পরিচ্ছেদঃ
তার ভাইয়ের পক্ষ হতে কিছুটা ক্ষমা প্রদর্শন করা হলে যথাযথ বিধির অনুসরণ করা ও সততার সাথে তার দেয় আদায় বিধেয় (২:১৭৮)-এর ব্যাখ্যা
৪৭৮১
قَالَ: الْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «كَانَ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ الْقِصَاصُ وَلَمْ تَكُنْ فِيهِمُ الدِّيَةُ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ»: {كُتِبَ عَلَيْكُمُ الْقِصَاصُ فِي الْقَتْلَى الْحُرُّ بِالْحُرِّ وَالْعَبْدُ بِالْعَبْدِ وَالْأُنْثَى بِالْأُنْثَى} [البقرة: 178] إِلَى قَوْلِهِ {فَمَنْ عُفِيَ لَهُ مِنْ أَخِيهِ شَيْءٌ فَاتِّبَاعٌ بِالْمَعْرُوفِ وَأَدَاءٌ إِلَيْهِ بِإِحْسَانٍ} [البقرة: 178] ” فَالْعَفْوُ: أَنْ يَقْبَلَ الدِّيَةَ فِي الْعَمْدِ، وَاتِّبَاعٌ بِمَعْرُوفٍ يَقُولُ: يَتَّبِعُ هَذَا بِالْمَعْرُوفِ، وَأَدَاءٌ إِلَيْهِ بِإِحْسَانٍ، وَيُؤَدِّي هَذَا بِإِحْسَانٍ ذَلِكَ “، {تَخْفِيفٌ مِنْ رَبِّكُمْ وَرَحْمَةٌ} [البقرة: 178] «مِمَّا كُتِبَ عَلَى مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ، إِنَّمَا هُوَ الْقِصَاصُ لَيْسَ الدِّيَةَ»
ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ বনী ইসরাঈলের মধ্যে কিসাসের বিধান ছিল, কিন্তু দিয়াতের বিধান ছিল না, তখন আল্লাহ্ তা‘আলা এই আয়াত নাযিল করেনঃ (আরবি) অর্থঃ “নিহতদের ব্যাপারে তোমাদের উপর কিসাস ফরয করা হলো আযাদের বদলে আযাদ এবং দাসের পরিবর্তে দাস, নারীর পরিবর্তে নারী। আর যাকে তার ভাইয়ের পক্ষ হতে কিছুটা ক্ষমা করা হয়, সে যেন উত্তমরূপে তার দেয় আদায় করে।” ক্ষমা করার অর্থ এই যে, নিহত ব্যক্তির ওয়ারিসগণ ইচ্ছাকৃত হত্যার দিয়াত গ্রহণ করবে, আর ক্ষমাকারীগণ আইনমত চলবে। আর হত্যাকারী উত্তমরূপে দিয়াত আদায় করবে। “এটা তোমাদের রবের পক্ষ হতে ভার লাঘব এবং রহমত।” কেননা, তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর কেবল কিসাসই ছিল; দিয়াতের বিধান ছিল না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৭৮২
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حَفْصٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا وَرْقَاءُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ مُجَاهِدٍ قَالَ: {كُتِبَ عَلَيْكُمُ الْقِصَاصُ فِي الْقَتْلَى الْحُرُّ بِالْحُرِّ} [البقرة: 178] ” قَالَ: «كَانَ بَنُو إِسْرَائِيلَ عَلَيْهِمُ الْقِصَاصُ وَلَيْسَ عَلَيْهِمُ الدِّيَةُ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَيْهِمُ الدِّيَةَ، فَجَعَلَهَا عَلَى هَذِهِ الْأُمَّةِ تَخْفِيفًا عَلَى مَا كَانَ عَلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ»
মুজাহিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ “তোমাদের নিহত ব্যক্তিদের পরিবর্তে কিসাস ফরয করা হলো, আযাদের পরিবর্তে আযাদ এবং দাসের পরিবর্তে দাস এবং নারীর পরিবর্তে নারী” (২:১৭৮) বনী ইসরাঈলের মধ্যে কিসাসের বিধান ছিল, দিয়াত বিধেয় ছিল না, আল্লাহ্ তা‘আলা তোমাদের উপর দিয়াতের বিধান দিয়েছেন। একে আল্লাহ্ তা‘আলা এ উম্মতের উপর সহজতর করে দিয়েছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
- সরাসরি
পরিচ্ছেদঃ
কিসাস ক্ষমা করার আদেশ
৪৭৮৩
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ وَهُوَ ابْنُ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمُزَنِيُّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي قِصَاصٍ فَأَمَرَ فِيهِ بِالْعَفْوِ»
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট কিসাসের মোকদ্দমা পেশ করা হলে, তিনি তাতে ক্ষমা প্রদর্শনের আদেশ করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৭৮৪
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، وَبَهْزُ بْنُ أَسَدٍ، وَعَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، قَالُوا: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَكْرٍ الْمُزَنِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَطَاءُ بْنُ أَبِي مَيْمُونَةَ، وَلَا أَعْلَمُهُ إِلَّا عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «مَا أُتِيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي شَيْءٍ فِيهِ قِصَاصٌ إِلَّا أَمَرَ فِيهِ بِالْعَفْوِ»
আনাস ইব্ন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট কিসাসের যত মোকদ্দমা পেশ হত তার প্রত্যেকটাতেই তিনি ক্ষমা করার আদেশ দিতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদঃ
ইচ্ছাকৃত হত্যার পর নিহতের অভিভাবক যদি কিসাস ক্ষমা করে দেয়, তবে দিয়াত গ্রহণ করা যাবে কি না
৪৭৮৫
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَشْعَثَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو مُسْهِرٍ قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ وَهُوَ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَمَاعَةَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا الْأَوْزَاعِيُّ قَالَ: أَخْبَرَنِي يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ قُتِلَ لَهُ قَتِيلٌ فَهُوَ بِخَيْرِ النَّظَرَيْنِ، إِمَّا أَنْ يُقَادَ وَإِمَّا أَنْ يُفْدَى»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন কোন ব্যক্তি নিহত হয়, তখন তার ওয়ারিসের জন্য দু’টি বিষয়ের যে কোন একটি গ্রহণের ইখতিয়ার থাকবে। চাইলে কিসাস গ্রহণ করবে অথবা দিয়াত গ্রহণ করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৭৮৬
أَخْبَرَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ بْنِ مَزْيَدَ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبِي قَالَ: حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ قُتِلَ لَهُ قَتِيلٌ فَهُوَ بِخَيْرِ النَّظَرَيْنِ، إِمَّا أَنْ يُقَادَ وَإِمَّا أَنْ يُفْدَى»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন কোন ব্যক্তির কোন লোক নিহত হয়, তখন সে দুইটির যে কোন একটি বেছে নিতে পারে, হয় কিসাস, না হয় দিয়াত।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৭৮৭
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا ابْنُ عَائِذٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى هُوَ ابْنُ حَمْزَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ قُتِلَ لَهُ قَتِيلٌ» مُرْسَلٌ “
আবু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যার কোন লোক নিহত হয়, (অতঃপর পূর্বের মত)। এটি মুরসাল।
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
- সরাসরি
পরিচ্ছেদঃ
কিসাস গ্রহণে নারীর প্রতিও ক্ষমা প্রদর্শন
৪৭৮৮
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، عَنْ الْأَوْزَاعِيِّ، قَالَ: حَدَّثَنِي حِصْنٌ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ، ح وَأَنْبَأَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنِي حِصْنٌ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا سَلَمَةَ يُحَدِّثُ، عَنْ عَائِشَةَ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «وَعَلَى الْمُقْتَتِلِينَ أَنْ يَنْحَجِزُوا الْأَوَّلَ فَالْأَوَّلَ، وَإِنْ كَانَتِ امْرَأَةٌ»
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নিহত ব্যক্তির ওয়ারিসের উচিত; কিসাস গ্রহণ হতে বিরত থাকা, পর্যায়ক্রমে প্রথমে একজন তারপর আরেকজন; যদিও সে নারী হয়।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদঃ
প্রস্তর অথবা কোড়ার আঘাতে নিহত ব্যক্তি
৪৭৮৯
أَخْبَرَنَا هِلَالُ بْنُ الْعَلَاءِ بْنِ هِلَالٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ كَثِيرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ قُتِلَ فِي عِمِّيَّا أَوْ رِمِّيَّا تَكُونُ بَيْنَهُمْ بِحَجَرٍ أَوْ سَوْطٍ أَوْ بِعَصًا فَعَقْلُهُ عَقْلُ خَطَإٍ، وَمَنْ قَتَلَ عَمْدًا فَقَوَدُ يَدِهِ، فَمَنْ حَالَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ، لَا يُقْبَلُ مِنْهُ صَرْفٌ وَلَا عَدْلٌ»
ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন দাঙ্গা-হাঙ্গামায় অথবা পাথর, কোড়া অথবা লাঠি ছোঁড়াছুড়ির মাঝে পড়ে নিহত হয়, তার দিয়াত হবে ভুলে হত্যার দিয়াতের মত, আর যদি ইচ্ছাকৃত হত্যা হয়, তবে তাতে কিসাস ওয়াজিব হবে। আর যদি কেউ এর মধ্যে কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, তবে তার উপর আল্লাহ্র, ফিরিশতাদের এবং সকল লোকের লা’নত। তার ফরয বা নফল কিছুই কবূল হবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৭৯০
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَعْمَرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ كَثِيرٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ يَرْفَعُهُ قَالَ: «مَنْ قُتِلَ فِي عِمِّيَّةٍ أَوْ رِمِّيَّةٍ بِحَجَرٍ أَوْ سَوْطٍ أَوْ عَصًا فَعَقْلُهُ عَقْلُ الْخَطَإِ، وَمَنْ قُتِلَ عَمْدًا فَهُوَ قَوَدٌ، وَمَنْ حَالَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ، لَا يَقْبَلُ اللَّهُ مِنْهُ صَرْفًا وَلَا عَدْلًا»
ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুলাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন দাঙ্গা-হাঙ্গামায় অথবা পাথর, কোড়া বা লাঠি ছোঁড়াছুড়ির মাঝে পড়ে নিহত হয়, তার দিয়াত হবে ভুলে হত্যার দিয়াত। আর যদি ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করা হয়, তবে কিসাস ওয়াজিব হবে। আর যে ব্যক্তি কিসাসে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, তার উপর আল্লাহ্, ফিরিশতাগণ এবং সকল লোকের লা’নত। তার ফরয বা নফল কোন ইবাদতই হবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদঃ
ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হত্যার দিয়াত এবং বিষয়ে কাসিম ইব্ন রবী‘আ বর্ণিত হাদীস বর্ণনায় আইয়্যূবের শাগরিদগণের মধ্যে পার্থক্য
৪৭৯১
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ، عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «قَتِيلُ الْخَطَإِ شِبْهِ الْعَمْدِ بِالسَّوْطِ أَوِ الْعَصَا، مِائَةٌ مِنَ الْإِبِلِ أَرْبَعُونَ مِنْهَا فِي بُطُونِهَا أَوْلَادُهَا»
শু‘বা (রহঃ) আইয়্যূব সাখতিয়ানী (রহঃ) থেক, তিনি কাসিম ইবন রবী‘আ (রহঃ) থেকে এবং তিনি আবদুল্লাহ্ ইবন আমর (রাঃ) থেকে থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এমন ভুলক্রমে হত্যার শিকার হয়, যা ইচ্ছাকৃত হত্যা সদৃশ যথা কোড়া, লাঠি ইত্যাদির আঘাতে হত্যা, তার দিয়াত একশত উট, যার চল্লিশটি গর্ভবতী হতে হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৭৯২
أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ رَبِيعَةَ: «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَطَبَ يَوْمَ الْفَتْحِ» مُرْسَلٌ
হাম্মাদ আইয়্যূব থেকে এবং তিনি কাসিম ইব্ন রবী‘আ (রাঃ) থেকে থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কা বিজয়ের দিন ভাষণ দিতে গিয়ে অনুরূপ বর্ণনা করেন। এটি মুরসাল।
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
- সরাসরি
পরিচ্ছেদঃ
খালিদ হায্যা (রহঃ) থেকে বর্ণনাকারীদের পার্থক্য
৪৭৯৩
أَخْبَرَنِي يَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ، قَالَ: أَنْبَأَنَا حَمَّادٌ، عَنْ خَالِدٍ يَعْنِي الْحَذَّاءَ، عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ أَوْسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَلَا وَإِنَّ قَتِيلَ الْخَطَإِ شِبْهِ الْعَمْدِ مَا كَانَ بِالسَّوْطِ وَالْعَصَا، مِائَةٌ مِنَ الْإِبِلِ أَرْبَعُونَ فِي بُطُونِهَا أَوْلَادُهَا»
হাম্মাদ (রহঃ) খালিদ হায্যা (রহঃ) থেকে, তিনি কাসিম ইব্ন রবী‘আ (রহঃ) থেকে, তিনি ‘উকবা ইব্ন আওস (রহঃ) থেকে এবং তিনি আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি শিব্হে আমাদ অর্থাৎ ইচ্ছাকৃত হত্যার ন্যায় হত্যায়, বেত্রাঘাত বা লাঠি ইত্যাদির আঘাতে নিহত হয়, তার দিয়াত একশত উট, যার চল্লিশটি হবে গর্ভবতী।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৭৯৪
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَامِلٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ أَوْسٍ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: خَطَبَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ فَقَالَ: «أَلَا وَإِنَّ قَتِيلَ الْخَطَإِ شِبْهِ الْعَمْدِ بِالسَّوْطِ وَالْعَصَا وَالْحَجَرِ، مِائَةٌ مِنَ الْإِبِلِ، فِيهَا أَرْبَعُونَ ثَنِيَّةً إِلَى بَازِلِ عَامِهَا كُلُّهُنَّ خَلِفَةٌ»
হুশায়ম খালিদ থেকে, তিনি কাসিম ইব্ন রবী‘আ থেকে, তিনি ‘উকবা ইব্ন আওস (রহঃ) থেকে এবং তিনি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর একজন সাহাবী থেকে থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ভাষণে বলেনঃ শুনে রাখো, যে ব্যক্তি এমন ভুলক্রমে হত্যার শিকার হয়, যা ইচ্ছাকৃত হত্যা সদৃশ, যথা চাবুক, লাঠি অথবা পাথরের আঘাতে হত্যা, তার দিয়াত একশত উট, যার চল্লিশটি হবে ছয় বছর হতে নয় বছর বয়সের, বোঝা বহনের উপযুক্ত।
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
- সরাসরি
৪৭৯৫
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، عَنْ ابْنِ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ الْقَاسِمِ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ أَوْسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَلَا إِنَّ قَتِيلَ الْخَطَإِ قَتِيلَ السَّوْطِ وَالْعَصَا، فِيهِ مِائَةٌ مِنَ الْإِبِلِ مُغَلَّظَةٌ، أَرْبَعُونَ مِنْهَا فِي بُطُونِهَا أَوْلَادُهَا»
ইব্ন আবূ ‘আদী খালিদ থেকে, তিনি কাসিম থেকে এবং তিনি ‘উকবা ইব্ন আওস (রাঃ) থেকে থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ শুনে রাখো ! ভুলক্রমে নিহত ব্যক্তি অর্থাৎ বেত্রাঘাত, লাঠি ইত্যাদি দ্বারা নিহত ব্যক্তির দিয়াত একশত উট, যার চল্লিশটি এমন, যেগুলোর পেটে বাচ্চা থাকবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
- সরাসরি
৪৭৯৬
أَخْبَرَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ أَوْسٍ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا دَخَلَ مَكَّةَ يَوْمَ الْفَتْحِ قَالَ: «أَلَا وَإِنَّ كُلَّ قَتِيلِ خَطَإِ الْعَمْدِ، أَوْ شِبْهِ الْعَمْدِ قَتِيلِ السَّوْطِ وَالْعَصَا، مِنْهَا أَرْبَعُونَ فِي بُطُونِهَا أَوْلَادُهَا»
বিশ্র ইব্ন মুফায্যাল খালিদ হায্যা থেকে, তিনি কাসিম ইব্ন রবী‘আ থেকে, তিনি ইয়াকূব ইব্ন আওস থেকে এবং তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবীদের একজন থেকে থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কা বিজয়ের দিন যখন মক্কায় প্রবেশ করেন, তখন বলেনঃ শুনে রাখো, যে ব্যক্তি এমন ভুলক্রমে হত্যার শিকার হয়, যা ইচ্ছাকৃত হত্যাসদৃশ, যথা বেত্রাঘাত, কাঠ অথবা পাথর ইত্যাদির দ্বারা নিহত ব্যক্তি, তার দিয়াত একশত উট। এগুলোর চল্লিশটি এমন হবে, যাদের পেটে বাচ্চা থাকবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
- সরাসরি
৪৭৯৭
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَزِيعٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ أَوْسٍ، أَنَّ رَجُلًا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدَّثَهُ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا قَدِمَ مَكَّةَ عَامَ الْفَتْحِ قَالَ: «أَلَا وَإِنَّ قَتِيلَ الْخَطَإِ الْعَمْدِ قَتِيلَ السَّوْطِ وَالْعَصَا، مِنْهَا أَرْبَعُونَ فِي بُطُونِهَا أَوْلَادُهَا»
ইয়াযীদ খালিদ থেকে, তিনি কাসিম ইব্ন রবী‘আ থেকে এবং তিনি ইয়াকূব ইব্ন আওস (রহঃ) থেকে থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর একজন সাহাবী তাঁকে বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কা বিজয়ের দিন যখন মক্কায় প্রবেশ করেন, তখন বলেনঃ শুনে রাখো, ভুলক্রমে নিহত ব্যক্তি, যা ইচ্ছাকৃত হত্যা সদৃশ্য, অর্থাৎ বেত্রাঘাত বা লাঠির আঘাতে নিহত ব্যক্তির দিয়াত একশত উট, এর চল্লিশটি এমন হবে, যাদের পেটে বাচ্চা থাকবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
- সরাসরি
৪৭৯৮
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَزِيعٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا يَزِيدُ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ أَوْسٍ: أَنَّ رَجُلًا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدَّثَهُ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ مَكَّةَ عَامَ الْفَتْحِ قَالَ: «أَلَا وَإِنَّ قَتِيلَ الْخَطَإِ الْعَمْدِ قَتِيلَ السَّوْطِ وَالْعَصَا، مِنْهَا أَرْبَعُونَ فِي بُطُونِهَا أَوْلَادُهَا»
ইয়াযীদ খালিদ থেকে, তিনি কাসিম ইব্ন রবী‘আ থেকে এবং তিনি ইয়াকূব ইব্ন আওস (রহঃ) থেকে থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর একজন সাহাবী তাঁকে বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কা বিজয়ের দিন যখন মক্কায় প্রবেশ করেন, তখন তিনি বলেনঃ শুনে রাখো, যে ব্যক্তি এমন ভুলক্রমে হত্যার শিকার যা ইচ্ছাকৃত হত্যা সদৃশ, অর্থাৎ বেত্রাঘাত বা লাঠির আঘাতে নিহত ব্যক্তির দিয়াত একশত উট, এর চল্লিশটি এমন হবে, যাদের পেটে বাচ্চা থাকবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
- সরাসরি
৪৭৯৯
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ جُدْعَانَ، سَمِعَهُ مِنَ الْقَاسِمِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ عَلَى دَرَجَةِ الْكَعْبَةِ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، وَقَالَ: «الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي صَدَقَ وَعْدَهُ، وَنَصَرَ عَبْدَهُ، وَهَزَمَ الْأَحْزَابَ وَحْدَهُ، أَلَا إِنَّ قَتِيلَ الْعَمْدِ الْخَطَإِ بِالسَّوْطِ وَالْعَصَا شِبْهِ الْعَمْدِ، فِيهِ مِائَةٌ مِنَ الْإِبِلِ مُغَلَّظَةٌ، مِنْهَا أَرْبَعُونَ خَلِفَةً فِي بُطُونِهَا أَوْلَادُهَا»
ইব্ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ মক্কা বিজয়ের দিন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কা’বা শরীফের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে আল্লাহ্ তা‘আলার হামদ-ছানা বর্ণনা করে বলেনঃ সকল প্রশংসা আল্লাহ্ পাকের জন্যই, যিনি স্বীয় অঙ্গীকার সত্য করে দেখিয়েছেন এবং স্বীয় বান্দাকে সাহায্য করেছেন এবং একাই শত্রু সৈন্যকে পরাস্ত করেছেন। তোমরা শুনে রাখ, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত হত্যা সদৃশ ভুলের দরুন নিহত হয়, যথা বেত্রাঘাত অথবা কাষ্ঠাঘাতে নিহত ব্যক্তি, তার দিয়াত হল একশত উটের কঠিন দিয়াত, যার চল্লিশ উট এমন হবে, যাদের পেটে বাচ্চা থাকবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
- সরাসরি
৪৮০০
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ: حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ رَبِيعَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْخَطَأُ شِبْهُ الْعَمْدِ – يَعْنِي بِالْعَصَا وَالسَّوْطِ – مِائَةٌ مِنَ الْإِبِلِ، مِنْهَا أَرْبَعُونَ فِي بُطُونِهَا أَوْلَادُهَا»
কাসিম ইব্ন রবী‘আ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ শুনে রাখো, ইচ্ছাকৃত হত্যা সদৃশ ভুলে হত্যা, অর্থাৎ বেত্রাঘাত বা লাঠির আঘাতে হত্যার দিয়াত একশত উট, এর চল্লিশটি এমন হবে, যাদের পেটে বাচ্চা থাকবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
- সরাসরি
৪৮০১
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَاشِدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ قُتِلَ خَطَأً فَدِيَتُهُ مِائَةٌ مِنَ الْإِبِلِ ثَلَاثُونَ بِنْتَ مَخَاضٍ، وَثَلَاثُونَ بِنْتَ لَبُونٍ، وَثَلَاثُونَ حِقَّةً، وَعَشَرَةُ بَنِي لَبُونٍ ذُكُورٍ» قَالَ: وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقَوِّمُهَا عَلَى أَهْلِ الْقُرَى أَرْبَعَ مِائَةِ دِينَارٍ أَوْ عِدْلَهَا مِنَ الْوَرِقِ، وَيُقَوِّمُهَا عَلَى أَهْلِ الْإِبِلِ، إِذَا غَلَتْ رَفَعَ فِي قِيمَتِهَا، وَإِذَا هَانَتْ نَقَصَ مِنْ قِيمَتِهَا عَلَى نَحْوِ الزَّمَانِ، مَا كَانَ فَبَلَغَ قِيمَتُهَا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مَا بَيْنَ الْأَرْبَعِ مِائَةِ دِينَارٍ إِلَى ثَمَانِ مِائَةِ دِينَارٍ أَوْ عِدْلِهَا مِنَ الْوَرِقِ، قَالَ: وَقَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ مَنْ كَانَ عَقْلُهُ فِي الْبَقَرِ عَلَى أَهْلِ الْبَقَرِ مِائَتَيْ بَقَرَةٍ، وَمَنْ كَانَ عَقْلُهُ فِي الشَّاةِ أَلْفَيْ شَاةٍ، وَقَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ الْعَقْلَ مِيرَاثٌ بَيْنَ وَرَثَةِ الْقَتِيلِ عَلَى فَرَائِضِهِمْ، فَمَا فَضَلَ فَلِلْعَصَبَةِ، وَقَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَعْقِلَ عَلَى الْمَرْأَةِ عَصَبَتُهَا مَنْ كَانُوا، وَلَا يَرِثُونَ مِنْهُ شَيْئًا إِلَّا مَا فَضَلَ عَنْ وَرَثَتِهَا، وَإِنْ قُتِلَتْ فَعَقْلُهَا بَيْنَ وَرَثَتِهَا وَهُمْ يَقْتُلُونَ قَاتِلَهَا
আমর ইব্ন শুআয়ব (রাঃ) তাঁর পিতার মাধ্যমে তাঁর দাদা থেকে থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যাকে ভুলে হত্যা করা হয়, তার দিয়াত একশত উটনী যাদের ত্রিশটি এক বছর বয়সের হতে হবে, আর ত্রিশটি দুই বছর বয়সের হতে হবে, আর ত্রিশটি চার বছর বয়সের হতে হবে আর দশটি উট হতে হবে দুই বছর বয়সের নর বাচ্চা। বর্ণনাকারী বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নগরবাসীর ক্ষেত্রে এর মূল্য নির্ধারণ করতেন- চারশত দীনার অথবা সমমূল্যের রৌপ্য। আর তিনি উটের মালিকদের ক্ষেত্রে এর মূল্য ধার্য করতেন সেখানখার দর আনুযায়ী, অর্থাৎ যখন উটের মূল্য বৃদ্ধি পেত, তখন এর মুল্যেও বৃদ্ধি পেত; আর যখন সস্তা হতো, তখন এর দামও কম হতো। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সময়ে ঐ সকল উটের মূল্য চারশত দীনার হতে আটশত পর্যন্ত পৌঁছতো। অথবা অনুরূপ মূল্যের রৌপ্য। বর্ণনাকারী বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গরুর মালিকদের ক্ষেত্রে দিয়াত ধার্য করতেন দু’শ গরু। আর ছাগলের মালিকদের ক্ষেত্রে দুই হাজার ছাগল। আর তিনি আদেশ করেছেন যে, দিয়াতের মাল নিহত ব্যক্তির ওয়ারিসদের মধ্যে ফারায়েয অনুযায়ী বন্টন করা হবে। যা যাবীল ফুরুযকে দেওয়ার পর উদ্ধৃত্ত থাকবে, তা পাবে আসাবাগণ। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নারীদের ক্ষেত্রে আদেশ করেছেন যে, তাদের দিয়াত বহন করবে তাদের আসাবাগণ, তা যারাই হোক তারা তাতে কোন মীরাস পাবে না। হ্যাঁ, যদি যবীল ফুরুযকে দেওয়ার পর কিছু উদ্ধৃত্ত থাকে, তবে তা পাবে। আর এরাই তার হত্যাকারী হতে কিসাস আদায় করবে।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদঃ
ভুলক্রমে হত্যার দিয়াত
৪৮০২
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ سَعِيدِ بْنِ مَسْرُوقٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ حَجَّاجٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ خِشْفِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ مَسْعُودٍ يَقُولُ: «قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دِيَةَ الْخَطَإِ عِشْرِينَ بِنْتَ مَخَاضٍ، وَعِشْرِينَ ابْنَ مَخَاضٍ ذُكُورًا، وَعِشْرِينَ بِنْتَ لَبُونٍ، وَعِشْرِينَ جَذَعَةً، وَعِشْرِينَ حِقَّةً»
খাশ্ফ ইব্ন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি ইব্ন মাসউদকে বলতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ভুলক্রমে হত্যার দিয়াত ধার্য করেছেন বিশটি বিন্তে মাখায[১], বিশটি ইব্ন মাখায[২], বিশটি বিন্তে লাবূন[৩], বিশটি জাযআ[৪] এবং বিশটি হিক্কাহ্[৫]।
[১] এক বছর বয়সের মাদী উট।
[২] এক বছর বয়সের নর উট।
[৩] দু’বছর বয়সের মাদী উট।
[৪] পাঁচ বছর বয়সের মাদী উট।
[৫] চার বছর বয়সের মাদী উট।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদঃ
রূপা দ্বারা দিয়াত দেয়া
৪৮০৩
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، عَنْ مُعَاذِ بْنِ هَانِئٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، ح وأَخْبَرَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هَانِئٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «قَتَلَ رَجُلٌ رَجُلًا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَعَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دِيَتَهُ اثْنَيْ عَشَرَ أَلْفًا» وَذَكَرَ قَوْلَهُ: {إِلَّا أَنْ أَغْنَاهُمُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ مِنْ فَضْلِهِ} [التوبة: 74] فِي أَخْذِهِمُ الدِّيَةَ وَاللَّفْظُ لِأَبِي دَاوُدَ
ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সময়ে এক ব্যক্তি অন্য এক ব্যক্তিকে হত্যা করলে তিনি তার দিয়াত নির্ধারিত করেন বার হাজার দিরহাম। তিনি বলেনঃ আল্লাহ্ এবং আল্লাহ্র রাসূল তাদেরকে স্বীয় দান দ্বারা দিয়াত গ্রহণের মাধ্যমে ধনবান করলেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৪৮০৪
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَيْمُونٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ عِكْرِمَةَ، سَمِعْنَاهُ مَرَّةً يَقُولُ: عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ: «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَضَى بِاثْنَيْ عَشَرَ أَلْفًا يَعْنِي فِي الدِّيَةِ»
ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দিয়াতে বার হাজার দিরহাম ধার্য করেছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদঃ
নারীর দিয়াত
৪৮০৫
أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، قَالَ: حَدَّثَنَا ضَمْرَةُ، عَنْ إِسْمَعِيلَ بْنِ عَيَّاشٍ، عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ: قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «عَقْلُ الْمَرْأَةِ مِثْلُ عَقْلِ الرَّجُلِ حَتَّى يَبْلُغَ الثُّلُثَ مِنْ دِيَتِهَا»
আমর ইব্ন শু’আয়ব তাঁর পিতার মাধ্যমে তাঁর দাদা থেকে থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নারীর দিয়াত নরের দিয়াতের ন্যায় ; যাবৎ এক-তৃতীয়াংশ দিয়াত পর্যন্ত পৌঁছায়।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদঃ
কাফিরের দিয়াত
৪৮০৬
أَخْبَرَنَا عُمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ رَاشِدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى، وَذَكَرَ كَلِمَةً مَعْنَاهَا عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ: قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «عَقْلُ أَهْلِ الذِّمَّةِ نِصْفُ عَقْلِ الْمُسْلِمِينَ وَهُمُ الْيَهُودُ وَالنَّصَارَى»
আমর ইব্ন শু’আয়ব তাঁর পিতার মাধ্যমে তাঁর দাদা থেকে থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যিম্মি কাফিরের দিয়াত মুসলমানদের দিয়াতের অর্ধেক আর তারা হলো ইয়াহূদী এবং নাসারা।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৪৮০৭
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، قَالَ: أَنْبَأَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «عَقْلُ الْكَافِرِ نِصْفُ عَقْلِ الْمُؤْمِنِ»
আবদুল্লাহ্ ইব্ন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাফিরের দিয়াত মুসলমানদের দিয়াতের অর্ধেক নির্ধারণ করেছেন।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদঃ
মুকাতাব দাসের দিয়াত
৪৮০৮
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ: قَالَ: «قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمُكَاتَبِ يُقْتَلُ بِدِيَةِ الْحُرِّ عَلَى قَدْرِ مَا أَدَّى»
ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আদেশ করেছেনঃ মুকাতাব যদি নিহত হয়, তা হলে সে চুক্তির যতটুকু অর্থ আদায় করেছে, ততটুকুতে তার দিয়াত স্বাধীন ব্যক্তির সমান দিতে হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮০৯
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الطَّائِفِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ: «أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَضَى فِي الْمُكَاتَبِ أَنْ يُودَى بِقَدْرِ مَا عَتَقَ مِنْهُ دِيَةَ الْحُرِّ»
ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুকাতাব দাসের দিয়াত এরূপ সাব্যস্ত করেছেন যে, তার যতটুকু পরিমাণ মুক্ত হয়েছে, ততটুকুতে স্বাধীন ব্যক্তির দিয়াত প্রদান করতে হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮১০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَعْلَى، عَنْ الْحَجَّاجِ الصَّوَّافِ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمُكَاتَبِ يُودَى بِقَدْرِ مَا أَدَّى مِنْ مُكَاتَبَتِهِ دِيَةَ الْحُرِّ، وَمَا بَقِيَ دِيَةَ الْعَبْدِ»
ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুকাতাব দাসের দিয়াতে এই মীমাংসা দিয়েছেন যে, তার যতটুকু আযাদ হয়েছে, ততটুকুতে স্বাধীন ব্যক্তির দিয়াত আর যতটুকু অবশিষ্ট আছে, তাতে গোলামের দিয়াত দেওয়া হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮১১
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى بْنِ النَّقَّاشِ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ يَعْنِي ابْنَ هَارُونَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا حَمَّادٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ خِلَاسٍ، عَنْ عَلِيٍّ، وَعَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْمُكَاتَبُ يَعْتِقُ بِقَدْرِ مَا أَدَّى، وَيُقَامُ عَلَيْهِ الْحَدُّ بِقَدْرِ مَا عَتَقَ مِنْهُ، وَيَرِثُ بِقَدْرِ مَا عَتَقَ مِنْهُ»
ইব্ন আব্বাস (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ মুকাতাব ততটুকু আযাদ হবে, যতটুকু সে আদায় করেছে। তার উপর ততটুকু হদ জারি করা হবে, যতটুকু সে আযাদ হয়েছে এবং সে যতটুকু আযাদ হয়েছে, সেই অনুপাত মীরাস পাবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮১২
أَخْبَرَنَا الْقَاسِمُ بْنُ زَكَرِيَّا بْنِ دِينَارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَمْرٍو الْأَشْعَثِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، وَعَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ: «أَنَّ مُكَاتَبًا قُتِلَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَمَرَ أَنْ يُودَى مَا أَدَّى دِيَةَ الْحُرِّ، وَمَالًا دِيَةَ الْمَمْلُوكِ»
ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সময় এক মুকাতাব দাস নিহত হলে তিনি আদেশ দেন যে, সে যতটুকু আযাদ হয়েছে, ততটুকুর দিয়াত আযাদের মত দেওয়া হবে। আর যতটুকু অবশিষ্ট রয়েছে, ততটুকুর দিয়াত দাসের ন্যায় আদায় করা হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদঃ
গর্ভস্থ সন্তানের দিয়াত
৪৮১৩
أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ يُونُسَ بْنِ مُحَمَّدٍ، قَالَا: حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، قَالَ: حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ صُهَيْبٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ: «أَنَّ امْرَأَةً حَذَفَتْ امْرَأَةً فَأَسْقَطَتْ فَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي وَلَدِهَا خَمْسِينَ شَاةً، وَنَهَى يَوْمَئِذٍ عَنِ الْخَذْفِ» أَرْسَلَهُ أَبُو نَعِيمٍ “
বুরায়দা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক নারী অন্য নারীর প্রতি পাথর নিক্ষেপ করলে তার গর্ভপাত হয়ে যায়। এই মোকদ্দমা রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট পেশ করা হলে তিনি তার সন্তানের দিয়াত পঞ্চাশটি ছাগল নির্ধারণ করেন। আর তিনি সে দিন হতে পাথর নিক্ষেপ করতে নিষেধ করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮১৪
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو نَعِيمٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ صُهَيْبٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ: «أَنَّ امْرَأَةً خَذَفَتْ امْرَأَةً، فَأَسْقَطَتِ الْمَخْذُوفَةُ، فَرُفِعَ ذَلِكَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَعَلَ عَقْلَ وَلَدِهَا خَمْسَ مِائَةٍ مِنَ الْغُرِّ، وَنَهَى يَوْمَئِذٍ عَنِ الْخَذْفِ» قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ: «هَذَا وَهْمٌ وَيَنْبَغِي أَنْ يَكُونَ أَرَادَ مِائَةً مِنَ الْغُرِّ، وَقَدْ رُوِيَ النَّهْيُ عَنِ الْخَذْفِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ»
…
[حكم الألباني] ضعيف الإسناد
আবদুল্লাহ্ ইব্ন বুরায়দা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক নারী অন্য এক নারীর প্রতি পাথর নিক্ষেপ করলে তার গর্ভস্থ বাচ্চা পড়ে যায়। এই ঘটনা রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট পেশ করা হলে তিনি তার সন্তানের দিয়াত পাঁচ শত ছাগল নির্ধারণ করেন এবং সে দিন হতে তিনি পাথর নিক্ষেপ করতে নিষেধ করে দেন। আবূ আবদুর রহমান বলেন, এটা বর্ণনাকারীর বিভ্রম। সম্ভবত তিনি একশত ছাগল বলতে চেয়েছেন।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৪৮১৫
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ، قَالَ: أَنْبَأَنَا كَهْمَسٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ أَنَّهُ رَأَى رَجُلًا يَخْذِفُ فَقَالَ: لَا تَخْذِفْ، فَإِنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَنْهَى عَنِ الْخَذْفِ أَوْ يَكْرَهُ الْخَذْفَ ” شَكَّ كَهْمَسٌ
আবদুল্লাহ্ ইব্ন মুগাফ্ফাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি এক ব্যক্তিকে পাথর মারতে দেখে তাকে বলেনঃ পাথর নিক্ষেপ করো না, কেননা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পাথর নিক্ষেপ করতে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮১৬
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ طَاوُسٍ، أَنَّ عُمَرَ اسْتَشَارَ النَّاسَ فِي الْجَنِينِ، فَقَالَ حَمَلُ بْنُ مَالِكٍ: «قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْجَنِينِ غُرَّةً» قَالَ طَاوُسٌ: «إِنَّ الْفَرَسَ غُرَّةٌ»
তাউস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
উমর (রাঃ) গর্ভস্থ বাচ্চার ব্যাপারে পরামর্শ করলেন, তখন হামল ইব্ন মালিক (রাঃ) বললেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এতে একটি গুররা অর্থাৎ একটি দাস অথবা দাসী দিতে আদেশ করেছেন। তাউস (রহঃ) বললেনঃ গুর্রা অর্থ ঘোড়া।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮১৭
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ ابْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي جَنِينِ امْرَأَةٍ مِنْ بَنِي لِحْيَانَ سَقَطَ مَيِّتًا بِغُرَّةِ عَبْدٍ أَوْ أَمَةٍ، ثُمَّ إِنَّ الْمَرْأَةَ الَّتِي قَضَى عَلَيْهَا بِالْغُرَّةِ، تُوُفِّيَتْ، فَقَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَنَّ مِيرَاثَهَا لِبَنِيهَا وَزَوْجِهَا، وَأَنَّ الْعَقْلَ عَلَى عَصَبَتِهَا»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লেহইয়ান গোত্রের এক মহিলার উদরস্থ বাচ্চার ব্যাপারে আদেশ করেন, যে বাচ্চা মৃত অবস্থায় পড়ে গিয়েছিল, এর বিনিময়ে এক দাস বা এক দাসী দেওয়া হবে। তিনি যে মহিলাকে তা দিতে আদেশ করেন সে মারা গেলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আদেশ করেন যে, তার মীরাস তার পুত্রদের এবং স্বামীকে দেওয়া হবে এবং তার দিয়াত আদায় করবে তার আত্মীয় আসাবাগণ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮১৮
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، وَسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ قَالَ: اقْتَتَلَتِ امْرَأَتَانِ مِنْ هُذَيْلٍ، فَرَمَتْ إِحْدَاهُمَا الْأُخْرَى بِحَجَرٍ – وَذَكَرَ كَلِمَةً مَعْنَاهَا – فَقَتَلَتْهَا وَمَا فِي بَطْنِهَا، فَاخْتَصَمُوا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّ دِيَةَ جَنِينِهَا غُرَّةٌ عَبْدٌ أَوْ وَلِيدَةٌ، وَقَضَى بِدِيَةِ الْمَرْأَةِ عَلَى عَاقِلَتِهَا وَوَرَّثَهَا وَلَدَهَا وَمَنْ مَعَهُمْ، فَقَالَ حَمَلُ بْنُ مَالِكِ بْنِ النَّابِغَةِ الْهُذَلِيُّ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَيْفَ أُغَرَّمُ مَنْ لَا شَرِبَ، وَلَا أَكَلْ، وَلَا نَطَقَ، وَلَا اسْتَهَلَّ، فَمِثْلُ ذَلِكَ يُطَلَّ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّمَا هَذَا مِنْ إِخْوَانِ الْكُهَّانِ مِنْ أَجْلِ سَجْعِهِ الَّذِي سَجَعَ»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হুযায়ল গোত্রের দুই নারী ঝগড়া করলে তাদের একজন অন্যজনের প্রতি পাথর নিক্ষেপ করে। ফলে সে মারা যায় এবং তার পেটের বাচ্চাও মারা যায়। ঐ লোকেরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট ফরিয়াদ করলে তিনি বলেনঃ বাচ্চার দিয়াত এক দাস বা দাসী, আর ঐ মহিলার দিয়াত তিনি হত্যাকারিণীর আত্মীয়-স্বজন থেকে আদায় করে দেন। আর সেই দিয়াত পায় ঐ নারীর ছেলে, যে নারী নিহত হয়েছিল। একথা শুনে হামল ইব্ন মালিক ইব্ন নাবিগা হুযালী (রহঃ) বললেনঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমি ঐ ব্যক্তির দিয়াত কেন দিব, যে না খেয়েছে, না কোন পান করেছে, না কথা বলেছে? এই খুন তো বৃথা যাবে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এই ব্যক্তি গণকদের ভাই যে ছন্দযুক্ত কথা বলে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮১৯
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي مَالِكٌ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ: أَنَّ امْرَأَتَيْنِ مِنْ هُذَيْلٍ فِي زَمَانِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَمَتْ إِحْدَاهُمَا الْأُخْرَى، فَطَرَحَتْ جَنِينَهَا، فَقَضَى فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِغُرَّةٍ عَبْدٍ أَوْ وَلِيدَةٍ “
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সময়ে হুযায়ল গোত্রের দুই নারীর একজন অন্যজনকে পাথর মারে। এতে তার গর্ভস্থিত সন্তান পড়ে যায়। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার জন্য একটি দাস অথবা দাসী দেওয়ার আদেশ জারী করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮২০
قَالَ: الْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ قِرَاءَةً عَلَيْهِ، وَأَنَا أَسْمَعُ، عَنْ ابْنِ الْقَاسِمِ، قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَضَى فِي الْجَنِينِ يُقْتَلُ فِي بَطْنِ أُمِّهِ بِغُرَّةٍ عَبْدٍ أَوْ وَلِيدَةٍ فَقَالَ الَّذِي قَضَى عَلَيْهِ: كَيْفَ أُغَرَّمُ مَنْ لَا شَرِبَ، وَلَا أَكَلْ، وَلَا اسْتَهَلَّ، وَلَا نَطَقَ، فَمِثْلُ ذَلِكَ يُطَلَّ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّمَا هَذَا مِنَ الْكُهَّانِ»
সাঈদ ইব্ন মুসাইয়্যাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে বাচ্চাকে তার মাতৃগর্ভে হত্যা করা হয়, তার দিয়াত এক দাস বা এক দাসী দেওয়ার আদেশ জারী করেন। তিনি যার বিরুদ্ধে এ আদেশ দেন, সে বলল, আমি কিরূপে দিয়াত দেব, অথচ সে খায় নি, পান করে নি, কথা বলে নি-এই হত্যা বৃথা যাবে। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ এই ব্যক্তি তো গণকদের অন্তর্গত।
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
- সরাসরি
৪৮২১
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا خَلَفٌ وَهُوَ ابْنُ تَمِيمٍ قَالَ: حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ نُضَيْلَةَ، عَنْ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ: أَنَّ امْرَأَةً ضَرَبَتْ ضَرَّتَهَا بِعَمُودِ فُسْطَاطٍ فَقَتَلَتْهَا، وَهِيَ حُبْلَى، فَأُتِيَ فِيهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى عَصَبَةِ الْقَاتِلَةِ بِالدِّيَةِ، وَفِي الْجَنِينِ غُرَّةً، فَقَالَ عَصَبَتُهَا: أَدِي مَنْ لَا طَعِمَ، وَلَا شَرِبَ، وَلَا صَاحَ فَاسْتَهَلَّ، فَمِثْلُ هَذَا يُطَلَّ؟ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَسَجْعٌ كَسَجْعِ الْأَعْرَابِ؟»
মুগীরা ইব্ন শু’বা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক নারী তাঁর সতীনকে তাঁবুর খুঁটি দিয়ে আঘাত করে মেরে ফেলে, আর সে নারী ছিল গর্ভবতী। এই মোকদ্দমা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট পেশ করা হলে, তিনি হত্যাকারিণীর আত্মীয়-স্বজনের থেকে দিয়াত আদায়ের ফয়সালা দেন আর বাচ্চার বদলে এক দাস অথবা দাসী দেওয়ার আদেশ দেন। সেই আত্মীয়-স্বজনেরা বললোঃ আমরা এই বাচ্চার দিয়াত কেন দিব, যে এখনও খায় নি, পান করে নি, না চিৎকার করেছে, না কান্নাকাটি করেছে? এরকম খুন তো বৃথা যাবে। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ বেদুঈনদের ন্যায় ছন্দপূর্ণ কথা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদঃ
ইচ্ছাকৃত হত্যা সদৃশ হত্যা কাকে বলে এবং এরূপ হত্যা ও গর্ভস্থ সন্তানের দিয়াত কে দিবে
৪৮২২
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ قُدَامَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ نُضَيْلَةَ الْخُزَاعِيِّ، عَنْ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ قَالَ: ضَرَبَتِ امْرَأَةٌ ضَرَّتَهَا بِعَمُودِ الْفُسْطَاطِ وَهِيَ حُبْلَى فَقَتَلَتْهَا، فَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دِيَةَ الْمَقْتُولَةِ عَلَى عَصَبَةِ الْقَاتِلَةِ، وَغُرَّةً لِمَا فِي بَطْنِهَا، فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ عَصَبَةِ الْقَاتِلَةِ: أَنَغْرَمُ دِيَةَ مَنْ لَا أَكَلْ، وَلَا شَرِبَ، وَلَا اسْتَهَلَّ، فَمِثْلُ ذَلِكَ يُطَلَّ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَسَجْعٌ كَسَجْعِ الْأَعْرَابِ؟» فَجَعَلَ عَلَيْهِمُ الدِّيَةَ
মুগীরা ইব্ন শু’বা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ এক নারী তার সতীনকে তাঁবুর খুঁটি দ্বারা আঘাত করলো, সে ছিল গর্ভাবস্থায় এবং সে মারা গেল। এ মামলা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট পেশ করা হলে তিনি হত্যাকারিণীর আত্মীয়কে দিয়াত দিতে আদেশ করেন। আর বাচ্চার বদলে এক দাস আর দাসী দেওয়ার আদেশ দেন। তখন হত্যাকারীণীর এক আত্মীয় বললোঃ আমরা এই বাচ্চার বদলা কি করে দিব, যে না খেয়েছে, না পান করেছে, না ক্রন্দন করেছে ? এরকম খুনতো বাতিল বলে গণ্য হবে। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ বেদুঈনদের মত ছন্দপূর্ণ কথা। তিনি তাদের উপর দিয়াত আরোপ করলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮২৩
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ نُضَيْلَةَ، عَنْ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ: أَنَّ ضَرَّتَيْنِ ضَرَبَتْ إِحْدَاهُمَا الْأُخْرَى بِعَمُودِ فُسْطَاطٍ، فَقَتَلَتْهَا، فَقَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالدِّيَةِ عَلَى عَصَبَةِ الْقَاتِلَةِ، وَقَضَى لِمَا فِي بَطْنِهَا بِغُرَّةٍ، فَقَالَ الْأَعْرَابِيُّ: تُغَرِّمُنِي مَنْ لَا أَكَلْ، وَلَا شَرِبَ، وَلَا صَاحَ فَاسْتَهَلَّ، فَمِثْلُ ذَلِكَ يُطَلَّ؟ فَقَالَ: «سَجْعٌ كَسَجْعِ الْجَاهِلِيَّةِ؟» وَقَضَى لِمَا فِي بَطْنِهَا بِغُرَّةٍ
মুগীরা ইব্ন শু’বা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
দুই সতীনের একজন অন্যজনকে তাঁবুর খুঁটি দ্বারা হত্যা করে। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হত্যাকারিণীর আত্মীয়দের উপর দিয়াত দেওয়ার আদেশ জারি করেন; আর তার গর্ভস্থ শিশুর বদলে একটি দাস বা দাসী দিতে বলেন। আত্মীয়গণ বললোঃ আমরা এ বাচ্চার দিয়াত কেন দেব, যে বাচ্চা না খেয়েছে, না পান করেছে, না কান্নাকাটি করেছে। এ রকমের খুন তো বৃথা যাবে! তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এতো জাহিলী যুগের লোকদের ন্যায় ছন্দপূর্ণ কথা। তিনি গর্ভস্থ সন্তানের জন্য একজন দাস বা দাসী দেয়ার ফয়সালা দেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮২৪
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ سَعِيدِ بْنِ مَسْرُوقٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ نُضَيْلَةَ، عَنْ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ قَالَ: «ضَرَبَتِ امْرَأَةٌ مِنْ بَنِي لِحْيَانَ ضَرَّتَهَا بِعَمُودِ الْفُسْطَاطِ فَقَتَلَتْهَا، وَكَانَ بِالْمَقْتُولَةِ حَمْلٌ، فَقَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى عَصَبَةِ الْقَاتِلَةِ بِالدِّيَةِ، وَلِمَا فِي بَطْنِهَا بِغُرَّةٍ»
মুগীরা ইব্ন শু’বা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
বনী লিহইয়ানের এক নারী তার সতীনকে তাঁবুর খুঁটি দ্বারা আঘাত করলে সে মারা যায় আর সে ছিল গর্ভবতী। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট অভিযোগ পেশ করা হলে তিনি হত্যাকারিণীর আত্মীয়দের উপর দিয়াত আরোপ করেন এবং শিশুর বদলে এক দাস অথবা দাসী দেয়ার আদেশ দেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮২৫
أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ نُضَيْلَةَ، عَنْ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، أَنَّ امْرَأَتَيْنِ كَانَتَا تَحْتَ رَجُلٍ مِنْ هُذَيْلٍ، فَرَمَتْ إِحْدَاهُمَا الْأُخْرَى بِعَمُودِ فُسْطَاطٍ فَأَسْقَطَتْ، فَاخْتَصَمَا إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالُوا: كَيْفَ نَدِي مَنْ لَا صَاحَ، وَلَا اسْتَهَلَّ، وَلَا شَرِبَ، وَلَا أَكَلْ؟ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَسَجْعٌ كَسَجْعِ الْأَعْرَابِ» فَقَضَى بِالْغُرَّةِ عَلَى عَاقِلَةِ الْمَرْأَةِ
মুগীরা ইব্ন শু’বা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হুযায়ল গোত্রের এক ব্যক্তির বিবাহে দুই নারী ছিল, তাদের একজন অন্যজনকে তাঁবুর কাষ্ঠ দ্বারা আঘাত করলে তার উদরস্থ বাচ্চা পড়ে যায়। তারা উভয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট মোকদ্দমা পেশ করে। আত্মীয়রা বলেঃ আমরা ঐ সন্তানের দিয়াত কিরূপে আদায় করবো; যে খায়নি, পান করেনি, কাঁদেনি, চীৎকার করে নি। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ বেদুঈনদের মত ছন্দযুক্ত বাক্য ! তিনি ঐ নারীর হত্যাকারিণীর আত্মীয়দের উপর দিয়াত আরোপ করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮২৬
أَخْبَرَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، قَالَ: سَمِعْتُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ نُضَيْلَةَ، عَنْ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ: أَنَّ رَجُلًا مِنْ هُذَيْلٍ كَانَ لَهُ امْرَأَتَانِ، فَرَمَتْ إِحْدَاهُمَا الْأُخْرَى بِعَمُودِ الْفُسْطَاطِ فَأَسْقَطَتْ، فَقِيلَ: أَرَأَيْتَ مَنْ لَا أَكَلْ، وَلَا شَرِبَ، وَلَا صَاحَ فَاسْتَهَلَّ؟ فَقَالَ: «أَسَجْعٌ كَسَجْعِ الْأَعْرَابِ» فَقَضَى فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِغُرَّةٍ عَبْدٍ أَوْ أَمَةٍ، وَجُعِلَتْ عَلَى عَاقِلَةِ الْمَرْأَةِ «أَرْسَلَهُ الْأَعْمَشُ»
মুগীরা ইব্ন শু’বা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হুযায়ল গোত্রের এক ব্যক্তির দুই স্ত্রী ছিল, একজন অপর নারীর উপর একটি তাঁবুর কাঠ নিক্ষেপ করলে তার বাচ্চা গর্ভ্পাত হয়ে যায়। তখন বলা হয়ঃ কী বলেন, আমরা ঐ বাচ্চার পরিবর্তে দিয়াত দিব, যে খায়নি, পান করে নি, আর না কাঁদতে গিয়ে চিৎকার করেছে? তিনি বললেন, বেদুঈনদের মত ছন্দোবদ্ধ কথা! অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ ব্যাপারে এক দাস বা দাসী দেওয়ার ফয়সালা দেন। আর তিনি হত্যাকারিণীর আত্মীয়দের উপর দিয়াতের ফয়সালা দেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮২৭
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُصْعَبٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا دَاوُدُ، عَنْ الْأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: ضَرَبَتِ امْرَأَةٌ ضَرَّتَهَا بِحَجَرٍ وَهِيَ حُبْلَى فَقَتَلَتْهَا، فَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا فِي بَطْنِهَا غُرَّةً، وَجَعَلَ عَقْلَهَا عَلَى عَصَبَتِهَا، فَقَالُوا: نُغَرَّمُ مَنْ لَا شَرِبَ، وَلَا أَكَلْ، وَلَا اسْتَهَلَّ، فَمِثْلُ ذَلِكَ يُطَلَّ؟ فَقَالَ: «أَسَجْعٌ كَسَجْعِ الْأَعْرَابِ هُوَ مَا أَقُولُ لَكُمْ»
ইব্রাহীম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক নারী তার সতীনকে তার গর্ভাবস্থায় প্রস্তরাঘাত করে হত্যা করে। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার গর্ভস্থ সন্তানের জন্য দিয়াতের ফয়সালা দেন, আর তার দিয়াত হত্যাকারিণীর আত্মীয়দের উপর সাব্যস্ত করেন। তখন তারা বললোঃ যে বাচ্চা পান করেনি, খায়নি এবং ক্রন্দনও করেনি, আমর তার দিয়াত দিব? এরূপ বাচ্চার হত্যা তো বৃথা যাবে। তিনি বললেনঃ বেদুঈন লোকদের ন্যায় ছন্দযুক্ত কথা ! আমি তোমাদেরকে যা বলছি, তাই হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ লিগাইরিহি
- সরাসরি
৪৮২৮
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ حَكِيمٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَمْرٌو، عَنْ أَسْبَاطَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: كَانَتِ امْرَأَتَانِ جَارَتَانِ كَانَ بَيْنَهُمَا صَخَبٌ، فَرَمَتْ إِحْدَاهُمَا الْأُخْرَى بِحَجَرٍ فَأَسْقَطَتْ غُلَامًا، قَدْ نَبَتَ شَعْرُهُ مَيْتًا، وَمَاتَتِ الْمَرْأَةُ، فَقَضَى عَلَى الْعَاقِلَةِ الدِّيَةَ فَقَالَ عَمُّهَا: إِنَّهَا قَدْ أَسْقَطَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ غُلَامًا قَدْ نَبَتَ شَعْرُهُ، فَقَالَ أَبُو الْقَاتِلَةِ: إِنَّهُ كَاذِبٌ، إِنَّهُ وَاللَّهِ مَا اسْتَهَلَّ، وَلَا شَرِبَ، وَلَا أَكَلْ، فَمِثْلُهُ يُطَلَّ، قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَسَجْعٌ كَسَجْعِ الْجَاهِلِيَّةِ، وَكِهَانَتِهَا إِنَّ فِي الصَّبِيِّ غُرَّةً» قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: كَانَتْ إِحْدَاهُمَا مُلَيْكَةَ، وَالْأُخْرَى أُمَّ غَطِيفٍ “
…
[حكم الألباني] ضعيف الإسناد
ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
দুই প্রতিবেশী নারীর মধ্যে ঝগড়া হয়। তখন তাদের একজন অপরজনকে প্রস্তরাঘাত করলে সে মারা যায় এবং তার গর্ভের বাচ্চাও পড়ে যায়, যার মাথার চুল উঠেছিল। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হত্যাকারিণীর আত্মীয়দের উপর দিয়াত সাব্যস্ত করেন। তখন তার চাচা বললোঃ ইয়া রাসূলু্ল্লাহ্ ! বাচ্চা পড়ে গেছে যার মাথায় চুল উঠেছে। হত্যাকারিণীর পিতা বললোঃ এই ব্যক্তি মিথ্যাবাদী, আল্লাহ্র শপথ ঐ বাচ্চা চিৎকার দেয়নি, খায়নি, পান করেনি এরূপ বাচ্চাকে হত্যা তো বাতিল সাব্যস্ত করা হয়। তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ জাহিলী যুগের গণকদের ন্যায় ছন্দোবদ্ধ কথা ! নিশ্চয় বাচ্চার পরিবর্তে এক দাস বা দাসী দিতে হবে। ইব্ন আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ তাদের একজনের নাম ছিল মুলায়কা, আর অপরজনের নাম ছিল উম্মু গাতীফা।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৪৮২৯
أَخْبَرَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ، قَالَ: حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ بْنُ مَخْلَدٍ، عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرًا يَقُولُ: «كَتَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى كُلِّ بَطْنٍ عُقُولَةً، وَلَا يَحِلُّ لِمَوْلًى أَنْ يَتَوَلَّى مُسْلِمًا بِغَيْرِ إِذْنِهِ»
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রত্যেক গোত্রের উপর দিয়াত ফরয করেছেন। আর কোন আযাদকৃত দাসের জন্য জায়েয নেই মুক্তিদাতা মনিবের অনুমতি ব্যতীত অন্য কাউকে মনিব স্থির করা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৩০
أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ مُصَفَّى، قَالَا: حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ تَطَبَّبَ وَلَمْ يُعْلَمْ مِنْهُ طِبٌّ قَبْلَ ذَلِكَ فَهُوَ ضَامِنٌ»
আমর ইব্ন শু‘আয়ব (রহঃ) তাঁর পিতার মাধ্যমে তাঁর দাদা থেকে থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি লোকের চিকিৎসা করে, অথচ সে চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত নয়, সে (রোগীর জন্য) দায়ী থাকবে।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৪৮৩১
أَخْبَرَنِي مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ جَدِّهِ مِثْلَهُ سَوَاءً
আমর ইব্ন শু’আয়ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তাঁর পিতার মাধ্যমে তাঁর দাদা থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ নির্ণীত নয়
- সরাসরি
পরিচ্ছেদঃ
একজনের অপরাধে অন্যজনকে দায়ী করা
৪৮৩২
أَخْبَرَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبْجَرَ، عَنْ إِيَادِ بْنِ لَقِيطٍ، عَنْ أَبِي رِمْثَةَ قَالَ: أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ أَبِي فَقَالَ: «مَنْ هَذَا مَعَكَ؟» قَالَ: ابْنِي، أَشْهَدُ بِهِ، قَالَ: «أَمَا إِنَّكَ لَا تَجْنِي عَلَيْهِ، وَلَا يَجْنِي عَلَيْكَ»
আবূ রিমসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি আমার পিতার সাথে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসলে, তিনি বললেনঃ তোমার সাথে এ কে? তিনি বললেনঃ আমার পুত্র, আপনি এর ব্যাপারে সাক্ষী থাকুন। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমার অপরাধের জন্য সে দায়ী হবে না, আর না তুমি তার অপরাধের জন্য দায়ী হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৩৩
أَخْبَرَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ السَّرِيِّ قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَشْعَثَ، عَنْ الْأَسْوَدِ بْنِ هِلَالٍ، عَنْ ثَعْلَبَةَ بْنِ زَهْدَمٍ الْيَرْبُوعِيِّ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ فِي أُنَاسٍ مِنَ الْأَنْصَارِ، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَؤُلَاءِ بَنُو ثَعْلَبَةَ بْنِ يَرْبُوعٍ قَتَلُوا فُلَانًا فِي الْجَاهِلِيَّةِ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهَتَفَ بِصَوْتِهِ: «أَلَا لَا تَجْنِي نَفْسٌ عَلَى الْأُخْرَى»
সালাবা ইব্ন যাহ্দাম য়ারবু‘ঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আনসার গোত্রের কিছু লোককে সম্বোধন করে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। তখন তারা বললোঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ্ ! ওই যে সালাবা ইব্ন য়ারবু এর সন্তানেরা, এরা জাহিলী যুগে অমুক ব্যক্তিকে হত্যা করেছিল। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উচ্চস্বরে বলেনঃ শুনে রাখ, একজনের অপরাধ অন্যজনের উপর বর্তায় না
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৩৪
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ أَبِي الشَّعْثَاءِ، عَنْ الْأَسْوَدِ بْنِ هِلَالٍ، عَنْ ثَعْلَبَةَ بْنِ زَهْدَمٍ قَالَ: انْتَهَى قَوْمٌ مِنْ بَنِي ثَعْلَبَةَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَخْطُبُ، فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَؤُلَاءِ بَنُو ثَعْلَبَةَ بْنِ يَرْبُوعٍ قَتَلُوا فُلَانًا – رَجُلًا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ – فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَجْنِي نَفْسٌ عَلَى أُخْرَى»
সালাবা ইব্ন যাহদাম থেকে বর্ণিতঃ
য়ারবু গোত্রের এক ব্যক্তির বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, একদা সালাবা গোত্রের একদল লোক নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হয়। তখন তিনি ভাষণ দিচ্ছিলেন। এ অবস্থায় এক ব্যক্তি বলে উঠল, ইয়া রাসূলু্ল্লাহ্ ! এরা বনূ সালাবা ইব্ন য়ারবু-এর লোক, যারা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবীদের একজনকে হত্যা করেছে। একথা শুনে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ কেউ কারোর অপরাধে অপরাধী হবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৩৫
أَخْبَرَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ أَبِي الشَّعْثَاءِ، قَالَ: سَمِعْتُ الْأَسْوَدَ بْنَ هِلَالٍ، يُحَدِّثُ، عَنْ رَجُلٍ مِنْ بَنِي ثَعْلَبَةَ بْنِ يَرْبُوعٍ، أَنَّ نَاسًا مِنْ بَنِي ثَعْلَبَةَ أَتَوْا النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَؤُلَاءِ بَنُو ثَعْلَبَةَ بْنِ يَرْبُوعٍ قَتَلُوا فُلَانًا – رَجُلًا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ – فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَجْنِي نَفْسٌ عَلَى أُخْرَى»
সালাবা ইব্ন যাহদাম য়ারবু গোত্রের এক ব্যক্তির বর্ণনা করেন, থেকে বর্ণিতঃ
একদা সালাবা গোত্রের একদল লোক নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হয়। তখন এক ব্যক্তি বলেঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! এরা বনূ সালাবা ইব্ন য়ারবু-এর লোক, যারা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবীদের একজনকে হত্যা করেছিল। একথা শুনে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ কেউ কারো অপরাধে অপরাধী হবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৩৬
أَخْبَرَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَتَّابٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ الْأَشْعَثِ بْنِ سُلَيْمٍ، عَنْ الْأَسْوَدِ بْنِ هِلَالٍ، وَكَانَ قَدْ أَدْرَكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ رَجُلٍ مِنْ بَنِي ثَعْلَبَةَ بْنِ يَرْبُوعٍ أَنَّ نَاسًا مِنْ بَنِي ثَعْلَبَةَ أَصَابُوا رَجُلًا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَؤُلَاءِ بَنُو ثَعْلَبَةَ قَتَلَتْ فُلَانًا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَجْنِي نَفْسٌ عَلَى أُخْرَى» قَالَ شُعْبَةُ: «أَيْ لَا يُؤْخَذُ أَحَدٌ بِأَحَدٍ وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ»
আসওয়াদ ইব্ন হিলাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাক্ষাৎ পেয়েছিলেন। তিনি সালাবা ইব্ন য়ারবু গোত্রের জনৈক ব্যক্তি থেকে বর্ণনা করেন যে, তাদের কিছু লোক নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর একজন সাথীকে হত্যা করেছিল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর একজন সাহাবী বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ওই যে, বনূ সালাবা, যারা অমুককে হত্যা করেছিল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ একজনের অপরাধে অন্যজন অপরাধী হবে না। শু‘বা বলেন, অর্থাৎ একজনের কারণে অন্যজনকে ধরা হবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৩৭
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ الْأَشْعَثِ بْنِ سُلَيْمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ بَنِي ثَعْلَبَةَ بْنِ يَرْبُوعٍ قَالَ: أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَتَكَلَّمُ، فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَؤُلَاءِ بَنُو ثَعْلَبَةَ بْنِ يَرْبُوعٍ الَّذِينَ أَصَابُوا فُلَانًا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ – لَا يَعْنِي -: «لَا تَجْنِي نَفْسٌ عَلَى نَفْسٍ»
বনী সালাবা ইব্ন য়ারবু-এর এক ব্যক্তি থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হই যখন তিনি কথা বলছিলেন। এক ব্যক্তি বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! এরা সালাবা ইব্ন য়ারবু গোত্রের লোক, যারা অমুককে হত্যা করেছে। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কোন লোক অন্যের অপরাধে অপরাধী হবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৩৮
أَخْبَرَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، فِي حَدِيثِهِ، عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ، عَنْ أَشْعَثَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ بَنِي يَرْبُوعٍ قَالَ: أَتَيْنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يُكَلِّمُ النَّاسَ، فَقَامَ إِلَيْهِ نَاسٌ فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَؤُلَاءِ بَنُو فُلَانٍ الَّذِينَ قَتَلُوا فُلَانًا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَجْنِي نَفْسٌ عَلَى أُخْرَى»
আশআস (রহঃ) তাঁর পিতা সূত্রে থেকে বর্ণিতঃ
সালাবা ইব্ন য়ারবু গোত্রের জনৈক ব্যক্তি বলেছেনঃ আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে উপস্থিত হলাম। তিনি লোকদের সাথে কথা বলছিলেন। তখন কিছু লোক দাঁড়িয়ে বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! এরা অমুক গোত্রের লোক যারা অমুককে হত্যা করেছে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ একের অপরাধে অন্য কেউ অপরাধী হবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৩৯
أَخْبَرَنَا يُوسُفُ بْنُ عِيسَى، قَالَ: أَنْبَأَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، قَالَ: أَنْبَأَنَا يَزِيدُ وَهُوَ ابْنُ زِيَادِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ جَامِعِ بْنِ شَدَّادٍ، عَنْ طَارِقٍ الْمُحَارِبِيِّ، أَنَّ رَجُلًا قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَؤُلَاءِ بَنُو ثَعْلَبَةَ الَّذِينَ قَتَلُوا فُلَانًا فِي الْجَاهِلِيَّةِ، فَخُذْ لَنَا بِثَأْرِنَا، فَرَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى رَأَيْتُ بَيَاضَ إِبْطَيْهِ، وَهُوَ يَقُولُ: «لَا تَجْنِي أُمٌّ عَلَى وَلَدٍ» مَرَّتَيْنِ
তারিক মুহারিবী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! এরা সালাবা গোত্রের লোক, যারা জাহিলী যুগে অমুক ব্যক্তিকে হত্যা করেছিল। আপনি আমাদের বদলা নিয়ে দিন। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর হস্তদ্বয় উত্তোলন করেন, এমনকি আমি তাঁর বগলের শুভ্রতা প্রত্যক্ষ করি। তিনি বলেনঃ মায়ের অপরাধে পুত্র অপরাধী হবে না, তিনি এটা দু’বার বলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদঃ
দৃষ্টিহীন চোখ উপড়ে ফেললে
৪৮৪০
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا ابْنُ عَائِذٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي الْعَلَاءُ وَهُوَ ابْنُ الْحَارِثِ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ: «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَضَى فِي الْعَيْنِ الْعَوْرَاءِ السَّادَّةِ لِمَكَانِهَا إِذَا طُمِسَتْ بِثُلُثِ دِيَتِهَا، وَفِي الْيَدِ الشَّلَّاءِ إِذَا قُطِعَتْ بِثُلُثِ دِيَتِهَا، وَفِي السِّنِّ السَّوْدَاءِ إِذَا نُزِعَتْ بِثُلُثِ دِيَتِهَا»
আমর ইব্ন শু’আয়ব (রাঃ) তাঁর পিতার মাধ্যমে তাঁর দাদা থেকে থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে দৃষ্টিহীন চক্ষু নিজ স্থানে রয়েছে, তা যদি উপড়ে ফেলা হয়, তবে সে ব্যাপারে মীমাংসা দেন যে, তার জন্য এক-তৃতীয়াংশ দিয়াত দিতে হবে। আর যে হাত অবশ হয়ে গেছে, তা কেটে ফেললে হাতের এক-তৃতীয়াংশ দিয়াত দিতে হবে। যে দাঁত কালো হয়ে গেছে, তা উপড়ে ফেললে তার জন্য এক-তৃতীয়াংশ দিয়াত দিতে হবে।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদঃ
দাঁতের দিয়াত
৪৮৪১
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبَّادٌ، عَنْ حُسَيْنٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فِي الْأَسْنَانِ خَمْسٌ مِنَ الْإِبِلِ»
আমর ইব্ন শু’আয়ব (রহঃ) তাঁর পিতার মাধ্যমে তাঁর দাদা থেকে থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রত্যেক দাঁতের পরিবর্তে পাঁচ উট দিয়াত দিতে হবে।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৪৮৪২
أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ مَطَرٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْأَسْنَانُ سَوَاءٌ خَمْسًا خَمْسًا»
আমর ইব্ন শু’আয়ব (রহঃ) তাঁর পিতার মাধ্যমে তাঁর দাদা থেকে থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দন্তরাজি সমমানের, প্রত্যেক দাঁতের জন্য পাঁচ-পাঁচ উট দিয়াত দিতে হবে।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
পরিচ্ছেদঃ
আঙ্গুলের দিয়াত
৪৮৪৩
أَخْبَرَنَا أَبُو الْأَشْعَثِ، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مَسْرُوقِ بْنِ أَوْسٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «فِي الْأَصَابِعِ عَشْرٌ عَشْرٌ»
আবূ মূসা (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ প্রত্যেক আঙ্গুলের জন্য দশ-দশটি উট দিয়াত দিতে হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৪৪
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ غَالِبٍ التَّمَّارِ، عَنْ مَسْرُوقِ بْنِ أَوْسٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْأَصَابِعُ سَوَاءٌ عَشْرًا»
আবূ মূসা আশ‘আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রত্যেক আঙ্গুলের জন্য দশ উট। দিয়াতের বেলায় সবগুলো সমমানের।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৪৫
أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَفْصٌ وَهُوَ ابْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْبَلْخِيُّ عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ غَالِبٍ التَّمَّارِ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلَالٍ، عَنْ مَسْرُوقِ بْنِ أَوْسٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ: «قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّ الْأَصَابِعَ سَوَاءٌ عَشْرًا عَشْرًا مِنَ الْإِبِلِ»
আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ফায়সালা যে, সব আঙ্গুল সমান, প্রত্যেকটির জন্য দশ উট।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৪৬
أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ: أَنَّهُ لَمَّا وُجِدَ الْكِتَابُ الَّذِي عِنْدَ آلِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ الَّذِي ذَكَرُوا، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَتَبَ لَهُمْ وَجَدُوا فِيهِ: «وَفِيمَا هُنَالِكَ مِنَ الْأَصَابِعِ عَشْرًا عَشْرًا»
সাঈদ ইব্ন মুসাইয়্যেব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি যখন সেই লিখিত কাগজ আমর ইব্ন হাযাম-এর সন্তানদের নিকট পান- যে সম্পর্কে তারা পলে থাকে যে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের জন্য তা লিখেছেন, তাতে তিনি লেখা পান যে, প্রতিটি আঙ্গুলের দিয়াত দশটি করে উট।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৪৭
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنِي قَتَادَةُ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «هَذِهِ وَهَذِهِ سَوَاءٌ» يَعْنِي الْخِنْصَرَ وَالْإِبْهَامَ
ইব্ন আব্বাস (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেনঃ এইটি ও এইটি অর্থাৎ বৃদ্ধাঙ্গুলি ও কনিষ্ঠা সমান-সমান।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৪৮
أَخْبَرَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ: «فَهَذِهِ وَهَذِهِ سَوَاءٌ الْإِبْهَامُ وَالْخِنْصَرُ»
…
[حكم الألباني] صحيح الإسناد موقوف
ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এটা এবং ওটা সমান- অর্থাৎ বৃদ্ধাঙ্গুলি এবং কনিষ্ঠা।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাওকুফ
- সরাসরি
৪৮৪৯
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «الْأَصَابِعُ عَشْرٌ عَشْرٌ»
…
[حكم الألباني] صحيح الإسناد موقوف
ইব্ন আব্বাস থেকে বর্ণিতঃ
আঙ্গুলের জন্য দশ-দশ উট (দিয়াত দিতে হবে)।
হাদিসের মানঃ সহিহ মাওকুফ
- সরাসরি
৪৮৫০
أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، قَالَ: حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْمُعَلِّمُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، أَنَّ أَبَاهُ حَدَّثَهُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: لَمَّا افْتَتَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ قَالَ فِي خُطْبَتِهِ: «وَفِي الْأَصَابِعِ عَشْرٌ عَشْرٌ»
আবদুল্লাহ ইব্ন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মক্কা জয় করেন, তখন তিনি তাঁর ভাষণে বলেনঃ আঙ্গুলের জন্য দশ-দশটি উট (দিয়াত দিতে হবে)।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
৪৮৫১
أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْهَيْثَمِ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْمُعَلِّمُ، وَابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فِي خُطْبَتِهِ وَهُوَ مُسْنِدٌ ظَهْرَهُ إِلَى الْكَعْبَةِ: «الْأَصَابِعُ سَوَاءٌ»
আমর ইব্ন শু’আয়ব (রাঃ) তাঁর পিতার মাধ্যমে তাঁর দাদা থেকে থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর ভাষণে বলেন, যখন তিনি কা’বার সাথে হেলান দেওয়া ছিলেনঃ সব আঙ্গুল সমান।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
পরিচ্ছেদঃ
যে যখম হাঁড় পর্যন্ত পৌঁছে
৪৮৫২
أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، قَالَ: حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْمُعَلِّمُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، أَنَّ أَبَاهُ حَدَّثَهُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: لَمَّا افْتَتَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ قَالَ فِي خُطْبَتِهِ: «وَفِي الْمَوَاضِحِ خَمْسٌ خَمْسٌ»
আবদুল্লাহ ইব্ন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মক্কা জয় করেন, তিনি তাঁর ভাষণে বলেনঃ যে যখমে হাঁড় বেরিয়ে যায়, তাতে পাঁচ-পাঁচটি উট দিয়াত দিতে হবে।
হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ
- সরাসরি
পরিচ্ছেদঃ
দিয়াত বিষয়ে আমর ইব্ন হাযমের হাদীস এবং এতে বর্ণনাকারীদের পার্থক্য
৪৮৫৩
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ مُوسَى، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ، قَالَ: حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ: ” أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَتَبَ إِلَى أَهْلِ الْيَمَنِ كِتَابًا فِيهِ الْفَرَائِضُ وَالسُّنَنُ وَالدِّيَاتُ، وَبَعَثَ بِهِ مَعَ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، فَقُرِأتْ عَلَى أَهْلِ الْيَمَنِ هَذِهِ نُسْخَتُهَا: «مِنْ مُحَمَّدٍ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى شُرَحْبِيلَ بْنِ عَبْدِ كُلَالٍ، وَنُعَيْمِ بْنِ عَبْدِ كُلَالٍ، وَالْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ كُلَالٍ قَيْلِ ذِيِ رُعَيْنٍ وَمَعَافِرَ وَهَمْدَانَ أَمَّا بَعْدُ»، وَكَانَ فِي كِتَابِهِ «أَنَّ مَنْ اعْتَبَطَ مُؤْمِنًا قَتْلًا عَنْ بَيِّنَةٍ، فَإِنَّهُ قَوَدٌ إِلَّا أَنْ يَرْضَى أَوْلِيَاءُ الْمَقْتُولِ، وَأَنَّ فِي النَّفْسِ الدِّيَةَ مِائَةً مِنَ الْإِبِلِ، وَفِي الْأَنْفِ إِذَا أُوعِبَ جَدْعُهُ الدِّيَةُ وَفِي اللِّسَانِ الدِّيَةُ، وَفِي الشَّفَتَيْنِ الدِّيَةُ وَفِي الْبَيْضَتَيْنِ الدِّيَةُ، وَفِي الذَّكَرِ الدِّيَةُ وَفِي الصُّلْبِ الدِّيَةُ، وَفِي الْعَيْنَيْنِ الدِّيَةُ وَفِي الرِّجْلِ الْوَاحِدَةِ نِصْفُ الدِّيَةِ، وَفِي الْمَأْمُومَةِ ثُلُثُ الدِّيَةِ، وَفِي الْجَائِفَةِ ثُلُثُ الدِّيَةِ، وَفِي الْمُنَقِّلَةِ خَمْسَ عَشْرَةَ مِنَ الْإِبِلِ، وَفِي كُلِّ أُصْبُعٍ مِنْ أَصَابِعِ الْيَدِ وَالرِّجْلِ عَشْرٌ مِنَ الْإِبِلِ، وَفِي السِّنِّ خَمْسٌ مِنَ الْإِبِلِ، وَفِي الْمُوضِحَةِ خَمْسٌ مِنَ الْإِبِلِ، وَأَنَّ الرَّجُلَ يُقْتَلُ بِالْمَرْأَةِ وَعَلَى أَهْلِ الذَّهَبِ أَلْفُ دِينَارٍ»، «خَالَفَهُ مُحَمَّدُ بْنُ بَكَّارِ بْنِ بِلَالٍ»
আবূ বকর ইব্ন মুহাম্মাদ ইব্ন আমর ইব্ন হাযাম (রাঃ) তাঁর পিতার মাধ্যমে তাঁর দাদা থেকে থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইয়ামানবাসীদেরকে এক চিঠি লেখেন, যাতে ফরয, সুন্নত এবং দিয়াত সম্বন্ধে লিখেছিলেন। আর তিনি তা আমর ইব্ন হাযামের মাধ্যমে পাঠান। ইয়ামানবাসীদেরকে তা পড়ে শুনানো হয়। তাতে লেখা ছিলঃ এটা নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পক্ষ হতে শুরাহ্বিল ইব্ন আব্দে কুলাল, নু‘আয়েম ইব্ন আব্দে কুলাল এবং হারিছ ইব্ন আব্দে কুলালকে, যারা যী রুআয়ন, মুআফির এবং হামদানের অধিপতি, তাতে লেখা ছিল; যে ব্যক্তি কোন মুসলমানকে অন্যায়ভাবে হত্যা করবে, আর সাক্ষ্য-প্রমাণে তা প্রমাণিত হবে, তবে বদলা নেয়া হবে। তবে যদি নিহত ব্যক্তির ওয়ারিস ক্ষমা করে দেয়, তবে ক্ষমা হবে। তোমাদের জানা দরকার যে, প্রাণের বিনিময় হলো একশত উট, আর যদি সম্পূর্ণ নাক কাটা যায়, তবুও একশত উট। এইভাবে জিহ্বা, ঠোঁট, পুরুষাঙ্গ, পেট এবং হাড়েরও পূর্ণ দিয়াত রয়েছে। আর চক্ষুদ্বয়ের পূর্ণ দিয়াত [একশ উট] রয়েছে। এক পায়ের অর্ধ দিয়াত কিন্তু পদদ্বয়ের পূর্ণ দিয়াত দিতে হবে। এভাবে মস্তিস্কে পৌছেছে এমন যখমের জন্য অর্ধ দিয়াত। যে যখম পেট পর্যন্ত পৌঁছে, তাতে এক-তৃতীয়াংশ দিয়াত, যে যখমে হাড় ভেঙে যায়, তাতে পনের উট। আর হাত পায়ের আঙ্গুলে দশটি করে উট, আর এক দাঁতে পাঁচ উট। যে যখমে হাঁড় নড়ে যায়, তাতে পাঁচ উট। আর পুরুষকে নারীর পরিবর্তে হত্যা করা হবে এবং যাদের নিকট স্বর্ণ রয়েছে, তাদের উপর এক হাজার দীনার। মুহাম্মদ ইব্ন বাক্কার ইব্ন বিলাল (রহঃ) এতে মতভেদ করেন। [তার বর্ণনা নিম্নরূপ]
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৪৮৫৪
أَخْبَرَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ مَرْوَانَ بْنِ الْهَيْثَمِ بْنِ عِمْرَانَ الْعَنْسِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكَّارِ بْنِ بِلَالٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ أَرْقَمَ، قَالَ: حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَتَبَ إِلَى أَهْلِ الْيَمَنِ بِكِتَابٍ فِيهِ الْفَرَائِضُ وَالسُّنَنُ وَالدِّيَاتُ، وَبَعَثَ بِهِ مَعَ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، فَقُرِئَ عَلَى أَهْلِ الْيَمَنِ هَذِهِ نُسْخَتُهُ – فَذَكَرَ مِثْلَهُ إِلَّا أَنَّهُ قَالَ: «وَفِي الْعَيْنِ الْوَاحِدَةِ نِصْفُ الدِّيَةِ، وَفِي الْيَدِ الْوَاحِدَةِ نِصْفُ الدِّيَةِ وَفِي الرِّجْلِ الْوَاحِدَةِ نِصْفُ الدِّيَةِ» قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ: «وَهَذَا أَشْبَهُ بِالصَّوَابِ وَاللَّهُ أَعْلَمُ» وَسُلَيْمَانُ بْنُ أَرْقَمَ مَتْرُوكُ الْحَدِيثِ، وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ يُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ مُرْسَلًا “
আবূ বকর ইব্ন মুহাম্মদ ইব্ন আমর ইব্ন হাযম (রহঃ) তাঁর পিতার মাধ্যমে তাঁর দাদা থেকে থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইয়ামানবাসীদের নিকট একখানা পত্র লিখেন, যাতে ফরয, সুন্নত এবং দিয়াতের কথা ছিল। তিনি আমর ইব্ন হাযম-এর মাধ্যমে তা পাঠান। ইয়ামানবাসীদের নিকট তাঁর এই পত্র পড়া হয়। তাতে অনুরূপ বর্ণনা উল্লেখ আছে। তবে তাতে এতটুকু অতিরিক্ত রয়েছে যে, তিনি বলেছেনঃ এক চক্ষুতে অর্ধ দিয়াত, এক হাতে অর্ধ দিয়াত, এক পায়ে অর্ধ দিয়াত। আবূ আবদুর রহমান বলেনঃ ইহা সহীহ হওয়ার অধিক নিকটবর্তী। আল্লাহ অধিক অবহিত। ইউনুস (রহঃ) যুহরী (রহঃ) হতে এটি মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন (যা নিম্নরূপ)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৪৮৫৫
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: قَرَأْتُ كِتَابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِي كَتَبَ لِعَمْرِو بْنِ حَزْمٍ حِينَ بَعَثَهُ عَلَى نَجْرَانَ، وَكَانَ الْكِتَابُ عِنْدَ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ، فَكَتَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: هَذَا بَيَانٌ مِنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَوْفُوا بِالْعُقُودِ} [المائدة: 1] وَكَتَبَ الْآيَاتِ مِنْهَا حَتَّى بَلَغَ {إِنَّ اللَّهَ سَرِيعُ الْحِسَابِ} [آل عمران: 199] ثُمَّ كَتَبَ: هَذَا كِتَابُ الْجِرَاحِ فِي النَّفْسِ مِائَةٌ مِنَ الْإِبِلِ ” نَحْوَهُ
ইব্ন শিহাব যুহরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ঐ পত্রখানা পাঠ করেছি, যা তিনি আমার ইব্ন হাযমের জন্য লিখেছিলেন, যখন তিনি তাকে নাজরানে প্রেরণ করেছিলেন। ঐ পত্র আবূ বকর ইব্ন হাযামের নিকট রয়েছে। সে বলেছিল, তাতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লিখেছিলেনঃ এটা আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বর্ণনাঃ হে ইমানদারগণ! তোমরা অঙ্গীকার পূর্ণ কর এবং পরবর্তী কয়েক আয়াত ……. ইন্নাল্লাহা সরীউল হিসাব অর্থাৎ আল্লাহ দ্রুত হিসাবগ্রহণকারী পর্যন্ত। এরপর তিনি লেখেন এটা ফৌজফারি বিধি-বিধানঃ প্রাণনাশের দিয়াত একশত উট …….. ইত্যাদি।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৪৮৫৬
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدٌ وَهُوَ ابْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَنْ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: جَاءَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ حَزْمٍ بِكِتَابٍ فِي رُقْعَةٍ مِنْ أَدَمٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: هَذَا بَيَانٌ مِنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَوْفُوا بِالْعُقُودِ} [المائدة: 1] فَتَلَا مِنْهَا آيَاتٍ ثُمَّ قَالَ: «فِي النَّفْسِ مِائَةٌ مِنَ الْإِبِلِ، وَفِي الْعَيْنِ خَمْسُونَ، وَفِي الْيَدِ خَمْسُونَ، وَفِي الرِّجْلِ خَمْسُونَ، وَفِي الْمَأْمُومَةِ ثُلُثُ الدِّيَةِ، وَفِي الْجَائِفَةِ ثُلُثُ الدِّيَةِ، وَفِي الْمُنَقِّلَةِ خَمْسَ عَشْرَةَ فَرِيضَةً، وَفِي الْأَصَابِعِ عَشْرٌ عَشْرٌ، وَفِي الْأَسْنَانِ خَمْسٌ خَمْسٌ، وَفِي الْمُوضِحَةِ خَمْسٌ»
যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ বকর ইব্ন হাযাম (রহঃ) আমার নিকট একটি চাপড়ার পত্র নিয়ে আসেন যা রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে লিখিত হয়েছিল। তাতে লিখা ছিলঃ “ইহা আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের পক্ষ হতে বর্ণনাঃ হে ঈমানদারগণ ! তোমার অঙ্গীকার পূর্ণ কর।” এরপর কয়েকটি আয়াত বর্ণিত হয়েছে। তারপর তিনি বলেনঃ প্রাণের বিনিমেয়ে একশত উট, আর চক্ষুতে পঞ্চাশ উট, হাতেরে বদলে পঞ্চাশ উট, পা-এর পরিবর্তে পঞ্চাশ উট, আর যে যখম হাঁড়ের মগজ পর্যন্ত পৌছে, তাতে এক-তৃতীয়াংশ দিয়াত। আর যে যখম পেটের ভিতর পৌঁছে, তাতে এক-তৃতীয়াংশ, আর যে যখমে হাঁড় স্থানচ্যুত হয়, তাতে পনর উট, আর আঙ্গুলে দশ-দশটি উট, আর দাঁতে পাঁচ উট। আর যে যখমে হাঁড় দেখা দেয়, তাতে পাঁচ উট।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৪৮৫৭
قَالَ: الْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ، عَنْ ابْنِ الْقَاسِمِ، قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: الْكِتَابُ الَّذِي كَتَبَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعَمْرِو بْنِ حَزْمٍ فِي الْعُقُولِ: «إِنَّ فِي النَّفْسِ مِائَةً مِنَ الْإِبِلِ، وَفِي الْأَنْفِ إِذَا أُوعِيَ جَدْعًا مِائَةً مِنَ الْإِبِلِ، وَفِي الْمَأْمُومَةِ ثُلُثُ النَّفْسِ، وَفِي الْجَائِفَةِ مِثْلُهَا، وَفِي الْيَدِ خَمْسُونَ، وَفِي الْعَيْنِ خَمْسُونَ وَفِي الرِّجْلِ خَمْسُونَ، وَفِي كُلِّ إِصْبَعٍ مِمَّا هُنَالِكَ عَشْرٌ مِنَ الْإِبِلِ، وَفِي السِّنِّ خَمْسٌ وَفِي الْمُوضِحَةِ خَمْسٌ»
আবদুল্লাহ্ ইব্ন আবূ বকর ইব্ন মুহাম্মদ ইব্ন হায্ম (রহঃ) তাঁর পিতা থেকে থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেনঃ দিয়াত সম্বন্ধে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমর ইব্ন হায্মের জন্য যে পত্র লিখেন, তাতে ছিলঃ প্রাণের পরিবর্তে এক শত উট, আর পূর্ণ নাকের জন্য একশত উট, আর যে যখম মগজ পর্যন্ত পৌঁছে, তাতে এক-তৃতীয়াংশ এবং যে যখম পেট পর্যন্ত পৌঁছে, তাতেও তদ্রুপ। আর হাতের জন্য পঞ্চাশ উট, চোখের জন্য পঞ্চাশ এবং পায়ের জন্য পঞ্চাশ। প্রত্যেক আঙ্গুলের জন্য দশ উট, আর দাঁতের জন্য পাঁচ উট এবং যে যখমে হাঁড় প্রকাশ পায়, তাতে পাঁচ উট।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৪৮৫৮
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبَانُ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ إِسْحَقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ أَعْرَابِيًّا أَتَى بَابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَلْقَمَ عَيْنَهُ خُصَاصَةَ الْبَابِ، فَبَصُرَ بِهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَتَوَخَّاهُ بِحَدِيدَةٍ أَوْ عُودٍ، لِيَفْقَأَ عَيْنَهُ، فَلَمَّا أَنْ بَصُرَ انْقَمَعَ، فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَمَا إِنَّكَ لَوْ ثَبَتَّ لَفَقَأْتُ عَيْنَكَ»
আনাস ইব্ন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক বেদুঈন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দরজায় এসে ছিদ্রে চক্ষু লাগিয়ে দেখতে লাগলো। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা দেখতে পেয়ে একখণ্ড কাঠ অথবা লোহা নিয়ে তার চোখ ফুঁড়ে দিতে ইচ্ছা করলেন। সে তা দেখে নিজের চোখ সরিয়ে নেয়। এরপর রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যদি তুমি সেখানে চোখ রাখতে, তবে আমি তা ফুঁড়ে দিতাম।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৫৯
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ سَهْلَ بْنَ سَعْدٍ السَّاعِدِيَّ أَخْبَرَهُ، أَنَّ رَجُلًا اطَّلَعَ مِنْ جُحْرٍ فِي بَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِدْرَى يَحُكُّ بِهَا رَأْسَهُ، فَلَمَّا رَآهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَوْ عَلِمْتُ أَنَّكَ تَنْظُرُنِي لَطَعَنْتُ بِهِ فِي عَيْنِكَ، إِنَّمَا جُعِلَ الْإِذْنُ مِنْ أَجْلِ الْبَصَرِ»
সাহ্ল ইব্ন সা‘দ সাঈদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ঘরের ছিদ্রপথে দেখছিল। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর একখণ্ড কাষ্ঠ ছিল, যা দিয়ে তিনি তাঁর মাথা চুলকাতেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন তাকে দেখলেন, তখন বললেনঃ যদি আমি জানতে পারতাম যে, তুমি আমাকে দেখছো, তবে আমি তোমার চোখে এই কাষ্ঠ ঢুকিয়ে দিতাম। অনুমতি গ্রহণের বিধান তো দেওয়া হয়েছে এজন্যই যাতে উঁকি মেরে দেখতে না হয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদঃ
নিজে প্রতিশোধ গ্রহণ করা
৪৮৬০
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ: حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ النَّضْرِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ بَشِيرِ بْنِ نَهِيكٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنِ اطَّلَعَ فِي بَيْتِ قَوْمٍ بِغَيْرِ إِذْنِهِمْ فَفَقَئُوا عَيْنَهُ، فَلَا دِيَةَ لَهُ، وَلَا قِصَاصَ»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি যদি কারো ঘরে তার বিনা অনুমতিতে উঁকি মারে আর ঘরের মালিক তার চোখ ফুঁড়ে দেয়, তবে সে দিয়াত এবং বদলা কিছুই পাবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৬১
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَوْ أَنَّ امْرَأً اطَّلَعَ عَلَيْكَ بِغَيْرِ إِذْنٍ فَخَذَفْتَهُ فَفَقَأْتَ عَيْنَهُ، مَا كَانَ عَلَيْكَ حَرَجٌ» وَقَالَ مَرَّةً أُخْرَى: «جُنَاحٌ»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ যদি কোন ব্যক্তি অনুমতি ব্যতীত তোমার দিকে উঁকি মারে আর তুমি পাথর নিক্ষেপ করে ঐ ব্যক্তির চোখ ফুটা কর, তবে তাতে তোমার কোন পাপ হবে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৬২
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُصْعَبٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُبَارَكِ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ سُلَيْمٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ: أَنَّهُ كَانَ يُصَلِّي، فَإِذَا بِابْنٍ لِمَرْوَانَ يَمُرُّ بَيْنَ يَدَيْهِ فَدَرَأَهُ، فَلَمْ يَرْجِعْ فَضَرَبَهُ، فَخَرَجَ الْغُلَامُ يَبْكِي حَتَّى أَتَى مَرْوَانَ فَأَخْبَرَهُ، فَقَالَ مَرْوَانُ لِأَبِي سَعِيدٍ: لِمَ ضَرَبْتَ ابْنَ أَخِيكَ؟ قَالَ: مَا ضَرَبْتُهُ، إِنَّمَا ضَرَبْتُ الشَّيْطَانَ. سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِذَا كَانَ أَحَدُكُمْ فِي صَلَاةٍ فَأَرَادَ إِنْسَانٌ يَمُرُّ بَيْنَ يَدَيْهِ فَيَدْرَؤُهُ مَا اسْتَطَاعَ، فَإِنْ أَبَى فَلْيُقَاتِلْهُ، فَإِنَّهُ شَيْطَانٌ»
আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একদা তিনি নামায পড়ছিলেন, এমন সময় মারওয়ানের পুত্র তাঁর সম্মুখে দিয়ে যাচ্ছিল। তিনি নিষেধ করা সত্ত্বেও সে মানলো না। তখন আবূ সাঈদ (রাঃ) তাকে মারলেন। সে কাঁদতে কাঁদতে মারওয়ানের নিকট গেল। মারওয়ান আবূ সাঈদ (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলোঃ আপনি আপনার ভাইয়ের ছেলেকে কেন মারলেন ? আবূ সাঈদ (রাঃ) বললেনঃ আমি তাকে মারিনি বরং শয়তানকে মেরেছি। আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ যদি তোমাদের কারো নামায পড়ার সময় তোমাদের সামনে দিয়ে কেউ অতিক্রম করতে চায়, তবে যতটুকু সম্ভব তাকে বাধা দেবে। যদি সে না মানে, তবে তার সাথে যুদ্ধ করবে; কেননা সে শয়তান।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
পরিচ্ছেদঃ
আল্লাহ্র বাণীঃ (আরবি) [১] এর ব্যাখ্যা
[১] অর্থঃ কেউ ইচ্ছাকৃত কোন মু’মিনকে হত্যা করলে তার শাস্তি জাহান্নাম, সেখানে সে স্থায়ী হবে। (৪ : ৯৩)
৪৮৬৩
أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ قَالَ: أَمَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبْزَى أَنْ أَسْأَلَ ابْنَ عَبَّاسٍ عَنْ هَاتَيْنِ الْآيَتَيْنِ: {وَمَنْ يَقْتُلْ مُؤْمِنًا مُتَعَمِّدًا فَجَزَاؤُهُ جَهَنَّمُ} [النساء: 93] فَسَأَلْتُهُ: فَقَالَ: «لَمْ يَنْسَخْهَا شَيْءٌ»، وَعَنْ هَذِهِ الْآيَةِ: {وَالَّذِينَ لَا يَدْعُونَ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ وَلَا يَقْتُلُونَ النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلَّا بِالْحَقِّ} [الفرقان: 68] قَالَ: «نَزَلَتْ فِي أَهْلِ الشِّرْكِ»
সাঈদ ইব্ন জুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ্ ইব্ন আবযা (রাঃ) আমাকে আদেশ করলেন, আমি যেন ইব্ন আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট দু’টি আয়াতের তাফসীর জিজ্ঞাসা করি। এক আয়াত হলঃ (আরবি) “কেউ ইচ্ছাকৃত কোন মুমিনকে হত্যা করলে . . . .”। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেনঃ এই আয়াত রহিত হয়নি। আর দ্বিতীয় আয়াত হলঃ (আরবি)[১]। আমি এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে, তিনি বললেনঃ এই আয়াত মুশরিকদের সম্বন্ধে নাযিল হয়েছে।
[১] অর্থঃ “যারা আল্লাহ্র সাথে কোন ইলাহকে ডাকে না, আল্লাহ্ যার হত্যা নিষেধ করেছেন যথার্থ কারণ ছাড়া তাকে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না। যে এগুলি করে সে শাস্তি ভোগ করবে . . . তবে তারা নয়, যারা তওবা করে. . .” (২৫ : ৬৮-৭০)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৬৪
أَخْبَرَنَا أَزْهَرُ بْنُ جَمِيلٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ الْمُغِيرَةِ بْنِ النَّعْمَانِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ قَالَ: اخْتَلَفَ أَهْلُ الْكُوفَةِ فِي هَذِهِ الْآيَةِ: {وَمَنْ يَقْتُلْ مُؤْمِنًا مُتَعَمِّدًا} [النساء: 93] فَرَحَلْتُ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ: «نَزَلَتْ فِي آخِرِ مَا أُنْزِلَتْ وَمَا نَسَخَهَا شَيْءٌ»
সাঈদ ইব্ন জুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আয়াত (আরবি) রহিত হয়েছে কিনা এ সম্পর্কে কূফাবাসীদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিল। আমি ইব্ন আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে এ ব্যাপারে জিজ্ঞসা করলাম। তিনি বললেনঃ এই আয়াতটি তো শেষদিকে অবতীর্ণ আয়াতসমূহের একটি। একে কোন আয়াতই রহিত করেনি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৬৫
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي الْقَاسِمُ بْنُ أَبِي بَزَّةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ قَالَ: قُلْتُ لِابْنِ عَبَّاسٍ: هَلْ لِمَنْ قَتَلَ مُؤْمِنًا مُتَعَمِّدًا مِنْ تَوْبَةٍ؟ قَالَ: «لَا». وَقَرَأْتُ عَلَيْهِ الْآيَةَ الَّتِي فِي الْفُرْقَانِ: {وَالَّذِينَ لَا يَدْعُونَ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ وَلَا يَقْتُلُونَ النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلَّا بِالْحَقِّ} [الفرقان: 68] قَالَ: ” هَذِهِ آيَةٌ مَكِّيَّةٌ نَسَخَتْهَا آيَةٌ مَدَنِيَّةٌ {وَمَنْ يَقْتُلْ مُؤْمِنًا مُتَعَمِّدًا فَجَزَاؤُهُ جَهَنَّمُ} [النساء: 93] “
সাঈদ ইব্ন জুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি ইব্ন আব্বাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলামঃ যে ব্যক্তি কোন মুসলমানকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করে, তার তওবা কবূল হবে কি? তিনি বললেনঃ না। আমি সূরা ফুরকানের (আরবি) এ আয়াতের শেষ পর্যন্ত পাঠ করলাম। তিনি বললেনঃ এই আয়াতটি মক্কায় নাযিল হয়েছে। আর মদীনায় অবতীর্ণ সূরা বাকারার উপরিউক্ত আয়াত এটাকে রহিত করে দিয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৬৬
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمَّارٍ الدُّهْنِيِّ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ سُئِلَ: عَمَّنْ قَتَلَ مُؤْمِنًا مُتَعَمِّدًا، ثُمَّ تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا، ثُمَّ اهْتَدَى، فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: وَأَنَّى لَهُ التَّوْبَةُ سَمِعْتُ نَبِيَّكُمْ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: ” يَجِيءُ مُتَعَلِّقًا بِالْقَاتِلِ تَشْخَبُ أَوْدَاجُهُ دَمًا يَقُولُ: سَلْ هَذَا فِيمَ قَتَلَنِي “، ثُمَّ قَالَ: وَاللَّهِ لَقَدْ أَنْزَلَهَا وَمَا نَسَخَهَا
সালিম ইব্ন আবুল জা‘দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
কেউ ইব্ন আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট জিজ্ঞাসা করলোঃ যদি কেউ কোন মুসলমানকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করে, পরে তওবা করে, ঈমান আনে এবং সৎকাজ করে, সোজা পথে আসে, তবে কি তাঁর তাওবা কবূল হবে ? ইব্ন আব্বাস (রাঃ) বললেনঃ তার তাওবা কীরুপে কবূল হবে ? আমি তোমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ কিয়ামতের দিন নিহত ব্যক্তি হত্যাকারীকে ধরে আনবে, তখনও তার ধমনী হতে রক্তধারা প্রবাহিত হতে থাকবে। সে বলবেঃ হে আল্লাহ! একে জিজ্ঞাসা করুন, সে আমাকে কেন হত্যা করেছিল? ইব্ন আব্বাস বলেনঃ এই আদেশ আল্লাহ্ নাযিল করেছেন, তিনি তা রহিত করেন নি।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৬৭
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسًا يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ح وأَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” الْكَبَائِرُ: الشِّرْكُ بِاللَّهِ، وَعُقُوقُ الْوَالِدَيْنِ، وَقَتْلُ النَّفْسِ، وَقَوْلُ الزُّورِ “
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কবীরা গুনাহগুলো হলো আল্লাহ্র সাথে কাউকে শরীক করা, মাতা-পিতার অবাধ্য হওয়া, কাউকে অন্যায়ভাবে হ্ত্যা করা এবং মিথ্যা বলা।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৬৮
أَخْبَرَنَا عَبْدَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحِيمِ، قَالَ: أَنْبَأَنَا ابْنُ شُمَيْلٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: أَنْبَأَنَا فِرَاسٌ، قَالَ: سَمِعْتُ الشَّعْبِيَّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” الْكَبَائِرُ: الْإِشْرَاكُ بِاللَّهِ، وَعُقُوقُ الْوَالِدَيْنِ، وَقَتْلُ النَّفْسِ، وَالْيَمِينُ الْغَمُوسُ “
আবদুল্লাহ্ ইব্ন আমর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ কবীরা গুনাহ হলো আল্লাহ্ তা’আলার সাথে কাউকে শরীক করা, মাতা-পিতার অবাধ্য হওয়া, কাউকে হত্যা করা এবং মিথ্যা কসম খাওয়া।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৪৮৬৯
أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سَلَّامٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْحَقُ الْأَزْرَقُ، عَنْ الْفُضَيْلِ بْنِ غَزْوَانَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَزْنِي الْعَبْدُ حِينَ يَزْنِي، وَهُوَ مُؤْمِنٌ، وَلَا يَشْرَبُ الْخَمْرَ حِينَ يَشْرَبُهَا، وَهُوَ مُؤْمِنٌ، وَلَا يَسْرِقُ وَهُوَ مُؤْمِنٌ، وَلَا يَقْتُلُ وَهُوَ مُؤْمِنٌ»
ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন বান্দা যখন ব্যভিচার করে, তখন সে ঈমানদার অবস্থায় ব্যভিচার করে না, আর যখন সে মদ্য পান করে, তখন ঈমানদার অবস্থায় মদ্য পান করে না, মু’মিন অবস্থায় চুরি করে না, আর মুমিন অবস্থায় কাউকে হত্যা করে না।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস