মুগীরা ঐ বর্শাটা নিয়ে বের হতো। যখন সে ঐ বর্শা মাটিতে গেড়ে রাখতো, তখন লোকেরা তার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তা তুলে নিয়ে যেতো। তখন আমি বললাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে যদি যাই, তবে আমি এই অবস্থাটা তাকে জানাবো। তখন মুগীরা বললো, তুমি যদি এটা জানিয়ে দাও, তবে কোন হারানো জিনিস কেউ তুলবে না। (অর্থাৎ মালিকের অনুমতি ছাড়াই যারা বর্শাটা নিয়ে গেছে তাদের কথা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জানালে এরপর তিনি সবাইকে এ কাজ থেকে নিবৃত করবেন। ফলে মালিক বিহীন কোন জিনিস আর কেউ নেবে না।) [ইবনু মাজা-২৮০৯]

حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي الْخَلِيلِ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ: كَانَ لِلمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ رُمْحٌ، فَكُنَّا إِذَا خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزَاةٍ خَرَجَ بِهِ مَعَهُ، فَيَرْكُزُهُ فَيَمُرُّ النَّاسُ عَلَيْهِ فَيَحْمِلُونَهُ، فَقُلْتُ: لَئِنْ أتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَأخْبِرَنَّهُ، فَقَالَ: ” إِنَّكَ إِنْ فَعَلْتَ لَمْ تَرْفَعْ ضَالَّةً

 

 

إسناده حسن، رجاله ثقات رجال الشيخين غير أبي الخليل، وقد تقدمت ترجمته عند الحديث رقم (771) . أبو أحمد: هو محمد بن عبد الله، وسفيان: هو الثوري

وأخرجه أبو يعلى (311) و (543) ، والطبري في “تهذيب الآثار” ص 246 من طريق أبي أحمد الزبيري، بهذا الإسناد

وأخرجه ابن أبي شيبة 12/350، وابن ماجه (2809) ، والنسائي في “الكبرى” (5807) من طريق وكيع، عن سفيان، به

حدثنا أبو أحمد، حدثنا سفيان، عن أبي إسحاق، عن أبي الخليل، عن علي، قال: كان للمغيرة بن شعبة رمح، فكنا إذا خرجنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم في غزاة خرج به معه، فيركزه فيمر الناس عليه فيحملونه، فقلت: لئن أتيت النبي صلى الله عليه وسلم لأخبرنه، فقال: ” إنك إن فعلت لم ترفع ضالة – إسناده حسن، رجاله ثقات رجال الشيخين غير أبي الخليل، وقد تقدمت ترجمته عند الحديث رقم (771) . أبو أحمد: هو محمد بن عبد الله، وسفيان: هو الثوري وأخرجه أبو يعلى (311) و (543) ، والطبري في “تهذيب الآثار” ص 246 من طريق أبي أحمد الزبيري، بهذا الإسناد وأخرجه ابن أبي شيبة 12/350، وابن ماجه (2809) ، والنسائي في “الكبرى” (5807) من طريق وكيع، عن سفيان، به

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৭৩

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৭৩। ৯৭১ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

৯৭১। আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি তিনবার করে সংশ্লিষ্ট অংগসমূহ ধুয়ে ওযূ করলেন এবং ওযূর উদ্বৃত্ত পানি পান করলেন। তারপর বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এ রকমই করতে দেখেছি।

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৭৪

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৭৪। ৬৬৫ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

৬৬৫। আলী (রাঃ) বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ আমার পূর্ববতী প্রত্যেক নবী সাতজন এমন উপদেষ্ট পেতেন যারা হতেন তার উত্তরাধিকারীদের নেতা ও সর্বগুণে গুণান্বিত। আর আমি পেয়েছি চৌদ্দজন সর্বগুণে গুণান্বিত, উত্তরাধিকারীদের নেতা ও উপদেষ্টা। সাতজন কুরাইশ থেকে এবং সাতজন মুহাজিরদের মধ্য থেকে।

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৭৫

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৭৫। ৬০৯ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

৬০৯। আলী (রাঃ) থেকে বৰ্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরবানীর পশুকে সামনে থেকে বা পেছনে থেকে যাবাই করতে, কান কাটা, নাক কাটা বা একেবারেই অকৰ্মন্য অঙ্গ বিশিষ্ট পশু যবাই করতে নিষেধ করেছেন।

[হাদিসটি হাসান এবং উক্ত সানাদ দুর্বল]

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৭৬

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৭৬। ৪৩৫ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

৪৩৫। আবদুর রহমান বিন আযহারের মুক্ত গোলাম আবু উবাইদ বলেন, আমি আলী (রাঃ) ও উসমান (রাঃ) কে দেখেছি, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার নামায পড়তেন, তারপর পেছনের দিকে ফিরে জনগণকে উপদেশ দিতেন। আবু উবাইদ আরো বলেন, আমি উক্ত দু’জনকেই বলতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দু’দিন রোযা থাকতে নিষেধ করেছেন। আবু উবাইদ বলেন, আলী (রাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, তিন দিন পরে তোমাদের কুরবানীর কিছু অবশিষ্ট রাখতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৭৭

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৭৭। ৭৪৮ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

৭৪৮। শুরাইহ ইবনে হানী বলেন, আমি আয়িশা (রাঃ) কে মোজার ওপর মাসিহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেনঃ আলীকে জিজ্ঞাসা কর। তিনি এ বিষয়ে আমার চেয়ে বেশী জানেন। (কারণ) তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে (প্রায়ই) সফর করতেন। অতঃপর আমি আলী (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুসাফির তিন দিন তিন রাত এবং মুকীম এক দিন ও এক রাত মোজার ওপর মাসিহ করবে।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৭৮

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৭৮। ১২৬৮ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।

১২৬৮। আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কুরআন অধ্যয়ন করে এবং তাকে বাস্তবায়িত করে, তাকে তার পরিবারের এমন দশজনের জন্য সুপারিশ করার ক্ষমতা দেয়া হবে, যাদের জন্য জাহান্নাম অবধারিত হয়ে গিয়েছিল।

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৭৯

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৭৯। ৮৪৩ নং হাদীস দ্রষ্টব্য

৮৪৩। আলী (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে তাঁর পক্ষ হতে কুরবানী করার আদেশ দিয়েছেন। তাই আমি সব সময় তাঁর পক্ষ হতে কুরবানী করে থাকি।

 হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 ১২৮০

 শেয়ার ও অন্যান্য 

  • বাংলা/ العربية

পরিচ্ছেদঃ

১২৮০। ৬৯০ নং হাদীস দ্রষ্টব্য

৬৯০। আলী (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছেনঃ তোমার কাছে যখন দুই ব্যক্তি বাদী ও বিবাদী হয়ে আসবে, তখন একজনকে বাদ দিয়ে অপরজনের বক্তব্য শুনো না। দু’জনেরই বক্তব্য শুনলে বুঝবে কিভাবে বিচার করতে হয়। আলী (রাঃ) বলেনঃ এরপর থেকে আমি বিচারক হিসাবে কাজ করতে লাগলাম।

 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   মুসনাদে আহমাদ  মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)

 

Share the Post

Rate the Post

Rating Summary

0.0
0.0 out of 5 stars (based on 0 reviews)
Excellent0%
Very good0%
Average0%
Poor0%
Terrible0%

Latest Reviews

There are no reviews yet. Be the first one to write one.

Latest Book

Scroll to Top