ইবনে মাজাহ হজ্জ অধ্যায় ২য় ভাগ হাদিস নং ২৯৬১ – ৩০৪০
১৯/৩৪. অধ্যায়ঃ
অসুস্থ ব্যক্তির বাহনে চড়ে তাওয়াফ করা।
২৯৬১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُعَلَّى بْنُ مَنْصُورٍ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، قَالاَ حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ نَوْفَلٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ زَيْنَبَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّهَا مَرِضَتْ فَأَمَرَهَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ تَطُوفَ مِنْ وَرَاءِ النَّاسِ وَهِيَ رَاكِبَةٌ . قَالَتْ فَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُصَلِّي إِلَى الْبَيْتِ وَهُوَ يَقْرَأُ {وَالطُّورِ * وَكِتَابٍ مَسْطُورٍ} . قَالَ ابْنُ مَاجَهْ هَذَا حَدِيثُ أَبِي بَكْرٍ .
উম্মু সালমাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রোগগ্রস্ত হয়ে পড়লে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে লোকদের পেছনে পেছনে জন্তুযানে আরোহিত অবস্থায় তাওয়াফ করার নির্দেশ দিলেন। উম্মু সালমাহ (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বাইতুল্লাহর দিকে ফিরে নামায পরতে দেখেছি এবং তাতে তিনি “ওয়াত-তূর ওয়া কিতাবিম-মাসতূর” সূরা তিলাওয়াত করেন। ইবনু মাজাহ (রঃ) বলেন, এটা আবূ বকর বর্ণিত হাদীস। [২৯৬১]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[২৯৬১]সহীহুল বুখারী ৪৬৪, ১৬১৯, ১৬২৬, ১৬৩৩, ৪৮৫৩, মুসলিম ১২৭৬, নাসায়ী ২৯২৫, ২৯২৬, ২৯২৭, আবূ দাউদ ১৮৮২, আহমাদ ২৫৯৪৬, ২৬১৭৪, মুয়াত্তা মালেক ৮৩২, সহীহ আবু দাউদ ১৬৪৪। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯/৩৫. অধ্যায়ঃ
মুলতাযাম-এর বর্ণনা।
২৯৬২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ سَمِعْتُ الْمُثَنَّى بْنَ الصَّبَّاحِ، يَقُولُ حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ طُفْتُ مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو فَلَمَّا فَرَغْنَا مِنَ السَّبْعِ رَكَعْنَا فِي دُبُرِ الْكَعْبَةِ فَقُلْتُ أَلاَ نَتَعَوَّذُ بِاللَّهِ مِنَ النَّارِ . قَالَ أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ النَّارِ . قَالَ ثُمَّ مَضَى فَاسْتَلَمَ الرُّكْنَ ثُمَّ قَامَ بَيْنَ الْحَجَرِ وَالْبَابِ فَأَلْصَقَ صَدْرَهُ وَيَدَيْهِ وَخَدَّهُ إِلَيْهِ ثُمَّ قَالَ هَكَذَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَفْعَلُ .
আবদুল্লাহ বিন আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি আবদুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) এর সাথে বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করলাম। আমরা সাতবার তাওয়াফ শেষে কা’বার পশ্চাতে নামায পড়লাম। অতঃপর আমি বললাম, আমরা কি আল্লাহর নিকট জাহান্নাম থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করবো না? তিনি বলেন, আমি আল্লাহর নিকট জাহান্নাম থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। রাবী বলেন, অতঃপর তিনি অগ্রসর হয়ে হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করেন, অতঃপর হাজরে আসওয়াদ ও কা’বার দরজার মাঝ বরাবর দাঁড়ান, অতঃপর তার নিজের বুক, হস্তদ্বয় ও গাল তার সাথে লাগান এবং বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে এরূপ করতে দেখেছি। [২৯৬২]
তাহকীক আলবানীঃ হাসান।
২৯৬২] আবূ দাউদ ১৮৯৯, সহীহাহ ২১৩৮। তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী আল মুসান্না ইবনুস সাব্বাহ সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, পূর্ব ইমামগণ তাকে দুর্বল হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আবু হাতিম আর-রাযী ও ইমাম তিরমিযি বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ইদতিরাব করেন। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি সিকাহ নয়, তিনি মিথ্যার অভিযোগে অভিযুক্ত। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি দুর্বল। যাকারিয়্যা বিন ইয়াহইয়া আস-সাজী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় খুবই দুর্বল। আলী ইবনুল জুনায়দ বলেন, তার মিথ্যা বলার ব্যাপারে অভিযোগ রয়েছে। মুহাম্মাদ বিন সাহনুন, মুহাম্মাদ বিন সা’দ ও মুহাম্মাদ বিন আম্মার তার সকলে বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৭৭৩, ২৭/২০৩ নং পৃষ্ঠা)
উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু আল মুসান্না ইবনুস সাব্বাহ এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ২৬ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, ৪ টি খুবই দুর্বল, ৭ টি দুর্বল, ১ টি হাসান, ১৪ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ আবু দাউদ ১৮৯৯, মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৯০৪৩, শুআবুল ঈমান ৪০৫৮।
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
১৯/৩৬. অধ্যায়ঃ
ঋতুবতী মহিলা তাওয়াফ ব্যতীত হজ্জের অবশিষ্ট অনুষ্ঠানাদি পালন করবে
২৯৬৩
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لاَ نَرَى إِلاَّ الْحَجَّ فَلَمَّا كُنَّا بِسَرِفَ أَوْ قَرِيبًا مِنْ سَرِفَ حِضْتُ فَدَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَأَنَا أَبْكِي فَقَالَ مَالَكِ أَنَفِسْتِ ” . قُلْتُ نَعَمْ . قَالَ ” إِنَّ هَذَا أَمْرٌ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَى بَنَاتِ آدَمَ فَاقْضِي الْمَنَاسِكَ كُلَّهَا غَيْرَ أَنْ لاَ تَطُوفِي بِالْبَيْتِ ” . قَالَتْ وَضَحَّى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَنْ نِسَائِهِ بِالْبَقَرِ .
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে রওয়ানা হলাম। আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল হজ্জ আদায় করা। আমরা সারিফ নামক স্থানে অথবা তার কাছাকাছি গিয়ে পৌঁছালাম, তখন আমার মাসিক ঋতু শুরু হলো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নিকট এলেন এবং আমি তখন কাঁদছিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমার কী হয়েছে, তুমি কি ঋতুগ্রস্ত হয়েছো? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বলেনঃ এটি এমন একটি বিষয় যা আল্লাহ তাআলা আদম কন্যাদের জন্য নির্ধারিত করেছেন। তুমি হজ্জের সমস্ত অনুষ্ঠান পালন করো, শুধুমাত্র বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করো না। আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর স্ত্রীদের পক্ষ থেকে একটি গরু কোরবানী করেন। [২৯৬৩]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[২৯৬৩] সহীহুল বুখারী ২৯৪, ৩০৫, ৩১৬, ৩১৭, ৩১৯, ১৫১৮, ১৫৫৬, ১৫৬০, ১৫৬১, ১৫৬২, ১৬৩৮, ১৬৪৩, ১৬৫০, ১৭০৯, ১৭২০, ১৭৬২, ১৭৮৩, ১৭৮৬, ১৭৮৭, ১৭৮৮, ২৩১৭, ২৯৫২, ২৯৮৪, ৪৩৯৫, ৪৪০৮, ৫৫৪৮, ৫৫৫৯, ৭২২৯, ১২১১, ১২১২, ১২২৮, ১২৭৭, তিরমিযী ৯৩৪, ৯৪৫, ২৯৬৫, নাসায়ী ২৪২, ২৯০, ২৪৮, ২৬৫০, ২৭১৭, ২৭১৮, ২৭৪১, ২৭৬৩, ২৭৬৪, ২৮০৩, ২৮০৪, ২৯৯০, ২৯৯১, আবূ দাউদ ৭৫০, ১৭৭৮, ১৭৭৯, ১৭৮১, ১৭৮২, আহমাদ ২৩৫৫৬, ২৩৫৭৩, ২৩৫৮৯, ২৪০৪৪, ২৪৩৫৫, ২৪৩৮৫, ২৪৭৭৯, ২৪৭৮৮, ২৪৯১৩, ২৫০৫০, ২৫৩১০, ২৫৫৩৪, ২৫৫৫৪, ২৭৬৫৪, ২৫৮১২, মুয়াত্তা মালেক ৭৪৬, ৮৯৬, ৯৪০, ৯৪১, দারেমী ১৪৬, ১৯০৪, ইরওয়া ১৯১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯/৩৭. অধ্যায়ঃ
ইফরাদ হজ্জ।
২৯৬৪
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، وَأَبُو مُصْعَبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَفْرَدَ الْحَجَّ
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইফরাদ হজ্জ করেন। [২৯৬৪]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[২৯৬৪] মুসলিম ১২১১, তিরমিযী ৮২০, নাসায়ী ২৭১৫, ২৭১৬, আবূ দাউদ ১৭৭৭, আহমাদ ২৩৫৫৭, ২৫৫৩২, মুয়াত্তা মালেক ৭৪৭, দারেমী ১৮১২, সহীহ আবু দাউদ ১৫৫৮-১৫৬৫। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৬৫
حَدَّثَنَا أَبُو مُصْعَبٍ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ أَبِي الأَسْوَدِ، مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ نَوْفَلٍ – وَكَانَ يَتِيمًا فِي حِجْرِ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ – عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَفْرَدَ الْحَجَّ
উম্মুল মু’মিনীন আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইফরাদ হজ্জ করেন। [২৯৬৫]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[২৯৬৫] মুসলিম ১২১১, তিরমিযী ৮২০, নাসায়ী ২৭১৫, ২৭১৬, আবূ দাউদ ১৭৭৭, আহমাদ ২৩৫৫৭, ২৫৫৩২, মুয়াত্তা মালেক ৭৪৭, দারেমী ১৮১২, সহীহ আবু দাউদ ১৫৫৮-১৫৬৫। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৬৬
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ الدَّرَاوَرْدِيُّ، وَحَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَفْرَدَ الْحَجَّ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইফরাদ হজ্জ করেছেন। [২৯৬৬]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[২৯৬৬]
বুখারী ১৫৫৭, ১৫৬৮, ১৫৭০, ১৬৫১, ১৭৮৫, ২৫০৬, ৪৩৫২, ৭২৩০, ৭৩৬৭, মুসলীম ১২১৩, ১২১৫, ১২১৬/১-৫, ১২১৮/১-৩, ১২৬৩/১-২, ১২৭৩, ১২৭৯, ১২৯৯, তিরমিযি ৮১৭, ৮৫৬-৫৭, ৮৬২, ৮৬৯, ৮৮৬, ৮৯৭, ৯৪৭, ২৯৬৭, ৩৭৮৬, নাসাঈ ২১৪, ২৯১, ৩৯২, ৪২৯, ৬০৪, ২৭১২, ২৭৪০, ২৭৪৩-৪৪, ২৭৫৬, ২৭৬১-৬৩, ২৭৯৮, ২৮০৫, ২৮৭২, ২৯৩৯, ২৯৪৪, ২৯৬১, ২৯৬২-৬৩, ২৯৬৯-৭৫, ২৯৮১-৮৫, ২৯৯৪, ৩০২১-২২, ৩০৫৩-৫৪, ৩০৭৪-৭৬, ৪১১৯, আবু দাউদ ১৭৮৫, ১৭৮৭-৮৯, ১৮১২, ১৮৮০, ১৮৯৫, ১৯০৫-৭, ১৯৪৪, ৩৯৬৯, আহমাদ ১৩৭০২, ১৩৮০১, ১৩৮২৬, ১৩৮৬৭, ১৪০০৯, ১৪০৩১, ১৪১৬১, ১৪২৫০, ১৪৪৮৪, ১৪৫২৫, ১৪৫৮৯, ১৪৬২১, ১৪৬৬৭, ১৪৭৩৫, ১৪৮২১, ১৪৮৫১, মুয়াত্তা মালিক ৮১৬, ৮৩৫-৩৬, ৮৪০, দারিমী ১৮০৫, ১৮৪০, ১৮৫০, ১৮৯৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল আযিয আদ-দারাওয়ারদী সম্পর্কে মুহাম্মাদ বোন সা’দ বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আল আজালী তাকে সিকাহ বলেছেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি যখন তার কিতাব হতে কোন হাদিস বর্ণনা করেন তখন তা সহীহ কিন্তু যখন মানুষের কিতাব থেকে হাদিস বর্ণনা করতেন তখন তিনি সন্দেহ করতেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার নিজ কিতাব ছাড়া অন্যত্র থেকে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪৭০, ১৮/১৮৭ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৬৭
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْعُمَرِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَأَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ أَفْرَدُوا الْحَجَّ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবু বকর, উমার ও উসমান (রাঃ) ইফরাদ হজ্জ করেন। [২৯৬৭]
তাহকীক আলবানীঃ সনদটি দূর্বল।
[২৯৬৭]
হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী কাসিম বিন আবদুল্লাহ আল-উমারী সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, আমভাবে তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবুল ফাতহ আল-আযদী বলেন, তিনি মিথ্যা বলার অভিযোগে অভিযুক্ত। আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল ছিলেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, আমি তার থেকে হাদিস কখনই গ্রহন করিনি ও তার থেকে গ্রহন করার ইচ্ছাও করিনি। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি দুর্বল। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি মিথ্যুক ও জাল (বানোয়াট) হাদিস বর্ণনা করতেন মানুষ তার হাদিস বর্জন করেছেন। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী ও আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী বলেন, তিনি মিথ্যা বলার অভিযোগে অভিযুক্ত। ইমাম যাহাবী তাকে বর্জন করেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৭৯৮, ২৩/৩৭৫ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
১৯/৩৮. অধ্যায়ঃ
যে ব্যক্তি একই ইহরামে হজ্জ ও ‘উমরা (কিরান হজ্জ) আদায় করে
২৯৬৮
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِلَى مَكَّةَ فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ “ لَبَّيْكَ عُمْرَةً وَحَجَّةً ” .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে মক্কার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম।আমি তাকে বলতে শুনেছিঃ “আমি উমরা ও হজ্জের উদ্দেশ্যে হাজির”। [২৯৬৮]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[২৯৬৮] সহীহুল বুখারী ১৫৫১, ১৫৫৮, ১৭১৫, ৪৩৫৪, ১২৩২, ১২৫১, তিরমিযী ৮২১, ৯৫৬, নাসায়ী ২৭২৯, ২৭৩০, ২৭৩১, আবূ দাউদ ১৭৯৫, ১৭৯২, আহমাদ ১৩৩৯৫, ১৩৪১৯, দারেমী ১৯২৪, সহীহ আবু দাউদ ১৫৭৫, ১৫৭৬। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ইয়াহইয়া বিন আবু ইসহাক সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার হাদিস বর্ণনায় কোন অসুবিধা নেই। আবু হাতিম বিন হিব্বান তার সিকাহ গ্রন্থে তার নাম উল্লেখ করেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৭৮৩, ৩১/১৯৯ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৬৯
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ لَبَّيْكَ بِعُمْرَةٍ وَحَجَّةٍ ” .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ “আমি উমরা ও হজ্জের উদ্দেশ্যে আপনার দরবারে হাজির হচ্ছি”। [২৯৬৯]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯৬৯] সহীহুল বুখারী ১৫৫১, ১৫৫৮, ১৭১৫, ৪৩৫৪, ১২৩২, ১২৫১, তিরমিযী ৮২১, ৯৫৬, নাসায়ী ২৭২৯, ২৭৩০, ২৭৩১, আবূ দাউদ ১৭৯৫, ১৭৯২, আহমাদ ১৩৩৯৫, ১৩৪১৯, দারেমী ১৯২৪, সহীহ আবু দাউদ ১৫৭৫, ১৫৭৬। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৭০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَهِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَبْدَةَ بْنِ أَبِي لُبَابَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا وَائِلٍ، شَقِيقَ بْنَ سَلَمَةَ يَقُولُ سَمِعْتُ الصُّبَىَّ بْنَ مَعْبَدٍ، يَقُولُ كُنْتُ رَجُلاً نَصْرَانِيًّا فَأَسْلَمْتُ فَأَهْلَلْتُ بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ فَسَمِعَنِي سَلْمَانُ بْنُ رَبِيعَةَ وَزَيْدُ بْنُ صُوحَانَ وَأَنَا أُهِلُّ بِهِمَا جَمِيعًا بِالْقَادِسِيَّةِ فَقَالاَ لَهَذَا أَضَلُّ مِنْ بَعِيرِهِ فَكَأَنَّمَا حَمَلاَ عَلَىَّ جَبَلاً بِكَلِمَتِهِمَا فَقَدِمْتُ عَلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ فَأَقْبَلَ عَلَيْهِمَا فَلاَمَهُمَا ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَىَّ فَقَالَ هُدِيتَ لِسُنَّةِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ هُدِيتَ لِسُنَّةِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ . قَالَ هِشَامٌ فِي حَدِيثِهِ قَالَ شَقِيقٌ فَكَثِيرًا مَا ذَهَبْتُ أَنَا وَمَسْرُوقٌ نَسْأَلُهُ عَنْهُ .
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ وَخَالِي يَعْلَى قَالُوا حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنِ الصُّبَىِّ بْنِ مَعْبَدٍ، قَالَ كُنْتُ حَدِيثَ عَهْدٍ بِنَصْرَانِيَّةٍ فَأَسْلَمْتُ فَلَمْ آلُ أَنْ أَجْتَهِدَ، فَأَهْلَلْتُ بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ . فَذَكَرَ نَحْوَهُ .
উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
(সূবায় বিন মা’বাদ বলেন) “আমি ছিলাম একজন নাসারা (খৃষ্টান)। অতঃপর ইসলাম গ্রহন করি। আমি হজ্জ ও উমরার উদ্দেশ্যে ইহরাম বাধলাম। সালমান বিন রবী’আ ও যায়েদ বিন সূহান (রাঃ) উভয়ে আমাকে কাদিসিয়ায় হজ্জ ও উমরার একত্রে তালবিয়া পাঠ করতে শুনেন। তখন তারা বলেন “এই ব্যাক্তি তো উটের চেয়েও পথভ্রষ্ট। তাদের এ মন্তব্য যেন আমার উপর একটি পাহাড় নিক্ষেপ করলো। তাই আমি উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে বিষয়টি তাকে অবহিত করলাম। তিনি তাদের উভয়কে তিরষ্কার করলেন এবং আমাকে বললেন, তুমি মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সুন্নাত পর্যন্ত পৌছাতে পেরেছো,তুমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সুন্নাত অনুযায়ী আমল করেছো। হিশাম (রাঃ আঃ) তার বর্ণিত হাদীসে বলেন , শাকীক (রাঃ আঃ) বলেছেন,আমি ও মাসরূক অনেকবার (সুবাই ইব্ন মা’বাদের নিকট ) গিয়েছি এবং এ হাদীস সম্পর্কে তার নিকট জিজ্ঞাসা করেছি। [উপরোক্ত হাদীসে মোট ৫টি সনদের ২ টি বর্ণিত হয়েছে, অপর তিনটি সনদ হলোঃ]
৪/২৯৭০ (১) . উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। (সুবায়) বলেন, যুবক বয়সে আমি খৃষ্টান ছিলাম। অতঃপর ইসলাম গ্রহন করি এবং ইবাদত –বন্দেগী করার চেষ্টা করি। আমি একই সাথে হজ্জ ও উমরার ইহরাম বাধলাম…….। পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। [২৯৭০]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৯৭০] নাসায়ী ২৭১৯, ২৭২১, আবূ দাউদ ২৭৯৮, ইরওয়া ৯৮৩, রাওদুন নাদীর ৩৮, তাখরীজুল মুখতার ১২৮-১৩০, সহীহ আবু দাউদ ১৫৭৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৭১
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو طَلْحَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَرَنَ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ তালহা (রাঃ) আমাকে অবহিত করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একই ইহরামে হজ্জ ও উমরা আদায় করেন (কিরান হজ্জ করেন)। [২৯৭১]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[২৯৭১] আহমাদ ১৫৯১১, ১৫৯১৯, সহীহ আবু দাউদ ১৫৭৫, ১৫৭৬। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী হাজ্জাজ বিন আরতা সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবু বকর আল বায়হাকী বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়, অন্যত্র তিনি তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় তাদলীস করেন। মুহাম্মাদ বিন সা’দ তাকে দুর্বল বলেছেন। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি দুর্বল তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১১১২, ৫/৪২০ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯/৩৯. অধ্যায়:
কিরান হজ্জ পালনকারীর তাওয়াফ
২৯৭২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَعْلَى بْنِ حَارِثٍ الْمُحَارِبِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ غَيْلاَنَ بْنِ جَامِعٍ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ عَطَاءٍ، وَطَاوُسٍ، وَمُجَاهِدٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، وَابْنِ، عُمَرَ وَابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لَمْ يَطُفْ هُوَ وَأَصْحَابُهُ لِعُمْرَتِهِمْ وَحَجَّتِهِمْ حِينَ قَدِمُوا إِلاَّ طَوَافًا وَاحِدًا .
জাবির বিন আব্দুল্লাহ, ইবনু উমার ও ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তার সাহাবীগন মক্কায় পৌছে হজ্জ ও উমরা উভয়ের জন্যে একবার (সাত চক্র) মাত্র তাওয়াফ করেন। [২৯৭২]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[২৯৭২] বুখারী ১৫৫৭, ১৫৬৮, ১৫৭০, ১৬৫১, ১৭৮৫, ২৫০৬, ৪৩৫২, ৭২৩০, ৭৩৬৭, মুসলীম ১২১৩, ১২১৫, ১২১৬/১-৫, ১২১৮/১-৩, ১২৬৩/১-২, ১২৭৩, ১২৭৯, ১২৯৯, তিরমিযি ৮১৭, ৮৫৬-৫৭, ৮৬২, ৮৬৯, ৮৮৬, ৮৯৭, ৯৪৭, ২৯৬৭, ৩৭৮৬, নাসাঈ ২১৪, ২৯১, ৩৯২, ৪২৯, ৬০৪, ২৭১২, ২৭৪০, ২৭৪৩-৪৪, ২৭৫৬, ২৭৬১-৬৩, ২৭৯৮, ২৮০৫, ২৮৭২, ২৯৩৯, ২৯৪৪, ২৯৬১, ২৯৬২-৬৩, ২৯৬৯-৭৫, ২৯৮১-৮৫, ২৯৯৪, ৩০২১-২২, ৩০৫৩-৫৪, ৩০৭৪-৭৬, ৪১১৯, আবু দাউদ ১৭৮৫, ১৭৮৭-৮৯, ১৮১২, ১৮৮০, ১৮৯৫, ১৯০৫-৭, ১৯৪৪, ৩৯৬৯, আহমাদ ১৩৭০২, ১৩৮০১, ১৩৮২৬, ১৩৮৬৭, ১৪০০৯, ১৪০৩১, ১৪১৬১, ১৪২৫০, ১৪৪৮৪, ১৪৫২৫, ১৪৫৮৯, ১৪৬২১, ১৪৬৬৭, ১৪৭৩৫, ১৪৮২১, ১৪৮৫১, মুয়াত্তা মালিক ৮১৬, ৮৩৫-৩৬, ৮৪০, দারিমী ১৮০৫, ১৮৪০, ১৮৫০, ১৮৯৯, সহীহ আবু দাউদ ১৫৯১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
উক্ত হাদিসের রাবী লায়স সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, মুদতারাবুল হাদিস। ইয়াহইয়া বিন মাঈন, আবু যুরআহ ও আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫০১৭, ২৪/২৭৯ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৭৩
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا عَبْثَرُ بْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ أَشْعَثَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ طَافَ لِلْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ طَوَافًا وَاحِدًا .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হজ্জ ও উমরার উদ্দেশ্যে এক তাওয়াফ করেন। [২৯৭৩]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[২৯৭৩] বুখারী ১৫৫৭, ১৫৬৮, ১৫৭০, ১৬৫১, ১৭৮৫, ২৫০৬, ৪৩৫২, ৭২৩০, ৭৩৬৭, মুসলীম ১২১৩, ১২১৫, ১২১৬/১-৫, ১২১৮/১-৩, ১২৬৩/১-২, ১২৭৩, ১২৭৯, ১২৯৯, তিরমিযি ৮১৭, ৮৫৬-৫৭, ৮৬২, ৮৬৯, ৮৮৬, ৮৯৭, ৯৪৭, ২৯৬৭, ৩৭৮৬, নাসাঈ ২১৪, ২৯১, ৩৯২, ৪২৯, ৬০৪, ২৭১২, ২৭৪০, ২৭৪৩-৪৪, ২৭৫৬, ২৭৬১-৬৩, ২৭৯৮, ২৮০৫, ২৮৭২, ২৯৩৯, ২৯৪৪, ২৯৬১, ২৯৬২-৬৩, ২৯৬৯-৭৫, ২৯৮১-৮৫, ২৯৯৪, ৩০২১-২২, ৩০৫৩-৫৪, ৩০৭৪-৭৬, ৪১১৯, আবু দাউদ ১৭৮৫, ১৭৮৭-৮৯, ১৮১২, ১৮৮০, ১৮৯৫, ১৯০৫-৭, ১৯৪৪, ৩৯৬৯, আহমাদ ১৩৭০২, ১৩৮০১, ১৩৮২৬, ১৩৮৬৭, ১৪০০৯, ১৪০৩১, ১৪১৬১, ১৪২৫০, ১৪৪৮৪, ১৪৫২৫, ১৪৫৮৯, ১৪৬২১, ১৪৬৬৭, ১৪৭৩৫, ১৪৮২১, ১৪৮৫১, মুয়াত্তা মালিক ৮১৬, ৮৩৫-৩৬, ৮৪০, দারিমী ১৮০৫, ১৮৪০, ১৮৫০, ১৮৯৯, সহীহ আবু দাউদ ১৫৯১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
উক্ত হাদিসের রাবী আশআস (বিন সাওয়ার) সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন সিকাহ বললেও অন্যত্রে তিনি তাকে দুর্বল বলেছেন। উসমান বিন আবু শায়বাহ বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার হাদিস দলীলযোগ্য নয়। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তার মাঝে দুর্বলতা রয়েছে। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫২৪, ৩/২৬৪ নং পৃষ্ঠা)
উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু আশআস (বিন সাওয়ার) এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৯৫ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ১৭৩২, মুসলিম ১২১২, ১২১৩, তিরমিযি ৯৪৮, আবু দাউদ ১৮৯৭, দারিমী ১৮৪৪, আহমাদ ২২২৪, ৪৯৪৪, ১৪৬৬৭, ২৪৪১০, সহীহ ইবনু খুযাইমাহ ২৫৭৭, ২৫৭৮, দারাকুতনী ২৫৬৯, ২৫৭০, ২৫৭২, ২৫৯০, ২৫৯১, ২৫৯৩, ২৫৯৫, ২৫৯৬, ২৫৯৯, ২৬০১, ২৬০২, ২৬০৩, মু’জামুল আওসাত ৫৫৮০, ৮০৭৮।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৭৪
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ خَالِدٍ الزَّنْجِيُّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ قَدِمَ قَارِنًا فَطَافَ بِالْبَيْتِ سَبْعًا وَسَعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ قَالَ هَكَذَا فَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি কিরান হজ্জের ইহরাম বেঁধে (মক্কায়) আগমন করেন। তিনি সাতবার বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করেন এবং সাফা ও মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের মাঝে সাঈ করেন, অতঃপর বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরূপই করেছেন। [২৯৭৪]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[২৯৭৪] সহীহুল বুখারী ১৬৬, ৩৯৬, ৪৯২, ১৫৪১, ১৫৭৩, ১৫৭৪, ১৬০৩, ১৬০৪, ১৬১৬, ১৬১৭, ১৬২৪, ১৬৪৪, ১৬৪৬, ১৬৪৭, ১৬৯২, ১৭৯৪, ২৭০২, মুসলিম ১১৮৬, ১১৮৭, ১২২৭, ১২২৮, ১২৩৪, ১২৫৯, ১২৬০, ১২৬১, ১২৬৮, ১২৫৭, তিরমিযী ৮১৮, ৮২৪, ৮৬১, ৮৬৪, নাসায়ী ২৭৩২, ২৭৫৭, ২৭৫৮, ২৯৩০, ২৯৪০, ২৯৪১, ২৯৪২, ২৯৪৩, ২৯৪৬, ২৯৬০, ২৯৬৬, ২৯৭৬, আবূ দাউদ ১৭৭১, ১৭৭২, ১৭০৫, ১৮৬৫, ১৮৯১, ১৮৯৩, ১৯০৪, ৪০৬৪, ৪২১০, আহমাদ ৪৪৪৮, ৪৫৭১, ৪৬০৪, ৪৬১৪, ৪৮২৯, ৪৮৭২, ৪৯৬৩, ৫১৭৯, ৫২১৬, ৫৩৭৮, ৫৪২১, ৫৭০৩, ৫৭২৬, ৫৮৬০, ৫৯০৭, ৬০১১, ৬২০২, ৬৩৯৭, ৬৪২৭, মুয়াত্তা মালেক ৭১৪, ৭৪০, ৭৪২, ৮১৭, ৯২৩, দারেমী ১৮৩৮, ১৮৪২, ১৯২৭, ১৯৩১, রাওদুন নাদীর ৫৩৩। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
উক্ত হাদিসের রাবী মুসলিম বিন খালিদ আয-যানজী সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তার হাদিস বর্ণনায় কোন অসুবিধা নেই। আবু জা’ফার আল-উকায়লী ও আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৯২৫, ২৭/৫০৮ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৭৫
حَدَّثَنَا مُحْرِزُ بْنُ سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ مَنْ أَحْرَمَ بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ كَفَى لَهُمَا طَوَافٌ وَاحِدٌ وَلَمْ يَحِلَّ حَتَّى يَقْضِيَ حَجَّهُ وَيَحِلَّ مِنْهُمَا جَمِيعًا ” .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ বলেনঃ কোন ব্যাক্তি হজ্জ ও উমরার জন্যে একত্রে ইহরাম বাধলে এদূভয়ের জন্য এক তাওয়াফই যথেষ্ট।সে হজ্জের যাবতীয় অনুষ্ঠান পালন না করা পর্যন্ত ইহরাম মুক্ত হতে পারেনা। সে হজ্জ ও উমরা থেকে একই সাথে ইহরাম মুক্ত হবে। [২৯৭৫]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[২৯৭৫] তিরমিযী ৯৪৮, আহমাদ ৫৩২৭, দারেমী ১৮৪৪, রাওদুন নাদীর ৫৩৩। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল আযীয বিন মুহাম্মাদ সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। মালিক বিন আনাস তাকে সিকাহ বলেছেন। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন নাসায়ী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে নিজ কিতাব ছাড়া অন্যত্র থেকে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪৭০, ১৮/১৮৭ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯/৪০. অধ্যায়ঃ
উমরাহ সহ তামাত্তু হজ্জের বর্ণনা
২৯৭৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُصْعَبٍ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ، – يَعْنِي دُحَيْمًا – حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، حَدَّثَنِي عِكْرِمَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ عَبَّاسٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ وَهُوَ بِالْعَقِيقِ “ أَتَانِي آتٍ مِنْ رَبِّي فَقَالَ صَلِّ فِي هَذَا الْوَادِي الْمُبَارَكِ وَقُلْ عُمْرَةٌ فِي حَجَّةٍ ” . وَاللَّفْظُ لِدُحَيْمٍ .
উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে আল-আকীক নামক স্থানে অবস্থানকালে বলতে শুনেছিঃ আমার প্রতিপালক থেকে একজন দূত এসে বলেন, এই বরকতময় উপত্যকায় নামাজ পড়ুন এবং বলুনঃ উমরা ও হজ্জের (ইহরাম)। হাদীসের মূল পাঠ দুহায়ম এর বর্ণনা অনূযায়ী। [২৯৭৬]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[২৯৭৬] সহীহুল বুখারী ১৫৩৪, ২৩৩৭, ৭৩৪৩, আবূ দাউদ ১৮০০, আহমাদ ১৬৪, আত-তালীকুর রাগীব ২/১৪৭, সহীহ আবু দাউদ ১৫৭৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন মুসআব সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। ইমাম যাহাবী বলেন, তার মাঝে দুর্বলতা রয়েছে। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৬১২, ২৬/৪৬০ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৭৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكَ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنْ سُرَاقَةَ بْنِ جُعْشُمٍ، قَالَ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ خَطِيبًا فِي هَذَا الْوَادِي فَقَالَ “ أَلاَ إِنَّ الْعُمْرَةَ قَدْ دَخَلَتْ فِي الْحَجِّ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ ” .
সুরাকা বিন জু’সুম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ভাষণদানের উদ্দেশ্যে এই উপত্যকায় দাঁড়িয়ে বলেনঃ জেনে রাখো! কেয়ামত পর্যন্ত হজ্জের সাথে উমরা আদায় করা যেতে পারে। [২৯৭৭]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[২৯৭৭] নাসায়ী ২৮০৬, ২৭০৭, আহমাদ ১৭০২, সহীহ আবু দাউদ ১৫৭৭। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৭৮
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي الْعَلاَءِ، يَزِيدَ بْنِ الشِّخِّيرِ عَنْ أَخِيهِ، مُطَرِّفِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الشِّخِّيرِ قَالَ قَالَ لِي عِمْرَانُ بْنُ الْحُصَيْنِ إِنِّي أُحَدِّثُكَ حَدِيثًا لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يَنْفَعَكَ بِهِ بَعْدَ الْيَوْمِ اعْلَمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَدْ أَعْمَرَ طَائِفَةً مِنْ أَهْلِهِ فِي الْعَشْرِ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ وَلَمْ يَنْهَ عَنْهُ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَلَمْ يَنْزِلْ نَسْخُهُ قَالَ فِي ذَلِكَ بَعْدُ رَجُلٌ بِرَأْيِهِ مَا شَاءَ أَنْ يَقُولَ .
ইমরান ইবনুল হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নিশ্চয় আমি তোমার নিকট একটি হাদীস বর্ণনা করবো। আশা করি আল্লাহ তাআলা আজকের দিনের পর থেকে এ হাদীস দ্বারা তোমাকে উপকৃত করবেন। জেনে রাখো! রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর পরিবারের একদল সদস্য যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশকের মধ্যে উমরা আদায় করেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাতে বাঁধা দেননি এবং তা রহিতকারী কোন আয়াতও নাযিল হয়নি। কিন্তু পরবর্তী কালে এক ব্যাক্তি (উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) ) এ সম্পর্কে নিজ ইচ্ছামত যা বলার তাই বলেন। [২৯৭৮]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[২৯৭৮] সহীহুল বুখারী ১৫৭২, ৪৫১৮, মুসলিম ১২২৬, সহীহাহ ১৫৫৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৭৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ح وَحَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي قَالاَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ أَبِي مُوسَى، عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، أَنَّهُ كَانَ يُفْتِي بِالْمُتْعَةِ فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ رُوَيْدَكَ بَعْضَ فُتْيَاكَ فَإِنَّكَ لاَ تَدْرِي مَا أَحْدَثَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ فِي النُّسُكِ بَعْدَكَ . حَتَّى لَقِيتُهُ بَعْدُ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ عُمَرُ قَدْ عَلِمْتُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَعَلَهُ وَأَصْحَابُهُ وَلَكِنِّي كَرِهْتُ أَنْ يَظَلُّوا بِهِنَّ مُعْرِسِينَ تَحْتَ الأَرَاكِ ثُمَّ يَرُوحُونَ بِالْحَجِّ تَقْطُرُ رُءُوسُهُمْ .
ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
(আবূ মূসা আল–আশআরী) তিনি তামাত্তু হজ্জের অনুকূলে ফতোয়া দিতেন। এক ব্যাক্তি তাকে বললো, আপনি আপনার কতক ফতোয়া দেয়া ছেড়ে দিন বা ত্যাগ করুন। আপনার জানা নেই যে, আপনার পরে আমীরুল মুমিনীন (উমার) হজ্জের ব্যাপারে নতুন হুকুম জারী করেছেন। অবশেষে আমি (আবূ মূসা) তার সাথে সাক্ষাৎ করে বিষয়টি তাকে জিজ্ঞেস করলাম। তখন উমার (রাঃ) বলেন, আমি অবশ্যই জানি যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তার সাহাবীগণ তামাত্তু হজ্জ করেছেন। কিন্তু আমার নিকট এটা খুবই খারাপ লাগে যে, লোকেরা গাছের নীচে স্ত্রীদের সাথে সহবাস করবে, অতঃপর মাথার চুল থেকে পানি পতিত অবস্থায় হজ্জে যাবে। [২৯৭৯]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[২৯৭৯] সহীহুল বুখারী ১৫৫৯, ১৭২৪, ১৭৯৫, ৪৩৪৬, ৪৩৯৭, মুসলিম ১২২১, ১২২২, নাসায়ী ২৭৩৫, ২৭৩৮, ২৭৪২, আহমাদ ২৭৫, ৩৫৩, ১৯০১১, ১৯০৪০, ১৯১৭২, দারেমী ১৮১৫। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৬/৪১. অধ্যায়ঃ
হজ্জের ইহরাম ভঙ্গ করা
২৯৮০
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ أَهْلَلْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِالْحَجِّ خَالِصًا لاَ نَخْلِطُهُ بِعُمْرَةٍ فَقَدِمْنَا مَكَّةَ لأَرْبَعِ لَيَالٍ خَلَوْنَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ فَلَمَّا طُفْنَا بِالْبَيْتِ وَسَعَيْنَا بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ نَجْعَلَهَا عُمْرَةً وَأَنْ نَحِلَّ إِلَى النِّسَاءِ . فَقُلْنَا مَا بَيْنَنَا لَيْسَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ عَرَفَةَ إِلاَّ خَمْسٌ فَنَخْرُجُ إِلَيْهَا وَمَذَاكِيرُنَا تَقْطُرُ مَنِيًّا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ” إِنِّي لأَبَرُّكُمْ وَأَصْدَقُكُمْ وَلَوْلاَ الْهَدْىُ لأَحْلَلْتُ ” . فَقَالَ سُرَاقَةُ بْنُ مَالِكٍ أَمُتْعَتُنَا هَذِهِ لِعَامِنَا هَذَا أَمْ لأَبَدٍ فَقَالَ ” لاَ بَلْ لأَبَدِ الأَبَدِ ” .
জাবির বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা কেবল হজ্জের নিয়তে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে ইহরাম বাঁধলাম, এর সাথে উমরার নিয়ত করিনি। যিলহজ্জ মাসের চারদিন অতিবাহিত হওয়ার পর আমরা মক্কায় উপনীত হলাম। আমরা বায়তুল্লাহ তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ সমাপ্ত করলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে ইহরাম (ভঙ্গ করে) উমরার ইহরামে পরিনত করার নির্দেশ দেন এবং স্ত্রীদের সাথে মেলামেশার অনুমতি দেন। আমরা আরয করলাম, আমাদের লজ্জাস্থান থেকে বীর্য নির্গত হওয়ার পরপরই আরাফতের দিকে অগ্রসর হবো। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমি তোমাদের মধ্যে সর্বাধিক সৎকর্মশীল ও সর্বাধিক সত্যবাদী। আমার সাথে কোরবানির পশু না থাকলে আমিও ইহরাম খুলে ফেলতাম। সুরাকা বিন মালিক (রাঃ) জিজ্ঞেস করেন, এ সুযোগ কি আমাদের এ বছরের জন্য, না চিরকালের জন্য? তিনি বলেনঃ না, চিরকালের জন্য। [২৯৮০]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ
[২৯৮০]বুখারী ১৫৫৭, ১৫৬৮, ১৫৭০, ১৬৫১, ১৭৮৫, ২৫০৬, ৪৩৫২, ৭২৩০, ৭৩৬৭, মুসলীম ১২১৩, ১২১৫, ১২১৬/১-৫, ১২১৮/১-৩, ১২৬৩/১-২, ১২৭৩, ১২৭৯, ১২৯৯, তিরমিযি ৮১৭, ৮৫৬-৫৭, ৮৬২, ৮৬৯, ৮৮৬, ৮৯৭, ৯৪৭, ২৯৬৭, ৩৭৮৬, নাসাঈ ২১৪, ২৯১, ৩৯২, ৪২৯, ৬০৪, ২৭১২, ২৭৪০, ২৭৪৩-৪৪, ২৭৫৬, ২৭৬১-৬৩, ২৭৯৮, ২৮০৫, ২৮৭২, ২৯৩৯, ২৯৪৪, ২৯৬১, ২৯৬২-৬৩, ২৯৬৯-৭৫, ২৯৮১-৮৫, ২৯৯৪, ৩০২১-২২, ৩০৫৩-৫৪, ৩০৭৪-৭৬, ৪১১৯, আবু দাউদ ১৭৮৫, ১৭৮৭-৮৯, ১৮১২, ১৮৮০, ১৮৯৫, ১৯০৫-৭, ১৯৪৪, ৩৯৬৯, আহমাদ ১৩৭০২, ১৩৮০১, ১৩৮২৬, ১৩৮৬৭, ১৪০০৯, ১৪০৩১, ১৪১৬১, ১৪২৫০, ১৪৪৮৪, ১৪৫২৫, ১৪৫৮৯, ১৪৬২১, ১৪৬৬৭, ১৪৭৩৫, ১৪৮২১, ১৪৮৫১, মুয়াত্তা মালিক ৮১৬, ৮৩৫-৩৬, ৮৪০, দারিমী ১৮০৫, ১৮৪০, ১৮৫০, ১৮৯৯, সহিহ আবু দাউদ ১৫৬৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৮১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لِخَمْسٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْقَعْدَةِ لاَ نُرَى إِلاَّ الْحَجَّ حَتَّى إِذَا قَدِمْنَا وَدَنَوْنَا أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مَنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ هَدْىٌ أَنْ يَحِلَّ فَحَلَّ النَّاسُ كُلُّهُمْ إِلاَّ مَنْ كَانَ مَعَهُ هَدْىٌ فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ النَّحْرِ دُخِلَ عَلَيْنَا بِلَحْمِ بَقَرٍ فَقِيلَ ذَبَحَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَنْ أَزْوَاجِهِ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যিলকাদ মাসের পাঁচ দিন বাকি থাকতে আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে রওনা হলাম। হজ্জ করাই ছিল আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য। আমরা গন্তব্যে (মক্কায়) বা তার কাছাকাছি পৌঁছলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নির্দেশ দেন, যার সাথে কোরবানির পশু নেই সে যেন ইহরাম খুলে ফেলে। অতএব যাদের সাথে কোরবানির পশু ছিল তারা ব্যতীত আর সকলেই ইহরাম খুলে ফেলেন। কোরবানির দিন আমাদের জন্য গরুর গোশত নিয়ে আসা হল এবং বলা হল রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর স্ত্রীদের পক্ষ থেকে কোরবানি করেছেন। [২৯৮১]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ
[২৯৮১] সহীহুল বুখারী ২৯৪, ৩০৫, ৩১৬, ৩১৭, ৩১৯, ১৫১৮, ১৫৫৬, ১৫৬০, ১৫৬১, ১৫৬২, ১৬৩৮, ১৬৪৩, ১৬৫০, ১৭০৯, ১৭২০, ১৭৬২, ১৭৮৩, ১৭৮৬, ১৭৮৭, ১৭৮৮, ২৩১৭, ২৯৫২, ২৯৮৪, ৪৩৯৫, ৪৪০৮, ৫৫৪৮, ৫৫৫৯, ৭২২৯, ১২১১, ১২১২, ১২২৮, ১২৭৭, তিরমিযী ৯৩৪, ৯৪৫, ২৯৬৫, নাসায়ী ২৪২, ২৯০, ২৪৮, ২৬৫০, ২৭১৭, ২৭১৮, ২৭৪১, ২৭৬৩, ২৭৬৪, ২৮০৩, ২৮০৪, ২৯৯০, ২৯৯১, আবূ দাউদ ৭৫০, ১৭৭৮, ১৭৭৯, ১৭৮১, ১৭৮২, আহমাদ ২৩৫৫৬, ২৩৫৭৩, ২৩৫৮৯, ২৪০৪৪, ২৪৩৫৫, ২৪৩৮৫, ২৪৭৭৯, ২৪৭৮৮, ২৪৯১৩, ২৫০৫০, ২৫৩১০, ২৫৫৩৪, ২৫৫৫৪, ২৭৬৫৪, ২৫৮১২, মুয়াত্তা মালেক ৭৪৬, ৮৯৬, ৯৪০, ৯৪১, দারেমী ১৪৬, ১৯০৪, ইরওয়া ১১৫৯, সহিহ আবু দাউদ ১৫৩৬। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৮২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَأَصْحَابُهُ فَأَحْرَمْنَا بِالْحَجِّ فَلَمَّا قَدِمْنَا مَكَّةَ قَالَ ” اجْعَلُوا حَجَّكُمْ عُمْرَةً ” . فَقَالَ النَّاسُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ أَحْرَمْنَا بِالْحَجِّ فَكَيْفَ نَجْعَلُهَا عُمْرَةً قَالَ ” انْظُرُوا مَا آمُرُكُمْ بِهِ فَافْعَلُوا ” . فَرَدُّوا عَلَيْهِ الْقَوْلَ فَغَضِبَ فَانْطَلَقَ حَتَّى دَخَلَ عَلَى عَائِشَةَ غَضْبَانَ فَرَأَتِ الْغَضَبَ فِي وَجْهِهِ فَقَالَتْ مَنْ أَغْضَبَكَ أَغْضَبَهُ اللَّهُ قَالَ ” وَمَالِي لاَ أَغْضَبُ وَأَنَا آمُرُ أَمْرًا فَلاَ أُتْبَعُ ” .
আল-বারা বিন আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তার সাহাবীগণ রওনা হলেন। আমরা হজ্জের ইহরাম বাঁধলাম। আমরা মক্কায় পৌঁছলে তিনি বলেনঃ তোমাদের হজ্জকে উমরায় পরিণত করো। লোকেরা বললো, ইয়া রাসূলুল্লাহ ! আমরা তো হজ্জের নিয়তে ইহরাম বেঁধেছি, তা কিরুপে উমরায় পরিনত করবো? তিনি বলেনঃ লক্ষ্য কর, আমি তোমাদের যা নির্দেশ করি তা করো। তারা তাদের কথার পুনরাবৃত্তি করলে তিনি অসন্তুষ্ট হয়ে স্থান ত্যাগ করেন এবং এই অবস্থায় আয়িশাহ (রাঃ) -র নিকট যান। তিনি তাঁর চেহারায় অসন্তোষের ভাব লক্ষ্য করে বলেন, আপনাকে কে অসন্তুষ্ট করেছে, আল্লাহ তাকে অসন্তুষ্ট করুন? তিনি বলেনঃ আমি কীভাবে অসন্তুষ্ট না হয়ে পারি, আমি কোনো কাজের হুকুম করি, অথচ তা মান্য করা হবে না? [২৯৮২]
তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল।
[২৯৮২]হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। যইফাহ ৪৭৫৩, যইফ আল-জামি ৬১৩৩। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী আবু ইসহাক সম্পর্কে আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু জা’ফার আন-নাহহাস বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় তাদলীস করেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহণযোগ্য নয়। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি একজন মুদাল্লিস তথা হাদিস বর্ণনায় তাদলীসকারী। আবু আমর ইবনুস সালাহ বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি সিকাহ। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৪০০, ২২/১০২ নং পৃষ্ঠা) তাছাড়া তিনি বারা’ বিন আযিব থেকে হাদিসটি শ্রবন করেছেন কিনা তা স্পষ্ট নয়।
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
২৯৮৩
حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ أَبُو بِشْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، أَنْبَأَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي مَنْصُورُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أُمِّهِ، صَفِيَّةَ عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مُحْرِمِينَ فَقَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ مَنْ كَانَ مَعَهُ هَدْىٌ فَلْيُقِمْ عَلَى إِحْرَامِهِ وَمَنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ هَدْىٌ فَلْيَحْلِلْ ” . قَالَتْ وَلَمْ يَكُنْ مَعِي هَدْىٌ فَأَحْلَلْتُ وَكَانَ مَعَ الزُّبَيْرِ هَدْىٌ فَلَمْ يَحِلَّ فَلَبِسْتُ ثِيَابِي وَجِئْتُ إِلَى الزُّبَيْرِ فَقَالَ قُومِي عَنِّي . فَقُلْتُ أَتَخْشَى أَنْ أَثِبَ عَلَيْكَ .
আসমা বিনতু আবূ বাকর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা ইহরাম অবস্থায় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে রওনা হলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যাদের সাথে কোরবানির পশু আছে তারা যেন ইহরাম অবস্থায় থাকে। আর যাদের সাথে কোরবানির পশু নেই তারা যেন ইহরাম ভঙ্গ করে। রাবী বলেন, আমার সাথে কোরবানির পশু না থাকায় আমিও ইহরাম ভঙ্গ করলাম, কিন্তু (আমার স্বামী) যুবাইর (রাঃ) -র সাথে কোরবানির পশু থাকায় তিনি ইহরাম ভঙ্গ করতে পারেননি। আমি আমার পরিধেয় বস্ত্র পরে যুবাইর (রাঃ) -র নিকট আসলে তিনি বলেন, তুমি আমার নিকট থেকে উঠে যাও। আমি বললাম, আপনি কি আশঙ্কা করছেন যে, আমি আপনার উপর ঝাঁপিয়ে পড়বো? [২৯৮৩]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[২৯৮৩] মুসলিম ১২৩৬, নাসায়ী ২৯৯২, আহমাদ ২৬৪২১, ২৬৪২৫। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯/৪২. অধ্যায়ঃ
যারা বলেন, হজ্জের ইহরাম ভঙ্গ করা সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে সীমিত (খাস) ছিল
২৯৮৪
حَدَّثَنَا أَبُو مُصْعَبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ الدَّرَاوَرْدِيُّ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ بِلاَلِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ فَسْخَ الْحَجِّ فِي الْعُمْرَةِ لَنَا خَاصَّةً أَمْ لِلنَّاسِ عَامَّةً فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ بَلْ لَنَا خَاصَّةً ” .
বিলাল ইবনুল হারিস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ ! হজ্জের ইহরাম ভঙ্গ করে উমরা করার সুযোগ কি কেবল আমাদের পর্যন্তই সীমিত, না সাধারণভাবে সব লোকের জন্য উন্মুক্ত? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ বরং আমাদের জন্যই সীমিত। [২৯৮৪]
তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল।
[২৯৮৪] নাসায়ী ২৮০৮, ১৮০৮, আহমাদ ১৫৪২৬, দারেমী ১৮৫৫, যইফ আবু দাউদ ৩১৫। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. আবদুল আযীয বিন মুহাম্মাদ সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। মালিক বিন আনাস তাকে সিকাহ বলেছেন। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন নাসায়ী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে নিজ কিতাব ছাড়া অন্যত্র থেকে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪৭০, ১৮/১৮৭ নং পৃষ্ঠা) ২. আল-হারিস বিন বিলাল ইবনুল হারিস সম্পর্কে ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মাকবুল। তাহরীরু তাকরীবুত তাহযীব এর লেখক বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। রাবীআহ বিন আবদুর রহমান তার থেকে এককভাবে হাদিস বর্ণনা করেছেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার সানাদটি মা’রুফ নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১০১১, ৫/২১৫ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
২৯৮৫
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ كَانَتِ الْمُتْعَةُ فِي الْحَجِّ لأَصْحَابِ مُحَمَّدٍ ـ صلى الله عليه وسلم ـ خَاصَّةً .
আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হজ্জের ইহরাম ভঙ্গ করার সুযোগ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাহাবীগণের মধ্যে সীমিত ছিল। [২৯৮৫]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ
[২৯৮৫] মুসলিম ১২২৪, নাসায়ী ২৮০৯, ২৮১০, ২৮১১, ২৮১২, আবূ দাউদ ২৮৭, রাওদুন নাদীর ৯৪৯, ৯৫০, সহীহ আবু দাউদ ১৫৮৬। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯/৪৩.অধ্যায়ঃ
সাফা ও মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের মাঝে সাঈ করা (দৌড়ানো)
২৯৮৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبِي قَالَ، قُلْتُ لِعَائِشَةَ مَا أَرَى عَلَىَّ جُنَاحًا أَنْ لاَ أَطَّوَّفَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ . قَالَتْ إِنَّ اللَّهَ يَقُولُ {إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا} وَلَوْ كَانَ كَمَا تَقُولُ لَكَانَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ لاَ يَطَّوَّفَ بِهِمَا . إِنَّمَا أُنْزِلَ هَذَا فِي نَاسٍ مِنَ الأَنْصَارِ كَانُوا إِذَا أَهَلُّوا أَهَلُّوا لِمَنَاةَ فَلاَ يَحِلُّ لَهُمْ أَنْ يَطَّوَّفُوا بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَلَمَّا قَدِمُوا مَعَ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي الْحَجِّ ذَكَرُوا ذَلِكَ لَهُ فَأَنْزَلَهَا اللَّهُ فَلَعَمْرِي مَا أَتَمَّ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ حَجَّ مَنْ لَمْ يَطُفْ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ .
হিশাম বিন উরওয়াহ থেকে বর্ণিতঃ
আমার পিতা আমাকে অবহিত করে বলেছেন, আমি আয়িশাহ (রাঃ) – কে বললাম, আমি যদি সাফা ও মারওয়ার মাঝে সাঈ না করি তবে তা আমার জন্য দূষণীয় মনে করি না। তিনি বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ বলেছেনঃ “সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্তর্ভুক্ত। অতএব যে কেউ কাবা ঘরের হজ্জ অথবা উমরাহ সম্পন্ন করে, এই দু’টির মাঝে সাঈ করলে তার কোনো পাপ নেই” (সূরা বাকারাঃ ১৫৮)। আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, তুমি যেরূপ বুঝেছ যদি তাই হত তবে এভাবে বলা হতঃ “তবে এ দু’টির মাঝে সাঈ না করলে তার কোনো গুনাহ নেই”। উপরোক্ত আয়াত আনসার সম্প্রদায়ের কতক লোকের সম্পর্কে নাযিল হয়েছে। তারা যখন ইহরাম বাঁধতো (জাহিলী যুগে) মানাত দেবতার উদ্দেশ্যে বাঁধতো। তাই সাফা ও মারওয়ার মাঝে সাঈ করা (তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী) তাদের জন্য হালাল ছিলো না। তারা (ইসলামোত্তর যুগে) মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে হজ্জ করতে এসে বিষয়টি তাঁর সামনে উত্থাপন করলে তখন আল্লাহ তাআলা উপরোক্ত আয়াত নাযিল করেন। (আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আমার জীবনের শপথ! যে ব্যক্তি হজ্জ করতে এসে সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করবে না মহান আল্লাহ তার হজ্জ পূর্ণ করবেন না। [২৯৮৬]
[২৯৮৬] সহীহুল বুখারী ১৬৪৩, ১৭৯০, ৪৪৮৫, ৪৮৬১, মুসলিম ১২৭৭, তিরমিযী ২৯৬৫, নাসায়ী ২৯৬৭, ২৯৬৮, আবূ দাউদ ২৯০১, আহমাদ ২৪৫৮৮, ২৪৭৭০, ২৫৩৭৭, মুয়াত্তা মালেক ৮৩৮, ইরওয়া ১০৭১, সহীহ আবু দাউদ ১৬৫৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৮৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ الدَّسْتَوَائِيُّ، عَنْ بُدَيْلِ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ، عَنْ أُمِّ وَلَدِ، شَيْبَةَ قَالَتْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَسْعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَهُوَ يَقُولُ “ لاَ يُقْطَعُ الأَبْطَحُ إِلاَّ شَدًّا ” .
শায়বার উম্মু ওয়ালাদ থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করতে দেখেছি এবং তিনি তখন বলছিলেনঃ আল-আবতাহ্ উপত্যকা অতিক্রম করতে হবে। [২৯৮৭]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[২৯৮৭] নাসায়ী ২৯৮০, সহীহাহ ২৪৩৭। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৮৮
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَعَمْرُو بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ جُمْهَانَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ إِنْ أَسْعَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَسْعَى وَإِنْ أَمْشِ فَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَمْشِي وَأَنَا شَيْخٌ كَبِيرٌ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি যদি সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করে দৌড়াই তবে তা এজন্য যে, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে সাঈ করতে দেখেছি। আমি যদি তা হেঁটে অতিক্রম করি তবে তা এজন্য যে, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে তা হেঁটে অতিক্রম করতে দেখেছি। আমি তো একজন অতি বৃদ্ধ। [২৯৮৮]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[২৯৮৮]সহীহুল বুখারী ১৬৬, ৩৯৬, ৪৯২, ১৫৪১, ১৫৭৩, ১৫৭৪, ১৬০৩, ১৬০৪, ১৬১৬, ১৬১৭, ১৬২৪, ১৬৪৪, ১৬৪৬, ১৬৪৭, ১৬৯২, ১৭৯৪, ২৭০২, মুসলিম ১১৮৬, ১১৮৭, ১২২৭, ১২২৮, ১২৩৪, ১২৫৯, ১২৬০, ১২৬১, ১২৬৮, ১২৫৭, তিরমিযী ৮১৮, ৮২৪, ৮৬১, ৮৬৪, নাসায়ী ২৭৩২, ২৭৫৭, ২৭৫৮, ২৯৩০, ২৯৪০, ২৯৪১, ২৯৪২, ২৯৪৩, ২৯৪৬, ২৯৬০, ২৯৬৬, ২৯৭৬, আবূ দাউদ ১৭৭১, ১৭৭২, ১৭০৫, ১৮৬৫, ১৮৯১, ১৮৯৩, ১৯০৪, ৪০৬৪, ৪২১০, আহমাদ ৪৪৪৮, ৪৫৭১, ৪৬০৪, ৪৬১৪, ৪৮২৯, ৪৮৭২, ৪৯৬৩, ৫১৭৯, ৫২১৬, ৫৩৭৮, ৫৪২১, ৫৭০৩, ৫৭২৬, ৫৮৬০, ৫৯০৭, ৬০১১, ৬২০২, ৬৩৯৭, ৬৪২৭, মুয়াত্তা মালেক ৭১৪, ৭৪০, ৭৪২, ৮১৭, ৯২৩, দারেমী ১৮৩৮, ১৮৪২, ১৯২৭, ১৯৩১, আত-তালীক আলা ইবনু খুযাইমাহ ২৭৭০-২৭৭২, সহীহ আবু দাউদ ১৬৬২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
উক্ত হাদিসের রাবী জাররাহ সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তিনি সত্যবাদী। আবুল ফাতহ আল-আযদী বলেন, তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তা দলীলযোগ্য নয়। ইমাম যাহাবী বলেন, তার মাঝে দুর্বলতা ছিলো। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৯১০, ৪/৫১৭ নং পৃষ্ঠা)
আতা ইবনুস সায়িব সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তিনি শেষ বয়সে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেছেন। আবু আবদুল্লাহ আল-হাকিম আন-নায়সাবুরী বলেন, তিনি শেষ বয়সে হাদিস বর্ণনায় পরিবর্তন করেছেন। আয়্যুব বিন আবু তামিমাহ আস-সাখতিয়ানী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে শেষ বয়সে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৯৩৪, ২০/৮৬ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯/৪৪. অধ্যায়:
উমরার বর্ণনা
২৯৮৯
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ يَحْيَى الْخُشَنِيُّ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ قَيْسٍ، أَخْبَرَنِي طَلْحَةُ بْنُ يَحْيَى، عَنْ عَمِّهِ، إِسْحَاقَ بْنِ طَلْحَةَ عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ “ الْحَجُّ جِهَادٌ وَالْعُمْرَةُ تَطَوُّعٌ ” .
তালহাহ বিন উবায়দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেনঃ হাজ্জ হলো জিহাদ এবং উমরা হলো নফল। [২৯৮৯]
তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল।
[২৯৮৯] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। যইফাহ ২০০। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. হাসান বিন ইয়াহইয়া আল-খুশানী সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি কখনো কখনো হাদিস বর্ণনায় কিছু ভুল করেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার স্মৃতিশক্তি দুর্বল। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি সিকাহ নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। সুলায়মান বিন আবদুর রহমান আদ-দিমাশকী বলেন, তিনি সিকাহ। তাহরীরু তাকরীবুত তাহযীব এর লেখক বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১২৮৩, ৬/৩৩৯ নং পৃষ্ঠা) ২. উমার বিন কায়স সম্পর্কে আবুল ফাতহ আল-আযদী তাকে দুর্বল হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আবুল কাসিম আল-বাগাবী বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। আবু বাকর আল-বাযযার বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল, তিনি মিথ্যা বলার অভিযোগে অভিযুক্ত। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আবু যুরআহ আদ-দিমাশকী তাকে দুর্বল বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪২৯৭, ২১/৪৮৭ নং পৃষ্ঠা) ৩. তালহাহ বিন ইয়াহইয়া বিন তালহাহ বিন উবায়দুল্লাহ সম্পর্কে আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, কোন সমস্যা নেই। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সালিহ। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৯৮৪, ১৩/৪৪১ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
২৯৯০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا يَعْلَى، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي أَوْفَى، يَقُولُ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ حِينَ اعْتَمَرَ فَطَافَ وَطُفْنَا مَعَهُ وَصَلَّى وَصَلَّيْنَا مَعَهُ وَكُنَّا نَسْتُرُهُ مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ لاَ يُصِيبُهُ أَحَدٌ بِشَىْءٍ .
আবদুল্লাহ বিন আবূ আওফা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর সাথে ছিলাম। তিনি উমরা করা কালে (বাইতুল্লাহ) তাওয়াফ করেন, আমরাও তাঁর সাথে তাওয়াফ করি, তিনি সলাত আদায় করেন এবং আমরাও তাঁর সাথে সলাত আদায় করি। আমরা তাঁকে মক্কাবাসীদের থেকে আড়াল করে রাখতাম যাতে কেউ তাঁর কোনরূপ ক্ষতি করার সুযোগ না পায়। [২৯৯০]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[২৯৯০] সহীহুল বুখারী ১৬০০, ১৭৯২, ৪১৮৮, ৪২৫৫, আবূ দাউদ ১৯০২, আহমাদ ১৮৬২৮, ১৮৬৫০, ১৮৯১৭, দারেমী ১৯২২, সহীহ আবু দাউদ ১৬৬০। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯/৪৫. অধ্যায় :
রমাদান মাসের উমরা
২৯৯১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ بَيَانٍ، وَجَابِرٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ وَهْبِ بْنِ خَنْبَشٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ عُمْرَةٌ فِي رَمَضَانَ تَعْدِلُ حِجَّةً ” .
ওয়াহব বিন খানবাশ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রামাদান মাসের উমরা (সওয়াবের ক্ষেত্রে ) হাজ্জের সমতূল্য। [২৯৯১]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[২৯৯১] আহমাদ ১৭১৪৬, ১৭২০৮, ইরওয়া ৮৬৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী জাবির (বিন ইয়াযীদ) সম্পর্কে শু’বাহ ইবনুল হাজ্জাজ বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সত্যবাদী। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি মিথ্যা কথা বলেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আল-জাওযুজানী তাকে মিথ্যুক বলেছেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৮৭৯, ৪/৪৬৫ নং পৃষ্ঠা)
উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু জাবির এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ২৭০ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে। তন্মধ্যে ১৮ টি খুবই দুর্বল, ৫৩ টি দুর্বল, ৪৯ টি হাসান, ১৫০তি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ১৭৮২, ১৮৬২, মুসলিম ১২৫৮, তিরমিযি ৯৩৯, আবু দাউদ ১৯৮৮, ১৯৮৯, ১৯৯০, দারিমী ১৮৫৯, ১৮৬০, আহমাদ ৭৭৭, ২০২৬, ২৮০৪, ১৪৩৮১, ১৭১৪৬, ২৬৫৬৪, মু’জামুল আওসাত ৩৭০, ৩৯৪৪, ৪৪২৮।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৯২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، ح وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَعَمْرُو بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، جَمِيعًا عَنْ دَاوُدَ بْنِ يَزِيدَ الزَّعَافِرِيِّ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ هَرِمِ بْنِ خَنْبَشٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ عُمْرَةٌ فِي رَمَضَانَ تَعْدِلُ حِجَّةً ” .
হারিম বিন খানবাশ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রামাদান মাসের উমরা হাজ্জের সমতূল্য। [২৯৯২]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[২৯৯২]
আহমাদ ১৭১৪৬। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী দাউদ বিন ইয়াযীদ আয-যাআফিরী সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবুল ফাতহ আল-আযদী বলেন, তিনি সিকাহ নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়, তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি দুর্বল। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি সিকাহ নয়। আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৭৯১, ৮/৪৬৭ নং পৃষ্ঠা)
উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু দাউদ বিন ইয়াযীদ এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ২৭০ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে। তন্মধ্যে ১৮ টি খুবই দুর্বল, ৫৩ টি দুর্বল, ৪৯ টি হাসান, ১৫০ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ১৭৮২, ১৮৬২, মুসলিম ১২৫৮, তিরমিযি ৯৩৯, আবু দাউদ ১৯৮৮, ১৯৮৯, ১৯৯০, দারিমী ১৮৫৯, ১৮৬০, আহমাদ ৭৭৭, ২০২৬, ২৮০৪, ১৪৩৮১, ১৭১৪৬, ২৬৫৬৪, মু’জামুল আওসাত ৩৭০, ৩৯৪৪, ৪৪২৮।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৯৩
حَدَّثَنَا جُبَارَةُ بْنُ الْمُغَلِّسِ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ عُثْمَانَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي مَعْقِلٍ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ عُمْرَةٌ فِي رَمَضَانَ تَعْدِلُ حِجَّةً ” .
আবূ মা‘কিল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রামাদান মাসের একটি উমরা একটি হাজ্জের সমতূল্য। [২৯৯৩]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[২৯৯৩] আহমাদ ২৬৫৬৫, সহীহ আবু দাউদ ১৭৩৫, ১৭৩৬। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. জুবারাহ ইবনুল মুগাল্লিস সম্পর্কে মুসলিম বিন কায়স বলেন, ইনশাআল্লাহ্ (আল্লাহ্ চায়তো) তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি মিথ্যুক ও হাদিস বানিয়ে বর্ণনা করেন। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি মুদতারাব ভাবে হাদিস বর্ণনা করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তার একাধিক মুনকার হাদিস রয়েছে। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৮৯১, ৪/৪৮৯ নং পৃষ্ঠা) ২. ইবরাহীম বিন উসমান সম্পর্কে আবু বিশর আদ-দাওলাবী বলেন, তিনি মিথ্যা বলার অভিযোগে অভিযুক্ত। আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল, তিনি তার হাদিস বর্জন করেছেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু আলী আল-হাফিয আন-নায়সাবুরী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২১২, ২/১৪৭ নং পৃষ্ঠা)
উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু জুবারাহ ইবনুল মুগাল্লিস ও ইবরাহীম বিন উসমান এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ২৭০ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, ১৮ টি খুবই দুর্বল, ৫৩ টি দুর্বল, ৪৯ টি হাসান, ১৫০ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ১৭৮২, ১৮৬২, মুসলিম ১২৫৮, তিরমিযি ৯৩৯, আবু দাউদ ১৯৮৮, ১৯৮৯, ১৯৯০, দারিমী ১৮৫৯, ১৮৬০, মুয়াত্তা মালিক ৭৭৭, আহমাদ ২০২৬, ২৮০৪, ১৪৩৮১, ১৪৮৪৬, ১৫৯৭১, ১৭১৪৮, সহীহ ইবনু খুযাইমাহ ২২২৫, ২৮৭৮, ২৮৮০, সহিহ ইবনু ইব্বান ৩৬৯৯, ৩৭০০, মু’জামুল আওসাত ৩৭০, ৩৯৪৪, ৪৪২৮, ৮১৫৬।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৯৪
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ حَجَّاجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ عُمْرَةٌ فِي رَمَضَانَ تَعْدِلُ حِجَّةً ” .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রমদানের একটি উমরা একটি হাজের সমতুল্য। [২৯৯৪]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[২৯৯৪] সহীহুল বুখারী ১৭৮২, ১৮৬৩, মুসলিম ১২৫৬, আবূ দাউদ ১২৫৬, ১৯৯০, আহমাদ ২০২৬, দারেমী ১৮৫৯, ইরওয়া ১৫৮৭, আত-তালীকুর রাগীব ৪/১১৪, সহীহ আবু দাউদ ১৭৩৭। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী হাজ্জাজ বিন আরতা সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবু বকর আল বায়হাকী বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়, অন্যত্র তিনি তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় তাদলীস করেন। মুহাম্মাদ বিন সা’দ তাকে দুর্বল বলেছেন। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি দুর্বল তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১১১২, ৫/৪২০ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৯৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ وَاقِدٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ عُمْرَةٌ فِي رَمَضَانَ تَعْدِلُ حِجَّةً ” .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ রমদান মাসের উমরা হাজ্জের সমতূল্য। [২৯৯৫]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[২৯৯৫] আহমাদ ১৪৩৮১, ১৪৮৪৬। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯/৪৬. অধ্যায়:
যিলকদ মাসের উমরা
২৯৯৬
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ لَمْ يَعْتَمِرْ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِلاَّ فِي ذِي الْقَعْدَةِ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কেবল যিলকাদ মাসেই উমরা করেছেন। [২৯৯৬]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[২৯৯৬] তিরমিযী ৮১৬, আহমাদ ২২১২, সহীহ আবু দাউদ ১৭৩৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ইবনু আবু লায়লা সম্পর্কে ইয়াকুব বিন সুফইয়ান বলেন, তিনি সিকাহ। শু’বাহ ইবনুল হাজ্জাজ বলেন, আমি তার চেয়ে দুর্বল স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন আর কাউকে দেখিনি। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল-কাত্তান বলেন, তিনি যইফ বা দুর্বল। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার স্মৃতিশক্তি খুবই দুর্বল। ইবনু মাঈন বলেন, সমস্যা নেই। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৪০৬, ২৫/৬২২ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
২৯৯৭
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ لَمْ يَعْتَمِرْ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عُمْرَةً إِلاَّ فِي ذِي الْقَعْدَةِ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যিলকাদ মাস ছাড়া অন্য কোন মাসে উমরা করেননি। [২৯৯৭]
তাহকীক আলবানী: সহীহ।
[২৯৯৭] আহমাদ ২৫৩৮২, সহীহ আবু দাউদ ১৭৩৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯/৪৭. অধ্যায়ঃ
রজব মাসের উমরা
২৯৯৮
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَيَّاشٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ حَبِيبٍ، – يَعْنِي ابْنَ أَبِي ثَابِتٍ – عَنْ عُرْوَةَ، قَالَ سُئِلَ ابْنُ عُمَرَ فِي أَىِّ شَهْرٍ اعْتَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ فِي رَجَبٍ . فَقَالَتْ عَائِشَةُ مَا اعْتَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي رَجَبٍ قَطُّ وَمَا اعْتَمَرَ إِلاَّ وَهُوَ مَعَهُ – تَعْنِي ابْنَ عُمَرَ .
উরওয়াহ থেকে বর্ণিতঃ
ইবনু উমার (রাঃ) এর নিকট জিজ্ঞাসা করা হলো যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন মাসে উমরা করেছেন? তিনি বলেন, রজব মাসে। তখন আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কখনও রজব মাসে উমরা করেননি। আর তিনি যখনই উমরা করেছেন, বিন উমার (রাঃ) তাঁর সাথে ছিলেন (কিন্তু তিনি ভুলবশত রজব মাসে বলেছেন)। [২৯৯৮]
[২৯৯৮] সহীহুল বুখারী ১৭৭৬, মুসলিম ১২৫৫, তিরমিযী ৯৩৬, ৯৩৭, আবূ দাউদ ১৯৯২, আহমাদ ৫৩৬০, ৫৩৯৩, ৬০৯১, ৬২৫৯, ৬৩৯৪। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯/৪৮. অধ্যায়ঃ
তানঈম নামক স্থান থেকে উমরা করা
২৯৯৯
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو إِسْحَاقَ الشَّافِعِيُّ إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ الْعَبَّاسِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ شَافِعٍ قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ أَوْسٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَمَرَهُ أَنْ يُرْدِفَ عَائِشَةَ فَيُعْمِرَهَا مِنَ التَّنْعِيمِ .
আবদুর রহমান বিন আবূ বাকর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে নির্দেশ দেন যে, তিনি যেন আয়িশাহ (রাঃ) -কে নিজের জন্তুযানে করে নিয়ে যান এবং তানঈম নামক স্থান থেকে তার উমরা করার ব্যবস্থা করেন। [২৯৯৯]
তাহকীক আলবানী: সহীহ।
[২৯৯৯] সহীহুল বুখারী ১৭৮৪, ২৯৮৫, মুসলিম ১২১২, তিরমিযী ৯৩৪, আবূ দাউদ ২৯৯৫, আহমাদ ১৭০৭, ১৭১১, দারেমী ১৮৬২, ১৭৬৩, ইরওয়া ১০৯০, সহীহ আবু দাউদ ১৭৪১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩০০০
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي حِجَّةِ الْوَدَاعِ نُوَافِي هِلاَلَ ذِي الْحِجَّةِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ” مَنْ أَرَادَ مِنْكُمْ أَنْ يُهِلَّ بِعُمْرَةٍ فَلْيُهْلِلْ فَلَوْلاَ أَنِّي أَهْدَيْتُ لأَهْلَلْتُ بِعُمْرَةٍ ” . قَالَتْ فَكَانَ مِنَ الْقَوْمِ مَنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ وَمِنْهُمْ مَنْ أَهَلَّ بِحَجٍّ فَكُنْتُ أَنَا مِمَّنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ . قَالَتْ فَخَرَجْنَا حَتَّى قَدِمْنَا مَكَّةَ فَأَدْرَكَنِي يَوْمُ عَرَفَةَ وَأَنَا حَائِضٌ لَمْ أَحِلَّ مِنْ عُمْرَتِي فَشَكَوْتُ ذَلِكَ إِلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ ” دَعِي عُمْرَتَكِ وَانْقُضِي رَأْسَكِ وَامْتَشِطِي وَأَهِلِّي بِالْحَجِّ ” . قَالَتْ فَفَعَلْتُ فَلَمَّا كَانَتْ لَيْلَةُ الْحَصْبَةِ وَقَدْ قَضَى اللَّهُ حَجَّنَا أَرْسَلَ مَعِي عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي بَكْرٍ فَأَرْدَفَنِي وَخَرَجَ إِلَى التَّنْعِيمِ فَأَهْلَلْتُ بِعُمْرَةٍ فَقَضَى اللَّهُ حَجَّنَا وَعُمْرَتَنَا وَلَمْ يَكُنْ فِي ذَلِكَ هَدْىٌ وَلاَ صَدَقَةٌ وَلاَ صَوْمٌ .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
জিলহজ্জ মাসের চাঁদ উদিত হওয়ার কাছাকাছি সময়ে আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে বিদায় হজ্জে রওয়ানা হলাম। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি উমরার উদ্দেশ্যে ইহরাম বাঁধতে চায় সে তা করতে পারে। আমি যদি সাথে কোরবানির পশু না আনতাম তবে অবশ্যই উমরার ইহরাম বাঁধতাম। আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, কাফেলার কতক উমরার উদ্দেশ্যে এবং কতক হজ্জের উদ্দেশ্যে ইহরাম বাঁধলো। যারা উমরার নিয়াতে ইহরাম বাঁধে আমি তাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম। তিনি আরো বলেন, আমরা রওয়ানা হয়ে মক্কায় পৌছলাম। আরাফাত দিবস নিকটবর্তী হলে আমি হায়েজগ্রস্থ হলাম এবং তখনও উমরার ইহরাম খুলিনি। এ ব্যাপারে আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট অভিযোগ করলে তিনি বলেন: তুমি উমরা ত্যাগ করো, মাথার চুলের বাঁধন খুলে ফেলো, তাতে চিরুনী করো এবং হজ্জের ইহরাম বাঁধো। আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আমি তাই করলাম। যখন হাসবার রাত (যিলহজ্জ মাসের ১২ তম রাত) এলো এবং আল্লাহ তায়ালা আমাদের হজ্জ পূর্ণ করলেন তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার সাথে (আমার ভাই) আবদুর রহমান বিন আবূ বাকর (রাঃ) কে পাঠালেন। তিনি আমাকে তাঁর উটের পিঠে পেছন দিকে তুলে নিয়ে তানঈম রওনা হলেন। সেখানে আমি উমরার উদ্দেশ্যে ইহরাম বাঁধলাম। এভাবে আল্লাহ তায়ালা আমাদের হজ্জ ও উমরা পূর্ণ করে দিলেন এবং এজন্য আমাদের উপর না কোরবানী, না সদাকা, আর না রোযা বাধ্যতামূলক হয়েছিল। [৩০০০]
তাহকীক আলবানী: সহীহ।
[৩০০০] সহীহুল বুখারী ২৯৪, ৩০৫, ৩১৬, ৩১৭, ৩১৯, ১৫১৮, ১৫৫৬, ১৫৬০, ১৫৬১, ১৫৬২, ১৬৩৮, ১৬৪৩, ১৬৫০, ১৭০৯, ১৭২০, ১৭৬২, ১৭৮৩, ১৭৮৬, ১৭৮৭, ১৭৮৮, ২৩১৭, ২৯৫২, ২৯৮৪, ৪৩৯৫, ৪৪০৮, ৫৫৪৮, ৫৫৫৯, ৭২২৯, ১২১১, ১২১২, ১২২৮, ১২৭৭, তিরমিযী ৯৩৪, ৯৪৫, ২৯৬৫, নাসারী ২৪২, ২৯০, ২৪৮, ২৬৫০, ২৭১৭, ২৭১৮, ২৮৪১, ২৭৬৩, ২৭৬৪, ২৮০৩, ২৮০৪, ২৯৯০, ২৯৯১, আবূ দাঊদ ৭৫০, ১৭৭৮, ১৭৭৯, ১৭৮১, ১৭৮২, ২৩৫৫৬, ২৩৫৭৩, ২৩৫৮৯, ২৪০৪৪, ২৪৩৫৫, ২৪৩৮৫, ২৪৭৭৯, ২৪৭৮৮, ২৪৯১৩, ২৫০৫০, ২৫৩১০, ২৫৫৩৪, ২৫৫৫৪, ২৭৬৫৪, ২৫৮১২, মুওয়াত্তা’ মালিক ৭৪৬, ৮৯৬, ৯৪০, ৯৪১, দারিমী ১৪৬, ১৯০৪। সহীহ আবূ দাঊদ ১৫৫৯।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯/৪৯. অধ্যায়ঃ
যে ব্যক্তি বাইতুল মুকাদ্দাস থেকে উমরার উদ্দেশ্যে ইহরাম বাঁধে
৩০০১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ سُحَيْمٍ، عَنْ أُمِّ حَكِيمٍ بِنْتِ أُمَيَّةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ مَنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ مِنْ بَيْتِ الْمَقْدِسِ غُفِرَ لَهُ ” .
উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি বায়তুল মাকদিস থেকে উমরার উদ্দেশ্যে ইহরাম বাঁধে, তাকে ক্ষমা করা হয়। [৩০০১]
তাহকীক আলবানী: দুর্বল।
[৩০০১] আবূ দাউদ ১৭৪১, মিশকাত ৩৫৩২, যইফাহ ২১১, আত-তালীকুর রাগীব ২/১১৯, ১২০। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাসানুল হাদিস। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সালিহ। সুলায়মান বিন তারখান ও সুলায়মান বিন মিহরান বলেন, তিনি মিথ্যুক। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি আমার নিকট হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫০৫৭, ২৪/৪০৫ নং পৃষ্ঠা) ২. উম্মু হাকীম বিনতু উমায়্যাহ সম্পর্কে ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মাকবুলাহ। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি সিকাহ। তিনি সানাদ ও মাতানে ইদতিরাব করতেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭৮২০, ৩৫/১৫৭ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩০০২
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُصَفَّى الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ أُمِّهِ أُمِّ حَكِيمٍ بِنْتِ أُمَيَّةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ مَنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ مِنْ بَيْتِ الْمَقْدِسِ كَانَتْ لَهُ كَفَّارَةً لِمَا قَبْلَهَا مِنَ الذُّنُوبِ ” . قَالَتْ فَخَرَجْتُ – أَىْ مِنْ بَيْتِ الْمَقْدِسِ – بِعُمْرَةٍ .
উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কোন ব্যক্তি বায়তুল মাকদিস থেকে উমরার উদ্দেশ্যে ইহরাম বাঁধলে তাতে তার পূর্বেকার সমস্ত গুনাহর কাফফারা হয়ে যায়। উম্মু সালামাহ (রাঃ) বলেন, অতএব আমি বায়তুল মুকাদ্দাস থেকে উমরার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। [৩০০২]
তাহকীক আলবানী: দুর্বল।
[৩০০২] আবূ দাউদ ১৭৪১, মিশকাত ৩৫৩২, যইফাহ ২১১, আত-তালীকুর রাগীব ২/১১৯, ১২০। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. মুহাম্মাদ ইবনুল মুসাফফা আল-হিমসী সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী ও ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ বললেও অন্যত্র বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ ও তাদলীস করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৬১৩, ২৬/৪৬৫ নং পৃষ্ঠা) ২. মুহাম্মাদ বিন ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাসানুল হাদিস। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সালিহ। সুলায়মান বিন তারখান ও সুলায়মান বিন মিহরান বলেন, তিনি মিথ্যুক। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি আমার নিকট হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫০৫৭, ২৪/৪০৫ নং পৃষ্ঠা) ৩. ইয়াহইয়া বিন আবু সুফইয়ান সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি শায়খ হিসেবে প্রসিদ্ধ নয়। আবু হাতিম বিন হিব্বান তার সিকাহ গ্রন্থে তার নাম উল্লেখ করেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে অজ্ঞাত। ইমাম যাহাবী তাকে সিকাহ বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৮৩৭, ৩১/৩৫৯ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
১৯/৫০. অধ্যায়ঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কতটি উমরা করেছেন?
৩০০৩
حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الشَّافِعِيُّ، إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ اعْتَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَرْبَعَ عُمَرٍ عُمْرَةَ الْحُدَيْبِيَةِ وَعُمْرَةَ الْقَضَاءِ مِنْ قَابِلٍ وَالثَّالِثَةَ مِنَ الْجِعْرَانَةِ وَالرَّابِعَةَ الَّتِي مَعَ حَجَّتِهِ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চারবার উমরা করেছেন: হুদায়বিয়ার উমরা, পরবর্তী বছরের কাযা উমরা, তৃতীয়টি জি’রানা থেকে এবং চতুর্থটি তার বিদায় হজ্জের সাথে উমরা। [৩০০৩]
তাহকীক আলবানী: সহীহ।
[৩০০৩] তিরমিযী ৮১৬, আহমাদ ১৯৯৩, ২২১২, ২৯৪৯, দারেমী ২৮৫৮, সহীহ আবু দাউদ ১৭৩৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯/৫১. অধ্যায়ঃ
মিনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়া
৩০০৪
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ صَلَّى بِمِنًى يَوْمَ التَّرْوِيَةِ الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ وَالْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ وَالْفَجْرَ ثُمَّ غَدَا إِلَى عَرَفَةَ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তারবিয়ার দিন (৮ যিলহজ্জ) মিনায় যুহর, আসর, মাগরিব, এশা ও ফজরের সলাত আদায় করেন, অত:পর ভোরবেলা আরাফাতে রওয়ানা হন। [৩০০৪]
তাহকীক আলবানী: সহীহ।
[৩০০৪] তিরমিযী ৮৭৯, ৮৮০, আবূ দাউদ ১৯১১, আহমাদ ২৩০৬, সহীহ আবু দাউদ ১৬৬৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ইসমাইল বিন মুসলিম সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবু বাকর আল-বাযযার বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, আমরা তার হাদিস দ্বারা দলীল পেশ করি না। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু আলী আল-হাফিয আন-নায়সাবুরী বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৮৩, ৩/১৯৮ নং পৃষ্ঠা)
উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু ইসমাইল বিন মুসলিম এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৪৮০ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, ৭ টি জাল, ৬৩ টি খুবই দুর্বল, ১৮৮ টি দুর্বল, ১০৫ টি হাসান, ১১৭ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ১৬৭৪, ১৬৮২, ৪৪১৪, মুসলিম ১২৮৮, ১২৯০, তিরমিযি ৮৭৯, ৮৮০, ৮৮৭, আবু দাউদ ১৯১১, ১৯২৬, ১৯২৯, ১৯৩১, ১৯৩৩, ১৯৩৪, দারিমী ১৫১৬, ১৫১৮, ১৮৭১, ১৮৮৩, ১৮৮৪, আহমাদ ২৩০৬, ২৫৩০, ২৬৯৬, ৩৬৩০, সহীহ ইবনু খুযাইমাহ ২৫২১, ২৬৩১, ২৬৩৯, ২৬৬৫, ২৬৭৪।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩০০৫
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ كَانَ يُصَلِّي الصَّلَوَاتِ الْخَمْسَ بِمِنًى ثُمَّ يُخْبِرُهُمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يَفْعَلُ ذَلِكَ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি মিনায় পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়তেন, অত:পর সঙ্গীদের অবহিত করতেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাই করতেন। [৩০০৫]
তাহকীক আলবানী: হাসান।
[৩০০৫] মুয়াত্তা মালেক ৯১২, সহীহ আবু দাউদ ১৬৬৯। তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল্লাহ বিন উমার সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি দুর্বল, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহণযোগ্য নয়। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী ও আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি দুর্বল। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল ছিলেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪৪০, ১৫/৩২৭ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
১৯/৫২. অধ্যায়ঃ
মিনায় অবস্থান
৩০০৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُهَاجِرٍ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مَاهَكَ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلاَ نَبْنِي لَكَ بِمِنًى بَيْتًا قَالَ “ لاَ مِنًى مُنَاخُ مَنْ سَبَقَ ” .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি আপনার জন্য মিনায় একটি ঘর বানিয়ে দিবো না? তিনি বলেনঃ না, যারা আগে পৌছে যাবে মিনা তাদের ঠিকানা। [৩০০৬]
তাহকীক আলবানী: দুর্বল।
[৩০০৬] তিরমিযী ৮৮১, আবূ দাউদ ২০১৯, আহমাদ ২৫০১৪, ২৫১৯০, দারেমী ১৯৩৭, যইফ আবু দাউদ ৩৪৫। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী ইবরাহীম বিন মুহাজির সম্পর্কে আবু বকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার হিফয শক্তি দুর্বল। যাকারিয়্যা বিন ইয়াহইয়া আস-সাজী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে। সুফইয়ান বিন উয়াইনাহ তাকে দুর্বল বলেছেন। মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন, তিনি সিকাহ। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৫০, ২/২২১ নং পৃষ্ঠা) ২. মুসায়কাহ সম্পর্কে ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে কিছু জানা যায়না। মুহাম্মাদ বিন ইসহাক বিন খুযায়মাহ বলেন, তার আদালাত ও জারাহ সম্পর্কে আমার জানা নেই। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭৯৩১, ৩৫/৩০৭ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩০০৭
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَعَمْرُو بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُهَاجِرٍ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مَاهَكَ، عَنْ أُمِّهِ، مُسَيْكَةَ عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلاَ نَبْنِي لَكَ بِمِنًى بُنْيَانًا يُظِلُّكَ قَالَ “ لاَ مِنًى مُنَاخُ مَنْ سَبَقَ ” .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি মিনায় আপনার জন্য একটি ঘর বানাবো না, যা আপনাকে ছায়া দান করবে? তিনি বলেন: না, মিনায় যারা আগে পৌছবে, তা তাদের ঠিকানা। [৩০০৭]
তাহকীক আলবানী: দুর্বল।
[৩০০৭] তিরমিযি ৮৮১, আবু দাউদ ২০১৯, আহমাদ ২৫০১৪, ২৫১৯০, যইফ আবু দাউদ ৩৪৫। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী ইবরাহীম বিন মুহাজির সম্পর্কে আবু বকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার হিফয শক্তি দুর্বল। যাকারিয়্যা বিন ইয়াহইয়া আস-সাজী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে। সুফইয়ান বিন উয়াইনাহ তাকে দুর্বল বলেছেন। মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন, তিনি সিকাহ। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৫০, ২/২২১ নং পৃষ্ঠা) ২. মুসায়কাহ সম্পর্কে ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে কিছু জানা যায়না। মুহাম্মাদ বিন ইসহাক বিন খুযায়মাহ বলেন, তার আদালাত ও জারাহ সম্পর্কে আমার জানা নেই। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭৯৩১, ৩৫/৩০৭ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
১৯/৫৩. অধ্যায়ঃ
ভোরবেলা মিনা থেকে আরাফাতে যাত্রা
৩০০৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ الْعَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ غَدَوْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي هَذَا الْيَوْمِ مِنْ مِنًى إِلَى عَرَفَةَ فَمِنَّا مَنْ يُكَبِّرُ وَمِنَّا مَنْ يُهِلُّ فَلَمْ يَعِبْ هَذَا عَلَى هَذَا وَلاَ هَذَا عَلَى هَذَا – وَرُبَّمَا قَالَ هَؤُلاَءِ عَلَى هَؤُلاَءِ وَلاَ هَؤُلاَءِ عَلَى هَؤُلاَءِ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা আজকের (৯ যিলহজ্জ) ভোরবেলা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে মিনা থেকে আরাফাতে রওয়ানা হয়েছিলাম। আমাদের মধ্যে কতক তাকবীর ধ্বনি উচ্চারণ করতো এবং কতক তাহলীল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) উচ্চারণ করতো। এদের কেউই এজন্য পরস্পরের প্রতি দোষারোপ করেননি। অথবা তিনি এ কথা বলেছেন যে, না এরা ওদের ত্রুটি নির্দেশ করেছে, আর না ওরা এদের ত্রুটি ধরেছে। [৩০০৮]
তাহকীক আলবানী: সহীহ।
[৩০০৮] সহীহুল বুখারী ৯৭০, ১৬৫৯, মুসলিম ১২৮৫, নাসায়ী ৩০০০, ৩০০১, আহমাদ ১১৬৫৯, ১৩১০৯, মুয়াত্তা মালেক ৭৫৩, দারেমী ১৮৭৭। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯/৫৪. অধ্যায়ঃ
আরাফাতে অবতরণের স্থান
৩০০৯
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَعَمْرُو بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، أَنْبَأَنَا نَافِعُ بْنُ عُمَرَ الْجُمَحِيُّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ حَسَّانَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ يَنْزِلُ بِعَرَفَةَ فِي وَادِي نَمِرَةَ . قَالَ فَلَمَّا قَتَلَ الْحَجَّاجُ ابْنَ الزُّبَيْرِ أَرْسَلَ إِلَى ابْنِ عُمَرَ أَىَّ سَاعَةٍ كَانَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَرُوحُ فِي هَذَا الْيَوْمِ قَالَ إِذَا كَانَ ذَلِكَ رُحْنَا . فَأَرْسَلَ الْحَجَّاجُ رَجُلاً يَنْظُرُ إِلَى سَاعَةِ يَرْتَحِلُ . فَلَمَّا أَرَادَ ابْنُ عُمَرَ أَنْ يَرْتَحِلَ قَالَ أَزَاغَتِ الشَّمْسُ قَالُوا لَمْ تَزِغْ بَعْدُ . فَجَلَسَ ثُمَّ قَالَ أَزَاغَتِ الشَّمْسُ قَالُوا لَمْ تَزِغْ بَعْدُ . فَجَلَسَ ثُمَّ قَالَ أَزَاغَتِ الشَّمْسُ قَالُوا لَمْ تَزِغْ بَعْدُ . فَجَلَسَ ثُمَّ قَالَ أَزَاغَتِ الشَّمْسُ قَالُوا نَعَمْ . فَلَمَّا قَالُوا قَدْ زَاغَتِ ارْتَحَلَ . قَالَ وَكِيعٌ يَعْنِي رَاحَ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরাফাতের ময়দানে ‘নামিরা’ উপত্যকায় অবতরণ করেছিলেন। রাবী বলেন, হাজ্জাজ বিন ইউসুফ, যুবায়ের (রাঃ) কে হত্যা করার পর বিন উমার (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করে পাঠায় যে, আজকের এ দিনের কোন সময় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (খোতবা দিতে মাঠের কেন্দ্রস্থলে) রওয়ানা হতেন? তিনি বলেন, সেই সময় উপস্থিত হলে স্বয়ং আমরাই রওয়ানা হবো। অতএব তিনি কখন রওয়ানা হন তা লক্ষ্য করার জন্য হাজ্জাজ একজন লোক পাঠায়। বিন উমার (রাঃ) যখন রওয়ানা হওয়ার ইচ্ছা করলেন, তখন জিজ্ঞেস করলেন, সূর্য কি ঢলে পড়েছে? লোকেরা বললো এখনও ঢলেনি। তিনি বসে রইলেন। কিছুক্ষণ পর তিনি জিজ্ঞেস করলেন, সূর্য কি ঢলে পড়েছে? তারা বললো, এখনও ঢলেনি। কিছুক্ষণ পর তিনি পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, সূর্য কি ঢলে পড়েছে? তারা বললো, হাঁ। তারা যখন বললো, সূর্য ঢলেছে তখন তিনি রওয়ানা হলেন। [৩০০৯]
তাহকীক আলবানী: হাসান।
[৩০০৯] আবূ দাউদ ১৯১৪, সহীহ আবু দাউদ ১৬৭২। তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী সাঈদ বিন হাসসান সম্পর্কে আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী ও আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন, তিনি সিকাহ। তাহরীরু তাকরীবুত তাহযীব এর লেখক বলেন, তার মাঝে জারাহ আছে কিনা তা আমার জানা নেই। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২২৫০, ১০/৩৮৪ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
১৯/৫৫. অধ্যায়ঃ
আরাফাতে অবস্থানস্থল
৩০১০
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَيَّاشٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ وَقَفَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِعَرَفَةَ فَقَالَ “ هَذَا الْمَوْقِفُ وَعَرَفَةُ كُلُّهَا مَوْقِفٌ ” .
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরাফাতে অবস্থান করেন এবং বলেন: এটাই অবস্থানস্থল, গোটা অরাফাতই অবস্থানস্থল। [৩০১০]
তাহকীক আলবানী: সহীহ।
[৩০১০] তিরমিযী ৮৮৫, আবূ দাউদ ১৯৩৫, আহমাদ ১৩৫১, হিজাবুল মারআহ ২৭। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুর রহমান বিন আয়্যাশ সম্পর্কে ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মাকবুল। ইমাম যাহাবী তাকে সিকাহ বলেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩০১১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَفْوَانَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ شَيْبَانَ، قَالَ كُنَّا وُقُوفًا فِي مَكَانٍ تُبَاعِدُهُ مِنَ الْمَوْقِفِ فَأَتَانَا ابْنُ مِرْبَعٍ فَقَالَ إِنِّي رَسُولُ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِلَيْكُمْ يَقُولُ “ كُونُوا عَلَى مَشَاعِرِكُمْ فَإِنَّكُمُ الْيَوْمَ عَلَى إِرْثٍ مِنْ إِرْثِ إِبْرَاهِيمَ ” .
ইয়াযীদ বিন শায়বান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা এক স্থানেই অবস্থানরত ছিলাম, কিন্তু আরাফাত থেকে তা দূরে মনে হলো। ইতিমধ্যে বিন মিরবা’ (রাঃ) আমাদের নিকট আসেন এবং বলেন, আমি তোমাদের নিকট রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর দূত হিসাবে এসেছি। তিনি বলেন: তোমরা নিজ নিজ স্থানে অবস্থান করো। কারণ তোমরা আজকে ইবরাহীম (আ:) এর উত্তরসূরি। [৩০১১]
তাহকীক আলবানী: সহীহ।
[৩০১১] তিরমিযী ৪৪৩, আবূ দাউদ ১৯১৯, আহমাদ ১৬৭৮২, মিশকাত ২৫৯৫, আত-তালীকুর রাগীব ২/১২৭, সহীহ আবু দাউদ ১৬৭৫। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩০১২
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْعُمَرِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ كُلُّ عَرَفَةَ مَوْقِفٌ وَارْفَعُوا عَنْ بَطْنِ عُرَنَةَ وَكُلُّ الْمُزْدَلِفَةِ مَوْقِفٌ وَارْفَعُوا عَنْ بَطْنِ مُحَسِّرٍ وَكُلُّ مِنًى مَنْحَرٌ إِلاَّ مَا وَرَاءَ الْعَقَبَةِ ” .
জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: সমগ্র অরাফাতই অবস্থানস্থল, বাতনে আরাফাত থেকে উঠে যাও। গোটা মুযদালিফাই অবস্থানস্থল এবং বাতনে মুহাসসির থেকে উঠে যাও (সেখানে অবস্থান করো না)। সমস্ত মিনাই কুরবানীর স্থান, কিন্তু জামরাতুল আকাবার পশ্চাদভাগ নয়। [৩০১২]
তাহকীক আলবানী: (اِلاَّ ماَ وَرَاءَ الْمَقَبَةِ) অর্থাৎ কিন্তু জামরাতুল আকাবার পশ্চাদভাগ নয়; কথাটি ব্যতীত সহীহ।
[৩০১২] আবূ দাঊদ ১৯৩৬, ১৯৩৭, দারিমী ১৮৭৯। সহীহ আবূ দাঊদ ১৬৬৫, ১৯২, ১৬৯৩, মিশকাত ২৫৯৬।
উক্ত হাদীসের রাবী কাসিম বিন আবদুল্লাহ আল-উমারী সম্পর্কে আবূ আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তার হাদীসের অনুসরণ করা যাবে না। আবুল ফাতহ আল-আযদী ও আবূ হাতিম আর রাযী বলেন, তিনি মিথ্যা বলার অভিযোগে অভিযুক্ত। আবূ দাঊদ আস সাজিসতানী বলেন, আমি তার থেকে কোন হাদীস গ্রহণ করিনি। আবূ যুরআহ আর রাযী বলেন, তিনি দুর্বল ও মিথ্যা বলার অভিযোগে অভিযুক্ত। ইমাম যাহাবী তাকে বর্জন করেছেন। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামাল: রাবী নং ৪৭৯৮, ২৩/৩৭৫ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯/৫৬. অধ্যায়ঃ
আরাফাতের দুআ’
৩০১৩
حَدَّثَنَا أَيُّوبُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْهَاشِمِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْقَاهِرِ بْنُ السَّرِيِّ السُّلَمِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ كِنَانَةَ بْنِ عَبَّاسِ بْنِ مِرْدَاسٍ السُّلَمِيُّ، أَنَّ أَبَاهُ، أَخْبَرَهُ عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ دَعَا لأُمَّتِهِ عَشِيَّةَ عَرَفَةَ بِالْمَغْفِرَةِ فَأُجِيبَ إِنِّي قَدْ غَفَرْتُ لَهُمْ مَا خَلاَ الظَّالِمَ فَإِنِّي آخُذُ لِلْمَظْلُومِ مِنْهُ . قَالَ ” أَىْ رَبِّ إِنْ شِئْتَ أَعْطَيْتَ الْمَظْلُومَ مِنَ الْجَنَّةِ وَغَفَرْتَ لِلظَّالِمِ ” . فَلَمْ يُجَبْ عَشِيَّتَهُ فَلَمَّا أَصْبَحَ بِالْمُزْدَلِفَةِ أَعَادَ الدُّعَاءَ فَأُجِيبَ إِلَى مَا سَأَلَ . قَالَ فَضَحِكَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ . أَوْ قَالَ تَبَسَّمَ . فَقَالَ لَهُ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي إِنَّ هَذِهِ لَسَاعَةٌ مَا كُنْتَ تَضْحَكُ فِيهَا فَمَا الَّذِي أَضْحَكَكَ أَضْحَكَ اللَّهُ سِنَّكَ قَالَ ” إِنَّ عَدُوَّ اللَّهِ إِبْلِيسَ لَمَّا عَلِمَ أَنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ قَدِ اسْتَجَابَ دُعَائِي وَغَفَرَ لأُمَّتِي أَخَذَ التُّرَابَ فَجَعَلَ يَحْثُوهُ عَلَى رَأْسِهِ وَيَدْعُو بِالْوَيْلِ وَالثُّبُورِ فَأَضْحَكَنِي مَا رَأَيْتُ مِنْ جَزَعِهِ ” .
আব্বাস বিন মিরদাস আস-সুলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাঃ) আরাফাতে তৃতীয় প্রহরে তাঁর উম্মাতের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে দুআ’ করেন। জবাবে আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁকে জানানো হয়: আমি তাদের ক্ষমা করে দিলাম, স্বৈরাচারী যালেম ব্যতীত। কারণ আমি অবশ্যই তার উপর নির্যাতিতের প্রতিশোধ নিবো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, হে প্রভু! আপনি ইচ্ছা করলে নির্যাতিত ব্যক্তিকে জান্নাত দান করতে এবং যালেমকে ক্ষমা করতে পারেন। কিন্তু রাত পর্যন্ত এর কোন জবাব পাওয়া গেলো না। ভোরবেলা তিনি মুযদালিফায় পুনরায় উপরোক্ত দুআ’ করেন। এবার তাঁর আবেদন কবুল হলো। রাবী বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আনন্দের হাসি দিলেন অথবা মুচকি হাসলেন। আবূ বাকর (রাঃ) ও উমার (রাঃ) তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য উৎসর্গিত হোক! আপনি এ (হজ্জের) সময় কখনও হাসেননি, আজ কোন জিনিস আপনাকে হাসালো? আল্লাহ আপনাকে হাসিমুখে রাখুন। তিনি বলেন: আল্লাহর দুশমন ইবলীস যখন জানতে পারলো যে, মহামহিম আল্লাহ আমার দুআ’ কবুল করেছেন এবং আমার উম্মাতকে ক্ষমা করেছেন, তখন সে গুড়া মাটি তুলে নিজের মাথায় ঢালতে ঢালতে বলতে লাগলো, হায় সর্বনাশ, হায় ধংস। আমি ওর যে অস্থিরতা দেখেছি তা আমাকে হাসিয়েছে। [৩০১৩]
তাহকীক আলবানী: দূর্বল।
৩০১৩] আবূ দাউদ ৫২৩৪, আহমাদ ১৫৭৭, মিশকাত ২৬০৩, আত-তালীকুর রাগীব ২/১২৭। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. আবদুল্লাহ বিন কিনায়হ বিন আব্বাস বিন মিরদান আস-সুলামী সম্পর্কে ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ইদতিরাব করেন। ইমাম বুখারী বলেন, তার হাদিস বিশুদ্ধ নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৫০৫, ১৫/৪৭৮ নং পৃষ্ঠা) ২. কিনানাহ বিন আব্বাস বিন মিরদাস আস-সুলামী সম্পর্কে আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তার হাদিস মুনকার। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। ইমাম বুখারী বলেন, তার হাদিস বিশুদ্ধ নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৯৯৮, ২৪/২২৬ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
৩০১৪
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الْمِصْرِيُّ أَبُو جَعْفَرٍ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مَخْرَمَةُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ يُونُسَ بْنَ يُوسُفَ، يَقُولُ عَنِ ابْنِ الْمُسَيَّبِ، قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ “ مَا مِنْ يَوْمٍ أَكْثَرَ مِنْ أَنْ يُعْتِقَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فِيهِ عَبْدًا مِنَ النَّارِ مِنْ يَوْمِ عَرَفَةَ وَإِنَّهُ لَيَدْنُو عَزَّ وَجَلَّ ثُمَّ يُبَاهِي بِهِمُ الْمَلاَئِكَةَ فَيَقُولُ مَا أَرَادَ هَؤُلاَءِ ” .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: মহামহিমান্বিত আল্লাহ আরাফাতের দিন জাহান্নাম থেকে যতো অধিক সংখ্যক বান্দাকে নাজাত দেন, অন্য কোন দিন এতো অধিক বান্দাকে নাজাত দেন না। মহাপ্রতাপশালী আল্লাহ এ দিন (বান্দার) নিকটবর্তী হন, অত:পর তাদের সম্পর্কে ফেরেশতাদের নিকট গৌরব করে বলেন: তারা কী চায়? [৩০১৪]
তাহকীক আলবানী: সহীহ।
[৩০১৪] মুসলিম ১৩৪৮, নাসায়ী ৩০০৩, সহীহাহ ২৫৫১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯/৫৭. অধ্যায়ঃ
যে ব্যক্তি মুযদালিফার রাতে ফজরের পূর্বে আরাফাতে আসে
৩০১৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَطَاءٍ، سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ يَعْمُرَ الدِّيلِيَّ، قَالَ شَهِدْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَهُوَ وَاقِفٌ بِعَرَفَةَ وَأَتَاهُ نَاسٌ مِنْ أَهْلِ نَجْدٍ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ الْحَجُّ قَالَ “ الْحَجُّ عَرَفَةُ فَمَنْ جَاءَ قَبْلَ صَلاَةِ الْفَجْرِ لَيْلَةَ جَمْعٍ فَقَدْ تَمَّ حَجُّهُ أَيَّامُ مِنًى ثَلاَثَةٌ فَمَنْ تَعَجَّلَ فِي يَوْمَيْنِ فَلاَ إِثْمَ عَلَيْهِ وَمَنْ تَأَخَّرَ فَلاَ إِثْمَ عَلَيْهِ ” . ثُمَّ أَرْدَفَ رَجُلاً خَلْفَهُ فَجَعَلَ يُنَادِي بِهِنَّ .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا الثَّوْرِيُّ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَطَاءٍ اللَّيْثِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَعْمُرَ الدِّيلِيِّ، قَالَ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِعَرَفَةَ فَجَاءَهُ نَفَرٌ مِنْ أَهْلِ نَجْدٍ فَذَكَرَ نَحْوَهُ . قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى مَا أُرَى لِلثَّوْرِيِّ حَدِيثًا أَشْرَفَ مِنْهُ .
আবদুর রহমান বিন ইয়া’মার আদ-দীলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর আরাফাতে উপস্থিতকালে তাঁর নিকট উপস্থিত ছিলাম। নাজদ এলাকার কতক লোক তাঁর নিকট হাযির হয়ে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! হজ্জ কিভাবে সম্পন্ন হয়? তিনি বলেন: “আরাফাতে অবস্থান হচ্ছে হজ্জ”। অতএব যে ব্যক্তি মুযদালিফার রাতে ফজর সলাতের পূর্বেই আরাফাতে এসে পৌঁছলো তার হজ্জ পূর্ণ হলো। মিনায় তিন দিন (১১,১২ ও ১৩ যুলহিজ্জা) অবস্থান করতে হয়। কিন্তু যদি কোন ব্যক্তি দু’দিন অবস্থানের পর চলে আসে, তবে তাতে কোন গুনাহ নেই। অত:পর তিনি কোন ব্যক্তিকে নিজ বাহনের পেছনে উঠিয়ে নিলেন এবং সে উচ্চৈ:স্বরে একথা ঘোষণা করতে থাকলো।
২/৩০১৫ (১) . আবদুর রহমান বিন ইয়া’মার আদ-দীলী (রাঃ) , তিনি বলেন, আমি আরাফাতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এলাম। তখন নাজদের একদল লোক তাঁর নিকট উপস্থিত হলো … অবশিষ্ট বর্ণনা পূর্বোক্ত হাদীসের অনূরূপ। মুহাম্মাদ বিন ইয়াহইয়া বলেন, আমি সাওরীর কোন রিওয়ায়াত এ হাদীসের তুলনায় অধিক উত্তম পাইনি। [৩০১৫]
তাহকীক আলবানী: সহীহ।
[৩০১৫] তিরমিযী ৮৮৯, নাসায়ী ৩০৪৪,আবূ দাউদ ১৯৪৯, আহমাদ ১৮২৯৬, ১৮২৯৮, ১৮৪৭৫, দারেমী ১৮৮৭, ইরওয়া ১০৬৪, মিশকাত ২৭১৪, সহীহ আবু দাউদ ১৭০৩। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩০১৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ عَامِرٍ، – يَعْنِي الشَّعْبِيَّ – عَنْ عُرْوَةَ بْنِ مُضَرِّسٍ الطَّائِيِّ، أَنَّهُ حَجَّ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَلَمْ يُدْرِكِ النَّاسَ إِلاَّ وَهُمْ بِجَمْعٍ . قَالَ فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَنْضَيْتُ رَاحِلَتِي وَأَتْعَبْتُ نَفْسِي وَاللَّهِ إِنْ تَرَكْتُ مِنْ حَبْلٍ إِلاَّ وَقَفْتُ عَلَيْهِ فَهَلْ لِي مِنْ حَجٍّ فَقَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ “ مَنْ شَهِدَ مَعَنَا الصَّلاَةَ وَأَفَاضَ مِنْ عَرَفَاتٍ لَيْلاً أَوْ نَهَارًا فَقَدْ قَضَى تَفَثَهُ وَتَمَّ حَجُّهُ ” .
উরওয়া বিন মুদাররিস আত-তায়ী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগে হজ্জ করেন। লোকেরা যখন মুযদালিফায় ছিল তখন তিনি পৌছেন। তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি আমার উষ্ট্রীকে শীর্ণকায় করে ফেলেছি (দীর্ঘ সফরে) এবং নিজেও কষ্টক্লেশ করেছি। আল্লাহর শপথ! আমি এমন কোন ঢিলা ত্যাগ করিনি যার উপর অবস্থান করিনি। আমার হজ্জ হয়েছে কি? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: যে ব্যক্তি আমাদের সাথে নামাযে শরীক হয়েছে এবং আরাফাতে অবস্থানের পর রাতে অথবা দিনে প্রত্যাবর্তন করেছে সে নিজের ময়লা-মালিন্য (নখ-চুল ইত্যাদি) দূর করেছে এবং তার হজ্জ পূর্ণ হয়েছে। [৩০১৬]
তাহকীক আলবানী: সহীহ।
[৩০১৬] তিরমিযী ৮৯১, নাসায়ী ৩০৩৯, ৩০৪০, ৩০৪১, ৩০৪২, ৩০৪৩, আবূ দাউদ ১৯৫০, আহমাদ ১৫৭৭৫, ১৭৮৩৬, ১৭৮৪০, দারেমী ১৮৮৮, ইরওয়া ১০৬৬, রাওদুন নাদীর ৬৭১, সহীহ আবু দাউদ ১৭০৪। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯/৫৮. অধ্যায়ঃ
আরাফাত থেকে প্রত্যাবর্তন
৩০১৭
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَعَمْرُو بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، أَنَّهُ سُئِلَ كَيْفَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَسِيرُ حِينَ دَفَعَ مِنْ عَرَفَةَ قَالَ كَانَ يَسِيرُ الْعَنَقَ فَإِذَا وَجَدَ فَجْوَةً نَصَّ . قَالَ وَكِيعٌ وَالنَّصُّ يَعْنِي فَوْقَ الْعَنَقِ .
উসামাহ বিন যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরাফাত থেকে প্রত্যাবর্তনকালে কিভাবে পথ অতিক্রম করতেন? তিনি বললেন, তিনি জন্তযানে আরোহিত অবস্থায় কিছুটা দ্রুত গতিতে পথ অতিক্রম করতেন। উন্মুক্ত জায়গা পেলে তিনি দ্রুত চলতেন। ওয়াকী (রহঃ) বলেন, অর্থাৎ প্রথমোক্ত গতিবেগের তুলনায় অধিক দ্রুত বেগে (চলতেন)। [৩০১৭]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[৩০১৭] সহীহুল বুখারী ১৬৬৬, ২৯৯৯, ৪৪১৩, মুসলিম ১২৮৬, নাসায়ী ৩০২৩, ৩০৫১, আবূ দাউদ ১৯২৩, আহমাদ ২১২৭৬, ২১৩২৬, মুয়াত্তা মালেক ৮৯৩, ১৮৮০, সহীহ আবু দাউদ ১৬৭৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩০১৮
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَنْبَأَنَا الثَّوْرِيُّ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ قَالَتْ قُرَيْشٌ نَحْنُ قَوَاطِنُ الْبَيْتِ لَا نُجَاوِزُ الْحَرَمَ فَقَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ { ثُمَّ أَفِيضُوا مِنْ حَيْثُ أَفَاضَ النَّاسُ
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
কুরাইশগণ বললেন, আমরা তো বায়তুল্লাহর অধিবাসী। তাই আমরা হারামের বাইরে যাই না (আরাফাত হারামের সীমার বাইরে হওয়াতে তারা আরাফাতে যেতো না)। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ্ বলেনঃ “আতঃপর অন্যান্য লোক যেখান থেকে প্রত্যাবর্তন করে, তোমরাও সেখান থেকে প্রত্যাবর্তন কর।” (সূরা বাকারাঃ ১৯৯)। [৩০১৮]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[৩০১৮] সহীহুল বুখারী ১৬৬৫, ৪৫২০, মুসলিম ১২১৯, তিরমিযী ৮৮৪, নাসায়ী ৩০১২, আবূ দাউদ ১৯১০। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯/৫৯. অধ্যায়ঃ
প্রয়োজনবোধে আরাফাত ও মুযদালিফার মাঝে যাত্রাবিরতি।
৩০১৯
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ أَفَضْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَلَمَّا بَلَغَ الشِّعْبَ الَّذِي يَنْزِلُ عِنْدَهُ الأُمَرَاءُ نَزَلَ فَبَالَ وَتَوَضَّأَ قُلْتُ الصَّلاَةَ . قَالَ “ الصَّلاَةُ أَمَامَكَ ” . فَلَمَّا انْتَهَى إِلَى جَمْعٍ أَذَّنَ وَأَقَامَ ثُمَّ صَلَّى الْمَغْرِبَ ثُمَّ لَمْ يَحِلَّ أَحَدٌ مِنَ النَّاسِ حَتَّى قَامَ فَصَلَّى الْعِشَاءَ .
উসামাহ বিন যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে (আরাফাত থেকে) প্রত্যাবর্তন করলাম। যখন তিনি সেই উপত্যকায় পৌঁছালেন যেখানে সম্ভ্রান্ত লোকেরা যাত্রাবিরতি করে, তখন সেখানে যাত্রাবিরতি দিয়ে পেশাব করেন, অতঃপর উযু করেন। আমি বললাম, (মাগরিবের) নামায পরে নিন। তিনি বলেনঃ আরও সামনে এগিয়ে গিয়ে নামায পড়বো। তিনি মুযদালিফায় পৌঁছলে আযান ও ইকামত দেওয়া হল এবং মাগরিবের সালাত আদায় করলেন। অতঃপর কেউ জন্তুযানের পালান না খুলতেই তিনি দাঁড়িয়ে গেলেন এবং এশার সালাত আদায় করলেন। [৩০১৯]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[৩০১৯] সহীহুল বুখারী ১৩৯, ১৮১, ১৬৬৭, ১৬৭০, ১৬৭২, মুসলিম ১২৮০, নাসায়ী ৬০৯, ৩০২৪, ৩০২৫, ৩০৩১, আবূ দাউদ ১৯২১, ১৯২৫, আহমাদ ২১২৩৫, ২১২৪২, ২১২৪৯, ২১২৫৪, ২১২৮৩, ২১২৯৬, ২১৩০৫, ২১৩২৪, মুয়াত্তা মালেক ৯০৪, দারেমী ১৮৮০, ১৮৮১, সহীহ আবু দাউদ ১৬৮১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯/৬০.অধ্যায়ঃ
মুযদালিফায় দু’ওয়াক্তের নামায একসঙ্গে পড়া।
৩০২০
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ الْخَطْمِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا أَيُّوبَ الأَنْصَارِيَّ، يَقُولُ صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ الْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ فِي حِجَّةِ الْوَدَاعِ بِالْمُزْدَلِفَةِ .
আবদুল্লাহ বিন ইয়াযীদ আল-খাতমী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি আবূ আয়্যূব (খালিদ বিন যায়দ) আল-আনসারী (রাঃ) কে বলতে শুনেছেন, আমি বিদায় হজ্জের সফরে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে মুযদালিফায় মাগরিব ও এশার নামায পড়েছি। [৩০২০]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[৩০২০] সহীহুল বুখারী ১৬৭৪, ৪৪১৪, মুসলিম ১২৮৭, নাসায়ী ৬০৫, ৩০২৬, আহমাদ ২৩০৩৭, ২৩০৫০, ২৩০৫৪, ২৩০৬০, মুয়াত্তা মালেক ৯১৫, দারেমী ১৫১৬, ১৮৮৩। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩০২১
حَدَّثَنَا مُحْرِزُ بْنُ سَلَمَةَ الْعَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ صَلَّى الْمَغْرِبَ بِالْمُزْدَلِفَةِ فَلَمَّا أَنَخْنَا قَالَ “ الصَّلاَةُ بِإِقَامَةٍ ” .
আবদুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুযদালিফায় মাগরিবের সালাত আদায় করলেন। আমরা যখন উটগুলো বসাচ্ছিলাম তখন তিনি বলেনঃ (এশার) সালাতের ইকামাত হচ্ছে। [৩০২১]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[৩০২১]
সহীহুল বুখারী ১০৯২, ১১০৮, ১১০৯, ১৬৬৮, ১৬৭৩, ১৬৭৫, ১৮০৫, ৩০০০ মুসলিম ৭০৩, ১২৮৮, ১২৮৯, তিরমিযী ৮৮৭, নাসায়ী ৬০৬, ৬০৭, ৬০৮, ৩০২৮, ৩০২৯, ৩০৩০, ৩০২৮, আবূ দাউদ ১৯২৬, ১৯২৯, ১৯৩১, ১৯৩২, ১৯৩৩, আহমাদ ৪৪৪৬, ৪৪৫৮, ৪৬৬২, ৪৮৭৫, ৫১৬৪, ৫২৬৫, ৫৪৭১, ৫৪৮২, ৫৫১৩, ৬০৪৭, ৬৩৬৩, ৬৪৩৭, মুয়াত্তা মালেক ৯১৩, ৯১৬, দারেমী ১৫১৮, ১৮৮৪, সহীহ আবু দাউদ ১৬৮২, ১৬৮৩। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল আযীয বিন মুহাম্মাদ সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সা’দ বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। মালিক বিন আনাস তাকে সিকাহ বলেছেন। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন নাসায়ী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে নিজ কিতাব ছাড়া অন্যত্র থেকে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪৭০, ১৮/১৮৭ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯/৬১. অধ্যায়ঃ
মুযদালিফায় অবস্থান।
৩০২২
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ حَجَّاجٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، قَالَ حَجَجْنَا مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَلَمَّا أَرَدْنَا أَنْ نُفِيضَ، مِنَ الْمُزْدَلِفَةِ قَالَ إِنَّ الْمُشْرِكِينَ كَانُوا يَقُولُونَ أَشْرِقْ ثَبِيرُ كَيْمَا نُغِيرُ . وَكَانُوا لاَ يُفِيضُونَ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ فَخَالَفَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَأَفَاضَ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ
আমর বিন মায়মূন থেকে বর্ণিতঃ
আমরা উমার ইবনূল খাত্তাব (রাঃ) -এর সাথে হজ্জ করেছি। আমরা যখন মুযদালিফা থেকে প্রত্যাবর্তন করলাম তখন তিনি বলেন, মুশরিকরা বলতো, হে সাবীর (মুযদালিফার একটি পাহাড়) ! উজ্জ্বল হও, আমরা প্রত্যাবর্তন করবো। তারা সূর্য না উঠা পর্যন্ত (মুযদালিফা থেকে) প্রত্যাবর্তন করতো না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের বিপরীত আমল করেন এবং সূর্যোদয়ের পূর্বে (মিনার উদ্দেশ্যে) রওয়ানা করেন। [৩০২২]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[৩০২২] সহীহুল বুখারী ১৬৮৪, ৩৮৩৮, তিরমিযী ৪৯৬, নাসায়ী ৩০৪৭, আবূ দাউদ ১৯৩৮, আহমাদ ৮৫, ২০০, ২৭৭, ২৯৭, ৩৬০, ৩৮৭, দারেমী ১৮৯০, সহীহ আবু দাউদ ১৬৯৪, হিজাবুল মারআহ ৯০। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. আবু খালিদ আল আহমার সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু তার হাদিস দলীলযোগ্য নয়। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইবনু আদী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সালেহ কিন্তু হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ ও ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৫০৪, ১১/৩৯৪ নং পৃষ্ঠা) ২. হাজ্জাজ বিন আরতা সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবু বকর আল বায়হাকী বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়, অন্যত্র তিনি তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় তাদলীস করেন। মুহাম্মাদ বিন সা’দ তাকে দুর্বল বলেছেন। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি দুর্বল তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১১১২, ৫/৪২০ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩০২৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَجَاءٍ الْمَكِّيُّ، عَنِ الثَّوْرِيِّ، قَالَ قَالَ أَبُو الزُّبَيْرِ قَالَ جَابِرٌ أَفَاضَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ وَعَلَيْهِ السَّكِينَةُ وَأَمَرَهُمْ بِالسَّكِينَةِ وَأَمَرَهُمْ أَنْ يَرْمُوا بِمِثْلِ حَصَى الْخَذْفِ وَأَوْضَعَ فِي وَادِي مُحَسِّرٍ . وَقَالَ “ لِتَأْخُذْ أُمَّتِي نُسُكَهَا فَإِنِّي لاَ أَدْرِي لَعَلِّي لاَ أَلْقَاهُمْ بَعْدَ عَامِي هَذَا ”
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিদায় হজ্জে ধীরেসুস্থে (মুযদালিফা থেকে) রওয়ানা করেন এবং লোকেদেরও শান্তভাবে রওয়ানা হতে বলেন। (মিনায় পৌঁছার পর) তিনি তাদের নির্দেশ দেন যে, তারা যেন ক্ষুদ্র কাঁকর নিক্ষেপ করে। তিনি নিজে (মুযদালিফা ও মিনার মাঝখানে অবস্থিত) ওয়াদী মুহাসসির দ্রুত অতিক্রম করেন এবং বলেনঃ আমার উম্মাত যেন হজ্জের অনুষ্ঠানাদি শিখে নেয়। কারণ এ বছরের পর হয়তো আমি তাদের সাথে মিলিত হতে পারবো না। [৩০২৩]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[৩০২৩] বুখারী ১৫৫৭, ১৫৬৮, ১৫৭০, ১৬৫১, ১৭৮৫, ২৫০৬, ৪৩৫২, ৭২৩০, ৭৩৬৭, মুসলীম ১২১৩, ১২১৫, ১২১৬/১-৫, ১২১৮/১-৩, ১২৬৩/১-২, ১২৭৩, ১২৭৯, ১২৯৯, তিরমিযি ৮১৭, ৮৫৬-৫৭, ৮৬২, ৮৬৯, ৮৮৬, ৮৯৭, ৯৪৭, ২৯৬৭, ৩৭৮৬, নাসাঈ ২১৪, ২৯১, ৩৯২, ৪২৯, ৬০৪, ২৭১২, ২৭৪০, ২৭৪৩-৪৪, ২৭৫৬, ২৭৬১-৬৩, ২৭৯৮, ২৮০৫, ২৮৭২, ২৯৩৯, ২৯৪৪, ২৯৬১, ২৯৬২-৬৩, ২৯৬৯-৭৫, ২৯৮১-৮৫, ২৯৯৪, ৩০২১-২২, ৩০৫৩-৫৪, ৩০৭৪-৭৬, ৪১১৯, আবু দাউদ ১৭৮৫, ১৭৮৭-৮৯, ১৮১২, ১৮৮০, ১৮৯৫, ১৯০৫-৭, ১৯৪৪, ৩৯৬৯, আহমাদ ১৩৭০২, ১৩৮০১, ১৩৮২৬, ১৩৮৬৭, ১৪০০৯, ১৪০৩১, ১৪১৬১, ১৪২৫০, ১৪৪৮৪, ১৪৫২৫, ১৪৫৮৯, ১৪৬২১, ১৪৬৬৭, ১৪৭৩৫, ১৪৮২১, ১৪৮৫১, মুয়াত্তা মালিক ৮১৬, ৮৩৫-৩৬, ৮৪০, দারিমী ১৮০৫, ১৮৪০, ১৮৫০, ১৮৯৯, ইরওয়া ১০৭৪, সহীহ আবু দাউদ ১৬৯৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩০২৪
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَعَمْرُو بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي رَوَّادٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ الْحِمْصِيِّ، عَنْ بِلاَلِ بْنِ رَبَاحٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ لَهُ غَدَاةَ جَمْعٍ ” يَا بِلاَلُ أَسْكِتِ النَّاسَ ” . أَوْ ” أَنْصِتِ النَّاسَ ” . ثُمَّ قَالَ ” إِنَّ اللَّهَ تَطَوَّلَ عَلَيْكُمْ فِي جَمْعِكُمْ هَذَا فَوَهَبَ مُسِيئَكُمْ لِمُحْسِنِكُمْ وَأَعْطَى مُحْسِنَكُمْ مَا سَأَلَ ادْفَعُوا بِاسْمِ اللَّهِ ” .
বিলাল বিন রাবাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
মুযদালিফার দিন ভোরে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বলেনঃ হে বিলাল! লোকেদের চুপ করতে বল। আতঃপর তিনি বলেনঃ এই মুযদালিফায় আল্লাহ তাআ’লা তোমাদের প্রতি যথেষ্ট অনুগ্রহ করেছেন, তোমাদের উত্তম লোকেদের ওয়াসীলায় তোমাদের গুনাহগারদের ক্ষমা করেছেন এবং তোমাদের মধ্যে সৎকর্মশীল ব্যক্তি যা প্রার্থনা করেছে তিনি তাকে তা দিয়েছেন। অতএব তোমরা আল্লাহর নাম নিয়ে প্রত্যাবর্তন কর। [৩০২৪]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[৩০২৪]
হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সহীহাহ ১৬২৪। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. ইবনু আবু রাওওয়াদ সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন, তার স্মৃতিশক্তি দুর্বলতার দিক থেকে তিনি পরিচিত। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন ও মুরজীয়া মতাবলম্বী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪৪৭, ১৮/১৩৬ নং পৃষ্ঠা) ২. আবু সালামাহ আল-হিমসী সম্পর্কে আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। ইমাম যাহাবী বলেন, তার পরিচয় সম্পর্কে জানা যায়না। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭৪১১, ৩৩/৩৭৭ নং পৃষ্ঠা)
উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু ইবনু আবু রাওওয়াদ ও আবু সালামাহ আল-হিমসী এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ১৫ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, ৩ টি খুবই দুর্বল, ৫ টি দুর্বল, ৪ টি হাসান, ৩ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৮৮৩১, মা’রিফাতুস সাহাবাহ ৩০৩৭।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯/৬২. অধ্যায়ঃ
যে ব্যক্তি কংকর নিক্ষেপের উদ্দেশ্যে মুযদালিফা থেকে আগেভাগে চলে যায়।
৩০২৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا مِسْعَرٌ، وَسُفْيَانُ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنِ الْحَسَنِ الْعُرَنِيِّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَدَّمَنَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أُغَيْلِمَةَ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ عَلَى حُمُرَاتٍ لَنَا مِنْ جَمْعٍ فَجَعَلَ يَلْطَحُ أَفْخَاذَنَا وَيَقُولُ ” أُبَيْنِيَّ لاَ تَرْمُوا الْجَمْرَةَ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ ” . زَادَ سُفْيَانُ فِيهِ ” وَلاَ إِخَالُ أَحَدًا يَرْمِيهَا حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ ” .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে অর্থাৎ আবদুল মুত্তালিব গোত্রের অল্প বয়স্কদের আমাদের গাধাগুলোয় চড়িয়ে মুযদালিফা থেকে আগেভাগে পাঠিয়ে দেন। তিনি আমাদের উরুর উপর হালকা আঘাত করে বলতেনঃ আমার কচিকাঁচা! সূর্য উদিত না হওয়া পর্যন্ত জামরায় পাথর নিক্ষেপ করো না। সুফইয়ান এর বর্ণনায় আরও আছে, সূর্যোদয়ের পূর্বে কেউ কাঁকর নিক্ষেপ করতো কিনা জানি না। [৩০২৫]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[৩০২৫] ইবনু মাজাহ ৩০২৬, সহীহুল বুখারী ১৬৭৭, ১৬৭৮, ১৮৫৬, মুসলিম ১২৯৩, ১২৯৪, তিরমিযী ৮৯২, ৮৯৩, নাসায়ী ৩০৩২, ৩০৩৩, ৩০৩৪, ৩০৪৮, আবূ দাউদ ১৯৩৯, ১৯৪০, ১৯৪১, ইরওয়া ৪/২৭৬, মিশকাত ২৬১৩, সহীহ আবু দাউদ ১৬৯৬,১৬৯৭। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩০২৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا عَمْرٌو، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كُنْتُ فِيمَنْ قَدَّمَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي ضَعَفَةِ أَهْلِهِ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর পরিবারের যেসব দুর্বল লোকেদের (মুযদালিফা থেকে মিনায়) আগেভাগে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন, আমিও তাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম। [৩০২৬]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[৩০২৬] ইবনু মাজাহ ৩০২৬, সহীহুল বুখারী ১৬৭৭, ১৬৭৮, ১৮৫৬, মুসলিম ১২৯৩, ১২৯৪, তিরমিযী ৮৯২, ৮৯৩, নাসায়ী ৩০৩২, ৩০৩৩, ৩০৩৪, ৩০৪৮, আবূ দাউদ ১৯৩৯, ১৯৪০, ১৯৪১, ইরওয়া ৪/২৭৩। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩০২৭
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ سَوْدَةَ بِنْتَ زَمْعَةَ، كَانَتِ امْرَأَةً ثَبِطَةً فَاسْتَأْذَنَتْ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ تَدْفَعَ مِنْ جَمْعٍ قَبْلَ دُفْعَةِ النَّاسِ فَأَذِنَ لَهَا .
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নিশ্চয় সাওদা বিনতু যামআহ (রাঃ) স্থূলকায় ছিলেন। তিনি মুযদালিফা থেকে লোকেদের রওনা হওয়ার আগেই চলে যাওয়ার জন্য রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট অনুমতি চাইলেন। তিনি তাকে অনুমতি দিলেন। [৩০২৭]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[৩০২৭] সহীহুল বুখারী ১৬৮০, ১৬৮১, মুসলিম ১২৯০, নাসায়ী ৩০৩৭, ৩০৪৯, আবূ দাউদ ২৩৪৯৫, ২৪১১৪, ২৪১৫২, ২৪৪৯৬, ২৪৭৮৬, ২৫২৬০, দারেমী ১৮৮৬। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯/৬৩. অধ্যায়ঃ
জামরায় নিক্ষেপের কঙ্করের আকার।
৩০২৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الأَحْوَصِ، عَنْ أُمِّهِ، قَالَتْ رَأَيْتُ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَوْمَ النَّحْرِ عِنْدَ جَمْرَةِ الْعَقَبَةِ وَهُوَ رَاكِبٌ عَلَى بَغْلَةٍ فَقَالَ “ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِذَا رَمَيْتُمُ الْجَمْرَةَ فَارْمُوا بِمِثْلِ حَصَى الْخَذْفِ ” .
উম্মু জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
কোরবানির দিন জামরাতুল আকাবার নিকটে আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে খচ্চরের পিঠে আরোহিত অবস্থায় দেখেছি। তখন তিনি বলেছেনঃ হে লোকসকল! যখন তোমরা জামরায় (কংকর ) নিক্ষেপ করতে যাবে তখন সেখানে ক্ষুদ্র আকারের কংকর নিক্ষেপ করবে। [৩০২৮]
তাহকীক আলবানীঃ হাসান।
[৩০২৮] আবূ দাউদ ১৯৬৬, আহমাদ ১৫৬৫৭, ২৬৫৯০, সহীহ আবু দাউদ ১৭১৫। তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী ইয়াযীদ বিন আবু যিয়াদ সম্পর্কে আহমাদ বিন সালিহ তাকে সিকাহ বললেও ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যাবে কিন্তু দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, কোন সমস্যা নেই। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৯৯১, ৩২/১৩৫ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
৩০২৯
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ عَوْفٍ، عَنْ زِيَادِ بْنِ الْحُصَيْنِ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ غَدَاةَ الْعَقَبَةِ وَهُوَ عَلَى نَاقَتِهِ ” الْقُطْ لِي حَصًى ” . فَلَقَطْتُ لَهُ سَبْعَ حَصَيَاتٍ هُنَّ حَصَى الْخَذْفِ فَجَعَلَ يَنْفُضُهُنَّ فِي كَفِّهِ وَيَقُولُ ” أَمْثَالَ هَؤُلاَءِ فَارْمُوا ” . ثُمَّ قَالَ ” يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِيَّاكُمْ وَالْغُلُوَّ فِي الدِّينِ فَإِنَّمَا أَهْلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمُ الْغُلُوُّ فِي الدِّينِ ” .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জামরাতুল আকাবার ভোরে তাঁর উষ্ট্রীর পিঠে আরোহিত অবস্থায় বলেনঃ আমার জন্য কংকর সংগ্রহ করে লও। আমি তাঁর জন্য সাতটি কংকর সংগ্রহ করলাম। তা ছিল আকারে ক্ষুদ্র। তিনি তা নিজের হাতের তালুতে নাড়াচাড়া করতে করতে বলেনঃ এই আকারের ক্ষুদ্র কংকর নিক্ষেপ করবে। তিনি পুনরায় বলেনঃ দ্বীনের বিষয়ে বাড়াবাড়ি করা থেকে তোমরা সাবধান থাকো। কেননা তোমাদের পূর্বেকার লোকদেরকে দ্বীনের ব্যাপারে তাদের বাড়াবাড়ি ধ্বংস করেছে। [৩০২৯]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[৩০২৯] নাসায়ী ৩০৫৯, আহমাদ ১৮৫৪, সহীহাহ ১২৮৩, যিলাল ৯৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯/৬৪. অধ্যায়ঃ
যেখানে দাঁড়িয়ে জামরাতুল আকাবায় কংকর নিক্ষেপ করতে হয়।
৩০৩০
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الْمَسْعُودِيِّ، عَنْ جَامِعِ بْنِ شَدَّادٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ لَمَّا أَتَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ اسْتَبْطَنَ الْوَادِيَ وَاسْتَقْبَلَ الْكَعْبَةَ وَجَعَلَ الْجَمْرَةَ عَلَى حَاجِبِهِ الأَيْمَنِ ثُمَّ رَمَى بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ يُكَبِّرُ مَعَ كُلِّ حَصَاةٍ ثُمَّ قَالَ مِنْ هَاهُنَا وَالَّذِي لاَ إِلَهَ غَيْرُهُ رَمَى الَّذِي أُنْزِلَتْ عَلَيْهِ سُورَةُ الْبَقَرَةِ .
আবদুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) জামরাতুল আকাবায় পৌঁছে উপত্যকার নিম্নভূমিতে কাবাকে সামনে রেখে এবং জামরাতুল আকাবাকে ডান দিকে রেখে সাতটি কংকর নিক্ষেপ করেন। তিনি প্রতিটি কংকর নিক্ষেপের সাথে সাথে তাকবীর ধ্বনি উচ্চারণ করেন, অতঃপর বলেন, সেই মহান সত্তার শপথ যিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই! যে মহান ব্যক্তির উপর সূরা বাকারা নাযিল হয়েছিল তিনি এখান থেকে কংকর নিক্ষেপ করেছিলেন। [৩০৩০]
[৩০৩০] সহীহুল বুখারী ১৭৪৭, ১৭৪৮, ১৭৪৯, ১৭৫০, মুসলিম ১২৯৬, তিরমিযী ৯০১, নাসায়ী ৩০৭০, ৩০৭১, ৩০৭২, ৩০৭৩, আবূ দাঊদ ১৯৭৪, আহমাদ ৩৫৩৮, ৩৯৯২, ৪০৫১, ৪৩৪৬, ৪৩৫৭। আত তা’লীক আলা ইবনু খুমায়যাহ ২৮৮০, সহীহ আবূ দাঊদ ১২৭৩।
উক্ত হাদীসের রাবী আল-মাসঊদী সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু নুমায়র বলেন, তিনি সিকাহ তবে শেষ বয়সে হাদীস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেছেন। আহমাদ বিন হাম্বাল বলেন, তিনি সিকাহ তবে বাগদাদে হাদীস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেছেন। আলী ইবনুল মাদানী তাকে সিকাহ বলেছেন। (তাহযীবুল কালামঃ রাবী নং ৩৮৭২, ১৭/২১৯ নং পৃষ্ঠা)।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩০৩১
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الأَحْوَصِ، عَنْ أُمِّهِ، قَالَتْ رَأَيْتُ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَوْمَ النَّحْرِ عِنْدَ جَمْرَةِ الْعَقَبَةِ اسْتَبْطَنَ الْوَادِيَ فَرَمَى الْجَمْرَةَ بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ يُكَبِّرُ مَعَ كُلِّ حَصَاةٍ ثُمَّ انْصَرَفَ .
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الأَحْوَصِ، عَنْ أُمِّ جُنْدُبٍ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِنَحْوِهِ .
উম্মু জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি কোরবানির দিন জামরাতুল আকাবার নিকটে উপত্যকার কেন্দ্রস্থলে দাঁড়িয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে সাতটি কংকর নিক্ষেপ করতে দেখেছি। তিনি প্রতিটি কংকর নিক্ষেপের সাথে সাথে তাকবীর ধ্বনি উচ্চারণ করেন, অতঃপর প্রত্যাবর্তন করেন। [৩০৩১]
তাহকীক আলবানীঃ হাসান।
[৩০৩১] আবূ দাউদ ১৯৬৬, আহমাদ ১৫৬৫৭, ২৬৫৯০, সহীহ আবু দাউদ ১৭১৫-১৭১৭। তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী ইয়াযীদ বিন আবু যিয়াদ সম্পর্কে আহমাদ বিন সালিহ তাকে সিকাহ বললেও ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যাবে কিন্তু দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, কোন সমস্যা নেই। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৯৯১, ৩২/১৩৫ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস
- সরাসরি
১৯/৬৫. অধ্যায়ঃ
জামরাতুল আকাবায় কংকর নিক্ষেপের পর তথায় অবস্থান করবে না।
৩০৩২
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا طَلْحَةُ بْنُ يَحْيَى، عَنْ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ وَلَمْ يَقِفْ عِنْدَهَا وَذَكَرَ أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ .
ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি জামরাতুল আকাবায় কংকর নিক্ষেপের পর সেখানে আর অবস্থান করেন নি। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে , নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও এরূপ করেন। [৩০৩২]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[৩০৩২] সহীহুল বুখারী ১৭৫১, ১৭৫৩, নাসায়ী ৩০৮৩, আহমাদ ৬৩৬৮, দারেমী ১৯০৩, সহীহাহ ২০৭৩, সহীহ আবু দাউদ ১৭২২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী তালহাহ বিন ইয়াহইয়া সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল-কাত্তান বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। উসমান বিন আবু শায়বাহ বলেন, তিনি সিকাহ। তাহরীরু তাকরীবুত তাহযীব এর লেখক বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৯৮৫, ১৩/৪৪৪ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩০৩৩
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الْحَجَّاجِ، عَنِ الْحَكَمِ بْنِ عُتَيْبَةَ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِذَا رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ مَضَى وَلَمْ يَقِفْ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জামরাতুল আকাবায় কংকর নিক্ষেপ করে চলে যেতেন, অবস্থান করতেন না। [৩০৩৩]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[৩০৩৩] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সহীহাহ ২০৭৩, সহীহ আবু দাউদ ১৭২২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯/৬৬. অধ্যায়ঃ
আরোহিত অবস্থায় কংকর নিক্ষেপ করা।
৩০৩৪
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ حَجَّاجٍ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رَمَى الْجَمْرَةَ عَلَى رَاحِلَتِهِ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সওয়ারীতে আরোহিত অবস্থায় জামরায় কংকর নিক্ষেপ করেন। [৩০৩৪]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[৩০৩৪] তিরমিযী ৮৯৯, আহমাদ ২০৫৭, ২২৫৩, সহীহ আবু দাউদ ১৭১৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. আবু খালিদ আল আহমার সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু তার হাদিস দলীলযোগ্য নয়। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইবনু আদী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সালেহ কিন্তু হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ ও ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৫০৪, ১১/৩৯৪ নং পৃষ্ঠা) ২. হাজ্জাজ বিন আরতা সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবু বকর আল বায়হাকী বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়, অন্যত্র তিনি তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় তাদলীস করেন। মুহাম্মাদ বিন সা’দ তাকে দুর্বল বলেছেন। আহমাদ বিন শু’আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি দুর্বল তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১১১২, ৫/৪২০ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩০৩৫
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ أَيْمَنَ بْنِ نَابِلٍ، عَنْ قُدَامَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْعَامِرِيِّ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رَمَى الْجَمْرَةَ يَوْمَ النَّحْرِ عَلَى نَاقَةٍ لَهُ صَهْبَاءَ لاَ ضَرْبَ وَلاَ طَرْدَ وَلاَ إِلَيْكَ إِلَيْكَ .
কুদামাহ বিন আবদুল্লাহ আল-আমিরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে কোরবানির দিন লাল-সাদা মিশ্র বর্ণের একটি উষ্ট্রীতে সওয়ার অবস্থায় জামরায় কংকর নিক্ষেপ করতে দেখেছি। এতে না ছিল আঘাত, না ছিল হাঁকানো, না এদিক, না ওদিক। [৩০৩৫]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[৩০৩৫] তিরমিযী ৯০৩, নাসায়ী ৩০৬১, আহমাদ ১৪৯৮৫, দারেমী ১৯০১, মিশকাত ২৬২৩। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আয়মান বিন নাবীল সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তার থেকে হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেতেন। আবু আবদুল্লাহ আল-হাকিম আন-নায়সাবুরী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। সুফইয়ান আস-সাওরী বলেন, তিনি সিকাহ। মুহাম্মাদ বিন আম্মার তাকে সিকাহ বলেছেন। ইয়াকুব বিন শায়বাহ বলেন, তিনি মক্কায় সত্যবাদী ছিলেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৯৯, ৩/৪৪৭ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯/৬৭. অধ্যায়ঃ
ওজরবশত কংকর নিক্ষেপে বিলম্ব করা।
৩০৩৬
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ أَبِي الْبَدَّاحِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رَخَّصَ لِلرِّعَاءِ أَنْ يَرْمُوا يَوْمًا وَيَدَعُوا يَوْمًا .
আসিম বিন আদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উট চারকদের একদিন কাঁকর নিক্ষেপ করার ও একদিন বিরতি দেয়ার অনুমতি দিয়েছেন। [৩০৩৬]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[৩০৩৬] ইবনু মাজাহ ৩০৩৭, তিরমিযী ৯৫৪, ৯৫৫, নাসায়ী ৩০৬৮, ৩০৬৯, আবূ দাউদ ১৯৭৫, ১৯৭৬, আহমাদ ২৩২৬২, মুয়াত্তা মালেক ৯৩৫, দারেমী ১৮৯৭, ইরওয়া ১০৮০, সহীহ আবু দাউদ ১৭২৪, ১৭২৫। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩০৩৭
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي الْبَدَّاحِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ رَخَّصَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لِرِعَاءِ الإِبِلِ فِي الْبَيْتُوتَةِ أَنْ يَرْمُوا يَوْمَ النَّحْرِ ثُمَّ يَجْمَعُوا رَمْىَ يَوْمَيْنِ بَعْدَ النَّحْرِ فَيَرْمُونَهُ فِي أَحَدِهِمَا – قَالَ مَالِكٌ ظَنَنْتُ أَنَّهُ قَالَ فِي الأَوَّلِ مِنْهُمَا – ثُمَّ يَرْمُونَ يَوْمَ النَّفْرِ .
আসিম বিন আদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উট চারকদের মিনায় অথবা তার বাইরে রাত যাপনের অনুমতি দিয়েছেন, যেন তারা কোরবানীর দিন কংকর নিক্ষেপ করে। এরপর কোরবানীর পরে দু’দিনের কংকর একসাথে নিক্ষেপ করবে। তারা ঐ দু’দিনের যে কোন একদিন তা নিক্ষেপ করবে। ইমাম মালিক (রহঃ) বলেন, আমার মনে হয় আবদুল্লাহ দিন আবূ বকর বলেছেন, প্রথম দিন (কোরবানির দিন) কংকর নিক্ষেপ করবে, অতঃপর প্রস্থানের দিন কংকর নিক্ষেপ করবে। [৩০৩৭]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[৩০৩৭] তিরমিযি ৯৫৪, ৯৫৫, নাসাঈ ৩০৬৮, ৩০৬৯, আবু দাউদ ১৯৭৫, ১৯৭৬, আহমাদ ২৩২৬২, মুয়াত্তা মালিক ৯৩৫, দারিমী ১৮৯৭, ইরওয়া ১০৮০। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
১৯/৬৮. অধ্যায়ঃ
শিশুদের পক্ষ থেকে কংকর নিক্ষেপ
৩০৩৮
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ أَشْعَثَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ حَجَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَمَعَنَا النِّسَاءُ وَالصِّبْيَانُ فَلَبَّيْنَا عَنِ الصِّبْيَانِ وَرَمَيْنَا عَنْهُمْ .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে হজ্জ করলাম। আমাদের সাথে মহিলা ও শিশুরা ছিল। আমরা শিশুদের পক্ষ থেকে তালবিয়া পাঠ ও কংকর নিক্ষেপ করেছি। [৩০৩৮]
তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল।
[৩০৩৮] তিরমিযী ৯২৭, হুজ্জাতুন নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পৃষ্ঠা নং ৫০। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী 3038 আশআস সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন সিকাহ বললেও অন্যত্রে তিনি তাকে দুর্বল বলেছেন। উসমান বিন আবু শায়বাহ বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার হাদিস দলীলযোগ্য নয়। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তার মাঝে দুর্বলতা রয়েছে। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫২৪, ৩/২৬৪ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস
- সরাসরি
১৯/৬৯. অধ্যায়ঃ
হজ্জ আদায়কারী কখন তালবিয়া পাঠ বন্ধ করবে ?
৩০৩৯
حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ أَبُو بِشْرٍ، حَدَّثَنَا حَمْزَةُ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لَبَّى حَتَّى رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তালবিয়া পাঠ অব্যাহত রেখেছেন যতক্ষন না জামরাতুল আকাবায় (কোরবানীর দিন) কংকর নিক্ষেপ করেছেন। [৩০৩৯]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[৩০৩৯] নাসায়ী ৩০৫৬, ১৯৮৭, ইরওয়া ৪/২৯৬, রাওদুন নাদীর ৮৩৪, সহীহ আবু দাউদ ১৫৯৩। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
- সরাসরি
৩০৪০
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ خُصَيْفٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ الْفَضْلُ بْنُ عَبَّاسٍ كُنْتُ رِدْفَ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَمَا زِلْتُ أَسْمَعُهُ يُلَبِّي حَتَّى رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ فَلَمَّا رَمَاهَا قَطَعَ التَّلْبِيَةَ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ফাদল বিন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে একই বাহনে তাঁর পিছনে সওয়ার ছিলাম। আমি তাকে অনবরত তালবিয়া পাঠ করতে শুনেছি, যতক্ষন না তিনি জামরাতুল ‘আকাবায় কংকর নিক্ষেপ করেছেন। তিনি যখন তা নিক্ষেপ করেন, তখন তালবিয়া পাঠ বন্ধ করেছেন। [৩০৪০]
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
[৩০৪০] সহীহুল বুখারী ১৫৪৪, ১৬৭০,১৬৮৫, ১৬৮৭, মুসলিম ১২৮১, ১২৮২, তিরমিযী ৯১৮, নাসায়ী ৩০২০, ৩০৫২, ৩০৫৫, ৩০৭৯, ৩০৮০, ৩০৮১, ৩০৮২, আবূ দাউদ ১৮১৫, আহমাদ ১৭৯৪, ১৮০১, ১৮১১, ১৮২৪, ১৮৩৪, দারেমী ১৯০২, ইরওয়া ১০৯৮, রাওদুন নাদীর ৮৩৪। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
উক্ত হাদিসের রাবী খুসায়ফ সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তিনি যখন সিকাহ রাবী থেকে হাদিস বর্ণনা করেন তখন তার হাদিস গ্রহন করতে সমস্যা নেই। আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার হিফযের দুর্বলতা সম্পর্কে সমালোচনা রয়েছে। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার স্মৃতিশিক্তি দুর্বল, তিনি মুরজিয়া মতাবলম্বী। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার স্মৃতিশক্তি দুর্বল। মুহাম্মাদ বিন ইসহাক বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহণযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৬৯৩, ৮/২৫৭ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস