ইবনে মাজাহ হজ্জ অধ্যায় ৩য় ভাগ হাদিস নং ৩০৪১ – ৩১১৯

১৯/৭০. অধ্যায়ঃ

জামরাতুল ‘আকাবায় কংকর নিক্ষেপের পর হাজ্জীদের জন্য যা বৈধ হয়

৩০৪১

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ الْبَاهِلِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، وَوَكِيعٌ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنِ الْحَسَنِ الْعُرَنِيِّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ إِذَا رَمَيْتُمُ الْجَمْرَةَ فَقَدْ حَلَّ لَكُمْ كُلُّ شَىْءٍ إِلاَّ النِّسَاءَ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ يَا ابْنَ عَبَّاسٍ وَالطِّيبُ فَقَالَ أَمَّا أَنَا فَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُضَمِّخُ رَأْسَهُ بِالْمِسْكِ أَفَطِيبٌ ذَلِكَ أَمْ لاَ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন তোমরা জামরায় কংকর নিক্ষেপ করলে, তখন স্ত্রীসংগ ব্যাতীত সবকিছু হালাল হয়ে গেল। এক ব্যক্তি তাকে জিজ্ঞেস করেন, হে বিন আব্বাস! সুগন্ধিও? তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার বক্তব্য এই যে, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে নিজ মাথায় কস্তুরী মাখতে দেখেছি (কংকর নিক্ষেপের পরে)। তা সুগন্ধি কি নয়? [৩০৪১]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৪১] নাসায়ী ৩০৮৪, আহমাদ ২০৯১, ৩১৯৪, সহীহাহ ২৩৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৪২

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا خَالِي، مُحَمَّدٌ وَأَبُو مُعَاوِيَةَ وَأَبُو أُسَامَةَ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ طَيَّبْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لإِحْرَامِهِ حِينَ أَحْرَمَ وَلإِحْلاَلِهِ حِينَ أَحَلَّ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে ইহরাম বাঁধার আগে সুগন্ধি লাগিয়ে দিয়েছি এবং যখন তিনি ইহরাম খুলেছেন তখনও। [৩০৪২]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৪২] সহীহুল বুখারী ২৬৭, ২৭০, ২৭১, ১৫৩৮, ১৫৩৯, ১৭৫৪, ৫৯১৮, ৫৯২২, ৫৯২৩, ৫৯২৮, ৫৯৩০, মুসলিম ১১৮৯, ১১৯০, ১১৯১, ১১৯২, তিরমিযী ৯১৭, নাসায়ী ৪১৭, ৪৩১, ২৬৮৪, ২৬৮৫, ২৬৮৬, ২৬৮৭, ২৬৮৮, ২৬৮৯, ২৬৯০, ২৬৯১, ২৬৯২, ২৬৯৩, ২৬৯৪, ২৬৯৫, ২৬৯৬, ২৬৯৭, ২৬৯৮, ২৬৯৯, ২৭০০, ২৭০৫, আবূ দাউদ ১৭৪৫, ১৭৪৬, আহমাদ ২৩৫৯১, ২৩৬১৪, ২৪২৪০, ২৪১৩, ২৪৪৪৫, ২৪৪৬২, ২৪৭৫৯, ২৪৮৭৪, ২৪৮৯৩, ২৪৯৪৮, ২৪৯৯৫, ২৫০৫৮, ২৫০৭৪, ২৫১১৩, ২৫১৯৫, ২৫২২৪, ২৫২৪৭, ২৭৬৫৬, ২৫২৮৯, ২৫৩৪৬, ২৫৪০৬, ২৫৪০২, ২৫৪৭৫, ২৫৪৮৬, ২৫৫৪৭, ২৫৫৪৯, ২৫৫৯৮, ২৫৬৩০, ২৬৮৮, ২৫৭৪০, ২৫৭৭১, ২৫৮৬৪, মুয়াত্তা মালেক ৭২৭, দারেমী ১৮০১, ১৮০২, ১৮০৩, ইরওয়া ১০৪৭। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/৭১. অধ্যায়ঃ

মাথা কামানো

৩০৪৩

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، حَدَّثَنَا عُمَارَةُ بْنُ الْقَعْقَاعِ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِلْمُحَلِّقِينَ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَالْمُقَصِّرِينَ قَالَ ‏”‏ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِلْمُحَلِّقِينَ ‏”‏ ‏.‏ ثَلاَثًا قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَالْمُقَصِّرِينَ قَالَ ‏”‏ وَالْمُقَصِّرِينَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে আল্লাহ! যারা মাথা মুণ্ডন করিয়েছে তাদের ক্ষমা করুন। সাহাবীগন বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! যারা নিজেদের মাথার চুল ছাঁটিয়েছে? তিনি বলেনঃ হে আল্লাহ! যারা নিজেদের মাথা মুণ্ডন করিয়েছে তাদের ক্ষমা করুন। এ কথা তিনি তিনাবার বলেন। সাহাবীগন বলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! যারা নিজেদের মাথার চুল ছাঁটিয়েছে তাদের জন্যও। তিনি বলেনঃ যারা চুল ছাঁটিয়েছে তাদের জন্যও। [৩০৪৩]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৪৩] সহীহুল বুখারী ১৭২৮, মুসলিম ১৩০২, আহমাদ ৭১১৮, ৯০৭৭, ইরওয়া ৪/২৮৫। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন ফুদায়ল সম্পর্কে ইবনু মাঈন তাকে সিকাহ বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি শীয়া মতাবলম্বী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫৪৮, ২৬/২৯৩ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৪৪

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ أَبِي الْحَوَارِيِّ الدِّمَشْقِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏”‏ رَحِمَ اللَّهُ الْمُحَلِّقِينَ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا وَالْمُقَصِّرِينَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏”‏ رَحِمَ اللَّهُ الْمُحَلِّقِينَ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا وَالْمُقَصِّرِينَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏”‏ رَحِمَ اللَّهُ الْمُحَلِّقِينَ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا وَالْمُقَصِّرِينَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏”‏ وَالْمُقَصِّرِينَ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যারা মাথা মুণ্ডন করিয়েছে আল্লাহ তাআলা তাদের প্রতি দয়া করুন। সাহাবীগণ বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! যারা চুল ছাঁটিয়েছে তাদের প্রতিও। তিনি বলেনঃ যারা মাথা মুণ্ডন করিয়েছে আল্লাহ তাআলা তাদের প্রতি দয়া করুন। তারা বলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! যারা চুল ছাঁটিয়েছে তাদের প্রতিও। তিনি বলেনঃ যারা চুল ছাঁটিয়েছে তাদের প্রতিও। [৩০৪৪]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৪৪] সহীহুল বুখারী ১৭২৭, মুসলিম ১৩০১, তিরমিযী ৯১৩, আবূ দাউদ ১৯৭৯, আহমাদ ৪৬৪৩, ৪৮৭৯, ৫৪৮৩, ৫৯৬৯, ৬১৯৮, ৬২৩৩, ৬৩৪৭, মুয়াত্তা মালেক ৯০১, দারেমী ১৯০৬, ইরওয়া ১০৮৪, সহীহ আবু দাউদ ১৭২৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৪৫

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ لِمَ ظَاهَرْتَ لِلْمُحَلِّقِينَ ثَلاَثًا وَلِلْمُقَصِّرِينَ وَاحِدَةً قَالَ ‏ “‏ إِنَّهُمْ لَمْ يَشُكُّوا ‏”‏ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

জিজ্ঞেস করা হলো, ইয়া রাসূলুল্লাহ! যারা মাথা মুণ্ডন করিয়েছে আপনি তাদের জন্য তিনবার, আর যারা চুল ছাঁটিয়েছে তাদের জন্য একবার মাত্র দুআ’ করেছেন, এর কারন কী? তিনি বলেনঃ যারা মাথা মুণ্ডন করিয়েছে তারা সন্দেহ করেনি (অর্থাৎ উত্তম কাজ সন্দেহমুক্তভাবে সমাধা করেছে)। [৩০৪৫]

 

তাহকীক আলবানীঃ হাসান।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৪৫] আবূ দাউদ ৩৩০১, ইরওয়া ৪/২৮৫, ২৮৬। তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী ইউনুস বিন বুকায়র সম্পর্কে আবু বকর বিন আবু শায়বাহ বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। আবু হাতিম বিন হিব্বান তার সিকাহ গ্রন্থে তার নাম উল্লেখ করেছেন। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসাঈ বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭১৭১, ৩২/৪৯৩ নং পৃষ্ঠা) ২. মুহাম্মাদ বিন ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাসানুল হাদিস। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সালিহ। সুলায়মান বিন তারখান ও সুলায়মান বিন মিহরান বলেন, তিনি মিথ্যুক। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি আমার নিকট হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫০৫৭, ২৪/৪০৫ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/৭২. অধ্যায়ঃ

যে ব্যাক্তি নিজ মাথার চুল একত্রে জমাতবদ্ধ করে

৩০৪৬

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ حَفْصَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا شَأْنُ النَّاسِ حَلُّوا وَلَمْ تَحِلَّ أَنْتَ مِنْ عُمْرَتِكَ قَالَ ‏ “‏ إِنِّي لَبَّدْتُ رَأْسِي وَقَلَّدْتُ هَدْيِي فَلاَ أَحِلُّ حَتَّى أَنْحَرَ ‏”‏ ‏.‏

হাফসাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! লোকেরা ইহরামমুক্ত হয়েছে, আর আপনি এখনও উমরার ইহরাম থেকে মুক্ত হননি, এর কারণ কী? তিনি বলেনঃ আমি আমার মাথার চুল জমাটবদ্ধ করে নিয়েছি এবং সাথে কোরবানির পশু এনেছি। তাই কোরবানী না করা পর্যন্ত আমি ইহরামমুক্ত হতে পারি না। [৩০৪৬]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৪৬] সহীহুল বুখারী ১৫৬৬, ১৬৯৭, ১৭২৫, ৪৩৯৮, ৫৯১৬, মুসলিম ১২২৯, নাসায়ী ২৬৮২, ২৭৮১, আবূ দাউদ ১৮০৬, আহমাদ ২৫৮৯৩, ২৫৮৯৭, মুয়াত্তা মালেক ৮৯৭, সহীহ আবু দাউদ ১৫৮৫। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৪৭

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ الْمِصْرِيُّ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَنْبَأَنَا يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُهِلُّ مُلَبِّدًا ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার মাথার চুল একত্রে জমাটবদ্ধ অবস্থায় লাব্বাইক ধ্বনি করেছেন। [৩০৪৭]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৪৭] সহীহুল বুখারী ১৫৪০, ৫৯৮৪, ৫৯১৫, নাসায়ী ২৬৮৩, আবূ দাউদ ১৭৪৭, আহমাদ ৫৯৮৫, ৬১১১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/৭৩. অধ্যায়ঃ

কোরবানির বর্ণনা

৩০৪৮

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَعَمْرُو بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مِنًى كُلُّهَا مَنْحَرٌ وَكُلُّ فِجَاجِ مَكَّةَ طَرِيقٌ وَمَنْحَرٌ وَكُلُّ عَرَفَةَ مَوْقِفٌ وَكُلُّ الْمُزْدَلِفَةِ مَوْقِفٌ ‏”‏ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন মিনার সমস্ত এলাকাই কোরবানীর স্থান, মক্কার প্রতিটি প্রশস্ত সড়কই রাস্তা এবং কোরবানীর স্থান, আরাফাতের গোটা এলাকাই অবস্থানস্থল এবং মুযদালিফার সমস্ত এলাকাও অবস্থানস্থল। [৩০৪৮]

 

তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৪৮] আবু দাউদ ১৯৩৬, ১৯৩৭, দারিমী ১৮৭৯, রাওদুন নাদীর ৪৬৮, সহীহাহ ২৪৬৪। তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী উসামাহ বিন যায়দ সম্পর্কে ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ উল্লেখ করে বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আল-আজলী তাকে সিকাহ বলেছেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে দলীল হিসেবে নয়। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩১৭, ২/৩৪৭ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

১৯/৭৪. অধ্যায়ঃ

হজ্জের অনুষ্ঠানাদিতে অগ্রপশ্চাৎ করা

৩০৪৯

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ مَا سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَمَّنْ قَدَّمَ شَيْئًا قَبْلَ شَىْءٍ إِلاَّ يُلْقِي بِيَدَيْهِ كِلْتَيْهِمَا ‏ “‏ لاَ حَرَجَ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

হজ্জের অনুষ্ঠানাদিতে অগ্র-পশ্চাৎ হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি দু’হাতের ইশারায় বলেনঃ কোন ক্ষতি নেই। [৩০৪৯]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৪৯] ইবনু মাজাহ ৩০৫০, সহীহুল বুখারী ৮৪, ১৭২১, ১৭২২, ১৭২৩, ১৭৩৪, ১৭৩৫, ৬৬৬৬, মুসলিম ১৩০৭, নাসায়ী ৩০৬৭, আবূ দাউদ ১৯৮৩, সহীহ আবু দাউদ ১৭৩১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৫০

حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ، بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُسْأَلُ يَوْمَ مِنًى فَيَقُولُ ‏”‏ لاَ حَرَجَ لاَ حَرَجَ ‏”‏ ‏.‏ فَأَتَاهُ رَجُلٌ فَقَالَ حَلَقْتُ قَبْلَ أَنْ أَذْبَحَ قَالَ ‏”‏ لاَ حَرَجَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ رَمَيْتُ بَعْدَ مَا أَمْسَيْتُ قَالَ ‏”‏ لاَ حَرَجَ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

, মিনার দিবসে লোকেরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেতেন, কোন দোষ নেই, কোন ক্ষতি নেই। অতএব এক ব্যক্তি তাঁর নিকট এসে বললো, কোরবানীর পূর্বে আমি মাথা মুণ্ডন করিয়েছি। তিনি বলেনঃ কোন দোষ নেই। আরেকজন বললো, আমি সন্ধ্যায় কাঁকর নিক্ষেপ করেছি। তিনি বললেন, কোন ক্ষতি নেই। [৩০৫০]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৫০] সহীহুল বুখারী ৮৪, ১৭২১, ১৭২২, ১৭২৩, ১৭৩৪, ১৭৩৫, ৬৬৬৬, মুসলিম ১৩০৭, নাসাঈ ৩০৬৭, আবু দাউদ ১৯৮৩, সহীহ আবু দাউদ ১৭৩১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৫১

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عِيسَى بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ سُئِلَ عَمَّنْ ذَبَحَ قَبْلَ أَنْ يَحْلِقَ أَوْ حَلَقَ قَبْلَ أَنْ يَذْبَحَ قَالَ ‏ “‏ لاَ حَرَجَ ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট মাসাআলা জানতে চাওয়া হলো যে, কোন ব্যক্তি মাথা মুণ্ডনের পূর্বে কোরবানী করেছে অথবা কোন ব্যক্তি কোরবানীর পূর্বে কামিয়েছে। তিনি বলেনঃ তাতে কোন দোষ নেই। [৩০৫১]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৫১] সহীহুল বুখারী ৮৩, ১২৪, ১৭৩৬, ১৭৩৮, ৬৬৬৫, মুসলিম ১৩০৬, তিরমিযী ৯১৬, আবূ দাউদ ২০১৪, আহমাদ ৬৪৪৮, ৬৪৫৩, ৬৭৬১, ৬৮৪৮, ৬৯১৮, ৬৯৯৩, মুয়াত্তা মালেক ৯৫৯, দারেমী ১৯০৭, ১৯০৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৫২

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنِي عَطَاءُ بْنُ أَبِي رَبَاحٍ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ قَعَدَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِمِنًى يَوْمَ النَّحْرِ لِلنَّاسِ فَجَاءَهُ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي حَلَقْتُ قَبْلَ أَنْ أَذْبَحَ قَالَ ‏”‏ لاَ حَرَجَ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ جَاءَهُ آخَرُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي نَحَرْتُ قَبْلَ أَنْ أَرْمِيَ قَالَ ‏”‏ لاَ حَرَجَ ‏”‏ ‏.‏ فَمَا سُئِلَ يَوْمَئِذٍ عَنْ شَىْءٍ قُدِّمَ قَبْلَ شَىْءٍ إِلاَّ قَالَ ‏”‏ لاَ حَرَجَ ‏”‏ ‏.‏

জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোরবানীর দিন লোকেদের উদ্দেশে মিনায় বসলেন। এক ব্যক্তি তাঁর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমি কোরবানী করার পূর্বে মাথা মুণ্ডন করেয়েছি। তিনি বলেনঃ কোন দোষ নেই। অপর এক ব্যক্তি তাঁর নিকট এসে বললো, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি কংকর নিক্ষেপের পূর্বে কোরবানী করেছি। তিনি বলেনঃ কোন দোষ নেই। সেদিন কোন অনুষ্ঠান কোন অনুষ্ঠানের আগে বা পরে সম্পন্ন করার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেনঃ কোন দোষ নেই। [৩০৫২]

 

তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৫২] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী উসামাহ বিন যায়দ সম্পর্কে ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ উল্লেখ করে বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আল-আজলী তাকে সিকাহ বলেছেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে দলীল হিসেবে নয়। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩১৭, ২/৩৪৭ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

১৯/৭৫. অধ্যায়ঃ

তাশরীকের দিনসমূহে (১১-১২-১৩ যিলহজ্জ) জামরায় কংকর নিক্ষেপ করা

৩০৫৩

حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ ضُحًى وَأَمَّا بَعْدَ ذَلِكَ فَبَعْدَ زَوَالِ الشَّمْسِ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জামরাতুল আকাবায় পূর্বাহ্ণে পাথর নিক্ষেপ করতে দেখেছি। তিনি এরপরের (দিনগুলোতে) পাথর নিক্ষেপ করেন অপরাহ্ণে। [৩০৫৩]

 

তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৫৩] মুসলিম ১২৯৯, তিরমিযী ৮৯৪, নাসায়ী ৩০৬২, ৩০৬৩, আবূ দাউদ ১৯৭১, আহমাদ ১৩৯৪৪, ১৪০০৯, ১৪২৬১, দারেমী ১৮৯৬। তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ।

হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

  •  সরাসরি

৩০৫৪

حَدَّثَنَا جُبَارَةُ بْنُ الْمُغَلِّسِ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ أَبُو شَيْبَةَ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يَرْمِي الْجِمَارَ إِذَا زَالَتِ الشَّمْسُ قَدْرَ مَا إِذَا فَرَغَ مِنْ رَمْيِهِ صَلَّى الظُّهْرَ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (অপরাহ্ণে) সূর্য ঢলে যাওয়ার পর জামরায় কাঁকর নিক্ষেপ করতেন, কাঁকর নিক্ষেপের পর তাঁর নামায পরার সময় হয়ে যেতো। [৩০৫৪]

 

তাহকীক আলবানীঃ সানাদটি দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৫৪] তিরমিযী ৮৯৮। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী জুবারাহ ইবনুল মুগাল্লিস সম্পর্কে মুসলিম বিন কায়স বলেন, ইনশাআল্লাহ্‌ (আল্লাহ্‌ চায়তো) তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি মিথ্যুক ও হাদিস বানিয়ে বর্ণনা করেন। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি মুদতারাব ভাবে হাদিস বর্ণনা করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তার একাধিক মুনকার হাদিস রয়েছে। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৮৯১, ৪/৪৮৯ নং পৃষ্ঠা) ২. ইবরাহীম বিন উসমান বিন আবু শায়বাহ সম্পর্কে আবু বাকর আল-বায়হাকী ও আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল, তার হাদিস মানুষেরা বর্জন করেছেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু আলী আল-হাফিয আন-নায়সাবুরী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন। ইমাম যাহাবী তার হাদিস বর্জন করেছেন। সালিহ বিন মুহাম্মাদ বলেন, তিনি দুর্বল। মুহাম্মাদ বিন আবদুল্লাহ তার হাদিস পরিত্যাগ করেছেন। নুরুদ্দীন আল-হায়সামী তাকে দুর্বল হিসেবে উল্লেখ করেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২১২, ২/১৪৭ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/৭৬. অধ্যায়ঃ

কোরবানীর দিনের ভাষণ

৩০৫৫

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَهَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ شَبِيبِ بْنِ غَرْقَدَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ ‏”‏ يَا أَيُّهَا النَّاسُ أَلاَ أَىُّ يَوْمٍ أَحْرَمُ ‏”‏ ‏.‏ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ قَالُوا يَوْمُ الْحَجِّ الأَكْبَرِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ وَأَعْرَاضَكُمْ بَيْنَكُمْ حَرَامٌ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِي شَهْرِكُمْ هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا أَلاَ لاَ يَجْنِي جَانٍ إِلاَّ عَلَى نَفْسِهِ وَلاَ يَجْنِي وَالِدٌ عَلَى وَلَدِهِ وَلاَ مَوْلُودٌ عَلَى وَالِدِهِ ‏.‏ أَلاَ إِنَّ الشَّيْطَانَ قَدْ أَيِسَ أَنْ يُعْبَدَ فِي بَلَدِكُمْ هَذَا أَبَدًا وَلَكِنْ سَيَكُونُ لَهُ طَاعَةٌ فِي بَعْضِ مَا تَحْتَقِرُونَ مِنْ أَعْمَالِكُمْ فَيَرْضَى بِهَا أَلاَ وَكُلُّ دَمٍ مِنْ دِمَاءِ الْجَاهِلِيَّةِ مَوْضُوعٌ وَأَوَّلُ مَا أَضَعُ مِنْهَا دَمُ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ – كَانَ مُسْتَرْضِعًا فِي بَنِي لَيْثٍ فَقَتَلَتْهُ هُذَيْلٌ – أَلاَ وَإِنَّ كُلَّ رِبًا مِنْ رِبَا الْجَاهِلِيَّةِ مَوْضُوعٌ لَكُمْ رُءُوسُ أَمْوَالِكُمْ لاَ تَظْلِمُونَ وَلاَ تُظْلَمُونَ أَلاَ يَا أُمَّتَاهُ هَلْ بَلَّغْتُ ‏”‏ ‏.‏ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ قَالُوا نَعَمْ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ اللَّهُمَّ اشْهَدْ ‏”‏ ‏.‏ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ‏.‏

আমর ইবনুল আহ্ওয়াস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বিদায় হজ্জে বলতে শুনেছিঃ হে লোকসকল! কোন্ দিনটি সর্বাধিক সম্মানিত? তিনি তিনবার এ কথা বলেন। তারা বলেন, হজ্জের বড় দিন। তিনি বলেনঃ তোমাদের রক্ত (জীবন) , তোমাদের সম্পদ, তোমাদের মান-সম্ভ্রম তোমাদের পরস্পরের জন্য (তাতে হস্তক্ষেপ করা) হারাম, যেভাবে তোমাদের এ দিনে, এই মাসে এবং এই শহরে হারাম। সাবধান! কেউ অপরাধ করলে সেজন্য তাকেই গ্রেপ্তার করা হবে। পিতার অপরাধের জন্য পুত্রকে দায়ী করা যাবে না এবং পুত্রের অপরাধের জন্য পিতাকে দায়ী করা যাবে না। জেনে রাখো ! তোমাদের এই শহরে শয়তান নিজের জন্য ইবাদাত পাওয়া থেকে চিরকালের জন্য নিরাশ হয়ে গেছে। কিন্তু কতগুলো কাজ যা তোমরা তুচ্ছজ্ঞানে করতে গিয়ে শয়তানের আনুগত্য করো এবং তাতে সে খুশি হয়ে যায়। সাবধান! জাহিলী যুগের সকল রক্তের (হত্যার) দাবি রহিত হলো। এসব দাবির মধ্যে আমি সর্ব প্রথম আল-হারিস বিন আবদুল মুত্তালিবের রক্তের দাবি রহিত করছি, সে লাইস গোত্রে প্রতিপালিত হওয়াকালে হুযাইল গোত্রের লোকেরা তাকে হত্যা করে। সাবধান! জাহিলী যুগের সমস্ত সূদের দাবি রহিত হলো। তবে তোমরা মূলধন ফেরত পাবে, তোমরাও জুলুম করবে না এবং জুলুমের শিকারও হবে না। শোনো হে আমার উম্মাত! আমি কি পৌঁছে দিয়েছি? একথা তিনি তিনবার জিজ্ঞেস করেন। তারা বলেন, হাঁ। তিনি বলেন, হে আল্লাহ! আপনি সাক্ষী থাকুন। একথাও তিনি তিনবার বলেন। [৩০৫৫]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৫৫] তিরমিযী ২১৫৯, ৩০৮৭, আবূ দাউদ ৩৩৩৪, ইরওয়া ৫/২৭৯, সহীহ আবু দাউদ ১৭০০ (এর অনুরূপ) তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৫৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ السَّلاَمِ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِالْخَيْفِ مِنْ مِنًى فَقَالَ ‏ “‏ نَضَّرَ اللَّهُ امْرَأً سَمِعَ مَقَالَتِي فَبَلَّغَهَا فَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ غَيْرُ فَقِيهٍ وَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ إِلَى مَنْ هُوَ أَفْقَهُ مِنْهُ ثَلاَثٌ لاَ يُغِلُّ عَلَيْهِنَّ قَلْبُ مُؤْمِنٍ إِخْلاَصُ الْعَمَلِ لِلَّهِ وَالنَّصِيحَةُ لِوُلاَةِ الْمُسْلِمِينَ وَلُزُومُ جَمَاعَتِهِمْ فَإِنَّ دَعْوَتَهُمْ تُحِيطُ مِنْ وَرَائِهِمْ ‏”‏ ‏.‏

জুবায়র বিন মুতইম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিনার মসজিদুল খায়ফ-এ দাঁড়িয়ে বলেনঃ আল্লাহ তাআলা সেই ব্যক্তিকে সজীব ও আলোকোজ্জ্বল করে রাখুন যে আমার কথা শোনে, অতঃপর তা (অন্যদের নিকট) পৌঁছে দেয়। জ্ঞানের অনেক বাহক মূলত জ্ঞানী নয়। কোন কোন জ্ঞানের বাহক যার নিকট জ্ঞান বয়ে নিয়ে যায়, সে তার চেয়ে অধিক জ্ঞানী। তিনটি বিষয়ে মুমিন ব্যক্তির অন্তর প্রতারণা করতে পারে না। (১) একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর (সন্তোষ লাভের) জন্য ‘আমাল (কাজ) করা, (২) মুসলিম শাসকবর্গকে সদুপদেশ প্রদানে এবং (৩) মুসলিম জামা’আতের (সমাজের) সাথে সংঘবদ্ধ থাকার ব্যপারে। কারণ মুসলমানদের দুআ’ তাদেরকে পেছন থেকে পরিবেষ্টন করে রাখে। [৩০৫৬]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৫৬]

আহমাদ ১৬২৯৬, ১৬৩১২, দারিমী ২২৭, যিলাল ১০৮৫। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. মুহাম্মাদ বিন ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাসানুল হাদিস। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সালিহ। সুলায়মান বিন তারখান ও সুলায়মান বিন মিহরান বলেন, তিনি মিথ্যুক। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি আমার নিকট হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫০৫৭, ২৪/৪০৫ নং পৃষ্ঠা) ২. আব্দুস সালাম বিন আবুল জানুব সম্পর্কে আবু বাকর আল-বাযযার বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি মিথ্যার সাথে জড়িত। আবু যুরআহ আর-রাযী ও ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি দুর্বল। তাহরীরু তাকরীবুত তাহযীব এর লেখক বলেন, তিনি মিথ্যার অভিযোগে অভিযুক্ত। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪১৬, ১৮/৬৩ নং পৃষ্ঠা

উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু মুহাম্মাদ বিন ইসহাক ও আব্দুস সালাম বিন আবুল জানুব এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ২৯৩ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, ১ টি জাল, ৩৩ টি খুবই দুর্বল, ১১৪ টি দুর্বল, ৬৭ টি হাসান, ৭৮ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ তিরমিযি ২৬৫৬, ২৬৫৭, ২৬৫৮, আবু দাউদ ৩৬৬০, দারিমী ২২৭, ২২৮, ২২৯, ২৩০।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৫৭

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ تَوْبَةَ، حَدَّثَنَا زَافِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي سِنَانٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَهُوَ عَلَى نَاقَتِهِ الْمُخَضْرَمَةِ بِعَرَفَاتٍ فَقَالَ ‏”‏ أَتَدْرُونَ أَىُّ يَوْمٍ هَذَا وَأَىُّ شَهْرٍ هَذَا وَأَىُّ بَلَدٍ هَذَا ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا هَذَا بَلَدٌ حَرَامٌ وَشَهْرٌ حَرَامٌ وَيَوْمٌ حَرَامٌ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ أَلاَ وَإِنَّ أَمْوَالَكُمْ وَدِمَاءَكُمْ عَلَيْكُمْ حَرَامٌ كَحُرْمَةِ شَهْرِكُمْ هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا فِي يَوْمِكُمْ هَذَا أَلاَ وَإِنِّي فَرَطُكُمْ عَلَى الْحَوْضِ وَأُكَاثِرُ بِكُمُ الأُمَمَ فَلاَ تُسَوِّدُوا وَجْهِي أَلاَ وَإِنِّي مُسْتَنْقِذٌ أُنَاسًا وَمُسْتَنْقَذٌ مِنِّي أُنَاسٌ فَأَقُولُ يَا رَبِّ أُصَيْحَابِي ‏.‏ فَيَقُولُ إِنَّكَ لاَ تَدْرِي مَا أَحْدَثُوا بَعْدَكَ ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরাফাতের ময়দানে তাঁর স্বীয় উষ্ট্রীতে আরোহিত অবস্হায় বলেনঃ তোমরা কি জানো আজ কোন দিন, এটা কোন মাস এবং এটা কোন শহর? তারা বলেন, এটা (মক্কা) সন্মানিত শহর , সন্মানিত মাস ও সন্মানিত দিন। তিনি আরো বলেনঃ সাবধান ! তোমাদের সম্পদ ও তোমাদের রক্ত তোমাদের পরস্পরের প্রতি তেমনি হারাম যেমনি তোমাদের এই মাসের সন্মান রয়েছে তোমাদের এই শহরে তোমাদের এই দিনে। শুনে রাখো ! আমি তোমাদের আগেই হাওযে কাওসারে উপস্থিত থাকবো। অন্যান্য উম্মাতের তুলনায় তোমাদের সংখ্যাধিক্য নিয়ে আমি গৌরব করবো। তোমরা যেন আমার চেহারা কালিমালিপ্ত না করো। সাবধান! কিছু লোককে আমি মুক্ত করতে পারবো। আর কিছু লোককে আমার নিকট থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হবে। তখন আমি বলবো , হে আল্লাহ ! এরা তো আমার সাহাবী ! তিনি বলবেনঃ তোমার পরে এরা কী বিদআতী কাজ করেছে, তা তুমি জানো না। [৩০৫৭]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৫৭] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী যাফির বিন সুলায়মান সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না, তার দুর্বলতার সাথে তার থেকে হাদিস লিখা যায়। আবুল হাসান ইবনুল মুদানী বলেন, আমি তার হাদিস বর্জন করেছি। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৯৪৭, ৯/২৬৭ নং পৃষ্ঠা) ২. আবু সিনান সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী ও সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাদিসের ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য নয়। আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী ও ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। মুহাম্মাদ বিন আম্মার বলেন, তিনি সিকাহ। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২২৯৪, ১০/৪৯২ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৫৮

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ الْغَازِ، قَالَ سَمِعْتُ نَافِعًا، يُحَدِّثُ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَقَفَ يَوْمَ النَّحْرِ بَيْنَ الْجَمَرَاتِ فِي الْحَجَّةِ الَّتِي حَجَّ فِيهَا فَقَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ أَىُّ يَوْمٍ هَذَا ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا يَوْمُ النَّحْرِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَأَىُّ بَلَدٍ هَذَا ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا هَذَا بَلَدُ اللَّهِ الْحَرَامُ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَأَىُّ شَهْرٍ هَذَا ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا شَهْرُ اللَّهِ الْحَرَامُ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ هَذَا يَوْمُ الْحَجِّ الأَكْبَرِ وَدِمَاؤُكُمْ وَأَمْوَالُكُمْ وَأَعْرَاضُكُمْ عَلَيْكُمْ حَرَامٌ كَحُرْمَةِ هَذَا الْبَلَدِ فِي هَذَا الشَّهْرِ فِي هَذَا الْيَوْمِ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ هَلْ بَلَّغْتُ ‏”‏ ‏.‏ قَالُوا نَعَمْ ‏.‏ فَطَفِقَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏”‏ اللَّهُمَّ اشْهَدْ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ وَدَّعَ النَّاسَ فَقَالُوا هَذِهِ حَجَّةُ الْوَدَاعِ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে বছর হজ্জ করেন, সেই বছর কোরবানির দিন জামরাসমূহের মধ্যস্থলে দাঁড়ালেন এবং জিজ্ঞাসা করলেনঃ আজ কোন দিন? সাহাবীগণ বললেন, কোরবানীর দিন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ এটা কোন শহর? তারা বললেন, এটা আল্লাহর সন্মানিত শহর। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, এটি কোন মাস? তারা বললেন, আল্লাহর সন্মানিত মাস। তিনি বললেনঃ এটি হজ্জের বড় দিন। তোমাদের রক্ত , তোমাদের সম্পদ ও তোমাদের মান-সম্ভ্রম ( প্রভৃতির উপর হস্তক্ষেপ ) তোমাদের জন্য হারাম , যেমন এই শহরের হুরমাত ( সন্মান) এই মাসে এবং এই দিনে। তিনি পুনরায় বলেনঃ আমি কি পৌছে দিয়েছি? তারা বলেন, হ্যাঁ। তখন তিনি বলতে শুরু করলেনঃ হে আল্লাহ! সাক্ষী থাকুন। অতঃপর তিনি লোকেদের বিদায় দেন। তখন তারা বলেন, এটা বিদায় হজ্জ। [৩০৫৮]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৫৮] আবূ দাউদ ১৯৪৫, সহীহ আবু দাউদ ১৭০০। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/৭৭. অধ্যায়ঃ

বাইতুল্লাহ যিয়ারত

৩০৫৯

حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ أَبُو بِشْرٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ طَارِقٍ، عَنْ طَاوُسٍ، وَأَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، وَابْنِ، عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَخَّرَ طَوَافَ الزِّيَارَةِ إِلَى اللَّيْلِ ‏.

আয়িশাহ (রাঃ) ও ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাত পর্যন্ত তাওয়াফে যিয়ারত বিলম্ব করেন। [৩০৫৯]

 

তাহকীক আলবানীঃ শায।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৫৯] তিরমিযী ৯২০, আবূ দাউদ ২০০০, আহমাদ ২৬০৭, ২৮১১, ২৫২৭১, ইরওয়া ৪/২৬৪, ২৬৫, যইফ আবু দাউদ ৩৪২। তাহকীক আলবানীঃ শাজ।

হাদিসের মানঃ শায

  •  সরাসরি

৩০৬০

حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَنْبَأَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لَمْ يَرْمُلْ فِي السَّبْعِ الَّذِي أَفَاضَ فِيهِ ‏.‏ قَالَ عَطَاءٌ وَلاَ رَمَلَ فِيهِ ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাওয়াফে যিয়ারতের সাত চক্করে রমল ( বাহু দুলিয়ে বীরত্বপূর্ণ পদক্ষেপ) করেননি। আতা (রহঃ) বলেন, তাওয়াফে যিয়ারতে রমল করতে হয় না। [৩০৬০]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৬০] আবূ দাউদ ২০০১, সহীহ আবু দাউদ ১৭৪৬। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/৭৮. অধ্যায়ঃ

যমযমের পানি পান করা

৩০৬১

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الأَسْوَدِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَ كُنْتُ عِنْدَ ابْنِ عَبَّاسٍ جَالِسًا فَجَاءَهُ رَجُلٌ فَقَالَ مِنْ أَيْنَ جِئْتَ قَالَ مِنْ زَمْزَمَ ‏.‏ قَالَ فَشَرِبْتَ مِنْهَا كَمَا يَنْبَغِي قَالَ وَكَيْفَ قَالَ إِذَا شَرِبْتَ مِنْهَا فَاسْتَقْبِلِ الْكَعْبَةَ وَاذْكُرِ اسْمَ اللَّهِ وَتَنَفَّسْ ثَلاَثًا وَتَضَلَّعْ مِنْهَا فَإِذَا فَرَغْتَ فَاحْمَدِ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ إِنَّ آيَةَ مَا بَيْنَنَا وَبَيْنَ الْمُنَافِقِينَ أَنَّهُمْ لاَ يَتَضَلَّعُونَ مِنْ زَمْزَمَ ‏”‏ ‏.‏

মুহাম্মাদ বিন আবদুর রহমান বিন আবূ বাকর (মাকবুল) থেকে বর্ণিতঃ

আমি ইবনু আব্বাস (রাঃ) এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম। এক ব্যাক্তি তাঁর নিকট এলে তিনি জিজ্ঞেস করনে, তুমি কোথা থেকে এসেছো? সে বললো যমযমের নিকট থেকে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন , তুমি কি তা থেকে প্রয়োজনমত পান করেছ? সে বললো ,তা কিরুপে? তিনি বললেন , তুমি তা থেকে পান করার সময় কিবলামুখী হবে , আল্লাহর নাম স্মরন করবে , তিনবার নিঃশ্বাস নিবে এবং তৃপ্তি সহকারে পান করবে। পানি পান শেষে তুমি মহামহিম আল্লাহর প্রশংসা করবে। কারন , রাসুলাল্লাহ ( (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ) বলেছেনঃ আমাদের ও মুনাফিকদের মধ্যে নিদর্শন এই যে, তারা তৃপ্তি সহকারে যমযমের পানি পান করে না। [৩০৬১]

 

তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৬১] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। ইরওয়া ১১২৫, তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন আবদুর রহমান বিন আবু বাকর সম্পর্কে ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মাকবুল। ইমাম বুখারি তার তারিখুল কাবীর এর মাঝে তার নাম উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, তিনি ইবনু উমার থেকে ও তার থেকে আমর বিন দীনার হাদিস বর্ণনা করেছেন। তার থেকে দুইজন রাবী হাদিস বর্ণনা করেছেন, কিন্তু কেউ তাকে সিকাহ বলেননি। সানাদের বাকী রাবীগুলো সিকাহ। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৩৯১, ২৫/৫৯৩ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৬২

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُؤَمَّلِ إِنَّهُ سَمِعَ أَبَا الزُّبَيْرِ، يَقُولُ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ “‏ مَاءُ زَمْزَمَ لِمَا شُرِبَ لَهُ ‏”‏ ‏.‏

জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি, যমযমের পানি যে উপকার লাভের আশায় পান করা হবে , তা অর্জিত হবে। [৩০৬২]

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৬২] আহমাদ ১৪৪৩৫, ১৪৫৭৮, ইরওয়া ১১২৩। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল্লাহ ইবনুল মুআম্মাল সম্পর্কে আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু জা’ফার আল-উকায়লী বলেন, তার অনেক হাদিস আছে যেগুলোর অনুসরণ করা যাবে না। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি দুর্বল। ইবনু আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি দুর্বল। মুহাম্মাদ বিন আবদুল্লাহ বিন নুমায়র বলেন, তিনি সিকাহ (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৫৫৯, ১৬/১৮৭ নং পৃষ্ঠা)

উক্ত হাদিসটির ৪৮ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, ৮ টি খুবই দুর্বল, ১৯ টি দুর্বল, ৯ টি হাসান, ১২ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ আহমাদ ১৪৪৩৫, ১৪৫৭৮, দারাকুতনী ২৭১৩, মু’জামুল আওসাত ৮৪৯, ৩৮১৫, ৯০২৭, শুআবুল ঈমান ৪১২৭, ৪১২৮।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/৭৯. অধ্যায়ঃ

কা’বা ঘরের অভ্যন্তরভাগে প্রবেশ করা

৩০৬৩

حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، حَدَّثَنِي حَسَّانُ بْنُ عَطِيَّةَ، حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَوْمَ الْفَتْحِ الْكَعْبَةَ وَمَعَهُ بِلاَلٌ وَعُثْمَانُ بْنُ شَيْبَةَ فَأَغْلَقُوهَا عَلَيْهِمْ مِنْ دَاخِلٍ فَلَمَّا خَرَجُوا سَأَلْتُ بِلاَلاً أَيْنَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَأَخْبَرَنِي أَنَّهُ صَلَّى عَلَى وَجْهِهِ حِينَ دَخَلَ بَيْنَ الْعَمُودَيْنِ عَنْ يَمِينِهِ ثُمَّ لُمْتُ نَفْسِي أَنْ لاَ أَكُونَ سَأَلْتُهُ كَمْ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কা বিজয়ের দিন কাবা ঘরে প্রবেশ করেন। তাঁর সাথে ছিলেন বিলাল ও উসমান বিন শায়বাহ (রাঃ)। তাঁরা ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিলেন। তাঁরা বেরিয়ে এলে আমি বিলালাকে জিজ্ঞেস করলাম, রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন স্হানে নামায পড়েছেন? তিনি আমাকে অবহিত করেন যে, তিনি ভিতরে প্রবেশ করে ডান দিকের দু’স্তম্ভের মাঝখানে দাড়িয়ে তার দিকে মুখ করে সলাত আদায় করেন। অতপর আমি নিজেকে তিরস্কার করলাম যে, আমি কেন জিজ্ঞেস করলাম না যে, রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কত রাকাত নামায পরেছেন। [৩০৬৩]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৬৩] সহীহুল বুখারী ৩৯৭, ৪৬৮, ৫০৪, ৫০৫, ৫০৬, ১১৭১, ১৫৯৮, ১৫৯৯, ২৯৮৮, ৪৪০০, মুসলিম ১৩২৯, তিরমিযী ৮৭৪, নাসায়ী ৬৯২, ৭৪৯, ২৯০৫, ২৯০৬, ২৯০৭, ২৯০৮, আবূ দাউদ ২০২৩, আহমাদ ৪৮৭৩, ৫১৫৪, ৫৮৯১, ৫৯৮৩, ৬১৯৫, ২৩৩৭৭, ২৩৩৮৮, ২৩৪০২, মুয়াত্তা মালেক ৯১০,দারেমী ১৮৬৬, সহীহ আবু দাউদ ১৭৬৪-১৭৬৬। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৬৪

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ خَرَجَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مِنْ عِنْدِي وَهُوَ قَرِيرُ الْعَيْنِ طَيِّبُ النَّفْسِ ثُمَّ رَجَعَ إِلَىَّ وَهُوَ حَزِينٌ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ خَرَجْتَ مِنْ عِنْدِي وَأَنْتَ قَرِيرُ الْعَيْنِ وَرَجَعْتَ وَأَنْتَ حَزِينٌ ‏.‏ فَقَالَ ‏ “‏ إِنِّي دَخَلْتُ الْكَعْبَةَ وَوَدِدْتُ أَنِّي لَمْ أَكُنْ فَعَلْتُ إِنِّي أَخَافُ أَنْ أَكُونَ أَتْعَبْتُ أُمَّتِي مِنْ بَعْدِي ‏”‏ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নিকট থেকে আনন্দিত চোখে ও উৎফুল্ল চিত্তে বেরিয়ে গেলেন, কিন্তু বিষণ্ণ অবস্হায় ফিরে এলেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমার নিকট থেকে চক্ষু শীতল অবস্থায় বেরিয়ে গেলেন, অথচ দুশ্চিন্তাযুক্ত অবস্হায় ফিরে এলেন। তিনি বলেনঃ আমি কা’বা ঘরে প্রবেশ করার পর ভাবলাম, আমি যদি এটা না করতাম! আমার আশঙ্কা হচ্ছে যে, আমার উম্মাতের কষ্ট হবে। [৩০৬৪]

 

তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৬৪] তিরমিযী ৮৭৩, আবূ দাউদ ২০২৯, যইফাহ ৩৩৪৬, যইফ আবু দাউদ ৩৪৭, যইফ আল-জামি আস-সাগীর ২০৮৫। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী ইসমাইল বিন আবদুল মালিক সম্পর্কে আবু জা’ফার আল-উকায়লী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তার স্মৃতিশক্তি দুর্বল। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি দুর্বল। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী ও ইবনুল জারুদ বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। আবদুর রহমান বিন মাহদী তার হাদিস বর্জন করেছেন। মুহ্মমাদ বিন আম্মার বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৬৪, ৩/১৪১ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/৮০. অধ্যায়ঃ

মিনার রাতগুলোতে মক্কায় অবস্হান

৩০৬৫

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ اسْتَأْذَنَ الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ يَبِيتَ بِمَكَّةَ أَيَّامَ مِنًى مِنْ أَجْلِ سِقَايَتِهِ فَأَذِنَ لَهُ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আব্বাস বিন আব্দুল মুত্তালিব (রাঃ) মিনার দিনগুলোর রাত মক্কায় কাটানোর জন্য রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট অনুমতি প্রার্থনা করেন। কারন হাজ্জীদের পানি পান করানোর দায়িত্ব তার উপর ন্যস্ত ছিল। তিনি তাকে অনুমতি দিলেন। [৩০৬৫]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৬৫] সহীহুল বুখারী ১৬৩৪, ১৭৪৫, মুসলিম ১৩১৫, আবূ দাউদ ১৯৫৯, আহমাদ ৪৬৭৭, ৪৭১৭, ৪৮১২, ৫৫৮১, দারেমী ১৯৪৩, ইরওয়া ১০৭৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৬৬

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَهَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ لَمْ يُرَخِّصِ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لأَحَدٍ يَبِيتُ بِمَكَّةَ إِلاَّ لِلْعَبَّاسِ مِنْ أَجْلِ السِّقَايَةِ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আব্বাস (রাঃ) ব্যাতীত আর কাউকে মিনার রাতগুলোতে মক্কা অবস্থানের অনুমতি দেননি। কারন তার উপর পানি সরবরাহের দায়িত্ব অর্পিত ছিল। [৩০৬৬]

 

তাহকীক আলবানীঃ সানাদটি দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৬৬] সহীহুল বুখারী ১৬৩৬, আহমাদ ১৮৪৪। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী ইসমাইল বিন মুসলিম সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবু বাকর আল-বাযযার বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, আমরা তার হাদিস দ্বারা দলীল পেশ করি না। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু আলী আল-হাফিয আন-নায়সাবুরী বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৮৩, ৩/১৯৮ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/৮১. অধ্যায়ঃ

মুহাস্‌সাবে যাত্রা বিরতি

৩০৬৭

حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، وَعَبْدَةُ، وَوَكِيعٌ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ ح وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، كُلُّهُمْ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ إِنَّ نُزُولَ الأَبْطَحِ لَيْسَ بِسُنَّةٍ إِنَّمَا نَزَلَهُ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لِيَكُونَ أَسْمَحَ لِخُرُوجِهِ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল-আবতাহ্‌’ নামক স্থানে যাত্রাবিরতি সুন্নাত নয়। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – সেখানে এজন্য যাত্রাবিরতি করেন যাতে মদীনার উদ্দেশ্যে তাঁর রওয়ানা করা সহজ হয়। [৩০৬৭]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৬৭] সহীহুল বুখারী ১৭৬৫, মুসলিম ১৩১১, তিরমিযী ৯২৩, আবূ দাউদ ২০০৮, আহমাদ ২৩৬২৩, ২৫০৪৭, ২৫১৯২, ২৫৩৫৭, ২৫৩৯৫। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৬৮

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ رُزَيْقٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتِ ادَّلَجَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لَيْلَةَ النَّفْرِ مِنَ الْبَطْحَاءِ ادِّلاَجًا ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতের বেলা বাতহা নামক স্থান থেকে মদীনার উদ্দেশে রওনা হন। [৩০৬৮]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৬৮] আহমাদ ২৩৯৭২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী মুআবিয়াহ বিন হিশাম সম্পর্কে আবুল ফারাজ আল-জাওযী বলেন, তার থেকে কেউ হাদিস শ্রবন করেনি তবে যারা হাদিস শ্রবন করেছে তারা তা বর্জন করেছে। আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬০৬৭, ২৮/১২৮ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৬৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ يَنْزِلُونَ بِالأَبْطَحِ ‏.‏

. ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – আবূ বাকর, উমার ও উসমান (রাঃ) বাতহা নামক স্থানে যাত্রাবিরতি করতেন। [৩০৬৯]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৬৯] সহীহুল বুখারী ১৭৬৯, মুসলিম ১৩১০, তিরমিযী ৯২১, আবূ দাউদ ২০১২, ২০১৩, আহমাদ ৪৮০৪, ৫৭২২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/৮২. অধ্যায়ঃ

বিদায়ী তাওয়াফ

৩০৭০

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ النَّاسُ يَنْصَرِفُونَ كُلَّ وَجْهٍ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ لاَ يَنْفِرَنَّ أَحَدٌ حَتَّى يَكُونَ آخِرُ عَهْدِهِ بِالْبَيْتِ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

লোকেরা বিক্ষিপ্তভাবে সব দিকে যাচ্ছিল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ শেষবারের মত বাইতুল্লাহ তাওয়াফ না করা পর্যন্ত কেউ যেন প্রস্থান না করে। [৩০৭০]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৭০] সহীহুল বুখারী ১৭৫৫, মুসলিম ১৩২৭, ১৩২৮, আবূ দাউদ ২০০২, আহমাদ ১৯৩৭, দারেমী ১৯৩২, রাওদুন নাদীর ৫৫৯, সহীহ আবু দাউদ ১৭৪৭। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৭১

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ يَنْفِرَ الرَّجُلُ حَتَّى يَكُونَ آخِرُ عَهْدِهِ بِالْبَيْتِ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

শেষবারের মত বাইতুল্লাহ তাওয়াফ না করা পর্যন্ত কোন ব্যক্তিকে (মক্কা থেকে) প্রস্থান করতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন। [৩০৭১]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৭১] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। রাওদুন নাদীর ৫৫৯, সহীহ আবু দাউদ ১৭৪৭। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ইবরাহীম বিন ইয়াযীদ সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আবুল হাসান ইবনুল কাত্তান তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু বাকর আল-বাযযার বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তার বর্ণিত হাদিস দারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়। আবদুল্লাহ বিন সুলায়মান ইবনুল আশআস বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সহজ-সরল অর্থাৎ তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। আলী ইবনুল জুনায়দ বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি দুর্বল আমি তার থেকে কোন হাদিস বর্ণনা করিনি। মুহাম্মাদ বিন আবদুল্লাহ আল-মাখরামী তার হাদিস বর্জন করেছেন। মুহাম্মাদ বিন আবদুল্লাহ ইবনুল বুরাকী বলেন, তিনি মিথ্যার অভিযোগে অভিযুক্ত। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৬৭, ২/২৪২ নং পৃষ্ঠা)

 

উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু ইবরাহীম বিন ইয়াযীদ এর কারণে সানাদটি খুবই দুর্বল। হাদিসটির ১৬৮ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, ১ টি জাল, ১৩ টি খুবই দুর্বল, ৪৭ টি দুর্বল, ৩৮ টি হাসান, ৬৯ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ১৭৫৪, মুসলিম ১২১১, তিরমিযি ৯৪৪, ৯৪৬, আবু দাউদ ২০০২, ২০০৪, দারিমী ১৯৩২, মুয়াত্তা মালিক ৯৪৬, আহমাদ ১৯৩৭, ৩১৩০, ১০৫০১৪, ১৫০১৫, ১৫০১৬, সহীহ ইবনু খুযাইমাহ ২৮০৮, ২৮০৯, সহীহ ইবনু হিব্বান ৩৮৯৭, ৩৮৯৯, দারাকুতনী ২৬৬৪, ২৭৬০, শারহুস সুন্নাহ ১৯৭১।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/৮৩. অধ্যায়ঃ

ঋতুবতী স্ত্রীলোক বিদায়ী তাওয়াফ না করে প্রস্থান করতে পারে

৩০৭২

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، وَعُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ حَاضَتْ صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَىٍّ بَعْدَمَا أَفَاضَتْ ‏.‏ قَالَتْ عَائِشَةُ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ أَحَابِسَتُنَا هِيَ ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْتُ إِنَّهَا قَدْ أَفَاضَتْ ثُمَّ حَاضَتْ بَعْدَ ذَلِكَ ‏.‏ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ فَلْتَنْفِرْ ‏”‏ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তাওয়াফে ইফাদা করার পর সাফিয়্যা বিনতু হুয়ায় (রাঃ) ঋতুবতী হলেন। আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আমি তা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – কে জানালাম। তিনি বলেন, সে কি আমাদের আটক রাখবে? আমি বললাম, তিনি তাওয়াফে ইফাযা করেছেন, অতঃপর ঋতুবতী হয়েছেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – বললেন তাহলে রওয়ানা হতে পারো। [৩০৭২]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৭২] সহীহুল বুখারী ৩২৮, ১৫৬১, ১৭৩৩, ১৭৫৭, ১৭৬২, ১৭৭২, ৪৪০১, ৫৩২৯, ৬১৫৭, ৭২২৯, মুসলিম ১২১১, তিরমিযী ৯৪৩, নাসায়ী ৩৯১, আবূ দাউদ ২০০৩, আহমাদ ২৩৫৮১, ২৩৫৮৯, ২৪০০৪, ২৪০৩৭, ২৪১৫৩, ২৪৩৮৫, ২৪৭৮১, ২৪৮৯৭, ২৪৯১৪, ২৪৯৯১, ২৫০৭৫, ২৫১৩৪, ২৫১৯৩, ২৫২৪৯, ২৫৩৪৭,২৫৪১৩, ২৫৬২৮, মুয়াত্তা মালেক ৯৪৩, ৯৪৫, দারেমী ৯৪২, ১৯১৭, সহীহ আবু দাউদ ১৭৪৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৭৩

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ ذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ صَفِيَّةَ فَقُلْنَا قَدْ حَاضَتْ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ عَقْرَى حَلْقَى مَا أُرَاهَا إِلاَّ حَابِسَتَنَا ‏”‏ ‏.‏ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهَا قَدْ طَافَتْ يَوْمَ النَّحْرِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَلاَ إِذًا مُرُوهَا فَلْتَنْفِرْ ‏”‏ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাফিয়্যা (রাঃ) সম্পর্কে জানতে চাইলে আমরা বললাম, সে ঋতুবতী হয়েছে। তিনি বলেনঃ বন্ধ্যা, ন্যাড়া, সে তো আমাদের আটকে ফেলেছে। আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! তিনি কোরবানীর দিন তাওয়াফ করেছেন। তিনি বলেনঃ তাহলে অসুবিধা নেই। তোমরা তাকে রওনা হতে বলো। [৩০৭৩]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৭৩] সহীহুল বুখারী ৩২৮, ১৫৬১, ১৭৩৩, ১৭৫৭, ১৭৬২, ১৭৭২, ৪৪০১, ৫৩২৯, ৬১৫৭, ৭২২৯, মুসলিম ১২১১, তিরমিযী ৯৪৩, নাসায়ী ৩৯১, আবূ দাউদ ২০০৩, আহমাদ ২৩৫৮১, ২৩৫৮৯, ২৪০০৪, ২৪০৩৭, ২৪১৫৩, ২৪৩৮৫, ২৪৭৮১, ২৪৮৯৭, ২৪৯১৪, ২৪৯৯১, ২৫০৭৫, ২৫১৩৪, ২৫১৯৩, ২৫২৪৯, ২৫৩৪৭,২৫৪১৩, ২৫৬২৮, মুয়াত্তা মালেক ৯৪৩, ৯৪৫, দারেমী ৯৪২, ১৯১৭, ইরওয়া ৪/২৬১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/৮৪. অধ্যায়ঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)ের হজ্জ

৩০৭৪

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَعِيلَ حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ دَخَلْنَا عَلَى جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ فَلَمَّا انْتَهَيْنَا إِلَيْهِ سَأَلَ عَنْ الْقَوْمِ حَتّٰى انْتَهَى إِلَيَّ فَقُلْتُ أَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ فَأَهْوَى بِيَدِهِ إِلَى رَأْسِي فَحَلَّ زِرِّي الْأَعْلَى ثُمَّ حَلَّ زِرِّي الْأَسْفَلَ ثُمَّ وَضَعَ كَفَّهُ بَيْنَ ثَدْيَيَّ وَأَنَا يَوْمَئِذٍ غُلَامٌ شَابٌّ فَقَالَ مَرْحَبًا بِكَ سَلْ عَمَّا شِئْتَ فَسَأَلْتُهُ وَهُوَ أَعْمَى فَجَاءَ وَقْتُ الصَّلَاةِ فَقَامَ فِي نِسَاجَةٍ مُلْتَحِفًا بِهَا كُلَّمَا وَضَعَهَا عَلَى مَنْكِبَيْهِ رَجَعَ طَرَفَاهَا إِلَيْهِ مِنْ صِغَرِهَا وَرِدَاؤُهُ إِلَى جَانِبِهِ عَلَى الْمِشْجَبِ فَصَلَّى بِنَا فَقُلْتُ أَخْبِرْنَا عَنْ حَجَّةِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ بِيَدِهِ فَعَقَدَ تِسْعًا وَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَكَثَ تِسْعَ سِنِينَ لَمْ يَحُجَّ فَأَذَّنَ فِي النَّاسِ فِي الْعَاشِرَةِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم حَاجٌّ فَقَدِمَ الْمَدِينَةَ بَشَرٌ كَثِيرٌ كُلُّهُمْ يَلْتَمِسُ أَنْ يَأْتَمَّ بِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَيَعْمَلَ بِمِثْلِ عَمَلِهِ فَخَرَجَ وَخَرَجْنَا مَعَهُ فَأَتَيْنَا ذَا الْحُلَيْفَةِ فَوَلَدَتْ أَسْمَاءُ بِنْتُ عُمَيْسٍ مُحَمَّدَ بْنَ أَبِي بَكْرٍ فَأَرْسَلَتْ إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَيْفَ أَصْنَعُ قَالَ اغْتَسِلِي وَاسْتَثْفِرِي بِثَوْبٍ وَأَحْرِمِي فَصَلَّى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْمَسْجِدِ ثُمَّ رَكِبَ الْقَصْوَاءَ حَتّٰى إِذَا اسْتَوَتْ بِهِ نَاقَتُهُ عَلَى الْبَيْدَاءِ قَالَ جَابِرٌ نَظَرْتُ إِلَى مَدِّ بَصَرِي مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ بَيْنَ رَاكِبٍ وَمَاشٍ وَعَنْ يَمِينِهِ مِثْلُ ذَلِكَ وَعَنْ يَسَارِهِ مِثْلُ ذَلِك وَمِنْ خَلْفِهِ مِثْلُ ذَلِكَ وَرَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ أَظْهُرِنَا وَعَلَيْهِ يَنْزِلُ الْقُرْآنُ وَهُوَ يَعْرِفُ تَأْوِيلَهُ مَا عَمِلَ بِهِ مِنْ شَيْءٍ عَمِلْنَا بِهِ فَأَهَلَّ بِالتَّوْحِيدِ لَبَّيْكَ اللّٰهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ وَأَهَلَّ النَّاسُ بِهَذَا الَّذِي يُهِلُّونَ بِهِ فَلَمْ يَرُدَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَلَيْهِمْ شَيْئًا مِنْهُ وَلَزِمَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم تَلْبِيَتَهُ قَالَ جَابِرٌ لَسْنَا نَنْوِي إِلَّا الْحَجَّ لَسْنَا نَعْرِفُ الْعُمْرَةَ حَتّٰى إِذَا أَتَيْنَا الْبَيْتَ مَعَهُ اسْتَلَمَ الرُّكْنَ فَرَمَلَ ثَلَاثًا وَمَشَى أَرْبَعًا ثُمَّ قَامَ إِلَى مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ فَقَالَ { وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى }.

فَجَعَلَ الْمَقَامَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْبَيْتِ فَكَانَ أَبِي يَقُولُ وَلَا أَعْلَمُهُ إِلَّا ذَكَرَهُ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِنَّهُ كَانَ يَقْرَأُ فِي الرَّكْعَتَيْنِ قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ وَ قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ ثُمَّ رَجَعَ إِلَى الْبَيْتِ فَاسْتَلَمَ الرُّكْنَ ثُمَّ خَرَجَ مِنْ الْبَابِ إِلَى الصَّفَا حَتّٰى إِذَا دَنَا مِنْ الصَّفَا قَرَأَ { إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللهِ }.

نَبْدَأُ بِمَا بَدَأَ اللهُ بِهِ فَبَدَأَ بِالصَّفَا فَرَقِيَ عَلَيْهِ حَتّٰى رَأَى الْبَيْتَ فَكَبَّرَ اللهَ وَهَلَّلَهُ وَحَمِدَهُ وَقَالَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ أَنْجَزَ وَعْدَهُ وَنَصَرَ عَبْدَهُ وَهَزَمَ الْأَحْزَابَ وَحْدَهُ ثُمَّ دَعَا بَيْنَ ذَلِكَ وَقَالَ مِثْلَ هَذَا ثَلَاثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ نَزَلَ إِلَى الْمَرْوَةِ فَمَشَى حَتّٰى إِذَا انْصَبَّتْ قَدَمَاهُ رَمَلَ فِي بَطْنِ الْوَادِي حَتّٰى إِذَا صَعِدَتَا يَعْنِي قَدَمَاهُ مَشَى حَتّٰى أَتَى الْمَرْوَةَ فَفَعَلَ عَلَى الْمَرْوَةِ كَمَا فَعَلَ عَلَى الصَّفَا فَلَمَّا كَانَ آخِرُ طَوَافِهِ عَلَى الْمَرْوَةِ قَالَ لَوْ أَنِّي اسْتَقْبَلْتُ مِنْ أَمْرِي مَا اسْتَدْبَرْتُ لَمْ أَسُقْ الْهَدْيَ وَجَعَلْتُهَا عُمْرَةً فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ لَيْسَ مَعَهُ هَدْيٌ فَلْيَحْلِلْ وَلْيَجْعَلْهَا عُمْرَةً فَحَلَّ النَّاسُ كُلُّهُمْ وَقَصَّرُوا إِلَّا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَمَنْ كَانَ مَعَهُ الْهَدْيُ فَقَامَ سُرَاقَةُ بْنُ مَالِكِ بْنِ جُعْشُمٍ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ أَلِعَامِنَا هَذَا أَمْ لِأَبَدِ الْأَبَدِ قَالَ فَشَبَّكَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَصَابِعَهُ فِي الْأُخْرَى وَقَالَ دَخَلَتْ الْعُمْرَةُ فِي الْحَجِّ هَكَذَا مَرَّتَيْنِ لَا بَلْ لِأَبَدِ الْأَبَدِ قَالَ وَقَدِمَ عَلِيٌّ بِبُدْنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَوَجَدَ فَاطِمَةَ مِمَّنْ حَلَّ وَلَبِسَتْ ثِيَابًا صَبِيغًا وَاكْتَحَلَتْ فَأَنْكَرَ ذَلِكَ عَلَيْهَا عَلِيٌّ فَقَالَتْ أَمَرَنِي أَبِي بِهَذَا فَكَانَ عَلِيٌّ يَقُولُ بِالْعِرَاقِ فَذَهَبْتُ إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم مُحَرِّشًا عَلَى فَاطِمَةَ فِي الَّذِي صَنَعَتْهُ مُسْتَفْتِيًا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي الَّذِي ذَكَرَتْ عَنْهُ وَأَنْكَرْتُ ذَلِكَ عَلَيْهَا فَقَالَ صَدَقَتْ صَدَقَتْ مَاذَا قُلْتُ حِينَ فَرَضْتَ الْحَجَّ قَالَ قُلْتُ اللّٰهُمَّ إِنِّي أُهِلُّ بِمَا أَهَلَّ بِهِ رَسُولُكَ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَإِنَّ مَعِي الْهَدْيَ فَلَا تَحِلَّ قَالَ فَكَانَ جَمَاعَةُ الْهَدْيِ الَّذِي جَاءَ بِهِ عَلِيٌّ مِنْ الْيَمَنِ وَالَّذِي أَتَى بِهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ الْمَدِينَةِ مِائَةً ثُمَّ حَلَّ النَّاسُ كُلُّهُمْ وَقَصَّرُوا إِلَّا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَمَنْ كَانَ مَعَهُ هَدْيٌ فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ التَّرْوِيَةِ وَتَوَجَّهُوا إِلَى مِنًى أَهَلُّوا بِالْحَجِّ فَرَكِبَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى بِمِنًى الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ وَالْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ وَالصُّبْحَ ثُمَّ مَكَثَ قَلِيلًا حَتّٰى طَلَعَتْ الشَّمْسُ وَأَمَرَ بِقُبَّةٍ مِنْ شَعَرٍ فَضُرِبَتْ لَهُ بِنَمِرَةَ فَسَارَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَا تَشُكُّ قُرَيْشٌ إِلَّا أَنَّهُ وَاقِفٌ عِنْدَ الْمَشْعَرِ الْحَرَامِ أَوْ الْمُزْدَلِفَةِ كَمَا كَانَتْ قُرَيْشٌ تَصْنَعُ فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَأَجَازَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم حَتّٰى أَتَى عَرَفَةَ فَوَجَدَ الْقُبَّةَ قَدْ ضُرِبَتْ لَهُ بِنَمِرَةَ فَنَزَلَ بِهَا حَتّٰى إِذَا زَاغَتْ الشَّمْسُ أَمَرَ بِالْقَصْوَاءِ فَرُحِلَتْ لَهُ فَرَكِبَ حَتّٰى أَتَى بَطْنَ الْوَادِي فَخَطَبَ النَّاسَ فَقَالَ إِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ عَلَيْكُمْ حَرَامٌ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِي شَهْرِكُمْ هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا أَلَا وَإِنَّ كُلَّ شَيْءٍ مِنْ أَمْرِ الْجَاهِلِيَّةِ مَوْضُوعٌ تَحْتَ قَدَمَيَّ هَاتَيْنِ وَدِمَاءُ الْجَاهِلِيَّةِ مَوْضُوعَةٌ وَأَوَّلُ دَمٍ أَضَعُهُ دَمُ رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ كَانَ مُسْتَرْضِعًا فِي بَنِي سَعْدٍ فَقَتَلَتْهُ هُذَيْلٌ وَرِبَا الْجَاهِلِيَّةِ مَوْضُوعٌ وَأَوَّلُ رِبًا أَضَعُهُ رِبَانَا رِبَا الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَإِنَّهُ مَوْضُوعٌ كُلُّهُ فَاتَّقُوا اللهَ فِي النِّسَاءِ فَإِنَّكُمْ أَخَذْتُمُوهُنَّ بِأَمَانَةِ اللهِ وَاسْتَحْلَلْتُمْ فُرُوجَهُنَّ بِكَلِمَةِ اللهِ وَإِنَّ لَكُمْ عَلَيْهِنَّ أَنْ لَا يُوطِئْنَ فُرُشَكُمْ أَحَدًا تَكْرَهُونَهُ فَإِنْ فَعَلْنَ ذَلِكَ فَاضْرِبُوهُنَّ ضَرْبًا غَيْرَ مُبَرِّحٍ وَلَهُنَّ عَلَيْكُمْ رِزْقُهُنَّ وَكِسْوَتُهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ وَقَدْ تَرَكْتُ فِيكُمْ مَا لَمْ تَضِلُّوا إِنْ اعْتَصَمْتُمْ بِهِ كِتَابَ اللهِ وَأَنْتُمْ مَسْئُولُونَ عَنِّي فَمَا أَنْتُمْ قَائِلُونَ قَالُوا نَشْهَدُ أَنَّكَ قَدْ بَلَّغْتَ وَأَدَّيْتَ وَنَصَحْتَ فَقَالَ بِإِصْبَعِهِ السَّبَابَةِ إِلَى السَّمَاءِ وَيَنْكُبُهَا إِلَى النَّاسِ اللّٰهُمَّ اشْهَدْ اللّٰهُمَّ اشْهَدْ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ أَذَّنَ بِلَالٌ ثُمَّ أَقَامَ فَصَلَّى الظُّهْرَ ثُمَّ أَقَامَ فَصَلَّى الْعَصْرَ وَلَمْ يُصَلِّ بَيْنَهُمَا شَيْئًا ثُمَّ رَكِبَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم حَتّٰى أَتَى الْمَوْقِفَ فَجَعَلَ بَطْنَ نَاقَتِهِ إِلَى الصَّخَرَاتِ وَجَعَلَ حَبْلَ الْمُشَاةِ بَيْنَ يَدَيْهِ وَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ فَلَمْ يَزَلْ وَاقِفًا حَتّٰى غَرَبَتْ الشَّمْسُ وَذَهَبَتْ الصُّفْرَةُ قَلِيلًا حَتّٰى غَابَ الْقُرْصُ وَأَرْدَفَ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ خَلْفَهُ فَدَفَعَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ شَنَقَ الْقَصْوَاءَ بِالزِّمَامِ حَتّٰى إِنَّ رَأْسَهَا لَيُصِيبُ مَوْرِكَ رَحْلِهِ وَيَقُولُ بِيَدِهِ الْيُمْنَى أَيُّهَا النَّاسُ السَّكِينَةَ السَّكِينَةَ» كُلَّمَا أَتَى حَبْلًا مِنْ الْحِبَالِ أَرْخَى لَهَا قَلِيلًا حَتّٰى تَصْعَدَ ثُمَّ أَتَى الْمُزْدَلِفَةَ فَصَلَّى بِهَا الْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ بِأَذَانٍ وَاحِدٍ وَإِقَامَتَيْنِ وَلَمْ يُصَلِّ بَيْنَهُمَا شَيْئًا ثُمَّ اضْطَجَعَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم حَتّٰى طَلَعَ الْفَجْرُ فَصَلَّى الْفَجْرَ حِينَ تَبَيَّنَ لَهُ الصُّبْحُ بِأَذَانٍ وَإِقَامَةٍ ثُمَّ رَكِبَ الْقَصْوَاءَ حَتّٰى أَتَى الْمَشْعَرَ الْحَرَامَ فَرَقِيَ عَلَيْهِ فَحَمِدَ اللهَ وَكَبَّرَهُ وَهَلَّلَهُ فَلَمْ يَزَلْ وَاقِفًا حَتّٰى أَسْفَرَ جِدًّا ثُمَّ دَفَعَ قَبْلَ أَنْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ وَأَرْدَفَ الْفَضْلَ بْنَ الْعَبَّاسِ وَكَانَ رَجُلًا حَسَنَ الشَّعَرِ أَبْيَضَ وَسِيمًا فَلَمَّا دَفَعَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَرَّ الظُّعُنُ يَجْرِينَ فَطَفِقَ يَنْظُرُ إِلَيْهِنَّ فَوَضَعَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَدَهُ مِنْ الشِّقِّ الْآخَرِ فَصَرَفَ الْفَضْلُ وَجْهَهُ مِنْ الشِّقِّ الْآخَرِ يَنْظُرُ حَتّٰى أَتَى مُحَسِّرًا حَرَّكَ قَلِيلًا ثُمَّ سَلَكَ الطَّرِيقَ الْوُسْطَى الَّتِي تُخْرِجُكَ إِلَى الْجَمْرَةِ الْكُبْرَى حَتّٰى أَتَى الْجَمْرَةَ الَّتِي عِنْدَ الشَّجَرَةِ فَرَمَى بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ يُكَبِّرُ مَعَ كُلِّ حَصَاةٍ مِنْهَا مِثْلِ حَصَى الْخَذْفِ وَرَمَى مِنْ بَطْنِ الْوَادِي ثُمَّ انْصَرَفَ إِلَى الْمَنْحَرِ فَنَحَرَ ثَلَاثًا وَسِتِّينَ بَدَنَةً بِيَدِهِ وَأَعْطَى عَلِيًّا فَنَحَرَ مَا غَبَرَ وَأَشْرَكَهُ فِي هَدْيِهِ ثُمَّ أَمَرَ مِنْ كُلِّ بَدَنَةٍ بِبَضْعَةٍ فَجُعِلَتْ فِي قِدْرٍ فَطُبِخَتْ فَأَكَلَا مِنْ لَحْمِهَا وَشَرِبَا مِنْ مَرَقِهَا ثُمَّ أَفَاضَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْبَيْتِ فَصَلَّى بِمَكَّةَ الظُّهْرَ فَأَتَى بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ وَهُمْ يَسْقُونَ عَلَى زَمْزَمَ فَقَالَ انْزَعُوا بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ لَوْلَا أَنْ يَغْلِبَكُمْ النَّاسُ عَلَى سِقَايَتِكُمْ لَنَزَعْتُ مَعَكُمْ فَنَاوَلُوهُ دَلْوًا فَشَرِبَ مِنْهُ

মুহাম্মাদ বিন আলী বিন হুসায়ন বিন আলী বিন আবূ তালিব থেকে বর্ণিতঃ

আমরা জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) এর নিকট গেলাম। আমরা তার নিকট উপস্থিত হলে তিনি সাক্ষাতপ্রার্থীদের পরিচয় জানতে চান। আমার পরিচয় জিজ্ঞেস করলে আমি বলি যে, আমি ইবনুল হুসাইনের পুত্র মুহাম্মাদ। অতএব তিনি (স্নেহভরে) আমার দিকে তার হাত বাড়ালেন এবং তা আমার মাথার উপর রাখলেন। তিনি প্রথমে আমার পরিচ্ছদের উপর দিকের বোতাম, অতঃপর নিচের বোতাম খুললেন, অতঃপর তার হাত আমার বুকের উপর রাখলেন। আমি তখন উঠতি বয়সের যুবক। তিনি বলেন, তোমাকে মোবারকবাদ জানাই। তুমি যা জানতে চাও জিজ্ঞেস করো। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, এ সময় তিনি (বাধ্যর্কজনিত কারণে) দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছিলেন। ইতোমধ্যে সলাতের ওয়াক্ত হলো। তিনি নিজেকে একটি চাদরে আবৃত করে উঠে দাঁড়ালেন। তিনি যখনই চাদরের প্রান্তভাগ নিজের কাঁধের উপর রাখতেন, তা (আকারে) ছোট হওয়ার কারণে নিচে পড়ে যেতো। তার আরেকটি বড় চাদর তার পাশেই আলনায় রাখা ছিল। তিনি আমাদের নিয়ে সলাত আদায় করলেন। অতঃপর আমি বললাম, আপনি আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর (বিদায়) হাজ্জ্ সম্পর্কে অবহিত করুন। জাবির (রাঃ) স্বহস্তে (৯) সংখ্যার প্রতি ইংগিত করে বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নয় বছর (মদীনায়) অবস্থান করেন এবং (এ সময়কালের মধ্যে) হজ্জ করেননি। অতঃপর ১০ম বর্ষে লোকেরদের মধ্যে ঘোষণা করালেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (এ বছর) হজ্জে যাবেন। সুতরাং মদীনায় অসংখ্য লোকের সমাগম হলো। তাদের প্রত্যেকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর অনুসরণ করতে এবং তাঁর অনুরূপ আমল করতে আগ্রহী। অতএবং তিনি রওয়ানা হলেন এবং আমরাও তাঁর সাথে রওয়ানা হলাম। আমরা যুল-হুলাইফা নামক স্থানে পৌঁছলে আসমা বিনতু উমাইস (রাঃ) মুহাম্মাদ বিন আবূ বাকরকে প্রসব করলেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট লোক পাঠিয়ে জানতে চাইলেন, এমন অবস্থায় আমি কী করবো? তিনি বলেনঃ তুমি গোসল করো, এক খণ্ড কাপড় দিয়ে পট্টি বাঁধো এবং ইহরামের পোশাক পরিধান করো।

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – মসজিদে (ইহরামের দু’রাক’আত) সলাত আদায় করলেন, অতঃপর ‘কাসওয়া’ নামক উষ্ট্রীতে আরোহণ করলেন। অবশেষে ‘বায়দা’ নামক স্থানে তাঁর উষ্ট্রী যখন তাঁকে নিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়ালো, তখন আমি (জাবির) সামনের দিকে যতদূর দৃষ্টিযায় তাকিয়ে দেখলাম, লোকে লোকারণ্য, কতক সওয়ারীতে এবং কতক পদব্রজে অগ্রসর হচ্ছে। ডান দিকে, বাঁ দিকে এবং পেছনেও একই দৃশ্য। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের মাঝখানে ছিলেন এবং তাঁর উপর কুরআন নাযিল হচ্ছিল। একমাত্র তিনিই এর আসল তাৎপর্য জানেন এবং তিনি যা করতেন আমরাও তাই করতাম। তিনি আল্লাহর তাওহীদ সম্বলিত এই তালবিয়া পাঠ করলেনঃ লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইকা লাব্বাইকা লা শারীকা লাকা লাব্বাইকা ইন্নাল-হামদা ওয়ান-নিয়’মাতা লাকা ওয়াল-মুলকা লা শারীকা লাকা” (আমি তোমার দরবারে হাজির আছি যে আল্লাহ, আমি তোমার দরবারে হাজির, আমি তোমার দরবারে হাজির। তোমার কোন শরীক নাই, আমি তোমার দরবারে উপস্থিত। নিশ্চিত সমস্ত প্রশংসা, সমস্ত নিয়ামত তোমারই এবং রাজত্বও, তোমার কোন শরীক নাই)।

লোকেরাও উপরোক্ত তালবিয়া পাঠ করলো যা (আজকাল) পাঠ করা হয়। লোকেরা তাঁর তালবিয়ার সাথে কিছু শব্দ বাড়িয়ে বলেন, কিন্তু তিনি তাদের বাধা দেননি। আর রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপরোক্ত তালবিয়াই পাঠ করেন।

জাবির (রাঃ) বলেন, আমরা হজ্জ ছাড়া অন্য কিছুর নিয়াত করিনি, আমরা উমরার কথা জানতাম না। অবশেষ আমরা তাঁর সাথে বাইতুল্লাহ শরীফে পৌঁছলে তিনি রুকন (হাজরে আসওয়াদ) চুম্বন করলেন, অতঃপর (সাতবর কাবা ঘর) তাওয়াফ করলেন, (প্রথম) তিনবার দ্রুত গতিতে এবং চারবার স্বাভাবিক গতিতে। অতঃপর তিনি মাকামে ইবরাহীমে পৌঁছে তিলাওয়াত করলেনঃ “তোমরা ইবরাহীমের দাঁড়াবার স্থানকে সলাতের স্থানরূপে গ্রহণ করো” (সূরা বাকারাঃ ১২৫)

তিনি মাকামে ইবরাহীমকে তাঁর ও বাইতুল্লাহর মাঝখানে রেখে (দুই রাক’আত সলাত আদায় করলেন)। (জা’ফর বলেন) আমার পিতা (মুহাম্মাদ) বলতেন, আমি যতদূর জানি, তিনি (জাবির) বরং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেছেনঃ তিনি দু’ রাক্‌আত নামাযে সূরা কাফিরূন ও সূরা ইখলাস পড়েছেন।

অতঃপর মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বাইতুল্লাহ ফিরে এলেন এবং হাজরে আসওয়াদে চুমা দিলেন। অতঃপর তিনি দরজা দিয়ে সাফা পাহাড়ের দিকে বের হলেন এবং সাফার নিকটবর্তী হয়ে তিলাওয়াত করলেনঃ “নিশ্চয় সাফা ও মারওয়া পাহাড়দ্বয় আল্লাহর নিদর্শন সমূহের অন্যতম” (সূরা বাকারাঃ ১৫৮) এবং (আরও বললেন) আল্লাহ তা’আলা যা দিয়ে আরম্ভ করেছেন আমরাও তা দিয়ে আরম্ভ করবো। অতএব তিনি সাফা পাহাড় থেকে শুরু করলে এবং তার এতোটা উপরে আরোহন করলেন যে, বাইতুল্লাহ শরীফ দেখতে পেলেন। তিনি (কিবলামুখী হয়ে) আল্লাহর একত্ব ও মহত্ব ঘোষণা করলেন এবং এ দুআ’ পড়েন : “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্‌দাহু লা শারীকা লাহু লাহুল-মুলক ওয়া লাহুল-হামদু ইউহ্‌যী ওয়া ইউমীতু ওয়া হুওয়া আলা কুল্লি শাইয়েন কাদীর। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্‌দাহু লা-শারীকা লাহু আনজাযা ওয়াদাহু ওয়অ নাসারা আবদাহু ওয়আ হাযামাল আহযাবা ওয়াহ্‌দাহু” (আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নাই, তাঁর জন্য রাজত্ব এবং তাঁর জন্য সমস্ত প্রশংসা, তিনি প্রতিটি জিনিসের উপর শক্তিমান। আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই, তিনি এক, তিনি নিজের প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছেন, নিজের বান্দাকে সাহায্য করেছেন এবং একাই সমস্ত সম্মিলিত শক্তিকে পরাভূত করেছেন)।

তিনি এ দুআ’ তিনবার পড়লেন এবং মাঝখানে অনুরূপ আরো কিছু দুআ’ পড়লেন। অতঃপর তিনি নেমে মারওয়া পাহাড়ের দিকে অ্গ্রসর হলেন, যাবত না তাঁর পা মোবারক উপত্যকার সমতল ভূমিতে গিয়ে ঠেকলো। তিনি দৌড়ে চললেন যাবত না উপত্যকার মধ্যভাগ অতিক্রম করলে। মারওয়া পাহাড়ে উঠার সময় হেঁটে উঠলেন, অতঃপর এখানেও তাই করলেন, যা তিনি সাফা পাহাড়ে করেছিলেন। শেষ তাওয়াফে তিনি মারওয়া পাহাড়ে পৌঁছে (লোকেদের সম্বোধন করে) বললেনঃ যদি আমি আগে বুঝতে পারতাম যে, আমার কী করা উচিত তাহলে আমি সাথে করে কোরবানীর পশু আনতাম না এবং (হজ্জের) ইহরামকে উমরায় পরিবর্তিত করতাম। অতএব তোমাদের মধ্যে যার সাথে কোরবানীর পশু নাই, সে যেন ইহরাম খুলে ফেলে এবং একে উমরায় পরিণত করে। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং যাদের সাথে কোরবানীর পশু ছিল তারা ব্যতীত সকলেই ইহরাম খুলে ফেলেন এবং চুল ছোট করলেন। এ সময় সুরাকা বিন মালিক বিন জুশুম (রাঃ) দাঁড়িয়ে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! এ ব্যবস্থা কি আমাদের এ বছরের জন্য, না সর্বকালের জন্য? রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজ হাতের আংগুলগুলো পরস্পরের ফাঁকে ঢুকিয়ে দু’বার বললেনঃ উমরা হজ্জের মধ্যে প্রবেশ করলো, না, বরং সর্বকালের জন্য।

এ সময় আলী (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর জন্য কোরবানীর পশু নিয়ে এলেন এবং যারা ইহরাম খুলে ফেলেছে, ফাতিমা (রাঃ) কেও তাদের অন্তুর্ভুক্ত দেখতে পেলেন। তিনি রঙ্গীন কাপড় পরিহিত ছিলেন এবং চোখে সুরমা দিয়েছিলেন। আলী (রাঃ) তা অপছন্দ করলেন। ফাতিমা (রাঃ) বললেন, আমার পিতা আমাকে এরূপ করার নির্দেশ দিয়েছেন। (রাবী বলেন) এরপর আলী (রাঃ) ইরাকে অবস্থানকালে বলতেন, তখন আমি রাসূলুল্লহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট উপস্থিত হলাম ফাতিমার উপর অসন্তুষ্ট অবস্থায়, সে যা করেছে সে সম্পর্কে মাসআলা জানার জন্য। আমি তাঁকে বললাম যে, আমি তার এ কাজ অপছন্দ করেছি। রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ফাতিমা ঠিকই করেছে, ঠিকই বলেছে! তুমি হজ্জের ইহরাম বাঁধার সময় কী বলেছিলে? আলী (রাঃ) বলেন, আমি বলেছিলাম, হে আল্লাহ! আমি ইহরাম বাঁধলাম যে নিয়াতে ইহরাম বেঁধেছেন আপনার রাসূল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমার সাথে কোরবানীর পশু আছে, অতএব তুমি (আলী) ইহরাম খুলো না।

জাবির (রাঃ) বলেন, ‘আলী (রাঃ) ইয়ামেন থেকে যে পশুপাল নিয়ে আসেন এবং নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজের সাথে করে যে পশুগুলো নিয়ে এসেছিলেন এর সর্বমোট সংখ্যা দাঁড়ায় একশত। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং যাদের সাথে কোরবানীর পশু ছিল তারা ব্যতীত আর সকলেই ইহরাম খুলে ফেলেন এবং চুল ছোট করে। অতঃপর তারবিয়ার দিন (৮ যিলহজ্জ) শুরু হলে লোকেরা পুনরায় ইহরাম বাঁধলো এবং মিনার দিকে রওয়ানা হলো। আর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সওয়ার হয়ে গেলেন এবং তথায় যোহর, আসর, মাগরিব, এশা ও ফজরের সলাত আদায় করলেন। অতঃপর তিনি সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত তথায় কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলেন এবং তাঁর জন্য নামিরা নামক স্থানে গিয়ে তাঁবু টানানোর জন্য নির্দেশ দিলেন, অতঃপর নিজেও রওয়ানা হয়ে গেলেন।

কুরাইশগণ নিশ্চিত ছিল যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাশআরুল হারাম নামক স্থানে অবস্থান করবেন, যেমন কুরাইশগণ জাহিলী যুগে এখানে অবস্থান করতো (মানহানি হওয়ার আশঙ্কায় তারা সাধারনের সাথে একত্রে আরাফাতে অবস্থান করতো না)। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সামনে অগ্রসর হতে থাকলেন যাবত না আরাফাতে পৌঁছলেন। তিনি দেখতে পেলেন, নামিরায় তাঁর জন্য তাঁবু খাটানো হয়েছে। তিনি এখানে অবতরণ করলেন।

অবমেষ সূর্য (পশ্চিমাকাশে) ঢলে পড়লে তিনি তাঁর কাসওয়া নামক উষ্ট্রী সাজানোর জন্য নির্দেশ দিলে তা সাজানো হলো। অতঃপর তিনি উপত্যকার মাঝখানে আসেন এবং লোকেদের উদ্দেশে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেনঃ

“তোমাদের জীবন ও সম্পদ তোমাদের পরস্পরের জন্য হারাম, যেভাবে এই দিনে, এই মাসে এবং এই শহরে হারাম”।

“সাবধান! জাহিলী যুগের সকল জিনিস (অপ-সংষ্কৃতি) রহিত হলো। আমাদের (বংশের) রক্তের দাবির মধ্যে সর্বপ্রথম আমি রবীআ ইবনুল হারিসের রক্তের দাবি রহিত করলাম”। সে সাদ গোত্রে শিশু অবস্থায় লালিত-পালিত হওয়াকালীন হুযাইল গোত্রের লোকেরা তাকে হত্যা করেছিল।

“জাহিলী যুগের সূদও রহিত করা হলো। আমাদের বংশের প্রাপ্য সূদের মধ্যে সর্ব প্রথম আমি আবদুল মুত্তালিবের পুত্র আব্বাস (রাঃ) -র প্রাপ্য সমুদয় সূদ রহিত করলাম”।

“তোমরা স্ত্রীলোকদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করবে। তোমরা তাদেরকে আল্লাহর জামানতে গ্রহণ করেছো এবং আল্লাহর কালামের মাধ্যমে তাদের লজ্জাস্থান নিজেদের জন্য হালাল করেছো। তাদের উপর তোমাদের অধিকার এই যে, তারা যেন তোমাদের অন্দর মহলে এমন কোন লোককে যেতে না দেয় যাকে তোমরা অপছন্দ করো। যদি তারা অনুরূপ কাজ করে তবে তাদেরকে হাল্কাভাবে মারপিট করবে। আর তোমাদের উপর তাদের অধিকার এই যে, তোমরা ন্যয়সঙ্গতভাবে তাদের পোশাক ও ভরণপোষণের ব্যবস্থা করবে”।

“আমি তোমাদের মাঝে এমন এক জিনিস রেখে যাচ্ছি যা দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরে থাকলে তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না। তা হচ্ছে আল্লাহর কিতাব”।

“তোমাদেরকে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে, তখন তোমরা কী বলবে? উপস্থিত জনতা বললো, আমরা সাক্ষ্য দিবো যে, আপনি (আল্লাহর বাণী) পৌঁছে দিয়েছেন, আপনার কর্তব্য পালন করেছেন এবং সদুপদেশ দিয়েছেন”। অতঃপর তিনি নিজের তর্জনী (শাহাদাত আঙ্গুল) আকাশের দিকে উত্তোলন করেন এবং জনতার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেনঃ হে আল্লাহ! আপনি সাক্ষী থাকুন, হে আল্লাহ, আপনি সাক্ষী থাকুন (তিনবার)

অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাসওয়ার উপর সওয়ার হয়ে আল মাওকিফ (অবস্থানস্থল) এ এলেন, নিজের কাসওয়া নামক উষ্ট্রীর পেট পাথরের স্তুপের দিকে করে দিলেন এবং পায়ে হাঁটার পথ নিজের সামনে রেখে কিবলামুখী হয়ে দাঁড়ালেন। সূর্য গোলক সম্পূর্ণ অদৃশ্য হয়ে গেল। তিনি উসামা (রাঃ) -কে তাঁর বাহনের পেছন দিকে বসালেন এবং কাসওয়ার নাসারন্ধ্রের দড়ি সজোরে টান দিলেন, ফলে এর মাথা জিনপোষ স্পর্শ করলো (এবং তা অগ্রযাত্রা শুরু করলো)। তিনি তাঁর ডান হাতের ইশারায় বলেনঃ “হে জনমণ্ডলী! শান্তভাবে, শান্তভাবে (ধীরে সুস্থে মধ্যম গতিতে) অগ্রসর হও”। তখনই তিনি বালুর স্তূপের নিকট পৌঁছতেন, কাসওয়ার নাসারন্ধ্রের দড়ি কিছুটা ঢিল দিতেন, যাতে তা উপর দিকে উঠতে পারে।

এভাবে তিনি মুযদালিফায় পৌঁছলেন এবং এখানে এক আযানে ও দু’ ইকামতে মাগরিব ও ইশার সলাত আদায় করলেন। এই দু’ সলাতের মাঝখানে অন্য কোন সলাত আদায় করেননি। অতপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শুয়ে ঘুমালেন যাবত না ফজরের ওয়াক্ত হলো। অতঃপর ঊষা পরিস্কার হয়ে গেলে তিনি আযান ও ইকামাতসহ ফজরের সলাত আদায় করলেন। অতঃপর কাসওয়ার পিঠে আরোহন করে ‘মাশআরুল-হারাম’ নামক স্থানে আসেন। এখানে তিনি (কিবলামুখী হয়ে) আল্লাহর প্রশংসা করলেন, তাঁর মহত্ব বর্ণনা করলেন, কলেমা তাওহীদ পড়লেন এবং তাঁর একত্ব ঘোষণা করলেন। আকাশ যথেষ্ট পরিস্কার না হওয়া পর্যন্ত তিনি দাঁড়িয়ে এরূপ করতে থাকলেন। সূর্য উদয়ের পূর্বে তিনি আবার রওয়ানা হলেন এবং ফাযল বিন আব্বাসকে সওয়ারীতে তাঁর পিছনে বসালেন।

সে ছিল সুদর্শন যুবক এং তার মাথার চুল ছিল অত্যন্ত সুন্দর। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন অগ্রসর হলেন তখন (পাশাপাশি) একদল মহিলাও যাচ্ছিল। ফাযল তাদের দিকে তাকাতে লাগলো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজের হাত অন্যদিক থেকে ফাযলের চেহারার উপর রাখলেন। সে আবার অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে দেখতে লাগলো। এভাবে তিনি ‘বাতনে মুহাসসির’ নামক স্থানে পৌঁছলেন এবং সাওয়ারীর গতি কিছুটা দ্রুততর করলে। তিনি মধ্যপথ দিয়ে অগ্রসর হলেন যা জামরাতুল কুবরায় গিয়ে পৌঁছেছে। তিনি বৃক্ষের নিকটের জামরায় এলেন এবং নিচের খালি জায়গায় দাঁড়িয়ে এখানে সাতটি কাঁকর নিক্ষেপ করলে এবং নিজ হাতে তেষট্টিটি পশু যবেহ করলেন। অতঃপর যে কয়টি অবশিষ্ট ছিল তা আলী (রাঃ) কে যবেহ করতে বললেন এবং তিনি তা কোরবানী করলেন। তিনি নিজ পশুতে ‘আলীকেও শরীক করলেন। অতঃপর তিনি প্রতিটি পশুর কিছু অংশ নিয়ে একত্রে রান্না করার নির্দেশ দিলে। অতএব তাই করা হলো। তাঁরা উভয়ে এই গোশত থেকে আহার করলেন এবং ঝোল পান করলেন।

অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সওয়ার হয়ে বাইতুল্লাহর দিকে রওয়ানা হলেন এবং মক্বায় পৌঁছে যোহরের সলাত আদায় করলেন। অতঃপর তিনি (নিজ গোত্র) বনূ আবদুল মুত্তালিবে এলেন। তারা লোকেদের যমযমের পানি পান করাচ্ছিল। তিনি বললেনঃ হে আবদুল্ মুত্তালিবের বংশধর! পানি তোলো। আমি যদি আশঙ্কা না করতাম যে, পানি পান করানোর ব্যাপারে লোকেরা তোমাদের পরাভূত করবে, তাহলে আমি নিজেও তোমাদের সাথে পানি তুলতাম। তারা তাঁকে এক বালতি পানি দিলো এবং তিনি তা থেকে কিছু পান করলেন। [৩০৭৪]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৭৪] বুখারী ১৫৫৭, ১৫৬৮, ১৫৭০, ১৬৫১, ১৭৮৫, ২৫০৬, ৪৩৫২, ৭২৩০, ৭৩৬৭, মুসলীম ১২১৩, ১২১৫, ১২১৬/১-৫, ১২১৮/১-৩, ১২৬৩/১-২, ১২৭৩, ১২৭৯, ১২৯৯, তিরমিযি ৮১৭, ৮৫৬-৫৭, ৮৬২, ৮৬৯, ৮৮৬, ৮৯৭, ৯৪৭, ২৯৬৭, ৩৭৮৬, নাসাঈ ২১৪, ২৯১, ৩৯২, ৪২৯, ৬০৪, ২৭১২, ২৭৪০, ২৭৪৩-৪৪, ২৭৫৬, ২৭৬১-৬৩, ২৭৯৮, ২৮০৫, ২৮৭২, ২৯৩৯, ২৯৪৪, ২৯৬১, ২৯৬২-৬৩, ২৯৬৯-৭৫, ২৯৮১-৮৫, ২৯৯৪, ৩০২১-২২, ৩০৫৩-৫৪, ৩০৭৪-৭৬, ৪১১৯, আবু দাউদ ১৭৮৫, ১৭৮৭-৮৯, ১৮১২, ১৮৮০, ১৮৯৫, ১৯০৫-৭, ১৯৪৪, ৩৯৬৯, আহমাদ ১৩৭০২, ১৩৮০১, ১৩৮২৬, ১৩৮৬৭, ১৪০০৯, ১৪০৩১, ১৪১৬১, ১৪২৫০, ১৪৪৮৪, ১৪৫২৫, ১৪৫৮৯, ১৪৬২১, ১৪৬৬৭, ১৪৭৩৫, ১৪৮২১, ১৪৮৫১, মুয়াত্তা মালিক ৮১৬, ৮৩৫-৩৬, ৮৪০, দারিমী ১৮০৫, ১৮৪০, ১৮৫০, ১৮৯৯, ইরওয়া ১১২০, সহীহ আবু দাউদ ১৬৬৩। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৭৫

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ الْعَبْدِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَاطِبٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لِلْحَجِّ عَلَى أَنْوَاعٍ ثَلاَثَةٍ فَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِحَجٍّ وَعُمْرَةٍ مَعًا وَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِحَجٍّ مُفْرَدٍ وَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ مُفْرَدَةٍ ‏.‏ فَمَنْ كَانَ أَهَلَّ بِحَجٍّ وَعُمْرَةٍ مَعًا لَمْ يَحْلِلْ مِنْ شَىْءٍ مِمَّا حَرُمَ مِنْهُ حَتَّى يَقْضِيَ مَنَاسِكَ الْحَجِّ وَمَنْ أَهَلَّ بِالْحَجِّ مُفْرَدًا لَمْ يَحْلِلْ مِنْ شَىْءٍ مِمَّا حَرُمَ مِنْهُ حَتَّى يَقْضِيَ مَنَاسِكَ الْحَجِّ وَمَنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ مُفْرَدَةٍ فَطَافَ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ حَلَّ مَا حَرُمَ مِنْهُ حَتَّى يَسْتَقْبِلَ حَجًّا ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা রাসূলু্ল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাথে তিন পর্যায়ে বিভক্ত হয়ে হজ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। আমাদের কতক একসাথে হজ্জ ও উমরার ইহরাম বাঁধে কতক শুধু বেঁধেছিল তাদের জন্য হজ্জের অনুষ্ঠানাদি শেষ না করা পর্যন্ত (ইহরামের ফলে) কোন (সাময়িক) নিষিদ্ধ জিনিস হালাল হয়নি। অনুরূপ যারা শুধুমাত্র হজ্জের ইহরাম বেঁধেছিল তাদের জন্যও হজ্জের অনুষ্ঠানাদি শেষ না করা পর্যন্ত (ইহরামের ফলে) কোন (সাময়িক) নিষিদ্ধ জিনিস হালাল হয়নি। আর যারা শুধু উমরার ইহরাম বেঁধেছিল, তাদের জন্য বাইতুল্লাহ তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার মাঝখানে সাঈ করার পর (ইহরামের কারণে) যা কিছু হারাম ছিল তা হালাল হয়ে গেল, হাজের ইহরাম বাঁধার পূর্ব পর্যন্ত [৩০৭৫]

 

তাহকীক আলবানীঃ সানাদটি হাসান।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৭৫] সহীহুল বুখারী ২৯৪, ৩০৫, ৩১৬, ৩১৭, ৩১৯, ১৫১৮, ১৫৫৬, ১৫৬০, ১৫৬১, ১৫৬২, ১৬৩৮, ১৬৪৩, ১৬৫০, ১৭০৯, ১৭২০, ১৭৬২, ১৭৮৩, ১৭৮৬, ১৭৮৭, ১৭৮৮, ২৩১৭, ২৯৫২, ২৯৮৪, ৪৩৯৫, ৪৪০৮, ৫৫৪৮, ৫৫৫৯, ৭২২৯, ১২১১, ১২১২, ১২২৮, ১২৭৭, তিরমিযী ৯৩৪, ৯৪৫, ২৯৬৫, নাসায়ী ২৪২, ২৯০, ২৪৮, ২৬৫০, ২৭১৭, ২৭১৮, ২৭৪১, ২৭৬৩, ২৭৬৪, ২৮০৩, ২৮০৪, ২৯৯০, ২৯৯১, আবূ দাউদ ৭৫০, ১৭৭৮, ১৭৭৯, ১৭৮১, ১৭৮২, আহমাদ ২৩৫৫৬, ২৩৫৭৩, ২৩৫৮৯, ২৪০৪৪, ২৪৩৫৫, ২৪৩৮৫, ২৪৭৭৯, ২৪৭৮৮, ২৪৯১৩, ২৫০৫০, ২৫৩১০, ২৫৫৩৪, ২৫৫৫৪, ২৭৬৫৪, ২৫৮১২, মুয়াত্তা মালেক ৭৪৬, ৮৯৬, ৯৪০, ৯৪১, দারেমী ১৪৬, ১৯০৪। তাহকীক আলবানীঃ হাসান।

উক্ত হাদিসের রাবী আবু আমর বিন মুহাম্মাদ বিন আমর বিন হুরায়স সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ তবে ইমাম যাহাবী বলেন, তার পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইবরাহীম বিন ইয়াকুব আল-জাওযুজানী বলেন, তিনি হাদিসের ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। ইমাম দারাকুতনী তাকে দুর্বল বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫১৩, ২৬/২১২ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৭৬

حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَبَّادٍ الْمُهَلَّبِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ حَجَّ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ثَلاَثَ حَجَّاتٍ حِجَّتَيْنِ قَبْلَ أَنْ يُهَاجِرَ وَحَجَّةً بَعْدَ مَا هَاجَرَ مِنَ الْمَدِينَةِ وَقَرَنَ مَعَ حَجَّتِهِ عُمْرَةً وَاجْتَمَعَ مَا جَاءَ بِهِ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَمَا جَاءَ بِهِ عَلِيٌّ مِائَةَ بَدَنَةٍ مِنْهَا جَمَلٌ لأَبِي جَهْلٍ فِي أَنْفِهِ بُرَةٌ مِنْ فِضَّةٍ فَنَحَرَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِيَدِهِ ثَلاَثًا وَسِتِّينَ وَنَحَرَ عَلِيٌّ مَا غَبَرَ ‏.‏ قِيلَ لَهُ مَنْ ذَكَرَهُ قَالَ جَعْفَرٌ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَابِرٍ وَابْنُ أَبِي لَيْلَى عَنِ الْحَكَمِ عَنْ مِقْسَمٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏

সুফিয়ান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিনবার হজ্জ করেছেনঃ হিজরতের পূর্বে দু’বার এবং হিজরতের পর মদীনা থেকে একবার (যা বিদায় হজ্জ নামে প্রসিদ্ধ)। শেষোক্তটি তিনি কিরান হজ্জ করেছেন অর্থাৎ একত্রে হজ্জ ও উমরার ইহরাম বাঁধেন। এ হজ্জে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যতোটি কোরবানীর পশু এনেছিলেন এবং আলী (রাঃ) যতোটি পশু এনেছিলেন তার মোট সংখ্যা ছিল একশত। এর মধ্যে একটি উট ছিল আবূ জাহলের, যার নাসারন্ধ্রে রূপার লাগাম আঁটা ছিল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্বহস্তে ৬৩টি এবং ‘আলী (রাঃ) অবশিষ্টগুলি কোরবানী করেন। সুফিয়ানকে জিজ্ঞাসা করা হলো, এ হাদীস কে তার নিকট বর্ণনা করেছেন? তিনি বলেন, জাফর সাদিক, তিনি তার পিতার সূত্রে, তিনি জাবির (রাঃ) -র সূত্রে। অন্যদিকে বিন আবূ লাইলা, তিনি আল-হাকামের সূত্রে, তিনি মিকসামের সূত্রে, তিনি বিন আব্বাস (রাঃ) এর সূত্রে।

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৭৬] বুখারী ১৫৫৭, ১৫৬৮, ১৫৭০, ১৬৫১, ১৭৮৫, ২৫০৬, ৪৩৫২, ৭২৩০, ৭৩৬৭, মুসলীম ১২১৩, ১২১৫, ১২১৬/১-৫, ১২১৮/১-৩, ১২৬৩/১-২, ১২৭৩, ১২৭৯, ১২৯৯, তিরমিযি ৮১৭, ৮৫৬-৫৭, ৮৬২, ৮৬৯, ৮৮৬, ৮৯৭, ৯৪৭, ২৯৬৭, ৩৭৮৬, নাসাঈ ২১৪, ২৯১, ৩৯২, ৪২৯, ৬০৪, ২৭১২, ২৭৪০, ২৭৪৩-৪৪, ২৭৫৬, ২৭৬১-৬৩, ২৭৯৮, ২৮০৫, ২৮৭২, ২৯৩৯, ২৯৪৪, ২৯৬১, ২৯৬২-৬৩, ২৯৬৯-৭৫, ২৯৮১-৮৫, ২৯৯৪, ৩০২১-২২, ৩০৫৩-৫৪, ৩০৭৪-৭৬, ৪১১৯, আবু দাউদ ১৭৮৫, ১৭৮৭-৮৯, ১৮১২, ১৮৮০, ১৮৯৫, ১৯০৫-৭, ১৯৪৪, ৩৯৬৯, আহমাদ ১৩৭০২, ১৩৮০১, ১৩৮২৬, ১৩৮৬৭, ১৪০০৯, ১৪০৩১, ১৪১৬১, ১৪২৫০, ১৪৪৮৪, ১৪৫২৫, ১৪৫৮৯, ১৪৬২১, ১৪৬৬৭, ১৪৭৩৫, ১৪৮২১, ১৪৮৫১, মুয়াত্তা মালিক ৮১৬, ৮৩৫-৩৬, ৮৪০, দারিমী ১৮০৫, ১৮৪০, ১৮৫০, ১৮৯৯, হুজ্জাতুন নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ৬৭-৮৩। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/৮৫. অধ্যায়ঃ

হজ্জের উদ্দেশে যাওয়ার পথে বাধাগ্রস্ত হলে

৩০৭৭

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ وَابْنُ عُلَيَّةَ عَنْ حَجَّاجِ بْنِ أَبِي عُثْمَانَ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ حَدَّثَنِي عِكْرِمَةُ حَدَّثَنِي الْحَجَّاجُ بْنُ عَمْرٍو الْأَنْصَارِيُّ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ مَنْ كُسِرَ أَوْ عَرَجَ فَقَدْ حَلَّ وَعَلَيْهِ حَجَّةٌ أُخْرَى فَحَدَّثْتُ بِهِ ابْنَ عَبَّاسٍ وَأَبَا هُرَيْرَةَ فَقَالَا صَدَقَ

আল-হাজ্জাক বিন আমর আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি : যার হাড় ভেঙ্গে গেলো অথবা যে লেংড়া হয়ে গেলো। ইহরাম বাঁধার পর) , সে ইহরামমুক্ত হয়ে গেলো। সে পুনর্বার হজ্জ করবে। (আবূ বাক্‌র বিন আবূ শায়বাহ, ইয়াহইয়অ বিন সাঈদ ও ইবনু উলায়্যাহ, হাজ্জাজ বিন আবূ উসমান, ইয়াহইয়া বিন আবূ কাসীর, ইকরামাহ, ইবনু আব্বাস ও আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) , (ইকরিমাহ বলেন) , আমি এ হাদীস বিন আব্বাস (রাঃ) ও আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) -র নিকট বর্ণনা করলে তারা উভয়ে বলেন, তিনি (হাজ্জাজ) সত্য বলেছেন। [৩০৭৭]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৭৭] ইবনু মাজাহ ৩০৭৮, তিরমিযী ৯৪০, নাসায়ী ২৮৬০, ২৮৬১, আবূ দাউদ ১৮৬২, আহমাদ ১৫৩০৪, দারেমী ১৮৯৪, সহীহ আবু দাউদ ১৬২৭, ১৬২৮, মিশকাত ২৭১৩। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৭৮

حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ رَافِعٍ مَوْلَى أُمِّ سَلَمَةَ قَالَ سَأَلْتُ الْحَجَّاجَ بْنَ عَمْرٍو عَنْ حَبْسِ الْمُحْرِمِ فَقَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كُسِرَ أَوْ مَرِضَ أَوْ عَرَجَ فَقَدْ حَلَّ وَعَلَيْهِ الْحَجُّ مِنْ قَابِلٍ قَالَ عِكْرِمَةُ فَحَدَّثْتُ بِهِ ابْنَ عَبَّاسٍ وَأَبَا هُرَيْرَةَ فَقَالَا صَدَقَ قَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ فَوَجَدْتُهُ فِي جُزْءِ هِشَامٍ صَاحِبِ الدَّسْتُوَائِيِّ فَأَتَيْتُ بِهِ مَعْمَرًا فَقَرَأَ عَلَيَّ أَوْ قَرَأْتُ عَلَيْهِ

আল-হাজ্জাজ বিন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তির হাড় ভেঙ্গে গেলে বা সে পঙ্গু হয়ে গেলে বা রোগাক্রান্ত হয়ে পড়লে অথবা বাধাগ্রস্ত হলে সে হালাল হয়ে যাবে। তাকে পরবর্তী বছর হজ্জ করতে হবে। সালামাহ বিন শাবীব, আবদুর রায্‌যাক, মা’মার, ইয়াহইয়া বিন আবূ কাসীর, ইকরিমাহ, ইবনু আব্বাস ও আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) , (ইকরিমাহ) বলেন, আমি এ হাদীস ইবনু আব্বাস ও আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) এর নিকট বর্ণনা করলে তারা উভয়ে বলেন, তিনি সত্য বলেছেন। আবদুর রাযযাক বলেন, আমি এ হাদীস হিশাম আদ-দাসতাওয়াঈর কিতাবে লিপিবদ্ধ পেয়েছে। আমি তা নিয়ে মামার-এর নিকট এলে তিনি আমার সামনে তা পাঠ করেন অথবা আমি তার সামনে তা পাঠ করি। [৩০৭৮]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৭৮] তিরমিযি ৯৪০, নাসাঈ ২৮৬০, ২৮৬১, আবু দাউদ ১৮৬২, আহমাদ ১৫৩০৪, দারিমী ১৮৯৪, সহীহ আবু দাউদ ১৬২৭, ১৬২৮, মিশকাত ২৭১৩। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/৮৬. অধ্যায়ঃ

বাধাগ্রস্ত হলে তার ফিদ্‌য়া

৩০৭৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْوَلِيدِ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الأَصْبَهَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْقِلٍ، قَالَ قَعَدْتُ إِلَى كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ فِي الْمَسْجِدِ فَسَأَلْتُهُ عَنْ هَذِهِ الآيَةِ، ‏{فَفِدْيَةٌ مِنْ صِيَامٍ أَوْ صَدَقَةٍ أَوْ نُسُكٍ}‏ ‏.‏ قَالَ كَعْبٌ فِيَّ أُنْزِلَتْ كَانَ بِي أَذًى مِنْ رَأْسِي فَحُمِلْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَالْقَمْلُ يَتَنَاثَرُ عَلَى وَجْهِي فَقَالَ ‏”‏ مَا كُنْتُ أُرَى الْجُهْدَ بَلَغَ مِنْكَ مَا أَرَى أَتَجِدُ شَاةً ‏”‏ ‏.‏ قُلْتُ لاَ ‏.‏ قَالَ فَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ‏{فَفِدْيَةٌ مِنْ صِيَامٍ أَوْ صَدَقَةٍ أَوْ نُسُكٍ}‏ ‏.‏ قَالَ فَالصَّوْمُ ثَلاَثَةُ أَيَّامٍ وَالصَّدَقَةُ عَلَى سِتَّةِ مَسَاكِينَ لِكُلِّ مِسْكِينٍ نِصْفُ صَاعٍ مِنْ طَعَامٍ وَالنُّسُكُ شَاةٌ ‏.‏

আবদুল্লাহ থেকে বর্ণিতঃ

আমি মসজিদের মধ্যে কা’ব বিন উজরাহ (রাঃ) এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম। আমি তার নিকট নিম্নোক্ত আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম (অনুবাদ) : “তবে রোযা অথবা সদাকা অথবা কোরবানীর মাধ্যমে ফিদ্‌য়া দিবে” (সূরা বাকারাঃ ১৯৬) কা’ব (রাঃ) বলেন, এ আয়াত আমার সম্পর্কে নাযিল হয়েছিল। আমার মাথার অসুখ ছিল। আমাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট নিয়ে যাওয়া হলো। উকুন আমার মুখমণ্ডলে ছড়িয়েছিল। তখন তিনি বলেনঃ আমি তোমাকে যে কষ্ট ভোগ করতে দেখছি তেমনটি আর কখনও দেখিনি। তুমি কি একট বকরী সংগ্রহ করতে পারবে? আমি বললাম, না। রাবী বলেন, তখন এ আয়াত নাযিল হলোঃ “তবে রোযা অথবা সদাকা অথবা কোরবানীর মাধ্যমে ফিদ্‌য়া দিবে”। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তিন দিন রোযা রাখতে হবে, আর সদাকার ক্ষেত্রে ছয়জন মিসকীনকে খাদ্যদ্রব্য দিতে হবে, মাথাপিছা অর্ধ সা’ (এক কেজি দু’শ পঞ্চাশ গ্রাম) এবং কোরবানীর ক্ষেত্রে একটি বকরী। [৩০৭৯]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৭৯] ইবনু মাজাহ ৩০৮০, সহীহুল বুখারী ১৮১৪, ১৮১৫, ১৮১৬, ১৮১৮, ৪১৫৯, ৪১৯০, ৪১৯১, ৪৫১৭, ৫৬৬৫, ৫৭০৩, ৬৭০৮, মুসলিম ১২০১, তিরমিযী ৯৫৩, ২৯৭৩, ২৯৭৪, নাসায়ী ২৮৫১, ২৮৫২, আবূ দাউদ ১৮৫৬, ১৮৫৭, ১৮৫৮, ১৮৫৯, ১৮৬০, আহমাদ ১৭৬৩৫, ১৭৬৪৩, ১৭৬৫৪, ১৭৬৬৫, মুয়াত্তা মালেক ৯৫৪, ৯৫৫, ৯৫৬, ইরওয়া ৪/২৩১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৮০

حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نَافِعٍ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ، قَالَ أَمَرَنِي النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ حِينَ آذَانِي الْقَمْلُ أَنْ أَحْلِقَ رَأْسِي وَأَصُومَ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ أَوْ أُطْعِمَ سِتَّةَ مَسَاكِينَ وَقَدْ عَلِمَ أَنْ لَيْسَ عِنْدِي مَا أَنْسُكُ ‏.‏

কা’ব বিন উজরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উকুন আমাকে কষ্ট দিতে থাকলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে মাথা কামানোর নির্দেশ দেন এবং তিনি দিন রোযা রাখতে অথবা ছয়জন মিসকীনকে আহার করাতে বলেন। তিনি জানতেন যে আমার নিকট কোরবানী করার মত কিছু ছিলো না। [৩০৮০]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৮০] ইবনু মাজাহ ৩০৮০, সহীহুল বুখারী ১৮১৪, ১৮১৫, ১৮১৬, ১৮১৮, ৪১৫৯, ৪১৯০, ৪১৯১, ৪৫১৭, ৫৬৬৫, ৫৭০৩, ৬৭০৮, মুসলিম ১২০১, তিরমিযী ৯৫৩, ২৯৭৩, ২৯৭৪, নাসায়ী ২৮৫১, ২৮৫২, আবূ দাউদ ১৮৫৬, ১৮৫৭, ১৮৫৮, ১৮৫৯, ১৮৬০, আহমাদ ১৭৬৩৫, ১৭৬৪৩, ১৭৬৫৪, ১৭৬৬৫, মুয়াত্তা মালেক ৯৫৪, ৯৫৫, ৯৫৬, ইরওয়া ৪/২৩২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

উক্ত হাদিসের রাবী উসামাহ বিন যায়দ সম্পর্কে ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ উল্লেখ করে বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আল-আজলী তাকে সিকাহ বলেছেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে দলীল হিসেবে নয়। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩১৭, ২/৩৪৭ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/৮৭. অধ্যায়ঃ

ইহরাম অবস্থায় রক্তমোক্ষণ করানো

৩০৮১

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ احْتَجَمَ وَهُوَ صَائِمٌ مُحْرِمٌ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইহরাম অবস্থায় ও রোযা অবস্থায় রক্তমোক্ষণ করিয়েছেন। [৩০৮১]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৮১] বুখারী ১৮৩৫, ১৯৩৮, ১৯৩৯, ২১০৩, ২২৭৮, ২২৭৯, ৫৬৯১, ৫৬৯৪, ৫৬৯৫, ৫৬৯৯,৫৭০১, মুসলিম ১২০২, তিরমিযী ৭৭৫, ৭৭৬, ৭৭৭, ৮৩৯, নাসায়ী ২৮৪৫, ২৮৪৬, ২৮৪৭, আবূ দাউদ ১৮৩৫, ১৮৩৬, ২৩৭২, ২৩৭৩, আহমাদ ১৮৫২, ১৯২২, ১৯৪৪, ২১০৯, ২১৮৭, ২২২৯, ২২৪৩, ২২৪৯,২৩৩৩, ২৩৫১, ২৫৩২, ২৫৮৪, ২৬৫৪, ২৭১১, ২৭৮৫৩, ২৮৮৩, ৩০৬৫, ৩০৬৮, ৩২০১, ৩২২৩, ৩২৭২, ৩৫১৩,৩৫৩৭ দারেমী ১৮১৯, ১৮২১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

উক্ত হাদিসের রাবী ইয়াযীদ বিন আবু যিয়াদ সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবু আহমাদ বিন আদী বলেন, তিনি কুফার শীয়াদের একজন। আবু বাকর আল-বায়হাকী ও আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তার হাদিস কেউ বর্জন করেছেন এমর্মে আমার জানা নেই। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি দুর্বল, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তা দলীলযোগ্য নয়। ইমাম তিরমিযি বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার স্মৃতিশক্তি ভালো ছিল না। ইবরাহীম বিন ইয়াকুব আল-জাওযুজানী বলেন, আমি আহলে ইলমদের বলতে শুনেছি, তারা তাকে দুর্বল বলতেন। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি দুর্বল, তিনি হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। আবদুল বাকী ইবনুল কানি বলেন, তিনি দুর্বল। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৯৯১, ৩২/১৩৫ নং পৃষ্ঠা)

উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু ইয়াযীদ বিন আবু যিয়াদ এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির শতাধিক শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ১৮৩৫, ১৮৩৬, ১৮৩৮, ১৯৩৯, ২১০২, ২১০৩, ২২১০, ২২৭৭, ২২৭৮, ২২৭৯, ২২৮০, ২২৮১, ৫৬৯১, ৫৬৯৫, ৫৬৯৯, ৫৭০১, মুসলিম ১২০২, ১৫৭৮, ১৫৭৯, ১৫৮০, ২২০৯, তিরমিযি ৭৭৫, ৭৭৬, ৭৭৭, ৮৩৯, ১২৭৮, আবু দাউদ ১৮৩৫, ১৮৩৬, ১৮৩৭, ২৩৭২, ২৩৭৩, ৩৪২৩, ৩৪২৪, ৩৮৬৩, ৩৮৬৭, দারিমী ১৮১৯, ১৮২০, ১৮২১, ১৮২২, মুয়াত্তা মালিক ৭৮৪, ১৮২১, আহমাদ ৬৯৪, ১১৩২, ১১৩৩, ১১৩৯, ১৮৫২, ১৩৫৯১।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৮২

حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ أَبُو بِشْرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي الضَّيْفِ، عَنِ ابْنِ خُثَيْمٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ احْتَجَمَ وَهُوَ مُحْرِمٌ مِنْ رَهْصَةٍ أَخَذَتْهُ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একটি কঠিন ব্যথার কারণে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইহরাম অবস্থায় রক্তমোক্ষণ করিয়েছেন। [৩০৮২]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৮২]

আহমাদ ১৪৪৯২, সহীহ আবু দাউদ ১৬১০, ১৬১১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ইবনু আবুদ দায়ফ সম্পর্কে ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে অজ্ঞাত। তাহরীরু তাকরীবুত তাহযীব এর লেখক বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে অজ্ঞাত। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৩০৫, ২৫/৪০৪ নং পৃষ্ঠা) উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু ইবনু আবুদ দায়ফ এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির শতাধিক শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ১৮৩৫, ১৮৩৬, ১৮৩৮, ১৯৩৯, ২১০২, ২১০৩, ২২১০, ২২৭৭, ২২৭৮, ২২৭৯, ২২৮০, ২২৮১, ৫৬৯১, ৫৬৯৫, ৫৬৯৯, ৫৭০১, মুসলিম ১২০২, ১৫৭৮, ১৫৭৯, ১৫৮০, ২২০৯, তিরমিযি ৭৭৫, ৭৭৬, ৭৭৭, ৮৩৯, ১২৭৮, আবু দাউদ ১৮৩৫, ১৮৩৬, ১৮৩৭, ২৩৭২, ২৩৭৩, ৩৪২৩, ৩৪২৪, ৩৮৬৩, ৩৮৬৭, দারিমী ১৮১৯, ১৮২০, ১৮২১, ১৮২২, মুয়াত্তা মালিক ৭৮৪, ১৮২১, আহমাদ ৬৯৪, ১১৩২, ১১৩৩, ১১৩৯, ১৮৫২, ১৩৫৯১।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/৮৮. অধ্যায়ঃ

ইহরামধারী ব্যক্তি কী ধরনের তৈল মাখতে পারে

৩০৮৩

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ فَرْقَدٍ السَّبَخِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يَدَّهِنُ رَأْسَهُ بِالزَّيْتِ وَهُوَ مُحْرِمٌ غَيْرَ الْمُقَتَّتِ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইহরাম অবস্থায় ঘ্রাণহীন যায়তুনের তৈল মাথায় মাখতেন। [৩০৮৩]

 

তাহকীক আলবানীঃ সানাদটি দূর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৮৩] সহীহুল বুখারী ১৫৩৮, তিরমিযী ৯৬২, আহমাদ ৪৭৬৮, ৪৮১৪, ৫২২০, ৬০৫৩, ৬২৮৬। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী ফারকাদ আস-সাবাখী সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু যুরআহ আর-রাযী তাকে দুর্বল হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস গ্রহনে শিথিল ও হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। ইয়া’কুব বিন শায়বাহ বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় অধিক দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৭১৫, ২৩/১৬৪ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/৮৯. অধ্যায়ঃ

কেউ ইহরাম অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে

৩০৮৪

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَجُلاً، أَوْقَصَتْهُ رَاحِلَتُهُ وَهُوَ مُحْرِمٌ فَقَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ اغْسِلُوهُ بِمَاءٍ وَسِدْرٍ وَكَفِّنُوهُ فِي ثَوْبَيْهِ وَلاَ تُخَمِّرُوا وَجْهَهُ وَلاَ رَأْسَهُ فَإِنَّهُ يُبْعَثُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مُلَبِّيًا ‏”‏ ‏.‏

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، مِثْلَهُ إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ أَعْقَصَتْهُ رَاحِلَتُهُ ‏.‏ وَقَالَ ‏ “‏ لاَ تُقَرِّبُوهُ طِيبًا فَإِنَّهُ يُبْعَثُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مُلَبِّيًا ‏”‏ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক ইহরামধারী ব্যক্তিকে তার জন্তুযান নিচে ফেলে দিলে তার ঘাড় ভেঙ্গে সে মারা যায়। মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তাকে কুলপাতা মিশ্রিত পানি দিয়ে গোসল দাও, তার পরনের বস্ত্রদ্বয় দিয়ে তাকে কাফন দাও এবং তার মুখমণ্ডল ও মাথা ঢেকো না। কারণ তাকে কিয়ামতের দিন তালবিয়া পাঠরত অবস্থায় উঠানো হবে।

 

[উপরোক্ত হাদীসে মোট ২টি সানাদের ১টি বর্ণিত হয়েছে, অপর সানাদটি হলো:]

 

২/ ৩০৮৪ (১) . ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে তিনি বলেন, তার জন্তুযান তার ঘাড় মটকে দেয়। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরও বলেনঃ তাকে সুগন্ধি মাখিয়া না। কারণ তাকে কিয়ামতের দিন তালবিয়া পাঠরত অবস্থায় উঠানো হবে। [৩০৮৪]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৮৪] সহীহুল বুখারী ১২৬৫, ১২৬৬, ১২৬৭, ১২৬৮, মুসলিম ১২০৬, তিরমিযী ৯৫১, নাসায়ী ১৯০৪, ২৮৫৪, ২৮৫৫, ২৮৫৬, ২৮৫৭, ২৮৫৮, আবূ দাউদ ৩২৩৮, ৩২৪১, আহমাদ ১৮৫৩, ১৯১৭, ২৩৯০, ২৫৮৬, ৩০২২, ৩০৩৬, ৩২২০, দারেমী ১৮৫২, ইরওয়া ১০১৬, আহকামুল জানাইয ১২, ১৩, রাওদুন নাদীর ৩৯১, ৩৯২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/৯০. অধ্যায়ঃ

কেউ ইহরাম অবস্থায় শিকার করলে তার কাফ্‌ফারা

৩০৮৫

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي عَمَّارٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ جَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي الضَّبُعِ يُصِيبُهُ الْمُحْرِمُ كَبْشًا وَجَعَلَهُ مِنَ الصَّيْدِ ‏.‏

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইহরামধারী ব্যক্তি কর্তৃক হায়েনা শিকারের কাফ্‌ফারা একটি ভেড়া নির্ধারণ করেছেন এবং হায়েনাকেও শিকারের অন্তুর্ভুক্ত করেছেন। [৩০৮৫]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৮৫] ইবনু মাজাহ ৩২৩৬, তিরমিযী ৮৫১, ১৭৯১, নাসায়ী ২৮৩৬, ৪৩২৩, আবূ দাউদ ২৮০১, আহমাদ ১৩৭৫১, ১৪০১৬, ১৪০৪০, দারেমী ১৯৪১, ১৯৪২, আত-তালীক আলা ইবনু খুযাইমাহ ২২৪৮, ইরওয়া ১০৫০। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৮৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُوسَى الْقَطَّانُ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ مَوْهَبٍ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْفَزَارِيُّ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْمُعَلِّمُ، عَنْ أَبِي الْمُهَزِّمِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ فِي بَيْضِ النَّعَامِ يُصِيبُهُ الْمُحْرِمُ ‏ “‏ ثَمَنُهُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ইহরামধারী ব্যক্তি পাখির ডিম আত্মসাৎ করলে তাকে তার মূল্য পরিশোধ করতে হবে (কাফফারা স্বরূপ)। [৩০৮৬]

 

তাহকীক আলবানী দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৮৬] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। ইরওয়া ১০৩০। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. আলী বিন আবদুল আযীয সম্পর্কে আবু জা’ফার আল-উকায়লী তার হাদিস উল্লেখ করে বলেন, তার এই হাদিস ব্যাতিত অন্য কোথাও তার পরিচয় সম্পর্কে জানা যায়না, তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি দুর্বল, মানুষ তার হাদিস বর্জন করেছে। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। আবু সাঈদ বিন ইউনুস বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় তাদলীস করেন ও তিনি শীয়া মতাবলম্বী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪১০৩, ২১/৫৫ নং পৃষ্ঠা) ২. আবুল মুহাযযিম সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি দুর্বল, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আবু জাফার আল-উকায়লী বলেন, তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি সিকাহ নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মিথ্যা বলার অভিযোগে অভিযুক্ত।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/৯১. অধ্যায়ঃ

ইহরামধারী ব্যক্তি যে সব প্রানী হত্যা করতে পারবে

৩০৮৭

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْوَلِيدِ، قَالُوا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، سَمِعْتُ قَتَادَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ خَمْسٌ فَوَاسِقُ يُقْتَلْنَ فِي الْحِلِّ وَالْحَرَمِ الْحَيَّةُ وَالْغُرَابُ الأَبْقَعُ وَالْفَأْرَةُ وَالْكَلْبُ الْعَقُورُ وَالْحِدَأَةُ ‏”‏ ‏.‏

আশিয়াহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ পাঁচটি প্রানী আছে যা হারামের বাইরে ও ভেতরে হত্যা করা বৈধঃ সাপ, বুকে না পিঠে সাদা চিহ্নযুক্ত কাক, ইঁদুর, হিংস্র কুকুর ও চিল। [৩০৮৭]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৮৭] সহীহুল বুখারী ১৭২৯, ৩৩১৪, ১১৯৮, তিরমিযী ৮৩৭, নাসায়ী ২৮২৯, ২৮৮১, ২৮৮২, ২৮৮৭, ২৮৮৮, ২৮৯০, ২৮৯১,আহমাদ ২৩৫৩২, ২৪০৪৮, ২৪১৪০, ২৪৩৯০, ২৪৭৮২, ২৫১৫০, ২৫২২৫, ২৫৪১৫, ২৫৬০১, ২৫৬৯১, ২৫৭১২, দারেমী ১৮১৭, ইরওয়া ৪/২২২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৮৮

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ خَمْسٌ مِنَ الدَّوَابِّ لاَ جُنَاحَ عَلَى مَنْ قَتَلَهُنَّ – أَوْ قَالَ فِي قَتْلِهِنَّ – وَهُوَ حَرَامٌ الْعَقْرَبُ وَالْغُرَابُ وَالْحِدَأَةُ وَالْفَأْرَةُ وَالْكَلْبُ الْعَقُورُ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এমন পাঁচটি প্রানী আছে যা কোন ব্যক্তি ইহরাম অবস্থায় হত্যা করলে তার কোন দোষ হবে নাঃ বিছা, কাক, চিল, ইঁদুর ও পাগলা কুকুর। [৩০৮৮]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৮৮] সহীহুল বুখারী ১৮২৮, ৩৩১৫, মুসলিম ১১৯৯, নাসায়ী ২৮২৮, ২৮৩০, ২৮৩২, ২৮৩৩, ২৮৩৪, ২৮৩৫, ২৮৯০, আবূ দাউদ ২৮৪৬, আহমাদ ৪৫২৯, ৪৮৬১, ৪৯১৮, ৫০৭২, ২৭৭৯০, ৫১১১, ৫১৩৮, ৫৩০২, ৫৪৫২, ৫৫১৬, ৬১৯৩, মুয়াত্তা মালেক ৭৯৮, ৭৯৯, ৮০০, দারেমী ১৮১৬, ইরওয়া ৪/২২৩, সহীহ আবু দাউদ ১৬১৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৮৯

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي نُعْمٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنَّهُ قَالَ ‏ “‏ يَقْتُلُ الْمُحْرِمُ الْحَيَّةَ وَالْعَقْرَبَ وَالسَّبُعَ الْعَادِيَ وَالْكَلْبَ الْعَقُورَ وَالْفَأْرَةَ الْفُوَيْسِقَةَ ‏”‏ ‏.‏ فَقِيلَ لَهُ لِمَ قِيلَ لَهَا الْفُوَيْسِقَةُ قَالَ لأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ اسْتَيْقَظَ لَهَا وَقَدْ أَخَذَتِ الْفَتِيلَةَ لِتُحْرِقَ بِهَا الْبَيْتَ ‏.‏

আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ মুহরিম ব্যক্তি নিম্নোক্ত প্রাণীগুলো হত্যা করতে পারেঃ সাপ, বিছা, আক্রমণকারী হিংস্র প্রাণী, পাগল কুকুর ও ক্ষতিকর ইঁদুর। আবূ সাঈদ (রাঃ) -র নিকট জিজ্ঞাসা করা হলো, ইঁদুরকে ক্ষতিকর বলা হলো কেনো? তিনি বলেন, কেননা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার জন্য জেগেছিলেন এবং সে ঘরে আগুল ধরানোর জন্য জ্বলন্ত সলিতা নিয়েছিল। [৩০৮৯]

 

তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৮৯]

তিরমিযী ৮৩৮, আবূ দাউদ ১৮৪৮, আহমাদ ১০৬০৭, ১১৩৪৬, ইরওয়া ৪/২২৬। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. মুহাম্মাদ বিন ফুদায়ল সম্পর্কে ইবনু মাঈন তাকে সিকাহ বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি শীয়া মতাবলম্বী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫৪৮, ২৬/২৯৩ নং পৃষ্ঠা) ২. ইয়াযীদ বিন আবু যিয়াদ সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবু আহমাদ বিন আদী বলেন, তিনি কুফার শীয়াদের একজন। আবু বাকর আল-বায়হাকী ও আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তার হাদিস কেউ বর্জন করেছেন এমর্মে আমার জানা নেই। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি দুর্বল, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তা দলীলযোগ্য নয়। ইমাম তিরমিযি বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার স্মৃতিশক্তি ভালো ছিল না। ইবরাহীম বিন ইয়াকুব আল-জাওযুজানী বলেন, আমি আহলে ইলমদের বলতে শুনেছি, তারা তাকে দুর্বল বলতেন। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি দুর্বল, তিনি হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। আবদুল বাকী ইবনুল কানি বলেন, তিনি দুর্বল। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৯৯১, ৩২/১৩৫ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/৯২. অধ্যায়ঃ

ইহরামধারী ব্যক্তির জন্য যে ধরণের শিকার নিষিদ্ধ

৩০৯০

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَهِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ شِهَابٍ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ أَنْبَأَنَا صَعْبُ بْنُ جَثَّامَةَ، قَالَ مَرَّ بِي رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَأَنَا بِالأَبْوَاءِ أَوْ بِوَدَّانَ فَأَهْدَيْتُ لَهُ حِمَارَ وَحْشٍ فَرَدَّهُ عَلَىَّ فَلَمَّا رَأَى فِي وَجْهِيَ الْكَرَاهِيَةَ ‏.‏ قَالَ ‏ “‏ إِنَّهُ لَيْسَ بِنَا رَدٌّ عَلَيْكَ وَلَكِنَّا حُرُمٌ ‏”‏ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, সা’ব বিন জাসসামাহ (রাঃ) আমাদের অবহিত করে বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। আমি তখন আল-আবওয়া অথবা ওয়াদ্দান এলাকায় ছিলাম। আমি তাঁকে বন্য গাধার গোশত পেশ করলাম। তিনি তা আমাকে ফেরত দিলেন। তিনি আমার চেহারায় অনুতাপের লক্ষণ দেখে বলেনঃ আমরা অন্য কোন কারণে তা ফেরত দেইনি, বরং আমরা ইহরাম অবস্থায় আছি। (তাই তা ফেরত দিয়েছি)। [৩০৯০]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৯০] সহীহুল বুখারী ১৮২৫, ২৫৭৩, ২৫৯৬, মুসলিম ১১৯৩, তিরমিযী ৮৪৯, নাসায়ী ২৮১৯, ২৮২০, ২৮২৩, আহমাদ ১৫৯৮৭, ১৫৯৮৮, ১৬২২১, ১৬২৩৫, ১৭৮১৬, মুয়াত্তা মালেক ৭৯৩, দারেমী ১৮২৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৯১

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عِمْرَانُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ أُتِيَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِلَحْمِ صَيْدٍ وَهُوَ مُحْرِمٌ فَلَمْ يَأْكُلْهُ ‏.‏

আলী বিন আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সামনে শিকারকৃত প্রাণীর গোশত পেশ করা হলো। তিনি ইহরাম অবস্থায় থাকার কারণে তা আহার করেননি। [৩০৯১]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৯১] আহমাদ ৮৩২, সহীহ আবু দাউদ ১৬২১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল কারিম সম্পর্কে আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য হবে না। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় অধিক সন্দেহ করেন। আবু যুরআহ আর-রাযী ও আহমাদ বিন হাম্বল তাকে দুর্বল বলেছেন। আহমাদ বিন শু’আয়ব বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি দুর্বল। ইবনু আবদুল বার আল-আন্দালাসী বলেন, তার দুর্বলতার ব্যাপারে সকলে একমত। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে দুর্বল হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মুহাম্মাদ বিন ইসমাইল বলেন, আহলে ইলমের নিকট তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৫০৬, ১৮/২৫৯ নং পৃষ্ঠা)

উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু আবদুল কারিম এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৬৩ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, ২ টি জাল, ৪ টি খুবই দুর্বল, ২০ টি দুর্বল, ৮ টি হাসান, ২৯ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ১৮২৫, ২৫৭৩, ২৫৯৬, মুসলিম ১১৯৬, তিরমিযি ৮৪৯, আবু দাউদ ১৮৪৯, ১৮৫০, দারিমী ১৮২৮, ১৮৩০, মুয়াত্তা মালিক ৭৯৩, আহমাদ ৮৩২, ২৫২৬, ৩৪০৭, ১৫৯৮৭, সহীহ ইবনু খুযাইমাহ ২৪৭৩, ২৪৭৫।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/৯৩. অধ্যায়ঃ

ইহরামধারী ব্যক্তির উদ্দেশ্যে শিকার না করা হলে সে তার গোশত খেতে পারে

৩০৯২

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنْ عِيسَى بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَعْطَاهُ حِمَارَ وَحْشٍ وَأَمَرَهُ أَنْ يُفَرِّقَهُ فِي الرِّفَاقِ وَهُمْ مُحْرِمُونَ ‏.‏

তালহা বিন উবায়দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে একটি (শিকারকৃত) বন্য গাধা প্রদান করে তা তার সঙ্গীদের মধ্যে বন্টন করার নির্দেশ দেন। তখন তারা ইহরাম অবস্থায় ছিলেন। [৩০৯২]

 

তাহকীক আলবানীঃ সানাদটি ত্রুটি যুক্ত ও মাতানের মাঝে ভুল রয়েছে, এক্ষেত্রে নাসায়ীর রেওয়াতটি সঠিক।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৯২] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। তাহকীক আলবানীঃ সানাদটি ত্রুটিযুক্ত ও মাতানের মাঝে ভুল রয়েছে, এক্ষেত্রে নাসাঈর রেওয়াতটি সঠিক।

হাদিসের মানঃ অন্যান্য

  •  সরাসরি

৩০৯৩

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ خَرَجْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ زَمَنَ الْحُدَيْبِيَةِ فَأَحْرَمَ أَصْحَابُهُ وَلَمْ أُحْرِمْ فَرَأَيْتُ حِمَارًا فَحَمَلْتُ عَلَيْهِ وَاصْطَدْتُهُ فَذَكَرْتُ شَأْنَهُ لِرَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَذَكَرْتُ أَنِّي لَمْ أَكُنْ أَحْرَمْتُ وَأَنِّي إِنَّمَا اصْطَدْتُهُ لَكَ فَأَمَرَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَصْحَابَهُ فَأَكَلُوا وَلَمْ يَأْكُلْ مِنْهُ حِينَ أَخْبَرْتُهُ أَنِّي اصْطَدْتُهُ لَهُ ‏.‏

আবূ কাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

হুদাইবিয়ার বছর আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে রওয়ানা হলাম। তাঁর সাহাবীগণ ইহরাম বাঁধলেন, কিন্ত আমি বাঁধিনি। আমি একটি গাধা দেখতে পেয়ে তার উপর ঝাপিয়ে পড়লাম এবং তা শিকার করলাম। অতঃপর আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট তার অবস্থান বর্ণনা করলাম। আমি আরও উল্লেখ করলাম যে, আমি তখনও ইহরাম বাঁধিনি। এবং তা আপনার জন্য শিকার করেছি। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সাহাবী এ গোশত খাওয়ার নির্দেশ দিলেন। কিন্ত আমি তাঁর জন্য এটা শিকার করেছি বলায় তিনি তা আহার করলেন না। [৩০৯৩]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৯৩] সহীহুল বুখারী ১৮২১, ১৮২২, ১৮২৩, ১৮২৪, ২৫৭০, ২৮৫৪, ২৯১৪, ৪১৪৯, ৫৪০৭, ৫৪৯১, ৫৪৯২, মুসলিম ১১৯৬, তিরমিযী ৮৪৭, নাসায়ী ২৮১৬, ২৮২৪, ২৮২৫, ২৮২৬, আবূ দাউদ ২৮৫২, আহমাদ ২২২০, ২২০৬১, ২২০৬৮, ২২০৮৪, ২২০৯৭, ২২১০৬, ২২১১৮, মুয়াত্তা মালেক ৭৮৬, ৭৮৮, দারেমী ১৮২৬, ১৮২৭, ইরওয়া ৪/২১৪, ২১৫। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/৯৪. অধ্যায়ঃ

কোরবানী পশুর গলায় মালা পরানো

৩০৯৪

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، وَعَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُهْدِي مِنَ الْمَدِينَةِ فَأَفْتِلُ قَلاَئِدَ هَدْيِهِ ثُمَّ لاَ يَجْتَنِبُ شَيْئًا مِمَّا يَجْتَنِبُ الْمُحْرِمُ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মদীনা থেকে (মক্কায়) কোরবানীর পশু পাঠাতেন। আমি তাঁর কোরবানীর পশুর জন্য মালা তৈরি করে দিতাম। অতঃপর তিনি এমন কোন জিনিস বর্জন করতেন না, যা ইহরামধারী ব্যক্তি বর্জন করে থাকে। [৩০৯৪]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৯৪] ইবনু মাজাহ ৩০৯৫, সহীহুল বুখারী ১৬৯৬, ১৬৯৭, ১৬৯৯, ১৭০০, ১৭০১, ১৭০২, ১৭০৩, ১৭০৪, ১৭০৫, ২৩১৭, ৫৫৬৬, মুসলিম ১৩২১, তিরমিযী ৯০৮, ৯০৯, নাসায়ী ২৭৭৫, ২৭৭৬, ২৭৭৭, ২৭৭৮, ২৭৭৯, ২৭৮০, ২৭৮৩, ২৭৮৪, ২৭৮৫, ২৭৮৬, ২৭৮৭, ২৭৮৮, ২৭৮৯, ২৭৯০, ২৭৯৩, ২৭৯৪, ২৭৯৫, ২৭৯৬, ২৭৯৭, আবূ দাউদ ১৭৫৫, ১৭৫৭, ১৭৫৮,১৭৫৯, আহমাদ ২৩৫৪৮, ২৩৫৬৪, ২৩৯৭১, ২৪০০৩,২৪০৩৬, ২৪০৮২, ২৪১৮৯, ২৪২৬০, ২৪৪৩৫, ২৪৮৮৩, ২৪৯৩৭, ২৪৯৭০, ২৪৯৮৯, ২৫০৩৭, ২৫০৪৯, ২৫১১৩, ২৫২০৮, ২৫২৪৭, ২৫২৮৯, ২৫৩০৪, ২৫৩৪৪, ২৫৩৪৬, ২৫৩৫৯, ২৫৪৬০, ২৫৪৭৮, ২৫৬২৩, ২৫৭২৭, মুয়াত্তা মালেক ৭৬২, দারেমী ১৯১১, ১৯৩৫, ১৯৩৬, সহীহ আবু দাউদ ১৫৪২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৯৫

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَتْ كُنْتُ أَفْتِلُ الْقَلاَئِدَ لِهَدْىِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَيُقَلِّدُ هَدْيَهُ ثُمَّ يَبْعَثُ بِهِ ثُمَّ يُقِيمُ لاَ يَجْتَنِبُ شَيْئًا مِمَّا يَجْتَنِبُهُ الْمُحْرِمُ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কোরবানী পশুর জন্য মালা তৈরি করে দিতাম এবং তিনি তা পশুর গলায় পরিয়ে দিতেন। এরপর তা পাঠিয়ে দেয়া হতো এবং তিনি (সেখানে) অবস্থান করতেন। আর তিনি এমন কোন বস্ত বর্জন করতেন না যা ইহরামধারী ব্যক্তি বর্জন করে থাকে। [৩০৯৫]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৯৫] সহীহুল বুখারী ১৬৯৬, ১৬৯৭, ১৬৯৯, ১৭০০, ১৭০১, ১৭০২, ১৭০৩, ১৭০৪, ১৭০৫, ২৩১৭, ৫৫৬৬, মুসলিম ১৩২১, তিরমিযী ৯০৮, ৯০৯, নাসায়ী ২৭৭৫, ২৭৭৬, ২৭৭৭, ২৭৭৮, ২৭৭৯, ২৭৮০, ২৭৮৩, ২৭৮৪, ২৭৮৫, ২৭৮৬, ২৭৮৭, ২৭৮৮, ২৭৮৯, ২৭৯০, ২৭৯৩, ২৭৯৪, ২৭৯৫, ২৭৯৬, ২৭৯৭, আবূ দাউদ ১৭৫৫, ১৭৫৭, ১৭৫৮,১৭৫৯, আহমাদ ২৩৫৪৮, ২৩৫৬৪, ২৩৯৭১, ২৪০০৩,২৪০৩৬, ২৪০৮২, ২৪১৮৯, ২৪২৬০, ২৪৪৩৫, ২৪৮৮৩, ২৪৯৩৭, ২৪৯৭০, ২৪৯৮৯, ২৫০৩৭, ২৫০৪৯, ২৫১১৩, ২৫২০৮, ২৫২৪৭, ২৫২৮৯, ২৫৩০৪, ২৫৩৪৪, ২৫৩৪৬, ২৫৩৫৯, ২৫৪৬০, ২৫৪৭৮, ২৫৬২৩, ২৫৭২৭, মুয়াত্তা মালেক ৭৬২, দারেমী ১৯১১, ১৯৩৫, ১৯৩৬, সহীহ আবু দাউদ ১৫৪২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/৯৫. অধ্যায়ঃ

মেষ-বকরীর গলায় মালা পরানো

৩০৯৬

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ أَهْدَى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مَرَّةً غَنَمًا إِلَى الْبَيْتِ فَقَلَّدَهَا ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একবার রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোরবানীর উদ্দেশ্যে বাইতুল্লা্‌হয় মেষ-বকরী পাঠান এবং গলায় মালা পরান। [৩০৯৬]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৯৬] সহীহুল বুখারী ১৬৯৬, ১৬৯৭, ১৬৯৯, ১৭০০, ১৭০১, ১৭০২, ১৭০৩, ১৭০৪, ১৭০৫, ২৩১৭, ৫৫৬৬, মুসলিম ১৩২১, তিরমিযী ৯০৮, ৯০৯, নাসায়ী ২৭৭৫, ২৭৭৬, ২৭৭৭, ২৭৭৮, ২৭৭৯, ২৭৮০, ২৭৮৩, ২৭৮৪, ২৭৮৫, ২৭৮৬, ২৭৮৭, ২৭৮৮, ২৭৮৯, ২৭৯০, ২৭৯৩, ২৭৯৪, ২৭৯৫, ২৭৯৬, ২৭৯৭, আবূ দাউদ ১৭৫৫, ১৭৫৭, ১৭৫৮,১৭৫৯, আহমাদ ২৩৫৪৮, ২৩৫৬৪, ২৩৯৭১, ২৪০০৩,২৪০৩৬, ২৪০৮২, ২৪১৮৯, ২৪২৬০, ২৪৪৩৫, ২৪৮৮৩, ২৪৯৩৭, ২৪৯৭০, ২৪৯৮৯, ২৫০৩৭, ২৫০৪৯, ২৫১১৩, ২৫২০৮, ২৫২৪৭, ২৫২৮৯, ২৫৩০৪, ২৫৩৪৪, ২৫৩৪৬, ২৫৩৫৯, ২৫৪৬০, ২৫৪৭৮, ২৫৬২৩, ২৫৭২৭, মুয়াত্তা মালেক ৭৬২, দারেমী ১৯১১, ১৯৩৫, ১৯৩৬, সহীহ আবু দাউদ ১৫৪০। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/৯৬. অধ্যায়ঃ

উটের কুঁজ ফেড়ে দেয়া

৩০৯৭

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ هِشَامٍ الدَّسْتَوَائِيِّ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي حَسَّانَ الأَعْرَجِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَشْعَرَ الْهَدْىَ فِي السَّنَامِ الأَيْمَنِ وَأَمَاطَ عَنْهُ الدَّمَ ‏.‏ وَقَالَ عَلِيٌّ فِي حَدِيثِهِ بِذِي الْحُلَيْفَةِ وَقَلَّدَ نَعْلَيْنِ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোরবানী উটের কুঁজ ডান পাশ দিয়ে ফেড়ে দেন এবং তা থেকে রক্ত পরিস্কার করেন। ‘আলী তার (রাঃ) বর্ণনায় বলেন, এটা যুল-হুলাইফা নামক স্থানে। আর তিনি একজোড়া জুতার মালা পরিয়ে দেন। [৩০৯৭]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৯৭] সহীহুল বুখারী ১৫৪৫, মুসলিম ১২৪৩, তিরমিযী ৯০৬, নাসায়ী ২৭৭৩, ২৭৭৪, ২৭৮২, ২৭৯১, আবূ দাউদ ১৭৫২, আহমাদ ১৮৫৮, ২২৯৬, ২৫২৪, ৩১৩৯, ৩১৯৬, ৩২৩৪, ৩৫১৫, দারেমী ১৯১২, সহীহ আবু দাউদ ১৫৩৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

উক্ত হাদিসের রাবী আবুল হাসান আল-আ’রাজ সম্পর্কে আবু উবায়দ আল-আজিরী বলেন, তিনি খাওয়ারিজদের সাথে বের হয়ে গেছেন। আবু হাতিম বিন হিব্বান তার সিকাহ গ্রন্থে তার নাম উল্লেখ করেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার খাওারিজী মতাবলম্বী হওয়ার ব্যাপারে অভিযোগ রয়েছে। কাতাদাহ বিন দাআমাহ বলেন, তিনি হারুরী ছিলেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭৩১০, ৩৩/২৪২ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩০৯৮

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ أَفْلَحَ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَلَّدَ وَأَشْعَرَ وَأَرْسَلَ بِهَا وَلَمْ يَجْتَنِبْ مَا يَجْتَنِبُ الْمُحْرِمُ ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোরবানীর পশুর গলায় মালা পরান, কুঁজ ফেড়ে দেন এবং তা (মক্কায়) পাঠিয়ে দেন। অতঃপর তিনি এমন কোন কিছু পরিহার করেননি যা ইহরামধারী ব্যক্তি পরিহার করে। [৩০৯৮]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৯৮] সহীহুল বুখারী ১৬৯৬, ১৬৯৭, ১৬৯৯, ১৭০০, ১৭০১, ১৭০২, ১৭০৩, ১৭০৪, ১৭০৫, ২৩১৭, ৫৫৬৬, মুসলিম ১৩২১, তিরমিযী ৯০৮, ৯০৯, নাসায়ী ২৭৭৫, ২৭৭৬, ২৭৭৭, ২৭৭৮, ২৭৭৯, ২৭৮০, ২৭৮৩, ২৭৮৪, ২৭৮৫, ২৭৮৬, ২৭৮৭, ২৭৮৮, ২৭৮৯, ২৭৯০, ২৭৯৩, ২৭৯৪, ২৭৯৫, ২৭৯৬, ২৭৯৭, আবূ দাউদ ১৭৫৫, ১৭৫৭, ১৭৫৮,১৭৫৯, আহমাদ ২৩৫৪৮, ২৩৫৬৪, ২৩৯৭১, ২৪০০৩,২৪০৩৬, ২৪০৮২, ২৪১৮৯, ২৪২৬০, ২৪৪৩৫, ২৪৮৮৩, ২৪৯৩৭, ২৪৯৭০, ২৪৯৮৯, ২৫০৩৭, ২৫০৪৯, ২৫১১৩, ২৫২০৮, ২৫২৪৭, ২৫২৮৯, ২৫৩০৪, ২৫৩৪৪, ২৫৩৪৬, ২৫৩৫৯, ২৫৪৬০, ২৫৪৭৮, ২৫৬২৩, ২৫৭২৭, মুয়াত্তা মালেক ৭৬২, দারেমী ১৯১১, ১৯৩৫, ১৯৩৬। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/৯৭. অধ্যায়ঃ

কোরবানী পশুকে কাপড়ের ঝুল পরানো

৩০৯৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ أَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ أَقُومَ عَلَى بُدْنِهِ وَأَنْ أَقْسِمَ جِلاَلَهَا وَجُلُودَهَا وَأَنْ لاَ أُعْطِيَ الْجَازِرَ مِنْهَا شَيْئًا وَقَالَ ‏ “‏ نَحْنُ نُعْطِيهِ ‏”‏ ‏.‏

আলী বিন আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে নির্দেশ দেন, আমি যেন তাঁর কোরবানী পশু দেখাশুনা করি, ঝুল ও চামড়া (দরিদ্রের মধ্যে) বন্টন করি এবং কসাইকে যেন তা থেকে (পারিশ্রমিক বাবদ) কিছু না দেই। তিনি বলেনঃ তাকে আমি নিজের পক্ষ থেকে দিবো। [৩০৯৯]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩০৯৯] ইবনু মাজাহ ৩১৫৭, সহীহুল বুখারী ১৭০৭, ১৭১৬, ১৭১৭, ১৭১৮, ২২৯৯, মুসলিম ১৩১৭, আবূ দাউদ ১৭৬৯, আহমাদ ১২১৩, ১৩২৭, দারেমী ১৯৪০, ইরওয়া ১১৬১, সহীহ আবু দাউদ ১৫৫২। তাহকীক আলবানীঃ সহী

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/৯৮. অধ্যায়ঃ

মর্দা ও মাদী উভয় ধরনের পশুই কোরবানী দেয়া যায়

৩১০০

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَهْدَى فِي بُدْنِهِ جَمَلاً لأَبِي جَهْلٍ بُرَتُهُ مِنْ فِضَّةٍ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোরবানীর জন্য যে পশু পাঠান তার মধ্যে আবূ জাহলের একটি উটও ছিল এবং এর নাসারন্ধ্রের দড়ি ছিল রূপার তৈরি। [৩১০০]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩১০০] আবূ দাউদ ১৭৪৯, আহমাদ ২০৮০, ২৩৫৮, ২৪৬২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ইবনু আবু লায়লা সম্পর্কে ইয়াকুব বিন সুফইয়ান বলেন, তিনি সিকাহ। শু’বাহ ইবনুল হাজ্জাজ বলেন, আমি তার চেয়ে দুর্বল স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন আর কাউকে দেখিনি। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল-কাত্তান বলেন, তিনি যইফ বা দুর্বল। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার স্মৃতিশক্তি খুবই দুর্বল। ইবনু মাঈন বলেন, সমস্যা নেই। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৪০৬, ২৫/৬২২ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১০১

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، أَنْبَأَنَا مُوسَى بْنُ عُبَيْدَةَ، عَنْ إِيَاسِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ فِي بُدْنِهِ جَمَلٌ ‏.‏

সালামাহ বিন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কোরবানীর পশুর মধ্যে একটি উটও ছিল। [৩১০১]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩১০১] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী মুসা বিন উবাদাহ সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবু বাকর আল-বাযযার বলেন, তিনি ভালো ব্যাক্তি তবে হাফিয নয়। আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইমাম তিরমিযি ও আবু মুহাম্মাদ বিন হাযম বলেন, তিনি দুর্বল। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার থেকে হাদিস বর্ণনা করা আমার মতে বৈধ নয়। আহমাদ বিন শু’আয়ব ও ইমাম যাহাবী তাকে দুর্বল বলেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, মাতালিবুল আলায়ায় তাকে দুর্বল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ইমাম মুসলিম বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইয়াকুব বিন শায়বাহ বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় খুবই দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৫০৬, ২৯/১০৪ নং পৃষ্ঠা)

উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু মুসা বিন উবাদাহ এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ২০৩ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, ১২ টি খুবই দুর্বল, ২৫ টি দুর্বল, ২৯ টি হাসান, ১৩৭ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ তিরমিযি ৮১৫, আবু দাউদ ১৭৪৯, ১৭৬৪, ১৭৯৭, মুয়াত্তা মালিক ৮৪৭, ৮৯৮, আহমাদ ২০৮০, ২৩৫৮, ২৪২৪, ২৪৬২, ২৮৭৫, ১৪১৩৯, ১৪৭৫৩, মু’জামুল আওসাত ১০৪০, ৬৩০৭, ৯১৯৭।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/৯৯. অধ্যায়ঃ

মীকাত অতিক্রম করেও কোরবানীর পশু নেয়া যায়

৩১০২

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَمَانٍ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ اشْتَرَى هَدْيَهُ مِنْ قُدَيْدٍ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুদায়দ নামক স্থান থেকে তাঁর কোরবানী পশু ক্রয় করেন। [৩১০২]

 

তাহকীক আলবানীঃ সানাদটি দুর্বল, হাদীসটি ইবনু উমার থেকে মাওকুফ সুত্রে বর্ণিত হয়েছে, [সহীহ হলোঃ নবী বড় হজ্জের সময় তার হাদীসকে (কুরবানীর পশুকে) যুল হুলায়ফাহ থেকে তাড়িয়ে নিতেন]।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩১০২] তিরমিযী ৯০৭। তাহকীক আলবানীঃ সানাদটি দুর্বল, হাদিসটি ইবনু উমার থেকে মাওকুফ সুত্রে বর্ণিত হয়েছে। [সহীহ হলঃ নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বড় হজ্জের সময় তার হাদিকে (কুরবানীর পশুকে) যুল হুলায়ফা থেকে তাড়িয়ে নিতেন।]

উক্ত হাদিসের রাবী ইয়াহইয়া বিন ইয়ামান সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ইদতিরাব করেন। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হুজ্জাহ ছিলেন না তিনি দুর্বল। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহণযোগ্য হবে না। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৯৫৩, ৩২৫৫ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/১০০. অধ্যায়ঃ

কুরবানীর পশুর পিঠে আরোহণ করা

৩১০৩

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، ‏.‏ أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رَأَى رَجُلاً يَسُوقُ بَدَنَةً فَقَالَ ‏”‏ ارْكَبْهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ إِنَّهَا بَدَنَةٌ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ ارْكَبْهَا وَيْحَكَ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যক্তিকে তার কোরবানীর পশু হাঁকিয়ে নিয়ে যেতে দেখে বলেনঃ এর পিঠে চড়ে যাও। সে বললো, এটা কোরবানীর পশু। তিনি বলেনঃ তুমি তার পিঠে চড়ে যাও। তোমার জন্য আফসোস। [৩১০৩]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩১০৩] সহীহুল বুখারী ১৬৮৯, ১৭০৬, ২৭৫৫, ৬১৬০, মুসলিম ১৩২২, নাসায়ী ২৭৯৯, আবূ দাউদ ১৭৬০, আহমাদ ৭৩০৩, ৭৪০৪, ৭৬৭৯, ২৭৩৩৯, ৯৬৬৩, ৯৭৭৭, ৯৮৩৬, ৯৮৭৩, ৯৯৪২, ১০১৮৮, মুয়াত্তা মালেক ৮৪৮, সহীহ আবু দাউদ ১৫৪৪। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১০৪

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ هِشَامٍ، – صَاحِبِ الدَّسْتَوَائِيِّ – عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مُرَّ عَلَيْهِ بِبَدَنَةٍ فَقَالَ ‏”‏ ارْكَبْهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ إِنَّهَا بَدَنَةٌ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ ارْكَبْهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ فَرَأَيْتُهُ رَاكِبَهَا مَعَ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي عُنُقِهَا نَعْلٌ ‏.‏

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সামনে দিয়ে একটি উট নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তখন তিনি বলেনঃ এর পিঠে চড়ে যাও। লোকটি বললো, এটা কোরবানীর উট। তিনি বলেনঃ তুমি এর পিঠে চড়ো। আনাস (রাঃ) বলেন, আমি তাকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে উটের পিঠে চড়ে যেতে দেখেছি। এর গলায় একটি জুতা বাঁধা ছিল। [৩১০৪]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩১০৪] সহীহুল বুখারী ১৬৯০, ২৭৫৪, ৬১৫৯, মুসলিম ১৩২৩, তিরমিযী ৯১১, নাসায়ী ২৮০০, ২৮০১, আহমাদ ১১৫৪৮, ১১৬২৯, ১২৩০০, ১২৩২৪, ১২৩৬৩, ১২৪৮১, ১২৬৭৭, ১৩০০২, ১৩০৪৪, ১৩২২০, ১৩৩৩৯, ১৩৪৯৭, ১৩৫১৯, ১৩৬৮৪, দারেমী ১৯১৩। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/১০১. অধ্যায়ঃ

কোরবানীর পশু পথিমধ্যে অচল হয়ে পড়লে

৩১০৫

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ الْعَبْدِيُّ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سِنَانِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ ذُؤَيْبًا الْخُزَاعِيَّ، حَدَّثَ أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يَبْعَثُ مَعَهُ بِالْبُدْنِ ثُمَّ يَقُولُ ‏ “‏ إِذَا عَطِبَ مِنْهَا شَىْءٌ فَخَشِيتَ عَلَيْهِ مَوْتًا فَانْحَرْهَا ثُمَّ اغْمِسْ نَعْلَهَا فِي دَمِهَا ثُمَّ اضْرِبْ صَفْحَتَهَا وَلاَ تَطْعَمْ مِنْهَا أَنْتَ وَلاَ أَحَدٌ مِنْ أَهْلِ رُفْقَتِكَ ‏”‏ ‏.‏

যুআইব আল-খুযাঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে কোরবানীর পশু নিয়ে (মক্কায়) পাঠাতেন, অতঃপর বলতেন : এগুলোর মধ্যে কোন পশু অচল হয়ে পড়লে এবং তুমি তার মৃত্যুর আশঙ্কা করলে সেটি যবেহ করবে, অতঃপর তার রক্তের মধ্যে তার গলায় জুতা ফেলে রাখবে, অতঃপর তার পাছার উপর ক্ষতচিহ্ন করবে। তবে তার গোশত তুমিও খাবে না এবং তোমার সঙ্গীদের মধ্যেও কেউ খাবে না। [৩১০৫]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩১০৫] মুসলিম ১৩২৬, আহমাদ ১৭৫১৩, সহীহ আবু দাউদ ১৫৪৭। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১০৬

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَعَمْرُو بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالُوا حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ نَاجِيَةَ الْخُزَاعِيِّ، – قَالَ عَمْرٌو فِي حَدِيثِهِ وَكَانَ صَاحِبَ بُدْنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ – قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ أَصْنَعُ بِمَا عَطِبَ مِنَ الْبُدْنِ قَالَ ‏ “‏ انْحَرْهُ وَاغْمِسْ نَعْلَهُ فِي دَمِهِ ثُمَّ اضْرِبْ صَفْحَتَهُ وَخَلِّ بَيْنَهُ وَبَيْنَ النَّاسِ فَلْيَأْكُلُوهُ ‏”‏ ‏.‏

নাজিয়াহ আল-খুযাঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমরের বর্ণনামতে তিনি ছিলেন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কোরবানীর উটের রক্ষনাবেক্ষনকারী) তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! কোনো উট অচচল হয়ে পড়লে আমি কী করবো? তিনি বলেনঃ সেটি যবেহ করবে এবং তার গলায় জুতা তার রক্তের মধ্যে ফেলে দিবে, অতঃপর তার পাছার উপর ক্ষতচিহ্ন করবে এবং লোকেদের জন্য তা ফেলে রাখবে, তারা তা আহার করবে। [৩১০৬]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

৩১০৬] তিরমিযী ৯১০, আবূ দাউদ ১৭৬২, আহমাদ ১৮৪৬৫, দারেমী ১৯০৯, সহীহ আবু দাউদ ১৫৪৬। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/১০২. অধ্যায়ঃ

মক্কা শরীফের বাড়িঘর ভাড়া দেয়া

৩১০৭

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي حُسَيْنٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ نَضْلَةَ، قَالَ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَمَا تُدْعَى رِبَاعُ مَكَّةَ إِلاَّ السَّوَائِبَ مَنِ احْتَاجَ سَكَنَ وَمَنِ اسْتَغْنَى أَسْكَنَ ‏.‏

আলকামা বিন নাদলাহ (মাকবূল) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) , আবূ বকর ও উমার (রাঃ) ইন্তিকাল করেন এবং ঐ সময় পর্যন্ত মক্কার বাড়িঘর ‘আস-সাওয়াইব’ নামে পরিচিত ছিল। কোন ব্যক্তির প্রয়োজন হলে সে তাতে (তিন ঘরে) বসবাস করতো এবং কারো (নিজের জন্য) প্রয়োজন না হলে সে তা অন্যকে বসবাসের জন্য খালি করে দিতো। [৩১০৭]

 

তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩১০৭] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। আলকামাহ বিন নাদলাহ এর জাহালাতের কারণে হাদিসটি দুর্বল। তার হাদিস মুরসাল।

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/১০৩. অধ্যায়ঃ

মক্কার ফাদীলাত

৩১০৮

حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ الْمِصْرِيُّ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، أَخْبَرَنِي عُقَيْلٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مُسْلِمٍ، أَنَّهُ قَالَ إِنَّ أَبَا سَلَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَدِيِّ بْنِ الْحَمْرَاءِ قَالَ لَهُ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَهُوَ عَلَى رَاحِلَتِهِ وَاقِفٌ بِالْحَزْوَرَةِ يَقُولُ ‏ “‏ وَاللَّهِ إِنَّكِ لَخَيْرُ أَرْضِ اللَّهِ وَأَحَبُّ أَرْضِ اللَّهِ إِلَيَّ وَاللَّهِ لَوْلاَ أَنِّي أُخْرِجْتُ مِنْكِ مَا خَرَجْتُ ‏”‏ ‏.‏

আবূ সালামাহ বিন আবদুর রহমান বিন আওফ থেকে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ বিন আদী ইবনুল হামরা’ (রাঃ) তাকে বলেন, আমি দেখেছি যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর উষ্ট্রীর পিঠে আরোহিত অবস্থায় আল-জাযওয়ারা নামক স্থানে বলেনঃ আল্লাহর শপথ! তুমি (মক্কা) আল্লাহর গোটা যমীনের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং দুনিয়ার সমস্ত যমীনের মধ্যে তুমি আমার নিকট সর্বাধিক প্রিয়। আল্লাহর শপথ! তোমার থেকে আমাকে উচ্ছেদ না করা হলে আমি (তোমায় ত্যাগ করে) চলে যেতাম না। [৩১০৮]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩১০৮] তিরমিযী ২৯২৫, আহমাদ ১৮২৪০, দারেমী ২৫১০, মিশকাত ২৭২৫। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১০৯

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ بْنُ صَالِحٍ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ مُسْلِمِ بْنِ يَنَّاقٍ، عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ، قَالَتْ سَمِعْتُ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَخْطُبُ عَامَ الْفَتْحِ فَقَالَ ‏”‏ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ اللَّهَ حَرَّمَ مَكَّةَ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ فَهِيَ حَرَامٌ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ لاَ يُعْضَدُ شَجَرُهَا وَلاَ يُنَفَّرُ صَيْدُهَا وَلاَ يَأْخُذُ لُقَطَتَهَا إِلاَّ مُنْشِدٌ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ الْعَبَّاسُ إِلاَّ الإِذْخِرَ فَإِنَّهُ لِلْبُيُوتِ وَالْقُبُورِ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ إِلاَّ الإِذْخِرَ ‏”

সাফিয়্যা বিনতু শায়বাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি মক্বা বিজয়ের বছর মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে তাঁর ভাষণে বলতে শুনেছিঃ হে জনগণ! আল্লাহ তাআলা আসমান ও যমীন সৃষ্টির দিন থেকে মক্কাকে হারাম (সম্মানিত) করেছেন। অতএব তা কিয়ামত পর্যন্ত হারাম থাকবে। তার বৃক্ষরাজি কাটা যাবে না, এখানকার শিকারের পিছু ধাওয়া করা যাবে না, এখানে পড়ে থাকা কোন জিনিস তুলে নেয়া যাবে না, কেবল সেই ব্যক্তি তা তুলতে পারবে যে তার ঘোষণা দিবে। আব্বাস (রাঃ) বলেন, কিন্তু ইযখির ঘাস (বৈধ করা হোক)। কারণ তা ঘরবাড়ি তৈরিী ও কবরে রাখার জন্য (প্রয়োজন হয়)। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ইযখির ঘাস ব্যতীত। [৩১০৯]

 

তাহকীক আলবানীঃ হাসান।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩১০৯] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। ইরওয়া ৪/২৪৯, মুখতাসারুল বুখারী ১/৩১৭। তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী ১. ইউনুস বিন বুকায়র সম্পর্কে আবু বকর বিন আবু শায়বাহ বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। আবু হাতিম বিন হিব্বান তার সিকাহ গ্রন্থে তার নাম উল্লেখ করেছেন। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসাঈ বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭১৭১, ৩২/৪৯৩ নং পৃষ্ঠা) ২. মুহাম্মাদ বিন ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাসানুল হাদিস। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সালিহ। সুলায়মান বিন তারখান ও সুলায়মান বিন মিহরান বলেন, তিনি মিথ্যুক। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি আমার নিকট হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫০৫৭, ২৪/৪০৫ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

  •  সরাসরি

৩১১০

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، وَابْنُ الْفُضَيْلِ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَابِطٍ، عَنْ عَيَّاشِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ الْمَخْزُومِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ لاَ تَزَالُ هَذِهِ الأُمَّةُ بِخَيْرٍ مَا عَظَّمُوا هَذِهِ الْحُرْمَةَ حَقَّ تَعْظِيمِهَا فَإِذَا ضَيَّعُوا ذَلِكَ هَلَكُوا ‏”‏ ‏.‏

আয়্যাশ বিন আবূ রবীআহ আল-মাখযূমী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এই উম্মাত যত দিন এই হারাম শরীফের যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শন করবে, ততো দিন তারা কল্যাণের মধ্যে থাকবে। কিন্তু যখন তারা তা বিনষ্ট করবে, তখন ধ্বংস হবে। [৩১১০]

 

তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩১১০] আহমাদ ১৮৫৭০, মিশকাত ২৭২৭, যইফ আল-জামি ৬২১৩। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. মুহাম্মাদ বিন ফুদায়ল সম্পর্কে ইবনু মাঈন তাকে সিকাহ বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি শীয়া মতাবলম্বী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫৪৮, ২৬/২৯৩ নং পৃষ্ঠা) ২. ইয়াযীদ বিন আবু যিয়াদ সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবু আহমাদ বিন আদী বলেন, তিনি কুফার শীয়াদের একজন। আবু বাকর আল-বায়হাকী ও আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তার হাদিস কেউ বর্জন করেছেন এমর্মে আমার জানা নেই। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি দুর্বল, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তা দলীলযোগ্য নয়। ইমাম তিরমিযি বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার স্মৃতিশক্তি ভালো ছিল না। ইবরাহীম বিন ইয়াকুব আল-জাওযুজানী বলেন, আমি আহলে ইলমদের বলতে শুনেছি, তারা তাকে দুর্বল বলতেন। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি দুর্বল, তিনি হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। আবদুল বাকী ইবনুল কানি বলেন, তিনি দুর্বল। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৯৯১, ৩২/১৩৫ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/১০৪. অধ্যায়ঃ

মদীনার ফাদীলাত

৩১১১

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، وَأَبُو أُسَامَةَ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ خُبَيْبِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ إِنَّ الإِيمَانَ لَيَأْرِزُ إِلَى الْمَدِينَةِ كَمَا تَأْرِزُ الْحَيَّةُ إِلَى جُحْرِهَا ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ঈমান মাদীনার দিকে গুটিয়ে আসবে, যেমন সাপ তার গর্তের দিকে গুটিয়ে আসে। [৩১১১]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩১১১] সহীহুল বুখারী ১৮৭৬, মুসলিম ১৪৭, আহমাদ ৭৭৮৭, ৯১৭৫, ১০০৬৩। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১১২

حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ أَنْ يَمُوتَ بِالْمَدِينَةِ فَلْيَفْعَلْ فَإِنِّي أَشْهَدُ لِمَنْ مَاتَ بِهَا ‏”‏ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ যদি মদীনায় মৃত্যুবরণ করতে পারে, সে যেন তাই করে। কারণ যে ব্যক্তি এখানে মারা যাবে, আমি তার পক্ষে সাক্ষী হবো। [৩১১২]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩১১২] তিরমিযী ৩৯১৭, আত-তালীকুর রাগীব ২/১৪২, দিফা’ আনিল হাদিস ১০৭। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী মু’আয বিন হিশাম সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, আমি তার একটি মজলিসে ১৭ টি হাদিস ব্যাতিত তার থেকে কোন হাদিস গ্রহন করিনি। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো সন্দেহ করেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হুজ্জাহ নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬০৩৮, ২৮/১৩৯ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১১৩

حَدَّثَنَا أَبُو مَرْوَانَ، مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ الْعُثْمَانِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ اللَّهُمَّ إِنَّ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلُكَ وَنَبِيُّكَ وَإِنَّكَ حَرَّمْتَ مَكَّةَ عَلَى لِسَانِ إِبْرَاهِيمَ اللَّهُمَّ وَأَنَا عَبْدُكَ وَنَبِيُّكَ وَإِنِّي أُحَرِّمُ مَا بَيْنَ لاَبَتَيْهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو مَرْوَانَ لاَبَتَيْهَا حَرَّتَىِ الْمَدِينَةِ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ হে আল্লাহ! ইবরাহীম (আ.) তোমার বন্ধু ও নবী। তুমি মক্কাকে ইবরাহীম (আ.)-এর যবানীতে হারাম (সম্মানিত) ঘোষণা করেছো। হে আল্লাহ! আমিও তোমার বান্দা ও নবী। অতএব আমি মদীনাকে, তার দু প্রস্তরময় জমীনের মধ্যস্থল হারাম ঘোষণা করছি। আবূ মারওয়ান (রাঃ) বলেন, ‘লাবাতাইহা’ শব্দের অর্থ মদীনার দু’প্রান্তের প্রস্তরময় ভূমি। [৩১১৩]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩১১৩] মুসলিম ১৩৭৩, তিরমিযী ৩৪৫৪, আহমাদ ৮১৭৩, মুয়াত্তা মালেক ১৬৩৭। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবু মারওয়ান মুহাম্মাদ বিন উসমান আল-উসমানী সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন ও সিকাহ রাবীর বিপরীত হাদিস বর্ণনা করেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইমাম বুখারী তাকে সত্যবাদী বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৪৫৪, ২৬/৮১ নং পৃষ্ঠা) ২. আলা বিন আব্দুর রহমান সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সিকাহ তার খারাফি সম্পর্কে কারো থেকে কিছু শুনিনি। ইমাম তিরমিযি বলেন, হাদিস বিশারদদের নিকট তিনি সিকাহ। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইবনু আদী বলেন, আমি কোন সমস্যা দেখি না। ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৫৭৭, ২২/৫২০ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১১৪

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَنْ أَرَادَ أَهْلَ الْمَدِينَةِ بِسُوءٍ أَذَابَهُ اللَّهُ كَمَا يَذُوبُ الْمِلْحُ فِي الْمَاءِ ‏”‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

, রাসূলু্ল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মদীনার অধিবাসীদের ক্ষতিসাধনের ইচ্ছা করবে, তাকে আল্লাহ তাআলা এমনভাবে গলিয়ে দিবে, যেভাব লবণ পানিতে গলে যায়। [৩১১৪]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩১১৪] মুসলিম ১৩৮৬, ১৩৮৭, আহমাদ ৭৬৯৭, ৮০২৮, ৮১৭৩, ৮৪৭২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন আমর বিন হুরায়স সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ তবে ইমাম যাহাবী বলেন তার পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইবরাহীম বিন ইয়াকুব আল-জাওযুজানী বলেন, তিনি হাদিসের ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। ইমাম দারাকুতনী তাকে দুর্বল বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫১৩, ২৬/২১২ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

৩১১৫

حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مِكْنَفٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ “‏ إِنَّ أُحُدًا جَبَلٌ يُحِبُّنَا وَنُحِبُّهُ وَهُوَ عَلَى تُرْعَةٍ مِنْ تُرَعِ الْجَنَّةِ وَعَيْرٌ عَلَى تُرْعَةٍ مِنْ تُرَعِ النَّارِ ‏”‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন মিকনাফ (মাজহুল বা অপরিচিত) থেকে বর্ণিতঃ

আমি আনাস বিন মালিক (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ উহুদ একটি পাহাড়, সে আমাদের ভালোবাসে এবং আমরাও তাকে ভালোবাসি। তা জান্নাতের টিলাসমূহের একটির উপর অবস্থিত। আর আইর পাহাড় দোযখের টিলাসমূহের একটির উপর অবস্থিত। [৩১১৫]

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩১১৫] সহীহুল বুখারী ২৮৮৯, ২৮৯৩, ৩৩৬৭, মুসলিম ১৩৯৩, তিরমিযী ৩৯২২, আহমাদ ১২০১৩, ১২১০১, ১৩১১৩, ১৩১৩৩, মুয়াত্তা মালেক ১৬৪৫, যইফাহ ১৮২০, যইফ আল-জামি ১৩৬৮। তাহকীক আলবানীঃ খুবই দুর্বল। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল্লাহ বিন মিকনাফ সম্পর্কে আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল পেশ করা সঠিক নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি দুর্বল। তাহরীরু তাকরীবুত তাহযীব এর লেখক বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৫৯১, ১৬/১৭৬ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল

  •  সরাসরি

১৯/১০৫. অধ্যায়ঃ

কাবা ঘরের অভন্তরের সম্পদ

৩১১৬

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا الْمُحَارِبِيُّ، عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ وَاصِلٍ الأَحْدَبِ، عَنْ شَقِيقٍ، قَالَ بَعَثَ رَجُلٌ مَعِيَ بِدَرَاهِمَ هَدِيَّةً إِلَى الْبَيْتِ ‏.‏ قَالَ فَدَخَلْتُ الْبَيْتَ وَشَيْبَةُ جَالِسٌ عَلَى كُرْسِيٍّ فَنَاوَلْتُهُ إِيَّاهَا ‏.‏ فَقَالَ أَلَكَ هَذِهِ قُلْتُ لاَ وَلَوْ كَانَتْ لِي لَمْ آتِكَ بِهَا ‏.‏ قَالَ أَمَا لَئِنْ قُلْتَ ذَلِكَ لَقَدْ جَلَسَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ مَجْلِسَكَ الَّذِي جَلَسْتَ فِيهِ فَقَالَ لاَ أَخْرُجُ حَتَّى أَقْسِمَ مَالَ الْكَعْبَةِ بَيْنَ فُقَرَاءِ الْمُسْلِمِينَ ‏.‏ قُلْتُ مَا أَنْتَ بِفَاعِلٍ ‏.‏ قَالَ لأَفْعَلَنَّ ‏.‏ قَالَ وَلِمَ ذَاكَ قُلْتُ لأَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَدْ رَأَى مَكَانَهُ ‏.‏ وَأَبُو بَكْرٍ وَهُمَا أَحْوَجُ مِنْكَ إِلَى الْمَالِ فَلَمْ يُحَرِّكَاهُ ‏.‏ فَقَامَ كَمَا هُوَ فَخَرَجَ ‏.‏

শায়বাহ বিন উসমান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি আমার মাধ্যমে বাইতুল্লাহয় হাদিয়াস্বরূপ কতকগুলি দিরহাম পাঠায়। আমি বাইতুল্লাহর অভ্যন্তরে প্রবেশ করে শাইবাকে একটি কুরসীর উপর উপবিষ্ট দেখতে পেলম। আমি দিরহামগুলো তাকে দিলাম। সে তাকে জিজ্ঞেসা করলো, এগুলো কি তোমার দিরহাম? আমি বললাম, না। এগুলো আমার হলে তা নিয়ে তোমার নিকট আসতাম না। সে বলরো, যদি তুমি এ কথা বলো তবে শোনো, তুমি যে স্থানে বসে আছো, উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) এখানে বসেছেন, অতঃপর বলেছেন, আমি কাবার সম্পদ দরিদ্র মুসলমানদের মধ্যে বণ্টন না করা পর্যন্ত বের হবো না। আমি বললাম, আপনি তা করবে না। তিনি বললেন, আমি অবশ্যই তা করবো। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলৈন, তুমি একথা কেন বললে? আমি বললাম, কারণ রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ সম্পদের স্থান দেখেছেন এবং আবূ বকর (রাঃ) ও। তাঁদের উভয়ের আপনার চেয়ে মালের অধিক প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তাঁরা এ সম্পদ স্থানচ্যুত করেননি। একথা শুনে উমার (রাঃ) উঠে দাঁড়ান এবং বের হয়ে চলে যান। [৩১১৬]

 

তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩১১৬] সহীহুল বুখারী ১৫৯৪, ৭২৭৫, আবূ দাউদ ২০৩১, আহমাদ ১৪৯৫৮, সহীহ আবু দাউদ ১৭৭১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/১০৬. অধ্যায়ঃ

মক্কায় রমাদান মাসের রোযা রাখা

৩১১৭

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ الْعَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ زَيْدٍ الْعَمِّيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ “‏ مَنْ أَدْرَكَ رَمَضَانَ بِمَكَّةَ فَصَامَ وَقَامَ مِنْهُ مَا تَيَسَّرَ لَهُ كَتَبَ اللَّهُ لَهُ مِائَةَ أَلْفِ شَهْرِ رَمَضَانَ فِيمَا سِوَاهَا ‏.‏ وَكَتَبَ اللَّهُ لَهُ بِكُلِّ يَوْمٍ عِتْقَ رَقَبَةٍ وَكُلِّ لَيْلَةٍ عِتْقَ رَقَبَةٍ وَكُلِّ يَوْمٍ حُمْلاَنَ فَرَسٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَفِي كُلِّ يَوْمٍ حَسَنَةً وَفِي كُلِّ لَيْلَةٍ حَسَنَةً ‏”‏ ‏.‏

সাঈদ বিন জুবায়র থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু আব্বাস (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মক্কায় রমাদান মাস পেলো, রোযা রাখলো এবং যথাসাধ্য (রাতে) ইবাদত করলো, আল্লাহ তাআলা তাকে অন্য স্থানের তুলনায় এক লক্ষ রমাদান মাসের সওয়াব দান করবেন এবং প্রতিটি দিনের পরিবর্তে একটি গোলাম এবং প্রতিটি রাতের পরিবর্তে একটি গোলাম আযাদ করার সওয়াব (তার আমলনামায়) লিখে দিবেন, প্রতিটি দিনের পরিবর্তে আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধের জন্য একটি ঘোড়া দানের সমপরিমাণ সওয়াব, প্রতি দিনের জন্য একটি নেকী (পূণ্য) এবং প্রতিটি রাতের জন্য একটি পূণ্য দান করবেন। [৩১১৭]

 

তাহকীক আলবানীঃ বানোয়াট।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩১১৭] হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। আত তা’লীকুর রাগীব ২/৬৫, দঈফাহ ২৩৭,

উক্ত হাদীসের রাবী আবদুর রহীম বিন যায়দ আল-আম্মী সম্পর্কে আবূ বাক্র আল-বায়হাকী বলেন, তিনি দুর্বল। আবূ হাতিম আল-রাযী তার হাদীস বর্জর করেছেন। আবূ দাঊদ আস সাজিসতানী বলেন, তিনি দুর্বল ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মিথ্যার অভিযোগে অভিযুক্ত। ইমমি যাহাবী তাকে বর্জন করেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪০৬, ১৮/৩৪ নং পৃষ্ঠা) ২. যায়দ আল-আম্মী সম্পর্কে আবুল ফারাজ ইবনুল জাওযী তার ‘মাওদুআত’ গ্রন্থে তাকে উল্লেখ করেছেন। আবূ হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদীস গ্রহণ করা যায় তবে তা দলীলযোগ্য হবে না, তিনি হাদীস বর্ণনায় দুর্বল। আবূ নুআয়ম আল-আসবাহানী বলেন, তার মাঝে দুর্বলতা রয়েছে। আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২১০২, ১০/৫৬ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ জাল হাদিস

  •  সরাসরি

১৯/১০৭. অধ্যায়ঃ

বৃষ্টির মধ্যে (বাইতুল্লাহ) তাওয়াফ করা

৩১১৮

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ الْعَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ عَجْلاَنَ، قَالَ طُفْنَا مَعَ أَبِي عِقَالٍ فِي مَطَرٍ فَلَمَّا قَضَيْنَا طَوَافَنَا أَتَيْنَا خَلْفَ الْمَقَامِ فَقَالَ طُفْتُ مَعَ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ فِي مَطَرٍ فَلَمَّا قَضَيْنَا الطَّوَافَ أَتَيْنَا الْمَقَامَ فَصَلَّيْنَا رَكْعَتَيْنِ فَقَالَ لَنَا أَنَسٌ ‏ “‏ ائْتَنِفُوا الْعَمَلَ فَقَدْ غُفِرَ لَكُمْ ‏”‏ ‏.‏ هَكَذَا قَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَطُفْنَا مَعَهُ فِي مَطَرٍ

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমরা আবূ ইকালের সাথে বৃষ্টির মধ্যে (বাইতুল্লাহ) তাওয়াফ করলাম এবং তাওয়াফ শেষে মাকামে ইবরাহীমের পেছনে এলাম। তখন আবূ ইকাল বলেন, আম আনাস বিন মালিক (রাঃ)-র সাথে বৃষ্টির মধ্যে বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করেছি। আমরা তাওয়াফ শেষে মাকামে (ইবরাহীম) এসে দু’ রাক’আত নামায পড়েছি। অতঃপর আনাস (রাঃ) আমাদের বলেন, এখন নতুনভাবে নিজেদের আমলের হিসাব রাখো। তোমাদের পূর্বের গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়েছে। রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের এরূপই বলেছেন এবং আমরা তাঁর সাথে বৃষ্টির মধ্যে তাওয়াফ করেছি। [৩১১৮]

 

তাহকীক আলবানীঃ সানাদটি খুবই দুর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩১১৮] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী দাউদ বিন আজলান সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু জা’ফার আল-উকায়লী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনা করেছেন কিন্তু তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু সাঈদ বিন আমর ও আবু আবদুল্লাহ আল-হাকিম আন-নায়সাবুরী বলেন, তিনি আবু ইকাল থেকে একাধিক জাল হাদিস বর্ণনা করেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী ও ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৭৭৪, ৮/৪১৭ নং পৃষ্ঠা) ২. আবু ইকাল সম্পর্কে আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তার হাদিস নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি কুফুরী নয় এমন কওলী বা আমালী কোন ফিসক এর সাথে জড়িত। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মিথ্যা বলার অভিযোগে অভিযুক্ত। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি জাল (বানোয়াট) হাদিস বর্ণনার অভিযোগে অভিযুক্ত। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৬১৮, ৩০/৩৩৪ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ খুবই দুর্বল

  •  সরাসরি

১৯/১০৮ অধ্যায়ঃ

পদব্রজে হাজ্জ করা

৩১১৯

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ حَفْصٍ الأُبُلِّيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَمَانٍ، عَنْ حَمْزَةَ بْنِ حَبِيبٍ الزَّيَّاتِ، عَنْ حُمْرَانَ بْنِ أَعْيَنَ، عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ حَجَّ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَأَصْحَابُهُ مُشَاةً مِنَ الْمَدِينَةِ إِلَى مَكَّةَ وَقَالَ ‏ “‏ ارْبُطُوا أَوْسَاطَكُمْ بِأُزُرِكُمْ ‏”‏ ‏.‏ وَمَشَى خِلْطَ الْهَرْوَلَةِ ‏.‏

আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর সাহাবীগণ মদীনা থেকে মক্কায় পদব্রজে গিয়ে হাজ্জ করেন এবং তিনি বলেনঃ নিজেদের কোমরে পরিধেয় বস্ত্র বেঁধে নাও”। তিনি কিছুটা দ্রুত গতিতে পথ অতিক্রম করেন। [৩১১৯]

 

তাহকীক আলবানীঃ দূর্বল।

  •  
  •  
  •  
  •  

[৩১১৯] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। আত-তালীক আলা ইবনু খুযায়মাহ ২৫৩৫, যইফাহ ২৭৩৪। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. ইয়াহইয়া বিন ইয়ামান সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ইদতিরাব করেন। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হুজ্জাহ ছিলেন না তিনি দুর্বল। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহণযোগ্য হবে না। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৯৫৩, ৩২৫৫ নং পৃষ্ঠা) ২. হামযাহ বিন হাবীব আয-যায়্যাত সম্পর্কে আবুল ফাতহ আল-আযদী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার স্মৃতিশক্তি দুর্বল। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো সন্দেহ করেন। যাকারিয়্যা বিন ইয়াহইয়া আস-সাজী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার স্মৃতিশক্তি দুর্বল। ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে সিকাহ বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৫০১, ৭/৩১৪ নং পৃষ্ঠা) ৩. হুমরান বিন আ’ইয়ান সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী তাকে শায়খ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি রাফিদী মতাবলম্বী। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি শীয়া মতাবলম্বী। আহমাদ বিন শায়বাহ আন-নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ নন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি দুর্বল ও রাফিদী মতাবলম্বী। ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে দুর্বল বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৪৯৭, ৭/৩০৬ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস